আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


کٓهٰیٰعٓصٓ ۟﴿ۚ۱﴾
উচ্চারণ:
কাফ হা-ইয়া-‘আঈূন সোয়াদ ।
আল বায়ান:
কাফ-হা-ইয়া-‘আঈন-সোয়াদ।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফ্-হা-ইয়্যা-‘আইন-সাদ।
Sahih International:
Kaf, Ha, Ya, 'Ayn, Sad.



ذِکْرُ رَحْمَتِ رَبِّکَ عَبْدَهٗ زَکَرِیَّا ۖ﴿ۚ۲﴾
উচ্চারণ:
যিকরু রাহমাতি রাব্বিকা ‘আবদাহূযাকারিইইয়া-।
আল বায়ান:
এটা তোমার রবের রহমতের বিবরণ তাঁর বান্দা যাকারিয়্যার প্রতি।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্দাহ যাকারিয়্যার প্রতি।
Sahih International:
[This is] a mention of the mercy of your Lord to His servant Zechariah



اِذْ نَادٰی رَبَّهٗ نِدَآءً خَفِیًّا ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ইযনা-দা-রাব্বাহূনিদাআন খাফিইইয়া-।
আল বায়ান:
যখন সে তার রবকে গোপনে ডেকেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে তার প্রতিপালককে আহবান করেছিল- এক গোপন আহবানে।
Sahih International:
When he called to his Lord a private supplication.



قَالَ رَبِّ اِنِّیْ وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّیْ وَ اشْتَعَلَ الرَّاْسُ شَیْبًا وَّ لَمْ اَکُنْۢ بِدُعَآئِکَ رَبِّ شَقِیًّا ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি ইন্নী ওয়াহানাল ‘আজমুমিন্নী ওয়াশতা‘আলার রা’ছুশাইবাওঁ ওয়ালাম আকুম বিদু‘আইকা রাব্বি শাকিইইয়া-।
আল বায়ান:
সে বলেছিল, ‘হে আমার রব! আমার হাড়গুলো দুর্বল হয়ে গেছে এবং বার্ধক্যবশতঃ আমার মাথার চুলগুলো সাদা হয়ে গেছে। হে আমার রব, আপনার নিকট দো‘আ করে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার হাড়গুলো দুর্বল হয়ে গেছে, আর বার্ধক্যে আমার মস্তক সাদা হয়ে গেছে, হে আমার প্রতিপালক! তোমাকে ডেকে আমি কখনো বিফল হইনি।
Sahih International:
He said, "My Lord, indeed my bones have weakened, and my head has filled with white, and never have I been in my supplication to You, my Lord, unhappy.



وَ اِنِّیْ خِفْتُ الْمَوَالِیَ مِنْ وَّرَآءِیْ وَ کَانَتِ امْرَاَتِیْ عَاقِرًا فَهَبْ لِیْ مِنْ لَّدُنْکَ وَلِیًّا ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নী খিফতুল মাওয়া-লিয়া মিওঁ ওয়ারাঈওয়াকা-নাতিম রাআতী ‘আ-কিরান ফাহাব লী মিল্লা দুনকা ওয়ালিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘আর আমার পরে স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে আমি আশংকাবোধ করছি। আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা, অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ থেকে একজন উত্তরাধিকারী দান করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার পরে আমার স্বগোত্রীয়রা (কী করবে) সে সম্পর্কে আমি আশঙ্কাবোধ করছি, আর আমার স্ত্রী হল বন্ধ্যা, কাজেই তুমি তোমার তরফ থেকে আমাকে একজন উত্তরাধিকারী দান কর
Sahih International:
And indeed, I fear the successors after me, and my wife has been barren, so give me from Yourself an heir



یَّرِثُنِیْ وَ یَرِثُ مِنْ اٰلِ یَعْقُوْبَ ٭ۖ وَ اجْعَلْهُ رَبِّ رَضِیًّا ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়ারিছু নী ওয়া ইয়ারিছুমিন আ-লি ইয়া‘কূবা ওয়াজ‘আলহু রাব্বি রাদিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘যে আমার উত্তরাধিকারী হবে এবং ইয়াকূবের বংশের উত্তরাধিকারী হবে। হে আমার রব, আপনি তাকে পছন্দনীয় বানিয়ে দিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
যে আমার উত্তরাধিকারী হবে আর উত্তরাধিকারী হবে ইয়া‘কুব পরিবারের; আর হে আমার প্রতিপালক! তাকে করুন আপনার সন্তুষ্টির পাত্র।
Sahih International:
Who will inherit me and inherit from the family of Jacob. And make him, my Lord, pleasing [to You]."



یٰزَکَرِیَّاۤ اِنَّا نُبَشِّرُکَ بِغُلٰمِۣ اسْمُهٗ یَحْیٰی ۙ لَمْ نَجْعَلْ لَّهٗ مِنْ قَبْلُ سَمِیًّا ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-যাকারিইইয়াইন্না-নুবাশশিরুকা বিগুলা-মি নিছমুহূইয়াহইয়া- লাম নাজ‘আল লাহূমিন কাবলুছামিইইয়া-।
আল বায়ান:
(আল্লাহ বললেন) ‘হে যাকারিয়্যা, আমি তোমাকে একটি পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে কাউকে আমি এ নাম দেইনি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন, ‘হে যাকারিয়া! আমি তোমাকে একটি পুত্রের শুভ সংবাদ দিচ্ছি যার নাম হবে ইয়াহইয়া, পূর্বে এ নামে আমি কাউকে আখ্যায়িত করিনি।’
Sahih International:
[He was told], "O Zechariah, indeed We give you good tidings of a boy whose name will be John. We have not assigned to any before [this] name."



قَالَ رَبِّ اَنّٰی یَکُوْنُ لِیْ غُلٰمٌ وَّ کَانَتِ امْرَاَتِیْ عَاقِرًا وَّ قَدْ بَلَغْتُ مِنَ الْکِبَرِ عِتِیًّا ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি আন্না-ইয়াকূনুলী গুলা-মুওঁ ওয়াকা-নাতিমরাআতী ‘আ-কিরাওঁ ওয়া কাদ বালাগতুমিনাল কিবারি ‘ইতিইইয়া-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে, আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা, আর আমিও তো বার্ধক্যের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার পুত্র হবে কেমন করে, আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা, আর আমি বার্ধক্যের শেষ স্তরে পৌঁছে গেছি।’
Sahih International:
He said, "My Lord, how will I have a boy when my wife has been barren and I have reached extreme old age?"



قَالَ کَذٰلِکَ ۚ قَالَ رَبُّکَ هُوَ عَلَیَّ هَیِّنٌ وَّ قَدْ خَلَقْتُکَ مِنْ قَبْلُ وَ لَمْ تَکُ شَیْئًا ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কাযা-লিকা কা-লা রাব্বুকা হুওয়া ‘আলাইইয়া হাইয়িনুওঁ ওয়াকাদ খালাকতুকা মিন কাবলুওয়া লাম তাকুশাইআ-।
আল বায়ান:
সে (ফেরেশতা) বলল, ‘এভাবেই’। তোমার রব বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য সহজ। আমি তো ইতঃপূর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি, তখন তুমি কিছুই ছিলে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন, ‘এভাবেই হবে, তোমার প্রতিপালক বলেছেন, ‘এটা আমার পক্ষে সহজ। ইতোপূর্বে আমিই তোমাকে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।’
Sahih International:
[An angel] said, "Thus [it will be]; your Lord says, 'It is easy for Me, for I created you before, while you were nothing.' "



قَالَ رَبِّ اجْعَلْ لِّیْۤ اٰیَۃً ؕ قَالَ اٰیَتُکَ اَلَّا تُکَلِّمَ النَّاسَ ثَلٰثَ لَیَالٍ سَوِیًّا ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বিজ‘আললীআ-য়াতান কা-লা আ-ইয়াতুকা আল্লা-তুকালিলমান্না-ছা ছালা-ছা লাইয়া-লিন ছাবিইইয়া-
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমার জন্য একটি নিদর্শন ঠিক করে দিন’। তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য এটাই নিদর্শন যে, তুমি সুস্থ থেকেও তিন রাত কারো সাথে কথা বলবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জন্য একটা চিহ্ন স্থির করে দিন।’ তিনি বললেন, ‘তোমার চিহ্ন এই যে, তুমি তিন রাত মানুষের সঙ্গে কথা বলবে না যদিও তুমি কথা বলতে সক্ষম।’
Sahih International:
[Zechariah] said, "My Lord, make for me a sign." He said, "Your sign is that you will not speak to the people for three nights, [being] sound."



فَخَرَجَ عَلٰی قَوْمِهٖ مِنَ الْمِحْرَابِ فَاَوْحٰۤی اِلَیْهِمْ اَنْ سَبِّحُوْا بُکْرَۃً وَّ عَشِیًّا ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফাখারাজা ‘আলা- কাওমিহী মিনাল মিহরা-বি ফাআওহা ইলাইহিম আন ছাব্বিহূবুকরাতাওঁ ওয়া ‘আশিইইয়া-।
আল বায়ান:
অতঃপর সে মিহরাব হতে বেরিয়ে তার লোকদের সামনে আসল এবং ইশারায় তাদেরকে বলল যে, ‘তোমরা সকাল ও সন্ধ্যায় তাসবীহ পাঠ কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে তার কুঠরি থেকে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে গেল এবং ইশারায় তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর প্রশংসা-পবিত্রতা বর্ণনা করতে বলল।
Sahih International:
So he came out to his people from the prayer chamber and signaled to them to exalt [Allah] in the morning and afternoon.



یٰیَحْیٰی خُذِ الْکِتٰبَ بِقُوَّۃٍ ؕ وَ اٰتَیْنٰهُ الْحُکْمَ صَبِیًّا ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-ইয়াহইয়া-খুযিল কিতা-বা বিকুওয়াতিওঁ ওয়াআ-তাইনা-হুল হুকমা সাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘হে ইয়াহইয়া, তুমি কিতাবটিকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর’। আমি তাকে শৈশবেই প্রজ্ঞা* দান করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
(তার পুত্রের কাছে নির্দেশ আসল) ‘হে ইয়াহ্ইয়া! এ কিতাব (তাওরাত) সুদৃঢ়ভাবে ধারণ কর।’ আমি তাকে বাল্য কালেই জ্ঞান দান করেছিলাম।
Sahih International:
[Allah] said, "O John, take the Scripture with determination." And We gave him judgement [while yet] a boy



وَّ حَنَانًا مِّنْ لَّدُنَّا وَ زَکٰوۃً ؕ وَ کَانَ تَقِیًّا ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াহানা-নাম মিল্লাদুন্না-ওয়াযাকা-তাও ওয়াকা-না তাকিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর আমার পক্ষ থেকে তাকে স্নেহ-মমতা ও পবিত্রতা দান করেছি এবং সে মুত্তাকী ছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (দিয়েছিলাম) আমার পক্ষ থেকে দয়া-মায়া ও পবিত্রতা। সে ছিল আল্লাহভীরু ।
Sahih International:
And affection from Us and purity, and he was fearing of Allah



وَّ بَرًّۢا بِوَالِدَیْهِ وَ لَمْ یَکُنْ جَبَّارًا عَصِیًّا ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বাররাম বিওয়া-লিদাইহি ওয়া-লাম ইয়াকুন জাব্বা-রান ‘আসিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর সে ছিল তার পিতা-মাতার সাথে সদাচারী, আর ছিল না অহংকারী, অবাধ্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পিতা-মাতার প্রতি সদয়, সে দাম্ভিক, অবাধ্য ছিল না।
Sahih International:
And dutiful to his parents, and he was not a disobedient tyrant.



وَ سَلٰمٌ عَلَیْهِ یَوْمَ وُلِدَ وَ یَوْمَ یَمُوْتُ وَ یَوْمَ یُبْعَثُ حَیًّا ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছালা-মুন ‘আলাইহি ইয়াওমা উলিদা ওয়া ইয়াওমা ইয়ামূতুওয়া ইয়াওমা ইউব‘আছু হাইইয়া-।
আল বায়ান:
আর তার উপর শান্তি, যেদিন সে জন্মেছে এবং যেদিন সে মারা যাবে আর যেদিন তাকে জীবিত অবস্থায় উঠানো হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তার উপর শান্তি যেদিন সে জন্মেছে, যেদিন তার মৃত্যু হবে আর যেদিন সে জীবন্ত হয়ে উত্থিত হবে।
Sahih International:
And peace be upon him the day he was born and the day he dies and the day he is raised alive.



وَ اذْکُرْ فِی الْکِتٰبِ مَرْیَمَ ۘ اِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ اَهْلِهَا مَکَانًا شَرْقِیًّا ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি মারইয়াম । ইযিন তাবাযাত মিন আহলিহা-মাকা-নান শারকিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর এই কিতাবে মারইয়ামকে যখন সে তার পরিবারবর্গ থেকে পৃথক হয়ে পূর্ব দিকের কোন এক স্থানে চলে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কিতাবে (উল্লেখিত) মারইয়ামের কাহিনী বর্ণনা কর- যখন সে তার পরিবারবর্গ হতে আলাদা হয়ে পূর্ব দিকে এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল।
Sahih International:
And mention, [O Muhammad], in the Book [the story of] Mary, when she withdrew from her family to a place toward the east.



فَاتَّخَذَتْ مِنْ دُوْنِهِمْ حِجَابًا ۪۟ فَاَرْسَلْنَاۤ اِلَیْهَا رُوْحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِیًّا ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ফাত্তাখাযাত মিন দূ নিহিম হিজা-বান ফাআরছালনাইলাইহা-রূহানাফাতামাছছালা লাহা-বাশারান ছাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর সে তাদের নিকট থেকে (নিজকে) আড়াল করল। তখন আমি তার নিকট আমার রূহ (জিবরীল) কে প্রেরণ করলাম। অতঃপর সে তার সামনে পূর্ণ মানবের রূপ ধারণ করল।
তাইসিরুল কুরআন:
সে তাদের থেকে (আড়াল করার জন্য) পর্দা টানিয়ে দিল। তখন আমি তার কাছে আমার রূহ্কে (অর্থাৎ জিবরীলকে) পাঠিয়ে দিলাম। তখন সে (অর্থাৎ জিবরীল) তার সামনে পূর্ণ মানুষের আকৃতি ধারণ করল।
Sahih International:
And she took, in seclusion from them, a screen. Then We sent to her Our Angel, and he represented himself to her as a well-proportioned man.



قَالَتْ اِنِّیْۤ اَعُوْذُ بِالرَّحْمٰنِ مِنْکَ اِنْ کُنْتَ تَقِیًّا ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লাত ইন্নীআ‘ঊযুবিররাহমা-নি মিনকা ইন কুনতা তাকিইইয়া-।
আল বায়ান:
মারইয়াম বলল, ‘আমি তোমার থেকে পরম করুণাময়ের আশ্রয় চাচ্ছি, যদি তুমি মুত্তাকী হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
মারইয়াম বলল, ‘আমি তোমা হতে দয়াময় আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি যদি তুমি আল্লাহকে ভয় কর’ (তবে আমার নিকট এসো না)।’
Sahih International:
She said, "Indeed, I seek refuge in the Most Merciful from you, [so leave me], if you should be fearing of Allah."



قَالَ اِنَّمَاۤ اَنَا رَسُوْلُ رَبِّکِ ٭ۖ لِاَهَبَ لَکِ غُلٰمًا زَکِیًّا ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নামাআনা রাছূলুরাব্বিকি লিআহাবা লাকি গুলা-মান যাকিইইয়া-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি তো কেবল তোমার রবের বার্তাবাহক, তোমাকে একজন পবিত্র পুত্রসন্তান দান করার জন্য এসেছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আমি তোমার প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত হয়েছি তোমাকে একটি পুত-পবিত্র পুত্র দানের উদ্দেশ্যে।’
Sahih International:
He said, "I am only the messenger of your Lord to give you [news of] a pure boy."



قَالَتْ اَنّٰی یَکُوْنُ لِیْ غُلٰمٌ وَّ لَمْ یَمْسَسْنِیْ بَشَرٌ وَّ لَمْ اَکُ بَغِیًّا ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লাত আন্না-ইয়াকূনুলী গুলা-মুওঁ ওয়া লাম ইয়ামছাছনী বাশারুওঁ ওয়া লাম আকু বাগিইইয়া-।
আল বায়ান:
মারইয়াম বলল, ‘কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে? অথচ কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি। আর আমি তো ব্যভিচারিণীও নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘কেমন করে আমার পুত্র হতে পারে, যখন কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি, আর আমি অসতীও নই।’
Sahih International:
She said, "How can I have a boy while no man has touched me and I have not been unchaste?"



قَالَ کَذٰلِکِ ۚ قَالَ رَبُّکِ هُوَ عَلَیَّ هَیِّنٌ ۚ وَ لِنَجْعَلَهٗۤ اٰیَۃً لِّلنَّاسِ وَ رَحْمَۃً مِّنَّا ۚ وَ کَانَ اَمْرًا مَّقْضِیًّا ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কাযা-লিকি কা-লা রাব্বুকি হুওয়া ‘আলাইইয়া হাইয়িনুওঁ ওয়ালিনাজ‘আলাহূআ-য়াতাল লিন্না-ছি ওয়ারাহমাতাম মিন্না- ওয়াকা-না আমরাম মাকদিইইয়া-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘এভাবেই। তোমার রব বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজ। আর যেন আমি তাকে করে দেই মানুষের জন্য নিদর্শন এবং আমার পক্ষ থেকে রহমত। আর এটি একটি সিদ্ধান্তকৃত বিষয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘এভাবেই হবে, তোমার প্রতিপালক বলেছেন- ‘ওটা আমার জন্য সহজ, আমি তাকে মানুষের জন্য নিদর্শন বানাতে চাই আর আমার পক্ষ থেকে এক রহমত, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।’
Sahih International:
He said, "Thus [it will be]; your Lord says, 'It is easy for Me, and We will make him a sign to the people and a mercy from Us. And it is a matter [already] decreed.' "



فَحَمَلَتْهُ فَانْتَبَذَتْ بِهٖ مَکَانًا قَصِیًّا ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ফাহামালাতহু ফানতাবাযাত বিহী মাকা-নান কাসিইইয়া-।
আল বায়ান:
তারপর সে তাকে গর্ভে ধারণ করল এবং তা নিয়ে দূরবর্তী একটি স্থানে চলে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ছেলে তার গর্ভে আসল। তখন সে তা নিয়ে দূরবর্তী জায়গায় চলে গেল।
Sahih International:
So she conceived him, and she withdrew with him to a remote place.



فَاَجَآءَهَا الْمَخَاضُ اِلٰی جِذْعِ النَّخْلَۃِ ۚ قَالَتْ یٰلَیْتَنِیْ مِتُّ قَبْلَ هٰذَا وَ کُنْتُ نَسْیًا مَّنْسِیًّا ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ফাআজাআহাল মাখা-দুইলা-জিয‘ইন নাখলাতি কা-লাত ইয়া-লাইতানী মিত্তু কাবলা হা-যা-ওয়াকুনতুনাছইয়াম মানছিইইয়া-।
আল বায়ান:
অতঃপর প্রসব-বেদনা তাকে খেজুর গাছের কান্ডের কাছে নিয়ে এলো। সে বলল, ‘হায়! এর আগেই যদি আমি মরে যেতাম এবং সম্পূর্ণরূপে বিস্মৃত হতাম’!
তাইসিরুল কুরআন:
সন্তান প্রসবের বেদনা তাকে এক খেজুর বৃক্ষতলের দিকে তাড়িত করল। সে বলে উঠল, ‘হায়! এর আগেই যদি আমি মরে যেতাম আর (মানুষের) স্মৃতি থেকে পুরোপুরি মুছে যেতাম!’
Sahih International:
And the pains of childbirth drove her to the trunk of a palm tree. She said, "Oh, I wish I had died before this and was in oblivion, forgotten."



فَنَادٰىهَا مِنْ تَحْتِهَاۤ اَلَّا تَحْزَنِیْ قَدْ جَعَلَ رَبُّکِ تَحْتَکِ سَرِیًّا ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফানা-দা-হা-মিন তাহতিহাআল্লা-তাহযানী কাদ জা‘আলা রাব্বুকি তাহতাকি ছারিইইয়া-।
আল বায়ান:
তখন তার নিচ থেকে সে তাকে ডেকে বলল যে, ‘তুমি চিন্তা করো না। তোমার রব তোমার নিচে একটি ঝর্ণা সৃষ্টি করেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
নিম্নদিক থেকে তাকে ডাক দেয়া হল, ‘তুমি দুঃখ করো না, তোমার প্রতিপালক তোমার পাদদেশ দিয়ে এক নির্ঝরিণী প্রবাহিত করে দিয়েছেন।
Sahih International:
But he called her from below her, "Do not grieve; your Lord has provided beneath you a stream.



وَ هُزِّیْۤ اِلَیْکِ بِجِذْعِ النَّخْلَۃِ تُسٰقِطْ عَلَیْکِ رُطَبًا جَنِیًّا ﴿۫۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুযযীইলাইকি বিজিয‘ইন্নাখলাতি তুছা-কিত‘আলাইকি রুতাবান জানিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘আর তুমি খেজুর গাছের কান্ড ধরে তোমার দিকে নাড়া দাও, তাহলে তা তোমার উপর তাজা-পাকা খেজুর ফেলবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
খেজুর গাছের কান্ড ধরে তুমি তোমার দিকে নাড়া দাও, তা তোমার উপর তাজা পরিপক্ক খেজুর পতিত করবে।
Sahih International:
And shake toward you the trunk of the palm tree; it will drop upon you ripe, fresh dates.



فَکُلِیْ وَ اشْرَبِیْ وَ قَرِّیْ عَیْنًا ۚ فَاِمَّا تَرَیِنَّ مِنَ الْبَشَرِ اَحَدًا ۙ فَقُوْلِیْۤ اِنِّیْ نَذَرْتُ لِلرَّحْمٰنِ صَوْمًا فَلَنْ اُکَلِّمَ الْیَوْمَ اِنْسِیًّا ﴿ۚ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ফাকুলী ওয়াশরাবী ওয়াকাররী ‘আইনান ফাইম্মা-তারায়িন্না মিনাল বাশারি আহাদান ফাকূলীইন্নী নাযারতুলিররাহমা-নি সাওমান ফালান উকালিলমাল ইয়াওমা ইনছিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘অতঃপর তুমি খাও, পান কর এবং চোখ জুড়াও। আর যদি তুমি কোন লোককে দেখতে পাও তাহলে বলে দিও, ‘আমি পরম করুণাময়ের জন্য চুপ থাকার মানত করেছি। অতএব আজ আমি কোন মানুষের সাথে কিছুতেই কথা বলব না’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর খাও, পান কর আর (তোমার) চোখ জুড়াও। যদি তুমি কোন লোককে দেখতে পাও তাহলে বলবে- আমি রহমান আল্লাহর জন্য সাওম পালনের মানৎ করেছি, কাজেই আমি কোন মানুষের সঙ্গে আজ কিছুতেই কথা বলব না।’
Sahih International:
So eat and drink and be contented. And if you see from among humanity anyone, say, 'Indeed, I have vowed to the Most Merciful abstention, so I will not speak today to [any] man.' "



فَاَتَتْ بِهٖ قَوْمَهَا تَحْمِلُهٗ ؕ قَالُوْا یٰمَرْیَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَیْئًا فَرِیًّا ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ফাআতাত বিহী কাওমাহা-তাহমিলুহূ কা-লূইয়া-মারইয়ামুলাকাদ জি’তি শাইআন ফারিইইয়া-।
আল বায়ান:
তারপর সে তাকে কোলে নিয়ে নিজ কওমের নিকট আসল। তারা বলল, ‘হে মারইয়াম! তুমি তো এক অদ্ভূত বিষয় নিয়ে এসেছ’!
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে তার সন্তানকে বয়ে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে আসল। তারা বলল, ‘হে মারইয়াম! তুমি তো এক অদ্ভুত জিনিস নিয়ে এসেছ!
Sahih International:
Then she brought him to her people, carrying him. They said, "O Mary, you have certainly done a thing unprecedented.



یٰۤاُخْتَ هٰرُوْنَ مَا کَانَ اَبُوْکِ امْرَ اَ سَوْءٍ وَّ مَا کَانَتْ اُمُّکِ بَغِیًّا ﴿ۖۚ۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াউখতা হা-রূনা মা-কা-না আবূকিম রাআ ছাওইওঁ ওয়ামা-কানাত উম্মুকি বাগিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘হে হারূনের বোন! তোমার পিতা তো খারাপ লোক ছিল না। আর তোমার মা-ও ছিল না ব্যভিচারিণী’।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে হারূনের বোন! তোমার পিতা তো খারাপ লোক ছিল না, আর তোমার মাও ছিল না কোন অসতী নারী।’
Sahih International:
O sister of Aaron, your father was not a man of evil, nor was your mother unchaste."



فَاَشَارَتْ اِلَیْهِ ؕ قَالُوْا کَیْفَ نُکَلِّمُ مَنْ کَانَ فِی الْمَهْدِ صَبِیًّا ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফাআশা-রাত ইলাইহি কা-লূকাইফা নুকালিলমুমান কা-না ফিল মাহদি সাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
তখন সে শিশুটির দিকে ইশারা করল। তারা বলল, ‘যে কোলের শিশু আমরা কিভাবে তার সাথে কথা বলব’?
তাইসিরুল কুরআন:
তখন মারইয়াম তার ছেলের দিকে ইশারা করল। তারা বলল, ‘আমরা কোলের বাচ্চার সঙ্গে কীভাবে কথা বলব?’
Sahih International:
So she pointed to him. They said, "How can we speak to one who is in the cradle a child?"



قَالَ اِنِّیْ عَبْدُ اللّٰهِ ۟ؕ اٰتٰنِیَ الْکِتٰبَ وَ جَعَلَنِیْ نَبِیًّا ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নী ‘আবদুল্লা-হি আ-তা-নিয়াল কিতা-বা ওয়া জা‘আলানী নাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
শিশুটি বলল, ‘আমি তো আল্লাহর বান্দা; তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী বানিয়েছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
শিশুটি বলে উঠল, ‘আমি আল্লাহর বান্দাহ, তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আর আমাকে নবী করেছেন।
Sahih International:
[Jesus] said, "Indeed, I am the servant of Allah. He has given me the Scripture and made me a prophet.



وَّ جَعَلَنِیْ مُبٰرَکًا اَیْنَ مَا کُنْتُ ۪ وَ اَوْصٰنِیْ بِالصَّلٰوۃِ وَ الزَّکٰوۃِ مَا دُمْتُ حَیًّا ﴿۪ۖ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াজা‘আলানী মুবা-রাকান আইনা মা-কুনতু,ওয়াআওসা-নী বিসসালা-তি ওয়াযযাকা-তি মা-দুমতুহাইইয়া-।
আল বায়ান:
‘আর যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন এবং যতদিন আমি জীবিত থাকি তিনি আমাকে সালাত ও যাকাত আদায় করতে আদেশ করেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন আর আমাকে নামায ও যাকাতের হুকুম দিয়েছেন- যতদিন আমি জীবিত থাকি।
Sahih International:
And He has made me blessed wherever I am and has enjoined upon me prayer and zakah as long as I remain alive



وَّ بَرًّۢا بِوَالِدَتِیْ ۫ وَ لَمْ یَجْعَلْنِیْ جَبَّارًا شَقِیًّا ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াবাররাম বিওয়া-লিদাতী ওয়ালাম ইয়াজ‘আলনী জাব্বা-রান শাকিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘আর আমাকে মায়ের প্রতি অনুগত করেছেন এবং তিনি আমাকে অহঙ্কারী, অবাধ্য করেননি’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (তিনি আমাকে করেছেন) আমার মাতার প্রতি সদয়, তিনি আমাকে দাম্ভিক হতভাগ্য করেননি।
Sahih International:
And [made me] dutiful to my mother, and He has not made me a wretched tyrant.



وَ السَّلٰمُ عَلَیَّ یَوْمَ وُلِدْتُّ وَ یَوْمَ اَمُوْتُ وَ یَوْمَ اُبْعَثُ حَیًّا ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছছালা-মূ‘আলাইইয়া ইয়াওমা উলিততুওয়া ইয়াওমা আমূতুওয়া ইয়াওমা উব ‘আছু হাইইয়া-।
আল বায়ান:
‘আর আমার উপর শান্তি, যেদিন আমি জন্মেছি এবং যেদিন আমি মারা যাব আর যেদিন আমাকে জীবিত অবস্থায় উঠানো হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার উপর আছে শান্তি যেদিন আমি জন্মেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে আর আমি যেদিন জীবিত হয়ে উত্থিত হব।’
Sahih International:
And peace is on me the day I was born and the day I will die and the day I am raised alive."



ذٰلِکَ عِیْسَی ابْنُ مَرْیَمَ ۚ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِیْ فِیْهِ یَمْتَرُوْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা ‘ঈছাবনুমারইয়ামা কাওলাল হাক্কিল্লাযী ফীহি ইয়ামতারূন।
আল বায়ান:
এই হচ্ছে মারইয়াম পুত্র ঈসা। এটাই সঠিক বক্তব্য, যে বিষয়ে লোকেরা সন্দেহ পোষণ করছে।
তাইসিরুল কুরআন:
এই হচ্ছে মারইয়াম-পুত্র ঈসা, (এটাই) সত্য কথা যে বিষয়ে লোকেরা সন্দেহ পোষণ করে।
Sahih International:
That is Jesus, the son of Mary - the word of truth about which they are in dispute.



مَا کَانَ لِلّٰهِ اَنْ یَّتَّخِذَ مِنْ وَّلَدٍ ۙ سُبْحٰنَهٗ ؕ اِذَا قَضٰۤی اَمْرًا فَاِنَّمَا یَقُوْلُ لَهٗ کُنْ فَیَکُوْنُ ﴿ؕ۳۵﴾
উচ্চারণ:
মা-কা-না লিল্লা-হি আইঁ ইয়াত্তাখিযা মিওঁ ওয়ালাদিন ছুবহা-নাহূ ইযা-কাদা আমরান ফাইন্নামা-ইয়াকূলুলাহূকুন ফাইয়াকূন।
আল বায়ান:
সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নয়। তিনি পবিত্র-মহান। তিনি যখন কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তখন তদুদ্দেশ্যে শুধু বলেন, ‘হও’, অমনি তা হয়ে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নয়, তিনি পবিত্র, মহান; যখন তিনি কিছু করার সিদ্ধান্ত করেন তখন তার জন্য শুধু বলেন, ‘হয়ে যাও’, আর তা হয়ে যায়।
Sahih International:
It is not [befitting] for Allah to take a son; exalted is He! When He decrees an affair, He only says to it, "Be," and it is.



وَ اِنَّ اللّٰهَ رَبِّیْ وَ رَبُّکُمْ فَاعْبُدُوْهُ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাল্লা-হা রাববী ওয়ারাব্বুকুম ফা‘বুদূ হু হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় আল্লাহ আমার রব এবং তোমাদের রব। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদাত কর। এটাই সরল পথ।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ্ই আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল সুদৃঢ় পথ।
Sahih International:
[Jesus said], "And indeed, Allah is my Lord and your Lord, so worship Him. That is a straight path."



فَاخْتَلَفَ الْاَحْزَابُ مِنْۢ بَیْنِهِمْ ۚ فَوَیْلٌ لِّلَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْ مَّشْهَدِ یَوْمٍ عَظِیْمٍ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ফাখতালাফাল আহযা-বুমিম বাইনিহিম ফাওয়াইলুল লিল্লাযীনা কাফারূমিম মাশহাদি ইয়াওমিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
এরপর তাদের মধ্য থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ করল। কাজেই মহাদিবস প্রত্যক্ষকালে কাফিরদের ধ্বংস অনিবার্য।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর দলগুলো তাদের মধ্যে মতভেদ করল। কাজেই সেই ভয়াবহ দিনের উপস্থিতকালে কাফিরদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য।
Sahih International:
Then the factions differed [concerning Jesus] from among them, so woe to those who disbelieved - from the scene of a tremendous Day.



اَسْمِعْ بِهِمْ وَ اَبْصِرْ ۙ یَوْمَ یَاْتُوْنَنَا لٰکِنِ الظّٰلِمُوْنَ الْیَوْمَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
আছমি‘বিহিম ওয়া আবসির ইয়াওমা ইয়া’তূনানা-লা-কিনিজ্জা-লিমূনাল ইয়াওমা ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
যেদিন তারা আমার কাছে আসবে সেদিন তারা কতই না স্পষ্টভাবে শুনতে পাবে এবং দেখতে পাবে! কিন্তু যালিমরা আজ স্পষ্ট ভ্রষ্টতার মধ্যে রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তারা আমার কাছে আসবে সেদিন কতই না স্পষ্টভাবে তারা শুনতে পাবে আর দেখতে পাবে। কিন্তু যালিমরা আজ স্পষ্ট গুমরাহীর মধ্যে পড়ে আছে।
Sahih International:
How [clearly] they will hear and see the Day they come to Us, but the wrongdoers today are in clear error.



وَ اَنْذِرْهُمْ یَوْمَ الْحَسْرَۃِ اِذْ قُضِیَ الْاَمْرُ ۘ وَ هُمْ فِیْ غَفْلَۃٍ وَّ هُمْ لَا یُؤْمِنُوْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনযিরহুম ইয়াওমাল হাছরাতি ইযকুদিয়াল আমর । ওয়াহুম ফী গাফলাতিওঁ ওয়াহুম লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে সতর্ক করে দাও পরিতাপ দিবস সম্পর্কে যখন সব বিষয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে, অথচ তারা রয়েছে উদাসীনতায় বিভোর এবং তারা ঈমান আনছে না।
তাইসিরুল কুরআন:
বিপদের দিন সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করে দাও যখন ব্যাপার চূড়ান্ত করা হবে আর (দেখ) এ সম্পর্কে তারা উদাসীন আর তারা ঈমান আনে না।
Sahih International:
And warn them, [O Muhammad], of the Day of Regret, when the matter will be concluded; and [yet], they are in [a state of] heedlessness, and they do not believe.



اِنَّا نَحْنُ نَرِثُ الْاَرْضَ وَ مَنْ عَلَیْهَا وَ اِلَیْنَا یُرْجَعُوْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-নাহনুনারিছুল আরদা ওয়ামান ‘আলাইহা-ওয়া ইলাইনা-ইউরজা‘ঊন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি যমীন ও এর উপরে যা রয়েছে তার চূড়ান্ত মালিক হব* এবং আমারই নিকট তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যমীন আর যমীনের উপর যারা আছে তাদের মালিকানা আমারই থাকবে, আর তারা আমার কাছেই ফিরে আসবে।
Sahih International:
Indeed, it is We who will inherit the earth and whoever is on it, and to Us they will be returned.



وَ اذْکُرْ فِی الْکِتٰبِ اِبْرٰهِیْمَ ۬ؕ اِنَّهٗ کَانَ صِدِّیْقًا نَّبِیًّا ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি ইবরা-হীমা ইন্নাহূকা-না সিদ্দীকান নাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর এই কিতাবে ইবরাহীমকে। নিশ্চয় সে ছিল পরম সত্যবাদী, নবী।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কিতাবে উল্লেখিত ইবরাহীমের কথা স্মরণ কর, সে ছিল একজন সত্যনিষ্ঠ মানুষ, একজন নবী।
Sahih International:
And mention in the Book [the story of] Abraham. Indeed, he was a man of truth and a prophet.



اِذْ قَالَ لِاَبِیْهِ یٰۤاَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا یَسْمَعُ وَ لَا یُبْصِرُ وَ لَا یُغْنِیْ عَنْکَ شَیْئًا ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইয কা-লা লিআবীহি ইয়া আবাতি লিমা তা‘বুদুমা-লা-ইয়াছমা‘উ ওয়ালা-ইউবসিরূ ওয়ালা-ইউগনী ‘আনকা শাইআ-।
আল বায়ান:
যখন সে তার পিতাকে বলল, ‘হে আমার পিতা, তুমি কেন তার ইবাদাত কর যে না শুনতে পায়, না দেখতে পায় এবং না তোমার কোন উপকারে আসতে পারে’?
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে তার পিতাকে বলেছিল, ‘হে আমার পিতা! আপনি কেন এমন জিনিসের ‘ইবাদাত করেন যা শুনে না, দেখে না, আর আপনার কোন কাজেই আসে না?
Sahih International:
[Mention] when he said to his father, "O my father, why do you worship that which does not hear and does not see and will not benefit you at all?



یٰۤاَبَتِ اِنِّیْ قَدْ جَآءَنِیْ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ یَاْتِکَ فَاتَّبِعْنِیْۤ اَهْدِکَ صِرَاطًا سَوِیًّا ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআবাতি ইন্নী কাদ জাআনী মিনাল ‘ইলমি মা-লাম ইয়া’তিকা ফাত্তাবি‘নীআহদিকা সিরা-তান ছাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘হে আমার পিতা! আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে যা তোমার কাছে আসেনি, সুতরাং আমার অনুসরণ কর, তাহলে আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখাব’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার পিতা! আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে যা আপনার কাছে আসেনি, কাজেই আমার অনুসরণ করুন, আমি আপনাকে সরল সঠিক পথ দেখাব।
Sahih International:
O my father, indeed there has come to me of knowledge that which has not come to you, so follow me; I will guide you to an even path.



یٰۤاَبَتِ لَا تَعْبُدِ الشَّیْطٰنَ ؕ اِنَّ الشَّیْطٰنَ کَانَ لِلرَّحْمٰنِ عَصِیًّا ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআবাতি লা-তা‘বুদিশশাইতা-না ইন্নাশশাইতা-না কা-না লিররাহমা-নি আ‘সিইইয়া- ।
আল বায়ান:
‘হে আমার পিতা, তুমি শয়তানের ইবাদাত করো না। নিশ্চয় শয়তান হল পরম করুণাময়ের অবাধ্য’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার পিতা! আপনি শয়তানের ‘ইবাদাত করবেন না, শয়তান হচ্ছে দয়াময়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী।
Sahih International:
O my father, do not worship Satan. Indeed Satan has ever been, to the Most Merciful, disobedient.



یٰۤاَبَتِ اِنِّیْۤ اَخَافُ اَنْ یَّمَسَّکَ عَذَابٌ مِّنَ الرَّحْمٰنِ فَتَکُوْنَ لِلشَّیْطٰنِ وَلِیًّا ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআবাতি ইন্নীআখা-ফুআইঁ ইয়ামাছছাকা ‘আযা-বুম মিনার রাহমা-নি ফাতাকূনা লিশশাইতা-নি ওয়ালিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘হে আমার পিতা, আমি আশংকা করছি যে, পরম করুণাময়ের (পক্ষ থেকে) তোমাকে আযাব স্পর্শ করবে, ফলে তুমি শয়তানের সঙ্গী হয়ে যাবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমার পিতা! আমার ভয় হয় যে, দয়াময়ের ‘আযাব আপনাকে ধরে বসবে, তখন আপনি শয়তানের বন্ধু হয়ে যাবেন।’
Sahih International:
O my father, indeed I fear that there will touch you a punishment from the Most Merciful so you would be to Satan a companion [in Hellfire]."



قَالَ اَرَاغِبٌ اَنْتَ عَنْ اٰلِهَتِیْ یٰۤـاِبْرٰهِیْمُ ۚ لَئِنْ لَّمْ تَنْتَهِ لَاَرْجُمَنَّکَ وَ اهْجُرْنِیْ مَلِیًّا ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আরা-গিবুন আনতা ‘আন আ-লিহাতী ইয়াইবরা-হীমু লাইল্লাম তানতাহি লাআরজুমান্নাকা ওয়াহজুরনী মালিইইয়া-।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে ইবরাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে বিমুখ? যদি তুমি বিরত না হও, তবে অবশ্যই আমি তোমাকে পাথর মেরে হত্যা করব। আর তুমি চিরতরে আমাকে ছেড়ে যাও’।*
তাইসিরুল কুরআন:
পিতা বলল, ‘হে ইবরাহীম! তুমি কি আমার দেবদেবীগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? যদি তুমি বিরত না হও তবে আমি অবশ্যই তোমাকে পাথরের আঘাতে মেরে ফেলব। তুমি চিরতরে আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও।’
Sahih International:
[His father] said, "Have you no desire for my gods, O Abraham? If you do not desist, I will surely stone you, so avoid me a prolonged time."



قَالَ سَلٰمٌ عَلَیْکَ ۚ سَاَسْتَغْفِرُ لَکَ رَبِّیْ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِیْ حَفِیًّا ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ছালা-মুন ‘আলাইকা ছাআছতাগফিরুলাকা রাববী ইন্নাহূকা-না বী হাফিইইয়া-।
আল বায়ান:
ইবরাহীম বলল, ‘তোমার প্রতি সালাম। আমি আমার রবের কাছে তোমার জন্য ক্ষমা চাইব। নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল’।
তাইসিরুল কুরআন:
ইবরাহীম বলল, ‘আপনার প্রতি সালাম, আমি আমার প্রতিপালকের নিকট আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব, তিনি আমার প্রতি বড়ই মেহেরবান।
Sahih International:
[Abraham] said, "Peace will be upon you. I will ask forgiveness for you of my Lord. Indeed, He is ever gracious to me.



وَ اَعْتَزِلُکُمْ وَ مَا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَ اَدْعُوْا رَبِّیْ ۫ۖ عَسٰۤی اَلَّاۤ اَکُوْنَ بِدُعَآءِ رَبِّیْ شَقِیًّا ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ‘তাযিলুকুম ওয়ামা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি ওয়া আদ‘ঊ রাববী ‘আছাআল্লা আকূনা বিদু‘আই রাববী শাকিইইয়া-।
আল বায়ান:
‘আর আমি তোমাদের ও আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদাত তোমরা কর তাদের পরিত্যাগ করছি এবং আমি আমার রবের ইবাদাত করছি। আশা করি আমার রবের ইবাদাত করে আমি ব্যর্থ হব না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি পরিত্যাগ করছি আপনাদেরকে আর আপনারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকেন তাদেরকে। আমি আমার প্রতিপালককে ডাকি, আশা করি আমি আমার প্রতিপালককে ডেকে বঞ্চিত হব না।’
Sahih International:
And I will leave you and those you invoke other than Allah and will invoke my Lord. I expect that I will not be in invocation to my Lord unhappy."



فَلَمَّا اعْتَزَلَهُمْ وَ مَا یَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۙ وَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ وَ یَعْقُوْبَ ؕ وَ کُلًّا جَعَلْنَا نَبِیًّا ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা‘ তাযালাহুম ওয়ামা-ইয়া‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি ওয়াহাবনা-লাহূইছহা-কা ওয়া ইয়া‘কূবা ওয়া কুল্লান জা‘আলনা-নাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে তাদেরকে এবং আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা ইবাদাত করত তাদের সবাইকে পরিত্যাগ করল, তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়া‘কূব এবং তাদের প্রত্যেককে নবী করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে যখন তাদেরকে আর তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ‘ইবাদাত করত তাদেরকে পরিত্যাগ করল, তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক্ব আর ইয়া‘কূব আর তাদের প্রত্যেককে নবী করলাম।
Sahih International:
So when he had left them and those they worshipped other than Allah, We gave him Isaac and Jacob, and each [of them] We made a prophet.



وَ وَهَبْنَا لَهُمْ مِّنْ رَّحْمَتِنَا وَ جَعَلْنَا لَهُمْ لِسَانَ صِدْقٍ عَلِیًّا ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াহাবনা-লাহুম মির রাহমাতিনা- ওয়া জা‘আলনা- লাহুম লিছা-না সিদকিন ‘আলিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে আমার অনুগ্রহ দান করলাম আর তাদের সুনাম সুখ্যাতিকে সমুচ্চ করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে দান করলাম আমার অনুগ্রহ আর সত্যিকার নাম-যশের সুউচ্চ সুখ্যাতি।
Sahih International:
And We gave them of Our mercy, and we made for them a reputation of high honor.



وَ اذْکُرْ فِی الْکِتٰبِ مُوْسٰۤی ۫ اِنَّهٗ کَانَ مُخْلَصًا وَّ کَانَ رَسُوْلًا نَّبِیًّا ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি মূছাইন্নাহূকা-না মুখলাসাও ওয়া কা-না রাছূলান নাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর এই কিতাবে মূসাকে। অবশ্যই সে ছিল মনোনীত এবং সে ছিল রাসূল, নবী।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কিতাবে উল্লেখিত মূসার কথা স্মরণ কর, সে ছিল বিশেষভাবে মনোনীত, আর একজন রসূল ও নবী।
Sahih International:
And mention in the Book, Moses. Indeed, he was chosen, and he was a messenger and a prophet.



وَ نَادَیْنٰهُ مِنْ جَانِبِ الطُّوْرِ الْاَیْمَنِ وَ قَرَّبْنٰهُ نَجِیًّا ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া না-দাইনা-হু মিন জা-নিবিততূরিল আইমানি ওয়া কাররাবনা-হু নাজিইইয়া-।
আল বায়ান:
আমি তাকে তূর পর্বতের ডান দিক থেকে ডেকেছিলাম এবং অন্তরঙ্গ আলাপের উদ্দেশ্যে তাকে আমার নিকটবর্তী করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে ডাক দিয়েছিলাম তূর পাহাড়ের ডান পার্শ্ব থেকে আর গোপনে কথাবার্তা বলার জন্য তাকে নিকটবর্তী করেছিলাম।
Sahih International:
And We called him from the side of the mount at [his] right and brought him near, confiding [to him].



وَ وَهَبْنَا لَهٗ مِنْ رَّحْمَتِنَاۤ اَخَاهُ هٰرُوْنَ نَبِیًّا ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াহাবনা-লাহূমিররাহমাতিনাআখা-হু হা-রূনা নাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর আমি স্বীয় অনুগ্রহে তার জন্য তার ভাই হারূনকে নবীরূপে দান করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি স্বীয় অনুগ্রহে তাকে দান করেছিলাম তার ভাই হারূনকে, সেও ছিল একজন নবী।
Sahih International:
And We gave him out of Our mercy his brother Aaron as a prophet.



وَ اذْکُرْ فِی الْکِتٰبِ اِسْمٰعِیْلَ ۫ اِنَّهٗ کَانَ صَادِقَ الْوَعْدِ وَ کَانَ رَسُوْلًا نَّبِیًّا ﴿ۚ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি ইছমা-ঈলা ইন্নাহূকা-না সা-দিকাল ওয়া‘দি ওয়া কা-না রাছূলান নাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর এই কিতাবে ইসমাঈলকে। সে ছিল সত্যিকারের ওয়াদা পালনকারী এবং সে ছিল রাসূল, নবী।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কিতাবে উল্লেখিত ইসমাঈলের কথা স্মরণ কর, সে ছিল ওয়া‘দা রক্ষায় (দৃঢ়) সত্যবাদী, আর ছিল একজন রসূল ও নবী।
Sahih International:
And mention in the Book, Ishmael. Indeed, he was true to his promise, and he was a messenger and a prophet.



وَ کَانَ یَاْمُرُ اَهْلَهٗ بِالصَّلٰوۃِ وَ الزَّکٰوۃِ ۪ وَ کَانَ عِنْدَ رَبِّهٖ مَرْضِیًّا ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-না ইয়া’মুরু আহলাহূবিসসালা-তি ওয়াযযাকা-তি ওয়া কা-না ‘ইনদা রাব্বিহী মার দিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর সে তার পরিবার-পরিজনকে সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিত এবং সে ছিল তার রবের সন্তোষপ্রাপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
সে তার পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাতের হুকুম দিত আর সে ছিল তার প্রতিপালকের নিকট সন্তুষ্টির পাত্র।
Sahih International:
And he used to enjoin on his people prayer and zakah and was to his Lord pleasing.



وَ اذْکُرْ فِی الْکِتٰبِ اِدْرِیْسَ ۫ اِنَّهٗ کَانَ صِدِّیْقًا نَّبِیًّا ﴿٭ۙ۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি ইদরীছা ইন্নাহূকা-না সিদ্দীকান নাবিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর এই কিতাবে ইদরীসকে। সে ছিল পরম সত্যনিষ্ঠ নবী।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কিতাবে উল্লেখিত ইদরীসের কথা স্মরণ কর, সে ছিল সত্যনিষ্ঠ, একজন নবী।
Sahih International:
And mention in the Book, Idrees. Indeed, he was a man of truth and a prophet.



وَّ رَفَعْنٰهُ مَکَانًا عَلِیًّا ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাফা‘না-হু মাকা-নান ‘আলিয়া-।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে উচ্চ মর্যাদায় সমুন্নত করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছিলাম।
Sahih International:
And We raised him to a high station.



اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ اَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ مِّنَ النَّبِیّٖنَ مِنْ ذُرِّیَّۃِ اٰدَمَ ٭ وَ مِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوْحٍ ۫ وَّ مِنْ ذُرِّیَّۃِ اِبْرٰهِیْمَ وَ اِسْرَآءِیْلَ ۫ وَ مِمَّنْ هَدَیْنَا وَ اجْتَبَیْنَا ؕ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِمْ اٰیٰتُ الرَّحْمٰنِ خَرُّوْا سُجَّدًا وَّ بُکِیًّا ﴿ٛ۵۸﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা আন‘আমাল্লা-হু ‘আলাইহিম মিনান নাবিইয়ীনা মিন যুররিইইয়াতি আ-দামা ওয়া মিম্মান হামালনা-মা‘আ নূহিওঁ ওয়া মিন যুররিইইয়াতি ইবরা-হীমা ওয়া ইছরাঈলা ওয়া মিম্মান হাদাইনা-ওয়াজতাবাইনা- ইযা-তুতলা-‘আলাইহিম আয়া-তুররাহমা-নি খাররূ ছুজ্জাদাওঁ ওয়া বুকিইইয়া-(ছিজদাহ-৫)।
আল বায়ান:
এরাই সে সব নবী, আদম সন্তানের মধ্য থেকে যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং যাদের আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম। আর ইবরাহীম ও ইসরাঈলের বংশোদ্ভূত এবং যাদেরকে আমি পথ প্রদর্শন করেছিলাম ও মনোনীত করেছিলাম। যখন তাদের কাছে পরম করুণাময়ের আয়াতসমূহ পাঠ করা হত, তারা কাঁদতে কাঁদতে সিজদায় লুটিয়ে পড়ত।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
এরাই হল তারা আদাম বংশের নবীগণের মধ্য হতে, আর নূহের সঙ্গে যাদেরকে (নৌকায়) আরোহণ করিয়েছিলাম তাদের মধ্য হতে, আর ইবরাহীম ও ইসরাঈলের বংশধরদের মধ্য হতে যাদেরকে আমি অনুগ্রহ করেছিলাম, এরা তাদেরই মধ্য হতে, যাদেরকে আমি পথনির্দেশ দিয়েছিলাম আর বেছে নিয়েছিলাম, এদের নিকট দয়াময়ের আয়াত আবৃত্তি করা হলে তারা সাজদায় অবনত হয়ে কান্নাভরে লুটিয়ে পড়ত। [সাজদাহ]
Sahih International:
Those were the ones upon whom Allah bestowed favor from among the prophets of the descendants of Adam and of those We carried [in the ship] with Noah, and of the descendants of Abraham and Israel, and of those whom We guided and chose. When the verses of the Most Merciful were recited to them, they fell in prostration and weeping.



فَخَلَفَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ اَضَاعُوا الصَّلٰوۃَ وَ اتَّبَعُوا الشَّهَوٰتِ فَسَوْفَ یَلْقَوْنَ غَیًّا ﴿ۙ۵۹﴾
উচ্চারণ:
ফাখালাফা মিম বা‘দিহিম খালফুনআদা-‘উসসালা-তা ওয়াত তাবা‘উশশাহাওয়া-তি ফাছাওফা ইয়ালকাওনা গাইইয়া-।
আল বায়ান:
তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা সালাত বিনষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করল। সুতরাং শীঘ্রই তারা জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদের পর এল অপদার্থ পরবর্তীরা, তারা নামায হারালো, আর লালসার বশবর্তী হল। তারা অচিরেই ধ্বংসের সম্মুখীন হবে।
Sahih International:
But there came after them successors who neglected prayer and pursued desires; so they are going to meet evil -



اِلَّا مَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَاُولٰٓئِکَ یَدْخُلُوْنَ الْجَنَّۃَ وَ لَا یُظْلَمُوْنَ شَیْئًا ﴿ۙ۶۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মান তা-বা ওয়া আ-মানা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ফাউলাইকা ইয়াদখুলূনাল জান্নাতা ওয়ালা-ইউজলামূনা শাইআ-।
আল বায়ান:
তবে তারা নয় যারা তাওবা করেছে, ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে; তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বাদে যারা তাওবাহ করবে, ঈমান আনবে আর সৎ কাজ করবে। ফলে এরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে, এদের প্রতি এতটুকু যুলম করা হবে না।
Sahih International:
Except those who repent, believe and do righteousness; for those will enter Paradise and will not be wronged at all.



جَنّٰتِ عَدْنِۣ الَّتِیْ وَعَدَ الرَّحْمٰنُ عِبَادَهٗ بِالْغَیْبِ ؕ اِنَّهٗ کَانَ وَعْدُهٗ مَاْتِیًّا ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
জান্না-তি ‘আদনি নিল্লাতী ওয়া আ‘দার রাহমা-নু‘ইবা-দাহূবিলগাইবি ইন্নাহূকা-না ওয়া‘দুহূমা’তিইইয়া-।
আল বায়ান:
তা চিরস্থায়ী জান্নাত, যার ওয়াদা পরম করুণাময় তাঁর বান্দাদের দিয়েছেন গায়েবের সাথে। নিশ্চয় তাঁর ওয়াদাকৃত বিষয় অবশ্যম্ভাবী।
তাইসিরুল কুরআন:
স্থায়ী জান্নাত, দয়াময় তাঁর বান্দাহ্কে যে অদৃশ্য বিষয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূর্ণ হবে।
Sahih International:
[Therein are] gardens of perpetual residence which the Most Merciful has promised His servants in the unseen. Indeed, His promise has ever been coming.



لَا یَسْمَعُوْنَ فِیْهَا لَغْوًا اِلَّا سَلٰمًا ؕ وَ لَهُمْ رِزْقُهُمْ فِیْهَا بُکْرَۃً وَّ عَشِیًّا ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়ান ইল্লা-ছালা-মাওঁ ওয়ালাহুম রিযকুহুম ফীহিাবুকরাতাওঁ ওয়া ‘আশিইইয়া-।
আল বায়ান:
তারা সেখানে ‘শান্তি’ ছাড়া কোন অর্থহীন কথা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় তাদের জন্য থাকবে তাদের রিয্ক।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা শান্তির সম্ভাষণ ছাড়া কোন অপবাক্য শুনবে না। আর সকাল-সন্ধ্যা সেখানে তাদের জন্য থাকবে জীবন ধারণের উপকরণ।
Sahih International:
They will not hear therein any ill speech - only [greetings of] peace - and they will have their provision therein, morning and afternoon.



تِلْکَ الْجَنَّۃُ الَّتِیْ نُوْرِثُ مِنْ عِبَادِنَا مَنْ کَانَ تَقِیًّا ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
তিলকাল জান্নাতুল্লাতী নূরিছুমিন ‘ইবা-দিনা-মান কা-না তাকিইইয়া-।
আল বায়ান:
সেই জান্নাত, আমি যার উত্তরাধিকারী বানাব আমার বান্দাদের মধ্যে তাদেরকে যারা মুত্তাকী।
তাইসিরুল কুরআন:
এই হল সেই জান্নাত আমি যার উত্তরাধিকারী করব আমার বান্দাহদের মধ্যে মুত্তাকীদেরকে।
Sahih International:
That is Paradise, which We give as inheritance to those of Our servants who were fearing of Allah.



وَ مَا نَتَنَزَّلُ اِلَّا بِاَمْرِ رَبِّکَ ۚ لَهٗ مَا بَیْنَ اَیْدِیْنَا وَ مَا خَلْفَنَا وَ مَا بَیْنَ ذٰلِکَ ۚ وَ مَا کَانَ رَبُّکَ نَسِیًّا ﴿ۚ۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-নাতানাযযালুইল্লা-বিআমরি রাব্বিকা লাহূমা-বাইনা আইদীনা-ওয়ামাখালফানা ওয়ামা-বাইনা যা-লিকা ওয়ামা-কা-না রাব্বুকা নাছিইইয়া-।
আল বায়ান:
(জিবরীল বলল) ‘আর আমরা আপনার রবের নির্দেশ ছাড়া অবতরণ করি না। যা আমাদের সামনে আছে, আর যা আছে আমাদের পিছনে এবং যা রয়েছে এতদোভয়ের মধ্যে, সব তাঁরই মালিকানাধীন। আর আপনার রব ভুলে যান না।
তাইসিরুল কুরআন:
(ফেরেশতাগণ বলে) ‘আমরা আপনার প্রতিপালকের হুকুম ছাড়া অবতরণ করি না, যা আমাদের সামনে আছে, আর যা আমাদের পেছনে আছে আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তা তাঁরই, আপনার প্রতিপালক কক্ষনো ভুলে যান না।
Sahih International:
[Gabriel said], "And we [angels] descend not except by the order of your Lord. To Him belongs that before us and that behind us and what is in between. And never is your Lord forgetful -



رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا فَاعْبُدْهُ وَ اصْطَبِرْ لِعِبَادَتِهٖ ؕ هَلْ تَعْلَمُ لَهٗ سَمِیًّا ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা-ফা‘বুদ হু ওয়াসতাবির লি‘ইবা-দাতিহী হাল তা‘লামুলাহূছামিইইয়া-।
আল বায়ান:
তিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যে যা আছে তার রব। সুতরাং তাঁর ইবাদাত কর এবং তাঁরই ইবাদাতে ধৈর্যশীল থাক। তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আকাশ, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তার প্রতিপালক, কাজেই তুমি তাঁর ‘ইবাদাত কর, আর তাঁর ‘ইবাদাতে নিয়মিত ও দৃঢ় থাক। তুমি কি তাঁর নামের গুণসম্পন্ন অন্য আর কেউ আছে বলে জান?
Sahih International:
Lord of the heavens and the earth and whatever is between them - so worship Him and have patience for His worship. Do you know of any similarity to Him?"



وَ یَقُوْلُ الْاِنْسَانُ ءَ اِذَا مَا مِتُّ لَسَوْفَ اُخْرَجُ حَیًّا ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াকূলুল ইনছা-নুআইযা-মা-মিত্তুলাছাওফা উখরাজুহাইইয়া-।
আল বায়ান:
আর মানুষ বলে, ‘আমার মৃত্যু হলে আমাকে কি জীবিত অবস্থায় উত্থিত করা হবে?’
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ বলে, ‘কী! আমি যখন মরে যাব, আমাকে তখন কি জীবিত করে উঠানো হবে?’
Sahih International:
And the disbeliever says, "When I have died, am I going to be brought forth alive?"



اَوَ لَا یَذْکُرُ الْاِنْسَانُ اَنَّا خَلَقْنٰهُ مِنْ قَبْلُ وَ لَمْ یَکُ شَیْئًا ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালা-ইয়াযকুরুল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হু মিন কাবলুওয়া লাম ইয়াকুশাইআ-।
আল বায়ান:
মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে পূর্বে সৃষ্টি করেছি অথচ সে কিছুই ছিল না?
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি পূর্বে তাকে সৃষ্টি করেছি আর সে তখন কিছুই ছিল না।
Sahih International:
Does man not remember that We created him before, while he was nothing?



فَوَ رَبِّکَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَ الشَّیٰطِیْنَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِیًّا ﴿ۚ۶۸﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়ারাব্বিকা লানাহশুরান্নাহুম ওয়াশশায়া-তীনা ছু ম্মা লানুহদিরান্নাহুম হাওলা জাহান্নামা জিছিইইয়া-।
আল বায়ান:
অতএব তোমার রবের কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে ও শয়তানদেরকে সমবেত করব, অতঃপর জাহান্নামের চারপাশে নতজানু অবস্থায় তাদেরকে হাযির করব।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমার রব্বের কসম! আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই একত্রিত করব আর শয়তানদেরকেও। অতঃপর তাদেরকে জাহান্নামের চতুষ্পার্শ্বে নতজানু অবস্থায় অবশ্য অবশ্যই হাজির করব।
Sahih International:
So by your Lord, We will surely gather them and the devils; then We will bring them to be present around Hell upon their knees.



ثُمَّ لَنَنْزِعَنَّ مِنْ کُلِّ شِیْعَۃٍ اَیُّهُمْ اَشَدُّ عَلَی الرَّحْمٰنِ عِتِیًّا ﴿ۚ۶۹﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা লানানযি‘আন্না মিন কুল্লি শী‘আতিন আইয়ুহুম আশাদ্দু‘আলার রাহমা-নি ‘ইতিইইয়া-।
আল বায়ান:
তারপর প্রত্যেক দল থেকে পরম করুণাময়ের বিরুদ্ধে সর্বাধিক অবাধ্যকে আমি টেনে বের করবই।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর প্রত্যেক দল হতে দয়াময়ের প্রতি সবচেয়ে অবাধ্যকে অবশ্য অবশ্যই টেনে বের করব।
Sahih International:
Then We will surely extract from every sect those of them who were worst against the Most Merciful in insolence.



ثُمَّ لَنَحْنُ اَعْلَمُ بِالَّذِیْنَ هُمْ اَوْلٰی بِهَا صِلِیًّا ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা লানাহনুআ‘লামুবিল্লাযীনা হুম আওলা-বিহা-সিলিইইয়া-।
আল বায়ান:
উপরন্তু আমি সর্বাধিক ভাল জানি তাদের সম্পর্কে, যারা জাহান্নামে দগ্ধীভূত হবার অধিকতর যোগ্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি অবশ্য অবশ্যই খুব ভাল করে জানি তাদের মধ্যে কারা জাহান্নামে দগ্ধ হওয়ার সর্বাধিক উপযুক্ত।
Sahih International:
Then, surely it is We who are most knowing of those most worthy of burning therein.



وَ اِنْ مِّنْکُمْ اِلَّا وَارِدُهَا ۚ کَانَ عَلٰی رَبِّکَ حَتْمًا مَّقْضِیًّا ﴿ۚ۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইম মিনকুম ইল্লা-ওয়া-রিদুহা- কা-না ‘আলা-রাব্বিকা হাতমাম মাকদিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর তোমাদের প্রত্যেককেই তা অতিক্রম করতে হবে, এটি তোমার রবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যাকে জাহান্নাম অতিক্রম করতে হবে না, এটা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য ফয়সালা।
Sahih International:
And there is none of you except he will come to it. This is upon your Lord an inevitability decreed.



ثُمَّ نُنَجِّی الَّذِیْنَ اتَّقَوْا وَّ نَذَرُ الظّٰلِمِیْنَ فِیْهَا جِثِیًّا ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা নুনাজজিল্লাযীনাততাকাওঁ ওয়া নাযারুজ্জা-লিমীনা ফীহা-জিছিইইয়া-।
আল বায়ান:
তারপর আমি এদেরকে মুক্তি দেব যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে। আর যালিমদেরকে আমি সেখানে রেখে দেব নতজানু অবস্থায়।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর মুত্তাকীদেরকে আমি রক্ষা করব আর যালিমদেরকে তার মধ্যে নতজানু অবস্থায় রেখে দেব।
Sahih International:
Then We will save those who feared Allah and leave the wrongdoers within it, on their knees.



وَ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِمْ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا ۙ اَیُّ الْفَرِیْقَیْنِ خَیْرٌ مَّقَامًا وَّ اَحْسَنُ نَدِیًّا ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-তুতলা-আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিন কা-লাল্লাযীনা কাফারূলিল্লাযীনা আ-মানূ আইয়ুল ফারীকাইনি খাইরুম মাকা-মাওঁ ওয়া আহছানুনাদিইইয়া-।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টরূপে পাঠ করা হয়, তখন কাফিররা ঈমানদারদেরকে বলে, ‘দুই দলের মধ্যে কোনটি মর্যাদায় শ্রেষ্ঠতর এবং মজলিস হিসেবে উত্তম?’
তাইসিরুল কুরআন:
আমার স্পষ্ট আয়াত যখন তাদের নিকট আবৃত্তি করা হয় তখন কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, দু’টি দলের মধ্যে মর্যাদায় কোনটি শ্রেষ্ঠ আর মজলিস হিসেবে অধিক উত্তম?
Sahih International:
And when Our verses are recited to them as clear evidences, those who disbelieve say to those who believe, "Which of [our] two parties is best in position and best in association?"



وَ کَمْ اَهْلَکْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ هُمْ اَحْسَنُ اَثَاثًا وَّ رِءْیًا ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিন কারনিনহুম আহছানুআছা-ছাওঁ ওয়ারি’য়া-।
আল বায়ান:
আর তাদের পূর্বে আমি কত প্রজন্ম ধ্বংস করে দিয়েছি যারা সাজ-সরঞ্জাম ও বাহ্যদৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ ছিল!
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের পূর্বে বহু মানব বংশকে ধ্বংস করেছি যারা উপায় উপকরণে আর বাইরের চাকচিক্যে তাদের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ছিল।
Sahih International:
And how many a generation have We destroyed before them who were better in possessions and [outward] appearance?



قُلْ مَنْ کَانَ فِی الضَّلٰلَۃِ فَلْیَمْدُدْ لَهُ الرَّحْمٰنُ مَدًّا ۬ۚ حَتّٰۤی اِذَا رَاَوْا مَا یُوْعَدُوْنَ اِمَّا الْعَذَابَ وَ اِمَّا السَّاعَۃَ ؕ فَسَیَعْلَمُوْنَ مَنْ هُوَ شَرٌّ مَّکَانًا وَّ اَضْعَفُ جُنْدًا ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
কুল মান কা-না ফিদ্দালা-লাতি ফালইয়ামদুদ লাহুর রাহমা-নুমাদ্দান হাত্তাইযারাআও মা-ইউ‘আদূ না ইম্মাল ‘আযা-বা ওয়া ইম্মাছছা-‘আতা ফাছাইয়া‘লামূনা মান হুওয়া শাররুম মাকা-নাওঁ ওয়া আদ‘আফুজুনদা-।
আল বায়ান:
বল, ‘যে বিভ্রান্তিতে রয়েছে তাকে পরম করুণাময় প্রচুর অবকাশ দেবেন, যতক্ষণ না তারা যে বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করবে, চাই তা আযাব হোক অথবা কিয়ামত। তখন তারা জানতে পারবে কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট ও দলবলে দুর্বল।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, যারা গুমরাহীতে পড়ে আছে, দয়াময় তাদের জন্য (রশি) ঢিল দিয়ে দেন, যে পর্যন্ত না তারা দেখতে পাবে যার ওয়া‘দা তাদেরকে দেয়া হচ্ছে- তা শাস্তিই হোক কিংবা ক্বিয়ামতই হোক।’ তখন তারা জানতে পারবে মর্যাদায় কে নিকৃষ্ট আর জনবলে দুর্বল।
Sahih International:
Say, "Whoever is in error - let the Most Merciful extend for him an extension [in wealth and time] until, when they see that which they were promised - either punishment [in this world] or the Hour [of resurrection] - they will come to know who is worst in position and weaker in soldiers."



وَ یَزِیْدُ اللّٰهُ الَّذِیْنَ اهْتَدَوْا هُدًی ؕ وَ الْبٰقِیٰتُ الصّٰلِحٰتُ خَیْرٌ عِنْدَ رَبِّکَ ثَوَابًا وَّ خَیْرٌ مَّرَدًّا ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াযীদুল্লা-হু ল্লাযী নাহতাদাও হুদাওঁ ওয়াল বা-কিয়া-তুসসা-লিহা-তুখাইরুন ‘ইনদা রাব্বিকা ছাওয়া-বাও ওয়াখাইরুম মারাদ্দা-।
আল বায়ান:
আর যারা সঠিক পথে চলে আল্লাহ তাদের হিদায়াত বৃদ্ধি করেন আর স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার রবের কাছে পুরস্কার প্রাপ্তির দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ এবং পরিণতি হিসেবেও শ্রেষ্ঠ।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা সৎপথ সন্ধান করে আল্লাহ তাদেরকে অধিক হিদায়াত দান করেন। আর স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার পালনকর্তার নিকট সাওয়াবের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ আর প্রতিদান হিসেবেও শ্রেষ্ঠ।
Sahih International:
And Allah increases those who were guided, in guidance, and the enduring good deeds are better to your Lord for reward and better for recourse.



اَفَرَءَیْتَ الَّذِیْ کَفَرَ بِاٰیٰتِنَا وَ قَالَ لَاُوْتَیَنَّ مَالًا وَّ وَلَدًا ﴿ؕ۷۷﴾
উচ্চারণ:
আফারাআইতাল্লাযী কাফারা বিআ-য়া-তিনা-ওয়াকা-লা লাঊতাইয়ান্না মা-লাওঁ ওয়া ওয়ালাদা-।
আল বায়ান:
তুমি কি সেই ব্যক্তিকে দেখেছ* যে আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে এবং বলে, ‘আমাকে অবশ্যই ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দেয়া হবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি লক্ষ্য করেছ সে ব্যক্তিকে যে আমার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করেছে আর সে বলে, ‘আমাকে অবশ্য অবশ্যই সম্পদ আর সন্তানাদি দেয়া হবে।’
Sahih International:
Then, have you seen he who disbelieved in Our verses and said, "I will surely be given wealth and children [in the next life]?"



اَطَّلَعَ الْغَیْبَ اَمِ اتَّخَذَ عِنْدَ الرَّحْمٰنِ عَهْدًا ﴿ۙ۷۸﴾
উচ্চারণ:
আততালা‘আল গাইবা আমিত্তাখাযা ‘ইনদার রাহমা-নি ‘আহদা-।
আল বায়ান:
সে কি গায়েব সম্পর্কে অবহিত হয়েছে, না পরম করুণাময়ের কাছ থেকে কোন প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে?
তাইসিরুল কুরআন:
সে কি অদৃশ্য বিষয় জেনে ফেলেছে, নাকি দয়াময়ের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি লাভ করেছে?
Sahih International:
Has he looked into the unseen, or has he taken from the Most Merciful a promise?



کَلَّا ؕ سَنَکْتُبُ مَا یَقُوْلُ وَ نَمُدُّ لَهٗ مِنَ الْعَذَابِ مَدًّا ﴿ۙ۷۹﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা- ছানাকতুবুমা-ইয়াকূলুওয়ানামুদ্দুলাহূমিনাল ‘আযা-বি মাদ্দা-।
আল বায়ান:
কখনো নয়, সে যা বলে আমি তা লিখে রাখব এবং তার আযাব বাড়াতেই থাকব।
তাইসিরুল কুরআন:
কক্ষনো না, তারা যা বলে আমি তা লিখে রাখব আর আমি তার শাস্তি বাড়াতেই থাকব, বাড়াতেই থাকব।
Sahih International:
No! We will record what he says and extend for him from the punishment extensively.



وَّ نَرِثُهٗ مَا یَقُوْلُ وَ یَاْتِیْنَا فَرْدًا ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নারিছুহূমা-ইয়াকূ লুওয়া ইয়া’তীনা-ফারদা-।
আল বায়ান:
আর সে যা বলে আমি তার অধিকারী হব এবং আমার কাছে সে একাকী আসবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সে যে বিষয়ের কথা বলে (তার সম্পদ-সরঞ্জাম ও জনবলের গর্ব করে) তা থাকবে আমার অধিকারে আর সে আমার কাছে আসবে নিঃসঙ্গ, একাকী।
Sahih International:
And We will inherit him [in] what he mentions, and he will come to Us alone.



وَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اٰلِهَۃً لِّیَکُوْنُوْا لَهُمْ عِزًّا ﴿ۙ۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লিইয়াকূনূলাহুম ‘ইযযা-।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহ ছাড়া বহু ‘ইলাহ’ গ্রহণ করেছে, যাতে ওরা তাদের সাহায্যকারী হতে পারে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে যাতে তারা (অর্থাৎ ঐ কল্পিত মা‘বুদগুলো) তাদের জন্য পৃষ্ঠপোষক হয়।
Sahih International:
And they have taken besides Allah [false] deities that they would be for them [a source of] honor.



کَلَّا ؕ سَیَکْفُرُوْنَ بِعِبَادَتِهِمْ وَ یَکُوْنُوْنَ عَلَیْهِمْ ضِدًّا ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা- ছাইয়াকফুরূনা বি‘ইবা-দাতিহিম ওয়া ইয়াকূনূনা ‘আলাইহিম দিদ্দা-।
আল বায়ান:
কখনো নয়, এরা তাদের ইবাদাতের কথা অস্বীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষ হয়ে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কক্ষনো না, তারা তাদের ‘ইবাদাত অস্বীকার করবে আর তাদের বিরোধী হয়ে যাবে।
Sahih International:
No! Those "gods" will deny their worship of them and will be against them opponents [on the Day of Judgement].



اَلَمْ تَرَ اَنَّـاۤ اَرْسَلْنَا الشَّیٰطِیْنَ عَلَی الْکٰفِرِیْنَ تَؤُزُّهُمْ اَزًّا ﴿ۙ۸۳﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা আন্নাআরছালনাশশাইয়া-তীনা ‘আলাল কা-ফিরীনা তাউযযুহুম আযযা-।
আল বায়ান:
তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আমি কাফিরদের জন্য শয়তানদেরকে ছেড়ে দিয়েছি; ওরা তাদেরকে বিশেষভাবে প্ররোচিত করে?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আমি কাফিরদের জন্য শয়ত্বানকে ছেড়ে রেখেছি তাদেরকে মন্দ কর্ম করতে প্ররোচিত করার জন্য।
Sahih International:
Do you not see that We have sent the devils upon the disbelievers, inciting them to [evil] with [constant] incitement?



فَلَا تَعْجَلْ عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّمَا نَعُدُّ لَهُمْ عَدًّا ﴿ۚ۸۴﴾
উচ্চারণ:
ফালা-তা‘জাল ‘আলাইহিম ইন্নামা-না‘উদ্দুলাহুম ‘আদ্দা-।
আল বায়ান:
সুতরাং তাদের ব্যাপারে তুমি তাড়াহুড়া করো না; আমি তো কেবল তাদের জন্য নির্ধারিত কাল গণনা করছি,
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তাদের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করো না, আমি গুণে রাখছি তাদের জন্য নির্দিষ্ট (দিবসের) সংখ্যা।
Sahih International:
So be not impatient over them. We only count out to them a [limited] number.



یَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِیْنَ اِلَی الرَّحْمٰنِ وَفْدًا ﴿ۙ۸۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা নাহশুরুল মুত্তাকীনা ইলাররাহমা-নি ওয়াফদা-।
আল বায়ান:
যেদিন পরম করুণাময়ের নিকট মুত্তাকীদেরকে সম্মানিত মেহমানরূপে সমবেত করব,
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন মুত্তাকীদেরকে দয়াময়ের নিকট একত্রিত করব সম্মানিত অতিথি হিসেবে।
Sahih International:
On the Day We will gather the righteous to the Most Merciful as a delegation



وَّ نَسُوْقُ الْمُجْرِمِیْنَ اِلٰی جَهَنَّمَ وِرْدًا ﴿ۘ۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাছূকুল মুজরিমীনা ইলা-জাহান্নামা বিরদা-।
আল বায়ান:
আর অপরাধীদেরকে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি অপরাধীদেরকে জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব (যেভাবে পিপাসার্ত গরু বাছুরকে পানির দিকে তাড়িয়ে নেয়া হয়)।
Sahih International:
And will drive the criminals to Hell in thirst



لَا یَمْلِکُوْنَ الشَّفَاعَۃَ اِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِنْدَ الرَّحْمٰنِ عَهْدًا ﴿ۘ۸۷﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়ামলিকূনাশশাফা-‘আতা ইল্লা-মানিত তাখাযা ‘ইনদাররাহমা-নি ‘আহদা-।
আল বায়ান:
যারা পরম করুণাময়ের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছে তারা ছাড়া অন্য কেউ সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
দয়াময়ের নিকট যে প্রতিশ্রুতি লাভ করেছে সে ছাড়া অন্য কারো সুপারিশ করার অধিকার থাকবে না।
Sahih International:
None will have [power of] intercession except he who had taken from the Most Merciful a covenant.



وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمٰنُ وَلَدًا ﴿ؕ۸۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লুত তাখাযার রাহমা-নুওয়ালাদা-।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘পরম করুণাময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।’
Sahih International:
And they say, "The Most Merciful has taken [for Himself] a son."



لَقَدْ جِئْتُمْ شَیْئًا اِدًّا ﴿ۙ۸۹﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ জি’তুম শাইআন ইদ্দা-।
আল বায়ান:
অবশ্যই তোমরা এক জঘন্য বিষয়ের অবতারণা করেছ।
তাইসিরুল কুরআন:
(এমন কথা ব’লে) তোমরা তো এক ভয়ানক বিষয়ের অবতারণা করেছ।
Sahih International:
You have done an atrocious thing.



تَکَادُ السَّمٰوٰتُ یَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَ تَنْشَقُّ الْاَرْضُ وَ تَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا ﴿ۙ۹۰﴾
উচ্চারণ:
তাকা-দুছছামা-ওয়া-তুইয়াতাফাততারনা মিনহু ওয়া তানশাক্কুলআরদুওয়া তাখিররুল জিবা-লুহাদ্দা-।
আল বায়ান:
এতে আসমানসমূহ ফেটে পড়ার, যমীন বিদীর্ণ হওয়ার এবং পাহাড়সমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে আকাশ বিদীর্ণ হওয়ার, পৃথিবী খন্ড খন্ড হওয়ার আর পর্বতমালা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে পতিত হওয়ার, উপক্রম হয়েছে।
Sahih International:
The heavens almost rupture therefrom and the earth splits open and the mountains collapse in devastation



اَنْ دَعَوْا لِلرَّحْمٰنِ وَلَدًا ﴿ۚ۹۱﴾
উচ্চারণ:
আন দা‘আও লিররাহমা-নি ওয়ালাদা-।
আল বায়ান:
কারণ তারা পরম করুণাময়ের সন্তান আছে বলে দাবী করে।
তাইসিরুল কুরআন:
কারণ তারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে।
Sahih International:
That they attribute to the Most Merciful a son.



وَ مَا یَنْۢبَغِیْ لِلرَّحْمٰنِ اَنْ یَّتَّخِذَ وَلَدًا ﴿ؕ۹۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়ামবাগী লির রাহমা-নি আইঁ ইয়াত্তাখিযা ওয়ালাদা-।
আল বায়ান:
অথচ সন্তান গ্রহণ করা পরম করুণাময়ের জন্য শোভনীয় নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
অথচ দয়াময়ের মহান মর্যাদার জন্য এটা শোভনীয় নয় যে, তিনি সন্তান গ্রহণ করবেন।
Sahih International:
And it is not appropriate for the Most Merciful that He should take a son.



اِنْ کُلُّ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ اِلَّاۤ اٰتِی الرَّحْمٰنِ عَبْدًا ﴿ؕ۹۳﴾
উচ্চারণ:
ইন কুল্লুমান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিইল্লাআ-তির রাহমা-নি ‘আবদা-।
আল বায়ান:
আসমান ও যমীনে এমন কেউ নেই, যে বান্দা হিসেবে পরম করুণাময়ের কাছে হাযির হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ আর যমীনে এমন কেউ নেই যে, দয়াময়ের নিকট বান্দাহ হয়ে হাযির হবে না।
Sahih International:
There is no one in the heavens and earth but that he comes to the Most Merciful as a servant.



لَقَدْ اَحْصٰهُمْ وَ عَدَّهُمْ عَدًّا ﴿ؕ۹۴﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ আহসা-হুম ওয়া ‘আদ্দাহুম ‘আদ্দা-।
আল বায়ান:
তিনি তাদের সংখ্যা জানেন এবং তাদেরকে যথাযথভাবে গণনা করে রেখেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন আর তাদেরকে বিশেষভাবে গুণে গুণে রেখেছেন।
Sahih International:
He has enumerated them and counted them a [full] counting.



وَ کُلُّهُمْ اٰتِیْهِ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ فَرْدًا ﴿۹۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল্লুহুম আ-তীহি ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ফারদা-।
আল বায়ান:
আর কিয়ামতের দিন তাদের সকলেই তাঁর কাছে আসবে একাকী।
তাইসিরুল কুরআন:
কিয়ামাতের দিন তাদের সবাই তাঁর কাছে আসবে একাকী অবস্থায়।
Sahih International:
And all of them are coming to Him on the Day of Resurrection alone.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَیَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمٰنُ وُدًّا ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ছাইয়াজ‘আলুলাহুমুর রাহমা-নুউদ্দা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে পরম করুণাময় অবশ্যই তাদের জন্য (বান্দাদের হৃদয়ে) ভালবাসা সৃষ্টি করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে, দয়াময় তাদের প্রতি ভালবাসা দান করবেন।
Sahih International:
Indeed, those who have believed and done righteous deeds - the Most Merciful will appoint for them affection.



فَاِنَّمَا یَسَّرْنٰهُ بِلِسَانِکَ لِتُبَشِّرَ بِهِ الْمُتَّقِیْنَ وَ تُنْذِرَ بِهٖ قَوْمًا لُّدًّا ﴿۹۷﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নামা-ইয়াছছারনা-হুবিলিছা-নিকা লিতুবাশশিরা বিহিল মুত্তাকীনা ওয়া তুনযিরা বিহী কাওমাল লুদ্দা-।
আল বায়ান:
আর আমি তো তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তুমি এর দ্বারা মুত্তাকীদেরকে সুসংবাদ দিতে পার এবং কলহপ্রিয় কওমকে তদ্বারা সতর্ক করতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করেছি যাতে তুমি তার সাহায্যে মুত্তাকীদেরকে সুসংবাদ দিতে পার আর ঝগড়াটে লোকেদেরকে সতর্ক করতে পার।
Sahih International:
So, [O Muhammad], We have only made Qur'an easy in the Arabic language that you may give good tidings thereby to the righteous and warn thereby a hostile people.



وَ کَمْ اَهْلَکْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ ؕ هَلْ تُحِسُّ مِنْهُمْ مِّنْ اَحَدٍ اَوْ تَسْمَعُ لَهُمْ رِکْزًا ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিন কারনিন হাল তুহিছছুমিনহুম মিন আহাদিন আও তাছমা‘ঊ লাহুম রিকযা-।
আল বায়ান:
আর তাদের পূর্বে কত প্রজন্মকে আমি ধ্বংস করেছি! তুমি কি তাদের কাউকে দেখতে পাও, কিংবা শুনতে পাও তাদের কোন ক্ষীণ আওয়াজ?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্বে আমি কত মানব বংশকে ধ্বংস করে দিয়েছি, তুমি তাদের একজনকেও কি (এখন) দেখতে পাও অথবা তাদের ক্ষীণতম আওয়াজও কি শুনতে পাও?
Sahih International:
And how many have We destroyed before them of generations? Do you perceive of them anyone or hear from them a sound?






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।