আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


طٰسٓمّٓ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
তা-ছিম মীম।
আল বায়ান:
ত্ব-সীন-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
তা-সীন-মীম,
Sahih International:
Ta, Seen, Meem.



تِلْکَ اٰیٰتُ الْکِتٰبِ الْمُبِیْنِ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
তিলকা আ-য়া-তুল কিতা-বিল মুবীন।
আল বায়ান:
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
তাইসিরুল কুরআন:
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
Sahih International:
These are the verses of the clear Book.



نَتْلُوْا عَلَیْکَ مِنْ نَّبَاِ مُوْسٰی وَ فِرْعَوْنَ بِالْحَقِّ لِقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
নাতলূ‘আলাইকা মিন নাবাই মূছা-ওয়াফির‘আওনা বিলহাক্কিলিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
আমি তোমার কাছে পাঠ করছি মূসা ও ফির‘আউনের কিছু বৃত্তান্ত যথাযথভাবে, এমন লোকদের জন্য যারা ঈমান আনে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসা ও ফিরআউনের কাহিনী হতে কিছু তোমার কাছে সত্যিকারভাবে বিবৃত করছি বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে।
Sahih International:
We recite to you from the news of Moses and Pharaoh in truth for a people who believe.



اِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِی الْاَرْضِ وَ جَعَلَ اَهْلَهَا شِیَعًا یَّسْتَضْعِفُ طَآئِفَۃً مِّنْهُمْ یُذَبِّحُ اَبْنَآءَهُمْ وَ یَسْتَحْیٖ نِسَآءَهُمْ ؕ اِنَّهٗ کَانَ مِنَ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফির‘আওনা ‘আলা-ফিল আরদিওয়াজা‘আলা আহলাহা-শিইয়া‘আইঁ ইয়াছতাদ‘ইফু তাইফাতাম মিনহুম ইউযাব্বিহুআবনাআহুম ওয়াইয়াছতাহয়ী নিছাআহুম ইন্নাহূ কা-না মিনাল মুফছিদীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় ফির‘আউন (মিশর) দেশে উদ্ধত হয়েছিল এবং তার অধিবাসীকে নানা দলে বিভক্ত করেছিল। তাদের একদলকে সে দুর্বল করে রেখেছিল, যাদের পুত্রদেরকে সে হত্যা করত আর কন্যাদেরকে বাঁচিয়ে রাখত। নিশ্চয় সে ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের অন্যতম।
তাইসিরুল কুরআন:
বস্তুতঃ ফেরাউন দেশে উদ্ধত হয়ে গিয়েছিল আর সেখানকার অধিবাসীদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করে তাদের একটি শ্রেণীকে দুর্বল করে রেখেছিল, তাদের পুত্রদেরকে সে হত্যা করত আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখত; সে ছিল ফাসাদ সৃষ্টিকারী।
Sahih International:
Indeed, Pharaoh exalted himself in the land and made its people into factions, oppressing a sector among them, slaughtering their [newborn] sons and keeping their females alive. Indeed, he was of the corrupters.



وَ نُرِیْدُ اَنْ نَّمُنَّ عَلَی الَّذِیْنَ اسْتُضْعِفُوْا فِی الْاَرْضِ وَ نَجْعَلَهُمْ اَئِمَّۃً وَّ نَجْعَلَهُمُ الْوٰرِثِیْنَ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ানুরীদুআন্নামুন্না ‘আলাল্লাযীনাছতুদ‘ইফূফিল আরদি ওয়া নাজ‘আলাহুম আয়িম্মাতাওঁ ওয়া নাজ‘আলাহুমুল ওয়া-রিছীন।
আল বায়ান:
আর আমি চাইলাম সেই দেশে যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে এবং তাদেরকে নেতা বানাতে, আর তাদেরকে উত্তরাধিকারী বানাতে।
তাইসিরুল কুরআন:
দেশে যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল আমি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার ইচ্ছে করলাম, আর তাদেরকে নেতা ও উত্তরাধিকারী করার (ইচ্ছে করলাম)।
Sahih International:
And We wanted to confer favor upon those who were oppressed in the land and make them leaders and make them inheritors



وَ نُمَکِّنَ لَهُمْ فِی الْاَرْضِ وَ نُرِیَ فِرْعَوْنَ وَ هَامٰنَ وَ جُنُوْدَهُمَا مِنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَحْذَرُوْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নুমাক্কিনা লাহুম ফিল আরদি ওয়া নুরিয়া ফির‘আওনা ওয়া হা-মা-না ওয়া জুনূদাহুমামিনহুম মা-কা-নূইয়াহযারূন।
আল বায়ান:
আর যমীনে তাদেরকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে এবং ফির‘আউন, হামান ও তাদের সৈন্যদেরকে দেখিয়ে দিতে, যা তারা তাদের কাছ থেকে আশঙ্কা করছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (ইচ্ছে করলাম) তাদেরকে দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে, আর ফেরাউন, হামান ও তাদের সৈন্য বাহিনীকে দেখিয়ে দিতে যা তারা তাদের (অর্থাৎ মূসার সম্প্রদায়ের) থেকে আশঙ্কা করত।
Sahih International:
And establish them in the land and show Pharaoh and [his minister] Haman and their soldiers through them that which they had feared.



وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰۤی اُمِّ مُوْسٰۤی اَنْ اَرْضِعِیْهِ ۚ فَاِذَا خِفْتِ عَلَیْهِ فَاَلْقِیْهِ فِی الْیَمِّ وَ لَا تَخَافِیْ وَ لَا تَحْزَنِیْ ۚ اِنَّا رَآدُّوْهُ اِلَیْکِ وَ جَاعِلُوْهُ مِنَ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আওহাইনাইলাউম্মিা মূছাআন আরদি‘ঈহি ফাইযা-খিফতি ‘আলাইহি ফাআলকীহি ফিল ইয়াম্মি ওয়ালা-তাখা-ফী ওয়ালা-তাহযানী ইন্না-রাদ্দূহু ইলাইকি ওয়া জা-‘ইলূহু মিনাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর আমি মূসার মায়ের প্রতি নির্দেশ পাঠালাম, ‘তুমি তাকে দুধ পান করাও। অতঃপর যখন তুমি তার ব্যাপারে আশঙ্কা করবে, তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করবে। আর তুমি ভয় করবে না এবং চিন্তা করবে না। নিশ্চয় আমি তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব এবং তাকে রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসার মায়ের প্রতি ওয়াহী করলাম যে, তাকে স্তন্য পান করাতে থাক। যখন তুমি তার সম্পর্কে আশঙ্কা করবে, তখন তুমি তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করবে, আর তুমি ভয় করবে না, দুঃখও করবে না, আমি তাকে অবশ্যই তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব আর তাকে রসূলদের একজন করব।
Sahih International:
And We inspired to the mother of Moses, "Suckle him; but when you fear for him, cast him into the river and do not fear and do not grieve. Indeed, We will return him to you and will make him [one] of the messengers."



فَالْتَقَطَهٗۤ اٰلُ فِرْعَوْنَ لِیَکُوْنَ لَهُمْ عَدُوًّا وَّ حَزَنًا ؕ اِنَّ فِرْعَوْنَ وَ هَامٰنَ وَ جُنُوْدَهُمَا کَانُوْا خٰطِئِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফালতাকাতাহূ আ-লুফির‘আওনা লিয়াকূনা লাহুম ‘আদুওওয়াওঁ ওয়া হাযানান ইন্না ফির‘আওনা ওয়া হা-মা-না ওয়া জুনূদাহুমা-কা-নূখা-তিঈন।
আল বায়ান:
অতঃপর ফির‘আউন পরিবার তাকে উঠিয়ে নিল, পরিণামে সে তাদের শত্রু ও দুঃশ্চিন্তার কারণ হবে। নিশ্চয় ফির‘আউন, হামান ও তাদের সৈন্যরা ছিল অপরাধী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ফেরাউনের লোকজন তাকে উঠিয়ে নিল যাতে সে তাদের জন্য শত্রু হতে ও দুঃখের কারণ হতে পারে। ফেরাউন, হামান ও তাদের বাহিনীর লোকেরা তো ছিল অপরাধী।
Sahih International:
And the family of Pharaoh picked him up [out of the river] so that he would become to them an enemy and a [cause of] grief. Indeed, Pharaoh and Haman and their soldiers were deliberate sinners.



وَ قَالَتِ امْرَاَتُ فِرْعَوْنَ قُرَّتُ عَیْنٍ لِّیْ وَ لَکَ ؕ لَا تَقْتُلُوْهُ ٭ۖ عَسٰۤی اَنْ یَّنْفَعَنَاۤ اَوْ نَتَّخِذَهٗ وَلَدًا وَّ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাতিমরাআতুফির‘আওনা কুররাতু‘আইনিললী ওয়ালাকা লা-তাকতুলূহু ‘আছা আইঁ ইয়ানফা‘আনাআও নাত্তাখিযাহূওয়ালাদাওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
আর ফির‘আউনের স্ত্রী বলল, ‘এ শিশুটি আমার ও তোমার চক্ষু শীতলকারী, তাকে হত্যা করো না। আশা করা যায়, সে আমাদের কোন উপকারে আসবে। অথবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করতে পারি’। অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাঊনের স্ত্রী বলল- ‘এ শিশু আমার ও তোমার চক্ষু শীতলকারী, তাকে হত্যা কর না, সে আমাদের উপকারে লাগতে পারে অথবা তাকে আমরা পুত্র হিসেবেও গ্রহণ করতে পারি আর তারা কিছুই বুঝতে পারল না (তাদের এ কাজের পরিণাম কী)।
Sahih International:
And the wife of Pharaoh said, "[He will be] a comfort of the eye for me and for you. Do not kill him; perhaps he may benefit us, or we may adopt him as a son." And they perceived not.



وَ اَصْبَحَ فُؤَادُ اُمِّ مُوْسٰی فٰرِغًا ؕ اِنْ کَادَتْ لَتُبْدِیْ بِهٖ لَوْ لَاۤ اَنْ رَّبَطْنَا عَلٰی قَلْبِهَا لِتَکُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াআসবাহা ফুআ-দুউম্মি মূছা-ফা-রিগান ইন কা-দাত লাতুবদী বিহী লাওলাআর রাবাতনা-‘আলা-কালবিহা-লিতাকূনা মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর মূসার মায়ের অন্তর বিচলিত হয়ে উঠেছিল। সে তো তার পরিচয় প্রকাশ করেই দিত, যদি আমি তার অন্তরকে দৃঢ় করে না দিতাম, যাতে সে আস্থাশীলদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসার মায়ের অন্তর বিচলিত হয়ে উঠল। সে তো তার পরিচয় প্রকাশ করেই ফেলত যদি না আমি তার চিত্তকে দৃঢ় করতাম যাতে সে আস্থাশীল হয়।
Sahih International:
And the heart of Moses' mother became empty [of all else]. She was about to disclose [the matter concerning] him had We not bound fast her heart that she would be of the believers.



وَ قَالَتْ لِاُخْتِهٖ قُصِّیْهِ ۫ فَبَصُرَتْ بِهٖ عَنْ جُنُبٍ وَّ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাত লিউখতিহী কুসসীহি ফাবাসুরাত বিহী ‘আন জুনুবিওঁ ওয়াহুম লাইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
আর সে মূসার বোনকে বলল, ‘এর পিছনে পিছনে যাও’। সে দূর থেকে তাকে দেখছিল, কিন্তু তারা টের পায়নি।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসার মা মূসার বোনকে বলল- ‘তার পিছনে পিছনে যাও।’ সে দূর থেকে তাকে দেখছিল কিন্তু তারা টের পায়নি।
Sahih International:
And she said to his sister, "Follow him"; so she watched him from a distance while they perceived not.



وَ حَرَّمْنَا عَلَیْهِ الْمَرَاضِعَ مِنْ قَبْلُ فَقَالَتْ هَلْ اَدُلُّکُمْ عَلٰۤی اَهْلِ بَیْتٍ یَّکْفُلُوْنَهٗ لَکُمْ وَ هُمْ لَهٗ نٰصِحُوْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হাররামনা- ‘আলাইহিল মারা-দি‘আ মিন কাবলুফাকা-লাত হাল আদুললকুম ‘আলাআহলি বাইতিইঁ ইয়াকফুলূনাহূলাকুম ওয়াহুম লাহূনা-সিহূন।
আল বায়ান:
আর আমি তার জন্য পূর্ব থেকেই ধাত্রী (স্তন্য পান) নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলাম। তারপর মূসার বোন এসে বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি পরিবারের সন্ধান দেব, যারা এ শিশুটিকে তোমাদের পক্ষে লালন পালন করবে এবং তারা তার শুভাকাঙ্ক্ষী হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আগে থেকে আমি তাকে ধাত্রী-স্তন্য পান থেকে বিরত রেখেছিলাম। মূসার বোন বলল- ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একটা পরিবারের খোঁজ দেব যারা তাকে তোমাদের পক্ষে লালন পালন করবে আর তারা হবে তার হিতাকাঙ্ক্ষী।’
Sahih International:
And We had prevented from him [all] wet nurses before, so she said, "Shall I direct you to a household that will be responsible for him for you while they are to him [for his upbringing] sincere?"



فَرَدَدْنٰهُ اِلٰۤی اُمِّهٖ کَیْ تَقَرَّ عَیْنُهَا وَ لَا تَحْزَنَ وَ لِتَعْلَمَ اَنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ لٰکِنَّ اَکْثَرَهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ফারাদাদনা-হুইলাউম্মিহী কাই তাকাররা ‘আইনুহা- ওয়ালা-তাহযানা, ওয়ালিতা‘লামা আন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চোখ জুড়ায় এবং সে যেন কোন দুশ্চিন্তা না করে। আর সে যেন জানতে পারে যে, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে আনলাম যাতে তার চোখ জুড়ায়, সে দুঃখ না করে আর জানতে পারে যে, আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
Sahih International:
So We restored him to his mother that she might be content and not grieve and that she would know that the promise of Allah is true. But most of the people do not know.



وَ لَمَّا بَلَغَ اَشُدَّهٗ وَ اسْتَوٰۤی اٰتَیْنٰهُ حُکْمًا وَّ عِلْمًا ؕ وَ کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাম্মা-বালাগা আশুদ্দাহূওয়াছতাওয়াআ-তাইনা-হু হুকমাওঁ ওয়া ‘ইলমাওঁ ওয়া কাযা-লিকা নাজযিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
আর মূসা যখন যৌবনে পদার্পণ করল এবং পরিণত বয়স্ক হলো, তখন আমি তাকে বিচারবুদ্ধি ও জ্ঞান দান করলাম। আর এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার দিয়ে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা যখন যৌবনে পদার্পণ করল আর পূর্ণ পরিণত হল, তখন আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম; আমি সৎকর্মশীলদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি।
Sahih International:
And when he attained his full strength and was [mentally] mature, We bestowed upon him judgement and knowledge. And thus do We reward the doers of good.



وَ دَخَلَ الْمَدِیْنَۃَ عَلٰی حِیْنِ غَفْلَۃٍ مِّنْ اَهْلِهَا فَوَجَدَ فِیْهَا رَجُلَیْنِ یَقْتَتِلٰنِ ٭۫ هٰذَا مِنْ شِیْعَتِهٖ وَ هٰذَا مِنْ عَدُوِّهٖ ۚ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِیْ مِنْ شِیْعَتِهٖ عَلَی الَّذِیْ مِنْ عَدُوِّهٖ ۙ فَوَکَزَهٗ مُوْسٰی فَقَضٰی عَلَیْهِ ٭۫ قَالَ هٰذَا مِنْ عَمَلِ الشَّیْطٰنِ ؕ اِنَّهٗ عَدُوٌّ مُّضِلٌّ مُّبِیْنٌ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দাখালাল মাদীনাতা ‘আলা-হীনি গাফলাতিম মিন আহলিহা-ফাওয়াজাদাফীহারাজুলাইনি ইয়াকতাতিলা-নি হা-যা-মিন শী‘আতিহী ওয়া হা-যা-মিন আদুওবিহী ফাছতাগা-ছাহুল্লাযী মিন শী‘আতিহী ‘আলাল্লাযী মিন ‘আদুওবিহী ফাওয়াকাযাহূ মূছা-ফাকাদা-‘আলাইহি কা-লা হা-যা-মিন ‘আমালিশশাইতা-নি ইন্নাহূ ‘আদুওউম মুদিল্লুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর সে শহরে প্রবেশ করল, যখন তার অধিবাসীরা ছিল অসতর্ক। তখন সেখানে সে দু’জন লোককে সংঘর্ষে লিপ্ত অবস্থায় পেল। একজন তার নিজের দলের এবং অপরজন তার শত্রুদলের। তখন তার নিজের দলের লোকটি তার শত্রুদলের লোকটির বিরুদ্ধে তার কাছে সাহায্য চাইল। অতঃপর মূসা তাকে ঘুষি মারল ফলে সে তাকে মেরে ফেলল। মূসা বলল, ‘এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে পথভ্রষ্টকারী প্রকাশ্য শত্রু’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে শহরে প্রবেশ করল যখন সেখানের লোকেরা অসতর্ক অবস্থায় ছিল। তখন সে দু’জন লোককে সংঘর্ষরত অবস্থায় পেল। একজন তার দলের, অপরজন তার শত্রুদলের। তখন তার দলের লোকটি তার শত্রুদলের লোকটির বিরুদ্ধে তার কাছে সাহায্যের আবেদন জানালো। তখন মূসা তাকে ঘুসি মারল এবং হত্যা করে ফেলল। মূসা বলল- ‘এটা শয়ত্বানের কাজ। সে নিশ্চয় প্রকাশ্য শত্রু, গুমরাহকারী।’
Sahih International:
And he entered the city at a time of inattention by its people and found therein two men fighting: one from his faction and one from among his enemy. And the one from his faction called for help to him against the one from his enemy, so Moses struck him and [unintentionally] killed him. [Moses] said, "This is from the work of Satan. Indeed, he is a manifest, misleading enemy."



قَالَ رَبِّ اِنِّیْ ظَلَمْتُ نَفْسِیْ فَاغْفِرْ لِیْ فَغَفَرَ لَهٗ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি ইন্নী জালামতুনাফছী ফাগফিরলী ফাগাফারা লাহূ ইন্নাহূহুওয়াল গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফসের প্রতি যুলম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন’। অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি নিজের আত্মার উপর যুলম করেছি, অতএব আমাকে ক্ষমা কর।’ অতঃপর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন, অবশ্যই তিনি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
Sahih International:
He said, "My Lord, indeed I have wronged myself, so forgive me," and He forgave him. Indeed, He is the Forgiving, the Merciful.



قَالَ رَبِّ بِمَاۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ فَلَنْ اَکُوْنَ ظَهِیْرًا لِّلْمُجْرِمِیْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি বিমাআন‘আমতা আলাইইয়া ফালান আকূনা জাহীরাল লিলমুজরিমীন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘হে আমার রব, আপনি যেহেতু আমার প্রতি নিআমত দান করেন, তাই আমি কখনো আর অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যেহেতু আমার উপর অনুগ্রহ করেছ, কাজেই আমি কক্ষনো পাপীদের সাহায্যকারী হব না।’
Sahih International:
He said, "My Lord, for the favor You bestowed upon me, I will never be an assistant to the criminals."



فَاَصْبَحَ فِی الْمَدِیْنَۃِ خَآئِفًا یَّتَرَقَّبُ فَاِذَا الَّذِی اسْتَنْصَرَهٗ بِالْاَمْسِ یَسْتَصْرِخُهٗ ؕ قَالَ لَهٗ مُوْسٰۤی اِنَّکَ لَغَوِیٌّ مُّبِیْنٌ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআসবাহা ফিল মাদীনাতি খাইফাইঁ ইয়াতারাক্কাবুফাইযাল্লাযিছ তানসারাহূবিলআমছি ইয়াছতাসরিখুহু কা-লা লাহূমূছাইন্নাকা লাগাবিইউম মুবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর ভীত প্রতীক্ষারত অবস্থায় সেই শহরে তার সকাল হল। হঠাৎ সে শুনতে পেল, যে লোকটি গতকাল তার কাছে সাহায্য চেয়েছিল, সে আবার সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে। মূসা তাকে বলল, ‘নিশ্চয় তুমি তো একজন স্পষ্ট বিভ্রান্ত ব্যক্তি’।
তাইসিরুল কুরআন:
শহরে তার সকাল হল ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। হঠাৎ সে শুনল যে লোকটি গতকাল তার কাছে সাহায্য চেয়েছিল (আবার) সে সাহায্যের জন্য চীৎকার করছে। মূসা তাকে বলল- ‘তুমি প্রকাশ্যই একজন বেওকুফ লোক।
Sahih International:
And he became inside the city fearful and anticipating [exposure], when suddenly the one who sought his help the previous day cried out to him [once again]. Moses said to him, "Indeed, you are an evident, [persistent] deviator."



فَلَمَّاۤ اَنْ اَرَادَ اَنْ یَّبْطِشَ بِالَّذِیْ هُوَ عَدُوٌّ لَّهُمَا ۙ قَالَ یٰمُوْسٰۤی اَتُرِیْدُ اَنْ تَقْتُلَنِیْ کَمَا قَتَلْتَ نَفْسًۢا بِالْاَمْسِ ٭ۖ اِنْ تُرِیْدُ اِلَّاۤ اَنْ تَکُوْنَ جَبَّارًا فِی الْاَرْضِ وَ مَا تُرِیْدُ اَنْ تَکُوْنَ مِنَ الْمُصْلِحِیْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মাআন আরা-দা আইঁ ইয়াবতিশা বিল্লাযী হুওয়া ‘আদুওউল্লাহুমা- কা-লা ইয়া-মূছাআতুরীদুআন তাকতুলানী কামা-কাতালতা নাফছাম বিলআমছি ইন তুরীদু ইল্লাআন তাকূনা জাব্বা-রান ফিল আরদিওয়ামা-তুরীদুআন তাকূনা মিনাল মুসলিহীন।
আল বায়ান:
অতঃপর মূসা যখন উভয়েরই শত্রুকে ধরতে চাইল, তখন লোকটি বলে উঠল, ‘হে মূসা, তুমি কি আমাকেও হত্যা করতে চাও? যেমন গতকাল একটি লোককে তুমি হত্যা করেছ? তুমি তো যমীনে কেবল স্বৈরাচারী হতে চাচ্ছ। আর তুমি তো সংশোধনকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে চাচ্ছ না’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর মূসা যখন উভয়ের শত্রুকে ধরতে উদ্যত হল, তখন সে বলল- ‘ওহে মূসা! তুমি কি আমাকে হত্যা করতে চাও যেভাবে গতকাল একটা লোককে হত্যা করেছ, তুমি তো পৃথিবীতে স্বেচ্ছাচারী হতে চাচ্ছ, সংশোধনকারীদের মধ্যে গণ্য হতে চাচ্ছ না।’
Sahih International:
And when he wanted to strike the one who was an enemy to both of them, he said, "O Moses, do you intend to kill me as you killed someone yesterday? You only want to be a tyrant in the land and do not want to be of the amenders."



وَ جَآءَ رَجُلٌ مِّنْ اَقْصَا الْمَدِیْنَۃِ یَسْعٰی ۫ قَالَ یٰمُوْسٰۤی اِنَّ الْمَلَاَ یَاْتَمِرُوْنَ بِکَ لِیَقْتُلُوْکَ فَاخْرُجْ اِنِّیْ لَکَ مِنَ النّٰصِحِیْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাআ রাজুলুম মিন আকসাল মাদীনাতি ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়া-মূছাইন্নাল মালায়া ইয়া’তামিরূনা বিকা লিইয়াকতুলূকা ফাখরুজ ইন্নী লাকা মিনান না-সিহীন।
আল বায়ান:
আর শহরের দূরপ্রান্ত থেকে একজন লোক ছুটে আসল। সে বলল, ‘হে মূসা, নিশ্চয় পারিষদবর্গ তোমাকে হত্যার পরামর্শ করছে, তাই তুমি বেরিয়ে যাও, নিশ্চয় আমি তোমার জন্য কল্যাণকামীদের একজন’।
তাইসিরুল কুরআন:
নগরের প্রান্ত হতে এক লোক ছুটে আসল। সে বলল- ‘হে মূসা! পারিষদগণ তোমাকে হত্যার পরামর্শ করছে, কাজেই তুমি বাইরে চলে যাও, আমি তোমার হিতাকাঙ্ক্ষী।
Sahih International:
And a man came from the farthest end of the city, running. He said, "O Moses, indeed the eminent ones are conferring over you [intending] to kill you, so leave [the city]; indeed, I am to you of the sincere advisors."



فَخَرَجَ مِنْهَا خَآئِفًا یَّتَرَقَّبُ ۫ قَالَ رَبِّ نَجِّنِیْ مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ফাখারাজা মিনহা-খা-ইফাইঁ ইয়াতারাক্কাবু কা-লা রাব্বি নাজ্জিনী মিনাল কাওমিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
তখন সে ভীত প্রতীক্ষারত অবস্থায় শহর থেকে বেরিয়ে পড়ল। বলল, ‘হে আমার রব, আপনি যালিম কওম থেকে আমাকে রক্ষা করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন মূসা ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ল সতর্কতার সঙ্গে। সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে যালিম গোষ্ঠী হতে রক্ষা কর।’
Sahih International:
So he left it, fearful and anticipating [apprehension]. He said, "My Lord, save me from the wrongdoing people."



وَ لَمَّا تَوَجَّهَ تِلْقَآءَ مَدْیَنَ قَالَ عَسٰی رَبِّیْۤ اَنْ یَّهْدِیَنِیْ سَوَآءَ السَّبِیْلِ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-তাওয়াজ্জাহা তিলকাআ মাদইয়ানা কা-লা ‘আছা-রাববীআই ইয়াহদিয়ানী ছাওয়াআছছাবীল।
আল বায়ান:
আর যখন মূসা মাদইয়ান অভিমুখে রওয়ানা করল, তখন বলল, ‘আশা করি আমার রব আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে মাদইয়ান অভিমুখী হল, সে বলল- ‘আশা করি আমার পালনকর্তা আমাকে সরল সোজা পথ দেখাবেন।’
Sahih International:
And when he directed himself toward Madyan, he said, "Perhaps my Lord will guide me to the sound way."



وَ لَمَّا وَرَدَ مَآءَ مَدْیَنَ وَجَدَ عَلَیْهِ اُمَّۃً مِّنَ النَّاسِ یَسْقُوْنَ ۬۫ وَ وَجَدَ مِنْ دُوْنِهِمُ امْرَاَتَیْنِ تَذُوْدٰنِ ۚ قَالَ مَا خَطْبُکُمَا ؕ قَالَتَا لَا نَسْقِیْ حَتّٰی یُصْدِرَ الرِّعَآءُ ٜ وَ اَبُوْنَا شَیْخٌ کَبِیْرٌ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-ওয়ারাদা মাআ মাদইয়ানা ওয়াজাদা ‘আলাইহি উম্মাতাম মিনান্না-ছি ইয়াছকূনা ওয়া ওয়াজাদা মিন দূনিহিমুমরাআতাইনি তাযূদা-নি কা-লা মা-খাতবুকুমা- কা-লাতা-লা-নাছকী হাত্তা-ইউসদিরার রি‘আউ ওয়া আবূনা-শাইখুন কাবীর।
আল বায়ান:
আর যখন সে মাদইয়ানের পানির নিকট উপনীত হল, তখন সেখানে একদল লোককে পেল, যারা (পশুদের) পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের ছাড়া দু’জন নারীকে পেল, যারা তাদের পশুগুলোকে আগলে রাখছে। সে বলল, ‘তোমাদের ব্যাপার কী’? তারা বলল, ‘আমরা (আমাদের পশুগুলোর) পানি পান করাতে পারি না। যতক্ষণ না রাখালরা তাদের (পশুগুলো) নিয়ে সরে যায়। আর আমাদের পিতা অতিবৃদ্ধ’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে মাদইয়ানের কূপের কাছে পৌঁছল, সে একদল লোককে দেখল (তাদের জন্তুগুলোকে) পানি পান করাতে, তাদের ছাড়া আরো দু’জন স্ত্রীলোককে দেখল (নিজেদের পশুগুলোকে) আগলে রাখতে। মূসা জিজ্ঞেস করল- ‘তোমাদের দু’জনের ব্যাপার কী?’ তারা বলল- ‘আমরা আমাদের জন্তুগুলোকে পান করাতে পারি না যতক্ষণ না রাখালেরা (তাদের পশুগুলোকে) সরিয়ে না নেয় (পানি পান করানোর পর), আর আমাদের পিতা খুবই বয়োবৃদ্ধ।
Sahih International:
And when he came to the well of Madyan, he found there a crowd of people watering [their flocks], and he found aside from them two women driving back [their flocks]. He said, "What is your circumstance?" They said, "We do not water until the shepherds dispatch [their flocks]; and our father is an old man."



فَسَقٰی لَهُمَا ثُمَّ تَوَلّٰۤی اِلَی الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ اِنِّیْ لِمَاۤ اَنْزَلْتَ اِلَیَّ مِنْ خَیْرٍ فَقِیْرٌ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফাছাকা-লাহুমা-ছু ম্মা তাওয়াল্লাইলাজজিলিল ফাকা-লা রাব্বি ইন্নী লিমাআনযালতা ইলাইইয়া মিন খাইরিন ফাকীর।
আল বায়ান:
তখন মূসা তাদের পক্ষে (পশুগুলোকে) পানি পান করিয়ে দিল। তারপর ছায়ায় ফিরে গেল এবং বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন মূসা তাদের জন্য পশুগুলোকে পানি পান করিয়ে দিল, অতঃপর পেছন ফিরে ছায়ায় গিয়ে বসল, অতঃপর বলল- ‘হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই করবে আমি তো তারই ভিখারী।’
Sahih International:
So he watered [their flocks] for them; then he went back to the shade and said, "My Lord, indeed I am, for whatever good You would send down to me, in need."



فَجَآءَتْهُ اِحْدٰىهُمَا تَمْشِیْ عَلَی اسْتِحْیَآءٍ ۫ قَالَتْ اِنَّ اَبِیْ یَدْعُوْکَ لِیَجْزِیَکَ اَجْرَ مَا سَقَیْتَ لَنَا ؕ فَلَمَّا جَآءَهٗ وَ قَصَّ عَلَیْهِ الْقَصَصَ ۙ قَالَ لَا تَخَفْ ٝ۟ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ফাজাআতহু ইহদা-হুমা-তামশী ‘আলাছ তিহইয়া-ইন, কা-লাত ইন্না আবী ইয়াদ‘ঊকা লিইয়াজযিয়াকা আজরামা-ছাকাইতা লানা- ফালাম্মা-জাআহূওয়া কাসসা ‘আলাইহিল কাসাসা কা-লা লা-তাখাফ নাজাওতা মিনাল কাওমিজ্জালিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর নারীদ্বয়ের একজন লাজুকভাবে হেঁটে তার কাছে এসে বলল যে, আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যেন তিনি আপনাকে পারিশ্রমিক দিতে পারেন, আমাদের পশুগুলোকে আপনি যে পানি পান করিয়েছেন তার বিনিময়ে’। অতঃপর যখন মূসা তার নিকট আসল এবং সকল ঘটনা তার কাছে খুলে বলল, তখন সে বলল, ‘তুমি ভয় করো না। তুমি যালিম কওম থেকে রেহাই পেয়ে গেছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন নারীদ্বয়ের একজন তার কাছে সলজ্জ পদে আসল। সে বলল- ‘আমার পিতা তোমাকে ডাকছে তুমি আমাদের জন্য (জন্তুগুলোকে) পানি পান করিয়েছ তোমাকে তার প্রতিদান দেয়ার জন্য। যখন মূসা তার কাছে গেল আর তার কাছে সকল ঘটনা বিবৃত করল, সে বলল- তুমি ভয় করো না, ‘তুমি যালিম গোষ্ঠীর থেকে রেহাই পেয়ে গেছ।’
Sahih International:
Then one of the two women came to him walking with shyness. She said, "Indeed, my father invites you that he may reward you for having watered for us." So when he came to him and related to him the story, he said, "Fear not. You have escaped from the wrongdoing people."



قَالَتْ اِحْدٰىهُمَا یٰۤاَبَتِ اسْتَاْجِرْهُ ۫ اِنَّ خَیْرَ مَنِ اسْتَاْجَرْتَ الْقَوِیُّ الْاَمِیْنُ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লাত ইহদা-হুমা-ইয়াআবাতিছ তা’জিরহু ইন্না খাইরা মানিছতা’জারতাল কাবিইয়ুউল আমীন।
আল বায়ান:
নারীদ্বয়ের একজন বলল, ‘হে আমার পিতা, আপনি তাকে মজুর নিযুক্ত করুন। নিশ্চয় আপনি যাদেরকে মজুর নিযুক্ত করবেন তাদের মধ্যে সে উত্তম, যে শক্তিশালী বিশ্বস্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্ত্রীলোক দু’টির একজন বলল- ‘হে পিতা! পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তাকে নিযুক্ত করুন, আপনি যাদেরকে মজুর নিযুক্ত করবেন তাদের মধ্যে উত্তম যে শক্তিশালী, বিশ্বস্ত।’
Sahih International:
One of the women said, "O my father, hire him. Indeed, the best one you can hire is the strong and the trustworthy."



قَالَ اِنِّیْۤ اُرِیْدُ اَنْ اُنْکِحَکَ اِحْدَی ابْنَتَیَّ هٰتَیْنِ عَلٰۤی اَنْ تَاْجُرَنِیْ ثَمٰنِیَ حِجَجٍ ۚ فَاِنْ اَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِنْدِکَ ۚ وَ مَاۤ اُرِیْدُ اَنْ اَشُقَّ عَلَیْکَ ؕ سَتَجِدُنِیْۤ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নীউরীদুআন উনকিহাকা ইহদাব নাতাইইয়া হা-তাইনি ‘আলাআন তা’জুরানী ছামা-নিয়া হিজাজিন ফাইন আতমামতা ‘আশরান ফামিন ‘ইনদিকা ওয়ামাউরীদু আন আশুক্কা ‘আলাইকা ছাতাজিদুনীইন শাআল্লা-হু মিনাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সাথে বিয়ে দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার মজুরী করবে। আর যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর, তবে সেটা তোমার পক্ষ থেকে (অতিরিক্ত)। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। তুমি ইনশাআল্লাহ আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত পাবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- ‘আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনের সঙ্গে তোমার বিয়ে দেয়ার আমি ইচ্ছে করেছি এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার কাজ করে দেবে, আর যদি দশ বছর পূর্ণ কর সেটা তোমার ইচ্ছেধীন, আমি তোমাকে কষ্টে ফেলতে চাই না, আল্লাহ ইচ্ছে করলে তুমি আমাকে সৎকর্মপরায়ণ পাবে।’
Sahih International:
He said, "Indeed, I wish to wed you one of these, my two daughters, on [the condition] that you serve me for eight years; but if you complete ten, it will be [as a favor] from you. And I do not wish to put you in difficulty. You will find me, if Allah wills, from among the righteous."



قَالَ ذٰلِکَ بَیْنِیْ وَ بَیْنَکَ ؕ اَیَّمَا الْاَجَلَیْنِ قَضَیْتُ فَلَا عُدْوَانَ عَلَیَّ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی مَا نَقُوْلُ وَکِیْلٌ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা যা-লিকা বাইনি ওয়া বাইনাকা আইইয়ামাল আজালাইনি কাদাইতুফালা‘উদওয়া-না ‘আলাইইয়া ওয়াল্লা-হু ‘আলা-মা-নাকূলুওয়াকীল।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘এ চুক্তি আমার ও আপনার মধ্যে রইল। দু’টি মেয়াদের যেটিই আমি পূরণ করি না কেন, তাতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে না। আর আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি, আল্লাহ তার সাক্ষী’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল- আমার ও আপনার মধ্যে এই চুক্তি রইল, আমি দু’টি মেয়াদের যেটিই পূর্ণ করি না কেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা হবে না, আমরা যে কথা বলছি, আল্লাহ তার সাক্ষী।
Sahih International:
[Moses] said, "That is [established] between me and you. Whichever of the two terms I complete - there is no injustice to me, and Allah, over what we say, is Witness."



فَلَمَّا قَضٰی مُوْسَی الْاَجَلَ وَ سَارَ بِاَهْلِهٖۤ اٰنَسَ مِنْ جَانِبِ الطُّوْرِ نَارًا ۚ قَالَ لِاَهْلِهِ امْکُثُوْۤا اِنِّیْۤ اٰنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّیْۤ اٰتِیْکُمْ مِّنْهَا بِخَبَرٍ اَوْ جَذْوَۃٍ مِّنَ النَّارِ لَعَلَّکُمْ تَصْطَلُوْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-কাদা-মূছাল আজালা ওয়াছা-রা বিআহলিহীআ-নাছা মিন জা-নিবিততুরি নারান কা-লা লিআহলিহিমকুছূদ্ম ইন্নীআ-নাছতুনা-রাল্লা‘আললীআ-তীকুম মিন হাবিখাবারিন আও জাযওয়াতিম মিনান্না-রি লা‘আল্লাকুম তাসতালূন।
আল বায়ান:
অতঃপর মূসা যখন মেয়াদ পূর্ণ করল এবং সপরিবারে যাত্রা করল, তখন সে তূর পর্বতের পাশে আগুন দেখতে পেল। সে তার পরিবার পরিজনকে বলল, ‘তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখতে পেয়েছি, সম্ভবত আমি তা থেকে তোমাদের কাছে আনতে পারব কোন খবর, অথবা একটি জ্বলন্ত আঙ্গার; যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর মূসা যখন মেয়াদ পূর্ণ ক’রে তার পরিবার নিয়ে যাত্রা করল, তখন সে তূর পর্বতের দিকে আগুন দেখতে পেল। সে তার পরিবারবর্গকে বলল- ‘তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখেছি, আমি তোমাদের জন্য সেখান থেকে খবর আনতে পারি কিংবা জ্বলন্ত কাষ্ঠখন্ড আনতে পারি যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার।’
Sahih International:
And when Moses had completed the term and was traveling with his family, he perceived from the direction of the mount a fire. He said to his family, "Stay here; indeed, I have perceived a fire. Perhaps I will bring you from there [some] information or burning wood from the fire that you may warm yourselves."



فَلَمَّاۤ اَتٰىهَا نُوْدِیَ مِنْ شَاطِیَٴ الْوَادِ الْاَیْمَنِ فِی الْبُقْعَۃِ الْمُبٰرَکَۃِ مِنَ الشَّجَرَۃِ اَنْ یّٰمُوْسٰۤی اِنِّیْۤ اَنَا اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মাআতা-হা-নূদিয়া মিন শা-তিইল ওয়া-দিল আইমানি ফিল বুক‘আতিল মুবা-রাকাতি মিনাশশাজারাতি আইঁ ইয়া-মূছাইন্নীআনাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন মূসা আগুনের নিকট আসল, তখন উপত্যকার ডান পার্শে পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত বৃক্ষ থেকে তাকে আহবান করে বলা হলো, ‘হে মূসা, নিশ্চয় আমিই আল্লাহ, সৃষ্টিকুলের রব’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা যখন আগুনের কাছে পৌঁছল তখন পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত উপত্যকার ডান দিকে বৃক্ষ থেকে তাকে আহবান দিয়ে বলা হল- ‘হে মূসা! আমিই আল্লাহ, জগতসমূহের পালনকর্তা।’
Sahih International:
But when he came to it, he was called from the right side of the valley in a blessed spot - from the tree, "O Moses, indeed I am Allah, Lord of the worlds."



وَ اَنْ اَلْقِ عَصَاکَ ؕ فَلَمَّا رَاٰهَا تَهْتَزُّ کَاَنَّهَا جَآنٌّ وَّلّٰی مُدْبِرًا وَّ لَمْ یُعَقِّبْ ؕ یٰمُوْسٰۤی اَقْبِلْ وَ لَا تَخَفْ ۟ اِنَّکَ مِنَ الْاٰمِنِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন আলকি‘আসা-কা ফালাম্মা-রাআ-হা-তাহতাযযুকাআন্নাহা-জান্নুওঁ ওয়াল্লা-মুদবিরাওঁ ওয়া লাম ইউআক্কিব ইয়া-মূছা আকবিল ওয়ালা-তাখাফ ইন্নাকা মিনাল আ-মিনীন।
আল বায়ান:
‘আর তুমি তোমার লাঠি ফেলে দাও’। অতঃপর যখন সে ওটাকে দেখল, সাপের মত ছুটাছুটি করছে, তখন সে পিছনের দিকে ছুটল এবং ফিরেও তাকাল না। (বলা হল) ‘হে মূসা, সামনে যাও এবং ভয় পেয়ো না, নিশ্চয় তুমি নিরাপদ’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (বলা হল) ‘তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর।’ অতঃপর যখন সে সেটাকে দেখল ছুটাছুটি করতে যেন ওটা একটা সাপ, তখন পেছনের দিকে দৌড় দিল, ফিরেও তাকাল না। (তখন তাকে বলা হল) ‘ওহে মূসা! সামনে এসো, ভয় করো না, তুমি নিরাপদ।’
Sahih International:
And [he was told], "Throw down your staff." But when he saw it writhing as if it was a snake, he turned in flight and did not return. [Allah said], "O Moses, approach and fear not. Indeed, you are of the secure.



اُسْلُکْ یَدَکَ فِیْ جَیْبِکَ تَخْرُجْ بَیْضَآءَ مِنْ غَیْرِ سُوْٓءٍ ۫ وَّ اضْمُمْ اِلَیْکَ جَنَاحَکَ مِنَ الرَّهْبِ فَذٰنِکَ بُرْهَانٰنِ مِنْ رَّبِّکَ اِلٰی فِرْعَوْنَ وَ مَلَا۠ئِهٖ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
উছলুক ইয়াদাকা ফী জাইবিকা তাখরুজ বাইদাআ মিন গাইরি ছূইওঁ ওয়াদমুম ইলাইকা জানা-হাকা মিনাররাহবি ফাযা-নিকা বুরহা-না-নি মিররাব্বিকা ইলা-ফির‘আওনা ওয়া মালাইহী ইন্নাহুম কা-নূকাওমান ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
‘তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, এটা ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় শুভ্রোজ্জ্বল হয়ে বেরিয়ে আসবে। আর ভয় থেকে রক্ষার জন্য তোমার হাত তোমার নিজের দিকে মিলাও। অতঃপর এ দু’টো তোমার রবের পক্ষ থেকে দু’টি প্রমাণ, ফির‘আউন ও তার পারিষদবর্গের জন্য। নিশ্চয় তারা ফাসিক কওম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, তা দোষমুক্ত জ্যোতির্ময় হয়ে বেরিয়ে আসবে, ভয় থেকে রক্ষার্থে তোমার হাত তোমার উপর চেপে ধর। এ দু’টি হল ফেরাউন ও তার পারিষদবর্গের জন্য তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রমাণ, নিশ্চয় তারা পাপাচারী সম্প্রদায়।’
Sahih International:
Insert your hand into the opening of your garment; it will come out white, without disease. And draw in your arm close to you [as prevention] from fear, for those are two proofs from your Lord to Pharaoh and his establishment. Indeed, they have been a people defiantly disobedient."



قَالَ رَبِّ اِنِّیْ قَتَلْتُ مِنْهُمْ نَفْسًا فَاَخَافُ اَنْ یَّقْتُلُوْنِ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি ইন্নী কাতালতুমিনহুম নাফছান ফাআখা-ফুআইঁ ইয়াকতুলূন।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি তাদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছি, তাই আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তাদের একজনকে হত্যা করেছি, কাজেই আমি আশঙ্কা করছি তারা আমাকে হত্যা করবে।’
Sahih International:
He said, "My Lord, indeed, I killed from among them someone, and I fear they will kill me.



وَ اَخِیْ هٰرُوْنُ هُوَ اَفْصَحُ مِنِّیْ لِسَانًا فَاَرْسِلْهُ مَعِیَ رِدْاً یُّصَدِّقُنِیْۤ ۫ اِنِّیْۤ اَخَافُ اَنْ یُّکَذِّبُوْنِ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আখী হা-রূনুহুওয়া আফসাহুমিন্নী লিছা-নান ফাআরছিলহু মা‘ইয়া রিদআইঁ ইউসাদ্দিকু নীইন্নী আখা-ফুআইঁ ইউকাযযি বূন।
আল বায়ান:
‘আর আমার ভাই হারূন, সে আমার চেয়ে স্পষ্টভাষী, তাই তাকে আমার সাথে সাহায্যকারী হিসেবে প্রেরণ করুন, সে আমাকে সমর্থন করবে। আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমার ভাই হারূন আমার চেয়ে প্রাঞ্জলভাষী, কাজেই তাকে তুমি সাহায্যকারীরূপে আমার সঙ্গে প্রেরণ কর, সে আমাকে সমর্থন জানাবে। আমি আশঙ্কা করছি তারা আমাকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করবে।’
Sahih International:
And my brother Aaron is more fluent than me in tongue, so send him with me as support, verifying me. Indeed, I fear that they will deny me."



قَالَ سَنَشُدُّ عَضُدَکَ بِاَخِیْکَ وَ نَجْعَلُ لَکُمَا سُلْطٰنًا فَلَا یَصِلُوْنَ اِلَیْکُمَا ۚۛ بِاٰیٰتِنَاۤ ۚۛ اَنْتُمَا وَ مَنِ اتَّبَعَکُمَا الْغٰلِبُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ছানাশুদ্দু‘আদুদাকা বিআখীকা ওয়া নাজ‘আলুলাকুমা-ছুলতা-নান ফালা-ইয়াসিলূনা ইলাইকুমা-বিআ-য়া-তিনা আনতুমা-ওয়া মানিততাবা‘আকুমাল গা-লিবূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ বললেন, ‘আমি তোমার ভাইয়ের মাধ্যমে তোমার বাহু শক্তিশালী করব এবং তোমাদের দু’জনকে ক্ষমতা দান করব, ফলে তারা তোমাদের কাছে পৌঁছতে পারবে না। আমার নিদর্শনাবলী দ্বারা তোমরা ও তোমাদের অনুসারীরা বিজয়ী হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন- ‘আমি তোমার ভ্রাতার মাধ্যমে তোমার হাতকে শক্তিশালী করব এবং তোমাদেরকে প্রমাণপঞ্জি দান করব, যার ফলে তারা তোমাদের কাছে পৌঁছতেই পারবে না। আমার নিদর্শন বলে তোমরা এবং তোমাদের অনুসারীরাই বিজয়ী থাকবে।
Sahih International:
[Allah] said, "We will strengthen your arm through your brother and grant you both supremacy so they will not reach you. [It will be] through Our signs; you and those who follow you will be the predominant."



فَلَمَّا جَآءَهُمْ مُّوْسٰی بِاٰیٰتِنَا بَیِّنٰتٍ قَالُوْا مَا هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّفْتَرًی وَّ مَا سَمِعْنَا بِهٰذَا فِیْۤ اٰبَآئِنَا الْاَوَّلِیْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা- জাআহুম মূছা- বিআ-য়া-তিনা বাইয়িনা-তিন কা-লূমা- হা-যা ইল্লাছিহরুম মুফতারাওঁ ওয়ামা-ছামি‘না-বিহা-যা-ফীআ-বাইনাল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
অতঃপর মূসা যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো নিয়ে আসল, তখন তারা বলল, ‘এ তো মিথ্যা যাদু ছাড়া আর কিছুই নয় এবং এরূপ কথা আমাদের পিতৃপুরুষদের মধ্যেও শুনিনি’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা যখন তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আসল, তারা বলল- এতো অলীক যাদু মাত্র, আমাদের পূর্বপুরুষদের যামানায় এ সবের কথা তো শুনিনি।
Sahih International:
But when Moses came to them with Our signs as clear evidences, they said, "This is not except invented magic, and we have not heard of this [religion] among our forefathers."



وَ قَالَ مُوْسٰی رَبِّیْۤ اَعْلَمُ بِمَنْ جَآءَ بِالْهُدٰی مِنْ عِنْدِهٖ وَ مَنْ تَکُوْنُ لَهٗ عَاقِبَۃُ الدَّارِ ؕ اِنَّهٗ لَا یُفْلِحُ الظّٰلِمُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা মূছা-রাববীআ‘লামুবিমান জাআ বিলহুদা-মিন ‘ইনদিহী ওয়া মান তাকূনুলাহূ ‘আ-কিবাতুদ দা-রি ইন্নাহূলা-ইউফলিহুজ্জা-লিমূন।
আল বায়ান:
আর মূসা বলল, ‘আমার রব সম্যক অবগত আছেন, কে তাঁর কাছ থেকে হিদায়াত নিয়ে এসেছে এবং আখিরাতে কার পরিণাম শুভ হবে। নিশ্চয় যালিমরা সফল হবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল- ‘আমার প্রতিপালক বেশ ভাল ক’রেই জানেন কে তাঁর নিকট থেকে পথ নির্দেশ নিয়ে এসেছে এবং কার পরিণাম আখিরাতে শুভ হবে। যালিমরা কক্ষনো সাফল্য লাভ করবে না।’
Sahih International:
And Moses said, "My Lord is more knowing [than we or you] of who has come with guidance from Him and to whom will be succession in the home. Indeed, wrongdoers do not succeed."



وَ قَالَ فِرْعَوْنُ یٰۤاَیُّهَا الْمَلَاُ مَا عَلِمْتُ لَکُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَیْرِیْ ۚ فَاَوْقِدْ لِیْ یٰهَامٰنُ عَلَی الطِّیْنِ فَاجْعَلْ لِّیْ صَرْحًا لَّعَلِّیْۤ اَطَّلِعُ اِلٰۤی اِلٰهِ مُوْسٰی ۙ وَ اِنِّیْ لَاَظُنُّهٗ مِنَ الْکٰذِبِیْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা ফির‘আওনুইয়াআইয়ুহাল মালাউ মা-‘আলিমতুলাকুম মিন ইলা-হিন গাইরী ফাআওকিদ লী ইয়া-হা-মা-নু‘আলাততীনি ফাজ‘আললী সারহাল লা‘আললীআত্তালি‘উ ইলাইলা-হি মূছা-ওয়া ইন্নী লাআজুন্নুহূমিনাল কা-যিবীন।
আল বায়ান:
আর ফির‘আউন বলল, ‘হে পারিষদবর্গ, আমি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ আছে বলে আমি জানি না। অতএব হে হামান, আমার জন্য তুমি ইট পোড়াও, তারপর আমার জন্য একটি প্রাসাদ তৈরী কর। যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পাই। আর নিশ্চয় আমি মনে করি সে মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফিরআউন বলল- ‘হে পারিষদবর্গ! আমি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ আছে বলে আমি জানি না। কাজেই ওহে হামান! তুমি আমার জন্য ইট পোড়াও, অতঃপর আমার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ কর যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পারি, আমার নিশ্চিত ধারণা যে, সে একজন মিথ্যেবাদী।’
Sahih International:
And Pharaoh said, "O eminent ones, I have not known you to have a god other than me. Then ignite for me, O Haman, [a fire] upon the clay and make for me a tower that I may look at the God of Moses. And indeed, I do think he is among the liars."



وَ اسْتَکْبَرَ هُوَ وَ جُنُوْدُهٗ فِی الْاَرْضِ بِغَیْرِ الْحَقِّ وَ ظَنُّوْۤا اَنَّهُمْ اِلَیْنَا لَا یُرْجَعُوْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছতাকবারা হুওয়া ওয়া জুনূদুহূফিল আরদি বিগাইরিল হাক্কি ওয়া জাননূআন্নাহুম ইলাইনা-লা-ইউরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর ফির‘আউন ও তার সেনাবাহিনী অন্যায়ভাবে যমীনে অহঙ্কার করেছিল এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদেরকে আমার নিকট ফিরিয়ে আনা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন ও তার বাহিনী অকারণে পৃথিবীতে অহংকার করেছিল আর তারা ভেবেছিল যে, তাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনা হবে না।
Sahih International:
And he was arrogant, he and his soldiers, in the land, without right, and they thought that they would not be returned to Us.



فَاَخَذْنٰهُ وَ جُنُوْدَهٗ فَنَبَذْنٰهُمْ فِی الْیَمِّ ۚ فَانْظُرْ کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআখাযনা-হু ওয়া জুনূদাহূফানাবাযনা-হুম ফিল ইয়াম্মি ফানজু র কাইফা কা-না ‘আকিবাতুজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে পাকড়াও করলাম, তারপর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। অতএব, দেখ যালিমদের পরিণাম কিরূপ হয়েছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই আমি তাকে ও তার বাহিনীকে পাকড়াও করলাম, অতঃপর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। এখন দেখ, যালিমদের পরিণতি কী হয়েছিল।
Sahih International:
So We took him and his soldiers and threw them into the sea. So see how was the end of the wrongdoers.



وَ جَعَلْنٰهُمْ اَئِمَّۃً یَّدْعُوْنَ اِلَی النَّارِ ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ لَا یُنْصَرُوْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনা-হুম আইম্মাতাইঁ ইয়াদ‘ঊনা ইলান্না-রি ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি লাইউনসারূন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে নেতা বানিয়েছিলাম, তারা জাহান্নামের দিকে আহবান করত এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে নেতা করেছিলাম। তারা জাহান্নামের দিকে আহবান করত, ক্বিয়ামতের দিন তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।
Sahih International:
And We made them leaders inviting to the Fire, and on the Day of Resurrection they will not be helped.



وَ اَتْبَعْنٰهُمْ فِیْ هٰذِهِ الدُّنْیَا لَعْنَۃً ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ هُمْ مِّنَ الْمَقْبُوْحِیْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আতবা‘না-হুম ফী হা-যিহিদদুনইয়া-লা‘নাতাওঁ ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি হুম মিনাল মাকবূহীন।
আল বায়ান:
এ যমীনে আমি তাদের পিছনে অভিসম্পাত লাগিয়ে দিয়েছি আর কিয়ামতের দিন তারা হবে ঘৃণিতদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
এ পৃথিবীতে তাদের পেছনে আমি লাগিয়ে দিয়েছি অভিসম্পাত আর ক্বিয়ামতের দিন তারা হবে দুর্দশাগ্রস্ত
Sahih International:
And We caused to overtake them in this world a curse, and on the Day of Resurrection they will be of the despised.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْکِتٰبَ مِنْۢ بَعْدِ مَاۤ اَهْلَکْنَا الْقُرُوْنَ الْاُوْلٰی بَصَآئِرَ لِلنَّاسِ وَ هُدًی وَّ رَحْمَۃً لَّعَلَّهُمْ یَتَذَکَّرُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছাল কিতা-বা মিম বা‘দি মাআহলাকনাল কুরূনাল ঊলাবাসাইরা লিন্না-ছি ওয়াহুদাওঁ ওয়া রাহমাতাল লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি পূর্ববর্তী বহু প্রজন্মকে ধ্বংস করার পর মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা, হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম। যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি পূর্ববর্তী অনেক মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার পর মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম- মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা, সত্যপথের নির্দেশ ও রহমতস্বরূপ যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
Sahih International:
And We gave Moses the Scripture, after We had destroyed the former generations, as enlightenment for the people and guidance and mercy that they might be reminded.



وَ مَا کُنْتَ بِجَانِبِ الْغَرْبِیِّ اِذْ قَضَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسَی الْاَمْرَ وَ مَا کُنْتَ مِنَ الشّٰهِدِیْنَ ﴿ۙ۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কুনতা বিজানিবিল গারবিইয়ি ইযকাদাইনাইলা- মূছাল আমরা ওয়ামা- কুনতা মিনাশশা-হিদীন।
আল বায়ান:
আর (হে নবী) আমি যখন মূসাকে বিধান দিয়েছিলাম তখন তুমি (তূর পাহাড়ের) পশ্চিম পার্শে উপস্থিত ছিলে না। আর তুমি প্রত্যক্ষদর্শীদের অন্তর্ভুক্তও ছিলে না।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসাকে যখন আমি নির্দেশনামা দিয়েছিলাম তখন তুমি (তূওয়া উপত্যকার) পশ্চিম প্রান্তে ছিলে না, আর ছিলে না তুমি প্রত্যক্ষদর্শী।
Sahih International:
And you, [O Muhammad], were not on the western side [of the mount] when We revealed to Moses the command, and you were not among the witnesses [to that].



وَ لٰکِنَّاۤ اَنْشَاْنَا قُرُوْنًا فَتَطَاوَلَ عَلَیْهِمُ الْعُمُرُ ۚ وَ مَا کُنْتَ ثَاوِیًا فِیْۤ اَهْلِ مَدْیَنَ تَتْلُوْا عَلَیْهِمْ اٰیٰتِنَا ۙ وَ لٰکِنَّا کُنَّا مُرْسِلِیْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-কিন্না আনশা’না-কুরূনান ফাতাতা-ওয়ালা ‘আলাইহিমুল ‘উমুরু ওয়ামা-কুনতা ছা-বিয়ান ফীআহলি মাদইয়ানা তাতলূ‘আলাইহিম আ-য়া-তিনা- ওয়া লা-কিন্নাকুন্না-মুরছিলীন।
আল বায়ান:
কিন্তু আমি অনেক প্রজন্মকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তাদের উপর বহু যুগ অতিবাহিত হয়েছিল। তুমি তো মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে অবস্থানকারী ছিলে না যে, তাদের নিকট আমার আয়াতগুলো তুমি তিলাওয়াত করবে। কিন্তু আমিই রাসূল প্রেরণকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু আমি অনেক মানবগোষ্ঠী সৃষ্টি করেছিলাম, অতঃপর তাদের অনেক যুগ গত হয়ে গেছে। তুমি মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে বিদ্যমান ছিলে না তাদের কাছে আমার আয়াত আবৃত্তি করার জন্য, কিন্তু (তাদের মাঝে) রসূল প্রেরণকারী আমিই ছিলাম।
Sahih International:
But We produced [many] generations [after Moses], and prolonged was their duration. And you were not a resident among the people of Madyan, reciting to them Our verses, but We were senders [of this message].



وَ مَا کُنْتَ بِجَانِبِ الطُّوْرِ اِذْ نَادَیْنَا وَ لٰکِنْ رَّحْمَۃً مِّنْ رَّبِّکَ لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَّاۤ اَتٰىهُمْ مِّنْ نَّذِیْرٍ مِّنْ قَبْلِکَ لَعَلَّهُمْ یَتَذَکَّرُوْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কুনতা বিজা-নিবিততূরি ইয না-দাইনা-ওয়ালা-কির রাহমাতাম মির রাব্বিকা লিতুনযিরা কাওমাম মাআতা-হুম মিন নাযীরিম মিন কাবলিকা লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর যখন আমি (মূসাকে) ডেকেছিলাম তখন তুমি তূর পর্বতের পাশে উপস্থিত ছিলে না। কিন্তু তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ জানানো হয়েছে, যাতে তুমি এমন কওমকে সতর্ক করতে পার, যাদের কাছে তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি। সম্ভবত তারা উপদেশ গ্রহণ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যখন (মূসাকে) ডাক দিয়েছিলাম তখন তুমি তূর পর্বতের পাশে ছিলে না। কিন্তু (তোমাকে পাঠানো হয়েছে) তোমার প্রতিপালকের রহমতস্বরূপ যাতে তুমি এমন একটি সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার যাদের কাছে তোমার পূর্বে সতর্ককারী পাঠানো হয়নি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
Sahih International:
And you were not at the side of the mount when We called [Moses] but [were sent] as a mercy from your Lord to warn a people to whom no warner had come before you that they might be reminded.



وَ لَوْ لَاۤ اَنْ تُصِیْبَهُمْ مُّصِیْبَۃٌۢ بِمَا قَدَّمَتْ اَیْدِیْهِمْ فَیَقُوْلُوْا رَبَّنَا لَوْ لَاۤ اَرْسَلْتَ اِلَیْنَا رَسُوْلًا فَنَتَّبِعَ اٰیٰتِکَ وَ نَکُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাওলাআন তুসীবাহুম মুসীবাতুম বিমা-কাদ্দামাত আইদীহিম ফাইয়াকূলূরাব্বানালাওলাআরছালতা ইলাইনা-রাছূলান ফানাত্তাবি‘আ আ-য়া-তিকা ওয়া নাকূনা মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের উপর কোন বিপদ আসলে তারা যাতে বলতে না পারে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? তাহলে আমরা আপনার আয়াতসমূহ অনুসরণ করতাম আর আমরা মুমিনদের অন্তর্ভুর্ক্ত হতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
রসূল না পাঠালে তাদের কৃতকর্মের কারণে কোন বিপদ হলে তারা বলত- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কাছে রসূল পাঠালে না কেন, পাঠালে তোমার আয়াতসমূহের অনুসরণ করতাম আর আমরা মু’মিন হয়ে যেতাম।’
Sahih International:
And if not that a disaster should strike them for what their hands put forth [of sins] and they would say, "Our Lord, why did You not send us a messenger so we could have followed Your verses and been among the believers?"...



فَلَمَّا جَآءَهُمُ الْحَقُّ مِنْ عِنْدِنَا قَالُوْا لَوْ لَاۤ اُوْتِیَ مِثْلَ مَاۤ اُوْتِیَ مُوْسٰی ؕ اَوَ لَمْ یَکْفُرُوْا بِمَاۤ اُوْتِیَ مُوْسٰی مِنْ قَبْلُ ۚ قَالُوْا سِحْرٰنِ تَظٰهَرَا ۟ٝ وَ قَالُوْۤا اِنَّا بِکُلٍّ کٰفِرُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআহুমুল হাক্কুমিন ‘ইনদিনা কা-লূলাওলা ঊতিয়া মিছলা মাঊতিয়া মূছা- আওয়ালাম ইয়াকফুরূবিমাঊতিয়া মূছা-মিন কাবলু কা-লূছিহরা-নি তাজাহারা- ওয়া কা-লূইন্না-বিকুল্লিন কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন আমার নিকট থেকে তাদের কাছে সত্য আসল তখন তারা বলল, ‘মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তাকে(মুহাম্মাদকে) কেন সেরূপ দেয়া হল না’? ইতঃপূর্বে মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তারা কি তা অস্বীকার করেনি? তারা বলেছিল, ‘দু’টিই যাদু, একটি অপরটিকে সাহায্য করে’। আর তারা বলেছিল, ‘আমরা সবই অস্বীকারকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমার নিকট থেকে তাদের কাছে যখন সত্য আসল তখন তারা বলল- ‘মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তাকে কেন সেরূপ দেয়া হল না? ইতোপূর্বে মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তারা কি তা অস্বীকার করেনি?’ তারা বলেছিল- ‘দু’টোই যাদু, একটা আরেকটার সহায়তাকারী। আর তারা বলেছিল আমরা (তাওরাত ও কুরআন) সবই প্রত্যাখ্যান করি।’
Sahih International:
But when the truth came to them from Us, they said, "Why was he not given like that which was given to Moses?" Did they not disbelieve in that which was given to Moses before? They said, "[They are but] two works of magic supporting each other, and indeed we are, in both, disbelievers."



قُلْ فَاْتُوْا بِکِتٰبٍ مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ هُوَ اَهْدٰی مِنْهُمَاۤ اَتَّبِعْهُ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ফা’তূবিকিতা-বিম মিন ‘ইনদিল্লা-হি হুওয়া আহদা-মিনহুমাআত্তাবি‘হু ইন কুনতুম সাদিকীন।
আল বায়ান:
বল, ‘তাহলে তোমরা আল্লাহর কাছ থেকে এমন একটি কিতাব নিয়ে আস যা এ দু’টো কিতাব থেকে উৎকৃষ্ট; আমি তারই অনুসরণ করব, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহর নিকট হতে এমন কিতাব নিয়ে এসো যা সত্যপথ নির্দেশ করার ব্যাপারে এ দু’ (কিতাব) হতে অধিক উৎকৃষ্ট, আমি সে কিতাবের অনুসরণ করব।
Sahih International:
Say, "Then bring a scripture from Allah which is more guiding than either of them that I may follow it, if you should be truthful."



فَاِنْ لَّمْ یَسْتَجِیْبُوْا لَکَ فَاعْلَمْ اَنَّمَا یَتَّبِعُوْنَ اَهْوَآءَهُمْ ؕ وَ مَنْ اَضَلُّ مِمَّنِ اتَّبَعَ هَوٰىهُ بِغَیْرِ هُدًی مِّنَ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফাইল লাম ইয়াছতাজীবূলাকা ফা‘লাম আন্নামা-ইয়াত্তাবি‘ঊনা আহওয়া-আহুম ওয়ামান আদালুল মিম মানিত্তাবা‘আ হাওয়া -হু বিগাইরি হুদাম মিনাল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা যদি তোমার আহবানে সাড়া না দেয়, তাহলে জেনে রাখ, তারা তো নিজদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে। আর আল্লাহর দিকনির্দেশনা ছাড়া যে নিজের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা যদি তোমার কথায় সাড়া না দেয় তাহলে জেনে রেখ, তারা শুধু তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহর পথ নির্দেশ ছাড়াই যে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে আছে? আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।
Sahih International:
But if they do not respond to you - then know that they only follow their [own] desires. And who is more astray than one who follows his desire without guidance from Allah? Indeed, Allah does not guide the wrongdoing people.



وَ لَقَدْ وَصَّلْنَا لَهُمُ الْقَوْلَ لَعَلَّهُمْ یَتَذَکَّرُوْنَ ﴿ؕ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ ওয়াসসালনা-লাহুমুল কাওলা লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর আমি তো তাদের কাছে একের পর এক বাণী পৌঁছে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের কাছে ক্রমাগত বাণী পৌঁছে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
Sahih International:
And We have [repeatedly] conveyed to them the Qur'an that they might be reminded.



اَلَّذِیْنَ اٰتَیْنٰهُمُ الْکِتٰبَ مِنْ قَبْلِهٖ هُمْ بِهٖ یُؤْمِنُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল কিতা-বা মিন কাবলিহী হুম বিহী ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
এর পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম তারা এর প্রতি ঈমান আনে।
তাইসিরুল কুরআন:
এর পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম তারা (অর্থাৎ তাদের কতক লোক) তাতে বিশ্বাস করে।
Sahih International:
Those to whom We gave the Scripture before it - they are believers in it.



وَ اِذَا یُتْلٰی عَلَیْهِمْ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِهٖۤ اِنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّنَاۤ اِنَّا کُنَّا مِنْ قَبْلِهٖ مُسْلِمِیْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-ইউতলা-‘আলাইহিম কা-লূআ-মান্না-বিহীইন্নাহুল হাক্কুমির রাব্বিনাইন্না-কুন্না-মিন কাবলিহী মুছলিমীন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের নিকট তা তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা বলে, ‘আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি, নিশ্চয় তা সত্য আমাদের রবের পক্ষ থেকে। নিশ্চয় আমরা এর পূর্বেও আত্মসমর্পণকারী ছিলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের নিকট যখন তা আবৃত্তি করা হয় তখন তারা বলে- আমরা এতে বিশ্বাস করি, এ সত্য আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে (আগত), এর পূর্বেই আমরা আত্মসমর্পণকারী ছিলাম।
Sahih International:
And when it is recited to them, they say, "We have believed in it; indeed, it is the truth from our Lord. Indeed we were, [even] before it, Muslims [submitting to Allah]."



اُولٰٓئِکَ یُؤْتَوْنَ اَجْرَهُمْ مَّرَّتَیْنِ بِمَا صَبَرُوْا وَ یَدْرَءُوْنَ بِالْحَسَنَۃِ السَّیِّئَۃَ وَ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা ইউ’তাওনা আজরাহুম মাররাতাইনি বিমা-সাবারূওয়া ইয়াদরাঊনা বিলহাছানাতিছ ছাইয়িআতা ওয়া মিম্মা-রাযাকনা-হুম ইউনফিকূ ন।
আল বায়ান:
তাদেরকে দু’বার প্রতিদান দেয়া হবে। এ কারণে যে, তারা ধৈর্যধারণ করে এবং ভাল দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করে। আর আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে তাদের পারিশ্রমিক দু’বার দেয়া হবে যেহেতু তারা ধৈর্য ধারণ করেছে এবং তারা ভাল দিয়ে মন্দের প্রতিহত করে আর আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাত্থেকে তারা ব্যয় করে।
Sahih International:
Those will be given their reward twice for what they patiently endured and [because] they avert evil through good, and from what We have provided them they spend.



وَ اِذَا سَمِعُوا اللَّغْوَ اَعْرَضُوْا عَنْهُ وَ قَالُوْا لَنَاۤ اَعْمَالُنَا وَ لَکُمْ اَعْمَالُکُمْ ۫ سَلٰمٌ عَلَیْکُمْ ۫ لَا نَبْتَغِی الْجٰهِلِیْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-ছামি‘উল লাগওয়া আ‘রাদূ ‘আনহু ওয়া কা-লূলানাআ‘মা-লুনা-ওয়ালাকুম আ‘মা-লুকুম ছালা-মুন ‘আলাইকুম লা-নাবতাগিল জা-হিলীন।
আল বায়ান:
আর তারা যখন অনর্থক কথাবার্তা শুনে তখন তা থেকে বিমুখ হয় এবং বলে, ‘আমাদের আমল আমাদের জন্য, আর তোমাদের আমল তোমাদের জন্য। তোমাদের প্রতি ‘সালাম’। আমরা অজ্ঞদের সাহচর্য চাই না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন নিরর্থক কথাবার্তা শুনে তখন তাত্থেকে ফিরে থাকে আর বলে- আমাদের কাজের ফল আমরা পাব, তোমাদের কাজের ফল তোমরা পাবে, তোমাদের প্রতি সালাম, অজ্ঞদের সাথে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই।
Sahih International:
And when they hear ill speech, they turn away from it and say, "For us are our deeds, and for you are your deeds. Peace will be upon you; we seek not the ignorant."



اِنَّکَ لَا تَهْدِیْ مَنْ اَحْبَبْتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰهَ یَهْدِیْ مَنْ یَّشَآءُ ۚ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِیْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকা লা-তাহদী মান আহবাবতা ওয়ালাকিন্নাল্লা-হা ইয়াহদী মাইঁ ইয়াশাঊ ওয়া হুওয়া আ‘লামুবিলমুহতাদীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তুমি যাকে ভালবাস তাকে তুমি হিদায়াত দিতে পারবে না; বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। আর হিদায়াতপ্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভাল জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যাকে ভালবাস তাকে সৎপথ দেখাতে পারবে না, বরং আল্লাহ্ই যাকে চান সৎ পথে পরিচালিত করেন, সৎপথপ্রাপ্তদের তিনি ভাল করেই জানেন।
Sahih International:
Indeed, [O Muhammad], you do not guide whom you like, but Allah guides whom He wills. And He is most knowing of the [rightly] guided.



وَ قَالُوْۤا اِنْ نَّتَّبِعِ الْهُدٰی مَعَکَ نُتَخَطَّفْ مِنْ اَرْضِنَا ؕ اَوَ لَمْ نُمَکِّنْ لَّهُمْ حَرَمًا اٰمِنًا یُّجْبٰۤی اِلَیْهِ ثَمَرٰتُ کُلِّ شَیْءٍ رِّزْقًا مِّنْ لَّدُنَّا وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূইন নাত্তাবি‘ইল হুদা-মা‘আকা নুতাখাততাফ মিন আরদিনা- আওয়ালাম নুমাক্কিল লাহুম হারামান আ-মিনাইঁ ইউজবাইলাইহি ছামারা-তুকুল্লি শাইইররিযকাম মিল্লাদুন্না-ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘আমরা যদি তোমার সাথে হিদায়াতের অনুসরণ করি তবে আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে উৎখাত করা হবে’। আমি কি তাদের জন্য এক নিরাপদ ‘হারাম’ এর সুব্যবস্থা করিনি? সেখানে সব ধরনের ফলমূল আমদানী করা হয়, আমার পক্ষ থেকে রিয্কস্বরূপ? কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- ‘আমরা যদি তোমার সাথে সৎপথের অনুসরণ করি তাহলে আমরা আমাদের দেশ থেকে উৎখাত হব।’ আমি কি তাদের জন্য এক নিরাপদ ‘হারাম’ প্রতিষ্ঠিত করিনি যেখানে সর্বপ্রকার ফলমূলের নজরানা আসে আমার পক্ষ থেকে রিযক স্বরূপ? কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
Sahih International:
And they say, "If we were to follow the guidance with you, we would be swept from our land." Have we not established for them a safe sanctuary to which are brought the fruits of all things as provision from Us? But most of them do not know.



وَ کَمْ اَهْلَکْنَا مِنْ قَرْیَۃٍۭ بَطِرَتْ مَعِیْشَتَهَا ۚ فَتِلْکَ مَسٰکِنُهُمْ لَمْ تُسْکَنْ مِّنْۢ بَعْدِهِمْ اِلَّا قَلِیْلًا ؕ وَ کُنَّا نَحْنُ الْوٰرِثِیْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাম আহ লাকনা-মিন কারইয়াতিম বাতিরাত মা‘ঈশাতাহা- ফাতিলকা মাছাকিনুহুম লাম তুছকাম মিম বা‘দিহিম ইল্লা-কালীলাওঁ ওয়া কুন্না-নাহনুল ওয়া-রিছীন।
আল বায়ান:
আর আমি কত জনপদকে ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা তাদের জীবন উপকরণ নিয়ে দম্ভ করত! এগুলো তো তাদের বাসস্থান। তাদের পরে (এখানে) সামান্যই বসবাস করা হয়েছে। আর আমিই চূড়ান্ত মালিকানার ওয়ারিস।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কত জনপদকে ধ্বংস করেছি যারা তাদের (ভোগবিলাসপূর্ণ) জীবনে চরম উৎকর্ষ সাধন করেছিল। এই তো তাদের বাসস্থান, তাদের পর এগুলোতে খুব অল্প লোকই বসবাস করেছে, অবশেষে আমিই মালিক রয়েছি।
Sahih International:
And how many a city have We destroyed that was insolent in its [way of] living, and those are their dwellings which have not been inhabited after them except briefly. And it is We who were the inheritors.



وَ مَا کَانَ رَبُّکَ مُهْلِکَ الْقُرٰی حَتّٰی یَبْعَثَ فِیْۤ اُمِّهَا رَسُوْلًا یَّتْلُوْا عَلَیْهِمْ اٰیٰتِنَا ۚ وَ مَا کُنَّا مُهْلِکِی الْقُرٰۤی اِلَّا وَ اَهْلُهَا ظٰلِمُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কা-না রাব্বুকা মুহলিকাল কুরা-হাত্তা-ইয়াব‘আছা ফীউম্মিহা-রাছূলাইঁ ইয়াতলূ ‘আলাইহিম আ-য়া-তিনা- ওয়ামা-কুন্না-মুহলিকিল কুরাইল্লা-ওয়া আহলুহা-জালিমূন।
আল বায়ান:
আর তোমার রব কোন জনপদকে ধ্বংস করেন না, যতক্ষণ না তিনি তার মূল ভূখন্ডে রাসূল প্রেরণ করেন, যে তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে। আর কোন জনপদের অধিবাসীরা যালিম না হলে আমি তাদেরকে ধ্বংস করি না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক কোন জনপদ ধ্বংস করেন না, যতক্ষণ না তিনি তার কেন্দ্রে রসূল প্রেরণ না করেন যে তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে; আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করি না যতক্ষণ না তার বাসিন্দারা অত্যাচারী হয়।
Sahih International:
And never would your Lord have destroyed the cities until He had sent to their mother a messenger reciting to them Our verses. And We would not destroy the cities except while their people were wrongdoers.



وَ مَاۤ اُوْتِیْتُمْ مِّنْ شَیْءٍ فَمَتَاعُ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا وَ زِیْنَتُهَا ۚ وَ مَا عِنْدَ اللّٰهِ خَیْرٌ وَّ اَبْقٰی ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাঊতীতুম মিন শাইয়িন ফামাতা-‘উল হায়া-তিদদুনইয়া-ওয়াযীনাতুহা- ওয়ামা‘ইনদাল্লা-হি খাইরুওঁ ওয়া আব কা- আফালা-তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা দুনিয়ার জীবনের ভোগ ও সৌন্দর্য মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা আছে তাই উত্তম ও স্থায়ী। তোমরা কি বুঝবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদেরকে যে সব বস্তু দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ্যবস্তু ও তার শোভা মাত্র। আর আল্লাহর নিকট যা কিছু আছে তা সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
Sahih International:
And whatever thing you [people] have been given - it is [only for] the enjoyment of worldly life and its adornment. And what is with Allah is better and more lasting; so will you not use reason?



اَفَمَنْ وَّعَدْنٰهُ وَعْدًا حَسَنًا فَهُوَ لَاقِیْهِ کَمَنْ مَّتَّعْنٰهُ مَتَاعَ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ثُمَّ هُوَ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ مِنَ الْمُحْضَرِیْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
আফামাওঁ ওয়া ‘আদানা-হুওয়া‘দানহাছানান ফাহুওয়া লা-কীহি কামাম মাত্তা‘না-হুমাতা‘আল হায়া-তিদদুনইয়া-ছুম্মা হুওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি মিনাল মুহদারীন।
আল বায়ান:
আমি যাকে উত্তম ওয়াদা দিয়েছি সে তা পাবেই; সে কি তার মতই যাকে আমি দুনিয়ার জীবনের ভোগসামগ্রী দিয়েছি? তারপর কিয়ামতের দিনে সে উপস্থিতকৃতদের মধ্যে থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যাকে ও‘য়াদা দিয়েছি, কল্যাণের ও‘য়াদা আর সেটা সে পাবেও, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যাকে আমি পার্থিব জীবনের ভোগ-সম্ভার দিয়েছি, অতঃপর ক্বিয়ামতের দিন তাকে হাজির করা হবে (অপরাধীরূপে)?
Sahih International:
Then is he whom We have promised a good promise which he will obtain like he for whom We provided enjoyment of worldly life [but] then he is, on the Day of Resurrection, among those presented [for punishment in Hell]?



وَ یَوْمَ یُنَادِیْهِمْ فَیَقُوْلُ اَیْنَ شُرَکَآءِیَ الَّذِیْنَ کُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইউনা-দীহিম ফাইয়াকূলুআইনা শুরাকাই ইয়াল্লাযীনা কুনতুম তায‘উমূন।
আল বায়ান:
আর সে দিন তিনি তাদেরকে আহবান করবেন, অতঃপর বলবেন, ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়’?
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন তাদেরকে ডাক দিয়ে তিনি বলবেন- ‘যাদেরকে তোমরা আমার শরীক গণ্য করতে তারা কোথায়?’
Sahih International:
And [warn of] the Day He will call them and say, "Where are My 'partners' which you used to claim?"



قَالَ الَّذِیْنَ حَقَّ عَلَیْهِمُ الْقَوْلُ رَبَّنَا هٰۤؤُلَآءِ الَّذِیْنَ اَغْوَیْنَا ۚ اَغْوَیْنٰهُمْ کَمَا غَوَیْنَا ۚ تَبَرَّاْنَاۤ اِلَیْکَ ۫ مَا کَانُوْۤا اِیَّانَا یَعْبُدُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লাল্লাযীনা হাক্কা ‘আলাইহিমুল কাওলুরাব্বানা-হাউলাইল্লাযীনা আগওয়াইনা- আগওয়াইনা-হুম কামা-গাওয়াইনা- তাবাররা’নাইলাইকা মা-কা-নূইয়্যানা-ইয়া‘বুদূ ন।
আল বায়ান:
যাদের জন্য (শাস্তির) বাণী অবধারিত হবে তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, ওরা তো তারা যাদেরকে আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম। তাদেরকে আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম যেমন আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। আমরা আপনার কাছে দায় মুক্তি চাচ্ছি। তারা তো আমাদের ইবাদাত করত না’।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তারা বলবে- ‘হে আমাদের পালনকর্তা! ওদেরকে আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম, ওদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলাম, যেমন আমরা নিজেরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম, আমরা তোমার কাছে দায়মুক্ত হচ্ছি (যে আমরা জোর ক’রে তাদেরকে বিভ্রান্ত করিনি)। এরা তো আমাদের ‘ইবাদাত করত না।
Sahih International:
Those upon whom the word will have come into effect will say, "Our Lord, these are the ones we led to error. We led them to error just as we were in error. We declare our disassociation [from them] to You. They did not used to worship us."



وَ قِیْلَ ادْعُوْا شُرَکَآءَکُمْ فَدَعَوْهُمْ فَلَمْ یَسْتَجِیْبُوْا لَهُمْ وَ رَاَوُا الْعَذَابَ ۚ لَوْ اَنَّهُمْ کَانُوْا یَهْتَدُوْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কীলাদ‘ঊ শুরাকাআকুম ফাদা‘আওহুম ফালাম ইয়াছতাজীবূলাহুম ওয়ারাআউল ‘আযা-বা লাও আন্নাহুম কা-নূইয়াহতাদূ ন।
আল বায়ান:
আর বলা হবে, ‘তোমাদের দেবতাগুলোকে ডাক, অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, তখন তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আর তারা আযাব দেখতে পাবে। হায়, এরা যদি সৎপথ প্রাপ্ত হত!
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে বলা হবে, ‘তোমাদের দেবতাগুলোকে ডাক, তখন তারা তাদেরকে ডাকবে’। কিন্তু তারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে না। তারা শাস্তি দেখতে পাবে (তাদের সামনে)। তারা যদি সৎপথপ্রাপ্ত হত!
Sahih International:
And it will be said, "Invoke your 'partners' " and they will invoke them; but they will not respond to them, and they will see the punishment. If only they had followed guidance!



وَ یَوْمَ یُنَادِیْهِمْ فَیَقُوْلُ مَاذَاۤ اَجَبْتُمُ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইউনা-দীহিম ফাইয়াকূলুমা-যাআজাবতুমুল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর সেদিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, ‘তোমরা রাসূলদেরকে কী জবাব দিয়েছিলে’?
তাইসিরুল কুরআন:
আর সেদিন আল্লাহ তাদেরকে ডাক দিবেন এবং বলবেন- ‘তোমরা রসূলদেরকে কী জওয়াব দিয়েছিলে?’
Sahih International:
And [mention] the Day He will call them and say, "What did you answer the messengers?"



فَعَمِیَتْ عَلَیْهِمُ الْاَنْۢبَآءُ یَوْمَئِذٍ فَهُمْ لَا یَتَسَآءَلُوْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ফা‘আমিয়াত ‘আলাইহিমুল আমবাউ ইয়াওমায়িযিন ফাহুম লা-ইয়াতাছাআলূন।
আল বায়ান:
অতঃপর সেদিন সকল সংবাদ তাদের কাছ থেকে গোপন হয়ে যাবে, তখন তারা পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন তাদের কথা বন্ধ হয়ে যাবে, অতঃপর পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে না।
Sahih International:
But the information will be unapparent to them that Day, so they will not [be able to] ask one another.



فَاَمَّا مَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَعَسٰۤی اَنْ یَّکُوْنَ مِنَ الْمُفْلِحِیْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ফাআম্মা-মান তা-বা ওয়া আ-মানা ওয়া‘আমিলা সা-লিহান ফা‘আছাআইঁ ইয়াকূনা মিনাল মুফলিহীন।
আল বায়ান:
তবে যে তাওবা করেছিল, ঈমান এনেছিল এবং সৎকর্ম করেছিল, আশা করা যায় সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু যে ব্যক্তি (তার জীবনে) তাওবাহ করেছিল আর ঈমান এনেছিল আর সৎকাজ করেছিল, আশা করা যায় সে সাফল্যমন্ডিতদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
Sahih International:
But as for one who had repented, believed, and done righteousness, it is promised by Allah that he will be among the successful.



وَ رَبُّکَ یَخْلُقُ مَا یَشَآءُ وَ یَخْتَارُ ؕ مَا کَانَ لَهُمُ الْخِیَرَۃُ ؕ سُبْحٰنَ اللّٰهِ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشْرِکُوْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাব্বুকা ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ওয়া ইয়াখতা-রু মা-কানা লাহুমুল খিয়ারাতু ছুবহা-নাল্লা-হি ওয়া তা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
আর তোমার রব যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং মনোনীত করেন, তাদের কোন এখতিয়ার নাই। আল্লাহ পবিত্র মহান এবং তারা যা শরীক করে তিনি তা থেকে ঊর্ধ্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন আর যাকে ইচ্ছে মনোনীত করেন। এতে তাদের কোন এখতিয়ার নেই, আল্লাহ পবিত্র, মহান। তারা যাকে শরীক করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
Sahih International:
And your Lord creates what He wills and chooses; not for them was the choice. Exalted is Allah and high above what they associate with Him.



وَ رَبُّکَ یَعْلَمُ مَا تُکِنُّ صُدُوْرُهُمْ وَ مَا یُعْلِنُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাব্বুকা ইয়া‘লামুমা-তুকিন্নুসুদূরুহুম ওয়ামা-ইউ‘লিমূন।
আল বায়ান:
আর তোমার রব জানেন, তাদের অন্তর যা গোপন করে আর তারা যা প্রকাশ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক জানেন তাদের অন্তর যা গোপন করে আর যা প্রকাশ করে।
Sahih International:
And your Lord knows what their breasts conceal and what they declare.



وَ هُوَ اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ لَهُ الْحَمْدُ فِی الْاُوْلٰی وَ الْاٰخِرَۃِ ۫ وَ لَهُ الْحُکْمُ وَ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া লাহুল হামদুফিল ঊলা-ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া লাহুল হুকমুওয়া ইলাইহি তুরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। দুনিয়া ও আখিরাতে সমস্ত প্রশংসা তাঁরই; বিধান তাঁরই। আর তাঁর কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ্ নেই, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই- প্রথমেও আর শেষেও, বিধান তাঁরই, আর তোমাদেরকে তাঁর দিকেই ফিরিয়ে নেয়া হবে।
Sahih International:
And He is Allah; there is no deity except Him. To Him is [due all] praise in the first [life] and the Hereafter. And His is the [final] decision, and to Him you will be returned.



قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ جَعَلَ اللّٰهُ عَلَیْکُمُ الَّیْلَ سَرْمَدًا اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ مَنْ اِلٰهٌ غَیْرُ اللّٰهِ یَاْتِیْکُمْ بِضِیَآءٍ ؕ اَفَلَا تَسْمَعُوْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতুম ইন জা‘আলা-ল্লাহু ‘আলাইকুমুল লাইলা ছার মাদান ইলা-ইয়াওমিল কিয়ামাতি মান ইলা-হুন গাইরুল্লা-হি ইয়া’তীকুম বিদিয়াইন আফালা-তাছমা‘ঊন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ রাতকে তোমাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে তাঁর পরিবর্তে কোন ইলাহ আছে কি যে তোমাদের আলো এনে দেবে? তবুও কি তোমরা শুনবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ যদি তোমাদের উপর রাতকে ক্বিয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করতেন তাহলে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ আছে কি যে তোমাদেরকে আলো এনে দিত? তবুও কি তোমরা কর্ণপাত করবে না?
Sahih International:
Say, "Have you considered: if Allah should make for you the night continuous until the Day of Resurrection, what deity other than Allah could bring you light? Then will you not hear?"



قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ جَعَلَ اللّٰهُ عَلَیْکُمُ النَّهَارَ سَرْمَدًا اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ مَنْ اِلٰهٌ غَیْرُ اللّٰهِ یَاْتِیْکُمْ بِلَیْلٍ تَسْکُنُوْنَ فِیْهِ ؕ اَفَلَا تُبْصِرُوْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতুম ইন জা‘আলাল্লা-হু ‘আলাইকুমুন নাহা-রা ছার মাদান ইলা-ইয়াওমিল কিয়ামাতি মান ইলা-হুন গাইরুল্লা-হি ইয়া’তীকুম বিলাইলিন তাছকুনূনা ফীহি আফালাতুবসিরূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ দিনকে তোমাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে তাঁর পরিবর্তে কোন ইলাহ আছে কি, যে তোমাদের রাত এনে দেবে যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে? তবুও কি তোমরা ভেবে দেখবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ যদি তোমাদের উপর দিনকে ক্বিয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করতেন তাহলে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ আছে কি যে তোমাদের জন্য রাত্রি এনে দিত যাতে তোমরা আরাম করতে? তোমরা কি চিন্তা করে দেখবে না?
Sahih International:
Say, "Have you considered: if Allah should make for you the day continuous until the Day of Resurrection, what deity other than Allah could bring you a night in which you may rest? Then will you not see?"



وَ مِنْ رَّحْمَتِهٖ جَعَلَ لَکُمُ الَّیْلَ وَ النَّهَارَ لِتَسْکُنُوْا فِیْهِ وَ لِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ وَ لَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মির রাহমাতিহী জা‘আলা লাকুমুল লাইলা ওয়ান নাহা-রা লিতাছকুনূফীহি ওয়ালিতাবতাগূ মিন ফাদলিহী ওয়া লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
আল বায়ান:
আর তাঁর অনুগ্রহে তিনি তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন যাতে তোমরা বিশ্রাম নিতে পার এবং তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যেন তোমরা শোকর আদায় করতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন যাতে তোমরা তাতে আরাম করতে পার আর তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
Sahih International:
And out of His mercy He made for you the night and the day that you may rest therein and [by day] seek from His bounty and [that] perhaps you will be grateful.



وَ یَوْمَ یُنَادِیْهِمْ فَیَقُوْلُ اَیْنَ شُرَکَآءِیَ الَّذِیْنَ کُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইউনা-দীহিম ফাইয়াকূলুআইনা শুরাকাইয়াল্লাযীনা কুনতুম তায‘উমূন।
আল বায়ান:
আর সেদিন তিনি তাদের ডাকবেন। অতঃপর বলবেন, ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়’?
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন তিনি তাদেরকে ডাক দিবেন এবং বলবেন- ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়?’
Sahih International:
And [warn of] the Day He will call them and say, "Where are my 'partners' which you used to claim?"



وَ نَزَعْنَا مِنْ کُلِّ اُمَّۃٍ شَهِیْدًا فَقُلْنَا هَاتُوْا بُرْهَانَکُمْ فَعَلِمُوْۤا اَنَّ الْحَقَّ لِلّٰهِ وَ ضَلَّ عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَفْتَرُوْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ানাযা‘না-মিন কুল্লি উম্মাতিন শাহীদান ফাকুলনা-হা-তূবুরহা-নাকুম ফা‘আলিমূআন্নাল হাক্কা লিল্লা-হি ওয়া দাল্লা ‘আনহুম মা-কা-নূইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
আর আমি প্রত্যেক জাতি থেকে একজন সাক্ষী বের করে নেব। অতঃপর আমি বলব, ‘তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আস’। তখন তারা জানতে পারবে যে, নিশ্চয় সত্য আল্লাহর কাছেই এবং তারা যে সব মিথ্যা উদ্ভাবন করত তা তাদের থেকে হারিয়ে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী বের করে আনব, অতঃপর বলব- ‘তোমাদের (নির্দোষিতার পক্ষে) প্রমাণ হাজির কর। তখন তারা জানতে পারবে যে, ইলাহ হওয়ার অধিকার আল্লাহরই আর তারা যা উদ্ভাবন করত তা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে যাবে।
Sahih International:
And We will extract from every nation a witness and say, "Produce your proof," and they will know that the truth belongs to Allah, and lost from them is that which they used to invent.



اِنَّ قَارُوْنَ کَانَ مِنْ قَوْمِ مُوْسٰی فَبَغٰی عَلَیْهِمْ ۪ وَ اٰتَیْنٰهُ مِنَ الْکُنُوْزِ مَاۤ اِنَّ مَفَاتِحَهٗ لَتَنُوْٓاُ بِالْعُصْبَۃِ اُولِی الْقُوَّۃِ ٭ اِذْ قَالَ لَهٗ قَوْمُهٗ لَا تَفْرَحْ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ الْفَرِحِیْنَ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্না কা-রূনা কা-না মিন কাওমি মূছা-ফাবাগা-‘আলাইহিম ওয়া আ-তাইনা-হু মিনাল কুনূযি মাইন্না মাফা-তিহাহূলাতানূউ বিল‘উসবাতি উলিল কুওওয়াতি ইযকা-লা লাহূকাওমুহূলা-তাফরাহইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল ফারিহীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় কারূন ছিল মূসার কওমভুক্ত। অতঃপর সে তাদের উপর ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে। অথচ আমি তাকে এমন ধনভান্ডার দান করেছিলাম যে, নিশ্চয় তার চাবিগুলো একদল শক্তিশালী লোকের উপর ভারী হয়ে যেত। স্মরণ কর, যখন তার কওম তাকে বলল, ‘দম্ভ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিকদের ভালবাসেন না’।
তাইসিরুল কুরআন:
কারূন ছিল মূসার সম্প্রদায়ভুক্ত, কিন্তু সে তাদের প্রতি উদ্ধত আচরণ করেছিল। তাকে আমি এমন ধনভান্ডার দিয়েছিলাম যে, তার চাবিগুলো বহন করা মাত্র একদল বলবান লোকের পক্ষে কষ্টকর ছিল। স্মরণ কর যখন তার সম্প্রদায় তাকে বলেছিল (ধনের) গর্ব করো না, আল্লাহ গর্বিতদেরকে ভালবাসেন না।
Sahih International:
Indeed, Qarun was from the people of Moses, but he tyrannized them. And We gave him of treasures whose keys would burden a band of strong men; thereupon his people said to him, "Do not exult. Indeed, Allah does not like the exultant.



وَ ابْتَغِ فِیْمَاۤ اٰتٰىکَ اللّٰهُ الدَّارَ الْاٰخِرَۃَ وَ لَا تَنْسَ نَصِیْبَکَ مِنَ الدُّنْیَا وَ اَحْسِنْ کَمَاۤ اَحْسَنَ اللّٰهُ اِلَیْکَ وَ لَا تَبْغِ الْفَسَادَ فِی الْاَرْضِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াবতাগি ফিমাআ-তা-কাল্লা-হুদ্দা-রাল আ-খিরাতা ওয়ালা-তানছা নাসীবাকা মিনাদদুনইয়া-ওয়া আহছিন কামাআহছানাল্লা-হু ইলাইকা ওয়ালা তাবগিল ফাছা-দা ফিল আরদি ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল মুফছিদীন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন তাতে তুমি আখিরাতের নিবাস অনুসন্ধান কর। তবে তুমি দুনিয়া থেকে তোমার অংশ ভুলে যেয়ো না। তোমার প্রতি আল্লাহ যেরূপ অনুগ্রহ করেছেন তুমিও সেরূপ অনুগ্রহ কর। আর যমীনে ফাসাদ করতে চেয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ ফাসাদকারীদের ভালবাসেন না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমাকে যা দিয়েছেন তা দিয়ে তুমি আখিরাতে (স্থায়ী সুখভোগের) আবাস অনুসন্ধান কর, আর দুনিয়ায় তোমার অংশের কথা ভুলে যেও না, (মানুষের) কল্যাণ সাধন কর, যেমন আল্লাহ তোমার কল্যাণ করেছেন, দেশে বিপর্যয় সৃষ্টির কামনা কর না, নিশ্চয় আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না।
Sahih International:
But seek, through that which Allah has given you, the home of the Hereafter; and [yet], do not forget your share of the world. And do good as Allah has done good to you. And desire not corruption in the land. Indeed, Allah does not like corrupters."



قَالَ اِنَّمَاۤ اُوْتِیْتُهٗ عَلٰی عِلْمٍ عِنْدِیْ ؕ اَوَ لَمْ یَعْلَمْ اَنَّ اللّٰهَ قَدْ اَهْلَکَ مِنْ قَبْلِهٖ مِنَ الْقُرُوْنِ مَنْ هُوَ اَشَدُّ مِنْهُ قُوَّۃً وَّ اَکْثَرُ جَمْعًا ؕ وَ لَا یُسْـَٔلُ عَنْ ذُنُوْبِهِمُ الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নামাঊতীতুহূ‘আলা-‘ইলমিন ‘ইনদী আওয়ালাম ইয়া‘লাম আন্নাল্লা-হা কাদ আহলাকা মিন কাবলিহী মিনাল কুরূনি মান হুওয়া আশাদ্দুমিনহু কুওওয়াতাওঁ ওয়া আক ছারু জাম‘আওঁ ওয়ালা-ইউছআলু‘আন যুনূবিহিমুল মুজরিমূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি তো এই ধনভান্ডার প্রাপ্ত হয়েছি আমার কাছে থাকা জ্ঞান দ্বারা’। সে কি জানত না যে, আল্লাহ তার পূর্বে বহু প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, যারা ছিল তার থেকে শক্তিমত্তায় প্রবলতর এবং জনসংখ্যায় অধিক। আর অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- ‘এ সম্পদ তো আমাকে দেয়া হয়েছে যেহেতু আমার কাছে জ্ঞান আছে।’ সে কি জানে না যে, আল্লাহ তার পূর্বে অনেক মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছেন যারা শক্তিতে তার চেয়ে ছিল প্রবল আর জনসংখ্যায় ছিল অধিক? অপরাধীদেরকে (তাদের অপরাধ সম্পর্কে মুখে) কিছুই জিজ্ঞেস করা হবে না।
Sahih International:
He said, "I was only given it because of knowledge I have." Did he not know that Allah had destroyed before him of generations those who were greater than him in power and greater in accumulation [of wealth]? But the criminals, about their sins, will not be asked.



فَخَرَجَ عَلٰی قَوْمِهٖ فِیْ زِیْنَتِهٖ ؕ قَالَ الَّذِیْنَ یُرِیْدُوْنَ الْحَیٰوۃَ الدُّنْیَا یٰلَیْتَ لَنَا مِثْلَ مَاۤ اُوْتِیَ قَارُوْنُ ۙ اِنَّهٗ لَذُوْ حَظٍّ عَظِیْمٍ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
ফাখারাজা ‘আলা-কাওমিহী ফী যীনাতিহী কা-লাল্লাযীনা ইউরীদূ নাল হায়া-তাদ দুনইয়া-ইয়া-লাইতা লানা-মিছলা মাঊতিয়া কা-রূনু ইন্নাহূলাযূহাজ্জিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তার কওমের সামনে জাঁকজমকের সাথে বের হল। যারা দুনিয়ার জীবন চাইত তারা বলল, ‘আহা! কারূনকে যেমন দেয়া হয়েছে আমাদেরও যদি তেমন থাকত! নিশ্চয় সে বিরাট সম্পদশালী।’
তাইসিরুল কুরআন:
কারূন শান-শওকাতের সাথে তার সম্প্রদায়ের সামনে হাজির হল। যারা পার্থিব জীবন কামনা করে তারা বলে উঠল- ‘হায়! কারূনকে যা দেয়া হয়েছে আমাদের জন্যও যদি তা হত! সত্যই সে মহা ভাগ্যবান ব্যক্তি।’
Sahih International:
So he came out before his people in his adornment. Those who desired the worldly life said, "Oh, would that we had like what was given to Qarun. Indeed, he is one of great fortune."



وَ قَالَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ وَیْلَکُمْ ثَوَابُ اللّٰهِ خَیْرٌ لِّمَنْ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا ۚ وَ لَا یُلَقّٰهَاۤ اِلَّا الصّٰبِرُوْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা ঊতুল ‘ইল মা ওয়াইলাকুম ছাওয়া-বুল্লা-হি খাইরুল লিমান আ-মানা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহাওঁ ওয়ালা-ইউলাক্কা-হাইল্লাসসা-বিরূন।
আল বায়ান:
আর যারা জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছিল, তারা বলল, ‘ধিক তোমাদেরকে! আল্লাহর প্রতিদানই উত্তম যে ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তার জন্য। আর তা শুধু সবরকারীরাই পেতে পারে।’
তাইসিরুল কুরআন:
যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলল- ‘ধিক তোমাদের প্রতি, আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠতর তাদের জন্য যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে, আর সত্যপথে অবিচল ধৈর্যশীল ছাড়া অন্য কেউ তা প্রাপ্ত হয় না।
Sahih International:
But those who had been given knowledge said, "Woe to you! The reward of Allah is better for he who believes and does righteousness. And none are granted it except the patient."



فَخَسَفْنَا بِهٖ وَ بِدَارِهِ الْاَرْضَ ۟ فَمَا کَانَ لَهٗ مِنْ فِئَۃٍ یَّنْصُرُوْنَهٗ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ٭ وَ مَا کَانَ مِنَ الْمُنْتَصِرِیْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ফাখাছাফনা-বিহী ওয়া বিদা-রিহিল আরদা ফামা-কা-না লাহূমিন ফিয়াতিইঁ ইয়ানসুরূনাহূমিন দূ নিল্লা-হি ওয়ামা-কা-না মিনাল মুনতাসিরীন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি কারূন ও তার প্রাসাদকে মাটিতে দাবিয়ে দিলাম। তখন তার জন্য এমন কোন দল ছিল না, যে আল্লাহর মোকাবিলায় তাকে সাহায্য করতে পারত এবং সে নিজেও নিজেকে সাহায্য করতে সক্ষম ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি ভূগর্ভে প্রোথিত করলাম কারূনকে ও তার প্রাসাদকে। আল্লাহর ব্যতীত তাকে সাহায্য করার কোন দল ছিল না, আর সে নিজেও নিজেকে রক্ষা করতে পারল না।
Sahih International:
And We caused the earth to swallow him and his home. And there was for him no company to aid him other than Allah, nor was he of those who [could] defend themselves.



وَ اَصْبَحَ الَّذِیْنَ تَمَنَّوْا مَکَانَهٗ بِالْاَمْسِ یَقُوْلُوْنَ وَیْکَاَنَّ اللّٰهَ یَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَ یَقْدِرُ ۚ لَوْ لَاۤ اَنْ مَّنَّ اللّٰهُ عَلَیْنَا لَخَسَفَ بِنَا ؕ وَیْکَاَنَّهٗ لَا یُفْلِحُ الْکٰفِرُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আসবাহাল্লাযীনা তামান্নাও মাকা-নাহূবিলআমছি ইয়াকূলূনা ওয়াইকাআন্নাল্লা-হা ইয়াবছুতুররিযকা লিমাইঁ ইয়াশাঊ মিন ‘ইবা-দিহী ওয়া ইয়াকদিরু লাওলাআম মান্নাল্লা-হু ‘আলাইনা-লাখাছাফা বিনা- ওয়াইকাআন্নাহূলা-ইউফলিহুল কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
আর গতকাল যারা তার মত হতে প্রত্যাশা করেছিল তারা বলতে লাগল, ‘আশ্চর্য! দেখলে তো, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রসারিত অথবা সংকুচিত করেন। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করতেন তবে আমাদেরকেও তিনি দাবিয়ে দিতেন। দেখলে তো, কাফিররা সফল হয় না’।
তাইসিরুল কুরআন:
গতকাল যারা তার মর্যাদার ন্যায় কামনা করেছিল তারা সকলে বলতে লাগল, ‘হায়, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের যার জন্য ইচ্ছে রিযক বর্ধিত করেন আর যার জন্য ইচ্ছে হ্রাস করেন। আল্লাহ যদি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করতেন তবে তিনি আমাদেরকেও ভূগর্ভে প্রোথিত করে দিতেন। হায়! অবিশ্বাসীরা সাফল্যমন্ডিত হয় না।
Sahih International:
And those who had wished for his position the previous day began to say, "Oh, how Allah extends provision to whom He wills of His servants and restricts it! If not that Allah had conferred favor on us, He would have caused it to swallow us. Oh, how the disbelievers do not succeed!"



تِلْکَ الدَّارُ الْاٰخِرَۃُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِیْنَ لَا یُرِیْدُوْنَ عُلُوًّا فِی الْاَرْضِ وَ لَا فَسَادًا ؕ وَ الْعَاقِبَۃُ لِلْمُتَّقِیْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
তিলকাদ্দা-রুল আ-খিরাতুনাজ‘আলুহা-লিল্লাযীনা লা-ইউরীদূ না ‘উলুওওয়ান ফিল আরদি ওয়ালা-ফাছা-দাওঁ ওয়াল ‘আ-কিবাতুলিলমুত্তাকীন।
আল বায়ান:
এই হচ্ছে আখিরাতের নিবাস, যা আমি তাদের জন্য নির্ধারিত করি, যারা যমীনে ঔদ্ধত্য দেখাতে চায় না এবং ফাসাদও চায় না। আর শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
সেই আখিরাতের ঘর আমি তাদের জন্য করেছি যারা পৃথিবীর বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। শুভ পরিণাম আল্লাহভীরুদের জন্য।
Sahih International:
That home of the Hereafter We assign to those who do not desire exaltedness upon the earth or corruption. And the [best] outcome is for the righteous.



مَنْ جَآءَ بِالْحَسَنَۃِ فَلَهٗ خَیْرٌ مِّنْهَا ۚ وَ مَنْ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَلَا یُجْزَی الَّذِیْنَ عَمِلُوا السَّیِّاٰتِ اِلَّا مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
মান জাআ বিল হাছানাতি ফালাহূখাইরুম মিনহা- ওয়া মান জাআ বিছছাইয়িআতি ফালা-ইউজযাল্লাযীনা ‘আমিলুছ ছাইয়িআ-তি ইল্লা-মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
কেউ পূণ্য নিয়ে আসলে তার জন্য থাকবে তা থেকে উত্তম প্রতিদান। আর কেউ পাপ নিয়ে আসলে তবে যারা মন্দকর্ম করেছে তাদের শুধু তারই প্রতিদান দেওয়া হবে যা তারা করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে কেউ সৎকর্ম নিয়ে হাজির হবে তার জন্য আছে আরো উত্তম প্রতিদান। আর যে মন্দ কাজ নিয়ে হাজির হবে তাহলে যারা মন্দকর্ম করে তাদেরকে তাদের কাজ অনুপাতেই শাস্তি দেয়া হবে।
Sahih International:
Whoever comes [on the Day of Judgement] with a good deed will have better than it; and whoever comes with an evil deed - then those who did evil deeds will not be recompensed except [as much as] what they used to do.



اِنَّ الَّذِیْ فَرَضَ عَلَیْکَ الْقُرْاٰنَ لَرَآدُّکَ اِلٰی مَعَادٍ ؕ قُلْ رَّبِّیْۤ اَعْلَمُ مَنْ جَآءَ بِالْهُدٰی وَ مَنْ هُوَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযী ফারাদা ‘আলাইকাল কুরআ-না লারাদ্দুকা ইলা-মা‘আ-দিন কুররাববীআ‘লামুমান জাআ বিলহুদা-ওয়া মান হুওয়া ফী দালা-
আল বায়ান:
নিশ্চয় যিনি তোমার প্রতি কুরআনকে বিধানস্বরূপ দিয়েছেন, অবশ্যই তিনি তোমাকে প্রত্যাবর্তনস্থলে* ফিরিয়ে নেবেন। বল, ‘আমার রব বেশী জানেন, কে হিদায়াত নিয়ে এসেছে, আর কে রয়েছে স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায়’।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি তোমার প্রতি কুরআন বিধিবদ্ধ করেছেন তিনি অবশ্যই তোমাকে মূলভূমিতে (মাক্কায়) ফিরিয়ে আনবেন। বল, আমার প্রতিপালক ভাল করেই জানেন কে সৎপথের নির্দেশ নিয়ে এসেছে আর কে আছে সুস্পষ্ট গুমরাহীতে।
Sahih International:
Indeed, [O Muhammad], He who imposed upon you the Qur'an will take you back to a place of return. Say, "My Lord is most knowing of who brings guidance and who is in clear error."



وَ مَا کُنْتَ تَرْجُوْۤا اَنْ یُّلْقٰۤی اِلَیْکَ الْکِتٰبُ اِلَّا رَحْمَۃً مِّنْ رَّبِّکَ فَلَا تَکُوْنَنَّ ظَهِیْرًا لِّلْکٰفِرِیْنَ ﴿۫۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা- কুনতা তারাজূআইঁ ইউলকাইলাইকাল কিতা-বুইল্লা-রাহমাতাম মির রাব্বিকা ফালা-তাকূনান্না জাহীরাল লিলকা-ফিরীন।
আল বায়ান:
আর তুমি আশা করছিলে না যে, তোমার প্রতি কিতাব (কুরআন) নাযিল করা হবে, বরং তা তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। অতএব, তুমি কখনো কাফিরদের জন্য সাহায্যকারী হয়ো না।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তো প্রত্যাশা করনি যে, তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করা হবে। এটা তোমার প্রতিপালকের রহমত বিশেষ। কাজেই তুমি কক্ষনো কাফিরদের সমর্থনকারী হয়ো না।
Sahih International:
And you were not expecting that the Book would be conveyed to you, but [it is] a mercy from your Lord. So do not be an assistant to the disbelievers.



وَ لَا یَصُدُّنَّکَ عَنْ اٰیٰتِ اللّٰهِ بَعْدَ اِذْ اُنْزِلَتْ اِلَیْکَ وَ ادْعُ اِلٰی رَبِّکَ وَ لَا تَکُوْنَنَّ مِنَ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿ۚ۸۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-ইয়াসুদ্দুন্নাকা ‘আন আ-য়া-তিল্লা-হি বা‘দা ইয উনযিলাত ইলাইকা ওয়াদ‘উ ইলা রাব্বিকা ওয়ালা-তাকূনান্না মিনাল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহর আয়াতসমূহ তোমার প্রতি নাযিল হওয়ার পর তারা যেন তোমাকে তা থেকে বিরত রাখতে না পারে, তোমার রবের প্রতি তুমি আহবান কর এবং তুমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতি আল্লাহর আয়াত নাযিল হওয়ার পর তারা যেন তোমাকে তাত্থেকে কক্ষনো বিমুখ না করতে পারে। তুমি তোমার প্রতিপালকের দিকে আহবান জানাও, আর কিছুতেই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
Sahih International:
And never let them avert you from the verses of Allah after they have been revealed to you. And invite [people] to your Lord. And never be of those who associate others with Allah.



وَ لَا تَدْعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ ۘ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۟ کُلُّ شَیْءٍ هَالِکٌ اِلَّا وَجْهَهٗ ؕ لَهُ الْحُکْمُ وَ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাদ‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা । লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া কুল্লু শাইইন হা-লিকুন ইল্লা-ওয়াজহাহূ লাহুল হুকমুওয়া ইলাইহি তুরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তাঁর চেহারা (সত্ত্বা)* ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল, সিদ্ধান্ত তাঁরই এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তাঁর (সত্তা) ছাড়া সকল কিছুই ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই, আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।
Sahih International:
And do not invoke with Allah another deity. There is no deity except Him. Everything will be destroyed except His Face. His is the judgement, and to Him you will be returned.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।