আল কুরআন


সূরা আশ-শুআ‘রা (আয়াত: 108)

সূরা আশ-শুআ‘রা (আয়াত: 108)



হরকত ছাড়া:

فاتقوا الله وأطيعون ﴿١٠٨﴾




হরকত সহ:

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۱۰۸﴾ۚ




উচ্চারণ: ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।




আল বায়ান: ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।




আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ১০৮. অতএব তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর(১),




তাইসীরুল ক্বুরআন: কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমার অনুসরণ কর।




আহসানুল বায়ান: (১০৮) অতএব আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। [1]



মুজিবুর রহমান: অতএব আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।



ফযলুর রহমান: অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য কর।”



মুহিউদ্দিন খান: অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।



জহুরুল হক: "অতএব তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি কর ও আমাকে মেনে চল।



Sahih International: So fear Allah and obey me.



তাফসীরে যাকারিয়া

অনুবাদ: ১০৮. অতএব তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর(১),


তাফসীর:

(১) আয়াতটি তাকীদ বা গুরুত্ব প্রকাশের জন্য এবং একথা ব্যক্ত করার জন্য আনা হয়েছে যে, রাসূলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করার জন্য কেবল রাসূলের বিশ্বস্ততা ও ন্যায়পরায়ণতা অথবা কেবল প্রচারকার্যে প্রতিদান না চাওয়াই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু যে রাসূলের মধ্যে সবগুলো গুণই বিদ্যমান আছে, তার আনুগত্য করা ও আল্লাহকে ভয় করা তো আরো অপরিহার্য হয়ে পড়ে। [ফাতহুল কাদীর]


তাফসীরে আহসানুল বায়ান

অনুবাদ: (১০৮) অতএব আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। [1]


তাফসীর:

[1] অর্থাৎ, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর উপর ঈমান আনার ও শিরক না করার প্রতি আহবান জানাচ্ছি, এ ব্যাপারে তোমরা আমার আনুগত্য কর।


তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ


তাফসীর: ১০৫-১২২ নং আয়াতের তাফসীর:



উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা নূহ (عليه السلام) ও তাঁর অবাধ্য সম্প্রদায় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।



নূহ (عليه السلام) আল্লাহ তা‘আলার ভয় ও নিজের রিসালাতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দাওয়াতী কাজ শুরু করলেন। তিনি বললেন: আমি দাওয়াতী কাজের জন্য তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না, শুধু আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করবে এবং আমার আনুগত্য করবে। এরূপ দাওয়াত দেয়ার ফলে যা সচরাচর হয়ে থাকে তাই হল। সমাজের নিম্ন শ্রেণির লোকেরা ঈমান আনল আর উচ্চ বংশ ও ক্ষমতাসীনরা ঈমান আনল না, এমনকি উল্টাভাবে আরো হত্যা করার ভয় দেখালো। সাহাবীরা প্রথম দফায় যখন আবিসিনিয়ায় হিজরত করে তখন বাদশা হিরাকল আবূ সুফিয়ানকে জিজ্ঞাসা করেছিল “সমাজের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা তাঁর প্রতি ঈমান আনে, না দুর্বলরা? তিনি বলেছিলেন: দুর্বলরা, হিরাকল বলল: নাবীদের অনুসারীগণ এরকমই হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৭)



(فَافْتَحْ بَيْنِيْ وَبَيْنَهُمْ)



অর্থাৎ যখন জাতির অধিকাংশ লোক দাওয়াত কবূল করল না বরং হত্যা করার হুমকি দিল তখন নূহ (عليه السلام) দু‘আ করলেন যেন আল্লাহ তা‘আলা মু’মিন ও অবাধ্য লোকদের মাঝে ফায়সালা করে দেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা বন্যা দিয়ে অবাধ্যদেরকে ডুবিয়ে মারলেন।



নূহ (عليه السلام) ও তাঁর জাতি সম্পর্কে পূর্বে সূরা হূদের ২৫-৪৯ নং আয়াত ও সূরা নূহে আলোচনা করা হয়েছে।


তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)


তাফসীর: ১০৫-১১০ নং আয়াতের তাফসীর

ভূ-পৃষ্ঠে সর্বপ্রথম যখন মূর্তি-পূজা শুরু হয় এবং জনগণ শয়তানী পথে চলতে শুরু করে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর স্থির প্রতিজ্ঞ নবীদের ক্রম হযরত নূহ (আঃ)-এর দ্বারা সূচনা করেন। তিনি জনগণকে আল্লাহর শাস্তির ভয় প্রদর্শন করেন। কিন্তু তবুও তারা তাদের দুষ্কর্ম হতে বিরত হলো না। গায়রুল্লাহর ইবাদত তারা পরিত্যাগ করলো না। বরং উল্টোভাবে হযরত নূহ (আঃ)-কেই তারা মিথ্যাবাদী বললো, তাঁর শত্রু হয়ে গেল এবং তাঁকে কষ্ট দিতে থাকলো। হযরত নূহ (আঃ)-কে অবিশ্বাস করার অর্থ যেন সমস্ত নবীকেই অস্বীকার করা। এজন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “নূহ (আঃ)-এর কওম রাসূলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল। যখন তাদের ভ্রাতা নূহ (আঃ) তাদেরকে বললো- তোমরা কি সাবধান হবে না? আমি তো তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসল। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আর জেনে রেখো যে, আমি তোমাদের নিকট এর জন্যে কোন প্রতিদান চাই না। আমার পুরস্কার তো শুধু জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে। সুতরাং তোমাদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা এবং আমার আনুগত্য করা। আমার সত্যবাদিতা, আমার শুভাকাঙ্ক্ষা তোমাদের উপর উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। সাথে সাথে আমার বিশ্বস্ততাও তোমাদের কাছে পূর্ণভাবে প্রকাশমান।





সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।