আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّکُمْ ۚ اِنَّ زَلْزَلَۃَ السَّاعَۃِ شَیْءٌ عَظِیْمٌ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্না-ছুত্তাকূরাব্বাকুম ইন্না যালযালাতাছছা-‘আতি শাইউন ‘আজীম।
আল বায়ান:
হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর। নিশ্চয় কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, কিয়ামাতের কম্পন এক ভয়ানক জিনিস।
Sahih International:
O mankind, fear your Lord. Indeed, the convulsion of the [final] Hour is a terrible thing.



یَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ کُلُّ مُرْضِعَۃٍ عَمَّاۤ اَرْضَعَتْ وَ تَضَعُ کُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَ تَرَی النَّاسَ سُکٰرٰی وَ مَا هُمْ بِسُکٰرٰی وَ لٰکِنَّ عَذَابَ اللّٰهِ شَدِیْدٌ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তারাওনাহা-তাযহালুকুলল মুরদি‘আতিন ‘আম্মাআরদা‘আত ওয়া তাদা’উ কুলুল যা-তি হামলিন হামলাহা-ওয়া তারান্না-ছা ছুকা-রা-ওয়ামা-হুম বিছুকা-রা-ওয়ালা-কিন্না ‘আযা-বাল্লা-হি শাদীদ।
আল বায়ান:
যেদিন তোমরা তা দেখবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্য দানকারিনী আপন দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভধারিণী তার গর্ভপাত করে ফেলবে, তুমি দেখবে মানুষকে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা মাতাল নয়। তবে আল্লাহর আযাবই কঠিন।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন তুমি দেখবে প্রতিটি দুগ্ধদায়িনী ভুলে যাবে তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে, আর প্রত্যেক গর্ভবতী গর্ভপাত করে ফেলবে, আর মানুষকে দেখবে মাতাল, যদিও তারা প্রকৃতপক্ষে মাতাল নয়, কিন্তু আল্লাহর শাস্তি বড়ই কঠিন (যার কারণে তাদের ঐ অবস্থা ঘটবে)।
Sahih International:
On the Day you see it every nursing mother will be distracted from that [child] she was nursing, and every pregnant woman will abort her pregnancy, and you will see the people [appearing] intoxicated while they are not intoxicated; but the punishment of Allah is severe.



وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یُّجَادِلُ فِی اللّٰهِ بِغَیْرِ عِلْمٍ وَّ یَتَّبِعُ کُلَّ شَیْطٰنٍ مَّرِیْدٍ ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনান্না-ছি মাইঁ ইউজা-দিলুফিল্লা-হি বিগাইরি ‘ইলমিওঁ ওয়া ইয়াত্তাবি’উ কুল্লা শাইতা নিম মারীদ।
আল বায়ান:
মানুষের মধ্যে কতক আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক করে না জেনে এবং সে অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের।
তাইসিরুল কুরআন:
কতক মানুষ জ্ঞান ছাড়াই আল্লাহ সম্বন্ধে বাদানুবাদ করে, আর প্রত্যেক অবাধ্য শয়ত্বানের অনুসরণ করে।
Sahih International:
And of the people is he who disputes about Allah without knowledge and follows every rebellious devil.



کُتِبَ عَلَیْهِ اَنَّهٗ مَنْ تَوَلَّاهُ فَاَنَّهٗ یُضِلُّهٗ وَ یَهْدِیْهِ اِلٰی عَذَابِ السَّعِیْرِ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
কুতিবা ‘আলাইহি আন্নাহূমান তাওয়াল্লা-হু ফাআন্নাহূইউদিল্লুহূওয়া ইয়াহদীহি ইলা-‘আযাবিছ ছা‘ঈর।
আল বায়ান:
তার সম্পর্কে নির্ধারণ করা হয়েছে যে, যে তার সাথে বন্ধুত্ব করবে সে অবশ্যই তাকে পথভ্রষ্ট করবে এবং তাকে প্রজ্জ্বলিত আগুনের শাস্তির দিকে পরিচালিত করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যার (অর্থাৎ শয়ত্বানের) সম্পর্কে বিধান করা হয়েছে যে, যে কেউ তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়বে, সে তাকে বিপথগামী করবে, আর তাকে প্রজ্জ্বলিত অগ্নি শাস্তির দিকে পরিচালিত করবে।
Sahih International:
It has been decreed for every devil that whoever turns to him - he will misguide him and will lead him to the punishment of the Blaze.



یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اِنْ کُنْتُمْ فِیْ رَیْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَاِنَّا خَلَقْنٰکُمْ مِّنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُّطْفَۃٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَۃٍ ثُمَّ مِنْ مُّضْغَۃٍ مُّخَلَّقَۃٍ وَّ غَیْرِ مُخَلَّقَۃٍ لِّنُبَیِّنَ لَکُمْ ؕ وَ نُقِرُّ فِی الْاَرْحَامِ مَا نَشَآءُ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ثُمَّ نُخْرِجُکُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوْۤا اَشُدَّکُمْ ۚ وَ مِنْکُمْ مَّنْ یُّتَوَفّٰی وَ مِنْکُمْ مَّنْ یُّرَدُّ اِلٰۤی اَرْذَلِ الْعُمُرِ لِکَیْلَا یَعْلَمَ مِنْۢ بَعْدِ عِلْمٍ شَیْئًا ؕ وَ تَرَی الْاَرْضَ هَامِدَۃً فَاِذَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَیْهَا الْمَآءَ اهْتَزَّتْ وَ رَبَتْ وَ اَنْۢبَتَتْ مِنْ کُلِّ زَوْجٍۭ بَهِیْجٍ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্না-ছুইন কুনতুম ফীরাইবিম মিনাল বা‘ছি ফাইন্না-খালাকনা-কুম মিন তুরা-বিন ছু ম্মা মিন নুতফাতিন ছুম্মা মিন ‘আলাকাতিন ছুম্মা মিম মু দগাতিম মুখালিলকাতিওঁ ওয়া গাইরি মুখাল্লাকাতিল লিনুবাইয়িনা লাকুম ওয়া নুকিররু ফিল আরহা-মি মা-নাশাউ ইলাআজালিম মুছাম্মান ছুম্মা নুখরিজুকুম তিফলান ছুম্মা লিতাবলুগূআশুদ্দাকুম ওয়া মিনকুম মাইঁ ইউতাওয়াফফা-ওয়া মিনকুম মাইঁ ইউরাদ্দুইলাআরযালিল ‘উমুরি লিকাইলাইয়া‘লামা মিম বা‘দি ‘ইলমিন শাইআওঁ ওয়া তারাল আরদা হা-মিদাতান ফাইযা আনযালনা-‘আলাইহাল মাআহতাযযাত ওয়া রাবাত ওয়া আমবাতাত মিন কুল্লি যাওজিম বাহীজ।
আল বায়ান:
হে মানুষ! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দেহে থাক তবে নিশ্চয়ই জেনে রেখো, আমি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি, তারপর শুক্র থেকে, তারপর আলাকা* থেকে, তারপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট অথবা অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট গোশ্ত থেকে। তোমাদের নিকট বিষয়টি সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করার নিমিত্তে। আর আমি যা ইচ্ছা করি তা একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত মাতৃগর্ভে অবস্থিত রাখি। অতঃপর আমি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করি, পরে যাতে তোমরা যৌবনে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারো কারো মৃত্যু দেয়া হয় এ বয়সেই, আবার কাউকে কাউকে ফিরিয়ে নেয়া হয় হীনতম বয়সে, যাতে সে জ্ঞান লাভের পরও কিছু না জানে। তুমি যমীনকে দেখতে পাও শুষ্কাবস্থায়, অতঃপর যখনই আমি তাতে পানি বর্ষণ করি, তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয় এবং উদগত করে সকল প্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মানুষ! পুনরুত্থানের ব্যাপারে যদি তোমরা সন্দিহান হও, তাহলে (চিন্তা করে দেখ) আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, অতঃপর শুক্র হতে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে, অতঃপর মাংসপিন্ড হতে পূর্ণ আকৃতিবিশিষ্ট বা অপূর্ণ আকৃতিবিশিষ্ট অবস্থায় (আমার শক্তি-ক্ষমতা) তোমাদের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরার জন্য। আর আমি যাকে ইচ্ছে করি তাকে একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত মাতৃগর্ভে রাখি, অতঃপর তোমাদেরকে বের করে আনি শিশুরূপে, অতঃপর (লালন পালন) করি যাতে তোমরা তোমাদের পূর্ণ শক্তির বয়সে পৌঁছতে পার। তোমাদের কারো কারো মৃত্যু ঘটাই, আর কতককে ফিরিয়ে দেয়া হয় নিস্ক্রিয় বার্ধক্যে যাতে (অনেক) জ্ঞান লাভের পরেও তাদের আর কোন জ্ঞান থাকে না। অতঃপর (আরো) তোমরা ভূমিকে দেখ শুষ্ক, মৃত; অতঃপর আমি যখন তাতে পানি বর্ষণ করি তখন তাতে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়, তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়, আর তা উদগত করে সকল প্রকার নয়নজুড়ানো উদ্ভিদ (জোড়ায় জোড়ায়)।
Sahih International:
O People, if you should be in doubt about the Resurrection, then [consider that] indeed, We created you from dust, then from a sperm-drop, then from a clinging clot, and then from a lump of flesh, formed and unformed - that We may show you. And We settle in the wombs whom We will for a specified term, then We bring you out as a child, and then [We develop you] that you may reach your [time of] maturity. And among you is he who is taken in [early] death, and among you is he who is returned to the most decrepit [old] age so that he knows, after [once having] knowledge, nothing. And you see the earth barren, but when We send down upon it rain, it quivers and swells and grows [something] of every beautiful kind.



ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْحَقُّ وَ اَنَّهٗ یُحْیِ الْمَوْتٰی وَ اَنَّهٗ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা হুওয়াল হাক্কু ওয়া আন্নাহূইউহয়িল মাওতা-ওয়া আন্নাহূ‘আলাকুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
এটি এজন্য যে, আল্লাহই সত্য এবং তিনিই মৃতকে জীবন দান করেন এবং তিনিই সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
এ রকম হয় এজন্য যে, আল্লাহ হলেন সত্য সঠিক, আর তিনিই মৃতকে জীবিত করেন, আর তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।
Sahih International:
That is because Allah is the Truth and because He gives life to the dead and because He is over all things competent



وَّ اَنَّ السَّاعَۃَ اٰتِیَۃٌ لَّا رَیْبَ فِیْهَا ۙ وَ اَنَّ اللّٰهَ یَبْعَثُ مَنْ فِی الْقُبُوْرِ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাছছা-‘আতা আ-তিয়াতুল লা-রাইবা ফীহা- ওয়া আন্নাল্লা-হা ইয়াব‘আছুমান ফিল কুবূর।
আল বায়ান:
আর কিয়ামত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং কবরে যারা আছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের পুনরুত্থিত করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর কিয়ামাত অবশ্যই আসবে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই এবং যারা কবরে আছে আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করবেন।
Sahih International:
And [that they may know] that the Hour is coming - no doubt about it - and that Allah will resurrect those in the graves.



وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یُّجَادِلُ فِی اللّٰهِ بِغَیْرِ عِلْمٍ وَّ لَا هُدًی وَّ لَا کِتٰبٍ مُّنِیْرٍ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনান্না-ছি মাইঁ ইউজা-দিলুফিল্লা-হি বিগাইরি ‘ইলমিওঁ ওয়ালা-হুদাওঁ ওয়ালা-কিতা-বিম মুনীর।
আল বায়ান:
আর মানুষের মধ্যে কতক আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে কোন জ্ঞান ছাড়া, কোন হিদায়াত ছাড়া এবং দীপ্তিমান কিতাব ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
তবুও মানুষের মধ্যে এমন আছে যারা জ্ঞান, পথের দিশা ও কোন আলোকপ্রদানকারী কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে।
Sahih International:
And of the people is he who disputes about Allah without knowledge or guidance or an enlightening book [from Him],



ثَانِیَ عِطْفِهٖ لِیُضِلَّ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ؕ لَهٗ فِی الدُّنْیَا خِزْیٌ وَّ نُذِیْقُهٗ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ عَذَابَ الْحَرِیْقِ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ছা-নিয়া-‘ইতফিহী লিইউদিল্লা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি লাহূফিদ দুনইয়া-খিযইয়ুওঁ ওয়া নুযীকুহূইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘আযা-বাল হারীক।
আল বায়ান:
সে বিতর্ক করে ঘাড় বাঁকিয়ে, মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে তার জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে দহন যন্ত্রণা আস্বাদন করাব।
তাইসিরুল কুরআন:
(বিতর্ক করে অবজ্ঞাভরে) ঘাড় বাঁকিয়ে (লোকেদেরকে) আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশে। তার জন্য আছে লাঞ্ছনা এ দুনিয়াতে, আর কিয়ামাতের দিন তাকে আস্বাদন করাব (অগ্নির) দহন যন্ত্রণা।
Sahih International:
Twisting his neck [in arrogance] to mislead [people] from the way of Allah. For him in the world is disgrace, and We will make him taste on the Day of Resurrection the punishment of the Burning Fire [while it is said],



ذٰلِکَ بِمَا قَدَّمَتْ یَدٰکَ وَ اَنَّ اللّٰهَ لَیْسَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِیْدِ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিমা-কাদ্দামাত ইয়াদা-কা ওয়া আন্নাল্লা-হা লাইছা বিজাল্লা-মিল লিল‘আবীদ।
আল বায়ান:
(সেদিন তাকে বলা হবে), ‘এটি তোমার দু’হাত যা পূর্বে প্রেরণ করেছে তার কারণে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দাদের প্রতি যুলমকারী নন’।
তাইসিরুল কুরআন:
(বলা হবে) তোমার হাত দু’খানা আগেই যা পাঠিয়েছিল এটা তারই ফল, কারণ আল্লাহ তো তাঁর বান্দাহদের প্রতি যালিম নন।
Sahih International:
"That is for what your hands have put forth and because Allah is not ever unjust to [His] servants."



وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یَّعْبُدُ اللّٰهَ عَلٰی حَرْفٍ ۚ فَاِنْ اَصَابَهٗ خَیْرُۨ اطْمَاَنَّ بِهٖ ۚ وَ اِنْ اَصَابَتْهُ فِتْنَۃُۨ انْقَلَبَ عَلٰی وَجْهِهٖ ۟ۚ خَسِرَ الدُّنْیَا وَ الْاٰخِرَۃَ ؕ ذٰلِکَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِیْنُ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনান্না-ছি মাইঁ ইয়া‘বুদুল্লা-হা ‘আলা-হারফিন ফাইন আসা-বাহূখাইরুনিতমাআন্না বিহী ওয়া ইন আসা-বাতহু ফিতনাতুনিনকালাবা ‘আলা-ওয়াজহিহী খাছিরাদ দুনইয়া-ওয়াল আ-খিরাতা যা-লিকা হুওয়াল খুছরা-নুল মুবীন।
আল বায়ান:
মানুষের মধ্যে কতক এমন রয়েছে, যারা দ্বিধার সাথে আল্লাহর ইবাদাত করে। যদি তার কোন কল্যাণ হয় তবে সে তাতে প্রশান্ত হয়। আর যদি তার কোন বিপর্যয় ঘটে, তাহলে সে তার আসল চেহারায় ফিরে যায়। সে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি হল সুস্পষ্ট ক্ষতি।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষের মধ্যে এমন কতক আছে যারা শেষ সীমায় অবস্থান করে আল্লাহর ‘ইবাদাত করে। অতঃপর তার কল্যাণ হলে, তা নিয়ে সে তৃপ্ত থাকে, আর কোন পরীক্ষার সম্মুখীন হলে সে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে দুনিয়াতেও আর আখিরাতেও- এটাই হল স্পষ্ট ক্ষতি।
Sahih International:
And of the people is he who worships Allah on an edge. If he is touched by good, he is reassured by it; but if he is struck by trial, he turns on his face [to the other direction]. He has lost [this] world and the Hereafter. That is what is the manifest loss.



یَدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَضُرُّهٗ وَ مَا لَا یَنْفَعُهٗ ؕ ذٰلِکَ هُوَ الضَّلٰلُ الْبَعِیْدُ ﴿ۚ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াদ‘ঊ মিন দূ নিল্লা-হি মা-লা-ইয়াদুররুহূওয়ামা- লা- ইয়ানফা‘উহূ যা-লিকা হুওয়াদ দালা-লুল বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যা তার কোন ক্ষতি করতে পারে না এবং কোন উপকারও করতে পারে না। এটিই চরম পথভ্রষ্টতা।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহকে বাদ দিয়ে সে এমন কিছুকে ডাকে যা না পারে তার কোন ক্ষতি করতে আর না পারে কোন উপকার করতে, এটাই হল চরম আকারের গুমরাহী।
Sahih International:
He invokes instead of Allah that which neither harms him nor benefits him. That is what is the extreme error.



یَدْعُوْا لَمَنْ ضَرُّهٗۤ اَقْرَبُ مِنْ نَّفْعِهٖ ؕ لَبِئْسَ الْمَوْلٰی وَ لَبِئْسَ الْعَشِیْرُ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াদ‘ঊ লামান দাররুহূআকরাবুমিন নাফ‘ইহী লাবি’ছাল মাওলা-ওয়ালা-বি’ছাল ‘আশীর।
আল বায়ান:
সে এমন কিছুকে ডাকে যার ক্ষতি তার উপকার অপেক্ষা নিকটতর। কতইনা নিকৃষ্ট এই অভিভাবক এবং কতই না নিকৃষ্ট এই সঙ্গী!
তাইসিরুল কুরআন:
সে এমন কিছুকে ডাকে যার লাভের চেয়ে ক্ষতিই নিকটবর্তী, কত মন্দই না এই অভিভাবক, আর কত মন্দই না এই সঙ্গী!
Sahih International:
He invokes one whose harm is closer than his benefit - how wretched the protector and how wretched the associate.



اِنَّ اللّٰهَ یُدْخِلُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَفْعَلُ مَا یُرِیْدُ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা ইউদখিলুল্লাযীনা আ-মানূওয়া আমিলুসসা-লিহা-তি জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আহা-রু ইন্নাল্লা-হা ইয়াফ‘আলুমা-ইউরীদ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন এমন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। নিশ্চয়ই আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার নিম্নদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, আল্লাহ যা করতে চান, তাই করেন।
Sahih International:
Indeed, Allah will admit those who believe and do righteous deeds to gardens beneath which rivers flow. Indeed, Allah does what He intends.



مَنْ کَانَ یَظُنُّ اَنْ لَّنْ یَّنْصُرَهُ اللّٰهُ فِی الدُّنْیَا وَ الْاٰخِرَۃِ فَلْیَمْدُدْ بِسَبَبٍ اِلَی السَّمَآءِ ثُمَّ لْیَقْطَعْ فَلْیَنْظُرْ هَلْ یُذْهِبَنَّ کَیْدُهٗ مَا یَغِیْظُ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
মান কা-না ইয়াজু ন্নুআল্লাইঁ ইয়ানসুরাহুল্লা-হুফিদদুনইয়া-ওয়াল আ-খিরাতি ফালইয়ামদুদ বিছাবাবিন ইলাছ ছামাইছু ম্মাল ইয়াকতা‘ ফালইয়ানজু র হাল ইউযহিবান্না কাইদুহূমাইয়াগীজ।
আল বায়ান:
যে ধারণা করে যে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে কখনো তাকে (রাসূলকে) সাহায্য করবেন না, সে আসমানের দিকে একটি রশি প্রসারিত করুক, এরপর তা কেটে দিক, অতঃপর দেখুক তার কৌশল তার আক্রোশ দূর করে কিনা।
তাইসিরুল কুরআন:
যে কেউ ধারণা করে যে আল্লাহ তাকে (অর্থাৎ তাঁর রসূলকে) কক্ষনো দুনিয়া ও আখিরাতে সাহায্য করবেন না, তাহলে সে আকাশ পর্যন্ত একটা দড়ি ঝুলিয়ে নিক, অতঃপর তা কেটে দিক, অতঃপর সে দেখুক তার কলা-কৌশল তার রাগের কারণ দূর করে কিনা। (রসূলের দুশমন নিজের ঝুলানো দড়িটাই কাটুক, কেননা সে তো রসূলের প্রতি আল্লাহর সাহায্যের দড়িটা কক্ষনো কাটতে পারবে না।)
Sahih International:
Whoever should think that Allah will not support [Prophet Muhammad] in this world and the Hereafter - let him extend a rope to the ceiling, then cut off [his breath], and let him see: will his effort remove that which enrages [him]?



وَ کَذٰلِکَ اَنْزَلْنٰهُ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ ۙ وَّ اَنَّ اللّٰهَ یَهْدِیْ مَنْ یُّرِیْدُ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা আনযালনা-হু আ-য়া-তিম বাইয়িনা-তিওঁ ওয়া আন্নাল্লা-হা ইয়াহদী মাইঁ ইউরীদ।
আল বায়ান:
এভাবেই আমি সুস্পষ্ট আয়াতরূপে তা (কুরআন) নাযিল করেছি। আর আল্লাহ নিঃসন্দেহে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই আমি স্পষ্ট নিদর্শনরূপে কুরআন অবতীর্ণ করেছি আর আল্লাহ যাকে চান সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
Sahih International:
And thus have We sent the Qur'an down as verses of clear evidence and because Allah guides whom He intends.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ الَّذِیْنَ هَادُوْا وَ الصّٰبِئِیْنَ وَ النَّصٰرٰی وَ الْمَجُوْسَ وَ الَّذِیْنَ اَشْرَکُوْۤا ٭ۖ اِنَّ اللّٰهَ یَفْصِلُ بَیْنَهُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ شَهِیْدٌ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়াল্লাযীনা হা-দূওয়াসসা-বিঈনা ওয়ান্নাসা-রা-ওয়াল মাজুছা ওয়াল্লাযীনা আশরাকূ ইন্নাল্লা-হা ইয়াফসিলুবাইনাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন শাহীদ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং যারা ইয়াহূদী হয়েছে, যারা সাবিঈ, খৃস্টান ও অগ্নিপূজক এবং যারা মুশরিক হয়েছে- কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছুই সম্যক প্রত্যক্ষকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান এনেছে আর যারা ইয়াহূদী হয়েছে, আর যারা সাবিয়ী, নাসারা, অগ্নিপূজক ও মুশরিক, আল্লাহ কিয়ামাতের দিন এদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন (যে কারা সঠিক পথে আছে), কারণ আল্লাহ সব কিছুর প্রত্যক্ষদর্শী।
Sahih International:
Indeed, those who have believed and those who were Jews and the Sabeans and the Christians and the Magians and those who associated with Allah - Allah will judge between them on the Day of Resurrection. Indeed Allah is, over all things, Witness.



اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یَسْجُدُ لَهٗ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَنْ فِی الْاَرْضِ وَ الشَّمْسُ وَ الْقَمَرُ وَ النُّجُوْمُ وَ الْجِبَالُ وَ الشَّجَرُ وَ الدَّوَآبُّ وَ کَثِیْرٌ مِّنَ النَّاسِ ؕ وَ کَثِیْرٌ حَقَّ عَلَیْهِ الْعَذَابُ ؕ وَ مَنْ یُّهِنِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ مُّکْرِمٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَفْعَلُ مَا یَشَآءُ ﴿ؕٛ۱۸﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা আন্নাল্লা-হা ইয়াছজুদুলাহূ মান ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়া মান ফিল আরদি ওয়াশশামছুওয়ালকামারু ওয়ান নুজূমুওয়াল জিবা-লুওয়াশশাজারু ওয়াদ্দাওয়া ব্বুওয়া কাছীরুম মিনান্না-ছি ওয়া কাছীরুন হাক্কা ‘আলাইহিল ‘আযা-বু ওয়া মাইঁ ইউহিনিল্লা-হু ফামা-লাহূ মিম মুকরিমিন ইন্নাল্লা-হা ইয়াফ‘আলুমা-ইয়াশাউ(ছিজদাহ-৬)।
আল বায়ান:
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা কিছু রয়েছে যমীনে, সূর্য, চাঁদ, তারকারাজী, পর্বতমালা, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু ও মানুষের মধ্যে অনেকে। আবার অনেকের উপর শাস্তি অবধারিত হয়ে আছে। আল্লাহ যাকে অপমানিত করেন তার সম্মানদাতা কেউ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি দেখ না যে আল্লাহকে সেজদা করে যারা আকাশে আছে, আর যারা পৃথিবীতে আছে আর সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, পর্বতসমূহ, বৃক্ষরাজি, জীবজন্তু এবং মানুষের মধ্যে অনেকে? আর অনেকের প্রতি শাস্তি সাব্যস্ত হয়ে গেছে। আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করতে চান, তাকে সম্মানিত করার কেউ নেই। আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন তাই করেন।[সাজদাহ]
Sahih International:
Do you not see that to Allah prostrates whoever is in the heavens and whoever is on the earth and the sun, the moon, the stars, the mountains, the trees, the moving creatures and many of the people? But upon many the punishment has been justified. And he whom Allah humiliates - for him there is no bestower of honor. Indeed, Allah does what He wills.



هٰذٰنِ خَصْمٰنِ اخْتَصَمُوْا فِیْ رَبِّهِمْ ۫ فَالَّذِیْنَ کَفَرُوْا قُطِّعَتْ لَهُمْ ثِیَابٌ مِّنْ نَّارٍ ؕ یُصَبُّ مِنْ فَوْقِ رُءُوْسِهِمُ الْحَمِیْمُ ﴿ۚ۱۹﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-নি খাছমা-নিখ তাছামূফী রাব্বিহিম ফাল্লাযীনা কাফারূকুত্তি‘আত লাহুম ছিয়া-বুম মিন্না-রিইঁ ইউসাব্বুমিন ফাওকিরুঊছিহিমুল হামীম।
আল বায়ান:
এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ, যারা তাদের রব সম্পর্কে বিতর্ক করে। তবে যারা কুফরী করে তাদের জন্য আগুনের পোশাক প্রস্ত্তত করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর থেকে ঢেলে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা বিবাদের দু’টি পক্ষ, (মু’মিনরা একটি পক্ষ, আর সমস্ত কাফিররা আরেকটি পক্ষ) এরা এদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বাদানুবাদ করে, অতঃপর যারা (তাদের প্রতিপালককে) অস্বীকার করে, তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আগুনের পোশাক, তাদের মাথার উপর ঢেলে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি।
Sahih International:
These are two adversaries who have disputed over their Lord. But those who disbelieved will have cut out for them garments of fire. Poured upon their heads will be scalding water



یُصْهَرُ بِهٖ مَا فِیْ بُطُوْنِهِمْ وَ الْجُلُوْدُ ﴿ؕ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইউসহারু বিহী মা-ফী বুতূনিহিম ওয়াল জুলূদ।
আল বায়ান:
যার দ্বারা তাদের পেটের অভ্যন্তরে যা কিছু রয়েছে তা ও তাদের চামড়াসমূহ বিগলিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যা দিয়ে তাদের পেটে যা আছে তা ও তাদের চামড়া গলিয়ে দেয়া হবে।
Sahih International:
By which is melted that within their bellies and [their] skins.



وَ لَهُمْ مَّقَامِعُ مِنْ حَدِیْدٍ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাহুম মাকা-মি‘উ মিন হাদীদ।
আল বায়ান:
আর তাদের জন্য থাকবে লোহার হাতুড়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
উপরন্তু তাদের (শাস্তির) জন্য থাকবে লোহার মুগুর।
Sahih International:
And for [striking] them are maces of iron.



کُلَّمَاۤ اَرَادُوْۤا اَنْ یَّخْرُجُوْا مِنْهَا مِنْ غَمٍّ اُعِیْدُوْا فِیْهَا ٭ وَ ذُوْقُوْا عَذَابَ الْحَرِیْقِ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
কুল্লামাআরা-দূ আইঁ ইয়াখরুজুমিনহা-মিন গাম্বিন উ‘ঈদূফীহা- ওয়া যূকূ‘আযাবাল হারীক।
আল বায়ান:
যখনই তারা যন্ত্রণাকাতর হয়ে তা থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং বলা হবে, দহন-যন্ত্রণা আস্বাদন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
যখনই তারা যন্ত্রণার চোটে তাত্থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে (তখনই) তাদেরকে তার ভিতরে ফিরিয়ে দেয়া হবে, (আর বলা হবে, আগুনে) পুড়ার শাস্তি আস্বাদন কর।
Sahih International:
Every time they want to get out of Hellfire from anguish, they will be returned to it, and [it will be said], "Taste the punishment of the Burning Fire!"



اِنَّ اللّٰهَ یُدْخِلُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ یُحَلَّوْنَ فِیْهَا مِنْ اَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَّ لُؤْلُؤًا ؕ وَ لِبَاسُهُمْ فِیْهَا حَرِیْرٌ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা ইউদখিলুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ইউহাল্লাওনা ফীহা-মিন আছা-বিরা মিন যাহাবিওঁ ওয়া লু’লুওআওঁ ওয়া লিবা-ছুহুম ফীহা-হারীর।
আল বায়ান:
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন এমন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। যেখানে তাদেরকে সোনার কাঁকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং যেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে সোনার কাঁকন আর মুক্তা দিয়ে আর সেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের।
Sahih International:
Indeed, Allah will admit those who believe and do righteous deeds to gardens beneath which rivers flow. They will be adorned therein with bracelets of gold and pearl, and their garments therein will be silk.



وَ هُدُوْۤا اِلٰی الطَّیِّبِ مِنَ الْقَوْلِ ۚۖ وَ هُدُوْۤا اِلَی صِرَاطِ الْحَمِیْدِ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুদূ ইলাততাইয়িবি মিনাল কাওলি ওয়া হুদূ ইলা-সিরা-তিল হামীদ।
আল বায়ান:
তাদেরকে পবিত্র বাণীর দিকে পরিচালনা করা হয়েছিল এবং তাদেরকে মহা প্রশংসিত আল্লাহর পথ দেখানো হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে (দুনিয়ার জীবনে) পথ দেখানো হয়েছিল পবিত্র বাক্যের (অর্থাৎ কালিমা তাইয়্যেবা বা আল-কুরআনের) দিকে আর তারা পরিচালিত হয়েছিল তাঁর পথে যিনি সকল প্রশংসার দাবীদার।
Sahih International:
And they had been guided [in worldly life] to good speech, and they were guided to the path of the Praiseworthy.



اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ یَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِیْ جَعَلْنٰهُ لِلنَّاسِ سَوَآءَۨ الْعَاکِفُ فِیْهِ وَ الْبَادِ ؕ وَ مَنْ یُّرِدْ فِیْهِ بِاِلْحَادٍۭ بِظُلْمٍ نُّذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা কাফারূওয়া ইয়াসুদ্দূনা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল মাছজিদিল হারা-মিল্লাযী জা‘আলনা-হু লিন্না-ছি ছাওয়া-আনিল ‘আ-কিফুফীহি ওয়াল বা-দি ওয়া মাইঁ ইউরিদ ফীহি বিইলহা-দিম বিজু লমিন নুযিকহু মিন ‘আযা-বিন আলীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথ থেকে ও মসজিদে হারাম থেকে বাধা দেয়, যাকে আমি স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের জন্য সমান করেছি। আর যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করে সেখানে পাপকাজ করতে চায়, তাকে আমি যন্ত্রণাদায়ক আযাব আস্বাদন করাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফুরী করে আর আল্লাহর পথে (মানুষের চলার ক্ষেত্রে) বাধা সৃষ্টি করে আর মাসজিদে হারামে যেতেও- যাকে আমি করেছি স্থানীয় বাসিন্দা ও অন্যদেশবাসী সকলের জন্য সমান। যে তাতে অন্যায়ভাবে কোন ধর্মদ্রোহী কাজ করার ইচ্ছে করে তাকে আমি আস্বাদন করাব ভয়াবহ শাস্তি।
Sahih International:
Indeed, those who have disbelieved and avert [people] from the way of Allah and [from] al-Masjid al-Haram, which We made for the people - equal are the resident therein and one from outside; and [also] whoever intends [a deed] therein of deviation [in religion] or wrongdoing - We will make him taste of a painful punishment.



وَ اِذْ بَوَّاْنَا لِاِبْرٰهِیْمَ مَکَانَ الْبَیْتِ اَنْ لَّا تُشْرِکْ بِیْ شَیْئًا وَّ طَهِّرْ بَیْتِیَ لِلطَّآئِفِیْنَ وَ الْقَآئِمِیْنَ وَ الرُّکَّعِ السُّجُوْدِ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয বাওওয়া’না- লিইবরা-হীমা মাকা-নাল বাইতি আল্লা-তুশরিক বী শাইআও ওয়াতাহহির বাইতিয়া লিততাইফীনা ওয়াল কাইমীনা ওয়াররুক্কা‘ইছছুজুদ ।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহীমকে সে ঘরের (বায়তুল্লাহ্র) স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না এবং আমার ঘরকে পাক সাফ রাখবে তাওয়াফকারী, রুকূ-সিজদা ও দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর জন্য’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর যখন আমি ইবরাহীমকে (পবিত্র) গৃহের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম, (তখন বলেছিলাম) আমার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার গণ্য করবে না, আর আমার গৃহকে পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাযে কিয়ামকারী, রূকু‘কারী ও সেজদাকারীদের জন্য।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], when We designated for Abraham the site of the House, [saying], "Do not associate anything with Me and purify My House for those who perform Tawaf and those who stand [in prayer] and those who bow and prostrate.



وَ اَذِّنْ فِی النَّاسِ بِالْحَجِّ یَاْتُوْکَ رِجَالًا وَّ عَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاْتِیْنَ مِنْ کُلِّ فَجٍّ عَمِیْقٍ ﴿ۙ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আযযিনফিন্না-ছি বিলহাজ্জি ইয়া’তূকা রিজা-লাওঁ ওয়া ‘আলা-কুল্লি দামিরিইঁ ইয়া’তীনা মিন কুল্লি ফাজজিন ‘আমীক।
আল বায়ান:
‘আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর মানুষের মাঝে হাজ্জের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে, আর সব (পথক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বত সংকুল পথ বেয়ে
Sahih International:
And proclaim to the people the Hajj [pilgrimage]; they will come to you on foot and on every lean camel; they will come from every distant pass -



لِّیَشْهَدُوْا مَنَافِعَ لَهُمْ وَ یَذْکُرُوا اسْمَ اللّٰهِ فِیْۤ اَیَّامٍ مَّعْلُوْمٰتٍ عَلٰی مَا رَزَقَهُمْ مِّنْۢ بَهِیْمَۃِ الْاَنْعَامِ ۚ فَکُلُوْا مِنْهَا وَ اَطْعِمُوا الْبَآئِسَ الْفَقِیْرَ ﴿۫۲۸﴾
উচ্চারণ:
লিইয়াশহাদূমানা-ফি‘আ লাহুম ওয়া ইয়াযকুরুছমাল্লা-হি ফীআইইয়া-মিম মা‘লূমা-তিন ‘আলা-মা-রাযাকাহুম মিম বাহীমাতিল আন‘আ-মি ফাকুলূমিনহা-ওয়াআত‘ইমুল বাইছাল ফাকীর।
আল বায়ান:
‘যেন তারা নিজদের কল্যাণের স্থানসমূহে হাযির হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু থেকে যে রিয্ক দিয়েছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রকে খেতে দাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তারা তাদের জন্য (এখানে রাখা দুনিয়া ও আখিরাতের) কল্যাণগুলো প্রত্যক্ষ করতে পারে আর তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যে রিযক দান করেছেন, নির্দিষ্ট দিনগুলোতে তার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। কাজেই তোমরা (নিজেরা) তাত্থেকে খাও আর দুঃস্থ অভাবীদের খাওয়াও।
Sahih International:
That they may witness benefits for themselves and mention the name of Allah on known days over what He has provided for them of [sacrificial] animals. So eat of them and feed the miserable and poor.



ثُمَّ لْیَقْضُوْا تَفَثَهُمْ وَ لْیُوْفُوْا نُذُوْرَهُمْ وَ لْیَطَّوَّفُوْا بِالْبَیْتِ الْعَتِیْقِ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মাল ইয়াকদূ তাফাছাহুম ওয়ালইউফূনুযূরাহুম ওয়াল ইয়াততাওওয়াফূবিলবাইতিল ‘আতীক।
আল বায়ান:
‘তারপর তারা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তাদের মানতসমূহ পূরণ করে এবং প্রাচীন ঘরের* তাওয়াফ করে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা যেন তাদের দৈহিক অপরিচ্ছন্নতা দূর করে, তাদের মানৎ পূর্ণ করে আর প্রাচীন গৃহের তাওয়াফ করে।
Sahih International:
Then let them end their untidiness and fulfill their vows and perform Tawaf around the ancient House."



ذٰلِکَ ٭ وَ مَنْ یُّعَظِّمْ حُرُمٰتِ اللّٰهِ فَهُوَ خَیْرٌ لَّهٗ عِنْدَ رَبِّهٖ ؕ وَ اُحِلَّتْ لَکُمُ الْاَنْعَامُ اِلَّا مَا یُتْلٰی عَلَیْکُمْ فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা ওয়া মাইঁ ইউ‘আজজিম হুরুমা-তিল্লা-হি ফাহুওয়া খাইরুল্লাহূ‘ইনদা রাব্বিহী ওয়া-উহিল্লাত লাকুমুল আন‘আ-মুইল্লা-মা-ইউতলা-‘আলাইকুম ফাজতানিবুর রিজছা মিনাল আওছা-নি ওয়াজতানিবূকাওলাযযূর।
আল বায়ান:
এটিই বিধান আর কেউ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত পবিত্র বিষয়সমূহকে সম্মান করলে তার রবের নিকট তা-ই তার জন্য উত্তম। আর তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ জন্তু; তবে যা তোমাদের কাছে পাঠ করা হয় সেগুলি ছাড়া। সুতরাং মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে বিরত থাক এবং মিথ্যা কথা পরিহার কর-
তাইসিরুল কুরআন:
এটাই (হাজ্জ), যে কেউ আল্লাহর নির্ধারিত অনুষ্ঠানগুলোর সম্মান করবে, সেটা তার প্রতিপালকের নিকট তার জন্য উত্তম। চতুষ্পদ জন্তুগুলো তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সেগুলো ছাড়া যেগুলোর ব্যাপারে তোমাদেরকে পড়ে শুনানো হয়েছে। কাজেই তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা বর্জন কর আর মিথ্যে কথা পরিহার কর
Sahih International:
That [has been commanded], and whoever honors the sacred ordinances of Allah - it is best for him in the sight of his Lord. And permitted to you are the grazing livestock, except what is recited to you. So avoid the uncleanliness of idols and avoid false statement,



حُنَفَآءَ لِلّٰهِ غَیْرَ مُشْرِکِیْنَ بِهٖ ؕ وَ مَنْ یُّشْرِکْ بِاللّٰهِ فَکَاَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَآءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّیْرُ اَوْ تَهْوِیْ بِهِ الرِّیْحُ فِیْ مَکَانٍ سَحِیْقٍ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
হুনাফাআ লিল্লা-হি গাইরা মুশরিকীনা বিহী ওয়া মাইঁ ইউশরিক বিল্লা-হি ফাকাআন্নামাখাররা মিনাছছামাই ফাতাখতাফুহুততাইরু আও তাহওয়ী বিহির রীহুফী মাকা-নিন ছাহীক।
আল বায়ান:
আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ হয়ে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করে। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে যেন আকাশ থেকে পড়ল। অতঃপর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল কিম্বা বাতাস তাকে দূরের কোন জায়গায় নিক্ষেপ করল।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর সাথে শরীক না করে। যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করে সে যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল, আর পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল কিংবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরবর্তী স্থানে ছুঁড়ে ফেলে দিল।
Sahih International:
Inclining [only] to Allah, not associating [anything] with Him. And he who associates with Allah - it is as though he had fallen from the sky and was snatched by the birds or the wind carried him down into a remote place.



ذٰلِکَ ٭ وَ مَنْ یُّعَظِّمْ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنْ تَقْوَی الْقُلُوْبِ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা ওয়া মাইঁ ইউ‘আজজিম শা‘আইরাল্লা-হি ফাইন্নাহা-মিন তাকওয়াল কুলূব।
আল বায়ান:
এটাই হল আল্লাহর বিধান; যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা অন্তরের তাকওয়া থেকেই।
তাইসিরুল কুরআন:
এই (তার অবস্থা), আর যে কেউ আল্লাহর নিদর্শনগুলোকে সম্মান করবে সে তো তার অন্তরস্থিত আল্লাহ-ভীতি থেকেই তা করবে।
Sahih International:
That [is so]. And whoever honors the symbols of Allah - indeed, it is from the piety of hearts.



لَکُمْ فِیْهَا مَنَافِعُ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ثُمَّ مَحِلُّهَاۤ اِلَی الْبَیْتِ الْعَتِیْقِ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
লাকুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ইলাআজালিম মুছাম্মান ছুম্মা মাহিল্লুহাইলাল বাইতিল ‘আতীক।
আল বায়ান:
এসব চতুষ্পদ জন্তুতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে, তারপর এগুলোর কুরবানীর স্থান হবে প্রাচীন ঘরের নিকট।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে (অর্থাৎ কুরবানীর পশুতে) তোমাদের জন্য নানান উপকার রয়েছে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত (কুরবানীর জায়গায় পৌঁছা পর্যন্ত তোমরা এই জন্তুগুলোর দ্বারা উপকৃত হতে পার), সর্বশেষে এগুলোর কুরবানীর স্থান হচ্ছে প্রাচীন ঘরের নিকট।
Sahih International:
For you the animals marked for sacrifice are benefits for a specified term; then their place of sacrifice is at the ancient House.



وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلْنَا مَنْسَکًا لِّیَذْکُرُوا اسْمَ اللّٰهِ عَلٰی مَا رَزَقَهُمْ مِّنْۢ بَهِیْمَۃِ الْاَنْعَامِ ؕ فَاِلٰـهُکُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَلَهٗۤ اَسْلِمُوْا ؕ وَ بَشِّرِ الْمُخْبِتِیْنَ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিকুল্লি উম্মাতিন জা‘আলনা-মানছাকাল লিইয়াযকুরুছমাল্লা-হি ‘আলা-মা-রাযাকাহুম মিম বাহীমাতিল আন‘আ-ম ফাইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুন ফালাহূআছলিমূ ওয়া বাশশিরিল মুখবিতীন।
আল বায়ান:
প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কুরবানীর নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিয্ক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ; অতএব তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ কর; আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য (কুরবানীর) নিয়ম করে দিয়েছি। তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যে রিযক্ দেয়া হয়েছে সেগুলোর উপর তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে, (এই বিভিন্ন নিয়ম-পদ্ধতির মূল লক্ষ্য কিন্তু এক- আল্লাহর নির্দেশ পালন), কারণ তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, কাজেই তাঁর কাছেই আত্মসমর্পণ কর আর সুসংবাদ দাও সেই বিনীতদেরকে-
Sahih International:
And for all religion We have appointed a rite [of sacrifice] that they may mention the name of Allah over what He has provided for them of [sacrificial] animals. For your god is one God, so to Him submit. And, [O Muhammad], give good tidings to the humble [before their Lord]



الَّذِیْنَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰهُ وَجِلَتْ قُلُوْبُهُمْ وَ الصّٰبِرِیْنَ عَلٰی مَاۤ اَصَابَهُمْ وَ الْمُقِیْمِی الصَّلٰوۃِ ۙ وَ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইযা-যুকিরাল্লা-হু ওয়াজিলাত কুলূবুহুম ওয়াসসাবিরীনা ‘আলা-মাআসাবাহুম ওয়াল মুকীমিসসালা-তি ওয়া মিম্মা-রাযাকনা-হুম ইউনফিকূন।
আল বায়ান:
যাদের কাছে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে, যারা তাদের বিপদ-আপদে ধৈর্যধারণ করে, যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আল্লাহ’ নামের উল্লেখ হলেই যাদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে, যারা তাদের বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করে, নামায কায়িম করে, আর তাদেরকে আমি যে রিযক্ দিয়েছি তাত্থেকে তারা ব্যয় করে।
Sahih International:
Who, when Allah is mentioned, their hearts are fearful, and [to] the patient over what has afflicted them, and the establishers of prayer and those who spend from what We have provided them.



وَ الْبُدْنَ جَعَلْنٰهَا لَکُمْ مِّنْ شَعَآئِرِ اللّٰهِ لَکُمْ فِیْهَا خَیْرٌ ٭ۖ فَاذْکُرُوا اسْمَ اللّٰهِ عَلَیْهَا صَوَآفَّ ۚ فَاِذَا وَجَبَتْ جُنُوْبُهَا فَکُلُوْا مِنْهَا وَ اَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَ الْمُعْتَرَّ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرْنٰهَا لَکُمْ لَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালবুদনা জা‘আলনা-হা-লাকুম মিন শা‘আইরিল্লা-হি লাকুম ফীহা-খাইরুন ফাযকরুছ মাল্লা-হি ‘আলাইহা-সাওয়াফফা ফাইযা-ওয়াজাবাত জুনূবুহা-ফাকুলূ মিনহা-ওয়া আত‘ইমুল কা-নি‘আ ওয়াল মু‘তাররা কাযা-লিকা ছাখখারনা-হা-লাকুম লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
আল বায়ান:
আর কুরবানীর উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি; তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থায় সেগুলির উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর যখন সেগুলি কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়-তাদেরকে খেতে দাও। এভাবেই আমি ওগুলিকে তোমাদের অনুগত করে দিয়েছি; যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (কুরবানীর) উটগুলোকে আমি করেছি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তাতে তোমাদের জন্য কল্যাণ আছে, কাজেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো অবস্থায় ওগুলোর উপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। যখন তা পার্শ্বভরে পড়ে যায়, তখন তাথেকে খাও আর যারা (ভিক্ষে না ক’রে) পরিতৃপ্ত থাকে তাদেরকে আর যারা কাকুতি মিনতি ক’রে যাচ্ঞা করে তাদেরকেও খাওয়াও। এভাবে আমি ওগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
Sahih International:
And the camels and cattle We have appointed for you as among the symbols of Allah; for you therein is good. So mention the name of Allah upon them when lined up [for sacrifice]; and when they are [lifeless] on their sides, then eat from them and feed the needy and the beggar. Thus have We subjected them to you that you may be grateful.



لَنْ یَّنَالَ اللّٰهَ لُحُوْمُهَا وَ لَا دِمَآؤُهَا وَ لٰکِنْ یَّنَالُهُ التَّقْوٰی مِنْکُمْ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرَهَا لَکُمْ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمْ ؕ وَ بَشِّرِ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
লাইঁ ইয়ানা-লাল্লা-হা লুহূমুহা-ওয়ালা-দিমাউহা-ওয়ালা-কিইঁ ইয়ানা-লুহুততাকওয়ামিনকুম কাযা-লিকা ছাখখারাহা-লাকুম লিতুকাববিরুল্লা-হা ‘আলা-মা-হাদা-কুম ওয়া বাশশিরিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর গোশ্ত ও রক্ত; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি সে সবকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবীর পাঠ করতে পার, এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন; সুতরাং তুমি সৎকর্মশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর কাছে ওগুলোর না গোশত পৌঁছে, আর না রক্ত পৌঁছে বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি ওগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পার এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, কাজেই সৎকর্মশীলদেরকে তুমি সুসংবাদ দাও।
Sahih International:
Their meat will not reach Allah, nor will their blood, but what reaches Him is piety from you. Thus have We subjected them to you that you may glorify Allah for that [to] which He has guided you; and give good tidings to the doers of good.



اِنَّ اللّٰهَ یُدٰفِعُ عَنِ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ کُلَّ خَوَّانٍ کَفُوْرٍ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা ইউদা-ফি‘উ ‘আনিল্লাযীনা আ-মানূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুকুল্লা খাওওয়ানিন কাফূর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদেরকে রক্ষা করেন এবং কোন বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ মু’মিনদেরকে রক্ষা করেন (যাবতীয় মন্দ হতে)। আল্লাহ কোন খিয়ানাতকারী, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।
Sahih International:
Indeed, Allah defends those who have believed. Indeed, Allah does not like everyone treacherous and ungrateful.



اُذِنَ لِلَّذِیْنَ یُقٰتَلُوْنَ بِاَنَّهُمْ ظُلِمُوْا ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی نَصْرِهِمْ لَقَدِیْرُۨ ﴿ۙ۳۹﴾
উচ্চারণ:
উযিনা লিল্লাযীনা ইউকা-তালূনা বিআন্নাহুম জুলিমূ ওয়া ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-নাসরিহিম লা-কাদীর।
আল বায়ান:
যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে, যাদেরকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কারণ তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দানে সক্ষম।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয় তাদেরকে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল, কেননা তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম।
Sahih International:
Permission [to fight] has been given to those who are being fought, because they were wronged. And indeed, Allah is competent to give them victory.



الَّذِیْنَ اُخْرِجُوْا مِنْ دِیَارِهِمْ بِغَیْرِ حَقٍّ اِلَّاۤ اَنْ یَّقُوْلُوْا رَبُّنَا اللّٰهُ ؕ وَ لَوْ لَا دَفْعُ اللّٰهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَّهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَ بِیَعٌ وَّ صَلَوٰتٌ وَّ مَسٰجِدُ یُذْکَرُ فِیْهَا اسْمُ اللّٰهِ کَثِیْرًا ؕ وَ لَیَنْصُرَنَّ اللّٰهُ مَنْ یَّنْصُرُهٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَقَوِیٌّ عَزِیْزٌ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা উখরিজুমিন দিয়া-রিহিম বিগাইরি হাক্কিন ইল্লাআইঁ ইয়াকূলূরাব্বুনাল্লা-হু ওয়া লাওলা-দাফ‘উল্লা-হিন্না-ছা বা‘দাহুম ব্বিা‘দিল লাহুদ্দিমাত ছাওয়া-মি‘উ ওয়া বিয়া‘উওঁ ওয়া সালাওয়া-তুওঁ ওয়া মাছা-জিদুইউযকারু ফীহাছমুল্লা-হি কাছীরাও ওয়ালাইয়ানসুরান্নাল্লা-হু মাইঁ ইয়ানসুরুহূ ইন্নাল্লা-হা লাকাবিইয়ুউন ‘আযীয।
আল বায়ান:
যাদেরকে তাদের নিজ বাড়ী-ঘর থেকে অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে বের করে দেয়া হয়েছে যে, তারা বলে, ‘আমাদের রব আল্লাহ’। আর আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা দমন না করতেন, তবে বিধস্ত হয়ে যেত খৃস্টান সন্ন্যাসীদের আশ্রম, গির্জা, ইয়াহূদীদের উপাসনালয় ও মসজিদসমূহ- যেখানে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আর আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন, যে তাকে সাহায্য করে। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে অন্যায়ভাবে গৃহ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে শুধু তাদের এ কথা বলার কারণে যে, ‘আল্লাহ আমাদের প্রতিপালক।’ আল্লাহ যদি মানুষদের এক দলের দ্বারা অন্য দলকে প্রতিহত না করতেন, তাহলে বিধ্বস্ত হয়ে যেত খ্রীষ্টান সংসারত্যাগীদের উপাসনালয়, গির্জা ও ইয়াহূদীদের উপাসনার স্থান আর মাসজিদসমূহ যেখানে আল্লাহর নাম অধিকহারে স্মরণ করা হয়। আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন যে তাঁকে সাহায্য করে, আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রান্ত।
Sahih International:
[They are] those who have been evicted from their homes without right - only because they say, "Our Lord is Allah." And were it not that Allah checks the people, some by means of others, there would have been demolished monasteries, churches, synagogues, and mosques in which the name of Allah is much mentioned. And Allah will surely support those who support Him. Indeed, Allah is Powerful and Exalted in Might.



اَلَّذِیْنَ اِنْ مَّکَّنّٰهُمْ فِی الْاَرْضِ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ وَ اَمَرُوْا بِالْمَعْرُوْفِ وَ نَهَوْا عَنِ الْمُنْکَرِ ؕ وَ لِلّٰهِ عَاقِبَۃُ الْاُمُوْرِ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইম মাকান্না-হুম ফিল আরদিআকা-মুসসালা-তা ওয়া আ-তাউযযাকা-তা ওয়া আমারূ বিল মা‘রূফি ওয়া নাহাও ‘আনিল মুনকারি ওয়া লিল্লা-হি ‘আ-কিবাতুল উমূর।
আল বায়ান:
তারা এমন যাদেরকে আমি যমীনে ক্ষমতা দান করলে তারা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজের আদেশ দেবে ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে; আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহরই অধিকারে।
তাইসিরুল কুরআন:
(এরা হল) যাদেরকে আমি যমীনে প্রতিষ্ঠিত করলে তারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত প্রদান করে, সৎ কাজের আদেশ দেয় ও মন্দ কাজে নিষেধ করে, সকল কাজের শেষ পরিণাম (ও সিদ্ধান্ত) আল্লাহর হাতে নিবদ্ধ।
Sahih International:
[And they are] those who, if We give them authority in the land, establish prayer and give zakah and enjoin what is right and forbid what is wrong. And to Allah belongs the outcome of [all] matters.



وَ اِنْ یُّکَذِّبُوْکَ فَقَدْ کَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوْحٍ وَّ عَادٌ وَّ ثَمُوْدُ ﴿ۙ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়ঁইউকাযযিবূকা ফাকাদ কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমুনূহিওঁ ওয়া ‘আদুওঁ ওয়া ছামূদ ।
আল বায়ান:
আর তারা যদি তোমাকে অস্বীকার করে তবে তাদের পূর্বে অস্বীকার করেছিল নূহ, ‘আদ ও ছামূদের কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
লোকেরা যদি তোমাকে অস্বীকার করে তাহলে (জেনে রেখ এটা কোন নতুন ব্যাপার নয়) তাদের পূর্বে নূহ, ‘আদ ও সামূদ সম্প্রদায়ও (তাদের রসূলদের) অস্বীকার করেছিল।
Sahih International:
And if they deny you, [O Muhammad] - so, before them, did the people of Noah and 'Aad and Thamud deny [their prophets],



وَ قَوْمُ اِبْرٰهِیْمَ وَ قَوْمُ لُوْطٍ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাওমুইবরা-হীমা ওয়া কাওমুলূত।
আল বায়ান:
আর ইবরাহীমের কওম ও লূতের কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ইবরাহীমের সম্প্রদায় ও লূতের সম্প্রদায়ও (অস্বীকার করেছিল)।
Sahih International:
And the people of Abraham and the people of Lot



وَّ اَصْحٰبُ مَدْیَنَ ۚ وَ کُذِّبَ مُوْسٰی فَاَمْلَیْتُ لِلْکٰفِرِیْنَ ثُمَّ اَخَذْتُهُمْ ۚ فَکَیْفَ کَانَ نَکِیْرِ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আসহা-বুমাদইয়ানা ওয়া কুযযি বা মূছা-ফাআমলাইতুলিলকা-ফিরীনা ছুম্মা আখাযতুহুম ফাকাইফা কা-না নাকীর।
আল বায়ান:
আর মাদইয়ানবাসীরা। আর অস্বীকার করা হয়েছিল মূসাকে। তাই কাফিরদেরকে আমি অবকাশ দিয়েছিলাম, তারপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। অতএব কেমন ছিল আমার শাস্তি!
তাইসিরুল কুরআন:
আর মাদইয়ানবাসীরাও [অস্বীকার করেছিল যারা ছিল শু‘আয়ব (আঃ)-এর সম্প্রদায়], আর মূসাকেও অস্বীকার করা হয়েছিল। আমি অস্বীকারকারীদেরকে সময়- সুযোগ দিয়েছিলাম, অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। কত ভীষণ ছিল আমাকে অস্বীকার করার পরিণতি!
Sahih International:
And the inhabitants of Madyan. And Moses was denied, so I prolonged enjoyment for the disbelievers; then I seized them, and how [terrible] was My reproach.



فَکَاَیِّنْ مِّنْ قَرْیَۃٍ اَهْلَکْنٰهَا وَ هِیَ ظَالِمَۃٌ فَهِیَ خَاوِیَۃٌ عَلٰی عُرُوْشِهَا وَ بِئْرٍ مُّعَطَّلَۃٍ وَّ قَصْرٍ مَّشِیْدٍ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ফাকাআইয়িম মিন কারইয়াতিন আহলাকনা-হা-ওয়াহিয়া জা-লিমাতুন ফাহিয়া খাওয়িয়াতুন ‘আলা-‘উরূশিহা-ওয়া বি’রিম মু‘আততালাতিওঁ ওয়া কাসরিম মাশীদ।
আল বায়ান:
অতঃপর কত জনপদ আমি ধ্বংস করেছি যেগুলির বাসিন্দারা ছিল যালিম, তাই এইসব জনপদ তাদের ঘরের ছাদসহ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল, কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে এবং কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে!
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কত জনবসতিকে ধ্বংস করেছি যেগুলোর অধিবাসীরা ছিল যালিম, সেগুলো ছাদের ভরে পতিত হয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল, বিরাণ হয়েছিল কত কূপ আর সুউচ্চ সুদৃঢ় প্রাসাদরাজি।
Sahih International:
And how many a city did We destroy while it was committing wrong - so it is [now] fallen into ruin - and [how many] an abandoned well and [how many] a lofty palace.



اَفَلَمْ یَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَتَکُوْنَ لَهُمْ قُلُوْبٌ یَّعْقِلُوْنَ بِهَاۤ اَوْ اٰذَانٌ یَّسْمَعُوْنَ بِهَا ۚ فَاِنَّهَا لَا تَعْمَی الْاَبْصَارُ وَ لٰکِنْ تَعْمَی الْقُلُوْبُ الَّتِیْ فِی الصُّدُوْرِ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
আফালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাতাকূনা লাহুম কুলূবুইঁ ইয়া‘কিলূনা বিহাআও আ-যানুইঁ ইয়াছমা‘ঊনা বিহা- ফাইন্নাহা-লা-তা‘মাল আবসা-রু ওয়ালা-কিন তা‘মাল কুলূবুল্লাতী ফিসসুদূ র।
আল বায়ান:
তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি? তাহলে তাদের হত এমন হৃদয় যা দ্বারা তারা উপলব্ধি করতে পারত এবং এমন কান যা দ্বারা তারা শুনতে পারত। বস্ত্তত চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত হৃদয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি যমীনে ভ্রমণ করে না? তাহলে তারা হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারত, আর তাদের কান শুনতে পারত। প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভিতর যে হৃদয় আছে তা-ই অন্ধ।
Sahih International:
So have they not traveled through the earth and have hearts by which to reason and ears by which to hear? For indeed, it is not eyes that are blinded, but blinded are the hearts which are within the breasts.



وَ یَسْتَعْجِلُوْنَکَ بِالْعَذَابِ وَ لَنْ یُّخْلِفَ اللّٰهُ وَعْدَهٗ ؕ وَ اِنَّ یَوْمًا عِنْدَ رَبِّکَ کَاَلْفِ سَنَۃٍ مِّمَّا تَعُدُّوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াছতা‘জিলূনাকা বিল‘আযা-বি ওয়ালাইঁ ইউখলিফাল্লা-হু ওয়া‘দাহূ ওয়া ইন্না ইয়াওমান ‘ইনদা রাব্বিকা কাআলফি ছানাতিম মিম্মা-তা‘উদ্দূন।
আল বায়ান:
আর তারা তোমাকে আযাব তরান্বিত করতে বলে, অথচ আল্লাহ কখনো তাঁর ওয়াদা খেলাফ করেন না। আর তোমার রবের নিকট নিশ্চয় এক দিন তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তোমাকে তাড়াতাড়ি শাস্তি নিয়ে আসতে বলে (কিন্তু শাস্তি তো আসবে আল্লাহর ও‘য়াদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে), কেননা আল্লাহ কক্ষনো তাঁর ওয়া‘দা খেলাফ করেন না, তোমার প্রতিপালকের একদিন হল তোমাদের গণনায় এক হাজার বছরের সমান।
Sahih International:
And they urge you to hasten the punishment. But Allah will never fail in His promise. And indeed, a day with your Lord is like a thousand years of those which you count.



وَ کَاَیِّنْ مِّنْ قَرْیَۃٍ اَمْلَیْتُ لَهَا وَ هِیَ ظَالِمَۃٌ ثُمَّ اَخَذْتُهَا ۚ وَ اِلَیَّ الْمَصِیْرُ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাআইয়িম মিন কারইয়াতিন আমলাইতুলাহা-ওয়াহিয়া জা-লিমাতুন ছুম্মা আখাযতুহা- ওয়া ইলাইইয়াল মাসীর।
আল বায়ান:
আর আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি, অথচ তারা ছিল যালিম; অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি। আর আমারই নিকট প্রত্যাবর্তনস্থল ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কত জনপদকে সময়-সুযোগ দিয়েছি যখন তারা ছিল অন্যায় কাজে লিপ্ত। অতঃপর সেগুলোকে পাকড়াও করেছিলাম, (পালিয়ে কেউ তো কোথাও যেতে পারবে না) কেননা (সকলের) প্রত্যাবর্তন আমারই কাছে।
Sahih International:
And for how many a city did I prolong enjoyment while it was committing wrong. Then I seized it, and to Me is the [final] destination.



قُلْ یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اِنَّمَاۤ اَنَا لَکُمْ نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۚ۴۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ইয়াআইয়ুহান্না-ছুইন্নামাআনা লাকুম নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
বল, ‘হে মানুষ, আমি তো কেবল তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘হে মানুষ! আমি (প্রেরিত হয়েছি) তোমাদের জন্য এক সুস্পষ্ট সতর্ককারীরূপে।’
Sahih International:
Say, "O people, I am only to you a clear warner."



فَالَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ مَّغْفِرَۃٌ وَّ رِزْقٌ کَرِیْمٌ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া রিযকুন কারীম।
আল বায়ান:
সুতরাং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই যারা ঈমান আনবে আর সৎ কাজ করবে তাদের জন্য কেবল আছে ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা।
Sahih International:
And those who have believed and done righteous deeds - for them is forgiveness and noble provision.



وَ الَّذِیْنَ سَعَوْا فِیْۤ اٰیٰتِنَا مُعٰجِزِیْنَ اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ছা‘আও ফীআ-য়া-তিনা-মু‘আ-জিযীনা উলাইকা আসহা-বুল জাহীম।
আল বায়ান:
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করে দেয়ার চেষ্টা করে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা আমার নিদর্শনের বিরুদ্ধে চেষ্টা চালায়, সেগুলোর উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করার জন্য, তারাই হল জাহান্নামের বাসিন্দা।
Sahih International:
But the ones who strove against Our verses, [seeking] to cause failure - those are the companions of Hellfire.



وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِکَ مِنْ رَّسُوْلٍ وَّ لَا نَبِیٍّ اِلَّاۤ اِذَا تَمَنّٰۤی اَلْقَی الشَّیْطٰنُ فِیْۤ اُمْنِیَّتِهٖ ۚ فَیَنْسَخُ اللّٰهُ مَا یُلْقِی الشَّیْطٰنُ ثُمَّ یُحْکِمُ اللّٰهُ اٰیٰتِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیْمٌ حَکِیْمٌ ﴿ۙ۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআরছালনা-মিন কাবলিকা মির রাছূলিওঁ ওয়ালা-নাবিইয়িন ইল্লাইযা-তামান্না আলকাশ শাইতা-নুফীউমনিইইয়াতিহী ফাইয়ানছাখুল্লা-হু মা-ইউলকিশশাইতা-নু ছু ম্মা ইউহকিমুল্লা-হু আ-য়া-তিহী ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুন হাকীম।
আল বায়ান:
আর আমি তোমার পূর্বে যে রাসূল কিংবা নবী পাঠিয়েছি, সে যখনই (ওহীকৃত বাণী) পাঠ করেছে, শয়তান তার পাঠে (কিছু) নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু শয়তান যা নিক্ষেপ করে আল্লাহ তা মুছে দেন। অতঃপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সুদৃঢ় করে দেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অতি প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার পূর্বে যে সব রসূল কিংবা নবী পাঠিয়েছি তাদের কেউ যখনই কোন আকাঙ্ক্ষা করেছে তখনই শয়ত্বান তার আকাঙ্ক্ষায় (প্রতিবন্ধকতা, সন্দেহ-সংশয়) নিক্ষেপ করেছে, কিন্তু শয়ত্বান যা নিক্ষেপ করে আল্লাহ তা মুছে দেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁর নিদর্শনসমূহকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। কারণ আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রেষ্ঠ হিকমতওয়ালা।
Sahih International:
And We did not send before you any messenger or prophet except that when he spoke [or recited], Satan threw into it [some misunderstanding]. But Allah abolishes that which Satan throws in; then Allah makes precise His verses. And Allah is Knowing and Wise.



لِّیَجْعَلَ مَا یُلْقِی الشَّیْطٰنُ فِتْنَۃً لِّلَّذِیْنَ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ وَّ الْقَاسِیَۃِ قُلُوْبُهُمْ ؕ وَ اِنَّ الظّٰلِمِیْنَ لَفِیْ شِقَاقٍۭ بَعِیْدٍ ﴿ۙ۵۳﴾
উচ্চারণ:
লিইয়াজ‘আলা মা-ইউলকিশশাইতা-নুফিতনাতাল লিল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুওঁ ওয়াল কা-ছিয়াতি কুলূবুহুম ওয়া ইন্নাজ্জা-লিমীনা লাফী শিকা-কিম বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
এটা এজন্য যে, শয়তান যা নিক্ষেপ করে, তা যাতে তিনি তাদের জন্য পরীক্ষার বস্ত্ত বানিয়ে দেন, যাদের অন্তরসমূহে ব্যাধি রয়েছে এবং যাদের হৃদয়সমূহ পাষাণ। আর নিশ্চয় যালিমরা দুস্তর মতভেদে লিপ্ত রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
(তিনি এটা হতে দেন এজন্য) যাতে তিনি শয়ত্বান যা মিশিয়ে দিয়েছে তা দ্বারা পরীক্ষা করতে পারেন তাদেরকে যাদের অন্তরে (মুনাফিকীর) ব্যাধি আছে, যারা শক্ত হৃদয়ের। অন্যায়কারীরা চরম মতভেদে লিপ্ত আছে।
Sahih International:
[That is] so He may make what Satan throws in a trial for those within whose hearts is disease and those hard of heart. And indeed, the wrongdoers are in extreme dissension.



وَّ لِیَعْلَمَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ اَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّکَ فَیُؤْمِنُوْا بِهٖ فَتُخْبِتَ لَهٗ قُلُوْبُهُمْ ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ لَهَادِ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিইয়া‘লামাল্লাযীনা ঊতুল ‘ইলমা আন্নাহুল হাক্কুমির রাব্বিকা ফাইউ‘মিনূবিহী ফাতুখবিতা লাহূকুলূবুহুম ওয়া ইন্নাল্লা-হা লাহা-দিল্লাযীনা আ-মানূইলা-সিরাতিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
এটা এজন্যও যে, যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তারা যেন জানতে পারে যে, এটা অবশ্যই তোমার রবের পক্ষ থেকে সত্য। অতঃপর তারা যেন এর প্রতি ঈমান আনে এবং তাদের অন্তর যেন এর প্রতি অনুগত হয়। আর যারা ঈমান এনেছে, নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শনকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
(আর অপরদিকে) যাতে, যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা জানতে পারে যে, এটা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে (প্রেরিত) সত্য, অতঃপর তারা যেন তাতে বিশ্বাসী হয় আর তাদের অন্তর নম্রতাভরে তার প্রতি খুলে দেয়া হয়, কারণ আল্লাহ ঈমানদারদেরকে অবশ্যই সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
Sahih International:
And so those who were given knowledge may know that it is the truth from your Lord and [therefore] believe in it, and their hearts humbly submit to it. And indeed is Allah the Guide of those who have believed to a straight path.



وَ لَا یَزَالُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا فِیْ مِرْیَۃٍ مِّنْهُ حَتّٰی تَاْتِیَهُمُ السَّاعَۃُ بَغْتَۃً اَوْ یَاْتِیَهُمْ عَذَابُ یَوْمٍ عَقِیْمٍ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা- ইয়াযা-লুল্লাযীনা কাফারূফী মিরইয়াতিম মিনহু হাত্তা- তা’তিয়াহুমুছছা-‘আতু বাগতাতান আও ইয়া’তিয়াহুম ‘আযা-বুইয়াওমিন ‘আকীম।
আল বায়ান:
আর যারা কুফরী করে, তারা এতে সন্দেহ পোষণ করতে থাকবে যতক্ষণ না তাদের নিকট আকস্মিকভাবে কিয়ামত এসে পড়বে অথবা তাদের নিকট এসে পড়বে এক বন্ধ্যা দিনের আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
অবিশ্বাসীরা তাতে (অর্থাৎ ওয়াহীতে) সন্দেহ পোষণ করা থেকে বিরত হবে না যতক্ষণ না কিয়ামাত আসবে হঠাৎ ক’রে অথবা তাদের উপর শাস্তি এসে যাবে এক বন্ধ্যা দিনে (যা কাফিরদেরকে কোন সুফল দিবে না)।
Sahih International:
But those who disbelieve will not cease to be in doubt of it until the Hour comes upon them unexpectedly or there comes to them the punishment of a barren Day.



اَلْمُلْکُ یَوْمَئِذٍ لِّلّٰهِ ؕ یَحْکُمُ بَیْنَهُمْ ؕ فَالَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فِیْ جَنّٰتِ النَّعِیْمِ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
আল মুলকুইয়াওমাইযিল লিল্লা-হি ইয়াহকুমুবাইনাহুম ফাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ফী জান্না-তিন না‘ঈম।
আল বায়ান:
সে দিনের বাদশাহী আল্লাহরই। তিনিই তাদের মধ্যে বিচার করবেন। সুতরাং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারা নিআমতপূর্ণ জান্নাতসমূহে অবস্থান করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ক্ষমতা-আধিপত্য সেদিন হবে আল্লাহরই, তিনি তাদের মাঝে বিচার-ফয়সালা করবেন। অতঃপর যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তারা থাকবে নি‘মাতরাজিতে পরিপূর্ণ জান্নাতে।
Sahih International:
[All] sovereignty that Day is for Allah; He will judge between them. So they who believed and did righteous deeds will be in the Gardens of Pleasure.



وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا فَاُولٰٓئِکَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِیْنٌ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা কাফারূওয়া কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা-ফাউলাইকা লাহুম ‘আযা-বুম মুহীন।
আল বায়ান:
আর যারা কুফরী করে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে, তাদের জন্যেই রয়েছে অপমানজনক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা কুফুরী করে আর আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যে জেনে প্রত্যাখ্যান করে তাদের জন্য আছে অপমানজনক শাস্তি।
Sahih International:
And they who disbelieved and denied Our signs - for those there will be a humiliating punishment.



وَ الَّذِیْنَ هَاجَرُوْا فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ثُمَّ قُتِلُوْۤا اَوْ مَاتُوْا لَیَرْزُقَنَّهُمُ اللّٰهُ رِزْقًا حَسَنًا ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ لَهُوَ خَیْرُ الرّٰزِقِیْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হা-জারূফী ছাবীলিল্লা-হি ছুম্মা কুতিলূআও মা-তূলাইয়ারযুকান্নাহুমুল্লা-হু রিযকান হাছানাওঁ ওয়া ইন্নাল্লা-হা লাহুওয়া খাইরুর রা-যিকীন।
আল বায়ান:
আর যারা আল্লাহর পথে হিজরত করে, অতঃপর নিহত হয় কিংবা মারা যায়, তাদেরকে অবশ্যই আল্লাহ উত্তম রিয্ক দান করবেন। আর নিশ্চয় আল্লাহই সর্বোৎকৃষ্ট রিয্কদাতা।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা আল্লাহর পথে হিজরাত করেছে, অতঃপর নিহত হয়েছে, কিংবা মারা গেছে, আল্লাহ তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই উৎকৃষ্ট রিযক্ দান করবেন, আর আল্লাহ- তিনি তো সর্বোত্তম রিযকদাতা।
Sahih International:
And those who emigrated for the cause of Allah and then were killed or died - Allah will surely provide for them a good provision. And indeed, it is Allah who is the best of providers.



لَیُدْخِلَنَّهُمْ مُّدْخَلًا یَّرْضَوْنَهٗ ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ لَعَلِیْمٌ حَلِیْمٌ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
লাইউদখিলান্নাহুম মু দ খালাইঁ ইয়ারদাওনাহূ ওয়া ইন্নাল্লা-হা লা‘আলীমুন হালীম।
আল বায়ান:
তিনি অবশ্যই তাদেরকে এমন স্থানে প্রবেশ করাবেন, যা তারা পছন্দ করবে আর আল্লাহ তো নিশ্চয় মহাজ্ঞানী, পরম সহনশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই দাখিল করবেন এমন জায়গায় যা পেয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট হবে, আর আল্লাহ নিশ্চিতই অবশ্যই সর্বজ্ঞ, পরম সহিষ্ণু।
Sahih International:
He will surely cause them to enter an entrance with which they will be pleased, and indeed, Allah is Knowing and Forbearing.



ذٰلِکَ ۚ وَ مَنْ عَاقَبَ بِمِثْلِ مَا عُوْقِبَ بِهٖ ثُمَّ بُغِیَ عَلَیْهِ لَیَنْصُرَنَّهُ اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَعَفُوٌّ غَفُوْرٌ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা ওয়ামান ‘আ-কাবা বিমিছলি মা-‘উকিবা বিহী ছুম্মা বুগিয়া ‘আলাইহি লাইয়ানসুরান্নাহুল্লা-হু ইন্নাল্লা-হা লা‘আফুওউন গাফূর।
আল বায়ান:
এটাই প্রকৃত অবস্থা। আর যে ব্যক্তি নিপীড়িত হয়ে তার সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করে; অতঃপর তার উপর আবার নিপীড়ন করা হয় তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পাপ মোচনকারী, অতীব ক্ষমাশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
এতো হল তাদের অবস্থা, আর যে ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হলে সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করে, অতঃপর আবার সে নিপীড়িত হয়, আল্লাহ তাকে অবশ্য অবশ্যই সাহায্য করবেন, আল্লাহ অবশ্যই মাফকারী ক্ষমাশীল।
Sahih International:
That [is so]. And whoever responds [to injustice] with the equivalent of that with which he was harmed and then is tyrannized - Allah will surely aid him. Indeed, Allah is Pardoning and Forgiving.



ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰهَ یُوْلِجُ الَّیْلَ فِی النَّهَارِ وَ یُوْلِجُ النَّهَارَ فِی الَّیْلِ وَ اَنَّ اللّٰهَ سَمِیْعٌۢ بَصِیْرٌ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা ইউলিজুল্লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়া ইউলিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি ওয়া আন্নাল্লা-হা ছামী‘উম বাসীর।
আল বায়ান:
এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আল্লাহ রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আর নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা এজন্য যে, আল্লাহ রাতকে ঢুকিয়ে দেন দিনে, আর দিনকে ঢুকিয়ে দেন রাতে (দুঃখ বেদনার অন্ধকার দূর করে আনন্দের আলো এনে দেন আর আনন্দিত জনকে দুঃখের অাঁধারে ডুবিয়ে দেন)। আর আল্লাহ তো সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন।
Sahih International:
That is because Allah causes the night to enter the day and causes the day to enter the night and because Allah is Hearing and Seeing.



ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْحَقُّ وَ اَنَّ مَا یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ هُوَ الْبَاطِلُ وَ اَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْعَلِیُّ الْکَبِیْرُ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা হুওয়াল হাক্কুওয়াআন্না মা-ইয়াদ‘উনা মিন দূনিহী হুওয়াল বা-তিলু ওয়া আন্নাল্লা-হা হুয়াল ‘আলিইয়ুল কাবীর।
আল বায়ান:
আর এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আল্লাহই সত্য এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয় আল্লাহ তো সমুচ্চ, সুমহান।
তাইসিরুল কুরআন:
এজন্য যে, আল্লাহ- তিনিই সত্য, আর তাঁকে বাদ দিয়ে তারা অন্য যাকে ডাকে তা অলীক, অসত্য, আর আল্লাহ, তিনি তো সর্বোচ্চ, সুমহান।
Sahih International:
That is because Allah is the Truth, and that which they call upon other than Him is falsehood, and because Allah is the Most High, the Grand.



اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ۫ فَتُصْبِحُ الْاَرْضُ مُخْضَرَّۃً ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ ﴿ۚ۶۳﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা আন্নাল্লা-হা আনযালা মিনাছছামাই মাআন ফাতুসবিহুল আরদু মুখদাররাতান ইন্নাল্লা-হা লাতীফুন খাবীর।
আল বায়ান:
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, যার ফলে যমীন সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠে। নিশ্চয় আল্লাহ স্নেহপরায়ণ, সর্ববিষয়ে সম্যকজ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, যার ফলে পৃথিবী সবুজে আচ্ছাদিত হয়ে যায়, নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্ণদর্শী, সর্ববিষয়ে ওয়াকিফহাল।
Sahih International:
Do you not see that Allah has sent down rain from the sky and the earth becomes green? Indeed, Allah is Subtle and Acquainted.



لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ لَهُوَ الْغَنِیُّ الْحَمِیْدُ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি ওয়া ইন্নাল্লা-হা লাহুওয়াল গানিইয়ুল হামীদ।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। আর নিশ্চয় আল্লাহই তো অভাবমুক্ত, সকল প্রশংসার অধিকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর, আর আল্লাহ, তিনি যাবতীয় অভাব থেকে মুক্ত, যাবতীয় প্রশংসার অধিকারী।
Sahih International:
To Him belongs what is in the heavens and what is on the earth. And indeed, Allah is the Free of need, the Praiseworthy.



اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ سَخَّرَ لَکُمْ مَّا فِی الْاَرْضِ وَ الْفُلْکَ تَجْرِیْ فِی الْبَحْرِ بِاَمْرِهٖ ؕ وَ یُمْسِکُ السَّمَآءَ اَنْ تَقَعَ عَلَی الْاَرْضِ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা আন্নাল্লা-হা ছাখখারা লাকুম মা-ফিল আরদিওয়াল ফুলকা তাজরী ফিল বাহরি বিআমরিহী ওয়া ইউমছিকুছছামাআন তাকা‘আ ‘আলাল আরদিইল্লা-বিইযনিহী ইন্নাল্লা-হা বিন্না-ছি লারাঊফুররাহীম।
আল বায়ান:
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, যমীনে যা কিছু আছে এবং নৌযানগুলো যা তাঁরই নির্দেশে সমুদ্রে বিচরণ করে সবই আল্লাহ তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। আর তিনিই আসমানকে আটকিয়ে রেখেছেন, যাতে তাঁর অনুমতি ছাড়া তা যমীনের উপর পড়ে না যায়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই করুণাময়, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব তিনি তোমাদের কল্যাণ-কাজে লাগিয়ে রেখেছেন। আর নৌযানগুলো সমুদ্রে চলাচল করে তাঁর হুকুমেই? তিনিই আকাশকে স্থির রাখেন যাতে তা পৃথিবীতে পতিত না হয় তাঁর অনুমতি ছাড়া। আল্লাহ মানুষের প্রতি নিশ্চিতই বড়ই করুণাশীল, বড়ই দয়াবান।
Sahih International:
Do you not see that Allah has subjected to you whatever is on the earth and the ships which run through the sea by His command? And He restrains the sky from falling upon the earth, unless by His permission. Indeed Allah, to the people, is Kind and Merciful.



وَ هُوَ الَّذِیْۤ اَحْیَاکُمْ ۫ ثُمَّ یُمِیْتُکُمْ ثُمَّ یُحْیِیْکُمْ ؕ اِنَّ الْاِنْسَانَ لَکَفُوْرٌ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযীআহইয়া-কুম, ছু ম্মা ইউমীতুকুমছু ম্মা ইউহঈকুম ; ইন্নাল ইনছা-না লাকাফূর।
আল বায়ান:
আর তিনিই তোমাদের জীবন দিয়েছেন, অতঃপর তিনিই তোমাদের মৃত্যু দেবেন, তারপর তিনিই তোমাদেরকে আবার জীবন দেবেন। নিশ্চয় মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই তোমাদেরকে জীবন দিয়েছেন, অতঃপর তিনিই তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর আবার তোমাদেরকে জীবন দিবেন। মানুষ সত্যিই বড়ই অকৃতজ্ঞ।
Sahih International:
And He is the one who gave you life; then He causes you to die and then will [again] give you life. Indeed, mankind is ungrateful.



لِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلْنَا مَنْسَکًا هُمْ نَاسِکُوْهُ فَلَا یُنَازِعُنَّکَ فِی الْاَمْرِ وَ ادْعُ اِلٰی رَبِّکَ ؕ اِنَّکَ لَعَلٰی هُدًی مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
লিকুল্লি উম্মাতিন জা‘আলনা-মানছাকান হুম না-ছিকূহু ফালা-ইউনা-যি‘উন্নাকা ফিলআমরি ওয়াদ‘উ ইলা-রাব্বিকা ইন্নাকা লা‘আলা-হুদাম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আমি প্রত্যেক জাতির জন্য ইবাদাতের নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, তারা যার অনুসরণকারী। সুতরাং তারা যেন তোমার সাথে এ ব্যাপারে কোন বিতর্ক করতে না পারে। আর তুমি তোমার রবের দিকে আহবান কর। নিশ্চয় তুমি সরল পথেই রয়েছ।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমি (‘ইবাদাতের) নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি যা তারা অনুসরণ করে। কাজেই তারা যেন এ বিষয়ে তোমার সঙ্গে তর্ক বিতর্ক না করে। তুমি (তাদেরকে) তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক, তুমি অবশ্যই সরল সঠিক পথে আছ।
Sahih International:
For every religion We have appointed rites which they perform. So, [O Muhammad], let the disbelievers not contend with you over the matter but invite them to your Lord. Indeed, you are upon straight guidance.



وَ اِنْ جٰدَلُوْکَ فَقُلِ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন জা-দালূকা ফাকুল্লিলা-হু আ‘লামুবিমা-তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর তারা যদি তোমার সাথে বাকবিতন্ডা করে, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যদি তোমার সঙ্গে বিতর্ক করে তাহলে বল- তোমরা যা কর আল্লাহ তা ভাল করেই জানেন।
Sahih International:
And if they dispute with you, then say, "Allah is most knowing of what you do.



اَللّٰهُ یَحْکُمُ بَیْنَکُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ فِیْمَا کُنْتُمْ فِیْهِ تَخْتَلِفُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হু ইয়াহকুমুবাইনাকুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ফীমা-কুনতুম ফীহি তাখতালিফূন।
আল বায়ান:
তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে কিয়ামতের দিন ফয়সালা করে দেবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ কিয়ামাতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবেন যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করছ।
Sahih International:
Allah will judge between you on the Day of Resurrection concerning that over which you used to differ."



اَلَمْ تَعْلَمْ اَنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ مَا فِی السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ ؕ اِنَّ ذٰلِکَ فِیْ کِتٰبٍ ؕ اِنَّ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰهِ یَسِیْرٌ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
আলাম তা‘লাম আন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমা-ফিছছামাই ওয়াল আরদি ইন্না যা-লিকা ফী কিতা-বিন ইন্না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়াছীর।
আল বায়ান:
তুমি কি জান না যে, আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, আল্লাহ তা জানেন? নিশ্চয় তা একটি কিতাবে রয়েছে। অবশ্যই এটা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি জান না যে, আল্লাহ জানেন যা আছে আকাশে আর পৃথিবীতে, এ সবই লিপিতে (রেকর্ডে) আছে। এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
Sahih International:
Do you not know that Allah knows what is in the heaven and earth? Indeed, that is in a Record. Indeed that, for Allah, is easy.



وَ یَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَمْ یُنَزِّلْ بِهٖ سُلْطٰنًا وَّ مَا لَیْسَ لَهُمْ بِهٖ عِلْمٌ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیْنَ مِنْ نَّصِیْرٍ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি মা-লাম ইউনাযযিল বিহী ছুলতা-নাওঁ ওয়ামা-লাইছা লাহুম বিহী ‘ইলমুওঁ ওয়ামা লিজ্জা-লিমীনা মিন নাসীর।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদাত করে, যে সম্পর্কে তিনি কোন প্রমাণ নাযিল করেননি এবং যে ব্যাপারে তাদেরও কোন জ্ঞান নেই। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুকে ডাকে যার সমর্থনে তিনি কোন দলীল পাঠাননি আর যে সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই। (এসব) যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
Sahih International:
And they worship besides Allah that for which He has not sent down authority and that of which they have no knowledge. And there will not be for the wrongdoers any helper.



وَ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِمْ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ تَعْرِفُ فِیْ وُجُوْهِ الَّذِیْنَ کَفَرُوا الْمُنْکَرَ ؕ یَکَادُوْنَ یَسْطُوْنَ بِالَّذِیْنَ یَتْلُوْنَ عَلَیْهِمْ اٰیٰتِنَا ؕ قُلْ اَفَاُنَبِّئُکُمْ بِشَرٍّ مِّنْ ذٰلِکُمْ ؕ اَلنَّارُ ؕ وَعَدَهَا اللّٰهُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیْرُ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-তুতলা-‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিন তা‘রিফুফী উজূহিল্লাযীনা কাফারুল মুনকারা ইয়াকা-দূ না ইয়াছতূনা বিল্লাযীনা ইয়াতলূনা ‘আলাইহিম আ-য়াতিনা- কুল আফাউনাববিউকুম বিশাররিম মিন যা-লিকুম আন্নারু ওয়া ‘আদাহাল্লা-হু ল্লাযীনা কাফারূ ওয়াবি’ছাল মাসীর।
আল বায়ান:
আর তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টরূপে তিলাওয়াত করা হলে যারা কুফরী করে তাদের মুখমন্ডলে তুমি অসন্তোষ লক্ষ্য করবে; তাদের কাছে যারা আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে, তাদেরকে তারা আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। বল, তাহলে কি আমি তোমাদেরকে এর চেয়েও খারাপ কিছুর সংবাদ দেব? সেটা আগুন। যারা কুফরী করে, আল্লাহ তাদেরকে এর ওয়াদা দিয়েছেন। আর এটা কত নিকৃষ্ট ঠিকানা!
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের সম্মুখে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত তিলাওয়াত করা হয় তখন তুমি কাফিরদের চেহারায় একটা অনীহার ভাব দেখতে পাবে। তাদের কাছে যারা আমার আয়াত তিলাওয়াত করে তাদেরকে তারা আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। বল, তাহলে আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও খারাপ কিছুর সংবাদ দেব? তা হল আগুন। আল্লাহ কাফিরদেরকে এর ওয়া‘দা দিয়েছেন। আর তা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল!
Sahih International:
And when Our verses are recited to them as clear evidences, you recognize in the faces of those who disbelieve disapproval. They are almost on the verge of assaulting those who recite to them Our verses. Say, "Then shall I inform you of [what is] worse than that? [It is] the Fire which Allah has promised those who disbelieve, and wretched is the destination."



یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوْا لَهٗ ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَنْ یَّخْلُقُوْا ذُبَابًا وَّ لَوِ اجْتَمَعُوْا لَهٗ ؕ وَ اِنْ یَّسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَیْئًا لَّا یَسْتَنْقِذُوْهُ مِنْهُ ؕ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَ الْمَطْلُوْبُ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্না-ছুদুরিবা মাছালুন ফাছতামি‘ঊ লাহূ ইন্নাল্লায ীনা তাদ‘উনা মিন দূ নিল্লাহি লাইঁ ইয়াখলুকূযুবা-বাওঁ ওয়া লাবিজতামা‘ঊ লাহূ ওয়াইয়ঁইয়াসলুবহুমুয যুবা-বু শাইআল লাইয়াছতানকিযূহু মিনহু দা‘উফাততা-লিবুওয়াল মাতলূব।
আল বায়ান:
হে মানুষ, একটি উপমা পেশ করা হল, মনোযোগ দিয়ে তা শোন, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারা কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। যদিও তারা এ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। আর যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নেয়, তারা তার কাছ থেকে তাও উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষণকারী ও যার কাছে অন্বেষণ করা হয় উভয়েই দুর্বল।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মানুষ! একটা দৃষ্টান্ত পেশ করা হচ্ছে, সেটা মনোযোগ দিয়ে শোন। আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক তারা কক্ষনো একটা মাছিও সৃষ্টি করতে পারে না, এজন্য তারা সবাই একত্রিত হলেও। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়, তারা তার থেকে তা উদ্ধারও করতে পারে না, প্রার্থনাকারী আর যার কাছে প্রার্থনা করা হয় উভয়েই দুর্বল।
Sahih International:
O people, an example is presented, so listen to it. Indeed, those you invoke besides Allah will never create [as much as] a fly, even if they gathered together for that purpose. And if the fly should steal away from them a [tiny] thing, they could not recover it from him. Weak are the pursuer and pursued.



مَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدْرِهٖ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَقَوِیٌّ عَزِیْزٌ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
মা-কাদারুল্লা-হা হাক্কা কাদরিহী ইন্নাল্লা-হা লাকাবিইইউন ‘আযীয।
আল বায়ান:
তারা আল্লাহকে যথাযথ মর্যাদা দেয় না। নিশ্চয় আল্লাহ মহাক্ষমতাবান, মহাপরাক্রমশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় না, আল্লাহ নিশ্চিতই ক্ষমতাশালী, মহা পরাক্রান্ত।
Sahih International:
They have not appraised Allah with true appraisal. Indeed, Allah is Powerful and Exalted in Might.



اَللّٰهُ یَصْطَفِیْ مِنَ الْمَلٰٓئِکَۃِ رُسُلًا وَّ مِنَ النَّاسِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَمِیْعٌۢ بَصِیْرٌ ﴿ۚ۷۵﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হু ইয়াসতাফী মিনাল মালাইকাতি রুছূলাওঁ ওয়া মিনান্না-ছি ইন্নাল্লা-হা ছামী‘উম বাসীর।
আল বায়ান:
আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। অবশ্যই আল্লাহ সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ ফেরেশতাগণের মধ্য হতে বাণীবাহক মনোনীত করেন আর মানুষদের মধ্য হতেও, আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন।
Sahih International:
Allah chooses from the angels messengers and from the people. Indeed, Allah is Hearing and Seeing.



یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ ؕ وَ اِلَی اللّٰهِ تُرْجَعُ الْاُمُوْرُ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়া ইলাল্লা-হি তুরজা‘উল উমূর।
আল বায়ান:
তাদের সামনে এবং পেছনে যা কিছু আছে তিনি তা জানেন। আর সবকিছু আল্লাহর কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি জানেন তাদের সামনে যা আছে আর তাদের পেছনে যা আছে, আর সমস্ত ব্যাপার (চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য) আল্লাহর কাছে ফিরে যায়।
Sahih International:
He knows what is [presently] before them and what will be after them. And to Allah will be returned [all] matters.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا ارْکَعُوْا وَ اسْجُدُوْا وَ اعْبُدُوْا رَبَّکُمْ وَ افْعَلُوا الْخَیْرَ لَعَلَّکُمْ تُفْلِحُوْنَ ﴿ۚٛ۷۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুরকা‘উওয়াছজুদূওয়া‘বুদূরাব্বাকুম ওয়াফ‘আলুলখাইরা লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা রুকূ‘ কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা রুকূ‘ কর, সেজদা কর আর তোমাদের প্রতিপালকের ‘ইবাদাত কর ও সৎকাজ কর যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার। [সাজদাহ]
Sahih International:
O you who have believed, bow and prostrate and worship your Lord and do good - that you may succeed.



وَ جَاهِدُوْا فِی اللّٰهِ حَقَّ جِهَادِهٖ ؕ هُوَ اجْتَبٰىکُمْ وَ مَا جَعَلَ عَلَیْکُمْ فِی الدِّیْنِ مِنْ حَرَجٍ ؕ مِلَّۃَ اَبِیْکُمْ اِبْرٰهِیْمَ ؕ هُوَ سَمّٰىکُمُ الْمُسْلِمِیْنَ ۬ۙ مِنْ قَبْلُ وَ فِیْ هٰذَا لِیَکُوْنَ الرَّسُوْلُ شَهِیْدًا عَلَیْکُمْ وَ تَکُوْنُوْا شُهَدَآءَ عَلَی النَّاسِ ۚۖ فَاَقِیْمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اعْتَصِمُوْا بِاللّٰهِ ؕ هُوَ مَوْلٰىکُمْ ۚ فَنِعْمَ الْمَوْلٰی وَ نِعْمَ النَّصِیْرُ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা-হিদূফিল্লা-হি হাক্কা জিহা-দিহী হুওয়াজতাবা-কুম ওয়ামা-জা‘আলা ‘আলাইকুম ফিদদীনি মিন হারাজিন মিল্লাতা আবীকুম ইবরা-হীমা হুওয়া ছাম্মাকুমুল মুছলিমীনা মিন কাবলুওয়া ফী হা-যা-লিয়াকূনার রাছূলুশাহীদান ‘আলাইকুম ওয়া তাকূনূশুহাদাআ ‘আলান্না-ছি ফাআকীমুসসালা-তা ওয়া আ-তুযযাকা-তা ওয়া‘ তাসিমূবিল্লা-হি হুওয়া মাওলা-কুম ফানি‘মাল মাওলা-ওয়া নি‘মান নাসীর।
আল বায়ান:
আর তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ কর যেভাবে জিহাদ করা উচিৎ। তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। দীনের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের দীন। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ পূর্বে এবং এ কিতাবেও। যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হয় আর তোমরা মানুষের জন্য সাক্ষী হও। অতএব তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে মজবুতভাবে ধর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। আর তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক এবং কতই না উত্তম সাহায্যকারী!
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহর পথে জিহাদ কর যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে বেছে নিয়েছেন। দ্বীনের ভিতর তিনি তোমাদের উপর কোন কঠোরতা চাপিয়ে দেননি। এটাই তোমাদের পিতা ইবরাহীমের দ্বীন, আল্লাহ তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ পূর্বেও, আর এ কিতাবেও (ঐ নামই দেয়া হয়েছে) যাতে রসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হয় আর তোমরা সাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। কাজেই তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত দাও আর আল্লাহকে আঁকড়ে ধর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। কতই না উত্তম অভিভাবক আর কতই না উত্তম সাহায্যকারী!
Sahih International:
And strive for Allah with the striving due to Him. He has chosen you and has not placed upon you in the religion any difficulty. [It is] the religion of your father, Abraham. Allah named you "Muslims" before [in former scriptures] and in this [revelation] that the Messenger may be a witness over you and you may be witnesses over the people. So establish prayer and give zakah and hold fast to Allah. He is your protector; and excellent is the protector, and excellent is the helper.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।