সূরা মারইয়াম (আয়াত: 98)
হরকত ছাড়া:
وكم أهلكنا قبلهم من قرن هل تحس منهم من أحد أو تسمع لهم ركزا ﴿٩٨﴾
হরকত সহ:
وَ کَمْ اَهْلَکْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ ؕ هَلْ تُحِسُّ مِنْهُمْ مِّنْ اَحَدٍ اَوْ تَسْمَعُ لَهُمْ رِکْزًا ﴿۹۸﴾
উচ্চারণ: ওয়া কাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিন কারনিন হাল তুহিছছুমিনহুম মিন আহাদিন আও তাছমা‘ঊ লাহুম রিকযা-।
আল বায়ান: আর তাদের পূর্বে কত প্রজন্মকে আমি ধ্বংস করেছি! তুমি কি তাদের কাউকে দেখতে পাও, কিংবা শুনতে পাও তাদের কোন ক্ষীণ আওয়াজ?
আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ৯৮. আর তাদের আগে আমরা বহু প্ৰজন্মকে বিনাশ করেছি! আপনি কি তাদের কারো অস্তিত্ব অনুভব করেন অথবা ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পান?(১)
তাইসীরুল ক্বুরআন: তাদের পূর্বে আমি কত মানব বংশকে ধ্বংস করে দিয়েছি, তুমি তাদের একজনকেও কি (এখন) দেখতে পাও অথবা তাদের ক্ষীণতম আওয়াজও কি শুনতে পাও?
আহসানুল বায়ান: (৯৮) তাদের পূর্বে আমি কত জাতিকে বিনাশ করেছি! তুমি কি তাদের কারো কিছু অনুভব কর অথবা তাদের ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাও? [1]
মুজিবুর রহমান: তাদের পূর্বে আমি কত মানব গোষ্ঠীকে বিনাশ করেছি! তুমি কি তাদের কেহকেও দেখতে পাও অথবা ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাও?
ফযলুর রহমান: তাদের পূর্বে আমি কত প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছি! তুমি কি তাদের কাউকে টের পাও কিংবা তাদের কোন ক্ষীণ আওয়াজ শুনতে পাও?
মুহিউদ্দিন খান: তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি। আপনি কি তাদের কাহারও সাড়া পান, অথবা তাদের ক্ষীনতম আওয়ায ও শুনতে পান?
জহুরুল হক: আর তাদের আগে আমরা কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি! তুমি কি তাদের মধ্যের একজনকেও দেখতে পাও অথবা তাদের থেকে গুনগুনানি শুনতে পাও?
Sahih International: And how many have We destroyed before them of generations? Do you perceive of them anyone or hear from them a sound?
তাফসীরে যাকারিয়া
অনুবাদ: ৯৮. আর তাদের আগে আমরা বহু প্ৰজন্মকে বিনাশ করেছি! আপনি কি তাদের কারো অস্তিত্ব অনুভব করেন অথবা ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পান?(১)
তাফসীর:
(১) বোধগম্য নয়- এমন ক্ষীণতম শব্দকে ركز বলা হয়। [ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর] আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, যে সমস্ত জাতিকে ধ্বংস করেছি, যেমন নূহ, আদ, সামুদ, ফিরআউন ইত্যাদি রাজ্যাধিপতি, জাঁকজমকের অধিকারী ও শক্তিধরদেরকে যখন আল্লাহ তা'আলার আযাব পাকড়াও করে ধ্বংস করে দেয়। তখন তাদের কোন ক্ষীণতম শব্দ এবং আচরণ আলোড়ন শোনা যায় না। তাদের সবাইকে এমনভাবে ধ্বংস করা হয় যে, কাউকেই ছেড়ে দেয়া হয় না। বরং তাদের ধ্বংস পরবর্তদের জন্য শিক্ষণীয় হয়েই আছে। [সা’দী]
তাফসীরে আহসানুল বায়ান
অনুবাদ: (৯৮) তাদের পূর্বে আমি কত জাতিকে বিনাশ করেছি! তুমি কি তাদের কারো কিছু অনুভব কর অথবা তাদের ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাও? [1]
তাফসীর:
[1] تُحسّ এর অর্থ ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করা, অর্থাৎ তুমি কি তাদেরকে চোখ দিয়ে দেখতে পাও, হাত দিয়ে ছুঁতে পার? প্রশ্ন অস্বীকৃতির জন্য; অর্থাৎ পৃথিবীতে ওদের অস্তিতত্ত্বই নেই যাকে দেখে ও ছুঁয়ে অনুভব করা যায় অথবা তাদের ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাওয়া যায়। رِكز এর অর্থঃ ক্ষীণতম শব্দ।
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ
তাফসীর: ৯৬-৯৮ নং আয়াতের তাফসীর:
ঈমানদার সৎ আমলকারী বান্দাদের মাঝে আল্লাহ ভালবাসা ও সম্প্রীতি সৃষ্টি করে দেন। তাই পৃথিবীর যে প্রান্তে একজন মু’মিন থাকুক না কেন, দেখা হলে সালাম মুসাফাহ ভাল-মন্দ জিজ্ঞাসা ইত্যাদি করে থাকে। বিপদে পড়লে সহযোগিতা করে থাকে। এসব কিছুর মূলে একটিই জিনিস সেটা হল ঈমান। হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ভালবাসা ও দয়াদ্রতায় মু’মিনদের উপমা হল একটি দেহের ন্যায়, দেহের কোন স্থানে ক্ষত হলে সারা শরীর জ্বর ও নিদ্রাহীনতায় আক্রান্ত হয়। (সহীহ মুসলিম হা: ২৫৮৬)
অন্য একটি হাদীসে এসেছে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন তখন জিবরীল (عليه السلام)-কে ডেকে বলেন: আমি অমুক বান্দাকে ভালবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালবাস। তখন জিবরীল (عليه السلام) তাকে ভালবাসেন। অতঃপর জিবরীল (عليه السلام) আকাশে ঘোষণা দিয়ে বলেন: আল্লাহ তা‘আলা অমুক বান্দাকে ভালবাসেন সুতরাং তোমরাও তাকে ভালবাস। তখন সমস্ত আকাশবাসী তাকে ভালবাসে। তারপর দুনিয়াবাসীর অন্তরে তার কবুলিয়াত রেখে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৬৬৪০)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি কুরআনকে তোমার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি যেন মুত্তাকীদেরকে সুসংবাদ দিতে পারো আর যারা মন্দ তাদেরকে সতর্ক করতে পারো।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَإِنَّمَا يَسَّرْنٰهُ بِلِسَانِكَ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُوْنَ)
“আমি তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।” (সূরা দুখান ৪৪:৫৮)
لُّدًّا শব্দটি الد শব্দের বহুবচন। অর্থ ঝগড়াটে, বিতর্ক-প্রিয়। এর দ্বারা কাফির মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে।
تُحِسُّ অর্থ ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করা। অর্থাৎ তুমি কি তাদেরকে চোখ দিয়ে দেখতে পাও, হাত দিয়ে ছুঁতে পাও? না, কিছুই পাও না। পৃথিবীতে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই। অথবা তাদের ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাও না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَهَلْ تَرٰي لَهُمْ مِّنْمبَاقِيَةٍ)
“তুমি কি তাদের কাউকেও অবশিষ্ট দেখতে পাও?” (সূরা হাক্কাহ ৬৯:৮) رِكْزًا শব্দের অর্থ ক্ষীণতম শব্দ।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার মহব্বত নামে একটি সিফাত রয়েছে।
২. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ভালবাসেন তাকে সমগ্র দুনিয়াবাসী ও আকাশবাসী ভালবাসে।
৩. মু’মিনরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন তারা সকলেই একটি দেহের মত।
সূরা মারইয়াম-এর তাফসীর সমাপ্ত
তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)
তাফসীর: ৯৬-৯৮ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তাআলা খবর দিচ্ছেন যে, যারা একত্ববাদে বিশ্বাসী এবং যাদের আমলে সুন্নাতের নুর রয়েছে, তিনি তাঁর বান্দাদের অন্তরে তাদের মুহব্বত সৃষ্টি করে দেন। যেমন হাদীস শরীফে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে মুহব্বত করেন তখন হযরত জিবরাঈলকে (আঃ) ডেকে বলেনঃ “আমি অমুক বান্দাকে মুহব্বত করি, সুতরাং তুমিও তাকে মুহব্বত কর। তখন জিবরাঈলও (আঃ) তাকে মুহববত করেন। তারপর জিবরাঈল (আঃ) আকাশে ঘোষণা দিয়ে বলেনঃ “আল্লাহ অমুক বান্দাকে মুহব্বত করেন, সুতরাং তোমরাও তাকে মুহব্বত কর।” তখন সমস্ত আকাশবাসী তাকে মুহব্বত করে। তারপর দুনিয়াবাসীর অন্তরে তার কবুলিয়ত রেখে দেয়া হয়। আর যখন কোন বান্দাকে দুশমন হিসেবে জানেন তখন জিবরাঈলকে ডেকে বলেনঃ “আমি অমুক বান্দাকে ঘৃণা করেছি, সুতরাং তুমিও তাকে ঘৃণা কর।” তখন জিবরাঈল (আঃ) তাকে শত্রু ভাবেন এবং আকাশবাসীর নিকট এই ঘোষণা করেন যে, আল্লাহ অমুক বান্দাকে দুশমন ভেবেছেন, সুতরাং তোমরাও তাকে দুশমন মনে কর।” তখন সবাই তাকে দুশমন মনে করে। তারপর পৃথিবীতে তার শত্রুতাভাব মানুষের অন্তরে সৃষ্টি করে দেয়া হয়।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ), ইমাম বুখারী (রঃ) এবং ইমাম মুসলিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “যে বান্দা মহামহিমান্বিত আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে এবং তার সন্তোষের কাজে নিমগ্ন থাকে, তখন মহামহিমান্বিত আল্লাহ হযরত জিবরাঈলকে (আঃ) ডেকে বলেনঃ “আমার অমুক বান্দা আমাকে সন্তুষ্ট করতে চায়। জেনে রেখো যে, আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট আছি। তার উপর আমি আমার রহমত নাযিল করতে শুরু করেছি।` তখন হযরত জিবরাঈল (আঃ) ঘোষণা করেনঃ “অমুকের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়েছে। তারপর আরশ বহনকারী ফেরেশতারাও ঘোষণা করেন। এরপর তাদের পার্শ্ববর্তী ফেরেশতাগণও ঘোষণা করে দেন। মোট কথা সপ্ত আকাশে এই শব্দ গুঞ্জরিত হয়। তারপর যমীনে তার কবুলিয়ত রেখে দেয়া হয়। (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। এটা গারীব বা দুর্বল হাদীস) এ ধরনের আর একটি গারীব হাদীস মুসনাদে আহমদেই রয়েছে, যাতে এও আছে যে, প্রেম ও প্রসিদ্ধি কারো নিকৃষ্টতা ও উৎকৃষ্টতার সাথে এটা আকাশ থেকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়। মুসনাদে আবি হাতিমে এই প্রকারের হাদীসের পরে রাসূলুল্লাহর (সঃ) কুরআনকারীমের এই আয়াতটি পড়াও বর্ণিত আছে। সুতরাং এই আয়াতের ভাবার্থ এই হলো যে, ভাল আমলকারী ঈমানদারের সাথে আল্লাহ তাআলা মুহব্বত করে থাকেন এবং যমীনের উপরেও তার মুহব্বত ও কবলিয়ত অবতীর্ণ হতে থাকে। মু'মিন তাকে ভালবাসতে থাকে। তার ভাল আলোচনা হয় এবং তার মৃত্যুর পরেও তার উত্তম খ্যাতি অবশিষ্ট থেকে যায়।
হারাম ইবনু হিব্বান (রঃ) বলেন যে, যে বান্দা সত্য ও আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর দিকে ঝুঁকে পড়ে, আল্লাহ তাআলা মু'মিনদের অন্তরকে তার দিকে ঝুঁকিয়ে দেন এবং তারা তাকে ভালবাসতে শুরু করে দেয়।
হযরত উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) বলেন যে, বান্দা যে ভাল-মন্দ কাজ করে, আল্লাহ তাকে তারই ঐ চাদর দ্বারা ঢেকে দেন।
হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেনঃ একটি লোক ইচ্ছা করে যে, সে আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করবে যেন জনগণের মধ্যে তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর সে আল্লাহ তাআলার ইবাদত শুরু করে দেয়। দেখা যায় যে, সে মসজিদে সবারই আগে যায় এবং সবারই পরে বেরিয়ে আসে। এভাবে সাত মাস কেটে যায়। কিন্তু সে শুনতে পায় যে, লোকেরা তাকে ‘রিয়াকার' (লোক দেখানো ইবাদতকারী) বলছে। এই অবস্থা দেখে সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে যে, সে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই আমল করবে। অতঃপর সে আন্তরিকতার সাথে আমল শুরু করে দেয়। ফল এই দাড়ায় যে, অল্পদিনের মধ্যেই সমস্ত লোক বলতে শুরু করেঃ অমুক ব্যক্তির উপর আল্লাহ তাআলা রহম করুন! এইভাবে সে প্রকৃত দ্বীনদার ও আল্লাহ ভক্ত হয়ে যায়।
তাফসীরে ইবনু জারীরে রয়েছে যে, এই আয়াতটি হযরত আবদুর রহমান ইবনু আউফের (রাঃ) ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। (কিন্তু এই উক্তিটি সঠিক নয়। কেননা, এই পূর্ণ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এর কোন আয়াত মদীনায় অবতীর্ণ হওয়া প্রমাণিত নয়। আর ইমাম সাহেব (রঃ) যে হাদীসটি আনয়ন করেছেন, সনদের দিক দিয়ে সেটাও বিশুদ্ধ নয়। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী)
মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি এই কুরআনকে তোমার ভাষায় অর্থাৎ আরবী ভাষায় সহজ করে দিয়েছি। এই ভাষা বাকরীতি ও বাক্যালংকারের দিক দিয়ে সর্বোত্তম ভাষা। হে নবী (সঃ)! এই কুরআনকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করার কারণ এই যে যেন তুমি খোদাভীরু ও ঈমানদার লোকদেরকে আল্লাহর সুসংবাদ শুনিয়ে দিতে পার। আর যারা বিতণ্ডাপ্রবণ ও সত্য থেকে বিমুখ তাদেরকে আল্লাহর পাকড়াও ও তার শাস্তি থেকে সতর্ক করতে পার। যেমন কুরায়েশ কাফিরদেরকে।
মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তাদের পূর্বে আমি কত মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং নবীদেরকে অস্বীকার করেছিল। তুমি তাদের কাউকেও দেখতে পাওকি? অথবা ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাও কি? অর্থাৎ তাদের কেউই অবশিষ্ট নেই, সবাই ধ্বংস হয়ে গেছে। (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে হালকা ও ধীর শব্দ।
সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।