আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


طٰهٰ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
তা-হা-
আল বায়ান:
ত্ব-হা
তাইসিরুল কুরআন:
ত্ব-হা-।
Sahih International:
Ta, Ha.



مَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَیْکَ الْقُرْاٰنَ لِتَشْقٰۤی ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
মাআনযালনা-‘আলাইকাল কুরআ-না লিতাশকা।
আল বায়ান:
আমি তোমার প্রতি আল-কুরআন এজন্য নাযিল করিনি যে, তুমি দুর্ভোগ পোহাবে
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাকে ক্লেশ দেয়ার জন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন নাযিল করিনি।
Sahih International:
We have not sent down to you the Qur'an that you be distressed



اِلَّا تَذْکِرَۃً لِّمَنْ یَّخْشٰی ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-তাযকিরাতাল লিমাইঁইয়াখশা-।
আল বায়ান:
বরং যে ভয় করে তার জন্য উপদেশ স্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং তা (নাযিল করেছি) কেবল সতর্কবাণী হিসেবে যে (আল্লাহকে) ভয় করে তার জন্য।
Sahih International:
But only as a reminder for those who fear [Allah] -



تَنْزِیْلًا مِّمَّنْ خَلَقَ الْاَرْضَ وَ السَّمٰوٰتِ الْعُلٰی ؕ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
তানযীলাম মিম্মান খালাকাল আরদা ওয়াছছামা-ওয়া-তিল ‘ঊলা-।
আল বায়ান:
যিনি যমীন ও সুউচ্চ আসমানসমূহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর নিকট থেকে অবতীর্ণ।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি পৃথিবী ও সুউচ্চ আকাশ সৃষ্টি করেছেন তাঁর নিকট হতে তা নাযিল হয়েছে।
Sahih International:
A revelation from He who created the earth and highest heavens,



اَلرَّحْمٰنُ عَلَی الْعَرْشِ اسْتَوٰی ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
আররাহমা-নু‘আলাল ‘আরশিছ তাওয়া-।
আল বায়ান:
পরম করুণাময় আরশের ওপর উঠেছেন* ।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আরশে দয়াময় সমুন্নত আছেন।
Sahih International:
The Most Merciful [who is] above the Throne established.



لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا وَ مَا تَحْتَ الثَّرٰی ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি ওয়ামা- বাইনাহুমা- ওয়ামা তাহতাছছারা-।
আল বায়ান:
যা আছে আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং যা আছে মাটির নিচে সব তাঁরই।
তাইসিরুল কুরআন:
যা আকাশসমূহে আছে, যা যমীনে আছে, যা এ দু’য়ের মাঝে আছে আর যা ভূগর্ভে আছে সব তাঁরই।
Sahih International:
To Him belongs what is in the heavens and what is on the earth and what is between them and what is under the soil.



وَ اِنْ تَجْهَرْ بِالْقَوْلِ فَاِنَّهٗ یَعْلَمُ السِّرَّ وَ اَخْفٰی ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন তাজহার বিল কাওলি ফাইন্নাহূইয়া‘লামুছছিররা ওয়া আখফা-।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি উচ্চস্বরে কথা বল তবে তিনি গোপন ও অতি গোপন বিষয় জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যদি তুমি উচ্চকণ্ঠে কথা বল (তাহলে জেনে রেখ) তিনি গুপ্ত ও তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয় জানেন।
Sahih International:
And if you speak aloud - then indeed, He knows the secret and what is [even] more hidden.



اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰی ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া লাহুল আছমাউল হুছনা-।
আল বায়ান:
আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুন্দর নামসমূহ তাঁরই।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ, তিনি ব্যতীত সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, সুন্দর নামসমূহ তাঁরই।
Sahih International:
Allah - there is no deity except Him. To Him belong the best names.



وَ هَلْ اَتٰىکَ حَدِیْثُ مُوْسٰی ۘ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াহাল আতা-কা হাদীছুমূছা-।
আল বায়ান:
আর তোমার কাছে কি মূসার কথা পৌঁছেছে?
তাইসিরুল কুরআন:
মূসার কাহিনী তোমার কাছে পৌঁছেছে কি?
Sahih International:
And has the story of Moses reached you? -



اِذْ رَاٰ نَارًا فَقَالَ لِاَهْلِهِ امْکُثُوْۤا اِنِّیْۤ اٰنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّیْۤ اٰتِیْکُمْ مِّنْهَا بِقَبَسٍ اَوْ اَجِدُ عَلَی النَّارِ هُدًی ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইযরাআ-না-রান ফাকা-লা লিআহলিহিম কুছূ দ্মইন্নীআ-নাছতুনা-রাল লা‘আললীআতীকুম মিনহা-বিকাবাছিন আও আজিদু‘আলান না-রি হুদা-।
আল বায়ান:
যখন সে আগুন দেখল, তখন নিজ পরিবারকে বলল, ‘তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখতে পেয়েছি, আশা করি আমি তোমাদের জন্য তা থেকে কিছু জ্বলন্ত আঙ্গার নিয়ে আসতে পারব অথবা আগুনের নিকট পথনির্দেশ পাব।’
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে আগুন দেখল (মাদ্ইয়ান থেকে মিসর যাবার পথে), তখন সে তার পরিবারবর্গকে বলল, ‘তোমরা এখানে অবস্থান কর, আমি আগুন দেখেছি, সম্ভবতঃ আমি তাত্থেকে তোমাদের জন্য কিছু জ্বলন্ত আগুন আনতে পারব কিংবা আগুনের নিকট পথের সন্ধান পাব।
Sahih International:
When he saw a fire and said to his family, "Stay here; indeed, I have perceived a fire; perhaps I can bring you a torch or find at the fire some guidance."



فَلَمَّاۤ اَتٰىهَا نُوْدِیَ یٰمُوْسٰی ﴿ؕ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মাআতা-হা-নূদিয়া ইয়া-মূছা-।
আল বায়ান:
যখন সে আগুনের কাছে আসল তখন তাকে আহবান করা হল, ‘হে মূসা’
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর যখন যে আগুনের কাছে আসল, তাকে ডাক দেয়া হল, ‘হে মূসা!
Sahih International:
And when he came to it, he was called, "O Moses,



اِنِّیْۤ اَنَا رَبُّکَ فَاخْلَعْ نَعْلَیْکَ ۚ اِنَّکَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًی ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নীআনা রাব্বুকা ফাখলা‘না‘লাইকা ইন্নাকা বিলওয়া-দিল মুকাদ্দাছি তুওয়া।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তোমার রব; সুতরাং তোমার জুতা জোড়া খুলে ফেল, নিশ্চয় তুমি পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রয়েছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
বাস্তবিকই আমি তোমার প্রতিপালক, কাজেই তোমার জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় আছ।
Sahih International:
Indeed, I am your Lord, so remove your sandals. Indeed, you are in the sacred valley of Tuwa.



وَ اَنَا اخْتَرْتُکَ فَاسْتَمِعْ لِمَا یُوْحٰی ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনাখ তারতুকা ফাছতামি‘লিমা-ইউহা-।
আল বায়ান:
‘আর আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, সুতরাং যা ওহীরূপে পাঠানো হচ্ছে তা মনোযোগ দিয়ে শুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাকে বেছে নিয়েছি, কাজেই তুমি মনোযোগ দিয়ে শুনো যা তোমার প্রতি ওয়াহী করা হচ্ছে।
Sahih International:
And I have chosen you, so listen to what is revealed [to you].



اِنَّنِیْۤ اَنَا اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعْبُدْنِیْ ۙ وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ لِذِکْرِیْ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নানীআনাল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লাআনা-ফা‘বুদনী ওয়া আকিমিসসালা-তা লিযিকরী।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং আমার ইবাদাত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রকৃতই আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই আমার ‘ইবাদাত কর, আর আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে নামায কায়িম কর।’
Sahih International:
Indeed, I am Allah. There is no deity except Me, so worship Me and establish prayer for My remembrance.



اِنَّ السَّاعَۃَ اٰتِیَۃٌ اَکَادُ اُخْفِیْهَا لِتُجْزٰی کُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا تَسْعٰی ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাছছা-‘আতা আ-তিয়াতুন আকা-দুউখফীহা-লিতুজযা-কুল্লুনাফছিম বিমা-তাছ‘আ-।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় কিয়ামত আসবে; আমি তা গোপন রাখতে চাই যাতে প্রত্যেককে স্বীয় চেষ্টা-সাধনা অনুযায়ী প্রতিদান দেয়া যায়’।
তাইসিরুল কুরআন:
কিয়ামাত আসবেই, আমি তা গোপন রাখতে চাই, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি স্বীয় চেষ্টা-সাধনা অনুপাতে ফল লাভ করতে পারে।
Sahih International:
Indeed, the Hour is coming - I almost conceal it - so that every soul may be recompensed according to that for which it strives.



فَلَا یَصُدَّنَّکَ عَنْهَا مَنْ لَّا یُؤْمِنُ بِهَا وَ اتَّبَعَ هَوٰىهُ فَتَرْدٰی ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফালা-ইয়াসুদ্দান্নাকা ‘আনহা-মাল লা-ইউ’মিনুবিহা-ওয়াত্তাবা‘আ হাওয়া-হু ফাতারদা-।
আল বায়ান:
অতএব যে ব্যক্তি তার প্রতি ঈমান রাখে না এবং স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে সে যেন কিছুতেই তাতে ঈমান আনয়নে তোমাকে বাধা দিতে না পারে; অন্যথায় তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই ক্বিয়ামতে যে বিশ্বাস করে না এবং স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তাত্থেকে কোনক্রমেই বিচ্যুত করতে না পারে, তাহলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।
Sahih International:
So do not let one avert you from it who does not believe in it and follows his desire, for you [then] would perish.



وَ مَا تِلْکَ بِیَمِیْنِکَ یٰمُوْسٰی ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-তিলকা বিইয়ামীনিকা ইয়া-মূছা-।
আল বায়ান:
আর ‘হে মূসা, তোমার ডান হাতে ওটা কি’?
তাইসিরুল কুরআন:
‘হে মূসা! তোমার ডান হাতে ওটা কী?’
Sahih International:
And what is that in your right hand, O Moses?"



قَالَ هِیَ عَصَایَ ۚ اَتَوَکَّوٴُا عَلَیْهَا وَ اَهُشُّ بِهَا عَلٰی غَنَمِیْ وَ لِیَ فِیْهَا مَاٰرِبُ اُخْرٰی ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হিয়া ‘আসা-ইয়া আতাওয়াক্কাউ ‘আলাইহা-ওয়া আহুশশুবিহা-‘আলা-গানামী ওয়ালিয়া ফীহা-মাআ-রিবুউখরা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘এটি আমার লাঠি; আমি এর ওপর ভর করি, এটি দিয়ে আমি আমার মেষপালের জন্য গাছের পাতা পাড়ি এবং এটি আমার আরো অনেক কাজে লাগে।’
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘এটা আমার লাঠি, আমি ওতে ভর দেই, এর সাহায্যে আমি আমার মেষপালের জন্য গাছের পাতা ঝেড়ে দেই আর এতে আমার আরো অনেক কাজ হয়।’
Sahih International:
He said, "It is my staff; I lean upon it, and I bring down leaves for my sheep and I have therein other uses."



قَالَ اَلْقِهَا یٰمُوْسٰی ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আলকিহা-ইয়া-মূছা-।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘হে মূসা! ওটা ফেলে দাও।’
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন, ‘হে মূসা! ওটা নিক্ষেপ কর।’
Sahih International:
[Allah] said, "Throw it down, O Moses."



فَاَلْقٰهَا فَاِذَا هِیَ حَیَّۃٌ تَسْعٰی ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআলকা-হা-ফাইযা-হিয়া হাইয়াতুন তাছ‘আ-।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তা ফেলে দিল; অমনি তা সাপ হয়ে ছুটতে লাগল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সে তা নিক্ষেপ করল, অমনি তা সাপ হয়ে ছুটোছুটি করতে লাগল।
Sahih International:
So he threw it down, and thereupon it was a snake, moving swiftly.



قَالَ خُذْهَا وَ لَا تَخَفْ ٝ سَنُعِیْدُهَا سِیْرَتَهَا الْاُوْلٰی ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা খুযহা-ওয়ালা-তাখাফ ছানু‘ঈদুহা-ছীরাতাহাল ঊলা-।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘ওটা ধর এবং ভয় করো না, আমি ওকে ওর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন, ‘ওটাকে ধর, ভয় পেও না, আমি সেটাকে এক্ষুনি তার আগের রূপে ফিরিয়ে দেব।
Sahih International:
[Allah] said, "Seize it and fear not; We will return it to its former condition.



وَ اضْمُمْ یَدَکَ اِلٰی جَنَاحِکَ تَخْرُجْ بَیْضَآءَ مِنْ غَیْرِ سُوْٓءٍ اٰیَۃً اُخْرٰی ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াদমুম ইয়াদাকা ইলা-জানা-হিকা তাখরুজ বাইদায়া মিন গাইরি ছূইন আ-য়াতান উখরা-।
আল বায়ান:
‘আর তোমার হাত তোমার বগলের সাথে মিলাও, তাহলে তা উজ্জ্বল হয়ে বেরিয়ে আসবে কোনরূপ ত্রুটি ছাড়া; আরেকটি নিদর্শনরূপে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমার হাত বগলে দিয়ে টান, তা ক্ষতিকর নয় এমন শুভ্রোজ্জ্বল হয়ে বের হয়ে আসবে- অন্য আরেকটি নিদর্শন হিসেবে।
Sahih International:
And draw in your hand to your side; it will come out white without disease - another sign,



لِنُرِیَکَ مِنْ اٰیٰتِنَا الْکُبْرٰی ﴿ۚ۲۳﴾
উচ্চারণ:
লিনুরিয়াকা মিন আ-য়া-তিনাল কুবরা-।
আল বায়ান:
এটা এজন্য যে, আমি তোমাকে আমার বড় বড় নিদর্শনসমূহের কিছু দেখাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে আমি তোমাকে আমার বড় বড় নিদর্শনগুলোর কিছু দেখাতে পারি।
Sahih International:
That We may show you [some] of Our greater signs.



اِذْهَبْ اِلٰی فِرْعَوْنَ اِنَّهٗ طَغٰی ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ইযহাব ইলা -ফির‘আওনা ইন্নাহূতাগা-।
আল বায়ান:
‘ফির‘আউনের কাছে যাও; নিশ্চয় সে সীমালঙ্ঘন করেছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউনের কাছে যাও, বাস্তবিকই সে সীমালঙ্ঘন করেছে।’
Sahih International:
Go to Pharaoh. Indeed, he has transgressed."



قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِیْ صَدْرِیْ ﴿ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বিশরাহলী সাদরী।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন’
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দাও
Sahih International:
[Moses] said, "My Lord, expand for me my breast [with assurance]



وَ یَسِّرْ لِیْۤ اَمْرِیْ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াছছিরলীআমরী।
আল বায়ান:
‘এবং আমার কাজ সহজ করে দিন,
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমার জন্য আমার কাজকে সহজ করে দাও।
Sahih International:
And ease for me my task



وَ احْلُلْ عُقْدَۃً مِّنْ لِّسَانِیْ ﴿ۙ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াহলুল ‘উকদাতাম মিলিলছা-নী।
আল বায়ান:
‘আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন-
তাইসিরুল কুরআন:
আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও।
Sahih International:
And untie the knot from my tongue



یَفْقَهُوْا قَوْلِیْ ﴿۪۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াফকাহূকাওলী।
আল বায়ান:
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে’।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
Sahih International:
That they may understand my speech.



وَ اجْعَلْ لِّیْ وَزِیْرًا مِّنْ اَهْلِیْ ﴿ۙ۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াজ‘আললী ওয়াযীরাম মিন আহলী।
আল বায়ান:
‘আর আমার পরিবার থেকে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমার পরিবার হতে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী বানিয়ে দাও।
Sahih International:
And appoint for me a minister from my family -



هٰرُوْنَ اَخِی ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
হা-রূনা আখী।
আল বায়ান:
আমার ভাই হারূনকে’
তাইসিরুল কুরআন:
আমার ভাই হারূনকে।
Sahih International:
Aaron, my brother.



اشْدُدْ بِهٖۤ اَزْرِیْ ﴿ۙ۳۱﴾
উচ্চারণ:
উশদুদ বিহীআযরী।
আল বায়ান:
‘তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় করুন
তাইসিরুল কুরআন:
তার দ্বারা আমার শক্তি বৃদ্ধি কর।
Sahih International:
Increase through him my strength



وَ اَشْرِکْهُ فِیْۤ اَمْرِیْ ﴿ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আশরিকহু ফীআমরী।
আল বায়ান:
এবং তাকে আমার কাজে শরীক করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার কাজে তাকে অংশীদার কর।
Sahih International:
And let him share my task



کَیْ نُسَبِّحَکَ کَثِیْرًا ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
কাই নুছাব্বিহাকা কাছীরা-।
আল বায়ান:
‘যাতে আমরা বেশী করে আপনার তাসবীহ পাঠ করতে পারি’,
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে আমরা বেশি বেশি করে তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে পারি।
Sahih International:
That we may exalt You much



وَّ نَذْکُرَکَ کَثِیْرًا ﴿ؕ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ানাযকুরাকা কাছীরা-।
আল বায়ান:
এবং অধিক পরিমাণে আপনাকে স্মরণ করতে পারি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমাকে অধিক স্মরণ করতে পারি।
Sahih International:
And remember You much.



اِنَّکَ کُنْتَ بِنَا بَصِیْرًا ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকা কুনতা বিনা-বাসীরা-।
আল বায়ান:
‘আপনিই তো আমাদের সম্যক দ্রষ্টা’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছ।’
Sahih International:
Indeed, You are of us ever Seeing."



قَالَ قَدْ اُوْتِیْتَ سُؤْلَکَ یٰمُوْسٰی ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কাদ ঊতীতা ছু’লাকা ইয়া-মূছা-।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘হে মূসা! তোমার প্রার্থনা গৃহীত হল।
Sahih International:
[Allah] said, "You have been granted your request, O Moses.



وَ لَقَدْ مَنَنَّا عَلَیْکَ مَرَّۃً اُخْرٰۤی ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ মানান্না-‘আলাইকা মাররাতান উখরা।
আল বায়ান:
‘আর আমি আরো একবার তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তো তোমার উপর আরো একবার অনুগ্রহ করেছিলাম।
Sahih International:
And We had already conferred favor upon you another time,



اِذْ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰۤی اُمِّکَ مَا یُوْحٰۤی ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ইযআওহাইনাইলাউম্মিকা মা-ইউহা।
আল বায়ান:
‘যখন আমি তোমার মাতাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যা জানাবার ছিল,
তাইসিরুল কুরআন:
যখন আমি তোমার মায়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছিলাম যা ওয়াহীযোগে জানানো হয়েছিল-
Sahih International:
When We inspired to your mother what We inspired,



اَنِ اقْذِفِیْهِ فِی التَّابُوْتِ فَاقْذِفِیْهِ فِی الْیَمِّ فَلْیُلْقِهِ الْیَمُّ بِالسَّاحِلِ یَاْخُذْهُ عَدُوٌّ لِّیْ وَ عَدُوٌّ لَّهٗ ؕ وَ اَلْقَیْتُ عَلَیْکَ مَحَبَّۃً مِّنِّیْ ۬ۚ وَ لِتُصْنَعَ عَلٰی عَیْنِیْ ﴿ۘ۳۹﴾
উচ্চারণ:
আনিকযিফীহি ফিততা-বূতি ফাকযিফীহি ফিল ইয়াম্মি ফালইউলকিহিল ইয়াম্মুবিছছাহিলি ইয়া’খুযহু ‘আদুওউললী ওয়া ‘আদুওউল্লাহূ ওয়াআলকাইতু‘আলাইকা মাহাব্বাতাম মিন্নী ওয়ালিতুসনা‘আ ‘আলা-‘আইনী।
আল বায়ান:
‘যে, তুমি তাঁকে সিন্ধুকের মধ্যে রেখে দাও। তারপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও। যেন দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেয়। ফলে তাকে আমার শত্রু ও তার শত্রু নিয়ে নেবে। আর আমি আমার পক্ষ থেকে তোমার প্রতি ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম, যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
যে তুমি মূসাকে সিন্দুকের মধ্যে রাখ। তারপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও। অতঃপর দরিয়া তাকে পাড়ে ঠেলে দেবে। তাকে আমার শত্রু ও তার শত্রু উঠিয়ে নেবে। আমি আমার নিকট হতে তোমার প্রতি ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম, যাতে তুমি আমার দৃষ্টির সম্মুখে প্রতিপালিত হও।’
Sahih International:
[Saying], 'Cast him into the chest and cast it into the river, and the river will throw it onto the bank; there will take him an enemy to Me and an enemy to him.' And I bestowed upon you love from Me that you would be brought up under My eye.



اِذْ تَمْشِیْۤ اُخْتُکَ فَتَقُوْلُ هَلْ اَدُلُّکُمْ عَلٰی مَنْ یَّکْفُلُهٗ ؕ فَرَجَعْنٰکَ اِلٰۤی اُمِّکَ کَیْ تَقَرَّ عَیْنُهَا وَ لَا تَحْزَنَ ۬ؕ وَ قَتَلْتَ نَفْسًا فَنَجَّیْنٰکَ مِنَ الْغَمِّ وَ فَتَنّٰکَ فُتُوْنًا ۬۟ فَلَبِثْتَ سِنِیْنَ فِیْۤ اَهْلِ مَدْیَنَ ۬ۙ ثُمَّ جِئْتَ عَلٰی قَدَرٍ یّٰمُوْسٰی ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ইযতামশীউখতুকা ফাতাকূলুহাল আদুল্লুকুম ‘আলা-মাইঁ ইয়াকফুলুহূ ফারাজা‘না-কা ইলাউম্মিকা কাই তাকাররা ‘আইনুহা-ওয়ালা-তাহযানা ওয়াকাতালতা নাফছান ফানাজ্জাইনা-কা মিনাল গাম্মি ওয়া ফাতান্না-কা ফুতূনা- ফালাবিছতা ছিনীনা ফী আহলি মাদইয়ানা ছু ম্মা জি’তা ‘আলা-কাদারিইঁ ইয়া-মূছা-।
আল বায়ান:
যখন তোমার বোন (সিন্দুকের সাথে সাথে) চলছিল। অতঃপর সে গিয়ে বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একজনের সন্ধান দেব, যে এর দায়িত্বভার নিতে পারবে’? অতঃপর আমি তোমাকে তোমার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিলাম; যাতে তার চোখ জুড়ায় এবং সে দুঃখ না পায়। আর তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে। তখন আমি তোমাকে মানোবেদনা থেকে মুক্তি দিলাম এবং তোমাকে আমি বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছি। অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে অবস্থান করেছ। হে মূসা, তারপর নির্ধারিত সময়ে তুমি এসে উপস্থিত হলে’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তোমার বোন গিয়ে বলল, ‘তোমাদেরকে কি বলে দেব কে এই শিশুর তত্ত্বাবধান ও প্রতিপালনের ভার নেবে?’ এভাবে আমি তোমাকে তোমার মায়ের কাছে ফিরিয়ে আনলাম যাতে তার চোখ জুড়ায় আর সে দুঃখ না পায়। আর তুমি এক লোককে হত্যা করেছিলে, অতঃপর আমি তোমাকে মনোবেদনা থেকে মুক্তি দিয়েছি। আমি তোমাকে অনেক পরীক্ষা করেছি। অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদ্ইয়ানবাসীদের মধ্যে অবস্থান করলে, এরপর হে মূসা! তুমি নির্ধারিত সময়ে এসে হাযির হয়েছ।
Sahih International:
[And We favored you] when your sister went and said, 'Shall I direct you to someone who will be responsible for him?' So We restored you to your mother that she might be content and not grieve. And you killed someone, but We saved you from retaliation and tried you with a [severe] trial. And you remained [some] years among the people of Madyan. Then you came [here] at the decreed time, O Moses.



وَ اصْطَنَعْتُکَ لِنَفْسِیْ ﴿ۚ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছতানা‘তুকা লিনাফছী।
আল বায়ান:
এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য মনোনীত করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য তৈরি করেছি।
Sahih International:
And I produced you for Myself.



اِذْهَبْ اَنْتَ وَ اَخُوْکَ بِاٰیٰتِیْ وَ لَا تَنِیَا فِیْ ذِکْرِیْ ﴿ۚ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইযহাব আনতা ওয়াআখূকা বিআ-য়া-তী ওয়ালা-তানিয়া-ফী যিকরী।
আল বায়ান:
তুমি ও তোমার ভাই আমার আয়াতসমূহ নিয়ে যাও এবং আমাকে স্মরণ করার ক্ষেত্রে কোনরূপ অলসতা করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি আর তোমার ভাই আমার নিদর্শন নিয়ে যাও আর তোমরা আমাকে স্মরণ করার বিষয়ে শৈথিল্য করো না।
Sahih International:
Go, you and your brother, with My signs and do not slacken in My remembrance.



اِذْهَبَاۤ اِلٰی فِرْعَوْنَ اِنَّهٗ طَغٰی ﴿ۚۖ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ইয হাবা ইলা-ফির‘আওনা ইন্নাহূতাগা-।
আল বায়ান:
তোমরা দু’জন ফির‘আউনের নিকট যাও, কেননা সে তো সীমালংঘন করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা দু’জন ফেরাউনের নিকট যাও, বস্তুতঃ সে সীমালঙ্ঘন করেছে।
Sahih International:
Go, both of you, to Pharaoh. Indeed, he has transgressed.



فَقُوْلَا لَهٗ قَوْلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّهٗ یَتَذَکَّرُ اَوْ یَخْشٰی ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ফাকূলা-লাহূকাওলাল লাইয়িনাল লা‘আল্লাহূইয়াতাযাক্কারুআও ইয়াখশা-।
আল বায়ান:
তোমরা তার সাথে নরম কথা বলবে। হয়তোবা সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তার সঙ্গে তোমরা নম্রভাবে কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে কিংবা (আল্লাহর) ভয় করবে।’
Sahih International:
And speak to him with gentle speech that perhaps he may be reminded or fear [Allah]."



قَالَا رَبَّنَاۤ اِنَّنَا نَخَافُ اَنْ یَّفْرُطَ عَلَیْنَاۤ اَوْ اَنْ یَّطْغٰی ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বানাইন্নানা-নাখা-ফুআইঁ ইয়াফরুতা ‘আলাইনাআও আইঁ ইয়াতগা-।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমরা তো আশংকা করছি যে, সে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করবে অথবা সীমালঙ্ঘন করবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ভয় হচ্ছে সে আমাদের প্রতি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠবে কিংবা আমাদের প্রতি আচরণে বাড়াবাড়ি করবে।’
Sahih International:
They said, "Our Lord, indeed we are afraid that he will hasten [punishment] against us or that he will transgress."



قَالَ لَا تَخَافَاۤ اِنَّنِیْ مَعَکُمَاۤ اَسْمَعُ وَ اَرٰی ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লা-তাখা-ফাইন্নানী মা‘আকুমাআছমা‘উ ওয়া আরা-।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘তোমরা ভয় করো না। আমি তো তোমাদের সাথেই আছি। আমি সবকিছু শুনি ও দেখি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন, ‘তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সাথেই আছি, আমি (সব কিছু) শুনি আর দেখি।
Sahih International:
[Allah] said, "Fear not. Indeed, I am with you both; I hear and I see.



فَاْتِیٰهُ فَقُوْلَاۤ اِنَّا رَسُوْلَا رَبِّکَ فَاَرْسِلْ مَعَنَا بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ ۬ۙ وَ لَا تُعَذِّبْهُمْ ؕ قَدْ جِئْنٰکَ بِاٰیَۃٍ مِّنْ رَّبِّکَ ؕ وَ السَّلٰمُ عَلٰی مَنِ اتَّبَعَ الْهُدٰی ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ফা’তিয়া-হু ফাকূলাইন্না-রাছূলা-রাব্বিকা ফাআরছিল মা‘আনা-ߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣߣ
আল বায়ান:
সুতরাং তোমরা দু’জন তার কাছে যাও অতঃপর বল, ‘আমরা তোমার রবের দু’জন রাসূল। সুতরাং তুমি বনী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে যেতে দাও এবং তাদেরকে নির্যাতন করো না। আমরা তোমার কাছে এসেছি তোমার রবের আয়াত নিয়ে। আর যারা সৎ পথ অনুসরণ করে, তাদের প্রতি শান্তি’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা দু’জন তার কাছে এসো আর বল- আমরা তোমার প্রতিপালকের রসূল, কাজেই বানী ইসরাঈলকে আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দাও, তাদের প্রতি উৎপীড়ন করো না। তোমার প্রতিপালকের নিদর্শনসহই আমরা তোমার কাছে এসেছি, আর শান্তি বর্ষিত হোক তাদের প্রতি যারা সৎ পথ অনুসরণ করে।
Sahih International:
So go to him and say, 'Indeed, we are messengers of your Lord, so send with us the Children of Israel and do not torment them. We have come to you with a sign from your Lord. And peace will be upon he who follows the guidance.



اِنَّا قَدْ اُوْحِیَ اِلَیْنَاۤ اَنَّ الْعَذَابَ عَلٰی مَنْ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-কাদ ঊহিয়া ইলাইনাআন্নাল ‘আযা-বা ‘আলা-মান কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমাদের নিকট ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, আযাবতো তার জন্য, যে মিথ্যা আরোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে শাস্তি (অপেক্ষা করছে) তার জন্য যে (সত্য) প্রত্যাখ্যান করে আর মুখ ফিরিয়ে নেয়।’
Sahih International:
Indeed, it has been revealed to us that the punishment will be upon whoever denies and turns away.' "



قَالَ فَمَنْ رَّبُّکُمَا یٰمُوْسٰی ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফামার রাব্বুকুমা-ইয়া-মূছা-।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘হে মূসা, তাহলে কে তোমাদের রব’?
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন বলল, ‘হে মূসা! কে তোমাদের প্রতিপালক?’
Sahih International:
[Pharaoh] said, "So who is the Lord of you two, O Moses?"



قَالَ رَبُّنَا الَّذِیْۤ اَعْطٰی کُلَّ شَیْءٍ خَلْقَهٗ ثُمَّ هَدٰی ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বুনাল্লাযীআ‘তা-কুল্লা শাইয়িন খালকাহূছুম্মা হাদা-।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘আমাদের রব তিনি, যিনি সকল বস্তুকে তার আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সঠিক পথ নির্দেশ করেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক তিনি যিনি সকল (সৃষ্ট) বস্তুকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথ প্রদর্শন করেছেন।’
Sahih International:
He said, "Our Lord is He who gave each thing its form and then guided [it]."



قَالَ فَمَا بَالُ الْقُرُوْنِ الْاُوْلٰی ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফামা-বা-লুল কুরূনিল ঊলা-।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কী’?
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন বলল, ‘তাহলে আগের যুগের লোকেদের অবস্থা কী?’
Sahih International:
[Pharaoh] said, "Then what is the case of the former generations?"



قَالَ عِلْمُهَا عِنْدَ رَبِّیْ فِیْ کِتٰبٍ ۚ لَا یَضِلُّ رَبِّیْ وَ لَا یَنْسَی ﴿۫۵۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ‘ইলমুহা-‘ইনদা রাববী ফী কিতা-বিল লা-ইয়াদিল্লুরাববী ওয়ালা-ইয়ানছা-।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘এর জ্ঞান আমার রবের নিকট কিতাবে আছে। আমার রব বিভ্রান্ত হন না এবং ভুলেও যান না’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘তার জ্ঞান আমার প্রতিপালকের কাছে (রক্ষিত) কিতাবে আছে, আমার প্রতিপালক ভুল করেন না, ভুলেও যান না।’
Sahih International:
[Moses] said, "The knowledge thereof is with my Lord in a record. My Lord neither errs nor forgets."



الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الْاَرْضَ مَهْدًا وَّ سَلَکَ لَکُمْ فِیْهَا سُبُلًا وَّ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ؕ فَاَخْرَجْنَا بِهٖۤ اَزْوَاجًا مِّنْ نَّبَاتٍ شَتّٰی ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা মাহদাওঁ ওয়া ছালাকা লাকুম ফীহা ছুবুলাওঁ ওয়া আনযালা মিনাছছামাই মাআন ফাআখরাজনা-বিহীআযওয়া-জাম মিন নাবা-তিন শাত্তা-।
আল বায়ান:
‘যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে বিছানা বানিয়েছেন এবং তাতে তোমাদের জন্য চলার পথ করে দিয়েছেন। আর আসমান থেকে তিনি পানি বর্ষণ করেন’; অতঃপর তা দিয়ে আমি বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ উৎপন্ন করি।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিছানা, আর তাতে তোমাদের জন্য ক’রে দিয়েছেন চলার পথ। আর আকাশ থেকে তিনি পানি বর্ষণ করেন আর তা দিয়ে আমি বিভিন্ন লতা-যুগল উদগত করি যার প্রত্যেকটি অন্যটি থেকে আলাদা।
Sahih International:
[It is He] who has made for you the earth as a bed [spread out] and inserted therein for you roadways and sent down from the sky, rain and produced thereby categories of various plants.



کُلُوْا وَ ارْعَوْا اَنْعَامَکُمْ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّاُولِی النُّهٰی ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
কুলূওয়ার‘আও আন ‘আ-মাকুম ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিউলিন নুহা-।
আল বায়ান:
তোমরা নিজেরা খাও এবং তোমাদের গবাদি পশু চরাও। অবশ্যই এতে বিবেকসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা খাও আর তোমাদের গবাদি পশু চরাও, এতে বিবেকবানদের জন্য বহু নিদর্শন আছে।
Sahih International:
Eat [therefrom] and pasture your livestock. Indeed, in that are signs for those of intelligence.



مِنْهَا خَلَقْنٰکُمْ وَ فِیْهَا نُعِیْدُکُمْ وَ مِنْهَا نُخْرِجُکُمْ تَارَۃً اُخْرٰی ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
মিনহা-খালাকনা-কুম ওয়া ফীহা-নু‘ঈদুকুম ওয়ামিনহা-নুখরিজুকুম তা-রাতান উখরা-।
আল বায়ান:
মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, মাটিতেই আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেব এবং মাটি থেকেই তোমাদেরকে পুনরায় বের করে আনব।
তাইসিরুল কুরআন:
মাটি থেকে আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাতেই আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেব, আর তাত্থেকে তোমাদেরকে আবার বের করব।
Sahih International:
From the earth We created you, and into it We will return you, and from it We will extract you another time.



وَ لَقَدْ اَرَیْنٰهُ اٰیٰتِنَا کُلَّهَا فَکَذَّبَ وَ اَبٰی ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ আরাইনা-হু আ-য়া-তিনা-কুল্লাহা-ফাকাযযাবা ওয়া আবা-।
আল বায়ান:
আমি তাকে আমার সকল নিদর্শন দেখিয়েছিলাম, কিন্তু সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে (অর্থাৎ ফেরাউনকে) আমার যাবতীয় নিদর্শন দেখিয়েছিলাম কিন্তু সে মিথ্যে মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করেছে ও অমান্য করেছে।
Sahih International:
And We certainly showed Pharaoh Our signs - all of them - but he denied and refused.



قَالَ اَجِئْتَنَا لِتُخْرِجَنَا مِنْ اَرْضِنَا بِسِحْرِکَ یٰمُوْسٰی ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আজি‘তানা-লিতুখরিজানা-মিন আরদিনা-বিছিহরিকা ইয়া-মূছা-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে মূসা, তুমি কি আমাদের কাছে এজন্য এসেছ যে, তোমার যাদুর দ্বারা আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে মূসা! তুমি কি তোমার যাদুর বলে আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার জন্য এসেছ?
Sahih International:
He said, "Have you come to us to drive us out of our land with your magic, O Moses?



فَلَنَاْتِیَنَّکَ بِسِحْرٍ مِّثْلِهٖ فَاجْعَلْ بَیْنَنَا وَ بَیْنَکَ مَوْعِدًا لَّا نُخْلِفُهٗ نَحْنُ وَ لَاۤ اَنْتَ مَکَانًا سُوًی ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ফালানা’তিয়ান্নাকা বিছিহরিম মিছলিহী ফাজ‘আল বাইনানা-ওয়া বাইনাকা মাও‘ইদাল লানুখলিফুহূনাহনুওয়ালাআনতা মাকা-নান ছুওয়া-।
আল বায়ান:
‘তাহলে আমরা অবশ্যই তোমার নিকট অনুরূপ যাদু নিয়ে আসব। সুতরাং একটা মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের ও তোমার মিলিত হওয়ার জন্য একটি সময় নির্ধারণ কর, যা আমরাও লঙ্ঘন করব না, তুমিও করবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে আমরাও অবশ্য অবশ্যই তোমার কাছে অনুরূপ যাদু হাযির করব, কাজেই একটা মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের ও তোমাদের মিলিত হওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ কর যার খেলাফ আমরাও করব না, আর তুমিও করবে না।’
Sahih International:
Then we will surely bring you magic like it, so make between us and you an appointment, which we will not fail to keep and neither will you, in a place assigned."



قَالَ مَوْعِدُکُمْ یَوْمُ الزِّیْنَۃِ وَ اَنْ یُّحْشَرَ النَّاسُ ضُحًی ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা মাও‘ইদুকুম ইয়াওমুয যীনাতি ওয়া আইঁ ইউহশারান্না-ছুদু হা-।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘তোমাদের নির্ধারিত সময় হল উৎসবের দিন। আর সেদিন পূর্বাহ্নেই যেন লোকজনকে সমবেত করা হয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘তোমাদের (সঙ্গে) ওয়া‘দার নির্ধারিত সময় হল উৎসবের দিন আর দুপুরের আগেই মানুষ যেন পৌঁছে যায়।’
Sahih International:
[Moses] said, "Your appointment is on the day of the festival when the people assemble at mid-morning."



فَتَوَلّٰی فِرْعَوْنُ فَجَمَعَ کَیْدَهٗ ثُمَّ اَتٰی ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ফাতাওয়াল্লা-ফির‘আওনুফাজামা‘আ কাইদাহূছুম্মা আতা-।
আল বায়ান:
অতঃপর ফির‘আউন উঠে গেল। তারপর সে তার কৌশল একত্র করল, তারপর সে আসল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন ফেরাউন উঠে গেল, অতঃপর তার কলা-কৌশল একত্র করল, তারপর ফিরে এল।
Sahih International:
So Pharaoh went away, put together his plan, and then came [to Moses].



قَالَ لَهُمْ مُّوْسٰی وَیْلَکُمْ لَا تَفْتَرُوْا عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا فَیُسْحِتَکُمْ بِعَذَابٍ ۚ وَ قَدْ خَابَ مَنِ افْتَرٰی ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাহুম মূছা-ওয়াইলাকুম লা-তাফতারূ‘আলাল্লা-হি কাযিবান ফাইউছহিতাকুম বি‘আযা-বিওঁ ওয়া কাদ খা-বা মানিফতারা-।
আল বায়ান:
মূসা তাদেরকে বলল, ‘তোমাদের দুর্ভাগ্য! তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না। করলে তিনি আযাব দ্বারা তোমাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি মিথ্যা আরোপ করে, সে-ই ব্যর্থ হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা তাদেরকে বলল, ‘হায় তোমাদের দুর্ভাগ্য! তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যে আরোপ করো না, করলে তিনি তোমাদেরকে ভয়ানক শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করে দেবেন। যে মিথ্যে আরোপ করে সে-ই ব্যর্থ হয়।’
Sahih International:
Moses said to the magicians summoned by Pharaoh, "Woe to you! Do not invent a lie against Allah or He will exterminate you with a punishment; and he has failed who invents [such falsehood]."



فَتَنَازَعُوْۤا اَمْرَهُمْ بَیْنَهُمْ وَ اَسَرُّوا النَّجْوٰی ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ফাতানা-যা‘ঊআমরাহুম বাইনাহুম ওয়া আছাররুন নাজওয়া-।
আল বায়ান:
তখন তারা নিজদের মধ্যে তাদের কর্ম সম্বন্ধে বাক-বিতন্ডা করল এবং তারা গোপনে পরামর্শ করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তারা তাদের কাজ-কর্ম নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদ করল আর তারা গোপনে পরামর্শ করল।
Sahih International:
So they disputed over their affair among themselves and concealed their private conversation.



قَالُوْۤا اِنْ هٰذٰىنِ لَسٰحِرٰنِ یُرِیْدٰنِ اَنْ یُّخْرِجٰکُمْ مِّنْ اَرْضِکُمْ بِسِحْرِهِمَا وَ یَذْهَبَا بِطَرِیْقَتِکُمُ الْمُثْلٰی ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইন হা-যা-নি লাছা-হিরা-নি ইউরীদা-নি আইঁ ইউখরিজা-কুমমিনআরদিকুম বিছিহরিহিমা-ওয়া ইয়াযহাবা -বিতারীকাতিকুমুল মুছলা-।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘এ দু’জন অবশ্যই যাদুকর। তারা চায় তাদের যাদুর মাধ্যমে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন পদ্ধতি ধ্বংস করে দিতে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘এ দু’জন নিশ্চিতই যাদুকর, তারা তাদের যাদুর বলে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে চায় আর তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন পদ্ধতি মুছে ফেলতে চায়।
Sahih International:
They said, "Indeed, these are two magicians who want to drive you out of your land with their magic and do away with your most exemplary way.



فَاَجْمِعُوْا کَیْدَکُمْ ثُمَّ ائْتُوْا صَفًّا ۚ وَ قَدْ اَفْلَحَ الْیَوْمَ مَنِ اسْتَعْلٰی ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ফাআজমি‘উ কাইদাকুম ছুম্মা’তূসাফফাওঁ ওয়াকাদ আফলাহাল ইয়াওমা মানিছতা‘লা-।
আল বায়ান:
‘কাজেই তোমরা তোমাদের কলা-কৌশল জমা কর। তারপর তোমরা সবাই সারিবদ্ধভাবে আস। আর আজ যে বিজয়ী হবে, সে-ই সফল হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা তোমাদের কলা-কৌশল একত্রিত কর, অতঃপর সারিবদ্ধ হয়ে হাজির হয়ে যাও। আজ যে বিজয় লাভ করবে, সে-ই (বরাবর) সফল হবে।’
Sahih International:
So resolve upon your plan and then come [forward] in line. And he has succeeded today who overcomes."



قَالُوْا یٰمُوْسٰۤی اِمَّاۤ اَنْ تُلْقِیَ وَ اِمَّاۤ اَنْ نَّکُوْنَ اَوَّلَ مَنْ اَلْقٰی ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-মূছাইম্মাআন তুলকিয়া ওয়া ইম্মাআন নাকূনা আওয়ালা মান আলকা-।
আল বায়ান:
তারা বলল, হে মূসা, হয় তুমি নিক্ষেপ কর, না হয় আমরাই প্রথমে নিক্ষেপ করি।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘হে মূসা! তুমিই (প্রথমে) নিক্ষেপ করবে, না আমরাই প্রথমে নিক্ষেপ করব?’
Sahih International:
They said, "O Moses, either you throw or we will be the first to throw."



قَالَ بَلْ اَلْقُوْا ۚ فَاِذَا حِبَالُهُمْ وَ عِصِیُّهُمْ یُخَیَّلُ اِلَیْهِ مِنْ سِحْرِهِمْ اَنَّهَا تَسْعٰی ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা বাল আলকূ,ফাইযা- হিবা-লুহুম ওয়া ‘ইসিইউহুম ইউখাইইয়ালুইলাইহি মিন ছিহরিহিম আন্নাহা-তাছ‘আ-।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর। অতঃপর তাদের যাদুর প্রভাবে মূসার কাছে মনে হল যেন তাদের রশি ও লাঠিগুলো ছুটোছুটি করছে।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর।’ তখন তাদের যাদুর কারণে মূসার মনে হল যে, তাদের রশি আর লাঠিগুলো ছুটোছুটি করছে।
Sahih International:
He said, "Rather, you throw." And suddenly their ropes and staffs seemed to him from their magic that they were moving [like snakes].



فَاَوْجَسَ فِیْ نَفْسِهٖ خِیْفَۃً مُّوْسٰی ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ফাআওজাছা ফী নাফছিহী খীফাতাম মূছা-।
আল বায়ান:
তখন মূসা তার অন্তরে কিছুটা ভীতি অনুভব করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন মূসা তার মনে ভীতি অনুভব করল।
Sahih International:
And he sensed within himself apprehension, did Moses.



قُلْنَا لَا تَخَفْ اِنَّکَ اَنْتَ الْاَعْلٰی ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
কুলনা- লা-তাখাফ ইন্নাকা আনতাল আ‘লা-।
আল বায়ান:
আমি বললাম, ‘তুমি ভয় পেয়ো না, নিশ্চয় তুমিই বিজয়ী হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি বললাম, ‘ভয় করো না, তুমিই বিজয়ী হবে।’
Sahih International:
Allah said, "Fear not. Indeed, it is you who are superior.



وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِکَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।
আল বায়ান:
‘আর তোমার ডান হাতে যা আছে, তা ফেলে দাও। তারা যা করেছে, এটা সেগুলো গ্রাস করে ফেলবে। তারা যা করেছে, তাতো কেবল যাদুকরের কৌশল। আর যাদুকর যেখানেই আসুক না কেন, সে সফল হবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ কর, তারা যা করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে, তারা যা করেছে তাতো কেবল যাদুকরের কলা-কৌশল। যাদুকর যে রূপ ধরেই আসুক না কেন, সফল হবে না।’
Sahih International:
And throw what is in your right hand; it will swallow up what they have crafted. What they have crafted is but the trick of a magician, and the magician will not succeed wherever he is."



فَاُلْقِیَ السَّحَرَۃُ سُجَّدًا قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ هٰرُوْنَ وَ مُوْسٰی ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ফাউলকিয়াছ ছাহারাতুছুজ্জাদান কা-লূআ-মান্না-বিরাব্বি হা-রূনা ওয়া মূছা-।
আল বায়ান:
অতঃপর যাদুকরেরা সিজদায় লুটিয়ে পড়ল। তারা বলল, ‘আমরা হারূন ও মূসার রবের প্রতি ঈমান আনলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
(মূসার স্পষ্ট নিদর্শন যখন দেখল) তখন যাদুকরেরা (আল্লাহর প্রতি) সাজদায় লুটিয়ে পড়ল। তারা বলল, ‘আমরা হারূন ও মূসার প্রতিপালকের উপর ঈমান আনলাম।’
Sahih International:
So the magicians fell down in prostration. They said, "We have believed in the Lord of Aaron and Moses."



قَالَ اٰمَنْتُمْ لَهٗ قَبْلَ اَنْ اٰذَنَ لَکُمْ ؕ اِنَّهٗ لَکَبِیْرُکُمُ الَّذِیْ عَلَّمَکُمُ السِّحْرَ ۚ فَلَاُقَطِّعَنَّ اَیْدِیَکُمْ وَ اَرْجُلَکُمْ مِّنْ خِلَافٍ وَّ لَاُصَلِّبَنَّکُمْ فِیْ جُذُوْعِ النَّخْلِ ۫ وَ لَتَعْلَمُنَّ اَیُّنَاۤ اَشَدُّ عَذَابًا وَّ اَبْقٰی ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আ-মানতুম লাহূ কাবলা আন আ-যানা লাকুম ইন্নাহূ লাকাবীরুকুমুল্লাযী ‘আল্লামাকুমুছ ছিহরা ফালাউকাত্তি‘আন্না আইদিয়াকুম ওয়া আরজুলাকুম মিন খিলা-ফিওঁ ওয়ালা উসালিলবান্নাকুম ফী জুযূ‘ইন নাখলি ওয়ালা তা‘লামুন্না আইঁ ইউনাআশাদ্দু‘আযাবাওঁ ওয়াআবকা-।
আল বায়ান:
ফির‘আউন বলল, ‘কী, আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় সে-ই তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। সুতরাং আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং আমি তোমাদেরকে খেজুর গাছের কান্ডে শূলিবিদ্ধ করবই। আর তোমরা অবশ্যই জানতে পারবে, আমাদের মধ্যে কার আযাব বেশী কঠোর এবং বেশী স্থায়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন বলল, ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে? নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রধান যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। কাজেই আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের হাত আর পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব আর খেজুর গাছের শাখায় তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই শূলে চড়াব আর তখন তোমরা অবশ্য অবশ্যই জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কার ‘আযাব বেশি শক্ত আর বেশি স্থায়ী।
Sahih International:
[Pharaoh] said, "You believed him before I gave you permission. Indeed, he is your leader who has taught you magic. So I will surely cut off your hands and your feet on opposite sides, and I will crucify you on the trunks of palm trees, and you will surely know which of us is more severe in [giving] punishment and more enduring."



قَالُوْا لَنْ نُّؤْثِرَکَ عَلٰی مَا جَآءَنَا مِنَ الْبَیِّنٰتِ وَ الَّذِیْ فَطَرَنَا فَاقْضِ مَاۤ اَنْتَ قَاضٍ ؕ اِنَّمَا تَقْضِیْ هٰذِهِ الْحَیٰوۃَ الدُّنْیَا ﴿ؕ۷۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলান নু’ছিরাকা ‘আলা-মা-জাআনা-মিনাল বাইয়িনা-তি ওয়াল্লাযী ফাতারানাফাকদিমাআনতা কা-দিন ইন্নামা-তাকদী হা-যিহিল হায়া-তাদ দুনইয়া-।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমাদের নিকট যে সকল স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তার উপর আমরা তোমাকে কিছুতেই প্রাধান্য দেব না। সুতরাং তুমি যা ফয়সালা করতে চাও, তাই করো। তুমিতো কেবল এ দুনিয়ার জীবনের উপর কর্তৃত্ব করতে পার’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমাদের নিকট যে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তার উপর আমরা তোমাকে কক্ষনো প্রাধান্য দেব না। কাজেই তুমি যা করতে চাও তাই কর। কেননা তুমি কেবল এ পার্থিব জীবনেই কর্তৃত্ব খাটাতে পার।
Sahih International:
They said, "Never will we prefer you over what has come to us of clear proofs and [over] He who created us. So decree whatever you are to decree. You can only decree for this worldly life.



اِنَّـاۤ اٰمَنَّا بِرَبِّنَا لِیَغْفِرَ لَنَا خَطٰیٰنَا وَ مَاۤ اَکْرَهْتَنَا عَلَیْهِ مِنَ السِّحْرِ ؕ وَ اللّٰهُ خَیْرٌ وَّ اَبْقٰی ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআ-মান্না-বিরাব্বিনা-লিইয়াগফিরালানা-খাতা-ইয়া-না-ওয়ামাআকরাহতানা‘আলাইহি মিনাছছিহরি ওয়াল্লা-হু খাইরুওঁ ওয়া আবকা-।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, যাতে তিনি আমাদের অপরাধসমূহ এবং যে যাদু তুমি আমাদেরকে করতে বাধ্য করেছ, তা ক্ষমা করে দেন। আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা আমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি যাতে তিনি আমাদের অপরাধ ক্ষমা করেন আর যে যাদু করতে তুমি আমাদেরকে বাধ্য করেছ তাও (ক্ষমা করেন), আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ ও স্থায়ী।’
Sahih International:
Indeed, we have believed in our Lord that He may forgive us our sins and what you compelled us [to do] of magic. And Allah is better and more enduring."



اِنَّهٗ مَنْ یَّاْتِ رَبَّهٗ مُجْرِمًا فَاِنَّ لَهٗ جَهَنَّمَ ؕ لَا یَمُوْتُ فِیْهَا وَ لَا یَحْیٰی ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূমাইঁ ইয়া’তি রাব্বাহূমুজরিমান ফাইন্না লাহূজাহান্নামা লা-ইয়ামূতুফীহা-ওয়ালাইয়াহইয়া-।
আল বায়ান:
যে তার রবের নিকট অপরাধী অবস্থায় আসবে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবেও না, বাঁচবেও না।
তাইসিরুল কুরআন:
যে কেউ তার প্রতিপালকের নিকট অপরাধী অবস্থায় হাযির হবে তার জন্যে আছে জাহান্নাম, সেখানে সে না মরবে, আর না বাঁচবে।
Sahih International:
Indeed, whoever comes to his Lord as a criminal - indeed, for him is Hell; he will neither die therein nor live.



وَ مَنْ یَّاْتِهٖ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصّٰلِحٰتِ فَاُولٰٓئِکَ لَهُمُ الدَّرَجٰتُ الْعُلٰی ﴿ۙ۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাইঁ ইয়া’তিহী মু’মিনান কাদ ‘আমিলাসসা-লিহা-তি ফাউলাইকা লাহুমুদ দারাজা-তুল ‘উলা-।
আল বায়ান:
আর যারা তাঁর নিকট আসবে মুমিন অবস্থায়, সৎকর্ম করে তাদের জন্যই রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা।
তাইসিরুল কুরআন:
যে কেউ সৎ ‘আমাল ক’রে মু’মিন অবস্থায় তাঁর নিকট হাযির হবে, তাদের জন্য আছে সুউচ্চ মর্যাদা।
Sahih International:
But whoever comes to Him as a believer having done righteous deeds - for those will be the highest degrees [in position]:



جَنّٰتُ عَدْنٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ؕ وَ ذٰلِکَ جَزٰٓؤُا مَنْ تَزَکّٰی ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
জান্না-তু‘আদনিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা- ওয়া যা-লিকা জাযাউ মান তাযাক্কা-
আল বায়ান:
স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে স্থায়ী হবে। আর এটা হল যারা পরিশুদ্ধ হয় তাদের পুরষ্কার।
তাইসিরুল কুরআন:
স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে বয়ে চলছে নির্ঝরিণী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। যারা নিজেদেরকে পবিত্র করে তাদের এটাই পুরস্কার।
Sahih International:
Gardens of perpetual residence beneath which rivers flow, wherein they abide eternally. And that is the reward of one who purifies himself.



وَ لَقَدْ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی ۬ۙ اَنْ اَسْرِ بِعِبَادِیْ فَاضْرِبْ لَهُمْ طَرِیْقًا فِی الْبَحْرِ یَبَسًا ۙ لَّا تَخٰفُ دَرَکًا وَّ لَا تَخْشٰی ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আওহাইনাইলা মূছা আন আছরি বি‘ইবা-দী ফাদরিব লাহুম তারীকান ফিল বাহরি ইয়াবাছাল লা-তাখা-ফুদারাকাওঁ ওয়ালা-তাখশা-।
আল বায়ান:
আর আমি অবশ্যই মূসার কাছে ওহী প্রেরণ করেছিলাম যে, ‘আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাতের বেলায় রওয়ানা হও। অতঃপর সজোরে আঘাত করে তাদের জন্য শুকনো রাস্তা বানাও। পেছন থেকে ধরে ফেলার আশংকা করো না এবং ভয়ও করো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসাকে ওয়াহী করলাম যে, আমার বান্দাহদেরকে নিয়ে রাতের বেলা যাত্রা কর আর তাদের জন্য সমুদ্রের ভিতর একটা শুকনো পথ বানিয়ে নাও। আর পেছন থেকে (ফেরাউন) ধরে ফেলবে এ ভয় করো না, আর (অন্য কোন) আশঙ্কাও করো না।
Sahih International:
And We had inspired to Moses, "Travel by night with My servants and strike for them a dry path through the sea; you will not fear being overtaken [by Pharaoh] nor be afraid [of drowning]."



فَاَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ بِجُنُوْدِهٖ فَغَشِیَهُمْ مِّنَ الْیَمِّ مَا غَشِیَهُمْ ﴿ؕ۷۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআতবা‘আহুম ফির‘আওনুবিজুনূদিহী ফাগাশিয়াহুম মিনাল ইয়াম্মি মা-গাশিইয়াহুম।
আল বায়ান:
তারপর ফির‘আউন তার সেনাবাহিনী সহ তাদের পিছু নিল। অতঃপর সমুদ্র তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত করল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ফেরাউন তার সৈন্যসামন্ত নিয়ে তাদের পিছু নিল, অতঃপর সমুদ্র তাদের উপর চড়াও হল আর তাদেরকে ডুবিয়ে দিল।
Sahih International:
So Pharaoh pursued them with his soldiers, and there covered them from the sea that which covered them,



وَ اَضَلَّ فِرْعَوْنُ قَوْمَهٗ وَ مَا هَدٰی ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আদাল্লা ফির‘আওনুকাওমাহূওয়ামা-হাদা-।
আল বায়ান:
আর ফির‘আউন তার কওমকে পথভ্রষ্ট করেছিল এবং সে সঠিক পথ দেখায়নি।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন তার জাতিকে বিপথগামী করেছিল এবং তাদেরকে সঠিক পথ দেখায়নি।
Sahih International:
And Pharaoh led his people astray and did not guide [them].



یٰبَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ قَدْ اَنْجَیْنٰکُمْ مِّنْ عَدُوِّکُمْ وَ وٰعَدْنٰکُمْ جَانِبَ الطُّوْرِ الْاَیْمَنَ وَ نَزَّلْنَا عَلَیْکُمُ الْمَنَّ وَ السَّلْوٰی ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-বানীইছরাঈলা কাদ আনজাইনা-কুমমিন‘আদুওবিকুমওয়াওয়া-‘আদনা-কুমজানিবাততূরিল আইমানা ওয়া নাযযালনা-‘আলাইকুমুল মান্না ওয়াছছালওয়া-।
আল বায়ান:
হে বনী ইসরাঈল, আমিই তোমাদেরকে তোমাদের শত্রু থেকে নাজাত দিয়েছি। আর তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলাম তূর পাহাড়ের ডান পাশের* এবং আমি তোমাদের জন্য অবতরণ করেছিলাম ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে বানী ইসরাঈল! আমি তোমাদেরকে তোমাদের শত্রুর কবল থেকে উদ্ধার করেছিলাম আর আমি তোমাদেরকে তূর পাহাড়ের ডানপাশে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম (তাওরাত দানের জন্য) আর তোমাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম মান্না ও সালওয়া।
Sahih International:
O Children of Israel, We delivered you from your enemy, and We made an appointment with you at the right side of the mount, and We sent down to you manna and quails,



کُلُوْا مِنْ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقْنٰکُمْ وَ لَا تَطْغَوْا فِیْهِ فَیَحِلَّ عَلَیْکُمْ غَضَبِیْ ۚ وَ مَنْ یَّحْلِلْ عَلَیْهِ غَضَبِیْ فَقَدْ هَوٰی ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
কুলূমিন তাইয়িবা-তি মা-রাযাকনা-কুম ওয়ালা-তাতগাও ফীহি ফাইয়াহিল্লা ‘আলাইকুম গাদবী ওয়া মাইঁ ইয়াহলিল ‘আলাইহি গাদাবী ফাকাদ হাওয়া-।
আল বায়ান:
আমি তোমাদেরকে যে রিয্ক দান করেছি তা থেকে ভালগুলো খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না। করলে তোমাদের উপর আমার গযব পতিত হবে। আর যার উপর আমার গযব পতিত হয় সে অবশ্যই ধ্বংস হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাত্থেকে উত্তমগুলো আহার কর, আর এতে বাড়াবাড়ি করো না, করলে তোমাদের উপর আমার ‘আযাব সাব্যস্ত হয়ে যাবে। আর আমার ‘আযাব যার উপর সাব্যস্ত হয় সে তো ধ্বংসই হয়ে যায়।
Sahih International:
[Saying], "Eat from the good things with which We have provided you and do not transgress [or oppress others] therein, lest My anger should descend upon you. And he upon whom My anger descends has certainly fallen."



وَ اِنِّیْ لَغَفَّارٌ لِّمَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدٰی ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নী লাগাফফা-রুল লিমান তা-বা ওয়া আ-মানা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ছুম্মাহতাদা-।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে তাওবাহ করে, ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার জন্য অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল।
Sahih International:
But indeed, I am the Perpetual Forgiver of whoever repents and believes and does righteousness and then continues in guidance.



وَ مَاۤ اَعْجَلَکَ عَنْ قَوْمِکَ یٰمُوْسٰی ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআ‘জালাকা ‘আন কাওমিকা ইয়া-মূছা-।
আল বায়ান:
হে মূসা, কিসে তাড়াতাড়ি নিয়ে এসেছে তোমাকে, তোমার কওমকে পেছনে ফেলে?
তাইসিরুল কুরআন:
‘হে মূসা! তোমার সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে (তূর পাহাড়ে আসতে) তুমি জলদি করলে কেন?’
Sahih International:
[Allah] said, "And what made you hasten from your people, O Moses?"



قَالَ هُمْ اُولَآءِ عَلٰۤی اَثَرِیْ وَ عَجِلْتُ اِلَیْکَ رَبِّ لِتَرْضٰی ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হুম উলাই ‘আলাআছারী ওয়া ‘আজিলতুইলাইকা রাব্বি লিতারদা-।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘এই তো তারা আমার পিছনে। হে আমার রব, আমি তাড়াতাড়ি করে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট হন’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘এই তো তারা আমার পদচিহ্ন ধরে আসছে, আমি আপনার কাছে জলদি এলাম, হে আমার প্রতিপালক! যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন।’
Sahih International:
He said, "They are close upon my tracks, and I hastened to You, my Lord, that You be pleased."



قَالَ فَاِنَّا قَدْ فَتَنَّا قَوْمَکَ مِنْۢ بَعْدِکَ وَ اَضَلَّهُمُ السَّامِرِیُّ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাইন্না-কাদ ফাতান্না-কাওমাকা মিম বা‘দিকা ওয়া আদাল্লাহুমুছ ছামিরিইয়ু।
আল বায়ান:
আল্লাহ বললেন, ‘তোমার চলে আসার পর আমি তো তোমার কওমকে পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছি। আর সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন, ‘তোমার অনুপস্থিতিতে আমি তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি আর সামিরী তাদেরকে গুমরাহ্ করেছে।
Sahih International:
[Allah] said, "But indeed, We have tried your people after you [departed], and the Samiri has led them astray."



فَرَجَعَ مُوْسٰۤی اِلٰی قَوْمِهٖ غَضْبَانَ اَسِفًا ۬ۚ قَالَ یٰقَوْمِ اَلَمْ یَعِدْکُمْ رَبُّکُمْ وَعْدًا حَسَنًا ۬ؕ اَفَطَالَ عَلَیْکُمُ الْعَهْدُ اَمْ اَرَدْتُّمْ اَنْ یَّحِلَّ عَلَیْکُمْ غَضَبٌ مِّنْ رَّبِّکُمْ فَاَخْلَفْتُمْ مَّوْعِدِیْ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
ফারাজা‘আ মূছাইলা-কাওমিহী গাদবা-না আছিফান কা-লা ইয়া-কাওমি আলাম ইয়া‘ইদকুম রাব্বুকুম ওয়া‘দান হাছানান আফাতা-লা ‘আলাইকুমুল ‘আহদুআম আরাততুম আইঁ ইয়াহিল্লা ‘আলাইকুম গাদাবুম মির রাব্বিকুম ফাআখলাফতুম মাও‘ইদী।
আল বায়ান:
তারপর মূসা ক্রোধ ও দুঃখভরে তার কওমের কাছে ফিরে গেল। সে বলল, ‘হে কওম, তোমাদের রব কি তোমাদের সাথে এক উত্তম ওয়াদা করেননি? তোমাদের কাছে কি সেই ওয়াদার সময় দীর্ঘ হয়ে গেছে? নাকি তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের উপর তোমাদের রবের গযব পতিত হোক? তাই তোমরা আমার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করলে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তখন মূসা রাগে-দুঃখে তার জাতির কাছে ফিরে গেল। সে বলল, ‘হে আমার জাতি! তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদের সঙ্গে ও‘য়াদা করেননি, এক উত্তম ওয়া‘দা। ওয়া‘দা (পূরণের সময় আসতে) কি তোমাদের নিকট সুদীর্ঘ মনে হয়েছে, নাকি তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের শাস্তি নেমে আসুক, যে কারণে তোমরা আমার কাছে দেয়া তোমাদের ওয়া‘দা ভঙ্গ করলে?’
Sahih International:
So Moses returned to his people, angry and grieved. He said, "O my people, did your Lord not make you a good promise? Then, was the time [of its fulfillment] too long for you, or did you wish that wrath from your Lord descend upon you, so you broke your promise [of obedience] to me?"



قَالُوْا مَاۤ اَخْلَفْنَا مَوْعِدَکَ بِمَلْکِنَا وَ لٰکِنَّا حُمِّلْنَاۤ اَوْزَارًا مِّنْ زِیْنَۃِ الْقَوْمِ فَقَذَفْنٰهَا فَکَذٰلِکَ اَلْقَی السَّامِرِیُّ ﴿ۙ۸۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লূমাআখলাফনা-মাও‘ইদাকা বিমালকিনা-ওয়ালা-কিন্না-হুম্মিলনাআও যা-রাম মিন যীনাতিল কাওমি ফাকাযাফনা-হা ফাকাযা-লিকা আলকাছছা-মিরিইয়ু।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা তো স্বেচ্ছায় আপনার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করিনি, বরং কওমের অলংকারের বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। তাই আমরা তা (আগুনে) নিক্ষেপ করেছি, অনুরূপভাবে সামেরীও ফেলে দিয়েছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমাদের সাধ্য থাকা পর্যন্ত আমরা তোমার প্রতি দেয়া আমাদের ওয়া‘দা ভঙ্গ করিনি, কিন্তু আমাদের উপর লোকেদের অলঙ্কারের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, আর আমরা তা নিক্ষেপ করেছিলাম (আগুনে), এমনিভাবে সামিরীও নিক্ষেপ করেছিল।
Sahih International:
They said, "We did not break our promise to you by our will, but we were made to carry burdens from the ornaments of the people [of Pharaoh], so we threw them [into the fire], and thus did the Samiri throw."



فَاَخْرَجَ لَهُمْ عِجْلًا جَسَدًا لَّهٗ خُوَارٌ فَقَالُوْا هٰذَاۤ اِلٰـهُکُمْ وَ اِلٰهُ مُوْسٰی ۬ فَنَسِیَ ﴿ؕ۸۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআখরাজা লাহুম ‘ইজলান জাছাদাল্লাহূখুওয়া-রুন ফাকা-লূহা-যাইলা-হুকুম ওয়াইলা-হু মূছা-ফানাছী-।
আল বায়ান:
তারপর সে তাদের জন্য একটা গো বাছুরের প্রতিকৃতি বের করে আনল, যার ছিল আওয়াজ। তখন তারা বলল, ‘এটাই তোমাদের ইলাহ এবং মূসারও ইলাহ; কিন্তু সে এ কথা ভুলে গেছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সে (আগুন থেকে) গো-বৎসের প্রতিকৃতি বের করল, মনে হত সেটা যেন হাম্বা রব করছে। অতঃপর তারা বলল, ‘এটাই তোমাদের ইলাহ আর মূসারও ইলাহ, কিন্তু মূসা ভুলে গেছে।’
Sahih International:
And he extracted for them [the statue of] a calf which had a lowing sound, and they said, "This is your god and the god of Moses, but he forgot."



اَفَلَا یَرَوْنَ اَلَّا یَرْجِعُ اِلَیْهِمْ قَوْلًا ۬ۙ وَّ لَا یَمْلِکُ لَهُمْ ضَرًّا وَّ لَا نَفْعًا ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
আফালা-ইয়ারাওনা আল্লা-ইয়ারজি‘ঊ ইলাইহিম কাওলাওঁ ওয়ালা-ইয়ামলিকুলাহুম দাররাওঁ ওয়ালা-নাফ‘আ-।
আল বায়ান:
তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার জবাব দিতে পারে না, আর তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি ভেবে দেখে না যে, তা তাদের কথার জবাব দেয় না, আর তা তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার সামর্থ্যও রাখে না?
Sahih International:
Did they not see that it could not return to them any speech and that it did not possess for them any harm or benefit?



وَ لَقَدْ قَالَ لَهُمْ هٰرُوْنُ مِنْ قَبْلُ یٰقَوْمِ اِنَّمَا فُتِنْتُمْ بِهٖ ۚ وَ اِنَّ رَبَّکُمُ الرَّحْمٰنُ فَاتَّبِعُوْنِیْ وَ اَطِیْعُوْۤا اَمْرِیْ ﴿۹۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ কা-লা লাহুম হা-রূনুমিন কাবলুইয়া-কাওমি ইন্নামা-ফুতিনতুম বিহী ওয়া ইন্না রাব্বাকুমুর রাহমা-নুফাত্তাবি‘ঊনী ওয়া আতী‘ঊআমরী।
আল বায়ান:
আর হারূন পূর্বেই তাদেরকে বলেছিল, ‘হে আমার কওম, এটা দ্বারা তো কেবল তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে। আর তোমাদের রব তো পরম করুণাময়। তাই তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল’।
তাইসিরুল কুরআন:
হারূন তাদেরকে আগেই বলেছিল, ‘হে আমার জাতির লোকেরা! এর (অর্থাৎ গো-বৎসের) দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে, তোমাদের প্রতিপালক হলেন দয়াময় (আল্লাহ), কাজেই তোমরা আমার অনুসরণ কর আর আমার কথা মান্য কর।
Sahih International:
And Aaron had already told them before [the return of Moses], "O my people, you are only being tested by it, and indeed, your Lord is the Most Merciful, so follow me and obey my order."



قَالُوْا لَنْ نَّبْرَحَ عَلَیْهِ عٰکِفِیْنَ حَتّٰی یَرْجِعَ اِلَیْنَا مُوْسٰی ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলান নাবরাহা ‘আলাইহি ‘আ-কিফীনা হাত্তা-ইয়ারজি‘আ ইলাইনা-মূছা-।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা এর উপরই অবিচল থাকব যতক্ষণ না মূসা আমাদের কাছে ফিরে আসে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমাদের কাছে মূসা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা সদাসর্বদা এর সাথেই সংযুক্ত হয়ে থাকব।
Sahih International:
They said, "We will never cease being devoted to the calf until Moses returns to us."



قَالَ یٰهٰرُوْنُ مَا مَنَعَکَ اِذْ رَاَیْتَهُمْ ضَلُّوْۤا ﴿ۙ۹۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়া-হা-রূনূমা-মানা‘আকা ইযরাআইতাহুম দাল্লু।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘হে হারূন! তুমি যখন দেখলে যে, তারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে তখন তোমাকে কিসে বিরত রাখল’
তাইসিরুল কুরআন:
সে (মূসা) বলল, ‘হে হারূন! তুমি যখন দেখলে যে, তারা গুমরাহ্ হয়ে গেছে তখন তোমাকে কে নিষেধ করল
Sahih International:
[Moses] said, "O Aaron, what prevented you, when you saw them going astray,



اَلَّا تَتَّبِعَنِ ؕ اَفَعَصَیْتَ اَمْرِیْ ﴿۹۳﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-তাত্তাবি‘আনি আফা‘আসাইতা আমরী।
আল বায়ান:
যে তুমি আমার অনুসরণ করলে না? তাহলে তুমিও কি আমার আদেশ অমান্য করেছ’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমাকে অনুসরণ করতে? তাহলে তুমি কি আমার আদেশ অমান্য করলে?
Sahih International:
From following me? Then have you disobeyed my order?"



قَالَ یَبْنَؤُمَّ لَا تَاْخُذْ بِلِحْیَتِیْ وَ لَا بِرَاْسِیْ ۚ اِنِّیْ خَشِیْتُ اَنْ تَقُوْلَ فَرَّقْتَ بَیْنَ بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ وَ لَمْ تَرْقُبْ قَوْلِیْ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
কালা ইয়াবনাউম্মা লা-তা’খুযবিলিহইয়াতী ওয়ালা-বিরা’ছী ইন্নী খাশীতুআন তাকূলা ফাররাকতা বাইনা বানীইছরাঈলা ওয়ালাম তারকুব কাওলী।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার সহোদর! আমার দাড়িও ধরো না, মাথার চুলও ধরো না। আমি আশংকা করেছিলাম যে, তুমি বলবে, তুমি বনী ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা রক্ষা করনি’।
তাইসিরুল কুরআন:
হারূন বলল, ‘হে আমার মায়ের পুত্র! আমার দাড়ি ধরে টেন না, আর আমার (মাথার) চুল ধরেও টেন না, আমি ভয় করেছিলাম তুমি বলবে যে, বানী ইসরাঈলের মাঝে তুমি বিভেদ সৃষ্টি করেছ আর তুমি আমার কথা পালন করনি।’
Sahih International:
[Aaron] said, "O son of my mother, do not seize [me] by my beard or by my head. Indeed, I feared that you would say, 'You caused division among the Children of Israel, and you did not observe [or await] my word.' "



قَالَ فَمَا خَطْبُکَ یٰسَامِرِیُّ ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফামা-খাতবুকা ইয়া-ছা-মিরিইয়ু।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘হে সামেরী! তোমার কী অবস্থা’?
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘এখন তোমার ব্যাপারটা কী, হে সামিরী?’
Sahih International:
[Moses] said, "And what is your case, O Samiri?"



قَالَ بَصُرْتُ بِمَا لَمْ یَبْصُرُوْا بِهٖ فَقَبَضْتُ قَبْضَۃً مِّنْ اَثَرِ الرَّسُوْلِ فَنَبَذْتُهَا وَ کَذٰلِکَ سَوَّلَتْ لِیْ نَفْسِیْ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা বাসুরতুবিমা-লাম ইয়াবসুরূবিহী ফাকাবাদতুকাবদাতাম মিন আছারির রাছূলি ফানাবাযতুহা-ওয়াকাযা-লিকা ছাওওয়ালাত লী নাফছী।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি এমন কিছু দেখেছি যা ওরা দেখেনি। তারপর আমি দূতের (জিবরীলের) পায়ের চিহ্ন থেকে এক মুষ্টি মাটি নিয়েছিলাম। অতঃপর তা নিক্ষেপ করেছিলাম। আর আমার মন আমার জন্য এরূপ করাটা শোভন করেছিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আমি দেখেছি যা ওরা দেখেনি, অতঃপর আমি প্রেরিত ব্যক্তির (অর্থাৎ জিবরীলের) পদচিহ্ন থেকে এক মুঠ মাটি নিলাম, অতঃপর আমি তা নিক্ষেপ করলাম (বাছুরের প্রতিকৃতিতে)। আমার মন আমাকে এ মন্ত্রণাই দিল।’
Sahih International:
He said, "I saw what they did not see, so I took a handful [of dust] from the track of the messenger and threw it, and thus did my soul entice me."



قَالَ فَاذْهَبْ فَاِنَّ لَکَ فِی الْحَیٰوۃِ اَنْ تَقُوْلَ لَا مِسَاسَ ۪ وَ اِنَّ لَکَ مَوْعِدًا لَّنْ تُخْلَفَهٗ ۚ وَ انْظُرْ اِلٰۤی اِلٰـهِکَ الَّذِیْ ظَلْتَ عَلَیْهِ عَاکِفًا ؕ لَنُحَرِّقَنَّهٗ ثُمَّ لَنَنْسِفَنَّهٗ فِی الْیَمِّ نَسْفًا ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাযহাব ফাইন্না লাকা ফিল হায়া-তি আন তাকূলা লা-মিছা-ছা ওয়া ইন্নালাকা মাও‘ইদাল লান তুখলাফাহূও ওয়ানজুর ইলাইলা-হিকাল্লাযী জালতা ‘আলাইহি আ-কিফাল লানুহাররিকান্নাহূছু ম্মা লানানছিফান্নাহূফিল ইয়াম্মি নাছফা-।
আল বায়ান:
মূসা বলল, ‘যাও, তোমার শাস্তি হল, জীবদ্দশায় তুমি বলতে থাকবে, ‘আমি অস্পৃশ্য’। আর তোমার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় রইল যার কখনো ব্যতিক্রম হবে না। আর তুমি তোমার ইলাহের প্রতি চেয়ে দেখ, যার পূজায় তুমি রত ছিলে, আমরা তা অবশ্যই জ্বালিয়ে দেব। তারপর বিক্ষিপ্ত করে তা সাগরে নিক্ষেপ করবই’।
তাইসিরুল কুরআন:
মূসা বলল, ‘তুই দূর হ! এ জীবনে তোর জন্য এ শাস্তিই থাকল যে, তুই বলবি- আমাকে স্পর্শ করো না, আর তোর জন্য একটা নির্দিষ্ট ওয়া‘দা আছে যার খেলাফ হবে না। আর তোর ইলাহর পানে চেয়ে দেখ যাকে তুই ঘিরে থাকতি, আমি তাকে অবশ্য অবশ্যই জ্বলন্ত আগুনে জ্বালিয়ে দেব, আর তাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবশ্য অবশ্যই সাগরে নিক্ষেপ করব।’
Sahih International:
[Moses] said, "Then go. And indeed, it is [decreed] for you in [this] life to say, 'No contact.' And indeed, you have an appointment [in the Hereafter] you will not fail to keep. And look at your 'god' to which you remained devoted. We will surely burn it and blow it into the sea with a blast.



اِنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمُ اللّٰهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ وَسِعَ کُلَّ شَیْءٍ عِلْمًا ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামাইলা-হুকুমুল্লা-হুল লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াছি‘আ কুল্লা শাইয়িন ‘ইলমা-।
আল বায়ান:
‘তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহই। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। সকল বিষয়েই তার জ্ঞান পরিব্যাপ্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের ইলাহ একমাত্র আল্লাহ, যিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। যাবতীয় বিষয়ে তাঁর জ্ঞান পরিব্যাপ্ত।
Sahih International:
Your god is only Allah, except for whom there is no deity. He has encompassed all things in knowledge."



کَذٰلِکَ نَقُصُّ عَلَیْکَ مِنْ اَنْۢبَآءِ مَا قَدْ سَبَقَ ۚ وَ قَدْ اٰتَیْنٰکَ مِنْ لَّدُنَّا ذِکْرًا ﴿ۖۚ۹۹﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা নাকুসসু‘আলাইকা মিন আমবাই মা কাদ ছাবাকা ওয়া কাদ আতাইনা-কা মিল্লাদুন্না-যিকরা-।
আল বায়ান:
পূর্বে যা ঘটে গেছে তার কিছু সংবাদ এভাবেই আমি তোমার কাছে বর্ণনা করি। আর আমি তোমাকে আমার পক্ষ থেকে উপদেশ দান করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে পূর্বে যা ঘটে গেছে তার কিছু সংবাদ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি, আর আমি আমার নিকট থেকে তোমাকে দান করেছি উপদেশ (বা কুরআন)।
Sahih International:
Thus, [O Muhammad], We relate to you from the news of what has preceded. And We have certainly given you from Us the Qur'an.



مَنْ اَعْرَضَ عَنْهُ فَاِنَّهٗ یَحْمِلُ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ وِزْرًا ﴿۱۰۰﴾ۙ
উচ্চারণ:
মান আ‘রাদা ‘আনহু ফাইন্নাহূইয়াহমিলুইয়াওমাল কিয়া-মাতি বিযরা-
আল বায়ান:
তা থেকে যে বিমুখ হবে, অবশ্যই সে কিয়ামতের দিন পাপের বোঝা বহন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, কিয়ামাতের দিন সে (পাপের) বোঝা বহন করবে।
Sahih International:
Whoever turns away from it - then indeed, he will bear on the Day of Resurrection a burden,



خٰلِدِیْنَ فِیْهِ ؕ وَ سَآءَ لَهُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ حِمْلًا ﴿۱۰۱﴾ۙ
উচ্চারণ:
খা-লিদীনা ফীহি ওয়া ছাআ লাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি হিম লা-।
আল বায়ান:
সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং কিয়ামতের দিন এটা তাদের জন্য বোঝা হিসেবে কতই না মন্দ হবে!
তাইসিরুল কুরআন:
তারা এ অবস্থাতেই স্থায়ীভাবে থাকবে, কিয়ামাতের দিন এ বোঝা তাদের জন্য কতই না মন্দ হবে!
Sahih International:
[Abiding] eternally therein, and evil it is for them on the Day of Resurrection as a load -



یَّوْمَ یُنْفَخُ فِی الصُّوْرِ وَ نَحْشُرُ الْمُجْرِمِیْنَ یَوْمَئِذٍ زُرْقًا ﴿۱۰۲﴾ۚۖ
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইউনফাখুফিসসূরি ওয়া নাহশুরুল মুজরিমীনা ইয়াওমাইযিন যুরকা-।
আল বায়ান:
যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, আর সেদিন আমি অপরাধীদেরকে দৃষ্টিহীন অবস্থায় সমবেত করব।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন সিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে আর আমি অপরাধীদেরকে একত্রিত করব (ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত) দৃষ্টিহীন অবস্থায়।
Sahih International:
The Day the Horn will be blown. And We will gather the criminals, that Day, blue-eyed.



یَّتَخَافَتُوْنَ بَیْنَهُمْ اِنْ لَّبِثْتُمْ اِلَّا عَشْرًا ﴿۱۰۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াতাখা-ফাতূনা বাইনাহুম ইল লাবিছতুম ইল্লা-‘আশরা-।
আল বায়ান:
সেদিন তারা চুপে চুপে নিজদের মধ্যে বলাবলি করবে, ‘তোমরা মাত্র দশদিন অবস্থান করেছিলে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা চুপিসারে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করবে যে, (দুনিয়াতে) দশ দিনের বেশি তোমরা অবস্থান করনি।
Sahih International:
They will murmur among themselves, "You remained not but ten [days in the world]."



نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَا یَقُوْلُوْنَ اِذْ یَقُوْلُ اَمْثَلُهُمْ طَرِیْقَۃً اِنْ لَّبِثْتُمْ اِلَّا یَوْمًا ﴿۱۰۴﴾
উচ্চারণ:
নাহনুআ‘লামুবিমা-ইয়াকূ লূনা ইযইয়াকূ লুআমছালুহুম তারীকাতান ইল লাবিছতুম ইল্লা-ইয়াওমা-।
আল বায়ান:
আমি ভালভাবেই জানি তারা কী বলবে, তাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত সৎপথে ছিল যে লোকটি সে বলবে, ‘তোমরা মাত্র একদিন অবস্থান করেছিলে’!
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ভালভাবেই জানি তারা যা বলে। তাদের মধ্যে যে উত্তম পথের অনুসারী সে বলবে, ‘তোমরা একদিনের বেশি অবস্থান করনি।’
Sahih International:
We are most knowing of what they say when the best of them in manner will say, "You remained not but one day."



وَ یَسْـَٔلُوْنَکَ عَنِ الْجِبَالِ فَقُلْ یَنْسِفُهَا رَبِّیْ نَسْفًا ﴿۱۰۵﴾ۙ
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল জিবা-লি ফাকুল ইয়ানছিফুহা-রাববী নাছফা-।
আল বায়ান:
আর তারা তোমাকে পাহাড় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘আমার রব এগুলোকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তোমাকে পর্বতগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, আমার প্রতিপালক সেগুলো সমূলে উৎপাটিত করবেন এবং ধূলির ন্যায় বিক্ষিপ্ত করবেন।
Sahih International:
And they ask you about the mountains, so say, "My Lord will blow them away with a blast.



فَیَذَرُهَا قَاعًا صَفْصَفًا ﴿۱۰۶﴾ۙ
উচ্চারণ:
ফাইয়াযারুহা-কা-‘আন সাফসাফা-।
আল বায়ান:
‘তারপর তিনি তাকে মসৃণ সমতলভূমি করে দিবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তিনি তাকে (অর্থাৎ ভূমিকে) মসৃণ সমতলভূমি করে ছাড়বেন।
Sahih International:
And He will leave the earth a level plain;



لَّا تَرٰی فِیْهَا عِوَجًا وَّ لَاۤ اَمْتًا ﴿۱۰۷﴾ؕ
উচ্চারণ:
লা-তারা-ফীহা-‘ইওয়াজাওঁ ওয়ালাআমতা-।
আল বায়ান:
‘তাতে তুমি কোন বক্রতা ও উচ্চতা দেখবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাতে তুমি দেখবে না কোন বক্রতা ও উচ্চতা।
Sahih International:
You will not see therein a depression or an elevation."



یَوْمَئِذٍ یَّتَّبِعُوْنَ الدَّاعِیَ لَا عِوَجَ لَهٗ ۚ وَ خَشَعَتِ الْاَصْوَاتُ لِلرَّحْمٰنِ فَلَا تَسْمَعُ اِلَّا هَمْسًا ﴿۱۰۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াত্তাবি‘ঊনাদ্দা-‘ইয়া লা-‘ইওয়াজালাহূ ওয়াখাশা‘আতিল আসওয়া-তু লিররাহমা-নি ফালা-তাছমা‘উ ইল্লা-হামছা-।
আল বায়ান:
সেদিন তারা আহবানকারীর (ফেরেশতার) অনুসরণ করবে। এর কোন এদিক সেদিক হবে না এবং পরম করুণাময়ের সামনে সকল আওয়াজ নিচু হয়ে যাবে। তাই মৃদু আওয়াজ ছাড়া তুমি কিছুই শুনতে পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন তারা (সোজাসুজি) আহবানকারীর অনুসরণ করবে যার কথা এদিক ওদিক হবে না। দয়াময়ের সম্মুখে সেদিন যাবতীয় আওয়াজ স্তব্ধ হয়ে যাবে (এমনভাবে) যে মৃদু গুঞ্জন ছাড়া তুমি কিছুই শুনবে না।
Sahih International:
That Day, everyone will follow [the call of] the Caller [with] no deviation therefrom, and [all] voices will be stilled before the Most Merciful, so you will not hear except a whisper [of footsteps].



یَوْمَئِذٍ لَّا تَنْفَعُ الشَّفَاعَۃُ اِلَّا مَنْ اَذِنَ لَهُ الرَّحْمٰنُ وَ رَضِیَ لَهٗ قَوْلًا ﴿۱۰۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমাইযিল লা-তানফা‘উশশাফা-‘আতুইল্লা-মান আযিনা লাহুর রাহমা-নুওয়া রাদিয়া লাহূকাওলা-।
আল বায়ান:
সেদিন পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দিবেন আর যার কথায় তিনি সন্তুষ্ট হবেন তার সুপারিশ ছাড়া কারো সুপারিশ কোন কাজে আসবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন কারো সুপারিশ কোন কাজে আসবে না, দয়াময় যাকে অনুমতি দেবেন আর যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন তার (সুপারিশ) ব্যতীত।
Sahih International:
That Day, no intercession will benefit except [that of] one to whom the Most Merciful has given permission and has accepted his word.



یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ وَ لَا یُحِیْطُوْنَ بِهٖ عِلْمًا ﴿۱۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিহী ‘ইলমা-।
আল বায়ান:
তিনি তাদের আগের ও পরের সব কিছুই জানেন, কিন্তু তারা জ্ঞান দিয়ে তাঁকে বেষ্টন করতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা আছে তা তিনি জানেন, তারা জ্ঞান দিয়ে তাঁকে আয়ত্ত করতে পারে না।
Sahih International:
Allah knows what is [presently] before them and what will be after them, but they do not encompass it in knowledge.



وَ عَنَتِ الْوُجُوْهُ لِلْحَیِّ الْقَیُّوْمِ ؕ وَ قَدْ خَابَ مَنْ حَمَلَ ظُلْمًا ﴿۱۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আনাতিল উজূহু লিলহাইয়িল কাইয়ুমি ওয়া কাদ খা-বা মান হামালা জুলমা-।
আল বায়ান:
আর চিরঞ্জীব, চিরপ্রতিষ্ঠিত সত্তার সামনে সকলেই অবনত হবে। আর সে অবশ্যই ব্যর্থ হবে যে যুলম বহন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সম্মুখে সকলেই হবে অধোমুখী, আর সে ব্যর্থ হবে যে যুলমের (পাপের) ভার বহন করবে।
Sahih International:
And [all] faces will be humbled before the Ever-Living, the Sustainer of existence. And he will have failed who carries injustice.



وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ هُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا یَخٰفُ ظُلْمًا وَّ لَا هَضْمًا ﴿۱۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিনাসসা-লিহা-তি ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফালা-ইয়াখা-ফুজুলমাওঁ ওয়ালাহাদমা-।
আল বায়ান:
এবং যে মুমিন অবস্থায় ভাল কাজ করবে সে কোন যুলম বা ক্ষতির আশংকা করবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যে সৎ কাজ করবে মু’মিন হয়ে, তার অবিচার বা ক্ষতির কোন আশংকা নেই।
Sahih International:
But he who does of righteous deeds while he is a believer - he will neither fear injustice nor deprivation.



وَ کَذٰلِکَ اَنْزَلْنٰهُ قُرْاٰنًا عَرَبِیًّا وَّ صَرَّفْنَا فِیْهِ مِنَ الْوَعِیْدِ لَعَلَّهُمْ یَتَّقُوْنَ اَوْ یُحْدِثُ لَهُمْ ذِکْرًا ﴿۱۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা আনযালনা-হুকুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াওঁ ওয়া সাররাফনা ফীহি মিনাল ওয়া‘ঈদি লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূনা আও ইউহদিছু লাহুম যিকরা-।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি এবং তাতে বিভিন্ন সতর্কবাণী বর্ণনা করেছি, যাতে তারা মুত্তাকী হতে পারে অথবা তা হয় তাদের জন্য উপদেশ।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই আমি কুরআনকে আরবী ভাষায় নাযিল করেছি আর তাতে সতর্কবাণী বিস্তারিতভাবে বিবৃত করেছি যাতে তারা আল্লাহকে ভয় করে অথবা তা হয় তাদের জন্য উপদেশ।
Sahih International:
And thus We have sent it down as an Arabic Qur'an and have diversified therein the warnings that perhaps they will avoid [sin] or it would cause them remembrance.



فَتَعٰلَی اللّٰهُ الْمَلِکُ الْحَقُّ ۚ وَ لَا تَعْجَلْ بِالْقُرْاٰنِ مِنْ قَبْلِ اَنْ یُّقْضٰۤی اِلَیْکَ وَحْیُهٗ ۫ وَ قُلْ رَّبِّ زِدْنِیْ عِلْمًا ﴿۱۱۴﴾
উচ্চারণ:
ফাতা‘আ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্কু ওয়ালা-তা‘জাল বিলকুরআ-নি মিন কাবলি আইঁ ইউকদাইলাইকা ওয়াহইউহূ, ওয়াকুর রাব্বি যিদনী ‘ইলমা-।
আল বায়ান:
সুতরাং আল্লাহ মহান যিনি সত্যিকার অধিপতি; তোমার প্রতি ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তুমি কুরআন পাঠে তাড়াহুড়া করো না এবং তুমি বল, ‘হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।’
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ সর্বোচ্চ, প্রকৃত অধিপতি, তোমার প্রতি (আল্লাহর) ওয়াহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তুমি কুরআন বক্ষে ধারণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করো না। আর বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! জ্ঞানে আমায় সমৃদ্ধি দান করুন।’
Sahih International:
So high [above all] is Allah, the Sovereign, the Truth. And, [O Muhammad], do not hasten with [recitation of] the Qur'an before its revelation is completed to you, and say, "My Lord, increase me in knowledge."



وَ لَقَدْ عَهِدْنَاۤ اِلٰۤی اٰدَمَ مِنْ قَبْلُ فَنَسِیَ وَ لَمْ نَجِدْ لَهٗ عَزْمًا ﴿۱۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ ‘আহিদনাইলাআ-দামা মিন কাবলুফানাছিয়া ওয়া লাম নাজিদ লাহূ‘আযমা-।
আল বায়ান:
আর আমি ইতিপূর্বে আদমের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলাম; কিন্তু সে তা ভুলে গিয়েছিল এবং আমি তার মধ্যে সংকল্পে দৃঢ়তা পাইনি।
তাইসিরুল কুরআন:
ইতোপূর্বে আমি আদামের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল, আমি তাকে দৃঢ়-সংকল্প পাইনি।
Sahih International:
And We had already taken a promise from Adam before, but he forgot; and We found not in him determination.



وَ اِذْ قُلْنَا لِلْمَلٰٓئِکَۃِ اسْجُدُوْا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوْۤا اِلَّاۤ اِبْلِیْسَ ؕ اَبٰی ﴿۱۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকুলনা-লিলমালাইকাতিছ জু দূলিআ-দামা ফছাজাদূ ইল্লাইবলীছা আবা-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর,’ তখন ইবলীস ছাড়া সকলেই সিজদা করল; সে অমান্য করল।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, ‘তোমরা আদামকে সেজদা কর,’ তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সেজদা করল, সে অমান্য করল।
Sahih International:
And [mention] when We said to the angels, "Prostrate to Adam," and they prostrated, except Iblees; he refused.



فَقُلْنَا یٰۤـاٰدَمُ اِنَّ هٰذَا عَدُوٌّ لَّکَ وَ لِزَوْجِکَ فَلَا یُخْرِجَنَّکُمَا مِنَ الْجَنَّۃِ فَتَشْقٰی ﴿۱۱۷﴾
উচ্চারণ:
ফাকুলনা-ইয়াআ-দামু ইন্না হা-যা- ‘আদুওউল্লাকা ওয়ালি যাওজিকা ফালাইউখরিজান্নাকুমা-মিনাল জান্নাতি ফাতাশকা-।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি বললাম, ‘হে আদম, নিশ্চয় এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু। সুতরাং সে যেন তোমাদের উভয়কে জান্নাত থেকে কিছুতেই বের করে না দেয়, তাহলে তোমরা দুর্ভোগ পোহাবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি বললাম, ‘হে আদাম! এ হচ্ছে তোমার আর তোমার স্ত্রীর দুশমন। কাজেই সে যেন কিছুতেই তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বের করে না দেয়, তাহলে তোমরা দুর্দশায় পতিত হবে।
Sahih International:
So We said, "O Adam, indeed this is an enemy to you and to your wife. Then let him not remove you from Paradise so you would suffer.



اِنَّ لَکَ اَلَّا تَجُوْعَ فِیْهَا وَ لَا تَعْرٰی ﴿۱۱۸﴾ۙ
উচ্চারণ:
ইন্না লাকা আল্লা-তাজু‘আ ফীহা-ওয়ালা-তা‘রা-।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় তোমার জন্য এ ব্যবস্থা যে, তুমি সেখানে ক্ষুধার্তও হবে না এবং বস্ত্রহীনও হবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার জন্য (এত অধিক পরিমাণ) দেয়া হল যে, তুমি সেখানে (অর্থাৎ জান্নাতে) ক্ষুধার্তও হবে না, নগ্নও হবে না।
Sahih International:
Indeed, it is [promised] for you not to be hungry therein or be unclothed.



وَ اَنَّکَ لَا تَظْمَؤُا فِیْهَا وَ لَا تَضْحٰی ﴿۱۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাকা লা-তাজমাউ ফীহা-ওয়ালা-তাদহা-।
আল বায়ান:
‘আর সেখানে তুমি পিপাসার্তও হবে না এবং রৌদ্রদগ্ধও হবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তুমি তৃষ্ণার্তও হবে না, রোদেও পুড়বে না।
Sahih International:
And indeed, you will not be thirsty therein or be hot from the sun."



فَوَسْوَسَ اِلَیْهِ الشَّیْطٰنُ قَالَ یٰۤـاٰدَمُ هَلْ اَدُلُّکَ عَلٰی شَجَرَۃِ الْخُلْدِ وَ مُلْکٍ لَّا یَبْلٰی ﴿۱۲۰﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়াছওয়াছা ইলাইহিশ শাইতা-নুকা-লা ইয়াআ-দামুহাল আদুল্লুকা ‘আলা-শাজারাতিল খুলদি ওয়া মুলকিল লা-ইয়াবলা-।
আল বায়ান:
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিল, বলল, ‘হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্ত জীবনপ্রদ গাছ এবং অক্ষয় রাজত্ব সম্পর্কে?’
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু শয়ত্বান তাকে কুমন্ত্রণা দিল। সে বলল, ‘হে আদাম! আমি কি তোমাকে জানিয়ে দেব চিরস্থায়ী জীবনদায়ী গাছের কথা আর এমন রাজ্যের কথা যা কোনদিন ক্ষয় হবে না?’
Sahih International:
Then Satan whispered to him; he said, "O Adam, shall I direct you to the tree of eternity and possession that will not deteriorate?"



فَاَکَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْاٰتُهُمَا وَ طَفِقَا یَخْصِفٰنِ عَلَیْهِمَا مِنْ وَّرَقِ الْجَنَّۃِ ۫ وَ عَصٰۤی اٰدَمُ رَبَّهٗ فَغَوٰی ﴿۱۲۱﴾۪ۖ
উচ্চারণ:
ফাআকালা-মিনহা-ফাবাদাত লাহুমা-ছাওআ-তুহুমা-ওয়া তাফিকা ইয়াখছিফা-নি ‘আলাইহিমা- মিওঁ ওয়ারাকিল জান্নাতি ওয়া ‘আসাআ-দামুরাব্বাহূফাগাওয়া-।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা উভয়েই সে গাছ থেকে খেল। তখন তাদের উভয়ের সতর তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের গাছের পাতা দিয়ে নিজদেরকে আবৃত করতে লাগল এবং আদম তার রবের হুকুম অমান্য করল; ফলে সে বিভ্রান্ত হল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা (স্বামী-স্ত্রী) দু’জনে তা (অর্থাৎ সেই গাছ) থেকে খেল তখন তাদের সামনে তাদের লজ্জাস্থান খুলে গেল আর তারা জান্নাতের গাছের পাতা দিয়ে নিজেদেরকে ঢাকতে লাগল। আদাম তার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করল, ফলে সে পথভ্রান্ত হয়ে গেল।
Sahih International:
And Adam and his wife ate of it, and their private parts became apparent to them, and they began to fasten over themselves from the leaves of Paradise. And Adam disobeyed his Lord and erred.



ثُمَّ اجْتَبٰهُ رَبُّهٗ فَتَابَ عَلَیْهِ وَ هَدٰی ﴿۱۲۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মাজ তাবা-হু রাব্বুহূফাতা-বা ‘আলাইহি ওয়াহাদা-।
আল বায়ান:
এরপর তার রব তাকে মনোনীত করলেন, অতঃপর তার তাওবা কবূল করলেন এবং তাকে পথনির্দেশ করলেন।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপর তার পালনকর্তা তাকে বাছাই করলেন, তার তাওবাহ কবূল করলেন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করলেন।
Sahih International:
Then his Lord chose him and turned to him in forgiveness and guided [him].



قَالَ اهْبِطَا مِنْهَا جَمِیْعًۢا بَعْضُکُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ ۚ فَاِمَّا یَاْتِیَنَّکُمْ مِّنِّیْ هُدًی ۬ۙ فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَایَ فَلَا یَضِلُّ وَ لَا یَشْقٰی ﴿۱۲۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লাহ বিতা-মিনহা-জামী‘আম বা‘দুকুম লিবা‘দিন ‘আদুওউন ফাইম্মাইয়া’তিইয়ান্নাকুম মিন্নী হুদান ফামানিততাবা‘আ হুদা-ইয়া ফালা-ইয়াদিল্লুওয়ালাইয়াশকা-।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘তোমরা উভয়েই জান্নাত হতে এক সাথে নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু। অতঃপর যখন তোমাদের কাছে আমার পক্ষ থেকে হিদায়াত আসবে, তখন যে আমার হিদায়াতের অনুসরণ করবে সে বিপথগামী হবে না এবং দুর্ভাগাও হবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন, ‘তোমরা দু’জনে (আদাম ও ইবলীস) একই সঙ্গে নীচে নেমে যাও, তোমরা একে অপরের শত্রু। অতঃপর আমার নিকট থেকে তোমাদের কাছে সঠিক পথের নির্দেশ আসবে, তখন যে আমার পথ নির্দেশ অনুসরণ করবে সে পথভ্রষ্ট হবে না এবং কষ্টে পতিত হবে না।
Sahih International:
[Allah] said, "Descend from Paradise - all, [your descendants] being enemies to one another. And if there should come to you guidance from Me - then whoever follows My guidance will neither go astray [in the world] nor suffer [in the Hereafter].



وَ مَنْ اَعْرَضَ عَنْ ذِکْرِیْ فَاِنَّ لَهٗ مَعِیْشَۃً ضَنْکًا وَّ نَحْشُرُهٗ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ اَعْمٰی ﴿۱۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান আ‘রাদা‘আনযিকরী ফাইন্না লাহূমা‘ঈশাতান দানকাওঁ ওয়ানাহশুরুহূইয়াওমাল কিয়া-মাতি আ‘মা-।
আল বায়ান:
‘আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণ আর তাকে কিয়ামাতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
Sahih International:
And whoever turns away from My remembrance - indeed, he will have a depressed life, and We will gather him on the Day of Resurrection blind."



قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِیْۤ اَعْمٰی وَ قَدْ کُنْتُ بَصِیْرًا ﴿۱۲۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি লিমা হাশারতানীআ‘মা-ওয়া কাদ কুনতুবাসীরা-।
আল বায়ান:
সে বলবে, ‘হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ ক’রে উঠালে? আমি তো চক্ষুষ্মান ছিলাম।’
Sahih International:
He will say, "My Lord, why have you raised me blind while I was [once] seeing?"



قَالَ کَذٰلِکَ اَتَتْکَ اٰیٰتُنَا فَنَسِیْتَهَا ۚ وَکَذٰلِکَ الْیَوْمَ تُنْسٰی ﴿۱۲۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কাযা-লিকা আতাতকা আ-য়া-তুনা-ফানাছীতাহা- ওয়া কাযা-লিকাল ইয়াওমা তুনছা-।
আল বায়ান:
তিনি বলবেন, ‘এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বলবেন, ‘এভাবেই তো আমার নিদর্শনসমূহ যখন তোমার কাছে এসেছিল তখন তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে। আজকের দিনে সেভাবেই তোমাকে ভুলে যাওয়া হচ্ছে।
Sahih International:
[Allah] will say, "Thus did Our signs come to you, and you forgot them; and thus will you this Day be forgotten."



وَ کَذٰلِکَ نَجْزِیْ مَنْ اَسْرَفَ وَ لَمْ یُؤْمِنْۢ بِاٰیٰتِ رَبِّهٖ ؕ وَ لَعَذَابُ الْاٰخِرَۃِ اَشَدُّ وَ اَبْقٰی ﴿۱۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা নাজযী মান আছরাফাওয়া লাম ইউ’মিম বিআ-য়া-তি রাব্বিহী ওয়ালা‘আযা-বুল আ-খিরাতি আশাদ্দুওয়া আবকা-।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি প্রতিফল দান করি তাকে, যে বাড়াবাড়ি করে এবং তার রবের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে না। আর আখিরাতের আযাব তো অবশ্যই কঠোরতর ও অধিকতর স্থায়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এভাবেই প্রতিফল দেই তাদেরকে যারা সীমালঙ্ঘন করে এবং তার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস করে না। আর আখিরাতের ‘আযাব অবশ্যই সবচেয়ে বেশী কঠিন ও সবচেয়ে বেশী স্থায়ী।
Sahih International:
And thus do We recompense he who transgressed and did not believe in the signs of his Lord. And the punishment of the Hereafter is more severe and more enduring.



اَفَلَمْ یَهْدِ لَهُمْ کَمْ اَهْلَکْنَا قَبْلَهُمْ مِّنَ الْقُرُوْنِ یَمْشُوْنَ فِیْ مَسٰکِنِهِمْ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّاُولِی النُّهٰی ﴿۱۲۸﴾
উচ্চারণ:
আফালাম ইয়াহদি লাহুম কাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিনাল কুরূনি ইয়ামশূনা ফী মাছাকিনিহিম ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিউলিননুহা-।
আল বায়ান:
এটি কি তাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করল না যে, আমি তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদের বাসভূমিতে তারা বিচরণ করে? নিশ্চয় এর মধ্যে রয়েছে বিবেকসম্পন্নদের জন্য নিদর্শন।
তাইসিরুল কুরআন:
এটাও কি তাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করল না যে, আমি তাদের আগে কত মানব বংশকে ধ্বংস করে দিয়েছি যাদের বাসস্থানের ভিতর দিয়ে এরা চলাচল করে। বুদ্ধিমানদের জন্য অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
Then, has it not become clear to them how many generations We destroyed before them as they walk among their dwellings? Indeed in that are signs for those of intelligence.



وَ لَوْ لَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّکَ لَکَانَ لِزَامًا وَّ اَجَلٌ مُّسَمًّی ﴿۱۲۹﴾ؕ
উচ্চারণ:
ওয়ালাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মির রাব্বিকা লাকা-না লিযা-মাওঁ ওয়া আজালুম মুছাম্মা-।
আল বায়ান:
আর যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত ও একটি কাল নির্ধারিত হয়ে না থাকত, তবে আশু শাস্তি অবশ্যম্ভাবী হত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে (তাদের শাস্তি) অবশ্যই এসে পড়ত, কিন্তু এর জন্য নির্দিষ্ট আছে একটি সময়।
Sahih International:
And if not for a word that preceded from your Lord, punishment would have been an obligation [due immediately], and [if not for] a specified term [decreed].



فَاصْبِرْ عَلٰی مَا یَقُوْلُوْنَ وَ سَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّکَ قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَ قَبْلَ غُرُوْبِهَا ۚ وَ مِنْ اٰنَآیِٔ الَّیْلِ فَسَبِّحْ وَ اَطْرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّکَ تَرْضٰی ﴿۱۳۰﴾
উচ্চারণ:
ফাসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূলূনা ওয়া ছাব্বিহবিহামদি রাব্বিকা কাবলা তুলূ‘ইশশামছি ওয়া কাবলা গুরূবিহা- ওয়া মিন আ-নাইল্লাইলি ফাছাব্বিহওয়া আতরা-ফান্নাহা-রি লা‘আল্লাকা তারদা-।
আল বায়ান:
সুতরাং এরা যা বলে তার উপর ধৈর্য ধারণ কর এবং তাসবীহ পাঠ কর তোমার রবের প্রশংসা বর্ণনার মাধ্যমে, সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং তাসবীহ পাঠ কর রাতের কিছু অংশে ও দিনের প্রান্তসমূহে, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তারা যা বলছে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাগীতি (নিয়মিত) উচ্চারণ কর সূর্যোদয়ের পূর্বে ও তা অস্তমিত হওয়ার পূর্বে এবং তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রিকালে ও দিনের প্রান্তগুলোয় যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।
Sahih International:
So be patient over what they say and exalt [Allah] with praise of your Lord before the rising of the sun and before its setting; and during periods of the night [exalt Him] and at the ends of the day, that you may be satisfied.



وَ لَا تَمُدَّنَّ عَیْنَیْکَ اِلٰی مَا مَتَّعْنَا بِهٖۤ اَزْوَاجًا مِّنْهُمْ زَهْرَۃَ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ۬ۙ لِنَفْتِنَهُمْ فِیْهِ ؕ وَ رِزْقُ رَبِّکَ خَیْرٌ وَّ اَبْقٰی ﴿۱۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তামুদ্দান্না ‘আইনাইকা ইলা-মা-মাত্তা‘না-বিহীআযওয়া-জাম মিনহুম যাহরাতাল হা-য়া-তিদ দুনইয়া- লিনাফতিনাহুম ফীহি ওয়া রিযকুরাব্বিকা খাইরুওঁ ওয়া আবকা-।
আল বায়ান:
আর তুমি কখনো প্রসারিত করো না তোমার দু’চোখ সে সবের প্রতি, যা আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে দুনিয়ার জীবনের জাঁক-জমকস্বরূপ উপভোগের উপকরণ হিসেবে দিয়েছি। যাতে আমি সে বিষয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করে নিতে পারি। আর তোমার রবের প্রদত্ত রিয্ক সর্বোৎকৃষ্ট ও অধিকতর স্থায়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কক্ষনো চোখ খুলে তাকিও না ঐ সব বস্তুর প্রতি যা আমি তাদের বিভিন্ন দলকে পার্থিব জীবনে উপভোগের জন্য সৌন্দর্য স্বরূপ দিয়েছি, এসব দিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। তোমার প্রতিপালকের দেয়া রিযকই হল সবচেয়ে উত্তম ও সবচেয়ে বেশী স্থায়ী।
Sahih International:
And do not extend your eyes toward that by which We have given enjoyment to [some] categories of them, [its being but] the splendor of worldly life by which We test them. And the provision of your Lord is better and more enduring.



وَ اْمُرْ اَهْلَکَ بِالصَّلٰوۃِ وَ اصْطَبِرْ عَلَیْهَا ؕ لَا نَسْـَٔلُکَ رِزْقًا ؕ نَحْنُ نَرْزُقُکَ ؕ وَ الْعَاقِبَۃُ لِلتَّقْوٰی ﴿۱۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া’মুর আহলাকা বিসসালা-তি ওয়াসতাবির ‘আলাইহা- লা-নাছআলুকা রিযকান নাহনুনারযুকুকা ওয়াল ‘আ-কিবাতুলিত্তাকওয়া-।
আল বায়ান:
আর তোমার পরিবার-পরিজনকে সালাত আদায়ের আদেশ দাও এবং নিজেও তার উপর অবিচল থাক। আমি তোমার কাছে কোন রিয্ক চাই না। আমিই তোমাকে রিয্ক দেই আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমার পবিরার-পরিজনকে নামাযের নির্দেশ দাও আর তাতে অবিচল থাক। তোমার কাছে আমি রিযক চাই না, আমিই তোমাকে রিযক দিয়ে থাকি, উত্তম পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য নির্দিষ্ট।
Sahih International:
And enjoin prayer upon your family [and people] and be steadfast therein. We ask you not for provision; We provide for you, and the [best] outcome is for [those of] righteousness.



وَ قَالُوْا لَوْ لَا یَاْتِیْنَا بِاٰیَۃٍ مِّنْ رَّبِّهٖ ؕ اَوَ لَمْ تَاْتِهِمْ بَیِّنَۃُ مَا فِی الصُّحُفِ الْاُوْلٰی ﴿۱۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূলাওলা-ইয়া’তীনা-বিআ-য়াতিম মির রাব্বিহী আওয়ালাম তা’তিহিম বাইয়িনাতুমা-ফিসসুহুফিল ঊলা-।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘সে তার রবের কাছ থেকে আমাদের নিকট কোন নিদর্শন নিয়ে আসে না কেন’? পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে যে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে তা কি তাদের কাছে আসেনি?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘সে তার প্রতিপালকের নিকট থেকে আমাদের কাছে কোন নিদর্শন নিয়ে আসে না কেন? তাদের কাছে কি আসেনি স্পষ্ট প্রমাণ যা ছিল পূর্ববর্তী (ওয়াহীকৃত) কিতাবগুলোতে।’
Sahih International:
And they say, "Why does he not bring us a sign from his Lord?" Has there not come to them evidence of what was in the former scriptures?



وَ لَوْ اَنَّـاۤ اَهْلَکْنٰهُمْ بِعَذَابٍ مِّنْ قَبْلِهٖ لَقَالُوْا رَبَّنَا لَوْ لَاۤ اَرْسَلْتَ اِلَیْنَا رَسُوْلًا فَنَتَّبِعَ اٰیٰتِکَ مِنْ قَبْلِ اَنْ نَّذِلَّ وَ نَخْزٰی ﴿۱۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও আন্নাআহলাকনা-হুম বি‘আযা-বিম মিন কাবলিহী লাকা-লূরাব্বানা-লাওলা আরছালতা ইলাইনা-রাছূলান ফানাত্তাবি‘আ আ-ইয়া-তিকা মিন কাবলি আন নাযিল্লা ওয়া নাখযা-।
আল বায়ান:
আর যদি আমি তাদেরকে ইতঃপূর্বে কোন আযাব দ্বারা ধ্বংস করতাম তবে অবশ্যই, তারা বলত, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? তাহলে তো আমরা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার পূর্বে আপনার নিদর্শনাবলী অনুসরণ করতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
এর (অর্থাৎ কোন নিদর্শন আসার) আগেই আমি যদি তাদেরকে ‘আযাব দিয়ে ধ্বংস করে দিতাম তাহলে তারা বলত, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের কাছে কেন একজন রসূল পাঠালে না? তাহলে আমরা অবশ্যই তোমার নিদর্শন মেনে চলতাম আমরা অপমানিত ও হেয় হবার আগেই।
Sahih International:
And if We had destroyed them with a punishment before him, they would have said, "Our Lord, why did You not send to us a messenger so we could have followed Your verses before we were humiliated and disgraced?"



قُلْ کُلٌّ مُّتَرَبِّصٌ فَتَرَبَّصُوْا ۚ فَسَتَعْلَمُوْنَ مَنْ اَصْحٰبُ الصِّرَاطِ السَّوِیِّ وَ مَنِ اهْتَدٰی ﴿۱۳۵﴾
উচ্চারণ:
কুল কুল্লুম মুতারাব্বিসুন ফাতারাব্বাসূ ফাছাতা‘লামূনা মান আসহা-বুসসিরা-তিছ ছাবিইয়ি ওয়া মানিহতাদা-
আল বায়ান:
বল, ‘প্রত্যেকেই প্রতীক্ষা করছে, অতএব তোমরাও প্রতীক্ষায় থাক। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে কারা সঠিক পথের উপর রয়েছে এবং কারা হিদায়াতপ্রাপ্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, (ইসলামের অনুসারীদের পরিণতি দেখার জন্য চারপাশের) সবাই অপেক্ষা করছে, কাজেই তোমরাও অপেক্ষা কর, তাহলেই তোমরা জানতে পারবে যে, কারা সরল পথের পথিক আর কারা সঠিক পথপ্রাপ্ত।
Sahih International:
Say, "Each [of us] is waiting; so wait. For you will know who are the companions of the sound path and who is guided."






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।