আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


طٰسٓمّٓ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
তা-ছীম মীম।
আল বায়ান:
ত্ব-সীন-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
ত্ব-সীন-মীম।
Sahih International:
Ta, Seen, Meem.



تِلْکَ اٰیٰتُ الْکِتٰبِ الْمُبِیْنِ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
তিলকা আ-য়া-তুল কিতা-বিল মুবীন।
আল বায়ান:
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
তাইসিরুল কুরআন:
এগুলো সুস্পষ্ট (বা সুস্পষ্টকারী) কিতাবের আয়াত।
Sahih International:
These are the verses of the clear Book.



لَعَلَّکَ بَاخِعٌ نَّفْسَکَ اَلَّا یَکُوْنُوْا مُؤْمِنِیْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
লা‘আল্লাকা বা-খি‘উন নাফছাকা আল্লা-ইয়াকূনূমু’মিনীন।
আল বায়ান:
তারা মুমিন হবে না বলে হয়ত তুমি আত্মবিনাশী হয়ে পড়বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি হয়ত এ দুঃখে তোমার প্রাণনাশ করবে যে, তারা মু’মিন হচ্ছে না।
Sahih International:
Perhaps, [O Muhammad], you would kill yourself with grief that they will not be believers.



اِنْ نَّشَاْ نُنَزِّلْ عَلَیْهِمْ مِّنَ السَّمَآءِ اٰیَۃً فَظَلَّتْ اَعْنَاقُهُمْ لَهَا خٰضِعِیْنَ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইন নাশা’ নুনাযযিল ‘আলাইহিম মিনাছছামাইআ-ইয়াতান ফাজাল্লাত আ‘না-কুহুম লাহা খা-দি‘ঈন।
আল বায়ান:
আমি ইচ্ছা করলে আসমান থেকে তাদের উপর এমন নিদর্শন অবতীর্ণ করতাম ফলে তার প্রতি তাদের ঘাড়গুলো নত হয়ে যেত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইচ্ছে করলে তাদের কাছে আসমান থেকে এমন নিদর্শন পাঠাতাম যে তার সামনে তাদের মাথা নত হয়ে যেত (অর্থাৎ তারা ঈমান আনতে বাধ্য হত)।
Sahih International:
If We willed, We could send down to them from the sky a sign for which their necks would remain humbled.



وَ مَا یَاْتِیْهِمْ مِّنْ ذِکْرٍ مِّنَ الرَّحْمٰنِ مُحْدَثٍ اِلَّا کَانُوْا عَنْهُ مُعْرِضِیْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়াতীহিম মিন যিকরিম মিনার রাহমা-নি মুহদাছিনইল্লা-কা-নূ‘আনহু মু‘রিদীন।
আল বায়ান:
আর যখনই তাদের কাছে পরম করুণাময়ের পক্ষ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে তখনই তারা তা থেকে বিমুখ হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে যখনই দয়াময় আল্লাহর পক্ষ হতে নতুন কোন নসীহত আসে তখনই তারা তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Sahih International:
And no revelation comes to them anew from the Most Merciful except that they turn away from it.



فَقَدْ کَذَّبُوْا فَسَیَاْتِیْهِمْ اَنْۢبٰٓؤُا مَا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ফাকাদ কাযযাবূফাছাইয়া’তীহিম আমবাউ মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিউন।
আল বায়ান:
অতএব অবশ্যই তারা অস্বীকার করেছে। কাজেই তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত, তার সংবাদ অচিরেই তাদের কাছে এসে পড়বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (আল্লাহর বাণীকে) অস্বীকারই করেছে, শীঘ্রই তাদের কাছে তার সত্য উদঘাটিত হবে যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত।
Sahih International:
For they have already denied, but there will come to them the news of that which they used to ridicule.



اَوَ لَمْ یَرَوْا اِلَی الْاَرْضِ کَمْ اَنْۢبَتْنَا فِیْهَا مِنْ کُلِّ زَوْجٍ کَرِیْمٍ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাল আরদিকাম আমবাতনা-ফীহা-মিন কুল্লি যাওজিন কারীম।
আল বায়ান:
তারা কি যমীনের প্রতি লক্ষ করেনি? আমি তাতে প্রত্যেক প্রকারের বহু উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ উদগত করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি যমীনের দিকে চেয়ে দেখে না, আমি তাতে সব ধরনের উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ পয়দা করেছি।
Sahih International:
Did they not look at the earth - how much We have produced therein from every noble kind?



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕوَ مَا کَانَ اَکْثَرُ هُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে আছে নিদর্শন, আর তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে (আল্লাহ সম্পর্কে চিন্তা ক’রে ঈমান আনার জন্য), কিন্তু তাদের অধিকাংশই ঈমান আনে না।
Sahih International:
Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহা পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক মহা পরাক্রমশালী, অতি দয়ালু।
Sahih International:
And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.



وَ اِذْ نَادٰی رَبُّکَ مُوْسٰۤی اَنِ ائْتِ الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযনা-দা-রাব্বুকা মূছা-আনি’তিল কাওমাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব মূসাকে ডেকে বললেন, ‘তুমি যালিম সম্প্রদায়ের কাছে যাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক মূসাকে ডাক দিয়ে বললেন, ‘তুমি যালিম সম্প্রদায়ের কাছে যাও,
Sahih International:
And [mention] when your Lord called Moses, [saying], "Go to the wrongdoing people -



قَوْمَ فِرْعَوْنَ ؕ اَلَا یَتَّقُوْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
কাওমা ফির‘আওনা আলা-ইয়াত্তাকূন।
আল বায়ান:
‘ফির‘আউনের সম্প্রদায়ের কাছে। তারা কি ভয় করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউনের সম্প্রদায়ের কাছে। তারা কি ভয় করে না?
Sahih International:
The people of Pharaoh. Will they not fear Allah?"



قَالَ رَبِّ اِنِّیْۤ اَخَافُ اَنْ یُّکَذِّبُوْنِ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি ইন্নী-আখা-ফুআইঁ ইউকাযযি বূন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘হে আমার রব, আমি অবশ্যই আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে অস্বীকার করবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার ভয় হচ্ছে তারা আমাকে মিথ্যে মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করবে।
Sahih International:
He said, "My Lord, indeed I fear that they will deny me



وَ یَضِیْقُ صَدْرِیْ وَ لَا یَنْطَلِقُ لِسَانِیْ فَاَرْسِلْ اِلٰی هٰرُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াদীকুসাদরী ওয়ালা-ইয়ানতলিকুলিছা-নী ফাআরছিল ইলা-হা-রূন।
আল বায়ান:
‘আর আমার বক্ষ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। আমার জিহবা চলছে না। সুতরাং আপনি হারুনের প্রতি ওহী পাঠান’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমার অন্তর সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, আমার জিহ্বা সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে না। কাজেই আপনি হারূনের প্রতি রিসালাত দিন।
Sahih International:
And that my breast will tighten and my tongue will not be fluent, so send for Aaron.



وَ لَهُمْ عَلَیَّ ذَنْۢبٌ فَاَخَافُ اَنْ یَّقْتُلُوْنِ ﴿ۚ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাহুম ‘আলাইইয়া যামবুন ফাআখা-ফুআইঁ ইয়াকতুলূন।
আল বায়ান:
‘আর আমার বিরুদ্ধে তাদের কাছে একটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ফলে আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তদুপরি আমার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগও তাদের আছে, কাজেই আমার ভয় হচ্ছে তারা আমাকে হত্যা করবে।’
Sahih International:
And they have upon me a [claim due to] sin, so I fear that they will kill me."



قَالَ کَلَّا ۚ فَاذْهَبَا بِاٰیٰتِنَاۤ اِنَّا مَعَکُمْ مُّسْتَمِعُوْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কাল্লা- ফাযহাবা-বিআ-য়া-তিনাইন্না মা‘আকুম মুছতামি‘উন।
আল বায়ান:
আল্লাহ বললেন, ‘কখনো নয়। তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শনাদিসহ যাও। অবশ্যই আমি আছি তোমাদের সাথে শ্রবণকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন, ‘কক্ষনো না, তোমরা দু’জনে আমার (দেয়া) নিদর্শন নিয়ে যাও, আমি তোমাদের সঙ্গে থেকে সব কিছু শুনতে থাকব।
Sahih International:
[Allah] said, "No. Go both of you with Our signs; indeed, We are with you, listening.



فَاْتِیَا فِرْعَوْنَ فَقُوْلَاۤ اِنَّا رَسُوْلُ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফা’তিইয়া-ফির‘আওনা ফাকূলা ইন্না-রাছূলুরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং তোমরা উভয়ে ফির‘আউনের কাছে গিয়ে বল, নিশ্চয় আমরা বিশ্বজগতের রবের রাসূল’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা দু’জনে ফেরাউনের কাছে যাও আর গিয়ে বল যে, আমরা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের প্রেরিত রসূল।
Sahih International:
Go to Pharaoh and say, 'We are the messengers of the Lord of the worlds,



اَنْ اَرْسِلْ مَعَنَا بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ ﴿ؕ۱۷﴾
উচ্চারণ:
আন আরছিল মা‘আনা-বানীইছরাঈল।
আল বায়ান:
‘যাতে তুমি বনী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে পাঠাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
বানী ইসরাঈলকে আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দাও।’
Sahih International:
[Commanded to say], "Send with us the Children of Israel."'"



قَالَ اَلَمْ نُرَبِّکَ فِیْنَا وَلِیْدًا وَّ لَبِثْتَ فِیْنَا مِنْ عُمُرِکَ سِنِیْنَ ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আলাম নুরাব্বিকা ফীনা-ওয়ালীদাওঁ ওয়ালাবিছতা ফীনা-মিন ‘উমুরিকা ছিনীন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘আমরা কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মাঝে লালন পালন করিনি? আর তুমি তোমার জীবনের অনেক বছর আমাদের মধ্যে অবস্থান করেছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন বলল, ‘আমরা কি তোমাকে শিশুকালে আমাদের মধ্যে লালন পালন করিনি? আর তুমি কি তোমার জীবনের কতকগুলো বছর আমাদের মাঝে কাটাওনি?
Sahih International:
[Pharaoh] said, "Did we not raise you among us as a child, and you remained among us for years of your life?



وَ فَعَلْتَ فَعْلَتَکَ الَّتِیْ فَعَلْتَ وَ اَنْتَ مِنَ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফা‘আলতা ফা‘লাতাকাল্লাতী ফা‘আলতা ওয়াআনতা মিনাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
‘আর তুমি তোমার কর্ম যা করার তা করেছ এবং তুমি অকৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তোমার কর্ম যা করার করেছ (আমাদের একজন লোককে হত্যা ক’রে), তুমি বড় অকৃতজ্ঞ।’
Sahih International:
And [then] you did your deed which you did, and you were of the ungrateful."



قَالَ فَعَلْتُهَاۤ اِذًا وَّ اَنَا مِنَ الضَّآلِّیْنَ ﴿ؕ۲۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফা‘আলতুহা ইযাওঁ ওয়া আনা মিনাদ্দাল্লীন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘আমি এটি তখন করেছিলাম, যখন আমি ছিলাম বিভ্রান্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল : ‘আমি তো তা করেছিলাম সে সময় যখন আমি ছিলাম (সঠিক পথ সম্পর্কে) অজ্ঞ।
Sahih International:
[Moses] said, "I did it, then, while I was of those astray.



فَفَرَرْتُ مِنْکُمْ لَمَّا خِفْتُکُمْ فَوَهَبَ لِیْ رَبِّیْ حُکْمًا وَّ جَعَلَنِیْ مِنَ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ফাফারারতুমিনকুমলাম্মা-খিফতুকুম ফাওয়াহাবালী রাববী হুকমাওঁ ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
‘অতঃপর যখন আমি তোমাদেরকে ভয় করলাম, তখন আমি তোমাদের থেকে পালিয়ে গেলাম। তারপর আমার রব আমাকে প্রজ্ঞা দান করলেন এবং আমাকে রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত করলেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তোমাদের ভয়ে ভীত হয়ে আমি তোমাদের থেকে পালিয়ে গেলাম। অতঃপর আমার রবব আমাকে প্রজ্ঞা দান করলেন, আর আমাকে করলেন রসূলদের একজন।
Sahih International:
So I fled from you when I feared you. Then my Lord granted me wisdom and prophethood and appointed me [as one] of the messengers.



وَ تِلْکَ نِعْمَۃٌ تَمُنُّهَا عَلَیَّ اَنْ عَبَّدْتَّ بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ ﴿ؕ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তিলকা নি‘মাতুন তামুননুহা-‘আলাইইয়া আন ‘আব্বাত্তা বানীইছরাঈল।
আল বায়ান:
‘আর এই তো সে অনুগ্রহ যার খোঁটা তুমি আমাকে দিচ্ছ যে, তুমি বনী ইসরাঈলকে দাস বানিয়ে রেখেছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের খোঁটা দিচ্ছ তাতো এই যে, তুমি বানী ইসরাঈলকে দাসে পরিণত করেছ।’
Sahih International:
And is this a favor of which you remind me - that you have enslaved the Children of Israel?"



قَالَ فِرْعَوْنُ وَ مَا رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿ؕ۲۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফির‘আওনুওয়ামা-রাব্বুল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘সৃষ্টিকুলের রব কে?’
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন বলল : ‘বিশ্বজগতের প্রতিপালক আবার কী?’
Sahih International:
Said Pharaoh, "And what is the Lord of the worlds?"



قَالَ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا ؕ اِنْ کُنْتُمْ مُّوْقِنِیْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা- ইন কুনতুম মূকিনীন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘আসমানসমূহ ও যমীন এবং এতদোভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব, যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হয়ে থাক।’
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল : ‘(যিনি) আসমান ও যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে সব কিছুর প্রতিপালক- যদি তোমরা নিঃসন্দেহে বিশ্বাসী হও।
Sahih International:
[Moses] said, "The Lord of the heavens and earth and that between them, if you should be convinced."



قَالَ لِمَنْ حَوْلَهٗۤ اَلَا تَسْتَمِعُوْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লিমান হাওলাহূ আলা-তাছতামি‘উন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন তার আশেপাশে যারা ছিল তাদেরকে বলল, ‘তোমরা কি মনোযোগসহ শুনছ না’?
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন তার চারপাশের লোকেদেরকে বলল- ‘তোমরা শুনছ তো?’
Sahih International:
[Pharaoh] said to those around him, "Do you not hear?"



قَالَ رَبُّکُمْ وَ رَبُّ اٰبَآئِکُمُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বুকুম ওয়ারাব্বুআবাইকুমুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘তিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদেরও রব’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল : ‘(তিনি) তোমাদের প্রতিপালক ও শুরু থেকে পূর্ববর্তী তোমাদের বাপ-দাদাদেরও প্রতিপালক।’
Sahih International:
[Moses] said, "Your Lord and the Lord of your first forefathers."



قَالَ اِنَّ رَسُوْلَکُمُ الَّذِیْۤ اُرْسِلَ اِلَیْکُمْ لَمَجْنُوْنٌ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্না রাছূলাকুমুল্লাযী উরছিলা ইলাইকুম লামাজনূন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘তোমাদের কাছে প্রেরিত তোমাদের এই রাসূল নিশ্চয়ই পাগল’।
তাইসিরুল কুরআন:
(ফিরআউন) বলল: ‘তোমাদের রসূল যে তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছে সে নিশ্চিতই পাগল।’
Sahih International:
[Pharaoh] said, "Indeed, your 'messenger' who has been sent to you is mad."



قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَ الْمَغْرِبِ وَ مَا بَیْنَهُمَا ؕ اِنْ کُنْتُمْ تَعْقِلُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বুল মাশরিকিওয়াল মাগরিবি ওয়ামা-বাইনাহুমা- ইন কুনতুম তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘তিনি পূর্ব ও পশ্চিম এবং এতদোভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব, যদি তোমরা বুঝে থাক’।
তাইসিরুল কুরআন:
(মূসা) বললঃ ‘(তিনিই) পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিপালক, আর এ উভয় দিকের মাঝে যা আছে তারও- যদি তোমাদের বুদ্ধিসুদ্ধি থাকে।’
Sahih International:
[Moses] said, "Lord of the east and the west and that between them, if you were to reason."



قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ اِلٰـهًا غَیْرِیْ لَاَجْعَلَنَّکَ مِنَ الْمَسْجُوْنِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাইনিততাখাযতা ইলা -হান গাইরী লাআজ‘আলান্নাকা মিনাল মাছজূনীন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘যদি তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে ইলাহরূপে গ্রহণ কর, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাকে কয়েদীদের অন্তর্ভুক্ত করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
(ফেরাউন) বলল : ‘যদি তুমি আমাকে বাদ দিয়ে (অন্য কিছুকে) ইলাহ হিসেবে গ্রহণ কর, তাহলে আমি তোমাকে অবশ্য অবশ্যই কারারুদ্ধ করব।’
Sahih International:
[Pharaoh] said, "If you take a god other than me, I will surely place you among those imprisoned."



قَالَ اَوَ لَوْ جِئْتُکَ بِشَیْءٍ مُّبِیْنٍ ﴿ۚ۳۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আওয়ালাও জি’তুকা বিশাইয়িম মুবীন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘যদি আমি তোমার কাছে স্পষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আসি, তবুও’?
তাইসিরুল কুরআন:
(মূসা) বলল : ‘আমি যদি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট জিনিস নিয়ে আসি তবুও?
Sahih International:
[Moses] said, "Even if I brought you proof manifest?"



قَالَ فَاْتِ بِهٖۤ اِنْ کُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফা’তি বিহীইন কুননতা মিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকলে তা নিয়ে এসো’।
তাইসিরুল কুরআন:
(ফেরাউন) বলল : ‘তাহলে তা আনো, যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
Sahih International:
[Pharaoh] said, "Then bring it, if you should be of the truthful."



فَاَلْقٰی عَصَاهُ فَاِذَا هِیَ ثُعْبَانٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۚۖ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ফাআলকা-‘আসা-হু ফাইযা-হিয়া ছু‘বা-নুম মুবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তার লাঠি ফেলে দিল, ফলে তৎক্ষণাৎ তা একটি স্পষ্ট অজগর হয়ে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন মূসা তার লাঠি ছুঁড়ে দিল আর সহসাই তা স্পষ্ট এক অজগর হয়ে গেল।
Sahih International:
So [Moses] threw his staff, and suddenly it was a serpent manifest.



وَّ نَزَعَ یَدَهٗ فَاِذَا هِیَ بَیْضَآءُ لِلنّٰظِرِیْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাযা‘আ ইয়াদাহূফাইযা-হিয়া বাইদাউ লিন্না-জিরীন।
আল বায়ান:
আর সে তার হাত বের করল, ফলে তা তৎক্ষণাৎ দর্শকদের সামনে উজ্জ্বল-সাদা হয়ে দেখা দিল।
তাইসিরুল কুরআন:
আর মূসা (বগলের নীচ দিয়ে) নিজের হাত টেনে বের করল, আর তা দর্শকদের সামনে ঝকমক করতে লাগল।
Sahih International:
And he drew out his hand; thereupon it was white for the observers.



قَالَ لِلْمَلَاِ حَوْلَهٗۤ اِنَّ هٰذَا لَسٰحِرٌ عَلِیْمٌ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লিলমালায়ি হাওলাহূ ইন্না হা-যা-লাছা-হিরুন ‘আলীম।
আল বায়ান:
ফির‘আউন তার আশপাশের পারিষদদের উদ্দেশ্যে বলল, ‘এ তো এক বিজ্ঞ যাদুকর।’
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন তার চারপাশের প্রধানদের বলল : ‘সে অবশ্যই এক দক্ষ যাদুকর।
Sahih International:
[Pharaoh] said to the eminent ones around him, "Indeed, this is a learned magician.



یُّرِیْدُ اَنْ یُّخْرِجَکُمْ مِّنْ اَرْضِکُمْ بِسِحْرِهٖ ٭ۖ فَمَا ذَا تَاْمُرُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইউরীদুআইঁ ইউখরিজাকুম মিন আরদিকুম বিছিহরিহী ফামা-যা-তা’মুরূন।
আল বায়ান:
‘সে তোমাদেরকে তার যাদুর মাধ্যমে তোমাদের দেশ থেকে বের করতে চায়। অতএব, তোমরা আমাকে কী পরামর্শ দাও?’
তাইসিরুল কুরআন:
যাদুর বলে সে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে চায়। এখন বল তোমাদের নির্দেশ কী?’
Sahih International:
He wants to drive you out of your land by his magic, so what do you advise?"



قَالُوْۤا اَرْجِهْ وَ اَخَاهُ وَ ابْعَثْ فِی الْمَدَآئِنِ حٰشِرِیْنَ ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লূ আরজিহ ওয়া আখা-হু ওয়াব‘আছফিল মাদা-ইনি হা-শিরীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তাকে ও তার ভাইকে কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দাও, আর সংগ্রহকারীদেরকে নগরে-নগরে পাঠিয়ে দাও।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল : ‘তাকে ও তার ভাইকে (কিছু সময়) অপেক্ষায় ফেলে রাখুন আর জড়ো করার জন্য ঘোষকদেরকে নগরে নগরে পাঠিয়ে দিন।
Sahih International:
They said, "Postpone [the matter of] him and his brother and send among the cities gatherers



یَاْتُوْکَ بِکُلِّ سَحَّارٍ عَلِیْمٍ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়া’তূকা বিকুল্লি ছাহহা-রিন ‘আলীম।
আল বায়ান:
‘তারা তোমার নিকট প্রত্যেক বিজ্ঞ যাদুকরকে নিয়ে আসুক’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আপনার কাছে প্রত্যেকটি অভিজ্ঞ যাদুকরকে নিয়ে আসবে।’
Sahih International:
Who will bring you every learned, skilled magician."



فَجُمِعَ السَّحَرَۃُ لِمِیْقَاتِ یَوْمٍ مَّعْلُوْمٍ ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ফাজুমি‘আছ ছাহারাতুলিমীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম।
আল বায়ান:
অতঃপর এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে যাদুকরদের একত্র করা হল।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই যাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল একটি নির্দিষ্ট দিন ক্ষণের জন্য যা ছিল সুবিদিত।
Sahih International:
So the magicians were assembled for the appointment of a well-known day.



وَّ قِیْلَ لِلنَّاسِ هَلْ اَنْتُمْ مُّجْتَمِعُوْنَ ﴿ۙ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কীলা লিন্না-ছি হাল আনতুম মুজতামি‘ঊন।
আল বায়ান:
আর লোকদের বলা হল, ‘তোমরা কি সমবেত হবে?’
তাইসিরুল কুরআন:
আর জনগণকে বলা হল- ‘তোমরা কি সম্মিলিত হবে?
Sahih International:
And it was said to the people, "Will you congregate



لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَۃَ اِنْ کَانُوْا هُمُ الْغٰلِبِیْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
লা‘আল্লানা-নাত্তাবি‘উছ ছাহারাতা ইন কা-নূহুমুল গা-লিবীন।
আল বায়ান:
‘যাতে আমরা যাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি, যদি তারা বিজয়ী হয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে আমরা যাদুকরদের (এবং তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ফেরাউনের) দীন অনুসরণ করতে পারি যদি তারা বিজয়ী হয়।
Sahih International:
That we might follow the magicians if they are the predominant?"



فَلَمَّا جَآءَ السَّحَرَۃُ قَالُوْا لِفِرْعَوْنَ اَئِنَّ لَنَا لَاَجْرًا اِنْ کُنَّا نَحْنُ الْغٰلِبِیْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা- জাআছছাহারাতুকা-লূলিফির‘আওনা আইন্না লানা- লাআজরান ইন কুন্নানাহনুল গা-লিবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন যাদুকররা আসল,তারা ফির‘আউনকে বলল,‘যদি আমরাই বিজয়ী হই, তবে আমাদের জন্য কি সত্যিই পুরস্কার আছে?’
তাইসিরুল কুরআন:
যাদুকররা যখন আসলো, তারা ফেরাউনকে বলল : ‘আমরা জয়ী হলে আমাদেরকে পুরস্কার দেয়া হবে তো?’
Sahih International:
And when the magicians arrived, they said to Pharaoh, "Is there indeed for us a reward if we are the predominant?"



قَالَ نَعَمْ وَ اِنَّکُمْ اِذًا لَّمِنَ الْمُقَرَّبِیْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা না‘আম ওয়া ইন্নাকুম ইযাল্লামিনাল মুকারবাবীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হ্যাঁ এবং নিশ্চয় তোমরা তখন আমার ঘনিষ্টজনদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন বলল- ‘হাঁ, তখন তোমরা অবশ্যই আমার নৈকট্যলাভকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’
Sahih International:
He said, "Yes, and indeed, you will then be of those near [to me]."



قَالَ لَهُمْ مُّوْسٰۤی اَلْقُوْا مَاۤ اَنْتُمْ مُّلْقُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাহুম মূছাআলকূমাআনতুম মুলকূন।
আল বায়ান:
মূসা তাদের বলল, ‘তোমরা যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা তাদেরকে বলল- ‘নিক্ষেপ কর যা তোমরা নিক্ষেপ করবে।’
Sahih International:
Moses said to them, "Throw whatever you will throw."



فَاَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَ عِصِیَّهُمْ وَ قَالُوْا بِعِزَّۃِ فِرْعَوْنَ اِنَّا لَنَحْنُ الْغٰلِبُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ফাআলকাও হিবা-লাহুম ওয়া ‘ইসিইইয়াহুম ওয়া কা-লূবি‘ইযযাতি ফির‘আওনা ইন্নালানাহনুল গা-লিবূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ‘ফির‘আউনের মর্যাদার কসম! অবশ্যই আমরা বিজয়ী হব।’
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তারা তাদের রশিগুলো ও লাঠিগুলো নিক্ষেপ করল আর তারা বলল- ‘ফেরাউনের ইযযতের শপথ! আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’
Sahih International:
So they threw their ropes and their staffs and said, "By the might of Pharaoh, indeed it is we who are predominant."



فَاَلْقٰی مُوْسٰی عَصَاهُ فَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِکُوْنَ ﴿ۚۖ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআলকা-মূছা-‘আসা-হু ফাইযা-হিইয়া তালকাফুমা-ইয়া’ফিকূন।
আল বায়ান:
তারপর মূসা তার লাঠি ফেলল, ফলে তৎক্ষণাৎ তা তাদের মিথ্যা প্রদর্শনীগুলো গ্রাস করে ফেলল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর মূসা তার লাঠি নিক্ষেপ করল। হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গিলতে লাগল।
Sahih International:
Then Moses threw his staff, and at once it devoured what they falsified.



فَاُلْقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیْنَ ﴿ۙ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ফাউলকিয়াছ ছাহারাতুছা-জিদীন।
আল বায়ান:
ফলে যাদুকররা সিজদাবনত হয়ে পড়ল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন যাদুকররা সিজদায় লুটিয়ে পড়ল।
Sahih International:
So the magicians fell down in prostration [to Allah].



قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿ۙ۴۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লূ আ-মান্না-বিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা ঈমান আনলাম সকল সৃষ্টির রবের প্রতি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম রাব্বুল ‘আলামীনের প্রতি,
Sahih International:
They said, "We have believed in the Lord of the worlds,



رَبِّ مُوْسٰی وَ هٰرُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
রাব্বি মূছা-ওয়াহা-রূন।
আল বায়ান:
‘মূসা ও হারুনের রব’।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি মূসা ও হারুনের প্রতিপালক।’
Sahih International:
The Lord of Moses and Aaron."



قَالَ اٰمَنْتُمْ لَهٗ قَبْلَ اَنْ اٰذَنَ لَکُمْ ۚ اِنَّهٗ لَکَبِیْرُکُمُ الَّذِیْ عَلَّمَکُمُ السِّحْرَ ۚ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ۬ؕ لَاُقَطِّعَنَّ اَیْدِیَکُمْ وَ اَرْجُلَکُمْ مِّنْ خِلَافٍ وَّ لَاُوصَلِّبَنَّکُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿ۚ۴۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আ-মানতুম লাহূকাবলা আন আ-যানা লাকুম ইন্নাহূলাকাবীরু কুমুল্লাযী ‘আল্লামাকুমুছ ছিহরা ফালাছাওফা তা‘লামূনা লাউকাত্তি‘আন্না আইদিয়াকুম ওয়া আরজুলাকুম মিন খিলা-ফিওঁ ওয়ালাউসালিলবান্নাকুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পূর্বেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় সে তোমাদের গুরু যে তোমাদের যাদু শিক্ষা দিয়েছে। অতএব অচিরেই তোমরা জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাতসমূহ ও তোমাদের পাসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং অবশ্যই তোমাদের সকলকে শূলিবিদ্ধ করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন বলল- ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তাতে বিশ্বাস আনলে? নিশ্চয়ই সে তোমাদের ওস্তাদ যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা (এর পরিণাম) জানতে পারবে। আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের হাত-পাগুলোকে বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব আর তোমাদের সব্বাইকে অবশ্য অবশ্যই ‘শূলে চড়াব।
Sahih International:
[Pharaoh] said, "You believed Moses before I gave you permission. Indeed, he is your leader who has taught you magic, but you are going to know. I will surely cut off your hands and your feet on opposite sides, and I will surely crucify you all."



قَالُوْا لَا ضَیْرَ ۫ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا مُنْقَلِبُوْنَ ﴿ۚ۵۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলা-দাইরা ইন্নাইলা-রাব্বিনা- মুনকালিবূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘কোন ক্ষতি নেই তাতে। অবশ্যই আমরা তো আমাদের রবের দিকেই ফিরে যাব।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- কোনই ক্ষতি নেই, আমরা আমাদের প্রতিপালকের পানে প্রত্যাবর্তন করব।
Sahih International:
They said, "No harm. Indeed, to our Lord we will return.



اِنَّا نَطْمَعُ اَنْ یَّغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطٰیٰنَاۤ اَنْ کُنَّاۤ اَوَّلَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿ؕ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-নাতমা‘উ আইঁ ইউগফিরালানা- রাব্বুনা- খাতাইয়া-নাআন কুন্না আওওয়ালাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
‘আমরা আশা করি যে, আমাদের রব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেবেন, কারণ আমরা মুমিনদের মধ্যে প্রথম।’
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের একমাত্র আশা এই যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করবেন, কারণ আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে প্রথম।’
Sahih International:
Indeed, we aspire that our Lord will forgive us our sins because we were the first of the believers."



وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَسْرِ بِعِبَادِیْۤ اِنَّکُمْ مُّتَّبَعُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আওহাইনাইলা-মূছাআন আছরিবি‘ইবা-দী ইন্নাকুম মুত্তাবা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর আমি মূসার প্রতি এ মর্মে ওহী পাঠিয়েছিলাম যে, ‘আমার বান্দাদের নিয়ে রাত্রিকালে যাত্রা শুরু কর, নিশ্চয়ই তোমাদের পিছু নেয়া হবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসাকে ওহীযোগে নির্দেশ দিলাম আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিকালে বের হয়ে যাও, নিশ্চয়ই তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
Sahih International:
And We inspired to Moses, "Travel by night with My servants; indeed, you will be pursued."



فَاَرْسَلَ فِرْعَوْنُ فِی الْمَدَآئِنِ حٰشِرِیْنَ ﴿ۚ۵۳﴾
উচ্চারণ:
ফাআরছালা ফির‘আওনুফিল মাদাইনি হা-শিরীন।
আল বায়ান:
অতঃপর ফির‘আউন নগরে- নগরে একত্রকারীদেরকে পাঠাল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ফেরাউন শহরে নগরে সংগ্রাহক পাঠিয়ে দিল।
Sahih International:
Then Pharaoh sent among the cities gatherers



اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ لَشِرْ ذِمَۃٌ قَلِیْلُوْنَ ﴿ۙ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হাউলাই লাশিরযিমাতুন কালীলূন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয়ই এরা তো ক্ষুদ্র একটি দল।’
তাইসিরুল কুরআন:
(এই ব’লে যে) এরা (বানী ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।
Sahih International:
[And said], "Indeed, those are but a small band,



وَ اِنَّهُمْ لَنَا لَغَآئِظُوْنَ ﴿ۙ۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহুম লানা-লাগাইজূ ন।
আল বায়ান:
‘আর এরা অবশ্যই আমাদের ক্রোধের উদ্রেক ঘটিয়েছে।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আমাদেরকে অবশ্যই ক্রোধান্বিত করেছে।
Sahih International:
And indeed, they are enraging us,



وَ اِنَّا لَجَمِیْعٌ حٰذِرُوْنَ ﴿ؕ۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না-লাজামী‘উন হা-যিরূন।
আল বায়ান:
‘আর আমরা সবাই তো যথেষ্ট সতর্ক।’
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমরা অবশ্যই সদা সতর্ক একটি দল।
Sahih International:
And indeed, we are a cautious society... "



فَاَخْرَجْنٰهُمْ مِّنْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿ۙ۵۷﴾
উচ্চারণ:
ফাআখরাজনা-হুম মিন জান্না-তিওঁ ওয়া ‘উয়ূন।
আল বায়ান:
তারপর আমি তাদেরকে উদ্যানমালা ও ঝর্ণাধারাসমূহ থেকে বের করে আনলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি ফেরাউন গোষ্ঠীকে (তাদের নিজেদেরই) উদ্যানরাজি আর ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিস্কার করলাম।
Sahih International:
So We removed them from gardens and springs



وَّ کُنُوْزٍ وَّ مَقَامٍ کَرِیْمٍ ﴿ۙ۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুনূযিওঁ ওয়া মাকা-মিন কারীম।
আল বায়ান:
আর ধনভান্ডার ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ধনভন্ডারসমূহ ও সম্মানজনক অবস্থান থেকে।
Sahih International:
And treasures and honorable station -



کَذٰلِکَ ؕ وَ اَوْرَثْنٰهَا بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ ﴿ؕ۵۹﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা ওয়া আওরাছনা-হা-বানীইছরাঈল।
আল বায়ান:
এরূপই এবং আমি বনী ইসরাঈলকে এসবের ওয়ারিস বানিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই ঘটেছিল, আমি বানী ইসরাঈলকে এসব কিছুর উত্তরাধিকারী করে দিয়েছিলাম।
Sahih International:
Thus. And We caused to inherit it the Children of Israel.



فَاَتْبَعُوْهُمْ مُّشْرِقِیْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআতবা‘ঊহুম মুশরিকীন।
আল বায়ান:
তারপর তারা সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে তাদের পিছু নিল।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তারা (অর্থাৎ ফেরাউন গোষ্ঠী) সূর্যোদয়কালে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল।
Sahih International:
So they pursued them at sunrise.



فَلَمَّا تَرَآءَ الْجَمْعٰنِ قَالَ اَصْحٰبُ مُوْسٰۤی اِنَّا لَمُدْرَکُوْنَ ﴿ۚ۶۱﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-তারাআল জাম‘আ-নি কা-লা আসহা-বুমূছাইন্না-লামুদরাকূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সাথীরা বলল, অবশ্যই ‘আমরা ধরা পড়ে গেলাম!’
তাইসিরুল কুরআন:
যখন দু‘দল পরস্পরকে দেখল তখন মূসার সঙ্গীরা বলল- ‘আমরা তো ধরা পড়েই গেলাম।’
Sahih International:
And when the two companies saw one another, the companions of Moses said, "Indeed, we are to be overtaken!"



قَالَ کَلَّا ۚ اِنَّ مَعِیَ رَبِّیْ سَیَهْدِیْنِ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কাল্লা- ইন্না মা‘ইয়া রাববী ছাইয়াহদীন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘কক্ষনো নয়; আমার সাথে আমার রব রয়েছেন। নিশ্চয় অচিরেই তিনি আমাকে পথনির্দেশ দেবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল- ‘কক্ষনো না, আমার রব আমার সঙ্গে আছেন, শীঘ্রই তিনি আমাকে পথ নির্দেশ করবেন।
Sahih International:
[Moses] said, "No! Indeed, with me is my Lord; He will guide me."



فَاَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنِ اضْرِبْ بِّعَصَاکَ الْبَحْرَ ؕ فَانْفَلَقَ فَکَانَ کُلُّ فِرْقٍ کَالطَّوْدِ الْعَظِیْمِ ﴿ۚ۶۳﴾
উচ্চারণ:
ফাআওহাইনাইলা-মূছাআনিদরিব বি‘আসাকাল বাহ রা ফানফালাকা ফাকা-না কুল্লু ফিরকিন কাততাওদিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি মূসার প্রতি ওহী পাঠালাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত কর।’ ফলে তা বিভক্ত হয়ে গেল। তারপর প্রত্যেক ভাগ বিশাল পাহাড়সদৃশ হয়ে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি মূসার প্রতি ওয়াহী করলাম- ‘তোমার লাঠি দিয়ে সমুদ্রে আঘাত কর।’ ফলে তা বিভক্ত হয়ে প্রত্যেক ভাগ সুবিশাল পর্বতের ন্যায় হয়ে গেল।
Sahih International:
Then We inspired to Moses, "Strike with your staff the sea," and it parted, and each portion was like a great towering mountain.



وَ اَزْلَفْنَا ثَمَّ الْاٰخَرِیْنَ ﴿ۚ۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আযলাফনা-ছাম্মাল আ-খারীন।
আল বায়ান:
আর আমি অপর দলটিকে সেই জায়গায় নিকটবর্তী করলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সেখানে অপর দলটিকে পৌছে দিলাম।
Sahih International:
And We advanced thereto the pursuers.



وَ اَنْجَیْنَا مُوْسٰی وَ مَنْ مَّعَهٗۤ اَجْمَعِیْنَ ﴿ۚ۶۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনজাইনা-মূছা-ওয়ামাম মা‘আহূআজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
আর আমি মূসা ও তার সাথে যারা ছিল সকলকে উদ্ধার করলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
আর মূসা ও তার সঙ্গী সবাইকে উদ্ধার করলাম।
Sahih International:
And We saved Moses and those with him, all together.



ثُمَّ اَغْرَقْنَا الْاٰخَرِیْنَ ﴿ؕ۶۶﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আগরাকনাল আ-খারীন।
আল বায়ান:
তারপর অপর দলটিকে ডুবিয়ে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর অপর দলটিকে ডুবিয়ে মারলাম।
Sahih International:
Then We drowned the others.



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکْثَرُهُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এর মধ্যে রয়েছে নিদর্শন। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
Sahih International:
Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.



وَ اتْلُ عَلَیْهِمْ نَبَاَ اِبْرٰهِیْمَ ﴿ۘ۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াতলু‘আলাইহিম নাবাআ ইবরা-হীম।
আল বায়ান:
আর তুমি তাদের নিকট ইবরাহীমের ঘটনা বর্ণনা কর,
তাইসিরুল কুরআন:
ওদেরকে ইবরাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দাও।
Sahih International:
And recite to them the news of Abraham,



اِذْ قَالَ لِاَبِیْهِ وَ قَوْمِهٖ مَا تَعْبُدُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লিআবীহি ওয়া কাওমিহী মা-তা‘বুদূন।
আল বায়ান:
যখন সে তার পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা কিসের ইবাদাত কর?’
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বলেছিল- ‘তোমরা কিসের ইবাদত কর?’
Sahih International:
When he said to his father and his people, "What do you worship?"



قَالُوْا نَعْبُدُ اَصْنَامًا فَنَظَلُّ لَهَا عٰکِفِیْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূনা‘বুদুআসনা-মান ফানাজালুল লাহা -‘আ-কিফীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা মূর্তির পূজা করি। অতঃপর এগুলোর পূজায় আমরা নিষ্ঠার সাথে রত থাকি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলেছিল- ‘আমরা মূর্তির পূজা করি, আর আমরা সদা সর্বদা তাদেরকে আঁকড়ে থাকি।’
Sahih International:
They said, "We worship idols and remain to them devoted."



قَالَ هَلْ یَسْمَعُوْنَکُمْ اِذْ تَدْعُوْنَ ﴿ۙ۷۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হাল ইয়াছমা‘উনাকুম ইযতাদ‘ঊন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘যখন তোমরা ডাক তখন তারা কি তোমাদের সে ডাক শুনতে পায়?’
তাইসিরুল কুরআন:
ইবরাহীম বলল- ‘তোমরা যখন (তাদেরকে) ডাক তখন কি তারা তোমাদের কথা শোনে?
Sahih International:
He said, "Do they hear you when you supplicate?



اَوْ یَنْفَعُوْنَکُمْ اَوْ یَضُرُّوْنَ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
আও ইয়ানফা‘ঊনাকুম আও ইয়াদুররূন।
আল বায়ান:
‘অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে’?
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা তোমাদের উপকার করে অথবা অপকার?’
Sahih International:
Or do they benefit you, or do they harm?"



قَالُوْا بَلْ وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا کَذٰلِکَ یَفْعَلُوْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লূবাল ওয়া জাদনাআ-বাআনা-কাযা-লিকা ইয়াফ‘আলূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছি, তারা এরূপই করত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘না তবে আমরা আমাদের পিতৃদেরকে এরকম করতে দেখেছি।’
Sahih International:
They said, "But we found our fathers doing thus."



قَالَ اَفَرَءَیْتُمْ مَّا کُنْتُمْ تَعْبُدُوْنَ ﴿ۙ۷۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আফারাআইতুম মা-কুনতুম তা‘বুদূন।
আল বায়ান:
ইবরাহীম বলল, ‘তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, তোমরা যাদের পূজা কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল-তোমরা কি ভেবে দেখেছ তোমরা কিসের পূজা করে যাচ্ছ?
Sahih International:
He said, "Then do you see what you have been worshipping,



اَنْتُمْ وَ اٰبَآؤُکُمُ الْاَقْدَمُوْنَ ﴿۫ۖ۷۶﴾
উচ্চারণ:
আনতুম ওয়া আ-বাউকুমুল আকদামূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা এবং তোমাদের অতীত পিতৃপুরুষেরা?’
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আর তোমাদের আগের পিতৃপুরুষরা?
Sahih International:
You and your ancient forefathers?



فَاِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِّیْۤ اِلَّا رَبَّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿ۙ۷۷﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নাহুম ‘আদুওউললী ইল্লা-রাব্বাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
‘সকল সৃষ্টির রব ছাড়া অবশ্যই তারা আমার শত্রু’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা সবাই আমার শত্রু, বিশ্বজগতের পালনকর্তা ছাড়া।
Sahih International:
Indeed, they are enemies to me, except the Lord of the worlds,



الَّذِیْ خَلَقَنِیْ فَهُوَ یَهْدِیْنِ ﴿ۙ۷۸﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী খালাকানী ফাহুওয়া ইয়াহদীন।
আল বায়ান:
‘যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনিই আমাকে হিদায়াত দিয়েছেন।’
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তিনিই আমাকে পথ দেখান।
Sahih International:
Who created me, and He [it is who] guides me.



وَ الَّذِیْ هُوَ یُطْعِمُنِیْ وَ یَسْقِیْنِ ﴿ۙ۷۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযী হুওয়া ইউত‘ইমুনী ওয়া ইয়াছকীন।
আল বায়ান:
‘আর যিনি আমাকে খাওয়ান এবং পান করান’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তিনিই আমাকে খাওয়ান ও পান করান।
Sahih International:
And it is He who feeds me and gives me drink.



وَ اِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ یَشْفِیْنِ ﴿۪ۙ۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-মারিদতুফাহুওয়া ইয়াশফীন।
আল বায়ান:
‘আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন যিনি আমাকে আরোগ্য করেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি যখন পীড়িত হই তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য করেন।
Sahih International:
And when I am ill, it is He who cures me



وَ الَّذِیْ یُمِیْتُنِیْ ثُمَّ یُحْیِیْنِ ﴿ۙ۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযী ইউমীতুনী ছুম্মা ইউহঈন।
আল বায়ান:
‘আর যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন তারপর আমাকে জীবিত করবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, পুনরায় আমাকে জীবিত করবেন।
Sahih International:
And who will cause me to die and then bring me to life



وَ الَّذِیْۤ اَطْمَعُ اَنْ یَّغْفِرَ لِیْ خَطِیْٓئَتِیْ یَوْمَ الدِّیْنِ ﴿ؕ۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীআতমা‘উ আইঁ ইয়াগফিরালী খাতীআতী ইয়াওমাদ দীন।
আল বায়ান:
‘আর যিনি আশা করি, বিচার দিবসে আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যিনি, আমি আশা করি- কিয়ামাতের দিন আমার দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন।
Sahih International:
And who I aspire that He will forgive me my sin on the Day of Recompense."



رَبِّ هَبْ لِیْ حُکْمًا وَّ اَلْحِقْنِیْ بِالصّٰلِحِیْنَ ﴿ۙ۸۳﴾
উচ্চারণ:
রাব্বি হাবলী হুকমাওঁ ওয়া আল হিকনী বিসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
‘হে আমার রব, আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে শামিল করে দিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অর্ন্তভুক্ত কর।
Sahih International:
[And he said], "My Lord, grant me authority and join me with the righteous.



وَ اجْعَلْ لِّیْ لِسَانَ صِدْقٍ فِی الْاٰخِرِیْنَ ﴿ۙ۸۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াজ‘আললী লিছা-না সিদকিন ফিল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
‘এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমার সুনাম-সুখ্যাতি অব্যাহত রাখুন’,
তাইসিরুল কুরআন:
এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর।
Sahih International:
And grant me a reputation of honor among later generations.



وَ اجْعَلْنِیْ مِنْ وَّرَثَۃِ جَنَّۃِ النَّعِیْمِ ﴿ۙ۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াজ‘আলনী মিওঁ ওয়ারাছাতি জান্নাতিন না‘ঈম।
আল বায়ান:
‘আর আপনি আমাকে সুখময় জান্নাতের ওয়ারিসদের অন্তর্ভুক্ত করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং আমাকে নি‘য়ামাতপূর্ণ জান্নাতের উত্তরাধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর।
Sahih International:
And place me among the inheritors of the Garden of Pleasure.



وَ اغْفِرْ لِاَبِیْۤ اِنَّهٗ کَانَ مِنَ الضَّآلِّیْنَ ﴿ۙ۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াগফির লিআবী ইন্নাহূকা-না মিনাদ্দাল্লীন,
আল বায়ান:
‘আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি আমার পিতাকে ক্ষমা কর, তিনি তো গুমরাহদের অর্ন্তভুক্ত।
Sahih International:
And forgive my father. Indeed, he has been of those astray.



وَ لَا تُخْزِنِیْ یَوْمَ یُبْعَثُوْنَ ﴿ۙ۸۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তুখযিনী ইয়াওমা ইউব‘আছূন।
আল বায়ান:
‘আর যেদিন পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না’।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং পুনরুত্থান দিবসে আমাকে অপমানিত করো না।
Sahih International:
And do not disgrace me on the Day they are [all] resurrected -



یَوْمَ لَا یَنْفَعُ مَالٌ وَّ لَا بَنُوْنَ ﴿ۙ۸۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা লা-ইয়ানফা‘উ মা-লুওঁ ওয়ালা-বানূন।
আল বায়ান:
‘যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি কোন কাজে আসবে না।
Sahih International:
The Day when there will not benefit [anyone] wealth or children



اِلَّا مَنْ اَتَی اللّٰهَ بِقَلْبٍ سَلِیْمٍ ﴿ؕ۸۹﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মান আতাল্লা-হা বিকালবিন ছালীম।
আল বায়ান:
‘তবে যে আল্লাহর কাছে আসবে সুস্থ অন্তরে’।
তাইসিরুল কুরআন:
কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে।
Sahih International:
But only one who comes to Allah with a sound heart."



وَ اُزْلِفَتِ الْجَنَّۃُ لِلْمُتَّقِیْنَ ﴿ۙ۹۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উযলিফাতিল জান্নাতুলিলমুত্তাকীন।
আল বায়ান:
আর মুত্তাকীদের জন্য জান্নাত নিকটবর্তী করা হবে,
তাইসিরুল কুরআন:
আর জান্নাতকে মুত্তাকীদের নিকটবর্তী করা হবে।
Sahih International:
And Paradise will be brought near [that Day] to the righteous.



وَ بُرِّزَتِ الْجَحِیْمُ لِلْغٰوِیْنَ ﴿ۙ۹۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বুররিযাতিল জাহীমুলিলগা-বীন।
আল বায়ান:
এবং পথভ্রষ্টকারীদের জন্য জাহান্নাম উন্মোচিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং পথভ্রষ্টদের সম্মুখে জাহান্নামকে উন্মোচিত করা হবে।
Sahih International:
And Hellfire will be brought forth for the deviators,



وَ قِیْلَ لَهُمْ اَیْنَمَا کُنْتُمْ تَعْبُدُوْنَ ﴿ۙ۹۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকীলা লাহুম আইনামা-কুনতুম তা‘বুদূন।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে বলা হবে, ‘তারা কোথায় যাদের তোমরা ইবাদাত করতে’?
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যার ‘ইবাদাত করতে তারা কোথায়
Sahih International:
And it will be said to them, "Where are those you used to worship



مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ هَلْ یَنْصُرُوْنَکُمْ اَوْ یَنْتَصِرُوْنَ ﴿ؕ۹۳﴾
উচ্চারণ:
মিন দূ নিল্লাহি হাল ইয়ানসুরূনাকুম আও ইয়ানতাসিরূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ ছাড়া? তারা কি তোমাদেরকে সাহায্য করছে, না নিজেদের সাহায্য করতে পারছে?
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহকে বাদ দিয়ে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে কিংবা তাদের নিজেদেরকে সাহায্য করতে পারে?
Sahih International:
Other than Allah? Can they help you or help themselves?"



فَکُبْکِبُوْا فِیْهَا هُمْ وَ الْغَاوٗنَ ﴿ۙ۹۴﴾
উচ্চারণ:
ফাকুবকিবূফীহা-হুম ওয়ালগা-ঊন।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টকারীদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে,
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদেরকে ও পথভ্রষ্টদেরকে জাহান্নামে মুখের ভরে নিক্ষেপ করা হবে।
Sahih International:
So they will be overturned into Hellfire, they and the deviators



وَ جُنُوْدُ اِبْلِیْسَ اَجْمَعُوْنَ ﴿ؕ۹۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াজুনূদুইবলীছা আজমা‘উন।
আল বায়ান:
আর ইবলীসের সকল সৈন্যবাহিনীকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ইবলীসের দলবল সবাইকে।
Sahih International:
And the soldiers of Iblees, all together.



قَالُوْا وَ هُمْ فِیْهَا یَخْتَصِمُوْنَ ﴿ۙ۹۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লূওয়া হুম ফীহা-ইয়াখতাসিমূন।
আল বায়ান:
সেখানে পরস্পর ঝগড়া করতে গিয়ে তারা বলবে,
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা বিতর্কে লিপ্ত হয়ে বলবে,
Sahih International:
They will say while they dispute therein,



تَاللّٰهِ اِنْ کُنَّا لَفِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿ۙ۹۷﴾
উচ্চারণ:
তাল্লা-হি ইন কুন্না-লাফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
আল্লাহর কসম! আমরা তো সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত ছিলাম',
তাইসিরুল কুরআন:
‘আল্লাহর কসম! আমরা অবশ্য স্পষ্ট গুমরাহীতে ছিলাম।
Sahih International:
"By Allah, we were indeed in manifest error



اِذْ نُسَوِّیْکُمْ بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ইযনুছাওবীকুম বিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
‘যখন আমরা তোমাদেরকে সকল সৃষ্টির রবের সমকক্ষ বানাতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন আমরা তোমাদেরকে সর্বজগতের পালনকর্তার সমকক্ষ স্থির করতাম।
Sahih International:
When we equated you with the Lord of the worlds.



وَ مَاۤ اَضَلَّنَاۤ اِلَّا الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআদাল্লানাইল্লাল মুজরিমূন।
আল বায়ান:
‘আর অপরাধীরাই শুধু আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল’;
তাইসিরুল কুরআন:
অপরাধীরাই আমাদেরকে গোমরাহ্ করেছিল।
Sahih International:
And no one misguided us except the criminals.



فَمَا لَنَا مِنْ شَافِعِیْنَ ﴿۱۰۰﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফামা-লানা-মিন শা-ফি‘ঈন।
আল বায়ান:
‘অতএব, আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই।
Sahih International:
So now we have no intercessors



وَ لَا صَدِیْقٍ حَمِیْمٍ ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা সাদীকিন হামীম।
আল বায়ান:
‘এবং কোন অন্তরঙ্গ বন্ধুও নেই’।
তাইসিরুল কুরআন:
একজন অন্তরঙ্গ বন্ধুও নেই।
Sahih International:
And not a devoted friend.



فَلَوْ اَنَّ لَنَا کَرَّۃً فَنَکُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
ফালাও আন্না লানা-কাররাতান ফানাকূনা মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
‘হায়, আমাদের যদি আরেকটি সুযোগ হত, তবে আমরা মুমিনদের অর্ন্তভুক্ত হতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের যদি একটিবার পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তাহলে আমরা মু’মিনদের অর্ন্তভুক্ত হয়ে যেতাম।
Sahih International:
Then if we only had a return [to the world] and could be of the believers... "



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکْثَرُهُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۱۰۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন, আর তাদের অধিকাংশ মুমিন নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ঈমান আনে না।
Sahih International:
Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক, তিনি অবশ্যই মহা পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
Sahih International:
And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.



کَذَّبَتْ قَوْمُ نُوْحِۣ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۰۵﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
কাযযাবাত কাওমুনূহিনিল মুরছালীন।
আল বায়ান:
নূহ-এর কওম রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
নূহের কওম রসুলগণকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখান করেছিল।
Sahih International:
The people of Noah denied the messengers



اِذْ قَالَ لَهُمْ اَخُوْهُمْ نُوْحٌ اَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۱۰۶﴾ۚ
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লাহুম আখূহুম নূহুন ‘আলা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
যখন তাদের ভাই নূহ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি ভয় করবে না (আল্লাহকে)?
Sahih International:
When their brother Noah said to them, "Will you not fear Allah?



اِنِّیْ لَکُمْ رَسُوْلٌ اَمِیْنٌ ﴿۱۰۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসূল’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রাসুল।
Sahih International:
Indeed, I am to you a trustworthy messenger.



فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۰۸﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমার অনুসরণ কর।
Sahih International:
So fear Allah and obey me.



وَ مَاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ مِنْ اَجْرٍ ۚ اِنْ اَجْرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۰۹﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আল বায়ান:
‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান শুধু সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তার জন্য তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান একমাত্র বিশ্বজগতের প্রতিপালকের কাছেই আছে।’
Sahih International:
And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.



فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۱۰﴾ؕ
উচ্চারণ:
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়াআতী‘ঊন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর।
Sahih International:
So fear Allah and obey me."



قَالُوْۤا اَنُؤْمِنُ لَکَ وَ اتَّبَعَکَ الْاَرْذَلُوْنَ ﴿۱۱۱﴾ؕ
উচ্চারণ:
কা-লূআনু’মিনুলাকা ওয়াত্তাবা‘আকাল আরযালূন।
আল বায়ান:
‘তারা বলল, ‘আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব, অথচ নিম্নশ্রেণীর লোকেরা তোমাকে অনুসরণ করছে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস করব যখন তোমার অনুসরণ করছে একেবারে নিম্নশ্রেণীর লোকেরা।’
Sahih International:
They said, "Should we believe you while you are followed by the lowest [class of people]?"



قَالَ وَ مَا عِلْمِیْ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۲﴾ۚ
উচ্চারণ:
কা-লা ওয়ামা-‘ইলমী বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
নূহ বলল, ‘তারা কি করে তা জানা আমার কী প্রয়োজন’?
তাইসিরুল কুরআন:
নূহ বলল- ‘তারা কী করত সেটা আমার জানা নেই।
Sahih International:
He said, "And what is my knowledge of what they used to do?



اِنْ حِسَابُهُمْ اِلَّا عَلٰی رَبِّیْ لَوْ تَشْعُرُوْنَ ﴿۱۱۳﴾ۚ
উচ্চারণ:
ইন হিছা-বুহুম ইল্লা-‘আলা-রাববী লাও তাশ‘উরূন।
আল বায়ান:
‘তাদের হিসাব গ্রহণ তো কেবল আমার রবের দায়িত্বে, যদি তোমরা জানতে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের হিসাব নেয়া তো আমার প্রতিপালকের কাজ, যদি তোমরা বুঝতে!
Sahih International:
Their account is only upon my Lord, if you [could] perceive.



وَ مَاۤ اَنَا بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۱۴﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়ামাআনা বিতা-রিদিল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
‘আর আমি তো মুমিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়ার নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয়।
Sahih International:
And I am not one to drive away the believers.



اِنْ اَنَا اِلَّا نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۱۱۵﴾ؕ
উচ্চারণ:
ইন আনা ইল্লা-নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
‘আমি তো কেবল সুস্পষ্ট সতর্ককারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।’
Sahih International:
I am only a clear warner."



قَالُوْا لَئِنْ لَّمْ تَنْتَهِ یٰنُوْحُ لَتَکُوْنَنَّ مِنَ الْمَرْجُوْمِیْنَ ﴿۱۱۶﴾ؕ
উচ্চারণ:
কা-লূলাইল্লাম তানতাহি ইয়া-নূহুলাতাকূনান্না মিনাল মারজূমীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে নূহ, তুমি যদি বিরত না হও তবে অবশ্যই তুমি প্রস্তরাঘাতে নিহতদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘হে নূহ! তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে।’
Sahih International:
They said, "If you do not desist, O Noah, you will surely be of those who are stoned."



قَالَ رَبِّ اِنَّ قَوْمِیْ کَذَّبُوْنِ ﴿۱۱۷﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি ইন্না কাওমী কাযযাবূন।
আল বায়ান:
নূহ বলল, ‘হে আমার রব, আমার কওম আমাকে অস্বীকার করেছে’;
তাইসিরুল কুরআন:
নূহ বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় আমাকে প্রত্যাখান করছে।
Sahih International:
He said, "My Lord, indeed my people have denied me.



فَافْتَحْ بَیْنِیْ وَ بَیْنَهُمْ فَتْحًا وَّ نَجِّنِیْ وَ مَنْ مَّعِیَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۱۸﴾
উচ্চারণ:
ফাফতাহবাইনী ওয়া বাইনাহুম ফাতহাও ওয়া নাজজিনী ওয়ামাম মা‘ইয়া মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং আপনি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন আর আমাকে ও আমার সাথে যেসব মুমিন, আছে তাদেরকে রক্ষা করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা ক’রে দাও, আর আমাকে ও আমার সঙ্গী মু’মিনদেরকে ক্ষমা কর।’
Sahih International:
Then judge between me and them with decisive judgement and save me and those with me of the believers."



فَاَنْجَیْنٰهُ وَ مَنْ مَّعَهٗ فِی الْفُلْکِ الْمَشْحُوْنِ ﴿۱۱۹﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাআনজাইনা-হু ওয়ামাম মা‘আহূফিল ফুলকিল মাশহূন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তাকে এবং তার সাথে যারা বোঝাই নৌকায় ছিল তাদেরকে নাজাত দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে ও তার সঙ্গে যারা ছিল তাদেরকে বোঝাই নৌযানে রক্ষা করলাম।
Sahih International:
So We saved him and those with him in the laden ship.



ثُمَّ اَغْرَقْنَا بَعْدُ الْبٰقِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ؕ
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আগরাকনা-বা‘দুল বা-কীন।
আল বায়ান:
তারপর বাকীদের ডুবিয়ে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর অবশিষ্ট সবাইকে ডুবিয়ে দিলাম।
Sahih International:
Then We drowned thereafter the remaining ones.



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکْثَرُهُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۱۲۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন, আর তাদের বেশীর ভাগ মুমিন ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Sahih International:
Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক, অবশ্যই তিনি প্রবল পরাক্রান্ত, পরম দয়ালু।
Sahih International:
And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.



کَذَّبَتْ عَادُۨ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۲۳﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
কাযযাবাত ‘আ-দুনিল মুরছালীন।
আল বায়ান:
‘আদ জাতি রাসূলগণকে অস্বীকার করেছিল,
তাইসিরুল কুরআন:
‘আদ সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যে সাব্যস্ত করেছিল।
Sahih International:
'Aad denied the messengers



اِذْ قَالَ لَهُمْ اَخُوْهُمْ هُوْدٌ اَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۱۲۴﴾ۚ
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লাহুম আখূহুম হূদুন ‘আলা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বলল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
Sahih International:
When their brother Hud said to them, "Will you not fear Allah?



اِنِّیْ لَکُمْ رَسُوْلٌ اَمِیْنٌ ﴿۱۲۵﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসূল’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) এক বিশ্বস্ত রসুল।
Sahih International:
Indeed, I am to you a trustworthy messenger.



فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۲۶﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়াআতী‘ঊন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।
Sahih International:
So fear Allah and obey me.



وَ مَاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ مِنْ اَجْرٍ ۚ اِنْ اَجْرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۷﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আল বায়ান:
‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এ জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান আছে কেবল বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট।
Sahih International:
And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.



اَتَبْنُوْنَ بِکُلِّ رِیْعٍ اٰیَۃً تَعْبَثُوْنَ ﴿۱۲۸﴾
উচ্চারণ:
আতাবনূনা বিকুল্লি রী‘ইন আ-য়াতান তা‘বাছূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা কি প্রতিটি উঁচু স্থানে বেহুদা স্তম্ভ নির্মাণ করছ’?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অনর্থক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছ?
Sahih International:
Do you construct on every elevation a sign, amusing yourselves,



وَ تَتَّخِذُوْنَ مَصَانِعَ لَعَلَّکُمْ تَخْلُدُوْنَ ﴿۱۲۹﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া তাত্তাখিযূনা মাসা-নি‘আ লা‘আল্লাকুম তাখলুদূন।
আল বায়ান:
‘আর তোমরা সুদৃঢ় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা স্থায়ী হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ. যেন তোমরা চিরদিন থাকবে?
Sahih International:
And take for yourselves palaces and fortresses that you might abide eternally?



وَ اِذَا بَطَشْتُمْ بَطَشْتُمْ جَبَّارِیْنَ ﴿۱۳۰﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-বাতাশতুম বাতাশতুম জাব্বা-রীন।
আল বায়ান:
‘আর তোমরা যখন কাউকে পাকড়াও কর, পাকড়াও কর স্বেচ্ছাচারী হয়ে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যখন তোমরা (দুর্বল শ্রেণীর লোকদের উপর) আঘাত হান, তখন আঘাত হান নিষ্ঠুর মালিকের মত।
Sahih International:
And when you strike, you strike as tyrants.



فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۳۱﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে অনুসরণ কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।
Sahih International:
So fear Allah and obey me.



وَ اتَّقُوا الَّذِیْۤ اَمَدَّکُمْ بِمَا تَعْلَمُوْنَ ﴿۱۳۲﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাকুল্লাযী আমাদ্দাকুম বিমা-তা‘লামূন।
আল বায়ান:
'আর তাঁকে ভয় কর যিনি তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন এমন কিছু দিয়ে, যা তোমরা জান'।
তাইসিরুল কুরআন:
ভয় কর তাঁকে যিনি তোমাদেরকে যাবতীয় বস্তু দান করেছেন যা তোমাদের জানা আছে।
Sahih International:
And fear He who provided you with that which you know,



اَمَدَّکُمْ بِاَنْعَامٍ وَّ بَنِیْنَ ﴿۱۳۳﴾ۚۙ
উচ্চারণ:
আমাদ্দাকুম বিআন‘আ-মিওঁ ওয়াবানীন।
আল বায়ান:
‘তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন চতুষ্পদ জন্তু ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা’,
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি তোমাদেরকে দান করেছেন গবাদি পশু ও সন্তান-সন্তুতি।
Sahih International:
Provided you with grazing livestock and children



وَ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿۱۳۴﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া জান্নাতিওঁ ওয়া ‘উইয়ূন।
আল বায়ান:
‘আর উদ্যান ও ঝর্ণা দ্বারা’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর উদ্যানরাজি ও ঝর্ণাসমূহ।
Sahih International:
And gardens and springs.



اِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْکُمْ عَذَابَ یَوْمٍ عَظِیْمٍ ﴿۱۳۵﴾ؕ
উচ্চারণ:
ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর এক মহাদিবসের আযাবের ভয় করছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের জন্য মহা দিবসের শাস্তির ভয় করছি।’
Sahih International:
Indeed, I fear for you the punishment of a terrible day."



قَالُوْا سَوَآءٌ عَلَیْنَاۤ اَوَ عَظْتَ اَمْ لَمْ تَکُنْ مِّنَ الْوٰعِظِیْنَ ﴿۱۳۶﴾ۙ
উচ্চারণ:
কা-লূছাওয়াউন ‘আলাইনা আওয়া ‘আজতা আম লাম তাকুম মিনাল ওয়া‘ইজীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তুমি আমাদের উপদেশ দাও অথবা না দাও, উভয়ই আমাদের জন্য সমান’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘তুমি নসীহত কর আর না কর, আমাদের জন্য দু’ই সমান।
Sahih International:
They said, "It is all the same to us whether you advise or are not of the advisors.



اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا خُلُقُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۳۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন হা-যাইল্লা-খুলুকুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
‘এটি তো পূর্ববর্তীদেরই চরিত্র,।
তাইসিরুল কুরআন:
এসব (কথাবার্তা বলা) পূর্ববর্তী লোকেদের অভ্যাস ছাড়া আর অন্য কিছুই না।
Sahih International:
This is not but the custom of the former peoples,



وَ مَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِیْنَ ﴿۱۳۸﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়ামা-নাহনুবিমু‘আযযাবীন।
আল বায়ান:
‘আর আমরা আযাবপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হব না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে না।’
Sahih International:
And we are not to be punished."



فَکَذَّبُوْهُ فَاَهْلَکْنٰهُمْ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکْثَرُهُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۱۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাকাযযাবূহু ফাআহলাকনা-হুম ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাও ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করল, ফলে তাদেরকে আমি ধ্বংস করে দিলাম; নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশ মুমিন ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখ্যান করল। তখন আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিলাম। অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
Sahih International:
And they denied him, so We destroyed them. Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং তোমার প্রতিপালক, তিনি মহা প্রতাপশালী, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.



کَذَّبَتْ ثَمُوْدُ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۴۱﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
কাযযাবাত ছামূদুল মুরছালীন।
আল বায়ান:
সামূদ জাতি রাসুলদেরকে অস্বীকার করেছিল,
তাইসিরুল কুরআন:
সামূদ জাতি রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
Sahih International:
Thamud denied the messengers



اِذْ قَالَ لَهُمْ اَخُوْهُمْ صٰلِحٌ اَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۱۴۲﴾ۚ
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লাহুম আখূহুম সা-লিহুন ‘আলা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
যখন তাদের ভাই সালিহ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তাদের ভাই সালিহ তাদেরকে বলেছিল- তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
Sahih International:
When their brother Salih said to them, "Will you not fear Allah?



اِنِّیْ لَکُمْ رَسُوْلٌ اَمِیْنٌ ﴿۱۴۳﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’;
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রসূল।
Sahih International:
Indeed, I am to you a trustworthy messenger.



فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۴۴﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমাকে মান্য কর।
Sahih International:
So fear Allah and obey me.



وَ مَاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ مِنْ اَجْرٍ ۚ اِنْ اَجْرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۴۵﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আল বায়ান:
‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এজন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো আছে একমাত্র বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট।
Sahih International:
And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.



اَتُتْرَکُوْنَ فِیْ مَا هٰهُنَاۤ اٰمِنِیْنَ ﴿۱۴۶﴾ۙ
উচ্চারণ:
আতুতরাকূনা ফী মা-হা-হুনাআ-মিনীন।
আল বায়ান:
‘তোমাদেরকে কি এখানে যা আছে তাতে নিরাপদে ছেড়ে দেয়া হবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদেরকে কি এখানে যে সব (ভোগ বিলাস) আছে তাতেই নিরাপদে রেখে দেয়া হবে?
Sahih International:
Will you be left in what is here, secure [from death],



فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿۱۴۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফী জান্না-তিওঁ ওয়া ‘উইয়ূন।
আল বায়ান:
‘উদ্যান ও ঝর্ণায়’,
তাইসিরুল কুরআন:
উদ্যানরাজি আর ঝার্ণাসমূহে।
Sahih International:
Within gardens and springs



وَّ زُرُوْعٍ وَّ نَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِیْمٌ ﴿۱۴۸﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া যুরূ‘ইওঁ ওয়া নাখলিন তাল‘উহা-হাদীম।
আল বায়ান:
‘আর ক্ষেত-খামার ও কোমল শীষবিশিষ্ট খেজুর বাগানে’?
তাইসিরুল কুরআন:
আর শষ্যক্ষেতে ও ফুলে আচ্ছাদিত (ফলে ভারাক্রান্ত) খেজুর বাগানে?
Sahih International:
And fields of crops and palm trees with softened fruit?



وَ تَنْحِتُوْنَ مِنَ الْجِبَالِ بُیُوْتًا فٰرِهِیْنَ ﴿۱۴۹﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া তানহিতূনা মিনাল জিবা-লি বুঊতান ফা-রিহীন।
আল বায়ান:
‘আর তোমরা নৈপুণ্যের সাথে পাহাড় কেটে বাড়ী নির্মাণ করছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং তোমরা দক্ষতার সাথে পাহাড় কেটে গৃহ নির্মাণ করছ।
Sahih International:
And you carve out of the mountains, homes, with skill.



فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۵۰﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমাকে মান্য কর।
Sahih International:
So fear Allah and obey me.



وَ لَا تُطِیْعُوْۤا اَمْرَ الْمُسْرِفِیْنَ ﴿۱۵۱﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তুতী‘ঊআমরাল মুছরিফীন।
আল বায়ান:
‘এবং সীমালংঘনকারীদের নির্দেশের আনুগত্য করো না’-
তাইসিরুল কুরআন:
এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের নির্দেশ মান্য কর না।
Sahih International:
And do not obey the order of the transgressors,



الَّذِیْنَ یُفْسِدُوْنَ فِی الْاَرْضِ وَ لَا یُصْلِحُوْنَ ﴿۱۵۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইউফছিদূনা ফিল আরদিওয়ালা-ইউসলিহূন।
আল বায়ান:
‘যারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, সংস্কার করে না।’
Sahih International:
Who cause corruption in the land and do not amend."



قَالُوْۤا اِنَّمَاۤ اَنْتَ مِنَ الْمُسَحَّرِیْنَ ﴿۱۵۳﴾ۚ
উচ্চারণ:
কা-লূইন্নামাআনতা মিনাল মুছাহহারীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তুমিতো যাদুগ্রস্তদের একজন।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘তুমি তো কেবল যাদুগ্রস্তদের একজন।
Sahih International:
They said, "You are only of those affected by magic.



مَاۤ اَنْتَ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا ۚۖ فَاْتِ بِاٰیَۃٍ اِنْ کُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۱۵۴﴾
উচ্চারণ:
মাআনতা ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা ফা’তি বিআয়া-তিন ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
‘তুমি তো কেবল আমাদের মত মানুষ, সুতরাং তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে কোন নিদর্শন নিয়ে এসো’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি আমাদের মত মানুষ ছাড়া আর কিছুই না। কাজেই তুমি সত্যবাদী হলে একটা নিদর্শন হাজির কর।
Sahih International:
You are but a man like ourselves, so bring a sign, if you should be of the truthful."



قَالَ هٰذِهٖ نَاقَۃٌ لَّهَا شِرْبٌ وَّ لَکُمْ شِرْبُ یَوْمٍ مَّعْلُوْمٍ ﴿۱۵۵﴾ۚ
উচ্চারণ:
কা-লা হা-যিহী না-কাতুল লাহা-শিরবুওঁ ওয়ালাকুম শিরবুইয়াওমিম মা‘লূম।
আল বায়ান:
সালিহ বলল, ‘এটি একটি উষ্ট্রী; তার জন্য পানি পানের পালা একদিন আর তোমাদের পানি পানের পালা আরেক নির্দিষ্ট দিনে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সালিহ বলল- ‘এই একটি উটনি, এর জন্য আছে পানি পানের পালা আর তোমাদের জন্য আছে পানি পানের পালা নির্ধারিত দিনে।
Sahih International:
He said, "This is a she-camel. For her is a [time of] drink, and for you is a [time of] drink, [each] on a known day.



وَ لَا تَمَسُّوْهَا بِسُوْٓءٍ فَیَاْخُذَکُمْ عَذَابُ یَوْمٍ عَظِیْمٍ ﴿۱۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তামাছছূহা-বিছূইন ফাইয়া’খুযাকুম ‘আযা-বুইয়াওমিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
‘আর তোমরা তাকে কোন অনিষ্ট কিছু করো না; যদি কর তবে এক মহাদিবসের আযাব তোমাদেরকে পেয়ে বসবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অনিষ্ট সাধনের নিমিত্তে তাকে স্পর্শ কর না, তাহলে তোমাদেরকে মহা দিবসের আযাব পাকড়াও করবে।
Sahih International:
And do not touch her with harm, lest you be seized by the punishment of a terrible day."



فَعَقَرُوْهَا فَاَصْبَحُوْا نٰدِمِیْنَ ﴿۱۵۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফা‘আকারূহা-ফাআছবাহূনা-দিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা সেটি জবেহ করল; ফলে তারা অনুতপ্ত হল।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা তাকে বধ করল, ফলে তারা অনুতপ্ত হল।
Sahih International:
But they hamstrung her and so became regretful.



فَاَخَذَهُمُ الْعَذَابُ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکْثَرُهُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۱۵۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআখাযাহুমুল ‘আযা-বু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ; ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
অতএব আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল, নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে, আর তাদের অধিকাংশ মুমিন ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
Sahih International:
And the punishment seized them. Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু্।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমার প্রতিপালক তিনি তো মহা পরাক্রমশালী, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.



کَذَّبَتْ قَوْمُ لُوْطِۣ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۶۰﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
কাযযাবাত কাওমুলূতিনিল মুরছালীন।
আল বায়ান:
লূতের সম্প্রদায় রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
লূতের সম্প্রদায় রসুলদেরকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
Sahih International:
The people of Lot denied the messengers



اِذْ قَالَ لَهُمْ اَخُوْهُمْ لُوْطٌ اَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۱۶۱﴾ۚ
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লাহুম আখূহুম লূতুন আলা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
যখন তাদেরকে তাদের ভাই লূত বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
Sahih International:
When their brother Lot said to them, "Will you not fear Allah?



اِنِّیْ لَکُمْ رَسُوْلٌ اَمِیْنٌ ﴿۱۶۲﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তো তোমাদের জন্য (প্রেরিত) একজন বিশ্বস্ত রসূল।
Sahih International:
Indeed, I am to you a trustworthy messenger.



فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۶۳﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমাকে মান্য কর।
Sahih International:
So fear Allah and obey me.



وَ مَاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ مِنْ اَجْرٍ ۚ اِنْ اَجْرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۶۴﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আল বায়ান:
‘আর আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এজন্য তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান একমাত্র জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে।
Sahih International:
And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.



اَتَاْتُوْنَ الذُّکْرَانَ مِنَ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۶۵﴾ۙ
উচ্চারণ:
আতা’তূনাযযুকরা-না মিনাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
‘সৃষ্টিকুলের মধ্যে তোমরা কি কেবল পুরুষদের সাথে উপগত হও’?
তাইসিরুল কুরআন:
জগতের সকল প্রাণীর মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে উপগত হও,
Sahih International:
Do you approach males among the worlds



وَ تَذَرُوْنَ مَا خَلَقَ لَکُمْ رَبُّکُمْ مِّنْ اَزْوَاجِکُمْ ؕ بَلْ اَنْتُمْ قَوْمٌ عٰدُوْنَ ﴿۱۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাযারূনা মা-খালাকা লাকুম রাব্বুকুম মিন আযওয়া-জিকুম বাল আনতুম কাওমুন ‘আ-দূ ন।
আল বায়ান:
‘আর তোমাদের রব তোমাদের জন্য যে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে তোমরা ত্যাগ কর, বরং তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়’।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে ত্যাগ কর? রবং তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’
Sahih International:
And leave what your Lord has created for you as mates? But you are a people transgressing."



قَالُوْا لَئِنْ لَّمْ تَنْتَهِ یٰلُوْطُ لَتَکُوْنَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِیْنَ ﴿۱۶۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলাইল্লাম তানতাহি ইয়া-লূতুলাতাকূনান্না মিনাল মুখরাজীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে তুমি অবশ্যই বহিস্কৃতদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘হে লূত! তুমি যদি বিরত না হও তবে তুমি অবশ্য অবশ্যই বহিস্কৃত হবে।’
Sahih International:
They said, "If you do not desist, O Lot, you will surely be of those evicted."



قَالَ اِنِّیْ لِعَمَلِکُمْ مِّنَ الْقَالِیْنَ ﴿۱۶۸﴾ؕ
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নী লি‘আমালিকুম মিনাল কা-লীন।
আল বায়ান:
লূত বলল, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের কাজকে ঘৃণা করি’।
তাইসিরুল কুরআন:
লূত বলল- ‘আমি তোমাদের এ কাজকে ঘৃণা করি।
Sahih International:
He said, "Indeed, I am, toward your deed, of those who detest [it].



رَبِّ نَجِّنِیْ وَ اَهْلِیْ مِمَّا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۶۹﴾
উচ্চারণ:
রাব্বি নাজজিনী ওয়া আহলী মিম্মা-ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
‘হে আমার রব, তারা যা করছে, তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে তুমি রক্ষা কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার প্রতিপালক! তারা যা করে তা থেকে তুমি আমাকে ও আমার পরিবারবর্গকে রক্ষা কর।’
Sahih International:
My Lord, save me and my family from [the consequence of] what they do."



فَنَجَّیْنٰهُ وَ اَهْلَهٗۤ اَجْمَعِیْنَ ﴿۱۷۰﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফানাজ্জাইনা-হু ওয়া আহলাহূআজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবার-পরিজন সবাইকে রক্ষা করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গের সকলকে রক্ষা করলাম
Sahih International:
So We saved him and his family, all,



اِلَّا عَجُوْزًا فِی الْغٰبِرِیْنَ ﴿۱۷۱﴾ۚ
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘আজুযান ফিল গা-বিরীন।
আল বায়ান:
পেছনে অবস্থানকারিণী এক বৃদ্ধা ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
এক বৃদ্ধা ছাড়া। সে ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
Except an old woman among those who remained behind.



ثُمَّ دَمَّرْنَا الْاٰخَرِیْنَ ﴿۱۷۲﴾ۚ
উচ্চারণ:
ছু ম্মা দাম্মারনাল আ-খারীন।
আল বায়ান:
তারপর অন্যদেরকে আমি ধ্বংস করে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর অন্যদের সকলকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিলাম।
Sahih International:
Then We destroyed the others.



وَ اَمْطَرْنَا عَلَیْهِمْ مَّطَرًا ۚ فَسَآءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِیْنَ ﴿۱۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আমতারনা-‘আলাইহিম মাতারান ফাছাআ মাতারুল মুনযারীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের উপর শিলাবৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং সেই বৃষ্টি ভয় প্রদর্শিতদের জন্য কতইনা মন্দ ছিল!
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের উপর বর্ষণ করলাম (শাস্তির) বৃষ্টি, ভয় প্রদর্শিতদের জন্য এ বৃষ্টি ছিল কতই না মন্দ!
Sahih International:
And We rained upon them a rain [of stones], and evil was the rain of those who were warned.



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکْثَرُهُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۱۷۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে এক নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
Sahih International:
Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক, তিনি মহা প্রতাপশালী, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.



کَذَّبَ اَصْحٰبُ لْـَٔـیْکَۃِ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۷۶﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
কাযযাবা আসহা-বুল আইকাতিল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আইকার অধিবাসীরা রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
বনের অধিবাসীরা রসূলদেরকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
Sahih International:
The companions of the thicket denied the messengers



اِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَیْبٌ اَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۱۷۷﴾ۚ
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লাহুম শু‘আইবুন আলা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
যখন শু‘আইব তাদেরকে বলল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
যখন শু‘আয়ব তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
Sahih International:
When Shu'ayb said to them, "Will you not fear Allah?



اِنِّیْ لَکُمْ رَسُوْلٌ اَمِیْنٌ ﴿۱۷۸﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রাসুল।
Sahih International:
Indeed, I am to you a trustworthy messenger.



فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۷۹﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।
Sahih International:
So fear Allah and obey me.



وَ مَاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ مِنْ اَجْرٍ ۚ اِنْ اَجْرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۸۰﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আল বায়ান:
‘আর আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
তাইসিরুল কুরআন:
এ জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো রয়েছে একমাত্র জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট।
Sahih International:
And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.



اَوْفُوا الْکَیْلَ وَ لَا تَکُوْنُوْا مِنَ الْمُخْسِرِیْنَ ﴿۱۸۱﴾ۚ
উচ্চারণ:
আওফুল কাইলা ওয়ালা-তাকূনূমিনাল মুখছিরীন।
আল বায়ান:
‘মাপ পূর্ণ করে দাও এবং যারা মাপে ঘাটতি করে, তোমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
মাপে পূর্ণ মাত্রায় দাও আর যারা মাপে কম দেয় তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
Sahih International:
Give full measure and do not be of those who cause loss.



وَ زِنُوْا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِیْمِ ﴿۱۸۲﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়াযিনূবিলকিছতা-ছিল মুছতাকীম।
আল বায়ান:
‘আর সঠিক দাঁড়ি পাল্লায় ওজন কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
সঠিক দাঁড়িপাল্লায় ওজন করবে।
Sahih International:
And weigh with an even balance.



وَ لَا تَبْخَسُوا النَّاسَ اَشْیَآءَهُمْ وَ لَا تَعْثَوْا فِی الْاَرْضِ مُفْسِدِیْنَ ﴿۱۸۳﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাবখাছুন্না-ছা আশইয়াআহুম ওয়ালা-তা‘ছাও ফিল আরদিমুফছিদীন।
আল বায়ান:
'আর লোকদেরকে তাদের প্রাপ্যবস্তু কম দিও না এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করো না'।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষকে তাদের প্রাপ্যবস্তু কম দিবে না। আর পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না।
Sahih International:
And do not deprive people of their due and do not commit abuse on earth, spreading corruption.



وَ اتَّقُوا الَّذِیْ خَلَقَکُمْ وَ الْجِبِلَّۃَ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۸۴﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাকুল্লাযী খালাকাকুম ওয়াল জিবিল্লাতাল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
‘যিনি তোমাদেরকে ও পূর্ববর্তী প্রজন্মসমূহকে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর তাকওয়া অবলম্বন কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং ভয় কর তাঁকে যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী বংশাবলীকে সৃষ্টি করেছেন।’
Sahih International:
And fear He who created you and the former creation."



قَالُوْۤا اِنَّمَاۤ اَنْتَ مِنَ الْمُسَحَّرِیْنَ ﴿۱۸۵﴾ۙ
উচ্চারণ:
কা-লূইন্নামাআনতা মিনাল মুছাহহারীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তুমি তো কেবল যাদুগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘তুমি তো কেবল যাদুগ্রস্তদের একজন।
Sahih International:
They said, "You are only of those affected by magic.



وَ مَاۤ اَنْتَ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَ اِنْ نَّظُنُّکَ لَمِنَ الْکٰذِبِیْنَ ﴿۱۸۶﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়ামাআনতা ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা-ওয়া ইন নাজুন্নুকা লামিনাল কা-যিবীন।
আল বায়ান:
‘তুমি কেবল আমাদের মত একজন মানুষ। আর আমরা তোমাকে অবশ্যই মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি আমাদের মতই মানুষ বৈ নও, আমরা মনে করি তুমি অবশ্য মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
You are but a man like ourselves, and indeed, we think you are among the liars.



فَاَسْقِطْ عَلَیْنَا کِسَفًا مِّنَ السَّمَآءِ اِنْ کُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۱۸۷﴾ؕ
উচ্চারণ:
ফাআছকিত‘আলাইনা-কিছাফাম মিনাছছামাই ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
‘অতএব, তুমি যদি সত্যবাদী হও, তবে আসমান থেকে এক টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি সত্যবাদী হলে আকাশের এক টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও।’
Sahih International:
So cause to fall upon us fragments of the sky, if you should be of the truthful."



قَالَ رَبِّیْۤ اَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ ﴿۱۸۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাববীআ‘লামুবিমা-তা‘মালূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার রব অধিক জ্ঞাত’।
তাইসিরুল কুরআন:
শু‘আয়ব বলল- ‘তোমরা যা কর, আমার প্রতিপালক সে সম্পর্কে বেশি অবগত।’
Sahih International:
He said, "My Lord is most knowing of what you do."



فَکَذَّبُوْهُ فَاَخَذَهُمْ عَذَابُ یَوْمِ الظُّلَّۃِ ؕ اِنَّهٗ کَانَ عَذَابَ یَوْمٍ عَظِیْمٍ ﴿۱۸۹﴾
উচ্চারণ:
ফাকাযযাবূহু ফাআখাযাহুম ‘আযা-বুইয়াওমিজজু ল্লাতি ইন্নাহূকা-না ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করল। ফলে তাদেরকে এক মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। অবশ্যই তা ছিল এক মহা দিবসের আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করল। ফলে তাদেরকে এক মেঘাচ্ছন্ন দিবসের শাস্তি পাকড়াও করল। তা ছিল এক মহা দিবসের ‘আযাব।
Sahih International:
And they denied him, so the punishment of the day of the black cloud seized them. Indeed, it was the punishment of a terrible day.



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکْثَرُهُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۱۹۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে অনেক নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
Sahih International:
Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۹۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমার প্রতিপালক, তিনি অবশ্যই মহা প্রতাপশালী, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.



وَ اِنَّهٗ لَتَنْزِیْلُ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۹۲﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলাতানযীলুরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় এ কুরআন সৃষ্টিকুলের রবেরই নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই এ কুরআন জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ।
Sahih International:
And indeed, the Qur'an is the revelation of the Lord of the worlds.



نَزَلَ بِهِ الرُّوْحُ الْاَمِیْنُ ﴿۱۹۳﴾ۙ
উচ্চারণ:
নাযালা বিহির রূহুলআমীন।
আল বায়ান:
বিশ্বস্ত আত্মা* এটা নিয়ে অবতরণ করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
বিশ্বস্ত আত্মা (জিবরাঈল) একে নিয়ে অবতরণ করেছে
Sahih International:
The Trustworthy Spirit has brought it down



عَلٰی قَلْبِکَ لِتَکُوْنَ مِنَ الْمُنْذِرِیْنَ ﴿۱۹۴﴾
উচ্চারণ:
‘আ-লা কালবিকা লিতাকূনা মিনাল মুনযিরীন।
আল বায়ান:
তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার অন্তরে যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।
Sahih International:
Upon your heart, [O Muhammad] - that you may be of the warners -



بِلِسَانٍ عَرَبِیٍّ مُّبِیْنٍ ﴿۱۹۵﴾ؕ
উচ্চারণ:
বিলিছা-নিন ‘আরাবিইয়িম মুবীন।
আল বায়ান:
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
তাইসিরুল কুরআন:
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
Sahih International:
In a clear Arabic language.



وَ اِنَّهٗ لَفِیْ زُبُرِ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۹۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলাফী যুবুরিল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তা রয়েছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
তাইসিরুল কুরআন:
পূর্ববর্তী কিতাবসমূহেও নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে।
Sahih International:
And indeed, it is [mentioned] in the scriptures of former peoples.



اَوَ لَمْ یَکُنْ لَّهُمْ اٰیَۃً اَنْ یَّعْلَمَهٗ عُلَمٰٓؤُا بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ ﴿۱۹۷﴾ؕ
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়াকুল্লাহুম আ-য়াতান আইঁ ইয়া‘লামাহূ‘উলামাউ বানীইছরাঈল।
আল বায়ান:
এটা কি তাদের জন্য একটি নিদর্শন নয় যে, বনী ইসরাঈলের পন্ডিতগণ তা জানে?
তাইসিরুল কুরআন:
এটা কি তাদের জন্য নিদর্শন নয় যে, বানী ইসরাঈলের পন্ডিতগণ তা জানত (যে তা সত্য)।
Sahih International:
And has it not been a sign to them that it is recognized by the scholars of the Children of Israel?



وَ لَوْ نَزَّلْنٰهُ عَلٰی بَعْضِ الْاَعْجَمِیْنَ ﴿۱۹۸﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়ালাও নাযযালনা-হু ‘আলা-বা‘দিল আ‘জামীন।
আল বায়ান:
আর আমি যদি এটাকে কোন অনারবের প্রতি নাযিল করতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যদি তা কোন অনারবের প্রতি অবতীর্ণ করতাম,
Sahih International:
And even if We had revealed it to one among the foreigners



فَقَرَاَهٗ عَلَیْهِمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ مُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۹۹﴾ؕ
উচ্চারণ:
ফাকারাআহূ‘আলাইহিম মা-কা-নূবিহী মু’মিনীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তা তাদের নিকট পাঠ করত। তবুও তারা এতে মুমিন হত না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে তা তাদের নিকট পাঠ করত, তাহলে তারা তাতে বিশ্বাস আনত না।
Sahih International:
And he had recited it to them [perfectly], they would [still] not have been believers in it.



کَذٰلِکَ سَلَکْنٰهُ فِیْ قُلُوْبِ الْمُجْرِمِیْنَ ﴿۲۰۰﴾ؕ
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা ছালাকনা-হু ফী কুলূবিল মুজরিমীন।
আল বায়ান:
এভাবেই আমি বিষয়টি অপরাধীদের অন্তরে সঞ্চার করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি অপরাধীদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।
Sahih International:
Thus have We inserted disbelief into the hearts of the criminals.



لَا یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ حَتّٰی یَرَوُا الْعَذَابَ الْاَلِیْمَ ﴿۲۰۱﴾ۙ
উচ্চারণ:
লা-ইউ’মিনূনা বিহী হাত্তা-ইয়ারাউল ‘আযা-বাল আলীম।
আল বায়ান:
যতক্ষণ না তারা যন্ত্রণাদায়ক আযাব প্রত্যক্ষ করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এতে ঈমান আনবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা এর প্রতি ঈমান আনবে না যতক্ষণ না তারা ভয়াবহ শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
Sahih International:
They will not believe in it until they see the painful punishment.



فَیَاْتِیَهُمْ بَغْتَۃً وَّ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۲۰۲﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফাইয়া’তিয়াহুম বাগতাতাওঁ ওয়াহুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
সুতরাং তা আকস্মিকভাবে তাদের নিকট এসে পড়বে, অথচ তারা উপলদ্ধি করতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তা তাদের কাছে হঠাৎ এসে পড়বে, তারা কিছুই বুঝতে পারবে না।
Sahih International:
And it will come to them suddenly while they perceive [it] not.



فَیَقُوْلُوْا هَلْ نَحْنُ مُنْظَرُوْنَ ﴿۲۰۳﴾ؕ
উচ্চারণ:
ফাইয়াকূলূহাল নাহনুমুনজারূন।
আল বায়ান:
তখন তারা বলবে, ‘আমাদেরকে কি অবকাশ দেয়া হবে?’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তখন বলবে- ‘আমাদেরকে কি অবকাশ দেয়া হবে?’
Sahih International:
And they will say, "May we be reprieved?"



اَفَبِعَذَابِنَا یَسْتَعْجِلُوْنَ ﴿۲۰۴﴾
উচ্চারণ:
আফাবি‘আযা-বিনা -ইয়াছতা‘জিলূন।
আল বায়ান:
তাহলে কি তারা আমার আযাব ত্বরান্বিত করতে চায়?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে?
Sahih International:
So for Our punishment are they impatient?



اَفَرَءَیْتَ اِنْ مَّتَّعْنٰهُمْ سِنِیْنَ ﴿۲۰۵﴾ۙ
উচ্চারণ:
আফারাআইতাইম্মাততা‘না-হুম ছিনীন।
আল বায়ান:
তুমি কি লক্ষ্য করেছ, আমি যদি তাদেরকে দীর্ঘকাল ভোগ-বিলাসের সুযোগ দিতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি ভেবে দেখেছ আমি যদি তাদেরকে কতক বছর ভোগ বিলাস করতে দেই,
Sahih International:
Then have you considered if We gave them enjoyment for years



ثُمَّ جَآءَهُمْ مَّا کَانُوْا یُوْعَدُوْنَ ﴿۲۰۶﴾ۙ
উচ্চারণ:
ছু ম্মা জাআহুম মা-কা-নূইউ‘আদূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদেরকে যে বিষয়ে ওয়াদা করা হয়েছে, তা তাদের নিকট এসে পড়ত,
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদেরকে যে বিষয়ের ও‘য়াদা দেয়া হত তা তাদের কাছে এসে পড়ে।
Sahih International:
And then there came to them that which they were promised?



مَاۤ اَغْنٰی عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یُمَتَّعُوْنَ ﴿۲۰۷﴾ؕ
উচ্চারণ:
মাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইউমাত্তা‘ঊন।
আল বায়ান:
তখন যা তাদের ভোগ-বিলাসের জন্য দেয়া হয়েছিল, তা তাদের কোনই কাজে আসত না।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তাদের বিলাসের সামগ্রী তাদের কোন উপকারে আসবে না।
Sahih International:
They would not be availed by the enjoyment with which they were provided.



وَ مَاۤ اَهْلَکْنَا مِنْ قَرْیَۃٍ اِلَّا لَهَا مُنْذِرُوْنَ ﴿۲۰۸﴾٭ۖۛ
উচ্চারণ:
ওয়ামাআহলাকনা-মিন কারইয়াতিন ইল্লা-লাহা-মুনযিরূন।
আল বায়ান:
আর আমি এমন কোন জনপদকে ধ্বংস করিনি, যাতে কোন সতর্ককারী আসেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এমন কোন জনপদ ধ্বংস করিনি যার জন্য কোন ভয় প্রদর্শনকারী ছিল না
Sahih International:
And We did not destroy any city except that it had warners



ذِکْرٰی ۟ۛ وَ مَا کُنَّا ظٰلِمِیْنَ ﴿۲۰۹﴾
উচ্চারণ:
যিকরা-ওয়ামা-কুন্না-জা-লিমীন।
আল বায়ান:
এটা উপদেশস্বরূপ; আর আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ করানোর জন্য। আমি কখনো অন্যায়কারী নই।
Sahih International:
As a reminder; and never have We been unjust.



وَ مَا تَنَزَّلَتْ بِهِ الشَّیٰطِیْنُ ﴿۲۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা তানাযযালাত বিহিশশাইয়া-তীন।
আল বায়ান:
আর শয়তানরা তা নিয়ে অবতরণ করেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
শয়ত্বানরা তা (অর্থাৎ কুরআন) নিয়ে অবতরণ করেনি।
Sahih International:
And the devils have not brought the revelation down.



وَ مَا یَنْۢبَغِیْ لَهُمْ وَ مَا یَسْتَطِیْعُوْنَ ﴿۲۱۱﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহুম ওয়ামা-ইয়াছতাতী‘ঊন।
আল বায়ান:
আর এটা তাদের জন্য উচিৎ নয় এবং তারা এর ক্ষমতাও রাখে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা এ কাজের যোগ্য নয় আর তারা এর সামর্থ্যও রাখে না।
Sahih International:
It is not allowable for them, nor would they be able.



اِنَّهُمْ عَنِ السَّمْعِ لَمَعْزُوْلُوْنَ ﴿۲۱۲﴾ؕ
উচ্চারণ:
ইন্নাহুম ‘আনিছছাম‘ই লামা‘যূলূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয়ই তাদেরকে এর শ্রবণ থেকে আড়ালে রাখা হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে এটা শোনা থেকে অবশ্যই দূরে রাখা হয়েছে।
Sahih International:
Indeed they, from [its] hearing, are removed.



فَلَا تَدْعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتَکُوْنَ مِنَ الْمُعَذَّبِیْنَ ﴿۲۱۳﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফালা-তাদ‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাতাকূনা মিনাল মু‘আযযাবীন।
আল বায়ান:
অতএব, তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তাহলে তুমি আযাবপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি অন্য কোন ইলাহ্কে আল্লাহর সঙ্গে ডেক না। ডাকলে তুমি শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
Sahih International:
So do not invoke with Allah another deity and [thus] be among the punished.



وَ اَنْذِرْ عَشِیْرَتَکَ الْاَقْرَبِیْنَ ﴿۲۱۴﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া আনযির ‘আশীরাতাকাল আকরাবীন।
আল বায়ান:
আর তুমি তোমার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি সতর্ক কর তোমার নিকটাত্মীয় স্বজনদের
Sahih International:
And warn, [O Muhammad], your closest kindred.



وَ اخْفِضْ جَنَاحَکَ لِمَنِ اتَّبَعَکَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۲۱۵﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়াখফিদজানা-হাকা লিমানিততাবা‘আকা মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর মুমিনদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে, তাদের প্রতি তুমি তোমার বাহুকে অবনত কর।
তাইসিরুল কুরআন:
যে সকল বিশ্বাসীরা তোমার আনুগত্য করে তাদের জন্য তুমি তোমার অনুকম্পার বাহু প্রসারিত কর।
Sahih International:
And lower your wing to those who follow you of the believers.



فَاِنْ عَصَوْکَ فَقُلْ اِنِّیْ بَرِیْٓءٌ مِّمَّا تَعْمَلُوْنَ ﴿۲۱۶﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাইন ‘আসাওকা ফাকুল ইন্নী বারীউম মিম্মা-তা‘মালূন।
আল বায়ান:
তারপর যদি তারা তোমার অবাধ্য হয়, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যদি তোমার অবাধ্যতা করে তাহলে তুমি বলে দাও- তোমরা যা কর তার সঙ্গে আমি সম্পর্কহীন।
Sahih International:
And if they disobey you, then say, "Indeed, I am disassociated from what you are doing."



وَ تَوَکَّلْ عَلَی الْعَزِیْزِ الرَّحِیْمِ ﴿۲۱۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল ‘আযীযির রাহীম।
আল বায়ান:
‘আর তুমি মহাপরাক্রমশালী পরম দয়ালুর উপর তাওয়াক্কুল কর,
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি প্রবল পরাক্রান্ত পরম দয়ালুর উপর নির্ভর কর;
Sahih International:
And rely upon the Exalted in Might, the Merciful,



الَّذِیْ یَرٰىکَ حِیْنَ تَقُوْمُ ﴿۲۱۸﴾ۙ
উচ্চারণ:
আল্লাযী ইয়ারা-কা হীনা তাকূম।
আল বায়ান:
‘যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি দন্ডায়মান হও’
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি (নামাযের জন্য) দন্ডায়মান হও।
Sahih International:
Who sees you when you arise



وَ تَقَلُّبَکَ فِی السّٰجِدِیْنَ ﴿۲۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাকাল্লুবাকা ফিছছা-জিদীন।
আল বায়ান:
‘এবং সিজদাকারীদের মধ্যে তোমার উঠাবসা’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (তিনি দেখেন) সাজদাকারীদের সঙ্গে তোমার চলাফিরা।
Sahih International:
And your movement among those who prostrate.



اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۲۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু জানেন।
Sahih International:
Indeed, He is the Hearing, the Knowing.



هَلْ اُنَبِّئُکُمْ عَلٰی مَنْ تَنَزَّلُ الشَّیٰطِیْنُ ﴿۲۲۱﴾ؕ
উচ্চারণ:
হাল উনাব্বিউকুম ‘আলা-মান তানাযযালুশ শাইয়া-তীন।
আল বায়ান:
‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দেব, কার নিকট শয়তানরা অবতীর্ণ হয়’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি তোমাদেরকে জানাব কাদের নিকট শয়ত্বানরা অবতীর্ণ হয়।
Sahih International:
Shall I inform you upon whom the devils descend?



تَنَزَّلُ عَلٰی کُلِّ اَفَّاکٍ اَثِیْمٍ ﴿۲۲۲﴾ۙ
উচ্চারণ:
তানাযযালু‘আলা-কুল্লি আফফা-কিন আছীম।
আল বায়ান:
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক চরম মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেকটি চরম মিথ্যুক ও পাপীর নিকট।
Sahih International:
They descend upon every sinful liar.



یُّلْقُوْنَ السَّمْعَ وَ اَکْثَرُهُمْ کٰذِبُوْنَ ﴿۲۲۳﴾ؕ
উচ্চারণ:
ইউলকূ নাছছাম‘আ ওয়া আকছারুহুম কা-যিবূন।
আল বায়ান:
তারা কান পেতে থাকে এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
ওরা কান পেতে থাকে আর তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
Sahih International:
They pass on what is heard, and most of them are liars.



وَ الشُّعَرَآءُ یَتَّبِعُهُمُ الْغَاوٗنَ ﴿۲۲۴﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়াশশু‘আরাঊ ইয়াত্তাবি‘উহুমুল গা-ঊন।
আল বায়ান:
আর বিভ্রান্তরাই কবিদের অনুসরণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
বিভ্রান্তরাই কবিদের অনুসরণ করে,
Sahih International:
And the poets - [only] the deviators follow them;



اَلَمْ تَرَ اَنَّهُمْ فِیْ کُلِّ وَادٍ یَّهِیْمُوْنَ ﴿۲۲۵﴾ۙ
উচ্চারণ:
আলাম তারা আন্নাহুম ফী কুল্লি ওয়াদিইঁ ইয়াহীমূন।
আল বায়ান:
তুমি কি লক্ষ্য করো নি যে, তারা প্রত্যেক উপত্যকায় উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
Sahih International:
Do you not see that in every valley they roam



وَ اَنَّهُمْ یَقُوْلُوْنَ مَا لَا یَفْعَلُوْنَ ﴿۲۲۶﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহুম ইয়াকূলূনা মা-লা-ইয়াফ‘আলূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তারা এমন কথা বলে, যা তারা করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা যা বলে তা তারা নিজেরা করে না।
Sahih International:
And that they say what they do not do? -



اِلَّا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ ذَکَرُوا اللّٰهَ کَثِیْرًا وَّ انْتَصَرُوْا مِنْۢ بَعْدِ مَا ظُلِمُوْا ؕ وَ سَیَعْلَمُ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْۤا اَیَّ مُنْقَلَبٍ یَّنْقَلِبُوْنَ ﴿۲۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া যাকারুল্লা-হা কাছীরাওঁ ওয়ানতাসারূমিম বা‘দি মা-জু লিমূ ওয়া ছাইয়া‘লামুল লাযীনা জালামূ আইইয়া মুনকালাবিইঁ ইয়ানকালিবূন।
আল বায়ান:
তবে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আর আল্লাহকে অনেক স্মরণ করেছে। আর তারা নির্যাতিত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেয়। আর যালিমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন্ প্রত্যাবর্তন স্থলে তারা প্রত্যাবর্তন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু ওরা ব্যতীত যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আর আল্লাহকে খুব বেশি স্মরণ করে আর নির্যাতিত হওয়ার পর নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে। যালিমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন্ (মহা সংকটময়) জায়গায় তারা ফিরে যাচ্ছে।
Sahih International:
Except those [poets] who believe and do righteous deeds and remember Allah often and defend [the Muslims] after they were wronged. And those who have wronged are going to know to what [kind of] return they will be returned.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।