আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


الٓرٰ ۟ کِتٰبٌ اُحْکِمَتْ اٰیٰتُهٗ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِنْ لَّدُنْ حَکِیْمٍ خَبِیْرٍ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আলিফ লামরা-,কিতা-বুনউহকিমাত আ-য়া-তুহূছু ম্মা ফুসসিলাত মিল্লাদুনহাকীমিন খাবীর।
আল বায়ান:
আলিফ-লাম-রা। এটি কিতাব যার আয়াতসমূহ সুস্থিত করা হয়েছে, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত সত্ত্বার পক্ষ থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আলিফ, লাম, রা; এটা এমন একটা গ্রন্থ, এর আয়াতগুলো সুদৃঢ়, অতঃপর সবিস্তারে ব্যাখ্যাকৃত মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞের নিকট হতে।
Sahih International:
Alif, Lam, Ra. [This is] a Book whose verses are perfected and then presented in detail from [one who is] Wise and Acquainted.



اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّا اللّٰهَ ؕ اِنَّنِیْ لَکُمْ مِّنْهُ نَذِیْرٌ وَّ بَشِیْرٌ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লা তা‘বুদূ ইল্লাল্লা-হা ইন্নানী লাকুম মিনহু নাযীরুওঁ ওয়াবাশীর।
আল বায়ান:
(এ মর্মে) যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করো না। নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ থেকে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।
তাইসিরুল কুরআন:
(এটা শিক্ষা দেয়) যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করবে না, আমি অবশ্যই তাঁর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য ভয় প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতা।
Sahih International:
[Through a messenger, saying], "Do not worship except Allah. Indeed, I am to you from Him a warner and a bringer of good tidings,"



وَّ اَنِ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّکُمْ ثُمَّ تُوْبُوْۤا اِلَیْهِ یُمَتِّعْکُمْ مَّتَاعًا حَسَنًا اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی وَّ یُؤْتِ کُلَّ ذِیْ فَضْلٍ فَضْلَهٗ ؕ وَ اِنْ تَوَلَّوْا فَاِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْکُمْ عَذَابَ یَوْمٍ کَبِیْرٍ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনিছতাগফিরূ রাব্বাকুম ছুম্মা তূবূইলাইহি ইউমাত্তি‘কুম মাতা-‘আন হাছানান ইলা আজালিম মুছাম্মাওঁ ওয়াইউ’তি কুল্লা যী ফাদলিন ফাদলাহূ ওয়া ইন তাওয়াল্লাও ফাইন্নী আখা-ফু‘আলাইকুম ‘আযা-বা ইয়াওমিন কাবীর।
আল বায়ান:
আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও। তারপর তার কাছে ফিরে যাও, (তাহলে) তিনি তোমাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত উত্তম ভোগ-উপকরণ দেবেন এবং প্রর্তেক আনুগত্যশীলকে তাঁর আনুগত্য মুতাবিক দান করবেন। আর যদি তারা ফিরে যায়, তবে আমি নিশ্চয় তোমাদের উপর বড় এক দিনের আযাবের ভয় করছি।
তাইসিরুল কুরআন:
(এটা শিক্ষা দেয়) যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা চাও, আর অনুশোচনাভরে তাঁর দিকেই ফিরে এসো, তাহলে তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদেরকে উত্তম জীবন সামগ্রী ভোগ করতে দিবেন, আর অনুগ্রহ লাভের যোগ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে তিনি তাঁর অনুগ্রহ দানে ধন্য করবেন। আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আমি তোমাদের উপর বড় এক কঠিন দিনের ‘আযাবের আশঙ্কা করছি।
Sahih International:
And [saying], "Seek forgiveness of your Lord and repent to Him, [and] He will let you enjoy a good provision for a specified term and give every doer of favor his favor. But if you turn away, then indeed, I fear for you the punishment of a great Day.



اِلَی اللّٰهِ مَرْجِعُکُمْ ۚ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইলাল্লা-হি মারজি‘উকুম ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইইন কাদীর।
আল বায়ান:
আল্লাহর নিকটই তোমাদের প্রত্যাবর্তন এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর কাছেই, আর তিনি সব কিছুই করতে সক্ষম।
Sahih International:
To Allah is your return, and He is over all things competent."



اَلَاۤ اِنَّهُمْ یَثْنُوْنَ صُدُوْرَهُمْ لِیَسْتَخْفُوْا مِنْهُ ؕ اَلَا حِیْنَ یَسْتَغْشُوْنَ ثِیَابَهُمْ ۙ یَعْلَمُ مَا یُسِرُّوْنَ وَ مَا یُعْلِنُوْنَ ۚ اِنَّهٗ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
আলাইন্নাহুম ইয়াছনূনা সুদূ রাহুম লিইয়াছতাখফূমিনহু আলা-হীনা ইয়াছতাগশূনা ছিয়া-বাহুম ইয়া‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূনা ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযাতিসসুদূ র।
আল বায়ান:
জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা তাদের বুক ফিরিয়ে নেয়, যাতে তারা তার থেকে আত্মগোপন করতে পারে। জেনে রাখ, যখন তারা কাপড় আবৃত হয়, তখন তিনি জানেন যা তারা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে। নিশ্চয় তিনি অন্তর্যামী।
তাইসিরুল কুরআন:
লক্ষ্য কর, এরা নিজেদের বুক ঘুরিয়ে নেয় যাতে তারা তাঁর (অর্থাৎ আল্লাহর) থেকে লুকিয়ে থাকতে পারে। সাবধান! এরা যখন কাপড় দিয়ে নিজেরা নিজেদেরকে ঢেকে নেয়, তখন তারা যা গোপন করে আর প্রকাশ করে তিনি তা জানেন। তাদের মনের গভীরে যা আছে সে বিষয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি অবহিত।
Sahih International:
Unquestionably, they the disbelievers turn away their breasts to hide themselves from Him. Unquestionably, [even] when they cover themselves in their clothing, Allah knows what they conceal and what they declare. Indeed, He is Knowing of that within the breasts.



وَ مَا مِنْ دَآبَّۃٍ فِی الْاَرْضِ اِلَّا عَلَی اللّٰهِ رِزْقُهَا وَ یَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَ مُسْتَوْدَعَهَا ؕ کُلٌّ فِیْ کِتٰبٍ مُّبِیْنٍ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-মিন দাব্বাতিন ফিল আরদিইল্লা- ‘আলাল্লা-হি রিযকুহা- ওয়া ইয়া‘লামু মুছতাকাররাহা-ওয়া মুছতাওদা‘আহা- কুল্লুন ফী কিতা-বিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিয্কের দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি জানেন তাদের আবাসস্থল ও সমাধিস্থল* । সব কিছু আছে স্পষ্ট কিতাবে**।
তাইসিরুল কুরআন:
যমীনে বিচরণশীল এমন কোন জীব নেই যার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর উপর নেই, তিনি জানেন তাদের থাকার জায়গা কোথায় আর কোথায় তাদেরকে (মৃত্যুর পর) রাখা হয়, সব কিছুই আছে সুস্পষ্ট লিপিকায়।
Sahih International:
And there is no creature on earth but that upon Allah is its provision, and He knows its place of dwelling and place of storage. All is in a clear register.



وَ هُوَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ فِیْ سِتَّۃِ اَیَّامٍ وَّ کَانَ عَرْشُهٗ عَلَی الْمَآءِ لِیَبْلُوَکُمْ اَیُّکُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا ؕ وَ لَئِنْ قُلْتَ اِنَّکُمْ مَّبْعُوْثُوْنَ مِنْۢ بَعْدِ الْمَوْتِ لَیَقُوْلَنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযীখালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদাফী ছিত্তাতি আইয়া-মিওঁ ওয়া কা-না ‘আরশুহূ‘আলাল মাই লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহছানু‘আমালাওঁ ওয়ালাইন কুলতা ইন্নাকুম মাব‘ঊছূনা মিম বা‘দিল মাওতি লাইয়াকূলান্নাল্লাযীনা কাফারূইন হা-যাইল্লা-ছিহরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর তিনিই আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, আর তাঁর আরশ ছিল পানির উপর, যাতে তিনি পরীক্ষা করেন, কে তোমাদের মধ্যে আমলে সর্বোত্তম। আর তুমি যদি বল, ‘মৃত্যুর পর নিশ্চয় তোমাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে’, তবে কাফিররা অবশ্যই বলবে, ‘এতো শুধুই স্পষ্ট যাদু’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তিনিই আসমানসমূহ আর যমীনকে ছ’দিনে সৃষ্টি করেছেন। ইতোপূর্বে তাঁর আরশ ছিল পানির উপর। (সৃষ্টি করেছেন) তোমাদেরকে পরীক্ষা করার উদ্দেশে যে, তোমাদের মধ্যে ‘আমালের ক্ষেত্রে কারা শ্রেষ্ঠ। তুমি যদি বল, ‘‘মৃত্যুর পর তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই আবার উঠানো হবে, তাহলে কাফিররা অবশ্যই বলবে যে, এতো সুস্পষ্ট যাদু।
Sahih International:
And it is He who created the heavens and the earth in six days - and His Throne had been upon water - that He might test you as to which of you is best in deed. But if you say, "Indeed, you are resurrected after death," those who disbelieve will surely say, "This is not but obvious magic."



وَ لَئِنْ اَخَّرْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ اِلٰۤی اُمَّۃٍ مَّعْدُوْدَۃٍ لَّیَقُوْلُنَّ مَا یَحْبِسُهٗ ؕ اَلَا یَوْمَ یَاْتِیْهِمْ لَیْسَ مَصْرُوْفًا عَنْهُمْ وَ حَاقَ بِهِمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইন আখখারনা-‘আনহুমুল ‘আযা-বা ইলাউম্মাতিম মা‘দূদাতিল লাইয়াকূলুন্না মাইয়াহবিছুহূ আলা-ইয়াওমা ইয়া’তীহিম লাইছা মাছরূফান ‘আনহুম ওয়া হা-কা বিহীম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিঊ-ন।
আল বায়ান:
আর যদি আমি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের থেকে আযাব বিলম্বিত করি, তবে তারা অবশ্যই বলবে, ‘কোন্ বস্তু তাকে ঠেকিয়ে রাখল’? সাবধান ! যেদিন তাদের উপর তা নেমে আসবে, সেদিন তাদের থেকে তা ফেরানো হবে না এবং তারা যা নিয়ে উপহাস করত, তাদেরকে তা ঘিরে ফেলবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের থেকে শাস্তি বিলম্বিত করি, তাহলে তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে যে, ‘কিসে ওটাকে আটকে রাখল? সাবধান! এমন দিন তাদের কাছে আসবে যা তাদের থেকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না, আর যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রূপ করছিল তাই তাদেরকে ঘিরে ফেলবে।
Sahih International:
And if We hold back from them the punishment for a limited time, they will surely say, "What detains it?" Unquestionably, on the Day it comes to them, it will not be averted from them, and they will be enveloped by what they used to ridicule.



وَ لَئِنْ اَذَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنَّا رَحْمَۃً ثُمَّ نَزَعْنٰهَا مِنْهُ ۚ اِنَّهٗ لَیَـُٔوْسٌ کَفُوْرٌ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাইন আযাকনাল ইনছা-না মিন্না-রাহমাতান ছুম্মা নাযা‘না-হা-মিনহু ইন্নাহূ লাইয়াঊছুন কাফূর।
আল বায়ান:
আর যদি আমি মানুষকে আমার পক্ষ থেকে রহমত আস্বাদন করাই, অতঃপর তার থেকে তা কেড়ে নেই, নিশ্চয় সে তখন (হয়ে পড়বে) নিরাশ, অকৃতজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যদি মানুষকে আমার পক্ষ থেকে রহমত আস্বাদন করাই অতঃপর তা তার থেকে ছিনিয়ে নেই, তখন সে অবশ্যই হতাশ ও অকৃতজ্ঞ হয়ে পড়ে।
Sahih International:
And if We give man a taste of mercy from Us and then We withdraw it from him, indeed, he is despairing and ungrateful.



وَ لَئِنْ اَذَقْنٰهُ نَعْمَآءَ بَعْدَ ضَرَّآءَ مَسَّتْهُ لَیَقُوْلَنَّ ذَهَبَ السَّیِّاٰتُ عَنِّیْ ؕ اِنَّهٗ لَفَرِحٌ فَخُوْرٌ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাই আযাকনা-হু না‘মাআ বা‘দা দাররাআ মাছছাতহু লাইয়াকূলান্না যাহাবাছ ছাইয়িআ-তু‘আন্নী ইন্নাহূলাফারিহুন ফাখূর।
আল বায়ান:
আর দুঃখ-দুর্দশা স্পর্শ করার পর যদি আমি তাকে নিআমত আস্বাদন করাই, তাহলে সে অবশ্যই বলবে, ‘আমার থেকে বিপদ-আপদ দূর হয়ে গেছে, আর সে হবে অতি উৎফুল্ল, অহঙ্কারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যদি তার উপরে আসা দুঃখ কষ্টের পর তাকে নি‘মাতের স্বাদ আস্বাদন করাই, তখন সে অবশ্য অবশ্যই বলবে, ‘আমার দূরবস্থা কেটে গেছে’। তখন সে আনন্দে উৎফুল্ল হয়, হয়ে পড়ে অহঙ্কারী।
Sahih International:
But if We give him a taste of favor after hardship has touched him, he will surely say, "Bad times have left me." Indeed, he is exultant and boastful -



اِلَّا الَّذِیْنَ صَبَرُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمْ مَّغْفِرَۃٌ وَّ اَجْرٌ کَبِیْرٌ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাল্লাযীনা সাবারূ ওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি উলাইকা লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবীর।
আল বায়ান:
তবে যারা সবর করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যই রয়েছে ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু যারা ধৈর্যশীল ও নেক ‘আমালকারী তারা ওরকম নয়। আর এরাই হল যাদের জন্য আছে ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান।
Sahih International:
Except for those who are patient and do righteous deeds; those will have forgiveness and great reward.



فَلَعَلَّکَ تَارِکٌۢ بَعْضَ مَا یُوْحٰۤی اِلَیْکَ وَ ضَآئِقٌۢ بِهٖ صَدْرُکَ اَنْ یَّقُوْلُوْا لَوْ لَاۤ اُنْزِلَ عَلَیْهِ کَنْزٌ اَوْ جَآءَ مَعَهٗ مَلَکٌ ؕ اِنَّمَاۤ اَنْتَ نَذِیْرٌ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ وَّکِیْلٌ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ফালা‘আল্লাকা তা-রিকুম বা‘দা মা-ইঊহাইলাইকা ওয়া দাইকুম বিহী সাদরুকা আইঁ ইয়াকূলূলাওলাউনযিলা ‘আলাইহি কানযুন আও জাআ মা‘আহূমালাকুন ইন্নামা আনতা নাযীরুওঁ ওয়াল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইইওঁ ওয়াকীল।
আল বায়ান:
তাহলে সম্ভবত তুমি তোমার উপর অবতীর্ণ ওহীর কিছু বিষয় ছেড়ে দেবে এবং তোমার বুক সঙ্কুচিত হবে এ কারণে যে, তারা বলে, ‘কেন তার উপর ধন-ভান্ডার অবতীর্ণ হয়নি, কিংবা তার সাথে ফেরেশতা আসেনি’? তুমি তো শুধু সতর্ককারী আর আল্লাহ সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি তোমার প্রতি যা ওয়াহী করা হয়েছে তার কিছু অংশ পরিত্যাগ করতে চাও আর তোমার মন সংকুচিত করতে চাও তাদের এ কথা বলার কারণে যে ‘‘তার কাছে ধনভান্ডার অবতীর্ণ হয় না কেন, কিংবা তার কাছে ফেরেশতা আসে না কেন?’’ তুমি তো কেবল ভয় প্রদর্শনকারী, যাবতীয় কাজ পরিচালনার দায়িত্ব আল্লাহর।
Sahih International:
Then would you possibly leave [out] some of what is revealed to you, or is your breast constrained by it because they say, "Why has there not been sent down to him a treasure or come with him an angel?" But you are only a warner. And Allah is Disposer of all things.



اَمْ یَقُوْلُوْنَ افْتَرٰىهُ ؕ قُلْ فَاْتُوْا بِعَشْرِ سُوَرٍ مِّثْلِهٖ مُفْتَرَیٰتٍ وَّ ادْعُوْا مَنِ اسْتَطَعْتُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
আম ইয়াকূলুনাফ তারা-হু কুল ফা’তূবি‘আশরি ছুওয়ারিম মিছলিহী মুফতারাইয়া-তিওঁ ওয়াদ‘ঊ মানিছতাতা‘তুম মিনদূ নিল্লা-হি ইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
নাকি তারা বলে, ‘সে এটা রটনা করেছে’? বল, ‘তাহলে তোমরা এর অনুরূপ দশটি সূরা বানিয়ে নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পার ডেকে আন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি বলে ‘‘সে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)] ওটা রচনা করেছে? বল, ‘‘তাহলে তোমরা এর মত দশটি সূরাহ রচনা করে আন, আর (এ কাজে সাহায্য করার জন্য) আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাকে ডাকতে পার ডেকে নাও যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাক ।
Sahih International:
Or do they say, "He invented it"? Say, "Then bring ten surahs like it that have been invented and call upon [for assistance] whomever you can besides Allah, if you should be truthful."



فَاِلَّمْ یَسْتَجِیْبُوْا لَکُمْ فَاعْلَمُوْۤا اَنَّمَاۤ اُنْزِلَ بِعِلْمِ اللّٰهِ وَ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ فَهَلْ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ফাইল্লাম ইয়াছতাজীবূলাকুম ফা‘লামূআন্নামাউনযিলা বি‘ইলমিল্লা-হি ওয়া আল্লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাহাল আনতুম মুছলিমূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা যদি তোমাদের আহবানে সাড়া না দেয়, তাহলে জেনে রাখ, এটা আল্লাহর জ্ঞান অনুসারেই নাযিল করা হয়েছে এবং তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ্ নেই। অতঃপর তোমরা কি অনুগত হবে?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যদি তোমাদের ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে জেনে নাও যে, আল্লাহর জ্ঞান অনুসারেই তা অবতীর্ণ হয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। তাহলে এখন কি তোমরা আত্মসমর্পণ করবে?
Sahih International:
And if they do not respond to you - then know that the Qur'an was revealed with the knowledge of Allah and that there is no deity except Him. Then, would you [not] be Muslims?



مَنْ کَانَ یُرِیْدُ الْحَیٰوۃَ الدُّنْیَا وَ زِیْنَتَهَا نُوَفِّ اِلَیْهِمْ اَعْمَالَهُمْ فِیْهَا وَ هُمْ فِیْهَا لَا یُبْخَسُوْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
মান কা-না ইউরীদুলহায়া-তাদদুনইয়া-ওয়াযীনাতাহা-নুওয়াফফি ইলাইহিম আ‘মা-লাহুম ফীহা-ওয়াহুম ফীহা-লা-ইউবখাছূন।
আল বায়ান:
যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবন ও তার জৌলুস কামনা করে, আমি সেখানে তাদেরকে তাদের আমলের ফল পুরোপুরি দিয়ে দেই এবং সেখানে তাদেরকে কম দেয়া হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা এ দুনিয়ার জীবন আর তার শোভা সৌন্দর্য কামনা করে, তাদেরকে এখানে তাদের কর্মের পুরোপুরি ফল আমি দিয়ে দেই, আর তাতে তাদের প্রতি কোন কমতি করা হয় না।
Sahih International:
Whoever desires the life of this world and its adornments - We fully repay them for their deeds therein, and they therein will not be deprived.



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ لَیْسَ لَهُمْ فِی الْاٰخِرَۃِ اِلَّا النَّارُ ۫ۖ وَ حَبِطَ مَا صَنَعُوْا فِیْهَا وَ بٰطِلٌ مَّا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা লাইছা লাহুম ফিল আ-খিরাতি ইল্লান্না-রু ওয়া হাবিতা মা-সানা‘ঊ ফীহা-ওয়া বা-তিলুম মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
এরাই তারা, আখিরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই এবং তারা সেখানে যা করে তা বরবাদ হয়ে যাবে আর তারা যা করত, তা সম্পূর্ণ বাতিল।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু আখেরাতে তাদের জন্য আগুন ছাড়া কিছুই নাই, এখানে যা কিছু তারা করেছে তা নিষ্ফল হয়ে গেছে, আর তাদের যাবতীয় কাজকর্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে।
Sahih International:
Those are the ones for whom there is not in the Hereafter but the Fire. And lost is what they did therein, and worthless is what they used to do.



اَفَمَنْ کَانَ عَلٰی بَیِّنَۃٍ مِّنْ رَّبِّهٖ وَ یَتْلُوْهُ شَاهِدٌ مِّنْهُ وَ مِنْ قَبْلِهٖ کِتٰبُ مُوْسٰۤی اِمَامًا وَّ رَحْمَۃً ؕ اُولٰٓئِکَ یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ ؕ وَ مَنْ یَّکْفُرْ بِهٖ مِنَ الْاَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهٗ ۚ فَلَا تَکُ فِیْ مِرْیَۃٍ مِّنْهُ ٭ اِنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّکَ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
আফামান কা-না ‘আলা-বাইয়িনাতিম মির রাব্বিহী ওয়া ইয়াতলূহু শা-হিদুম মিনহু ওয়ামিন কাবলিহী কিতা-বুমূছা-ইমা-মাওঁ ওয়া রাহমাতান উলাইকা ইউ’মিনূনা বিহী ওয়া মাইঁ ইয়াকফুর বিহী মিনাল আহযা-বি ফান্না-রু মাও‘ইদুহূ ফালা-তাকুফী মিরইয়াতিম মিনহু ইন্নাহুল হাক্কুমির রাব্বিকা ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লাইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
যারা তার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং অনুসরণ করে তাঁর পক্ষ থেকে একজন সাক্ষী* এবং যার পূর্বে রয়েছে মূসার কিতাব পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ,(তারা কি ঐ লোকদের মত, যারা দুনিয়া ও তার জৌলুস কামনায় বিভোর?) এরাই তার প্রতি ঈমান পোষণ করে। আর যে সকল দল তা অস্বীকার করে, আগুনই হবে তাদের প্রতিশ্রুত স্থান। সুতরাং তুমি এতে মোটেও সন্দেহের মধ্যে থেকো না, নিশ্চয় তা তোমার রবের পক্ষ থেকে প্রেরিত সত্য। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে যে লোক তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর আছে এবং তাঁর পক্ষ হতে এক সাক্ষী ওটা পড়ে শোনাচ্ছে (সে কি অবিশ্বাসীদের সমান হতে পারে?) আর তার পূর্বে পথ প্রদর্শক ও রহমত স্বরূপ এসেছিল মূসার কিতাব। ওরাই তাতে (অর্থাৎ কুরআনে) বিশ্বাসী। যারাই এটাকে অস্বীকার করবে, জাহান্নামই হল তাদের প্রতিশ্রুত স্থান। কাজেই এ সম্পর্কে তুমি কোন প্রকার সন্দেহে নিপতিত হয়ো না। এটা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আগত প্রকৃত সত্য, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না।
Sahih International:
So is one who [stands] upon a clear evidence from his Lord [like the aforementioned]? And a witness from Him follows it, and before it was the Scripture of Moses to lead and as mercy. Those [believers in the former revelations] believe in the Qur'an. But whoever disbelieves in it from the [various] factions - the Fire is his promised destination. So be not in doubt about it. Indeed, it is the truth from your Lord, but most of the people do not believe.



وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ؕ اُولٰٓئِکَ یُعْرَضُوْنَ عَلٰی رَبِّهِمْ وَ یَقُوْلُ الْاَشْهَادُ هٰۤؤُلَآءِ الَّذِیْنَ کَذَبُوْا عَلٰی رَبِّهِمْ ۚ اَلَا لَعْنَۃُ اللّٰهِ عَلَی الظّٰلِمِیْنَ ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান আজলামূমিম্মানিফতারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান উলাইকা ইউ‘রাদূনা ‘আলারাব্বিহিম ওয়া ইয়াকূলুল আশহা-দুহাউলাইল্লাযীনা কাযাবূ‘আলা-রাব্বিহিম আলা-লা‘নাতুল্লা-হি ‘আলাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
যারা আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রটনা করে, তাদের চেয়ে অধিক যালিম কে? তাদেরকে তাদের রবের সামনে উপস্থিত করা হবে এবং সাক্ষীগণ বলবে, ‘এরাই তাদের রবের ব্যাপারে মিথ্যারোপ করেছিল’। সাবধান, যালিমদের উপর আল্লাহর লা‘নত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে তাদের থেকে বড় যালিম আর কে হতে পারে? তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত করা হবে আর সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিবে যে, এই লোকরাই তাদের রব্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছিল। শুনে রেখ! আল্লাহর অভিশাপ সেই যালিমদের উপর।
Sahih International:
And who is more unjust than he who invents a lie about Allah? Those will be presented before their Lord, and the witnesses will say, "These are the ones who lied against their Lord." Unquestionably, the curse of Allah is upon the wrongdoers.



الَّذِیْنَ یَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ یَبْغُوْنَهَا عِوَجًا ؕ وَ هُمْ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ کٰفِرُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইয়াসুদ্দূনা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়া ইয়াবগূনাহা-‘ইওয়াজাওঁ ওয়াহুম বিলআখিরাতি হুম কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
যারা আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বাধা দেয় এবং তাকে বক্র করতে চায়। আর এরাই তো আখিরাত অস্বীকারকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহর পথ হতে লোকেদেরকে ফিরিয়ে রাখে আর তাকে বক্র করতে চায়, আর তারা আখিরাতকে অস্বীকার করে।
Sahih International:
Who averted [people] from the way of Allah and sought to make it [seem] deviant while they, concerning the Hereafter, were disbelievers.



اُولٰٓئِکَ لَمْ یَکُوْنُوْا مُعْجِزِیْنَ فِی الْاَرْضِ وَ مَا کَانَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ اَوْلِیَآءَ ۘ یُضٰعَفُ لَهُمُ الْعَذَابُ ؕ مَا کَانُوْا یَسْتَطِیْعُوْنَ السَّمْعَ وَ مَا کَانُوْا یُبْصِرُوْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা লাম ইয়াকূনূ মু‘জিযীনা ফিল আরদিওয়ামা-কা-না লাহুম মিন দূ নিল্লা-হি মিন আওলিয়াআ । ইউদা-‘আফুলাহুমুল ‘আযা-বু মা-কা-নূইয়াছতাতী‘ঊনাছছাম‘আ ওয়ামা-কা-নূইউবসিরূন।
আল বায়ান:
তারা যমীনে (আল্লাহকে) অক্ষম করতে পারত না এবং আল্লাহ ছাড়া তাদের কোন সাহায্যকারী ছিল না, তাদের জন্য আযাব দ্বিগুণ করা হবে। তারা শুনতে সক্ষম ছিল না এবং দেখতেও পেত না।
তাইসিরুল কুরআন:
দুনিয়াতে তারা আল্লাহকে অক্ষম করে দিতে পারত না, আর আল্লাহ ছাড়া তাদের কোন সাহায্যকারীও ছিল না, তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে। তারা না শুনতে পারত, আর না দেখতে পারত।
Sahih International:
Those were not causing failure [to Allah] on earth, nor did they have besides Allah any protectors. For them the punishment will be multiplied. They were not able to hear, nor did they see.



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ خَسِرُوْۤا اَنْفُسَهُمْ وَ ضَلَّ عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَفْتَرُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা খাছিরূ আনফুছাহুম ওয়াদাল্লা ‘আনহুম মা-কা-নূইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
এরা তো নিজদেরই ক্ষতি করেছে, আর তারা যা রটিয়ে বেড়াত, তাদের থেকে তা হারিয়ে গেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা সেই লোক যারা নিজেদেরকে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, আর তারা যা কিছু রচনা করেছিল তা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে।
Sahih International:
Those are the ones who will have lost themselves, and lost from them is what they used to invent.



لَا جَرَمَ اَنَّهُمْ فِی الْاٰخِرَۃِ هُمُ الْاَخْسَرُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
লা-জারামা আন্নাহুম ফিল আ-খিরাতি হুমুল আখছারূন।
আল বায়ান:
নিঃসন্দেহে তারাই আখিরাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে কোন সন্দেহ নেই যে আখেরাতে এরাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।
Sahih International:
Assuredly, it is they in the Hereafter who will be the greatest losers.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ اَخْبَتُوْۤا اِلٰی رَبِّهِمْ ۙ اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ الْجَنَّۃِ ۚ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া আখবাতুইলা-রাব্বিহিম উলাইকা আসহা-বুল জান্নাতি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে এবং বিনীত হয়েছে তাদের রবের প্রতি, তারাই জান্নাতবাসী, তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে আর তাদের রবেবর কাছে বিনীত, তারাই জান্নাতের অধিবাসী, তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
Sahih International:
Indeed, they who have believed and done righteous deeds and humbled themselves to their Lord - those are the companions of Paradise; they will abide eternally therein.



مَثَلُ الْفَرِیْقَیْنِ کَالْاَعْمٰی وَ الْاَصَمِّ وَ الْبَصِیْرِ وَ السَّمِیْعِ ؕ هَلْ یَسْتَوِیٰنِ مَثَلًا ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
মাছালুল ফারীকাইনি কালআ‘মা-ওয়াল আসাম্মি ওয়াল বাসীরি ওয়াছছামী‘ই হাল ইয়াছতাবিইয়া-নি মাছালান- আফালা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
দল দু’টির উপমা হচ্ছে অন্ধ ও বধির এবং চক্ষুষ্মান ও শ্রবণশক্তিসম্পন্নের মত, তুলনায় উভয় দল কি সমান? এরপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
দু’শ্রেণীর লোকের দৃষ্টান্ত হল যেমন একজন হল অন্ধ ও বধির, অন্যজন চক্ষুষ্মান ও শ্রবণশীল, এ দু’জন কি তুলনায় সমান হতে পারে? এরপরও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না।
Sahih International:
The example of the two parties is like the blind and deaf, and the seeing and hearing. Are they equal in comparison? Then, will you not remember?



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰی قَوْمِهٖۤ ۫ اِنِّیْ لَکُمْ نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-নূহান ইলা-কাওমিহী ইন্নী লাকুম নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি নূহকে প্রেরণ করেছিলাম তার কওমের কাছে (এই বার্তা দিয়ে) যে, ‘আমি তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নূহকে তার কাওমের কাছে পাঠিয়েছিলাম। (সে বলেছিল) আমি তোমাদের জন্য একজন স্পষ্ট সতর্ককারী,
Sahih International:
And We had certainly sent Noah to his people, [saying], "Indeed, I am to you a clear warner



اَنْ لَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّا اللّٰهَ ؕ اِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْکُمْ عَذَابَ یَوْمٍ اَلِیْمٍ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-তা‘বুদূইল্লাল্লা-হা ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ‘আযা-বা ইয়াওমিন আলীম।
আল বায়ান:
‘যেন তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত না কর। নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের ভয় করছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না, অন্যথায় আমি আশঙ্কা করছি যে, তোমাদের উপর একদিন বেদনাদায়ক ‘আযাব আসবে।
Sahih International:
That you not worship except Allah. Indeed, I fear for you the punishment of a painful day."



فَقَالَ الْمَلَاُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْ قَوْمِهٖ مَا نَرٰىکَ اِلَّا بَشَرًا مِّثْلَنَا وَ مَا نَرٰىکَ اتَّبَعَکَ اِلَّا الَّذِیْنَ هُمْ اَرَاذِلُنَا بَادِیَ الرَّاْیِ ۚ وَ مَا نَرٰی لَکُمْ عَلَیْنَا مِنْ فَضْلٍۭ بَلْ نَظُنُّکُمْ کٰذِبِیْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ফাকালাল মালাউল্লাযীনা কাফারূ মিন কাওমিহী মা-নারা-কা ইল্লা-বাশারাম মিছলানাওয়ামা-নারা-কাততাবা‘আকা ইল্লাল্লাযীনা হুম আরা-যিলুনা-বা-দিয়াররা’ই ওয়ামানারা-লাকুম ‘আলাইনা-মিন ফাদলিম বাল নাজুন্নুকুম কা-যিবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তার কওমের নেতৃস্থানীয়রা, যারা কুফরী করেছিল, তারা বলল, ‘আমরা তো তোমাকে আমাদের মত একজন মানুষ ছাড়া আর কিছু দেখছি না এবং আমরা দেখছি যে, কেবল আমাদের নীচু শ্রেণীর লোকেরাই বিবেচনাহীনভাবে তোমার অনুসরণ করেছে। আর আমাদের উপর তোমাদের কোন শ্রেষ্ঠত্ব আমরা দেখছি না; বরং আমরা তোমাদেরকে মিথ্যাবাদী মনে করছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
জওয়াবে তার জাতির প্রধানগণ- যারা অবিশ্বাসী ছিল তারা বলল, ‘আমরা তোমাকে আমাদের মত মানুষ ছাড়া অন্য কিছু দেখছি না, আর প্রকাশ্যতঃ আমাদের হীন অধম লোকগুলো ছাড়া তোমার পথ অবলম্বন করতে দেখছি না, আমাদের উপর তোমার কোন প্রাধান্যও দেখছি না, বরং আমরা তোমাদেরক মিথ্যুক বলেই মনে করি।’
Sahih International:
So the eminent among those who disbelieved from his people said, "We do not see you but as a man like ourselves, and we do not see you followed except by those who are the lowest of us [and] at first suggestion. And we do not see in you over us any merit; rather, we think you are liars."



قَالَ یٰقَوْمِ اَرَءَیْتُمْ اِنْ کُنْتُ عَلٰی بَیِّنَۃٍ مِّنْ رَّبِّیْ وَ اٰتٰىنِیْ رَحْمَۃً مِّنْ عِنْدِهٖ فَعُمِّیَتْ عَلَیْکُمْ ؕ اَنُلْزِمُکُمُوْهَا وَ اَنْتُمْ لَهَا کٰرِهُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়া-কাওমি আরাআইতুম ইন কুনতু‘আলা-বাইয়িনাতিম মির রাববী ওয়া আ-তা-নী রাহমাতাম মিন ‘ইনদিহী ফা‘উম্মিয়াত ‘আলাইকুম আনুলযিমুকুমূহা-ওয়া আনতুম লাহাকা-রিহূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা কি মনে কর, যদি আমি আমার রবের পক্ষ থেকে প্রেরিত প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত হই এবং তিনি আমাকে তাঁর পক্ষ থেকে রহমত দিয়ে থাকেন, আর তা তোমাদের কাছে গোপন রাখা হয়, তবে কি আমি তোমাদের উপর তোমাদের অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও তা চাপিয়ে দেব’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখ, আমি যদি আমার প্রতিপালকের নিকট হতে প্রাপ্ত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকি আর তিনি তাঁর পক্ষ থেকে আমাকে অনুগ্রহ প্রদান করে থাকেন যা তোমাদের দৃষ্টি থেকে গোপনে রাখা হয়েছে, এমতাবস্থায় তা গ্রহণ করার ব্যাপারে আমি কি তোমাদেরকে বাধ্য করতে পারি যখন তোমরা তা অপছন্দ কর?
Sahih International:
He said, "O my people have you considered: if I should be upon clear evidence from my Lord while He has given me mercy from Himself but it has been made unapparent to you, should we force it upon you while you are averse to it?



وَ یٰقَوْمِ لَاۤ اَسْئَلُکُمْ عَلَیْهِ مَالًا ؕ اِنْ اَجْرِیَ اِلَّا عَلَی اللّٰهِ وَ مَاۤ اَنَا بِطَارِدِ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا ؕ اِنَّهُمْ مُّلٰقُوْا رَبِّهِمْ وَ لٰکِنِّیْۤ اَرٰىکُمْ قَوْمًا تَجْهَلُوْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া-কাওমি লাআছআলুকুম ‘আলাইহি মা-লান ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলাল্লা-হি ওয়ামাআনা-বিতা-রিদিল্লাযীনা আ-মানূ ইন্নাহুম মুলা-কূরাব্বিহিম ওয়ালাকিন্নীআরা-কুম কাওমান তাজহালূন।
আল বায়ান:
‘আর হে আমার কওম, এর বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোন সম্পদ চাই না। আমার প্রতিদান শুধু আল্লাহর কাছে। যারা ঈমান এনেছে, আমি তাদের তাড়িয়ে দিতে পারি না। নিশ্চয় তারা তাদের রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে। কিন্তু আমি তো দেখছি তোমরা এক অজ্ঞ জাতি’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার জাতির লোকেরা! আমি এ কাজে তোমাদের কাছে কোন ধন-সম্পদ চাই না, আমার পারিশ্রমিক আছে কেবল আল্লাহর কাছে। আর মু’মিনদের তাড়িয়ে দেয়া আমার জন্য শোভনীয় নয়, তারা তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎ অবশ্যই লাভ করবে, কিন্তু আমি দেখছি তোমরা এমন এক জাতি যারা মূর্খের আচরণ করছ।
Sahih International:
And O my people, I ask not of you for it any wealth. My reward is not but from Allah. And I am not one to drive away those who have believed. Indeed, they will meet their Lord, but I see that you are a people behaving ignorantly.



وَ یٰقَوْمِ مَنْ یَّنْصُرُنِیْ مِنَ اللّٰهِ اِنْ طَرَدْتُّهُمْ ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া-কাওমি মাইঁ ইয়ানসুরুনী মিনাল্লা-হি ইন তারাততুহুম আফালা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
‘হে আমার কওম, যদি আমি তাদেরকে তাড়িয়ে দেই, তবে আল্লাহর আযাব থেকে কে আমাকে সাহায্য করবে? এরপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার জাতির লোকেরা! আমি যদি এই লোকদেরকে তাড়িয়ে দেই তাহলে আমাকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে কে বাঁচাবে? তবুও কি তোমরা উপদেশ নিবে না?
Sahih International:
And O my people, who would protect me from Allah if I drove them away? Then will you not be reminded?



وَ لَاۤ اَقُوْلُ لَکُمْ عِنْدِیْ خَزَآئِنُ اللّٰهِ وَ لَاۤ اَعْلَمُ الْغَیْبَ وَ لَاۤ اَقُوْلُ اِنِّیْ مَلَکٌ وَّ لَاۤ اَقُوْلُ لِلَّذِیْنَ تَزْدَرِیْۤ اَعْیُنُکُمْ لَنْ یُّؤْتِیَهُمُ اللّٰهُ خَیْرًا ؕ اَللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا فِیْۤ اَنْفُسِهِمْ ۚۖ اِنِّیْۤ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাআকূলুলাকুম ‘ইনদী খাযাইনুল্লা-হি ওয়ালাআ‘লামুল গাইবা ওয়ালাআকূলু ইন্নী মালাকুওঁ ওয়ালাআকূলুলিল্লাযীনা তাযদারীআ‘ইউনুকুম লাইঁ ইউতিয়াহুমুল্লা-হু খাইরান আল্লা-হু আ‘লামুবিমা-ফীআনফুছিহিম ইন্নীইযাল লামিনাজ্জালিমীন।
আল বায়ান:
‘আর আমি তোমাদের বলছি না যে, ‘আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডারসমূহ আছে’ এবং না আমি গায়েব জানি আর আমি এও বলছি না যে, ‘আমি ফেরেশতা’। তোমাদের চোখে যারা হীন, তাদের সম্পর্কে আমি বলছি না যে, ‘আল্লাহ তাদেরকে কখনো কোন কল্যাণ দান করবেন না’। তাদের অন্তরে যা আছে, সে সম্পর্কে আল্লাহ অধিক অবগত। (যদি এরূপ উক্তি করি) তাহলে নিশ্চয় আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হব’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তো তোমাদেরকে এ কথা বলছি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন-ভান্ডারসমূহ আছে, আর না আমি অদৃশ্যের খবরও জানি। আর আমি এ কথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি এ কথাও বলি না যে, তোমাদের চোখ যে সব লোককে অবজ্ঞা করে, আল্লাহ কক্ষনো তাদের কল্যাণ করবেন না। তাদের অন্তরে কী আছে আল্লাহ্ই তা বেশী জানেন। (এ রকম কথা বললে) আমি তো যালিমদের শামিল হয়ে যাবো।
Sahih International:
And I do not tell you that I have the depositories [containing the provision] of Allah or that I know the unseen, nor do I tell you that I am an angel, nor do I say of those upon whom your eyes look down that Allah will never grant them any good. Allah is most knowing of what is within their souls. Indeed, I would then be among the wrongdoers."



قَالُوْا یٰنُوْحُ قَدْ جٰدَلْتَنَا فَاَکْثَرْتَ جِدَالَنَا فَاْتِنَا بِمَا تَعِدُنَاۤ اِنْ کُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূ ইয়া-নূহু কাদ জা-দালতানা ফাআকছারতা জিদা-লানা- ফা’তিনা- বিমাতা‘ইদুনাইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে নূহ, তুমি আমাদের সাথে বাদানুবাদ করছ এবং আমাদের সাথে অতিমাত্রায় বিবাদ করেছ। অতএব যার প্রতিশ্রুতি তুমি আমাদেরকে দিচ্ছ, তা আমাদের কাছে নিয়ে আস, যদি তুমি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে নূহ! তুমি আমাদের সাথে ঝগড়া করেছ, খুব বেশি বেশি ঝগড়া করেছ, এখন যার ভয় আমাদেরকে দেখাচ্ছ তা আমাদের কাছে নিয়ে এসো, যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
Sahih International:
They said, "O Noah, you have disputed us and been frequent in dispute of us. So bring us what you threaten us, if you should be of the truthful."



قَالَ اِنَّمَا یَاْتِیْکُمْ بِهِ اللّٰهُ اِنْ شَآءَ وَ مَاۤ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِیْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নামা-ইয়া’তীকুম বিহিল্লা-হু ইন শাআ ওয়ামাআনতুম বিমু‘জিযীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আল্লাহই তো তোমাদের কাছে তা হাজির করবেন, যদি তিনি চান। আর তোমরা তাকে অক্ষম করতে পারবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
নূহ বলল, ‘‘আল্লাহই তা তোমাদের কাছে নিয়ে আসবেন যদি তিনি চান, তোমরা ব্যর্থ করতে পারবে না।
Sahih International:
He said, "Allah will only bring it to you if He wills, and you will not cause [Him] failure.



وَ لَا یَنْفَعُکُمْ نُصْحِیْۤ اِنْ اَرَدْتُّ اَنْ اَنْصَحَ لَکُمْ اِنْ کَانَ اللّٰهُ یُرِیْدُ اَنْ یُّغْوِیَکُمْ ؕ هُوَ رَبُّکُمْ ۟ وَ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿ؕ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-ইয়ানফা‘উকুম নুসহীইন আরাততুআন আনসাহা লাকুম ইন কা-নাল্লা-হু ইউরীদু আইঁ ইউগবিয়াকুম হুওয়া রাব্বুকুম ওয়া ইলাইহি তুরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
‘আর আমি তোমাদেরকে উপদেশ দিতে চাইলেও আমার উপদেশ তোমাদের কোন উপকারে আসবে না, যদি আল্লাহ তোমাদের বিভ্রান্ত করতে চান। তিনি তোমাদের রব এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের কোন কল্যাণ করতে চাইলেও আমার কল্যাণ কামনা তোমাদের কোন উপকারে আসবে না যদি আল্লাহ তোমাদেরকে পথহারা করতে চান। তিনিই তোমাদের রবব, আর তাঁর কাছেই তোমরা ফিরে যাবে।’’
Sahih International:
And my advice will not benefit you - although I wished to advise you - If Allah should intend to put you in error. He is your Lord, and to Him you will be returned."



اَمْ یَقُوْلُوْنَ افْتَرٰىهُ ؕ قُلْ اِنِ افْتَرَیْتُهٗ فَعَلَیَّ اِجْرَامِیْ وَ اَنَا بَرِیْٓءٌ مِّمَّا تُجْرِمُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
আম ইয়াকূলূনাফ তারা-হু কুল ইনিফ তারাইতুহূফা‘আলাইয়া ইজরা-মী ওয়া আনা বারীউম মিম্মা-তুজরিমূন।
আল বায়ান:
নাকি তারা বলে, ‘সে এটা রচনা করেছে’। বল, ‘যদি আমি তা রচনা করে থাকি, তবে আমার অপরাধ আমার উপরই বর্তাবে এবং তোমরা যে অপরাধ করছ, আমি তা থেকে মুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি বলে যে, এ লোকই এ সব রচনা করেছে? বল, আমি যদি তা রচনা করে থাকি, তাহলে আমার অপরাধের দায়িত্ব আমার উপর। তোমরা যে অপরাধ করেছ তাত্থেকে আমি মুক্ত।
Sahih International:
Or do they say [about Prophet Muhammad], "He invented it"? Say, "If I have invented it, then upon me is [the consequence of] my crime; but I am innocent of what [crimes] you commit."



وَ اُوْحِیَ اِلٰی نُوْحٍ اَنَّهٗ لَنْ یُّؤْمِنَ مِنْ قَوْمِکَ اِلَّا مَنْ قَدْ اٰمَنَ فَلَا تَبْتَئِسْ بِمَا کَانُوْا یَفْعَلُوْنَ ﴿ۚۖ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ঊহিয়া ইলা-নূহিনআন্নাহূলাইঁ ইউ’মিনা মিন কাওমিকা ইল্লা-মান কাদ আ-মানা ফালাতাবতাইছ বিমা-কা-নূইয়াফ‘আলূন।
আল বায়ান:
আর নূহের কাছে ওহী পাঠানো হল যে, ‘যারা ঈমান এনেছে, তারা ছাড়া তোমার কওমের আর কেউ ঈমান আনবে না। সুতরাং তারা যা করে সে জন্য তুমি দুঃখিত হয়ো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
নূহের কাছে ওয়াহী পাঠানো হয়েছিল যে, যারা ঈমান এনেছে তারা ছাড়া তোমার সম্প্রদায়ের আর কোন লোক কক্ষনো ঈমান আনবে না, কাজেই তারা যা করছে তার জন্য তুমি হা-হুতাশ করো না।
Sahih International:
And it was revealed to Noah that, "No one will believe from your people except those who have already believed, so do not be distressed by what they have been doing.



وَ اصْنَعِ الْفُلْکَ بِاَعْیُنِنَا وَ وَحْیِنَا وَ لَا تُخَاطِبْنِیْ فِی الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ۚ اِنَّهُمْ مُّغْرَقُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসনা‘ইল ফূলকা বিআ‘ইউনিনা-ওয়া ওয়াহয়িনা-ওয়ালা-তুখা-তিবনী ফিল্লাযীনা জালামূ ইন্নাহুম মুগরাকূন।
আল বায়ান:
‘আর তুমি আমার চোখের সামনে ও আমার ওহী অনুসারে নৌকা তৈরী কর। আর যারা যুলম করেছে, তাদের ব্যাপারে তুমি আমার কাছে কোন আবেদন করো না। নিশ্চয় তাদেরকে ডুবানো হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব আমার পর্যবেক্ষণের অধীনে আর আমার ওয়াহী অনুসারে তুমি নৌকা তৈরি কর, আর যারা বাড়াবাড়ি করেছে তাদের ব্যাপারে আমার কাছে কোন আবেদন করো না, তারা অবশ্যই ডুববে।
Sahih International:
And construct the ship under Our observation and Our inspiration and do not address Me concerning those who have wronged; indeed, they are [to be] drowned."



وَ یَصْنَعُ الْفُلْکَ ۟ وَ کُلَّمَا مَرَّ عَلَیْهِ مَلَاٌ مِّنْ قَوْمِهٖ سَخِرُوْا مِنْهُ ؕ قَالَ اِنْ تَسْخَرُوْا مِنَّا فَاِنَّا نَسْخَرُ مِنْکُمْ کَمَا تَسْخَرُوْنَ ﴿ؕ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াসনা‘উল ফুলকা ওয়া কুল্লামা-মাররা ‘আলাইহি মালাউম মিন কাওমিহী ছাখিরূ মিনহু কা-লা ইন তাছখারূ মিন্না-ফাইন্না-নাছখারু মিনকুম কামা-তাছখারূন।
আল বায়ান:
আর সে নৌকা তৈরী করতে লাগল এবং যখনই তার কওমের নেতৃস্থানীয় কোন ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে যেত, তাকে নিয়ে উপহাস করত। সে বলল, ‘যদি তোমরা আমাদের নিয়ে উপহাস কর, তবে আমরাও তোমাদের নিয়ে উপহাস করব, যেমন তোমরা উপহাস করছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
নূহ নৌকা তৈরি করছিল, আর যখনই তার জাতির প্রধান ব্যক্তিরা তার নিকট দিয়ে যাচ্ছিল, তারা তাকে ঠাট্টা করছিল। সে বলল, ‘তোমরা যদি আমাদেরকে ঠাট্টা কর, তাহলে আমরাও তোমাদেরকে (ভবিষ্যতে) ঠাট্টা করব যেমনভাবে তোমরা (এখন) ঠাট্টা করছ,
Sahih International:
And he constructed the ship, and whenever an assembly of the eminent of his people passed by him, they ridiculed him. He said, "If you ridicule us, then we will ridicule you just as you ridicule.



فَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ۙ مَنْ یَّاْتِیْهِ عَذَابٌ یُّخْزِیْهِ وَ یَحِلُّ عَلَیْهِ عَذَابٌ مُّقِیْمٌ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাছাওফা তা‘লামূনা মাইঁ ইয়া’তীহি ‘আযা-বুইঁ ইউখযীহি ওয়া ইয়াহিল্লু‘আলাইহি ‘আযা-বুম মুকীম।
আল বায়ান:
অতএব, শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে, কার উপর সে আযাব আসবে যা তাকে লাঞ্ছিত করবে এবং কার উপর আপতিত হবে স্থায়ী আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা (শীঘ্রই) জানতে পারবে কার উপর লাঞ্ছনাকর ‘আযাব আসে আর কার উপর আসে স্থায়ী ‘আযাব।
Sahih International:
And you are going to know who will get a punishment that will disgrace him [on earth] and upon whom will descend an enduring punishment [in the Hereafter]."



حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَمْرُنَا وَ فَارَ التَّنُّوْرُ ۙ قُلْنَا احْمِلْ فِیْهَا مِنْ کُلٍّ زَوْجَیْنِ اثْنَیْنِ وَ اَهْلَکَ اِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَیْهِ الْقَوْلُ وَ مَنْ اٰمَنَ ؕ وَ مَاۤ اٰمَنَ مَعَهٗۤ اِلَّا قَلِیْلٌ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
হাত্তা-ইযা-জাআ আমরুনা-ওয়া ফা-রাত্তাননূরু কুলনাহমিল ফীহা-মিন কুল্লিন যাওজাইনিছ নাইনি ওয়া আহলাকা ইল্লা-মান ছাবাকা ‘আলাইহিল কাওলুওয়ামান আ-মানা ওয়ামাআ-মানা মা‘আহূইল্লা-কালীল।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন আমার আদেশ আসল এবং চুলা উথলে উঠল*, আমি বললাম, ‘তুমি তাতে তুলে নাও প্রত্যেক শ্রেণী থেকে জোড়া জোড়া** এবং যাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে তাদের ছাড়া তোমার পরিবারকে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে। আর তার সাথে অল্পসংখ্যকই ঈমান এনেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
শেষে যখন আমার নির্দেশ এসে গেল, আর তন্দুর (পানিতে) উথলে উঠল, আমি বললাম, ‘প্রত্যেক শ্রেণীর যুগলের দু’টি তাতে তুলে নাও আর তোমার পরিবার পরিজনকে, তাদের ছাড়া যাদের ব্যাপারে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকেও (তুলে নাও)। তার সঙ্গে ঈমান এনেছিল খুব অল্প কয়েকজনই।
Sahih International:
[So it was], until when Our command came and the oven overflowed, We said, "Load upon the ship of each [creature] two mates and your family, except those about whom the word has preceded, and [include] whoever has believed." But none had believed with him, except a few.



وَ قَالَ ارْکَبُوْا فِیْهَا بِسْمِ اللّٰهِ مَ‍‍جْؔرٖىهَا وَ مُرْسٰىهَا ؕ اِنَّ رَبِّیْ لَغَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লার কাবূফীহা-বিছমিল্লা-হি মাজরেহা-ওয়া মুরছা-হা- ইন্না রাববী লাগাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর সে বলল, ‘তোমরা এতে আরোহণ কর। এর চলা ও থামা হবে আল্লাহর নামে। নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
নূহ বলল, ‘এতে আরোহণ কর, আল্লাহর নামে এর গতি ও এর স্থিতি, আমার প্রতিপালক অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।’
Sahih International:
And [Noah] said, "Embark therein; in the name of Allah is its course and its anchorage. Indeed, my Lord is Forgiving and Merciful."



وَ هِیَ تَجْرِیْ بِهِمْ فِیْ مَوْجٍ کَالْجِبَالِ ۟ وَ نَادٰی نُوْحُۨ ابْنَهٗ وَ کَانَ فِیْ مَعْزِلٍ یّٰـبُنَیَّ ارْکَبْ مَّعَنَا وَ لَا تَکُنْ مَّعَ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হিয়া তাজরী বিহিম ফী মাওজিন কালজিবা-লি ওয়া না-দা-নূহুনিবনাহূওয়া কা-না ফী মা‘যিলিইঁ ইয়া-বুনাইয়ার কাব মা‘আনা-ওয়ালা তাকুম মা‘আল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
আর তা পাহাড়সম ঢেউয়ের মধ্যে তাদেরকে নিয়ে চলছিল এবং নূহ তার পুত্রকে ডাক দিল, আর সে ছিল আলাদা স্থানে- ‘হে আমার পুত্র, আমাদের সাথে আরোহণ কর এবং কাফিরদের সাথে থেকো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
পর্বত সদৃশ তরঙ্গমালার মধ্য দিয়ে তা তাদেরকে নিয়ে বয়ে চলল। তখন নূহ তার পুত্রকে- যে তাদের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল- ডাক দিয়ে বলল, ‘হে আমার পুত্র! আমাদের সঙ্গে আরোহণ কর, কাফিরদের সঙ্গে থেক না।
Sahih International:
And it sailed with them through waves like mountains, and Noah called to his son who was apart [from them], "O my son, come aboard with us and be not with the disbelievers."



قَالَ سَاٰوِیْۤ اِلٰی جَبَلٍ یَّعْصِمُنِیْ مِنَ الْمَآءِ ؕ قَالَ لَا عَاصِمَ الْیَوْمَ مِنْ اَمْرِ اللّٰهِ اِلَّا مَنْ رَّحِمَ ۚ وَ حَالَ بَیْنَهُمَا الْمَوْجُ فَکَانَ مِنَ الْمُغْرَقِیْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ছাআ-বীইলা জাবালিইঁ ইয়া‘সিমুনী মিনাল মাই কা-লা লা-‘আ-সিমাল ইয়াওমা মিন আমরিল্লা-হি ইল্লা-মার রাহিমা ওয়াহা-লা বাইনাহুমাল মাওজুফাকা-না মিনাল মুগরাকীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘অচিরেই আমি একটি পাহাড়ে আশ্রয় নেব, যা আমাকে পানি থেকে রক্ষা করবে’। সে (নূহ) বলল, ‘যার প্রতি আল্লাহ দয়া করেছেন সে ছাড়া আজ আল্লাহর আদেশ থেকে কোন রক্ষাকারী নেই’। এরপর তাদের উভয়ের মধ্যে ঢেউ অন্তরায় হয়ে গেল। অতঃপর সে নিমজ্জিতদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল ।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (অর্থাৎ নূহের পুত্র) বলল, ‘আমি এক্ষুণি পাহাড়ে আশ্রয় নেব যা আমাকে পানি থেকে রক্ষা করবে।’ নূহ বলল, ‘আজ আল্লাহর হুকুম থেকে কোন কিছুই রক্ষা করতে পারবে না, অবশ্য আল্লাহ যার প্রতি দয়া করবেন সে রক্ষা পাবে।’ অতঃপর ঢেউ তাদের দু’জনার মাঝে আড়াল করল আর সে ডুবে যাওয়া লোকেদের মধ্যে শামিল হয়ে গেল।
Sahih International:
[But] he said, "I will take refuge on a mountain to protect me from the water." [Noah] said, "There is no protector today from the decree of Allah, except for whom He gives mercy." And the waves came between them, and he was among the drowned.



وَ قِیْلَ یٰۤاَرْضُ ابْلَعِیْ مَآءَکِ وَ یٰسَمَآءُ اَقْلِعِیْ وَ غِیْضَ الْمَآءُ وَ قُضِیَ الْاَمْرُ وَ اسْتَوَتْ عَلَی الْجُوْدِیِّ وَ قِیْلَ بُعْدًا لِّلْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া-কীলা ইয়াআরদুবলা‘ঈমাআকি ওয়া ইয়া-ছামাউআকলি‘ঈ ওয়া গীদাল মাউওয়াকুদিয়াল আমরু ওয়াছতাওয়াত ‘আলাল জুদিইয়ি ওয়া কীলা বু‘দাল লিলকাওমিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর বলা হল, ‘হে যমীন, তুমি তোমার পানি চুষে নাও, আর হে আসমান, বিরত হও’। অতঃপর পানি কমে গেল এবং (আল্লাহর) সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হল, আর নৌকা জুদী পর্বতের উপর উঠল এবং ঘোষণা করা হল, ‘ধ্বংস যালিম কওমের জন্য’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর বলা হল, ‘হে যমীন! তোমার পানি গিলে ফেল, আর হে আকাশ, থাম।’ অতঃপর পানি যমীনে বসে গেল, কার্য সমাপ্ত হল, নৌকা জুদী পর্বতে এসে ভিড়ল, আর বলা হল- ‘যালিম লোকেরা ধ্বংস হোক!’
Sahih International:
And it was said, "O earth, swallow your water, and O sky, withhold [your rain]." And the water subsided, and the matter was accomplished, and the ship came to rest on the [mountain of] Judiyy. And it was said, "Away with the wrongdoing people."



وَ نَادٰی نُوْحٌ رَّبَّهٗ فَقَالَ رَبِّ اِنَّ ابْنِیْ مِنْ اَهْلِیْ وَ اِنَّ وَعْدَکَ الْحَقُّ وَ اَنْتَ اَحْکَمُ الْحٰکِمِیْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া না-দা-নূহুর রাব্বাহূফাকা-লা রাব্বি ইন্নাবনী মিন আহলী ওয়া ইন্না ওয়া‘দাকাল হাক্কু আনতা আহকামুল হা-কিমীন।
আল বায়ান:
আর নূহ তার রবকে ডাকল এবং বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমার সন্তান আমার পরিবারভুক্ত এবং আপনার ওয়াদা নিশ্চয় সত্য। আর আপনি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক’।
তাইসিরুল কুরআন:
নূহ তার প্রতিপালককে আহবান জানাল। সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার পুত্র তো আমার পরিবারভুক্ত, আর তোমার ও‘য়াদা সত্য আর তুমি বিচারকদের সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক।’
Sahih International:
And Noah called to his Lord and said, "My Lord, indeed my son is of my family; and indeed, Your promise is true; and You are the most just of judges!"



قَالَ یٰنُوْحُ اِنَّهٗ لَیْسَ مِنْ اَهْلِکَ ۚ اِنَّهٗ عَمَلٌ غَیْرُ صَالِحٍ ٭۫ۖ فَلَا تَسْـَٔلْنِ مَا لَـیْسَ لَکَ بِهٖ عِلْمٌ ؕ اِنِّیْۤ اَعِظُکَ اَنْ تَکُوْنَ مِنَ الْجٰهِلِیْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়া-নূহুইন্নাহূলাইছা মিন আহলিকা ইন্নাহূ‘আমালুন গাইরু সা-লিহিন ফালা-তাছআলনি মা-লাইছা লাকা বিহী ‘ইলমুন ইন্নী আ‘ইজুকা আন তাকূনা মিনাল জা-হিলীন।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘হে নূহ, সে নিশ্চয় তোমার পরিবারভুক্ত নয়। সে অবশ্যই অসৎ কর্মপরায়ণ। সুতরাং যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, আমার কাছে তা চেয়ো না। আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, যেন মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত না হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন, ‘ওহে নূহ! সে তো তোমার পরিবারের লোক নয়, তার আচার আচরণ অসৎ, কাজেই যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ে আমার কাছে আবেদন করো না, আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, তুমি যেন মূর্খদের মধ্যে শামিল না হও।
Sahih International:
He said, "O Noah, indeed he is not of your family; indeed, he is [one whose] work was other than righteous, so ask Me not for that about which you have no knowledge. Indeed, I advise you, lest you be among the ignorant."



قَالَ رَبِّ اِنِّیْۤ اَعُوْذُ بِکَ اَنْ اَسْـَٔلَکَ مَا لَـیْسَ لِیْ بِهٖ عِلْمٌ ؕ وَ اِلَّا تَغْفِرْ لِیْ وَ تَرْحَمْنِیْۤ اَکُنْ مِّنَ الْخٰسِرِیْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি ইন্নীআঊযুবিকা আন আছআলাকা মা-লাইছা লী বিহী ‘ইলমুওঁ ওয়া ইল্লাতাগফিরলী ওয়া তারহামনী আকুম মিনাল খা-ছিরীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই তা চাওয়া থেকে আমি অবশ্যই আপনার আশ্রয় চাই। আর যদি আপনি আমাকে মাফ না করেন এবং আমার প্রতি দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। যদি তুমি আমাকে ক্ষমা না কর আর আমার প্রতি দয়া না কর তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’
Sahih International:
[Noah] said, "My Lord, I seek refuge in You from asking that of which I have no knowledge. And unless You forgive me and have mercy upon me, I will be among the losers."



قِیْلَ یٰنُوْحُ اهْبِطْ بِسَلٰمٍ مِّنَّا وَ بَرَکٰتٍ عَلَیْکَ وَ عَلٰۤی اُمَمٍ مِّمَّنْ مَّعَکَ ؕ وَ اُمَمٌ سَنُمَتِّعُهُمْ ثُمَّ یَمَسُّهُمْ مِّنَّا عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
কীলা ইয়া-নূহুহবিতবিছালা-মিম মিন্না-ওয়া বারাকা-তিন ‘আলাইকা ওয়া ‘আলাউমামিম মিম্মাম মা‘আকা ওয়া উমামুন ছানুমাত্তি‘উহুম ছু ম্মা ইয়ামাছছুহুম মিন্না‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
বলা হল, ‘হে নূহ, তোমার ও তোমার সাথে যে উম্মত রয়েছে তাদের উপর আমার পক্ষ থেকে শান্তি ও বরকতসহ অবতরণ কর। আর আরো অনেক উম্মতকে আমি জীবন উপভোগ করতে দেব, তারপর আমার পক্ষ থেকে তাদেরকে স্পর্শ করবে যন্ত্রণাদায়ক আযাব’।
তাইসিরুল কুরআন:
বলা হল, ‘হে নূহ! তুমি নেমে পড়, আমার পক্ষ হতে শান্তি ও বরকত তোমার প্রতি আর তোমার সঙ্গীদের মধ্যে অনেক দলের প্রতি, আর এ ছাড়া অন্য লোকেদের আমি জীবন উপভোগ করতে দেব, (কিন্তু) পরে আমার নিকট হতে মর্মান্তিক ‘আযাব তাদেরকে স্পর্শ করবে।’
Sahih International:
It was said, "O Noah, disembark in security from Us and blessings upon you and upon nations [descending] from those with you. But other nations [of them] We will grant enjoyment; then there will touch them from Us a painful punishment."



تِلْکَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الْغَیْبِ نُوْحِیْهَاۤ اِلَیْکَ ۚ مَا کُنْتَ تَعْلَمُهَاۤ اَنْتَ وَ لَا قَوْمُکَ مِنْ قَبْلِ هٰذَا ؕۛ فَاصْبِرْ ؕۛ اِنَّ الْعَاقِبَۃَ لِلْمُتَّقِیْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
তিলকা মিন আমবাইল গাইবি নূহীহাইলাইকা মা-কুনতা তা‘লামুহা-আনতা ওয়ালাকাওমুকা মিন কাবলি হা-যা- ফাসবির ইন্নাল ‘আ-কিবাতা লিলমুত্তাকীন।
আল বায়ান:
এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি। ইতঃপূর্বে তা না তুমি জানতে এবং না তোমার কওম। সুতরাং তুমি সবর কর। নিশ্চয় শুভ পরিণাম কেবল মুত্তাকীদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
এ সব হল অদৃশ্যের খবর যা তোমাকে ওয়াহী দ্বারা জানিয়ে দিচ্ছি, যা এর পূর্বে না তুমি জানতে, না তোমার জাতির লোকেরা জানত। কাজেই ধৈর্য ধর, শুভ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্যই নির্দিষ্ট।
Sahih International:
That is from the news of the unseen which We reveal to you, [O Muhammad]. You knew it not, neither you nor your people, before this. So be patient; indeed, the [best] outcome is for the righteous.



وَ اِلٰی عَادٍ اَخَاهُمْ هُوْدًا ؕ قَالَ یٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَیْرُهٗ ؕ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا مُفْتَرُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইলা- ‘আ-দিন আখা-হুম হূদান কা-লা ইয়া-কাওমি‘বুদুল্লা-হা মা-লাকুম মিন ইলা-হিন গাইরুুহূ ইন আনতুম ইল্লা-মুফতারূন।
আল বায়ান:
আর আদ জাতির কাছে (প্রেরণ করেছিলাম) তাদের ভাই হূদকে। সে বলেছিল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তোমরা তো কেবল মিথ্যা রটনাকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ‘আদ জাতির নিকট তাদের ভাই হূদকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই। তোমরা তো শুধু মিথ্যে বানিয়ে নিয়েছ।
Sahih International:
And to 'Aad [We sent] their brother Hud. He said, "O my people, worship Allah; you have no deity other than Him. You are not but inventors [of falsehood].



یٰقَوْمِ لَاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ اَجْرًا ؕ اِنْ اَجْرِیَ اِلَّا عَلَی الَّذِیْ فَطَرَنِیْ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-কাওমি লাআছআলুকুম ‘আলাইহি আজরান ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলাল্লাযী ফাতারানী আফালা- তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
‘হে আমার কওম, আমি তোমাদের কাছে এর বিনিময়ে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো কেবল তাঁরই কাছে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার সম্প্রদায়! এর বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না। আমার পারিশ্রমিক তো তাঁর জিম্মায় যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তবুও কি তোমরা জ্ঞান-বুদ্ধি খাটাবে না?
Sahih International:
O my people, I do not ask you for it any reward. My reward is only from the one who created me. Then will you not reason?



وَ یٰقَوْمِ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّکُمْ ثُمَّ تُوْبُوْۤا اِلَیْهِ یُرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَیْکُمْ مِّدْرَارًا وَّ یَزِدْکُمْ قُوَّۃً اِلٰی قُوَّتِکُمْ وَ لَا تَتَوَلَّوْا مُجْرِمِیْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া-কাওমিছতাগফিরূ রাব্বাকুমছুম্মা তূবূইলাইহি; ইয়ুরছিলিছছামাআ ‘আলাইকুম মিদরারাওঁ ওয়া ইয়াযিদকুমকুওওয়াতান ইলা-কুওওয়াতিকুমওয়ালা-তাতাওয়াল্লাও মুজরিমীন।
আল বায়ান:
‘হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও অতঃপর তার কাছে তাওবা কর, তাহলে তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি পাঠাবেন এবং তোমাদের শক্তির সাথে আরো শক্তি বৃদ্ধি করবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে বিমুখ হয়ো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের রবেবর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর অনুশোচনাভরে তাঁর দিকেই ফিরে যাও, তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের শক্তিকে আরো শক্তি দিয়ে বাড়িয়ে দিবেন, আর অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিও না।
Sahih International:
And O my people, ask forgiveness of your Lord and then repent to Him. He will send [rain from] the sky upon you in showers and increase you in strength [added] to your strength. And do not turn away, [being] criminals."



قَالُوْا یٰهُوْدُ مَا جِئْتَنَا بِبَیِّنَۃٍ وَّ مَا نَحْنُ بِتَارِکِیْۤ اٰلِهَتِنَا عَنْ قَوْلِکَ وَ مَا نَحْنُ لَکَ بِمُؤْمِنِیْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-হূদুমা-জি’তানা-ব্বিাইয়িনাতিওঁ ওয়ামা-নাহনুবিতা-রিকী আ-লিহাতিনা- ‘আন কাওলিকা ওয়ামা-নাহনুলাকা বিমু’মিনীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে হূদ, তুমি আমাদের কাছে কোন স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসনি, আর তোমার কথায় আমরা আমাদের উপাস্যদের ত্যাগ করব না এবং আমরা তোমার প্রতি বিশ্বাসীও নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে হূদ! তুমি আমাদের কাছে কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসনি, আর তোমার কথায় আমরা আমাদের উপাস্যগুলোকে ত্যাগ করতে পারি না, আমরা তোমাতে বিশ্বাসী নই।
Sahih International:
They said, "O Hud, you have not brought us clear evidence, and we are not ones to leave our gods on your say-so. Nor are we believers in you.



اِنْ نَّقُوْلُ اِلَّا اعْتَرٰىکَ بَعْضُ اٰلِهَتِنَا بِسُوْٓءٍ ؕ قَالَ اِنِّیْۤ اُشْهِدُ اللّٰهَ وَ اشْهَدُوْۤا اَنِّیْ بَرِیْٓءٌ مِّمَّا تُشْرِکُوْنَ ﴿ۙ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ইন নাকূলুইল্লা‘তারা-কা বা‘দুআ-লিহাতিনা-বিছূইন কা-লা ইন্নীউশহিদুল্লা-হা ওয়াশহাদূ আন্নী বারীউম মিম্মা-তুশরিকূন।
আল বায়ান:
‘আমরা তো কেবল বলছি যে, ‘আমাদের কোন কোন উপাস্য তোমাকে অমঙ্গল দ্বারা আক্রান্ত করেছে’। সে বলল, ‘নিশ্চয় আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি আর তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমি অবশ্যই তা থেকে মুক্ত যাকে তোমরা শরীক কর,
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা এ কথাই বলি যে, তোমার উপর আমাদের কোন উপাস্যের অশুভ ছায়া পড়েছে।’ সে বলল, ‘আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি আর তোমরাও সাক্ষী হও যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাকে তাঁর শরীক কর তার সাথে আমি পুরোপুরি সম্পর্কহীন।
Sahih International:
We only say that some of our gods have possessed you with evil." He said, "Indeed, I call Allah to witness, and witness [yourselves] that I am free from whatever you associate with Allah



مِنْ دُوْنِهٖ فَکِیْدُوْنِیْ جَمِیْعًا ثُمَّ لَا تُنْظِرُوْنِ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
মিন দূনিহী ফাকীদূনী জামী‘আন ছুম্মা লা-তুনজিরূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ ছাড়া। সুতরাং তোমরা সকলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর তারপর আমাকে অবকাশ দিও না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁকে (আল্লাহ) ব্যতীত তোমরা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর আর আমাকে একটুও অবকাশ দিও না।
Sahih International:
Other than Him. So plot against me all together; then do not give me respite.



اِنِّیْ تَوَکَّلْتُ عَلَی اللّٰهِ رَبِّیْ وَ رَبِّکُمْ ؕ مَا مِنْ دَآبَّۃٍ اِلَّا هُوَ اٰخِذٌۢ بِنَاصِیَتِهَا ؕ اِنَّ رَبِّیْ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নী তাওয়াক্কালতু‘আলাল্লা-হি রাববী ওয়া রাব্বিকুম মা-মিন দাব্বাতিন ইল্লা-হুওয়া আখিযুম বিনা-সিয়াতিহা- ইন্না-রাববী ‘আলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
‘আমি অবশ্যই তাওয়াক্কুল করেছি আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর উপর, প্রতিটি বিচরণশীল প্রাণীরই তিনি নিয়ন্ত্রণকারী। নিশ্চয় আমার রব সরল পথে আছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নির্ভর করি আল্লাহর উপর যিনি আমার আর তোমাদের রব, এমন কোন জীব নেই যার কতৃত্ব তাঁর হাতে নয়, নিশ্চয়ই আমার রব সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত।
Sahih International:
Indeed, I have relied upon Allah, my Lord and your Lord. There is no creature but that He holds its forelock. Indeed, my Lord is on a path [that is] straight."



فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقَدْ اَبْلَغْتُکُمْ مَّاۤ اُرْسِلْتُ بِهٖۤ اِلَیْکُمْ ؕ وَ یَسْتَخْلِفُ رَبِّیْ قَوْمًا غَیْرَکُمْ ۚ وَ لَا تَضُرُّوْنَهٗ شَیْئًا ؕ اِنَّ رَبِّیْ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ حَفِیْظٌ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকাদ আবলাগতুকুম মাউরছিলতুবিহীইলাইকুম ওয়া ইয়াছতাখলিফু রাববী কাওমান গাইরাকুম ওয়ালা-তাদুররূনাহূশাইআন ইন্না রাববী ‘আলা-কুল্লি শাইইন হাফীজ।
আল বায়ান:
‘অতঃপর তোমরা যদি বিমুখ হও, তবে যা নিয়ে আমি তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছি তা তো তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আর আমার রব তোমাদেরকে ছাড়া অন্য এক জাতিকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। নিশ্চয় আমার রব সব কিছুর হেফাযতকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপরও যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে লও (তবে জেনে রেখ), আমাকে যা দিয়ে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে আমি তো তোমাদের কাছে তা পৌঁছে দিয়েছি, এখন আমার প্রতিপালক তোমাদের স্থলে অন্য সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন আর তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আমার প্রতিপালক সব কিছুর রক্ষণাবেক্ষণকারী।
Sahih International:
But if they turn away, [say], "I have already conveyed that with which I was sent to you. My Lord will give succession to a people other than you, and you will not harm Him at all. Indeed my Lord is, over all things, Guardian."



وَ لَمَّا جَآءَ اَمْرُنَا نَجَّیْنَا هُوْدًا وَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ بِرَحْمَۃٍ مِّنَّا ۚ وَ نَجَّیْنٰهُمْ مِّنْ عَذَابٍ غَلِیْظٍ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-জাআ আমরুনা-নাজ্জাইনা-হুদাওঁ ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমা‘আহূ বিরাহমাতিম মিন্না- ওয়া নাজ্জাইনা-হুম মিন ‘আযা-বিন গালীজ।
আল বায়ান:
আর যখন আমার আদেশ আসল, আমি হূদকে ও যারা তার সাথে ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে রহমত দ্বারা রক্ষা করলাম এবং আমি কঠোর আযাব থেকে তাদেরকে নাজাত দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি হূদকে আর তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমার দয়ায় রক্ষা করলাম, আর তাদেরকে বাঁচিয়ে নিলাম এক কঠিন ‘আযাব হতে।
Sahih International:
And when Our command came, We saved Hud and those who believed with him, by mercy from Us; and We saved them from a harsh punishment.



وَ تِلْکَ عَادٌ ۟ۙ جَحَدُوْا بِاٰیٰتِ رَبِّهِمْ وَ عَصَوْا رُسُلَهٗ وَ اتَّبَعُوْۤا اَمْرَ کُلِّ جَبَّارٍ عَنِیْدٍ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তিলকা ‘আ-দুন জাহাদূবিআ-য়া-তি রাব্বিহিম ওয়া‘আসাও রুছুলাহূ ওয়াত্তাবা‘উআমরা কুল্লি জাব্বা-রিন ‘আনীদ।
আল বায়ান:
এই আদ জাতি, তারা তাদের রবের আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছিল এবং অমান্য করেছিল তাঁর রাসূলদের, আর তারা অনুসরণ করেছিল প্রত্যেক উদ্ধত, হঠকারীর নির্দেশ।
তাইসিরুল কুরআন:
এই হল ‘আদ, তারা তাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিল, আর তাদের রসূলদেরকে অমান্য করেছিল, প্রত্যেক প্রবল পরাক্রান্ত, সত্য-দ্বীনের দুশমনের নির্দেশের তারা অনুসরণ করেছিল।
Sahih International:
And that was 'Aad, who rejected the signs of their Lord and disobeyed His messengers and followed the order of every obstinate tyrant.



وَ اُتْبِعُوْا فِیْ هٰذِهِ الدُّنْیَا لَعْنَۃً وَّ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ عَادًا کَفَرُوْا رَبَّهُمْ ؕ اَلَا بُعْدًا لِّعَادٍ قَوْمِ هُوْدٍ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উতবি‘ঊ ফী হা-যিহিদদুনইয়া-লা‘নাতাওঁ ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি আলাইন্না ‘আ-দান কাফারূ রাব্বাহুম আলা-বু‘দাল লি‘আদিন কাওমি হূদ।
আল বায়ান:
আর এই দুনিয়াতে লা‘নত তাদের পেছনে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কিয়ামত দিবসেও। জেনে রাখ, নিশ্চয় আদ জাতি তাদের রবের সাথে কুফরী করেছে। জেনে রাখ, হূদের কওম আদ জাতির জন্য রয়েছে ধ্বংস।
তাইসিরুল কুরআন:
এ দুনিয়াতে তাদের পিছনে লা‘নত রয়েছে, আর কিয়ামাতের দিনেও। জেনে রেখ, ‘আদ জাতি তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেছিল। জেনে রেখ! ধ্বংস করা হয়েছিল ‘আদকে যারা ছিল হূদের সম্প্রদায়।
Sahih International:
And they were [therefore] followed in this world with a curse and [as well] on the Day of Resurrection. Unquestionably, 'Aad denied their Lord; then away with 'Aad, the people of Hud.



وَ اِلٰی ثَمُوْدَ اَخَاهُمْ صٰلِحًا ۘ قَالَ یٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَیْرُهٗ ؕ هُوَ اَنْشَاَکُمْ مِّنَ الْاَرْضِ وَ اسْتَعْمَرَکُمْ فِیْهَا فَاسْتَغْفِرُوْهُ ثُمَّ تُوْبُوْۤا اِلَیْهِ ؕ اِنَّ رَبِّیْ قَرِیْبٌ مُّجِیْبٌ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইলা-ছামূদা আখা-হুম সা-লিহা- । কা-লা ইয়া-কাওমি‘বুদুল্লা-হা মা-লাকুম মিন ইলা-হিন গাইরুহু হুওয়া আনশাআকুম মিনাল আরদিওয়াছতা‘মারাকুম ফীহাফাছতাগফিরূহু ছুম্মা তূবূইলাইহি ইন্না রাববী কারীবুম মুজীব।
আল বায়ান:
আর সামূদ জাতির প্রতি (পাঠিয়েছিলাম)তাদের ভাই সালিহকে। সে বলল,‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে এবং সেখানে তোমাদের জন্য আবাদের* ব্যবস্থা করেছেন । সুতরাং তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাও, অতঃপর তাঁরই কাছে তাওবা কর। নিশ্চয়ই আমার রব নিকটে, সাড়াদানকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সামূদ জাতির কাছে তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই, তিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে পয়দা করেছেন, আর তাতেই তোমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, কাজেই তাঁর কাছে তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর তাঁর পানেই ফিরে এসো, আমার প্রতিপালক তো অতি নিকটে, আর তিনি আহবানে সাড়াদানকারী।’
Sahih International:
And to Thamud [We sent] their brother Salih. He said, "O my people, worship Allah; you have no deity other than Him. He has produced you from the earth and settled you in it, so ask forgiveness of Him and then repent to Him. Indeed, my Lord is near and responsive."



قَالُوْا یٰصٰلِحُ قَدْ کُنْتَ فِیْنَا مَرْجُوًّا قَبْلَ هٰذَاۤ اَتَنْهٰنَاۤ اَنْ نَّعْبُدَ مَا یَعْبُدُ اٰبَآؤُنَا وَ اِنَّنَا لَفِیْ شَکٍّ مِّمَّا تَدْعُوْنَاۤ اِلَیْهِ مُرِیْبٍ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-সা-লিহু কাদ কুনতা ফীনা-মারজুওওয়া কাবলা হা-যা-আতানহা-না-আন না‘বুদা মা-ইয়া‘বুদুআ-বাউনা-ওয়া ইন্নানা-লাফী শাক্কিম মিম্মা- তাদ‘ঊনা ইলাইহি মুরীব।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে সালিহ, তুমি তো ইতঃপূর্বে আমাদের মধ্যে ছিলে প্রত্যাশিত। তুমি কি আমাদেরকে নিষেধ করছ তাদের ইবাদাত করতে আমাদের পিতৃপুরুষরা যাদের ইবাদাত করত? তুমি আমাদেরকে যার দিকে আহবান করছ, সে ব্যাপারে নিশ্চয় আমরা ঘোর সন্দেহের মধ্যে আছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘‘হে সালিহ! এর পূর্বে তুমি তো আমাদের মাঝে ছিলে আশা-আকাঙ্ক্ষার পাত্র, তুমি কি আমাদেরকে সেই মা‘বূদদের ‘ইবাদাত করতে নিষেধ করছ আমাদের পিতৃ পুরুষরা যার ‘ইবাদাত করত? তুমি আমাদেরকে যে দিকে ডাকছ সে সম্পর্কে আমরা বিভ্রান্তিকর সংশয়ে পড়ে আছি।
Sahih International:
They said, "O Salih, you were among us a man of promise before this. Do you forbid us to worship what our fathers worshipped? And indeed we are, about that to which you invite us, in disquieting doubt."



قَالَ یٰقَوْمِ اَرَءَیْتُمْ اِنْ کُنْتُ عَلٰی بَیِّنَۃٍ مِّنْ رَّبِّیْ وَ اٰتٰىنِیْ مِنْهُ رَحْمَۃً فَمَنْ یَّنْصُرُنِیْ مِنَ اللّٰهِ اِنْ عَصَیْتُهٗ ۟ فَمَا تَزِیْدُوْنَنِیْ غَیْرَ تَخْسِیْرٍ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়া-কাওমি আরাআইতুম ইন কুনতু‘আলা-বাইয়িনাতিম মির রাববী ওয়া আ-তা-নী মিনহু রাহমাতান ফামাইঁ ইয়ানসুরুনী মিনাল্লা-হি ইন ‘আসাইতুহূ ফামা-তাযীদূ নানী গাইরা তাখছীর।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা কী মনে কর, যদি আমি আমার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর থাকি এবং তিনি আমাকে তাঁর পক্ষ থেকে রহমত দান করেন, তাহলে কে আমাকে আল্লাহর (আযাব) থেকে সাহায্য করবে, যদি আমি তাঁর অবাধ্য হই? সুতরাং তোমরা তো কেবল আমার ক্ষতিই বৃদ্ধি করছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
সালিহ বলল, ‘‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কি চিন্তা করে দেখেছ, যদি আমি আমার প্রতপালকের সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর থাকি আর তাঁর পক্ষ থেকে আমাকে অনুগ্রহ করা হয়, এমতাবস্থায় আমি যদি তার অবাধ্য হই তাহলে আল্লাহর (‘আযাব) থেকে আমাকে কে রক্ষা করবে? তোমরা তো কেবল আমার ক্ষতিই বাড়িয়ে দিতে চাও।
Sahih International:
He said, "O my people, have you considered: if I should be upon clear evidence from my Lord and He has given me mercy from Himself, who would protect me from Allah if I disobeyed Him? So you would not increase me except in loss.



وَ یٰقَوْمِ هٰذِهٖ نَاقَۃُ اللّٰهِ لَکُمْ اٰیَۃً فَذَرُوْهَا تَاْکُلْ فِیْۤ اَرْضِ اللّٰهِ وَ لَا تَمَسُّوْهَا بِسُوْٓءٍ فَیَاْخُذَکُمْ عَذَابٌ قَرِیْبٌ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া- কাওমি হা-যিহী না-কাতুল্লা-হি লাকুমআ-য়াতান ফাযারূহা- তা’কুল ফীআরদিল্লা-হি ওয়ালা-তামাছছূহা বিছূইন ফাইয়া’খুযাকুম ‘আযা-বুন কারীব।
আল বায়ান:
‘আর হে আমার কওম, এটি আল্লাহর উট, তোমাদের জন্য নিদর্শনস্বরূপ। তাই তোমরা একে ছেড়ে দাও, সে আল্লাহর যমীনে (বিচরণ করে) খাবে এবং কোনরূপ মন্দভাবে তাকে স্পর্শ করো না, তাহলে তোমাদেরকে আশু আযাব পাকড়াও করবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার জাতির লোকেরা! এটা আল্লাহর উষ্ট্রী, তোমাদের জন্য একটা নিদর্শন। একে আল্লাহর যমীনে চলে ফিরে খেয়ে বেড়াতে দাও, একে কোন প্রকার কষ্ট দিও না, নচেৎ শীঘ্রই তোমাদেরকে ‘আযাব পাকড়াও করবে।’
Sahih International:
And O my people, this is the she-camel of Allah - [she is] to you a sign. So let her feed upon Allah 's earth and do not touch her with harm, or you will be taken by an impending punishment."



فَعَقَرُوْهَا فَقَالَ تَمَتَّعُوْا فِیْ دَارِکُمْ ثَلٰثَۃَ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ وَعْدٌ غَیْرُ مَکْذُوْبٍ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ফা‘আকারূহা-ফাকা-লা তামাত্তা‘ঊ ফী দা-রিকুম ছালা-ছাতা আইইয়া-মিন যালিকা ওয়া‘দুন গাইরু মাকযূব ।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাকে হত্যা করল। তাই সে বলল, ‘তোমরা তিন দিন নিজ নিজ গৃহে আনন্দে কাটাও। এ এমন এক ওয়াদা, যা মিথ্যা হবার নয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা উষ্ট্রীটির পাগুলো কেটে ফেলল। তখন সে তাদেরকে বলল, ‘তোমরা তোমাদের ঘরে তিনটি দিন জীবন উপভোগ করে নাও, এটা এমন এক ও‘য়াদা যা মিথ্যে হতে পারে না।’
Sahih International:
But they hamstrung her, so he said, "Enjoy yourselves in your homes for three days. That is a promise not to be denied."



فَلَمَّا جَآءَ اَمْرُنَا نَجَّیْنَا صٰلِحًا وَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ بِرَحْمَۃٍ مِّنَّا وَ مِنْ خِزْیِ یَوْمِئِذٍ ؕ اِنَّ رَبَّکَ هُوَ الْقَوِیُّ الْعَزِیْزُ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআ আমরুনা-নাজ্জাইনা-সা-লিহাওঁ ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমা‘আহূ বিরাহমাতিম মিন্না-ওয়ামিন খিযয়ি ইয়াওমিইযিন ইন্না-রাব্বাকা হুওয়াল কাবিইয়ুল ‘আযীয।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন আমার আদেশ এল, তখন সালিহ ও তার সাথে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে রহমত দ্বারা নাজাত দিলাম এবং (নাজাত দিলাম) সেই দিনের লাঞ্ছনা থেকে। নিশ্চয় তোমার রব, তিনি শক্তিশালী, পরাক্রমশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমার হুকুম যখন আসল তখন আমি সালিহ আর তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমার দয়ায় বাঁচিয়ে নিলাম আর সে দিনের লাঞ্ছনা হতে রক্ষা করলাম। তোমার প্রতিপালক তিনিই তো শক্তিশালী, প্রতাপশালী।
Sahih International:
So when Our command came, We saved Salih and those who believed with him, by mercy from Us, and [saved them] from the disgrace of that day. Indeed, it is your Lord who is the Powerful, the Exalted in Might.



وَ اَخَذَ الَّذِیْنَ ظَلَمُوا الصَّیْحَۃُ فَاَصْبَحُوْا فِیْ دِیَارِهِمْ جٰثِمِیْنَ ﴿ۙ۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আখাযাল্লাযীনা জালামুসসাইহাতুফাআসবাহূফী দিয়ারিহিম জা-ছিমীন।
আল বায়ান:
আর যারা যুলম করেছিল, বিকট আওয়াজ তাদেরকে পাকড়াও করল, ফলে তারা নিজদের গৃহে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকল।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা যুলম করেছিল এক প্রচন্ড শব্দ তাদেরকে আঘাত হানল, আর তারা নিজ নিজ গৃহে নতজানু হয়ে পড়ে রইল-
Sahih International:
And the shriek seized those who had wronged, and they became within their homes [corpses] fallen prone



کَاَنْ لَّمْ یَغْنَوْا فِیْهَا ؕ اَلَاۤ اِنَّ ثَمُوْدَا۠ کَفَرُوْا رَبَّهُمْ ؕ اَلَا بُعْدًا لِّثَمُوْدَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
কাআল্লাম ইয়াগনাও ফীহা- আলাইন্না ছামূদা কাফারূরাব্বাহুম আলা-বু‘দাল লিছামূদ।
আল বায়ান:
যেন তারা সেগুলোতে বসবাসই করেনি। জেনে রাখ, নিশ্চয় সামূদ জাতি তাদের রবের সাথে কুফরী করেছে। জেনে রাখ, সামূদ জাতির জন্য রয়েছে ধ্বংস।
তাইসিরুল কুরআন:
যেন তারা সেখানে কোন দিনই বাস করেনি। জেনে রেখ, সামুদজাতি তাদের প্রতিপালককে অমান্য করেছিল। জেনে রেখ, সামূদকে (রহমাত থেকে) দূরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
Sahih International:
As if they had never prospered therein. Unquestionably, Thamud denied their Lord; then, away with Thamud.



وَ لَقَدْ جَآءَتْ رُسُلُنَاۤ اِبْرٰهِیْمَ بِالْبُشْرٰی قَالُوْا سَلٰمًا ؕ قَالَ سَلٰمٌ فَمَا لَبِثَ اَنْ جَآءَ بِعِجْلٍ حَنِیْذٍ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ জাআত রুছুলুনা-ইবরা-হীমা বিলবুশরা-কা-লূছালা-মান কা-লা ছালা-মুন ফামা লাবিছা আন জাআ বি‘ইজলিন হানীয।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমার ফেরেশতারা সুসংবাদ নিয়ে ইবরাহীমের কাছে আসল, তারা বলল, ‘সালাম’। সেও বলল, ‘সালাম’। বিলম্ব না করে সে একটি ভুনা গো বাছুর নিয়ে আসল।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ ইবরাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল। তারা এসে বলল ‘‘তোমার প্রতি সালাম! সেও বলল, ‘তোমাদের প্রতিও সালাম!’ অনতিবিলম্বে সে ভুনা করা বাছুর নিয়ে আসলো।
Sahih International:
And certainly did Our messengers come to Abraham with good tidings; they said, "Peace." He said, "Peace," and did not delay in bringing [them] a roasted calf.



فَلَمَّا رَاٰۤ اَیْدِیَهُمْ لَا تَصِلُ اِلَیْهِ نَکِرَهُمْ وَ اَوْجَسَ مِنْهُمْ خِیْفَۃً ؕ قَالُوْا لَا تَخَفْ اِنَّاۤ اُرْسِلْنَاۤ اِلٰی قَوْمِ لُوْطٍ ﴿ؕ۷۰﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-রাআআইদিয়াহুম লা-তাসিলুইলাইহি নাকিরাহুম ওয়া আওজাছা মিনহুম খীফাতান কা-লূলা-তাখাফ ইন্নাউরছিলনাইলা-কাওমি লূত।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে দেখতে পেল, তাদের হাত এর প্রতি পৌঁছছে না, তখন তাদেরকে অস্বাভাবিক মনে করল এবং সে তাদের থেকে ভীতি অনুভব করল। তারা বলল, ‘ভয় করো না, নিশ্চয় আমরা লূতের কওমের কাছে প্রেরিত হয়েছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে দেখল তাদের হাত তার (অর্থাৎ খাবারের) দিকে পৌঁছতেছে না, সে তাদের সম্পর্কে সন্দিগ্ধ হল আর তাদের ব্যাপারে ভীতি অনুভব করল। তারা বলল, ‘ভয় পেয়ো না, আমাদেরকে পাঠানো হয়েছে লূতের সম্প্রদায়ের প্রতি।’
Sahih International:
But when he saw their hands not reaching for it, he distrusted them and felt from them apprehension. They said, "Fear not. We have been sent to the people of Lot."



وَ امْرَاَتُهٗ قَآئِمَۃٌ فَضَحِکَتْ فَبَشَّرْنٰهَا بِاِسْحٰقَ ۙ وَ مِنْ وَّرَآءِ اِسْحٰقَ یَعْقُوْبَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামরা’আতুহূ কাইমাতুনফাদাহিকাত ফাবাশশারনা-হা- বিইছহা-কা ওয়ামিওঁ ওয়ারাই ইছহা-কা ইয়া‘কূব।
আল বায়ান:
আর তার স্ত্রী দাঁড়ানো ছিল, সে হেসে উঠল। অতঃপর আমি তাকে সুসংবাদ দিলাম ইসহাকের ও ইসহাকের পরে ইয়া‘কূবের।
তাইসিরুল কুরআন:
(ইবরাহীমের) স্ত্রী দাঁড়িয়েছিল, সে হেসে ফেলল। তখন আমি তাকে ইসহাকের আর ইসহাকের পর ইয়া‘কূবের সুসংবাদ দিলাম।
Sahih International:
And his Wife was standing, and she smiled. Then We gave her good tidings of Isaac and after Isaac, Jacob.



قَالَتْ یٰوَیْلَتٰۤیءَ اَلِدُ وَ اَنَا عَجُوْزٌ وَّ هٰذَا بَعْلِیْ شَیْخًا ؕ اِنَّ هٰذَا لَشَیْءٌ عَجِیْبٌ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লাত ইয়া-ওয়াইলাতাআআলিদুওয়া আনা-‘আজুযুওঁ ওয়া হা-যা-বা‘লী শাইখান ইন্না হা-যা-লাশাইউন ‘আজীব।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হায়, কী আশ্চর্য! আমি সন্তান প্রসব করব, অথচ আমি বৃদ্ধা, আর এ আমার স্বামী, বৃদ্ধ? এটা তো অবশ্যই এক আশ্চর্যজনক ব্যাপার’!
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হায় আমার কপাল! সন্তান হবে আমার, আমি তো অতি বুড়ি আর আমার এই স্বামীও বৃদ্ধ, এতো এক আশ্চর্য ব্যাপার।’
Sahih International:
She said, "Woe to me! Shall I give birth while I am an old woman and this, my husband, is an old man? Indeed, this is an amazing thing!"



قَالُوْۤا اَتَعْجَبِیْنَ مِنْ اَمْرِ اللّٰهِ رَحْمَتُ اللّٰهِ وَ بَرَکٰتُهٗ عَلَیْکُمْ اَهْلَ الْبَیْتِ ؕ اِنَّهٗ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূআতা‘জাবীনা মিন আমরিল্লা-হি রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহূ‘আলাইকুম আহলাল বাইতি ইন্নাহূহামীদুম মাজীদ।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আল্লাহর সিদ্ধান্তে তুমি আশ্চর্য হচ্ছ? হে নবী পরিবার, তোমাদের উপর আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত। নিশ্চয় তিনি প্রশংসিত সম্মানিত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আল্লাহর কাজে তুমি আশ্চর্য হচ্ছ, ওহে (ইবরাহীমের) পরিবারবর্গ! তোমাদের উপর রয়েছে আল্লাহর দয়া ও বরকতসমূহ, তিনি বড়ই প্রশংসিত, বড়ই মহান।’
Sahih International:
They said, "Are you amazed at the decree of Allah? May the mercy of Allah and His blessings be upon you, people of the house. Indeed, He is Praiseworthy and Honorable."



فَلَمَّا ذَهَبَ عَنْ اِبْرٰهِیْمَ الرَّوْعُ وَ جَآءَتْهُ الْبُشْرٰی یُجَادِلُنَا فِیْ قَوْمِ لُوْطٍ ﴿ؕ۷۴﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা যাহাবা ‘আন ইবরা-হীমার রাও‘উ ওয়া জাআতহুল বুশরা- ইউজা-দিলুনা-ফী কাওমি লূত।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন ইবরাহীম থেকে ভয় দূর হল এবং তার কাছে সুসংবাদ এল, তখন সে লূতের কওম সম্পর্কে আমার সাথে বাদানুবাদ করতে লাগল।
তাইসিরুল কুরআন:
পরে যখন ইবরাহীমের আতঙ্ক দূর হল, আর তার কাছে সুসংবাদ আসল, তখন সে লূত জাতির ব্যাপারে আমার সাথে ঝগড়া করল।
Sahih International:
And when the fright had left Abraham and the good tidings had reached him, he began to argue with Us concerning the people of Lot.



اِنَّ اِبْرٰهِیْمَ لَحَلِیْمٌ اَوَّاهٌ مُّنِیْبٌ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ইবরা-হীমা লাহালীমুন আওওয়া-হুম মুনীব।
আল বায়ান:
নিশ্চয় ইবরাহীম অত্যন্ত সহনশীল, অধিক অনুনয় বিনয়কারী, আল্লাহমুখী।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই ইবরাহীম ছিল বড়ই সহিষ্ণু, কোমল হৃদয় আর আল্লাহমুখী।
Sahih International:
Indeed, Abraham was forbearing, grieving and [frequently] returning [to Allah].



یٰۤـاِبْرٰهِیْمُ اَعْرِضْ عَنْ هٰذَا ۚ اِنَّهٗ قَدْ جَآءَ اَمْرُ رَبِّکَ ۚ وَ اِنَّهُمْ اٰتِیْهِمْ عَذَابٌ غَیْرُ مَرْدُوْدٍ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-ইবরাহীমুআ‘রিদ‘আন হা-যা- ইন্নাহূকাদ জাআ আমরু রাব্বিকা ওয়া ইন্নাহুম আ-তীহিম ‘আযা-বুন গাইরু মারদূদ।
আল বায়ান:
হে ইবরাহীম, তুমি এ থেকে বিরত হও। নিশ্চয় তোমার রবের সিদ্ধান্ত এসে গেছে এবং নিশ্চয় তাদের উপর আসবে আযাব, যা প্রতিহত হবার নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
‘হে ইবরাহীম! এথেকে তুমি নিবৃত্ত হও, তোমার প্রতিপালকের নির্দেশ এসে গেছে, তাদের প্রতি শাস্তি আসবেই যা রদ হবার নয়।
Sahih International:
[The angels said], "O Abraham, give up this [plea]. Indeed, the command of your Lord has come, and indeed, there will reach them a punishment that cannot be repelled."



وَ لَمَّا جَآءَتْ رُسُلُنَا لُوْطًا سِیْٓءَ بِهِمْ وَ ضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَّ قَالَ هٰذَا یَوْمٌ عَصِیْبٌ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-জাআত রুছুলুনা-লূতান ছীআ বিহিম ওয়াদা-কাবিহিমযারআওঁ ওয়া কা-লা হা-যা-ইয়াওমুন ‘আসীব।
আল বায়ান:
আর যখন লূতের কাছে আমার ফেরেশতা আসল, তখন তাদের (আগমনের) কারণে তার অস্বস্তিবোধ হল এবং তার অন্তর খুব সঙ্কুচিত হয়ে গেল। আর সে বলল, ‘এ তো কঠিন দিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লূতের কাছে আসলো, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদেরকে রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল, আর বলল, ‘আজ বড়ই বিপদের দিন।
Sahih International:
And when Our messengers, [the angels], came to Lot, he was anguished for them and felt for them great discomfort and said, "This is a trying day."



وَ جَآءَهٗ قَوْمُهٗ یُهْرَعُوْنَ اِلَیْهِ ؕ وَ مِنْ قَبْلُ کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ السَّیِّاٰتِ ؕ قَالَ یٰقَوْمِ هٰۤؤُلَآءِ بَنَاتِیْ هُنَّ اَطْهَرُ لَکُمْ فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ لَا تُخْزُوْنِ فِیْ ضَیْفِیْ ؕ اَلَـیْسَ مِنْکُمْ رَجُلٌ رَّشِیْدٌ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাআহূকাওমুহূইউহরা‘ঊনা ইলাইহি ওয়া মিন কাবলুকা-নূ ইয়া‘মালূনাছছাইয়িআ-তি কা-লা ইয়া-কাওমি হাউলাই বানা-তী হুন্না আতহারু লাকুম ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া লা-তুখযূনি ফী দাইফী আলাইছা মিনকুম রাজুলুর রাশীদ।
আল বায়ান:
আর তার কওম তার কাছে ছুটে আসল এবং ইতঃপূর্বে তারা মন্দ কাজ করত। সে বলল, ‘হে আমার কওম, এরা আমার মেয়ে, তারা তোমাদের জন্য পবিত্র। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার মেহমানদের ব্যাপারে তোমরা আমাকে অপমানিত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কোন সুবোধ ব্যক্তি নেই’?
তাইসিরুল কুরআন:
তার কওমের লোকেরা হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে আসলো, আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! এই আমার (নিজের বা জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে কর), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত করো না, তোমাদের মধ্যে কি ভাল মানুষ একটিও নেই?’
Sahih International:
And his people came hastening to him, and before [this] they had been doing evil deeds. He said, "O my people, these are my daughters; they are purer for you. So fear Allah and do not disgrace me concerning my guests. Is there not among you a man of reason?"



قَالُوْا لَقَدْ عَلِمْتَ مَا لَنَا فِیْ بَنٰتِکَ مِنْ حَقٍّ ۚ وَ اِنَّکَ لَتَعْلَمُ مَا نُرِیْدُ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলাকাদ ‘আলিমতা মা-লানা-ফী বানা-তিকা মিন হাক্কিওঁ ওয়া ইন্নাকা লাতা‘লামুমা-নুরীদ।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তুমি অবশ্যই জান, তোমার মেয়েদের ব্যাপারে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর আমরা কী চাই, তা তুমি নিশ্চয় জান’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘তোমার তো জানাই আছে যে, তোমার (নিজের বা জাতির) কন্যাদের আমাদের কোন দরকার নেই, আমরা কী চাই তাতো তুমি অবশ্যই জান।’
Sahih International:
They said, "You have already known that we have not concerning your daughters any claim, and indeed, you know what we want."



قَالَ لَوْ اَنَّ لِیْ بِکُمْ قُوَّۃً اَوْ اٰوِیْۤ اِلٰی رُکْنٍ شَدِیْدٍ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাও আন্না লী বিকুম কুওওয়াতান আও আ-বীইলা-রুকনিন শাদীদ।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমাদের প্রতিরোধে যদি আমার কোন শক্তি থাকত অথবা আমি কোন সুদৃঢ় স্তম্ভের আশ্রয় নিতে পারতাম’*!
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘তোমাদেরকে দমন করার ক্ষমতা আমার যদি থাকত! অথবা কোন মজবুত আশ্রয়ে যদি আশ্রয় নিতে পারতাম!’
Sahih International:
He said, "If only I had against you some power or could take refuge in a strong support."



قَالُوْا یٰلُوْطُ اِنَّا رُسُلُ رَبِّکَ لَنْ یَّصِلُوْۤا اِلَیْکَ فَاَسْرِ بِاَهْلِکَ بِقِطْعٍ مِّنَ الَّیْلِ وَ لَا یَلْتَفِتْ مِنْکُمْ اَحَدٌ اِلَّا امْرَاَتَکَ ؕ اِنَّهٗ مُصِیْبُهَا مَاۤ اَصَابَهُمْ ؕ اِنَّ مَوْعِدَهُمُ الصُّبْحُ ؕ اَلَـیْسَ الصُّبْحُ بِقَرِیْبٍ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-লূতুইন্না-রুছুলুরাব্বিকা লাইঁ ইয়াসিলূইলাইকা ফাআছরি বিআহলিকা বিকিত‘ইম মিনাল লাইলি ওয়ালা-ইয়ালতাফিত মিনকুম আহাদুন ইল্লাম রাআতাকা ইন্নাহূমুসীবুহা-মাআসা-বাহুম ইন্না মাও‘ইদাহুমুসসুবহু আলাইছাসসুবহুবিকারীব।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে লূত, আমরা তোমার রবের প্রেরিত ফেরেশতা, তারা কখনো তোমার কাছে পৌঁছতে পারবে না। সুতরাং তুমি তোমার পরিবার নিয়ে রাতের কোন এক অংশে রওয়ানা হও, আর তোমাদের কেউ পিছে তাকাবে না। তবে তোমার স্ত্রী (রওয়ানা হবে না), কেননা তাকে তা-ই আক্রান্ত করবে যা তাদেরকে আক্রান্ত করবে। নিশ্চয় তাদের (আযাবের) নির্ধারিত সময় হচ্ছে সকাল। সকাল কি নিকটে নয়’?
তাইসিরুল কুরআন:
আগুন্তুকরা বলল, ‘হে লূত! আমরা তোমার প্রতিপালক প্রেরিত বার্তাবাহক, তারা তোমার কাছে কক্ষনো পৌঁছতে পারবে না, কাজেই কিছুটা রাত বাকী থাকতে তুমি তোমার পরিবার-পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পড়, তোমাদের কেউ যেন পিছনের দিকে না তাকায়। কিন্তু তোমার স্ত্রী (তোমাদের সঙ্গী হতে পারবে না) তারও তাই ঘটবে, অন্যদের যা ঘটবে। সকাল হল তাদের (শাস্তি আসার) নির্ধারিত সময়, সকাল কি নিকটবর্তী নয়?’
Sahih International:
The angels said, "O Lot, indeed we are messengers of your Lord; [therefore], they will never reach you. So set out with your family during a portion of the night and let not any among you look back - except your wife; indeed, she will be struck by that which strikes them. Indeed, their appointment is [for] the morning. Is not the morning near?"



فَلَمَّا جَآءَ اَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِیَهَا سَافِلَهَا وَ اَمْطَرْنَا عَلَیْهَا حِجَارَۃً مِّنْ سِجِّیْلٍ ۬ۙ مَّنْضُوْدٍ ﴿ۙ۸۲﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআ আমরুনা-জা‘আলনা-‘আ-লিয়াহা-ছা-ফিলাহা-ওয়া আমতারনা‘আলাইহা-হিজা-রাতাম মিন ছিজজীলিম মানদূদ।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন আমার আদেশ এসে গেল, তখন আমি জনপদের উপরকে নীচে উল্টে দিলাম এবং ক্রমাগত পোড়ামাটির পাথর বর্ষণ করলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে উপর নীচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের উপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির প্রস্তর বর্ষণ করলাম।
Sahih International:
So when Our command came, We made the highest part [of the city] its lowest and rained upon them stones of layered hard clay, [which were]



مُّسَوَّمَۃً عِنْدَ رَبِّکَ ؕ وَ مَا هِیَ مِنَ الظّٰلِمِیْنَ بِبَعِیْدٍ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
মুছাওওয়ামাতান ‘ইনদা রাব্বিকা ওয়ামা-হিয়া মিনাজ্জা-লিমীনা ব্বিা‘ঈদ।
আল বায়ান:
যা চি‎‎হ্নত ছিল তোমার রবের কাছে। আর তা যালিমদের থেকে দূরে নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
যে প্রস্তর খন্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত ছিল। যালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশী দূরের ব্যাপার নয়।
Sahih International:
Marked from your Lord. And Allah 's punishment is not from the wrongdoers [very] far.



وَ اِلٰی مَدْیَنَ اَخَاهُمْ شُعَیْبًا ؕ قَالَ یٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَیْرُهٗ ؕ وَ لَا تَنْقُصُوا الْمِکْیَالَ وَ الْمِیْزَانَ اِنِّیْۤ اَرٰىکُمْ بِخَیْرٍ وَّ اِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْکُمْ عَذَابَ یَوْمٍ مُّحِیْطٍ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইলা-মাদইয়ানা আখা-হুম শু‘আইবান কা-লা ইয়া-কাওমি‘বুদুল্লা-হা মা-লাকুম মিন ইলা-হিন গাইরুহূ ওয়ালা-তানকুসুল মিকয়া-লা ওয়াল মীযা-না ইন্নীআরা-কুম বিখাইরিওঁ ওয়া ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ‘আযা-বা ইয়াওমিম মুহীত।
আল বায়ান:
আর মাদইয়ানে আমি (পাঠিয়েছিলাম) তাদের ভাই শু‘আইবকে। সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন (সত্য) ইলাহ নেই এবং মাপ ও ওযন কম করো না; আমি তো তোমাদের প্রাচুর্যশীল দেখছি, কিন্তু আমি তোমাদের উপর এক সর্বগ্রাসী দিনের আযাবের ভয় করছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর মাদইয়ানবাসীদের কাছে আমি তাদের ভাই শু‘আয়বকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন সত্য ইলাহ নেই, আর মাপে ও ওজনে কম দিও না, আমি তোমাদেরকে ভাল অবস্থাতেই দেখছি। কিন্তু আমি তোমাদের জন্য শাস্তির আশঙ্কা করছি সে দিনের যেদিন তোমাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরবে।
Sahih International:
And to Madyan [We sent] their brother Shu'ayb. He said, "O my people, worship Allah; you have no deity other than Him. And do not decrease from the measure and the scale. Indeed, I see you in prosperity, but indeed, I fear for you the punishment of an all-encompassing Day.



وَ یٰقَوْمِ اَوْفُوا الْمِکْیَالَ وَ الْمِیْزَانَ بِالْقِسْطِ وَ لَا تَبْخَسُوا النَّاسَ اَشْیَآءَهُمْ وَ لَا تَعْثَوْا فِی الْاَرْضِ مُفْسِدِیْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া-কাওমি আওফুলমিকয়া-লা ওয়াল মীযা-না বিলকিছতিওয়ালা-তাবখাছুন্না-ছা আশইয়াআহুম ওয়ালা-তা‘ছাও ফিল আরদিমুফছিদীন।
আল বায়ান:
‘আর হে আমার কওম, মাপ ও ওযন পূর্ণ কর ইনসাফের সাথে এবং মানুষকে তাদের পণ্য কম দিও না; আর যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িও না,
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার সম্প্রদায়! মাপ ও ওজন ইনসাফের সঙ্গে পূর্ণ করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য কম দিও না, আর যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িও না।
Sahih International:
And O my people, give full measure and weight in justice and do not deprive the people of their due and do not commit abuse on the earth, spreading corruption.



بَقِیَّتُ اللّٰهِ خَیْرٌ لَّکُمْ اِنْ کُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ۬ۚ وَ مَاۤ اَنَا عَلَیْکُمْ بِحَفِیْظٍ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
বাকিইইয়াতুল্লা-হি খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম মু’মিনীনা ওয়ামাআনা ‘আলাইকুম বিহাফীজ।
আল বায়ান:
‘আল্লাহর দেয়া উদ্বৃত্ত লাভ তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা মুমিন হও। আর আমি তো তোমাদের হিফাযতকারী নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর অনুমোদিত উদ্বৃত্ত (অর্থাৎ লাভ) তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা মু’মিন হও, আমি তোমাদের পর্যবেক্ষক নই।’
Sahih International:
What remains [lawful] from Allah is best for you, if you would be believers. But I am not a guardian over you."



قَالُوْا یٰشُعَیْبُ اَصَلٰوتُکَ تَاْمُرُکَ اَنْ نَّتْرُکَ مَا یَعْبُدُ اٰبَآؤُنَاۤ اَوْ اَنْ نَّفْعَلَ فِیْۤ اَمْوَالِنَا مَا نَشٰٓؤُاؕ اِنَّکَ لَاَنْتَ الْحَلِیْمُ الرَّشِیْدُ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-শু‘আইবুআসালা-তুকা তা’মুরুকা আন নাতরুকা মা-ইয়া‘বুদুআ-বাউনাআও আন্নাফ‘আলা ফীআমওয়া-লিনা-মা-নাশাউ ইন্নাকা লাআনতাল হালীমুর রাশীদ।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে শু‘আইব, তোমার সালাত কি তোমাকে এই নির্দেশ প্রদান করে যে, আমাদের পিতৃপুরুষগণ যাদের ইবাদাত করত, আমরা তাদের ত্যাগ করি? অথবা আমাদের সম্পদে আমরা ইচ্ছামত যা করি তাও (ত্যাগ করি?) তুমি তো বেশ সহনশীল সুবোধ’!
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে শু‘আয়ব! তোমার ইবাদত কি তোমাকে এই হুকুম দেয় যে, আমাদের পিতৃপুরুষ যার ‘ইবাদাত করত আমরা তা পরিত্যাগ করি বা আমাদের ধন-সম্পদের ব্যাপারে আমাদের ইচ্ছে (মাফিক ব্যয় করা) বর্জন করি, তুমি তো দেখছি বড়ই ধৈর্যশীল, ভাল মানুষ।’
Sahih International:
They said, "O Shu'ayb, does your prayer command you that we should leave what our fathers worship or not do with our wealth what we please? Indeed, you are the forbearing, the discerning!"



قَالَ یٰقَوْمِ اَرَءَیْتُمْ اِنْ کُنْتُ عَلٰی بَیِّنَۃٍ مِّنْ رَّبِّیْ وَ رَزَقَنِیْ مِنْهُ رِزْقًا حَسَنًا ؕ وَ مَاۤ اُرِیْدُ اَنْ اُخَالِفَکُمْ اِلٰی مَاۤ اَنْهٰکُمْ عَنْهُ ؕ اِنْ اُرِیْدُ اِلَّا الْاِصْلَاحَ مَا اسْتَطَعْتُ ؕ وَ مَا تَوْفِیْقِیْۤ اِلَّا بِاللّٰهِ ؕعَلَیْهِ تَوَکَّلْتُ وَ اِلَیْهِ اُنِیْبُ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়া-কাওমি আরাআইতুম ইন কুনতু‘আলা-বাইয়িনাতিম মির রাববী ওয়া রাযাকানী মিনহু রিযকান হাছানাওঁ ওয়ামাউরীদুআন উখা-লিফাকুম ইলা-মাআনহা-কুম ‘আনহু ইন উরীদুইল্লাল ইসলা-হা মাছতাতা‘তু ওয়ামা-তাওফীকীইল্লা-বিল্লাহি ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতুওয়া ইলাইহি উনীব।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা কী মনে কর, আমি যদি আমার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর থাকি এবং তিনি আমাকে তাঁর পক্ষ থেকে উত্তম রিয্ক দান করে থাকেন (তাহলে কী করে আমি আমার দায়িত্ব পরিত্যাগ করব)! যে কাজ থেকে আমি তোমাদেরকে নিষেধ করছি, তোমাদের বিরোধিতা করে সে কাজটি আমি করতে চাই না। আমি আমার সাধ্যমত সংশোধন চাই। আল্লাহর সহায়তা ছাড়া আমার কোন তওফীক নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাই’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা কি ভেবে দেখেছ যদি আমি আমার প্রতিপালকের স্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি আর তিনি আমাকে তাঁর পক্ষ থেকে উত্তম রিযক দিয়ে থাকেন (তাহলে আমি কীভাবে তোমাদের অন্যায় কাজের সঙ্গী হতে পারি?), আমি তোমাদেরকে যে কাজ করতে নিষেধ করি সেটা তোমাদের প্রতি বিরুদ্ধাচরণ করার ইচ্ছায় নয়, আমি তো সাধ্যমত সংশোধন করতে চাই, আমার কাজের সাফল্য তো আল্লাহরই পক্ষ হতে, আমি তাঁর উপরই নির্ভর করি, আর তাঁর দিকেই মুখ করি।
Sahih International:
He said, "O my people, have you considered: if I am upon clear evidence from my Lord and He has provided me with a good provision from Him...? And I do not intend to differ from you in that which I have forbidden you; I only intend reform as much as I am able. And my success is not but through Allah. Upon him I have relied, and to Him I return.



وَ یٰقَوْمِ لَا یَجْرِمَنَّکُمْ شِقَاقِیْۤ اَنْ یُّصِیْبَکُمْ مِّثْلُ مَاۤ اَصَابَ قَوْمَ نُوْحٍ اَوْ قَوْمَ هُوْدٍ اَوْ قَوْمَ صٰلِحٍ ؕ وَ مَا قَوْمُ لُوْطٍ مِّنْکُمْ بِبَعِیْدٍ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া-কাওমি লা-ইয়াজরিমান্নাকুম শিকা-কীআইঁ ইউসীবাকুম মিছলুমাআসা-বা কাওমা নূহিন আও কাওমা হূদিন আও কাওমা সা-লিহিওঁ ওয়ামা-কাওমুলূতিম মিনকুম ব্বিা‘ঈদ।
আল বায়ান:
‘আর হে আমার কওম, আমার সাথে বৈরিতা তোমাদেরকে যেন এমন কাজে প্ররোচিত না করে যার ফলে তোমাদের সেরূপ আযাব আসবে যেরূপ এসেছিল নূহের কওমের উপর অথবা হূদের কওমের উপর অথবা সালিহের কওমের উপর। আর লূতের কওম তো তোমাদের থেকে দূরে নয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার সম্প্রদায়! আমার সঙ্গে বিরোধ তোমাদেরকে যেন কিছুতেই এমন কাজে উদ্বুদ্ধ না করে যাতে তোমাদের উপর এমন বিপদ আসে যেমন বিপদ এসেছিল নূহের জাতির কিংবা হূদের জাতির কিংবা সালিহর জাতির উপর। আর লূতের জাতির অবস্থান তো তোমাদের থেকে মোটেই দূরে নয়।
Sahih International:
And O my people, let not [your] dissension from me cause you to be struck by that similar to what struck the people of Noah or the people of Hud or the people of Salih. And the people of Lot are not from you far away.



وَ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّکُمْ ثُمَّ تُوْبُوْۤا اِلَیْهِ ؕ اِنَّ رَبِّیْ رَحِیْمٌ وَّدُوْدٌ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছতাগফিরু রাব্বাকুম ছুম্মা তূবূইলাইহি ইন্না রাববী রাহীমুওঁ ওয়াদূদ।
আল বায়ান:
‘আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তিগফার কর অতঃপর তাঁরই কাছে তাওবা কর। নিশ্চয় আমার রব পরম দয়ালু, অতীব ভালবাসা পোষণকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁরই নিকট তাওবাহ কর। আমার প্রতিপালক তো পরম দয়ালু, বড়ই ভালবাসা পোষণকারী।’
Sahih International:
And ask forgiveness of your Lord and then repent to Him. Indeed, my Lord is Merciful and Affectionate."



قَالُوْا یٰشُعَیْبُ مَا نَفْقَهُ کَثِیْرًا مِّمَّا تَقُوْلُ وَ اِنَّا لَنَرٰىکَ فِیْنَا ضَعِیْفًا ۚ وَ لَوْ لَا رَهْطُکَ لَرَجَمْنٰکَ ۫ وَ مَاۤ اَنْتَ عَلَیْنَا بِعَزِیْزٍ ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-শু‘আইবুমা-নাফকাহু কাছীরাম মিম্মা-তাকূলুওয়া ইন্না-লানারা-কা ফীনা-দা‘ঈফাওঁ- ওয়া লাওলা-রাহতুকা লারাজামনা-কা ওয়ামাআনতা ‘আলাইনাবি‘আযীয।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে শু‘আইব, তুমি যা বল, তার অনেক কিছুই আমরা বুঝি না। আর তোমাকে তো আমরা আমাদের মধ্যে দুর্বলই দেখতে পাচ্ছি। যদি তোমার আত্মীয়-স্বজন না থাকত, তবে আমরা তোমাকে অবশ্যই পাথর মেরে হত্যা করতাম। আর আমাদের উপর তুমি শক্তিশালী নও’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে শু‘আয়ব! তুমি যা বল তার অনেক কথাই আমরা বুঝি না, আমরা আমাদের মধ্যে তোমাকে অবশ্যই দুর্বল দেখছি, তোমার গোত্র না থাকলে আমরা তোমাকে অবশ্যই পাথর নিক্ষেপ ক’রে মেরে ফেলতাম, আমাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতাই নেই।
Sahih International:
They said, "O Shu'ayb, we do not understand much of what you say, and indeed, we consider you among us as weak. And if not for your family, we would have stoned you [to death]; and you are not to us one respected."



قَالَ یٰقَوْمِ اَرَهْطِیْۤ اَعَزُّ عَلَیْکُمْ مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اتَّخَذْتُمُوْهُ وَرَآءَکُمْ ظِهْرِیًّا ؕ اِنَّ رَبِّیْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ مُحِیْطٌ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়া-কাওমি আরাহতী-আ‘আযযু‘আলাইকুম মিনাল্লা-হি ওয়াত্তাখাযতুমূহু ওয়ারাআকুম জিহরিইয়া- ইন্না রাববী বিমা-তা‘মালূনা মুহীত।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার কওম! আমার স্বজনরা কি তোমাদের কাছে আল্লাহ অপেক্ষা অধিক সম্মানিত? আর তোমরা তাঁকে একেবারে পেছনে ঠেলে দিলে? তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমার রব তা পরিবেষ্টন করে আছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমার স্বজনরা কি তোমাদের কাছে আল্লাহর চেয়েও প্রবল! তোমরা তো তাঁকে সম্পূর্ণতঃ পেছনে ফেলে রেখেছ, তোমরা যা করছ আমার প্রতিপালক তা সব কিছুই অবগত।’
Sahih International:
He said, "O my people, is my family more respected for power by you than Allah? But you put Him behind your backs [in neglect]. Indeed, my Lord is encompassing of what you do.



وَ یٰقَوْمِ اعْمَلُوْا عَلٰی مَکَانَتِکُمْ اِنِّیْ عَامِلٌ ؕ سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ۙ مَنْ یَّاْتِیْهِ عَذَابٌ یُّخْزِیْهِ وَ مَنْ هُوَ کَاذِبٌ ؕ وَ ارْتَقِبُوْۤا اِنِّیْ مَعَکُمْ رَقِیْبٌ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া-কাওমি‘মালূ‘আলা-মাকা-নাতিকুম ইন্নী ‘আ-মিলুন ছাওফা তা‘লামূনা মাইঁ ইয়া’তীহি ‘আযা-বুইঁ ইউখযীহি ওয়ামান হুওয়া কা-যিবুওঁ ওয়ারতাকিবূইন্নী মা‘আকুম রাকীব।
আল বায়ান:
‘আর হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের অবস্থানে কাজ করে যাও, আমিও কাজ করছি। অচিরেই তোমরা জানতে পারবে কার কাছে আসবে সে আযাব যা তাকে লাঞ্ছিত করবে এবং কে মিথ্যাবাদী। আর তোমরা অপেক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার সম্প্রদায়! ‘তোমরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করতে থাক, আমিও আমার কাজ করতে থাকি, তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কার উপর আসবে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি আর কে মিথ্যেবাদী। কাজেই তোমরা অপেক্ষায় থাক, আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় থাকলাম।’
Sahih International:
And O my people, work according to your position; indeed, I am working. You are going to know to whom will come a punishment that will disgrace him and who is a liar. So watch; indeed, I am with you a watcher, [awaiting the outcome]."



وَ لَمَّا جَآءَ اَمْرُنَا نَجَّیْنَا شُعَیْبًا وَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ بِرَحْمَۃٍ مِّنَّا وَ اَخَذَتِ الَّذِیْنَ ظَلَمُوا الصَّیْحَۃُ فَاَصْبَحُوْا فِیْ دِیَارِهِمْ جٰثِمِیْنَ ﴿ۙ۹۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-জাআ আমরুনা- নাজ্জাইনা-শু‘আইবাওঁ ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমা‘আহূ বিরাহমাতিম মিন্না-ওয়া আখাযাতিল্লাযীনা জালামুসসাইহাতুফাআসবাহূফী দিয়া-রিহিম জা-ছিমীন।
আল বায়ান:
আর যখন আমার আদেশ আসল, তখন শু‘আইব ও তার সাথে যারা ঈমান এনেছে, তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে রহমত দ্বারা নাজাত দিলাম এবং যারা যুলম করেছিল তাদেরকে পাকড়াও করল বিকট আওয়াজ। ফলে তারা নিজ নিজ গৃহে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকল।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার হুকুম যখন আসলো, তখন আমি আমার দয়ায় শু‘আয়ব আর তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে বাঁচিয়ে দিলাম। আর যারা যুলম করেছিল তাদেরকে এক প্রচন্ড শব্দ আঘাত হানল যার ফলে তারা নিজেদের গৃহে নতজানু হয়ে পড়ে রইল।
Sahih International:
And when Our command came, We saved Shu'ayb and those who believed with him, by mercy from Us. And the shriek seized those who had wronged, and they became within their homes [corpses] fallen prone



کَاَنْ لَّمْ یَغْنَوْا فِیْهَا ؕ اَلَا بُعْدًا لِّمَدْیَنَ کَمَا بَعِدَتْ ثَمُوْدُ ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
কাআল লাম ইয়াগনাও ফীহা- আলা-বু‘দাল লিমাদইয়ানা কামা বা‘ইদাত ছামূদ।
আল বায়ান:
যেন তারা সেখানে বসবাসই করেনি। জেনে রাখ, ধ্বংস মাদইয়ানের জন্য, যেরূপ ধ্বংস হয়েছে সামূদ জাতি।
তাইসিরুল কুরআন:
(এমনভাবে) যেন তারা সেখানে কোনদিনই বসবাস করেনি। জেনে রেখ, মাদইয়ানবাসীদেরকে দূরে নিক্ষেপ করা হল, যেমনভাবে দূরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল সামূদজাতিকে।
Sahih International:
As if they had never prospered therein. Then, away with Madyan as Thamud was taken away.



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا مُوْسٰی بِاٰیٰتِنَا وَ سُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ ﴿ۙ۹۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-মূছা-বিআ-য়া-তিনা-ওয়া ছুলতা-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর আমি মূসাকে আমার আয়াতসমূহ* ও স্পষ্ট প্রমাণ দিয়ে পাঠিয়েছি,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসাকে পাঠিয়েছিলাম আমার নিদর্শন আর স্পষ্ট প্রমাণ সহকারে
Sahih International:
And We did certainly send Moses with Our signs and a clear authority



اِلٰی فِرْعَوْنَ وَ مَلَا۠ئِهٖ فَاتَّبَعُوْۤا اَمْرَ فِرْعَوْنَ ۚ وَ مَاۤ اَمْرُ فِرْعَوْنَ بِرَشِیْدٍ ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
ইলা-ফির‘আওনা ওয়া মালাইহী ফাত্তাবা‘উআমরা ফির‘আওনা ওয়ামাআমরু ফির‘আওনা বিরাশীদ।
আল বায়ান:
ফির‘আউন ও তার নেতৃবৃন্দের কাছে। অতঃপর তারা ফির‘আউনের নির্দেশের অনুসরণ করল। আর ফির‘আউনের নির্দেশ সঠিক ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
ফির‘আওন আর তার প্রধানদের কাছে, কিন্তু তারা ফির‘আওনের হুকুমই মেনে নিল, আর ফির‘আওনের হুকুম সত্য নির্ভর ছিল না।
Sahih International:
To Pharaoh and his establishment, but they followed the command of Pharaoh, and the command of Pharaoh was not [at all] discerning.



یَقْدُمُ قَوْمَهٗ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ فَاَوْرَدَهُمُ النَّارَ ؕ وَ بِئْسَ الْوِرْدُ الْمَوْرُوْدُ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াকদুমুকাওমাহূইয়াওমাল কিয়া-মাতি ফাআওরাদা হুমুন্না-রু ওয়া বি‘ছাল বিরদুল মাওরূদ।
আল বায়ান:
কিয়ামত দিবসে সে তার কওমের অগ্রভাগে থাকবে এবং তাদেরকে আগুনে উপনীত করে দেবে। যেখানে তারা উপনীত হবে সেটা উপনীত হওয়ার কতইনা নিকৃষ্ট স্থান!
তাইসিরুল কুরআন:
ক্বিয়ামাতের দিন সে তার সম্প্রদায়ের পুরোভাগে থাকবে আর তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দেবে, কতই না নিকৃষ্ট এ অবতরণ স্থল যাতে তারা উপনীত হবে।
Sahih International:
He will precede his people on the Day of Resurrection and lead them into the Fire; and wretched is the place to which they are led.



وَ اُتْبِعُوْا فِیْ هٰذِهٖ لَعْنَۃً وَّ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ ؕ بِئْسَ الرِّفْدُ الْمَرْفُوْدُ ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উতবি‘ঊ ফী হা-যিহী লা‘নাতাওঁ ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি বি’ছার রিফদুল মারফূদ।
আল বায়ান:
আর এখানে (দুনিয়ায়) লা‘নত তাদের পেছনে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কিয়ামত দিবসেও। কি নিকৃষ্ট প্রতিদান, যা তাদের দেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
এ দুনিয়াতেও অভিশাপ তাদের পেছনে ছুটছে আর ক্বিয়ামাতের দিনেও। কত নিকৃষ্টই না সে পুরস্কার যা তাদেরকে দেয়া হবে।
Sahih International:
And they were followed in this [world] with a curse and on the Day of Resurrection. And wretched is the gift which is given.



ذٰلِکَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الْقُرٰی نَقُصُّهٗ عَلَیْکَ مِنْهَا قَآئِمٌ وَّ حَصِیْدٌ ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা মিন আমবাইল কুরা-নাকুসসুহূ‘আলাইকা মিনহা কাইমুওঁ ওয়া হাসীদ।
আল বায়ান:
এ হচ্ছে জনপদসমূহের কিছু সংবাদ, যা আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি। তা থেকে কিছু আছে বিদ্যমান এবং কিছু হয়েছে বিলুপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
এ হল জনপদসমূহের কিছু খবরাদি যা আমি তোমার নিকট বর্ণনা করলাম, তাদের কতক এখনও দাঁড়িয়ে আছে আর কতক কর্তিত ফসলের দশা প্রাপ্ত হয়েছে।
Sahih International:
That is from the news of the cities, which We relate to you; of them, some are [still] standing and some are [as] a harvest [mowed down].



وَ مَا ظَلَمْنٰهُمْ وَ لٰکِنْ ظَلَمُوْۤا اَنْفُسَهُمْ فَمَاۤ اَغْنَتْ عَنْهُمْ اٰلِهَتُهُمُ الَّتِیْ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ شَیْءٍ لَّمَّا جَآءَ اَمْرُ رَبِّکَ ؕ وَ مَا زَادُوْهُمْ غَیْرَ تَتْبِیْبٍ ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-জালামনা-হুম ওয়ালা-কিন জালামূআনফুছাহুম ফামাআগনাত ‘আনহুম আলিহাতুহুমুল্লাতী ইয়াদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি মিন শাইয়িল লাম্মা-জাআ আমরু রাব্বিকা ওয়ামা-যা-দুহুম গাইরা তাতবীব।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের উপর যুলম করিনি, বরং তারা নিজদের উপর যুলম করেছে। তারপর যখন তোমার রবের নির্দেশ আসল তখন আল্লাহ ছাড়া যে সব উপাস্যকে তারা ডাকত, তারা তাদের কোন উপকার করেনি এবং তারা ধ্বংস ছাড়া তাদের আর কিছুই বৃদ্ধি করেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের উপর যুলম করিনি বরং তারাই নিজেদের উপর যুলম করেছিল, কিন্তু তোমার প্রতিপালকের হুকুম যখন এসে গেল, তখন আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যেসব ইলাহকে ডাকত ওগুলো তাদের কোনই কাজে আসল না, তারা ধ্বংস ছাড়া কিছুই বৃদ্ধি করতে পারল না।
Sahih International:
And We did not wrong them, but they wronged themselves. And they were not availed at all by their gods which they invoked other than Allah when there came the command of your Lord. And they did not increase them in other than ruin.



وَ کَذٰلِکَ اَخْذُ رَبِّکَ اِذَاۤ اَخَذَ الْقُرٰی وَ هِیَ ظَالِمَۃٌ ؕ اِنَّ اَخْذَهٗۤ اَلِیْمٌ شَدِیْدٌ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা আখযুরাব্বিক ইযাআখাযাল কুরা-ওয়াহিয়া জা-লিমাতুন ইন্না আখযাহূআলীমুন শাদীদ।
আল বায়ান:
আর এরূপই হয় তোমার রবের পাকড়াও যখন তিনি পাকড়াও করেন অত্যাচারী জনপদসমূহকে। নিঃসন্দেহে তাঁর পাকড়াও বড়ই যন্ত্রণাদায়ক, কঠোর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও এ রকমই হয়ে থাকে যখন তিনি পাকড়াও করেন কোন জনপদকে যখন তারা যুলমে লিপ্ত থাকে। অবশ্যই তাঁর পাকড়াও ভয়াবহ, বড়ই কঠিন।
Sahih International:
And thus is the seizure of your Lord when He seizes the cities while they are committing wrong. Indeed, His seizure is painful and severe.



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّمَنْ خَافَ عَذَابَ الْاٰخِرَۃِ ؕ ذٰلِکَ یَوْمٌ مَّجْمُوْعٌ ۙ لَّهُ النَّاسُ وَ ذٰلِکَ یَوْمٌ مَّشْهُوْدٌ ﴿۱۰۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিমান খা-ফা ‘আযা-বাল আ-খিরাতি যা-লিকা ইয়াওমুম মাজমূ‘উল্লাহুন্না-ছুওয়া যা-লিকা ইয়াওমুম মাশহুদ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন তার জন্য যে আখিরাতের আযাবকে ভয় করে। সেটি এমন একটি দিন, যেদিন সকল মানুষকে সমবেত করা হবে এবং সেটি এমন এক দিন, যেদিন সবাই হাযির হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে তার জন্য যে আখেরাতের শাস্তিকে ভয় করে। এটা এমন দিন, যে দিনের জন্য সব মানুষকে একত্রিত করা হবে, এটা হাযির হওয়ার দিন।
Sahih International:
Indeed in that is a sign for those who fear the punishment of the Hereafter. That is a Day for which the people will be collected, and that is a Day [which will be] witnessed.



وَ مَا نُؤَخِّرُهٗۤ اِلَّا لِاَجَلٍ مَّعْدُوْدٍ ﴿۱۰۴﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়ামা-নুআখখিরুহূ ইল্লা-লিআজালিম মা‘দূদ।
আল বায়ান:
আর নির্দিষ্ট কিছুকালের জন্যই আমি তা বিলম্বিত করছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাকে বিলম্বিত করি মাত্র।
Sahih International:
And We do not delay it except for a limited term.



یَوْمَ یَاْتِ لَا تَکَلَّمُ نَفْسٌ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ۚ فَمِنْهُمْ شَقِیٌّ وَّ سَعِیْدٌ ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়া'তি লা-তাকাল্লামুনাফছুন ইল্লা-বিইযনিহী ফামিনহুম শাকিইইউঁওয়াছা‘ঈদ।
আল বায়ান:
যেদিন তা আসবে সেদিন তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ কথা বলবে না। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে কেউ দুর্ভাগা, আর কেউ সৌভাগ্যবান।
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন যখন আসবে তখন তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ মুখ খুলতে পারবে না, তাদের কেউ হবে হতভাগা, আর কেউ হবে সৌভাগ্যবান।
Sahih International:
The Day it comes no soul will speak except by His permission. And among them will be the wretched and the prosperous.



فَاَمَّا الَّذِیْنَ شَقُوْا فَفِی النَّارِ لَهُمْ فِیْهَا زَفِیْرٌ وَّ شَهِیْقٌ ﴿۱۰۶﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফাআম্মাল্লাযীনা শাকূফাফিন্না-রি লাহুম ফীহা-যাফীরুওঁ ওয়া শাহীক।
আল বায়ান:
অতঃপর যারা হয়েছে দুর্ভাগা, তারা থাকবে আগুনে। সেখানে থাকবে তাদের চীৎকার ও আর্তনাদ।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা হতভাগা হবে তারা জাহান্নামে যাবে, সেখানে তাদের জন্য আছে হা-হুতাশ আর আর্ত চীৎকার।
Sahih International:
As for those who were [destined to be] wretched, they will be in the Fire. For them therein is [violent] exhaling and inhaling.



خٰلِدِیْنَ فِیْهَا مَا دَامَتِ السَّمٰوٰتُ وَ الْاَرْضُ اِلَّا مَا شَآءَ رَبُّکَ ؕ اِنَّ رَبَّکَ فَعَّالٌ لِّمَا یُرِیْدُ ﴿۱۰۷﴾
উচ্চারণ:
খা-লিদীনা ফীহা-মা-দা-মাতিছছামা-ওয়া-তুওয়াল আরদুইল্লা-মা-শাআ রাব্বুকা ইন্না রাব্বাকা ফা‘‘আ-লুলিলমা-ইউরীদ।
আল বায়ান:
সেখানে তারা স্থায়ী হবে, যতদিন পর্যন্ত আসমানসমূহ ও যমীন থাকবে*, অবশ্য তোমার রব যা চান**। নিশ্চয় তোমার রব তা-ই করে যা তিনি ইচ্ছা করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা স্থায়ী হবে চিরকালের জন্য যে পর্যন্ত আকাশসমূহ ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকবে যদি না তোমার প্রতিপালক অন্য কিছু ইচ্ছে করেন। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই করতে সক্ষম যা তিনি করতে চান।
Sahih International:
[They will be] abiding therein as long as the heavens and the earth endure, except what your Lord should will. Indeed, your Lord is an effecter of what He intends.



وَ اَمَّا الَّذِیْنَ سُعِدُوْا فَفِی الْجَنَّۃِ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا مَا دَامَتِ السَّمٰوٰتُ وَ الْاَرْضُ اِلَّا مَا شَآءَ رَبُّکَ ؕ عَطَآءً غَیْرَ مَجْذُوْذٍ ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াআম্মাল্লাযীনা ছু‘ইদূফাফিল জান্নাতি খা-লিদীনা ফীহা-মা-দা-মাতিছছামা-ওয়া-তু ওয়াল আরদুইল্লা-মা-শাআ রাব্বুকা; ‘আতা-আন গাইরা মাজযূয।
আল বায়ান:
আর যারা ভাগ্যবান হয়েছে, তারা জান্নাতে থাকবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে যতদিন পর্যন্ত আসমানসমূহ ও যমীন থাকবে, অবশ্য তোমার রব যা চান*, অব্যাহত প্রতিদানস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা সৌভাগ্যবান হবে, তারা জান্নাতে স্থায়ী হবে যে পর্যন্ত আকাশসমূহ ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকবে, যদি না তোমার প্রতিপালক অন্য রকম ইচ্ছে করেন। এ হল এক অব্যাহত পুরস্কার।
Sahih International:
And as for those who were [destined to be] prosperous, they will be in Paradise, abiding therein as long as the heavens and the earth endure, except what your Lord should will - a bestowal uninterrupted.



فَلَا تَکُ فِیْ مِرْیَۃٍ مِّمَّا یَعْبُدُ هٰۤؤُلَآءِ ؕ مَا یَعْبُدُوْنَ اِلَّا کَمَا یَعْبُدُ اٰبَآؤُهُمْ مِّنْ قَبْلُ ؕ وَ اِنَّا لَمُوَفُّوْهُمْ نَصِیْبَهُمْ غَیْرَ مَنْقُوْصٍ ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
ফালা-তাকুফী মিরইয়াতিম মিম্মা-ইয়া‘বুদুহাউলাই মা-ইয়া‘বুদূ না ইল্লা-কামাইয়া‘বুদুআ-বাউহুম মিন কাবলু ওয়া ইন্না-লামুওয়াফফূহুম নাসীবাহুম গাইরা মানকূস।
আল বায়ান:
সুতরাং এরা যাদের উপাসনা করে, তুমি তাদের ব্যাপারে সংশয়ে থেকো না। তারা তো ইবাদাত করে, যেমন ইতঃপূর্বে ইবাদাত করত তাদের পিতৃপুরুষগণ। নিশ্চয় আমি তাদের অংশ হ্রাস না করে তাদেরকে পুরোপুরি দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তারা যেগুলোর ‘ইবাদাত করে সেগুলোর ব্যাপারে সন্দেহে পতিত হয়ো না। তারা যেগুলোর ‘ইবাদাত করে সেগুলো তা ছাড়া আর কিছুই নয় যেগুলোর ‘ইবাদাত পূর্বে তাদের পিতৃপুরুষরা করত, আমি অবশ্যই তাদের প্রাপ্য অংশ তাদেরকে পূর্ণ মাত্রাতেই দেব, কোনই কমতি করা হবে না।
Sahih International:
So do not be in doubt, [O Muhammad], as to what these [polytheists] are worshipping. They worship not except as their fathers worshipped before. And indeed, We will give them their share undiminished.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْکِتٰبَ فَاخْتُلِفَ فِیْهِ ؕ وَ لَوْ لَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّکَ لَقُضِیَ بَیْنَهُمْ ؕ وَ اِنَّهُمْ لَفِیْ شَکٍّ مِّنْهُ مُرِیْبٍ ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মুছাল কিতা-বা ফাখতুলিফা ফীহি ওয়া লাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মির রাব্বিকা লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাহুম লাফী শাক্কিম মিনহু মুরীব।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম, অতঃপর তাতে মতবিরোধ করা হয়েছিল। যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকত*, তবে তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যেত। আর নিশ্চয় তারা এ ব্যাপারে ঘোর সন্দেহে রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
ইতোপূর্বে আমি মূসাকেও কিতাব দিয়েছিলাম, কিন্তু তাতেও মতবিরোধ করা হয়েছিল। তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি কথা যদি আগেই বলে দেয়া না হত, তাহলে তাদের মাঝে অবশ্যই ফায়সালাই ক’রে দেয়া হত, এ ব্যাপারে তারা অবশ্য সন্দেহপূর্ণ সংশয়ে পড়ে আছে।
Sahih International:
And We had certainly given Moses the Scripture, but it came under disagreement. And if not for a word that preceded from your Lord, it would have been judged between them. And indeed they are, concerning the Qur'an, in disquieting doubt.



وَ اِنَّ کُلًّا لَّمَّا لَیُوَفِّیَنَّهُمْ رَبُّکَ اَعْمَالَهُمْ ؕ اِنَّهٗ بِمَا یَعْمَلُوْنَ خَبِیْرٌ ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না কুল্লাল লাম্মা-লাইউওয়াফফিয়ান্নাহুম রাব্বুকা আ‘মা-লাহুম ইন্নাহূবিমাইয়া‘মালূনা খাবীর।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব সবাইকে তাদের আমলের প্রতিদান পুরোপুরি দান করবেন। তারা যা আমল করে, অবশ্যই তিনি সে ব্যাপারে সবিশেষ অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে সন্দেহ নেই যে, তোমার প্রতিপালক প্রত্যেককেই তাদের ‘আমালের প্রতিফল অবশ্য অবশ্যই পুরোপুরি দান করবেন, তারা যা করে সে বিষয়ে তিনি পূর্ণ ওয়াকিফহাল।
Sahih International:
And indeed, each [of the believers and disbelievers] - your Lord will fully compensate them for their deeds. Indeed, He is Acquainted with what they do.



فَاسْتَقِمْ کَمَاۤ اُمِرْتَ وَ مَنْ تَابَ مَعَکَ وَ لَا تَطْغَوْا ؕ اِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ ﴿۱۱۲﴾
উচ্চারণ:
ফাছতাকিম কামাউমিরতা ওয়ামান তা-বা মা‘আকা ওয়ালা-তাতগাও ইন্নাহূবিমাতা‘মালূনা বাসীর।
আল বায়ান:
সুতরাং যেভাবে তুমি নির্দেশিত হয়েছ সেভাবে তুমি ও তোমার সাথী যারা তাওবা করেছে, সকলে অবিচল থাক। আর সীমালঙ্ঘন করো না। তোমরা যা করছ নিশ্চয় তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি ও তোমার সাথে যারা (আল্লাহর দিকে) তাওবা করেছে সুদৃঢ় হয়ে থাক আল্লাহ যেভাবে তোমাকে আদেশ দিয়েছেন, আর সীমালঙ্ঘন করো না। তোমরা যা কিছু কর তিনি তা ভালভাবেই দেখেন।
Sahih International:
So remain on a right course as you have been commanded, [you] and those who have turned back with you [to Allah], and do not transgress. Indeed, He is Seeing of what you do.



وَ لَا تَرْکَنُوْۤا اِلَی الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا فَتَمَسَّکُمُ النَّارُ ۙ وَ مَا لَکُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ اَوْلِیَآءَ ثُمَّ لَا تُنْصَرُوْنَ ﴿۱۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তারকানূইলাল্লাযীনা জালামূফাতামাছছাকুমুন্না-রু ওয়ামা-লাকুমমিনদূনিল্লা-হি মিন আউলিয়াআ ছুম্মা লা-তুনসারূন।
আল বায়ান:
আর যারা যুলম করেছে তোমরা তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না; অন্যথায় আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক থাকবে না। অতঃপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না, তাহলে আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে, আর তখন আল্লাহ ছাড়া কেউ তোমাদের অভিভাবক থাকবে না, অত:পর তোমাদেরকে সাহায্যও করা হবে না।
Sahih International:
And do not incline toward those who do wrong, lest you be touched by the Fire, and you would not have other than Allah any protectors; then you would not be helped.



وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ طَرَفَیِ النَّهَارِ وَ زُلَفًا مِّنَ الَّیْلِ ؕ اِنَّ الْحَسَنٰتِ یُذْهِبْنَ السَّیِّاٰتِ ؕ ذٰلِکَ ذِکْرٰی لِلذّٰکِرِیْنَ ﴿۱۱۴﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া আকিমিসসালা-তা তারাফাইন্নাহা-রি ওয়া যুলাফাম মিনাল্লাইলি ইন্নাল হাছানা-তি ইউযহিবনাছ ছাইয়িআ-তি যা-লিকা যিকরা-লিযযা-কিরীন।
আল বায়ান:
আর তুমি সালাত কায়েম কর দিবসের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে*। নিশ্চয়ই ভালকাজ মন্দকাজকে মিটিয়ে দেয়। এটি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি নামায প্রতিষ্ঠা কর দিনের দু’ প্রান্ত সময়ে আর কিছুটা রাত অতিবাহিত হওয়ার পর, পূণ্যরাজি অবশ্যই পাপরাশিকে দূর করে দেয়, এটা তাদের জন্য উপদেশ যারা উপদেশ গ্রহণ করে।
Sahih International:
And establish prayer at the two ends of the day and at the approach of the night. Indeed, good deeds do away with misdeeds. That is a reminder for those who remember.



وَ اصْبِرْ فَاِنَّ اللّٰهَ لَا یُضِیْعُ اَجْرَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۱۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসবির ফাইন্নাল্লা-হা লা-ইউদী‘উ আজরাল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
তুমি সবর কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইহসানকারীদের প্রতিদান নষ্ট করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি ধৈর্য ধর, কারণ আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের কর্মফল কখনও বিনষ্ট করেন না।
Sahih International:
And be patient, for indeed, Allah does not allow to be lost the reward of those who do good.



فَلَوْ لَا کَانَ مِنَ الْقُرُوْنِ مِنْ قَبْلِکُمْ اُولُوْا بَقِیَّۃٍ یَّنْهَوْنَ عَنِ الْفَسَادِ فِی الْاَرْضِ اِلَّا قَلِیْلًا مِّمَّنْ اَنْجَیْنَا مِنْهُمْ ۚ وَ اتَّبَعَ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مَاۤ اُتْرِفُوْا فِیْهِ وَ کَانُوْا مُجْرِمِیْنَ ﴿۱۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফালাওলা-কা-না মিনাল কুরূনি মিন কাবলিকুম ঊলূবাকিইইয়াতিইঁ ইয়ানহাওনা ‘আনিল ফাছা-দি ফিল আরদিইল্লা-কালীলাম মিম্মান আনজাইনা-মিনহুম ওয়াত্তাবা‘আল্লাযীনা জালামুমাউতরিফূফীহি ওয়াকা-নূমুজরীমিন।
আল বায়ান:
অতএব তোমাদের পূর্বের প্রজন্মসমূহের মধ্যে এমন প্রজ্ঞাবান কেন হয়নি, যারা যমীনে ফাসাদ করা থেকে নিষেধ করত? অল্প সংখ্যক ছাড়া, যাদেরকে আমি তাদের মধ্য থেকে নাজাত দিয়েছিলাম। আর যারা যুলম করেছে, তারা বিলাসিতার পেছনে পড়ে ছিল এবং তারা ছিল অপরাধী।
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে তোমাদের পূর্ব যুগের লোকদের মধ্যে এমন সৎকর্মশীল কেন হয়নি যারা যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করা হতে বাধা দিত? এমন লোক কমই ছিল আর তাদেরকে আমি বাঁচিয়ে নিয়েছিলাম। যালিমরা তো তাদেরকে দেয়া সামগ্রীর সুখ স্বাচ্ছন্দ্যেই লিপ্ত থাকতো আর তারা ছিল অপরাধী।
Sahih International:
So why were there not among the generations before you those of enduring discrimination forbidding corruption on earth - except a few of those We saved from among them? But those who wronged pursued what luxury they were given therein, and they were criminals.



وَ مَا کَانَ رَبُّکَ لِیُهْلِکَ الْقُرٰی بِظُلْمٍ وَّ اَهْلُهَا مُصْلِحُوْنَ ﴿۱۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কা-না রাব্বুকা লিইউহলিকাল কুরা- বিজু লমিওঁ ওয়া আহলুহা-মুসলিহুন।
আল বায়ান:
আর তোমার রব এমন নন যে, তিনি অন্যায়ভাবে জনপদসমূহ ধ্বংস করে দেবেন, অথচ তার অধিবাসীরা সংশোধনকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক এমন নন যে, তিনি অন্যায়ভাবে কোন জনপদ ধ্বংস করবেন এমতাবস্থায় যে, তার অধিবাসীরা সদাচারী।
Sahih International:
And your Lord would not have destroyed the cities unjustly while their people were reformers.



وَ لَوْ شَآءَ رَبُّکَ لَجَعَلَ النَّاسَ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ لَا یَزَالُوْنَ مُخْتَلِفِیْنَ ﴿۱۱۸﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া লাও শাআ রাব্বুকা লাজা‘আলান্না-ছা উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাওঁ ওয়ালা-ইয়াযা-লূনা মুখতালিফীন।
আল বায়ান:
যদি তোমার রব চাইতেন, তবে সকল মানুষকে এক উম্মতে পরিণত করতেন, কিন্তু তারা পরস্পর মতবিরোধকারী রয়ে গেছে,
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক চাইলে মানুষকে অবশ্যই এক জাতি করতে পারতেন, কিন্তু তারা মতভেদ করতেই থাকবে।
Sahih International:
And if your Lord had willed, He could have made mankind one community; but they will not cease to differ.



اِلَّا مَنْ رَّحِمَ رَبُّکَ ؕ وَ لِذٰلِکَ خَلَقَهُمْ ؕ وَ تَمَّتْ کَلِمَۃُ رَبِّکَ لَاَمْلَـَٔنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ اَجْمَعِیْنَ ﴿۱۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মার রাহিমা রাব্বুকা ওয়া লিযা-লিকা খালাকাহুম ওয়া তাম্মাত কালিমাতু রাব্বিকা লাআমলাআন্না জাহান্নামা মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছি আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
তবে যাদেরকে তোমার রব দয়া করেছেন, তারা ছাড়া। আর এজন্যই তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমার রবের কথা চূড়ান্ত হয়েছে যে, ‘নিশ্চয়ই আমি জাহান্নাম ভরে দেব জিন ও মানুষ দ্বারা একত্রে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে তোমার প্রতিপালক যাদের প্রতি দয়া করেন তারা (মতবিরোধ করবে) না। এই উদ্দেশ্যেই তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমার প্রতিপালকের এ বাণী পূর্ণ হবেই যে, আমি জাহান্নামকে জ্বিন আর মানুষ দিয়ে অবশ্য অবশ্যই ভরে দেব।
Sahih International:
Except whom your Lord has given mercy, and for that He created them. But the word of your Lord is to be fulfilled that, "I will surely fill Hell with jinn and men all together."



وَ کُلًّا نَّقُصُّ عَلَیْکَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهٖ فُؤَادَکَ ۚ وَ جَآءَکَ فِیْ هٰذِهِ الْحَقُّ وَ مَوْعِظَۃٌ وَّ ذِکْرٰی لِلْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকুল্লান নাকুসসু‘আলাইকা মিন আমবাইর রুছুলি মা-নুছাব্বিতুবিহী ফুআ-দাকা ওয়া জাআকা ফীহা-যিহিল হাক্কুওয়া মাও‘ইজাতুওঁ ওয়া যিকরা-লিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর রাসূলদের এসকল সংবাদ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি যার দ্বারা আমি তোমার মনকে স্থির করি আর এতে তোমার কাছে এসেছে সত্য এবং মুমিনদের জন্য উপদেশ ও স্মরণ।
তাইসিরুল কুরআন:
রসূলদের যে সব সংবাদসমূহ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করলাম, এর দ্বারা আমি তোমার দিলকে মযবুত করছি, এতে তুমি প্রকৃত সত্যের জ্ঞান লাভ করবে আর মু’মিনদের জন্য এটা উপদেশ ও স্মারক।
Sahih International:
And each [story] We relate to you from the news of the messengers is that by which We make firm your heart. And there has come to you, in this, the truth and an instruction and a reminder for the believers.



وَ قُلْ لِّلَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ اعْمَلُوْا عَلٰی مَکَانَتِکُمْ ؕ اِنَّا عٰمِلُوْنَ ﴿۱۲۱﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া কুল লিল্লাযীনা লা- ইউ’মিনূনা‘মালূ‘আলা-মাকা-নাতিকুম ইন্না-‘আ-মিলূন।
আল বায়ান:
আর যারা ঈমান আনছে না তাদেরকে বল, ‘তোমরা স্ব স্ব অবস্থানে কাজ কর আমরাও কাজ করছি।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে না তাদেরকে বল, ‘তোমরা নিজেদের মত ও পথে থেকে কাজ করে যাও, আমরা (আমাদের) কাজ করছি।
Sahih International:
And say to those who do not believe, "Work according to your position; indeed, we are working.



وَ انْتَظِرُوْا ۚ اِنَّا مُنْتَظِرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ানতাজিরু ইন্না-মুনতাজিরূন।
আল বায়ান:
এবং তোমরা অপেক্ষা কর আমরাও অপেক্ষমান’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমরা অপেক্ষা কর, আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম।’
Sahih International:
And wait, indeed, we are waiting."



وَ لِلّٰهِ غَیْبُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ اِلَیْهِ یُرْجَعُ الْاَمْرُ کُلُّهٗ فَاعْبُدْهُ وَ تَوَکَّلْ عَلَیْهِ ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ ﴿۱۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালিল্লা-হি গাইবুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়া ইলাইহি ইউরজা‘উল আমরু কুল্লুহূ ফা‘বুদহু ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাইহি ওয়ামা-রাব্বুকা বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনের গায়েব আল্লাহরই এবং তাঁরই কাছে সব বিষয় প্রত্যাবর্তিত হবে। সুতরাং তুমি তাঁর ইবাদাত কর এবং তাঁর উপর তাওয়াক্কুল কর। আর তোমরা যা কিছু কর সে ব্যাপারে তোমার রব গাফেল নন।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমানসমূহ ও যমীনের অদৃশ্যের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই রয়েছে। সকল বিষয়ই (চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য) তাঁর কাছে ফিরে যায়, কাজেই তুমি তাঁরই ‘ইবাদাত কর, আর তাঁর উপরই নির্ভর কর, তোমরা যা কিছু করছ, সে সম্পর্কে তোমার প্রতিপালক মোটেই বে-খবর নন।
Sahih International:
And to Allah belong the unseen [aspects] of the heavens and the earth and to Him will be returned the matter, all of it, so worship Him and rely upon Him. And your Lord is not unaware of that which you do.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।