আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


الٓرٰ ۟ تِلْکَ اٰیٰتُ الْکِتٰبِ الْمُبِیْنِ ۟﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আলিফ লাম রা- তিলকা আ-য়া-তুল কিতা-বিল মুবীন।
আল বায়ান:
আলিফ-লাম-রা। এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
তাইসিরুল কুরআন:
আলিফ, লাম-রা, এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াতসমূহ।
Sahih International:
Alif, Lam, Ra. These are the verses of the clear Book.



اِنَّاۤ اَنْزَلْنٰهُ قُرْءٰنًا عَرَبِیًّا لَّعَلَّکُمْ تَعْقِلُوْنَ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআনযালনা-হু কুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াল লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি একে আরবী কুরআনরূপে নাযিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তা অবতীর্ণ করেছি, আরবী ভাষার কুরআন, যাতে তোমরা ভালভাবে বুঝতে পার।
Sahih International:
Indeed, We have sent it down as an Arabic Qur'an that you might understand.



نَحْنُ نَقُصُّ عَلَیْکَ اَحْسَنَ الْقَصَصِ بِمَاۤ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْکَ هٰذَا الْقُرْاٰنَ ٭ۖ وَ اِنْ کُنْتَ مِنْ قَبْلِهٖ لَمِنَ الْغٰفِلِیْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
নাহনুনাকুসসু‘আলাইকা আহছানাল কাসাসি বিমাআওহাইনাইলাইকা হা-যাল কুরআনা ওয়া ইন কুনতা মিন কাবলিহী লামিনাল গা-ফিলীন।
আল বায়ান:
আমি তোমার নিকট সুন্দরতম কাহিনী বর্ণনা করছি, এ কুরআন আমার ওহী হিসেবে তোমার কাছে প্রেরণ করার মাধ্যমে। যদিও তুমি এর পূর্বে অনবহিতদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার কাছে সর্বোত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি, এ কুরআন তোমার কাছে ওয়াহী যোগে পাঠিয়ে, যদিও এর পূর্বে তুমি না-জানা লোকদের মধ্যেই শামিল ছিলে।
Sahih International:
We relate to you, [O Muhammad], the best of stories in what We have revealed to you of this Qur'an although you were, before it, among the unaware.



اِذْ قَالَ یُوْسُفُ لِاَبِیْهِ یٰۤاَبَتِ اِنِّیْ رَاَیْتُ اَحَدَعَشَرَ کَوْکَبًا وَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ رَاَیْتُهُمْ لِیْ سٰجِدِیْنَ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইয কা-লা ইঊছুফুলিআবীহি ইয়াআবাতি ইন্নী রাআইতু আহাদা ‘আশারা কাওকাবাওঁ ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা রাআইতুহুম লী ছা-জিদীন।
আল বায়ান:
যখন ইউসুফ তার পিতাকে বলল, ‘হে আমার পিতা, আমি দেখেছি এগারটি নক্ষত্র, সূর্য ও চাঁদকে, আমি দেখেছি তাদেরকে আমার প্রতি সিজদাবনত অবস্থায়’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, ইউসুফ যখন তার পিতাকে বলেছিল, ‘হে আব্বাজান! আমি (স্বপ্নে) দেখেছি এগারটি তারকা আর সূর্য ও চন্দ্র; দেখলাম তারা আমাকে সাজদাহ করছে।’
Sahih International:
[Of these stories mention] when Joseph said to his father, "O my father, indeed I have seen [in a dream] eleven stars and the sun and the moon; I saw them prostrating to me."



قَالَ یٰبُنَیَّ لَا تَقْصُصْ رُءْیَاکَ عَلٰۤی اِخْوَتِکَ فَیَکِیْدُوْا لَکَ کَیْدًا ؕ اِنَّ الشَّیْطٰنَ لِلْاِنْسَانِ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়া-বুনাইইয়া লা-তাকসুস রু’ইয়া-কা ‘আলা-ইখওয়াতিকা ফাইয়াকীদূলাকা কাইদান ইন্নাশশাইতা-না লিলইনছা-নি ‘আদুওউম মুবীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার পুত্র, তুমি তোমার ভাইদের নিকট তোমার স্বপ্নের বর্ণনা দিও না, তাহলে তারা তোমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করবে। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তার পিতা বললেন, ‘হে আমার পুত্র! তোমার স্বপ্নের কথা তোমার ভাইদের কাছে বর্ণনা করো না। যদি কর তাহলে তারা তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে। শাইত্বান তো মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।
Sahih International:
He said, "O my son, do not relate your vision to your brothers or they will contrive against you a plan. Indeed Satan, to man, is a manifest enemy.



وَ کَذٰلِکَ یَجْتَبِیْکَ رَبُّکَ وَ یُعَلِّمُکَ مِنْ تَاْوِیْلِ الْاَحَادِیْثِ وَ یُتِمُّ نِعْمَتَهٗ عَلَیْکَ وَ عَلٰۤی اٰلِ یَعْقُوْبَ کَمَاۤ اَتَمَّهَا عَلٰۤی اَبَوَیْکَ مِنْ قَبْلُ اِبْرٰهِیْمَ وَ اِسْحٰقَ ؕ اِنَّ رَبَّکَ عَلِیْمٌ حَکِیْمٌ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা ইয়াজতাবীকা রাব্বুকা ওয়া ইউ‘আলিলমুকা মিন তা’বীলিল আহা-দীছিওয়া ইউতিম্মুনি‘মাতাহূ‘আলাইকা ওয়া ‘আলা-আ-লি ইয়া‘কূবা কামাআতাম্মাহা‘আলাআবাওয়াইকা মিন কাবলুইবরা-হীমা ওয়া ইছহা-কা ইন্না রাব্বাকা ‘আলীমুন হাকীম।
আল বায়ান:
আর এভাবে তোমার রব তোমাকে মনোনীত করবেন এবং তোমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দেবেন। আর তোমার উপর ও ইয়াকূবের পরিবারের উপর তাঁর নিআমত পূর্ণ করবেন যেভাবে তিনি তা পূর্বে পূর্ণ করেছিলেন তোমার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম ও ইসহাকের উপর, নিশ্চয় তোমার রব সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
(স্বপ্নে যেমন দেখেছ) এভাবে তোমার প্রতিপালক তোমাকে মনোনীত করবেন, তোমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিবেন এবং তিনি তাঁর অনুগ্রহ তোমার প্রতি আর ইয়া‘কূব পরিবারের প্রতি পূর্ণ করবেন যেভাবে তিনি তা পূর্বে তোমার পিতৃ-পুরুষ ইবরাহীম ও ইসহাকের প্রতি পূর্ণ করেছিলেন, নিশ্চয়ই তোমার রব্ব সর্বজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাবান।’
Sahih International:
And thus will your Lord choose you and teach you the interpretation of narratives and complete His favor upon you and upon the family of Jacob, as He completed it upon your fathers before, Abraham and Isaac. Indeed, your Lord is Knowing and Wise."



لَقَدْ کَانَ فِیْ یُوْسُفَ وَ اِخْوَتِهٖۤ اٰیٰتٌ لِّلسَّآئِلِیْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ কা-না ফী ইঊছুফা ওয়া ইখওয়াতিহীআ-য়া-তুল লিছছাইলীন।
আল বায়ান:
ইউসুফ ও তার ভাইদের কাহিনীতে জিজ্ঞাসুদের জন্য অবশ্যই অনেক নিদর্শন রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
ইউসুফ আর তার ভাইদের ঘটনায় সত্য সন্ধানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শনাবলী আছে।
Sahih International:
Certainly were there in Joseph and his brothers signs for those who ask,



اِذْ قَالُوْا لَیُوْسُفُ وَ اَخُوْهُ اَحَبُّ اِلٰۤی اَبِیْنَا مِنَّا وَ نَحْنُ عُصْبَۃٌ ؕ اِنَّ اَبَانَا لَفِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنِۣ ۚ﴿ۖ۸﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লূলাইঊছুফুওয়া আখূহু আহাব্বুইলাআবীনা-মিন্না-ওয়া নাহনু‘উসবাতুন ইন্না আবা-না-লাফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
যখন তারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় ইউসুফ ও তার ভাই আমাদের পিতার নিকট আমাদের চেয়ে অধিক প্রিয়, অথচ আমরা একই দল। নিশ্চয় আমাদের পিতা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই আছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন তারা (বৈমাত্রেয় ভাইগণ) বলাবলি করছিল, ‘নিশ্চয়ই ইউসুফ আর তার (সহোদর) ভাই আমাদের পিতার কাছে আমাদের চেয়ে বেশি প্রিয়, অথচ আমরা পুরো একটা দল, আমাদের পিতা স্পষ্ট ভুলের মধ্যে আছেন।
Sahih International:
When they said, "Joseph and his brother are more beloved to our father than we, while we are a clan. Indeed, our father is in clear error.



اقْتُلُوْا یُوْسُفَ اَوِ اطْرَحُوْهُ اَرْضًا یَّخْلُ لَکُمْ وَجْهُ اَبِیْکُمْ وَ تَکُوْنُوْا مِنْۢ بَعْدِهٖ قَوْمًا صٰلِحِیْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
উকতুলূইঊছুফা আবিতরাহূহুআরদাইঁ ইয়াখলুলাকুম ওয়াজহু আবীকুম ওয়াতাকূনূমিম বা‘দিহী কাওমান সা-লিহীন।
আল বায়ান:
‘তোমরা ইউসুফকে হত্যা কর অথবা তাকে কোন যমীনে ফেলে আস, তাহলে তোমাদের পিতার আনুকূল্য কেবল তোমাদের জন্য থাকবে এবং তোমরা সৎ লোক হয়ে যাবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা ইউসুফকে হত্যা করে ফেল কিংবা তাকে কোন ভূমিতে ফেলে আস, তাহলে তোমাদের পিতার দৃষ্টি তোমাদের প্রতিই নিবদ্ধ হবে, তার পর তোমরা (তাওবাহ করে) ভাল লোক হয়ে যাবে।
Sahih International:
Kill Joseph or cast him out to [another] land; the countenance of your father will [then] be only for you, and you will be after that a righteous people."



قَالَ قَآئِلٌ مِّنْهُمْ لَا تَقْتُلُوْا یُوْسُفَ وَ اَلْقُوْهُ فِیْ غَیٰبَتِ الْجُبِّ یَلْتَقِطْهُ بَعْضُ السَّیَّارَۃِ اِنْ کُنْتُمْ فٰعِلِیْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কাইলুমমিনহুমলা-তাকতুলূইঊছুফা ওয়া আলকুহুফীগায়া-বাতিল জুব্বি ইয়ালতাকিতহু বা‘দুছছাইইয়া-রাতি ইন কুনতুম ফা-‘ইলীন।
আল বায়ান:
তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, ‘তোমরা ইউসুফকে হত্যা করো না, আর যদি কিছু করই, তাহলে তাকে কোন কূপের গভীরে ফেলে দাও, যাত্রীদলের কেউ তাকে তুলে নিয়ে যাবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের একজন বলল, তোমরা ইউসুফকে হত্যা করো না, তোমাদেরকে যদি কিছু করতেই হয় বরং তাকে কোন অন্ধ কূপে ফেলে দাও, কোন যাত্রীদল তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে।’
Sahih International:
Said a speaker among them, "Do not kill Joseph but throw him into the bottom of the well; some travelers will pick him up - if you would do [something]."



قَالُوْا یٰۤاَبَانَا مَا لَکَ لَا تَاْمَنَّا عَلٰی یُوْسُفَ وَ اِنَّا لَهٗ لَنٰصِحُوْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়াআবা-না-মা-লাকা লা-তা‘মান্না-‘আলা-ইঊছুফা ওয়া ইন্না-লাহূলানা-সিহূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা, কী হল আপনার, ইউসুফের ব্যাপারে আপনি আমাদেরকে নিরাপদ মনে করছেন না, অথচ আমরাই তার হিতাকাঙ্ক্ষী’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে আমাদের আব্বাজান! কী ব্যাপার, আপনি ইউসুফের ব্যাপারে আমাদেরকে বিশ্বাস করেন না কেন, অথচ আমরা অবশ্যই তার কল্যাণকামী।
Sahih International:
They said, "O our father, why do you not entrust us with Joseph while indeed, we are to him sincere counselors?



اَرْسِلْهُ مَعَنَا غَدًا یَّرْتَعْ وَ یَلْعَبْ وَ اِنَّا لَهٗ لَحٰفِظُوْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
আরছিলহু মা‘আনা-গাদাইঁ ইয়ারতা‘ ওয়া ইয়াল‘আব ওয়া ইন্না-লাহূলাহাফিজূন।
আল বায়ান:
‘আপনি আগামী কাল তাকে আমাদের সাথে প্রেরণ করুন, সে সানন্দে ঘোরাফেরা করবে ও খেলবে। আর অবশ্যই আমরা তার হেফাযতকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাকে আগামীকাল আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দিন, সে আমোদ করবে আর খেলবে, আমরা তার পুরোপুরি দেখাশুনা করব।’
Sahih International:
Send him with us tomorrow that he may eat well and play. And indeed, we will be his guardians.



قَالَ اِنِّیْ لَیَحْزُنُنِیْۤ اَنْ تَذْهَبُوْا بِهٖ وَ اَخَافُ اَنْ یَّاْکُلَهُ الذِّئْبُ وَ اَنْتُمْ عَنْهُ غٰفِلُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নী লাইয়াহযুনুনীআন তাযহাবূবিহী ওয়া আখা-ফূআইঁ ইয়া’কুলাহুযযি‘বুওয়া আনতুম ‘আনহু গা-ফিলূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘নিশ্চয় এটা আমাকে কষ্ট দেবে যে, তোমরা তাকে নিয়ে যাবে এবং আমি আশঙ্কা করি, নেকড়ে তাকে খেয়ে ফেলবে, যখন তোমরা তার ব্যাপারে গাফিল থাকবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
পিতা বলল, ‘তোমরা যে তাকে নিয়ে যাবে সেটা আমাকে অবশ্যই কষ্ট দেবে আর আমি ভয় করছি যে, নেকড়ে বাঘ তাকে খেয়ে ফেলবে, আর তখন তার সম্পর্কে তোমরা বে-খেয়াল হয়ে থাকবে।’
Sahih International:
[Jacob] said, "Indeed, it saddens me that you should take him, and I fear that a wolf would eat him while you are of him unaware."



قَالُوْا لَئِنْ اَکَلَهُ الذِّئْبُ وَ نَحْنُ عُصْبَۃٌ اِنَّاۤ اِذًا لَّخٰسِرُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলাইন আকালাহুযযি’বুওয়া নাহনু‘উসবাতুন ইন্নাইযাল লাখা-ছিরূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা একই দলভুক্ত থাকা সত্ত্বেও যদি নেকড়ে তাকে খেয়ে ফেলে তাহলে তো আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমরা একটা দল থাকতে তাকে যদি নেকড়ে বাঘে খেয়ে ফেলে, তাহলে তো আমরা অপদার্থই বনে যাবো।’
Sahih International:
They said, "If a wolf should eat him while we are a [strong] clan, indeed, we would then be losers."



فَلَمَّا ذَهَبُوْا بِهٖ وَ اَجْمَعُوْۤا اَنْ یَّجْعَلُوْهُ فِیْ غَیٰبَتِ الْجُبِّ ۚ وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْهِ لَتُنَبِّئَنَّهُمْ بِاَمْرِهِمْ هٰذَا وَ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-যাহাবূবিহী ওয়া আজমা‘উআইঁ ইয়াজ‘আলূহু ফী গায়া-বাতিল জুব্বি ওয়া আওহাইনাইলাইহি লাতুনাব্বিআন্নাহুম বিআমরিহিম হা-যা-ওয়াহুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন তারা তাকে নিয়ে গেল এবং তাকে কূপের গভীরে ফেলে দিতে একমত হল (তখন তারা তাই করল) এবং আমি তার নিকট ওহী প্রেরণ করলাম এই মর্মে যে,‘অবশ্যই তুমি তাদেরকে (ভবিষ্যতে) তাদের এই কর্ম সম্পর্কে জানাবে, এমতাবস্থায় যে, তারা উপলব্ধি করতে পারবে না’।*
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন তারা তাকে নিয়ে গেল, আর তাকে অন্ধ কূপে ফেলার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছল, এমতাবস্থায় আমি ইউসুফকে ওয়াহী করলাম- এক সময় আসবে যখন তুমি তাদেরকে তাদের এ কর্মের কথা অবশ্য অবশ্যই ব্যক্ত করবে।’ অথচ তারা (অর্থাৎ ইউসুফের ভাইয়েরা) মোটেই টের পাবে না।
Sahih International:
So when they took him [out] and agreed to put him into the bottom of the well... But We inspired to him, "You will surely inform them [someday] about this affair of theirs while they do not perceive [your identity]."



وَ جَآءُوْۤ اَبَاهُمْ عِشَآءً یَّبْکُوْنَ ؕ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাঊআবা-হুম ‘ইশাআইঁ ইয়াবকূন।
আল বায়ান:
আর তারা রাতের প্রথম ভাগে কাঁদতে কাঁদতে তাদের পিতার নিকট আসল।
তাইসিরুল কুরআন:
রাতের প্রথম প্রহরে তারা তাদের পিতার কাছে কাঁদতে কাঁদতে আসল।
Sahih International:
And they came to their father at night, weeping.



قَالُوْا یٰۤاَبَانَاۤ اِنَّا ذَهَبْنَا نَسْتَبِقُ وَ تَرَکْنَا یُوْسُفَ عِنْدَ مَتَاعِنَا فَاَکَلَهُ الذِّئْبُ ۚ وَ مَاۤ اَنْتَ بِمُؤْمِنٍ لَّنَا وَ لَوْ کُنَّا صٰدِقِیْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়াআবা-নাইন্না-যাহাবনা-নাছতাবিকুওয়া তারাকনা-ইঊছুফা ‘ইনদা মাতা-‘ইনাফাআকালাহুযযি’বু ওয়ামাআনতা বিমু’মিনিল লানা-ওয়ালাও কুন্না-সা-দিকীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা, আমরা প্রতিযোগিতা করতে গিয়েছিলাম আর ইউসুফকে রেখে গিয়েছিলাম আমাদের মালপত্রের নিকট, অতঃপর নেকড়ে তাকে খেয়ে ফেলেছে। আর আপনি আমাদেরকে বিশ্বাস করবেন না, যদিও আমরা সত্যবাদী হই’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে আমাদের আব্বাজান! আমরা দৌড়ের প্রতিযোগিতা করছিলাম, আর ইউসুফকে আমরা আমাদের জিনিসপত্রের কাছে রেখে গিয়েছিলাম, তখন তাকে নেকড়ে বাঘে খেয়ে ফেলল, কিন্তু আপনি তো আমাদের কথা বিশ্বাস করবেন না, আমরা সত্যবাদী হলেও।’
Sahih International:
They said, "O our father, indeed we went racing each other and left Joseph with our possessions, and a wolf ate him. But you would not believe us, even if we were truthful."



وَ جَآءُوْ عَلٰی قَمِیْصِهٖ بِدَمٍ کَذِبٍ ؕ قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَکُمْ اَنْفُسُکُمْ اَمْرًا ؕ فَصَبْرٌ جَمِیْلٌ ؕ وَ اللّٰهُ الْمُسْتَعَانُ عَلٰی مَا تَصِفُوْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাঊ ‘আলা-কামীসিহী বিদামিন কাযিবিন কা-লা বাল ছাওওয়ালাত লাকুম আনফুছুকুম আমরান ফাসাবরুন জামীলুওঁ ওয়াল্লা-হুল মুছতা‘আ-নু‘আলা-মাতাসিফূন।
আল বায়ান:
আর তারা তার জামায় মিথ্যা রক্ত লাগিয়ে নিয়ে এসেছিল। সে বলল, ‘বরং তোমাদের নফস তোমাদের জন্য একটি গল্প সাজিয়েছে। সুতরাং (আমার করণীয় হচ্ছে) সুন্দর ধৈর্য। আর তোমরা যা বর্ণনা করছ সে বিষয়ে আল্লাহই সাহায্যস্থল’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তার জামায় মিছেমিছি রক্ত মাখিয়ে নিয়ে এসেছিল। পিতা বলল, ‘না, বরং তোমাদের প্রবৃত্তি তোমাদেরকে একটা কাহিনী বানাতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ঠিক আছে, আমি পুরোপুরি ধৈর্য ধারণ করব, তোমরা যা বানিয়েছ সে ব্যাপারে আল্লাহই আমার আশ্রয়স্থল।’
Sahih International:
And they brought upon his shirt false blood. [Jacob] said, "Rather, your souls have enticed you to something, so patience is most fitting. And Allah is the one sought for help against that which you describe."



وَ جَآءَتْ سَیَّارَۃٌ فَاَرْسَلُوْا وَارِدَهُمْ فَاَدْلٰی دَلْوَهٗ ؕ قَالَ یٰبُشْرٰی هٰذَا غُلٰمٌ ؕ وَ اَسَرُّوْهُ بِضَاعَۃً ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیْمٌۢ بِمَا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাআত ছাইইয়া-রাতুন ফাআরছালূওয়া-রিদাহুম ফাআদলা-দালওয়াহূ কা-লা ইয়া-বুশরা-হা-যা-গুলা-মুওঁ ওয়া আছাররূহু বিদা-‘আতাওঁ ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুম বিমা-ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর একটি যাত্রীদল আসল এবং তারা তাদের পানি সংগ্রহকারীকে প্রেরণ করল অতঃপর সে তার বালতি ফেলল। সে বলে উঠলো, ‘কী সুখবর! এ যে একটি বালক’ এবং তারা তাকে পণ্যদ্রব্য হিসেবে গোপন করে ফেলল। আর তারা যা কিছু করছিল সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে একটা কাফেলা আসলো। তারা তাদের পানি সংগ্রহকারীকে পাঠালো। সে তার পানির বালতি নামিয়ে দিল। সে বলল, ‘কী খুশির খবর! এ যে দেখছি এক বালক!’ তারা তাকে পণ্য দ্রব্য জ্ঞানে লুকিয়ে দিল, আর তারা যা করছিল সে সম্পর্কে আল্লাহ খুবই অবহিত।
Sahih International:
And there came a company of travelers; then they sent their water drawer, and he let down his bucket. He said, "Good news! Here is a boy." And they concealed him, [taking him] as merchandise; and Allah was knowing of what they did.



وَ شَرَوْهُ بِثَمَنٍۭ بَخْسٍ دَرَاهِمَ مَعْدُوْدَۃٍ ۚ وَ کَانُوْا فِیْهِ مِنَ الزَّاهِدِیْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া শারাওহু বিছামানিম বাখছিন দারা-হিমা মা‘দূদাতিওঁ ওয়া কা-নূফীহি মিনাযযাহিদীন।
আল বায়ান:
আর তারা তাকে অতি নগণ্য মূল্যে কয়েক দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দিল এবং তারা তার ব্যাপারে ছিল অনাগ্রহী।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাকে স্বল্প মূল্যে- মাত্র কয়টি দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দিল, তারা ছিল তাকে তুচ্ছ জ্ঞানকারী!
Sahih International:
And they sold him for a reduced price - a few dirhams - and they were, concerning him, of those content with little.



وَ قَالَ الَّذِی اشْتَرٰىهُ مِنْ مِّصْرَ لِامْرَاَتِهٖۤ اَکْرِمِیْ مَثْوٰىهُ عَسٰۤی اَنْ یَّنْفَعَنَاۤ اَوْ نَتَّخِذَهٗ وَلَدًا ؕ وَ کَذٰلِکَ مَکَّنَّا لِیُوْسُفَ فِی الْاَرْضِ ۫ وَ لِنُعَلِّمَهٗ مِنْ تَاْوِیْلِ الْاَحَادِیْثِ ؕ وَ اللّٰهُ غَالِبٌ عَلٰۤی اَمْرِهٖ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযিশ তারা-হু মিম মিসরা লিমরাআতিহীআকরিমী মাছওয়াহু ‘আছাআইঁ ইয়ানফা‘আনাআও নাত্তাখিযাহূওয়ালাদাওঁ ওয়া কাযা-লিকা মাক্কান্না-লিইঊছুফা ফিল আরদি ওয়া লিনু‘আলিল মাহূমিন তা’বীলিল আহা-দীছি ওয়াল্লা-হু গা-লিবুন ‘আলাআমরিহী ওয়ালা-কিন্না আকছারা-ন্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর মিসরের যে ব্যক্তি তাকে ক্রয় করেছিল, সে তার স্ত্রীকে বলল, ‘এর থাকার সুন্দর সম্মানজনক ব্যবস্থা কর। আশা করা যায়, সে আমাদের উপকার করবে অথবা আমরা তাকে পুত্ররূপে গ্রহণ করব’ এবং এভাবেই আমি যমীনে ইউসুফকে প্রতিষ্ঠিত করলাম এবং যেন আমি তাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দেই। আল্লাহ নিজ কর্ম সম্পাদনে প্রবল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
মিসরের যে লোক তাকে ক্রয় করেছিল, সে তার স্ত্রীকে বলল, ‘তার থাকার সুব্যবস্থা কর, সম্ভবতঃ সে আমাদের উপকারে আসবে কিংবা তাকে আমরা পুত্র হিসেবেও গ্রহণ করে নিতে পারি।’ এভাবে আমি ইউসুফকে সে দেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম তাকে স্বপ্ন ব্যাখ্যার কিছু জ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্য। আল্লাহ তাঁর কাজের ব্যাপারে পূর্ণ কর্তৃত্বশীল। কিন্তু অধিকাংশ লোকই (তা) জানে না।
Sahih International:
And the one from Egypt who bought him said to his wife, "Make his residence comfortable. Perhaps he will benefit us, or we will adopt him as a son." And thus, We established Joseph in the land that We might teach him the interpretation of events. And Allah is predominant over His affair, but most of the people do not know.



وَ لَمَّا بَلَغَ اَشُدَّهٗۤ اٰتَیْنٰهُ حُکْمًا وَّ عِلْمًا ؕ وَ کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-বালাগা আশুদ্দাহূআ-তাইনা-হু হুকমাওঁ ওয়া ‘ইলমাওঁ ওয়া কাযা-লিকা নাজযিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
আর সে যখন পূর্ণ যৌবনে উপনীত হল, আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম এবং এভাবেই আমি ইহসানকারীদের প্রতিদান দিয়ে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে তার পরিপূর্ণ যৌবনে পৌঁছল, তখন তাকে বিচার-বুদ্ধি ও জ্ঞান দান করলাম, আমি সৎকর্মশীলদেরকে এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Sahih International:
And when Joseph reached maturity, We gave him judgment and knowledge. And thus We reward the doers of good.



وَ رَاوَدَتْهُ الَّتِیْ هُوَ فِیْ بَیْتِهَا عَنْ نَّفْسِهٖ وَ غَلَّقَتِ الْاَبْوَابَ وَ قَالَتْ هَیْتَ لَکَ ؕ قَالَ مَعَاذَ اللّٰهِ اِنَّهٗ رَبِّیْۤ اَحْسَنَ مَثْوَایَ ؕ اِنَّهٗ لَا یُفْلِحُ الظّٰلِمُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ারা-ওয়াদাত হুল্লাতী হুওয়া ফী বাইতিহা-‘আন নাফছিহী ওয়া গাল্লাকাতিল আবওয়া-বা ওয়াকা-লাত হাইতা লাকা কা-লা মা‘আ-যাল্লা-হি ইন্নাহূরাববী-আহছানা মাছওয়াইয়া; ইন্নাহূলা-ইউফলিহুজ্জা-লিমূন।
আল বায়ান:
আর যে মহিলার ঘরে সে ছিল, সে তাকে কুপ্ররোচনা দিল এবং দরজাগুলো বন্ধ করে দিল আর বলল, ‘এসো’। সে বলল, আল্লাহর আশ্রয় (চাই)। নিশ্চয় তিনি আমার মনিব, তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয় যালিমগণ সফল হয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
যে মহিলার ঘরে সে ছিল, সে (মহিলাটি) তার থেকে অসৎ কর্ম কামনা করল। সে দরজাগুলো বন্ধ করে দিল আর বলল, ‘এসো’। সে (ইউসুফ) বলল, ‘আমি আল্লাহর আশ্রয় নিচ্ছি। তিনি আমার রবব, তিনি আমার থাকার ব্যবস্থা কত উত্তম করেছেন, যালিমরা কক্ষনো সাফল্য লাভ করতে পারে না।
Sahih International:
And she, in whose house he was, sought to seduce him. She closed the doors and said, "Come, you." He said, "[I seek] the refuge of Allah. Indeed, he is my master, who has made good my residence. Indeed, wrongdoers will not succeed."



وَ لَقَدْ هَمَّتْ بِهٖ ۚ وَ هَمَّ بِهَا لَوْ لَاۤ اَنْ رَّاٰ بُرْهَانَ رَبِّهٖ ؕ کَذٰلِکَ لِنَصْرِفَ عَنْهُ السُّوْٓءَ وَ الْفَحْشَآءَ ؕ اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُخْلَصِیْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ হাম্মাত বিহী ওয়া হাম্মা বিহা-লাওলা-আর রাআ-বুরহা-না রাব্বিহী কাযা-লিকা লিনাসরিফা ‘আনহুছছূআ ওয়াল ফাহশাআ ইন্নাহূমিন ‘ইবা-দিনাল মুখলাসীন।
আল বায়ান:
আর সে মহিলা তার প্রতি আসক্ত হল, আর সেও তার প্রতি আসক্ত হত, যদি না তার রবের স্পষ্ট প্রমাণ* প্রত্যক্ষ করত। এভাবেই, যাতে আমি তার থেকে অনিষ্ট ও অশ্লীলতা দূর করে দেই। নিশ্চয় সে আমার খালেস বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
সেই মহিলা তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল আর সে (ইউসুফ)ও তার প্রতি আসক্ত হয়েই যেত যদি সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন না দেখত। আমি তা দেখিয়েছিলাম তাকে অসৎ কর্ম ও নির্লজ্জতা থেকে সরিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে, সে ছিল বিশুদ্ধ-হৃদয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And she certainly determined [to seduce] him, and he would have inclined to her had he not seen the proof of his Lord. And thus [it was] that We should avert from him evil and immorality. Indeed, he was of Our chosen servants.



وَ اسْتَبَقَا الْبَابَ وَ قَدَّتْ قَمِیْصَهٗ مِنْ دُبُرٍ وَّ اَلْفَیَا سَیِّدَهَا لَدَا الْبَابِ ؕ قَالَتْ مَا جَزَآءُ مَنْ اَرَادَ بِاَهْلِکَ سُوْٓءًا اِلَّاۤ اَنْ یُّسْجَنَ اَوْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছ তাবাকাল বা-বা ওয়া কাদ্দাত কামীসাহূমিন দুবুরিওঁ ওয়া আলফাইয়া-ছাইয়িদাহালাদাল বা-বি কা-লাত মা-জাযাউ মান আরা-দা বিআহলিকা ছূআন ইল্লাআইঁ ইউছজানা আও ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
আর তারা উভয়ে দরজার দিকে দৌড়ে গেল এবং মহিলা পেছন হতে তার জামা ছিঁড়ে ফেলল। আর তারা মহিলার স্বামীকে দরজার কাছে পেল। মহিলা বলল, ‘যে লোক তোমার পরিবারের সাথে মন্দকর্ম করতে চেয়েছে, তাকে কারাবন্দি করা বা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দেয়া ছাড়া তার আর কী দন্ড হতে পারে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা উভয়ে দরজার দিকে দৌড় দিল আর স্ত্রীলোকটি পিছন হতে তার জামা ছিঁড়ে ফেলল। এ সময় স্ত্রীলোকটির স্বামীকে তারা দু’জনে দরজার কাছে পেল। মহিলাটি বলল, ‘যে তোমার পরিবারের সাথে অপকর্ম করতে চায় তাকে জেলে পাঠানো অথবা ভয়াবহ শাস্তি ছাড়া উপযুক্ত দন্ড কী আর দেয়া যেতে পারে?’
Sahih International:
And they both raced to the door, and she tore his shirt from the back, and they found her husband at the door. She said, "What is the recompense of one who intended evil for your wife but that he be imprisoned or a painful punishment?"



قَالَ هِیَ رَاوَدَتْنِیْ عَنْ نَّفْسِیْ وَ شَهِدَ شَاهِدٌ مِّنْ اَهْلِهَا ۚ اِنْ کَانَ قَمِیْصُهٗ قُدَّ مِنْ قُبُلٍ فَصَدَقَتْ وَ هُوَ مِنَ الْکٰذِبِیْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হিয়া রা-ওয়াদাতনী ‘আন নাফছী ওয়া শাহিদা শা-হিদুম মিন আহলিহা- ইন কা-না কামীসুহূকুদ্দা মিন কুবুলিন ফাসাদাকাত ওয়া হুওয়া মিনাল কা-যিবীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘সে-ই আমাকে কুপ্ররোচনা দিয়েছে’। আর মহিলার পরিবার থেকে এক সাক্ষ্যদাতা সাক্ষ্য প্রদান করল, ‘যদি তার জামা সামনের দিক থেকে ছেঁড়া হয় তাহলে সে (মহিলা) সত্য বলেছে এবং সে (পুরুষ) মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (ইউসুফ) বলল, ‘সে-ই আমা হতে অসৎ কর্ম কামনা করেছে’। তখন মহিলাটির পরিবারের এক সাক্ষী সাক্ষ্য দিল- ‘যদি তার জামা সম্মুখ দিক থেকে ছেঁড়া হয়ে থাকে, তবে মহিলাটি সত্য বলেছে আর সে মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
[Joseph] said, "It was she who sought to seduce me." And a witness from her family testified. "If his shirt is torn from the front, then she has told the truth, and he is of the liars.



وَ اِنْ کَانَ قَمِیْصُهٗ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ فَکَذَبَتْ وَ هُوَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন কা-না কামীসুহূকুদ্দা মিন দুবুরিন ফাকাযাবাত ওয়া হুওয়া মিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
‘আর তার জামা যদি পেছন থেকে ছেঁড়া হয় তাহলে সে (মহিলা) মিথ্যা বলেছে এবং সে (পুরুষ) হচ্ছে সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যদি তার জামা পেছন হতে ছেঁড়া হয়ে থাকে, তবে মহিলাটি মিথ্যে বলেছে আর সে সত্যবাদীদের অন্তুর্ভক্ত।’
Sahih International:
But if his shirt is torn from the back, then she has lied, and he is of the truthful."



فَلَمَّا رَاٰ قَمِیْصَهٗ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ قَالَ اِنَّهٗ مِنْ کَیْدِکُنَّ ؕ اِنَّ کَیْدَکُنَّ عَظِیْمٌ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-রাআ-কামীসাহূকুদ্দা মিন দুবরিন কা-লা ইন্নাহূমিন কাইদিকুন্ন ইন্না কাইদাকুন্না ‘আজীম।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে দেখল, তার জামা পেছন থেকে ছেঁড়া তখন বলল, ‘নিশ্চয় এটি তোমাদের ষড়যন্ত্র। নিশ্চয় তোমাদের ষড়যন্ত্র ভয়ানক’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্বামী যখন ইউসুফের জামাটি পেছন হতে ছেঁড়া দেখতে পেল, তখন সে বলল, ‘এ সব হল তোমাদের নারীদের ছলনা, তোমাদের কূট কৌশল বড়ই কঠিন।
Sahih International:
So when her husband saw his shirt torn from the back, he said, "Indeed, it is of the women's plan. Indeed, your plan is great.



یُوْسُفُ اَعْرِضْ عَنْ هٰذَا ٜ وَ اسْتَغْفِرِیْ لِذَنْۢبِکِ ۚۖ اِنَّکِ کُنْتِ مِنَ الْخٰطِئِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ইঊছুফুআ‘রিদ‘আন হা-যা-ওয়াছতাগফিরী লিযামবিকি ইন্নাকি কুনতি মিনাল খা-তিঈন।
আল বায়ান:
‘ইউসুফ, তুমি এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাও, আর (হে নারী) তুমি তোমার পাপের জন্য ইস্তেগফার কর। নিশ্চয় তুমিই পাপীদের অন্তর্ভূক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে ইউসুফ! তুমি ব্যাপারটা উপেক্ষা কর, আর ওহে নারী! তুমি তোমার অপরাধের জন্য ক্ষমা চাও, প্রকৃতপক্ষে তুমিই অপরাধী।’
Sahih International:
Joseph, ignore this. And, [my wife], ask forgiveness for your sin. Indeed, you were of the sinful."



وَ قَالَ نِسْوَۃٌ فِی الْمَدِیْنَۃِ امْرَاَتُ الْعَزِیْزِ تُرَاوِدُ فَتٰىهَا عَنْ نَّفْسِهٖ ۚ قَدْ شَغَفَهَا حُبًّا ؕ اِنَّا لَنَرٰىهَا فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা নিছওয়াতুন ফিল মাদীনাতিম রাআতুল ‘আযীযি তুরা-বিদুফাতা-হা-‘আন নাফছিহী কাদ শাগাফাহা-হুব্বান ইন্না লানারা-হা-ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর নগরীতে মহিলারা বলাবলি করল, ‘আযীয পত্নী স্বীয় যুবককে কুপ্ররোচনা দিচ্ছে। (যুবকের প্রতি) গভীর প্রেম তাকে আসক্ত করে ফেলেছে, নিশ্চয় আমরা তাকে প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে দেখতে পাচ্ছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
নগরীর কতক মহিলা বলল, ‘আযীযের স্ত্রী তার যুবক ক্রীতদাসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে, ভালবাসা তাকে উন্মাদ করে ফেলেছে, আমরা নিশ্চিতই তাকে প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে নিপতিত দেখছি।’
Sahih International:
And women in the city said, "The wife of al-'Azeez is seeking to seduce her slave boy; he has impassioned her with love. Indeed, we see her [to be] in clear error."



فَلَمَّا سَمِعَتْ بِمَکْرِهِنَّ اَرْسَلَتْ اِلَیْهِنَّ وَ اَعْتَدَتْ لَهُنَّ مُتَّکَاً وَّ اٰتَتْ کُلَّ وَاحِدَۃٍ مِّنْهُنَّ سِکِّیْنًا وَّ قَالَتِ اخْرُجْ عَلَیْهِنَّ ۚ فَلَمَّا رَاَیْنَهٗۤ اَکْبَرْنَهٗ وَ قَطَّعْنَ اَیْدِیَهُنَّ وَ قُلْنَ حَاشَ لِلّٰهِ مَا هٰذَا بَشَرًا ؕ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا مَلَکٌ کَرِیْمٌ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-ছামি‘আত বিমাকরিহিন্না আরছালাত ইলাইহিন্না ওয়া আ‘তাদাত লাহুন্না মুত্তাকাআওঁ ওয়া আ-তাত কুল্লা ওয়াহিদাতিম মিনহুন্না ছিক্কীনাওঁ ওয়া কা-লাতিখরুজ ‘আলাইহিন্না ফালাম্মা-রাআইনাহূআকবারনাহূওয়া কাত্তা‘না আইদিয়াহুন্না ওয়াকুলনা হা-শা লিল্লা-হি মা- হা-যা-বাশারান ইন হা-যা ইল্লা-মালাকুন কারীম।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে তাদের কূটকৌশলের কথা শুনতে পেল, তখন তাদেরকে ডেকে পাঠাল এবং তাদের জন্য আসন প্রস্তুত করল, আর তাদের প্রত্যেককে একটি করে ছুরি প্রদান করল এবং ইউসুফকে বলল, ‘তাদের সামনে বেরিয়ে আস’। অতঃপর তারা যখন তাকে দেখল, তখন তাকে বিশাল সৌন্দর্যের অধিকারী মনে করল এবং তারা নিজদের হাত কেটে ফেলল আর বলল, ‘মহিমা আল্লাহর, এতো মানুষ নয়। এ তো এক সম্মানিত ফেরেশতা’।
তাইসিরুল কুরআন:
মহিলাটি যখন তাদের চক্রান্তের কথা জানতে পারল, তখন তাদেরকে ডেকে পাঠাল আর তাদের জন্য হেলান দিয়ে বসার ব্যবস্থা করল, আর তাদের প্রত্যেককে একটা করে ছুরি দিল। অতঃপর ইউসুফকে বলল, ‘ওদের সামনে বেরিয়ে এসো।’ যখন তারা তাকে দেখল, বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল আর নিজেদের হাত কেটে ফেলল, আর বলল, ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, এ তো মানুষ নয়, এতো এক সম্মানিত ফেরেশতা।’
Sahih International:
So when she heard of their scheming, she sent for them and prepared for them a banquet and gave each one of them a knife and said [to Joseph], "Come out before them." And when they saw him, they greatly admired him and cut their hands and said, "Perfect is Allah! This is not a man; this is none but a noble angel."



قَالَتْ فَذٰلِکُنَّ الَّذِیْ لُمْتُنَّنِیْ فِیْهِ ؕ وَ لَقَدْ رَاوَدْتُّهٗ عَنْ نَّفْسِهٖ فَاسْتَعْصَمَ ؕ وَ لَئِنْ لَّمْ یَفْعَلْ مَاۤ اٰمُرُهٗ لَیُسْجَنَنَّ وَ لَیَکُوْنًا مِّنَ الصّٰغِرِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লাত ফাযা-লিকুন্নাল্লাযী লুমতুন্নানী ফীহি ওয়া লাকাদ রা-ওয়াততুহূ‘আন নাফছিহী ফাছতা‘সামা ওয়া লাইল্লাম ইয়াফ‘আল মাআ-মুরুহূলাইউছজানান্না ওয়া লাইয়াকূনাম মিনাসসা-গিরীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘এ-ই সে, যার ব্যাপারে তোমরা আমাকে ভৎর্সনা করেছিলে। আর আমিই তাকে কুপ্ররোচনা দিয়েছি; কিন্তু সে বিরত থেকেছে এবং আমি তাকে যা আদেশ করছি সে যদি তা না করে তবে অবশ্যই সে কারারুদ্ধ হবে এবং নিশ্চয় সে অপদস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
মহিলাটি বলল, ‘এ হল সেই যার ব্যাপারে তোমরা আমাকে ভৎর্সনা করছ, আমিই তো তাকে ভুলাতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে নিজেকে নিষ্পাপ রেখেছে, আমি তাকে যে আদেশ করি তা যদি সে না করে, তাহলে তাকে অবশ্যই কয়েদ করা হবে, আর সে হীন লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’
Sahih International:
She said, "That is the one about whom you blamed me. And I certainly sought to seduce him, but he firmly refused; and if he will not do what I order him, he will surely be imprisoned and will be of those debased."



قَالَ رَبِّ السِّجْنُ اَحَبُّ اِلَیَّ مِمَّا یَدْعُوْنَنِیْۤ اِلَیْهِ ۚ وَ اِلَّا تَصْرِفْ عَنِّیْ کَیْدَهُنَّ اَصْبُ اِلَیْهِنَّ وَ اَکُنْ مِّنَ الْجٰهِلِیْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বিছছিজনুআহাব্বুইলাইইয়া মিম্মা-ইয়াদ‘ঊনানীইলাইহি ওয়া ইল্লা-তাসরিফ ‘আন্নী কাইদাহুন্না আসবুইলাইহিন্না ওয়াআকুম মিনাল জা-হিলীন।
আল বায়ান:
সে (ইউসুফ) বলল, ‘হে আমার রব, তারা আমাকে যে কাজের প্রতি আহবান করছে তা থেকে কারাগারই আমার নিকট অধিক প্রিয়। আর যদি আপনি আমার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত না করেন তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং আমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হব’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (ইউসুফ) বলল, ‘হে আমার রবব! তারা আমাকে যে দিকে ডাকছে তার চেয়ে জেলখানা আমার কাছে অধিক প্রিয়। তুমি যদি আমা হতে তাদের অপকৌশল সরিয়ে না দাও তা হলে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব, আর অজ্ঞদের দলে শামিল হয়ে যাব।’
Sahih International:
He said, "My Lord, prison is more to my liking than that to which they invite me. And if You do not avert from me their plan, I might incline toward them and [thus] be of the ignorant."



فَاسْتَجَابَ لَهٗ رَبُّهٗ فَصَرَفَ عَنْهُ کَیْدَهُنَّ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ফাছতাজা-বা লাহূরাব্বুহূফাসারাফা ‘আনহু কাইদাহুন্না ইন্নাহূহুওয়াছছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
অতঃপর তার রব তার আহবানে সাড়া দিলেন এবং তার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করলেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তার প্রতিপালক তার ডাকে সাড়া দিলেন আর তার থেকে তাদের কূট কৌশল অপসারিত করলেন, তিনি সব কিছু শুনেন, সব কিছু জানেন।
Sahih International:
So his Lord responded to him and averted from him their plan. Indeed, He is the Hearing, the Knowing.



ثُمَّ بَدَا لَهُمْ مِّنْۢ بَعْدِ مَا رَاَوُا الْاٰیٰتِ لَیَسْجُنُنَّهٗ حَتّٰی حِیْنٍ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা বাদা-লাহুম মিম বা‘দি মা-রাআউল আ-য়া-তি লাইয়াছজুনুন্নাহূহাত্তা-হীন।
আল বায়ান:
তারপর নিদর্শনসমূহ দেখার পরে তাদের কাছে স্পষ্ট হল, কিছু কাল পর্যন্ত অবশ্যই তারা তাকে কারারুদ্ধ করে রাখবে।
তাইসিরুল কুরআন:
নিদর্শনবলী দেখার পর তাদের মনে হল যে, কিছু দিনের জন্য তাকে অবশ্য অবশ্যই কারারুদ্ধ করতে হবে।
Sahih International:
Then it appeared to them after they had seen the signs that al-'Azeez should surely imprison him for a time.



وَ دَخَلَ مَعَهُ السِّجْنَ فَتَیٰنِ ؕ قَالَ اَحَدُهُمَاۤ اِنِّیْۤ اَرٰىنِیْۤ اَعْصِرُ خَمْرًا ۚ وَ قَالَ الْاٰخَرُ اِنِّیْۤ اَرٰىنِیْۤ اَحْمِلُ فَوْقَ رَاْسِیْ خُبْزًا تَاْکُلُ الطَّیْرُ مِنْهُ ؕ نَبِّئْنَا بِتَاْوِیْلِهٖ ۚ اِنَّا نَرٰىکَ مِنَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দাখালা মা‘আহুছ ছিজনা ফাতাইয়া-ন কা-লা আহাদুহুমাইন্নীআরা-নী আ‘সিরু খামরা- ওয়া কা-লাল আ-খারু ইন্নীআরা-নী আহমিলুফাওকা রা’ছী খুবযান তা’কুলুততাইরু মিনহু নাব্বি’না-বিতা’ওয়ীলিহী ইন্না-নারা-কা মিনাল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
আর কারাগারে তার সাথে প্রবেশ করল দু’জন যুবক। তাদের একজন বলল, ‘আমি স্বপ্নে আমাকে দেখতে পেলাম যে, আমি মদ নিংড়াচ্ছি’। আর অপর জন বলল, ‘আমি স্বপ্নে আমাকে দেখেছি যে, আমি আমার মাথার উপর রুটি বহন করছি তা থেকে পাখি খাচ্ছে। আপনি আমাদেরকে এর ব্যাখ্যা অবহিত করুন। নিশ্চয় আমরা আপনাকে ইহসানকারীদের অন্তর্ভুক্ত দেখতে পাচ্ছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তার সঙ্গে দু’যুবকও কারাগারে প্রবেশ করেছিল। তাদের একজন বলল, ‘আমি স্বপ্নে দেখলাম যে আমি মদ তৈরি করছি।’ অন্যজন বলল, ‘আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি মাথায় রুটি বহন করছি আর পাখী তাত্থেকে খাচ্ছে। আমাদেরকে এর ব্যাখ্যা বলে দাও, আমরা দেখছি তুমি একজন সৎকর্মশীল লোক।’
Sahih International:
And there entered the prison with him two young men. One of them said, "Indeed, I have seen myself [in a dream] pressing wine." The other said, "Indeed, I have seen myself carrying upon my head [some] bread, from which the birds were eating. Inform us of its interpretation; indeed, we see you to be of those who do good."



قَالَ لَا یَاْتِیْکُمَا طَعَامٌ تُرْزَقٰنِهٖۤ اِلَّا نَبَّاْتُکُمَا بِتَاْوِیْلِهٖ قَبْلَ اَنْ یَّاْتِیَکُمَا ؕ ذٰلِکُمَا مِمَّا عَلَّمَنِیْ رَبِّیْ ؕ اِنِّیْ تَرَکْتُ مِلَّۃَ قَوْمٍ لَّا یُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَ هُمْ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ کٰفِرُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লা-ইয়া’তীকুমা-তা‘আ-মুন তুরযাকা-নিহীইল্লা-নাব্বা’তুকুমা-বিতা’বীলিহী কাবলা আইঁ ইয়া’তিয়াকুমা- যা-লিকুমা-মিম্মা-‘আল্লামানী রাববী ইন্নী তারাকতু মিল্লাতা কাওমিল লা-ইউ’মিনূনা বিল্লা-হি ওয়াহুম বিলআ-খিরাতি হুম কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমাদেরকে যে খাদ্য দেয়া হয় তা তোমাদের কাছে আসার পূর্বেই আমি তোমাদেরকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিয়ে দেব। সেটি এমন জ্ঞান থেকেই বলব যা আমার রব আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আমি পরিত্যাগ করেছি সে কওমের ধর্ম যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না এবং যারা আখিরাতকে অস্বীকারকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (ইউসুফ) বলল, ‘তোমাদেরকে যে খাবার দেয়া হয় তা আসার আগেই আমি তোমাদেরকে তার ব্যাখ্যা জানিয়ে দেব। আমার প্রতিপালক আমাকে যে জ্ঞান দান করেছেন এটা সেই জ্ঞানেরই অংশ। যে সম্প্রদায় আল্লাহতে বিশ্বাস করে না আর আখেরাতে অবিশ্বাসী, আমি তাদের নিয়ম নীতি পরিত্যাগ করেছি।
Sahih International:
He said, "You will not receive food that is provided to you except that I will inform you of its interpretation before it comes to you. That is from what my Lord has taught me. Indeed, I have left the religion of a people who do not believe in Allah, and they, in the Hereafter, are disbelievers.



وَ اتَّبَعْتُ مِلَّۃَ اٰبَآءِیْۤ اِبْرٰهِیْمَ وَ اِسْحٰقَ وَ یَعْقُوْبَ ؕ مَا کَانَ لَنَاۤ اَنْ نُّشْرِکَ بِاللّٰهِ مِنْ شَیْءٍ ؕ ذٰلِکَ مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ عَلَیْنَا وَ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَشْکُرُوْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাবা‘তুমিল্লাতা আ-বাঈইবরা-হীমা ওয়া ইছহা-কা ওয়া ইয়া‘কূবা মা-কা-না লানাআন নুশরিকা বিল্লা-হি মিন শাইইন যা-লিকা মিন ফাদলিল্লা-হি আলাইনাওয়া‘আলান্না-ছি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়াশকুরূন।
আল বায়ান:
‘আর আমি অনুসরণ করেছি আমার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকূবের ধর্ম। আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা আমাদের জন্য সঙ্গত নয়। এটি আমাদের ও সকল মানুষের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আমার পূর্বপুরুষ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়া‘কূবের আদর্শের অনুসরণ করি। আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা আমাদের কাজ নয়। এটা আমাদের প্রতি ও মানুষের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ, কিন্তু অধিকাংশ লোকই শোকর করে না।
Sahih International:
And I have followed the religion of my fathers, Abraham, Isaac and Jacob. And it was not for us to associate anything with Allah. That is from the favor of Allah upon us and upon the people, but most of the people are not grateful.



یٰصَاحِبَیِ السِّجْنِ ءَاَرْبَابٌ مُّتَفَرِّقُوْنَ خَیْرٌ اَمِ اللّٰهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ ﴿ؕ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-সা-হিবাইছছিজনি আ আরবা-বুমমুতাফাররিকূনা খাইরুন আমিল্লা-হুল ওয়া-হিদুল কাহহা-র।
আল বায়ান:
হে আমার কারা সঙ্গীদ্বয়, বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহাপরাক্রমশালী এক আল্লাহ’?
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার জেলের সঙ্গীদ্বয়! ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপালক ভালো, না মহাপরাক্রমশালী এক আল্লাহ?
Sahih International:
O [my] two companions of prison, are separate lords better or Allah, the One, the Prevailing?



مَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖۤ اِلَّاۤ اَسْمَآءً سَمَّیْتُمُوْهَاۤ اَنْتُمْ وَ اٰبَآؤُکُمْ مَّاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ بِهَا مِنْ سُلْطٰنٍ ؕ اِنِ الْحُکْمُ اِلَّا لِلّٰهِ ؕ اَمَرَ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ ؕ ذٰلِکَ الدِّیْنُ الْقَیِّمُ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
মা-তা‘বুদূ না মিন দূ নিহীইল্লাআছমাআন ছাম্মাইতুমূহা আনতুম ওয়া আ-বাউকুম মাআনযালাল্লা-হু বিহা-মিন ছুলতা-নিন ইনিল হুকম ইল্লা-লিল্লা-হি আমারা আল্লাতা‘বুদূ ইল্লা-ইইয়া-হু যা-লিকাদ্দীনুল কাইয়িমুওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লাইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে নিছক কতগুলো নামের ইবাদাত করছ, যাদের নামকরণ তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষরা করেছ, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ প্রমাণ নাযিল করেননি। বিধান একমাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, ‘তাঁকে ছাড়া আর কারো ইবাদাত করো না’। এটিই সঠিক দীন, কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁকে বাদ দিয়ে তোমরা যার ‘ইবাদাত করছ তা কতকগুলো নাম ছাড়া আর কিছুই নয়, যে নামগুলো তোমরা আর তোমাদের পিতৃ পুরুষরা রেখেছ। এ ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ নাযিল করেননি। আল্লাহ ছাড়া কোন বিধান দাতা নেই। তিনি আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া আর কারো ‘ইবাদাত করবে না, এটাই সঠিক দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।
Sahih International:
You worship not besides Him except [mere] names you have named them, you and your fathers, for which Allah has sent down no authority. Legislation is not but for Allah. He has commanded that you worship not except Him. That is the correct religion, but most of the people do not know.



یٰصَاحِبَیِ السِّجْنِ اَمَّاۤ اَحَدُ کُمَا فَیَسْقِیْ رَبَّهٗ خَمْرًا ۚ وَ اَمَّا الْاٰخَرُ فَیُصْلَبُ فَتَاْکُلُ الطَّیْرُ مِنْ رَّاْسِهٖ ؕ قُضِیَ الْاَمْرُ الَّذِیْ فِیْهِ تَسْتَفْتِیٰنِ ﴿ؕ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-সা-হিবাইছ ছিজনি আম্মাআহাদুকুমা-ফাইয়াছকী রাব্বাহূখামরাও ওয়াআম্মাল আ-খারু ফাইউসলাবুফাতা’কুলুততাইরু মিররা’ছিহী কুদিয়াল আমরুল্লাযী ফীহি তাছতাফতিয়া-ন।
আল বায়ান:
‘হে আমার কারা সঙ্গীদ্বয়, তোমাদের একজন স্বীয় মনিবকে মদপান করাবে। আর অন্যজনকে শূলে চড়ানো হবে, অতঃপর পাখি তার মাথা থেকে আহার করবে। যে বিষয়ে তোমরা জানতে চাচ্ছ তার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার জেলের সঙ্গীদ্বয়! তোমাদের দু’জনের একজন তার প্রভুকে মদ পান করাবে আর অন্যজনকে শূলে দেয়া হবে, আর পাখী তার মস্তক ঠুকরে খাবে। তোমরা দু’জন যে সম্পর্কে জানতে চেয়েছ তার ফায়সালা হয়ে গেছে।’
Sahih International:
O two companions of prison, as for one of you, he will give drink to his master of wine; but as for the other, he will be crucified, and the birds will eat from his head. The matter has been decreed about which you both inquire."



وَ قَالَ لِلَّذِیْ ظَنَّ اَنَّهٗ نَاجٍ مِّنْهُمَا اذْکُرْنِیْ عِنْدَ رَبِّکَ ۫ فَاَنْسٰهُ الشَّیْطٰنُ ذِکْرَ رَبِّهٖ فَلَبِثَ فِی السِّجْنِ بِضْعَ سِنِیْنَ ﴿ؕ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা লিল্লাযী জান্না আন্নাহূনা-জিম মিনহুমাযকুরনী ‘ইনদা রাব্বিকা ফাআনছাহুশশাইতা-নুযিকরা রাব্বিহী ফালাবিছা ফিছছিজনি বিদ‘আ ছিনীন।
আল বায়ান:
আর তাদের দু’জনের মধ্যে যে মুক্তি পাবে বলে সে ধারণা করল তাকে বলল, ‘তোমার মনিবের কাছে আমার কথা উল্লেখ করবে’। কিন্তু শয়তান তাকে স্বীয় মনিবের নিকট উল্লেখ করার বিষয়টি ভুলিয়ে দিল। ফলে সে কয়েক বছর কারাগারে অবস্থান করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের দু’জনের মধ্যে যে জন মুক্তি পাবে ব’লে সে (ইউসুফ) মনে করল তাকে বলল, ‘তোমার প্রভুর কাছে আমার সম্পর্কে বলিও।’ কিন্তু শয়তান তাকে তার প্রভুর কাছে ইউসুফের কথা উল্লেখ করতে ভুলিয়ে দিল। ফলে ইউসুফ বেশ কয়েক বছর কারাগারে আটক থেকে গেল।
Sahih International:
And he said to the one whom he knew would go free, "Mention me before your master." But Satan made him forget the mention [to] his master, and Joseph remained in prison several years.



وَ قَالَ الْمَلِکُ اِنِّیْۤ اَرٰی سَبْعَ بَقَرٰتٍ سِمَانٍ یَّاْکُلُهُنَّ سَبْعٌ عِجَافٌ وَّ سَبْعَ سُنْۢبُلٰتٍ خُضْرٍ وَّ اُخَرَ یٰبِسٰتٍ ؕ یٰۤاَیُّهَا الْمَلَاُ اَفْتُوْنِیْ فِیْ رُءْیَایَ اِنْ کُنْتُمْ لِلرُّءْیَا تَعْبُرُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল মালিকুইন্নীআরা-ছাব‘আ বাকারা-তিন ছিমা-নিইঁ ইয়া’কুলুহুন্না ছাব‘উন ‘ইজাফুওঁ ওয়া ছাব‘আ ছুমবুলা-তিন খুদরিওঁ ওয়া উখারা ইয়া-বিছা-তিন ইয়াআইয়ুহাল মালাউ আফতূনী ফী রু’ইয়া-ইয়া ইন কুনতুম লিররু’ইয়া-তা‘বুরূন।
আল বায়ান:
আর বাদশাহ বলল, ‘আমি স্বপ্নে দেখছি, সাতটি মোটা তাজা গাভী, তাদের খেয়ে ফেলছে সাতটি ক্ষীণকায় গাভী এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অপর সাতটি শুষ্ক। হে পারিষদবর্গ, তোমরা আমাকে আমার স্বপ্ন সম্বন্ধে ব্যাখ্যা দাও যদি তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে থাক’।
তাইসিরুল কুরআন:
রাজা বললেন, ‘আমি স্বপ্নে দেখলাম সাতটি হৃষ্টপুষ্ট গাভী, সাতটি জীর্ণশীর্ণ গাভী তাদেরকে খাচ্ছে। (আর দেখলাম) সাতটি সবুজ সতেজ শীষ আর অন্য সাতটি শুকনো। ওহে সভাষদগণ! আমার কাছে তোমরা আমার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কর যদি তোমরা ব্যাখ্যা করতে পার।’
Sahih International:
And [subsequently] the king said, "Indeed, I have seen [in a dream] seven fat cows being eaten by seven [that were] lean, and seven green spikes [of grain] and others [that were] dry. O eminent ones, explain to me my vision, if you should interpret visions."



قَالُوْۤا اَضْغَاثُ اَحْلَامٍ ۚ وَ مَا نَحْنُ بِتَاْوِیْلِ الْاَحْلَامِ بِعٰلِمِیْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লূআদগা-ছু আহলা-মিন ওয়ামা নাহনুবিতা’বীলিল আহলা-মি বি‘আ-লিমীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘এটি এলোমেলো অলীক স্বপ্ন। আর আমরা এরূপ স্বপ্ন ব্যাখ্যায় জ্ঞানী নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘এতো অস্পষ্ট (অর্থহীন) স্বপ্নের কথা, আর আমরা এ ধরনের স্বপ্ন ব্যাখ্যায় অভিজ্ঞ নই।’
Sahih International:
They said, "[It is but] a mixture of false dreams, and we are not learned in the interpretation of dreams."



وَ قَالَ الَّذِیْ نَجَا مِنْهُمَا وَ ادَّکَرَ بَعْدَ اُمَّۃٍ اَنَا اُنَبِّئُکُمْ بِتَاْوِیْلِهٖ فَاَرْسِلُوْنِ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনাজা-মিনহুমা-ওয়াদ্দাকারা বা‘দা উম্মাতিন আনা-উনাব্বিউকুম বিতাবীলিহী ফাআরছিলূন।
আল বায়ান:
আর সে দু’জনের মধ্যে যে মুক্তি পেয়েছিল, সে বলল এবং দীর্ঘ দিন পর তার স্মরণ হল, ‘আমি তোমাদেরকে এর ব্যাখ্যা জানিয়ে দিচ্ছি, অতএব তোমরা আমাকে পাঠিয়ে দাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
দু’জনের মধ্যে যে জন জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল আর দীর্ঘকাল পর যার স্মরণ হল সে বলল, ‘আমি তোমাদেরকে তার ব্যাখ্যা বলে দেব, তবে তোমরা আমাকে (জেলখানায় ইউসুফের কাছে) পাঠাও।
Sahih International:
But the one who was freed and remembered after a time said, "I will inform you of its interpretation, so send me forth."



یُوْسُفُ اَیُّهَا الصِّدِّیْقُ اَفْتِنَا فِیْ سَبْعِ بَقَرٰتٍ سِمَانٍ یَّاْکُلُهُنَّ سَبْعٌ عِجَافٌ وَّ سَبْعِ سُنْۢبُلٰتٍ خُضْرٍ وَّ اُخَرَ یٰبِسٰتٍ ۙ لَّعَلِّیْۤ اَرْجِعُ اِلَی النَّاسِ لَعَلَّهُمْ یَعْلَمُوْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ইঊছুফুআইয়ুহাস সিদ্দীকুআফতিনা-ফী ছাব‘ই বাকারা-তিন ছিমা-নিইঁ ইয়া’কুলুহুন্না ছাব‘উন ‘ইজা-ফুওঁ ওয়া ছাব‘ই ছুমবুলা-তিন খুদরিওঁ ওয়া উখারা ইয়া-বিছা-তিল লা‘আললী আরজি‘উ ইলান্না-ছি লা‘আল্লাহুম ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
‘হে ইউসুফ, হে সত্যবাদী, আপনি আমাদের ব্যাখ্যা দিন, সাতটি মোটা তাজা গাভী সম্বন্ধে, যাদের খাচ্ছে সাতটি ক্ষীণকায় গাভী এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অপর সাতটি শুষ্ক শীষ সম্পর্কে, যাতে আমি লোকদের কাছে ফিরে যেতে পারি যেন তারা জানতে পারে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে সত্যবাদী ইউসুফ! সাতটি হৃষ্টপুষ্ট গাভী, যাদেরকে খাচ্ছে জীর্ণশীর্ণ সাতটি গাভী আর সাতটি সবুজ সতেজ শীষ আর অন্যগুলো শুকনো। (আমাদেরকে এর ব্যাখ্যা জানিয়ে দাও) যাতে আমি তাদের কাছে ফিরে যেতে পারি আর তারা জেনে নিতে পারে।’
Sahih International:
[He said], "Joseph, O man of truth, explain to us about seven fat cows eaten by seven [that were] lean, and seven green spikes [of grain] and others [that were] dry - that I may return to the people; perhaps they will know [about you]."



قَالَ تَزْرَعُوْنَ سَبْعَ سِنِیْنَ دَاَبًا ۚ فَمَا حَصَدْتُّمْ فَذَرُوْهُ فِیْ سُنْۢبُلِهٖۤ اِلَّا قَلِیْلًا مِّمَّا تَاْکُلُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা তাযরা‘ঊনা ছাব‘আ ছিনীনা দাআ-বা- ফামা-হাসাততুম ফাযারূহু ফী ছুমবুলিহীইল্লা-কালীলাম মিম্মা-তা’কুলূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমরা সাত বছর একাধারে চাষাবাদ করবে অতঃপর যে শস্য কেটে ঘরে তুলবে তার মধ্য থেকে যে সামান্য পরিমাণ খাবে সেগুলো ছাড়া সব শীষের মধ্যে রেখে দেবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (ইউসুফ) বলল, ‘সাত বছর তোমরা এক নাগাড়ে চাষ করবে, অতঃপর যখন ফসল কাটবে তখন তোমরা যে সামান্য পরিমাণ খাবে তা বাদে শিষ সমেত সংরক্ষণ করবে।
Sahih International:
[Joseph] said, "You will plant for seven years consecutively; and what you harvest leave in its spikes, except a little from which you will eat.



ثُمَّ یَاْتِیْ مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِکَ سَبْعٌ شِدَادٌ یَّاْکُلْنَ مَا قَدَّمْتُمْ لَهُنَّ اِلَّا قَلِیْلًا مِّمَّا تُحْصِنُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইয়া’তী মিম বা‘দি যা-লিকা ছাব‘উন শিদা-দুইঁ ইয়া’কুলনা মা-কাদ্দামতুম লাহুন্না ইল্লাকালীলাম মিম্মা-তুহসিনূন।
আল বায়ান:
‘তারপর আসবে সাতটি কঠিন বছর। এর জন্য তোমরা পূর্বে যা সঞ্চয় করে রেখে দেবে এরা (ঐ সময়ের লোকেরা) সেগুলো খেয়ে ফেলবে, সামান্য কিছু ছাড়া যা তোমরা সংরক্ষণ করে রাখবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপর আসবে সাতটি কঠিন বছর। এ সময়ের জন্য পূর্বে যা তোমরা সঞ্চয় করেছিলে তা লোকে খাবে, কেবল সেই অল্পটুকু বাদে যা তোমরা সঞ্চয় করবে।
Sahih International:
Then will come after that seven difficult [years] which will consume what you saved for them, except a little from which you will store.



ثُمَّ یَاْتِیْ مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِکَ عَامٌ فِیْهِ یُغَاثُ النَّاسُ وَ فِیْهِ یَعْصِرُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইয়া’তী মিম বা‘দি যা-লিকা ‘আ-মুন ফীহি ইউগা-ছু ন্না-ছুওয়া ফীহি ইয়া‘সিরূন।
আল বায়ান:
‘এরপর আসবে এমন এক বছর যাতে মানুষ বৃষ্টি সিক্ত হবে এবং যাতে তারা (ফলের ও যয়তুনের) রস নিংড়াবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
এর পর আসবে একটা বছর যখন মানুষের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে আর মানুষ প্রচুর ভোগবিলাস করবে।’
Sahih International:
Then will come after that a year in which the people will be given rain and in which they will press [olives and grapes]."



وَ قَالَ الْمَلِکُ ائْتُوْنِیْ بِهٖ ۚ فَلَمَّا جَآءَهُ الرَّسُوْلُ قَالَ ارْجِعْ اِلٰی رَبِّکَ فَسْـَٔلْهُ مَا بَالُ النِّسْوَۃِ الّٰتِیْ قَطَّعْنَ اَیْدِیَهُنَّ ؕ اِنَّ رَبِّیْ بِکَیْدِهِنَّ عَلِیْمٌ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল মালিকু’তূনী বিহী ফালাম্মা-জাআহুর রাছূলুকা-লারজি‘ ইলা-রাব্বিকা ফাছআলহু মা-বা-লুন নিছওয়াতিল্লা-তী কাত্তা‘না আইদিয়াহুন্না ইন্না রাববী বিকাইদিহিন্না ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর বাদশাহ বলল, ‘তোমরা তাকে আমার কাছে নিয়ে আস’। অতঃপর যখন দূত তার কাছে আসল তখন, সে বলল, তুমি তোমার মনিবের নিকট ফিরে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা কর, যে সব মহিলা নিজ নিজ হাত কেটে ফেলেছিল তাদের অবস্থা কী? নিশ্চয় আমার রব তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত’।
তাইসিরুল কুরআন:
রাজা বলল, ‘তোমরা তাকে (ইউসুফকে) আমার কাছে নিয়ে এসো।’ দূত যখন তার কাছে আসলো তখন ইউসুফ বলল, ‘তোমার প্রভুর কাছে ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞেস কর, সেই মহিলাদের ব্যাপারটি কী যারা তাদের হাত কেটে ফেলেছিল? আমার প্রতিপালক অবশ্যই তাদের কৌশল সম্পর্কে অবগত।’
Sahih International:
And the king said, "Bring him to me." But when the messenger came to him, [Joseph] said, "Return to your master and ask him what is the case of the women who cut their hands. Indeed, my Lord is Knowing of their plan."



قَالَ مَا خَطْبُکُنَّ اِذْ رَاوَدْتُّنَّ یُوْسُفَ عَنْ نَّفْسِهٖ ؕ قُلْنَ حَاشَ لِلّٰهِ مَا عَلِمْنَا عَلَیْهِ مِنْ سُوْٓءٍ ؕ قَالَتِ امْرَاَتُ الْعَزِیْزِ الْـٰٔنَ حَصْحَصَ الْحَقُّ ۫ اَنَا رَاوَدْتُّهٗ عَنْ نَّفْسِهٖ وَ اِنَّهٗ لَمِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা মা-খাতবুকুন্না ইয রা -ওয়াততুন্না ইঊছুফা ‘আন নাফছিহী কুলনা হা-শা লিল্লাহি মা-‘আলিমনা-‘আলাইহি মিন ছূইন কা-লাতিম রাআতুল ‘আযীযিলআ-না হাসহাসাল হাক্কু আনা-রা-ওয়াততুহূ‘আন নাফছিহী ওয়া ইন্নাহূলামিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
বাদশাহ বলল, ‘তোমরা যখন ইউসুফকে কুপ্ররোচনা দিয়েছিলে তখন তোমাদের কী হয়েছিল’? তারা বলল, ‘মহিমা আল্লাহর! আমরা তার ব্যাপারে খারাপ কিছু জানি না’। আযীয পত্নী বলল, ‘এখন সত্য প্রকাশ পেয়েছে, আমিই তাকে কুপ্ররোচনা দিয়েছি। আর নিশ্চয় সে সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
রাজা মহিলাদের জিজ্ঞেস করল- ‘তোমরা যখন ইউসুফকে ভুলাতে চেষ্টা করেছিলে তখন তোমাদের কী হয়েছিল?’ তারা বলল, ‘আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন! আমরা তার মাঝে কোন দোষ দেখতে পাইনি।’ আযীযের স্ত্রী বলল, ‘এখন সত্য প্রকাশিত হয়ে পড়েছে, আমিই তাকে ভুলাতে চেষ্টা করেছিলাম, নিশ্চয়ই সে ছিল সত্যবাদী।’
Sahih International:
Said [the king to the women], "What was your condition when you sought to seduce Joseph?" They said, "Perfect is Allah! We know about him no evil." The wife of al-'Azeez said, "Now the truth has become evident. It was I who sought to seduce him, and indeed, he is of the truthful.



ذٰلِکَ لِیَعْلَمَ اَنِّیْ لَمْ اَخُنْهُ بِالْغَیْبِ وَ اَنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ کَیْدَ الْخَآئِنِیْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা লিইয়া‘লামা আন্নী লাম আখুনহু বিলগাইবি ওয়া আন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী কাইদাল খাইনীন।
আল বায়ান:
এটি এ জন্য যে, যাতে সে জানতে পারে, আমি তার অনুপস্থিতিতে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আর আল্লাহ অবশ্যই বিশ্বাসঘাতকদের চক্রান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে দেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
(ইউসুফ বলল) ‘আমার উদ্দেশ্য এই যে, সে (অর্থাৎ আযীয) যেন জানতে পারে যে, তার অনুপস্থিতিতে আমি তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিনি আর আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের কৌশলকে অবশ্যই সফল হতে দেন না।’
Sahih International:
That is so al-'Azeez will know that I did not betray him in [his] absence and that Allah does not guide the plan of betrayers.



وَ مَاۤ اُبَرِّیٴُ نَفْسِیْ ۚ اِنَّ النَّفْسَ لَاَمَّارَۃٌۢ بِالسُّوْٓءِ اِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّیْ ؕ اِنَّ رَبِّیْ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাউবাররিউ নাফছী ইন্নান্নাফছা লাআম্মা-রাতুম বিছছূই ইল্লা-মা-রাহিমা রাববী ইন্না রাববী গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
‘আর আমি আমার নাফ্সকে পবিত্র মনে করি না, নিশ্চয় নাফ্স মন্দ কজের নির্দেশ দিয়ে থাকে, আমার রব যাকে দয়া করেন সে ছাড়া। নিশ্চয় আমার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
(সে বলল), ‘আমি নিজেকে দোষমুক্ত মনে করি না, নফস্ তো মন্দ কাজে প্ররোচিত করতেই থাকে, আমার প্রতিপালক যার প্রতি দয়া করেন সে ছাড়া। আমার প্রতিপালক বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।’
Sahih International:
And I do not acquit myself. Indeed, the soul is a persistent enjoiner of evil, except those upon which my Lord has mercy. Indeed, my Lord is Forgiving and Merciful."



وَ قَالَ الْمَلِکُ ائْتُوْنِیْ بِهٖۤ اَسْتَخْلِصْهُ لِنَفْسِیْ ۚ فَلَمَّا کَلَّمَهٗ قَالَ اِنَّکَ الْیَوْمَ لَدَیْنَا مَکِیْنٌ اَمِیْنٌ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল মালিকু’তূনী বিহীআছতাখলিসহু লিনাফছী ফালাম্মা-কাল্লামাহূকা-লা ইন্নাকাল ইয়াওমা লাদাইনা-মাকীনুন আমীন।
আল বায়ান:
আর বাদশাহ বলল, ‘তোমরা তাকে আমার নিকট নিয়ে আস, আমি তাকে নিজের জন্য আপন করে নেব’। অতঃপর যখন সে তার সাথে কথা বলল, তখন বলল, ‘নিশ্চয় আজ তুমি আমাদের নিকট মর্যাদাবান ও আস্থাভাজন’।
তাইসিরুল কুরআন:
রাজা বললেন, ‘তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো, আমি তাকে আমার জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করে নেব।’ অতঃপর সে (ইউসুফ) যখন তার সাথে কথা বলল, তখন রাজা বলল, ‘আজ তুমি আমাদের কাছে খুবই মর্যাদাশীল ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিগণিত।’
Sahih International:
And the king said, "Bring him to me; I will appoint him exclusively for myself." And when he spoke to him, he said, "Indeed, you are today established [in position] and trusted."



قَالَ اجْعَلْنِیْ عَلٰی خَزَآئِنِ الْاَرْضِ ۚ اِنِّیْ حَفِیْظٌ عَلِیْمٌ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লাজ‘আলনী ‘আলা-খাযাইনিল আরদি ইন্নী হাফীজুন ‘আলীম।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমাকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দায়িত্ব দিন, নিশ্চয় আমি যথাযথ হেফাযতকারী, সুবিজ্ঞ’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (ইউসুফ) বলল- ‘আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারের দায়িত্ব দিন, আমি উত্তম রক্ষক ও যথেষ্ট জ্ঞানের অধিকারী।’
Sahih International:
[Joseph] said, "Appoint me over the storehouses of the land. Indeed, I will be a knowing guardian."



وَ کَذٰلِکَ مَکَّنَّا لِیُوْسُفَ فِی الْاَرْضِ ۚ یَتَبَوَّاُ مِنْهَا حَیْثُ یَشَآءُ ؕ نُصِیْبُ بِرَحْمَتِنَا مَنْ نَّشَآءُ وَ لَا نُضِیْعُ اَجْرَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা মাক্কান্না-লিইঊছুূফা ফিল আরদি ইয়াতাবাওওয়াউ মিনহা-হাইছু ইয়াশাউ নুসীবুবিরাহমাতিনা-মান নাশাউ ওয়ালা-নুদী‘উ আজরাল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
আর এমনিভাবে আমি ইউসুফকে যমীনে কর্তৃত্ব প্রদান করেছি, সে তার যেখানে ইচ্ছা অবস্থান করতে পারত। আমি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত দান করি, আর আমি সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করি না।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি ইউসুফকে সে দেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম। দেশের যেখানে ইচ্ছে সে নিজের স্থান করে নিতে পারত, আমি যাকে চাই আমার রহমাত দিয়ে ধন্য করি, আমি সৎকর্মশীলদের কর্মফল কক্ষনো বিনষ্ট করি না।
Sahih International:
And thus We established Joseph in the land to settle therein wherever he willed. We touch with Our mercy whom We will, and We do not allow to be lost the reward of those who do good.



وَ لَاَجْرُ الْاٰخِرَۃِ خَیْرٌ لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ کَانُوْا یَتَّقُوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাআজরুল আ-খিরাতি খাইরুল লিল্লাযীনা আ-মানূওয়া কা-নূইয়াত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর যারা ঈমান আনে ও তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য আখিরাতের প্রতিদানই উত্তম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আখেরাতের কর্মফল তাদের জন্য অবশ্যই উত্তম যারা ঈমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে কাজ করতে থাকে।
Sahih International:
And the reward of the Hereafter is better for those who believed and were fearing Allah.



وَ جَآءَ اِخْوَۃُ یُوْسُفَ فَدَخَلُوْا عَلَیْهِ فَعَرَفَهُمْ وَ هُمْ لَهٗ مُنْکِرُوْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াজাআ ইখওয়াতুইঊছুফা ফাদাখালূ‘আলাইহি ফা‘আরাফাহুম ওয়াহুম লাহূমুনকিরূন।
আল বায়ান:
আর ইউসুফের ভাইয়েরা আসল এবং তার কাছে প্রবেশ করল। অতঃপর সে তাদেরকে চিনল, অথচ তারা তাকে চিনতে পারল না।
তাইসিরুল কুরআন:
ইউসুফের ভাইয়েরা আসল এবং তার কাছে হাযির হল। সে তাদেরকে চিনতে পারল, কিন্তু তারা তাকে চিনতে পারল না।
Sahih International:
And the brothers of Joseph came [seeking food], and they entered upon him; and he recognized them, but he was to them unknown.



وَ لَمَّا جَهَّزَهُمْ بِجَهَازِهِمْ قَالَ ائْتُوْنِیْ بِاَخٍ لَّکُمْ مِّنْ اَبِیْکُمْ ۚ اَلَا تَرَوْنَ اَنِّیْۤ اُوْفِی الْکَیْلَ وَ اَنَا خَیْرُ الْمُنْزِلِیْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-জাহহাযাহুম বিজাহা-যিহিম কা-লা’তূনী বিআখিল্লাকুম মিন আবীকুম আলাতারাওনা আন্নী ঊফিল কাইলা ওয়া আনা-খাইরুল মুনযিলীন।
আল বায়ান:
আর সে যখন তাদেরকে তাদের রসদসামগ্রী প্রস্তুত করে দিল, তখন বলল, ‘তোমরা তোমাদের পিতার পক্ষ হতে তোমাদের এক ভাইকে আমার কাছে নিয়ে আস, তোমরা কি দেখ না, আমি পরিমাপে পূর্ণমাত্রায় দেই এবং আমি উত্তম অতিথিপরায়ণ?
তাইসিরুল কুরআন:
সে যখন তাদের দ্রব্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিল তখন সে বলল, ‘তোমরা তোমাদের সৎ ভাইকে আমার কাছে নিয়ে আসবে, তোমরা কি দেখছ না, আমি কীভাবে পাত্র ভরে দেই, আর আমি উত্তম অতিথি সেবক।
Sahih International:
And when he had furnished them with their supplies, he said, "Bring me a brother of yours from your father. Do not you see that I give full measure and that I am the best of accommodators?



فَاِنْ لَّمْ تَاْتُوْنِیْ بِهٖ فَلَا کَیْلَ لَکُمْ عِنْدِیْ وَ لَا تَقْرَبُوْنِ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ফাইল্লাম তা’তূনী বিহী ফালা-কাইলা লাকুম ‘ইনদী ওয়ালা তাকরাবূন।
আল বায়ান:
আর যদি তোমরা তাকে নিয়ে না আস, তাহলে আমার নিকট তোমাদের জন্য কোন পরিমাপকৃত (রসদ) নেই এবং তোমরা আমার নিকটবর্তীও হয়ো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যদি তাকে না নিয়ে আসো তাহলে আমার কাছে তোমাদের জন্য কোন শস্য বরাদ্দ হবে না, আর আমার কাছেও আসতে পারবে না।’
Sahih International:
But if you do not bring him to me, no measure will there be [hereafter] for you from me, nor will you approach me."



قَالُوْا سَنُرَاوِدُ عَنْهُ اَبَاهُ وَ اِنَّا لَفٰعِلُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূছানুরা-ওয়িদু‘আনহু আবা-হু ওয়া ইন্না-লাফা-‘ইলূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তার বিষয়ে আমরা তার পিতাকে রাজি করাব, আর এটি আমরা করবই’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘এ ব্যাপারে আমরা তার পিতাকে রাযী করাতে চেষ্টা করব আর আমরা তা করবই।’
Sahih International:
They said, "We will attempt to dissuade his father from [keeping] him, and indeed, we will do [it]."



وَ قَالَ لِفِتْیٰنِهِ اجْعَلُوْا بِضَاعَتَهُمْ فِیْ رِحَالِهِمْ لَعَلَّهُمْ یَعْرِفُوْنَهَاۤ اِذَا انْقَلَبُوْۤا اِلٰۤی اَهْلِهِمْ لَعَلَّهُمْ یَرْجِعُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা লিফিতইয়া-নিহিজ‘আলূ বিদা-‘আতাহুম ফী রিহা-লিহিম লা‘আল্লাহুম ইয়া‘রিফূনাহা ইযানকালাবূ ইলাআহলিহিম লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘উন।
আল বায়ান:
আর সে তার যুবক কর্মচারীদেরকে বলল, ‘তাদের পণ্যমূল্য তাদের মালপত্রের মধ্যে রেখে দাও, যাতে পরিবারের নিকট ফিরে গিয়ে তারা তা চিনতে পারে। আশা করি তারা ফিরে আসবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (ইউসুফ) তার খাদেমদেরকে বলল, ‘তারা যে পণ্যমূল্য দিয়েছে তা তাদের মাল পত্রের মধ্যে গোপনে রেখে দাও, যাতে তারা তাদের পরিবারবর্গের কাছে ফিরে গিয়ে তা জানতে পারে, তাহলে তারা আবার আসবে।’
Sahih International:
And [Joseph] said to his servants, "Put their merchandise into their saddlebags so they might recognize it when they have gone back to their people that perhaps they will [again] return."



فَلَمَّا رَجَعُوْۤا اِلٰۤی اَبِیْهِمْ قَالُوْا یٰۤاَبَانَا مُنِعَ مِنَّا الْکَیْلُ فَاَرْسِلْ مَعَنَاۤ اَخَانَا نَکْتَلْ وَ اِنَّا لَهٗ لَحٰفِظُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-রাজা‘ঊইলাআবীহিম কা-লূইয়াআবা-না-মুনি‘আ মিন্নাল কাইলুফাআরছিল মা‘আনাআখা-না-নাকতাল ওয়া ইন্না-লাহূলাহা-ফিজূ ন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন তারা তাদের বাবার কাছে ফিরে আসল, তখন বলল, ‘হে আমাদের পিতা, আমাদের জন্য পরিমাপকৃত রসদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতএব আমাদের সাথে আমাদের ভাইকে পাঠান, যেন আমরা পরিমাপ করে রসদ আনতে পারি। আর অবশ্যই আমরা তার হেফাযত করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর যখন তারা তাদের পিতার কাছে ফিরে গেল তখন বলল, ‘হে আমাদের পিতা! আমাদের জন্য শষ্যের বরাদ্দ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কাজেই আমাদের ভাইকে আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দিন, যাতে আমরা শস্যের বরাদ্দ পেতে পারি, আমরা অবশ্যই তার হিফাযাত করব।’
Sahih International:
So when they returned to their father, they said, "O our father, [further] measure has been denied to us, so send with us our brother [that] we will be given measure. And indeed, we will be his guardians."



قَالَ هَلْ اٰمَنُکُمْ عَلَیْهِ اِلَّا کَمَاۤ اَمِنْتُکُمْ عَلٰۤی اَخِیْهِ مِنْ قَبْلُ ؕ فَاللّٰهُ خَیْرٌ حٰفِظًا ۪ وَّ هُوَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِیْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হাল আ-মানুকুম ‘আলাইহি ইল্লা-কামাআমিনতুকুম ‘আলাআখীহি মিন কাবলু ফাল্লা-হু খাইরুন হা-ফিজাওঁ ওয়াহুওয়া আরহামুর রা-হিমীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমাদেরকে কি আমি তার ব্যাপারে নিরাপদ মনে করব, যেমন নিরাপদ মনে করেছিলাম ইতঃপূর্বে তার ভাইয়ের ব্যাপারে? তবে আল্লাহ উত্তম হেফাযতকারী এবং তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
(পিতা) বলল, ‘আমি কি তার ব্যাপারে তোমাদেরকে তেমনি বিশ্বাস করব ইতোপূর্বে যেমন তোমাদেরকে তার ভাইয়ের ব্যাপারে বিশ্বাস করেছিলাম? আল্লাহই উত্তম সংরক্ষক আর তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
Sahih International:
He said, "Should I entrust you with him except [under coercion] as I entrusted you with his brother before? But Allah is the best guardian, and He is the most merciful of the merciful."



وَ لَمَّا فَتَحُوْا مَتَاعَهُمْ وَجَدُوْا بِضَاعَتَهُمْ رُدَّتْ اِلَیْهِمْ ؕ قَالُوْا یٰۤاَبَانَا مَا نَبْغِیْ ؕ هٰذِهٖ بِضَاعَتُنَا رُدَّتْ اِلَیْنَا ۚ وَ نَمِیْرُ اَهْلَنَا وَ نَحْفَظُ اَخَانَا وَ نَزْدَادُ کَیْلَ بَعِیْرٍ ؕ ذٰلِکَ کَیْلٌ یَّسِیْرٌ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-ফাতাহূমাতা-‘আহুম ওয়াজাদূবিদা-‘আতাহুম রুদ্দাত ইলাইহিম কা-লূ ইয়াআবা-না-মা-নাবগী হা-যিহী বিদা-‘আতুনা-রুদ্দাত ইলাইনা- ওয়া নামীরু আহলানা-ওয়া নাহফাজুআখা-না-ওয়া নাযদা-দুকাইলা বা‘ঈরিন যা-লিকা কাইলুইঁ ইয়াছীর।
আল বায়ান:
আর যখন তারা তাদের মাল-পত্র খুলল, তখন তারা দেখতে পেল তাদের পণ্যমূল্য তাদের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে। তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা, আমরা আর কী চাই? এই আমাদের পণ্যমূল্য, তা আমাদেরকে ফেরৎ দেয়া হয়েছে। আর আমরা আমাদের পরিবারবর্গের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসব, আমাদের ভাইকে হেফাযত করব এবং আরো এক উট বোঝাই রসদ বেশি আনব, (বাদশাহ্র জন্য) ঐ রসদ (প্রদান) খুবই সহজ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন তাদের মাল-পত্র খুলল তখন দেখতে পেল যে, তাদেরকে তাদের পণ্যমূল্য ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা বলল, ‘হে আমাদের আব্বাজান! আমরা আর কী চাই। এই দেখুন, আমাদের পণ্যমূল্য আমাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, আমরা আমাদের পরিবারের জন্য (আরো) খাদ্য আনব, আমাদের ভাইয়ের হিফাযাতও করব, আরো এক উট-বোঝাই মাল বেশি আনব, এ পরিমাণ সহজেই পাওয়া যাবে।’
Sahih International:
And when they opened their baggage, they found their merchandise returned to them. They said, "O our father, what [more] could we desire? This is our merchandise returned to us. And we will obtain supplies for our family and protect our brother and obtain an increase of a camel's load; that is an easy measurement."



قَالَ لَنْ اُرْسِلَهٗ مَعَکُمْ حَتّٰی تُؤْتُوْنِ مَوْثِقًا مِّنَ اللّٰهِ لَتَاْتُنَّنِیْ بِهٖۤ اِلَّاۤ اَنْ یُّحَاطَ بِکُمْ ۚ فَلَمَّاۤ اٰتَوْهُ مَوْثِقَهُمْ قَالَ اللّٰهُ عَلٰی مَا نَقُوْلُ وَکِیْلٌ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লান উরছিলাহূমা‘আকুম হাত্তা-তু’তূনি মাওছিকাম মিনাল্লা-হি লাতা’তুন্নানী বিহী ইল্লা আইঁ ইউহা-তা বিকুম ফালাম্মা আ-তাওহু মাওছিকাহুম কা-লাল্লা-হু ‘আলামা-নাকূলুওয়াকীল।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি তোমাদের সাথে তাকে কখনো পাঠাব না, যতক্ষণ না তোমরা আমাকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার প্রদান কর যে, তাকে অবশ্যই আমার কাছে নিয়ে আসবে। তবে তোমরা (শত্রু বা বিপদ দ্বারা) বেষ্টিত হলে ভিন্ন কথা’। অতঃপর যখন তারা তাকে প্রতিশ্রুতি দিল, তখন সে বলল, ‘আমরা যা বলছি সে ব্যাপারে আল্লাহই সাক্ষী’।
তাইসিরুল কুরআন:
(পিতা) বলল- ‘আমি তাকে তোমাদের সাথে কিছুতেই পাঠাবো না যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর নামে শপথ কর যে, তোমরা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেই যদি না তোমাদেরকে একযোগে ঘিরে ফেলা হয়।’ অতঃপর তারা যখন তার কাছে প্রতিজ্ঞা করল তখন সে বলল, ‘আমরা যে কথা বলছি আল্লাহই তার সাক্ষী ও অভিভাবক।’
Sahih International:
[Jacob] said, "Never will I send him with you until you give me a promise by Allah that you will bring him [back] to me, unless you should be surrounded by enemies." And when they had given their promise, he said, "Allah, over what we say, is Witness."



وَ قَالَ یٰبَنِیَّ لَا تَدْخُلُوْا مِنْۢ بَابٍ وَّاحِدٍ وَّ ادْخُلُوْا مِنْ اَبْوَابٍ مُّتَفَرِّقَۃٍ ؕ وَ مَاۤ اُغْنِیْ عَنْکُمْ مِّنَ اللّٰهِ مِنْ شَیْءٍ ؕ اِنِ الْحُکْمُ اِلَّا لِلّٰهِ ؕ عَلَیْهِ تَوَکَّلْتُ ۚ وَ عَلَیْهِ فَلْیَتَوَکَّلِ الْمُتَوَکِّلُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা ইয়া-বানিইইয়া লা-তাদখুলূমিম বা-বিওঁ ওয়া-হিদিওঁ ওয়াদখুলূমিন আবওয়াবিম মুতাফাররিকাতিওঁ ওয়ামাউগনী ‘আনকুম মিনাল্লা-হি মিন শাইইন ইনিল হুকমু ইল্লা-লিল্লা-হি ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া ‘আলাইহি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মুতাওয়াক্কিলূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার ছেলেরা, তোমরা এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো না, বরং ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং আল্লাহর সিদ্ধান্তের বিপরীতে আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হুকুম একমাত্র আল্লাহরই। তাঁরই উপর আমি তাওয়াক্কুল করছি এবং তাঁরই উপর যেন সকল তাওয়াক্কুলকারী তাওয়াক্কুল করে’।
তাইসিরুল কুরআন:
পিতা বলল, ‘হে আমার সন্তানেরা! তোমরা এক দ্বার দিয়ে (মিসরে) প্রবেশ কর না, বরং ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে (মানুষের সন্দেহ কিংবা কুদৃষ্টি এড়ানোর জন্য)। আমি আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে তোমাদের কোনই উপকার করতে পারব না। আল্লাহ ছাড়া হুকুম দাতা কেউ নেই, আমি তাঁর উপরই নির্ভর করি, যারা নির্ভর করতে চায়, তারা তাঁর উপর নির্ভর করুক।’
Sahih International:
And he said, "O my sons, do not enter from one gate but enter from different gates; and I cannot avail you against [the decree of] Allah at all. The decision is only for Allah; upon Him I have relied, and upon Him let those who would rely [indeed] rely."



وَ لَمَّا دَخَلُوْا مِنْ حَیْثُ اَمَرَهُمْ اَبُوْهُمْ ؕ مَا کَانَ یُغْنِیْ عَنْهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مِنْ شَیْءٍ اِلَّا حَاجَۃً فِیْ نَفْسِ یَعْقُوْبَ قَضٰهَا ؕ وَ اِنَّهٗ لَذُوْ عِلْمٍ لِّمَا عَلَّمْنٰهُ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-দাখালূমিন হাইছুআমারাহুম আবূহুম মা-কা-না ইউগনী ‘আনহুম মিনাল্লাহি মিন শাইঁইন ইল্লা-হা-জাতান ফী নাফছি ইয়া‘কুবা কাদা-হা- ওয়া ইন্নাহূ লাযূ‘ইলমিল লিমা-‘আল্লামনা-হু ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর যখন তারা প্রবেশ করল, যেভাবে তাদের পিতা তাদেরকে আদেশ করেছিল, তা আল্লাহর হুকুমের বিপরীতে তাদের কোন উপকারে আসেনি, তবে তা ছিল ইয়া‘কূবের মনের একটি ইচ্ছা, যা সে ব্যক্ত করেছিল। আর সে ছিল জ্ঞানী, কারণ আমি তাকে শিখিয়েছিলাম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পিতা যেভাবে আদেশ করেছিল যখন তারা সেভাবে প্রবেশ করল, তখন আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে তা তাদের কোন কাজে আসল না। তবে ইয়া‘কুব তার মনের একটা অভিপ্রায় পূর্ণ করেছিল মাত্র। আমার দেয়া শিক্ষার বদৌলতে অবশ্যই সে ছিল জ্ঞানবান, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়।
Sahih International:
And when they entered from where their father had ordered them, it did not avail them against Allah at all except [it was] a need within the soul of Jacob, which he satisfied. And indeed, he was a possessor of knowledge because of what We had taught him, but most of the people do not know.



وَ لَمَّا دَخَلُوْا عَلٰی یُوْسُفَ اٰوٰۤی اِلَیْهِ اَخَاهُ قَالَ اِنِّیْۤ اَنَا اَخُوْکَ فَلَا تَبْتَئِسْ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-দাখালূ‘আলা-ইঊছুফা আ-ওয়াইলাইহি আখা-হূকা-লা ইন্নীআনা আখূকা ফালা-তাবতাইছ বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর যখন তারা ইউসুফের নিকট প্রবেশ করল, তখন সে তার ভাইকে নিজের কাছে স্থান দিল এবং বলল, ‘আমি তোমার ভাই, কাজেই ইতঃপূর্বে তারা যা করত, তাতে তুমি দুঃখ পেয়ো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা ইউসুফের কাছে হাজির হল, তখন সে তার সহোদর ভাইকে নিজের কাছে রাখল। আর বলল, ‘আমিই তোমার ভাই, কাজেই ওরা যা করত তার জন্য দুঃখ করো না।’
Sahih International:
And when they entered upon Joseph, he took his brother to himself; he said, "Indeed, I am your brother, so do not despair over what they used to do [to me]."



فَلَمَّا جَهَّزَهُمْ بِجَهَازِهِمْ جَعَلَ السِّقَایَۃَ فِیْ رَحْلِ اَخِیْهِ ثُمَّ اَذَّنَ مُؤَذِّنٌ اَیَّتُهَا الْعِیْرُ اِنَّکُمْ لَسٰرِقُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা- জাহহাযাহুম বিজাহা-যিহিম জা‘আলাছছিকা-য়াতা ফী রাহলি আখীহি ছু ম্মা আযযানা মুআযযিনুন আইয়াতুহাল ‘ঈরু ইন্নাকুম লাছা-রিকূ ন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে যখন তাদেরকে তাদের রসদপত্র প্রস্তুত করে দিল, তখন তার ভাইয়ের মালপত্রে পানপাত্রটি রেখে দিল। তারপর একজন ঘোষক ঘোষণা করল, ‘ওহে কাফেলার লোকজন, নিশ্চয় তোমরা চোর’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ইউসুফ যখন তাদের রসদপত্র প্রস্তুত করে দিল, তখন সে তার সহোদর ভাইয়ের রসদপত্রের ভিতর পান পাত্রটি রেখে দিল। তখন এক ঘোষক ঘোষণা দিল, ‘হে কাফেলার লোক! তোমরা নিশ্চয়ই চোর।’
Sahih International:
So when he had furnished them with their supplies, he put the [gold measuring] bowl into the bag of his brother. Then an announcer called out, "O caravan, indeed you are thieves."



قَالُوْا وَ اَقْبَلُوْا عَلَیْهِمْ مَّا ذَا تَفْقِدُوْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূওয়া আকবালূ‘আলাইহিম মা-যা-তাফকিদূন।
আল বায়ান:
তারা ওদের দিকে ফিরে বলল, ‘তোমরা কী হারিয়েছ’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের দিকে ফিরে বলল, ‘তোমাদের কী হারিয়েছে?’
Sahih International:
They said while approaching them, "What is it you are missing?"



قَالُوْا نَفْقِدُ صُوَاعَ الْمَلِکِ وَ لِمَنْ جَآءَ بِهٖ حِمْلُ بَعِیْرٍ وَّ اَنَا بِهٖ زَعِیْمٌ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূনাফকিদুসুওয়া-‘আল মালিকি ওয়া লিমান জাআ বিহী হিমলুবা‘ঈরিওঁ ওয়া আনা বিহী যা‘ঈম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা বাদশাহ্র পানপাত্র হারিয়েছি, যে তা এনে দেবে, তার জন্য রয়েছে এক উট বোঝাই পুরস্কার। আর আমিই এর যামিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘আমরা রাজার পান পাত্র হারিয়েছি, (তাদের প্রধান ব্যক্তি বলল) যে তা এনে দিতে পারবে তার জন্য আছে এক উট-বোঝাই মাল। আর আমিই এ ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
Sahih International:
They said, "We are missing the measure of the king. And for he who produces it is [the reward of] a camel's load, and I am responsible for it."



قَالُوْا تَاللّٰهِ لَقَدْ عَلِمْتُمْ مَّا جِئْنَا لِنُفْسِدَ فِی الْاَرْضِ وَ مَا کُنَّا سٰرِقِیْنَ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূতাল্লা-হি লাকাদ ‘আলিমতুমমা-জি’না-লিনুফছিদা ফিল আরদিওয়ামা-কুন্না-ছা রিকীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম, তোমরা নিশ্চয়ই জেনে গিয়েছ, আমরা এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে আসিনি, আর আমরা চোর নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
ইউসুফের ভাইয়েরা বলল, ‘আল্লাহর শপথ! তোমরা তো জান আমরা এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে আসিনি, আর আমরা চোরও নই।’
Sahih International:
They said, "By Allah, you have certainly known that we did not come to cause corruption in the land, and we have not been thieves."



قَالُوْا فَمَا جَزَآؤُهٗۤ اِنْ کُنْتُمْ کٰذِبِیْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লূফামা-জাযাউহূ ইন কুনতুম কা-যিবীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তাহলে তার শাস্তি কি হবে, যদি তোমরা মিথ্যাবাদী হও’?
তাইসিরুল কুরআন:
রাজকর্মচারীরা বলল, ‘তোমরা মিথ্যেবাদী হলে যে চুরি করেছে তার শাস্তি কী হবে?’
Sahih International:
The accusers said, "Then what would be its recompense if you should be liars?"



قَالُوْا جَزَآؤُهٗ مَنْ وُّجِدَ فِیْ رَحْلِهٖ فَهُوَ جَزَآؤُهٗ ؕ کَذٰلِکَ نَجْزِی الظّٰلِمِیْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লূজাযাউহূমাওঁউজিদা ফী রাহলিহী ফাহুওয়া জাযাউহূ কাযা-লিকা নাজযিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তার শাস্তি হবে, যার মালপত্রের ভিতর ওটি পাওয়া যাবে, সে-ই হবে তার বিনিময়। এভাবেই আমরা যালেমদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘তার শাস্তি হল যার মালের ভিতর ওটা পাওয়া যাবে তাকেই ধরে রাখা হবে। সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে আমরা এভাবেই শাস্ত দিয়ে থাকি।’
Sahih International:
[The brothers] said, "Its recompense is that he in whose bag it is found - he [himself] will be its recompense. Thus do we recompense the wrongdoers."



فَبَدَاَ بِاَوْعِیَتِهِمْ قَبْلَ وِعَآءِ اَخِیْهِ ثُمَّ اسْتَخْرَجَهَا مِنْ وِّعَآءِ اَخِیْهِ ؕ کَذٰلِکَ کِدْنَا لِیُوْسُفَ ؕ مَا کَانَ لِیَاْخُذَ اَخَاهُ فِیْ دِیْنِ الْمَلِکِ اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ اللّٰهُ ؕ نَرْفَعُ دَرَجٰتٍ مَّنْ نَّشَآءُ ؕ وَ فَوْقَ کُلِّ ذِیْ عِلْمٍ عَلِیْمٌ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ফাবাদাআ বিআও‘ইইয়াতিহিম কাবলা বি‘আই আখীহি ছুম্মাছতাখরাজাহা-মিওঁ বি‘আই আখীহি কাযা-লিকা কিদনা-লিইঊছুফা মা-কা-না লিইয়া‘খুযা আখাহু ফী দীনিল মালিকি ইল্লা আইঁ ইয়াশাআল্লা-হু নারফা‘উ দারাজা-তিম মান্নাশাউ ওয়া ফাওকা কুল্লি যী ‘ইলমিন ‘আলীম।
আল বায়ান:
তারপর সে তার ভাইয়ের পাত্রের পূর্বে তাদের পাত্রগুলো দিয়ে (তল্লাশী) শুরু করল, তারপর সেটি তার ভাইয়ের পাত্র থেকে বের করল, এভাবে আমি ইউসুফের জন্য কৌশল করলাম। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া বাদশাহ্র আইনে সে তার ভাইকে রেখে দিতে পারত না, আমি যাকে ইচ্ছা তার মর্যাদা উঁচু করে দেই এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপর রয়েছে একজন মহাজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ইউসুফ তার নিজ ভাইয়ের মালপত্র তল্লাশির আগে অন্যদের মাল তল্লাশি শুরু করল। অতঃপর সেটি তার নিজ ভাইয়ের মালপত্র থেকে বের করল। এভাবে আমি ইউসুফের জন্য পরিকল্পনা করেছিলাম। রাজার আইন অনুযায়ী সে তার সহোদর ভাইকে আটক করতে পারত না-আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতীত। আমি যার জন্য ইচ্ছে করি মর্যাদা উচ্চ করি, প্রত্যেক জ্ঞানীর উপরে আছেন একজন সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
So he began [the search] with their bags before the bag of his brother; then he extracted it from the bag of his brother. Thus did We plan for Joseph. He could not have taken his brother within the religion of the king except that Allah willed. We raise in degrees whom We will, but over every possessor of knowledge is one [more] knowing.



قَالُوْۤا اِنْ یَّسْرِقْ فَقَدْ سَرَقَ اَخٌ لَّهٗ مِنْ قَبْلُ ۚ فَاَسَرَّهَا یُوْسُفُ فِیْ نَفْسِهٖ وَ لَمْ یُبْدِهَا لَهُمْ ۚ قَالَ اَنْتُمْ شَرٌّ مَّکَانًا ۚ وَ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا تَصِفُوْنَ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লূ ইয়ঁইয়াছরিকফাকাদ ছারাকা আখূল্লাহূমিন কাবলু ফাআছাররাহা-ইঊছুফুফী নাফছিহী ওয়ালাম ইউবদিহা-লাহুম কা-লা আনতুম শাররুম মা-কা-নাওঁ- ওয়াল্লা-হু আ‘লামুবিমা-তাসিফূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘যদি সে চুরি করে থাকে, তবে ইতঃপূর্বে তার এক ভাই চুরি করেছিল’। ইউসুফ বিষয়টি নিজের কাছে গোপন রাখল, তাদের কাছে প্রকাশ করল না, সে (মনে মনে) বলল, ‘তোমাদের অবস্থান তো নিকৃষ্টতর, তোমরা যা বলছ, সে সম্পর্কে আল্লাহ ভালভাবেই অবগত’।
তাইসিরুল কুরআন:
ইউসুফের ভাইয়েরা বলল, ‘সে যদি চুরি করে থাকে (তবে তা অসম্ভব নয়, কেননা) এর পূর্বে তার সহোদর ভাইও চুরি করেছিল। তখন ইউসুফ এ ব্যাপারটি তার মনেই গোপন রাখল, তা তাদের কাছে প্রকাশ করল না। সে (মনে মনে) বলল- তোমাদের অবস্থান তো আরো নিকৃষ্টতম, তোমরা যা বলছ সে সম্পর্কে আল্লাহ খুব ভালভাবেই অবগত।
Sahih International:
They said, "If he steals - a brother of his has stolen before." But Joseph kept it within himself and did not reveal it to them. He said, "You are worse in position, and Allah is most knowing of what you describe."



قَالُوْا یٰۤاَیُّهَا الْعَزِیْزُ اِنَّ لَهٗۤ اَبًا شَیْخًا کَبِیْرًا فَخُذْ اَحَدَنَا مَکَانَهٗ ۚ اِنَّا نَرٰىکَ مِنَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া আইয়ুহাল ‘আযীযুইন্না লাহূ আবান শাইখান কাবীরান ফাখুযআহাদানা-মাকানাহূ ইন্না-নারা-কা মিনাল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে আযীয, তার পিতা বড় বৃদ্ধ, আপনি তার স্থলে আমাদের একজনকে নিন, আমরা তো আপনাকে দেখছি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে ‘আযীয! এর পিতা আছেন যিনি খুবই বৃদ্ধ, কাজেই তার স্থলে আমাদের একজনকে রাখুন, আমরা তো আপনাকে বড়ই সদাচারী লোকদের অন্তর্ভুক্ত দেখছি।’
Sahih International:
They said, "O 'Azeez, indeed he has a father [who is] an old man, so take one of us in place of him. Indeed, we see you as a doer of good."



قَالَ مَعَاذَ اللّٰهِ اَنْ نَّاْخُذَ اِلَّا مَنْ وَّجَدْنَا مَتَاعَنَا عِنْدَهٗۤ ۙ اِنَّاۤ اِذًا لَّظٰلِمُوْنَ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা মা‘আযাল্লা-হি আন না’খুযা ইল্লা-মাওঁ ওয়াজাদনা-মাতা-‘আনা-‘ইনদাহূ ইন্না ইযাল লাজা-লিমূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘যার কাছে আমাদের মাল পেয়েছি তাকে ছাড়া অন্যকে পাকড়াও করা হতে আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি, এমন করলে আমরা হয়ে যাব নিশ্চিত যালিম’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘যার কাছে আমাদের মাল পেয়েছি তাকে ছাড়া অন্যকে ধরার কাজ থেকে আল্লাহর পানাহ চাচ্ছি, তা করলে আমরা যালিম হিসেবে পরিগণিত হব।’
Sahih International:
He said, "[I seek] the refuge of Allah [to prevent] that we take except him with whom we found our possession. Indeed, we would then be unjust."



فَلَمَّا اسْتَیْـَٔسُوْا مِنْهُ خَلَصُوْا نَجِیًّا ؕ قَالَ کَبِیْرُهُمْ اَلَمْ تَعْلَمُوْۤا اَنَّ اَبَاکُمْ قَدْ اَخَذَ عَلَیْکُمْ مَّوْثِقًا مِّنَ اللّٰهِ وَ مِنْ قَبْلُ مَا فَرَّطْتُّمْ فِیْ یُوْسُفَ ۚ فَلَنْ اَبْرَحَ الْاَرْضَ حَتّٰی یَاْذَنَ لِیْۤ اَبِیْۤ اَوْ یَحْکُمَ اللّٰهُ لِیْ ۚ وَ هُوَ خَیْرُ الْحٰکِمِیْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মাছ তাইআছূমিনহু খালাসূনাজিইইয়ান কা-লা কাবীরুহুম আলাম তা‘লামূ আন্না আবা-কুম কাদ আখাযা ‘আলাইকুম মাওছিকাম মিনাল্লা-হি ওয়া মিন কাবলুমাফাররাততুম ফী ইঊছুফা ফালান আবরাহাল আরদা হাত্তা-ইয়া’যানা লীআবী আও ইয়াহকুমাল্লা-হু লী ওয়া হুওয়া খাইরুল হা-কিমীন।
আল বায়ান:
তারপর যখন তারা তার ব্যাপারে নিরাশ হল, তখন তারা পরামর্শ করতে একান্তে মিলিত হল। তাদের বড়জন বলল, ‘তোমরা কি জান না যে, তোমাদের পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন, আর ইতঃপূর্বে তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে যে অন্যায় করেছ? সুতরাং যতক্ষণ না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দেবেন অথবা আল্লাহ আমার ব্যাপারে ফয়সালা করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এদেশ ছেড়ে যাব না এবং তিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা ইউসুফের নিকট থেকে নিরাশ হয়ে গেল তখন তারা নির্জনে গিয়ে পরামর্শ করল। তাদের মধ্যে বয়সে সবার বড় ভাইটি বলল, ‘তোমরা কি জান না যে, তোমাদের পিতা তোমাদের থেকে আল্লাহর নামে শপথ গ্রহণ করেছেন, আর এর পূর্বেও তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে (তোমাদের কর্তব্য পালনে) ব্যর্থ হয়েছ, কাজেই আমি কিছুতেই এখান থেকে নড়বো না যতক্ষণ না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দিবেন কিংবা আল্লাহ আমার ব্যাপারে কোন নির্দেশ দিবেন, কেননা তিনি হলেন সর্বোত্তম ফায়সালাকারী।
Sahih International:
So when they had despaired of him, they secluded themselves in private consultation. The eldest of them said, "Do you not know that your father has taken upon you an oath by Allah and [that] before you failed in [your duty to] Joseph? So I will never leave [this] land until my father permits me or Allah decides for me, and He is the best of judges.



اِرْجِعُوْۤا اِلٰۤی اَبِیْکُمْ فَقُوْلُوْا یٰۤاَبَانَاۤ اِنَّ ابْنَکَ سَرَقَ ۚ وَ مَا شَهِدْنَاۤ اِلَّا بِمَا عَلِمْنَا وَ مَا کُنَّا لِلْغَیْبِ حٰفِظِیْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ইরজি‘ঊ ইলা আবীকুম ফাকূলূইয়া আবা-নাইন্নাবনাকা ছারাকা ওয়ামাশাহিদনা ইল্লা-বিমা-‘আলিমনা-ওয়ামা-কুন্না-লিলগাইবি হা-ফিজীন।
আল বায়ান:
‘তোমরা তোমাদের পিতার নিকট ফিরে যাও এবং বল, হে আমাদের পিতা, আপনার ছেলে তো চুরি করেছে, আর আমরা যা জানি তাঁরই সাক্ষ্য দিয়েছি এবং আমরা গায়েব সংরক্ষণকারী নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তোমাদের পিতার কাছে ফিরে যাও, গিয়ে বল, ‘হে আমাদের পিতা! আপনার ছেলে চুরি করেছে। আমরা যেটুকু জানি তারই চাক্ষুষ বিবরণ দিচ্ছি, চোখের আড়ালের ঘটনা তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
Sahih International:
Return to your father and say, "O our father, indeed your son has stolen, and we did not testify except to what we knew. And we were not witnesses of the unseen,



وَ سْـَٔلِ الْقَرْیَۃَ الَّتِیْ کُنَّا فِیْهَا وَ الْعِیْرَ الَّتِیْۤ اَقْبَلْنَا فِیْهَا ؕ وَ اِنَّا لَصٰدِقُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছ আলিল কারয়াতাল্লাতী কুন্না-ফীহা-ওয়াল ‘ঈরাল্লাতী আকবালনা-ফীহা- ওয়া ইন্না-লাসা-দিকূন।
আল বায়ান:
‘আর যে জনপদে আমরা ছিলাম তাকে জিজ্ঞাসা করুন এবং যে কাফেলার সাথে আমরা এসেছি তাদেরকেও, আর অবশ্যই আমরা সত্যবাদী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা যে জনপদে ছিলাম তার বাসিন্দাদের জিজ্ঞেস করুন আর যে কাফেলার সঙ্গে আমরা এসেছি তাদেরকেও, আমরা অবশ্যই সত্যবাদী।’
Sahih International:
And ask the city in which we were and the caravan in which we came - and indeed, we are truthful,"



قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَکُمْ اَنْفُسُکُمْ اَمْرًا ؕ فَصَبْرٌ جَمِیْلٌ ؕ عَسَی اللّٰهُ اَنْ یَّاْتِـیَنِیْ بِهِمْ جَمِیْعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْعَلِیْمُ الْحَکِیْمُ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা বাল ছাওওয়ালাত লাকুম আনফুছুকুম আমরান ফাসাবরুন জামীলুন ‘আছাল্লা-হু আইঁ ইয়া’তিয়ানী বিহিম জামী‘আন ইন্নাহূহুওয়াল ‘আলীমুল হাকীম।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘বরং তোমাদের নাফ্স তোমাদের জন্য একটি গল্প সাজিয়েছে, সুতরাং (আমার করণীয় হচ্ছে) সুন্দর ধৈর্য। আশা করি, আল্লাহ তাদের সকলকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবেন, নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’।
তাইসিরুল কুরআন:
ই‘য়াকুব বলল, ‘না, বরং তোমরা নিজেরাই একটা কাহিনী সাজিয়ে নিয়ে এসেছ, কাজেই ধৈর্য ধারণই আমার জন্য শ্রেয়, সম্ভবতঃ আল্লাহ তাদেরকে একত্রে আমার কাছে এনে দেবেন। তিনি হলেন সর্বজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাময়।’
Sahih International:
[Jacob] said, "Rather, your souls have enticed you to something, so patience is most fitting. Perhaps Allah will bring them to me all together. Indeed it is He who is the Knowing, the Wise."



وَ تَوَلّٰی عَنْهُمْ وَ قَالَ یٰۤاَسَفٰی عَلٰی یُوْسُفَ وَ ابْیَضَّتْ عَیْنٰهُ مِنَ الْحُزْنِ فَهُوَ کَظِیْمٌ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাওয়াল্লা-‘আনহুম ওয়া কা-লা ইয়াআছাফা-‘আলা-ইঊছুফা ওয়াবইয়াদ্দাত ‘আইনা-হু মিনাল হুযনি ফাহুওয়া কাজীম।
আল বায়ান:
আর তাদের থেকে সে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বলল, ‘ইউসুফের জন্য আফসোস’! আর দুঃখে তার চক্ষুদ্বয় সাদা হয়ে গেল, কিন্তু সে তো সংবরণকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন আর বললেন, ‘ইউসুফের জন্য বড়ই পরিতাপ।’ শোকে দুঃখে তার দু’চোখ সাদা হয়ে গিয়েছিল, আর সে অস্ফুট মনস্তাপে ভুগছিল।
Sahih International:
And he turned away from them and said, "Oh, my sorrow over Joseph," and his eyes became white from grief, for he was [of that] a suppressor.



قَالُوْا تَاللّٰهِ تَفْتَؤُا تَذْکُرُ یُوْسُفَ حَتّٰی تَکُوْنَ حَرَضًا اَوْ تَکُوْنَ مِنَ الْهٰلِکِیْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লূতাল্লা-হি তাফতাউ তাযকুরু ইঊছুফা হাত্তা-তাকূনা হারাদান আও তাকূনা মিনাল হা-লিকীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম, আপনি তো ইউসুফকে স্মরণ করতেই থাকবেন, যতক্ষণ না আপনি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছবেন অথবা ধ্বংস হয়ে যাবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আল্লাহর শপথ! আপনি ইউসুফের স্মরণ ত্যাগ করবেন না যতক্ষণ না আপনি মুমূর্ষু হবেন কিংবা আপনি মৃত্যুবরণ করেন।
Sahih International:
They said, "By Allah, you will not cease remembering Joseph until you become fatally ill or become of those who perish."



قَالَ اِنَّمَاۤ اَشْکُوْا بَثِّیْ وَ حُزْنِیْۤ اِلَی اللّٰهِ وَ اَعْلَمُ مِنَ اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নামাআশকূবাছছীওয়াহুযনীইলাল্লা-হি ওয়া আ‘লামুমিনাল্লা-হি মা-লাতা‘লামূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি আল্লাহর কাছেই আমার দুঃখ বেদনার অভিযোগ জানাচ্ছি। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে আমি যা জানি, তোমরা তা জান না’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আমি আমার দুঃখ বেদনা আল্লাহর কাছেই নিবেদন করছি, আর আমি আল্লাহর নিকট হতে যা জানি, তোমরা তা জান না।
Sahih International:
He said, "I only complain of my suffering and my grief to Allah, and I know from Allah that which you do not know.



یٰبَنِیَّ اذْهَبُوْا فَتَحَسَّسُوْا مِنْ یُّوْسُفَ وَ اَخِیْهِ وَ لَا تَایْـَٔسُوْا مِنْ رَّوْحِ اللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ لَا یَایْـَٔسُ مِنْ رَّوْحِ اللّٰهِ اِلَّا الْقَوْمُ الْکٰفِرُوْنَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-বানিইইয়াযহাবূফাতাহাছছাছূমিইঁ ইঊছুফা ওয়া আখীহি ওয়ালা-তাইআছূমির রাওহিল্লা-হি; ইন্নাহূলা-ইয়াইআছুমিররাওহিল্লা-হি ইল্লাল কাওমুল কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
‘হে আমার ছেলেরা, তোমরা যাও এবং ইউসুফ ও তার ভাইয়ের খোঁজ খবর নাও। আর তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, কেননা কাফির কওম ছাড়া কেউই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার ছেলেরা! তোমরা যাও, গিয়ে ইউসুফ আর তার ভাইয়ের খোঁজ খবর লও, আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ হয়ো না, কেননা কাফির সম্প্রদায় ছাড়া আল্লাহর রহমাত হতে কেউ নিরাশ হয় না।’
Sahih International:
O my sons, go and find out about Joseph and his brother and despair not of relief from Allah. Indeed, no one despairs of relief from Allah except the disbelieving people."



فَلَمَّا دَخَلُوْا عَلَیْهِ قَالُوْا یٰۤاَیُّهَا الْعَزِیْزُ مَسَّنَا وَ اَهْلَنَا الضُّرُّ وَ جِئْنَا بِبِضَاعَۃٍ مُّزْجٰىۃٍ فَاَوْفِ لَنَا الْکَیْلَ وَ تَصَدَّقْ عَلَیْنَا ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَجْزِی الْمُتَصَدِّقِیْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-দাখালূ‘আলাইহি কা-লূইয়াআইয়ুহাল ‘আযীযুমাছছানা-ওয়াআহলানাদদুররু ওয়া জি’না-ব্বিিদা-‘আতিম মুযজা-তিন ফাআওফি লানাল কাইলা ওয়া তাসাদ্দাক ‘আলাইনা- ইন্নাল্লা-হা ইয়াজযিল মুতাসাদ্দিকীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন তারা ইউসুফের কাছে প্রবেশ করল, তখন বলল, ‘হে আযীয, অভাব-অনটন আমাদেরকে ও আমাদের পরিবারকে স্পর্শ করেছে, আর আমরা তুচ্ছ পুঁজি নিয়ে এসেছি। অতএব, আমাদেরকে মাপে পূর্ণমাত্রায় দিন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন, নিশ্চয় আল্লাহ অনুগ্রহকারীদের প্রতিদান দেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা ইউসুফের দরবারে উপস্থিত হল, তারা বলল, ‘হে আযীয! আমাদেরকে আর আমাদের পরিবারবর্গকে বিপদে ঘিরে ধরেছে, আর আমরা স্বল্প পুঁজি নিয়ে এসেছি, আমাদেরকে পূর্ণ ওজনের শষ্য দিন আর আমাদেরকে দান খায়রাত করুন। আল্লাহ দানশীলদেরকে পুরস্কৃত করেন।’
Sahih International:
So when they entered upon Joseph, they said, "O 'Azeez, adversity has touched us and our family, and we have come with goods poor in quality, but give us full measure and be charitable to us. Indeed, Allah rewards the charitable."



قَالَ هَلْ عَلِمْتُمْ مَّا فَعَلْتُمْ بِیُوْسُفَ وَ اَخِیْهِ اِذْ اَنْتُمْ جٰهِلُوْنَ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হাল ‘আলিমতুম মা-ফা‘আলতুম বিইঊছুফা ওয়া আখীহি ইযআনতুম জা-হিলূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমাদের জানা আছে কি, ইউসুফ ও তার ভাইয়ের সাথে তোমরা কিরূপ আচরণ করেছিলে, যখন তোমরা অজ্ঞ ছিলে’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘তোমরা কি জান তোমরা ইউসুফ আর তার ভাইয়ের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছিলে, যখন তোমরা অজ্ঞ-মূর্খ ছিলে?’
Sahih International:
He said, "Do you know what you did with Joseph and his brother when you were ignorant?"



قَالُوْۤا ءَاِنَّکَ لَاَنْتَ یُوْسُفُ ؕ قَالَ اَنَا یُوْسُفُ وَ هٰذَاۤ اَخِیْ ۫ قَدْ مَنَّ اللّٰهُ عَلَیْنَا ؕ اِنَّهٗ مَنْ یَّـتَّقِ وَ یَصْبِرْ فَاِنَّ اللّٰهَ لَا یُضِیْعُ اَجْرَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূআ ইন্নাকা লাআনতা ইঊছুফু কা-লা আনা ইঊছুফুওয়া হা-যাআখী কাদ মান্নাল্লা-হু ‘আলাইনা- ইন্নাহূমাইঁ ইয়াত্তাকিওয়া ইয়াসবির ফাইন্নাল্লা-হা লা-ইউদী‘উ আজরাল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তুমি কি সত্যিই ইউসুফ’? সে বলল, আমি ইউসুফ, আর এ আমার সহোদর। আল্লাহ আমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। নিশ্চয় যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সবর করে, তবে অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘তাহলে তুমিই কি ইউসুফ?’ সে বলল, ‘আমিই ইউসুফ আর এটা হল আমার ভাই। আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে আর ধৈর্যধারণ করে এমন সৎকর্মশীলদের কর্মফল আল্লাহ কক্ষনো বিনষ্ট করেন না।’
Sahih International:
They said, "Are you indeed Joseph?" He said "I am Joseph, and this is my brother. Allah has certainly favored us. Indeed, he who fears Allah and is patient, then indeed, Allah does not allow to be lost the reward of those who do good."



قَالُوْا تَاللّٰهِ لَقَدْ اٰثَرَکَ اللّٰهُ عَلَیْنَا وَ اِنْ کُنَّا لَخٰطِئِیْنَ ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূতাল্লা-হি লাকাদ আ-ছারাকাল্লা-হু ‘আলাইনা-ওয়া ইন কুন্না-লাখা-তিঈন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম, আল্লাহ আমাদের উপর তোমাকে প্রাধান্য দিয়েছেন, আর আমরাই ছিলাম অপরাধী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম! আল্লাহ তোমাকে আমাদের উপর মর্যাদা দিয়েছেন, আমরাই ছিলাম অপরাধী।’
Sahih International:
They said, "By Allah, certainly has Allah preferred you over us, and indeed, we have been sinners."



قَالَ لَا تَثْرِیْبَ عَلَیْکُمُ الْیَوْمَ ؕ یَغْفِرُ اللّٰهُ لَکُمْ ۫ وَ هُوَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِیْنَ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লা-তাছরীবা ‘আলাইকুমুল ইয়াওমা ইয়াগফিরুল্লা-হু লাকুম ওয়া হুওয়া আরহামুর রা-হিমীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আজ তোমাদের উপর কোন ভৎর্সনা নেই, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন। আর তিনি সবচেয়ে বেশি দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনই অভিযোগ নেই, আল্লাহ তোমাদেরকে মাফ করুন! তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
Sahih International:
He said, "No blame will there be upon you today. Allah will forgive you; and He is the most merciful of the merciful."



اِذْهَبُوْا بِقَمِیْصِیْ هٰذَا فَاَلْقُوْهُ عَلٰی وَجْهِ اَبِیْ یَاْتِ بَصِیْرًا ۚ وَ اْتُوْنِیْ بِاَهْلِکُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
ইযহাবূবিকামীসী হা-যা-ফাআলকূহূ‘আলা-ওয়াজহি আবী ইয়া’তি বাসীরা- ওয়া’তূনী বিআহলিকুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
‘তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও, অতঃপর সেটি আমার পিতার চেহারায় ফেল। এতে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন। আর তোমরা তোমাদের পরিবারের সকলকে নিয়ে আমার কাছে চলে আস’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও আর তা আমার পিতার মুখমন্ডলে রাখ, তিনি দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন হয়ে উঠবেন, আর তোমাদের পরিবারের সবাইকে আমার কাছে নিয়ে এসো।’
Sahih International:
Take this, my shirt, and cast it over the face of my father; he will become seeing. And bring me your family, all together."



وَ لَمَّا فَصَلَتِ الْعِیْرُ قَالَ اَبُوْهُمْ اِنِّیْ لَاَجِدُ رِیْحَ یُوْسُفَ لَوْ لَاۤ اَنْ تُفَنِّدُوْنِ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-ফাসালাতিল ‘ঈরু কা-লা আবূহুম ইন্নী লাআজিদুরীহাইঊছুফা লাওলাআন তুফান্নিদূন।
আল বায়ান:
আর যখন কাফেলা বের হল, তাদের পিতা বলল, ‘নিশ্চয় আমি ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি, যদি তোমরা আমাকে নির্বোধবৃদ্ধ মনে না কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
যাত্রীদল যখন (মিসর থেকে) বেরিয়ে পড়ল এমন সময়ে তাদের পিতা (বাড়ীর লোকজনকে) বলল, ‘তোমরা আমাকে বয়োবৃদ্ধ দিশেহারা মনে না করলে (তোমরা জেনে রাখ) আমি অবশ্যই ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি।’
Sahih International:
And when the caravan departed [from Egypt], their father said, "Indeed, I find the smell of Joseph [and would say that he was alive] if you did not think me weakened in mind."



قَالُوْا تَاللّٰهِ اِنَّکَ لَفِیْ ضَلٰلِکَ الْقَدِیْمِ ﴿ٙ۹۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লূতাল্লা-হি ইন্নাকা লাফী দালা-লিকাল কাদীম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম, আপনি তো সেই পুরোন ভ্রান্তিতেই আছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
বাড়ীতে উপস্থিত ব্যক্তিরা বলল, ‘আল্লাহর কসম! তুমি তো সেই তোমার পুরনো বিভ্রান্তিতেই আছ দেখছি।’
Sahih International:
They said, "By Allah, indeed you are in your [same] old error."



فَلَمَّاۤ اَنْ جَآءَ الْبَشِیْرُ اَلْقٰىهُ عَلٰی وَجْهِهٖ فَارْتَدَّ بَصِیْرًا ۚ قَالَ اَلَمْ اَقُلْ لَّکُمْ ۚۙ اِنِّیْۤ اَعْلَمُ مِنَ اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা আন জাআল বাশীরু আলকা-হু ‘আলা-ওয়াজহিহী ফারতাদ্দা বাসীরান কালা আলাম আকুল্লাকুম ইন্নীআ‘লামুমিনাল্লা-হি মা-লা-তা‘লামূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সুসংবাদদাতা এল, তখন সে জামাটি তার চেহারায় ফেলল। এতে সে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল, বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, নিশ্চয় আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে যা জানি তোমরা তা জান না’।
তাইসিরুল কুরআন:
সুসংবাদদাতা যখন এসে হাযির হল, তখন সে জামাটি ই‘য়াকুবের মুখমন্ডলের উপর রাখল, তাতে সে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল। সে বলল, ‘আমি কি তোমাদের বলিনি যে, আমি আল্লাহর নিকট হতে যা জানি তা তোমরা জান না।’
Sahih International:
And when the bearer of good tidings arrived, he cast it over his face, and he returned [once again] seeing. He said, "Did I not tell you that I know from Allah that which you do not know?"



قَالُوْا یٰۤاَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَاۤ اِنَّا کُنَّا خٰطِئِیْنَ ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়াআবা-নাছতাগফিরলানা-যুনূবানাইন্না-কুন্না-খা-তিঈন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা, আপনি আমাদের পাপ মোচনের জন্য ক্ষমা চান। নিশ্চয় আমরা ছিলাম অপরাধী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা! আমাদের গুনাহসমূহ মাফির জন্য প্রার্থনা করুন। আমরাই ছিলাম অপরাধী।’
Sahih International:
They said, "O our father, ask for us forgiveness of our sins; indeed, we have been sinners."



قَالَ سَوْفَ اَسْتَغْفِرُ لَکُمْ رَبِّیْ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ছাওফা আছতাগফিরু লাকুম রাববী ইন্নাহূহুওয়াল গাফূরুুর রাহীম।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘অচিরেই আমি তোমাদের জন্য আমার রবের নিকট ক্ষমা চাইব, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘শীঘ্রই আমি আমার রবেবর কাছে তোমাদের ক্ষমার জন্য প্রার্থনা জানাব, তিনি তো বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।’
Sahih International:
He said, "I will ask forgiveness for you from my Lord. Indeed, it is He who is the Forgiving, the Merciful."



فَلَمَّا دَخَلُوْا عَلٰی یُوْسُفَ اٰوٰۤی اِلَیْهِ اَبَوَیْهِ وَ قَالَ ادْخُلُوْا مِصْرَ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ اٰمِنِیْنَ ﴿ؕ۹۹﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-দাখালূ‘আলা-ইঊছুফা আ-ওয়াইলাইহি আবাওয়াইহি ওয়া কা-লাদ খুলূমিসরা ইন শাআল্লা-হু আ-মিনীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন তারা ইউসুফের নিকট প্রবেশ করল, তখন সে তার পিতামাতাকে নিজের কাছে স্থান করে দিল এবং বলল, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আপনারা নিরাপদে মিসরে প্রবেশ করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন ইউসুফের কাছে উপস্থিত হল, সে তার পিতা-মাতাকে নিজের কাছে স্থান দিল এবং বলল, ‘আল্লাহর ইচ্ছেয় পূর্ণ নিরাপত্তায় মিসরে প্রবেশ করুন।’
Sahih International:
And when they entered upon Joseph, he took his parents to himself and said, "Enter Egypt, Allah willing, safe [and secure]."



وَ رَفَعَ اَبَوَیْهِ عَلَی الْعَرْشِ وَ خَرُّوْا لَهٗ سُجَّدًا ۚ وَ قَالَ یٰۤاَبَتِ هٰذَا تَاْوِیْلُ رُءْیَایَ مِنْ قَبْلُ ۫ قَدْ جَعَلَهَا رَبِّیْ حَقًّا ؕ وَ قَدْ اَحْسَنَ بِیْۤ اِذْ اَخْرَجَنِیْ مِنَ السِّجْنِ وَ جَآءَ بِکُمْ مِّنَ الْبَدْوِ مِنْۢ بَعْدِ اَنْ نَّزَغَ الشَّیْطٰنُ بَیْنِیْ وَ بَیْنَ اِخْوَتِیْ ؕ اِنَّ رَبِّیْ لَطِیْفٌ لِّمَا یَشَآءُ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْعَلِیْمُ الْحَکِیْمُ ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাফা‘আ আবাওয়াইহি ‘আলাল ‘আরশি ওয়া খাররূলাহূছুজ্জদাওঁ ওয়া কা-লা ইয়াআবাতি হা-যা-তা’বীলুরু‘ইয়া-ইয়া মিন কাবলু কাদ জা‘আলাহা-রাববী হাক্কাওঁ ওয়া কাদ আহছানা বী ইযআখরাজানী মিনাছছিজনি ওয়া জাআ বিকুম মিনাল বাদবিমিম বা‘দি আন নাযাগাশশাইতা-নুবাইনী ওয়া বাইনা ইখওয়াতী ইন্না রাববী লাতীফুল লিমা-ইয়াশাউ ইন্নাহূহুওয়াল ‘আলীমুল হাকীম।
আল বায়ান:
আর সে তার পিতামাতাকে রাজাসনে উঠাল এবং তারা সকলে তার সামনে সেজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং সে বলল, ‘হে আমার পিতা, এই হল আমার ইতঃপূর্বের স্বপ্নের ব্যাখ্যা, আমার রব তা বাস্তবে পরিণত করেছেন আর তিনি আমার উপর এহসান করেছেন, যখন আমাকে জেলখানা থেকে বের করেছেন এবং তোমাদেরকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছেন, শয়তান আমার ও আমার ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার পর। নিশ্চয় আমার রব যা ইচ্ছা করেন, তা বাস্তবায়নে তিনি সূক্ষ্মদর্শী। নিশ্চয় তিনি সম্যক জ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে তার পিতা-মাতাকে সিংহাসনে উঠিয়ে নিল আর সকলে তার সম্মানে সাজদাহয় ঝুঁকে পড়ল। ইউসুফ বলল, ‘হে পিতা! এ-ই হচ্ছে আমার সে আগের দেখা স্বপ্নের ব্যাখ্যা। আমার রব্ব একে সত্যে পরিণত করেছেন, তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি আমাকে কয়েদখানা থেকে বের করে এনেছেন। আর শাইত্বান আমার আর আমার ভাইদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার পরও তিনি আপনাদেরকে মরু অঞ্চল থেকে এখানে (মিসরে) এনে দিয়েছেন। আমার রব্ব যা করতে ইচ্ছে করেন তা সূক্ষ্ণ উপায়ে বাস্তবায়িত করে থাকেন, তিনি বড়ই বিজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাময়।
Sahih International:
And he raised his parents upon the throne, and they bowed to him in prostration. And he said, "O my father, this is the explanation of my vision of before. My Lord has made it reality. And He was certainly good to me when He took me out of prison and brought you [here] from bedouin life after Satan had induced [estrangement] between me and my brothers. Indeed, my Lord is Subtle in what He wills. Indeed, it is He who is the Knowing, the Wise.



رَبِّ قَدْ اٰتَیْتَنِیْ مِنَ الْمُلْکِ وَ عَلَّمْتَنِیْ مِنْ تَاْوِیْلِ الْاَحَادِیْثِ ۚ فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۟ اَنْتَ وَلِیّٖ فِی الدُّنْیَا وَ الْاٰخِرَۃِ ۚ تَوَفَّنِیْ مُسْلِمًا وَّ اَلْحِقْنِیْ بِالصّٰلِحِیْنَ ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
রাব্বি কাদ আ-তাইতানী মিনাল মুলকি ওয়া ‘আল্লামতানী মিন তা’বীলিল আহা-দীছি ফা-তিরাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি আনতা ওয়ালিইইয়ী ফিদদুনইয়া-ওয়াল আখিরাতি তাওয়াফফানী মুছলিমাওঁ ওয়া আলহিকনী বিসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
‘হে আমার রব, আপনি আমাকে কিছু রাজত্ব দান করেছেন এবং স্বপ্নের কিছু ব্যাখ্যা শিখিয়েছেন। হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে রাজত্ব দান করেছ, আর আমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিখিয়েছ। আসমান যমীনের সৃষ্টিকর্তা! তুমিই দুনিয়ায় আর আখেরাতে আমার অভিভাবক, তুমি মুসলিম অবস্থায় আমার মৃত্যু দান করো এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করো।’
Sahih International:
My Lord, You have given me [something] of sovereignty and taught me of the interpretation of dreams. Creator of the heavens and earth, You are my protector in this world and in the Hereafter. Cause me to die a Muslim and join me with the righteous."



ذٰلِکَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الْغَیْبِ نُوْحِیْهِ اِلَیْکَ ۚ وَ مَا کُنْتَ لَدَیْهِمْ اِذْ اَجْمَعُوْۤا اَمْرَهُمْ وَ هُمْ یَمْکُرُوْنَ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা মিন আমবাইল গাইবি নূহীহি ইলাইকা ওয়ামা-কুনতা লাদাইহিম ইয আজমা‘উআমরাহুম ওয়া হুম ইয়ামকুরূন।
আল বায়ান:
এগুলো গায়েবের সংবাদ, যা আমি তোমার কাছে ওহী করছি। তুমি তো তাদের নিকট ছিলে না যখন তারা তাদের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছিল অথচ তারা ষড়যন্ত্র করছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
অদৃশ্য জগতের খবর থেকে এটা তোমাকে ওয়াহী করে জানালাম। ষড়যন্ত্র করার সময় যখন তারা তাদের কাজে জোটবদ্ধ হয়েছিল তখন তুমি তো তাদের কাছে ছিলে না।
Sahih International:
That is from the news of the unseen which We reveal, [O Muhammad], to you. And you were not with them when they put together their plan while they conspired.



وَ مَاۤ اَکْثَرُ النَّاسِ وَ لَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۰۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা আকছারুন্না-ছি ওয়ালাও হারাসতা বিমু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর তুমি আকাঙ্খা করলেও অধিকাংশ মানুষ মুমিন হবার নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যত প্রবল আগ্রহ ভরেই চাও না কেন, মানুষদের অধিকাংশই ঈমান আনবে না।
Sahih International:
And most of the people, although you strive [for it], are not believers.



وَ مَا تَسْـَٔلُهُمْ عَلَیْهِ مِنْ اَجْرٍ ؕ اِنْ هُوَ اِلَّا ذِکْرٌ لِّلْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা তাছআলুহুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুল লিল‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর তুমি এর উপর তাদের কাছে কোন প্রতিদান চাও না, এ তো (কুরআন) সমগ্র সৃষ্টির জন্য উপদেশমাত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তার জন্য তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছ না, এটা তো বিশ্বজগতের সকলের জন্য উপদেশ মাত্র।
Sahih International:
And you do not ask of them for it any payment. It is not except a reminder to the worlds.



وَ کَاَیِّنْ مِّنْ اٰیَۃٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ یَمُرُّوْنَ عَلَیْهَا وَ هُمْ عَنْهَا مُعْرِضُوْنَ ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাআইয়িম মিন আ-য়াতিন ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়ামুররূনা ‘আলাইহাওয়াহুম ‘আনহা-মু‘রিদূ ন।
আল বায়ান:
আর আসমানসমূহ ও যমীনে কত নিদর্শন রয়েছে, যা তারা অতিক্রম করে চলে যায়, অথচ সেগুলো থেকে তারা বিমুখ।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমানে আর যমীনে বহু নিদর্শন আছে যেগুলোর উপর দিয়ে তারা (প্রতিনিয়ত) অতিক্রম করে কিন্তু এসব কিছু থেকে তারা অবজ্ঞা করছে।
Sahih International:
And how many a sign within the heavens and earth do they pass over while they, therefrom, are turning away.



وَ مَا یُؤْمِنُ اَکْثَرُهُمْ بِاللّٰهِ اِلَّا وَ هُمْ مُّشْرِکُوْنَ ﴿۱۰۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইউ’মিনুআকছারুহুম বিল্লা-হি ইল্লা-ওয়াহুম মুশরিকূন।
আল বায়ান:
তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তবে (ইবাদাতে) শিরক করা অবস্থায়।
তাইসিরুল কুরআন:
অধিকাংশ মানুষ আল্লাহতে বিশ্বাস করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।
Sahih International:
And most of them believe not in Allah except while they associate others with Him.



اَفَاَمِنُوْۤا اَنْ تَاْتِیَهُمْ غَاشِیَۃٌ مِّنْ عَذَابِ اللّٰهِ اَوْ تَاْتِیَهُمُ السَّاعَۃُ بَغْتَۃً وَّ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۱۰۷﴾
উচ্চারণ:
আফাআমিনূআন তা’তিয়াহুম গা-শিয়াতুমমিন‘আযা-বিল্লা-হি আও তা‘তিয়াহুমুছছা-‘আতু বাগতাতাওঁ ওয়াহুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
আর তারা কি নিরাপদ বোধ করছে যে, তাদের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন সর্বগ্রাসী আযাব আসবে না অথবা হঠাৎ তারা টের না পেতেই কিয়ামত উপস্থিত হবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি নিশ্চিন্ত যে, আল্লাহর সর্বগ্রাসী ‘আযাব তাদের উপর এসে পড়বে না? কিংবা হঠাৎ ক্বিয়ামাত তাদের উপর এসে পড়বে না যা তারা টেরও পাবে না?
Sahih International:
Then do they feel secure that there will not come to them an overwhelming [aspect] of the punishment of Allah or that the Hour will not come upon them suddenly while they do not perceive?



قُلْ هٰذِهٖ سَبِیْلِیْۤ اَدْعُوْۤا اِلَی اللّٰهِ ۟ؔ عَلٰی بَصِیْرَۃٍ اَنَا وَ مَنِ اتَّبَعَنِیْ ؕ وَ سُبْحٰنَ اللّٰهِ وَ مَاۤ اَنَا مِنَ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
কুল হা-যিহী ছাবীলীআদ‘ঊইলাল্লা-হি ‘আলা-বাসীরাতিন আনা ওয়া মানিত্তাবা‘আনী ওয়া ছুবহা-নাল্লা-হি ওয়ামাআনা মিনাল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
বল, ‘এটা আমার পথ। আমি জেনে-বুঝে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেই এবং যারা আমার অনুসরণ করেছে তারাও। আর আল্লাহ পবিত্র মহান এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘এটাই আমার পথ, আল্লাহর পথে আহবান জানাচ্ছি, আমি ও আমার অনুসারীরা, স্পষ্ট জ্ঞানের মাধ্যমে। আল্লাহ মহান, পবিত্র; আমি কক্ষনো মুশরিকদের মধ্যে শামিল হব না।
Sahih International:
Say, "This is my way; I invite to Allah with insight, I and those who follow me. And exalted is Allah; and I am not of those who associate others with Him."



وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوْحِیْۤ اِلَیْهِمْ مِّنْ اَهْلِ الْقُرٰی ؕ اَفَلَمْ یَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَیَنْظُرُوْا کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ وَ لَدَارُ الْاٰخِرَۃِ خَیْرٌ لِّلَّذِیْنَ اتَّقَوْا ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআরছালনা-মিন কাবলিকা ইল্লা-রিজা-লাননূহীইলাইহিম মিন আহলিল কুরা- আফালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাইয়ানজুরূ কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ওয়ালাদা-রুল আ-খিরাতি খাইরুল লিল্লাযী নাত্তাকাও আফালাতা‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর আমি তোমার পূর্বে জনপদবাসী থেকে পুরুষদেরকেই কেবল রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি, যাদের উপর আমি ওহী নাযিল করতাম। তারা কি যমীনে বিচরণ করে না। তাহলে দেখত, তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণতি কিরূপ হয়েছে? আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাসনই উত্তম, তবুও কি তোমরা বুঝ না?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্বে জনপদবাসীদের মধ্যে যাদের কাছে ওয়াহী করতাম তারা পুরুষ মানুষ ব্যতীত ছিল না। তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করতঃ দেখে না যে, তাদের পূর্ববর্তী লোকেদের পরিণাম কী হয়েছিল? যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, নিশ্চিতই পরলোকের ঘর তাদের আরো উত্তম, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
Sahih International:
And We sent not before you [as messengers] except men to whom We revealed from among the people of cities. So have they not traveled through the earth and observed how was the end of those before them? And the home of the Hereafter is best for those who fear Allah; then will you not reason?



حَتّٰۤی اِذَا اسْتَیْـَٔسَ الرُّسُلُ وَ ظَنُّوْۤا اَنَّهُمْ قَدْ کُذِبُوْا جَآءَهُمْ نَصْرُنَا ۙ فَنُجِّیَ مَنْ نَّشَآءُ ؕ وَلَا یُرَدُّ بَاْسُنَا عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِیْنَ ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
হাত্তা ইযাছতাইআছাররুছুলুওয়া জান্নূআন্নাহুম কাদ কুযিবূজাআহুম নাসরুনা- ফানুজ্জিয়া মান্নাশাউ ওয়ালা-ইউরাদ্দুবা’ছুনা-‘আনিল কাওমিল মুজরিমীন।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন রাসূলগণ (কওমের ঈমান থেকে) নিরাশ হয়ে গেল এবং তারা* মনে করল তাদের সাথে মিথ্যা বলা হয়েছে, তখন তাদের কাছে আমার সাহায্য আসল, অতঃপর আমি যাকে ইচ্ছা নাজাত দেই, আর অপরাধী কওম থেকে আমার শাস্তি ফেরানো হয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
(হে নাবী! তোমার পূর্বেও এমন ঘটেছে যে,) শেষ পর্যন্ত রসূলগণ নিরাশ হয়েছে, আর লোকেরা মনে করেছে যে, তাদেরকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছে, তখন তাদের (রাসূলদের) কাছে আমার সাহায্য এসে পৌঁছেছে, এভাবেই আমি যাকে ইচ্ছে রক্ষা করি। অপরাধী সম্প্রদায় থেকে আমার শাস্তি কক্ষনো ফিরিয়ে নেয়া হয় না।
Sahih International:
[They continued] until, when the messengers despaired and were certain that they had been denied, there came to them Our victory, and whoever We willed was saved. And Our punishment cannot be repelled from the people who are criminals.



لَقَدْ کَانَ فِیْ قَصَصِهِمْ عِبْرَۃٌ لِّاُولِی الْاَلْبَابِ ؕ مَا کَانَ حَدِیْثًا یُّفْتَرٰی وَ لٰکِنْ تَصْدِیْقَ الَّذِیْ بَیْنَ یَدَیْهِ وَ تَفْصِیْلَ کُلِّ شَیْءٍ وَّ هُدًی وَّ رَحْمَۃً لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ কা-না ফী কাসাসিহিম ‘ইবরাতুল লিঊলিল আলবা-বি মা-কা-না হাদীছাইঁ ইউফতারা-ওয়া লা-কিন তাসদাকাল্লাযী বাইনা ইয়াদইহি ওয়া তাফসীলা কুল্লি শাইইওঁ ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতাল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
তাদের এ কাহিনীগুলোতে অবশ্যই বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষা, এটা কোন বানানো গল্প নয়, বরং তাদের পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ। আর হিদায়াত ও রহমত ঐ কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।
তাইসিরুল কুরআন:
এদের কাহিনীসমূহে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় আছে। এ কুরআন কোন মিথ্যে রচনা নয়, বরং তাদের পূর্বে আগত কিতাবের প্রত্যয়নকারী আর যাবতীয় বিষয়ের বিস্তারিত বিররণে সমৃদ্ধ, আর মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য পথের দিশারী ও রহমাত।
Sahih International:
There was certainly in their stories a lesson for those of understanding. Never was the Qur'an a narration invented, but a confirmation of what was before it and a detailed explanation of all things and guidance and mercy for a people who believe.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।