আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


یٰسٓ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-ছীন।
আল বায়ান:
ইয়া-সীন।
তাইসিরুল কুরআন:
ইয়াসীন।
Sahih International:
Ya, Seen.



وَ الْقُرْاٰنِ الْحَکِیْمِ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল কুরআ-নিল হাকীম।
আল বায়ান:
বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ।
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ হিকমতপূর্ণ কুরআনের।
Sahih International:
By the wise Qur'an.



اِنَّکَ لَمِنَ الْمُرْسَلِیْنَ ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তুমি রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি অবশ্যই রসূলগণের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
Indeed you, [O Muhammad], are from among the messengers,



عَلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ؕ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
‘আলা-সিরাতিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি সরল সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত।
Sahih International:
On a straight path.



تَنْزِیْلَ الْعَزِیْزِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
তানযীলাল ‘আযীযির রাহীম।
আল বায়ান:
(এ কুরআন) মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়াময় (আল্লাহ) কর্তৃক নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
(এ কুরআন) মহাপরাক্রমশালী পরম করুণাময় (আল্লাহ) হতে অবতীর্ণ।
Sahih International:
[This is] a revelation of the Exalted in Might, the Merciful,



لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَّاۤ اُنْذِرَ اٰبَآؤُهُمْ فَهُمْ غٰفِلُوْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
লিতুনযিরা কাওমাম্মাউনযিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলূন।
আল বায়ান:
যাতে তুমি এমন এক কওমকে সতর্ক কর, যাদের পিতৃপুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, কাজেই তারা উদাসীন।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তুমি সতর্ক করতে পার এমন এক সম্প্রদায়কে যাদের পিৃতপুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, কাজেই তারা (আল্লাহর নিদর্শন সম্পর্কে) উদাসীন।
Sahih International:
That you may warn a people whose forefathers were not warned, so they are unaware.



لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلٰۤی اَکْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকছারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
অবশ্যই তাদের অধিকাংশের উপর (আল্লাহর) বাণী অবধারিত হয়েছে, ফলে তারা ঈমান আনবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
(জেনে বুঝে আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার কারণে) তাদের অধিকাংশের উপর (তাদের অন্তঃকরণে সীল লাগিয়ে দেয়ার) বাণী অবধারিত হয়ে গেছে, কাজেই তারা ঈমান আনবে না।
Sahih International:
Already the word has come into effect upon most of them, so they do not believe.



اِنَّا جَعَلْنَا فِیْۤ اَعْنَاقِهِمْ اَغْلٰلًا فَهِیَ اِلَی الْاَذْقَانِ فَهُمْ مُّقْمَحُوْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্না- জা‘আলনা-ফী আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আযকা-নি ফাহুম মুকমাহূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাদের গলায় বেড়ি পরিয়ে দিয়েছি এবং তা চিবুক পর্যন্ত। ফলে তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের গলদেশে (তাদের জিদ ও অহমিকার) বেড়ি পরিয়ে দিয়েছি আর তা থুতনি পর্যন্ত (গিয়ে ঠেকেছে), কাজেই তারা মাথা খাড়া করে রেখেছে।
Sahih International:
Indeed, We have put shackles on their necks, and they are to their chins, so they are with heads [kept] aloft.



وَ جَعَلْنَا مِنْۢ بَیْنِ اَیْدِیْهِمْ سَدًّا وَّ مِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَاَغْشَیْنٰهُمْ فَهُمْ لَا یُبْصِرُوْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আল না-মিম বাইনি আইদীহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরূন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের সামনে একটি প্রাচীর ও তাদের পিছনে একটি প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর আমি তাদেরকে ঢেকে দিয়েছি, ফলে তারা দেখতে পায় না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের সামনে আমি একটা (বাধার) প্রাচীর দাঁড় করিয়ে দিয়েছি, আর পেছনে একটা প্রাচীর, উপরন্তু তাদেরকে ঢেকে দিয়েছি; কাজেই তারা দেখতে পায় না।
Sahih International:
And We have put before them a barrier and behind them a barrier and covered them, so they do not see.



وَ سَوَآءٌ عَلَیْهِمْ ءَاَنْذَرْتَهُمْ اَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
আর তুমি তাদেরকে সতর্ক কর অথবা না কর তাদের কাছে দু’টোই সমান, তারা ঈমান আনবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তাদেরকে সতর্ক কর আর না কর, তাদের কাছে দু’টোই সমান, তারা ঈমান আনবে না।
Sahih International:
And it is all the same for them whether you warn them or do not warn them - they will not believe.



اِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّکْرَ وَ خَشِیَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَیْبِ ۚ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَۃٍ وَّ اَجْرٍ کَرِیْمٍ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-তুনযিরু মানিত্তাবা‘আযযিকরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীম।
আল বায়ান:
তুমি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবে যে উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখেও পরম করুণাময় আল্লাহকে ভয় করে। অতএব তাকে তুমি ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের সুসংবাদ দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তো সতর্ক কেবল তাকেই করতে পার যে লোক উপদেশ মেনে চলে আর দয়াময় (আল্লাহ)-কে না দেখেও ভয় করে। অতঃপর এদেরকে তুমি ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের সুসংবাদ দাও।
Sahih International:
You can only warn one who follows the message and fears the Most Merciful unseen. So give him good tidings of forgiveness and noble reward.



اِنَّا نَحْنُ نُحْیِ الْمَوْتٰی وَ نَکْتُبُ مَا قَدَّمُوْا وَ اٰثَارَهُمْ ؕؑ وَ کُلَّ شَیْءٍ اَحْصَیْنٰهُ فِیْۤ اِمَامٍ مُّبِیْنٍ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামূওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফীইমা-মিম মুবীন।
আল বায়ান:
আমিই তো মৃতকে জীবিত করি আর লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমিই মৃতকে জীবিত করি, আর লিখে রাখি যা তারা আগে পাঠিয়ে দেয় আর যা পেছনে ছেড়ে যায়। সব কিছুই আমি স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত করে রেখেছি।
Sahih International:
Indeed, it is We who bring the dead to life and record what they have put forth and what they left behind, and all things We have enumerated in a clear register.



وَ اضْرِبْ لَهُمْ مَّثَلًا اَصْحٰبَ الْقَرْیَۃِ ۘ اِذْ جَآءَهَا الْمُرْسَلُوْنَ ﴿ۚ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ । ইযজাআহাল মুরছালূন।
আল বায়ান:
আর এক জনপদের অধিবাসীদের উপমা তাদের কাছে বর্ণনা কর, যখন তাদের কাছে রাসূলগণ এসেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ এক জনপদবাসীদের কথা শুনিয়ে দাও যখন তাদের কাছে এসেছিল রসূলগণ।
Sahih International:
And present to them an example: the people of the city, when the messengers came to it -



اِذْ اَرْسَلْنَاۤ اِلَیْهِمُ اثْنَیْنِ فَکَذَّبُوْهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوْۤا اِنَّاۤ اِلَیْکُمْ مُّرْسَلُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ইয আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাযযাবূহুমা-ফা‘আযযাযনা-বিছা-লিছিন ফাকালূইন্নাইলাউকুম মুরছালূন।
আল বায়ান:
যখন আমি তাদের কাছে দু’জন রাসূল পাঠিয়েছিলাম, তখন তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। তারপর আমি তাদেরকে তৃতীয় একজনের মাধ্যমে শক্তিশালী করেছিলাম। অতঃপর তারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত রাসূল’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তাদের কাছে দু’জন রসূল পাঠিয়েছিলাম তখন তারা সে দু’জনকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখ্যান করল। অতঃপর আমি তৃতীয় আরেকজন দ্বারা তাদের শক্তি বৃদ্ধি করলাম। তারা বলল- আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
Sahih International:
When We sent to them two but they denied them, so We strengthened them with a third, and they said, "Indeed, we are messengers to you."



قَالُوْا مَاۤ اَنْتُمْ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا ۙ وَ مَاۤ اَنْزَلَ الرَّحْمٰنُ مِنْ شَیْءٍ ۙ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا تَکْذِبُوْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লূমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনযালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকযিবূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ। আর পরম করুণাময় তো কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা শুধু মিথ্যাই বলছ।
তাইসিরুল কুরআন:
জনপদবাসীরা বলল- তোমরা তো আমাদেরই মত মানুষ বতীত অন্য কিছু নও। আর দয়াময় (আল্লাহ) কোন কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা শুধু মিথ্যেই বলছ।
Sahih International:
They said, "You are not but human beings like us, and the Most Merciful has not revealed a thing. You are only telling lies."



قَالُوْا رَبُّنَا یَعْلَمُ اِنَّاۤ اِلَیْکُمْ لَمُرْسَلُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লূরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমাদের রব জানেন, অবশ্যই আমরা তোমাদের কাছে প্রেরিত রাসূল’।
তাইসিরুল কুরআন:
রসূলগণ বলল- আমাদের পালনকর্তা জানেন আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
Sahih International:
They said, "Our Lord knows that we are messengers to you,



وَ مَا عَلَیْنَاۤ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِیْنُ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালা-গুল মুবীন।
আল বায়ান:
‘আর সুস্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্পষ্টভাবে (আল্লাহর বাণী) পৌঁছে দেয়াই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব।
Sahih International:
And we are not responsible except for clear notification."



قَالُوْۤا اِنَّا تَطَیَّرْنَا بِکُمْ ۚ لَئِنْ لَّمْ تَنْتَهُوْا لَنَرْجُمَنَّکُمْ وَ لَیَمَسَّنَّکُمْ مِّنَّا عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহূলানারজুমান্নাকুম ওয়ালাইয়ামাছছান্নাকুম মিন্না-‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা তো তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। তোমরা যদি বিরত না হও তাহলে আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
জনপদের লোকেরা বলল- আমরা তোমাদেরকেই অমঙ্গলের কারণ মনে করি। তোমরা যদি (প্রচারকার্য থেকে) নিবৃত্ত না হও, তাহলে আমরা অবশ্য অবশ্যই তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে বড়ই মর্মান্তিক শাস্তি তোমাদের উপর অবশ্য অবশ্যই নেমে আসবে।
Sahih International:
They said, "Indeed, we consider you a bad omen. If you do not desist, we will surely stone you, and there will surely touch you, from us, a painful punishment."



قَالُوْا طَآئِرُکُمْ مَّعَکُمْ ؕ اَئِنْ ذُکِّرْتُمْ ؕ بَلْ اَنْتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লূতাইরুকুম মা‘আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, তোমাদের অমঙ্গলের কারণ তোমাদের সাথেই। তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়েছে বলেই কি এরূপ বলছ? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম’।
তাইসিরুল কুরআন:
রসূলগণ বলল- তোমাদের অমঙ্গলের কারণ তোমাদের সাথেই আছে (আর তা হল তোমাদের অপকর্ম)। তোমাদেরকে নসীহত করা হলেই কি (সেটাকে তোমরা তোমাদের অমঙ্গলের কারণ মনে কর)? আসলে তোমরা হচ্ছ এক সীমালঙ্ঘনকারী জাতি।
Sahih International:
They said, "Your omen is with yourselves. Is it because you were reminded? Rather, you are a transgressing people."



وَ جَآءَ مِنْ اَقْصَا الْمَدِیْنَۃِ رَجُلٌ یَّسْعٰی قَالَ یٰقَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِیْنَ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াজাআ মিন আকসাল মাদীনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর শহরের দূরপ্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে বলল, ‘হে আমার কওম! তোমরা রাসূলদের অনুসরণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
নগর প্রান্ত থেকে এক লোক ছুটে আসলো। সে বলল- হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা রসূলদের মান্য কর।
Sahih International:
And there came from the farthest end of the city a man, running. He said, "O my people, follow the messengers.



اتَّبِعُوْا مَنْ لَّا یَسْـَٔلُکُمْ اَجْرًا وَّ هُمْ مُّهْتَدُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা তাদের অনুসরণ কর যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না আর তারা সৎপথপ্রাপ্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা মান্য কর এদেরকে- যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না। উপরন্তু তারা সঠিক পথে পরিচালিত।
Sahih International:
Follow those who do not ask of you [any] payment, and they are [rightly] guided.



وَ مَا لِیَ لَاۤ اَعْبُدُ الَّذِیْ فَطَرَنِیْ وَ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাযী ফাতারানী ওয়া ইলাইহি তুর জা‘উন।
আল বায়ান:
‘আর আমি কেন তাঁর ইবাদাত করব না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
কেন আমি তাঁর ‘ইবাদাত করব না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে?
Sahih International:
And why should I not worship He who created me and to whom you will be returned?



ءَاَتَّخِذُ مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَۃً اِنْ یُّرِدْنِ الرَّحْمٰنُ بِضُرٍّ لَّا تُغْنِ عَنِّیْ شَفَاعَتُهُمْ شَیْئًا وَّ لَا یُنْقِذُوْنِ ﴿ۚ۲۳﴾
উচ্চারণ:
আআত্তাখিযুমিন দুনিহীআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিযূন।
আল বায়ান:
আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য ইলাহ গ্রহণ করব? যদি পরম করুণাময় আমার কোন ক্ষতি করার ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি তাঁর পরিবর্তে (অন্য) সব ইলাহ্ গ্রহণ করব? করুণাময় আল্লাহ যদি আমার কোন ক্ষতি করতে চান তবে আমার জন্য তাদের সুপারিশ কোনই কাজে আসবে না, আর তারা আমাকে উদ্ধার করতেও পারবে না।
Sahih International:
Should I take other than Him [false] deities [while], if the Most Merciful intends for me some adversity, their intercession will not avail me at all, nor can they save me?



اِنِّیْۤ اِذًا لَّفِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নী ইযাল্লাফী দালা-লিম্মুবীন।
আল বায়ান:
‘এরূপ করলে নিশ্চয় আমি স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত হব’।
তাইসিরুল কুরআন:
তা যদি করি, তাহলে আমি স্পষ্ট পথভ্রষ্টতেই পতিত হব।
Sahih International:
Indeed, I would then be in manifest error.



اِنِّیْۤ اٰمَنْتُ بِرَبِّکُمْ فَاسْمَعُوْنِ ﴿ؕ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নীআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি তোমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তো তোমাদের পালনকর্তার উপর ঈমান এনেছি, কাজেই তোমরা আমার কথা শুন।
Sahih International:
Indeed, I have believed in your Lord, so listen to me."



قِیْلَ ادْخُلِ الْجَنَّۃَ ؕ قَالَ یٰلَیْتَ قَوْمِیْ یَعْلَمُوْنَ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
কীলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমী ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
তাকে বলা হল, ‘জান্নাতে প্রবেশ কর’। সে বলল, ‘হায়! আমার কওম যদি জানতে পারত’,
তাইসিরুল কুরআন:
(লোকেরা তাকে হত্যা করে ফেললে আল্লাহর পক্ষ থেকে) তাকে বলা হল- জান্নাতে প্রবেশ কর। (তখন) সে বলল- হায়! আমার জাতির লোকেরা যদি জানত,
Sahih International:
It was said, "Enter Paradise." He said, "I wish my people could know



بِمَا غَفَرَ لِیْ رَبِّیْ وَ جَعَلَنِیْ مِنَ الْمُکْرَمِیْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
বিমা-গাফারালী রাববী ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুকরামীন।
আল বায়ান:
‘আমার রব আমাকে কিসের বিনিময়ে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার পালনকর্তা কোন্ জিনিসের বদৌলতে আমাকে ক্ষমা করেছেন আর আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
Sahih International:
Of how my Lord has forgiven me and placed me among the honored."



وَ مَاۤ اَنْزَلْنَا عَلٰی قَوْمِهٖ مِنْۢ بَعْدِهٖ مِنْ جُنْدٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَ مَا کُنَّا مُنْزِلِیْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআনযালনা-‘আলা-কাওমিহী মিম বা‘দিহী মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনযিলীন।
আল বায়ান:
আর আমি তার (মৃত্যুর) পর তার কওমের বিরুদ্ধে আসমান থেকে কোন সৈন্য পাঠাইনি। আর তা পাঠানোর কোন দরকারও আমার ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তার মৃত্যুর পর তার জাতির বিরুদ্ধে আসমান থেকে কোন সৈন্যবাহিনী পাঠাইনি, আর তা পাঠানোর আমার কোন দরকারও ছিল না।
Sahih International:
And We did not send down upon his people after him any soldiers from the heaven, nor would We have done so.



اِنْ کَانَتْ اِلَّا صَیْحَۃً وَّاحِدَۃً فَاِذَا هُمْ خٰمِدُوْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদূন।
আল বায়ান:
তা ছিল শুধুই একটি বিকট আওয়াজ, ফলে তারা নিথর-নিস্তব্ধ হয়ে পড়ল।
তাইসিরুল কুরআন:
ওটা ছিল মাত্র একটা প্রচন্ড শব্দ, ফলে তারা সহসাই নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
Sahih International:
It was not but one shout, and immediately they were extinguished.



یٰحَسْرَۃً عَلَی الْعِبَادِ ۚؑ مَا یَاْتِیْهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিউন।
আল বায়ান:
আফসোস, বান্দাদের জন্য! যখনই তাদের কাছে কোন রাসূল এসেছে তখনই তারা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
বান্দাহদের জন্য পরিতাপ! তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আসেনি যাকে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেনি।
Sahih International:
How regretful for the servants. There did not come to them any messenger except that they used to ridicule him.



اَلَمْ یَرَوْا کَمْ اَهْلَکْنَا قَبْلَهُمْ مِّنَ الْقُرُوْنِ اَنَّهُمْ اِلَیْهِمْ لَا یَرْجِعُوْنَ ﴿ؕ۳۱﴾
উচ্চারণ:
আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরূনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন।
আল বায়ান:
তারা কি লক্ষ্য করেনি যে, আমি তাদের পূর্বে কত প্রজন্মকে ধ্বংস করেছি, নিশ্চয় তারা তাদের কাছে ফিরে আসবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি দেখে না যে, তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি? তারা তাদের কাছে ফিরে আসবে না।
Sahih International:
Have they not considered how many generations We destroyed before them - that they to them will not return?



وَ اِنْ کُلٌّ لَّمَّا جَمِیْعٌ لَّدَیْنَا مُحْضَرُوْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।
আল বায়ান:
আর তাদের সকলকে একত্রে আমার কাছে হাযির করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের সব্বাইকে একত্রে আমার কাছে হাজির করা হবে।
Sahih International:
And indeed, all of them will yet be brought present before Us.



وَ اٰیَۃٌ لَّهُمُ الْاَرْضُ الْمَیْتَۃُ ۚۖ اَحْیَیْنٰهَا وَ اَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ یَاْکُلُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলূন।
আল বায়ান:
আর মৃত যমীন তাদের জন্য একটি নিদর্শন, আমি তাকে জীবিত করেছি এবং তা থেকে শস্যদানা উৎপন্ন করেছি। অতঃপর তা থেকেই তারা খায়।
তাইসিরুল কুরআন:
মৃত যমীন তাদের জন্য একটা নিদর্শন। তাকে আমি জীবিত করি আর তা থেকে আমি উৎপন্ন করি শস্য যা থেকে তারা খায়।
Sahih International:
And a sign for them is the dead earth. We have brought it to life and brought forth from it grain, and from it they eat.



وَ جَعَلْنَا فِیْهَا جَنّٰتٍ مِّنْ نَّخِیْلٍ وَّ اَعْنَابٍ وَّ فَجَّرْنَا فِیْهَا مِنَ الْعُیُوْنِ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আল না-ফীহা-জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফীহামিনাল ‘উইঊন।
আল বায়ান:
আর আমি তাতে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান তৈরী করেছি এবং তাতে কিছু ঝর্নাধারা প্রবাহিত করি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাতে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান তৈরি করি, আর তাতে প্রবাহিত করি ঝর্ণাধারা।
Sahih International:
And We placed therein gardens of palm trees and grapevines and caused to burst forth therefrom some springs -



لِیَاْکُلُوْا مِنْ ثَمَرِهٖ ۙ وَ مَا عَمِلَتْهُ اَیْدِیْهِمْ ؕ اَفَلَا یَشْکُرُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
লিইয়া’কুলূমিন ছামারিহী ওয়ামা-‘আমিলাতহু আইদীহিম আফালা-ইয়াশকুরূন।
আল বায়ান:
যাতে তারা তার ফল খেতে পারে, অথচ তাদের হাত তা বানায়নি। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তারা তার ফল খেতে পারে- যা তারা তাদের হাত দিয়ে বানায়নি। তাহলে কেন তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না?
Sahih International:
That they may eat of His fruit. And their hands have not produced it, so will they not be grateful?



سُبْحٰنَ الَّذِیْ خَلَقَ الْاَزْوَاجَ کُلَّهَا مِمَّا تُنْۢبِتُ الْاَرْضُ وَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَ مِمَّا لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ছুবহা-নাল্লাযী খালাকাল আযাওয়া-জা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
পবিত্র ও মহান সে সত্তা যিনি সকল জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যমীন যা উৎপন্ন করেছে তা থেকে, মানুষের নিজদের মধ্য থেকে এবং সে সব কিছু থেকেও যা তারা জানে না ।
তাইসিরুল কুরআন:
পূত পবিত্র সেই সত্তা যিনি জোড়া সৃষ্টি করেছেন প্রত্যেকটির যা উৎপন্ন করে যমীন, আর তাদের নিজেদের ভিতরেও আর সে সবেও যা তারা জানে না।
Sahih International:
Exalted is He who created all pairs - from what the earth grows and from themselves and from that which they do not know.



وَ اٰیَۃٌ لَّهُمُ الَّیْلُ ۚۖ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَاِذَا هُمْ مُّظْلِمُوْنَ ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমূন।
আল বায়ান:
আর রাত তাদের জন্য একটি নিদর্শন; আমি তা থেকে দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য একটি নিদর্শন হচ্ছে রাত, তাত্থেকে আমি দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারে ডুবে যায়।
Sahih International:
And a sign for them is the night. We remove from it [the light of] day, so they are [left] in darkness.



وَ الشَّمْسُ تَجْرِیْ لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ؕ ذٰلِکَ تَقْدِیْرُ الْعَزِیْزِ الْعَلِیْمِ ﴿ؕ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াশশামছুতাজরী লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদীরুল ‘আযীযিল ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট পথে, এটা মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)-র নির্ধারণ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সূর্য তার জন্যে নির্দিষ্ট ক’রে দেয়া জায়গায় গতিশীল, এটা মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের সুনিরূপিত নির্ধারণ।
Sahih International:
And the sun runs [on course] toward its stopping point. That is the determination of the Exalted in Might, the Knowing.



وَ الْقَمَرَ قَدَّرْنٰهُ مَنَازِلَ حَتّٰی عَادَ کَالْعُرْجُوْنِ الْقَدِیْمِ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-যিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদীম।
আল বায়ান:
আর চাঁদের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি মানযিলসমূহ, অবশেষে সেটি খেজুরের শুষ্ক পুরাতন শাখার মত হয়ে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর চাঁদ-তার জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মান্যিল (যা সে অতিক্রম করে), এমনকি শেষ পর্যন্ত সেটি খেজুরের কাঁদির পুরানো শুকনো দন্ডের মত হয়ে ফিরে আসে।
Sahih International:
And the moon - We have determined for it phases, until it returns [appearing] like the old date stalk.



لَا الشَّمْسُ یَنْۢبَغِیْ لَهَاۤ اَنْ تُدْرِکَ الْقَمَرَ وَ لَا الَّیْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ؕ وَ کُلٌّ فِیْ فَلَکٍ یَّسْبَحُوْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
লাশশামছুইয়ামবাগী লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন।
আল বায়ান:
সূর্যের জন্য সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া, আর রাতের জন্য সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা, আর প্রত্যেকেই কক্ষ পথে ভেসে বেড়ায়।
তাইসিরুল কুরআন:
সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদকে ধরে ফেলা, আর রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে ছাড়িয়ে আগে বেড়ে যাওয়া, প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে সাঁতার কাটছে।
Sahih International:
It is not allowable for the sun to reach the moon, nor does the night overtake the day, but each, in an orbit, is swimming.



وَ اٰیَۃٌ لَّهُمْ اَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّیَّتَهُمْ فِی الْفُلْکِ الْمَشْحُوْنِ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহূন।
আল বায়ান:
আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন হল, অবশ্যই আমি তাদের বংশধরদেরকে ভরা নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য (আমার কুদরাতের) আরো একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের বংশধরদেরকে (মহা প্লাবণের সময়) ভরা নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
Sahih International:
And a sign for them is that We carried their forefathers in a laden ship.



وَ خَلَقْنَا لَهُمْ مِّنْ مِّثْلِهٖ مَا یَرْکَبُوْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহী মা ইয়ারকাবূন।
আল বায়ান:
আর তাদের জন্য তার অনুরূপ (যানবাহন) সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের জন্য ঐ ধরনের আরো যানবাহন তৈরি করেছি যাতে তারা আরোহণ করে থাকে।
Sahih International:
And We created for them from the likes of it that which they ride.



وَ اِنْ نَّشَاْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِیْخَ لَهُمْ وَ لَا هُمْ یُنْقَذُوْنَ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারীখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাযূন।
আল বায়ান:
আর যদি আমি চাই তাদেরকে নিমজ্জিত করে দেই, তখন তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী থাকে না এবং তাদেরকে উদ্ধারও করা হয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইচ্ছে করলে তাদেরকে ডুবিয়ে দিতে পারি, তখন (তাদের ফরিয়াদ শুনার জন্য) কোন সাহায্যকারী থাকবে না, আর তারা পরিত্রাণও পাবে না
Sahih International:
And if We should will, We could drown them; then no one responding to a cry would there be for them, nor would they be saved



اِلَّا رَحْمَۃً مِّنَّا وَ مَتَاعًا اِلٰی حِیْنٍ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হীন।
আল বায়ান:
যদি না আমার পক্ষ থেকে রহমত হয় এবং কিছু সময়ের জন্য উপভোগের সুযোগ দেয়া হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার রহমত না হলে, আর কিছু কালের জন্য তাদেরকে জীবন উপভোগ করতে না দিলে।
Sahih International:
Except as a mercy from Us and provision for a time.



وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمُ اتَّقُوْا مَا بَیْنَ اَیْدِیْکُمْ وَ مَا خَلْفَکُمْ لَعَلَّکُمْ تُرْحَمُوْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুত্তাকূ মা- বাইনা আইদীকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামূন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, যা তোমাদের সামনে আছে এবং যা তোমাদের পিছনে আছে সে বিষয়ে সতর্ক হও, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন বলা হয় ‘‘তোমাদের সামনে যে পরিণাম আসছে তাত্থেকে আর তোমাদের পেছনের (অতীত জাতিগুলোর উপর ঘটে গেছে সে রকম) ‘আযাব থেকে নিজেদেরকে রক্ষা কর যাতে তোমাদের উপর রহম করা হয় (তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়)।’’
Sahih International:
But when it is said to them, "Beware of what is before you and what is behind you; perhaps you will receive mercy... "



وَ مَا تَاْتِیْهِمْ مِّنْ اٰیَۃٍ مِّنْ اٰیٰتِ رَبِّهِمْ اِلَّا کَانُوْا عَنْهَا مُعْرِضِیْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-তা’তীহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন।
আল বায়ান:
আর তাদের রবের নিদর্শনসমূহ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন আসলেই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের নিদর্শন থেকে যখনই কোন নিদর্শন আসে তখনই তারা তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Sahih International:
And no sign comes to them from the signs of their Lord except that they are from it turning away.



وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمْ اَنْفِقُوْا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰهُ ۙ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنُطْعِمُ مَنْ لَّوْ یَشَآءُ اللّٰهُ اَطْعَمَهٗۤ ٭ۖ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-কীলা লাহুম আনফিকূমিম্মা-রাযাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আমানূ আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহূ ইন আনতুম ইল্লা-ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছেন তা থেকে তোমরা ব্যয় কর’, তখন কাফিররা মুমিনদেরকে বলে, ‘আমরা কি তাকে খাদ্য দান করব, আল্লাহ চাইলে যাকে খাদ্য দান করতেন? তোমরা তো স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন বলা হয় ‘আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছেন তাত্থেকে তোমরা (আল্লাহর পথে) ব্যয় কর; তখন কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘‘আমরা কি এমন লোককে খাওয়াবো আল্লাহ ইচ্ছে করলে যাকে খাওয়াতে পারতেন? তোমরা তো স্পষ্ট পথভ্রষ্টতে পড়ে আছ।
Sahih International:
And when it is said to them, "Spend from that which Allah has provided for you," those who disbelieve say to those who believe, "Should we feed one whom, if Allah had willed, He would have fed? You are not but in clear error."



وَ یَقُوْلُوْنَ مَتٰی هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে’? (তা বল) ‘যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলে, ‘‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে বল, (ক্বিয়ামতের) এ ও‘য়াদা কখন পূর্ণ হবে?’’
Sahih International:
And they say, "When is this promise, if you should be truthful?"



مَا یَنْظُرُوْنَ اِلَّا صَیْحَۃً وَّاحِدَۃً تَاْخُذُهُمْ وَ هُمْ یَخِصِّمُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
মা-ইয়ানজু রূনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুযুহুম ইয়াখিসসিমূন।
আল বায়ান:
তারা তো কেবল এক বিকট আওয়াজের অপেক্ষা করছে যা তাদেরকে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত অবস্থায় পাকড়াও করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যে জন্য অপেক্ষা করছে সেটাতো একটা প্রচন্ড শব্দ যা তাদেরকে পাকড়াও করবে যখন তারা নিজেদের মধ্যে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত থাকবে।
Sahih International:
They do not await except one blast which will seize them while they are disputing.



فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَ تَوْصِیَۃً وَّ لَاۤ اِلٰۤی اَهْلِهِمْ یَرْجِعُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন।
আল বায়ান:
সুতরাং না পারবে তারা ওসিয়াত করতে এবং না পারবে তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যেতে।
তাইসিরুল কুরআন:
(ক্বিয়ামত এমনই হঠাৎ আক্রমণ করবে যে) তারা না পারবে ওসীয়াত করতে আর না পারবে তাদের পরিবার পরিজনের কাছে ফিরে যেতে।
Sahih International:
And they will not be able [to give] any instruction, nor to their people can they return.



وَ نُفِخَ فِی الصُّوْرِ فَاِذَا هُمْ مِّنَ الْاَجْدَاثِ اِلٰی رَبِّهِمْ یَنْسِلُوْنَ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলূন।
আল বায়ান:
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা কবর থেকে তাদের রবের দিকে ছুটে আসবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যখন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা ক্ববর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে আসবে।
Sahih International:
And the Horn will be blown; and at once from the graves to their Lord they will hasten.



قَالُوْا یٰوَیْلَنَا مَنْۢ بَعَثَنَا مِنْ مَّرْقَدِنَا ٜۘؐ هٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمٰنُ وَ صَدَقَ الْمُرْسَلُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালূন।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো’? (তাদেরকে বলা হবে) ‘এটা তো তা যার ওয়াদা পরম করুনাময় করেছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! আমাদেরকে আমাদের ঘুমের জায়গা থেকে কে উঠালো? (তাদেরকে জবাব দেয়া হবে) ‘‘এটা হল তাই- দয়াময় আল্লাহ যার ও‘য়াদা দিয়েছিলেন, আর রসূলগণও সত্য কথাই বলেছিলেন।’
Sahih International:
They will say, "O woe to us! Who has raised us up from our sleeping place?" [The reply will be], "This is what the Most Merciful had promised, and the messengers told the truth."



اِنْ کَانَتْ اِلَّا صَیْحَۃً وَّاحِدَۃً فَاِذَا هُمْ جَمِیْعٌ لَّدَیْنَا مُحْضَرُوْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।
আল বায়ান:
তা ছিল শুধুই একটি বিকট আওয়াজ, ফলে তৎক্ষণাৎ তাদের সকলকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
মাত্র একটা প্রচন্ড শব্দ হবে, তক্ষুণি তাদের সব্বাইকে আমার সামনে হাজির করা হবে।
Sahih International:
It will not be but one blast, and at once they are all brought present before Us.



فَالْیَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَیْئًا وَّ لَا تُجْزَوْنَ اِلَّا مَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজযাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
সুতরাং আজ কাউকেই কোন যুলম করা হবে না এবং তোমরা যা আমল করছিলে শুধু তারই প্রতিদান তোমাদের দেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আজ কারো প্রতি কোন যুলম করা হবে না, তোমরা যে ‘আমাল করছিলে তোমাদেরকে কেবল তারই প্রতিফল দেয়া হবে।
Sahih International:
So today no soul will be wronged at all, and you will not be recompensed except for what you used to do.



اِنَّ اَصْحٰبَ الْجَنَّۃِ الْیَوْمَ فِیْ شُغُلٍ فٰکِهُوْنَ ﴿ۚ۵۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফী শুগুলিন ফা-কিহূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় জান্নাতবাসীরা আজ আনন্দে মশগুল থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল হয়ে থাকবে।
Sahih International:
Indeed the companions of Paradise, that Day, will be amused in [joyful] occupation -



هُمْ وَ اَزْوَاجُهُمْ فِیْ ظِلٰلٍ عَلَی الْاَرَآئِکِ مُتَّکِـُٔوْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
হুম ওয়া আযওয়া-জুহুম ফী জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।
আল বায়ান:
তারা ও তাদের স্ত্রীরা ছায়ার মধ্যে সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে উপবিষ্ট থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আর তাদের স্ত্রীরা সুশীতল ছায়ায়, উঁচু উঁচু আসনে হেলান দিয়ে বসবে।
Sahih International:
They and their spouses - in shade, reclining on adorned couches.



لَهُمْ فِیْهَا فَاکِهَۃٌ وَّ لَهُمْ مَّا یَدَّعُوْنَ ﴿ۚۖ۵۷﴾
উচ্চারণ:
লাহুম ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন।
আল বায়ান:
সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফল-ফলাদি এবং থাকবে তারা যা চাইবে তাও।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য সেখানে থাকবে ফলমূল আর তাদের জন্য থাকবে তারা যা কিছু পেতে চাইবে।
Sahih International:
For them therein is fruit, and for them is whatever they request [or wish]



سَلٰمٌ ۟ قَوْلًا مِّنْ رَّبٍّ رَّحِیْمٍ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহীম।
আল বায়ান:
অসীম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে বলা হবে, ‘সালাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
দয়াময় প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদেরকে ‘সালাম’ বলে সম্ভাষণ করা হবে।
Sahih International:
[And] "Peace," a word from a Merciful Lord.



وَ امْتَازُوا الْیَوْمَ اَیُّهَا الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াম তা-যুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমূন।
আল বায়ান:
আর [বলা হবে] ‘হে অপরাধীরা, আজ তোমরা পৃথক হয়ে যাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
(সে দিন বলা হবে) ‘হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।’
Sahih International:
[Then He will say], "But stand apart today, you criminals.



اَلَمْ اَعْهَدْ اِلَیْکُمْ یٰبَنِیْۤ اٰدَمَ اَنْ لَّا تَعْبُدُوا الشَّیْطٰنَ ۚ اِنَّهٗ لَکُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ ﴿ۙ۶۰﴾
উচ্চারণ:
আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানীআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।
আল বায়ান:
হে বনী আদম, আমি কি তোমাদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেইনি যে, ‘তোমরা শয়তানের উপাসনা করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’?
তাইসিরুল কুরআন:
‘হে আদাম সন্তান! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দেইনি যে, তোমরা শয়ত্বানের ‘ইবাদাত করো না, কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?
Sahih International:
Did I not enjoin upon you, O children of Adam, that you not worship Satan - [for] indeed, he is to you a clear enemy -



وَّ اَنِ اعْبُدُوْنِیْ ؕؔ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনি‘বুদূ নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আর আমারই ইবাদাত কর। এটিই সরল পথ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমারই ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল সঠিক পথ।
Sahih International:
And that you worship [only] Me? This is a straight path.



وَ لَقَدْ اَضَلَّ مِنْکُمْ جِبِلًّا کَثِیْرًا ؕ اَفَلَمْ تَکُوْنُوْا تَعْقِلُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছীরা- আফালাম তাকূনূতা‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই শয়তান তোমাদের বহু দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা অনুধাবন করনি?
তাইসিরুল কুরআন:
(কিন্তু তোমাদেরকে সতর্ক করে দেয়া সত্ত্বেও) শয়ত্বান তোমাদের বহু দলকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছে, তবুও কি তোমরা বুঝ না?
Sahih International:
And he had already led astray from among you much of creation, so did you not use reason?



هٰذِهٖ جَهَنَّمُ الَّتِیْ کُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন।
আল বায়ান:
এটি সেই জাহান্নাম যার সম্পর্কে তোমরা ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছিলে।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা সেই জাহান্নাম যে বিষয়ে তোমাদেরকে ভয় দেখানো হয়েছিল।
Sahih International:
This is the Hellfire which you were promised.



اِصْلَوْهَا الْیَوْمَ بِمَا کُنْتُمْ تَکْفُرُوْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।
আল বায়ান:
তোমরা যে কুফরী করতে সে কারণে আজ তোমরা এতে প্রবেশ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আজ তাতে প্রবেশ কর, কেননা তোমরা এটাকে অবিশ্বাস করেছিলে।’
Sahih International:
[Enter to] burn therein today for what you used to deny."



اَلْیَوْمَ نَخْتِمُ عَلٰۤی اَفْوَاهِهِمْ وَ تُکَلِّمُنَاۤ اَیْدِیْهِمْ وَ تَشْهَدُ اَرْجُلُهُمْ بِمَا کَانُوْا یَکْسِبُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
আলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদীহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।
আল বায়ান:
আজ আমি তাদের মুখে মোহর মেরে দেব এবং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে ও তাদের পা সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আজ আমি তাদের মুখে সীল মোহর লাগিয়ে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে, আর তারা যা করত সে সম্পর্কে তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দেবে।
Sahih International:
That Day, We will seal over their mouths, and their hands will speak to Us, and their feet will testify about what they used to earn.



وَ لَوْ نَشَآءُ لَطَمَسْنَا عَلٰۤی اَعْیُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَاَنّٰی یُبْصِرُوْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরূন।
আল বায়ান:
আর যদি আমি চাইতাম তবে তাদের চোখসমূহ অন্ধ করে দিতাম। তখন এরা পথের অন্বেষণে দৌড়ালে কী করে দেখতে পেত?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইচ্ছে করলে তাদের দৃষ্টিশক্তি বিলুপ্ত করে দিতাম। তখন তারা পথের দিকে দৌঁড়ে দেখতে চাইলে কীভাবে তারা দেখতে পেত?
Sahih International:
And if We willed, We could have obliterated their eyes, and they would race to [find] the path, and how could they see?



وَ لَوْ نَشَآءُ لَمَسَخْنٰهُمْ عَلٰی مَکَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوْا مُضِیًّا وَّ لَا یَرْجِعُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন।
আল বায়ান:
আর আমি যদি চাইতাম তবে তাদের স্ব স্ব স্থানে তাদেরকে বিকৃত করে দিতাম। ফলে তারা সামনেও এগিয়ে যেতে পারত না এবং পিছনেও ফিরে আসতে পারত না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইচ্ছে করলে তাদের নিজ নিজ জায়গাতেই তাদের আকৃতি পরিবর্তন করে দিতাম, তখন তারা না সামনের দিকে চলতে পারত, আর না পারত পেছনে ফিরে যেতে।
Sahih International:
And if We willed, We could have deformed them, [paralyzing them] in their places so they would not be able to proceed, nor could they return.



وَ مَنْ نُّعَمِّرْهُ نُنَکِّسْهُ فِی الْخَلْقِ ؕ اَفَلَا یَعْقِلُوْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, সৃষ্টি-অবয়বে আমি তার পরিবর্তন ঘটাই। তবুও কি তারা বুঝবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দেই, তাকে সৃষ্টির ক্ষেত্রে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনি। তবুও কি তারা বুঝে না?
Sahih International:
And he to whom We grant long life We reverse in creation; so will they not understand?



وَ مَا عَلَّمْنٰهُ الشِّعْرَ وَ مَا یَنْۢبَغِیْ لَهٗ ؕ اِنْ هُوَ اِلَّا ذِکْرٌ وَّ قُرْاٰنٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۙ۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহূ ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কুরআ-নুম মুবীন।
আল বায়ান:
আমি রাসূলকে কাব্য শিখাইনি এবং এটি তার জন্য শোভনীয়ও নয়। এ তো কেবল এক উপদেশ ও স্পষ্ট কুরআন মাত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
[কাফিররা রসূল (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে বলে, লোকটা একটা কবি। কিন্তু) আমি রসূলকে কবিতা শিখাইনি, আর তা তার জন্য শোভনীয়ও নয়। তাতো এক উপদেশ ও স্পষ্ট কুরআন ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
Sahih International:
And We did not give Prophet Muhammad, knowledge of poetry, nor is it befitting for him. It is not but a message and a clear Qur'an



لِّیُنْذِرَ مَنْ کَانَ حَیًّا وَّ یَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَی الْکٰفِرِیْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
লিইউনযিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
যাতে তা সতর্ক করতে পারে ঐ ব্যক্তিকে যে জীবিত এবং যাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে অভিযোগবাণী প্রমাণিত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে সে (আত্মিকভাবে) জীবিতকে সতর্ক করতে পারে আর কাফিরদের বিরুদ্ধে অকাট্য দলীল হতে পারে।
Sahih International:
To warn whoever is alive and justify the word against the disbelievers.



اَوَ لَمْ یَرَوْا اَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِّمَّا عَمِلَتْ اَیْدِیْنَاۤ اَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مٰلِکُوْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদীনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকূন।
আল বায়ান:
তারা কি দেখেনি, আমার হাতের তৈরী বস্তুসমূহের মধ্যে আমি তাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তারা হল এগুলোর মালিক।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি দেখে না যে আমার হাতে তৈরি জিনিসগুলোর মধ্যে আমি তাদের জন্য সৃষ্টি করেছি গৃহপালিত পশু আর এখন তারা এগুলোর মালিক!
Sahih International:
Do they not see that We have created for them from what Our hands have made, grazing livestock, and [then] they are their owners?



وَ ذَلَّلْنٰهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَکُوْبُهُمْ وَ مِنْهَا یَاْکُلُوْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকূবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলূন।
আল বায়ান:
আর আমি এগুলোকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এগুলোকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি, ফলে এগুলোর কতক তাদের বাহন, আর এদের কতকগুলো তারা খায়।
Sahih International:
And We have tamed them for them, so some of them they ride, and some of them they eat.



وَ لَهُمْ فِیْهَا مَنَافِعُ وَ مَشَارِبُ ؕ اَفَلَا یَشْکُرُوْنَ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাহুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরূন।
আল বায়ান:
আর তাদের জন্য এগুলোতে রয়েছে আরও বহু উপকারিতা ও পানীয় উপাদান। তবুও কি তারা শোকর আদায় করবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য এগুলোতে আছে বহু উপকার আর পানীয় দ্রব্য। তবুও তারা কেন শুকরিয়া আদায় করে না?
Sahih International:
And for them therein are [other] benefits and drinks, so will they not be grateful?



وَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اٰلِهَۃً لَّعَلَّهُمْ یُنْصَرُوْنَ ﴿ؕ۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারূন।
আল বায়ান:
অথচ তারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য সব ইলাহ গ্রহণ করেছে, এই প্রত্যাশায় যে, তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক ইলাহ গ্রহণ করেছে এই আশায় যে, তারা (ঐ সব ইলাহ দ্বারা) সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।
Sahih International:
But they have taken besides Allah [false] deities that perhaps they would be helped.



لَا یَسْتَطِیْعُوْنَ نَصْرَهُمْ ۙ وَ هُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُّحْضَرُوْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারূন।
আল বায়ান:
এরা তাদের কোন সাহায্য করতে সক্ষম হবে না, বরং এগুলোকে তাদের বিরুদ্ধে বাহিনীরূপে হাযির করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ঐ সব ইলাহ তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম নয়, বরং (উল্টো) এ লোকেরাই (ঐ সব ইলাহকে সাহায্য করার জন্য) সদা প্রস্তুত সেনাবাহিনীর মত হাযির হয়ে আছে।
Sahih International:
They are not able to help them, and they [themselves] are for them soldiers in attendance.



فَلَا یَحْزُنْکَ قَوْلُهُمْ ۘ اِنَّا نَعْلَمُ مَا یُسِرُّوْنَ وَ مَا یُعْلِنُوْنَ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ফালা-ইয়াহযুনকা কাওলুহুম । ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন।
আল বায়ান:
সুতরাং তাদের কথা তোমাকে যেন চিন্তিত না করে, নিশ্চয় আমি জানি তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তাদের কথাবার্তা তোমাকে যেন দুঃখ না দেয়; আমি জানি তারা যা গোপন করে, আর যা প্রকাশ করে।
Sahih International:
So let not their speech grieve you. Indeed, We know what they conceal and what they declare.



اَوَ لَمْ یَرَ الْاِنْسَانُ اَنَّا خَلَقْنٰهُ مِنْ نُّطْفَۃٍ فَاِذَا هُوَ خَصِیْمٌ مُّبِیْنٌ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসীমুম মুবীন।
আল বায়ান:
মানুষ কি দেখেনি যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু থেকে? অথচ সে (বনে যায়) একজন প্রকাশ্য কুটতর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ কি দেখে না যে আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু হতে? অতঃপর সে হয়ে গেল সুস্পষ্ট ঝগড়াটে।
Sahih International:
Does man not consider that We created him from a [mere] sperm-drop - then at once he is a clear adversary?



وَ ضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَّ نَسِیَ خَلْقَهٗ ؕ قَالَ مَنْ یُّحْیِ الْعِظَامَ وَ هِیَ رَمِیْمٌ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহূ কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইজা-মা ওয়া হিয়া রামীম।
আল বায়ান:
আর সে আমার উদ্দেশ্যে উপমা পেশ করে, অথচ সে তার নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে, ‘হাড়গুলো জরাজীর্ণ হওয়া অবস্থায় কে সেগুলো জীবিত করবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে (আমার সৃষ্টির সাথে) আমার তুলনা করে, অথচ সে তার নিজের সৃষ্টির ব্যপারটি ভুলে যায় (যে তাকে আমিই সৃষ্টি করেছি)। সে বলে, ‘হাড়গুলোকে কে আবার জীবন্ত করবে যখন তা পচে গলে যাবে?’’
Sahih International:
And he presents for Us an example and forgets his [own] creation. He says, "Who will give life to bones while they are disintegrated?"



قُلْ یُحْیِیْهَا الَّذِیْۤ اَنْشَاَهَاۤ اَوَّلَ مَرَّۃٍ ؕ وَ هُوَ بِکُلِّ خَلْقٍ عَلِیْمُۨ ﴿ۙ۷۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ইউহয়ী হাল্লাযী আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলীমু।
আল বায়ান:
বল, ‘যিনি প্রথমবার এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই সেগুলো পুনরায় জীবিত করবেন। আর তিনি সকল সৃষ্টি সম্পর্কেই সর্বজ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘‘তাকে তিনিই জীবন্ত করবেন যিনি ওগুলোকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন, আর তিনি প্রতিটি সৃষ্টি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত।
Sahih International:
Say, "He will give them life who produced them the first time; and He is, of all creation, Knowing."



الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمْ مِّنَ الشَّجَرِ الْاَخْضَرِ نَارًا فَاِذَاۤ اَنْتُمْ مِّنْهُ تُوْقِدُوْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইযা-আনতুম মিনহু তূকিদূন।
আল বায়ান:
যিনি সবুজ বৃক্ষ থেকে তোমাদের জন্য আগুন তৈরী করেছেন। ফলে তা থেকে তোমরা আগুন জ্বালাও।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি তোমাদের জন্য সবুজ গাছ হতে আগুন তৈরি করেছেন, অতঃপর তোমরা তাত্থেকে আগুন জ্বালাও।
Sahih International:
[It is] He who made for you from the green tree, fire, and then from it you ignite.



اَوَ لَیْسَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤی اَنْ یَّخْلُقَ مِثْلَهُمْ ؕ؃ بَلٰی ٭ وَ هُوَ الْخَلّٰقُ الْعَلِیْمُ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
আওয়া লাইছাল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ, তিনিই মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন তিনি কি সেই লোকদের অনুরূপ (আবার) সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হাঁ, অবশ্যই। তিনি মহা স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
Is not He who created the heavens and the earth Able to create the likes of them? Yes, [it is so]; and He is the Knowing Creator.



اِنَّمَاۤ اَمْرُهٗۤ اِذَاۤ اَرَادَ شَیْئًا اَنْ یَّقُوْلَ لَهٗ کُنْ فَیَکُوْنُ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামাআমরুহূ ইযাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকূলা লাহূকুন ফাইয়াকূন।
আল বায়ান:
তাঁর ব্যাপার শুধু এই যে, কোন কিছুকে তিনি যদি ‘হও’ বলতে চান, তখনই তা হয়ে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁর কাজকর্ম কেবল এ রকম যে, যখন তিনি কোন কিছুর ইচ্ছে করেন তখন তাকে হুকুম করেন যে হয়ে যাও, আর অমনি তা হয়ে যায়।
Sahih International:
His command is only when He intends a thing that He says to it, "Be," and it is.



فَسُبْحٰنَ الَّذِیْ بِیَدِهٖ مَلَکُوْتُ کُلِّ شَیْءٍ وَّ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ফাছুবহা-নাল্লাযী বিয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
আল বায়ান:
অতএব পবিত্র মহান তিনি, যার হাতে রয়েছে সকল কিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই পবিত্র ও মহান তিনি যাঁর হাতে সব কিছুর সর্বময় কর্তৃত্ব, আর তাঁর কাছেই তোমাদের (সকলকে) ফিরিয়ে আনা হবে।
Sahih International:
So exalted is He in whose hand is the realm of all things, and to Him you will be returned.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।