দেখুন/লুকান:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
قَدْ اَفْلَحَ الْمُؤْمِنُوْنَ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
কাদ আফলা হাল মু’মিনূন।
কাদ আফলা হাল মু’মিনূন।
আল বায়ান:
অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে,
অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে,
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিনরা সফলকাম হয়ে গেছে।
মু’মিনরা সফলকাম হয়ে গেছে।
Sahih International:
Certainly will the believers have succeeded:
Certainly will the believers have succeeded:
الَّذِیْنَ هُمْ فِیْ صَلَاتِهِمْ خٰشِعُوْنَ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা হুম ফী সালা-তিহিম খা-শি‘ঊন,
আল্লাযীনা হুম ফী সালা-তিহিম খা-শি‘ঊন,
আল বায়ান:
যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত।
যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা নিজেদের নামাযে বিনয় নম্রতা অবলম্বন করে।
যারা নিজেদের নামাযে বিনয় নম্রতা অবলম্বন করে।
Sahih International:
They who are during their prayer humbly submissive
They who are during their prayer humbly submissive
وَ الَّذِیْنَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُوْنَ ﴿ۙ۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম ‘আনিল লাগবি মু‘রিদূন।
ওয়াল্লাযীনা হুম ‘আনিল লাগবি মু‘রিদূন।
আল বায়ান:
আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ।
আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা অসার কথাবার্তা এড়িয়ে চলে।
যারা অসার কথাবার্তা এড়িয়ে চলে।
Sahih International:
And they who turn away from ill speech
And they who turn away from ill speech
وَ الَّذِیْنَ هُمْ لِلزَّکٰوۃِ فٰعِلُوْنَ ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম লিযযাকা-তি ফা-‘ইলূন।
ওয়াল্লাযীনা হুম লিযযাকা-তি ফা-‘ইলূন।
আল বায়ান:
আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়।
আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা যাকাত দানে সক্রিয়।
যারা যাকাত দানে সক্রিয়।
Sahih International:
And they who are observant of zakah
And they who are observant of zakah
وَ الَّذِیْنَ هُمْ لِفُرُوْجِهِمْ حٰفِظُوْنَ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম লিফুরূজিহিম হা-ফিজূ ন।
ওয়াল্লাযীনা হুম লিফুরূজিহিম হা-ফিজূ ন।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী।
আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংরক্ষণ করে।
যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংরক্ষণ করে।
Sahih International:
And they who guard their private parts
And they who guard their private parts
اِلَّا عَلٰۤی اَزْوَاجِهِمْ اَوْ مَا مَلَکَتْ اَیْمَانُهُمْ فَاِنَّهُمْ غَیْرُ مَلُوْمِیْنَ ۚ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘আলাআযওয়া-জিহিম আও মা-মালাকাত আইমা-নুহুম ফাইন্নাহুম গাইরু মালূমীন।
ইল্লা-‘আলাআযওয়া-জিহিম আও মা-মালাকাত আইমা-নুহুম ফাইন্নাহুম গাইরু মালূমীন।
আল বায়ান:
তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না।
তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
নিজেদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ব্যতীত, কারণ এ ক্ষেত্রে তারা নিন্দা থেকে মুক্ত।
নিজেদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ব্যতীত, কারণ এ ক্ষেত্রে তারা নিন্দা থেকে মুক্ত।
Sahih International:
Except from their wives or those their right hands possess, for indeed, they will not be blamed -
Except from their wives or those their right hands possess, for indeed, they will not be blamed -
فَمَنِ ابْتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الْعٰدُوْنَ ۚ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ফামানিবতাগা-ওয়ারাআ যা-লিকা ফাউলাইকা হুমুল ‘আ-দূন।
ফামানিবতাগা-ওয়ারাআ যা-লিকা ফাউলাইকা হুমুল ‘আ-দূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।
অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
এদের অতিরিক্ত যারা কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।
এদের অতিরিক্ত যারা কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।
Sahih International:
But whoever seeks beyond that, then those are the transgressors -
But whoever seeks beyond that, then those are the transgressors -
وَ الَّذِیْنَ هُمْ لِاَمٰنٰتِهِمْ وَ عَهْدِهِمْ رٰعُوْنَ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা যীনা হুম লিআমা-না-তিহিম ওয়া‘আহদিহিম রা-‘ঊন।
ওয়াল্লা যীনা হুম লিআমা-না-তিহিম ওয়া‘আহদিহিম রা-‘ঊন।
আল বায়ান:
আর যারা নিজদের আমানতসমূহ ও অঙ্গীকারে যত্নবান।
আর যারা নিজদের আমানতসমূহ ও অঙ্গীকারে যত্নবান।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা নিজেদের আমানাত ও ওয়াদা পূর্ণ করে।
আর যারা নিজেদের আমানাত ও ওয়াদা পূর্ণ করে।
Sahih International:
And they who are to their trusts and their promises attentive
And they who are to their trusts and their promises attentive
وَ الَّذِیْنَ هُمْ عَلٰی صَلَوٰتِهِمْ یُحَافِظُوْنَ ۘ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম ‘আলা-সালাওয়া-তিহিম ইউহা-ফিজূ ন।
ওয়াল্লাযীনা হুম ‘আলা-সালাওয়া-তিহিম ইউহা-ফিজূ ন।
আল বায়ান:
আর যারা নিজদের সালাতসমূহ হিফাযত করে।
আর যারা নিজদের সালাতসমূহ হিফাযত করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে যত্নবান।
আর যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে যত্নবান।
Sahih International:
And they who carefully maintain their prayers -
And they who carefully maintain their prayers -
اُولٰٓئِکَ هُمُ الْوٰرِثُوْنَ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা হুমুল ওয়া-রিছূ ন।
উলাইকা হুমুল ওয়া-রিছূ ন।
আল বায়ান:
তারাই হবে ওয়ারিস।
তারাই হবে ওয়ারিস।
তাইসিরুল কুরআন:
তারাই হল উত্তরাধিকারী।
তারাই হল উত্তরাধিকারী।
Sahih International:
Those are the inheritors
Those are the inheritors
الَّذِیْنَ یَرِثُوْنَ الْفِرْدَوْسَ ؕ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইয়ারিছূনাল ফিরদাউছা হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।
আল্লাযীনা ইয়ারিছূনাল ফিরদাউছা হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।
আল বায়ান:
যারা ফিরদাউসের অধিকারী হবে। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
যারা ফিরদাউসের অধিকারী হবে। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা ফিরদাউসের উত্তরাধিকার লাভ করবে, যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে।
তারা ফিরদাউসের উত্তরাধিকার লাভ করবে, যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে।
Sahih International:
Who will inherit al-Firdaus. They will abide therein eternally.
Who will inherit al-Firdaus. They will abide therein eternally.
وَ لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنْ سُلٰلَۃٍ مِّنْ طِیْنٍ ﴿ۚ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ খালাকনাল ইনছা-না মিন ছুলা-লাতিম মিন তীন।
ওয়ালাকাদ খালাকনাল ইনছা-না মিন ছুলা-লাতিম মিন তীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মানুষকে মাটির নির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি।
আর অবশ্যই আমি মানুষকে মাটির নির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
Sahih International:
And certainly did We create man from an extract of clay.
And certainly did We create man from an extract of clay.
ثُمَّ جَعَلْنٰهُ نُطْفَۃً فِیْ قَرَارٍ مَّکِیْنٍ ﴿۪۱۳﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা জা‘আলনা-হু নুতফাতান ফী কারা-রিম মাকীন।
ছু ম্মা জা‘আলনা-হু নুতফাতান ফী কারা-রিম মাকীন।
আল বায়ান:
তারপর আমি তাকে শুক্ররূপে সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
তারপর আমি তাকে শুক্ররূপে সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
Sahih International:
Then We placed him as a sperm-drop in a firm lodging.
Then We placed him as a sperm-drop in a firm lodging.
ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَۃَ عَلَقَۃً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَۃَ مُضْغَۃً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَۃَ عِظٰمًا فَکَسَوْنَا الْعِظٰمَ لَحْمًا ٭ ثُمَّ اَنْشَاْنٰهُ خَلْقًا اٰخَرَ ؕ فَتَبٰرَکَ اللّٰهُ اَحْسَنُ الْخٰلِقِیْنَ ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা খালাকনান নুতফাতা ‘আলাকাতান ফাখালাকনাল ‘আলাকাতা মুদগাতান ফাখালাকনাল মুদগাতা ‘ইজা-মান ফাকাছাওনাল ‘ইজা-মা লাহমান ছু ম্মা আনশা’না-হু খালকান আ-খারা ফাতাবা-রাকাল্লা-হু আহছানুল খা-লিকীন।
ছু ম্মা খালাকনান নুতফাতা ‘আলাকাতান ফাখালাকনাল ‘আলাকাতা মুদগাতান ফাখালাকনাল মুদগাতা ‘ইজা-মান ফাকাছাওনাল ‘ইজা-মা লাহমান ছু ম্মা আনশা’না-হু খালকান আ-খারা ফাতাবা-রাকাল্লা-হু আহছানুল খা-লিকীন।
আল বায়ান:
তারপর শুক্রকে আমি ‘আলাকায় পরিণত করি। তারপর ‘আলাকাকে গোশতপিন্ডে পরিণত করি। তারপর গোশতপিন্ডকে হাড়ে পরিণত করি। তারপর হাড়কে গোশ্ত দিয়ে আবৃত করি। অতঃপর তাকে অন্য এক সৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত বরকতময়!
তারপর শুক্রকে আমি ‘আলাকায় পরিণত করি। তারপর ‘আলাকাকে গোশতপিন্ডে পরিণত করি। তারপর গোশতপিন্ডকে হাড়ে পরিণত করি। তারপর হাড়কে গোশ্ত দিয়ে আবৃত করি। অতঃপর তাকে অন্য এক সৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত বরকতময়!
তাইসিরুল কুরআন:
পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি জমাট বাঁধা রক্তে, অতঃপর মাংসপিন্ডকে পরিণত করি হাড্ডিতে, অতঃপর হাড্ডিকে আবৃত করি মাংস দিয়ে, অতঃপর তাকে এক নতুন সৃষ্টিতে উন্নীত করি। কাজেই সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কতই না মহান!
পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি জমাট বাঁধা রক্তে, অতঃপর মাংসপিন্ডকে পরিণত করি হাড্ডিতে, অতঃপর হাড্ডিকে আবৃত করি মাংস দিয়ে, অতঃপর তাকে এক নতুন সৃষ্টিতে উন্নীত করি। কাজেই সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কতই না মহান!
Sahih International:
Then We made the sperm-drop into a clinging clot, and We made the clot into a lump [of flesh], and We made [from] the lump, bones, and We covered the bones with flesh; then We developed him into another creation. So blessed is Allah, the best of creators.
Then We made the sperm-drop into a clinging clot, and We made the clot into a lump [of flesh], and We made [from] the lump, bones, and We covered the bones with flesh; then We developed him into another creation. So blessed is Allah, the best of creators.
ثُمَّ اِنَّکُمْ بَعْدَ ذٰلِکَ لَمَیِّتُوْنَ ﴿ؕ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্নাকুম বা‘দা যা-লিকা লামাইয়িতূন।
ছু ম্মা ইন্নাকুম বা‘দা যা-লিকা লামাইয়িতূন।
আল বায়ান:
এরপর অবশ্যই তোমরা মরবে।
এরপর অবশ্যই তোমরা মরবে।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপর তোমরা অবশ্যই মরবে।
এরপর তোমরা অবশ্যই মরবে।
Sahih International:
Then indeed, after that you are to die.
Then indeed, after that you are to die.
ثُمَّ اِنَّکُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ تُبْعَثُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্নাকুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি তুব‘আছূন।
ছু ম্মা ইন্নাকুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি তুব‘আছূন।
আল বায়ান:
তারপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পুনরুত্থিত হবে।
তারপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পুনরুত্থিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর কিয়ামাতের দিন তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে।
তারপর কিয়ামাতের দিন তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে।
Sahih International:
Then indeed you, on the Day of Resurrection, will be resurrected.
Then indeed you, on the Day of Resurrection, will be resurrected.
وَ لَقَدْ خَلَقْنَا فَوْقَکُمْ سَبْعَ طَرَآئِقَ ٭ۖ وَ مَا کُنَّا عَنِ الْخَلْقِ غٰفِلِیْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ খালাকনা-ফাওকাকুম ছাব‘আ তারাইকা ওয়ামা-কুন্না-‘আনিল খালকিগা-ফিলীন।
ওয়া লাকাদ খালাকনা-ফাওকাকুম ছাব‘আ তারাইকা ওয়ামা-কুন্না-‘আনিল খালকিগা-ফিলীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি তোমাদের উপর সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি। আর আমি সৃষ্টি সম্পর্কে উদাসীন ছিলাম না।
আর অবশ্যই আমি তোমাদের উপর সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি। আর আমি সৃষ্টি সম্পর্কে উদাসীন ছিলাম না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের উপরে সপ্ত স্তর সৃষ্টি করেছি, আমি (আমার) সৃষ্টির ব্যাপারে অমনোযোগী নই।
আমি তোমাদের উপরে সপ্ত স্তর সৃষ্টি করেছি, আমি (আমার) সৃষ্টির ব্যাপারে অমনোযোগী নই।
Sahih International:
And We have created above you seven layered heavens, and never have We been of [Our] creation unaware.
And We have created above you seven layered heavens, and never have We been of [Our] creation unaware.
وَ اَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَاَسْکَنّٰهُ فِی الْاَرْضِ ٭ۖ وَ اِنَّا عَلٰی ذَهَابٍۭ بِهٖ لَقٰدِرُوْنَ ﴿ۚ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনযালনা-মিনাছ ছামাই মাআম বিকাদারিন ফাআছকান্না-হু ফিল আরদি ওয়া ইন্না-‘আলা-যাহা-বিম বিহী লাকা-দিরূন।
ওয়া আনযালনা-মিনাছ ছামাই মাআম বিকাদারিন ফাআছকান্না-হু ফিল আরদি ওয়া ইন্না-‘আলা-যাহা-বিম বিহী লাকা-দিরূন।
আল বায়ান:
আর আমি আকাশ থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর আমি তা যমীনে সংরক্ষণ করেছি। আর অবশ্যই আমি সেটাকে অপসারণ করতেও সক্ষম।
আর আমি আকাশ থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর আমি তা যমীনে সংরক্ষণ করেছি। আর অবশ্যই আমি সেটাকে অপসারণ করতেও সক্ষম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, অতঃপর আমি তা যমীনে সংরক্ষণ করি আর আমি পানিকে সরিয়ে দিতে অবশ্যই সক্ষম।
আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, অতঃপর আমি তা যমীনে সংরক্ষণ করি আর আমি পানিকে সরিয়ে দিতে অবশ্যই সক্ষম।
Sahih International:
And We have sent down rain from the sky in a measured amount and settled it in the earth. And indeed, We are Able to take it away.
And We have sent down rain from the sky in a measured amount and settled it in the earth. And indeed, We are Able to take it away.
فَاَنْشَاْنَا لَکُمْ بِهٖ جَنّٰتٍ مِّنْ نَّخِیْلٍ وَّ اَعْنَابٍ ۘ لَکُمْ فِیْهَا فَوَاکِهُ کَثِیْرَۃٌ وَّ مِنْهَا تَاْکُلُوْنَ ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফাআনশা’না-লাকুম বিহী জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া ‘আনা-ব । লাকুম ফীহা-ফাওয়াকিহু কাছী রাতুওঁ ওয়া মিনহা-তা’কুলূন।
ফাআনশা’না-লাকুম বিহী জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া ‘আনা-ব । লাকুম ফীহা-ফাওয়াকিহু কাছী রাতুওঁ ওয়া মিনহা-তা’কুলূন।
আল বায়ান:
তারপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের বাগানসমূহ সৃষ্টি করেছি। তাতে তোমাদের জন্য প্রচুর ফল থাকে। আর তা থেকেই তোমরা খাও।
তারপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের বাগানসমূহ সৃষ্টি করেছি। তাতে তোমাদের জন্য প্রচুর ফল থাকে। আর তা থেকেই তোমরা খাও।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করি, ওতে তোমাদের জন্য আছে পর্যাপ্ত ফল, যাথেকে তোমরা খাও (আর সুখভোগ কর)।
অতঃপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করি, ওতে তোমাদের জন্য আছে পর্যাপ্ত ফল, যাথেকে তোমরা খাও (আর সুখভোগ কর)।
Sahih International:
And We brought forth for you thereby gardens of palm trees and grapevines in which for you are abundant fruits and from which you eat.
And We brought forth for you thereby gardens of palm trees and grapevines in which for you are abundant fruits and from which you eat.
وَ شَجَرَۃً تَخْرُجُ مِنْ طُوْرِ سَیْنَآءَ تَنْۢبُتُ بِالدُّهْنِ وَ صِبْغٍ لِّلْاٰکِلِیْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া শাজারাতান তাখরুজুমিন তূরি ছাইনাআ তামবুতুবিদ্দুহনি ওয়াছিবগিল লিলআ-কিলীন।
ওয়া শাজারাতান তাখরুজুমিন তূরি ছাইনাআ তামবুতুবিদ্দুহনি ওয়াছিবগিল লিলআ-কিলীন।
আল বায়ান:
আর এক বৃক্ষ যা সিনাই পাহাড় হতে উদগত হয়, যা আহারকারীদের জন্য তেল ও তরকারী উৎপন্ন করে।
আর এক বৃক্ষ যা সিনাই পাহাড় হতে উদগত হয়, যা আহারকারীদের জন্য তেল ও তরকারী উৎপন্ন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (আমি সৃষ্টি করি) এক বৃক্ষ যা সিনাই পর্বতে জন্মে, যাথেকে তেল উৎপন্ন হয়, আর ভক্ষণকারীদের জন্য রসনা তৃপ্তিকর।
আর (আমি সৃষ্টি করি) এক বৃক্ষ যা সিনাই পর্বতে জন্মে, যাথেকে তেল উৎপন্ন হয়, আর ভক্ষণকারীদের জন্য রসনা তৃপ্তিকর।
Sahih International:
And [We brought forth] a tree issuing from Mount Sinai which produces oil and food for those who eat.
And [We brought forth] a tree issuing from Mount Sinai which produces oil and food for those who eat.
وَ اِنَّ لَکُمْ فِی الْاَنْعَامِ لَعِبْرَۃً ؕ نُسْقِیْکُمْ مِّمَّا فِیْ بُطُوْنِهَا وَ لَکُمْ فِیْهَا مَنَافِعُ کَثِیْرَۃٌ وَّ مِنْهَا تَاْکُلُوْنَ ﴿ۙ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না লাকুম ফিল আন‘আ-মি লা‘ইবরাতান নুছকীকুম মিম্মা-ফী বুতূনিহা-ওয়া লাকুম ফীহা-মানা-ফি‘উ কাছীরাতুওঁ ওয়া মিনহা-তা’কুলূন।
ওয়া ইন্না লাকুম ফিল আন‘আ-মি লা‘ইবরাতান নুছকীকুম মিম্মা-ফী বুতূনিহা-ওয়া লাকুম ফীহা-মানা-ফি‘উ কাছীরাতুওঁ ওয়া মিনহা-তা’কুলূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় গবাদিপশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। তাদের পেটে যা আছে তা থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই। আর এতে তোমাদের জন্য প্রচুর উপকারিতা রয়েছে এবং তা থেকে তোমরা খাও।
আর নিশ্চয় গবাদিপশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। তাদের পেটে যা আছে তা থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই। আর এতে তোমাদের জন্য প্রচুর উপকারিতা রয়েছে এবং তা থেকে তোমরা খাও।
তাইসিরুল কুরআন:
আর গবাদি পশুর ভিতরে তোমাদের জন্য আছে অবশ্যই শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত। তাদের পেটে যা আছে তাত্থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই (দুধ) আর ওতে তোমাদের জন্য আছে বহুবিধ উপকার। তোমরা তাথেকে খাও (গোশত)।
আর গবাদি পশুর ভিতরে তোমাদের জন্য আছে অবশ্যই শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত। তাদের পেটে যা আছে তাত্থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই (দুধ) আর ওতে তোমাদের জন্য আছে বহুবিধ উপকার। তোমরা তাথেকে খাও (গোশত)।
Sahih International:
And indeed, for you in livestock is a lesson. We give you drink from that which is in their bellies, and for you in them are numerous benefits, and from them you eat.
And indeed, for you in livestock is a lesson. We give you drink from that which is in their bellies, and for you in them are numerous benefits, and from them you eat.
وَ عَلَیْهَا وَ عَلَی الْفُلْکِ تُحْمَلُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আলাইহা-ওয়া ‘আলাল ফুলকি তুহমালূন।
ওয়া ‘আলাইহা-ওয়া ‘আলাল ফুলকি তুহমালূন।
আল বায়ান:
আর এসব পশু ও নৌকায় তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয়।
আর এসব পশু ও নৌকায় তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ওতে আর নৌযানে তোমরা আরোহণ কর।
আর ওতে আর নৌযানে তোমরা আরোহণ কর।
Sahih International:
And upon them and on ships you are carried.
And upon them and on ships you are carried.
وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰی قَوْمِهٖ فَقَالَ یٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَیْرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-নূহান ইলা-কাওমিহী ফাকা-লা ইয়া-কাওমি‘বুদল্লা-হা মালাকুম মিন ইলা-হিন গাইরুহূ আফালা-তাত্তাকূন।
ওয়া লাকাদ আরছালনা-নূহান ইলা-কাওমিহী ফাকা-লা ইয়া-কাওমি‘বুদল্লা-হা মালাকুম মিন ইলা-হিন গাইরুহূ আফালা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি নূহকে তার কওমের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
আর অবশ্যই আমি নূহকে তার কওমের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নূহকে তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল : ‘হে আমার জাতি! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তোমরা কি (তাঁকে) ভয় করবে না?’
আমি নূহকে তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল : ‘হে আমার জাতি! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তোমরা কি (তাঁকে) ভয় করবে না?’
Sahih International:
And We had certainly sent Noah to his people, and he said, "O my people, worship Allah; you have no deity other than Him; then will you not fear Him?"
And We had certainly sent Noah to his people, and he said, "O my people, worship Allah; you have no deity other than Him; then will you not fear Him?"
فَقَالَ الْمَلَؤُا الَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْ قَوْمِهٖ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُکُمْ ۙ یُرِیْدُ اَنْ یَّتَفَضَّلَ عَلَیْکُمْ ؕ وَ لَوْ شَآءَ اللّٰهُ لَاَنْزَلَ مَلٰٓئِکَۃً ۚۖ مَّا سَمِعْنَا بِهٰذَا فِیْۤ اٰبَآئِنَا الْاَوَّلِیْنَ ﴿ۚ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-লাল মালাউল্লাযীনা কাফারূমিন কাওমিহী মা-হা-যাইল্লা-বাশারুম মিছলুকুম ইউরীদুআইঁ ইয়াতাফাদ্দালা ‘আলাইকুম ওয়া লাও শাআল্লা-হু লাআনযালা মালাইকাতাম মা-ছামি‘না-বিহা-যা-ফীআ-বাইনাল আওওয়ালীন।
ফাকা-লাল মালাউল্লাযীনা কাফারূমিন কাওমিহী মা-হা-যাইল্লা-বাশারুম মিছলুকুম ইউরীদুআইঁ ইয়াতাফাদ্দালা ‘আলাইকুম ওয়া লাও শাআল্লা-হু লাআনযালা মালাইকাতাম মা-ছামি‘না-বিহা-যা-ফীআ-বাইনাল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
তারপর তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয়গণ, যারা কুফরী করেছিল- তারা বলল, ‘এতো তোমাদের মত একজন মানুষ ছাড়া কিছুই না। সে তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে চায়। আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। এ কথাতো আমরা আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের সময়েও শুনিনি’।
তারপর তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয়গণ, যারা কুফরী করেছিল- তারা বলল, ‘এতো তোমাদের মত একজন মানুষ ছাড়া কিছুই না। সে তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে চায়। আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। এ কথাতো আমরা আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের সময়েও শুনিনি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা কুফুরী করেছিল- বলেছিল : ‘এতো তোমাদের মত মানুষ ছাড়া কিছুই না, সে তোমাদের উপর প্রাধান্য লাভ করতে চায়, আল্লাহ (কাউকে নবীরূপে পাঠানোর) ইচ্ছে করলে তো তিনি ফেরেশতা পাঠাতেন, আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের সময়ে এ সব কথা তো শুনিনি।’
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা কুফুরী করেছিল- বলেছিল : ‘এতো তোমাদের মত মানুষ ছাড়া কিছুই না, সে তোমাদের উপর প্রাধান্য লাভ করতে চায়, আল্লাহ (কাউকে নবীরূপে পাঠানোর) ইচ্ছে করলে তো তিনি ফেরেশতা পাঠাতেন, আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের সময়ে এ সব কথা তো শুনিনি।’
Sahih International:
But the eminent among those who disbelieved from his people said, "This is not but a man like yourselves who wishes to take precedence over you; and if Allah had willed [to send a messenger], He would have sent down angels. We have not heard of this among our forefathers.
But the eminent among those who disbelieved from his people said, "This is not but a man like yourselves who wishes to take precedence over you; and if Allah had willed [to send a messenger], He would have sent down angels. We have not heard of this among our forefathers.
اِنْ هُوَ اِلَّا رَجُلٌۢ بِهٖ جِنَّۃٌ فَتَرَبَّصُوْا بِهٖ حَتّٰی حِیْنٍ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ইন হুওয়া ইল্লা-রাজুলুম বিহী জিন্নাতুন ফাতারাব্বাসুবিহী হাত্তা-হীন।
ইন হুওয়া ইল্লা-রাজুলুম বিহী জিন্নাতুন ফাতারাব্বাসুবিহী হাত্তা-হীন।
আল বায়ান:
‘সে কেবল এমন এক লোক, যার মধ্যে পাগলামী রয়েছে। অতএব তোমরা তার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর’।
‘সে কেবল এমন এক লোক, যার মধ্যে পাগলামী রয়েছে। অতএব তোমরা তার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
এতো এমন লোক যাকে পাগলামিতে পেয়েছে, কাজেই তার ব্যাপারে তোমরা কিছু কাল অপেক্ষা কর।
এতো এমন লোক যাকে পাগলামিতে পেয়েছে, কাজেই তার ব্যাপারে তোমরা কিছু কাল অপেক্ষা কর।
Sahih International:
He is not but a man possessed with madness, so wait concerning him for a time."
He is not but a man possessed with madness, so wait concerning him for a time."
قَالَ رَبِّ انْصُرْنِیْ بِمَا کَذَّبُوْنِ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বিনসুরনী বিমা-কাযযাবূন।
কা-লা রাব্বিনসুরনী বিমা-কাযযাবূন।
আল বায়ান:
নূহ বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন। কেননা তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে’।
নূহ বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন। কেননা তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
নূহ বলল : ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সাহায্য কর, কারণ তারা আমাকে মিথ্যেবাদী বলছে।’
নূহ বলল : ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সাহায্য কর, কারণ তারা আমাকে মিথ্যেবাদী বলছে।’
Sahih International:
[Noah] said, "My Lord, support me because they have denied me."
[Noah] said, "My Lord, support me because they have denied me."
فَاَوْحَیْنَاۤ اِلَیْهِ اَنِ اصْنَعِ الْفُلْکَ بِاَعْیُنِنَا وَ وَحْیِنَا فَاِذَا جَآءَ اَمْرُنَا وَ فَارَ التَّنُّوْرُ ۙ فَاسْلُکْ فِیْهَا مِنْ کُلٍّ زَوْجَیْنِ اثْنَیْنِ وَ اَهْلَکَ اِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَیْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ ۚ وَ لَا تُخَاطِبْنِیْ فِی الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ۚ اِنَّهُمْ مُّغْرَقُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ফাআওহাইনা ইলাইহি আনিসনা‘ইল ফুলকা বিআ‘ইউনিনা-ওয়া ওয়াহয়িনা-ফাইযাজাআ আমরুনা-ওয়া ফা-রাততাননূরূ ফাছলুক ফীহা-মিন কুলিন যাওজাইনিছনাইনি ওয়া আহ লাকা ইল্লা-মান ছাবাকা ‘আলাইহিল কাওলুমিনহুম ওয়ালা-তুখা-তিবনী ফিল্লাযীনা জালামূ ইন্নাহুম মুগরাকূন।
ফাআওহাইনা ইলাইহি আনিসনা‘ইল ফুলকা বিআ‘ইউনিনা-ওয়া ওয়াহয়িনা-ফাইযাজাআ আমরুনা-ওয়া ফা-রাততাননূরূ ফাছলুক ফীহা-মিন কুলিন যাওজাইনিছনাইনি ওয়া আহ লাকা ইল্লা-মান ছাবাকা ‘আলাইহিল কাওলুমিনহুম ওয়ালা-তুখা-তিবনী ফিল্লাযীনা জালামূ ইন্নাহুম মুগরাকূন।
আল বায়ান:
তারপর আমি তার কাছে ওহী প্রেরণ করলাম যে, তুমি আমার চোখের সামনে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌকা তৈরী কর। তারপর যখন আমার আদেশ আসবে এবং চুলা (পানিতে) উথলে উঠবে তখন প্রত্যেক জীবের এক জোড়া ও তোমার পরিবারবর্গকে নৌযানে তুলে নিও; তবে তাদের মধ্যে যাদের ব্যাপারে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে তারা ছাড়া। আর যারা যুলম করেছে তাদের ব্যাপারে তুমি আমাকে সম্বোধন করো না। নিশ্চয় তারা নিমজ্জিত হবে।
তারপর আমি তার কাছে ওহী প্রেরণ করলাম যে, তুমি আমার চোখের সামনে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌকা তৈরী কর। তারপর যখন আমার আদেশ আসবে এবং চুলা (পানিতে) উথলে উঠবে তখন প্রত্যেক জীবের এক জোড়া ও তোমার পরিবারবর্গকে নৌযানে তুলে নিও; তবে তাদের মধ্যে যাদের ব্যাপারে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে তারা ছাড়া। আর যারা যুলম করেছে তাদের ব্যাপারে তুমি আমাকে সম্বোধন করো না। নিশ্চয় তারা নিমজ্জিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি তার কাছে ওয়াহী পাঠালাম- আমার দৃষ্টির সম্মুখে আমার নির্দেশ অনুযায়ী নৌযান তৈরি কর, অতঃপর যখন আমার নির্দেশ আসবে আর উনুন (পানিতে) উথলে উঠবে, তখন নৌকায় তুলে নাও প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া আর তোমার পরিবারবর্গকে, তাদের মধ্যে যাদের বিপক্ষে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে। আর অন্যায়কারীদের পক্ষে আমার নিকট আবেদন করো না, তারা (বানে) ডুববেই।
তখন আমি তার কাছে ওয়াহী পাঠালাম- আমার দৃষ্টির সম্মুখে আমার নির্দেশ অনুযায়ী নৌযান তৈরি কর, অতঃপর যখন আমার নির্দেশ আসবে আর উনুন (পানিতে) উথলে উঠবে, তখন নৌকায় তুলে নাও প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া আর তোমার পরিবারবর্গকে, তাদের মধ্যে যাদের বিপক্ষে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে। আর অন্যায়কারীদের পক্ষে আমার নিকট আবেদন করো না, তারা (বানে) ডুববেই।
Sahih International:
So We inspired to him, "Construct the ship under Our observation, and Our inspiration, and when Our command comes and the oven overflows, put into the ship from each [creature] two mates and your family, except those for whom the decree [of destruction] has proceeded. And do not address Me concerning those who have wronged; indeed, they are to be drowned.
So We inspired to him, "Construct the ship under Our observation, and Our inspiration, and when Our command comes and the oven overflows, put into the ship from each [creature] two mates and your family, except those for whom the decree [of destruction] has proceeded. And do not address Me concerning those who have wronged; indeed, they are to be drowned.
فَاِذَا اسْتَوَیْتَ اَنْتَ وَ مَنْ مَّعَکَ عَلَی الْفُلْکِ فَقُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ نَجّٰنَا مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ফাইযাছ তাওয়াইতা আনতা ওয়া মাম মা‘আকা ‘আলাল ফুলকি ফাকুল্লি হামদুলিল্লা-হি ল্লাযী নাজ্জা-না-মিনাল কাওমিজ্জা-লিমীন।
ফাইযাছ তাওয়াইতা আনতা ওয়া মাম মা‘আকা ‘আলাল ফুলকি ফাকুল্লি হামদুলিল্লা-হি ল্লাযী নাজ্জা-না-মিনাল কাওমিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আরোহণ করবে তখন বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে যালিম কওম থেকে মুক্তি দিয়েছেন’।
অতঃপর যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আরোহণ করবে তখন বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে যালিম কওম থেকে মুক্তি দিয়েছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তুমি নৌযানে উঠে যাবে, তুমি আর তোমার সঙ্গীরা- তখন বলবে : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায় থেকে উদ্ধার করেছেন।’
যখন তুমি নৌযানে উঠে যাবে, তুমি আর তোমার সঙ্গীরা- তখন বলবে : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায় থেকে উদ্ধার করেছেন।’
Sahih International:
And when you have boarded the ship, you and those with you, then say, 'Praise to Allah who has saved us from the wrongdoing people.'
And when you have boarded the ship, you and those with you, then say, 'Praise to Allah who has saved us from the wrongdoing people.'
وَ قُلْ رَّبِّ اَنْزِلْنِیْ مُنْزَلًا مُّبٰرَکًا وَّ اَنْتَ خَیْرُ الْمُنْزِلِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুর রাব্বি আনযিলনী মুনযালাম মুবা-রাকাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল মুনযিলীন।
ওয়া কুর রাব্বি আনযিলনী মুনযালাম মুবা-রাকাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল মুনযিলীন।
আল বায়ান:
তুমি আরও বলবে, ‘হে আমার রব, আমাকে বরকতময় অবতরণস্থলে অবতরণ করান। আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ অবতরণকারী’।
তুমি আরও বলবে, ‘হে আমার রব, আমাকে বরকতময় অবতরণস্থলে অবতরণ করান। আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ অবতরণকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর বলো : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে কল্যাণকরভাবে নামিয়ে দাও, নামানোতে তুমিই সর্বোত্তম।
আর বলো : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে কল্যাণকরভাবে নামিয়ে দাও, নামানোতে তুমিই সর্বোত্তম।
Sahih International:
And say, 'My Lord, let me land at a blessed landing place, and You are the best to accommodate [us].' "
And say, 'My Lord, let me land at a blessed landing place, and You are the best to accommodate [us].' "
اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ وَّ اِنْ کُنَّا لَمُبْتَلِیْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিওঁ ওয়া ইন কুন্না-লামুবতালীন।
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিওঁ ওয়া ইন কুন্না-লামুবতালীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এর মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে। আর নিশ্চয় আমি পরীক্ষাকারী ছিলাম।
নিশ্চয় এর মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে। আর নিশ্চয় আমি পরীক্ষাকারী ছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে (মানুষের বুঝার জন্য), আমি (মানুষকে) পরীক্ষা করি।
এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে (মানুষের বুঝার জন্য), আমি (মানুষকে) পরীক্ষা করি।
Sahih International:
Indeed in that are signs, and indeed, We are ever testing [Our servants].
Indeed in that are signs, and indeed, We are ever testing [Our servants].
ثُمَّ اَنْشَاْنَا مِنْۢ بَعْدِهِمْ قَرْنًا اٰخَرِیْنَ ﴿ۚ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আশা’না-মিম বা‘দিহিম কারনান আ-খারীন।
ছু ম্মা আশা’না-মিম বা‘দিহিম কারনান আ-খারীন।
আল বায়ান:
তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।
তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদের পর আরেক মানব বংশ (‘আদ সম্প্রদায়কে) সৃষ্টি করেছিলাম।
অতঃপর তাদের পর আরেক মানব বংশ (‘আদ সম্প্রদায়কে) সৃষ্টি করেছিলাম।
Sahih International:
Then We produced after them a generation of others.
Then We produced after them a generation of others.
فَاَرْسَلْنَا فِیْهِمْ رَسُوْلًا مِّنْهُمْ اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَیْرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ফাআরছালনা-ফীহিম রাছূলাম মিনহুম আনি‘ বুদুল্লা-হা মা-লাকুম মিন ইলা-হিন গাইরুহূ আফালা-তাত্তাকূন।
ফাআরছালনা-ফীহিম রাছূলাম মিনহুম আনি‘ বুদুল্লা-হা মা-লাকুম মিন ইলা-হিন গাইরুহূ আফালা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদের মধ্যে তাদেরই একজনকে আমি রাসূলরূপে প্রেরণ করেছিলাম যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না।
অতঃপর তাদের মধ্যে তাদেরই একজনকে আমি রাসূলরূপে প্রেরণ করেছিলাম যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের মাঝে তাদেরই একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছিলাম এই ব’লে যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তবুও কি তোমরা (তাঁকে) ভয় করবে না?
আর তাদের মাঝে তাদেরই একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছিলাম এই ব’লে যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তবুও কি তোমরা (তাঁকে) ভয় করবে না?
Sahih International:
And We sent among them a messenger from themselves, [saying], "Worship Allah; you have no deity other than Him; then will you not fear Him?"
And We sent among them a messenger from themselves, [saying], "Worship Allah; you have no deity other than Him; then will you not fear Him?"
وَ قَالَ الْمَلَاُ مِنْ قَوْمِهِ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ کَذَّبُوْا بِلِقَآءِ الْاٰخِرَۃِ وَ اَتْرَفْنٰهُمْ فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ۙ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُکُمْ ۙ یَاْکُلُ مِمَّا تَاْکُلُوْنَ مِنْهُ وَ یَشْرَبُ مِمَّا تَشْرَبُوْنَ ﴿۪ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল মালাউ মিন কাওমিহিল্লাযীনা কাফারূওয়া কাযযাবূবিলিকাইল আখিরাতি ওয়া আতরাফনা-হুম ফিল হায়া-তিদ দুনইয়া- মা হা-যাইল্লা-বাশারুম মিছলুকুম ইয়া’কুলু মিম্মা-তা’কুলূনা মিনহু ওয়া ইয়াশরাবুমিম্মা-তাশরাবূন।
ওয়া কা-লাল মালাউ মিন কাওমিহিল্লাযীনা কাফারূওয়া কাযযাবূবিলিকাইল আখিরাতি ওয়া আতরাফনা-হুম ফিল হায়া-তিদ দুনইয়া- মা হা-যাইল্লা-বাশারুম মিছলুকুম ইয়া’কুলু মিম্মা-তা’কুলূনা মিনহু ওয়া ইয়াশরাবুমিম্মা-তাশরাবূন।
আল বায়ান:
আর তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ যারা কুফরী করেছে, আখেরাতের সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে এবং আমি দুনিয়ার জীবনে যাদের ভোগ বিলাসিতা দিয়েছিলাম, তারা বলল, ‘সে কেবল তোমাদের মত একজন মানুষ, সে তাই খায় যা থেকে তোমরা খাও এবং সে তাই পান করে যা থেকে তোমরা পান কর’।
আর তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ যারা কুফরী করেছে, আখেরাতের সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে এবং আমি দুনিয়ার জীবনে যাদের ভোগ বিলাসিতা দিয়েছিলাম, তারা বলল, ‘সে কেবল তোমাদের মত একজন মানুষ, সে তাই খায় যা থেকে তোমরা খাও এবং সে তাই পান করে যা থেকে তোমরা পান কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ- যারা কুফুরী করেছিল, আর আখিরাতের সাক্ষাৎকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল, যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছিলাম- বলেছিল : ‘সে তো তোমাদের মত মানুষ ছাড়া কিছু নয়। তোমরা যা খাও, সেও তাই খায়, তোমরা যা পান কর, সেও তাই পান করে।
কিন্তু তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ- যারা কুফুরী করেছিল, আর আখিরাতের সাক্ষাৎকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল, যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছিলাম- বলেছিল : ‘সে তো তোমাদের মত মানুষ ছাড়া কিছু নয়। তোমরা যা খাও, সেও তাই খায়, তোমরা যা পান কর, সেও তাই পান করে।
Sahih International:
And the eminent among his people who disbelieved and denied the meeting of the Hereafter while We had given them luxury in the worldly life said, "This is not but a man like yourselves. He eats of that from which you eat and drinks of what you drink.
And the eminent among his people who disbelieved and denied the meeting of the Hereafter while We had given them luxury in the worldly life said, "This is not but a man like yourselves. He eats of that from which you eat and drinks of what you drink.
وَ لَئِنْ اَطَعْتُمْ بَشَرًا مِّثْلَکُمْ اِنَّکُمْ اِذًا لَّخٰسِرُوْنَ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইন আতা‘তুম বাশারাম মিছলাকুম ইন্নাকুম ইযাল লাখা-ছিরূন।
ওয়া লাইন আতা‘তুম বাশারাম মিছলাকুম ইন্নাকুম ইযাল লাখা-ছিরূন।
আল বায়ান:
‘আর যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে’।
‘আর যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যদি তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তাহলে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তোমরা যদি তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তাহলে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
Sahih International:
And if you should obey a man like yourselves, indeed, you would then be losers.
And if you should obey a man like yourselves, indeed, you would then be losers.
اَیَعِدُکُمْ اَنَّکُمْ اِذَا مِتُّمْ وَ کُنْتُمْ تُرَابًا وَّ عِظَامًا اَنَّکُمْ مُّخْرَجُوْنَ ﴿۪ۙ۳۵﴾
উচ্চারণ:
আইয়া‘ইদুকুমআন্নাকুমইযা-মিততুমওয়াকনতুমতুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আন্নাকুম মুখরাজূন।
আইয়া‘ইদুকুমআন্নাকুমইযা-মিততুমওয়াকনতুমতুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আন্নাকুম মুখরাজূন।
আল বায়ান:
‘সে কি তোমাদের ওয়াদা দেয় যে, তোমরা যখন মারা যাবে এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাবে। তোমাদেরকে অবশ্যই বের করা হবে?’
‘সে কি তোমাদের ওয়াদা দেয় যে, তোমরা যখন মারা যাবে এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাবে। তোমাদেরকে অবশ্যই বের করা হবে?’
তাইসিরুল কুরআন:
সে কি তোমাদের সঙ্গে এই ওয়া‘দা করে যে, যখন তোমরা মরে যাবে আর মাটি ও হাড্ডিতে পরিণত হবে তখন তোমাদেরকে আবার জীবিত করা হবে।
সে কি তোমাদের সঙ্গে এই ওয়া‘দা করে যে, যখন তোমরা মরে যাবে আর মাটি ও হাড্ডিতে পরিণত হবে তখন তোমাদেরকে আবার জীবিত করা হবে।
Sahih International:
Does he promise you that when you have died and become dust and bones that you will be brought forth [once more]?
Does he promise you that when you have died and become dust and bones that you will be brought forth [once more]?
هَیْهَاتَ هَیْهَاتَ لِمَا تُوْعَدُوْنَ ﴿۪ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
হাইহা-তা হাই-হাতা লিমা-তূ‘আদূন।
হাইহা-তা হাই-হাতা লিমা-তূ‘আদূন।
আল বায়ান:
অনেক দূর, তোমাদের যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা অনেক দূর।
অনেক দূর, তোমাদের যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা অনেক দূর।
তাইসিরুল কুরআন:
দূরে ওটা, বহু দূরে যার ওয়া‘দা তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে।
দূরে ওটা, বহু দূরে যার ওয়া‘দা তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে।
Sahih International:
How far, how far, is that which you are promised.
How far, how far, is that which you are promised.
اِنْ هِیَ اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنْیَا نَمُوْتُ وَ نَحْیَا وَ مَا نَحْنُ بِمَبْعُوْثِیْنَ ﴿۪ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ইন হিয়া ইল্লা-হায়া-তুনাদ দুনইয়া-নামূতুওয়া নাহইয়া-ওয়ামা-নাহনুবিমাব‘উছীন।
ইন হিয়া ইল্লা-হায়া-তুনাদ দুনইয়া-নামূতুওয়া নাহইয়া-ওয়ামা-নাহনুবিমাব‘উছীন।
আল বায়ান:
‘এ শুধু আমাদের দুনিয়ার জীবন। আমরা মরে যাই এবং বেঁচে থাকি। আর আমরা পুনরুত্থিত হবার নই’।
‘এ শুধু আমাদের দুনিয়ার জীবন। আমরা মরে যাই এবং বেঁচে থাকি। আর আমরা পুনরুত্থিত হবার নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের এ দুনিয়ার জীবন ছাড়া কিছুই নেই, এখানেই আমরা মরি বাঁচি, আমাদেরকে কক্ষনো আবার উঠানো হবে না।
আমাদের এ দুনিয়ার জীবন ছাড়া কিছুই নেই, এখানেই আমরা মরি বাঁচি, আমাদেরকে কক্ষনো আবার উঠানো হবে না।
Sahih International:
Life is not but our worldly life - we die and live, but we will not be resurrected.
Life is not but our worldly life - we die and live, but we will not be resurrected.
اِنْ هُوَ اِلَّا رَجُلُۨ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا وَّ مَا نَحْنُ لَهٗ بِمُؤْمِنِیْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ইন হুওয়া ইল্লা-রাজুলুনিফতারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবাও ওয়ামা-নাহনুলাহূবিমু’মিনীন।
ইন হুওয়া ইল্লা-রাজুলুনিফতারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবাও ওয়ামা-নাহনুলাহূবিমু’মিনীন।
আল বায়ান:
‘সে শুধু এক ব্যক্তি যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করেছে; আর আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনয়নকারী নই’।
‘সে শুধু এক ব্যক্তি যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করেছে; আর আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনয়নকারী নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে তো এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে বানিয়ে নিয়েছে। আমরা তাকে বিশ্বাস করি না।’
সে তো এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে বানিয়ে নিয়েছে। আমরা তাকে বিশ্বাস করি না।’
Sahih International:
He is not but a man who has invented a lie about Allah, and we will not believe him."
He is not but a man who has invented a lie about Allah, and we will not believe him."
قَالَ رَبِّ انْصُرْنِیْ بِمَا کَذَّبُوْنِ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বিনসুরনী বিমা-কাযযাবূন।
কা-লা রাব্বিনসুরনী বিমা-কাযযাবূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন, কারণ তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে’।
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন, কারণ তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
(নবী) বলল : ‘হে আমার প্রতিপালক! তারা আমাকে মিথ্যেবাদী ব’লে দোষারোপ করছে- এ ব্যাপারে তুমি আমাকে সাহায্য কর।’
(নবী) বলল : ‘হে আমার প্রতিপালক! তারা আমাকে মিথ্যেবাদী ব’লে দোষারোপ করছে- এ ব্যাপারে তুমি আমাকে সাহায্য কর।’
Sahih International:
He said, "My Lord, support me because they have denied me."
He said, "My Lord, support me because they have denied me."
قَالَ عَمَّا قَلِیْلٍ لَّیُصْبِحُنَّ نٰدِمِیْنَ ﴿ۚ۴۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ‘আম্মা-কালীলিল লাইউসবিহুন্না না-দিমীন।
কা-লা ‘আম্মা-কালীলিল লাইউসবিহুন্না না-দিমীন।
আল বায়ান:
আল্লাহ বললেন, ‘কিছু সময়ের মধ্যেই তারা নিশ্চিতরূপে অনুতপ্ত হবে’।
আল্লাহ বললেন, ‘কিছু সময়ের মধ্যেই তারা নিশ্চিতরূপে অনুতপ্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যেই তারা অনুতপ্ত হবে।’
আল্লাহ বললেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যেই তারা অনুতপ্ত হবে।’
Sahih International:
[Allah] said, "After a little, they will surely become regretful."
[Allah] said, "After a little, they will surely become regretful."
فَاَخَذَتْهُمُ الصَّیْحَۃُ بِالْحَقِّ فَجَعَلْنٰهُمْ غُثَآءً ۚ فَبُعْدًا لِّلْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ফাআখাযাতহুমুসসাইহাতুবিলহাক্কিফাজা‘আলনা-হুম গুছাআন ফাবু‘দাল লিলকাওমিজ্জা-লিমীন।
ফাআখাযাতহুমুসসাইহাতুবিলহাক্কিফাজা‘আলনা-হুম গুছাআন ফাবু‘দাল লিলকাওমিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যথার্থই তাদেরকে এক বিকট আওয়াজ পেয়ে বসল, তারপর আমি তাদেরকে খড়কুটায় পরিণত করলাম। সুতরাং যালিম কওমের জন্য ধ্বংস।
অতঃপর যথার্থই তাদেরকে এক বিকট আওয়াজ পেয়ে বসল, তারপর আমি তাদেরকে খড়কুটায় পরিণত করলাম। সুতরাং যালিম কওমের জন্য ধ্বংস।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সত্যি সত্যিই এক ভয়ঙ্কর শব্দ তাদেরকে আঘাত করল আর তাদেরকে ভাগাড়ে পরিণত করলাম, কাজেই ধ্বংস হোক পাপী সম্প্রদায়।
অতঃপর সত্যি সত্যিই এক ভয়ঙ্কর শব্দ তাদেরকে আঘাত করল আর তাদেরকে ভাগাড়ে পরিণত করলাম, কাজেই ধ্বংস হোক পাপী সম্প্রদায়।
Sahih International:
So the shriek seized them in truth, and We made them as [plant] stubble. Then away with the wrongdoing people.
So the shriek seized them in truth, and We made them as [plant] stubble. Then away with the wrongdoing people.
ثُمَّ اَنْشَاْنَا مِنْۢ بَعْدِهِمْ قُرُوْنًا اٰخَرِیْنَ ﴿ؕ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আনশা’না-মিম বা‘দিহিম কুরুনান আ-খারীন।
ছু ম্মা আনশা’না-মিম বা‘দিহিম কুরুনান আ-খারীন।
আল বায়ান:
তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।
তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদের পরে আমি বহু জাতি সৃষ্টি করেছিলাম।
অতঃপর তাদের পরে আমি বহু জাতি সৃষ্টি করেছিলাম।
Sahih International:
Then We produced after them other generations.
Then We produced after them other generations.
مَا تَسْبِقُ مِنْ اُمَّۃٍ اَجَلَهَا وَ مَا یَسْتَاْخِرُوْنَ ﴿ؕ۴۳﴾
উচ্চারণ:
মা-তাছবিকুমিন উম্মাতিন আজালাহা-ওয়ামা-ইয়াছতা’খিরূন।
মা-তাছবিকুমিন উম্মাতিন আজালাহা-ওয়ামা-ইয়াছতা’খিরূন।
আল বায়ান:
কোন জাতি থেকে তার নির্দিষ্ট মেয়াদ এগিয়ে আসে না এবং বিলম্বিতও হয় না।
কোন জাতি থেকে তার নির্দিষ্ট মেয়াদ এগিয়ে আসে না এবং বিলম্বিতও হয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন জাতিই তাদের নির্দিষ্ট কালকে অগ্র পশ্চাৎ করতে পারে না।
কোন জাতিই তাদের নির্দিষ্ট কালকে অগ্র পশ্চাৎ করতে পারে না।
Sahih International:
No nation will precede its time [of termination], nor will they remain [thereafter].
No nation will precede its time [of termination], nor will they remain [thereafter].
ثُمَّ اَرْسَلْنَا رُسُلَنَا تَتْرَا ؕ کُلَّمَا جَآءَ اُمَّۃً رَّسُوْلُهَا کَذَّبُوْهُ فَاَتْبَعْنَا بَعْضَهُمْ بَعْضًا وَّ جَعَلْنٰهُمْ اَحَادِیْثَ ۚ فَبُعْدًا لِّقَوْمٍ لَّا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আর ছাল না-রুছুলানা-তাতরা- ‘কুল্লামা-জাআ উম্মাতার রাছূলুহা-কাযযাবূহু ফাআতবা‘না-বা‘দাহুম বা‘দাওঁ ওয়া জা‘আলনা-হুম আহা-দীছা ফাবু‘দাল লিকাওমিল লা-ইউ’মিনূন।
ছু ম্মা আর ছাল না-রুছুলানা-তাতরা- ‘কুল্লামা-জাআ উম্মাতার রাছূলুহা-কাযযাবূহু ফাআতবা‘না-বা‘দাহুম বা‘দাওঁ ওয়া জা‘আলনা-হুম আহা-দীছা ফাবু‘দাল লিকাওমিল লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
এরপর আমি আমাদের রাসূলদেরকে ধারাবাহিকভাবে প্রেরণ করেছি, যখনই কোন জাতির কাছে তাদের রাসূল আসত, তখনই তারা তাকে অস্বীকার করত। অতঃপর আমি এদের এককে অপরের অনুসরণে ধ্বংস করে দিয়েছি এবং তাদেরকে কাহিনীতে পরিণত করেছি। সুতরাং ধ্বংস হোক সে কওম যারা ঈমান আনে না।
এরপর আমি আমাদের রাসূলদেরকে ধারাবাহিকভাবে প্রেরণ করেছি, যখনই কোন জাতির কাছে তাদের রাসূল আসত, তখনই তারা তাকে অস্বীকার করত। অতঃপর আমি এদের এককে অপরের অনুসরণে ধ্বংস করে দিয়েছি এবং তাদেরকে কাহিনীতে পরিণত করেছি। সুতরাং ধ্বংস হোক সে কওম যারা ঈমান আনে না।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপর একাদিক্রমে আমি আমার রসূলদেরকে পাঠিয়েছি। যখনই কোন জাতির কাছে তাদের রসূল এসেছে, তারা তাকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছে, অতঃপর শাস্তি প্রাপ্তির ব্যাপারে তারা একে অন্যের অনুসরণ করেছে, অতঃপর তাদেরকে কাহিনী বানিয়ে দিলাম। কাজেই যে জাতি ঈমান আনে না তারা ধ্বংস হোক!
এরপর একাদিক্রমে আমি আমার রসূলদেরকে পাঠিয়েছি। যখনই কোন জাতির কাছে তাদের রসূল এসেছে, তারা তাকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছে, অতঃপর শাস্তি প্রাপ্তির ব্যাপারে তারা একে অন্যের অনুসরণ করেছে, অতঃপর তাদেরকে কাহিনী বানিয়ে দিলাম। কাজেই যে জাতি ঈমান আনে না তারা ধ্বংস হোক!
Sahih International:
Then We sent Our messengers in succession. Every time there came to a nation its messenger, they denied him, so We made them follow one another [to destruction], and We made them narrations. So away with a people who do not believe.
Then We sent Our messengers in succession. Every time there came to a nation its messenger, they denied him, so We made them follow one another [to destruction], and We made them narrations. So away with a people who do not believe.
ثُمَّ اَرْسَلْنَا مُوْسٰی وَ اَخَاهُ هٰرُوْنَ ۬ۙ بِاٰیٰتِنَا وَ سُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আর ছাল না-মূছা-ওয়া আখা-হু হা-রূনা বিআ-য়া-তিনা-ওয়া ছুলতা-নিম মুবীন।
ছু ম্মা আর ছাল না-মূছা-ওয়া আখা-হু হা-রূনা বিআ-য়া-তিনা-ওয়া ছুলতা-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
তারপর আমি মূসা ও তার ভাই হারূনকে আমার নিদর্শনাবলী ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছি।
তারপর আমি মূসা ও তার ভাই হারূনকে আমার নিদর্শনাবলী ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি মূসা ও তার ভাই হারূনকে পাঠিয়েছিলাম নিদর্শন আর সুস্পষ্ট প্রমাণ সহকারে।
অতঃপর আমি মূসা ও তার ভাই হারূনকে পাঠিয়েছিলাম নিদর্শন আর সুস্পষ্ট প্রমাণ সহকারে।
Sahih International:
Then We sent Moses and his brother Aaron with Our signs and a clear authority
Then We sent Moses and his brother Aaron with Our signs and a clear authority
اِلٰی فِرْعَوْنَ وَ مَلَا۠ئِهٖ فَاسْتَکْبَرُوْا وَ کَانُوْا قَوْمًا عَالِیْنَ ﴿ۚ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ইলা-ফিরআওনা ওয়া মালাইহী ফাছতাকবারূওয়া কা-নূকাওমান ‘আ-লীন।
ইলা-ফিরআওনা ওয়া মালাইহী ফাছতাকবারূওয়া কা-নূকাওমান ‘আ-লীন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন ও তার পারিষদবর্গের কাছে; কিন্তু তারা অহঙ্কার করল এবং তারা ছিল উদ্ধত কওম।
ফির‘আউন ও তার পারিষদবর্গের কাছে; কিন্তু তারা অহঙ্কার করল এবং তারা ছিল উদ্ধত কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন ও তার প্রধানগণের কাছে। কিন্তু তারা অহংকার করল, তারা ছিল এক উদ্ধত জাতি।
ফেরাউন ও তার প্রধানগণের কাছে। কিন্তু তারা অহংকার করল, তারা ছিল এক উদ্ধত জাতি।
Sahih International:
To Pharaoh and his establishment, but they were arrogant and were a haughty people.
To Pharaoh and his establishment, but they were arrogant and were a haughty people.
فَقَالُوْۤا اَنُؤْمِنُ لِبَشَرَیْنِ مِثْلِنَا وَ قَوْمُهُمَا لَنَا عٰبِدُوْنَ ﴿ۚ۴۷﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-লূআনু’মিনুলিবাশারাইনি মিছলিনা-ওয়া কাওমুহুমা-লানা-‘আ-বিদূন।
ফাকা-লূআনু’মিনুলিবাশারাইনি মিছলিনা-ওয়া কাওমুহুমা-লানা-‘আ-বিদূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা বলল, আমরা কি আমাদের মতই দু’জন মানুষের প্রতি ঈমান আনব অথচ তাদের কওম আমাদের সেবাদাস।
অতঃপর তারা বলল, আমরা কি আমাদের মতই দু’জন মানুষের প্রতি ঈমান আনব অথচ তাদের কওম আমাদের সেবাদাস।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমরা কি আমাদেরই মত দু’জন লোকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব, অথচ তাদের সম্প্রদায় আমাদের দাস?’
তারা বলল, ‘আমরা কি আমাদেরই মত দু’জন লোকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব, অথচ তাদের সম্প্রদায় আমাদের দাস?’
Sahih International:
They said, "Should we believe two men like ourselves while their people are for us in servitude?"
They said, "Should we believe two men like ourselves while their people are for us in servitude?"
فَکَذَّبُوْهُمَا فَکَانُوْا مِنَ الْمُهْلَکِیْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ফাকাযযাবূহুমা-ফাকা-নূমিনাল মুহলাকীন।
ফাকাযযাবূহুমা-ফাকা-নূমিনাল মুহলাকীন।
আল বায়ান:
অতএব তারা তাদের উভয়কে মিথ্যাবাদী বলল। ফলে তারা ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
অতএব তারা তাদের উভয়কে মিথ্যাবাদী বলল। ফলে তারা ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের দু’জনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করল, ফলে তারা ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
তারা তাদের দু’জনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করল, ফলে তারা ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
Sahih International:
So they denied them and were of those destroyed.
So they denied them and were of those destroyed.
وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْکِتٰبَ لَعَلَّهُمْ یَهْتَدُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছাল কিতা-বা লা‘আল্লাহুম ইয়াহতাদূন।
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছাল কিতা-বা লা‘আল্লাহুম ইয়াহতাদূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব প্রদান করেছিলাম যাতে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়।
আর অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব প্রদান করেছিলাম যাতে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম যাতে তারা সঠিক পথ পেতে পারে।
আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম যাতে তারা সঠিক পথ পেতে পারে।
Sahih International:
And We certainly gave Moses the Scripture that perhaps they would be guided.
And We certainly gave Moses the Scripture that perhaps they would be guided.
وَ جَعَلْنَا ابْنَ مَرْیَمَ وَ اُمَّهٗۤ اٰیَۃً وَّ اٰوَیْنٰهُمَاۤ اِلٰی رَبْوَۃٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَّ مَعِیْنٍ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনাবনা মারয়ামা ওয়া উম্মাহূ আ-য়াতাওঁ ওয়াআ- ওয়াইনা-হুমা ইলারবওয়াতিন যা-তি কারা-রিওঁ ওয়া মা‘ঈন।
ওয়া জা‘আলনাবনা মারয়ামা ওয়া উম্মাহূ আ-য়াতাওঁ ওয়াআ- ওয়াইনা-হুমা ইলারবওয়াতিন যা-তি কারা-রিওঁ ওয়া মা‘ঈন।
আল বায়ান:
আর আমি মারইয়াম-পুত্র ও তার মাকে নিদর্শন বানালাম এবং তাদেরকে আবাসযোগ্য ও ঝর্নাবিশিষ্ট এক উঁচু ভূমিতে আশ্রয় দিলাম।
আর আমি মারইয়াম-পুত্র ও তার মাকে নিদর্শন বানালাম এবং তাদেরকে আবাসযোগ্য ও ঝর্নাবিশিষ্ট এক উঁচু ভূমিতে আশ্রয় দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মারইয়াম-পুত্র আর তার মাকে নিদর্শন করেছিলাম আর তাদেরকে স্বস্তি নিরাপত্তা ও ঝর্ণা বিশিষ্ট উচ্চ স্থানে আশ্রয় দিয়েছিলাম।
আমি মারইয়াম-পুত্র আর তার মাকে নিদর্শন করেছিলাম আর তাদেরকে স্বস্তি নিরাপত্তা ও ঝর্ণা বিশিষ্ট উচ্চ স্থানে আশ্রয় দিয়েছিলাম।
Sahih International:
And We made the son of Mary and his mother a sign and sheltered them within a high ground having level [areas] and flowing water.
And We made the son of Mary and his mother a sign and sheltered them within a high ground having level [areas] and flowing water.
یٰۤاَیُّهَا الرُّسُلُ کُلُوْا مِنَ الطَّیِّبٰتِ وَ اعْمَلُوْا صَالِحًا ؕ اِنِّیْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِیْمٌ ﴿ؕ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহার রুছুলুকুলূমিনাততাইয়িবা-তি ওয়া‘মালূসা-লিহান ইন্নী বিমাতা‘মালূনা ‘আলীম।
ইয়াআইয়ুহার রুছুলুকুলূমিনাততাইয়িবা-তি ওয়া‘মালূসা-লিহান ইন্নী বিমাতা‘মালূনা ‘আলীম।
আল বায়ান:
‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল বস্ত্ত থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সর্ম্পকে আমি সম্যক জ্ঞাত।
‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল বস্ত্ত থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সর্ম্পকে আমি সম্যক জ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
হে রসূলগণ! পবিত্র বস্তু আহার কর, আর সৎ কাজ কর, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমি পূর্ণরূপে অবগত।
হে রসূলগণ! পবিত্র বস্তু আহার কর, আর সৎ কাজ কর, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমি পূর্ণরূপে অবগত।
Sahih International:
[Allah said], "O messengers, eat from the good foods and work righteousness. Indeed, I, of what you do, am Knowing.
[Allah said], "O messengers, eat from the good foods and work righteousness. Indeed, I, of what you do, am Knowing.
وَ اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُکُمْ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ اَنَا رَبُّکُمْ فَاتَّقُوْنِ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না হা-যিহীউম্মাতুকুম উম্মাতাওঁ ওয়াহিদাতাওঁ ওয়া আনা-রাব্বুকুম ফাত্তাকূন।
ওয়া ইন্না হা-যিহীউম্মাতুকুম উম্মাতাওঁ ওয়াহিদাতাওঁ ওয়া আনা-রাব্বুকুম ফাত্তাকূন।
আল বায়ান:
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমাকে ভয় কর।
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমাকে ভয় কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের এসব উম্মাত তো একই উম্মাত, আর আমিই তোমাদের প্রতিপালক, কাজেই আমাকেই ভয় কর।
তোমাদের এসব উম্মাত তো একই উম্মাত, আর আমিই তোমাদের প্রতিপালক, কাজেই আমাকেই ভয় কর।
Sahih International:
And indeed this, your religion, is one religion, and I am your Lord, so fear Me."
And indeed this, your religion, is one religion, and I am your Lord, so fear Me."
فَتَقَطَّعُوْۤا اَمْرَهُمْ بَیْنَهُمْ زُبُرًا ؕ کُلُّ حِزْبٍۭ بِمَا لَدَیْهِمْ فَرِحُوْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ফাতাকাততা‘ঊআমরাহুম বাইনাহুম যুবুরান কুল্লুহিযবিম বিমা-লাদাইহিম ফারিহূন।
ফাতাকাততা‘ঊআমরাহুম বাইনাহুম যুবুরান কুল্লুহিযবিম বিমা-লাদাইহিম ফারিহূন।
আল বায়ান:
তারপর লোকেরা তাদের মাঝে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে উৎফুল্ল।
তারপর লোকেরা তাদের মাঝে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে উৎফুল্ল।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু মানুষ তাদের কর্তব্য কর্মকে বহুধা বিভক্ত করে ফেলেছে, আর প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে আনন্দিত।
কিন্তু মানুষ তাদের কর্তব্য কর্মকে বহুধা বিভক্ত করে ফেলেছে, আর প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে আনন্দিত।
Sahih International:
But the people divided their religion among them into sects - each faction, in what it has, rejoicing.
But the people divided their religion among them into sects - each faction, in what it has, rejoicing.
فَذَرْهُمْ فِیْ غَمْرَتِهِمْ حَتّٰی حِیْنٍ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ফাযারহুম ফী গামরাতিহিম হাত্তা-হীন।
ফাযারহুম ফী গামরাতিহিম হাত্তা-হীন।
আল বায়ান:
সুতরাং কিছু সময়ের জন্য তাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।
সুতরাং কিছু সময়ের জন্য তাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তাদেরকে কিছুকাল তাদের অজ্ঞানতাপ্রসূত বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।
কাজেই তাদেরকে কিছুকাল তাদের অজ্ঞানতাপ্রসূত বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।
Sahih International:
So leave them in their confusion for a time.
So leave them in their confusion for a time.
اَیَحْسَبُوْنَ اَنَّمَا نُمِدُّهُمْ بِهٖ مِنْ مَّالٍ وَّ بَنِیْنَ ﴿ۙ۵۵﴾
উচ্চারণ:
আইয়াহছাবূনা আন্নামা-নুমিদ্দুহুম বিহী মিম মা-লিওঁ ওয়া বানীন।
আইয়াহছাবূনা আন্নামা-নুমিদ্দুহুম বিহী মিম মা-লিওঁ ওয়া বানীন।
আল বায়ান:
তারা কি মনে করছে যে, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি থেকে যা আমি তাদেরকে দেই।
তারা কি মনে করছে যে, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি থেকে যা আমি তাদেরকে দেই।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি ভেবে নিয়েছে, আমি যে তাদেরকে ধনৈশ্বর্য ও সন্তানাদির প্রাচুর্য দিয়ে সাহায্য করেছি
তারা কি ভেবে নিয়েছে, আমি যে তাদেরকে ধনৈশ্বর্য ও সন্তানাদির প্রাচুর্য দিয়ে সাহায্য করেছি
Sahih International:
Do they think that what We extend to them of wealth and children
Do they think that what We extend to them of wealth and children
نُسَارِعُ لَهُمْ فِی الْخَیْرٰتِ ؕ بَلْ لَّا یَشْعُرُوْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
নুছা-রি‘উ লাহুম ফিল খাইরা-তি বাল লা-ইয়াশ‘উরূন।
নুছা-রি‘উ লাহুম ফিল খাইরা-তি বাল লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
(তা দ্বারা) আমি তাদের কল্যাণে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি; বরং তারা উপলদ্ধি করতে পারছে না।
(তা দ্বারা) আমি তাদের কল্যাণে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি; বরং তারা উপলদ্ধি করতে পারছে না।
তাইসিরুল কুরআন:
এর দ্বারা কি তাদের কল্যাণ ত্বরান্বিত করছি? না, তারা বুঝে না।
এর দ্বারা কি তাদের কল্যাণ ত্বরান্বিত করছি? না, তারা বুঝে না।
Sahih International:
Is [because] We hasten for them good things? Rather, they do not perceive.
Is [because] We hasten for them good things? Rather, they do not perceive.
اِنَّ الَّذِیْنَ هُمْ مِّنْ خَشْیَۃِ رَبِّهِمْ مُّشْفِقُوْنَ ﴿ۙ۵۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল লাযীনা হুম মিন খাশইয়াতি রাব্বিহিম মুশফিকূন।
ইন্নাল লাযীনা হুম মিন খাশইয়াতি রাব্বিহিম মুশফিকূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা তাদের রবের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত,
নিশ্চয় যারা তাদের রবের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত,
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয় যারা তাদের প্রতিপালকের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে থাকে,
নিশ্চয় যারা তাদের প্রতিপালকের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে থাকে,
Sahih International:
Indeed, they who are apprehensive from fear of their Lord
Indeed, they who are apprehensive from fear of their Lord
وَ الَّذِیْنَ هُمْ بِاٰیٰتِ رَبِّهِمْ یُؤْمِنُوْنَ ﴿ۙ۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম বিআ-য়া-তি রাব্বিহিম ইউ’মিনূন।
ওয়াল্লাযীনা হুম বিআ-য়া-তি রাব্বিহিম ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের রবের আয়াতসমূহে ঈমান আনে।
আর যারা তাদের রবের আয়াতসমূহে ঈমান আনে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস স্থাপন করে,
যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস স্থাপন করে,
Sahih International:
And they who believe in the signs of their Lord
And they who believe in the signs of their Lord
وَ الَّذِیْنَ هُمْ بِرَبِّهِمْ لَا یُشْرِکُوْنَ ﴿ۙ۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম বিরাব্বিহিম লা-ইউশরিকূন।
ওয়াল্লাযীনা হুম বিরাব্বিহিম লা-ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না,
আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না,
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের প্রতিপালকের সঙ্গে শরীক করে না,
যারা তাদের প্রতিপালকের সঙ্গে শরীক করে না,
Sahih International:
And they who do not associate anything with their Lord
And they who do not associate anything with their Lord
وَ الَّذِیْنَ یُؤْتُوْنَ مَاۤ اٰتَوْا وَّ قُلُوْبُهُمْ وَجِلَۃٌ اَنَّهُمْ اِلٰی رَبِّهِمْ رٰجِعُوْنَ ﴿ۙ۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইউ’তূনা মাআ-তাওঁ ওয়া কুলূবুহুম ওয়াজিলাতুনআন্নাহুমইলা-লাব্বিহিম রাজি‘উন।
ওয়াল্লাযীনা ইউ’তূনা মাআ-তাওঁ ওয়া কুলূবুহুম ওয়াজিলাতুনআন্নাহুমইলা-লাব্বিহিম রাজি‘উন।
আল বায়ান:
আর যারা যা দান করে তা ভীত-কম্পিত হৃদয়ে করে থাকে এজন্য যে, তারা তাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল।
আর যারা যা দান করে তা ভীত-কম্পিত হৃদয়ে করে থাকে এজন্য যে, তারা তাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের দানের বস্তু দান করে আর তাদের অন্তর ভীত শংকিত থাকে এ জন্যে যে, তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে।
যারা তাদের দানের বস্তু দান করে আর তাদের অন্তর ভীত শংকিত থাকে এ জন্যে যে, তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে।
Sahih International:
And they who give what they give while their hearts are fearful because they will be returning to their Lord -
And they who give what they give while their hearts are fearful because they will be returning to their Lord -
اُولٰٓئِکَ یُسٰرِعُوْنَ فِی الْخَیْرٰتِ وَ هُمْ لَهَا سٰبِقُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা ইউছা-রি‘উনা ফিল খাইরা-তি ওয়া হুম লাহা-ছা-বিকূন।
উলাইকা ইউছা-রি‘উনা ফিল খাইরা-তি ওয়া হুম লাহা-ছা-বিকূন।
আল বায়ান:
তারাই কল্যাণসমূহের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এবং তাতে তারা অগ্রগামী।
তারাই কল্যাণসমূহের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এবং তাতে তারা অগ্রগামী।
তাইসিরুল কুরআন:
এরাই কল্যাণকাজে দ্রুতগতি, আর তাতে তারা অগ্রগামী।
এরাই কল্যাণকাজে দ্রুতগতি, আর তাতে তারা অগ্রগামী।
Sahih International:
It is those who hasten to good deeds, and they outstrip [others] therein.
It is those who hasten to good deeds, and they outstrip [others] therein.
وَ لَا نُکَلِّفُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا وَ لَدَیْنَا کِتٰبٌ یَّنْطِقُ بِالْحَقِّ وَ هُمْ لَا یُظْلَمُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-নুকালিলফুনাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-ওয়া লাদাইনা-কিতা-বুইঁ ইয়ানতিকুবিলহাক্কি ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।
ওয়ালা-নুকালিলফুনাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-ওয়া লাদাইনা-কিতা-বুইঁ ইয়ানতিকুবিলহাক্কি ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।
আল বায়ান:
আর আমি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব দেই না। আমার নিকট আছে এমন কিতাব যা সত্য কথা বলে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না।
আর আমি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব দেই না। আমার নিকট আছে এমন কিতাব যা সত্য কথা বলে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত কষ্ট দেই না, আর আমার কাছে এমন এক কিতাব আছে যা সত্য বলে, আর তাদের প্রতি মোটেই যুলম করা হবে না।
আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত কষ্ট দেই না, আর আমার কাছে এমন এক কিতাব আছে যা সত্য বলে, আর তাদের প্রতি মোটেই যুলম করা হবে না।
Sahih International:
And We charge no soul except [with that within] its capacity, and with Us is a record which speaks with truth; and they will not be wronged.
And We charge no soul except [with that within] its capacity, and with Us is a record which speaks with truth; and they will not be wronged.
بَلْ قُلُوْبُهُمْ فِیْ غَمْرَۃٍ مِّنْ هٰذَا وَ لَهُمْ اَعْمَالٌ مِّنْ دُوْنِ ذٰلِکَ هُمْ لَهَا عٰمِلُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
বাল কুলূবুহুম ফী গামরাতিম মিন হা-যা-ওয়া লাহুম ‘আমা-লুমমিনদূনি যা-লিকা হুম লাহা-‘আ-মিলূন।
বাল কুলূবুহুম ফী গামরাতিম মিন হা-যা-ওয়া লাহুম ‘আমা-লুমমিনদূনি যা-লিকা হুম লাহা-‘আ-মিলূন।
আল বায়ান:
বরং তাদের অন্তরসমূহ এ বিষয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে। এছাড়া তাদের আরও আনেক আমল রয়েছে, যা তারা করছে।
বরং তাদের অন্তরসমূহ এ বিষয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে। এছাড়া তাদের আরও আনেক আমল রয়েছে, যা তারা করছে।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং তাদের অন্তর এ বিষয়ে অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে, এছাড়া তাদের আরো (মন্দ) কাজ আছে যা তারা করতে থাকবে।
বরং তাদের অন্তর এ বিষয়ে অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে, এছাড়া তাদের আরো (মন্দ) কাজ আছে যা তারা করতে থাকবে।
Sahih International:
But their hearts are covered with confusion over this, and they have [evil] deeds besides disbelief which they are doing,
But their hearts are covered with confusion over this, and they have [evil] deeds besides disbelief which they are doing,
حَتّٰۤی اِذَاۤ اَخَذْنَا مُتْرَفِیْهِمْ بِالْعَذَابِ اِذَا هُمْ یَجْـَٔرُوْنَ ﴿ؕ۶۴﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযাআখাযনা -মুতরাফীহিম বিলআযা-বি ইযা-হুম ইয়াজআরূন।
হাত্তাইযাআখাযনা -মুতরাফীহিম বিলআযা-বি ইযা-হুম ইয়াজআরূন।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন আমি তাদের ভোগবিলাসপূর্ণ জীবনধারীদের আযাব দ্বারা পাকড়াও করব, তখন তারা সজোরে আর্তনাদ করে উঠবে।
অবশেষে যখন আমি তাদের ভোগবিলাসপূর্ণ জীবনধারীদের আযাব দ্বারা পাকড়াও করব, তখন তারা সজোরে আর্তনাদ করে উঠবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশেষে আমি যখন তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের) মধ্যে বিত্ত সম্পদশালীদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করব, তখন তারা চিৎকার জুড়ে দেবে।
অবশেষে আমি যখন তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের) মধ্যে বিত্ত সম্পদশালীদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করব, তখন তারা চিৎকার জুড়ে দেবে।
Sahih International:
Until when We seize their affluent ones with punishment, at once they are crying [to Allah] for help.
Until when We seize their affluent ones with punishment, at once they are crying [to Allah] for help.
لَا تَجْـَٔرُوا الْیَوْمَ ۟ اِنَّکُمْ مِّنَّا لَا تُنْصَرُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
লা-তাজআরুল ইয়াওমা ইন্নাকুম মিন্না-লা-তুনসারূন।
লা-তাজআরুল ইয়াওমা ইন্নাকুম মিন্না-লা-তুনসারূন।
আল বায়ান:
আজ তোমরা সজোরে আর্তনাদ করো না। নিশ্চয় তোমরা আমার পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।
আজ তোমরা সজোরে আর্তনাদ করো না। নিশ্চয় তোমরা আমার পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
(বলা হবে) ‘আজ চিৎকার করো না, আমার কাছ থেকে তোমরা সাহায্য পাবে না।’
(বলা হবে) ‘আজ চিৎকার করো না, আমার কাছ থেকে তোমরা সাহায্য পাবে না।’
Sahih International:
Do not cry out today. Indeed, by Us you will not be helped.
Do not cry out today. Indeed, by Us you will not be helped.
قَدْ کَانَتْ اٰیٰتِیْ تُتْلٰی عَلَیْکُمْ فَکُنْتُمْ عَلٰۤی اَعْقَابِکُمْ تَنْکِصُوْنَ ﴿ۙ۶۶﴾
উচ্চারণ:
কাদ কা-নাত আ-য়া-তী তুতলা-আলাইকুম ফাকুনতুম ‘আলাআ’কা-বিকুম তানকিসূন।
কাদ কা-নাত আ-য়া-তী তুতলা-আলাইকুম ফাকুনতুম ‘আলাআ’কা-বিকুম তানকিসূন।
আল বায়ান:
আমার আয়াতসমূহ তোমাদের সামনে অবশ্যই তিলাওয়াত করা হত, তারপর তোমরা তোমাদের পেছন ফিরে চলে যেতে,
আমার আয়াতসমূহ তোমাদের সামনে অবশ্যই তিলাওয়াত করা হত, তারপর তোমরা তোমাদের পেছন ফিরে চলে যেতে,
তাইসিরুল কুরআন:
আমার আয়াত তোমাদের কাছে পড়ে শোনানো হত, কিন্তু তোমরা গোড়ালির ভরে পিছনে ঘুরে দাঁড়াতে।
আমার আয়াত তোমাদের কাছে পড়ে শোনানো হত, কিন্তু তোমরা গোড়ালির ভরে পিছনে ঘুরে দাঁড়াতে।
Sahih International:
My verses had already been recited to you, but you were turning back on your heels
My verses had already been recited to you, but you were turning back on your heels
مُسْتَکْبِرِیْنَ ٭ۖ بِهٖ سٰمِرًا تَهْجُرُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
মুছতাকবিরীনা বিহী ছা-মিরান তাহজুরূন।
মুছতাকবিরীনা বিহী ছা-মিরান তাহজুরূন।
আল বায়ান:
এর উপর অহঙ্কারবশে, রাত জেগে অর্থহীন গল্প-গুজব করতে।
এর উপর অহঙ্কারবশে, রাত জেগে অর্থহীন গল্প-গুজব করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
অহংকারবশতঃ (কুরআন) সম্পর্কে অর্থহীন কথা বলতে যেমন কেউ রাতে গল্প বলে।
অহংকারবশতঃ (কুরআন) সম্পর্কে অর্থহীন কথা বলতে যেমন কেউ রাতে গল্প বলে।
Sahih International:
In arrogance regarding it, conversing by night, speaking evil.
In arrogance regarding it, conversing by night, speaking evil.
اَفَلَمْ یَدَّبَّرُوا الْقَوْلَ اَمْ جَآءَهُمْ مَّا لَمْ یَاْتِ اٰبَآءَهُمُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۫۶۸﴾
উচ্চারণ:
আফালাম ইয়াদ্দাব্বারুল কাওলা আম জাআহুম মা-লাম ইয়া’তি আ-বাআ হুমুল আওওয়ালীন।
আফালাম ইয়াদ্দাব্বারুল কাওলা আম জাআহুম মা-লাম ইয়া’তি আ-বাআ হুমুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
তারা কি এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? নাকি তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে যা তাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি?
তারা কি এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? নাকি তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে যা তাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি?
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে তারা কি (আল্লাহর) এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? কিংবা তাদের কাছে এমন কিছু (নতুন বস্তু) এসেছে যা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে আসেনি?
তাহলে তারা কি (আল্লাহর) এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? কিংবা তাদের কাছে এমন কিছু (নতুন বস্তু) এসেছে যা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে আসেনি?
Sahih International:
Then have they not reflected over the Qur'an, or has there come to them that which had not come to their forefathers?
Then have they not reflected over the Qur'an, or has there come to them that which had not come to their forefathers?
اَمْ لَمْ یَعْرِفُوْا رَسُوْلَهُمْ فَهُمْ لَهٗ مُنْکِرُوْنَ ﴿۫۶۹﴾
উচ্চারণ:
আম লাম ইয়া‘রিফূরাছুলাহুম ফাহুম লাহূমুনকিরূন।
আম লাম ইয়া‘রিফূরাছুলাহুম ফাহুম লাহূমুনকিরূন।
আল বায়ান:
নাকি তারা তাদের রাসূলকে চিনতে পারেনি, ফলে তারা তাকে অস্বীকার করছে?
নাকি তারা তাদের রাসূলকে চিনতে পারেনি, ফলে তারা তাকে অস্বীকার করছে?
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা তারা কি তাদের রসূলকে চিনতে পারে না এজন্য তারা তাকে অস্বীকার করছে
কিংবা তারা কি তাদের রসূলকে চিনতে পারে না এজন্য তারা তাকে অস্বীকার করছে
Sahih International:
Or did they not know their Messenger, so they are toward him disacknowledging?
Or did they not know their Messenger, so they are toward him disacknowledging?
اَمْ یَقُوْلُوْنَ بِهٖ جِنَّۃٌ ؕ بَلْ جَآءَهُمْ بِالْحَقِّ وَ اَکْثَرُهُمْ لِلْحَقِّ کٰرِهُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
আম ইয়াকূলূনা বিহী জিন্নাতুম বাল জাআহুম বিলহাক্কিওয়া আকছারুহুম লিলহাক্কি কা-রিহূন।
আম ইয়াকূলূনা বিহী জিন্নাতুম বাল জাআহুম বিলহাক্কিওয়া আকছারুহুম লিলহাক্কি কা-রিহূন।
আল বায়ান:
নাকি তারা বলছে যে, তার মধ্যে কোন পাগলামী রয়েছে? না, বরং সে তাদের কাছে সত্য নিয়েই এসেছিল। আর তাদের অধিকাংশ লোকই সত্যকে অপছন্দকারী।
নাকি তারা বলছে যে, তার মধ্যে কোন পাগলামী রয়েছে? না, বরং সে তাদের কাছে সত্য নিয়েই এসেছিল। আর তাদের অধিকাংশ লোকই সত্যকে অপছন্দকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা তারা কি বলে যে, সে উন্মাদ? না, প্রকৃতপক্ষে সে তাদের কাছে সত্য নিয়ে এসেছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে অপছন্দ করে।
অথবা তারা কি বলে যে, সে উন্মাদ? না, প্রকৃতপক্ষে সে তাদের কাছে সত্য নিয়ে এসেছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে অপছন্দ করে।
Sahih International:
Or do they say, "In him is madness?" Rather, he brought them the truth, but most of them, to the truth, are averse.
Or do they say, "In him is madness?" Rather, he brought them the truth, but most of them, to the truth, are averse.
وَ لَوِ اتَّبَعَ الْحَقُّ اَهْوَآءَهُمْ لَفَسَدَتِ السَّمٰوٰتُ وَ الْاَرْضُ وَ مَنْ فِیْهِنَّ ؕ بَلْ اَتَیْنٰهُمْ بِذِکْرِهِمْ فَهُمْ عَنْ ذِکْرِهِمْ مُّعْرِضُوْنَ ﴿ؕ۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা বিততাবা‘আল হাক্কুআহওয়াআহুম লাফাছাদাতিছ ছামা-ওয়া-তুওয়াল আরদ ওয়া মান ফীহিন্না বাল আতাইনা-হুম বিযিকরিহিম ফাহুম ‘আন যিকরিহিম মু‘রিদূ ন।
ওয়ালা বিততাবা‘আল হাক্কুআহওয়াআহুম লাফাছাদাতিছ ছামা-ওয়া-তুওয়াল আরদ ওয়া মান ফীহিন্না বাল আতাইনা-হুম বিযিকরিহিম ফাহুম ‘আন যিকরিহিম মু‘রিদূ ন।
আল বায়ান:
আর যদি সত্য তাদের কামনা-বাসনার অনুগামী হত, তবে আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যস্থিত সব কিছু বিপর্যস্ত হয়ে যেত; বরং আমি তাদেরকে দিয়েছি তাদের উপদেশবাণী (কুরআন)। অথচ তারা তাদের উপদেশ হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
আর যদি সত্য তাদের কামনা-বাসনার অনুগামী হত, তবে আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যস্থিত সব কিছু বিপর্যস্ত হয়ে যেত; বরং আমি তাদেরকে দিয়েছি তাদের উপদেশবাণী (কুরআন)। অথচ তারা তাদের উপদেশ হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
তাইসিরুল কুরআন:
সত্য যদি তাদের ইচ্ছে-আকাঙ্ক্ষার অনুসারী হত তাহলে আকাশ পৃথিবী আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে সব লন্ডভন্ড হয়ে যেত। (তাদের কামনা-বাসনার) বিপরীতে আমি তাদেরকে দিয়েছি তাদের জন্য উপদেশবাণী কিন্তু তারা উপদেশবাণী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।
সত্য যদি তাদের ইচ্ছে-আকাঙ্ক্ষার অনুসারী হত তাহলে আকাশ পৃথিবী আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে সব লন্ডভন্ড হয়ে যেত। (তাদের কামনা-বাসনার) বিপরীতে আমি তাদেরকে দিয়েছি তাদের জন্য উপদেশবাণী কিন্তু তারা উপদেশবাণী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।
Sahih International:
But if the Truth had followed their inclinations, the heavens and the earth and whoever is in them would have been ruined. Rather, We have brought them their message, but they, from their message, are turning away.
But if the Truth had followed their inclinations, the heavens and the earth and whoever is in them would have been ruined. Rather, We have brought them their message, but they, from their message, are turning away.
اَمْ تَسْـَٔلُهُمْ خَرْجًا فَخَرَاجُ رَبِّکَ خَیْرٌ ٭ۖ وَّ هُوَ خَیْرُ الرّٰزِقِیْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
আম তাছআলুহুম খারজান ফাখারা-জুরাব্বিকা খাইরুওঁ ওয়া হুওয়া খাইরুর রা-যিকীন।
আম তাছআলুহুম খারজান ফাখারা-জুরাব্বিকা খাইরুওঁ ওয়া হুওয়া খাইরুর রা-যিকীন।
আল বায়ান:
নাকি তুমি তাদের কাছে কোন প্রতিদান চাও? তবে তোমার রবের প্রতিদান সর্বোত্তম। আর তিনিই সর্বোত্তম রিয্কদাতা।
নাকি তুমি তাদের কাছে কোন প্রতিদান চাও? তবে তোমার রবের প্রতিদান সর্বোত্তম। আর তিনিই সর্বোত্তম রিয্কদাতা।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা তুমি কি তাদের কাছ থেকে কোন প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই সর্বোত্তম, আর তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযকদাতা।
অথবা তুমি কি তাদের কাছ থেকে কোন প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই সর্বোত্তম, আর তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযকদাতা।
Sahih International:
Or do you, [O Muhammad], ask them for payment? But the reward of your Lord is best, and He is the best of providers.
Or do you, [O Muhammad], ask them for payment? But the reward of your Lord is best, and He is the best of providers.
وَ اِنَّکَ لَتَدْعُوْهُمْ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাকা লাতাদ‘ঊহুম ইলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
ওয়া ইন্নাকা লাতাদ‘ঊহুম ইলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তুমি তাদের সরল-সঠিক পথের দাওয়াত দিচ্ছ।
আর নিশ্চয় তুমি তাদের সরল-সঠিক পথের দাওয়াত দিচ্ছ।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তো নিশ্চিতই তাদেরকে সরল সুদৃঢ় পথের দিকে ডাকছ।
তুমি তো নিশ্চিতই তাদেরকে সরল সুদৃঢ় পথের দিকে ডাকছ।
Sahih International:
And indeed, you invite them to a straight path.
And indeed, you invite them to a straight path.
وَ اِنَّ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ عَنِ الصِّرَاطِ لَنٰکِبُوْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি ‘আনিসসিরা-তিলানা-কিবূন।
ওয়া ইন্নাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি ‘আনিসসিরা-তিলানা-কিবূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না, তারাই এই পথ থেকে বিচ্যুত।
আর নিশ্চয় যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না, তারাই এই পথ থেকে বিচ্যুত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
Sahih International:
But indeed, those who do not believe in the Hereafter are deviating from the path.
But indeed, those who do not believe in the Hereafter are deviating from the path.
وَ لَوْ رَحِمْنٰهُمْ وَ کَشَفْنَا مَا بِهِمْ مِّنْ ضُرٍّ لَّلَجُّوْا فِیْ طُغْیَانِهِمْ یَعْمَهُوْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও রাহিমনা-হুম ওয়াকাশাফনা-মা-বিহিম মিন দুররিল লালাজজুফী তুগইয়া-নিহিম ইয়া‘মাহূন।
ওয়া লাও রাহিমনা-হুম ওয়াকাশাফনা-মা-বিহিম মিন দুররিল লালাজজুফী তুগইয়া-নিহিম ইয়া‘মাহূন।
আল বায়ান:
আর যদি আমি তাদের দয়া করতাম এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্ত করতাম, তবুও তারা অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াত।
আর যদি আমি তাদের দয়া করতাম এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্ত করতাম, তবুও তারা অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের প্রতি দয়া করলেও আর তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করলেও তারা তাদের অবাধ্যতায় ঘুরপাক খেতে থাকবে।
আমি তাদের প্রতি দয়া করলেও আর তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করলেও তারা তাদের অবাধ্যতায় ঘুরপাক খেতে থাকবে।
Sahih International:
And even if We gave them mercy and removed what was upon them of affliction, they would persist in their transgression, wandering blindly.
And even if We gave them mercy and removed what was upon them of affliction, they would persist in their transgression, wandering blindly.
وَ لَقَدْ اَخَذْنٰهُمْ بِالْعَذَابِ فَمَا اسْتَکَانُوْا لِرَبِّهِمْ وَ مَا یَتَضَرَّعُوْنَ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আখাযনা-হুম বিল’আযা-বি ফামাছতা কা-নূ লিরাব্বিহিম ওয়ামাইয়াতাদাররা‘ঊন।
ওয়া লাকাদ আখাযনা-হুম বিল’আযা-বি ফামাছতা কা-নূ লিরাব্বিহিম ওয়ামাইয়াতাদাররা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি তাদেরকে আযাব দ্বারা পাকড়াও করলাম, তবুও তারা তাদের রবের কাছে নত হয়নি এবং বিনীত প্রার্থনাও করে না।
আর অবশ্যই আমি তাদেরকে আযাব দ্বারা পাকড়াও করলাম, তবুও তারা তাদের রবের কাছে নত হয়নি এবং বিনীত প্রার্থনাও করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, কিন্তু তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট নত হল না, আর তারা কাকুতি মিনতিও করল না।
আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, কিন্তু তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট নত হল না, আর তারা কাকুতি মিনতিও করল না।
Sahih International:
And We had gripped them with suffering [as a warning], but they did not yield to their Lord, nor did they humbly supplicate, [and will continue thus]
And We had gripped them with suffering [as a warning], but they did not yield to their Lord, nor did they humbly supplicate, [and will continue thus]
حَتّٰۤی اِذَا فَتَحْنَا عَلَیْهِمْ بَابًا ذَا عَذَابٍ شَدِیْدٍ اِذَا هُمْ فِیْهِ مُبْلِسُوْنَ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা-ফাতাহনা-‘আলাইহিম বা-বান যা-‘আযা-বিন শাদীদিন ইযা-হুম ফীহি মুবলিছূন।
হাত্তাইযা-ফাতাহনা-‘আলাইহিম বা-বান যা-‘আযা-বিন শাদীদিন ইযা-হুম ফীহি মুবলিছূন।
আল বায়ান:
অবশেষে আমি যখন তাদের জন্য কঠিন আযাবের দুয়ার খুলে দেই তখনই তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়ে।
অবশেষে আমি যখন তাদের জন্য কঠিন আযাবের দুয়ার খুলে দেই তখনই তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশেষে আমি তাদের জন্য কঠিন শাস্তির দরজা খুলে দেব, তখন তারা তাতে হতাশ হয়ে পড়বে।
অবশেষে আমি তাদের জন্য কঠিন শাস্তির দরজা খুলে দেব, তখন তারা তাতে হতাশ হয়ে পড়বে।
Sahih International:
Until when We have opened before them a door of severe punishment, immediately they will be therein in despair.
Until when We have opened before them a door of severe punishment, immediately they will be therein in despair.
وَ هُوَ الَّذِیْۤ اَنْشَاَ لَکُمُ السَّمْعَ وَ الْاَبْصَارَ وَ الْاَفْـِٕدَۃَ ؕ قَلِیْلًا مَّا تَشْکُرُوْنَ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়ল্লাযীআনশাআলাকুমুছ ছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালীলাম মা-তাশকুরূন।
ওয়া হুওয়ল্লাযীআনশাআলাকুমুছ ছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালীলাম মা-তাশকুরূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই তোমাদের জন্য কান, চোখসমূহ ও অন্তরসমূহ সৃষ্টি করেছেন; তোমরা কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
আর তিনিই তোমাদের জন্য কান, চোখসমূহ ও অন্তরসমূহ সৃষ্টি করেছেন; তোমরা কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কান, চোখ ও অন্তর; তোমরা কৃতজ্ঞতা অল্পই করে থাক।
তিনিই তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কান, চোখ ও অন্তর; তোমরা কৃতজ্ঞতা অল্পই করে থাক।
Sahih International:
And it is He who produced for you hearing and vision and hearts; little are you grateful.
And it is He who produced for you hearing and vision and hearts; little are you grateful.
وَ هُوَ الَّذِیْ ذَرَاَکُمْ فِی الْاَرْضِ وَ اِلَیْهِ تُحْشَرُوْنَ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী যারা-আকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারূন।
ওয়া হুওয়াল্লাযী যারা-আকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই পৃথিবীতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে তাঁরই কাছে একত্র করা হবে।
আর তিনিই পৃথিবীতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে তাঁরই কাছে একত্র করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে।
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে।
Sahih International:
And it is He who has multiplied you throughout the earth, and to Him you will be gathered.
And it is He who has multiplied you throughout the earth, and to Him you will be gathered.
وَ هُوَ الَّذِیْ یُحْیٖ وَ یُمِیْتُ وَ لَهُ اخْتِلَافُ الَّیْلِ وَ النَّهَارِ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী ইউহয়ী ওয়া ইউমীতুওয়ালাহুখতিলা-ফুল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি আফালাতা’কিলূন।
ওয়া হুওয়াল্লাযী ইউহয়ী ওয়া ইউমীতুওয়ালাহুখতিলা-ফুল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি আফালাতা’কিলূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু দেন এবং রাত ও দিনের পরিবর্তন তাঁরই অধিকারে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
আর তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু দেন এবং রাত ও দিনের পরিবর্তন তাঁরই অধিকারে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান আর দিন-রাতের পরিবর্তন তাঁর দ্বারাই হয়, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান আর দিন-রাতের পরিবর্তন তাঁর দ্বারাই হয়, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
Sahih International:
And it is He who gives life and causes death, and His is the alternation of the night and the day. Then will you not reason?
And it is He who gives life and causes death, and His is the alternation of the night and the day. Then will you not reason?
بَلْ قَالُوْا مِثْلَ مَا قَالَ الْاَوَّلُوْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
বাল কা-লূমিছলা মা-কা-লাল আওওয়ালূন।
বাল কা-লূমিছলা মা-কা-লাল আওওয়ালূন।
আল বায়ান:
বরং তারা তাই বলে যেমনটি পূর্ববর্তীরা বলত।
বরং তারা তাই বলে যেমনটি পূর্ববর্তীরা বলত।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং তারা তাই বলেছিল যা বলেছিল আগের লোকেরা।
বরং তারা তাই বলেছিল যা বলেছিল আগের লোকেরা।
Sahih International:
Rather, they say like what the former peoples said.
Rather, they say like what the former peoples said.
قَالُوْۤا ءَ اِذَا مِتْنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَ اِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূআইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্না-লামাব‘উছূন।
কা-লূআইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্না-লামাব‘উছূন।
আল বায়ান:
তারা বলে, যখন আমরা মরে যাব এবং আমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?
তারা বলে, যখন আমরা মরে যাব এবং আমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- ‘আমরা যখন ম’রে মাটি ও হাড়-হাড্ডি হয়ে যাব (তারপরেও কি) আমাদেরকে আসলেই আবার উঠানো হবে?
তারা বলে- ‘আমরা যখন ম’রে মাটি ও হাড়-হাড্ডি হয়ে যাব (তারপরেও কি) আমাদেরকে আসলেই আবার উঠানো হবে?
Sahih International:
They said, "When we have died and become dust and bones, are we indeed to be resurrected?
They said, "When we have died and become dust and bones, are we indeed to be resurrected?
لَقَدْ وُعِدْنَا نَحْنُ وَ اٰبَآؤُنَا هٰذَا مِنْ قَبْلُ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ উ‘ইদনা-নাহনুওয়া আ-বাউনা-হা-যা-মিন কাবলুইন হা-যাইল্লাআছাতীরুল আওওয়ালীন।
লাকাদ উ‘ইদনা-নাহনুওয়া আ-বাউনা-হা-যা-মিন কাবলুইন হা-যাইল্লাআছাতীরুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
অবশ্যই আমাদেরকে ও ইতঃপূর্বে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদা দেয়া হয়েছিল। এসব কেবল পুরান কালের উপাখ্যান ছাড়া আর কিছু না।
অবশ্যই আমাদেরকে ও ইতঃপূর্বে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদা দেয়া হয়েছিল। এসব কেবল পুরান কালের উপাখ্যান ছাড়া আর কিছু না।
তাইসিরুল কুরআন:
এ বিষয়ে আমাদেরকে ওয়া‘দা দেয়া হয়েছে আর অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকেও। এসব তো পুরনো কালের কিসসা কাহিনী ছাড়া কিছুই না।
এ বিষয়ে আমাদেরকে ওয়া‘দা দেয়া হয়েছে আর অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকেও। এসব তো পুরনো কালের কিসসা কাহিনী ছাড়া কিছুই না।
Sahih International:
We have been promised this, we and our forefathers, before; this is not but legends of the former peoples."
We have been promised this, we and our forefathers, before; this is not but legends of the former peoples."
قُلْ لِّمَنِ الْاَرْضُ وَ مَنْ فِیْهَاۤ اِنْ کُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
কুল লিমানিল আরদুওয়া মান ফীহাইন কুনতুম তা‘লামূন।
কুল লিমানিল আরদুওয়া মান ফীহাইন কুনতুম তা‘লামূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা যদি জান তবে বল, ‘এ যমীন ও এতে যারা আছে তারা কার?’
বল, ‘তোমরা যদি জান তবে বল, ‘এ যমীন ও এতে যারা আছে তারা কার?’
তাইসিরুল কুরআন:
বল : এ পৃথিবী আর তার ভিতরে যা আছে তা কার? (বল) যদি তোমরা জান!
বল : এ পৃথিবী আর তার ভিতরে যা আছে তা কার? (বল) যদি তোমরা জান!
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "To whom belongs the earth and whoever is in it, if you should know?"
Say, [O Muhammad], "To whom belongs the earth and whoever is in it, if you should know?"
سَیَقُوْلُوْنَ لِلّٰهِ ؕ قُلْ اَفَلَا تَذَکَّرُوْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ছাইয়াকূলূনা লিল্লা-হি কুল আফালা-তাযাক্কারূন।
ছাইয়াকূলূনা লিল্লা-হি কুল আফালা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
অচিরেই তারা বলবে, ‘আল্লাহর’। বল, ‘তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’
অচিরেই তারা বলবে, ‘আল্লাহর’। বল, ‘তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে- আল্লাহর। বল : তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?
তারা বলবে- আল্লাহর। বল : তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?
Sahih International:
They will say, "To Allah." Say, "Then will you not remember?"
They will say, "To Allah." Say, "Then will you not remember?"
قُلْ مَنْ رَّبُّ السَّمٰوٰتِ السَّبْعِ وَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِیْمِ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
কুল মার রাব্বুছছামা-ওয়া-তিছছাব‘ই ওয়া রাব্বুল ‘আরশিল ‘আজীম।
কুল মার রাব্বুছছামা-ওয়া-তিছছাব‘ই ওয়া রাব্বুল ‘আরশিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
বল, ‘কে সাত আসমানের রব এবং মহা আরশের রব’?
বল, ‘কে সাত আসমানের রব এবং মহা আরশের রব’?
তাইসিরুল কুরআন:
বলঃ সাত আসমান আর মহান আরশের মালিক কে?
বলঃ সাত আসমান আর মহান আরশের মালিক কে?
Sahih International:
Say, "Who is Lord of the seven heavens and Lord of the Great Throne?"
Say, "Who is Lord of the seven heavens and Lord of the Great Throne?"
سَیَقُوْلُوْنَ لِلّٰهِ ؕ قُلْ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ছাইয়াকূলূনা লিল্লা-হি কুল আফালা-তাত্তাকূন।
ছাইয়াকূলূনা লিল্লা-হি কুল আফালা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?’
তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবেঃ (এগুলোর মালিকানা) আল্লাহর। বলঃ তবুও কি তোমরা (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
তারা বলবেঃ (এগুলোর মালিকানা) আল্লাহর। বলঃ তবুও কি তোমরা (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
Sahih International:
They will say, "[They belong] to Allah." Say, "Then will you not fear Him?"
They will say, "[They belong] to Allah." Say, "Then will you not fear Him?"
قُلْ مَنْۢ بِیَدِهٖ مَلَکُوْتُ کُلِّ شَیْءٍ وَّ هُوَ یُجِیْرُ وَ لَا یُجَارُ عَلَیْهِ اِنْ کُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
কুল মাম বিইয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া ইউজীরু ওয়ালা-ইউজা-রু ‘আলাইহি ইন কুনতুম তা‘লামূন।
কুল মাম বিইয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া ইউজীরু ওয়ালা-ইউজা-রু ‘আলাইহি ইন কুনতুম তা‘লামূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তিনি কে যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁর ওপর কোন আশ্রয়দাতা নেই?’ যদি তোমরা জান।
বল, ‘তিনি কে যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁর ওপর কোন আশ্রয়দাতা নেই?’ যদি তোমরা জান।
তাইসিরুল কুরআন:
বলঃ সব কিছুর একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কার হাতে? তিনি (সকলকে) আশ্রয় দেন, তাঁর উপর কোন আশ্রয় দাতা নেই, (বল) তোমরা যদি জান।
বলঃ সব কিছুর একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কার হাতে? তিনি (সকলকে) আশ্রয় দেন, তাঁর উপর কোন আশ্রয় দাতা নেই, (বল) তোমরা যদি জান।
Sahih International:
Say, "In whose hand is the realm of all things - and He protects while none can protect against Him - if you should know?"
Say, "In whose hand is the realm of all things - and He protects while none can protect against Him - if you should know?"
سَیَقُوْلُوْنَ لِلّٰهِ ؕ قُلْ فَاَنّٰی تُسْحَرُوْنَ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
ছাইয়াকূলূনা লিল্লা-হি কুল ফাআন্না-তুছহারূন।
ছাইয়াকূলূনা লিল্লা-হি কুল ফাআন্না-তুছহারূন।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কীভাবে তোমরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছ?’
তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কীভাবে তোমরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছ?’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে (সকল কিছুর কর্তৃত্ব) আল্লাহর। তাহলে কেমন করে তোমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়ছ?
তারা বলবে (সকল কিছুর কর্তৃত্ব) আল্লাহর। তাহলে কেমন করে তোমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়ছ?
Sahih International:
They will say, "[All belongs] to Allah." Say, "Then how are you deluded?"
They will say, "[All belongs] to Allah." Say, "Then how are you deluded?"
بَلْ اَتَیْنٰهُمْ بِالْحَقِّ وَ اِنَّهُمْ لَکٰذِبُوْنَ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
বাল আতাইনা-হুম বিলহাক্কিওয়া ইন্নাহুম লাকা-যিবূন।
বাল আতাইনা-হুম বিলহাক্কিওয়া ইন্নাহুম লাকা-যিবূন।
আল বায়ান:
বরং আমি তাদের কাছে সত্য পৌঁছিয়েছি, আর নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
বরং আমি তাদের কাছে সত্য পৌঁছিয়েছি, আর নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
কিছুই না, আমি তাদের নিকট সত্য পাঠিয়েছি কিন্তু তারা বাস্তবিকই মিথ্যেবাদী।
কিছুই না, আমি তাদের নিকট সত্য পাঠিয়েছি কিন্তু তারা বাস্তবিকই মিথ্যেবাদী।
Sahih International:
Rather, We have brought them the truth, and indeed they are liars.
Rather, We have brought them the truth, and indeed they are liars.
مَا اتَّخَذَ اللّٰهُ مِنْ وَّلَدٍ وَّ مَا کَانَ مَعَهٗ مِنْ اِلٰهٍ اِذًا لَّذَهَبَ کُلُّ اِلٰهٍۭ بِمَا خَلَقَ وَ لَعَلَا بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ ؕ سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یَصِفُوْنَ ﴿ۙ۹۱﴾
উচ্চারণ:
মাততাখাযাল্লা-হু মিওঁ ওয়ালাদিওঁ ওয়ামা-কা-না মা‘আহূমিন ইলা-হিন ইযাল লাযাহাবা কুল্লুইলা-হিম বিমা-খালাকা ওয়া লা‘আলা-বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিন ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
মাততাখাযাল্লা-হু মিওঁ ওয়ালাদিওঁ ওয়ামা-কা-না মা‘আহূমিন ইলা-হিন ইযাল লাযাহাবা কুল্লুইলা-হিম বিমা-খালাকা ওয়া লা‘আলা-বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিন ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই। (যদি থাকত) তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত; তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র!
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই। (যদি থাকত) তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত; তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র!
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, আর তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহ নেই, (থাকলে) প্রত্যেক ইলাহ আপন সৃষ্টি নিয়ে অবশ্যই চলে যেত, আর অবশ্যই একে অপরের উপর চড়াও হত, তারা তাঁর প্রতি যা আরোপ করে তাত্থেকে তিনি কত মহান ও পবিত্র!
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, আর তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহ নেই, (থাকলে) প্রত্যেক ইলাহ আপন সৃষ্টি নিয়ে অবশ্যই চলে যেত, আর অবশ্যই একে অপরের উপর চড়াও হত, তারা তাঁর প্রতি যা আরোপ করে তাত্থেকে তিনি কত মহান ও পবিত্র!
Sahih International:
Allah has not taken any son, nor has there ever been with Him any deity. [If there had been], then each deity would have taken what it created, and some of them would have sought to overcome others. Exalted is Allah above what they describe [concerning Him].
Allah has not taken any son, nor has there ever been with Him any deity. [If there had been], then each deity would have taken what it created, and some of them would have sought to overcome others. Exalted is Allah above what they describe [concerning Him].
عٰلِمِ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَۃِ فَتَعٰلٰی عَمَّا یُشْرِکُوْنَ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
‘আ-লিমিল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি ফাতা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।
‘আ-লিমিল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি ফাতা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
তিনি গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, তারা যা শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।
তিনি গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, তারা যা শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তারা যা তাঁর শরীক বানায়, তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তারা যা তাঁর শরীক বানায়, তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
Sahih International:
[He is] Knower of the unseen and the witnessed, so high is He above what they associate [with Him].
[He is] Knower of the unseen and the witnessed, so high is He above what they associate [with Him].
قُلْ رَّبِّ اِمَّا تُرِیَنِّیْ مَا یُوْعَدُوْنَ ﴿ۙ۹۳﴾
উচ্চারণ:
কুররাব্বি ইম্মা-তুরিইয়ান্নী মা-ইউ‘আদূন।
কুররাব্বি ইম্মা-তুরিইয়ান্নী মা-ইউ‘আদূন।
আল বায়ান:
বল, ‘হে আমার রব, যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা যদি আমাকে দেখাতে চান,
বল, ‘হে আমার রব, যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা যদি আমাকে দেখাতে চান,
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যদি আমাকে দেখাও (আমার জীবদ্দশায়) যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছে,
বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যদি আমাকে দেখাও (আমার জীবদ্দশায়) যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছে,
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "My Lord, if You should show me that which they are promised,
Say, [O Muhammad], "My Lord, if You should show me that which they are promised,
رَبِّ فَلَا تَجْعَلْنِیْ فِی الْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
রাব্বি ফালা-তাজ‘আলনী ফিল কাউমিজ্জা-লিমীন।
রাব্বি ফালা-তাজ‘আলনী ফিল কাউমিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
‘হে আমার রব, তাহলে আমাকে যালিম সম্প্রদায়ভুক্ত করবেন না।’
‘হে আমার রব, তাহলে আমাকে যালিম সম্প্রদায়ভুক্ত করবেন না।’
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে যালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না’।
তাহলে হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে যালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না’।
Sahih International:
My Lord, then do not place me among the wrongdoing people."
My Lord, then do not place me among the wrongdoing people."
وَ اِنَّا عَلٰۤی اَنْ نُّرِیَکَ مَا نَعِدُهُمْ لَقٰدِرُوْنَ ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না-‘আলাআননুরিইয়াকা মা-না‘ইদুহুম লাকা-দিরূন।
ওয়া ইন্না-‘আলাআননুরিইয়াকা মা-না‘ইদুহুম লাকা-দিরূন।
আল বায়ান:
আর যে বিষয়ে আমি তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছি, অবশ্যই আমি তা তোমাকে দেখাতে সক্ষম।
আর যে বিষয়ে আমি তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছি, অবশ্যই আমি তা তোমাকে দেখাতে সক্ষম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে (শাস্তি প্রদানের) যে ওয়াদা করেছি তা আমি তোমাকে দেখাতে অবশ্যই সক্ষম।
আমি তাদেরকে (শাস্তি প্রদানের) যে ওয়াদা করেছি তা আমি তোমাকে দেখাতে অবশ্যই সক্ষম।
Sahih International:
And indeed, We are able to show you what We have promised them.
And indeed, We are able to show you what We have promised them.
اِدْفَعْ بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ السَّیِّئَۃَ ؕ نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَا یَصِفُوْنَ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
ইদফা‘ বিল্লাতী হিইয়া আহছানুছ ছাইয়িআতা নাহনুআ‘লামুবিমা-ইয়াসিফূন।
ইদফা‘ বিল্লাতী হিইয়া আহছানুছ ছাইয়িআতা নাহনুআ‘লামুবিমা-ইয়াসিফূন।
আল বায়ান:
যা উত্তম তা দিয়ে মন্দ প্রতিহত কর; তারা যা বলে আমি তা সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী।
যা উত্তম তা দিয়ে মন্দ প্রতিহত কর; তারা যা বলে আমি তা সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
মন্দের মুকাবিলা কর যা উত্তম তাই দিয়ে, তারা যা বলে সে সম্পর্কে আমি সবিশেষ অবগত।
মন্দের মুকাবিলা কর যা উত্তম তাই দিয়ে, তারা যা বলে সে সম্পর্কে আমি সবিশেষ অবগত।
Sahih International:
Repel, by [means of] what is best, [their] evil. We are most knowing of what they describe.
Repel, by [means of] what is best, [their] evil. We are most knowing of what they describe.
وَ قُلْ رَّبِّ اَعُوْذُ بِکَ مِنْ هَمَزٰتِ الشَّیٰطِیْنِ ﴿ۙ۹۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুর রাব্বি আ‘ঊযুবিকা মিন হামাযা-তিশশাইয়া-তীন।
ওয়া কুর রাব্বি আ‘ঊযুবিকা মিন হামাযা-তিশশাইয়া-তীন।
আল বায়ান:
আর বল, ‘হে আমার রব, আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই’।
আর বল, ‘হে আমার রব, আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আর বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
Sahih International:
And say, "My Lord, I seek refuge in You from the incitements of the devils,
And say, "My Lord, I seek refuge in You from the incitements of the devils,
وَ اَعُوْذُ بِکَ رَبِّ اَنْ یَّحْضُرُوْنِ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ‘ঊযুবিকা রাব্বি আইঁ ইয়াহদু রূন।
ওয়া আ‘ঊযুবিকা রাব্বি আইঁ ইয়াহদু রূন।
আল বায়ান:
আর হে আমার রব, আমার কাছে তাদের উপস্থিতি হতে আপনার কাছে পানাহ চাই।’
আর হে আমার রব, আমার কাছে তাদের উপস্থিতি হতে আপনার কাছে পানাহ চাই।’
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে।’
আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে।’
Sahih International:
And I seek refuge in You, my Lord, lest they be present with me."
And I seek refuge in You, my Lord, lest they be present with me."
حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ رَبِّ ارْجِعُوْنِ ﴿ۙ۹۹﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা-জাআ আহাদাহুমুল মাওতুকা-লা রাব্বির জি‘ঊন।
হাত্তাইযা-জাআ আহাদাহুমুল মাওতুকা-লা রাব্বির জি‘ঊন।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন তাদের কারো মৃত্যু আসে, সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে ফেরত পাঠান,
অবশেষে যখন তাদের কারো মৃত্যু আসে, সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে ফেরত পাঠান,
তাইসিরুল কুরআন:
এমনকি যখন তাদের কারো কাছে মৃত্যু এসে হাজির হয় তখন সে বলে : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আবার (দুনিয়াতে) পাঠিয়ে দাও।
এমনকি যখন তাদের কারো কাছে মৃত্যু এসে হাজির হয় তখন সে বলে : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আবার (দুনিয়াতে) পাঠিয়ে দাও।
Sahih International:
[For such is the state of the disbelievers], until, when death comes to one of them, he says, "My Lord, send me back
[For such is the state of the disbelievers], until, when death comes to one of them, he says, "My Lord, send me back
لَعَلِّیْۤ اَعْمَلُ صَالِحًا فِیْمَا تَرَکْتُ کَلَّا ؕ اِنَّهَا کَلِمَۃٌ هُوَ قَآئِلُهَا ؕ وَ مِنْ وَّرَآئِهِمْ بَرْزَخٌ اِلٰی یَوْمِ یُبْعَثُوْنَ ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
লা‘আললীআ‘মালুসা-লিহান ফীমা-তারাকতুকাল্লা- ইন্নাহা-কালিমাতুন হুওয়া কাইলুহা- ওয়ামিওঁ ওয়ারাইহিম বারযাখুন ইলা-ইয়াওমি ইউব‘আছূন।
লা‘আললীআ‘মালুসা-লিহান ফীমা-তারাকতুকাল্লা- ইন্নাহা-কালিমাতুন হুওয়া কাইলুহা- ওয়ামিওঁ ওয়ারাইহিম বারযাখুন ইলা-ইয়াওমি ইউব‘আছূন।
আল বায়ান:
যেন আমি সৎকাজ করতে পারি যা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম।’ কখনো নয়, এটি একটি বাক্য যা সে বলবে। যেদিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে বরযখ।
যেন আমি সৎকাজ করতে পারি যা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম।’ কখনো নয়, এটি একটি বাক্য যা সে বলবে। যেদিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে বরযখ।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি করিনি। কক্ষনো না, এটা তো তার একটা কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত।
যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি করিনি। কক্ষনো না, এটা তো তার একটা কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত।
Sahih International:
That I might do righteousness in that which I left behind." No! It is only a word he is saying; and behind them is a barrier until the Day they are resurrected.
That I might do righteousness in that which I left behind." No! It is only a word he is saying; and behind them is a barrier until the Day they are resurrected.
فَاِذَا نُفِخَ فِی الصُّوْرِ فَلَاۤ اَنْسَابَ بَیْنَهُمْ یَوْمَئِذٍ وَّ لَا یَتَسَآءَلُوْنَ ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা- নুফিখা ফিসসূরি ফালা আনছা-বা বাইনাহুম ইয়াওমায়িযিওঁ ওয়ালাইয়াতাছাআলূন।
ফাইযা- নুফিখা ফিসসূরি ফালা আনছা-বা বাইনাহুম ইয়াওমায়িযিওঁ ওয়ালাইয়াতাছাআলূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে সেদিন তাদের মাঝে কোন আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, কেউ কারো বিষয়ে জানতে চাইবে না।
অতঃপর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে সেদিন তাদের মাঝে কোন আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, কেউ কারো বিষয়ে জানতে চাইবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন তাদের পরস্পরের মাঝে আত্মীয় বন্ধন থাকবে না। একে অপরের কাছে জিজ্ঞেসও করবে না।
অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন তাদের পরস্পরের মাঝে আত্মীয় বন্ধন থাকবে না। একে অপরের কাছে জিজ্ঞেসও করবে না।
Sahih International:
So when the Horn is blown, no relationship will there be among them that Day, nor will they ask about one another.
So when the Horn is blown, no relationship will there be among them that Day, nor will they ask about one another.
فَمَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِیْنُهٗ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
ফামান ছাকুলাত মাওয়া-যীনুহূফাউলাইকা হুমুল মুফলিহূন।
ফামান ছাকুলাত মাওয়া-যীনুহূফাউলাইকা হুমুল মুফলিহূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।
অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদের (সৎ কাজের) পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।
যাদের (সৎ কাজের) পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।
Sahih International:
And those whose scales are heavy [with good deeds] - it is they who are the successful.
And those whose scales are heavy [with good deeds] - it is they who are the successful.
وَ مَنْ خَفَّتْ مَوَازِیْنُهٗ فَاُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ خَسِرُوْۤا اَنْفُسَهُمْ فِیْ جَهَنَّمَ خٰلِدُوْنَ ﴿۱۰۳﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া মান খাফফাত মাওয়া-যীনুহূফাউলাইকাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ফী জাহান্নামা খালিদূন।
ওয়া মান খাফফাত মাওয়া-যীনুহূফাউলাইকাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ফী জাহান্নামা খালিদূন।
আল বায়ান:
আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই নিজদের ক্ষতি করল; জাহান্নামে তারা হবে স্থায়ী।
আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই নিজদের ক্ষতি করল; জাহান্নামে তারা হবে স্থায়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই ওরা যারা নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, জাহান্নামে তারা চিরস্থায়ী হবে।
যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই ওরা যারা নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, জাহান্নামে তারা চিরস্থায়ী হবে।
Sahih International:
But those whose scales are light - those are the ones who have lost their souls, [being] in Hell, abiding eternally.
But those whose scales are light - those are the ones who have lost their souls, [being] in Hell, abiding eternally.
تَلْفَحُ وُجُوْهَهُمُ النَّارُ وَ هُمْ فِیْهَا کٰلِحُوْنَ ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
তালফাহুউজূহাহুমুন্না-রু ওয়া হুম ফীহা-কা-লিহূন।
তালফাহুউজূহাহুমুন্না-রু ওয়া হুম ফীহা-কা-লিহূন।
আল বায়ান:
আগুন তাদের চেহারা দগ্ধ করবে, সেখানে তারা হবে বীভৎস চেহারাবিশিষ্ট।
আগুন তাদের চেহারা দগ্ধ করবে, সেখানে তারা হবে বীভৎস চেহারাবিশিষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে আর তারা বীভৎস চেহারা নিয়ে তার ভিতরে দাঁত কটমট করতে থাকবে।
আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে আর তারা বীভৎস চেহারা নিয়ে তার ভিতরে দাঁত কটমট করতে থাকবে।
Sahih International:
The Fire will sear their faces, and they therein will have taut smiles.
The Fire will sear their faces, and they therein will have taut smiles.
اَلَمْ تَکُنْ اٰیٰتِیْ تُتْلٰی عَلَیْکُمْ فَکُنْتُمْ بِهَا تُکَذِّبُوْنَ ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
আলাম তাকুন আ-য়া-তী তুতলা-‘আলাইকুম ফাকুনতুম বিহা-তুকাযযি বূন।
আলাম তাকুন আ-য়া-তী তুতলা-‘আলাইকুম ফাকুনতুম বিহা-তুকাযযি বূন।
আল বায়ান:
‘আমার আয়াতসমূহ কি তোমাদের কাছে পাঠ করা হত না?’ তারপর তোমরা তা অস্বীকার করতে’।
‘আমার আয়াতসমূহ কি তোমাদের কাছে পাঠ করা হত না?’ তারপর তোমরা তা অস্বীকার করতে’।
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতগুলো আবৃত্তি করা হত না? তোমরা সেগুলোকে মিথ্যে জেনে প্রত্যাখ্যান করেছিলে।
(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতগুলো আবৃত্তি করা হত না? তোমরা সেগুলোকে মিথ্যে জেনে প্রত্যাখ্যান করেছিলে।
Sahih International:
[It will be said]. "Were not My verses recited to you and you used to deny them?"
[It will be said]. "Were not My verses recited to you and you used to deny them?"
قَالُوْا رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَیْنَا شِقْوَتُنَا وَ کُنَّا قَوْمًا ضَآلِّیْنَ ﴿۱۰۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লূরাব্বানা-গালাবাত ‘আলাইনা-শিকওয়াতুনা-ওয়াকুন্না-কাওমান দাল্লীন।
কা-লূরাব্বানা-গালাবাত ‘আলাইনা-শিকওয়াতুনা-ওয়াকুন্না-কাওমান দাল্লীন।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পেয়ে বসেছিল, আর আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট’।
তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পেয়ে বসেছিল, আর আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পরাস্ত করেছিল, আর আমরা ছিলাম এক পথভ্রষ্ট জাতি।
তারা বলবে- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পরাস্ত করেছিল, আর আমরা ছিলাম এক পথভ্রষ্ট জাতি।
Sahih International:
They will say, "Our Lord, our wretchedness overcame us, and we were a people astray.
They will say, "Our Lord, our wretchedness overcame us, and we were a people astray.
رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا مِنْهَا فَاِنْ عُدْنَا فَاِنَّا ظٰلِمُوْنَ ﴿۱۰۷﴾
উচ্চারণ:
রাব্বানাআখরিজনা-মিনহা-ফাইন ‘উদনা-ফাইন্না-জা-লিমূন।
রাব্বানাআখরিজনা-মিনহা-ফাইন ‘উদনা-ফাইন্না-জা-লিমূন।
আল বায়ান:
‘হে আমাদের রব, এ থেকে আমাদেরকে বের করে দিন, তারপর যদি আমরা আবার তা করি তবে অবশ্যই আমরা হব যালিম।’
‘হে আমাদের রব, এ থেকে আমাদেরকে বের করে দিন, তারপর যদি আমরা আবার তা করি তবে অবশ্যই আমরা হব যালিম।’
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এত্থেকে বের করে নাও, আমরা যদি আবার কুফুরী করি তাহলে আমরা তো যালিম হিসেবে পরিগণিত হব।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এত্থেকে বের করে নাও, আমরা যদি আবার কুফুরী করি তাহলে আমরা তো যালিম হিসেবে পরিগণিত হব।
Sahih International:
Our Lord, remove us from it, and if we were to return [to evil], we would indeed be wrongdoers."
Our Lord, remove us from it, and if we were to return [to evil], we would indeed be wrongdoers."
قَالَ اخْسَـُٔوْا فِیْهَا وَ لَا تُکَلِّمُوْنِ ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লাখছাঊ ফীহা-ওয়ালা-তুকালিলমূন।
কা-লাখছাঊ ফীহা-ওয়ালা-তুকালিলমূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই থাক, আর আমার সাথে কথা বলো না।’
আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই থাক, আর আমার সাথে কথা বলো না।’
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বলবেন- ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই পড়ে থাক, আমার সঙ্গে কোন কথা বল না।’
আল্লাহ বলবেন- ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই পড়ে থাক, আমার সঙ্গে কোন কথা বল না।’
Sahih International:
He will say, "Remain despised therein and do not speak to Me.
He will say, "Remain despised therein and do not speak to Me.
اِنَّهٗ کَانَ فَرِیْقٌ مِّنْ عِبَادِیْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَ ارْحَمْنَا وَ اَنْتَ خَیْرُ الرّٰحِمِیْنَ ﴿۱۰۹﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
ইন্নাহূ কা-না ফারীকুম মিন ‘ইবা-দী ইয়াকূ লূনা রাব্বানা আ-মান্না-ফাগফিরলানাওয়ারহামনা-ওয়াআনতা খাইরুর রা-হিমীন।
ইন্নাহূ কা-না ফারীকুম মিন ‘ইবা-দী ইয়াকূ লূনা রাব্বানা আ-মান্না-ফাগফিরলানাওয়ারহামনা-ওয়াআনতা খাইরুর রা-হিমীন।
আল বায়ান:
আমার বান্দাদের একদল ছিল যারা বলত, ‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করুন, আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
আমার বান্দাদের একদল ছিল যারা বলত, ‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করুন, আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
তাইসিরুল কুরআন:
আমার বান্দাহদের একদল বলত- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
আমার বান্দাহদের একদল বলত- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
Sahih International:
Indeed, there was a party of My servants who said, 'Our Lord, we have believed, so forgive us and have mercy upon us, and You are the best of the merciful.'
Indeed, there was a party of My servants who said, 'Our Lord, we have believed, so forgive us and have mercy upon us, and You are the best of the merciful.'
فَاتَّخَذْتُمُوْهُمْ سِخْرِیًّا حَتّٰۤی اَنْسَوْکُمْ ذِکْرِیْ وَ کُنْتُمْ مِّنْهُمْ تَضْحَکُوْنَ ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
ফাত্তাখাযতুমূহুম ছিখরিইইয়ান হাত্তাআনছাওকুম যিকরী ওয়া কুনতুম মিনহুম তাদহাকূন।
ফাত্তাখাযতুমূহুম ছিখরিইইয়ান হাত্তাআনছাওকুম যিকরী ওয়া কুনতুম মিনহুম তাদহাকূন।
আল বায়ান:
‘তারপর তাদেরকে নিয়ে তোমরা ঠাট্টা করতে। অবশেষে তা তোমাদেরকে আমার স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছিল। আর তোমরা তাদের নিয়ে হাসি-তামাশা করতে।’
‘তারপর তাদেরকে নিয়ে তোমরা ঠাট্টা করতে। অবশেষে তা তোমাদেরকে আমার স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছিল। আর তোমরা তাদের নিয়ে হাসি-তামাশা করতে।’
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তাদেরকে নিয়ে তোমরা হাসি তামাশা করতে এমনকি তা তোমাদেরকে আমার কথা ভুলিয়ে দিয়েছিল, তোমরা তাদেরকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টাই করতে।
কিন্তু তাদেরকে নিয়ে তোমরা হাসি তামাশা করতে এমনকি তা তোমাদেরকে আমার কথা ভুলিয়ে দিয়েছিল, তোমরা তাদেরকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টাই করতে।
Sahih International:
But you took them in mockery to the point that they made you forget My remembrance, and you used to laugh at them.
But you took them in mockery to the point that they made you forget My remembrance, and you used to laugh at them.
اِنِّیْ جَزَیْتُهُمُ الْیَوْمَ بِمَا صَبَرُوْۤا ۙ اَنَّهُمْ هُمُ الْفَآئِزُوْنَ ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নী জাযাইতুহুমুল ইয়াওমা বিমা-সাবারূ আন্নাহুম হুমুল ফাইযূন।
ইন্নী জাযাইতুহুমুল ইয়াওমা বিমা-সাবারূ আন্নাহুম হুমুল ফাইযূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাদের ধৈর্যের কারণে আজ তাদেরকে পুরস্কৃত করলাম; নিশ্চয় তারাই হল সফলকাম।
নিশ্চয় আমি তাদের ধৈর্যের কারণে আজ তাদেরকে পুরস্কৃত করলাম; নিশ্চয় তারাই হল সফলকাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আজ আমি তাদেরকে পুরস্কৃত করলাম তাদের ধৈর্য ধারণের কারণে, আজ তারাই তো সফলকাম।
আজ আমি তাদেরকে পুরস্কৃত করলাম তাদের ধৈর্য ধারণের কারণে, আজ তারাই তো সফলকাম।
Sahih International:
Indeed, I have rewarded them this Day for their patient endurance - that they are the attainers [of success]."
Indeed, I have rewarded them this Day for their patient endurance - that they are the attainers [of success]."
قٰلَ کَمْ لَبِثْتُمْ فِی الْاَرْضِ عَدَدَ سِنِیْنَ ﴿۱۱۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কাম লাবিছতুম ফিল আরদি‘আদাদা ছিনীন।
কা-লা কাম লাবিছতুম ফিল আরদি‘আদাদা ছিনীন।
আল বায়ান:
আল্লাহ বলবেন, ‘বছরের হিসাবে তোমরা যমীনে কত সময় অবস্থান করেছিলে?’
আল্লাহ বলবেন, ‘বছরের হিসাবে তোমরা যমীনে কত সময় অবস্থান করেছিলে?’
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বলবেন : ‘পৃথিবীতে কয় বছর তোমরা অবস্থান করেছিলে?’
আল্লাহ বলবেন : ‘পৃথিবীতে কয় বছর তোমরা অবস্থান করেছিলে?’
Sahih International:
[Allah] will say, "How long did you remain on earth in number of years?"
[Allah] will say, "How long did you remain on earth in number of years?"
قَالُوْا لَبِثْنَا یَوْمًا اَوْ بَعْضَ یَوْمٍ فَسْـَٔلِ الْعَآدِّیْنَ ﴿۱۱۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলাবিছনা-ইয়াওমান আও বা‘দা ইয়াওমিন ফাছআলিল ‘আ-দ্দীন।
কা-লূলাবিছনা-ইয়াওমান আও বা‘দা ইয়াওমিন ফাছআলিল ‘আ-দ্দীন।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘আমরা একদিন বা দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি; সুতরাং আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।’
তারা বলবে, ‘আমরা একদিন বা দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি; সুতরাং আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে : ‘আমরা একদিন বা এক দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি। অতএব তুমি গণনাকারীদের জিজ্ঞেস কর।’
তারা বলবে : ‘আমরা একদিন বা এক দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি। অতএব তুমি গণনাকারীদের জিজ্ঞেস কর।’
Sahih International:
They will say, "We remained a day or part of a day; ask those who enumerate."
They will say, "We remained a day or part of a day; ask those who enumerate."
قٰلَ اِنْ لَّبِثْتُمْ اِلَّا قَلِیْلًا لَّوْ اَنَّکُمْ کُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ﴿۱۱۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইল লাবিছতুম ইল্লা-কালীলাল লাও আন্নাকুম কুনতুম তা‘লামূন।
কা-লা ইল লাবিছতুম ইল্লা-কালীলাল লাও আন্নাকুম কুনতুম তা‘লামূন।
আল বায়ান:
তিনি বলবেন, ‘তোমরা কেবল অল্পকালই অবস্থান করেছিলে, তোমরা যদি নিশ্চিত জানতে!’
তিনি বলবেন, ‘তোমরা কেবল অল্পকালই অবস্থান করেছিলে, তোমরা যদি নিশ্চিত জানতে!’
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বলবেন : ‘তোমরা অল্প সময়ই অবস্থান করেছিলে, তোমরা যদি জানতে!
তিনি বলবেন : ‘তোমরা অল্প সময়ই অবস্থান করেছিলে, তোমরা যদি জানতে!
Sahih International:
He will say, "You stayed not but a little - if only you had known.
He will say, "You stayed not but a little - if only you had known.
اَفَحَسِبْتُمْ اَنَّمَا خَلَقْنٰکُمْ عَبَثًا وَّ اَنَّکُمْ اِلَیْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ ﴿۱۱۵﴾
উচ্চারণ:
আফাহাছিবতুম আন্নামা-খালাকনা-কুম আবাছাওঁ ওয়া আন্নাকুম ইলাইনা-লা-তুরজা‘ঊন।
আফাহাছিবতুম আন্নামা-খালাকনা-কুম আবাছাওঁ ওয়া আন্নাকুম ইলাইনা-লা-তুরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
‘তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে কেবল অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে না’?
‘তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে কেবল অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি ভেবেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে তামাশার বস্তু হিসেবে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনা হবে না?
তোমরা কি ভেবেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে তামাশার বস্তু হিসেবে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনা হবে না?
Sahih International:
Then did you think that We created you uselessly and that to Us you would not be returned?"
Then did you think that We created you uselessly and that to Us you would not be returned?"
فَتَعٰلَی اللّٰهُ الْمَلِکُ الْحَقُّ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ رَبُّ الْعَرْشِ الْکَرِیْمِ ﴿۱۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফাতাআ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্কু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া, রাব্বুল ‘আরশিল কারীম।
ফাতাআ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্কু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া, রাব্বুল ‘আরশিল কারীম।
আল বায়ান:
সুতরাং সত্যিকারের মালিক আল্লাহ মহিমান্বিত, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব।
সুতরাং সত্যিকারের মালিক আল্লাহ মহিমান্বিত, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব।
তাইসিরুল কুরআন:
সুউচ্চ মহান আল্লাহ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, সম্মানিত আরশের অধিপতি।
সুউচ্চ মহান আল্লাহ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, সম্মানিত আরশের অধিপতি।
Sahih International:
So exalted is Allah, the Sovereign, the Truth; there is no deity except Him, Lord of the Noble Throne.
So exalted is Allah, the Sovereign, the Truth; there is no deity except Him, Lord of the Noble Throne.
وَ مَنْ یَّدْعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ ۙ لَا بُرْهَانَ لَهٗ بِهٖ ۙ فَاِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنْدَ رَبِّهٖ ؕ اِنَّهٗ لَا یُفْلِحُ الْکٰفِرُوْنَ ﴿۱۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইয়াদ‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা লা-বুরহা-না লাহূবিহী ফাইন্নামাহিছা-বুহূ‘ইনদা রাব্বিহী ইন্নাহূলা-ইউফলিহুল কা-ফিরূন।
ওয়া মাইঁ ইয়াদ‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা লা-বুরহা-না লাহূবিহী ফাইন্নামাহিছা-বুহূ‘ইনদা রাব্বিহী ইন্নাহূলা-ইউফলিহুল কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
আর যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে, যে বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ নেই; তার হিসাব কেবল তার রবের কাছে। নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না।
আর যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে, যে বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ নেই; তার হিসাব কেবল তার রবের কাছে। নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহকেও ডাকে, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন দলীল প্রমাণ নেই, একমাত্র তার প্রতিপালকের কাছেই তার হিসাব হবে, কাফিরগণ অবশ্যই সফলকাম হবে না।
যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহকেও ডাকে, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন দলীল প্রমাণ নেই, একমাত্র তার প্রতিপালকের কাছেই তার হিসাব হবে, কাফিরগণ অবশ্যই সফলকাম হবে না।
Sahih International:
And whoever invokes besides Allah another deity for which he has no proof - then his account is only with his Lord. Indeed, the disbelievers will not succeed.
And whoever invokes besides Allah another deity for which he has no proof - then his account is only with his Lord. Indeed, the disbelievers will not succeed.
وَ قُلْ رَّبِّ اغْفِرْ وَ ارْحَمْ وَ اَنْتَ خَیْرُ الرّٰحِمِیْنَ ﴿۱۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুর রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুররা-হিমীন।
ওয়া কুর রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুররা-হিমীন।
আল বায়ান:
আর বল, ‘হে আমাদের রব, আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
আর বল, ‘হে আমাদের রব, আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা কর ও রহম কর, তুমি রহমকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।’
কাজেই বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা কর ও রহম কর, তুমি রহমকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।’
Sahih International:
And, [O Muhammad], say, "My Lord, forgive and have mercy, and You are the best of the merciful."
And, [O Muhammad], say, "My Lord, forgive and have mercy, and You are the best of the merciful."