আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


یَسْـَٔلُوْنَکَ عَنِ الْاَنْفَالِ ؕ قُلِ الْاَنْفَالُ لِلّٰهِ وَ الرَّسُوْلِ ۚ فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَصْلِحُوْا ذَاتَ بَیْنِکُمْ ۪ وَ اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗۤ اِنْ کُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল আনফা-লি কুল্লি আনফা-লুলিল্লা-হি ওয়াররাছূলি ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আসলিহূযা-তা বাইনিকুম ওয়া আতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূইন কুনতুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
লোকেরা তোমাকে গনীমতের মাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে; বল, গনীমতের মাল আল্লাহ ও রাসূলের জন্য। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর, যদি তোমরা মুমিন হও।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল, ‘যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের; কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আর নিজেদের সম্পর্ককে সুষ্ঠু সুন্দর ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত কর। তোমরা যদি মু’মিন হয়ে থাক তবে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর।’
Sahih International:
They ask you, [O Muhammad], about the bounties [of war]. Say, "The [decision concerning] bounties is for Allah and the Messenger." So fear Allah and amend that which is between you and obey Allah and His Messenger, if you should be believers.



اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِیْنَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰهُ وَجِلَتْ قُلُوْبُهُمْ وَ اِذَا تُلِیَتْ عَلَیْهِمْ اٰیٰتُهٗ زَادَتْهُمْ اِیْمَانًا وَّ عَلٰی رَبِّهِمْ یَتَوَکَّلُوْنَ ۚ﴿ۖ۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামাল মু’মিনূনাল্লাযীনা ইযা-যুকিরাল্লা-হুওয়াজিলাতকুলূবুহুম ওয়া ইযা-তুলিয়াত ‘আলাইহিম আ-ইয়া-তুহূযা-দাতহুম ঈমা-নাওঁ ওয়া ‘আলা-রাব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।
আল বায়ান:
মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে।
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিন তো তারাই আল্লাহর কথা আলোচিত হলেই যাদের অন্তর কেঁপে উঠে, আর তাদের কাছে যখন তাঁর আয়াত পঠিত হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।
Sahih International:
The believers are only those who, when Allah is mentioned, their hearts become fearful, and when His verses are recited to them, it increases them in faith; and upon their Lord they rely -



الَّذِیْنَ یُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ؕ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাযাকনা-হুম ইউনফিকূ ন।
আল বায়ান:
যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা নামায ক্বায়িম করে, আর আমি তাদেরকে যে জীবিকা দিয়েছি তাত্থেকে ব্যয় করে।
Sahih International:
The ones who establish prayer, and from what We have provided them, they spend.



اُولٰٓئِکَ هُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ حَقًّا ؕ لَهُمْ دَرَجٰتٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَ مَغْفِرَۃٌ وَّ رِزْقٌ کَرِیْمٌ ۚ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা হুমুল মু’মিনূনা হাক্কান লাহুম দারাজা-তুন ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়া মাগফিরাতুওঁ ওয়া রিযকুন কারীম।
আল বায়ান:
তারাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট উচ্চ মর্যাদাসমূহ এবং ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।
তাইসিরুল কুরআন:
এসব লোকেরাই হল প্রকৃত মু’মিন। এদের জন্য এদের প্রতিপালকের নিকট আছে নানান মর্যাদা, ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা।
Sahih International:
Those are the believers, truly. For them are degrees [of high position] with their Lord and forgiveness and noble provision.



کَمَاۤ اَخْرَجَکَ رَبُّکَ مِنْۢ بَیْتِکَ بِالْحَقِّ ۪ وَ اِنَّ فَرِیْقًا مِّنَ الْمُؤْمِنِیْنَ لَکٰرِهُوْنَ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
কামাআখরাজাকা রাব্বুকা মিম বাইতিকা বিলহাক্কি ওয়া ইন্না ফারীকাম মিনাল মু’মিনীনা লাকা-রিহূন।
আল বায়ান:
(এটা এমন) যেভাবে তোমার রব তোমাকে নিজ ঘর থেকে বের করেছেন যথাযথভাবে এবং নিশ্চয় মুমিনদের একটি দল তা অপছন্দ করছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
(তারা যেমন প্রকৃত মু’মিন) ঠিক তেমনি প্রকৃতভাবেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে তোমার ঘর হতে বের করে এনেছিলেন যদিও মু’মিনদের একদল তা পছন্দ করেনি।
Sahih International:
[It is] just as when your Lord brought you out of your home [for the battle of Badr] in truth, while indeed, a party among the believers were unwilling,



یُجَادِلُوْنَکَ فِی الْحَقِّ بَعْدَ مَا تَبَیَّنَ کَاَنَّمَا یُسَاقُوْنَ اِلَی الْمَوْتِ وَ هُمْ یَنْظُرُوْنَ ؕ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইউজা-দিলূনাকা ফিল হাক্কি বা‘দা মা-তাবাইইয়ানা কাআন্নামা-ইউছা-কূনা ইলাল মাওতি ওয়া হুম ইয়ানজু রুন।
আল বায়ান:
তারা তোমার সাথে সত্য সম্পর্কে বিতর্ক করছে তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর। যেন তাদেরকে মৃত্যুর দিকে হাঁকিয়ে নেয়া হচ্ছে, আর তারা তা দেখছে।
তাইসিরুল কুরআন:
সত্য স্পষ্ট হওয়ার পরও তারা তোমার সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়েছিল, (তাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল যে,) তারা যেন চেয়ে চেয়ে দেখছিল যে, তাদেরকে মৃত্যুর দিকে তাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে।
Sahih International:
Arguing with you concerning the truth after it had become clear, as if they were being driven toward death while they were looking on.



وَ اِذْ یَعِدُکُمُ اللّٰهُ اِحْدَی الطَّآئِفَتَیْنِ اَنَّهَا لَکُمْ وَ تَوَدُّوْنَ اَنَّ غَیْرَ ذَاتِ الشَّوْکَۃِ تَکُوْنُ لَکُمْ وَ یُرِیْدُ اللّٰهُ اَنْ یُّحِقَّ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِهٖ وَ یَقْطَعَ دَابِرَ الْکٰفِرِیْنَ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয ইয়া‘ইদুকুমুল্লা-হুইহদাততাইফাতাইনি আন্নাহা-লাকুম ওয়া তাওয়াদ্দূনা আন্না গাইরা যা-তিশশাওকাতি তাকূনুলাকুম ওয়া ইউরীদুল্লা-হুআইঁ ইউহিক্কাল হাক্কা বিকালিমাতিহী ওয়া ইয়াকতা‘আ দা-বিরাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ তোমাদেরকে দু’দলের একটির ওয়াদা দিয়েছিলেন যে, নিশ্চয় তা তোমাদের জন্য হবে। আর তোমরা কামনা করছিলে যে, অস্ত্রহীন দলটি তোমাদের জন্য হবে এবং আল্লাহ চাচ্ছিলেন তাঁর কালেমাসমূহ দ্বারা সত্যকে সত্য প্রমাণ করবেন এবং কাফেরদের মূল কেটে দেবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, দু’টি দলের মধ্যে একটি তোমরা পাবে, আর তোমরা চেয়েছিলে যেন নিরস্ত্র দলটি তোমরা লাভ কর আর আল্লাহ চেয়েছিলেন তাঁর বাণী দ্বারা সত্যকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে আর কাফিরদের জড় কেটে দিতে।
Sahih International:
[Remember, O believers], when Allah promised you one of the two groups - that it would be yours - and you wished that the unarmed one would be yours. But Allah intended to establish the truth by His words and to eliminate the disbelievers



لِیُحِقَّ الْحَقَّ وَ یُبْطِلَ الْبَاطِلَ وَ لَوْ کَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ ۚ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
লিইউহিক্কাল হাক্কা ওয়া ইউবতিলাল বা-তিলা ওয়া লাও কারিহাল মুজরিমূন।
আল বায়ান:
যাতে তিনি সত্যকে সত্য প্রমাণিত করেন এবং বাতিলকে বাতিল করেন, যদিও অপরাধীরা তা অপছন্দ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তিনি সত্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন আর মিথ্যেকে মিথ্যে প্রমাণিত করেন, যদিও তা পাপীদের কাছে পছন্দনীয় নয়।
Sahih International:
That He should establish the truth and abolish falsehood, even if the criminals disliked it.



اِذْ تَسْتَغِیْثُوْنَ رَبَّکُمْ فَاسْتَجَابَ لَکُمْ اَنِّیْ مُمِدُّکُمْ بِاَلْفٍ مِّنَ الْمَلٰٓئِکَۃِ مُرْدِفِیْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ইয তাছতাগীছূনা রাব্বাকুমফাছতাজা-বা লাকুমআন্নীমুমিদ্দুকুম বিআলফিম মিনাল মালাইকাতি মুরদিফীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন তোমরা তোমাদের রবের নিকট ফরিয়াদ করছিলে, তখন তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন যে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে পর পর আগমনকারী এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা সাহায্য করছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছিলে তখন তিনি তোমাদেরকে জবাব দিলেন, ‘আমি তোমাদেরকে এক হাজার ফেরেশতা দিয়ে সাহায্য করব যারা পর পর আসবে।’
Sahih International:
[Remember] when you asked help of your Lord, and He answered you, "Indeed, I will reinforce you with a thousand from the angels, following one another."



وَ مَا جَعَلَهُ اللّٰهُ اِلَّا بُشْرٰی وَ لِتَطْمَئِنَّ بِهٖ قُلُوْبُکُمْ ۚ وَ مَا النَّصْرُ اِلَّا مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِیْزٌ حَکِیْمٌ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-জা‘আলাহুল্লা-হু ইল্লা-বুশরা-ওয়া লিতাতমাইন্না বিহী কুলূবুকুম ওয়া মান নাসরু ইল্লা-মিন ‘ইনদিল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা ‘আযীযুন হাকীম।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ তো তা করেছেন কেবল সুসংবাদস্বরূপ এবং যাতে এর দ্বারা তোমাদের অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয় এবং সাহায্য তো আল্লাহর পক্ষ থেকেই। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহ যে এটা করেছিলেন তার উদ্দেশ্য তোমাদেরকে সুসংবাদ দান ছাড়া অন্য কিছু নয় আর যাতে এর মাধ্যমে তোমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। কেননা, সাহায্য তো একমাত্র আল্লাহর নিকট থেকেই আসে। আল্লাহ তো মহাপরাক্রমশালী, মহাবিজ্ঞানী।
Sahih International:
And Allah made it not but good tidings and so that your hearts would be assured thereby. And victory is not but from Allah. Indeed, Allah is Exalted in Might and Wise.



اِذْ یُغَشِّیْکُمُ النُّعَاسَ اَمَنَۃً مِّنْهُ وَ یُنَزِّلُ عَلَیْکُمْ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً لِّیُطَهِّرَکُمْ بِهٖ وَ یُذْهِبَ عَنْکُمْ رِجْزَ الشَّیْطٰنِ وَ لِیَرْبِطَ عَلٰی قُلُوْبِکُمْ وَ یُثَبِّتَ بِهِ الْاَقْدَامَ ﴿ؕ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইয ইউগাশশীকুমুননু‘আ-ছা আমানাতাম মিনহু ওয়া ইউনাযযিলু‘আলাইকুম মিনাছছামাই মাআল লিইউতাহহিরাকুম বিহী ওয়া ইউযহিবা ‘আনকুম রিজযাশশাইতা-নি ওয়া লিইয়ারবিতা ‘আলা-কুলূবিকুম ওয়া ইউছাব্বিতা বিহিল আকাদা-ম।
আল বায়ান:
স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করেন তাঁর পক্ষ থেকে নিরাপত্তাস্বরূপ এবং আকাশ থেকে তোমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর যাতে এর মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করেন, আর তোমাদের থেকে শয়তানের কুমন্ত্রণা দূর করেন, তোমাদের অন্তরসমূহ দৃঢ় রাখেন এবং এর মাধ্যমে তোমাদের পা-সমূহ স্থির রাখেন।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ তাঁর নিকট হতে প্রশান্তি ধারা হিসেবে তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করেছিলেন, আকাশ হতে তোমাদের উপর বৃষ্টিধারা বর্ষণ করেছিলেন তোমাদেরকে তা দিয়ে পবিত্র করার জন্য। তোমাদের থেকে শয়ত্বানী পংকিলতা দূর করার জন্য, তোমাদের দিলকে মজবুত করার জন্য আর তা দিয়ে তোমাদের পায়ের ভিত শক্ত করার জন্য।
Sahih International:
[Remember] when He overwhelmed you with drowsiness [giving] security from Him and sent down upon you from the sky, rain by which to purify you and remove from you the evil [suggestions] of Satan and to make steadfast your hearts and plant firmly thereby your feet.



اِذْ یُوْحِیْ رَبُّکَ اِلَی الْمَلٰٓئِکَۃِ اَنِّیْ مَعَکُمْ فَثَبِّتُوا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا ؕ سَاُلْقِیْ فِیْ قُلُوْبِ الَّذِیْنَ کَفَرُوا الرُّعْبَ فَاضْرِبُوْا فَوْقَ الْاَعْنَاقِ وَ اضْرِبُوْا مِنْهُمْ کُلَّ بَنَانٍ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইযইঊহী রাব্বুকা ইলাল মালাইকাতি আন্নী মা‘আকুম ফাছাব্বিতুল্লাযীনা আ-মানূ ছাউলকী ফী কুলূবিল্লাযীনা কাফারূররু‘বা ফাদরিবূফাওকাল আ‘না-কিওয়াদরিবূমিনহুম কুল্লা বানা-ন।
আল বায়ান:
স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন যে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তোমরা তাদেরকে অনড় রাখ’। অচিরেই আমি ভীতি ঢেলে দেব তাদের হৃদয়ে যারা কুফরী করেছে। অতএব তোমরা আঘাত কর ঘাড়ের উপরে এবং আঘাত কর তাদের প্রত্যেক আঙুলের অগ্রভাগে।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের প্রতি ওয়াহী পাঠিয়েছিলেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গেই আছি; অতএব মু’মিনদেরকে তোমরা দৃঢ়পদ রেখ’। অচিরেই আমি কাফিরদের দিলে ভীতি সঞ্চার করব, কাজেই তাদের স্কন্ধে আঘাত হান, আঘাত হান প্রত্যেকটি আঙ্গুলের গিঁটে গিঁটে।
Sahih International:
[Remember] when your Lord inspired to the angels, "I am with you, so strengthen those who have believed. I will cast terror into the hearts of those who disbelieved, so strike [them] upon the necks and strike from them every fingertip."



ذٰلِکَ بِاَنَّهُمْ شَآقُّوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ ۚ وَ مَنْ یُّشَاقِقِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَاِنَّ اللّٰهَ شَدِیْدُ الْعِقَابِ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিআন্নাহুম শাককুল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূ ওয়া মাইঁ ইউশাকিকিল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূফাইন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।
আল বায়ান:
এটি এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করেছে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।
তাইসিরুল কুরআন:
এর কারণ হল, তারা আল্লাহ ও রসূলের বিরোধিতা করে আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরোধিতা করবে (তাদের জেনে রাখা দরকার) আল্লাহ শাস্তিদানে বড়ই কঠোর।
Sahih International:
That is because they opposed Allah and His Messenger. And whoever opposes Allah and His Messenger - indeed, Allah is severe in penalty.



ذٰلِکُمْ فَذُوْقُوْهُ وَ اَنَّ لِلْکٰفِرِیْنَ عَذَابَ النَّارِ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকুম ফাযূকূহু ওয়া আন্না লিলকা-ফিরীনা ‘আযা-বান্না-র।
আল বায়ান:
এটি আযাব, সুতরাং তোমরা তা আস্বাদন কর। আর নিশ্চয় কাফিরদের জন্য রয়েছে আগুনের আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
এটাই তোমাদের শাস্তি, অতএব তার স্বাদ গ্রহণ কর, কাফিরদের জন্য আছে আগুনের (জাহান্নামের) শাস্তি।
Sahih International:
"That [is yours], so taste it." And indeed for the disbelievers is the punishment of the Fire.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا لَقِیْتُمُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا زَحْفًا فَلَا تُوَلُّوْهُمُ الْاَدْبَارَ ﴿ۚ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ-ইযা- লাকীতুমুল্লাযীনা কাফারূ যাহফান ফালাতুওয়াল্লুহুমুল আদবা-র।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা যখন কাফিরদের মুখোমুখি হবে বিশাল বাহিনী নিয়ে, তখন তাদের থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন যোদ্ধা-বাহিনীরূপে কাফিরদের সম্মুখীন হও, তখন তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না।
Sahih International:
O you who have believed, when you meet those who disbelieve advancing [for battle], do not turn to them your backs [in flight].



وَ مَنْ یُّوَلِّهِمْ یَوْمَئِذٍ دُبُرَهٗۤ اِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ اَوْ مُتَحَیِّزًا اِلٰی فِئَۃٍ فَقَدْ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللّٰهِ وَ مَاْوٰىهُ جَهَنَّمُ ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیْرُ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইউওয়ালিলহিম ইয়াওমায়িযিন দুবুরাহূইল্লা-মুতাহাররিফাল লিকিতা-লিন আও মুতাহাইয়িযান ইলা-ফিআতিন ফাকাদ বাআ বিগাদাবিম মিনাল্লা-হি ওয়া মা’ওয়া-হু জাহান্নামু ওয়াবি’ছাল মাসীর।
আল বায়ান:
আর যে ব্যক্তি সেদিন তাদেরকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে তাহলে সে আল্লাহর গযব নিয়ে ফিরে আসবে। তবে যুদ্ধের জন্য (কৌশলগত) দিক পরিবর্তন অথবা নিজ দলে আশ্রয় গ্রহণের জন্য হলে ভিন্ন কথা এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর সেটি কতইনা নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল।
তাইসিরুল কুরআন:
এমন দিনে যুদ্ধে কৌশল অবলম্বন বা নিজ দলের সঙ্গে মিলিত হওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কেউ তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করলে সে তো আল্লাহর গজবে পরিবেষ্টিত হয়ে পড়ল, জাহান্নামই তার ঠিকানা আর তা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল।
Sahih International:
And whoever turns his back to them on such a day, unless swerving [as a strategy] for war or joining [another] company, has certainly returned with anger [upon him] from Allah, and his refuge is Hell - and wretched is the destination.



فَلَمْ تَقْتُلُوْهُمْ وَ لٰکِنَّ اللّٰهَ قَتَلَهُمْ ۪ وَ مَا رَمَیْتَ اِذْ رَمَیْتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰهَ رَمٰی ۚ وَ لِیُبْلِیَ الْمُؤْمِنِیْنَ مِنْهُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ফালাম তাকতুলূহুম ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা কাতালাহুম ওয়ামা-রামাইতা ইযরামাইতা ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা রামা- ওয়ালি ইউবলিয়াল মু’মিনীনা মিনহু বালাআন হাছানান ইন্নাল্লা-হা ছামী‘উন আলীম।
আল বায়ান:
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি নিক্ষেপ করনি যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে; বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন* এবং যাতে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে মুমিনদেরকে পরীক্ষা করেন উত্তম পরীক্ষা। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
(আসল ব্যাপার হল) তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন, তুমি যখন নিক্ষেপ করছিলে তাতো তুমি নিক্ষেপ করনি, বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছিলেন যাতে তিনি মু’মিনদেরকে এক সুন্দরতম পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ করতে পারেন। আল্লাহ হলেন সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And you did not kill them, but it was Allah who killed them. And you threw not, [O Muhammad], when you threw, but it was Allah who threw that He might test the believers with a good test. Indeed, Allah is Hearing and Knowing.



ذٰلِکُمْ وَ اَنَّ اللّٰهَ مُوْهِنُ کَیْدِ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকুম ওয়াআন্নাল্লা-হা মূহিনুকাইদিল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
এই (হল ঘটনা) এবং নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদের ষড়যন্ত্র দুর্বল করে দেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার এ ব্যবস্থা তোমাদের জন্য, (আর কাফিরদের সম্পর্কে কথা এই যে) আল্লাহ কাফিরদের ষড়যন্ত্রকে অকেজো করে দেন।
Sahih International:
That [is so], and [also] that Allah will weaken the plot of the disbelievers.



اِنْ تَسْتَفْتِحُوْا فَقَدْ جَآءَکُمُ الْفَتْحُ ۚ وَ اِنْ تَنْتَهُوْا فَهُوَ خَیْرٌ لَّکُمْ ۚ وَ اِنْ تَعُوْدُوْا نَعُدْ ۚ وَ لَنْ تُغْنِیَ عَنْکُمْ فِئَتُکُمْ شَیْئًا وَّ لَوْ کَثُرَتْ ۙ وَ اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইন তাছতাফতিহূফাকাদ জাআকুমুল ফাতহু ওয়া ইন তানতাহূফাহুওয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া ইন তা‘ঊদূনা‘উদ ওয়া লান তুগনিয়া ‘আনকুম ফিআতুকুম শাইআওঁ ওয়ালাও কাছুরাত ওয়া আন্নাল্লা-হা মা‘আল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
যদি তোমরা বিজয় কামনা করে থাক, তাহলে তো তোমাদের নিকট বিজয় এসে গিয়েছে। আর যদি তোমরা বিরত হও, তাহলে সেটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর যদি তোমরা পুনরায় কর, তাহলে আমিও পুনরায় করব এবং তোমাদের দল কখনো তোমাদের কোন উপকারে আসবে না যদিও তা অধিক হয়। আর নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের সাথে আছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
(ওহে কাফিরগণ!) তোমরা মীমাংসা চাচ্ছিলে, মীমাংসা তো তোমাদের কাছে এসে গেছে; আর যদি তোমরা (অন্যায় থেকে) বিরত হও, তবে তা তোমাদের জন্যই কল্যাণকর, তোমরা যদি আবার (অন্যায়) কর, আমিও আবার শাস্তি দিব, তোমাদের দল-বাহিনী সংখ্যায় অধিক হলেও তোমাদের কোন উপকারে আসবে না এবং আল্লাহ তো মু’মিনদের সঙ্গে আছেন।
Sahih International:
If you [disbelievers] seek the victory - the defeat has come to you. And if you desist [from hostilities], it is best for you; but if you return [to war], We will return, and never will you be availed by your [large] company at all, even if it should increase; and [that is] because Allah is with the believers.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ وَ لَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَ اَنْتُمْ تَسْمَعُوْنَ ﴿ۚۖ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূআতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়ালা-তাওয়াল্লাও ‘আনহু ওয়া আনতুম তাছমা‘ঊন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, অথচ তোমরা শুনছ।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর এবং আদেশ শোনার পর তা অমান্য কর না।
Sahih International:
O you who have believed, obey Allah and His Messenger and do not turn from him while you hear [his order].



وَ لَا تَکُوْنُوْا کَالَّذِیْنَ قَالُوْا سَمِعْنَا وَ هُمْ لَا یَسْمَعُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকূনূকাল্লাযীনা কা-লূছামি‘না-ওয়া হুম লা-ইয়াছমা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা বলে আমরা শুনেছি অথচ তারা শুনে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা বলেছিল, ‘আমরা শুনলাম’; প্রকৃতপক্ষে তারা শোনেনি।
Sahih International:
And do not be like those who say, "We have heard," while they do not hear.



اِنَّ شَرَّ الدَّوَآبِّ عِنْدَ اللّٰهِ الصُّمُّ الْبُکْمُ الَّذِیْنَ لَا یَعْقِلُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না শাররাদ্দাওয়াব্বি ‘ইনদাল্লা-হিসসুম্মুল বুকমুল্লাযীনা লা-ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম বিচরণশীল প্রাণী হচ্ছে বধির, বোবা, যারা বুঝে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে যারা (হক্ব কথা শুনার ব্যাপারে) বধির এবং (হক্ব কথা বলার ব্যাপারে) বোবা, যারা কিছুই বোঝে না।
Sahih International:
Indeed, the worst of living creatures in the sight of Allah are the deaf and dumb who do not use reason.



وَ لَوْ عَلِمَ اللّٰهُ فِیْهِمْ خَیْرًا لَّاَسْمَعَهُمْ ؕ وَ لَوْ اَسْمَعَهُمْ لَتَوَلَّوْا وَّ هُمْ مُّعْرِضُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও ‘আলিমাল্লা-হু ফীহিম খাইরাল লাআছমা‘আহুম ওয়া লাও আছমা‘আহুম লাতাওয়াল্লাওঁ ওয়া হুম মু‘রিদূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে কোন কল্যাণ জানতেন তাহলে অবশ্যই তাদেরকে শুনাতেন। আর যদি শুনাতেন তাহলেও তারা মুখ ফিরিয়ে নিত, এমতাবস্থায় যে, তারা উপেক্ষাকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যদি দেখতেন যে, তাদের মধ্যে কোন ভাল গুণ নিহিত আছে তবে তিনি তাদেরকে শুনবার তাওফীক দিতেন। আর (গুণ না থাকা অবস্থায়) তিনি যদি তাদেরকে শুনতে দিতেন তাহলে তারা উপেক্ষা করে মুখ ফিরিয়ে নিত।
Sahih International:
Had Allah known any good in them, He would have made them hear. And if He had made them hear, they would [still] have turned away, while they were refusing.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اسْتَجِیْبُوْا لِلّٰهِ وَ لِلرَّسُوْلِ اِذَا دَعَاکُمْ لِمَا یُحْیِیْکُمْ ۚ وَ اعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ یَحُوْلُ بَیْنَ الْمَرْءِ وَ قَلْبِهٖ وَ اَنَّهٗۤ اِلَیْهِ تُحْشَرُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুছতাজীবূলিল্লা-হি ওয়ালিররাছূলি ইযা-দা‘আ-কুম লিমাইউহয়ীকুম ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়াহূলুবাইনাল মারয়ি ওয়া কালবিহী ওয়া আন্নাহূইলাইহি তুহশারূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দাও; যখন সে তোমাদেরকে আহবান করে তার প্রতি, যা তোমাদেরকে জীবন দান করে। জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝে অন্তরায় হন। আর নিশ্চয় তাঁর নিকট তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ডাকে সাড়া দাও যখন তোমাদেরকে ডাকা হয় (এমন বিষয়ের দিকে) যা তোমাদের মাঝে জীবন সঞ্চার করে, আর জেনে রেখ যে আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যান আর তোমাদেরকে তাঁর কাছেই একত্রিত করা হবে।
Sahih International:
O you who have believed, respond to Allah and to the Messenger when he calls you to that which gives you life. And know that Allah intervenes between a man and his heart and that to Him you will be gathered.



وَ اتَّقُوْا فِتْنَۃً لَّا تُصِیْبَنَّ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مِنْکُمْ خَآصَّۃً ۚ وَ اعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ شَدِیْدُ الْعِقَابِ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাকূফিতনাতাল লা-তুসীবান্নাল্লাযীনা জালামূমিনকুম খাসসাতাওঁ ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।
আল বায়ান:
আর তোমরা ভয় কর ফিতনাকে* যা তোমাদের মধ্য থেকে বিশেষভাবে শুধু যালিমদের উপরই আপতিত হবে না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর।
তাইসিরুল কুরআন:
সতর্ক থাক সেই শাস্তি হতে যা বিশেষভাবে তোমাদের যালিম লোকেদেরকেই আক্রমন করবে না। আর জেনে রেখ যে আল্লাহ শাস্তিদানে খুবই কঠোর।
Sahih International:
And fear a trial which will not strike those who have wronged among you exclusively, and know that Allah is severe in penalty.



وَ اذْکُرُوْۤا اِذْ اَنْتُمْ قَلِیْلٌ مُّسْتَضْعَفُوْنَ فِی الْاَرْضِ تَخَافُوْنَ اَنْ یَّتَخَطَّفَکُمُ النَّاسُ فَاٰوٰىکُمْ وَ اَیَّدَکُمْ بِنَصْرِهٖ وَ رَزَقَکُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ لَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুরূ ইয আনতুমকালীলুমমুছতাদ‘আফূনা ফিল আরদি তাখা-ফূনা আইঁ ইয়াতাখাত্তাফাকুমুন্না-ছুফাআ-ওয়া কুম ওয়া আইইয়াদাকুম বিনাসরিহী ওয়া রাযাকাকুম মিনাততাইয়িবা-তি লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন তোমরা ছিলে অল্প, তোমাদেরকে দুর্বল মনে করা হত যমীনে। তোমরা আশঙ্কা করতে যে, লোকেরা তোমাদেরকে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে যাবে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন, নিজ সাহায্য দ্বারা তোমাদেরকে শক্তিশালী করেছেন এবং তোমাদেরকে পবিত্র রিয্ক দান করেছেন। যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর সে সময়ের কথা যখন তোমরা ছিলে সংখ্যায় অল্প, দুনিয়াতে তোমাদেরকে দুর্বল হিসেবে গণ্য করা হত। তোমরা আশঙ্কা করতে যে, মানুষেরা তোমাদের কখন না হঠাৎ ধরে নিয়ে যায়। এমন অবস্থায় তিনি তোমাদেরকে আশ্রয় দিলেন, তাঁর সাহায্য দিয়ে তোমাদেরকে শক্তিশালী করলেন, উত্তম জীবিকা দান করলেন যাতে তোমরা (তাঁর নির্দেশ পালনের মাধ্যমে) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
Sahih International:
And remember when you were few and oppressed in the land, fearing that people might abduct you, but He sheltered you, supported you with His victory, and provided you with good things - that you might be grateful.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَخُوْنُوا اللّٰهَ وَ الرَّسُوْلَ وَ تَخُوْنُوْۤا اَمٰنٰتِکُمْ وَ اَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাখূনুল্লা -হা ওয়ার রাছূলা ওয়া তাখূনূআমা-না-তিকুম ওয়া আনতুম তা‘লামুন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের খিয়ানত করো না। আর খিয়ানত করো না নিজদের আমানতসমূহের, অথচ তোমরা জান।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা জেনে বুঝে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করো না, আর যে বিষয়ে তোমরা আমানাত প্রাপ্ত হয়েছ তাতেও বিশ্বাস ভঙ্গ করো না।
Sahih International:
O you who have believed, do not betray Allah and the Messenger or betray your trusts while you know [the consequence].



وَ اعْلَمُوْۤا اَنَّمَاۤ اَمْوَالُکُمْ وَ اَوْلَادُکُمْ فِتْنَۃٌ ۙ وَّ اَنَّ اللّٰهَ عِنْدَهٗۤ اَجْرٌ عَظِیْمٌ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া‘লামূআন্নামাআমওয়া-লুকুম ওয়া আওলা-দুকুম ফিতনাতুওঁ ওয়া আন্নাল্লা-হা ‘ইনদাহুআজরুন ‘আ জীম।
আল বায়ান:
আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো ফিতনা। আর নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁর নিকট আছে মহা পুরস্কার।
তাইসিরুল কুরআন:
জেনে রেখ, তোমাদের ধন-সম্পদ আর সন্তান- সন্ততি হচ্ছে পরীক্ষার সামগ্রী মাত্র। (এ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে তাদের জন্য) আল্লাহর নিকট রয়েছে মহাপুরস্কার।
Sahih International:
And know that your properties and your children are but a trial and that Allah has with Him a great reward.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِنْ تَتَّقُوا اللّٰهَ یَجْعَلْ لَّکُمْ فُرْقَانًا وَّ یُکَفِّرْ عَنْکُمْ سَیِّاٰتِکُمْ وَ یَغْفِرْ لَکُمْ ؕ وَ اللّٰهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِیْمِ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইন তাত্তাকুল্লা-হা ইয়াজ‘আল্লাকুম ফুরকা-নাওঁ ওয়া ইউকাফফির ‘আনকুম ছাইয়িআ-তিকুম ওয়া ইয়াগফির লাকুম ওয়াল্লা-হু যুল ফাদলিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তাহলে তিনি তোমাদের জন্য ফুরকান* প্রদান করবেন, তোমাদের থেকে তোমাদের পাপসমূহ দূর করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর তাহলে তিনি তোমাদেরকে ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার শক্তি প্রদান করবেন, তোমাদের দোষ-ত্রুটি দূর করে দিবেন, তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন, আল্লাহ বড়ই অনুগ্রহশীল।
Sahih International:
O you who have believed, if you fear Allah, He will grant you a criterion and will remove from you your misdeeds and forgive you. And Allah is the possessor of great bounty.



وَ اِذْ یَمْکُرُ بِکَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لِیُثْبِتُوْکَ اَوْ یَقْتُلُوْکَ اَوْ یُخْرِجُوْکَ ؕ وَ یَمْکُرُوْنَ وَ یَمْکُرُ اللّٰهُ ؕ وَ اللّٰهُ خَیْرُ الْمٰکِرِیْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযইয়ামকুরু বিকাল্লাযীনা কাফারূলিইউছবিতূকা আও ইয়াকতুলূকা আও ইউখরিজুকা ওয়া ইয়ামকুরূনা ওয়া ইয়ামকুরুল্লা-হু ওয়াল্লা-হু খাইরুল মা-কিরীন।
আল বায়ান:
আর যখন কাফিররা তোমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছিল, তোমাকে বন্দী করতে অথবা তোমাকে হত্যা করতে কিংবা তোমাকে বের করে দিতে। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও ষড়যন্ত্র করেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে উত্তম।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, সেই সময়ের কথা যখন কাফিরগণ তোমাকে বন্দী করার কিংবা হত্যা করার কিংবা দেশ থেকে বের করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে। তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহও কৌশল করেন। আল্লাহই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।
Sahih International:
And [remember, O Muhammad], when those who disbelieved plotted against you to restrain you or kill you or evict you [from Makkah]. But they plan, and Allah plans. And Allah is the best of planners.



وَ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِمْ اٰیٰتُنَا قَالُوْا قَدْ سَمِعْنَا لَوْ نَشَآءُ لَقُلْنَا مِثْلَ هٰذَاۤ ۙ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-তুতলা-‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-কা-লূকাদ ছামি‘না-লাও নাশাউ লাকুলনামিছলা হা-যা ইন হা-যা ইল্লা আছা-তীরুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আর তাদের উপর যখন আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তারা বলে, শুনলাম তো। যদি আমরা চাই, তাহলে এর অনুরূপ আমরাও বলতে পারি। এতো পিতৃ-পুরুষদের কল্প-কাহিনী ছাড়া কিছু না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে যখন আমার আয়াত পাঠ করা হয় তখন তারা বলে, ‘শুনলাম তো, ইচ্ছে করলে এ রকম কথা আমরাও বলতে পারি, এগুলো তো আগে কালের কেচ্ছা কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না।’
Sahih International:
And when Our verses are recited to them, they say, "We have heard. If we willed, we could say [something] like this. This is not but legends of the former peoples."



وَ اِذْ قَالُوا اللّٰهُمَّ اِنْ کَانَ هٰذَا هُوَ الْحَقَّ مِنْ عِنْدِکَ فَاَمْطِرْ عَلَیْنَا حِجَارَۃً مِّنَ السَّمَآءِ اَوِ ائْتِنَا بِعَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয কা-লুল্লা-হুম্মা ইন কা-না হা-যা-হুওয়াল হাক্কা মিন ‘ইনদিকা ফাআমতির ‘আলাইনা-হিজারাতাম মিনাছ ছামাই আবি’তিনা-বি‘আযা-বিন আলীম।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন তারা বলেছিল, ‘হে আল্লাহ, যদি এটি সত্য হয় আপনার পক্ষ থেকে তাহলে আমাদের উপর আকাশ থেকে পাথর বর্ষণ করুন অথবা আমাদের উপর অন্য কোন যন্ত্রণাদায়ক আযাব নিয়ে আসুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন তারা বলেছিল, ‘হে আল্লাহ! এটা যদি তোমার নিকট থেকে (প্রেরিত) সত্য (দ্বীন) হয় তাহলে আমাদের উপর আসমান থেকে পাথর বর্ষণ কর, কিংবা আমাদের উপর কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নিয়ে এসো।’
Sahih International:
And [remember] when they said, "O Allah, if this should be the truth from You, then rain down upon us stones from the sky or bring us a painful punishment."



وَ مَا کَانَ اللّٰهُ لِیُعَذِّبَهُمْ وَ اَنْتَ فِیْهِمْ ؕ وَ مَا کَانَ اللّٰهُ مُعَذِّبَهُمْ وَ هُمْ یَسْتَغْفِرُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কা-নাল্লা-হু লিইউ‘আযযিবাহুম ওয়া আনতা ফীহিম ওয়ামা-কা-নাল্লা-হু মু‘আযযিবাহুম ওয়া হুম ইয়াছতাগফিরূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ এমন নন যে, তাদেরকে আযাব দেবেন এ অবস্থায় যে, তুমি তাদের মাঝে বিদ্যমান এবং আল্লাহ তাদেরকে আযাব দানকারী নন এমতাবস্থায় যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এবং যখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে এরূপ অবস্থায়ও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না।
Sahih International:
But Allah would not punish them while you, [O Muhammad], are among them, and Allah would not punish them while they seek forgiveness.



وَ مَا لَهُمْ اَلَّا یُعَذِّبَهُمُ اللّٰهُ وَ هُمْ یَصُدُّوْنَ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَ مَا کَانُوْۤا اَوْلِیَآءَهٗ ؕ اِنْ اَوْلِیَآؤُهٗۤ اِلَّا الْمُتَّقُوْنَ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-লাহুম আল্লা-ইউ‘আযযিবাহুমুল্লা-হু ওয়া হুম ইয়াসুদ্দূনা ‘আনিল মাছজিদিল হারা-মি ওয়ামা-কা-নূআওলিয়াআউহূ ইন আওলিয়াউহূইল্লাল মুত্তাকূনা ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তাদের কী আছে যে, আল্লাহ তাদেরকে আযাব দেবেন না? অথচ তারা মসজিদুল হারাম থেকে বাধা প্রদান করে, আর তারা এর অভিভাবকও নয়। তার অভিভাবক তো শুধু মুত্তাকীগণ; কিন্তু তাদের অধিকাংশ জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যে তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এ ব্যাপারে ওজর পেশ করার জন্য তাদের কাছে কী আছে যখন তারা (মানুষদেরকে) মাসজিদুল হারাম-এর পথে বাধা দিচ্ছে? তারা তো ওর (প্রকৃত) মুতাওয়াল্লী নয়, মুত্তাকীরা ছাড়া কেউ তার মুতাওয়াল্লী হতে পারে না, কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক এ সম্পর্কে অবগত নয়।
Sahih International:
But why should Allah not punish them while they obstruct [people] from al-Masjid al- Haram and they were not [fit to be] its guardians? Its [true] guardians are not but the righteous, but most of them do not know.



وَ مَا کَانَ صَلَاتُهُمْ عِنْدَ الْبَیْتِ اِلَّا مُکَآءً وَّ تَصْدِیَۃً ؕ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا کُنْتُمْ تَکْفُرُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কা-না সালা-তুহুম ‘ইনদাল বাইতি ইল্লা-মুকা-আওঁ ওয়া তাসদিয়াতান ফাযূকুল ‘আযা-বা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।
আল বায়ান:
আর কা‘বার নিকট তাদের সালাত শিষ ও হাত-তালি ছাড়া কিছু ছিল না। সুতরাং তোমরা আস্বাদন কর আযাব। কারণ তোমরা কুফরী করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর ঘরের নিকট তাদের নামায হাত তালি মারা আর শিশ দেয়া ছাড়া আর কিছুই না, (এসব অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে বলা হবে) ‘‘আযাব ভোগ কর যেহেতু তোমরা কুফরীতে লিপ্ত ছিলে’’।
Sahih International:
And their prayer at the House was not except whistling and handclapping. So taste the punishment for what you disbelieved.



اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ لِیَصُدُّوْا عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ؕ فَسَیُنْفِقُوْنَهَا ثُمَّ تَکُوْنُ عَلَیْهِمْ حَسْرَۃً ثُمَّ یُغْلَبُوْنَ ۬ؕ وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِلٰی جَهَنَّمَ یُحْشَرُوْنَ ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা কাফারূইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম লিয়াসুদ্দূ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ফাছাইউনফিকূনাহা-ছু ম্মা তাকূনু‘আলাইহিম হাছরাতান ছুম্মা ইউগলাবূনা ওয়াল্লাযীনা কাফারূইলা-জাহান্নামা ইউহশারূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে, তারা নিজদের সম্পদসমূহ ব্যয় করে, আল্লাহর রাস্তা হতে বাধা প্রদান করার উদ্দেশ্যে। তারা তো তা ব্যয় করবে। অতঃপর এটি তাদের উপর আক্ষেপের কারণ হবে এরপর তারা পরাজিত হবে। আর যারা কুফরী করেছে তাদেরকে জাহান্নামে সমবেত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে সব লোক সত্যকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে তারা আল্লাহর পথ হতে (লোকেদেরকে) বাধা দেয়ার জন্য তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে থাকে, তারা তা ব্যয় করতেই থাকবে, অতঃপর এটাই তাদের দুঃখ ও অনুশোচনার কারণ হবে। পরে তারা পরাজিতও হবে। যারা কুফরী করে তাদেরকে (অবশেষে) জাহান্নামের পানে একত্রিত করা হবে।
Sahih International:
Indeed, those who disbelieve spend their wealth to avert [people] from the way of Allah. So they will spend it; then it will be for them a [source of] regret; then they will be overcome. And those who have disbelieved - unto Hell they will be gathered.



لِیَمِیْزَ اللّٰهُ الْخَبِیْثَ مِنَ الطَّیِّبِ وَ یَجْعَلَ الْخَبِیْثَ بَعْضَهٗ عَلٰی بَعْضٍ فَیَرْکُمَهٗ جَمِیْعًا فَیَجْعَلَهٗ فِیْ جَهَنَّمَ ؕ اُولٰٓئِکَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
লিয়ামীযাল্লা-হুল খাবীছা মিনাততাইয়িবি ওয়া ইয়াজ‘আলাল খাবীছা বা‘দাহূ‘আলাবা‘দিন ফাইয়ারকুমাহূজামী‘আন ফাইয়াজ‘আলাহূফী জাহান্নামা উলাইকা হুমুল খাছিরূন।
আল বায়ান:
যাতে আল্লাহ পৃথক করেন মন্দকে ভাল হতে আর মন্দের কতককে কতকের উপর রাখবেন এবং সেগুলোকে একসাথে স্তূপ করবেন। এরপর তা জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে আল্লাহ পবিত্র থেকে অপবিত্রকে আলাদা করে দেন, অতঃপর অপবিত্রদের এককে অন্যের উপর রাখবেন, সকলকে স্তুপীকৃত করবেন; অতঃপর এই সমষ্টিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। এরাই হল সর্বস্বান্ত।
Sahih International:
[This is] so that Allah may distinguish the wicked from the good and place the wicked some of them upon others and heap them all together and put them into Hell. It is those who are the losers.



قُلْ لِّلَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِنْ یَّنْتَهُوْا یُغْفَرْ لَهُمْ مَّا قَدْ سَلَفَ ۚ وَ اِنْ یَّعُوْدُوْا فَقَدْ مَضَتْ سُنَّتُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
কুল লিল্লাযীনা কাফারূইয়ঁইয়ানতাহূইউগফারলাহুম মা-কাদ ছালাফা ওয়াইয়ঁ ইয়া‘ঊদূফাকাদ মাদাত ছুন্নাতুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
যারা কুফরী করেছে তুমি তাদেরকে বল, যদি তারা বিরত হয় তাহলে অতীতে যা হয়েছে তাদেরকে তা ক্ষমা করা হবে। আর যদি তারা পুনরায় করে তাহলে পূর্ববর্তীদের (ব্যাপারে আল্লাহর) রীতি তো গত হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফরী করে তাদেরকে বল, ‘তারা যদি নিবৃত্ত হয় তাহলে তারা পূর্বে যা করেছে তা ক্ষমা করা হবে, আর যদি (কুফরীর) পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে আগের লোকেদের (প্রতি অনুসৃত) নীতির দৃষ্টান্ত তো অতীতের পাতাতেই আছে।’
Sahih International:
Say to those who have disbelieved [that] if they cease, what has previously occurred will be forgiven for them. But if they return [to hostility] - then the precedent of the former [rebellious] peoples has already taken place.



وَ قَاتِلُوْهُمْ حَتّٰی لَا تَکُوْنَ فِتْنَۃٌ وَّ یَکُوْنَ الدِّیْنُ کُلُّهٗ لِلّٰهِ ۚ فَاِنِ انْتَهَوْا فَاِنَّ اللّٰهَ بِمَا یَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-তিলূহুম হাত্তা-লা-তাকূনা ফিতনাতুওঁ ওয়া ইয়াকূনাদদীনুকুল্লুহূলিল্লা-হি ফাইনিন তাহাও ফাইন্নাল্লা-হা বিমা-ইয়া‘মালূনা বাসীর।
আল বায়ান:
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা করে সে বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাও যে পর্যন্ত না ফিতনা (কুফর ও শিরক) খতম হয়ে যায় আর দ্বীন পুরোপুরিভাবে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। অতঃপর তারা যদি বিরত হয় তাহলে তারা (ন্যায় বা অন্যায়) যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
Sahih International:
And fight them until there is no fitnah and [until] the religion, all of it, is for Allah. And if they cease - then indeed, Allah is Seeing of what they do.



وَ اِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ مَوْلٰىکُمْ ؕ نِعْمَ الْمَوْلٰی وَ نِعْمَ النَّصِیْرُ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন তাওয়াল্লাও ফা‘লামূআন্নাল্লা-হা মাওলা-কুম নি‘মাল মাওলা-ওয়া নি‘মান নাসীর।
আল বায়ান:
আর যদি তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে, তাহলে জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অভিভাবক। তিনি কতইনা উত্তম অভিভাবক এবং কতইনা উত্তম সাহায্যকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে জেনে রেখ যে, আল্লাহই তোমাদের অভিভাবক, কতই না উত্তম অভিভাবক! কতই না উত্তম সাহায্যকারী!
Sahih International:
But if they turn away - then know that Allah is your protector. Excellent is the protector, and Excellent is the helper.



وَ اعْلَمُوْۤا اَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِّنْ شَیْءٍ فَاَنَّ لِلّٰهِ خُمُسَهٗ وَ لِلرَّسُوْلِ وَ لِذِی الْقُرْبٰی وَ الْیَتٰمٰی وَ الْمَسٰکِیْنِ وَ ابْنِ السَّبِیْلِ ۙ اِنْ کُنْتُمْ اٰمَنْتُمْ بِاللّٰهِ وَ مَاۤ اَنْزَلْنَا عَلٰی عَبْدِنَا یَوْمَ الْفُرْقَانِ یَوْمَ الْتَقَی الْجَمْعٰنِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া‘লামূআন্নামা-গানিমতুম মিন শাইয়িন ফাআন্না লিল্লা-হি খুমুছাহূওয়া লিররাছূলি ওয়া লিযিল কুরবা-ওয়াল ইয়াতা-মা-ওয়াল মাছা-কীনি ওয়াবনিছ ছাবীলি ইন কুনতুম আমানতুম বিল্লা-হি ওয়া মাআনযালনা-‘আলা-‘আবদিনা-ইয়াওমাল ফুরকা-নি ইয়াওমাল তাকাল জাম‘আ-নি ওয়াল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
আর তোমরা জেনে রাখ, তোমরা যা কিছু গনীমতরূপে পেয়েছ, নিশ্চয় আল্লাহর জন্যই তার এক পঞ্চমাংশ ও রাসূলের জন্য, নিকট আত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফিরের জন্য, যদি তোমরা ঈমান এনে থাক আল্লাহর প্রতি এবং হক ও বাতিলের ফয়সালার দিন আমি আমার বান্দার উপর যা নাযিল করেছি তার প্রতি, যেদিন* দু’টি দল মুখোমুখি হয়েছে, আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা জেনে রেখ যে, যুদ্ধে যা তোমরা লাভ কর তার এক-পঞ্চমাংশ হচ্ছে আল্লাহ, তাঁর রসূল, রসূলের আত্মীয়স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফিরদের জন্য যদি তোমরা আল্লাহর উপর আর চূড়ান্ত ফায়সালার দিন অর্থাৎ দু’পক্ষের (মুসলমান ও কাফের বাহিনীর) মিলিত হওয়ার দিন আমি যা আমার বান্দাহর উপর অবতীর্ণ করেছিলাম তার উপর বিশ্বাস করে থাক। আর আল্লাহ হলেন সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।
Sahih International:
And know that anything you obtain of war booty - then indeed, for Allah is one fifth of it and for the Messenger and for [his] near relatives and the orphans, the needy, and the [stranded] traveler, if you have believed in Allah and in that which We sent down to Our Servant on the day of criterion - the day when the two armies met. And Allah, over all things, is competent.



اِذْ اَنْتُمْ بِالْعُدْوَۃِ الدُّنْیَا وَ هُمْ بِالْعُدْوَۃِ الْقُصْوٰی وَ الرَّکْبُ اَسْفَلَ مِنْکُمْ ؕ وَ لَوْ تَوَاعَدْتُّمْ لَاخْتَلَفْتُمْ فِی الْمِیْعٰدِ ۙ وَ لٰکِنْ لِّیَقْضِیَ اللّٰهُ اَمْرًا کَانَ مَفْعُوْلًا ۬ۙ لِّیَهْلِکَ مَنْ هَلَکَ عَنْۢ بَیِّنَۃٍ وَّ یَحْیٰی مَنْ حَیَّ عَنْۢ بَیِّنَۃٍ ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ لَسَمِیْعٌ عَلِیْمٌ ﴿ۙ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইযআনতুম বিল ‘উদওয়াতিদদুনইয়া-ওয়া হুম বিল‘উদওয়াতিল কুসওয়া-ওয়াররাকবু আছফালা মিনকুম ওয়া লাও তাওয়া-‘আততুম লাখতালাফতুম ফিল মী‘আ-দি ওয়ালাকিল লিয়াকদিইয়াল্লা-হু আমরান কা-না মাফ‘ঊলাল লিইয়াহলিকা মান হালাকা ‘আম বাইয়িনাতিওঁ ওয়া ইয়াহইয়া-মান হাইয়া ‘আম বাইয়িনাতিওঁ; ওয়া ইন্নাল্লা-হা লাছামী‘উন আলীম।
আল বায়ান:
যখন তোমরা ছিলে নিকটবর্তী প্রান্তরে, আর তারা ছিল দূরবর্তী প্রান্তরে এবং কাফেলা* ছিল তোমাদের চেয়ে নিম্নভূমিতে, আর যদি তোমরা পরস্পর ওয়াদাবদ্ধ হতে, (যুদ্ধে মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে) তাহলে অবশ্যই সে ওয়াদার ক্ষেত্রে তোমরা মতবিরোধ করতে, কিন্তু আল্লাহ (তাদেরকে একত্র করেছেন) যাতে সম্পন্ন করেন এমন কাজ যা হওয়ারই ছিল, যে ধ্বংস হওয়ার সে যাতে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর ধ্বংস হয়, আর যে জীবিত থাকার সে যাতে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর বেঁচে থাকে, আর নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন তোমরা উপত্যকার নিকট প্রান্তে ছিলে আর তারা ছিল দূরের প্রান্তে আর উটের আরোহী কাফেলা (আবূ সুফইয়ানের নেতৃত্বে কুরাইশের সম্পদ সহ কাফেলা) ছিল তোমাদের অপেক্ষা নিম্নভূমিতে। যদি তোমরা যুদ্ধ করার ব্যাপারে পরস্পরের মধ্যে পূর্বেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে, তবুও যুদ্ধ করার এ সিদ্ধান্ত তোমরা অবশ্যই রক্ষা করতে পারতে না (তোমাদের দুর্বল অবস্থার কারণে), যাতে আল্লাহ সে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা ছিল পূর্বেই স্থিরীকৃত, যেন যাকে ধ্বংস হতে হবে সে যেন সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে ধ্বংস হয় আর যাকে জীবিত থাকতে হবে সেও যেন সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে জীবিত থাকে। আল্লাহ নিশ্চয়ই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
[Remember] when you were on the near side of the valley, and they were on the farther side, and the caravan was lower [in position] than you. If you had made an appointment [to meet], you would have missed the appointment. But [it was] so that Allah might accomplish a matter already destined - that those who perished [through disbelief] would perish upon evidence and those who lived [in faith] would live upon evidence; and indeed, Allah is Hearing and Knowing.



اِذْ یُرِیْکَهُمُ اللّٰهُ فِیْ مَنَامِکَ قَلِیْلًا ؕ وَ لَوْ اَرٰىکَهُمْ کَثِیْرًا لَّفَشِلْتُمْ وَ لَتَنَازَعْتُمْ فِی الْاَمْرِ وَ لٰکِنَّ اللّٰهَ سَلَّمَ ؕ اِنَّهٗ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ইয ইউরীকাহুমুল্লা -হু ফী মানা-মিকা কালীলাওঁ ওয়া লাও আরা-কাহুম কাছীরাল লাফাশিলতুম ওয়ালা তানা-যা‘তুম ফিল আমরি ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা ছাল্লামা ইন্নাহূ ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।
আল বায়ান:
যখন আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নের মধ্যে তাদেরকে স্বল্প সংখ্যায় দেখিয়েছিলেন। আর তোমাকে যদি তিনি তাদেরকে বেশি সংখ্যায় দেখাতেন, তাহলে অবশ্যই তোমরা সাহসহারা হয়ে পড়তে এবং বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করতে। কিন্তু আল্লাহ নিরাপত্তা দিয়েছেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি সে সব বিষয়ে অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নের মাধ্যমে তাদের সংখ্যাকে অল্প করে দেখিয়েছিলেন, যদি তিনি তাদের সংখ্যাকে তোমার নিকট বেশি করে দেখাতেন তাহলে তোমরা অবশ্যই সাহস হারিয়ে ফেলতে আর যুদ্ধের বিষয় নিয়ে অবশ্যইঝগড়া শুরু করে দিতে। কিন্তু আল্লাহ্ই তোমাদেরকে রক্ষা করেছিলেন, অন্তরে যা আছে সে সম্পর্কে তিনি খুবই ভালভাবে অবহিত।
Sahih International:
[Remember, O Muhammad], when Allah showed them to you in your dream as few; and if He had shown them to you as many, you [believers] would have lost courage and would have disputed in the matter [of whether to fight], but Allah saved [you from that]. Indeed, He is Knowing of that within the breasts.



وَ اِذْ یُرِیْکُمُوْهُمْ اِذِ الْتَقَیْتُمْ فِیْۤ اَعْیُنِکُمْ قَلِیْلًا وَّ یُقَلِّلُکُمْ فِیْۤ اَعْیُنِهِمْ لِیَقْضِیَ اللّٰهُ اَمْرًا کَانَ مَفْعُوْلًا ؕ وَ اِلَی اللّٰهِ تُرْجَعُ الْاُمُوْرُ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযইউরীকুমূহুম ইযিলতাকাইতুম ফীআ‘ইউনিকুম কালীলাওঁ ওয়া ইউকালিল্লুকুম ফীআ‘ইউনিহিম লিয়াকদিইয়াল্লা-হু আমরান কা-না মাফ‘ঊলাওঁ ওয়া ইলাল্লা-হি তুরজা‘উল উমূর।
আল বায়ান:
আর যখন তোমরা মুখোমুখি হয়েছিলে, তিনি তোমাদের চোখে তাদেরকে স্বল্প দেখিয়েছিলেন এবং তাদের চোখেও তোমাদেরকে স্বল্প দেখিয়েছিলেন যাতে আল্লাহ সম্পন্ন করেন এমন কাজ যা হওয়ারই ছিল এবং আল্লাহর দিকেই সকল বিষয় ফেরানো হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিলে তখন তিনি তোমাদের চোখে তাদেরকে স্বল্প সংখ্যক দেখিয়েছিলেন এবং তাদের চোখে তোমাদেরকে স্বল্প সংখ্যক দেখিয়েছিলেন সেই ব্যাপারটি সম্পন্ন করার জন্য যা ছিল পূর্ব স্থিরীকৃত। যাবতীয় বিষয় (অবশেষে) আল্লাহরই নিকট ফিরে আসে।
Sahih International:
And [remember] when He showed them to you, when you met, as few in your eyes, and He made you [appear] as few in their eyes so that Allah might accomplish a matter already destined. And to Allah are [all] matters returned.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا لَقِیْتُمْ فِئَۃً فَاثْبُتُوْا وَ اذْکُرُوا اللّٰهَ کَثِیْرًا لَّعَلَّکُمْ تُفْلِحُوْنَ ﴿ۚ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-লাকীতুম ফিআতান ফাছবুতূওয়াযকুরুল্লা-হা কাছীরাল লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা কোন দলের মুখোমুখি হও, তখন অবিচল থাক, আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফল হও।
তাইসিরুল কুরআন:
হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা কোন বাহিনীর সম্মুখীন হবে তখন অবিচল থাকবে আর আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার।
Sahih International:
O you who have believed, when you encounter a company [from the enemy forces], stand firm and remember Allah much that you may be successful.



وَ اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ وَ لَا تَنَازَعُوْا فَتَفْشَلُوْا وَ تَذْهَبَ رِیْحُکُمْ وَ اصْبِرُوْا ؕ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِیْنَ ﴿ۚ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়ালা-তানা-যা‘ঊ ফাতাফশালূওয়া তাযহাবা রীহুকুম ওয়াসবিরূ ইন্নাল্লা-হা মা‘আসসা-বিরীন।
আল বায়ান:
আর তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং পরস্পর ঝগড়া করো না, তাহলে তোমরা সাহসহারা হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর, পরস্পরে ঝগড়া বিবাদ করো না, তা করলে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে, তোমাদের শক্তি-ক্ষমতা বিলুপ্ত হবে। আর ধৈর্য ধারণ করবে, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
Sahih International:
And obey Allah and His Messenger, and do not dispute and [thus] lose courage and [then] your strength would depart; and be patient. Indeed, Allah is with the patient.



وَ لَا تَکُوْنُوْا کَالَّذِیْنَ خَرَجُوْا مِنْ دِیَارِهِمْ بَطَرًا وَّ رِئَآءَ النَّاسِ وَ یَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا یَعْمَلُوْنَ مُحِیْطٌ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাকূনূকাল্লাযীনা খারাজুমিন দিয়া-রিহিম বাতারাওঁ ওয়া রিআআন্না-ছি ওয়া ইয়াসুদ্দূনা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু বিমা-ইয়া‘মালূনা মুহীত।
আল বায়ান:
আর তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা তাদের ঘর থেকে অহঙ্কার ও লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হয়েছে এবং আল্লাহর রাস্তায় বাধা প্রদান করে, আর তারা যা করে, আল্লাহ তা পরিবেষ্টন করে আছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা গর্ব অহঙ্কারসহ লোক দেখানোর জন্য এবং আল্লাহর পথে বাধা দেয়ার জন্য নিজেদের ঘর হতে বের হয়েছিল, তারা যা কিছুই করুক না কেন, আল্লাহ তাদেরকে ঘিরে রেখেছেন।
Sahih International:
And do not be like those who came forth from their homes insolently and to be seen by people and avert [them] from the way of Allah. And Allah is encompassing of what they do.



وَ اِذْ زَیَّنَ لَهُمُ الشَّیْطٰنُ اَعْمَالَهُمْ وَ قَالَ لَا غَالِبَ لَکُمُ الْیَوْمَ مِنَ النَّاسِ وَ اِنِّیْ جَارٌ لَّکُمْ ۚ فَلَمَّا تَرَآءَتِ الْفِئَتٰنِ نَکَصَ عَلٰی عَقِبَیْهِ وَ قَالَ اِنِّیْ بَرِیْٓءٌ مِّنْکُمْ اِنِّیْۤ اَرٰی مَا لَا تَرَوْنَ اِنِّیْۤ اَخَافُ اللّٰهَ ؕ وَ اللّٰهُ شَدِیْدُ الْعِقَابِ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইযযাইইয়ানা লাহুমুশশাইতা-নুআ‘মা-লাহুম ওয়া কা-লা লা-গা-লিবা লাকুমুল ইয়াওমা মিনান্না-ছি ওয়া ইন্নী জা-রুল্লাকুম ফালাম্মা-তারা-আতিল ফিআতা-নি নাকাসা ‘আলা-‘আকিবাইহি ওয়া কা-লা ইন্নী বারীউম মিনকুম ইন্নীআরা-মা-লা-তারাওনা ইন্নীআখা-ফুল্লা-হা ওয়াল্লা-হু শাদীদুল ‘ইকা-ব।
আল বায়ান:
আর যখন শয়তান তাদের জন্য তাদের আমলসমূহ সুশোভিত করল এবং বলল, ‘আজ মানুষের মধ্য থেকে তোমাদের উপর কোন বিজয়ী নেই এবং নিশ্চয় আমি তোমাদের পার্শ্বে অবস্থানকারী’। অতঃপর যখন দু’দল একে অপরকে দেখল, তখন সে পিছু হটল এবং বলল, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের থেকে মুক্ত, নিশ্চয় আমি এমন কিছু দেখছি, যা তোমরা দেখছ না। অবশ্যই আমি আল্লাহকে ভয় করি এবং আল্লাহ কঠিন আযাবদাতা’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন শয়ত্বান তাদের কার্যকলাপকে তাদের দৃষ্টিতে খুবই চাকচিক্যময় করে দেখিয়েছিল আর তাদেরকে বলেছিল, ‘আজ তোমাদেরকে পরাজিত করতে পারে মানুষের মাঝে এমন কেউই নাই, আমি তোমাদের পাশেই আছি।’ অতঃপর দল দু’টি যখন পরস্পরের দৃষ্টির গোচরে আসলো তখন সে পিছনে সরে পড়ল আর বলল, ‘তোমাদের সাথে আমার কোনই সম্পর্ক নেই, আমি তো দেখি (কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আল্লাহর নাযিলকৃত ফেরেশতা) যা তোমরা দেখতে পাও না, আমি অবশ্যই আল্লাহকে ভয় করি কেননা আল্লাহ শাস্তিদানে অত্যন্ত কঠোর।’
Sahih International:
And [remember] when Satan made their deeds pleasing to them and said, "No one can overcome you today from among the people, and indeed, I am your protector." But when the two armies sighted each other, he turned on his heels and said, "Indeed, I am disassociated from you. Indeed, I see what you do not see; indeed I fear Allah. And Allah is severe in penalty."



اِذْ یَقُوْلُ الْمُنٰفِقُوْنَ وَ الَّذِیْنَ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ غَرَّهٰۤؤُ لَآءِ دِیْنُهُمْ ؕ وَ مَنْ یَّتَوَکَّلْ عَلَی اللّٰهِ فَاِنَّ اللّٰهَ عَزِیْزٌ حَکِیْمٌ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ইযইয়াকূলুল মুনা-ফিকূনা ওয়াল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুন গাররা হাউলাই দীনুহুম ওয়া মাইঁ ইয়াতাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ফাইন্নাল্লা-হা ‘আযীযুন হাকীম।
আল বায়ান:
যখন মুনাফিকরা ও যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তারা বলছিল, ‘এদেরকে এদের ধর্ম ধোকায় ফেলেছে’ এবং যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তবে তো আল্লাহ নিশ্চয় পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, মুনাফিক্বরা আর যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা বলে, ‘এই লোকগুলোকে তাদের দ্বীন ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে’। (কিন্তু আসল ব্যাপার হল) কেউ যদি আল্লাহর উপর ভরসা করে তাহলে আল্লাহ তো প্রবল পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী।
Sahih International:
[Remember] when the hypocrites and those in whose hearts was disease said, "Their religion has deluded those [Muslims]." But whoever relies upon Allah - then indeed, Allah is Exalted in Might and Wise.



وَ لَوْ تَرٰۤی اِذْ یَتَوَفَّی الَّذِیْنَ کَفَرُوا ۙ الْمَلٰٓئِکَۃُ یَضْرِبُوْنَ وُجُوْهَهُمْ وَ اَدْبَارَهُمْ ۚ وَ ذُوْقُوْا عَذَابَ الْحَرِیْقِ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও তারাইযইয়াতাওয়াফফাল্লাযীনা কাফারুল মালাইকাতুইয়াদরিবূনা উজূহাহুম ওয়া আদবা-রাহুম ওয়া যূকূ‘আযা-বাল হারীক।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি দেখতে, যখন ফেরেশতারা কাফিরদের প্রাণ হরণ করছিল, তাদের চেহারায় ও পশ্চাতে আঘাত করে, আর (বলছিল) ‘তোমরা জ্বলন্ত আগুনের আযাব আস্বাদন কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি দেখতে যখন ফেরেশতারা কাফিরদের প্রাণবায়ু নির্গত করছে তখন তাদের মুখে আর পিঠে প্রহার করছে আর বলছে অগ্নিতে দগ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা ভোগ কর।
Sahih International:
And if you could but see when the angels take the souls of those who disbelieved... They are striking their faces and their backs and [saying], "Taste the punishment of the Burning Fire.



ذٰلِکَ بِمَا قَدَّمَتْ اَیْدِیْکُمْ وَ اَنَّ اللّٰهَ لَیْسَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِیْدِ ﴿ۙ۵۱﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিমা-কাদ্দামাত আইদীকুম ওয়া আন্নাল্লা-হা লাইছা বিজাল্লা-মিল লিল ‘আবীদ।
আল বায়ান:
তোমাদের হাত আগে যা প্রেরণ করেছে সে কারণে এ পরিণাম। আর নিশ্চয় আল্লাহ বান্দাদের প্রতি যুলমকারী নন।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা হল তাই যা তোমাদের হস্তগুলো (অর্জন করে) আগে পাঠিয়েছে কেননা আল্লাহ তো তাঁর বান্দাহদের প্রতি অত্যাচারী নন।
Sahih International:
That is for what your hands have put forth [of evil] and because Allah is not ever unjust to His servants."



کَدَاْبِ اٰلِ فِرْعَوْنَ ۙ وَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ کَفَرُوْا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ بِذُنُوْبِهِمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ قَوِیٌّ شَدِیْدُ الْعِقَابِ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
কাদা’বি আ-লি ফির‘আওনা ওয়াল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কাফারু বিআ-য়া-তিল্লা-হি ফাআখাযাহুমুল্লা-হু বিযুনূবিহিম ইন্নাল্লা-হা কাবিউন শাদীদুল ‘ইকা-ব।
আল বায়ান:
ফিরআউন বংশ ও তাদের পূর্বের লোকদের আচরণের মত তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে, ফলে তাদের পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিশালী, কঠিন আযাবদাতা।
তাইসিরুল কুরআন:
ফির‘আওনের লোকজন ও তাদের আগের লোকেদের মতই ওরা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে প্রত্যাখ্যান করেছে, কাজেই তাদের পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিমান, শাস্তিদানে অত্যন্ত কঠোর।
Sahih International:
[Theirs is] like the custom of the people of Pharaoh and of those before them. They disbelieved in the signs of Allah, so Allah seized them for their sins. Indeed, Allah is Powerful and severe in penalty.



ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰهَ لَمْ یَکُ مُغَیِّرًا نِّعْمَۃً اَنْعَمَهَا عَلٰی قَوْمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوْا مَا بِاَنْفُسِهِمْ ۙ وَ اَنَّ اللّٰهَ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ ﴿ۙ۵۳﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা লাম ইয়াকুমুগাইয়িরান নি‘মাতান আন‘আমাহা-‘আলা-কাওমিন হাত্তা-ইউগাইয়িরূমা-বিআনফুছিহিম ওয়া আন্নাল্লা-হা ছামী‘উন ‘আলীম।
আল বায়ান:
তা এ জন্য যে, আল্লাহ কোন নিআমতের পরিবর্তনকারী নন, যা তিনি কোন কওমকে দিয়েছেন, যতক্ষণ না তারা পরিবর্তন করে তাদের নিজদের মধ্যে যা আছে। আর নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা এজন্য যে, আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের নিকট দেয়া তাঁর অবদানকে পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরাই (তাদের কর্মনীতির মাধ্যমে) তা পরিবর্তন করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
That is because Allah would not change a favor which He had bestowed upon a people until they change what is within themselves. And indeed, Allah is Hearing and Knowing.



کَدَاْبِ اٰلِ فِرْعَوْنَ ۙ وَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِ رَبِّهِمْ فَاَهْلَکْنٰهُمْ بِذُنُوْبِهِمْ وَ اَغْرَقْنَاۤ اٰلَ فِرْعَوْنَ ۚ وَ کُلٌّ کَانُوْا ظٰلِمِیْنَ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
কাদা’বি আ-লি ফির‘আওনা ওয়াল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কাযযাবূবিআ-য়া-তি রাব্বিহিম ফাআহলাকনা-হুম বিযুনুবিহিম ওয়া আগরাকনা-আ-লা ফির‘আওনা ওয়া কুল্লুন কা-নূজা-লিমীন।
আল বায়ান:
ফিরআউন বংশ ও তাদের পূর্বের লোকদের আচরণের মত তারা তাদের রবের আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, ফলে আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি তাদের পাপের কারণে এবং ফিরআউন বংশকে ডুবিয়েছি, আর তারা সকলেই ছিল যালিম।
তাইসিরুল কুরআন:
ফিরআউনের লোকজন ও তাদের আগের লোকেদের মতই তারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা জেনেছিল। কাজেই তাদের পাপের কারণে আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম আর ফিরআউনের লোকজনকে ডুবিয়ে মেরেছিলাম। এরা সবাই ছিল যালিম।
Sahih International:
[Theirs is] like the custom of the people of Pharaoh and of those before them. They denied the signs of their Lord, so We destroyed them for their sins, and We drowned the people of Pharaoh. And all [of them] were wrongdoers.



اِنَّ شَرَّ الدَّوَآبِّ عِنْدَ اللّٰهِ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا فَهُمْ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿ۖۚ۵۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না শাররাদ্দাওয়াব্বি ‘ইনদাল্লা-হিল্লাযীনা কাফারূফাহুম লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী তারা, যারা কুফরী করে, অতঃপর ঈমান আনে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফরী করে আল্লাহর নিকট তারাই নিকৃষ্টতম জীব, অতঃপর আর তারা ঈমান আনবে না।
Sahih International:
Indeed, the worst of living creatures in the sight of Allah are those who have disbelieved, and they will not [ever] believe -



اَلَّذِیْنَ عٰهَدْتَّ مِنْهُمْ ثُمَّ یَنْقُضُوْنَ عَهْدَهُمْ فِیْ کُلِّ مَرَّۃٍ وَّ هُمْ لَا یَتَّقُوْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ‘আ-হাততা মিনহুম ছু ম্মা ইয়ানকু দূ না ‘আহদাহুম ফী কুল্লি মাররাতিওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াত্তাকূন।
আল বায়ান:
যাদের থেকে তুমি অঙ্গীকার নিয়েছ, অতঃপর তারা প্রতিবার তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং তারা ভয় করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের মধ্যে (বিশেষভাবে নিকৃষ্ট তারা) তুমি যাদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হও, অতঃপর তারা সে চুক্তি প্রত্যেকবার ভঙ্গ করে আর তারা (আল্লাহকে) ভয় করে না।
Sahih International:
The ones with whom you made a treaty but then they break their pledge every time, and they do not fear Allah.



فَاِمَّا تَثْقَفَنَّهُمْ فِی الْحَرْبِ فَشَرِّدْ بِهِمْ مَّنْ خَلْفَهُمْ لَعَلَّهُمْ یَذَّکَّرُوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ফাইম্মা-তাছকাফান্নাহুম ফিল হারবি ফাশাররিদ বিহিম মান খালফাহুম লা‘আল্লাহুম ইয়াযযাক্কারূন।
আল বায়ান:
সুতরাং যদি তুমি যুদ্ধে তাদেরকে নাগালে পাও, তাহলে এদের মাধ্যমে এদের পেছনে যারা রয়েছে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দাও, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
যুদ্ধে তোমরা যদি তাদেরকে বাগে পেয়ে যাও তাহলে ওদের পেছনে যারা ওদের সাথী-সঙ্গী আছে তাদের থেকে ওদেরকে এমনভাবে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে যাতে মনে রাখার মত তারা একটা শিক্ষা পেয়ে যায়।
Sahih International:
So if you, [O Muhammad], gain dominance over them in war, disperse by [means of] them those behind them that perhaps they will be reminded.



وَ اِمَّا تَخَافَنَّ مِنْ قَوْمٍ خِیَانَۃً فَانْۢبِذْ اِلَیْهِمْ عَلٰی سَوَآءٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ الْخَآئِنِیْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইম্মা-তাখা-ফান্না মিন কাওমিন খিয়া-নাতান ফামবিযইলাইহিম ‘আলা-ছাওয়াইন ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল খাইনীন।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি কোন কওম থেকে নিশ্চিতভাবে বিশ্বাসঘাতকতার আশঙ্কা কর, তাহলে (তাদের চুক্তি) তাদের দিকে সোজা নিক্ষেপ কর, নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের পছন্দ করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যদি তুমি কোন সম্প্রদায়ের চুক্তি ভঙ্গের আশঙ্কা কর তাহলে (তাদের চুক্তিকে) তাদের প্রতি নিক্ষেপ কর যাতে সমান সমান অবস্থা বিরাজিত হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই (ওয়াদা-চুক্তি-প্রতিশ্রুতি) ভঙ্গকারীদের পছন্দ করেন না।
Sahih International:
If you [have reason to] fear from a people betrayal, throw [their treaty] back to them, [putting you] on equal terms. Indeed, Allah does not like traitors.



وَ لَا یَحْسَبَنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا سَبَقُوْا ؕ اِنَّهُمْ لَا یُعْجِزُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-ইয়াহছাবান্নাল্লাযীনা কাফারূছাবাকূ ইন্নাহুম লা ইউ‘জিযূন।
আল বায়ান:
আর কাফিররা যেন কখনও মনে না করে যে, তারা (আযাবের) নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে, নিশ্চয় তারা (আল্লাহকে আযাব প্রদানে) অক্ষম করতে পারে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফরী করে তারা যেন এটা ধারণা না করে যে তারা প্রাধান্য লাভ করে নিয়েছে, তারা মু’মিনদেরকে কক্ষনো পরাজিত করতে পারবে না।
Sahih International:
And let not those who disbelieve think they will escape. Indeed, they will not cause failure [to Allah].



وَ اَعِدُّوْا لَهُمْ مَّا اسْتَطَعْتُمْ مِّنْ قُوَّۃٍ وَّ مِنْ رِّبَاطِ الْخَیْلِ تُرْهِبُوْنَ بِهٖ عَدُوَّ اللّٰهِ وَ عَدُوَّکُمْ وَ اٰخَرِیْنَ مِنْ دُوْنِهِمْ ۚ لَا تَعْلَمُوْنَهُمْ ۚ اَللّٰهُ یَعْلَمُهُمْ ؕ وَ مَا تُنْفِقُوْا مِنْ شَیْءٍ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ یُوَفَّ اِلَیْکُمْ وَ اَنْتُمْ لَا تُظْلَمُوْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ‘ইদ্দূলাহুম মাছতাতা‘তুম মিন কুওওয়াতিওঁ ওয়া মির রিবা-তিল খাইলি তুরহিবূনা বিহী ‘আদুওঁ ওআল্লা-হি ওয়া ‘আদুওঁ ওয়াকুম ওয়া আ-খারীনা মিন দূ নিহিম লাতা‘লামূনাহুম আল্লা-হু ইয়া‘লামুহুম ওয়া মা-তুনফিকূমিন -শাইয়িন ফী ছাবীলিল্লা-হি ইউওয়াফফা ইলাইকুম ওয়া আনতুম লা-তুজলামূন।
আল বায়ান:
আর তাদের মুকাবিলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত কর, তা দ্বারা তোমরা ভয় দেখাবে আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে এবং এরা ছাড়া অন্যদেরকেও, যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ তাদেরকে জানেন। আর তোমরা যা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণ দেয়া হবে, আর তোমাদেরকে যুলম করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদেরকে মুকাবালা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী সদা প্রস্তুত রাখবে যদ্বারা তোমরা ভয় দেখাতে থাকবে আল্লাহর শত্রু আর তোমাদের শত্রুকে, আর তাদের ছাড়াও অন্যান্যদেরকেও যাদেরকে তোমরা জান না কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে জানেন। তোমরা আল্লাহর পথে যা খরচ কর তার পুরোপুরি প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হবে, আর তোমাদের সাথে কক্ষনো যুলম করা হবে না।
Sahih International:
And prepare against them whatever you are able of power and of steeds of war by which you may terrify the enemy of Allah and your enemy and others besides them whom you do not know [but] whom Allah knows. And whatever you spend in the cause of Allah will be fully repaid to you, and you will not be wronged.



وَ اِنْ جَنَحُوْا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا وَ تَوَکَّلْ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন জানাহূলিছছালমি ফাজনাহলাহা-ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর যদি তারা সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তাহলে তুমিও তার প্রতি ঝুঁকে পড়, আর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যদি সন্ধির দিকে ঝুঁকে, তুমিও তার দিকে ঝুঁকে পড়, আর আল্লাহর উপর নির্ভর কর, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And if they incline to peace, then incline to it [also] and rely upon Allah. Indeed, it is He who is the Hearing, the Knowing.



وَ اِنْ یُّرِیْدُوْۤا اَنْ یَّخْدَعُوْکَ فَاِنَّ حَسْبَکَ اللّٰهُ ؕ هُوَ الَّذِیْۤ اَیَّدَکَ بِنَصْرِهٖ وَ بِالْمُؤْمِنِیْنَ ﴿ۙ۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়ঁইউরীদূ আইঁ ইয়াখদা‘ঊকা ফাইন্না হাছবাকাল্লা-হু হুওয়াল্লাযী আইঁ ইয়াদাকা বিনাসরিহী ওয়া বিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর যদি তারা তোমাকে ধোঁকা দিতে চায়, তাহলে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনিই তোমাকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা যদি তোমাকে ধোঁকা দেয়ার নিয়্যাত করে, সেক্ষেত্রে আল্লাহই তোমার জন্য যথেষ্ট। তিনি তো তাঁর সাহায্য ও মু’মিনদের দ্বারা তোমাকে শক্তিশালী করেছেন।
Sahih International:
But if they intend to deceive you - then sufficient for you is Allah. It is He who supported you with His help and with the believers



وَ اَلَّفَ بَیْنَ قُلُوْبِهِمْ ؕ لَوْ اَنْفَقْتَ مَا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا مَّاۤ اَلَّفْتَ بَیْنَ قُلُوْبِهِمْ وَ لٰکِنَّ اللّٰهَ اَلَّفَ بَیْنَهُمْ ؕ اِنَّهٗ عَزِیْزٌ حَکِیْمٌ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আল্লাফা বাইনা কুলূবিহিম লাও আনফাকতা মা-ফিল আরদিজামী‘আম মাআল্লাফতা বাইনা কুলূবিহিম ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা আল্লাফা বাইনাহুম ইন্নাহূ‘আযীযুন হাকীম।
আল বায়ান:
আর তিনি তাদের অন্তরসমূহে প্রীতি স্থাপন করেছেন। যদি তুমি যমীনে যা আছে, তার সবকিছু ব্যয় করতে, তবুও তাদের অন্তরসমূহে প্রীতি স্থাপন করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন, নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাদের হৃদয়গুলোকে প্রীতির বন্ধনে জুড়ে দিয়েছেন। দুনিয়ায় যা কিছু আছে তার সবটুকু খরচ করলেও তুমি তাদের অন্তরগুলোকে প্রীতির ডোরে বাঁধতে পারতে না, কিন্তু আল্লাহ তাদের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করে দিয়েছেন, তিনি তো প্রবল পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী।
Sahih International:
And brought together their hearts. If you had spent all that is in the earth, you could not have brought their hearts together; but Allah brought them together. Indeed, He is Exalted in Might and Wise.



یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ حَسْبُکَ اللّٰهُ وَ مَنِ اتَّبَعَکَ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুহাছবুকাল্লা-হু ওয়া মানিত তাবা‘আকা মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
হে নবী, তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং যেসব মুমিন তোমার অনুসরণ করেছে তাদের জন্যও।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নাবী! আল্লাহই তোমার আর তোমার অনুসারী ঈমানদারদের জন্য যথেষ্ট।
Sahih International:
O Prophet, sufficient for you is Allah and for whoever follows you of the believers.



یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِیْنَ عَلَی الْقِتَالِ ؕ اِنْ یَّکُنْ مِّنْکُمْ عِشْرُوْنَ صٰبِرُوْنَ یَغْلِبُوْا مِائَتَیْنِ ۚ وَ اِنْ یَّکُنْ مِّنْکُمْ مِّائَۃٌ یَّغْلِبُوْۤا اَلْفًا مِّنَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا یَفْقَهُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুহাররিদিল মু’মিনীনা ‘আলাল কিতা-লি ইয়ঁইয়াকুম মিনকুম ‘ইশরূনা সা-বিরূনা ইয়াগলিবূমিআতাইনি ওয়া ইয়ঁইয়াকুম মিনকুম মিআতুইঁ ইয়াগলিবূ আলফাম মিনাল্লাযীনা কাফারূবিআন্নাহুম কাওমুল লা-ইয়াফকাহূন।
আল বায়ান:
হে নবী, তুমি মুমিনদেরকে লড়াইয়ে উৎসাহ দাও, যদি তোমাদের মধ্য থেকে বিশজন ধৈর্যশীল থাকে, তারা দু’শ জনকে পরাস্ত করবে, আর যদি তোমাদের মধ্যে একশ’ জন থাকে, তারা কাফিরদের এক হাজার জনকে পরাস্ত করবে। কারণ, তারা (কাফিররা) এমন কওম যারা বুঝে না।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নাবী! যুদ্ধের ব্যাপারে মু’মিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে বিশজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দু’শ জনের উপর জয়ী হবে এবং তোমাদের মধ্যে (ঐরূপ) একশ’ জন থাকলে তারা একহাজার কাফিরের উপর বিজয়ী হবে। কেননা তারা হচ্ছে এমন লোক যারা (ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে) কোন বোধ রাখে না।
Sahih International:
O Prophet, urge the believers to battle. If there are among you twenty [who are] steadfast, they will overcome two hundred. And if there are among you one hundred [who are] steadfast, they will overcome a thousand of those who have disbelieved because they are a people who do not understand.



اَلْـٰٔنَ خَفَّفَ اللّٰهُ عَنْکُمْ وَ عَلِمَ اَنَّ فِیْکُمْ ضَعْفًا ؕ فَاِنْ یَّکُنْ مِّنْکُمْ مِّائَۃٌ صَابِرَۃٌ یَّغْلِبُوْا مِائَتَیْنِ ۚ وَ اِنْ یَّکُنْ مِّنْکُمْ اَلْفٌ یَّغْلِبُوْۤا اَلْفَیْنِ بِاِذْنِ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ مَعَ الصّٰبِرِیْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
আলআ-না খাফফাফাল্লা-হু ‘আনকুম ওয়া ‘আলিমা আন্না ফীকুম দা‘ফান ফাইয়ঁইয়াকুম মিনকুম মিআতুন সা-বিরাতুইঁ ইয়াগলিবূমিআতাইনি ওয়াইঁ ইয়াকুম মিনকুম আলফুইঁ ইয়াগলিবূআলফাইনি বিইযনিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু মা‘আসসা-বিরীন।
আল বায়ান:
এখন আল্লাহ তোমাদের থেকে (দায়িত্বভার) হালকা করে দিয়েছেন এবং তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। অতএব যদি তোমাদের মধ্যে একশ’ জন ধৈর্যশীল থাকে, তারা দু’শ জনকে পরাস্ত করবে এবং যদি তোমাদের মধ্যে এক হাজার জন থাকে, তারা আল্লাহর হুকুমে দু’হাজার জনকে পরাস্ত করবে এবং আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
(তবে) এখন আল্লাহ তোমাদের দায়িত্বভার কমিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তো জানেন যে তোমাদের ভিতর দুর্বলতা রয়ে গেছে, কাজেই তোমাদের মাঝে যদি একশ’ জন ধৈর্যশীল হয় তবে তারা দু’শ জনের উপর বিজয়ী হবে। আর যদি তোমাদের মাঝে এক হাজার (ঐ রকম) লোক পাওয়া যায় তাহলে তারা আল্লাহর হুকুমে দু’হাজার লোকের উপর জয়ী হবে। আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে (আছেন)।
Sahih International:
Now, Allah has lightened [the hardship] for you, and He knows that among you is weakness. So if there are from you one hundred [who are] steadfast, they will overcome two hundred. And if there are among you a thousand, they will overcome two thousand by permission of Allah. And Allah is with the steadfast.



مَا کَانَ لِنَبِیٍّ اَنْ یَّکُوْنَ لَهٗۤ اَسْرٰی حَتّٰی یُثْخِنَ فِی الْاَرْضِ ؕ تُرِیْدُوْنَ عَرَضَ الدُّنْیَا ٭ۖ وَ اللّٰهُ یُرِیْدُ الْاٰخِرَۃَ ؕ وَ اللّٰهُ عَزِیْزٌ حَکِیْمٌ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
মা-কা-না লিনাবিইয়িন আইঁ ইয়াকূনা লাহূআছরা-হাত্তা-ইউছখিনা ফিল আরদি তুরীদূ না ‘আরাদাদদুনইয়া- ওয়াল্লা-হু ইউরীদুল আ-খিরাতা ওয়াল্লা-হু ‘আযীযুন হাকীম ।
আল বায়ান:
কোন নবীর জন্য সঙ্গত নয় যে, তার নিকট যুদ্ধবন্দি থাকবে (এবং পণের বিনিময়ে তিনি তাদেরকে মুক্ত করবেন) যতক্ষণ না তিনি যমীনে (তাদের) রক্ত প্রবাহিত করেন। তোমরা দুনিয়ার সম্পদ কামনা করছ, অথচ আল্লাহ চাচ্ছেন আখিরাত। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন নাবীর জন্য এটা সঠিক কাজ নয় যে, দেশে (আল্লাহর দুশমনদেরকে) পুরোমাত্রায় পরাভূত না করা পর্যন্ত তার (হাতে) যুদ্ধ-বন্দী থাকবে। তোমরা দুনিয়ার স্বার্থ চাও আর আল্লাহ চান আখিরাত (এর সাফল্য), আল্লাহ প্রবল পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী।
Sahih International:
It is not for a prophet to have captives [of war] until he inflicts a massacre [upon Allah 's enemies] in the land. Some Muslims desire the commodities of this world, but Allah desires [for you] the Hereafter. And Allah is Exalted in Might and Wise.



لَوْ لَا کِتٰبٌ مِّنَ اللّٰهِ سَبَقَ لَمَسَّکُمْ فِیْمَاۤ اَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِیْمٌ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
লাও লা-কিতা-বুমমিনাল্লা-হি ছাবাকা লামাছছাকুমফীমাআখাযতুম‘আযা-বুন‘আজীম।
আল বায়ান:
আল্লাহর লিখন অতিবাহিত না হয়ে থাকলে, অবশ্যই তোমরা যা গ্রহণ করেছ, সে বিষয়ে তোমাদেরকে মহা আযাব স্পর্শ করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর লেখন যদি পূর্বেই লেখা না হত তাহলে তোমরা যা (মুক্তিপণ হিসেবে) গ্রহণ করেছ তজ্জন্য তোমাদের উপর মহাশাস্তি পতিত হত।
Sahih International:
If not for a decree from Allah that preceded, you would have been touched for what you took by a great punishment.



فَکُلُوْا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلٰلًا طَیِّبًا ۫ۖ وَّ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ফাকুলূমিম্মা-গনিমতুম হালা-লান তাইয়িবাওঁ ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
অতএব তোমরা যে গনীমত পেয়েছ, তা থেকে হালাল পবিত্র হিসেবে খাও, আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
এক্ষণে, যুদ্ধে গানীমাত হিসেবে যা তোমরা লাভ করেছ তা ভোগ কর, তা বৈধ ও পবিত্র। আল্লাহকে ভয় করে চলো, নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
Sahih International:
So consume what you have taken of war booty [as being] lawful and good, and fear Allah. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.



یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ قُلْ لِّمَنْ فِیْۤ اَیْدِیْکُمْ مِّنَ الْاَسْرٰۤی ۙ اِنْ یَّعْلَمِ اللّٰهُ فِیْ قُلُوْبِکُمْ خَیْرًا یُّؤْتِکُمْ خَیْرًا مِّمَّاۤ اُخِذَ مِنْکُمْ وَ یَغْفِرْ لَکُمْ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুকুল লিমান ফীআইদীকুম মিনাল আছরা ইয়ঁইয়া‘লামিল্লা-হু ফী কুলূবিকুম খাইরাইঁ ইউ’তিকুম খাইরাম মিম্মা-উখিযা মিনকুম ওয়া ইয়াগফির লাকুম ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
হে নবী, তোমাদের হাতে যে সব যুদ্ধবন্দি আছে, তাদেরকে বল, ‘যদি আল্লাহ তোমাদের অন্তরসমূহে কোন কল্যাণ আছে বলে জানেন, তাহলে তোমাদের থেকে যা নেয়া হয়েছে, তার চেয়ে উত্তম কিছু দেবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন, আর আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নাবী! তোমাদের হাতে যে সব যুদ্ধবন্দী আছে তাদেরকে বল, ‘আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তরে ভাল কিছু দেখেন তাহলে তোমাদের কাছ থেকে (মুক্তিপণ) যা নেয়া হয়েছে তাত্থেকে উত্তম কিছু তোমাদেরকে তিনি দান করবেন আর তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।’
Sahih International:
O Prophet, say to whoever is in your hands of the captives, "If Allah knows [any] good in your hearts, He will give you [something] better than what was taken from you, and He will forgive you; and Allah is Forgiving and Merciful."



وَ اِنْ یُّرِیْدُوْا خِیَانَتَکَ فَقَدْ خَانُوا اللّٰهَ مِنْ قَبْلُ فَاَمْکَنَ مِنْهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیْمٌ حَکِیْمٌ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়ঁইউরীদূখিয়া-নাতাকা ফাকাদ খা-নুল্লা-হা মিন কাবলুফাআমকানা মিনহুম ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুন হাকীম।
আল বায়ান:
আর যদি তারা তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ইচ্ছা করে, তাহলে তারা তো পূর্বে আল্লাহর সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অতঃপর তিনি তাদের উপর (তোমাকে) শক্তিশালী করেছেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যদি তারা তোমার সাথে খিয়ানাত করার ইচ্ছে করে (তবে সেটা অসম্ভব কিছু নয়, কারণ এর থেকেও গুরুতর যে) তারা পূর্বে আল্লাহর সাথে খিয়ানাত করেছে, কাজেই আল্লাহ তাদেরকে তোমার অধীন করে দিয়েছেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে বিশেষভাবে অবগত, সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞাবান।
Sahih International:
But if they intend to betray you - then they have already betrayed Allah before, and He empowered [you] over them. And Allah is Knowing and Wise.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ هَاجَرُوْا وَ جٰهَدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَ اَنْفُسِهِمْ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ الَّذِیْنَ اٰوَوْا وَّ نَصَرُوْۤا اُولٰٓئِکَ بَعْضُهُمْ اَوْلِیَآءُ بَعْضٍ ؕ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ لَمْ یُهَاجِرُوْا مَا لَکُمْ مِّنْ وَّلَایَتِهِمْ مِّنْ شَیْءٍ حَتّٰی یُهَاجِرُوْا ۚ وَ اِنِ اسْتَنْصَرُوْکُمْ فِی الدِّیْنِ فَعَلَیْکُمُ النَّصْرُ اِلَّا عَلٰی قَوْمٍۭ بَیْنَکُمْ وَ بَیْنَهُمْ مِّیْثَاقٌ ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া হা-জারূ ওয়া জা-হাদূ বিআমওয়া-লিহিম ওয়া আনফুছিহিম ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লাযীনা আ-ওয়াওঁ ওয়া নাসারূউলাইকা বা‘দুহুম আওলিয়াউ বা‘দিওঁ ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া লাম ইউহা-জিরূমা-লাকুম মিওঁ ওয়ালা-ইয়াতিহিম মিন শাইয়িন হাত্তা-ইউহাজিরু ওয়া ইনিছ তানসারূকুম ফিদদীনি ফা‘আলাইকুমুন্নাসরু ইল্লা-‘আলা-কাওমিম বাইনাকুম ওয়াবাইনাহুম মীছা-কুওঁ ওয়াল্লা-হুবিমা-তা‘মালূনা বাসীর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং নিজদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সহায়তা করেছে, তারা একে অপরের বন্ধু। আর যারা ঈমান এনেছে, কিন্তু হিজরত করেনি, তাদেরকে সাহায্যের কোন দায়িত্ব তোমাদের নেই, যতক্ষণ না তারা হিজরত করে। আর যদি তারা দীনের ব্যাপারে তোমাদের নিকট কোন সহযোগিতা চায়, তাহলে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য। তবে এমন কওমের বিরুদ্ধে নয়, যাদের সাথে তোমাদের একে অপরের চুক্তি রয়েছে এবং তোমরা যে আমল কর, তার ব্যাপারে আল্লাহ পূর্ণ দৃষ্টিমান।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান এনেছে, হিজরাত করেছে, নিজেদের মাল দিয়ে জান দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে আর যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য করেছে, এরা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর যারা ঈমান এনেছে কিন্তু হিজরাত করেনি তারা হিজরাত না করা পর্যন্ত তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করার কোন দায়-দায়িত্ব তোমার উপর নেই, তবে তারা যদি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাহায্য চায় তাহলে তাদেরকে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য, তবে তাদের বিরুদ্ধে নয় যাদের সঙ্গে তোমাদের মৈত্রী চুক্তি রয়েছে। তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন।
Sahih International:
Indeed, those who have believed and emigrated and fought with their wealth and lives in the cause of Allah and those who gave shelter and aided - they are allies of one another. But those who believed and did not emigrate - for you there is no guardianship of them until they emigrate. And if they seek help of you for the religion, then you must help, except against a people between yourselves and whom is a treaty. And Allah is Seeing of what you do.



وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بَعْضُهُمْ اَوْلِیَآءُ بَعْضٍ ؕ اِلَّا تَفْعَلُوْهُ تَکُنْ فِتْنَۃٌ فِی الْاَرْضِ وَ فَسَادٌ کَبِیْرٌ ﴿ؕ۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা কাফারূবা‘দুহুম আওলিয়াউ বা‘দিন ইল্লা-তাফ‘আলূহু তাকুন ফিতনাতুন ফিল আরদিওয়া ফাছা-দুন কাবীর।
আল বায়ান:
আর যারা কুফরী করে, তারা একে অপরের বন্ধু। যদি তোমরা তা না কর, তাহলে যমীনে ফিতনা ও বড় ফাসাদ হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা কুফরী করে তারা একে অপরের বন্ধু। যদি তোমরা তা না কর (অর্থাৎ তোমরা পরস্পর পরস্পরের সাহায্যে এগিয়ে না আস) তাহলে দুনিয়াতে ফিতনা ও মহাবিপর্যয় দেখা দিবে।
Sahih International:
And those who disbelieved are allies of one another. If you do not do so, there will be fitnah on earth and great corruption.



وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ هَاجَرُوْا وَ جٰهَدُوْا فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ الَّذِیْنَ اٰوَوْا وَّ نَصَرُوْۤا اُولٰٓئِکَ هُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ حَقًّا ؕ لَهُمْ مَّغْفِرَۃٌ وَّ رِزْقٌ کَرِیْمٌ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া হা-জারূওয়া জা-হাদূফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লাযীনা আ-ওয়াওঁ ওয়া নাসারুউলাইকা হুমুল মু’মিনূনা হাক্কাল লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া রিযকুন কারীম।
আল বায়ান:
আর যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে এবং যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে, তারাই প্রকৃত মুমিন, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান এনেছে, হিজরাত করেছে, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে আর যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহযোগিতা করেছে- তারাই প্রকৃত ঈমানদার। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা।
Sahih International:
But those who have believed and emigrated and fought in the cause of Allah and those who gave shelter and aided - it is they who are the believers, truly. For them is forgiveness and noble provision.



وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مِنْۢ بَعْدُ وَ هَاجَرُوْا وَ جٰهَدُوْا مَعَکُمْ فَاُولٰٓئِکَ مِنْکُمْ ؕ وَ اُولُوا الْاَرْحَامِ بَعْضُهُمْ اَوْلٰی بِبَعْضٍ فِیْ کِتٰبِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমিম বা‘দুওয়া হা-জারূওয়া জা-হাদূমা‘আকুম ফাউলাইকা মিনকুম ওয়া ঊলুল আরহা-মি বা‘দুহুম আওলাউ ব্বিা‘দিন ফী কিতা-বিল্লা-হি ইন্নাল্লাহা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর যারা পরে ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং তোমাদের সাথে জিহাদ করেছে, তারা তোমাদের অন্তর্ভুক্ত, আর আত্মীয়-স্বজনরা একে অপরের তুলনায় অগ্রগণ্য, আল্লাহর কিতাবে। নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ে মহাজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা পরে ঈমান এনেছে, হিজরাত করেছে আর তোমাদের সাথে মিলিত হয়ে জিহাদ করেছে, এসব লোক তোমাদেরই মধ্যে গণ্য। কিন্তু আল্লাহর বিধানে রক্ত সম্পর্কীয়গণ পরস্পর পরস্পরের নিকট অগ্রগণ্য। আল্লাহ সকল বিষয়ে সবচেয়ে বেশী অবগত।
Sahih International:
And those who believed after [the initial emigration] and emigrated and fought with you - they are of you. But those of [blood] relationship are more entitled [to inheritance] in the decree of Allah. Indeed, Allah is Knowing of all things.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।