আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اِقْتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُهُمْ وَ هُمْ فِیْ غَفْلَۃٍ مُّعْرِضُوْنَ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইকতারাবা লিন্না-ছি হিছা-বুহুম ওয়া হুম ফী গাফলাতিম মু‘রিদূন।
আল বায়ান:
মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, অথচ তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষের হিসাব গ্রহণের কাল ক্রমশঃ ঘনিয়ে আসছে কিন্তু তারা গাফলতিতে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।
Sahih International:
[The time of] their account has approached for the people, while they are in heedlessness turning away.



مَا یَاْتِیْهِمْ مِّنْ ذِکْرٍ مِّنْ رَّبِّهِمْ مُّحْدَثٍ اِلَّا اسْتَمَعُوْهُ وَ هُمْ یَلْعَبُوْنَ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
মা-ইয়া’তীহিম মিন যিকরিম মির রাব্বিহিম মুহদাছিন ইল্লাছতামা‘উহু ওয়া হুম ইয়াল‘আবূন।
আল বায়ান:
যখনই তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের নিকট কোন নতুন উপদেশ আসে তখন তারা তা কৌতুকভরে শ্রবণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে যখনই কোন নতুন উপদেশ আসে, তখন তারা তা হাসি-তামাশার বস্তু মনে করেই শোনে।
Sahih International:
No mention comes to them anew from their Lord except that they listen to it while they are at play



لَاهِیَۃً قُلُوْبُهُمْ ؕ وَ اَسَرُّوا النَّجْوَی ٭ۖ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ٭ۖ هَلْ هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُکُمْ ۚ اَفَتَاْتُوْنَ السِّحْرَ وَ اَنْتُمْ تُبْصِرُوْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
লা-হিয়াতান কুলূবুহুম ওয়া আছার রুন নাজওয়াল্লাযীনা জালামূ হাল হা-যা ইল্লা-বাশারুম মিছলুকুম আফাতা’তূনাছছিহরা ওয়া আনতুম তুবসিরূন।
আল বায়ান:
তাদের অন্তর থাকে অমনোযোগী এবং যালিমরা গোপনে পরামর্শ করে, ‘এ তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। এরপরও কি তোমরা দেখে শুনে যাদুর কবলে পড়বে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের অন্তর থাকে খেলায় মগ্ন। যালিমরা গোপনে পরামর্শ করে- এটা তোমাদেরই মত মানুষ ছাড়া কি অন্য কিছু? তোমরা কি দেখে-শুনে যাদুর কবলে পড়বে?
Sahih International:
With their hearts distracted. And those who do wrong conceal their private conversation, [saying], "Is this [Prophet] except a human being like you? So would you approach magic while you are aware [of it]?"



قٰلَ رَبِّیْ یَعْلَمُ الْقَوْلَ فِی السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ ۫ وَ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাববী ইয়া‘লামুল কাওলা ফিছছামাই ওয়াল আরদি ওয়া হুওয়াছছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
সে (রাসূল) বলল, ‘আমার রব আসমান ও যমীনের সমস্ত কথাই জানেন এবং তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘আমার প্রতিপালক আসমান ও যমীনে (উচ্চারিত প্রতিটি) কথাই জানেন, আর তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু জানেন।’
Sahih International:
The Prophet said, "My Lord knows whatever is said throughout the heaven and earth, and He is the Hearing, the Knowing."



بَلْ قَالُوْۤا اَضْغَاثُ اَحْلَامٍۭ بَلِ افْتَرٰىهُ بَلْ هُوَ شَاعِرٌ ۚۖ فَلْیَاْتِنَا بِاٰیَۃٍ کَمَاۤ اُرْسِلَ الْاَوَّلُوْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
বাল কা-লূআদগা-ছু আহলা-মিম বালিফ তারা-হু বাল হুওয়া শা-‘ইরুন ফালইয়া’তিনা-বিআ-য়াতিন কামাউরছিলাল আওওয়ালূন।
আল বায়ান:
বরং তারা বলে, ‘এগুলো অলীক কল্পনা, হয় সে এটি মন থেকে বানিয়েছে নয়তো সে একজন কবি। অতএব সে আমাদের কাছে এমন নিদর্শন নিয়ে আসুক যেরূপ নিদর্শনসহ প্রেরিত হয়েছিল পূর্ববর্তীগণ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা এও বলে, ‘এসব অলীক স্বপ্ন, না হয় সে মিথ্যে উদ্ভাবন করেছে, না হয় সে একজন কবি। কাজেই সে আমাদের কাছে এমন নিদর্শন নিয়ে আসুক যেমন পূর্ববর্তী (নবী)-গণের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
Sahih International:
But they say, "[The revelation is but] a mixture of false dreams; rather, he has invented it; rather, he is a poet. So let him bring us a sign just as the previous [messengers] were sent [with miracles]."



مَاۤ اٰمَنَتْ قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْیَۃٍ اَهْلَکْنٰهَا ۚ اَفَهُمْ یُؤْمِنُوْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
মাআ-মানাত কাবলাহুম মিন কারইয়াতিন আহলাকনা-হা- আফাহুম ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
তাদের পূর্বে যে জনপদ ঈমান আনেনি তাদেরকে আমি ধ্বংস করেছি । তবে কি এরা ঈমান আনবে?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্বে আমি যে সমস্ত জনপদ ধ্বংস করেছি তাদের একটিও ঈমান আনেনি, তাহলে এরা কি ঈমান আনবে?
Sahih International:
Not a [single] city which We destroyed believed before them, so will they believe?



وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا قَبْلَکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوْحِیْۤ اِلَیْهِمْ فَسْـَٔلُوْۤا اَهْلَ الذِّکْرِ اِنْ کُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআরছালনা-কাবলাকা ইল্লা-রিজা-লাননূহীইলাইহিম ফাছআলূআহলাযযিকরি ইন কুনতুম লা-তা‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তোমার পূর্বে আমি পুরুষই পাঠিয়েছিলাম, যাদের প্রতি আমি ওহী পাঠাতাম। সুতরাং তোমরা জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর যদি তোমরা না জান।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্বে যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম যাদের প্রতি আমি ওয়াহী করতাম তারা মানুষই ছিল, তোমরা যদি না জান তবে (অবতীর্ণ) কিতাবের জ্ঞান যাদের আছে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর।
Sahih International:
And We sent not before you, [O Muhammad], except men to whom We revealed [the message], so ask the people of the message if you do not know.



وَ مَا جَعَلْنٰهُمْ جَسَدًا لَّا یَاْکُلُوْنَ الطَّعَامَ وَ مَا کَانُوْا خٰلِدِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-জা‘আলনা-হুম জাছাদাল্লা-ইয়া‘কুলূনাততা‘আ-মা ওয়ামা-কা-নূখা-লিদীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে এমন দেহবিশিষ্ট করিনি যে, তারা খাদ্য গ্রহণ করত না, আর তারা স্থায়ীও ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে এমন দেহবিশিষ্ট করিনি যে তারা খাদ্য খেত না আর তারা ছিল না চিরস্থায়ী।
Sahih International:
And We did not make the prophets forms not eating food, nor were they immortal [on earth].



ثُمَّ صَدَقْنٰهُمُ الْوَعْدَ فَاَنْجَیْنٰهُمْ وَ مَنْ نَّشَآءُ وَ اَهْلَکْنَا الْمُسْرِفِیْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা সাদাকনা-হুমুল ওয়া‘দা ফাআনজাইনা-হুম ওয়া মান নাশাউ ওয়া আহলাকনাল মুছরিফীন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তাদের প্রতি কৃত ওয়াদা পূর্ণ করলাম। আর আমি তাদেরকে ও যাদেরকে ইচ্ছা করি রক্ষা করলাম এবং সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ধ্বংস করে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাদেরকে দেয়া আমার ওয়া‘দা সত্যে পরিণত করলাম। ফলতঃ আমি তাদেরকে এবং আরো যাদেরকে চাইলাম রক্ষা করলাম আর সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ধ্বংস করে দিলাম।
Sahih International:
Then We fulfilled for them the promise, and We saved them and whom We willed and destroyed the transgressors.



لَقَدْ اَنْزَلْنَاۤ اِلَیْکُمْ کِتٰبًا فِیْهِ ذِکْرُکُمْ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ আনযালনাইলাইকুম কিতা-বান ফীহি যিকরুকুম আফালা-তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি এক কিতাব নাযিল করেছি, যাতে তোমাদের জন্য উপদেশ* রয়েছে, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের প্রতি নাযিল করেছি এক কিতাব যাতে তোমাদের জন্য আছে উপদেশ, তোমরা কি তবুও বুঝবে না?
Sahih International:
We have certainly sent down to you a Book in which is your mention. Then will you not reason?



وَ کَمْ قَصَمْنَا مِنْ قَرْیَۃٍ کَانَتْ ظَالِمَۃً وَّ اَنْشَاْنَا بَعْدَهَا قَوْمًا اٰخَرِیْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওকাম কাসামনা- মিন কারইয়াতিন কা-নাত জা-লিমাতাওঁ ওয়া আনশা’না- বা‘দাহাকাওমান আ-খারীন।
আল বায়ান:
আমি কত জনবসতিকে ধ্বংস করেছি যারা ছিল যালিম এবং তাদের পর অন্য জাতি সৃষ্টি করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
কত জনপদ ছিল যেগুলোকে আমি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছি যার অধিবাসীরা ছিল যালিম। তাদের পরে আমি অন্য জাতি সৃষ্টি করেছি।
Sahih International:
And how many a city which was unjust have We shattered and produced after it another people.



فَلَمَّاۤ اَحَسُّوْا بَاْسَنَاۤ اِذَا هُمْ مِّنْهَا یَرْکُضُوْنَ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মাআহাছছূবা’ছানাইযা-হুম মিনহা-ইয়ারকুদূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা যখন আমার আযাব দেখল তখনই তারা জনপদ ছেড়ে পালাতে লাগল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন আমার শাস্তি (’র আগমন) অনুভব করল, তখন তারা তাত্থেকে পালিয়ে যেতে (চেষ্টা) করল।
Sahih International:
And when its inhabitants perceived Our punishment, at once they fled from it.



لَا تَرْکُضُوْا وَ ارْجِعُوْۤا اِلٰی مَاۤ اُتْرِفْتُمْ فِیْهِ وَ مَسٰکِنِکُمْ لَعَلَّکُمْ تُسْـَٔلُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
লা- তারকুদূ ওয়ারজি‘উ ইলা-মাউতরিফতুম ফীহি ওয়া মাছা-কিনিকুম লা‘আল্লাকুম তুছআলূন।
আল বায়ান:
(তাদেরকে বলা হল) ‘পলায়ন করো না, বরং তোমাদের ভোগ-বিলাসিতায় এবং ঘরবাড়িতে ফিরে যাও, যেন তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
(ফেরেশতারা তাদেরকে ঠাট্টা করে বলেছিল) পালিয়ে যেয়ো না, ফিরে এসো তোমরা যে ভোগ-বিলাসে মত্ত ছিলে তার দিকে আর তোমাদের আবাসগুলোতে, যাতে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় (‘আযাবের রূপটা কেমন দেখলে?)।
Sahih International:
[Some angels said], "Do not flee but return to where you were given luxury and to your homes - perhaps you will be questioned."



قَالُوْا یٰوَیْلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-ওয়াইলানাইন্না-কুন্না-জা-লিমীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! আমরা তো অবশ্যই যালিম ছিলাম।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! আমরা সত্যিই অন্যায়কারী ছিলাম।’
Sahih International:
They said, "O woe to us! Indeed, we were wrongdoers."



فَمَا زَالَتْ تِّلْکَ دَعْوٰىهُمْ حَتّٰی جَعَلْنٰهُمْ حَصِیْدًا خٰمِدِیْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফামা-যা-লাত তিলকা দা‘ওয়া-হুম হাত্তা-জা‘আলনা-হুম হাসীদান খা-মিদীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদের এই বিলাপ চলতে থাকে আমি তাদেরকে কেটে ফেলা শস্য ও নিভে যাওয়া আগুন সদৃশ না করা পর্যন্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের এ আর্তনাদ বন্ধ হয়নি যতক্ষণ না আমি তাদেরকে করেছিলাম কাটা শস্য ও নিভানো আগুনের মত।
Sahih International:
And that declaration of theirs did not cease until We made them [as] a harvest [mowed down], extinguished [like a fire].



وَ مَا خَلَقْنَا السَّمَآءَ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَا لٰعِبِیْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-খালাকনাছছামাআ ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-লা-‘ইবীন।
আল বায়ান:
আসমান-যমীন ও তাদের মাঝখানে যা কিছু আছে তার কোন কিছুই আমি খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান, যমীন আর এ দু’য়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা আমি খেলতে খেলতে বানাইনি।
Sahih International:
And We did not create the heaven and earth and that between them in play.



لَوْ اَرَدْنَاۤ اَنْ نَّتَّخِذَ لَهْوًا لَّاتَّخَذْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّاۤ ٭ۖ اِنْ کُنَّا فٰعِلِیْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
লাও আরাদনাআন নাত্তাখিযা লাহওয়াল্লাত্তাখাযনা -হু মিল্লাদুন্না ইন কুন্না-ফা-‘ইলীন ।
আল বায়ান:
আমি যদি খেলার উপকরণ গ্রহণ করতে চাইতাম, তবে আমার কাছে যা আছে তা দিয়েই করতাম। কিন্তু আমি তা করিনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যদি খেলাধূলার বস্তু বানাতে চাইতাম তাহলে আমার কাছে যা আছে তা নিয়েই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হত!
Sahih International:
Had We intended to take a diversion, We could have taken it from [what is] with Us - if [indeed] We were to do so.



بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَی الْبَاطِلِ فَیَدْمَغُهٗ فَاِذَا هُوَ زَاهِقٌ ؕ وَ لَکُمُ الْوَیْلُ مِمَّا تَصِفُوْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
বাল নাকযিফুবিলহাক্কি‘আলাল বা-তিলি ফাইয়াদমাগুহূফাইযা-হুওয়া যা-হিকুও ওয়ালাকুমুল ওয়াইলুমিম্মা-তাসিফূন।
আল বায়ান:
বরং আমি মিথ্যার উপর সত্য নিক্ষেপ করি; ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং নিমিষেই তা বিলুপ্ত হয়। আর তোমাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ তোমরা যা বলছ তার জন্য ।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং আমি সত্যকে মিথ্যের উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর তা মিথ্যের মস্তক চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, তৎক্ষণাৎ মিথ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা (আল্লাহ সম্পর্কে অযথা বহু মিথ্যে কথা বানিয়ে নিয়ে) যা বলছ এ কারণে তোমাদের জন্য দুর্ভোগ।
Sahih International:
Rather, We dash the truth upon falsehood, and it destroys it, and thereupon it departs. And for you is destruction from that which you describe.



وَ لَهٗ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ مَنْ عِنْدَهٗ لَا یَسْتَکْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِهٖ وَ لَا یَسْتَحْسِرُوْنَ ﴿ۚ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাহূমান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি;ওয়ামান ‘ইন্দাহূলা-ইয়াছতাকবিরূনা ‘আন ‘ইবা-দাতিহী ওয়ালা-ইয়াছতাহছিরূন।
আল বায়ান:
আর আসমান-যমীনে যারা আছে তারা সবাই তাঁর; আর তাঁর কাছে যারা আছে তারা অহঙ্কারবশতঃ তাঁর ইবাদাত হতে বিমুখ হয় না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা তাঁরই মালিকানাধীন, আর যারা তাঁর সন্নিকটে আছে তারা গর্বভরে তাঁর ‘ইবাদাত থেকে বিমুখ হয় না, আর তারা (কক্ষনো তাঁর ‘ইবাদাত করার ব্যাপারে) ক্লান্তিবোধ করে না।
Sahih International:
To Him belongs whoever is in the heavens and the earth. And those near Him are not prevented by arrogance from His worship, nor do they tire.



یُسَبِّحُوْنَ الَّیْلَ وَ النَّهَارَ لَا یَفْتُرُوْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইউছাব্বিহূ নাল লাইলা ওয়ান নাহা-রা লা-ইয়াফতুরূন।
আল বায়ান:
তারা দিন-রাত তাঁর তাসবীহ পাঠ করে, তারা শিথিলতা দেখায় না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা রাত-দিন তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকে, তারা কক্ষনো শিথিলতা করে না বা আগ্রহ হারায় না।
Sahih International:
They exalt [Him] night and day [and] do not slacken.



اَمِ اتَّخَذُوْۤا اٰلِهَۃً مِّنَ الْاَرْضِ هُمْ یُنْشِرُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আমিততাখাযূআ-লিহাতাম মিনাল আরদিহুম ইউনশিরূন।
আল বায়ান:
তারা যেসব মাটির দেবতা গ্রহণ করেছে, সেগুলি কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (অর্থাৎ মুশরিকরা) মাটি থেকে (তৈরী) যে সব দেবতা গ্রহণ করেছে তারা কি (মৃতদেরকে) জীবিত করতে সক্ষম?
Sahih International:
Or have men taken for themselves gods from the earth who resurrect [the dead]?



لَوْ کَانَ فِیْهِمَاۤ اٰلِهَۃٌ اِلَّا اللّٰهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبْحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا یَصِفُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
লাও কা-না ফীহিমাআ-লিহাতুন ইল্লাল্লা-হু লাফাছাদাতা- ফাছুবহা-নাল্লা-হি রাব্বিল ‘আরশি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
আল বায়ান:
যদি আসমান ও যমীনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত, সুতরাং তারা যা বলে, আরশের রব আল্লাহ তা থেকে পবিত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান ও যমীনে যদি আল্লাহ ছাড়া আরো অনেক ইলাহ থাকত তবে (আসমান ও যমীন) উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। কাজেই আরশের অধিপতি আল্লাহ মহান ও পবিত্র সে সব থেকে যা তারা তাঁর প্রতি আরোপ করে।
Sahih International:
Had there been within the heavens and earth gods besides Allah, they both would have been ruined. So exalted is Allah, Lord of the Throne, above what they describe.



لَا یُسْـَٔلُ عَمَّا یَفْعَلُ وَ هُمْ یُسْـَٔلُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
লা-ইউছআলু‘আম্মা-ইয়াফ‘আলুওয়া হুম ইউছআলূন।
আল বায়ান:
তিনি যা করেন সে ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা যাবে না; বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি যা করেন সে ব্যাপারে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না, বরং তারা জিজ্ঞাসিত হবে (তাদের কাজের ব্যাপারে)।
Sahih International:
He is not questioned about what He does, but they will be questioned.



اَمِ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَۃً ؕ قُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَکُمْ ۚ هٰذَا ذِکْرُ مَنْ مَّعِیَ وَ ذِکْرُ مَنْ قَبْلِیْ ؕ بَلْ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ۙ الْحَقَّ فَهُمْ مُّعْرِضُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
আমিত তাখাযূমিন দূ নিহীআ-লিহাতান কুল হা-তূবুরহা-নাকুম হা-যা-যিকরু মাম মা‘ইয়া ওয়া যিকরু মান কাবলী বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূনাল হাক্কা ফাহুম মু‘রিদূ ন।
আল বায়ান:
তারা কি তাঁকে ছাড়া অনেক ইলাহ গ্রহণ করেছে? বল, ‘তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আস। আমার সাথে যারা আছে এটি তাদের জন্য উপদেশ এবং আমার পূর্বে যারা ছিল তাদের জন্যও এটাই ছিল উপদেশ।’ কিন্তু তাদের বেশীরভাগই প্রকৃত সত্যকে জানে না; তাই তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি তারা তাঁকে বাদ দিয়ে অনেক ইলাহ গ্রহণ করেছে? বল, ‘তোমরা তোমাদের প্রমাণ এনে হাযির কর। (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই) এটাই আমার সাথে যারা আছে তাদের কথা আর আমার পূর্বে যারা ছিল তাদেরও কথা, কিন্তু তাদের (অর্থাৎ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের) অধিকাংশই প্রকৃত সত্য জানে না, যার জন্য তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Sahih International:
Or have they taken gods besides Him? Say, [O Muhammad], "Produce your proof. This [Qur'an] is the message for those with me and the message of those before me." But most of them do not know the truth, so they are turning away.



وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِکَ مِنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا نُوْحِیْۤ اِلَیْهِ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعْبُدُوْنِ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআরছালনা-মিন কাবলিকা মির রাছূলিন ইল্লা-নূহীইলাইহি আন্নাহূলাইলা-হা ইল্লাআনা-ফা‘বুদূন।
আল বায়ান:
আর তোমার পূর্বে এমন কোন রাসূল আমি পাঠাইনি যার প্রতি আমি এই ওহী নাযিল করিনি যে, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং তোমরা আমার ইবাদাত কর।’
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার পূর্বে এমন কোন রসূলই পাঠাইনি যার প্রতি আমি ওয়াহী করিনি যে, আমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। কাজেই তোমরা আমারই ‘ইবাদাত কর।
Sahih International:
And We sent not before you any messenger except that We revealed to him that, "There is no deity except Me, so worship Me."



وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمٰنُ وَلَدًا سُبْحٰنَهٗ ؕ بَلْ عِبَادٌ مُّکْرَمُوْنَ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লুততাখাযার রাহমা-নুওয়ালাদান ছুবহা-নাহূ বাল ‘ইবা-দুম মুকরামূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘পরম করুণাময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি পবিত্র। বরং তারা* সম্মানিত বান্দা।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন’, তিনি এসব থেকে মহা পবিত্র। তারা হল তাঁর বান্দাহ যাদেরকে সম্মানে উন্নীত করা হয়েছে।
Sahih International:
And they say, "The Most Merciful has taken a son." Exalted is He! Rather, they are [but] honored servants.



لَا یَسْبِقُوْنَهٗ بِالْقَوْلِ وَ هُمْ بِاَمْرِهٖ یَعْمَلُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াছবিকূ নাহূবিলকাওলি ওয়া হুম বিআমরিহী ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
তারা তাঁর আগ বাড়িয়ে কোন কথা বলে না, তাঁর নির্দেশেই তো তারা কাজ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি কথা বলার আগেই তারা (অর্থাৎ সম্মানিত বান্দারা) কথা বলে না, তারা তাঁর নির্দেশেই কাজ করে।
Sahih International:
They cannot precede Him in word, and they act by His command.



یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ وَ لَا یَشْفَعُوْنَ ۙ اِلَّا لِمَنِ ارْتَضٰی وَ هُمْ مِّنْ خَشْیَتِهٖ مُشْفِقُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইয়াশফা‘ঊনা ইল্লালিমানিরতাদা-ওয়া হুম মিন খাশইয়াতিহী মুশফিকূন।
আল বায়ান:
তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে সবই তিনি জানেন। আর তারা শুধু তাদের জন্যই সুপারিশ করে যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট। তারা তাঁর ভয়ে ভীত।*
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের সামনে আর পেছনে যা আছে তা তিনি জানেন। তিনি যাদের প্রতি খুবই সন্তুষ্ট তাদের ব্যাপারে ছাড়া তারা কোন সুপারিশ করে না। তারা তাঁর ভয় ও সম্মানে ভীত-সন্ত্রস্ত।
Sahih International:
He knows what is [presently] before them and what will be after them, and they cannot intercede except on behalf of one whom He approves. And they, from fear of Him, are apprehensive.



وَ مَنْ یَّقُلْ مِنْهُمْ اِنِّیْۤ اِلٰهٌ مِّنْ دُوْنِهٖ فَذٰلِکَ نَجْزِیْهِ جَهَنَّمَ ؕ کَذٰلِکَ نَجْزِی الظّٰلِمِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইয়াকুল মিনহুম ইন্নীইলা-হুম মিন দূ নিহী ফাযা-লিকা নাজযীহি জাহান্নামা কাযা-লিকা নাজযিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর তাদের মধ্যে যে-ই বলবে, ‘তিনি ছাড়া আমি ইলাহ’, তাকেই আমি প্রতিদান হিসেবে জাহান্নাম দেব; এভাবেই আমি যালিমদের আযাব দিয়ে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের মধ্যে যে বলবে যে, ‘তিনি ব্যতীত আমিই ইলাহ’, তাহলে আমি তাকে তার প্রতিফল দেব জাহান্নাম। যালিমদেরকে আমি এভাবেই পুরস্কার দিয়ে থাকি।
Sahih International:
And whoever of them should say, "Indeed, I am a god besides Him"- that one We would recompense with Hell. Thus do We recompense the wrongdoers.



اَوَ لَمْ یَرَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ کَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنٰهُمَا ؕ وَ جَعَلْنَا مِنَ الْمَآءِ کُلَّ شَیْءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়ারাল্লাযীনা কাফারূআন্নছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা কা-নাতা-রাতকান ফাফাতাকনা-হুমা- ওয়া জা‘আলনা-মিনাল মাই কুল্লা শাইয়িন হাইয়ি আফালাইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল*, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশ আর যমীন এক সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম, আর প্রাণসম্পন্ন সব কিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?
Sahih International:
Have those who disbelieved not considered that the heavens and the earth were a joined entity, and We separated them and made from water every living thing? Then will they not believe?



وَ جَعَلْنَا فِی الْاَرْضِ رَوَاسِیَ اَنْ تَمِیْدَ بِهِمْ ۪ وَ جَعَلْنَا فِیْهَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّهُمْ یَهْتَدُوْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনা-ফিল আরদিরাওয়া-ছিয়া আন তামীদা বিহিম ওয়া জা‘আলনা ফীহাফিজাজান ছুবুলাল লা‘আল্লাহুম ইয়াহতাদূ ন।
আল বায়ান:
আর আমি যমীনে সৃষ্টি করেছি সুদৃঢ় পর্বত, যেন তা পর্বতসমূহ নিয়ে একদিকে হেলে না পড়ে*, আর আমি তাতে তৈরী করেছি প্রশস্ত রাস্তা, যেন তারা চলতে পারে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পৃথিবীতে আমি স্থাপন করেছি সুদৃঢ় পর্বত যাতে পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে নড়াচড়া না করে। আর তাতে সৃষ্টি করেছি প্রশস্ত পথ যাতে তারা পথ পেতে পারে।
Sahih International:
And We placed within the earth firmly set mountains, lest it should shift with them, and We made therein [mountain] passes [as] roads that they might be guided.



وَ جَعَلْنَا السَّمَآءَ سَقْفًا مَّحْفُوْظًا ۚۖ وَّ هُمْ عَنْ اٰیٰتِهَا مُعْرِضُوْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনাছছামাআ ছাকফাম মাহফূজাওঁ ওয়া হুম ‘আন আ-য়া-তিহা মু‘রিদূ ন।
আল বায়ান:
আর আমি আসমানকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ; কিন্তু তারা তার নিদর্শনাবলী হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ, কিন্তু এ সবের নিদর্শন থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Sahih International:
And We made the sky a protected ceiling, but they, from its signs, are turning away.



وَ هُوَ الَّذِیْ خَلَقَ الَّیْلَ وَ النَّهَارَ وَ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ ؕ کُلٌّ فِیْ فَلَکٍ یَّسْبَحُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াহুয়াল্লাযী খালাকাল লাইলা-ওয়ান্নাহা-রা ওয়াশ শামছা ওয়াল কামারা কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই রাত ও দিন এবং সূর্য ও চাঁদ সৃষ্টি করেছেন; সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন, সূর্য আর চন্দ্র, প্রত্যেকেই তার চক্রাকার পথে সাঁতার কাটছে।
Sahih International:
And it is He who created the night and the day and the sun and the moon; all [heavenly bodies] in an orbit are swimming.



وَ مَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّنْ قَبْلِکَ الْخُلْدَ ؕ اَفَا۠ئِنْ مِّتَّ فَهُمُ الْخٰلِدُوْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-জা‘আলনা-লিবাশারিম মিন কাবলিকাল খুলদা আফাইম মিত্তা ফাহুমুল খা-লিদূ ন।
আল বায়ান:
আর তোমার পূর্বে কোন মানুষকে আমি স্থায়ী জীবন দান করিনি; সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি অনন্ত জীবনসম্পন্ন হয়ে থাকবে ?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্বেও আমি কোন মানুষকে চিরস্থায়ী করিনি। তুমি যদি মারা যাও, তাহলে তারা কি চিরস্থায়ী হবে?
Sahih International:
And We did not grant to any man before you eternity [on earth]; so if you die - would they be eternal?



کُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَۃُ الْمَوْتِ ؕ وَ نَبْلُوْکُمْ بِالشَّرِّ وَ الْخَیْرِ فِتْنَۃً ؕ وَ اِلَیْنَا تُرْجَعُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
কুল্লুনাফছিন যাইকাতুল মাওতি ওয়া নাবলূকুম বিশশাররি ওয়াল খাইরি ফিতনাতাও ওয়া ইলাইনা-তুর জা‘ঊন ।
আল বায়ান:
প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আর ভাল ও মন্দ দ্বারা আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমার কাছেই তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেক আত্মাকে মৃত্যু আস্বাদন করত হবে। আমি তোমাদেরকে ভাল ও মন্দ (উভয়টি দিয়ে এবং উভয় অবস্থায় ফেলে এর) দ্বারা পরীক্ষা করি। আমার কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।
Sahih International:
Every soul will taste death. And We test you with evil and with good as trial; and to Us you will be returned.



وَ اِذَا رَاٰکَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِنْ یَّتَّخِذُوْنَکَ اِلَّا هُزُوًا ؕ اَهٰذَا الَّذِیْ یَذْکُرُ اٰلِهَتَکُمْ ۚ وَ هُمْ بِذِکْرِ الرَّحْمٰنِ هُمْ کٰفِرُوْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-রাআ-কাল্লাযীনা কাফারূইয়ঁইয়াত্তাখিযূনাকা ইল্লা-হুযুওয়ান আহাযাল্লাযী ইয়াযকুরু আ-লিহাতাকুম ওয়া হুম বিযিকরির রাহমা-নি হুম কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
আর যারা কুফরী করে তারা যখন তোমাকে দেখে তখন তোমাকে কেবল উপহাসের পাত্র হিসেবে গ্রহণ করে। তারা বলে, ‘এ কি সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের দেবতাদের সমালোচনা করে?’ অথচ তারাই ‘রহমান’-এর আলোচনার বিরোধিতা করে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা যখন তোমাকে দেখে, তখন তারা তোমাকে একমাত্র উপহাসের পাত্র হিসেবেই গণ্য করে। (আর তারা বলে) ‘এই কি সেই লোক যে তোমাদের দেবতাগুলোর ব্যাপারে কথা বলে? অথচ এই লোকগুলোই ‘রহমান’ (শব্দটির) উল্লেখকে অগ্রাহ্য করে।
Sahih International:
And when those who disbelieve see you, [O Muhammad], they take you not except in ridicule, [saying], "Is this the one who insults your gods?" And they are, at the mention of the Most Merciful, disbelievers.



خُلِقَ الْاِنْسَانُ مِنْ عَجَلٍ ؕ سَاُورِیْکُمْ اٰیٰتِیْ فَلَا تَسْتَعْجِلُوْنِ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
খুলিকাল ইনছা-নুমিন ‘আজালিন ছাঊরীকুম আ-য়া-তী ফালা-তাছতা‘জিলূন।
আল বায়ান:
মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে তাড়াহুড়ার প্রবণতা দিয়ে। অচিরেই আমি তোমাদেরকে দেখাব আমার নিদর্শনাবলী। সুতরাং তোমরা তাড়াহুড়া করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষকে তাড়াহুড়াকারী করে সৃষ্টি করা হয়েছে। শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনগুলো দেখাব (যে সব অলৌকিক ব্যাপার বদর ও অন্যান্য যুদ্ধে কাফিরদেরকে দেখানো হয়েছিল), কাজেই তোমরা আমাকে জলদি করতে বল না।
Sahih International:
Man was created of haste. I will show you My signs, so do not impatiently urge Me.



وَ یَقُوْلُوْنَ مَتٰی هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া-ইয়াকূ লূনা মাতা-হা-যাল ও‘দুইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এ ওয়াদা কখন পূর্ণ হবে?’
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলে ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে (বল) প্রতিশ্রুতি কখন বাস্তবে পরিণত হবে?’
Sahih International:
And they say, "When is this promise, if you should be truthful?"



لَوْ یَعْلَمُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا حِیْنَ لَا یَکُفُّوْنَ عَنْ وُّجُوْهِهِمُ النَّارَ وَ لَا عَنْ ظُهُوْرِهِمْ وَ لَا هُمْ یُنْصَرُوْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
লাও ইয়া‘লামুল্লাযীনা কাফারূহীনা লা-ইয়াকুফফূনা ‘আওঁউজুহিহিমুন্না-রা ওয়ালা-‘আন জু হূরিহিম ওয়ালা-হুম ইউনসারূন।
আল বায়ান:
হায়, কাফিররা যদি সে সময়ের কথা জানত, যখন তারা তাদের সামনে ও পেছন থেকে আগুন ফিরাতে পারবে না। আর তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না;
তাইসিরুল কুরআন:
অবিশ্বাসীরা যদি (সে সময়ের কথা) জানত যখন তারা তাদের মুখ হতে অগ্নি প্রতিরোধ করতে পারবে না, আর তাদের পিঠ থেকেও না, আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
Sahih International:
If those who disbelieved but knew the time when they will not avert the Fire from their faces or from their backs and they will not be aided...



بَلْ تَاْتِیْهِمْ بَغْتَۃً فَتَبْهَتُهُمْ فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَ رَدَّهَا وَ لَا هُمْ یُنْظَرُوْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
বাল তা’তীহিম বাগতাতান ফাতাবহাতুহুম, ফালা-ইয়াছতাতী‘উনা রাদ্দাহা-ওয়া লা-হুম ইউনজারূন।
আল বায়ান:
বরং অকস্মাৎ তাদের উপর তা এসে পড়বে। অতঃপর তাদেরকে হতবাক করে দেবে। ফলে তারা তা ফিরাতে সক্ষম হবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং তা তাদের উপর হঠাৎ এসে যাবে আর তা তাদেরকে হতবুদ্ধি করে দেবে। অতঃপর তারা তা রোধ করতে পারবে না, আর তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।
Sahih International:
Rather, it will come to them unexpectedly and bewilder them, and they will not be able to repel it, nor will they be reprieved.



وَ لَقَدِ اسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّنْ قَبْلِکَ فَحَاقَ بِالَّذِیْنَ سَخِرُوْا مِنْهُمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদিছ তুহযিআ বিরুছুলিম মিন কাবলিকা ফাহা-কাবিল্লাযীনা ছাখিরূমিনহুম মাকা-নূবিহী ইয়াছতাহযিউন।
আল বায়ান:
আর তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছিল; পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা করত তাই বিদ্রূপকারীদেরকে ঘিরে ফেলেছিল।*
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্বেও রসূলদেরকে ঠাট্টা করা হয়েছে, অতঃপর যা দিয়ে তারা ঠাট্টা করত তা উল্টো ঠাট্টা-বিদ্রুপই তাদেরকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছিল।
Sahih International:
And already were messengers ridiculed before you, but those who mocked them were enveloped by what they used to ridicule.



قُلْ مَنْ یَّکْلَؤُکُمْ بِالَّیْلِ وَ النَّهَارِ مِنَ الرَّحْمٰنِ ؕ بَلْ هُمْ عَنْ ذِکْرِ رَبِّهِمْ مُّعْرِضُوْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
কুল মাই ইয়াকলাউকুম বিল লাইলি ওয়ান নাহা-রি মিনার রাহমা-নি বাল হুম ‘আন যিকরি রাব্বিহিম মু‘রিদূন।
আল বায়ান:
বল, ‘রাতে এবং দিনে পরম করুণাময় থেকে কে তোমাদেরকে রক্ষা করবে?’ তবুও তারা তাদের রবের স্মরণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘কে তোমাদেরকে রাতে আর দিনে রহমান (এর গযব) থেকে নিরাপদ রাখতে পারে? তবুও তারা তাদের প্রতিপালকের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Sahih International:
Say, "Who can protect you at night or by day from the Most Merciful?" But they are, from the remembrance of their Lord, turning away.



اَمْ لَهُمْ اٰلِهَۃٌ تَمْنَعُهُمْ مِّنْ دُوْنِنَا ؕ لَا یَسْتَطِیْعُوْنَ نَصْرَ اَنْفُسِهِمْ وَ لَا هُمْ مِّنَّا یُصْحَبُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
আম লাহুম আ-লিহাতুন তামনা‘উহুম মিন দূ নিনা- লা ইয়াছতাতী‘উনা নাছরা আনফুছিহিম ওয়ালা-হুম মিন্না-ইউছহাবূন।
আল বায়ান:
আমি ছাড়া তাদের কি এমন কোন দেব-দেবী আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? তারা তো নিজদেরকেই সাহায্য করতে সক্ষম নয় এবং আমার বিরুদ্ধে তারা কোন সঙ্গীও পাবে না।*
তাইসিরুল কুরআন:
তবে কি তাদের এমন দেবদেবী আছে যা তাদেরকে রক্ষা করবে আমার (প্রতিরক্ষা) ছাড়াই? তারা তো নিজেদেরকেই সাহায্য করতে পারে না, আর তারা আমার বিরুদ্ধে কোন প্রতিরক্ষাও পাবে না।
Sahih International:
Or do they have gods to defend them other than Us? They are unable [even] to help themselves, nor can they be protected from Us.



بَلْ مَتَّعْنَا هٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَهُمْ حَتّٰی طَالَ عَلَیْهِمُ الْعُمُرُ ؕ اَفَلَا یَرَوْنَ اَنَّا نَاْتِی الْاَرْضَ نَنْقُصُهَا مِنْ اَطْرَافِهَا ؕ اَفَهُمُ الْغٰلِبُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
বাল মাত্তা‘না-হাউলাই ওয়া আ-বাআহুম হাত্তা-তা-লা ‘আলাইহিমুল ‘উমরু আফালা-ইয়ারাওনা আন্না-না’তিল আরদা নানকুসুহা-মিন আতরা-ফিহা- আফাহুমুল গা-লিবূন।
আল বায়ান:
বরং আমিই তাদেরকে ও তাদের পূর্বপুরুষদেরকে উপভোগ করতে দিয়েছিলাম; উপরন্তু তাদের হায়াতও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি চতুর্দিক থেকে তাঁদের দেশকে সঙ্কুচিত করে দিচ্ছি? তবুও কি তারা জয়ী হবে?
তাইসিরুল কুরআন:
বরং আমিই তাদেরকে আর তাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে পার্থিব ভোগ্যবস্তু দিয়েছিলাম আর তাদেরকে আয়ুও দেয়া হয়েছিল দীর্ঘ; তারা কি দেখছে না যে, আমি তাদের দেশকে চারপাশের (তাদের নিয়ন্ত্রিত) সীমান্ত হতে সংকুচিত করে আনছি? এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?’
Sahih International:
But, [on the contrary], We have provided good things for these [disbelievers] and their fathers until life was prolonged for them. Then do they not see that We set upon the land, reducing it from its borders? So it is they who will overcome?



قُلْ اِنَّمَاۤ اُنْذِرُکُمْ بِالْوَحْیِ ۫ۖ وَ لَا یَسْمَعُ الصُّمُّ الدُّعَآءَ اِذَا مَا یُنْذَرُوْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নামাউনযিরুকুম বিল ওয়াহয়ি ওয়ালা-ইয়াছমা‘উসসুম্মুদ দু‘আআ ইযা-মাইউনযারূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি তো কেবল ওহী দ্বারাই তোমাদেরকে সতর্ক করি’। কিন্তু যারা বধির তাদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে আহবান শোনে না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমি তোমাদেরকে একমাত্র (আল্লাহর) ওয়াহী দ্বারাই সতর্ক করি, কিন্তু বধিররা ডাক শুনবে না যখন তাদেরকে সতর্ক করা হয়।
Sahih International:
Say, "I only warn you by revelation." But the deaf do not hear the call when they are warned.



وَ لَئِنْ مَّسَّتْهُمْ نَفْحَۃٌ مِّنْ عَذَابِ رَبِّکَ لَیَقُوْلُنَّ یٰوَیْلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাইম মাছছাতহুম নাফহাতুমমিন‘আযা-বি রাব্বিকা লাইয়াকূলুন্না ইয়াওয়াইলানাইন্না-কুন্না-জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর তোমার রবের আযাবের সামান্য কিছুও যদি তাদেরকে স্পর্শ করে, তবে তারা অবশ্যই বলে উঠবে-‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের! আমরাতো অবশ্যই যালিম ছিলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের গযবের একটা নিঃশ্বাস যদি তাদের উপর পতিত হয় তবে তারা অবশ্য অবশ্যই বলে উঠবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! আমরাই তো ছিলাম অপরাধী।’
Sahih International:
And if [as much as] a whiff of the punishment of your Lord should touch them, they would surely say, "O woe to us! Indeed, we have been wrongdoers."



وَ نَضَعُ الْمَوَازِیْنَ الْقِسْطَ لِیَوْمِ الْقِیٰمَۃِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَیْئًا ؕ وَ اِنْ کَانَ مِثْقَالَ حَبَّۃٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَیْنَا بِهَا ؕ وَ کَفٰی بِنَا حٰسِبِیْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাদা‘উল মাওয়া-যীনাল কিছতা লিইয়াওমিল কিয়া-মাতি ফালা-তুজলামুনাফছুন শাইআ- ওয়া ইন কা-না মিছকা-লা হাব্বাতিম মিন খারদালিন আতাইনা-বিহা- ওয়াকাফা-বিনা-হা-ছিবীন।
আল বায়ান:
আর কিয়ামতের দিন আমি ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না। কারো কর্ম যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা হাযির করব। আর হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
আর কিয়ামাত দিবসে আমি সুবিচারের মানদন্ড স্থাপন করব, অতঃপর কারো প্রতি এতটুকুও অন্যায় করা হবে না। (কর্ম) সরিষার দানা পরিমাণ হলেও তা আমি হাযির করব, হিসাব গ্রহণে আমিই যথেষ্ট।
Sahih International:
And We place the scales of justice for the Day of Resurrection, so no soul will be treated unjustly at all. And if there is [even] the weight of a mustard seed, We will bring it forth. And sufficient are We as accountant.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسٰی وَ هٰرُوْنَ الْفُرْقَانَ وَ ضِیَآءً وَّ ذِکْرًا لِّلْمُتَّقِیْنَ ﴿ۙ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছা-ওয়া হা-রূনাল ফুরকা-না ওয়া দিয়াআওঁ ওয়া যিকরাল লিলমুত্তাকীন।
আল বায়ান:
আর আমি তো মূসা ও হারূনকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী দিয়েছিলাম এবং মুত্তাকীদের জন্য দিয়েছিলাম জ্যোতি ও উপদেশ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসা ও হারূনকে (সত্য-মিথ্যার) মানদন্ড, আলো ও বাণী দিয়েছিলাম মুত্তাকীদের জন্য।
Sahih International:
And We had already given Moses and Aaron the criterion and a light and a reminder for the righteous



الَّذِیْنَ یَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَیْبِ وَ هُمْ مِّنَ السَّاعَۃِ مُشْفِقُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি ওয়া হুম মিনাছছা-‘আতি মুশফিকূন।
আল বায়ান:
যারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে এবং কিয়ামত সম্পর্কে থাকে ভীত-সন্ত্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা না দেখেই তাদের প্রতিপালককে ভয় করে আর তারা কিয়ামাত সম্পর্কে ভীত-শংকিত।
Sahih International:
Who fear their Lord unseen, while they are of the Hour apprehensive.



وَ هٰذَا ذِکْرٌ مُّبٰرَکٌ اَنْزَلْنٰهُ ؕ اَفَاَنْتُمْ لَهٗ مُنْکِرُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হা-যা-যিকরুমমুবা-রাকুন আনযালনা-হু আফাআনতুম লাহূমুনকিরূন।
আল বায়ান:
আর এটা বরকতময় উপদেশ, যা আমি নাযিল করেছি। তবুও কি তোমরা তা অস্বীকার করবে?
তাইসিরুল কুরআন:
এ হচ্ছে কল্যাণময় উপদেশ বাণী, আমি তা নাযিল করেছি: তবুও কি তা তোমরা প্রত্যাখ্যান করবে?
Sahih International:
And this [Qur'an] is a blessed message which We have sent down. Then are you with it unacquainted?



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَاۤ اِبْرٰهِیْمَ رُشْدَهٗ مِنْ قَبْلُ وَ کُنَّا بِهٖ عٰلِمِیْنَ ﴿ۚ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনাইবরা-হীমা রুশদাহূমিন কাবলুওয়া কুন্না-বিহী ‘আ-লিমীন।
আল বায়ান:
আর আমি তো ইতঃপূর্বে ইবরাহীমকে সঠিক পথের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তার সম্পর্কে ছিলাম সম্যক অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইতোপূর্বে ইবরাহীমকে সঠিক পথে চলার জ্ঞান দান করেছিলাম আর তার সম্পর্কে আমি খুব ভালভাবে জানতাম।
Sahih International:
And We had certainly given Abraham his sound judgement before, and We were of him well-Knowing



اِذْ قَالَ لِاَبِیْهِ وَ قَوْمِهٖ مَا هٰذِهِ التَّمَاثِیْلُ الَّتِیْۤ اَنْتُمْ لَهَا عٰکِفُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লিআবীহি ওয়া কাওমিহী মা-হা-যিহিততামা-ছীলুল্লাতীআনতুম লাহা-‘আকিফূন।
আল বায়ান:
যখন সে তার পিতা ও তার কওমকে বলল, ‘এ মূর্তিগুলো কী, যেগুলোর পূজায় তোমরা রত রয়েছ’?
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে তার পিতাকে ও তার জাতিকে বলল, ‘এ মূর্তিগুলো কী যাদের সঙ্গে তোমরা নিজেদেরকে (ভক্তির বাঁধনে) বেঁধে রেখেছ?’
Sahih International:
When he said to his father and his people, "What are these statues to which you are devoted?"



قَالُوْا وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا لَهَا عٰبِدِیْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূওয়াজাদনাআ-বাআনা-লাহা-‘আ-বিদীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এদের পূজা করতে দেখেছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এদের পূজো করতে দেখেছি।
Sahih International:
They said, "We found our fathers worshippers of them."



قَالَ لَقَدْ کُنْتُمْ اَنْتُمْ وَ اٰبَآؤُکُمْ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাকাদ কুনতুম আনতুম ওয়া আ-বাউকুম ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা সবাই রয়েছ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘তোমরা রয়েছ স্পষ্ট গুমরাহীতে, তোমরা আর তোমাদের পিতৃপুরুষরাও।’
Sahih International:
He said, "You were certainly, you and your fathers, in manifest error."



قَالُوْۤا اَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ اَمْ اَنْتَ مِنَ اللّٰعِبِیْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লূআজি’তানা-বিলহাক্কিআম আনতা মিনাল্লা-‘ইবীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের নিকট সত্য নিয়ে এসেছ, নাকি তুমি খেল-তামাশা করছ’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের কাছে প্রকৃত সত্য এনেছ, না তুমি আমাদের সঙ্গে তামাশা করছ?’
Sahih International:
They said, "Have you come to us with truth, or are you of those who jest?"



قَالَ بَلْ رَّبُّکُمْ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ الَّذِیْ فَطَرَهُنَّ ۫ۖ وَ اَنَا عَلٰی ذٰلِکُمْ مِّنَ الشّٰهِدِیْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা বার রাব্বুকুম রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিল্লাযী ফাতারাহুন্না ওয়া আনা ‘আলা-যা-লিকুম মিনাশশা-হিদীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘না, বরং তোমাদের রব তো আসমানসমূহ ও যমীনের রব; যিনি এ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। আর এ বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘বরং, তোমাদের প্রতিপালক হলেন আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক যিনি ওগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, আর এ বিষয়ে আমি একজন সাক্ষ্যদাতা।
Sahih International:
He said, "[No], rather, your Lord is the Lord of the heavens and the earth who created them, and I, to that, am of those who testify.



وَ تَاللّٰهِ لَاَکِیْدَنَّ اَصْنَامَکُمْ بَعْدَ اَنْ تُوَلُّوْا مُدْبِرِیْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাল্লা-হি লাআকীদান্না আসনা-মাকুম বা‘দা আন তুওয়াললূমুদবিরীন।
আল বায়ান:
‘আর আল্লাহর কসম, তোমরা চলে যাওয়ার পর আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যাপারে অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
কসম আল্লাহর! তোমরা পেছন ফিরে চলে গেলেই আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্য অবশ্যই একটা কৌশল গ্রহণ করব।
Sahih International:
And [I swear] by Allah, I will surely plan against your idols after you have turned and gone away."



فَجَعَلَهُمْ جُذٰذًا اِلَّا کَبِیْرًا لَّهُمْ لَعَلَّهُمْ اِلَیْهِ یَرْجِعُوْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ফাজা‘আলাহুম জুযা-যান ইল্লা-কাবীরাল লাহুম লা‘আল্লাহুম ইলাইহি ইয়ারজি‘ঊন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে মূর্তিগুলোকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল তাদের বড়টি ছাড়া, যাতে তারা তাঁর দিকে ফিরে আসে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর সে মূর্তিগুলোকে টুকরো টুকরো করে দিল, ওগুলোর বড়টি ছাড়া, যাতে পূজারীরা ওটার প্রতিই মনোযোগী হয়।
Sahih International:
So he made them into fragments, except a large one among them, that they might return to it [and question].



قَالُوْا مَنْ فَعَلَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَاۤ اِنَّهٗ لَمِنَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লূমান ফা‘আলা হা-যা বিআ-লিহাতিনাইন্নাহূলামিনাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমাদের দেবদেবীগুলোর সাথে কে এমনটি করল? নিশ্চয় সে যালিম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমাদের মূর্তিগুলোর সাথে এমনটা কে করল? সে অবশ্যই যালিম।’
Sahih International:
They said, "Who has done this to our gods? Indeed, he is of the wrongdoers."



قَالُوْا سَمِعْنَا فَتًی یَّذْکُرُهُمْ یُقَالُ لَهٗۤ اِبْرٰهِیْمُ ﴿ؕ۶۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূছামি‘না ফাতাইঁ ইয়াযকুরুহুম ইউকা-লুলাহূইবরা-হীম।
আল বায়ান:
তাদের কেউ কেউ বলল, ‘আমরা শুনেছি এক যুবক এই মূর্তিগুলোর সমালোচনা করে। তাকে বলা হয় ইবরাহীম’।
তাইসিরুল কুরআন:
কেউ কেউ বলল, ‘এক যুবককে এদের সম্পর্কে বলতে শুনেছি, তাকে ইবরাহীম বলা হয়।’
Sahih International:
They said, "We heard a young man mention them who is called Abraham."



قَالُوْا فَاْتُوْا بِهٖ عَلٰۤی اَعْیُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمْ یَشْهَدُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূফা’তূবিহী ‘আলাআ‘ইউনিন্না-ছি লা‘আল্লাহুম ইয়াশহাদূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তাহলে তাকে লোকজনের সামনে নিয়ে এসো, যাতে তারা দেখতে পারে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘তাকে নিয়ে এসো লোকজনের সামনে যাতে তারা সাক্ষী হতে পারে।’
Sahih International:
They said, "Then bring him before the eyes of the people that they may testify."



قَالُوْۤا ءَاَنْتَ فَعَلْتَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَا یٰۤـاِبْرٰهِیْمُ ﴿ؕ۶۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূআআনতা ফা‘আলতা হা-যা-বিআ-লিহাতিনা ইয়াইবরা-হীম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে ইবরাহীম, তুমিই কি আমাদের দেবদেবীগুলোর সাথে এরূপ করেছ’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘ওহে ইবরাহীম! আমাদের উপাস্যদের সাথে তুমিই কি এমনটি করেছ?’
Sahih International:
They said, "Have you done this to our gods, O Abraham?"



قَالَ بَلْ فَعَلَهٗ ٭ۖ کَبِیْرُهُمْ هٰذَا فَسْـَٔلُوْهُمْ اِنْ کَانُوْا یَنْطِقُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা বাল ফা‘আলাহূ কাবীরুহুম হা-যা-ফাছআলূহুম ইন কা-নূইয়ানতিকূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘বরং তাদের এ বড়টিই একাজ করেছে। তাই এদেরকেই জিজ্ঞাসা কর, যদি এরা কথা বলতে পারে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘না, তাদের এই বড়টাই এ সব করেছে, তারা যদি কথা বলতে পারে তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর।’
Sahih International:
He said, "Rather, this - the largest of them - did it, so ask them, if they should [be able to] speak."



فَرَجَعُوْۤا اِلٰۤی اَنْفُسِهِمْ فَقَالُوْۤا اِنَّکُمْ اَنْتُمُ الظّٰلِمُوْنَ ﴿ۙ۶۴﴾
উচ্চারণ:
ফারাজা‘উইলাআনফুছিহিম ফাকা-লূইন্নাকুম আনতুমুজ্জা-লিমূন।
আল বায়ান:
তখন তারা নিজদের দিকে ফিরে গেল* এবং একে অন্যকে বলতে লাগল, ‘তোমরাই তো যালিম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তারা বিষয়টি নিয়ে মনে মনে চিন্তা করল এবং পরস্পর বলাবলি করল- তোমরা নিজেরাই তো অন্যায়কারী।
Sahih International:
So they returned to [blaming] themselves and said [to each other], "Indeed, you are the wrongdoers."



ثُمَّ نُکِسُوْا عَلٰی رُءُوْسِهِمْ ۚ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هٰۤؤُلَآءِ یَنْطِقُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা নুকিছূ‘আলা-রুঊছিহিম লাকাদ ‘আলিমতা মা-হাউলাই ইয়ানতিকূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদের মাথা অবনত হয়ে গেল এবং বলল, ‘তুমি তো জানই যে, এরা কথা বলতে পারে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের মাথা হেঁট হয়ে গেল। (তখন তারা বলল) ‘তুমি তো জানই ওরা কথা বলতে পারে না।’
Sahih International:
Then they reversed themselves, [saying], "You have already known that these do not speak!"



قَالَ اَفَتَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَنْفَعُکُمْ شَیْئًا وَّ لَا یَضُرُّکُمْ ﴿ؕ۶۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আফাতা‘বুদূনা মিন দূনিল্লা-হি মা-লা-ইয়ানফা‘উকুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইয়াদু ররুকুম।
আল বায়ান:
সে (ইবরাহীম) বলল, ‘তাহলে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদাত কর, যা তোমাদের কোন উপকার করতে পারে না এবং কোন ক্ষতিও করতে পারে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘তাহলে তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ‘ইবাদাত কর যা না পারে তোমাদের কোন উপকার করতে, আর না পারে তোমাদের ক্ষতি করতে?
Sahih International:
He said, "Then do you worship instead of Allah that which does not benefit you at all or harm you?



اُفٍّ لَّکُمْ وَ لِمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
উফফিল্লাকুম ওয়া লিমা-তা‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি আফালা-তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
‘ধিক তোমাদেরকে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদাত কর তাদেরকে! ‘তবুও কি তোমরা বুঝবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
ধিক তোমাদের প্রতি আর আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ‘ইবাদাত কর তাদেরও প্রতি। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না।
Sahih International:
Uff to you and to what you worship instead of Allah. Then will you not use reason?"



قَالُوْا حَرِّقُوْهُ وَ انْصُرُوْۤا اٰلِهَتَکُمْ اِنْ کُنْتُمْ فٰعِلِیْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লূহাররিকূহু ওয়ানসুরূআ-লিহাতাকুম ইন কুনতুম ফা-‘ইলীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তাকে আগুনে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের দেবদেবীদেরকে সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘তাকে পুড়িয়ে মার আর তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য কর- যদি তোমরা কিছু করতেই চাও।
Sahih International:
They said, "Burn him and support your gods - if you are to act."



قُلْنَا یٰنَارُ کُوْنِیْ بَرْدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤی اِبْرٰهِیْمَ ﴿ۙ۶۹﴾
উচ্চারণ:
কুলনা-ইয়া-না-রু কূনী বারদাওঁ ওয়া ছালা-মান ‘আলাইবরা-হীম।
আল বায়ান:
আমি বললাম, ‘হে আগুন, তুমি শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইবরাহীমের জন্য’ ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি বললাম, ‘হে অগ্নি! তুমি ইবরাহীমের জন্য শীতল ও শান্তিময় হয়ে যাও।’
Sahih International:
Allah said, "O fire, be coolness and safety upon Abraham."



وَ اَرَادُوْا بِهٖ کَیْدًا فَجَعَلْنٰهُمُ الْاَخْسَرِیْنَ ﴿ۚ۷۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আরা-দূবিহী কাইদান ফাজা‘আলনা-হুমুল আখছারীন।
আল বায়ান:
আর তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু আমি তাদেরকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল কিন্তু আমি তাদেরকেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে ছাড়লাম।
Sahih International:
And they intended for him harm, but We made them the greatest losers.



وَ نَجَّیْنٰهُ وَ لُوْطًا اِلَی الْاَرْضِ الَّتِیْ بٰرَکْنَا فِیْهَا لِلْعٰلَمِیْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাজ্জাইনা-হু ওয়া লূতান ইলাল আরদিল্লাতী বা-রাকনা-ফীহা-লিল‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে ও লূতকে উদ্ধার করে সে দেশে নিয়ে গেলাম, যেখানে আমি বিশ্ববাসীর জন্য বরকত রেখেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাকে ও (তার ভ্রাতুষ্পুত্র) লূতকে উদ্ধার করে তাদেরকে এমন দেশে (অর্থাৎ ফিলিস্তিনে) নিয়ে গেলাম যা আমি বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণময় করেছি।
Sahih International:
And We delivered him and Lot to the land which We had blessed for the worlds.



وَ وَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ ؕ وَ یَعْقُوْبَ نَافِلَۃً ؕ وَ کُلًّا جَعَلْنَا صٰلِحِیْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াহাবনা-লাহূইছহা-কা ওয়া ইয়া‘কূবা নাফিলাতাও ওয়া কুল্লান জা‘আলনা-সা-লিহীন ।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়াকূবকে অতিরিক্ত হিসেবে; আর তাদের প্রত্যেককেই আমি সৎকর্মশীল করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইবরাহীমকে দান করেছিলাম ইসহাক, আর অতিরিক্ত হিসেবে (পৌত্র) ইয়া‘কুব, (তাদের) প্রত্যেককেই আমি করেছিলাম সৎকর্মশীল।
Sahih International:
And We gave him Isaac and Jacob in addition, and all [of them] We made righteous.



وَ جَعَلْنٰهُمْ اَئِمَّۃً یَّهْدُوْنَ بِاَمْرِنَا وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْهِمْ فِعْلَ الْخَیْرٰتِ وَ اِقَامَ الصَّلٰوۃِ وَ اِیْتَآءَ الزَّکٰوۃِ ۚ وَ کَانُوْا لَنَا عٰبِدِیْنَ ﴿ۚۙ۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাআলনা-হুম আইম্মাতাইঁ ইয়াহদূ না বিআমরিনা-ওয়াআওহাইনাইলাইহিম ফি‘লাল খাইরা-তি ওয়া ইকা-মাসসালা-তি ওয়া ঈতাআযযাকা-তি ওয়া কা-নূলানা-‘আবিদীন ।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে আমি নেতা বানিয়েছিলাম, তারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে সঠিক পথ দেখাত। আমি তাদের প্রতি সৎকাজ করার, সালাত কায়েম করার এবং যাকাত প্রদান করার জন্য ওহী প্রেরণ করেছিলাম। আর তারা আমারই ইবাদাত করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদেরকে বানিয়েছিলাম নেতা, তারা আমার নির্দেশে মানুষকে সঠিক পথ দেখাত। তাদের প্রতি ওয়াহী করেছিলাম সৎ কাজ করার জন্য, নিয়মিত নামায প্রতিষ্ঠা করার ও যাকাত প্রদানের জন্য, তারা আমারই ‘ইবাদাত করত।
Sahih International:
And We made them leaders guiding by Our command. And We inspired to them the doing of good deeds, establishment of prayer, and giving of zakah; and they were worshippers of Us.



وَ لُوْطًا اٰتَیْنٰهُ حُکْمًا وَّ عِلْمًا وَّ نَجَّیْنٰهُ مِنَ الْقَرْیَۃِ الَّتِیْ کَانَتْ تَّعْمَلُ الْخَبٰٓئِثَ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَوْمَ سَوْءٍ فٰسِقِیْنَ ﴿ۙ۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লূতান আ-তাইনা-হু হুকমাওঁ ওয়া ‘ইল মাওঁ ওয়া নাজ্জাইনা-হু মিনাল কারয়াতিল্লাতী কা-নাত তা‘মালুল খাবাইছা ইন্নাহুম কা-নূকাওমা ছাওইন ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
আর লূতকে আমি প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দান করেছিলাম। আমি তাকে এমন এক জনপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম, যার অধিবাসীরা অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিল। তারা ছিল এক মন্দ ও পাপাচারী কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি লূতকেও দিয়েছিলাম বিচারশক্তি ও জ্ঞান। আমি তাকে উদ্ধার করেছিলাম সেই জনবসতি থেকে যা অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিল, তারা ছিল এক খারাপ পাপাচারী জাতি।
Sahih International:
And to Lot We gave judgement and knowledge, and We saved him from the city that was committing wicked deeds. Indeed, they were a people of evil, defiantly disobedient.



وَ اَدْخَلْنٰهُ فِیْ رَحْمَتِنَا ؕ اِنَّهٗ مِنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আদখাল না-হু ফী রাহমাতিনা- ইন্নাহূমিনাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে আমার রহমতের মধ্যে শামিল করে নিয়েছিলাম। সে ছিল সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে আমার রাহমাতের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম, সে ছিল সৎ কর্মশীলদের একজন।
Sahih International:
And We admitted him into Our mercy. Indeed, he was of the righteous.



وَ نُوْحًا اِذْ نَادٰی مِنْ قَبْلُ فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ فَنَجَّیْنٰهُ وَ اَهْلَهٗ مِنَ الْکَرْبِ الْعَظِیْمِ ﴿ۚ۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নূহান ইযনা-দা-মিন কাবলুফাছতাজাবনা-লাহূফানাজ্জাইনা-হুওয়াআহলাহূমিনাল কারবিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর নূহের কথা, ইতঃপূর্বে যখন সে আমাকে ডেকেছিল, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। অতঃপর তাকে ও তার পরিবারবর্গকে আমি মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর নূহের কথা, ইতোপূর্বে যখন সে (আমাকে) ডেকেছিল, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম আর তাকে ও তার পরিবারবর্গকে মহা বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলাম।
Sahih International:
And [mention] Noah, when he called [to Allah] before [that time], so We responded to him and saved him and his family from the great flood.



وَ نَصَرْنٰهُ مِنَ الْقَوْمِ الَّذِیْنَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَوْمَ سَوْءٍ فَاَغْرَقْنٰهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাসারনা-হু মিনাল কাওমিল্লাযীনা কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা- ইন্নাহুম কা-নূ কাওমা ছাওইন ফাআগরাকনা-হুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিলাম, যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিল। তারা ছিল এক মন্দ কওম। তাই আমি তাদের সকলকেই পানিতে ডুবিয়ে মেরেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাকে সেই লোকেদের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিলাম যারা আমার আয়াতকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল, তারা ছিল এক খারাপ সম্প্রদায়, কাজেই তাদের সব্বাইকে (বানে) ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।
Sahih International:
And We saved him from the people who denied Our signs. Indeed, they were a people of evil, so We drowned them, all together.



وَ دَاوٗدَ وَ سُلَیْمٰنَ اِذْ یَحْکُمٰنِ فِی الْحَرْثِ اِذْ نَفَشَتْ فِیْهِ غَنَمُ الْقَوْمِ ۚ وَ کُنَّا لِحُکْمِهِمْ شٰهِدِیْنَ ﴿٭ۙ۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দাঊদা ওয়া ছুলাইমা-না ইযইয়াহকুমা-নি ফিল হারছি ইযনাফাশাত ফীহি গানামুল কাওমি ওয়াকুন্না-লিহুকমিহিম শা-হিদীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর দাঊদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা শস্যক্ষেত সম্পর্কে বিচার করছিল। যাতে রাতের বেলায় কোন কওমের মেষ ঢুকে পড়েছিল। আর আমি তাদের বিচার কাজ দেখছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর দাঊদ ও সুলায়মানের কথা যখন তারা কৃষিক্ষেত সম্পর্কে বিচার করছিল যখন তাতে রাতের বেলা কোন ব্যক্তির মেষ ঢুকে পড়েছিল, আর আমি তাদের বিচারকার্য প্রত্যক্ষ করছিলাম।
Sahih International:
And [mention] David and Solomon, when they judged concerning the field - when the sheep of a people overran it [at night], and We were witness to their judgement.



فَفَهَّمْنٰهَا سُلَیْمٰنَ ۚ وَ کُلًّا اٰتَیْنَا حُکْمًا وَّ عِلْمًا ۫ وَّ سَخَّرْنَا مَعَ دَاوٗدَ الْجِبَالَ یُسَبِّحْنَ وَ الطَّیْرَ ؕ وَ کُنَّا فٰعِلِیْنَ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
ফাফাহহামনা-হা-ছুলাইমা-না ওয়া কুল্লান আ-তাইনা-হুকমাও ওয়া ‘ইলমাওঁ ওয়া ছাখখারনা-মা‘আ দা-ঊদাল জিবা-লা ইউছাব্বিহনা ওয়াততাইরা ওয়া কুন্না-ফা‘ইলীন ।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি এ বিষয়ের ফয়সালা সুলায়মানকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর আমি তাদের প্রত্যেককেই দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। আর আমি পর্বতমালা ও পাখীদেরকে দাঊদের অধীন করে দিয়েছিলাম, তারা দাঊদের সাথে আমার তাসবীহ পাঠ করত। আর এসবকিছু আমিই করছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সুলায়মানকে এ বিষয়ের (সঠিক) বুঝ দিয়েছিলাম আর (তাদের) প্রত্যেককে আমি দিয়েছিলাম বিচারশক্তি ও জ্ঞান। আমি পর্বত ও পাখীদেরকে দাঊদের অধীন ক’রে দিয়েছিলাম, তারা দাঊদের সাথে আমার মাহাত্ম্য ও পবিত্রতা ঘোষণা করত। (এসব) আমিই করতাম।
Sahih International:
And We gave understanding of the case to Solomon, and to each [of them] We gave judgement and knowledge. And We subjected the mountains to exalt [Us], along with David and [also] the birds. And We were doing [that].



وَ عَلَّمْنٰهُ صَنْعَۃَ لَبُوْسٍ لَّکُمْ لِتُحْصِنَکُمْ مِّنْۢ بَاْسِکُمْ ۚ فَهَلْ اَنْتُمْ شٰکِرُوْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আল্লামনা-হু সান‘আতা লাবূছিল লাকুম লিতুহছিনাকুম মিম বা’ছিকুম ফাহাল আনতুম শা-কিরূন।
আল বায়ান:
আর আমিই তাকে তোমাদের জন্য বর্ম বানানো শিক্ষা দিয়েছিলাম। যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারে। সুতরাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?
তাইসিরুল কুরআন:
আমিই তাকে বর্ম নির্মাণ শিক্ষা দিয়েছিলাম তোমাদের উপকারে তোমাদের পারস্পরিক যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করার জন্য, কাজেই তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?
Sahih International:
And We taught him the fashioning of coats of armor to protect you from your [enemy in] battle. So will you then be grateful?



وَ لِسُلَیْمٰنَ الرِّیْحَ عَاصِفَۃً تَجْرِیْ بِاَمْرِهٖۤ اِلَی الْاَرْضِ الَّتِیْ بٰرَکْنَا فِیْهَا ؕ وَ کُنَّا بِکُلِّ شَیْءٍ عٰلِمِیْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিছুলাইমা-নাররীহা ‘আ-সিফাতান তাজরী বিআমরিহীইলাল আরদিল্লাতী বা-রাকনাফীহা- ওয়াকুন্না-বিকুল্লি শাইয়িন ‘আ-লিমীন।
আল বায়ান:
আর আমি সুলায়মানের জন্য অনুগত করে দিয়েছিলাম প্রবল হাওয়াকে, যা তার নির্দেশে প্রবাহিত হত সেই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত রেখেছি। আর আমি প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কেই অবগত ছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
(আমার ক্ষমতা বলেই) আমি উদ্দাম বায়ুকে (স্বাভাবিক গতি সম্পন্ন) করেছিলাম সুলায়মানের জন্য। তার নির্দেশ মত তা প্রবাহিত হত সেই দেশের দিকে যাতে আমি কল্যাণ রেখেছি। আমি প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কেই অবগত ছিলাম।
Sahih International:
And to Solomon [We subjected] the wind, blowing forcefully, proceeding by his command toward the land which We had blessed. And We are ever, of all things, Knowing.



وَ مِنَ الشَّیٰطِیْنِ مَنْ یَّغُوْصُوْنَ لَهٗ وَ یَعْمَلُوْنَ عَمَلًا دُوْنَ ذٰلِکَ ۚ وَ کُنَّا لَهُمْ حٰفِظِیْنَ ﴿ۙ۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনাশশাইয়া-তীনি মাইঁ ইয়াগূছূনা লাহূওয়া ইয়া‘মালূনা ‘আমালান দূ না যা-লিকা ওয়া কুন্না-লাহুম হাফিজীন ।
আল বায়ান:
আর শয়তানদের মধ্যে কতক তার জন্য ডুবুরীর কাজ করত, এছাড়া অন্যান্য কাজও করত। আর আমিই তাদের জন্য হিফাযতকারী ছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
শয়ত্বানদের কতক তার জন্য ডুবুরির কাজ করত, এছাড়া অন্য কাজও করত, আমিই তাদেরকে রক্ষা করতাম।
Sahih International:
And of the devils were those who dived for him and did work other than that. And We were of them a guardian.



وَ اَیُّوْبَ اِذْ نَادٰی رَبَّهٗۤ اَنِّیْ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنْتَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِیْنَ ﴿ۚۖ۸۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আইঁয়ুবা ইযনা-দা-রাব্বাহূআন্নী মাছছানিয়াদদু ররু ওয়া আনতা আরহামুররা-হিমীন ।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর আইউবের কথা, যখন সে তার রবকে আহবান করে বলেছিল, ‘আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর আইয়ূবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে ডেকেছিল : (এই ব’লে যে) আমি দুঃখ কষ্টে নিপতিত হয়েছি, তুমি তো দয়ালুদের সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
Sahih International:
And [mention] Job, when he called to his Lord, "Indeed, adversity has touched me, and you are the Most Merciful of the merciful."



فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ فَکَشَفْنَا مَا بِهٖ مِنْ ضُرٍّ وَّ اٰتَیْنٰهُ اَهْلَهٗ وَ مِثْلَهُمْ مَّعَهُمْ رَحْمَۃً مِّنْ عِنْدِنَا وَ ذِکْرٰی لِلْعٰبِدِیْنَ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
ফাছতাজাবনা- লাহূফাকাশাফনা-মা-বিহী মিন দু ররিওঁ ওয়া আ-তাইনা-হু আহলাহূওয়া মিছলাহুম মা‘আহুম রাহমাতাম মিন ‘ইনদিনা-ওয়া যিকরা-লিল‘আ-বিদীন।
আল বায়ান:
তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম। আর তার যত দুঃখ-কষ্ট ছিল তা দূর করে দিলাম এবং তার পরিবার-পরিজন তাকে দিয়ে দিলাম। আর তাদের সাথে তাদের মত আরো দিলাম আমার পক্ষ থেকে রহমত এবং ইবাদাতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম আর তার দুঃখ ক্লেশ দূর করে দিয়েছিলাম। আর তার পরিবারবর্গকে তার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, আর তাদের সাথে তাদের মত আরো দিয়েছিলাম আমার পক্ষ হতে রহমত স্বরূপ আর আমার যারা ‘ইবাদাত করে তাদের জন্য স্মারক হিসেবে।
Sahih International:
So We responded to him and removed what afflicted him of adversity. And We gave him [back] his family and the like thereof with them as mercy from Us and a reminder for the worshippers [of Allah].



وَ اِسْمٰعِیْلَ وَ اِدْرِیْسَ وَ ذَاالْکِفْلِ ؕ کُلٌّ مِّنَ الصّٰبِرِیْنَ ﴿ۚۖ۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইছমা-‘ঈলা ওয়া ইদরীছা ওয়া যাল কিফলি কুল্লুম মিনাসসা-বিরীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস ও যুল্ কিফল এর কথা, তাদের প্রত্যেকেই ধৈর্যশীল ছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর ইসমা‘ঈল, ইদরীস ও জুল-কিফল এর কথা, তাদের প্রত্যেকেই ছিল ধৈর্যশীল।
Sahih International:
And [mention] Ishmael and Idrees and Dhul-Kifl; all were of the patient.



وَ اَدْخَلْنٰهُمْ فِیْ رَحْمَتِنَا ؕ اِنَّهُمْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আদখাল না-হুম ফী রাহমাতিনা- ইন্নাহুম মিনাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে আমি আমার রহমতে শামিল করেছিলাম। তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে আমার রাহমাতের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম, কারণ তারা ছিল সৎকর্মশীল।
Sahih International:
And We admitted them into Our mercy. Indeed, they were of the righteous.



وَ ذَاالنُّوْنِ اِذْ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ اَنْ لَّنْ نَّقْدِرَ عَلَیْهِ فَنَادٰی فِی الظُّلُمٰتِ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنْتَ سُبْحٰنَکَ ٭ۖ اِنِّیْ کُنْتُ مِنَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿ۚۖ۸۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যাননূনি ইযযাহাবা মুগা-দিবান ফাজান্না আল্লান নাকদিরা ‘আলাইহি ফানা-দাফিজজু লুমা-তি আল্লাইলা-হা ইল্লাআনতা ছুবহা-নাকা ইন্নী কুনতুমিনাজ্জালিমীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর যুন-নূন এর কথা, যখন সে রাগান্বিত অবস্থায় চলে গিয়েছিল এবং মনে করেছিল যে, আমি তার উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করব না। তারপর সে অন্ধকার থেকে ডেকে বলেছিল, ‘আপনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই’। আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম যালিম’ ।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর যুন্-নুন এর কথা- যখন সে গোস্বাভরে চলে গিয়েছিল, আর ভেবেছিল যে তার উপর আমার কোন ক্ষমতা খাটবে না। অতঃপর সে (সমুদ্রের) গভীর অন্ধকার থেকে ডেকেছিল যে, তুমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তোমারই পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা করছি; বাড়াবাড়ি আমিই করেছি।
Sahih International:
And [mention] the man of the fish, when he went off in anger and thought that We would not decree [anything] upon him. And he called out within the darknesses, "There is no deity except You; exalted are You. Indeed, I have been of the wrongdoers."



فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ ۙ وَ نَجَّیْنٰهُ مِنَ الْغَمِّ ؕ وَ کَذٰلِکَ نُــْۨجِی الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
ফাছতাজাবনা-লাহূওয়া নাজ্জাইনা-হু মিনাল গাম্মি ওয়া কাযা-লিকা নুনজিল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং দুশ্চিন্তা থেকে তাকে উদ্ধার করেছিলাম। আর এভাবেই আমি মুমিনদেরকে উদ্ধার করে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তখন তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম, আর দুঃশ্চিন্তা থেকে তাকে মুক্ত করেছিলাম। মু’মিনদেরকে আমি এভাবেই উদ্ধার করি।
Sahih International:
So We responded to him and saved him from the distress. And thus do We save the believers.



وَ زَکَرِیَّاۤ اِذْ نَادٰی رَبَّهٗ رَبِّ لَا تَذَرْنِیْ فَرْدًا وَّ اَنْتَ خَیْرُ الْوٰرِثِیْنَ ﴿ۚۖ۸۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যাকারিইইয়াইযনা-দা-রাব্বাহূরাব্বি লা-তাযারনী ফারদাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিছীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর যাকারিয়্যার কথা, যখন সে তার রবকে আহবান করে বলেছিল, ‘হে আমার রব! আমাকে একা রেখো না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর স্মরণ কর যাকারিয়ার কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে ডেকেছিল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সন্তানহীন করে রেখ না, যদিও তুমি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।’
Sahih International:
And [mention] Zechariah, when he called to his Lord, "My Lord, do not leave me alone [with no heir], while you are the best of inheritors."



فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ ۫ وَ وَهَبْنَا لَهٗ یَحْیٰی وَ اَصْلَحْنَا لَهٗ زَوْجَهٗ ؕاِنَّهُمْ کَانُوْا یُسٰرِعُوْنَ فِی الْخَیْرٰتِ وَ یَدْعُوْنَنَا رَغَبًا وَّ رَهَبًا ؕوَ کَانُوْا لَنَا خٰشِعِیْنَ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
ফছতাজাবনা-লাহূ ওয়া ওয়াহাবনা-লাহূইয়াহইয়া-ওয়া আসলাহনা-লাহূযাওজাহূ ইন্নাহুম কা-নূইউছা-রি‘ঊনা ফিল খাইরা-তি ওয়া ইয়াদঊনানা-রাগাবাওঁ ওয়া রাহাবাও ওয়া কা-নূলানা-খা-শি‘ঈন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তার আহবানে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া। আর তার জন্য তার স্ত্রীকে উপযোগী করেছিলাম। তারা সৎকাজে প্রতিযোগিতা করত। আর আমাকে আশা ও ভীতি সহকারে ডাকত। আর তারা ছিল আমার নিকট বিনয়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম আর তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া, আমি তার নিমিত্তে তার স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব দূর করে দিয়েছিলাম। এরা সৎ কাজে ছিল ক্ষিপ্রগতি, তারা আমাকে ডাকতো আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে, আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী।
Sahih International:
So We responded to him, and We gave to him John, and amended for him his wife. Indeed, they used to hasten to good deeds and supplicate Us in hope and fear, and they were to Us humbly submissive.



وَ الَّتِیْۤ اَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِیْهَا مِنْ رُّوْحِنَا وَ جَعَلْنٰهَا وَ ابْنَهَاۤ اٰیَۃً لِّلْعٰلَمِیْنَ ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাতীআহসানাত ফারজাহা-ফানাফাখনা-ফীহা-মির রূহিনা-ওয়া জা‘আলনা-হাওয়াবনাহাআ-য়াতাল লিল‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর সে নারীর কথা, যে নিজ সতীত্ব রক্ষা করেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার ‘রূহ’ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য করেছিলাম এক নিদর্শন ।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর সেই নারীর (অর্থাৎ মারইয়ামের) কথা যে তার সতীত্বকে সংরক্ষণ করেছিল। অতঃপর আমি তার ভিতর আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম আর তাকে ও তার পুত্রকে বিশ্বজগতের জন্য নিদর্শন করেছিলাম।
Sahih International:
And [mention] the one who guarded her chastity, so We blew into her [garment] through Our angel [Gabriel], and We made her and her son a sign for the worlds.



اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُکُمْ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً ۫ۖ وَّ اَنَا رَبُّکُمْ فَاعْبُدُوْنِ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যিহীউম্মাতুকুম উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাওঁ ওয়া আনা রাব্বুকুম ফা‘বুদূ ন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমাদের এ জাতি তো একই জাতি। আর আমিই তোমাদের রব। অতএব তোমরা আমার ইবাদাত কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের এ সব জাতিগুলো একই জাতি, আর আমি তোমাদের প্রতিপালক, কাজেই আমারই ‘ইবাদাত কর।
Sahih International:
Indeed this, your religion, is one religion, and I am your Lord, so worship Me.



وَ تَقَطَّعُوْۤا اَمْرَهُمْ بَیْنَهُمْ ؕ کُلٌّ اِلَیْنَا رٰجِعُوْنَ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাকাততা‘ঊআমরাহুম বাইনাহুম কুল্লুন ইলাইনা-রা-জি‘উন।
আল বায়ান:
কিন্তু তারা নিজদের কার্যকলাপে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। সকলেই আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা (পরবর্তীতে) নিজেদের কাজ-কর্মে পরস্পর পার্থক্য সৃষ্টি করেছে, তা সত্ত্বেও তারা সবাই আমার কাছে ফিরে আসবে।
Sahih International:
And [yet] they divided their affair among themselves, [but] all to Us will return.



فَمَنْ یَّعْمَلْ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ هُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا کُفْرَانَ لِسَعْیِهٖ ۚ وَ اِنَّا لَهٗ کٰتِبُوْنَ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিনাসসা-লিহা-তি ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফালা কুফরা-না লিছা‘য়িহী ওয়া ইন্না-লাহূকা-তিবূন।
আল বায়ান:
সুতরাং যে মুমিন অবস্থায় সৎকাজ করে তার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করা হবে না। আর আমি তো তা লিখে রাখি।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই কেউ যদি মু’মিন হয়ে সৎ কাজ করে, তবে তার প্রচেষ্টা অস্বীকার করা হবে না, আমি তা তার জন্য লিখে রাখি।
Sahih International:
So whoever does righteous deeds while he is a believer - no denial will there be for his effort, and indeed We, of it, are recorders.



وَ حَرٰمٌ عَلٰی قَرْیَۃٍ اَهْلَکْنٰهَاۤ اَنَّهُمْ لَا یَرْجِعُوْنَ ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হারা-মুন ‘আলা-কারইয়াতিন আহলাকনা-হাআন্নাহুম লা-ইয়ারজি‘ঊন।
আল বায়ান:
আর আমি যে জনপদকে ধ্বংস করেছি তার সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তার অধিবাসীবৃন্দ আর ফিরে আসবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যে সব জনবসতি ধ্বংস করেছি তাদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে যে তারা আর ফিরে আসবে না।
Sahih International:
And there is prohibition upon [the people of] a city which We have destroyed that they will [ever] return



حَتّٰۤی اِذَا فُتِحَتْ یَاْجُوْجُ وَ مَاْجُوْجُ وَ هُمْ مِّنْ کُلِّ حَدَبٍ یَّنْسِلُوْنَ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা-ফুতিহাত ইয়া’জুজুওয়ামা’জুজুওয়া হুম মিন কুল্লি হাদাবিইঁ ইয়ানছিলূন।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন ইয়া’জূজ ও মা’জূজকে মুক্তি দেয়া হবে, আর তারা প্রতিটি উঁচু ভূমি হতে ছুটে আসবে।
তাইসিরুল কুরআন:
এমনকি (তখনও তারা ফিরে আসবে না) যখন ইয়া’জূজ ও মা’জূজের জন্য (প্রাচীর) খুলে দেয়া হবে আর তারা প্রতিটি পাহাড় কেটে ছুটে আসবে।
Sahih International:
Until when [the dam of] Gog and Magog has been opened and they, from every elevation, descend



وَ اقْتَرَبَ الْوَعْدُ الْحَقُّ فَاِذَا هِیَ شَاخِصَۃٌ اَبْصَارُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا ؕ یٰوَیْلَنَا قَدْ کُنَّا فِیْ غَفْلَۃٍ مِّنْ هٰذَا بَلْ کُنَّا ظٰلِمِیْنَ ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকতালাবাল ওয়া‘দুল হাক্কুফাইযা-হিয়া শা-খিসাতুন আবসা-রুল্লাযীনা কাফারূ ইয়া-ওয়াইলানা-কাদ কুন্না-ফী গাফলাতিম মিন হা-যা-বাল কুন্না-জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর সত্য ওয়াদার সময় নিকটে আসলে হঠাৎ কাফিরদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। তারা বলবে, ‘হায়, আমাদের দুর্ভোগ! আমরা তো এ বিষয়ে উদাসীন ছিলাম বরং আমরা ছিলাম যালিম’ ।
তাইসিরুল কুরআন:
সত্য ওয়া‘দার (পূর্ণতার) সময় ঘনিয়ে আসবে, তখন আতঙ্কে কাফিরদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। (তখন তারা বলবে) হায়! আমরা তো এ ব্যাপারে উদাসীন ছিলাম, না, আমরা ছিলাম অন্যায়কারী।
Sahih International:
And [when] the true promise has approached; then suddenly the eyes of those who disbelieved will be staring [in horror, while they say], "O woe to us; we had been unmindful of this; rather, we were wrongdoers."



اِنَّکُمْ وَ مَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ ؕ اَنْتُمْ لَهَا وٰرِدُوْنَ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকুম ওয়ামা-তা‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি হাসাবুজাহান্নামা আনতুম লাহা-ওয়া-রিদূ ন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমরা এবং আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের পূজা কর, সেগুলো তো জাহান্নামের জ্বালানী। তোমরা সেখানে প্রবেশ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা (কাফিররা) আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদের ‘ইবাদাত কর সেগুলো জাহান্নামের জ্বালানী। তাতে তোমরা প্রবেশ করবে।
Sahih International:
Indeed, you [disbelievers] and what you worship other than Allah are the firewood of Hell. You will be coming to [enter] it.



لَوْ کَانَ هٰۤؤُلَآءِ اٰلِهَۃً مَّا وَرَدُوْهَا ؕ وَ کُلٌّ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
লাও কা-না হাঊলাই আ-লিহাতামমা-ওয়ারাদূ হা- ওয়া কুল্লুন ফীহা-খা-লিদূ ন।
আল বায়ান:
যদি তারা ইলাহ হত তবে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করত না। আর তারা সবাই তাতে স্থায়ী হয়ে থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যদি ইলাহ হত, তাহলে তারা তাতে প্রবেশ করত না, তাতে তারা সবাই স্থায়ী হয়ে থাকবে।
Sahih International:
Had these [false deities] been [actual] gods, they would not have come to it, but all are eternal therein.



لَهُمْ فِیْهَا زَفِیْرٌ وَّ هُمْ فِیْهَا لَا یَسْمَعُوْنَ ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
লাহুম ফীহা-যাফীরুওঁ ওয়াহুম ফীহা-লা-ইয়াছমা‘ঊন।
আল বায়ান:
সেখানে থাকবে তাদের আর্তনাদ, আর সেখানে তারা শুনতে পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদবে, সেখানে কিছুই শুনবে না।
Sahih International:
For them therein is heavy sighing, and they therein will not hear.



اِنَّ الَّذِیْنَ سَبَقَتْ لَهُمْ مِّنَّا الْحُسْنٰۤی ۙ اُولٰٓئِکَ عَنْهَا مُبْعَدُوْنَ ﴿۱۰۱﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা ছাবাকাত লাহুম মিন্নাল হুছনা উলাইকা ‘আনহা-মুব‘আদূ ন।
আল বায়ান:
আমার পক্ষ থেকে যাদের জন্য পূর্বেই কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে তাদেরকে তা থেকে দূরে রাখা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
পূর্ব থেকেই আমার পক্ষ হতে যাদের জন্য কল্যাণ নির্ধারিত আছে তাদেরকে তাত্থেকে (অর্থাৎ জাহান্নাম থেকে) বহু দূরে রাখা হবে।
Sahih International:
Indeed, those for whom the best [reward] has preceded from Us - they are from it far removed.



لَا یَسْمَعُوْنَ حَسِیْسَهَا ۚ وَ هُمْ فِیْ مَا اشْتَهَتْ اَنْفُسُهُمْ خٰلِدُوْنَ ﴿۱۰۲﴾ۚ
উচ্চারণ:
লা-ইয়াছমা‘ঊনা হাছীছাহা- ওয়া হুম ফী মাশতাহাত আনফুছুহুম খা-লিদূ ন।
আল বায়ান:
তারা জাহান্নামের ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাবে না। সেখানে তারা তাদের মনঃপুত বস্তুর মধ্যে চিরকাল থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা জাহান্নামের ক্ষীণতম শব্দও শুনবে না, আর তারা তাদের মনের বাসনা অনুযায়ী চিরকাল বসবাস করবে।
Sahih International:
They will not hear its sound, while they are, in that which their souls desire, abiding eternally.



لَا یَحْزُنُهُمُ الْفَزَعُ الْاَکْبَرُ وَ تَتَلَقّٰهُمُ الْمَلٰٓئِکَۃُ ؕ هٰذَا یَوْمُکُمُ الَّذِیْ کُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ ﴿۱۰۳﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াহযুনুহুমুল ফাযা‘উল আকবারু ওয়া তাতালাক্কা-হুমুল মালাইকাতু হা-যাইয়াওমুকুমুল্লাযী কুনতুম তূ‘আদূ ন।
আল বায়ান:
মহাভীতি তাদেরকে পেরেশান করবে না। আর ফেরেশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলবে, ‘এটাই তোমাদের সেই দিন, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
মহা ত্রাস তাদেরকে চিন্তাযুক্ত করবে না, আর ফেরেশতাগণ তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাবে (এই কথা বলে যে), ‘এটাই তোমাদের দিন যার ওয়া‘দা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল।
Sahih International:
They will not be grieved by the greatest terror, and the angels will meet them, [saying], "This is your Day which you have been promised" -



یَوْمَ نَطْوِی السَّمَآءَ کَطَیِّ السِّجِلِّ لِلْکُتُبِ ؕ کَمَا بَدَاْنَاۤ اَوَّلَ خَلْقٍ نُّعِیْدُهٗ ؕ وَعْدًا عَلَیْنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیْنَ ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা নাতবিছছামাআ কাতাইয়িছছিজিলিল লিলকুতুবি কামা-বাদা’নাআওয়ালা খালকিন নু‘ঈদুহূ ওয়া‘দান ‘আলাইনা- ইন্না-কুন্না-ফা-‘ইলীন ।
আল বায়ান:
সে দিন আমি আসমানসমূহকে গুটিয়ে নেব, যেভাবে গুটিয়ে রাখা হয় লিখিত দলীল-পত্রাদি। যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম সেভাবেই পুনরায় সৃষ্টি করব। ওয়াদা পালন করা আমার কর্তব্য। আমি তা পালন করবই।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব যেমনভাবে (লিখিত) কাগজ-দলীল গুটিয়ে রাখা হয়। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে আবার সৃষ্টি করব। ওয়া‘দা আমি করেছি, তা আমি পূর্ণ করবই।
Sahih International:
The Day when We will fold the heaven like the folding of a [written] sheet for the records. As We began the first creation, We will repeat it. [That is] a promise binding upon Us. Indeed, We will do it.



وَ لَقَدْ کَتَبْنَا فِی الزَّبُوْرِ مِنْۢ بَعْدِ الذِّکْرِ اَنَّ الْاَرْضَ یَرِثُهَا عِبَادِیَ الصّٰلِحُوْنَ ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ কাতাবনা-ফিযযাবূরি মিম বা‘দিযযিকরি আন্নাল আরদা ইয়ারিছু হা-ইবা দিয়াসসা-লিহূন।
আল বায়ান:
আর উপদেশ দেয়ার পর আমি কিতাবে লিখে দিয়েছি যে, ‘আমার যোগ্যতর বান্দাগণই পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
(এর আগে মূসাকে) বাণী দেয়ার পর আমি যুবূরে লিখে দিয়েছিলাম যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাহ্গণই পৃথিবীর উত্তরাধিকার লাভ করবে।
Sahih International:
And We have already written in the book [of Psalms] after the [previous] mention that the land [of Paradise] is inherited by My righteous servants.



اِنَّ فِیْ هٰذَا لَبَلٰغًا لِّقَوْمٍ عٰبِدِیْنَ ﴿۱۰۶﴾ؕ
উচ্চারণ:
ইন্না ফী হা-যা-লাবালা-গাল লিকাওমিন ‘আ-বিদীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে ইবাদাতকারী সম্প্রদায়ের জন্য উপদেশ বাণী রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয়ই এতে (অর্থাৎ এই কুরআনে) উপদেশবাণী রয়েছে ‘ইবাদাতকারী লোকেদের জন্য।
Sahih International:
Indeed, in this [Qur'an] is notification for a worshipping people.



وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰکَ اِلَّا رَحْمَۃً لِّلْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۰۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআরছালনা-কা ইল্লা-রাহমাতাল লিল‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর আমি তো তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য পাঠিয়েছি কেবল রহমত হিসেবে।
Sahih International:
And We have not sent you, [O Muhammad], except as a mercy to the worlds.



قُلْ اِنَّمَا یُوْحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ فَهَلْ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নামা-ইঊহাইলাইয়া আন্নামাইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়াহিদুন ফাহাল আনতুম মুছলিমূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহ একক ইলাহ। সুতরাং তোমরা কি আত্মসমর্পণকারী হবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমার প্রতি এ ওয়াহীই করা হয়েছে যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ, কাজেই তোমরা কি তাঁর নির্দেশের প্রতি মাথা নত করবে?
Sahih International:
Say, "It is only revealed to me that your god is but one God; so will you be Muslims [in submission to Him]?"



فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ اٰذَنْتُکُمْ عَلٰی سَوَآءٍ ؕ وَ اِنْ اَدْرِیْۤ اَقَرِیْبٌ اَمْ بَعِیْدٌ مَّا تُوْعَدُوْنَ ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল আ-যানতুকুম ‘আলা-ছাওয়াইও ওয়া ইন আদরীআকারীবুন আম বা‘ঈদুম মা-তূ‘আদূ ন।
আল বায়ান:
তবে তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে তুমি বলে দিও, ‘আমি যথাযথভাবে তোমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। আর আমি জানি না তোমাদেরকে যে বিষয়ের ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা কি নিকটবর্তী না দূরবর্তী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে বল : আমি তোমাদের কাছে যথাযথভাবে বাণী পৌঁছে দিয়েছি। আর আমি জানি না তোমাদেরকে যার ওয়া‘দা দেয়া হয়েছে তা নিকটবর্তী, নাকি দূরবর্তী।
Sahih International:
But if they turn away, then say, "I have announced to [all of] you equally. And I know not whether near or far is that which you are promised.



اِنَّهٗ یَعْلَمُ الْجَهْرَ مِنَ الْقَوْلِ وَ یَعْلَمُ مَا تَکْتُمُوْنَ ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূইয়া‘লামুল জাহরা মিনাল কাওলি ওয়া ইয়া‘লামুমা-তাকতুমূন।
আল বায়ান:
তিনি প্রকাশ্য কথা সম্পর্কেও জানেন এবং তোমরা যা গোপন কর তাও জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি জানেন যে কথা প্রকাশ করা হয় আর তিনি জানেন যা তোমরা (তোমাদের অন্তরে) লুকিয়ে রাখ।
Sahih International:
Indeed, He knows what is declared of speech, and He knows what you conceal.



وَ اِنْ اَدْرِیْ لَعَلَّهٗ فِتْنَۃٌ لَّکُمْ وَ مَتَاعٌ اِلٰی حِیْنٍ ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন আদরী লা‘আল্লাহূফিতনাতুল লাকুম ওয়া মাতা-‘উন ইলা-হীন।
আল বায়ান:
আর আমি জানি না হয়তো তা তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা কিছু কালের জন্য উপভোগের সুযোগ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি জানি না সম্ভবতঃ বিলম্বের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে পরীক্ষা আর কিছু কালের জন্য সুখভোগের সুযোগ।
Sahih International:
And I know not; perhaps it is a trial for you and enjoyment for a time."



قٰلَ رَبِّ احْکُمْ بِالْحَقِّ ؕ وَ رَبُّنَا الرَّحْمٰنُ الْمُسْتَعَانُ عَلٰی مَا تَصِفُوْنَ ﴿۱۱۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বিহকুম বিলহাক্কি ওয়া রাব্বুনার রাহমা-নুল মুছতা‘আ-নু‘আলা-মাতাসিফূন।
আল বায়ান:
রাসূল বলেছিল, ‘হে আমার রব, আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করে দিন’। আর আমাদের রব তো পরম করুণাময়। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র সহায়স্থল।
তাইসিরুল কুরআন:
রসূল বলেছিল- হে আমার প্রতিপালক! তুমি ন্যায্য মীমাংসা করে দাও, আর আমাদের প্রতিপালক তো দয়ার আধার। তোমরা (তাঁর বিরুদ্ধে) যে সব কথা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র আশ্রয়স্থল।
Sahih International:
[The Prophet] has said, "My Lord, judge [between us] in truth. And our Lord is the Most Merciful, the one whose help is sought against that which you describe."






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।