আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ جَعَلَ الظُّلُمٰتِ وَ النُّوْرَ ۬ؕ ثُمَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ یَعْدِلُوْنَ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী খালকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়া জা‘আলাজজু লুমাতি ওয়াননূরা ছু ম্মাল্লাযীনা কাফারূ বিরাব্বিহীম ইয়া‘দিলূন।
আল বায়ান:
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীন এবং সৃষ্টি করেছেন অন্ধকার ও আলো। তারপর কাফিররা তাদের রবের সমতুল্য স্থির করে।
তাইসিরুল কুরআন:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আর সৃষ্টি করেছেন অন্ধকার ও আলো, এতদসত্ত্বেও যারা কুফরী করেছে তারা (অন্যকে) তাদের প্রতিপালকের সমকক্ষ দাঁড় করিয়েছে।
Sahih International:
[All] praise is [due] to Allah, who created the heavens and the earth and made the darkness and the light. Then those who disbelieve equate [others] with their Lord.



هُوَ الَّذِیْ خَلَقَکُمْ مِّنْ طِیْنٍ ثُمَّ قَضٰۤی اَجَلًا ؕ وَ اَجَلٌ مُّسَمًّی عِنْدَهٗ ثُمَّ اَنْتُمْ تَمْتَرُوْنَ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযী খালাকাকুম মিন তীনিন ছুম্মা কাদাআজালাওঁ ওয়া আজালুম মুছাম্মান ‘ইনদাহূছু ম্মা আনতুম তামতারূন।
আল বায়ান:
তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন কাদা মাটি থেকে তারপর নির্ধারণ করেছেন একটি কাল, আর তাঁর কাছে আছে একটি নির্দিষ্ট কাল, তারপর তোমরা সন্দেহ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি মাটি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর (তোমাদের জীবনের জন্য) একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ নির্ধারিত করেছেন, এছাড়া আরেকটি নির্ধারিত মেয়াদ আছে (যে সম্পর্কিত জ্ঞান আছে) তাঁর কাছে, কিন্তু তোমরা সন্দেহই করে চলেছ।
Sahih International:
It is He who created you from clay and then decreed a term and a specified time [known] to Him; then [still] you are in dispute.



وَ هُوَ اللّٰهُ فِی السَّمٰوٰتِ وَ فِی الْاَرْضِ ؕ یَعْلَمُ سِرَّکُمْ وَ جَهْرَکُمْ وَ یَعْلَمُ مَا تَکْسِبُوْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লা-হু ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়া ফিল আরদি ইয়া‘লামুছিররাকুম ওয়া জাহরাকুম ওয়া ইয়া‘লামুমা-তাকছিবূন।
আল বায়ান:
আর আসমানসমূহ ও যমীনে তিনিই আল্লাহ, তিনি জানেন তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য এবং জানেন যা তোমরা অর্জন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমানসমূহ আর যমীনে তিনিই আল্লাহ, তোমাদের গোপন বিষয়াদি আর তোমাদের প্রকাশ্য বিষয়াদি সম্পর্কে তিনি জানেন, আর তিনি জানেন যা তোমরা উপার্জন কর।
Sahih International:
And He is Allah, [the only deity] in the heavens and the earth. He knows your secret and what you make public, and He knows that which you earn.



وَ مَا تَاْتِیْهِمْ مِّنْ اٰیَۃٍ مِّنْ اٰیٰتِ رَبِّهِمْ اِلَّا کَانُوْا عَنْهَا مُعْرِضِیْنَ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-তা’তীহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-ইয়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন।
আল বায়ান:
আর তাদের কাছে তাদের রবের আয়াতসমূহের কোন আয়াত আসলেই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের রব্বের নিদর্শনাবলী হতে এমন কোন নিদর্শন তাদের কাছে আসে না যা থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় না।
Sahih International:
And no sign comes to them from the signs of their Lord except that they turn away therefrom.



فَقَدْ کَذَّبُوْا بِالْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ ؕ فَسَوْفَ یَاْتِیْهِمْ اَنْۢبٰٓؤُا مَا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ফাকাদ কাযযাবূবিলহাক্কিলাম্মা-জাআহুম ফাছাওফা ইয়া‘তীহিম আমবাউ মা- কা-নূ বিহী ইয়াছতাহযিঊন।
আল বায়ান:
অতঃপর অবশ্যই তারা সত্যকে অস্বীকার করেছে, যখন তা তাদের কাছে এসেছে। সুতরাং অচিরেই তাদের কাছে সে বিষয়ের সংবাদ আসবে যা নিয়ে তারা উপহাস করত।
তাইসিরুল কুরআন:
(এখন) যে সত্য তাদের কাছে এসেছে তারা তা অস্বীকার করেছে। শীঘ্রই তাদের কাছে সে খবর আসবে যে সম্পর্কে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত।
Sahih International:
For they had denied the truth when it came to them, but there is going to reach them the news of what they used to ridicule.



اَلَمْ یَرَوْا کَمْ اَهْلَکْنَا مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنْ قَرْنٍ مَّکَّنّٰهُمْ فِی الْاَرْضِ مَا لَمْ نُمَکِّنْ لَّکُمْ وَ اَرْسَلْنَا السَّمَآءَ عَلَیْهِمْ مِّدْرَارًا ۪ وَّ جَعَلْنَا الْاَنْهٰرَ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهِمْ فَاَهْلَکْنٰهُمْ بِذُنُوْبِهِمْ وَ اَنْشَاْنَا مِنْۢ بَعْدِهِمْ قَرْنًا اٰخَرِیْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা-মিন কাবলিহিম মিন কারনিম মাককান্না-হুম ফিল আরদি মা-লাম নুমাককিল লাকুম ওয়া আরছালনাছছামাআ ‘আলাইহিম মিদরা-রাওঁ ওয়া জা‘আলনাল আন হা-রা তাজরী মিন তাহতিহিম ফাআহলাকনা-হুম বিযুনূবিহিম ওয়া আনশা’না-মিম বা‘দিহিম কারনান আ-খারীন।
আল বায়ান:
তারা কি দেখে না, আমি তাদের পূর্বে বহু প্রজন্মকে ধ্বংস করেছি? যাদেরকে যমীনে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যেভাবে তোমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করিনি। আর তাদের উপর বৃষ্টি পাঠিয়েছিলাম মুষলধারে এবং সৃষ্টি করেছিলাম নদীসমূহ যা তাদের নীচে প্রবাহিত হত। অতঃপর তাদের পাপের কারণে তাদেরকে ধ্বংস করেছি এবং তাদের পরে অন্য প্রজন্মকে সৃষ্টি করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি লক্ষ্য করে না তাদের পূর্বে আমি কত জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি, তাদেরকে দুনিয়ায় (এমনভাবে) প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যে শক্তি-প্রতিষ্ঠা তোমাদেরকে দেয়া হয়নি, তাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিলাম, তৈরি করেছিলাম নদী যা তাদের নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হত, অতঃপর তাদের পাপের কারণে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি আর তাদের পরে নতুন জনগোষ্ঠীর উত্থান ঘটালাম।
Sahih International:
Have they not seen how many generations We destroyed before them which We had established upon the earth as We have not established you? And We sent [rain from] the sky upon them in showers and made rivers flow beneath them; then We destroyed them for their sins and brought forth after them a generation of others.



وَ لَوْ نَزَّلْنَا عَلَیْکَ کِتٰبًا فِیْ قِرْطَاسٍ فَلَمَسُوْهُ بِاَیْدِیْهِمْ لَقَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও নাযযালনা-আলাইকা কিতা-বান ফী কিরতা-ছিন ফালামাছূহু বিআইদীহিম লাকালাল্লাযীনা কাফারূ ইন হা-যা-ইল্লাছিহরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর যদি আমি কাগজে লিখিত কিতাব তোমার উপর নাযিল করতাম অতঃপর তারা তা হাত দিয়ে স্পর্শ করত তবুও যারা কুফরী করেছে তারা বলত, ‘এ তো প্রকাশ্য যাদু ছাড়া কিছু না।’
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যদি তোমার উপর কাগজে লেখা কিতাব নাযিল করতাম আর তা তারা তাদের হাতে স্পর্শ করত, তাহলে অবিশ্বাসীরা অবশ্যই বলত এটা স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছু না।
Sahih International:
And even if We had sent down to you, [O Muhammad], a written scripture on a page and they touched it with their hands, the disbelievers would say, "This is not but obvious magic."



وَ قَالُوْا لَوْ لَاۤ اُنْزِلَ عَلَیْهِ مَلَکٌ ؕ وَ لَوْ اَنْزَلْنَا مَلَکًا لَّقُضِیَ الْاَمْرُ ثُمَّ لَا یُنْظَرُوْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূলাওলাউনযিলা ‘আলাইহি মালাকুওঁ ওয়া লাও আনযালনা-মালাকাল লাকুদিয়াল আমরু ছুম্মা লা-ইউনজারূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘কেন তার উপর কোন ফেরেশ্তা নাযিল করা হয়নি?’ যদি আমি ফেরেশ্তা নাযিল করতাম তাহলে বিষয়টি ফয়সালা হয়ে যেত, তারপর তাদের সুযোগ দেয়া হত না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলে, আমাদের কাছে ফেরেশতা পাঠানো হয় না কেন? আমি যদি ফেরেশতা পাঠাতাম তাহলে (যাবতীয় ব্যাপারে) চূড়ান্ত ফায়সালাই তো হয়ে যেত, অতঃপর তাদেরকে আর অবকাশ দেয়া হত না।
Sahih International:
And they say, "Why was there not sent down to him an angel?" But if We had sent down an angel, the matter would have been decided; then they would not be reprieved.



وَ لَوْ جَعَلْنٰهُ مَلَکًا لَّجَعَلْنٰهُ رَجُلًا وَّ لَلَبَسْنَا عَلَیْهِمْ مَّا یَلْبِسُوْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও জা‘আলনা-হু মালাকাল্লাজা‘আলনা-হুরাজুলাওঁ ওয়া লালাবাছনা-‘আলাইহিম মাইয়ালবিছূন।
আল বায়ান:
আর যদি রাসূলকে ফেরেশতা বানাতাম তবে তাকে পুরুষ মানুষই বানাতাম। ফলে তারা যে সন্দেহ করে, সে সন্দেহেই তাদেরকে রেখে দিতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি যদি তাকে ফেরেশতা করতাম তবে তাকে মানুষের আকৃতি বিশিষ্টই করতাম, আর তাদেরকে অবশ্যই গোলকধাঁধায় ফেলে দিতাম যেমন ধাঁধাঁয় তারা এখন পড়েছে।
Sahih International:
And if We had made him an angel, We would have made him [appear as] a man, and We would have covered them with that in which they cover themselves.



وَ لَقَدِ اسْتُهْزِیٴَ بِرُسُلٍ مِّنْ قَبْلِکَ فَحَاقَ بِالَّذِیْنَ سَخِرُوْا مِنْهُمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদিছ তুহযিআ বিরুছুলিম মিন কাবলিকা ফাহা-কাবিল্লাযীনা ছাখিরূ মিনহুম মাকানূবিহী ইয়াছতাহযিউ-ন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তোমার পূর্বে রাসূলগণকে নিয়ে উপহাস করা হয়েছিল। ফলে যারা তাদের সাথে উপহাস করেছিল, তাদেরকে তাদের উপহাস বেষ্টন করে নিয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্বেও রসূলদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছে, অতঃপর যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তাই তাদেরকে পরিবেষ্টন করে ফেলল।
Sahih International:
And already were messengers ridiculed before you, but those who mocked them were enveloped by that which they used to ridicule.



قُلْ سِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ ثُمَّ انْظُرُوْا کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
কুল ছীরূফিল আরদিছুম্মানজু রূ কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুকাযযিবীন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর তারপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছে।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল, দুনিয়ায় পরিভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের পরিণাম কী দাঁড়িয়েছিল।
Sahih International:
Say, "Travel through the land; then observe how was the end of the deniers."



قُلْ لِّمَنْ مَّا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ قُلْ لِّلّٰهِ ؕ کَتَبَ عَلٰی نَفْسِهِ الرَّحْمَۃَ ؕ لَیَجْمَعَنَّکُمْ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ لَا رَیْبَ فِیْهِ ؕ اَلَّذِیْنَ خَسِرُوْۤا اَنْفُسَهُمْ فَهُمْ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
কুল লিমাম মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল লিল্লা-হি কাতাবা ‘আলানাফছিহির রাহমাতা লাইয়াজমা‘আন্নাকুম ইলা-ইয়াওমিল কিয়া-মাতি লা-রাইবা ফীহি আল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আসমানসমূহ ও যমীনে যা আছে তা কার’? বল, ‘আল্লাহর জন্য’; তিনি তাঁর নিজের উপর রহমত লিখে নিয়েছেন। তিনি অবশ্যই তোমাদেরকে একত্র করবেন কিয়ামতের দিনে, এতে কোন সন্দেহ নেই। যারা নিজদের ক্ষতি করেছে তারা ঈমান আনবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আসমানে আর যমীনে যা আছে তা কার? বল, আল্লাহরই। দয়া করা তিনি তাঁর জন্য কর্তব্য স্থির করে নিয়েছেন, তিনি কিয়ামাত দিবসে তোমাদের সবাইকে একত্রিত করবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। যারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করেছে তারা ঈমান আনবে না।
Sahih International:
Say, "To whom belongs whatever is in the heavens and earth?" Say, "To Allah." He has decreed upon Himself mercy. He will surely assemble you for the Day of Resurrection, about which there is no doubt. Those who will lose themselves [that Day] do not believe.



وَ لَهٗ مَا سَکَنَ فِی الَّیْلِ وَ النَّهَارِ ؕ وَ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাহূমা-ছাকানা ফিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ওয়া হুওয়াছ ছামী‘ঊল ‘আলীম।
আল বায়ান:
যা কিছু রাতে ও দিনে স্থিত হয় তা তাঁরই। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
রাতে (অন্ধকারে) আর দিনে (আলোয়) যা বাস করে তা তাঁরই, তিনি হলেন সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And to Him belongs that which reposes by night and by day, and He is the Hearing, the Knowing.



قُلْ اَغَیْرَ اللّٰهِ اَتَّخِذُ وَلِیًّا فَاطِرِ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ هُوَ یُطْعِمُ وَ لَا یُطْعَمُ ؕ قُلْ اِنِّیْۤ اُمِرْتُ اَنْ اَکُوْنَ اَوَّلَ مَنْ اَسْلَمَ وَ لَا تَکُوْنَنَّ مِنَ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
কুল আগাইরাল্লা-হি আত্তাখিযুওয়ালিইইয়ান ফা-তিরিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়া হুওয়া ইউত‘ইমুওয়ালা-ইউত‘আমু কুল ইন্নীউমিরতুআন আকূনা আওওয়ালা মান আছলামা ওয়ালা-তাকূনান্না মিনাল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করব, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা? তিনি আহার দেন, তাঁকে আহার দেয়া হয় না।’ বল, ‘নিশ্চয় আমি আদিষ্ট হয়েছি যে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে যেন আমি তাদের প্রথম হই’। আর তুমি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমি কি আসমান যমীনের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে অভিভাবক বানিয়ে নেব, অথচ তিনিই খাওয়ান, তাঁকে খাওয়ানো হয় না, বল আমাকে আদেশ করা হয়েছে আমি যেন আত্মসমর্পণকারীদের প্রথম হই, আর তুমি কিছুতেই মুশরিকদের মধ্যে শামিল হবে না।
Sahih International:
Say, "Is it other than Allah I should take as a protector, Creator of the heavens and the earth, while it is He who feeds and is not fed?" Say, [O Muhammad], "Indeed, I have been commanded to be the first [among you] who submit [to Allah] and [was commanded], 'Do not ever be of the polytheists.' "



قُلْ اِنِّیْۤ اَخَافُ اِنْ عَصَیْتُ رَبِّیْ عَذَابَ یَوْمٍ عَظِیْمٍ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নীআখা-ফুইন ‘আসাইতুরাববী ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
বল, ‘যদি আমি আমার রবের অবাধ্য হই তবে নিশ্চয় আমি ভয় করি মহা দিবসের আযাবকে।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, যদি আমি আমার রবের অবাধ্য হই, তবে আমি বড় (ভয়াবহ) দিনের শাস্তির ভয় করি।
Sahih International:
Say, "Indeed I fear, if I should disobey my Lord, the punishment of a tremendous Day."



مَنْ یُّصْرَفْ عَنْهُ یَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمَهٗ ؕ وَ ذٰلِکَ الْفَوْزُ الْمُبِیْنُ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
মাইঁ ইউসরাফ ‘আনহু ইয়াওমাইযিন ফাকাদ রাহিমাহূ ওয়া যা-লিকাল ফাওযুল মুবীন।
আল বায়ান:
সেদিন যার থেকে আযাব সরিয়ে নেয়া হবে তাকেই তিনি অনুগ্রহ করবেন, আর এটাই প্রকাশ্য সফলতা।
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন যাকে (শাস্তি থেকে) রক্ষা করা হবে তাকে তো বড় অনুগ্রহ করা হবে। আর এটাই হবে সুস্পষ্ট সাফল্য।
Sahih International:
He from whom it is averted that Day - [Allah] has granted him mercy. And that is the clear attainment.



وَ اِنْ یَّمْسَسْکَ اللّٰهُ بِضُرٍّ فَلَا کَاشِفَ لَهٗۤ اِلَّا هُوَ ؕ وَ اِنْ یَّمْسَسْکَ بِخَیْرٍ فَهُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়ঁইয়ামছাছকাল্লা-হু বিদুররিন ফালা-কা-শিফা লাহূইল্লা-হুওয়া ওয়া ইয়ঁ ইয়ামছাছকা বিখাইরিন ফাহুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোন দুর্দশা দ্বারা স্পর্শ করেন, তবে তিনি ছাড়া তা দূরকারী কেউ নেই। আর যদি কোন কল্যাণ দ্বারা স্পর্শ করেন তবে তিনিই তো সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমার কোন ক্ষতি করতে চাইলে তিনি ছাড়া কেউ তা সরাতে পারবে না। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ করতে চান, তবে তো সব কিছুই করার তাঁর ক্ষমতা রয়েছে।
Sahih International:
And if Allah should touch you with adversity, there is no remover of it except Him. And if He touches you with good - then He is over all things competent.



وَ هُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهٖ ؕ وَ هُوَ الْحَکِیْمُ الْخَبِیْرُ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল কা-হিরু ফাওকা ‘ইবা-দিহী ওয়া হুওয়াল হাকীমুল খাবীর।
আল বায়ান:
আর তিনিই তাঁর বান্দাদের উপর ক্ষমতাবান; আর তিনি প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাঁর বান্দাদের উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণকারী, তিনি হলেন প্রজ্ঞাময়, সর্ববিষয়ে ওয়াকিফহাল।
Sahih International:
And He is the subjugator over His servants. And He is the Wise, the Acquainted [with all].



قُلْ اَیُّ شَیْءٍ اَکْبَرُ شَهَادَۃً ؕ قُلِ اللّٰهُ ۟ۙ شَهِیْدٌۢ بَیْنِیْ وَ بَیْنَکُمْ ۟ وَ اُوْحِیَ اِلَیَّ هٰذَا الْقُرْاٰنُ لِاُنْذِرَکُمْ بِهٖ وَ مَنْۢ بَلَغَ ؕ اَئِنَّکُمْ لَتَشْهَدُوْنَ اَنَّ مَعَ اللّٰهِ اٰلِهَۃً اُخْرٰی ؕ قُلْ لَّاۤ اَشْهَدُ ۚ قُلْ اِنَّمَا هُوَ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ وَّ اِنَّنِیْ بَرِیْٓءٌ مِّمَّا تُشْرِکُوْنَ ﴿ۘ۱۹﴾
উচ্চারণ:
কুল আইয়ুশাইয়িন আকবারু শাহা-দাতান কুল্লিলা-হু, শাহীদুম বাইনী ওয়া বাইনাকুম ওয়া ঊহিইয়া ইলাইইয়া হা-যাল কুরআ-নুলিউনযিরাকুম বিহী ওয়া মাম বালাগা আইন্নাকুম লাতাশহাদূ না আন্না মা‘আল্লা-হি আ-লিহাতান উখরা- কুল লাআশহাদু কুল ইন্নামা-হুওয়া ইলা-হুওঁ ওয়াহিদুওঁ ওয়া ইন্নানী বারীউম মিম্মা-তুশরিকূন।
আল বায়ান:
বল, ‘সাক্ষ্য হিসেবে সবচেয়ে বড় বস্তু কী?’ বল, ‘আল্লাহ সাক্ষী আমার ও তোমাদের মধ্যে। আর এ কুরআন আমার কাছে ওহী করে পাঠানো হয়েছে যেন তোমাদেরকে ও যার কাছে এটা পৌঁছবে তাদেরকে এর মাধ্যমে আমি সতর্ক করি। তোমরাই কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহর সাথে রয়েছে অন্যান্য উপাস্য? বল, ‘আমি সাক্ষ্য দেই না’। বল, ‘তিনি কেবল এক ইলাহ আর তোমরা যা শরীক কর আমি নিশ্চয়ই তা থেকে মুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, সাক্ষ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় কোনটি? বল, আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। আর এ কুরআন আমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে যাতে আমি তার সাহায্যে তোমাদেরকে আর যাদের কাছে তা পৌঁছবে তাদেরকে সতর্ক করি। তোমরা কি এমন সাক্ষ্য দিতে পার যে, আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহও আছে? বল, আমি এমন সাক্ষ্য দেই না, বল তিনি তো এক ইলাহ আর তোমরা যে তাঁর অংশীদার স্থাপন কর, তা থেকে আমি সম্পূর্ণ মুক্ত।
Sahih International:
Say, "What thing is greatest in testimony?" Say, "Allah is witness between me and you. And this Qur'an was revealed to me that I may warn you thereby and whomever it reaches. Do you [truly] testify that with Allah there are other deities?" Say, "I will not testify [with you]." Say, "Indeed, He is but one God, and indeed, I am free of what you associate [with Him]."



اَلَّذِیْنَ اٰتَیْنٰهُمُ الْکِتٰبَ یَعْرِفُوْنَهٗ کَمَا یَعْرِفُوْنَ اَبْنَآءَهُمْ ۘ اَلَّذِیْنَ خَسِرُوْۤا اَنْفُسَهُمْ فَهُمْ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল কিতা-বা ইয়া‘রিফূনাহু কামা-ইয়া‘রিফূনা আবনাআহুম । আল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন ।
আল বায়ান:
যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তারা তাকে চিনে যেরূপ চিনে তাদের ছেলে-সন্তানদেরকে। যারা নিজদের ক্ষতি করেছে তারা ঈমান আনবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা তাকে (অর্থাৎ নাবীকে) তেমনি চিনে যেমন চিনে তাদের নিজেদের সন্তানদেরকে, যারা নিজেদের আত্মার ধ্বংস সাধন করেছে, তারা ঈমান আনতে পারবে না।
Sahih International:
Those to whom We have given the Scripture recognize it as they recognize their [own] sons. Those who will lose themselves [in the Hereafter] do not believe.



وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا اَوْ کَذَّبَ بِاٰیٰتِهٖ ؕ اِنَّهٗ لَا یُفْلِحُ الظّٰلِمُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান আজলামুমিম মানিফ তারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান আও কাযযাবা বিআ-য়াতিহী ইন্নাহু লা-ইউফলিহুজ্জা-লিমূন।
আল বায়ান:
আর তার চেয়ে বড় যালিম আর কে যে আল্লাহর উপর মিথ্যা রটনা করে অথবা তার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে? নিশ্চয়ই যালিমরা সফলকাম হয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
তার থেকে বড় যালিম আর কে আছে যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে রচনা করে অথবা তাঁর নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে? যালিমরা কক্ষনো সফলকাম হবে না।
Sahih International:
And who is more unjust than one who invents about Allah a lie or denies His verses? Indeed, the wrongdoers will not succeed.



وَ یَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِیْعًا ثُمَّ نَقُوْلُ لِلَّذِیْنَ اَشْرَکُوْۤا اَیْنَ شُرَکَآؤُکُمُ الَّذِیْنَ کُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা নাহশুরুহুম জামী‘আন ছু ম্মা নাকূলুলিল্লাযীনা আশরাকূ আইনা শুরাকাউকুমুল্লাযীনা কুনতুম তায‘উমূন।
আল বায়ান:
আর যেদিন আমি তাদের সকলকে সমবেত করব তারপর যারা শির্‌ক করেছে তাদেরকে বলব, ‘তোমাদের শরীকরা কোথায়, যাদেরকে তোমরা (শরীক) মনে করতে?’
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ করে সে দিনকে, যে দিন আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করব আর যারা শিরক করেছিল তাদেরকে বলব- যাদেরকে তোমরা আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়?
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], the Day We will gather them all together; then We will say to those who associated others with Allah, "Where are your 'partners' that you used to claim [with Him]?"



ثُمَّ لَمْ تَکُنْ فِتْنَتُهُمْ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوْا وَ اللّٰهِ رَبِّنَا مَا کُنَّا مُشْرِکِیْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা লাম তাকুন ফিতনাতুহুম ইল্লাআন কা-লূওয়াল্লা-হি রাব্বিনা-মা-কুন্না-মুশরিকীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদের পরীক্ষার জবাব শুধু এ হবে যে, তারপর তারা বলবে, ‘আমাদের রব আল্লাহর কসম! আমরা মুশরিক ছিলাম না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তারা এ কথা বলা ছাড়া আর কোন ফিতনা সৃষ্টি করতে পারবে না যে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহর কসম! আমরা মুশরিক ছিলাম না।
Sahih International:
Then there will be no [excuse upon] examination except they will say, "By Allah, our Lord, we were not those who associated."



اُنْظُرْ کَیْفَ کَذَبُوْا عَلٰۤی اَنْفُسِهِمْ وَ ضَلَّ عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَفْتَرُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
উনজু র কাইফা কাযাবূ‘আলাআনফুছিহিম ওয়া দাল্লা ‘আনহুম মা-কা-নূইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
দেখ, তারা কীভাবে মিথ্যা বলেছে নিজদের উপর, তারা যে মিথ্যা রটনা করত, তা তাদের থেকে হারিয়ে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
লক্ষ্য কর তারা নিজেদের সম্পর্কে কেমন মিথ্যে কথা বলবে, আর তারা মিছেমিছি যা উদ্ভাবন করেছিল তা নিস্ফল হয়ে যাবে।
Sahih International:
See how they will lie about themselves. And lost from them will be what they used to invent.



وَ مِنْهُمْ مَّنْ یَّسْتَمِعُ اِلَیْکَ ۚ وَ جَعَلْنَا عَلٰی قُلُوْبِهِمْ اَکِنَّۃً اَنْ یَّفْقَهُوْهُ وَ فِیْۤ اٰذَانِهِمْ وَقْرًا ؕ وَ اِنْ یَّرَوْا کُلَّ اٰیَۃٍ لَّا یُؤْمِنُوْا بِهَا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوْکَ یُجَادِلُوْنَکَ یَقُوْلُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِنْ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনহুম মাইঁ ইয়াছতামি‘উ ইলাইকা ওয়া জা‘আলনা-‘আলা-কুলূবিহিম আকিন্নাতান আইঁ ইয়াফকাহূহুওয়া ফীআ-যা-নিহিম ওয়াকরাওঁ ওয়া ইয়ঁইয়ারাও কুল্লা আয়াতিল লা-ইউ’মিনূবিহা- হাত্তাইযা-জাঊকা ইউজা-দিলূনাকা ইয়াকূলুল্লাযীনা কাফারুইন হা-যাইল্লাআছা-তীরুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আর তাদের কেউ তোমার প্রতি কান পেতে শোনে, কিন্তু আমি তাদের অন্তরের উপর রেখে দিয়েছি আবরণ যেন তারা অনুধাবন না করে, আর তাদের কানে রেখেছি ছিপি। আর যদি তারা প্রতিটি আয়াতও দেখে, তারা তার প্রতি ঈমান আনবে না; এমনকি যখন তারা তোমার কাছে এসে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়, যারা কুফরী করেছে তারা বলে, ‘এটা পূর্ববর্তীদের কল্পকাহিনী ছাড়া কিছুই নয়।’
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের মধ্যে কতক লোক আছে যারা তোমার দিকে কান পাতে। তাদের অন্তরের উপর আমি পর্দা ঢেলে দিয়েছি যাতে তারা উপলব্ধি করতে না পারে, তাদের কানে আছে বধিরতা, সমস্ত নিদর্শন দেখলেও তারা তাতে ঈমান আনবে না, এমনকি যখন তারা তোমার কাছে আসে তোমার সাথে বিতর্ক করে। কাফিরগণ বলে এটা তো পূর্বেকার লোকেদের গল্প-কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়।
Sahih International:
And among them are those who listen to you, but We have placed over their hearts coverings, lest they understand it, and in their ears deafness. And if they should see every sign, they will not believe in it. Even when they come to you arguing with you, those who disbelieve say, "This is not but legends of the former peoples."



وَ هُمْ یَنْهَوْنَ عَنْهُ وَ یَنْـَٔوْنَ عَنْهُ ۚ وَ اِنْ یُّهْلِکُوْنَ اِلَّاۤ اَنْفُسَهُمْ وَ مَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুম ইয়ানহাওনা ‘আনহু ওয়া ইয়ানআওনা ‘আনহু ওয়া ইয়ঁইউহলিকূনা ইল্লাআনফুছাহুম ওয়া মা-ইয়াশ‘উরুন।
আল বায়ান:
আর তারা তার থেকে নিষেধ করে এবং তার থেকে দূরে থাকে। আর তারা ধ্বংস করে কেবল নিজদেরকে, অথচ তারা অনুভব করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তা (শোনা) থেকে অন্যদের বিরত করে, আর নিজেরাও তাত্থেকে দূরে সরে থাকে, তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস সাধন করে কিন্তু সে বোধ তাদের নেই।
Sahih International:
And they prevent [others] from him and are [themselves] remote from him. And they do not destroy except themselves, but they perceive [it] not.



وَ لَوْ تَرٰۤی اِذْ وُقِفُوْا عَلَی النَّارِ فَقَالُوْا یٰلَیْتَنَا نُرَدُّ وَ لَا نُکَذِّبَ بِاٰیٰتِ رَبِّنَا وَ نَکُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও তারা ইযউকিফূ‘আলান্না-রি ফাকা-লূইয়া-লাইতানা-নুরাদ্দুওয়ালানুকাযযিবা বিআ-য়া-তি রাব্বিনা-ওয়া নাকূনা মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি দেখতে, যখন তাদেরকে আগুনের উপর আটকানো হবে, তখন তারা বলবে, ‘হায়! যদি আমাদেরকে ফেরত পাঠানো হত। আর আমরা আমাদের রবের আয়াতসমূহ অস্বীকার না করতাম এবং আমরা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম!’
তাইসিরুল কুরআন:
যদি তুমি দেখতে যখন তাদেরকে জাহান্নামের কিনারায় দাঁড় করানো হবে তখন তারা বলবে হায়! আমাদেরকে যদি আবার (পৃথিবীতে) পাঠানো হত, তাহলে আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীকে মিথ্যে মনে করতাম না, আর আমরা মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
Sahih International:
If you could but see when they are made to stand before the Fire and will say, "Oh, would that we could be returned [to life on earth] and not deny the signs of our Lord and be among the believers."



بَلْ بَدَا لَهُمْ مَّا کَانُوْا یُخْفُوْنَ مِنْ قَبْلُ ؕ وَ لَوْ رُدُّوْا لَعَادُوْا لِمَا نُهُوْا عَنْهُ وَ اِنَّهُمْ لَکٰذِبُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
বাল বাদা-লাহুম মা-কা-নূইউখফূনা মিন কাবলু ওয়া লাও রুদ্দূলা‘আ-দূলিমা-নুহূ ‘আনহু ওয়া ইন্নাহুম লাকা-যিবূন।
আল বায়ান:
বরং তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে পূর্বে যা তারা গোপন করত। আর যদি তাদের ফেরত পাঠানো হয় অবশ্যই যা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে তারা তাতে ফিরে যেত এবং নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং (আসল ব্যাপার হল) আগে (দুনিয়াতে) তারা (মিথ্যের আবরণে) যা গোপন করে রাখত এখন তা তাদের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে আর তাদেরকে (পৃথিবীতে) ফিরিয়ে দেয়া হলে তারা আবার তা-ই করবে যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, নিশ্চয় তারা হল মিথ্যুক।
Sahih International:
But what they concealed before has [now] appeared to them. And even if they were returned, they would return to that which they were forbidden; and indeed, they are liars.



وَ قَالُوْۤا اِنْ هِیَ اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنْیَا وَ مَا نَحْنُ بِمَبْعُوْثِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূইন হিয়া ইলা-হায়া-তুনাদদুনইয়া-ওয়া মা-নাহনুবিমাব‘ঊছীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলেছিল, ‘আমাদের এ দুনিয়ার জীবন ছাড়া কিছু নেই এবং আমরা পুনরুজ্জীবিত হব না।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, আমাদের দুনিয়ার জীবন ছাড়া আর কোন জীবন নেই, আমাদেরকে আবার (জীবিত করে) উঠানো হবে না।
Sahih International:
And they say, "There is none but our worldly life, and we will not be resurrected."



وَ لَوْ تَرٰۤی اِذْ وُقِفُوْا عَلٰی رَبِّهِمْ ؕ قَالَ اَلَیْسَ هٰذَا بِالْحَقِّ ؕ قَالُوْا بَلٰی وَ رَبِّنَا ؕ قَالَ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا کُنْتُمْ تَکْفُرُوْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও তারাইযউকিফূ‘আলা-রাব্বিহিম কালা আলাইছা হা-যা-বিলহাক্কি কালূবালা-ওয়া রাব্বিনা- কা-লা ফাযূকুল আযা-বা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি দেখতে যখন তাদেরকে দাঁড় করানো হবে তাদের রবের সামনে এবং তিনি বলবেন ‘এটা কি সত্য নয়’? তারা বলবে, ‘হ্যাঁ, আমাদের রবের কসম!’ তিনি বলবেন, ‘সুতরাং তোমরা যে কুফরী করতে তার কারণে আযাব আস্বাদন কর।’
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি দেখতে যখন তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের সামনে দাঁড় করানো হবে, তখন তিনি বলবেন, (তোমরা এখন যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছ) তা কি সত্য নয়? তারা বলবে, আমাদের রবের কসম তা সত্য। তিনি বলবেন, তোমরা কুফরী করেছিলে তার জন্য এখন শাস্তি ভোগ কর।
Sahih International:
If you could but see when they will be made to stand before their Lord. He will say, "Is this not the truth?" They will say, "Yes, by our Lord." He will [then] say, "So taste the punishment because you used to disbelieve."



قَدْ خَسِرَ الَّذِیْنَ کَذَّبُوْا بِلِقَآءِ اللّٰهِ ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَتْهُمُ السَّاعَۃُ بَغْتَۃً قَالُوْا یٰحَسْرَتَنَا عَلٰی مَا فَرَّطْنَا فِیْهَا ۙ وَ هُمْ یَحْمِلُوْنَ اَوْزَارَهُمْ عَلٰی ظُهُوْرِهِمْ ؕ اَلَا سَآءَ مَا یَزِرُوْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
কাদ খাছিরাল্লাযীনা কাযযাবূবিলিকাইল্লা-হি হাত্তা-ইযাজাআতহুমুছছা‘আতুবাগতাতান কা-লূইয়া-হাছরাতানা-‘আলা-মা-ফাররাতনা-ফীহা- ওয়া হুম ইয়াহমিলূনা আওযা-রাহুম ‘আলা-জু হূরিহিম ‘আলা-ছাআ মা-ইয়াযিরূন।
আল বায়ান:
যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমনকি যখন হঠাৎ তাদের কাছে কিয়ামত এসে যাবে, তারা বলবে, ‘হায় আফসোস! সেখানে আমরা যে ত্রুটি করেছি তার উপর।’ তারা তাদের পাপসমূহ তাদের পিঠে বহন করবে; সাবধান! তারা যা বহন করবে তা কত নিকৃষ্ট!
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহর সাক্ষাতকে মিথ্যে জেনেছিল তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। এমনকি যখন কিয়ামাত হঠাৎ তাদের কাছে হাজির হবে তখন তারা বলবে, হায় আক্ষেপ! আমরা এ ব্যাপারে অবহেলা করেছিলাম। তারা তাদের পিঠে তাদের পাপের বোঝা বহন করবে। দেখ, তারা যা বহন করবে তা কতই না নিকৃষ্ট!
Sahih International:
Those will have lost who deny the meeting with Allah, until when the Hour [of resurrection] comes upon them unexpectedly, they will say, "Oh, [how great is] our regret over what we neglected concerning it," while they bear their burdens on their backs. Unquestionably, evil is that which they bear.



وَ مَا الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَاۤ اِلَّا لَعِبٌ وَّ لَهْوٌ ؕ وَ لَلدَّارُ الْاٰخِرَۃُ خَیْرٌ لِّلَّذِیْنَ یَتَّقُوْنَ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাল হায়া-তুদ দুনইয়াইল্লা-লা‘ইবুওঁ ওয়া লাহ উরঁ ওয়া লাদ্দা-রুল আ-খিরাতু খাইরুল লিল্লাযীনা ইয়াত্তাকূনা আফালা-তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর দুনিয়ার জীবন খেলাধুলা ও তামাশা ছাড়া কিছু না। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। অতএব তোমরা কি বুঝবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য পরকালের জীবনই অতি কল্যাণময়, তবুও কি তোমাদের বোধদয় হবে না?
Sahih International:
And the worldly life is not but amusement and diversion; but the home of the Hereafter is best for those who fear Allah, so will you not reason?



قَدْ نَعْلَمُ اِنَّهٗ لَیَحْزُنُکَ الَّذِیْ یَقُوْلُوْنَ فَاِنَّهُمْ لَا یُکَذِّبُوْنَکَ وَ لٰکِنَّ الظّٰلِمِیْنَ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ یَجْحَدُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
কাদ না‘লামুইন্নাহূলাইয়াহযুনুকাল্লাযীইয়াকূলূনা ফাইন্নাহুম লা- ইউকায যি ওয়ালা-কিন্নাজ্জা-লিমীনাবিআ-য়া-তিল্লা-হিইয়াজহাদূন।
আল বায়ান:
আমি অবশ্যই জানি যে, তারা যা বলে তা তোমাকে দুঃখ দেয়। কিন্তু তারা তো তোমাকে অস্বীকার করে না, বরং যালিমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যা বলে তা তোমাকে কষ্ট দেয় এটা আমি অবশ্যই ভালভাবে অবগত, কেননা তারা তো তোমাকে মিথ্যে মনে করে না, প্রকৃতপক্ষে যালিমরা আল্লাহর আয়াতকেই প্রত্যাখ্যান করে।
Sahih International:
We know that you, [O Muhammad], are saddened by what they say. And indeed, they do not call you untruthful, but it is the verses of Allah that the wrongdoers reject.



وَ لَقَدْ کُذِّبَتْ رُسُلٌ مِّنْ قَبْلِکَ فَصَبَرُوْا عَلٰی مَا کُذِّبُوْا وَ اُوْذُوْا حَتّٰۤی اَتٰهُمْ نَصْرُنَا ۚ وَ لَا مُبَدِّلَ لِکَلِمٰتِ اللّٰهِ ۚ وَ لَقَدْ جَآءَکَ مِنْ نَّبَاِی الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ কুযযিবাত রুছুলুম মিন কাবলিকা ফাসাবারূ ‘আলা-মা-কুযযিবূওয়াঊযূ হাত্তাআতা-হুম নাসরুনা- ওয়ালা-মুবাদ্দিলা লিকালিমা-তিল্লা-হি ওয়ালাকাদ জাআকা মিন নাবাইল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তোমার পূর্বে অনেক রাসূলকে অস্বীকার করা হয়েছে, অতঃপর তারা তাদেরকে অস্বীকার করা ও কষ্ট দেয়ার ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করেছে, যতক্ষণ না আমার সাহায্য তাদের কাছে এসেছে। আর আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই এবং অবশ্যই রাসূলগণের কিছু সংবাদ তোমার কাছে এসেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্বেও রসূলগণকে মিথ্যে মনে করা হয়েছে কিন্তু তাদেরকে মিথ্যে মনে করা এবং কষ্ট দেয়া সত্ত্বেও তারা ধৈর্যধারণ করেছে, যতক্ষণ না তাদের কাছে আমার সাহায্য এসেছে। আল্লাহর ওয়াদার পরিবর্তন হয় না, নাবীগণের কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট পৌঁছেছেই।
Sahih International:
And certainly were messengers denied before you, but they were patient over [the effects of] denial, and they were harmed until Our victory came to them. And none can alter the words of Allah. And there has certainly come to you some information about the [previous] messengers.



وَ اِنْ کَانَ کَبُرَ عَلَیْکَ اِعْرَاضُهُمْ فَاِنِ اسْتَطَعْتَ اَنْ تَبْتَغِیَ نَفَقًا فِی الْاَرْضِ اَوْ سُلَّمًا فِی السَّمَآءِ فَتَاْتِیَهُمْ بِاٰیَۃٍ ؕ وَ لَوْ شَآءَ اللّٰهُ لَجَمَعَهُمْ عَلَی الْهُدٰی فَلَا تَکُوْنَنَّ مِنَ الْجٰهِلِیْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন কা-না কাবুরা ‘আলাইকা ই‘রা-দুহুম ফাইনিছতাতা‘তা আন তাবতাগিয়া নাফাকান ফিল আরদিআও ছুল্লামান ফিছছামাই ফাতা’তিয়াহুম বিআ-ইয়াতিওঁ ওয়া লাও শাআল্লা-হু লাজামা‘আহুম ‘আলাল হুদা-ফালা-তাকূনান্না মিনাল জা-হিলীন।
আল বায়ান:
আর যদি তাদের উপেক্ষা তোমার উপর কঠিন মনে হয়, তাহলে যদি তুমি পার যমীনে কোন সুড়ঙ্গ অথবা আসমানে কোন সিঁড়ি অনুসন্ধান করতে, অতঃপর তাদের কাছে কোন নিদর্শন নিয়ে আসতে (তবে কর)। যদি আল্লাহ চাইতেন তিনি অবশ্যই তাদেরকে হিদায়াতের উপর একত্র করতেন। সুতরাং তুমি কখনো মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের উপেক্ষা যদি তোমার কাছে কঠিন বলে মনে হয় তাহলে পারলে ভূগর্ভে সুড়ঙ্গের কিংবা আকাশে আরোহণের জন্য সিঁড়ির সন্ধান কর অত:পর তাদের কাছে (নতুন) নিদর্শন হাজির কর। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদের সকলকে সৎপথে একত্র করতেন। কাজেই তুমি মূর্খদের মত হয়ো না।
Sahih International:
And if their evasion is difficult for you, then if you are able to seek a tunnel into the earth or a stairway into the sky to bring them a sign, [then do so]. But if Allah had willed, He would have united them upon guidance. So never be of the ignorant.



اِنَّمَا یَسْتَجِیْبُ الَّذِیْنَ یَسْمَعُوْنَ ؕؔ وَ الْمَوْتٰی یَبْعَثُهُمُ اللّٰهُ ثُمَّ اِلَیْهِ یُرْجَعُوْنَ ﴿؃ ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-ইয়াছতাজীবুল্লাযীনা ইয়াছমা‘ঊনা ওয়াল মাওতা-ইয়াব‘আছুহুমুল্লা-হু ছুম্মা ইলাইহি ইউরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
তারাই সাড়া দেয় যারা শুনে। আর মৃতদেরকে আল্লাহ পুনরায় জীবিত করবেন। তারপর তার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা শোনে শুধু তারাই ডাকে সাড়া দেয়। আর মৃতকে আল্লাহ আবার জীবিত করবেন; অতঃপর তাঁর দিকেই তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
Sahih International:
Only those who hear will respond. But the dead - Allah will resurrect them; then to Him they will be returned.



وَ قَالُوْا لَوْ لَا نُزِّلَ عَلَیْهِ اٰیَۃٌ مِّنْ رَّبِّهٖ ؕ قُلْ اِنَّ اللّٰهَ قَادِرٌ عَلٰۤی اَنْ یُّنَزِّلَ اٰیَۃً وَّ لٰکِنَّ اَکْثَرَ هُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূলাওলা-নুযযিলা ‘আলাইহি আ-য়াতুম মির রাব্বিহী কুল ইন্নাল্লা-হা কাদিরুন ‘আলাআইঁ ইউনাযযিলা আ-য়াতাওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘কেন তার উপর তার রবের পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন নাযিল করা হয়নি’? বল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ যে কোন নিদর্শন নাযিল করতে সক্ষম। কিন্তু তাদের অধিকাংশ জানে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, তার কাছে তার রবের নিকট হতে কোন নিদর্শন নাযিল হয় না কেন? বল, অবশ্যই আল্লাহ নিদর্শন অবতীর্ণ করতে সক্ষম। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোকই অবগত নয়।
Sahih International:
And they say, "Why has a sign not been sent down to him from his Lord?" Say, "Indeed, Allah is Able to send down a sign, but most of them do not know."



وَ مَا مِنْ دَآبَّۃٍ فِی الْاَرْضِ وَ لَا طٰٓئِرٍ یَّطِیْرُ بِجَنَاحَیْهِ اِلَّاۤ اُمَمٌ اَمْثَالُکُمْ ؕ مَا فَرَّطْنَا فِی الْکِتٰبِ مِنْ شَیْءٍ ثُمَّ اِلٰی رَبِّهِمْ یُحْشَرُوْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-মিন দাব্বাতিন ফিল আরদিওয়ালা-তাইরিইঁ ইয়াতীরু বিজানা-হাইহি ইল্লাউমামুন আমছা-লুকুম মা-ফাররাতনা-ফিল কিতা-বি মিন শাইয়িন ছু ম্মা ইলারাব্বিহিম ইউহশারূন।
আল বায়ান:
আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণী এবং দু’ডানা দিয়ে উড়ে এমন প্রতিটি পাখি, তোমাদের মত এক একটি উম্মত। আমি কিতাবে কোন ত্রুটি করিনি। অতঃপর তাদেরকে তাদের রবের কাছে সমবেত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ভূপৃষ্টে বিচরণশীল এমন কোন জীব নেই, আর দু’ডানা সহযোগে উড্ডয়নশীল এমন কোন পাখি নেই যারা তোমাদের মত একটি উম্মাত নয়। (লাওহে মাহ্ফুয অথবা আল-কুরআন) কিতাবে আমি কোন কিছুই বাদ দেইনি। অতঃপর তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদেরকে একত্রিত করা হবে।
Sahih International:
And there is no creature on [or within] the earth or bird that flies with its wings except [that they are] communities like you. We have not neglected in the Register a thing. Then unto their Lord they will be gathered.



وَ الَّذِیْنَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا صُمٌّ وَّ بُکْمٌ فِی الظُّلُمٰتِ ؕ مَنْ یَّشَاِ اللّٰهُ یُضْلِلْهُ ؕ وَ مَنْ یَّشَاْ یَجْعَلْهُ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা কাযযাবূবিআ- ইয়া-তিনা-সুম্মুওঁ ওয়া বুকমন ফিজজু লুমা-তি মাইঁ ইয়াশাইল্লা-হু ইউদলিলহু ওয়া মাইঁ ইয়াশা’ ইয়াজ‘আলহু ‘আলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারা বোবা ও বধির, অন্ধকারে রয়েছে। আল্লাহ যাকে চান, তাকে পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান তাকে সরল পথে অটল রাখেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আমার আয়াতকে মিথ্যে জানে তারা বধির ও মুক। তারা আছে গভীর অন্ধকারে, আল্লাহ যাকে চান পথভ্রষ্ট করে দেন, আর যাকে চান সঠিক পথে স্থাপন করেন।
Sahih International:
But those who deny Our verses are deaf and dumb within darknesses. Whomever Allah wills - He leaves astray; and whomever He wills - He puts him on a straight path.



قُلْ اَرَءَیْتَکُمْ اِنْ اَتٰىکُمْ عَذَابُ اللّٰهِ اَوْ اَتَتْکُمُ السَّاعَۃُ اَغَیْرَ اللّٰهِ تَدْعُوْنَ ۚ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
কুল আরা’আইতাকুম ইন আতা-কুম ‘আযা-বুল্লা-হি আও আতাতকুমুছছা-‘আতু আগাইরাল্লা-হি তাদ‘ঊনা ইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা কি বিবেচনা কর, যদি তোমাদের কাছে আল্লাহর আযাব এসে যায় অথবা কিয়ামত আগমন করে, তবে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের উপর যদি আল্লাহর শাস্তি এসে পড়ে কিংবা তোমাদের উপর ক্বিয়ামাত এসে যায় তাহলে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবে? (বল না) তোমরা যদি সত্যবাদী হও।
Sahih International:
Say, "Have you considered: if there came to you the punishment of Allah or there came to you the Hour - is it other than Allah you would invoke, if you should be truthful?"



بَلْ اِیَّاهُ تَدْعُوْنَ فَیَکْشِفُ مَا تَدْعُوْنَ اِلَیْهِ اِنْ شَآءَ وَ تَنْسَوْنَ مَا تُشْرِکُوْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
বাল ইয়্যা-হু তাদ‘ঊনা ফাইয়াকশিফুমা-তাদ‘ঊনা ইলাইহি ইন শাআ ওয়া তানছাওনা মাতুশরিকূন ।
আল বায়ান:
বরং তাকেই তোমরা ডাকবে। অতঃপর যদি তিনি চান, যে জন্য তাকে ডাকছ, তা তিনি দূর করে দেবেন। আর তোমরা যা শরীক কর, তা তোমরা ভুলে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং (এমন অবস্থায়) তোমরা একমাত্র তাঁকেই ডেকে থাক, অতঃপর ইচ্ছে করলে তিনি তা দূর করে দেন যার জন্য তোমরা তাঁকে ডাক আর তোমরা যাদেরকে তাঁর অংশীদার বানাও তাদের কথা ভুলে যাও।
Sahih International:
No, it is Him [alone] you would invoke, and He would remove that for which you invoked Him if He willed, and you would forget what you associate [with Him].



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَاۤ اِلٰۤی اُمَمٍ مِّنْ قَبْلِکَ فَاَخَذْنٰهُمْ بِالْبَاْسَآءِ وَ الضَّرَّآءِ لَعَلَّهُمْ یَتَضَرَّعُوْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনাইলাউমামিম মিন কাবলিকা ফাআখাযনা-হুম বিল বা’ছাই ওয়াদ্দাররাই লা‘আল্লাহুম ইয়াতাদাররা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর আমি তোমাদের পূর্বেকার জাতিসমূহের কাছে বহু রাসূল পাঠিয়েছি, আমি তাদের প্রতি ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও রোগ ব্যাধি চাপিয়ে দিয়েছি, যেন তারা নম্রতা প্রকাশ করে আমার সামনে নতি স্বীকার করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্বে আমি অনেক জাতির কাছে রসূল পাঠিয়েছি, কিন্তু তাদের অবাধ্যতার কারণে) অভাব অনটন আর দুঃখ-ক্লেশ দিয়ে তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম যাতে তারা বিনীত হয়।
Sahih International:
And We have already sent [messengers] to nations before you, [O Muhammad]; then We seized them with poverty and hardship that perhaps they might humble themselves [to Us].



فَلَوْلَاۤ اِذْ جَآءَهُمْ بَاْسُنَا تَضَرَّعُوْا وَ لٰکِنْ قَسَتْ قُلُوْبُهُمْ وَ زَیَّنَ لَهُمُ الشَّیْطٰنُ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ফালাওলাইযজাআহুম বা’ছুনা-তাদাররা‘ঊ ওয়া লা-কিন কাছাত কুলূবুহুম ওয়া যাইইয়ানা লাহুমুশশাইতা-নুমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
সুতরাং তারা কেন বিনীত হয়নি, যখন আমার আযাব তাদের কাছে আসল? কিন্তু তাদের হৃদয় নিষ্ঠুর হয়ে গিয়েছে। আর তারা যা করত, শয়তান তাদের জন্য তা শোভিত করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার শাস্তি যখন তাদের উপর পড়ল তখন তারা বিনয় নম্রতা অবলম্বন করল না কেন? বরং তাদের অন্তর আরো শক্ত হয়ে গেল, আর তারা যা করছিল শয়তান সেগুলোকে তাদের জন্য (খুব ভাল কাজ হিসেবে) সুশোভিত করে দিয়েছিল।
Sahih International:
Then why, when Our punishment came to them, did they not humble themselves? But their hearts became hardened, and Satan made attractive to them that which they were doing.



فَلَمَّا نَسُوْا مَا ذُکِّرُوْا بِهٖ فَتَحْنَا عَلَیْهِمْ اَبْوَابَ کُلِّ شَیْءٍ ؕ حَتّٰۤی اِذَا فَرِحُوْا بِمَاۤ اُوْتُوْۤا اَخَذْنٰهُمْ بَغْتَۃً فَاِذَا هُمْ مُّبْلِسُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-নাছূমা-যুককিরূ বিহী ফাতাহনা- ‘আলাইহিম আবওয়া-বা কুল্লি শাইয়িন হাত্তাইযা-ফারিহূবিমাঊতূআখাযনা-হুম বাগতাতান ফাইযা-হুম মুবলিছূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা যখন তা ভুলে গেল, আমি তাদের উপর সব কিছুর দরজা খুলে দিলাম। অবশেষে যখন তাদেরকে যা প্রদান করা হয়েছিল তার কারণে তারা উৎফুল্ল হল, আমি হঠাৎ তাদেরকে পাকড়াও করলাম। ফলে তখন তারা হতাশ হয়ে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যে নাসীহাত করা হয়েছিল তারা যখন তা ভুলে গেল, তখন আমি তাদের জন্য যাবতীয় নি‘আমাতের দরজা খুলে দিলাম; পরিশেষে, তাদেরকে যা দেয়া হল তাতে তারা যখন আনন্দে মেতে উঠল, হঠাৎ করে তাদেরকে ধরে বসলাম। তখন (যাবতীয় কল্যাণ থেকে) তারা নিরাশ হয়ে গেল।
Sahih International:
So when they forgot that by which they had been reminded, We opened to them the doors of every [good] thing until, when they rejoiced in that which they were given, We seized them suddenly, and they were [then] in despair.



فَقُطِعَ دَابِرُ الْقَوْمِ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ؕ وَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ফাকুতি‘আ দা-বিরুল কাওমিল্লাযীনা জালামূ ওয়াল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আলামীন।
আল বায়ান:
অতএব যালিম সম্প্রদায়ের মূল কেটে ফেলা হল। আর সকল প্রশংসা রাববুল আলামীন আল্লাহর জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যারা যুলম করেছিল তাদের শিকড় কেটে দেয়া হল, আর সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য।
Sahih International:
So the people that committed wrong were eliminated. And praise to Allah, Lord of the worlds.



قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ اَخَذَ اللّٰهُ سَمْعَکُمْ وَ اَبْصَارَکُمْ وَ خَتَمَ عَلٰی قُلُوْبِکُمْ مَّنْ اِلٰهٌ غَیْرُ اللّٰهِ یَاْتِیْکُمْ بِهٖ ؕ اُنْظُرْ کَیْفَ نُصَرِّفُ الْاٰیٰتِ ثُمَّ هُمْ یَصْدِفُوْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতুম ইন আখাযাল্লা-হু ছাম‘আকুম ওয়া আবসা-রাকুম ওয়া খাতামা ‘আলাকুলূবিকুম মান ইলা-হুন গাইরুল্লা-হি ইয়া’তীকুম বিহী উনজু র কাইফা নুসাররিফুল আয়া-তি ছুম্মা হুম ইয়াসদিফূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা আমাকে জানাও, যদি আল্লাহ তোমাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিসমূহ কেড়ে নেন এবং তোমাদের অন্তরসমূহে মোহর এঁটে দেন, কে আছে ইলাহ, আল্লাহ ছাড়া, যে তোমাদের এগুলো নিয়ে আসবে’? দেখ, কীভাবে আমি বিভিন্নরূপে নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করি, তারপর তারা এড়িয়ে চলে।
তাইসিরুল কুরআন:
(হে রসূল) বল, তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ যদি তোমাদের শ্রবণশক্তি আর দর্শন শক্তি কেড়ে নেন, আর তোমাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেন তাহলে আল্লাহ ছাড়া আর কে ইলাহ আছে সেগুলো তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেবে? লক্ষ্য কর আমি আমার (শক্তি-ক্ষমতার) নিদর্শনগুলোকে কেমন বিশদভাবে বর্ণনা করি কিন্তু তা সত্তেও তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Sahih International:
Say, "Have you considered: if Allah should take away your hearing and your sight and set a seal upon your hearts, which deity other than Allah could bring them [back] to you?" Look how we diversify the verses; then they [still] turn away.



قُلْ اَرَءَیْتَکُمْ اِنْ اَتٰىکُمْ عَذَابُ اللّٰهِ بَغْتَۃً اَوْ جَهْرَۃً هَلْ یُهْلَکُ اِلَّا الْقَوْمُ الظّٰلِمُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতাকুমইনআতা-কুম‘আযা-বুল্লা-হি বাগতাতান আও জাহরাতান হাল ইউহলাকুইল্লাল কাওমুজ্জা-লিমূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা আমাকে জানাও, যদি আল্লাহর আযাব হঠাৎ কিংবা প্রকাশ্যে তোমাদের কাছে এসে যায়, যালিম কওম ছাড়া অন্য কাউকে ধ্বংস করা হবে কি?’
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তোমরা কি চিন্তা করে দেখেছ, যদি তোমাদের কাছে আকস্মিক বা প্রকাশ্যে আল্লাহর শাস্তি নেমে আসে তাহলে যালিম সম্প্রদায় ছাড়া আর কে ধ্বংস হবে?
Sahih International:
Say, "Have you considered: if the punishment of Allah should come to you unexpectedly or manifestly, will any be destroyed but the wrongdoing people?"



وَ مَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِیْنَ اِلَّا مُبَشِّرِیْنَ وَ مُنْذِرِیْنَ ۚ فَمَنْ اٰمَنَ وَ اَصْلَحَ فَلَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-নুরছিলুল মুরছালীনা ইল্লা-মুবাশশিরীনা ওয়া মুনযিরিনা ফামান আ-মানা ওয়া আসলাহা ফালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহযানূন।
আল বায়ান:
আর আমি রাসূলদেরকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করি। অতএব যারা ঈমান এনেছে ও শুধরে নিয়েছে, তাদের উপর কোন ভয় নেই এবং তারা চি‎‎ন্তিত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তো রসূলদেরকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী করে পাঠিয়েছি, অতঃপর (রসূলের আনুগত্য করে) যারা ঈমান আনে ও নিজেকে সংশোধন করে তাদের নেই কোন ভয়, নেই তাদের কোন দুঃখ।
Sahih International:
And We send not the messengers except as bringers of good tidings and warners. So whoever believes and reforms - there will be no fear concerning them, nor will they grieve.



وَ الَّذِیْنَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا یَمَسُّهُمُ الْعَذَابُ بِمَا کَانُوْا یَفْسُقُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা- ইয়ামাছছুহুমুল ‘আযাবুবিমা- কা-নূইয়াফছুকূন।
আল বায়ান:
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে তাদেরকে স্পর্শ করবে আযাব, এ কারণে যে, তারা নাফরমানী করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যে মনে করে, শাস্তি তাদেরকে স্পর্শ করবে, কেননা তারা নাফরমানীতে লিপ্ত ছিল।
Sahih International:
But those who deny Our verses - the punishment will touch them for their defiant disobedience.



قُلْ لَّاۤ اَقُوْلُ لَکُمْ عِنْدِیْ خَزَآئِنُ اللّٰهِ وَ لَاۤ اَعْلَمُ الْغَیْبَ وَ لَاۤ اَقُوْلُ لَکُمْ اِنِّیْ مَلَکٌ ۚ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا یُوْحٰۤی اِلَیَّ ؕ قُلْ هَلْ یَسْتَوِی الْاَعْمٰی وَ الْبَصِیْرُ ؕ اَفَلَا تَتَفَکَّرُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
কুল লাআকূলুলাকুম ‘ইনদী খাযাইনুল্লা-হি ওয়ালাআ‘লামুল গাইবা ওয়ালাআকূলু লাকুম ইন্নী মালাকুন ইন আত্তাবি‘উ ইল্লা-মা-ইউহাইলাইইয়া কুল হাল ইয়াছতাবিল আ‘মা-ওয়াল বাসীরু আফালা-তাতাফাক্কারূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমাদেরকে আমি বলি না, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডারসমূহ রয়েছে এবং আমি গায়েব জানি না এবং তোমাদেরকে বলি না, নিশ্চয় আমি ফেরেশতা। আমি কেবল তাই অনুসরণ করি যা আমার কাছে ওহী প্রেরণ করা হয়’। বল, ‘অন্ধ আর চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? অতএব তোমরা কি চিন্তা করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন-ভান্ডার আছে, আর আমি অদৃশ্যের খবরও জানি না। আর আমি তোমাদেরকে এ কথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা, আমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয় তাছাড়া (অন্য কিছুর) আমি অনুসরণ করি না। বল, অন্ধ আর চোখওয়ালা কি সমান, তোমরা কি চিন্তা করে দেখ না?
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "I do not tell you that I have the depositories [containing the provision] of Allah or that I know the unseen, nor do I tell you that I am an angel. I only follow what is revealed to me." Say, "Is the blind equivalent to the seeing? Then will you not give thought?"



وَ اَنْذِرْ بِهِ الَّذِیْنَ یَخَافُوْنَ اَنْ یُّحْشَرُوْۤا اِلٰی رَبِّهِمْ لَیْسَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ وَلِیٌّ وَّ لَا شَفِیْعٌ لَّعَلَّهُمْ یَتَّقُوْنَ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনযিরবিহিল্লাযীনা ইয়াখা-ফূনা আইঁ ইউহশারূইলা-রাব্বিহিম লাইছা লাহুম মিন দূনিহী ওয়ালিইয়ুওঁ ওয়ালা-শাফী‘উল লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর এ দ্বারা তুমি তাদেরকে সতর্ক কর, যারা ভয় করে যে, তাদেরকে তাদের রবের দিকে সমবেত করা হবে, (এ অবস্থায় যে) তিনি ছাড়া তাদের জন্য থাকবে না কোন সাহায্যকারী আর না সুপারিশকারী। হয়ত তারা তাকওয়া অবলম্বন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তা দিয়ে (অর্থাৎ কুরআন দিয়ে) তাদেরকে সতর্ক কর যারা ভয় করে যে, তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের দিকে একত্রিত করা হবে, যিনি ছাড়া তাদের জন্য কোন অভিভাবক নেই এবং সুপারিশকারী নেই- যাতে তারা সংযত হয়ে চলে।
Sahih International:
And warn by the Qur'an those who fear that they will be gathered before their Lord - for them besides Him will be no protector and no intercessor - that they might become righteous.



وَ لَا تَطْرُدِ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدٰوۃِ وَ الْعَشِیِّ یُرِیْدُوْنَ وَجْهَهٗ ؕ مَا عَلَیْکَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِّنْ شَیْءٍ وَّ مَا مِنْ حِسَابِکَ عَلَیْهِمْ مِّنْ شَیْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَکُوْنَ مِنَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাতরুদিল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা রাব্বাহুম বিলগাদা-তি ওয়াল ‘আশিইয়ি ইউরীদূ না ওয়াজহাহূ মা-‘আলাইকা মিন হিছা-বিহিম মিন শাইয়িওঁ ওয়া মা-মিন হিছা-বিকা ‘আলাইহিম মিন শাইয়িন ফাতাতরুদাহুম ফাতাকূনা মিনাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর তুমি তাড়িয়ে দিয়ো না তাদেরকে, যারা নিজ রবকে সকাল সন্ধ্যায় ডাকে, তারা তার সন্তুষ্টি চায়। তাদের কোন হিসাব তোমার উপর নেই এবং তোমার কোন হিসাব তাদের উপর নেই, ফলে তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দিবে এবং তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকে তাদেরকে (অর্থাৎ তোমার নিকট সমাগত গরীব মু’মিনদেরকে) তুমি দূরে সরিয়ে দিও না। তাদের কোন ‘আমালের জন্য তোমাকে কোন জবাবদিহি করতে হবে না, আর তোমার কোন ‘আমালের জন্যও তাদেরকে কোন জবাবদিহি করতে হবে না, কাজেই তুমি যদি তাদেরকে অর্থাৎ (গরীব মু’মিনদেরকে) দূরে সরিয়ে দাও তবে তুমি যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
Sahih International:
And do not send away those who call upon their Lord morning and afternoon, seeking His countenance. Not upon you is anything of their account and not upon them is anything of your account. So were you to send them away, you would [then] be of the wrongdoers.



وَ کَذٰلِکَ فَتَنَّا بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لِّیَقُوْلُوْۤا اَهٰۤؤُلَآءِ مَنَّ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ مِّنْۢ بَیْنِنَا ؕ اَلَیْسَ اللّٰهُ بِاَعْلَمَ بِالشّٰکِرِیْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা ফাতান্না-বা‘দাহুম ব্বিা‘দিললিইয়াকূলআহাউলাই মান্নাল্লা-হু ‘আলাইহি মিম বাইনিনা- আলাইছাল্লা-হু বিআ‘লামা বিশশা-কিরীন।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি এককে অন্যের দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যাতে তারা বলে, ‘এরাই কি, আমাদের মধ্য থেকে যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন? আল্লাহ কি কৃতজ্ঞদের ব্যাপারে পূর্ণ জ্ঞাত নয়?
তাইসিরুল কুরআন:
আর এভাবেই আমি তাদের একদলকে অন্যদলের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছি যাতে তারা বলে, এরা কি সেই লোক আমাদের মধ্যে যাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন, আল্লাহ কি তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাহদের সম্পর্কে অধিক অবগত নন?
Sahih International:
And thus We have tried some of them through others that the disbelievers might say, "Is it these whom Allah has favored among us?" Is not Allah most knowing of those who are grateful?



وَ اِذَا جَآءَکَ الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِاٰیٰتِنَا فَقُلْ سَلٰمٌ عَلَیْکُمْ کَتَبَ رَبُّکُمْ عَلٰی نَفْسِهِ الرَّحْمَۃَ ۙ اَنَّهٗ مَنْ عَمِلَ مِنْکُمْ سُوْٓءًۢ ابِجَهَالَۃٍ ثُمَّ تَابَ مِنْۢ بَعْدِهٖ وَ اَصْلَحَ فَاَنَّهٗ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-জাআকাল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিআ-য়া-তিনা-ফাকুল ছালা-মুন ‘আলাইকুম কাতাবা রাব্বুকুম আলা-নাফছিহির রাহমাতা আন্নাহূমান ‘আমিলা মিনকুম ছূআম বিজাহা-লাতিন ছুম্মা তা-বা মিম বা‘দিহী ওয়া আসলাহা ফাআন্নাহূগাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর যারা আমার আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনে, তারা যখন তোমার কাছে আসে, তখন তুমি বল, ‘তোমাদের উপর সালাম’। তোমাদের রব তাঁর নিজের উপর লিখে নিয়েছেন দয়া, নিশ্চয় যে তোমাদের মধ্য থেকে না জেনে খারাপ কাজ করে তারপর তাওবা করে এবং শুধরে নেয়, তবে তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার আয়াতে বিশ্বাসী লোকেরা যখন তোমার কাছে আসে তখন তাদেরকে বল, ‘‘তোমাদের প্রতি সালাম’’। তোমাদের প্রতিপালক দয়া-রহমাতের নীতি নিজের প্রতি অবধারিত করে নিয়েছেন আর তা হচ্ছে যদি তোমাদের কোন ব্যক্তি না জেনে অন্যায় পাপ করে, অতঃপর তাওবাহ করে ও নিজেকে সংশোধন করে, তাহলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
And when those come to you who believe in Our verses, say, "Peace be upon you. Your Lord has decreed upon Himself mercy: that any of you who does wrong out of ignorance and then repents after that and corrects himself - indeed, He is Forgiving and Merciful."



وَ کَذٰلِکَ نُفَصِّلُ الْاٰیٰتِ وَ لِتَسْتَبِیْنَ سَبِیْلُ الْمُجْرِمِیْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা নুফাসসিলুল আ-য়া-তি ওয়ালিতাছতাবীনা ছাবীলুল মুজরিমীন।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি। আর যাতে অপরাধীদের পথ স্পষ্ট হয়ে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই আমি আমার আয়াতগুলোকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করি যাতে অপরাধীদের পথ পরিষ্কাররূপে প্রকাশ পেয়ে যায়।
Sahih International:
And thus do We detail the verses, and [thus] the way of the criminals will become evident.



قُلْ اِنِّیْ نُهِیْتُ اَنْ اَعْبُدَ الَّذِیْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ قُلْ لَّاۤ اَتَّبِعُ اَهْوَآءَکُمْ ۙ قَدْ ضَلَلْتُ اِذًا وَّ مَاۤ اَنَا مِنَ الْمُهْتَدِیْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নী নুহীতুআন আ‘বুদাল্লাযীনা তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি কুল লাআত্তাবি‘উ আহওয়াআকুম কাদ দালালতুইযাওঁ ওয়ামাআনা-মিনাল মুহতাদীন।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আমাকে নিষেধ করা হয়েছে তাদের ইবাদাত করতে, যাদেরকে তোমরা ডাক আল্লাহ ছাড়া। বল, ‘আমি তোমাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করি না, (যদি করি) নিশ্চয় তখন পথভ্রষ্ট হব এবং আমি হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হব না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকো, তাদের ইবাদত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। বল, আমি তোমাদের খোশ-খেয়ালের অনুসরণ করি না, তা করলে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাব, সে অবস্থায় আমি আর হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারব না।
Sahih International:
Say, "Indeed, I have been forbidden to worship those you invoke besides Allah." Say, "I will not follow your desires, for I would then have gone astray, and I would not be of the [rightly] guided."



قُلْ اِنِّیْ عَلٰی بَیِّنَۃٍ مِّنْ رَّبِّیْ وَ کَذَّبْتُمْ بِهٖ ؕ مَا عِنْدِیْ مَا تَسْتَعْجِلُوْنَ بِهٖ ؕ اِنِ الْحُکْمُ اِلَّا لِلّٰهِ ؕ یَقُصُّ الْحَقَّ وَ هُوَ خَیْرُ الْفٰصِلِیْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নী ‘আলা-বাইয়িনাতিম মিররাববী ওয়া কাযযাবতুম বিহী মা-‘ইনদী মাতাছতা‘জিলূনা বিহী ইনিল হুকমুইল্লা- লিল্লা-হি ইয়াকু সসুল হাক্কা-ওয়া হুওয়া খাইরুল ফা-সিলীন।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আমি আমার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর রয়েছি আর তোমরা তা অস্বীকার করছ। তোমরা যা নিয়ে তাড়াহুড়া করছ তা আমার কাছে নেই। হুকুম কেবল আল্লাহর কাছে। তিনি সত্য বর্ণনা করেন এবং তিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমি আমার প্রতিপালকের নিকট থেকে পাওয়া এক উজ্জ্বল প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত; অতচ তোমরা তা মিথ্যে মনে করেছ। যা তোমরা খুব তাড়াতাড়ি পেতে চাও (অর্থাৎ আল্লাহর আযাব) তা আমার আয়ত্তে নেই। হুকুম বা কর্তৃত্বের মালিকানা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে নেই। তিনিই সত্যকথা বর্ণনা করেন, আর তিনিই সর্বোত্তম ফায়সালাকারী।
Sahih International:
Say, "Indeed, I am on clear evidence from my Lord, and you have denied it. I do not have that for which you are impatient. The decision is only for Allah. He relates the truth, and He is the best of deciders."



قُلْ لَّوْ اَنَّ عِنْدِیْ مَا تَسْتَعْجِلُوْنَ بِهٖ لَقُضِیَ الْاَمْرُ بَیْنِیْ وَ بَیْنَکُمْ ؕ وَ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِالظّٰلِمِیْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
কুল্লাও আন্না ‘ইনদী মা-তাছতা‘জিলূনা বিহী লাকুদিয়াল আমরু বাইনী ওয়া বাইনাকুম ওয়াল্লা-হু আ‘লামুবিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা যা নিয়ে তাড়াহুড়া করছ, তা যদি আমার কাছে থাকত, অবশ্যই আমার ও তোমাদের মাঝে বিষয়টির মীমাংসা হয়ে যেত। আর আল্লাহ যালিমদের ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তোমরা যা তাড়াতাড়ি চাচ্ছ তা যদি আমার কাছে থাকত তাহলে আমার আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যাপার তার ফায়সালা হয়ে যেত, অন্যায়কারীদের সম্পর্কে আল্লাহ খুবভাবেই অবহিত।
Sahih International:
Say, "If I had that for which you are impatient, the matter would have been decided between me and you, but Allah is most knowing of the wrongdoers."



وَ عِنْدَهٗ مَفَاتِحُ الْغَیْبِ لَا یَعْلَمُهَاۤ اِلَّا هُوَ ؕ وَ یَعْلَمُ مَا فِی الْبَرِّ وَ الْبَحْرِ ؕ وَ مَا تَسْقُطُ مِنْ وَّرَقَۃٍ اِلَّا یَعْلَمُهَا وَ لَا حَبَّۃٍ فِیْ ظُلُمٰتِ الْاَرْضِ وَ لَا رَطْبٍ وَّ لَا یَابِسٍ اِلَّا فِیْ کِتٰبٍ مُّبِیْنٍ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘ইনদাহূমাফা-তিহুল গাইবি লা-ইয়া‘লামুহাইল্লা-হুওয়া ওয়া ইয়া‘লামুমা-ফিল বাররি ওয়াল বাহরি ওয়া মা-তাছকুতুমিওঁ ওয়ারাকাতিন ইল্লা-ইয়া‘লামুহা-ওয়ালাহাব্বাতিন ফী জুলুমা-তিল আরদিওয়ালা-রাতবিওঁ ওয়ালা-ইয়া-বিছিন ইল্লা-ফী কিতাবিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর তাঁর কাছে রয়েছে গায়েবের চাবিসমূহ, তিনি ছাড়া এ বিষয়ে কেউ জানে না এবং তিনি অবগত রয়েছেন স্থলে ও সমুদ্রে যা কিছু আছে। আর কোন পাতা ঝরে না, কিন্তু তিনি তা জানেন এবং যমীনের অন্ধকারে কোন দানা পড়ে না, না কোন ভেজা এবং না কোন শুষ্ক কিছু; কিন্তু রয়েছে সুস্পষ্ট কিতাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সমস্ত গায়বের চাবিকাঠি তাঁর কাছে, তিনি ছাড়া আর কেউ তা জানে না, জলে-স্থলে যা আছে তা তিনি জানেন, এমন একটা পাতাও পড়ে না যা তিনি জানেন না। যমীনের গহীন অন্ধকারে কোন শস্য দানা নেই, নেই কোন ভেজা ও শুকনো জিনিস যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লিখিত) নেই।
Sahih International:
And with Him are the keys of the unseen; none knows them except Him. And He knows what is on the land and in the sea. Not a leaf falls but that He knows it. And no grain is there within the darknesses of the earth and no moist or dry [thing] but that it is [written] in a clear record.



وَ هُوَ الَّذِیْ یَتَوَفّٰىکُمْ بِالَّیْلِ وَ یَعْلَمُ مَا جَرَحْتُمْ بِالنَّهَارِ ثُمَّ یَبْعَثُکُمْ فِیْهِ لِیُقْضٰۤی اَجَلٌ مُّسَمًّی ۚ ثُمَّ اِلَیْهِ مَرْجِعُکُمْ ثُمَّ یُنَبِّئُکُمْ بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী ইয়াতাওয়াফফা-কুম বিল্লাইলি ওয়া ইয়া‘লামুমা-জারাহতুম বিন্নাহা-রি ছু ম্মা ইয়াব‘আছুকুম ফীহি লিইউকদাআজালুম মুছাম্মান ছু ম্মা ইলাইহি মারজি‘উকুম ছু ম্মা ইউনাব্বিউকুম বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই রাতে তোমাদেরকে মৃত্যু দেন এবং দিনে তোমরা যা কামাই কর তিনি তা জানেন। তারপর তিনি তোমাদেরকে দিনে পুনরায় জাগিয়ে তুলেন, যাতে নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করা হয়। তারপর তাঁর দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তারপর তোমরা যা করতে তিনি তোমাদেরকে সে বিষয়ে অবহিত করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের আত্মাকে নিয়ে নেন, আর দিনের বেলা যা তোমরা কর তা তিনি জানেন। অতঃপর দিনের বেলা তিনি তোমাদের জাগিয়ে দেন, যাতে জীবনের নির্দিষ্টকাল পূর্ণ হয়। অতঃপর তাঁর পানেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন, অতঃপর তিনি তোমাদের নিকট বর্ণনা করে দেবেন যা তোমরা করছিলে।
Sahih International:
And it is He who takes your souls by night and knows what you have committed by day. Then He revives you therein that a specified term may be fulfilled. Then to Him will be your return; then He will inform you about what you used to do.



وَ هُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهٖ وَ یُرْسِلُ عَلَیْکُمْ حَفَظَۃً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَکُمُ الْمَوْتُ تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا وَ هُمْ لَا یُفَرِّطُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল কা-হিরু ফাওকা ‘ইবা-দিহী ওয়া ইউরছিলুস ‘আলাইকুম হাফাজাতান হাত্তাইযা-জাআ আহাদাকুমুল মাওতুতাওয়াফফাতহু রুছুলুনা-ওয়া হুম লাইউফাররিতূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই নিজ বান্দাদের উপর ক্ষমতাবান এবং তোমাদের উপর প্রেরণ করেন হিফাযতকারীদেরকে। অবশেষে যখন তোমাদের কারো কাছে মৃত্যু আসে, আমার প্রেরিত দূতগণ তার মৃত্যু ঘটায়। আর তারা কোন ত্রুটি করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাঁর বান্দাহ্দের উপর পূর্ণ কর্তৃত্বশীল, আর তিনি তোমাদের উপর রক্ষক নিযুক্ত করেন। অতঃপর তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে আমার প্রেরিতগণ (ফেরেশতারা) তার মৃত্যু ঘটায়। নিজেদের কর্তব্য পালনে তারা বিন্দুমাত্র ত্রুটি করে না।
Sahih International:
And He is the subjugator over His servants, and He sends over you guardian-angels until, when death comes to one of you, Our messengers take him, and they do not fail [in their duties].



ثُمَّ رُدُّوْۤا اِلَی اللّٰهِ مَوْلٰىهُمُ الْحَقِّ ؕ اَلَا لَهُ الْحُکْمُ ۟ وَ هُوَ اَسْرَعُ الْحٰسِبِیْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা রুদ্দূইলাল্লা-হি মাওলা-হুমুল হাক্কি আলা-লাহুল হুকমু ওয়া হুওয়া আছরা‘উল হা-ছিবীন।
আল বায়ান:
তারপর তাদেরকে প্রত্যাবর্তিত করা হয় তাদের সত্য মাওলা আল্লাহর কাছে। সাবধান! হুকুম প্রাদানের ক্ষমতা তাঁরই। আর তিনি হচ্ছেন খুব দ্রুত হিসাবকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদেরকে তাদের প্রকৃত প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে। সাবধান! কর্তৃত্ব তাঁরই, আর তিনি হিসাব গ্রহণে সর্বাপেক্ষা ত্বরিতগতি।
Sahih International:
Then they His servants are returned to Allah, their true Lord. Unquestionably, His is the judgement, and He is the swiftest of accountants.



قُلْ مَنْ یُّنَجِّیْکُمْ مِّنْ ظُلُمٰتِ الْبَرِّ وَ الْبَحْرِ تَدْعُوْنَهٗ تَضَرُّعًا وَّ خُفْیَۃً ۚ لَئِنْ اَنْجٰىنَا مِنْ هٰذِهٖ لَنَکُوْنَنَّ مِنَ الشّٰکِرِیْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কুল মাইঁ ইউনাজ্জীকুম মিন জুলুমা-তিল বাররি ওয়াল বাহরি তাদ‘ঊনাহূতাদাররু‘আওঁ ওয়া খুফইয়াতাল লাইন আনজা-না-মিন হা-যিহী লানাকূনান্না মিনাশশা-কিরীন।
আল বায়ান:
বল, ‘কে তোমাদেরকে নাজাত দেন স্থল ও সমুদ্রের যাবতীয় অন্ধকার থেকে? তোমরা তাকে ডাক অনুনয় বিনয় করে ও চুপিসারে যে, যদি তিনি আমাদেরকে এ থেকে নাজাত দেন, আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, বিনীতভাবে আর সংগোপনে যখন তাঁকে ডাক তখন জল-স্থলের অন্ধকার হতে কে তোমাদেরকে রক্ষা করে। (বিপদে পড়লে বলতে থাক) এত্থেকে তুমি যদি আমাদেরকে রক্ষা কর তাহলে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব।
Sahih International:
Say, "Who rescues you from the darknesses of the land and sea [when] you call upon Him imploring [aloud] and privately, 'If He should save us from this [crisis], we will surely be among the thankful.' "



قُلِ اللّٰهُ یُنَجِّیْکُمْ مِّنْهَا وَ مِنْ کُلِّ کَرْبٍ ثُمَّ اَنْتُمْ تُشْرِکُوْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
কুল্লিলা-হু ইউনাজ্জীকুম মিনহা-ওয়া মিন কুল্লি কারবিন ছুম্মা আনতুম তুশরিকূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আল্লাহ তা থেকে তোমাদেরকে নাজাত দেন এবং প্রত্যেক বিপদ থেকে। তারপর তোমরা শিরক কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আল্লাহই তোমাদেরকে এথেকে আর সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করেন, অতঃপর তোমরা তাঁর অংশী স্থির কর।
Sahih International:
Say, "It is Allah who saves you from it and from every distress; then you [still] associate others with Him."



قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلٰۤی اَنْ یَّبْعَثَ عَلَیْکُمْ عَذَابًا مِّنْ فَوْقِکُمْ اَوْ مِنْ تَحْتِ اَرْجُلِکُمْ اَوْ یَلْبِسَکُمْ شِیَعًا وَّ یُذِیْقَ بَعْضَکُمْ بَاْسَ بَعْضٍ ؕ اُنْظُرْ کَیْفَ نُصَرِّفُ الْاٰیٰتِ لَعَلَّهُمْ یَفْقَهُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
কুল হুওয়াল কা-দিরু ‘আলাআইঁ ইয়াব‘আছা ‘আলাইকুম ‘আযা-বাম মিন ফাওকিকুম আও মিন তাহতি আরজুলিকুম আও ইয়াল বিছাকুম শিয়া‘আওঁ ওয়া ইউযীকা বা‘দাকুম বা’ছা বা‘দিন উনজু র কাইফা নুসাররিফুল আ-য়া-তি লা‘আল্লাহুম ইয়াফকাহূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তিনি তো সক্ষম তোমাদের উপর থেকে অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে তোমাদের উপর আযাব প্রেরণ করতে, অথবা তোমাদেরকে বিভিন্ন সন্দেহপূর্ণ দলে বিভক্ত করতে এবং তোমাদের একদলকে অন্য দলের ভীতি আস্বাদন করাতে’। দেখ, কীভাবে আমি আয়াতসমূহ নানাভাবে বর্ণনা করি, যাতে তারা ভালভাবে বুঝতে পারে।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তিনি তোমাদের উপর থেকে অথবা পদতল থেকে ‘আযাব পাঠাতে (সক্ষম) অথবা তোমাদেরকে দলে দলে বিভক্ত করার মাধ্যমে একদলকে অন্যদলের সংঘাত সংঘর্ষ ও হিংসা হানাহানির আস্বাদ গ্রহণ করাতে সক্ষম। লক্ষ্য কর, আমি নিদর্শনাবলী কেমন বিস্তারিত বর্ণনা করছি যাতে তারা উপলব্ধি করতে পারে।
Sahih International:
Say, "He is the [one] Able to send upon you affliction from above you or from beneath your feet or to confuse you [so you become] sects and make you taste the violence of one another." Look how We diversify the signs that they might understand.



وَ کَذَّبَ بِهٖ قَوْمُکَ وَ هُوَ الْحَقُّ ؕ قُلْ لَّسْتُ عَلَیْکُمْ بِوَکِیْلٍ ﴿ؕ۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযযাবা বিহী কাওমুকা ওয়া হুওয়াল হাক্কু কুল লাছতু‘আলাইকুম বিওয়াকীল।
আল বায়ান:
আর তোমার কওম তা অস্বীকার করেছে, অথচ তা সত্য। বল, ‘আমি তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার কওম তা (অর্থাৎ ‘আযাবকে) মিথ্যে মনে করছে কিন্তু তা প্রকৃত সত্য। বল, আমি তোমাদের কর্মবিধায়ক নই।
Sahih International:
But your people have denied it while it is the truth. Say, "I am not over you a manager."



لِکُلِّ نَبَاٍ مُّسْتَقَرٌّ ۫ وَّ سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
লিকুল্লি নাবাইম মুছতাকাররুওঁ ওয়া ছাওফা তা‘লামূন।
আল বায়ান:
প্রত্যেক সংবাদের নির্ধারিত সময় রয়েছে এবং অচিরেই তোমরা জানবে।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেক (ভবিষ্যৎ) বাণীর (সত্যরূপে প্রকাশিত হওয়ার) জন্য একটা সময় নির্ধারিত করা আছে আর তা তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে।
Sahih International:
For every happening is a finality; and you are going to know.



وَ اِذَا رَاَیْتَ الَّذِیْنَ یَخُوْضُوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِنَا فَاَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتّٰی یَخُوْضُوْا فِیْ حَدِیْثٍ غَیْرِهٖ ؕ وَ اِمَّا یُنْسِیَنَّکَ الشَّیْطٰنُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّکْرٰی مَعَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-রাআইতাল্লাযীনা ইয়াখূদূ না ফীআ-য়া-তিনা-ফাআ‘রিদ‘আনহুম হাত্তাইয়াখূদূ ফী হাদীছিন গাইরিহী ওয়া ইম্মা-ইউনছিইয়ান্নাকাশ শাইতা-নুফালা-তাক‘উদ বা‘দাযযি করা-মা‘আল কাওমিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর যখন তুমি তাদেরকে দেখ, যারা আমার আয়াতসমূহের ব্যাপারে উপহাসমূলক সমালোচনায় রত আছে, তুমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, যতক্ষণ না তারা অন্য কথাবার্তায় লিপ্ত হয়। আর যদি শয়তান তোমাকে ভুলিয়ে দেয়, তবে স্মরণের পর যালিম সম্প্রদায়ের সাথে বসো না।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তুমি দেখ আমার আয়াত নিয়ে তারা উপহাসপূর্ণ আলোচনা করছে তখন তাদের থেকে সরে পড় যে পর্যন্ত তারা অন্য বিষয়ের আলোচনায় প্রবৃত্ত না হয়। আর যখন শয়ত্বান তোমাকে (আল্লাহর এই নাসীহাত) ভুলিয়ে দেয় তখন স্মরণ হয়ে গেলেই যালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে আর বসবে না।
Sahih International:
And when you see those who engage in [offensive] discourse concerning Our verses, then turn away from them until they enter into another conversation. And if Satan should cause you to forget, then do not remain after the reminder with the wrongdoing people.



وَ مَا عَلَی الَّذِیْنَ یَتَّقُوْنَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِّنْ شَیْءٍ وَّ لٰکِنْ ذِکْرٰی لَعَلَّهُمْ یَتَّقُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-‘আলাল্লাযীনা ইয়াত্তাকূনা মিন হিছা-বিহিম মিন শাইয়িওঁ ওয়ালা-কিন যিকরালা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যালিমদের কোন হিসেব তাদের উপর নেই। কিন্তু (তাদের কর্তব্য হচ্ছে) উপদেশ দেয়া, যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কোন কাজের হিসেব দেয়ার দায়-দায়িত্ব মুত্তাকীদের উপর নেই। কিন্তু উপদেশ দেয়া কর্তব্য যাতে ওরাও তাকওয়া অবলম্বন করে।
Sahih International:
And those who fear Allah are not held accountable for the disbelievers at all, but [only for] a reminder - that perhaps they will fear Him.



وَ ذَرِ الَّذِیْنَ اتَّخَذُوْا دِیْنَهُمْ لَعِبًا وَّ لَهْوًا وَّ غَرَّتْهُمُ الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَا وَ ذَکِّرْ بِهٖۤ اَنْ تُبْسَلَ نَفْسٌۢ بِمَا کَسَبَتْ ٭ۖ لَیْسَ لَهَا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلِیٌّ وَّ لَا شَفِیْعٌ ۚ وَ اِنْ تَعْدِلْ کُلَّ عَدْلٍ لَّا یُؤْخَذْ مِنْهَا ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ اُبْسِلُوْا بِمَا کَسَبُوْا ۚ لَهُمْ شَرَابٌ مِّنْ حَمِیْمٍ وَّ عَذَابٌ اَلِیْمٌۢ بِمَا کَانُوْا یَکْفُرُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যারিল্লাযীনাততাখাযূদীনাহুম লা‘ইবাওঁ ওয়া লাহওয়াওঁ ওয়া গাররাতহুমুল হায়াতুদ দুনইয়া-ওয়া যাক্কির বিহীআন তুবছালা নাফছুম বিমা-কাছাবাত লাইছা লাহা-মিন দূ নিল্লা-হি ওয়ালিইয়ুওঁ ওয়ালা-শাফী‘উওঁ ওয়া ইন তা‘দিল কুল্লা ‘আদলিল্লা-ইউ’খায মিনহা- উলাইকাল্লাযীনা উবছিলূবিমা-কাছাবূ লাহুম শারা-বুম মিন হামীমিওঁ ওয়া ‘আযা-বুন আলীমুম বিমা-কানূইয়াকফুরূন।
আল বায়ান:
আর তুমি পরিত্যাগ কর তাদেরকে, যারা নিজদের দীনকে গ্রহণ করেছে খেল-তামাশা রূপে এবং প্রতারিত করেছে যাদেরকে দুনিয়ার জীবন। আর তুমি কুরআন দ্বারা উপদেশ দাও, যাতে কোন ব্যক্তি তার কৃতকর্মের দরুন ধ্বংসের শিকার না হয়, তার জন্য আল্লাহ ছাড়া নেই কোন অভিভাবক এবং নেই কোন সুপারিশকারী। আর যদি সে সব ধরণের মুক্তিপণও দেয়, তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। এরাই তারা, যারা ধ্বংসের শিকার হয়েছে তাদের কৃতকর্মের দরুন। তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানীয় এবং বেদনাদায়ক আযাব, যেহেতু তারা কুফরী করত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের দ্বীনকে খেলা তামাশা বানিয়ে নিয়েছে আর পার্থিব জীবন যাদেরকে প্রতারিত করেছে তুমি তাদেরকে বর্জন কর। আর তা (অর্থাৎ কুরআন) দিয়ে তাদেরকে উপদেশ দাও যাতে কেউ স্বীয় কৃতকর্মের কারণে ধ্বংস না হয়, আল্লাহ ছাড়া তার কোন অভিভাবক নেই এবং কোন সুপারিশকারী নেই, (মুক্তির) বিনিময়ে সব কিছু দিতে চাইলেও তা তার থেকে গ্রহণ করা হবে না, ওরাই তারা যারা তাদের কৃতকর্মের জন্য ধ্বংস হবে, তাদের জন্য আছে ফুটন্ত গরম পানীয় আর মহা শাস্তি, যেহেতু তারা কুফরীতে লিপ্ত ছিল।
Sahih International:
And leave those who take their religion as amusement and diversion and whom the worldly life has deluded. But remind with the Qur'an, lest a soul be given up to destruction for what it earned; it will have other than Allah no protector and no intercessor. And if it should offer every compensation, it would not be taken from it. Those are the ones who are given to destruction for what they have earned. For them will be a drink of scalding water and a painful punishment because they used to disbelieve.



قُلْ اَنَدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَنْفَعُنَا وَ لَا یَضُرُّنَا وَ نُرَدُّ عَلٰۤی اَعْقَابِنَا بَعْدَ اِذْ هَدٰىنَا اللّٰهُ کَالَّذِی اسْتَهْوَتْهُ الشَّیٰطِیْنُ فِی الْاَرْضِ حَیْرَانَ ۪ لَهٗۤ اَصْحٰبٌ یَّدْعُوْنَهٗۤ اِلَی الْهُدَی ائْتِنَا ؕ قُلْ اِنَّ هُدَی اللّٰهِ هُوَ الْهُدٰی ؕ وَ اُمِرْنَا لِنُسْلِمَ لِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿ۙ۷۱﴾
উচ্চারণ:
কুল আনাদ‘ঊ-মিন দূ নিল্লা-হি মা-লা-ইয়ানফা‘উনা-ওয়ালা-ইয়াদুররুনা-ওয়ানুরাদ্দু ‘আলাআ‘কা-বিনা-বা‘দা ইযহাদা-নাল্লা-হু কাল্লাযিছ তাহওয়াতহুশশায়া-তীনুফিল আরদিহাইরা-না লাহূআসহা-বুইঁ ইয়াদ‘ঊনাহূইলাল হুদা’তিনা- কুল ইন্না হুদাল্লা-হি হুওয়াল হুদা- ওয়া উমিরনা-লিনুছলিমা লিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমরা কি ডাকব আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে, যা আমাদেরকে কোন উপকার করে না এবং ক্ষতি করে না? আর আল্লাহ আমাদেরকে পথ দেখানোর পর আমাদেরকে কি ফিরানো হবে আমাদের পশ্চাতে সেই ব্যক্তির ন্যায় যাকে শয়তান যমীনে এমন শক্তভাবে পেয়ে বসেছে যে, সে দিশেহারা? তার রয়েছে সহচরবৃন্দ, তারা তাকে সঠিক পথের দিকে ডাকে, ‘আমাদের কাছে আস।’ বল, ‘আল্লাহর পথই সঠিক পথ। আর আমরা রাববুল আলামীনের আনুগত্য করতে আদিষ্ট হয়েছি’ ।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমরা কি এমন কিছুকে ডাকব যা আমাদের উপকারও করে না, অপকারও করে না? আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াত দানের পর আমরা কি পিছনে ফিরে যাব তার মত শয়ত্বান যাকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছে আর দুনিয়ায় সে ঘুরে মরছে। অথচ তার সঙ্গী সাথীরা তাকে সঠিক পথের দিকে ডাক দিয়ে বলছে, এদিকে এসো। বল, আল্লাহর হিদায়াতই হচ্ছে সত্যিকারের হিদায়াত, বিশ্বজগতের প্রতিপালকের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্যই আমাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছে।
Sahih International:
Say, "Shall we invoke instead of Allah that which neither benefits us nor harms us and be turned back on our heels after Allah has guided us? [We would then be] like one whom the devils enticed [to wander] upon the earth confused, [while] he has companions inviting him to guidance, [calling], 'Come to us.' " Say, "Indeed, the guidance of Allah is the [only] guidance; and we have been commanded to submit to the Lord of the worlds.



وَ اَنْ اَقِیْمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اتَّقُوْهُ ؕ وَ هُوَ الَّذِیْۤ اِلَیْهِ تُحْشَرُوْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন আকীমুসসালা-তা ওয়াত্তাকূহু ওয়া হুওয়াল্লাযীইলাইহি তুহশারূন।
আল বায়ান:
আর (আদিষ্ট হয়েছি যে,) তোমরা সালাত কায়েম কর এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন কর। আর তিনিই, যার কাছে তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আরও (আদিষ্ট হয়েছি) নামায কায়িম করতে আর তাঁকে ভয় করতে আর তিনি হলেন (সেই সত্ত্বা) যাঁর কাছে তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।
Sahih International:
And to establish prayer and fear Him." And it is He to whom you will be gathered.



وَ هُوَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ بِالْحَقِّ ؕ وَ یَوْمَ یَقُوْلُ کُنْ فَیَکُوْنُ ۬ؕ قَوْلُهُ الْحَقُّ ؕ وَ لَهُ الْمُلْکُ یَوْمَ یُنْفَخُ فِی الصُّوْرِ ؕ عٰلِمُ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَۃِ ؕ وَ هُوَ الْحَکِیْمُ الْخَبِیْرُ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিলহাক্কি ওয়া ইয়াওমা ইয়াকূলুকুন ফাইয়াকূনু কাওলুহুল হাক্কু ওয়া লাহুল মুলকুইয়াওমা ইউনফাখু ফিসসূরি ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি ওয়া হুওয়াল হাকীমুল খাবীর।
আল বায়ান:
আর তিনিই, আসমানসমূহ ও যমীন যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন। আর যেদিন তিনি বলবেন, ‘হও’ তখন হয়ে যাবে। তাঁর কথাই যথার্থ। আর তাঁর জন্যই রয়েছে সেদিনের রাজত্ব, যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে। তিনি গায়েব ও উপস্থিত বিষয়ে পরিজ্ঞাত এবং তিনি প্রজ্ঞাময়, অধিক অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আসমান আর যমীনকে সত্যিকারভাবে সৃষ্টি করেছেন (খেলা-তামাশার জন্য নয়)। আর যখনই তিনি বলবেন, (কিয়ামাত) ‘হও’, তখনই তা হয়ে যাবে, তাঁর কথাই প্রকৃত সত্য। যেদিন সিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে সেদিন কর্তৃত্ব থাকবে তাঁরই হাতে। অদৃশ্য ও দৃশ্য সম্বন্ধে ওয়াকেফহাল, তিনি হিকমাতওয়ালা, সবকিছুর ব্যাপারে তিনি সবিশেষ জ্ঞাত।
Sahih International:
And it is He who created the heavens and earth in truth. And the day He says, "Be," and it is, His word is the truth. And His is the dominion [on] the Day the Horn is blown. [He is] Knower of the unseen and the witnessed; and He is the Wise, the Acquainted.



وَ اِذْ قَالَ اِبْرٰهِیْمُ لِاَبِیْهِ اٰزَرَ اَتَتَّخِذُ اَصْنَامًا اٰلِهَۃً ۚ اِنِّیْۤ اَرٰىکَ وَ قَوْمَکَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকা-লা ইবরা-হীমুলিআবীহি আ-যারা আতাত্তাখিযুআসনা-মান আ-লিহাতান ইন্নীআরা-কা ওয়া কাওমাকা ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর (স্মরণ কর) যখন ইবরাহীম তার পিতা আযরকে বলেছিল, ‘তুমি কি মূর্তিগুলোকে ইলাহরূপে গ্রহণ করছ? নিশ্চয় আমি তোমাকে তোমার কওমকে স্পষ্ট গোমরাহীতে দেখছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (স্মরণ কর) যখন ইবরাহীম তার পিতা আজরকে বলেছিল, আপনি কি মূর্তিগুলোকে ‘ইলাহ’রূপে গ্রহণ করেছেন, আমি তো আপনাকে আর আপনার জাতিকে স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত দেখছি।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], when Abraham said to his father Azar, "Do you take idols as deities? Indeed, I see you and your people to be in manifest error."



وَ کَذٰلِکَ نُرِیْۤ اِبْرٰهِیْمَ مَلَکُوْتَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ لِیَکُوْنَ مِنَ الْمُوْقِنِیْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা নুরীইবরা-হীমা মালাকূতাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া লিয়াকূনা মিনাল মূকিনীন।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি ইবরাহীমকে আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব দেখাই এবং যাতে সে দৃঢ় বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি ইবরাহীমকে আকাশ ও পৃথিবী রাজ্যের ব্যবস্থাপনা দেখিয়েছি যাতে সে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
Sahih International:
And thus did We show Abraham the realm of the heavens and the earth that he would be among the certain [in faith]



فَلَمَّا جَنَّ عَلَیْهِ الَّیْلُ رَاٰ کَوْکَبًا ۚ قَالَ هٰذَا رَبِّیْ ۚ فَلَمَّاۤ اَفَلَ قَالَ لَاۤ اُحِبُّ الْاٰفِلِیْنَ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জান্না ‘আলাইহিল লাইলুরাআ-কাওকাবান কা-লা হা-যা-রাববী ফালাম্মাআফালা কা-লা লাউহিব্বুল আ-ফিলীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন রাত তার উপর আচ্ছন্ন হল, সে তারকা দেখল, বলল, ‘এ আমার রব’। অতঃপর যখন তা ডুবে গেল, তখন সে বলল, ‘যারা ডুবে যায় আমি তাদেরকে ভালবাসি না’।
তাইসিরুল কুরআন:
রাতের আঁধার যখন তাকে আচ্ছন্ন করল তখন সে নক্ষত্র দেখতে পেল, (তখন) বলল, এটাই হচ্ছে আমার প্রতিপালক। কিন্তু যখন তা অস্তমিত হল, সে বলল, যা অস্তমিত হয়ে যায় তার প্রতি আমার কোন অনুরাগ নেই।
Sahih International:
So when the night covered him [with darkness], he saw a star. He said, "This is my lord." But when it set, he said, "I like not those that disappear."



فَلَمَّا رَاَ الْقَمَرَ بَازِغًا قَالَ هٰذَا رَبِّیْ ۚ فَلَمَّاۤ اَفَلَ قَالَ لَئِنْ لَّمْ یَهْدِنِیْ رَبِّیْ لَاَکُوْنَنَّ مِنَ الْقَوْمِ الضَّآلِّیْنَ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-রাআল কামারা বা-যিগান কা-লা হা-যা-রাববী ফালাম্মাআফালা কা-লা লাইল্লাম ইয়াহদিনী রাববী লাআকূনান্না মিনাল কাওমিদ্দাল্লীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে চাঁদ উজ্জ্বলরূপে উদীয়মান দেখল, বলল, ‘এ আমার রব’। পরে যখন তা ডুবে গেল, বলল, ‘যদি আমার রব আমাকে হিদায়াত না করেন, নিশ্চয় আমি পথহারা কওমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে যখন চন্দ্রকে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখল তখন বলল, এটা হচ্ছে আমার প্রতিপালক। কিন্তু যখন তা অস্তমিত হল তখন সে বলল, আমার প্রতিপালক যদি আমাকে সঠিক পথের দিশা না দেন তাহলে আমি অবশ্যই পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।
Sahih International:
And when he saw the moon rising, he said, "This is my lord." But when it set, he said, "Unless my Lord guides me, I will surely be among the people gone astray."



فَلَمَّا رَاَ الشَّمْسَ بَازِغَۃً قَالَ هٰذَا رَبِّیْ هٰذَاۤ اَکْبَرُ ۚ فَلَمَّاۤ اَفَلَتْ قَالَ یٰقَوْمِ اِنِّیْ بَرِیْٓءٌ مِّمَّا تُشْرِکُوْنَ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-রাআশশামছা বা-যিগাতান কা-লা হা-যা-রাববী হা-যা-আকবারু ফালাম্মাআফালাত কা-লা ইয়া-কাওমি ইন্নি বারীউম মিম্মা-তুশরিকূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে সূর্য উজ্জ্বলরূপে উদীয়মান দেখল, বলল, ‘এ আমার রব, এ সবচেয়ে বড়’। পরে যখন তা ডুবে গেল, তখন সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা যা শরীক কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে মুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন সে সূর্যকে অতি উজ্জ্বল হয়ে উদিত হতে দেখল তখন বলল, এটাই হচ্ছে আমার প্রতিপালক, এটাই হচ্ছে সব থেকে বড়। অতঃপর যখন তা অস্তমিত হল তখন সে বলল, হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা যেগুলোকে (আল্লাহর) অংশীদার স্থির কর সেগুলোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
Sahih International:
And when he saw the sun rising, he said, "This is my lord; this is greater." But when it set, he said, "O my people, indeed I am free from what you associate with Allah.



اِنِّیْ وَجَّهْتُ وَجْهِیَ لِلَّذِیْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ حَنِیْفًا وَّ مَاۤ اَنَا مِنَ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿ۚ۷۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নী ওয়াজ্জাহতুওয়াজহিয়া লিল্লাযীফাতারাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদাহানীফাওঁ ওয়া মাআনা মিনাল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি নিবিষ্ট করেছি আমার চেহারা একনিষ্ঠভাবে তাঁর জন্য, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর দিকে আমার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি যিনি আকাশমন্ডলী আর পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।
Sahih International:
Indeed, I have turned my face toward He who created the heavens and the earth, inclining toward truth, and I am not of those who associate others with Allah."



وَ حَآجَّهٗ قَوْمُهٗ ؕ قَالَ اَتُحَآجُّوْٓنِّیْ فِی اللّٰهِ وَ قَدْ هَدٰىنِ ؕ وَ لَاۤ اَخَافُ مَا تُشْرِکُوْنَ بِهٖۤ اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ رَبِّیْ شَیْئًا ؕ وَسِعَ رَبِّیْ کُلَّ شَیْءٍ عِلْمًا ؕ اَفَلَا تَتَذَکَّرُوْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াহাজ্জাহূকাওমুহূ কা-লা আতুহাজ্জুূন্নী ফিল্লা-হি ওয়াকাদ হাদা-নি ওয়া লাআখা-ফুমা-তুশরিকূনা বিহীইল্লাআইঁ ইয়াশাআ রাববী শাইআওঁ ওয়াছি‘আ রাববী কুল্লা-শাইয়িন ‘ইলমান আফালা-তাতাযাক্কারূনা ।
আল বায়ান:
আর তার কওম তার সাথে বাদানুবাদ করল। সে বলল, তোমরা কি বাদানুবাদ করছ আমার সাথে আল্লাহর ব্যাপারে, অথচ তিনি আমাকে হিদায়াত দিয়েছেন? তোমরা তাঁর সাথে যা শরীক কর, আমি তাকে ভয় করি না, তবে আমার রব যদি কিছু করতে চান। আমার রব ইলম দ্বারা সব কিছু পরিব্যাপ্ত করে আছেন। অতঃপর তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
তার জাতি তার সাথে বাদানুবাদ করল। সে বলল, তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে আমার সাথে বাদানুবাদ করছ অথচ তিনি আমাকে সৎপথ দেখিয়েছেন। তোমরা যাদেরকে তার অংশীদার স্থির কর আমি তাদেরকে ভয় করি না। অবশ্য আল্লাহ যদি কিছু ইচ্ছে করেন (তবে সে কথা আলাদা)। প্রতিটি বস্তু সম্পর্কে আমার প্রতিপালকের জ্ঞান পরিব্যাপ্ত, তোমরা কি তা বুঝবে না?
Sahih International:
And his people argued with him. He said, "Do you argue with me concerning Allah while He has guided me? And I fear not what you associate with Him [and will not be harmed] unless my Lord should will something. My Lord encompasses all things in knowledge; then will you not remember?



وَ کَیْفَ اَخَافُ مَاۤ اَشْرَکْتُمْ وَ لَا تَخَافُوْنَ اَنَّکُمْ اَشْرَکْتُمْ بِاللّٰهِ مَا لَمْ یُنَزِّلْ بِهٖ عَلَیْکُمْ سُلْطٰنًا ؕ فَاَیُّ الْفَرِیْقَیْنِ اَحَقُّ بِالْاَمْنِ ۚ اِنْ کُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ﴿ۘ۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাইফা আখা-ফুমাআশরাকতুম ওয়ালা-তাখা-ফূনা আন্নাকুম আশরাকতুম বিল্লা-হি মালাম ইউনাযযিল বিহী ‘আলাইকুম ছুলতা-নান ফাআইয়ুল ফারীকাইনি আহাক্কু বিলআমনি ইন কুনতুম তা‘লামূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা যা শরীক করেছ কীভাবে আমি তাকে ভয় করব? অথচ তোমরা ভয় করছ না যে, তোমরা শরীক করেছ আল্লাহর সাথে এমন কিছু, যার পক্ষে তিনি তোমাদের উপর কোন প্রমাণ নাযিল করেননি। অতএব কোন্ দল নিরাপত্তার বেশি হকদার, যদি তোমরা জান’?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যাদেরকে (আল্লাহর) অংশীদার স্থির করেছ আমি তাদেরকে কীভাবে ভয় করতে পারি, যেখানে তোমরা আল্লাহর অংশীদার বানিয়ে নিতে ভয় কর না যে সম্পর্কে আল্লাহ কোন প্রমাণই নাযিল করেননি। নিরাপত্তা লাভের ব্যাপারে (এ) দু’টি দলের মধ্যে কোনটি বেশি হকদার? বল, যদি তোমাদের জানা থাকে।
Sahih International:
And how should I fear what you associate while you do not fear that you have associated with Allah that for which He has not sent down to you any authority? So which of the two parties has more right to security, if you should know?



اَلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ لَمْ یَلْبِسُوْۤا اِیْمَانَهُمْ بِظُلْمٍ اُولٰٓئِکَ لَهُمُ الْاَمْنُ وَ هُمْ مُّهْتَدُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা আ-মানূওয়া লাম ইয়ালবিছূ ঈমা-নাহুম বিজু লমিন উলাইকা লাহুমুল আমনু ওয়া হুম মুহতাদূন।
আল বায়ান:
যারা ঈমান এনেছে এবং নিজ ঈমানকে যুলমের সাথে সংমিশ্রণ করেনি, তাদের জন্যই নিরাপত্তা এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান এনেছে আর যুলম (অর্থাৎ শিরক) দ্বারা তাদের ঈমানকে কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা লাভ তারাই করবে আর তারাই হল সঠিক পথপ্রাপ্ত।
Sahih International:
They who believe and do not mix their belief with injustice - those will have security, and they are [rightly] guided.



وَ تِلْکَ حُجَّتُنَاۤ اٰتَیْنٰهَاۤ اِبْرٰهِیْمَ عَلٰی قَوْمِهٖ ؕ نَرْفَعُ دَرَجٰتٍ مَّنْ نَّشَآءُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ حَکِیْمٌ عَلِیْمٌ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তিলকা হুজ্জাতুনাআ-তাইনা-হাইবরা-হীমা ‘আলা-কাওমিহী নারফা‘উ দারাজাতিম মান নাশাউ ইন্না রাব্বাকা হাকীমুন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর এ হচ্ছে আমার দলীল, আমি তা ইবরাহীমকে তার কওমের উপর দান করেছি। আমি যাকে চাই, তাকে মর্যাদায় উঁচু করি। নিশ্চয় তোমার রব প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
এ হল আমার যুক্তি-প্রমাণ যা আমি ইবরাহীমকে দিয়েছিলাম তার কাওমের বিপক্ষে, আমি যাকে ইচ্ছে মর্যাদায় উন্নীত করি। তোমাদের প্রতিপালক নিশ্চয়ই হিকমাতওয়ালা,সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And that was Our [conclusive] argument which We gave Abraham against his people. We raise by degrees whom We will. Indeed, your Lord is Wise and Knowing.



وَ وَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ وَ یَعْقُوْبَ ؕ کُلًّا هَدَیْنَا ۚ وَ نُوْحًا هَدَیْنَا مِنْ قَبْلُ وَ مِنْ ذُرِّیَّتِهٖ دَاوٗدَ وَ سُلَیْمٰنَ وَ اَیُّوْبَ وَ یُوْسُفَ وَ مُوْسٰی وَ هٰرُوْنَ ؕ وَ کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿ۙ۸۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াহাবনা-লাহূ ইছহাকা ওয়া ইয়া‘কূবা কুল্লান হাদাইনা- ওয়া নূহান হাদাইনা-মিন কাবলুওয়া মিন যুররিইইয়াতিহী দা-ঊদা ওয়া ছুলাইমা-না ওয়া আইয়ূবা ওয়া ইঊছুফা ওয়া মূছা-ওয়া হা-রূনা ওয়া কাযা-লিকা নাজযিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে দান করেছি ইসহাক ও ইয়াকূবকে। প্রত্যেককে আমি হিদায়াত দিয়েছি এবং নূহকে পূর্বে হিদায়াত দিয়েছি। আর তার সন্তানদের মধ্য থেকে দাঊদ, সুলাইমান, আইয়ুব, ইউসুফ, মূসা ও হারূনকে। আর আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দেই।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে দান করেছিলাম ইসহাক আর ইয়াকূব; তাদের প্রত্যেককে সৎ পথ দেখিয়েছিলাম, আর এর পূর্বে নূহকে সৎ পথ দেখিয়েছিলাম আর তার বংশধর থেকে দাঊদ, সুলাইমান, আইঊব, ইউসুফ, মূসা ও হারূনকে (সৎ পথ দেখিয়েছিলাম), সৎ কর্মশীলদের আমি এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি।
Sahih International:
And We gave to Abraham, Isaac and Jacob - all [of them] We guided. And Noah, We guided before; and among his descendants, David and Solomon and Job and Joseph and Moses and Aaron. Thus do We reward the doers of good.



وَ زَکَرِیَّا وَ یَحْیٰی وَ عِیْسٰی وَ اِلْیَاسَ ؕ کُلٌّ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿ۙ۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যাকারিইইয়া ওয়া ইয়াহইয়া-ওয়া ‘ঈছা-ওয়া ইলইয়া-ছা কুল্লুম মিনাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
আর যাকারিয়্যা, ইয়াহইয়া, ঈসা ও ইলয়াসকে। প্রত্যেকেই নেককারদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ‘ঈসা ও ইলিয়াস- এরা সবাই সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And Zechariah and John and Jesus and Elias - and all were of the righteous.



وَ اِسْمٰعِیْلَ وَ الْیَسَعَ وَ یُوْنُسَ وَ لُوْطًا ؕ وَ کُلًّا فَضَّلْنَا عَلَی الْعٰلَمِیْنَ ﴿ۙ۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইছমা‘ঈলা ওয়ালইয়াছা‘আ ওয়াইঊনুছা ওয়া লূতাওঁ ওয়া কুল্লান ফাদ্দালনা‘আলাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর ইসমাঈল, আল ইয়াসা‘, ইউনুস ও লূতকে। প্রত্যেককে আমি সৃষ্টিকুলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ইসমাঈল, আল ইয়াসা‘আ, ইউনুস ও লূত- এদের প্রত্যেককে আমি বিশ্বজগতে জাতিসমূহের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলাম।
Sahih International:
And Ishmael and Elisha and Jonah and Lot - and all [of them] We preferred over the worlds.



وَ مِنْ اٰبَآئِهِمْ وَ ذُرِّیّٰتِهِمْ وَ اِخْوَانِهِمْ ۚ وَ اجْتَبَیْنٰهُمْ وَ هَدَیْنٰهُمْ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন আ-বাইহিম ওয়া যুররিইইয়া-তিহিম ওয়া ইখওয়া-নিহিম ওয়াজতাবাইনা-হুম ওয়া হাদাইনা-হুম ইলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আর (আমি হিদায়াত দান করেছি) তাদের পিতৃপুরুষ, বংশধর ও ভাইদের মধ্য থেকে, আর তাদেরকে আমি বাছাই করেছি এবং তাদেরকে সরল পথের দিকে পরিচালিত করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পিতৃপুরুষ, বংশধর ও ভ্রাতৃবর্গ থেকে তাদেরকে বেছে নিয়েছি আর সত্য-সঠিক পথে পরিচালিত করেছি।
Sahih International:
And [some] among their fathers and their descendants and their brothers - and We chose them and We guided them to a straight path.



ذٰلِکَ هُدَی اللّٰهِ یَهْدِیْ بِهٖ مَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ ؕ وَ لَوْ اَشْرَکُوْا لَحَبِطَ عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা হুদাল্লা-হি ইয়াহদী বিহী মাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবা-দিহী ওয়া লাও আশরাকূ লাহাবিতা ‘আনহুম মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
এ হচ্ছে আল্লাহর হিদায়াত, এ দ্বারা তিনি নিজ বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত করেন। আর যদি তারা শির্‌ক করত, তবে তারা যা আমল করছিল তা অবশ্যই বরবাদ হয়ে যেত।
তাইসিরুল কুরআন:
এ হচ্ছে আল্লাহর হিদায়াত, তিনি তাঁর বান্দাহদেরকে থেকে যাকে ইচ্ছে হিদায়াত করেন, তারা যদি শিরক করত তবে তাদের সব কৃতকর্ম বিনষ্ট হয়ে যেত।
Sahih International:
That is the guidance of Allah by which He guides whomever He wills of His servants. But if they had associated others with Allah, then worthless for them would be whatever they were doing.



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ اٰتَیْنٰهُمُ الْکِتٰبَ وَ الْحُکْمَ وَ النُّبُوَّۃَ ۚ فَاِنْ یَّکْفُرْ بِهَا هٰۤؤُلَآءِ فَقَدْ وَکَّلْنَا بِهَا قَوْمًا لَّیْسُوْا بِهَا بِکٰفِرِیْنَ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল কিতা-বা ওয়ালা হুকমা ওয়াননুবুওওয়াতা ফাইয় ইয়াকফুর বিহা-হাউলাই ফাকাদওয়াক্কালনা-বিহা-কাওমাল লাইছূবিহা-বিকা-ফিরীন।
আল বায়ান:
এরাই তারা, যাদেরকে আমি দান করেছি কিতাব, হুকুম ও নবুওয়াত। অতএব যদি তারা এর সাথে কুফরী করে, তবে আমি এগুলোর তত্ত্বাবধায়ক এমন কওমকে করেছি, যারা এর ব্যাপারে কাফির নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা তারাই যাদেরকে আমি কিতাব, হিকমাত ও নবুওত দান করেছিলাম, এখন যদি তারা (অর্থাৎ বিধর্মীরা) এগুলোকে মেনে নিতে অস্বীকার করে তাহলে আমি এগুলোর ভার এমন সম্প্রদায়ের কাছে সোপর্দ করেছি যারা (অর্থাৎ মু’মিনরা) এগুলোর অস্বীকারকারী হবে না।
Sahih International:
Those are the ones to whom We gave the Scripture and authority and prophethood. But if the disbelievers deny it, then We have entrusted it to a people who are not therein disbelievers.



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ هَدَی اللّٰهُ فَبِهُدٰىهُمُ اقْتَدِهْ ؕ قُلْ لَّاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ اَجْرًا ؕ اِنْ هُوَ اِلَّا ذِکْرٰی لِلْعٰلَمِیْنَ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা হাদাল্লা-হু ফাবিহুদা হুমুকতাদিহ কুল লাআছআলুকুম ‘আলাইহি আজরান ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরা-লিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
এরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত করেছেন। অতএব তাদের হিদায়াত তুমি অনুসরণ কর। বল, ‘আমি তোমাদের কাছে এর উপর কোন বিনিময় চাই না। এটা তো সৃষ্টিকুলের জন্য উপদেশমাত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
ওরা হল তারা যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত দান করেছিলেন, তুমি তাদের পথ অনুসরণ কর; বল, এর জন্য (অর্থাৎ বাণী পৌঁছে দেয়ার জন্য) আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না। এটা সারা দুনিয়ার মানুষের জন্য উপদেশ বাণী।
Sahih International:
Those are the ones whom Allah has guided, so from their guidance take an example. Say, "I ask of you for this message no payment. It is not but a reminder for the worlds."



وَ مَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدْرِهٖۤ اِذْ قَالُوْا مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ عَلٰی بَشَرٍ مِّنْ شَیْءٍ ؕ قُلْ مَنْ اَنْزَلَ الْکِتٰبَ الَّذِیْ جَآءَ بِهٖ مُوْسٰی نُوْرًا وَّ هُدًی لِّلنَّاسِ تَجْعَلُوْنَهٗ قَرَاطِیْسَ تُبْدُوْنَهَا وَ تُخْفُوْنَ کَثِیْرًا ۚ وَ عُلِّمْتُمْ مَّا لَمْ تَعْلَمُوْۤا اَنْتُمْ وَ لَاۤ اٰبَآؤُکُمْ ؕ قُلِ اللّٰهُ ۙ ثُمَّ ذَرْهُمْ فِیْ خَوْضِهِمْ یَلْعَبُوْنَ ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-কাদারুল্লা-হা হাক্কাকাদরিহীইযকা-লূ মাআনযালাল্লাহু ‘আলা-বাশারিম মিন শাইয়িন কুল মান আনযালাল কিতা-বাল্লাযী জাআ বিহী মূছা-নূরাওঁ ওয়া হুদাল লিন্নাছি তাজ‘আলূনাহূকারা-তীছা তুবদূ নাহা-ওয়া তুখফূনা কাছীরাওঁ ওয়া ‘উলিলমতুম মালাম তা‘লামূআনতুম ওয়ালাআ-বাউকুম কুল্লিলা-হু ছু ম্মা যারহুম ফী খাওদিহিম ইয়াল‘আবূন।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহকে যথার্থ সম্মান দেয়নি, যখন তারা বলছে, আল্লাহ কোন মানুষের উপর কিছুই নাযিল করেননি। বল, ‘কে নাযিল করেছে সে কিতাব, যা মূসা নিয়ে এসেছে মানুষের জন্য আলো ও পথনির্দেশস্বরূপ, তোমরা তা বিভিন্ন কাগজে লিখে রাখতে, তোমরা তা প্রকাশ করতে আর অনেক অংশ গোপন রাখতে; আর তোমাদেরকে শিক্ষা দেয়া হয়েছিল যা জানতে না তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষ’? বল, ‘আল্লাহ’। তারপর তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা তাদের অযাচিত সমালোচনায় খেলতে থাকুক।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহকে যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেনি যখন তারা এ কথা বলেছে যে, আল্লাহ কোন মানুষের কাছে কোন কিছুই অবতীর্ণ করেননি। বল, তাহলে ঐ কিতাব কে অবতীর্ণ করেছিলেন যা নিয়ে এসেছিলেন মূসা, যা ছিল মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা ও সঠিক পথের দিকদিশারী, কাগজের পৃষ্ঠায় যা তোমরা প্রকাশ কর আর বেশির ভাগই গোপন কর, যার সাহায্যে তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যা তোমরাও জানতে না, তোমাদের বাপ-দাদারাও জানত না? বল, (মূসার প্রতি ঐ কিতাব) আল্লাহ্ই (নাযিল করেছিলেন), অতঃপর তাদেরকে তাদের নিরর্থক আলোচনায় মত্ত হয়ে থাকতে দাও।
Sahih International:
And they did not appraise Allah with true appraisal when they said, "Allah did not reveal to a human being anything." Say, "Who revealed the Scripture that Moses brought as light and guidance to the people? You [Jews] make it into pages, disclosing [some of] it and concealing much. And you were taught that which you knew not - neither you nor your fathers." Say, "Allah [revealed it]." Then leave them in their [empty] discourse, amusing themselves.



وَ هٰذَا کِتٰبٌ اَنْزَلْنٰهُ مُبٰرَکٌ مُّصَدِّقُ الَّذِیْ بَیْنَ یَدَیْهِ وَ لِتُنْذِرَ اُمَّ الْقُرٰی وَ مَنْ حَوْلَهَا ؕ وَ الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ وَ هُمْ عَلٰی صَلَاتِهِمْ یُحَافِظُوْنَ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
ওহাযা কিতাবুন আনযালনাহু মুবা-রাকুম মুসাদ্দিকু ল্লাযী বাইনা ইয়াদাইহি ওয়া লিতুনযিরা উম্মাল-কুরা-ওয়া মান হাওলাহা ওয়াল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি ইউ‘মিনূনা বিহী ওয়া হুম ‘আলা-সালা-তিহিম ইউহা-ফিজূন।
আল বায়ান:
আর এটি একটি কিতাব, আমি তা নাযিল করেছি, বরকতময়, যা তাদের সামনে আছে তার সত্যায়নকারী। আর যাতে তুমি সতর্ক কর উম্মুল কুরা (মক্কা) ও তার আশ-পাশে যারা আছে তাদেরকে। আর যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে তারা এ কিতাবের প্রতি ঈমান আনে এবং তারা তাদের সালাতের উপর যত্নবান থাকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর [এখন যা মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রতি নাযিল করা হয়েছে] এ কিতাব বরকতে ভরপুর, তাদের কাছে যে কিতাব আছে তার সত্যতা প্রতিপাদনকারী, আর তা মক্কা ও তার চতুষ্পার্শবস্থ এলাকার লোকেদেরকে সতর্ক করার জন্য প্রেরিত। যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে তারা এতে বিশ্বাস করে, আর তারা তাদের সলাতের হিফাযাত করে।
Sahih International:
And this is a Book which We have sent down, blessed and confirming what was before it, that you may warn the Mother of Cities and those around it. Those who believe in the Hereafter believe in it, and they are maintaining their prayers.



وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا اَوْ قَالَ اُوْحِیَ اِلَیَّ وَ لَمْ یُوْحَ اِلَیْهِ شَیْءٌ وَّ مَنْ قَالَ سَاُنْزِلُ مِثْلَ مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ ؕ وَ لَوْ تَرٰۤی اِذِ الظّٰلِمُوْنَ فِیْ غَمَرٰتِ الْمَوْتِ وَ الْمَلٰٓئِکَۃُ بَاسِطُوْۤا اَیْدِیْهِمْ ۚ اَخْرِجُوْۤا اَنْفُسَکُمْ ؕ اَلْیَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُوْنِ بِمَا کُنْتُمْ تَقُوْلُوْنَ عَلَی اللّٰهِ غَیْرَ الْحَقِّ وَ کُنْتُمْ عَنْ اٰیٰتِهٖ تَسْتَکْبِرُوْنَ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান আজলামু মিমমানিফ তারা-‘আলাল্লা-হিল কাযিবান আও কা-লা ঊহিয়া ইলাইইয়া ওয়া লাম ইঊহা ইলাইহি শাইয়ুওঁ ওয়া মান কা-লা ছাউনযিলুমিছলা মাআনযালাল্লা-হু ওয়া লাও তারাইযিজ্জা-লিমূনা ফী গামারা-তিল মাওতি ওয়াল মালাইকাতুবা-ছিতূআইদীহিম আখরিজূআনফুছাকুম আলইয়াওমা তুজযাওনা ‘আযা-বাল হূনি বিমা-কুনতুম তাকূলূনা ‘আলাল্লা-হি গাইরাল হাক্কিওয়া কুনতুম ‘আন আয়া-তিহী তাছতাকবিরূন।
আল বায়ান:
আর তার চেয়ে বড় যালিম কে, যে আল্লাহর উপর মিথ্যা রটনা করে, অথবা বলে, ‘আমার উপর ওহী প্রেরণ করা হয়েছে’, অথচ তার প্রতি কোন কিছুই প্রেরণ করা হয়নি? এবং যে বলে ‘আমি অচিরেই নাযিল করব, যেরূপ আল্লাহ নাযিল করেছেন’। আর যদি তুমি দেখতে, যখন যালিমরা মৃত্যু কষ্টে থাকে, এমতাবস্থায় ফেরেশতারা তাদের হাত প্রসারিত করে আছে (তারা বলে), ‘তোমাদের জান বের কর। আজ তোমাদেরকে প্রতিদান দেয়া হবে লাঞ্ছনার আযাব, কারণ তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তোমরা তার আয়াতসমূহ সম্পর্কে অহঙ্কার করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
তার থেকে বড় যালিম আর কে যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে কথা রচনা করে অথবা বলে, আমার প্রতি ওয়াহী নাযিল হয়; যদিও তার কাছে কিছুই অবতীর্ণ হয় না। আর যে বলে : আল্লাহ যা নাযিল করেন আমি শীঘ্রই তার অনুরূপ নাযিল করব। হায়! যদি তুমি ঐ যালিমদেরকে দেখতে পেতে যখন তারা মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকবে, আর ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলবে, তোমাদের জানগুলোকে বের করে দাও, আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর আযাব দেয়া হবে যেহেতু তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা বলতে যা প্রকৃত সত্য নয় আর তাঁর নিদর্শনগুলোর ব্যাপারে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করতে।
Sahih International:
And who is more unjust than one who invents a lie about Allah or says, "It has been inspired to me," while nothing has been inspired to him, and one who says, "I will reveal [something] like what Allah revealed." And if you could but see when the wrongdoers are in the overwhelming pangs of death while the angels extend their hands, [saying], "Discharge your souls! Today you will be awarded the punishment of [extreme] humiliation for what you used to say against Allah other than the truth and [that] you were, toward His verses, being arrogant."



وَ لَقَدْ جِئْتُمُوْنَا فُرَادٰی کَمَا خَلَقْنٰکُمْ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّ تَرَکْتُمْ مَّا خَوَّلْنٰکُمْ وَرَآءَ ظُهُوْرِکُمْ ۚ وَ مَا نَرٰی مَعَکُمْ شُفَعَآءَکُمُ الَّذِیْنَ زَعَمْتُمْ اَنَّهُمْ فِیْکُمْ شُرَکٰٓؤُا ؕ لَقَدْ تَّقَطَّعَ بَیْنَکُمْ وَ ضَلَّ عَنْکُمْ مَّا کُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ জি’তুমূনা-ফুরা-দা-কামা-খালাকনা-কুম আওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া তারাকতুম মা-খাওওয়ালনা-কুম ওয়ারাআ জুহূরিকুম ওয়ামা-নারা-মা‘আকুম শুফা‘আআকুমুল্লাযীনা যা‘আমতুম আন্নাহুম ফীকুম শুরাকাউ লাকাত তাকাত্তা‘আ বাইনাকুম ওয়া দাল্লা ‘আনকুম মা-কুনতুম তায‘উমূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমরা এসেছ আমার কাছে একা একা, যেরূপ সৃষ্টি করেছি আমি তোমাদেরকে প্রথমবার এবং আমি তোমাদেরকে যা দান করেছি, তা তোমরা ছেড়ে রেখেছ তোমাদের পিঠের পেছনে। আর আমি তোমাদের সাথে তোমাদের সুপারিশকারীদের দেখছি না, যাদের তোমরা মনে করেছ যে, নিশ্চয় তারা তোমাদের মধ্যে (আল্লাহর) অংশীদার। অবশ্যই ছিন্ন হয়ে গেছে তোমাদের পরস্পরের সম্পর্ক। আর তোমরা যা ধারণা করতে, তা তোমাদের থেকে হারিয়ে গিয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
(ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ বলবেন) তোমরা আমার নিকট তেমনই নিঃসঙ্গ অবস্থায় হাজির হয়েছ যেমনভাবে আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, তোমাদেরকে যা (নি‘মাতরাজি) দান করেছিলাম তা তোমরা তোমাদের পেছনে ফেলে রেখে এসেছ, আর তোমাদের সাথে সেই সুপারিশকারীগণকেও দেখছি না যাদের সম্পর্কে তোমরা ধারণা করতে যে তোমাদের কার্য উদ্ধারের ব্যাপারে তাদের অংশ আছে। তোমাদের মধ্যেকার সম্পর্ক একেবারেই ছিন্ন হয়ে গেছে, আর তোমরা যে সব ধারণা করতে সে সব অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
Sahih International:
[It will be said to them], "And you have certainly come to Us alone as We created you the first time, and you have left whatever We bestowed upon you behind you. And We do not see with you your 'intercessors' which you claimed that they were among you associates [of Allah]. It has [all] been severed between you, and lost from you is what you used to claim."



اِنَّ اللّٰهَ فَالِقُ الْحَبِّ وَ النَّوٰی ؕ یُخْرِجُ الْحَیَّ مِنَ الْمَیِّتِ وَ مُخْرِجُ الْمَیِّتِ مِنَ الْحَیِّ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ فَاَنّٰی تُؤْفَکُوْنَ ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা ফা-লিকুল হাব্বি ওয়ান্নাওয়া- ইয়ুখরিজুল হাইইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়া মুখরিজুল মাইয়িতি মিনাল হাইয়ি যা-লিকুমুল্লা-হু ফাআন্না-তু’ফাকূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহ বীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী। তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে বেরকারী। তিনিই আল্লাহ, সুতরাং (সৎপথ থেকে) কোথায় তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহই হচ্ছেন শস্য দানা ও বীজ বিদীর্ণকারী, তিনি মৃত থেকে জীবন্তকে বের করেন এবং জীবন্ত থেকে মৃতকে। এই হচ্ছেন আল্লাহ; সৎপথ থেকে তোমরা কোথায় চলে যাচ্ছ?
Sahih International:
Indeed, Allah is the cleaver of grain and date seeds. He brings the living out of the dead and brings the dead out of the living. That is Allah; so how are you deluded?



فَالِقُ الْاِصْبَاحِ ۚ وَ جَعَلَ الَّیْلَ سَکَنًا وَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ حُسْبَانًا ؕ ذٰلِکَ تَقْدِیْرُ الْعَزِیْزِ الْعَلِیْمِ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
ফা-লিকুল ইসবা-হি ওয়া জ‘আলাল লাইলা ছাকানাওঁ ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা হুছবা-নান যা-লিকা তাকদীরুল ‘আযীযুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
(তিনি) প্রভাত উদ্ভাসক। তিনি বানিয়েছেন রাতকে প্রশান্তি এবং সূর্য ও চন্দ্রকে সময় নিরূপক। এটা সর্বজ্ঞ পরাক্রমশালীর নির্ধারণ।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি ঊষার উন্মেষ ঘটান, তিনি রাত সৃষ্টি করেছেন শান্তি ও আরামের জন্য, সূর্য ও চন্দ্র বানিয়েছেন গণনার জন্য। এসব মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞাতা কর্তৃক নির্ধারিত।
Sahih International:
[He is] the cleaver of daybreak and has made the night for rest and the sun and moon for calculation. That is the determination of the Exalted in Might, the Knowing.



وَ هُوَ الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ النُّجُوْمَ لِتَهْتَدُوْا بِهَا فِیْ ظُلُمٰتِ الْبَرِّ وَ الْبَحْرِ ؕ قَدْ فَصَّلْنَا الْاٰیٰتِ لِقَوْمٍ یَّعْلَمُوْنَ ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুন নুজূমা লিতাহতাদূবিহা-ফী জুলুমা-তিল বাররি ওয়াল বাহরি কাদ ফাসসালনাল আ-য়া-তি লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য তারকারাজি, যাতে তোমরা এ দ্বারা পথপ্রাপ্ত হও স্থল ও সমুদ্রের অন্ধকারে। অবশ্যই আমি আয়াতসমূহকে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি এমন কওমের জন্য যারা জানে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তোমাদের জন্য নক্ষত্ররাজি সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা সেগুলোর সাহায্যে জলে স্থলে অন্ধকারে পথের দিশা লাভ করতে পার। আমি আমার নিদর্শনগুলোকে জ্ঞানীদের জন্য বিশদভাবে বর্ণনা করে দিয়েছি।
Sahih International:
And it is He who placed for you the stars that you may be guided by them through the darknesses of the land and sea. We have detailed the signs for a people who know.



وَ هُوَ الَّذِیْۤ اَنْشَاَکُمْ مِّنْ نَّفْسٍ وَّاحِدَۃٍ فَمُسْتَقَرٌّ وَّ مُسْتَوْدَعٌ ؕ قَدْ فَصَّلْنَا الْاٰیٰتِ لِقَوْمٍ یَّفْقَهُوْنَ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযীআনশাআকুম মিন নাফছিওঁ ওয়া-হিদাতিন ফামুছতাকাররুওঁ ওয়া মুছতাওদা‘ কাদ ফাসসালনাল আ-য়া-তি লিকাওমিইঁ ইয়াফকাহূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এক নফস থেকে। অতঃপর রয়েছে আবাসস্থল ও সমাধিস্থল। অবশ্যই আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, এমন কওমের জন্য যারা ভালভাবে বুঝে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তোমাদেরকে একটি প্রাণ হতে সৃষ্টি করেছেন, তারপর প্রত্যেকের জন্য একটা অবস্থান স্থল আছে আর একটি আছে তাকে গচ্ছিত রাখার জায়গা। জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন লোকেদের জন্য আমি আমার আয়াতগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করে দিয়েছি।
Sahih International:
And it is He who produced you from one soul and [gave you] a place of dwelling and of storage. We have detailed the signs for a people who understand.



وَ هُوَ الَّذِیْۤ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَخْرَجْنَا بِهٖ نَبَاتَ کُلِّ شَیْءٍ فَاَخْرَجْنَا مِنْهُ خَضِرًا نُّخْرِجُ مِنْهُ حَبًّا مُّتَرَاکِبًا ۚ وَ مِنَ النَّخْلِ مِنْ طَلْعِهَا قِنْوَانٌ دَانِیَۃٌ وَّ جَنّٰتٍ مِّنْ اَعْنَابٍ وَّ الزَّیْتُوْنَ وَ الرُّمَّانَ مُشْتَبِهًا وَّ غَیْرَ مُتَشَابِهٍ ؕ اُنْظُرُوْۤا اِلٰی ثَمَرِهٖۤ اِذَاۤ اَثْمَرَ وَ یَنْعِهٖ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکُمْ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযীআনযালা মিনাছছামাই মাআন ফাআখরাজনা-বিহীনাবা-তা কুল্লি শাইয়িন ফাআখরাজনা-মিনহু খাদিরান নুখরিজুমিনহু হাব্বাম মুতারা-কিবাওঁ ওয়া মিনান নাখলি মিন তাল‘ইহা-কিনওয়া-নুন দা-নিয়াতুওঁ ওয়া জান্না-তিম মিন আ‘না-বিওঁ ওয়াযযাইতূনা ওয়াররুম্মা-না মুশতাবিহাওঁ ওয়া গাইরা মুতাশা-বিহিন উনজু রূইলাছামারিহীইযাআছমারা ওয়া ইয়ান‘ইহী ইন্না ফী যা-লিকুম লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইঊ’মিনূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই আসমান থেকে বর্ষণ করেছেন বৃষ্টি। অতঃপর আমি এ দ্বারা উৎপন্ন করেছি সব জাতের উদ্ভিদ। অতঃপর আমি তা থেকে বের করেছি সবুজ ডাল-পালা। আমি তা থেকে বের করি ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা। আর খেজুর বৃক্ষের মাথি থেকে (বের করি) ঝুলন্ত থোকা। আর (উৎপন্ন করি) আঙ্গুরের বাগান এবং সাদৃশ্যপূর্ণ ও সাদৃশ্যহীন যয়তুন ও আনার। দেখ তার ফলের দিকে, যখন সে ফলবান হয় এবং তার পাকার প্রতি। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন অতঃপর তা দ্বারা আমি সকল প্রকার উদ্ভিদ উদগত করি, অতঃপর তা থেকে সবুজ পাতা উদ্গত করি, অতঃপর তা থেকে ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা উৎপন্ন করি, খেজুর গাছের মোচা থেকে ঝুলন্ত কাঁদি নির্গত করি, আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করি, আর সৃষ্টি করি জায়তুন ও ডালিম, সেগুলো একই রকম এবং বিভিন্ন রকমও। লক্ষ্য কর তার ফলের প্রতি যখন গাছে ফল আসে আর ফল পাকে। এসবের ভিতরে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন আছে।
Sahih International:
And it is He who sends down rain from the sky, and We produce thereby the growth of all things. We produce from it greenery from which We produce grains arranged in layers. And from the palm trees - of its emerging fruit are clusters hanging low. And [We produce] gardens of grapevines and olives and pomegranates, similar yet varied. Look at [each of] its fruit when it yields and [at] its ripening. Indeed in that are signs for a people who believe.



وَ جَعَلُوْا لِلّٰهِ شُرَکَآءَ الْجِنَّ وَ خَلَقَهُمْ وَ خَرَقُوْا لَهٗ بَنِیْنَ وَ بَنٰتٍۭ بِغَیْرِ عِلْمٍ ؕ سُبْحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یَصِفُوْنَ ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলূলিল্লা-হি শুরাকাআল জিন্না ওয়া খালাকাহুম ওয়া খারাকূলাহূবানীনা ওয়াবানা-তিম বিগাইরি ‘ইলমিন ছুবহা-নাহূতা‘আ-লা-‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
আল বায়ান:
আর তারা জিনকে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করেছে, অথচ তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আর তারা অজ্ঞতাবশত মনগড়াভাবে নির্ধারণ করেছে তার জন্য পুত্র ও কন্যা সন্তান। তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বিবরণ দেয় তা থেকে ঊর্ধ্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা জ্বীনকে আল্লাহর অংশীদার স্থির করে অথচ তাদেরকে তিনিই সৃষ্টি করেছেন, তারা না জেনে না বুঝে আল্লাহর জন্য পুত্র-কন্যা স্থির করে, তাদের এসব কথা হতে তিনি পবিত্র ও মহান।
Sahih International:
But they have attributed to Allah partners - the jinn, while He has created them - and have fabricated for Him sons and daughters. Exalted is He and high above what they describe



بَدِیْعُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ اَنّٰی یَکُوْنُ لَهٗ وَلَدٌ وَّ لَمْ تَکُنْ لَّهٗ صَاحِبَۃٌ ؕ وَ خَلَقَ کُلَّ شَیْءٍ ۚ وَ هُوَ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
বাদী‘উছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি আন্না-ইয়াকূনুলাহূওয়ালাদুওঁ ওয়া লাম তাকুল্লাহূ সা-হিবাতুওঁ ওয়া খালাকা কুল্লা শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
আল বায়ান:
তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। কিভাবে তার সন্তান হবে অথচ তার কোন সঙ্গিনী নেই! আর তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি প্রতিটি জিনিসের ব্যাপারে সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আকাশমন্ডলী ও যমীনের উদ্ভাবক, কীভাবে তাঁর সন্তান হতে পারে যেহেতু তাঁর কোন সঙ্গীণীই নেই, সব কিছু তো তিনিই সৃষ্টি করেছেন, আর প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে তিনি পূর্ণ জ্ঞান রাখেন।
Sahih International:
[He is] Originator of the heavens and the earth. How could He have a son when He does not have a companion and He created all things? And He is, of all things, Knowing.



ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمْ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ خَالِقُ کُلِّ شَیْءٍ فَاعْبُدُوْهُ ۚ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ وَّکِیْلٌ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকুমুল্লা-হু রাব্বুকুম লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া খা-লিকুকুল্লি শাইয়িন ফা‘বুদূ হু ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়াকীল।
আল বায়ান:
তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তিনি প্রতিটি জিনিসের স্রষ্টা। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদাত কর। আর তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর তত্ত্বাবধায়ক।
তাইসিরুল কুরআন:
এই হলেন তোমাদের প্রতিপালক, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, সব কিছুর স্রষ্টা; কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, তিনি সমস্ত বিষয়ের র্কমবিধায়ক।
Sahih International:
That is Allah, your Lord; there is no deity except Him, the Creator of all things, so worship Him. And He is Disposer of all things.



لَا تُدْرِکُهُ الْاَبْصَارُ ۫ وَ هُوَ یُدْرِکُ الْاَبْصَارَ ۚ وَ هُوَ اللَّطِیْفُ الْخَبِیْرُ ﴿۱۰۳﴾
উচ্চারণ:
লা-তুদরিকুহুল আবসা-রু ওয়া হুওয়া ইউদরিকুল আবসা-রা ওয়া হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর।
আল বায়ান:
চক্ষুসমূহ তাকে আয়ত্ব করতে পারে না। আর তিনি চক্ষুসমূহকে আয়ত্ব করেন। আর তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
দৃষ্টি তার নাগাল পায় না বরং তিনিই সকল দৃষ্টি নাগালে রাখেন, তিনি অতিশয় সূক্ষ্ণদর্শী, সব বিষয়ে ওয়াকিফহাল।
Sahih International:
Vision perceives Him not, but He perceives [all] vision; and He is the Subtle, the Acquainted.



قَدْ جَآءَکُمْ بَصَآئِرُ مِنْ رَّبِّکُمْ ۚ فَمَنْ اَبْصَرَ فَلِنَفْسِهٖ ۚ وَ مَنْ عَمِیَ فَعَلَیْهَا ؕ وَ مَاۤ اَنَا عَلَیْکُمْ بِحَفِیْظٍ ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
কাদ জাআকুম বাসাইরু মির রাব্বিকুম ফামান আবসারা ফালিনাফছিহী ওয়া মান ‘আমিয়া ফা‘আলাইহা- ওয়া মাআনা ‘আলাইকুম বিহাফীজ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমাদের কাছে চাক্ষুষ নিদর্শনাবলী এসেছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে। অতএব যে চক্ষুষ্মান হবে, তবে সে তার নিজের জন্যই হবে। আর যে অন্ধ সাজবে, তবে তা তার উপরই (বর্তাবে)। আর আমি তোমাদের উপর সংরক্ষক নই।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে (অন্তরের) আলো এসে পৌঁছেছে, যে লোক (এই আলো দিয়ে) দেখবে তাতে তার নিজেরই কল্যাণ হবে, আর যে অন্ধ থাকবে, তার অকল্যাণ তার ঘাড়েই পড়বে। (বাণী পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে) আমি তোমাদেরকে পাহারা দেয়ার জন্য দায়িত্বপাপ্ত হইনি।
Sahih International:
There has come to you enlightenment from your Lord. So whoever will see does so for [the benefit of] his soul, and whoever is blind [does harm] against it. And [say], "I am not a guardian over you."



وَ کَذٰلِکَ نُصَرِّفُ الْاٰیٰتِ وَ لِیَقُوْلُوْا دَرَسْتَ وَ لِنُبَیِّنَهٗ لِقَوْمٍ یَّعْلَمُوْنَ ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা নুসাররিফুলআ-য়া-তি ওয়ালিইয়াকূ লূ দারাছতা ওয়া লিনুবাইয়িনাহূ লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি নানাভাবে আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি এবং যাতে তারা বলে, তুমি পাঠ করেছ এবং আমি যাতে বর্ণনা করি, এ কুরআন এমন কওমের জন্য যারা জানে।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই আমি নিদর্শনগুলোকে বার বার নানাভাবে বর্ননা করি। যার ফলে তারা (অর্থাৎ অবিশ্বাসীরা) বলে, তুমি (এসব কথা অন্যের কাছ থেকে) শিখে নিয়েছ, বস্তুত আমি জ্ঞানী লোকদের জন্য তা সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করি।
Sahih International:
And thus do We diversify the verses so the disbelievers will say, "You have studied," and so We may make the Qur'an clear for a people who know.



اِتَّبِعْ مَاۤ اُوْحِیَ اِلَیْکَ مِنْ رَّبِّکَ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ وَ اَعْرِضْ عَنِ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿۱۰۶﴾
উচ্চারণ:
ইত্তাবি‘ মাঊহিয়া ইলাইকা মির রাব্বিকা লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়া আ‘রিদ ‘আনিল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
তুমি অনুসরণ কর তার, তোমার প্রতি যা ওহী প্রেরণ করা হয়েছে তোমার রবের পক্ষ থেকে। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর মুশরিকদের থেকে তুমি বিমুখ থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যে ওয়াহী পাও তার অনুসরণ কর, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তুমি মুশরিকদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।
Sahih International:
Follow, [O Muhammad], what has been revealed to you from your Lord - there is no deity except Him - and turn away from those who associate others with Allah.



وَ لَوْ شَآءَ اللّٰهُ مَاۤ اَشْرَکُوْا ؕ وَ مَا جَعَلْنٰکَ عَلَیْهِمْ حَفِیْظًا ۚ وَ مَاۤ اَنْتَ عَلَیْهِمْ بِوَکِیْلٍ ﴿۱۰۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও শাআল্লা-হু মাআশরাকূ ওয়ামা-জা‘আলনা-কা ‘আলাইহিম হাফীজাওঁ ওয়ামাআনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।
আল বায়ান:
আর যদি আল্লাহ চাইতেন, তারা শির্‌ক করত না এবং আমি তোমাকে তাদের উপর হিফাযতকারী বানাইনি। আর তুমি তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নও।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ ইচ্ছে করলে তারা আল্লাহর অংশী স্থির করত না, (আসল শিক্ষা তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এখন তারা মানুক বা না মানুক) আমি তোমাকে তাদের উপর পাহারাদার পাঠায়নি (জোর করে আল্লাহর ‘ইবাদাত করিয়ে নেয়ার জন্য), আর তুমি তাদের পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারীও নও।
Sahih International:
But if Allah had willed, they would not have associated. And We have not appointed you over them as a guardian, nor are you a manager over them.



وَ لَا تَسُبُّوا الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَیَسُبُّوا اللّٰهَ عَدْوًۢا بِغَیْرِ عِلْمٍ ؕ کَذٰلِکَ زَیَّنَّا لِکُلِّ اُمَّۃٍ عَمَلَهُمْ ۪ ثُمَّ اِلٰی رَبِّهِمْ مَّرْجِعُهُمْ فَیُنَبِّئُهُمْ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাছুব্বুল্লাযিনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি ফাইয়াছুব্বুল্লা-হা ‘আদওয়াম বিগাইরি ‘ইলমিন কাযা-লিকা যাইইয়ান্না-লিকুল্লি উম্মাতিন ‘আমালাহুম ছু ম্মা ইলারাব্বিহিম মারজি‘উহুম ফাইউনাব্বিউহুম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা তাদেরকে গালমন্দ করো না, আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তারা ডাকে, ফলে তারা গালমন্দ করবে আল্লাহকে, শত্রুতা পোষণ করে অজ্ঞতাবশত। এভাবেই আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য তাদের কর্ম শোভিত করে দিয়েছি। তারপর তাদের রবের কাছে তাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তিনি জানিয়ে দেবেন তাদেরকে, যা তারা করত।
তাইসিরুল কুরআন:
(ওহে মুমিনগণ!) আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তারা ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিও না, কেননা তারা তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আল্লাহকে গালি দেবে। আর এভাবেই আমি প্রত্যেক জাতির জন্য তাদের কার্যকলাপকে তাদের দৃষ্টিতে চাকচিক্যময় করে দিয়েছি, অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন (ঘটবে) তাদের প্রতিপালকের নিকট, তখন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যা কিছু তারা করতো।
Sahih International:
And do not insult those they invoke other than Allah, lest they insult Allah in enmity without knowledge. Thus We have made pleasing to every community their deeds. Then to their Lord is their return, and He will inform them about what they used to do.



وَ اَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَیْمَانِهِمْ لَئِنْ جَآءَتْهُمْ اٰیَۃٌ لَّیُؤْمِنُنَّ بِهَا ؕ قُلْ اِنَّمَا الْاٰیٰتُ عِنْدَ اللّٰهِ وَ مَا یُشْعِرُکُمْ ۙ اَنَّهَاۤ اِذَا جَآءَتْ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আকছামূবিল্লা-হি জাহদা আইমা-নিহিম লাইন জাআতহুম আ-য়াতুল লাইউ’মিনুন্না বিহা- কুল ইন্নামাল আ-য়া-তু‘ইনদাল্লা-হি ওয়া মা-ইউশ‘ইরুকুম আন্নাহাইযাজাআত লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহর নামে কঠিন কসম করেছে, যদি তাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে, তবে তারা অবশ্যই তার প্রতি ঈমান আনবে। বল, ‘সমস্ত নিদর্শন তো কেবল আল্লাহর কাছে। আর কিসে তোমাদের উপলব্ধি ঘটাবে যে, যখন তা এসে যাবে, তারা ঈমান আনবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করে বলে- তাদের নিকট যদি কোন নিদর্শন আসত তবে তারা অবশ্যই তাঁর প্রতি ঈমান আনত। বল, নিদর্শন (আনার ব্যাপারটি) হল আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। নিদর্শন আসলেও তারা যে ঈমান আনবে না, এ কথা কীভাবে তোমাদেরকে বুঝানো যাবে?
Sahih International:
And they swear by Allah their strongest oaths that if a sign came to them, they would surely believe in it. Say, "The signs are only with Allah." And what will make you perceive that even if a sign came, they would not believe.



وَ نُقَلِّبُ اَفْـِٕدَتَهُمْ وَ اَبْصَارَهُمْ کَمَا لَمْ یُؤْمِنُوْا بِهٖۤ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّ نَذَرُهُمْ فِیْ طُغْیَانِهِمْ یَعْمَهُوْنَ ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নুকালিলবুআফইদাতাহুম ওয়া আবসা-রাহুম কামা-লাম ইউ’মিনূবিহী আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া নাযারুহুম ফী তুগইয়া-নিহিম ইয়া‘মাহূন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ পালটে দেব যেমন তারা কুরআনের প্রতি প্রথমবার ঈমান আনেনি এবং আমি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় ঘুরপাক খাওয়া অবস্থায় ছেড়ে দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমিও এদের অন্তর ও দৃষ্টিসমূহকে (অন্য দিকে) ফিরিয়ে দেব, আর তাদেরকে তাদের অবাধ্যতার ঘূর্ণিপাকে অন্ধের মত ঘুরে মরার সুযোগ দেব।
Sahih International:
And We will turn away their hearts and their eyes just as they refused to believe in it the first time. And We will leave them in their transgression, wandering blindly.



وَ لَوْ اَنَّنَا نَزَّلْنَاۤ اِلَیْهِمُ الْمَلٰٓئِکَۃَ وَ کَلَّمَهُمُ الْمَوْتٰی وَ حَشَرْنَا عَلَیْهِمْ کُلَّ شَیْءٍ قُبُلًا مَّا کَانُوْا لِیُؤْمِنُوْۤا اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ اللّٰهُ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَهُمْ یَجْهَلُوْنَ ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও আন্নানা-নাযযালনা-ইলাইহিমুল মালাইকাতা ওয়া কাল্লামাহুমুলমাওতা- ওয়া হাশারনা- ‘আলাইহিম কুল্লা শাইয়িন কুবুলাম মা-কা-নূ লিইউ’মিনূ ইল্লা আইঁ ইয়াশাআল্লা-হু ওয়া লা-কিন্না আকছারাহুম ইয়াজহালূন।
আল বায়ান:
আর যদি আমি তাদের নিকট ফেরেশতা নাযিল করতাম এবং মৃতরা তাদের সাথে কথা বলত। আর সবকিছু সরাসরি তাদের সামনে সমবেত করতাম, তাহলেও তারা ঈমান আনত না, যদি না আল্লাহ চাইতেন; কিন্তু তাদের অধিকাংশই মূর্খ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যদি তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ করতাম আর মৃতরা তাদের সাথে কথা বলত আর আমি তাদের সামনে যাবতীয় বস্তু হাজির করে দিতাম তবুও আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতীত তারা ঈমান আনত না, মূলতঃ তাদের অধিকাংশই অজ্ঞতাপূর্ণ কাজ করে।
Sahih International:
And even if We had sent down to them the angels [with the message] and the dead spoke to them [of it] and We gathered together every [created] thing in front of them, they would not believe unless Allah should will. But most of them, [of that], are ignorant.



وَ کَذٰلِکَ جَعَلْنَا لِکُلِّ نَبِیٍّ عَدُوًّا شَیٰطِیْنَ الْاِنْسِ وَ الْجِنِّ یُوْحِیْ بَعْضُهُمْ اِلٰی بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُوْرًا ؕ وَ لَوْ شَآءَ رَبُّکَ مَا فَعَلُوْهُ فَذَرْهُمْ وَ مَا یَفْتَرُوْنَ ﴿۱۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা জা‘আলনা-লিকুল্লি নাবিইয়িন ‘আদুওওয়ান শাইয়া-তীনাল ইনছি ওয়াল জিন্নি ইঊহী বা‘দুহুম ইলা-বা‘দিন যুখরুফাল কাওলি গুরূরাওঁ ওয়ালাওশাআ রাব্বুকা মা-ফা‘আলূহু ফাযারহুম ওয়া মা-ইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি মানুষ ও জিনের মধ্য থেকে শয়তানদেরকে, তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে একে অপরকে চাকচিক্যপূর্ণ কথার কুমন্ত্রণা দেয় এবং তোমার রব যদি চাইতেন, তবে তারা তা করত না। সুতরাং তুমি তাদেরকে ও তারা যে মিথ্যা রটায়, তা ত্যাগ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি প্রত্যেক নাবীর জন্য মানুষ আর জ্বীন শয়তানদের মধ্য হতে শত্রু বানিয়ে দিয়েছি, প্রতারণা করার উদ্দেশে তারা একে অপরের কাছে চিত্তাকর্ষক কথাবার্তা বলে। তোমার প্রতিপালক ইচ্ছে করলে তারা তা করত না, কাজেই তাদেরকে আর তাদের মিথ্যে চর্চাকে উপেক্ষা করে চল।
Sahih International:
And thus We have made for every prophet an enemy - devils from mankind and jinn, inspiring to one another decorative speech in delusion. But if your Lord had willed, they would not have done it, so leave them and that which they invent.



وَ لِتَصْغٰۤی اِلَیْهِ اَفْـِٕدَۃُ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ وَ لِیَرْضَوْهُ وَ لِیَقْتَرِفُوْا مَا هُمْ مُّقْتَرِفُوْنَ ﴿۱۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিতাসগাইলাইহি আফইদাতুল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি ওয়ালিইয়ারদাওহু ওয়ালিইয়াকতারিফূমা-হুম মুকতারিফূন।
আল বায়ান:
আর কুমন্ত্রণা এ কারণে যে, যারা আখিরাতের উপর ঈমান রাখে না তাদের অন্তর যেন এর (চাকচিক্যপূর্ণ কথার) প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং যাতে তারা তা পছন্দ করে, আর তারা যা (যে পাপ) অর্জন করছে, তা যেন অর্জন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তার দিকে (অর্থাৎ চিত্তাকর্ষক প্রতারণার দিকে) সে সব লোকের অন্তর আকৃষ্ট হতে দাও যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না, আর তাতেই তাদেরকে সন্তুষ্ট থাকতে দাও আর যে পাপকাজ তারা করতে চায় তা তাদেরকে করতে দাও।
Sahih International:
And [it is] so the hearts of those who disbelieve in the Hereafter will incline toward it and that they will be satisfied with it and that they will commit that which they are committing.



اَفَغَیْرَ اللّٰهِ اَبْتَغِیْ حَکَمًا وَّ هُوَ الَّذِیْۤ اَنْزَلَ اِلَیْکُمُ الْکِتٰبَ مُفَصَّلًا ؕ وَ الَّذِیْنَ اٰتَیْنٰهُمُ الْکِتٰبَ یَعْلَمُوْنَ اَنَّهٗ مُنَزَّلٌ مِّنْ رَّبِّکَ بِالْحَقِّ فَلَا تَکُوْنَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِیْنَ ﴿۱۱۴﴾
উচ্চারণ:
আফাগাইরাল্লা-হি আবতাগী হাকামাওঁ ওয়া হুওয়াল্লাযী-আনযালা ইলাইকুমুল কিতা-বা মুফাসসালাওঁ ওয়াল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল কিতা-বা ইয়া‘লামূনা আন্নাহু মুনাযযালুম মির রাব্বিকা বিলহাক্কিফালা-তাকূনান্না মিনাল মুমতারীন ।
আল বায়ান:
আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিচারক হিসেবে তালাশ করব? অথচ তিনিই তোমাদের নিকট বিস্তারিত কিতাব নাযিল করেছেন। আর যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম তারা জানত যে, তা তোমার রবের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে নাযিলকৃত। সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে বিচারক মানব, যখন তিনি সেই (সত্তা) যিনি তোমাদের নিকট কিতাব নাযিল করেছেন, যা বিশদভাবে বিবৃত। আমি যাদেরকে (পূর্বে) কিতাব দিয়েছিলাম তারা জানে যে, তা সত্যতা সহকারে তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ হয়েছে। কাজেই কিছুতেই তুমি সন্দেহ পোষণকারীদের মধ্যে শামিল হয়ো না।
Sahih International:
[Say], "Then is it other than Allah I should seek as judge while it is He who has revealed to you the Book explained in detail?" And those to whom We [previously] gave the Scripture know that it is sent down from your Lord in truth, so never be among the doubters.



وَ تَمَّتْ کَلِمَتُ رَبِّکَ صِدْقًا وَّ عَدْلًا ؕ لَا مُبَدِّلَ لِکَلِمٰتِهٖ ۚ وَ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۱۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাম্মাত কালিমাতুরাব্বিকা সিদকাওঁ ওয়া ‘আদলাল লা-মুবাদ্দিলা লিকালিমা-তিহী ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর তোমার রবের বাণী সত্য ও ন্যায়পরায়ণতার দিক থেকে পরিপূর্ণ হয়েছে। তাঁর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই। আর তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
সত্যতা ও ইনসাফের দিক দিয়ে তোমার প্রতিপালকের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁর বাণী পরিবর্তন করার কেউ নেই। আর তিনি হলেন সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And the word of your Lord has been fulfilled in truth and in justice. None can alter His words, and He is the Hearing, the Knowing.



وَ اِنْ تُطِعْ اَکْثَرَ مَنْ فِی الْاَرْضِ یُضِلُّوْکَ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ؕ اِنْ یَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ وَ اِنْ هُمْ اِلَّا یَخْرُصُوْنَ ﴿۱۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন তুতি‘ আকছারা মান ফিল আরদিইউদিললূকা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ইয়ঁ ইয়াত্তাবি‘ঊনা ইল্লাজ্জান্না ওয়া ইনহুম ইল্লা-ইয়াখরুসূন।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি যারা যমীনে আছে তাদের অধিকাংশের আনুগত্য কর, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। তারা শুধু ধারণারই অনুসরণ করে এবং তারা শুধু অনুমানই করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের অনুসরণ কর তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে, তারা তো কেবল আন্দাজ-অনুমানের অনুসরণ করে চলে, তারা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু করে না।
Sahih International:
And if you obey most of those upon the earth, they will mislead you from the way of Allah. They follow not except assumption, and they are not but falsifying.



اِنَّ رَبَّکَ هُوَ اَعْلَمُ مَنْ یَّضِلُّ عَنْ سَبِیْلِهٖ ۚ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِیْنَ ﴿۱۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না রাব্বাকা হুওয়া আ‘লামুমাইঁ ইয়াদিল্লু‘আন ছাবীলিহী ওয়া হুওয়া আ‘লামু বিলমুহতাদীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার রব অধিক অবগত তার সম্পর্কে, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয় এবং তিনি অধিক অবগত হিদায়াতপ্রাপ্তদের সম্পর্কে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার রব্ব খুব ভাল করেই জানেন কে তাঁর পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়ে গেছে আর তিনি হিদায়াতপ্রাপ্তদের সম্পর্কেও সর্বাধিক অবহিত।
Sahih International:
Indeed, your Lord is most knowing of who strays from His way, and He is most knowing of the [rightly] guided.



فَکُلُوْا مِمَّا ذُکِرَ اسْمُ اللّٰهِ عَلَیْهِ اِنْ کُنْتُمْ بِاٰیٰتِهٖ مُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۱۸﴾
উচ্চারণ:
ফাকুলূমিম্মা-যুকিরাছমুল্লা-হি ‘আলাইহি ইন কুনতুম বিআ-য়া-তিহী মু’মিনীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তোমরা আহার কর তা থেকে, যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে, যদি তোমরা তাঁর আয়াতসমূহের ব্যাপারে বিশ্বাসী হও।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই যে পশু যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে তা তোমরা খাও যদি তাঁর নিদর্শনাবলীতে তোমরা বিশ্বাসী হয়ে থাক।
Sahih International:
So eat of that [meat] upon which the name of Allah has been mentioned, if you are believers in His verses.



وَ مَا لَکُمْ اَلَّا تَاْکُلُوْا مِمَّا ذُکِرَ اسْمُ اللّٰهِ عَلَیْهِ وَ قَدْ فَصَّلَ لَکُمْ مَّا حَرَّمَ عَلَیْکُمْ اِلَّا مَا اضْطُرِرْتُمْ اِلَیْهِ ؕ وَ اِنَّ کَثِیْرًا لَّیُضِلُّوْنَ بِاَهْوَآئِهِمْ بِغَیْرِ عِلْمٍ ؕ اِنَّ رَبَّکَ هُوَ اَعْلَمُ بِالْمُعْتَدِیْنَ ﴿۱۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-লাকুম আল্লা-তা’কুলূমিম্মা-যুকিরাছমুল্লা-হি ‘আলাইহি ওয়া কাদ ফাসসালা লাকুম মাহাররামা ‘আলাকুম ইল্লা-মাদতুরিরতুম ইলাইহি ওয়া ইন্না কাছীরাল লাইউদিললূনা বিআহওয়াইহিম বিগাইরি ‘ইলমিন ইন্না রাব্বাকা হুওয়া আ‘লামুবিলমু‘তাদীন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের কী হল যে তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়েছে! অথচ তিনি তোমাদের জন্য বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন, যা তোমাদের উপর হারাম করেছেন। তবে যার প্রতি তোমরা বাধ্য হয়েছ এবং নিশ্চয় অনেকে না জেনে তাদের খেয়াল-খুশি দ্বারা পথভ্রষ্ট করে। নিশ্চয় তোমার রব সীমালঙ্ঘনকারীদের সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের কী হয়েছে যে, যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে তা তোমরা খাবে না? তোমাদের জন্য যা হারাম করা হয়েছে তা তোমাদের জন্য বিশদভাবে বাতলে দেয়া হয়েছে, তবে যদি তোমরা নিরুপায় হও (তবে ততটুকু নিষিদ্ধ বস্তু খেতে পার যাতে প্রাণে বাঁচতে পার), কিন্তু অনেক লোকই অজ্ঞানতাবশতঃ তাদের খেয়াল খুশী দ্বারা অবশ্যই (অন্যদেরকে) পথভ্রষ্ট করে, তোমার প্রতিপালক সীমালঙ্ঘনকারীদের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত।
Sahih International:
And why should you not eat of that upon which the name of Allah has been mentioned while He has explained in detail to you what He has forbidden you, excepting that to which you are compelled. And indeed do many lead [others] astray through their [own] inclinations without knowledge. Indeed, your Lord - He is most knowing of the transgressors.



وَ ذَرُوْا ظَاهِرَ الْاِثْمِ وَ بَاطِنَهٗ ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ یَکْسِبُوْنَ الْاِثْمَ سَیُجْزَوْنَ بِمَا کَانُوْا یَقْتَرِفُوْنَ ﴿۱۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যারূ জা-হিরাল ইছমি ওয়া বা-তিনাহূ ইন্নাল্লাযীনা ইয়াকছিবূনাল ইছমা ছাইউজযাওনা বিমা-কা-নূইয়াকতারিফূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন পাপ ত্যাগ কর। নিশ্চয় যারা পাপ অর্জন করে, তাদেরকে অচিরেই প্রতিদান দেয়া হবে, তারা যা অর্জন করে তার বিনিময়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন পাপ বর্জন কর, যারা পাপ অর্জন করে তারা তাদের অর্জনের যথোচিত প্রতিফল পাবে।
Sahih International:
And leave what is apparent of sin and what is concealed thereof. Indeed, those who earn [blame for] sin will be recompensed for that which they used to commit.



وَ لَا تَاْکُلُوْا مِمَّا لَمْ یُذْکَرِ اسْمُ اللّٰهِ عَلَیْهِ وَ اِنَّهٗ لَفِسْقٌ ؕ وَ اِنَّ الشَّیٰطِیْنَ لَیُوْحُوْنَ اِلٰۤی اَوْلِیٰٓئِهِمْ لِیُجَادِلُوْکُمْ ۚ وَ اِنْ اَطَعْتُمُوْهُمْ اِنَّکُمْ لَمُشْرِکُوْنَ ﴿۱۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তা’কুলূমিম্মা-লাম ইউযকারিছমুল্লা-হি ‘আলাইহি ওয়া ইন্নাহূলাফিছকুওঁ ওয়া ইন্নাশশায়া-তীনা লাইঊহূনা ইলাআওলিয়াইহিম লিইউজা-দিলূকুম ওয়া ইন আতা‘তুমূহুম ইন্নাকুম লামুশরিকূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা সীমালঙ্ঘন এবং শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্ররোচনা দেয়, যাতে তারা তোমাদের সাথে বিবাদ করে। আর যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তবে নিশ্চয় তোমরা মুশরিক।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে (যবহ করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তা তোমরা মোটেই খাবে না, তা হচ্ছে পাপাচার, শায়ত্বনেরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সঙ্গে তর্ক-ঝগড়া করার জন্য প্ররোচিত করে; যদি তোমরা তাদের কথা মান্য করে চল তাহলে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হয়ে যাবে।
Sahih International:
And do not eat of that upon which the name of Allah has not been mentioned, for indeed, it is grave disobedience. And indeed do the devils inspire their allies [among men] to dispute with you. And if you were to obey them, indeed, you would be associators [of others with Him].



اَوَ مَنْ کَانَ مَیْتًا فَاَحْیَیْنٰهُ وَ جَعَلْنَا لَهٗ نُوْرًا یَّمْشِیْ بِهٖ فِی النَّاسِ کَمَنْ مَّثَلُهٗ فِی الظُّلُمٰتِ لَیْسَ بِخَارِجٍ مِّنْهَا ؕ کَذٰلِکَ زُیِّنَ لِلْکٰفِرِیْنَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۲۲﴾
উচ্চারণ:
আওয়া মান কা-না মাইতান ফাআহইয়াইনা-হু ওয়া জা‘আলনা-লাহূনূরাইঁ ইয়ামশী বিহী ফিন্না-ছি কামাম মাছালুহূফিজজু লুমা-তি লাইছা বিখা-রিজিম মিনহা- কাযা-লিকা যুইয়িনা লিলকা-ফিরীনা মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
যে ছিল মৃত, অতঃপর আমি তাকে জীবন দিয়েছি এবং তার জন্য নির্ধারণ করেছি আলো, যার মাধ্যমে সে মানুষের মধ্যে চলে, সে কি তার মত যে ঘোর অন্ধকারে রয়েছে, যেখান থেকে সে বের হতে পারে না? এভাবেই কাফিরদের জন্য তাদের কৃতকর্ম সুশোভিত করা হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
যে ব্যক্তি মৃত ছিল, তাকে আমি জীবিত করলাম, তার জন্য আলোর ব্যবস্থা করলাম যার সাহায্যে সে মানুষের মাঝে চলাফেরা করে, সে কি তার মত যে অন্ধকারে নিমজ্জিত, যাত্থেকে সে কক্ষনো বেরিয়ে আসতে পারবে না। এটা এজন্য যে, কাফিররা যা করছে তা তাদের জন্য চাকচিক্যময় করে দেয়া হয়েছে।
Sahih International:
And is one who was dead and We gave him life and made for him light by which to walk among the people like one who is in darkness, never to emerge therefrom? Thus it has been made pleasing to the disbelievers that which they were doing.



وَ کَذٰلِکَ جَعَلْنَا فِیْ کُلِّ قَرْیَۃٍ اَکٰبِرَ مُجْرِمِیْهَا لِیَمْکُرُوْا فِیْهَا ؕ وَ مَا یَمْکُرُوْنَ اِلَّا بِاَنْفُسِهِمْ وَ مَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۱۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা জা‘আলনা-ফী কুল্লি কারইয়াতিন আকা-বিরা মুজরিমীহা-লিয়ামকুরূফীহা- ওয়া মা-ইয়ামকুরূনা ইল্লা-বিআনফুছিহিম ওয়া মা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
আর এভাবে আমি প্রতিটি জনপদে তার অপরাধীদের সর্দারদেরকে ছেড়ে দিয়েছি, যাতে তারা সেখানে চক্রান্ত করে। আর তারা শুধু নিজেদের সাথেই চক্রান্ত করে অথচ তারা উপলব্ধি করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি প্রত্যেক জনপদে সেখানকার অপরাধী প্রধানদেরকে চক্রান্তজাল বিস্তার করার সুযোগ দিয়েছি, কিন্তু এ চক্রান্তের ফাঁদে তারা নিজেরাই পতিত হয়, কিন্তু সেটা তারা উপলব্ধিই করতে পারে না।
Sahih International:
And thus We have placed within every city the greatest of its criminals to conspire therein. But they conspire not except against themselves, and they perceive [it] not.



وَ اِذَا جَآءَتْهُمْ اٰیَۃٌ قَالُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ حَتّٰی نُؤْتٰی مِثْلَ مَاۤ اُوْتِیَ رُسُلُ اللّٰهِ ؕۘؔ اَللّٰهُ اَعْلَمُ حَیْثُ یَجْعَلُ رِسَالَتَهٗ ؕ سَیُصِیْبُ الَّذِیْنَ اَجْرَمُوْا صَغَارٌ عِنْدَ اللّٰهِ وَ عَذَابٌ شَدِیْدٌۢ بِمَا کَانُوْا یَمْکُرُوْنَ ﴿۱۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-জাআতহুম আ-য়াতুন কা-লূলান নু’মিনা হাত্তা-নু’তা-মিছলা মা-ঊতিয়া রুছুলুল্লা-হ । আল্লা-হু আ‘লামুহাইছুইয়াজ‘আলুরিছা-লাতাহূ ছাইউসীবুল্লাযীনা আজরামূসাগা-রুন ‘ইনদাল্লা-হি ওয়া ‘আযা-বুন শাদীদুম বিমা-কা-নূইয়ামকুরূন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের নিকট কোন নিদর্শন আসে, তারা বলে, আমরা কখনই ঈমান আনব না, যতক্ষণ না আল্লাহর রাসূলদেরকে যা দেয়া হয়েছে আমাদেরকে তার অনুরূপ দেয়া হয়। আল্লাহ ভালো জানেন, তিনি কোথায় তাঁর রিসালাত অর্পণ করবেন। যারা অপরাধ করেছে, অচিরেই তাদেরকে আক্রান্ত করবে আল্লাহর নিকট লাঞ্ছনা ও কঠোর আযাব, কারণ তারা চক্রান্ত করত।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে তখন তারা বলে, ‘আমরা কক্ষনো বিশ্বাস করব না যতক্ষণ না আমাদেরকে তা দেয়া হয় যা আল্লাহর রসূলগণকে দেয়া হয়েছিল। (নির্বোধেরা এ আবদার করলেও) আল্লাহ খুব ভালভাবেই জানেন তাঁর রিসালাতের দায়িত্ব কোথায় দিতে হবে, অপরাধীরা শীঘ্রই তাদের চক্রান্তের প্রতিফল হিসেবে আল্লাহর পক্ষ হতে লাঞ্ছনা ও কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।
Sahih International:
And when a sign comes to them, they say, "Never will we believe until we are given like that which was given to the messengers of Allah." Allah is most knowing of where He places His message. There will afflict those who committed crimes debasement before Allah and severe punishment for what they used to conspire.



فَمَنْ یُّرِدِ اللّٰهُ اَنْ یَّهْدِیَهٗ یَشْرَحْ صَدْرَهٗ لِلْاِسْلَامِ ۚ وَ مَنْ یُّرِدْ اَنْ یُّضِلَّهٗ یَجْعَلْ صَدْرَهٗ ضَیِّقًا حَرَجًا کَاَنَّمَا یَصَّعَّدُ فِی السَّمَآءِ ؕ کَذٰلِکَ یَجْعَلُ اللّٰهُ الرِّجْسَ عَلَی الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۲۵﴾
উচ্চারণ:
ফামাইঁ ইউরিদিল্লা-হু আইঁ ইয়াহদিয়াহূইয়াশরাহ সাদরাহূলিলইছলা-মি ওয়া মাইঁ ইউরিদ আইঁ ইউদিল্লাহূইয়াজ‘আল সাদরাহূদাইয়িকান হারাজান কাআন্নামা-ইয়াসসা‘‘আদু ফিছছামাই কাযা-লিকা ইয়াজ‘আলুল্লা-হুর রিজছা ‘আলাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
সুতরাং যাকে আল্লাহ হিদায়াত করতে চান, ইসলামের জন্য তার বুক উন্মুক্ত করে দেন। আর যাকে ভ্রষ্ট করতে চান, তার বুক সঙ্কীর্ণ-সঙ্কুচিত করে দেন, যেন সে আসমানে আরোহণ করছে। এমনিভাবে আল্লাহ অকল্যাণ দেন তাদের উপর, যারা ঈমান আনে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যাকে সৎপথ দেখাতে চান, তার অন্তরকে ইসলামের জন্য খুলে দেন, আর যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান তার অন্তরকে সংকীর্ণ সংকুচিত করে দেন, (তার জন্য ইসলাম মান্য করা এমনি কঠিন) যেন সে আকাশে আরোহণ করছে। যারা ঈমান আনে না তাদের উপর আল্লাহ এভাবে লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেন।
Sahih International:
So whoever Allah wants to guide - He expands his breast to [contain] Islam; and whoever He wants to misguide - He makes his breast tight and constricted as though he were climbing into the sky. Thus does Allah place defilement upon those who do not believe.



وَ هٰذَا صِرَاطُ رَبِّکَ مُسْتَقِیْمًا ؕ قَدْ فَصَّلْنَا الْاٰیٰتِ لِقَوْمٍ یَّذَّکَّرُوْنَ ﴿۱۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হা-যা-সিরা-তুরাব্বিকা মুছতাকীমান কাদ ফাসসালনাল আ-য়া-তি লিকাওমিইঁ ইয়াযযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর এ হচ্ছে তোমার রবের সরল পথ। আমি তো বিস্তারিতভাবে আয়াতসমূহ বর্ণনা করেছি এমন কওমের জন্য, যারা উপদেশ গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
অথচ (ইসলামের) এ পথই তোমার প্রতিপালকের সরল-সঠিক পথ, যারা নাসীহাত গ্রহণ করে আমি তাদের জন্য নিদর্শনাবলী বিশদভাবে বিবৃত করে দিয়েছি।
Sahih International:
And this is the path of your Lord, [leading] straight. We have detailed the verses for a people who remember.



لَهُمْ دَارُ السَّلٰمِ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَ هُوَ وَلِیُّهُمْ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۲۷﴾
উচ্চারণ:
লাহুম দা-রুছছালা-মি ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়া হুওয়া ওয়ালিইয়ুহুম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
তাদের জন্য তাদের রবের নিকট রয়েছে শান্তির আবাস এবং তারা যে আমল করত, তার কারণে তিনি তাদের অভিভাবক।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে শান্তিধাম, তিনিই তাদের পৃষ্ঠপোষক এজন্য যে তারা (সঠিক) ‘আমাল করেছিল।
Sahih International:
For them will be the Home of Peace with their Lord. And He will be their protecting friend because of what they used to do.



وَ یَوْمَ یَحْشُرُهُمْ جَمِیْعًا ۚ یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَکْثَرْتُمْ مِّنَ الْاِنْسِ ۚ وَ قَالَ اَوْلِیٰٓؤُهُمْ مِّنَ الْاِنْسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَّ بَلَغْنَاۤ اَجَلَنَا الَّذِیْۤ اَجَّلْتَ لَنَا ؕ قَالَ النَّارُ مَثْوٰىکُمْ خٰلِدِیْنَ فِیْهَاۤ اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰهُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ حَکِیْمٌ عَلِیْمٌ ﴿۱۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইয়াহশুরুহুম জামী‘আন- ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি কাদিছতাকছারতুম মিনাল ইনছি ওয়া কা-লা আওলিয়াউহুম মিনাল ইনছি রাব্বানাছ তামতা‘আ বা‘দুনাব্বিা‘দিওঁ ওয়া বালাগনাআজালানাল্লাযীআজ্জালতা লানা- কা-লান না-রু মাছওয়াকুম খা-লিদীনা ফীহা-ইল্লা-মা-শাআল্লা-হু ইন্না রাব্বাকা হাকীমুন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর যেদিন আল্লাহ তাদের সবাইকে সমবেত করবেন। সেদিন বলবেন, ‘হে জিনের দল, মানুষের অনেককে তোমরা বিভ্রান্ত করেছিলে’ এবং মানুষদের মধ্য থেকে তাদের অভিভাবকরা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমরা একে অপরের দ্বারা লাভবান হয়েছি এবং আমরা সে সময়ে উপনীত হয়েছি, যা আপনি আমাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন’। তিনি বলবেন, ‘আগুন তোমাদের ঠিকানা, তোমরা সেখানে স্থায়ী হবে। তবে আল্লাহ যা চান (তা ভিন্ন)’। নিশ্চয় তোমার রব প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তাদের সবাইকে একত্রিত করা হবে, (সেদিন আল্লাহ বলবেন) হে জ্বিন সমাজ! তোমরা মানব সমাজের উপর খুব বাড়াবাড়ি করেছ। মানব সমাজের মধ্য থেকে তাদের বন্ধুরা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা পরস্পরে পরস্পরের নিকট হতে লাভবান হয়েছি আর আমরা আমাদের নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে গেছি যা তুমি আমাদের জন্য নির্ধারিত করেছিলে। আল্লাহ বলবেন, জাহান্নামই হল তোমাদের বাসস্থান, তার মধ্যেই হবে তোমাদের চিরবাস, তবে আল্লাহ যদি অন্যরূপ ইচ্ছে করেন (তবে তাই হবে)। তোমার প্রতিপালক কুশলী এবং সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], the Day when He will gather them together [and say], "O company of jinn, you have [misled] many of mankind." And their allies among mankind will say, "Our Lord, some of us made use of others, and we have [now] reached our term, which you appointed for us." He will say, "The Fire is your residence, wherein you will abide eternally, except for what Allah wills. Indeed, your Lord is Wise and Knowing."



وَ کَذٰلِکَ نُوَلِّیْ بَعْضَ الظّٰلِمِیْنَ بَعْضًۢا بِمَا کَانُوْا یَکْسِبُوْنَ ﴿۱۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা নুওয়াললী বা‘দাজ্জা-লিমীনা বা‘দাম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি যালিমদের কতককে কতকের বন্ধু বানিয়ে দেই, তারা যা অর্জন করত সে কারণে।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই আমি (পরকালে) যালিমদেরকে পরস্পরের সঙ্গী বানিয়ে দেব সেই উপার্জনের বিনিময়ে যা তারা (দুনিয়াতে পরস্পরে এক সঙ্গে মিলে) করছিল।
Sahih International:
And thus will We make some of the wrongdoers allies of others for what they used to earn.



یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ اَلَمْ یَاْتِکُمْ رُسُلٌ مِّنْکُمْ یَقُصُّوْنَ عَلَیْکُمْ اٰیٰتِیْ وَ یُنْذِرُوْنَکُمْ لِقَآءَ یَوْمِکُمْ هٰذَا ؕ قَالُوْا شَهِدْنَا عَلٰۤی اَنْفُسِنَا وَ غَرَّتْهُمُ الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَا وَ شَهِدُوْا عَلٰۤی اَنْفُسِهِمْ اَنَّهُمْ کَانُوْا کٰفِرِیْنَ ﴿۱۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি আলামইয়া’তিকুমরুছুলুম মিনকুম ইয়াকু সসূনা ‘আলাইকুম আ-য়া-তী ওয়া ইউনযিরূনাকুম লিকাআ ইয়াওমিকুম হা-যা- কা-লূশাহিদনা‘আলাআনফুছিনা-ওয়া গার রাতহুমুল হায়া-তুদ দুনইয়া-ওয়া শাহিদূ‘আলাআনফুছিহিম আন্নাহুম কা-নুকা-ফিরীন।
আল বায়ান:
‘হে জিন ও মানুষের দল, তোমাদের মধ্য থেকে কি তোমাদের নিকট রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ বর্ণনা করত এবং তোমাদের এই দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে তোমাদেরকে সতর্ক করত?’ তারা বলবে, ‘আমরা আমাদের নিজদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলাম।’ আর দুনিয়ার জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে এবং তারা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে, তারা ছিল কাফির।
তাইসিরুল কুরআন:
(আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন) হে জ্বিন ও মানব সমাজ! তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য হতে কি রসূলগণ আসেননি যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াত বর্ণনা করত আর এ দিনের সাথে যে সাক্ষাৎ ঘটবে সে ব্যাপারে তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করত? তারা বলবে, আমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছি; মূলতঃ এ দুনিয়ার জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে, তারা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে তারা কাফির ছিল।
Sahih International:
"O company of jinn and mankind, did there not come to you messengers from among you, relating to you My verses and warning you of the meeting of this Day of yours?" They will say, "We bear witness against ourselves"; and the worldly life had deluded them, and they will bear witness against themselves that they were disbelievers.



ذٰلِکَ اَنْ لَّمْ یَکُنْ رَّبُّکَ مُهْلِکَ الْقُرٰی بِظُلْمٍ وَّ اَهْلُهَا غٰفِلُوْنَ ﴿۱۳۱﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা আল লাম ইয়াকুররাব্বুকা মুহলিকাল কুরা-বিজু লমিওঁ ওয়া আহ লুহা-গা-ফিলূন।
আল বায়ান:
তা এই কারণে যে, তোমার রব যুলমের কারণে জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না তার অধিবাসীরা গাফিল থাকা অবস্থায় ।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা এজন্য যে আল্লাহ কোন জনপদকে ধ্বংস করেন না অন্যায়ভাবে এবং (সত্যপথ কোনটি আর ভুলপথ কোনটি সে সম্পর্কে) যখন তারা থাকে অনবহিত।
Sahih International:
That is because your Lord would not destroy the cities for wrongdoing while their people were unaware.



وَ لِکُلٍّ دَرَجٰتٌ مِّمَّا عَمِلُوْا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِغَافِلٍ عَمَّا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিকুল্লিন দারাজা-তুম মিম্মা-‘আমিলূ ওয়ামা-রাব্বুকা বিগা-ফিলিন ‘আম্মা ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর তারা যা করে, সে অনুসারে প্রত্যেকের মর্যাদা রয়েছে এবং তোমার রব তারা যা করে সে সম্পর্কে গাফিল নন।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেককে তার ‘আমাল অনুযায়ী মর্যাদা দেয়া হবে আর তারা যা করে সে ব্যাপারে তোমার প্রতিপালক বে-খবর নন।
Sahih International:
And for all are degrees from what they have done. And your Lord is not unaware of what they do.



وَ رَبُّکَ الْغَنِیُّ ذُو الرَّحْمَۃِ ؕ اِنْ یَّشَاْ یُذْهِبْکُمْ وَ یَسْتَخْلِفْ مِنْۢ بَعْدِکُمْ مَّا یَشَآءُ کَمَاۤ اَنْشَاَکُمْ مِّنْ ذُرِّیَّۃِ قَوْمٍ اٰخَرِیْنَ ﴿۱۳۳﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়া রাব্বুকাল গানিইয়ুযুররাহমাতি ইয়ঁইয়াশা’ ইউযহিবকুম ওয়া ইয়াছতাখলিফ মিম বা‘দিকুম মা-ইয়াশাউ কামাআনশাআকুম মিন যুররিইইয়াতি কাওমিন আ-খারীন।
আল বায়ান:
আর তোমার রব অমুখাপেক্ষী, দয়ালু। যদি তিনি চান, তোমাদেরকে সরিয়ে নেবেন এবং তোমাদের পরে যা ইচ্ছে স্থলাভিষিক্ত করবেন, যেমন তিনি তোমাদেরকে অন্য কওমের বংশ থেকে সৃষ্টি করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক অমুখাপেক্ষী, অত্যন্ত দয়াশীল। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে অপসারিত করবেন এবং যাকে ইচ্ছে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন যেমন তিনি তোমাদেরকে অন্য সম্প্রদায়ের বংশ হতে সৃষ্টি করেছেন।
Sahih International:
And your Lord is the Free of need, the possessor of mercy. If He wills, he can do away with you and give succession after you to whomever He wills, just as He produced you from the descendants of another people.



اِنَّ مَا تُوْعَدُوْنَ لَاٰتٍ ۙ وَّ مَاۤ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِیْنَ ﴿۱۳۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-তূ‘আদূ না লাআ-তিওঁ ওয়া মাআনতুম বিমু‘জিযীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমাদেরকে যে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে, তা অবশ্যই আসবে এবং (এ ব্যাপারে তাঁকে) তোমরা অক্ষম করতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যা ঘটবে বলে তোমাদেরকে ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা ঘটবেই, তা ব্যর্থ করে দেয়ার ক্ষমতা তোমাদের নেই।
Sahih International:
Indeed, what you are promised is coming, and you will not cause failure [to Allah].



قُلْ یٰقَوْمِ اعْمَلُوْا عَلٰی مَکَانَتِکُمْ اِنِّیْ عَامِلٌ ۚ فَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ۙ مَنْ تَکُوْنُ لَهٗ عَاقِبَۃُ الدَّارِ ؕ اِنَّهٗ لَا یُفْلِحُ الظّٰلِمُوْنَ ﴿۱۳۵﴾
উচ্চারণ:
কুল ইয়া-কাওমি‘মালূ‘আলা-মাকা-নাতিকুম ইন্নী ‘আ-মিলূন ফাছাওফা তা‘লামূনা মান তাকূনুলাহূ‘আ-কিবাতুদ দা-রি ইন্নাহূলা-ইউফলিহুজ্জা-লিমূন।
আল বায়ান:
বল, ‘হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের অবস্থানে থেকে কাজ কর, নিশ্চয় আমিও কাজ করছি। অচিরেই তোমরা জানতে পারবে কার জন্য হবে আখিরাতের পরিণতি। নিশ্চয় যালিমরা সফল হয় না।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের (ধর্মীয়) অবস্থানে থেকে যা করছ করে যাও, আমিও আমার কাজ করছি, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কল্যাণময় পরিণতি কার হবে। যালিমগণ কখনও সফলকাম হয় না।
Sahih International:
Say, "O my people, work according to your position; [for] indeed, I am working. And you are going to know who will have succession in the home. Indeed, the wrongdoers will not succeed.



وَ جَعَلُوْا لِلّٰهِ مِمَّا ذَرَاَ مِنَ الْحَرْثِ وَ الْاَنْعَامِ نَصِیْبًا فَقَالُوْا هٰذَا لِلّٰهِ بِزَعْمِهِمْ وَ هٰذَا لِشُرَکَآئِنَا ۚ فَمَا کَانَ لِشُرَکَآئِهِمْ فَلَا یَصِلُ اِلَی اللّٰهِ ۚ وَ مَا کَانَ لِلّٰهِ فَهُوَ یَصِلُ اِلٰی شُرَکَآئِهِمْ ؕ سَآءَ مَا یَحْکُمُوْنَ ﴿۱۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলূ লিল্লা-হি মিম্মা-যারাআ মিনাল হারছিওয়াল আন‘আ-মি নাসীবান ফাকা-লূ হা-যা-লিল্লা-হি বিযা‘মিহিম ওয়া হা-যা-লিশুরাকাইনা- ফামা-কা-না লিশুরাকাইহিম ফালা-ইয়াসিলুইলাল্লা-হি ওয়া মা-কা-না লিল্লা-হি ফাহুওয়া ইয়াসিলু ইলা-শুরাকাইহিম ছাআ মা-ইয়াহকুমূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যে শস্য ও চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছেন, সেখান থেকে তারা আল্লাহর জন্য একটি অংশ নির্ধারণ করে। অতঃপর তাদের ধারণা অনুসারে তারা বলে, ‘এটি আল্লাহর জন্য এবং এটি আমাদের শরীকদের জন্য।’ অতঃপর যা তাদের শরীকদের জন্য, তা আল্লাহর নিকট পৌঁছে না, আর যা আল্লাহর জন্য তা তাদের শরীকদের নিকট পৌঁছে যায়। তারা যে ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ !
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যে শস্য ও গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন তাত্থেকে তারা আল্লাহর জন্য একটা অংশ নির্দিষ্ট করে আর তারা তাদের ধারণামত বলে এ অংশ আল্লাহর জন্য, আর এ অংশ আমাদের দেবদেবীদের জন্য। যে অংশ তাদের দেবদেবীদের জন্য তা আল্লাহর নিকট পৌঁছে না, কিন্তু যে অংশ আল্লাহর তা তাদের দেবদেবীদের নিকট পৌঁছে। কতই না নিকৃষ্ট এই লোকদের ফায়সালা!
Sahih International:
And the polytheists assign to Allah from that which He created of crops and livestock a share and say, "This is for Allah," by their claim, "and this is for our partners [associated with Him]." But what is for their "partners" does not reach Allah, while what is for Allah - this reaches their "partners." Evil is that which they rule.



وَ کَذٰلِکَ زَیَّنَ لِکَثِیْرٍ مِّنَ الْمُشْرِکِیْنَ قَتْلَ اَوْلَادِهِمْ شُرَکَآؤُهُمْ لِیُرْدُوْهُمْ وَ لِیَلْبِسُوْا عَلَیْهِمْ دِیْنَهُمْ ؕ وَ لَوْ شَآءَ اللّٰهُ مَا فَعَلُوْهُ فَذَرْهُمْ وَ مَا یَفْتَرُوْنَ ﴿۱۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা যাইইয়ানা লিকাছীরিম মিনাল মুশরিকীনা কাতলা আওলা-দিহিম শুরাকাউহুম লিইউরদূ হুম ওয়া লিইয়ালবিছূ‘আলাইহিম দীনাহুম ওয়া লাও শাআল্লা-হু মা-ফা‘আলূহু ফাযারহুম ওয়ামা-ইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
আর এভাবে অনেক মুশরিকের জন্য তাদের শরীকরা তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করা শোভিত করেছে, যাতে তাদেরকে ধ্বংস করতে পারে এবং তাদের নিকট তাদের দীনকে সংশয়পূর্ণ করতে পারে। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, তারা তা করত না। সুতরাং তারা যে মিথ্যা বানায়, তা নিয়ে তুমি তাদেরকে থাকতে দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এভাবে তাদের দেবদেবীরা বহু মুশরিকদের চোখে নিজেদের সন্তান হত্যাকে আকর্ষণীয় করে দিয়েছে তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য এবং তাদের দ্বীনকে সন্দেহপূর্ণ করার জন্য। আল্লাহ যদি ইচ্ছে করতেন তবে তারা তা করতে পারত না, কাজেই তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা তাদের মিথ্যে নিয়ে মগ্ন থাকুক।
Sahih International:
And likewise, to many of the polytheists their partners have made [to seem] pleasing the killing of their children in order to bring about their destruction and to cover them with confusion in their religion. And if Allah had willed, they would not have done so. So leave them and that which they invent.



وَ قَالُوْا هٰذِهٖۤ اَنْعَامٌ وَّ حَرْثٌ حِجْرٌ ٭ۖ لَّا یَطْعَمُهَاۤ اِلَّا مَنْ نَّشَآءُ بِزَعْمِهِمْ وَ اَنْعَامٌ حُرِّمَتْ ظُهُوْرُهَا وَ اَنْعَامٌ لَّا یَذْکُرُوْنَ اسْمَ اللّٰهِ عَلَیْهَا افْتِرَآءً عَلَیْهِ ؕ سَیَجْزِیْهِمْ بِمَا کَانُوْا یَفْتَرُوْنَ ﴿۱۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূহা-যিহীআন‘আ-মুওঁ ওয়া হারছুন হিজরুল লা-ইয়াত‘আমুহা-ইল্লামান নাশাউ বিযা‘মিহিম ওয়া আন‘আ-মুন হুররিমাত জুহূরুহা-ওয়া আন‘আ-মুল লাইয়াযকুরূনাছমাল্লা-হি ‘আলাইহাফতিরাআন ‘আলাইহি ছাইয়াজযীহিম বিমা-কা-নূ ইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
আর তারা তাদের ধারণা অনুসারে বলে, ‘এই চতুষ্পদ জন্তুগুলো ও শস্য নিষিদ্ধ। আমরা যাকে চাই, সে ছাড়া কেউ তা খাবে না’ এবং কিছু চতুষ্পদ জন্তু, যার পিঠে চড়া হারাম করা হয়েছে, আর কিছু চতুষ্পদ জন্তু রয়েছে যার উপর তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে না, আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদস্বরূপ। তারা যে মিথ্যা বানায়, তার কারণে তাদেরকে অচিরেই তিনি প্রতিফল দেবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের ধারণা অনুসারে বলে, এই এই গবাদি পশু ও ফসল সুরক্ষিত। আমরা যার জন্য ইচ্ছে করব সে ছাড়া কেউ এগুলো খেতে পারবে না। এ সব তাদের কল্পিত। কতক গবাদি পশুর পিঠে চড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কতক গবাদি পশু যবহ করার সময় তারা আল্লাহর নাম নেয় না, (এসব বাধা-নিষেধ) আল্লাহর প্রতি মিথ্যে রচনা স্বরূপ করে থাকে। এসব মিথ্যে রচনার প্রতিফল তিনি শীঘ্রই তাদেরকে প্রদান করবেন।
Sahih International:
And they say, "These animals and crops are forbidden; no one may eat from them except whom we will," by their claim. And there are those [camels] whose backs are forbidden [by them] and those upon which the name of Allah is not mentioned - [all of this] an invention of untruth about Him. He will punish them for what they were inventing.



وَ قَالُوْا مَا فِیْ بُطُوْنِ هٰذِهِ الْاَنْعَامِ خَالِصَۃٌ لِّذُکُوْرِنَا وَ مُحَرَّمٌ عَلٰۤی اَزْوَاجِنَا ۚ وَ اِنْ یَّکُنْ مَّیْتَۃً فَهُمْ فِیْهِ شُرَکَآءُ ؕ سَیَجْزِیْهِمْ وَصْفَهُمْ ؕ اِنَّهٗ حَکِیْمٌ عَلِیْمٌ ﴿۱۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূমা-ফী বুতূনি হা-যিহিল আন‘আ-মি খা-লিসাতুল লিযুকূরিনা-ওয়া মুহাররামুন ‘আলাআযওয়াজিনা- ওয়াইয়ঁইয়াকুম মাইতাতান ফাহুম ফীহি শুরাকাউ ছাইয়াজযীহিম ওয়াসফাহুম ইন্নাহূহাকীমুন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘এই চতুষ্পদ জন্তুগুলোর পেটে যা আছে, তা আমাদের পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট এবং আমাদের স্ত্রীদের জন্য হারাম। আর যদি তা মৃত হয়, তবে তারা সবাই তাতে শরীক’। অচিরেই তিনি তাদেরকে তাদের কথার প্রতিদান দেবেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাবান, জ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আরো বলে, এসব গবাদি পশুর গর্ভে যা আছে তা আমাদের পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট, আর আমাদের স্ত্রীলোকদের জন্য নিষিদ্ধ, কিন্তু তা (অর্থাৎ গর্ভস্থিত বাচ্চা) যদি মৃত হয় তবে সকলের তাতে অংশ আছে। তাদের এই মিথ্যে রচনার প্রতিফল অচিরেই তিনি তাদেরকে দেবেন, তিনি বড়ই হিকমাতওয়ালা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And they say, "What is in the bellies of these animals is exclusively for our males and forbidden to our females. But if it is [born] dead, then all of them have shares therein." He will punish them for their description. Indeed, He is Wise and Knowing.



قَدْ خَسِرَ الَّذِیْنَ قَتَلُوْۤا اَوْلَادَهُمْ سَفَهًۢا بِغَیْرِ عِلْمٍ وَّ حَرَّمُوْا مَا رَزَقَهُمُ اللّٰهُ افْتِرَآءً عَلَی اللّٰهِ ؕ قَدْ ضَلُّوْا وَ مَا کَانُوْا مُهْتَدِیْنَ ﴿۱۴۰﴾
উচ্চারণ:
কাদ খাছিরাল্লাযীনা কাতালূআওলা-দাহুম ছাফাহাম বিগাইরি ‘ইলমিওঁ ওয়া হাররামূমারাযাকাহুমুল্লা -হুফ তিরাআন ‘আলাল্লা-হি; কাদ দাল্লু-ওয়া মা-কা-নূমুহতাদীন।
আল বায়ান:
অবশ্যই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যারা তাদের সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশত হত্যা করেছে না জেনে এবং আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদস্বরূপ আল্লাহ তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছেন তা হারাম করেছে। অবশ্যই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়নি।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা মূর্খের মত না জেনে তাদের সন্তানদের হত্যা করেছে আর আল্লাহর নামে মিথ্যে কথা বানিয়ে নেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর দেয়া জীবিকাকে হারাম করে নিয়েছে, তারা নিশ্চিতরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে আর তারা কস্মিনকালেও হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না।
Sahih International:
Those will have lost who killed their children in foolishness without knowledge and prohibited what Allah had provided for them, inventing untruth about Allah. They have gone astray and were not [rightly] guided.



وَ هُوَ الَّذِیْۤ اَنْشَاَ جَنّٰتٍ مَّعْرُوْشٰتٍ وَّ غَیْرَ مَعْرُوْشٰتٍ وَّ النَّخْلَ وَ الزَّرْعَ مُخْتَلِفًا اُکُلُهٗ وَ الزَّیْتُوْنَ وَ الرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَّ غَیْرَ مُتَشَابِهٍ ؕ کُلُوْا مِنْ ثَمَرِهٖۤ اِذَاۤ اَثْمَرَ وَ اٰتُوْا حَقَّهٗ یَوْمَ حَصَادِهٖ ۫ۖ وَ لَا تُسْرِفُوْا ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الْمُسْرِفِیْنَ ﴿۱۴۱﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী আনশাআ জান্না-তিম মা‘রূশা-তিওঁ ওয়া গাইরা মা‘রূশা-তিওঁ ওয়ান নাখলা ওয়াযযার‘আ মুখতালিফান উকুলুহূওয়াযযাইতূনা ওয়াররুম্মা-না মুতাশা-বিহাওঁ ওয়া গাইরা মুতাশা-বিহিন কুলূমিন ছামারিহী ইযাআছমারা ওয়া আ-তূহাক্কাহূইয়াওমা হাসা-দিহী ওয়ালা-তুছরিফূ ইন্নাহূলা-ইউহিব্বুল মুছরিফীন।
আল বায়ান:
আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন এমন বাগানসমূহ যার কিছু মাচায় তোলা হয় আর কিছু তোলা হয় না* এবং খেজুর গাছ ও শস্য, যার স্বাদ বিভিন্ন রকম, যায়তুন ও আনার যার কিছু দেখতে একরকম, আর কিছু ভিন্ন রকম। তোমরা তার ফল থেকে আহার কর, যখন তা ফলদান করে এবং ফল কাটার দিনেই তার হক দিয়ে দাও। আর অপচয় করো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদেরকে ভালবাসেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তিনি (আল্লাহ) যিনি লতাগুল্ম বিশিষ্ট আর লতা-বিশিষ্ট নয় এমন উদ্যানরাজি, খেজুর গাছ ও বিভিন্ন স্বাদের খাদ্যশস্য, একই ধরনের ও আলাদা ধরনের যায়তুন ও ডালিম সৃষ্টি করেছেন। যখন ফল ধরে তখন ফল খাও, আর ফসল তোলার দিন (নির্ধারিত ওশর ও অনির্ধারিত দানের মাধ্যমে) হক আদায় কর, অপচয় করো না, নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।
Sahih International:
And He it is who causes gardens to grow, [both] trellised and untrellised, and palm trees and crops of different [kinds of] food and olives and pomegranates, similar and dissimilar. Eat of [each of] its fruit when it yields and give its due [zakah] on the day of its harvest. And be not excessive. Indeed, He does not like those who commit excess.



وَ مِنَ الْاَنْعَامِ حَمُوْلَۃً وَّ فَرْشًا ؕ کُلُوْا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰهُ وَ لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوٰتِ الشَّیْطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَکُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ ﴿۱۴۲﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া মিনাল আন‘আ-মি হামূলাতাওঁ ওয়া ফারশান কূলূমিম্মা-রাযাকাকুমুল্লা-হু ওয়ালাতাত্তাবি‘ঊ খুতুওয়া-তিশশাইতা-নি ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।
আল বায়ান:
আর চতুষ্পদ জন্তু থেকে (কিছুকে সৃষ্টি করেছেন) বোঝা বহনকারী ও ক্ষুদ্রাকৃতির। তোমরা আহার কর তা থেকে, যা আল্লাহ তোমাদেরকে রিয্ক দিয়েছেন এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু।
তাইসিরুল কুরআন:
গবাদি পশুর মধ্যে কতক আছে ভারবাহী আর কতক আছে গোশত ও আচ্ছাদনের সামগ্রী দানকারী, আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিয্ক্ব দিয়েছেন তাত্থেকে ভক্ষণ কর আর শায়ত্বনের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, সে তোমাদের খোলাখুলি দুশমন।
Sahih International:
And of the grazing livestock are carriers [of burdens] and those [too] small. Eat of what Allah has provided for you and do not follow the footsteps of Satan. Indeed, he is to you a clear enemy.



ثَمٰنِیَۃَ اَزْوَاجٍ ۚ مِنَ الضَّاْنِ اثْنَیْنِ وَ مِنَ الْمَعْزِ اثْنَیْنِ ؕ قُلْ ءٰٓالذَّکَرَیْنِ حَرَّمَ اَمِ الْاُنْثَیَیْنِ اَمَّا اشْتَمَلَتْ عَلَیْهِ اَرْحَامُ الْاُنْثَیَیْنِ ؕ نَبِّـُٔوْنِیْ بِعِلْمٍ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۱۴۳﴾ۙ
উচ্চারণ:
ছামা-নিয়াতা আযওয়া-জিম মিনাদ্দা’নিছনাইনি ওয়া মিনাল মা‘যিছনাইনি কুল আযযাকারাইনি হাররামা আমিল উনছাইয়াইনি আম্মাশতামালাত ‘আলাইহি আরহা-মুল উনছাইয়াইনি নাব্বিঊনী বি‘ইলমিন ইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
(তিনি সৃষ্টি করেছেন) আট প্রকারের জোড়া। মেষ থেকে দু’টি, ছাগল থেকে দু’টি। বল, ‘নর দু’টিকে তিনি হারাম করেছেন নাকি মাদি দু’টিকে? নাকি তা, যা মাদি দু’টির পেটে আছে? তোমরা জেনে-শুনে আমাকে জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।’
তাইসিরুল কুরআন:
(নর-মাদী চার) জোড়ায় আট প্রকার, মেষের দু’টি, ছাগলের দু’টি। বল, তিনি কি নর দু’টি হারাম করেছেন, না মাদী দু’টি কিংবা মাদী দু’টির গর্ভে যা আছে তা? এ সম্পর্কিত জ্ঞানের ভিত্তিতে জবাব দাও যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।
Sahih International:
[They are] eight mates - of the sheep, two and of the goats, two. Say, "Is it the two males He has forbidden or the two females or that which the wombs of the two females contain? Inform me with knowledge, if you should be truthful."



وَ مِنَ الْاِبِلِ اثْنَیْنِ وَ مِنَ الْبَقَرِ اثْنَیْنِ ؕ قُلْ ءٰٓالذَّکَرَیْنِ حَرَّمَ اَمِ الْاُنْثَیَیْنِ اَمَّا اشْتَمَلَتْ عَلَیْهِ اَرْحَامُ الْاُنْثَیَیْنِ ؕ اَمْ کُنْتُمْ شُهَدَآءَ اِذْ وَصّٰکُمُ اللّٰهُ بِهٰذَا ۚ فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا لِّیُضِلَّ النَّاسَ بِغَیْرِ عِلْمٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۱۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনাল ইবিলিছনাইনি ওয়া মিনাল বাকারিছনাইনি কুল আযযাকারাইনি হাররামা আমিল উনছাইয়াইনি আম্মাশ তামালাত ‘আলাইহি আরহা-মুল উনছাইয়াইনি আম কুনতুম শুহাদাআ ইযওয়াসসা-কুমুল্লা-হু বিহা-যা- ফামান আজলামুমিম মানিফ তারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবাল লিইউদিল্লান্না-ছা বিগাইরি ‘ইলমিন ইন্নালা-হা লাইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর উট থেকে দু’টি ও গাভী থেকে দু’টি। বল, ‘নর দু’টিকে তিনি হারাম করেছেন নাকি মাদি দু’টিকে? নাকি তা, যা মাদি দু’টির পেটে আছে? অথবা তোমরা কি হাজির ছিলে, যখন আল্লাহ তোমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছিলেন?’ সুতরাং তার চেয়ে অধিক যালিম কে, যে না জেনে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়? নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর উটের দু’টি, আর গরুর দু’টি। বল, এদের নর দু’টি কি তিনি হারাম করেছেন, না মাদী দু’টি অথবা মাদী দু’টির গর্ভে যা আছে তা? তোমরা কি তখন উপস্থিত ছিলে যখন আল্লাহ এ রকম নির্দেশ দিয়েছিলেন? যে ব্যক্তি মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে কোন রকম ‘ইলম ছাড়াই আল্লাহর সম্বন্ধে মিথ্যে রচনা করে তার থেকে বড় যালিম আর কে হতে পারে? বস্তুতঃ আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দান করেন না।
Sahih International:
And of the camels, two and of the cattle, two. Say, "Is it the two males He has forbidden or the two females or that which the wombs of the two females contain? Or were you witnesses when Allah charged you with this? Then who is more unjust than one who invents a lie about Allah to mislead the people by [something] other than knowledge? Indeed, Allah does not guide the wrongdoing people."



قُلْ لَّاۤ اَجِدُ فِیْ مَاۤ اُوْحِیَ اِلَیَّ مُحَرَّمًا عَلٰی طَاعِمٍ یَّطْعَمُهٗۤ اِلَّاۤ اَنْ یَّکُوْنَ مَیْتَۃً اَوْ دَمًا مَّسْفُوْحًا اَوْ لَحْمَ خِنْزِیْرٍ فَاِنَّهٗ رِجْسٌ اَوْ فِسْقًا اُهِلَّ لِغَیْرِ اللّٰهِ بِهٖ ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَیْرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ رَبَّکَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۱۴۵﴾
উচ্চারণ:
কুল লাআজিদুফী মাঊহিয়া ইলাইইয়া মুহাররামান ‘আলা- তা-‘ইমিইঁ ইয়াত‘আমুহূ ইল্লা আইঁ ইয়াকূনা মাইতাতান আও দামাম মাছফূহান আও লাহমা খিনযীরিন ফাইন্নাহূ রিজছুন আও ফিছকান উহিল্লা লিগাইরিল্লা-হি বিহী ফামানিদতুররা গাইরা বা-গিওঁ ওয়ালা-‘আ-দিন ফাইন্না রাব্বাকা গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
বল, ‘আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর উপর কোন হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের গোশ্ত হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র কিংবা এমন অবৈধ যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য যবেহ করা হয়েছে। তবে যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে তা গ্রহণে বাধ্য হয়েছে, তাহলে নিশ্চয় তোমার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমার প্রতি যে ওয়াহী করা হয়েছে তাতে মানুষ যা আহার করে তার কিছুই নিষিদ্ধ পাই না মৃত, প্রবহমান রক্ত ও শূকরের মাংস ছাড়া। কারণ তা অপবিত্র অথবা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবহ করা ফাসিকী কাজ। তবে যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে পড়ে কিন্তু সে নাফরমান ও সীমালঙ্ঘনকারী নয়, তাহলে তোমার প্রতিপালক বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
Say, "I do not find within that which was revealed to me [anything] forbidden to one who would eat it unless it be a dead animal or blood spilled out or the flesh of swine - for indeed, it is impure - or it be [that slaughtered in] disobedience, dedicated to other than Allah. But whoever is forced [by necessity], neither desiring [it] nor transgressing [its limit], then indeed, your Lord is Forgiving and Merciful."



وَ عَلَی الَّذِیْنَ هَادُوْا حَرَّمْنَا کُلَّ ذِیْ ظُفُرٍ ۚ وَ مِنَ الْبَقَرِ وَ الْغَنَمِ حَرَّمْنَا عَلَیْهِمْ شُحُوْمَهُمَاۤ اِلَّا مَا حَمَلَتْ ظُهُوْرُهُمَاۤ اَوِ الْحَوَایَاۤ اَوْ مَا اخْتَلَطَ بِعَظْمٍ ؕ ذٰلِکَ جَزَیْنٰهُمْ بِبَغْیِهِمْ ۫ۖ وَ اِنَّا لَصٰدِقُوْنَ ﴿۱۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আলাল্লাযীনা হা-দূ হাররামনা-কুল্লাযী জুফুরিওঁ ওয়া মিনাল বাকারি ওয়াল গানামি হাররামনা-‘আলাইহিম শুহূমাহুমাইলা-মা-হামালাত জুহূরুহুমা-আবিল হাওয়া-ইয়াআও মাখতালাতা বি‘আজমিন যা-লিকা জাযাইনা-হুম ব্বিাগইহিম ওয়া ইন্না-লাসা-দিকূন।
আল বায়ান:
আর ইয়াহূদীদের উপর আমি নখবিশিষ্ট সব জন্তু হারাম করেছিলাম এবং গরু ও ছাগলের চর্বিও তাদের উপরে হারাম করেছিলাম- তবে যা এগুলোর পিঠে ও ভুঁড়িতে থাকে, কিংবা যা কোন হাড়ের সাথে লেগে থাকে, তা ছাড়া। এটি তাদেরকে প্রতিফল দিয়েছিলাম তাদের অবাধ্যতার কারণে। আর নিশ্চয় আমি সত্যবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ইয়াহূদী হয়েছে তাদের জন্য আমি যাবতীয় তীক্ষ্ণধার নখযুক্ত পশু হারাম করেছিলাম আর তাদের জন্য গরু-ছাগলের চর্বিও হারাম করেছিলাম, এগুলোর পিঠের কিংবা নাড়িভুড়ির বা হাড়ের সাথে লেগে থাকা চর্বি ছাড়া। তাদের অবাধ্যতার শাস্তি এভাবে তাদেরকে দিয়েছিলাম, আমি অবশ্যই সত্য কথা বলছি।
Sahih International:
And to those who are Jews We prohibited every animal of uncloven hoof; and of the cattle and the sheep We prohibited to them their fat, except what adheres to their backs or the entrails or what is joined with bone. [By] that We repaid them for their injustice. And indeed, We are truthful.



فَاِنْ کَذَّبُوْکَ فَقُلْ رَّبُّکُمْ ذُوْ رَحْمَۃٍ وَّاسِعَۃٍ ۚ وَ لَا یُرَدُّ بَاْسُهٗ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِیْنَ ﴿۱۴۷﴾
উচ্চারণ:
ফাইন কাযযাবূকা ফাকুর রাব্বুকুম যূরাহমাতিওঁ ওয়া-ছি‘আতিওঁ ওয়ালা-ইউরাদ্দুবা’ছুহূ ‘আনিল কাওমিল মুজ রিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যদি তারা তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে তুমি বল, তোমাদের রব সর্বব্যাপী দয়ার অধিকারী। আর তার আযাব অপরাধী কওম থেকে ফেরানো হয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যদি তারা তোমাকে মিথ্যে মনে করে তবে তাদেরকে বল, তোমাদের প্রতিপালক প্রশস্ত দয়ার মালিক, (কিন্তু তাওবা না করে অপরাধীই থেকে গেলে) তবে অপরাধী সম্প্রদায়ের উপর হতে তাঁর শাস্তি রদ হয় না।
Sahih International:
So if they deny you, [O Muhammad], say, "Your Lord is the possessor of vast mercy; but His punishment cannot be repelled from the people who are criminals."



سَیَقُوْلُ الَّذِیْنَ اَشْرَکُوْا لَوْ شَآءَ اللّٰهُ مَاۤ اَشْرَکْنَا وَ لَاۤ اٰبَآؤُنَا وَ لَا حَرَّمْنَا مِنْ شَیْءٍ ؕ کَذٰلِکَ کَذَّبَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ حَتّٰی ذَاقُوْا بَاْسَنَا ؕ قُلْ هَلْ عِنْدَکُمْ مِّنْ عِلْمٍ فَتُخْرِجُوْهُ لَنَا ؕ اِنْ تَتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ وَ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا تَخْرُصُوْنَ ﴿۱۴۸﴾
উচ্চারণ:
ছাইয়াকূলুল্লাযীনা আশরাকূলাও শাআলা-হু মাআশরাকনা-ওয়ালাআ-বাউনাওয়ালা-হাররামনা-মিন শাইয়িন কাযা-লিকা কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম হাত্তা-যা-কূবা’ছানা- কুল হাল ‘ইনদাকুম মিন ‘ইলমিন ফাতুখরিজূহু লানা- ইন তাত্তাবি‘ঊনা ইল্লাজ্জান্না ওয়া ইন আনতুম ইল্লা-তাখরুসূন।
আল বায়ান:
অচিরেই মুশরিকরা বলবে, ‘আল্লাহ যদি চাইতেন, আমরা শিরক করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষরাও না এবং আমরা কোন কিছু হারাম করতাম না’। এভাবেই তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছে, যে পর্যন্ত না তারা আমার আযাব আস্বাদন করেছে। বল, ‘তোমাদের কাছে কি কোন জ্ঞান আছে, যা তোমরা আমাদের জন্য প্রকাশ করবে? তোমরা তো শুধু ধারণার অনুসরণ করছ এবং তোমরা তো কেবল অনুমান করছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা শিরক করেছে তারা বলবে, আল্লাহ ইচ্ছে করলে আমরা শিরক করতাম না, আর আমাদের পিতৃপুরুষরাও করত না, আর কোন কিছুই (আমাদের উপর) হারাম করে নিতাম না, এভাবে তাদের আগের লোকেরাও সত্যকে মিথ্যে গণ্য করেছিল, অবশেষে তারা আমার শাস্তি আস্বাদন করেছিল। বল, তোমাদের কাছে কি প্রকৃত জ্ঞান আছে, থাকলে তা আমাদের কাছে পেশ কর, তোমরা তো কেবল ধারণা-অনুমানের অনুসরণ করে চলেছ, তোমরা তো মিথ্যাচারই করে যাচ্ছ।
Sahih International:
Those who associated with Allah will say, "If Allah had willed, we would not have associated [anything] and neither would our fathers, nor would we have prohibited anything." Likewise did those before deny until they tasted Our punishment. Say, "Do you have any knowledge that you can produce for us? You follow not except assumption, and you are not but falsifying."



قُلْ فَلِلّٰهِ الْحُجَّۃُ الْبَالِغَۃُ ۚ فَلَوْ شَآءَ لَهَدٰىکُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿۱۴۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ফালিল্লা-হিল হুজ্জাতুল বা-লিগাতু ফালাও শাআ লাহাদা-কুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
বল, ‘চূড়ান্ত প্রমাণ আল্লাহরই। সুতরাং যদি তিনি চান, অবশ্যই তোমাদের সবাইকে হিদায়াত দেবেন।’
তাইসিরুল কুরআন:
চূড়ান্ত সত্য-নির্ভর প্রমাণ তো আল্লাহর কাছে আছে, আল্লাহ যদি চাইতেন তাহলে তিনি অবশ্যই তোমাদের সকলকে সত্যপথে পরিচালিত করতেন।
Sahih International:
Say, "With Allah is the far-reaching argument. If He had willed, He would have guided you all."



قُلْ هَلُمَّ شُهَدَآءَکُمُ الَّذِیْنَ یَشْهَدُوْنَ اَنَّ اللّٰهَ حَرَّمَ هٰذَا ۚ فَاِنْ شَهِدُوْا فَلَا تَشْهَدْ مَعَهُمْ ۚ وَ لَا تَتَّبِعْ اَهْوَآءَ الَّذِیْنَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا وَ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ وَ هُمْ بِرَبِّهِمْ یَعْدِلُوْنَ ﴿۱۵۰﴾
উচ্চারণ:
কুল হালুম্মা শুহাদাআ কুমুলাযীনা ইয়াশহাদূ না আন্নাল্লা-হা হাররামা হা-যা- ফাইন শাহিদূফালা-তাশহাদ মা‘আহুম ওয়ালা-তাত্তাবি‘ আহওয়াআল্লাযীনা কাযযাবূবিআয়া-তিনা-ওয়াল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি ওয়াহুম বিরাব্বিহিম ইয়া‘দিলূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমাদের সাক্ষীদেরকে নিয়ে আস, যারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ এটি হারাম করেছেন’। অতএব যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তবে তুমি তাদের সাথে সাক্ষ্য দিয়ো না। আর তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না এবং যারা তাদের রবের সমকক্ষ নির্ধারণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আল্লাহ যে এটা হারাম করেছেন সে ব্যাপারে যারা সাক্ষ্য দেবে তাদেরকে হাজির কর। তারা সাক্ষ্য দিলেও তুমি তাদের সাথে সাক্ষ্য দিও না। যারা আমার আয়াতগুলোকে অমান্য করে, আর যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না আর তাদের প্রতিপালকের সমকক্ষ দাঁড় করায় তুমি কক্ষনো তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করো না।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Bring forward your witnesses who will testify that Allah has prohibited this." And if they testify, do not testify with them. And do not follow the desires of those who deny Our verses and those who do not believe in the Hereafter, while they equate [others] with their Lord.



قُلْ تَعَالَوْا اَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّکُمْ عَلَیْکُمْ اَلَّا تُشْرِکُوْا بِهٖ شَیْئًا وَّ بِالْوَالِدَیْنِ اِحْسَانًا ۚ وَ لَا تَقْتُلُوْۤا اَوْلَادَکُمْ مِّنْ اِمْلَاقٍ ؕ نَحْنُ نَرْزُقُکُمْ وَ اِیَّاهُمْ ۚ وَ لَا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَ مَا بَطَنَ ۚ وَ لَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِیْ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالْحَقِّ ؕ ذٰلِکُمْ وَصّٰکُمْ بِهٖ لَعَلَّکُمْ تَعْقِلُوْنَ ﴿۱۵۱﴾
উচ্চারণ:
কুল তা‘আ-লাও আতলুমা-হাররামা রাব্বুকুম ‘আলাইকুম আল্লা-তুশরিকূবিহী শাইআওঁ ওয়া বিলওয়া-লিদাইনি ইহছা-নাওঁ ওয়ালা-তাকতুলূআওলা-দাকুম মিন ইমলা-কিন নাহনুনারযুকুকুম ওয়া ইয়্যা-হুম ওয়ালা-তাকরাবুল ফাওয়া-হিশা মা-জাহারা মিনহা-ওয়ামা-বাতানা ওয়ালা-তাকতুলুন্নাফছাল্লাতী হাররামালা-হু ইল্লা-বিলহাক্কি যা-লিকুম ওয়াসসা-কুম বিহী লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
বল, ‘এসো, তোমাদের উপর তোমাদের রব যা হারাম করেছেন, তা তিলাওয়াত করি যে, তোমরা তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না এবং মা-বাবার প্রতি ইহসান করবে আর দারিদ্রের কারণে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না। আমিই তোমাদেরকে রিয্ক দেই এবং তাদেরকেও। আর অশ্লীল কাজের নিকটবর্তী হবে না- তা থেকে যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে। আর বৈধ কারণ ছাড়া তোমরা সেই প্রাণকে হত্যা করো না, আল্লাহ যা হারাম করেছেন। এগুলো আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘এসো, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যা নিষিদ্ধ করেছেন তা পড়ে শোনাই, তা এই যে, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না, পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর, দরিদ্রতার ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না, আমিই তোমাদেরকে আর তাদেরকে জীবিকা দিয়ে থাকি, প্রকাশ্য বা গোপন কোন অশ্লীলতার কাছেও যেয়ো না, আল্লাহ যে প্রাণ হরণ করা হারাম করেছেন তা ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া হত্যা করো না। এ সম্পর্কে তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যাতে তোমরা চিন্তা- ভাবনা করে কাজ কর।
Sahih International:
Say, "Come, I will recite what your Lord has prohibited to you. [He commands] that you not associate anything with Him, and to parents, good treatment, and do not kill your children out of poverty; We will provide for you and them. And do not approach immoralities - what is apparent of them and what is concealed. And do not kill the soul which Allah has forbidden [to be killed] except by [legal] right. This has He instructed you that you may use reason."



وَ لَا تَقْرَبُوْا مَالَ الْیَتِیْمِ اِلَّا بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ حَتّٰی یَبْلُغَ اَشُدَّهٗ ۚ وَ اَوْفُوا الْکَیْلَ وَ الْمِیْزَانَ بِالْقِسْطِ ۚ لَا نُکَلِّفُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ۚ وَ اِذَا قُلْتُمْ فَاعْدِلُوْا وَ لَوْ کَانَ ذَا قُرْبٰی ۚ وَ بِعَهْدِ اللّٰهِ اَوْفُوْا ؕ ذٰلِکُمْ وَصّٰکُمْ بِهٖ لَعَلَّکُمْ تَذَکَّرُوْنَ ﴿۱۵۲﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়ালা- তাকরাবূমা-লাল ইয়াতীমি ইলা-বিল্লাতী হিয়া আহছানুহাত্তা-ইয়াবলুগা আশুদ্দাহুূ ওয়া আওফুল কাইলা ওয়াল মীযা-না বিলকিছতি লা-নুকালিলফুনাফছান ইল্লাউছ‘আহা- ওয়া ইযা-কুলতুম ফা‘দিলূওয়া লাও কা-না যা-কুরবা- ওয়া বি‘আহদিল্লা-হি আওফূ যা-লিকুম ওয়াসসা-কুম বিহী লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা ইয়াতীমের সম্পদের নিকটবর্তী হয়ো না, সুন্দর পন্থা ছাড়া। যতক্ষণ না সে পরিণত বয়সে উপনীত হয়, আর পরিমাপ ও ওযন ইনসাফের সাথে পরিপূর্ণ দেবে। আমি কাউকে তার সাধ্য ছাড়া দায়িত্ব অর্পণ করি না। আর যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ইনসাফ কর, যদিও সে আত্মীয় হয় এবং আল্লাহর ওয়াদা পূর্ণ কর। এগুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
(ইয়াতীমরা) বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্য ছাড়া ইয়াতীমদের সম্পত্তির নিকটবর্তী হয়ো না। পরিমাপ ও ওজন ন্যায়সঙ্গতভাবে পূর্ণ কর, আমি কোন ব্যক্তির উপর সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেই না, যখন কথা বলবে তখন ইনসাফপূর্ণ কথা বলবে- নিকটাত্মীয়দের সম্পর্কে হলেও, আর আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়াদা পূর্ণ কর। এসব ব্যাপারে তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।
Sahih International:
And do not approach the orphan's property except in a way that is best until he reaches maturity. And give full measure and weight in justice. We do not charge any soul except [with that within] its capacity. And when you testify, be just, even if [it concerns] a near relative. And the covenant of Allah fulfill. This has He instructed you that you may remember.



وَ اَنَّ هٰذَا صِرَاطِیْ مُسْتَقِیْمًا فَاتَّبِعُوْهُ ۚ وَ لَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِکُمْ عَنْ سَبِیْلِهٖ ؕ ذٰلِکُمْ وَصّٰکُمْ بِهٖ لَعَلَّکُمْ تَتَّقُوْنَ ﴿۱۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না হা-যা-সিরা-তী মুছতাকীমান ফাত্তাবি‘ঊহু ওয়ালা-তাত্তাবি‘উছ ছুবুলা ফাতাফাররাকা বিকুম ‘আন ছাবীলিহী যা-লিকুম ওয়াসসা-কুম বিহী লা‘আল্লাকুম তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এগুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এটাই আমার সঠিক সরল পথ, কাজেই তোমরা তার অনুসরণ কর, আর নানান পথের অনুসরণ করো না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। এভাবে তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যাতে তোমরা তাঁকে ভয় করে যাবতীয় পাপ থেকে বেঁচে চলতে পার।
Sahih International:
And, [moreover], this is My path, which is straight, so follow it; and do not follow [other] ways, for you will be separated from His way. This has He instructed you that you may become righteous.



ثُمَّ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْکِتٰبَ تَمَامًا عَلَی الَّذِیْۤ اَحْسَنَ وَ تَفْصِیْلًا لِّکُلِّ شَیْءٍ وَّ هُدًی وَّ رَحْمَۃً لَّعَلَّهُمْ بِلِقَآءِ رَبِّهِمْ یُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۵۴﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আ-তাইনা-মূছাল কিতা-বা তামা-মান ‘আলাল্লাযী-আহছানা ওয়া তাফসীলাল লিকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুদাওঁ ওয়া রাহমাতাল লা‘আল্লাহুম বিলিকাই রাব্বিহিম ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি মূসাকে প্রদান করেছি কিতাব, যে সৎকর্ম করেছে তার জন্য পরিপূর্ণতাস্বরূপ, প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা, হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ। যাতে তারা তাদের রবের সাক্ষাতের ব্যাপারে ঈমান রাখে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর (তোমরা অবগত হও যে) আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম যার মাধ্যমে আমি আমার নি‘য়ামাত পূর্ণ করে দিয়েছিলাম তাদের জন্য যারা উত্তম কাজ করে, তাতে ছিল যাবতীয় বিষয়ের বিশদ বিবরণ, (তা ছিল) সঠিক পথের দিশারী ও দয়া স্বরূপ যাতে তারা তাদের প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে বিশ্বাস স্থাপন করে।
Sahih International:
Then We gave Moses the Scripture, making complete [Our favor] upon the one who did good and as a detailed explanation of all things and as guidance and mercy that perhaps in [the matter of] the meeting with their Lord they would believe.



وَ هٰذَا کِتٰبٌ اَنْزَلْنٰهُ مُبٰرَکٌ فَاتَّبِعُوْهُ وَ اتَّقُوْا لَعَلَّکُمْ تُرْحَمُوْنَ ﴿۱۵۵﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া হা-যা-কিতা-বুন আনযালনা-হুমুবা-রাকুন ফাত্তাবি‘ঊহু ওয়াত্তাকূ লা‘আল্লাকুম তুরহামূন।
আল বায়ান:
আর এটি কিতাব- যা আমি নাযিল করেছি- বরকতময়। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এ কিতাব যা আমি অবতীর্ণ করলাম তা বরকতময়, কাজেই তা মান্য কর, আর আল্লাহকে ভয় করে চল, যাতে তোমাদের উপর দয়া বর্ষিত হয়।
Sahih International:
And this [Qur'an] is a Book We have revealed [which is] blessed, so follow it and fear Allah that you may receive mercy.



اَنْ تَقُوْلُوْۤا اِنَّمَاۤ اُنْزِلَ الْکِتٰبُ عَلٰی طَآئِفَتَیْنِ مِنْ قَبْلِنَا ۪ وَ اِنْ کُنَّا عَنْ دِرَاسَتِهِمْ لَغٰفِلِیْنَ ﴿۱۵۶﴾ۙ
উচ্চারণ:
আন তাকূলূইন্নামা-উনযিলাল কিতা-বু‘আলা-তাইফাতাইনি মিন কাবলিনা- ওয়া ইন কুন্না-‘আন দিরা-ছাতিহিম লাগা-ফিলীন।
আল বায়ান:
যেন তোমরা না বল যে, কিতাব তো নাযিল করা হয়েছিল আমাদের পূর্বের দু’টি দলের উপর এবং আমরা তো তাদের অধ্যয়ন সম্পর্কে ছিলাম গাফেল।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তারা না বলতে পারে যে কিতাব তো শুধু আমাদের পূর্বের দু’দল (ইয়াহূদী ও খ্রীস্টান) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল আর আমরা জানতাম না ওরা কী পড়ত আর পড়াত।
Sahih International:
[We revealed it] lest you say, "The Scripture was only sent down to two groups before us, but we were of their study unaware,"



اَوْ تَقُوْلُوْا لَوْ اَنَّاۤ اُنْزِلَ عَلَیْنَا الْکِتٰبُ لَکُنَّاۤ اَهْدٰی مِنْهُمْ ۚ فَقَدْ جَآءَکُمْ بَیِّنَۃٌ مِّنْ رَّبِّکُمْ وَ هُدًی وَّ رَحْمَۃٌ ۚ فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ کَذَّبَ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ وَ صَدَفَ عَنْهَا ؕ سَنَجْزِی الَّذِیْنَ یَصْدِفُوْنَ عَنْ اٰیٰتِنَا سُوْٓءَ الْعَذَابِ بِمَا کَانُوْا یَصْدِفُوْنَ ﴿۱۵۷﴾
উচ্চারণ:
আও তাকূলূলাও আন্নাউনযিলা ‘আলাইনাল কিতা-বুলাকুন্নাআহদা-মিনহুম ফাকাদ-জাআকুম বাইয়িনাতুম মির রাব্বিকুম ওয়া হুদাওঁ ওয়া রাহমাতুন ফামান আজলামু মিম্মান কাযযাবা বিআ-য়া-তিল্লা-হি ওয়া সাদাফা ‘আনহা- ছানাজযিল্লাযীনা ইয়াসদিফূনা ‘আন আ-য়া-তিনা-ছূআল ‘আযা-বি বিমা-কা-নূইয়াসদিফূন।
আল বায়ান:
কিংবা যেন না বল যে, যদি আমাদের উপর কিতাব অবতীর্ণ করা হত, তবে অবশ্যই আমরা তাদের চেয়ে অধিক হিদায়াতপ্রাপ্ত হতাম। বস্তুত তোমাদের নিকট এসেছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণ, হিদায়াত ও রহমত। সুতরাং তার চেয়ে অধিক যালিম কে, যে আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে এবং তা থেকে বিমুখ হয়েছে? অচিরেই আমি তাদেরকে মন্দ আযাব দেব, যারা আমার আয়াতসমূহ থেকে বিমুখ হয়, তাদের বিমুখ হওয়ার কারণে।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা তোমরা না বলতে পার যে আমাদের উপর যদি কিতাব অবতীর্ণ হত তাহলে আমরা তাদের চেয়ে বেশি হিদায়াতপ্রাপ্ত হতাম। তাই এখন তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ, হিদায়াত ও রহমত এসেছে। অতঃপর যে ব্যক্তি আল্লাহর (এ সব) আয়াতসমূহকে মিথ্যে মনে ক’রে তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার চেয়ে বড় যালিম আর কে আছে? আমার আয়াতসমূহ থেকে যারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদেরকে অচিরেই আমি তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কারণে নিকৃষ্টতম শাস্তি প্রদান করব।
Sahih International:
Or lest you say, "If only the Scripture had been revealed to us, we would have been better guided than they." So there has [now] come to you a clear evidence from your Lord and a guidance and mercy. Then who is more unjust than one who denies the verses of Allah and turns away from them? We will recompense those who turn away from Our verses with the worst of punishment for their having turned away.



هَلْ یَنْظُرُوْنَ اِلَّاۤ اَنْ تَاْتِیَهُمُ الْمَلٰٓئِکَۃُ اَوْ یَاْتِیَ رَبُّکَ اَوْ یَاْتِیَ بَعْضُ اٰیٰتِ رَبِّکَ ؕ یَوْمَ یَاْتِیْ بَعْضُ اٰیٰتِ رَبِّکَ لَا یَنْفَعُ نَفْسًا اِیْمَانُهَا لَمْ تَکُنْ اٰمَنَتْ مِنْ قَبْلُ اَوْ کَسَبَتْ فِیْۤ اِیْمَانِهَا خَیْرًا ؕ قُلِ انْتَظِرُوْۤا اِنَّا مُنْتَظِرُوْنَ ﴿۱۵۸﴾
উচ্চারণ:
হাল ইয়ানজুরূনা ইল্লাআন তা’তিয়াহুমুল মালাইকাতুআও ইয়া’তিয়া রাব্বুকা আও ইয়া’তিয়া বা‘দুআ-য়া-তি রাব্বিকা ইয়াওমা ইয়া’তী বা‘দুআ-য়া-তি রাব্বিকা লা-ইয়ানফা‘উ নাফছান ঈমা-নুহা-লাম তাকুন আ-মানাত মিন কাবলুআও কাছাবাত ফী ঈমা-নিহা-খাইরান কুলিনতাজিরূইন্না-মুনতাজিরূন।
আল বায়ান:
তারা কি এরই অপেক্ষা করছে যে, তাদের নিকট ফেরেশতাগণ হাযির হবে, কিংবা তোমার রব উপস্থিত হবে অথবা প্রকাশ পাবে তোমার রবের নিদর্শনসমূহের কিছু? যেদিন তোমার রবের নিদর্শনসমূহের কিছু প্রকাশ পাবে, সেদিন কোন ব্যক্তিরই তার ঈমান উপকারে আসবে না, যে পূর্বে ঈমান আনেনি, কিংবা সে তার ঈমানে কোন কল্যাণ অর্জন করেনি। বল, ‘তোমরা অপেক্ষা কর, আমরাও অপেক্ষা করছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি এই অপেক্ষায় আছে যে, তাদের কাছে ফেরেশতারা আসবে অথবা তোমার প্রতিপালক (স্বয়ং) আসবেন কিংবা তোমার রবেবর কিছু নিদর্শন আসবে (তখন তারা ঈমান আনবে)? যে দিন তোমার রবেবর কতক নিদর্শন এসে যাবে সে দিন ঐ ব্যক্তির ঈমান কোন সুফল দিবে না যে পূর্বে ঈমান আনেনি বা ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করেনি। বল, তোমরা অপেক্ষা কর (তাহলে দেখতে পাবে তোমাদের কুফরীর পরিণাম কী দাঁড়ায়), আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম (আমাদের পুরস্কার প্রাপ্তি ও তোমাদের পরিণতি দেখার জন্য)।
Sahih International:
Do they [then] wait for anything except that the angels should come to them or your Lord should come or that there come some of the signs of your Lord? The Day that some of the signs of your Lord will come no soul will benefit from its faith as long as it had not believed before or had earned through its faith some good. Say, "Wait. Indeed, we [also] are waiting."



اِنَّ الَّذِیْنَ فَرَّقُوْا دِیْنَهُمْ وَ کَانُوْا شِیَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِیْ شَیْءٍ ؕ اِنَّمَاۤ اَمْرُهُمْ اِلَی اللّٰهِ ثُمَّ یُنَبِّئُهُمْ بِمَا کَانُوْا یَفْعَلُوْنَ ﴿۱۵۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নালাযীনা ফাররাকূদীনাহুম ওয়া কা-নূশিয়া‘আল্লাছতা মিনহুম ফী শাইয়িন ইন্নামাআমরুহুম ইলাল্লা-হি ছুম্মা ইউনাব্বিউহুম বিমা-কা-নূইয়াফ‘আলূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা তাদের দীনকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোন ব্যাপারে তোমার দায়িত্ব নেই। তাদের বিষয়টি তো আল্লাহর নিকট। অতঃপর তারা যা করত, তিনি তাদেরকে সে বিষয়ে অবগত করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা নিজেদের (পূর্ণ পরিণত) দ্বীনকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করে নিয়েছে আর (আপন আপন অংশ নিয়ে) দলে দলে ভাগ হয়ে গেছে তাদের কোন কাজের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপারটি পুরোপুরি আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। (সময় হলেই) তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেবেন তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে।
Sahih International:
Indeed, those who have divided their religion and become sects - you, [O Muhammad], are not [associated] with them in anything. Their affair is only [left] to Allah; then He will inform them about what they used to do.



مَنْ جَآءَ بِالْحَسَنَۃِ فَلَهٗ عَشْرُ اَمْثَالِهَا ۚ وَ مَنْ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَلَا یُجْزٰۤی اِلَّا مِثْلَهَا وَ هُمْ لَا یُظْلَمُوْنَ ﴿۱۶۰﴾
উচ্চারণ:
মান জাআ বিল হাছানাতি ফালাহূ‘আশরু আমছা-লিহা- ওয়ামান জাআ বিছছাইয়িআতি ফালা-ইউজযা ইল্লা-মিছলাহা-ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।
আল বায়ান:
যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ গুণ। আর যে অসৎকাজ নিয়ে এসেছে, তাকে অনুরূপই প্রতিদান দেয়া হবে এবং তাদেরকে যুলম করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যে ব্যক্তি সৎকর্ম করবে তার জন্য আছে দশ গুণ পুরস্কার, আর যে ব্যক্তি অসৎকাজ করবে তাকে শুধু কৃতকর্মের তুল্য প্রতিফল দেয়া হবে, তাদের উপর অত্যাচার করা হবে না।
Sahih International:
Whoever comes [on the Day of Judgement] with a good deed will have ten times the like thereof [to his credit], and whoever comes with an evil deed will not be recompensed except the like thereof; and they will not be wronged.



قُلْ اِنَّنِیْ هَدٰىنِیْ رَبِّیْۤ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ۬ۚ دِیْنًا قِیَمًا مِّلَّۃَ اِبْرٰهِیْمَ حَنِیْفًا ۚ وَ مَا کَانَ مِنَ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿۱۶۱﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নানী হাদা-নী রাববীইলা-সিরা-তিম মুছতাকীমিন দীনান কিয়ামাম মিল্লাতা ইবরা-হীমা হানীফাওঁ ওয়া মা-কা-না মিনাল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আমার রব আমাকে সোজা পথের হিদায়াত দিয়েছেন। তা সুপ্রতিষ্ঠিত দীন, ইবরাহীমের আদর্শ, সে ছিল একনিষ্ঠ এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমাকে আমার রব্ব সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন (যা) সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন, একনিষ্ঠ ইবরাহীমের পথ। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
Sahih International:
Say, "Indeed, my Lord has guided me to a straight path - a correct religion - the way of Abraham, inclining toward truth. And he was not among those who associated others with Allah."



قُلْ اِنَّ صَلَاتِیْ وَ نُسُکِیْ وَ مَحْیَایَ وَ مَمَاتِیْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۶۲﴾ۙ
উচ্চারণ:
ক্বুল ইন্না ছলা-তী ওনুছুকী ওমাহ্ইয়া-ইয়া ওমামা-তী লিল্লা-হি রব্বিল্'আ-লামীন্
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি সকল সৃষ্টির রব’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ‘ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মরণ (সব কিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)।
Sahih International:
Say, "Indeed, my prayer, my rites of sacrifice, my living and my dying are for Allah, Lord of the worlds.



لَا شَرِیْکَ لَهٗ ۚ وَ بِذٰلِکَ اُمِرْتُ وَ اَنَا اَوَّلُ الْمُسْلِمِیْنَ ﴿۱۶۳﴾
উচ্চারণ:
লা-শারীকা লাহু ওয়া বিযা-লিকা উমিরতুওয়া আনা আওওয়ালুল মুসলিমীন।
আল বায়ান:
‘তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমাকে এরই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আর আমি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁর কোন শরীক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে আর আমিই সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণকারী।
Sahih International:
No partner has He. And this I have been commanded, and I am the first [among you] of the Muslims."



قُلْ اَغَیْرَ اللّٰهِ اَبْغِیْ رَبًّا وَّ هُوَ رَبُّ کُلِّ شَیْءٍ ؕ وَ لَا تَکْسِبُ کُلُّ نَفْسٍ اِلَّا عَلَیْهَا ۚ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزْرَ اُخْرٰی ۚ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمْ مَّرْجِعُکُمْ فَیُنَبِّئُکُمْ بِمَا کُنْتُمْ فِیْهِ تَخْتَلِفُوْنَ ﴿۱۶۴﴾
উচ্চারণ:
কুল আগাইরাল্লা-হি আবগী রাব্বাওঁ ওয়া হুয়া রাব্বুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া লা-তাকছিবুকুল্লু নাফছিন ইল্লা-‘আলাইহা- ওয়া লা- তাযিরু ওয়াযিরাতুওঁবিযরা উখরা- ছু ম্মা ইলা-রাব্বিকুম মারিজ‘উকুম ফাইউনাব্বিউকুম বিমা-কুনতুম ফীহি তাখতালিফূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন রব অনুসন্ধান করব’ অথচ তিনি সব কিছুর রব’? আর প্রতিটি ব্যক্তি যা অর্জন করে, তা শুধু তারই উপর বর্তায় আর কোন ভারবহনকারী অন্যের ভার বহন করবে না। অতঃপর তোমাদের রবের নিকটই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল। সুতরাং তিনি তোমাদেরকে সেই সংবাদ দেবেন, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি আল্লাহকে ছেড়ে অন্য প্রতিপালক তালাশ করব? (অথচ প্রকৃতপক্ষে) তিনিই সব কিছুর প্রতিপালক। প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করে তার জন্য সে নিজেই দায়ী হবে। কোন ভারবহনকারীই অন্যের গুনাহের ভার বহন করবে না। অবশেষে তোমাদের প্রত্যাবর্তন স্থল তোমাদের প্রতিপালকের নিকটেই, তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন যে সকল বিষয়ে তোমরা মতভেদে লিপ্ত ছিলে (সে সব বিষয়ে প্রকৃত সত্য কোনটি)।
Sahih International:
Say, "Is it other than Allah I should desire as a lord while He is the Lord of all things? And every soul earns not [blame] except against itself, and no bearer of burdens will bear the burden of another. Then to your Lord is your return, and He will inform you concerning that over which you used to differ."



وَ هُوَ الَّذِیْ جَعَلَکُمْ خَلٰٓئِفَ الْاَرْضِ وَ رَفَعَ بَعْضَکُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجٰتٍ لِّیَبْلُوَکُمْ فِیْ مَاۤ اٰتٰکُمْ ؕ اِنَّ رَبَّکَ سَرِیْعُ الْعِقَابِ ۫ۖ وَ اِنَّهٗ لَغَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۱۶۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী জা‘আলাকুম খালাইফাল আরদিওয়ারাফা‘আ বা‘দাকুম ফাওকা বা‘দিন দারাজা-তিল লিইয়াবলুওয়াকুম ফী মাআ-তাকুম ইন্না রাব্বাকা ছারী‘উল ‘ইকা-বি ওয়া ইন্নাহূলাগাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর তিনি সে সত্তা, যিনি তোমাদেরকে যমীনের খলীফা বানিয়েছেন এবং তোমাদের কতককে কতকের উপর মর্যাদা দিয়েছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে যা প্রদান করেছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। নিশ্চয় তোমার রব দ্রুত শাস্তিদানকারী এবং নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে পরস্পরের স্থলাভিষিক্ত বানিয়েছেন, মর্যাদায় তোমাদের কতককে কতকের উপরে স্থান দিয়েছেন, আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি ওগুলোর মাধ্যমে তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য, তোমার রবব তো শাস্তি দানে দ্রুত (ব্যবস্থা গ্রহণ করেন) আর তিনি অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
And it is He who has made you successors upon the earth and has raised some of you above others in degrees [of rank] that He may try you through what He has given you. Indeed, your Lord is swift in penalty; but indeed, He is Forgiving and Merciful.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।