আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اَتٰۤی اَمْرُ اللّٰهِ فَلَا تَسْتَعْجِلُوْهُ ؕ سُبْحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشْرِکُوْنَ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আতাআমরুল্লা-হি ফালা-তাছতা‘জিলূহু ছুবহা-নাহূওয়া তা‘আ-লা-‘আম্মাইউশরিকূন।
আল বায়ান:
আল্লাহর আদেশ এসে গেছে, সুতরাং তার জন্য তাড়াহুড়া করো না। তিনি পবিত্র এবং তারা যা শিরক করে, তা থেকে ঊর্ধ্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর নির্দেশ এসে গেছে, অতএব এর জন্য তাড়াহুড়ো করো না। তিনি মহান পবিত্র, তারা যাকে শরীক সাব্যস্ত করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
Sahih International:
The command of Allah is coming, so be not impatient for it. Exalted is He and high above what they associate with Him.



یُنَزِّلُ الْمَلٰٓئِکَۃَ بِالرُّوْحِ مِنْ اَمْرِهٖ عَلٰی مَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖۤ اَنْ اَنْذِرُوْۤا اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاتَّقُوْنِ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ইউনাযযিলুল মালাইকাতা বিররূহি মিন আমরিহী ‘আলা- মাইঁ ইয়াশাউমিন ‘ইবাদিহীআন আনযিরূআন্নাহূলাইলা-হা ইল্লাআনা-ফাত্তাকূন।
আল বায়ান:
তিনি ফেরেশতাদের আপন নির্দেশে ওহী* দিয়ে নাযিল করেন তার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার প্রতি; যেন তোমরা সতর্ক কর যে, আমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। অতএব, তোমরা আমাকে ভয় কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাঁর এ রূহকে (ওহী) যে বান্দাহর উপর চান স্বীয় নির্দেশক্রমে ফেরেশতাদের মাধ্যমে অবতীর্ণ করেন (এই মর্মে যে) তোমরা সতর্ক কর যে, আমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই আমাকে ভয় কর।
Sahih International:
He sends down the angels, with the inspiration of His command, upon whom He wills of His servants, [telling them], "Warn that there is no deity except Me; so fear Me."



خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ بِالْحَقِّ ؕ تَعٰلٰی عَمَّا یُشْرِکُوْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিলহাক্কি তা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
তিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথই, তারা যা শরীক করে, তা থেকে তিনি ঊর্ধ্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি (বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে) প্রকৃতভাবেই আসমানসমূহ যমীন সৃষ্টি করেছেন, তারা যাকে আল্লাহর অংশীদার গণ্য করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
Sahih International:
He created the heavens and earth in truth. High is He above what they associate with Him.



خَلَقَ الْاِنْسَانَ مِنْ نُّطْفَۃٍ فَاِذَا هُوَ خَصِیْمٌ مُّبِیْنٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
খালাকাল ইনছা-না মিন নুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসীমুম মুবীন।
আল বায়ান:
তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ‘নুতফা’* থেকে, অথচ সে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি শুক্র-কীট থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন অথচ সে প্রকাশ্য ঝগড়াটে সেজে বসল।
Sahih International:
He created man from a sperm-drop; then at once, he is a clear adversary.



وَ الْاَنْعَامَ خَلَقَهَا ۚ لَکُمْ فِیْهَا دِفْءٌ وَّ مَنَافِعُ وَ مِنْهَا تَاْکُلُوْنَ ﴿۪۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল আন‘আ-মা খালাকাহা- লাকুম ফীহা-দিফউওঁ ওয়া মানা-ফি‘উ ওয়া মিনহাতা’কুলূন।
আল বায়ান:
আর চতুষ্পদ জন্তুগুলো তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন তাতে রয়েছে উষ্ণতার উপকরণ ও বিবিধ উপকার। আর তা থেকে তোমরা আহার গ্রহণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে তোমাদের জন্য আছে (শীত) নিবারক আর বহু উপকারিতাও, আর সেগুলো থেকে তোমরা আহার কর।
Sahih International:
And the grazing livestock He has created for you; in them is warmth and [numerous] benefits, and from them you eat.



وَ لَکُمْ فِیْهَا جَمَالٌ حِیْنَ تُرِیْحُوْنَ وَ حِیْنَ تَسْرَحُوْنَ ﴿۪۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকুম ফীহা-জামা-লুন হীনা তুরী হূনা ওয়াহীনা তাছরাহূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে সৌন্দর্য যখন সন্ধ্যায় তা ফিরিয়ে আন এবং সকালে চারণে নিয়ে যাও।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা গর্বভরে সৌন্দর্য অনুভব কর যখন তোমরা সন্ধ্যাবেলা সেগুলোকে বাড়ীর পানে হাঁকিয়ে আন আর সকাল বেলা বিচরণের জন্য পাঠাও।
Sahih International:
And for you in them is [the enjoyment of] beauty when you bring them in [for the evening] and when you send them out [to pasture].



وَ تَحْمِلُ اَثْقَالَکُمْ اِلٰی بَلَدٍ لَّمْ تَکُوْنُوْا بٰلِغِیْهِ اِلَّا بِشِقِّ الْاَنْفُسِ ؕ اِنَّ رَبَّکُمْ لَرَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাহমিলুআছকা-লাকুম ইলা-বালাদিল লাম তাকূনূবা-লিগীহি ইল্লা-বিশিক্কিল আনফুছি ইন্না রাব্বাকুম লারাঊফুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর এগুলো তোমাদের বোঝা বহন করে এমন দেশে নিয়ে যায়, ভীষণ কষ্ট ছাড়া যেখানে তোমরা পৌঁছতে সক্ষম হতে না। নিশ্চয় তোমাদের রব দয়াশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এগুলো তোমাদের ভার বোঝা বহন ক’রে এমন স্থান পর্যন্ত নিয়ে যায়, প্রাণান্তকর ক্লেশ ছাড়া যেখানে তোমরা পৌঁছতে পারতে না, তোমাদের প্রতিপালক অবশ্যই বড়ই দয়ার্দ্র, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
And they carry your loads to a land you could not have reached except with difficulty to yourselves. Indeed, your Lord is Kind and Merciful.



وَّ الْخَیْلَ وَ الْبِغَالَ وَ الْحَمِیْرَ لِتَرْکَبُوْهَا وَ زِیْنَۃً ؕ وَ یَخْلُقُ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল খাইলা ওয়াল বিগা-লা ওয়াল হমীরা লিতারকাবূহা-ওয়াযীনাতাওঁ ওয়া ইয়াখলুকু মা-লা-তা‘লামূন।
আল বায়ান:
আর (তিনি সৃষ্টি করেছেন) ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, তোমাদের আরোহণ ও শোভার জন্য এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন কিছু, যা তোমরা জান না।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি পয়দা করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই।
Sahih International:
And [He created] the horses, mules and donkeys for you to ride and [as] adornment. And He creates that which you do not know.



وَ عَلَی اللّٰهِ قَصْدُ السَّبِیْلِ وَ مِنْهَا جَآئِرٌ ؕ وَ لَوْ شَآءَ لَهَدٰىکُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আলাল্লা-হি কাসদুছছাবীলি ওয়া মিনহা-জাইরুওঁ ওয়া লাও শাআ লাহাদা-কুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
আর সঠিক পথ বাতলে দেয়া আল্লাহর দায়িত্ব, এবং পথের মধ্যে কিছু আছে বক্র। আর তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তবে তোমাদের সকলকে হিদায়াত করতেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহরই দায়িত্বে রয়েছে সরল পথপ্রদর্শন। পথগুলোর মধ্যে বাঁকা পথও আছে। তিনি যদি ইচ্ছে করতেন তাহলে অবশ্যই তোমাদের সকলকেই সঠিক পথ প্রদর্শন করতেন।
Sahih International:
And upon Allah is the direction of the [right] way, and among the various paths are those deviating. And if He willed, He could have guided you all.



هُوَ الَّذِیْۤ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً لَّکُمْ مِّنْهُ شَرَابٌ وَّ مِنْهُ شَجَرٌ فِیْهِ تُسِیْمُوْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযীআনযালা মিনাছছামাইমাআল্লাকুম মিনহু শারা-বুওঁ ওয়া মিনহু শাজারুন ফীহি তুছীমূন।
আল বায়ান:
তিনিই সে সত্তা, যিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন, যাতে রয়েছে তোমাদের জন্য পানীয় এবং তা থেকে হয় উদ্ভিত, যাতে তোমরা জন্তু চরাও।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন যাতে আছে তোমাদের জন্য পানীয় আর তাতে জন্মে বৃক্ষ লতা যা তোমাদের পশুগুলোকে খাওয়াও।
Sahih International:
It is He who sends down rain from the sky; from it is drink and from it is foliage in which you pasture [animals].



یُنْۢبِتُ لَکُمْ بِهِ الزَّرْعَ وَ الزَّیْتُوْنَ وَ النَّخِیْلَ وَ الْاَعْنَابَ وَ مِنْ کُلِّ الثَّمَرٰتِ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوْمٍ یَّتَفَکَّرُوْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইউমবিতুলাকুম বিহিযযার‘আ ওয়াযযাইতূনা ওয়ান্নাখীলা ওয়াল আ‘না-বা ওয়া মিন কুল্লিছছামারা-ত ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।
আল বায়ান:
তার মাধ্যমে তিনি তোমাদের জন্য উৎপন্ন করেন ফসল, যাইতুন, খেজুর গাছ, আঙ্গুর এবং সকল ফল-ফলাদি। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তা দিয়ে তোমাদের জন্য জন্মান শস্য, যায়তূন, খেজুর, আঙ্গুর এবং সর্বপ্রকার ফল। এতে চিন্তাশীল মানুষদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
He causes to grow for you thereby the crops, olives, palm trees, grapevines, and from all the fruits. Indeed in that is a sign for a people who give thought.



وَ سَخَّرَ لَکُمُ الَّیْلَ وَ النَّهَارَ ۙ وَ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ ؕ وَ النُّجُوْمُ مُسَخَّرٰتٌۢ بِاَمْرِهٖ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছাখখারা লাকুমুল লাইলা ওয়ান্নাহা-রা ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা ওয়াননুজূমু মুছাখখারা-তুম বিআমরিহি ইন্না ফী যা-লিকা লা আ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর তিনি তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন রাত ও দিনকে এবং সূর্য ও চাঁদকে এবং তারকাসমূহও তাঁর নির্দেশে নিয়োজিত। নিশ্চয় এতে অনেক নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য যারা বুঝে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই রাত ও দিনকে তোমাদের উপকারে নিয়োজিত করেছেন। আর সুরুজ ও চাঁদকেও; এবং তারকারাজিও তাঁরই নির্দেশে নিয়ন্ত্রিত; বিবেকসম্পন্ন লোকেদের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
And He has subjected for you the night and day and the sun and moon, and the stars are subjected by His command. Indeed in that are signs for a people who reason.



وَ مَا ذَرَاَ لَکُمْ فِی الْاَرْضِ مُخْتَلِفًا اَلْوَانُهٗ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوْمٍ یَّذَّکَّرُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-যারাআ লাকুম ফিল আরদিমুখতালিফান আলওয়া-নুহূ ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিকাওমিইঁ ইয়াযযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর তিনি তোমাদের জন্য যমীনে যা সৃষ্টি করেছেন, বিচিত্র রঙের করে, নিশ্চয় তাতেও নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা উপদেশ গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তিনি তোমাদের জন্য যমীনে বিভিন্ন রং-এর বস্তুরাজি সৃষ্টি করেছেন। এতে ঐ সমস্ত লোকেদের জন্য নিশ্চিতভাবে নিদর্শন আছে যারা উপদেশ গ্রহণ করতে চায়।
Sahih International:
And [He has subjected] whatever He multiplied for you on the earth of varying colors. Indeed in that is a sign for a people who remember.



وَ هُوَ الَّذِیْ سَخَّرَ الْبَحْرَ لِتَاْکُلُوْا مِنْهُ لَحْمًا طَرِیًّا وَّ تَسْتَخْرِجُوْا مِنْهُ حِلْیَۃً تَلْبَسُوْنَهَا ۚ وَ تَرَی الْفُلْکَ مَوَاخِرَ فِیْهِ وَ لِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ وَ لَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াহুওয়াল্লাযী ছাখখারাল বাহরা লিতা’কুলূমিনহু লাহমান তারিইইয়াওঁ ওয়া তাছতাখরিজূ মিনহু হিলয়াতান তালবাছূনাহা- ওয়া তারাল ফুলকা মাওয়া-খিরা ফীহি ওয়া লিতাবতাগূ মিন ফাদলিহী ওয়া লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই সে সত্তা, যিনি সমুদ্রকে নিয়োজিত করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা (মাছের) গোশ্ত খেতে পার এবং তা থেকে বের করতে পার অলংকারাদি, যা তোমরা পরিধান কর। আর তুমি তাতে নৌযান দেখবে তা পানি চিরে চলছে এবং যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পার এবং যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই সমুদ্রকে কল্যাণে নিয়োজিত রেখেছেন যাতে তোমরা তাত্থেকে তাজা গোশত খেতে পার, আর তাত্থেকে তোমরা রত্নরাজি সংগ্রহ করতে পার যা তোমরা অলংকার হিসেবে পরিধান কর। আর নৌযানগুলোকে তোমরা দেখতে পাও ঢেউয়ের বুক চিরে তাতে চলাচল করে, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ করতে পার আর শোকর আদায় করতে পার।
Sahih International:
And it is He who subjected the sea for you to eat from it tender meat and to extract from it ornaments which you wear. And you see the ships plowing through it, and [He subjected it] that you may seek of His bounty; and perhaps you will be grateful.



وَ اَلْقٰی فِی الْاَرْضِ رَوَاسِیَ اَنْ تَمِیْدَ بِکُمْ وَ اَنْهٰرًا وَّ سُبُلًا لَّعَلَّکُمْ تَهْتَدُوْنَ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আলকা-ফিল আরদি রাওয়া-ছিয়া আন তামীদাবিকুমওয়াআনহা-রাওঁ ওয়া ছুবুলাল লা‘আল্লাকুম তাহতাদূন।
আল বায়ান:
আর যমীনে তিনি স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পর্বতমালা, যাতে তোমাদের নিয়ে যমীন হেলে না যায় এবং নদ-নদী ও পথসমূহ, যাতে তোমরা পথপ্রাপ্ত হও।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি যমীনে সুদৃঢ় পর্বত সংস্থাপিত করেছেন যাতে যমীন তোমাদেরকে নিয়ে আন্দোলিত না হয়, আর সংস্থাপিত করেছেন নদী নির্ঝরিণী আর পথ যাতে তোমরা পথের সন্ধান পেতে পার।
Sahih International:
And He has cast into the earth firmly set mountains, lest it shift with you, and [made] rivers and roads, that you may be guided,



وَ عَلٰمٰتٍ ؕ وَ بِالنَّجْمِ هُمْ یَهْتَدُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আলা-মা-তিওঁ ওয়াবিন্নাজমি হুম ইয়াহতাদূ ন।
আল বায়ান:
আর (দিনের) পথ-নির্দেশক চি‎হ্নসমূহ, আরা (রাতে) তারকার মাধ্যমে তারা পথ পায়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর দিক-দিশা প্রদানকারী চিহ্নসমূহ; আর তারকারাজির সাহায্যেও তারা পথনির্দেশ লাভ করে।
Sahih International:
And landmarks. And by the stars they are [also] guided.



اَفَمَنْ یَّخْلُقُ کَمَنْ لَّا یَخْلُقُ ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
আফামাইঁ ইয়াখলুকুকামাল লা-ইয়াখলুকু আফালা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
সুতরাং যে সৃষ্টি করে, সে কি তার মত, যে সৃষ্টি করে না? অতএব তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি সৃষ্টি করেন তিনি কি তার মত যে সৃষ্টি করে না? তবে কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?
Sahih International:
Then is He who creates like one who does not create? So will you not be reminded?



وَ اِنْ تَعُدُّوْا نِعْمَۃَ اللّٰهِ لَا تُحْصُوْهَا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَغَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন তা‘উদ্দূনি‘মাতাল্লা-হি লা-তুহসূহা- ইন্নাল্লা-হা লাগাফরুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর যদি তোমরা আল্লাহর নিআমত গণনা কর, তবে তার ইয়ত্তা পাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আল্লাহর নি‘মাতসমূহকে গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না; আল্লাহ অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
And if you should count the favors of Allah, you could not enumerate them. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.



وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مَا تُسِرُّوْنَ وَ مَا تُعْلِنُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুমা-তুছিররূনা ওয়ামা-তু‘লিনূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ জানেন তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ্যে ঘোষণা কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ জানেন তোমরা যা গোপন কর আর যা তোমরা প্রকাশ কর।
Sahih International:
And Allah knows what you conceal and what you declare.



وَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَا یَخْلُقُوْنَ شَیْئًا وَّ هُمْ یُخْلَقُوْنَ ﴿ؕ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূনিল্লা-হি লা-ইয়াখলুকূ না শাইআওঁ ওয়া হুম ইউখলাকূন।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাকে, তারা কিছু সুষ্টি করতে পারে না, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য যাদেরকে ডাকে তারা কিছুই সৃষ্টি করে না, তারা (নিজেরাই) সৃষ্ট।
Sahih International:
And those they invoke other than Allah create nothing, and they [themselves] are created.



اَمْوَاتٌ غَیْرُ اَحْیَآءٍ ۚ وَ مَا یَشْعُرُوْنَ ۙ اَیَّانَ یُبْعَثُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আমওয়া-তুন গাইরু আহইয়াইওঁ ওয়ামা-ইয়াশ‘উরূনা আইইয়া-না ইউব‘আছূন।
আল বায়ান:
(তারা) মৃত, জীবিত নয় এবং তারা জানে না কখন তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা প্রাণহীন, জীবিত নয়, তাদের কোনই চেতনা নেই কবে তাদেরকে (পুনর্জীবিত করে) উঠানো হবে।
Sahih International:
They are, [in fact], dead, not alive, and they do not perceive when they will be resurrected.



اِلٰـهُکُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ فَالَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ قُلُوْبُهُمْ مُّنْکِرَۃٌ وَّ هُمْ مُّسْتَکْبِرُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়াহিদুন ফাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি কুলূবুহুম মুনকিরাতুওঁ ওয়াহুম মুছতাকবিরূন।
আল বায়ান:
তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। অতঃপর যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর অস্বীকারকারী এবং তারা অহঙ্কারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের ইলাহ হলেন এক ইলাহ। কাজেই যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সত্য-অস্বীকারকারী আর তারা অহংকারী।
Sahih International:
Your god is one God. But those who do not believe in the Hereafter - their hearts are disapproving, and they are arrogant.



لَاجَرَمَ اَنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ مَا یُسِرُّوْنَ وَ مَا یُعْلِنُوْنَ ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الْمُسْتَکْبِرِیْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
লা-জারামা আন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন ইন্নাহু লাইউহিব্বুল মুছতাকবিরীন।
আল বায়ান:
নিঃসন্দেহে তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ্যে ঘোষণা করে, নিশ্চয় তা আল্লাহ জানেন। নিশ্চয় তিনি অহঙ্কারীদের পছন্দ করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ জানেন যা তারা গোপন করে আর যা প্রকাশ করে, তিনি অহঙ্কারীদেরকে ভালবাসেন না।
Sahih International:
Assuredly, Allah knows what they conceal and what they declare. Indeed, He does not like the arrogant.



وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمْ مَّا ذَاۤ اَنْزَلَ رَبُّکُمْ ۙ قَالُوْۤا اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা- কীলা লাহুম মা-যাআনযালা রাব্বুকুম কা-লূআছা-তীরুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের বলা হয়, ‘তোমাদের রব কী নাযিল করেছেন’? তারা বলে, ‘পূর্ববর্তীদের কল্পকাহিনী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী নাযিল করেছেন’ তখন তারা বলে- ‘পূর্ববর্তীদের কল্প-কাহিনী’।
Sahih International:
And when it is said to them, "What has your Lord sent down?" They say, "Legends of the former peoples,"



لِیَحْمِلُوْۤا اَوْزَارَهُمْ کَامِلَۃً یَّوْمَ الْقِیٰمَۃِ ۙ وَ مِنْ اَوْزَارِ الَّذِیْنَ یُضِلُّوْنَهُمْ بِغَیْرِ عِلْمٍ ؕ اَلَا سَآءَ مَا یَزِرُوْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
লিইয়াহমিলূআওযা-রাহুম কা-মিলাতাইঁ ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া মিন আওযারিল্লাযীনা ইউদিললূনাহুম বিগাইরি ‘ইলমিন আলা-ছাআ মা ইয়াযিরূন।
আল বায়ান:
এতে করে তারা কিয়ামতের দিনে নিজদের পাপের বোঝা পুরোটাই বহন করবে এবং তাদের পাপের বোঝাও যাদেরকে তারা অজ্ঞতা হেতু পথভ্রষ্ট করে। তারা যা বহন করবে, তা কতই না নিকৃষ্ট!
তাইসিরুল কুরআন:
যার ফলে ক্বিয়ামাত দিবসে তারা বহন করবে নিজেদের পাপের বোঝা পূর্ণ মাত্রায়, আর (আংশিক) তাদেরও পাপের বোঝা যাদেরকে তারা গুমরাহ করেছে নিজেদের অজ্ঞতার কারণে। হায়, তারা যা বহন করবে তা কতই না নিকৃষ্ট!
Sahih International:
That they may bear their own burdens in full on the Day of Resurrection and some of the burdens of those whom they misguide without knowledge. Unquestionably, evil is that which they bear.



قَدْ مَکَرَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَاَتَی اللّٰهُ بُنْیَانَهُمْ مِّنَ الْقَوَاعِدِ فَخَرَّ عَلَیْهِمُ السَّقْفُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَ اَتٰىهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَیْثُ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কাদ মাকারাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাআতাল্লা-হুবুনইয়া-নাহুম মিনাল কাওয়া-‘ইদি ফাখাররা ‘আলাইহিমুছছাকফুমিন ফাউকিহিম ওয়া আতা-হুমুল ‘আযা-বুমিন হাইছু লাইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
তাদের পূর্বে যারা ছিল, তারা ষড়যন্ত্র করেছিল, অতঃপর আল্লাহ তাদের দালানের ভীতে আঘাত করেছিলেন, ফলে তাদের উপর থেকে তাদের ছাদ ধ্বসে পড়েছিল। আর তাদের উপর আযাব এসছিল এমনভাবে যে, তারা তা উপলব্ধি করতে পারেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও চক্রান্ত করেছিল। ফলে আল্লাহ তাদের ইমারাতকে মূল থেকে উৎপাটিত করেছিলেন আর উপর থেকে ছাদ তাদের উপর ভেঙ্গে পড়ল, আর তাদের প্রতি শাস্তি পতিত হল এমন দিক হতে যা তারা এতটুকু টের পায়নি।
Sahih International:
Those before them had already plotted, but Allah came at their building from the foundations, so the roof fell upon them from above them, and the punishment came to them from where they did not perceive.



ثُمَّ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ یُخْزِیْهِمْ وَ یَقُوْلُ اَیْنَ شُرَکَآءِیَ الَّذِیْنَ کُنْتُمْ تُشَآقُّوْنَ فِیْهِمْ ؕ قَالَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ اِنَّ الْخِزْیَ الْیَوْمَ وَ السُّوْٓءَ عَلَی الْکٰفِرِیْنَ ﴿ۙ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইউখযীহিম ওয়া ইয়াকূলুআইনা শুরাকাই ইয়াল্লাযীনা কুনতুম তুশাক্কূনা ফীহিম কা-লাল্লাযীনা ঊতুল ‘ইলমা ইন্নাল খিযইয়াল ইয়াওমা ওয়াছছূআ ‘আলাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন এবং বলবেন, ‘কোথায় আমার শরীকরা, যাদের ব্যাপারে তোমরা (মুমিনদের) বিরোধীতা করতে’? যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তারা বলবে, ‘নিশ্চয় লাঞ্ছনা ও দুর্গতি আজ কাফিরদের উপর।’
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ক্বিয়ামাত দিনে তিনি তাদেরকে অপমানিত করবেন আর বলবেন, ‘আমার অংশীদাররা কোথায় যাদের সম্পর্কে তোমরা (ঈমানদারদের সঙ্গে) বাক-বিতন্ডা করতে?’ যাদেরকে (দুনিয়ায়) জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলবে, ‘আজ অপমান আর দুর্ভাগ্য তো কাফিরদের জন্য
Sahih International:
Then on the Day of Resurrection He will disgrace them and say, "Where are My 'partners' for whom you used to oppose [the believers]?" Those who were given knowledge will say, "Indeed disgrace, this Day, and evil are upon the disbelievers" -



الَّذِیْنَ تَتَوَفّٰىهُمُ الْمَلٰٓئِکَۃُ ظَالِمِیْۤ اَنْفُسِهِمْ ۪ فَاَلْقَوُا السَّلَمَ مَا کُنَّا نَعْمَلُ مِنْ سُوْٓءٍ ؕ بَلٰۤی اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌۢ بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা তাতাওয়াফফা-হুমুল মালাইকাতুজা-লিমীআনফুছিহিম ফাআলকাউছ ছালামা মা-কুন্না-না‘মালুমিন ছূইন বালাইন্নাল্লা-হা ‘আলীমুম বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
নিজদের উপর যুলমকারী থাকা অবস্থায় ফেরেশতারা যাদের মৃত্যু ঘটাবে। অতঃপর তারা আত্মসমর্পণ করে বলবে, ‘আমরা কোন পাপ করতাম না।’ হ্যাঁ, নিশ্চয় তোমরা যা করতে সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরেশতারা যাদের মৃত্যু ঘটায় নিজেদের প্রতি যুলম করা অবস্থায়।’ অতঃপর তারা আত্মসমর্পণ ক’রে বলবে, ‘আমরা তো কোন খারাপ কাজ করতাম না।’ (ফেরেশতারা জবাব দিবে) ‘বরং, তোমরা যা করছিলে আল্লাহ সে বিষয়ে খুব ভালভাবেই অবগত।
Sahih International:
The ones whom the angels take in death [while] wronging themselves, and [who] then offer submission, [saying], "We were not doing any evil." But, yes! Indeed, Allah is Knowing of what you used to do.



فَادْخُلُوْۤا اَبْوَابَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ؕ فَلَبِئْسَ مَثْوَی الْمُتَکَبِّرِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফাদখুলূআবওয়া-বা জাহান্নামা খালিদীনা ফীহা- ফালাবি’ছা মাছওয়াল মুতাকাববিরীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তোমরা জাহান্নামের দরজাগুলো দিয়ে প্রবেশ কর, তাতে স্থায়ী হয়ে। অতএব অবশ্যই অহঙ্কারীদের আবাস অতিনিকৃষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই জাহান্নামের দরজায় প্রবেশ কর, সেখানে তোমাদেরকে চিরকাল থাকতে হবে, দাম্ভিকদের অবাসস্থল কতই না মন্দ!’
Sahih International:
So enter the gates of Hell to abide eternally therein, and how wretched is the residence of the arrogant.



وَ قِیْلَ لِلَّذِیْنَ اتَّقَوْا مَاذَاۤ اَنْزَلَ رَبُّکُمْ ؕ قَالُوْا خَیْرًا ؕ لِلَّذِیْنَ اَحْسَنُوْا فِیْ هٰذِهِ الدُّنْیَا حَسَنَۃٌ ؕ وَ لَدَارُ الْاٰخِرَۃِ خَیْرٌ ؕ وَ لَنِعْمَ دَارُ الْمُتَّقِیْنَ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কীলা লিল্লাযীনাততাকাও মা-যাআনযালা রাব্বুকুম কা-লূখাইরাল লিল্লাযীনা আহছানূফী হা-যিহিদদুনইয়া-হাছানাতুওঁ ওয়া লাদা-রুল আ-খিরাতি খাইরুওঁ ওয়ালানি‘মা দা-রুল মুত্তাকীন।
আল বায়ান:
আর যারা তাকওয়ার অবলম্বন করেছে, তাদের বলা হল, ‘তোমাদের রব কী নাযিল করেছেন’? তারা বলল, ‘কল্যাণ’। যারা এই দুনিয়ায় উত্তম কাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে পুণ্য। আর নিশ্চয় আখিরাতের আবাস উত্তম এবং মুত্তাকীদের আবাস কতইনা উত্তম!
তাইসিরুল কুরআন:
মুত্তাকীদের যখন বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করেছেন?’ তারা বলে, ‘যা কিছু উৎকৃষ্ট (তা-ই অবতীর্ণ করেছেন)।’ যারা সৎকর্ম করে তাদের জন্য এ দুনিয়াতে আছে কল্যাণ, আর তাদের পরকালের ঘর তো নিশ্চিতই কল্যাণকর। মুত্তাকীদের আবাসস্থল কতই না উত্তম!
Sahih International:
And it will be said to those who feared Allah, "What did your Lord send down?" They will say, "[That which is] good." For those who do good in this world is good; and the home of the Hereafter is better. And how excellent is the home of the righteous -



جَنّٰتُ عَدْنٍ یَّدْخُلُوْنَهَا تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ لَهُمْ فِیْهَا مَا یَشَآءُوْنَ ؕ کَذٰلِکَ یَجْزِی اللّٰهُ الْمُتَّقِیْنَ ﴿ۙ۳۱﴾
উচ্চারণ:
জান্না-তু‘আদনিইঁ ইয়াদখুলূনাহা-তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু লাহুম ফীহা-মাইয়াশাঊনা কাযা-লিকা ইয়াজযিল্লা-হুল মুত্তাকীন।
আল বায়ান:
স্থায়ী জান্নাতসমূহ যাতে তারা প্রবেশ করবে, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে নহরসমূহ। তারা চাইবে, তাদের জন্য তার মধ্যে তাই থাকবে। এভাবেই আল্লাহ মুত্তাকীদের প্রতিদান দেন।
তাইসিরুল কুরআন:
(তা হল) স্থায়ী জান্নাত যাতে তারা প্রবেশ করবে, তার নিম্নদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তারা যা ইচ্ছে করবে সেখানে তাদের জন্য তা-ই আছে- আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করেন।
Sahih International:
Gardens of perpetual residence, which they will enter, beneath which rivers flow. They will have therein whatever they wish. Thus does Allah reward the righteous -



الَّذِیْنَ تَتَوَفّٰىهُمُ الْمَلٰٓئِکَۃُ طَیِّبِیْنَ ۙ یَقُوْلُوْنَ سَلٰمٌ عَلَیْکُمُ ۙ ادْخُلُوا الْجَنَّۃَ بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা তাতাওয়াফফা-হুমুল মালাইকাতুতাইয়িবীনা ইয়াকূলূনা ছালা-মুন ‘আলাইকুমু দ খুলুল জান্নাতা বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
ফেরেশতারা যাদের মৃত্যু ঘটায় উত্তম অবস্থায়, তারা বলে, ‘তোমাদের উপর সালাম। জান্নাতে প্রবেশ কর, যে আমল তোমরা করতে তার কারণে।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরেশতা যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র অবস্থায় এই ব’লে যে, ‘তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমরা যে ‘আমাল করতে তার ফল হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ কর।’
Sahih International:
The ones whom the angels take in death, [being] good and pure; [the angels] will say, "Peace be upon you. Enter Paradise for what you used to do."



هَلْ یَنْظُرُوْنَ اِلَّاۤ اَنْ تَاْتِیَهُمُ الْمَلٰٓئِکَۃُ اَوْ یَاْتِیَ اَمْرُ رَبِّکَ ؕ کَذٰلِکَ فَعَلَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ وَ مَا ظَلَمَهُمُ اللّٰهُ وَ لٰکِنْ کَانُوْۤا اَنْفُسَهُمْ یَظْلِمُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
হাল ইয়ানজু রূনা ইল্লাআন তা’তিয়াহুমুল মালাইকাতুআও ইয়া’তিয়া আমরু রাব্বিকা কাযা-লিকা ফা‘আলাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ওয়ামা জালামাহুমুল্লা-হু ওয়ালা-কিন কানূআনফুছাহুম ইয়াজলিমূন।
আল বায়ান:
তারা শুধু ফেরেশতা আসার অপেক্ষা করছে অথবা তোমার রবের সিদ্ধান্ত আসার। এমনি করেছিল তারা, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আর আল্লাহ তাদের উপর যুলম করেননি, বরং তারাই নিজদের উপর যুলম করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি এই অপেক্ষায় আছে যে, ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে কিংবা তোমার প্রতিপালকের ফায়সালা এসে পড়বে? তাদের পূর্ববর্তীরাও এ রকমই করত। আল্লাহ তাদের প্রতি কোন যুলম করেননি বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলম করত।
Sahih International:
Do the disbelievers await [anything] except that the angels should come to them or there comes the command of your Lord? Thus did those do before them. And Allah wronged them not, but they had been wronging themselves.



فَاَصَابَهُمْ سَیِّاٰتُ مَا عَمِلُوْا وَ حَاقَ بِهِمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ফাআসা-বাহুম ছাইয়িআ-তু মা-‘আমিলূ ওয়া হা-কাবিহিমমা- কা-নূ বিহী ইয়াছতাহযিঊন।
আল বায়ান:
সুতরাং তারা যা করেছে, তার খারাপ পরিণতি তাদেরকে আক্রান্ত করেছে এবং তারা যা নিয়ে উপহাস করত, তা তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তাদের ‘আমালের মন্দ পরিণতি তাদের উপর আপতিত হল আর যে বিষয়কে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে ঘিরে ফেলল।
Sahih International:
So they were struck by the evil consequences of what they did and were enveloped by what they used to ridicule.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ اَشْرَکُوْا لَوْ شَآءَ اللّٰهُ مَا عَبَدْنَا مِنْ دُوْنِهٖ مِنْ شَیْءٍ نَّحْنُ وَ لَاۤ اٰبَآؤُنَا وَ لَا حَرَّمْنَا مِنْ دُوْنِهٖ مِنْ شَیْءٍ ؕ کَذٰلِکَ فَعَلَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ۚ فَهَلْ عَلَی الرُّسُلِ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِیْنُ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কালাল্লাযীনা আশরাকূলাও শাআল্লা-হু মা-‘আবাদনা-মিন দূ নিহী মিন শাইয়িন নাহনুওয়ালাআ-বাউনা-ওয়ালা-হাররামনা-মিন দূ নিহী মিন শাইয়িন কাযা-লিকা ফা‘আলাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাহাল ‘আলাররুছুলি ইল্লাল বালা-গুল মুবীন।
আল বায়ান:
আর যারা শিরক করেছে, তারা বলল, যদি আল্লাহ চাইতেন তবে আমরা তাকে ছাড়া কোন কিছুর ইবাদাত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষরাও না। আর তার বিপরীতে তো আমরা কোন কিছু হারাম করতাম না। এমনিই করেছে, যারা তাদের পূর্বে ছিল। সুতরাং স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া ছাড়া রাসূলদের কি কোন কর্তব্য আছে?
তাইসিরুল কুরআন:
মুশরিকরা বলে, ‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কোন কিছুর ‘ইবাদাত আমরাও করতাম না, আর আমাদের পিতৃপুরুষরাও না, আর তাঁর হুকুম ছাড়া কোন কিছুকে হারাম গণ্যও করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরাও এ রকমই করত। (তারা রসূলদের কথা অমান্য করলে রসূলদের তো আর কিছুই করার নেই, কারণ) স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া ছাড়া রসূলদের উপর কি কোন দায়িত্ব আছে?
Sahih International:
And those who associate others with Allah say, "If Allah had willed, we would not have worshipped anything other than Him, neither we nor our fathers, nor would we have forbidden anything through other than Him." Thus did those do before them. So is there upon the messengers except [the duty of] clear notification?



وَ لَقَدْ بَعَثْنَا فِیْ کُلِّ اُمَّۃٍ رَّسُوْلًا اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَ اجْتَنِبُوا الطَّاغُوْتَ ۚ فَمِنْهُمْ مَّنْ هَدَی اللّٰهُ وَ مِنْهُمْ مَّنْ حَقَّتْ عَلَیْهِ الضَّلٰلَۃُ ؕ فَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ বা‘আছনা-ফী কুল্লি উম্মাতির রাছূলান আনি‘বুদুল্লা-হা ওয়াজতানিবুততাগূতা ফামিনহুম মান হাদাল্লা-হু ওয়া মিনহুম মান হাক্কাত ‘আলাইহিদ্দালা-লাতু ফাছীরূ ফিল আরদিফানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুকাযযি বীন।
আল বায়ান:
আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেক জাতির কাছে আমি রসূল পাঠিয়েছি (এ সংবাদ দিয়ে) যে, আল্লাহর ‘ইবাদাত কর আর তাগুতকে বর্জন কর। অতঃপর আল্লাহ তাদের মধ্যে কতককে সৎপথ দেখিয়েছেন, আর কতকের উপর অবধারিত হয়েছে গুমরাহী, অতএব যমীনে ভ্রমণ করে দেখ, সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের পরিণতি কী ঘটেছিল!
Sahih International:
And We certainly sent into every nation a messenger, [saying], "Worship Allah and avoid Taghut." And among them were those whom Allah guided, and among them were those upon whom error was [deservedly] decreed. So proceed through the earth and observe how was the end of the deniers.



اِنْ تَحْرِصْ عَلٰی هُدٰىهُمْ فَاِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ مَنْ یُّضِلُّ وَ مَا لَهُمْ مِّنْ نّٰصِرِیْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ইন তাহরিস ‘আলা-হুদা-হুম ফাইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী মাইঁ ইউদিল্লুওয়ামা-লাহুম মিন্নাসিরীন।
আল বায়ান:
যদিও তুমি তাদের হিদায়াতের ব্যাপারে আকাঙ্ক্ষা কর, তবু নিশ্চয় আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে হিদায়াত দেন না এবং তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি তাদের হিদায়াতের জন্য লালায়িত হও তবে (জেনে রেখে যে) আল্লাহ তাকে সৎপথ দেখান না যাকে তিনি বিপথগামী হতে ছেড়ে দেন আর তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
Sahih International:
[Even] if you should strive for their guidance, [O Muhammad], indeed, Allah does not guide those He sends astray, and they will have no helpers.



وَ اَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَیْمَانِهِمْ ۙ لَا یَبْعَثُ اللّٰهُ مَنْ یَّمُوْتُ ؕ بَلٰی وَعْدًا عَلَیْهِ حَقًّا وَّ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আকছামূবিল্লা-হি জাহদা আইমা-নিহিম লা-ইয়াব‘আছুল্লা-হু মাইঁ ইয়ামূতু বালা-ওয়া‘দান ‘আলাইহি হাক্কাওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করেছেন যে, যে ব্যক্তি মারা যায়. আল্লাহ তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন না। হ্যাঁ, তার নিজের উপরে করা ওয়াদা তিনি সত্যে রূপ দেবেন; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর নামে শক্ত কসম খেয়ে বলে, ‘যার মুত্যৃ ঘটে আল্লাহ তাকে পুনরায় জীবিত করবেন না।’ অবশ্যই করবেন, এটা তো একটা প্রতিশ্রুতি যা পূরণ করা তাঁর দায়িত্ব, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।
Sahih International:
And they swear by Allah their strongest oaths [that] Allah will not resurrect one who dies. But yes - [it is] a true promise [binding] upon Him, but most of the people do not know.



لِیُبَیِّنَ لَهُمُ الَّذِیْ یَخْتَلِفُوْنَ فِیْهِ وَ لِیَعْلَمَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اَنَّهُمْ کَانُوْا کٰذِبِیْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
লিইউবাইয়িনা লাহুমুল্লাযী ইয়াখতালিফূনা ফীহি ওয়া লিইয়া‘লামাল্লাযীনা কাফারূআন্নাহুম কা-নূকা-যিবীন।
আল বায়ান:
যাতে তিনি তাদের জন্য স্পষ্ট করেন, যা নিয়ে তারা মতবিরোধ করে। আর যারা কুফরী করেছে, যেন তারা জানতে পারে যে, নিশ্চয় তারা ছিল মিথ্যাবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে পুনর্জীবিত করা হবে) যারা এ ব্যাপারে মতভেদ করেছিল তাদের কাছে স্পষ্ট করে দেয়ার জন্য, আর কাফিরগণ যাতে জানতে পারে যে, তারা ছিল মিথ্যেবাদী।
Sahih International:
[It is] so He will make clear to them [the truth of] that wherein they differ and so those who have disbelieved may know that they were liars.



اِنَّمَا قَوْلُنَا لِشَیْءٍ اِذَاۤ اَرَدْنٰهُ اَنْ نَّقُوْلَ لَهٗ کُنْ فَیَکُوْنُ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-কাওলুনা-লিশাইয়িন ইযাআরদনা-হু আন নাকূলা লাহূকুন ফাইয়াকূন।
আল বায়ান:
যখন আমি কোন কিছুর ইচ্ছা করি, তখন আমার কথা হয় কেবল এই বলা যে, ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন বিষয়ে আমি ইচ্ছে করলে বলি, ‘হয়ে যাও’, ফলে তা হয়ে যায়।
Sahih International:
Indeed, Our word to a thing when We intend it is but that We say to it, "Be," and it is.



وَ الَّذِیْنَ هَاجَرُوْا فِی اللّٰهِ مِنْۢ بَعْدِ مَا ظُلِمُوْا لَـنُبَوِّئَنَّهُمْ فِی الدُّنْیَا حَسَنَۃً ؕ وَ لَاَجْرُ الْاٰخِرَۃِ اَکْبَرُ ۘ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হা-জারূফিল্লা-হি মিম বা‘দি মা-জু লিমূলানুবাওবিআন্নাহুম ফিদদুনইয়াহাছানাতাওঁ ওয়ালাআজরুল আ-খিরাতি আকবার । লাও কা-নূইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর যারা হিজরত করেছে আল্লাহর রাস্তায় অত্যাচারিত হওয়ার পর, আমি অবশ্যই তাদেরকে দুনিয়াতে উত্তম আবাস দান করব। আর আখিরাতের প্রতিদান তো বিশাল, যদি তারা জানত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা অত্যাচারিত হওয়ার পরও আল্লাহর পথে হিজরাত করেছে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই এ দুনিয়াতে উত্তম আবাস দান করব, আর আখেরাতের পুরস্কার তো অবশ্যই সবচেয়ে বড়। হায়, তারা যদি জানত!
Sahih International:
And those who emigrated for [the cause of] Allah after they had been wronged - We will surely settle them in this world in a good place; but the reward of the Hereafter is greater, if only they could know.



الَّذِیْنَ صَبَرُوْا وَ عَلٰی رَبِّهِمْ یَتَوَکَّلُوْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা সাবারূওয়া‘আলা-রাব্বিহিম ইয়া তাওয়াক্কালূন।
আল বায়ান:
যারা সবর করেছে এবং তাদের রবের উপরই তাওয়াক্কুল করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
(আখেরাতের ঐ পুরস্কার তাদের জন্য) যারা ধৈর্যধারণ করে আর তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।
Sahih International:
[They are] those who endured patiently and upon their Lord relied.



وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوْحِیْۤ اِلَیْهِمْ فَسْـَٔلُوْۤا اَهْلَ الذِّکْرِ اِنْ کُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা আরছালনা- মিন কাবলিকা ইল্লা- রিজা-লান নূহী ইলাইহিম ফাছআলূ আহলাযযিকরি ইন কুনতুম লা-তা‘লামূন।
আল বায়ান:
আর আমি তোমার পূর্বে কেবল পুরুষদেরকেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি, যাদের প্রতি আমি ওহী পাঠিয়েছি। সুতরাং জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা কর, যদি তোমরা না জানো।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার পূর্বে পুরুষ মানুষ ব্যতীত পাঠাইনি যাদের কাছে আমি ওয়াহী করতাম। তোমরা যদি না জান তাহলে তোমরা আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে যারা অবগত তাদেরকে জিজ্ঞেস কর
Sahih International:
And We sent not before you except men to whom We revealed [Our message]. So ask the people of the message if you do not know.



بِالْبَیِّنٰتِ وَ الزُّبُرِ ؕ وَ اَنْزَلْنَاۤ اِلَیْکَ الذِّکْرَ لِتُبَیِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ اِلَیْهِمْ وَ لَعَلَّهُمْ یَتَفَکَّرُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
বিলবাইয়িনা-তি ওয়াযযুবুরি ওয়া আনযালনাইলাইকাযযিকরা লিতুবাইয়িনা লিন্না-ছি মা-নুযযিলা ইলাইহিম ওয়া লা‘আল্লাহুম ইয়াতাফাক্কারূন।
আল বায়ান:
(তাদের প্রেরণ করেছি) স্পষ্ট প্রমাণাদি ও কিতাবসমূহ এবং তোমার প্রতি নাযিল করেছি কুরআন, যাতে তুমি মানুষের জন্য স্পষ্ট করে দিতে পার, যা তাদের প্রতি নাযিল হয়েছে। আর যাতে তারা চিন্তা করে।
তাইসিরুল কুরআন:
(অতীতের রসূলদেরকে পাঠিয়েছিলাম) স্পষ্ট প্রমাণাদি আর কিতাব দিয়ে; আর এখন তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করছি মানুষকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে আর যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
Sahih International:
[We sent them] with clear proofs and written ordinances. And We revealed to you the message that you may make clear to the people what was sent down to them and that they might give thought.



اَفَاَمِنَ الَّذِیْنَ مَکَرُوا السَّیِّاٰتِ اَنْ یَّخْسِفَ اللّٰهُ بِهِمُ الْاَرْضَ اَوْ یَاْتِیَهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَیْثُ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
আফাআমিনাল্লাযীনা মাকারুছছাইয়িআ-তি আইঁ ইয়াখছিফাল্লা-হুবিহিমুল আরদাআও ইয়া’তিয়াহুমুল ‘আযা-বুমিন হাইছুলা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
যারা মন্দের ষড়যন্ত্র করে তারা কি নিরাপদ হয়ে গেছে যে, আল্লাহ তাদেরসহ মাটিকে ধ্বসিয়ে দেবেন না। অথবা তাদের উপর আসবে না, আযাব এমনভাবে যে, তারা উপলব্ধি করবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
যারা (ইসলামের বিরুদ্ধে) কূট-কৌশল করছে তারা কি নির্ভয় হয়ে গেছে যে, আল্লাহ তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন না, অথবা তাদের কাছে শাস্তি এসে পড়বে না এমন দিক থেকে যা তারা এতটুকুও টের পাবে না
Sahih International:
Then, do those who have planned evil deeds feel secure that Allah will not cause the earth to swallow them or that the punishment will not come upon them from where they do not perceive?



اَوْ یَاْخُذَهُمْ فِیْ تَقَلُّبِهِمْ فَمَا هُمْ بِمُعْجِزِیْنَ ﴿ۙ۴۶﴾
উচ্চারণ:
আও ইয়া’খুযাহুম ফী তাকাল্লুবিহিম ফামা-হুম বিমু‘জিযীন।
আল বায়ান:
অথবা তিনি তাদের চলাফেরার ভেতর তাদেরকে পাকড়াও করবেন না? বস্তুত তারা (আল্লাহকে) পরাস্তকারী নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা তাদের চলাফেরার ভিতরেই তিনি তাদেরকে পাকড়াও করবেন না, অতঃপর তারা তো তা ব্যর্থ করে দিতে পারবে না।
Sahih International:
Or that He would not seize them during their [usual] activity, and they could not cause failure?



اَوْ یَاْخُذَهُمْ عَلٰی تَخَوُّفٍ ؕ فَاِنَّ رَبَّکُمْ لَرَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
আও ইয়া’খুযাহুম ‘আলা-তাখাওউফিন ফাইন্না রাব্বাকুম লারাঊফুর রাহীম।
আল বায়ান:
কিংবা তিনি তাদেরকে ভীত অবস্থায় পাকড়াও করবেন না? নিশ্চয় তোমাদের রব অতিশয় দয়াশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা তিনি তাদেরকে পাকড়াও করবেন না যখন তারা আসন্ন মুসীবাতের চিন্তায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে থাকবে, (আসল কথা হল আল্লাহ মানুষকে খুবই অবকাশ দিয়ে থাকেন) কেননা তোমাদের প্রতিপালক অবশ্যই অতি দয়ার্দ্র, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
Or that He would not seize them gradually [in a state of dread]? But indeed, your Lord is Kind and Merciful.



اَوَ لَمْ یَرَوْا اِلٰی مَا خَلَقَ اللّٰهُ مِنْ شَیْءٍ یَّتَفَیَّؤُا ظِلٰلُهٗ عَنِ الْیَمِیْنِ وَ الشَّمَآئِلِ سُجَّدًا لِّلّٰهِ وَ هُمْ دٰخِرُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়ারাও ইলা-মা-খালাকাল্লা-হু মিন শাইয়িইঁ ইয়াতাফাইয়াউ জিলা-লুহূ‘আনিল ইয়ামীনি ওয়াশশামাইলি ছুজ্জাদাল লিল্লা-হি ওয়াহুম দা-খিরূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ যে সকল বস্তু সৃষ্টি করেছেন, তারা কি সে দিকে তাকায়নি, যার ছায়াসমূহ ডানে ও বামে হেলে পড়ে আল্লাহর জন্য সিজাদারত অবস্থায়, আর তারা একান্ত বিনীত?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি আল্লাহর সৃষ্টি করা জিনিসের দিকে লক্ষ্য করে না, যার ছায়া আল্লাহর প্রতি সাজদার অবস্থায় ডানে-বামে পতিত হয়, আর তারা বিনয় প্রকাশ করে?
Sahih International:
Have they not considered what things Allah has created? Their shadows incline to the right and to the left, prostrating to Allah, while they are humble.



وَ لِلّٰهِ یَسْجُدُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ مِنْ دَآبَّۃٍ وَّ الْمَلٰٓئِکَۃُ وَ هُمْ لَا یَسْتَکْبِرُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালিল্লা-হি ইয়াছজুদুমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিমিন দাব্বাতিওঁ ওয়াল মালাইকাতুওয়া হুম লা-ইয়াছতাকবিরূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহকেই সিজদা করে আসমানসমূহে যা আছে এবং যমীনে যে প্রাণী আছে, আর ফেরেশতারা এবং তারা অহঙ্কার করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে যত জীব-জন্তু ফেরেশতারা, সমস্তই আল্লাহকে সাজদাহ করে; তারা অহঙ্কার করে না।
Sahih International:
And to Allah prostrates whatever is in the heavens and whatever is on the earth of creatures, and the angels [as well], and they are not arrogant.



یَخَافُوْنَ رَبَّهُمْ مِّنْ فَوْقِهِمْ وَ یَفْعَلُوْنَ مَا یُؤْمَرُوْنَ ﴿ٛ۵۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াখা-ফূনা রাব্বাহু ম মিন ফাওকিহিম ওয়া ইয়াফ‘আলূনা মা-ইউ’মারূন (ছিজদাহ-৩)।
আল বায়ান:
তারা তাদের উপরস্থ রবকে ভয় করে এবং তাদেরকে যা নির্দেশ দেয়া হয়, তারা তা করে।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের উপরে আল্লাহকে ভয় করে আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়। [সাজদাহ]
Sahih International:
They fear their Lord above them, and they do what they are commanded.



وَ قَالَ اللّٰهُ لَا تَتَّخِذُوْۤا اِلٰـهَیْنِ اثْنَیْنِ ۚ اِنَّمَا هُوَ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ فَاِیَّایَ فَارْهَبُوْنِ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাহু লা-তাত্তাখিযূইলা-হাইনিছনাইনি ইন্নামা-হুওয়া ইলা-হুওঁ ওয়াহিদুন ফাইয়্যা-ইয়া ফারহাবূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা দুই ইলাহ গ্রহণ করো না। তিনি তো কেবল এক ইলাহ। সুতরাং তোমরা আমাকেই ভয় কর।’
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন, ‘তোমরা দু’ ইলাহ গ্রহণ করো না, তিনি তো এক ইলাহ; কাজেই আমাকে- কেবল আমাকেই ভয় কর।’
Sahih International:
And Allah has said, "Do not take for yourselves two deities. He is but one God, so fear only Me."



وَ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ لَهُ الدِّیْنُ وَاصِبًا ؕ اَفَغَیْرَ اللّٰهِ تَتَّقُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাহূমা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া লাহুদ্দীনুওয়া-সিবান আফাগাইরাল্লাহি তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর আসমানসমূহ ও যমীনে যা আছে, তা তারই এবং সার্বক্ষণিক আনুগত্য তারই। অতএব তোমরা কি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে ভয় করবে?
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশসমূহ আর যমীনে যা কিছু আছে তা তাঁরই, আর দ্বীন সদা-সর্বদা একান্তভাবে তাঁরই জন্য। তাহলে তোমরা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করবে?
Sahih International:
And to Him belongs whatever is in the heavens and the earth, and to Him is [due] worship constantly. Then is it other than Allah that you fear?



وَ مَا بِکُمْ مِّنْ نِّعْمَۃٍ فَمِنَ اللّٰهِ ثُمَّ اِذَا مَسَّکُمُ الضُّرُّ فَاِلَیْهِ تَجْـَٔرُوْنَ ﴿ۚ۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-বিকুম মিন নি‘মাতিন ফামিনাল্লা‘হি ছু ম্মা ইযা-মাছছাকুমুদ দুররু ফাইলাইহি তাজআরূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের কাছ যে সব নিআমত আছে, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। অতঃপর দুঃখ-দুর্দশা যখন তোমাদের স্পর্শ করে তখন তোমরা শুধু তার কাছেই ফরিয়াদ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
যে নি‘মাতই তোমরা পেয়েছ তাতো আল্লাহর নিকট হতেই। আর যখন দুঃখ-কষ্ট তোমাদেরকে স্পর্শ করে, তখন তাঁর কাছেই তোমরা আকুল আবেদন জানাতে থাক।
Sahih International:
And whatever you have of favor - it is from Allah. Then when adversity touches you, to Him you cry for help.



ثُمَّ اِذَا کَشَفَ الضُّرَّ عَنْکُمْ اِذَا فَرِیْقٌ مِّنْکُمْ بِرَبِّهِمْ یُشْرِکُوْنَ ﴿ۙ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইযা-কাশাফাদদুররা ‘আনকুম ইযা-ফারীকুম মিনকুম বিরাব্বিহিম ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
তারপর যখন তিনি তোমাদের থেকে দুঃখ-দুর্দশা দূর করে দেন, তখন তোমাদের মধ্য থেকে একটি দল তাদের রবের সাথে শিরক করে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন তিনি তোমাদের থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেন, তখন তোমাদের একদল তাদের প্রতিপালকের সঙ্গে অন্যকে শরীক করে বসে
Sahih International:
Then when He removes the adversity from you, at once a party of you associates others with their Lord



لِیَکْفُرُوْا بِمَاۤ اٰتَیْنٰهُمْ ؕ فَتَمَتَّعُوْا ۟ فَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
লিয়াকফুরূবিমা আ-তাইনা-হুম ফাতামাত্তা‘ঊ ফাছাওফা তা‘লামূন।
আল বায়ান:
যাতে আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তা তারা অস্বীকার করতে পারে। অতএব তোমরা ভোগ কর, অচিরেই তোমরা জানতে পারবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তাদের না-শোকরি করা জন্য। অতএব তোমরা ভোগ করে নাও, শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে।
Sahih International:
So they will deny what We have given them. Then enjoy yourselves, for you are going to know.



وَ یَجْعَلُوْنَ لِمَا لَا یَعْلَمُوْنَ نَصِیْبًا مِّمَّا رَزَقْنٰهُمْ ؕ تَاللّٰهِ لَتُسْـَٔلُنَّ عَمَّا کُنْتُمْ تَفْتَرُوْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াজ‘আলূনা লিমা-লা-ইয়া‘লামূনা নাসীবাম মিম্মা-রাযাকনা-হুম তাল্লা-হি লাতুছআলুন্না ‘আম্মা-কুনতুম তাফতারূন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি, তার একটি অংশ তারা নির্ধারণ করে এমন সত্তার জন্য, যার ব্যাপারে তারা জানে না। আল্লাহর কসম! তোমাদেরকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমরা যে মিথ্যা রটাচ্ছ সে ব্যাপারে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তার একাংশ তারা ঐ সবের জন্য নির্ধারিত করে যাদের সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। আল্লাহর শপথ! তোমাদের এই মিথ্যে উদ্ভাবন সম্পর্কে তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে
Sahih International:
And they assign to what they do not know a portion of that which We have provided them. By Allah, you will surely be questioned about what you used to invent.



وَ یَجْعَلُوْنَ لِلّٰهِ الْبَنٰتِ سُبْحٰنَهٗ ۙ وَ لَهُمْ مَّا یَشْتَهُوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াজ‘আলূনা লিল্লা-হিল বানা-তি ছুবহা-নাহূ ওয়া লাহুম মা-ইয়াশতাহূন।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান নির্দিষ্ট করে। তিনি পবিত্র এবং নিজেদের জন্য তা (নির্দিষ্ট করে) যা তারা পছন্দ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা কন্যা সন্তানগুলোকে আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে, তিনি (তাত্থেকে) পবিত্র মহান, আর তারা নিজেদের জন্য (নির্ধারিত করে) যা তাদের আকাঙ্ক্ষা হয়।
Sahih International:
And they attribute to Allah daughters - exalted is He - and for them is what they desire.



وَ اِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمْ بِالْاُنْثٰی ظَلَّ وَجْهُهٗ مُسْوَدًّا وَّ هُوَ کَظِیْمٌ ﴿ۚ۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-বুশশিরা আহাদুহুম বিলউনছা-জাল্লা ওয়াজহুহূমুছওয়াদ্দাওঁ ওয়া হুওয়া কাজীম।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়; তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাউকে যখন কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখ কালো হয়ে যায় আর সে অন্তর্জ্বালায় পুড়তে থাকে।
Sahih International:
And when one of them is informed of [the birth of] a female, his face becomes dark, and he suppresses grief.



یَتَوَارٰی مِنَ الْقَوْمِ مِنْ سُوْٓءِ مَا بُشِّرَ بِهٖ ؕ اَیُمْسِکُهٗ عَلٰی هُوْنٍ اَمْ یَدُسُّهٗ فِی التُّرَابِ ؕ اَلَا سَآءَ مَا یَحْکُمُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়াতাওয়া-রা-মিনাল কাওমি মিন ছূই মা-বুশশিরা বিহী আইউমছিকুহূ‘আলা-হূনিন আম ইয়াদুছছুহূফিততুরা-বি আলা-ছাআ মা-ইয়াহকুমূন।
আল বায়ান:
তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, সে দুঃখে সে কওম থেকে আত্মগোপন করে। আপমান সত্ত্বেও কি একে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? জেনে রেখ, তারা যা ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ!
তাইসিরুল কুরআন:
লজ্জায় সে মানুষ থেকে মুখ লুকায় খারাপ সংবাদ পাওয়ার কারণে। সে চিন্তা করে যে অপমান মাথায় করে তাকে রেখে দেবে, না তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলবে। হায়, তারা যা সিদ্ধান্ত করে তা কতই না জঘন্য!
Sahih International:
He hides himself from the people because of the ill of which he has been informed. Should he keep it in humiliation or bury it in the ground? Unquestionably, evil is what they decide.



لِلَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ مَثَلُ السَّوْءِ ۚ وَ لِلّٰهِ الْمَثَلُ الْاَعْلٰی ؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
লিলাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি মাছালুছছাওই ওয়া লিল্লা-হিল মাছালুল আ‘লা- ওয়া হুওয়াল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, তাদের জন্য মন্দ উদাহরণ এবং আল্লাহর জন্য রয়েছে মহান উদাহরণ। আর তিনিই পরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না, খারাপ উপমা তাদের জন্য। মহোত্তম উপমা সব আল্লাহর জন্য, তিনি হলেন প্রতাপান্বিত, প্রজ্ঞাময়।
Sahih International:
For those who do not believe in the Hereafter is the description of evil; and for Allah is the highest attribute. And He is Exalted in Might, the Wise.



وَ لَوْ یُؤَاخِذُ اللّٰهُ النَّاسَ بِظُلْمِهِمْ مَّا تَرَکَ عَلَیْهَا مِنْ دَآبَّۃٍ وَّ لٰکِنْ یُّؤَخِّرُهُمْ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُهُمْ لَا یَسْتَاْخِرُوْنَ سَاعَۃً وَّ لَا یَسْتَقْدِمُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও ইউআ-খিযু ল্লা-হুন্না-ছা বিজুলমিহিম মা-তারাকা ‘আলাইহা-মিন দাব্বাতিওঁ ওয়ালা-কিইঁ ইউআখরিম্নহুম ইলাআজালিম মুছাম্মান ফাইযা-জাআ আজালুহুম লাইয়াছতা’খিরূনা ছা-‘আতাওঁ ওয়ালা-ইয়াছতাকদিমূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যদি মানবজাতিকে তাদের যুলমের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে তাতে (যমীনে) কোনো বিচরণকারী প্রাণীকেই ছাড়তেন না। তবে আল্লাহ তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন। যখন তাদের নির্দিষ্ট সময় চলে আসে, তখন এক মুহূর্তও পেছাতে পারে না, এবং আগাতেও পারে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যদি মানুষকে তাদের সীমালঙ্ঘনের জন্য পাকড়াও করতেন, তাহলে যমীনের উপর কোন প্রাণীকেই তিনি রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে সময় দেন। তাদের সময় এসে গেলে এক মুহূর্তও অগ্র-পশ্চাৎ করা হয় না।
Sahih International:
And if Allah were to impose blame on the people for their wrongdoing, He would not have left upon the earth any creature, but He defers them for a specified term. And when their term has come, they will not remain behind an hour, nor will they precede [it].



وَ یَجْعَلُوْنَ لِلّٰهِ مَا یَکْرَهُوْنَ وَ تَصِفُ اَلْسِنَتُهُمُ الْکَذِبَ اَنَّ لَهُمُ الْحُسْنٰی ؕ لَا جَرَمَ اَنَّ لَهُمُ النَّارَ وَ اَنَّهُمْ مُّفْرَطُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াজ আলূনা লিল্লা-হি মা ইয়াকরাহূনা ওয়া তাসিফুআলছিনাতুহুমুল কাযিবা আন্না লাহুমুল হুছনা লা-জারামা আন্না লাহুমুন না-রা ওয়া আন্নাহুম মুফরাতূন।
আল বায়ান:
আর তারা যা অপছন্দ করে, তাই তারা আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে। তাদের জিহবা মিথ্যা বিবরণ দেয় যে, নিশ্চয় তাদের জন্য শুভ পরিণাম। সন্দেহ নেই যে, তাদের জন্য রয়েছে আগুন এবং নিশ্চয় তারা সর্বাগ্রে নিক্ষিপ্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর জন্য তা-ই নির্ধারণ করে যা (নিজেদের জন্য) অপছন্দ করে, আর তাদের জিহবা মিথ্যা বলে যে, কল্যাণ তাদেরই জন্য। কোন সন্দেহ নেই যে, তাদের জন্য আছে আগুন আর সর্বপ্রথম তাদেরকেই সেখানে জলদি পৌঁছে দেয়া হবে।
Sahih International:
And they attribute to Allah that which they dislike, and their tongues assert the lie that they will have the best [from Him]. Assuredly, they will have the Fire, and they will be [therein] neglected.



تَاللّٰهِ لَقَدْ اَرْسَلْنَاۤ اِلٰۤی اُمَمٍ مِّنْ قَبْلِکَ فَزَیَّنَ لَهُمُ الشَّیْطٰنُ اَعْمَالَهُمْ فَهُوَ وَلِیُّهُمُ الْیَوْمَ وَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
তাল্লা-হি লাকাদ আরছালনাইলাউমামিম মিন কাবলিকা ফাযাইইয়ানা লাহুমুশ শাইতা-নু আ‘মা-লাহুম ফাহুওয়া ওয়ালিইয়ুহুমুল ইয়াওমা ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
আল্লাহর শপথ, আমি তোমার পূর্বে বহু জাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করেছি। অতঃপর শয়তান তাদের জন্য তাদের কর্মকে শোভিত করেছে। তাই আজ সে তাদের অভিভাবক। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর কসম! তোমার পূর্বে আমি বহু জাতির কাছে রসূল পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু শয়ত্বান তাদের কাছে তাদের কার্যকলাপকে শোভনীয় করে দিয়েছিল, আর আজ সে-ই তাদের অভিভাবক, তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।
Sahih International:
By Allah, We did certainly send [messengers] to nations before you, but Satan made their deeds attractive to them. And he is the disbelievers' ally today [as well], and they will have a painful punishment.



وَ مَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَیْکَ الْکِتٰبَ اِلَّا لِتُبَیِّنَ لَهُمُ الَّذِی اخْتَلَفُوْا فِیْهِ ۙ وَ هُدًی وَّ رَحْمَۃً لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআনযালনা-‘আলাইকাল কিতা-বা ইল্লা লিতুবাইয়িনা লাহুমুল লাযীখ তালাফূফীহি ওয়াহুদাওঁ ওয়া রাহমাতাল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
আর আমি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি, শুধু এ জন্য যে, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে, তা তাদের জন্য তুমি স্পষ্ট করে দেবে এবং (এটি) হিদায়াত ও রহমত সেই কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার প্রতি কিতাব এজন্য নাযিল করেছি যাতে তুমি সে সকল বিষয় স্পষ্ট করে দিতে পার যে বিষয়ে তারা মতভেদ করেছিল, আর (এ কিতাব) বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথপ্রদর্শক ও রহমাত স্বরূপ।
Sahih International:
And We have not revealed to you the Book, [O Muhammad], except for you to make clear to them that wherein they have differed and as guidance and mercy for a people who believe.



وَ اللّٰهُ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوْمٍ یَّسْمَعُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু আনযালা মিনাছছামা-ই মা-আন ফাআহইয়া-বিহিল আরদা বা‘দা মাওতিহা- ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াতাল লিকাওমিইঁ ইয়াছমা’ঊন।
আল বায়ান:
আল্লাহ আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন এবং তদ্বারা তিনি ভূমিকে ওর মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে যে সম্প্রদায় কথা শোনে তাদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তার দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন। এতে ঐ সম্প্রদায়ের জন্য বহু নিদর্শন আছে যারা লক্ষ্য করে শুনে।
Sahih International:
And Allah has sent down rain from the sky and given life thereby to the earth after its lifelessness. Indeed in that is a sign for a people who listen.



وَ اِنَّ لَکُمْ فِی الْاَنْعَامِ لَعِبْرَۃً ؕ نُسْقِیْکُمْ مِّمَّا فِیْ بُطُوْنِهٖ مِنْۢ بَیْنِ فَرْثٍ وَّ دَمٍ لَّبَنًا خَالِصًا سَآئِغًا لِّلشّٰرِبِیْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না লাকুম ফিল আন‘আ-মি লা‘ইবরাতান নুছকীকুম মিম্মা-ফী বুতূনিহী মিম বাইনি ফারছিওঁ ওয়া দামিল লাবানান খা-লিসান ছাইগাল লিশশা-রিবীন ।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় চতুষ্পদ জন্তুতে রয়েছে তোমাদের জন্য শিক্ষা। তার পেটের ভেতরের গোবর ও রক্তের মধ্যখান থেকে তোমাদেরকে আমি দুধ পান করাই, যা খাঁটি এবং পানকারীদের জন্য স্বাচ্ছ্যন্দকর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের জন্য গবাদি পশুতেও অবশ্যই শিক্ষা নিহিত আছে। তোমাদেরকে পান করাই ওদের পেটের গোবর আর রক্তের মাঝ থেকে বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্য খুবই উপাদেয়।
Sahih International:
And indeed, for you in grazing livestock is a lesson. We give you drink from what is in their bellies - between excretion and blood - pure milk, palatable to drinkers.



وَ مِنْ ثَمَرٰتِ النَّخِیْلِ وَ الْاَعْنَابِ تَتَّخِذُوْنَ مِنْهُ سَکَرًا وَّ رِزْقًا حَسَنًا ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন ছামারা-তিন নাখীলি ওয়াল আ‘না-বি তাত্তাখিযূনা মিনহু ছাকারাওঁ ওয়ারিযকান হাছানান ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াতাল লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা খেজুর গাছের ফল ও আঙ্গুর থেকে মাদক* ও উত্তম রিয্ক গ্রহণ কর। নিশ্চয় এতে এমন কওমের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা বুঝে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা মদ ও উত্তম খাদ্য প্রস্তুত কর, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
And from the fruits of the palm trees and grapevines you take intoxicant and good provision. Indeed in that is a sign for a people who reason.



وَ اَوْحٰی رَبُّکَ اِلَی النَّحْلِ اَنِ اتَّخِذِیْ مِنَ الْجِبَالِ بُیُوْتًا وَّ مِنَ الشَّجَرِ وَ مِمَّا یَعْرِشُوْنَ ﴿ۙ۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আওহা- রাব্বুকা ইলান নাহলি আনিত্তাখিযীমিনালজিবা-লি বুইঊতাও ওয়া মিনাশশাজারি ওয়া মিম্মা-ইয়া‘রিশূন।
আল বায়ান:
আর তোমার রব মৌমাছিকে ইংগিতে জানিয়েছে যে, ‘তুমি পাহাড়ে ও গাছে এবং তারা যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে নিবাস বানাও।’
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক মৌমাছির প্রতি এলহাম করেছেন যে, পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি কর।
Sahih International:
And your Lord inspired to the bee, "Take for yourself among the mountains, houses, and among the trees and [in] that which they construct.



ثُمَّ کُلِیْ مِنْ کُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسْلُکِیْ سُبُلَ رَبِّکِ ذُلُلًا ؕ یَخْرُجُ مِنْۢ بُطُوْنِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ اَلْوَانُهٗ فِیْهِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوْمٍ یَّتَفَکَّرُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা কুলী মিন কুল্লিছছামারা-তি ফাছলুকী ছুবুলা রাব্বিকি যুলুলান ইয়াখরুজুমিম বুতূনিহা-শারা-বুম মুখতালিফুন আলওয়া-নুহূফীহি শিফাউললিন্না-ছি ইন্না ফী যালিকা লাআ-ইয়াতাল লিকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চল। তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর, অতঃপর তোমার প্রতিপালকের (শিখানো) সহজ পদ্ধতি অনুসরণ কর। এর পেট থেকে রং-বেরং এর পানীয় বের হয়। এতে মানুষের জন্য আছে আরোগ্য। চিন্তাশীল মানুষের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে।
Sahih International:
Then eat from all the fruits and follow the ways of your Lord laid down [for you]." There emerges from their bellies a drink, varying in colors, in which there is healing for people. Indeed in that is a sign for a people who give thought.



وَ اللّٰهُ خَلَقَکُمْ ثُمَّ یَتَوَفّٰىکُمْ ۟ۙ وَ مِنْکُمْ مَّنْ یُّرَدُّ اِلٰۤی اَرْذَلِ الْعُمُرِ لِکَیْ لَا یَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَیْئًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌ قَدِیْرٌ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু খালাকাকুম ছু ম্মা ইয়াতাওয়াফফা-কুম ওয়া মিনকুম মাইঁ ইউরাদ্দুইলা আরযালিল ‘উমুরি লিকাই লা-ইয়া‘লামা বা‘দা ‘ইলমিন শাইআন ইন্নাল্লা-হা ‘আলীমুন কাদীর।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। তোমাদের অনেকে এমনও আছে, যাকে একেবারে বৃদ্ধ বয়সে উপনীত করা হয়, যাতে সে জ্ঞান লাভের পরেও সবকিছু অজানা হয়ে যায়। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ্ই তোমাদেরকে পয়দা করেছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। তোমাদের কাউকে অকর্মণ্য বয়সে ফিরিয়ে দেয়া হয়, যাতে জ্ঞান লাভ করার পরেও আর কোন কিছুর জ্ঞান থাকে না। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, সর্বাপেক্ষা শক্তিমান।
Sahih International:
And Allah created you; then He will take you in death. And among you is he who is reversed to the most decrepit [old] age so that he will not know, after [having had] knowledge, a thing. Indeed, Allah is Knowing and Competent.



وَ اللّٰهُ فَضَّلَ بَعْضَکُمْ عَلٰی بَعْضٍ فِی الرِّزْقِ ۚ فَمَا الَّذِیْنَ فُضِّلُوْا بِرَآدِّیْ رِزْقِهِمْ عَلٰی مَا مَلَکَتْ اَیْمَانُهُمْ فَهُمْ فِیْهِ سَوَآءٌ ؕ اَفَبِنِعْمَۃِ اللّٰهِ یَجْحَدُوْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু ফাদ্দালা বা‘দাকুম ‘আলা-বা‘দিন ফির রিযকি ফামাল্লাযীনা ফুদ্দিলূ বিরাদ্দী রিযকিহিম ‘আলা-মা-মালাকাত আইমা-নুহুম ফাহুম ফীহি ছাওয়াউন আফাবিনি‘মাতিল্লা-হি ইয়াজহাদূ ন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ রিয্ক তোমাদের কতককে কতকের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন; কিন্তু যাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, তারা তাদের রিয্ক দাসদাসীদের ফিরিয়ে দেয় না। (এই ভয়ে যে,) তারা তাতে সমান হয়ে যাবে। তবে তারা কি আল্লাহর নিআমতকে অস্বীকার করছে?
তাইসিরুল কুরআন:
রিযকের ব্যাপারে আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কাউকে কারো উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। যাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তারা তাদের রিযক থেকে তাদের অধীনস্থ চাকর- গোলামদেরকে এমনভাবে ফিরিয়ে দেয় না, যাতে এক্ষেত্রে তারা সমান হয়ে যায়। (অথচ তারা নানান কিছুকে আল্লাহর অংশীদার বানিয়ে ওগুলোকে আল্লাহর সমান করে ফেলছে) তাহলে কি তারা আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করে?
Sahih International:
And Allah has favored some of you over others in provision. But those who were favored would not hand over their provision to those whom their right hands possess so they would be equal to them therein. Then is it the favor of Allah they reject?



وَ اللّٰهُ جَعَلَ لَکُمْ مِّنْ اَنْفُسِکُمْ اَزْوَاجًا وَّ جَعَلَ لَکُمْ مِّنْ اَزْوَاجِکُمْ بَنِیْنَ وَ حَفَدَۃً وَّ رَزَقَکُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ ؕ اَفَبِالْبَاطِلِ یُؤْمِنُوْنَ وَ بِنِعْمَتِ اللّٰهِ هُمْ یَکْفُرُوْنَ ﴿ۙ۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু জা‘আলা লাকুম মিন আনফুছিকুম আযওয়া-জাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম মিন আযওয়াজিকুম বানীনা ওয়া হাফাদাতাওঁ ওয়া রাযাকাকুম মিনাততাইয়িবা-তি আফাবিলবাতিলি ইউ’মিনূনা ওয়া বিনি‘মাতিল্লা-হি হুম ইয়াকফুরূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জোড়া থেকে তোমাদের জন্য পুত্র ও নাতিদের সৃষ্টি করেছেন আর তিনি তোমারেদকে পবিত্র রিয্ক দান করেছেন তারা কি বাতিলে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর নিআমতকে অস্বীকার করে?
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমাদের স্বজাতির মধ্য হতেই তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন আর তোমাদের জন্য তোমাদের জোড়া থেকে পুত্র-পৌত্রাদি বানিয়েছেন আর তোমাদেরকে উৎকৃষ্ট রিযক দিয়েছেন। তবুও কি তারা ভিত্তিহীন বাতিল জিনিসের উপর ঈমান পোষণ করবে আর আল্লাহর অনুগ্রহকে তারা অস্বীকার করবে?
Sahih International:
And Allah has made for you from yourselves mates and has made for you from your mates sons and grandchildren and has provided for you from the good things. Then in falsehood do they believe and in the favor of Allah they disbelieve?



وَ یَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَمْلِکُ لَهُمْ رِزْقًا مِّنَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ شَیْئًا وَّ لَا یَسْتَطِیْعُوْنَ ﴿ۚ۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া‘বুদূনা মিন দূনিল্লা-হি মা-লা-ইয়ামলিকুলাহুম রিযকাম মিনাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিশাইআওঁ ওয়ালা-ইয়াছতাতী‘ঊন।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর উপাসনা করে, যারা আসমানসমূহ ও যমীনে তাদের কোন রিযকের মালিক নয় এবং হতেও পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে ‘ইবাদাত করবে অন্যের যারা আকাশ ও যমীন থেকে তাদের জন্য রিযক দেয়ার মালিক নয়, আর তারা এ কাজে সক্ষমও নয়।
Sahih International:
And they worship besides Allah that which does not possess for them [the power of] provision from the heavens and the earth at all, and [in fact], they are unable.



فَلَا تَضْرِبُوْا لِلّٰهِ الْاَمْثَالَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ وَ اَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ফালা-তাদরিবূলিল্লা-হিল আমছা-লা ইন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুওয়া আনতুম লা-তা‘লামূন।
আল বায়ান:
সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য অন্য কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই কারো সাথে আল্লাহর তুলনা দিও না। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জান না।
Sahih International:
So do not assert similarities to Allah. Indeed, Allah knows and you do not know.



ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا عَبْدًا مَّمْلُوْکًا لَّا یَقْدِرُ عَلٰی شَیْءٍ وَّ مَنْ رَّزَقْنٰهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ یُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَّ جَهْرًا ؕ هَلْ یَسْتَوٗنَ ؕ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ؕ بَلْ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
দারাবাল্লা-হু মাছালান ‘আবদাম মামলূকাল লা-ইয়াকদিরু ‘আলা-শাইইওঁ ওয়া মার রাযাকনা-হু মিন্না-রিযকান হাছানান ফাহুওয়া ইউনফিকুমিনহু ছিররাওঁ ওয়া জাহরান হাল ইয়াছতাঊনা আলহামদুলিল্লা-হি বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ উপমা পেশ করেছেন; একজন অধিনস্ত দাস যে কোন কিছুর উপর ক্ষমতা রাখে না। আর একজন যাকে আমি আমার পক্ষ থেকে উত্তম রিযক দিয়েছি, অতঃপর সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি সমান হতে পারে? সমস্ত প্রশংসা আল্লা্হর। বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ দৃষ্টান্ত দিচ্ছেনঃ অন্যের মালিকানাভুক্ত এক দাস যে কোন কিছু করারই ক্ষমতা রাখে না। আর এক লোক যাকে আমি আমার পক্ষ হতে উত্তম জীবিকা দান করেছি আর তাত্থেকে সে গোপনে প্রকাশ্যে দান করে, (এ) দু’জন কি সমান? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
Sahih International:
Allah presents an example: a slave [who is] owned and unable to do a thing and he to whom We have provided from Us good provision, so he spends from it secretly and publicly. Can they be equal? Praise to Allah! But most of them do not know.



وَ ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا رَّجُلَیْنِ اَحَدُهُمَاۤ اَبْکَمُ لَا یَقْدِرُ عَلٰی شَیْءٍ وَّ هُوَ کَلٌّ عَلٰی مَوْلٰىهُ ۙ اَیْنَمَا یُوَجِّهْهُّ لَایَاْتِ بِخَیْرٍ ؕ هَلْ یَسْتَوِیْ هُوَ ۙ وَ مَنْ یَّاْمُرُ بِالْعَدْلِ ۙ وَ هُوَ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দারাবাল্লা-হু মাছালার রাজুলাইনি আহাদুহুমাআবকামুলা-ইয়াকদিরু ‘আলাশাইইওঁ ওয়া হুওয়া কাল্লুন ‘আলা-মাওলা-হু আইনামা-ইউওয়াজজিহহু লা-ইয়া’তি বিখাইরিন হাল ইয়াছতাবী হুওয়া ওয়া মাইঁ ইয়া’মরু বিল‘আদলি ওয়া হুওয়া ‘আলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ উপমা পেশ করেছেন, দু’জন ব্যক্তি, তাদের একজন বোবা, যে কোন কিছুর উপর ক্ষমতা রাখে না এবং সে তার অভিভাবকের উপর বোঝা। তাকে যেখানেই পাঠানো হয়, কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। সে আর ঐ ব্যক্তি কি সমান, যে ন্যায়ের আদেশ করে এবং রয়েছে সরল পথের উপর?
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ আরো দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন দু’ব্যক্তির তাদের একজন হল বোবা, কোন কিছুই করতে সক্ষম নয়। তার মনিবের উপর সে একটা বোঝা, তাকে যেখানেই পাঠানো হোক না কেন, কোন কল্যাণই সে নিয়ে আসবে না। সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে ইনসাফের নির্দেশ দেয় আর সরল সুদৃঢ় পথে প্রতিষ্ঠিত?
Sahih International:
And Allah presents an example of two men, one of them dumb and unable to do a thing, while he is a burden to his guardian. Wherever he directs him, he brings no good. Is he equal to one who commands justice, while he is on a straight path?



وَ لِلّٰهِ غَیْبُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ مَاۤ اَمْرُ السَّاعَۃِ اِلَّا کَلَمْحِ الْبَصَرِ اَوْ هُوَ اَقْرَبُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিল্লা-হি গাইবুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামা আমরুছ ছা-‘আতি ইল্লাকালামহিল বাসারি আও হুওয়া আকরাবু ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
আর আসমানসমূহ ও যমীনে গায়েবী বিষয় আল্লাহরই। আর কিয়ামতের ব্যাপারটি শুধু চোখের পলকের ন্যায়। কিংবা তা আরো নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশসমূহ ও যমীনের অদৃশ্যের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে। ক্বিয়ামাতের ব্যাপার তো চোখের পলকের মত বরং তাত্থেকেও দ্রুত। আল্লাহ সব কিছু করতেই সক্ষম।
Sahih International:
And to Allah belongs the unseen [aspects] of the heavens and the earth. And the command for the Hour is not but as a glance of the eye or even nearer. Indeed, Allah is over all things competent.



وَ اللّٰهُ اَخْرَجَکُمْ مِّنْۢ بُطُوْنِ اُمَّهٰتِکُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ شَیْئًا ۙ وَّ جَعَلَ لَکُمُ السَّمْعَ وَ الْاَبْصَارَ وَ الْاَفْـِٕدَۃَ ۙ لَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু আখরাজাকুম মিম বুতূনি উম্মাহা-তিকুম লা-তা‘লামূনা শাইআওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুমুছ ছাম‘আ ওয়াল আব সা-রা ওয়াল আফইদাতা লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ তোমাদেরকে বের করেছেন, তোমাদের মাতৃগর্ভ থেকে এমতাবস্থায় যে, তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শ্রবণশক্তি, চক্ষু ও অন্তর। যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের পেট থেকে বের করেন, তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে শোনার শক্তি, দেখার শক্তি আর অন্তর দান করেছেন যাতে তোমরা শোকর আদায় করতে পার।
Sahih International:
And Allah has extracted you from the wombs of your mothers not knowing a thing, and He made for you hearing and vision and intellect that perhaps you would be grateful.



اَلَمْ یَرَوْا اِلَی الطَّیْرِ مُسَخَّرٰتٍ فِیْ جَوِّ السَّمَآءِ ؕ مَا یُمْسِکُهُنَّ اِلَّا اللّٰهُ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
আলাম ইয়ারাও ইলাততাইরি মুছাখখারা-তিন ফী জাওবিছ ছামাই মা-ইউমছিকুহুন্না ইল্লাল্লা-হু ইন্নাফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
তারা কি আকাশে (উড়ন্ত অবস্থায়) নিয়োজিত পাখিগুলোর দিকে তাকায় না? আল্লাহ ছাড়া কেউ তাদেরকে ধরে রাখে না। নিশ্চয় তাতে নিদর্শনবলী রয়েছে সেই কওমের জন্য যারা বিশ্বাস করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশের শূন্যলোকে নিয়ন্ত্রিত পাখীগুলোর প্রতি কি তারা লক্ষ্য করে না? আল্লাহ ছাড়া কেউ তাদেরকে স্থির রাখে না, এতে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
Do they not see the birds controlled in the atmosphere of the sky? None holds them up except Allah. Indeed in that are signs for a people who believe.



وَ اللّٰهُ جَعَلَ لَکُمْ مِّنْۢ بُیُوْتِکُمْ سَکَنًا وَّ جَعَلَ لَکُمْ مِّنْ جُلُوْدِ الْاَنْعَامِ بُیُوْتًا تَسْتَخِفُّوْنَهَا یَوْمَ ظَعْنِکُمْ وَ یَوْمَ اِقَامَتِکُمْ ۙ وَ مِنْ اَصْوَافِهَا وَ اَوْبَارِهَا وَ اَشْعَارِهَاۤ اَثَاثًا وَّ مَتَاعًا اِلٰی حِیْنٍ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু জা‘আলা লাকুম মিমবুইউতিকুম ছাকানাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম মিন জূলূদিল আন‘আ-মি বুইঊতান তাছতাখিফফূনাহা-ইয়াওমা জা‘নিকুম ওয়া ইয়াওমা ইকা-মাতিকুম ওয়া মিন আসওয়া-ফিহা-ওয়া আওবা-রিহা-ওয়া আশ‘আ-রিহাআছা-ছাওঁ ওয়া মাতা‘আন ইলা-হীন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ তোমাদের ঘরগুলোকে তোমাদের জন্য আবাস করেছেন এবং তোমাদের পশুর চামড়া দিয়ে তাবুর ব্যবস্থা করেছেন, যা খুব সহজেই তোমরা সফরকালে ও অবস্থানকালে বহন করতে পার। আর তাদের পশম, তাদের লোম ও তাদের চুল দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গৃহসামগ্রী ও ভোগ-উপকরণ (তৈরি করেছেন)।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমাদের গৃহগুলোকে তোমাদের আরাম শান্তির জায়গা বানিয়ে দিয়েছেন। তিনি পশুর চামড়া থেকে তোমাদের জন্য এমন গৃহের ব্যবস্থা করেছেন যা তোমরা হালকাবোধ কর তোমাদের ভ্রমণকালে কিংবা অবস্থানকালে। তিনি ওগুলোর পশম, লোম আর চুল থেকে তোমাদের পরিধেয় ও ব্যবহার্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন যা তোমরা কিছুকাল পর্যন্ত কাজে লাগাও।
Sahih International:
And Allah has made for you from your homes a place of rest and made for you from the hides of the animals tents which you find light on your day of travel and your day of encampment; and from their wool, fur and hair is furnishing and enjoyment for a time.



وَ اللّٰهُ جَعَلَ لَکُمْ مِّمَّا خَلَقَ ظِلٰلًا وَّ جَعَلَ لَکُمْ مِّنَ الْجِبَالِ اَکْنَانًا وَّ جَعَلَ لَکُمْ سَرَابِیْلَ تَقِیْکُمُ الْحَرَّ وَ سَرَابِیْلَ تَقِیْکُمْ بَاْسَکُمْ ؕ کَذٰلِکَ یُتِمُّ نِعْمَتَهٗ عَلَیْکُمْ لَعَلَّکُمْ تُسْلِمُوْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু জা‘আলা লাকুম মিম্মা-খালাকা জিলা-লাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম মিনাল জিবা-লি আকনা-নাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম ছারা-বীলা তাকীকুমুল হাররা ওয়া ছারা-বীলা তাকীকুম বা’ছাকুম কাযা-লিকা ইউতিম্মুনি‘মাতাহূ‘আলাইকুম লা‘আল্লাকুম তুছলিমূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, তা থেকে তোমাদের জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করেছেন এবং পাহাড় থেকে তোমাদের জন্য আশ্রয়স্থল বানিয়েছেন, আর ব্যবস্থা করেছেন পোশাকের, যা তোমাদেরকে গরম থেকে রক্ষা করে এবং বর্মেরও ব্যবস্থা করেছেন যা তোমাদেরকে রক্ষা করে তোমাদের যুদ্ধে। এভাবেই তিনি তোমাদের উপর তার নিআমতকে পূর্ণ করবেন, যাতে তোমরা অনুগত হও।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাত্থেকে তোমাদের জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করেছেন, পাহাড়-পর্বতে তোমাদের আত্মগোপনের জায়গা বানিয়েছেন। তিনি তোমাদের জন্য পোশাক দিয়েছেন যা তোমাদেরকে তাপ থেকে রক্ষা করে। আর দিয়েছেন এমন পোশাক যা তোমাদেরকে সংঘাতের সময় রক্ষা করে। এভাবে তিনি তোমাদের জন্য তাঁর নি‘মাতসমূহ পূর্ণ করেন যাতে তোমরা তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণ কর।
Sahih International:
And Allah has made for you, from that which He has created, shadows and has made for you from the mountains, shelters and has made for you garments which protect you from the heat and garments which protect you from your [enemy in] battle. Thus does He complete His favor upon you that you might submit [to Him].



فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّمَا عَلَیْکَ الْبَلٰغُ الْمُبِیْنُ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ফাইন তাওয়াল্লাও ফাইন্নামা -‘আলাইকাল বালা-গুল মুবীন।
আল বায়ান:
সুতরাং যদি তারা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে, তবে তোমার দায়িত্ব তো শুধু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে (জোরপূর্বক তাদেরকে সঠিক পথে আনা তোমার দায়িত্ব নয়) তোমার দায়িত্ব কেবল স্পষ্টভাবে বাণী পৌঁছে দেয়া।
Sahih International:
But if they turn away, [O Muhammad] - then only upon you is [responsibility for] clear notification.



یَعْرِفُوْنَ نِعْمَتَ اللّٰهِ ثُمَّ یُنْکِرُوْنَهَا وَ اَکْثَرُهُمُ الْکٰفِرُوْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়া‘রিফূনা নি‘মাতাল্লা-হি ছুম্মা ইউনকিরূনাহা-ওয়া আকছারুহুমুল কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
তারা আল্লাহর নিআমত চিনে, তারপরও তারা তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশই কাফির।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর নি‘মাতকে চিনতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও সেগুলো অগ্রাহ্য করে, তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।
Sahih International:
They recognize the favor of Allah; then they deny it. And most of them are disbelievers.



وَ یَوْمَ نَبْعَثُ مِنْ کُلِّ اُمَّۃٍ شَهِیْدًا ثُمَّ لَا یُؤْذَنُ لِلَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ لَا هُمْ یُسْتَعْتَبُوْنَ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা নাব ‘আছুমিন কুল্লি উম্মাতিন শাহীদান ছু ম্মা লা-ইউ’যানুলিল্লাযীনা কাফারূ ওয়ালা-হুম ইউছতা‘তাবূন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে সাক্ষী উত্থিত করব। তারপর যারা কুফরী করেছে, তাদেরকে (ওযর পেশের) অনুমতি দেয়া হবে না এবং (আল্লাহকে) সন্তুষ্ট করতেও তাদেরকে বলা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
(সেদিন কী অবস্থা হবে) যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব আর কাফিরদেরকে (কোন অযুহাত পেশ করার) অনুমতি দেয়া হবে না, আর ক্ষমা প্রার্থনা করারও সুযোগ দেয়া হবে না।
Sahih International:
And [mention] the Day when We will resurrect from every nation a witness. Then it will not be permitted to the disbelievers [to apologize or make excuses], nor will they be asked to appease [Allah].



وَ اِذَا رَاَ الَّذِیْنَ ظَلَمُوا الْعَذَابَ فَلَا یُخَفَّفُ عَنْهُمْ وَ لَا هُمْ یُنْظَرُوْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-রাআল্লাযীনা জালামুল ‘আযা-বা ফালা-ইউখাফফাফুআনহুম ওয়ালা-হুম ইউনজারূন।
আল বায়ান:
আর যা যুলম করেছে, তারা যখন আযাব দেখবে, তখন তাদের উপর থেকে তা শিথিল করা হবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সীমালঙ্ঘনকারীরা যখন ‘আযাব প্রত্যক্ষ করবে তাদের থেকে তখন তা কমানো হবে না, আর তাদেরকে সময়-সুযোগও দেয়া হবে না।
Sahih International:
And when those who wronged see the punishment, it will not be lightened for them, nor will they be reprieved.



وَ اِذَا رَاَ الَّذِیْنَ اَشْرَکُوْا شُرَکَآءَهُمْ قَالُوْا رَبَّنَا هٰۤؤُلَآءِ شُرَکَآؤُنَا الَّذِیْنَ کُنَّا نَدْعُوْا مِنْ دُوْنِکَ ۚ فَاَلْقَوْا اِلَیْهِمُ الْقَوْلَ اِنَّکُمْ لَکٰذِبُوْنَ ﴿ۚ۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-রাআল্লাযীনা আশরাকূশুরাকাআহুম কা-লূরাব্বানা-হাউলাই শুরাকাউনাল্লাযীনা কুন্না-নাদ‘ঊ মিন দূ নিকা ফাআলকাও ইলাইহিমুল কাওলা ইন্নাকুম লাকা-যিবূন।
আল বায়ান:
আর যারা শিরক করেছে, তারা যখন তাদের শরীকদের দেখবে, তখন বলবে, ‘হে আমাদের রব, এরা হল আমাদের শরীক, যাদেরকে আমরা আপনার পরিবর্তে আহবান করতাম।’ অতঃপর তারা তাদের প্রতি উত্তরে বলবে, ‘নিশ্চয় তোমরা মিথ্যাবাদী।’
তাইসিরুল কুরআন:
মুশরিকরা যাদেরকে আল্লাহর শারীক বানিয়েছিল তাদেরকে যখন দেখবে তখন তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব্ব! এরাই হল আমাদের শারীক মা‘বূদ তোমাকে বাদ দিয়ে যাদেরকে আমরা ডাকতাম।’ তখন এ কথাকে তাদের দিকেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তাদের সেই মা‘বূদরা বলবে, ‘তোমরা অবশ্যই মিথ্যেবাদী।’
Sahih International:
And when those who associated others with Allah see their "partners," they will say," Our Lord, these are our partners [to You] whom we used to invoke besides You." But they will throw at them the statement, "Indeed, you are liars."



وَ اَلْقَوْا اِلَی اللّٰهِ یَوْمَئِذِۣ السَّلَمَ وَ ضَلَّ عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَفْتَرُوْنَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আল কাও ইলাল্লা-হি ইয়াওমাইযিনিছছালামা ওয়াদাল্লা ‘আনহুম মা-কা-নূইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
সেদিন তারা আল্লাহর প্রতি আনুগহ্য পেশ করবে এবং তারা যে মিথ্যা রটাত, তা উধাও হয়ে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন তারা আল্লাহর নিকট খোলাখুলি আত্মসমর্পণ করবে, আর তারা যে সব মিথ্যে উদ্ভাবন করেছিল তা তাদের নিকট হতে হারিয়ে যাবে।
Sahih International:
And they will impart to Allah that Day [their] submission, and lost from them is what they used to invent.



اَلَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ صَدُّوْا عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ زِدْنٰهُمْ عَذَابًا فَوْقَ الْعَذَابِ بِمَا کَانُوْا یُفْسِدُوْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা কাফারূওয়াসাদ্দূ‘আন ছাবীলিল্লা-হি যিদনা-হুম ‘আযা-বান ফাওকাল ‘আযা-বি বিমা-কা-নূইউফছিদূন।
আল বায়ান:
যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহর রাস্তায় বাধা দিয়েছে, আমি তাদেরকে আযাবের উপর আযাব বাড়িয়ে দেব। কারণ তারা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে আর আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আমি তাদের শাস্তির উপর শাস্তি বৃদ্ধি করব, কারণ তারা ফাসাদ সৃষ্টি করত।
Sahih International:
Those who disbelieved and averted [others] from the way of Allah - We will increase them in punishment over [their] punishment for what corruption they were causing.



وَ یَوْمَ نَبْعَثُ فِیْ کُلِّ اُمَّۃٍ شَهِیْدًا عَلَیْهِمْ مِّنْ اَنْفُسِهِمْ وَ جِئْنَا بِکَ شَهِیْدًا عَلٰی هٰۤؤُلَآءِ ؕ وَ نَزَّلْنَا عَلَیْکَ الْکِتٰبَ تِبْیَانًا لِّکُلِّ شَیْءٍ وَّ هُدًی وَّ رَحْمَۃً وَّ بُشْرٰی لِلْمُسْلِمِیْنَ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা নাব‘আছুফী কুল্লি উম্মাতিন শাহীদান ‘আলাইহিম মিন আনফুছিহিম ওয়া জি’নাবিকা শাহীদান ‘আলা-হাউলাই ওয়া নাযযালনা ‘আলাইকাল কিতা-বা তিবইয়া-নাল লিকুল্লি শাইইওঁ ওয়া হুদাওঁ ওয়া রাহমাতাওঁ ওয়া বুশরা-লিলমুছলিমীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক উম্মতের কাছে, তাদের থেকেই তাদের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী উত্থিত করব এবং তোমাকে তাদের উপর সাক্ষীরূপে হাযির করব। আর আমি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি প্রতিটি বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা, হিদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন আমি প্রত্যেক উম্মাত থেকে তাদের নিজেদেরই মধ্য হতে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব, আর (তোমার) এই লোকদের ব্যাপারে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে (হে মুহাম্মাদ!) আমি তোমাকে আনব। আমি তোমার প্রতি এ কিতাব নাযিল করেছি যা প্রত্যেকটি বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা, সত্য পথের নির্দেশ, রহমাত আর আত্মসমর্পণকারীদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ।
Sahih International:
And [mention] the Day when We will resurrect among every nation a witness over them from themselves. And We will bring you, [O Muhammad], as a witness over your nation. And We have sent down to you the Book as clarification for all things and as guidance and mercy and good tidings for the Muslims.



اِنَّ اللّٰهَ یَاْمُرُ بِالْعَدْلِ وَ الْاِحْسَانِ وَ اِیْتَآیِٔ ذِی الْقُرْبٰی وَ یَنْهٰی عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْکَرِ وَ الْبَغْیِ ۚ یَعِظُکُمْ لَعَلَّکُمْ تَذَکَّرُوْنَ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা ইয়া’মুরু বিল‘আদলি ওয়াল ইহছা-নি ওয়া ঈতাইযিল কুরবা-ওয়া ইয়ানহা‘আনিল ফাহশাই ওয়াল মুনকারি ওয়াল বাগই ইয়া‘ইজু কুম লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ, সদাচার ও নিকট আত্মীয়দের দান করার আদেশ দেন এবং তিনি আশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ ন্যায়-বিচার, সদাচরণ ও আত্মীয়দেরকে দেয়ার হুকুম দিচ্ছেন, আর তিনি নিষেধ করছেন অশ্লীলতা, অপকর্ম আর বিদ্রোহ থেকে। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দিয়েছেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
Sahih International:
Indeed, Allah orders justice and good conduct and giving to relatives and forbids immorality and bad conduct and oppression. He admonishes you that perhaps you will be reminded.



وَ اَوْفُوْا بِعَهْدِ اللّٰهِ اِذَا عٰهَدْتُّمْ وَ لَا تَنْقُضُوا الْاَیْمَانَ بَعْدَ تَوْکِیْدِهَا وَ قَدْ جَعَلْتُمُ اللّٰهَ عَلَیْکُمْ کَفِیْلًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ مَا تَفْعَلُوْنَ ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আওফূবি‘আহদিল্লা-হি ইযা-‘আ-হাততুম ওয়ালা-তানকুদুল আইমা-না বা‘দা তাওকীদিহা-ওয়া কাদ জা‘আলতুমুল্লা-হা ‘আলাইকুম কাফীলান ইন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমাতাফ‘আলূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা যখন অঙ্গীকার কর তখন আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর। তোমরা পাকাপোক্ত অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করো না এবং প্রকৃত পক্ষে তোমরা নিজদের জন্য আল্লাহকে জিম্মাদার বানিয়েছ। নিশ্চয় আল্লাহ জানেন, যা তোমরা কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা পরস্পর অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলে আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ করবে, নিজেদের অঙ্গীকার পাকা-পোখত করার পর তা ভঙ্গ করো না, যেহেতু তোমরা আল্লাহকে নিজেদের উপর সাক্ষী বানিয়ে নিয়েছ, তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে ওয়াকেফহাল।
Sahih International:
And fulfill the covenant of Allah when you have taken it, [O believers], and do not break oaths after their confirmation while you have made Allah, over you, a witness. Indeed, Allah knows what you do.



وَ لَا تَکُوْنُوْا کَالَّتِیْ نَقَضَتْ غَزْلَهَا مِنْۢ بَعْدِ قُوَّۃٍ اَنْکَاثًا ؕ تَتَّخِذُوْنَ اَیْمَانَکُمْ دَخَلًۢا بَیْنَکُمْ اَنْ تَکُوْنَ اُمَّۃٌ هِیَ اَرْبٰی مِنْ اُمَّۃٍ ؕ اِنَّمَا یَبْلُوْکُمُ اللّٰهُ بِهٖ ؕ وَ لَیُبَیِّنَنَّ لَکُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ مَا کُنْتُمْ فِیْهِ تَخْتَلِفُوْنَ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকূনূ কাল্লাতী নাকাদাতগাযলাহা-মিমবা‘দি কুওওয়াতিন আনকা-ছান তাত্তাখিযূনা আইমা-নাকুম দাখালাম বাইনাকুম আন তাকূনা উম্মাতুন হিয়া আরবা-মিন উম্মাতিন ইন্নামা-ইয়াবলূকুমুল্লা-হু বিহী ওয়ালা ইউবাইয়িনান্না লাকুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি মা-কুনতুম ফীহি তাখতালিফূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা সে নারীর মত হয়ো না, যে তার পাকানো সূতো শক্ত করে পাকানোর পর টুকরো টুকরো করে ফেলে। তোমরা তোমাদের উপর অঙ্গীকারকে নিজদের মধ্যে প্রতারণা হিসেবে গ্রহণ করছ (এই উদ্দেশ্যে) যে, একদল অপর দলের চেয়ে বড় হবে। আল্লাহ তো এর মাধ্যমে তোমাদের পরীক্ষা করেন এবং নিশ্চয় তিনি তোমাদের জন্য কিয়ামতের দিনে স্পষ্ট করে দেবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা এমন নারীর মত হয়ো না যে তার সূতাগুলোকে শক্ত করে পাকানোর পর নিজেই তার পাক খুলে টুকরো টুকরো করে দেয়। তোমরা তোমাদের শপথগুলোকে পারস্পরিক ব্যাপারে ধোঁকা-প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার কর যেন একদল আরেক দল অপেক্ষা বেশি ফায়দা লাভ করতে পারে। আল্লাহ কেবল এর দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন অবশ্য অবশ্যই স্পষ্ট করে দিবেন যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করতে।
Sahih International:
And do not be like she who untwisted her spun thread after it was strong [by] taking your oaths as [means of] deceit between you because one community is more plentiful [in number or wealth] than another community. Allah only tries you thereby. And He will surely make clear to you on the Day of Resurrection that over which you used to differ.



وَ لَوْ شَآءَ اللّٰهُ لَجَعَلَکُمْ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ لٰکِنْ یُّضِلُّ مَنْ یَّشَآءُ وَ یَهْدِیْ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ لَتُسْـَٔلُنَّ عَمَّا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও শাআল্লা-হু লাজা‘আলাকুম উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাওঁ ওয়ালা-কিইঁ ইউদিল্লুমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াহদী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়ালা তুছআলুন্না ‘আম্মা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর যদি আল্লাহ চাইতেন, তোমাদের সকলকে এক জাতিতে পরিণত করতেন, কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন, আর যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। তোমরা যা করতে সে সম্পর্কে অবশ্যই তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে অবশ্যই এক উম্মাত করে দিতেন, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছে গুমরাহ্ করেন, আর যাকে ইচ্ছে সঠিক পথপ্রদর্শন করেন। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে অবশ্য অবশ্যই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Sahih International:
And if Allah had willed, He could have made you [of] one religion, but He causes to stray whom He wills and guides whom He wills. And you will surely be questioned about what you used to do.



وَ لَا تَتَّخِذُوْۤا اَیْمَانَکُمْ دَخَلًۢا بَیْنَکُمْ فَتَزِلَّ قَدَمٌۢ بَعْدَ ثُبُوْتِهَا وَ تَذُوْقُوا السُّوْٓءَ بِمَا صَدَدْتُّمْ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ۚ وَ لَکُمْ عَذَابٌ عَظِیْمٌ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাত্তাখিযূআইমা-নাকুম দাখালাম বাইনাকুম ফাতাযিল্লা কাদামুম বা‘দা ছুবূতিহাওয়া তাযূকুছছূআ বিমা-সাদাততুম ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়ালাকুম ‘আযা-বুন ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর তোমরা তোমাদের অঙ্গীকারগুলোকে তোমাদের প্রতারণা হিসেবে গ্রহণ করো না। তাহলে পা দৃঢ় হওয়ার পর পিছলে যাবে এবং তোমরা আযাব আস্বাদন করবে। কারণ তোমরা আল্লাহর রাস্তায় বাধা দিয়েছ। আর তোমাদের জন্য রয়েছে মহা আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তোমাদের নিজেদের শপথগুলোকে পরস্পর ধোঁকা-প্রবঞ্চনার উপায় হিসেবে গ্রহণ করো না, তা করলে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পা আবার পিছলে যাবে, আর আল্লাহর পথে বাধা দেয়ার কারণে তোমরা মন্দ পরিণতি ভোগ করবে, আর তোমাদের জন্য থাকবে কঠিন শাস্তি।
Sahih International:
And do not take your oaths as [means of] deceit between you, lest a foot slip after it was [once] firm, and you would taste evil [in this world] for what [people] you diverted from the way of Allah, and you would have [in the Hereafter] a great punishment.



وَ لَا تَشْتَرُوْا بِعَهْدِ اللّٰهِ ثَمَنًا قَلِیْلًا ؕ اِنَّمَا عِنْدَ اللّٰهِ هُوَ خَیْرٌ لَّکُمْ اِنْ کُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাশতারূবি‘আহদিল্লা-হি ছামানান কালীলান ইন্নামা-‘ইনদাল্লা-হি হুওয়া খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা স্বল্প মূল্যে আল্লাহর অঙ্গীকার বিক্রি করো না। আল্লাহর কাছে যা আছে, তোমাদের জন্যই তাই উত্তম, যদি তোমরা জানতে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়া‘দা নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আল্লাহর নিকট যা আছে তোমাদের জন্য তা-ই উত্তম- তোমরা যদি জানতে!
Sahih International:
And do not exchange the covenant of Allah for a small price. Indeed, what is with Allah is best for you, if only you could know.



مَا عِنْدَکُمْ یَنْفَدُ وَ مَا عِنْدَ اللّٰهِ بَاقٍ ؕ وَ لَنَجْزِیَنَّ الَّذِیْنَ صَبَرُوْۤا اَجْرَهُمْ بِاَحْسَنِ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
মা-‘ইনদাকুম ইয়ানফাদুওয়ামা-‘ইনদাল্লা-হি বা-কিওঁ ওয়ালা নাজযিয়ান্নাল্লাযীনা সাবারূআজরাহুম বিআহছানি মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
তোমাদের নিকট যা আছে তা ফুরিয়ে যায়। আর আল্লাহর নিকট যা আছে তা স্থায়ী। আর যারা সবর করেছে, তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের কাছে যা আছে তা শেষ হয়ে যাবে, আর আল্লাহর কাছে যা আছে তা টিকে থাকবে। আমরা অবশ্য অবশ্যই ধৈর্যশীলদেরকে তারা যা করে তার চেয়ে উত্তম প্রতিদান দেব।
Sahih International:
Whatever you have will end, but what Allah has is lasting. And We will surely give those who were patient their reward according to the best of what they used to do.



مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَکَرٍ اَوْ اُنْثٰی وَ هُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْیِیَنَّهٗ حَیٰوۃً طَیِّبَۃً ۚ وَ لَنَجْزِیَنَّهُمْ اَجْرَهُمْ بِاَحْسَنِ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
মান ‘আমিলা সা-লিহাম মিন যাকারিন আও উনছা-ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফালা নুহয়িইয়ান্নাহূ হায়া-তান তাইয়িবাতাওঁ ওয়া লানাজযিয়ান্নাহুম আজরাহুম বিআহছানি মা-কানূ ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
পুরুষ আর নারীদের মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে আর সে মু’মিনও, তাকে আমি অবশ্য অবশ্যই উত্তম জীবন দান করব আর তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই তারা যা করে তার চেয়ে উত্তম প্রতিফল দান করব।
Sahih International:
Whoever does righteousness, whether male or female, while he is a believer - We will surely cause him to live a good life, and We will surely give them their reward [in the Hereafter] according to the best of what they used to do.



فَاِذَا قَرَاْتَ الْقُرْاٰنَ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-কারা’তাল কুরআ-না ফাছতা‘ইযবিল্লা-হিমিনাশশাইতা-নির রাজীম।
আল বায়ান:
সুতরাং যখন তুমি কুরআন পড়বে তখন আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান হতে পানাহ চাও।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যখনি কুরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়ত্বান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে।
Sahih International:
So when you recite the Qur'an, [first] seek refuge in Allah from Satan, the expelled [from His mercy].



اِنَّهٗ لَیْسَ لَهٗ سُلْطٰنٌ عَلَی الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَلٰی رَبِّهِمْ یَتَوَکَّلُوْنَ ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূলাইছা লাহূছুলতা-নুন ‘আলাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আলা রাব্বিহীম ইয়াতাওয়াক্কালূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের রবের উপর তাওয়াক্কুল করেছে, তাদের উপর শয়তানের কোন ক্ষমতা নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান এনেছে তাদের উপর তার কোন প্রভাব খাটে না, আর তারা তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।
Sahih International:
Indeed, there is for him no authority over those who have believed and rely upon their Lord.



اِنَّمَا سُلْطٰنُهٗ عَلَی الَّذِیْنَ یَتَوَلَّوْنَهٗ وَ الَّذِیْنَ هُمْ بِهٖ مُشْرِکُوْنَ ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-ছুলতা-নুহূ‘আলাল্লাযীনা ইয়াতাওয়াল্লাওনাহূওয়াল্লাযীনা হুম বিহী মুশরিকূন।
আল বায়ান:
তার ক্ষমতা তো কেবল তাদের উপর, যারা তাকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ কর এবং যারা আল্লাহর সাথে শরীক করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তার প্রভাব কেবল তাদের উপরই খাটে যারা তাকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে আর যারা তাকে আল্লাহর শরীক করে।
Sahih International:
His authority is only over those who take him as an ally and those who through him associate others with Allah.



وَ اِذَا بَدَّلْنَاۤ اٰیَۃً مَّکَانَ اٰیَۃٍ ۙ وَّ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا یُنَزِّلُ قَالُوْۤا اِنَّمَاۤ اَنْتَ مُفْتَرٍ ؕ بَلْ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-বাদ্দালনাআ-য়াতাম মাকা-না আ-য়াতিওঁ ওয়াল্লা-হু ‘আলামুবিমাইউনাযযিলুকা-লূইন্নামাআনতা মুফতারিম বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর যখন আমি একটি আয়াতের স্থানে পরিবর্তন করে আরেকটি আয়াত দেই- আল্লাহ ভাল জানেন সে সম্পর্কে, যা তিনি নাযিল করেন- তখন তারা বলে, তুমি তো কেবল মিথ্যা রটনাকারী; রবং তাদের অধিকাংশই জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যখন এক আয়াতের বদলে অন্য আয়াত নাযিল করি- আর আল্লাহ ভালভাবেই জানেন, যা তিনি নাযিল করেন- তখন এই লোকেরা বলে, ‘তুমি তো মিথ্যা রচনাকারী।’ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, এ সম্পর্কে তাদের অধিকাংশেরই কোন জ্ঞান নেই।
Sahih International:
And when We substitute a verse in place of a verse - and Allah is most knowing of what He sends down - they say, "You, [O Muhammad], are but an inventor [of lies]." But most of them do not know.



قُلْ نَزَّلَهٗ رُوْحُ الْقُدُسِ مِنْ رَّبِّکَ بِالْحَقِّ لِیُـثَبِّتَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ هُدًی وَّ بُشْرٰی لِلْمُسْلِمِیْنَ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
কুল নাযযালাহূরূহুলকুদুছি মির রাব্বিকা বিলহাক্কি লিইউছাব্বিতাল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া হুদাওঁ ওয়া বুশরা-লিলমুছলিমীন।
আল বায়ান:
বল, রুহুল কুদস (জীবরীল) একে তোমার রবের পক্ষ হতে যথাযথভাবে নাযিল করেছেন। যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুদৃঢ় করার জন্য এবং হিদায়াত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘এ কুরআন তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে রুহুল কুদূস (জিবরীল) ঠিক ঠিকভাবে নাযিল করেছেন ঈমানদারদেরকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য এবং মুসলিমদের হিদায়াত ও সুসংবাদ দানের জন্য।’
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "The Pure Spirit has brought it down from your Lord in truth to make firm those who believe and as guidance and good tidings to the Muslims."



وَ لَقَدْ نَعْلَمُ اَنَّهُمْ یَقُوْلُوْنَ اِنَّمَا یُعَلِّمُهٗ بَشَرٌ ؕ لِسَانُ الَّذِیْ یُلْحِدُوْنَ اِلَیْهِ اَعْجَمِیٌّ وَّ هٰذَا لِسَانٌ عَرَبِیٌّ مُّبِیْنٌ ﴿۱۰۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ না‘লামুআন্নাহুম ইয়াকূলূনা ইন্নামা-ইউ‘আলিলমুহূবাশারুল লিছা-নুল্লাযী ইউলহিদূ না ইলাইহি আ‘জামিইয়ুওঁ ওয়া হা-যা-লিছা-নুন ‘আরাবিইয়ুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর আমি অবশ্যই জানি যে, তারা বলে, তাকে তো শিক্ষা দেয় একজন মানুষ, যার দিকে তারা ঈঙ্গিত করছে, তার ভাষা হচ্ছে অনারবী। অথচ এটা হচ্ছে সুস্পষ্ট আরবী ভাষা।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি জানি, তারা বলে, ‘এক মানুষ তাকে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)-কে] শিখিয়ে দেয়।’ অথচ দুষ্টবুদ্ধি প্রণোদিত হয়ে তারা যে লোকটির কথা বলছে তার ভাষা তো অনারব, অপরপক্ষে কুরআনের ভাষা হল স্পষ্ট আরবী।
Sahih International:
And We certainly know that they say, "It is only a human being who teaches the Prophet." The tongue of the one they refer to is foreign, and this Qur'an is [in] a clear Arabic language.



اِنَّ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ ۙ لَا یَهْدِیْهِمُ اللّٰهُ وَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিআ-য়া-তিল্লা-হি লা-ইয়াহদীহিমুল্লা-হু ওয়া লাহুম ‘আযাবুন আলীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে না, আল্লাহ তাদেরকে হিদায়াত করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে না, আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না, আর তাদের জন্য আছে ভয়ানক শাস্তি।
Sahih International:
Indeed, those who do not believe in the verses of Allah - Allah will not guide them, and for them is a painful punishment.



اِنَّمَا یَفْتَرِی الْکَذِبَ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الْکٰذِبُوْنَ ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-ইয়াফতারিল কাযিবাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিআ-য়া-তিল্লা-হি ওয়া উলাইকা হুমুল কা-যিবূন।
আল বায়ান:
একমাত্র তারাই মিথ্যা রটায়, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে না। আর তারাই মিথ্যাবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করে না, তারাই মিথ্যে রচনা করে আর তারাই মিথ্যাবাদী।
Sahih International:
They only invent falsehood who do not believe in the verses of Allah, and it is those who are the liars.



مَنْ کَفَرَ بِاللّٰهِ مِنْۢ بَعْدِ اِیْمَانِهٖۤ اِلَّا مَنْ اُکْرِهَ وَ قَلْبُهٗ مُطْمَئِنٌّۢ بِالْاِیْمَانِ وَ لٰکِنْ مَّنْ شَرَحَ بِالْکُفْرِ صَدْرًا فَعَلَیْهِمْ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰهِ ۚ وَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِیْمٌ ﴿۱۰۶﴾
উচ্চারণ:
মান কাফারা বিল্লা-হি মিম বা‘দি ঈমা-নিহীইল্লা-মান উকরিহা ওয়া কালবুহূমুতমাইননুম বিলঈমা-নি ওয়ালা-কিম মান শারাহা বিলকুফরি সাদরান ফা‘আলাইহিম গাদাবুম মিনাল্লা-হি ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম।
আল বায়ান:
যে ঈমান আনার পর আল্লাহর সাথে কুফরী করেছে এবং যারা তাদের অন্তর কুফরী দ্বারা উন্মুক্ত করেছে, তাদের উপরই আল্লাহর ক্রোধ এবং তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব। ঐ ব্যক্তি ছাড়া যাকে বাধ্য করা হয় (কুফরী করতে) অথচ তার অন্তর থাকে ঈমানে পরিতৃপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন ব্যক্তি তার ঈমান গ্রহণের পর আল্লাহকে অবিশ্বাস করলে এবং কুফরীর জন্য তার হৃদয় খুলে দিলে তার উপর আল্লাহর গযব পতিত হবে আর তার জন্য আছে মহা শাস্তি, তবে তার জন্য নয় যাকে (কুফরীর জন্য) বাধ্য করা হয় অথচ তার দিল ঈমানের উপর অবিচল থাকে।
Sahih International:
Whoever disbelieves in Allah after his belief... except for one who is forced [to renounce his religion] while his heart is secure in faith. But those who [willingly] open their breasts to disbelief, upon them is wrath from Allah, and for them is a great punishment;



ذٰلِکَ بِاَنَّهُمُ اسْتَحَبُّوا الْحَیٰوۃَ الدُّنْیَا عَلَی الْاٰخِرَۃِ ۙ وَ اَنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۱۰۷﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিআন্নাহুমুছ তাহাব্বুল হায়া-তাদদুনইয়া-‘আলাল আ-খিরাতি ওয়া আন্নাল্লাহা লা-ইয়াহদিল কাওমাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
এটা এ জন্য যে, তারা আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনকে পছন্দ করেছে। আর নিশ্চয় আল্লাহ কাফির কওমকে হিদায়াত করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
এর কারণ এই যে, তারা আখিরাত অপেক্ষা দুনিয়ার জীবনকে বেশি ভালবাসে, আর আল্লাহ ঈমান প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে সঠিক পথ দেখান না।
Sahih International:
That is because they preferred the worldly life over the Hereafter and that Allah does not guide the disbelieving people.



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ طَبَعَ اللّٰهُ عَلٰی قُلُوْبِهِمْ وَ سَمْعِهِمْ وَ اَبْصَارِهِمْ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الْغٰفِلُوْنَ ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা তাবা‘আল্লা-হু ‘আলা-কুলূবিহিম ওয়া ছাম‘ইহিম ওয়া আবসা-রিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল গা-ফিলূন।
আল বায়ান:
এরাই তারা, যাদের অন্তরসমূহ, শ্রবণসমূহ ও দৃষ্টিসমূহের উপর আল্লাহ মোহর করে দিয়েছেন এবং তারাই হচ্ছে গাফেল।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা ঐ সব লোক আল্লাহ যাদের অন্তর, কান আর চোখে মোহর মেরে দিয়েছেন আর তারা বে-খেয়াল, উদাসীন।
Sahih International:
Those are the ones over whose hearts and hearing and vision Allah has sealed, and it is those who are the heedless.



لَاجَرَمَ اَنَّهُمْ فِی الْاٰخِرَۃِ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
লা-জারামা আন্নাহুম ফিল আ-খিরাতি হুমুল খা-ছিরূন।
আল বায়ান:
সন্দেহ নেই, তারাই আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে কোন সন্দেহই নেই যে, আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্ত এরাই হবে।
Sahih International:
Assuredly, it is they, in the Hereafter, who will be the losers.



ثُمَّ اِنَّ رَبَّکَ لِلَّذِیْنَ هَاجَرُوْا مِنْۢ بَعْدِ مَا فُتِنُوْا ثُمَّ جٰهَدُوْا وَ صَبَرُوْۤا ۙ اِنَّ رَبَّکَ مِنْۢ بَعْدِهَا لَغَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্না রাব্বাকা লিল্লাযীনা হা-জারূমিম বা‘দি মা-ফুতিনূছু ম্মা জা-হাদূওয়া সাবারূ ইন্না রাব্বাকা মিম বা‘দিহা-লাগাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
তারপর তোমার রব তাদের জন্য, যারা বিপর্যস্ত হওয়ার পর হিজরত করেছে, অতঃপর জিহাদ করেছে এবং সবর করেছে, এ সবের পর তোমার রব অবশ্যই ক্ষমাশীল, দুয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই তোমার প্রতিপালক তাদের জন্য যারা নির্যাতিত হওয়ার পর হিজরাত করে, অতঃপর জিহাদ করে, অতঃপর ধৈর্যধারণ করে, এ সবের পর তোমার প্রতিপালক অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
Then, indeed your Lord, to those who emigrated after they had been compelled [to renounce their religion] and thereafter fought [for the cause of Allah] and were patient - indeed, your Lord, after that, is Forgiving and Merciful



یَوْمَ تَاْتِیْ کُلُّ نَفْسٍ تُجَادِلُ عَنْ نَّفْسِهَا وَ تُوَفّٰی کُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ وَ هُمْ لَا یُظْلَمُوْنَ ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তা’তী কুল্লুনাফছিন তুজা-দিলু‘আন নাফছিহা-ওয়া তুওয়াফফা-কুল্লুনাফছিম মা‘আমিলাত ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।
আল বায়ান:
(স্মরণ কর সে দিনের কথা) যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের পক্ষে যুক্তি-তর্ক নিয়ে উপস্থিত হবে এবং প্রত্যেককে ব্যক্তি সে যা আমল করেছে তা পরিপূর্ণরূপে দেয়া হবে এবং তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন প্রত্যেক লোক নিজের পক্ষে যুক্তি পেশ করবে আর প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কৃতকর্মের প্রতিফল পূর্ণমাত্রায় দেয়া হবে, তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।
Sahih International:
On the Day when every soul will come disputing for itself, and every soul will be fully compensated for what it did, and they will not be wronged.



وَ ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا قَرْیَۃً کَانَتْ اٰمِنَۃً مُّطْمَئِنَّۃً یَّاْتِیْهَا رِزْقُهَا رَغَدًا مِّنْ کُلِّ مَکَانٍ فَکَفَرَتْ بِاَنْعُمِ اللّٰهِ فَاَذَاقَهَا اللّٰهُ لِبَاسَ الْجُوْعِ وَ الْخَوْفِ بِمَا کَانُوْا یَصْنَعُوْنَ ﴿۱۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দারাবাল্লা-হু মাছালান কারইয়াতান কা-নাত আ-মিনাতাম মুতমাইন্নাতাইঁ ইয়া’তীহারিযকুহা-রাগাদাম মিন কুল্লি মাকা-নিন ফাকাফারাত বিআন‘উমিল্লা-হি ফাআযা-কাহাল্লা-হু লিবা-ছাল জূ‘ই ওয়াল খাওফি বিমা-কা-নূইয়াসনা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ উপমা পেশ করছেন, একটি জনপদ, যা ছিল নিরাপদ ও শান্ত। সবদিক থেকে তার রিয্ক তাতে বিপুলভাবে আসত। অতঃপর সে (জনপদ) আল্লাহর নিআমত অস্বীকার করল। তখন তারা যা করত তার কারণে আল্লাহ তাকে ক্ষুধা ও ভয়ের পোশাক পরালেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ এক জনবসতির দৃষ্টান্ত পেশ করছেন যা ছিল নিরাপদ, চিন্তা-ভাবনাহীন। সবখান থেকে সেখানে আসত জীবন ধারণের পর্যাপ্ত উপকরণ। অতঃপর সে জনপদ আল্লাহর নি‘মাতরাজির কুফুরী করল, অতঃপর আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কারণে ক্ষুধা ও ভয়-ভীতির মুসীবাত তাদেরকে আস্বাদন করালেন।
Sahih International:
And Allah presents an example: a city which was safe and secure, its provision coming to it in abundance from every location, but it denied the favors of Allah. So Allah made it taste the envelopment of hunger and fear for what they had been doing.



وَ لَقَدْ جَآءَهُمْ رَسُوْلٌ مِّنْهُمْ فَکَذَّبُوْهُ فَاَخَذَهُمُ الْعَذَابُ وَ هُمْ ظٰلِمُوْنَ ﴿۱۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ জাআহুম রাছূলুম মিনহুম ফাকাযযাবূহু ফাআখাযাহুমুল‘আযা-বুওয়া হুম জা-লিমূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তাদের কাছে, তাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল এসেছিল। তারপর তারা তাকে অস্বীকার করেছিল। ফলে আযাব তাদের পাকড়াও করেছিল এমতাবস্থায় যে, তারা ছিল যুলমকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে তাদের মধ্য হতেই রসূল এসেছিল কিন্তু তারা তাকে মিথ্যা মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করল, তখন শাস্তি তাদেরকে পাকড়াও করল যখন তারা ছিল সীমালঙ্ঘনে লিপ্ত।
Sahih International:
And there had certainly come to them a Messenger from among themselves, but they denied him; so punishment overtook them while they were wrongdoers.



فَکُلُوْا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰهُ حَلٰلًا طَیِّبًا ۪ وَّ اشْکُرُوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ اِنْ کُنْتُمْ اِیَّاهُ تَعْبُدُوْنَ ﴿۱۱۴﴾
উচ্চারণ:
ফাকুলূমিম্মা-রাযাকাকুমুল্লা-হু হালা-লান তাইয়িবাওঁ ওয়াশকুরূনি‘মাতাল্লা-হি ইন কুনতুম ইয়্যা-হু তা‘বুদূ ন।
আল বায়ান:
অতএব আল্লাহ তোমাদেরকে যে হালাল উত্তম রিয্ক দিয়েছেন, তোমরা তা থেকে আহার কর এবং আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় কর, যদি তোমরা তারই ইবাদাত করে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই আল্লাহ তোমাদেরকে যে সকল বৈধ পবিত্র রিযক দিয়েছেন তা তোমরা খাও আর আল্লাহর অনুগ্রহের শুকরিয়া আদায় কর যদি তোমরা প্রকৃতই তাঁর বন্দেগী করতে ইচ্ছুক হও।
Sahih International:
Then eat of what Allah has provided for you [which is] lawful and good. And be grateful for the favor of Allah, if it is [indeed] Him that you worship.



اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَیْکُمُ الْمَیْتَۃَ وَ الدَّمَ وَ لَحْمَ الْخِنْزِیْرِ وَ مَاۤ اُهِلَّ لِغَیْرِ اللّٰهِ بِهٖ ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَیْرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۱۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-হাররামা ‘আলাইকুমুল মাইতাতা ওয়াদ্দামা ওয়া লাহমাল খিনযীরি ওয়ামাউহিল্লা লিগাইরিল্লা-হি বিহী ফামানিদতুররা গাইরা বা-গিওঁ ওয়ালা-‘আদিন ফাইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
তিনি তো তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশ্ত এবং যে জন্তুর যবেহকালে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নাম নেয়া হয়েছে। তবে যে নিরুপায় হয়ে, ইচ্ছাকৃত অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন ব্যতীত, (প্রয়োজন মুতাবেক গ্রহণ করবে) তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জীব, রক্ত, শূকরের মাংস আর যা যবেহ করার সময় আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম নেয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্য না হয়ে ও সীমালঙ্ঘন না ক’রে নিতান্ত নিরুপায় (হয়ে এসব খেতে বাধ্য) হলে আল্লাহ তো বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
He has only forbidden to you dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah. But whoever is forced [by necessity], neither desiring [it] nor transgressing [its limit] - then indeed, Allah is Forgiving and Merciful.



وَ لَا تَقُوْلُوْا لِمَا تَصِفُ اَلْسِنَتُکُمُ الْکَذِبَ هٰذَا حَلٰلٌ وَّ هٰذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُوْا عَلَی اللّٰهِ الْکَذِبَ ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ یَفْتَرُوْنَ عَلَی اللّٰهِ الْکَذِبَ لَا یُفْلِحُوْنَ ﴿۱۱۶﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকূলূলিমা-তাসিফুআলছিনাতুকুমুল কাযিবা হা-যা-হালা-লুওঁ ওয়া হা-যাহারামুল লিতাফতারূ‘আলাল্লা-হিল কাযিবা ইন্নাল্লাযীনা ইয়াফতারূনা ‘আলাল্লা-হিল কাযিবা লা-ইউফলিহূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের জিহবা দ্বারা বানানো মিথ্যার উপর নির্ভর করে বলো না যে, এটা হালাল এবং এটা হারাম, আল্লাহর উপর মিথ্যা রটানোর জন্য। নিশ্চয় যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা রটায়, তারা সফল হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের জিহবা থেকে মিথ্যে কথা বেরোয় বলেই তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করার জন্য এমন কথা বলো না যে, এটা হালাল, আর এটা হারাম। যারা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে উদ্ভাবন করে, তারা কক্ষনো কল্যাণ লাভ করতে পারে না।
Sahih International:
And do not say about what your tongues assert of untruth, "This is lawful and this is unlawful," to invent falsehood about Allah. Indeed, those who invent falsehood about Allah will not succeed.



مَتَاعٌ قَلِیْلٌ ۪ وَّ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۱۱۷﴾
উচ্চারণ:
মাতা-‘উন কালীলুওঁ ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
সামান্য ভোগ এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
(এসব মিথ্যাচারে লাভ হয়) সামান্য ভোগের বস্তু, অতঃপর তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি।
Sahih International:
[It is but] a brief enjoyment, and they will have a painful punishment.



وَ عَلَی الَّذِیْنَ هَادُوْا حَرَّمْنَا مَا قَصَصْنَا عَلَیْکَ مِنْ قَبْلُ ۚ وَ مَا ظَلَمْنٰهُمْ وَ لٰکِنْ کَانُوْۤا اَنْفُسَهُمْ یَظْلِمُوْنَ ﴿۱۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আলাল্লাযীনা হা-দূহাররামনা-মা-কাসাসনা-‘আলাইকা মিন কাবলু ওয়ামাজালামনা-হুম ওয়ালা-কিন কা-নূআনফুছাহুম ইয়জলিমূন।
আল বায়ান:
আর যারা ইহূদী হয়েছে, তাদের উপরও আমি তাই হারাম করেছি, যা আমি তোমার কাছে ইতঃপূর্বে বর্ণনা করেছি এবং আমি তাদের উপর যুলম করিনি; বরং তারাই তাদের নিজদের উপর যুলম করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা ইয়াহূদী হয়েছিল আমি তাদের প্রতি হারাম করেছিলাম যা আমি তোমার কাছে পূর্বেই উল্লেখ করেছি। আমি তাদের উপর কোন যুলম করিনি, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলম করত।
Sahih International:
And to those who are Jews We have prohibited that which We related to you before. And We did not wrong them [thereby], but they were wronging themselves.



ثُمَّ اِنَّ رَبَّکَ لِلَّذِیْنَ عَمِلُوا السُّوْٓءَ بِجَهَالَۃٍ ثُمَّ تَابُوْا مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِکَ وَ اَصْلَحُوْۤا ۙ اِنَّ رَبَّکَ مِنْۢ بَعْدِهَا لَغَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۱۱۹﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্না রাব্বাকা লিল্লাযীনা ‘আমিলুছছূআ বিজাহা-লাতিন ছুম্মা তা-বূমিম বা‘দি যালিকা ওয়া আসলাহূ ইন্না রাব্বাকা মিম বা‘দিহা-লাগাফরুর রাহীম।
আল বায়ান:
তারপর নিশ্চয় তোমার রব তাদের জন্য, যারা অজ্ঞাতসারে মন্দ কাজ করেছে, এরপর তারা তওবা করেছে এবং পরিশুদ্ধ হয়েছে। নিশ্চয় তোমার রব এসবের পর পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক তাদের জন্য যারা অজ্ঞতার কারণে খারাপ কাজ করে, অতঃপর তাওবাহ করে ও নিজেদের ‘আমাল সংশোধন করে, তোমার প্রতিপালক তাদের জন্য অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
Then, indeed your Lord, to those who have done wrong out of ignorance and then repent after that and correct themselves - indeed, your Lord, thereafter, is Forgiving and Merciful.



اِنَّ اِبْرٰهِیْمَ کَانَ اُمَّۃً قَانِتًا لِّلّٰهِ حَنِیْفًا ؕ وَ لَمْ یَکُ مِنَ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্না ইবরা-হীমা কা-না উম্মাতান কা-নিতাল লিল্লা-হি হানীফাওঁ ওয়ালাম ইয়াকুমিনাল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় ইবরাহীম ছিলেন এক উম্মত*, আল্লাহর একান্ত অনুগত ও একনিষ্ঠ। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
ইবরাহীম ছিল আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত একনিষ্ঠ এক উম্মাত, আর সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
Sahih International:
Indeed, Abraham was a [comprehensive] leader, devoutly obedient to Allah, inclining toward truth, and he was not of those who associate others with Allah.



شَاکِرًا لِّاَنْعُمِهٖ ؕ اِجْتَبٰهُ وَ هَدٰىهُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۱۲۱﴾
উচ্চারণ:
শা-কিরাল লিআন‘উমিহী ইজতাবা-হু ওয়াহাদা-হু ইলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
সে ছিল তার নিয়ামতের শুকরকারী। তিনি তাকে বাছাই করেছেন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
সে ছিল আল্লাহর নি‘মাতরাজির জন্য শোকরগুযার। আল্লাহ তাকে বেছে নিয়েছিলেন আর তাকে সরল সঠিক পথ দেখিয়েছিলেন।
Sahih International:
[He was] grateful for His favors. Allah chose him and guided him to a straight path.



وَ اٰتَیْنٰهُ فِی الدُّنْیَا حَسَنَۃً ؕ وَ اِنَّهٗ فِی الْاٰخِرَۃِ لَمِنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۱۲۲﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়া আ-তাইনা-হু ফিদদুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ইন্নাহূফিল আ-খিরাতি লামিনাসসালিহীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করেছি এবং নিঃসন্দেহে সে আখিরাতে নেককারদের দলভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করেছিলাম, আর আখেরাতেও সে অবশ্যই সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And We gave him good in this world, and indeed, in the Hereafter he will be among the righteous.



ثُمَّ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْکَ اَنِ اتَّبِعْ مِلَّۃَ اِبْرٰهِیْمَ حَنِیْفًا ؕ وَ مَا کَانَ مِنَ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿۱۲۳﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আওহাইনাইলাইকা আনিত্তাবি‘ মিল্লাতা ইবরা-হীমা হানীফাওঁ ওয়ামা-কা-না মিনাল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
তারপর আমি তোমার প্রতি ওহী পঠিয়েছি যে, তুমি মিল্লাতে ইবরাহীমের অনুসরণ কর, যে ছিল একনিষ্ঠ এবং ছিল না মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তোমার প্রতি ওয়াহী করছি যে, তুমি একনিষ্ঠ ইবরাহীমের মতাদর্শ অনুসরণ কর; আর সে তো মুশরিকদের দলভুক্ত ছিল না।
Sahih International:
Then We revealed to you, [O Muhammad], to follow the religion of Abraham, inclining toward truth; and he was not of those who associate with Allah.



اِنَّمَا جُعِلَ السَّبْتُ عَلَی الَّذِیْنَ اخْتَلَفُوْا فِیْهِ ؕ وَ اِنَّ رَبَّکَ لَیَحْکُمُ بَیْنَهُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ فِیْمَا کَانُوْا فِیْهِ یَخْتَلِفُوْنَ ﴿۱۲۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-জু‘ইলাছছাব তু‘আলাল্লাযীনাখ তালাফূফীহি ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাইয়াহকুমু বাইনাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ফীমা-কা-নূফীহি ইয়াখাতালিফূন।
আল বায়ান:
শনিবার তো তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে যারা তাতে মতবিরোধ করেছে। আর নিশ্চয় তোমার রব কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন, যাতে তারা মতভেদ করত।
তাইসিরুল কুরআন:
‘শনিবার পালন’ তো তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল যারা এর নিয়ম পালনে মতভেদ করেছিল। যে বিষয়ে তারা মতভেদ করত তোমার প্রতিপালক ক্বিয়ামাতের দিন সে বিষয়ে অবশ্যই তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন।
Sahih International:
The sabbath was only appointed for those who differed over it. And indeed, your Lord will judge between them on the Day of Resurrection concerning that over which they used to differ.



اُدْعُ اِلٰی سَبِیْلِ رَبِّکَ بِالْحِکْمَۃِ وَ الْمَوْعِظَۃِ الْحَسَنَۃِ وَ جَادِلْهُمْ بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِیْلِهٖ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِیْنَ ﴿۱۲۵﴾
উচ্চারণ:
উদ‘উ ইলা-ছাবীলি রাব্বিকা বিলহিকমাতি ওয়াল মাও‘ইজাতিল হাছানাতি ওয়া জা-দিলহুম বিল্লাতী হিয়া আহছানু ইন্না রাব্বাকা হুওয়া আ‘লামুবিমান দাল্লা ‘আন ছাবীলিহী ওয়া হুওয়া আ‘লামুবিলমুহতাদীন।
আল বায়ান:
তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
জ্ঞান-বুদ্ধি আর উত্তম উপদেশের মাধ্যমে তুমি (মানুষকে) তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান জানাও আর লোকেদের সাথে বিতর্ক কর এমন পন্থায় যা অতি উত্তম। তোমার প্রতিপালক ভালভাবেই জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে গুমরাহ হয়ে গেছে। আর কে সঠিক পথে আছে তাও তিনি বেশি জানেন।
Sahih International:
Invite to the way of your Lord with wisdom and good instruction, and argue with them in a way that is best. Indeed, your Lord is most knowing of who has strayed from His way, and He is most knowing of who is [rightly] guided.



وَ اِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوْا بِمِثْلِ مَا عُوْقِبْتُمْ بِهٖ ؕ وَ لَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَیْرٌ لِّلصّٰبِرِیْنَ ﴿۱۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন ‘আ-কাবতুম ফা‘আকিবূবিমিছলি মা -‘ঊকিবতুম বিহী ওয়া লাইন সাবারতুম লাহুওয়া খাইরুল লিসসা-বিরীন।
আল বায়ান:
আর যদি তোমরা শাস্তি দাও, তবে ঠিক ততটুকু শাস্তি দাও যতটুকু তোমাদের দেয়া হয়েছে। আর যদি তোমরা সবর কর, তবে তাই সবরকারীদের জন্য উত্তম।
তাইসিরুল কুরআন:
যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চাও তবে ততটুকু প্রতিশোধ গ্রহণ কর যতটুকু অন্যায় তোমাদের উপর করা হয়েছে। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর তবে ধৈর্যধারণকারীদের জন্য অবশ্যই তা উত্তম।
Sahih International:
And if you punish [an enemy, O believers], punish with an equivalent of that with which you were harmed. But if you are patient - it is better for those who are patient.



وَ اصْبِرْ وَ مَا صَبْرُکَ اِلَّا بِاللّٰهِ وَ لَا تَحْزَنْ عَلَیْهِمْ وَ لَا تَکُ فِیْ ضَیْقٍ مِّمَّا یَمْکُرُوْنَ ﴿۱۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসবির ওয়ামা-সাবরুকা ইল্লা-বিল্লা-হি ওয়ালা-তাহযান ‘আলাইহিম ওয়ালা-তাকুফী দাইকিম মিম্মা-ইয়ামকুরূন।
আল বায়ান:
আর তুমি সবর কর। তোমার সবর তো শুধু আল্লাহর তাওফীকেই। তারা যেসব ষড়যন্ত্র করছে তুমি সে বিষয়ে সংকীর্ণমনা হয়ো না।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি ধৈর্য ধারণ কর, তোমার ধৈর্য তো কেবল আল্লাহ ব্যতীত নয়, ওদের কার্যকলাপে তুমি দুঃখিত হয়ো না, আর ওদের ষড়যন্ত্র করার কারণে অন্তরে কুণ্ঠাবোধ করো না।
Sahih International:
And be patient, [O Muhammad], and your patience is not but through Allah. And do not grieve over them and do not be in distress over what they conspire.



اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الَّذِیْنَ اتَّقَوْا وَّ الَّذِیْنَ هُمْ مُّحْسِنُوْنَ ﴿۱۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা মা‘আল্লাযী নাত্তাকাওঁ ওয়াল্লাযীনা হুম মুহছিনূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সাথে, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে আর সৎকর্মশীল, আল্লাহ তো তাদেরই সঙ্গে আছেন।
Sahih International:
Indeed, Allah is with those who fear Him and those who are doers of good.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।