আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


طٰسٓ ۟ تِلْکَ اٰیٰتُ الْقُرْاٰنِ وَ کِتَابٍ مُّبِیْنٍ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
তা-ছীন তিলকা আ-য়া-তুল কুরআ-নি ওয়া কিতা-বিম মুবীন।
আল বায়ান:
ত্ব-সীন; এগুলো আল-কুরআন ও সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
তাইসিরুল কুরআন:
তা-সীন, এগুলো কুরআনের আয়াত ও সুস্পষ্ট কিতাবের;
Sahih International:
Ta, Seen. These are the verses of the Qur'an and a clear Book



هُدًی وَّ بُشْرٰی لِلْمُؤْمِنِیْنَ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
হুদাওঁ ওয়া বুশরা-লিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও সুসংবাদ।
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিনদের জন্য পথের দিশা ও সুসংবাদ
Sahih International:
As guidance and good tidings for the believers



الَّذِیْنَ یُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤْتُوْنَ الزَّکٰوۃَ وَ هُمْ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া ইউ’তূনাযযাকা-তা ওয়া হুম বিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনূন।
আল বায়ান:
যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়। আর তারাই আখিরাতের প্রতি নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে আর তারা আখিরাতে বিশ্বাসী।
Sahih International:
Who establish prayer and give zakah, and of the Hereafter they are certain [in faith].



اِنَّ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ زَیَّنَّا لَهُمْ اَعْمَالَهُمْ فَهُمْ یَعْمَهُوْنَ ؕ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি যাইইয়ান্না-লাহুম আ‘মা-লাহুম ফাহুম ইয়া‘মাহূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না আমি তাদের জন্য তাদের আমলসমূহকে সুশোভিত করে দিয়েছি। ফলে তারা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, তাদের (চোখে) তাদের কর্মকান্ডকে আমি সুশোভিত করেছি, কাজেই তারা উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়,
Sahih International:
Indeed, for those who do not believe in the Hereafter, We have made pleasing to them their deeds, so they wander blindly.



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ لَهُمْ سُوْٓءُ الْعَذَابِ وَ هُمْ فِی الْاٰخِرَۃِ هُمُ الْاَخْسَرُوْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা লাহুম ছূউল ‘আযা-বি ওয়াহুম ফিল আ-খিরাতি হুমুল আখছারূন।
আল বায়ান:
এদের জন্যই রয়েছে নিকৃষ্ট আযাব। আর এরাই আখিরাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
এরাই হল যাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি আর এরাই আখিরাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।
Sahih International:
Those are the ones for whom there will be the worst of punishment, and in the Hereafter they are the greatest losers.



وَ اِنَّکَ لَتُلَقَّی الْقُرْاٰنَ مِنْ لَّدُنْ حَکِیْمٍ عَلِیْمٍ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাকা লাতুলাক্কাল কুরআ-না মিল্লাদুন হাকীমিন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তুমি প্রজ্ঞাময় মহাজ্ঞানীর পক্ষ থেকে আল-কুরআনপ্রাপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয় তোমাকে কুরআন দেয়া হয়েছে মহাবিজ্ঞ সর্বজ্ঞের নিকট হতে।
Sahih International:
And indeed, [O Muhammad], you receive the Qur'an from one Wise and Knowing.



اِذْ قَالَ مُوْسٰی لِاَهْلِهٖۤ اِنِّیْۤ اٰنَسْتُ نَارًا ؕ سَاٰتِیْکُمْ مِّنْهَا بِخَبَرٍ اَوْ اٰتِیْکُمْ بِشِهَابٍ قَبَسٍ لَّعَلَّکُمْ تَصْطَلُوْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লা মূছা-লিআহলিহী ইন্নীআ-নাছতুনা-রান ছাআ-তীকুম মিনহাবিখাবারিন আও আ-তীকুম বিশিহা-বিন কাবাছিল লা‘আল্লাকুম তাসতালূন।
আল বায়ান:
স্মরণ কর, যখন মূসা তার পরিবারবর্গকে বলল, নিশ্চয় আমি আগুন দেখেছি। শীঘ্রই আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য কোন খবর নিয়ে আসব অথবা তোমাদের জন্য জ্বলন্ত আঙ্গার নিয়ে আসব। যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর যখন মূসা তার পরিবারবর্গকে বলেছিল- ‘আমি আগুন দেখেছি, কাজেই আমি শীঘ্রই সেখান থেকে তোমাদের জন্য খবর নিয়ে আসব কিংবা তোমাদের কাছে জ্বলন্ত আগুন নিয়ে আসব যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার।’
Sahih International:
[Mention] when Moses said to his family, "Indeed, I have perceived a fire. I will bring you from there information or will bring you a burning torch that you may warm yourselves."



فَلَمَّا جَآءَهَا نُوْدِیَ اَنْۢ بُوْرِکَ مَنْ فِی النَّارِ وَ مَنْ حَوْلَهَا ؕ وَ سُبْحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআহা-নূদিইয়া আম বূরিকা মান ফিন্না-রি ওয়া মান হাওলাহা- ওয়া ছুবহা-নাল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
তারপর সে যখন সেখানে এসে পৌঁছল, তখন ডেকে বলা হল, ‘বরকতময় যা এ আলোর মধ্যে ও এর চারপাশে আছে। আর সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ মহাপবিত্র, মহিমান্বিত’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে যখন আগুনের কাছে আসল তখন আওয়াজ হল- ‘ধন্য, যারা আছে এই আলোর মধ্যে আর তার আশেপাশে, বিশ্বজাহানের প্রতিপালক পবিত্র, মহিমান্বিত।
Sahih International:
But when he came to it, he was called, "Blessed is whoever is at the fire and whoever is around it. And exalted is Allah, Lord of the worlds.



یٰمُوْسٰۤی اِنَّهٗۤ اَنَا اللّٰهُ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-মূছাইন্নাহূআনাল্লা-হুল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
হে মূসা, নিশ্চয় আমিই আল্লাহ, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মূসা! আমি মহা পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময় আল্লাহ।
Sahih International:
O Moses, indeed it is I - Allah, the Exalted in Might, the Wise."



وَ اَلْقِ عَصَاکَ ؕ فَلَمَّا رَاٰهَا تَهْتَزُّ کَاَنَّهَا جَآنٌّ وَّلّٰی مُدْبِرًا وَّ لَمْ یُعَقِّبْ ؕ یٰمُوْسٰی لَا تَخَفْ ۟ اِنِّیْ لَا یَخَافُ لَدَیَّ الْمُرْسَلُوْنَ ﴿٭ۖ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আলকি‘আসা-কা ফালাম্মা-রাআ-হা-তাহতাযযুকাআন্নাহা-জাননুওঁ ওয়াল্লামুদবিরাওঁ ওয়ালাম ইউ‘আক্কিব ইয়া-মূছা-লা-তাখাফ ইন্নী লা-ইয়াখা-ফূ লাদাইয়াল মুরছালূন।
আল বায়ান:
আর তুমি তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর। তারপর যখন সে ওটাকে সাপের মত ছোটাছুটি করতে দেখল, তখন সে পেছনের দিকে ছুটতে লাগল এবং ফিরে তাকাল না। ‘হে মূসা! তুমি ভয় করো না, নিশ্চয় আমার কাছে রাসূলগণ ভয় পায় না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর; অতঃপর যখন সে ওটাকে ছুটাছুটি করতে দেখল যেন ওটা একটা সাপ, তখন সে পেছনের দিকে ছুটতে লাগল এবং ফিরেও দেখল না। (তখন বলা হল) হে মূসা! তুমি ভয় করো না, নিশ্চয়ই আমার কাছে রসূলগণ ভয় পায় না।
Sahih International:
And [he was told], "Throw down your staff." But when he saw it writhing as if it were a snake, he turned in flight and did not return. [Allah said], "O Moses, fear not. Indeed, in My presence the messengers do not fear.



اِلَّا مَنْ ظَلَمَ ثُمَّ بَدَّلَ حُسْنًۢا بَعْدَ سُوْٓءٍ فَاِنِّیْ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মান জালামা ছুম্মা বাদ্দালা হুছনাম বা‘দা ছূইন ফাইন্নী গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
‘তবে যে যুল্‌ম করে। তারপর অসৎকাজের পরিবর্তে সৎকাজ করে, তবে অবশ্যই আমি অধিক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে যে অত্যাচার করে অতঃপর মন্দ কাজের পরিবর্তে সৎ কাজ করে, তাহলে নিশ্চয় আমি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
Otherwise, he who wrongs, then substitutes good after evil - indeed, I am Forgiving and Merciful.



وَ اَدْخِلْ یَدَکَ فِیْ جَیْبِکَ تَخْرُجْ بَیْضَآءَ مِنْ غَیْرِ سُوْٓءٍ ۟ فِیْ تِسْعِ اٰیٰتٍ اِلٰی فِرْعَوْنَ وَ قَوْمِهٖ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِیْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আদখিল ইয়াদাকা ফী জাইবিকা তাখরুজ বাইদাআ মিন গাইরি ছূইন ফী তিছ‘ই আয়া-তিন ইলা-ফির‘আওনা ওয়া কাওমিহী ইন্নাহুম কা-নূকাওমান ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
‘আর তুমি তোমার হাত বগলে প্রবেশ করাও, তা দোষমুক্ত শুভ্র অবস্থায় বের হয়ে আসবে। ফির‘আউন ও তার সম্প্রদায়ের কাছে আনীত নয়টি নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয় তারা ছিল ফাসিক সম্প্রদায়’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি তোমার হাত বগলে ঢুকাও, তা শুভ্র হয়ে বের হয়ে আসবে দোষমুক্ত অবস্থায়, তা হল ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের নিকট নিয়ে আসা নয়টি নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয় তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।
Sahih International:
And put your hand into the opening of your garment [at the breast]; it will come out white without disease. [These are] among the nine signs [you will take] to Pharaoh and his people. Indeed, they have been a people defiantly disobedient."



فَلَمَّا جَآءَتْهُمْ اٰیٰتُنَا مُبْصِرَۃً قَالُوْا هٰذَا سِحْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۚ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা- জাআতহুম আ-য়া-তুনা-মুবসিরাতান কা-লূহা-যা-ছিহরুম মুবীন।
আল বায়ান:
তারপর যখন আমার নিদর্শনগুলো দৃশ্যমান হয়ে তাদের কাছে আসল, তখন তারা বলল, এটা তো সুস্পষ্ট যাদু।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন তাদের কাছে আমার দৃশ্যমান নিদর্শন আসল, তারা বলল- ‘এটা স্পষ্ট যাদু।
Sahih International:
But when there came to them Our visible signs, they said, "This is obvious magic."



وَ جَحَدُوْا بِهَا وَ اسْتَیْقَنَتْهَاۤ اَنْفُسُهُمْ ظُلْمًا وَّ عُلُوًّا ؕ فَانْظُرْ کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাহাদূবিহা-ওয়াছতাইকানাতহা আনফুছুহুম জুলমাওঁ ওয়া ‘উলুওওয়ান ফানজু র কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুফছিদীন।
আল বায়ান:
আর তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করল। অথচ তাদের অন্তর তা নিশ্চিত বিশ্বাস করেছিল। অতএব দেখ, ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা অন্যায় ঔদ্ধত্যভরে নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করল যদিও তাদের অন্তর এগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছিল। অতএব দেখ, ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পরিণতি কেমন হয়েছিল!
Sahih International:
And they rejected them, while their [inner] selves were convinced thereof, out of injustice and haughtiness. So see how was the end of the corrupters.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا دَاوٗدَ وَ سُلَیْمٰنَ عِلْمًا ۚ وَ قَالَا الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ فَضَّلَنَا عَلٰی کَثِیْرٍ مِّنْ عِبَادِهِ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-দা-ঊদা ওয়া ছুলাইমা-না ‘ইলমান ওয়া কা-লাল হামদুলিল্লাহিল্লাযী ফাদ্দালানা-‘আলা-কাছীরিম মিন ‘ইবা-দিহিল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি দাঊদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছি এবং তারা উভয়ে বলল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি তাঁর অনেক মুমিন বান্দাদের উপর আমাদেরকে মর্যাদা দান করেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি দাঊদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছিলাম। তারা উভয়ে বলেছিল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি তাঁর বহু মু’মিন বান্দাদের উপর আমাদেরকে মর্যাদা দান করেছেন।’
Sahih International:
And We had certainly given to David and Solomon knowledge, and they said, "Praise [is due] to Allah, who has favored us over many of His believing servants."



وَ وَرِثَ سُلَیْمٰنُ دَاوٗدَ وَ قَالَ یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ عُلِّمْنَا مَنْطِقَ الطَّیْرِ وَ اُوْتِیْنَا مِنْ کُلِّ شَیْءٍ ؕ اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْفَضْلُ الْمُبِیْنُ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়ারিছা ছুলাইমা-নুদা-ঊদা ওয়া কা-লা ইয়াআইয়ুহান্না-ছু‘উলিলমনামানতিকাততাইরি ওয়াঊতীনা-মিন কুল্লি শাইয়িন ইন্না হা-যা-লাহুওয়াল ফাদলুল মুবীন।
আল বায়ান:
আর সুলাইমান দাঊদের ওয়ারিস হল এবং সে বলল, ‘হে মানুষ, আমাদেরকে পাখির ভাষা শেখানো হয়েছে এবং আমাদেরকে সকল কিছু দেয়া হয়েছে। নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট অনুগ্রহ’।
তাইসিরুল কুরআন:
সুলাইমান দাঊদের উত্তরাধিকারী হয়েছিল। সে বলেছিল- ‘হে মানুষেরা! আমাকে পক্ষীকুলের ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়েছে আর আমাদেরকে সব কিছু দেয়া হয়েছে, এটা (আল্লাহর পক্ষ হতে) অবশ্যই সুস্পষ্ট অনুগ্রহ।’
Sahih International:
And Solomon inherited David. He said, "O people, we have been taught the language of birds, and we have been given from all things. Indeed, this is evident bounty."



وَ حُشِرَ لِسُلَیْمٰنَ جُنُوْدُهٗ مِنَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ وَ الطَّیْرِ فَهُمْ یُوْزَعُوْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুশিরা লিছুলাইমা-না জুনূদুহূমিনাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ওয়াততাইরি ফাহুম ইউযা‘উন।
আল বায়ান:
আর সুলাইমানের জন্য তার সেনাবাহিনী থেকে জিন, মানুষ ও পাখিদের সমবেত করা হল। তারপর এদেরকে বিন্যস্ত করা হল।
তাইসিরুল কুরআন:
সুলাইমানের সামনে তার সেনাবাহিনীকে সমবেত করা হল, জ্বিন, মানুষ ও পক্ষীকুলকে; অতঃপর তাদেরকে বিভিন্ন বুহ্যে বিন্যস্ত করা হল।
Sahih International:
And gathered for Solomon were his soldiers of the jinn and men and birds, and they were [marching] in rows.



حَتّٰۤی اِذَاۤ اَتَوْا عَلٰی وَادِ النَّمْلِ ۙ قَالَتْ نَمْلَۃٌ یّٰۤاَیُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوْا مَسٰکِنَکُمْ ۚ لَا یَحْطِمَنَّکُمْ سُلَیْمٰنُ وَ جُنُوْدُهٗ ۙ وَ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযাআতাও ‘আলা-ওয়া-দিন্নামলি কা-লাত নামলাতুইঁ ইয়াআইয়ুহান্নামলুদ খুলূমাছা-কিনাকুম লা-ইয়াহতিমান্নাকুম ছুলাইমা-নুওয়া জুনূদুহূ ওয়াহুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন তারা পিপড়ার উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘ওহে পিপড়ার দল, তোমরা তোমাদের বাসস্থানে প্রবেশ কর। সুলাইমান ও তার বাহিনী তোমাদেরকে যেন অজ্ঞাতসারে পিষ্ট করে মারতে না পারে’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা পিপীলিকার উপত্যকায় আসল তখন একটি পিপীলিকা বলল- ‘ওহে পিঁপড়ার দল! তোমাদের বাসস্থানে ঢুকে পড়, যাতে সুলাইমান ও তার সৈন্যবাহিনী তাদের অগোচরে তোমাদেরকে পদপিষ্ট ক’রে না ফেলে।
Sahih International:
Until, when they came upon the valley of the ants, an ant said, "O ants, enter your dwellings that you not be crushed by Solomon and his soldiers while they perceive not."



فَتَبَسَّمَ ضَاحِکًا مِّنْ قَوْلِهَا وَ قَالَ رَبِّ اَوْزِعْنِیْۤ اَنْ اَشْکُرَ نِعْمَتَکَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِکَ فِیْ عِبَادِکَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফাতাবাছছামা দা-হিকাম মিন কাওলিহা-ওয়া কা-লা রাব্বি আওযি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়াআন আ‘মালা সালিহান তারদা-হু ওয়া আদখিলনী বিরাহমাতিকা ফী ‘ইবাদিকাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
তারপর সুলাইমান তার কথায় মুচকি হাসল এবং বলল, ‘হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
সুলাইমান তার কথায় খুশিতে মুচকি হাসল আর বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি যে অনুগ্রহ দান করেছ তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আমাকে শক্তি দান কর আর যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও আর তোমার দয়ায় আমাকে তোমার সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর।’
Sahih International:
So [Solomon] smiled, amused at her speech, and said, "My Lord, enable me to be grateful for Your favor which You have bestowed upon me and upon my parents and to do righteousness of which You approve. And admit me by Your mercy into [the ranks of] Your righteous servants."



وَ تَفَقَّدَ الطَّیْرَ فَقَالَ مَا لِیَ لَاۤ اَرَی الْهُدْهُدَ ۫ۖ اَمْ کَانَ مِنَ الْغَآئِبِیْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাফাককাদাততাইরা ফাকা-লা মা-লিইয়া লাআরাল হুদহুদা আম কা-না মিনাল গাইবীন।
আল বায়ান:
আর সুলাইমান পাখিদের খোঁজ খবর নিল। তারপর সে বলল, ‘কী ব্যাপার, আমি হুদহুদকে দেখছি না; নাকি সে অনুপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত’?
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সুলাইমান পাখীদের খোঁজ খবর নিল। সে বলল, কী ব্যাপার, হুদহুদকে তো দেখছি না, নাকি সে অনুপস্থিত?
Sahih International:
And he took attendance of the birds and said, "Why do I not see the hoopoe - or is he among the absent?



لَاُعَذِّبَنَّهٗ عَذَابًا شَدِیْدًا اَوْ لَاَاذْبَحَنَّهٗۤ اَوْ لَیَاْتِیَنِّیْ بِسُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
লাউ‘আযযি বান্নাহূ ‘আযা-বান শাদীদান আও লাআযবাহান্নাহূআওলাইয়া’তিইয়ান্নী বিছুলতা-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
‘অবশ্যই আমি তাকে কঠিন আযাব দেব অথবা তাকে যবেহ করব। অথবা সে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে অবশ্য অবশ্যই শাস্তি দেব কঠিন শাস্তি কিংবা তাকে অবশ্য অবশ্যই হত্যা করব অথবা সে অবশ্য অবশ্যই আমাকে তার (অনুপস্থিতির) উপযুক্ত কারণ দর্শাবে।’
Sahih International:
I will surely punish him with a severe punishment or slaughter him unless he brings me clear authorization."



فَمَکَثَ غَیْرَ بَعِیْدٍ فَقَالَ اَحَطْتُّ بِمَا لَمْ تُحِطْ بِهٖ وَ جِئْتُکَ مِنْ سَبَاٍۭ بِنَبَاٍ یَّقِیْنٍ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ফামাকাছা গাইরা বা‘ঈদিন ফাকা-লা আহাততুবিমা-লামতুহিত বিহী ওয়াজি’তুকা মিন ছাবাইম বিনাবাইঁ ইয়াকীন।
আল বায়ান:
তারপর অনতিবিলম্বে হুদহুদ এসে বলল, ‘আমি যা অবগত হয়েছি আপনি তা অবগত নন, আমি সাবা থেকে আপনার জন্য নিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর হুদহুদ অবিলম্বে এসে বলল- ‘আমি যা অবগত হয়েছি আপনি তা অবগত নন, আমি সাবা থেকে নিশ্চিত খবর নিয়ে আপনার কাছে এসেছি।
Sahih International:
But the hoopoe stayed not long and said, "I have encompassed [in knowledge] that which you have not encompassed, and I have come to you from Sheba with certain news.



اِنِّیْ وَجَدْتُّ امْرَاَۃً تَمْلِکُهُمْ وَ اُوْتِیَتْ مِنْ کُلِّ شَیْءٍ وَّ لَهَا عَرْشٌ عَظِیْمٌ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নী ওয়াজাততুম রাআতান তামলিকুহুম ওয়া ঊতিইয়াত মিন কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া লাহা-‘আরশুন ‘আজীম।
আল বায়ান:
‘আমি এক নারীকে দেখতে পেলাম, সে তাদের উপর রাজত্ব করছে। তাকে দেয়া হয়েছে সব কিছু। আর তার আছে এক বিশাল সিংহাসন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি দেখলাম এক নারী তাদের উপর রাজত্ব করছে আর তাকে সব কিছুই দেয়া হয়েছে আর তার আছে এক বিরাট সিংহাসন।
Sahih International:
Indeed, I found [there] a woman ruling them, and she has been given of all things, and she has a great throne.



وَجَدْتُّهَا وَ قَوْمَهَا یَسْجُدُوْنَ لِلشَّمْسِ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَ زَیَّنَ لَهُمُ الشَّیْطٰنُ اَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِیْلِ فَهُمْ لَا یَهْتَدُوْنَ ﴿ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাততুহা-ওয়া কাওমাহা-ইয়াছজুদূনা লিশশামছি মিন দূনিল্লা-হি ওয়া যাইইয়ানা লাহুমুশ শাইতা-নুআ‘মা-লাহুম ফাসাদ্দাহুম ‘আনিছছাবীলি ফাহুম লা-ইয়াহতাদূন।
আল বায়ান:
‘আমি তাকে ও তার কওমকে দেখতে পেলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সিজদা করছে। আর শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের জন্য সৌন্দর্যমন্ডিত করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে নিবৃত করেছে, ফলে তারা হিদায়াত পায় না’।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং আমি তাকে আর তার সম্প্রদায়কে দেখলাম আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সেজদা করতে। শয়ত্বান তাদের কাজকে তাদের জন্য শোভন করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে বাধা দিয়ে রেখেছে কাজেই তারা সৎপথ পায় না।
Sahih International:
I found her and her people prostrating to the sun instead of Allah, and Satan has made their deeds pleasing to them and averted them from [His] way, so they are not guided,



اَلَّا یَسْجُدُوْا لِلّٰهِ الَّذِیْ یُخْرِجُ الْخَبْءَ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ یَعْلَمُ مَا تُخْفُوْنَ وَ مَا تُعْلِنُوْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-ইয়াছজুদূলিল্লা-হিল্লাযী ইউখরিজুলখাবআফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদি ওয়া ইয়া‘লামুমা-তুখফূনা ওয়ামা-তু‘লিনূন(ছিজদাহ-৮)।
আল বায়ান:
যাতে তারা আল্লাহকে সিজদা না করে, যিনি আসমান ও যমীনের লুকায়িত বস্তুকে বের করেন। আর তোমরা যা গোপন কর এবং তোমরা যা প্রকাশ কর তিনি সবই জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
(শয়ত্বান বাধা দিয়ে রেখেছে) যাতে তারা আল্লাহকে সেজদা না করে যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর লুক্কায়িত বস্তুকে প্রকাশ করেন, যিনি জানেন তোমরা যা গোপন কর আর তোমরা যা প্রকাশ কর।
Sahih International:
[And] so they do not prostrate to Allah, who brings forth what is hidden within the heavens and the earth and knows what you conceal and what you declare -



اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِیْمِ ﴿ٛ۲۶﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া রাব্বুল ‘আরশিল ‘আজীম ।
আল বায়ান:
আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। তিনি মহা আরশের রব।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ্ নেই, (তিনি) মহান ‘আরশের অধিপতি।’[সাজদাহ]
Sahih International:
Allah - there is no deity except Him, Lord of the Great Throne."



قَالَ سَنَنْظُرُ اَصَدَقْتَ اَمْ کُنْتَ مِنَ الْکٰذِبِیْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ছানানজুরু আসাদাকতা আম কুনতা মিনাল কা-যিবীন।
আল বায়ান:
সুলাইমান বলল, আমরা দেখব, ‘তুমি কি সত্য বলেছ, নাকি তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
সুলাইমান বলল- ‘এখন আমি দেখব, তুমি সত্য বলেছ, না তুমি মিথ্যেবাদী।
Sahih International:
[Solomon] said, "We will see whether you were truthful or were of the liars.



اِذْهَبْ بِّکِتٰبِیْ هٰذَا فَاَلْقِهْ اِلَیْهِمْ ثُمَّ تَوَلَّ عَنْهُمْ فَانْظُرْ مَا ذَا یَرْجِعُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইযহাব বিকিতা-বী হা-যা-ফাআলকিহ ইলাইহিম ছু ম্মা তাওয়াল্লা ‘আনহুম ফানজুরমাযা-ইয়ারজি‘ঊন।
আল বায়ান:
‘তুমি আমার এ পত্র নিয়ে যাও। অতঃপর এটা তাদের কাছে নিক্ষেপ কর, তারপর তাদের কাছ থেকে সরে থাক এবং দেখ, তারা কী জবাব দেয়’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমার এই পত্র নিয়ে যাও আর এটা তাদের কাছে অর্পণ কর। অতঃপর তাদের কাছ থেকে সরে পড় তারপর দেখ, তারা কী জবাব দেয়।’
Sahih International:
Take this letter of mine and deliver it to them. Then leave them and see what [answer] they will return."



قَالَتْ یٰۤاَیُّهَا الْمَلَؤُا اِنِّیْۤ اُلْقِیَ اِلَیَّ کِتٰبٌ کَرِیْمٌ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লাত ইয়াআইয়ুহাল মালাউ ইন্নীউলকিয়া ইলাইইয়া কিতা-বুন কারীম।
আল বায়ান:
সে (রাণী) বলল, ‘হে পারিষদবর্গ! নিশ্চয় আমাকে এক সম্মানজনক পত্র দেয়া হয়েছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সেই নারী বলল- ‘ওহে সভাসদগণ! এই যে আমাকে এক সম্মানযোগ্য পত্র দেয়া হয়েছে।
Sahih International:
She said, "O eminent ones, indeed, to me has been delivered a noble letter.



اِنَّهٗ مِنْ سُلَیْمٰنَ وَ اِنَّهٗ بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূমিন ছুলাইমা-না ওয়া ইন্নাহূবিছমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় এটা সুলাইমানের পক্ষ থেকে। আর নিশ্চয় এটা পরম করুণাময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে’।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা সুলাইমানের পক্ষ হতে আর তা এই : অসীম দাতা, অতীব দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু,
Sahih International:
Indeed, it is from Solomon, and indeed, it reads: 'In the name of Allah, the Entirely Merciful, the Especially Merciful,



اَلَّا تَعْلُوْا عَلَیَّ وَ اْتُوْنِیْ مُسْلِمِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-তা‘লূ‘আলাইইয়া ওয়া’তূনী মুছলিমীন।
আল বায়ান:
'যাতে তোমরা আমার প্রতি উদ্ধত না হও এবং অনুগত হয়ে আমার কাছে আস'।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার প্রতি উদ্ধত হয়ো না, অনুগত হয়ে আমার কাছে হাজির হও।
Sahih International:
Be not haughty with me but come to me in submission [as Muslims].' "



قَالَتْ یٰۤاَیُّهَا الْمَلَؤُا اَفْتُوْنِیْ فِیْۤ اَمْرِیْ ۚ مَا کُنْتُ قَاطِعَۃً اَمْرًا حَتّٰی تَشْهَدُوْنِ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লাত ইয়াআইয়ুহাল মালাউ আফতূনী ফীআমরী মা-কুনতুকা-তি‘আতান আমরান হাত্তা-তাশহাদূ ন।
আল বায়ান:
সে (রাণী) বলল, ‘হে পারিষদবর্গ, তোমরা আমার ব্যাপারে আমাকে অভিমত দাও। তোমাদের উপস্থিতি ছাড়া আমি কোন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ওহে সভাসদরা! তোমরা আমার কর্তব্য সম্পর্কে আমাকে সিদ্ধান্ত দাও। তোমাদের উপস্থিতি ব্যতীত আমি কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি।’
Sahih International:
She said, "O eminent ones, advise me in my affair. I would not decide a matter until you witness [for] me."



قَالُوْا نَحْنُ اُولُوْا قُوَّۃٍ وَّ اُولُوْا بَاْسٍ شَدِیْدٍ ۬ۙ وَّ الْاَمْرُ اِلَیْکِ فَانْظُرِیْ مَاذَا تَاْمُرِیْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূনাহনুঊলূকুওওয়াতিওঁ ওয়া উলূবা’ছিন শাদীদিওঁ ওয়াল আমরু ইলাইকি ফানজু রী মা-যা-তা’মুরীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা শক্তিশালী ও কঠোর যোদ্ধা, আর সিদ্ধান্ত আপনার কাছেই। অতএব চিন্তা করে দেখুন, আপনি কী নির্দেশ দেবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘আমরা শক্তির অধিকারী ও কঠোর যোদ্ধা, কিন্তু সিন্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী আপনিই, কাজেই চিন্তা করে দেখুন, আপনি কী আদেশ করবেন।’
Sahih International:
They said, "We are men of strength and of great military might, but the command is yours, so see what you will command."



قَالَتْ اِنَّ الْمُلُوْکَ اِذَا دَخَلُوْا قَرْیَۃً اَفْسَدُوْهَا وَ جَعَلُوْۤا اَعِزَّۃَ اَهْلِهَاۤ اَذِلَّۃً ۚ وَ کَذٰلِکَ یَفْعَلُوْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লাত ইন্নাল মুলূকা ইযা-দাখালূকারইয়াতান আফছাদূ হা-ওয়া জা‘আলূ আ‘ইযযাতা আহলিহাআযিল্লাতাওঁ ওয়া কাযা-লিকা ইয়াফ‘আলূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘নিশ্চয় রাজা-বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে তখন তাকে বিপর্যস্ত করে এবং সেখানকার সম্মানিত অধিবাসীদেরকে অপদস্থ করে। আর তা-ই তারা করবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- ‘রাজারা যখন কোন জনপদে ঢুকে তখন বিপর্যয় ডেকে আনে এবং তথাকার সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে অপমানিত করে ছাড়ে আর এরাও তাই করবে।
Sahih International:
She said, "Indeed kings - when they enter a city, they ruin it and render the honored of its people humbled. And thus do they do.



وَ اِنِّیْ مُرْسِلَۃٌ اِلَیْهِمْ بِهَدِیَّۃٍ فَنٰظِرَۃٌۢ بِمَ یَرْجِعُ الْمُرْسَلُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নী মুরছিলাতুন ইলাইহিম বিহাদিইইয়াতিন ফানা-জিরাতুম বিমা ইয়ারজি‘উল মুরছালূন।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় আমি তাদের কাছে উপঢৌকন পাঠাচ্ছি, তারপর দেখি দূতেরা কী নিয়ে ফিরে আসে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাঁর কাছে উপঢৌকন পাঠাচ্ছি, তারপর দেখি, দূতেরা কী (জবাব) নিয়ে আসে।’
Sahih International:
But indeed, I will send to them a gift and see with what [reply] the messengers will return."



فَلَمَّا جَآءَ سُلَیْمٰنَ قَالَ اَتُمِدُّوْنَنِ بِمَالٍ ۫ فَمَاۤ اٰتٰىنِۦَ اللّٰهُ خَیْرٌ مِّمَّاۤ اٰتٰىکُمْ ۚ بَلْ اَنْتُمْ بِهَدِیَّتِکُمْ تَفْرَحُوْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআ ছুলাইমা-না কা-লা আতুমিদ্দূনানি বিমা-লিন ফামাআ-তা-নিইয়াল্লাহু খাইরুম মিম্মাআ-তা-কুম বাল আনতুম বিহাদিইইয়াতিকুম তাফ রাহূন।
আল বায়ান:
অতঃপর দূত যখন সুলাইমানের কাছে আসল, তখন সে বলল, ‘তোমরা কি আমাকে সম্পদ দ্বারা সাহায্য করতে চাচ্ছ? সুতরাং আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তা তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা থেকে উত্তম। বরং তোমরা তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে খুশি হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর দূতরা যখন সুলাইমানের কাছে আসল, সুলাইমান বলল- ‘তোমরা কি আমাকে সম্পদ দিয়ে সাহায্য করছ, কিন্তু আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তা তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার চেয়ে উত্তম, বরং তোমরাই তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে আনন্দ কর।
Sahih International:
So when they came to Solomon, he said, "Do you provide me with wealth? But what Allah has given me is better than what He has given you. Rather, it is you who rejoice in your gift.



اِرْجِعْ اِلَیْهِمْ فَلَنَاْتِیَنَّهُمْ بِجُنُوْدٍ لَّا قِبَلَ لَهُمْ بِهَا وَ لَنُخْرِجَنَّهُمْ مِّنْهَاۤ اَذِلَّۃً وَّ هُمْ صٰغِرُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ইরজি‘ ইলাইহিম ফালানা’তিইয়ান্নাহুম বিজুনূদিল লা-কিবালা লাহুম বিহা-ওয়ালানুখরিজান্নাহুম মিনহাআযিল্লাতাওঁ ওয়াহুম সা-গিরূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা তাদের কাছে ফিরে যাও। তারপর আমি অবশ্যই তাদের কাছে এমন সৈন্যবাহিনী নিয়ে আসব যার মুকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই। আর আমি অবশ্যই তাদেরকে সেখান থেকে লাঞ্ছিত অবস্থায় বের করে দেব আর তারা অপমানিত।’
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে ফিরে যাও, আমি অবশ্য অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে এক সেনাবাহিনী নিয়ে আসব যার মুকাবালা করার শক্তি তাদের নেই, আমি অবশ্য অবশ্যই তাদেরকে অপমানিত করে সেখানে থেকে বের করে দেব আর তারা হবে অপদস্থ।’
Sahih International:
Return to them, for we will surely come to them with soldiers that they will be powerless to encounter, and we will surely expel them therefrom in humiliation, and they will be debased."



قَالَ یٰۤاَیُّهَا الْمَلَؤُا اَیُّکُمْ یَاْتِیْنِیْ بِعَرْشِهَا قَبْلَ اَنْ یَّاْتُوْنِیْ مُسْلِمِیْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়াআইয়ুহাল মালাউ আইয়ুকুম ইয়া’তীনী বি‘আরশিহা-কাবলা আইঁ ইয়া’তূনী মুছলিমীন।
আল বায়ান:
সুলাইমান বলল, ‘হে পারিষদবর্গ, তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার পূর্বে তোমাদের মধ্যে কে তার (রাণীর) সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসতে পারবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
সুলাইমান বলল- ‘হে সভাসদবর্গ! তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার আগে তোমাদের মধ্যে কে তার সিংহাসন আমার নিকট নিয়ে আসবে?’
Sahih International:
[Solomon] said, "O assembly [of jinn], which of you will bring me her throne before they come to me in submission?"



قَالَ عِفْرِیْتٌ مِّنَ الْجِنِّ اَنَا اٰتِیْکَ بِهٖ قَبْلَ اَنْ تَقُوْمَ مِنْ مَّقَامِکَ ۚ وَ اِنِّیْ عَلَیْهِ لَقَوِیٌّ اَمِیْنٌ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ‘ইফরীতুম মিনাল জিন্নি আনা আ-তীকা বিহী কাবলা আন তাকূমা মিম মাকা-মিকা ওয়া ইন্নী ‘আলাইহি লাকাওওয়িয়ুন আমীন।
আল বায়ান:
এক শক্তিশালী জিন বলল, ‘আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বেই আমি তা এনে দেব। আমি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে শক্তিমান, বিশ্বস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
এক শক্তিধর জ্বিন বলল- ‘আপনি আপনার জায়গা থেকে উঠবার আগে আমি তা আপনার কাছে এনে দেব, এ কাজে আমি অবশ্যই ক্ষমতার অধিকারী ও আস্থাভাজন।
Sahih International:
A powerful one from among the jinn said, "I will bring it to you before you rise from your place, and indeed, I am for this [task] strong and trustworthy."



قَالَ الَّذِیْ عِنْدَهٗ عِلْمٌ مِّنَ الْکِتٰبِ اَنَا اٰتِیْکَ بِهٖ قَبْلَ اَنْ یَّرْتَدَّ اِلَیْکَ طَرْفُکَ ؕ فَلَمَّا رَاٰهُ مُسْتَقِرًّا عِنْدَهٗ قَالَ هٰذَا مِنْ فَضْلِ رَبِّیْ ۟ۖ لِیَبْلُوَنِیْۤ ءَاَشْکُرُ اَمْ اَکْفُرُ ؕ وَ مَنْ شَکَرَ فَاِنَّمَا یَشْکُرُ لِنَفْسِهٖ ۚ وَ مَنْ کَفَرَ فَاِنَّ رَبِّیْ غَنِیٌّ کَرِیْمٌ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লাল্লাযী ‘ইনদাহূ‘ইলমুম মিনাল কিতা-বি আনা আ-তীকা বিহী কাবলা আইঁ ইয়ারতাদ্দা ইলাইকা তারফুকা ফালাম্মা-রাআ-হু মুছতাকিররান ইনদাহূকা-লা হা-যা-মিন ফাদলি রাববী লিইয়াবলুওয়ানী আআশকুরু আম আকফুরু ওয়া মান শাকারা ফাইন্নামা-ইয়াশকুরু লিনাফছিহী ওয়ামান কাফারা ফাইন্না রাববী গানিইয়ুন কারীম।
আল বায়ান:
যার কাছে কিতাবের এক বিশেষ জ্ঞান ছিল সে বলল, ‘আমি চোখের পলক পড়ার পূর্বেই তা আপনার কাছে নিয়ে আসব’। অতঃপর যখন সুলাইমান তা তার সামনে স্থির দেখতে পেল, তখন বলল, ‘এটি আমার রবের অনুগ্রহ, যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি না কি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আর যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তার নিজের কল্যাণেই তা করে, আর যে কেউ অকৃতজ্ঞ হবে, তবে নিশ্চয় আমার রব অভাবমুক্ত, অধিক দাতা’।
তাইসিরুল কুরআন:
যার কাছে কিতাবের (তাওরাতের) জ্ঞান ছিল সে বলল- ‘আপনার দৃষ্টি আপনার দিকে ফিরে আসার পূর্বেই আমি তা আপনার কাছে এনে দেব।’ সুলাইমান যখন তা তার সামনে রক্ষিত দেখতে পেল তখন সে বলল- ‘এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ, আমাকে পরীক্ষা করার জন্য- আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, না অকৃতজ্ঞ হই। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে নিজের কল্যাণেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আর যে অকৃতজ্ঞ হয় (সে জেনে রাখুক), নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, মর্যাদায় সর্বশ্রেষ্ঠ।’
Sahih International:
Said one who had knowledge from the Scripture, "I will bring it to you before your glance returns to you." And when [Solomon] saw it placed before him, he said, "This is from the favor of my Lord to test me whether I will be grateful or ungrateful. And whoever is grateful - his gratitude is only for [the benefit of] himself. And whoever is ungrateful - then indeed, my Lord is Free of need and Generous."



قَالَ نَکِّرُوْا لَهَا عَرْشَهَا نَنْظُرْ اَتَهْتَدِیْۤ اَمْ تَکُوْنُ مِنَ الَّذِیْنَ لَا یَهْتَدُوْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা নাক্কিরূলাহা- ‘আরশাহা- নানজু র আতাহতাদীআম তাকূনুমিনাল্লাযীনা লা ইয়াহতাদূন।
আল বায়ান:
সুলাইমান বলল, ‘তোমরা তার জন্য তার সিংহাসনের আকার-আকৃতি পরিবর্তন করে দাও। দেখব সে সঠিক দিশা পায় নাকি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে, যারা সঠিক দিশা পায় না’।
তাইসিরুল কুরআন:
সুলাইমান বলল- ‘তার সিংহাসনের আকৃতি বদলে দাও, অতঃপর আমরা দেখি, সে (তার নিজের পৌঁছার পূর্বেই আলৌকিকভাবে তার সিংহাসন সুলায়মানের দরবারে রক্ষিত দেখে সত্য) পথের দিশা পায়, না যারা পথের দিশা পায় না সে তাদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
He said, "Disguise for her her throne; we will see whether she will be guided [to truth] or will be of those who is not guided."



فَلَمَّا جَآءَتْ قِیْلَ اَهٰکَذَا عَرْشُکِ ؕ قَالَتْ کَاَنَّهٗ هُوَ ۚ وَ اُوْتِیْنَا الْعِلْمَ مِنْ قَبْلِهَا وَ کُنَّا مُسْلِمِیْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআত কীলা আহা-কাযা-‘আরশুকি কা-লাত কাআন্নাহূহুওয়া ওয়া ঊতীনাল ‘ইলমা মিন কাবলিহা-ওয়া কুন্না-মুছলিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে আসল, তখন তাকে বলা হল; ‘এরূপই কি তোমার সিংহাসন’? সে বলল, ‘এটি যেন সেটিই’। আর বলল, ‘আমাদেরকে তার পূর্বেই জ্ঞান দান করা হয়েছিল এবং আমরা আত্মসমর্পণ করেছিলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে নারী আসল তখন তাকে বলা হল- ‘এটা কি তোমার সিংহাসন?’ সে বলল, ‘এটা যেন সেটাই, আমাদেরকে এর আগেই (আপনার সম্পর্কে) জ্ঞান দান করা হয়েছে আর আমরা আত্মসমর্পণ করেছি।
Sahih International:
So when she arrived, it was said [to her], "Is your throne like this?" She said, "[It is] as though it was it." [Solomon said], "And we were given knowledge before her, and we have been Muslims [in submission to Allah].



وَ صَدَّهَا مَا کَانَتْ تَّعْبُدُ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ اِنَّهَا کَانَتْ مِنْ قَوْمٍ کٰفِرِیْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসাদ্দাহা-মা-কা-নাত তা‘বুদুমিন দূ নিল্লা-হি ইন্নাহা-কা-নাত মিন কাওমিন কাফিরীন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার পূজা সে করত তা তাকে ঈমান থেকে নিবৃত্ত করেছিল। নিশ্চয় সে ছিল কাফির সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর পরিবর্তে সে যার পূজা করত তাই তাকে সত্য পথে চলা থেকে বাধা দিয়ে রেখেছিল, সে নারী ছিল কাফির সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And that which she was worshipping other than Allah had averted her [from submission to Him]. Indeed, she was from a disbelieving people."



قِیْلَ لَهَا ادْخُلِی الصَّرْحَ ۚ فَلَمَّا رَاَتْهُ حَسِبَتْهُ لُجَّۃً وَّ کَشَفَتْ عَنْ سَاقَیْهَا ؕ قَالَ اِنَّهٗ صَرْحٌ مُّمَرَّدٌ مِّنْ قَوَارِیْرَ ۬ؕ قَالَتْ رَبِّ اِنِّیْ ظَلَمْتُ نَفْسِیْ وَ اَسْلَمْتُ مَعَ سُلَیْمٰنَ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
কীলা লাহাদ খুলিসসারহা ফালাম্মা-রাআতহু হাছিবাতহু লুজ্জাতাওঁ ওয়া কাশাফাত ‘আন ছা-কাইহা- কা-লা ইন্নাহূছারহুম মুমার রাদুম মিন কাওয়ারীরা কা-লাত রাব্বি ইন্নী জালামতুনাফছী ওয়া আছলামতুমা‘আ ছুলাইমা-না লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
তাকে বলা হল, ‘প্রাসাদটিতে প্রবেশ কর’। অতঃপর যখন সে তা দেখল, সে তাকে এক গভীর জলাশয় ধারণা করল, এবং তার পায়ের গোছাদ্বয় অনাবৃত করল। সুলাইমান বলল, ‘এটি আসলে স্বচ্ছ কাঁচ-নির্মিত প্রাসাদ’। সে বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নিজের প্রতি যুলম করেছি। আমি সুলাইমানের সাথে সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাকে বলা হল- ‘প্রাসাদে প্রবেশ কর।’ যখন সে তা দেখল, সে ওটাকে পানির হ্রদ মনে করল এবং সে তার পায়ের গোছা খুলে ফেলল। সুলাইমান বলল- ‘এটা তো স্বচ্ছ কাঁচমন্ডিত প্রাসাদ। সে নারী বলল- হে আমার প্রতিপালক! আমি অবশ্যই নিজের প্রতি যুলম করেছি আর আমি সুলাইমানের সঙ্গে বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করছি।’
Sahih International:
She was told, "Enter the palace." But when she saw it, she thought it was a body of water and uncovered her shins [to wade through]. He said, "Indeed, it is a palace [whose floor is] made smooth with glass." She said, "My Lord, indeed I have wronged myself, and I submit with Solomon to Allah, Lord of the worlds."



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَاۤ اِلٰی ثَمُوْدَ اَخَاهُمْ صٰلِحًا اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ فَاِذَا هُمْ فَرِیْقٰنِ یَخْتَصِمُوْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনাইলা-ছামূদা আখা-হুম সা-লিহান আনি‘বুদুল্লা-হা-ফাইযা-হুম ফারীকা-নি ইয়াখতাসিমূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি সামূদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। অতঃপর তারা দু’দলে বিভক্ত হয়ে বিতর্ক করছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সামূদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম (এই আদেশ দিয়ে যে) তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর। অতঃপর তারা দু’ভাগ হয়ে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল।
Sahih International:
And We had certainly sent to Thamud their brother Salih, [saying], "Worship Allah," and at once they were two parties conflicting.



قَالَ یٰقَوْمِ لِمَ تَسْتَعْجِلُوْنَ بِالسَّیِّئَۃِ قَبْلَ الْحَسَنَۃِ ۚ لَوْ لَا تَسْتَغْفِرُوْنَ اللّٰهَ لَعَلَّکُمْ تُرْحَمُوْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়া-কাওমি লিমা তাছতা‘জিলূনা বিছছাইয়িআতি কাবলাল হাছানাতি লাওলাতাছতাগফিরূনাল্লা-হা লা‘আল্লাকুম তুরহামূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা কল্যাণের পূর্বে কেন অকল্যাণকে তরান্বিত করতে চাইছ? কেন তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছ না যেন তোমাদেরকে রহমত করা হয়’?
তাইসিরুল কুরআন:
সালিহ্ বলল- ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কল্যাণের পূর্বে দ্রুত অকল্যাণ কামনা করছ কেন? তোমরা কেন আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর না যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও?’
Sahih International:
He said, "O my people, why are you impatient for evil instead of good? Why do you not seek forgiveness of Allah that you may receive mercy?"



قَالُوا اطَّیَّرْنَا بِکَ وَ بِمَنْ مَّعَکَ ؕ قَالَ طٰٓئِرُکُمْ عِنْدَ اللّٰهِ بَلْ اَنْتُمْ قَوْمٌ تُفْتَنُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লুততাইয়ারনা-বিকা ওয়া বিমাম মা‘আকা কা-লা তাইরুকুম ‘ইনদাল্লা-হি বাল আনতুম কাওমুন তুফতানূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা তুমি ও তোমার সাথে যারা আছে তাদেরকে অশুভ মনে করছি’। সে বলল, ‘তোমাদের অশুভ আল্লাহর নিকট। বরং তোমরা এমন এক কওম যাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- আমরা তোমাকে আর তোমার সঙ্গে যারা আছে তাদেরকে অকল্যাণের কারণ ব’লে মনে করি।’ সে বলল- ‘তোমাদের অকল্যাণ আল্লাহর নিকট, বরং তোমরা এমন এক সম্প্রদায় যাদেরকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
Sahih International:
They said, "We consider you a bad omen, you and those with you." He said, "Your omen is with Allah. Rather, you are a people being tested."



وَ کَانَ فِی الْمَدِیْنَۃِ تِسْعَۃُ رَهْطٍ یُّفْسِدُوْنَ فِی الْاَرْضِ وَ لَا یُصْلِحُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-না ফিল মাদীনাতি তিছ‘আতুরাহতিইঁ ইউফছিদূনা ফিল আরদিওয়ালা-ইউসলিহূন।
আল বায়ান:
আর সেই শহরে ছিল নয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। যারা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করত এবং সংস্কার-সংশোধনমূলক কিছু করত না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সেই শহরে ছিল নয় ব্যক্তি যারা দেশে ফাসাদ সৃষ্টি করত আর তারা সংশোধন করত না।
Sahih International:
And there were in the city nine family heads causing corruption in the land and not amending [its affairs].



قَالُوْا تَقَاسَمُوْا بِاللّٰهِ لَنُبَیِّتَنَّهٗ وَ اَهْلَهٗ ثُمَّ لَنَقُوْلَنَّ لِوَلِیِّهٖ مَا شَهِدْنَا مَهْلِکَ اَهْلِهٖ وَ اِنَّا لَصٰدِقُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লূতাকা-ছামূবিল্লা-হি লানুবাইয়িতান্নাহূওয়া আহলাহূছু ম্মা লানাকূলান্না লিওয়ালিয়্যিহী মা-শাহিদনা-মাহলিকা আহলিহী ওয়া ইন্না-লাসা-দিকূ ন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তোমরা পরস্পর আল্লাহর কসম কর যে, আমরা রাত্রিকালে তার ও তার পরিবারের উপর অবশ্যই আক্রমণ করব, অতঃপর আমরা তার নিকটাত্মীয়দের বলব, আমরা তার পরিবারবর্গের হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করিনি। আর নিশ্চয়ই আমরা সত্যবাদী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘তোমরা আল্লাহর নামে শপথ কর যে, তোমরা রাত্রিযোগে তাকে আর তার পরিবারবর্গকে অবশ্য অবশ্যই আক্রমণ করবে, অতঃপর আমরা তার অভিভাবককে অবশ্য অবশ্যই বলব, আমরা তার পরিবারবর্গের হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করিনি। আমরা অবশ্যই সত্যবাদী।’
Sahih International:
They said, "Take a mutual oath by Allah that we will kill him by night, he and his family. Then we will say to his executor, 'We did not witness the destruction of his family, and indeed, we are truthful.' "



وَ مَکَرُوْا مَکْرًا وَّ مَکَرْنَا مَکْرًا وَّ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাকারূমাকরাওঁ ওয়া মাকারনা-মাকরাওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
আর তারা এক চক্রান্ত করল এবং আমিও কৌশল অবলম্বন করলাম। অথচ তারা উপলদ্ধিও করতে পারল না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা এক চক্রান্ত করেছিল আর আমিও এক কৌশল অবলম্বন করেছিলাম, কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি।
Sahih International:
And they planned a plan, and We planned a plan, while they perceived not.



فَانْظُرْ کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ مَکْرِهِمْ ۙ اَنَّا دَمَّرْنٰهُمْ وَ قَوْمَهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ফানজু র কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুমাকরিহিম আন্না-দাম্মারনা-হুম ওয়া কাওমাহুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
অতএব দেখ, তাদের চক্রান্তের পরিণাম কিরূপ হয়েছে। আমি তাদের ও তাদের কওমকে একত্রে ধ্বংস করে দিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর দেখ তাদের চক্রান্তের পরিণতি কেমন হয়েছিল? আমিই তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে, সকলকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম।
Sahih International:
Then look how was the outcome of their plan - that We destroyed them and their people, all.



فَتِلْکَ بُیُوْتُهُمْ خَاوِیَۃًۢ بِمَا ظَلَمُوْا ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوْمٍ یَّعْلَمُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ফাতিলকা বুয়ূতুহুম খা-বিয়াতাম বিমা-জালামূ ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
সুতরাং ঐগুলো তাদের বাড়ীঘর, যা তাদের যুলমের কারণে বিরান হয়ে আছে। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে সে কওমের জন্য যারা জ্ঞান রাখে।
তাইসিরুল কুরআন:
এই তো তাদের ঘরদোর সম্পূর্ণ উজাড়, কারণ তারা বাড়াবাড়ি করেছিল। এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন আছে।
Sahih International:
So those are their houses, desolate because of the wrong they had done. Indeed in that is a sign for people who know.



وَ اَنْجَیْنَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ کَانُوْا یَتَّقُوْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনজাইনাল্লাযীনা আ-মানূওয়া কা-নূইয়াত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর আমি মুমিনদের মুক্তি দিলাম এবং তারা ছিল তাকওয়া অবলম্বনকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা ঈমান এনেছিল ও (আল্লাহকে) ভয় করত তাদেরকে রক্ষা করেছিলাম।
Sahih International:
And We saved those who believed and used to fear Allah.



وَ لُوْطًا اِذْ قَالَ لِقَوْمِهٖۤ اَتَاْتُوْنَ الْفَاحِشَۃَ وَ اَنْتُمْ تُبْصِرُوْنَ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লূতান ইযকা-লা লিকাওমিহী আতা’তূনাল ফা-হিশাতা ওয়া আনতুম তুবসিরূন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর লূতের কথা, যখন সে তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ, অথচ তা তোমরা ভালভাবে প্রত্যক্ষ করছ’?
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর লূতের কথা, সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল- তোমরা দেখে-শুনে কেন অশ্লীল কাজ করছ,
Sahih International:
And [mention] Lot, when he said to his people, "Do you commit immorality while you are seeing?



اَئِنَّکُمْ لَتَاْتُوْنَ الرِّجَالَ شَهْوَۃً مِّنْ دُوْنِ النِّسَآءِ ؕ بَلْ اَنْتُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُوْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
আইন্নাকুম লাতা’তূনার রিজা-লা শাহওয়াতাম মিন দূ নিন নিছা-ই বাল আনতুম কাওমুন তাজহালূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা কি নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের উপর কামতৃপ্তির জন্য উপগত হবে? বরং তোমরা এমন এক কওম যারা জানে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি কাম আসক্তি মিটানোর জন্য নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের নিকট গমন কর? তোমরা এমন এক জাতি যারা মূর্খের আচরণ করছ।
Sahih International:
Do you indeed approach men with desire instead of women? Rather, you are a people behaving ignorantly."



فَمَا کَانَ جَوَابَ قَوْمِهٖۤ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوْۤا اَخْرِجُوْۤا اٰلَ لُوْطٍ مِّنْ قَرْیَتِکُمْ ۚ اِنَّهُمْ اُنَاسٌ یَّتَطَهَّرُوْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ফামা-কা-না জাওয়া-বা কাওমিহীইল্লা-আন কা-লূআখরিজু আ-লা লূতিম মিন কারইয়াতিকুম ইন্নাহুম উনা-ছুইঁ ইয়াতাতাহহারূন।
আল বায়ান:
ফলে তার কওমের জবাব একমাত্র এই ছিল যে, ‘লূতের পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় এরা এমন লোক যারা পবিত্র থাকতে চায়’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া আর কোন জওয়াব ছিল না যে, তোমাদের জনপদ থেকে লূতের পরিবারবর্গকে বের করে দাও, এরা এমন লোক যারা পবিত্র সাজতে চায়।
Sahih International:
But the answer of his people was not except that they said, "Expel the family of Lot from your city. Indeed, they are people who keep themselves pure."



فَاَنْجَیْنٰهُ وَ اَهْلَهٗۤ اِلَّا امْرَاَتَهٗ ۫ قَدَّرْنٰهَا مِنَ الْغٰبِرِیْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ফাআনজাইনা-হু ওয়া আহলাহূইল্লাম রাআতাহূ কাদ্দারনা-হা-মিনাল গা-বিরীন।
আল বায়ান:
অতএব আমি মুক্তি দিলাম তাকে ও তার পরিবারকে, তবে তার স্ত্রীকে ছাড়া। আমি তাকে ধ্বংসপ্রাপ্তদের মধ্যে সাব্যস্ত করে রেখেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম, তার স্ত্রী ব্যতীত। আমি তার ভাগ্য ধ্বংসপ্রাপ্তদের মধ্যে নির্ধারণ করেছিলাম।
Sahih International:
So We saved him and his family, except for his wife; We destined her to be of those who remained behind.



وَ اَمْطَرْنَا عَلَیْهِمْ مَّطَرًا ۚ فَسَآءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِیْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আমতারনা-‘আলাইহিম মাতারান ফাছাআ মাতারুল মুনযারীন।
আল বায়ান:
আমি তাদের উপর মুষলধারে (পাথরের) বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম। ভীতি প্রদর্শিতদের জন্য কতইনা নিকৃষ্ট ছিল এই বৃষ্টি!
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাদের উপর বর্ষিয়ে ছিলাম এক ভয়ংকর বৃষ্টি। ভীতি প্রদর্শিতদের উপর এ বৃষ্টি ছিল কতই না মন্দ!
Sahih International:
And We rained upon them a rain [of stones], and evil was the rain of those who were warned.



قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ وَ سَلٰمٌ عَلٰی عِبَادِهِ الَّذِیْنَ اصْطَفٰی ؕ آٰللّٰهُ خَیْرٌ اَمَّا یُشْرِکُوْنَ ﴿ؕ۵۹﴾
উচ্চারণ:
কুল্লিহামদুলিল্লা-হি ওয়া ছালা-মুন ‘আলা-‘ইবাদিহিল্লাযী নাসতাফা- আল্লা-হু খাইরুন আম্মা-ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
বল, ‘সকল প্রশংসাই আল্লাহর নিমিত্তে। আর শান্তি তাঁর বান্দাদের প্রতি যাদের তিনি মনোনীত করেছেন। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, না কি যাদের এরা শরীক করে তারা’?
তাইসিরুল কুরআন:
বল, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই জন্য এবং শান্তি তাঁর মনোনীত বান্দাগণের প্রতি। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, না তা যার শরীক করে তারা?
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Praise be to Allah, and peace upon His servants whom He has chosen. Is Allah better or what they associate with Him?"



اَمَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ اَنْزَلَ لَکُمْ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَنْۢبَتْنَا بِهٖ حَدَآئِقَ ذَاتَ بَهْجَۃٍ ۚ مَا کَانَ لَکُمْ اَنْ تُنْۢبِتُوْا شَجَرَهَا ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ بَلْ هُمْ قَوْمٌ یَّعْدِلُوْنَ ﴿ؕ۶۰﴾
উচ্চারণ:
আম্মান খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়া আনযালা লাকুম মিনাছছামাই মাআন ফাআমবাতনা-বিহী হাদাইকা যা-তা বাহজাতিম মা-কা-না লাকুম আন তুমবিতূ শাজারাহা-; আ ইলা-হুম মা‘আল্লা-হি ; বাল হুম কাওমুইঁ ইয়া‘দিলূন।
আল বায়ান:
বরং তিনি (শ্রেষ্ঠ), যিনি আসমানসমূহ ও যমীনকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য তিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরম উদ্যান সৃষ্টি করি। তার বৃক্ষাদি উৎপন্ন করার ক্ষমতা তোমাদের নেই। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? বরং তারা এমন এক কওম যারা শিরক করে।
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমানসমূহ ও পৃথিবী এবং তোমাদের জন্য আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরম উদ্যানরাজি উদগত করি, তার বৃক্ষাদি উদগত করার ক্ষমতা তোমাদের নেই। আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ আছে কি? বরং তারা হচ্ছে এক ন্যায়-বিচ্যুত সম্প্রদায়।
Sahih International:
[More precisely], is He [not best] who created the heavens and the earth and sent down for you rain from the sky, causing to grow thereby gardens of joyful beauty which you could not [otherwise] have grown the trees thereof? Is there a deity with Allah? [No], but they are a people who ascribe equals [to Him].



اَمَّنْ جَعَلَ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّ جَعَلَ خِلٰلَهَاۤ اَنْهٰرًا وَّ جَعَلَ لَهَا رَوَاسِیَ وَ جَعَلَ بَیْنَ الْبَحْرَیْنِ حَاجِزًا ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ بَلْ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿ؕ۶۱﴾
উচ্চারণ:
আম্মান জা‘আলাল আরদা কারা-রাওঁ ওয়া জা‘আলা খিলা-লাহাআনহা-রাওঁ ওয়া জা‘আলা লাহা রাওয়া-ছিয়া ওয়া জা‘আলা বাইনাল বাহরাইনি হা-জিযান আ ইলা-হুম মা‘আল্লাহি বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
বরং তিনি, যিনি যমীনকে আবাসযোগ্য করেছেন এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছেন নদী-নালা। আর তাতে স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পর্বতমালা এবং দুই সমুদ্রের মধ্যখানে অন্তরায় সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করেছেন আর তার ফাঁকে ফাঁকে নদীনালা প্রবাহিত করেছেন, তাতে সুদৃঢ় পর্বত সংস্থাপিত করেছেন এবং দু’ দরিয়ার মাঝে পার্থক্যকারী আড়াল সৃষ্টি করেছেন; আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ আছে কি? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
Sahih International:
Is He [not best] who made the earth a stable ground and placed within it rivers and made for it firmly set mountains and placed between the two seas a barrier? Is there a deity with Allah? [No], but most of them do not know.



اَمَّنْ یُّجِیْبُ الْمُضْطَرَّ اِذَا دَعَاهُ وَ یَکْشِفُ السُّوْٓءَ وَ یَجْعَلُکُمْ خُلَفَآءَ الْاَرْضِ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ قَلِیْلًا مَّا تَذَکَّرُوْنَ ﴿ؕ۶۲﴾
উচ্চারণ:
আম্মাইঁ ইউজীবুল মু দতাররা ইযা-দা‘আ-হু ওয়া ইয়াকশিফুছছূআ ওয়া ইয়াজ‘আলুকুম খুলাফাআল আরদি আ ইলা-হুম মা‘আল্লা-হি কালীলাম মা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
বরং তিনি, যিনি নিরুপায়ের আহবানে সাড়া দেন এবং বিপদ দূরীভূত করেন এবং তোমাদেরকে যমীনের প্রতিনিধি বানান। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে ? তোমরা কমই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি আর্তের আহবানে সাড়া দেন যখন সে তাঁকে ডাকে এবং দুঃখ-কষ্ট দূর করেন আর তোমাদেরকে পৃথিবীর উত্তরাধিকারী করেন? আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? অতি সামান্য উপদেশই তোমরা গ্রহণ কর।
Sahih International:
Is He [not best] who responds to the desperate one when he calls upon Him and removes evil and makes you inheritors of the earth? Is there a deity with Allah? Little do you remember.



اَمَّنْ یَّهْدِیْکُمْ فِیْ ظُلُمٰتِ الْبَرِّ وَ الْبَحْرِ وَ مَنْ یُّرْسِلُ الرِّیٰحَ بُشْرًۢا بَیْنَ یَدَیْ رَحْمَتِهٖ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ تَعٰلَی اللّٰهُ عَمَّا یُشْرِکُوْنَ ﴿ؕ۶۳﴾
উচ্চারণ:
আম্মাইঁ ইয়াহদীকুম ফী জুলুমা-তিল বাররি ওয়াল বাহরি ওয়া মাইঁ ইউরছিলুর রিয়া-হা বুশরাম বাইনা ইয়াদাই রাহমাতিহী আ ইলা-হুম মা‘আল্লা-হি তা‘আ-লাল্লা-হু ‘আম্মা-ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
বরং তিনি, যিনি তোমাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রের অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? তারা যা কিছু শরীক করে আল্লাহ তা থেকে ঊর্ধ্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি জল স্থলের গভীর অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি তাঁর (বৃষ্টিরূপী) অনুগ্রহের পূর্বক্ষণে শুভবার্তাবাহী বাতাস প্রেরণ করেন? আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? তারা যাকে (আল্লাহর) শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে।
Sahih International:
Is He [not best] who guides you through the darknesses of the land and sea and who sends the winds as good tidings before His mercy? Is there a deity with Allah? High is Allah above whatever they associate with Him.



اَمَّنْ یَّبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ یُعِیْدُهٗ وَ مَنْ یَّرْزُقُکُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ قُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَکُمْ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
আম্মাইঁ ইয়াবদাউল খালকা ছুম্মা ইউ‘ঈদুহূওয়ামাইঁ ইয়ারযুকুকুম মিনাছ ছামাই ওয়াল আরদি আ ইলা-হুম মা‘আল্লা-হি কুল হা-তূবুরহা-নাকুম ইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
বরং তিনি, যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তার পুনরাবৃত্তি করবেন এবং যিনি তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করেন, আল্লাহর সাথে কি কোন ইলাহ আছে? বল, ‘তোমাদের প্রমাণ নিয়ে এসো যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, অতঃপর তার পুনরাবৃত্তি করেন এবং যিনি তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযক দান করেন? আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? বল, তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের প্রমাণপঞ্জি পেশ কর।
Sahih International:
Is He [not best] who begins creation and then repeats it and who provides for you from the heaven and earth? Is there a deity with Allah? Say, "Produce your proof, if you should be truthful."



قُلْ لَّا یَعْلَمُ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ الْغَیْبَ اِلَّا اللّٰهُ ؕ وَ مَا یَشْعُرُوْنَ اَیَّانَ یُبْعَثُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
কুল লা-ইয়া‘লামুমান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিল গাইবা ইল্লাল্লা-হু ওয়ামাইয়াশ‘উরূনা আইয়া-না ইউব‘আছূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আল্লাহ ছাড়া আসমানসমূহে ও যমীনে যারা আছে তারা গায়েব জানে না। আর কখন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে তা তারা অনুভব করতে পারে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আকাশ ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না আল্লাহ ছাড়া, আর তারা জানে না কখন তাদেরকে জীবিত ক’রে উঠানো হবে।
Sahih International:
Say, "None in the heavens and earth knows the unseen except Allah, and they do not perceive when they will be resurrected."



بَلِ ادّٰرَکَ عِلْمُهُمْ فِی الْاٰخِرَۃِ ۟ بَلْ هُمْ فِیْ شَکٍّ مِّنْهَا ۫۟ بَلْ هُمْ مِّنْهَا عَمُوْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
বালিদ দা-রাকা ‘ইলমুহুম ফিল আ-খিরাতি বাল হুম ফী শাক্কিম মিনহা-, বাল হুম মিনহা‘আমূন।
আল বায়ান:
বরং আখিরাত সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নিঃশেষ হয়েছে। বরং সে বিষয়ে তারা সন্দেহে আছে; বরং এ ব্যাপারে তারা অন্ধ।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং আখিরাত সম্পর্কিত তাদের জ্ঞানের সীমা শেষ, বরং এ ব্যাপারে তারা সন্দেহে আচ্ছন্ন বরং এ বিষয়ে তারা অন্ধ।
Sahih International:
Rather, their knowledge is arrested concerning the Hereafter. Rather, they are in doubt about it. Rather, they are, concerning it, blind.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا ءَ اِذَا کُنَّا تُرٰبًا وَّ اٰبَآؤُنَاۤ اَئِنَّا لَمُخْرَجُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূ আইযা-কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়াআ-বাউনা আইন্নালামুখরাজুন।
আল বায়ান:
আর কাফিররা বলে, ‘আমরা ও আমাদের পিতৃপুরুষরা মাটি হয়ে যাব তখনো কি আমাদেরকে উত্থিত করা হবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
অবিশ্বাসীরা বলে- আমরা আর আমাদের পিতৃপুরুষরা যখন মাটি হয়ে যাব তারপরও কি আমাদেরকে নিশ্চিতই বের করে উঠানো হবে?
Sahih International:
And those who disbelieve say, "When we have become dust as well as our forefathers, will we indeed be brought out [of the graves]?



لَقَدْ وُعِدْنَا هٰذَا نَحْنُ وَ اٰبَآؤُنَا مِنْ قَبْلُ ۙ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ উ‘ইদনা-হা-যা-নাহনুওয়া আ-বাউনা-মিন কাবলু ইন হাযাইল্লাআছা-তীরুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
ইতোপূর্বে আমাদেরকে ও আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এ বিষয়ে ওয়াদা দেয়া হয়েছিল, ‘এটি প্রাচীন লোকদের উপকথা ছাড়া কিছুই নয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
এ ওয়া‘দা আমাদেরকে দেয়া হয়েছে, আমাদেরকে এবং পূর্বে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকেও; এ সব পূর্বকালের কাহিনী ছাড়া কিছুই নয়।
Sahih International:
We have been promised this, we and our forefathers, before. This is not but legends of the former peoples."



قُلْ سِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الْمُجْرِمِیْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ছীরূফিল আরদিফানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুজরিমীন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, তারপর দেখ, কিরূপ হয়েছিল অপরাধীদের পরিণতি।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল, পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ অপরাধীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Travel through the land and observe how was the end of the criminals."



وَ لَا تَحْزَنْ عَلَیْهِمْ وَ لَا تَکُنْ فِیْ ضَیْقٍ مِّمَّا یَمْکُرُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাহযান ‘আলাইহিম ওয়ালা-তাকুন ফী দাইকিম মিম্মা-ইয়ামকুরূন।
আল বায়ান:
আর তাদের জন্য দুঃখ করো না এবং তারা যে ষড়যন্ত্র করে তাতে মনক্ষুণ্ণ হয়ো না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য দুঃখ কর না, আর তাদের চক্রান্তের কারণে মনে কষ্ট নিও না।
Sahih International:
And grieve not over them or be in distress from what they conspire.



وَ یَقُوْلُوْنَ مَتٰی هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘তোমরা সত্যবাদী হলে (বল) এই ওয়াদা কখন আসবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাক তাহলে, এ ‘ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে?
Sahih International:
And they say, "When is [the fulfillment of] this promise, if you should be truthful?"



قُلْ عَسٰۤی اَنْ یَّکُوْنَ رَدِفَ لَکُمْ بَعْضُ الَّذِیْ تَسْتَعْجِلُوْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
কুল ‘আছাআইঁ ইয়াকূনা রাদিফা লাকুম বা‘দুল্লাযী তাছতা‘জিলূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আশা করা যায়, তোমরা যে বিষয়ে তাড়াহুড়া করছ তার কিছু অচিরেই হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তোমরা যা পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়া করছ সম্ভবতঃ তার কিছু তোমাদের পিঠের পেছনে এসে গেছে।
Sahih International:
Say, "Perhaps it is close behind you - some of that for which you are impatient.



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَذُوْ فَضْلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَهُمْ لَا یَشْکُرُوْنَ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাযূফাদলিন ‘আলান্না -ছি ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়াশকুরূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু তাদের বেশীর ভাগই শুকরিয়া আদায় করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক নিশ্চয়ই মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু তাদের অধিকাংশই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
Sahih International:
And indeed, your Lord is full of bounty for the people, but most of them do not show gratitude."



وَ اِنَّ رَبَّکَ لَیَعْلَمُ مَا تُکِنُّ صُدُوْرُهُمْ وَ مَا یُعْلِنُوْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাইয়া‘লামুমা-তুকিন্নুসুদূরুহুম ওয়ামা-ইউ‘লিনূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব, অবশ্যই জানেন তাদের অন্তর যা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক অবশ্যই জানেন তাদের অন্তর যা গোপন করে আর যা প্রকাশ করে।
Sahih International:
And indeed, your Lord knows what their breasts conceal and what they declare.



وَ مَا مِنْ غَآئِبَۃٍ فِی السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ اِلَّا فِیْ کِتٰبٍ مُّبِیْنٍ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা মিন গাইবাতিন ফিছছামাই ওয়াল আরদিইল্লা-ফী কিতা-বিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর আসমান ও যমীনে এমন কোন গোপন বিষয় নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশে আর যমীনে এমন কোন অদৃশ্য বিষয় নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই।
Sahih International:
And there is nothing concealed within the heaven and the earth except that it is in a clear Register.



اِنَّ هٰذَا الْقُرْاٰنَ یَقُصُّ عَلٰی بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ اَکْثَرَ الَّذِیْ هُمْ فِیْهِ یَخْتَلِفُوْنَ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যাল কুরআ-না ইয়াকু সসু‘আলা-বানীইছরাঈলা আকছারাল্লাযীহুমফীহি ইয়াখতালিফূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এ কুরআন তাদের কাছে বর্ণনা করছে, বনী ইসরাঈল যেসব বিষয়ে বিতর্ক করে তার অধিকাংশই।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয় এ কুরআন সেগুলোর অধিকাংশ বিবৃত করে যে বিষয়ে বানী ইসরাঈল মতভেদ করেছিল।
Sahih International:
Indeed, this Qur'an relates to the Children of Israel most of that over which they disagree.



وَ اِنَّهٗ لَهُدًی وَّ رَحْمَۃٌ لِّلْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলাহুদাওঁ ওয়া রাহমাতুল লিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় এটি মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তা নিশ্চিতই মু’মিনদের জন্য সঠিক পথের দিশারী ও রহমত।
Sahih International:
And indeed, it is guidance and mercy for the believers.



اِنَّ رَبَّکَ یَقْضِیْ بَیْنَهُمْ بِحُکْمِهٖ ۚ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْعَلِیْمُ ﴿ۙۚ۷۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্না রাব্বাকা ইয়াকদী বাইনাহুম বিহুকমিহী ওয়া হুওয়াল ‘আযীযুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার রব নিজের বিচার-প্রজ্ঞা দ্বারা তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন; আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক তাঁর বিধান অনুযায়ী তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন আর তিনি প্রবল পরাক্রান্ত, সর্বজ্ঞানের অধিকারী।
Sahih International:
Indeed, your Lord will judge between them by His [wise] judgement. And He is the Exalted in Might, the Knowing.



فَتَوَکَّلْ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّکَ عَلَی الْحَقِّ الْمُبِیْنِ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
ফাতাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ইন্নাকা ‘আলাল হাক্কিল মুবীন।
আল বায়ান:
অতএব আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর; কারণ তুমি সুস্পষ্ট সত্যের ওপর অধিষ্ঠিত আছ।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি আল্লাহর উপর নির্ভর কর, তুমি তো সুস্পষ্ট সত্যের উপর আছ।
Sahih International:
So rely upon Allah; indeed, you are upon the clear truth.



اِنَّکَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتٰی وَ لَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَآءَ اِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِیْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকা লা-তুছমি‘উল মাওতা-ওয়ালা-তুছমি‘উসসু ম্মাদ দু‘আ-আ ইযা-ওয়াল্লাও মুদবিরীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তুমি মৃতকে শোনাতে পারবে না, আর তুমি বধিরকে আহবান শোনাতে পারবে না, যখন তারা পিঠ দেখিয়ে চলে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি মৃতদেরকে শুনাতে পারবে না, আর বধিরকেও আহবান শুনাতে পারবে না (বিশেষতঃ) যখন তারা পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়।
Sahih International:
Indeed, you will not make the dead hear, nor will you make the deaf hear the call when they have turned their backs retreating.



وَ مَاۤ اَنْتَ بِهٰدِی الْعُمْیِ عَنْ ضَلٰلَتِهِمْ ؕ اِنْ تُسْمِعُ اِلَّا مَنْ یُّؤْمِنُ بِاٰیٰتِنَا فَهُمْ مُّسْلِمُوْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআনতা বিহা-দিল ‘উময়ি ‘আন দালা-লাতিহিম ইন তুছমি‘উ ইল্লা-মাইঁ ইউ‘মিনু বিআ-য়া-তিনা-ফাহুম মুছলিমূন।
আল বায়ান:
আর তুমি অন্ধদেরকে তাদের ভ্রষ্টতা থেকে হিদায়াতকারী নও; তুমি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবে যারা আমার আয়াতসমূহে ঈমান আনে, অতঃপর তারাই আত্মসমর্পণকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি অন্ধকেও তাদের গুমরাহী থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সৎপথ দেখাতে পারবে না। তুমি কেবল তাদেরকেই শুনাতে পারবে যারা আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে, কাজেই তারা আত্মসমর্পণ করে।
Sahih International:
And you cannot guide the blind away from their error. You will only make hear those who believe in Our verses so they are Muslims [submitting to Allah].



وَ اِذَا وَقَعَ الْقَوْلُ عَلَیْهِمْ اَخْرَجْنَا لَهُمْ دَآبَّۃً مِّنَ الْاَرْضِ تُکَلِّمُهُمْ ۙ اَنَّ النَّاسَ کَانُوْا بِاٰیٰتِنَا لَا یُوْقِنُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-ওয়াকা‘আল কাওলু‘আলাইহিম আখরাজনা-লাহুম দাব্বাতাম মিনাল আরদি তুকালিলমুহুম আন্নান্না-ছা কা-নূবিআ-য়া-তিনা-লা-ইঊকিনূন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের উপর ‘বাণী’ (আযাব) বাস্তবায়িত হবে তখন আমি যমীনের জন্তু (দাব্বাতুল আরদ)* বের করব, যে তাদের সাথে কথা বলবে। কারণ মানুষ আমার আয়াতসমূহে সুদৃঢ় বিশ্বাস রাখত না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি যখন বাস্তবে পরিণত হবে, আমি তখন (কিয়ামাত আগমণের নির্দশন হিসেবে) ভূমি থেকে তাদের জন্য একটি জন্তু বের করব যা তাদের সঙ্গে এ কথা বলবে যে, মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না।
Sahih International:
And when the word befalls them, We will bring forth for them a creature from the earth speaking to them, [saying] that the people were, of Our verses, not certain [in faith].



وَ یَوْمَ نَحْشُرُ مِنْ کُلِّ اُمَّۃٍ فَوْجًا مِّمَّنْ یُّکَذِّبُ بِاٰیٰتِنَا فَهُمْ یُوْزَعُوْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা নাহশুরু মিন কুল্লি উম্মাতিন ফাওজাম মিম্মাইঁ ইউকাযযিবুবিআ-য়া-তিনা-ফাহুম ইউযা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর সেদিনের কথা, যেদিন প্রত্যেক জাতির মধ্য থেকে যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত তাদেরকে আমি দলে দলে সমবেত করব। অতঃপর তাদেরকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন আমি প্রত্যেকটি সম্প্রদায় হতে একটি দলকে সমবেত করব যারা আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করেছিল, অতঃপর তাদেরকে সারিবদ্ধ করা হবে।
Sahih International:
And [warn of] the Day when We will gather from every nation a company of those who deny Our signs, and they will be [driven] in rows



حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوْ قَالَ اَکَذَّبْتُمْ بِاٰیٰتِیْ وَ لَمْ تُحِیْطُوْا بِهَا عِلْمًا اَمَّا ذَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা- জাঊকা-লা আকাযযাবতুমবিআ-য়া-তী ওয়া লাম তুহীতূবিহা‘ইলমান আম্মা-যা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন তারা আসবে, তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা কি আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিলে, অথচ সে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞানই ছিল না? নাকি তোমরা আরো কী করেছিলে?’
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা এসে যাবে তখন আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি আমার নিদর্শনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলে যদিও তা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারনি; নাকি তোমরা অন্য কিছু করছিলে?
Sahih International:
Until, when they arrive [at the place of Judgement], He will say, "Did you deny My signs while you encompassed them not in knowledge, or what [was it that] you were doing?"



وَ وَقَعَ الْقَوْلُ عَلَیْهِمْ بِمَا ظَلَمُوْا فَهُمْ لَا یَنْطِقُوْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া-ওয়াকা‘আল কাওলু‘আলাইহিম বিমা-জালামূফাহুম লা-ইয়ানতিকূন।
আল বায়ান:
আর তাদের উপর বাণী (আযাব) বাস্তবায়িত হবে। কারণ তারা যুলম করেছিল। ফলে তারা কথা বলতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবে ঘটে যাবে তাদের অন্যায় কার্যকলাপের কারণে আর তারা (তাদের পক্ষে) কোন কথা বলতে পারবে না।
Sahih International:
And the decree will befall them for the wrong they did, and they will not [be able to] speak.



اَلَمْ یَرَوْا اَنَّا جَعَلْنَا الَّیْلَ لِیَسْکُنُوْا فِیْهِ وَ النَّهَارَ مُبْصِرًا ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
আলাম ইয়ারাও আন্না-জা‘আলনাল্লাইলা লিইয়াছকুনূফীহি ওয়ান্নাহা-রা মুবসিরান ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
তারা কি দেখে না যে, আমি রাতকে সৃষ্টি করেছি, যেন তারা তাতে বিশ্রাম নিতে পারে এবং দিনকে করেছি আলোকিত? নিশ্চয় এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই কওমের জন্য যারা ঈমান এনেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আমি রাত বানিয়েছি যাতে তারা তাতে আরাম করতে পারে আর দিনকে করেছি আলো দানকারী? বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে।
Sahih International:
Do they not see that We made the night that they may rest therein and the day giving sight? Indeed in that are signs for a people who believe.



وَ یَوْمَ یُنْفَخُ فِی الصُّوْرِ فَفَزِعَ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَنْ فِی الْاَرْضِ اِلَّا مَنْ شَآءَ اللّٰهُ ؕ وَ کُلٌّ اَتَوْهُ دٰخِرِیْنَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইউনফাখুফিসসূরি ফাফাযি‘আ মান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়া মান ফিল আরদি ইল্লা-মান শাআল্লা-হু ওয়া কুললন আতাওহু দা-খিরীন।
আল বায়ান:
আর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, সেদিন আসমানসমূহ ও যমীনে যারা আছে সবাই ভীত হবে; তবে আল্লাহ যাদেরকে চাইবেন তারা ছাড়া। আর সবাই তাঁর কাছে হীন অবস্থায় উপস্থিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে দিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন যারা আকাশে আছে আর যারা যমীনে আছে তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, তবে আল্লাহ যাদের জন্য ইচ্ছে করবেন তারা বাদে। সবাই তাঁর কাছে আসবে বিনয়ে অবনত হয়ে।
Sahih International:
And [warn of] the Day the Horn will be blown, and whoever is in the heavens and whoever is on the earth will be terrified except whom Allah wills. And all will come to Him humbled.



وَ تَرَی الْجِبَالَ تَحْسَبُهَا جَامِدَۃً وَّ هِیَ تَمُرُّ مَرَّ السَّحَابِ ؕ صُنْعَ اللّٰهِ الَّذِیْۤ اَتْقَنَ کُلَّ شَیْءٍ ؕ اِنَّهٗ خَبِیْرٌۢ بِمَا تَفْعَلُوْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তারাল জিবা-লা তাহছাবুহা-জা-মিদাতাওঁ ওয়াহিয়া তামুররু মাররাছছাহা-বি সুন‘আল্লা-হিল্লাযী আতকানা কুল্লা শাইয়িন ইন্নাহূখাবীরুম বিমা-তাফ‘আলূন।
আল বায়ান:
আর তুমি পাহাড়সমূকে দেখছ, সেগুলোকে তুমি স্থির মনে করছ। অথচ তা মেঘমালার ন্যায় চলতে থাকবে। (এটা) আল্লাহর কাজ, যিনি সব কিছু দৃঢ়ভাবে করেছেন। নিশ্চয় তোমরা যা কর, তিনি সে সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি পর্বতগুলোকে দেখ আর মনে কর তা অচল, কিন্তু সেগুলো চলমান হবে যেমন মেঘমালা চলে। এটা আল্লাহর সৃষ্টি নৈপুণ্য, যিনি সব কিছুকে করেছেন যথাযথ। তোমরা যা কিছু কর সে সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণরূপে অবগত।
Sahih International:
And you see the mountains, thinking them rigid, while they will pass as the passing of clouds. [It is] the work of Allah, who perfected all things. Indeed, He is Acquainted with that which you do.



مَنْ جَآءَ بِالْحَسَنَۃِ فَلَهٗ خَیْرٌ مِّنْهَا ۚ وَ هُمْ مِّنْ فَزَعٍ یَّوْمَئِذٍ اٰمِنُوْنَ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
মান জাআ বিলহাছানাতি ফালাহূখাইরুম মিনহা- ওয়া হুম মিন ফাযাইয়ঁইয়াওমাইযিন আ-মিনূন।
আল বায়ান:
যে ব্যক্তি সৎকাজ নিয়ে আসবে তার জন্য থাকবে তা থেকে উত্তম প্রতিদান এবং সেদিনের ভীতিকর অবস্থা থেকে তারা নিরাপদ থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা সৎকাজ নিয়ে উপস্থিত হবে, তাদের জন্য আছে উৎকৃষ্টতর প্রতিদান, সেদিন তারা ভীতি শঙ্কা থেকে নিরাপদ থাকবে।
Sahih International:
Whoever comes [at Judgement] with a good deed will have better than it, and they, from the terror of that Day, will be safe.



وَ مَنْ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَکُبَّتْ وُجُوْهُهُمْ فِی النَّارِ ؕ هَلْ تُجْزَوْنَ اِلَّا مَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান জাআ বিছছাইয়িআতি ফাকুব্বাত উজূহুহুম ফিন্না-রি হাল তুজযাওনা ইল্লা-মাকনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর যারা মন্দ কাজ নিয়ে আসবে তাদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে; (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা যে আমল করেছ তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হল’।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা অসৎকর্ম নিয়ে হাজির হবে, তাদেরকে মুখের ভরে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে, (আর তাদেরকে বলা হবে) তোমরা যা করতে কেবল তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে।
Sahih International:
And whoever comes with an evil deed - their faces will be overturned into the Fire, [and it will be said], "Are you recompensed except for what you used to do?"



اِنَّمَاۤ اُمِرْتُ اَنْ اَعْبُدَ رَبَّ هٰذِهِ الْبَلْدَۃِ الَّذِیْ حَرَّمَهَا وَ لَهٗ کُلُّ شَیْءٍ ۫ وَّ اُمِرْتُ اَنْ اَکُوْنَ مِنَ الْمُسْلِمِیْنَ ﴿ۙ۹۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা উমিরতুআন আ‘বুদা রাব্বা হা-যিহিল বালদাতিল্লাযী হাররামাহা-ওয়ালাহূকুল্লু শাইয়িওঁ ওয়া উমিরতুআন আকূনা মিনাল মুছলিমীন।
আল বায়ান:
‘আমাকে তো নির্দেশ দেয়া হয়েছে এই শহরের রব-এর ইবাদাত করতে যিনি এটিকে সম্মানিত করেছেন এর সব কিছু তাঁরই অধিকারে। আর আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেন মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নির্দেশিত হয়েছি এই (মক্কা) নগরীর প্রতিপালকের ‘ইবাদাত করার জন্য যিনি তাকে (অর্থাৎ এই নগরীকে) সম্মানিত করেছেন। সকল বস্তু তাঁরই, আর আমি আদিষ্ট হয়েছি আমি যেন (আল্লাহর নিকট) আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই।
Sahih International:
[Say, O Muhammad], "I have only been commanded to worship the Lord of this city, who made it sacred and to whom [belongs] all things. And I am commanded to be of the Muslims [those who submit to Allah]



وَ اَنْ اَتْلُوَا الْقُرْاٰنَ ۚ فَمَنِ اهْتَدٰی فَاِنَّمَا یَهْتَدِیْ لِنَفْسِهٖ ۚ وَ مَنْ ضَلَّ فَقُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا مِنَ الْمُنْذِرِیْنَ ﴿۹۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন আতলুওয়াল কুরআ-না ফামানিহ তাদা-ফাইন্নামা-ইয়াহতাদী লিনাফছিহী ওয়া মান দাল্লা ফাকুল ইন্নামা আনা মিনাল মুনযিরীন।
আল বায়ান:
‘আর আমি যেন আল-কুরআন অধ্যয়ন করি, অতঃপর যে হিদায়াত লাভ করল সে নিজের জন্য হিদায়াত লাভ করল; আর যে পথভ্রষ্ট হল তাকে বল, ‘আমি তো সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত।’
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি যেন কুরআন তিলাওয়াত করি। অতঃপর যে সঠিক পথে চলবে, সে নিজের কল্যাণেই সঠিক পথে চলবে। আর কেউ গুমরাহ্ হলে তুমি বল, আমি তো সতর্ককারীদের একজন।
Sahih International:
And to recite the Qur'an." And whoever is guided is only guided for [the benefit of] himself; and whoever strays - say, "I am only [one] of the warners."



وَ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ سَیُرِیْکُمْ اٰیٰتِهٖ فَتَعْرِفُوْنَهَا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল্লি হামদুলিল্লা-হি ছাইউরীকুম আ-য়া-তিহী ফাতা‘রিফূনাহা- ওয়ামা-রাব্বুকা বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর বল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর; অচিরেই তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনসমূহ দেখাবেন, তখন তোমরা তা চিনতে পারবে আর তোমরা যা আমল কর সে ব্যাপারে তোমাদের রব বেখবর নন।’
তাইসিরুল কুরআন:
আর বল, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই। তিনি শীঘ্রই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখাবেন আর তা তোমরা চিনতে পারবে। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে তোমার পালনকর্তা অমনোযোগী নন।
Sahih International:
And say, "[All] praise is [due] to Allah. He will show you His signs, and you will recognize them. And your Lord is not unaware of what you do."






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।