আল কুরআন


সূরা আল-আন‘আম (আয়াত: 40)

সূরা আল-আন‘আম (আয়াত: 40)



হরকত ছাড়া:

قل أرأيتكم إن أتاكم عذاب الله أو أتتكم الساعة أغير الله تدعون إن كنتم صادقين ﴿٤٠﴾




হরকত সহ:

قُلْ اَرَءَیْتَکُمْ اِنْ اَتٰىکُمْ عَذَابُ اللّٰهِ اَوْ اَتَتْکُمُ السَّاعَۃُ اَغَیْرَ اللّٰهِ تَدْعُوْنَ ۚ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۴۰﴾




উচ্চারণ: কুল আরা’আইতাকুম ইন আতা-কুম ‘আযা-বুল্লা-হি আও আতাতকুমুছছা-‘আতু আগাইরাল্লা-হি তাদ‘ঊনা ইন কুনতুম সা-দিকীন।




আল বায়ান: বল, ‘তোমরা কি বিবেচনা কর, যদি তোমাদের কাছে আল্লাহর আযাব এসে যায় অথবা কিয়ামত আগমন করে, তবে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?




আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ৪০. বলুন, তোমরা আমাকে জানাও, যদি আল্লাহর শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হয় বা তোমাদের কাছে কিয়ামত উপস্থিত হয়, তবে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকেও ডাকবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?




তাইসীরুল ক্বুরআন: বল, তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের উপর যদি আল্লাহর শাস্তি এসে পড়ে কিংবা তোমাদের উপর ক্বিয়ামাত এসে যায় তাহলে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবে? (বল না) তোমরা যদি সত্যবাদী হও।




আহসানুল বায়ান: (৪০) বল, ‘তোমরা ভেবে দেখ যে, আল্লাহর শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হলে অথবা তোমাদের নিকট কিয়ামত উপস্থিত হলে, তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ডাকবে? যদি তোমরা সত্যবাদী হও (তাহলে উত্তর দাও)।



মুজিবুর রহমান: তুমি তাদেরকে বলঃ তোমরা যদি নিজেদের আদর্শে সত্যবাদী হও তাহলে চিন্তা করে দেখ, যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর শাস্তি এসে পড়ে অথবা তোমাদের নিকট কিয়ামাত দিবস এসে উপস্থিত হয় তখনও কি তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহকে ডাকবে?



ফযলুর রহমান: বল, “তোমরা বল দেখি, তোমাদের ওপর যদি আল্লাহর আজাব আসে অথবা তোমাদের কাছে কেয়ামত এসে পড়ে তাহলে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবে? (বল,) যদি তোমরা সত্যবাদী হও।”



মুহিউদ্দিন খান: বলুন, বলতো দেখি, যদি তোমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি পতিত হয় কিংবা তোমাদের কাছে কিয়ামত এসে যায়, তবে তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে ডাকবে যদি তোমরা সত্যবাদী হও।



জহুরুল হক: বলো -- "তোমরা কি ভেবে দেখেছ যে আল্লাহ্‌র শাস্তি তোমাদের উপরে যদি এসে পড়ে অথবা সেই ঘড়ি-ঘন্টা তোমাদের নিকটে উপস্থিত হয়, তোমরা কি আল্লাহ্ ছাড়া অপর কাউকে ডাকবে? যদি তোমরা সত্যবাদী হও।"



Sahih International: Say, "Have you considered: if there came to you the punishment of Allah or there came to you the Hour - is it other than Allah you would invoke, if you should be truthful?"



তাফসীরে যাকারিয়া

অনুবাদ: ৪০. বলুন, তোমরা আমাকে জানাও, যদি আল্লাহর শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হয় বা তোমাদের কাছে কিয়ামত উপস্থিত হয়, তবে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকেও ডাকবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?


তাফসীর:

-


তাফসীরে আহসানুল বায়ান

অনুবাদ: (৪০) বল, ‘তোমরা ভেবে দেখ যে, আল্লাহর শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হলে অথবা তোমাদের নিকট কিয়ামত উপস্থিত হলে, তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ডাকবে? যদি তোমরা সত্যবাদী হও (তাহলে উত্তর দাও)।


তাফসীর:

-


তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ


তাফসীর: ৪০-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর:



পূর্ববর্তী উম্মাতদেরকে আল্লাহ তা‘আলা বিভিন্ন বিপদ-আপদ, অভাব-অনটন দ্বারা পাকড়াও করেছিলেন যাতে তারা আল্লাহ তা‘আলার কাছে বিনীত হয়। তারা বিনীত না হয়ে অধিকন্তু তাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেল। কারণ শয়তান তাদের কাছে তাদের কাজ সুসজ্জিত করে দিয়েছে। অনুরূপভাবে এ উম্মাতের মুশরিকদেরকে পূর্ববর্তী মুশরিকদের শাস্তির কথা স্মরণ করে দিচ্ছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলছেন বলে দাও, যদি তাদের মত তোমাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার আযাব দেন অথবা কিয়ামত আসে তখন কি আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যান্য মা‘বূদদেরকে ডাকবে? না বরং মুশরিকরা বিপদে পড়লে আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকে আর বিপদ থেকে মুক্ত হলে আবার শির্কে লিপ্ত হয়।



যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:



(فَإِذَا رَكِبُوْا فِي الْفُلْكِ دَعَوُا اللّٰهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ ﹰ فَلَمَّا نَجَّاهُمْ إِلَي الْبَرِّ إِذَا هُمْ يُشْرِكُوْنَ)‏



“তারা যখন নৌযানে আরোহন করে তখন তারা বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন স্থলে ভিড়িয়ে তাদেরকে রক্ষা করেন, তখন তারা শির্কে লিপ্ত হয়।”(সূরা আনকাবূত ২৯:৬৫)



আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:



(وَإِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فِي الْبَحْرِ ضَلَّ مَنْ تَدْعُوْنَ إِلَّآ إِيَّاهُ ج فَلَمَّا نَجَّاكُمْ إِلَي الْبَرِّ أَعْرَضْتُمْ ط وَكَانَ الْإٍنْسَانُ كَفُوْرًا)‏



“সমুদ্রে যখন তোমাদেরকে বিপদ স্পর্শ করে তখন কেবল তিনি ব্যতীত অপর যাদেরকে তোমরা আহ্বান করে থাক, তারা অন্ত‎র্হিত হয়ে যায়; অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে উদ্ধার করে স্থলে আনেন তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। মানুষ অতিশয় অকৃতজ্ঞ।”(সূরা ইসরা ১৭:৬৭)



এ ছাড়াও সূরা ইউনুসের ২২-২৩ নং আয়াতে এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে।



কিন্তু আমাদের দেশের কিছু মানুষের অবস্থা তৎকালীন মক্কার মুশরিকদের চেয়ে জঘন্য। মক্কার মুশরিকরা বিপদ-আপদে সকল মা‘বূদ ছেড়ে দিয়ে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকত। আর আমাদের দেশের একশ্রেণির নামধারী মুসলিম বিপদ-আপদে আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন মাযারে, খানকায়, অলী-আওলিয়া, পীর ও গাউস কুতুব নামে পরিচিতদের কাছে দৌড়ায় যা প্রকাশ্য শির্ক। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন॥



(فَلَمَّا نَسُوْا مَا ذُكِّرُوْا بِه)



‘তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা যখন তা বিস্মৃত হল’ অর্থাৎ যখন তারা আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশিত আমল বর্জন করতঃ মুখ ফিরিয়ে নিল তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদের পরীক্ষার জন্য পার্থিব সুখ-সমৃদ্ধির যাবতীয় দরজা খুলে দিলেন। তারপর যখন তারা তাতে একেবারে নিমগ্ন হয়ে পড়ল এবং নিজেদের আর্থিক উন্নতির জন্য চরম অহংকার প্রদর্শন করতে আরম্ভ করল। তখন হঠাৎ আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে পাকড়াও করলেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন তোমরা দেখবে যে, আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতা সত্ত্বেও কাউকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী পার্থিব সুখ দিচ্ছেন, তখন জানবে এটা তার জন্য পরীক্ষার স্বরূপ অবকাশ, অতঃপর তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করেন। (সিলসিলা সহীহাহ হা: ৪১৪)



(دَابِرُ الْقَوْمِ) ‘সম্প্রদায়ের মূলোচ্ছেদ করা হল’অর্থাৎ জাতির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলকে ধ্বংস করে দেন।

সুতরাং পূর্ববর্তী অবাধ্য জাতিদের পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। বিপদ-আপদ ও সুখ-সাচ্ছন্দ্যে সর্বদা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে আহ্বান করাই আমাদের কর্তব্য।



আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:



১. পূর্ববর্তী জাতিকে বিভিন্ন বিপদ-আপদ দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

২. তারা বিপদের সম্মুখীন হয়ে আরো খারাপ হয়েছে।

৩. তৎকালীন মক্কার মুশরিকগণ বিপদে পড়লে সকল মা‘বূদ বাদ দিয়ে এক আল্লাহকে ডাকত।

৪. আমাদের দেশের নামধারী মুসলিম মুশরিকরা বিপদে পড়লে আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যান্য জীবিত, মৃত ব্যক্তি ও মা‘বূদকে ডাকে।

৫. আল্লাহ তা‘আলা পার্থিব জীবনে অপরাধী মানুষকে অবকাশ দিলেও পরকালে কোন ছাড় দিবেন না।


তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)


তাফসীর: ৪০-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর:

আল্লাহ তা'আলা স্বীয় সৃষ্টির মধ্যে সর্ব প্রকারের ক্ষমতা প্রয়োগে সক্ষম। না কেউ তার কোন হুকুম পরিবর্তন করতে পারে, না তার নির্দেশকে পিছনে ফেলতে পারে। যদি তার কাছে কিছু চাওয়া হয় তবে ইচ্ছা করলে তিনি তা কবূল করে থাকেন। তিনি বলেনঃ তোমরা কি দেখ না যে, যদি হঠাৎ করে কিয়ামত এসে পড়ে কিংবা আকস্মিকভাবে আল্লাহর শাস্তি এসে যায় তবে তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেও ডাকবে না। কেননা, তোমরা জান যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ এই শাস্তি সরাতে পারে না। যদি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকেও মাবুদ বলে মেনে নেয়ার ব্যাপারে সত্যবাদী হও তবে চিন্তা করে দেখ তো, তখন তো তোমরা আল্লাহকেই ডাকতে থাকবে। অতঃপর তিনি ইচ্ছা করলে ঐ শাস্তি সরিয়ে দেবেন। ঐ সময় তোমরা ঐসব অংশীদার ও প্রতিমাকে ভুলে যাবে। সমুদ্রে অবস্থানরত অবস্থায় যখন তোমরা কোন বিপদে পতিত হও তখন অন্যান্য অংশীদারদেরকে ভুলে গিয়ে তোমরা একমাত্র আল্লাহকেই ডেকে থাক।

আল্লাহ পাক বলেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের নিকটেও আমি নবীদেরকে পাঠিয়েছিলাম। যখন তারা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তখন আমি তাদেরকে ক্ষুধা ও সংকীর্ণতার শাস্তিতে জড়িয়ে ফেলি এবং ব্যাধি ও রোগ যন্ত্রণায় ভুগতে থাকি। উদ্দেশ্য এই যে, তারা যেন একমাত্র আমাকেই ডাকতে থাকে এবং আমার কাছে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করে। তাহলে যখন আমি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করি তখন তারা আমার নিকট বিনয়ী হয় না কেন? কথা এই যে, তাদের অন্তর পাথরের মত শক্ত হয়ে গেছে। তাই কোন কিছুই তাতে ক্রিয়াশীল হয় না। শয়তান তাদের শিক ও বিদ্রোহমূলক কার্যকলাপকে তাদের চোখে শোভনীয় করে তুলেছে। সুতরাং তারা যখন আমার সতর্কবাণীকে ভুলে গেছে এবং ঈমানের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করছে, আমি তখন তাদের জীবিকার দরজাকে পূর্ণভাবে খুলে দিয়েছি, যেন তাদের রশি আরও ঢিল পড়ে যায়। তারা যখন আল্লাহর বিধান ভুলে গিয়ে পার্থিব সুখ-শান্তিতে মেতে উঠেছে এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির মোহে পড়ে আমাকে সম্পূর্ণরূপে ভুলে বসেছে, এমতাবস্থায় হঠাৎ তাদের উপর আমার শাস্তি নেমে এসেছে কিংবা তারা মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেনঃ “যার জীবিকা প্রশস্ত হয়ে যায় সে এ কথা চিন্তাই করে না যে, এটাও আল্লাহ পাকের একটা পরীক্ষামূলক নীতি, পক্ষান্তরে যার জীবিকা সংকীর্ণ হয়ে যায় সেও এটা চিন্তা করে না যে, তাকে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং অবকাশ দেয়া হচ্ছে। কা'বার প্রভুর শপথ! যখন আল্লাহ তা'আলা পাপীকে পাকড়াও করার ইচ্ছা করেন তখন তাকে তিনি পার্থিব সুখ-শান্তিতে ডুবিয়ে দেন। কাতাদা (রঃ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা কোন কওমকে ততক্ষণ পর্যন্ত পাকড়াও করেননি যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সুখ সাগরে নিমগ্ন না হয়েছে। প্রতারিত হয়ো না। ফাসিক ও পাপী লোকেরাই প্রতারিত হয়ে থাকে। (আরবী) দ্বারা পার্থিব সুখ-শান্তি ও স্বচ্ছলতাকেই বুঝানো হয়েছে। ইবনুল আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “যখন তোমরা কাউকে দেখতে পাও যে, সে আল্লাহর নাফরমানী করছে, অথচ আল্লাহ তাকে পার্থিব সুখ-সম্পদে ডুবিয়ে রেখেছেন তখন তুমি বিশ্বাস করে নাও যে, এটা ছিল আল্লাহ পাকের তাকে ঢিল দেয়ার সময় এবং তা এখন শেষ হতে চলেছে।” অতঃপর তিনি উক্ত আয়াতটি পাঠ করেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা যখন কোন কওমকে অবশিষ্ট রাখার এবং তাদেরকে উন্নতি প্রদানের ইচ্ছে করেন তখন তাদেরকে পবিত্র থাকার এবং মধ্যমপন্থা অবলম্বী হওয়ার তাওফীক দান করে থাকেন। পক্ষান্তরে যে কওমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার তিনি ইচ্ছে করেন। তাদের উপর তিনি খিয়ানতের দরযা খুলে দেন এবং যখন সে গর্বিত হয়ে পড়ে তখন হঠাৎ তাকে পাকড়াও করেন। ফলে সে নিরাশ হয়ে বসে পড়ে। অতঃপর ঐ কওমের মূল শিকড় কেটে ফেলা হয়। আর সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপ্রভু আল্লাহরই জন্যে।





সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।