আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


صٓ وَ الْقُرْاٰنِ ذِی الذِّکْرِ ؕ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
সাদ ওয়াল কুরআ-নি যিযযিকরি।
আল বায়ান:
সোয়াদ; কসম উপদেশপূর্ণ কুরআনের।
তাইসিরুল কুরআন:
স্ব-দ, উপদেশপূর্ণ কুরআনের শপথ- (এটা সত্য)।
Sahih International:
Sad. By the Qur'an containing reminder...



بَلِ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا فِیْ عِزَّۃٍ وَّ شِقَاقٍ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
বালিল্লাযীনা কাফারূফী ‘ইযযাতিওঁ ওয়াশিকা-ক।
আল বায়ান:
বস্তুত কাফিররা আত্মম্ভরিতা ও বিরোধিতায় রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু কাফিররা আত্মম্ভরিতা আর বিরোধিতায় নিমজ্জিত।
Sahih International:
But those who disbelieve are in pride and dissension.



کَمْ اَهْلَکْنَا مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنْ قَرْنٍ فَنَادَوْا وَّ لَاتَ حِیْنَ مَنَاصٍ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
কাম আহলাকনা-মিন কাবলিহিম মিন কারনিন ফানা-দাওঁ ওয়ালা-তাহীনা মানা-স।
আল বায়ান:
তাদের পূর্বে আমি কত প্রজন্মকে ধ্বংস করেছি; তখন তারা আর্তচিৎকার করেছিল, কিন্তু তখন পলায়নের কোন সময় ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি, অবশেষে তারা (ক্ষমা লাভের জন্য) আর্তচিৎকার করেছিল, কিন্তু তখন পরিত্রাণ লাভের আর কোন অবকাশই ছিল না।
Sahih International:
How many a generation have We destroyed before them, and they [then] called out; but it was not a time for escape.



وَ عَجِبُوْۤا اَنْ جَآءَهُمْ مُّنْذِرٌ مِّنْهُمْ ۫ وَ قَالَ الْکٰفِرُوْنَ هٰذَا سٰحِرٌ کَذَّابٌ ۖ﴿ۚ۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আজিবূআন জাআহুম মুনযিরুম মিনহুম ওয়াকা-লাল কাফিরূনা হা-যা-ছাহিরূন কাযযা-ব।
আল বায়ান:
আর তারা বিস্মিত হল যে, তাদের কাছে তাদের মধ্য থেকেই একজন সতর্ককারী এসেছে এবং কাফিররা বলে, ‘এ তো যাদুকর, মিথ্যাবাদী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা (এ ব্যাপারে) বিস্ময়বোধ করল যে, তাদের কাছে তাদেরই মধ্য হতে একজন সতর্ককারী এসেছে। কাফিরগণ বলল- ’এটা একটা যাদুকর, মিথ্যুক।
Sahih International:
And they wonder that there has come to them a warner from among themselves. And the disbelievers say, "This is a magician and a liar.



اَجَعَلَ الْاٰلِهَۃَ اِلٰـهًا وَّاحِدًا ۚۖ اِنَّ هٰذَا لَشَیْءٌ عُجَابٌ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
আ জা‘আলাল আ-লিহাতা ইলা-হাও ওয়া-হিদান ইন্না হা-যা-লাশাইউন ‘উজা-ব।
আল বায়ান:
‘সে কি সকল উপাস্যকে এক ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? নিশ্চয় এ তো এক আশ্চর্য বিষয়’!
তাইসিরুল কুরআন:
সে কি সব ইলাহকে এক ইলাহ বানিয়ে ফেলেছে? এটা বড়ই আশ্চর্য ব্যাপার তো!’
Sahih International:
Has he made the gods [only] one God? Indeed, this is a curious thing."



وَ انْطَلَقَ الْمَلَاُ مِنْهُمْ اَنِ امْشُوْا وَ اصْبِرُوْا عَلٰۤی اٰلِهَتِکُمْ ۚۖ اِنَّ هٰذَا لَشَیْءٌ یُّرَادُ ۖ﴿ۚ۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ান তালাকাল মালাউ মিনহুম আনিমশূওয়াসবিরূ‘আলাআ-লিহাতিকুম ইন্না হা-যালাশাইয়ুইঁ ইউরা-দ।
আল বায়ান:
আর তাদের প্রধানরা চলে গেল একথা বলে যে, ‘যাও এবং তোমাদের উপাস্যগুলোর উপর অবিচল থাক। নিশ্চয় এ বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের প্রধানরা প্রস্থান করে এই ব’লে যে, ‘তোমরা চলে যাও আর অবিচলিত চিত্তে তোমাদের ইলাহ্দের পূজায় লেগে থাক। অবশ্যই এ ব্যাপারটির পিছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে।
Sahih International:
And the eminent among them went forth, [saying], "Continue, and be patient over [the defense of] your gods. Indeed, this is a thing intended.



مَا سَمِعْنَا بِهٰذَا فِی الْمِلَّۃِ الْاٰخِرَۃِ ۚۖ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا اخْتِلَاقٌ ۖ﴿ۚ۷﴾
উচ্চারণ:
মা-ছামি‘না-বিহা-যা-ফিল মিল্লাতিল আ-খিরাতি ইন হা-যাইল্লাখ তিলা-ক।
আল বায়ান:
আমরা তো সর্বশেষ ধর্মে এমন কথা শুনিনি*। এটা তো বানোয়াট কথা ছাড়া আর কিছু নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এমন কথা তো আমাদের নিকট অতীতের মিল্লাতগুলো থেকে শুনিনি। এটা শুধু একটা মন-গড়া কথা।
Sahih International:
We have not heard of this in the latest religion. This is not but a fabrication.



ءَ اُنْزِلَ عَلَیْهِ الذِّکْرُ مِنْۢ بَیْنِنَا ؕ بَلْ هُمْ فِیْ شَکٍّ مِّنْ ذِکْرِیْ ۚ بَلْ لَّمَّا یَذُوْقُوْا عَذَابِ ؕ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
আউনযিলা ‘আলাইহিযযিকরু মিম বাইনিনা- বালহুম ফী শাক্কিম মিন যিকরী বাল লাম্মা-ইয়াযূকূ‘আযা-ব।
আল বায়ান:
‘আমাদের মধ্য থেকে তার উপরই কি কুরআন নাযিল করা হল’? বরং তারা আমার কুরআনের ব্যাপারে সন্দেহে রয়েছে। বরং তারা এখনও আমার আযাব আস্বাদন করেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের মধ্যে তার কাছেই কি বাণী পাঠানো হয়েছে?’ আসলে তারা আমার বাণীতে সন্দিহান, (তার কারণ) তারা এখনও আমার শাস্তির স্বাদ পায়নি।
Sahih International:
Has the message been revealed to him out of [all of] us?" Rather, they are in doubt about My message. Rather, they have not yet tasted My punishment.



اَمْ عِنْدَهُمْ خَزَآئِنُ رَحْمَۃِ رَبِّکَ الْعَزِیْزِ الْوَهَّابِ ۚ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
আম ‘ইনদাহুম খাযাইনুরাহমাতি রাব্বিকাল ‘আযীযিল ওয়াহহা-ব।
আল বায়ান:
তাদের কাছে কি তোমার রবের রহমতের ভান্ডার রয়েছে যিনি মহাপরাক্রমশালী, অসীম দাতা।
তাইসিরুল কুরআন:
(রহমতের ভান্ডার আছে আমার কাছে, তাত্থেকে যাকে যতখানি ইচ্ছে আমি দেই) তাদের কাছে কি তোমার প্রতিপালকের রহমতের ভান্ডার আছে যিনি মহা প্রতাপশালী, অসীম দাতা?
Sahih International:
Or do they have the depositories of the mercy of your Lord, the Exalted in Might, the Bestower?



اَمْ لَهُمْ مُّلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا ۟ فَلْیَرْتَقُوْا فِی الْاَسْبَابِ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
আম লাহুম মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা- ফালইয়ারতাকূ ফিল আছবা-ব।
আল বায়ান:
অথবা আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যে যা আছে তার মালিকানা কি তাদের? তাহলে তারা আরোহণ করুক (আসমানে উঠার) কোন উপায় অবলম্বন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা আকাশ ও পৃথিবী- এ দু’ এর মাঝে যা আছে তার সর্বময় ক্ষমতা কি তাদের আছে? তাহলে তারা বিশ্ব পরিচালনার উচ্চস্থানে উঠে পড়ুক।
Sahih International:
Or is theirs the dominion of the heavens and the earth and what is between them? Then let them ascend through [any] ways of access.



جُنْدٌ مَّا هُنَالِکَ مَهْزُوْمٌ مِّنَ الْاَحْزَابِ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
জুনদুম মা-হুনা-লিকা মাহযূমুম মিনাল আহযা-ব।
আল বায়ান:
এ বাহিনী তো সেখানে* পরাজিত হবে (পূর্ববর্তী) দলসমূহের মত।
তাইসিরুল কুরআন:
(আরবের কাফিরদের) সম্মিলিত বাহিনীর এই দলটি এখানেই (অর্থাৎ এই মক্কা নগরীতেই একদিন) পরাজিত হবে।
Sahih International:
[They are but] soldiers [who will be] defeated there among the companies [of disbelievers].



کَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوْحٍ وَّ عَادٌ وَّ فِرْعَوْنُ ذُو الْاَوْتَادِ ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমুনূহিওঁ ওয়া ‘আ-দুওঁ ওয়া ফির‘আওনুযুল আওতা-দ।
আল বায়ান:
তাদের পূর্বেও অস্বীকার করেছিল নূহের কওম, আদ ও বহু অট্টালিকার অধিপতি ফির‘আউন,
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্বে নূহের জাতি, ‘আদ ও বহু সেনা শিবিরের অধিপতি ফেরাউনও রসূলদেরকে মিথ্যে বলে অস্বীকার করেছিল।
Sahih International:
The people of Noah denied before them, and [the tribe of] 'Aad and Pharaoh, the owner of stakes,



وَ ثَمُوْدُ وَ قَوْمُ لُوْطٍ وَّ اَصْحٰبُ لْـَٔیْکَۃِ ؕ اُولٰٓئِکَ الْاَحْزَابُ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছামূদুওয়া কাওমুলুতিওঁ ওয়া আসহা-বুল আইকাতি উলাইকাল আহযা-ব।
আল বায়ান:
সামূদ, কওমে লূত ও আইকার অধিবাসীরা। এরাই ছিল (নবীদের বিরুদ্ধাচরণকারী) দলসমূহ ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সামূদ, লূতের জাতি ও আইকাবাসী- এরা ছিল বিরাট বিরাট দল।
Sahih International:
And [the tribe of] Thamud and the people of Lot and the companions of the thicket. Those are the companies.



اِنْ کُلٌّ اِلَّا کَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَّ عِقَابِ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ইন কুল্লুন ইল্লা-কাযযাবার রুছুলা ফাহাক্কা ‘ইকা-ব।
আল বায়ান:
প্রত্যেকেই তো রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল। ফলে আমার আযাব অবধারিত হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
এদের কেউই এমন নয় যারা রসূলদেরকে অস্বীকার করেনি। ফলে (তাদের উপর) আমার শাস্তি হয়েছিল অবধারিত।
Sahih International:
Each of them denied the messengers, so My penalty was justified.



وَ مَا یَنْظُرُ هٰۤؤُلَآءِ اِلَّا صَیْحَۃً وَّاحِدَۃً مَّا لَهَا مِنْ فَوَاقٍ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়ানজুরু হাউলাই ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতাম মা-লাহা-মিন ফাওয়া-ক।
আল বায়ান:
আর এরা তো কেবল একটি বিকট আওয়াজের অপেক্ষা করছে যাতে কোন বিরাম থাকবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
(আজ) এই লোকেরা তো প্রচন্ড একটা বিস্ফোরণের অপেক্ষায় আছে, (তা যখন ঘটবে) তাতে কোন বিরাম থাকবে না।
Sahih International:
And these [disbelievers] await not but one blast [of the Horn]; for it there will be no delay.



وَ قَالُوْا رَبَّنَا عَجِّلْ لَّنَا قِطَّنَا قَبْلَ یَوْمِ الْحِسَابِ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূরাব্বানা-‘আজ্জিল্লানা-কিত্তানা-কাবলা ইয়াওমিল হিছা-ব।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, হে ‘আমাদের রব, হিসাব দিবসের আগেই আমাদের প্রাপ্য আমাদেরকে তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! হিসাবের দিনের আগেই আমাদের প্রাপ্য (শাস্তি) আমাদেরকে তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন।
Sahih International:
And they say, "Our Lord, hasten for us our share [of the punishment] before the Day of Account"



اِصْبِرْ عَلٰی مَا یَقُوْلُوْنَ وَ اذْکُرْ عَبْدَنَا دَاوٗدَ ذَا الْاَیْدِ ۚ اِنَّهٗۤ اَوَّابٌ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূলূনা ওয়াযকুর ‘আবদানা-দা-ঊদা যাল আইদি ইন্নাহূআওওয়া-ব।
আল বায়ান:
তারা যা বলে সে ব্যাপারে তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং আমার শক্তিশালী বান্দা দাঊদকে স্মরণ কর; সে ছিল অধিক আল্লাহ অভিমুখী।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর, আর আমার বান্দাহ দাঊদের কথা স্মরণ কর, সে ছিল শক্তি-সামর্থ্যের অধিকারী আর বড়ই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।
Sahih International:
Be patient over what they say and remember Our servant, David, the possessor of strength; indeed, he was one who repeatedly turned back [to Allah].



اِنَّا سَخَّرْنَا الْجِبَالَ مَعَهٗ یُسَبِّحْنَ بِالْعَشِیِّ وَ الْاِشْرَاقِ ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-ছাখখারনাল জিবা-লা মা‘আহূইউছাব্বিহনা বিল‘আশিইয়ি ওয়াল ইশরা-ক।
আল বায়ান:
আমি পর্বতমালাকে অনুগত করেছিলাম, তার সাথে এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় আমার তাসবীহ পাঠ করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি পর্বতমালাকে কাজে নিয়োজিত করেছিলাম, তারা তার সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত।
Sahih International:
Indeed, We subjected the mountains [to praise] with him, exalting [Allah] in the [late] afternoon and [after] sunrise.



وَ الطَّیْرَ مَحْشُوْرَۃً ؕ کُلٌّ لَّهٗۤ اَوَّابٌ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাইরা মাহশূরাতান কুল্লুল্লাহূআওওয়া-ব।
আল বায়ান:
আর সমবেত পাখীদেরকেও (অনুগত করেছিলাম); প্রত্যেকেই ছিল অধিক আল্লাহ অভিমুখী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পাখীরা সমবেত হত, সকলেই তার সঙ্গে আল্লাহ অভিমুখী হত (তাসবীহ করার মাধ্যমে)।
Sahih International:
And the birds were assembled, all with him repeating [praises].



وَ شَدَدْنَا مُلْکَهٗ وَ اٰتَیْنٰهُ الْحِکْمَۃَ وَ فَصْلَ الْخِطَابِ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া শাদাদ না-মুলকাহূওয়া আ-তাইনা-হুল হিকমাতা ওয়া ফাসলাল খিতা-ব।
আল বায়ান:
আর আমি তার রাজত্বকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাকে প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্মিতা দিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তার রাজত্বকে সুদৃঢ় করেছিলাম, আর তাকে দিয়েছিলাম জ্ঞান-বুদ্ধি-বিচক্ষণতা আর বিচারকার্য ও কথাবার্তায় উত্তম সিদ্ধান্ত দানের যোগ্যতা।
Sahih International:
And We strengthened his kingdom and gave him wisdom and discernment in speech.



وَ هَلْ اَتٰىکَ نَبَؤُا الْخَصْمِ ۘ اِذْ تَسَوَّرُوا الْمِحْرَابَ ﴿ۙ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হাল আতা-কা নাবাউল খাসম । ইযতাসাওওয়ারুল মিহরা-ব।
আল বায়ান:
তোমার কাছে কি বিবদমান লোকদের সংবাদ এসেছে? যখন তারা প্রাচীর ডিঙিয়ে মিহরাবে আসল।
তাইসিরুল কুরআন:
বিবদমান লোকেদের কথা তোমার কাছে পৌঁছেছে কি? যখন তারা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে ‘ইবাদাতখানায় আসলো,
Sahih International:
And has there come to you the news of the adversaries, when they climbed over the wall of [his] prayer chamber -



اِذْ دَخَلُوْا عَلٰی دَاوٗدَ فَفَزِعَ مِنْهُمْ قَالُوْا لَا تَخَفْ ۚ خَصْمٰنِ بَغٰی بَعْضُنَا عَلٰی بَعْضٍ فَاحْکُمْ بَیْنَنَا بِالْحَقِّ وَ لَا تُشْطِطْ وَ اهْدِنَاۤ اِلٰی سَوَآءِ الصِّرَاطِ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ইযদাখালূ‘আলা-দা-ঊদা ফাফাযি‘আ মিনহুম কা-লূলা-তাখাফ খাছমা-নি বাগাবা‘দুনা-‘আলা-বা‘দিন ফাহকুম বাইনানা-বিলহাক্কিওয়ালা-তুশতিত ওয়াহদিনাইলা-ছাওয়াইসসিরা-ত।
আল বায়ান:
যখন তারা দাঊদের কাছে প্রবেশ করল, তখন সে তাদের ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল ‘আপনি ভয় করবেন না, আমরা বিবদমান দু’পক্ষ। আমাদের একে অন্যের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে। অতএব আপনি আমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করুন, অবিচার করবেন না। আর আমাদেরকে সরল পথের নির্দেশনা দিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা দাঊদের কাছে প্রবেশ করল, তাদেরকে দেখে সে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ভয় করবেন না, আমরা বিবাদের দু’পক্ষ, আমাদের একে অপরের উপর যুলম করেছে, কাজেই আমাদের মাঝে ন্যায্য বিচার করে দিন, অবিচার করবেন না, আর আমাদেরকে সোজা পথের নির্দেশ দিন।
Sahih International:
When they entered upon David and he was alarmed by them? They said, "Fear not. [We are] two adversaries, one of whom has wronged the other, so judge between us with truth and do not exceed [it] and guide us to the sound path.



اِنَّ هٰذَاۤ اَخِیْ ۟ لَهٗ تِسْعٌ وَّ تِسْعُوْنَ نَعْجَۃً وَّ لِیَ نَعْجَۃٌ وَّاحِدَۃٌ ۟ فَقَالَ اَکْفِلْنِیْهَا وَ عَزَّنِیْ فِی الْخِطَابِ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যাআখী লাহূতিছউওঁ ওয়া তিছ‘ঊনা না‘জাতাওঁ ওয়ালিয়া না‘জাতুওঁ ওয়াহিদাতুন ফাকা-লা আকফিলনীহা-ওয়া ‘আযযানী ফিল খিতা-ব।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় এ আমার ভাই। তার নিরানব্বইটি ভেড়ী আছে, আর আমার আছে মাত্র একটা ভেড়ী। তবুও সে বলে, ‘এ ভেড়ীটিও আমার তত্ত্বাবধানে দিয়ে দাও’, আর তর্কে সে আমার উপর প্রাধান্য বিস্তার করেছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
এ হচ্ছে আমার ভাই, এর আছে নিরানব্বইটা দুম্বী, আর আমার আছে মাত্র একটা দুম্বী; তবুও সে বলে- এটি আমার তত্ত্বাবধানে দিয়ে দাও, আর সে যুক্তি-তর্কে আমাকে পরাস্ত করেছে।
Sahih International:
Indeed this, my brother, has ninety-nine ewes, and I have one ewe; so he said, 'Entrust her to me,' and he overpowered me in speech."



قَالَ لَقَدْ ظَلَمَکَ بِسُؤَالِ نَعْجَتِکَ اِلٰی نِعَاجِهٖ ؕ وَ اِنَّ کَثِیْرًا مِّنَ الْخُلَطَآءِ لَیَبْغِیْ بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ اِلَّا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ قَلِیْلٌ مَّا هُمْ ؕ وَ ظَنَّ دَاوٗدُ اَنَّمَا فَتَنّٰهُ فَاسْتَغْفَرَ رَبَّهٗ وَ خَرَّ رَاکِعًا وَّ اَنَابَ ﴿ٛ۲۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাকাদ জালামাকা বিছুআ-লি না‘জাতিকা ইলা-নি‘আ-জিহী ওয়া ইন্না কাছীরাম মিনাল খুলাতাই লাইয়াবগী বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিন ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া কালীলুম মা-হুম ওয়া জান্না দা-ঊদা আন্নামা-ফাতান্না-হু ফাছতাগফারা রাব্বাহূওয়া খাররা রা -কি‘আওঁ ওয়া আনা-ব (ছিজদাহ-১০)।
আল বায়ান:
দাঊদ বলল, ‘তোমার ভেড়ীকে তার ভেড়ীর পালের সাথে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি যুলম করেছে। আর শরীকদের অনেকেই একে অন্যের উপর সীমলঙ্ঘন করে থাকে। তবে কেবল তারাই এরূপ করে না যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে’। আর এরা সংখ্যায় খুবই কম। আর দাঊদ জানতে পারল যে, আমি তাকে পরীক্ষা করেছি। তারপর সে তার রবের কাছে ক্ষমা চাইল, সিজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং তাঁর অভিমুখী হল। [সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
দাঊদ বলল- তোমার (মাত্র) একটি দুম্বীকে তার দুম্বীর পালে যুক্ত করার দাবী করে (সে) তোমার প্রতি যুলম করেছে। শরীকদের অধিকাংশই সত্যিই পরস্পরের প্রতি বাড়াবাড়ি করে, কিন্তু যারা ঈমান আনে আর সৎ ‘আমাল করে তারা ব্যতীত, এদের সংখ্যা খুবই কম। দাঊদ বুঝতে পারল আমি তাকে পরীক্ষা করেছি। তখন সে তার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল, সাজদায় লুটিয়ে পড়ল ও তাঁর পানে ফিরে আসল।(সাজদাহ)
Sahih International:
[David] said, "He has certainly wronged you in demanding your ewe [in addition] to his ewes. And indeed, many associates oppress one another, except for those who believe and do righteous deeds - and few are they." And David became certain that We had tried him, and he asked forgiveness of his Lord and fell down bowing [in prostration] and turned in repentance [to Allah].



فَغَفَرْنَا لَهٗ ذٰلِکَ ؕ وَ اِنَّ لَهٗ عِنْدَنَا لَزُلْفٰی وَ حُسْنَ مَاٰبٍ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ফাগাফারনা-লাহূযা-লিকা ওয়া ইন্না লাহু ‘ইনদানা-লাযুলফা-ওয়া হুছনা মাআ-ব।
আল বায়ান:
তখন আমি তাকে তা ক্ষমা করে দিলাম। আর অবশ্যই আমার কাছে তার জন্য রয়েছে নৈকট্য ও উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি তার সে অপরাধ ক্ষমা করে দিলাম। তার জন্য আমার কাছে অবশ্যই আছে নৈকট্য আর উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।
Sahih International:
So We forgave him that; and indeed, for him is nearness to Us and a good place of return.



یٰدَاوٗدُ اِنَّا جَعَلْنٰکَ خَلِیْفَۃً فِی الْاَرْضِ فَاحْکُمْ بَیْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَ لَا تَتَّبِعِ الْهَوٰی فَیُضِلَّکَ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ یَضِلُّوْنَ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِیْدٌۢ بِمَا نَسُوْا یَوْمَ الْحِسَابِ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-দা-ঊদুইন্না-জা‘আলনা-কা খালীফাতান ফিল আরদিফাহকুম বাইনান্না-ছি বিলহাক্কি ওয়ালা-তাত্তাবি‘ইল হাওয়া-ফাইউদিল্লাকা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ইন্নাল্লাযীনা ইয়াদিল্লুনা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদুম বিমা-নাছূইয়াওমাল হিছা-ব।
আল বায়ান:
(হে দাঊদ), নিশ্চয় আমি তোমাকে যমীনে খলীফা বানিয়েছি, অতএব তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার কর আর প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয় তাদের জন্য কঠিন আযাব রয়েছে। কারণ তারা হিসাব দিবসকে ভুলে গিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে (আমার) প্রতিনিধি করেছি, কাজেই তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে শাসন-বিচার পরিচালনা কর, এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। কেননা, তা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে। যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্য আছে কঠিন ‘আযাব, কারণ তারা হিসাব-নিকাশের দিনকে ভুলে গেছে।
Sahih International:
[We said], "O David, indeed We have made you a successor upon the earth, so judge between the people in truth and do not follow [your own] desire, as it will lead you astray from the way of Allah." Indeed, those who go astray from the way of Allah will have a severe punishment for having forgotten the Day of Account.



وَ مَا خَلَقْنَا السَّمَآءَ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَا بَاطِلًا ؕ ذٰلِکَ ظَنُّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا ۚ فَوَیْلٌ لِّلَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنَ النَّارِ ﴿ؕ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-খালাকনাছ ছামাআ ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-বা-তিলান যা-লিকা জান্নুল্লাযীনা কাফারূ ফাওয়াইলুলিলল্লাযীনা কাফারূমিনান্না-র।
আল বায়ান:
আর আসমান, যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যে যা আছে তা আমি অনর্থক সৃষ্টি করিনি। এটা কাফিরদের ধারণা, সুতরাং কাফিরদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আকাশ, পৃথিবী ও এ দু’ এর মাঝে যা আছে তা অনর্থক সৃষ্টি করিনি। এ রকম ধারণা তো কাফিররা করে, কাজেই কাফিরদের জন্য আছে আগুনের দুর্ভোগ।
Sahih International:
And We did not create the heaven and the earth and that between them aimlessly. That is the assumption of those who disbelieve, so woe to those who disbelieve from the Fire.



اَمْ نَجْعَلُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ کَالْمُفْسِدِیْنَ فِی الْاَرْضِ ۫ اَمْ نَجْعَلُ الْمُتَّقِیْنَ کَالْفُجَّارِ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
আম নাজ‘আলুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি কালমুফছিদীনা ফিল আরদি আম নাজ‘আলুল মুত্তাকীনা কালফুজ্জা-র ।
আল বায়ান:
যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে আমি কি তাদেরকে যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সমতুল্য গণ্য করব? নাকি আমি মুত্তাকীদেরকে পাপাচারীদের সমতুল্য গণ্য করব?
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে তাদেরকে কি আমি ওদের মত করব যারা দুনিয়াতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে? আমি মুত্তাক্বীদের কি অপরাধীদের মত গণ্য করব?
Sahih International:
Or should we treat those who believe and do righteous deeds like corrupters in the land? Or should We treat those who fear Allah like the wicked?



کِتٰبٌ اَنْزَلْنٰهُ اِلَیْکَ مُبٰرَکٌ لِّیَدَّبَّرُوْۤا اٰیٰتِهٖ وَ لِیَتَذَکَّرَ اُولُوا الْاَلْبَابِ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
কিতা-বুন আনযালনা-হুইলাইকামুবা-রাকুল লিইয়াদ্দাব্বারূআ-য়া-তিহী ওয়া লিইয়াতাযাক্কারা উলুল আলবা-ব।
আল বায়ান:
আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি এক বরকতময় কিতাব, যাতে তারা এর আয়াতসমূহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বুদ্ধিমানগণ উপদেশ গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
এটি একটি কল্যাণময় কিতাব তোমার কাছে অবতীর্ণ করেছি যাতে তারা এর আয়াতগুলোর প্রতি চিন্তা-ভাবনা করে, আর জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।
Sahih International:
[This is] a blessed Book which We have revealed to you, [O Muhammad], that they might reflect upon its verses and that those of understanding would be reminded.



وَ وَهَبْنَا لِدَاوٗدَ سُلَیْمٰنَ ؕ نِعْمَ الْعَبْدُ ؕ اِنَّهٗۤ اَوَّابٌ ﴿ؕ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াহাবনা-লিদা-ঊদা ছুলাইমা-না নি‘মাল ‘আবদু; ইন্নাহূআওওয়া-ব।
আল বায়ান:
আর আমি দাঊদকে দান করলাম সুলাইমান। সে কতই না উত্তম বান্দা! নিঃসন্দেহে সে ছিল অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি দাঊদের জন্য দান করেছিলাম সুলাইমান। কতই না উত্তম বান্দাহ! বার বার (অনুশোচনাভরে) আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।
Sahih International:
And to David We gave Solomon. An excellent servant, indeed he was one repeatedly turning back [to Allah].



اِذْ عُرِضَ عَلَیْهِ بِالْعَشِیِّ الصّٰفِنٰتُ الْجِیَادُ ﴿ۙ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ইয‘উরিদা ‘আলাইহি বিল ‘আশিইয়িসসা-ফিনা-তুল জিয়া-দ।
আল বায়ান:
যখন তার সামনে সন্ধ্যাবেলায় পেশ করা হল দ্রুতগামী উৎকৃষ্ট ঘোড়াসমূহ।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তার সামনে সন্ধ্যাকালে উৎকৃষ্ট জাতের দ্রুতগামী অশ্ব উপস্থিত করা হল,
Sahih International:
[Mention] when there were exhibited before him in the afternoon the poised [standing] racehorses.



فَقَالَ اِنِّیْۤ اَحْبَبْتُ حُبَّ الْخَیْرِ عَنْ ذِکْرِ رَبِّیْ ۚ حَتّٰی تَوَارَتْ بِالْحِجَابِ ﴿ٝ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-লা ইন্নীআহবাবতুহুব্বাল খাইরি ‘আন যিকরি রাববী হাত্তা-তাওয়া-রাত বিলহিজা-ব।
আল বায়ান:
তখন সে বলল, ‘আমি তো আমার রবের স্মরণ থেকে বিমুখ হয়ে ঐশ্বর্যের প্রেমে মগ্ন হয়ে পড়েছি, এদিকে সূর্য পর্দার আড়ালে চলে গেছে।*
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সে বলল- আমি আমার প্রতিপালকের স্মরণ হতে ধন-সম্পদকে বেশি ভালবেসে ফেলেছি, এমনকি সূর্য (রাতের) পর্দায় লুকিয়ে গেছে।
Sahih International:
And he said, "Indeed, I gave preference to the love of good [things] over the remembrance of my Lord until the sun disappeared into the curtain [of darkness]."



رُدُّوْهَا عَلَیَّ ؕ فَطَفِقَ مَسْحًۢا بِالسُّوْقِ وَ الْاَعْنَاقِ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
রুদ্দূহা-‘আলাইইয়া ফাতাফিকা মাছহাম বিছছূকিওয়াল আ‘না-ক।
আল বায়ান:
এগুলো আমার কাছে ফিরিয়ে আন। অতঃপর সে এগুলোকে পা ও গলদেশ দিয়ে যবেহ করা শুরু করল।*
তাইসিরুল কুরআন:
(সে তার সন্ধ্যাকালীন ‘ইবাদাত সম্পন্ন করে (বলল) ওগুলোকে আমার কাছে আবার এনে হাজির কর। তখন সে তাদের পায়ে ও গলায় হাত বুলাতে লাগল।
Sahih International:
[He said], "Return them to me," and set about striking [their] legs and necks.



وَ لَقَدْ فَتَنَّا سُلَیْمٰنَ وَ اَلْقَیْنَا عَلٰی کُرْسِیِّهٖ جَسَدًا ثُمَّ اَنَابَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ ফাতান্না-ছুলাইমা-না ওয়া আলকাইনা-‘আলা-কুরছিইয়িহী জাছাদান ছু ম্মা আনা-ব।
আল বায়ান:
আর আমি তো সুলাইমানকে পরীক্ষা করেছিলাম এবং তার সিংহাসনের উপর রেখেছিলাম একটি দেহ*, অতঃপর সে আমার অভিমুখী হল।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সুলাইমানকে পরীক্ষা করলাম (তার রাজত্ব কেড়ে নিয়ে) আর তার সিংহাসনের উপর রাখলাম একটি দেহ (শয়তানকে, কাজেই সুলাইমান কিছু সময়ের জন্য তার রাজত্ব হারাল) অতঃপর সে (আনুগত্য নিয়ে অনুশোচনা করে আল্লাহর পানে) প্রত্যাবর্তন করল (আর আল্লাহর অনুগ্রহে ফিরে পেল তার রাজত্ব ও সিংহাসন)।
Sahih International:
And We certainly tried Solomon and placed on his throne a body; then he returned.



قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِیْ وَ هَبْ لِیْ مُلْکًا لَّا یَنْۢبَغِیْ لِاَحَدٍ مِّنْۢ بَعْدِیْ ۚ اِنَّکَ اَنْتَ الْوَهَّابُ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বিগ ফিরলী ওয়া হাবলী মুলকাল লা-ইয়ামবাগী লিআহাদিম মিম বা‘দী ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।
আল বায়ান:
সুলাইমান বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন যা আমার পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না। নিশ্চয়ই আপনি বড়ই দানশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আর আমাকে এমন রাজ্য দান কর যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভনীয় হবে না। তুমি হলে পরম দাতা।
Sahih International:
He said, "My Lord, forgive me and grant me a kingdom such as will not belong to anyone after me. Indeed, You are the Bestower."



فَسَخَّرْنَا لَهُ الرِّیْحَ تَجْرِیْ بِاَمْرِهٖ رُخَآءً حَیْثُ اَصَابَ ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফাছাখখারনা-লাহুররীহা তাজরী বিআমরিহী রুখাআন হাইছুআসা-ব।
আল বায়ান:
ফলে আমি বায়ুকে তার অনুগত করে দিলাম যা তার আদেশে মৃদুমন্দভাবে প্রবাহিত হত, যেখানে সে পৌঁছতে চাইত।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর বাতাসকে তার অধীন করে দিলাম, তার আদেশে তা মৃদুমন্দ গতিতে প্রবাহিত হত, যেখানে সে ইচ্ছে করত।
Sahih International:
So We subjected to him the wind blowing by his command, gently, wherever he directed,



وَ الشَّیٰطِیْنَ کُلَّ بَنَّآءٍ وَّ غَوَّاصٍ ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াশশায়া-তীনা কুল্লা বান্নাইওঁ ওয়া গাওওয়াছ।
আল বায়ান:
আর (অনুগত করে দিলাম) প্রত্যেক প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী শয়তান [জিন] সমূহকেও
তাইসিরুল কুরআন:
আর শয়ত্বানদেরকেও (তার বশীভূত করে দিলাম), সব ছিল নির্মাতা ও ডুবুরী।
Sahih International:
And [also] the devils [of jinn] - every builder and diver



وَّ اٰخَرِیْنَ مُقَرَّنِیْنَ فِی الْاَصْفَادِ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-খারীনা মুকাররানীনা ফিল আসফা-দ।
আল বায়ান:
আর শেকলে আবদ্ধ আরও অনেককে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর অন্যদেরকেও যারা ছিল শৃঙ্খলে আবদ্ধ।
Sahih International:
And others bound together in shackles.



هٰذَا عَطَآؤُنَا فَامْنُنْ اَوْ اَمْسِکْ بِغَیْرِ حِسَابٍ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-‘আতাউনা-ফামনুন আও আমছিক বিগাইরি হিছা-ব।
আল বায়ান:
এটি আমার অনুগ্রহ। অতএব তুমি এটি অন্যের জন্য খরচ কর অথবা নিজের জন্য রেখে দাও, এর কোন হিসাব দিতে হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
(আমি তাকে বললাম) এ সব আমারই দান। এত্থেকে তুমি যাকে ইচ্ছে দাও, কিংবা (না দিয়ে) নিজের কাছে রেখে দাও, তোমাকে কোন হিসেব দিতে হবে না।
Sahih International:
[We said], "This is Our gift, so grant or withhold without account."



وَ اِنَّ لَهٗ عِنْدَنَا لَزُلْفٰی وَ حُسْنَ مَاٰبٍ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না লাহূ‘ইনদানা-লাযুলফা-ওয়াহুছনা মাআ-ব।
আল বায়ান:
আর আমার নিকট রয়েছে তার জন্য নৈকট্য ও শুভ পরিণাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তার জন্য আমার কাছে অবশ্যই আছে নৈকট্য আর উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।
Sahih International:
And indeed, for him is nearness to Us and a good place of return.



وَ اذْکُرْ عَبْدَنَاۤ اَیُّوْبَ ۘ اِذْ نَادٰی رَبَّهٗۤ اَنِّیْ مَسَّنِیَ الشَّیْطٰنُ بِنُصْبٍ وَّ عَذَابٍ ﴿ؕ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর ‘আবদানাআইইঊব । ইযনা-দা-রাব্বাহূআন্নী মাছছানিয়াশ শায়তা-নু বিনুসবিওঁ ওয়া ‘আযা-ব।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর আমার বান্দা আইউবকে, যখন সে তার রবকে ডেকে বলেছিল, ‘শয়তান তো আমাকে কষ্ট ও আযাবের ছোঁয়া দিয়েছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর আমার বান্দা আইয়ূবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে ডেকে বলেছিল- শয়ত্বান আমাকে কষ্ট আর ‘আযাবে ফেলেছে (অর্থাৎ আমার ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়ে আমাকে আল্লাহর অকৃতজ্ঞ বান্দাহ বানানোর জন্য কুমন্ত্রণা দিয়ে চলেছে)।
Sahih International:
And remember Our servant Job, when he called to his Lord, "Indeed, Satan has touched me with hardship and torment."



اُرْکُضْ بِرِجْلِکَ ۚ هٰذَا مُغْتَسَلٌۢ بَارِدٌ وَّ شَرَابٌ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
উরকুদবিরিজলিকা হা-যা-মুগতাছালুম বা-রিদুওঁ ওয়া শারা-ব।
আল বায়ান:
[আমি বললাম], ‘তুমি তোমার পা দিয়ে (ভূমিতে) আঘাত কর, এ হচ্ছে গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
(আমি তাকে নির্দেশ দিলাম) তুমি তোমার পা দিয়ে যমীনে আঘাত কর, এই তো ঠান্ডা পানি, গোসলের জন্য আর পানের জন্য।
Sahih International:
[So he was told], "Strike [the ground] with your foot; this is a [spring for] a cool bath and drink."



وَ وَهَبْنَا لَهٗۤ اَهْلَهٗ وَ مِثْلَهُمْ مَّعَهُمْ رَحْمَۃً مِّنَّا وَ ذِکْرٰی لِاُولِی الْاَلْبَابِ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াহাবনা- লাহূআহলাহূওয়া মিছলাহুম মা‘আহুম রাহমাতাম মিন্না- ওয়াযিকরালিঊলিল আলবা-ব।
আল বায়ান:
আর আমার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ ও বুদ্ধিমানদের জন্য উপদেশস্বরূপ আমি তাকে দান করলাম তার পরিবার-পরিজন ও তাদের সাথে তাদের অনুরূপ অনেককে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে দান করলাম তার পরিবার-পরিজন আর তাদের সাথে তাদের মত আরো, আমার রহমত স্বরূপ আর জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য উপদেশ স্বরূপ।
Sahih International:
And We granted him his family and a like [number] with them as mercy from Us and a reminder for those of understanding.



وَ خُذْ بِیَدِکَ ضِغْثًا فَاضْرِبْ بِّهٖ وَ لَا تَحْنَثْ ؕ اِنَّا وَجَدْنٰهُ صَابِرًا ؕ نِعْمَ الْعَبْدُ ؕ اِنَّهٗۤ اَوَّابٌ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া খুযবিয়াদিকা দিগছান ফাদরিব্বিহী ওয়ালা-তাহনাছ ইন্না-ওয়াজাদনা-হু সাবিরান নি‘মাল ‘আবদু ইন্নাহূআওওয়া-ব।
আল বায়ান:
আর তুমি তোমার হাতে এক মুঠো তৃণলতা নাও এবং তা দিয়ে আঘাত কর। আর কসম ভংগ করো না। নিশ্চয় আমি তাকে ধৈর্যশীল পেয়েছি। সে কতই না উত্তম বান্দা! নিশ্চয়ই সে ছিল আমার অভিমুখী।
তাইসিরুল কুরআন:
(আমি তাকে বললাম) কিছু ঘাস লও আর তা দিয়ে আঘাত কর, (আর তোমার স্ত্রীকে একশত বেত্রাঘাত করার শপথ) ভঙ্গ করো না। আমি তাকে পেয়েছিলাম পূর্ণ ধৈর্যশীল, কতই না উত্তম বান্দাহ, প্রকৃতই (আল্লাহ) অভিমুখী।
Sahih International:
[We said], "And take in your hand a bunch [of grass] and strike with it and do not break your oath." Indeed, We found him patient, an excellent servant. Indeed, he was one repeatedly turning back [to Allah].



وَ اذْکُرْ عِبٰدَنَاۤ اِبْرٰهِیْمَ وَ اِسْحٰقَ وَ یَعْقُوْبَ اُولِی الْاَیْدِیْ وَ الْاَبْصَارِ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর ‘ইবা-দানাইবরা-হীমা ওয়া ইছহা-কাওয়াইয়া‘কূ বা ঊলিল আইদী ওয়াল আবসা-র।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর আমার বান্দা ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়া‘কূবকে। তারা ছিল শক্তিমান ও সূক্ষ্মদর্শী।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর আমার বান্দাহ ইবরাহীম, ইসহাক্ব ও ইয়া‘কূব-এর কথা- তারা ছিল শক্তি ও সূক্ষ্ণদর্শিতার অধিকারী।
Sahih International:
And remember Our servants, Abraham, Isaac and Jacob - those of strength and [religious] vision.



اِنَّاۤ اَخْلَصْنٰهُمْ بِخَالِصَۃٍ ذِکْرَی الدَّارِ ﴿ۚ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআখলাসনা-হুম বিখা-লিসাতিন যিকরাদ্দা-র।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাদেরকে বিশেষ করে পরকালের স্মরণের জন্য নির্বাচিত করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
বস্তুত আমি তাদেরকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছিলাম এক বিশেষ বৈশিষ্ট্যে- তা হল পরলোকের স্মরণ।
Sahih International:
Indeed, We chose them for an exclusive quality: remembrance of the home [of the Hereafter].



وَ اِنَّهُمْ عِنْدَنَا لَمِنَ الْمُصْطَفَیْنَ الْاَخْیَارِ ﴿ؕ۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহুম ‘ইনদানা-লামিনাল মুছতাফাইনাল আখইয়া-র।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তারা ছিল আমার মনোনীত, সর্বোত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার দৃষ্টিতে তারা ছিল আমার বাছাইকৃত উত্তম বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And indeed they are, to Us, among the chosen and outstanding.



وَ اذْکُرْ اِسْمٰعِیْلَ وَ الْیَسَعَ وَ ذَاالْکِفْلِ ؕ وَ کُلٌّ مِّنَ الْاَخْیَارِ ﴿ؕ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর ইছমা-‘ঈলা ওয়াল ইয়াছা‘আ ওয়াযাল কিফলি ওয়া কুল্লুম মিনাল আখইয়া-র।
আল বায়ান:
আরো স্মরণ কর ইসমাঈল, আল-ইয়াসা‘আ ও যুল-কিফলের কথা। এরা প্রত্যেকেই ছিল সর্বোত্তমদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর ইসমাঈল, ইয়াসা‘আ ও যুলকিফলের কথা- এরা সবাই ছিল উত্তমদের মধ্যে গণ্য।
Sahih International:
And remember Ishmael, Elisha and Dhul-Kifl, and all are among the outstanding.



هٰذَا ذِکْرٌ ؕ وَ اِنَّ لِلْمُتَّقِیْنَ لَحُسْنَ مَاٰبٍ ﴿ۙ۴۹﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-যিকরুওঁ ওয়া ইন্না লিলমুত্তাকীনা লাহুছনা মাআ-ব।
আল বায়ান:
এটি এক স্মরণ, আর মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রয়েছে উত্তম নিবাস-
তাইসিরুল কুরআন:
এ হচ্ছে স্মৃতিচারণ, মুত্তাক্বীদের জন্য অবশ্যই আছে উত্তম প্রত্যাবর্তন স্থল।
Sahih International:
This is a reminder. And indeed, for the righteous is a good place of return



جَنّٰتِ عَدْنٍ مُّفَتَّحَۃً لَّهُمُ الْاَبْوَابُ ﴿ۚ۵۰﴾
উচ্চারণ:
জান্না-তি ‘আদনিম মুফাত্তাহাল লাহুমুল আবওয়া-ব।
আল বায়ান:
চিরস্থায়ী জান্নাত, যার দরজাসমূহ থাকবে তাদের জন্য উন্মুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
চিরস্থায়ী জান্নাত, তাদের জন্য উন্মুক্ত দ্বার।
Sahih International:
Gardens of perpetual residence, whose doors will be opened to them.



مُتَّکِـِٕیْنَ فِیْهَا یَدْعُوْنَ فِیْهَا بِفَاکِهَۃٍ کَثِیْرَۃٍ وَّ شَرَابٍ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
মুত্তাকিঈনা ফীহা-ইয়াদ‘ঊনা ফীহা-বিফা-কিহাতিন কাছীরাতিওঁ ওয়া শারা-ব।
আল বায়ান:
সেখানে তারা হেলান দিয়ে আসীন থাকবে, সেখানে তারা বহু ফলমূল ও পানীয় চাইবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে, চাইবে প্রচুর ফলমূল আর পানীয়।
Sahih International:
Reclining within them, they will call therein for abundant fruit and drink.



وَ عِنْدَهُمْ قٰصِرٰتُ الطَّرْفِ اَتْرَابٌ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘ইনদাহুম কা-সিরা-তুত্তারফি আতরা-ব।
আল বায়ান:
আর তাদের নিকটে থাকবে আনতনয়না সমবয়সীরা।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের পাশে থাকবে সতীসাধ্বী সংযতনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ।
Sahih International:
And with them will be women limiting [their] glances and of equal age.



هٰذَا مَا تُوْعَدُوْنَ لِیَوْمِ الْحِسَابِ ﴿ؓ۵۳﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-মা-তূ‘আদূনা লিইয়াওমিল হিছা-ব।
আল বায়ান:
হিসাব দিবস সম্পর্কে তোমাদেরকে এ ওয়াদাই দেয়া হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
এসব হল যা তোমাদেরকে হিসাবের দিনে দেয়ার ওয়া‘দা দেয়া হচ্ছে।
Sahih International:
This is what you, [the righteous], are promised for the Day of Account.



اِنَّ هٰذَا لَرِزْقُنَا مَا لَهٗ مِنْ نَّفَادٍ ﴿ۚۖ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যা-লারিযকূনা-মা লাহূমিন নাফা-দ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এটি আমার দেয়া রিয্ক, যা নিঃশেষ হবার নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এ হল আমার দেয়া রিযক- যা কক্ষনো ফুরাবে না।
Sahih International:
Indeed, this is Our provision; for it there is no depletion.



هٰذَا ؕ وَ اِنَّ لِلطّٰغِیْنَ لَشَرَّ مَاٰبٍ ﴿ۙ۵۵﴾
উচ্চারণ:
হা-যা- ওয়া ইন্না লিত্তা-গীনা লাশাররা মাআ-ব।
আল বায়ান:
এমনই, আর নিশ্চয় সীমালংঘনকারীদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্টতম নিবাস।
তাইসিরুল কুরআন:
সত্য বটে, এ সব (মুত্তাক্বীদের জন্য); আর আল্লাহদ্রোহীদের জন্য অবশ্যই আছে নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল।
Sahih International:
This [is so]. But indeed, for the transgressors is an evil place of return -



جَهَنَّمَ ۚ یَصْلَوْنَهَا ۚ فَبِئْسَ الْمِهَادُ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
জাহান্নামা ইয়াসলাওনাহা- ফাবি’ছাল মিহা-দ।
আল বায়ান:
জাহান্নাম, তারা সেখানে অগ্নিদগ্ধ হবে। কতই না নিকৃষ্ট সে নিবাস!
তাইসিরুল কুরআন:
জাহান্নাম, সেখানে তারা জ্বলবে, কতই না নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল!
Sahih International:
Hell, which they will [enter to] burn, and wretched is the resting place.



هٰذَا ۙ فَلْیَذُوْقُوْهُ حَمِیْمٌ وَّ غَسَّاقٌ ﴿ۙ۵۷﴾
উচ্চারণ:
হা-যা- ফাল ইয়াযূকূহু হামীমুওঁগাছছা-ক।
আল বায়ান:
এমনই, সুতরাং তারা এটি আস্বাদন করুক, ফুটন্ত পানি ও পুঁজ।
তাইসিরুল কুরআন:
সত্য বটে, এসব (আল্লাহদ্রোহীদের জন্য), কাজেই সেখানে তারা পান করুক ফুটন্ত পানি ও রক্ত পুঁজ।
Sahih International:
This - so let them taste it - is scalding water and [foul] purulence.



وَّ اٰخَرُ مِنْ شَکْلِهٖۤ اَزْوَاجٌ ﴿ؕ۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-খারু মিন শাকলিহী আযওয়া-জ।
আল বায়ান:
আরও রয়েছে এ জাতীয় বহুরকম আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
এ ধরনের আরো অন্যান্য (শাস্তি) যা তাদের জন্য যথোপযুক্ত।
Sahih International:
And other [punishments] of its type [in various] kinds.



هٰذَا فَوْجٌ مُّقْتَحِمٌ مَّعَکُمْ ۚ لَا مَرْحَبًۢا بِهِمْ ؕ اِنَّهُمْ صَالُوا النَّارِ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-ফাওজুম মুকতাহিমুম মা‘আকুম লা-মারহাবাম বিহিম ইন্নাহুম সা-লুন্নার।
আল বায়ান:
এই তো এক দল তোমাদের সাথেই প্রবেশ করছে, তাদের জন্য নেই কোন অভিনন্দন। নিশ্চয় তারা আগুনে জ্বলবে।
তাইসিরুল কুরআন:
(নিজেদের একদল অনুসারীকে জাহান্নামের দিকে আসতে দেখে জাহান্নামীরা বলাবলি করবে) এই তো এক বাহিনী তোমাদের সঙ্গে এসে প্রবেশ করছে। তাদের জন্য নেই কোন সংবর্ধনা, তারা আগুনে জ্বলবে।
Sahih International:
[Its inhabitants will say], "This is a company bursting in with you. No welcome for them. Indeed, they will burn in the Fire."



قَالُوْا بَلْ اَنْتُمْ ۟ لَا مَرْحَبًۢا بِکُمْ ؕ اَنْتُمْ قَدَّمْتُمُوْهُ لَنَا ۚ فَبِئْسَ الْقَرَارُ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূবাল আনতুম লা-মার হাবম বিকুম আনতুম কাদ্দামতুমূহু লানা- ফাবি’ছাল কারা-র।
আল বায়ান:
অনুসারীরা বলবে, ‘বরং তোমরাও, তোমাদের জন্যও তো নেই কোন অভিনন্দন। তোমরাই আমাদের জন্য এ বিপদ এনেছ। অতএব কতই না নিকৃষ্ট এ আবাসস্থল’!
তাইসিরুল কুরআন:
অনুসারীরা বলবে- না, বরং তোমরাই (জ্বলে মর), তোমাদের জন্যও নেই কোন অভিনন্দন। আমাদের জন্য এ ব্যবস্থা আগে তোমরাই করে দিয়েছ। কতই না নিকৃষ্ট এই আবাসস্থল!
Sahih International:
They will say, "Nor you! No welcome for you. You, [our leaders], brought this upon us, and wretched is the settlement."



قَالُوْا رَبَّنَا مَنْ قَدَّمَ لَنَا هٰذَا فَزِدْهُ عَذَابًا ضِعْفًا فِی النَّارِ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূরাব্বানা-মান কাদ্দামা লানা-হা-যা-ফাযিদহু ‘আযা-বান দি‘ফান ফিন্না-র।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, যে আমাদের জন্য এ বিপদ এনেছে, জাহান্নামে তুমি তার আযাবকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দাও।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য যে এ ব্যবস্থা এনে দিয়েছে তাকে জাহান্নামে দ্বিগুণ শাস্তি দাও।
Sahih International:
They will say, "Our Lord, whoever brought this upon us - increase for him double punishment in the Fire."



وَ قَالُوْا مَا لَنَا لَا نَرٰی رِجَالًا کُنَّا نَعُدُّهُمْ مِّنَ الْاَشْرَارِ ﴿ؕ۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূমা-লানা-লা-নারা-রিজা-লান কুন্না-না‘উদ্দুহুম মিনাল আশরা-র।
আল বায়ান:
তারা আরো বলবে, ‘আমাদের কী হল যে, আমরা যাদের মন্দ গণ্য করতাম সে সকল লোককে এখানে দেখছি না।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে- ব্যাপার কী! আমরা যে লোকগুলোকে (দুনিয়ায়) খুব খারাপ বলে গণ্য করতাম তাদেরকে তো দেখছি না।
Sahih International:
And they will say, "Why do we not see men whom we used to count among the worst?



اَتَّخَذْنٰهُمْ سِخْرِیًّا اَمْ زَاغَتْ عَنْهُمُ الْاَبْصَارُ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
আত্তাখাযনা-হুম ছিখরিইয়ান আম যা-গাত ‘আনহুম আবসা-র।
আল বায়ান:
‘তবে কি আমরা তাদের ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্র মনে করতাম, নাকি তাদের ব্যাপারে [আমাদের] দৃষ্টি বিভ্রম ঘটেছে’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা কি তাদের সঙ্গে অযথাই ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতাম, না তাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভ্রম ঘটেছে? (অর্থাৎ তারা হয়ত জাহান্নামেই আছে কিন্তু আমাদের চোখ তাদেরকে দেখতে পাচ্ছে না)
Sahih International:
Is it [because] we took them in ridicule, or has [our] vision turned away from them?"



اِنَّ ذٰلِکَ لَحَقٌّ تَخَاصُمُ اَهْلِ النَّارِ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না যা-লিকা লাহাক্কুন তাখা-সুমুআহলিন্না-র।
আল বায়ান:
নিশ্চয়ই এটি সুনিশ্চিত সত্য- জাহান্নামীদের এই পারস্পরিক বাকবিতন্ডা।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা নিশ্চিত সত্য, জাহান্নামের বাসিন্দাদের এই বাগবিতন্ডা।
Sahih International:
Indeed, that is truth - the quarreling of the people of the Fire.



قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا مُنْذِرٌ ٭ۖ وَّ مَا مِنْ اِلٰهٍ اِلَّا اللّٰهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ ﴿ۚ۶۵﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নামাআনা-মুনযিরুওঁ ওয়া মা-মিন ইলা-হিন ইল্লাল্লা-হুল ওয়া-হিদুল কাহহার।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র। আল্লাহ ছাড়া আর কোন (সত্য) ইলাহ নেই। যিনি এক, প্রবল প্রতাপশালী।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমি তো কেবল একজন সতর্ককারী, সার্বভৌম অপ্রতিরোধ্য এক ও একক আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন ইলাহ নেই।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "I am only a warner, and there is not any deity except Allah, the One, the Prevailing.



رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا الْعَزِیْزُ الْغَفَّارُ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
রাব্বুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমাল ‘আযীযুল গাফফা-র।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীন এবং এতদোভয়ের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সব কিছুর রব তিনি। তিনি মহাপরাক্রমশালী, মহাক্ষমাশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি আকাশ ও পৃথিবী এবং এ দু’এর মাঝে যা আছে সব কিছুর প্রতিপালক- যিনি মহা পরাক্রমশালী, বড়ই ক্ষমাশীল।
Sahih International:
Lord of the heavens and the earth and whatever is between them, the Exalted in Might, the Perpetual Forgiver."



قُلْ هُوَ نَبَؤٌا عَظِیْمٌ ﴿ۙ۶۷﴾
উচ্চারণ:
কুল হুওয়া নাবাউন ‘আজীম।
আল বায়ান:
বল, ‘এটি এক মহাসংবাদ’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, এটা এক ভয়ানক সংবাদ।
Sahih International:
Say, "It is great news



اَنْتُمْ عَنْهُ مُعْرِضُوْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
আনতুম ‘আনহু মু‘রিদূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা তা থেকে বিমুখ হয়ে আছ।’
তাইসিরুল কুরআন:
যাত্থেকে তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ।
Sahih International:
From which you turn away.



مَا کَانَ لِیَ مِنْ عِلْمٍۭ بِالْمَلَاِ الْاَعْلٰۤی اِذْ یَخْتَصِمُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
মা-কা-না লিয়া মিন ‘ইলমিম বিল মালাইল আ‘লা ইযইয়াখতাসিমূন।
আল বায়ান:
‘ঊর্ধ্বলোক সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞানই ছিল না যখন তারা বাদানুবাদ* করছিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
(বল) আমি ঊর্ধ্ব জগতের কোন জ্ঞান রাখি না যখন তারা (অর্থাৎ ফেরেশতারা) বাদানুবাদ করছিল।
Sahih International:
I had no knowledge of the exalted assembly [of angels] when they were disputing [the creation of Adam].



اِنْ یُّوْحٰۤی اِلَیَّ اِلَّاۤ اَنَّمَاۤ اَنَا نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়ঁইঊহাইলাইয়া ইল্লাআন্নামাআনা নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আমার কাছে তো এ ওহীই আসে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে, আমি কেবল একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।
Sahih International:
It has not been revealed to me except that I am a clear warner."



اِذْ قَالَ رَبُّکَ لِلْمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیْ خَالِقٌۢ بَشَرًا مِّنْ طِیْنٍ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ইযকা-লা রাব্বুকা লিল মালাইকাতি ইন্নী খা-লিকুম বাশারাম মিন তীন।
আল বায়ান:
স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আমি মাটি হতে মানুষ সৃষ্টি করব।’
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বললেন- আমি কাদা থেকে মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি।
Sahih International:
[So mention] when your Lord said to the angels, "Indeed, I am going to create a human being from clay.



فَاِذَا سَوَّیْتُهٗ وَ نَفَخْتُ فِیْهِ مِنْ رُّوْحِیْ فَقَعُوْا لَهٗ سٰجِدِیْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-ছাওওয়াইতুহূওয়া নাফাখতুফীহি মিররূহী ফাকা‘ঊ লাহূছা-জিদীন।
আল বায়ান:
‘যখন আমি তাকে সুষম করব এবং তার মধ্যে আমার রূহ সঞ্চার করব, তখন তোমরা তার উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে যাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যখন তাকে সঠিকভাবে বানিয়ে ফেলব আর তার ভিতরে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার সামনে সাজদাহয় পড়ে যাবে।
Sahih International:
So when I have proportioned him and breathed into him of My [created] soul, then fall down to him in prostration."



فَسَجَدَ الْمَلٰٓئِکَۃُ کُلُّهُمْ اَجْمَعُوْنَ ﴿ۙ۷۳﴾
উচ্চারণ:
ফাছাজাদাল মালাইকাতুকুল্লুহুম আজমা‘ঊন।
আল বায়ান:
ফলে ফেরেশতাগণ সকলেই সিজদাবনত হল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন ফেরেশতারা সবাই সেজদা করল।
Sahih International:
So the angels prostrated - all of them entirely.



اِلَّاۤ اِبْلِیْسَ ؕ اِسْتَکْبَرَ وَ کَانَ مِنَ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাইবলীছ ইছতাকবারা ওয়া কা-না মিনাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
ইবলীস ছাড়া, সে অহঙ্কার করল এবং কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ল।
তাইসিরুল কুরআন:
ইবলীস ছাড়া। সে অহঙ্কার করল আর কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
Sahih International:
Except Iblees; he was arrogant and became among the disbelievers.



قَالَ یٰۤاِبْلِیْسُ مَا مَنَعَکَ اَنْ تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِیَدَیَّ ؕ اَسْتَکْبَرْتَ اَمْ کُنْتَ مِنَ الْعَالِیْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়াইবলীছুমা-মানা‘আকা আন তাছজু দা লিমা-খালাকতুবিয়াদাইইয়া আছতাকবারতা আম কুনতা মিনাল ‘আ-লীন।
আল বায়ান:
আল্লাহ বললেন, ‘হে ইবলীস, আমার দু’হাতে আমি যাকে সৃষ্টি করেছি তার প্রতি সিজদাবনত হতে কিসে তোমাকে বাধা দিল? তুমি কি অহঙ্কার করলে, না তুমি অধিকতর উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন?’
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বললেন- হে ইবলীস! আমি যাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করলাম তাকে সেজদা করতে কিসে তোমাকে নিষেধ করল? তুমি কি দম্ভ দেখালে, না তুমি খুব উচ্চ মানের অধিকারী হয়েছ?
Sahih International:
[Allah] said, "O Iblees, what prevented you from prostrating to that which I created with My hands? Were you arrogant [then], or were you [already] among the haughty?"



قَالَ اَنَا خَیْرٌ مِّنْهُ ؕ خَلَقْتَنِیْ مِنْ نَّارٍ وَّ خَلَقْتَهٗ مِنْ طِیْنٍ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আনা খাইরুম মিনহু খালাকতানী মিন না-রিওঁ ওয়া খালাকতাহূমিন তীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নি থেকে আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে।’
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- আমি তার চেয়ে উত্তম, আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে।
Sahih International:
He said, "I am better than him. You created me from fire and created him from clay."



قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَاِنَّکَ رَجِیْمٌ ﴿ۚۖ۷۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাখরুজ মিনহা-ফাইন্নাকা রাজীম।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও। কেননা নিশ্চয় তুমি বিতাড়িত।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন- তাহলে তুমি এখান থেকে বেরিয়ে যাও, তুমি হলে লাঞ্ছিত, বিতাড়িত।
Sahih International:
[Allah] said, "Then get out of Paradise, for indeed, you are expelled.



وَّ اِنَّ عَلَیْکَ لَعْنَتِیْۤ اِلٰی یَوْمِ الدِّیْنِ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না ‘আলাইকা লা‘নাতী ইলা- ইয়াওমিদ্দীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় বিচার দিবস পর্যন্ত তোমার প্রতি আমার লা‘নত বলবৎ থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
বিচার দিবস পর্যন্ত তোমার উপর থাকল আমার অভিশাপ।
Sahih International:
And indeed, upon you is My curse until the Day of Recompense."



قَالَ رَبِّ فَاَنْظِرْنِیْۤ اِلٰی یَوْمِ یُبْعَثُوْنَ ﴿۷۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি ফাআনজিরনীইলা-ইয়াওমি ইউব‘আছূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দিন যেদিন তারা পুনরুত্থিত হবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- হে আমার প্রতিপালক! তাহলে আমাকে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত সময় দিন।
Sahih International:
He said, "My Lord, then reprieve me until the Day they are resurrected."



قَالَ فَاِنَّکَ مِنَ الْمُنْظَرِیْنَ ﴿ۙ۸۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাইন্নাকা মিনাল মুনজারীন।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, আচ্ছা তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হলে-
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন- তোমাকে সময় দেয়া হল,
Sahih International:
[Allah] said, "So indeed, you are of those reprieved



اِلٰی یَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُوْمِ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
ইলা-ইয়াওমিল ওয়াকতিল মা‘লূম।
আল বায়ান:
‘নির্ধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।’
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন পর্যন্ত যার (আগমন) কাল সুনির্ধারিত।
Sahih International:
Until the Day of the time well-known."



قَالَ فَبِعِزَّتِکَ لَاُغْوِیَنَّهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿ۙ۸۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাবি ‘ইযযাতিকা লাউগবিয়ান্নাহুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আপনার ইজ্জতের কসম! আমি তাদের সকলকেই বিপথগামী করে ছাড়ব।’
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল- আপনার ক্ষমতার কসম! আমি ওদের সব্বাইকে অবশ্যই পথভ্রষ্ট করব।
Sahih International:
[Iblees] said, "By your might, I will surely mislead them all



اِلَّا عِبَادَکَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِیْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘ইবা-দাকা মিনহুমুল মুখলাসীন।
আল বায়ান:
তাদের মধ্য থেকে আপনার একনিষ্ঠ বান্দারা ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দাদের বাদে।
Sahih International:
Except, among them, Your chosen servants."



قَالَ فَالْحَقُّ ۫ وَ الْحَقَّ اَقُوْلُ ﴿ۚ۸۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফালহাক্কু ওয়াল হাক্কা আকূল।
আল বায়ান:
আল্লাহ বললেন, ‘এটি সত্য আর সত্য-ই আমি বলি’
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন- এটাই সত্য, আমি সত্যই বলি যে,
Sahih International:
[Allah] said, "The truth [is My oath], and the truth I say -



لَاَمْلَـَٔنَّ جَهَنَّمَ مِنْکَ وَ مِمَّنْ تَبِعَکَ مِنْهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
লাআমলাআন্না জাহান্নামা মিনকা ওয়া মিম্মান তাবি‘আকা মিনহুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
‘তোমাকে দিয়ে এবং তাদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করত তাদের দিয়ে নিশ্চয় আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব।’
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাকে আর তাদের (অর্থাৎ মানুষদের) মধ্যে যারা তোমাকে অনুসরণ করবে তাদের সব্বাইকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করব।
Sahih International:
[That] I will surely fill Hell with you and those of them that follow you all together."



قُلْ مَاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ مِنْ اَجْرٍ وَّ مَاۤ اَنَا مِنَ الْمُتَکَلِّفِیْنَ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
কুল মাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিওঁ ওয়ামাআনা মিনাল মুতাকালিলফীন।
আল বায়ান:
বল, ‘এর বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না আর আমি ভানকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমি এর (অর্থাৎ সত্য-সঠিক পথের দিকে ডাকার) জন্য তোমাদের কাছে পারিশ্রমিক চাই না, আর আমি কোন ধোঁকাবাজ নই।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "I do not ask you for the Qur'an any payment, and I am not of the pretentious



اِنْ هُوَ اِلَّا ذِکْرٌ لِّلْعٰلَمِیْنَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুলিলল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
সৃষ্টিকুলের জন্য এ তো উপদেশ ছাড়া আর কিছু নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা তো বিশ্বজগতের জন্য কেবল উপদেশ বাণী।
Sahih International:
It is but a reminder to the worlds.



وَ لَتَعْلَمُنَّ نَبَاَهٗ بَعْدَ حِیْنٍ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা তা‘লামুন্না নাবাআহূবা‘দা হীন।
আল বায়ান:
আর অল্পকাল পরে তুমি অবশ্যই এর সংবাদ জানবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিছুকাল পরেই এর সংবাদ তোমরা অবশ্য অবশ্যই জানতে পারবে।
Sahih International:
And you will surely know [the truth of] its information after a time."






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।