আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


وَ الصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসসাফফা-তি সাফফা-।
আল বায়ান:
কসম সারিবদ্ধ ফেরেশতাদের,
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো,
Sahih International:
By those [angels] lined up in rows



فَالزّٰجِرٰتِ زَجْرًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ফাযযা-জিরা-তি যাজরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর (মেঘমালা) সুচারুরূপে পরিচালনাকারীদের,
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যারা ধমক দিয়ে তিরস্কার করে তাদের শপথ,
Sahih International:
And those who drive [the clouds]



فَالتّٰلِیٰتِ ذِکْرًا ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ফাত্তা-লিয়া-তি যিকরা-।
আল বায়ান:
আর উপদেশ গ্রন্থ (আসমানী কিতাব) তিলাওয়াতকারীদের;
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা (আল্লাহর) যিকর আবৃত্তিতে লিপ্ত,
Sahih International:
And those who recite the message,



اِنَّ اِلٰـهَکُمْ لَوَاحِدٌ ﴿ؕ۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ইলা-হাকুম লাওয়া-হিদ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমাদের ইলাহ এক;
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের প্রকৃত ইলাহ অবশ্য একজন।
Sahih International:
Indeed, your God is One,



رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا وَ رَبُّ الْمَشَارِقِ ؕ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা-ওয়া রাব্বুল মাশা-রিক।
আল বায়ান:
তিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যে যা আছে তার রব এবং রব উদয়স্থলসমূহের।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি আসমান, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে এবং সকল উদয় স্থলের মালিক।
Sahih International:
Lord of the heavens and the earth and that between them and Lord of the sunrises.



اِنَّا زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِزِیْنَۃِۣ الْکَوَاکِبِ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-যাইয়ান্নাছছামাআদ্দুনইয়া-বিযীনাতিনিল কাওয়া-কিব।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি কাছের আসমানকে তারকারাজির সৌন্দর্যে সুশোভিত করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নিকটবর্তী আসমানকে তারকারাজির সৌন্দর্য দ্বারা সুশোভিত করেছি,
Sahih International:
Indeed, We have adorned the nearest heaven with an adornment of stars



وَ حِفْظًا مِّنْ کُلِّ شَیْطٰنٍ مَّارِدٍ ۚ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ।
আল বায়ান:
আর প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে হিফাযত করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (এটা করেছি) প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়ত্বান থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে।
Sahih International:
And as protection against every rebellious devil



لَا یَسَّمَّعُوْنَ اِلَی الْمَلَاِ الْاَعْلٰی وَ یُقْذَفُوْنَ مِنْ کُلِّ جَانِبٍ ٭ۖ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব।
আল বায়ান:
তারা ঊর্ধ্বজগতের কিছু শুনতে পারে না, কারণ প্রত্যেক দিক থেকে তাদের দিকে নিক্ষেপ করা হয় (উল্কাপিন্ড)।
তাইসিরুল কুরআন:
যার ফলে তারা উচ্চতর জগতের কিছু শুনতে পারে না, চতুর্দিক থেকে তাদের প্রতি নিক্ষেপ করা হয় (উল্কাপিন্ড)
Sahih International:
[So] they may not listen to the exalted assembly [of angels] and are pelted from every side,



دُحُوْرًا وَّ لَهُمْ عَذَابٌ وَّاصِبٌ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব।
আল বায়ান:
তাড়ানোর জন্য, আর তাদের জন্য আছে অব্যাহত আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে) তাড়ানোর জন্য। তাদের জন্য আছে বিরামহীন শাস্তি।
Sahih International:
Repelled; and for them is a constant punishment,



اِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَۃَ فَاَتْبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূশিহা-বুন ছাকিব।
আল বায়ান:
তবে কেউ সন্তর্পণে কিছু শুনে নিলে তাকে পিছু তাড়া করে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পিছু নেয়।
Sahih International:
Except one who snatches [some words] by theft, but they are pursued by a burning flame, piercing [in brightness].



فَاسْتَفْتِهِمْ اَهُمْ اَشَدُّ خَلْقًا اَمْ مَّنْ خَلَقْنَا ؕ اِنَّا خَلَقْنٰهُمْ مِّنْ طِیْنٍ لَّازِبٍ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফাছতাফতিহিম আহুম আশাদ্দুখাল কান আম্মান খালাকনা- ইন্না-খালাকনা-হুম মিন তীনিল লা-যিব।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘সৃষ্টি হিসেবে তারা বেশি শক্তিশালী, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি তা’? নিশ্চয় আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি আঠালো মাটি থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- সৃষ্টির ক্ষেত্রে কি তারাই বেশি প্রবল, না আমি অন্য যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা (বেশি প্রবল)? আমি তো তাদেরকে সৃষ্টি করেছি (অতি নগণ্য) মাটি থেকে।
Sahih International:
Then inquire of them, [O Muhammad], "Are they a stronger [or more difficult] creation or those [others] We have created?" Indeed, We created men from sticky clay.



بَلْ عَجِبْتَ وَ یَسْخَرُوْنَ ﴿۪۱۲﴾
উচ্চারণ:
বাল ‘আজিবতা ওয়া ইয়াছখারূন।
আল বায়ান:
বরং তুমি বিস্মিত হচ্ছ আর ওরা বিদ্রূপ করছে।
তাইসিরুল কুরআন:
(আল্লাহর শক্তি-ক্ষমতা-মহিমা দেখে) তুমি কর বিস্ময়বোধ, আর তারা করে বিদ্রূপ।
Sahih International:
But you wonder, while they mock,



وَ اِذَا ذُکِّرُوْا لَا یَذْکُرُوْنَ ﴿۪۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-যুক্কিরূলা-ইয়াযকুরূন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় তখন তারা স্মরণ করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে উপদেশ দেয়া হলে তারা উপদেশ নেয় না।
Sahih International:
And when they are reminded, they remember not.



وَ اِذَا رَاَوْا اٰیَۃً یَّسْتَسْخِرُوْنَ ﴿۪۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-রাআও আ-য়াতাই ইয়াছতাছখিরূন।
আল বায়ান:
আর যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর কোন নিদর্শন দেখলে ঠাট্টা করে।
Sahih International:
And when they see a sign, they ridicule



وَ قَالُوْۤا اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۚۖ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূ ইন হা-যাইল্লা-ছিহরু মুবীন।
আল বায়ান:
আর বলে, ‘এতো স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়’!
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলে- ‘এটা স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই না।’
Sahih International:
And say, "This is not but obvious magic.



ءَ اِذَا مِتْنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরাবাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্না-লামাব‘ঊছূন।
আল বায়ান:
‘আমরা যখন মারা যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা যখন মরব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনো কি আমাদেরকে আবার জীবিত করে উঠানো হবে?
Sahih International:
When we have died and become dust and bones, are we indeed to be resurrected?



اَوَ اٰبَآؤُنَا الْاَوَّلُوْنَ ﴿ؕ۱۷﴾
উচ্চারণ:
আওয়াআ-বাউনাল আওওয়ালূন।
আল বায়ান:
‘আর আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষগণও’?
তাইসিরুল কুরআন:
এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরকেও (উঠানো হবে)?’
Sahih International:
And our forefathers [as well]?"



قُلْ نَعَمْ وَ اَنْتُمْ دَاخِرُوْنَ ﴿ۚ۱۸﴾
উচ্চারণ:
কুল না‘আম ওয়া আনতুম দা-খিরূন।
আল বায়ান:
বল, ‘হ্যাঁ, আর তোমরা অপমানিত-লাঞ্ছিত হবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে বল, ‘হাঁ, এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।’
Sahih International:
Say, "Yes, and you will be [rendered] contemptible."



فَاِنَّمَا هِیَ زَجْرَۃٌ وَّاحِدَۃٌ فَاِذَا هُمْ یَنْظُرُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নামা-হিয়া যাজরাতুওঁ ওয়া-হিদাতুন ফাইযা-হুম ইয়ানজু রূন।
আল বায়ান:
তা হবে কেবল এক আওয়াজ আর তৎক্ষণাৎ তারা দেখতে পাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ওটা (হবে) মাত্র একটা প্রচন্ড শব্দ, আর তখনই তারা স্বচক্ষে (সব কিছু) দেখতে পাবে।
Sahih International:
It will be only one shout, and at once they will be observing.



وَ قَالُوْا یٰوَیْلَنَا هٰذَا یَوْمُ الدِّیْنِ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া-কা-লূইয়া-ওয়াইলানা-হা-যা-ইয়াওমুদ্দীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলবে, ‘হায় আমাদের ধ্বংস, এ তো প্রতিদান দিবস’!
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আরো বলবে- ‘‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! এটাই তো কর্মফলের দিন।’
Sahih International:
They will say, "O woe to us! This is the Day of Recompense."



هٰذَا یَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِیْ کُنْتُمْ بِهٖ تُکَذِّبُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-ইয়াওমুল ফাসলিল্লাযী কুনতুম বিহী তুকাযযিবূন।
আল বায়ান:
এটি ফয়সালা করার দিন যা তোমরা অস্বীকার করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
এটাই ফয়সালার দিন যাকে তোমরা মিথ্যে বলে অস্বীকার করতে।
Sahih International:
[They will be told], "This is the Day of Judgement which you used to deny."



اُحْشُرُوا الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا وَ اَزْوَاجَهُمْ وَ مَا کَانُوْا یَعْبُدُوْنَ ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
উহশুরুল্লাযীনা জালামূওয়া আযওয়া-জাহুম ওয়ামা-কা-নূইয়া‘বুদূন।
আল বায়ান:
(ফেরেশতাদেরকে বলা হবে) ‘একত্র কর যালিম ও তাদের সঙ্গী-সাথীদেরকে এবং যাদের ইবাদাত তারা করত তাদেরকে।
তাইসিরুল কুরআন:
(হুকুম দেয়া হবে) ‘একত্র কর যালিমদেরকে আর তাদের সঙ্গীদেরকে এবং তাদেরকেও, যাদের তারা ‘ইবাদাত করত
Sahih International:
[The angels will be ordered], "Gather those who committed wrong, their kinds, and what they used to worship



مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَاهْدُوْهُمْ اِلٰی صِرَاطِ الْجَحِیْمِ ﴿ٙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
মিন দূনিল্লা-হি ফাহদূহুম ইলা-সিরা-তিল জাহীম।
আল বায়ান:
‘আল্লাহকে বাদ দিয়ে, আর তাদেরকে আগুনের পথে নিয়ে যাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর (‘ইবাদাতের) পরিবর্তে, আর তাদেরকে জাহান্নামের পথ দেখাও।
Sahih International:
Other than Allah, and guide them to the path of Hellfire



وَ قِفُوْهُمْ اِنَّهُمْ مَّسْئُوْلُوْنَ ﴿ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকিফূহুম ইন্নাহুম মাছঊলূন।
আল বায়ান:
‘আর তাদেরকে থামাও, অবশ্যই তারা জিজ্ঞাসিত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ওদেরকে থামাও ওদেরকে তো প্রশ্ন করা হবে-
Sahih International:
And stop them; indeed, they are to be questioned."



مَا لَکُمْ لَا تَنَاصَرُوْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
মা-লাকুম লা-তানা-সারূন।
আল বায়ান:
‘তোমাদের কী হল, তোমরা একে অপরকে সাহায্য করছ না?’
তাইসিরুল কুরআন:
‘তোমাদের হয়েছে কী, তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করছ না কেন?’
Sahih International:
[They will be asked], "What is [wrong] with you? Why do you not help each other?"



بَلْ هُمُ الْیَوْمَ مُسْتَسْلِمُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
বাল হুমুল ইয়াওমা মুছতাছলিমূন।
আল বায়ান:
বরং তারা হবে আজ আত্মসমর্পণকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং আজ তারা (বিচারের সামনে) আত্মসমপর্ণ করবে।
Sahih International:
But they, that Day, are in surrender.



وَ اَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ یَّتَسَآءَلُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আকবালা বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিইঁ ইয়াতাছাআলূন।
আল বায়ান:
আর তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞাসা করবে,
তাইসিরুল কুরআন:
তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
Sahih International:
And they will approach one another blaming each other.



قَالُوْۤا اِنَّکُمْ کُنْتُمْ تَاْتُوْنَنَا عَنِ الْیَمِیْنِ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইন্নাকুম কুনতুম তা’তূনানা-‘আনিল ইয়ামীন।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘তোমরাই তো আমাদের কাছে আসতে ধর্মীয় দিক থেকে’।*
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (তাদের ক্ষমতাশালীদেরকে) বলবে, ‘‘তোমরা তো তোমাদের ক্ষমতা নিয়ে আমাদের কাছে আসতে।’
Sahih International:
They will say, "Indeed, you used to come at us from the right."



قَالُوْا بَلْ لَّمْ تَکُوْنُوْا مُؤْمِنِیْنَ ﴿ۚ۲۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লূবাল লাম তাকূনূমু’মিনীন।
আল বায়ান:
জবাবে তারা (নেতৃস্থানীয় কাফিররা) বলবে, ‘বরং তোমরা তো মুমিন ছিলে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (অর্থাৎ ক্ষমতার অধিকারীরা) উত্তর দিবে- ‘‘তোমরা তো (বিচার দিবসের প্রতি) বিশ্বাসীই ছিলে না।
Sahih International:
The oppressors will say, "Rather, you [yourselves] were not believers,



وَ مَا کَانَ لَنَا عَلَیْکُمْ مِّنْ سُلْطٰنٍ ۚ بَلْ کُنْتُمْ قَوْمًا طٰغِیْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কা-না লানা-‘আলাইকুম মিন ছুলতা-নিন বাল কুনতুম কাওমান তা-গীন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের উপর আমাদের কোন কর্তৃত্ব ছিল না, বরং তোমরা ছিলে সীমালঙ্ঘনকারী কওম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমাদের উপর আমাদের কোন কর্তৃত্বও ছিল না, বরং তোমরা ছিলে সীমালঙ্ঘনকারী জাতি।
Sahih International:
And we had over you no authority, but you were a transgressing people.



فَحَقَّ عَلَیْنَا قَوْلُ رَبِّنَاۤ ٭ۖ اِنَّا لَذَآئِقُوْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ফাহাক্কা ‘আলাইনা-কাওলুরাব্বিনা ইনা-লাযাইকূন।
আল বায়ান:
‘তাই আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের রবের বাণী সত্য হয়েছে; নিশ্চয় আমরা আস্বাদন করব (আযাব)’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে, আমাদেরকে অবশ্যই শাস্তির স্বাদ নিতে হবে।
Sahih International:
So the word of our Lord has come into effect upon us; indeed, we will taste [punishment].



فَاَغْوَیْنٰکُمْ اِنَّا کُنَّا غٰوِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ফাআগওয়াইনা-কুম ইন্না-কুন্না-গা-বীন।
আল বায়ান:
‘আর আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছি, কারণ আমরা নিজেরাই ছিলাম বিভ্রান্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
আসলে আমরাই তোমাদেরকে গোমরাহ করেছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও গোমরাহ ছিলাম।’
Sahih International:
And we led you to deviation; indeed, we were deviators."



فَاِنَّهُمْ یَوْمَئِذٍ فِی الْعَذَابِ مُشْتَرِکُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নাহুম ইয়াওমাইযিন ফিল ‘আযা-বি মুশতারিকূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তারা সেদিন আযাবে অংশীদার হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন (দুর্বল আর সবল) সবাই ‘আযাবে শরীক হবে।
Sahih International:
So indeed they, that Day, will be sharing in the punishment.



اِنَّا کَذٰلِکَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِیْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-কাযা-লিকা নাফ‘আলুবিলমুজরিমীন।
আল বায়ান:
অপরাধীদের সাথে আমি এমন আচরণই করে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
অপরাধীদের প্রতি আমি এ রকমই (আচরণ) করে থাকি।
Sahih International:
Indeed, that is how We deal with the criminals.



اِنَّهُمْ کَانُوْۤا اِذَا قِیْلَ لَهُمْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ ۙ یَسْتَکْبِرُوْنَ ﴿ۙ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহুম কা-নূইযা-কীলা লাহুম লাইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ইয়াছতাকবিরূন।
আল বায়ান:
তাদেরকে যখন বলা হত, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই’, তখন নিশ্চয় তারা অহঙ্কার করত।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন ‘আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই’ বলা হত, তখন তারা অহংকার করত।
Sahih International:
Indeed they, when it was said to them, "There is no deity but Allah," were arrogant



وَ یَقُوْلُوْنَ اَئِنَّا لَتَارِکُوْۤا اٰلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُوْنٍ ﴿ؕ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াকূলূনা আইন্না-লাতা-রিকূআ-লিহাতিনা-লিশা-‘ইরিম মাজনূন।
আল বায়ান:
আর বলত, ‘আমরা কি এক পাগল কবির জন্য আমাদের উপাস্যদের ছেড়ে দেব?’
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলত, ‘‘আমরা কি এক পাগলা কবির কথা মেনে আমাদের ইলাহগুলোকে ত্যাগ করব?
Sahih International:
And were saying, "Are we to leave our gods for a mad poet?"



بَلْ جَآءَ بِالْحَقِّ وَ صَدَّقَ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
বাল জাআ বিলহাক্কিওয়া সাদ্দাকাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
বরং সে সত্য নিয়ে এসেছিল এবং সে রাসূলদেরকে সত্য বলে ঘোষণা দিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং সে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)] সত্য নিয়ে এসেছে এবং (পূর্বে আগমনকারী) রসূলদেরকে সত্যায়িত করেছে।
Sahih International:
Rather, the Prophet has come with the truth and confirmed the [previous] messengers.



اِنَّکُمْ لَذَآئِقُوا الْعَذَابِ الْاَلِیْمِ ﴿ۚ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকুম লাযাইকু ল ‘আযা-বিল আলীম।
আল বায়ান:
অবশ্যই তোমরা যন্ত্রণাদায়ক আযাব আস্বাদন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
(এখন তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা অবশ্যই মর্মান্তিক শাস্তির স্বাদ ভোগ করবে,
Sahih International:
Indeed, you [disbelievers] will be tasters of the painful punishment,



وَ مَا تُجْزَوْنَ اِلَّا مَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿ۙ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-তুজযাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা যে আমল করতে শুধু তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদেরকে কেবল তারই প্রতিফল দেয়া হবে যা তোমরা করতে।’
Sahih International:
And you will not be recompensed except for what you used to do -



اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘ইবাদাল্লা-হিল মুখলাসীন।
আল বায়ান:
অবশ্য আল্লাহর মনোনীত বান্দারা ছাড়া;
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দারা নয় (তারা এ সব ‘আযাব থেকে রক্ষা পাবে)।
Sahih International:
But not the chosen servants of Allah.



اُولٰٓئِکَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُوْمٌ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা লাহুম রিযকুম মা‘লূম।
আল বায়ান:
তাদের জন্য থাকবে নির্ধারিত রিয্ক,
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য আছে নির্ধারিত রিযক-
Sahih International:
Those will have a provision determined -



فَوَاکِهُ ۚ وَ هُمْ مُّکْرَمُوْنَ ﴿ۙ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়া-কিহু ওয়া হুম মুকরামূন।
আল বায়ান:
ফলমূল; আর তারা হবে সম্মানিত,
তাইসিরুল কুরআন:
ফলমূল; আর তারা হবে সম্মানিত।
Sahih International:
Fruits; and they will be honored



فِیْ جَنّٰتِ النَّعِیْمِ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ফী জান্না-তিন না‘ঈম।
আল বায়ান:
নি‘আমত-ভরা জান্নাতে,
তাইসিরুল কুরআন:
(তারা থাকবে) নি‘য়ামাতের ভরা জান্নাতে
Sahih International:
In gardens of pleasure



عَلٰی سُرُرٍ مُّتَقٰبِلِیْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
‘আলা-ছুরুরিম মুতাকা-বিলীন।
আল বায়ান:
মুখোমুখি পালঙ্কে।
তাইসিরুল কুরআন:
উচ্চাসনে মুখোমুখী হয়ে
Sahih International:
On thrones facing one another.



یُطَافُ عَلَیْهِمْ بِکَاْسٍ مِّنْ مَّعِیْنٍۭ ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ইউতা-ফু‘আলাইহিম বিকা’ছিম মিম মা‘ঈন।
আল বায়ান:
তাদের চারপাশে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপাত্র,
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে চক্রাকারে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ প্রবাহিত ঝর্ণার সুরাপূর্ণ পাত্র।
Sahih International:
There will be circulated among them a cup [of wine] from a flowing spring,



بَیْضَآءَ لَذَّۃٍ لِّلشّٰرِبِیْنَ ﴿ۚۖ۴۶﴾
উচ্চারণ:
বাইদাআ লাযযাতিল লিশশা-রিবীন।
আল বায়ান:
সাদা, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু।
তাইসিরুল কুরআন:
নির্মল পানীয়, পানকারীদের জন্য সুপেয়, সুস্বাদু।
Sahih International:
White and delicious to the drinkers;



لَا فِیْهَا غَوْلٌ وَّ لَا هُمْ عَنْهَا یُنْزَفُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
লা-ফীহা-গাওলুওঁ ওয়ালা-হুম ‘আনহা-ইউনযাফূন।
আল বায়ান:
তাতে থাকবে না ক্ষতিকর কিছু* এবং তারা এগুলো দ্বারা মাতালও হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
নেই তাতে দেহের জন্য ক্ষতিকর কোন কিছু, আর তারা তাতে মাতালও হবে না।
Sahih International:
No bad effect is there in it, nor from it will they be intoxicated.



وَ عِنْدَهُمْ قٰصِرٰتُ الطَّرْفِ عِیْنٌ ﴿ۙ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘ইনদাহুম কা-সিরা-তুত্তারফি ‘ঈন।
আল বায়ান:
তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না, ডাগরচোখা।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে থাকবে সংযত নয়না, সতী সাধ্বী, ডাগর ডাগর সুন্দর চক্ষু বিশিষ্টা সুন্দরীরা (হুরগণ)।
Sahih International:
And with them will be women limiting [their] glances, with large, [beautiful] eyes,



کَاَنَّهُنَّ بَیْضٌ مَّکْنُوْنٌ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
কাআন্নাহুন্না বাইদুম মাকনূন।
আল বায়ান:
তারা যেন আচ্ছাদিত ডিম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যেন সযত্নে ঢেকে রাখা ডিম।
Sahih International:
As if they were [delicate] eggs, well-protected.



فَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ یَّتَسَآءَلُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআকবালা বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিইঁ ইয়াতাছাআলূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা মুখোমুখি হয়ে পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা পরস্পরের মুখোমুখী হয়ে একে ‘অপরের খবর জিজ্ঞেস করবে।
Sahih International:
And they will approach one another, inquiring of each other.



قَالَ قَآئِلٌ مِّنْهُمْ اِنِّیْ کَانَ لِیْ قَرِیْنٌ ﴿ۙ۵۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কা-ইলুম মিনহুম ইন্নী কা-না লী কারীন।
আল বায়ান:
তাদের একজন বলবে, (‘পৃথিবীতে) আমার এক সঙ্গী ছিল’,
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের একজন বলবে- ‘‘(দুনিয়ায়) আমার ছিল একজন সাথী।
Sahih International:
A speaker among them will say, "Indeed, I had a companion [on earth]



یَّقُوْلُ اَئِنَّکَ لَمِنَ الْمُصَدِّقِیْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াকূ লুআইন্নাকা লামিনাল মুসাদ্দিকীন।
আল বায়ান:
সে বলত, ‘তুমি কি সে লোকদের অন্তর্ভুক্ত যারা বিশ্বাস করে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলত- ‘‘তুমি কি বিশ্বাস কর যে,
Sahih International:
Who would say, 'Are you indeed of those who believe



ءَ اِذَا مِتْنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَ اِنَّا لَمَدِیْنُوْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্না-লামাদীনূন।
আল বায়ান:
‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা যখন মরে যাব আর মাটি ও হাড্ডিতে পরিণত হব তখনো সত্যিই কি আমাদেরকে পুরস্কার ও শাস্তি দেয়া হবে?
Sahih International:
That when we have died and become dust and bones, we will indeed be recompensed?'"



قَالَ هَلْ اَنْتُمْ مُّطَّلِعُوْنَ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হাল আনতুম মুত্তালি‘ঊন।
আল বায়ান:
আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা কি উঁকি দিয়ে দেখবে?’
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বলবেন- ‘ তোমরা কি তাকে উঁকি দিয়ে দেখতে চাও?’
Sahih International:
He will say, "Would you [care to] look?"



فَاطَّلَعَ فَرَاٰهُ فِیْ سَوَآءِ الْجَحِیْمِ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ফাত্তালা‘আ ফারাআ-হু ফী ছাওয়াইল জাহীম।
আল বায়ান:
অতঃপর সে উঁকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে (পৃথিবীর সঙ্গীকে) দেখবে জাহান্নামের মধ্যস্থলে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর সে উঁকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।
Sahih International:
And he will look and see him in the midst of the Hellfire.



قَالَ تَاللّٰهِ اِنْ کِدْتَّ لَتُرْدِیْنِ ﴿ۙ۵۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা তাল্লা-হি ইন কিত্তা লাতুরদীন।
আল বায়ান:
সে বলবে, ‘আল্লাহর কসম! তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিলে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলবে, ‘আল্লাহর কসম! তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে,
Sahih International:
He will say, "By Allah, you almost ruined me.



وَ لَوْ لَا نِعْمَۃُ رَبِّیْ لَکُنْتُ مِنَ الْمُحْضَرِیْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাওলা-নি‘মাতুরাববী লাকুনতুমিনাল মুহদারীন।
আল বায়ান:
‘আমার রবের অনুগ্রহ না থাকলে আমিও তো (জাহান্নামে) হাযিরকৃতদের একজন হতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ না হলে আমিও তো (জাহান্নামের ভিতর) হাজির করা লোকেদের মধ্যে শামিল থাকতাম।
Sahih International:
If not for the favor of my Lord, I would have been of those brought in [to Hell].



اَفَمَا نَحْنُ بِمَیِّتِیْنَ ﴿ۙ۵۸﴾
উচ্চারণ:
আফামা-নাহনু বিমাইয়িতীন।
আল বায়ান:
(জান্নাতবাসী ব্যক্তি বলবে) ‘তাহলে আমরা কি আর মরব না’?
তাইসিরুল কুরআন:
এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না
Sahih International:
Then, are we not to die



اِلَّا مَوْتَتَنَا الْاُوْلٰی وَ مَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِیْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মাওতাতানাল ঊলা-ওয়ামা-নাহনুবিমু‘আযযাবীন।
আল বায়ান:
‘আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া, আর আমরা কি আযাবপ্রাপ্ত হব না’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের প্রথম মৃত্যুর পর, আর আমাদেরকে শাস্তিও দেয়া হবে না।
Sahih International:
Except for our first death, and we will not be punished?"



اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যা-লাহুওয়াল ফাওযুল ‘আজীম।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় এটি মহাসাফল্য!’
তাইসিরুল কুরআন:
এটাই তো মহাসাফল্য।
Sahih International:
Indeed, this is the great attainment.



لِمِثْلِ هٰذَا فَلْیَعْمَلِ الْعٰمِلُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
লিমিছলি হা-যা-ফাল ইয়া‘মালিল ‘আ-মিলূন।
আল বায়ান:
এরূপ সাফল্যের জন্যই ‘আমলকারীদের আমল করা উচিত।
তাইসিরুল কুরআন:
এ রকম সাফল্যের জন্যই ‘আমলকারীদের ‘আমল করা উচিত।
Sahih International:
For the like of this let the workers [on earth] work.



اَذٰلِکَ خَیْرٌ نُّزُلًا اَمْ شَجَرَۃُ الزَّقُّوْمِ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
আযা-লিকা খাইরুন নুযুলান আম শাজারাতুয যাককূম।
আল বায়ান:
আপ্যায়নের জন্য এগুলো উত্তম না যাক্কূম* বৃক্ষ?
তাইসিরুল কুরআন:
আপ্যায়ন হিসেবে এটা উত্তম, না, (জাহান্নামের) জাক্কুম গাছ?
Sahih International:
Is Paradise a better accommodation or the tree of zaqqum?



اِنَّا جَعَلْنٰهَا فِتْنَۃً لِّلظّٰلِمِیْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-জা‘আলনা-হা-ফিতনাতাল লিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাকে যালিমদের জন্য করে দিয়েছি পরীক্ষা।
তাইসিরুল কুরআন:
এ গাছটাকে আমি যালিমদের পরীক্ষা করার জন্য (একটা উপকরণ) বানিয়েছি (কেননা, যালিমরা বলে যে, জাহান্নামের ভিতর আবার গাছ হয় কী করে?)
Sahih International:
Indeed, We have made it a torment for the wrongdoers.



اِنَّهَا شَجَرَۃٌ تَخْرُجُ فِیْۤ اَصْلِ الْجَحِیْمِ ﴿ۙ۶۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহা-শাজারাতুন তাখ রুজুফীআসলিল জাহীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এ গাছটি জাহান্নামের তলদেশ থেকে বের হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা এমন একটা গাছ যা জাহান্নামের তলদেশ থেকে বের হয়।
Sahih International:
Indeed, it is a tree issuing from the bottom of the Hellfire,



طَلْعُهَا کَاَنَّهٗ رُءُوْسُ الشَّیٰطِیْنِ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
তাল‘উহা-কাআন্নাহূরুঊছুশশায়া-তীন।
আল বায়ান:
এর ফল যেন শয়তানের মাথা;
তাইসিরুল কুরআন:
এর চূড়াগুলো যেন শয়ত্বানের মাথা (অর্থাৎ দেখতে খুবই খারাপ।)
Sahih International:
Its emerging fruit as if it was heads of the devils.



فَاِنَّهُمْ لَاٰکِلُوْنَ مِنْهَا فَمَالِـُٔوْنَ مِنْهَا الْبُطُوْنَ ﴿ؕ۶۶﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নাহুম লাআ-কিলূনা মিনহা-ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তারা তা থেকে খাবে এবং তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
জাহান্নামের অধিবাসীরা তাত্থেকে খাবে আর তা দিয়ে পেট পূর্ণ করবে।
Sahih International:
And indeed, they will eat from it and fill with it their bellies.



ثُمَّ اِنَّ لَهُمْ عَلَیْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِیْمٍ ﴿ۚ۶۷﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্না লাহুম ‘আলাইহা- লাশাওবাম মিন হামীম।
আল বায়ান:
তদুপরি তাদের জন্য থাকবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ।
তাইসিরুল কুরআন:
এর উপর তাদেরকে দেয়া হবে ফুটন্ত পানির (পূঁজ সম্বলিত) মিশ্রণ।
Sahih International:
Then indeed, they will have after it a mixture of scalding water.



ثُمَّ اِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَا۠ اِلَی الْجَحِیْمِ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্না মারজি‘আহুম লা ইলাল জাহীম।
আল বায়ান:
তারপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের আগুনে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জ্বলন্ত আগুনের দিকে।
Sahih International:
Then indeed, their return will be to the Hellfire.



اِنَّهُمْ اَلْفَوْا اٰبَآءَهُمْ ضَآلِّیْنَ ﴿ۙ۶۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহুম আলফাও আ-বাআহুম দাল্লীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এরা নিজদের পিতৃপুরুষদেরকে পথভ্রষ্ট পেয়েছিল;
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের পিতৃপুরুষদেরকে বিপথগামী পেয়েছিল।
Sahih International:
Indeed they found their fathers astray.



فَهُمْ عَلٰۤی اٰثٰرِهِمْ یُهْرَعُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ফাহুম ‘আলাআ-ছা-রিহিম ইউহরা‘ঊন।
আল বায়ান:
ফলে তারাও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণে দ্রুত ছুটেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে ছুটে চলেছিল।
Sahih International:
So they hastened [to follow] in their footsteps.



وَ لَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ اَکْثَرُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿ۙ۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ দাল্লা কাবলাহুম আকছারুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় এদের পূর্বে প্রাথমিক যুগের মানুষের বেশীরভাগই পথভ্রষ্ট হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
এদের আগের লোকেদের অধিকাংশই পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
Sahih International:
And there had already strayed before them most of the former peoples,



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا فِیْهِمْ مُّنْذِرِیْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-ফীহিম মুনযিরীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তাদের কাছে আমি সতর্ককারীদেরকে পাঠিয়েছিলাম;
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের মাঝে সতর্ককারী (রসূল) পাঠিয়েছিলাম।
Sahih International:
And We had already sent among them warners.



فَانْظُرْ کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الْمُنْذَرِیْنَ ﴿ۙ۷۳﴾
উচ্চারণ:
ফানজু র কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুনযারীন।
আল বায়ান:
সুতরাং দেখ, যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল তাদের পরিণতি কী হয়েছিল!
তাইসিরুল কুরআন:
এখন দেখ, এই সতর্ক করে দেয়া লোকেদের পরিণাম কী হয়েছিল!
Sahih International:
Then look how was the end of those who were warned -



اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘ইবা-দাল্লা-হিল মুখলাসীন।
আল বায়ান:
অবশ্য আল্লাহর মনোনীত বান্দারা ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ট বান্দাদের কথা ভিন্ন (এ সব খারাপ পরিণতি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিল।)
Sahih International:
But not the chosen servants of Allah.



وَ لَقَدْ نَادٰىنَا نُوْحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِیْبُوْنَ ﴿۫ۖ۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা কাদ না-দা-না-নূহুন ফালানি‘মাল মুজীবূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় নূহ আমাকে ডেকেছিল, আর আমি কতইনা উত্তম সাড়াদানকারী!
তাইসিরুল কুরআন:
(ইতোপূর্বে) নূহ আমাকে ডেকেছিল, অতঃপর (দেখ) আমি কতই না উত্তম সাড়াদাতা ছিলাম!
Sahih International:
And Noah had certainly called Us, and [We are] the best of responders.



وَ نَجَّیْنٰهُ وَ اَهْلَهٗ مِنَ الْکَرْبِ الْعَظِیْمِ ﴿۫ۖ۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাজ্জাইনা-হু ওয়া আহলাহূমিনাল কারবিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর তাকে ও তার পরিজনকে আমি মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তাকে আর তার পরিবারবর্গকে আমি মহা বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম।
Sahih International:
And We saved him and his family from the great affliction.



وَ جَعَلْنَا ذُرِّیَّتَهٗ هُمُ الْبٰقِیْنَ ﴿۫ۖ۷۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনা- যুররিইইয়াতাহূহুমুল বাকীন।
আল বায়ান:
আর তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
আর তার বংশধরদেরকেই আমি বংশানুক্রমে বিদ্যমান রাখলাম।
Sahih International:
And We made his descendants those remaining [on the earth]



وَ تَرَکْنَا عَلَیْهِ فِی الْاٰخِرِیْنَ ﴿۫ۖ۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তারাকনা-‘আলাইহি ফিল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
আর পরবর্তীদের মধ্যে তার জন্য (সুখ্যাতি) রেখে দিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম।
Sahih International:
And left for him [favorable mention] among later generations:



سَلٰمٌ عَلٰی نُوْحٍ فِی الْعٰلَمِیْنَ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
ছালা-মুন ‘আলা-নূহিন ফিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
শান্তি বর্ষিত হোক নূহের উপর সকল সৃষ্টির মধ্যে।
তাইসিরুল কুরআন:
বিশ্বজগতে নূহের প্রতি সালাম/শান্তি বর্ষিত হোক।
Sahih International:
"Peace upon Noah among the worlds."



اِنَّا کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-কাযা-লিকা নাজযিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এভাবে আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার দিয়ে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Sahih International:
Indeed, We thus reward the doers of good.



اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূমিন ‘ইবা-দিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় সে আমার মুমিন বান্দাদের একজন।
তাইসিরুল কুরআন:
সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের একজন।
Sahih International:
Indeed, he was of Our believing servants.



ثُمَّ اَغْرَقْنَا الْاٰخَرِیْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আগরাকনাল আ-খারীন।
আল বায়ান:
তারপর আমি অন্যদের ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর অন্যদের আমি ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।
Sahih International:
Then We drowned the disbelievers.



وَ اِنَّ مِنْ شِیْعَتِهٖ لَاِبْرٰهِیْمَ ﴿ۘ۸۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না মিন শী‘আতিহী লাইবরা-হীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় ইবরাহীম তার দীনের অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই ইবরাহীম ছিল তারই দলের লোক।
Sahih International:
And indeed, among his kind was Abraham,



اِذْ جَآءَ رَبَّهٗ بِقَلْبٍ سَلِیْمٍ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
ইযজাআ রাব্বাহূবিকালবিন ছালীম।
আল বায়ান:
যখন সে বিশুদ্ধচিত্তে তার রবের নিকট উপস্থিত হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
সে যখন তার প্রতিপালকের কাছে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে হাজির হল,
Sahih International:
When he came to his Lord with a sound heart



اِذْ قَالَ لِاَبِیْهِ وَ قَوْمِهٖ مَاذَا تَعْبُدُوْنَ ﴿ۚ۸۵﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লিআবীহি ওয়া কাওমিহী মা-যা-তা‘বুদূন।
আল বায়ান:
যখন সে তার পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা কিসের ইবাদত কর’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে তখন তার পিতাকে ও তার জাতিকে বলল, ‘তোমরা কিসের ‘ইবাদাত কর?
Sahih International:
[And] when he said to his father and his people, "What do you worship?



اَئِفْکًا اٰلِهَۃً دُوْنَ اللّٰهِ تُرِیْدُوْنَ ﴿ؕ۸۶﴾
উচ্চারণ:
আইফকান আ-লিহাতান দূনাল্লা-হি তুরীদূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে মিথ্যা উপাস্যগুলোকে চাও’?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে মিথ্যে মা’বুদ পেতে চাও?
Sahih International:
Is it falsehood [as] gods other than Allah you desire?



فَمَا ظَنُّکُمْ بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ফমা-জান্নুকুম বিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
‘তাহলে সকল সৃষ্টির রব সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কী’?
তাইসিরুল কুরআন:
বিশ্ব জগতের প্রতিপালক সম্পর্কে তোমরা কী ধারণা পোষণ কর?
Sahih International:
Then what is your thought about the Lord of the worlds?"



فَنَظَرَ نَظْرَۃً فِی النُّجُوْمِ ﴿ۙ۸۸﴾
উচ্চারণ:
ফানাজারা নাজরাতান ফিননুজূম।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তারকারাজির মধ্যে একবার দৃষ্টি দিল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারকারাজির দিকে সে একবার তাকাল (অর্থাৎ চিন্তে ভাবনা করল)
Sahih International:
And he cast a look at the stars



فَقَالَ اِنِّیْ سَقِیْمٌ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-লা ইন্নী ছাকীম।
আল বায়ান:
তারপর বলল, ‘আমি তো অসুস্থ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর বলল, ‘‘আমি অসুস্থ।’’
Sahih International:
And said, "Indeed, I am [about to be] ill."



فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِیْنَ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
ফাতওয়াল্লাও ‘আনহু মুদবিরীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে তার কাছ থেকে চলে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা তাকে পেছনে রেখে চলে গেল।
Sahih International:
So they turned away from him, departing.



فَرَاغَ اِلٰۤی اٰلِهَتِهِمْ فَقَالَ اَلَا تَاْکُلُوْنَ ﴿ۚ۹۱﴾
উচ্চারণ:
ফারা-গা ইলাআ-লিহাতিহিম ফাকা-লা আলা-তা’কুলূন।
আল বায়ান:
তারপর চুপে চুপে সে তাদের দেবতাদের কাছে গেল এবং বলল, ‘তোমরা কি খাবে না?’
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর সে চুপে চুপে তাদের উপাস্যদের কাছে ঢুকে পড়ল আর বলল, (আপনাদের সম্মুখে রাখা এত উপাদেয় খাবার) আপনারা খাচ্ছেন না কেন?
Sahih International:
Then he turned to their gods and said, "Do you not eat?



مَا لَکُمْ لَا تَنْطِقُوْنَ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
মা-লাকুম লা-তানতিকূন।
আল বায়ান:
‘তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা কথা বলছ না’?
তাইসিরুল কুরআন:
কী হয়েছে আপনাদের, কথা বলছেন না কেন?
Sahih International:
What is [wrong] with you that you do not speak?"



فَرَاغَ عَلَیْهِمْ ضَرْبًۢا بِالْیَمِیْنِ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
ফারা-গা ‘আলাইহিম দারবাম বিলইয়ামীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তাদের উপর সজোরে আঘাত হানল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সজোরে আঘাত করল।
Sahih International:
And he turned upon them a blow with [his] right hand.



فَاَقْبَلُوْۤا اِلَیْهِ یَزِفُّوْنَ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ফাআকবালূইলাইহি ইয়াযিফফূন।
আল বায়ান:
তখন লোকেরা তার দিকে ছুটে আসল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন লোকেরা (ফিরে এসে) তার দিকে ছুটে আসল।
Sahih International:
Then the people came toward him, hastening.



قَالَ اَتَعْبُدُوْنَ مَا تَنْحِتُوْنَ ﴿ۙ۹۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আতা‘বুদূনা মা-তানহিতূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমরা নিজেরা খোদাই করে যেগুলো বানাও, তোমরা কি সেগুলোর উপাসনা কর’,
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘‘তোমরা (পাথর) খোদাই করে সেগুলো নিজেরা বানাও, সেগুলোরই আবার ‘ইবাদাত কর?
Sahih International:
He said, "Do you worship that which you [yourselves] carve,



وَ اللّٰهُ خَلَقَکُمْ وَ مَا تَعْمَلُوْنَ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু খালাকাকুম ওয়ামা-তা‘মালূন।
আল বায়ান:
‘অথচ আল্লাহই তোমাদেরকে এবং তোমরা যা কর তা সৃষ্টি করেছেন’?
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে আর তোমরা যা তৈরি কর সেগুলোকেও।
Sahih International:
While Allah created you and that which you do?"



قَالُوا ابْنُوْا لَهٗ بُنْیَانًا فَاَلْقُوْهُ فِی الْجَحِیْمِ ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লুবনূলাহূবুনইয়া-নান ফাআলকূহু ফিল জাহীম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তার জন্য একটি স্থাপনা তৈরী কর, তারপর তাকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘তার জন্য একটা অগ্নিকুন্ড তৈরি কর, অতঃপর তাকে আগুনে নিক্ষেপ কর।’
Sahih International:
They said, "Construct for him a furnace and throw him into the burning fire."



فَاَرَادُوْا بِهٖ کَیْدًا فَجَعَلْنٰهُمُ الْاَسْفَلِیْنَ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআরাদূবিহী কাইদান ফাজা‘আলনা-হুমুল আছফালীন।
আল বায়ান:
আর তারা তার ব্যাপারে একটা ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তাদেরকে সম্পূর্ণ পরাভূত করে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তাদেরকে এক্কেবারে হীন করে ছাড়লাম।
Sahih International:
And they intended for him a plan, but We made them the most debased.



وَ قَالَ اِنِّیْ ذَاهِبٌ اِلٰی رَبِّیْ سَیَهْدِیْنِ ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা ইন্নী যা-হিবুন ইলা-রাববী ছাইয়াহদীন।
আল বায়ান:
আর সে বলল, ‘আমি আমার রবের দিকে যাচ্ছি, তিনি অবশ্যই আমাকে হিদায়াত করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের দিকে চললাম, তিনি আমাকে অবশ্যই সঠিক পথ দেখাবেন।
Sahih International:
And [then] he said, "Indeed, I will go to [where I am ordered by] my Lord; He will guide me.



رَبِّ هَبْ لِیْ مِنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۱۰۰﴾
উচ্চারণ:
রাব্বি হাবলী মিনাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
‘হে আমার রব, আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে এক সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান কর।
Sahih International:
My Lord, grant me [a child] from among the righteous."



فَبَشَّرْنٰهُ بِغُلٰمٍ حَلِیْمٍ ﴿۱۰۱﴾
উচ্চারণ:
ফাবাশশারনা-হু বিগুলা-মিন হালীম।
আল বায়ান:
অতঃপর তাকে আমি পরম ধৈর্যশীল একজন পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে এক অতি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।
Sahih International:
So We gave him good tidings of a forbearing boy.



فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْیَ قَالَ یٰبُنَیَّ اِنِّیْۤ اَرٰی فِی الْمَنَامِ اَنِّیْۤ اَذْبَحُکَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرٰی ؕ قَالَ یٰۤاَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ ۫ سَتَجِدُنِیْۤ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِیْنَ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-বালাগা মা‘আহুছ ছা‘ইয়া কা-লা ইয়া-বুনাইইয়া ইন্নীআরা-ফিল মানা-মি আন্নী আযবাহুকা ফানজুর মা-যা-তারা- কা-লা ইয়াআবাতিফ‘আল মা-তু’মারু ছাতাজিদুনীইন শা-আল্লা-হু মিনাসসা-বিরীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে তার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন সে বলল, ‘হে প্রিয় বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, অতএব দেখ তোমার কী অভিমত’; সে বলল, ‘হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। আমাকে ইনশাআল্লাহ আপনি অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে চলাফিরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন ইবরাহীম (আঃ) বলল, ‘বৎস! আমি স্বপে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ‘হে পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন।
Sahih International:
And when he reached with him [the age of] exertion, he said, "O my son, indeed I have seen in a dream that I [must] sacrifice you, so see what you think." He said, "O my father, do as you are commanded. You will find me, if Allah wills, of the steadfast."



فَلَمَّاۤ اَسْلَمَا وَ تَلَّهٗ لِلْجَبِیْنِ ﴿۱۰۳﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফালাম্মাআছলামা-ওয়া তাল্লাহূলিলজাবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা উভয়ে যখন আত্মসমর্পণ করল এবং সে তাকে* কাত করে শুইয়ে দিল
তাইসিরুল কুরআন:
দু’জনেই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল। আর ইবরাহীম তাকে উপুড় ক’রে শুইয়ে দিল।
Sahih International:
And when they had both submitted and he put him down upon his forehead,



وَ نَادَیْنٰهُ اَنْ یّٰۤاِبْرٰهِیْمُ ﴿۱۰۴﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া না-দাইনা-হু আইঁ ইয়াইবরা-হীম।
আল বায়ান:
তখন আমি তাকে আহবান করে বললাম, ‘হে ইবরাহীম,
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ‘হে ইবরাহীম!
Sahih International:
We called to him, "O Abraham,



قَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْیَا ۚ اِنَّا کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۱۰۵﴾
উচ্চারণ:
কাদ সাদ্দাকতার রু’ইয়া- ইন্না-কাযা-লিকা নাজযিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
‘তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। নিশ্চয় আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্বপ্নে দেয়া আদেশ তুমি সত্যে পরিণত করেই ছাড়লে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Sahih International:
You have fulfilled the vision." Indeed, We thus reward the doers of good.



اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْبَلٰٓـؤُا الْمُبِیْنُ ﴿۱۰۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যা-লাহুওয়াল বালাউল মুবীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট পরীক্ষা’।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
Sahih International:
Indeed, this was the clear trial.



وَ فَدَیْنٰهُ بِذِبْحٍ عَظِیْمٍ ﴿۱۰۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফাদাইনা-হু বিযিবহিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর আমি এক মহান যবেহের* বিনিময়ে তাকে মুক্ত করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে পুত্রটিকে ছাড়িয়ে নিলাম।
Sahih International:
And We ransomed him with a great sacrifice,



وَ تَرَکْنَا عَلَیْهِ فِی الْاٰخِرِیْنَ ﴿۱۰۸﴾ۖ
উচ্চারণ:
ওয়া তারাকনা-‘আলাইহি ফিল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
আর তার জন্য আমি পরবর্তীদের মধ্যে সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম।
Sahih International:
And We left for him [favorable mention] among later generations:



سَلٰمٌ عَلٰۤی اِبْرٰهِیْمَ ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
ছালা-মুন ‘আলাইবরা-হীম।
আল বায়ান:
ইবরাহীমের প্রতি সালাম।
তাইসিরুল কুরআন:
ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক!
Sahih International:
"Peace upon Abraham."



کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা নাজযিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Sahih International:
Indeed, We thus reward the doers of good.



اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূমিন ‘ইবা-দিনাল মু’মুনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় সে আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
Indeed, he was of Our believing servants.



وَ بَشَّرْنٰهُ بِاِسْحٰقَ نَبِیًّا مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۱۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বাশশারনা-হু বিইছহা-কা নাবিইয়াম মিনাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে ইসহাকের সুসংবাদ দিয়েছিলাম, সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত একজন নবী হিসেবে,
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলাম ইসহাকের- যে ছিল সৎকর্মশীল বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত একজন নবী।
Sahih International:
And We gave him good tidings of Isaac, a prophet from among the righteous.



وَ بٰرَکْنَا عَلَیْهِ وَ عَلٰۤی اِسْحٰقَ ؕ وَ مِنْ ذُرِّیَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَّ ظَالِمٌ لِّنَفْسِهٖ مُبِیْنٌ ﴿۱۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বা-রাকনা ‘আলাইহিওয়া ‘আলাইছহা-ক ওয়া মিন যুররিইইয়াতিহিমামুহছিনুওঁ ওয়া জা-লিমুল লিনাফছিহী মুবীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে ও ইসহাককে বরকত দান করেছিলাম, আর তাদের বংশধরদের মধ্যে কেউ কেউ ছিল সৎকর্মশীল এবং কেউ নিজের প্রতি স্পষ্ট যালিম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি বরকত দিলাম তাকে আর ইসহাককে; (তাদের দু’জনের) বংশধরদের কতক সৎকর্মশীল, আর কতক নিজেদের প্রতি সুস্পষ্ট যুলুমকারী।
Sahih International:
And We blessed him and Isaac. But among their descendants is the doer of good and the clearly unjust to himself.



وَ لَقَدْ مَنَنَّا عَلٰی مُوْسٰی وَ هٰرُوْنَ ﴿۱۱۴﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ মান্নান্না-‘আলা-মূছা-ওয়া হা-রূন।
আল বায়ান:
আর আমি নিশ্চয় হারূন ও মূসার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসা ও হারূনের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম।
Sahih International:
And We did certainly confer favor upon Moses and Aaron.



وَ نَجَّیْنٰهُمَا وَ قَوْمَهُمَا مِنَ الْکَرْبِ الْعَظِیْمِ ﴿۱۱۵﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া নাজ্জাইনা-হুমা ওয়া কাওমাহুমা-মিনাল কারবিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে ও তাদের কওমকে মহাসংকট থেকে নাজাত দিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের দু’জনকে এবং তাদের জাতিকে মহা বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলাম।
Sahih International:
And We saved them and their people from the great affliction,



وَ نَصَرْنٰهُمْ فَکَانُوْا هُمُ الْغٰلِبِیْنَ ﴿۱۱۶﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া নাসারনা-হু ফাকা-নূহুমুল গা-লিবীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, যার ফলে তারাই বিজয়ী হয়েছিল।
Sahih International:
And We supported them so it was they who overcame.



وَ اٰتَیْنٰهُمَا الْکِتٰبَ الْمُسْتَبِیْنَ ﴿۱۱۷﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া আ-তাইনা-হুমাল কিতা-বাল মুছতাবীন।
আল বায়ান:
আর আমি উভয়কে সুস্পষ্ট কিতাব দান করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।
Sahih International:
And We gave them the explicit Scripture,



وَ هَدَیْنٰهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ﴿۱۱۸﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া হাদাইনা-হুমাসসিরাতাল মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আর আমি দু’জনকেই সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের উভয়কে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেছিলাম।
Sahih International:
And We guided them on the straight path.



وَ تَرَکْنَا عَلَیْهِمَا فِی الْاٰخِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া তারাকনা-‘আলাইহিমা-ফিল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের উভয়কে পরবর্তীদের জন্য স্মরণীয় করে রাখলাম।
Sahih International:
And We left for them [favorable mention] among later generations:



سَلٰمٌ عَلٰی مُوْسٰی وَ هٰرُوْنَ ﴿۱۲۰﴾
উচ্চারণ:
ছালা-মুন ‘আলা-মূছা-ওয়া হা-রূন।
আল বায়ান:
মূসা ও হারূনের প্রতি সালাম।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা ও হারূনের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
Sahih International:
"Peace upon Moses and Aaron."



اِنَّا کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۱۲۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-কাযা-লিকা নাজযিল মুহছীনীন।
আল বায়ান:
আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Sahih International:
Indeed, We thus reward the doers of good.



اِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۲۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহুমা-মিন ‘ইবা-দিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তারা দু’জনই ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা দু’জন ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
Indeed, they were of Our believing servants.



وَ اِنَّ اِلْیَاسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۲۳﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না ইলইয়াছা লামিনাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর ইলইয়াসও ছিল রাসূলদের একজন।
তাইসিরুল কুরআন:
ইলিয়াসও ছিল অবশ্যই রসূলদের একজন।
Sahih International:
And indeed, Elias was from among the messengers,



اِذْ قَالَ لِقَوْمِهٖۤ اَلَا تَتَّقُوْنَ ﴿۱۲۴﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লা লিকাওমিহীআলা-তাত্তাকূন।
আল বায়ান:
যখন সে তার কওমকে বলেছিল ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন সে তার জাতিকে বলেছিল, ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
Sahih International:
When he said to his people, "Will you not fear Allah?



اَتَدْعُوْنَ بَعْلًا وَّ تَذَرُوْنَ اَحْسَنَ الْخَالِقِیْنَ ﴿۱۲۵﴾ۙ
উচ্চারণ:
আ তাদ‘ঊনা বা‘লাওঁ ওয়া তাযারূনা আহছানাল খা-লিকীন।
আল বায়ান:
তোমরা কি ‘বা’ল’ কে* ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা-
তাইসিরুল কুরআন:
‘তোমরা কি বা‘য়ালকে ডাক, আর পরিত্যাগ কর সর্বোত্তম সৃষ্টিকারী
Sahih International:
Do you call upon Ba'l and leave the best of creators -



اللّٰهَ رَبَّکُمْ وَ رَبَّ اٰبَآئِکُمُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۲۶﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হা রাব্বাকুম ওয়া রাব্বা আ-বাই কুমুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আল্লাহকে, যিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদেরও রব’?
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহকে, যিনি তোমাদের প্রতিপালক আর তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদেরও প্রতিপালক।
Sahih International:
Allah, your Lord and the Lord of your first forefathers?"



فَکَذَّبُوْهُ فَاِنَّهُمْ لَمُحْضَرُوْنَ ﴿۱۲۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফাকাযযাবূহু ফাইন্নাহুম লামুহদারূন।
আল বায়ান:
কিন্তু তারা তাকে অস্বীকার করেছিল, ফলে তাদেরকে অবশ্যই (আযাবের জন্য) উপস্থিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা তাকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করল, কাজেই তাদেরকে অবশ্যই (শাস্তির জন্য) হাজির করা হবে।
Sahih International:
And they denied him, so indeed, they will be brought [for punishment],



اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ ﴿۱۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘ইবাদাল্লা-হিল মুখলাসীন।
আল বায়ান:
আল্লাহর (আনুগত্যের জন্য) মনোনীত বান্দাগণ ছাড়া ।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাহদেরকে নয়।
Sahih International:
Except the chosen servants of Allah.



وَ تَرَکْنَا عَلَیْهِ فِی الْاٰخِرِیْنَ ﴿۱۲۹﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া তারাকনা-‘আলাইহি ফিল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
আর আমি তার জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সুনাম সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম।
Sahih International:
And We left for him [favorable mention] among later generations:



سَلٰمٌ عَلٰۤی اِلْ یَاسِیْنَ ﴿۱۳۰﴾
উচ্চারণ:
ছালা-মুন ‘আলাইলইয়া-ছীন।
আল বায়ান:
ইলইয়াসের প্রতি সালাম।
তাইসিরুল কুরআন:
ইলিয়াসের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
Sahih International:
"Peace upon Elias."



اِنَّا کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۱۳۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-কাযা-লিকা নাজযিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Sahih International:
Indeed, We thus reward the doers of good.



اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۳۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহু মিন ‘ইবা-দিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় সে ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তুর্ভুক্ত।
Sahih International:
Indeed, he was of Our believing servants.



وَ اِنَّ لُوْطًا لَّمِنَ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۳۳﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না লূতাল্লা মিনাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় লূতও ছিল রাসূলদেরই একজন।
তাইসিরুল কুরআন:
লূতও ছিল অবশ্যই রসূলদের একজন।
Sahih International:
And indeed, Lot was among the messengers.



اِذْ نَجَّیْنٰهُ وَ اَهْلَهٗۤ اَجْمَعِیْنَ ﴿۱۳۴﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইযনাজ্জাইনা-হু ওয়া আহলাহূআজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
যখন আমি তাকে ও তার পরিবার পরিজন সকলকে নাজাত দিয়েছিলাম-
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর যখন আমি তাকে আর তার পরিবারের সকলকে উদ্ধার করেছিলাম
Sahih International:
[So mention] when We saved him and his family, all,



اِلَّا عَجُوْزًا فِی الْغٰبِرِیْنَ ﴿۱۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘আজূযান ফিল গা-বিরীন।
আল বায়ান:
পিছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত এক বৃদ্ধা ছাড়া ।
তাইসিরুল কুরআন:
এক বৃদ্ধা ছাড়া- সে ছিল পিছ-পড়াদের একজন।
Sahih International:
Except his wife among those who remained [with the evildoers].



ثُمَّ دَمَّرْنَا الْاٰخَرِیْنَ ﴿۱۳۶﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা দাম্মার নাল আ-খারীন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি অবশিষ্টদেরকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর অন্য সব্বাইকে আমি পুরোপুরি ধ্বংস করে ছিয়েছিলাম।
Sahih International:
Then We destroyed the others.



وَ اِنَّکُمْ لَتَمُرُّوْنَ عَلَیْهِمْ مُّصْبِحِیْنَ ﴿۱۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাকুম লাতামুররূনা ‘আলাইহিম মুসবিহীন।
আল বায়ান:
আর তোমরা নিশ্চয় তাদের (ধ্বংসাবশেষের) উপর দিয়ে অতিক্রম করে থাক সকালে-
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তো তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বসতিগুলোর উপর দিয়ে অবশ্যই চলাচল কর সকালে
Sahih International:
And indeed, you pass by them in the morning



وَ بِالَّیْلِ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ﴿۱۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বিল্লাইলি আফালা-তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
ও রাতে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
ও সন্ধ্যায়, তোমরা কি বুঝবে না?
Sahih International:
And at night. Then will you not use reason?



وَ اِنَّ یُوْنُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۳۹﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না ইঊনুছা লামিনাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় ইউনুসও ছিল রাসূলদের একজন।
তাইসিরুল কুরআন:
ইউনুসও ছিল রসূলদের একজন।
Sahih International:
And indeed, Jonah was among the messengers.



اِذْ اَبَقَ اِلَی الْفُلْکِ الْمَشْحُوْنِ ﴿۱۴۰﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইয আবাকা ইলাল ফুলকিল মাশহূন।
আল বায়ান:
যখন সে একটি বোঝাই নৌযানের দিকে পালিয়ে গিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন সে পালিয়ে বোঝাই নৌকায় পৌঁছেছিল।
Sahih International:
[Mention] when he ran away to the laden ship.



فَسَاهَمَ فَکَانَ مِنَ الْمُدْحَضِیْنَ ﴿۱۴۱﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফাছা-হামা ফাকা-না মিনাল মুদ হাদীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে লটারীতে অংশগ্রহণ করল এবং তাতে সে হেরে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর (দোষী খুঁজার জন্য যে লটারী করা হল সেই) লটারীতে সে অংশ নিল আর তাতে হেরে গেল।
Sahih International:
And he drew lots and was among the losers.



فَالْتَقَمَهُ الْحُوْتُ وَ هُوَ مُلِیْمٌ ﴿۱۴۲﴾
উচ্চারণ:
ফালতাকামাহুল হূতুওয়া হুওয়া মুলীম।
আল বায়ান:
তারপর বড় মাছ তাকে গিলে ফেলল। আর সে (নিজেকে) ধিক্কার দিচ্ছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
পরে একটা বড় মাছে তাকে গিলে ফেলল, সে কাজ করেছিল ধিক্কারযোগ্য।
Sahih International:
Then the fish swallowed him, while he was blameworthy.



فَلَوْ لَاۤ اَنَّهٗ کَانَ مِنَ الْمُسَبِّحِیْنَ ﴿۱۴۳﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফালাওলাআন্নাহূকা-না মিনাল মুছাব্বিহীন।
আল বায়ান:
আর সে যদি (আল্লাহর) তাসবীহ পাঠকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হত,
তাইসিরুল কুরআন:
সে যদি (অনুতপ্ত হয়ে) আল্লাহর তাসবীহকারী না হত,
Sahih International:
And had he not been of those who exalt Allah,



لَلَبِثَ فِیْ بَطْنِهٖۤ اِلٰی یَوْمِ یُبْعَثُوْنَ ﴿۱۴۴﴾ۚؒ
উচ্চারণ:
লালাবিছা ফী বাতনিহীইলা-ইয়াওমি ইউব‘আছূন।
আল বায়ান:
তাহলে সে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত তার পেটেই থেকে যেত।
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে নিশ্চিতই তাকে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত মাছের পেটে থাকতে হত।
Sahih International:
He would have remained inside its belly until the Day they are resurrected.



فَنَبَذْنٰهُ بِالْعَرَآءِ وَ هُوَ سَقِیْمٌ ﴿۱۴۵﴾ۚ
উচ্চারণ:
ফানাবাযনা-হু বিল‘আরাই ওয়া হুওয়া ছাকীম।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তাকে তৃণলতাহীন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম এবং সে ছিল অসুস্থ।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে তৃণলতাহীন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, আর সে ছিল রুগ্ন।
Sahih International:
But We threw him onto the open shore while he was ill.



وَ اَنْۢبَتْنَا عَلَیْهِ شَجَرَۃً مِّنْ یَّقْطِیْنٍ ﴿۱۴۶﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া আমবাতনা ‘আলাইহি শাজারাতাম মিইঁ ইয়াকতীন।
আল বায়ান:
আর আমি একটি ইয়াকতীন* গাছ তার উপর উদগত করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তার উপর লাউ-কুমড়া জাতীয় লতা-পাতাযুক্ত একটা গাছ বের করে দিলাম।
Sahih International:
And We caused to grow over him a gourd vine.



وَ اَرْسَلْنٰهُ اِلٰی مِائَۃِ اَلْفٍ اَوْ یَزِیْدُوْنَ ﴿۱۴۷﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া আরছালনা-হু ইলা-মিআতি আলফিন আও ইয়াযীদূন।
আল বায়ান:
এবং তাকে আমি এক লক্ষ বা তার চেয়েও বেশী লোকের কাছে পাঠালাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাকে এক লাখ বা তার চেয়ে বেশি লোকের কাছে পাঠালাম।
Sahih International:
And We sent him to [his people of] a hundred thousand or more.



فَاٰمَنُوْا فَمَتَّعْنٰهُمْ اِلٰی حِیْنٍ ﴿۱۴۸﴾ؕ
উচ্চারণ:
ফাআ-মানূফামাত্তা‘না-হুম ইলা-হীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা ঈমান আনল, ফলে আমি তাদেরকে কিছুকাল পর্যন্ত উপভোগ করতে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা ঈমান আনল, কাজেই আমি তাদেরকে কিছুকাল পর্যন্ত জীবন উপভোগ করতে দিলাম।
Sahih International:
And they believed, so We gave them enjoyment [of life] for a time.



فَاسْتَفْتِهِمْ اَلِرَبِّکَ الْبَنَاتُ وَ لَهُمُ الْبَنُوْنَ ﴿۱۴۹﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফাছতাফতিহিম আ লিরাব্বিকাল বানা-তুওয়া লাহুমুল বানূন।
আল বায়ান:
অতএব তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘তোমার রবের জন্য কি কন্যা সন্তান এবং তাদের জন্য পুত্র সন্তান’?
তাইসিরুল কুরআন:
এখন তুমি তাদেরকে (অর্থাৎ মক্কার কাফিরদেরকে) জিজ্ঞেস কর ‘কন্যাগুলোই কি তোমাদের প্রতিপালকের জন্য, আর তাদের নিজেদের জন্য পুত্রগণ?
Sahih International:
So inquire of them, [O Muhammad], "Does your Lord have daughters while they have sons?



اَمْ خَلَقْنَا الْمَلٰٓئِکَۃَ اِنَاثًا وَّ هُمْ شٰهِدُوْنَ ﴿۱۵۰﴾
উচ্চারণ:
আম খালাকনাল মালাইকাতা ইনা-ছাওঁ ওয়া হুম শা-হিদূন।
আল বায়ান:
অথবা আমি কি ফেরেশতাদেরকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছিলাম আর তারা তা প্রত্যক্ষ করছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি আমি ফেরেশতাদেরকে মেয়ে হিসেবে সৃষ্টি করেছিলাম আর তারা (অর্থাৎ মক্কার কাফিররা সেখানে) হাজির ছিল?
Sahih International:
Or did We create the angels as females while they were witnesses?"



اَلَاۤ اِنَّهُمْ مِّنْ اِفْکِهِمْ لَیَقُوْلُوْنَ ﴿۱۵۱﴾ۙ
উচ্চারণ:
আলাইন্নাহুম মিন ইফকিহিম লাইয়াকূলূন।
আল বায়ান:
জেনে রাখ, তারা অবশ্যই তাদের মনগড়া কথা বলে যে,
তাইসিরুল কুরআন:
দেখ, তারা অবশ্যই তাদের মন-গড়া কথা বলে যে,
Sahih International:
Unquestionably, it is out of their [invented] falsehood that they say,



وَلَدَ اللّٰهُ ۙ وَ اِنَّهُمْ لَکٰذِبُوْنَ ﴿۱۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাদাল্লা-হু ওয়া ইন্নাহুম লাকা-যিবূন।
আল বায়ান:
‘আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন’ আর তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তারা অবশ্যই মিথ্যেবাদী।
Sahih International:
" Allah has begotten," and indeed, they are liars.



اَصْطَفَی الْبَنَاتِ عَلَی الْبَنِیْنَ ﴿۱۵۳﴾ؕ
উচ্চারণ:
আসতাফাল বানা-তি ‘আলাল বানীন।
আল বায়ান:
তিনি কি পুত্রসন্তানদের উপর কন্যা সন্তানদের বেছে নিয়েছেন?
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি কি পুত্রদের চেয়ে কন্যাদেরকেই বেশি পছন্দ করেছেন?
Sahih International:
Has He chosen daughters over sons?



مَا لَکُمْ ۟ کَیْفَ تَحْکُمُوْنَ ﴿۱۵۴﴾
উচ্চারণ:
মা-লাকুম কাইফা তাহকুমূন।
আল বায়ান:
তোমাদের কী হল? তোমরা কেমন ফয়সালা করছ!
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের কী হয়েছে, তোমরা কেমন ফয়সালা করছ?
Sahih International:
What is [wrong] with you? How do you make judgement?



اَفَلَا تَذَکَّرُوْنَ ﴿۱۵۵﴾ۚ
উচ্চারণ:
আফালা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
তাহলে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?
Sahih International:
Then will you not be reminded?



اَمْ لَکُمْ سُلْطٰنٌ مُّبِیْنٌ ﴿۱۵۶﴾ۙ
উচ্চারণ:
আম লাকুম ছুলতা-নুম মুবীন।
আল বায়ান:
নাকি তোমাদের কোন সুস্পষ্ট দলীল- প্রমাণ আছে?
তাইসিরুল কুরআন:
(তোমরা যা বলছ তার স্বপক্ষে) তোমাদের কি সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ আছে?
Sahih International:
Or do you have a clear authority?



فَاْتُوْا بِکِتٰبِکُمْ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۱۵۷﴾
উচ্চারণ:
ফা’তূবিকিতা-বিকুম ইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
অতএব তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব নিয়ে আস।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা সত্যবাদী হলে নিয়ে এসো তোমাদের কিতাব।
Sahih International:
Then produce your scripture, if you should be truthful.



وَ جَعَلُوْا بَیْنَهٗ وَ بَیْنَ الْجِنَّۃِ نَسَبًا ؕ وَ لَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّۃُ اِنَّهُمْ لَمُحْضَرُوْنَ ﴿۱۵۸﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়াজা‘আলূবাইনাহূওয়া বাইনাল জিন্নাতি নাছাবাওঁ ওয়ালাকাদ ‘আলিমাতিল জিন্নাতু ইন্নাহুম লামুহদারূন।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহ ও জিন জাতির মধ্যে একটা বংশসম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জিন জাতি জানে যে, নিশ্চয় তাদেরকেও উপস্থিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহ ও জ্বিন জাতির মাঝে একটা বংশ সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা ভালভাবে জানে যে, তাদেরকেও শাস্তির জন্য অবশ্যই হাজির করা হবে।
Sahih International:
And they have claimed between Him and the jinn a lineage, but the jinn have already known that they [who made such claims] will be brought to [punishment].



سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یَصِفُوْنَ ﴿۱۵۹﴾ۙ
উচ্চারণ:
ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ সে সব থেকে অতিপবিত্র ও মহান, যা তারা আরোপ করে,
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যা বলে আল্লাহ সে সব (দোষ-ত্রুটি) থেকে পবিত্র।
Sahih International:
Exalted is Allah above what they describe,



اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ ﴿۱۶۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘ইবাদাল্লা-হিল মুখলাসীন।
আল বায়ান:
তবে আল্লাহর (আনুগত্যের জন্য) নির্বাচিত বান্দাগণ ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দারা এসব কথা বলে না।
Sahih International:
Except the chosen servants of Allah [who do not share in that sin].



فَاِنَّکُمْ وَ مَا تَعْبُدُوْنَ ﴿۱۶۱﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফাইন্নাকুম ওয়ামা-তা‘বুদূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমরা এবং তোমরা যাদের ইবাদাত কর তারা-
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আর তোমরা যাদের ‘ইবাদাত কর তারা
Sahih International:
So indeed, you [disbelievers] and whatever you worship,



مَاۤ اَنْتُمْ عَلَیْهِ بِفٰتِنِیْنَ ﴿۱۶۲﴾ۙ
উচ্চারণ:
মাআনতুম ‘আলাইহি বিফা-তিনীন।
আল বায়ান:
তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে (মুমিনদের) কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে তোমরা কাউকেও ফিতনায় ফেলতে পারবে না।
Sahih International:
You cannot tempt [anyone] away from Him



اِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِیْمِ ﴿۱۶۳﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মান হুওয়া সা-লিল জাহীম।
আল বায়ান:
জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশকারী ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
পারবে কেবল তাকে, যে জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশকারী।
Sahih International:
Except he who is to [enter and] burn in the Hellfire.



وَ مَا مِنَّاۤ اِلَّا لَهٗ مَقَامٌ مَّعْلُوْمٌ ﴿۱۶۴﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়ামা-মিন্নাইল্লা-লাহূমাকা-মুম মা‘লূম।
আল বায়ান:
আমাদের* প্রত্যেকের জন্যই একটা নির্ধারিত স্থান রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের (ফেরেশতাদের) প্রত্যেকের জন্য একটা নির্দিষ্ট স্থান আছে।
Sahih International:
[The angels say], "There is not among us any except that he has a known position.



وَّ اِنَّا لَنَحْنُ الصَّآفُّوْنَ ﴿۱۶۵﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না-লানাহনুসসাফফূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমরা সারিবদ্ধ ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান (খেদমত দেয়ার জন্য)।
Sahih International:
And indeed, we are those who line up [for prayer].



وَ اِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُوْنَ ﴿۱۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না-লানাহনুল মুছাব্বিহূন।
আল বায়ান:
আর আমরা অবশ্যই তাসবীহ পাঠকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা অবশ্যই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী।
Sahih International:
And indeed, we are those who exalt Allah."



وَ اِنْ کَانُوْا لَیَقُوْلُوْنَ ﴿۱۶۷﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া ইন কা-নূলাইয়াকূলূন।
আল বায়ান:
আর তারা (মক্কাবাসীরা) বলত,
তাইসিরুল কুরআন:
এ লোকেরা তো বলত
Sahih International:
And indeed, the disbelievers used to say,



لَوْ اَنَّ عِنْدَنَا ذِکْرًا مِّنَ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۶۸﴾ۙ
উচ্চারণ:
লাও আন্না ‘ইনদানা- যিকরাম মিনাল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
‘যদি আমাদের কাছে পূর্বর্তীদের মত কোন উপদেশ (কিতাব) থাকত,
তাইসিরুল কুরআন:
আগের লোকেদের মত আমাদের কাছে যদি কোন কিতাব থাকত
Sahih International:
"If we had a message from [those of] the former peoples,



لَکُنَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ ﴿۱۶۹﴾
উচ্চারণ:
লাকুন্না-‘ইবা-দাল্লা-হিল মুখলাসীন।
আল বায়ান:
তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে আমরা অবশ্যই আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাহ হতাম।
Sahih International:
We would have been the chosen servants of Allah."



فَکَفَرُوْا بِهٖ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۷۰﴾
উচ্চারণ:
ফাকাফারূবিহী ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তা অস্বীকার করল অতএব শীঘ্রই তারা জানতে পারবে (এর পরিণাম)।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু (এখন কুরআন আসার পর) তারা সেটা অমান্য ও অস্বীকার করল। তারা শীঘ্রই জানতে পারবে (এর পরিণাম)।
Sahih International:
But they disbelieved in it, so they are going to know.



وَ لَقَدْ سَبَقَتْ کَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۷۱﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ ছাবাকাত কালিমাতুনা-লি‘ইবা-দিনাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় আমার প্রেরিত বান্দাদের জন্য আমার কথা পূর্ব নির্ধারিত হয়েছে যে,
তাইসিরুল কুরআন:
আমার প্রেরিত বান্দাহ্দের সম্পর্কে আমার এ কথা আগেই বলা আছে যে,
Sahih International:
And Our word has already preceded for Our servants, the messengers,



اِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنْصُوْرُوْنَ ﴿۱۷۲﴾۪
উচ্চারণ:
ইন্নাহুম লাহুমুল মানসূরূন।
আল বায়ান:
‘অবশ্যই তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে অবশ্যই সাহায্য করা হবে।
Sahih International:
[That] indeed, they would be those given victory



وَ اِنَّ جُنْدَنَا لَهُمُ الْغٰلِبُوْنَ ﴿۱۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না জুনদানা-লাহুমুল গা-লিবূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমার সৈন্যরাই বিজয়ী হবে
Sahih International:
And [that] indeed, Our soldiers will be those who overcome.



فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتّٰی حِیْنٍ ﴿۱۷۴﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফাতাওয়াল্লা ‘আনহুম হাত্তা-হীন।
আল বায়ান:
অতএব কিছু কাল পর্যন্ত তুমি তাদের থেকে ফিরে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই কিছু সময়ের জন্য তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর।
Sahih International:
So, [O Muhammad], leave them for a time.



وَّ اَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ یُبْصِرُوْنَ ﴿۱۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আবসিরহুম ফাছাওফা ইউবসিরূন।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, অচিরেই তারা দেখবে (এর পরিণাম) ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদেরকে দেখতে থাক, তারা শীঘ্রই দেখতে পাবে (ঈমান ও কুফুরীর পরিণাম)।
Sahih International:
And see [what will befall] them, for they are going to see.



اَفَبِعَذَابِنَا یَسْتَعْجِلُوْنَ ﴿۱۷۶﴾
উচ্চারণ:
আফাবি‘আযা-বিনা-ইয়াছতা‘জিলূন।
আল বায়ান:
তারা কি আমার আযাব ত্বরান্বিত করতে চায়?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি আমার শাস্তি তরান্বিত করতে চায়?
Sahih International:
Then for Our punishment are they impatient?



فَاِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَآءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِیْنَ ﴿۱۷۷﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-নাযালা বিছা-হাতিহিম ফাছাআ সাবাহুল মুনযারীন।
আল বায়ান:
আর যখন তা তাদের আঙিনায় নেমে আসবে তখন সতর্ককৃতদের সকাল কতই না মন্দ হবে!
তাইসিরুল কুরআন:
শাস্তি যখন তাদের উঠানে নেমে আসবে, তখন কতই না মন্দ হবে ঐ লোকেদের সকালটি যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল!
Sahih International:
But when it descends in their territory, then evil is the morning of those who were warned.



وَ تَوَلَّ عَنْهُمْ حَتّٰی حِیْنٍ ﴿۱۷۸﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া তাওয়াল্লা ‘আনহুম হাত্তা-হীন।
আল বায়ান:
আরো কিছু কাল পর্যন্ত তুমি তাদের থেকে ফিরে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই কিছু সময়ের জন্য তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর।
Sahih International:
And leave them for a time.



وَّ اَبْصِرْ فَسَوْفَ یُبْصِرُوْنَ ﴿۱۷۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আবসির ফাছাওফা ইউবসিরূন।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, অচিরেই তারা দেখবে (এর পরিণাম)।
তাইসিরুল কুরআন:
আর দেখতে থাক, শীঘ্রই তারা দেখতে পাবে (ঈমান ও কুফুরীর পরিণাম)।
Sahih International:
And see, for they are going to see.



سُبْحٰنَ رَبِّکَ رَبِّ الْعِزَّۃِ عَمَّا یَصِفُوْنَ ﴿۱۸۰﴾ۚ
উচ্চারণ:
ছুবহা-না রাব্বিকা রাব্বিল ‘ইযযাতি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
আল বায়ান:
তারা যা ব্যক্ত করে তোমার রব তা থেকে পবিত্র মহান, সম্মানের মালিক।
তাইসিরুল কুরআন:
সকল সম্মান ও ক্ষমতার রব্ব, তোমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান সে সকল কথাবার্তা হতে যা তারা আরোপ করে।
Sahih International:
Exalted is your Lord, the Lord of might, above what they describe.



وَ سَلٰمٌ عَلَی الْمُرْسَلِیْنَ ﴿۱۸۱﴾ۚ
উচ্চারণ:
ওয়া-ছালা-মুন ‘আলাল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর রাসূলদের প্রতি সালাম।
তাইসিরুল কুরআন:
শান্তি বর্ষিত হোক রসূলদের প্রতি।
Sahih International:
And peace upon the messengers.



وَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই।
Sahih International:
And praise to Allah, Lord of the worlds.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।