আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْۤ اَنْزَلَ عَلٰی عَبْدِهِ الْکِتٰبَ وَ لَمْ یَجْعَلْ لَّهٗ عِوَجًا ؕ﴿ٜ۱﴾
উচ্চারণ:
আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযীআনযালা ‘আলা-‘আবদিহিল কিতা-বা ওয়ালাম ইয়াজ‘আল্লাহূ ‘ইওয়াজা-।
আল বায়ান:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দার উপর কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে রাখেননি কোন বক্রতা ।
তাইসিরুল কুরআন:
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, আর তাতে কোন বক্রতার অবকাশ রাখেননি।
Sahih International:
[All] praise is [due] to Allah, who has sent down upon His Servant the Book and has not made therein any deviance.



قَیِّمًا لِّیُنْذِرَ بَاْسًا شَدِیْدًا مِّنْ لَّدُنْهُ وَ یُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِیْنَ الَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَهُمْ اَجْرًا حَسَنًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
কাইয়িমাল লিইউনযিরা বা’ছান শাদীদাম মিল্লাদুনহু ওয়া ইউবাশশিরাল মু’মিনীনাল্লাযীনা ইয়া‘মালূনাসসা-লিহা-তি আন্না লাহুম আজরান হাছানা-।
আল বায়ান:
সরলরূপে, যাতে সে তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন আযাব সম্পর্কে সতর্ক করে এবং সুসংবাদ দেয়, সেসব মুমিনকে, যারা সৎকর্ম করে, নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান।
তাইসিরুল কুরআন:
(তিনি সেটাকে করেছেন) সত্য, স্পষ্ট ও অকাট্য তাঁর কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য। আর যারা সৎকাজ করে সেই মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য যে, তাদের জন্য আছে উত্তম প্রতিফল।
Sahih International:
[He has made it] straight, to warn of severe punishment from Him and to give good tidings to the believers who do righteous deeds that they will have a good reward



مَّاکِثِیْنَ فِیْهِ اَبَدًا ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
মা-কিছীনা ফীহি আবাদা-।
আল বায়ান:
তারা তাতে অনন্তকাল অবস্থান করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাতে তারা চিরকাল থাকবে।
Sahih International:
In which they will remain forever



وَّ یُنْذِرَ الَّذِیْنَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا ٭﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইউনযিরাল্লাযীনা কা-লুত্তাখাযাল্লা-হু ওয়ালাদা-।
আল বায়ান:
আর যেন সতর্ক করে তাদেরকে, যারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদেরকে সতর্ক করার জন্য যারা বলে, ‘আল্লাহ পুত্র গ্রহণ করেছেন।’
Sahih International:
And to warn those who say, "Allah has taken a son."



مَا لَهُمْ بِهٖ مِنْ عِلْمٍ وَّ لَا لِاٰبَآئِهِمْ ؕ کَبُرَتْ کَلِمَۃً تَخْرُجُ مِنْ اَفْوَاهِهِمْ ؕ اِنْ یَّقُوْلُوْنَ اِلَّا کَذِبًا ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
মা-লাহুম বিহী মিন ‘ইলমিওঁ ওয়ালা-লিআ-বাইহিম কাবুরাত কালিমাতান তাখরুজু মিন আফওয়া-হিহিম ইয়ঁইয়াকূলূনা ইল্লা-কাযিবা-।
আল বায়ান:
এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও না। বড় মারাত্মক কথা, যা তাদের মুখ থেকে বের হয়। মিথ্যা ছাড়া তারা কিছুই বলে না!
তাইসিরুল কুরআন:
এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই, আর তাদের পিতৃ-পুরুষদেরও ছিল না। তাদের মুখ থেকে বের হয় বড়ই সাংঘাতিক কথা। তারা যা বলে তা মিথ্যে ছাড়া কিছুই নয়।
Sahih International:
They have no knowledge of it, nor had their fathers. Grave is the word that comes out of their mouths; they speak not except a lie.



فَلَعَلَّکَ بَاخِعٌ نَّفْسَکَ عَلٰۤی اٰثَارِهِمْ اِنْ لَّمْ یُؤْمِنُوْا بِهٰذَا الْحَدِیْثِ اَسَفًا ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ফালা‘আল্লাকা বা-খি‘উন্নাফছাকা ‘আলা আ-ছা-রিহিম ইল্লাম ইউ’মিনূ বিহা-যাল হাদীছিআছাফা-।
আল বায়ান:
হয়তো তুমি তাদের পেছনে পেছনে ঘুরে দুঃখে নিজকে শেষ করে দেবে, যদি তারা এই কথার প্রতি ঈমান না আনে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা এ বাণীতে (কুরআনে) বিশ্বাস না করার কারণে মনে হচ্ছে (হে নাবী!) তুমি তার দুঃখে তোমার নিজের জান বিনাশ করে দেবে।
Sahih International:
Then perhaps you would kill yourself through grief over them, [O Muhammad], if they do not believe in this message, [and] out of sorrow.



اِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَی الْاَرْضِ زِیْنَۃً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ اَیُّهُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-জা‘আলনা-মা-‘আলাল আরদি যীনাতাল্লাহা- লিনাবলুওয়াহুম আইয়ুহুম আহছানু ‘আমালা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যমীনের উপর যা রয়েছে, তা আমি শোভা করেছি তার জন্য, যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করি যে, কর্মে তাদের মধ্যে কে উত্তম।
তাইসিরুল কুরআন:
যমীনের উপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার শোভা-সৌন্দর্য করেছি যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, ‘আমালের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।
Sahih International:
Indeed, We have made that which is on the earth adornment for it that We may test them [as to] which of them is best in deed.



وَ اِنَّا لَجٰعِلُوْنَ مَا عَلَیْهَا صَعِیْدًا جُرُزًا ؕ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না-লাজা-‘ইলূনা মা-‘আলাইহা-সা‘ঈদান জুরুযা-।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তার উপর যা রয়েছে তাকে আমি উদ্ভিদহীন শুষ্ক মাটিতে পরিণত করব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি অবশ্যই তার উপর যা আছে তা বৃক্ষলতাহীন শুকনো ধূলা মাটিতে পরিণত করব।
Sahih International:
And indeed, We will make that which is upon it [into] a barren ground.



اَمْ حَسِبْتَ اَنَّ اَصْحٰبَ الْکَهْفِ وَ الرَّقِیْمِ ۙ کَانُوْا مِنْ اٰیٰتِنَا عَجَبًا ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
আম হাছিবতা আন্না আসহা-বাল কাহফি ওয়ার রাকীমি কা-নূমিন আ-য়া-তিনা‘আজাবা-।
আল বায়ান:
তুমি কি মনে করেছ যে, গুহা ও রাকীমের* অধিবাসীরা ছিল আমার আয়াতসমূহের এক বিস্ময়?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি মনে কর যে, গুহা ও রকীমের অধিবাসীরা ছিল আমার নিদর্শনগুলোর মধ্যে বিস্ময়কর?
Sahih International:
Or have you thought that the companions of the cave and the inscription were, among Our signs, a wonder?



اِذْ اَوَی الْفِتْیَۃُ اِلَی الْکَهْفِ فَقَالُوْا رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنْ لَّدُنْکَ رَحْمَۃً وَّ هَیِّیٴْ لَنَا مِنْ اَمْرِنَا رَشَدًا ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইয আওয়াল ফিতইয়াতুইলাল কাহফি ফাকা-লূরাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।
আল বায়ান:
যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল অতঃপর বলল, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকান্ড সঠিক করে দিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
যুবকরা যখন গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করল তখন তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার নিকট হতে আমাদেরকে রহমত দান কর আর আমাদের ব্যাপারটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন কর।’
Sahih International:
[Mention] when the youths retreated to the cave and said, "Our Lord, grant us from Yourself mercy and prepare for us from our affair right guidance."



فَضَرَبْنَا عَلٰۤی اٰذَانِهِمْ فِی الْکَهْفِ سِنِیْنَ عَدَدًا ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফাদারাবনা-‘আলাআ-যা-নিহিম ফিল কাহফি ছিনীনা ‘আদাদা-।
আল বায়ান:
ফলে আমি গুহায় তাদের কান বন্ধ করে দিলাম অনেক বছরের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাদেরকে গুহায় ঘুমন্ত অবস্থায় কয়েক বছর রেখে দিলাম।
Sahih International:
So We cast [a cover of sleep] over their ears within the cave for a number of years.



ثُمَّ بَعَثْنٰهُمْ لِنَعْلَمَ اَیُّ الْحِزْبَیْنِ اَحْصٰی لِمَا لَبِثُوْۤا اَمَدًا ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা বা‘আছনা-হুম লিনা‘লামা আইয়ুল হিযবাইনি আহসা-লিমা-লাবিছূদ্মআমাদা-।
আল বায়ান:
তারপর আমি তাদেরকে জাগালাম, যাতে আমি জানতে পারি, যতটুকু সময় তারা অবস্থান করেছিল, দু’দলের মধ্যে* কে তা অধিক নির্ণয়কারী।
তাইসিরুল কুরআন:
পরে তাদেরকে জাগ্রত করলাম এটা জানার জন্য যে, (গুহাবাসীরা আর যাদের যুগে তারা জাগ্রত হয়েছিল সে যুগের লোকেরা এ) দু’টি দলের মধ্যে কোনটি তাদের অবস্থানকালের সঠিক হিসাব করতে পারে।
Sahih International:
Then We awakened them that We might show which of the two factions was most precise in calculating what [extent] they had remained in time.



نَحْنُ نَقُصُّ عَلَیْکَ نَبَاَهُمْ بِالْحَقِّ ؕ اِنَّهُمْ فِتْیَۃٌ اٰمَنُوْا بِرَبِّهِمْ وَ زِدْنٰهُمْ هُدًی ﴿٭ۖ۱۳﴾
উচ্চারণ:
নাহনুনাকুসসু‘আলাইকা নাবাআহুম বিলহাক্কি ইন্নাহুম ফিতইয়াতুন আ-মানূ বিরাব্বিহিম ওয়াযিদনা-হুম হুদা-।
আল বায়ান:
আমিই তোমাকে তাদের সংবাদ সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। নিশ্চয় তারা কয়েকজন যুবক, যারা তাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের সঠিক বৃত্তান্ত তোমার কাছে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক, তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছিল আর আমি তাদের হিদায়াত (ঈমানী চেতনাকে) বৃদ্ধি করে দিয়েছিলাম।
Sahih International:
It is We who relate to you, [O Muhammad], their story in truth. Indeed, they were youths who believed in their Lord, and We increased them in guidance.



وَّ رَبَطْنَا عَلٰی قُلُوْبِهِمْ اِذْ قَامُوْا فَقَالُوْا رَبُّنَا رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ لَنْ نَّدْعُوَا۠ مِنْ دُوْنِهٖۤ اِلٰـهًا لَّقَدْ قُلْنَاۤ اِذًا شَطَطًا ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাবাতনা-‘আলা-কুলূবিহিম ইয কা-মূফাকা-লূরাব্বুনা-রাব্বুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিলান নাদ‘উওয়া মিন দূনিহীইলা-হাল লাকাদ কুলনাইযান শাতাতা-।
আল বায়ান:
যখন তারা উঠেছিল, আমি তাদের অন্তরকে দৃঢ় করেছিলাম। তখন তারা বলল, ‘আমাদের রব আসমানসমূহ ও যমীনের রব। তিনি ছাড়া কোন ইলাহকে আমরা কখনো ডাকব না। (যদি ডাকি) তাহলে নিশ্চয় আমরা গর্হিত কথা বলব’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের দিল মযবুত করে দিয়েছিলাম যখন তারা (মুশরিক রাজা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে) দাঁড়িয়ে গেল তখন বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক তো তিনিই যিনি আসমানসমূহ যমীনের প্রতিপালক। আমরা কক্ষনো তাঁকে ত্যাগ করে অন্য কোন ইলাহকে ডাকব না। যদি আমরা ডাকি তাহলে মহা অপরাধের কথাই বলা হবে।
Sahih International:
And We made firm their hearts when they stood up and said, "Our Lord is the Lord of the heavens and the earth. Never will we invoke besides Him any deity. We would have certainly spoken, then, an excessive transgression.



هٰۤؤُلَآءِ قَوْمُنَا اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَۃً ؕ لَوْ لَا یَاْتُوْنَ عَلَیْهِمْ بِسُلْطٰنٍۭ بَیِّنٍ ؕ فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ﴿ؕ۱۵﴾
উচ্চারণ:
হাউলাই কাওমুনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআ-লিহাতাল লাওলা-ইয়া’তূনা ‘আলাইহিম বিছুলতা-নিম বাইয়িনিন ফামান আজলামুমিম্মানিফতারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবা-।
আল বায়ান:
এরা আমাদের কওম, তারা তাঁকে ছাড়া অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে। কেন তারা তাদের ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করে না? অতএব যে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রটায়, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে?
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের জাতির এই লোকেরা তাঁর পরিবর্তে বহু ইলাহ গ্রহণ করেছে, তারা তাদের ইলাহদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ পেশ করে না কেন? তার থেকে বড় যালিম আর কে হতে পারে যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে?
Sahih International:
These, our people, have taken besides Him deities. Why do they not bring for [worship of] them a clear authority? And who is more unjust than one who invents about Allah a lie?"



وَ اِذِ اعْتَزَلْتُمُوْهُمْ وَمَا یَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللّٰهَ فَاْ وٗۤا اِلَی الْکَهْفِ یَنْشُرْ لَکُمْ رَبُّکُمْ مِّنْ رَّحْمَتِهٖ وَیُهَیِّیٴْ لَکُمْ مِّنْ اَمْرِکُمْ مِّرْفَقًا ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযি‘তাযালতুমূহুম ওয়ামা-ইয়া‘বুদূনা ইল্লাল্লা-হা ফা’ঊইলাল কাহফি ইয়ানশুরুলাকুম রাব্বুকুম মির রাহমাতিহী ওয়া ইউহাইয়ি’ লাকুম মিন আমরিকুম মিরফাকা-।
আল বায়ান:
আর যখন তোমরা তাদের থেকে আলাদা হয়েছ এবং আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা উপাসনা করে তাদের থেকেও, তখন গুহায় আশ্রয় নাও। তাহলে তোমাদের রব তোমাদের জন্য তার রহমত উন্মুক্ত করে দেবেন এবং তোমাদের জন্য তোমাদের জীবনোপকরণের বিষয়টি সহজ করে দেবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
এখন যেহেতু তোমরা তাদের থেকে আর তারা আল্লাহ ছাড়া যেগুলোর ‘ইবাদাত করে তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিয়েছ, তখন চল, গুহায় গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালক তাঁর কল্যাণ বিস্তার করবেন আর তোমাদের কাজ-কর্মকে ফলদায়ক করে দেবেন।’
Sahih International:
[The youths said to one another], "And when you have withdrawn from them and that which they worship other than Allah, retreat to the cave. Your Lord will spread out for you of His mercy and will prepare for you from your affair facility."



وَ تَرَی الشَّمْسَ اِذَا طَلَعَتْ تَّزٰوَرُ عَنْ کَهْفِهِمْ ذَاتَ الْیَمِیْنِ وَ اِذَا غَرَبَتْ تَّقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ وَ هُمْ فِیْ فَجْوَۃٍ مِّنْهُ ؕ ذٰلِکَ مِنْ اٰیٰتِ اللّٰهِ ؕ مَنْ یَّهْدِ اللّٰهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ ۚ وَ مَنْ یُّضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهٗ وَلِیًّا مُّرْشِدًا ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তারাশশামছা ইযা-তালা‘আততাযা-ওয়ারু ‘আন কাহফিহিম যা-তাল ইয়ামীনি ওয়া ইযা-গারাবাত তাকরিদুহুম যা-তাশশিমা-লি ওয়া হুম ফী ফাজওয়াতিম মিনহু যালিকা মিন আ-য়া-তিল্লা-হি মাইঁ ইয়াহদিল্লা-হু ফাহুওয়াল মুহতাদি ওয়া মাই ইউদলিল ফালান তাজিদা লাহূত্তয়ালিইইয়াম মুরশিদা-।
আল বায়ান:
আর তুমি দেখতে পেতে, সূর্য উদিত হলে তাদের গুহার ডানে তা হেলে পড়ছে, আর অস্ত গেলে তাদেরকে বামে রেখে কেটে যাচ্ছে, তখন তারা ছিল তার আঙিনায়। এগুলো আল্লাহর আয়াতসমূহের কিছু। আল্লাহ যাকে হিদায়াত দেন, সে হেদায়াতপ্রাপ্ত। আর যাকে ভ্রষ্ট করেন, তুমি তার জন্য পথনির্দেশকারী কোন অভিভাবক পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি দেখতে পেতে সূর্য উদয়ের সময় তাদের গুহা হতে ডান দিকে হেলে যেত, আর যখন তা অস্তমিত হত তখন তা তাদের থেকে বাম দিকে নেমে যেত, আর তারা ছিল গুহার অভ্যন্তরে বিশাল চত্বরে। এ হচ্ছে আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথ দেখান সে সঠিকপথপ্রাপ্ত আর যাকে তিনি পথহারা করেন, তার জন্য তুমি কক্ষনো সৎপথের দিশা দানকারী অভিভাবক পাবে না।
Sahih International:
And [had you been present], you would see the sun when it rose, inclining away from their cave on the right, and when it set, passing away from them on the left, while they were [laying] within an open space thereof. That was from the signs of Allah. He whom Allah guides is the [rightly] guided, but he whom He leaves astray - never will you find for him a protecting guide.



وَ تَحْسَبُهُمْ اَیْقَاظًا وَّ هُمْ رُقُوْدٌ ٭ۖ وَّ نُقَلِّبُهُمْ ذَاتَ الْیَمِیْنِ وَ ذَاتَ الشِّمَالِ ٭ۖ وَ کَلْبُهُمْ بَاسِطٌ ذِرَاعَیْهِ بِالْوَصِیْدِ ؕ لَوِ اطَّلَعْتَ عَلَیْهِمْ لَوَلَّیْتَ مِنْهُمْ فِرَارًا وَّ لَمُلِئْتَ مِنْهُمْ رُعْبًا ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাহছাবুহুম আইকা-জাওঁ ওয়া হুম রুকূদুওঁ ওয়া নুকালিলবুহুম যা-তাল ইয়ামীনি ওয়া যা-তাশশিমা-লি ওয়াকালবুহুম বা-ছিতু ন যিরা-‘আইহি বিল ওয়াসীদি লাবিততালা‘তা ‘আলাইহিম লাওয়াল্লাইতা মিনহুম ফিরা-রাওঁ ওয়ালামুলি’তা মিনহুম রু‘বা-।
আল বায়ান:
তুমি তাদেরকে মনে করতে জাগ্রত, অথচ তারা ছিল ঘুমন্ত, আমি তাদেরকে পাশ পরিবর্তন করাচ্ছি ডানে ও বামে এবং তাদের কুকুরটি আঙিনায় তার সামনের দু’পা বাড়িয়ে আছে। যদি তুমি তাদেরকে উঁকি মেরে দেখতে, তবে নিশ্চয় তাদের থেকে পেছনে ফিরে পালিয়ে যেতে এবং অবশ্যই তাদের কারণে ভীষণ ভীত হতে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি মনে করবে যে তারা সজাগ, অথচ তারা ছিল ঘুমন্ত, আমি তাদের ডানে বামে পার্শ্ব পরিবর্তন করাতাম। আর তাদের কুকুরটি ছিল গুহাদ্বারের সম্মুখে তার সামনের পা দু’টি প্রসারিত করে। তুমি যদি তাদেরকে তাকিয়ে দেখতে তাহলে অবশ্যই পেছন ফিরে পালিয়ে যেতে, আর অবশ্যই তাদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়তে।
Sahih International:
And you would think them awake, while they were asleep. And We turned them to the right and to the left, while their dog stretched his forelegs at the entrance. If you had looked at them, you would have turned from them in flight and been filled by them with terror.



وَ کَذٰلِکَ بَعَثْنٰهُمْ لِیَتَسَآءَلُوْا بَیْنَهُمْ ؕ قَالَ قَآئِلٌ مِّنْهُمْ کَمْ لَبِثْتُمْ ؕ قَالُوْا لَبِثْنَا یَوْمًا اَوْ بَعْضَ یَوْمٍ ؕ قَالُوْا رَبُّکُمْ اَعْلَمُ بِمَا لَبِثْتُمْ ؕ فَابْعَثُوْۤا اَحَدَکُمْ بِوَرِقِکُمْ هٰذِهٖۤ اِلَی الْمَدِیْنَۃِ فَلْیَنْظُرْ اَیُّهَاۤ اَزْکٰی طَعَامًا فَلْیَاْتِکُمْ بِرِزْقٍ مِّنْهُ وَ لْـیَؔ‍‍‍تَلَطَّفْ وَ لَا یُشْعِرَنَّ بِکُمْ اَحَدًا ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা বা‘আছনা-হুম লিইয়াতাছাআলূবাইনাহুম কা-লা কাইলুম মিনহুম কাম লাবিছতুম কা-লূলাবিছনা-ইয়াওমান আও বা‘দা ইয়াওমিন কালূরাব্বুকুম আ‘লামুবিমা-লাবিছতুম ফাব‘আছূআহাদাকুম বিওয়ারিকিকুম হাযিহীইলাল মাদীনাতি ফালইয়ানজু র আইয়ুহাআযকা-তা‘আ-মান ফালইয়া’তিকুম বিরিযকিম মিনহু ওয়াল ইয়াতালাততাফ ওয়ালা-ইউশ‘ইরান্না বিকুম আহাদা-।
আল বায়ান:
আর এমনিভাবে আমি তাদেরকে জাগিয়ে তুলেছিলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসা করে। তাদের একজন বলল, ‘তোমরা কতক্ষণ অবস্থান করলে’? তারা বলল, ‘আমরা একদিন কিংবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি। তারা বলল, ‘তোমরা কতক্ষণ অবস্থান করেছ, সে ব্যাপারে তোমাদের রবই অধিক জানেন। তাই তোমরা তোমাদের কাউকে তোমাদের এই রৌপ্যমুদ্রাগুলো দিয়ে শহরে পাঠাও। অতঃপর সে যেন দেখে শহরের কোন্ খাবার একেবারে ভেজালমুক্ত, তখন সে যেন তোমাদের জন্য তা থেকে কিছু খাবার নিয়ে আসে। আর সে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবে এবং কাউকে যেন তোমাদের ব্যাপারে না জানায়’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের এই অবস্থায় আমি তাদেরকে জাগ্রত করলাম যাতে তারা পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল, ‘তোমরা ক’দ্দিন থাকলে?’ তারা বলল, ‘আমরা একদিন কিংবা একদিনের কিছু অংশ হয়তো রয়েছি।’ (শেষে) তারা (সবাই) বলল, ‘তোমাদের প্রতিপালকই ভাল জানেন তোমরা কতকাল রয়েছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রা নিয়ে শহরে পাঠিয়ে দাও। সে যেন দেখে উত্তম খাবার কোনটি আর তাথেকে তোমাদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসে। সে যেন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করে, আর তোমাদের ব্যাপারে কেউ যেন কোনক্রমেই টের না পায়।
Sahih International:
And similarly, We awakened them that they might question one another. Said a speaker from among them, "How long have you remained [here]?" They said, "We have remained a day or part of a day." They said, "Your Lord is most knowing of how long you remained. So send one of you with this silver coin of yours to the city and let him look to which is the best of food and bring you provision from it and let him be cautious. And let no one be aware of you.



اِنَّهُمْ اِنْ یَّظْهَرُوْا عَلَیْکُمْ یَرْجُمُوْکُمْ اَوْ یُعِیْدُوْکُمْ فِیْ مِلَّتِهِمْ وَ لَنْ تُفْلِحُوْۤا اِذًا اَبَدًا ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহুম ইয়ঁ ইয়াজহারূ‘আলাইকুম ইয়ারজুমূকুম আও ইউ‘ঈদূকুম ফী মিল্লাতিহিম ওয়ালান তুফলিহূইযান আবাদা-।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় তারা যদি তোমাদের ব্যাপারে জেনে যায়, তাহলে তারা তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করবে অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আর তখন তোমরা কোনভাবেই সফল হবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
যদি তারা তোমাদের কথা জেনে ফেলে তাহলে তারা তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করবে কিংবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নিবে, সে অবস্থায় তোমরা কক্ষনো কল্যাণ লাভ করতে পারবে না।’
Sahih International:
Indeed, if they come to know of you, they will stone you or return you to their religion. And never would you succeed, then - ever."



وَ کَذٰلِکَ اَعْثَرْنَا عَلَیْهِمْ لِیَعْلَمُوْۤا اَنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ اَنَّ السَّاعَۃَ لَا رَیْبَ فِیْهَا ۚ٭ اِذْ یَتَنَازَعُوْنَ بَیْنَهُمْ اَمْرَهُمْ فَقَالُوا ابْنُوْا عَلَیْهِمْ بُنْیَانًا ؕ رَبُّهُمْ اَعْلَمُ بِهِمْ ؕ قَالَ الَّذِیْنَ غَلَبُوْا عَلٰۤی اَمْرِهِمْ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَیْهِمْ مَّسْجِدًا ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা আ‘ছারনা-‘আলাইহিম লিইয়া‘লামূআন্না-ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়া আন্নাছছা-‘আতা লা-রাইবা ফীহা- ইয ইয়াতানা -যা‘ঊনা বাইনাহুম আমরাহুম ফাকালুবনূ‘আলাইহিম বুনইয়া-নার রাব্বুহুম আ‘লামুবিহিম কা-লাল্লাযীনা গালাবূ ‘আলাআমরিহিম লানাত্তাখিযান্না ‘আলাইহিম মাছজিদা-।
আল বায়ান:
আর এমনিভাবে আমি তাদের ব্যাপারে (লোকদেরকে) জানিয়ে দিলাম, যাতে তারা জানতে পারে যে, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কিয়ামতের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজদের মধ্যে তাদের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল, ‘তাদের উপর তোমরা একটি ভবন নির্মাণ কর’। তাদের রবই তাদের ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত। যারা গুহাবাসীদের উপর প্রাধান্য লাভ করেছিল, তারা বলল, ‘আমরা অবশ্যই তাদের উপর একটি মসজিদ নির্মাণ করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এভাবে তাদের ব্যাপারটা লোকেদেরকে ওয়াকিফহাল করে দিলাম যাতে তারা জানতে পারে যে, আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য, আর ক্বিয়ামাতের দিন সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা (অর্থাৎ নগরবাসীরা) নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদ করছিল, (কতক) বলল, ‘তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।’ তাদের প্রতিপালক তাদের সম্পর্কে ভাল জানেন। তাদের কর্তব্যকর্ম সম্পর্কে যাদের মতামত প্রাধান্য লাভ করল তারা বলল, ‘আমরা তাদের উপর অবশ্য অবশ্যই মাসজিদ নির্মাণ করব।’
Sahih International:
And similarly, We caused them to be found that they [who found them] would know that the promise of Allah is truth and that of the Hour there is no doubt. [That was] when they disputed among themselves about their affair and [then] said, "Construct over them a structure. Their Lord is most knowing about them." Said those who prevailed in the matter, "We will surely take [for ourselves] over them a masjid."



سَیَقُوْلُوْنَ ثَلٰثَۃٌ رَّابِعُهُمْ کَلْبُهُمْ ۚ وَ یَقُوْلُوْنَ خَمْسَۃٌ سَادِسُهُمْ کَلْبُهُمْ رَجْمًۢا بِالْغَیْبِ ۚ وَ یَقُوْلُوْنَ سَبْعَۃٌ وَّ ثَامِنُهُمْ کَلْبُهُمْ ؕ قُلْ رَّبِّیْۤ اَعْلَمُ بِعِدَّتِهِمْ مَّا یَعْلَمُهُمْ اِلَّا قَلِیْلٌ ۬۟ فَلَا تُمَارِ فِیْهِمْ اِلَّا مِرَآءً ظَاهِرًا ۪ وَّ لَا تَسْتَفْتِ فِیْهِمْ مِّنْهُمْ اَحَدًا ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ছাইয়াকূলূনা ছালা-ছাতুর রা-বি‘উহুম কালবুহুম ওয়া ইয়াকূলূনা খামছাতুন ছা-দিছুহুম কালবুহুম রাজমাম বিলগাইবি ওয়া ইয়াকূলূনা ছাব‘আতুওঁ ওয়া ছা-মিনুহুম কালবুহুম কুর রাববীআ‘লামুবি‘ইদ্দাতিহিম মা-ইয়া‘লামুহুম ইল্লা-কালীলুন ফালা-তুমারি ফীহিম ইল্লা-মিরাআন জা-হিরাওঁ ওয়ালা-তাছতাফতি ফীহিম মিনহুম আহাদা-।
আল বায়ান:
বিতর্ককারীরা বলবে, ‘তারা ছিল তিন জন, চতুর্থ হল তাদের কুকুর’। আর কতক বলবে, ‘তারা ছিল পাঁচজন, ষষ্ঠ হল তাদের কুকুর’। এসবই অজানা বিষয়ে অনুমান করে। আর কেউ কেউ বলবে, ‘তারা ছিল সাত জন; অষ্টম হল তাদের কুকুর’। বল, ‘আমার রবই তাদের সংখ্যা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত’। কম সংখ্যক লোকই তাদেরকে জানে। সুতরাং স্পষ্ট আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের ব্যাপারে বিতর্ক করো না। আর তাদের ব্যাপারে লোকদের মধ্যে কারো কাছে জানতে চেয়ো না।
তাইসিরুল কুরআন:
কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল তিনজন, তাদের চতুর্থটি ছিল তাদের কুকুর।’ আর কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল পাঁচ জন, তাদের ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর’, (এ কথা তারা বলবে) অজানা বিষয়ে সন্দেহপূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে। আবার তাদের কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল সাতজন, আর তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর।’ বল, ‘তাদের সংখ্যা সম্পর্কে আমার প্রতিপালকই বেশি জানেন।’ অল্প কয়জন ছাড়া তাদের সংখ্যা সম্পর্কে কেউ জানে না। কাজেই সাধারণ কথাবার্তা ছাড়া তাদের ব্যাপার নিয়ে বিতর্ক করো না, আর তাদের সম্পর্কে কারো কাছে কিছু জিজ্ঞেসও করো না।
Sahih International:
They will say there were three, the fourth of them being their dog; and they will say there were five, the sixth of them being their dog - guessing at the unseen; and they will say there were seven, and the eighth of them was their dog. Say, [O Muhammad], "My Lord is most knowing of their number. None knows them except a few. So do not argue about them except with an obvious argument and do not inquire about them among [the speculators] from anyone."



وَ لَا تَقُوْلَنَّ لِشَایْءٍ اِنِّیْ فَاعِلٌ ذٰلِکَ غَدًا ﴿ۙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকূলান্না লিশাইয়িন ইন্নী ফা-‘ইলুন যা-লিকা গাদা-।
আল বায়ান:
আর কোন কিছুর ব্যাপারে তুমি মোটেই বলবে না যে, ‘নিশ্চয় আমি তা আগামী কাল করব’,
তাইসিরুল কুরআন:
কোন বিষয় সম্পর্কে কক্ষনো বল না যে, ‘ওটা আমি আগামীকাল করব।’
Sahih International:
And never say of anything, "Indeed, I will do that tomorrow,"



اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ اللّٰهُ ۫ وَ اذْکُرْ رَّبَّکَ اِذَا نَسِیْتَ وَ قُلْ عَسٰۤی اَنْ یَّهْدِیَنِ رَبِّیْ لِاَقْرَبَ مِنْ هٰذَا رَشَدًا ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাআইঁ ইয়াশাআল্লা-হু ওয়াযকুর রাব্বাকা ইযা-নাছীতা ওয়াকুল ‘আছাআইঁ ইয়াহদিয়ানি রাববী লিআকরাবা মিন হা-যা-রাশাদা-।
আল বায়ান:
তবে ‘আল্লাহ যদি চান’। আর যখন ভুলে যাও, তখন তুমি তোমার রবের যিকির কর এবং বল, আশা করি, আল্লাহ আমাকে এর চেয়েও নিকটবর্তী সত্য পথের হিদায়াত দেবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে’ বলা ছাড়া। যদি ভুলে যাও (তবে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে) তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর আর বল, ‘আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে এর চেয়েও সত্যের নিকটবর্তী পথে পরিচালিত করবেন। (কেননা এক ব্যক্তি যেভাবেই সঠিক পথে চলুক না কেন, তার চেয়েও উত্তমভাবে পথ চলা যেতে পারে)।
Sahih International:
Except [when adding], "If Allah wills." And remember your Lord when you forget [it] and say, "Perhaps my Lord will guide me to what is nearer than this to right conduct."



وَ لَبِثُوْا فِیْ کَهْفِهِمْ ثَلٰثَ مِائَۃٍ سِنِیْنَ وَ ازْدَادُوْا تِسْعًا ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাবিছূফী কাহফিহিম ছালা-ছা মিআতিন ছিনীনা ওয়াযদা-দূতিছ‘আ-।
আল বায়ান:
আর তারা তাদের গুহায় অবস্থান করেছে তিনশ’ বছর এবং এর সাথে অতিরিক্ত হয়েছিল ‘নয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (কারো মতে) তারা তাদের গুহায় ছিল তিনশ’ বছর আর কিছু লোক নয় বছর বাড়িয়ে নিয়েছে।
Sahih International:
And they remained in their cave for three hundred years and exceeded by nine.



قُلِ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا لَبِثُوْا ۚ لَهٗ غَیْبُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ اَبْصِرْ بِهٖ وَ اَسْمِعْ ؕ مَا لَهُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ مِنْ وَّلِیٍّ ۫ وَّ لَا یُشْرِکُ فِیْ حُکْمِهٖۤ اَحَدًا ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কুল্লিলা-হু আ‘লামুবিমা-লাবিছূ লাহূগাইবুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি আবসির বিহী ওয়া আছমি‘ মা-লাহুম মিন দূ নিহী মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-ইউশরিকুফী হুকমিহীআহাদা-।
আল বায়ান:
বল, ‘তারা যে সময়টুকু অবস্থান করেছিল, সে ব্যাপারে আল্লাহই অধিক জানেন’। আসমানসমূহ ও যমীনের গায়েবী বিষয় তাঁরই। এ ব্যাপারে তিনিই উত্তম দ্রষ্টা ও উত্তম শ্রোতা। তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই। তাঁর সিদ্ধান্তে তিনি কাউকে শরীক করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘আল্লাহই ভাল জানেন তারা কতকাল (গুহায়) ছিল।’ আসমানসমূহ যমীনের অদৃশ্যের জ্ঞান তাঁরই আছে, কত স্পষ্টই না তিনি দেখেন, কত স্পষ্টই না তিনি শোনেন। তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই, তিনি তাঁর কর্তৃত্বে কাউকে অংশীদার করেন না।
Sahih International:
Say, "Allah is most knowing of how long they remained. He has [knowledge of] the unseen [aspects] of the heavens and the earth. How Seeing is He and how Hearing! They have not besides Him any protector, and He shares not His legislation with anyone."



وَ اتْلُ مَاۤ اُوْحِیَ اِلَیْکَ مِنْ کِتَابِ رَبِّکَ ۚؕ لَا مُبَدِّلَ لِکَلِمٰتِهٖ ۚ۟ وَ لَنْ تَجِدَ مِنْ دُوْنِهٖ مُلْتَحَدًا ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াতলুমাঊহিয়া ইলাইকা মিন কিতা-বি রাব্বিকা লা-মুবাদ্দিলা লিকালিমা-তিহী ওয়া লান তাজিদা মিন দূ নিহী মুলতাহাদা-।
আল বায়ান:
আর তোমার রবের কিতাব থেকে তোমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তুমি তা তিলাওয়াত কর। তাঁর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই এবং তিনি ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল তুমি পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি তোমার কাছে ওয়াহীকৃত তোমার প্রতিপালকের কিতাব থেকে পাঠ করে শুনাও, তাঁর কথা পরিবর্তন করে দেবে এমন কেউ নেই, আর তাঁকে ছাড়া তুমি কক্ষনো অন্য কাউকে আশ্রয়স্থল হিসেবে পাবে না।
Sahih International:
And recite, [O Muhammad], what has been revealed to you of the Book of your Lord. There is no changer of His words, and never will you find in other than Him a refuge.



وَ اصْبِرْ نَفْسَکَ مَعَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدٰوۃِ وَ الْعَشِیِّ یُرِیْدُوْنَ وَجْهَهٗ وَ لَا تَعْدُ عَیْنٰکَ عَنْهُمْ ۚ تُرِیْدُ زِیْنَۃَ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ۚ وَ لَا تُطِعْ مَنْ اَغْفَلْنَا قَلْبَهٗ عَنْ ذِکْرِنَا وَ اتَّبَعَ هَوٰىهُ وَ کَانَ اَمْرُهٗ فُرُطًا ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসবির নাফছাকা মা‘আল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা রাব্বাহুম বিলগাদা-তি ওয়াল ‘আশিইয়ি ইউরীদূ না ওয়াজহাহূওয়ালা-তা‘দুআইনা-কা ‘আনহুম তুরীদুযীনাতাল হায়াতিদদুনইয়া- ওয়ালা তুতি‘ মান আগফালনা-কালবাহূ‘আন যিকরিনা-ওয়াত্তাবা‘আ হাওয়া-হু ওয়া কা-না আমরুহূফুরুতা-।
আল বায়ান:
আর তুমি নিজকে ধৈর্যশীল রাখ তাদের সাথে, যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশে, এবং দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে তোমার দু’চোখ যেন তাদের থেকে ঘুরে না যায়। আর ওই ব্যক্তির আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার যিকির থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে এবং যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি দৃঢ় চিত্ত হয়ে তাদের সাথে অবস্থান কর যারা সকাল-সন্ধ্যা তাদের প্রতিপালককে আহবান করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের সন্ধানে। পার্থিব জীবনের শোভা ও চাকচিক্য কামনায় তুমি তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও না। তুমি তার আনুগত্য কর না যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ হতে উদাসীন করে দিয়েছি, যে নিজের প্রবৃত্তির আনুগত্য করে আর যার কার্যকলাপ হচ্ছে সীমালঙ্ঘনমূলক।
Sahih International:
And keep yourself patient [by being] with those who call upon their Lord in the morning and the evening, seeking His countenance. And let not your eyes pass beyond them, desiring adornments of the worldly life, and do not obey one whose heart We have made heedless of Our remembrance and who follows his desire and whose affair is ever [in] neglect.



وَ قُلِ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّکُمْ ۟ فَمَنْ شَآءَ فَلْیُؤْمِنْ وَّ مَنْ شَآءَ فَلْیَکْفُرْ ۙ اِنَّاۤ اَعْتَدْنَا لِلظّٰلِمِیْنَ نَارًا ۙ اَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا ؕ وَ اِنْ یَّسْتَغِیْثُوْا یُغَاثُوْا بِمَآءٍ کَالْمُهْلِ یَشْوِی الْوُجُوْهَ ؕ بِئْسَ الشَّرَابُ ؕ وَ سَآءَتْ مُرْتَفَقًا ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল্লি হাক্কুমির রাব্বিকুম ফামান শাআ ফালইউ’মিওঁ ওয়ামান শাআ ফালইয়াকফুর ইন্নাআ‘তাদনা-লিজ্জা-লিমীনা না-রান আহা-তা বিহিম ছুরাদিকুহা- ওয়াইয়ঁইয়াছতাগীছূইউগা-ছূবিমাইন কালমুহলি ইয়াশবিল উজূহা বি’ছাশ শারা-বু ওয়া ছাআত মুরতাফাকা-।
আল বায়ান:
আর বল, ‘সত্য তোমাদের রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং যে ইচ্ছা করে সে যেন ঈমান আনে এবং যে ইচ্ছা করে সে যেন কুফরী করে। নিশ্চয় আমি যালিমদের জন্য আগুন প্রস্ত্তত করেছি, যার প্রাচীরগুলো তাদেরকে বেষ্টন করে রেখেছে। যদি তারা পানি চায়, তবে তাদেরকে দেয়া হবে এমন পানি যা গলিত ধাতুর মত, যা চেহারাগুলো ঝলসে দেবে। কী নিকৃষ্ট পানীয়! আর কী মন্দ বিশ্রামস্থল!
তাইসিরুল কুরআন:
আর বলে দাও, ‘সত্য এসেছে তোমাদের রব্বের নিকট হতে, কাজেই যার ইচ্ছে ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করুক।’ আমি (অস্বীকারকারী) যালিমদের জন্য আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি যার লেলিহান শিখা তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে গলিত শিশার ন্যায় পানি দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে, কতই না নিকৃষ্ট পানীয়! আর কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল!
Sahih International:
And say, "The truth is from your Lord, so whoever wills - let him believe; and whoever wills - let him disbelieve." Indeed, We have prepared for the wrongdoers a fire whose walls will surround them. And if they call for relief, they will be relieved with water like murky oil, which scalds [their] faces. Wretched is the drink, and evil is the resting place.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ اِنَّا لَا نُضِیْعُ اَجْرَ مَنْ اَحْسَنَ عَمَلًا ﴿ۚ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া‘আমিলুসসা-লিহা-তি ইন্না-লা-নুদী‘উ আজরা মান আহছানা ‘আমালা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, নিশ্চয় আমি এমন কারো প্রতিদান নষ্ট করব না, যে সুকর্ম করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে- যে উত্তমভাবে কাজ করে আমি তার কর্মফল বিনষ্ট করি না।
Sahih International:
Indeed, those who have believed and done righteous deeds - indeed, We will not allow to be lost the reward of any who did well in deeds.



اُولٰٓئِکَ لَهُمْ جَنّٰتُ عَدْنٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهِمُ الْاَنْهٰرُ یُحَلَّوْنَ فِیْهَا مِنْ اَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَّ یَلْبَسُوْنَ ثِیَابًا خُضْرًا مِّنْ سُنْدُسٍ وَّ اِسْتَبْرَقٍ مُّتَّکِئِیْنَ فِیْهَا عَلَی الْاَرَآئِکِ ؕ نِعْمَ الثَّوَابُ ؕ وَ حَسُنَتْ مُرْتَفَقًا ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা লাহুমজান্না-তু‘আদনিন তাজরী মিন তাহতিহিমুল আনহা-রু ইউহাল্লাওনা ফীহামিন আছা-বিরা মিন যাহাবিওঁ ওয়া ইয়ালবাছূনা ছিয়াবান খুদরাম মিন ছুনদুছিওঁ ওয়া ইছতাবরাকিম মুত্তাকিঈনা ফিহা-‘আলাল আরাইকি নি‘মাছছাওয়া-বু ওয়া হাছুনাত মুরতাফাকা-।
আল বায়ান:
এরাই তারা, যাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী জান্নাতসমূহ, যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় নদীসমূহ। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণের চুড়ি দিয়ে এবং তারা পরিধান করবে মিহি ও পুরু সিল্কের সবুজ পোশাক। তারা সেখানে (থাকবে) আসনে হেলান দিয়ে। কী উত্তম প্রতিদান এবং কী সুন্দর বিশ্রামস্থল !
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য আছে স্থায়ী জান্নাত যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ কংকণে। সূক্ষ্ম ও গাঢ় রেশমের সবুজ পোশাক তারা পরিধান করবে। তারা গদি লাগানো উচ্চাসনে হেলান দিয়ে বসবে। কতই না উত্তম পুরস্কার! কতই না উত্তম আশ্রয়স্থল!
Sahih International:
Those will have gardens of perpetual residence; beneath them rivers will flow. They will be adorned therein with bracelets of gold and will wear green garments of fine silk and brocade, reclining therein on adorned couches. Excellent is the reward, and good is the resting place.



وَ اضْرِبْ لَهُمْ مَّثَلًا رَّجُلَیْنِ جَعَلْنَا لِاَحَدِهِمَا جَنَّتَیْنِ مِنْ اَعْنَابٍ وَّ حَفَفْنٰهُمَا بِنَخْلٍ وَّ جَعَلْنَا بَیْنَهُمَا زَرْعًا ﴿ؕ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াদরিব লাহুম মাছালার রাজুলাইনি জা‘আলনা-লিআহাদিহিমা-জান্নাতাইনি মিন আ‘নাবিওঁ ওয়া হাফাফনা-হুমা বিনাখলিওঁ ওয়াজা‘আলনা-বাইনাহুমা-যার‘আ-।
আল বায়ান:
আর তুমি তাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত পেশ কর: দুই ব্যক্তি, তাদের একজনকে আমি দু’টি আঙ্গুরের বাগান দিয়েছি এবং উভয় বাগানকে ঘিরে দিয়েছি খেজুর গাছ দ্বারা এবং উভয়ের মাঝখানে রেখেছি শস্যক্ষেত।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তাদের কাছে দু’ব্যক্তির দৃষ্টান্ত বর্ণনা কর যাদের একজনকে আমি দিয়েছিলাম দু’টি আঙ্গুরের বাগান, আর ওগুলোকে খেজুর গাছ দিয়ে ঘিরে দিয়েছিলাম আর ও দু’টির মাঝে দিয়েছিলাম শষ্যক্ষেত।
Sahih International:
And present to them an example of two men: We granted to one of them two gardens of grapevines, and We bordered them with palm trees and placed between them [fields of] crops.



کِلْتَا الْجَنَّتَیْنِ اٰتَتْ اُکُلَهَا وَ لَمْ تَظْلِمْ مِّنْهُ شَیْئًا ۙ وَّ فَجَّرْنَا خِلٰلَهُمَا نَهَرًا ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
কিলতাল জান্নাতাইনি আ-তাত উকুলাহা-ওয়ালাম তাজলিম মিনহু শাইআওঁ ওয়া ফাজ্জারনাখিলা-লাহুমা-নাহারা-।
আল বায়ান:
উভয় বাগান ফল দিয়েছে, তাতে কিছুই ত্রুটি করেনি এবং আমি উভয়ের মাঝ দিয়ে নদী প্রবাহিত করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
দু’টো বাগানই ফল দিত, এতে এতটুকু ত্রুটি করত না। এ দু’য়ের মাঝে আমি ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করেছিলাম।
Sahih International:
Each of the two gardens produced its fruit and did not fall short thereof in anything. And We caused to gush forth within them a river.



وَّ کَانَ لَهٗ ثَمَرٌ ۚ فَقَالَ لِصَاحِبِهٖ وَ هُوَ یُحَاوِرُهٗۤ اَنَا اَکْثَرُ مِنْکَ مَالًا وَّ اَعَزُّ نَفَرًا ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-না লাহূছামারুন , ফাকা-লা লিসা-হিবিহী ওয়াহুওয়া ইউহা-বিরুহূআনা আকছারু মিনকা মা-লাওঁ ওয়া আ‘আযযুনাফারা-।
আল বায়ান:
আর (এতে) তার ছিল বিপুল ফল-ফলাদি। তাই সে তার সঙ্গীকে কথায় কথায় বলল, ‘সম্পদে আমি তোমার চেয়ে অধিক এবং জনবলেও অনেক শক্তিশালী’।
তাইসিরুল কুরআন:
লোকটির উৎপাদন ছিল প্রচুর। একদিন কথাবার্তা বলার সময় সে তার প্রতিবেশীকে বলল, ‘আমি সম্পদে তোমা হতে শ্রেষ্ঠ, আর জনবলে তোমা হতে শক্তিশালী।’
Sahih International:
And he had fruit, so he said to his companion while he was conversing with him, "I am greater than you in wealth and mightier in [numbers of] men."



وَ دَخَلَ جَنَّتَهٗ وَ هُوَ ظَالِمٌ لِّنَفْسِهٖ ۚ قَالَ مَاۤ اَظُنُّ اَنْ تَبِیْدَ هٰذِهٖۤ اَبَدًا ﴿ۙ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দাখালা জান্নাতাহূওয়াহুওয়া জা-লিমুল লিনাফছিহী কা-লা মাআজুন্নুআন তাবীদা হা-যিহীআবাদা-।
আল বায়ান:
আর সে তার বাগানে প্রবেশ করল, নিজের প্রতি যুলমরত অবস্থায়। সে বলল, ‘আমি মনে করি না যে, এটি কখনো ধ্বংস হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
নিজের প্রতি যুলম করে সে তার বাগানে প্রবেশ করল। সে বলল, ‘আমি ধারণা করি না যে, এটা কোনদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
Sahih International:
And he entered his garden while he was unjust to himself. He said, "I do not think that this will perish - ever.



وَّ مَاۤ اَظُنُّ السَّاعَۃَ قَآئِمَۃً ۙ وَّ لَئِنْ رُّدِدْتُّ اِلٰی رَبِّیْ لَاَجِدَنَّ خَیْرًا مِّنْهَا مُنْقَلَبًا ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআজুন্নুছছা-‘আতা কাইমাতাওঁ ওয়ালাইর রুদিততুইলা-রাববী লাআজিদান্না খাইরাম মিনহা-মুনকালাবা-।
আল বায়ান:
‘আর আমি মনে করি না যে, কিয়ামত সংঘটিত হবে। আর আমাকে যদি ফিরিয়ে নেয়া হয় আমার রবের কাছে, তবে নিশ্চয় আমি এর চেয়ে উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল পাব’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মনে করি না যে কিয়ামাত হবে। আর যদি আমাকে আমার প্রতিপালকের কাছে ফিরিয়ে নেয়া হয়ই, তাহলে অবশ্য অবশ্যই আমি পরিবর্তে আরো উৎকৃষ্ট স্থান পাব।
Sahih International:
And I do not think the Hour will occur. And even if I should be brought back to my Lord, I will surely find better than this as a return."



قَالَ لَهٗ صَاحِبُهٗ وَ هُوَ یُحَاوِرُهٗۤ اَکَفَرْتَ بِالَّذِیْ خَلَقَکَ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُّطْفَۃٍ ثُمَّ سَوّٰىکَ رَجُلًا ﴿ؕ۳۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাহূসা-হিবুহূওয়া হুওয়া ইউহা-বিরুহআকাফারতা বিল্লাযী খালাকাকা মিন তুরা-বিন ছু ম্মা মিন নুতফাতিন ছুম্মা ছাওওয়া-কা রাজুলা-।
আল বায়ান:
কথায় কথায় তার সঙ্গী বলল, ‘তুমি কি তাকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর ‘বীর্য’ থেকে, তারপর তোমাকে অবয়ব দিয়েছেন পুরুষের’?
তাইসিরুল কুরআন:
কথার প্রসঙ্গ টেনে তার সাথী বলল, ‘তুমি কি তাঁকে অস্বীকার করছ যিনি তোমাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর শুক্র-কীট হতে, অতঃপর তোমাকে পূর্ণাঙ্গ দেহসম্পন্ন মানুষ বানিয়ে দিয়েছেন?
Sahih International:
His companion said to him while he was conversing with him, "Have you disbelieved in He who created you from dust and then from a sperm-drop and then proportioned you [as] a man?



لٰکِنَّا۠ هُوَ اللّٰهُ رَبِّیْ وَ لَاۤ اُشْرِکُ بِرَبِّیْۤ اَحَدًا ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
লা-কিন্না হুওয়াল্লা-হু রাববী ওয়ালাউশরিকুবিরাববীআহাদা-।
আল বায়ান:
‘কিন্তু তিনিই আল্লাহ, আমার রব। আর আমি আমার রবের সাথে কাউকে শরীক করি না’।
তাইসিরুল কুরআন:
(আর আমার ব্যাপারে কথা হল) সেই আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি কাউকে আমার প্রতিপালকের শরীক করব না।
Sahih International:
But as for me, He is Allah, my Lord, and I do not associate with my Lord anyone.



وَ لَوْ لَاۤ اِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَکَ قُلْتَ مَا شَآءَ اللّٰهُ ۙ لَا قُوَّۃَ اِلَّا بِاللّٰهِ ۚ اِنْ تَرَنِ اَنَا اَقَلَّ مِنْکَ مَالًا وَّ وَلَدًا ﴿ۚ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাওলাইযদাখালতা জান্নাতাকা কুলতা মা-শাআল্লা-হু লা-কুওওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ইন তারানি আনা আকাল্লা মিনকা মা-লাওঁ ওয়া ওয়ালাদা-।
আল বায়ান:
‘আর যখন তুমি তোমার বাগানে প্রবেশ করলে, তখন কেন তুমি বললে না, ‘মাশাআল্লাহ’! আল্লাহর তৌফিক ছাড়া কোন শক্তি নেই। তুমি যদি দেখ যে, আমি সম্পদে ও সন্তানে তোমার চেয়ে কম,
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যখন তোমার বাগানে প্রবেশ করলে তখন কেন বললে না, ‘আল্লাহ যা ইচ্ছে করেছেন (তা-ই হয়েছে), আল্লাহ ছাড়া কারো কোন শক্তি নেই। যদিও তুমি আমাকে ধনে-জনে তোমার চেয়ে কম দেখ,
Sahih International:
And why did you, when you entered your garden, not say, 'What Allah willed [has occurred]; there is no power except in Allah '? Although you see me less than you in wealth and children,



فَعَسٰی رَبِّیْۤ اَنْ یُّؤْتِیَنِ خَیْرًا مِّنْ جَنَّتِکَ وَ یُرْسِلَ عَلَیْهَا حُسْبَانًا مِّنَ السَّمَآءِ فَتُصْبِحَ صَعِیْدًا زَلَقًا ﴿ۙ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ফা‘আছা-রাববীআই ইউ’তিয়ানি খাইরাম মিন জান্নাতিকা ওয়া ইউরছিলা ‘আলাইহা-হুছবানাম মিনাছছামাই ফাতুসবিহা সা‘ঈদান যালাকা-।
আল বায়ান:
তবে আশা করা যায় যে, ‘আমার রব আমাকে তোমার বাগানের চেয়ে উত্তম (কিছু) দান করবেন এবং তার উপর আসমান থেকে বজ্র পাঠাবেন। ফলে তা অনুর্বর উদ্ভিদশূন্য যমীনে পরিণত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সম্ভবতঃ আমার প্রতিপালক আমাকে তোমার বাগান অপেক্ষাও উত্তম কিছু দান করবেন আর তোমার বাগানের উপর আসমান হতে কোন বিপদ পাঠিয়ে দিবেন, ফলে তা শূন্য ময়দানে পরিণত হবে।
Sahih International:
It may be that my Lord will give me [something] better than your garden and will send upon it a calamity from the sky, and it will become a smooth, dusty ground,



اَوْ یُصْبِحَ مَآؤُهَا غَوْرًا فَلَنْ تَسْتَطِیْعَ لَهٗ طَلَبًا ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
আও ইউসবিহা মাউহা-গাওরান ফালান তাছতাতী‘আ লাহূতালাবা-।
আল বায়ান:
‘কিংবা তার পানি মাটির গভীরে চলে যাবে, ফলে তা তুমি কোনভাবেই খুঁজে পাবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা তার পানি ভূ-গর্ভে চলে যাবে, ফলে তুমি কক্ষনো তার খোঁজ পাবে না।’
Sahih International:
Or its water will become sunken [into the earth], so you would never be able to seek it."



وَ اُحِیْطَ بِثَمَرِهٖ فَاَصْبَحَ یُقَلِّبُ کَفَّیْهِ عَلٰی مَاۤ اَنْفَقَ فِیْهَا وَ هِیَ خَاوِیَۃٌ عَلٰی عُرُوْشِهَا وَ یَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُشْرِکْ بِرَبِّیْۤ اَحَدًا ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উহীতাবিছামারিহী ফাআছবাহা ইউকালিলবুকাফফাইহি ‘আলা-মাআনফাকা ফীহা-ওয়াহিয়া খা-বিয়াতুন ‘আলা-‘উরূশিহা-ওয়া ইয়াকূ লুইয়া-লাইতানী লাম উশরিক বিরাববীআহাদা-।
আল বায়ান:
আর (বিপর্যয়ে) তার ফল-ফলাদি ঘিরে ফেলা হল। ফলে তাতে সে যা ব্যয় করেছিল, তার জন্য (আক্ষেপে) হাত কচলাতে লাগল এবং সেটি ধ্বংস হয়েছিল তার মাচার উপর। আর সে বলছিল, ‘হায় আক্ষেপ! আমি যদি আমার রবের সাথে কাউকে শরীক না করতাম’!
তাইসিরুল কুরআন:
ধ্বংস তার ফল-ফসলকে ঘিরে ফেলল আর তাতে সে যা খরচ করেছিল তার জন্য হাত মলতে লাগল। তা ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায় ভূমিসাৎ হয়ে গিয়েছিল। সে বলল, ‘হায়, আমি যদি আমার রব্ব-এর সাথে কাউকে শরীক না করতাম!’
Sahih International:
And his fruits were encompassed [by ruin], so he began to turn his hands about [in dismay] over what he had spent on it, while it had collapsed upon its trellises, and said, "Oh, I wish I had not associated with my Lord anyone."



وَ لَمْ تَکُنْ لَّهٗ فِئَۃٌ یَّنْصُرُوْنَهٗ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَ مَا کَانَ مُنْتَصِرًا ﴿ؕ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাম তাকুল লাহূফিয়াতুইঁ ইয়ানসুরূনাহূমিন দূনিল্লা-হি ওয়ামা-কা-না মুনতাসিরা-।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ ছাড়া তার এমন কোন লোকবলও ছিল না যারা তাকে সাহায্য করবে এবং সে সাহায্যপ্রাপ্তও ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহ ছাড়া তাকে সাহায্য করার কোন দলবলও ছিল না, আর সে নিজেও এর মোকাবিলা করতে পারল না।
Sahih International:
And there was for him no company to aid him other than Allah, nor could he defend himself.



هُنَالِکَ الْوَلَایَۃُ لِلّٰهِ الْحَقِّ ؕ هُوَ خَیْرٌ ثَوَابًا وَّ خَیْرٌ عُقْبًا ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
হুনা-লিকাল ওয়ালা-ইয়াতুলিল্লা-হিল হাক্কি হুওয়া খাইরুন ছাওয়া-বাওঁ ওয়া খাইরুন ‘উকবা-।
আল বায়ান:
এখানে অভিভাবকত্ব আল্লাহর, যিনি সত্য। তিনিই প্রতিদানে উত্তম এবং পরিণামে শ্রেষ্ঠ।
তাইসিরুল কুরআন:
এ ব্যাপারে যাবতীয় কর্তৃত্ব ক্ষমতা সেই সত্যিকার আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট। পুরস্কার দানে তিনিই উৎকৃষ্ট, আর সফল পরিণাম দানে তিনিই শ্রেষ্ঠ।
Sahih International:
There the authority is [completely] for Allah, the Truth. He is best in reward and best in outcome.



وَ اضْرِبْ لَهُمْ مَّثَلَ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا کَمَآءٍ اَنْزَلْنٰهُ مِنَ السَّمَآءِ فَاخْتَلَطَ بِهٖ نَبَاتُ الْاَرْضِ فَاَصْبَحَ هَشِیْمًا تَذْرُوْهُ الرِّیٰحُ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ مُّقْتَدِرًا ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াদরিব লাহুম মাছালাল হায়া-তিদদুনইয়া-কামাইন আনযালনা-হু মিনাছ ছামাই ফাখতালাতা বিহী নাবা-তুল আরদিফাআসবাহা হাশীমান তাযরূহুর রিয়া-হু ওয়া কানাল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িম মুকতাদিরা-।
আল বায়ান:
আর আপনি তাদের জন্য পেশ করুন দুনিয়ার জীবনের উপমা তা পানির মত, যা আমি আসমান থেকে বর্ষণ করেছি। অতঃপর তার সাথে মিশ্রিত হয় যমীনের উদ্ভিদ। ফলে তা পরিণত হয় এমন শুকনো গুঁড়ায়, বাতাস যাকে উড়িয়ে নেয়। আর আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে দুনিয়ার এ জীবনের দৃষ্টান্ত পেশ কর : তা হল পানির মত যা তিনি আকাশ হতে বর্ষণ করেন, যা দিয়ে যমীনে গাছ-গাছড়া ঘন হয়ে উদ্গত হয়, অতঃপর তা শুকনো খড়কুটায় পরিণত হয় যাকে বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায়। আল্লাহ হলেন সকল বিষয়ে শক্তিমান।
Sahih International:
And present to them the example of the life of this world, [its being] like rain which We send down from the sky, and the vegetation of the earth mingles with it and [then] it becomes dry remnants, scattered by the winds. And Allah is ever, over all things, Perfect in Ability.



اَلْمَالُ وَ الْبَنُوْنَ زِیْنَۃُ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ۚ وَ الْبٰقِیٰتُ الصّٰلِحٰتُ خَیْرٌ عِنْدَ رَبِّکَ ثَوَابًا وَّ خَیْرٌ اَمَلًا ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
আলমা-লুওয়াল বানূনা যীনাতুল হায়া-তিদদুনইয়া- ওয়াল বা-কিয়া-তুসসা-লিহাতুখাইরুন ‘ইনদা রাব্বিকা ছাওয়া-বাওঁ ওয়া খাইরুন আমালা-।
আল বায়ান:
সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা। আর স্থায়ী সৎকাজ তোমার রবের নিকট প্রতিদানে উত্তম এবং প্রত্যাশাতেও উত্তম।
তাইসিরুল কুরআন:
ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি পার্থিব জীবনের শোভা-সৌন্দর্য, আর তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার লাভের জন্য স্থায়ী সৎকাজ হল উৎকৃষ্ট আর আকাঙ্ক্ষা পোষণের ভিত্তি হিসেবেও উত্তম।
Sahih International:
Wealth and children are [but] adornment of the worldly life. But the enduring good deeds are better to your Lord for reward and better for [one's] hope.



وَ یَوْمَ نُسَیِّرُ الْجِبَالَ وَ تَرَی الْاَرْضَ بَارِزَۃً ۙ وَّ حَشَرْنٰهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ اَحَدًا ﴿ۚ۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা নুছাইয়িরুল জিবা-লা ওয়া তারাল আরদা বা-রিযাতাওঁ ওয়া হাশারনা-হুম ফালাম নুগা-দির মিনহুম আহাদা-।
আল বায়ান:
স্মরণ কর সেদিনের কথা যেদিন আমি পর্বতকে করব সঞ্চালিত এবং তুমি পৃথিবীকে দেখবে একটি শূন্য প্রান্তর; সেদিন মানুষকে আমি একত্রিত করব এবং তাদের কেহকেও অব্যাহতি দিব না।
তাইসিরুল কুরআন:
(সেদিনের কথা চিন্তা কর) যেদিন আমি পর্বতমালাকে চালিত করব, আর পৃথিবীকে দেখতে পাবে উন্মুক্ত প্রান্তর আর তাদের সববাইকে আমি একত্রিত করব, কাউকেও বাদ দেব না।
Sahih International:
And [warn of] the Day when We will remove the mountains and you will see the earth prominent, and We will gather them and not leave behind from them anyone.



وَ عُرِضُوْا عَلٰی رَبِّکَ صَفًّا ؕ لَقَدْ جِئْتُمُوْنَا کَمَا خَلَقْنٰکُمْ اَوَّلَ مَرَّۃٍۭ ۫ بَلْ زَعَمْتُمْ اَلَّنْ نَّجْعَلَ لَکُمْ مَّوْعِدًا ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘উরিদূ ‘আলা-রাব্বিকা সাফফাল লাকাদ জি’তুমূনা-কামা-খালাকনা-কুম আওওয়ালা মাররাতিম বাল যা‘আমতুম আল্লান নাজ‘আলা লাকুম মাও‘ইদা-।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে তোমার রবের সামনে উপস্থিত করা হবে কাতারবদ্ধ করে। (আল্লাহ বলবেন) ‘তোমরা আমার কাছে এসেছ তেমনভাবে, যেমন আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম; বরং তোমরা তো ভেবেছিলে আমি তোমাদের জন্য কোন প্রতিশ্রুত মুহূর্ত রাখিনি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে তোমার প্রতিপালকের সামনে সারিবদ্ধভাবে হাজির করা হবে (আর তাদেরকে বলা হবে), ‘তোমরা আমার কাছে এসেছ তেমনিভাবে যেভাবে আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম। কিন্তু তোমরা তো ধারণা করেছিলে যে, আমার কাছে তোমাদের সাক্ষাতের নির্দিষ্টকাল আমি কক্ষনো উপস্থিত করব না।’
Sahih International:
And they will be presented before your Lord in rows, [and He will say], "You have certainly come to Us just as We created you the first time. But you claimed that We would never make for you an appointment."



وَ وُضِعَ الْکِتٰبُ فَتَرَی الْمُجْرِمِیْنَ مُشْفِقِیْنَ مِمَّا فِیْهِ وَ یَقُوْلُوْنَ یٰوَیْلَتَنَا مَالِ هٰذَا الْکِتٰبِ لَا یُغَادِرُ صَغِیْرَۃً وَّ لَا کَبِیْرَۃً اِلَّاۤ اَحْصٰهَا ۚ وَ وَجَدُوْا مَا عَمِلُوْا حَاضِرًا ؕ وَ لَا یَظْلِمُ رَبُّکَ اَحَدًا ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উদি‘আল কিতা-বুফাতারাল মুজরিমীনা মুশফিকীনা মিম্মা-ফীহি ওয়া ইকূলূনা ইয়াওয়াইলাতানা-মা-লি হা-যাল কিতা-বি লা-ইউগা-দিরু সাগীরাতাওঁ ওয়ালা-কাবীরাতান ইল্লাআহসা-হা- ওয়া ওয়াজাদূমা-‘আমিলূহা-দিরা- ওয়ালা-ইয়াজলিমু রাব্বুকা আহাদা-।
আল বায়ান:
আর আমলনামা রাখা হবে। তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখতে পাবে ভীত, তাতে যা রয়েছে তার কারণে। আর তারা বলবে, ‘হায় ধ্বংস আমাদের! কী হল এ কিতাবের! তা ছোট-বড় কিছুই ছাড়ে না, শুধু সংরক্ষণ করে’ এবং তারা যা করেছে, তা হাযির পাবে। আর তোমার রব কারো প্রতি যুলম করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ‘আমালনামা হাজির করা হবে, আর তাতে যা (লেখে রাখা আছে) তার কারণে তুমি অপরাধী লোকদেরকে দেখতে পাবে ভীত আতঙ্কিত। আর তারা বলবে, ‘হায় কপাল! এটা কেমন কিতাব যে ছোট বড় কোন কাজই ছেড়ে দেয়নি বরং সব কিছুর হিসাব রেখেছে।’ তারা যা করেছে তা সামনে উপস্থিত পাবে, আর তোমার প্রতিপালক কারো প্রতি যুলম করবেন না।
Sahih International:
And the record [of deeds] will be placed [open], and you will see the criminals fearful of that within it, and they will say, "Oh, woe to us! What is this book that leaves nothing small or great except that it has enumerated it?" And they will find what they did present [before them]. And your Lord does injustice to no one.



وَ اِذْ قُلْنَا لِلْمَلٰٓئِکَۃِ اسْجُدُوْا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوْۤا اِلَّاۤ اِبْلِیْسَ ؕ کَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ اَمْرِ رَبِّهٖ ؕ اَفَتَتَّخِذُوْنَهٗ وَ ذُرِّیَّتَهٗۤ اَوْلِیَآءَ مِنْ دُوْنِیْ وَ هُمْ لَکُمْ عَدُوٌّ ؕ بِئْسَ لِلظّٰلِمِیْنَ بَدَلًا ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকুলনা-লিল মালাইকাতিছ জু দূলিআ-দামা ফাছাজাদূ ইল্লাইবলীছা কানা মিনাল জিন্নি ফাফাছাকা ‘আন আমরি রাব্বিহী আফাতাত্তাখিযূনাহূওয়া যুররিইইয়াতাহূআওলিয়াআ মিন দূ নী ওয়া হুম লাকুম ‘আদুওউম বি’ছা লিজ্জালিমীনা বাদালা-।
আল বায়ান:
আর যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর। অতঃপর তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার রবের নির্দেশ অমান্য করল। তোমরা কি তাকে ও তার বংশকে আমার পরিবর্তে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবে, অথচ তারা তোমাদের শত্রু? যালিমদের জন্য কী মন্দ বিনিময়!
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বলেছিলাম, ‘আদামকে সাজদাহ কর।’ তখন ইবলিশ ছাড়া তারা সবাই সাজদাহ করল। সে ছিল জ্বীনদের অন্তর্ভুক্ত। সে তার প্রতিপালকের নির্দেশ লঙ্ঘন করল। এতদসত্ত্বেও তোমরা কি আমাকে বাদ দিয়ে তাকে আর তার বংশধরকে অভিভাবক বানিয়ে নিচ্ছ? অথচ তারা তোমাদের দুশমন। যালিমদের এই বিনিময় বড়ই নিকৃষ্ট!
Sahih International:
And [mention] when We said to the angels, "Prostrate to Adam," and they prostrated, except for Iblees. He was of the jinn and departed from the command of his Lord. Then will you take him and his descendants as allies other than Me while they are enemies to you? Wretched it is for the wrongdoers as an exchange.



مَاۤ اَشْهَدْتُّهُمْ خَلْقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ لَا خَلْقَ اَنْفُسِهِمْ ۪ وَ مَا کُنْتُ مُتَّخِذَ الْمُضِلِّیْنَ عَضُدًا ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
মাআশহাততুহুম খালকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ালা-খালকা আনফুছিহিম ওয়ামা-কুনতুমুত্তাখিযাল মুদিল্লীনা ‘আদুদা-।
আল বায়ান:
আমি তাদেরকে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টির সাক্ষী করিনি এবং না তাদের নিজদের সৃষ্টির। আর আমি পথভ্রষ্টকারীদেরকে সহায়তাকারী হিসেবে গ্রহণ করিনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান যমীনের সৃষ্টিকালে আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখিনি, আর তাদের নিজেদের সৃষ্টি (প্রত্যক্ষ করার জন্য)ও না, পথভ্রষ্টকারীদেরকে সাহায্যকারী গ্রহণ করা আমার কাজ নয়।
Sahih International:
I did not make them witness to the creation of the heavens and the earth or to the creation of themselves, and I would not have taken the misguiders as assistants.



وَ یَوْمَ یَقُوْلُ نَادُوْا شُرَکَآءِیَ الَّذِیْنَ زَعَمْتُمْ فَدَعَوْهُمْ فَلَمْ یَسْتَجِیْبُوْا لَهُمْ وَ جَعَلْنَا بَیْنَهُمْ مَّوْبِقًا ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইয়াকূ লুনা-দূশুরাকাইয়াল্লাযীনা যা‘আমতুম ফাদা‘আওহুম ফালাম ইয়াছতাজীবূলাহুম ওয়া জা‘আলনা-বাইনাহুম মাওবিকা-।
আল বায়ান:
আর যেদিন তিনি বলবেন, ‘তোমরা ডাক আমার শরীকদের, যাদেরকে তোমরা (শরীক) মনে করতে’। অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, কিন্তু তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আর আমি তাদের মধ্যে রেখে দেব ধ্বংসস্থল।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন তিনি বলবেন, ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তাদেরকে ডাক।’ তখন তারা তাদেরকে ডাকবে, কিন্তু তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আর আমি উভয় দলের মাঝে রেখে দেব এক ধ্বংস-গহ্বর।
Sahih International:
And [warn of] the Day when He will say, "Call 'My partners' whom you claimed," and they will invoke them, but they will not respond to them. And We will put between them [a valley of] destruction.



وَ رَاَ الْمُجْرِمُوْنَ النَّارَ فَظَنُّوْۤا اَنَّهُمْ مُّوَاقِعُوْهَا وَ لَمْ یَجِدُوْا عَنْهَا مَصْرِفًا ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাআল মুজরিমূনান্না-রা ফাজাননূআন্নাহুম মুওয়া-কি‘ঊহা-ওয়ালাম ইয়াজিদূ‘আনহা- মাসরিফা-।
আল বায়ান:
আর অপরাধীরা আগুন দেখবে, অতঃপর তারা নিশ্চিতরূপে জানতে পারবে যে, নিশ্চয় তারা তাতে নিপতিত হবে এবং তারা তা থেকে বাঁচার কোন পথ খুঁজে পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
অপরাধীরা আগুন দেখতে পাবে আর মনে করবে যে, তাদেরকে তাতে পতিত হতে হবে, কিন্তু সেখান থেকে ফিরে যাবার তারা কোনই উপায় পাবে না।
Sahih International:
And the criminals will see the Fire and will be certain that they are to fall therein. And they will not find from it a way elsewhere.



وَ لَقَدْ صَرَّفْنَا فِیْ هٰذَا الْقُرْاٰنِ لِلنَّاسِ مِنْ کُلِّ مَثَلٍ ؕ وَ کَانَ الْاِنْسَانُ اَکْثَرَ شَیْءٍ جَدَلًا ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ সাররাফনা-ফী হা-যাল কুরআ-নি লিন্না-ছি মিন কুল্লি মাছালিওঁ ওয়া কানাল ইনছা-নুআকছারা শাইয়িন জাদালা-।
আল বায়ান:
আর আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য সকল প্রকার উপমা বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। আর মানুষ সবচেয়ে বেশি তর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এ কুরআনে মানুষের (জ্ঞান লাভের) জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিশদভাবে বিবৃত করেছি কিন্তু মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্ককারী।
Sahih International:
And We have certainly diversified in this Qur'an for the people from every [kind of] example; but man has ever been, most of anything, [prone to] dispute.



وَ مَا مَنَعَ النَّاسَ اَنْ یُّؤْمِنُوْۤا اِذْ جَآءَهُمُ الْهُدٰی وَ یَسْتَغْفِرُوْا رَبَّهُمْ اِلَّاۤ اَنْ تَاْتِیَهُمْ سُنَّۃُ الْاَوَّلِیْنَ اَوْ یَاْتِیَهُمُ الْعَذَابُ قُبُلًا ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-মানা‘আন্না-ছা আইঁ ইউ’মিনূ ইয জাআহুমুল হুদা-ওয়াইয়াছতাগফিরূরাব্বাহুম ইল্লাআন তা’তিয়াহুম ছুন্নাতুল আওওয়ালীনা আও ইয়া’তিয়াহুমুল ‘আযা-বুকুবুলা-।
আল বায়ান:
আর যখন মানুষের নিকট হিদায়াত এসেছে, তখন তাদেরকে ঈমান আনতে কিংবা তাদের রবের কাছে ইস্তিগফার করতে বাধা প্রদান করেছে কেবল এ বিষয়টিই যে, পূর্ববর্তীদের (ব্যাপারে আমার নির্ধারিত) রীতি তাদের উপর পুনরায় নেমে আসবে কিংবা তাদের উপর আযাব সরাসরি এসে উপস্থিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে যখন পথের নির্দেশ আসে তখন ঈমান আনতে আর তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাইতে মানুষকে এ ছাড়া আর অন্য কিছুই বাধা দেয় না যে, (তারা অপেক্ষায় থাকে যে) অতীতের জাতিগুলোর সঙ্গে যা করা হয়েছে, কখন তাদের সঙ্গেও তাই করা হবে অথবা কখন ‘আযাবকে তারা সরাসরি সামনে দেখতে পাবে।
Sahih International:
And nothing has prevented the people from believing when guidance came to them and from asking forgiveness of their Lord except that there [must] befall them the [accustomed] precedent of the former peoples or that the punishment should come [directly] before them.



وَ مَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِیْنَ اِلَّا مُبَشِّرِیْنَ وَ مُنْذِرِیْنَ ۚ وَ یُجَادِلُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِالْبَاطِلِ لِیُدْحِضُوْا بِهِ الْحَقَّ وَ اتَّخَذُوْۤا اٰیٰتِیْ وَ مَاۤ اُنْذِرُوْا هُزُوًا ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-নুরছিলুল মুরছালীনা ইল্লা-মুবাশশিরীনা ওয়া মুনযিরীনা ওয়া ইউজা-দিলুল্লাযীনা কাফারূবিলবা-তিলি লিইউদহিদূ বিহিল হাক্কা ওয়াত্তাখাযূআ-য়া-তী ওয়ামাউনযিরূ হুযুওয়া-।
আল বায়ান:
আর আমি তো রাসূলদেরকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই পাঠিয়েছি এবং যারা কুফরী করেছে তারা বাতিল দ্বারা তর্ক করে, যাতে তার মাধ্যমে সত্যকে মিটিয়ে দিতে পারে। আর তারা আমার আয়াতসমূহকে এবং যা দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তাকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি রসূলদেরকে পাঠিয়ে থাকি একমাত্র সুসংবাদদাতা আর সতর্ককারী হিসেবে। কিন্তু কাফিরগণ মিথ্যা যুক্তি পেশ করে বিতর্ক করছে তা দিয়ে সত্যকে দুর্বল করে দেয়ার উদ্দেশে, আর তারা আমার নিদর্শন ও ভয় দেখানোকে হাসি-তামাশার বিষয় বানিয়ে নিয়েছে।
Sahih International:
And We send not the messengers except as bringers of good tidings and warners. And those who disbelieve dispute by [using] falsehood to [attempt to] invalidate thereby the truth and have taken My verses, and that of which they are warned, in ridicule.



وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ ذُکِّرَ بِاٰیٰتِ رَبِّهٖ فَاَعْرَضَ عَنْهَا وَ نَسِیَ مَا قَدَّمَتْ یَدٰهُ ؕ اِنَّا جَعَلْنَا عَلٰی قُلُوْبِهِمْ اَکِنَّۃً اَنْ یَّفْقَهُوْهُ وَ فِیْۤ اٰذَانِهِمْ وَقْرًا ؕ وَ اِنْ تَدْعُهُمْ اِلَی الْهُدٰی فَلَنْ یَّهْتَدُوْۤا اِذًا اَبَدًا ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান আজলামুমিম্মান যুক্কিরা বিআ-য়া-তি রাব্বিহী ফাআ‘রাদা‘আনহা-ওয়া নাছিয়া মা-কাদ্দামাত ইয়াদা-হু ইন্না-জা‘আলনা-‘আলা-কুলূবিহিম আকিন্নাতান আইঁ ইয়াফকাহূহু ওয়া ফীআ-যা-নিহিম ওয়াকরাওঁ ওয়া ইন তাদ‘উহুম ইলাল হুদা-ফালাইঁ ইয়াহতাদূ ইযান আবাদা-।
আল বায়ান:
আর তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে হতে পারে, যাকে তার রবের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, অতঃপর সে তা থেকে বিমুখ হয়েছে এবং সে ভুলে গেছে যা তার দু-হাত পেশ করেছে? নিশ্চয় আমি তাদের অন্তরসমূহের উপর পর্দা দিয়ে দিয়েছি, যাতে তারা তা (কুরআন) বুঝতে না পারে। আর তাদের কর্ণসমূহে রয়েছে বধিরতা এবং তুমি তাদেরকে হিদায়াতের প্রতি আহবান করলেও তারা কখনো হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তার থেকে বড় যালিম আর কে আছে যাকে তার প্রতিপালকের আয়াতগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে সে তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় আর সে পূর্বে কৃত তার কর্মের (খারাপ পরিণতির) কথা ভুলে যায়। আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়ে দিয়েছি যাতে তারা তা (অর্থাৎ কুরআন) বুঝতে না পারে, আর তাদের কানে এঁটে দিয়েছি বধিরতা। তুমি তাদেরকে সৎপথে ডাকলেও তারা কক্ষনো সৎপথ গ্রহণ করবে না।
Sahih International:
And who is more unjust than one who is reminded of the verses of his Lord but turns away from them and forgets what his hands have put forth? Indeed, We have placed over their hearts coverings, lest they understand it, and in their ears deafness. And if you invite them to guidance - they will never be guided, then - ever.



وَ رَبُّکَ الْغَفُوْرُ ذُو الرَّحْمَۃِ ؕ لَوْ یُؤَاخِذُهُمْ بِمَا کَسَبُوْا لَعَجَّلَ لَهُمُ الْعَذَابَ ؕ بَلْ لَّهُمْ مَّوْعِدٌ لَّنْ یَّجِدُوْا مِنْ دُوْنِهٖ مَوْئِلًا ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাব্বুকাল গাফূরু যুর রাহমাতি লাও ইউআ-খিযুহুম বিমা-কাছাবূলা‘আজ্জালা লাহুমুল ‘আযা-বা বাল্লাহুম মাও‘ইদুল লাইঁ ইয়াজিদূমিন দূ নিহী মাওইলা-।
আল বায়ান:
আর তোমার রব ক্ষমাশীল, দয়াময়। তারা যা উপার্জন করেছে, তার কারণে তিনি যদি তাদেরকে পাকড়াও করতেন তবে অবশ্যই তাদের জন্য আযাব ত্বরান্বিত করতেন। বরং তাদের জন্য রয়েছে প্রতিশ্রুত সময়, যা থেকে তারা কোন আশ্রয়স্থল পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, দয়ার আধার। তাদের কৃতকর্মের জন্য তিনি যদি তাদেরকে পাকড়াও করতেন, তাহলে তাদের উপর অবশ্যই শীঘ্রই ‘আযার পাঠাতেন, কিন্তু তাদের সঙ্গে কৃত ওয়া‘দার জন্য আছে নির্দিষ্ট সময়, যাকে পাশ কাটিয়ে তারা কক্ষনো আশ্রয়ের কোন জায়গা পাবে না।
Sahih International:
And your Lord is the Forgiving, full of mercy. If He were to impose blame upon them for what they earned, He would have hastened for them the punishment. Rather, for them is an appointment from which they will never find an escape.



وَ تِلْکَ الْقُرٰۤی اَهْلَکْنٰهُمْ لَمَّا ظَلَمُوْا وَ جَعَلْنَا لِمَهْلِکِهِمْ مَّوْعِدًا ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তিলকাল কুরা আহলাকনা-হুম লাম্মা-জালামূওয়া জা‘আলনা- লিমাহলিকিহিম মাও‘ইদা-।
আল বায়ান:
আর এগুলো সেই জনপদ যেগুলো আমি ধ্বংস করেছি যখন তারা যুলম করেছে এবং আমি তাদের ধ্বংসের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
ঐ সব জনদপকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম যখন তারা বাড়াবাড়ি করেছিল, আর তাদের ধ্বংস সাধনের জন্য একটা প্রতিশ্রুত সময় স্থির করেছিলাম।
Sahih International:
And those cities - We destroyed them when they wronged, and We made for their destruction an appointed time.



وَ اِذْ قَالَ مُوْسٰی لِفَتٰىهُ لَاۤ اَبْرَحُ حَتّٰۤی اَبْلُغَ مَجْمَعَ الْبَحْرَیْنِ اَوْ اَمْضِیَ حُقُبًا ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকা-লা মূছা-লিফাতা-হুলাআবরাহুহাত্তাআবলুগা মাজমা‘আল বাহরাইনি আও আমদিয়া হুকুবা-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন মূসা তার সহচর যুবকটিকে বলল, আমি চলতে থাকব যতক্ষণ না দুই সমুদ্রের মিলনস্থলে উপনীত হব কিংবা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন মূসা তার সঙ্গীকে বলেছিল, ‘দুই সমুদ্রের মিলনস্থলে পৌঁছা না পর্যন্ত আমি চলতেই থাকবো যদিও বছরের পর বছর চলতেও হয়।’
Sahih International:
And [mention] when Moses said to his servant, "I will not cease [traveling] until I reach the junction of the two seas or continue for a long period."



فَلَمَّا بَلَغَا مَجْمَعَ بَیْنِهِمَا نَسِیَا حُوْتَهُمَا فَاتَّخَذَ سَبِیْلَهٗ فِی الْبَحْرِ سَرَبًا ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-বালাগা-মাজমা‘আ বাইনিহিমা-নাছিয়া-হুতাহুমা-ফাত্তাখাযা ছাবীলাহূফিল বাহরি ছারাবা-।
আল বায়ান:
এরপর যখন তারা তাদের দুই সমুদ্রের মিলনস্থলে উপনীত হল, তখন তারা তাদের মাছের কথা ভুলে গেল। ফলে মাছটি নালার মত করে সমুদ্রে তার পথ করে নিল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন তারা দু’জনে দুই সমুদ্রের মিলন স্থলে পৌঁছল, তারা তাদের মাছের কথা ভুলে গেল আর সেটি সমুদ্রে তার পথ করে নিল সুড়ঙ্গের মত।
Sahih International:
But when they reached the junction between them, they forgot their fish, and it took its course into the sea, slipping away.



فَلَمَّا جَاوَزَا قَالَ لِفَتٰىهُ اٰتِنَا غَدَآءَنَا ۫ لَقَدْ لَقِیْنَا مِنْ سَفَرِنَا هٰذَا نَصَبًا ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা- জা-ওয়াযা-কা-লা লিফাতা-হুআ-তিনা- গাদাআনা-লাকাদ লাকীনা মিন ছাফারিনা-হা-যা-নাসাবা-।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন তারা অগ্রসর হল তখন সে তার যুবককে বলল, ‘আমাদের সকালের খাবার নিয়ে আস। আমাদের এই সফরে আমরা অনেক ক্লান্তির মুখোমুখি হয়েছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা আরো এগিয়ে গেল, সে তার সঙ্গীকে বলল, ‘আমাদের সকালের খাবার আন, আমরা আমাদের এই সফরে বড়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’
Sahih International:
So when they had passed beyond it, [Moses] said to his boy, "Bring us our morning meal. We have certainly suffered in this, our journey, [much] fatigue."



قَالَ اَرَءَیْتَ اِذْ اَوَیْنَاۤ اِلَی الصَّخْرَۃِ فَاِنِّیْ نَسِیْتُ الْحُوْتَ ۫ وَ مَاۤ اَنْسٰنِیْهُ اِلَّا الشَّیْطٰنُ اَنْ اَذْکُرَهٗ ۚ وَ اتَّخَذَ سَبِیْلَهٗ فِی الْبَحْرِ ٭ۖ عَجَبًا ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আরাআইতা ইয আওয়াইনা ইলাসসাখরাতি ফাইন্নী নাছীতুল হূতা ওয়ামা আনছা-নীহু ইল্লাশশাইতা-নুআন আযকুরাহূ ওয়াত্তাখাযা ছাবীলাহূফিল বাহরি ‘আজাবা-।
আল বায়ান:
সে বলল, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে, যখন আমরা পাথরটিতে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, তখন আমি মাছটি হারিয়ে ফেলি। আর আমাকে তা স্মরণ করতে ভুলিয়েছে কেবল শয়তান এবং আশ্চর্যজনকভাবে তা সমুদ্রে তার পথ করে নিয়েছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সঙ্গীটি বলল, ‘আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন শিলাখন্ডে (বসে) ছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। সেটার কথা আপনাকে বলতে শয়তানই আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল আর মাছটি বিস্ময়করভাবে সমুদ্রে তার রাস্তা করে চলে গিয়েছিল।’
Sahih International:
He said, "Did you see when we retired to the rock? Indeed, I forgot [there] the fish. And none made me forget it except Satan - that I should mention it. And it took its course into the sea amazingly".



قَالَ ذٰلِکَ مَا کُنَّا نَبْغِ ٭ۖ فَارْتَدَّا عَلٰۤی اٰثَارِهِمَا قَصَصًا ﴿ۙ۶۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা যা-লিকা মা-কুন্না-নাবগি ফারতাদ্দা-‘আলাআ-ছা-রিহিমা-কাসাসা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘ঐ স্থানটিই আমরা খুঁজছি। তাই তারা তাদের পদচি‎হ্ন অনুসরণ করে পেছনে ফিরে গেল’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘এটাই তো সে জায়গা যেটা আমরা খুঁজছি।’ কাজেই তারা তাদের পায়ের চিহ্ন ধরে ফিরে গেল।
Sahih International:
[Moses] said, "That is what we were seeking." So they returned, following their footprints.



فَوَجَدَا عَبْدًا مِّنْ عِبَادِنَاۤ اٰتَیْنٰهُ رَحْمَۃً مِّنْ عِنْدِنَا وَ عَلَّمْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّا عِلْمًا ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়াজাদা- ‘আবদাম মিন ইবা-দিনা আ-তাইনা-হুরাহমাতাম মিন ‘ইনদিনা ওয়া ‘আল্লামনা-হু মিল্লাদুন্না-‘ইল মা-।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা আমার বান্দাদের মধ্য থেকে এক বান্দাকে পেল, যাকে আমি আমার পক্ষ থেকে রহমত দান করেছি এবং তাকে আমার পক্ষ থেকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তারা আমার বান্দাদের এক বান্দাকে পেল, যার প্রতি আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দান করেছিলাম আর আমার পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ জ্ঞান দান করেছিলাম।
Sahih International:
And they found a servant from among Our servants to whom we had given mercy from us and had taught him from Us a [certain] knowledge.



قَالَ لَهٗ مُوْسٰی هَلْ اَتَّبِعُکَ عَلٰۤی اَنْ تُعَلِّمَنِ مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাহূমূছা-হাল আত্তাবি‘উকা ‘আলাআন তু‘আলিলমানি মিম্মা-‘উলিলমতা রুশদা-।
আল বায়ান:
মূসা তাঁকে বলল, ‘আমি কি আপনাকে এই শর্তে অনুসরণ করব যে, আপনাকে যে সঠিক জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তা আমাকে শিক্ষা দেবেন’?
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা তাকে বলল, ‘আমি কি এ শর্তে আপনার অনুসরণ করব যে, আপনি আমাকে সেই (বিশেষ) জ্ঞান থেকে শিক্ষা দেবেন যে জ্ঞান আপনাকে শেখানো হয়েছে?’
Sahih International:
Moses said to him, "May I follow you on [the condition] that you teach me from what you have been taught of sound judgement?"



قَالَ اِنَّکَ لَنْ تَسْتَطِیْعَ مَعِیَ صَبْرًا ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নাকা লান তাছতাতী‘আ মা‘ইয়া সাবরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আপনি কখনো আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আপনি কিছুতেই আমার সাথে ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না।’
Sahih International:
He said, "Indeed, with me you will never be able to have patience.



وَ کَیْفَ تَصْبِرُ عَلٰی مَا لَمْ تُحِطْ بِهٖ خُبْرًا ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাইফা তাসবিরু ‘আলা-মা-লাম তুহিতবিহী খুবরা-।
আল বায়ান:
‘আপনি তাতে কীভাবে ধৈর্য ধরবেন, যে সম্পর্কে আপনি জানেন না’?
তাইসিরুল কুরআন:
আপনি কীভাবে সে বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করবেন যা আপনার জ্ঞানের আয়ত্বের বাইরে?’
Sahih International:
And how can you have patience for what you do not encompass in knowledge?"



قَالَ سَتَجِدُنِیْۤ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ صَابِرًا وَّ لَاۤ اَعْصِیْ لَکَ اَمْرًا ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ছাতাজিদুনীইন শাআল্লা-হু সা-বিরাওঁ ওয়ালাআ‘সী লাকা আমরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং কোন বিষয়ে আমি আপনার অবাধ্য হব না’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘আল্লাহ চাইলে আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন, আমি আপনার কোন নির্দেশই লঙ্ঘন করব না।’
Sahih International:
[Moses] said, "You will find me, if Allah wills, patient, and I will not disobey you in [any] order."



قَالَ فَاِنِ اتَّبَعْتَنِیْ فَلَا تَسْـَٔلْنِیْ عَنْ شَیْءٍ حَتّٰۤی اُحْدِثَ لَکَ مِنْهُ ذِکْرًا ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাইনিত তাবা‘তানী ফালা-তাছআলনী ‘আন শাইয়িন হাত্তাউহদিছালাকামিনহু যিকরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তবে আপনি যদি আমাকে অনুসরণ করেন, তাহলে কোন বিষয় সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষণ না আমি সে সম্পর্কে আপনাকে জানাই’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আপনি যেহেতু আমার অনুসরণ করতেই চান, তাহলে আপনি আমাকে কোন ব্যাপারেই প্রশ্ন করবেন না যতক্ষণ না আমি নিজেই সে সম্পর্কে আপনাকে বলি।’
Sahih International:
He said, "Then if you follow me, do not ask me about anything until I make to you about it mention."



فَانْطَلَقَا ٝ حَتّٰۤی اِذَا رَکِبَا فِی السَّفِیْنَۃِ خَرَقَهَا ؕ قَالَ اَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ اَهْلَهَا ۚ لَقَدْ جِئْتَ شَیْئًا اِمْرًا ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ফানতালাকা-হাত্তাইযা-রাকিবা-ফিছছাফীনাতি খারাকাহা- কা-লা আখারাকতাহা-লিতুগরিকা আহলাহা- লাকাদ জি’তা শাইআন ইমরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা চলতে থাকল। অবশেষে যখন তারা জাহাজে চড়ল, সে তা ফুটো করে দিল। সে বলল, ‘আপনি কি তার আরোহীদের ডুবানোর জন্য তা ফুটো করে দিলেন? আপনি অবশ্যই মন্দ কাজ করলেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা দু’জনে চলতে লাগল যতক্ষণ না তারা নৌকায় উঠল, অতঃপর লোকটি নৌকায় ছিদ্র করে দিল। মূসা বলল, ‘আপনি কি তার আরোহীদেরকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য তাতে ছিদ্র করলেন? আপনি তো এক অদ্ভুত কাজ করলেন।’
Sahih International:
So they set out, until when they had embarked on the ship, al-Khidh r tore it open. [Moses] said, "Have you torn it open to drown its people? You have certainly done a grave thing."



قَالَ اَلَمْ اَقُلْ اِنَّکَ لَنْ تَسْتَطِیْعَ مَعِیَ صَبْرًا ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আলাম আকুল ইন্নাকা লান তাছতাতী‘আ মা‘ইয়া সাবরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি কি বলিনি, আপনি আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি কিছুতেই আমার সঙ্গে ধৈর্য ধরতে পারবেন না?’
Sahih International:
[Al-Khidh r] said, "Did I not say that with me you would never be able to have patience?"



قَالَ لَا تُؤَاخِذْنِیْ بِمَا نَسِیْتُ وَ لَا تُرْهِقْنِیْ مِنْ اَمْرِیْ عُسْرًا ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লা-তুআখিযনী বিমা -নাছীতুওয়ালা-তুরহিকনী মিন আমরী ‘উছরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি যা ভুলে গিয়েছি, সে ব্যাপারে আমাকে ধরবেন না এবং আমাকে আমার বিষয়ে কঠোর আচরণ করবেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘আমার ভুলের জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন না, আর আমার ব্যাপারে আপনি অধিক কড়াকড়ি করবেন না।’
Sahih International:
[Moses] said, "Do not blame me for what I forgot and do not cover me in my matter with difficulty."



فَانْطَلَقَا ٝ حَتّٰۤی اِذَا لَقِیَا غُلٰمًا فَقَتَلَهٗ ۙ قَالَ اَقَتَلْتَ نَفْسًا زَکِیَّۃًۢ بِغَیْرِ نَفْسٍ ؕ لَقَدْ جِئْتَ شَیْئًا نُّکْرًا ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ফানতালাকা-হাত্তাইযা-লাকিয়া-গুলা-মান ফাকাতালাহূকা-লা আকাতালতা নাফছান যাকিইইয়াতাম বিগাইরি নাফছিল লাকাদ জি’তা শাইআন নুকরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা চলতে লাগল। অবশেষে যখন তারা এক বালকের সাক্ষাৎ পেল, তখন সে তাকে হত্যা করল। সে বলল, ‘আপনি নিষ্পাপ ব্যক্তিকে হত্যা করলেন, যে কাউকে হত্যা করেনি? আপনি তো খুবই মন্দ কাজ করলেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর তারা চলতে লাগল। চলতে চলতে এক বালককে তারা দেখতে পেল। তখন সে তাকে হত্যা করে ফেলল। মূসা বলল, ‘আপনি কি এক নিরাপরাধ জীবনকে কোন প্রকার হত্যার অপরাধ ছাড়াই হত্যা করে দিলেন? আপনি তো গুরুতর এক অন্যায় কাজ করে ফেললেন!’
Sahih International:
So they set out, until when they met a boy, al-Khidh r killed him. [Moses] said, "Have you killed a pure soul for other than [having killed] a soul? You have certainly done a deplorable thing."



قَالَ اَلَمْ اَقُلْ لَّکَ اِنَّکَ لَنْ تَسْتَطِیْعَ مَعِیَ صَبْرًا ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
কা- লা আলাম আকুল্লাকা ইন্নাকা লান তাছতাতী‘আ মা‘ইয়া সাবরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি আমার সাথে কখনই ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি আমার সঙ্গে কক্ষনো ধৈর্য ধরতে পারবেন না?’
Sahih International:
[Al-Khidh r] said, "Did I not tell you that with me you would never be able to have patience?"



قَالَ اِنْ سَاَلْتُکَ عَنْ شَیْءٍۭ بَعْدَهَا فَلَا تُصٰحِبْنِیْ ۚ قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَّدُنِّیْ عُذْرًا ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন ছাআলতুকা ‘আন শাইয়িম বা‘দাহা-ফালা-তুসা-হিবনী কাদ বালাগতা মিল্লাদুন্নী ‘উযরা-।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘এরপর যদি আমি আপনাকে আর কোন বিষয়ে প্রশ্ন করি, তাহলে আপনি আমাকে আর আপনার সাথে রাখবেন না। আমার পক্ষ থেকে আপনি ওযর পেয়ে গেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘এরপর আমি যদি কোন বিষয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করি, তাহলে আপনি আর আমাকে সঙ্গে রাখবেন না, ওযর অন্যায় আমার পক্ষ থেকেই ঘটেছে।’
Sahih International:
[Moses] said, "If I should ask you about anything after this, then do not keep me as a companion. You have obtained from me an excuse."



فَانْطَلَقَا ٝ حَتّٰۤی اِذَاۤ اَتَیَاۤ اَهْلَ قَرْیَۃِۣ اسْتَطْعَمَاۤ اَهْلَهَا فَاَبَوْا اَنْ یُّضَیِّفُوْهُمَا فَوَجَدَا فِیْهَا جِدَارًا یُّرِیْدُ اَنْ یَّنْقَضَّ فَاَقَامَهٗ ؕ قَالَ لَوْ شِئْتَ لَتَّخَذْتَ عَلَیْهِ اَجْرًا ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ফানতালাকা-হাত্তাইযাআতাইয়াআহলা কারইয়াতিনিছতাত‘আমা আহলাহা-ফাআবাওঁআইঁ ইউদাইয়িফূহুমা-ফাওয়াজাদা-ফীহা-জিদা-রাইঁ ইউরীদুআইঁ ইয়ানকাদ্দা ফাআকা-মাহূ কা-লা লাও শি’তা লাত্তাখাযতা ‘আলাইহি আজরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা দু’জন চলতে শুরু করল। অবশেষে যখন তারা একটি জনপদের অধিবাসীদের নিকট পৌঁছল তখন তাদের কাছে কিছু খাবার চাইল; কিন্তু তারা তাদেরকে মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। অতঃপর তারা সেখানে একটি প্রাচীর দেখতে পেল, যা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সে তখন প্রাচীরটি সোজাভাবে দাঁড় করিয়ে দিল। মূসা বলল, ‘আপনি ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক নিতে পারতেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর তারা উভয়ে চলতে লাগল, চলতে চলতে তারা এক জনপদে পৌঁছে সেখানকার লোকেদের কাছে খাবার চাইল। কিন্তু তারা তাদের দু’জনকে আতিথ্য প্রদান করতে অস্বীকার করল। তারা দু’জন সেখানে একটা দেয়াল দেখতে পেল যা পড়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল। তখন সে ব্যক্তি সেটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে দিল। মূসা বলল, ‘আপনি ইচ্ছে করলে এর জন্য পারিশ্রমিক নিতে পারতেন।’
Sahih International:
So they set out, until when they came to the people of a town, they asked its people for food, but they refused to offer them hospitality. And they found therein a wall about to collapse, so al-Khidh r restored it. [Moses] said, "If you wished, you could have taken for it a payment."



قَالَ هٰذَا فِرَاقُ بَیْنِیْ وَ بَیْنِکَ ۚ سَاُنَبِّئُکَ بِتَاْوِیْلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَّلَیْهِ صَبْرًا ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হা-যা-ফিরা-কুবাইনী ওয়া বাইনিকা ছাউনাব্বিউকা বিতা’বিলি মালাম তাছতাতি‘ ‘আলাইহি সাব রা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘এখানেই আমার ও আপনার মধ্যে বিচ্ছেদ। যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি আমি এখন আপনাকে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
লোকটি বলল, ‘এখানেই আপনার সাথে আমার সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটল। এখন আমি আপনাকে ব্যাখ্যা জানিয়ে দেব যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধরতে পারেননি।
Sahih International:
[Al-Khidh r] said, "This is parting between me and you. I will inform you of the interpretation of that about which you could not have patience.



اَمَّا السَّفِیْنَۃُ فَکَانَتْ لِمَسٰکِیْنَ یَعْمَلُوْنَ فِی الْبَحْرِ فَاَرَدْتُّ اَنْ اَعِیْبَهَا وَ کَانَ وَرَآءَهُمْ مَّلِکٌ یَّاْخُذُ کُلَّ سَفِیْنَۃٍ غَصْبًا ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
আম্মাছ ছাফীনাতুফাকা-নাত লিমাছা-কীনা ইয়া‘মালূনা ফিল বাহরি ফাআরাততুআন আ‘ঈবাহা-ওয়া কা-না ওয়ারাআহুম মালিকুইঁ ইয়া‘খুযুকুল্লা ছাফীনাতিন গাসবা-।
আল বায়ান:
‘নৌকাটির বিষয় হল, তা ছিল কিছু দরিদ্র লোকের যারা সমুদ্রে কাজ করত। আমি নৌকাটিকে ত্রুটিযুক্ত করতে চেয়েছি কারণ তাদের পেছনে ছিল এক রাজা, যে নৌকাগুলো জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিচ্ছিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
নৌকাটির ব্যাপার হল- তা ছিল কয়েকজন গরীব লোকের, তারা সমুদ্রে জীবিকার জন্য শ্রম করত। আমি সেটাকে খুঁতযুক্ত করতে চাইলাম, কারণ তাদের পশ্চাতে ছিল এক রাজা, সে জোরপূর্বক সব নৌকা কেড়ে নিত।
Sahih International:
As for the ship, it belonged to poor people working at sea. So I intended to cause defect in it as there was after them a king who seized every [good] ship by force.



وَ اَمَّا الْغُلٰمُ فَکَانَ اَبَوٰهُ مُؤْمِنَیْنِ فَخَشِیْنَاۤ اَنْ یُّرْهِقَهُمَا طُغْیَانًا وَّ کُفْرًا ﴿ۚ۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মাল গুলা-মুফাকা-না আবাওয়া-হুমু’মিনাইনি ফাখাশীনাআইঁ ইউরহিকাহুমাতুগইয়া-নাওঁ ওয়া কুফরা-।
আল বায়ান:
‘আর বালকটির বিষয় হল, তার পিতা-মাতা ছিল মুমিন। অতঃপর আমি আশংকা* করলাম যে, সে সীমালংঘন ও কুফরী দ্বারা তাদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর বালকটির ব্যাপার হল- তার মাতা-পিতা ছিল মু’মিন। আমরা শঙ্কা করলাম যে, সে তার বিদ্রোহমূলক আচরণ ও (আল্লাহর প্রতি) কুফুরী দ্বারা তাদেরকে কষ্ট দেবে।
Sahih International:
And as for the boy, his parents were believers, and we feared that he would overburden them by transgression and disbelief.



فَاَرَدْنَاۤ اَنْ یُّبْدِلَهُمَا رَبُّهُمَا خَیْرًا مِّنْهُ زَکٰوۃً وَّ اَقْرَبَ رُحْمًا ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ফাআরাদনাআইঁ ইউবদিলাহুমা- রাব্বুহুমা- খাইরাম মিনহু যাকা-তাওঁ ওয়া আকারাবা রুহমা-।
আল বায়ান:
‘তাই আমি চাইলাম, তাদের রব তাদেরকে তার পরিবর্তে এমন সন্তান দান করবেন, যে হবে তার চেয়ে পবিত্রতায় উত্তম এবং দয়ামায়ায় অধিক ঘনিষ্ঠ।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কারণে আমরা চাইলাম যে, তাদের প্রতিপালক তাদেরকে তার পরিবর্তে অধিক পবিত্র ও দয়া-মায়ায় অধিক ঘনিষ্ঠ (সন্তান) দান করবেন।
Sahih International:
So we intended that their Lord should substitute for them one better than him in purity and nearer to mercy.



وَ اَمَّا الْجِدَارُ فَکَانَ لِغُلٰمَیْنِ یَتِیْمَیْنِ فِی الْمَدِیْنَۃِ وَ کَانَ تَحْتَهٗ کَنْزٌ لَّهُمَا وَ کَانَ اَبُوْهُمَا صَالِحًا ۚ فَاَرَادَ رَبُّکَ اَنْ یَّبْلُغَاۤ اَشُدَّهُمَا وَ یَسْتَخْرِجَا کَنْزَهُمَا ٭ۖ رَحْمَۃً مِّنْ رَّبِّکَ ۚ وَ مَا فَعَلْتُهٗ عَنْ اَمْرِیْ ؕ ذٰلِکَ تَاْوِیْلُ مَا لَمْ تَسْطِعْ عَّلَیْهِ صَبْرًا ﴿ؕ۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মাল জিদা-রু ফাকা-না লিগুলা-মাইনি ইয়াতীমাইনি ফিল মাদীনাতি ওয়া কা-না তাহতাহূকানযুল্লাহুমা-ওয়া কা-না আবূহুমা-সা-লিহান ফাআরা-দা রাব্বুকা আইঁ ইয়াবলুগাআশুদ্দা হুমা-ওয়া ইয়াছতাখরিজা-কানযাহুমা- রাহমাতাম মির রাব্বিকা ওয়ামা-ফা‘আলতুহূ‘আন আমরী যা-লিকা তা’বীলুমা-লাম তাছতি‘ ‘আলাইহি সাবরা-।
আল বায়ান:
‘আর প্রাচীরটির বিষয় হল, তা ছিল শহরের দু’জন ইয়াতীম বালকের এবং তার নিচে ছিল তাদের গুপ্তধন। আর তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। তাই আপনার রব চাইলেন যে, তারা দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে তাদের গুপ্তধন বের করে নেবে। এ সবই আপনার রবের রহমত স্বরূপ। আমি নিজ থেকে তা করিনি। এ হলো সে বিষয়ের ব্যাখ্যা, যে সম্পর্কে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ঐ দেয়ালটির বিষয় হল- তা ছিল ঐ শহরের দু’জন ইয়াতীম বালকের। তার নীচে ছিল তাদের জন্য রক্ষিত ধন, তাদের পিতা ছিল এক সৎ ব্যক্তি। তাই তোমার প্রতিপালক চাইলেন তারা দু’জন যৌবনে উপনীত হোক আর তাদের গচ্ছিত ধন বের করে নিক- যা হল তোমার প্রতিপালকের রহমত বিশেষ। এ সব আমি নিজের পক্ষ থেকে করিনি। এ হল সে বিষয়ের ব্যাখ্যা যে সম্পর্কে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি।’
Sahih International:
And as for the wall, it belonged to two orphan boys in the city, and there was beneath it a treasure for them, and their father had been righteous. So your Lord intended that they reach maturity and extract their treasure, as a mercy from your Lord. And I did it not of my own accord. That is the interpretation of that about which you could not have patience."



وَ یَسْـَٔلُوْنَکَ عَنْ ذِی الْقَرْنَیْنِ ؕ قُلْ سَاَتْلُوْا عَلَیْکُمْ مِّنْهُ ذِکْرًا ﴿ؕ۸۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াছআলূনাকা আন যিল কারনাইনি কুল ছাআতলূ‘আলাইকুম মিনহু যিকরা-।
আল বায়ান:
আর তারা তোমাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। বল, ‘আমি এখন তার সম্পর্কে তোমাদের নিকট বর্ণনা দিচ্ছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাকে তারা যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল, ‘আমি তার বিষয় তোমাদের নিকট কিছু বর্ণনা করব।’
Sahih International:
And they ask you, [O Muhammad], about Dhul-Qarnayn. Say, "I will recite to you about him a report."



اِنَّا مَکَّنَّا لَهٗ فِی الْاَرْضِ وَ اٰتَیْنٰهُ مِنْ کُلِّ شَیْءٍ سَبَبًا ﴿ۙ۸۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-মাক্কান্না-লাহূফিল আরদিওয়া আ-তাইনা-হু মিন কুল্লি শাইয়িন ছাবাবা-।
আল বায়ান:
আমি তাকে যমীনে কর্তৃত্ব দান করেছিলাম এবং সববিষয়ের উপায়- উপকরণ দান করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে পৃথিবীতে আধিপত্য দান করেছিলাম আর তাকে সব রকমের উপায় উপাদান দিয়েছিলাম।
Sahih International:
Indeed We established him upon the earth, and We gave him to everything a way.



فَاَتْبَعَ سَبَبًا ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআতবা‘আ ছাবাবা-।
আল বায়ান:
অতঃপর সে একটি পথ অবলম্বন করল।
তাইসিরুল কুরআন:
একবার সে এক রাস্তা ধরল (অর্থাৎ একদিকে একটা অভিযান চালাল)।
Sahih International:
So he followed a way



حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِیْ عَیْنٍ حَمِئَۃٍ وَّ وَجَدَ عِنْدَهَا قَوْمًا ۬ؕ قُلْنَا یٰذَا الْقَرْنَیْنِ اِمَّاۤ اَنْ تُعَذِّبَ وَ اِمَّاۤ اَنْ تَتَّخِذَ فِیْهِمْ حُسْنًا ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা-বালাগা মাগরিবাশ শামছি ওয়া জাদাহা-তাগরুবুফী ‘আইনিন হামিআতিওঁ ওয়া ওয়াজাদা ‘ইনদাহা-কাওমান কুলনা-ইয়া-যাল কারনাইনি ইম্মাআন তু‘আযযিবা ওয়া ইম্মাআন তাত্তাখিযা ফীহিম হুছনা-।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন সে সূর্যাস্তের স্থানে পৌঁছল, তখন সে সূর্যকে একটি কর্দমাক্ত পানির ঝর্ণায় ডুবতে দেখতে পেল এবং সে এর কাছে একটি জাতির দেখা পেল। আমি বললাম, ‘হে যুলকারনাইন, তুমি তাদেরকে আযাবও দিতে পার অথবা তাদের ব্যাপারে সদাচরণও করতে পার’।
তাইসিরুল কুরআন:
চলতে চলতে যখন সে সূর্যাস্তের স্থানে পৌঁছল, তখন সে সূর্যকে অস্বচ্ছ জলাশয়ে ডুবতে দেখল আর সেখানে একটি জাতির লোকেদের সাক্ষাৎ পেল। আমি বললাম, ‘হে যুলকারনাইন! তুমি তাদেরকে শাস্তি দিতে পার কিংবা তাদের সঙ্গে (সদয়) ব্যবহারও করতে পার।’
Sahih International:
Until, when he reached the setting of the sun, he found it [as if] setting in a spring of dark mud, and he found near it a people. Allah said, "O Dhul-Qarnayn, either you punish [them] or else adopt among them [a way of] goodness."



قَالَ اَمَّا مَنْ ظَلَمَ فَسَوْفَ نُعَذِّبُهٗ ثُمَّ یُرَدُّ اِلٰی رَبِّهٖ فَیُعَذِّبُهٗ عَذَابًا نُّکْرًا ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আম্মা-মান জালামা ফাছাওফা নু‘আযযি বুহূ ছু ম্মা ইউরাদ্দু ইলা-রাব্বিহী ফাইউ‘আযযি বুহূ‘আযা-বান নুকরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘যে ব্যক্তি যুলম করবে, আমি অচিরেই তাকে শাস্তি দেব। অতঃপর তাকে তার রবের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে। তখন তিনি তাকে কঠিন আযাব দেবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘যে ব্যক্তি যুলম করবে আমি তাকে অচিরেই শাস্তি দেব, অতঃপর তাকে তার প্রতিপালকের কাছে ফিরিয়ে আনা হবে, তখন তিনি তাকে কঠিন ‘আযাব দেবেন।
Sahih International:
He said, "As for one who wrongs, we will punish him. Then he will be returned to his Lord, and He will punish him with a terrible punishment.



وَ اَمَّا مَنْ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَلَهٗ جَزَآءَۨ الْحُسْنٰی ۚ وَ سَنَقُوْلُ لَهٗ مِنْ اَمْرِنَا یُسْرًا ﴿ؕ۸۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মা-মান আ-মানা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ফালাহূজাযাআনিল হুছনা-,ওয়া ছানাকূলুলাহূমিন আমরিনা-ইউছরা-।
আল বায়ান:
‘আর যে ব্যক্তি ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে, তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার। আর আমি আমার ব্যবহারে তার সাথে নরম কথা বলব’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে ব্যক্তি ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে তার জন্য আছে উত্তম পুরস্কার আর আমি তাকে সহজ কাজের নির্দেশ দেব।
Sahih International:
But as for one who believes and does righteousness, he will have a reward of Paradise, and we will speak to him from our command with ease."



ثُمَّ اَتْبَعَ سَبَبًا ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
ছুম্মা আতবা‘আ ছাবাবা-।
আল বায়ান:
তারপর সে আরেক পথ অবলম্বন করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর সে আরেক পথ ধরল।
Sahih International:
Then he followed a way



حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلٰی قَوْمٍ لَّمْ نَجْعَلْ لَّهُمْ مِّنْ دُوْنِهَا سِتْرًا ﴿ۙ۹۰﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা-বালাগা মাতলি‘আশশামছি ওয়াজাদাহা-তাতলু‘উ ‘আলা-কাওমিল লাম নাজ‘আল লাহুম মিন দূনিহা-ছিতরা-।
আল বায়ান:
অবশেষে সে যখন সূর্যোদয়ের স্থানে এসে পৌঁছল তখন সে দেখতে পেল, তা এমন এক জাতির উপর উদিত হচ্ছে যাদের জন্য আমি সূর্যের বিপরীতে কোন আড়ালের ব্যবস্থা করিনি।
তাইসিরুল কুরআন:
চলতে চলতে সে সূর্যোদয়ের স্থানে পৌঁছল। সে সূর্যকে এমন এক জাতির উপর উদয় হতে দেখতে পেল, আমি যাদের জন্য সূর্য থেকে বাঁচার কোন আড়ালের ব্যবস্থা করিনি।
Sahih International:
Until, when he came to the rising of the sun, he found it rising on a people for whom We had not made against it any shield.



کَذٰلِکَ ؕ وَ قَدْ اَحَطْنَا بِمَا لَدَیْهِ خُبْرًا ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা ওয়া কাদ আহাতনা-বিমা-লাদাইহি খুবরা
আল বায়ান:
প্রকৃত ঘটনা এটাই। আর তার নিকট যা ছিল, আমি সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
এই হল তাদের অবস্থা। তার সামনে যা ছিল আমি সে সম্পর্কে ছিলাম সম্পূর্ণ অবহিত।
Sahih International:
Thus. And We had encompassed [all] that he had in knowledge.



ثُمَّ اَتْبَعَ سَبَبًا ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আতবা‘আ ছাবাবা-।
আল বায়ান:
তারপর সে আরেক পথ অবলম্বন করল।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপর সে আরেক পথ ধরল।
Sahih International:
Then he followed a way



حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ بَیْنَ السَّدَّیْنِ وَجَدَ مِنْ دُوْنِهِمَا قَوْمًا ۙ لَّا یَکَادُوْنَ یَفْقَهُوْنَ قَوْلًا ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা-বালাগা বাইনাছছাদ্দাইনি ওয়াজাদা মিন দূনিহিমা-কাওমাল লা-ইয়াকা-দূনা ইয়াফকাহূনা কাওলা-।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন সে দুই পর্বতের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছল, তখন সেখানে সে এমন এক জাতিকে পেল, যারা তার কথা তেমন একটা বুঝতে পারছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
চলতে চলতে সে দু’ পাহাড়ের মাঝে এসে পৌঁছল। সেখানে সে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেল। যারা কথাবার্তা কমই বুঝতে পারে।
Sahih International:
Until, when he reached [a pass] between two mountains, he found beside them a people who could hardly understand [his] speech.



قَالُوْا یٰذَاالْقَرْنَیْنِ اِنَّ یَاْجُوْجَ وَ مَاْجُوْجَ مُفْسِدُوْنَ فِی الْاَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَکَ خَرْجًا عَلٰۤی اَنْ تَجْعَلَ بَیْنَنَا وَ بَیْنَهُمْ سَدًّا ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-যাল কারনাইনি ইন্না ইয়া’জূজা ওয়া মা’জূজা মুফছিদূনা ফিল আরদি ফাহাল নাজ‘আলুলাকা খারজান ‘আলাআন তাজ‘আলা বাইনানা-ওয়া বাইনাহুম ছাদ্দা-।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে যুলকারনাইন! নিশ্চয় ইয়া’জূজ ও মা’জূজ যমীনে অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাই আমরা কি আপনাকে এ জন্য কিছু খরচ দেব যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটা প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে যুলক্বারনায়ন! ইয়াজূজ মা’জূজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে, অতএব আমরা কি আপনাকে কর দেব যে, আপনি আমাদের ও তাদের মাঝে একটা বাঁধ নির্মাণ করে দেবেন?’
Sahih International:
They said, "O Dhul-Qarnayn, indeed Gog and Magog are [great] corrupters in the land. So may we assign for you an expenditure that you might make between us and them a barrier?"



قَالَ مَا مَکَّنِّیْ فِیْهِ رَبِّیْ خَیْرٌ فَاَعِیْنُوْنِیْ بِقُوَّۃٍ اَجْعَلْ بَیْنَکُمْ وَ بَیْنَهُمْ رَدْمًا ﴿ۙ۹۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা মা-মাকান্নী ফীহি রাববী খাইরুন ফাআ‘ঈনূনী বিকুওওয়াতিন আজ‘আল বাইনাকুম ওয়া বাইনাহুম রাদমা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমার রব আমাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, সেটাই উত্তম। সুতরাং তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মাঝখানে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আমাকে আমার প্রতিপালক যা দিয়েছেন তা-ই যথেষ্ট, কাজেই তোমরা আমাকে শক্তি-শ্রম দিয়ে সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মাঝে এক সুদৃঢ় প্রাচীর গড়ে দেব।
Sahih International:
He said, "That in which my Lord has established me is better [than what you offer], but assist me with strength; I will make between you and them a dam.



اٰتُوْنِیْ زُبَرَ الْحَدِیْدِ ؕ حَتّٰۤی اِذَا سَاوٰی بَیْنَ الصَّدَفَیْنِ قَالَ انْفُخُوْا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَعَلَهٗ نَارًا ۙ قَالَ اٰتُوْنِیْۤ اُفْرِغْ عَلَیْهِ قِطْرًا ﴿ؕ۹۶﴾
উচ্চারণ:
আ-তূনী যুবারাল হাদীদি হাত্তাইযা-ছা-ওয়া-বাইনাসসাদাফাইনি কা-লানফুখূ হাত্তাইযা-জা‘আলাহূনা-রান কা-লা আ-তূনীউফরিগ ‘আলাইহি কিতরা-।
আল বায়ান:
‘তোমরা আমাকে লোহার পাত এনে দাও’। অবশেষে যখন সে দু’পাহাড়ের মধ্যবর্তী জায়গা সমান করে দিল, তখন সে বলল, ‘তোমরা ফুঁক দিতে থাক’। অতঃপর যখন সে তা আগুনে পরিণত করল, তখন বলল, ‘তোমরা আমাকে কিছু তামা দাও, আমি তা এর উপর ঢেলে দেই’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার কাছে লোহার পাত এনে দাও।’ শেষ পর্যন্ত যখন সে দু’পাহাড়ের মাঝের ফাঁকা জায়গা পুরোপুরি ভরাট করে দিল সে বলল, ‘তোমরা হাপরে দম দিতে থাক।’ শেষ পর্যন্ত যখন তা আগুনের মত লাল হয়ে গেল তখন সে বলল, ‘আনো, আমি এর উপর গলিত তামা ঢেলে দেব।’
Sahih International:
Bring me sheets of iron" - until, when he had leveled [them] between the two mountain walls, he said, "Blow [with bellows]," until when he had made it [like] fire, he said, "Bring me, that I may pour over it molten copper."



فَمَا اسْطَاعُوْۤا اَنْ یَّظْهَرُوْهُ وَ مَا اسْتَطَاعُوْا لَهٗ نَقْبًا ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
ফামাছতা‘ঊআইঁ ইয়াজহারূহু ওয়া মাছতাতা-‘ঊ লাহূনাকবা-।
আল বায়ান:
এরপর তারা (ইয়া’জূজ ও মা’জূজ) প্রাচীরের উপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারল না এবং নিচ দিয়েও তা ভেদ করতে পারল না।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপর তারা (অর্থাৎ ইয়াজূজ-মা‘জুজ) তা অতিক্রম করতে পারবে না, আর তা ভেদ করতেও পারবে না।
Sahih International:
So Gog and Magog were unable to pass over it, nor were they able [to effect] in it any penetration.



قَالَ هٰذَا رَحْمَۃٌ مِّنْ رَّبِّیْ ۚ فَاِذَا جَآءَ وَعْدُ رَبِّیْ جَعَلَهٗ دَکَّآءَ ۚ وَ کَانَ وَعْدُ رَبِّیْ حَقًّا ﴿ؕ۹۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হা-যা-রাহমাতুম মির রাববী ফাইযা-জাআ ওয়া‘দুরাববী জা‘আলাহূ দাক্কাআ ওয়া কা-না ওয়া‘দুরাববী হাক্কা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘এটা আমার রবের অনুগ্রহ। অতঃপর যখন আমার রবের ওয়াদাকৃত সময় আসবে তখন তিনি তা মাটির সাথে মিশিয়ে দেবেন। আর আমার রবের ওয়াদা সত্য’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘এ আমার প্রতিপালকের করুণা, যখন আমার প্রতিপালকের ওয়া‘দার নির্দিষ্ট সময় আসবে, তখন তিনি তাকে ধূলিসাৎ করে দেবেন আর আমার প্রতিপালকের ওয়া‘দা সত্য।
Sahih International:
[Dhul-Qarnayn] said, "This is a mercy from my Lord; but when the promise of my Lord comes, He will make it level, and ever is the promise of my Lord true."



وَ تَرَکْنَا بَعْضَهُمْ یَوْمَئِذٍ یَّمُوْجُ فِیْ بَعْضٍ وَّ نُفِخَ فِی الصُّوْرِ فَجَمَعْنٰهُمْ جَمْعًا ﴿ۙ۹۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তারাকনা- বা‘দাহুম ইয়াওমাইযিইঁ ইয়ামূজুফী বা‘দিওঁ ওয়া নুফিখা ফিসসূরি ফাজামা‘না-হুম জাম‘আ-।
আল বায়ান:
আর সেদিন আমি তাদেরকে এমন অবস্থায় ছেড়ে দেব যে, তারা একদল আরেক দলের উপর তরঙ্গমালার মত আছড়ে পড়বে এবং শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। অতঃপর আমি তাদের সকলকে একত্র করব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে সেদিন এমন অবস্থায় ছেড়ে দেব যে, তারা একদল আরেক দলের উপর তরঙ্গমালার মত পড়বে। আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। অতঃপর আমরা সব মানুষকে একসঙ্গে একত্রিত করব।
Sahih International:
And We will leave them that day surging over each other, and [then] the Horn will be blown, and We will assemble them in [one] assembly.



وَّ عَرَضْنَا جَهَنَّمَ یَوْمَئِذٍ لِّلْکٰفِرِیْنَ عَرْضَۨا ﴿۱۰۰﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আরাদনা-জাহান্নামা ইয়াওমাইযিল লিলকা-ফিরীনা ‘আরদা-।
আল বায়ান:
এবং আমি সেদিন কাফিরদের জন্য জাহান্নামকে সরাসরি উপস্থিত করব;
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সেদিন জাহান্নামকে কাফিরদের জন্য সরাসরি হাযির করব।
Sahih International:
And We will present Hell that Day to the Disbelievers, on display -



الَّذِیْنَ کَانَتْ اَعْیُنُهُمْ فِیْ غِطَـآءٍ عَنْ ذِکْرِیْ وَ کَانُوْا لَا یَسْتَطِیْعُوْنَ سَمْعًا ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা কা-নাত আ‘ইউনুহুম ফী গিতাইন ‘আন যিকরী ওয়া কা-নূলা-ইয়াছতাতী‘ঊনা ছাম‘আ-।
আল বায়ান:
আমার স্মরণ থেকে যাদের চোখ ছিল আবরণে ঢাকা এবং যারা শুনতেও ছিল অক্ষম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার স্মরণ থেকে যাদের চক্ষু ছিল আবরণে ঢাকা আর তারা শুনতেও সক্ষম ছিল না।
Sahih International:
Those whose eyes had been within a cover [removed] from My remembrance, and they were not able to hear.



اَفَحَسِبَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اَنْ یَّتَّخِذُوْا عِبَادِیْ مِنْ دُوْنِیْۤ اَوْلِیَآءَ ؕ اِنَّـاۤ اَعْتَدْنَا جَهَنَّمَ لِلْکٰفِرِیْنَ نُزُلًا ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
আফাহাছিবাল্লাযীনা কাফারূআইঁ ইয়াত্তাখিযূ‘ইবা-দী মিন দূ নীআওলিয়াআ ইন্না আ‘তাদনা-জাহান্নামা লিলকা-ফিরীনা নুযুলা-।
আল বায়ান:
যারা কুফরী করছে, তারা কি মনে করেছে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে? নিশ্চয় আমি জাহান্নামকে কাফিরদের আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুত করছি।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফুরী নীতি গ্রহণ করেছে তারা কি মনে করে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাহদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে? আমি কাফিরদের মেহমানদারির জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত করে রেখেছি।
Sahih International:
Then do those who disbelieve think that they can take My servants instead of Me as allies? Indeed, We have prepared Hell for the disbelievers as a lodging.



قُلْ هَلْ نُنَبِّئُکُمْ بِالْاَخْسَرِیْنَ اَعْمَالًا ﴿۱۰۳﴾ؕ
উচ্চারণ:
কুল হাল নুনাব্বিউকুম বিলআখছারীনা আ‘মা-লা-।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন লোকদের কথা জানাব, যারা আমলের দিক থেকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত’?
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘আমি তোমাদেরকে কি সংবাদ দেব নিজেদের ‘আমালের ক্ষেত্রে কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত?’
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Shall we [believers] inform you of the greatest losers as to [their] deeds?



اَلَّذِیْنَ ضَلَّ سَعْیُهُمْ فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا وَ هُمْ یَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ یُحْسِنُوْنَ صُنْعًا ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা দাল্লা ছা‘ইউহুম ফিল হায়া-তিদদুনইয়া- ওয়াহুম ইয়াহছাবূনা আন্নাহুম ইউহছিনূনা সুন‘আ-।
আল বায়ান:
দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে করছে যে, তারা ভাল কাজই করছে’!
তাইসিরুল কুরআন:
তারা হল সে সব লোক দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা সাধনা ব্যর্থ হয়ে গেছে আর তারা নিজেরা মনে করছে যে, তারা সঠিক কাজই করছে।
Sahih International:
[They are] those whose effort is lost in worldly life, while they think that they are doing well in work."



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِاٰیٰتِ رَبِّهِمْ وَ لِقَآئِهٖ فَحَبِطَتْ اَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِیْمُ لَهُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ وَزْنًا ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা কাফারূ বিআ-য়া-তি রাব্বিহিম ওয়ালিকাইহী ফাহাবিতাত আ‘মালুহুম ফালা-নুকীমুলাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়াযনা-।
আল বায়ান:
‘তারাই সেসব লোক, যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে। ফলে তাদের সকল আমল নিষ্ফল হয়ে গেছে। সুতরাং আমি তাদের জন্য কিয়ামতের দিন কোন ওজনের ব্যবস্থা রাখব না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা হল সে সব লোক যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শন ও তাঁর সাথে সাক্ষাৎকে অমান্য করে। যার ফলে তাদের যাবতীয় ‘আমাল নিস্ফল হয়ে গেছে। কিয়ামাতের দিন আমি তাদের (কাজের) জন্য কোন ওজন কায়িম করব না (অর্থাৎ তাদের এ সব ‘আমাল ওজনযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হবে না)।
Sahih International:
Those are the ones who disbelieve in the verses of their Lord and in [their] meeting Him, so their deeds have become worthless; and We will not assign to them on the Day of Resurrection any importance.



ذٰلِکَ جَزَآؤُهُمْ جَهَنَّمُ بِمَا کَفَرُوْا وَ اتَّخَذُوْۤا اٰیٰتِیْ وَ رُسُلِیْ هُزُوًا ﴿۱۰۶﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা জাযাউহুম জাহান্নামুবিমা-কাফারূওয়াত্তাখাযূআ-য়া-তী ওয়ারুছুলী হুযুওয়া-।
আল বায়ান:
‘এ জন্যই তাদের প্রতিফল জাহান্নাম। কারণ তারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহ ও আমার রাসূলগণকে বিদ্রূপের বিষয় বানিয়েছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
এটাই তাদের প্রতিফল-জাহান্নাম, কারণ তারা কুফুরী করেছে আর আমার নিদর্শন ও রসূলদেরকে হাসি-তামাশার বিষয় বানিয়েছে।
Sahih International:
That is their recompense - Hell - for what they denied and [because] they took My signs and My messengers in ridicule.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ کَانَتْ لَهُمْ جَنّٰتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا ﴿۱۰۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি কা-নাত লাহুম জান্না-তুল ফিরদাওছি নুযুলা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের আপ্যায়নের জন্য আছে ফিরদাউসের বাগান।
Sahih International:
Indeed, those who have believed and done righteous deeds - they will have the Gardens of Paradise as a lodging,



خٰلِدِیْنَ فِیْهَا لَا یَبْغُوْنَ عَنْهَا حِوَلًا ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
খা-লিদীনা ফীহা-লা-ইয়াবগূনা ‘আনহা-হিওয়ালা-।
আল বায়ান:
সেখানে তারা স্থায়ী হবে। তারা সেখান থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হতে চাইবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা স্থায়ী হয়ে থাকবে, সেখান থেকে বের হয়ে আর অন্যত্র যেতে চাইবে না।
Sahih International:
Wherein they abide eternally. They will not desire from it any transfer.



قُلْ لَّوْ کَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّکَلِمٰتِ رَبِّیْ لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ اَنْ تَنْفَدَ کَلِمٰتُ رَبِّیْ وَ لَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهٖ مَدَدًا ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
কুল লাও কা-নাল বাহরু মিদা-দাল লিকালিমা-তি রাববী লানাফিদাল বাহরু কাবলা আন তানফাদা কালিমা-তুরাববী ওয়ালাও জি’না-বিমিছলিহী মাদাদা-।
আল বায়ান:
বল, ‘আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়ে যায় তবে সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে আমার রবের কথা শেষ হওয়ার আগেই। যদিও এর সাহায্যার্থে অনুরূপ আরো সমুদ্র নিয়ে আসি’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘সমুদ্রগুলো যদি আমার প্রতিপালকের কথা লেখার জন্য কালি হয়ে যায়, তবে আমার প্রতিপালকের কথা লেখা শেষ হওয়ার আগেই সমুদ্র অবশ্যই নিঃশেষ হয়ে যাবে, আমি যদি এর সাহায্যের জন্য আরো অনুরূপ পরিমাণ সমুদ্র নিয়ে আসি তবুও।’
Sahih International:
Say, "If the sea were ink for [writing] the words of my Lord, the sea would be exhausted before the words of my Lord were exhausted, even if We brought the like of it as a supplement."



قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثْلُکُمْ یُوْحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ فَمَنْ کَانَ یَرْجُوْا لِقَآءَ رَبِّهٖ فَلْیَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَّ لَا یُشْرِکْ بِعِبَادَۃِ رَبِّهٖۤ اَحَدًا ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নামাআনা-বাশারুম মিছলুকুম ইউহাইলাইইয়া আন্নামাইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুন ফামান কা-না ইয়ারজূলিকাআ রাব্বিহী ফালইয়া‘মাল ‘আমালান সালিহাওঁ ওয়ালা-ইউশরিক বি‘ইবা-দাতি রাব্বিহীআহাদা-।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ। সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘আমি তোমাদেরই মত একজন মানুষ, আমার নিকট ওয়াহী করা হয় যে, তোমাদের ইলাহ কেবল এক ইলাহ। কাজেই যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের আশা করে, সে যেন সৎ ‘আমাল করে আর তার প্রতিপালকের ‘ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে।’
Sahih International:
Say, "I am only a man like you, to whom has been revealed that your god is one God. So whoever would hope for the meeting with his Lord - let him do righteous work and not associate in the worship of his Lord anyone."






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।