আল কুরআন


সূরা আশ-শুআ‘রা (আয়াত: 105)

সূরা আশ-শুআ‘রা (আয়াত: 105)



হরকত ছাড়া:

كذبت قوم نوح المرسلين ﴿١٠٥﴾




হরকত সহ:

کَذَّبَتْ قَوْمُ نُوْحِۣ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۰۵﴾ۚۖ




উচ্চারণ: কাযযাবাত কাওমুনূহিনিল মুরছালীন।




আল বায়ান: নূহ-এর কওম রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।




আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ১০৫. নূহের সম্প্রদায় রাসূলগণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল।




তাইসীরুল ক্বুরআন: নূহের কওম রসুলগণকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখান করেছিল।




আহসানুল বায়ান: (১০৫) নূহের সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যা মনে করেছিল। [1]



মুজিবুর রহমান: নূহের সম্প্রদায় রাসূলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল।



ফযলুর রহমান: নূহের সমপ্রদায় রসূলদেরকে মিথ্যুক আখ্যায়িত করেছিল।



মুহিউদ্দিন খান: নূহের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যারোপ করেছে।



জহুরুল হক: নূহের স্বজাতি রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।



Sahih International: The people of Noah denied the messengers



তাফসীরে যাকারিয়া

অনুবাদ: ১০৫. নূহের সম্প্রদায় রাসূলগণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল।


তাফসীর:

-


তাফসীরে আহসানুল বায়ান

অনুবাদ: (১০৫) নূহের সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যা মনে করেছিল। [1]


তাফসীর:

[1] নূহ (আঃ)-এর জাতি যদিও শুধুমাত্র নূহ (আঃ)-কেই মিথ্যাবাদী মনে করেছিল, কিন্তু একজন নবীকে মিথ্যা ভাবা সকল নবীকে মিথ্যা ভাবার সমান। সেই জন্যই বলা হয়েছে নূহের সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যা মনে করেছিল।


তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ


তাফসীর: ১০৫-১২২ নং আয়াতের তাফসীর:



উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা নূহ (عليه السلام) ও তাঁর অবাধ্য সম্প্রদায় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।



নূহ (عليه السلام) আল্লাহ তা‘আলার ভয় ও নিজের রিসালাতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দাওয়াতী কাজ শুরু করলেন। তিনি বললেন: আমি দাওয়াতী কাজের জন্য তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না, শুধু আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করবে এবং আমার আনুগত্য করবে। এরূপ দাওয়াত দেয়ার ফলে যা সচরাচর হয়ে থাকে তাই হল। সমাজের নিম্ন শ্রেণির লোকেরা ঈমান আনল আর উচ্চ বংশ ও ক্ষমতাসীনরা ঈমান আনল না, এমনকি উল্টাভাবে আরো হত্যা করার ভয় দেখালো। সাহাবীরা প্রথম দফায় যখন আবিসিনিয়ায় হিজরত করে তখন বাদশা হিরাকল আবূ সুফিয়ানকে জিজ্ঞাসা করেছিল “সমাজের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা তাঁর প্রতি ঈমান আনে, না দুর্বলরা? তিনি বলেছিলেন: দুর্বলরা, হিরাকল বলল: নাবীদের অনুসারীগণ এরকমই হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৭)



(فَافْتَحْ بَيْنِيْ وَبَيْنَهُمْ)



অর্থাৎ যখন জাতির অধিকাংশ লোক দাওয়াত কবূল করল না বরং হত্যা করার হুমকি দিল তখন নূহ (عليه السلام) দু‘আ করলেন যেন আল্লাহ তা‘আলা মু’মিন ও অবাধ্য লোকদের মাঝে ফায়সালা করে দেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা বন্যা দিয়ে অবাধ্যদেরকে ডুবিয়ে মারলেন।



নূহ (عليه السلام) ও তাঁর জাতি সম্পর্কে পূর্বে সূরা হূদের ২৫-৪৯ নং আয়াত ও সূরা নূহে আলোচনা করা হয়েছে।


তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)


তাফসীর: ১০৫-১১০ নং আয়াতের তাফসীর

ভূ-পৃষ্ঠে সর্বপ্রথম যখন মূর্তি-পূজা শুরু হয় এবং জনগণ শয়তানী পথে চলতে শুরু করে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর স্থির প্রতিজ্ঞ নবীদের ক্রম হযরত নূহ (আঃ)-এর দ্বারা সূচনা করেন। তিনি জনগণকে আল্লাহর শাস্তির ভয় প্রদর্শন করেন। কিন্তু তবুও তারা তাদের দুষ্কর্ম হতে বিরত হলো না। গায়রুল্লাহর ইবাদত তারা পরিত্যাগ করলো না। বরং উল্টোভাবে হযরত নূহ (আঃ)-কেই তারা মিথ্যাবাদী বললো, তাঁর শত্রু হয়ে গেল এবং তাঁকে কষ্ট দিতে থাকলো। হযরত নূহ (আঃ)-কে অবিশ্বাস করার অর্থ যেন সমস্ত নবীকেই অস্বীকার করা। এজন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “নূহ (আঃ)-এর কওম রাসূলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল। যখন তাদের ভ্রাতা নূহ (আঃ) তাদেরকে বললো- তোমরা কি সাবধান হবে না? আমি তো তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসল। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আর জেনে রেখো যে, আমি তোমাদের নিকট এর জন্যে কোন প্রতিদান চাই না। আমার পুরস্কার তো শুধু জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে। সুতরাং তোমাদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা এবং আমার আনুগত্য করা। আমার সত্যবাদিতা, আমার শুভাকাঙ্ক্ষা তোমাদের উপর উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। সাথে সাথে আমার বিশ্বস্ততাও তোমাদের কাছে পূর্ণভাবে প্রকাশমান।





সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।