আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আলিফ লাম মীম।
আল বায়ান:
আলিফ-লাম-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
আলিফ-লাম-মীম
Sahih International:
Alif, Lam, Meem



اَحَسِبَ النَّاسُ اَنْ یُّتْرَکُوْۤا اَنْ یَّقُوْلُوْۤا اٰمَنَّا وَ هُمْ لَا یُفْتَنُوْنَ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
আহাছিবান্না-ছুআইঁ ইউতরাকূআইঁ ইয়াকূলূ আ-মান্না-ওয়া হুম লা-ইউফতানূন।
আল বায়ান:
মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
লোকেরা কি মনে করে যে ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে দেয়া হবে, আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?
Sahih International:
Do the people think that they will be left to say, "We believe" and they will not be tried?



وَ لَقَدْ فَتَنَّا الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَیَعْلَمَنَّ اللّٰهُ الَّذِیْنَ صَدَقُوْا وَ لَیَعْلَمَنَّ الْکٰذِبِیْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ ফাতান্নাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফালাইয়া‘লামান্নাল্লা-হুল্লাযীনা সাদাকূ ওয়ালাইয়া‘লামান্নাল কা-যিবীন।
আল বায়ান:
আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। ফলে আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন, কারা সত্য বলে এবং অবশ্যই তিনি জেনে নেবেন, কারা মিথ্যাবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্বে যারা ছিল আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম; অতঃপর আল্লাহ অবশ্য অবশ্যই জেনে নেবেন কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যেবাদী।
Sahih International:
But We have certainly tried those before them, and Allah will surely make evident those who are truthful, and He will surely make evident the liars.



اَمْ حَسِبَ الَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ السَّیِّاٰتِ اَنْ یَّسْبِقُوْنَا ؕ سَآءَ مَا یَحْکُمُوْنَ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
আম হাছিবাল্লাযীনা ইয়া‘মালূনাছছাইয়িআ-তি আইঁ ইয়াছবিকূনা- ছাআ মাইয়াহকুমূন।
আল বায়ান:
নাকি যারা পাপ কাজ করে তারা মনে করে যে, তারা আমাকে রেখে সামনে চলে যাবে? কতইনা নিকৃষ্ট, যা তারা ফয়সালা করে!
তাইসিরুল কুরআন:
যারা মন্দ কাজ করে তারা কি ভেবে নিয়েছে যে, তারা আমার আগে বেড়ে যাবে? তাদের ফয়সালা বড়ই খারাপ!
Sahih International:
Or do those who do evil deeds think they can outrun Us? Evil is what they judge.



مَنْ کَانَ یَرْجُوْا لِقَآءَ اللّٰهِ فَاِنَّ اَجَلَ اللّٰهِ لَاٰتٍ ؕ وَ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
মান কা-না ইয়ারজুলিকাআল্লা-হি ফাইন্না আজালাল্লা-হি লাআ-তিওঁ ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
যে আল্লাহর সাক্ষাৎ কামনা করে (সে জেনে রাখুক) অতঃপর নিশ্চয় আল্লাহর নির্ধারিত কাল আসবে। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাতের আকাঙ্ক্ষা করে (সে জেনে রাখুক যে) আল্লাহর নির্ধারিত কাল অবশ্যই আসবে, তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু জানেন।
Sahih International:
Whoever should hope for the meeting with Allah - indeed, the term decreed by Allah is coming. And He is the Hearing, the Knowing.



وَ مَنْ جَاهَدَ فَاِنَّمَا یُجَاهِدُ لِنَفْسِهٖ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَغَنِیٌّ عَنِ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান জা-হাদা ফাইন্নামা-ইউজা-হিদুলিনাফছিহী ইন্নাল্লা-হা লাগানিইইউন ‘আনিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর যে চেষ্টা করে সে তো তার নাফ্সের জন্য চেষ্টা করে। নিশ্চয় আল্লাহ সৃষ্টিকুল থেকে প্রয়োজনমুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
যে লোক (আল্লাহর পথে) সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, সে তার নিজের কল্যাণেই প্রচেষ্টা চালায়, আল্লাহ সৃষ্টিজগত থেকে অবশ্যই বে-পরওয়া।
Sahih International:
And whoever strives only strives for [the benefit of] himself. Indeed, Allah is free from need of the worlds.



وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَنُکَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَیِّاٰتِهِمْ وَ لَنَجْزِیَنَّهُمْ اَحْسَنَ الَّذِیْ کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লানুকাফফিরান্না ‘আনহুম ছাইয়িআ-তিহিম ওয়ালানাজযিয়ান্নাহুম আহছানাল্লাযী কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের থেকে তাদের পাপসমূহ দূর করে দেব এবং আমি অবশ্যই তাদের সেই উত্তম আমলের প্রতিদান দেব, যা তারা করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে, আমি অবশ্য অবশ্যই তাদের মন্দ কাজগুলোকে মুছে দেব, আর তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই প্রতিদান দেব তাদের উৎকৃষ্ট কাজগুলোর অনুপাতে যা তারা করত।
Sahih International:
And those who believe and do righteous deeds - We will surely remove from them their misdeeds and will surely reward them according to the best of what they used to do.



وَ وَصَّیْنَا الْاِنْسَانَ بِوَالِدَیْهِ حُسْنًا ؕ وَ اِنْ جَاهَدٰکَ لِتُشْرِکَ بِیْ مَا لَیْسَ لَکَ بِهٖ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ؕ اِلَیَّ مَرْجِعُکُمْ فَاُنَبِّئُکُمْ بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াসসাইনাল ইনছা-না বিওয়া-লিদাইহি হুূছনাওঁ ওয়া ইন জা-হাদা-কা লিতুশরিকা বী মা-লাইছা লাকা বিহী ‘ইলমুন ফালা-তুতি‘হুমা- ইলাইইয়া মারজি‘উকুম ফাউনাব্বিউকুম বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করতে। তবে যদি তারা তোমার উপর প্রচেষ্টা চালায় আমার সাথে এমন কিছুকে শরীক করতে যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের আনুগত্য করবে না। আমার দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমরা যা করতে আমি তা তোমাদেরকে জানিয়ে দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার জন্য আমি মানুষের প্রতি ফরমান জারি করেছি। তারা যদি তোমার উপর বলপ্রয়োগ করে আমার সঙ্গে শরীক করার জন্য এমন কিছুকে যে সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদেরকে মান্য কর না। আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন, অতঃপর আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব যা তোমরা করছিলে।
Sahih International:
And We have enjoined upon man goodness to parents. But if they endeavor to make you associate with Me that of which you have no knowledge, do not obey them. To Me is your return, and I will inform you about what you used to do.



وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَنُدْخِلَنَّهُمْ فِی الصّٰلِحِیْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লানুদখিলান্নাহুম ফিসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
আর যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আমি অবশ্য অবশ্যই তাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করব।
Sahih International:
And those who believe and do righteous deeds - We will surely admit them among the righteous [into Paradise].



وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یَّقُوْلُ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ فَاِذَاۤ اُوْذِیَ فِی اللّٰهِ جَعَلَ فِتْنَۃَ النَّاسِ کَعَذَابِ اللّٰهِ ؕ وَ لَئِنْ جَآءَ نَصْرٌ مِّنْ رَّبِّکَ لَیَقُوْلُنَّ اِنَّا کُنَّا مَعَکُمْ ؕ اَوَ لَیْسَ اللّٰهُ بِاَعْلَمَ بِمَا فِیْ صُدُوْرِ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনান্না-ছি মাইঁ ইয়াকূলুআ-মান্না-বিল্লা-হি ফাইযা-ঊযিইয়া ফিল্লা-হি জা‘আলা ফিতনাতান্না-ছি কা‘আযা-বিল্লা-হি ওয়ালাইন জাআ নাসরুম মির রাব্বিকা লাইয়াকূলুন্না ইন্না-কুন্না-মা‘আকুম আওয়া লাইছাল্লা-হু বিআ‘লামা বিমা-ফী সুদূ রিল ‘আলামীন।
আল বায়ান:
আর কিছু লোক আছে যারা বলে, ‘আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি’, অতঃপর যখন আল্লাহর ব্যাপারে তাদের কষ্ট দেয়া হয়, তখন তারা মানুষের নিপীড়নকে আল্লাহর আযাবের মত গণ্য করে। আর যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে কোন বিজয় আসে, তখন অবশ্যই তারা বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে ছিলাম’। সৃষ্টিকুলের অন্তরসমূহে যা কিছু আছে আল্লাহ কি তা সম্পর্কে সম্যক অবগত নন?
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষের মধ্যে কতক আছে যারা বলে ‘আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি।’ অতঃপর তাদেরকে যখন আল্লাহর পথে কষ্ট দেয়া হয়, তখন তারা মানুষের উৎপীড়নকে আল্লাহর ‘আযাবের মত মনে করে। আর যদি (তোমার কাছে) তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সাহায্য আসে তখন তারা অবশ্য অবশ্যই বলে যে, ‘আমরা তো (সব সময়) তোমাদের সাথেই ছিলাম। সকল সৃষ্টির অন্তরে কী আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ কি সর্বাধিক অবগত নন?
Sahih International:
And of the people are some who say, "We believe in Allah," but when one [of them] is harmed for [the cause of] Allah, they consider the trial of the people as [if it were] the punishment of Allah. But if victory comes from your Lord, they say, "Indeed, We were with you." Is not Allah most knowing of what is within the breasts of all creatures?



وَ لَیَعْلَمَنَّ اللّٰهُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ لَیَعْلَمَنَّ الْمُنٰفِقِیْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইয়া‘লামান্নাল্লা-হুল্লাযীনা আ-মানূওয়া লাইয়া‘লামান্নাল মুনা-ফিকীন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ অবশ্যই জানেন, কারা ঈমান এনেছে এবং তিনি মুনাফিকদেরকেও জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ অবশ্য অবশ্যই জেনে নেবেন কারা ঈমান এনেছে আর অবশ্য অবশ্যই জেনে নেবেন কারা মুনাফিক।
Sahih International:
And Allah will surely make evident those who believe, and He will surely make evident the hypocrites.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّبِعُوْا سَبِیْلَنَا وَ لْنَحْمِلْ خَطٰیٰکُمْ ؕ وَ مَا هُمْ بِحٰمِلِیْنَ مِنْ خَطٰیٰهُمْ مِّنْ شَیْءٍ ؕ اِنَّهُمْ لَکٰذِبُوْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আ-মানততাবি‘ঊ ছাবীলানা-ওয়ালনাহমিল খাতায়া-কুম ওয়ামা-হুম বিহা-মিলীনা মিন খাতা-য়া হুম মিন শাইয়িন ইন্নাহুম লাকাযিবূন।
আল বায়ান:
আর কাফিররা মুমিনদেরকে বলে, ‘তোমরা আমাদের পথ অনুসরণ কর এবং যেন আমরা তোমাদের পাপ বহন করি।’ অথচ তারা তাদের পাপের কিছুই বহন করবে না। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘আমাদের পথ অনুসরণ কর, আমরা তোমাদের পাপের বোঝা বহন করব, মূলতঃ তারা তাদের পাপের কিছুই বহন করবে না, অবশ্যই তারা মিথ্যেবাদী।
Sahih International:
And those who disbelieve say to those who believe, "Follow our way, and we will carry your sins." But they will not carry anything of their sins. Indeed, they are liars.



وَ لَیَحْمِلُنَّ اَثْقَالَهُمْ وَ اَثْقَالًا مَّعَ اَثْقَالِهِمْ ۫ وَ لَیُسْـَٔلُنَّ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ عَمَّا کَانُوْا یَفْتَرُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইয়াহমিলুন্না আছকা-লাহুম ওয়াআছকা-লাম মা‘আ আছকা-লিহিম ওয়ালাইউছআলুন্না ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘আম্মা-কা-নূইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তারা বহন করবে তাদের বোঝা এবং তাদের বোঝার সাথে আরো কিছু বোঝা। আর তারা কিয়ামতের দিন অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে সে সম্পর্কে, যা তারা মিথ্যা বানাত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা অবশ্য অবশ্যই তাদের নিজেদের পাপের বোঝা বহন করবে, নিজেদের বোঝার সাথে আরো বোঝা, আর তারা যে সব মিথ্যে উদ্ভাবন করত সে সম্পর্কে ক্বিয়ামত দিবসে তারা অবশ্য অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে।
Sahih International:
But they will surely carry their [own] burdens and [other] burdens along with their burdens, and they will surely be questioned on the Day of Resurrection about what they used to invent.



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰی قَوْمِهٖ فَلَبِثَ فِیْهِمْ اَلْفَ سَنَۃٍ اِلَّا خَمْسِیْنَ عَامًا ؕ فَاَخَذَهُمُ الطُّوْفَانُ وَ هُمْ ظٰلِمُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-নূহান ইলা-কাওমিহী ফালাবিছা ফীহিম আলফা ছানাতিন ইল্লাখামছীনা ‘আ-মান ফাআখাযা হুমুততূফা-নুওয়াহুম জা-লিমূন।
আল বায়ান:
আর আমি অবশ্যই নূহকে তার কওমের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে তাদের মধ্যে পঞ্চাশ কম এক হাজার বছর অবস্থান করেছিল। অতঃপর মহা-প্লাবন তাদের গ্রাস করল, এমতাবস্থায় যে তারা ছিল যালিম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম, অতঃপর সে পঞ্চাশ বছর কম হাজার বছর তাদের মাঝে অবস্থান করেছিল। অতঃপর মহাপ্লাবন তাদেরকে গ্রাস করল কারণ তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী।
Sahih International:
And We certainly sent Noah to his people, and he remained among them a thousand years minus fifty years, and the flood seized them while they were wrongdoers.



فَاَنْجَیْنٰهُ وَ اَصْحٰبَ السَّفِیْنَۃِ وَ جَعَلْنٰهَاۤ اٰیَۃً لِّلْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআনজাইনা-হু ওয়া আসহা-বাছছাফীনাতি ওয়া জা‘আলনা-হা-আ-য়াতাল লিল‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তাকে ও নৌকা আরোহীদেরকে আমি রক্ষা করলাম, আর এটাকে করলাম সৃষ্টিকুলের জন্য একটি নিদর্শন।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে ও নৌকারোহীদেরকে রক্ষে করলাম আর এটাকে করলাম বিশ্বজগতের জন্য নিদর্শন।
Sahih International:
But We saved him and the companions of the ship, and We made it a sign for the worlds.



وَ اِبْرٰهِیْمَ اِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَ اتَّقُوْهُ ؕ ذٰلِکُمْ خَیْرٌ لَّکُمْ اِنْ کُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইবরা-হীমা ইযকা-লা লিকাওমিহি‘বুদুল্লা-হা ওয়াত্তাকূহু যা-লিকুম খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন।
আল বায়ান:
আর (স্মরণ কর) ইবরাহীমকে, যখন সে তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন কর; এটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর যখন ইবরাহীম তার সম্প্রদায়কে বলেছিল- ‘তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর আর তাঁকে ভয় কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, তোমরা যদি জানতে!
Sahih International:
And [We sent] Abraham, when he said to his people, "Worship Allah and fear Him. That is best for you, if you should know.



اِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا وَّ تَخْلُقُوْنَ اِفْکًا ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَا یَمْلِکُوْنَ لَکُمْ رِزْقًا فَابْتَغُوْا عِنْدَ اللّٰهِ الرِّزْقَ وَ اعْبُدُوْهُ وَ اشْکُرُوْا لَهٗ ؕ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-তা‘বূদূ না মিন দূ নিল্লা-হি আওছা-নাওঁ ওয়া তাখলুকূনা ইফকান ইন্নাল্লাযীনা তা‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি লা-ইয়ামলিকূনা লাকুম রিযকান ফাবতাগূ‘ইনদাল্লা-হির রিযকা ওয়া‘বুদূ হু ওয়াশকুরূলাহূ ইলাইহি তুরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
‘তোমরা তো আল্লাহকে বাদ দিয়ে মূর্তিগুলোর পূজা করছ এবং মিথ্যা বানাচ্ছ। নিশ্চয় তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদের উপাসনা কর তারা তোমাদের জন্য রিয্ক-এর মালিক নয়। তাই আল্লাহর কাছে রিয্ক তালাশ কর, তাঁর ইবাদাত কর এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে প্রতিমার পূজা করছ আর তোমরা মিথ্যে উদ্ভাবন করছ। আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যে সবগুলোর পূজা করছ তারা তোমাদেরকে রিযক দানের কোন ক্ষমতা রাখে না, কাজেই তোমরা আল্লাহর নিকট রিযক তালাশ কর, আর তাঁরই ‘ইবাদাত কর, আর তাঁরই প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, তোমাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
Sahih International:
You only worship, besides Allah, idols, and you produce a falsehood. Indeed, those you worship besides Allah do not possess for you [the power of] provision. So seek from Allah provision and worship Him and be grateful to Him. To Him you will be returned."



وَ اِنْ تُکَذِّبُوْا فَقَدْ کَذَّبَ اُمَمٌ مِّنْ قَبْلِکُمْ ؕ وَ مَا عَلَی الرَّسُوْلِ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِیْنُ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন তূকাযযিবূফাকাদ কাযযাবা উমামুম মিন কাবলিকুম ওয়ামা-‘আলাররাছূলি ইল্লাল বালা-গুল মুবীন।
আল বায়ান:
আর তোমরা যদি মিথ্যারোপ কর, তবে তোমাদের পূর্বে অনেক জাতি মিথ্যারোপ করেছিল। আর রাসূলের উপর দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টভাবে পৌঁছানো।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যদি (রাসূলকে) মিথ্যে বলে অস্বীকার কর তবে তোমাদের পূর্বের বংশাবলীও অস্বীকার করেছিল, সুস্পষ্টভাবে প্রচার করা ব্যতীত রসূলের উপর কোন দায়িত্ব নেই।
Sahih International:
And if you [people] deny [the message] - already nations before you have denied. And there is not upon the Messenger except [the duty of] clear notification.



اَوَ لَمْ یَرَوْا کَیْفَ یُبْدِئُ اللّٰهُ الْخَلْقَ ثُمَّ یُعِیْدُهٗ ؕ اِنَّ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰهِ یَسِیْرٌ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়ারাও কাইফা ইউবদিউল্লা-হুল খালকা ছুম্মা ইউ‘ঈদুহূ ইন্না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়াছীর।
আল বায়ান:
তারা কি দেখে না, আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টির সূচনা করেন? তারপর তিনি তার পুনরাবৃত্তি করবেন। নিশ্চয় এটি আল্লাহর জন্য সহজ।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আল্লাহ কীভাবে সৃষ্টির সূচনা করেন অতঃপর তার পুনরাবর্তন ঘটান, নিশ্চয় এটা আল্লাহর জন্য সহজ।
Sahih International:
Have they not considered how Allah begins creation and then repeats it? Indeed that, for Allah, is easy.



قُلْ سِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا کَیْفَ بَدَاَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللّٰهُ یُنْشِیٴُ النَّشْاَۃَ الْاٰخِرَۃَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿ۚ۲۰﴾
উচ্চারণ:
কুল ছীরূ ফিল আরদিফানজুরূ কাইফা বাদাআল খালকা ছুম্মাল্লা-হু ইউনশিউন নাশআতাল আ-খিরাতা ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লিা শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ’ কীভাবে তিনি সৃষ্টির সূচনা করেছিলেন, তারপর আল্লাহই আরেকবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর লক্ষ্য কর কীভাবে আল্লাহ সৃষ্টির সূচনা করেছেন, অতঃপর আল্লাহ সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি, আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Travel through the land and observe how He began creation. Then Allah will produce the final creation. Indeed Allah, over all things, is competent."



یُعَذِّبُ مَنْ یَّشَآءُ وَ یَرْحَمُ مَنْ یَّشَآءُ ۚ وَ اِلَیْهِ تُقْلَبُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ইউ‘আযযিবূমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়ারহামুমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইলাইহি তুকলাবূন ।
আল বায়ান:
তিনি যাকে ইচ্ছা আযাব দেবেন এবং যাকে ইচ্ছা দয়া করবেন, আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যাকে ইচ্ছে তিনি শাস্তি দেন আর যার প্রতি ইচ্ছে তিনি রহমত বর্ষণ করেন আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
Sahih International:
He punishes whom He wills and has mercy upon whom He wills, and to Him you will be returned.



وَ مَاۤ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِیْنَ فِی الْاَرْضِ وَ لَا فِی السَّمَآءِ ۫ وَ مَا لَکُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیْرٍ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-আনতুম বিমু‘জিযীনা ফিল আরদি ওয়ালা -ফিছছামাই ওয়ামা-লাকুম মিন দূ নিল্লাহি মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।
আল বায়ান:
তোমরা (আল্লাহকে) ব্যর্থ করতে পারবেনা পৃথিবীতে অথবা আকাশে এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক নেই, সাহায্যকারীও নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা (আল্লাহকে) না পৃথিবীতে ব্যর্থ করতে পারবে আর না আকাশে, আল্লাহ ছাড়া তোমাদের জন্য নেই কোন অভিভাবক, নেই কোন সাহায্যকারী।
Sahih International:
And you will not cause failure [to Allah] upon the earth or in the heaven. And you have not other than Allah any protector or any helper.



وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ وَ لِقَآئِهٖۤ اُولٰٓئِکَ یَئِسُوْا مِنْ رَّحْمَتِیْ وَ اُولٰٓئِکَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা কাফারূ বিআ-য়া-তিল্লা-হি ওয়া লিকা-ইহীউলাইকা ইয়াইছূমিররাহমাতী ওয়া উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ ও তাঁর সাক্ষাত অস্বীকার করে তারা আমার রহমত থেকে হতাশ হবে এবং তাদের জন্যই রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে আর তাঁর সাক্ষাৎকে অস্বীকার করে, তারা আমার রহমত থেকে নিরাশ হবে আর তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি।
Sahih International:
And the ones who disbelieve in the signs of Allah and the meeting with Him - those have despaired of My mercy, and they will have a painful punishment.



فَمَا کَانَ جَوَابَ قَوْمِهٖۤ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوا اقْتُلُوْهُ اَوْ حَرِّقُوْهُ فَاَنْجٰىهُ اللّٰهُ مِنَ النَّارِ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফামা-কা-না জাওয়া-বা কাওমিহী-ইল্লা-আন কানলুকতুলূহু আও হাররিকুহু ফাআনজা-হুল্লাহু মিনান্না-রি ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
অতঃপর ইবরাহীমের কওমের জবাব ছিল কেবল এই যে, তারা বলল, ‘ওকে হত্যা কর অথবা জ্বালিয়ে দাও।’ অতঃপর আল্লাহ আগুন থেকে তাকে রক্ষা করলেন; নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে, যারা ঈমান আনে, সেই কওমের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ইবরাহীমের সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোন জওয়াব ছিল না যে, তাকে হত্যা কর অথবা তাকে অগ্নিদগ্ধ কর।’ অতঃপর আল্লাহ তাকে অগ্নি থেকে রক্ষা করলেন। এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
And the answer of Abraham's people was not but that they said, "Kill him or burn him," but Allah saved him from the fire. Indeed in that are signs for a people who believe.



وَ قَالَ اِنَّمَا اتَّخَذْتُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا ۙ مَّوَدَّۃَ بَیْنِکُمْ فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ۚ ثُمَّ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ یَکْفُرُ بَعْضُکُمْ بِبَعْضٍ وَّ یَلْعَنُ بَعْضُکُمْ بَعْضًا ۫ وَّ مَاْوٰىکُمُ النَّارُ وَ مَا لَکُمْ مِّنْ نّٰصِرِیْنَ ﴿٭ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা ইন্নামাততাখাযতুম মিন দূ নিল্লা-হি আওছা-নাম মাওয়াদ্দাতা বাইনিকুম ফিল হায়া-তিদ দুনইয়া- ছু ম্মা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইয়াকফুরু বা‘দুকুম ব্বিা‘দিওঁ ওয়া ইয়াল‘আনুবা‘দুকুম বা‘দাওঁ ওয়ামা‘ ওয়া-কুমুন্না-রু ওয়ামা-লাকুম মিন্না-সিরীন।
আল বায়ান:
আর ইবরাহীম বলল, ‘দুনিয়ার জীবনে তোমাদের মধ্যে মিল-মহব্বতের জন্যই তো তোমরা আল্লাহ ছাড়া মূর্তিদেরকে গ্রহণ করেছ। তারপর কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে অস্বীকার করবে এবং পরস্পর পরস্পরকে লা‘নত করবে, আর তোমাদের নিবাস জাহান্নাম এবং তোমাদের জন্য থাকবে না কোন সাহায্যকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
ইবরাহীম বলল- তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে প্রতিমাগুলোকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করেছ পার্থিব জীবনে তোমাদের পারস্পরিক ভালবাসা রক্ষার উদ্দেশ্যে। অতঃপর ক্বিয়ামতের দিন তোমাদের একে অপরকে অস্বীকার করবে আর একে অপরকে অভিশাপ দিবে, তোমাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম আর তোমাদের থাকবে না কোন সাহায্যকারী।
Sahih International:
And [Abraham] said, "You have only taken, other than Allah, idols as [a bond of] affection among you in worldly life. Then on the Day of Resurrection you will deny one another and curse one another, and your refuge will be the Fire, and you will not have any helpers."



فَاٰمَنَ لَهٗ لُوْطٌ ۘ وَ قَالَ اِنِّیْ مُهَاجِرٌ اِلٰی رَبِّیْ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ফাআ-মানা লাহূলূত । ওয়া কা-লা ইন্নী মুহা-জিরুন ইলা-রাববী ইন্নাহূহুওয়াল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
অতঃপর লূত তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করল। আর ইবরাহীম বলল, ‘আমি আমার রবের দিকে হিজরত করছি। নিশ্চয় তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর লূত তার (অর্থাৎ ইবরাহীমের) প্রতি ঈমান এনেছিল। ইবরাহীম বলল- আমি আমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করছি, তিনি মহাপরাক্রান্ত, বড়ই হিকমতওয়ালা।
Sahih International:
And Lot believed him. [Abraham] said, "Indeed, I will emigrate to [the service of] my Lord. Indeed, He is the Exalted in Might, the Wise."



وَ وَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ وَ یَعْقُوْبَ وَ جَعَلْنَا فِیْ ذُرِّیَّتِهِ النُّبُوَّۃَ وَ الْکِتٰبَ وَ اٰتَیْنٰهُ اَجْرَهٗ فِی الدُّنْیَا ۚ وَ اِنَّهٗ فِی الْاٰخِرَۃِ لَمِنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াহাবনা-লাহূইছহা-কা ওয়াইয়া‘কূবা ওয়া জা‘আলনা-ফী যুররিইইয়াতিহিন নুবুওওয়াতা ওয়ালকিতা-বা ওয়া আ-তাইনা-হু আজরাহূফিদদুনইয়া- ওয়া ইন্নাহূফিল আখিরাতি লামিনাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ‘ইয়া‘কূবকে এবং তার বংশে নবুওয়াত ও কিতাব দিলাম। আর দুনিয়াতে তাকে তার প্রতিদান দিলাম এবং নিশ্চয় সে আখিরাতে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে দান করেছিলাম ইসহাক্ব ও ইয়া‘কুব, তার বংশধরদের জন্য স্থির করেছিলাম নবূওয়াত ও কিতাব, আর তাকে প্রতিদান দিয়েছিলাম দুনিয়াতে, এবং আখিরাতেও অবশ্যই সে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And We gave to Him Isaac and Jacob and placed in his descendants prophethood and scripture. And We gave him his reward in this world, and indeed, he is in the Hereafter among the righteous.



وَ لُوْطًا اِذْ قَالَ لِقَوْمِهٖۤ اِنَّکُمْ لَتَاْتُوْنَ الْفَاحِشَۃَ ۫ مَا سَبَقَکُمْ بِهَا مِنْ اَحَدٍ مِّنَ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লূতান ইযকা-লা লিকাওমিহী-ইন্নাকুম লাতা’তূনাল ফা-হিশাতা মা-ছাবাকাকুম বিহা-মিন আহাদিম মিনাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর (স্মরণ কর) লূত এর কথা, যখন সে তার কওমের লোকদেরকে বলেছিল, ‘নিশ্চয় তোমরা এমন অশ্লীল কাজ কর, যা সৃষ্টিকুলের কেউ তোমাদের আগে করেনি’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর লূতের কথা, যখন সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল- অবশ্যই তোমরা এমন এক অশ্লীল কাজ করছ যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বজগতে কেউ করেনি।
Sahih International:
And [mention] Lot, when he said to his people, "Indeed, you commit such immorality as no one has preceded you with from among the worlds.



اَئِنَّکُمْ لَتَاْتُوْنَ الرِّجَالَ وَ تَقْطَعُوْنَ السَّبِیْلَ ۬ۙ وَ تَاْتُوْنَ فِیْ نَادِیْکُمُ الْمُنْکَرَ ؕ فَمَا کَانَ جَوَابَ قَوْمِهٖۤ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوا ائْتِنَا بِعَذَابِ اللّٰهِ اِنْ کُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
আইন্নাকুম লাতা’তূনার রিজা-লা ওয়া তাকতা‘ঊনাছ ছাবীলা ওয়া তা’তূনা ফী না-দীকুমুল মুনকারা ফামা-কা-না জাওয়া-বা কাওমিহীইল্লাআন কা-লূ’ তিনা-বি‘আযাবিল্লা-হি ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
‘তোমরা তো পুরুষের উপর উপগত হও এবং রাস্তায় ডাকাতি কর; আর নিজদের বৈঠকে গর্হিত কাজ কর!’ তার কওমের জবাব ছিল কেবল এই যে, তারা বলল, ‘তুমি আল্লাহর আযাব নিয়ে আস যদি তুমি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা (কাম-তাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাও, রাহাজানি কর এবং নিজেদের মজলিসে ঘৃণ্য কর্ম কর। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোন জওয়াব ছিল না যে, তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের উপর আল্লাহর ‘আযাব নিয়ে এসো।
Sahih International:
Indeed, you approach men and obstruct the road and commit in your meetings [every] evil." And the answer of his people was not but they said, "Bring us the punishment of Allah, if you should be of the truthful."



قَالَ رَبِّ انْصُرْنِیْ عَلَی الْقَوْمِ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বিনসুরনী ‘আলাল কাওমিল মুফছিদীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন ফাসাদ সৃষ্টিকারী কওমের বিরুদ্ধে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- হে আমার প্রতিপালক! ফাসাদ সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর।
Sahih International:
He said, "My Lord, support me against the corrupting people."



وَ لَمَّا جَآءَتْ رُسُلُنَاۤ اِبْرٰهِیْمَ بِالْبُشْرٰی ۙ قَالُوْۤا اِنَّا مُهْلِکُوْۤا اَهْلِ هٰذِهِ الْقَرْیَۃِ ۚ اِنَّ اَهْلَهَا کَانُوْا ظٰلِمِیْنَ ﴿ۚۖ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-জাআত রুছুলুনাইবরা-হীমা বিলবুশরা- কা-লূইন্না-মুহলিকূআহলি হাযিহিল কারইয়াতি ইন্না আহলাহা-কা-নূজা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর আমার ফেরেশতারা যখন ইবরাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল তখন তারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় আমরা এ জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব, নিশ্চয় এর অধিবাসীরা যালিম’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন আমার দূতগণ (অর্থাৎ ফেরেশতারা) ইব্রাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে আসল, তারা বলল- আমরা এ জনপদের বাসিন্দাদের ধ্বংস করব, এর অধিবাসীরা তো যালিম।
Sahih International:
And when Our messengers came to Abraham with the good tidings, they said, "Indeed, we will destroy the people of that Lot's city. Indeed, its people have been wrongdoers."



قَالَ اِنَّ فِیْهَا لُوْطًا ؕ قَالُوْا نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَنْ فِیْهَا ٝ۫ لَنُنَجِّیَنَّهٗ وَ اَهْلَهٗۤ اِلَّا امْرَاَتَهٗ ٭۫ کَانَتْ مِنَ الْغٰبِرِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্না ফীহা-লূতা- কা-লূনাহনুআ‘লামুবিমান ফীহা- লানুনাজজিয়ান্নাহূ ওয়া আহ লাহূইল্লাম রাআতাহূ কা-নাত মিনাল গা-বিরীন।
আল বায়ান:
ইবরাহীম বলল, ‘নিশ্চয় সেখানে লূত আছে।’ তারা বলল, ‘আমরা ভালই জানি সেখানে কারা আছে, আমরা অবশ্যই তাকে ও তার পরিবারকে রক্ষা করব; তবে তার স্ত্রীকে নয়, সে হবে পিছনে পড়ে থাকা লোকদের একজন’।
তাইসিরুল কুরআন:
ইবরাহীম বলল- ওখানে তো লূত আছে। তারা বলল- ওখানে কারা আছে আমরা তা ভাল করেই জানি, আমরা তাকে আর তার পরিবারবর্গকে অবশ্য অবশ্যই রক্ষা করব তার স্ত্রীকে ছাড়া, সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
[Abraham] said, "Indeed, within it is Lot." They said, "We are more knowing of who is within it. We will surely save him and his family, except his wife. She is to be of those who remain behind."



وَ لَمَّاۤ اَنْ جَآءَتْ رُسُلُنَا لُوْطًا سِیْٓءَ بِهِمْ وَ ضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَّ قَالُوْا لَا تَخَفْ وَ لَا تَحْزَنْ ۟ اِنَّا مُنَجُّوْکَ وَ اَهْلَکَ اِلَّا امْرَاَتَکَ کَانَتْ مِنَ الْغٰبِرِیْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মাআন জাআত রুছুলুনা-লূতান ছীআ বিহিম ওয়া দা-কা বিহিম যার‘আওঁ ওয়া কা-লূলা-তাখাফ ওয়ালা-তাহযান ইন্না-মুনাজজূকা ওয়া আহলাকা ইল্লাম রাআতাকা কা-নাত মিনাল গা-বিরীন।
আল বায়ান:
আর যখন আমার ফেরেশতারা লূতের কাছে আসল তখন তাদের জন্য সে চিন্তিত হয়ে পড়ল এবং তাদের রক্ষায় নিজেকে অক্ষম মনে করল; আর তারা বলল, ‘ভয় পাবেন না এবং চিন্তিত হবেন না; আপনাকে ও আপনার পরিবারকে আমরা রক্ষা করব; তবে আপনার স্ত্রীকে নয়, সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের একজন হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার দূতরা যখন লূতের কাছে আসল তখন সে তাদের জন্য বিষণ্ণ হয়ে পড়ল এবং (তাদের রক্ষার ব্যাপারে) নিজেকে অসহায় মনে করল। তখন তারা বলল- তোমরা ভয় কর না, দুঃখ কর না, আমরা তোমাকে আর তোমার পরিবারবর্গকে রক্ষা করব তোমার স্ত্রীকে ছাড়া, সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And when Our messengers came to Lot, he was distressed for them and felt for them great discomfort. They said, "Fear not, nor grieve. Indeed, we will save you and your family, except your wife; she is to be of those who remain behind.



اِنَّا مُنْزِلُوْنَ عَلٰۤی اَهْلِ هٰذِهِ الْقَرْیَۃِ رِجْزًا مِّنَ السَّمَآءِ بِمَا کَانُوْا یَفْسُقُوْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না মুনযিলূনা ‘আলাআহলি হা-যিহিল কারইয়াতি রিজযাম মিনাছছামাইবিমা-কা-নূ ইয়াফছুকূ ন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমরা এ জনপদবাসীর উপর আসমান থেকে শাস্তি নাযিল করব। কারণ তারা পাপাচার করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা এ জনপদের বাসিন্দাদের উপর আসমানী শাস্তি নাযিল করব, কারণ তারা ছিল পাপাচারে লিপ্ত।
Sahih International:
Indeed, we will bring down on the people of this city punishment from the sky because they have been defiantly disobedient."



وَ لَقَدْ تَّرَکْنَا مِنْهَاۤ اٰیَۃًۢ بَیِّنَۃً لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাত তারাকনা-মিনহাআ-য়াতাম বাইয়িনাতাল লিকাওমিই ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি ঐ জনপদে সুস্পষ্ট নিদর্শন রেখে দিয়েছি সে কওমের জন্য যারা বুঝে।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে আমি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এক সুস্পষ্ট নিদর্শন রেখে দিয়েছি।
Sahih International:
And We have certainly left of it a sign as clear evidence for a people who use reason.



وَ اِلٰی مَدْیَنَ اَخَاهُمْ شُعَیْبًا ۙ فَقَالَ یٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَ ارْجُوا الْیَوْمَ الْاٰخِرَ وَ لَا تَعْثَوْا فِی الْاَرْضِ مُفْسِدِیْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইলা-মাদইয়না আখা-হুম শু‘আইবান ফাকা-লা ইয়া-কাওমি‘বুদুল্লা-হা ওয়ারজুল ইয়াওমাল আ-খিরা ওয়ালা-তা‘ছাও ফিল আরদিমুফছিদীন।
আল বায়ান:
আর মাদইয়ানবাসীর কাছে পাঠিয়েছিলাম তাদের ভাই শু‘আইবকে; অতঃপর সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, শেষ দিবসের আশা কর এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িও না।
তাইসিরুল কুরআন:
মাদইয়ানের বাসিন্দাদের কাছে আমি তাদের ভাই শু‘আয়বকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলল- হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, শেষ দিবসকে ভয় কর, পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি কর না।
Sahih International:
And to Madyan [We sent] their brother Shu'ayb, and he said, "O my people, worship Allah and expect the Last Day and do not commit abuse on the earth, spreading corruption."



فَکَذَّبُوْهُ فَاَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَۃُ فَاَصْبَحُوْا فِیْ دَارِهِمْ جٰثِمِیْنَ ﴿۫۳۷﴾
উচ্চারণ:
ফাকাযযাবূহু ফাআখাযাতহুমুর রাজফাতুফাআসবাহূফী দা-রিহিম জা-ছিমীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলল; ফলে ভূমিকম্প তাদেরকে গ্রাস করল। অতঃপর নিজদের বাড়ী-ঘরেই তারা উপুড় হয়ে মরে রইল।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা তাকে মিথ্যে ব’লে অস্বীকার করল, অতঃপর মহা কম্পন তাদেরকে পাকড়াও করল আর তারা নিজেদের গৃহে উপুড় হয়ে শেষ হয়ে গেল।
Sahih International:
But they denied him, so the earthquake seized them, and they became within their home [corpses] fallen prone.



وَ عَادًا وَّ ثَمُوْدَا۠ وَ قَدْ تَّبَیَّنَ لَکُمْ مِّنْ مَّسٰکِنِهِمْ ۟ وَ زَیَّنَ لَهُمُ الشَّیْطٰنُ اَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِیْلِ وَ کَانُوْا مُسْتَبْصِرِیْنَ ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আদাওঁ ওয়া ছামূদা ওয়া কাততাবাইইয়ানা লাকুম মিম মাছা-কিনিহিম ওয়া যাইইয়ানা লাহুমুশশাইতা-নুআ‘মা-লাহুম ফাসাদ্দাহুম ‘আনিছছাবীলি ওয়া কা-নূ মুছতাবসিরীন।
আল বায়ান:
আর ‘আদ ও সামূদকে (আমি ধ্বংস করেছিলাম), তাদের আবাসভূমির কিছু তোমাদের জন্য উন্মোচিত হয়েছে। আর শয়তান তাদের কাজ তাদের চোখে শোভিত করে তাদেরকে সৎপথ থেকে বিরত রেখেছিল, যদিও তারা ছিল বিদগ্ধ।
তাইসিরুল কুরআন:
(স্মরণ কর) ‘আদ ও সামূদ (জাতির) কথা, তাদের বাড়ীঘর হতেই তাদের (করুণ পরিণতি) সম্পর্কে সুস্পষ্টরূপে তোমাদের জানা হয়ে গেছে। তাদের কাজগুলোকে শয়ত্বান তাদের দৃষ্টিতে মনোমুগ্ধকর করেছিল। যার ফলে সৎপথে চলতে তাদেরকে বাধা দিয়েছিল, যদিও তারা ছিল তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী।
Sahih International:
And [We destroyed] 'Aad and Thamud, and it has become clear to you from their [ruined] dwellings. And Satan had made pleasing to them their deeds and averted them from the path, and they were endowed with perception.



وَ قَارُوْنَ وَ فِرْعَوْنَ وَ هَامٰنَ ۟ وَ لَقَدْ جَآءَهُمْ مُّوْسٰی بِالْبَیِّنٰتِ فَاسْتَکْبَرُوْا فِی الْاَرْضِ وَ مَا کَانُوْا سٰبِقِیْنَ ﴿ۚۖ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-রূনা ওয়া ফির‘আওনা ওয়া হা-মা-না ওয়া লাকাদ জাআহুম মূছাবিলবাইয়িনা-তি ফাছতাকবারূ ফিল আরদিওয়ামা-কা-নূছা-বিক ীন।
আল বায়ান:
আর কারূন, ফির‘আউন ও হামানকে (আমি ধ্বংস করেছি) এবং অবশ্যই তাদের কাছে মূসা গিয়েছিল প্রমানাদিসহ। অতঃপর তারা যমীনে অহংকার করেছিল; এতদ্সত্ত্বেও তারা (আমার আযাব) এড়াতে পারেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
(স্মরণ কর) কারূন, ফেরাউন ও হামানের কথা। মূসা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল, অতঃপর তারা পৃথিবীতে অহংকার করল, কিন্তু তারা (আমাকে পেছনে ফেলে) আগে বেড়ে যেতে পারেনি।
Sahih International:
And [We destroyed] Qarun and Pharaoh and Haman. And Moses had already come to them with clear evidences, and they were arrogant in the land, but they were not outrunners [of Our punishment].



فَکُلًّا اَخَذْنَا بِذَنْۢبِهٖ ۚ فَمِنْهُمْ مَّنْ اَرْسَلْنَا عَلَیْهِ حَاصِبًا ۚ وَ مِنْهُمْ مَّنْ اَخَذَتْهُ الصَّیْحَۃُ ۚ وَ مِنْهُمْ مَّنْ خَسَفْنَا بِهِ الْاَرْضَ ۚ وَ مِنْهُمْ مَّنْ اَغْرَقْنَا ۚ وَ مَا کَانَ اللّٰهُ لِیَظْلِمَهُمْ وَ لٰکِنْ کَانُوْۤا اَنْفُسَهُمْ یَظْلِمُوْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ফাকুল লান আখযনা-বিযামবিহী ফামিনহুম মান আরছালনা-‘আলাইহি হা-সিবাওঁ ওয়া মিনহুম মান আখাযাতহুস সাইহাতু ওয়া মিনহুম মান খাছাফনা-বিহিল আরদা ওয়া মিনহুম মান আগরাকনা- ওয়ামা-কা-নাল্লা-হু লিইয়াজলিমাহুম ওয়ালা-কিন কানূআনফুছাহুম ইয়াজলিমূন।
আল বায়ান:
অতঃপর এদের প্রত্যেককে নিজ নিজ পাপের কারণে আমি পাকড়াও করেছিলাম; তাদের কারো উপর আমি পাথরকুচির ঝড় পাঠিয়েছি, কাউকে পাকড়াও করেছে বিকট আওয়াজ, কাউকে আবার মাটিতে দাবিয়ে দিয়েছি আর কাউকে পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ এমন নন যে, তাদের উপর যুলম করবেন বরং তারা নিজেরা নিজদের ওপর যুল্‌ম করত।
তাইসিরুল কুরআন:
ওদের প্রত্যেককেই আমি তার পাপের কারণে পাকড়াও করেছিলাম। তাদের কারো প্রতি আমি পাঠিয়েছিলাম পাথরসহ ঝটিকা, কারো প্রতি আঘাত হেনেছিল বজ্রের প্রচন্ড আওয়াজ, কাউকে আমি প্রোথিত করেছি ভূগর্ভে আর কাউকে দিয়েছিলাম ডুবিয়ে। তাদের প্রতি আল্লাহ কোন যুলম করেননি, তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলম করেছিল।
Sahih International:
So each We seized for his sin; and among them were those upon whom We sent a storm of stones, and among them were those who were seized by the blast [from the sky], and among them were those whom We caused the earth to swallow, and among them were those whom We drowned. And Allah would not have wronged them, but it was they who were wronging themselves.



مَثَلُ الَّذِیْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْلِیَآءَ کَمَثَلِ الْعَنْکَبُوْتِ ۖۚ اِتَّخَذَتْ بَیْتًا ؕ وَ اِنَّ اَوْهَنَ الْبُیُوْتِ لَبَیْتُ الْعَنْکَبُوْتِ ۘ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
মাছালুল্লাযীনাততাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি আওলিয়াআ কামাছালিল ‘আনকাবূতি ইত্তাখাযাত বাইতাওঁ ওয়া ইন্না আওহানাল বুয়ূতি লা বাইতুল ‘আনকাবূত। লাও কা-নূ ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
যারা আল্লাহ ছাড়া বহু অভিভাবক গ্রহণ করে, তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সার ন্যায়, যে ঘর বানায় এবং নিশ্চয় সবচাইতে দুর্বল ঘর হল মাকড়সার ঘর, যদি তারা জানত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছে তাদের দৃষ্টান্ত হল মাকড়সার মত। সে ঘর বানায়, আর ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই সবচেয়ে দুর্বল; যদি তারা জানত!
Sahih International:
The example of those who take allies other than Allah is like that of the spider who takes a home. And indeed, the weakest of homes is the home of the spider, if they only knew.



اِنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ مَا یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ مِنْ شَیْءٍ ؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমা-ইয়াদ‘ঊনা মিন দূ নিহী মিন শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে জানেন তাঁকে ছাড়া যাদেরকে ওরা আহবান করে; আর তিনি মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর পরিবর্তে যা কিছুকে ডাকে আল্লাহ তা জানেন, তিনি মহাপরাক্রান্ত, মহাপ্রজ্ঞাময়।
Sahih International:
Indeed, Allah knows whatever thing they call upon other than Him. And He is the Exalted in Might, the Wise.



وَ تِلْکَ الْاَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ ۚ وَ مَا یَعْقِلُهَاۤ اِلَّا الْعٰلِمُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তিলকাল আমছা-লুনাদরিবুহা-লিন্না-ছি ওয়ামা-ইয়া‘কিলুহা ইল্লাল ‘আ-লিমূন।
আল বায়ান:
আর এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করি; আর জ্ঞানী লোকেরা ছাড়া কেউ তা বুঝে না।
তাইসিরুল কুরআন:
এ সব দৃষ্টান্ত আমি মানুষদের জন্য বর্ণনা করছি, কেবল জ্ঞানীরাই তা বুঝে।
Sahih International:
And these examples We present to the people, but none will understand them except those of knowledge.



خَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ بِالْحَقِّ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّلْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
খালাকাল্লা-হুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিলহাক্কি ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
আল্লাহ যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন; নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে মুমিনদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমানসমূহ আর পৃথিবীকে আল্লাহ উদ্দেশ্য সাধনের উপযোগী ক’রে সৃষ্টি করেছেন, এতে বিশ্বাসীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন আছে।
Sahih International:
Allah created the heavens and the earth in truth. Indeed in that is a sign for the believers.



اُتْلُ مَاۤ اُوْحِیَ اِلَیْکَ مِنَ الْکِتٰبِ وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ ؕ اِنَّ الصَّلٰوۃَ تَنْهٰی عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْکَرِ ؕ وَ لَذِکْرُ اللّٰهِ اَکْبَرُ ؕ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مَا تَصْنَعُوْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
উতলুমাঊহিয়া ইলাইকা মিনাল কিতা-বি ওয়া আকিমিসসালা-তা ইন্নাসসালা-তা তানহা-‘আনিল ফাহশাই ওয়াল মুনকারি ওয়ালাযিকরুল্লা-হি আকবারু ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুমা-তাসনা‘ঊন।
আল বায়ান:
তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতি যা ওয়াহী করা হয়েছে কিতাব থেকে তা পাঠ কর আর নামায প্রতিষ্ঠা কর; নামায অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে। নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ (বিষয়)। তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন।
Sahih International:
Recite, [O Muhammad], what has been revealed to you of the Book and establish prayer. Indeed, prayer prohibits immorality and wrongdoing, and the remembrance of Allah is greater. And Allah knows that which you do.



وَ لَا تُجَادِلُوْۤا اَهْلَ الْکِتٰبِ اِلَّا بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ ٭ۖ اِلَّا الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مِنْهُمْ وَ قُوْلُوْۤا اٰمَنَّا بِالَّذِیْۤ اُنْزِلَ اِلَیْنَا وَ اُنْزِلَ اِلَیْکُمْ وَ اِلٰـهُنَا وَ اِلٰـهُکُمْ وَاحِدٌ وَّ نَحْنُ لَهٗ مُسْلِمُوْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তুজা-দিলূআহলাল কিতা-বি ইল্লা-বিল্লাতী হিয়া আহছানু ইল্লাল্লাযীনা জালামূমিনহুম ওয়া কূলূআ-মান্না-বিল্লাযী উনযিলা ইলাইনা-ওয়া উনযিলা ইলাইকুম ওয়া ইলা-হুনা-ওয়া ইলা-হুকুম ওয়া-হিদুওঁ ওয়া নাহনুলাহূমুছলিমূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করো না। তবে তাদের মধ্যে ওরা ছাড়া, যারা যুল্ম করেছে। আর তোমরা বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি এবং আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ তো একই। আর আমরা তাঁরই সমীপে আত্মসমর্পণকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
উত্তম পন্থা ছাড়া কিতাবধারীদের সাথে তর্ক- বিতর্ক কর না; তবে তাদের মধ্যে যারা বাড়াবাড়ি করে তারা বাদে। আর বল, আমরা ঈমান এনেছি আমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে আর তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার উপর; আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ একই, আর তাঁর কাছেই আমরা আত্মসমর্পণ করেছি।
Sahih International:
And do not argue with the People of the Scripture except in a way that is best, except for those who commit injustice among them, and say, "We believe in that which has been revealed to us and revealed to you. And our God and your God is one; and we are Muslims [in submission] to Him."



وَ کَذٰلِکَ اَنْزَلْنَاۤ اِلَیْکَ الْکِتٰبَ ؕ فَالَّذِیْنَ اٰتَیْنٰهُمُ الْکِتٰبَ یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ ۚ وَ مِنْ هٰۤؤُلَآءِ مَنْ یُّؤْمِنُ بِهٖ ؕ وَ مَا یَجْحَدُ بِاٰیٰتِنَاۤ اِلَّا الْکٰفِرُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা আনযালনাইলাইকাল কিতা-বা ফাল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল কিতাবা ইউ’মিনূনা বিহী ওয়া মিন হাউলাই মাইঁ ইউ’মিনুবিহী ওয়ামা-ইয়াজহাদু বিআ-য়া-তিনাইল্লাল কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি। অতএব, আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম তারা এর প্রতি ঈমান রাখে এবং এদেরও (মক্কাবাসীদের) কেউ কেউ এর প্রতি ঈমান রাখে। আর কাফিররা ছাড়া আমার আয়াতসমূহকে কেউ অস্বীকার করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
(পূর্বে যেভাবে নাযিল করেছিলাম) এভাবেই আমি তোমার প্রতি কিতাব (কুরআন) নাযিল করেছি। কাজেই আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম তারা তাতে বিশ্বাস করে, আর তাদেরও (অর্থাৎ মক্কার মুশরিকদেরও) কতক তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে, অবিশ্বাসীরা ছাড়া আমার নিদর্শনাবলীকে কেউ অস্বীকার করে না।
Sahih International:
And thus We have sent down to you the Qur'an. And those to whom We [previously] gave the Scripture believe in it. And among these [people of Makkah] are those who believe in it. And none reject Our verses except the disbelievers.



وَ مَا کُنْتَ تَتْلُوْا مِنْ قَبْلِهٖ مِنْ کِتٰبٍ وَّ لَا تَخُطُّهٗ بِیَمِیْنِکَ اِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কুনতা তাতলূমিন কাবলিহী মিন কিতা-বিওঁ ওয়ালা-তাখুত্তুহূবিয়ামীনিকা ইযাল লারতা-বাল মুবতিলূন।
আল বায়ান:
আর তুমি তো এর পূর্বে কোন কিতাব তিলাওয়াত করনি এবং তোমার নিজের হাতে তা লিখনি যে, বাতিলপন্থীরা এতে সন্দেহ পোষণ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করনি, আর তুমি নিজ হাতে কোন কিতাব লেখনি, এমন হলে মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষণ করত।
Sahih International:
And you did not recite before it any scripture, nor did you inscribe one with your right hand. Otherwise the falsifiers would have had [cause for] doubt.



بَلْ هُوَ اٰیٰتٌۢ بَیِّنٰتٌ فِیْ صُدُوْرِ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ ؕ وَ مَا یَجْحَدُ بِاٰیٰتِنَاۤ اِلَّا الظّٰلِمُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
বাল হুওয়া আ-য়া-তুম বাইয়িনা-তুন ফী সদূ রিল্লাযীনা ঊতুল ‘ইলমা ওয়ামা-ইয়াজহাদু বিআ-য়া-তিনাইল্লাজ্জা-লিমূন।
আল বায়ান:
বরং যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের অন্তরে তা সুস্পষ্ট নিদর্শন। আর যালিমরা ছাড়া আমার আয়াতসমূহকে কেউ অস্বীকার করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের অন্তরে তা (কুরআন) এক সুস্পষ্ট নিদর্শন। অন্যায়কারীরা ছাড়া আমার নিদর্শনাবলীকে কেউ অস্বীকার করে না
Sahih International:
Rather, the Qur'an is distinct verses [preserved] within the breasts of those who have been given knowledge. And none reject Our verses except the wrongdoers.



وَ قَالُوْا لَوْ لَاۤ اُنْزِلَ عَلَیْهِ اٰیٰتٌ مِّنْ رَّبِّهٖ ؕ قُلْ اِنَّمَا الْاٰیٰتُ عِنْدَ اللّٰهِ ؕ وَ اِنَّمَاۤ اَنَا نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূলাওলাউনযিলা ‘আলাইহি আ-য়া-তুম মির রাব্বিহী কুল ইন্নামাল আ-য়াতু‘ইনদাল্লা-হি ওয়া ইন্নামাআনা নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘তার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে নিদর্শনসমূহ নাযিল হয় না কেন’? বল, ‘নিদর্শনসমূহ তো আল্লাহর কাছে, আর আমি তো কেবল একজন প্রকাশ্য সতর্ককারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- তার কাছে তার প্রতিপালকের নিকট হতে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন? বল, নিদর্শন তো আছে আল্লাহর কাছে, আমি কেবল একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
Sahih International:
But they say, "Why are not signs sent down to him from his Lord?" Say, "The signs are only with Allah, and I am only a clear warner."



اَوَ لَمْ یَکْفِهِمْ اَنَّاۤ اَنْزَلْنَا عَلَیْکَ الْکِتٰبَ یُتْلٰی عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَرَحْمَۃً وَّ ذِکْرٰی لِقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়াকফিহিম আন্নাআনযালনা-‘আলাইকাল কিতা-বা ইউতলা-‘আলাইহিম ইন্না ফী যা-লিকা লারাহমাতাওঁ ওয়া যিকরা-লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের নিকট তিলাওয়াত করা হয়? নিশ্চয় এর মধ্যে রহমত ও উপদেশ রয়েছে সেই কওমের জন্য, যারা ঈমান আনে।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট (নিদর্শন) নয় যে, আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যা তাদের সম্মুখে পাঠ করা হয়, বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই এতে অনুগ্রহ ও উপদেশ রয়েছে।
Sahih International:
And is it not sufficient for them that We revealed to you the Book which is recited to them? Indeed in that is a mercy and reminder for a people who believe.



قُلْ کَفٰی بِاللّٰهِ بَیْنِیْ وَ بَیْنَکُمْ شَهِیْدًا ۚ یَعْلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا بِالْبَاطِلِ وَ کَفَرُوْا بِاللّٰهِ ۙ اُولٰٓئِکَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
কুল কাফা-বিল্লা-হি বাইনী ওয়াবাইনাকুম শাহীদাইঁ ইয়া‘লামুমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াল্লাযীনা আ-মানূবিলবা-তিলি ওয়া কাফারূ বিল্লা-হি উলাইকা হুমুল খা-ছিরূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, তা তিনি জানেন। আর যারা বাতিলে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমার আর তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট, আসমানসমূহ আর যমীনে যা আছে তা তিনি জানেন। আর যারা মিথ্যায় বিশ্বাস করে এবং আল্লাহকে অস্বীকার করে তারাই হল ক্ষতিগ্রস্ত।
Sahih International:
Say, "Sufficient is Allah between me and you as Witness. He knows what is in the heavens and earth. And they who have believed in falsehood and disbelieved in Allah - it is those who are the losers."



وَ یَسْتَعْجِلُوْنَکَ بِالْعَذَابِ ؕ وَ لَوْ لَاۤ اَجَلٌ مُّسَمًّی لَّجَآءَهُمُ الْعَذَابُ ؕ وَ لَیَاْتِیَنَّهُمْ بَغْتَۃً وَّ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াছতা‘জিলূনাকা বিল ‘আযা-বি ওয়া লাওলাআজালুম মুছাম্মাল লাজাআহুমুল ‘আযা-বু ওয়ালাইয়া’তিইয়ান্নাহুম বাগতাতাওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
আর তারা তোমাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। যদি নির্ধারিত সময় না থাকত, তবে তাদের উপর অবশ্যই আযাব আসত এবং তা আকস্মিকভাবে তাদের উপর আসবেই। অথচ তারা টেরও পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তোমাকে তাড়াতাড়ি শাস্তি আনতে বলে। (‘আযাবের) সময়কাল যদি না নির্ধারিত থাকত তবে তাদের উপর শাস্তি অবশ্যই এসে পড়ত। তা তাদের উপর অবশ্য অবশ্যই আসবে আকস্মিকভাবে, তারা (আগেভাগে) টেরও পাবে না।
Sahih International:
And they urge you to hasten the punishment. And if not for [the decree of] a specified term, punishment would have reached them. But it will surely come to them suddenly while they perceive not.



یَسْتَعْجِلُوْنَکَ بِالْعَذَابِ ؕ وَ اِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِیْطَۃٌۢ بِالْکٰفِرِیْنَ ﴿ۙ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছতা‘জিলূনাকা বিল‘আযা-বি ওয়াইন্না জাহান্নামা লামুহীতাতুম বিলকা-ফিরীন।
আল বায়ান:
তারা তোমাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে, আর নিশ্চয় জাহান্নাম কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তোমাকে তাড়াতাড়ি শাস্তি আনতে বলে। জাহান্নাম কাফিরদেরকে ঠিকই ঘেরাও করে ফেলবে।
Sahih International:
They urge you to hasten the punishment. And indeed, Hell will be encompassing of the disbelievers



یَوْمَ یَغْشٰهُمُ الْعَذَابُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَ مِنْ تَحْتِ اَرْجُلِهِمْ وَ یَقُوْلُ ذُوْقُوْا مَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়াগশা-হুমুল‘আযা-বুমিন ফাওকিহিম ওয়া মিন তাহতি আরজুলিহিম ওয়া ইয়াকূলু যূকূমা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
যেদিন আযাব তাদেরকে তাদের উপর থেকে ও তাদের পায়ের নীচে থেকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে এবং তিনি বলবেন, ‘তোমরা যা করতে, তার স্বাদ আস্বাদন কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন ‘আযাব তাদেরকে ঢেকে নেবে তাদের উপর থেকে আর তাদের পায়ের নীচে হতে। আল্লাহ বলবেন- তোমরা যা করতে তার স্বাদ ভোগ কর।
Sahih International:
On the Day the punishment will cover them from above them and from below their feet and it is said, "Taste [the result of] what you used to do."



یٰعِبَادِیَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ اَرْضِیْ وَاسِعَۃٌ فَاِیَّایَ فَاعْبُدُوْنِ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-‘ইবা-দিয়াল্লাযীনা আ-মানূইন্না আরদী ওয়া-ছি‘আতুন ফাইইয়া-ইয়া ফা‘বুদূন।
আল বায়ান:
হে আমার বান্দারা যারা ঈমান এনেছে, নিশ্চয় আমার যমীন প্রশস্ত, সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদাত কর।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার বান্দারা! যারা ঈমান এনেছ, আমার যমীন প্রশস্ত, কাজেই তোমরা একমাত্র আমারই ‘ইবাদাত কর।
Sahih International:
O My servants who have believed, indeed My earth is spacious, so worship only Me.



کُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَۃُ الْمَوْتِ ۟ ثُمَّ اِلَیْنَا تُرْجَعُوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
কুল্লুনাফছিন যাইকাতুল মাওতি ছু ম্মা ইলাইনা-তুরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তারপর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে, অতঃপর আমার কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।
Sahih International:
Every soul will taste death. Then to Us will you be returned.



وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَنُبَوِّئَنَّهُمْ مِّنَ الْجَنَّۃِ غُرَفًا تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ؕ نِعْمَ اَجْرُ الْعٰمِلِیْنَ ﴿٭ۖ۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লানুবাওবিআন্নাহুম মিনাল জান্নাতি গুরাফান তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা- নি‘মা আজরুল ‘আ-মিলীন।
আল বায়ান:
আর যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে, তাদেরকে অবশ্যই আমি জান্নাতে কক্ষ বানিয়ে দেব, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কতইনা উত্তম আমলকারীদের প্রতিদান!
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই জান্নাতে সুউচ্চ প্রাসাদে বাসস্থান দেব যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, তার ভেতরে তারা চিরকাল থাকবে। সৎকর্মশীলদের প্রতিদান কতই না উত্তম!
Sahih International:
And those who have believed and done righteous deeds - We will surely assign to them of Paradise [elevated] chambers beneath which rivers flow, wherein they abide eternally. Excellent is the reward of the [righteous] workers



الَّذِیْنَ صَبَرُوْا وَ عَلٰی رَبِّهِمْ یَتَوَکَّلُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা সাবারূ ওয়া ‘আলা-রাব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।
আল বায়ান:
যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের রবের উপরই তাওয়াক্কুল করে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ধৈর্যধারণ করে আর তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা রাখে।
Sahih International:
Who have been patient and upon their Lord rely.



وَ کَاَیِّنْ مِّنْ دَآبَّۃٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَهَا ٭ۖ اَللّٰهُ یَرْزُقُهَا وَ اِیَّاکُمْ ۫ۖ وَ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাআইয়িম মিন দাব্বাতিল লা-তাহমিলুরিযকাহা-আল্লা-হু ইয়ারযুকুহাওয়া ইয়্যা-কুম ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর এমন কত জীব-জন্তু রয়েছে, যারা নিজদের রিয্ক নিজেরা সঞ্চয় করে না, আল্লাহই তাদের রিয্ক দেন এবং তোমাদেরও। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
এমন অনেক জীবজন্তু আছে যারা নিজেদের খাদ্য মজুদ রাখে না, আল্লাহই তাদেরকে রিযক দান করেন আর তোমাদেরকেও। তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু জানেন।
Sahih International:
And how many a creature carries not its [own] provision. Allah provides for it and for you. And He is the Hearing, the Knowing.



وَ لَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ سَخَّرَ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ لَیَقُوْلُنَّ اللّٰهُ ۚ فَاَنّٰی یُؤْفَکُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়াছাখখারাশশামছা ওয়াল কামারা লাইয়াকূলুন্নাল্লা-হু ফাআন্না-ইউ’ফাকূন।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, ‘কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এবং চাঁদ ও সূর্যকে নিয়োজিত করেছেন’? তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ’। তাহলে কোথায় তাদের ফিরানো হচ্ছে ?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, আর সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন? তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে- আল্লাহ। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে?
Sahih International:
If you asked them, "Who created the heavens and earth and subjected the sun and the moon?" they would surely say, "Allah." Then how are they deluded?



اَللّٰهُ یَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَ یَقْدِرُ لَهٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাহু ইয়াবছুতুর রিযকা লিমাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবা-দিহী ওয়া ইয়াকদিরুলাহূ ইন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা করেন রিয্ক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা সীমিত করে দেন। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ে সম্যক অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ্ই তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে রিযক প্রশস্ত করেন আর যার জন্য ইচ্ছে সীমাবদ্ধ করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবগত।
Sahih International:
Allah extends provision for whom He wills of His servants and restricts for him. Indeed Allah is, of all things, Knowing.



وَ لَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ نَّزَّلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ مِنْۢ بَعْدِ مَوْتِهَا لَیَقُوْلُنَّ اللّٰهُ ؕ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ ؕ بَلْ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْقِلُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান্নাযযালা মিনাছছামাই মাআন ফাআহইয়া-বিহিল আরদা মিম বা‘দি মাওতিহা- লাইয়াকূলুন্নাল্লা-হু কুল্লি হামদুলিল্লা-হি বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর তুমি যদি তাদেরকে প্রশ্ন কর, ‘কে আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করেন’? তবে তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ’। বল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর’। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বুঝে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- আকাশ হতে কে পানি বর্ষণ ক’রে যমীনকে তার মৃত্যুর পর আবার সঞ্জীবিত করেন? তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে- আল্লাহ। বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বুঝে না।
Sahih International:
And if you asked them, "Who sends down rain from the sky and gives life thereby to the earth after its lifelessness?" they would surely say " Allah." Say, "Praise to Allah "; but most of them do not reason.



وَ مَا هٰذِهِ الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَاۤ اِلَّا لَهْوٌ وَّ لَعِبٌ ؕ وَ اِنَّ الدَّارَ الْاٰخِرَۃَ لَهِیَ الْحَیَوَانُ ۘ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-হা-যিহিল হায়া-তুদ দুনইয়া-ইল্লা-লাহউওঁ ওয়ালা‘ইবুওঁ ওয়া ইন্নাদ দা-রাল আখিরাতা লাহিয়াল হায়াওয়া-ন । লাও কা-নূইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর এ দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নিশ্চয় আখিরাতের নিবাসই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত।
তাইসিরুল কুরআন:
পার্থিব এ জীবন ক্রীড়া-কৌতুক ছাড়া কিছু নয়, আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন- তারা যদি জানত!
Sahih International:
And this worldly life is not but diversion and amusement. And indeed, the home of the Hereafter - that is the [eternal] life, if only they knew.



فَاِذَا رَکِبُوْا فِی الْفُلْکِ دَعَوُا اللّٰهَ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَ ۬ۚ فَلَمَّا نَجّٰهُمْ اِلَی الْبَرِّ اِذَا هُمْ یُشْرِکُوْنَ ﴿ۙ۶۵﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-রাকিবূফিল ফুলকি দা‘আ-উল্লা-হা মুখলিসীনা লাহুদদীনা ফালাম্মা-নাজ্জা-হুম ইলাল বাররি ইযা-হুম ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
তারা যখন নৌযানে আরোহণ করে, তখন তারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে স্থলে পৌঁছে দেন, তখনই তারা শিরকে লিপ্ত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন নৌযানে আরোহণ করে তখন বিশুদ্ধ অন্তঃকরণে একনিষ্ঠ হয়ে তারা আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে নিরাপদে স্থলে পৌঁছে দেন, তখন তারা (অন্যকে আল্লাহর) শরীক ক’রে বসে।
Sahih International:
And when they board a ship, they supplicate Allah, sincere to Him in religion. But when He delivers them to the land, at once they associate others with Him



لِیَکْفُرُوْا بِمَاۤ اٰتَیْنٰهُمْ ۚۙ وَ لِیَتَمَتَّعُوْا ٝ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
লিইয়াকফুরূ বিমাআ-তাইনা-হুম ওয়া লিইয়াতামাত্তা‘ঊ ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
যাতে আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা তারা অস্বীকার করতে পারে এবং তারা যেন ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকতে পারে। অতঃপর শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যার ফলে তাদের প্রতি আমার দানকে তারা অস্বীকার করে আর ভোগ বিলাসে ডুবে থাকে। শীঘ্রই তারা জানতে পারবে!
Sahih International:
So that they will deny what We have granted them, and they will enjoy themselves. But they are going to know.



اَوَ لَمْ یَرَوْا اَنَّا جَعَلْنَا حَرَمًا اٰمِنًا وَّ یُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ ؕ اَفَبِالْبَاطِلِ یُؤْمِنُوْنَ وَ بِنِعْمَۃِ اللّٰهِ یَکْفُرُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
আওয়া লাম ইয়ারাও আন্না-জা‘আলনা-হারামান আ-মিনাওঁ ওয়া ইউতাখাত্তাফুন্না-ছুমিন হাওলিহিম আফাবিলবা-তিলি ইউ’মিনূনা ওয়া বিনি‘মাতিল্লা-হি ইয়াকফুরূন।
আল বায়ান:
তারা কি দেখে না যে, আমি ‘হারাম’ কে নিরাপদ বানিয়েছি, অথচ তাদের আশ পাশ থেকে মানুষদেরকে ছিনিয়ে নেয়া হয়? তাহলে কি তারা অসত্যেই বিশ্বাস করবে এবং আল্লাহর নিআমতকে অস্বীকার করবে?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি দেখে না যে, আমি ‘হারাম’ (মক্কা)-কে করেছি নিরাপদ স্থান অথচ তাদের চতুষ্পার্শ্ব থেকে মানুষকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। তবে তারা কি মিথ্যাতেই বিশ্বাস করবে আর আল্লাহর অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
Sahih International:
Have they not seen that We made [Makkah] a safe sanctuary, while people are being taken away all around them? Then in falsehood do they believe, and in the favor of Allah they disbelieve?



وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا اَوْ کَذَّبَ بِالْحَقِّ لَمَّا جَآءَهٗ ؕ اَلَیْسَ فِیْ جَهَنَّمَ مَثْوًی لِّلْکٰفِرِیْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান আজলামুমিম্মানিফ তারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান আও কাযযাবা বিলহাক্কি লাম্মা-জাআহূ আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়াল লিল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
আর সে ব্যক্তির চেয়ে যালিম আর কে, যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে অথবা তার নিকট সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে? জাহান্নামের মধ্যেই কি কাফিরদের আবাস নয়?
তাইসিরুল কুরআন:
তার চেয়ে বড় যালিম আর কে আছে যে আল্লাহর সম্বন্ধে মিথ্যে রচনা করে আর প্রকৃত সত্যকে অস্বীকার করে যখন তা তাঁর নিকট থেকে আসে? কাফিরদের আবাস স্থল কি জাহান্নামের ভিতরে নয়?
Sahih International:
And who is more unjust than one who invents a lie about Allah or denies the truth when it has come to him? Is there not in Hell a [sufficient] residence for the disbelievers?



وَ الَّذِیْنَ جَاهَدُوْا فِیْنَا لَنَهْدِیَنَّهُمْ سُبُلَنَا ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা জা-হাদূফীনা-লানাহদিয়ান্নাহুম ছুবুলানা- ওয়া ইন্নাল্লা-হা লামা‘আল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, তাদেরকে আমি অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আর নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথেই আছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় তাদেরকে আমি অবশ্য অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে আছেন।
Sahih International:
And those who strive for Us - We will surely guide them to Our ways. And indeed, Allah is with the doers of good.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।