আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


سُبْحٰنَ الَّذِیْۤ اَسْرٰی بِعَبْدِهٖ لَیْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ اِلَی الْمَسْجِدِ الْاَقْصَا الَّذِیْ بٰرَکْنَا حَوْلَهٗ لِنُرِیَهٗ مِنْ اٰیٰتِنَا ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْبَصِیْرُ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ছুবহা-নাল্লাযীআছরা-বিআ‘বদিহী লাইলাম মিনাল মাছজিদিল হারা-মি ইলাল মাছজিদিল আকসাল্লাযী বা-রাকনা- হাওলাহূলিনুরিয়াহূমিন আ-য়া-তিনা- ইন্নাহূ হুওয়াছছামী‘উল বাসীর।
আল বায়ান:
পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা* পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তাঁর বান্দাহকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
Sahih International:
Exalted is He who took His Servant by night from al-Masjid al-Haram to al-Masjid al-Aqsa, whose surroundings We have blessed, to show him of Our signs. Indeed, He is the Hearing, the Seeing.



وَ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْکِتٰبَ وَ جَعَلْنٰهُ هُدًی لِّبَـنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ اَلَّا تَتَّخِذُوْا مِنْ دُوْنِیْ وَکِیْلًا ؕ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-তাইনা-মূছাল কিতা-বা ওয়া জা‘আলনা-হু হুদাল লিবানী ইছরাঈলা আল্লাতাত্তাখিযূমিন দূনী ওয়াকীলা-।
আল বায়ান:
আর আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তা বনী ইসরাঈলের জন্য পথনির্দেশ বানিয়েছি। যেন তোমরা আমাকে ছাড়া কোন কর্মবিধায়ক না বানাও।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম আর সেটাকে করেছিলাম ইসরাঈল বংশীয়দের জন্য সত্যপথের নির্দেশক। (তাতে নির্দেশ দিয়েছিলাম) যে, আমাকে ছাড়া অন্যকে কর্ম নিয়ন্তা গ্রহণ করো না।
Sahih International:
And We gave Moses the Scripture and made it a guidance for the Children of Israel that you not take other than Me as Disposer of affairs,



ذُرِّیَّۃَ مَنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوْحٍ ؕ اِنَّهٗ کَانَ عَبْدًا شَکُوْرًا ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
যুররিইইয়াতা মান হামালনা- মা‘আ নূহিন ইন্নাহূকা-না ‘আবদান শাকূরা-।
আল বায়ান:
সে তাদের বংশধর, যাদেরকে আমি নূহের সাথে আরোহণ করিয়েছিলাম, নিশ্চয় সে ছিল কৃতজ্ঞ বান্দা।
তাইসিরুল কুরআন:
(তোমরা তো) তাদের সন্তান! যাদেরকে আমি নূহের সঙ্গে নৌকায় বহন করেয়েছিলাম, সে ছিল এক শুকরগুজার বান্দা।
Sahih International:
O descendants of those We carried [in the ship] with Noah. Indeed, he was a grateful servant.



وَ قَضَیْنَاۤ اِلٰی بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ فِی الْکِتٰبِ لَتُفْسِدُنَّ فِی الْاَرْضِ مَرَّتَیْنِ وَ لَتَعْلُنَّ عُلُوًّا کَبِیْرًا ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাদাইনা ইলা-বানী ইছরাঈলা ফিল কিতা-বি লাতুফছিদুন্না ফিল আরদি মাররাতাইনি ওয়া লাতা‘লুন্না ‘উলুওওয়ান কাবীরা-।
আল বায়ান:
আর আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাবে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলাম যে, তোমরা যমীনে দু’বার অবশ্যই ফাসাদ করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মকভাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কিতাবের মাধ্যমে বানী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তোমরা অবশ্য অবশ্যই পৃথিবীর বুকে দু’ দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে আর অবশ্য অবশ্যই অত্যধিক গর্বে ফুলে উঠবে।
Sahih International:
And We conveyed to the Children of Israel in the Scripture that, "You will surely cause corruption on the earth twice, and you will surely reach [a degree of] great haughtiness.



فَاِذَا جَآءَ وَعْدُ اُوْلٰىهُمَا بَعَثْنَا عَلَیْکُمْ عِبَادًا لَّنَاۤ اُولِیْ بَاْسٍ شَدِیْدٍ فَجَاسُوْا خِلٰلَ الدِّیَارِ ؕ وَ کَانَ وَعْدًا مَّفْعُوْلًا ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-জাআ ওয়া‘দুঊলা-হুমা-বা‘আছনা -‘আলাইকুম ‘ইবা-দাল্লানাউলী বা’ছিন শাদীদিন ফাজা-ছূখিলা-লাদ দিয়া-রি ওয়া কা-না ওয়া‘দাম মাফ ‘ঊলা-।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন এ দু’য়ের প্রথম ওয়াদা আসল, তখন আমি তোমাদের উপর আমার কিছু বান্দা পাঠালাম, যারা কঠোর যুদ্ধবাজ। অতঃপর তারা ঘরে ঘরে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাল। আর এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন দু’টির মধ্যে প্রথমটির সময় এসে উপস্থিত হল, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দিলাম আমার বান্দাদেরকে যারা ছিল যুদ্ধে অতি শক্তিশালী, তারা (তোমাদের) ঘরের কোণায় কোণায় ঢুকে পড়ল, আর সতর্কবাণী পূর্ণ হল।
Sahih International:
So when the [time of] promise came for the first of them, We sent against you servants of Ours - those of great military might, and they probed [even] into the homes, and it was a promise fulfilled.



ثُمَّ رَدَدْنَا لَکُمُ الْکَرَّۃَ عَلَیْهِمْ وَ اَمْدَدْنٰکُمْ بِاَمْوَالٍ وَّ بَنِیْنَ وَ جَعَلْنٰکُمْ اَکْثَرَ نَفِیْرًا ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা রাদাদনা-লাকুমুল কাররাতা ‘আলাইহিম ওয়া আমদাদনা-কুম বিআমওয়া-লিওঁ ওয়া বানীনা ওয়া জা‘আলনা-কুম আকছারা নাফীরা-।
আল বায়ান:
তারপর আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জন্য পালা ঘুরিয়ে দিলাম, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে তোমাদেরকে মদদ করলাম এবং জনবলে তোমাদেরকে সংখ্যাধিক্যে পরিণত করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করলাম আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি দিয়ে সাহায্য করলাম, তোমাদেরকে জনবলে বহুগুণ বাড়িয়ে দিলাম।
Sahih International:
Then We gave back to you a return victory over them. And We reinforced you with wealth and sons and made you more numerous in manpower



اِنْ اَحْسَنْتُمْ اَحْسَنْتُمْ لِاَنْفُسِکُمْ ۟ وَ اِنْ اَسَاْتُمْ فَلَهَا ؕ فَاِذَا جَآءَ وَعْدُ الْاٰخِرَۃِ لِیَسُوْٓءٗا وُجُوْهَکُمْ وَ لِیَدْخُلُوا الْمَسْجِدَ کَمَا دَخَلُوْهُ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّ لِیُتَبِّرُوْا مَا عَلَوْا تَتْبِیْرًا ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইন আহছানতুম আহছানতুম লিআনফুছিকুম ওয়া ইন আছা’তুম ফালাহা- ফাইযাজাআ ওয়া‘দুল আ-খিরাতি লিইয়াছূঊ উজূহাকুম ওয়ালিইয়াদখুলুল মাছজিদা কামা-দাখালূহু আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া লিইউতাব্বিরূমা-‘আলাও তাতবীরা-।
আল বায়ান:
তোমরা যদি ভাল কর, তবে নিজদের জন্যই ভাল করবে এবং যদি মন্দ কর তবে তা নিজদের জন্যই। এরপর যখন পরবর্তী ওয়াদা এল, (তখন অন্য বান্দাদের প্রেরণ করলাম) যাতে তারা তোমাদের চেহারাসমূহ মলিন করে দেয়, আর যেন মসজিদে ঢুকে পড়ে যেমন ঢুকে পড়েছিল প্রথমবার এবং যাতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় যা ওদের কর্তৃত্বে ছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা ভাল কাজ করলে নিজেদের কল্যাণের জন্যই তা করবে, আর যদি তোমরা মন্দ কাজ কর, তাও করবে নিজেদেরই জন্য। অতঃপর যখন দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণের সময় আসলো, (তখন আমি তোমাদের শত্রুদেরকে শক্তি দিলাম) যেন তারা তোমাদের চেহারা বিকৃত করে দেয়, আর মাসজিদে (আকসায়) ঢুকে পড়ে যেভাবে তারা সেখানে প্রথমবার ঢুকে পড়েছিল, আর তাদের সম্মুখে যা পড়ে তাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়।
Sahih International:
[And said], "If you do good, you do good for yourselves; and if you do evil, [you do it] to yourselves." Then when the final promise came, [We sent your enemies] to sadden your faces and to enter the temple in Jerusalem, as they entered it the first time, and to destroy what they had taken over with [total] destruction.



عَسٰی رَبُّکُمْ اَنْ یَّرْحَمَکُمْ ۚ وَ اِنْ عُدْتُّمْ عُدْنَا ۘ وَ جَعَلْنَا جَهَنَّمَ لِلْکٰفِرِیْنَ حَصِیْرًا ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
‘আছা-রাব্বুকুম আই ইঁয়ারহামাকুম ওয়া ইন ‘উততুম ‘উদ না- ওয়া জা‘আলনাজাহান্নামা লিলকা-ফিরীনা হাসীরা-।
আল বায়ান:
আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের উপর রহম করবেন। কিন্তু তোমরা যদি পুনরায় কর, তাহলে আমিও পুনরায় করব। আর আমি জাহান্নামকে করেছি কাফিরদের জন্য কয়েদখানা।
তাইসিরুল কুরআন:
(এরপরও) হয়তো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন, কিন্তু যদি তোমরা (তোমাদের পূর্বকৃত পাপের) পুনরাবৃত্তি কর, তবে আমিও (পূর্বে দেয়া শাস্তির) পুনরাবৃত্তি করব। ঈমান প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য আমি জাহান্নামকে কারাগার বানিয়ে রেখেছি।
Sahih International:
[Then Allah said], "It is expected, [if you repent], that your Lord will have mercy upon you. But if you return [to sin], We will return [to punishment]. And We have made Hell, for the disbelievers, a prison-bed."



اِنَّ هٰذَا الْقُرْاٰنَ یَهْدِیْ لِلَّتِیْ هِیَ اَقْوَمُ وَ یُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِیْنَ الَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَهُمْ اَجْرًا کَبِیْرًا ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যাল কুরআ-না ইয়াহদী লিল্লাতী হিয়া আকওয়ামুওয়াইউবাশশিরুল মু’মিনীনাল্লাযীনা ইয়া‘মালূনাসসা-লিহা-তি আন্না লাহুম আজরান কাবীরা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এ কুরআন এমন একটি পথ দেখায় যা সবচেয়ে সরল এবং যে মুমিনগণ নেক আমল করে তাদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয়ই এ কুরআন সেই পথ দেখায় যা সোজা ও সুপ্রতিষ্ঠিত, আর যারা সৎ কাজ করে সেই মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার।
Sahih International:
Indeed, this Qur'an guides to that which is most suitable and gives good tidings to the believers who do righteous deeds that they will have a great reward.



وَّ اَنَّ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ اَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا اَلِیْمًا ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি আ‘তাদনা-লাহুম ‘আযা-বান আলীমা-।
আল বায়ান:
আর যারা আখিরাতে ঈমান রাখে না আমি তাদের জন্য প্রস্ত্তত করেছি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (তা সংবাদ দেয় যে) যারা আখেরাতে ঈমান আনে না, তাদের জন্য আমি ভয়ঙ্কর ‘আযাব প্রস্তুত করে রেখেছি।
Sahih International:
And that those who do not believe in the Hereafter - We have prepared for them a painful punishment.



وَ یَدْعُ الْاِنْسَانُ بِالشَّرِّ دُعَآءَهٗ بِالْخَیْرِ ؕ وَ کَانَ الْاِنْسَانُ عَجُوْلًا ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াদ‘উল ইনছা-নুবিশশাররি দু‘আআহূবিলখাইরি ওয়া কানা-ল ইনছা-নু ‘আজূলা-।
আল বায়ান:
আর মানুষ অকল্যাণের দোআ করে, যেমন তার দোআ হয় কল্যাণের জন্য। আর মানুষ তো তাড়াহুড়াপ্রবণ।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ (তার নির্বুদ্ধিতার কারণে কল্যাণকর ভেবে) অকল্যাণ প্রার্থনা করে যেমনভাবে কল্যাণ প্রার্থনা করা উচিত। মানুষ বড়ই তাড়াহুড়াকারী।
Sahih International:
And man supplicates for evil as he supplicates for good, and man is ever hasty.



وَ جَعَلْنَا الَّیْلَ وَ النَّهَارَ اٰیَتَیْنِ فَمَحَوْنَاۤ اٰیَۃَ الَّیْلِ وَ جَعَلْنَاۤ اٰیَۃَ النَّهَارِ مُبْصِرَۃً لِّتَبْتَغُوْا فَضْلًا مِّنْ رَّبِّکُمْ وَ لِتَعْلَمُوْا عَدَدَ السِّنِیْنَ وَ الْحِسَابَ ؕ وَ کُلَّ شَیْءٍ فَصَّلْنٰهُ تَفْصِیْلًا ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনাল্লাইলা ওয়ান্নাহা-রাআ-ইয়াতাইনি ফামা হাওনাআ-য়াতাল্লাইলি ওয়া জা‘আলনাআ-য়াতান্নাহা-রি মুবসিরাতাল লিতাবতাগূফাদলাম মির রাব্বিকুম ওয়ালিতা‘লামূ‘আদাদাছ ছিনীনা ওয়াল হিছা-বা ওয়া কুল্লা শাইয়িন ফাসসালনা-হু তাফসীলা-।
আল বায়ান:
আর আমি রাত ও দিনকে করেছি দু’টো নিদর্শন। অতঃপর মুছে দিয়েছি রাতের নিদর্শন এবং দিনের নিদর্শনকে করেছি আলোকময়, যাতে তোমরা তোমাদের রবের অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যাতে তোমরা বর্ষসংখ্যা ও হিসাব জানতে পার। আর আমি প্রত্যেক বিষয় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি রাত আর দিনকে দু’টো নিদর্শন বানিয়েছি। আমি রাতের নিদর্শনটিকে জ্যোতিহীন করেছি, আর দিনের নিদর্শনটিকে করেছি আলোয় উজ্জ্বল যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পার আর যাতে বছরের সংখ্যা আর হিসাব জানতে পার; আমি সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছি।
Sahih International:
And We have made the night and day two signs, and We erased the sign of the night and made the sign of the day visible that you may seek bounty from your Lord and may know the number of years and the account [of time]. And everything We have set out in detail.



وَ کُلَّ اِنْسَانٍ اَلْزَمْنٰهُ طٰٓئِرَهٗ فِیْ عُنُقِهٖ ؕ وَ نُخْرِجُ لَهٗ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ کِتٰبًا یَّلْقٰىهُ مَنْشُوْرًا ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল্লা ইনছা-নিন আলযামনা-হু তাইরাহূফী ‘উনুকিহী ওয়ানুখরিজুলাহূইয়াওমাল কিয়া-মাতি কিতা-বাইঁ ইয়ালকা-হু মানশূরা-।
আল বায়ান:
আর আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার ঘাড়ে সংযুক্ত করে দিয়েছি এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য আমি বের করব একটি কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি প্রত্যেক লোকের ভাগ্য তার কাঁধেই ঝুলিয়ে রেখেছি (অর্থাৎ তার ভাগ্যের ভাল-মন্দের কারণ তার নিজের মধ্যেই নিহিত আছে) আর ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আমি এক কিতাব বের করব যাকে সে উন্মুক্ত অবস্থায় পাবে।
Sahih International:
And [for] every person We have imposed his fate upon his neck, and We will produce for him on the Day of Resurrection a record which he will encounter spread open.



اِقْرَاْ کِتٰبَکَ ؕ کَفٰی بِنَفْسِکَ الْیَوْمَ عَلَیْکَ حَسِیْبًا ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ইকরা’ কিতা-বাকা কাফা-বিনাফছিকাল ইয়াওমা ‘আলাইকা হাছীবা-।
আল বায়ান:
পাঠ কর তোমার কিতাব, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশকারী হিসেবে যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
(তাকে বলা হবে) ‘পাঠ কর তোমার কিতাব, আজ তোমার হিসাব নেয়ার ব্যাপারে তুমিই যথেষ্ট।’
Sahih International:
[It will be said], "Read your record. Sufficient is yourself against you this Day as accountant."



مَنِ اهْتَدٰی فَاِنَّمَا یَهْتَدِیْ لِنَفْسِهٖ ۚ وَ مَنْ ضَلَّ فَاِنَّمَا یَضِلُّ عَلَیْهَا ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزْرَ اُخْرٰی ؕ وَ مَا کُنَّا مُعَذِّبِیْنَ حَتّٰی نَبْعَثَ رَسُوْلًا ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
মানিহতাদা-ফাইন্নামা-ইয়াহতাদী লিনাফছিহী ওয়ামান দাল্লা ফাইন্নামা-ইয়াদিল্লু ‘আলাইহা ওয়ালা-তাযিরু ওয়া-যিরাতুওঁবিযরা উখরা- ওয়ামা-কুন্নামু‘আযযি বীনা হাত্তা-নাব‘আছা রাছূলা-।
আল বায়ান:
যে হিদায়াত গ্রহণ করে, সে তো নিজের জন্যই হিদায়াত গ্রহণ করে এবং যে পথভ্রষ্ট হয় সে নিজের (স্বার্থের) বিরুদ্ধেই পথভ্রষ্ট হয়। আর কোন বহনকারী অপরের (পাপের) বোঝা বহন করবে না। আর রাসূল প্রেরণ না করা পর্যন্ত আমি আযাবদাতা নই।
তাইসিরুল কুরআন:
যে সঠিক পথে চলবে সে তার নিজের কল্যাণের জন্যই সঠিক পথে চলবে, আর যে গুমরাহ হবে তার গুমরাহীর পরিণাম তার নিজের উপরেই পড়বে। কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না। আমি ‘আযাব দেই না যতক্ষণ একজন রসূল না পাঠাই।
Sahih International:
Whoever is guided is only guided for [the benefit of] his soul. And whoever errs only errs against it. And no bearer of burdens will bear the burden of another. And never would We punish until We sent a messenger.



وَ اِذَاۤ اَرَدْنَاۤ اَنْ نُّهْلِکَ قَرْیَۃً اَمَرْنَا مُتْرَفِیْهَا فَفَسَقُوْا فِیْهَا فَحَقَّ عَلَیْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنٰهَا تَدْمِیْرًا ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাআরাদনাআননুহলিকা কারইয়াতান আমারনা-মুতরাফীহা-ফাফাছাকূ ফীহাফাহাককা ‘আলাইহাল কাওলুফাদাম্মার না-হা-তাদমীরা-।
আল বায়ান:
আর যখন আমি কোন জনপদ ধ্বংস করার ইচ্ছা করি, তখন তার সম্পদশালীদেরকে (সৎকাজের) আদেশ করি। অতঃপর তারা তাতে সীমালঙ্ঘন করে। তখন তাদের উপর নির্দেশটি সাব্যস্ত হয়ে যায় এবং আমি তা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যখন কোন জনবসতিকে ধ্বংস করতে চাই তখন তাদের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে আদেশ করি (আমার আদেশ মেনে চলার জন্য)। কিন্তু তারা অবাধ্যতা করতে থাকে। তখন সে জনবসতির প্রতি আমার ‘আযাবের ফায়সালা সাব্যস্ত হয়ে যায়। তখন আমি তা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করে দেই।
Sahih International:
And when We intend to destroy a city, We command its affluent but they defiantly disobey therein; so the word comes into effect upon it, and We destroy it with [complete] destruction.



وَ کَمْ اَهْلَکْنَا مِنَ الْقُرُوْنِ مِنْۢ بَعْدِ نُوْحٍ ؕ وَ کَفٰی بِرَبِّکَ بِذُنُوْبِ عِبَادِهٖ خَبِیْرًۢا بَصِیْرًا ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাম আহলাকনা-মিনাল কুরূনি মিম বা‘দি নূহিওঁ ওয়া কাফা-বিরাব্বিকা বিযুনূবি ‘ইবা-দিহী খাবীরাম বাসীরা-।
আল বায়ান:
আর নূহের পর আমি কত প্রজন্ম ধ্বংস করেছি! তোমার রব তাঁর বান্দাদের পাপের ব্যাপারে পূর্ণ অবহিত ও সর্বদ্রষ্টা হিসেবে যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
নূহের পর বহু বংশধারাকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, বান্দাদের পাপকাজের খবর রাখা আর লক্ষ্য রাখার জন্য তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট।
Sahih International:
And how many have We destroyed from the generations after Noah. And sufficient is your Lord, concerning the sins of His servants, as Acquainted and Seeing.



مَنْ کَانَ یُرِیْدُ الْعَاجِلَۃَ عَجَّلْنَا لَهٗ فِیْهَا مَا نَشَآءُ لِمَنْ نُّرِیْدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهٗ جَهَنَّمَ ۚ یَصْلٰىهَا مَذْمُوْمًا مَّدْحُوْرًا ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
মান কা-না ইউরীদুল ‘আ-জিলাতা ‘আজ্জালনা-লাহূফীহা-মা-নাশাউ লিমান নুরীদুছুম্মা জা‘আলনা-লাহূজাহান্নামা ইয়াসলা-হা-মাযমূমাম মাদহূরা-।
আল বায়ান:
যে দুনিয়া চায় আমি সেখানে তাকে দ্রুত দিয়ে দেই, যা আমি চাই, যার জন্য চাই। তারপর তার জন্য নির্ধারণ করি জাহান্নাম, সেখানে সে প্রবেশ করবে নিন্দিত, বিতাড়িত অবস্থায়।
তাইসিরুল কুরআন:
যে কেউ নগদ নগদ পেতে চায় তাকে আমি এখানেই জলদি করে দিয়ে দেই যাকে যা দিতে ইচ্ছে করি, অবশেষে তার জন্য জাহান্নাম নির্ধারণ করি। তাতে সে জ্বলবে ধিকৃত ও রহমাত বঞ্চিত অবস্থায়।
Sahih International:
Whoever should desire the immediate - We hasten for him from it what We will to whom We intend. Then We have made for him Hell, which he will [enter to] burn, censured and banished.



وَ مَنْ اَرَادَ الْاٰخِرَۃَ وَ سَعٰی لَهَا سَعْیَهَا وَ هُوَ مُؤْمِنٌ فَاُولٰٓئِکَ کَانَ سَعْیُهُمْ مَّشْکُوْرًا ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান আরা-দাল আ-খিরাতা ওয়া ছা‘আ- লাহা- ছা‘ইয়াহা- ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফাউলাইকা কা-না ছা‘ইউহুম মাশকূরা-।
আল বায়ান:
আর যে আখিরাত চায় এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে মুমিন অবস্থায়, তাদের চেষ্টা হবে পুরস্কারযোগ্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে ব্যক্তি আখিরাত কামনা করে আর তার জন্য চেষ্টা করে যতখানি চেষ্টা করা দরকার আর সে মু’মিনও, এরাই হল তারা যাদের চেষ্টা সাধনা সাদরে গৃহীত হবে।
Sahih International:
But whoever desires the Hereafter and exerts the effort due to it while he is a believer - it is those whose effort is ever appreciated [by Allah].



کُلًّا نُّمِدُّ هٰۤؤُلَآءِ وَ هٰۤؤُلَآءِ مِنْ عَطَآءِ رَبِّکَ ؕ وَ مَا کَانَ عَطَـآءُ رَبِّکَ مَحْظُوْرًا ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
কুল্লান নুমিদ্দুহাউলাই ওয়া হাউলাই মিন ‘আতাই রাব্বিকা ওয়ামা-কা-না ‘আতাউ রাব্বিকা মাহজূরা-।
আল বায়ান:
এদের ও ওদের প্রত্যেককে আমি তোমার রবের দান থেকে সাহায্য করি, আর তোমার রবের দান বন্ধ হওয়ার নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের দান থেকে আমি এদেরকে আর ওদেরকে সকলকেই সাহায্য করে থাকি, তোমার প্রতিপালকের দান তো বন্ধ হওয়ার নয়।
Sahih International:
To each [category] We extend - to these and to those - from the gift of your Lord. And never has the gift of your Lord been restricted.



اُنْظُرْ کَیْفَ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلٰی بَعْضٍ ؕ وَ لَلْاٰخِرَۃُ اَکْبَرُ دَرَجٰتٍ وَّ اَکْبَرُ تَفْضِیْلًا ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
উনজু র কাইফা ফাদ্দালনা-বা‘দাহুম ‘আলা-বা‘দিওঁ ওয়ালাল আ-খিরাতুআকবারু দারাজা-তিওঁ ওয়া আকবারু তাফদীলা-।
আল বায়ান:
ভেবে দেখ, আমি তাদের কতককে কতকের উপর কিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। আর আখিরাত নিশ্চয়ই মর্যাদায় মহান এবং শ্রেষ্ঠত্বে বৃহত্তর।
তাইসিরুল কুরআন:
লক্ষ্য কর, আমি তাদের কতককে অন্যদের উপর কীভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি, আর আখিরাত তো নিশ্চয়ই মর্যাদায় সর্বোচ্চ ও গুণে সর্বোত্তম।
Sahih International:
Look how We have favored [in provision] some of them over others. But the Hereafter is greater in degrees [of difference] and greater in distinction.



لَا تَجْعَلْ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتَقْعُدَ مَذْمُوْمًا مَّخْذُوْلًا ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
লা-তাজ‘আল মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাতাক‘উদা মাযমূমাম মাখযূলা-।
আল বায়ান:
আল্লাহর সাথে অপর কোন ইলাহ নির্ধারণ করো না। তাহলে তুমি নিন্দিত ও লাঞ্ছিত হয়ে বসে পড়বে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ সাব্যস্ত করো না, করলে তিরস্কৃত হতভাগ্য হয়ে পড়ে থাকবে।
Sahih International:
Do not make [as equal] with Allah another deity and [thereby] become censured and forsaken.



وَ قَضٰی رَبُّکَ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ وَ بِالْوَالِدَیْنِ اِحْسَانًا ؕ اِمَّا یَبْلُغَنَّ عِنْدَکَ الْکِبَرَ اَحَدُهُمَاۤ اَوْ کِلٰهُمَا فَلَا تَقُلْ لَّهُمَاۤ اُفٍّ وَّ لَا تَنْهَرْهُمَا وَ قُلْ لَّهُمَا قَوْلًا کَرِیْمًا ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাদা-রাব্বুকা আল্লা-তা‘বুদূ ইল্লাইয়্যা-হু ওয়াবিলওয়া-লিদাইনি ইহছা-নান ইম্মা-ইয়াবলুগান্না ‘ইনদাকাল কিবারা আহাদুহুমাআও কিলা-হুমা-ফালা-তাকুল লাহুমা উফফিওঁ ওয়ালা-তানহারহুমা-ওয়া কুল লাহুমা-কাওলান কারীমা-।
আল বায়ান:
আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক হুকুম জারি করেছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারো ‘ইবাদাত করো না, আর পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন বা তাদের উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে বিরক্তি বা অবজ্ঞাসূচক কথা বলো না, আর তাদেরকে ভৎর্সনা করো না। তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল।
Sahih International:
And your Lord has decreed that you not worship except Him, and to parents, good treatment. Whether one or both of them reach old age [while] with you, say not to them [so much as], "uff," and do not repel them but speak to them a noble word.



وَ اخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَۃِ وَ قُلْ رَّبِّ ارْحَمْهُمَا کَمَا رَبَّیٰنِیْ صَغِیْرًا ﴿ؕ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াখফিদলাহুমা-জানা-হাযযুলিল মিনার রাহমাতি ওয়াকু র রাব্বির হামহুমা-কামারাব্বাইয়া-নী সাগীরা-।
আল বায়ান:
আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য সদয়ভাবে নম্রতার বাহু প্রসারিত করে দাও আর বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া কর যেমনভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন পালন করেছেন।’
Sahih International:
And lower to them the wing of humility out of mercy and say, "My Lord, have mercy upon them as they brought me up [when I was] small."



رَبُّکُمْ اَعْلَمُ بِمَا فِیْ نُفُوْسِکُمْ ؕ اِنْ تَکُوْنُوْا صٰلِحِیْنَ فَاِنَّهٗ کَانَ لِلْاَوَّابِیْنَ غَفُوْرًا ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
রাব্বুকুম আ‘লামুবিমা ফী নুফূছিকুম ইন তাকূনূসা-লিহীনা ফাইন্নাহূকা-না লিল আওওয়া-বীনা গাফূরা-।
আল বায়ান:
তোমাদের অন্তরে যা আছে, সে সম্পর্কে তোমাদের রবই অধিক জ্ঞাত। যদি তোমরা নেককার হও তবে তিনি তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রতি অধিক ক্ষমাশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের প্রতিপালক খুব ভাল করেই জানেন তোমাদের অন্তরে কী আছে। তোমরা যদি সৎকর্মশীল হও, তবে যারা বার বার তাঁর দিকে ফিরে আসে তিনি তো তাদের প্রতি পরম ক্ষমাশীল।
Sahih International:
Your Lord is most knowing of what is within yourselves. If you should be righteous [in intention] - then indeed He is ever, to the often returning [to Him], Forgiving.



وَ اٰتِ ذَاالْقُرْبٰی حَقَّهٗ وَ الْمِسْکِیْنَ وَ ابْنَ السَّبِیْلِ وَ لَا تُبَذِّرْ تَبْذِیْرًا ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-তি যাল কুরবা-হাক্কাহূওয়াল মিছকীনা ওয়াবনাছ ছাবীলি ওয়ালা-তুবাযযি র তাবযীরা-।
আল বায়ান:
আর আত্মীয়কে তার হক দিয়ে দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকেও। আর কোনভাবেই অপব্যয় করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আত্মীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য অধিকার দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরকেও, আর অপব্যয়ে অপচয় করো না।
Sahih International:
And give the relative his right, and [also] the poor and the traveler, and do not spend wastefully.



اِنَّ الْمُبَذِّرِیْنَ کَانُوْۤا اِخْوَانَ الشَّیٰطِیْنِ ؕ وَ کَانَ الشَّیْطٰنُ لِرَبِّهٖ کَفُوْرًا ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুবাযযি রীনা কা-নূইখওয়া-নাশশাইয়া-তীনি ওয়া কা-নাশ শাইতা-নু লিরাব্বিহী কাফূরা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি খুবই অকৃতজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই আর শয়তান তো তার প্রতিপালকের প্রতি না-শোকর।
Sahih International:
Indeed, the wasteful are brothers of the devils, and ever has Satan been to his Lord ungrateful.



وَ اِمَّا تُعْرِضَنَّ عَنْهُمُ ابْتِغَآءَ رَحْمَۃٍ مِّنْ رَّبِّکَ تَرْجُوْهَا فَقُلْ لَّهُمْ قَوْلًا مَّیْسُوْرًا ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইম্মা-তু‘রিদান্না ‘আনহুমুবতিগাআ রাহমাতিম মির রাব্বিকা তারজূহা-ফাকুল লাহুম কাওলাম মাইছূরা-।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি তাদের থেকে বিমুখ থাকতেই চাও তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতের প্রত্যাশায় যা তুমি চাচ্ছ, তাহলে তাদের সাথে নম্র কথা বলবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি তাদেরকে (অর্থাৎ অভাবী আত্মীয়, মিসকীন ও মুসাফিরদেরকে) পাশ কাটাতে চাও এজন্য যে, তুমি এখনও নিজের জন্য তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ লাভের সন্ধানে ব্যাপৃত যা তুমি প্রত্যাশা কর, এমতাবস্থায় তাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বল।
Sahih International:
And if you [must] turn away from the needy awaiting mercy from your Lord which you expect, then speak to them a gentle word.



وَ لَا تَجْعَلْ یَدَکَ مَغْلُوْلَۃً اِلٰی عُنُقِکَ وَ لَا تَبْسُطْهَا کُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُوْمًا مَّحْسُوْرًا ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা- তাজ‘আল ইয়াদাকা মাগলূলাতান ইলা- ‘উনুকিকা ওয়ালা- তাবছুতহা- কুল্লাল বাছতিফাতাক‘উদা মালূমাম মাহছূরা-।
আল বায়ান:
আর তুমি তোমার হাত তোমার ঘাড়ে আবদ্ধ রেখো না এবং তা পুরোপুরি প্রসারিত করো না*, তাহলে তুমি নিন্দিত ও নিঃস্ব হয়ে বসে পড়বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার হাতকে তোমার গলার সাথে বেঁধে দিও না, আর তা একেবারে প্রসারিত করেও দিওনা, তা করলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে বসে পড়বে।
Sahih International:
And do not make your hand [as] chained to your neck or extend it completely and [thereby] become blamed and insolvent.



اِنَّ رَبَّکَ یَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ یَقْدِرُ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِعِبَادِهٖ خَبِیْرًۢا بَصِیْرًا ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না রাব্বাকা ইয়াবছুতুর রিযকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াকদিরু ইন্নাহূকা-না বি‘ইবা-দিহী খাবীরাম বাসীরা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার রব যাকে ইচ্ছা তার জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দেন এবং সীমিত করে দেন। তিনি অবশ্যই তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত, পূর্ণ দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক যার জন্য ইচ্ছে রিযক্ প্রশস্ত করেন, যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন, তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে ওয়াকিফহাল, প্রত্যক্ষদর্শী।
Sahih International:
Indeed, your Lord extends provision for whom He wills and restricts [it]. Indeed He is ever, concerning His servants, Acquainted and Seeing.



وَ لَا تَقْتُلُوْۤا اَوْلَادَکُمْ خَشْیَۃَ اِمْلَاقٍ ؕ نَحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَ اِیَّاکُمْ ؕ اِنَّ قَتْلَهُمْ کَانَ خِطْاً کَبِیْرًا ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকতুলূআওলা-দাকুম খাশইয়াতা ইমলা-কিন নাহনুনারযুকুহুম ওয়া ইয়্যাকুম ইন্না কাতলাহুম কা-না খিতআন কাবীরা-।
আল বায়ান:
অভাব-অনটনের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিয্ক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ।
তাইসিরুল কুরআন:
দরিদ্রতার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিযক দেই আর তোমাদেরকেও, তাদের হত্যা মহাপাপ।
Sahih International:
And do not kill your children for fear of poverty. We provide for them and for you. Indeed, their killing is ever a great sin.



وَ لَا تَقْرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّهٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیْلًا ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকরাবুয যিনাইন্নাহূকা-না ফা-হিশাতাওঁ ওয়া ছাআ ছাবীলা-।
আল বায়ান:
আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ।
Sahih International:
And do not approach unlawful sexual intercourse. Indeed, it is ever an immorality and is evil as a way.



وَ لَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِیْ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالْحَقِّ ؕ وَ مَنْ قُتِلَ مَظْلُوْمًا فَقَدْ جَعَلْنَا لِوَلِیِّهٖ سُلْطٰنًا فَلَا یُسْرِفْ فِّی الْقَتْلِ ؕ اِنَّهٗ کَانَ مَنْصُوْرًا ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকতুলুন্নাফছাল্লাতী হাররামাল্লা-হু ইল্লা-বিল হাক্কি ওয়া মান কুতিলা মাজলূমান ফাকাদ জা‘আলনা-লিওয়ালিইয়িহী ছুলতা-নান ফালা-ইউছরিফ ফিল কাতলি ইন্নাহূকা-না মানসূরা-।
আল বায়ান:
আর তোমরা সেই নাফ্সকে হত্যা করো না, যা আল্লাহ হারাম করেছেন, সঙ্গত কারণ ছাড়া। যে অন্যায়ভাবে নিহত হয় আমি অবশ্যই তার অভিভাবককে ক্ষমতা দিয়েছি। সুতরাং হত্যার ব্যাপারে সে সীমালঙ্ঘন করবে না; নিশ্চয় সে হবে সাহায্যপ্রাপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
যথাযথ কারণ ছাড়া আল্লাহ যাকে হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন তাকে হত্যা করো না। কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে আমি তার উত্তরাধিকারীকে অধিকার দিয়েছি (কিসাস দাবী করার বা ক্ষমা করে দেয়ার) কাজেই সে যেন হত্যার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন না করে, কারণ তাকে তো সাহায্য করা হয়েছে (আইন-বিধান দিয়ে)।
Sahih International:
And do not kill the soul which Allah has forbidden, except by right. And whoever is killed unjustly - We have given his heir authority, but let him not exceed limits in [the matter of] taking life. Indeed, he has been supported [by the law].



وَ لَا تَقْرَبُوْا مَالَ الْیَتِیْمِ اِلَّا بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ حَتّٰی یَبْلُغَ اَشُدَّهٗ ۪ وَ اَوْفُوْا بِالْعَهْدِ ۚ اِنَّ الْعَهْدَ کَانَ مَسْـُٔوْلًا ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকরাবূমা-লাল ইয়াতীমি ইল্লা-বিল্লাতী হিয়া আহছানুহাত্তা-ইয়াবলুগা আশুদ্দাহূ ওয়া আওফূবিল‘আহদি ইন্নাল ‘আহদা কা-না মাছউলা।
আল বায়ান:
আর তোমরা ইয়াতীমের সম্পদের কাছে যেয়ো না সুন্দরতম পন্থা* ছাড়া, যতক্ষণ না সে বয়সের পূর্ণতায় উপনীত হয়। আর অঙ্গীকার পূর্ণ কর, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ইয়াতীম বয়োপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তার সম্পদের কাছেও যেয়ো না সৎ উদ্দেশ্য ব্যতীত। আর ওয়া‘দা পূর্ণ কর, ওয়া‘দা সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Sahih International:
And do not approach the property of an orphan, except in the way that is best, until he reaches maturity. And fulfill [every] commitment. Indeed, the commitment is ever [that about which one will be] questioned.



وَ اَوْفُوا الْکَیْلَ اِذَا کِلْتُمْ وَ زِنُوْا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِیْمِ ؕ ذٰلِکَ خَیْرٌ وَّ اَحْسَنُ تَاْوِیْلًا ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আওফুল কাইলা ইযা-কিলতুম ওয়াযিনূবিলকিছতা-ছিল মুছতাকীমি যা-লিকা খাইরুওঁ ওয়া আহছানুতা’বীলা-।
আল বায়ান:
আর মাপে পরিপূর্ণ দাও যখন তোমরা পরিমাপ কর এবং সঠিক দাঁড়িপাল্লায় ওযন কর। এটা কল্যাণকর ও পরিণামে সুন্দরতম।
তাইসিরুল কুরআন:
মাপ দেয়ার সময় মাপ পূর্ণমাত্রায় করবে, আর ওজন করবে ত্রুটিহীন দাঁড়িপাল্লায়। এটাই উত্তম নীতি আর পরিণামেও তা উৎকৃষ্ট।
Sahih International:
And give full measure when you measure, and weigh with an even balance. That is the best [way] and best in result.



وَ لَا تَقْفُ مَا لَیْسَ لَکَ بِهٖ عِلْمٌ ؕ اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ کُلُّ اُولٰٓئِکَ کَانَ عَنْهُ مَسْـُٔوْلًا ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকফুমা-লাইছা লাকা বিহী ‘ইলমুন ইন্নাছ ছাম‘আ ওয়াল বাসারা ওয়াল ফুআ-দা কুল্লুউলাইকা কা-না ‘আনহু মাছঊলা-।
আল বায়ান:
আর যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সে বিষয়ের পেছনে ছুটো না, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই। কান, চোখ আর অন্তর- এগুলোর সকল বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Sahih International:
And do not pursue that of which you have no knowledge. Indeed, the hearing, the sight and the heart - about all those [one] will be questioned.



وَ لَا تَمْشِ فِی الْاَرْضِ مَرَحًا ۚ اِنَّکَ لَنْ تَخْرِقَ الْاَرْضَ وَ لَنْ تَبْلُغَ الْجِبَالَ طُوْلًا ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লা-তামশি ফিল আরদিমারাহান ইন্নাকা লান তাখরিকাল আরদা ওয়া লান তাবলুগাল জিবা-লা তূলা-।
আল বায়ান:
আর যমীনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো যমীনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যমীনে গর্বভরে চলাফেরা করো না, তুমি কক্ষনো যমীনকে বিদীর্ণ করতে পারবে না, আর উচ্চতায় পর্বতের ন্যায় হতেও পারবে না।
Sahih International:
And do not walk upon the earth exultantly. Indeed, you will never tear the earth [apart], and you will never reach the mountains in height.



کُلُّ ذٰلِکَ کَانَ سَیِّئُهٗ عِنْدَ رَبِّکَ مَکْرُوْهًا ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
কুল্লুযা-লিকা কা-না ছাইয়িউহূ‘ইনদা রাব্বিকা মাক রূহা-।
আল বায়ান:
এ সবের যা মন্দ তা তোমার রবের নিকট অপছন্দনীয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এগুলোর মধ্যে যে সমস্ত বিষয় মন্দ, তোমার প্রতিপালকের নিকট তা ঘৃণিত।
Sahih International:
All that - its evil is ever, in the sight of your Lord, detested.



ذٰلِکَ مِمَّاۤ اَوْحٰۤی اِلَیْکَ رَبُّکَ مِنَ الْحِکْمَۃِ ؕ وَ لَا تَجْعَلْ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتُلْقٰی فِیْ جَهَنَّمَ مَلُوْمًا مَّدْحُوْرًا ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা মিম্মাআওহাইলাইকা রাব্বুকা মিনাল হিকমাতি ওয়ালা-তাজ‘আল মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাতুলকা-ফী জাহান্নামা মালূমাম মাদহূরা-।
আল বায়ান:
এগুলো সেই হিকমতভুক্ত, যা তোমার রব তোমার নিকট ওহীরূপে পাঠিয়েছেন। আর তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য নির্ধারণ করো না, তাহলে তুমি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে নিন্দিত ও বিতাড়িত হয়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
এসব সেই হিকমাতের অন্তর্ভুক্ত যা তোমার প্রতিপালক তোমার প্রতি ওয়াহী করেছেন। আল্লাহর সঙ্গে অপর কোন ইলাহ স্থির করো না, করলে তুমি নিন্দিত ও যাবতীয় কল্যাণ বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
Sahih International:
That is from what your Lord has revealed to you, [O Muhammad], of wisdom. And, [O mankind], do not make [as equal] with Allah another deity, lest you be thrown into Hell, blamed and banished.



اَفَاَصْفٰىکُمْ رَبُّکُمْ بِالْبَنِیْنَ وَ اتَّخَذَ مِنَ الْمَلٰٓئِکَۃِ اِنَاثًا ؕ اِنَّکُمْ لَتَقُوْلُوْنَ قَوْلًا عَظِیْمًا ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
আফাআসফা-কুম রাব্বুকুম বিলবানীনা ওয়াত্তাখাযা মিনাল মালাইকাতি ইনা-ছান ইন্নাকুম লাতাকূলূনা কাওলান ‘আজীমা-।
আল বায়ান:
তোমাদের রব কি পুত্র সন্তানের জন্য তোমাদেরকে বাছাই করেছেন এবং তিনি ফেরেশতাদের থেকে কন্যা গ্রহণ করেছেন? নিশ্চয় তোমরা সাংঘাতিক কথা বলে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে কি (হে কাফিরগণ!) তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালক সন্তান নির্বাচিত করেছেন, আর নিজের জন্য ফেরেশতাদের মধ্য হতে কন্যা গ্রহণ করেছেন? বাস্তবিকই তোমরা বড় ভয়ানক কথা বলছো।
Sahih International:
Then, has your Lord chosen you for [having] sons and taken from among the angels daughters? Indeed, you say a grave saying.



وَ لَقَدْ صَرَّفْنَا فِیْ هٰذَا الْقُرْاٰنِ لِیَذَّکَّرُوْا ؕ وَ مَا یَزِیْدُهُمْ اِلَّا نُفُوْرًا ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ সাররাফনা-ফী হা-যাল কুরআ-নি লিইয়াযযাক্কারূ ওয়ামা-ইয়াযীদুহুম ইল্লা-নুফূরা-।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি এ কুরআনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে; কিন্তু তা কেবল তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এ কুরআনে নানাভাবে (বিষয়াবলী) ব্যাখ্যা করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে, কিন্তু তা তাদের (সত্য হতে) পলায়নের মনোবৃত্তিই বৃদ্ধি করেছে।
Sahih International:
And We have certainly diversified [the contents] in this Qur'an that mankind may be reminded, but it does not increase the disbelievers except in aversion.



قُلْ لَّوْ کَانَ مَعَهٗۤ اٰلِـهَۃٌ کَمَا یَقُوْلُوْنَ اِذًا لَّابْتَغَوْا اِلٰی ذِی الْعَرْشِ سَبِیْلًا ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
কুল লাও কা-না মা‘আহূ আ-লিহাতুনকামা- ইয়াকূ লূনা ইযাল্লাব তাগাও ইলাযিল‘আরশি ছাবীলা-।
আল বায়ান:
বল, ‘তাঁর সাথে যদি আরো উপাস্য থাকত, যেমন তারা বলে, তবে তারা আরশের অধিপতি পর্যন্ত পৌঁছার পথ তালাশ করত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- তাঁর সঙ্গে যদি আরো ইলাহ থাকত যেমন তারা বলে, তাহলে তারা অবশ্যই আরশের মালিকের নিকট পৌঁছার জন্য পথের সন্ধান করত।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "If there had been with Him [other] gods, as they say, then they [each] would have sought to the Owner of the Throne a way."



سُبْحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یَقُوْلُوْنَ عُلُوًّا کَبِیْرًا ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ছুবহা-নাহু ওয়া তা‘আ-লা-‘আম্মা-ইয়াকূ লূনা ‘উলুওওয়ান কাবীরা-।
আল বায়ান:
তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বলে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি পবিত্র ও অতি উচ্চ, তারা যা বলে তাত্থেকে অনেক অনেক ঊর্ধ্বে।
Sahih International:
Exalted is He and high above what they say by great sublimity.



تُسَبِّحُ لَهُ السَّمٰوٰتُ السَّبْعُ وَ الْاَرْضُ وَ مَنْ فِیْهِنَّ ؕ وَ اِنْ مِّنْ شَیْءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمْدِهٖ وَ لٰکِنْ لَّا تَفْقَهُوْنَ تَسْبِیْحَهُمْ ؕ اِنَّهٗ کَانَ حَلِیْمًا غَفُوْرًا ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
তুছাব্বিহুলাহুছছামা-ওয়া-তুছ ছাব ‘উ ওয়াল আর দুওয়া মান ফীহিন্না ওয়া ইম মিন শাইয়িন ইল্লা-ইউছাব্বিহুবিহামদিহী ওয়ালা-কিল লা-তাফকাহূনা তাছবীহাহুম ইন্নাহূ কা-না হালীমান গাফূরা-।
আল বায়ান:
সাত আসমান ও যমীন এবং এগুলোর মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু তাঁর তাসবীহ পাঠ করে এবং এমন কিছু নেই যা তাঁর প্রসংশায় তাসবীহ পাঠ করে না; কিন্তু তাদের তাসবীহ তোমরা বুঝ না। নিশ্চয় তিনি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।
তাইসিরুল কুরআন:
সাত আসমান, যমীন আর এগুলোর মাঝে যা আছে সব কিছুই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। এমন কোন জিনিসই নেই যা তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না। কিন্তু তোমরা বুঝতে পার না কীভাবে তারা তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরম সহিষ্ণু, বড়ই ক্ষমাপরায়ণ।
Sahih International:
The seven heavens and the earth and whatever is in them exalt Him. And there is not a thing except that it exalts [Allah] by His praise, but you do not understand their [way of] exalting. Indeed, He is ever Forbearing and Forgiving.



وَ اِذَا قَرَاْتَ الْقُرْاٰنَ جَعَلْنَا بَیْنَکَ وَ بَیْنَ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ حِجَابًا مَّسْتُوْرًا ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-কারা’তাল কুরআ-না জা‘আলনা-বাইনাকা ওয়া বাইনাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি হিজা-বাম মাছতূরা-।
আল বায়ান:
আর তুমি যখন কুরআন পড় তখন তোমার ও যারা আখিরাতে ঈমান আনে না তাদের মধ্যে আমি এক অদৃশ্য পর্দা দিয়ে দেই।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যখন কুরআন পাঠ কর তখন আমি তোমার আর যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না তাদের মাঝে একটা অদৃশ্য পর্দা স্থাপন ক’রে দিয়েছি।
Sahih International:
And when you recite the Qur'an, We put between you and those who do not believe in the Hereafter a concealed partition.



وَّ جَعَلْنَا عَلٰی قُلُوْبِهِمْ اَکِنَّۃً اَنْ یَّفْقَهُوْهُ وَ فِیْۤ اٰذَانِهِمْ وَقْرًا ؕ وَ اِذَا ذَکَرْتَ رَبَّکَ فِی الْقُرْاٰنِ وَحْدَهٗ وَلَّوْا عَلٰۤی اَدْبَارِهِمْ نُفُوْرًا ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনা ‘আলা-কুলূবিহিম আকিন্নাতান আইঁ ইয়াফকাহূহু ওয়া ফীআ-যা-নিহিম ওয়াকরাওঁ ওয়া ইযা-যাকারতা রাব্বাকা ফিল কুরআ-নি ওয়াহদাহূওয়াল্লাও ‘আলা আদবা-রিহিম নুফূরা-।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের অন্তরের উপর ঢাকনা রেখে দিয়েছি, যাতে তারা তা বুঝতে না পারে এবং তাদের কানে দিয়েছি বধিরতা। আর যখন তুমি কুরআনে তোমার রব এক হওয়ার কথা উল্লেখ কর, তখন তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালায়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাদের অন্তরের উপর এক আবরণ দিয়ে দিয়েছি যাতে তারা কুরআন বুঝতে না পারে, আর তাদের কানে সৃষ্টি করেছি বধিরতা। আর যখন তুমি কুরআনে তোমার প্রতিপালকের একত্বের উল্লেখ কর, তখন তারা (সত্য থেকে) পালিয়ে পিছনে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
Sahih International:
And We have placed over their hearts coverings, lest they understand it, and in their ears deafness. And when you mention your Lord alone in the Qur'an, they turn back in aversion.



نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَا یَسْتَمِعُوْنَ بِهٖۤ اِذْ یَسْتَمِعُوْنَ اِلَیْکَ وَ اِذْ هُمْ نَجْوٰۤی اِذْ یَقُوْلُ الظّٰلِمُوْنَ اِنْ تَتَّبِعُوْنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسْحُوْرًا ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
নাহনুআ‘লামুবিমা-ইয়াছতামি‘ঊনা বিহী ইয ইয়াছতামি‘ঊনা ইলাইকা ওয়া ইযহুম নাজওয়াইযইয়াকূলুজ্জা-লিমূনা ইন তাত্তাবি‘উনা ইল্লা-রাজুলাম মাছহূরা-।
আল বায়ান:
যখন তারা তোমার প্রতি কান পেতে শুনে, তখন আমি জানি কেন তারা কান পাতে এবং যখন গোপন আলোচনায় মিলিত হয়ে যালিমরা বলে, ‘তোমরা তো কেবল এক যাদুগ্রস্ত লোকের অনুসরণ করছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ভাল করেই জানি তারা কান লাগিয়ে কী শুনে যখন তারা তোমার কথা কান লাগিয়ে শুনে। আর যখন তারা গোপনে পরস্পর আলোচনায় বসে তখন যালিমরা বলে, ‘তোমরা তো কেবল এক যাদুগ্রস্ত লোকের অনুসরণ করে চলেছ।’
Sahih International:
We are most knowing of how they listen to it when they listen to you and [of] when they are in private conversation, when the wrongdoers say, "You follow not but a man affected by magic."



اُنْظُرْ کَیْفَ ضَرَبُوْا لَکَ الْاَمْثَالَ فَضَلُّوْا فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَ سَبِیْلًا ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
উনজু র কাইফা দারাবূলাকাল আমছা-লা ফাদালূল ফালা -ইয়াছতাতী‘ঊনা ছাবীলা-।
আল বায়ান:
দেখ, তারা তোমার জন্য কেমন সব উপমা দিচ্ছে ! ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, সুতরাং তারা পথ পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
লক্ষ্য কর, তারা তোমার সম্পর্কে কেমন সব উদাহরণ দিচ্ছে! যার ফলে তারা পথহারা হয়ে গেছে আর তারা কক্ষনো পথ পাবে না।
Sahih International:
Look how they strike for you comparisons; but they have strayed, so they cannot [find] a way.



وَ قَالُوْۤاءَ اِذَا کُنَّا عِظَامًا وَّ رُفَاتًاءَ اِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ خَلْقًا جَدِیْدًا ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূআইযা-কুন্না-‘ইজা-মাওঁ ওয়া রুফা-তান আইন্না-লামাব‘ঊছূনা খালকান জাদীদা-।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘যখন আমরা হাড্ডি ও ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাব, তখন কি আমরা নতুন সৃষ্টিরূপে পুনরুজ্জীবিত হব’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘কী! আমরা হাড্ডি আর ধূলা-মাটিতে পরিণত হওয়ার পর কি এক নতুন সৃষ্টিরূপে উত্থিত হব?’
Sahih International:
And they say, "When we are bones and crumbled particles, will we [truly] be resurrected as a new creation?"



قُلْ کُوْنُوْا حِجَارَۃً اَوْ حَدِیْدًا ﴿ۙ۵۰﴾
উচ্চারণ:
কুল কূনূহিজা-রাতান আও হাদীদা-।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা পাথর হয়ে যাও কিংবা লোহা’,
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘তোমরা যদি পাথর কিংবা লোহাও হয়ে যাও,
Sahih International:
Say, "Be you stones or iron



اَوْ خَلْقًا مِّمَّا یَکْبُرُ فِیْ صُدُوْرِکُمْ ۚ فَسَیَقُوْلُوْنَ مَنْ یُّعِیْدُنَا ؕ قُلِ الَّذِیْ فَطَرَکُمْ اَوَّلَ مَرَّۃٍ ۚ فَسَیُنْغِضُوْنَ اِلَیْکَ رُءُوْسَهُمْ وَ یَقُوْلُوْنَ مَتٰی هُوَ ؕ قُلْ عَسٰۤی اَنْ یَّکُوْنَ قَرِیْبًا ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
আও খালকাম মিম্মা-ইয়াকবুরু ফী সূদূ রিকুম ফাছাইয়াকূলূনা মাইঁ ইউ‘ঈদুনা- কুল্লিলাযী ফাতারাকুম আওওয়ালা মাররাতিন ফাছাইউনগিদূনা ইলাইকা রুঊছাহুম ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হুওয়া কুল ‘আছাআইঁ ইয়াকূনা কারীবা-।
আল বায়ান:
‘অথবা এমন কোন সৃষ্টি, যা তোমাদের অন্তরে বড় মনে হয়।’ তবুও তারা বলবে, ‘কে আমাদের পুনরায় (সৃষ্টি) করবে?’ বল, ‘যিনি তোমাদের প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন।’ অতঃপর তারা তোমার সামনে মাথা নাড়বে এবং বলবে, ‘কবে এটা?’ বল, ‘আশা করা যায় যে, তা নিকটেই হবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা এমন কিছু যা তোমাদের ধারণায় (জীবিত হওয়া) খুবই কঠিন (তবুও তোমাদেরকে উঠানো হবে)।’ তারা বলবে, ‘কে আছে এমন যে আমাদেরকে পুনরায় জীবনে ফিরিয়ে আনবে?’ বল, ‘তিনিই যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন।’ তখন তারা (ঠাট্টার ছলে) তোমার সামনে মাথা নাড়বে আর বলবে, ‘সেটা কখন ঘটবে?’ বল, ‘হতে পারে সেটা শীঘ্রই ঘটবে।’
Sahih International:
Or [any] creation of that which is great within your breasts." And they will say, "Who will restore us?" Say, "He who brought you forth the first time." Then they will nod their heads toward you and say, "When is that?" Say, "Perhaps it will be soon -



یَوْمَ یَدْعُوْکُمْ فَتَسْتَجِیْبُوْنَ بِحَمْدِهٖ وَ تَظُنُّوْنَ اِنْ لَّبِثْتُمْ اِلَّا قَلِیْلًا ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়াদ‘ঊকুম ফাতাছতাজীবূনা বিহামদিহী ওয়া তাজুননূনা ইল্লাবিছতুম ইল্লাকালীলা-।
আল বায়ান:
‘যেদিন তিনি তোমাদেরকে ডাকবেন, তখন তাঁর প্রশংসার সাথে তোমরা সাড়া দেবে। আর তোমরা ধারণা করবে, অল্প সময়ই তোমরা অবস্থান করেছিলে’।
তাইসিরুল কুরআন:
যে দিন তিনি তোমাদেরকে ডাকবেন আর তোমরা তাঁর প্রশংসা করতে করতে তাঁর ডাকে সাড়া দিবে আর তোমরা ধারণা করবে যে, তোমরা খুব অল্প সময়ই অবস্থান করেছিলে।
Sahih International:
On the Day He will call you and you will respond with praise of Him and think that you had not remained [in the world] except for a little."



وَ قُلْ لِّعِبَادِیْ یَقُوْلُوا الَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ ؕ اِنَّ الشَّیْطٰنَ یَنْزَغُ بَیْنَهُمْ ؕ اِنَّ الشَّیْطٰنَ کَانَ لِلْاِنْسَانِ عَدُوًّا مُّبِیْنًا ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল লি‘ইবা-দী ইয়াকূলুল্লাতী হিয়া আহছানু ইন্নাশশাইতা-না ইয়ানযাগু বাইনাহুম ইন্নাশশাইতা-না কা-না লিলইনছা-নি ‘আদুওওয়াম মুবীনা-।
আল বায়ান:
আর আমার বান্দাদেরকে বল, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি সুন্দর। নিশ্চয় শয়তান তাদের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি করে; নিশ্চয় শয়তান মানুষের স্পষ্ট শত্রু।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার বান্দাদেরকে বলতে বল এমন কথা যা খুবই উত্তম। শয়তান মানুষের মাঝে ঝগড়া-বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, শয়তান হল মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।
Sahih International:
And tell My servants to say that which is best. Indeed, Satan induces [dissension] among them. Indeed Satan is ever, to mankind, a clear enemy.



رَبُّکُمْ اَعْلَمُ بِکُمْ ؕ اِنْ یَّشَاْ یَرْحَمْکُمْ اَوْ اِنْ یَّشَاْ یُعَذِّبْکُمْ ؕ وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰکَ عَلَیْهِمْ وَکِیْلًا ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
রাব্বুকুম আ‘লামুবিকুম ইয়ঁইয়াশা’ ইয়ারহামকুম আও ইয়ঁইয়াশা’ ইউ‘আযযি বকুম ওয়ামাআরছালনা-কা ‘আলাইহিম ওয়াকীলা-।
আল বায়ান:
তোমাদের রব তোমাদের সম্পর্কে অধিক অবগত। তিনি যদি চান তোমাদের প্রতি রহম করবেন অথবা যদি চান তবে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে তাদের কর্মবিধায়ক করে প্রেরণ করিনি।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে খুব ভাল ক’রেই জানেন। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন, আর ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে (হে নাবী!) তাদের কাজকর্মের জন্য দায়িত্বশীল করে পাঠাইনি।
Sahih International:
Your Lord is most knowing of you. If He wills, He will have mercy upon you; or if He wills, He will punish you. And We have not sent you, [O Muhammad], over them as a manager.



وَ رَبُّکَ اَعْلَمُ بِمَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ لَقَدْ فَضَّلْنَا بَعْضَ النَّبِیّٖنَ عَلٰی بَعْضٍ وَّ اٰتَیْنَا دَاوٗدَ زَبُوْرًا ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাব্বুকা আ‘লামুবিমান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ালাকাদ ফাদ্দালনাবা‘দান্নাবিইয়ীনা ‘আলা-বা‘দিওঁ ওয়া আ-তাইনা-দা-ঊদা যাবূরা-।
আল বায়ান:
আর তোমার রব অধিক অবগত তাদের সম্পর্কে যারা আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে। আর আমি তো কতক নবীকে কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি এবং দাঊদকে দিয়েছি যাবূর।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান আর যমীনে যারা আছে তোমার প্রতিপালক তাদেরকে ভাল ক’রেই জানেন। আমি নাবীগণের কতককে অন্যদের উপর মর্যাদা দান করেছি আর দাঊদকে দিয়েছি যাবূর।
Sahih International:
And your Lord is most knowing of whoever is in the heavens and the earth. And We have made some of the prophets exceed others [in various ways], and to David We gave the book [of Psalms].



قُلِ ادْعُوا الَّذِیْنَ زَعَمْتُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ فَلَا یَمْلِکُوْنَ کَشْفَ الضُّرِّ عَنْکُمْ وَ لَا تَحْوِیْلًا ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
কুলিদ‘উল্লাযীনা যা‘আমতুম মিন দূনিহী ফালা- ইয়ামলিকূনা কাশফাদদুররি ‘আনকুম ওয়ালা-তাহবীলা-।
আল বায়ান:
বল, ‘তাদেরকে ডাক, আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদেরকে (উপাস্য) মনে কর। তারা তো তোমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে কর তাদেরকে ডাক, (ডাকলেও দেখতে পাবে) তারা তোমাদের দুঃখ-বেদনা দূর করতে বা বদলাতে সক্ষম নয়।
Sahih International:
Say, "Invoke those you have claimed [as gods] besides Him, for they do not possess the [ability for] removal of adversity from you or [for its] transfer [to someone else]."



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ یَبْتَغُوْنَ اِلٰی رَبِّهِمُ الْوَسِیْلَۃَ اَیُّهُمْ اَقْرَبُ وَ یَرْجُوْنَ رَحْمَتَهٗ وَ یَخَافُوْنَ عَذَابَهٗ ؕ اِنَّ عَذَابَ رَبِّکَ کَانَ مَحْذُوْرًا ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা ইয়াবতাগূনা ইলা-রাব্বিহিমুল ওয়াছীলাতা আইয়ুহুম আকরাবু ওয়া ইয়ারজূনা রাহমাতাহূও ইয়াখা-ফূনা ‘আযা-বাহূ ইন্না আযা-বা রাব্বিকা কা-না মাহযূরা-।
আল বায়ান:
তারা যাদেরকে ডাকে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের কাছে নৈকট্যের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে তাঁর নিকটতর? আর তারা তাঁর রহমতের আশা করে এবং তাঁর আযাবকে ভয় করে। নিশ্চয় তোমার রবের আযাব ভীতিকর।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যাদেরকে ডাকে তারা নিজেরাই তো তাদের প্রতিপালকের নিকট পৌঁছার পথ অনুসন্ধান করে যে, কে তাঁর অধিক নিকটবর্তী হতে পারবে, আর তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। তোমার প্রতিপালকের শাস্তি তো ভয় করার মতই।
Sahih International:
Those whom they invoke seek means of access to their Lord, [striving as to] which of them would be nearest, and they hope for His mercy and fear His punishment. Indeed, the punishment of your Lord is ever feared.



وَ اِنْ مِّنْ قَرْیَۃٍ اِلَّا نَحْنُ مُهْلِکُوْهَا قَبْلَ یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ اَوْ مُعَذِّبُوْهَا عَذَابًا شَدِیْدًا ؕ کَانَ ذٰلِکَ فِی الْکِتٰبِ مَسْطُوْرًا ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইম্মিন কারইয়াতিন ইল্লা-নাহনুমুহলিকূহা-কাবলা ইয়াওমিল কিয়া-মাতি আও মু‘আযযি বূহা-‘আযা-বান শাদীদান কা-না যা-লিকা ফিল কিতা-বি মাছতূরা-।
আল বায়ান:
আর এমন কোন জনপদ নেই, যা আমি কিয়ামতের দিনের পূর্বে ধ্বংস করব না অথবা যাকে কঠোর আযাব দেব না; এটা তো কিতাবে লিখিত আছে।
তাইসিরুল কুরআন:
এমন কোন জনবসতি নেই যাকে আমি ক্বিয়ামাত দিনের পূর্বে ধ্বংস করব না কিংবা তাকে কঠিন শাস্তি দিব না, এটা (আল্লাহর) কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে।
Sahih International:
And there is no city but that We will destroy it before the Day of Resurrection or punish it with a severe punishment. That has ever been in the Register inscribed.



وَ مَا مَنَعَنَاۤ اَنْ نُّرْسِلَ بِالْاٰیٰتِ اِلَّاۤ اَنْ کَذَّبَ بِهَا الْاَوَّلُوْنَ ؕ وَ اٰتَیْنَا ثَمُوْدَ النَّاقَۃَ مُبْصِرَۃً فَظَلَمُوْا بِهَا ؕ وَ مَا نُرْسِلُ بِالْاٰیٰتِ اِلَّا تَخْوِیْفًا ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা মানা‘আনাআননুরছিলা বিলআ-য়া-তি ইল্লাআন কাযযাবা বিহাল আওওয়ালূনা ওয়া আ-তাইনা-ছামূদান না-কাতা মুবসিরাতান ফাজালামূবিহা- ওয়ামা- নুরছিলুবিল আয়া-তি ইল্লা- তাখবীফা-।
আল বায়ান:
আর পূর্ববর্তীগণ কর্তৃক নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করাই আমাকে তা (নিদর্শনাবলী) প্রেরণ করা হতে বিরত রেখেছে। আর আমি শিক্ষাপ্রদ নিদর্শনস্বরূপ সামূদ জাতিকে উষ্ট্রী দিয়েছিলাম, অতঃপর তারা তার উপর যুলম করেছিল। আমি কেবল ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নিদর্শনসমূহ পাঠাই।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নিদর্শন প্রেরণ করা হতে এজন্য বিরত থাকি যে, পূর্বের লোকেরা তা মিথ্যা মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমি সামূদ জাতির নিকট উষ্ট্রী পাঠিয়েছিলাম এক প্রত্যক্ষ নিদর্শন হিসেবে কিন্তু তারা তার প্রতি যুলম করল; ভয় প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই কেবল আমি নিদর্শন পাঠিয়ে থাকি।
Sahih International:
And nothing has prevented Us from sending signs except that the former peoples denied them. And We gave Thamud the she-camel as a visible sign, but they wronged her. And We send not the signs except as a warning.



وَ اِذْ قُلْنَا لَکَ اِنَّ رَبَّکَ اَحَاطَ بِالنَّاسِ ؕ وَ مَا جَعَلْنَا الرُّءْیَا الَّتِیْۤ اَرَیْنٰکَ اِلَّا فِتْنَۃً لِّلنَّاسِ وَ الشَّجَرَۃَ الْمَلْعُوْنَۃَ فِی الْقُرْاٰنِ ؕ وَ نُخَوِّفُهُمْ ۙ فَمَا یَزِیْدُهُمْ اِلَّا طُغْیَانًا کَبِیْرًا ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকুলনা-লাকা ইন্না রাব্বাকা আহা-তা বিন্না-ছি ওয়ামা-জা‘আলনার রু’ইয়াল্লাতীআরাইনা-কা ইল্লা-ফিতনাতাললিন্না-ছি ওয়াশশাজারাতাল মাল‘ঊনাতা ফিল কুরআ-নি ওয়ানুখাওবিফুহুম ফামা-ইয়াযীদুহুম ইল্লা-তুগইয়া-নান কাবীরা-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন আমি তোমাকে বললাম, ‘নিশ্চয় তোমার রব মানুষকে ঘিরে রেখেছেন। আর যে ‘দৃশ্য’* আমি তোমাকে দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে বর্ণিত অভিশপ্ত বৃক্ষ** কেবল মানুষের পরীক্ষাস্বরূপ নির্ধারণ করেছি’। আমি তাদের ভয় দেখাই; কিন্তু তা কেবল তাদের চরম অবাধ্যতা বাড়িয়ে দেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, আমি তোমাকে বলেছিলাম যে, তোমার রবব মানুষদেরকে ঘিরে রেখেছেন। আমি তোমাকে (মি’রাজের মাধ্যমে) যে দৃশ্য দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত (জাক্কুম) গাছটিও মানুষদেরকে পরীক্ষা করার জন্য (যে কারা তা বিশ্বাস ক’রে নেককার হয় আর কারা তা অবিশ্বাস ক’রে পাপী হয়)। আমি তাদেরকে ভয় দেখাই ও সাবধান করি, কিন্তু তাতে তাদের চরম অবাধ্যতাই বৃদ্ধি পায়।
Sahih International:
And [remember, O Muhammad], when We told you, "Indeed, your Lord has encompassed the people." And We did not make the sight which We showed you except as a trial for the people, as was the accursed tree [mentioned] in the Qur'an. And We threaten them, but it increases them not except in great transgression.



وَ اِذْ قُلْنَا لِلْمَلٰٓئِکَۃِ اسْجُدُوْا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوْۤا اِلَّاۤ اِبْلِیْسَ ؕ قَالَ ءَاَسْجُدُ لِمَنْ خَلَقْتَ طِیْنًا ﴿ۚ۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকুলনা-লিলমালাইকাতিছ জু দূলিআ-দামা ফাছাজাদূ ইল্লাইবলীছা কালা আআছজু দুলিমান খালাকতা তীনা-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, ‘আদমকে সিজদা কর’, তখন ইবলীস ছাড়া সকলে সিজদা করল। সে বলল, ‘আমি কি এমন ব্যক্তিকে সিজদা করব যাকে আপনি কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন’?
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, ‘আদামকে সাজদাহ কর তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই তাকে সাজদাহ করল। সে বলেছিল, ‘আমি কি তাকে সাজদাহ করব যাকে তুমি মাটি থেকে পয়দা করেছ?’
Sahih International:
And [mention] when We said to the angles, "Prostrate to Adam," and they prostrated, except for Iblees. He said, "Should I prostrate to one You created from clay?"



قَالَ اَرَءَیْتَکَ هٰذَا الَّذِیْ کَرَّمْتَ عَلَیَّ ۫ لَئِنْ اَخَّرْتَنِ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ لَاَحْتَنِکَنَّ ذُرِّیَّتَهٗۤ اِلَّا قَلِیْلًا ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আরাআইতাকা হা-যাল্লাযী কাররামতা ‘আলাইইয়া লাইন আখখারতানি ইলাইয়াওমিল কিয়া-মাতি লাআহতানিকান্না যুররিইইয়াতাহূইল্লা-কালীলা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘দেখুন, এ ব্যক্তি, যাকে আপনি আমার উপর সম্মান দিয়েছেন, যদি আপনি আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত সময় দেন, তবে অতি সামান্য সংখ্যক ছাড়া তার বংশধরদেরকে অবশ্যই পথভ্রষ্ট করে ছাড়ব’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আপনি কি ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন যে, আপনি এ ব্যক্তিকে আমার উপর সম্মান দিচ্ছেন! আপনি যদি আমাকে ক্বিয়ামাতের দিন পর্যন্ত সময় দেন, তাহলে আমি অল্প কিছু বাদে তার বংশধরদেরকে অবশ্য অবশ্যই আমার কর্তৃত্বাধীনে এনে ফেলব।’
Sahih International:
[Iblees] said, "Do You see this one whom You have honored above me? If You delay me until the Day of Resurrection, I will surely destroy his descendants, except for a few."



قَالَ اذْهَبْ فَمَنْ تَبِعَکَ مِنْهُمْ فَاِنَّ جَهَنَّمَ جَزَآؤُکُمْ جَزَآءً مَّوْفُوْرًا ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লাযহাব ফামান তাবি‘আকা মিনহুম ফাইন্না জাহান্নামা জাযাউকুমজাযাআম মাওফূরা-।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘যাও, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে, জাহান্নামই হবে তোমাদের প্রতিদান, পূর্ণ প্রতিদান হিসেবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন, ‘যাও, তাদের মধ্যে যারা তোমাকে মেনে চলবে, জাহান্নামই হবে তোমাদের সকলের প্রতিফল, পূর্ণ প্রতিফল।
Sahih International:
[Allah] said, "Go, for whoever of them follows you, indeed Hell will be the recompense of you - an ample recompense.



وَ اسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ بِصَوْتِکَ وَ اَجْلِبْ عَلَیْهِمْ بِخَیْلِکَ وَ رَجِلِکَ وَ شَارِکْهُمْ فِی الْاَمْوَالِ وَ الْاَوْلَادِ وَ عِدْهُمْ ؕ وَ مَا یَعِدُهُمُ الشَّیْطٰنُ اِلَّا غُرُوْرًا ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছতাফযিয মানিছতাতা‘তা মিনহুম বিসাওতিকা ওয়া আজলিব ‘আলাইহিম বিখাইলিকা ওয়া রাজিলিকা ওয়া শা-রিকহুম ফিল আমওয়া-লি ওয়াল আওলা-দি ওয়া‘ইদহুম ওয়ামাইয়া‘ইদুহুমুশশাইতা-নুইল্লা-গুরূরা-।
আল বায়ান:
‘তোমার কণ্ঠ দিয়ে তাদের মধ্যে যাকে পারো প্ররোচিত কর, তাদের উপর ঝাপিয়ে পড় তোমার অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে এবং তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে অংশীদার হও এবং তাদেরকে ওয়াদা দাও’। আর শয়তান প্রতারণা ছাড়া তাদেরকে কোন ওয়াদাই দেয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের মধ্যে তুমি যাকে পার উস্কে দাও তোমার কথা দিয়ে, তোমার অশ্বারোহী আর পদাতিক বাহিনী দিয়ে তুমি আক্রমণ চালাও, আর তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদিতে ভাগ বসিয়ে দাও (যথেচ্ছভাবে সম্পদ উপার্জন ও ব্যয় করার পরামর্শ দিয়ে আর সন্তান কামনা ও প্রতিপালনে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘনের উপদেশ দিয়ে) আর তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দাও।’ শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয় তাতো ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
Sahih International:
And incite [to senselessness] whoever you can among them with your voice and assault them with your horses and foot soldiers and become a partner in their wealth and their children and promise them." But Satan does not promise them except delusion.



اِنَّ عِبَادِیْ لَیْسَ لَکَ عَلَیْهِمْ سُلْطٰنٌ ؕ وَ کَفٰی بِرَبِّکَ وَکِیْلًا ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ‘ইবা-দী লাইছা লাকা ‘আলাইহিম ছুলতা-নুওঁ ওয়া কাফা-বিরাব্বিকা ওয়াকীলা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই। কর্মবিধায়ক হিসেবে তোমার রবই যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আমার বান্দাহদের ব্যাপার হল, তাদের উপর তোমার কোন আধিপত্য চলবে না।’ কর্ম সম্পাদনে তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট।
Sahih International:
Indeed, over My [believing] servants there is for you no authority. And sufficient is your Lord as Disposer of affairs.



رَبُّکُمُ الَّذِیْ یُزْجِیْ لَکُمُ الْفُلْکَ فِی الْبَحْرِ لِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِکُمْ رَحِیْمًا ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
রাব্বুকুমুল্লাযী ইউযজী লাকুমুল ফুলকা ফিল বাহরি লিতাবতাগূমিন ফাদলিহী ইন্নাহূকানা বিকুম রাহীমা-।
আল বায়ান:
তোমাদের রব তিনি, যিনি তোমাদের জন্য সমুদ্রে চালিত করেন নৌযান, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার। নিশ্চয় তিনি তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের (প্রকৃত) প্রতিপালক তো তিনিই, যিনি সমুদ্রে তোমাদের জন্য সুস্থিরভাবে নৌযান পরিচালনা করেন, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার, তিনি তোমাদের প্রতি বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
It is your Lord who drives the ship for you through the sea that you may seek of His bounty. Indeed, He is ever, to you, Merciful.



وَ اِذَا مَسَّکُمُ الضُّرُّ فِی الْبَحْرِ ضَلَّ مَنْ تَدْعُوْنَ اِلَّاۤ اِیَّاهُ ۚ فَلَمَّا نَجّٰىکُمْ اِلَی الْبَرِّ اَعْرَضْتُمْ ؕ وَ کَانَ الْاِنْسَانُ کَفُوْرًا ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-মাছছাকুমুদদুররু ফিল বাহরি দাল্লা মান তাদ‘ঊনা ইল্লাইয়্যা-হু ফালাম্মানাজ্জা-কুম ইলাল বাররি আ‘রাদতুম ওয়া কা-নাল ইনছা-নুকাফূরা-।
আল বায়ান:
আর যখন তোমাদেরকে সমুদ্রে বিপদ স্পর্শ করে, তখন তিনি ছাড়া যাদেরকে তোমরা ডাক, তারা (তোমাদের মন থেকে) হারিয়ে যায়; অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে রক্ষা করে স্থলে আনেন, তখন তোমরা বিমুখ হয়ে যাও। আর মানুষ তো খুব অকৃতজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
সমুদ্রে যখন বিপদ তোমাদেরকে পেয়ে বসে, তখন তাঁকে ছাড়া অন্য যাদেরকে তোমরা (উপাস্য ভেবে) আহবান কর তারা (তখন তোমাদের মন থেকে) হারিয়ে যায়। অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে স্থলে এনে বাঁচিয়ে দেন, তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। মানুষ হল বড়ই অকৃতজ্ঞ।
Sahih International:
And when adversity touches you at sea, lost are [all] those you invoke except for Him. But when He delivers you to the land, you turn away [from Him]. And ever is man ungrateful.



اَفَاَمِنْتُمْ اَنْ یَّخْسِفَ بِکُمْ جَانِبَ الْبَرِّ اَوْ یُرْسِلَ عَلَیْکُمْ حَاصِبًا ثُمَّ لَا تَجِدُوْا لَکُمْ وَکِیْلًا ﴿ۙ۶۸﴾
উচ্চারণ:
আফাআমিনতুম আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমজা-নিবাল বাররি আও ইউরছিলা ‘আলাইকুমহা-সিবান ছু ম্মা লা-তাজিদূলাকুম ওয়াকীলা-।
আল বায়ান:
তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গিয়েছ যে, তিনি তোমাদেরসহ স্থলের কোন দিক ধ্বসিয়ে দেবেন না অথবা তোমাদের উপর শিলা বর্ষণকারী বাতাস প্রেরণ করবেন না? তারপর তোমরা তোমাদের জন্য কোন কর্মবিধায়ক পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি নির্ভয় হয়ে গেছ যে তিনি তোমাদেরকে স্থলভাগেই যমীনের মধ্যে ধ্বসিয়ে দিবেন না, কিংবা তোমাদের উপর শিলা বর্ষণকারী ঝড়ো হাওয়া পাঠাবেন না? এমতাবস্থায় তোমাদের রক্ষাকারী কাউকে তোমরা পাবে না।
Sahih International:
Then do you feel secure that [instead] He will not cause a part of the land to swallow you or send against you a storm of stones? Then you would not find for yourselves an advocate.



اَمْ اَمِنْتُمْ اَنْ یُّعِیْدَکُمْ فِیْهِ تَارَۃً اُخْرٰی فَیُرْسِلَ عَلَیْکُمْ قَاصِفًا مِّنَ الرِّیْحِ فَیُغْرِقَکُمْ بِمَا کَفَرْتُمْ ۙ ثُمَّ لَا تَجِدُوْا لَکُمْ عَلَیْنَا بِهٖ تَبِیْعًا ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
আম আমিনতুম আইঁ ইউ‘ঈদাকুম ফীহি তা-রাতান উখরা-ফাইউরছিলা ‘আলাইকুমকাসিফাম মিনার রীহি ফাইউগরিকাকুম বিমা-কাফারতুম ছু ম্মা লা-তাজিদূলাকুম ‘আলাইনা বিহী তাবী‘আ-।
আল বায়ান:
অথবা তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গিয়েছ যে, তিনি তোমাদেরকে আরেকবার সমুদ্রে ফিরিয়ে নেবেন না, অতঃপর তোমাদের উপর প্রচন্ড বাতাস পাঠাবেন না এবং তোমাদেরকে ডুবিয়ে দেবেন না, তোমরা কুফরী করার কারণে? তারপর তোমরা আমার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে কোন সাহায্যকারী পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি ভয়হীন হয়ে গেছ যে, তিনি তোমাদেরকে আরেকবার সমুদ্রে নিয়ে যাবেন না আর তোমাদের উপর প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া পাঠাবেন না আর তোমাদের অকৃতজ্ঞতার কারণে তোমাদেরকে ডুবিয়ে দেবেন না? তখন তোমরা আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পাবে না।
Sahih International:
Or do you feel secure that He will not send you back into the sea another time and send upon you a hurricane of wind and drown you for what you denied? Then you would not find for yourselves against Us an avenger.



وَ لَقَدْ کَرَّمْنَا بَنِیْۤ اٰدَمَ وَ حَمَلْنٰهُمْ فِی الْبَرِّ وَ الْبَحْرِ وَ رَزَقْنٰهُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلْنٰهُمْ عَلٰی کَثِیْرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِیْلًا ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ কাররামনা-বানীআ-দামা ওয়া হামালনা-হুম ফিল বাররি ওয়াল বাহরি ওয়া রাযাকনা হুম মিনাততাইয়িবা-তি ওয়া ফাদ্দালনা-হুম ‘আলা কাছীরিম মিম্মান খালাকনাতাফদীলা-।
আল বায়ান:
আর আমি তো আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং আমি তাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রে বাহন দিয়েছি এবং তাদেরকে দিয়েছি উত্তম রিয্ক। আর আমি যা সৃষ্টি করেছি তাদের থেকে অনেকের উপর আমি তাদেরকে অনেক মর্যাদা দিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আদাম সন্তানকে সম্মানিত করেছি, তাদের জন্য জলে স্থলে যানবাহনের ব্যবস্থা করেছি, তাদেরকে পবিত্র রিযক দিয়েছি আর আমি তাদেরকে আমার অধিকাংশ সৃষ্টির উপর মর্যাদায় শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
Sahih International:
And We have certainly honored the children of Adam and carried them on the land and sea and provided for them of the good things and preferred them over much of what We have created, with [definite] preference.



یَوْمَ نَدْعُوْا کُلَّ اُنَاسٍۭ بِاِمَامِهِمْ ۚ فَمَنْ اُوْتِیَ کِتٰبَهٗ بِیَمِیْنِهٖ فَاُولٰٓئِکَ یَقْرَءُوْنَ کِتٰبَهُمْ وَ لَا یُظْلَمُوْنَ فَتِیْلًا ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা নাদ‘ঊ কুল্লা উনা-ছিম বিইমা-মিহিম ফামান উতিয়া কিতা-বাহূবিইয়ামীনিহী ফাউলাইকা ইয়াকরাঊনা কিতা-বাহুম ওয়ালা-ইউজলামূনা ফাতীলা-।
আল বায়ান:
স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামসহ* ডাকব। অতঃপর যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে তারা নিজদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যেদিন আমি সকল সম্প্রদায়কে তাদের নেতাসহ ডাকব, অতঃপর যাদেরকে তাদের ‘আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তারা তাদের ‘আমালনামা পাঠ করবে (আনন্দচিত্তে) আর তাদের প্রতি এতটুকু যুলম করা হবে না।
Sahih International:
[Mention, O Muhammad], the Day We will call forth every people with their record [of deeds]. Then whoever is given his record in his right hand - those will read their records, and injustice will not be done to them, [even] as much as a thread [inside the date seed].



وَ مَنْ کَانَ فِیْ هٰذِهٖۤ اَعْمٰی فَهُوَ فِی الْاٰخِرَۃِ اَعْمٰی وَ اَضَلُّ سَبِیْلًا ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান কা-না ফী হা-যিহীআ‘মা-ফাহুওয়া ফিল আ-খিরাতি আ‘মা- ওয়া আদাল্লু ছাবীলা-।
আল বায়ান:
আর যে ব্যক্তি এখানে অন্ধ সে আখিরাতেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
যে ব্যক্তি এখানে (সত্য পথ দেখার ব্যাপারে) অন্ধ, সে আখেরাতেও হবে অন্ধ, আর সঠিক পথ থেকে অধিক বিচ্যুত।
Sahih International:
And whoever is blind in this [life] will be blind in the Hereafter and more astray in way.



وَ اِنْ کَادُوْا لَیَفْتِنُوْنَکَ عَنِ الَّذِیْۤ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْکَ لِتَفْتَرِیَ عَلَیْنَا غَیْرَهٗ ٭ۖ وَ اِذًا لَّاتَّخَذُوْکَ خَلِیْلًا ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন কা-দূলাইয়াফতিনূনাকা ‘আনিল্লাযীআওহাইনাইলাইকা লিতাফতারিয়া ‘আলাইনা-গাইরাহূ ওয়া ইযাল্লাত্তাখযূকা খালীলা-।
আল বায়ান:
আর তাদের অবস্থা এমন ছিল যে, আমি তোমাকে যে ওহী দিয়েছি, তা থেকে তারা তোমাকে প্রায় ফিতনায় ফেলে দিয়েছিল, যাতে তুমি আমার নামে এর বিপরীত মিথ্যা রটাতে পার এবং তখন তারা অবশ্যই তোমাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার প্রতি যে ওয়াহী করেছি তাত্থেকে তোমাকে পদস্খলিত করার জন্য তারা চেষ্টার কোন ত্রুটি করেনি যাতে তুমি আমার সম্বন্ধে তার (অর্থাৎ নাযিলকৃত ওয়াহীর) বিপরীতে মিথ্যা রচনা কর, তাহলে তারা তোমাকে অবশ্যই বন্ধু বানিয়ে নিত।
Sahih International:
And indeed, they were about to tempt you away from that which We revealed to you in order to [make] you invent about Us something else; and then they would have taken you as a friend.



وَ لَوْ لَاۤ اَنْ ثَبَّتْنٰکَ لَقَدْ کِدْتَّ تَرْکَنُ اِلَیْهِمْ شَیْئًا قَلِیْلًا ﴿٭ۙ۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাওলাআন ছাব্বাতনা-কা লাকাদ কিততা তারকানুইলাইহিম শাইআন কালীলা-।
আল বায়ান:
আর আমি যদি তোমাকে অবিচল না রাখতাম, তবে অবশ্যই তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকে পড়তে,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত না রাখলে তুমি তাদের দিকে কিছু না কিছু ঝুঁকেই পড়তে।
Sahih International:
And if We had not strengthened you, you would have almost inclined to them a little.



اِذًا لَّاَذَقْنٰکَ ضِعْفَ الْحَیٰوۃِ وَ ضِعْفَ الْمَمَاتِ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَکَ عَلَیْنَا نَصِیْرًا ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ইযাল্লাআযাকনা-কা দি‘ফাল হায়া-তি ওয়া দি‘ফাল মামা-তি ছু ম্মা লা-তাজিদুলাকা ‘আলাইনা-নাসীরা-।
আল বায়ান:
তখন আমি অবশ্যই তোমাকে আস্বাদন করাতাম জীবনের দ্বিগুণ ও মরণের দ্বিগুণ আযাব।* তারপর তুমি তোমার জন্য আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তা করলে আমি তোমাকে এ দুনিয়ায় দ্বিগুণ আর পরকালেও দ্বিগুণ ‘আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাতাম। সে অবস্থায় তুমি তোমার জন্য আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পেতে না।
Sahih International:
Then [if you had], We would have made you taste double [punishment in] life and double [after] death. Then you would not find for yourself against Us a helper.



وَ اِنْ کَادُوْا لَیَسْتَفِزُّوْنَکَ مِنَ الْاَرْضِ لِیُخْرِجُوْکَ مِنْهَا وَ اِذًا لَّا یَلْبَثُوْنَ خِلٰفَکَ اِلَّا قَلِیْلًا ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন কা-দূলাইয়াছতাফিযযূনাকা মিনাল আরদি লিইউখরিজূকা মিনহা- ওয়া ইযাল্লা ইয়ালবাছূনা খিলা-ফাকা ইল্লা-কালীলা-।
আল বায়ান:
আর তাদের অবস্থা এমন ছিল যে, তারা তোমাকে যমীন থেকে উৎখাত করে দেবে, যাতে তোমাকে সেখান থেকে বের করে দিতে পারে এবং তখন তারা তোমার পরে স্বল্প সময়ই টিকে থাকতে পারত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তোমাকে যমীন থেকে উৎখাত করতে চেয়েছিল যাতে তারা তোমাকে তাত্থেকে বের করে দিতে পারে, সেক্ষেত্রে তারা এখানে তোমার পরে খুব অল্পকালই টিকে থাকত।
Sahih International:
And indeed, they were about to drive you from the land to evict you therefrom. And then [when they do], they will not remain [there] after you, except for a little.



سُنَّۃَ مَنْ قَدْ اَرْسَلْنَا قَبْلَکَ مِنْ رُّسُلِنَا وَ لَا تَجِدُ لِسُنَّتِنَا تَحْوِیْلًا ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ছুন্নাতা মান কাদ আরছালনা-কাবলাকা মিররুছুলিনা-ওয়ালা-তাজিদুলিছুন্নাতিনা-তাহবীলা।
আল বায়ান:
তাদের নিয়ম অনুসারে যাদেরকে আমি আমার রাসূলদের মধ্যে তোমার পূর্বে পাঠিয়েছিলাম এবং তুমি আমার নিয়মে কোন পরিবর্তন পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্বে আমি আমার যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তাদের ক্ষেত্রে এটাই ছিল নিয়ম আর তুমি আমার নিয়মের কোন পরিবর্তন দেখতে পাবে না।
Sahih International:
[That is Our] established way for those We had sent before you of Our messengers; and you will not find in Our way any alteration.



اَقِمِ الصَّلٰوۃَ لِدُلُوْکِ الشَّمْسِ اِلٰی غَسَقِ الَّیْلِ وَ قُرْاٰنَ الْفَجْرِ ؕ اِنَّ قُرْاٰنَ الْفَجْرِ کَانَ مَشْهُوْدًا ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
আকিমিসসালা-তা লিদুলূকিশশামছি ইলা-গাছাকিল্লাইলি ওয়া কুরআ-নাল ফাজরি ইন্না কুরআ-নাল ফাজরি কা-না মাশহূদা-।
আল বায়ান:
সূর্য হেলে পড়ার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম কর এবং ফজরের কুরআন*। নিশ্চয় ফজরের কুরআন (ফেরেশতাদের) উপস্থিতির সময়।**
তাইসিরুল কুরআন:
সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার সময় হতে রাত্রির গাঢ় অন্ধকার পর্যন্ত নামায প্রতিষ্ঠা কর, আর ফাজরের সলাতে কুরআন পাঠ (করার নীতি অবলম্বন কর), নিশ্চয়ই ফাজরের সলাতের কুরআন পাঠ (ফেরেশতাগণের) সরাসরি সাক্ষ্য হয়।
Sahih International:
Establish prayer at the decline of the sun [from its meridian] until the darkness of the night and [also] the Qur'an of dawn. Indeed, the recitation of dawn is ever witnessed.



وَ مِنَ الَّیْلِ فَتَهَجَّدْ بِهٖ نَافِلَۃً لَّکَ ٭ۖ عَسٰۤی اَنْ یَّبْعَثَکَ رَبُّکَ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনাল্লাইলি ফাতাহাজ্জাদ বিহী নাফিলাতাল্লাকা ‘আছাআইঁ ইয়াব‘আছাকা রাব্বুকা মাকা-মাম মাহমূদা-।
আল বায়ান:
আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, ওটা তোমার জন্য নফল, শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উন্নীত করবেন।
Sahih International:
And from [part of] the night, pray with it as additional [worship] for you; it is expected that your Lord will resurrect you to a praised station.



وَ قُلْ رَّبِّ اَدْخِلْنِیْ مُدْخَلَ صِدْقٍ وَّ اَخْرِجْنِیْ مُخْرَجَ صِدْقٍ وَّ اجْعَلْ لِّیْ مِنْ لَّدُنْکَ سُلْطٰنًا نَّصِیْرًا ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুররাব্বি আদখিলনী মুদ খালা সিদকিওঁ ওয়া আখরিজনী মুখরাজা সিদকিওঁ ওয়াজ‘আলনী মিল্লাদুনকা ছুলতা-নান নাসীরা-।
আল বায়ান:
আর বল, ‘হে আমার রব, আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে*। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে (যেখানেই) প্রবেশ করাও, (সেটা কর) সত্য ও সম্মানের প্রবেশ, আর আমাকে (যেখান হতেই) বের কর, (সেটা কর) সত্য ও সম্মানের বহির্গমন, আর তোমার নিকট হতে আমাকে এক সাহায্যকারী শক্তি দান কর।
Sahih International:
And say, "My Lord, cause me to enter a sound entrance and to exit a sound exit and grant me from Yourself a supporting authority."



وَ قُلْ جَآءَ الْحَقُّ وَ زَهَقَ الْبَاطِلُ ؕ اِنَّ الْبَاطِلَ کَانَ زَهُوْقًا ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল জাআল হাক্কুওয়া যাহাকাল বা-তিলু ইন্নাল বা-তিলা কা-না যাহূকা-।
আল বায়ান:
আর বল, ‘হক এসেছে এবং বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘সত্য এসে গেছে আর মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই।’
Sahih International:
And say, "Truth has come, and falsehood has departed. Indeed is falsehood, [by nature], ever bound to depart."



وَ نُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحْمَۃٌ لِّلْمُؤْمِنِیْنَ ۙ وَ لَا یَزِیْدُ الظّٰلِمِیْنَ اِلَّا خَسَارًا ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নুনাযযিলুমিনাল কুরআ-নি মা হুওয়া শিফাউওঁ ওয়া রাহমাতুল লিলমু’মিনীনা ওয়ালা- ইয়াযীদুজ্জা-লিমীনা ইল্লা-খাছা-রা-।
আল বায়ান:
আর আমি কুরআন নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কুরআন হতে (ক্রমশঃ) অবতীর্ণ করি যা মু’মিনদের জন্য আরোগ্য ও রহমাত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।
Sahih International:
And We send down of the Qur'an that which is healing and mercy for the believers, but it does not increase the wrongdoers except in loss.



وَ اِذَاۤ اَنْعَمْنَا عَلَی الْاِنْسَانِ اَعْرَضَ وَ نَاٰ بِجَانِبِهٖ ۚ وَ اِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ کَانَ یَــُٔوْسًا ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাআন‘আমনা-‘আলাল ইনছা-নি আ‘রাদা-ওয়া নাআ-বিজা-নিবিহী ওয়া ইযা-মাছছাহুশ শাররু কা-না ইয়াঊছা-।
আল বায়ান:
আর আমি যখন মানুষের উপর নিআমত দান করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও দূরে সরে যায় এবং যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে তখন সে খুব হতাশ হয়ে পড়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আর অহঙ্কারে দূরে সরে পড়ে; কিন্তু যখন অমঙ্গল তাকে স্পর্শ করে তখন সে নিরাশ হয়ে যায়।
Sahih International:
And when We bestow favor upon the disbeliever, he turns away and distances himself; and when evil touches him, he is ever despairing.



قُلْ کُلٌّ یَّعْمَلُ عَلٰی شَاکِلَتِهٖ ؕ فَرَبُّکُمْ اَعْلَمُ بِمَنْ هُوَ اَهْدٰی سَبِیْلًا ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
কুল কুল্লুইঁ ইয়া‘মালু‘আলা-শা-কিলাতিহী ফারাব্বুকুম আ‘লামুবিমান হুওয়া আহদাছাবীলা-।
আল বায়ান:
বল, ‘প্রত্যেকেই আমল করে থাকে নিজ পদ্ধতি অনুযায়ী এবং তোমার রব অধিক অবগত আছেন কে সর্বাধিক নির্ভুল পথে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘প্রত্যেকেই স্বীয় রীতি-পন্থা অনুযায়ী কাজ করে। এখন তোমার রববই ভাল জানেন কে চলার পথে অধিকতর সঠিক পথে আছে।
Sahih International:
Say, "Each works according to his manner, but your Lord is most knowing of who is best guided in way."



وَ یَسْـَٔلُوْنَکَ عَنِ الرُّوْحِ ؕ قُلِ الرُّوْحُ مِنْ اَمْرِ رَبِّیْ وَ مَاۤ اُوْتِیْتُمْ مِّنَ الْعِلْمِ اِلَّا قَلِیْلًا ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াছআলূনাকা ‘আনির রূহি কুলির রূহুমিন আমরি রাববী ওয়ামাঊতীতুম মিনাল ‘ইল মি ইল্লা-কালীলা-।
আল বায়ান:
আর তারা তোমাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘রূহ আমার রবের আদেশ থেকে, আর তোমাদেরকে জ্ঞান থেকে অতি সামান্যই দেয়া হয়েছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাকে তারা রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বল, ‘রূহ হচ্ছে আমার প্রতিপালকের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত (একটি হুকুম)। এ সম্পর্কে তোমাকে অতি সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।’
Sahih International:
And they ask you, [O Muhammad], about the soul. Say, "The soul is of the affair of my Lord. And mankind have not been given of knowledge except a little."



وَ لَئِنْ شِئْنَا لَنَذْهَبَنَّ بِالَّذِیْۤ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْکَ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَکَ بِهٖ عَلَیْنَا وَکِیْلًا ﴿ۙ۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইন শি’না-লানাযহাবান্না বিল্লায ীআওহাইনাইলাইকা ছু ম্মা লা-তাজিদুলাকা বিহী ‘আলাইনা-ওয়াকীলা-।
আল বায়ান:
আর আমি ইচ্ছা করলে তোমার কাছে ওহীর মাধ্যমে যা পাঠিয়েছি তা অবশ্যই নিয়ে নিতে পারতাম; অতঃপর তুমি এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্য কোন কর্মবিধায়ক পেতে না।
তাইসিরুল কুরআন:
ইচ্ছে করলে আমি তোমার প্রতি যা ওয়াহী করেছি তা কেড়ে নিতে পারতাম, সে অবস্থায় তুমি আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্য কোন কার্য সম্পাদনকারী পাবে না
Sahih International:
And if We willed, We could surely do away with that which We revealed to you. Then you would not find for yourself concerning it an advocate against Us.



اِلَّا رَحْمَۃً مِّنْ رَّبِّکَ ؕ اِنَّ فَضْلَهٗ کَانَ عَلَیْکَ کَبِیْرًا ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-রাহমাতাম মিররাব্বিকা ইন্না ফাদলাহূকা-না ‘আলাইকা কাবীরা-।
আল বায়ান:
তবে তোমার রবের পক্ষ থেকে (এটা) রহমতস্বরূপ; নিশ্চয় তোমার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বিরাট।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের দয়া ছাড়া। তোমার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ (সত্যিই) বিরাট।
Sahih International:
Except [We have left it with you] as a mercy from your Lord. Indeed, His favor upon you has ever been great.



قُلْ لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الْاِنْسُ وَ الْجِنُّ عَلٰۤی اَنْ یَّاْتُوْا بِمِثْلِ هٰذَا الْقُرْاٰنِ لَا یَاْتُوْنَ بِمِثْلِهٖ وَ لَوْ کَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِیْرًا ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
কুল লাইনিজ তামা‘আতিল ইনছুওয়াল জিন্নু‘আলাআইঁ ইয়া’তূবিমিছলি হা-যাল কুরআনি লা-ইয়া’তূনা বিমিছলিহী ওয়া লাও কা -না বা‘দুহুম লিবা‘দিন জাহীরা-।
আল বায়ান:
বল, ‘যদি মানুষ ও জিন এ কুরআনের অনুরূপ হাযির করার জন্য একত্রিত হয়, তবুও তারা এর অনুরূপ হাযির করতে পারবে না যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘এ কুরআনের মত একখানা কুরআন আনার জন্য যদি সমগ্র মানব আর জ্বীন একত্রিত হয় তবুও তারা তার মত আনতে পারবে না, যদিও তারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে।’
Sahih International:
Say, "If mankind and the jinn gathered in order to produce the like of this Qur'an, they could not produce the like of it, even if they were to each other assistants."



وَ لَقَدْ صَرَّفْنَا لِلنَّاسِ فِیْ هٰذَا الْقُرْاٰنِ مِنْ کُلِّ مَثَلٍ ۫ فَاَبٰۤی اَکْثَرُ النَّاسِ اِلَّا کُفُوْرًا ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ সাররাফনা-লিন্না-ছি ফী হা-যাল কুরআ-নি মিন কুল্লি মাছালিন, ফাআবা আকছারুন্না-ছি ইল্লা-কুফূরা-।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই মানুষের জন্য এ কুরআনে আমি নানাভাবে বিভিন্ন উপমা বর্ণনা করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কুফরী না করে থাকেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই ঈমান গ্রহণ করতে অস্বীকার করে কেবল কুফরিই করল।
Sahih International:
And We have certainly diversified for the people in this Qur'an from every [kind] of example, but most of the people refused [anything] except disbelief.



وَ قَالُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ لَکَ حَتّٰی تَفْجُرَ لَنَا مِنَ الْاَرْضِ یَنْۢبُوْعًا ﴿ۙ۹۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূলান নু’মিনা লাকা হাত্তা-তাফজুরা লানা-মিনাল আরদিইয়ামবূ‘আ-।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘আমরা তোমার প্রতি কখনো ঈমান আনব না, যতক্ষণ না তুমি আমাদের জন্য যমীন থেকে একটি ঝর্নাধারা উৎসারিত করবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘আমরা তোমার প্রতি কক্ষনো ঈমান আনব না যে পর্যন্ত তুমি আমাদের জন্য যমীন থেকে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত না করবে।
Sahih International:
And they say, "We will not believe you until you break open for us from the ground a spring.



اَوْ تَکُوْنَ لَکَ جَنَّۃٌ مِّنْ نَّخِیْلٍ وَّ عِنَبٍ فَتُفَجِّرَ الْاَنْهٰرَ خِلٰلَهَا تَفْجِیْرًا ﴿ۙ۹۱﴾
উচ্চারণ:
আও তাকূনা লাকা জান্নাতুম মিন নাখীলিওঁ ওয়া ‘ইনাবিন ফাতুফাজ্জিরাল আনহা-রা খিলা-লাহা- তাফজীরা-।
আল বায়ান:
‘অথবা তোমার জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে, অতঃপর তুমি তার মধ্যে প্রবাহিত করবে নদী-নালা’।
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা (যতক্ষণ না) তোমার খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান হবে যার ফাঁকে ফাঁকে তুমি ঝর্ণা প্রবাহিত করবে অজস্র ধারায়।
Sahih International:
Or [until] you have a garden of palm tress and grapes and make rivers gush forth within them in force [and abundance]



اَوْ تُسْقِطَ السَّمَآءَ کَمَا زَعَمْتَ عَلَیْنَا کِسَفًا اَوْ تَاْتِیَ بِاللّٰهِ وَ الْمَلٰٓئِکَۃِ قَبِیْلًا ﴿ۙ۹۲﴾
উচ্চারণ:
আও তুছকিতাছছামাআ কামা-যা‘আমতা ‘আলাইনা-কিছাফান আও তা’তিয়া বিল্লা-হি ওয়াল মালাইকাতি কাবীলা-।
আল বায়ান:
‘অথবা তুমি যেমনটি ধারণা কর, সে অনুযায়ী আসমানকে খন্ড খন্ড করে আমাদের উপরে ফেলবে, অথবা আল্লাহ ও ফেরেশ্তাদেরকে আমাদের মুখোমুখি নিয়ে আসবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা (যতক্ষণ না) তুমি আকাশকে টুকরো টুকরো করে আমাদের উপর ফেলবে যেমন তুমি বলে থাক (যে তা ঘটবে) কিংবা আল্লাহ আর ফেরেশতাগণকে সরাসরি আমাদের সামনে এনে দেবে।
Sahih International:
Or you make the heaven fall upon us in fragments as you have claimed or you bring Allah and the angels before [us]



اَوْ یَکُوْنَ لَکَ بَیْتٌ مِّنْ زُخْرُفٍ اَوْ تَرْقٰی فِی السَّمَآءِ ؕ وَ لَنْ نُّؤْمِنَ لِرُقِیِّکَ حَتّٰی تُنَزِّلَ عَلَیْنَا کِتٰبًا نَّقْرَؤُهٗ ؕ قُلْ سُبْحَانَ رَبِّیْ هَلْ کُنْتُ اِلَّا بَشَرًا رَّسُوْلًا ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
আও ইয়াকূনা লাকা বাইতুম মিন যুখরুফিন আও তারকা-ফিছছামাই ওয়ালান নু’মিনা লিরুকিইইকা হাত্তা-তুনাযযিলা ‘আলাইনা-কিতা-বান নাকরাউহূ কুল ছুবহা-না রাববী হাল কুনতুইল্লা-বাশারার রাছূলা-।
আল বায়ান:
‘অথবা তোমার জন্য স্বর্ণের একটি ঘর হবে অথবা তুমি আসমানে উঠবে, কিন্তু তোমার উঠাতেও আমরা ঈমান আনব না, যতক্ষণ না তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব নাযিল করবে যা আমরা পাঠ করব’। বল, ‘পবিত্র মহান আমার রব! আমি তো একজন মানব-রাসূল ছাড়া কিছু নই’?
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা (যতক্ষণ না) তোমার একটা স্বর্ণখচিত গৃহ হবে কিংবা তুমি আসমানে আরোহণ করবে। আর তোমার এ আরোহণকেও আমরা কক্ষনো বিশ্বাস করব না যতক্ষণ না তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ করবে যা আমরা পাঠ করব।’ বল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আমি একজন মানুষ রসূল ছাড়া কি অন্য কিছু?
Sahih International:
Or you have a house of gold or you ascend into the sky. And [even then], we will not believe in your ascension until you bring down to us a book we may read." Say, "Exalted is my Lord! Was I ever but a human messenger?"



وَ مَا مَنَعَ النَّاسَ اَنْ یُّؤْمِنُوْۤا اِذْ جَآءَهُمُ الْهُدٰۤی اِلَّاۤ اَنْ قَالُوْۤا اَبَعَثَ اللّٰهُ بَشَرًا رَّسُوْلًا ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা- মানা‘আন্না-ছা আইঁ ইউ’মিনূ ইয জাআহুমুল হুদা ইল্লাআন কা-লূ আবা‘আছাল্লা-হু বাশারার রাছূলা-।
আল বায়ান:
আর যখন মানুষের নিকট হিদায়াত আসে তখন তাদের ঈমান আনতে বাধা দেয় তাদের এ কথা যে, ‘আল্লাহ কি মানুষকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন’?
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষের কাছে যখন পথের নির্দেশ আসে তখন তাদেরকে ঈমান আনতে তাদের এ কথা ছাড়া অন্য কিছুই বিরত রাখে না যে, ‘আল্লাহ কি মানুষকে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন?’
Sahih International:
And what prevented the people from believing when guidance came to them except that they said, "Has Allah sent a human messenger?"



قُلْ لَّوْ کَانَ فِی الْاَرْضِ مَلٰٓئِکَۃٌ یَّمْشُوْنَ مُطْمَئِنِّیْنَ لَنَزَّلْنَا عَلَیْهِمْ مِّنَ السَّمَآءِ مَلَکًا رَّسُوْلًا ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
কুল্লাও কা-না ফিল আরদি মালাইকাতুইঁ ইয়ামশূনা মুতমাইন্নীনা লানাযযালনা‘আলাইহিম মিনাছছামাই মালাকার রাছূলা-।
আল বায়ান:
বল, ‘ফেরেশ্তারা যদি যমীনে চলাচল করত নিশ্চিন্তভাবে তাহলে আমি অবশ্যই আসমান হতে তাদের কাছে ফেরেশতা পাঠাতাম রাসূল হিসেবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘দুনিয়াতে যদি ফেরেশতাগণের বসবাস হত যারা নিশ্চিন্তে নিরাপদে চলাফেরা করত, তাহলে অবশ্যই আমি তাদের কাছে ফেরেশতা রসূল পাঠাতাম।’
Sahih International:
Say, "If there were upon the earth angels walking securely, We would have sent down to them from the heaven an angel [as a] messenger."



قُلْ کَفٰی بِاللّٰهِ شَهِیْدًۢا بَیْنِیْ وَ بَیْنَکُمْ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِعِبَادِهٖ خَبِیْرًۢا بَصِیْرًا ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
কুল কাফা-বিল্লা-হি শাহীদাম বাইনী ওয়া বাইনাকুম ইন্নাহূকা-না বি‘ইবা-দিহী খাবীরাম বাসীরা-।
আল বায়ান:
বল, ‘আল্লাহই যথেষ্ট আমার ও তোমাদের মধ্যে স্বাক্ষী হিসেবে; নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণ জ্ঞাত, পূর্ণ দ্রষ্টা’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘আমার ও তোমাদের মাঝে আল্লাহর সাক্ষ্যই যথেষ্ট, তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিফহাল, আর তিনি সর্বদ্রষ্টা।’
Sahih International:
Say, "Sufficient is Allah as Witness between me and you. Indeed he is ever, concerning His servants, Acquainted and Seeing."



وَ مَنْ یَّهْدِ اللّٰهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ ۚ وَ مَنْ یُّضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهُمْ اَوْلِیَآءَ مِنْ دُوْنِهٖ ؕ وَ نَحْشُرُهُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ عَلٰی وُجُوْهِهِمْ عُمْیًا وَّ بُکْمًا وَّ صُمًّا ؕ مَاْوٰىهُمْ جَهَنَّمُ ؕ کُلَّمَا خَبَتْ زِدْنٰهُمْ سَعِیْرًا ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইয়াহদিল্লা -হু ফাহুওয়াল মুহতাদি ওয়ামাইঁ ইউদলিলফালান তাজিদালাহুম আওলিয়াআ মিন দূ নিহী ওয়ানাহশুরুহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘আলা-ওজূহিহিম ‘উমইয়াওঁ ওয়া বুকমাওঁ ওয়া সুম্মাম মা’ওয়া-হুম জাহান্নামু কুল্লামা-খাবাত যিদনা-হুম ছা‘ঈরা-।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করেন সে-ই হিদায়াতপ্রাপ্ত এবং যাকে তিনি পথহারা করেন তুমি কখনো তাদের জন্য তাঁকে ছাড়া অভিভাবক পাবে না। আর আমি কিয়ামতের দিনে তাদেরকে একত্র করব উপুড় করে, অন্ধ, মূক ও বধির অবস্থায়। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম; যখনই তা নিস্তেজ হবে তখনই আমি তাদের জন্য আগুন বাড়িয়ে দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন সে পথপ্রাপ্ত আর যাদেরকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কক্ষনো তাদের জন্য তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে অভিভাবক পাবে না। ক্বিয়ামাতের দিন আমি তাদেরকে একত্রিত করব তাদের মুখের ভরে অন্ধ, বোবা ও বধির অবস্থায়। তাদের আবাস হচ্ছে জাহান্নাম। যখনই তার আগুন নিস্তেজ হয়ে আসবে, আমি তাদের জন্য অগ্নির দহন শক্তি বৃদ্ধি করে দেব।
Sahih International:
And whoever Allah guides - he is the [rightly] guided; and whoever He sends astray - you will never find for them protectors besides Him, and We will gather them on the Day of Resurrection [fallen] on their faces - blind, dumb and deaf. Their refuge is Hell; every time it subsides We increase them in blazing fire.



ذٰلِکَ جَزَآؤُهُمْ بِاَنَّهُمْ کَفَرُوْا بِاٰیٰتِنَا وَ قَالُوْۤاءَ اِذَا کُنَّا عِظَامًا وَّ رُفَاتًاءَ اِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ خَلْقًا جَدِیْدًا ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা জাযাউহুম বিআন্নাহুম কাফারূবিআ-য়া-তিনা- ওয়াকা-লূ আইযা- কুন্না‘ইজা-মাওঁ ওয়া রুফা-তান আইন্না-লামাব‘ঊছূনা খালকান জাদীদা-।
আল বায়ান:
এটাই তাদের প্রতিদান, কারণ তারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, ‘আমরা যখন হাড্ডি ও ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাব, তখন আমরা কি নতুন সৃষ্টিরূপে পুনরুজ্জীবিত হব’?
তাইসিরুল কুরআন:
এটাই তাদের প্রতিফল, কেননা তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করেছিল আর বলেছিল, ‘যখন আমরা হাড্ডি ও চূর্ণ ধূলায় পরিণত হব তখনও কি আমাদেরকে নতুন এক সৃষ্টির আকারে আবার উঠানো হবে?’
Sahih International:
That is their recompense because they disbelieved in Our verses and said, "When we are bones and crumbled particles, will we [truly] be resurrected [in] a new creation?"



اَوَ لَمْ یَرَوْا اَنَّ اللّٰهَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ قَادِرٌ عَلٰۤی اَنْ یَّخْلُقَ مِثْلَهُمْ وَ جَعَلَ لَهُمْ اَجَلًا لَّا رَیْبَ فِیْهِ ؕ فَاَبَی الظّٰلِمُوْنَ اِلَّا کُفُوْرًا ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
আওয়া লাম ইয়ারাও আন্নাল্লা-হাল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা কা-দিরুন ‘আলাআইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম ওয়া জা‘আলা লাহুম আজালাল লা-রাইবা ফীহি ফাআবাজ্জা-লিমূনা ইল্লা-কুফূরা-।
আল বায়ান:
তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম? আর তিনি তাদের জন্য একটি সময় নির্ধারণ করেছেন যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যালিমরা কুফরী না করে থাকেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি লক্ষ্য করে না যে আল্লাহ- যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন- তিনি তাদের মত মানুষ (পুনরায়) সৃষ্টি করতে সক্ষম। তিনি তাদের জন্য একটা সুনির্দিষ্ট সময় স্থির করেছেন, যাতে কোনই সন্দেহ নেই। কিন্তু যালিমরা অমান্য করে কেবল কুফরিই করল।
Sahih International:
Do they not see that Allah, who created the heavens and earth, is [the one] Able to create the likes of them? And He has appointed for them a term, about which there is no doubt. But the wrongdoers refuse [anything] except disbelief.



قُلْ لَّوْ اَنْتُمْ تَمْلِکُوْنَ خَزَآئِنَ رَحْمَۃِ رَبِّیْۤ اِذًا لَّاَمْسَکْتُمْ خَشْیَۃَ الْاِنْفَاقِ ؕ وَ کَانَ الْاِنْسَانُ قَتُوْرًا ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
কুল্লাও আনতুম তামলিকূনা খাযাইনা রাহমাতি রাববীইযাল্লাআমছাকতুম খাশইয়াতাল ইনফা-কি ওয়া কা-নাল ইনছা-নুকাতূরা-।
আল বায়ান:
বল, ‘যদি তোমরা আমার রবের রহমতের ভান্ডারসমূহের মালিক হতে, তবুও খরচ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তোমরা তা আটকে রাখতে; আর মানুষ তো অতি কৃপণ’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘তোমরা যদি আমার প্রতিপালকের রাহমাতের ভান্ডারের মালিক হয়ে যেতে, তবুও খরচ হয়ে যাবার ভয়ে তোমরা তা অবশ্যই ধরে রাখতে।’ বাস্তবিকই মানুষ বড়ই সংকীর্ণ-চিত্ত।
Sahih International:
Say [to them], "If you possessed the depositories of the mercy of my Lord, then you would withhold out of fear of spending." And ever has man been stingy.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسٰی تِسْعَ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ فَسْـَٔلْ بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ اِذْ جَآءَهُمْ فَقَالَ لَهٗ فِرْعَوْنُ اِنِّیْ لَاَظُنُّکَ یٰمُوْسٰی مَسْحُوْرًا ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছা-তিছ‘আ আ-য়া-তিম বাইয়িনা-তিন ফাছআল বানী ইছরাঈলা ইয জাআহুম ফাকা-লা লাহূফির‘আউনুইন্নী লাআজুন্নুকা ইয়া-মূছামাছহূরা-।
আল বায়ান:
আর আমি মূসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম, সুতরাং তুমি বনী ইসরাঈলকে জিজ্ঞাসা কর, যখন সে তাদের কাছে আসল তখন ফির‘আউন তাকে বলল, ‘হে মূসা, আমিতো ধারণা করি তুমি যাদুগ্রস্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম। বানী ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস করে দেখ, যখন সে তাদের (অর্থাৎ ফির‘আওন ও তার প্রধানদের) নিকট আসল তখন ফির‘আওন তাকে বলল, ‘ওহে মূসা! আমি তোমাকে অবশ্যই যাদুগ্রস্ত মনে করি।’
Sahih International:
And We had certainly given Moses nine evident signs, so ask the Children of Israel [about] when he came to them and Pharaoh said to him, "Indeed I think, O Moses, that you are affected by magic."



قَالَ لَقَدْ عَلِمْتَ مَاۤ اَنْزَلَ هٰۤؤُلَآءِ اِلَّا رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ بَصَآئِرَ ۚ وَ اِنِّیْ لَاَظُنُّکَ یٰفِرْعَوْنُ مَثْبُوْرًا ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাকাদ ‘আলিমতা মাআনযালা হাউলাই ইল্লা-রাব্বুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিবাসাইরা ওয়া ইন্নী লাআজুন্নুকা ইয়া-ফির‘আওনুমাছবূরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তুমি জান যে, এ সকল বিষয় কেবল আসমানসমূহ ও যমীনের রবই নাযিল করেছেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে। আর হে ফির‘আউন, আমি তো ধারণা করি তুমি ধ্বংসপ্রাপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘তুমি তো জান যে, এসব চোখ-খুলে-দেয়া নিদর্শন আসমানসমূহ ও যমীনের প্রতিপালক ছাড়া অন্য কেউ অবতীর্ণ করেনি, হে ফির‘আওন! আমি তো তোমাকে মনে করি এক ধ্বংসপ্রাপ্ত লোক।’
Sahih International:
[Moses] said, "You have already known that none has sent down these [signs] except the Lord of the heavens and the earth as evidence, and indeed I think, O Pharaoh, that you are destroyed."



فَاَرَادَ اَنْ یَّسْتَفِزَّهُمْ مِّنَ الْاَرْضِ فَاَغْرَقْنٰهُ وَ مَنْ مَّعَهٗ جَمِیْعًا ﴿۱۰۳﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফাআরা-দা আইঁ ইয়াছতাফিযযাহুম মিনাল আরদি ফাআগরাকনা-হু ওয়া মাম মা‘আহূ জামী‘আ-।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তাদেরকে দেশ থেকে উৎখাত করার ইচ্ছা করল; তখন আমি তাকে ও তার সাথে যারা ছিল সকলকে ডুবিয়ে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ফিরআউন তাদেরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাইল। তখন আমি তাকে আর তার সঙ্গী-সাথীদের সব্বাইকে ডুবিয়ে মারলাম।
Sahih International:
So he intended to drive them from the land, but We drowned him and those with him all together.



وَّ قُلْنَا مِنْۢ بَعْدِهٖ لِبَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ اسْکُنُوا الْاَرْضَ فَاِذَا جَآءَ وَعْدُ الْاٰخِرَۃِ جِئْنَا بِکُمْ لَفِیْفًا ﴿۱۰۴﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়া কুলনা-মিম বা‘দিহী লিবানীইছরাঈলাছকুনুল আরদাফাইযা-জাআ ওয়া‘দুল আ-খিরাতী জি’না-বিকুম লাফীফা-।
আল বায়ান:
আর আমি এরপর বনী ইসরাঈলকে বললাম, ‘তোমরা যমীনে বাস কর, অতঃপর যখন আখিরাতের ওয়াদা আসবে তখন আমি তোমাদেরকে জড়ো করে নিয়ে আসব’।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপর আমি বানী ইসরাঈলকে বললাম, ‘তোমরা যমীনের উপর বসবাস কর, অতঃপর যখন প্রতিশ্রুত ক্বিয়ামাত আসবে তখন আমি তোমাদেরকে সংমিশ্রিত দলবলে হাজির করব।’
Sahih International:
And We said after Pharaoh to the Children of Israel, "Dwell in the land, and when there comes the promise of the Hereafter, We will bring you forth in [one] gathering."



وَ بِالْحَقِّ اَنْزَلْنٰهُ وَ بِالْحَقِّ نَزَلَ ؕ وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰکَ اِلَّا مُبَشِّرًا وَّ نَذِیْرًا ﴿۱۰۵﴾ۘ
উচ্চারণ:
ওয়া বিলহাক্কিআনযালনা-হু ওয়া বিলহাক্কিনাযালা ওয়ামাআরছালনা-কা ইল্লামুবাশশিরাওঁ ওয়া নাযীরা-।
আল বায়ান:
আর আমি তা যথাযথভাবে নাযিল করেছি এবং যথাযথভাবে তা নাযিল হয়েছে। আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কুরআনকে আমি সত্যতা সহকারে নাযিল করেছি আর সত্যতা সহকারেই তা নাযিল হয়েছে। আমি তোমাকে শুধু সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি।
Sahih International:
And with the truth We have sent the Qur'an down, and with the truth it has descended. And We have not sent you, [O Muhammad], except as a bringer of good tidings and a warner.



وَ قُرْاٰنًا فَرَقْنٰهُ لِتَقْرَاَهٗ عَلَی النَّاسِ عَلٰی مُکْثٍ وَّ نَزَّلْنٰهُ تَنْزِیْلًا ﴿۱۰۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুরআ-নান ফারাকনা-হুলিতাকরাআহূ ‘আলান্না-ছি ‘আলা- মুকছিওঁ ওয়া নাযযালনা-হু তানযীলা-।
আল বায়ান:
আর কুরআন আমি নাযিল করেছি কিছু কিছু করে, যেন তুমি তা মানুষের কাছে পাঠ করতে পার ধীরে ধীরে এবং আমি তা নাযিল করেছি পর্যায়ক্রমে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এ কুরআনকে ভাগে ভাগে বিভক্ত করেছি যাতে তুমি থেমে থেমে মানুষকে তা পাঠ করে শুনাতে পার, কাজেই আমি তা ক্রমশঃ নাযিল করেছি।
Sahih International:
And [it is] a Qur'an which We have separated [by intervals] that you might recite it to the people over a prolonged period. And We have sent it down progressively.



قُلْ اٰمِنُوْا بِهٖۤ اَوْ لَا تُؤْمِنُوْا ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ مِنْ قَبْلِهٖۤ اِذَا یُتْلٰی عَلَیْهِمْ یَخِرُّوْنَ لِلْاَذْقَانِ سُجَّدًا ﴿۱۰۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
কুল আ-মিনূবিহীআও লা-তু’মিনূ ইন্নাল্লাযীনা ঊতুল ‘ইলমা মিন কাবলিহীইযাইউতলা-‘আলাইহিম ইয়াখিররূনা লিল আযকা-নি ছুজ্জাদা-(ছিজদাহ-৪)।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা এতে ঈমান আন বা ঈমান না আন, নিশ্চয় এর পূর্বে যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের কাছে যখন এটা পাঠ করা হয় তখন তারা সিজদাবনত হয়ে লুটিয়ে পড়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘তোমরা কুরআনে বিশ্বাস কর কিংবা বিশ্বাস না কর, ইতোপূর্বে যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদেরকে যখন কুরআন পাঠ করে শুনানো হয়, তখন তারা অধোমুখে সাজদাহয় লুটিয়ে পড়ে।’
Sahih International:
Say, "Believe in it or do not believe. Indeed, those who were given knowledge before it - when it is recited to them, they fall upon their faces in prostration,



وَّ یَقُوْلُوْنَ سُبْحٰنَ رَبِّنَاۤ اِنْ کَانَ وَعْدُ رَبِّنَا لَمَفْعُوْلًا ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াকূলূনা ছুবহা-না রাব্বিনাইন কা-না ওয়া‘দুরাব্বিনা-লামাফ‘ঊলা-।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘পবিত্র মহান আমাদের রব! আমাদের রবের ওয়াদা অবশ্যই কার্যকর হয়ে থাকে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলে, ‘আমাদের রব্ব মহান, পবিত্র; আমাদের রব্বের ও‘য়াদা অবশ্যই পূর্ণ হবে।
Sahih International:
And they say, "Exalted is our Lord! Indeed, the promise of our Lord has been fulfilled."



وَ یَخِرُّوْنَ لِلْاَذْقَانِ یَبْکُوْنَ وَ یَزِیْدُهُمْ خُشُوْعًا ﴿۱۰۹﴾ٛ
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াখিররূনা লিলআযকা-নি ইয়াবকূনা ওয়া ইয়াযীদুহুম খুশূ‘আ-।
আল বায়ান:
‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে লুটিয়ে পড়ে এবং এটা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে’।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কাঁদতে কাঁদতে অধোমুখে সাজদাহয় লুটিয়ে পড়ে আর তা তাদের বিনয় ও নম্রতা বাড়িয়ে দেয়।[সাজদাহ]
Sahih International:
And they fall upon their faces weeping, and the Qur'an increases them in humble submission.



قُلِ ادْعُوا اللّٰهَ اَوِ ادْعُوا الرَّحْمٰنَ ؕ اَیًّامَّا تَدْعُوْا فَلَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰی ۚ وَ لَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِکَ وَ لَا تُخَافِتْ بِهَا وَ ابْتَغِ بَیْنَ ذٰلِکَ سَبِیْلًا ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
কুলিদ‘উল্লা-হা আবিদ ‘উর রাহমা-না আইঁ ইয়াম্মা-তাদ‘ঊ ফালাহুল আছমাঊল হুছনা-ওয়ালা-তাজহার বিসালা-তিকা ওয়ালা-তুখা-ফিত বিহা-ওয়াবতাগি বাইনা যালিকা ছাবীলা-।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা (তোমাদের রবকে) ‘আল্লাহ’ নামে ডাক অথবা ‘রাহমান’ নামে ডাক, যে নামেই তোমরা ডাক না কেন, তাঁর জন্যই তো রয়েছে সুন্দর নামসমূহ। তুমি তোমার সালাতে স্বর উঁচু করো না এবং তাতে মৃদুও করো না; বরং এর মাঝামাঝি পথ অবলম্বন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো বা রহমান নামে ডাকো, যে নামেই তাঁকে ডাকো না কেন (সবই ভাল) কেননা সকল সুন্দর নামই তো তাঁর।’ তোমার সলাতে স্বর উচ্চ করো না, আর তা খুব নীচুও করো না, এ দু’য়ের মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন কর।
Sahih International:
Say, "Call upon Allah or call upon the Most Merciful. Whichever [name] you call - to Him belong the best names." And do not recite [too] loudly in your prayer or [too] quietly but seek between that an [intermediate] way.



وَ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ لَمْ یَتَّخِذْ وَلَدًا وَّ لَمْ یَکُنْ لَّهٗ شَرِیْکٌ فِی الْمُلْکِ وَ لَمْ یَکُنْ لَّهٗ وَلِیٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَ کَبِّرْهُ تَکْبِیْرًا ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল্লি হামদুলিল্লা-হিল্লাযী লাম ইয়াত্তাখিযওয়ালাদাওঁ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূশারীকুন ফিল মুলকি ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূওয়ালিইয়ুম মিনাযযুলিল ওয়া কাব্বিরহু তাকবীরা-।
আল বায়ান:
আর বল, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, রাজত্বে তাঁর কোন শরীক নেই এবং অপমান থেকে বাঁচতে তাঁর কোন অভিভাবকের দরকার নেই।’ সুতরাং তুমি পূর্ণরূপে তাঁর বড়ত্ব ঘোষণা কর।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘সকল প্রশংসাই আল্লাহর যিনি সন্তান গ্রহণ করেন না, যাঁর শাসন-কর্তৃত্বে কোন অংশীদার নেই, দুর্দশাগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য যাঁর কোন অভিভাবকের প্রয়োজন হয় না। অতএব পূর্ণ শ্রেষ্ঠত্বে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।
Sahih International:
And say, "Praise to Allah, who has not taken a son and has had no partner in [His] dominion and has no [need of a] protector out of weakness; and glorify Him with [great] glorification."






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।