দেখুন/লুকান:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
حٰمٓ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
হা-মীম
হা-মীম
আল বায়ান:
হা-মীম।
হা-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
হা-মীম।
হা-মীম।
Sahih International:
Ha, Meem.
Ha, Meem.
تَنْزِیْلُ الْکِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الْعَزِیْزِ الْعَلِیْمِ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আযীযিল ‘আলীম।
তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আযীযিল ‘আলীম।
আল বায়ান:
মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষ থেকে এই কিতাব নাযিলকৃত।
মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষ থেকে এই কিতাব নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কিতাব নাযিল হয়েছে মহা প্রতাপের অধিকারী সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিকট হতে।
এ কিতাব নাযিল হয়েছে মহা প্রতাপের অধিকারী সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিকট হতে।
Sahih International:
The revelation of the Book is from Allah, the Exalted in Might, the Knowing.
The revelation of the Book is from Allah, the Exalted in Might, the Knowing.
غَافِرِ الذَّنْۢبِ وَ قَابِلِ التَّوْبِ شَدِیْدِ الْعِقَابِ ۙ ذِی الطَّوْلِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ اِلَیْهِ الْمَصِیْرُ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
গাফিরিযযামবি ওয়া কাবিলিততাওবি শাদীদিল ‘ইকা-বি যিততাওলি লাইলাহা ইল্লা-হুওয়া, ইলাইহিল মাসীর।
গাফিরিযযামবি ওয়া কাবিলিততাওবি শাদীদিল ‘ইকা-বি যিততাওলি লাইলাহা ইল্লা-হুওয়া, ইলাইহিল মাসীর।
আল বায়ান:
তিনি পাপ ক্ষমাকারী, তাওবা কবূলকারী, কঠোর আযাবদাতা, অনুগ্রহ বর্ষণকারী। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন।
তিনি পাপ ক্ষমাকারী, তাওবা কবূলকারী, কঠোর আযাবদাতা, অনুগ্রহ বর্ষণকারী। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি পাপ ক্ষমাকারী, তাওবাহ কবূলকারী, কঠোর শাস্তিদাতা, বড়ই অনুগ্রহশীল, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, প্রত্যাবর্তন তাঁরই কাছে।
যিনি পাপ ক্ষমাকারী, তাওবাহ কবূলকারী, কঠোর শাস্তিদাতা, বড়ই অনুগ্রহশীল, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, প্রত্যাবর্তন তাঁরই কাছে।
Sahih International:
The forgiver of sin, acceptor of repentance, severe in punishment, owner of abundance. There is no deity except Him; to Him is the destination.
The forgiver of sin, acceptor of repentance, severe in punishment, owner of abundance. There is no deity except Him; to Him is the destination.
مَا یُجَادِلُ فِیْۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ اِلَّا الَّذِیْنَ کَفَرُوْا فَلَا یَغْرُرْکَ تَقَلُّبُهُمْ فِی الْبِلَادِ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
মা-ইউজা-দিলুফীআ-য়া-তিল্লা-হি ইল্লাল্লাযীনা কাফারূফালা-ইয়াগরুরকা তাকাল্লুবুহুম ফিল বিলা-দ।
মা-ইউজা-দিলুফীআ-য়া-তিল্লা-হি ইল্লাল্লাযীনা কাফারূফালা-ইয়াগরুরকা তাকাল্লুবুহুম ফিল বিলা-দ।
আল বায়ান:
কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে।
কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর আয়াত নিয়ে ঝগড়া করে না। কাজেই দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ তোমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে।
কাফিররা ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর আয়াত নিয়ে ঝগড়া করে না। কাজেই দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ তোমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে।
Sahih International:
No one disputes concerning the signs of Allah except those who disbelieve, so be not deceived by their [uninhibited] movement throughout the land.
No one disputes concerning the signs of Allah except those who disbelieve, so be not deceived by their [uninhibited] movement throughout the land.
کَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوْحٍ وَّ الْاَحْزَابُ مِنْۢ بَعْدِهِمْ ۪ وَ هَمَّتْ کُلُّ اُمَّۃٍۭ بِرَسُوْلِهِمْ لِیَاْخُذُوْهُ وَ جٰدَلُوْا بِالْبَاطِلِ لِیُدْحِضُوْا بِهِ الْحَقَّ فَاَخَذْتُهُمْ ۟ فَکَیْفَ کَانَ عِقَابِ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমুনূহিওঁ ওয়াল আহযা-বুমিম বা‘দিহিম ওয়া হাম্মাত কুল্লুউম্মাতিম বিরাছূলিহিম লিইয়া’খুযূহু ওয়া জা-দালূবিলবা-তিলি লিইউদহিদূ বিহিল হাক্কা ফাআখাযতুহুম ফাকাইফা কা-না ‘ইকা-ব।
কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমুনূহিওঁ ওয়াল আহযা-বুমিম বা‘দিহিম ওয়া হাম্মাত কুল্লুউম্মাতিম বিরাছূলিহিম লিইয়া’খুযূহু ওয়া জা-দালূবিলবা-তিলি লিইউদহিদূ বিহিল হাক্কা ফাআখাযতুহুম ফাকাইফা কা-না ‘ইকা-ব।
আল বায়ান:
এদের পূর্বে নূহের কওম এবং তাদের পরে অনেক দলও অস্বীকার করেছিল। প্রত্যেক উম্মতই স্ব স্ব রাসূলকে পাকড়াও করার সংকল্প করেছিল এবং সত্যকে বিদূরীত করার উদ্দেশ্যে তারা অসার বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। সুতরাং কেমন ছিল আমার আযাব!
এদের পূর্বে নূহের কওম এবং তাদের পরে অনেক দলও অস্বীকার করেছিল। প্রত্যেক উম্মতই স্ব স্ব রাসূলকে পাকড়াও করার সংকল্প করেছিল এবং সত্যকে বিদূরীত করার উদ্দেশ্যে তারা অসার বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। সুতরাং কেমন ছিল আমার আযাব!
তাইসিরুল কুরআন:
এদের পূর্বে নূহের জাতি আর তাদের পরে বহু দল-গোষ্ঠী (রসূলদেরকে) অস্বীকার করেছিল। প্রত্যেক জাতি তাদের রসূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল তাকে পাকড়াও করার জন্য, আর অসার অস্ত্রের সাহায্যে বিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছিল তা দিয়ে সত্যকে খন্ডন করার জন্য। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। অতঃপর দেখ, কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি।
এদের পূর্বে নূহের জাতি আর তাদের পরে বহু দল-গোষ্ঠী (রসূলদেরকে) অস্বীকার করেছিল। প্রত্যেক জাতি তাদের রসূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল তাকে পাকড়াও করার জন্য, আর অসার অস্ত্রের সাহায্যে বিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছিল তা দিয়ে সত্যকে খন্ডন করার জন্য। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। অতঃপর দেখ, কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি।
Sahih International:
The people of Noah denied before them and the [disbelieving] factions after them, and every nation intended [a plot] for their messenger to seize him, and they disputed by [using] falsehood to [attempt to] invalidate thereby the truth. So I seized them, and how [terrible] was My penalty.
The people of Noah denied before them and the [disbelieving] factions after them, and every nation intended [a plot] for their messenger to seize him, and they disputed by [using] falsehood to [attempt to] invalidate thereby the truth. So I seized them, and how [terrible] was My penalty.
وَ کَذٰلِکَ حَقَّتْ کَلِمَتُ رَبِّکَ عَلَی الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اَنَّهُمْ اَصْحٰبُ النَّارِ ۘ﴿ؔ۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা হাক্কাত কালিমাতুরাব্বিকা ‘আলাল্লাযীনা কাফারূআন্নাহুম আসহা-বুন্নার।
ওয়া কাযা-লিকা হাক্কাত কালিমাতুরাব্বিকা ‘আলাল্লাযীনা কাফারূআন্নাহুম আসহা-বুন্নার।
আল বায়ান:
আর এভাবে কাফিরদের ক্ষেত্রে তোমার রবের বাণী সত্যে পরিণত হল যে, নিশ্চয় এরা জাহান্নামী।
আর এভাবে কাফিরদের ক্ষেত্রে তোমার রবের বাণী সত্যে পরিণত হল যে, নিশ্চয় এরা জাহান্নামী।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে কাফিরদের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের বাণী সত্য প্রমাণিত হল যে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী।
এভাবে কাফিরদের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের বাণী সত্য প্রমাণিত হল যে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী।
Sahih International:
And thus has the word of your Lord come into effect upon those who disbelieved that they are companions of the Fire.
And thus has the word of your Lord come into effect upon those who disbelieved that they are companions of the Fire.
اَلَّذِیْنَ یَحْمِلُوْنَ الْعَرْشَ وَ مَنْ حَوْلَهٗ یُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَ یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ وَ یَسْتَغْفِرُوْنَ لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا ۚ رَبَّنَا وَسِعْتَ کُلَّ شَیْءٍ رَّحْمَۃً وَّ عِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِیْنَ تَابُوْا وَ اتَّبَعُوْا سَبِیْلَکَ وَ قِهِمْ عَذَابَ الْجَحِیْمِ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইয়াহমিলূনাল‘আরশা ওয়া মান হাওলাহূইউছাব্বিহূনা বিহামদি রাব্বিহিমওয়া ইউ’মিনূনা বিহী ওয়া ইয়াছতাগফিরূনা লিল্লাযীনা আ-মানূ রাব্বানা-ওয়াছি‘তা কুল্লা শাইয়িররাহমাতাওঁ ওয়া ‘ইলমান ফাগফির লিল্লাযীনা তা-বূওয়াত্তাবা‘ঊ ছাবীলাকা ওয়াকিহিম ‘আযা-বাল জাহীম।
আল্লাযীনা ইয়াহমিলূনাল‘আরশা ওয়া মান হাওলাহূইউছাব্বিহূনা বিহামদি রাব্বিহিমওয়া ইউ’মিনূনা বিহী ওয়া ইয়াছতাগফিরূনা লিল্লাযীনা আ-মানূ রাব্বানা-ওয়াছি‘তা কুল্লা শাইয়িররাহমাতাওঁ ওয়া ‘ইলমান ফাগফির লিল্লাযীনা তা-বূওয়াত্তাবা‘ঊ ছাবীলাকা ওয়াকিহিম ‘আযা-বাল জাহীম।
আল বায়ান:
যারা আরশকে ধারণ করে এবং যারা এর চারপাশে রয়েছে, তারা তাদের রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করে এবং তাঁর প্রতি ঈমান রাখে। আর মুমিনদের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলে যে, ‘হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন। অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন’।
যারা আরশকে ধারণ করে এবং যারা এর চারপাশে রয়েছে, তারা তাদের রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করে এবং তাঁর প্রতি ঈমান রাখে। আর মুমিনদের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলে যে, ‘হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন। অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ‘আরশ বহন করে আছে, আর যারা আছে তার চারপাশে, তারা তাঁর প্রশংসার সাথে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা করে আর তাঁর প্রতি ঈমান পোষণ করে আর মু’মিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ক’রে বলে- হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তাওবাহ করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা কর, আর জাহান্নামের ‘আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা কর।
যারা ‘আরশ বহন করে আছে, আর যারা আছে তার চারপাশে, তারা তাঁর প্রশংসার সাথে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা করে আর তাঁর প্রতি ঈমান পোষণ করে আর মু’মিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ক’রে বলে- হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তাওবাহ করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা কর, আর জাহান্নামের ‘আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা কর।
Sahih International:
Those [angels] who carry the Throne and those around it exalt [Allah] with praise of their Lord and believe in Him and ask forgiveness for those who have believed, [saying], "Our Lord, You have encompassed all things in mercy and knowledge, so forgive those who have repented and followed Your way and protect them from the punishment of Hellfire.
Those [angels] who carry the Throne and those around it exalt [Allah] with praise of their Lord and believe in Him and ask forgiveness for those who have believed, [saying], "Our Lord, You have encompassed all things in mercy and knowledge, so forgive those who have repented and followed Your way and protect them from the punishment of Hellfire.
رَبَّنَا وَ اَدْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِۣ الَّتِیْ وَعَدْتَّهُمْ وَ مَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآئِهِمْ وَ اَزْوَاجِهِمْ وَ ذُرِّیّٰتِهِمْ ؕ اِنَّکَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
রাব্বানা-ওয়া আদখিলহুম জান্না-তি ‘আদনি নিল্লাতী ওয়া ‘আত্তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবাইহিম ওয়া আযওয়া-জিহিম ওয়া যুররিইয়া-তিহিম ইন্নাকা আনতাল ‘আযীযুল হাকীম।
রাব্বানা-ওয়া আদখিলহুম জান্না-তি ‘আদনি নিল্লাতী ওয়া ‘আত্তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবাইহিম ওয়া আযওয়া-জিহিম ওয়া যুররিইয়া-তিহিম ইন্নাকা আনতাল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
‘হে আমাদের রব, আর আপনি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন। আর তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নি ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে তাদেরকেও। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।’
‘হে আমাদের রব, আর আপনি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন। আর তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নি ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে তাদেরকেও। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।’
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে আর তাদের পিতৃপুরুষ, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানাদির মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান যার ওয়া‘দা তুমি তাদেরকে দিয়েছ; তুমি মহা পরাক্রমশালী, মহা বিজ্ঞ।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে আর তাদের পিতৃপুরুষ, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানাদির মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান যার ওয়া‘দা তুমি তাদেরকে দিয়েছ; তুমি মহা পরাক্রমশালী, মহা বিজ্ঞ।
Sahih International:
Our Lord, and admit them to gardens of perpetual residence which You have promised them and whoever was righteous among their fathers, their spouses and their offspring. Indeed, it is You who is the Exalted in Might, the Wise.
Our Lord, and admit them to gardens of perpetual residence which You have promised them and whoever was righteous among their fathers, their spouses and their offspring. Indeed, it is You who is the Exalted in Might, the Wise.
وَ قِهِمُ السَّیِّاٰتِ ؕ وَ مَنْ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗ ؕ وَ ذٰلِکَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কিহিমুছ ছাইয়িআ-তি ওয়া মান তাকিছ ছাইয়িআ-তি ইয়াওমায়িযিন ফাকাদ রাহিমতাহূ ওয়া যা-লিকা হুওয়াল ফাওযুল ‘আজীম।
ওয়া কিহিমুছ ছাইয়িআ-তি ওয়া মান তাকিছ ছাইয়িআ-তি ইয়াওমায়িযিন ফাকাদ রাহিমতাহূ ওয়া যা-লিকা হুওয়াল ফাওযুল ‘আজীম।
আল বায়ান:
‘আর আপনি তাদের অপরাধের আযাব হতে রক্ষা করুন এবং সেদিন আপনি যাকে অপরাধের আযাব থেকে রক্ষা করবেন, অবশ্যই তাকে অনুগ্রহ করবেন। আর এটিই মহাসাফল্য।’
‘আর আপনি তাদের অপরাধের আযাব হতে রক্ষা করুন এবং সেদিন আপনি যাকে অপরাধের আযাব থেকে রক্ষা করবেন, অবশ্যই তাকে অনুগ্রহ করবেন। আর এটিই মহাসাফল্য।’
তাইসিরুল কুরআন:
সমস্ত খারাবী থেকে তাদেরকে রক্ষা কর। সেদিন তুমি যাকে সমস্ত খারাবী থেকে রক্ষা করলে, তার উপর তো দয়াই করলে। ওটাই হল বিরাট সাফল্য।
সমস্ত খারাবী থেকে তাদেরকে রক্ষা কর। সেদিন তুমি যাকে সমস্ত খারাবী থেকে রক্ষা করলে, তার উপর তো দয়াই করলে। ওটাই হল বিরাট সাফল্য।
Sahih International:
And protect them from the evil consequences [of their deeds]. And he whom You protect from evil consequences that Day - You will have given him mercy. And that is the great attainment."
And protect them from the evil consequences [of their deeds]. And he whom You protect from evil consequences that Day - You will have given him mercy. And that is the great attainment."
اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا یُنَادَوْنَ لَمَقْتُ اللّٰهِ اَکْبَرُ مِنْ مَّقْتِکُمْ اَنْفُسَکُمْ اِذْ تُدْعَوْنَ اِلَی الْاِیْمَانِ فَتَکْفُرُوْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা কাফারূইউনা-দাওনা লামাকতুল্লা-হি আকবারু মিম্মাকতিকুম আনফুছাকুম ইয তুদ‘আওনা ইলাল ঈমা-নি ফাতাকফুরূন।
ইন্নাল্লাযীনা কাফারূইউনা-দাওনা লামাকতুল্লা-হি আকবারু মিম্মাকতিকুম আনফুছাকুম ইয তুদ‘আওনা ইলাল ঈমা-নি ফাতাকফুরূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে তাদেরকে উচ্চকণ্ঠে বলা হবে; ‘তোমাদের নিজদের প্রতি তোমাদের (আজকের) এ অসন্তোষ অপেক্ষা অবশ্যই আল্লাহর অসন্তোষ অধিকতর ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমানের প্রতি আহবান করা হয়েছিল তারপর তোমরা তা অস্বীকার করেছিলে’।
নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে তাদেরকে উচ্চকণ্ঠে বলা হবে; ‘তোমাদের নিজদের প্রতি তোমাদের (আজকের) এ অসন্তোষ অপেক্ষা অবশ্যই আল্লাহর অসন্তোষ অধিকতর ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমানের প্রতি আহবান করা হয়েছিল তারপর তোমরা তা অস্বীকার করেছিলে’।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফুরী করেছিল তাদেরকে ডাক দিয়ে বলা হবে- তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের ক্ষোভের চেয়ে (তোমাদের প্রতি) আল্লাহর ক্ষোভ অধিক, (কেননা) তোমাদেরকে যখন ঈমানের দিকে আহবান করা হয়েছিল, তখন তোমরা অস্বীকার করেছিলে।
যারা কুফুরী করেছিল তাদেরকে ডাক দিয়ে বলা হবে- তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের ক্ষোভের চেয়ে (তোমাদের প্রতি) আল্লাহর ক্ষোভ অধিক, (কেননা) তোমাদেরকে যখন ঈমানের দিকে আহবান করা হয়েছিল, তখন তোমরা অস্বীকার করেছিলে।
Sahih International:
Indeed, those who disbelieve will be addressed, "The hatred of Allah for you was [even] greater than your hatred of yourselves [this Day in Hell] when you were invited to faith, but you refused."
Indeed, those who disbelieve will be addressed, "The hatred of Allah for you was [even] greater than your hatred of yourselves [this Day in Hell] when you were invited to faith, but you refused."
قَالُوْا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثْنَتَیْنِ وَ اَحْیَیْتَنَا اثْنَتَیْنِ فَاعْتَرَفْنَا بِذُنُوْبِنَا فَهَلْ اِلٰی خُرُوْجٍ مِّنْ سَبِیْلٍ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূ রাব্বানা আমাত্তানাছনাতাইনি ওয়া আহয়াইতানাছনাতাইনি ফা‘তারাফনাবিযুনূবিনা ফাহাল ইলা-খুরূজিম মিন ছাবীল।
কা-লূ রাব্বানা আমাত্তানাছনাতাইনি ওয়া আহয়াইতানাছনাতাইনি ফা‘তারাফনাবিযুনূবিনা ফাহাল ইলা-খুরূজিম মিন ছাবীল।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’বার জীবন দিয়েছেন। অতঃপর আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব (জাহান্নাম থেকে) বের হবার কোন পথ আছে কি’?
তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’বার জীবন দিয়েছেন। অতঃপর আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব (জাহান্নাম থেকে) বের হবার কোন পথ আছে কি’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি দু’বার আমাদের মৃত্যু দিয়েছ (জন্মের আগের মৃত অবস্থা আর জীবন শেষের মৃত্যু) আর আমাদেরকে দু’বার জীবন দিয়েছ। আমরা আমাদের পাপ স্বীকার করছি, (এখান থেকে) বের হওয়ার কোন পথ আছে কি?
তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি দু’বার আমাদের মৃত্যু দিয়েছ (জন্মের আগের মৃত অবস্থা আর জীবন শেষের মৃত্যু) আর আমাদেরকে দু’বার জীবন দিয়েছ। আমরা আমাদের পাপ স্বীকার করছি, (এখান থেকে) বের হওয়ার কোন পথ আছে কি?
Sahih International:
They will say, "Our Lord, You made us lifeless twice and gave us life twice, and we have confessed our sins. So is there to an exit any way?"
They will say, "Our Lord, You made us lifeless twice and gave us life twice, and we have confessed our sins. So is there to an exit any way?"
ذٰلِکُمْ بِاَنَّهٗۤ اِذَا دُعِیَ اللّٰهُ وَحْدَهٗ کَفَرْتُمْ ۚ وَ اِنْ یُّشْرَکْ بِهٖ تُؤْمِنُوْا ؕ فَالْحُکْمُ لِلّٰهِ الْعَلِیِّ الْکَبِیْرِ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকুম বিআন্নাহূইযা-দু‘ইয়াল্লা-হু ওয়াহদাহূকাফারতুম ওয়া ইয়ঁইউশরাক বিহী তু’মিনূ ফালহুকমুলিল্লা-হিল ‘আলিইয়িল কাবীর।
যা-লিকুম বিআন্নাহূইযা-দু‘ইয়াল্লা-হু ওয়াহদাহূকাফারতুম ওয়া ইয়ঁইউশরাক বিহী তু’মিনূ ফালহুকমুলিল্লা-হিল ‘আলিইয়িল কাবীর।
আল বায়ান:
[তাদেরকে বলা হবে] ‘এটা তো এজন্য যে, যখন আল্লাহকে এককভাবে ডাকা হত তখন তোমরা তাঁকে অস্বীকার করতে আর যখন তাঁর সাথে শরীক করা হত তখন তোমরা বিশ্বাস করতে। সুতরাং যাবতীয় কর্তৃত্ব সমুচ্চ, মহান আল্লাহর’।
[তাদেরকে বলা হবে] ‘এটা তো এজন্য যে, যখন আল্লাহকে এককভাবে ডাকা হত তখন তোমরা তাঁকে অস্বীকার করতে আর যখন তাঁর সাথে শরীক করা হত তখন তোমরা বিশ্বাস করতে। সুতরাং যাবতীয় কর্তৃত্ব সমুচ্চ, মহান আল্লাহর’।
তাইসিরুল কুরআন:
(তখন তাদেরকে উত্তর দেয়া হবে) তোমাদের এ শাস্তির কারণ এই যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত, তখন তোমরা তা মেনে নিতে অস্বীকার করতে। আর যখন অন্যদেরকে তাঁর অংশীদার গণ্য করা হত, তখন তোমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করতে। হুকুম দেয়ার মালিক আল্লাহ- যিনি সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ।
(তখন তাদেরকে উত্তর দেয়া হবে) তোমাদের এ শাস্তির কারণ এই যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত, তখন তোমরা তা মেনে নিতে অস্বীকার করতে। আর যখন অন্যদেরকে তাঁর অংশীদার গণ্য করা হত, তখন তোমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করতে। হুকুম দেয়ার মালিক আল্লাহ- যিনি সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ।
Sahih International:
[They will be told], "That is because, when Allah was called upon alone, you disbelieved; but if others were associated with Him, you believed. So the judgement is with Allah, the Most High, the Grand."
[They will be told], "That is because, when Allah was called upon alone, you disbelieved; but if others were associated with Him, you believed. So the judgement is with Allah, the Most High, the Grand."
هُوَ الَّذِیْ یُرِیْکُمْ اٰیٰتِهٖ وَ یُنَزِّلُ لَکُمْ مِّنَ السَّمَآءِ رِزْقًا ؕ وَ مَا یَتَذَکَّرُ اِلَّا مَنْ یُّنِیْبُ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযী ইউরীকুম আ-য়া-তিহী ওয়া ইউনাযযিলুলাকুম মিনাছ ছামাই রিযকাওঁ ওয়ামা-ইয়াতাযাক্কারু ইল্লা-মাইঁ ইউনীব।
হুওয়াল্লাযী ইউরীকুম আ-য়া-তিহী ওয়া ইউনাযযিলুলাকুম মিনাছ ছামাই রিযকাওঁ ওয়ামা-ইয়াতাযাক্কারু ইল্লা-মাইঁ ইউনীব।
আল বায়ান:
তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্য রিযক পাঠান। আর যে আল্লাহ অভিমুখী সেই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।
তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্য রিযক পাঠান। আর যে আল্লাহ অভিমুখী সেই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাঁর নিদর্শনাবলী তোমাদেরকে দেখান আর আকাশ থেকে তোমাদের জন্য রিযক অবতীর্ণ করেন. আল্লাহ-অভিমুখীরা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করে না।
তিনি তাঁর নিদর্শনাবলী তোমাদেরকে দেখান আর আকাশ থেকে তোমাদের জন্য রিযক অবতীর্ণ করেন. আল্লাহ-অভিমুখীরা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করে না।
Sahih International:
It is He who shows you His signs and sends down to you from the sky, provision. But none will remember except he who turns back [in repentance].
It is He who shows you His signs and sends down to you from the sky, provision. But none will remember except he who turns back [in repentance].
فَادْعُوا اللّٰهَ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَ وَ لَوْ کَرِهَ الْکٰفِرُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ফাদ‘উল্লা-হা মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।
ফাদ‘উল্লা-হা মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ডাক, তাঁর উদ্দেশ্যে দীনকে একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত করে। যদিও কাফিররা অপছন্দ করে।
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ডাক, তাঁর উদ্দেশ্যে দীনকে একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত করে। যদিও কাফিররা অপছন্দ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই আল্লাহকে ডাক আনুগত্যকে একমাত্র তাঁরই জন্য নিদিষ্ট করো, যদিও কাফিরগণ তা অপছন্দ করে।
কাজেই আল্লাহকে ডাক আনুগত্যকে একমাত্র তাঁরই জন্য নিদিষ্ট করো, যদিও কাফিরগণ তা অপছন্দ করে।
Sahih International:
So invoke Allah, [being] sincere to Him in religion, although the disbelievers dislike it.
So invoke Allah, [being] sincere to Him in religion, although the disbelievers dislike it.
رَفِیْعُ الدَّرَجٰتِ ذُو الْعَرْشِ ۚ یُلْقِی الرُّوْحَ مِنْ اَمْرِهٖ عَلٰی مَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ لِیُنْذِرَ یَوْمَ التَّلَاقِ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
রাফী’উদ্দাজা-তি যুল ‘আরশি ইউলকির রূহা মিন আমরিহী ‘আলা-মাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবা-দিহী লিইউনযিরা ইয়াওমাত্তালা-ক।
রাফী’উদ্দাজা-তি যুল ‘আরশি ইউলকির রূহা মিন আমরিহী ‘আলা-মাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবা-দিহী লিইউনযিরা ইয়াওমাত্তালা-ক।
আল বায়ান:
আল্লাহ সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের অধিপতি, তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার প্রতি ইচ্ছা আপন নির্দেশে তিনি ওহী পাঠান, যেন সে মহামিলন সম্পর্কে সতর্ক করেন।
আল্লাহ সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের অধিপতি, তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার প্রতি ইচ্ছা আপন নির্দেশে তিনি ওহী পাঠান, যেন সে মহামিলন সম্পর্কে সতর্ক করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, ‘আরশের অধিপতি। তিনি তাঁর নির্দেশে তাঁর বান্দাদের যার প্রতি ইচ্ছে ওয়াহী প্রেরণ করেন যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সতর্ক করে।
তিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, ‘আরশের অধিপতি। তিনি তাঁর নির্দেশে তাঁর বান্দাদের যার প্রতি ইচ্ছে ওয়াহী প্রেরণ করেন যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সতর্ক করে।
Sahih International:
[He is] the Exalted above [all] degrees, Owner of the Throne; He places the inspiration of His command upon whom He wills of His servants to warn of the Day of Meeting.
[He is] the Exalted above [all] degrees, Owner of the Throne; He places the inspiration of His command upon whom He wills of His servants to warn of the Day of Meeting.
یَوْمَ هُمْ بٰرِزُوْنَ ۬ۚ لَا یَخْفٰی عَلَی اللّٰهِ مِنْهُمْ شَیْءٌ ؕ لِمَنِ الْمُلْکُ الْیَوْمَ ؕ لِلّٰهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা হুম বা-রিযূনা লা-ইয়াখফা-‘আলাল্লা-হি মিনহুম শাইউল লিমানিল মুলকুল ইয়াওমা লিল্লা-হিল ওয়া-হিদিল কাহহা-র।
ইয়াওমা হুম বা-রিযূনা লা-ইয়াখফা-‘আলাল্লা-হি মিনহুম শাইউল লিমানিল মুলকুল ইয়াওমা লিল্লা-হিল ওয়া-হিদিল কাহহা-র।
আল বায়ান:
যে দিন লোকেরা প্রকাশ হয়ে পড়বে। সে দিন আল্লাহর নিকট তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। ‘আজ রাজত্ব কার’? প্রবল প্রতাপশালী এক আল্লাহর।
যে দিন লোকেরা প্রকাশ হয়ে পড়বে। সে দিন আল্লাহর নিকট তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। ‘আজ রাজত্ব কার’? প্রবল প্রতাপশালী এক আল্লাহর।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ যেদিন (ক্ববর থেকে) বের হয়ে আসবে, আল্লাহর কাছে তাদের কোন কিছুই গোপন থাকবে না। (সেদিন ঘোষণা দেয়া হবে) আজ একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কার? (উত্তর আসবে) এক ও একক মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর।
মানুষ যেদিন (ক্ববর থেকে) বের হয়ে আসবে, আল্লাহর কাছে তাদের কোন কিছুই গোপন থাকবে না। (সেদিন ঘোষণা দেয়া হবে) আজ একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কার? (উত্তর আসবে) এক ও একক মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর।
Sahih International:
The Day they come forth nothing concerning them will be concealed from Allah. To whom belongs [all] sovereignty this Day? To Allah, the One, the Prevailing.
The Day they come forth nothing concerning them will be concealed from Allah. To whom belongs [all] sovereignty this Day? To Allah, the One, the Prevailing.
اَلْیَوْمَ تُجْزٰی کُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا کَسَبَتْ ؕ لَا ظُلْمَ الْیَوْمَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
আল ইয়াওমা তুজযা-কুল্লুনাফছিম বিমা-কাছাবাত লা- জু ল মাল ইয়াওমা ইন্নাল্লাহা ছারী‘উল হিছা-ব।
আল ইয়াওমা তুজযা-কুল্লুনাফছিম বিমা-কাছাবাত লা- জু ল মাল ইয়াওমা ইন্নাল্লাহা ছারী‘উল হিছা-ব।
আল বায়ান:
আজ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অর্জন অনুসারে প্রতিদান দেয়া হবে। আজ কোন যুল্ম নেই। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাবগ্রহণকারী।
আজ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অর্জন অনুসারে প্রতিদান দেয়া হবে। আজ কোন যুল্ম নেই। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাবগ্রহণকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেক ব্যক্তি যে কর্ম করেছে আজ তার প্রতিফল দেয়া হবে। আজ নেই কোন যুলম। আল্লাহ অতি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
প্রত্যেক ব্যক্তি যে কর্ম করেছে আজ তার প্রতিফল দেয়া হবে। আজ নেই কোন যুলম। আল্লাহ অতি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
Sahih International:
This Day every soul will be recompensed for what it earned. No injustice today! Indeed, Allah is swift in account.
This Day every soul will be recompensed for what it earned. No injustice today! Indeed, Allah is swift in account.
وَ اَنْذِرْهُمْ یَوْمَ الْاٰزِفَۃِ اِذِ الْقُلُوْبُ لَدَی الْحَنَاجِرِ کٰظِمِیْنَ ۬ؕ مَا لِلظّٰلِمِیْنَ مِنْ حَمِیْمٍ وَّ لَا شَفِیْعٍ یُّطَاعُ ﴿ؕ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনযিরহুম ইয়াওমাল আ-যিফাতি ইযিল কুলূবুলাদাল হানা-জিরি কা-জিমীনা মা-লিজ্জা-লিমীনা মিন হামীমিওঁ ওয়ালা-শাফী‘ইঁ ইউতা-‘।
ওয়া আনযিরহুম ইয়াওমাল আ-যিফাতি ইযিল কুলূবুলাদাল হানা-জিরি কা-জিমীনা মা-লিজ্জা-লিমীনা মিন হামীমিওঁ ওয়ালা-শাফী‘ইঁ ইউতা-‘।
আল বায়ান:
আর তুমি তাদের আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করে দাও। যখন তাদের প্রাণ কণ্ঠাগত হবে দুঃখ, কষ্ট সংবরণ অবস্থায়। যালিমদের জন্য নেই কোন অকৃত্রিম বন্ধু, নেই এমন কোন সুপারিশকারী যাকে গ্রাহ্য করা হবে।
আর তুমি তাদের আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করে দাও। যখন তাদের প্রাণ কণ্ঠাগত হবে দুঃখ, কষ্ট সংবরণ অবস্থায়। যালিমদের জন্য নেই কোন অকৃত্রিম বন্ধু, নেই এমন কোন সুপারিশকারী যাকে গ্রাহ্য করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে সতর্ক কর সেই ঘনিয়ে আসা দিন সম্পর্কে যখন ওষ্ঠাগত প্রাণ নিয়ে তারা দুঃখ-কষ্ট সংবরণ করবে। যালিমদের জন্য কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না, এমন কোন সুপারিশকারীও থাকবে না যার কথা গ্রহণ করা হবে।
তাদেরকে সতর্ক কর সেই ঘনিয়ে আসা দিন সম্পর্কে যখন ওষ্ঠাগত প্রাণ নিয়ে তারা দুঃখ-কষ্ট সংবরণ করবে। যালিমদের জন্য কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না, এমন কোন সুপারিশকারীও থাকবে না যার কথা গ্রহণ করা হবে।
Sahih International:
And warn them, [O Muhammad], of the Approaching Day, when hearts are at the throats, filled [with distress]. For the wrongdoers there will be no devoted friend and no intercessor [who is] obeyed.
And warn them, [O Muhammad], of the Approaching Day, when hearts are at the throats, filled [with distress]. For the wrongdoers there will be no devoted friend and no intercessor [who is] obeyed.
یَعْلَمُ خَآئِنَۃَ الْاَعْیُنِ وَ مَا تُخْفِی الصُّدُوْرُ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়া‘লামুখাইনাতাল আ‘ইউনি ওয়ামা-তুখফিস সুদূর।
ইয়া‘লামুখাইনাতাল আ‘ইউনি ওয়ামা-তুখফিস সুদূর।
আল বায়ান:
চক্ষুসমূহের খেয়ানত এবং অন্তরসমূহ যা গোপন রাখে তিনি তা জানেন।
চক্ষুসমূহের খেয়ানত এবং অন্তরসমূহ যা গোপন রাখে তিনি তা জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ চক্ষুর অন্যায় কর্ম সম্পর্কেও অবগত, আর অন্তর যা গোপন করে সে সম্পর্কেও।
আল্লাহ চক্ষুর অন্যায় কর্ম সম্পর্কেও অবগত, আর অন্তর যা গোপন করে সে সম্পর্কেও।
Sahih International:
He knows that which deceives the eyes and what the breasts conceal.
He knows that which deceives the eyes and what the breasts conceal.
وَ اللّٰهُ یَقْضِیْ بِالْحَقِّ ؕ وَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ لَا یَقْضُوْنَ بِشَیْءٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ السَّمِیْعُ الْبَصِیْرُ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু ইয়াকদী বিলহাক্কি ওয়াল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূ নিহী লা-ইয়াকদূ না বিশাইয়িন ইন্নাল্লা-হা হুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।
ওয়াল্লা-হু ইয়াকদী বিলহাক্কি ওয়াল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূ নিহী লা-ইয়াকদূ না বিশাইয়িন ইন্নাল্লা-হা হুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ সঠিকভাবে ফয়সালা করেন এবং তাঁকে বাদ দিয়ে তারা যাদের ডাকে তারা কোন কিছুর ফয়সালা করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
আর আল্লাহ সঠিকভাবে ফয়সালা করেন এবং তাঁকে বাদ দিয়ে তারা যাদের ডাকে তারা কোন কিছুর ফয়সালা করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ হক্ব বিচার করেন। তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকে তারা মোটেই বিচার করতে পারে না। আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন।
আল্লাহ হক্ব বিচার করেন। তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকে তারা মোটেই বিচার করতে পারে না। আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন।
Sahih International:
And Allah judges with truth, while those they invoke besides Him judge not with anything. Indeed, Allah - He is the Hearing, the Seeing.
And Allah judges with truth, while those they invoke besides Him judge not with anything. Indeed, Allah - He is the Hearing, the Seeing.
اَوَ لَمْ یَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَیَنْظُرُوْا کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیْنَ کَانُوْا مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ کَانُوْا هُمْ اَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّۃً وَّ اٰثَارًا فِی الْاَرْضِ فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ بِذُنُوْبِهِمْ ؕ وَ مَا کَانَ لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مِنْ وَّاقٍ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাইয়ানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা কা-নূমিন কাবলিহিম কা-নূহুম আশাদ্দা মিনহুম কুওওয়াতাঁওয়া আ-ছা-রান ফিল আরদি ফাআখাযাহুমুল্লা-হু বিযুনূবিহিম ওয়ামা-কা-না লাহুম মিনাল্লা-হি মিওঁ ওয়া-ক।
আওয়ালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাইয়ানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা কা-নূমিন কাবলিহিম কা-নূহুম আশাদ্দা মিনহুম কুওওয়াতাঁওয়া আ-ছা-রান ফিল আরদি ফাআখাযাহুমুল্লা-হু বিযুনূবিহিম ওয়ামা-কা-না লাহুম মিনাল্লা-হি মিওঁ ওয়া-ক।
আল বায়ান:
এরা কি যমীনে বিচরণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণতি কেমন হয়েছিল? তারা এদের তুলনায় যমীনে শক্তিমত্তা ও প্রভাব বিস্তারে প্রবলতর ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদের পাকড়াও করলেন তাদের পাপাচারের কারণে। আর তাদের জন্য ছিল না আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন রক্ষাকারী।
এরা কি যমীনে বিচরণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণতি কেমন হয়েছিল? তারা এদের তুলনায় যমীনে শক্তিমত্তা ও প্রভাব বিস্তারে প্রবলতর ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদের পাকড়াও করলেন তাদের পাপাচারের কারণে। আর তাদের জন্য ছিল না আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন রক্ষাকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না, তাহলে দেখতে পেত তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণাম কী হয়েছিল। তারা শক্তিতে আর স্মৃতি চিহ্নে ছিল এদের চেয়ে প্রবল। অতঃপর তাদের পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছিলেন, আল্লাহর শাস্তি থেকে তাদেরকে বাঁচানোর কেউ ছিল না।
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না, তাহলে দেখতে পেত তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণাম কী হয়েছিল। তারা শক্তিতে আর স্মৃতি চিহ্নে ছিল এদের চেয়ে প্রবল। অতঃপর তাদের পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছিলেন, আল্লাহর শাস্তি থেকে তাদেরকে বাঁচানোর কেউ ছিল না।
Sahih International:
Have they not traveled through the land and observed how was the end of those who were before them? They were greater than them in strength and in impression on the land, but Allah seized them for their sins. And they had not from Allah any protector.
Have they not traveled through the land and observed how was the end of those who were before them? They were greater than them in strength and in impression on the land, but Allah seized them for their sins. And they had not from Allah any protector.
ذٰلِکَ بِاَنَّهُمْ کَانَتْ تَّاْتِیْهِمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَیِّنٰتِ فَکَفَرُوْا فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ ؕ اِنَّهٗ قَوِیٌّ شَدِیْدُ الْعِقَابِ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিআন্নাহুম কা-নাত্তা’তীহিম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনা-তি ফাকাফারূফাআখাযাহুমুল্লা-হু ইন্নাহূকাবিওউন শাদীদুল ‘ইকা-ব।
যা-লিকা বিআন্নাহুম কা-নাত্তা’তীহিম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনা-তি ফাকাফারূফাআখাযাহুমুল্লা-হু ইন্নাহূকাবিওউন শাদীদুল ‘ইকা-ব।
আল বায়ান:
এটি এ কারণে যে, তাদের কাছে তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসত, কিন্তু তারা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করত। ফলে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করলেন। নিশ্চয় তিনি শক্তিমান, আযাবদানে কঠোর।
এটি এ কারণে যে, তাদের কাছে তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসত, কিন্তু তারা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করত। ফলে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করলেন। নিশ্চয় তিনি শক্তিমান, আযাবদানে কঠোর।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা এজন্য যে, রসূলগণ তাদের কাছে স্পষ্ট (নিদর্শন) নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তারা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তখন আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছিলেন। তিনি প্রবল শক্তিধর, শাস্তিদানে কঠোর।
এটা এজন্য যে, রসূলগণ তাদের কাছে স্পষ্ট (নিদর্শন) নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তারা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তখন আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছিলেন। তিনি প্রবল শক্তিধর, শাস্তিদানে কঠোর।
Sahih International:
That was because their messengers were coming to them with clear proofs, but they disbelieved, so Allah seized them. Indeed, He is Powerful and severe in punishment.
That was because their messengers were coming to them with clear proofs, but they disbelieved, so Allah seized them. Indeed, He is Powerful and severe in punishment.
وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا مُوْسٰی بِاٰیٰتِنَا وَ سُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ ﴿ۙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ আরছালনা-মূছা-বিআ-য়া-তিনা-ওয়া ছুলতা-নিম মুবীন।
ওয়ালাকাদ আরছালনা-মূছা-বিআ-য়া-তিনা-ওয়া ছুলতা-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী ও স্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছিলাম।
আর অবশ্যই আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী ও স্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসাকে আমার নিদর্শন ও সুস্পষ্ট ফরমান দিয়ে পাঠিয়েছিলাম
আমি মূসাকে আমার নিদর্শন ও সুস্পষ্ট ফরমান দিয়ে পাঠিয়েছিলাম
Sahih International:
And We did certainly send Moses with Our signs and a clear authority
And We did certainly send Moses with Our signs and a clear authority
اِلٰی فِرْعَوْنَ وَ هَامٰنَ وَ قَارُوْنَ فَقَالُوْا سٰحِرٌ کَذَّابٌ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ইলা-ফির‘আওনা ওয়া হা-মা-না ওয়া কা-রূনা ফাকা-লূছা-হিরুন কাযযা-ব।
ইলা-ফির‘আওনা ওয়া হা-মা-না ওয়া কা-রূনা ফাকা-লূছা-হিরুন কাযযা-ব।
আল বায়ান:
ফির‘আউন, হামান ও কারূনের প্রতি। অতঃপর তারা বলল, ‘সে এক যাদুকর, চরম মিথ্যাবাদী’।
ফির‘আউন, হামান ও কারূনের প্রতি। অতঃপর তারা বলল, ‘সে এক যাদুকর, চরম মিথ্যাবাদী’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন, হামান ও কারূনের কাছে। কিন্তু তারা বলল (এ লোকটা) এক যাদুকর, ঘোর মিথ্যুক।
ফেরাউন, হামান ও কারূনের কাছে। কিন্তু তারা বলল (এ লোকটা) এক যাদুকর, ঘোর মিথ্যুক।
Sahih International:
To Pharaoh, Haman and Qarun; but they said, "[He is] a magician and a liar."
To Pharaoh, Haman and Qarun; but they said, "[He is] a magician and a liar."
فَلَمَّا جَآءَهُمْ بِالْحَقِّ مِنْ عِنْدِنَا قَالُوا اقْتُلُوْۤا اَبْنَآءَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ وَ اسْتَحْیُوْا نِسَآءَهُمْ ؕ وَ مَا کَیْدُ الْکٰفِرِیْنَ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআ হুম বিলহাক্কিমিন ‘ইনদিনা-কা-লুকতুলূআবনাআল্লাযীনা আ-মানূ মা‘আহু ওয়াছতাহইঊ নিছাআহুম ওয়ামা-কাইদুল কা-ফিরীনা ইল্লা-ফী দালা-ল।
ফালাম্মা-জাআ হুম বিলহাক্কিমিন ‘ইনদিনা-কা-লুকতুলূআবনাআল্লাযীনা আ-মানূ মা‘আহু ওয়াছতাহইঊ নিছাআহুম ওয়ামা-কাইদুল কা-ফিরীনা ইল্লা-ফী দালা-ল।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন মূসা আমার কাছ থেকে সত্য নিয়ে তাদের কাছে উপস্থিত হয়েছিল, তখন তারা বলল, ‘যারা তার সাথে ঈমান এনেছে তোমরা তাদের ছেলে-সন্তানদেরকে হত্যা কর এবং তাদের মেয়ে-সন্তানদেরকে জীবিত রাখ’। আর কাফিরদের ষড়যন্ত্র কেবল ব্যর্থই হবে।
অতঃপর যখন মূসা আমার কাছ থেকে সত্য নিয়ে তাদের কাছে উপস্থিত হয়েছিল, তখন তারা বলল, ‘যারা তার সাথে ঈমান এনেছে তোমরা তাদের ছেলে-সন্তানদেরকে হত্যা কর এবং তাদের মেয়ে-সন্তানদেরকে জীবিত রাখ’। আর কাফিরদের ষড়যন্ত্র কেবল ব্যর্থই হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর যখন মূসা তাদের কাছে আমার সত্যসহ আসল তখন তারা বলল- এর সঙ্গে যারা ঈমান এনেছে তাদের পুত্র সন্তানদের হত্যা কর, আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখ। কাফিরদের ষড়যন্ত্র অকার্যকর ছাড়া আর কিছুই না।
তারপর যখন মূসা তাদের কাছে আমার সত্যসহ আসল তখন তারা বলল- এর সঙ্গে যারা ঈমান এনেছে তাদের পুত্র সন্তানদের হত্যা কর, আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখ। কাফিরদের ষড়যন্ত্র অকার্যকর ছাড়া আর কিছুই না।
Sahih International:
And when he brought them the truth from Us, they said, "Kill the sons of those who have believed with him and keep their women alive." But the plan of the disbelievers is not except in error.
And when he brought them the truth from Us, they said, "Kill the sons of those who have believed with him and keep their women alive." But the plan of the disbelievers is not except in error.
وَ قَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُوْنِیْۤ اَقْتُلْ مُوْسٰی وَ لْیَدْعُ رَبَّهٗ ۚ اِنِّیْۤ اَخَافُ اَنْ یُّبَدِّلَ دِیْنَکُمْ اَوْ اَنْ یُّظْهِرَ فِی الْاَرْضِ الْفَسَادَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা ফির‘আওনুযারূনীআকতুল মুছা-ওয়াল ইয়াদ‘উ রাব্বাহূ ইন্নীআখা-ফু আইঁ ইউবাদ্দিলা দীনাকুম আও আইঁ ইউজহিরা ফিল আরদিল ফাছা-দ।
ওয়া কা-লা ফির‘আওনুযারূনীআকতুল মুছা-ওয়াল ইয়াদ‘উ রাব্বাহূ ইন্নীআখা-ফু আইঁ ইউবাদ্দিলা দীনাকুম আও আইঁ ইউজহিরা ফিল আরদিল ফাছা-দ।
আল বায়ান:
আর ফির‘আউন বলল, ‘আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মূসাকে হত্যা করি এবং সে তার রবকে ডাকুক; নিশ্চয় আমি আশঙ্কা করি, সে তোমাদের দীন পাল্টে দেবে অথবা সে যমীনে বিপর্যয় ছড়িয়ে দেবে।
আর ফির‘আউন বলল, ‘আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মূসাকে হত্যা করি এবং সে তার রবকে ডাকুক; নিশ্চয় আমি আশঙ্কা করি, সে তোমাদের দীন পাল্টে দেবে অথবা সে যমীনে বিপর্যয় ছড়িয়ে দেবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ফিরআউন বলল- ছেড়ে দাও আমাকে, আমি মূসাকে হত্যা করব, ডাকুক সে তার রব্বকে। আমি আশঙ্কা করছি, সে তোমাদের জীবন পদ্ধতিকে বদলে দেবে কিংবা দেশে বিপর্যয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।
ফিরআউন বলল- ছেড়ে দাও আমাকে, আমি মূসাকে হত্যা করব, ডাকুক সে তার রব্বকে। আমি আশঙ্কা করছি, সে তোমাদের জীবন পদ্ধতিকে বদলে দেবে কিংবা দেশে বিপর্যয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।
Sahih International:
And Pharaoh said, "Let me kill Moses and let him call upon his Lord. Indeed, I fear that he will change your religion or that he will cause corruption in the land."
And Pharaoh said, "Let me kill Moses and let him call upon his Lord. Indeed, I fear that he will change your religion or that he will cause corruption in the land."
وَ قَالَ مُوْسٰۤی اِنِّیْ عُذْتُ بِرَبِّیْ وَ رَبِّکُمْ مِّنْ کُلِّ مُتَکَبِّرٍ لَّا یُؤْمِنُ بِیَوْمِ الْحِسَابِ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা রাজুলুম মু’মিনুম মিন আ-লি ফির‘আওনা ইয়াকতুমুঈমা-নাহূ আতাকতুলূনা রাজূলান আইঁ ইয়াকূলা রাব্বিয়াল্লা-হু ওয়া কাদ জাআকুম বিলবাইয়িনা-তি মির রাব্বিকুম ওয়া ইয়ঁইয়াকুকা-যিবান ফা‘আলাইহি কাযিবুহূওয়া ইয়ঁইয়াকুসাদিকাইঁ ইউসিবকুম বা‘দুল্লাযী ইয়া‘ইদুকুম ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী মান হুওয়া মুছরিফুন কাযযাব।
ওয়া কা-লা রাজুলুম মু’মিনুম মিন আ-লি ফির‘আওনা ইয়াকতুমুঈমা-নাহূ আতাকতুলূনা রাজূলান আইঁ ইয়াকূলা রাব্বিয়াল্লা-হু ওয়া কাদ জাআকুম বিলবাইয়িনা-তি মির রাব্বিকুম ওয়া ইয়ঁইয়াকুকা-যিবান ফা‘আলাইহি কাযিবুহূওয়া ইয়ঁইয়াকুসাদিকাইঁ ইউসিবকুম বা‘দুল্লাযী ইয়া‘ইদুকুম ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী মান হুওয়া মুছরিফুন কাযযাব।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘আমি আমার রব ও তোমাদের রবের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রত্যেক অহঙ্কারী থেকে, যে বিচার দিনের প্রতি ঈমান রাখে না’।
মূসা বলল, ‘আমি আমার রব ও তোমাদের রবের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রত্যেক অহঙ্কারী থেকে, যে বিচার দিনের প্রতি ঈমান রাখে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল- আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের আশ্রয় গ্রহণ করছি সকল দাম্ভিক অহংকারীদের হতে, যারা বিচার দিবসে বিশ্বাস করে না।
মূসা বলল- আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের আশ্রয় গ্রহণ করছি সকল দাম্ভিক অহংকারীদের হতে, যারা বিচার দিবসে বিশ্বাস করে না।
Sahih International:
But Moses said, "Indeed, I have sought refuge in my Lord and your Lord from every arrogant one who does not believe in the Day of Account."
But Moses said, "Indeed, I have sought refuge in my Lord and your Lord from every arrogant one who does not believe in the Day of Account."
وَ قَالَ رَجُلٌ مُّؤْمِنٌ ٭ۖ مِّنْ اٰلِ فِرْعَوْنَ یَکْتُمُ اِیْمَانَهٗۤ اَتَقْتُلُوْنَ رَجُلًا اَنْ یَّقُوْلَ رَبِّیَ اللّٰهُ وَ قَدْ جَآءَکُمْ بِالْبَیِّنٰتِ مِنْ رَّبِّکُمْ ؕ وَ اِنْ یَّکُ کَاذِبًا فَعَلَیْهِ کَذِبُهٗ ۚ وَ اِنْ یَّکُ صَادِقًا یُّصِبْکُمْ بَعْضُ الَّذِیْ یَعِدُکُمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ کَذَّابٌ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা মূছাইন্নী ‘উযতুবিরাববী ওয়া রাব্বিকুম মিন কুল্লি মুতাকাব্বিরিল লা-ইউ’মিনু বিইয়াওমিল হিছা-ব।
ওয়া কা-লা মূছাইন্নী ‘উযতুবিরাববী ওয়া রাব্বিকুম মিন কুল্লি মুতাকাব্বিরিল লা-ইউ’মিনু বিইয়াওমিল হিছা-ব।
আল বায়ান:
‘আর ফির‘আউন বংশের এক মুমিন ব্যক্তি যে তার ঈমান গোপন রাখছিল সে বলল, ‘তোমরা কি একটি লোককে কেবল এ কারণে হত্যা করবে যে সে বলে, ‘আমার রব আল্লাহ’ অথচ সে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে? সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপরই বর্তাবে তার মিথ্যা; আর সে যদি সত্যবাদী হয় তবে যে বিষয়ে সে তোমাদেরকে ওয়াদা দিচ্ছে তার কিছু তোমাদের উপর আপতিত হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না, যে সীমালংঘনকারী, মিথ্যাবাদী’।
‘আর ফির‘আউন বংশের এক মুমিন ব্যক্তি যে তার ঈমান গোপন রাখছিল সে বলল, ‘তোমরা কি একটি লোককে কেবল এ কারণে হত্যা করবে যে সে বলে, ‘আমার রব আল্লাহ’ অথচ সে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে? সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপরই বর্তাবে তার মিথ্যা; আর সে যদি সত্যবাদী হয় তবে যে বিষয়ে সে তোমাদেরকে ওয়াদা দিচ্ছে তার কিছু তোমাদের উপর আপতিত হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না, যে সীমালংঘনকারী, মিথ্যাবাদী’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউনের দলের এক মু’মিন ব্যক্তি- যে তার ঈমানকে গোপন রেখেছিল- বলল, তোমরা একজন লোককে শুধু কি এজন্য মেরে ফেলবে যে, সে বলে, আল্লাহ আমার প্রতিপালক। অথচ সে তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছে। সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তাহলে তার মিথ্যা বলার পরিণাম সে নিজেই ভুগবে। আর সে যদি সত্যবাদী হয়, তাহলে সে তোমাদেরকে যে শাস্তির ভয় দেখাচ্ছে তার কিছু না কিছু তোমাদের উপর পড়বেই। যে সীমালঙ্ঘন করে আর মিথ্যে বলে আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান না।
ফেরাউনের দলের এক মু’মিন ব্যক্তি- যে তার ঈমানকে গোপন রেখেছিল- বলল, তোমরা একজন লোককে শুধু কি এজন্য মেরে ফেলবে যে, সে বলে, আল্লাহ আমার প্রতিপালক। অথচ সে তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছে। সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তাহলে তার মিথ্যা বলার পরিণাম সে নিজেই ভুগবে। আর সে যদি সত্যবাদী হয়, তাহলে সে তোমাদেরকে যে শাস্তির ভয় দেখাচ্ছে তার কিছু না কিছু তোমাদের উপর পড়বেই। যে সীমালঙ্ঘন করে আর মিথ্যে বলে আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান না।
Sahih International:
And a believing man from the family of Pharaoh who concealed his faith said, "Do you kill a man [merely] because he says, 'My Lord is Allah' while he has brought you clear proofs from your Lord? And if he should be lying, then upon him is [the consequence of] his lie; but if he should be truthful, there will strike you some of what he promises you. Indeed, Allah does not guide one who is a transgressor and a liar.
And a believing man from the family of Pharaoh who concealed his faith said, "Do you kill a man [merely] because he says, 'My Lord is Allah' while he has brought you clear proofs from your Lord? And if he should be lying, then upon him is [the consequence of] his lie; but if he should be truthful, there will strike you some of what he promises you. Indeed, Allah does not guide one who is a transgressor and a liar.
یٰقَوْمِ لَکُمُ الْمُلْکُ الْیَوْمَ ظٰهِرِیْنَ فِی الْاَرْضِ ۫ فَمَنْ یَّنْصُرُنَا مِنْۢ بَاْسِ اللّٰهِ اِنْ جَآءَنَا ؕ قَالَ فِرْعَوْنُ مَاۤ اُرِیْکُمْ اِلَّا مَاۤ اَرٰی وَ مَاۤ اَهْدِیْکُمْ اِلَّا سَبِیْلَ الرَّشَادِ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-কাওমি লাকুমুল ইয়াওমা জা-হিরীনা ফিল আরদি ফামাইঁ ইয়ানসুরুনা-মিম বা’ছিল্লা-হি ইন জাআনা- কা-লা ফির‘আওনুমাউরীকুম ইল্লা-মাআরাওয়ামাআহদীকুম ইল্লা-ছাবীলার রাশা-দ।
ইয়া-কাওমি লাকুমুল ইয়াওমা জা-হিরীনা ফিল আরদি ফামাইঁ ইয়ানসুরুনা-মিম বা’ছিল্লা-হি ইন জাআনা- কা-লা ফির‘আওনুমাউরীকুম ইল্লা-মাআরাওয়ামাআহদীকুম ইল্লা-ছাবীলার রাশা-দ।
আল বায়ান:
‘হে আমার কওম, আজ তোমাদের রাজত্ব; যমীনে তোমরাই কর্তৃত্বশীল; কিন্তু আল্লাহর আযাব আসলে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে’? ফির‘আউন বলল, ‘যা আমি সঠিক মনে করি তা-ই আমি তোমাদেরকে দেখাই আর আমি তোমাদেরকে কেবল সঠিক পথই দেখাই’।
‘হে আমার কওম, আজ তোমাদের রাজত্ব; যমীনে তোমরাই কর্তৃত্বশীল; কিন্তু আল্লাহর আযাব আসলে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে’? ফির‘আউন বলল, ‘যা আমি সঠিক মনে করি তা-ই আমি তোমাদেরকে দেখাই আর আমি তোমাদেরকে কেবল সঠিক পথই দেখাই’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার জাতির লোকেরা! আজ তোমাদেরই কর্তত্ব চলছে, দেশে আজ তোমরাই বিজয়ী শক্তি। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি যদি এসেই পড়ে, তাহলে তাত্থেকে আমাদেরকে কে রক্ষে করবে? ফেরাউন বলল- আমি তোমাদেরকে শুধু তা-ই বলছি, আমি নিজে যা বুঝেছি; আমি তোমাদেরকে সত্যপথই দেখাচ্ছি।
হে আমার জাতির লোকেরা! আজ তোমাদেরই কর্তত্ব চলছে, দেশে আজ তোমরাই বিজয়ী শক্তি। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি যদি এসেই পড়ে, তাহলে তাত্থেকে আমাদেরকে কে রক্ষে করবে? ফেরাউন বলল- আমি তোমাদেরকে শুধু তা-ই বলছি, আমি নিজে যা বুঝেছি; আমি তোমাদেরকে সত্যপথই দেখাচ্ছি।
Sahih International:
O my people, sovereignty is yours today, [your being] dominant in the land. But who would protect us from the punishment of Allah if it came to us?" Pharaoh said, "I do not show you except what I see, and I do not guide you except to the way of right conduct."
O my people, sovereignty is yours today, [your being] dominant in the land. But who would protect us from the punishment of Allah if it came to us?" Pharaoh said, "I do not show you except what I see, and I do not guide you except to the way of right conduct."
وَ قَالَ الَّذِیْۤ اٰمَنَ یٰقَوْمِ اِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْکُمْ مِّثْلَ یَوْمِ الْاَحْزَابِ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকালাল্লাযী আ-মানা ইয়াকাওমি ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম মিছলা ইয়াওমিল আহযা-ব।
ওয়াকালাল্লাযী আ-মানা ইয়াকাওমি ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম মিছলা ইয়াওমিল আহযা-ব।
আল বায়ান:
আর যে ব্যক্তি ঈমান এনেছিল সে আরো বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়, নিশ্চয় আমি তোমাদের ব্যাপারে পূর্ববর্তী দলসমূহের দিনের অনুরূপ আশঙ্কা করি’;
আর যে ব্যক্তি ঈমান এনেছিল সে আরো বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়, নিশ্চয় আমি তোমাদের ব্যাপারে পূর্ববর্তী দলসমূহের দিনের অনুরূপ আশঙ্কা করি’;
তাইসিরুল কুরআন:
যে লোকটি ঈমান এনেছিল সে বলল- হে আমার জাতির লোকেরা! আগের জাতিগুলোর উপর যেমন (শাস্তির) দিন এসেছিল, আমি তোমাদের উপরও সে রকম (বিপর্যয়ের) আশঙ্কা করছি
যে লোকটি ঈমান এনেছিল সে বলল- হে আমার জাতির লোকেরা! আগের জাতিগুলোর উপর যেমন (শাস্তির) দিন এসেছিল, আমি তোমাদের উপরও সে রকম (বিপর্যয়ের) আশঙ্কা করছি
Sahih International:
And he who believed said, "O my people, indeed I fear for you [a fate] like the day of the companies -
And he who believed said, "O my people, indeed I fear for you [a fate] like the day of the companies -
مِثْلَ دَاْبِ قَوْمِ نُوْحٍ وَّ عَادٍ وَّ ثَمُوْدَ وَ الَّذِیْنَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ ؕ وَ مَا اللّٰهُ یُرِیْدُ ظُلْمًا لِّلْعِبَادِ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
মিছলা দা’বি কাওমি নূহিওঁ ওয়া ‘আ-দিওঁ ওয়া ছামূদা ওয়াল্লাযীনা মিম বা‘দিহিম ওয়া মাল্লা-হু ইউরীদুজুলমাল লিল‘ইবা-দ।
মিছলা দা’বি কাওমি নূহিওঁ ওয়া ‘আ-দিওঁ ওয়া ছামূদা ওয়াল্লাযীনা মিম বা‘দিহিম ওয়া মাল্লা-হু ইউরীদুজুলমাল লিল‘ইবা-দ।
আল বায়ান:
‘যেমন ঘটেছিল নূহ, ‘আদ ও ছামূদ-এর কওম এবং তাদের পরবর্তীদের। আর আল্লাহ বান্দাদের উপর কোন যুলম করতে চান না।’
‘যেমন ঘটেছিল নূহ, ‘আদ ও ছামূদ-এর কওম এবং তাদের পরবর্তীদের। আর আল্লাহ বান্দাদের উপর কোন যুলম করতে চান না।’
তাইসিরুল কুরআন:
যা এসেছিল নূহ, ‘আদ, সামূদ জাতি আর তাদের পরবর্তীদের উপর। আল্লাহ তো বান্দাহদের উপর যুলম করতে চান না (বরং তাদের নিজেদের অন্যায় অপকর্মের কারণেই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেন)।
যা এসেছিল নূহ, ‘আদ, সামূদ জাতি আর তাদের পরবর্তীদের উপর। আল্লাহ তো বান্দাহদের উপর যুলম করতে চান না (বরং তাদের নিজেদের অন্যায় অপকর্মের কারণেই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেন)।
Sahih International:
Like the custom of the people of Noah and of 'Aad and Thamud and those after them. And Allah wants no injustice for [His] servants.
Like the custom of the people of Noah and of 'Aad and Thamud and those after them. And Allah wants no injustice for [His] servants.
وَ یٰقَوْمِ اِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْکُمْ یَوْمَ التَّنَادِ ﴿ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া-কাওমি ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ইয়াওমাততানা-দ।
ওয়া ইয়া-কাওমি ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ইয়াওমাততানা-দ।
আল বায়ান:
‘আর হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্য পারস্পরিক ভয়ার্ত আহবান দিনের আশঙ্কা করি’।
‘আর হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্য পারস্পরিক ভয়ার্ত আহবান দিনের আশঙ্কা করি’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার জাতি! আমি আশঙ্কা করছি তোমাদের আর্ত চিৎকার আর কান্নাকাটি করার একটি দিনের।
হে আমার জাতি! আমি আশঙ্কা করছি তোমাদের আর্ত চিৎকার আর কান্নাকাটি করার একটি দিনের।
Sahih International:
And O my people, indeed I fear for you the Day of Calling -
And O my people, indeed I fear for you the Day of Calling -
یَوْمَ تُوَلُّوْنَ مُدْبِرِیْنَ ۚ مَا لَکُمْ مِّنَ اللّٰهِ مِنْ عَاصِمٍ ۚ وَ مَنْ یُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ هَادٍ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তুওয়াললূনা মুদবিরীনা মা-লাকুম মিনাল্লা-হি মিন ‘আ-সিমিওঁ ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা -হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।
ইয়াওমা তুওয়াললূনা মুদবিরীনা মা-লাকুম মিনাল্লা-হি মিন ‘আ-সিমিওঁ ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা -হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।
আল বায়ান:
‘যেদিন তোমরা পিছনে পালাতে চাইবে আল্লাহর থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করার জন্য কেউ থাকবে না; আর আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই’।
‘যেদিন তোমরা পিছনে পালাতে চাইবে আল্লাহর থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করার জন্য কেউ থাকবে না; আর আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই’।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তোমরা পিছন ফিরে পালিয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ (’র কব্জা) থেকে তোমাদের রক্ষাকারী কেউ হবে না, আর আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন, তার জন্য কোন পথপ্রদর্শনকারী নেই।
যেদিন তোমরা পিছন ফিরে পালিয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ (’র কব্জা) থেকে তোমাদের রক্ষাকারী কেউ হবে না, আর আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন, তার জন্য কোন পথপ্রদর্শনকারী নেই।
Sahih International:
The Day you will turn your backs fleeing; there is not for you from Allah any protector. And whoever Allah leaves astray - there is not for him any guide.
The Day you will turn your backs fleeing; there is not for you from Allah any protector. And whoever Allah leaves astray - there is not for him any guide.
وَ لَقَدْ جَآءَکُمْ یُوْسُفُ مِنْ قَبْلُ بِالْبَیِّنٰتِ فَمَا زِلْتُمْ فِیْ شَکٍّ مِّمَّا جَآءَکُمْ بِهٖ ؕ حَتّٰۤی اِذَا هَلَکَ قُلْتُمْ لَنْ یَّبْعَثَ اللّٰهُ مِنْۢ بَعْدِهٖ رَسُوْلًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰهُ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ مُّرْتَابُۨ ﴿ۚۖ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা কাদ জাআকুম ইঊছুফুমিন কাবলুবিলবাইয়িনা-তি ফামা-যিলতুম ফী শাক্কিম মিম্মাজাআকুম বিহী হাত্তাইযা-হালাকা কুলতুম লাইঁ ইয়াব‘আছাল্লা-হু মিম বা‘দিহী রাছূলান কাযা-লিকা ইউদিল্লুল্লা-হু মান হুওয়া মুছরিফুম মুরতা-ব।
ওয়ালা কাদ জাআকুম ইঊছুফুমিন কাবলুবিলবাইয়িনা-তি ফামা-যিলতুম ফী শাক্কিম মিম্মাজাআকুম বিহী হাত্তাইযা-হালাকা কুলতুম লাইঁ ইয়াব‘আছাল্লা-হু মিম বা‘দিহী রাছূলান কাযা-লিকা ইউদিল্লুল্লা-হু মান হুওয়া মুছরিফুম মুরতা-ব।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই পূর্বে তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ ইউসুফ এসেছিল, সে যা নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছিল তা নিয়ে তোমরা সন্দেহে স্থির ছিলে; এমনকি যখন সে মারা গেল তখন তোমরা বললে, ‘আল্লাহ তার পরে কখনো কোন রাসূল পাঠাবেন না’। যে সীমালংঘনকারী, সংশয়বাদী, আল্লাহ তাকে এভাবেই পথভ্রষ্ট করেন।
আর অবশ্যই পূর্বে তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ ইউসুফ এসেছিল, সে যা নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছিল তা নিয়ে তোমরা সন্দেহে স্থির ছিলে; এমনকি যখন সে মারা গেল তখন তোমরা বললে, ‘আল্লাহ তার পরে কখনো কোন রাসূল পাঠাবেন না’। যে সীমালংঘনকারী, সংশয়বাদী, আল্লাহ তাকে এভাবেই পথভ্রষ্ট করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
ইতোপূর্বে ইউসুফ তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সে তোমাদের কাছে যা নিয়ে এসেছিল, সে ব্যাপারে তোমরা সন্দেহ পোষণ করেই চললে। শেষ পর্যন্ত যখন তার মৃত্যু হল তখন তোমরা বললে- ওর পরে আল্লাহ আর কক্ষনো কোন রসূল পাঠাবেন না। সীমালঙ্ঘনকারী ও সন্দেহবাদীদেরকে আল্লাহ এভাবেই পথভ্রষ্ট করেন।
ইতোপূর্বে ইউসুফ তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সে তোমাদের কাছে যা নিয়ে এসেছিল, সে ব্যাপারে তোমরা সন্দেহ পোষণ করেই চললে। শেষ পর্যন্ত যখন তার মৃত্যু হল তখন তোমরা বললে- ওর পরে আল্লাহ আর কক্ষনো কোন রসূল পাঠাবেন না। সীমালঙ্ঘনকারী ও সন্দেহবাদীদেরকে আল্লাহ এভাবেই পথভ্রষ্ট করেন।
Sahih International:
And Joseph had already come to you before with clear proofs, but you remained in doubt of that which he brought to you, until when he died, you said, 'Never will Allah send a messenger after him.' Thus does Allah leave astray he who is a transgressor and skeptic."
And Joseph had already come to you before with clear proofs, but you remained in doubt of that which he brought to you, until when he died, you said, 'Never will Allah send a messenger after him.' Thus does Allah leave astray he who is a transgressor and skeptic."
الَّذِیْنَ یُجَادِلُوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ بِغَیْرِ سُلْطٰنٍ اَتٰهُمْ ؕ کَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللّٰهِ وَ عِنْدَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا ؕ کَذٰلِکَ یَطْبَعُ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ قَلْبِ مُتَکَبِّرٍ جَبَّارٍ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি বিগাইরি ছুলতা-নিন আতা-হুম কাবুরা মাকতান ‘ইনদাল্লা-হি ওয়া ‘ইনদাল্লাযীনা আ-মানূ কাযা-লিকা ইয়াতবা‘উল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি কালবি মুতাকাব্বিরিন জাব্বা-র।
আল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি বিগাইরি ছুলতা-নিন আতা-হুম কাবুরা মাকতান ‘ইনদাল্লা-হি ওয়া ‘ইনদাল্লাযীনা আ-মানূ কাযা-লিকা ইয়াতবা‘উল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি কালবি মুতাকাব্বিরিন জাব্বা-র।
আল বায়ান:
যারা নিজদের কাছে আগত কোন দলীল-প্রমাণ ছাড়া আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়। তাদের এ কাজ আল্লাহ ও মুমিনদের দৃষ্টিতে অতিশয় ঘৃণার্হ। এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক অহঙ্কারী স্বৈরাচারীর অন্তরে সীল মেরে দেন।
যারা নিজদের কাছে আগত কোন দলীল-প্রমাণ ছাড়া আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়। তাদের এ কাজ আল্লাহ ও মুমিনদের দৃষ্টিতে অতিশয় ঘৃণার্হ। এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক অহঙ্কারী স্বৈরাচারীর অন্তরে সীল মেরে দেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা নিজেদের কাছে কোন যুক্তি-প্রমাণ না আসলেও আল্লাহর নিদর্শনাবলীর ব্যাপারে বাক-বিতন্ডা করে। আল্লাহর দৃষ্টিতে আর মু’মিনদের দৃষ্টিতে (এ আচরণ) খুবই ঘৃণিত। আল্লাহ এভাবে প্রত্যেক দাম্ভিক স্বৈরাচারীর অন্তরের উপর মোহর মেরে দেন।
যারা নিজেদের কাছে কোন যুক্তি-প্রমাণ না আসলেও আল্লাহর নিদর্শনাবলীর ব্যাপারে বাক-বিতন্ডা করে। আল্লাহর দৃষ্টিতে আর মু’মিনদের দৃষ্টিতে (এ আচরণ) খুবই ঘৃণিত। আল্লাহ এভাবে প্রত্যেক দাম্ভিক স্বৈরাচারীর অন্তরের উপর মোহর মেরে দেন।
Sahih International:
Those who dispute concerning the signs of Allah without an authority having come to them - great is hatred [of them] in the sight of Allah and in the sight of those who have believed. Thus does Allah seal over every heart [belonging to] an arrogant tyrant.
Those who dispute concerning the signs of Allah without an authority having come to them - great is hatred [of them] in the sight of Allah and in the sight of those who have believed. Thus does Allah seal over every heart [belonging to] an arrogant tyrant.
وَ قَالَ فِرْعَوْنُ یٰهَامٰنُ ابْنِ لِیْ صَرْحًا لَّعَلِّیْۤ اَبْلُغُ الْاَسْبَابَ ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা ফির‘আওনুইয়া-হা-মা-নুবনি লী সারহাল্লা‘আললীআবলুগুল আছবা-ব।
ওয়া কা-লা ফির‘আওনুইয়া-হা-মা-নুবনি লী সারহাল্লা‘আললীআবলুগুল আছবা-ব।
আল বায়ান:
ফির‘আউন আরও বলল, ‘হে হামান, আমার জন্য একটি উঁচু ইমারত বানাও যাতে আমি অবলম্বন পাই’।
ফির‘আউন আরও বলল, ‘হে হামান, আমার জন্য একটি উঁচু ইমারত বানাও যাতে আমি অবলম্বন পাই’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন বলল- হে হামান! তুমি আমার জন্য এক সুউচ্চ ইমারত তৈরি কর যাতে আমি উপায় পেয়ে যাই
ফেরাউন বলল- হে হামান! তুমি আমার জন্য এক সুউচ্চ ইমারত তৈরি কর যাতে আমি উপায় পেয়ে যাই
Sahih International:
And Pharaoh said, "O Haman, construct for me a tower that I might reach the ways -
And Pharaoh said, "O Haman, construct for me a tower that I might reach the ways -
اَسْبَابَ السَّمٰوٰتِ فَاَطَّلِعَ اِلٰۤی اِلٰهِ مُوْسٰی وَ اِنِّیْ لَاَظُنُّهٗ کَاذِبًا ؕ وَ کَذٰلِکَ زُیِّنَ لِفِرْعَوْنَ سُوْٓءُ عَمَلِهٖ وَ صُدَّ عَنِ السَّبِیْلِ ؕ وَ مَا کَیْدُ فِرْعَوْنَ اِلَّا فِیْ تَبَابٍ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
আছবা-বাছছামা-ওয়া-তি ফাআত্তালি‘আ ইলাইলা-হি মূছা-ওয়া ইন্নী লাআজুন্নুহূকাযিবাওঁ ওয়া কাযা-লিকা যুইয়িনা লিফির‘আওনা ছূউ ‘আমালিহী ওয়াসুদ্দা ‘আনিছছাবীলি ওয়ামা-কাইদুফির‘আওনা ইল্লা-ফী তাবা-ব।
আছবা-বাছছামা-ওয়া-তি ফাআত্তালি‘আ ইলাইলা-হি মূছা-ওয়া ইন্নী লাআজুন্নুহূকাযিবাওঁ ওয়া কাযা-লিকা যুইয়িনা লিফির‘আওনা ছূউ ‘আমালিহী ওয়াসুদ্দা ‘আনিছছাবীলি ওয়ামা-কাইদুফির‘আওনা ইল্লা-ফী তাবা-ব।
আল বায়ান:
‘আসমানে আরোহরণের অবলম্বন, যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পাই, আর আমি কেবল তাকে মিথ্যাবাদী মনে করি’। আর এভাবে ফির‘আউনের কাছে তার মন্দ কাজ শোভিত করে দেয়া হয়েছিল এবং তাকে বাধা দেয়া হয়েছিল সৎপথ থেকে। আর ফির‘আউনের ষড়যন্ত্র কেবল ব্যর্থই হয়েছিল।
‘আসমানে আরোহরণের অবলম্বন, যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পাই, আর আমি কেবল তাকে মিথ্যাবাদী মনে করি’। আর এভাবে ফির‘আউনের কাছে তার মন্দ কাজ শোভিত করে দেয়া হয়েছিল এবং তাকে বাধা দেয়া হয়েছিল সৎপথ থেকে। আর ফির‘আউনের ষড়যন্ত্র কেবল ব্যর্থই হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশে উঠার উপায়, যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পাই; আমি মূসাকে অবশ্যই মিথ্যাবাদী মনে করি। এভাবে ফেরাউনের জন্য তার মন্দ কাজকে সুশোভিত করা হয়েছিল আর সঠিক পথ থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছিল। ফেরাউনের অপকৌশল কেবল তার ধ্বংসই ডেকে এনেছিল।
আকাশে উঠার উপায়, যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পাই; আমি মূসাকে অবশ্যই মিথ্যাবাদী মনে করি। এভাবে ফেরাউনের জন্য তার মন্দ কাজকে সুশোভিত করা হয়েছিল আর সঠিক পথ থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছিল। ফেরাউনের অপকৌশল কেবল তার ধ্বংসই ডেকে এনেছিল।
Sahih International:
The ways into the heavens - so that I may look at the deity of Moses; but indeed, I think he is a liar." And thus was made attractive to Pharaoh the evil of his deed, and he was averted from the [right] way. And the plan of Pharaoh was not except in ruin.
The ways into the heavens - so that I may look at the deity of Moses; but indeed, I think he is a liar." And thus was made attractive to Pharaoh the evil of his deed, and he was averted from the [right] way. And the plan of Pharaoh was not except in ruin.
وَ قَالَ الَّذِیْۤ اٰمَنَ یٰقَوْمِ اتَّبِعُوْنِ اَهْدِکُمْ سَبِیْلَ الرَّشَادِ ﴿ۚ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকালাল্লাযীআ-মানা ইয়া-কাওমিততাবি‘ঊনি আহদিকুম ছাবীলার রাশা-দ।
ওয়াকালাল্লাযীআ-মানা ইয়া-কাওমিততাবি‘ঊনি আহদিকুম ছাবীলার রাশা-দ।
আল বায়ান:
আর যে ব্যক্তি ঈমান এনেছিল, সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আমার আনুগত্য কর; আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাব’।
আর যে ব্যক্তি ঈমান এনেছিল, সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আমার আনুগত্য কর; আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাব’।
তাইসিরুল কুরআন:
যে লোকটি ঈমান এনেছিল সে আরো বলল- হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাচ্ছি।
যে লোকটি ঈমান এনেছিল সে আরো বলল- হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাচ্ছি।
Sahih International:
And he who believed said, "O my people, follow me, I will guide you to the way of right conduct.
And he who believed said, "O my people, follow me, I will guide you to the way of right conduct.
یٰقَوْمِ اِنَّمَا هٰذِهِ الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَا مَتَاعٌ ۫ وَّ اِنَّ الْاٰخِرَۃَ هِیَ دَارُ الْقَرَارِ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-কাওমি ইন্নামা-হা-যিহিল হায়া-তুদ দুনইয়া-মাতা-‘উওঁ ওয়া ইন্নাল আ-খিরাতা হিয়া দা-রুল কারা-র।
ইয়া-কাওমি ইন্নামা-হা-যিহিল হায়া-তুদ দুনইয়া-মাতা-‘উওঁ ওয়া ইন্নাল আ-খিরাতা হিয়া দা-রুল কারা-র।
আল বায়ান:
‘হে আমার কওম, এ দুনিয়ার জীবন কেবল ক্ষণকালের ভোগ; আর নিশ্চয় আখিরাতই হল স্থায়ী আবাস’।
‘হে আমার কওম, এ দুনিয়ার জীবন কেবল ক্ষণকালের ভোগ; আর নিশ্চয় আখিরাতই হল স্থায়ী আবাস’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার সম্প্রদায়! পার্থিব এ জীবন (অস্থায়ী) ভোগ্য বস্তু মাত্র, আর আখিরাতই হল চিরকালীন আবাসস্থল।
হে আমার সম্প্রদায়! পার্থিব এ জীবন (অস্থায়ী) ভোগ্য বস্তু মাত্র, আর আখিরাতই হল চিরকালীন আবাসস্থল।
Sahih International:
O my people, this worldly life is only [temporary] enjoyment, and indeed, the Hereafter - that is the home of [permanent] settlement.
O my people, this worldly life is only [temporary] enjoyment, and indeed, the Hereafter - that is the home of [permanent] settlement.
مَنْ عَمِلَ سَیِّئَۃً فَلَا یُجْزٰۤی اِلَّا مِثْلَهَا ۚ وَ مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَکَرٍ اَوْ اُنْثٰی وَ هُوَ مُؤْمِنٌ فَاُولٰٓئِکَ یَدْخُلُوْنَ الْجَنَّۃَ یُرْزَقُوْنَ فِیْهَا بِغَیْرِ حِسَابٍ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
মান ‘আমিলা ছাইয়িআতান ফালা-ইউজযাইল্লা-মিছলাহা- ওয়ামান ‘আমিলা সালিহাম মিন যাকারিন আও উনছা-ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফাউলাইকা ইয়াদখুলূনাল জান্নাতা ইউরযাকূনা ফীহা-বিগাইরি হিছা-ব।
মান ‘আমিলা ছাইয়িআতান ফালা-ইউজযাইল্লা-মিছলাহা- ওয়ামান ‘আমিলা সালিহাম মিন যাকারিন আও উনছা-ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফাউলাইকা ইয়াদখুলূনাল জান্নাতা ইউরযাকূনা ফীহা-বিগাইরি হিছা-ব।
আল বায়ান:
‘কেউ পাপ কাজ করলে তাকে শুধু পাপের সমান প্রতিদান দেয়া হবে আর যে পুরুষ অথবা নারী মুমিন হয়ে সৎকাজ করবে, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, সেখানে তাদেরকে অগণিত রিয্ক দেয়া হবে।’
‘কেউ পাপ কাজ করলে তাকে শুধু পাপের সমান প্রতিদান দেয়া হবে আর যে পুরুষ অথবা নারী মুমিন হয়ে সৎকাজ করবে, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, সেখানে তাদেরকে অগণিত রিয্ক দেয়া হবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
যে খারাপ কাজ করবে তাকে কাজের অনুপাতেই প্রতিফল দেয়া হবে। পুরুষ হোক আর নারী হোক যে ব্যক্তিই সৎ কাজ করবে (উপরন্তু) সে মু’মিনও, তাহলে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার মধ্যে তারা বে-হিসাব রিযক প্রাপ্ত হবে।
যে খারাপ কাজ করবে তাকে কাজের অনুপাতেই প্রতিফল দেয়া হবে। পুরুষ হোক আর নারী হোক যে ব্যক্তিই সৎ কাজ করবে (উপরন্তু) সে মু’মিনও, তাহলে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার মধ্যে তারা বে-হিসাব রিযক প্রাপ্ত হবে।
Sahih International:
Whoever does an evil deed will not be recompensed except by the like thereof; but whoever does righteousness, whether male or female, while he is a believer - those will enter Paradise, being given provision therein without account.
Whoever does an evil deed will not be recompensed except by the like thereof; but whoever does righteousness, whether male or female, while he is a believer - those will enter Paradise, being given provision therein without account.
وَ یٰقَوْمِ مَا لِیْۤ اَدْعُوْکُمْ اِلَی النَّجٰوۃِ وَ تَدْعُوْنَنِیْۤ اِلَی النَّارِ ﴿ؕ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া-কাওমি মা-লীআদ‘ঊকুম ইলান নাজা-তি ওয়া তাদ‘ঊনানীইলান্না-র।
ওয়া ইয়া-কাওমি মা-লীআদ‘ঊকুম ইলান নাজা-তি ওয়া তাদ‘ঊনানীইলান্না-র।
আল বায়ান:
‘আর হে আমার কওম, আমার কী হল যে, আমি তোমাদেরকে মুক্তির দিকে ডাকছি আর তোমরা আমাকে ডাকছ আগুনের দিকে!’
‘আর হে আমার কওম, আমার কী হল যে, আমি তোমাদেরকে মুক্তির দিকে ডাকছি আর তোমরা আমাকে ডাকছ আগুনের দিকে!’
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার সম্প্রদায়! বড়ই আশ্চর্য! আমি তোমাদেরকে ডাকছি মুক্তির দিকে, আর তোমরা ডাকছো আগুনের দিকে।
হে আমার সম্প্রদায়! বড়ই আশ্চর্য! আমি তোমাদেরকে ডাকছি মুক্তির দিকে, আর তোমরা ডাকছো আগুনের দিকে।
Sahih International:
And O my people, how is it that I invite you to salvation while you invite me to the Fire?
And O my people, how is it that I invite you to salvation while you invite me to the Fire?
تَدْعُوْنَنِیْ لِاَکْفُرَ بِاللّٰهِ وَ اُشْرِکَ بِهٖ مَا لَیْسَ لِیْ بِهٖ عِلْمٌ ۫ وَّ اَنَا اَدْعُوْکُمْ اِلَی الْعَزِیْزِ الْغَفَّارِ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
তাদ‘ঊনানী লিআকফুরা বিল্লা-হি ওয়া উশরিকা বিহী মা-লাইছা লী বিহী ‘ইলমুওঁ ওয়াআনা আদ‘ঊকুম ইলাল ‘আযীযিল গাফফা-র।
তাদ‘ঊনানী লিআকফুরা বিল্লা-হি ওয়া উশরিকা বিহী মা-লাইছা লী বিহী ‘ইলমুওঁ ওয়াআনা আদ‘ঊকুম ইলাল ‘আযীযিল গাফফা-র।
আল বায়ান:
‘তোমরা আমাকে ডাকছ আমি যেন আল্লাহর সাথে কুফরী করি, তাঁর সাথে শরীক করি যে ব্যাপারে আমার কোন জ্ঞান নেই; আর আমি তোমাদেরকে ডাকছি মহাপরাক্রমশালী ও পরম ক্ষমাশীলের দিকে।’
‘তোমরা আমাকে ডাকছ আমি যেন আল্লাহর সাথে কুফরী করি, তাঁর সাথে শরীক করি যে ব্যাপারে আমার কোন জ্ঞান নেই; আর আমি তোমাদেরকে ডাকছি মহাপরাক্রমশালী ও পরম ক্ষমাশীলের দিকে।’
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আমাকে ডাকছ যেন আমি আল্লাহর সাথে কুফুরী করি এবং তাঁর অংশী স্থাপন করি যে সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নেই। অপরপক্ষে আমি তোমাদেরকে ডাকছি মহাপরাক্রান্ত ক্ষমাশীল (আল্লাহর) দিকে।
তোমরা আমাকে ডাকছ যেন আমি আল্লাহর সাথে কুফুরী করি এবং তাঁর অংশী স্থাপন করি যে সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নেই। অপরপক্ষে আমি তোমাদেরকে ডাকছি মহাপরাক্রান্ত ক্ষমাশীল (আল্লাহর) দিকে।
Sahih International:
You invite me to disbelieve in Allah and associate with Him that of which I have no knowledge, and I invite you to the Exalted in Might, the Perpetual Forgiver.
You invite me to disbelieve in Allah and associate with Him that of which I have no knowledge, and I invite you to the Exalted in Might, the Perpetual Forgiver.
لَا جَرَمَ اَنَّمَا تَدْعُوْنَنِیْۤ اِلَیْهِ لَیْسَ لَهٗ دَعْوَۃٌ فِی الدُّنْیَا وَ لَا فِی الْاٰخِرَۃِ وَ اَنَّ مَرَدَّنَاۤ اِلَی اللّٰهِ وَ اَنَّ الْمُسْرِفِیْنَ هُمْ اَصْحٰبُ النَّارِ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
লা-জারামা আন্নামা-তাদ‘ঊনানীইলাইহি লাইছা লাহূদা‘ওয়াতুনফিদ্দুনইয়া-ওয়ালা-ফিল আ-খিরাতি ওয়া আন্না মারাদ্দানাইলাল্লা-হি ওয়া আন্নাল মুসরিফীনা হুম আসহা-বুন্না-র।
লা-জারামা আন্নামা-তাদ‘ঊনানীইলাইহি লাইছা লাহূদা‘ওয়াতুনফিদ্দুনইয়া-ওয়ালা-ফিল আ-খিরাতি ওয়া আন্না মারাদ্দানাইলাল্লা-হি ওয়া আন্নাল মুসরিফীনা হুম আসহা-বুন্না-র।
আল বায়ান:
‘এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, যার দিকে তোমরা আমাকে ডাকছ, সে দুনিয়া বা আখিরাতে কারো ডাকের যোগ্য নয়। আর আমাদের প্রত্যাবর্তন হবে আল্লাহর দিকে এবং নিশ্চয় সীমালংঘনকারীরা হবে আগুনের সাথী’।
‘এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, যার দিকে তোমরা আমাকে ডাকছ, সে দুনিয়া বা আখিরাতে কারো ডাকের যোগ্য নয়। আর আমাদের প্রত্যাবর্তন হবে আল্লাহর দিকে এবং নিশ্চয় সীমালংঘনকারীরা হবে আগুনের সাথী’।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন সন্দেহ নেই তোমরা আমাকে ডাকছ শুধু তার দিকে যে আহবান পাওয়ার যোগ্য নয়- না দুনিয়াতে, না আখিরাতে। আমাদের প্রত্যাবর্তন তো হল আল্লাহর দিকে আর সীমালঙ্ঘনকারীরা হল জাহান্নামের বাসিন্দা।
কোন সন্দেহ নেই তোমরা আমাকে ডাকছ শুধু তার দিকে যে আহবান পাওয়ার যোগ্য নয়- না দুনিয়াতে, না আখিরাতে। আমাদের প্রত্যাবর্তন তো হল আল্লাহর দিকে আর সীমালঙ্ঘনকারীরা হল জাহান্নামের বাসিন্দা।
Sahih International:
Assuredly, that to which you invite me has no [response to a] supplication in this world or in the Hereafter; and indeed, our return is to Allah, and indeed, the transgressors will be companions of the Fire.
Assuredly, that to which you invite me has no [response to a] supplication in this world or in the Hereafter; and indeed, our return is to Allah, and indeed, the transgressors will be companions of the Fire.
فَسَتَذْکُرُوْنَ مَاۤ اَقُوْلُ لَکُمْ ؕ وَ اُفَوِّضُ اَمْرِیْۤ اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بَصِیْرٌۢ بِالْعِبَادِ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ফাছাতাযকুরূনা মাআকূলুলাকুম ওয়া উফাওবিদুআমরীইলাল্লা-হি ইন্নাল্লাহা বাসীরুম বিল‘ইবা-দ।
ফাছাতাযকুরূনা মাআকূলুলাকুম ওয়া উফাওবিদুআমরীইলাল্লা-হি ইন্নাল্লাহা বাসীরুম বিল‘ইবা-দ।
আল বায়ান:
‘আমি তোমাদেরকে যা বলছি, অচিরেই তোমরা তা স্মরণ করবে। আর আমার বিষয়টি আমি আল্লাহর নিকট সমর্পণ করছি; নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সর্বদ্রষ্টা।’
‘আমি তোমাদেরকে যা বলছি, অচিরেই তোমরা তা স্মরণ করবে। আর আমার বিষয়টি আমি আল্লাহর নিকট সমর্পণ করছি; নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সর্বদ্রষ্টা।’
তাইসিরুল কুরআন:
শীঘ্রই তোমরা স্মরণ করবে আমি তোমাদেরকে যা বলছি। আমি আমার নিজের ব্যাপারটা আল্লাহর উপর সোপর্দ করছি (আমার বাঁচা-মরার জন্য আমি মোটেও ভাবি না)। আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের উপর (সদাসর্বদা) দৃষ্টি রাখেন।
শীঘ্রই তোমরা স্মরণ করবে আমি তোমাদেরকে যা বলছি। আমি আমার নিজের ব্যাপারটা আল্লাহর উপর সোপর্দ করছি (আমার বাঁচা-মরার জন্য আমি মোটেও ভাবি না)। আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের উপর (সদাসর্বদা) দৃষ্টি রাখেন।
Sahih International:
And you will remember what I [now] say to you, and I entrust my affair to Allah. Indeed, Allah is Seeing of [His] servants."
And you will remember what I [now] say to you, and I entrust my affair to Allah. Indeed, Allah is Seeing of [His] servants."
فَوَقٰىهُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِ مَا مَکَرُوْا وَ حَاقَ بِاٰلِ فِرْعَوْنَ سُوْٓءُ الْعَذَابِ ﴿ۚ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়াকা-হুল্লা-হুছাইয়িআ-তি মা-মাকারূওয়া হা-কাবিআ-লি ফির‘আওনা ছূ উল ‘আযা-ব।
ফাওয়াকা-হুল্লা-হুছাইয়িআ-তি মা-মাকারূওয়া হা-কাবিআ-লি ফির‘আওনা ছূ উল ‘আযা-ব।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদের ষড়যন্ত্রের অশুভ পরিণাম থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করলেন আর ফির‘আউনের অনুসারীদেরকে ঘিরে ফেলল কঠিন আযাব।
অতঃপর তাদের ষড়যন্ত্রের অশুভ পরিণাম থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করলেন আর ফির‘আউনের অনুসারীদেরকে ঘিরে ফেলল কঠিন আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আল্লাহ তাকে তাদের ষড়যন্ত্রের খারাবী থেকে রক্ষা করলেন, আর কঠিন শাস্তি ফেরাউনের লোকজনকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলল।
অতঃপর আল্লাহ তাকে তাদের ষড়যন্ত্রের খারাবী থেকে রক্ষা করলেন, আর কঠিন শাস্তি ফেরাউনের লোকজনকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলল।
Sahih International:
So Allah protected him from the evils they plotted, and the people of Pharaoh were enveloped by the worst of punishment -
So Allah protected him from the evils they plotted, and the people of Pharaoh were enveloped by the worst of punishment -
اَلنَّارُ یُعْرَضُوْنَ عَلَیْهَا غُدُوًّا وَّ عَشِیًّا ۚ وَ یَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَۃُ ۟ اَدْخِلُوْۤا اٰلَ فِرْعَوْنَ اَشَدَّ الْعَذَابِ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
আন্না-রু ইউ‘রাদূ না ‘আলাইহা-গুদুওওয়াওঁ ওয়া ‘আশিইইয়াওঁ ওয়া ইয়াওমা তাকূমুছ ছা‘আতু আদখিলূআ-লা ফির‘আওনা আশাদ্দাল ‘আযা-ব।
আন্না-রু ইউ‘রাদূ না ‘আলাইহা-গুদুওওয়াওঁ ওয়া ‘আশিইইয়াওঁ ওয়া ইয়াওমা তাকূমুছ ছা‘আতু আদখিলূআ-লা ফির‘আওনা আশাদ্দাল ‘আযা-ব।
আল বায়ান:
আগুন, তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় তার সামনে উপস্থিত করা হয়, আর যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে (সেদিন ঘোষণা করা হবে), ‘ফির‘আউনের অনুসারীদেরকে কঠোরতম আযাবে প্রবেশ করাও।’
আগুন, তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় তার সামনে উপস্থিত করা হয়, আর যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে (সেদিন ঘোষণা করা হবে), ‘ফির‘আউনের অনুসারীদেরকে কঠোরতম আযাবে প্রবেশ করাও।’
তাইসিরুল কুরআন:
(ক্ববরে) তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় জাহান্নামের সামনে উপস্থিত করা হয় আর যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন (বলা হবে) ফেরাউনের জাতি গোষ্ঠীকে কঠিন ‘আযাবে প্রবিষ্ট কর।
(ক্ববরে) তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় জাহান্নামের সামনে উপস্থিত করা হয় আর যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন (বলা হবে) ফেরাউনের জাতি গোষ্ঠীকে কঠিন ‘আযাবে প্রবিষ্ট কর।
Sahih International:
The Fire, they are exposed to it morning and evening. And the Day the Hour appears [it will be said], "Make the people of Pharaoh enter the severest punishment."
The Fire, they are exposed to it morning and evening. And the Day the Hour appears [it will be said], "Make the people of Pharaoh enter the severest punishment."
وَ اِذْ یَتَحَآجُّوْنَ فِی النَّارِ فَیَقُوْلُ الضُّعَفٰٓؤُا لِلَّذِیْنَ اسْتَکْبَرُوْۤا اِنَّا کُنَّا لَکُمْ تَبَعًا فَهَلْ اَنْتُمْ مُّغْنُوْنَ عَنَّا نَصِیْبًا مِّنَ النَّارِ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযইয়াতাহাজ্জূনা ফিন্না-রি ফাইয়াকূলুদদু ‘আফাউ লিল্লাযীনাছতাকবারূইন্নাকুন্না-লাকুম তাবা‘আন ফাহাল আনতুম মুগনূনা ‘আন্না-নাসীবাম মিনান্না-র।
ওয়া ইযইয়াতাহাজ্জূনা ফিন্না-রি ফাইয়াকূলুদদু ‘আফাউ লিল্লাযীনাছতাকবারূইন্নাকুন্না-লাকুম তাবা‘আন ফাহাল আনতুম মুগনূনা ‘আন্না-নাসীবাম মিনান্না-র।
আল বায়ান:
আর জাহান্নামে তারা যখন বানানুবাদে লিপ্ত হবে তখন দুর্বলরা, যারা অহঙ্কার করেছিল, তাদেরকে বলবে, ‘আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম, অতএব তোমরা কি আমাদের থেকে আগুনের কিয়দংশ বহন করবে’?
আর জাহান্নামে তারা যখন বানানুবাদে লিপ্ত হবে তখন দুর্বলরা, যারা অহঙ্কার করেছিল, তাদেরকে বলবে, ‘আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম, অতএব তোমরা কি আমাদের থেকে আগুনের কিয়দংশ বহন করবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
জাহান্নামে তারা যখন বাক-বিতন্ডা করবে, তখন দুর্বলেরা দাপটওয়ালাদের বলবে- আমরা তো তোমাদেরই অনুসারী ছিলাম, কাজেই তোমরা কি (এখন) আমাদের আগুনের শাস্তির কিছুটা শেয়ার নেবে?
জাহান্নামে তারা যখন বাক-বিতন্ডা করবে, তখন দুর্বলেরা দাপটওয়ালাদের বলবে- আমরা তো তোমাদেরই অনুসারী ছিলাম, কাজেই তোমরা কি (এখন) আমাদের আগুনের শাস্তির কিছুটা শেয়ার নেবে?
Sahih International:
And [mention] when they will argue within the Fire, and the weak will say to those who had been arrogant, "Indeed, we were [only] your followers, so will you relieve us of a share of the Fire?"
And [mention] when they will argue within the Fire, and the weak will say to those who had been arrogant, "Indeed, we were [only] your followers, so will you relieve us of a share of the Fire?"
قَالَ الَّذِیْنَ اسْتَکْبَرُوْۤا اِنَّا کُلٌّ فِیْهَاۤ ۙ اِنَّ اللّٰهَ قَدْ حَکَمَ بَیْنَ الْعِبَادِ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লাল্লাযী নাছতাকরারূইন্না-কুল্লুন ফীহা ইন্নাল্লা-হা কাদ হাকামা বাইনাল ‘ইবা-দ।
কা-লাল্লাযী নাছতাকরারূইন্না-কুল্লুন ফীহা ইন্নাল্লা-হা কাদ হাকামা বাইনাল ‘ইবা-দ।
আল বায়ান:
অহঙ্কারীরা বলবে, ‘আমরা সবাই এতে আছি; নিশ্চয় আল্লাহ বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে ফেলেছেন।’
অহঙ্কারীরা বলবে, ‘আমরা সবাই এতে আছি; নিশ্চয় আল্লাহ বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে ফেলেছেন।’
তাইসিরুল কুরআন:
দাপটওয়ালারা বলবে- আগুনে আমরা সবাই তো আছি, আল্লাহ বান্দাহদের বিচার তো করেই ফেলেছেন।
দাপটওয়ালারা বলবে- আগুনে আমরা সবাই তো আছি, আল্লাহ বান্দাহদের বিচার তো করেই ফেলেছেন।
Sahih International:
Those who had been arrogant will say, "Indeed, all [of us] are in it. Indeed, Allah has judged between the servants."
Those who had been arrogant will say, "Indeed, all [of us] are in it. Indeed, Allah has judged between the servants."
وَ قَالَ الَّذِیْنَ فِی النَّارِ لِخَزَنَۃِ جَهَنَّمَ ادْعُوْا رَبَّکُمْ یُخَفِّفْ عَنَّا یَوْمًا مِّنَ الْعَذَابِ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা ফিন্না-রি লিখাযানাতি জাহান্নামাদ‘ঊ রাব্বাকুম ইউখাফফিফ ‘আন্নাইয়াওমাম মিনাল ‘আযা-ব।
ওয়া কা-লাল্লাযীনা ফিন্না-রি লিখাযানাতি জাহান্নামাদ‘ঊ রাব্বাকুম ইউখাফফিফ ‘আন্নাইয়াওমাম মিনাল ‘আযা-ব।
আল বায়ান:
আর যারা আগুনে থাকবে তারা আগুনের দারোয়ানদেরকে বলবে, ‘তোমাদের রবকে একটু ডাকো না! তিনি যেন একটি দিন আমাদের আযাব লাঘব করে দেন।’
আর যারা আগুনে থাকবে তারা আগুনের দারোয়ানদেরকে বলবে, ‘তোমাদের রবকে একটু ডাকো না! তিনি যেন একটি দিন আমাদের আযাব লাঘব করে দেন।’
তাইসিরুল কুরআন:
আগুনের বাসিন্দারা জাহান্নামের রক্ষীদের বলবে- তোমাদের প্রতিপালকের নিকট দু‘আ কর, তিনি যেন আমাদের থেকে একদিনের শাস্তি কমিয়ে দেন।
আগুনের বাসিন্দারা জাহান্নামের রক্ষীদের বলবে- তোমাদের প্রতিপালকের নিকট দু‘আ কর, তিনি যেন আমাদের থেকে একদিনের শাস্তি কমিয়ে দেন।
Sahih International:
And those in the Fire will say to the keepers of Hell, "Supplicate your Lord to lighten for us a day from the punishment."
And those in the Fire will say to the keepers of Hell, "Supplicate your Lord to lighten for us a day from the punishment."
قَالُوْۤا اَوَ لَمْ تَکُ تَاْتِیْکُمْ رُسُلُکُمْ بِالْبَیِّنٰتِ ؕ قَالُوْا بَلٰی ؕ قَالُوْا فَادْعُوْا ۚ وَ مَا دُعٰٓؤُا الْکٰفِرِیْنَ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূআওয়ালাম তাকুতা’তীকুম রুছুলুকুম বিলবাইয়িনা-তি কা-লূবালা- কালূফাদ‘ঊ ওয়ামা-দু‘আউল কা-ফিরীনা ইল্লা-ফী দালা-ল।
কা-লূআওয়ালাম তাকুতা’তীকুম রুছুলুকুম বিলবাইয়িনা-তি কা-লূবালা- কালূফাদ‘ঊ ওয়ামা-দু‘আউল কা-ফিরীনা ইল্লা-ফী দালা-ল।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রাসূলগণ আসেনি’? জাহান্নামীরা বলবে, ‘হ্যাঁ অবশ্যই’। দারোয়ানরা বলবে, ‘তবে তোমরাই দো‘আ কর। আর কাফিরদের দো‘আ কেবল নিষ্ফলই হয়’।
তারা বলবে, ‘তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রাসূলগণ আসেনি’? জাহান্নামীরা বলবে, ‘হ্যাঁ অবশ্যই’। দারোয়ানরা বলবে, ‘তবে তোমরাই দো‘আ কর। আর কাফিরদের দো‘আ কেবল নিষ্ফলই হয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
রক্ষীগণ বলবে- রসূলগণ কি স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তোমাদের কাছে আসেনি? তারা (উত্তরে) বলবে, হাঁ (এসেছিল)। জাহান্নামের রক্ষীরা বলবে- তাহলে তোমরাই দু‘আ কর, কাফিরদের দু‘আ নিষ্ফলই হয়।
রক্ষীগণ বলবে- রসূলগণ কি স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তোমাদের কাছে আসেনি? তারা (উত্তরে) বলবে, হাঁ (এসেছিল)। জাহান্নামের রক্ষীরা বলবে- তাহলে তোমরাই দু‘আ কর, কাফিরদের দু‘আ নিষ্ফলই হয়।
Sahih International:
They will say, "Did there not come to you your messengers with clear proofs?" They will say, "Yes." They will reply, "Then supplicate [yourselves], but the supplication of the disbelievers is not except in error."
They will say, "Did there not come to you your messengers with clear proofs?" They will say, "Yes." They will reply, "Then supplicate [yourselves], but the supplication of the disbelievers is not except in error."
اِنَّا لَنَنْصُرُ رُسُلَنَا وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا وَ یَوْمَ یَقُوْمُ الْاَشْهَادُ ﴿ۙ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্না- লানানসুরু রুছুলানা- ওয়াল্লাযীনা আ-মানূফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া-ওয়া ইয়াওমা ইয়াকূ মুল আশহা-দ ।
ইন্না- লানানসুরু রুছুলানা- ওয়াল্লাযীনা আ-মানূফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া-ওয়া ইয়াওমা ইয়াকূ মুল আশহা-দ ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে ও মুমিনদেরকে দুনিয়ার জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীগণ দন্ডায়মান হবে সেদিন সাহায্য করব।
নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে ও মুমিনদেরকে দুনিয়ার জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীগণ দন্ডায়মান হবে সেদিন সাহায্য করব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আমার রসূলদেরকে আর মু’মিনদেরকে অবশ্যই সাহায্য করব দুনিয়ার জীবনে আর (ক্বিয়ামতে) যে দিন সাক্ষীরা দাঁড়াবে।
আমি আমার রসূলদেরকে আর মু’মিনদেরকে অবশ্যই সাহায্য করব দুনিয়ার জীবনে আর (ক্বিয়ামতে) যে দিন সাক্ষীরা দাঁড়াবে।
Sahih International:
Indeed, We will support Our messengers and those who believe during the life of this world and on the Day when the witnesses will stand -
Indeed, We will support Our messengers and those who believe during the life of this world and on the Day when the witnesses will stand -
یَوْمَ لَا یَنْفَعُ الظّٰلِمِیْنَ مَعْذِرَتُهُمْ وَ لَهُمُ اللَّعْنَۃُ وَ لَهُمْ سُوْٓءُ الدَّارِ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা লা-ইয়ানফা‘উজ্জা-লিমীনা মা‘যিরাতুহুম ওয়ালাহুমুল লা‘নাতুওয়ালাহুম ছূ উদ্দা র।
ইয়াওমা লা-ইয়ানফা‘উজ্জা-লিমীনা মা‘যিরাতুহুম ওয়ালাহুমুল লা‘নাতুওয়ালাহুম ছূ উদ্দা র।
আল বায়ান:
যেদিন যালিমদের কোন ওযর-আপত্তি তাদের উপকার করবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে লা‘নত এবং তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট নিবাস।
যেদিন যালিমদের কোন ওযর-আপত্তি তাদের উপকার করবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে লা‘নত এবং তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট নিবাস।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন যালিমদের ওজর-আপত্তি কোন উপকারে আসবে না। তাদের জন্য আছে লা‘নত, তাদের জন্য আছে নিকৃষ্ট বাসস্থান।
যেদিন যালিমদের ওজর-আপত্তি কোন উপকারে আসবে না। তাদের জন্য আছে লা‘নত, তাদের জন্য আছে নিকৃষ্ট বাসস্থান।
Sahih International:
The Day their excuse will not benefit the wrongdoers, and they will have the curse, and they will have the worst home.
The Day their excuse will not benefit the wrongdoers, and they will have the curse, and they will have the worst home.
وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْهُدٰی وَ اَوْرَثْنَا بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ الْکِتٰبَ ﴿ۙ۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছাল হুদা-ওয়া আওরাছনা-বানীইছরাঈলাল কিতা-ব।
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছাল হুদা-ওয়া আওরাছনা-বানীইছরাঈলাল কিতা-ব।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মূসাকে হিদায়াত দান করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলকে কিতাবের উত্তরাধিকারী করেছিলাম,
আর অবশ্যই আমি মূসাকে হিদায়াত দান করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলকে কিতাবের উত্তরাধিকারী করেছিলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
ইতোপূর্বে আমি মূসাকে দিয়েছিলাম- পথ নির্দেশ আর বানী ইসরাঈলকে করেছিলাম (মূসার নিকট প্রদত্ত) কিতাবের উত্তরাধিকারী।
ইতোপূর্বে আমি মূসাকে দিয়েছিলাম- পথ নির্দেশ আর বানী ইসরাঈলকে করেছিলাম (মূসার নিকট প্রদত্ত) কিতাবের উত্তরাধিকারী।
Sahih International:
And We had certainly given Moses guidance, and We caused the Children of Israel to inherit the Scripture
And We had certainly given Moses guidance, and We caused the Children of Israel to inherit the Scripture
هُدًی وَّ ذِکْرٰی لِاُولِی الْاَلْبَابِ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
হুদাওঁ ওয়া যিকরা-লিউলিল আলবা-ব।
হুদাওঁ ওয়া যিকরা-লিউলিল আলবা-ব।
আল বায়ান:
যা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্নদের জন্য হিদায়াত ও উপদেশ।
যা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্নদের জন্য হিদায়াত ও উপদেশ।
তাইসিরুল কুরআন:
(সে কিতাব ছিল) জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য সঠিক পথের দিশারী ও উপদেশ।
(সে কিতাব ছিল) জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য সঠিক পথের দিশারী ও উপদেশ।
Sahih International:
As guidance and a reminder for those of understanding.
As guidance and a reminder for those of understanding.
فَاصْبِرْ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ اسْتَغْفِرْ لِذَنْۢبِکَ وَ سَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّکَ بِالْعَشِیِّ وَ الْاِبْکَارِ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ফাসবির ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়াছতাগফির লিযামবিকা ওয়া ছাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা বিল‘আশিইয়ি ওয়াল ইবকা-র।
ফাসবির ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়াছতাগফির লিযামবিকা ওয়া ছাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা বিল‘আশিইয়ি ওয়াল ইবকা-র।
আল বায়ান:
কাজেই তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আর তুমি তোমার ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং সকাল- সন্ধ্যায় তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ কর।
কাজেই তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আর তুমি তোমার ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং সকাল- সন্ধ্যায় তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি ধৈর্য ধারণ কর, (তুমি দেখতে পাবে) আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য। তুমি তোমার ভুল-ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর আর সকাল-সন্ধ্যা তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা কর।
কাজেই তুমি ধৈর্য ধারণ কর, (তুমি দেখতে পাবে) আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য। তুমি তোমার ভুল-ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর আর সকাল-সন্ধ্যা তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা কর।
Sahih International:
So be patient, [O Muhammad]. Indeed, the promise of Allah is truth. And ask forgiveness for your sin and exalt [Allah] with praise of your Lord in the evening and the morning.
So be patient, [O Muhammad]. Indeed, the promise of Allah is truth. And ask forgiveness for your sin and exalt [Allah] with praise of your Lord in the evening and the morning.
اِنَّ الَّذِیْنَ یُجَادِلُوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ بِغَیْرِ سُلْطٰنٍ اَتٰهُمْ ۙ اِنْ فِیْ صُدُوْرِهِمْ اِلَّا کِبْرٌ مَّا هُمْ بِبَالِغِیْهِ ۚ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْبَصِیْرُ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি বিগাইরি ছুলতা-নিন আতা-হুম ইন ফী সূদূ রিহিম ইল্লা-কিবরুম মা-হুম ব্বিা-লিগীহি ফাছতা‘ইযবিল্লা-হি ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।
ইন্নাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি বিগাইরি ছুলতা-নিন আতা-হুম ইন ফী সূদূ রিহিম ইল্লা-কিবরুম মা-হুম ব্বিা-লিগীহি ফাছতা‘ইযবিল্লা-হি ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা তাদের নিকট আসা কোন দলীল- প্রমাণ ছাড়াই আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাদের অন্তরসমূহে আছে কেবল অহঙ্কার, তারা কিছুতেই সেখানে (সাফল্যের মনযিলে) পৌঁছবে না। কাজেই তুমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
নিশ্চয় যারা তাদের নিকট আসা কোন দলীল- প্রমাণ ছাড়াই আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাদের অন্তরসমূহে আছে কেবল অহঙ্কার, তারা কিছুতেই সেখানে (সাফল্যের মনযিলে) পৌঁছবে না। কাজেই তুমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ না পেয়েই যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে তর্ক করে, তাদের বুকের ভিতর আছে কেবল অহংকার, কিন্তু তারা তা (অর্থাৎ প্রকৃত বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব আল্লাহর দয়া ছাড়া) কক্ষনো অর্জন করতে পারে না। কাজেই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, (কারণ) তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন।
কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ না পেয়েই যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে তর্ক করে, তাদের বুকের ভিতর আছে কেবল অহংকার, কিন্তু তারা তা (অর্থাৎ প্রকৃত বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব আল্লাহর দয়া ছাড়া) কক্ষনো অর্জন করতে পারে না। কাজেই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, (কারণ) তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন।
Sahih International:
Indeed, those who dispute concerning the signs of Allah without [any] authority having come to them - there is not within their breasts except pride, [the extent of] which they cannot reach. So seek refuge in Allah. Indeed, it is He who is the Hearing, the Seeing.
Indeed, those who dispute concerning the signs of Allah without [any] authority having come to them - there is not within their breasts except pride, [the extent of] which they cannot reach. So seek refuge in Allah. Indeed, it is He who is the Hearing, the Seeing.
لَخَلْقُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ اَکْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
লাখালকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি আকবারু মিন খালকিন্না-ছি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
লাখালকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি আকবারু মিন খালকিন্না-ছি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
অবশ্যই আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করা মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে বড় বিষয়; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।
অবশ্যই আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করা মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে বড় বিষয়; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই আসমান ও যমীনের সৃষ্টি মানুষ সৃষ্টির চেয়ে বড় (ব্যাপার)। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ (অজ্ঞতা ও চিন্তা না করার কারণে) তা জানে না।
অবশ্যই আসমান ও যমীনের সৃষ্টি মানুষ সৃষ্টির চেয়ে বড় (ব্যাপার)। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ (অজ্ঞতা ও চিন্তা না করার কারণে) তা জানে না।
Sahih International:
The creation of the heavens and earth is greater than the creation of mankind, but most of the people do not know.
The creation of the heavens and earth is greater than the creation of mankind, but most of the people do not know.
وَ مَا یَسْتَوِی الْاَعْمٰی وَ الْبَصِیْرُ ۬ۙ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ لَا الْمُسِیْٓءُ ؕ قَلِیْلًا مَّا تَتَذَکَّرُوْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়াছতাবিল আ‘মা-ওয়াল বাসীরু ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসালিহা-তি ওয়ালাল মুছীউ কালীলাম মা-তাতাযাক্কারূন।
ওয়ামা-ইয়াছতাবিল আ‘মা-ওয়াল বাসীরু ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসালিহা-তি ওয়ালাল মুছীউ কালীলাম মা-তাতাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর সমান হয় না অন্ধ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি এবং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আর যারা অপরাধী। তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।
আর সমান হয় না অন্ধ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি এবং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আর যারা অপরাধী। তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
অন্ধ আর চক্ষুষ্মান সমান নয়, (সমান নয়) যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আর যারা অন্যায়কারী। উপদেশ থেকে শিক্ষা তোমরা সামান্যই গ্রহণ কর।
অন্ধ আর চক্ষুষ্মান সমান নয়, (সমান নয়) যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আর যারা অন্যায়কারী। উপদেশ থেকে শিক্ষা তোমরা সামান্যই গ্রহণ কর।
Sahih International:
And not equal are the blind and the seeing, nor are those who believe and do righteous deeds and the evildoer. Little do you remember.
And not equal are the blind and the seeing, nor are those who believe and do righteous deeds and the evildoer. Little do you remember.
اِنَّ السَّاعَۃَ لَاٰتِیَۃٌ لَّا رَیْبَ فِیْهَا وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাছ ছা-‘আতা লা- আ-তিয়াতুল লা-রাইবা ফীহা-,ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লাইউ’মিনূন।
ইন্নাছ ছা-‘আতা লা- আ-তিয়াতুল লা-রাইবা ফীহা-,ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লাইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় কিয়ামত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ লোক ঈমান আনে না।
নিশ্চয় কিয়ামত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ লোক ঈমান আনে না।
তাইসিরুল কুরআন:
ক্বিয়ামত অবশ্যই আসবে, এতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু অধিকাংশ লোক (তা) বিশ্বাস করে না।
ক্বিয়ামত অবশ্যই আসবে, এতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু অধিকাংশ লোক (তা) বিশ্বাস করে না।
Sahih International:
Indeed, the Hour is coming - no doubt about it - but most of the people do not believe.
Indeed, the Hour is coming - no doubt about it - but most of the people do not believe.
وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادْعُوْنِیْۤ اَسْتَجِبْ لَکُمْ ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ یَسْتَکْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِیْ سَیَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা রাব্বুকুমুদ ‘ঊনীআছতাজিব লাকুম ইন্নাল্লাযীনা ইয়াছতাকবিরূনা ‘আন ‘ইবা-দাতী ছাইয়াদখুলূনা জাহান্নামা দা-খিরীন।
ওয়া কা-লা রাব্বুকুমুদ ‘ঊনীআছতাজিব লাকুম ইন্নাল্লাযীনা ইয়াছতাকবিরূনা ‘আন ‘ইবা-দাতী ছাইয়াদখুলূনা জাহান্নামা দা-খিরীন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের রব বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। নিশ্চয় যারা অহঙ্কার বশতঃ আমার ইবাদাত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’
আর তোমাদের রব বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। নিশ্চয় যারা অহঙ্কার বশতঃ আমার ইবাদাত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক বলেন- তোমরা আমাকে ডাকো, আমি (তোমাদের ডাকে) সাড়া দেব। যারা অহংকারবশতঃ আমার ‘ইবাদাত করে না, নিশ্চিতই তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
তোমার প্রতিপালক বলেন- তোমরা আমাকে ডাকো, আমি (তোমাদের ডাকে) সাড়া দেব। যারা অহংকারবশতঃ আমার ‘ইবাদাত করে না, নিশ্চিতই তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
Sahih International:
And your Lord says, "Call upon Me; I will respond to you." Indeed, those who disdain My worship will enter Hell [rendered] contemptible.
And your Lord says, "Call upon Me; I will respond to you." Indeed, those who disdain My worship will enter Hell [rendered] contemptible.
اَللّٰهُ الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الَّیْلَ لِتَسْکُنُوْا فِیْهِ وَ النَّهَارَ مُبْصِرًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَذُوْ فَضْلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَشْکُرُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল্লাইলা লিতাছকুনূফীহি ওয়ান্নাহা-রা মুবসিরান- ইন্নাল্লা-হা লাযূফাদলিন ‘আলান্না-ছি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়াশকুরূন।
আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল্লাইলা লিতাছকুনূফীহি ওয়ান্নাহা-রা মুবসিরান- ইন্নাল্লা-হা লাযূফাদলিন ‘আলান্না-ছি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়াশকুরূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য রাত্রি বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ করতে পার, আর দিনকে করেছেন আলোকময়। আল্লাহ মানুষদের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই (আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের পরও) কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।
আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য রাত্রি বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ করতে পার, আর দিনকে করেছেন আলোকময়। আল্লাহ মানুষদের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই (আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের পরও) কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।
Sahih International:
It is Allah who made for you the night that you may rest therein and the day giving sight. Indeed, Allah is full of bounty to the people, but most of the people are not grateful.
It is Allah who made for you the night that you may rest therein and the day giving sight. Indeed, Allah is full of bounty to the people, but most of the people are not grateful.
ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمْ خَالِقُ کُلِّ شَیْءٍ ۘ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۫ۚ فَاَنّٰی تُؤْفَکُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকুমুল্লা-হু রাব্বুকুম খা-লিকুকুল্লি শাইয় । লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাআন্নাতু’ফাকূন।
যা-লিকুমুল্লা-হু রাব্বুকুম খা-লিকুকুল্লি শাইয় । লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাআন্নাতু’ফাকূন।
আল বায়ান:
তিনি আল্লাহ, তোমাদের রব; সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তোমাদেরকে কোথায় ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?
তিনি আল্লাহ, তোমাদের রব; সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তোমাদেরকে কোথায় ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?
তাইসিরুল কুরআন:
এ হলেন আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক, সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই; এমতাবস্থায় তোমাদেরকে সত্য থেকে কীভাবে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে?
এ হলেন আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক, সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই; এমতাবস্থায় তোমাদেরকে সত্য থেকে কীভাবে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে?
Sahih International:
That is Allah, your Lord, Creator of all things; there is no deity except Him, so how are you deluded?
That is Allah, your Lord, Creator of all things; there is no deity except Him, so how are you deluded?
کَذٰلِکَ یُؤْفَکُ الَّذِیْنَ کَانُوْا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ یَجْحَدُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা ইউ’ফাকুল্লাযীনা কা-নূবিআ-য়া-তিল্লা-হি ইয়াজহাদূন।
কাযা-লিকা ইউ’ফাকুল্লাযীনা কা-নূবিআ-য়া-তিল্লা-হি ইয়াজহাদূন।
আল বায়ান:
যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে, তাদেরকে এভাবেই ফিরিয়ে নেয়া হয়।
যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে, তাদেরকে এভাবেই ফিরিয়ে নেয়া হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
বিভ্রান্ত এভাবেই করা হয় তাদেরকে যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করে।
বিভ্রান্ত এভাবেই করা হয় তাদেরকে যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করে।
Sahih International:
Thus were those [before you] deluded who were rejecting the signs of Allah.
Thus were those [before you] deluded who were rejecting the signs of Allah.
اَللّٰهُ الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً وَّ صَوَّرَکُمْ فَاَحْسَنَ صُوَرَکُمْ وَ رَزَقَکُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمْ ۚۖ فَتَبٰرَکَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা কারা-রাওঁ ওয়াছ ছামাআ বিনাআওঁ ওয়া সাওওয়ারাকুম ফাআহছানা ছুওয়ারাকুম ওয়া রাযাকাকুম মিনাত্তাইয়িবা-তি যালিকুমুল্লা-হু রাব্বাকুম ফাতাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন।
আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা কারা-রাওঁ ওয়াছ ছামাআ বিনাআওঁ ওয়া সাওওয়ারাকুম ফাআহছানা ছুওয়ারাকুম ওয়া রাযাকাকুম মিনাত্তাইয়িবা-তি যালিকুমুল্লা-হু রাব্বাকুম ফাতাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে স্থিতিশীল করেছেন এবং আসমানকে করেছেন ছাদ। আর তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে সুন্দর করেছেন এবং তিনি পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদেরকে রিয্ক দান করেছেন। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কত বরকতময়;
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে স্থিতিশীল করেছেন এবং আসমানকে করেছেন ছাদ। আর তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে সুন্দর করেছেন এবং তিনি পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদেরকে রিয্ক দান করেছেন। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কত বরকতময়;
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন মেঝে, আর আকাশকে করেছেন ছাদ। তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে সুন্দর করেছেন। তিনি পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদেরকে রিযক দান করেন। এ হলেন আল্লাহ তোমাদের প্রতিপালক। কাজেই মহিমা গৌরব আল্লাহর যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক।
আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন মেঝে, আর আকাশকে করেছেন ছাদ। তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে সুন্দর করেছেন। তিনি পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদেরকে রিযক দান করেন। এ হলেন আল্লাহ তোমাদের প্রতিপালক। কাজেই মহিমা গৌরব আল্লাহর যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক।
Sahih International:
It is Allah who made for you the earth a place of settlement and the sky a ceiling and formed you and perfected your forms and provided you with good things. That is Allah, your Lord; then blessed is Allah, Lord of the worlds.
It is Allah who made for you the earth a place of settlement and the sky a ceiling and formed you and perfected your forms and provided you with good things. That is Allah, your Lord; then blessed is Allah, Lord of the worlds.
هُوَ الْحَیُّ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَادْعُوْهُ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَ ؕ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল হাইয়ুলাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাদ‘ঊহু মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা আলহামদু লিল্লা হি রাব্বিল ‘আ-লামীন।
হুওয়াল হাইয়ুলাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাদ‘ঊহু মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা আলহামদু লিল্লা হি রাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা দীনকে তাঁর জন্য একনিষ্ঠ করে তাঁকে ডাক। সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি সৃষ্টিকুলের রব।
তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা দীনকে তাঁর জন্য একনিষ্ঠ করে তাঁকে ডাক। সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি সৃষ্টিকুলের রব।
তাইসিরুল কুরআন:
চিরঞ্জীব তিনি, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। কাজেই তাঁকে ডাক আনুগত্যকে একমাত্র তাঁরই জন্য বিশুদ্ধ করে। যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য।
চিরঞ্জীব তিনি, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। কাজেই তাঁকে ডাক আনুগত্যকে একমাত্র তাঁরই জন্য বিশুদ্ধ করে। যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য।
Sahih International:
He is the Ever-Living; there is no deity except Him, so call upon Him, [being] sincere to Him in religion. [All] praise is [due] to Allah, Lord of the worlds.
He is the Ever-Living; there is no deity except Him, so call upon Him, [being] sincere to Him in religion. [All] praise is [due] to Allah, Lord of the worlds.
قُلْ اِنِّیْ نُهِیْتُ اَنْ اَعْبُدَ الَّذِیْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَمَّا جَآءَنِیَ الْبَیِّنٰتُ مِنْ رَّبِّیْ ۫ وَ اُمِرْتُ اَنْ اُسْلِمَ لِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নী নুহীতুআন আ‘বুদাল্লাযীনা তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি লাম্মা-জাআনিয়াল বাইয়িনা-তুমিররাববী ওয়া উমিরতুআন উছলিমা লিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
কুল ইন্নী নুহীতুআন আ‘বুদাল্লাযীনা তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি লাম্মা-জাআনিয়াল বাইয়িনা-তুমিররাববী ওয়া উমিরতুআন উছলিমা লিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
বল, ‘যেহেতু আমার রবের পক্ষ থেকে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণাদি এসেছে, তাই তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে আহবান কর, নিশ্চয় তাদের ইবাদাত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আর সৃষ্টিকুলের রবের নিকট আত্মসমর্পণ করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি’।
বল, ‘যেহেতু আমার রবের পক্ষ থেকে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণাদি এসেছে, তাই তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে আহবান কর, নিশ্চয় তাদের ইবাদাত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আর সৃষ্টিকুলের রবের নিকট আত্মসমর্পণ করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমার প্রতিপালকের কাছ থেকে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে, এমতাবস্থায় আমাকে তাদের ‘ইবাদাত করতে নিষেধ করা হয়েছে আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তোমরা আহবান কর। আর আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করার জন্য।
বল, আমার প্রতিপালকের কাছ থেকে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে, এমতাবস্থায় আমাকে তাদের ‘ইবাদাত করতে নিষেধ করা হয়েছে আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তোমরা আহবান কর। আর আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করার জন্য।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Indeed, I have been forbidden to worship those you call upon besides Allah once the clear proofs have come to me from my Lord, and I have been commanded to submit to the Lord of the worlds."
Say, [O Muhammad], "Indeed, I have been forbidden to worship those you call upon besides Allah once the clear proofs have come to me from my Lord, and I have been commanded to submit to the Lord of the worlds."
هُوَ الَّذِیْ خَلَقَکُمْ مِّنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُّطْفَۃٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَۃٍ ثُمَّ یُخْرِجُکُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوْۤا اَشُدَّکُمْ ثُمَّ لِتَکُوْنُوْا شُیُوْخًا ۚ وَ مِنْکُمْ مَّنْ یُّتَوَفّٰی مِنْ قَبْلُ وَ لِتَبْلُغُوْۤا اَجَلًا مُّسَمًّی وَّ لَعَلَّکُمْ تَعْقِلُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযীখালাকাকুম মিন তুরা-বিন ছুম্মা মিন নুতফাতিন ছুম্মা মিন‘আলাকাতিন ছুম্মা ইউখরিজুকুম তিফলান ছুম্মা লিতাবলুগূআশুদ্দাকুম ছু ম্মা লিতাকূনূশুয়ূখাও ওয়া মিনকুম মাইঁ ইউতাওয়াফফা-মিন কাবলুওয়া লিতাবলুগূআজালাম মুছাম্মাওঁ ওয়া লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
হুওয়াল্লাযীখালাকাকুম মিন তুরা-বিন ছুম্মা মিন নুতফাতিন ছুম্মা মিন‘আলাকাতিন ছুম্মা ইউখরিজুকুম তিফলান ছুম্মা লিতাবলুগূআশুদ্দাকুম ছু ম্মা লিতাকূনূশুয়ূখাও ওয়া মিনকুম মাইঁ ইউতাওয়াফফা-মিন কাবলুওয়া লিতাবলুগূআজালাম মুছাম্মাওঁ ওয়া লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
তিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর শুক্রবিন্দু থেকে, তারপর ‘আলাকা’* থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করে আনেন। তারপর যেন তোমরা তোমাদের যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর যেন তোমরা বৃদ্ধ হয়ে যাও। আর তোমাদের কেউ কেউ এর পূর্বেই মারা যায়। আর যাতে তোমরা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যাও। আর যাতে তোমরা অনুধাবন কর।
তিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর শুক্রবিন্দু থেকে, তারপর ‘আলাকা’* থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করে আনেন। তারপর যেন তোমরা তোমাদের যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর যেন তোমরা বৃদ্ধ হয়ে যাও। আর তোমাদের কেউ কেউ এর পূর্বেই মারা যায়। আর যাতে তোমরা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যাও। আর যাতে তোমরা অনুধাবন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর শুক্রবিন্দু থেকে, অতঃপর জমাট বাঁধা রক্ত থেকে, অতঃপর তোমাদেরকে বের করে এনেছেন শিশুরূপে, অতঃপর তিনি তোমাদের বৃদ্ধি দান করেন যাতে তোমরা তোমাদের পূর্ণ শক্তির বয়সে পৌঁছতে পার, অতঃপর আরো বৃদ্ধি দেন যাতে তোমরা বৃদ্ধ হও। তোমাদের মধ্যে কারো কারো আগেই মৃত্যু ঘটান যাতে তোমরা তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যাও আর যাতে তোমরা (আল্লাহর সৃষ্টি কুশলতা) অনুধাবন কর।
তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর শুক্রবিন্দু থেকে, অতঃপর জমাট বাঁধা রক্ত থেকে, অতঃপর তোমাদেরকে বের করে এনেছেন শিশুরূপে, অতঃপর তিনি তোমাদের বৃদ্ধি দান করেন যাতে তোমরা তোমাদের পূর্ণ শক্তির বয়সে পৌঁছতে পার, অতঃপর আরো বৃদ্ধি দেন যাতে তোমরা বৃদ্ধ হও। তোমাদের মধ্যে কারো কারো আগেই মৃত্যু ঘটান যাতে তোমরা তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যাও আর যাতে তোমরা (আল্লাহর সৃষ্টি কুশলতা) অনুধাবন কর।
Sahih International:
It is He who created you from dust, then from a sperm-drop, then from a clinging clot; then He brings you out as a child; then [He develops you] that you reach your [time of] maturity, then [further] that you become elders. And among you is he who is taken in death before [that], so that you reach a specified term; and perhaps you will use reason.
It is He who created you from dust, then from a sperm-drop, then from a clinging clot; then He brings you out as a child; then [He develops you] that you reach your [time of] maturity, then [further] that you become elders. And among you is he who is taken in death before [that], so that you reach a specified term; and perhaps you will use reason.
هُوَ الَّذِیْ یُحْیٖ وَ یُمِیْتُ ۚ فَاِذَا قَضٰۤی اَمْرًا فَاِنَّمَا یَقُوْلُ لَهٗ کُنْ فَیَکُوْنُ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযী ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ফাইযা-কাদাআমরান ফাইন্নামা-ইয়াকূলুলাহূ কুন ফাইয়াকূন।
হুওয়াল্লাযী ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ফাইযা-কাদাআমরান ফাইন্নামা-ইয়াকূলুলাহূ কুন ফাইয়াকূন।
আল বায়ান:
তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। আর তিনি যখন কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি এজন্য বলেন ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়।
তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। আর তিনি যখন কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি এজন্য বলেন ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান। যখন কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত করেন, তার জন্য তিনি বলেন- হও, তখন তা হয়ে যায়।
তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান। যখন কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত করেন, তার জন্য তিনি বলেন- হও, তখন তা হয়ে যায়।
Sahih International:
He it is who gives life and causes death; and when He decrees a matter, He but says to it, "Be," and it is.
He it is who gives life and causes death; and when He decrees a matter, He but says to it, "Be," and it is.
اَلَمْ تَرَ اِلَی الَّذِیْنَ یُجَادِلُوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ ؕ اَنّٰی یُصْرَفُوْنَ ﴿ۖۛۚ۶۹﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা ইলাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি আন্না ইউসরাফূন।
আলাম তারা ইলাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি আন্না ইউসরাফূন।
আল বায়ান:
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করে? তাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করে? তাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য কর না যারা আল্লাহর নির্দশনগুলো সম্পর্কে বাক-বিতন্ডা করে? (সত্য থেকে) তাদেরকে কীভাবে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য কর না যারা আল্লাহর নির্দশনগুলো সম্পর্কে বাক-বিতন্ডা করে? (সত্য থেকে) তাদেরকে কীভাবে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?
Sahih International:
Do you not consider those who dispute concerning the signs of Allah - how are they averted?
Do you not consider those who dispute concerning the signs of Allah - how are they averted?
الَّذِیْنَ کَذَّبُوْا بِالْکِتٰبِ وَ بِمَاۤ اَرْسَلْنَا بِهٖ رُسُلَنَا ۟ۛ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ ﴿ۙ۷۰﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা কাযযাবূবিলকিতা-বি ওয়া বিমা আরছালনা- বিহী রুছুলানা- ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
আল্লাযীনা কাযযাবূবিলকিতা-বি ওয়া বিমা আরছালনা- বিহী রুছুলানা- ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
যারা কিতাব এবং আমার রাসূলগণকে যা দিয়ে আমি প্রেরণ করেছি তা অস্বীকার করে, অতএব তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
যারা কিতাব এবং আমার রাসূলগণকে যা দিয়ে আমি প্রেরণ করেছি তা অস্বীকার করে, অতএব তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কিতাবকে আর আমি আমার রসূলদেরকে যা দিয়ে পাঠিয়েছি তাকে অস্বীকার করে, তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
যারা কিতাবকে আর আমি আমার রসূলদেরকে যা দিয়ে পাঠিয়েছি তাকে অস্বীকার করে, তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
Sahih International:
Those who deny the Book and that with which We sent Our messengers - they are going to know,
Those who deny the Book and that with which We sent Our messengers - they are going to know,
اِذِ الْاَغْلٰلُ فِیْۤ اَعْنَاقِهِمْ وَ السَّلٰسِلُ ؕ یُسْحَبُوْنَ ﴿ۙ۷۱﴾
উচ্চারণ:
ইযিল আগলা-লুফীআ‘না-কিহিম ওয়াছ ছালা-ছিলু ইউসহাবূন।
ইযিল আগলা-লুফীআ‘না-কিহিম ওয়াছ ছালা-ছিলু ইউসহাবূন।
আল বায়ান:
যখন তাদের গলদেশে বেড়ী ও শিকল থাকবে, তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে-
যখন তাদের গলদেশে বেড়ী ও শিকল থাকবে, তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে-
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তাদের গলায় থাকবে বেড়ি আর শিকল; তাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হবে
যখন তাদের গলায় থাকবে বেড়ি আর শিকল; তাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হবে
Sahih International:
When the shackles are around their necks and the chains; they will be dragged
When the shackles are around their necks and the chains; they will be dragged
فِی الْحَمِیْمِ ۬ۙ ثُمَّ فِی النَّارِ یُسْجَرُوْنَ ﴿ۚ۷۲﴾
উচ্চারণ:
ফিল হামীমি ছু ম্মা ফিন্না-রি ইউছজারূন।
ফিল হামীমি ছু ম্মা ফিন্না-রি ইউছজারূন।
আল বায়ান:
ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে পোড়ানো হবে।
ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে পোড়ানো হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে দগ্ধ করা হবে।
ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে দগ্ধ করা হবে।
Sahih International:
In boiling water; then in the Fire they will be filled [with flame].
In boiling water; then in the Fire they will be filled [with flame].
ثُمَّ قِیْلَ لَهُمْ اَیْنَ مَا کُنْتُمْ تُشْرِکُوْنَ ﴿ۙ۷۳﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা কীলা লাহুম আইনা মা-কুনতুম তুশরিকূন।
ছু ম্মা কীলা লাহুম আইনা মা-কুনতুম তুশরিকূন।
আল বায়ান:
তারপর তাদেরকে বলা হবে, ‘কোথায় তারা, যাদেরকে তোমরা শরীক করতে-
তারপর তাদেরকে বলা হবে, ‘কোথায় তারা, যাদেরকে তোমরা শরীক করতে-
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদেরকে বলা হবে- তারা কোথায় তোমরা যাদেরকে (আল্লাহর) শরীক গণ্য করতে
অতঃপর তাদেরকে বলা হবে- তারা কোথায় তোমরা যাদেরকে (আল্লাহর) শরীক গণ্য করতে
Sahih International:
Then it will be said to them, "Where is that which you used to associate [with Him in worship]
Then it will be said to them, "Where is that which you used to associate [with Him in worship]
مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ قَالُوْا ضَلُّوْا عَنَّا بَلْ لَّمْ نَکُنْ نَّدْعُوْا مِنْ قَبْلُ شَیْئًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰهُ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
মিন দূ নিল্লা-হি কা-লূদাললূ‘আন্না-বাল লাম নাকুন নাদ‘ঊ মিন কাবলুশাইআন কাযা-লিকা ইউদিল্লুল্লা-হুল কা-ফিরীন।
মিন দূ নিল্লা-হি কা-লূদাললূ‘আন্না-বাল লাম নাকুন নাদ‘ঊ মিন কাবলুশাইআন কাযা-লিকা ইউদিল্লুল্লা-হুল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
আল্লাহ ছাড়া’? তারা বলবে, ‘তারা তো আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে’, বরং এর পূর্বে আমরা কোন কিছুকে আহবান করিনি’। এভাবেই আল্লাহ কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট করেন।
আল্লাহ ছাড়া’? তারা বলবে, ‘তারা তো আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে’, বরং এর পূর্বে আমরা কোন কিছুকে আহবান করিনি’। এভাবেই আল্লাহ কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহকে বাদ দিয়ে? (উত্তরে) তারা বলবে- তারা আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে। না, আমরা আগে (যার অস্তিত্ব আছে এমন) কোন কিছুকেই ডাকিনি। এভাবে আল্লাহ কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট হওয়ার সুযোগ দেন।
আল্লাহকে বাদ দিয়ে? (উত্তরে) তারা বলবে- তারা আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে। না, আমরা আগে (যার অস্তিত্ব আছে এমন) কোন কিছুকেই ডাকিনি। এভাবে আল্লাহ কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট হওয়ার সুযোগ দেন।
Sahih International:
Other than Allah?" They will say, "They have departed from us; rather, we did not used to invoke previously anything." Thus does Allah put astray the disbelievers.
Other than Allah?" They will say, "They have departed from us; rather, we did not used to invoke previously anything." Thus does Allah put astray the disbelievers.
ذٰلِکُمْ بِمَا کُنْتُمْ تَفْرَحُوْنَ فِی الْاَرْضِ بِغَیْرِ الْحَقِّ وَ بِمَا کُنْتُمْ تَمْرَحُوْنَ ﴿ۚ۷۵﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকুমবিমা- কুনতুম তাফরাহূনা ফিল আরদি বিগাইরিল হাক্কি ওয়া বিমা-কুনতুম তামরাহূন।
যা-লিকুমবিমা- কুনতুম তাফরাহূনা ফিল আরদি বিগাইরিল হাক্কি ওয়া বিমা-কুনতুম তামরাহূন।
আল বায়ান:
এটা এ জন্য যে, তোমরা যমীনে অযথা উল্লাস করতে এবং এজন্য যে, তোমরা অহঙ্কার করতে।
এটা এ জন্য যে, তোমরা যমীনে অযথা উল্লাস করতে এবং এজন্য যে, তোমরা অহঙ্কার করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
এর কারণ এই যে, তোমরা অসত্য নিয়ে উল্লাস করতে, আর এজন্য যে, তোমরা গর্ব অহংকার করতে।
এর কারণ এই যে, তোমরা অসত্য নিয়ে উল্লাস করতে, আর এজন্য যে, তোমরা গর্ব অহংকার করতে।
Sahih International:
[The angels will say], "That was because you used to exult upon the earth without right and you used to behave insolently.
[The angels will say], "That was because you used to exult upon the earth without right and you used to behave insolently.
اُدْخُلُوْۤا اَبْوَابَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ۚ فَبِئْسَ مَثْوَی الْمُتَکَبِّرِیْنَ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
উদখুলূআবওয়া-বা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- ফাবি’ছা মাছওয়াল মুতাকাববিরীন।
উদখুলূআবওয়া-বা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- ফাবি’ছা মাছওয়াল মুতাকাববিরীন।
আল বায়ান:
তোমরা জাহান্নামের দরজাসমূহ দিয়ে প্রবেশ কর চিরকাল তাতে অবস্থানের জন্য। অতএব অহঙ্কারীদের বাসস্থান কতইনা নিকৃষ্ট!
তোমরা জাহান্নামের দরজাসমূহ দিয়ে প্রবেশ কর চিরকাল তাতে অবস্থানের জন্য। অতএব অহঙ্কারীদের বাসস্থান কতইনা নিকৃষ্ট!
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা জাহান্নামের দরজাগুলো দিয়ে প্রবেশ কর, চিরকাল তার ভিতরে থাকার জন্য। দাম্ভিকদের বাসস্থান কতই না নিকৃষ্ট!
তোমরা জাহান্নামের দরজাগুলো দিয়ে প্রবেশ কর, চিরকাল তার ভিতরে থাকার জন্য। দাম্ভিকদের বাসস্থান কতই না নিকৃষ্ট!
Sahih International:
Enter the gates of Hell to abide eternally therein, and wretched is the residence of the arrogant."
Enter the gates of Hell to abide eternally therein, and wretched is the residence of the arrogant."
فَاصْبِرْ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ ۚ فَاِمَّا نُرِیَنَّکَ بَعْضَ الَّذِیْ نَعِدُهُمْ اَوْ نَتَوَفَّیَنَّکَ فَاِلَیْنَا یُرْجَعُوْنَ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ফাসবির ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুন ফাইম্মা-নুরিয়ান্নাকা বা‘দাল্লাযী না‘ইদুহুম আও নাতাওয়াফফাইয়ান্নাকা ফাইলাইনা-ইউরজা‘ঊন।
ফাসবির ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুন ফাইম্মা-নুরিয়ান্নাকা বা‘দাল্লাযী না‘ইদুহুম আও নাতাওয়াফফাইয়ান্নাকা ফাইলাইনা-ইউরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আর আমি তাদেরকে যে ওয়াদা দেই, তার কিছু অংশ যদি তোমাকে দেখাই অথবা তোমাকে মৃত্যু দেই, তাহলেও তারা আমার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।
অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আর আমি তাদেরকে যে ওয়াদা দেই, তার কিছু অংশ যদি তোমাকে দেখাই অথবা তোমাকে মৃত্যু দেই, তাহলেও তারা আমার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর, (কেননা) আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য। অতঃপর আমি তাদেরকে (শাস্তির) যে ওয়া‘দা দিয়েছি তার কিছু যদি তোমাকে (এ পৃথিবীতেই) দেখিয়ে দেই অথবা (তাদেরকে শাস্তি দেয়ার পূর্বেই) তোমার মৃত্যু ঘটাই, (উভয় অবস্থাতেই) তাদেরকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। (আমার শাস্তি থেকে তারা রেহাই পাবে না)।
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর, (কেননা) আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য। অতঃপর আমি তাদেরকে (শাস্তির) যে ওয়া‘দা দিয়েছি তার কিছু যদি তোমাকে (এ পৃথিবীতেই) দেখিয়ে দেই অথবা (তাদেরকে শাস্তি দেয়ার পূর্বেই) তোমার মৃত্যু ঘটাই, (উভয় অবস্থাতেই) তাদেরকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। (আমার শাস্তি থেকে তারা রেহাই পাবে না)।
Sahih International:
So be patient, [O Muhammad]; indeed, the promise of Allah is truth. And whether We show you some of what We have promised them or We take you in death, it is to Us they will be returned.
So be patient, [O Muhammad]; indeed, the promise of Allah is truth. And whether We show you some of what We have promised them or We take you in death, it is to Us they will be returned.
وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّنْ قَبْلِکَ مِنْهُمْ مَّنْ قَصَصْنَا عَلَیْکَ وَ مِنْهُمْ مَّنْ لَّمْ نَقْصُصْ عَلَیْکَ ؕ وَ مَا کَانَ لِرَسُوْلٍ اَنْ یَّاْتِیَ بِاٰیَۃٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِ ۚ فَاِذَا جَآءَ اَمْرُ اللّٰهِ قُضِیَ بِالْحَقِّ وَ خَسِرَ هُنَالِکَ الْمُبْطِلُوْنَ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-রুছুলাম মিন কাবলিকা মিনহুম মান কাসাসনা-‘আলাইকা ওয়া মিনহুম মাল্লাম নাকসুস ‘আলাইকা ওয়ামা-কা-না লিরাছূলিন আইঁ ইয়া’তিয়া বিআয়াতিন ইল্লা-বিইযনিল্লা-হি ফাইযা-জাআ আমরুল্লা-হি কুদিয়া বিলহাক্কিওয়া খাছিরা হুনা-লিকাল মুবতিলূন।
ওয়া লাকাদ আরছালনা-রুছুলাম মিন কাবলিকা মিনহুম মান কাসাসনা-‘আলাইকা ওয়া মিনহুম মাল্লাম নাকসুস ‘আলাইকা ওয়ামা-কা-না লিরাছূলিন আইঁ ইয়া’তিয়া বিআয়াতিন ইল্লা-বিইযনিল্লা-হি ফাইযা-জাআ আমরুল্লা-হি কুদিয়া বিলহাক্কিওয়া খাছিরা হুনা-লিকাল মুবতিলূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি তোমার পূর্বে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কারো কাহিনী তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রাসূলের উচিৎ নয়। তারপর যখন আল্লাহর নির্দেশ আসবে, তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করা হবে। আর তখনই বাতিলপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আর অবশ্যই আমি তোমার পূর্বে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কারো কাহিনী তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রাসূলের উচিৎ নয়। তারপর যখন আল্লাহর নির্দেশ আসবে, তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করা হবে। আর তখনই বাতিলপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার পূর্বে অনেক রসূল পাঠিয়েছিলাম। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি, তাদের মধ্যে কারো কারো কথা আমি তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রসূলের পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লাহর নির্দেশ যখন জারী হয়ে যায়, তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে (বিষয়টির) ফয়সালা করা হয়। আর যারা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়েছিল তারা তখনকার তখনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
আমি তোমার পূর্বে অনেক রসূল পাঠিয়েছিলাম। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি, তাদের মধ্যে কারো কারো কথা আমি তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রসূলের পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লাহর নির্দেশ যখন জারী হয়ে যায়, তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে (বিষয়টির) ফয়সালা করা হয়। আর যারা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়েছিল তারা তখনকার তখনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
Sahih International:
And We have already sent messengers before you. Among them are those [whose stories] We have related to you, and among them are those [whose stories] We have not related to you. And it was not for any messenger to bring a sign [or verse] except by permission of Allah. So when the command of Allah comes, it will be concluded in truth, and the falsifiers will thereupon lose [all].
And We have already sent messengers before you. Among them are those [whose stories] We have related to you, and among them are those [whose stories] We have not related to you. And it was not for any messenger to bring a sign [or verse] except by permission of Allah. So when the command of Allah comes, it will be concluded in truth, and the falsifiers will thereupon lose [all].
اَللّٰهُ الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الْاَنْعَامَ لِتَرْکَبُوْا مِنْهَا وَ مِنْهَا تَاْکُلُوْنَ ﴿۫۷۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আন‘আ-মা লিতারকাবূমিনহা-ওয়া মিনহা-তা’কুলূন।
আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আন‘আ-মা লিতারকাবূমিনহা-ওয়া মিনহা-তা’কুলূন।
আল বায়ান:
আল্লাহই তোমাদের জন্য গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা এদের কতকের উপর আরোহণ করতে পার আর কতক তোমরা খেতে পার।
আল্লাহই তোমাদের জন্য গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা এদের কতকের উপর আরোহণ করতে পার আর কতক তোমরা খেতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ- যিনি তোমাদের জন্য গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কতকগুলোর উপর আরোহণ করতে পার, আর কতকগুলো থেকে আহার করতে পার।
আল্লাহ- যিনি তোমাদের জন্য গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কতকগুলোর উপর আরোহণ করতে পার, আর কতকগুলো থেকে আহার করতে পার।
Sahih International:
It is Allah who made for you the grazing animals upon which you ride, and some of them you eat.
It is Allah who made for you the grazing animals upon which you ride, and some of them you eat.
وَ لَکُمْ فِیْهَا مَنَافِعُ وَ لِتَبْلُغُوْا عَلَیْهَا حَاجَۃً فِیْ صُدُوْرِکُمْ وَ عَلَیْهَا وَ عَلَی الْفُلْکِ تُحْمَلُوْنَ ﴿ؕ۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়ালিতাবলগূ ‘আলাইহা-হা-জাতান ফী সদূরিকুম ওয়া ‘আলাইহা-ওয়া ‘আলাল ফুলকি তুহমালূন।
ওয়ালাকুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়ালিতাবলগূ ‘আলাইহা-হা-জাতান ফী সদূরিকুম ওয়া ‘আলাইহা-ওয়া ‘আলাল ফুলকি তুহমালূন।
আল বায়ান:
আর এতে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক উপকার এবং যাতে তোমরা নিজদের অন্তরে যে প্রয়োজন অনুভব কর, ওগুলো দ্বারা তা পূর্ণ করতে পার। ওগুলোর উপর আর নৌযানের উপর তোমাদেরকে বহন করা হয়।
আর এতে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক উপকার এবং যাতে তোমরা নিজদের অন্তরে যে প্রয়োজন অনুভব কর, ওগুলো দ্বারা তা পূর্ণ করতে পার। ওগুলোর উপর আর নৌযানের উপর তোমাদেরকে বহন করা হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
ওগুলোতে তোমাদের জন্য আছে বহু উপকার। তোমরা তোমাদের অন্তরে যে প্রয়োজনবোধ কর, যাতে ওগুলোর দ্বারা তা মিটাতে পার। ওগুলোর উপর আর নৌযানে তোমাদেরকে বহন করা হয়।
ওগুলোতে তোমাদের জন্য আছে বহু উপকার। তোমরা তোমাদের অন্তরে যে প্রয়োজনবোধ কর, যাতে ওগুলোর দ্বারা তা মিটাতে পার। ওগুলোর উপর আর নৌযানে তোমাদেরকে বহন করা হয়।
Sahih International:
And for you therein are [other] benefits and that you may realize upon them a need which is in your breasts; and upon them and upon ships you are carried.
And for you therein are [other] benefits and that you may realize upon them a need which is in your breasts; and upon them and upon ships you are carried.
وَ یُرِیْکُمْ اٰیٰتِهٖ ٭ۖ فَاَیَّ اٰیٰتِ اللّٰهِ تُنْکِرُوْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইউরীকুম আ-য়া-তিহী ফাআইয়া আ-য়া-তিল্লা-হি তুনকিরূন।
ওয়া ইউরীকুম আ-য়া-তিহী ফাআইয়া আ-য়া-তিল্লা-হি তুনকিরূন।
আল বায়ান:
আর তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান। অতএব তোমরা আল্লাহর কোন্ কোন্ নিদর্শনকে অস্বীকার করবে?
আর তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান। অতএব তোমরা আল্লাহর কোন্ কোন্ নিদর্শনকে অস্বীকার করবে?
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শন দেখান। কাজেই আল্লাহর কোন্ নিদর্শনকে তোমরা অস্বীকার কর।
তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শন দেখান। কাজেই আল্লাহর কোন্ নিদর্শনকে তোমরা অস্বীকার কর।
Sahih International:
And He shows you His signs. So which of the signs of Allah do you deny?
And He shows you His signs. So which of the signs of Allah do you deny?
اَفَلَمْ یَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَیَنْظُرُوْا کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ کَانُوْۤا اَکْثَرَ مِنْهُمْ وَ اَشَدَّ قُوَّۃً وَّ اٰثَارًا فِی الْاَرْضِ فَمَاۤ اَغْنٰی عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَکْسِبُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
আফালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাইয়ানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কা-নূআকছারা মিনহুম ওয়া আশাদ্দা কুওওয়াতাঁও ওয়া আছা-রান ফিল আরদিফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।
আফালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাইয়ানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কা-নূআকছারা মিনহুম ওয়া আশাদ্দা কুওওয়াতাঁও ওয়া আছা-রান ফিল আরদিফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।
আল বায়ান:
তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি, তা হলে তারা দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল? তারা যমীনে ছিল তাদের চেয়ে সংখ্যায় অধিক, আর শক্তিতে ও কীর্তিতে তাদের চেয়ে অধিক প্রবল। অতঃপর তারা যা অর্জন করত তা তাদের কোন কাজে আসেনি।
তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি, তা হলে তারা দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল? তারা যমীনে ছিল তাদের চেয়ে সংখ্যায় অধিক, আর শক্তিতে ও কীর্তিতে তাদের চেয়ে অধিক প্রবল। অতঃপর তারা যা অর্জন করত তা তাদের কোন কাজে আসেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? করলে তারা দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণতি কী হয়েছিল। দুনিয়ায় এদের চেয়ে তারা সংখ্যায় অধিক ছিল, আর শক্তি সামর্থ্য ও কীর্তি চিহ্নে বেশি প্রবল ছিল। কিন্তু তারা যা অর্জন করেছিল তা তাদের কোন উপকারে আসেনি।
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? করলে তারা দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণতি কী হয়েছিল। দুনিয়ায় এদের চেয়ে তারা সংখ্যায় অধিক ছিল, আর শক্তি সামর্থ্য ও কীর্তি চিহ্নে বেশি প্রবল ছিল। কিন্তু তারা যা অর্জন করেছিল তা তাদের কোন উপকারে আসেনি।
Sahih International:
Have they not traveled through the land and observed how was the end of those before them? They were more numerous than themselves and greater in strength and in impression on the land, but they were not availed by what they used to earn.
Have they not traveled through the land and observed how was the end of those before them? They were more numerous than themselves and greater in strength and in impression on the land, but they were not availed by what they used to earn.
فَلَمَّا جَآءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَیِّنٰتِ فَرِحُوْا بِمَا عِنْدَهُمْ مِّنَ الْعِلْمِ وَ حَاقَ بِهِمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআতহুম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনা-তি ফারিহূবিমা-‘ইনদাহুম মিনাল ‘ইলমি ওয়া হা-কা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিঊন।
ফালাম্মা-জাআতহুম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনা-তি ফারিহূবিমা-‘ইনদাহুম মিনাল ‘ইলমি ওয়া হা-কা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিঊন।
আল বায়ান:
তারপর তাদের কাছে যখন তাদের রাসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ আসল তখন তারা তাদের নিজদের কাছে যে বিদ্যা ছিল তাতেই উৎফুল্ল হয়ে উঠল। আর যা নিয়ে তাঁরা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে পরিবেষ্টন করল।
তারপর তাদের কাছে যখন তাদের রাসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ আসল তখন তারা তাদের নিজদের কাছে যে বিদ্যা ছিল তাতেই উৎফুল্ল হয়ে উঠল। আর যা নিয়ে তাঁরা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে পরিবেষ্টন করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে যখন তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আসল, তখন তারা তাদের নিজেদের কাছে যে জ্ঞান ও বিদ্যা ছিল তাতেই উৎফুল্ল হয়ে উঠল। অতঃপর যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রুপ করত তা-ই তাদেরকে ঘিরে ফেলল।
তাদের কাছে যখন তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আসল, তখন তারা তাদের নিজেদের কাছে যে জ্ঞান ও বিদ্যা ছিল তাতেই উৎফুল্ল হয়ে উঠল। অতঃপর যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রুপ করত তা-ই তাদেরকে ঘিরে ফেলল।
Sahih International:
And when their messengers came to them with clear proofs, they [merely] rejoiced in what they had of knowledge, but they were enveloped by what they used to ridicule.
And when their messengers came to them with clear proofs, they [merely] rejoiced in what they had of knowledge, but they were enveloped by what they used to ridicule.
فَلَمَّا رَاَوْا بَاْسَنَا قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَحْدَهٗ وَ کَفَرْنَا بِمَا کُنَّا بِهٖ مُشْرِکِیْنَ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-রাআও বা’ছানা-কা-লূআ-মান্না-বিল্লা-হি ওয়াহদাহূওয়া কাফার না-বিমাকুন্না-বিহী মুশরিকীন।
ফালাম্মা-রাআও বা’ছানা-কা-লূআ-মান্না-বিল্লা-হি ওয়াহদাহূওয়া কাফার না-বিমাকুন্না-বিহী মুশরিকীন।
আল বায়ান:
তারপর তারা যখন আমার আযাব দেখল তখন বলল, ‘আমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম, আর যাদেরকে আমরা তার সাথে শরীক করতাম তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম’।
তারপর তারা যখন আমার আযাব দেখল তখন বলল, ‘আমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম, আর যাদেরকে আমরা তার সাথে শরীক করতাম তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার শাস্তি তারা যখন দেখল তখন তারা বলল- আমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম আর যাদেরকে আমরা (আল্লাহর) শরীক গণ্য করতাম তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম।
আমার শাস্তি তারা যখন দেখল তখন তারা বলল- আমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম আর যাদেরকে আমরা (আল্লাহর) শরীক গণ্য করতাম তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম।
Sahih International:
And when they saw Our punishment, they said," We believe in Allah alone and disbelieve in that which we used to associate with Him."
And when they saw Our punishment, they said," We believe in Allah alone and disbelieve in that which we used to associate with Him."
فَلَمْ یَکُ یَنْفَعُهُمْ اِیْمَانُهُمْ لَمَّا رَاَوْا بَاْسَنَا ؕ سُنَّتَ اللّٰهِ الَّتِیْ قَدْ خَلَتْ فِیْ عِبَادِهٖ ۚ وَ خَسِرَ هُنَالِکَ الْکٰفِرُوْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ফালাম ইয়াকুইয়ানফা‘উহুম ঈমা-নুহুম লাম্মা-রাআও বা’ছানা- ছুন্নাতাল্লা-হিল্লাতী কাদ খালাত ফী ‘ইবা-দিহী ওয়া খাছিরা হুনা-লিকাল কা-ফিরূন।
ফালাম ইয়াকুইয়ানফা‘উহুম ঈমা-নুহুম লাম্মা-রাআও বা’ছানা- ছুন্নাতাল্লা-হিল্লাতী কাদ খালাত ফী ‘ইবা-দিহী ওয়া খাছিরা হুনা-লিকাল কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
সুতরাং তারা যখন আমার আযাব দেখল তখন তাদের ঈমান তাদের কোন উপকার করল না। এটা আল্লাহর বিধান, তাঁর বান্দাদের মধ্যে চলে আসছে। আর তখনই কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুতরাং তারা যখন আমার আযাব দেখল তখন তাদের ঈমান তাদের কোন উপকার করল না। এটা আল্লাহর বিধান, তাঁর বান্দাদের মধ্যে চলে আসছে। আর তখনই কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন আমার শাস্তি দেখল তখন তাদের ঈমান (গ্রহণ) তাদের কোন উপকারে আসল না। আল্লাহর (এ) বিধান তাঁর বান্দাহদের উপর (বহু) পূর্ব হতেই (কার্যকর হয়ে) চলে আসছে। আর এ ক্ষেত্রে কাফিররাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তারা যখন আমার শাস্তি দেখল তখন তাদের ঈমান (গ্রহণ) তাদের কোন উপকারে আসল না। আল্লাহর (এ) বিধান তাঁর বান্দাহদের উপর (বহু) পূর্ব হতেই (কার্যকর হয়ে) চলে আসছে। আর এ ক্ষেত্রে কাফিররাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Sahih International:
But never did their faith benefit them once they saw Our punishment. [It is] the established way of Allah which has preceded among His servants. And the disbelievers thereupon lost [all].
But never did their faith benefit them once they saw Our punishment. [It is] the established way of Allah which has preceded among His servants. And the disbelievers thereupon lost [all].