আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَوْفُوْا بِالْعُقُوْدِ ۬ؕ اُحِلَّتْ لَکُمْ بَهِیْمَۃُ الْاَنْعَامِ اِلَّا مَا یُتْلٰی عَلَیْکُمْ غَیْرَ مُحِلِّی الصَّیْدِ وَ اَنْتُمْ حُرُمٌ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَحْکُمُ مَا یُرِیْدُ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূআওফূবিল‘উকূদি উহিল্লাত লাকুম বাহীমাতুল আন‘আ-মি ইল্লা-মা-ইউতলা-‘আলাইকুম গাইরা মুহিলিলসসাইদি ওয়া আনতুম হুরুমুন ইন্নাল্লা-হা ইয়াহকুমুমা-ইউরীদ।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর। তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, তোমাদের নিকট যা বর্ণনা করা হচ্ছে তা ছাড়া। তবে ইহরাম অবস্থায় শিকারকে হালাল করবে না। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা বিধান দেন।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে মু’মিনগণ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর। তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হল- সেগুলো ছাড়া যেগুলোর বিবরণ তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে, আর ইহরাম অবস্থায় শিকার করা অবৈধ। আল্লাহ যা চান হুকুম দেন।
Sahih International:
O you who have believed, fulfill [all] contracts. Lawful for you are the animals of grazing livestock except for that which is recited to you [in this Qur'an] - hunting not being permitted while you are in the state of ihram. Indeed, Allah ordains what He intends.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُحِلُّوْا شَعَآئِرَ اللّٰهِ وَ لَا الشَّهْرَ الْحَرَامَ وَ لَا الْهَدْیَ وَ لَا الْقَلَآئِدَ وَ لَاۤ آٰمِّیْنَ الْبَیْتَ الْحَرَامَ یَبْتَغُوْنَ فَضْلًا مِّنْ رَّبِّهِمْ وَ رِضْوَانًا ؕ وَ اِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوْا ؕ وَ لَا یَجْرِمَنَّکُمْ شَنَاٰنُ قَوْمٍ اَنْ صَدُّوْکُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ اَنْ تَعْتَدُوْا ۘ وَ تَعَاوَنُوْا عَلَی الْبِرِّ وَ التَّقْوٰی ۪ وَ لَا تَعَاوَنُوْا عَلَی الْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِ ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ شَدِیْدُ الْعِقَابِ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তুহিললূশা‘আইরাল্লা-হি ওলাশশাহরাল হারা-মা ওয়ালাল হাদইয়া ওয়ালাল কালাইদা ওয়ালাআম্মীনাল বাইতাল হারা-মা ইয়াবতাগূনা ফাদলাম মির রাব্বিহিম ওয়া রিদওয়ানাওঁ ওয়া ইযা-হালালতুম ফাসতা-দূ ওয়ালা-ইয়াজরিমান্নাকুম শানাআ-নুকাওমিন আন সাদ্দূকুম ‘আনিল মাছজিদিল হারা-মি আন তা‘তাদূ । ওয়া তা‘আ-ওয়ানূ‘আলাল বিররি ওয়াত্তাকওয়া- ওয়ালা-তা‘আ-ওয়ানূ‘আলাল ইছমি ওয়াল ‘উদওয়া-নি ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা অসম্মান করো না আল্লাহর নিদর্শনসমূহের, হারাম মাসের, হারামে প্রেরিত কুরবানীর পশুর, গলায় চি‎হ্ন দেয়া পশুর এবং আপন রবের অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অনুসন্ধানে পবিত্র গৃহের অভিমুখীদের। যখন তোমরা হালাল হও, তখন শিকার কর। কোন কওমের শত্রুতা যে, তারা তোমাদেরকে মসজিদে হারাম থেকে বাধা প্রদান করেছে, তোমাদেরকে যেন কখনো প্ররোচিত না করে যে, তোমরা সীমালঙ্ঘন করবে। সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে মু’মিনগণ! আল্লাহর নিদর্শনাবলীর, হারাম মাসের, কা‘বায় প্রেরিত কুরবানীর পশুর এবং গলদেশে মাল্য পরিহিত পশুর অসম্মান করো না, যারা নিজ প্রতিপালকের অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে পবিত্র গৃহের আশ্রয়ে চলেছে তাদেরও (অবমাননা) করো না। তোমরা যখন ইহরামমুক্ত হবে তখন শিকার করতে পার। তোমাদেরকে যারা মসজিদে হারাম থেকে বাধা প্রদান করেছিল, তাদের প্রতি শত্রুতা তোমাদেরকে যেন অবশ্যই সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকাজ ও তাক্বওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ শাস্তি দানে অত্যন্ত কঠোর।
Sahih International:
O you who have believed, do not violate the rites of Allah or [the sanctity of] the sacred month or [neglect the marking of] the sacrificial animals and garlanding [them] or [violate the safety of] those coming to the Sacred House seeking bounty from their Lord and [His] approval. But when you come out of ihram, then [you may] hunt. And do not let the hatred of a people for having obstructed you from al-Masjid al-Haram lead you to transgress. And cooperate in righteousness and piety, but do not cooperate in sin and aggression. And fear Allah; indeed, Allah is severe in penalty.



حُرِّمَتْ عَلَیْکُمُ الْمَیْتَۃُ وَ الدَّمُ وَ لَحْمُ الْخِنْزِیْرِ وَ مَاۤ اُهِلَّ لِغَیْرِ اللّٰهِ بِهٖ وَ الْمُنْخَنِقَۃُ وَ الْمَوْقُوْذَۃُ وَ الْمُتَرَدِّیَۃُ وَ النَّطِیْحَۃُ وَ مَاۤ اَکَلَ السَّبُعُ اِلَّا مَا ذَکَّیْتُمْ ۟ وَ مَا ذُبِحَ عَلَی النُّصُبِ وَ اَنْ تَسْتَقْسِمُوْا بِالْاَزْلَامِ ؕ ذٰلِکُمْ فِسْقٌ ؕ اَلْیَوْمَ یَئِسَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْ دِیْنِکُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَ اخْشَوْنِ ؕ اَلْیَوْمَ اَکْمَلْتُ لَکُمْ دِیْنَکُمْ وَ اَتْمَمْتُ عَلَیْکُمْ نِعْمَتِیْ وَ رَضِیْتُ لَکُمُ الْاِسْلَامَ دِیْنًا ؕ فَمَنِ اضْطُرَّ فِیْ مَخْمَصَۃٍ غَیْرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثْمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
হুররিমাত ‘আলাইকুমুল মাইতাতুওয়াদ্দামুওয়া লাহমুল খিনযীরি ওয়ামা-উহিল্লা লিগাইরিল্লাহি বিহী ওয়াল মুনখানিকাতুওয়াল মাওকূযাতুওয়াল মুতারাদ্দিইয়াতুওয়ান্নাতীহাতু ওয়ামা-আকালাছ ছাবু‘উ ইল্লা-মা যাক্কাইতুম ওয়ামা-যুবিহা ‘আলান নুসুবি ওয়া আন তাছতাকছিমূবিলআযলা-মি যা-লিকুম ফিছকুন আল ইয়াওমা ইয়াইছাল্লাযীনা কাফারূমিন দীনিকুম ফালা-তাখশাওহুম ওয়াখশাওনি আলইয়াওমা আকমালতুলাকুম দীনাকুম ওয়া আত মামতু‘আলাইকুম নি‘মাতী ওয়া রাদীতুলাকুমুল ইছলা-মা দীনান ফামানিদতুররা ফী মাখমাসাতিন গাইরা মুতাজা-নিফিললিইছমিন ফাইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ভিন্ন কারো নামে যবেহ করা হয়েছে; গলা চিপে মারা জন্তু, প্রহারে মরা জন্তু, উঁচু থেকে পড়ে মরা জন্তু অন্য প্রাণীর শিঙের আঘাতে মরা জন্তু এবং যে জন্তুকে হিংস্র প্রাণী খেয়েছে- তবে যা তোমরা যবেহ করে নিয়েছ তা ছাড়া, আর যা মূর্তি পূঁজার বেদিতে বলি দেয়া হয়েছে এবং জুয়ার তীর দ্বারা বণ্টন করা হয়, এগুলো গুনাহ। যারা কুফরী করেছে, আজ তারা তোমাদের দীনের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃতজন্তু, (প্রবাহিত) রক্ত, শূকরের মাংস, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবহকৃত পশু, আর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত জন্তু, আঘাতে মৃত জন্তু, উপর থেকে পতনের ফলে মৃত, সংঘর্ষে মৃত আর হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু- তবে জীবিত পেয়ে যা তোমরা যবহ করতে পেরেছ তা বাদে, আর যা কোন আস্তানায় (বা বেদীতে) যবহ করা হয়েছে, আর জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা (এগুলো তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে)। এসবগুলো পাপ কাজ। আজ কাফিরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরোধিতা করার ব্যাপারে পুরোপুরি নিরাশ হয়ে গেছে, কাজেই তাদেরকে ভয় করো না, কেবল আমাকেই ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিআমাত পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে কবূল করে নিলাম। তবে কেউ পাপ করার প্রবণতা ব্যতীত ক্ষুধার জ্বালায় (নিষিদ্ধ বস্তু খেতে) বাধ্য হলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
Prohibited to you are dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah, and [those animals] killed by strangling or by a violent blow or by a head-long fall or by the goring of horns, and those from which a wild animal has eaten, except what you [are able to] slaughter [before its death], and those which are sacrificed on stone altars, and [prohibited is] that you seek decision through divining arrows. That is grave disobedience. This day those who disbelieve have despaired of [defeating] your religion; so fear them not, but fear Me. This day I have perfected for you your religion and completed My favor upon you and have approved for you Islam as religion. But whoever is forced by severe hunger with no inclination to sin - then indeed, Allah is Forgiving and Merciful.



یَسْـَٔلُوْنَکَ مَاذَاۤ اُحِلَّ لَهُمْ ؕ قُلْ اُحِلَّ لَکُمُ الطَّیِّبٰتُ ۙ وَ مَا عَلَّمْتُمْ مِّنَ الْجَوَارِحِ مُکَلِّبِیْنَ تُعَلِّمُوْنَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَکُمُ اللّٰهُ ۫ فَکُلُوْا مِمَّاۤ اَمْسَکْنَ عَلَیْکُمْ وَ اذْکُرُوا اسْمَ اللّٰهِ عَلَیْهِ ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছআলূনাকা মা-যা উহিল্লা লাহু ম কুল উহিল্লা লাকুমুততাইয়িবা-তু ওয়ামা-‘আল্লামতুম মিনাল জাওয়া-রিহিমুকালিলবীনা তু‘আলিল মূনাহুন্না মিম্মা-‘আল্লামাকুমুল্লা-হু ফাকুলূমিম্মাআমছাকনা ‘আলাইকুম ওয়াযকুরুছমাল্লা-হি ‘আলাইহি ওয়াত্তাকুল্লাহা ইন্নাল্লা-হা ছারী‘উল হিছা-ব।
আল বায়ান:
তারা তোমাকে প্রশ্ন করে, তাদের জন্য কী বৈধ করা হয়েছে? বল, ‘তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে সব ভাল বস্তু এবং শিকারী পশু-পাখী, যাদেরকে তোমরা শিকার প্রশিক্ষণ দিয়েছ; সেগুলোকে তোমরা শেখাও, যা আল্লাহ তোমাদেরকে শিখিয়েছেন। সুতরাং তোমরা তা থেকে খাও, যা তোমাদের জন্য ধরে এনেছে এবং তাতে তোমরা আল্লাহর নাম স্মরণ কর আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।
তাইসিরুল কুরআন:
লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে তাদের জন্য কী কী হালাল করা হয়েছে। বল, যাবতীয় ভাল ও পবিত্র বস্তু তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, আর শিকারী পশু-পক্ষী- যাদেরকে তোমরা শিক্ষা দিয়েছ যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন- সুতরাং তারা যা তোমাদের জন্য ধরে রাখে তা তোমরা ভক্ষণ করবে আর তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে, আর আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ হিসাব গ্রহণে ত্বরিৎগতি।
Sahih International:
They ask you, [O Muhammad], what has been made lawful for them. Say, "Lawful for you are [all] good foods and [game caught by] what you have trained of hunting animals which you train as Allah has taught you. So eat of what they catch for you, and mention the name of Allah upon it, and fear Allah." Indeed, Allah is swift in account.



اَلْیَوْمَ اُحِلَّ لَکُمُ الطَّیِّبٰتُ ؕ وَ طَعَامُ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْکِتٰبَ حِلٌّ لَّکُمْ ۪ وَ طَعَامُکُمْ حِلٌّ لَّهُمْ ۫ وَ الْمُحْصَنٰتُ مِنَ الْمُؤْمِنٰتِ وَ الْمُحْصَنٰتُ مِنَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْکِتٰبَ مِنْ قَبْلِکُمْ اِذَاۤ اٰتَیْتُمُوْهُنَّ اُجُوْرَهُنَّ مُحْصِنِیْنَ غَیْرَ مُسٰفِحِیْنَ وَ لَا مُتَّخِذِیْۤ اَخْدَانٍ ؕ وَ مَنْ یَّکْفُرْ بِالْاِیْمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهٗ ۫ وَ هُوَ فِی الْاٰخِرَۃِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
আলইয়াওমা উহিল্লা লাকুমুততাইয়িবা-তু ওয়া তা‘আ-মুল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা হিল্লুল লাকুম ওয়া তা‘আ-মুকুম হিল্লুল লাহুম ওয়াল মুহসানা-তুমিনাল মু’মিনাতি ওয়াল মুহসানা-তুমিনাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা মিন কাবলিকুম ইযাআ-তাইতুমূহুন্না উজুরাহুন্না মুহসিনীনা গাইরা মুছা-ফিহীনা ওয়ালা-মুত্তাখিযীআখদা-নিওঁ ওয়া মাইঁ ইয়াকফুর বিলঈমা-নি ফাকাদ হাবিতা ‘আমালুহূ ওয়া হুওয়া ফিল আ-খিরাতি মিনাল খা-ছিরীন।
আল বায়ান:
আজ তোমাদের জন্য বৈধ করা হল সব ভাল বস্তু এবং যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছে, তাদের খাবার তোমাদের জন্য বৈধ এবং তোমাদের খাবার তাদের জন্য বৈধ। আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীদের সাথে তোমাদের বিবাহ বৈধ। যখন তোমরা তাদেরকে মোহর দেবে, বিবাহকারী হিসেবে, প্রকাশ্য ব্যভিচারকারী বা গোপনপত্নী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। আর যে ঈমানের সাথে কুফরী করবে, অবশ্যই তার আমল বরবাদ হবে এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আজ তোমাদের জন্য যাবতীয় ভাল ও পবিত্র বস্তু হালাল করা হল আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের খাদ্য তোমাদের জন্য হালাল, আর তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল, সচ্চরিত্রা মু’মিন নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারী তোমাদের জন্য হালাল করা হল যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর, বিবাহের দূর্গে স্থান দানের উদ্দেশ্যে, ব্যভিচারী হিসেবে নয় এবং গোপন সঙ্গী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। কেউ ঈমান অমান্য করলে, তার কার্যাদি নিষ্ফল হবে। আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
Sahih International:
This day [all] good foods have been made lawful, and the food of those who were given the Scripture is lawful for you and your food is lawful for them. And [lawful in marriage are] chaste women from among the believers and chaste women from among those who were given the Scripture before you, when you have given them their due compensation, desiring chastity, not unlawful sexual intercourse or taking [secret] lovers. And whoever denies the faith - his work has become worthless, and he, in the Hereafter, will be among the losers.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا قُمْتُمْ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغْسِلُوْا وُجُوْهَکُمْ وَ اَیْدِیَکُمْ اِلَی الْمَرَافِقِ وَ امْسَحُوْا بِرُءُوْسِکُمْ وَ اَرْجُلَکُمْ اِلَی الْکَعْبَیْنِ ؕ وَ اِنْ کُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوْا ؕ وَ اِنْ کُنْتُمْ مَّرْضٰۤی اَوْ عَلٰی سَفَرٍ اَوْ جَآءَ اَحَدٌ مِّنْکُمْ مِّنَ الْغَآئِطِ اَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوْا مَآءً فَتَیَمَّمُوْا صَعِیْدًا طَیِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِکُمْ وَ اَیْدِیْکُمْ مِّنْهُ ؕ مَا یُرِیْدُ اللّٰهُ لِیَجْعَلَ عَلَیْکُمْ مِّنْ حَرَجٍ وَّ لٰکِنْ یُّرِیْدُ لِیُطَهِّرَکُمْ وَ لِیُتِمَّ نِعْمَتَهٗ عَلَیْکُمْ لَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-কুমতুম ইলাসসালা-তি ফাগছিলূউজূহাকুম ওয়া আইদিয়াকুম ইলাল মারা-ফিকিওয়ামছাহূবিরুঊছিকুম ওয়া আরজুলাকুম ইলাল কা‘বাইন ওয়া ইন কুনতুম জুনুবান ফাততাহহারূ ওয়া ইন কুনতুম মারদা-আও ‘আলাছাফারিন আও জাআ আহাদুম মিনকুম মিনাল গাইতিআও লা-মাছতুমুন নিছাআ ফালাম তাজিদূমাআন ফাতাইয়াম্মামূসা‘ঈদান তাইয়িবান ফামছাহূবিউজূহিকুম ওয়া আইদীকুম মিনহু মা-ইউরীদুল্লা-হু লিইয়াজ‘আলা ‘আলাইকুম মিন হারাজিওঁ ওয়ালা-কিইঁ ইউরীদুলিইউতাহহিরাকুম ওয়ালিইউতিম্মা নি‘মাতাহূ‘আলাইকুম লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন সলাতের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখমন্ডল এবং কনুই পর্যন্ত হস্তদ্বয় ধৌত করবে। আর তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা গোড়ালি পর্যন্ত ধৌত করবে। তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাক তবে বিধিমত পবিত্রতা অর্জন করবে। আর যদি পীড়িত হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ যদি মলত্যাগ করে আসে অথবা যদি তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর আর পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর সংকীর্ণতা চাপিয়ে দিতে চান না, তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান আর তোমাদের প্রতি তাঁর নি‘আমাত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
Sahih International:
O you who have believed, when you rise to [perform] prayer, wash your faces and your forearms to the elbows and wipe over your heads and wash your feet to the ankles. And if you are in a state of janabah, then purify yourselves. But if you are ill or on a journey or one of you comes from the place of relieving himself or you have contacted women and do not find water, then seek clean earth and wipe over your faces and hands with it. Allah does not intend to make difficulty for you, but He intends to purify you and complete His favor upon you that you may be grateful.



وَ اذْکُرُوْا نِعْمَۃَ اللّٰهِ عَلَیْکُمْ وَ مِیْثَاقَهُ الَّذِیْ وَاثَقَکُمْ بِهٖۤ ۙ اِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَ اَطَعْنَا ۫ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুরূ নি‘মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম ওয়া মীছা-কাহুল্লাযী ওয়াছাকাকুম বিহী ইযকুলতুম ছামি‘না-ওয়া আতা‘না ওয়াত্তাকুল্লাহা ইন্নাল্লা-হা ‘আলীমুম বিযাতিসসুদূ র।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত এবং তাঁর অঙ্গীকার, যা তিনি তোমাদের থেকে নিয়েছেন। যখন তোমরা বললে, ‘আমরা শুনেছি এবং আনুগত্য করেছি’ আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে বিশেষ অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের প্রতি আল্লাহর নিআমতের কথা স্মরণ কর আর তাঁর অঙ্গীকারের কথা যা তিনি তোমাদের নিকট থেকে গ্রহণ করেছিলেন যখন তোমরা বলেছিলে- আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর, অন্তরে যা আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ খুব ভালভাবেই অবগত আছেন।
Sahih International:
And remember the favor of Allah upon you and His covenant with which He bound you when you said, "We hear and we obey"; and fear Allah. Indeed, Allah is Knowing of that within the breasts.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا کُوْنُوْا قَوّٰمِیْنَ لِلّٰهِ شُهَدَآءَ بِالْقِسْطِ ۫ وَ لَا یَجْرِمَنَّکُمْ شَنَاٰنُ قَوْمٍ عَلٰۤی اَلَّا تَعْدِلُوْا ؕ اِعْدِلُوْا ۟ هُوَ اَقْرَبُ لِلتَّقْوٰی ۫ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیْرٌۢ بِمَا تَعْمَلُوْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ কূনূ কাওওয়া-মীনা লিলল্লা-হি শুহাদাআ বিলকিছতি ওয়ালা-ইয়াজরিমান্নাকুম শানাআ-নুকাওমিন ‘আলাআল্লা-তা‘দিলূ ই‘দিলূ হুওয়া আকরাবুলিত্তাকওয়া- ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা খাবীরুম বিমা-তা‘মালূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়ের সাথে সাক্ষদানকারী হিসেবে সদা দন্ডায়মান হও। কোন কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ কর, তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা ন্যায়ের সাক্ষ্যদাতা হিসেবে আল্লাহর পথে দৃঢ়ভাবে দন্ডায়মান থাক, কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা তোমাদেরকে যেন এতটা উত্তেজিত না করে যে তোমরা ইনসাফ করা ত্যাগ করবে, সুবিচার কর, এটা তাক্বওয়ার নিকটবর্তী, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল।
Sahih International:
O you who have believed, be persistently standing firm for Allah, witnesses in justice, and do not let the hatred of a people prevent you from being just. Be just; that is nearer to righteousness. And fear Allah; indeed, Allah is Acquainted with what you do.



وَعَدَ اللّٰهُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ لَهُمْ مَّغْفِرَۃٌ وَّ اَجْرٌ عَظِیْمٌ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া‘আদাল্লা-হুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন ‘আজীম।
আল বায়ান:
যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদের প্রতি আল্লাহ ওয়া‘দা করেছেন যে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার।
Sahih International:
Allah has promised those who believe and do righteous deeds [that] for them there is forgiveness and great reward.



وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়া কাযযাবূবিাআ-য়া-তিনা উলাইকা আসহা-বুল জাহীম।
আল বায়ান:
আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফরী করে, আর আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে তারা হল জাহান্নামের অধিবাসী।
Sahih International:
But those who disbelieve and deny Our signs - those are the companions of Hellfire.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اذْکُرُوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ عَلَیْکُمْ اِذْ هَمَّ قَوْمٌ اَنْ یَّبْسُطُوْۤا اِلَیْکُمْ اَیْدِیَهُمْ فَکَفَّ اَیْدِیَهُمْ عَنْکُمْ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ وَ عَلَی اللّٰهِ فَلْیَتَوَکَّلِ الْمُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুযকুরূনি‘মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম ইযহাম্মা কাওমুন আইঁ ইয়াবছুতূদ্মইলাইকুম আইদিইয়াহুম ফাকাফফা আইদিয়াহুম ‘আনকুম ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘আলাল্লা-হি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মু’মিনূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত, যখন একটি কওম তোমাদের প্রতি তাদের হাত প্রসারিত করতে মনস্থ করল; কিন্তু তিনি তাদের হাতকে তোমাদের থেকে নিবৃত্ত রাখলেন। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আল্লাহর উপরই মুমিনরা যেন তাওয়াক্কুল করে।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর নি‘আমাতের কথা স্মরণ কর যখন একটি সম্প্রদায় তোমাদের বিরুদ্ধে তাদের হস্ত উত্তোলন করতে চেয়েছিল, তখন তিনি তোমাদের থেকে তাদের হাত নিবৃত্ত করেছিলেন। আল্লাহকে ভয় কর, আর মুমিনগণ যেন আল্লাহরই উপর ভরসা করে।
Sahih International:
O you who have believed, remember the favor of Allah upon you when a people determined to extend their hands [in aggression] against you, but He withheld their hands from you; and fear Allah. And upon Allah let the believers rely.



وَ لَقَدْ اَخَذَ اللّٰهُ مِیْثَاقَ بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ ۚ وَ بَعَثْنَا مِنْهُمُ اثْنَیْ عَشَرَ نَقِیْبًا ؕ وَ قَالَ اللّٰهُ اِنِّیْ مَعَکُمْ ؕ لَئِنْ اَقَمْتُمُ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَیْتُمُ الزَّکٰوۃَ وَ اٰمَنْتُمْ بِرُسُلِیْ وَ عَزَّرْتُمُوْهُمْ وَ اَقْرَضْتُمُ اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا لَّاُکَفِّرَنَّ عَنْکُمْ سَیِّاٰتِکُمْ وَ لَاُدْخِلَنَّکُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۚ فَمَنْ کَفَرَ بَعْدَ ذٰلِکَ مِنْکُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِیْلِ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আখাযাল্লা-হু মীছা-কা বানী ইসরাঈলা ওয়া বা‘আছনামিনহুমুছনাই ‘আশারা নাকীবাওঁ ওয়া কা-লাল্লা-হু ইন্নী মা‘আকুম লাইন আকামতুমুসসালা-তা ওয়া আ-তাইতুমুযযাকা-তা ওয়া আ-মানতুম বিরুছুলী ওয়া আযযারতুমূহুম ওয়া আকরাদতুমুল্লা-হা কারদান হাছানাল লাউকাফফিরান্না ‘আনকুম ছাইয়িআ-তিকুম ওয়ালা উদখিলান্নাকুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ফামান কাফারা বা‘দা যা-লিকা মিনকুম ফাকাদ দাল্লা ছাওয়াআছছাবীল।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আল্লাহ বনী ইসরাঈলের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন এবং আমি তাদের মধ্য থেকে বার জন দলনেতা পাঠিয়েছিলাম এবং আল্লাহ বলেছিলেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি, যদি তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও, আমার রাসূলদের প্রতি ঈমান আন, তাদেরকে সহযোগিতা কর এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তবে নিশ্চয় আমি তোমাদের থেকে তোমাদের পাপসমূহ মুছে দেব। আর অবশ্যই তোমাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতসমূহে, যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। তোমাদের মধ্য থেকে এরপরও যে কুফরী করেছে, সে অবশ্যই সোজা পথ হারিয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বানী ইসরাঈলের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলেন, আর তাদের মধ্যে বারজন প্রধান নিযুক্ত করেছিলেন। আর আল্লাহ বলেছিলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, যদি তোমরা নামায কায়িম কর, যাকাত আদায় কর এবং আমার রসূলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর আর তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা কর আর আল্লাহকে ঋণ দান কর উত্তম ঋণ, তাহলে আমি তোমাদের পাপগুলো অবশ্য অবশ্যই দূর করে দেব, আর অবশ্য অবশ্যই তোমাদেরকে জান্নাতে দাখিল করাব যার নিম্নে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। এরপরও তোমাদের মধ্যে যারা কুফুরী করবে তারা সত্য সঠিক পথ হারিয়ে ফেলবে।
Sahih International:
And Allah had already taken a covenant from the Children of Israel, and We delegated from among them twelve leaders. And Allah said, "I am with you. If you establish prayer and give zakah and believe in My messengers and support them and loan Allah a goodly loan, I will surely remove from you your misdeeds and admit you to gardens beneath which rivers flow. But whoever of you disbelieves after that has certainly strayed from the soundness of the way."



فَبِمَا نَقْضِهِمْ مِّیْثَاقَهُمْ لَعَنّٰهُمْ وَ جَعَلْنَا قُلُوْبَهُمْ قٰسِیَۃً ۚ یُحَرِّفُوْنَ الْکَلِمَ عَنْ مَّوَاضِعِهٖ ۙ وَ نَسُوْا حَظًّا مِّمَّا ذُکِّرُوْا بِهٖ ۚ وَ لَا تَزَالُ تَطَّلِعُ عَلٰی خَآئِنَۃٍ مِّنْهُمْ اِلَّا قَلِیْلًا مِّنْهُمْ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَ اصْفَحْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ফাবিমা-নাকদিহিম মীছা-কাহুম লা‘আন্না-হুম ওয়াজা‘আলনা-কুলূবাহুম কা-ছিইয়াতান ইউহাররিফূনাল কালিমা ‘আম মাওয়া-দি‘ইহী ওয়া নাছূহাজ্জাম মিম্মা-যুক্কিরূবিহী ওয়ালা-তাযা-লুতাত্তালি‘উ ‘আলা-খাইনাতিম মিনহুম ইল্লা-কালীলাম মিনহুম ফা‘ফু‘আনহুম ওয়াসফাহ ইন্নাল্লা-হা ইউহিব্বুল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তারা তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে লা‘নত দিয়েছি এবং তাদের অন্তরসমূহকে করেছি কঠোর। তারা শব্দগুলোকে আপন স্থান থেকে বিকৃত করে এবং তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছে, তার একটি অংশ তারা ভুলে গিয়েছে এবং তুমি তাদের থেকে খিয়ানত সম্পর্কে অবগত হতে থাকবে, তাদের অল্প সংখ্যক ছাড়া। সুতরাং তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং এড়িয়ে যাও। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে লা‘নাত করেছি আর তাদের হৃদয়কে আরো শক্ত করে দিয়েছি, তারা শব্দগুলোকে স্বস্থান থেকে বিচ্যুত করেছিল এবং তাদেরকে দেয়া উপদেশের বড় অংশ তারা ভুলে গিয়েছিল। তুমি অল্প সংখ্যক ছাড়া তাদেরকে সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেখতে পাবে। কাজেই তাদেরকে ক্ষমা কর, মার্জনা কর, আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।
Sahih International:
So for their breaking of the covenant We cursed them and made their hearts hard. They distort words from their [proper] usages and have forgotten a portion of that of which they were reminded. And you will still observe deceit among them, except a few of them. But pardon them and overlook [their misdeeds]. Indeed, Allah loves the doers of good.



وَ مِنَ الَّذِیْنَ قَالُوْۤا اِنَّا نَصٰرٰۤی اَخَذْنَا مِیْثَاقَهُمْ فَنَسُوْا حَظًّا مِّمَّا ذُکِّرُوْا بِهٖ ۪ فَاَغْرَیْنَا بَیْنَهُمُ الْعَدَاوَۃَ وَ الْبَغْضَآءَ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ ؕ وَ سَوْفَ یُنَبِّئُهُمُ اللّٰهُ بِمَا کَانُوْا یَصْنَعُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামিনাল্লাযীনা কা-লূইন্না-নাসা-রা-আখাযনা-মীছা-কাহুম ফানাছূহাজ্জাম মিম্মাযুক্কিরূবিহী ফাআগরাইনা-বাইনাহুমুল ‘আদা-ওয়াতা ওয়াল বাগদাআ ইলাইয়াওমিল কিয়া-মাতি ওয়া ছাওফা ইউনাব্বিউহুমুল্লা-হু বিমা-কা-নূইয়াসনা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর যারা বলে, ‘আমরা নাসারা’, আমি তাদের থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম। অতঃপর তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা তার একটি অংশ ভুলে গিয়েছে। ফলে আমি তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত শত্রুতা ও ঘৃণা উসকে দিয়েছি এবং তারা যা করত সে সম্পর্কে অচিরেই আল্লাহ তাদেরকে অবহিত করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা বলে ‘‘আমরা খ্রীস্টান’’ আমি তাদের হতেও অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু তারা তাদের প্রতি উপদেশের একটা বড় অংশ ভুলে গিয়েছিল। কাজেই আমি কিয়ামাত পর্যন্ত তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ জিইয়ে দিয়েছি। তারা যা করছিল অচিরেই আল্লাহ তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন।
Sahih International:
And from those who say, "We are Christians" We took their covenant; but they forgot a portion of that of which they were reminded. So We caused among them animosity and hatred until the Day of Resurrection. And Allah is going to inform them about what they used to do.



یٰۤاَهْلَ الْکِتٰبِ قَدْ جَآءَکُمْ رَسُوْلُنَا یُبَیِّنُ لَکُمْ کَثِیْرًا مِّمَّا کُنْتُمْ تُخْفُوْنَ مِنَ الْکِتٰبِ وَ یَعْفُوْا عَنْ کَثِیْرٍ ۬ؕ قَدْ جَآءَکُمْ مِّنَ اللّٰهِ نُوْرٌ وَّ کِتٰبٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআহলাল কিতা-বি কাদ জাআকুম রাছূলুনা-ইউবাইয়িনুলাকুম কাছীরাম মিম্মাকুনতুম তুখফূনা মিনাল কিতা-বি ওয়া ইয়া‘ফূ‘আন কাছীরিন কাদ জাআকুম মিনাল্লাহি নূরুওঁ ওয়া কিতা-বুম মুবীন।
আল বায়ান:
হে কিতাবীগণ, তোমাদের নিকট আমার রাসূল এসেছে, কিতাব থেকে যা তোমরা গোপন করতে, তার অনেক কিছু তোমাদের নিকট সে প্রকাশ করছে এবং অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
হে কিতাবধারীগণ! তোমাদের কাছে আমার রসূল এসে গেছে, সে তোমাদেরকে অনেক বিষয় বর্ণনা করে কিতাব থেকে যা তোমরা গোপন করতে আর অনেক বিষয় উপেক্ষা করে। তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে।
Sahih International:
O People of the Scripture, there has come to you Our Messenger making clear to you much of what you used to conceal of the Scripture and overlooking much. There has come to you from Allah a light and a clear Book.



یَّهْدِیْ بِهِ اللّٰهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهٗ سُبُلَ السَّلٰمِ وَ یُخْرِجُهُمْ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوْرِ بِاِذْنِهٖ وَ یَهْدِیْهِمْ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াহদী বিহিল্লা-হু মানিতত্তাবা‘আ রিদওয়া-নাহু ছুবুলাছছালা-মি ওয়া ইউখরিজুহুম মিনাজজু লুমা-তি ইলান নূরি বিইযনিহী ওয়া ইয়াহদীহিম ইলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে শান্তির পথ দেখান, যারা তাঁর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে এবং তাঁর অনুমতিতে তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করেন। আর তাদেরকে সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তদ্বারা তাদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তার পথে পরিচালিত করেন যারা তাঁর সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করে এবং নিজ অনুমতিক্রমে তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন আর তাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
Sahih International:
By which Allah guides those who pursue His pleasure to the ways of peace and brings them out from darknesses into the light, by His permission, and guides them to a straight path.



لَقَدْ کَفَرَ الَّذِیْنَ قَالُوْۤا اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْمَسِیْحُ ابْنُ مَرْیَمَ ؕ قُلْ فَمَنْ یَّمْلِکُ مِنَ اللّٰهِ شَیْئًا اِنْ اَرَادَ اَنْ یُّهْلِکَ الْمَسِیْحَ ابْنَ مَرْیَمَ وَ اُمَّهٗ وَ مَنْ فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا ؕ وَ لِلّٰهِ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا ؕ یَخْلُقُ مَا یَشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ কাফারাল্লাযীনা কা-লূ ইন্নাল্লা-হা হুওয়াল মাছীহুবনুমারইয়ামা কুল ফামাইঁ ইয়ামলিকুমিনাল্লা-হিশাইআন ইন আরা-দা আইঁ ইউহলিকাল মাছীহাবনা মারইয়ামা ওয়া উম্মাহূওয়া মান ফিল আরদিজামী‘আওঁ ওয়ালিলল্লা-হি মুলকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
অবশ্যই তারা কুফরী করেছে যারা বলে ‘নিশ্চয় মারইয়াম পুত্র মাসীহই আল্লাহ’। বল, যদি আল্লাহ ধ্বংস করতে চান মারইয়াম পুত্র মাসীহকে ও তার মাকে এবং যমীনে যারা আছে তাদের সকলকে ‘তাহলে কে আল্লাহর বিপক্ষে কোন কিছুর ক্ষমতা রাখে? আর আসমানসমূহ, যমীন ও তাদের মধ্যবর্তী যা রয়েছে, তার রাজত্ব আল্লাহর জন্যই। তিনি যা ইচ্ছা তা সৃষ্টি করেন এবং আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কুফরী করেছে যারা বলে মাসীহ্ ইবনে মারইয়ামই আল্লাহ। বল, মাসীহ ইবনে মারইয়াম, আর তার মা এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলকে ধ্বংস করতে চাইলে আল্লাহর বিরুদ্ধে কারো এতটুকু ক্ষমতা আছে কি? আসমানসমূহে আর পৃথিবীতে ও এদের মধ্যে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই মালিকানাধীন। তিনি যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন। আল্লাহ্ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
Sahih International:
They have certainly disbelieved who say that Allah is Christ, the son of Mary. Say, "Then who could prevent Allah at all if He had intended to destroy Christ, the son of Mary, or his mother or everyone on the earth?" And to Allah belongs the dominion of the heavens and the earth and whatever is between them. He creates what He wills, and Allah is over all things competent.



وَ قَالَتِ الْیَهُوْدُ وَ النَّصٰرٰی نَحْنُ اَبْنٰٓؤُا اللّٰهِ وَ اَحِبَّآؤُهٗ ؕ قُلْ فَلِمَ یُعَذِّبُکُمْ بِذُنُوْبِکُمْ ؕ بَلْ اَنْتُمْ بَشَرٌ مِّمَّنْ خَلَقَ ؕ یَغْفِرُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ یُعَذِّبُ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ لِلّٰهِ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا ۫ وَ اِلَیْهِ الْمَصِیْرُ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকা-লাতিল ইয়াহুদুওয়ান নাসা-রা-নাহনুআবনাউল্লা-হি ওয়া আহিব্বাউহূ কুল ফালিমা ইউ‘আযযিবুকুম বিযুনূবিকুম বাল আনতুম বাশারূম মিম্মান খালাকা ইয়াগফিরু লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবুমাইঁ ইয়াশূউ ওয়া লিলল্লা-হি মুলকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা; ওয়া ইলাইহিল মাসীর।
আল বায়ান:
ইয়াহূদী ও নাসারারা বলে, ‘আমরা আল্লাহর পুত্র ও তার প্রিয়জন’। বল, ‘তবে কেন তিনি তোমাদেরকে তোমাদের পাপের কারণে আযাব দেন? বরং তোমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত মানুষ, যাদেরকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা আযাব দেন। আর আসমানসমূহ ও যমীন এবং তাদের মধ্যবর্তী যা আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহর এবং তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তন’।
তাইসিরুল কুরআন:
ইয়াহূদী ও নাসারারা বলে, আমরা আল্লাহর পুত্র ও তাঁর প্রিয়পাত্র। বল, তাহলে তোমাদের পাপের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দেন কেন? বরং তিনি যাদের সৃষ্টি করেছেন তোমরা তাদের অন্তর্গত মানুষ, তিনি যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন, যাকে ইচ্ছে শাস্তি দেন, আকাশসমূহ ও পৃথিবী আর এদের মধ্যে যা আছে সবকিছুর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই জন্য, আর প্রত্যাবর্তন তাঁরই পানে।
Sahih International:
But the Jews and the Christians say, "We are the children of Allah and His beloved." Say, "Then why does He punish you for your sins?" Rather, you are human beings from among those He has created. He forgives whom He wills, and He punishes whom He wills. And to Allah belongs the dominion of the heavens and the earth and whatever is between them, and to Him is the [final] destination.



یٰۤاَهْلَ الْکِتٰبِ قَدْ جَآءَکُمْ رَسُوْلُنَا یُبَیِّنُ لَکُمْ عَلٰی فَتْرَۃٍ مِّنَ الرُّسُلِ اَنْ تَقُوْلُوْا مَا جَآءَنَا مِنْۢ بَشِیْرٍ وَّ لَا نَذِیْرٍ ۫ فَقَدْ جَآءَکُمْ بَشِیْرٌ وَّ نَذِیْرٌ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আহলাল কিতা-বি কাদ জাআকুম রাছূলুনা-ইউবাইয়িনুলাকুম ‘আলা-ফাতরাতিম মিনাররুছুলি আন তাকূলূমা-জাআনা-মিম বাশীরিওঁ ওয়ালা-নাযীরিন ফাকাদ জাআকুম বাশীরুওঁ ওয়া নাযীরুওঁ ওয়াল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
হে কিতাবীরা, তোমাদের নিকট আমার রাসূল এসেছে, রাসূলদের একটি বিরতির পর তোমাদের জন্য তিনি স্পষ্ট বর্ণনা করছেন. যেন তোমরা না বল যে, ‘আমাদের নিকট কোন সুসংবাদদাতা কিংবা সতর্ককারী আসেনি’। অবশ্যই তোমাদের নিকট সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী এসেছে। আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে আহলে কিতাব! রসূল প্রেরণে বিরতির পর তোমাদের কাছে আমার রসূল এসে স্পষ্টভাবে তোমাদের নিকট বর্ণনা করে দিচ্ছে যাতে তোমরা বলতে না পার যে, আমাদের কাছে কোন সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী আগমন করেনি। এখন তাই সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী এসে গেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
Sahih International:
O People of the Scripture, there has come to you Our Messenger to make clear to you [the religion] after a period [of suspension] of messengers, lest you say, "There came not to us any bringer of good tidings or a warner." But there has come to you a bringer of good tidings and a warner. And Allah is over all things competent.



وَ اِذْ قَالَ مُوْسٰی لِقَوْمِهٖ یٰقَوْمِ اذْکُرُوْا نِعْمَۃَ اللّٰهِ عَلَیْکُمْ اِذْ جَعَلَ فِیْکُمْ اَنْۢبِیَآءَ وَ جَعَلَکُمْ مُّلُوْکًا ٭ۖ وَّ اٰتٰىکُمْ مَّا لَمْ یُؤْتِ اَحَدًا مِّنَ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকা-লা মূছা-লিকাওমিহী ইয়া-কাওমিযকুরূ নি‘মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম ইয জা‘আলা ফীকুম আম্বিইয়াআ ওয়া জা‘আলাকুম মুলূকাওঁ ওয়া আ-তা-কুম মা-লাম ইউ’তি আহাদাম মিনাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর যখন মূসা তার কওমকে বলল, ‘হে আমার কওম, স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে নবী বানিয়েছেন এবং তোমাদেরকে রাজা-বাদশাহ বানিয়েছেন, আর তোমাদেরকে দান করেছেন এমন কিছু যা সকল সৃষ্টির মধ্যে কাউকে দান করেননি’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নি‘য়ামাত স্মরণ কর যে, তিনি তোমাদের মধ্যে নাবী করেছেন এবং তোমাদেরকে বাদশাহ করেছেন আর তোমাদেরকে তিনি এমন কিছু দিয়েছেন যা বিশ্বভুবনে অন্য কাউকে দেননি।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], when Moses said to his people, "O my people, remember the favor of Allah upon you when He appointed among you prophets and made you possessors and gave you that which He had not given anyone among the worlds.



یٰقَوْمِ ادْخُلُوا الْاَرْضَ الْمُقَدَّسَۃَ الَّتِیْ کَتَبَ اللّٰهُ لَکُمْ وَ لَا تَرْتَدُّوْا عَلٰۤی اَدْبَارِکُمْ فَتَنْقَلِبُوْا خٰسِرِیْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-কাওমিদ খুলুলআরদাল মুকাদ্দাছাতাল্লাতী কাতাবাল্লা-হুলাকুমওয়ালা-তারতাদ্দু ‘আলাআদবা-রিকুম ফাতানকালিবূখা-ছিরীন।
আল বায়ান:
‘হে আমার কওম, তোমরা পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন এবং তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যেয়ো না, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার সম্প্রদায়! তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি আল্লাহ নির্দিষ্ট করেছেন তাতে প্রবেশ কর আর পশ্চাতে ঘুরে দাঁড়িও না, তা করলে ধ্বংসে পতিত হবে।
Sahih International:
O my people, enter the Holy Land which Allah has assigned to you and do not turn back [from fighting in Allah 's cause] and [thus] become losers."



قَالُوْا یٰمُوْسٰۤی اِنَّ فِیْهَا قَوْمًا جَبَّارِیْنَ ٭ۖ وَ اِنَّا لَنْ نَّدْخُلَهَا حَتّٰی یَخْرُجُوْا مِنْهَا ۚ فَاِنْ یَّخْرُجُوْا مِنْهَا فَاِنَّا دٰخِلُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-মূসা ইন্না ফীহা-কাওমান জাব্বা-রীনা ওয়া ইন্না-লান নাদখুলাহা-হাত্তাইয়াখরুজুমিনহা- ফাইয়ঁইয়াখরুজূমিনহা-ফাইন্না-দা-খিলূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে মূসা, নিশ্চয় সেখানে রয়েছে এক শক্তিশালী জাতি এবং আমরা নিশ্চয় সেখানে প্রবেশ করব না, যতক্ষণ না তারা সেখান থেকে বের হয়। অতঃপর যদি তারা সেখান থেকে বের হয়, তবে নিশ্চয় আমরা প্রবেশ করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, হে মূসা! ওখানে অত্যন্ত শক্তিধর এক সম্প্রদায় আছে, তারা ওখান থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত আমরা ওখানে প্রবেশ করব না, তারা যদি বের হয় তাহলেই আমরা প্রবেশ করব।
Sahih International:
They said, "O Moses, indeed within it is a people of tyrannical strength, and indeed, we will never enter it until they leave it; but if they leave it, then we will enter."



قَالَ رَجُلٰنِ مِنَ الَّذِیْنَ یَخَافُوْنَ اَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَیْهِمَا ادْخُلُوْا عَلَیْهِمُ الْبَابَ ۚ فَاِذَا دَخَلْتُمُوْهُ فَاِنَّکُمْ غٰلِبُوْنَ ۬ۚ وَ عَلَی اللّٰهِ فَتَوَکَّلُوْۤا اِنْ کُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাজুলা-নি মিনাল্লাযীনা ইয়াখা-ফূনা আন‘আমাল্লা-হু ‘আলাইহিমাদ খুলূ‘আলাইহিমুল বা-বা ফাইযা-দাখালতুমূহু ফাইন্নাকুম গা-লিবূন ওয়া ‘আলাল্লা-হি ফাতাওয়াক্কালূইন কুনতুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
যারা ভয় করে, তাদের মধ্য থেকে এমন দু’ব্যক্তি বলল, ‘যাদের উপর আল্লাহ নিআমত দিয়েছেন, ‘তোমরা তাদের নিকট দরজা দিয়ে প্রবেশ কর। যখন সেখানে প্রবেশ করবে, তখন নিশ্চয় জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল কর, যদি তোমরা মুমিন হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা (আল্লাহকে) ভয় করছিল তাদের মধ্যে দু’জন লোক যাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেন বলল, তাদের দরজায় হানা দাও, ঢুকলেই তোমরা জয়ী হয়ে যাবে। তোমরা মু’মিন হলে আল্লাহর উপর ভরসা কর।
Sahih International:
Said two men from those who feared [to disobey] upon whom Allah had bestowed favor, "Enter upon them through the gate, for when you have entered it, you will be predominant. And upon Allah rely, if you should be believers."



قَالُوْا یٰمُوْسٰۤی اِنَّا لَنْ نَّدْخُلَهَاۤ اَبَدًا مَّا دَامُوْا فِیْهَا فَاذْهَبْ اَنْتَ وَ رَبُّکَ فَقَاتِلَاۤ اِنَّا هٰهُنَا قٰعِدُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লুইয়া-মূছাইন্না-লান নাদখুলাহাআবাদাম মা-দা-মূফীহা-ফাযহাব আনতা ওয়া রাব্বুকা ফাকা-তিলাইন্না-হা-হুনা-কা-‘ইদূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে মূসা, আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকে। সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, হে মূসা! তারা ওখানে যদ্দিন থাকবে তদ্দিন আমরা ওখানে কক্ষনো প্রবেশ করব না, কাজেই তুমি আর তোমার প্রতিপালক যাও আর যুদ্ধ কর, আমরা এখানেই বসে রইলাম।
Sahih International:
They said, "O Moses, indeed we will not enter it, ever, as long as they are within it; so go, you and your Lord, and fight. Indeed, we are remaining right here."



قَالَ رَبِّ اِنِّیْ لَاۤ اَمْلِکُ اِلَّا نَفْسِیْ وَ اَخِیْ فَافْرُقْ بَیْنَنَا وَ بَیْنَ الْقَوْمِ الْفٰسِقِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি ইন্নী লাআমলিকুইল্লা-নাফছী ওয়া আখী ফাফরুক বাইনানা-ওয়া বাইনাল কাওমিল ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমি আমার ও আমার ভাই ছাড়া কারো উপরে অধিকার রাখি না। সুতরাং আপনি আমাদের ও ফাসিক কওমের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘‘হে আমার প্রতিপালক! আমার আর আমার ভাইয়ের উপর ছাড়া কারো উপর আমার ক্ষমতা নেই, কাজেই এই বিদ্রোহী সম্প্রদায় থেকে আমাদেরকে পৃথক করে দিন।
Sahih International:
[Moses] said, "My Lord, indeed I do not possess except myself and my brother, so part us from the defiantly disobedient people."



قَالَ فَاِنَّهَا مُحَرَّمَۃٌ عَلَیْهِمْ اَرْبَعِیْنَ سَنَۃً ۚ یَتِیْهُوْنَ فِی الْاَرْضِ ؕ فَلَا تَاْسَ عَلَی الْقَوْمِ الْفٰسِقِیْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাইন্নাহা-মুহাররামাতুন ‘আলাইহিম আরবা‘ঈনা ছানাতাইঁ ইয়াতীহূনা ফিল আরদি ফালা-তা’ছা ‘আলাল কাওমিল ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘তাহলে নিশ্চয় তা তাদের জন্য চল্লিশ বছর নিষিদ্ধ; তারা যমীনে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকবে। সুতরাং তুমি ফাসিক কওমের জন্য আফসোস করো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন, তবে তা চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ হল, উদভ্রান্তের মত তারা যমীনে ঘুরে বেড়াবে, কাজেই এই অবাধ্য সম্প্রদায়ের জন্য হা-হুতাশ করো না।
Sahih International:
[Allah] said, "Then indeed, it is forbidden to them for forty years [in which] they will wander throughout the land. So do not grieve over the defiantly disobedient people."



وَ اتْلُ عَلَیْهِمْ نَبَاَ ابْنَیْ اٰدَمَ بِالْحَقِّ ۘ اِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ اَحَدِهِمَا وَ لَمْ یُتَقَبَّلْ مِنَ الْاٰخَرِ ؕ قَالَ لَاَقْتُلَنَّکَ ؕ قَالَ اِنَّمَا یَتَقَبَّلُ اللّٰهُ مِنَ الْمُتَّقِیْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াতলু‘আলাইহিম নাবাআবনাই আ-দামা বিলহাক্ক । ইযকাররাবা-কুরবা-নান ফাতুকুব্বিলা মিন আহাদিহিমা-ওয়া লাম ইউতাকাব্বাল মিনাল আ-খারি কা-লা লাআকতুলান্নাকা কা-লা ইন্নামা-ইয়াতাকাব্বালুল্লা-হু মিনাল মুত্তাকীন।
আল বায়ান:
আর তুমি তাদের নিকট আদমের দুই পুত্রের সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা কর, যখন তারা উভয়ে কুরবানী পেশ করল। অতঃপর তাদের একজন থেকে গ্রহণ করা হল, আর অপরজন থেকে গ্রহণ করা হল না। সে বলল, ‘অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব’। অন্যজন বলল, ‘আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের থেকে গ্রহণ করেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আদামের দু’পুত্রের খবর তাদেরকে সঠিকভাবে জানিয়ে দাও। উভয়ে যখন একটি করে কুরবানী হাজির করেছিল তখন তাদের একজনের নিকট হতে কবূল করা হল। অন্যজনের নিকট হতে কবূল করা হল না। সে বলল, আমি তোমাকে অবশ্য অবশ্যই হত্যা করব। অন্যজন বলল, ‘আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের কুরবানী কবূল করেন,
Sahih International:
And recite to them the story of Adam's two sons, in truth, when they both offered a sacrifice [to Allah], and it was accepted from one of them but was not accepted from the other. Said [the latter], "I will surely kill you." Said [the former], "Indeed, Allah only accepts from the righteous [who fear Him].



لَئِنْۢ بَسَطْتَّ اِلَیَّ یَدَکَ لِتَقْتُلَنِیْ مَاۤ اَنَا بِبَاسِطٍ یَّدِیَ اِلَیْکَ لِاَقْتُلَکَ ۚ اِنِّیْۤ اَخَافُ اللّٰهَ رَبَّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
লাইম বাছাততা ইলাইইয়া ইয়াদাকা লিতাক তুলানী মাআনা ব্বিা-ছিতিইঁ ইয়াদিইয়া ইলাইকা লিআকতুলাকা ইন্নীআখা-ফুল্লা-হা রাব্বাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
‘যদি তুমি আমার প্রতি তোমার হাত প্রসারিত কর আমাকে হত্যা করার জন্য, আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য আমার হাত তোমার প্রতি প্রসারিত করব না। নিশ্চয় আমি সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহকে ভয় করি’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি আমার দিকে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার দিকে হাত বাড়াব না, আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।
Sahih International:
If you should raise your hand against me to kill me - I shall not raise my hand against you to kill you. Indeed, I fear Allah, Lord of the worlds.



اِنِّیْۤ اُرِیْدُ اَنْ تَبُوْٓاَ بِاِثْمِیْ وَ اِثْمِکَ فَتَکُوْنَ مِنْ اَصْحٰبِ النَّارِ ۚ وَ ذٰلِکَ جَزٰٓؤُا الظّٰلِمِیْنَ ﴿ۚ۲۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নী উরীদুআন তাবূআ বিইছমী ওয়া ইছমিকা ফাতাকূনা মিন আসহা-বিন্না-রি ওয়া যা-লিকা জাযাউজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি চাই যে, তুমি আমার ও তোমার পাপ নিয়ে ফিরে যাও, ফলে তুমি আগুনের অধিবাসী হও। আর সেটিই হচ্ছে যালিমদের প্রতিদান’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি চাই তুমি আমার ও তোমার পাপের বোঝা বহন কর আর অগ্নিবাসী হয়ে যাও, অন্যায়কারীদের এটাই প্রতিদান।’
Sahih International:
Indeed I want you to obtain [thereby] my sin and your sin so you will be among the companions of the Fire. And that is the recompense of wrongdoers."



فَطَوَّعَتْ لَهٗ نَفْسُهٗ قَتْلَ اَخِیْهِ فَقَتَلَهٗ فَاَصْبَحَ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ফাতাওওয়া‘আত লাহূনাফছুহূকাতলা আখীহি ফাকাতালাহূফাআসবাহা মিনাল খা-ছিরীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তার নফস তাকে বশ করল তার ভাইকে হত্যা করতে। ফলে সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তার আত্মা তাকে ভ্রাতৃহত্যার কাজে প্ররোচিত করল। ফলতঃ সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
Sahih International:
And his soul permitted to him the murder of his brother, so he killed him and became among the losers.



فَبَعَثَ اللّٰهُ غُرَابًا یَّبْحَثُ فِی الْاَرْضِ لِیُرِیَهٗ کَیْفَ یُوَارِیْ سَوْءَۃَ اَخِیْهِ ؕ قَالَ یٰوَیْلَتٰۤی اَعَجَزْتُ اَنْ اَکُوْنَ مِثْلَ هٰذَا الْغُرَابِ فَاُوَارِیَ سَوْءَۃَ اَخِیْ ۚ فَاَصْبَحَ مِنَ النّٰدِمِیْنَ ﴿ۚۛۙ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ফাবা‘আছাল্লা-হু গুরা-বাইঁ ইয়াবহাছুফিল আরদিলিইউরিইয়াহূকাইফা ইউওয়া-রী ছাওআতা আখীহি কা-লা ইয়া-ওয়াইলাতা-আ‘আজাযতুআন আকূনা মিছলা হা-যাল গুরা-বি ফাউওয়া-রিয়া ছাওআতা আখী ফাআসবাহা মিনান না-দিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন, যা মাটি খুঁড়ছিল, যাতে তাকে দেখাতে পারে, কীভাবে সে ভাইয়ের লাশ গোপন করবে। সে বলল, ‘হায়! আমি এই কাকটির মত হতেও অক্ষম হয়েছি যে, আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করব’। ফলে সে লজ্জিত হল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন, সে মাটি খনন করতে লাগল, সে তার ভাইয়ের লাশ কীভাবে গোপন করবে তা দেখানোর জন্য। সে বলল, ধিক আমাকে! আমি এই কাকটির মতও হতে পারলাম না যাতে আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি? তাই সে অনুতপ্ত হল।
Sahih International:
Then Allah sent a crow searching in the ground to show him how to hide the disgrace of his brother. He said, "O woe to me! Have I failed to be like this crow and hide the body of my brother?" And he became of the regretful.



مِنْ اَجْلِ ذٰلِکَ ۚۛؔ کَتَبْنَا عَلٰی بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ اَنَّهٗ مَنْ قَتَلَ نَفْسًۢا بِغَیْرِ نَفْسٍ اَوْ فَسَادٍ فِی الْاَرْضِ فَکَاَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِیْعًا ؕ وَ مَنْ اَحْیَاهَا فَکَاَنَّمَاۤ اَحْیَا النَّاسَ جَمِیْعًا ؕ وَ لَقَدْ جَآءَتْهُمْ رُسُلُنَا بِالْبَیِّنٰتِ ۫ ثُمَّ اِنَّ کَثِیْرًا مِّنْهُمْ بَعْدَ ذٰلِکَ فِی الْاَرْضِ لَمُسْرِفُوْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
মিন আজলি যা-লিকা কাতাবনা-‘আলা-বানীইসরাঈলা আন্নাহূ মান কাতালা নাফছান বিগাইরি নাফছিন আও ফাছা-দিন ফিল আরদিফাকআন্নামা-কাতালান্না-ছা জামী‘আওঁ ওয়া মান আহইয়া-হা-ফাকাআন্নামা-আহইয়ান্না-ছা জামী‘আন ওয়া লাকাদ জাআতহুম রুছুলুনা-বিলবাইয়িনা-তি ছুম্মা ইন্না কাছীরাম মিনহুম বা‘দা যা-লিকা ফিল আরদিলামুছরিফূন।
আল বায়ান:
এ কারণেই, আমি বনী ইসরাঈলের উপর এই হুকুম দিলাম যে, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল। আর অবশ্যই তাদের নিকট আমার রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। তা সত্ত্বেও এরপর যমীনে তাদের অনেকে অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কারণেই আমি বানী ইসরাঈলের জন্য বিধান দিয়েছিলাম যে, যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা যমীনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যা করবে সে যেন তামাম মানুষকেই হত্যা করল। আর যে মানুষের প্রাণ বাঁচালো, সে যেন তামাম মানুষকে বাঁচালো। তাদের কাছে আমার রসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে বাড়াবাড়িই করেছিল।
Sahih International:
Because of that, We decreed upon the Children of Israel that whoever kills a soul unless for a soul or for corruption [done] in the land - it is as if he had slain mankind entirely. And whoever saves one - it is as if he had saved mankind entirely. And our messengers had certainly come to them with clear proofs. Then indeed many of them, [even] after that, throughout the land, were transgressors.



اِنَّمَا جَزٰٓؤُا الَّذِیْنَ یُحَارِبُوْنَ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ وَ یَسْعَوْنَ فِی الْاَرْضِ فَسَادًا اَنْ یُّقَتَّلُوْۤا اَوْ یُصَلَّبُوْۤا اَوْ تُقَطَّعَ اَیْدِیْهِمْ وَ اَرْجُلُهُمْ مِّنْ خِلَافٍ اَوْ یُنْفَوْا مِنَ الْاَرْضِ ؕ ذٰلِکَ لَهُمْ خِزْیٌ فِی الدُّنْیَا وَ لَهُمْ فِی الْاٰخِرَۃِ عَذَابٌ عَظِیْمٌ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-জাযাউল্লাযীনা ইউহা রিবূনাল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়া ইয়াছ‘আওনা ফিল আরদি ফাছা-দান আইঁ ইউকাত্তালূআও ইউসাল্লাবূআও তুকাত্তা‘আ আইদীহিম ওয়া আরজুলুহুম মিন খিলা-ফিন আও ইউনফাওঁমিনাল আরদি যা-লিকা লাহুম খিযইউন ফিদদুনইয়াওয়া লাহুম ফিল আ-খিরাতি ‘আযা-বুন ‘আজীম।
আল বায়ান:
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায়, তাদের আযাব কেবল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে কিংবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এটি তাদের জন্য দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে মহাআযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আর যমীনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে বেড়ায় তাদের শাস্তি হল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা তাদের হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে, অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এ হল তাদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে রয়েছে মহাশাস্তি।
Sahih International:
Indeed, the penalty for those who wage war against Allah and His Messenger and strive upon earth [to cause] corruption is none but that they be killed or crucified or that their hands and feet be cut off from opposite sides or that they be exiled from the land. That is for them a disgrace in this world; and for them in the Hereafter is a great punishment,



اِلَّا الَّذِیْنَ تَابُوْا مِنْ قَبْلِ اَنْ تَقْدِرُوْا عَلَیْهِمْ ۚ فَاعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাল লাযীনা তা-বূমিন কাবলি আন তাকদিরূ ‘আলাইহিম ফা‘লামূ-আন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
তারা ছাড়া, যারা তাওবা করে তোমরা তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভের পূর্বে; সুতরাং জেনে রাখ যে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
(তবে এ শাস্তি) তাদের জন্য নয় যারা তোমাদের আয়ত্বে আসার পূর্বে তাওবা করবে। জেনে রেখ, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
Except for those who return [repenting] before you apprehend them. And know that Allah is Forgiving and Merciful.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ ابْتَغُوْۤا اِلَیْهِ الْوَسِیْلَۃَ وَ جَاهِدُوْا فِیْ سَبِیْلِهٖ لَعَلَّکُمْ تُفْلِحُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানুততাকুল্লা-হা ওয়াবতাগু ইলাইহিল ওয়াছীলাতা ওয়া জাহিদূফী ছাবীলিহী লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং তার নৈকট্যের অনুসন্ধান কর, আর তার রাস্তায় জিহাদ কর, যাতে তোমরা সফল হও।
তাইসিরুল কুরআন:
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অনুসন্ধান কর এবং তাঁর পথে জিহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
Sahih International:
O you who have believed, fear Allah and seek the means [of nearness] to Him and strive in His cause that you may succeed.



اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَوْ اَنَّ لَهُمْ مَّا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا وَّ مِثْلَهٗ مَعَهٗ لِیَفْتَدُوْا بِهٖ مِنْ عَذَابِ یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ مَا تُقُبِّلَ مِنْهُمْ ۚ وَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ লাও আন্না লাহুম মা-ফিল আরদিজামী‘আওঁ ওয়া মিছলাহূমা‘আহূলিইয়াফতাদূবিহী মিন ‘আযা-বি ইয়াওমিল কিয়া-মাতি মা-তুকুব্বিলা মিনহুম ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে, যদি যমীনে যা আছে তার সব ও তার সাথে সমপরিমাণও তাদের জন্য থাকে, যাতে তারা তার মাধ্যমে কিয়ামতের আযাব থেকে রক্ষার মুক্তিপণ দিতে পারে, তাহলেও তাদের থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফরী করেছে দুনিয়ায় যা কিছু আছে সব যদি তাদের হয় এবং আরো সমপরিমাণও হয় ক্বিয়ামাত দিবসের শাস্তি থেকে পরিত্রাণের মুক্তিপণ হিসেবে, তবুও তা তাদের থেকে গ্রহণ করা হবে না; তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
Sahih International:
Indeed, those who disbelieve - if they should have all that is in the earth and the like of it with it by which to ransom themselves from the punishment of the Day of Resurrection, it will not be accepted from them, and for them is a painful punishment



یُرِیْدُوْنَ اَنْ یَّخْرُجُوْا مِنَ النَّارِ وَ مَا هُمْ بِخٰرِجِیْنَ مِنْهَا ۫ وَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّقِیْمٌ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ইউরীদূ না আইঁ ইয়াখরুজুমিনান্না-রি ওয়ামা-হুম বিখা-রিজীনা মিনহা- ওয়া লাহুম ‘আযা-বুম মুকীম।
আল বায়ান:
তারা চাইবে আগুন থেকে বের হতে, কিন্তু তারা সেখান থেকে বের হবার নয় এবং তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আগুন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে, কিন্তু তারা তাত্থেকে বের হতে পারবে না, তাদের জন্য আছে স্থায়ী শাস্তি।
Sahih International:
They will wish to get out of the Fire, but never are they to emerge therefrom, and for them is an enduring punishment.



وَ السَّارِقُ وَ السَّارِقَۃُ فَاقْطَعُوْۤا اَیْدِیَهُمَا جَزَآءًۢ بِمَا کَسَبَا نَکَالًا مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ عَزِیْزٌ حَکِیْمٌ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছছা-রিকুওয়াছছা-রিকাতুফাকতাউআউদিয়াহুমা-জাযাআম বিমা-কাছাবা-নাকালাম মিনাল্লা-হি ওয়াল্লা-হু ‘আযীযুন হাকীম।
আল বায়ান:
আর পুরুষ চোর ও নারী চোর তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও তাদের অর্জনের প্রতিদান ও আল্লাহর পক্ষ থেকে শিক্ষণীয় আযাবস্বরূপ এবং আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর চোর ও চোরনী তাদের হাত কেটে দাও, তাদের কৃতকর্মের ফল স্বরূপ, আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আল্লাহ হলেন মহাপরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী।
Sahih International:
[As for] the thief, the male and the female, amputate their hands in recompense for what they committed as a deterrent [punishment] from Allah. And Allah is Exalted in Might and Wise.



فَمَنْ تَابَ مِنْۢ بَعْدِ ظُلْمِهٖ وَ اَصْلَحَ فَاِنَّ اللّٰهَ یَتُوْبُ عَلَیْهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফামান তা-বা মিম বা‘দি জু লমিহী ওয়া আসলাহা ফাইন্নাল্লা-হা ইয়াতূবু‘আলাইহি ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
অতঃপর যে তার যুলমের পর তাওবা করবে এবং নিজকে সংশোধন করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু অন্যায় করার পর কেউ তাওবা করলে এবং (নিজেকে) সংশোধন করলে, আল্লাহ তার প্রতি ক্ষমাদৃষ্টি করেন, আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
But whoever repents after his wrongdoing and reforms, indeed, Allah will turn to him in forgiveness. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.



اَلَمْ تَعْلَمْ اَنَّ اللّٰهَ لَهٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ یُعَذِّبُ مَنْ یَّشَآءُ وَ یَغْفِرُ لِمَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
আলাম তা‘লাম আন্নাল্লা-হা লাহূমুলকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াগফিরু লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
তুমি কি জান না যে, নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁর জন্যই আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব, তিনি যাকে ইচ্ছা আযাব দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি জান না আল্লাহ, আকাশসমূহ ও যমীনের সার্বভৌমত্ব তাঁরই, যাকে ইচ্ছে তিনি শাস্তি দেন, যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
Sahih International:
Do you not know that to Allah belongs the dominion of the heavens and the earth? He punishes whom He wills and forgives whom He wills, and Allah is over all things competent.



یٰۤاَیُّهَا الرَّسُوْلُ لَا یَحْزُنْکَ الَّذِیْنَ یُسَارِعُوْنَ فِی الْکُفْرِ مِنَ الَّذِیْنَ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِاَفْوَاهِهِمْ وَ لَمْ تُؤْمِنْ قُلُوْبُهُمْ ۚۛ وَ مِنَ الَّذِیْنَ هَادُوْا ۚۛ سَمّٰعُوْنَ لِلْکَذِبِ سَمّٰعُوْنَ لِقَوْمٍ اٰخَرِیْنَ ۙ لَمْ یَاْتُوْکَ ؕ یُحَرِّفُوْنَ الْکَلِمَ مِنْۢ بَعْدِ مَوَاضِعِهٖ ۚ یَقُوْلُوْنَ اِنْ اُوْتِیْتُمْ هٰذَا فَخُذُوْهُ وَ اِنْ لَّمْ تُؤْتَوْهُ فَاحْذَرُوْا ؕ وَ مَنْ یُّرِدِ اللّٰهُ فِتْنَتَهٗ فَلَنْ تَمْلِکَ لَهٗ مِنَ اللّٰهِ شَیْئًا ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ لَمْ یُرِدِ اللّٰهُ اَنْ یُّطَهِّرَ قُلُوْبَهُمْ ؕ لَهُمْ فِی الدُّنْیَا خِزْیٌ ۚۖ وَّ لَهُمْ فِی الْاٰخِرَۃِ عَذَابٌ عَظِیْمٌ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাররাছূলুলা-ইয়াহযুনকাল্লাযীনা ইউছা-রি‘ঊনা ফিল কুফরি মিনাল্লাযীনা কালূ আ-মান্না-বিআফওয়া-হিহিম ওয়া লাম তু’মিন কুলূবুহুম ওয়া মিনাল্লাযীনা হা-দু ছাম্মা-‘ঊনা লিলকাযিবি ছাম্মা-‘ঊনা লিকাওমিন আ-খারীনা লাম ইয়া’তূকা ইউহাররিফূনাল কালিমা মিম বা‘দি মাওয়া-দি‘ইহী ইয়াকূলূনা ইন ঊতীতুম হা-যাফাখুযূহু ওয়া ইল্লাম তু’তাওহু ফাহযারূ ওয়া মাইঁ ইউরিদিল্লা-হু ফিতনাতাহূফালান তামলিকা লাহূমিনাল্লা-হি শাইআন উলাইকাল্লাযীনা লাম ইউরিদিল্লা-হু আইঁ ইউতাহহিরা কুলূবাহুম লাহুম ফিদ দুনইয়া-খিযইউওঁ ওয়া লাহুম ফিল আ-খিরাতি ‘আযা-বুন আজীম।
আল বায়ান:
হে রাসূল, তোমাকে যেন তারা চিন্তিত না করে, যারা কুফরে দ্রুত ছুটছে- তাদের থেকে, যারা তাদের মুখে বলে ‘ঈমান এনেছি’ কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী তারা মিথ্যা অধিক শ্রবণকারী, অন্যান্য কওমের প্রতি, যারা তোমার নিকট আসেনি তাদের পক্ষে তারা কান পেতে থাকে। তারা শব্দগুলোকে যথাযথ সুবিন্যস্ত থাকার পরও আপন স্থান থেকে বিকৃত করে। তারা বলে, ‘যদি তোমাদেরকে এটি প্রদান করা হয়, তবে গ্রহণ কর। আর যদি তা তোমাদেরকে প্রদান না করা হয়, তাহলে বর্জন কর’; আর আল্লাহ যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তুমি তার পক্ষে আল্লাহর বিরুদ্ধে কিছুরই ক্ষমতা রাখ না। এরাই হচ্ছে তারা, যাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
হে রসূল! কুফরীর ব্যাপারে তাদের প্রতিযোগিতা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়, যারা মুখে বলে ঈমান এনেছি কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী, তারা মিথ্যা কথা শুনতে বিশেষ পারদর্শী, তারা তোমার কথাগুলো অন্য সম্প্রদায়ের স্বার্থে কান পেতে শোনে যারা তোমার নিকট (কখনো) আসেনি, এরা আল্লাহর কিতাবের শব্দগুলোকে প্রকৃত অর্থ হতে বিকৃত করে। তারা বলে, তোমরা এ রকম নির্দেশপ্রাপ্ত হলে মানবে, আর তা না হলে বর্জন করবে। বস্তুত আল্লাহই যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমার কিছুই করার নেই। ওরা হল সেই লোক, যাদের অন্তরাত্মাকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে আছে মহা শাস্তি।
Sahih International:
O Messenger, let them not grieve you who hasten into disbelief of those who say, "We believe" with their mouths, but their hearts believe not, and from among the Jews. [They are] avid listeners to falsehood, listening to another people who have not come to you. They distort words beyond their [proper] usages, saying "If you are given this, take it; but if you are not given it, then beware." But he for whom Allah intends fitnah - never will you possess [power to do] for him a thing against Allah. Those are the ones for whom Allah does not intend to purify their hearts. For them in this world is disgrace, and for them in the Hereafter is a great punishment.



سَمّٰعُوْنَ لِلْکَذِبِ اَکّٰلُوْنَ لِلسُّحْتِ ؕ فَاِنْ جَآءُوْکَ فَاحْکُمْ بَیْنَهُمْ اَوْ اَعْرِضْ عَنْهُمْ ۚ وَ اِنْ تُعْرِضْ عَنْهُمْ فَلَنْ یَّضُرُّوْکَ شَیْئًا ؕ وَ اِنْ حَکَمْتَ فَاحْکُمْ بَیْنَهُمْ بِالْقِسْطِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الْمُقْسِطِیْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ছাম্মা-‘ঊনা লিলকাযিবি আক্কা-লূনা লিছছূহতি ফাইন জাঊকা ফাহকুম বাইনাহুম আও আ‘রিদ‘আনহুম ওয়া ইন তু‘রিদআনহুম ফালাইঁ ইয়াদুররূকা শাইআওঁ ওয়া ইন হাকামতা ফাহকুম বাইনাহুম বিল কিছতি ইন্নাল্লা-হা ইউহিব্বুল মুকছিতীন।
আল বায়ান:
তারা মিথ্যার প্রতি অধিক শ্রবণকারী, হারামের অধিক ভক্ষণকারী। সুতরাং যদি তারা তোমার কাছে আসে, তবে তাদের মধ্যে ফয়সালা কর অথবা তাদেরকে উপেক্ষা কর আর যদি তাদেরকে উপেক্ষা কর, তবে তারা তোমার কিছু ক্ষতি করতে পারবে না, আর যদি তুমি ফয়সালা কর, তবে তাদের মধ্যে ফয়সালা কর ন্যয়ভিত্তিক। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যয়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বেশিবেশি মিথ্যে শুনতে আগ্রহী, হারাম ভক্ষণকারী, তারা যদি তোমার কাছে আসে তাহলে (ইচ্ছে হলে) তাদের বিবাদ নিস্পত্তি কর নতুবা অস্বীকার কর। অস্বীকার করলে তারা তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। যদি বিচার ফায়সালা কর তাহলে ইনসাফের সাথে তাদের বিচার ফায়সালা কর, আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।
Sahih International:
[They are] avid listeners to falsehood, devourers of [what is] unlawful. So if they come to you, [O Muhammad], judge between them or turn away from them. And if you turn away from them - never will they harm you at all. And if you judge, judge between them with justice. Indeed, Allah loves those who act justly.



وَ کَیْفَ یُحَکِّمُوْنَکَ وَ عِنْدَهُمُ التَّوْرٰىۃُ فِیْهَا حُکْمُ اللّٰهِ ثُمَّ یَتَوَلَّوْنَ مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِکَ ؕ وَ مَاۤ اُولٰٓئِکَ بِالْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাইফা ইউহাক্কিমূনাকা ওয়া ‘ইনদাহুমুততাওরা-তুফীহা-হুকমুল্লা-হি ছুম্মা ইয়াতাওয়াল্লাওনা মিম বা‘দি যা-লিকা ওয়ামা-উলাইকা বিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর কীভাবে তারা তোমাকে ফয়সালাকারী বানায়? অথচ তাদের কাছে রয়েছে তাওরাত, যাতে আছে আল্লাহর বিধান, তা সত্ত্বেও তারা এরপর মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তারা মুমিনও নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা তোমাকে কীভাবে বিচারক মানতে পারে যখন তাদের মাঝেই তাওরাত বিদ্যমান আছে, তার ভিতর আল্লাহর বিধান আছে, এর পরেও তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, বস্তুত তারা মু’মিনই নয়।
Sahih International:
But how is it that they come to you for judgement while they have the Torah, in which is the judgement of Allah? Then they turn away, [even] after that; but those are not [in fact] believers.



اِنَّاۤ اَنْزَلْنَا التَّوْرٰىۃَ فِیْهَا هُدًی وَّ نُوْرٌ ۚ یَحْکُمُ بِهَا النَّبِیُّوْنَ الَّذِیْنَ اَسْلَمُوْا لِلَّذِیْنَ هَادُوْا وَ الرَّبّٰنِیُّوْنَ وَ الْاَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُوْا مِنْ کِتٰبِ اللّٰهِ وَ کَانُوْا عَلَیْهِ شُهَدَآءَ ۚ فَلَا تَخْشَوُا النَّاسَ وَ اخْشَوْنِ وَ لَا تَشْتَرُوْا بِاٰیٰتِیْ ثَمَنًا قَلِیْلًا ؕ وَ مَنْ لَّمْ یَحْکُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الْکٰفِرُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআনযালনাততাওরা-তা ফীহা-হুদাওঁ ওয়া নূরুইঁ ইয়াহকুমুবিহান্নাবিইয়ূনাল্লাযীনা আছলামূলিল্লাযীনা হা-দূওয়া রাব্বা-নিইয়ূনা ওয়াল আহবা-রু বিমাছ তুহফিজু মিন কিতাবিল্লা-হি ওয়া কা-নূআলাইহি শুহাদাআ ফালা-তাখশাউন্না-ছা ওয়াখশাওনি ওয়ালাতাশতারূ বিআ-য়াতী ছামানান কালীলান ওয়া মাল্লাম ইয়াহকুম বিমাআনযালাল্লা-হু ফাউলাইকা হুমুল কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাওরাত নাযিল করেছি, তাতে ছিল হিদায়াত ও আলো, এর মাধ্যমে ইয়াহূদীদের জন্য ফয়সালা প্রদান করত অনুগত নবীগণ এবং রববানী ও ধর্মবিদগণ। কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল এবং তারা ছিল এর উপর সাক্ষী। সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াতসমূহের বিনিময়ে সামান্য মূল্য ক্রয় করো না। আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে ফয়সালা করে না, তারাই কাফির।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম, তাতে ছিল সঠিক পথের দিশা ও আলো। অনুগত নাবীগণ এর দ্বারা ইয়াহূদীদেরকে ফায়সালা দিত। দরবেশ ও আলিমরাও (তাই করত) কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল আর তারা ছিল এর সাক্ষী। কাজেই মানুষকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর, আর আমার আয়াতকে নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই কাফির।
Sahih International:
Indeed, We sent down the Torah, in which was guidance and light. The prophets who submitted [to Allah] judged by it for the Jews, as did the rabbis and scholars by that with which they were entrusted of the Scripture of Allah, and they were witnesses thereto. So do not fear the people but fear Me, and do not exchange My verses for a small price. And whoever does not judge by what Allah has revealed - then it is those who are the disbelievers.



وَ کَتَبْنَا عَلَیْهِمْ فِیْهَاۤ اَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ ۙ وَ الْعَیْنَ بِالْعَیْنِ وَ الْاَنْفَ بِالْاَنْفِ وَ الْاُذُنَ بِالْاُذُنِ وَ السِّنَّ بِالسِّنِّ ۙ وَ الْجُرُوْحَ قِصَاصٌ ؕ فَمَنْ تَصَدَّقَ بِهٖ فَهُوَ کَفَّارَۃٌ لَّهٗ ؕ وَ مَنْ لَّمْ یَحْکُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাতাবনা-‘আলাইহিম ফীহাআন্নান্নাফছা বিন্নাফছি ওয়াল‘আইনা বিলা‘আইনি ওয়াল আনফা বিলআনফি ওয়ালউযুনা বিলউযুনি ওয়াছছিন্না বিছছিন্নি ওয়াল জুরূহা কিসা-সুন ফামান তাসাদ্দাকা বিহী ফাহুওয়া কাফফা-রাতুল্লা-হূ ওয়া মাল্লাম ইয়াহকুম বিমাআনযালাল্লা-হু ফাউলাইকা হুমুজ্জা-লিমূন।
আল বায়ান:
আর আমি এতে তাদের উপর অবধারিত করেছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান ও দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং জখমের বিনিময়ে সমপরিমাণ জখম। অতঃপর যে তা ক্ষমা করে দেবে, তার জন্য তা কাফ্ফারা হবে। আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করবে না, তারাই যালিম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের জন্য তাতে বিধান দিয়েছিলাম যে, জানের বদলে জান, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, আর দাঁতের বদলে দাঁত। আর জখমের বদলে অনুরূপ জখম। কেউ ক্ষমা করে দিলে তাতে তারই পাপ মোচন হবে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই যালিম।
Sahih International:
And We ordained for them therein a life for a life, an eye for an eye, a nose for a nose, an ear for an ear, a tooth for a tooth, and for wounds is legal retribution. But whoever gives [up his right as] charity, it is an expiation for him. And whoever does not judge by what Allah has revealed - then it is those who are the wrongdoers.



وَ قَفَّیْنَا عَلٰۤی اٰثَارِهِمْ بِعِیْسَی ابْنِ مَرْیَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْهِ مِنَ التَّوْرٰىۃِ ۪ وَ اٰتَیْنٰهُ الْاِنْجِیْلَ فِیْهِ هُدًی وَّ نُوْرٌ ۙ وَّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْهِ مِنَ التَّوْرٰىۃِ وَ هُدًی وَّ مَوْعِظَۃً لِّلْمُتَّقِیْنَ ﴿ؕ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাফফাইনা ‘আলাআ-ছা-রিহিম বি‘ঈছাবনি মারইয়ামা মুসাদ্দিকাল লিমা-বাইনা ইয়াদাইহি মিনাততাওরা-তি ওয়া আ-তাইনা-হুল ইনজীলা ফিহি হুদাওঁ ওয়া নূরুওঁ ওয়া মুসাদ্দিকাললিমা-বাইনা ইয়াদাইহি মিনাততাওরা-তি ওয়া হুদাওঁ ওয়া মাও‘ইজাতাল লিল মুত্তাকীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের পেছনে মারইয়াম পুত্র ঈসাকে পাঠিয়েছিলাম তার সম্মুখে বিদ্যমান তাওরাতের সত্যায়নকারীরূপে এবং তাকে দিয়েছিলাম ইনজীল, এতে রয়েছে হিদায়াত ও আলো এবং (তা ছিল) তার সম্মুখে অবশিষ্ট তাওরাতের সত্যায়নকারী, হিদায়াত ও মুত্তাকীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পশ্চাতে মারইয়াম পুত্র ‘ঈসাকে পাঠিয়েছিলাম তাদের সামনে তাওরাত কিতাবের যা কিছু ছিল তার সত্যতা প্রতিপাদনকারী হিসেবে। তাকে ইঞ্জিল দিয়েছিলাম, যাতে ছিল সত্য পথের দিশা ও আলো, এবং ইহা পূর্ববর্তী কিতাব তাওরাতকে সত্যায়নকারী এবং মুত্তাকীদের জন্য সঠিক পথের দিশা ও নাসীহাত।
Sahih International:
And We sent, following in their footsteps, Jesus, the son of Mary, confirming that which came before him in the Torah; and We gave him the Gospel, in which was guidance and light and confirming that which preceded it of the Torah as guidance and instruction for the righteous.



وَ لْیَحْکُمْ اَهْلُ الْاِنْجِیْلِ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ فِیْهِ ؕ وَ مَنْ لَّمْ یَحْکُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল ইয়াহকুম আহলুল ইনজীলি বিমাআনযালাল্লা-হু ফীহি ওয়া মাল্লাম ইয়াহকুম বিমাআনযালাল্লা-হু ফাউলাইকা হুমুলফা-ছিকূন।
আল বায়ান:
আর ইনজীলের অনুসারীগণ তাতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যেন ফয়সালা করে আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করে না, তারাই ফাসিক।
তাইসিরুল কুরআন:
ইঞ্জিলের অনুসারীগণ যেন আল্লাহ তাতে যে বিধান দিয়েছেন তদনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই ফাসিক।
Sahih International:
And let the People of the Gospel judge by what Allah has revealed therein. And whoever does not judge by what Allah has revealed - then it is those who are the defiantly disobedient.



وَ اَنْزَلْنَاۤ اِلَیْکَ الْکِتٰبَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْهِ مِنَ الْکِتٰبِ وَ مُهَیْمِنًا عَلَیْهِ فَاحْکُمْ بَیْنَهُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ وَ لَا تَتَّبِعْ اَهْوَآءَهُمْ عَمَّا جَآءَکَ مِنَ الْحَقِّ ؕ لِکُلٍّ جَعَلْنَا مِنْکُمْ شِرْعَۃً وَّ مِنْهَاجًا ؕ وَ لَوْ شَآءَ اللّٰهُ لَجَعَلَکُمْ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ لٰکِنْ لِّیَبْلُوَکُمْ فِیْ مَاۤ اٰتٰىکُمْ فَاسْتَبِقُوا الْخَیْرٰتِ ؕ اِلَی اللّٰهِ مَرْجِعُکُمْ جَمِیْعًا فَیُنَبِّئُکُمْ بِمَا کُنْتُمْ فِیْهِ تَخْتَلِفُوْنَ ﴿ۙ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনযালনাইলাইকাল কিতা-বা বিলহাক্কি মুসাদ্দিকাল লিমা-বাইনা ইয়াদাইহি মিনাল কিতা-বি ওয়া মুহাইমিনান ‘আলাইহি ফাহকুম বাইনাহুম বিমাআনযালাল্লা-হু ওয়ালা-তাত্তাবি‘ আহওয়াআহুম ‘আম্মা-জাআকা মিনাল হাক্কি লিকুল্লিন জা‘আলনা মিনকুম শির‘আতাওঁ ওয়া মিনহা-জাওঁ ওয়া লাও শাআল্লা-হু লাজা‘আলাকুম উম্মাতাওঁ ওয়াহিদাতাওঁ ওয়ালা-কিল লিইয়াবলুওয়াকুম ফী মা আ-তা-কুম ফাছতাবিকুল খাইরা-তি ইলাল্লা-হি মারজি‘উকুম জামী‘আন ফাইউনাব্বিউকুম বিমা-কুনতুম ফীহি তাখতালিফূন।
আল বায়ান:
আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর উপর তদারককারীরূপে। সুতরাং আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা কর এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরীআত ও স্পষ্ট পন্থা এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদেরকে এক উম্মত বানাতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং তোমরা ভাল কাজে প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহরই দিকে তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন, যা নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি সত্য বিধানসহ তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী ও সংরক্ষক। কাজেই মানুষদের মধ্যে বিচার ফায়সালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে, আর তোমার কাছে যে সত্যবিধান এসেছে তা ছেড়ে দিয়ে তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি শরীয়াত ও একটি কর্মপথ নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে এক উম্মাত করতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন সেই ব্যাপারে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে চান। কাজেই তোমরা সৎকর্মে অগ্রগামী হও, তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকেই। অতঃপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন।
Sahih International:
And We have revealed to you, [O Muhammad], the Book in truth, confirming that which preceded it of the Scripture and as a criterion over it. So judge between them by what Allah has revealed and do not follow their inclinations away from what has come to you of the truth. To each of you We prescribed a law and a method. Had Allah willed, He would have made you one nation [united in religion], but [He intended] to test you in what He has given you; so race to [all that is] good. To Allah is your return all together, and He will [then] inform you concerning that over which you used to differ.



وَ اَنِ احْکُمْ بَیْنَهُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ وَ لَا تَتَّبِعْ اَهْوَآءَهُمْ وَ احْذَرْهُمْ اَنْ یَّفْتِنُوْکَ عَنْۢ بَعْضِ مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ اِلَیْکَ ؕ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ اَنَّمَا یُرِیْدُ اللّٰهُ اَنْ یُّصِیْبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوْبِهِمْ ؕ وَ اِنَّ کَثِیْرًا مِّنَ النَّاسِ لَفٰسِقُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনিহকুম বাইনাহুম বিমাআনযালাল্লা-হু ওয়ালা তাত্তাবি‘ আহওয়াআহুম ওয়াহযারহুম আইয়াঁফতিনূকা ‘আম বা‘দিমাআনযালাল্লাহু ইলাইকা ফাইন তাওয়াল্লাও ফা‘লাম আন্নামা-ইউরীদুল্লা-হু আইঁ ইউসীবাহুম ব্বিা‘দিযুনূবিহিম ওয়া ইন্না কাছীরাম মিনান্না-ছি লাফা-ছিকূ ন।
আল বায়ান:
আর তাদের মধ্যে তার মাধ্যমে ফয়সালা কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কিছু পাপের কারণেই আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি তাদের মধ্যে বিচার ফয়সালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করবে না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক তারা যেন আল্লাহ তোমার প্রতি যা নাযিল করেছেন তার কোন কিছু থেকে তোমাকে ফেতনায় না ফেলতে পারে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রেখ, আল্লাহ তাদের কোন কোন পাপের কারণে তাদেরকে শাস্তি দিতে চান, মানুষদের অধিকাংশই প্রকৃতপক্ষে সত্য ত্যাগী।
Sahih International:
And judge, [O Muhammad], between them by what Allah has revealed and do not follow their inclinations and beware of them, lest they tempt you away from some of what Allah has revealed to you. And if they turn away - then know that Allah only intends to afflict them with some of their [own] sins. And indeed, many among the people are defiantly disobedient.



اَفَحُکْمَ الْجَاهِلِیَّۃِ یَبْغُوْنَ ؕ وَ مَنْ اَحْسَنُ مِنَ اللّٰهِ حُکْمًا لِّقَوْمٍ یُّوْقِنُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
আফা হুকমাল জা-হিলিইয়াতি ইয়াবগূনা ওয়া মান আহছানূমিনাল্লা-হি হুকমাল লিকাওমিইঁ ইঊকিনূন।
আল বায়ান:
তারা কি তবে জাহিলিয়্যাতের বিধান চায়? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি জাহিলী যুগের আইন বিধান চায়? দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আইন-বিধান প্রদানে আল্লাহ হতে কে বেশী শ্রেষ্ঠ?
Sahih International:
Then is it the judgement of [the time of] ignorance they desire? But who is better than Allah in judgement for a people who are certain [in faith].



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْیَهُوْدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوْلِیَآءَ ۘؔ بَعْضُهُمْ اَوْلِیَآءُ بَعْضٍ ؕ وَ مَنْ یَّتَوَلَّهُمْ مِّنْکُمْ فَاِنَّهٗ مِنْهُمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাত্তাখিযুল ইয়াহূদা ওয়ান্নাসা-রাআওলিয়াআ ।বা‘দুহুম আওলিয়াউ বা‘দিওঁ ওয়া মাইঁ ইয়াতাওয়াল্লাহুম মিনকুম ফাইন্নাহূমিনহুম ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদ ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
Sahih International:
O you who have believed, do not take the Jews and the Christians as allies. They are [in fact] allies of one another. And whoever is an ally to them among you - then indeed, he is [one] of them. Indeed, Allah guides not the wrongdoing people.



فَتَرَی الَّذِیْنَ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ یُّسَارِعُوْنَ فِیْهِمْ یَقُوْلُوْنَ نَخْشٰۤی اَنْ تُصِیْبَنَا دَآئِرَۃٌ ؕ فَعَسَی اللّٰهُ اَنْ یَّاْتِیَ بِالْفَتْحِ اَوْ اَمْرٍ مِّنْ عِنْدِهٖ فَیُصْبِحُوْا عَلٰی مَاۤ اَسَرُّوْا فِیْۤ اَنْفُسِهِمْ نٰدِمِیْنَ ﴿ؕ۵۲﴾
উচ্চারণ:
ফাতারাল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুইঁ ইউছা-রি‘ঊনা ফীহিম ইয়াকূলূনা নাখশাআন তুসীবানা-দাইরাতুন ফা‘আছাল্লা-হু আইঁ ইয়া‘তিয়া বিল ফাতহিআও আমরিম মিন ‘ইনদিহী ফাইউসবিহু‘আলা-মাআছাররূফীআনফুছিহিম না-দিমীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তুমি দেখতে পাবে, যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, তারা কাফিরদের মধ্যে (বন্ধুত্বের জন্য) ছুটছে। তারা বলে, ‘আমরা আশঙ্কা করছি যে, কোন বিপদ আমাদেরকে আক্রান্ত করবে’। অতঃপর হতে পারে আল্লাহ দান করবেন বিজয় কিংবা তাঁর পক্ষ থেকে এমন কিছু, যার ফলে তারা তাদের অন্তরে যা লুকিয়ে রেখেছে, তাতে লজ্জিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তুমি তাদেরকে দেখবে তারা তাদের (অর্থাৎ ইয়াহূদী, নাসারা মুশরিকদের) দৌড়ে গিয়ে বলবে, আমাদের ভয় হয় আমরা বিপদের চক্করে পড়ে না যাই। হয়তো আল্লাহ বিজয় দান করবেন কিংবা নিজের পক্ষ হতে এমন কিছু দিবেন যাতে তারা তাদের অন্তরে যা লুকিয়ে রেখেছিল তার কারণে লজ্জিত হবে।
Sahih International:
So you see those in whose hearts is disease hastening into [association with] them, saying, "We are afraid a misfortune may strike us." But perhaps Allah will bring conquest or a decision from Him, and they will become, over what they have been concealing within themselves, regretful.



وَ یَقُوْلُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَهٰۤؤُلَآءِ الَّذِیْنَ اَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَیْمَانِهِمْ ۙ اِنَّهُمْ لَمَعَکُمْ ؕ حَبِطَتْ اَعْمَالُهُمْ فَاَصْبَحُوْا خٰسِرِیْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াকূলুল্লাযীনা আ-মানূআহাউলাইল্লাযীনা আকছামূবিল্লা-হি জাহদা আইমানিহিম ইন্নাহুম লামা‘আকুম হাবিতাত আ‘মা-লুহুম ফাআসবাহূখা-ছিরীন।
আল বায়ান:
আর মুমিনগণ বলবে, ‘এরাই কি তারা, যারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করেছে যে, নিশ্চয় তারা তোমাদের সাথে আছে’? তাদের আমলসমূহ বরবাদ হয়েছে, ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিনগণ বলবে, এরা কি তারাই যারা আল্লাহর নামে শক্ত কসম খেয়ে বলত যে, তারা অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে আছে। তাদের কৃতকর্ম নিস্ফল হয়ে গেছে, যার ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Sahih International:
And those who believe will say, "Are these the ones who swore by Allah their strongest oaths that indeed they were with you?" Their deeds have become worthless, and they have become losers.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَنْ یَّرْتَدَّ مِنْکُمْ عَنْ دِیْنِهٖ فَسَوْفَ یَاْتِی اللّٰهُ بِقَوْمٍ یُّحِبُّهُمْ وَ یُحِبُّوْنَهٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الْکٰفِرِیْنَ ۫ یُجَاهِدُوْنَ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ لَا یَخَافُوْنَ لَوْمَۃَ لَآئِمٍ ؕ ذٰلِکَ فَضْلُ اللّٰهِ یُؤْتِیْهِ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ মাইঁ ইয়ারতাদ্দা মিনকুম ‘আন দীনিহী ফাছাওফা ইয়া‘তিল্লা-হু বিকাওমিইঁ ইউহিব্বুহুম ওয়া ইউহিববূনাহূ আযিল্লাতিন ‘আলাল মু’মিনীনা আ‘ইযযাতিন ‘আলাল কা-ফিরীনা ইউজা-হিদূ না ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়ালা ইয়াখা-ফূনা লাওমাতা লাইমিন যা-লিকা ফাদলুল্লা-হি ইউ’তীহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন কওমকে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুমিনদের উপর বিনম্র এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। আল্লাহর রাস্তায় তারা জিহাদ করবে এবং কোন কটাক্ষকারীর কটাক্ষকে ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার দ্বীন হতে ফিরে গেলে সত্বর আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসেন আর তারাও তাঁকে ভালবাসবে, তারা মু’মিনদের প্রতি কোমল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ- যাকে ইচ্ছে তিনি দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
O you who have believed, whoever of you should revert from his religion - Allah will bring forth [in place of them] a people He will love and who will love Him [who are] humble toward the believers, powerful against the disbelievers; they strive in the cause of Allah and do not fear the blame of a critic. That is the favor of Allah; He bestows it upon whom He wills. And Allah is all-Encompassing and Knowing.



اِنَّمَا وَلِیُّکُمُ اللّٰهُ وَ رَسُوْلُهٗ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوا الَّذِیْنَ یُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤْتُوْنَ الزَّکٰوۃَ وَ هُمْ رٰکِعُوْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-ওয়ালিইইয়ুকুমুল্লা-হুওয়ারাছূলুহূওয়াল্লাযীনা আ-মানূল্লাযীনা ইউকীমূনাসসালাতা ওয়া ইউ’তূনাযযাকা-তা ওয়া হুম রা-কি‘ঊন।
আল বায়ান:
তোমাদের বন্ধু কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনগণ, যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে বিনীত হয়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের বন্ধু কেবল আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনগণ যারা নামায কায়িম করে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে অবনত হয়।
Sahih International:
Your ally is none but Allah and [therefore] His Messenger and those who have believed - those who establish prayer and give zakah, and they bow [in worship].



وَ مَنْ یَّتَوَلَّ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا فَاِنَّ حِزْبَ اللّٰهِ هُمُ الْغٰلِبُوْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইয়াতাওয়াল্লাল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়াল্লাযীনা আ-মানূফাইন্না হিযবাল্লা-হি হুমুল গা-লিবূন।
আল বায়ান:
আর যে আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনদের সাথে বন্ধুত্ব করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহর দলই বিজয়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূল এবং ঈমানদারগণকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে (সে দেখতে পাবে যে) আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে।
Sahih International:
And whoever is an ally of Allah and His Messenger and those who have believed - indeed, the party of Allah - they will be the predominant.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِیْنَ اتَّخَذُوْا دِیْنَکُمْ هُزُوًا وَّ لَعِبًا مِّنَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْکِتٰبَ مِنْ قَبْلِکُمْ وَ الْکُفَّارَ اَوْلِیَآءَ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنْ کُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাত্তাখিযুল্লাযীনাত্তাখাযূদীনাকুম হুযুওয়াওঁ ওয়া লা‘ইবাম মিনাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা মিন কাবলিকুম ওয়াল কুফফা-রা আওলিয়াআ ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন কুনতুম মু‘মিনীন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যারা তোমাদের দীনকে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছে, তাদের মধ্য থেকে তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে ও কাফিরদেরকে। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে যারা তোমাদের দ্বীনকে হাসি-তামাসা ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করে তাদেরকে এবং কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না আর আল্লাহকে ভয় কর যদি তোমরা মু’মিন হও।
Sahih International:
O you who have believed, take not those who have taken your religion in ridicule and amusement among the ones who were given the Scripture before you nor the disbelievers as allies. And fear Allah, if you should [truly] be believers.



وَ اِذَا نَادَیْتُمْ اِلَی الصَّلٰوۃِ اتَّخَذُوْهَا هُزُوًا وَّ لَعِبًا ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا یَعْقِلُوْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-না-দাইতুম ইলাস সালা-তিত তাখাযূহা-হুযুওয়াওঁ ওয়া লা‘ইবান যা-লিকা বিআন্নাহুম কাওমুল লা-ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর যখন তোমরা সালাতের দিকে ডাক, তখন তারা একে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করে। তা এই কারণে যে, তারা এমন কওম, যারা বুঝে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যখন সলাতের জন্য আহবান জানাও তখন তারা সেটিকে তামাশা ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করে। এটা এজন্য যে, তারা হল নির্বোধ সম্প্রদায়।
Sahih International:
And when you call to prayer, they take it in ridicule and amusement. That is because they are a people who do not use reason.



قُلْ یٰۤاَهْلَ الْکِتٰبِ هَلْ تَنْقِمُوْنَ مِنَّاۤ اِلَّاۤ اَنْ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْنَا وَ مَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلُ ۙ وَ اَنَّ اَکْثَرَکُمْ فٰسِقُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ইয়াআহলাল কিতা-বি হাল তানকিমূনা মিন্নাইল্লা আন আ-মান্না-বিল্লা-হি ওয়ামাউনযিলা ইলাইনা-ওয়ামা উনযিলা মিন কাবলু ওয়া আন্না আকছারাকুম ফাছিকূ ন।
আল বায়ান:
বল, ‘হে কিতাবীরা, কেবল এ কারণে কি তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ কর যে, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং যা আমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে এবং পূর্বে নাযিল হয়েছে তার প্রতি? আর নিশ্চয় তোমাদের অধিকাংশ ফাসিক।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘ওহে কিতাবধারী সম্প্রদায়! তোমরা এ ছাড়া অন্য কারণে আমাদের প্রতি রাগান্বিত নও যে, আমরা আল্লাহর প্রতি এবং আমাদের প্রতি আর আমাদের পূর্বে যা নাযিল হয়েছিল তার প্রতি ঈমান এনেছি, তোমাদের অধিকাংশই তো হচ্ছে ফাসিক।’
Sahih International:
Say, "O People of the Scripture, do you resent us except [for the fact] that we have believed in Allah and what was revealed to us and what was revealed before and because most of you are defiantly disobedient?"



قُلْ هَلْ اُنَبِّئُکُمْ بِشَرٍّ مِّنْ ذٰلِکَ مَثُوْبَۃً عِنْدَ اللّٰهِ ؕ مَنْ لَّعَنَهُ اللّٰهُ وَ غَضِبَ عَلَیْهِ وَ جَعَلَ مِنْهُمُ الْقِرَدَۃَ وَ الْخَنَازِیْرَ وَ عَبَدَ الطَّاغُوْتَ ؕ اُولٰٓئِکَ شَرٌّ مَّکَانًا وَّ اَضَلُّ عَنْ سَوَآءِ السَّبِیْلِ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
কুল হাল উনাব্বিউকুম বিশাররিম মিন যা-লিকা মাছূবাতান ইনদাল্লা-হি মাল্লা‘আনাহুল্লাহু ওয়া গাদিবা ‘আলাইহি ওয়াজা‘আলা মিনহুমুল কিরাদাতা ওয়াল খানা-যীরা ওয়া ‘আবাদাততা-গূতা উলাইকা শাররুম মাকা-নাওঁ ওয়া আদাল্লু‘আন ছাওয়াইছছাবীল।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে আল্লাহর নিকট পরিণতির বিচারে এর চেয়ে মন্দ কিছুর সংবাদ দেব? যাকে আল্লাহ লা‘নত দিয়েছেন এবং যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন? আর যাদের মধ্য থেকে বাঁদর ও শূকর বানিয়েছেন এবং তারা তাগূতের উপাসনা করেছে। তারাই অবস্থানে মন্দ এবং সোজা পথ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমি তোমাদেরকে কি এর চেয়ে খারাপ কিছুর সংবাদ দেব যা আল্লাহর নিকট প্রতিদান হিসেবে আছে? (আর তা হল) যাকে আল্লাহ লা‘নাত করেছেন, যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে তিনি বানর ও শুকরে পরিণত করেছেন আর যারা তাগুতের ‘ইবাদাত করেছে তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানের লোক এবং সরল সত্য পথ হতে সবচেয়ে বিচ্যুত।
Sahih International:
Say, "Shall I inform you of [what is] worse than that as penalty from Allah? [It is that of] those whom Allah has cursed and with whom He became angry and made of them apes and pigs and slaves of Taghut. Those are worse in position and further astray from the sound way."



وَ اِذَا جَآءُوْکُمْ قَالُوْۤا اٰمَنَّا وَ قَدْ دَّخَلُوْا بِالْکُفْرِ وَ هُمْ قَدْ خَرَجُوْا بِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا کَانُوْا یَکْتُمُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা- জাঊকুম কা-লূআ-মান্না-ওয়া কাদ দাখালূবিলকুফরি ওয়া হুম কাদ খারাজু বিহী ওয়াল্লা-হু আ‘লামূবিমা-কা-নূইয়াকতুমূন।
আল বায়ান:
আর যখন তারা তোমাদের নিকট আসে, তখন বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। অথচ অবশ্যই তারা কুফরী নিয়ে প্রবেশ করেছে এবং তারা তা নিয়েই বেরিয়ে গেছে। আর আল্লাহ সে সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত, যা তারা গোপন করত।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা তোমাদের কাছে আসে তখন বলে ‘‘আমরা ঈমান এনেছি’’। বাস্তবে তারা কুফরী নিয়েই প্রবেশ করে, কুফরী নিয়েই বেরিয়ে যায়, তারা যা লুকিয়ে রাখে আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবগত।
Sahih International:
And when they come to you, they say, "We believe." But they have entered with disbelief [in their hearts], and they have certainly left with it. And Allah is most knowing of what they were concealing.



وَ تَرٰی کَثِیْرًا مِّنْهُمْ یُسَارِعُوْنَ فِی الْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِ وَ اَکْلِهِمُ السُّحْتَ ؕ لَبِئْسَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তারা-কাছীরাম মিনহুম ইউছা-রি‘উনা ফিল ইছমি ওয়াল ‘উদওয়া-নি ওয়া আকলিহিমুছছুহতা লাবি’ছা মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর তুমি তাদের মধ্য থেকে অনেককে দেখতে পাবে যে, তারা পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষণে ছুটোছুটি করছে। তারা যা করছে, নিশ্চয় তা কতইনা মন্দ!
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের অনেককেই তুমি পাপ, শত্রুতা আর হারাম ভক্ষণের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত দেখতে পাবে। তারা যা করে তা কতই না নিকৃষ্ট!
Sahih International:
And you see many of them hastening into sin and aggression and the devouring of [what is] unlawful. How wretched is what they have been doing.



لَوْ لَا یَنْهٰهُمُ الرَّبّٰنِیُّوْنَ وَ الْاَحْبَارُ عَنْ قَوْلِهِمُ الْاِثْمَ وَ اَکْلِهِمُ السُّحْتَ ؕ لَبِئْسَ مَا کَانُوْا یَصْنَعُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
লাওলা-ইয়ানহা-হুমুর রাব্বা-নিইয়ূনা ওয়াল আহবা-রু ‘আন কাওলিহিমুল ইছমা ওয়া আকলিহিমুছছুহতা লাবি’ছা মা-কা-নূইয়াসনা‘ঊন।
আল বায়ান:
কেন তাদেরকে রব্বানী ও ধর্মবিদগণ তাদের পাপের কথা ও হারাম ভক্ষণ থেকে নিষেধ করে না? তারা যা করছে, নিশ্চয় তা কতইনা মন্দ!
তাইসিরুল কুরআন:
দরবেশ ও পুরোহিতগণ তাদেরকে পাপের কথা বলা হতে এবং হারাম ভক্ষণ থেকে নিষেধ করে না কেন? তারা যা করে তা কতই না নিকৃষ্ট!
Sahih International:
Why do the rabbis and religious scholars not forbid them from saying what is sinful and devouring what is unlawful? How wretched is what they have been practicing.



وَ قَالَتِ الْیَهُوْدُ یَدُ اللّٰهِ مَغْلُوْلَۃٌ ؕ غُلَّتْ اَیْدِیْهِمْ وَ لُعِنُوْا بِمَا قَالُوْا ۘ بَلْ یَدٰهُ مَبْسُوْطَتٰنِ ۙ یُنْفِقُ کَیْفَ یَشَآءُ ؕ وَ لَیَزِیْدَنَّ کَثِیْرًا مِّنْهُمْ مَّاۤ اُنْزِلَ اِلَیْکَ مِنْ رَّبِّکَ طُغْیَانًا وَّ کُفْرًا ؕ وَ اَلْقَیْنَا بَیْنَهُمُ الْعَدَاوَۃَ وَ الْبَغْضَآءَ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ ؕ کُلَّمَاۤ اَوْقَدُوْا نَارًا لِّلْحَرْبِ اَطْفَاَهَا اللّٰهُ ۙ وَ یَسْعَوْنَ فِی الْاَرْضِ فَسَادًا ؕ وَ اللّٰهُ لَا یُحِبُّ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকা-লাতিল ইয়াহূদুইয়াদুল্লা-হি মাগলূলাতুন গুল্লাত আইদীহিম ওয়া লু‘ইনূবিমা-কালূ । বাল ইয়াদা-হু মাবছূতাতা-নি ইউনফিকুকাইফা ইয়াশাউ ওয়ালাইয়াযীদান্না কাছীরাম মিনহুম মাউনযিলা ইলাইকা মির রাব্বিকা তুগইয়া-নাওঁ ওয়াকুফরাওঁ ওয়া আলকাইনা-বাইনাহুমুল ‘আদা-ওয়াতা ওয়াল বাগদাআ ইলাইয়াওমিল কিয়া-মাতি কুল্লামাআওকাদূনা-রাল লিলহারবি আতফাআহাল্লা-হু ওয়া ইয়াছ‘আওনা ফিল আরদিফাছা-দাওঁ ওয়াল্লা-হু লা-ইউহিব্বুল মুফছিদীন।
আল বায়ান:
আর ইয়াহূদীরা বলে, ‘আল্লাহর হাত বাঁধা’। তাদের হাতই বেঁধে দেয়া হয়েছে এবং তারা যা বলেছে, তার জন্য তারা লা‘নতগ্রস্ত হয়েছে। বরং তার দু’হাত প্রসারিত। যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন এবং তোমার উপর তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে তা তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরী বাড়িয়েই দিচ্ছে। আর আমি তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত শত্রুতা ও ঘৃণা ঢেলে দিয়েছি। যখনই তারা যুদ্ধের আগুন প্রজ্বলিত করে, আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন। আর তারা যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায় এবং আল্লাহ ফাসাদকারীদের ভালবাসেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
ইয়াহূদীরা বলে, আল্লাহর হাত আবদ্ধ, তাদের হাতই আবদ্ধ, তাদের (প্রলাপ) উক্তির কারণে তারা হয়েছে অভিশপ্ত, বরং আল্লাহর উভয় হাত প্রসারিত, যেভাবে ইচ্ছে করেন দান করেন, তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তাদের অনেকের সীমালঙ্ঘন ও কুফরী অবশ্য অবশ্যই বাড়িয়ে দিবে, আর ক্বিয়ামাত অবধি আমি তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দিয়েছি। যখনই তারা যুদ্ধের আগুন প্রজ্জ্বলিত করে, আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন, আর তারা দুনিয়ায় ফাসাদ ছড়িয়ে বেড়ায়, আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।
Sahih International:
And the Jews say, "The hand of Allah is chained." Chained are their hands, and cursed are they for what they say. Rather, both His hands are extended; He spends however He wills. And that which has been revealed to you from your Lord will surely increase many of them in transgression and disbelief. And We have cast among them animosity and hatred until the Day of Resurrection. Every time they kindled the fire of war [against you], Allah extinguished it. And they strive throughout the land [causing] corruption, and Allah does not like corrupters.



وَ لَوْ اَنَّ اَهْلَ الْکِتٰبِ اٰمَنُوْا وَ اتَّقَوْا لَکَفَّرْنَا عَنْهُمْ سَیِّاٰتِهِمْ وَ لَاَدْخَلْنٰهُمْ جَنّٰتِ النَّعِیْمِ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও আন্না আহলাল কিতা-বি আ-মানূওয়াত্তাকাও লাকাফফারনা-‘আনহুম ছাইয়িআতিহিম ওয়ালা আদখালনা-হুম জান্না-তিন না‘ঈম।
আল বায়ান:
আর যদি কিতাবীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তবে অবশ্যই আমি তাদের থেকে পাপগুলো দূর করে দিতাম এবং অবশ্যই তাদেরকে আরামদায়ক জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
গ্রন্থধারীরা যদি ঈমান আনতো আর তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি তাদের পাপ অবশ্যই মোচন করে দিতাম আর তাদেরকে নিআমতে ভরা জান্নাতে অবশ্যই দাখিল করতাম।
Sahih International:
And if only the People of the Scripture had believed and feared Allah, We would have removed from them their misdeeds and admitted them to Gardens of Pleasure.



وَ لَوْ اَنَّهُمْ اَقَامُوا التَّوْرٰىۃَ وَ الْاِنْجِیْلَ وَ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِمْ مِّنْ رَّبِّهِمْ لَاَکَلُوْا مِنْ فَوْقِهِمْ وَ مِنْ تَحْتِ اَرْجُلِهِمْ ؕ مِنْهُمْ اُمَّۃٌ مُّقْتَصِدَۃٌ ؕ وَ کَثِیْرٌ مِّنْهُمْ سَآءَ مَا یَعْمَلُوْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও আন্নাহুম আকা-মুত তাওরা-তা ওয়াল ইনজিলা ওয়ামাউনযিলা ইলাইহিম মির রাব্বিহিম লাআকালূমিন ফাওকিহিম ওয়া মিন তাহতি আরজুলিহিম মিনহুম উম্মাতুম মুকতাসিদাতুওঁ ওয়াকাছিরুম মিনহুম ছাআ মা-ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর যদি তারা তাওরাত, ইনজীল ও তাদের নিকট তাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা কায়েম করত, তবে অবশ্যই তারা আহার করত তাদের উপর থেকে এবং তাদের পদতল থেকে। তাদের মধ্য থেকে সঠিক পথের অনুসারী একটি দল রয়েছে এবং তাদের অনেকেই যা করছে, তা কতইনা মন্দ!
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যদি তাওরাত ইঞ্জিল আর তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তার নিয়ম-বিধান প্রতিষ্ঠিত করত, তাহলে তাদের উপর থেকে আর তাদের পায়ের নীচ থেকে আহার্য পেত। তাদের মধ্যে একটি সত্যপন্থী দল আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই যা করে তা খারাপ।
Sahih International:
And if only they upheld [the law of] the Torah, the Gospel, and what has been revealed to them from their Lord, they would have consumed [provision] from above them and from beneath their feet. Among them are a moderate community, but many of them - evil is that which they do.



یٰۤاَیُّهَا الرَّسُوْلُ بَلِّغْ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْکَ مِنْ رَّبِّکَ ؕ وَ اِنْ لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهٗ ؕ وَ اللّٰهُ یَعْصِمُکَ مِنَ النَّاسِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহার রাছূলুবালিলগ মা উনযিলা ইলাইকা মির রাব্বিকা ওয়া ইল্লাম তাফ‘আল ফামা-বাল্লাগতা রিছা-লাতাহূ ওয়াল্লা-হু ইয়া‘সিমুকা মিনান্না-ছি ইন্নাল্লা-হা লাইয়াহদিল কাওমাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
হে রাসূল, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে, তা পৌঁছে দাও আর যদি তুমি না কর তবে তুমি তাঁর রিসালাত পৌঁছালে না। আর আল্লাহ তোমাকে মানুষ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
হে রসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর, যদি না কর তাহলে তুমি তাঁর বার্তা পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করলে না। মানুষের অনিষ্ট হতে আল্লাহ্ই তোমাকে রক্ষা করবেন, আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে কক্ষনো সৎপথ প্রদর্শন করবেন না।
Sahih International:
O Messenger, announce that which has been revealed to you from your Lord, and if you do not, then you have not conveyed His message. And Allah will protect you from the people. Indeed, Allah does not guide the disbelieving people.



قُلْ یٰۤاَهْلَ الْکِتٰبِ لَسْتُمْ عَلٰی شَیْءٍ حَتّٰی تُقِیْمُوا التَّوْرٰىۃَ وَ الْاِنْجِیْلَ وَ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْکُمْ مِّنْ رَّبِّکُمْ ؕ وَ لَیَزِیْدَنَّ کَثِیْرًا مِّنْهُمْ مَّاۤ اُنْزِلَ اِلَیْکَ مِنْ رَّبِّکَ طُغْیَانًا وَّ کُفْرًا ۚ فَلَا تَاْسَ عَلَی الْقَوْمِ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
কুল ইয়াআহলাল কিতা-বি লাছতুম ‘আলা-শাইয়িন হাত্তা-তুকীমুত তাওরা-তা ওয়াল ইনজীলা ওয়ামাউনযিলা ইলাইকুম মির রাব্বিকুম ওয়ালাইয়াযীদান্না কাছীরাম মিনহুম মাউনযিলা ইলাইকা মির রাব্বিকা তুগইয়া-নাওঁ ওয়া কুফরান ফালা-তা’ছা ‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
বল, ‘হে কিতাবীরা, তোমরা কোন ভিত্তির উপর নেই, যতক্ষণ না তোমরা তাওরাত, ইনজীল ও তোমাদের নিকট তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা কায়েম কর’। আর তোমার নিকট তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরী বৃদ্ধি করবে। সুতরাং তুমি কাফির কওমের উপর হতাশ হয়ো না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, হে গ্রন্থধারীগণ! তোমরা তাওরাত, ইঞ্জিল আর তোমাদের রবের নিকট হতে যা তোমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে তার বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত তোমরা কোন ভিত্তির উপরই দন্ডায়মান নও। তোমার রবের নিকট হতে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা তাদের অনেকের সীমালঙ্ঘন আর কুফরী অবশ্য অবশ্যই বৃদ্ধি করবে। কাজেই কাফির সম্প্রদায়ের জন্য তুমি আফসোস করো না।
Sahih International:
Say, "O People of the Scripture, you are [standing] on nothing until you uphold [the law of] the Torah, the Gospel, and what has been revealed to you from your Lord." And that which has been revealed to you from your Lord will surely increase many of them in transgression and disbelief. So do not grieve over the disbelieving people.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ الَّذِیْنَ هَادُوْا وَ الصّٰبِـُٔوْنَ وَ النَّصٰرٰی مَنْ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَلَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়াল্লাযীনা হা-দূওয়াসসা-বিঊনা ওয়ান্নাসা-রা-মান আ-মানা বিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ফালা-খাওফুন‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহযানূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, ইয়াহূদী হয়েছে এবং সাবিঈ ও নাসারারা (তাদের মধ্য থেকে) যে ঈমান এনেছে আল্লাহ ও আখিরাত দিবসে এবং নেককাজ করেছে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান এনেছে আর যারা ইয়াহূদী হয়েছে আর সাবিয়ী সম্প্রদায় আর নাসারা, যে কেউ আল্লাহ আর আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে, তাদের জন্য কোন ভয় নেই, চিন্তা-ভাবনা নেই।
Sahih International:
Indeed, those who have believed [in Prophet Muhammad] and those [before Him] who were Jews or Sabeans or Christians - those [among them] who believed in Allah and the Last Day and did righteousness - no fear will there be concerning them, nor will they grieve.



لَقَدْ اَخَذْنَا مِیْثَاقَ بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ وَ اَرْسَلْنَاۤ اِلَیْهِمْ رُسُلًا ؕ کُلَّمَا جَآءَهُمْ رَسُوْلٌۢ بِمَا لَا تَهْوٰۤی اَنْفُسُهُمْ ۙ فَرِیْقًا کَذَّبُوْا وَ فَرِیْقًا یَّقْتُلُوْنَ ﴿٭۷۰﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ আখাযনা-মীছা-কা বানীইছরাঈলা ওয়া আরছালনাইলাইহিম রুছুলান কুল্লামা-জাআহুম রাছূলুম বিমা-লা-তাহওয়াআনফুছুহুম ফারীকান কাযযাবূওয়া ফারীকাইঁ ইয়াকতুলূন।
আল বায়ান:
অবশ্যই আমি বনী ইসরাঈলের অঙ্গীকার নিয়েছি এবং তাদের নিকট পাঠিয়েছি অনেক রাসূল। যখনই তাদের নিকট কোন রাসূল এমন কিছু নিয়ে এসেছে, যা তাদের মন চায় না, তখন তারা একদলকে অস্বীকার করেছে এবং একদলকে হত্যা করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি বানী ইসরাঈলের নিকট হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম আর তাদের কাছে রসূলগণকে পাঠিয়েছিলাম। যখনই কোন রসূল তাদের কাছে এমন কিছু নিয়ে এসেছে যা তাদের মনঃপুত নয়, তখন কতককে তারা অমান্য করেছে আর কতককে হত্যা করেছে।
Sahih International:
We had already taken the covenant of the Children of Israel and had sent to them messengers. Whenever there came to them a messenger with what their souls did not desire, a party [of messengers] they denied, and another party they killed.



وَ حَسِبُوْۤا اَلَّا تَکُوْنَ فِتْنَۃٌ فَعَمُوْا وَ صَمُّوْا ثُمَّ تَابَ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ ثُمَّ عَمُوْا وَ صَمُّوْا کَثِیْرٌ مِّنْهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ بَصِیْرٌۢ بِمَا یَعْمَلُوْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হাছিবূআল্লা-তাকূনা ফিতনাতুন ফা‘আমূওয়া সাম্মূছু ম্মা তা-বাল্লা-হু ‘আলাইহিম ছু ম্মা ‘আমূওয়া সাম্মূকাছীরুম মিনহুম ওয়াল্লা-হু বাসীরুম বিমা-ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর তারা ভেবেছে যে, কোন বিপর্যয় হবে না। ফলে তারা অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তাদের তাওবা কবূল করেছেন। অতঃপর তাদের অনেকে অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছে। আর তারা যা আমল করে আল্লাহ তার দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা ভেবেছিল তাদের কোন বিপর্যয় হবে না এজন্য তারা অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমা দৃষ্টি করলেন। তারপর তাদের অনেকেই পুনরায় অন্ধ ও বধির হয়ে গেল। তারা যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
Sahih International:
And they thought there would be no [resulting] punishment, so they became blind and deaf. Then Allah turned to them in forgiveness; then [again] many of them became blind and deaf. And Allah is Seeing of what they do.



لَقَدْ کَفَرَ الَّذِیْنَ قَالُوْۤا اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْمَسِیْحُ ابْنُ مَرْیَمَ ؕ وَ قَالَ الْمَسِیْحُ یٰبَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ اعْبُدُوا اللّٰهَ رَبِّیْ وَ رَبَّکُمْ ؕ اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِکْ بِاللّٰهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللّٰهُ عَلَیْهِ الْجَنَّۃَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیْنَ مِنْ اَنْصَارٍ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ কাফারাল্লাযীনা কা-লূইন্নাল্লা-হা হুওয়াল মাছীহুবনুমারইয়ামা ওয়া কা-লাল মাছীহু ইয়া-বানীইছরাঈলা‘বুদুল্লা-হা রাববী ওয়া রাব্বাকুম ইন্নাহূমাইঁ ইউশরিক বিল্লাহি ফাকাদ হাররামাল্লা-হু ‘আলাইহিল জান্নাতা ওয়া মা’ওয়াহুন্না-রু ওয়ামা-লিজ্জালিমীনা মিন আনসা-র।
আল বায়ান:
অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলেছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ হচ্ছেন মারইয়াম পুত্র মাসীহ’। আর মাসীহ বলেছে, ‘হে বনী ইসরাঈল, তোমরা আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর ইবাদাত কর’। নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা অবশ্যই কুফরী করেছে যারা বলে, মারইয়াম পুত্র মাসীহই হচ্ছেন আল্লাহ। মাসীহ তো বলেছিল, হে বানী ইসরাঈল! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীস্থাপন করে তার জন্য আল্লাহ অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন আর তার আবাস হল জাহান্নাম। যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
Sahih International:
They have certainly disbelieved who say, "Allah is the Messiah, the son of Mary" while the Messiah has said, "O Children of Israel, worship Allah, my Lord and your Lord." Indeed, he who associates others with Allah - Allah has forbidden him Paradise, and his refuge is the Fire. And there are not for the wrongdoers any helpers.



لَقَدْ کَفَرَ الَّذِیْنَ قَالُوْۤا اِنَّ اللّٰهَ ثَالِثُ ثَلٰثَۃٍ ۘ وَ مَا مِنْ اِلٰهٍ اِلَّاۤ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ؕ وَ اِنْ لَّمْ یَنْتَهُوْا عَمَّا یَقُوْلُوْنَ لَیَمَسَّنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ কাফারাল্লাযীনা কা-লূইন্নাল্লা-হা ছা-লিছু ছালা-ছাহ । ওয়ামা-মিন ইলাহিন ইল্লাইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুওঁ ওয়া ইল্লাম ইয়ানতাহূ‘আম্মা-ইয়াকূ লূনা লাইয়ামাছছান্নাল্লাযীনা কাফারূমিনহুম ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তিন জনের তৃতীয়জন’। যদিও এক ইলাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর যদি তারা যা বলছে, তা থেকে বিরত না হয়, তবে অবশ্যই তাদের মধ্য থেকে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা অবশ্যই কুফরী করেছে যারা বলে আল্লাহ তিন জনের মধ্যে একজন, কারণ এক ইলাহ ছাড়া আর কোন সত্যিকার ইলাহ নেই। তারা যা বলছে তা থেকে তারা যদি নিবৃত্ত না হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব গ্রাস করবেই।
Sahih International:
They have certainly disbelieved who say, "Allah is the third of three." And there is no god except one God. And if they do not desist from what they are saying, there will surely afflict the disbelievers among them a painful punishment.



اَفَلَا یَتُوْبُوْنَ اِلَی اللّٰهِ وَ یَسْتَغْفِرُوْنَهٗ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
আফালা-ইয়াতূবূনা ইলাল্লা-হি ওয়া ইয়াছতাগফিরূনাহু ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
সুতরাং তারা কি আল্লাহর নিকট তাওবা করবে না এবং তাঁর নিকট ক্ষমা চাইবে না? আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি আল্লাহর নিকট তাওবা করবে না, তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে না, আল্লাহ তো হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
So will they not repent to Allah and seek His forgiveness? And Allah is Forgiving and Merciful.



مَا الْمَسِیْحُ ابْنُ مَرْیَمَ اِلَّا رَسُوْلٌ ۚ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ ؕ وَ اُمُّهٗ صِدِّیْقَۃٌ ؕ کَانَا یَاْکُلٰنِ الطَّعَامَ ؕ اُنْظُرْ کَیْفَ نُبَیِّنُ لَهُمُ الْاٰیٰتِ ثُمَّ انْظُرْ اَنّٰی یُؤْفَکُوْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
মাল মাছীহুবনুমারইয়ামা ইল্লা-রাছূলুন কাদ খালাত মিন কাবলিহিররুছুলু ওয়া উম্মুহূসিদ্দীকাতুন কা-না-ইয়া’কুলা-নিততা‘আ-মা উনজু র কাইফা নুবাইয়িনু লাহুমুল আ-য়া-তি ছুম্মানজু র আন্না-ইউ‘ফাকূন।
আল বায়ান:
মাসীহ ইবনে মারইয়াম একজন রাসূল ছাড়া আর কিছুই নয়; তার পূর্বে আরও বহু রাসূল গত হয়েছে, আর তার মা একজন পরম সত্যবাদিনী, তারা উভয়ে খাদ্য আহার করত। লক্ষ্য কর! আমি কিরূপে তাদের নিকট প্রমাণসমূহ বর্ণনা করছি। আবার লক্ষ্য কর! তারা উল্টা কোন দিকে যাচ্ছে?
তাইসিরুল কুরআন:
মারইয়াম পুত্র ‘ঈসা রসূল ছাড়া কিছুই ছিল না। তার পূর্বে আরো রসূল অতীত হয়ে গেছে, তার মা ছিল সত্যপন্থী মহিলা, তারা উভয়েই খাবার খেত; লক্ষ্য কর তাদের কাছে (সত্যের) নিদর্শনসমূহ কেমন সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরছি আর এটাও লক্ষ্য কর যে, কীভাবে তারা (সত্য হতে) বিপরীত দিকে চলে যাচ্ছে।
Sahih International:
The Messiah, son of Mary, was not but a messenger; [other] messengers have passed on before him. And his mother was a supporter of truth. They both used to eat food. Look how We make clear to them the signs; then look how they are deluded.



قُلْ اَتَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَمْلِکُ لَکُمْ ضَرًّا وَّ لَا نَفْعًا ؕ وَ اللّٰهُ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
কুল আতা‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি মা-লা-ইয়ামলিকুলাকুম দাররাওঁ ওয়ালা-নাফ‘আওঁ ওয়াল্লা-হু হুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদাত করবে, যা তোমাদের জন্য কোন ক্ষতি ও উপকারের ক্ষমতা রাখে না? আর আল্লাহ, তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে কি এমন কিছুর ‘ইবাদাত করছ যাদের না আছে কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা, আর না আছে উপকার করার। আর আল্লাহ তিনি হলেন সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
Say, "Do you worship besides Allah that which holds for you no [power of] harm or benefit while it is Allah who is the Hearing, the Knowing?"



قُلْ یٰۤاَهْلَ الْکِتٰبِ لَا تَغْلُوْا فِیْ دِیْنِکُمْ غَیْرَ الْحَقِّ وَ لَا تَتَّبِعُوْۤا اَهْوَآءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّوْا مِنْ قَبْلُ وَ اَضَلُّوْا کَثِیْرًا وَّ ضَلُّوْا عَنْ سَوَآءِ السَّبِیْلِ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
কুলইয়াআহলাল কিতা-বি লা-তাগলূ ফী দীনিকুমগায়রালহাক্কি ওয়ালাতাত্তাবি‘ঊআহওয়াআ কাওমিন কাদ দাললূমিন কাবলুওয়া আদাললূ কাছীরাওঁ ওয়া দাললূ‘আন ছাওয়াইছছাবীল।
আল বায়ান:
বল, ‘হে কিতাবীরা, সত্য ছাড়া তোমরা তোমাদের ধর্মের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করো না এবং এমন কওমের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা পূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে, আর অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সোজা পথ বিচ্যুত হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, হে কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের দ্বীন সম্বন্ধে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করো না, আর সেই সম্প্রদায়ের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না যারা ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে আর সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
Sahih International:
Say, "O People of the Scripture, do not exceed limits in your religion beyond the truth and do not follow the inclinations of a people who had gone astray before and misled many and have strayed from the soundness of the way."



لُعِنَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْۢ بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ عَلٰی لِسَانِ دَاوٗدَ وَ عِیْسَی ابْنِ مَرْیَمَ ؕ ذٰلِکَ بِمَا عَصَوْا وَّ کَانُوْا یَعْتَدُوْنَ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
লু‘ইনাল্লাযীনা কাফারূ মিম বানীইছরাঈূলা ‘আলা-লিছা-নি দা-ঊদা ওয়া ‘ঈছাবনি মারইয়ামা যা-লিকা বিমা-‘আসাওঁ ওয়া কা-নূইয়া‘তাদূ ন।
আল বায়ান:
বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদেরকে দাঊদ ও মারইয়াম পুত্র ঈসার মুখে লা‘নত করা হয়েছে। তা এ কারণে যে, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং তারা সীমালঙ্ঘন করত।
তাইসিরুল কুরআন:
বানী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তাদেরকে দাঊদ ও মারইয়াম পুত্র ঈসার মুখে (উচ্চারিত কথার দ্বারা) অভিশাপ দেয়া হয়েছে। এটা এই কারণে যে তারা অমান্য করেছিল আর তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী।
Sahih International:
Cursed were those who disbelieved among the Children of Israel by the tongue of David and of Jesus, the son of Mary. That was because they disobeyed and [habitually] transgressed.



کَانُوْا لَا یَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُّنْکَرٍ فَعَلُوْهُ ؕ لَبِئْسَ مَا کَانُوْا یَفْعَلُوْنَ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
কা-নূলা-ইয়াতানাহাওনা ‘আম মুনকারিন ফা‘আলূহু লাবি’ছা মা-কা-নূইয়াফ‘আলূন।
আল বায়ান:
তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত। তারা যা করত, তা কতইনা মন্দ!
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যে সব অসৎকর্ম করত তাত্থেকে একে অন্যকে নিষেধ করত না। তারা যা করত তা কতই না নিকৃষ্ট!
Sahih International:
They used not to prevent one another from wrongdoing that they did. How wretched was that which they were doing.



تَرٰی کَثِیْرًا مِّنْهُمْ یَتَوَلَّوْنَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا ؕ لَبِئْسَ مَا قَدَّمَتْ لَهُمْ اَنْفُسُهُمْ اَنْ سَخِطَ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ وَ فِی الْعَذَابِ هُمْ خٰلِدُوْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
তারা-কাছীরাম মিনহুম ইয়াতাওয়াল্লাওনাল্লাযীনা কাফারূ লাবি’ছা মা-কাদ্দামাত লাহুম আনফুছুহুম আন ছাখিতাল্লা-হু ‘আলাইহিম ওয়া ফিল ‘আযা-বি হুম খা-লিদূ ন।
আল বায়ান:
তাদের মধ্যে অনেককে তুমি দেখতে পাবে, যারা কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা যা নিজদের জন্য পেশ করেছে, তা কত মন্দ যে, আল্লাহ তাদের উপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা আযাবেই স্থায়ী হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের অনেককে তুমি এমন লোকেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে দেখবে যারা কুফরী করে। তাদের আত্মা তাদের জন্য আগে যা পাঠিয়েছে তা কতই না নিকৃষ্ট যার জন্য আল্লাহর গোস্বা তাদের উপর পতিত হয়েছে আর তারা চিরস্থায়ী ‘আযাবে নিমজ্জিত হবে।
Sahih International:
You see many of them becoming allies of those who disbelieved. How wretched is that which they have put forth for themselves in that Allah has become angry with them, and in the punishment they will abide eternally.



وَ لَوْ کَانُوْا یُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَ النَّبِیِّ وَ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مَا اتَّخَذُوْهُمْ اَوْلِیَآءَ وَ لٰکِنَّ کَثِیْرًا مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও কা-নূইউ’মিনূনা বিল্লা-হি ওয়ান্নাবিইয়ি ওয়ামাউনযিলা ইলাইহি মাত্তাখাযূহুম আওলিয়াআ ওয়ালা-কিন্না কাছীরাম মিনহুম ফা-ছিকূন।
আল বায়ান:
আর যদি তারা আল্লাহ ও নবীর প্রতি এবং যা তার নিকট নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি ঈমান রাখত, তবে তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করত না। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে ফাসিক।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যদি আল্লাহর, নাবীর ও তার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার উপর ঈমান আনতো তবে তাদেরকে (অর্থাৎ কাফিরদেরকে) বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ফাসিক।
Sahih International:
And if they had believed in Allah and the Prophet and in what was revealed to him, they would not have taken them as allies; but many of them are defiantly disobedient.



لَتَجِدَنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَۃً لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوا الْیَهُوْدَ وَ الَّذِیْنَ اَشْرَکُوْا ۚ وَ لَتَجِدَنَّ اَقْرَبَهُمْ مَّوَدَّۃً لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوا الَّذِیْنَ قَالُوْۤا اِنَّا نَصٰرٰی ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّ مِنْهُمْ قِسِّیْسِیْنَ وَ رُهْبَانًا وَّ اَنَّهُمْ لَا یَسْتَکْبِرُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
লাতাজিদান্না আশাদ্দান্না-ছি ‘আদা-ওয়াতাল লিলল্লাযীনা আ-মানুল ইয়াহূদাওয়াল্লাযীনা আশরাকূ ওয়ালাতাজিদান্না আকরাবাহুম মাওয়াদ্দাতাল লিলল্লাযীনা আ-মানুল্লাযীনা কালূইন্না-নাসা-রা- যা-লিকা বিআন্না মিনহুম কিছছীছীনা ওয়া রুহবা-নাওঁ ওয়া আন্নাহুম লা-ইয়াছতাকবিরূনা।
আল বায়ান:
তুমি অবশ্যই মুমিনদের জন্য মানুষের মধ্যে শত্রুতায় অধিক কঠোর পাবে ইয়াহূদীদেরকে এবং যারা শিরক করেছে তাদেরকে। আর মুমিনদের জন্য বন্ধুত্বে তাদের মধ্যে নিকটতর পাবে তাদেরকে, যারা বলে, ‘আমরা নাসারা’। তা এই কারণে যে, তাদের মধ্যে অনেক পন্ডিত ও সংসারবিরাগী আছে এবং তারা নিশ্চয় অহঙ্কার করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইয়াহূদ ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে, আর যারা বলে ‘‘আমরা নাসারা’’ তাদেরকে তুমি যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য বন্ধুত্বে নিকটতর দেখতে পাবে, কেননা তাদের মধ্যে ‘ইবাদাতকারী ‘আলিম ও সংসার বিরাগী আছে আর তারা অহংকারও করে না।
Sahih International:
You will surely find the most intense of the people in animosity toward the believers [to be] the Jews and those who associate others with Allah; and you will find the nearest of them in affection to the believers those who say, "We are Christians." That is because among them are priests and monks and because they are not arrogant.



وَ اِذَا سَمِعُوْا مَاۤ اُنْزِلَ اِلَی الرَّسُوْلِ تَرٰۤی اَعْیُنَهُمْ تَفِیْضُ مِنَ الدَّمْعِ مِمَّا عَرَفُوْا مِنَ الْحَقِّ ۚ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاکْتُبْنَا مَعَ الشّٰهِدِیْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-ছামি‘ঊ মাউনযিলা ইলার রাছূলি তারাআ‘ইউনাহুম তাফীদুমিনাদ দাম‘ই মিম্মা‘আরাফূমিনাল হাক্কি ইয়াকূলূনা রাব্বানাআ-মান্না-ফাকতুবনা-মা‘আশশা-হিদীন।
আল বায়ান:
‘আর রাসূলের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে যখন তারা তা শুনে, তুমি দেখবে তাদের চক্ষু অশ্রুতে ভেসে যাচ্ছে, কারণ তারা সত্য হতে জেনেছে। তারা বলে, ‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্য দানকারীদের সঙ্গে লিপিবদ্ধ করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
রসূলের প্রতি যা অবতীর্ণ হয় তারা যখন তা শুনে, তুমি দেখবে, সত্যকে চিনতে পারার কারণে তখন তাদের চক্ষু অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।
Sahih International:
And when they hear what has been revealed to the Messenger, you see their eyes overflowing with tears because of what they have recognized of the truth. They say, "Our Lord, we have believed, so register us among the witnesses.



وَ مَا لَنَا لَا نُؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَ مَا جَآءَنَا مِنَ الْحَقِّ ۙ وَ نَطْمَعُ اَنْ یُّدْخِلَنَا رَبُّنَا مَعَ الْقَوْمِ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-লানা-লা-নু’মিনুবিল্লা-হি ওয়ামা-জাআনা-মিনাল হাক্কি ওয়া নাতমা‘উ আইঁ ইউদখিলানা-রাব্বুনা-মা‘আল কাওমিসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
আর আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর প্রতি এবং যে সত্য আমাদের কাছে এসেছে তার প্রতি ঈমান আনব না? আর আমরা আশা করব না যে, আমাদের রব আমাদেরকে প্রবেশ করাবেন নেককার সম্প্রদায়ের সাথে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহ্তে এবং যে সত্যবিধান আমাদের নিকট এসেছে তাতে ঈমান আনব না, আর আমরা প্রত্যাশা করি যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।
Sahih International:
And why should we not believe in Allah and what has come to us of the truth? And we aspire that our Lord will admit us [to Paradise] with the righteous people."



فَاَثَابَهُمُ اللّٰهُ بِمَا قَالُوْا جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ؕ وَ ذٰلِکَ جَزَآءُ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআছাবাহুমুল্লা-হু বিমা-কা-লূজান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা- ওয়া যা-লিকা জাযাউল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তারা যা বলেছে এর কারণে আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কার দেবেন জান্নাতসমূহ, যার নীচে নদীসমূহ প্রবাহিত হয়, তারা সেখানে স্থায়ী হবে। আর এটা হল সৎকর্মপরায়ণদের প্রতিদান।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের এ কথার কারণে আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত দান করবেন, যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে, আর এটাই হল সৎকর্মশীলদের পুরস্কার।
Sahih International:
So Allah rewarded them for what they said with gardens [in Paradise] beneath which rivers flow, wherein they abide eternally. And that is the reward of doers of good.



وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা কাফারূওয়া কাযযাবূবিআ-য়া-তিনাউলাইকা আসহা-বুল জাহীম।
আল বায়ান:
আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা আমার আয়াতগুলোকে প্রত্যাখ্যান করবে ও মিথ্যা জানবে, তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী।
Sahih International:
But those who disbelieved and denied Our signs - they are the companions of Hellfire.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُحَرِّمُوْا طَیِّبٰتِ مَاۤ اَحَلَّ اللّٰهُ لَکُمْ وَ لَا تَعْتَدُوْا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ الْمُعْتَدِیْنَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তুহাররিমূতাইয়িবা-তি মাআহাল্লাল্লা-হু লাকুম ওয়ালা-তা‘তাদূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, আল্লাহ যে সব পবিত্র বস্তু তোমাদের জন্য হালাল করেছেন, তোমরা তা হারাম করো না এবং তোমরা সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে ঈমানদারগণ! পবিত্র বস্তুরাজি যা আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন সেগুলোকে হারাম করে নিও না আর সীমালঙ্ঘন করো না, অবশ্যই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালবাসেন না।
Sahih International:
O you who have believed, do not prohibit the good things which Allah has made lawful to you and do not transgress. Indeed, Allah does not like transgressors.



وَ کُلُوْا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰهُ حَلٰلًا طَیِّبًا ۪ وَّ اتَّقُوا اللّٰهَ الَّذِیْۤ اَنْتُمْ بِهٖ مُؤْمِنُوْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকুলূমিম্মা- রাযাকাকুমুল্লা-হু হালা-লান তাইয়িবাওঁ ওয়াত্তাকুল্লা-হাল্লাযীআনতুম বিহী মু’মিনূন।
আল বায়ান:
আর আহার কর আল্লাহ যা তোমাদের রিয্ক দিয়েছেন তা থেকে হালাল, পবিত্র বস্তু। আর তাকওয়া অবলম্বন কর আল্লাহর যার প্রতি তোমরা মুমিন।
তাইসিরুল কুরআন:
যে সমস্ত হালাল ও পবিত্র জীবিকা আল্লাহ তোমাদেরকে দিয়েছেন সেগুলো ভক্ষণ কর, যে আল্লাহর প্রতি তোমরা ঈমান এনেছ তাঁকে ভয় কর।
Sahih International:
And eat of what Allah has provided for you [which is] lawful and good. And fear Allah, in whom you are believers.



لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰهُ بِاللَّغْوِ فِیْۤ اَیْمَانِکُمْ وَ لٰکِنْ یُّؤَاخِذُکُمْ بِمَا عَقَّدْتُّمُ الْاَیْمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُهٗۤ اِطْعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیْنَ مِنْ اَوْسَطِ مَا تُطْعِمُوْنَ اَهْلِیْکُمْ اَوْ کِسْوَتُهُمْ اَوْ تَحْرِیْرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنْ لَّمْ یَجِدْ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیْمَانِکُمْ اِذَا حَلَفْتُمْ ؕ وَ احْفَظُوْۤا اَیْمَانَکُمْ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمْ اٰیٰتِهٖ لَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
লা-ইউআ-খিযুকুমুল্লা-হু বিল লাগবিফীআইমা-নিকুম ওয়ালা-কিইঁ ইউআ-খিযুকুম বিমা‘আককাততুমুল আইমা-না ফাকাফফা-রাতুহূইত‘আ-মু‘আশারাতি মাছা-কীনা মিন আওছাতিমা-তুত‘ইমূনা আহলীকুম আও কিছওয়াতুহুম আও তাহরীরু রাকাবাতিন ফামাল্লাম ইয়াজিদ ফাসিয়া-মুছালা-ছাতি আইয়া-মিন যা-লিকা কাফফা-রাতুআইমানিকুম ইযা-হালাফতুম ওয়াহফাজূআইমা-নাকুম; কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুম আ-য়া-তিহী লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু বুঝে সুঝে যে সব শপথ তোমরা কর তার জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। (এ পাকড়াও থেকে অব্যাহতির) কাফফারা হল দশ জন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাদ্যদান যা তোমরা তোমাদের স্ত্রী পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদেরকে বস্ত্রদান অথবা একজন ক্রীতদাস মুক্তকরণ। আর এগুলো করার যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন রোযা পালন। এগুলো হল তোমাদের শপথের কাফফারা যখন তোমরা শপথ কর। তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা করবে। আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ তোমাদের জন্য বিষদভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।
Sahih International:
Allah will not impose blame upon you for what is meaningless in your oaths, but He will impose blame upon you for [breaking] what you intended of oaths. So its expiation is the feeding of ten needy people from the average of that which you feed your [own] families or clothing them or the freeing of a slave. But whoever cannot find [or afford it] - then a fast of three days [is required]. That is the expiation for oaths when you have sworn. But guard your oaths. Thus does Allah make clear to you His verses that you may be grateful.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّمَا الْخَمْرُ وَ الْمَیْسِرُ وَ الْاَنْصَابُ وَ الْاَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّیْطٰنِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّکُمْ تُفْلِحُوْنَ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইন্নামাল খামরু ওয়াল মাইছিরু ওয়াল আনসা-বুওয়াল আযলা-মুরিজছুম মিন ‘আমালিশ শাইতা-নি ফাজতানিবূহু লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
তাইসিরুল কুরআন:
হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া আর মূর্তী ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত শয়তানী কাজ, তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সাফল্যমন্ডিত হতে পার।
Sahih International:
O you who have believed, indeed, intoxicants, gambling, [sacrificing on] stone alters [to other than Allah], and divining arrows are but defilement from the work of Satan, so avoid it that you may be successful.



اِنَّمَا یُرِیْدُ الشَّیْطٰنُ اَنْ یُّوْقِعَ بَیْنَکُمُ الْعَدَاوَۃَ وَ الْبَغْضَآءَ فِی الْخَمْرِ وَ الْمَیْسِرِ وَ یَصُدَّکُمْ عَنْ ذِکْرِ اللّٰهِ وَ عَنِ الصَّلٰوۃِ ۚ فَهَلْ اَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-ইউরীদুশশাইতা-নুআইঁ ইউকি‘আ বাইনাকুমুল ‘আদা-ওয়াতা ওয়াল বাগদাআ ফিল খামরি ওয়াল মাইছিরি ওয়া ইয়াসুদ্দাকুম ‘আন যিকরিল্লা-হি ওয়া ‘আনিসসালা-তি ফাহাল আনতুম মুনতাহূন।
আল বায়ান:
শয়তান শুধু মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। অতএব, তোমরা কি বিরত হবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
মদ আর জুয়ার মাধ্যমে শয়তান তো চায় তোমাদের মাঝে শত্রুতা আর বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে, আল্লাহর স্মরণ আর নামায থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে। কাজেই তোমরা কি এসব থেকে বিরত থাকবে?
Sahih International:
Satan only wants to cause between you animosity and hatred through intoxicants and gambling and to avert you from the remembrance of Allah and from prayer. So will you not desist?



وَ اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوا الرَّسُوْلَ وَ احْذَرُوْا ۚ فَاِنْ تَوَلَّیْتُمْ فَاعْلَمُوْۤا اَنَّمَا عَلٰی رَسُوْلِنَا الْبَلٰغُ الْمُبِیْنُ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আতী‘উল্লা-হা ওয়া আতী‘উর রাছূলা ওয়াহযারূ ফাইন তাওয়াল্লাইতুম ফা‘লামুআন্নামা-‘আলা-রাছূলিনাল বালা-গুল মুবীন।
আল বায়ান:
আর তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং আনুগত্য কর রাসূলের আর সাবধান হও। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ যে, আমার রাসূলের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্ট প্রচার।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আল্লাহকে মেনে চল আর তাঁর রসূলকে মেনে চল আর (মন্দ থেকে) সতর্ক থাক আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহলে জেনে রেখ আমার রসূলের দায়িত্ব হল সুস্পষ্টভাবে (আমার বাণী) পৌঁছে দেয়া।
Sahih International:
And obey Allah and obey the Messenger and beware. And if you turn away - then know that upon Our Messenger is only [the responsibility for] clear notification.



لَیْسَ عَلَی الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جُنَاحٌ فِیْمَا طَعِمُوْۤا اِذَا مَا اتَّقَوْا وَّ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ثُمَّ اتَّقَوْا وَّ اٰمَنُوْا ثُمَّ اتَّقَوْا وَّ اَحْسَنُوْا ؕ وَ اللّٰهُ یُحِبُّ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
লাইছা ‘আলাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি জুনা-হুন ফীমা-তা‘ইমূইযামাত্তাকাও ওয়া আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ছুম্মাত্তাকাও ওয়া আ-মানূছু ম্মাত্তাকাও ওয়া আহছানূ ওয়াল্লা-হু ইউহিব্বুল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
যারা ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে তারা যা আহার করেছে তাতে কোন পাপ নেই, যখন তারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং ঈমান আনে আর নেক আমল করে, তারপর তাকওয়া অবলম্বন করে ও ঈমান আনে। এরপরও তারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সৎকর্ম করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তারা পূর্বে যা খেয়েছে তার জন্য তাদের উপর কোন পাপ নেই যদি তারা (হারাম থেকে) বিরত থাকে, আর ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, অতঃপর সাবধানতা অবলম্বন করে আর ঈমানের উপর থাকে, অতঃপর আল্লাহকে ভয় করে এবং সৎকাজ করে। আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।
Sahih International:
There is not upon those who believe and do righteousness [any] blame concerning what they have eaten [in the past] if they [now] fear Allah and believe and do righteous deeds, and then fear Allah and believe, and then fear Allah and do good; and Allah loves the doers of good.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَیَبْلُوَنَّکُمُ اللّٰهُ بِشَیْءٍ مِّنَ الصَّیْدِ تَنَالُهٗۤ اَیْدِیْکُمْ وَ رِمَاحُکُمْ لِیَعْلَمَ اللّٰهُ مَنْ یَّخَافُهٗ بِالْغَیْبِ ۚ فَمَنِ اعْتَدٰی بَعْدَ ذٰلِکَ فَلَهٗ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলাইয়াবলুওয়ান্নাকুমুল্লা-হু বিশাইইম মিনাসসাইদি তানা-লুহূ আইদীকুম ওয়া রিমা-হুকুম লিইয়া‘লামাল্লা-হু মাইঁ ইয়াখা-ফুহু বিলগাইবি ফামানি‘তাদাবা‘দা যা-লিকা ফালাহু ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন শিকারের এমন বস্তু দ্বারা তোমাদের হাত ও বর্শা যার নাগাল পায়, যাতে আল্লাহ জেনে নেন কে তাঁকে গায়েবের সাথে ভয় করে। সুতরাং এরপর যে সীমালঙ্ঘন করবে তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব ।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করবেন (মুহরিম অবস্থায়) শিকারের ব্যাপারে যা তোমাদের হাত আর বর্শার নাগালের ভিতর এসে যায়, এটা জেনে নেয়ার জন্য যে অদৃশ্যে থেকেও কে আল্লাহকে ভয় করে। (সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে) এরপরও যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
Sahih International:
O you who have believed, Allah will surely test you through something of the game that your hands and spears [can] reach, that Allah may make evident those who fear Him unseen. And whoever transgresses after that - for him is a painful punishment.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَقْتُلُوا الصَّیْدَ وَ اَنْتُمْ حُرُمٌ ؕ وَ مَنْ قَتَلَهٗ مِنْکُمْ مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآءٌ مِّثْلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ یَحْکُمُ بِهٖ ذَوَا عَدْلٍ مِّنْکُمْ هَدْیًۢا بٰلِغَ الْکَعْبَۃِ اَوْ کَفَّارَۃٌ طَعَامُ مَسٰکِیْنَ اَوْ عَدْلُ ذٰلِکَ صِیَامًا لِّیَذُوْقَ وَبَالَ اَمْرِهٖ ؕ عَفَا اللّٰهُ عَمَّا سَلَفَ ؕ وَ مَنْ عَادَ فَیَنْتَقِمُ اللّٰهُ مِنْهُ ؕ وَ اللّٰهُ عَزِیْزٌ ذُو انْتِقَامٍ ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তাকতুলুসসাইদাওয়া আনতুম হুরুমুওঁ ওয়ামান কাতালাহূমিনকুম মুতা‘আম্মিদান ফাজাযাউম মিছলুমা-কাতালা মিনান না‘আমি ইয়াহকুমুবিহী যাওয়া-‘আদলিম মিনকুম হাদইয়াম বা-লিগাল কা‘বাতি আও কাফফা-রাতুন তা‘আ-মুমাছা-কীনা আও ‘আদলুযা-লিকা সিয়া-মাল লিইয়াযূকা ওয়াবা-লা আমরিহী ‘আফাল্লা-হু ‘আম্মা-ছালাফা ওয়ামান ‘আ-দা ফাইয়ানতাকিমুল্লা-হু মিনহু ওয়াল্লা-হু ‘আযীযুন যুনতিকা-ম।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, ইহরামে থাকা অবস্থায় তোমরা শিকারকে হত্যা করো না এবং যে তোমাদের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে তা হত্যা করবে তার বিনিময় হল যা হত্যা করেছে, তার অনুরূপ গৃহপালিত পশু, যার ফয়সালা করবে তোমাদের মধ্যে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোক- কুরবানীর জন্তু হিসাবে কা’বায় পৌঁছতে হবে। অথবা মিসকীনকে খাবার দানের কাফ্ফারা কিংবা সমসংখ্যক সিয়াম পালন, যাতে সে নিজ কর্মের শাস্তি আস্বাদন করে। যা গত হয়েছে তা আল্লাহ ক্ষমা করেছেন। যে পুনরায় করবে আল্লাহ তার থেকে প্রতিশোধ নেবেন। আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে বিশ্বাসীগণ! ইহরাম অবস্থায় তোমরা শিকার হত্যা করো না। জেনে বুঝে তোমাদের কেউ তা হত্যা করলে তার বিনিময় হচ্ছে অনুরূপ গৃহপালিত জন্তু। যে ব্যাপারে তোমাদের মধ্যের ন্যায়পরায়ণ দু’জন লোক ফায়সালা করে দেবে, তা কা‘বাতে কুরবানীর জন্য পাঠাতে হবে। কিংবা তার কাফফারা হল কয়েকজন মিসকিনকে খাদ্য দান অথবা তদনুরূপ রোযা পালন, যেন সে স্বীয় কৃতকর্মের ফল ভোগ করে, পূর্বে যা হয়ে গেছে আল্লাহ তা ক্ষমা করেছেন; কেউ (পাপকাজ) পুনরায় করলে আল্লাহ তার নিকট হতে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণে পূর্ণ সক্ষম।
Sahih International:
O you who have believed, do not kill game while you are in the state of ihram. And whoever of you kills it intentionally - the penalty is an equivalent from sacrificial animals to what he killed, as judged by two just men among you as an offering [to Allah] delivered to the Ka'bah, or an expiation: the feeding of needy people or the equivalent of that in fasting, that he may taste the consequence of his deed. Allah has pardoned what is past; but whoever returns [to violation], then Allah will take retribution from him. And Allah is Exalted in Might and Owner of Retribution.



اُحِلَّ لَکُمْ صَیْدُ الْبَحْرِ وَ طَعَامُهٗ مَتَاعًا لَّکُمْ وَ لِلسَّیَّارَۃِ ۚ وَ حُرِّمَ عَلَیْکُمْ صَیْدُ الْبَرِّ مَا دُمْتُمْ حُرُمًا ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ الَّذِیْۤ اِلَیْهِ تُحْشَرُوْنَ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
উহিল্লা লাকুম সাইদুল বাহরি ওয়া তা‘আ-মুহূমাতা-‘আল্লাকুম ওয়া লিছছাইয়ি-রাতি ওয়া হুররিমা ‘আলাইকুম সাইদুল বাররি মা-দুমতুম হুরুমাওঁ ওয়াত্তাকুল্লা-হাল্লাযীইলাইহি তুহশারূন।
আল বায়ান:
তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সমুদ্রের শিকার ও তার খাদ্য; তোমাদের ও মুসাফিরদের ভোগের জন্য। আর স্থলের শিকার তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে যতক্ষণ তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাক। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যার দিকে তোমাদেরকে একত্র করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সমুদ্রের শিকার ও তা ভক্ষণ তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, তোমাদের আর সফরকারীদের ভোগের জন্য। ইহরাম অবস্থায় থাকা পর্যন্ত স্থলের শিকার তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। আল্লাহকে ভয় কর যাঁর কাছে তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে।
Sahih International:
Lawful to you is game from the sea and its food as provision for you and the travelers, but forbidden to you is game from the land as long as you are in the state of ihram. And fear Allah to whom you will be gathered.



جَعَلَ اللّٰهُ الْکَعْبَۃَ الْبَیْتَ الْحَرَامَ قِیٰمًا لِّلنَّاسِ وَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ وَ الْهَدْیَ وَ الْقَلَآئِدَ ؕ ذٰلِکَ لِتَعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ وَ اَنَّ اللّٰهَ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
জা‘আলাল্লা-হুল কা‘বাতাল বাইতাল হারা-মা কিয়া-মাল লিন্না-ছি ওয়াশশাহরাল হারা-মা ওয়াল হাদইয়া ওয়াল কালাইদা যা-লিকা লিতা‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমাফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়াআন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আল্লাহ সম্মানিত গৃহ কা‘বাকে, সম্মানিত মাসকে*, হাদয়ি** ও কালায়িদ*** কেও মানুষের কল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটা এ জন্য যে, তোমরা যেন জানতে পার, আল্লাহ আসমানসমূহে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তা জানেন। আর আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
পবিত্র ক্বা‘বাগৃহকে আল্লাহ তোমাদের জন্য (জীবনে) প্রতিষ্ঠার উপকরণ করে দিয়েছেন, আর হারাম মাস, কুরবানীর উদ্দেশে ক্বা‘বায় প্রেরিত পশু এবং তাকে চিহ্নিত করার গলার মালাকেও। এটা এজন্য যাতে তোমরা জানতে পার যে, যা কিছু আসমানসমূহে আছে আর যা কিছু যমীনে আছে, আল্লাহ তা জানেন, আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অবহিত।
Sahih International:
Allah has made the Ka'bah, the Sacred House, standing for the people and [has sanctified] the sacred months and the sacrificial animals and the garlands [by which they are identified]. That is so you may know that Allah knows what is in the heavens and what is in the earth and that Allah is Knowing of all things.



اِعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ شَدِیْدُ الْعِقَابِ وَ اَنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿ؕ۹۸﴾
উচ্চারণ:
ই‘লামূআন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-বি ওয়া আন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর আর নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
জেনে রেখ যে, শাস্তি দানে আল্লাহ অত্যন্ত কঠোর আর আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
Know that Allah is severe in penalty and that Allah is Forgiving and Merciful.



مَا عَلَی الرَّسُوْلِ اِلَّا الْبَلٰغُ ؕ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مَا تُبْدُوْنَ وَ مَا تَکْتُمُوْنَ ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
মা-‘আলাররাছূলি ইল্লাল বালা-গু ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুমা-তুবদূ না ওয়ামা-তাকতুমূন।
আল বায়ান:
প্রচার ব্যতীত রাসূলের কোন দায়িত্ব নেই। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আল্লাহ তা জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
(আল্লাহর বাণী) পৌঁছে দেয়া ছাড়া রসূলের উপর দায়িত্ব নেই। তোমরা যা প্রকাশ কর আর গোপন কর, আল্লাহ তা জানেন।
Sahih International:
Not upon the Messenger is [responsibility] except [for] notification. And Allah knows whatever you reveal and whatever you conceal.



قُلْ لَّا یَسْتَوِی الْخَبِیْثُ وَ الطَّیِّبُ وَ لَوْ اَعْجَبَکَ کَثْرَۃُ الْخَبِیْثِ ۚ فَاتَّقُوا اللّٰهَ یٰۤاُولِی الْاَلْبَابِ لَعَلَّکُمْ تُفْلِحُوْنَ ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
কুল্লা-ইয়াছতাবীল খাবীছুওয়াত্তাইয়িবুওয়ালাও আ‘জাবাকা কাছরাতুল খাবীছি ফাত্তাকুল্লা-হা ইয়াঊলিল আলবা-বি লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
আল বায়ান:
বল, ‘অপবিত্র ও পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্রের আধিক্য তোমাকে মুগ্ধ করে। অতএব হে বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা, আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। যাতে তোমরা সফলকাম হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, অপবিত্র আর পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্র বস্তুর প্রাচুর্য তোমাকে আকৃষ্ট করে। কাজেই হে জ্ঞানী সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
Sahih International:
Say, "Not equal are the evil and the good, although the abundance of evil might impress you." So fear Allah, O you of understanding, that you may be successful.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَسْـَٔلُوْا عَنْ اَشْیَآءَ اِنْ تُبْدَ لَکُمْ تَسُؤْکُمْ ۚ وَ اِنْ تَسْـَٔلُوْا عَنْهَا حِیْنَ یُنَزَّلُ الْقُرْاٰنُ تُبْدَ لَکُمْ ؕ عَفَا اللّٰهُ عَنْهَا ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوْرٌ حَلِیْمٌ ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাছআলূ‘আন আশইয়াআ ইনতুবদালাকুম তাছু’কুম ওয়া ইন তাছআলূ‘আনহা-হীনা ইউনাযযালুল কুরআ-নুতুবদালাকুম ‘আফাল্লা-হু ‘আনহা- ওয়াল্লা-হু গাফূরুন হালীম।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা এমন বিষয়াবলী সম্পর্কে প্রশ্ন করো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হলে তা তোমাদেরকে পীড়া দেবে। আর কুরআন অবতরণ কালে যদি তোমরা সে সম্পর্কে প্রশ্ন কর তাহলে তা তোমাদের জন্য প্রকাশ করা হবে। আল্লাহ তা ক্ষমা করেছেন। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম সহনশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
হে ঈমানদারগণ! তোমরা এমন বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হলে তা তোমাদেরকে কষ্ট দিবে। যে কালে কুরআন নাযিল হচ্ছে সে সময় যদি ওসব বিষয়ে প্রশ্ন কর তবে তা তোমাদের জন্য প্রকাশ করে দেয়া হবে। (এ পর্যন্ত যা করেছ) আল্লাহ তা ক্ষমা করেছেন, আর আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম সহিষ্ণু।
Sahih International:
O you who have believed, do not ask about things which, if they are shown to you, will distress you. But if you ask about them while the Qur'an is being revealed, they will be shown to you. Allah has pardoned that which is past; and Allah is Forgiving and Forbearing.



قَدْ سَاَلَهَا قَوْمٌ مِّنْ قَبْلِکُمْ ثُمَّ اَصْبَحُوْا بِهَا کٰفِرِیْنَ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
কাদ ছাআলাহা-কাওমুম মিন কাবলিকুম ছুম্মা আসবাহূবিহা-কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
তোমাদের পূর্বে একটি কওম এরূপ প্রশ্ন করেছিল; তারপর তারা এর কারণে কাফির হয়ে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের পূর্বে এক সম্প্রদায় (অর্থাৎ ইয়াহূদীরা) তা জিজ্ঞেস করেছিল অত:পর (তা অমান্য করে) তারা কাফিরে পরিণত হয়েছিল।
Sahih International:
A people asked such [questions] before you; then they became thereby disbelievers.



مَا جَعَلَ اللّٰهُ مِنْۢ بَحِیْرَۃٍ وَّ لَا سَآئِبَۃٍ وَّ لَا وَصِیْلَۃٍ وَّ لَا حَامٍ ۙ وَّ لٰکِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا یَفْتَرُوْنَ عَلَی اللّٰهِ الْکَذِبَ ؕ وَ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْقِلُوْنَ ﴿۱۰۳﴾
উচ্চারণ:
মা-জা‘আলাল্লা-হু মিম বাহীরাতিওঁ ওয়ালা-ছায়িবাতিওঁ ওয়ালা-ওয়াসীলাতিওঁ ওয়ালাহা-মিওঁ ওয়ালা-কিন্নাল্লাযীনা কাফারূইয়াফতারূনা ‘আলাল্লা-হিল কাযিবা ওয়া আকছারুহুম লা-ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ তৈরী করেননি বাহীরা*, সায়েবা, ওয়াসীলা ও হাম। কিন্তু যারা কুফরী করেছে তারা আল্লাহর উপর মিথ্যা রটনা করে। আর তাদের অধিকাংশই বুঝে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ না নির্দিষ্ট করেছেন বাহীরাহ্, না সাইবাহ্, না ওয়াসীলাহ্, না হাম বরং যারা কুফরী করেছে তারাই আল্লাহর নামে মিথ্যা আরোপ করে, তাঁদের অধিকাংশই নির্বোধ।
Sahih International:
Allah has not appointed [such innovations as] bahirah or sa'ibah or wasilah or ham. But those who disbelieve invent falsehood about Allah, and most of them do not reason.



وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمْ تَعَالَوْا اِلٰی مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ وَ اِلَی الرَّسُوْلِ قَالُوْا حَسْبُنَا مَا وَجَدْنَا عَلَیْهِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَ لَوْ کَانَ اٰبَآؤُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ شَیْئًا وَّ لَا یَهْتَدُوْنَ ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-কীলা লাহুম তা‘আ-লাও ইলা-মাআনযালাল্লাহু ওয়া ইলাররাছূলি কা-লূ হাছবুনা-মা-ওয়াজাদনা- ‘আলাইহি আ-বাআনা- আওয়া লাও কা-না আ-বাউহুম লা-ইয়া‘লামূনা শাইআওঁ ওয়ালা-ইয়াহতাদূ ন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে ও রাসূলের দিকে আস’, তারা বলে, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের যার উপর পেয়েছি তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।’ যদিও তাদের পিতৃপুরুষরা কিছুই জানত না এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না তবুও?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন বলা হয় আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তার দিকে ও রসূলের দিকে এসো (তখন) তারা বলে, আমরা আমাদের পিতৃপুরুষকে যা করতে দেখেছি (যে পথ ও পন্থা অবলম্বন করতে দেখেছি) আমাদের জন্য তাই যথেষ্ট। যদিও তাদের পিতৃপুরুষরা কিছুই জানত না এবং সঠিক পথপ্রাপ্ত ছিল না (তবুও কি তারা তাদের পথেই চলবে)?
Sahih International:
And when it is said to them, "Come to what Allah has revealed and to the Messenger," they say, "Sufficient for us is that upon which we found our fathers." Even though their fathers knew nothing, nor were they guided?



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا عَلَیْکُمْ اَنْفُسَکُمْ ۚ لَا یَضُرُّکُمْ مَّنْ ضَلَّ اِذَا اهْتَدَیْتُمْ ؕ اِلَی اللّٰهِ مَرْجِعُکُمْ جَمِیْعًا فَیُنَبِّئُکُمْ بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ‘আলাইকুম আনফুছাকুম লা-ইয়াদুররুকুম মান দাল্লা ইযাহ তাদাইতুম ইলাল্লা-হি মারজি‘উকুম জামী‘আন ফাইউনাব্বিউকুম বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর তোমাদের নিজদের দায়িত্ব। যদি তোমরা সঠিক পথে থাক তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহর দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন; তখন তিনি তোমরা যা আমল করতে তা তোমাদের জানিয়ে দেবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদের উপর। যখন তোমরা সত্যপথ প্রাপ্ত হয়েছ তখন যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে তারা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে, অতঃপর তোমরা যা করছিলে সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে।
Sahih International:
O you who have believed, upon you is [responsibility for] yourselves. Those who have gone astray will not harm you when you have been guided. To Allah is you return all together; then He will inform you of what you used to do.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا شَهَادَۃُ بَیْنِکُمْ اِذَا حَضَرَ اَحَدَکُمُ الْمَوْتُ حِیْنَ الْوَصِیَّۃِ اثْنٰنِ ذَوَا عَدْلٍ مِّنْکُمْ اَوْ اٰخَرٰنِ مِنْ غَیْرِکُمْ اِنْ اَنْتُمْ ضَرَبْتُمْ فِی الْاَرْضِ فَاَصَابَتْکُمْ مُّصِیْبَۃُ الْمَوْتِ ؕ تَحْبِسُوْنَهُمَا مِنْۢ بَعْدِ الصَّلٰوۃِ فَیُقْسِمٰنِ بِاللّٰهِ اِنِ ارْتَبْتُمْ لَا نَشْتَرِیْ بِهٖ ثَمَنًا وَّ لَوْ کَانَ ذَا قُرْبٰی ۙ وَ لَا نَکْتُمُ شَهَادَۃَ ۙ اللّٰهِ اِنَّاۤ اِذًا لَّمِنَ الْاٰثِمِیْنَ ﴿۱۰۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূশাহা-দাতুবাইনিকুম ইযা-হাদারা আহাদাকুমুল মাওতু হীনাল ওয়াসিইইয়াতিছনা-নি যাওয়া-‘আদলিম মিনকুম আও আ-খারা-নি মিন গাইরিকুম ইন আনতুম দারাবতুম ফিল আরদিফাআসা-বাতকুম মুসীবাতুল মাওতি তাহবিছূনাহুমামিম বা‘দিস সালা-তি ফাইউকছিমা-নি বিল্লা-হি ইনিরতাবতুম লা-নাশতারী বিহী ছামানওঁ ওয়া লাও কা-না যা- কুরবা- ওয়ালা-নাকতুমুশাহা-দাতাল্লা-হি ইন্নাইযাল্লা মিনাল আ-ছিমীন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, যখন তোমাদের কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন ওসিয়তকালে তোমাদের মাঝে তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি সাক্ষী হবে, অথবা অন্যদের থেকে দু’জন, যদি তোমরা যমীনে সফরে থাক, অতঃপর তোমাদেরকে মৃত্যুর বিপদ পেয়ে বসে। যদি তোমাদের সন্দেহ হয়, তবে উভয়কে সালাতের পর অপেক্ষমাণ রাখবে। অতঃপর তারা উভয়ে আল্লাহর নামে কসম করবে যে, ‘আমরা এর বিনিময়ে কোন মূল্য গ্রহণ করব না, যদিও সে আত্মীয় হয়। আর আল্লাহর সাক্ষ্য আমরা গোপন করব না, করলে অবশ্যই আমরা গুনাহগারদের অন্তর্ভুক্ত হব’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে যখন ওসিয়াত করবে তখন তোমাদের মধ্য হতে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী করবে, আর সফররত অবস্থায় মৃত্যুর মুসিবত উপস্থিত হলে তোমাদের ছাড়া অন্যদের থেকে দু’জন সাক্ষী রাখবে। (সাক্ষীদের সত্যতা সম্পর্কে) তোমাদের সন্দেহ হলে সলাতের পর তাদেরকে রেখে দেবে আর তারা আল্লাহর নামে শপথ করবে যে, আমরা কোন কিছুর বিনিময়ে সাক্ষ্য বিক্রয় করব না, যদিও সে আমাদের আত্মীয় হয়, আর আল্লাহর ওয়াস্তে কৃত সাক্ষ্য গোপন করব না, করলে পাপীদের মধ্যে গণ্য হয়ে যাব।
Sahih International:
O you who have believed, testimony [should be taken] among you when death approaches one of you at the time of bequest - [that of] two just men from among you or two others from outside if you are traveling through the land and the disaster of death should strike you. Detain them after the prayer and let them both swear by Allah if you doubt [their testimony, saying], "We will not exchange our oath for a price, even if he should be a near relative, and we will not withhold the testimony of Allah. Indeed, we would then be of the sinful."



فَاِنْ عُثِرَ عَلٰۤی اَنَّهُمَا اسْتَحَقَّاۤ اِثْمًا فَاٰخَرٰنِ یَقُوْمٰنِ مَقَامَهُمَا مِنَ الَّذِیْنَ اسْتَحَقَّ عَلَیْهِمُ الْاَوْلَیٰنِ فَیُقْسِمٰنِ بِاللّٰهِ لَشَهَادَتُنَاۤ اَحَقُّ مِنْ شَهَادَتِهِمَا وَ مَا اعْتَدَیْنَاۤ ۫ۖ اِنَّاۤ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۱۰۷﴾
উচ্চারণ:
ফাইন ‘উছিরা ‘আলাআন্নাহুমাছ তাহাক্কা ইছমান ফাআ-খারা-নি ইয়াকূমা-নি মাকামাহুমা-মিনাল্লাযীনাছতাহাক্কা ‘আলাইহিমুল আওলাইয়া-নি ফাইউকছিমা-নি বিল্লা-হি লাশাহা-দাতুনাআহাককুমিন শাহা-দাতিহিমা-ওয়া মা‘তাদাইনা ইন্নাইযাল্লা মিনাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
কিন্তু যদি জানা যায় যে, তারা পাপে লিপ্ত হয়েছে, তাহলে তাদের মধ্য থেকে যাদের স্বার্থহানী ঘটেছে- অন্য দু’ব্যক্তি প্রথমোক্ত দু’জনের স্থলাভিষিক্ত হবে। অতঃপর তারা আল্লাহর নামে কসম করে বলবে, ‘অবশ্যই আমাদের সাক্ষ্য তাদের সাক্ষ্য থেকে অধিক সত্য এবং আমরা সীমালঙ্ঘন করিনি; করলে অবশ্যই আমরা যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হব’।
তাইসিরুল কুরআন:
যদি জানা যায় যে, তারা পাপে জড়িয়ে পড়েছে, তবে তাদের স্থলে অন্য দু’জন সেই লোকেদের মধ্য হতে দাঁড়াবে, যাদের স্বত্ব পূর্বের দু’জন সাক্ষী নষ্ট করতে চেয়েছিল। তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে যে, আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই তাদের সাক্ষ্য অপেক্ষা অধিক সত্য (আর আমরা আমাদের সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে) সীমালঙ্ঘন করিনি, করলে আমরা অবশ্য যালিমদের মধ্যে গণ্য হয়ে যাব।
Sahih International:
But if it is found that those two were guilty of perjury, let two others stand in their place [who are] foremost [in claim] from those who have a lawful right. And let them swear by Allah, "Our testimony is truer than their testimony, and we have not transgressed. Indeed, we would then be of the wrongdoers."



ذٰلِکَ اَدْنٰۤی اَنْ یَّاْتُوْا بِالشَّهَادَۃِ عَلٰی وَجْهِهَاۤ اَوْ یَخَافُوْۤا اَنْ تُرَدَّ اَیْمَانٌۢ بَعْدَ اَیْمَانِهِمْ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ وَ اسْمَعُوْا ؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الْفٰسِقِیْنَ ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা আদনা-আইঁ ইয়া’তূবিশশাহা-দাতি ‘আলা-ওয়াজহিহাআও ইয়াখা-ফূআন তুরাদ্দা আইমা-নুম বা‘দা আইমা-নিহিম ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়াছমা‘ঊ ওয়াল্লা-হু লাইয়াহদিল কাওমাল ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
এটি নিকটতম যে, তারা সাক্ষ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করবে অথবা তারা (মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারীরা) ভয় করবে যে, তাদের (নিকটাত্মীয়দের) কসমের পর (পূর্বোক্ত) কসম প্রত্যাখ্যান করা হবে। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং শুন! আর আল্লাহ ফাসিক কওমকে হিদায়াত করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
এ পন্থায় বেশি সম্ভাবনা আছে যে, লোকে ঠিকভাবে সাক্ষ্যদান করবে, কিংবা অন্ততঃপক্ষে তারা এ ভয় অবশ্যই করবে যে, তাদের কসম করার পর অপর কোন কসম দ্বারা তাদের প্রতিবাদ করা না হয়। আল্লাহকে ভয় কর আর শোন; আল্লাহ সত্য পরিত্যাগকারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।
Sahih International:
That is more likely that they will give testimony according to its [true] objective, or [at least] they would fear that [other] oaths might be taken after their oaths. And fear Allah and listen; and Allah does not guide the defiantly disobedient people.



یَوْمَ یَجْمَعُ اللّٰهُ الرُّسُلَ فَیَقُوْلُ مَا ذَاۤ اُجِبْتُمْ ؕ قَالُوْا لَا عِلْمَ لَنَا ؕ اِنَّکَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُیُوْبِ ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়াজমা‘উল্লা-হুর রুছুলা ফাইয়াকূলুমা-যাউজিবতুম কা-লূলা-‘ইলমা লানা- ইন্নাকা আনতা ‘আল্লা-মুল গুয়ূব।
আল বায়ান:
(স্মরণ কর) যেদিন আল্লাহ রাসূলগণকে একত্র করবেন, অতঃপর বলবেন, ‘তোমাদেরকে কী জবাব দেয়া হয়েছিল’? তারা বলবে, ‘আমাদের কোন ইলম নেই, নিশ্চয় আপনি গায়েবী বিষয়সমূহের সর্বজ্ঞানী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যে দিন রসূলগণকে একত্রিত করবেন; অতঃপর বলবেন, তোমাদেরকে কী জবাব দেয়া হয়েছিল। তারা বলবে, আমরা কিছুই জানি না, তুমিই সকল গোপন তত্ত্ব জান।
Sahih International:
[Be warned of] the Day when Allah will assemble the messengers and say, "What was the response you received?" They will say, "We have no knowledge. Indeed, it is You who is Knower of the unseen"



اِذْ قَالَ اللّٰهُ یٰعِیْسَی ابْنَ مَرْیَمَ اذْکُرْ نِعْمَتِیْ عَلَیْکَ وَ عَلٰی وَالِدَتِکَ ۘ اِذْ اَیَّدْتُّکَ بِرُوْحِ الْقُدُسِ ۟ تُکَلِّمُ النَّاسَ فِی الْمَهْدِ وَ کَهْلًا ۚ وَ اِذْ عَلَّمْتُکَ الْکِتٰبَ وَ الْحِکْمَۃَ وَ التَّوْرٰىۃَ وَ الْاِنْجِیْلَ ۚ وَ اِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّیْنِ کَهَیْـَٔۃِ الطَّیْرِ بِاِذْنِیْ فَتَنْفُخُ فِیْهَا فَتَکُوْنُ طَیْرًۢا بِاِذْنِیْ وَ تُبْرِیٴُ الْاَکْمَهَ وَ الْاَبْرَصَ بِاِذْنِیْ ۚ وَ اِذْ تُخْرِجُ الْمَوْتٰی بِاِذْنِیْ ۚ وَ اِذْ کَفَفْتُ بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ عَنْکَ اِذْ جِئْتَهُمْ بِالْبَیِّنٰتِ فَقَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْهُمْ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লাল্লা-হু ইয়া-‘ঈছাব না মারইয়ামাযকুর নি‘মাতী ‘আলাইকা ওয়া ‘আলা-ওয়ালিদাতিক । ইযআইঁ ইয়াত্তুকা বিরুহিল কুদুছি তুকালিলমুন না-ছা ফিল মাহদি ওয়া কাহলাওঁ ওয়া ইয‘আল্লামতুকাল কিতা-বা ওয়াল হিকমাতা ওয়াত্তাওরা-তা ওয়াল ইনজীলা ওয়া ইযতাখলুকুমিনাততীনি কাহাইআতিততাইরি বিইযনী ফাতানফুখু ফীহা-ফাতাকূনুতাইরাম বিইযনী ওয়াতুবরিউল আকমাহা ওয়াল আবরাসা বিইযনী ওয়া ইযতুখরিজুল মাওতা-বিইযনী ওয়া ইযকাফাফতুবানীইছরাঈলা ‘আনকা ইযজি’তাহুম বিলবাইয়িনা-তি ফাকা-লাল্লাযীনা কাফারূমিনহুম ইন হা-যা ইল্লাছিহরুম মুবীন।
আল বায়ান:
যখন আল্লাহ বলবেন,‘হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা, তোমার উপর ও তোমার মাতার উপর আমার নি‘আমত স্মরণ কর, যখন আমি তোমাকে শক্তিশালী করেছিলাম পবিত্র আত্মা* দিয়ে, তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে দোলনায় ও পরিণত বয়সে। আর যখন আমি তোমাকে শিক্ষা দিয়েছিলাম কিতাব, হিকমাত, তাওরাত ও ইনজীল; আর যখন আমার আদেশে কাদামাটি থেকে পাখির আকৃতির মত গঠন করতে এবং তাতে ফুঁক দিতে, ফলে আমার আদেশে তা পাখি হয়ে যেত। আর তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করতে এবং যখন আমার আদেশে তুমি মৃতকে জীবিত বের করতে। আর যখন তুমি স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে তখন আমি বনী ইসরাঈলকে তোমার থেকে ফিরিয়ে রেখেছিলাম। অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা বলেছিল, এতো স্পষ্ট যাদু।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন আল্লাহ বলেন, ‘‘হে ‘ঈসা বিন মারইয়াম! তুমি তোমার প্রতি আর তোমার মায়ের প্রতি আমার নি‘মাতের কথা স্মরণ কর। আমি তোমাকে রূহুল কুদুর (জিবারাঈল) দিয়ে শক্তিশালী করেছি, তুমি দোলনায় থাকা অবস্থায় আর পূর্ণ বয়সেও মানুষের সাথে কথা বলেছ। স্মরণ কর আমি তোমাকে কিতাব, হিকমাত, তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছিলাম। তুমি আমার অনুমতিক্রমে মাটি দ্বারা পাখীর মত আকৃতি গঠন করতে আর তাতে ফুঁক দিতে তখন তা আমার হুকুমে পাখী হয়ে যেত, জন্মান্ধ আর কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তিকে তুমি আমার হুকুমে আরোগ্য করতে, স্মরণ কর আমার হুকুমে তুমি মৃতকে জীবিত করতে, স্মরণ কর যখন আমি তোমার থেকে বানী ইসরাঈলকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম যখন তুমি তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনাদি নিয়ে আসলে, তখন তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা বলল- "এটা তো স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়।"
Sahih International:
[The Day] when Allah will say, "O Jesus, Son of Mary, remember My favor upon you and upon your mother when I supported you with the Pure Spirit and you spoke to the people in the cradle and in maturity; and [remember] when I taught you writing and wisdom and the Torah and the Gospel; and when you designed from clay [what was] like the form of a bird with My permission, then you breathed into it, and it became a bird with My permission; and you healed the blind and the leper with My permission; and when you brought forth the dead with My permission; and when I restrained the Children of Israel from [killing] you when you came to them with clear proofs and those who disbelieved among them said, "This is not but obvious magic."



وَ اِذْ اَوْحَیْتُ اِلَی الْحَوَارِیّٖنَ اَنْ اٰمِنُوْا بِیْ وَ بِرَسُوْلِیْ ۚ قَالُوْۤا اٰمَنَّا وَ اشْهَدْ بِاَنَّنَا مُسْلِمُوْنَ ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযআওহাইতুইলাল হাওয়া-রিইয়ীনা আন আ-মিনূবী ওয়াবিরাছূলী কা-লূআমান্না-ওয়াশহাদ বিআন্নানা-মুছলিমূন।
আল বায়ান:
আর যখন আমি হাওয়ারী* গণকে এ আদেশ দিয়েছিলাম যে, ‘আমার প্রতি তোমরা ঈমান আন ও আমার রাসূলের প্রতি’। তারা বলেছিল, ‘আমরা ঈমান আনলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা অবশ্যই মুসলিম’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর যখন আমি হাওয়ারীদেরকে হুকুম করেছিলাম যে, আমার প্রতি আর আমার রসূলের প্রতি ঈমান আন; তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম আর তুমি সাক্ষী থেক যে, আমরা মুসলিম।
Sahih International:
And [remember] when I inspired to the disciples, "Believe in Me and in My messenger Jesus." They said, "We have believed, so bear witness that indeed we are Muslims [in submission to Allah]."



اِذْ قَالَ الْحَوَارِیُّوْنَ یٰعِیْسَی ابْنَ مَرْیَمَ هَلْ یَسْتَطِیْعُ رَبُّکَ اَنْ یُّنَزِّلَ عَلَیْنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ ؕ قَالَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنْ کُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۱۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লাল হাওয়া-রিইয়ূনা ইয়া-‘ঈছাবনা মারইয়ামা হাল ইয়াছতাতী‘উ রাব্বুকা আইঁ ইউনাযযিলা ‘আলাইনা-মাইদাতাম মিনাছছামাই কা-লাত তাকুল্লা-হা ইন কুনতুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
যখন হাওয়ারীগণ বলেছিল, ‘হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা, তোমার রব কি পারে আমাদের উপর আসমান থেকে খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাযিল করতে?’ সে বলেছিল, ‘আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদি তোমরা মুমিন হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
(স্মরণ কর) যখন হাওয়ারীরা বলেছিল, হে ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম! আপনার প্রতিপালক কি আমাদের নিকট আসমান থেকে খাঞ্চা ভর্তি খাদ্য পাঠাতে পারবেন? সে বলেছিল, তোমরা যদি মু’মিন হয়ে থাক তাহলে আল্লাহকে ভয় কর।
Sahih International:
[And remember] when the disciples said, "O Jesus, Son of Mary, can your Lord send down to us a table [spread with food] from the heaven? [Jesus] said," Fear Allah, if you should be believers."



قَالُوْا نُرِیْدُ اَنْ نَّاْکُلَ مِنْهَا وَ تَطْمَئِنَّ قُلُوْبُنَا وَ نَعْلَمَ اَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَ نَکُوْنَ عَلَیْهَا مِنَ الشّٰهِدِیْنَ ﴿۱۱۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূনুরীদুআন না’কুলা মিনহা-ওয়া তাতমাইন্না কুলূবুনা-ওয়া না‘লামা আন কাদ সাদাকতানা-ওয়া নাকূনা ‘আলাইহা-মিনাশশা-হিদীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা তা থেকে খেতে চাই। আর আমাদের হৃদয় প্রশান্ত হবে এবং আমরা জানব যে, তুমি আমাদেরকে সত্যই বলেছ, আর আমরা এ ব্যাপারে সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্ত হব।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলেছিল, আমরা চাই যে আমরা তাত্থেকে কিছু খাব, তাতে আমাদের অন্তর পরিতৃপ্তি লাভ করবে, আর আমরা জানতে পারব যে, আপনি আমাদেরকে সত্য বলেছেন, আর সে ব্যাপারে আমরা সাক্ষী হয়ে থাকব।
Sahih International:
They said, "We wish to eat from it and let our hearts be reassured and know that you have been truthful to us and be among its witnesses."



قَالَ عِیْسَی ابْنُ مَرْیَمَ اللّٰهُمَّ رَبَّنَاۤ اَنْزِلْ عَلَیْنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ تَکُوْنُ لَنَا عِیْدًا لِّاَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰیَۃً مِّنْکَ ۚ وَ ارْزُقْنَا وَ اَنْتَ خَیْرُ الرّٰزِقِیْنَ ﴿۱۱۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ‘ঈছাবনুমারইয়ামাল্লা-হুম্মা রাব্বানাআনযিল ‘আলাইনা-মাইদাতাম মিনাছছামাই তাকূনুলানা-‘ঈদাল লিআওওয়ালিনা-ওয়া আ-খিরিনা-ওয়া আ-ইয়াতাম মিনকা ওয়ারযুকনা-ওয়া আনতা খাইরুর রা-যিকীন।
আল বায়ান:
মারইয়ামের পুত্র ঈসা বলল, ‘হে আল্লাহ, হে আমাদের রব, আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাযিল করুন; এটা আমাদের জন্য ঈদ হবে। আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য। আর আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হবে। আর আমাদেরকে রিয্ক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিয্কদাতা’।
তাইসিরুল কুরআন:
‘ঈসা ইবনু মারইয়াম বলেছিল, হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা।
Sahih International:
Said Jesus, the son of Mary, "O Allah, our Lord, send down to us a table [spread with food] from the heaven to be for us a festival for the first of us and the last of us and a sign from You. And provide for us, and You are the best of providers."



قَالَ اللّٰهُ اِنِّیْ مُنَزِّلُهَا عَلَیْکُمْ ۚ فَمَنْ یَّکْفُرْ بَعْدُ مِنْکُمْ فَاِنِّیْۤ اُعَذِّبُهٗ عَذَابًا لَّاۤ اُعَذِّبُهٗۤ اَحَدًا مِّنَ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۱۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লাল্লা-হু ইন্নী মুনাযযিলুহুা-‘আলাইকুম ফামাইঁ ইয়াকফুর বা‘দুমিনকুম ফাইন্নীউ‘আযযিবুহু ‘আযা-বাল লাউ‘আযযিবুহু-আহাদাম মিনাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আল্লাহ বললেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি তা নাযিল করব; কিন্তু এরপর তোমাদের মধ্যে যে কুফরী করবে তাকে নিশ্চয় আমি এমন আযাব দেব, যে আযাব সৃষ্টিকুলের কাউকে দেব না।’
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন, আমি তোমাদের কাছে তা নাযিল করব, অতঃপর তোমাদের কেউ কুফরী করলে আমি তাকে এমনভাবে শাস্তি প্রদান করব, যে শাস্তি আমি বিশ্বজগতের কাউকে দেইনি।
Sahih International:
Allah said, "Indeed, I will sent it down to you, but whoever disbelieves afterwards from among you - then indeed will I punish him with a punishment by which I have not punished anyone among the worlds."



وَ اِذْ قَالَ اللّٰهُ یٰعِیْسَی ابْنَ مَرْیَمَ ءَاَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوْنِیْ وَ اُمِّیَ اِلٰهَیْنِ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ قَالَ سُبْحٰنَکَ مَا یَکُوْنُ لِیْۤ اَنْ اَقُوْلَ مَا لَیْسَ لِیْ ٭ بِحَقٍّ ؕ؃ اِنْ کُنْتُ قُلْتُهٗ فَقَدْ عَلِمْتَهٗ ؕ تَعْلَمُ مَا فِیْ نَفْسِیْ وَ لَاۤ اَعْلَمُ مَا فِیْ نَفْسِکَ ؕ اِنَّکَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُیُوْبِ ﴿۱۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকা-লাল্লা-হু ইয়া-‘ঈছাবনা মারইয়ামা আআনতা কুলতা লিন্না-ছিততাখিযূনী ওয়া উম্মিয়া ইলা-হাইনি মিন দূ নিল্লা-হি কা-লা ছুবহা-নাকা মা-ইয়াকূনুলীআন আকূলা মা-লাইছা লী বিহাক্কিন ইন কুনতুকু লতুহূফাকাদ ‘আলিমতাহূ তা‘লামুমাফী নাফছী ওয়ালাআ‘লামুমা-ফী নাফছিকা ইন্নাকা আনতা ‘আল্লা-মুল গুয়ূব।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যখন বলবেন, ‘হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা, তুমি কি মানুষদেরকে বলেছিলে যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার মাতাকে ইলাহরূপে গ্রহণ কর?’ সে বলবে, ‘আপনি পবিত্র মহান, যার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার জন্য সম্ভব নয়। যদি আমি তা বলতাম তাহলে অবশ্যই আপনি তা জানতেন। আমার অন্তরে যা আছে তা আপনি জানেন, আর আপনার অন্তরে যা আছে তা আমি জানি না; নিশ্চয় আপনি গায়েবী বিষয়সমূহে সর্বজ্ঞাত’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ ঈসা ইবনু মারইয়ামকে বললেন, তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে আর আমার মাতাকে ইলাহ বানিয়ে নাও।’ (উত্তরে) সে বলেছিল, ‘পবিত্র মহান তুমি, এমন কথা বলা আমার শোভা পায় না যে কথা বলার কোন অধিকার আমার নেই, আমি যদি তা বলতাম, সেটা তো তুমি জানতেই; আমার অন্তরে কী আছে তা তুমি জান কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে তা আমি জানি না, তুমি অবশ্যই যাবতীয় গোপনীয় তত্ত্ব সম্পর্কে পূর্ণরূপে ওয়াকেফহাল।
Sahih International:
And [beware the Day] when Allah will say, "O Jesus, Son of Mary, did you say to the people, 'Take me and my mother as deities besides Allah?'" He will say, "Exalted are You! It was not for me to say that to which I have no right. If I had said it, You would have known it. You know what is within myself, and I do not know what is within Yourself. Indeed, it is You who is Knower of the unseen.



مَا قُلْتُ لَهُمْ اِلَّا مَاۤ اَمَرْتَنِیْ بِهٖۤ اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ رَبِّیْ وَ رَبَّکُمْ ۚ وَ کُنْتُ عَلَیْهِمْ شَهِیْدًا مَّا دُمْتُ فِیْهِمْ ۚ فَلَمَّا تَوَفَّیْتَنِیْ کُنْتَ اَنْتَ الرَّقِیْبَ عَلَیْهِمْ ؕ وَ اَنْتَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ شَهِیْدٌ ﴿۱۱۷﴾
উচ্চারণ:
মা-কুলতুলাহুম ইল্লা-মাআমারতানী বিহীআনি‘বুদুল্লা-হা রাববী ওয়া রাব্বাকুম ওয়া কুনতু‘আলাইহিম শাহীদাম মা-দুমতুফীহিম ফালাম্মা-তাওয়াফফাইতানী কুনতা আনতার রাকীবা ‘আলাইহিম ওয়া আনতা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন শাহীদ।
আল বায়ান:
‘আমি তাদেরকে কেবল তাই বলেছি, যা আপনি আমাকে আদেশ করেছেন যে, তোমরা আমার রব ও তোমাদের রব আললাহর ইবাদাত কর। আর যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি তাদের উপর সাক্ষী ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে উঠিয়ে নিলেন তখন আপনি ছিলেন তাদের পর্যবেক্ষণকারী। আর আপনি সব কিছুর উপর সাক্ষী।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি আমাকে যে ব্যাপারে নির্দেশ করেছ তা ছাড়া আমি তাদেরকে অন্য কিছুই বলিনি, (তা এই) যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, আর তাদের কাজ কর্মের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম যদ্দিন আমি তাদের মাঝে ছিলাম, অতঃপর যখন তুমি আমাকে উঠিয়ে নিলে, তখন তুমিই ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক, আর তুমি হলে প্রত্যেক ব্যাপারে সাক্ষী।
Sahih International:
I said not to them except what You commanded me - to worship Allah, my Lord and your Lord. And I was a witness over them as long as I was among them; but when You took me up, You were the Observer over them, and You are, over all things, Witness.



اِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَاِنَّهُمْ عِبَادُکَ ۚ وَ اِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَاِنَّکَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۱۱۸﴾
উচ্চারণ:
ইন তু‘আযযিবহুম ফাইন্নাহুম ‘ইবা-দুকা ওয়া ইন তাগফির লাহুম ফাইন্নাকা আনতাল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন তবে তারা আপনারই বান্দা, আর তাদেরকে যদি ক্ষমা করেন, তবে নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দাহ আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তুমি তো মহাপরাক্রান্ত মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী।’
Sahih International:
If You should punish them - indeed they are Your servants; but if You forgive them - indeed it is You who is the Exalted in Might, the Wise.



قَالَ اللّٰهُ هٰذَا یَوْمُ یَنْفَعُ الصّٰدِقِیْنَ صِدْقُهُمْ ؕ لَهُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَاۤ اَبَدًا ؕ رَضِیَ اللّٰهُ عَنْهُمْ وَ رَضُوْا عَنْهُ ؕ ذٰلِکَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ ﴿۱۱۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লাল্লা-হু হা-যা-ইয়াওমুইয়ানফা‘উস সা-দিকীনা সিদকুহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহাআবাদার রাদিয়াল্লা-হু ‘আনহুম ওয়া রাদূ ‘আনহু যা-লিকাল ফাওযুল ‘আজীম।
আল বায়ান:
আল্লাহ বলবেন, ‘এটা হল সেই দিন যেদিন সত্যবাদীগণকে তাদের সততা উপকার করবে। তাদের জন্য আছে জান্নাতসমূহ যার নীচে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। এটা মহাসাফল্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বলবেন, আজকের দিনে সত্যপন্থীদের সত্যপন্থা উপকার দিবে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা স্থায়ী হয়ে চিরকাল থাকবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এটাই হল মহা সাফল্য।
Sahih International:
Allah will say, "This is the Day when the truthful will benefit from their truthfulness." For them are gardens [in Paradise] beneath which rivers flow, wherein they will abide forever, Allah being pleased with them, and they with Him. That is the great attainment.



لِلّٰهِ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا فِیْهِنَّ ؕ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۱۲۰﴾
উচ্চারণ:
লিল্লা-হি মুলকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়া মা- ফীহিন্না ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীন এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে তার রাজত্ব আল্লাহরই এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমানসমূহের আর যমীনের আর এদের মাঝে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই, আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
Sahih International:
To Allah belongs the dominion of the heavens and the earth and whatever is within them. And He is over all things competent.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।