আল কুরআন


সূরা আল-কাসাস (আয়াত: 74)

সূরা আল-কাসাস (আয়াত: 74)



হরকত ছাড়া:

ويوم يناديهم فيقول أين شركائي الذين كنتم تزعمون ﴿٧٤﴾




হরকত সহ:

وَ یَوْمَ یُنَادِیْهِمْ فَیَقُوْلُ اَیْنَ شُرَکَآءِیَ الَّذِیْنَ کُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ ﴿۷۴﴾




উচ্চারণ: ওয়া ইয়াওমা ইউনা-দীহিম ফাইয়াকূলুআইনা শুরাকাইয়াল্লাযীনা কুনতুম তায‘উমূন।




আল বায়ান: আর সেদিন তিনি তাদের ডাকবেন। অতঃপর বলবেন, ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়’?




আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ৭৪. আর সেদিন তিনি তাদেরকে ডেকে বলবেন, তোমরা যাদেরকে আমার শরীক গণ্য করতে তারা কোথায়?




তাইসীরুল ক্বুরআন: সেদিন তিনি তাদেরকে ডাক দিবেন এবং বলবেন- ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়?’




আহসানুল বায়ান: (৭৪) সেদিন ওদেরকে আহবান করে বলা হবে, ‘তোমরা যাদেরকে আমার অংশী মনে করতে তারা কোথায়?’



মুজিবুর রহমান: সেদিন তিনি তাদেরকে আহবান করে বলবেনঃ তোমরা যাদেরকে শরীক গণ্য করতে তারা কোথায়?



ফযলুর রহমান: (স্মরণ করো) যেদিন তিনি তাদেরকে ডেকে বলবেন, “তোমরা যাদেরকে আমার শরীক বলে দাবি করতে তারা (আজ) কোথায়?”



মুহিউদ্দিন খান: যেদিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে, তারা কোথায়?



জহুরুল হক: আর সেইদিন তিনি ওদের ডাকবেন ও বলবেন -- "কোথায় আমার অংশীদাররা যাদের তোমরা উদ্ভাবন করতে?"



Sahih International: And [warn of] the Day He will call them and say, "Where are my 'partners' which you used to claim?"



তাফসীরে যাকারিয়া

অনুবাদ: ৭৪. আর সেদিন তিনি তাদেরকে ডেকে বলবেন, তোমরা যাদেরকে আমার শরীক গণ্য করতে তারা কোথায়?


তাফসীর:

-


তাফসীরে আহসানুল বায়ান

অনুবাদ: (৭৪) সেদিন ওদেরকে আহবান করে বলা হবে, ‘তোমরা যাদেরকে আমার অংশী মনে করতে তারা কোথায়?”


তাফসীর:

-


তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ


তাফসীর: ৭৪-৭৫ নং আয়াতের তাফসীর:



দুনিয়াতে যারা আল্লাহ তা‘আলার সাথে অংশীদার স্থাপন করতঃ অন্যান্য মাবুদের কাছে সাহায্য কামনা করে প্রার্থনা করত, ইবাদত করতন তাদেরকে আখিরাতে আল্লাহ তা‘আলা ডেকে বলবেন, তোমরা যাদের ইবাদত করতে, যাদের কাছে সাহায্য চাইতে তারা আজ কোথায়? অর্থাৎ সেদিন তারা উধাও হয়ে যাবে, ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার করতে পারবে না।



অর্থাৎ যখন সকল যুগের মুশরিক ও তাদের মা‘বূদ উপস্থিত হবে তখন প্রত্যেক মিথ্যুক ও মুশরিক জাতি থেকে তাদের একজন একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা ডেকে নিয়ে আসবেন। দুনিয়াতে তারা যে শির্ক ও ভ্রান্ত বিশ্বাস পোষণ করত সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: শির্কী কাজ করা সঠিক তোমাদের এ কথার স্বপক্ষে দলীল নিয়ে এসো, আমি কি তোমাদেরকে এরূপ নির্দেশ দিয়েছিলাম? রাসূলগণ কি তোমাদেরকে এরূপ নির্দেশ দিয়েছিল? আমার নাযিল করা কোন কিতাবে তা পেয়েছো? তখন তারা বুঝতে পারবে তাদের কাজকর্ম সব বাতিল ছিল, আল্লাহ তা‘আলা যা বলেছিলেন, তাই সত্য। সুতরাং সেদিন তাদের থেকে তাদের বানানো মা‘বূদেরা উধাও হয়ে যাবে। কোন উপকার করতে পারবে না। এ সম্পর্কে অত্র সূরার ৬২-৬৪নং আয়াতসহ পূর্বে অন্যান্য সূরাতেও আলোচনা করা হয়েছে।



আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:



১. কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন, কোন্ প্রমাণের ভিত্তিতে তারা শির্ক করেছে।

২. আল্লাহ তা‘আলা, নাবী-রাসূলগণ ও কোন আসমানী কিতাব মানুষ জাতিকে শির্কের নির্দেশ দেয়নি। বরং সবাই এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের কথা বলেছেন।


তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)


তাফসীর: ৭৪-৭৫ নং আয়াতের তাফসীর

মুশরিকদেরকে দ্বিতীয়বার ধমক দিয়ে বলা হবেঃ দুনিয়ায় যাদেরকে তোমরা আমার শরীক বলে গণ্য করতে তারা আজ কোথায়? প্রত্যেক উম্মতের মধ্য হতে একজন সাক্ষী অর্থাৎ ঐ উম্মতের পয়গম্বর মনোনীত করা হবে এবং মুশরিকদেরকে বলা হবেঃ তোমাদের শিক্মকের কোন দলীল তোমরা পেশ কর এবং ঐ সময় তাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যাবে যে, প্রকৃতপক্ষেই ইবাদতের যোগ্য আল্লাহ ছাড়া আর কেউই নয়। সুতরাং তারা কোন জবাব দিতে পারবে না। তাই তারা খুবই বিচলিত হয়ে পড়বে এবং তারা আল্লাহ তা'আলার উপর যা কিছু মিথ্যা আরোপ করেছিল সবই ভুলে যাবে।





সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।