আল কুরআন


সূরা আল-কাসাস (আয়াত: 51)

সূরা আল-কাসাস (আয়াত: 51)



হরকত ছাড়া:

ولقد وصلنا لهم القول لعلهم يتذكرون ﴿٥١﴾




হরকত সহ:

وَ لَقَدْ وَصَّلْنَا لَهُمُ الْقَوْلَ لَعَلَّهُمْ یَتَذَکَّرُوْنَ ﴿ؕ۵۱﴾




উচ্চারণ: ওয়ালাকাদ ওয়াসসালনা-লাহুমুল কাওলা লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।




আল বায়ান: আর আমি তো তাদের কাছে একের পর এক বাণী পৌঁছে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।




আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ৫১. আর অবশ্যই আমরা তাদের কাছে পরপর বাণী পৌঁছে দিয়েছি(১); যাতে তারা উপদেশ গ্রহন করে।




তাইসীরুল ক্বুরআন: আমি তাদের কাছে ক্রমাগত বাণী পৌঁছে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।




আহসানুল বায়ান: (৫১) আর আমি অবশ্যই ওদের নিকট বার বার আমার বাণী পৌঁছিয়ে দিয়েছি;[1] যাতে ওরা উপদেশ গ্রহণ করে। [2]



মুজিবুর রহমান: আমিতো তাদের নিকট উপর্যুপরি বাণী পৌঁছে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।



ফযলুর রহমান: আমি তো তাদের কাছে বাণী পৌঁছে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।



মুহিউদ্দিন খান: আমি তাদের কাছে উপর্যুপরি বাণী পৌছিয়েছি। যাতে তারা অনুধাবন করে।



জহুরুল হক: আর আমরা অবশ্যই তাদের কাছে বাণী পৌঁছিয়ে দিয়েছি যেন তারা মনোযোগ দিতে পারে।



Sahih International: And We have [repeatedly] conveyed to them the Qur'an that they might be reminded.



তাফসীরে যাকারিয়া

অনুবাদ: ৫১. আর অবশ্যই আমরা তাদের কাছে পরপর বাণী পৌঁছে দিয়েছি(১); যাতে তারা উপদেশ গ্রহন করে।


তাফসীর:

(১) وَصَّلْنَا শব্দটি توصيل থেকে উদ্ভূত। এর আসল আভিধানিক অর্থ রশির সূতায় আরো সূতা মিলিয়ে রশিকে মজবুত করা। [ফাতহুল কাদীর] উদ্দেশ্য এই যে, আল্লাহ তা'আলা কুরআনে একের পর এক হেদায়াত অব্যাহত রেখেছেন এবং অনেক উপদেশমূলক বিষয়বস্তুর বার বার পুনরাবৃত্তিও করা হয়েছে, যাতে শ্রোতারা প্রভাবান্বিত হয়। [কুরতুবী]

এ থেকে জানা গেল যে, সত্য কথা উপর্যুপরি বলা ও পৌঁছাতে থাকা নবীগণের তাবলীগ তথা দ্বীন-প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। মানুষের অস্বীকার ও মিথ্যারোপ তাদের কাজে ও কর্মসক্তিতে কোনরূপ বাধা সৃষ্টি করতে পারত না। সত্যকথা একবার না মানা হলে দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার ও চতুৰ্থবার তারা পেশ করতে থাকতেন। কারও মধ্যে প্রকৃত অন্তর সৃষ্টি করে দেয়ার সাধ্য তো কোন সহৃদয় উপদেশদাতার নেই। কিন্তু নিজের অক্লান্ত প্ৰচেষ্টা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তারা ছিলেন আপোষহীন। আজকালও যারা দাওয়াতের কাজ করেন, তাদের এ থেকে শিক্ষা গ্ৰহণ করা উচিত।


তাফসীরে আহসানুল বায়ান

অনুবাদ: (৫১) আর আমি অবশ্যই ওদের নিকট বার বার আমার বাণী পৌঁছিয়ে দিয়েছি;[1] যাতে ওরা উপদেশ গ্রহণ করে। [2]


তাফসীর:

 [1] অর্থাৎ, রসূলের পর রসূল, কিতাবের পর কিতাব আমি প্রেরণ করেছি আর এভাবে ধারাবাহিকরূপে আমি আমার বাণী মানুষের নিকট পৌঁছাতে থেকেছি।

[2] অর্থাৎ এর উদ্দেশ্য ছিল, পূর্ববর্তী জাতিসমূহের অশুভ পরিণতিকে ভয় করে এবং আমার উপদেশ গ্রহণ করে ঈমান আনবে।


তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ


তাফসীর: ৪৮-৫১ নং আয়াতের তাফসীর:



মক্কার কাফির-মুশরিকরা ঈমান না আনার জন্য বিভিন্ন ওযর-আপত্তি পেশ করত। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর যখন কুরআন প্রয়োজন অনুপাতে খণ্ড খণ্ড আকারে নাযিল হতে লাগল তখন তারা বলতে শুরু করল: ‘মূসাকে যেরূপ দেয়া হয়েছিল, তাকে সেরূপ দেয়া হল না কেন?’



অর্থাৎ মূসা (عليه السلام)-এর ওপর যেমন একত্রে কিতাব নাযিল করা হয়েছে মুহাম্মাদের ওপর কেন একত্রে নাযিল হয় না? সুতরাং এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিল করা কিতাব নয়। আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথার জবাব দিয়ে বলেন: মূসা (عليه السلام) যা নিয়ে এসেছিল তা কি তোমরা অস্বীকার করনি? অথচ তা একত্রে নাযিল করা হয়েছিল।



যখন দেখল কুরআন ও তাওরাতের বিষয়বস্তু অভিন্ন তখন তারা বলতে লাগলন



(سِحْرٰنِ تَظَاهَرَا)



অর্থাৎ কুরআন ও তাওরাত উভয়টি যাদু, একে অপরকে যাদু প্রকাশে সহযোগিতা করেছে। তাই আমরা সব অস্বীকার করলাম, কিছুই বিশ্বাস করতে পারছিনা।



আল্লাহ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিতে বললেনন তোমরা যদি অস্বীকারই করে থাক, আর ঈমান না আনতে পারো, তাহলে তোমরা সত্যবাদী হলে কুরআন ও তাওরাতের চেয়ে উত্তম কিতাব আল্লাহ তা‘আলার কাছ থেকে নিয়ে আসো। স্বয়ং আমি তার অনুরসণ করব। তারা যদি নিয়ে না আসতে পারে, আর কখনো তা পারবেও না, সুতরাং তুমি জেনে রেখো, তারা নিজেদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে থাকে। আর যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে থাকে তাদের চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কেউ নেই।



মূলত তারা ঈমান নিয়ে আসত না। তারা কেবল তাদের প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে এ সকল কাজ করত। আর এ ব্যাপারে তাদের কোনই দলীল-প্রমাণ ছিল না। তারা শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে কেবল নিজের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করত। অথচ আল্লাহ তা‘আলা প্রবৃত্তির অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রবৃত্তির পূজো বাদ দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর সঠিক ধর্মের অনুসরণ করা যা আখিরাতে নাজাতের মাধ্যম হবে।



আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:



১. কুরআনই সর্বশ্রেষ্ঠ সুপথ প্রদর্শনকারী গ্রন্থ; এর চেয়ে অধিক সঠিক আর কোন গ্রন্থ নেই।

২. প্রবৃত্তিপূজো থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. কোন একটি আসমানী কিতাব বা রাসূলকে অস্বীকার করা সকল কিতাব ও রাসূলকে অস্বীকার করার শামিল।


তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)


তাফসীর: ৪৮-৫১ নং আয়াতের তাফসীর

ইতিপূর্বে আল্লাহ তা'আলা বর্ণনা করেছেনঃ যদি নবীদেরকে প্রেরণ করার পূর্বে আমি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করতাম তবে তাদের একথা বলার অধিকার থাকতো যে, তাদের কাছে নবী আগমন করলে তবে অবশ্যই তারা তাদেরকে মেনে চলতো। এজন্যেই আমি রাসূল প্রেরণ করেছি। বিশেষ করে আমি শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-কে পাঠিয়েছি। যখন তিনি জনগণের নিকট আগমন করেন তখন তারা চক্ষু ফিরিয়ে নেয়, মুখ ঘুরিয়ে নেয় এবং অত্যন্ত দর্পভরে বলেঃ হযরত মূসা (আঃ)-কে যেমন বহু মুজিযা দেয়া হয়েছিল যথা-লাঠি, হাতের ঔজ্জ্বল্য, তুফান, ফড়িং, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত এবং শস্য ও ফলের হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি, যেগুলো দেখে আল্লাহর শত্রুরা বিচলিত হয়ে পড়ে এবং সমুদ্রকে বিভক্ত করা, মেঘ দ্বারা ছায়া করা ও মান্না-সালওয়া অবতীর্ণ হওয়া ইত্যাদি, যেগুলো ছিল বড় বড় মুজিযা, তেমনিভাবে মুহাম্মাদ (সঃ)-কে কেন দেয়া হয় না? তাদের একথার জবাবে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এ লোকগুলো যে ঘটনাকে উদাহরণ রূপে পেশ করছে এবং যেসব মুজিযা দেখতে চাচ্ছে এসব মু'জিযা হযরত মূসা (আঃ)-এর থাকা সত্ত্বেও কয়জন লোক তার উপর ঈমান এনেছিল? তারা তো পরিষ্কারভাবে বলেছিলঃ “মূসা (আঃ) ও হারূন (আঃ) এ দুই ভাই যাদুকর ছাড়া কিছুই নয়। তারা আমাদের হতে শাসন ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে চায়। সুতরাং আমরা কখনো তাদের কথা মানতে পারি না। এভাবে তারা ঐ দুই নবী (আঃ)-কে অবিশ্বাস করে, ফলে তারা ধ্বংস হয়ে যায়। তাই মহান আল্লাহ বলেনঃ তারা বলেছিল, “এই দুই ভাই যাদুকর, তারা একত্রিত হয়ে আমাদেরকে খাটো করার জন্যে ও নিজেদেরকে বড় মানিয়ে নেয়ার জন্যেই এসেছে। আমরা তাদের প্রত্যেককেই প্রত্যাখ্যান করি।”

এখানে শুধু হযরত মূসা (আঃ)-এর উল্লেখ রয়েছে বটে, কিন্তু তারা দু ভাই এমনভাবে মিলে গিয়েছিলেন যে, যেন তারা দুজন এক। এ জন্যে একজনের উল্লেখই অপরজনের জন্যে যথেষ্ট মনে করা হয়। যেমন কবি বলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “যখন আমি কোন জায়গার ইচ্ছা করি তখন সেখানে আমার লাভ হবে কি ক্ষতি হবে তা আমি জানি না। এখানে কবি শুধু লাভের কথা উল্লেখ করেছেন, ক্ষতির কথা উল্লেখ করেননি। কেননা, লাভ ও ক্ষতি, ভাল ও মন্দ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। একটির সাথে অপরটি থাকা অপরিহার্য। এজন্যেই কবি শুধু কল্যাণের উল্লেখ করেই ক্ষান্ত হয়েছেন, অনিষ্টের উল্লেখ তিনি করেননি।

মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, ইয়াহূদীরা কুরায়েশদেরকে বলে যে, তারা যেন মুহাম্মাদ (সঃ)-কে এ কথা বলে। তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের কথার প্রতিবাদে বলেনঃ পূর্বে মূসা (আঃ)-কে যা দেয়া হয়েছিল তা কি তারা অস্বীকার করেনি? তারা বলেছিলঃ উভয়ই যাদু, একে অপরকে সমর্থন করে, অর্থাৎ হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারূন (আঃ)। তারা এই উত্তর পেয়ে নীরব হয়ে যায়। একটি উক্তি এও আছে যে, দু’জন যাদুকর দ্বারা হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। আর একটি উক্তি এটাও যে, দু’জন যাদুকর দ্বারা হযরত ঈসা (আঃ) ও হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় উক্তি অপেক্ষা প্রথম উক্তিটিই বেশী দৃঢ় ও উত্তম। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। (আরবি) এর কিরআতের উপর এই ভাবার্থ। আর (আরবি) যাদের কিরআত তারা বলেন যে, এর দ্বারা তাওরাত ও কুরআন উদ্দেশ্য। এ দু’টি একটি অপরটির সত্যতা প্রতিপাদনকারী। কারো কারো মতে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তাওরাত ও ইঞ্জীল। আবার কেউ কেউ বলেন যে, এর দ্বারা ইঞ্জীল ও কুরআন উদ্দেশ্য। কোনটি সঠিক কথা তা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন। তবে এই কিরআতেও যাহেরী তাওরাত ও কুরআনের অর্থ সঠিক। কেননা এর পরেই আল্লাহ পাকের উক্তি রয়েছেঃ “তোমরাই তাহলে এ দু’টো অপেক্ষা বেশী হিদায়াত দানকারী কোন কিতাব আল্লাহ তা'আলার নিকট হতে নিয়ে এসো, যার আনুগত্য আমি করবো?” কুরআন কারীমে তাওরাত ও কুরআনকে অধিকাংশ জায়গায় একই সাথে আনয়ন করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “তুমি বল- কে ঐ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যা নিয়ে মূসা (আঃ) এসেছিল, যা লোকদের জন্যে জ্যোতি ও হিদায়াত স্বরূপ?” (৬:৯২) এর পরেই তিনি বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “এই কিতাবকেও (কুরআনকেও) আমি বরকতময় ও কল্যাণময় রূপে অবতীর্ণ করেছি। আর এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “তোমরা আমার অবতারিত এই কল্যাণময় কিতাবের অনুসরণ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে তোমাদের উপর দয়া করা হবে।” (৬:১৫৬) জ্বিনেরা বলেছিলঃ “আমরা এমন এক কিতাব শ্রবণ করেছি যা মূসা (আঃ)-এর পরে অবতীর্ণ করা হয়েছে, যা ওর পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর সত্যতা প্রতিপাদনকারী।” অরাকা ইবনে নওফল (রাঃ) বলেছিলেনঃ “এটা আল্লাহর রহস্যবিদ যাকে হযরত মূসা (আঃ)-এর উপর অবতীর্ণ করা হয়েছিল।” চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় শাস্ত্রে গভীরভাবে মনোনিবেশকারী ব্যক্তির কাছে এটা স্পষ্ট যে, আসমানী কিতাবসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী এই কুরআন মজীদ ও ফুরকান হামীদই বটে। এটা প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত আল্লাহ স্বীয় দয়ালু নবী (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ করেছেন। এরপর তাওরাত শরীফের মর্যাদা, যাতে নূর ও হিদায়াত ছিল, যা অনুসারে নবীরা ও তাদের অনুসারীরা হুকুম জারী করতেন। ইঞ্জীল তো শুধু তাওরাতকে পূর্ণকারী এবং কোন কোন হারামকে হালালকারী ছিল। এজন্যেই এখানে বলা হয়েছেঃ তোমরা সত্যবাদী হলে আল্লাহর নিকট হতে এক কিতাব আনয়ন কর, যা পথ-নির্দেশে এতদুভয় হতে উৎকৃষ্টতর হবে; আমি সে কিতাব অনুসরণ করবো। অতঃপর হে নবী (সঃ)! তারা যদি এতে অপারগ হওয়া সত্ত্বেও তোমার আহ্বানে সাড়া না দেয়, তাহলে জানবে যে, তারা তো শুধু নিজেদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে। আর আল্লাহর পথ-নির্দেশ অগ্রাহ্য করে যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে তার চেয়ে অধিক বিভ্রান্ত আর কে হতে পারে? এভাবে যারা নিজেদের নফসের উপর যুলুম করে সে শেষ পর্যন্ত সঠিক পথ লাভে বঞ্চিত হয়। আমি তো তাদের কাছে বিস্তারিতভাবে আমার বাণী পৌছিয়ে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। তাদের দ্বারা বলতে মুজাহিদ (রঃ) ও অন্যান্যদের মতে কুরায়েশদেরকে বুঝানো হয়েছে। স্পষ্ট ও প্রকাশমান কথা এটাই। কারো কারো মতে এদের দ্বারা রিফাআহ্ ও তার সঙ্গী নয়জন লোককে বুঝানো হয়েছে।

রিফাআহ্ ছিল হযরত সুফিয়া বিন্তে হুইয়াই (রাঃ)-এর মামা, যে তামীমাহ্ বিতে অহাবকে তালাক প্রদান করেছিল, যার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল আবদুর রহমান ইবনে যুবায়েরের সাথে।





সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।