আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ وَ لَهُ الْحَمْدُ فِی الْاٰخِرَۃِ ؕ وَ هُوَ الْحَکِیْمُ الْخَبِیْرُ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী লাহূমা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়া লাহুল হামদুফিল আ-খিরাতি ওয়াহুওয়াল হাকীমুল খাবীর।
আল বায়ান:
সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমানসমূহে যা কিছু আছে ও যমীনে যা কিছু আছে তার মালিক। আর আখিরাতেও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর যিনি আকাশ ও পৃথিবীতে যা আছে সব কিছুর মালিক। আখিরাতেও প্রশংসা তাঁরই; তিনি মহা প্রজ্ঞাশীল, সকল বিষয়ে অবহিত।
Sahih International:
[All] praise is [due] to Allah, to whom belongs whatever is in the heavens and whatever is in the earth, and to Him belongs [all] praise in the Hereafter. And He is the Wise, the Acquainted.



یَعْلَمُ مَا یَلِجُ فِی الْاَرْضِ وَ مَا یَخْرُجُ مِنْهَا وَ مَا یَنْزِلُ مِنَ السَّمَآءِ وَ مَا یَعْرُجُ فِیْهَا ؕ وَ هُوَ الرَّحِیْمُ الْغَفُوْرُ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়া‘লামুমা-ইয়ালিজুফিল আরদিওয়ামা-ইয়াখরুজুমিনহা-ওয়ামা-ইয়ানযিলু মিনাছছামাই ওয়ামা-ইয়া‘রুজুফীহা- ওয়া হুওয়ার রাহীমুল গাফূর।
আল বায়ান:
তিনি জানেন যমীনে যা প্রবেশ করে এবং তা থেকে যা বের হয়; আর আসমান থেকে যা নাযিল হয় এবং তাতে যা উঠে* । আর তিনি পরম দয়ালু, অতিশয় ক্ষমাশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
ভূমিতে যা প্রবেশ করে আর তাত্থেকে যা বের হয়, আর আকাশ হতে যা অবতীর্ণ হয় আর তাতে যা উত্থিত হয় তা তিনি জানেন। তিনি পরম দয়ালু, পরম ক্ষমাশীল।
Sahih International:
He knows what penetrates into the earth and what emerges from it and what descends from the heaven and what ascends therein. And He is the Merciful, the Forgiving.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَا تَاْتِیْنَا السَّاعَۃُ ؕ قُلْ بَلٰی وَ رَبِّیْ لَتَاْتِیَنَّکُمْ ۙ عٰلِمِ الْغَیْبِ ۚ لَا یَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّۃٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَ لَا فِی الْاَرْضِ وَ لَاۤ اَصْغَرُ مِنْ ذٰلِکَ وَ لَاۤ اَکْبَرُ اِلَّا فِیْ کِتٰبٍ مُّبِیْنٍ ٭ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লা-তা’তীনাছছা-‘আতু কুলবালা-ওয়া রাববী লাতা’তিইয়ান্নাকুম ‘আ-লিমিল গাইবি লা-ইয়া‘যুবু‘আনহু মিছকা-লুযাররাতিন ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ালা-ফিল আরদিওয়ালাআসগারু মিন যা-লিকা ওয়ালাআকবারু ইল্লা-ফী কিতা-বিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর কাফিররা বলে, ‘কিয়ামত আমাদের কাছে আসবে না।’ বল, ‘অবশ্যই, আমার রবের কসম! যিনি গায়েব সম্পর্কে অবগত, তা তোমাদের কাছে আসবেই। আসমানসমূহ ও যমীনে অনু পরিমাণ কিংবা তদপেক্ষা ছোট অথবা বড় কিছুই তাঁর অগোচরে নেই, বরং সবই সুস্পষ্ট কিতাবে রয়েছে,
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরগণ বলে- ক্বিয়ামত আমাদের নিকট আসবে না। বল, না, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমাদের নিকট তা অবশ্য অবশ্যই আসবে। তিনি যাবতীয় অদৃশ্যের জ্ঞানী। তাঁর থেকে লুক্কায়িত নেই আকাশ ও পৃথিবীতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুকণা, না তার থেকে ছোট আর না তার থেকে বড় (কোনটাই নেই লুক্কায়িত)। সবই আছে (লাওহে মাহফুয নামক) এক সুস্পষ্ট কিতাবে।
Sahih International:
But those who disbelieve say, "The Hour will not come to us." Say, "Yes, by my Lord, it will surely come to you. [Allah is] the Knower of the unseen." Not absent from Him is an atom's weight within the heavens or within the earth or [what is] smaller than that or greater, except that it is in a clear register -



لِّیَجْزِیَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمْ مَّغْفِرَۃٌ وَّ رِزْقٌ کَرِیْمٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
লিইয়াজযিয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি উলাইকা লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়ারিযকুন কারীম।
আল বায়ান:
যাতে তিনি প্রতিদান দেন তাদেরকে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। তাদেরই জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তিনি প্রতিদান দিতে পারেন তাদেরকে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, এদেরই জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিযক।
Sahih International:
That He may reward those who believe and do righteous deeds. Those will have forgiveness and noble provision.



وَ الَّذِیْنَ سَعَوْ فِیْۤ اٰیٰتِنَا مُعٰجِزِیْنَ اُولٰٓئِکَ لَهُمْ عَذَابٌ مِّنْ رِّجْزٍ اَلِیْمٌ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ছা‘আও ফী আয়া-তিনা- মু‘আজিযীনা উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুম্মির রিজযিন আলীম।
আল বায়ান:
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করে দেয়ার চেষ্টা চালায়, তাদেরই জন্য রয়েছে কঠোর পীড়াদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আমার আয়াতকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালায় তাদেরই জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক ভয়াবহ শাস্তি।
Sahih International:
But those who strive against Our verses [seeking] to cause failure - for them will be a painful punishment of foul nature.



وَ یَرَی الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ الَّذِیْۤ اُنْزِلَ اِلَیْکَ مِنْ رَّبِّکَ هُوَ الْحَقَّ ۙ وَ یَهْدِیْۤ اِلٰی صِرَاطِ الْعَزِیْزِ الْحَمِیْدِ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়ারাল্লাযীনা ঊতুল ‘ইলমাল্লাযীউনযিলা ইলাইকা মির রাব্বিকা হুওয়াল হাক্কা ওয়া ইয়াহদীইলা-সিরা-তিল ‘আযীযিল হামীদ।
আল বায়ান:
আর যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা জানে যে, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তা সত্য এবং তা মহাপরাক্রমশালী ও প্রশংসিত আল্লাহর পথের দিকে হিদায়াত করে।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা তোমার কাছে তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাকে সত্য বলে জানে এবং (তারা আরো জানে যে) তা মহাপরাক্রমশালী ও প্রশংসিত (আল্লাহ)’র পথে পরিচালিত করে।
Sahih International:
And those who have been given knowledge see that what is revealed to you from your Lord is the truth, and it guides to the path of the Exalted in Might, the Praiseworthy.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا هَلْ نَدُلُّکُمْ عَلٰی رَجُلٍ یُّنَبِّئُکُمْ اِذَا مُزِّقْتُمْ کُلَّ مُمَزَّقٍ ۙ اِنَّکُمْ لَفِیْ خَلْقٍ جَدِیْدٍ ۚ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূহাল নাদুল্লুকুম ‘আলা-রাজুলিইঁ ইউনাব্বিউকুম ইযা-মুযযিকতুম কুল্লা মুমাযযাকিন ইন্নাকুম লাফী খালকিন জাদীদ।
আল বায়ান:
আর কাফিররা বলে, ‘আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে সংবাদ দেয় যে, তোমরা যখন পুরোপুরি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে তখন নিশ্চয় তোমরা নতুনভাবে সৃজিত হবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরগণ বলে- তোমাদেরকে কি আমরা এমন একজন লোকের সন্ধান দেব যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে, তোমরা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেলেও তোমাদেরকে নতুনভাবে সৃষ্টি করা হবে?
Sahih International:
But those who disbelieve say, "Shall we direct you to a man who will inform you [that] when you have disintegrated in complete disintegration, you will [then] be [recreated] in a new creation?



اَفْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا اَمْ بِهٖ جِنَّۃٌ ؕ بَلِ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ فِی الْعَذَابِ وَ الضَّلٰلِ الْبَعِیْدِ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
আফতারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান আম বিহী জিন্নাতুম বালিল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি ফিল ‘আযা-বি ওয়াদ্দালা-লিল বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
সে কি আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে, না কি তার পাগলামী রয়েছে? বরং যারা আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে না তারা আযাব ও সুদূর বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে বলে, না হয় সে পাগল। বস্তুতঃ যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তারাই শাস্তি এবং সুদূর গুমরাহীতে পড়ে আছে।
Sahih International:
Has he invented about Allah a lie or is there in him madness?" Rather, they who do not believe in the Hereafter will be in the punishment and [are in] extreme error.



اَفَلَمْ یَرَوْا اِلٰی مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ ؕ اِنْ نَّشَاْ نَخْسِفْ بِهِمُ الْاَرْضَ اَوْ نُسْقِطْ عَلَیْهِمْ کِسَفًا مِّنَ السَّمَآءِ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّکُلِّ عَبْدٍ مُّنِیْبٍ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
আফালাম ইয়ারাও ইলা-মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা- খালফাহুম মিনাছছামাই ওয়াল আরদি ইন নাশা’ নাখছিফ বিহিমূল আরদা আও নুছকিতআলাইহিম কিছাফাম মিনাছছামাই ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিকুল্লি ‘আবদিম মুনীব।
আল বায়ান:
তারা কি তাদের সামনে ও তাদের পেছনে আসমান ও যমীনে যা আছে তার প্রতি লক্ষ্য করে না? যদি আমি ইচ্ছা করি তাহলে তাদেরকে সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আসমান থেকে এক খন্ড (আযাব) তাদের উপর নিপতিত করব, অবশ্যই তাতে রয়েছে আল্লাহমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য নিদর্শন।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি আকাশ ও পৃথিবীতে তাদের সামনে ও পেছনে লক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছে করলে তাদেরকেসহ ভূমি ধ্বসিয়ে দেব অথবা আকাশের এক টুকরো তাদের উপর ফেলে দেব। প্রতিটি আল্লাহ অভিমুখী বান্দাহর জন্য এতে নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
Then, do they not look at what is before them and what is behind them of the heaven and earth? If We should will, We could cause the earth to swallow them or [could] let fall upon them fragments from the sky. Indeed in that is a sign for every servant turning back [to Allah].



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا دَاوٗدَ مِنَّا فَضْلًا ؕ یٰجِبَالُ اَوِّبِیْ مَعَهٗ وَ الطَّیْرَ ۚ وَ اَلَنَّا لَهُ الْحَدِیْدَ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা দা-ঊদা মিন্না-ফাদলাইঁ ইয়া-জিবা-লুআওব্বিী মা‘আহূ ওয়াত্তাইরা ওয়া আলান্না-লাহুল হাদীদ।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি আমার পক্ষ থেকে দাঊদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম। (আমি আদেশ করলাম) ‘হে পর্বতমালা, তোমরা তার সাথে আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর’ এবং পাখিদেরকেও (এ আদেশ দিয়েছিলাম)। আর আমি তার জন্য লোহাকেও নরম করে দিয়েছিলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আমার পক্ষ থেকে দাঊদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম। (আমি আদেশ করেছিলাম) হে পর্বতমালা! তোমরা দাঊদের সঙ্গে আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর আর পাখীদেরকেও (এ আদেশ করেছিলাম)। আমি লোহাকে তার জন্য নরম করেছিলাম।
Sahih International:
And We certainly gave David from Us bounty. [We said], "O mountains, repeat [Our] praises with him, and the birds [as well]." And We made pliable for him iron,



اَنِ اعْمَلْ سٰبِغٰتٍ وَّ قَدِّرْ فِی السَّرْدِ وَ اعْمَلُوْا صَالِحًا ؕ اِنِّیْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
আনি‘মাল ছা-বিগা-তিওঁ ওয়া কাদ্দির ফিছছারদি ওয়া‘মালূসা-লিহান ইন্নী বিমাতা‘মালূনা বাসীর।
আল বায়ান:
(এ নির্দেশ দিয়ে যে,) ‘তুমি পরিপূর্ণ বর্ম তৈরী কর এবং যথার্থ পরিমাণে প্রস্তুত কর’। আর তোমরা সৎকর্ম কর। তোমরা যা কিছু কর নিশ্চয় আমি তার সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তুমি পূর্ণ মাপের বর্ম তৈরি করতে পার, কড়াসমূহ সঠিকভাবে সংযুক্ত কর আর তোমরা সৎকর্ম কর। তোমরা যা কর আমি তার প্রত্যক্ষদর্শী।
Sahih International:
[Commanding him], "Make full coats of mail and calculate [precisely] the links, and work [all of you] righteousness. Indeed I, of what you do, am Seeing."



وَ لِسُلَیْمٰنَ الرِّیْحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَّ رَوَاحُهَا شَهْرٌ ۚ وَ اَسَلْنَا لَهٗ عَیْنَ الْقِطْرِ ؕ وَ مِنَ الْجِنِّ مَنْ یَّعْمَلُ بَیْنَ یَدَیْهِ بِاِذْنِ رَبِّهٖ ؕ وَ مَنْ یَّزِغْ مِنْهُمْ عَنْ اَمْرِنَا نُذِقْهُ مِنْ عَذَابِ السَّعِیْرِ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিছুলাইমা-নাররীহা গুদুওউহা-শাহরুওঁ ওয়ারাওয়া-হুহা-শাহরুওঁ ওয়া আছালনালাহু ‘আইনাল কিতরি ওয়ামিনাল জিন্নি মাইঁ ইয়া‘মালুবাইনা ইয়াদাইহি বিইযনি রাব্বিহী ওয়া মাইঁ ইয়াযিগ মিনহুম ‘আন আমরিনা-নুযিকহু মিন ‘আযা-বিছছা‘ঈর।
আল বায়ান:
আর সুলাইমানের জন্য আমি বাতাসকে অনুগত করে দিয়েছিলাম, যা সকালে এক মাসের পথ এবং সন্ধ্যায় এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য গলিত তামার প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছিলাম। আর কতিপয় জিন তার রবের অনুমতিক্রমে তার সামনে কাজ করত। তাদের মধ্যে যে আমার নির্দেশ থেকে বিচ্যুত হয় তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের আযাব আস্বাদন করাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সুলাইমানের জন্য (আমি তার অধীন করে দিয়েছিলাম) বাতাসকে। তার সকালের অতিক্রমণ ছিল এক মাসের পথ আর সন্ধ্যার অতিক্রমণ ছিল এক মাসের পথ। আমি তার জন্য গলিত তামার ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জ্বিন তার সম্মুখে কাজ করত তার পালনকর্তার অনুমতিক্রমে। তাদের যে কেউ আমার নির্দেশ অমান্য করে, তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব।
Sahih International:
And to Solomon [We subjected] the wind - its morning [journey was that of] a month - and its afternoon [journey was that of] a month, and We made flow for him a spring of [liquid] copper. And among the jinn were those who worked for him by the permission of his Lord. And whoever deviated among them from Our command - We will make him taste of the punishment of the Blaze.



یَعْمَلُوْنَ لَهٗ مَا یَشَآءُ مِنْ مَّحَارِیْبَ وَ تَمَاثِیْلَ وَ جِفَانٍ کَالْجَوَابِ وَ قُدُوْرٍ رّٰسِیٰتٍ ؕ اِعْمَلُوْۤا اٰلَ دَاوٗدَ شُکْرًا ؕ وَ قَلِیْلٌ مِّنْ عِبَادِیَ الشَّکُوْرُ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়া‘মালূনা লাহু মা-ইয়াশাউ মিম মাহা-রীবা ওয়া তামা-ছীলা ওয়া জিফা-নিন কাল জাওয়া-বি ওয়া কুদূ রির রা-ছিয়া-তিন ই‘মালূআ-লা দা-ঊদা শুকরাওঁ ওয়া কালীলুম মিন ‘ইবা-দিয়াশশাকূর।
আল বায়ান:
তারা তৈরী করত সুলাইমানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ, ভাস্কর্য, সুবিশাল হাউযের মত বড় পাত্র ও স্থির হাড়ি। ‘হে দাঊদ পরিবার, তোমরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আমল করে যাও এবং আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই কৃতজ্ঞ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা সুলাইমানের ইচ্ছে অনুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ, ভাস্কর্য, হাউযের ন্যায় বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশালাকায় ডেগ নির্মাণ করত। (আমি বলেছিলাম) হে দাঊদের সন্তানগণ! তোমরা কৃতজ্ঞচিত্তে কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের অল্পই কৃতজ্ঞ।
Sahih International:
They made for him what he willed of elevated chambers, statues, bowls like reservoirs, and stationary kettles. [We said], "Work, O family of David, in gratitude." And few of My servants are grateful.



فَلَمَّا قَضَیْنَا عَلَیْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلٰی مَوْتِهٖۤ اِلَّا دَآبَّۃُ الْاَرْضِ تَاْکُلُ مِنْسَاَتَهٗ ۚ فَلَمَّا خَرَّ تَبَیَّنَتِ الْجِنُّ اَنْ لَّوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ الْغَیْبَ مَا لَبِثُوْا فِی الْعَذَابِ الْمُهِیْنِ ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-কাদাইনা-‘আলাইহিল মাওতা মা-দাল্লাহুম ‘আলা-মাওতিহী-ইল্লা-দাব্বাতুল আরদিতা’কুলুমিন ছাআতাহু ফালাম্মা-খাররা তাবাইয়ানাতিল জিন্নুআল্লাও কা-নূ ইয়া‘লামূনাল গাইবা মা-লাবিছূফিল ‘আযা-বিল মুহীন।
আল বায়ান:
তারপর যখন আমি সুলাইমানের মৃত্যুর ফয়সালা করলাম তখন মাটির পোকা জিনদেরকে তার মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল, যা তার লাঠি খাচ্ছিল। অতঃপর যখন সে পড়ে গেল তখন জিনরা বুঝতে পারল যে, তারা যদি গায়েব জানত তাহলে তারা লাঞ্ছনাদায়ক আযাবে থাকত না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি যখন সুলাইমানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণে পোকাই জ্বিনদেরকে তার মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল, তারা (ধীরে ধীরে) সুলাইমানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। যখন সে পড়ে গেল তখন জ্বিনেরা বুঝতে পারল যে, তারা (নিজেরা) যদি অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকত তাহলে তাদেরকে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির মধ্যে পড়ে থাকতে হত না।
Sahih International:
And when We decreed for Solomon death, nothing indicated to the jinn his death except a creature of the earth eating his staff. But when he fell, it became clear to the jinn that if they had known the unseen, they would not have remained in humiliating punishment.



لَقَدْ کَانَ لِسَبَاٍ فِیْ مَسْکَنِهِمْ اٰیَۃٌ ۚ جَنَّتٰنِ عَنْ یَّمِیْنٍ وَّ شِمَالٍ ۬ؕ کُلُوْا مِنْ رِّزْقِ رَبِّکُمْ وَ اشْکُرُوْا لَهٗ ؕ بَلْدَۃٌ طَیِّبَۃٌ وَّ رَبٌّ غَفُوْرٌ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ কা-না লিছাবাইন ফী মাছকানিহিম আ-য়াতুন জান্নাতা-নি আইঁ ইয়ামীনিওঁ ওয়াশিমা-লিন কুলূমির রিযকিরাব্বিকুম ওয়াশকুরূলাহূ বালদাতুন তাইয়িবাতুওঁ ওয়া রাব্বুন গাফূর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় সাবা সম্প্রদায়ের জন্য তাদের বাসভূমিতে ছিল একটি নিদর্শন : দু’টি উদ্যান, একটি ডানে ও অপরটি বামে, (তাদেরকে বলা হয়েছিল) ‘তোমরা তোমাদের রবের রিয্ক থেকে খাও আর তাঁর শোকর কর। এটি উত্তম শহর এবং (তোমাদের রব) ক্ষমাশীল রব’।
তাইসিরুল কুরআন:
সাবার অধিবাসীদের জন্য তাদের বাসভূমিতে একটা নিদর্শন ছিল- দু’টো বাগান; একটা ডানে, একটা বামে। (তাদেরকে বলেছিলাম) তোমাদের প্রতিপালক প্রদত্ত রিযক ভোগ কর আর তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। সুখ-শান্তির শহর আর ক্ষমাশীল পালনকর্তা।
Sahih International:
There was for [the tribe of] Saba' in their dwelling place a sign: two [fields of] gardens on the right and on the left. [They were told], "Eat from the provisions of your Lord and be grateful to Him. A good land [have you], and a forgiving Lord."



فَاَعْرَضُوْا فَاَرْسَلْنَا عَلَیْهِمْ سَیْلَ الْعَرِمِ وَ بَدَّلْنٰهُمْ بِجَنَّتَیْهِمْ جَنَّتَیْنِ ذَوَاتَیْ اُکُلٍ خَمْطٍ وَّ اَثْلٍ وَّ شَیْءٍ مِّنْ سِدْرٍ قَلِیْلٍ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফাআ‘রাদূ ফাআরছালনা-‘আলাইহিম ছাইলাল ‘আরিমি ওয়া বাদ্দালনা-হুম বিজান্নাতাইহিম জান্নাতাইনি যাওয়া-তাই উকুলিন খামতিওঁ ওয়া আছলিওঁ ওয়া শাইয়িম মিন ছিদরিন কালীল।
আল বায়ান:
তারপরও তারা মুখ ফিরিয়ে নিল। ফলে আমি তাদের উপর বাঁধভাঙ্গা বন্যা প্রবাহিত করলাম। আর আমি তাদের উদ্যান দু’টিকে পরিবর্তন করে দিলাম এমন দু’টি উদ্যানে যাতে উৎপন্ন হয় তিক্ত ফলের গাছ, ঝাউগাছ এবং সামান্য কিছু কুল গাছ।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা (আল্লাহ হতে) মুখ ফিরিয়ে নিল। কাজেই আমি তাদের বিরুদ্ধে পাঠালাম বাঁধ-ভাঙ্গা বন্যা, আর আমি তাদের বাগান দু’টিকে পরিবর্তিত করে দিলাম এমন দু’টি বাগানে যাতে জন্মিত বিস্বাদ ফল, ঝাউগাছ আর কিছু কুল গাছ।
Sahih International:
But they turned away [refusing], so We sent upon them the flood of the dam, and We replaced their two [fields of] gardens with gardens of bitter fruit, tamarisks and something of sparse lote trees.



ذٰلِکَ جَزَیْنٰهُمْ بِمَا کَفَرُوْا ؕ وَ هَلْ نُجٰزِیْۤ اِلَّا الْکَفُوْرَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা জাযাইনা-হুম বিমা-কাফারূ ওয়া হাল নুজা-যীইল্লাল কাফূর।
আল বায়ান:
সে আযাব আমি তাদেরকে দিয়েছিলাম তাদের কুফরীর কারণে। আর আমি অকৃতজ্ঞ ছাড়া অন্য কাউকে এমন আযাব দেই না।
তাইসিরুল কুরআন:
অকৃতজ্ঞতাভরে তাদের সত্য প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমি তাদেরকে এ শাস্তি দিয়েছিলাম। আমি অকৃতজ্ঞদের ছাড়া এমন শাস্তি কাউকে দেই না।
Sahih International:
[By] that We repaid them because they disbelieved. And do We [thus] repay except the ungrateful?



وَ جَعَلْنَا بَیْنَهُمْ وَ بَیْنَ الْقُرَی الَّتِیْ بٰرَکْنَا فِیْهَا قُرًی ظَاهِرَۃً وَّ قَدَّرْنَا فِیْهَا السَّیْرَ ؕ سِیْرُوْا فِیْهَا لَیَالِیَ وَ اَیَّامًا اٰمِنِیْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনা-বাইনাহুম ওয়া বাইনাল কুরাল্লাতী বা-রাকনা-ফীহা-কুরান জা-হিরাতাওঁ ওয়াকাদ্দারনা-ফীহাছছাইরা ছীরূফীহা-লায়া-লিয়া ওয়া আইইয়া-মান আ-মিনীন।
আল বায়ান:
আর তাদের ও যে সব জনপদের মধ্যে আমি বরকত দিয়েছিলাম সেগুলোর মধ্যবর্তীস্থানে আমি অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং তাতে ভ্রমণ করার ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। (তাদেরকে বলা হয়েছিল) ‘তোমরা এসব জনপদে রাত-দিন (যখন ইচ্ছা) নিরাপদে ভ্রমণ কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের এবং যে সব জনপদের প্রতি আমি অনুগ্রহ বর্ষণ করেছিলাম সেগুলোর মাঝে অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করে দিয়েছিলাম এবং ওগুলোর মাঝে সমান সমান দূরত্বে সফর মনযিল করে দিয়েছিলাম। (আর তাদেরকে বলেছিলাম) তোমরা এ সব জনপদে রাতে আর দিনে নিরাপদে ভ্রমণ কর।
Sahih International:
And We placed between them and the cities which We had blessed [many] visible cities. And We determined between them the [distances of] journey, [saying], "Travel between them by night or day in safety."



فَقَالُوْا رَبَّنَا بٰعِدْ بَیْنَ اَسْفَارِنَا وَ ظَلَمُوْۤا اَنْفُسَهُمْ فَجَعَلْنٰهُمْ اَحَادِیْثَ وَ مَزَّقْنٰهُمْ کُلَّ مُمَزَّقٍ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّکُلِّ صَبَّارٍ شَکُوْرٍ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-লূরাব্বানা-বা-‘ইদ বাইনা আছফা-রিনা-ওয়া জালামূআনফুছাহুম ফাজা‘আলনাহুম আহা-দীছা ওয়া মাযযাকনা-হুম কুল্লা মুমাযযাকিন ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতিল লিকুল্লি সাব্বা-রিন শাকূর।
আল বায়ান:
কিন্তু তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমাদের সফরের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিন’। আর তারা নিজদের প্রতি যুলম করল। ফলে আমি তাদেরকে কাহিনী বানালাম এবং তাদেরকে একেবারে ছিন্নভিন্ন করে দিলাম। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা বলল- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের সফর-মঞ্জিলগুলোর মাঝে ব্যবধান বাড়িয়ে দাও। তারা নিজেদের প্রতি যুলম করেছিল। কাজেই আমি তাদেরকে কাহিনী বানিয়ে ছাড়লাম (যে কাহিনী শোনানো হয়) আর তাদেরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিলাম। এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
But [insolently] they said, "Our Lord, lengthen the distance between our journeys," and wronged themselves, so We made them narrations and dispersed them in total dispersion. Indeed in that are signs for everyone patient and grateful.



وَ لَقَدْ صَدَّقَ عَلَیْهِمْ اِبْلِیْسُ ظَنَّهٗ فَاتَّبَعُوْهُ اِلَّا فَرِیْقًا مِّنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ সাদ্দাকা ‘আলাইহিম ইবলীছূজান্নাহূফাত্তাবা‘ঊহু ইল্লা-ফারীকাম মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তাদের ব্যাপারে ইবলীস তার ধারণা সত্য প্রমাণ করল, ফলে মুমিনদের একটি দল ছাড়া সবাই তার অনুসরণ করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের ব্যাপারে ইবলীস তার ধারণা সত্য প্রমাণিত করল (যে ধারণা ইবলীস আল্লাহর নিকট ব্যক্ত করেছিল যে, অল্প সংখ্যক ব্যতীত সে মানুষদেরকে নিজের বশীভূত করে ছাড়বে)। ফলে মু’মিনদের একটি দল ছাড়া তারা সবাই তার অনুসরণ করল।
Sahih International:
And Iblees had already confirmed through them his assumption, so they followed him, except for a party of believers.



وَ مَا کَانَ لَهٗ عَلَیْهِمْ مِّنْ سُلْطٰنٍ اِلَّا لِنَعْلَمَ مَنْ یُّؤْمِنُ بِالْاٰخِرَۃِ مِمَّنْ هُوَ مِنْهَا فِیْ شَکٍّ ؕ وَ رَبُّکَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ حَفِیْظٌ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-কা-না লাহূ‘আলাইহিম মিন ছুলতা-নিন ইল্লা-লিনা‘লামা মাইঁ ইউ’মিনুবিলআখিরাতি মিম্মান হুওয়া মিনহা-ফী শাক্কিওঁ ওয়া রাব্বুকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন হাফীজ।
আল বায়ান:
আর তাদের উপর শয়তানের কোন কর্তৃত্ব ছিল না। তবে কে আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে আর কে তাতে সন্দেহ পোষণ করে তা প্রকাশ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আর তোমার রব সকল কিছুর হিফাযতকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের উপর শয়ত্বানের কোন ক্ষমতা ছিল না, তবে কে আখিরাতে বিশ্বাস করে আর কে তাতে সন্দেহ করে, তা প্রকাশ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। তোমার প্রতিপালক সকল বিষয়ে হিফাযাতকারী।
Sahih International:
And he had over them no authority except [it was decreed] that We might make evident who believes in the Hereafter from who is thereof in doubt. And your Lord, over all things, is Guardian.



قُلِ ادْعُوا الَّذِیْنَ زَعَمْتُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۚ لَا یَمْلِکُوْنَ مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَ لَا فِی الْاَرْضِ وَ مَا لَهُمْ فِیْهِمَا مِنْ شِرْکٍ وَّ مَا لَهٗ مِنْهُمْ مِّنْ ظَهِیْرٍ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
কুলিদ ‘উল্লাযীনা যা‘আমতুম মিন দূ নিল্লা-হি লা-ইয়ামলিকূনা মিছকা-লা যাররাতিন ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালা-ফিল আরদিওয়ামা-লাহুম ফীহিমা-মিন শিরকিওঁ ওয়ামা-লাহূ মিনহুম মিন জাহীর।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে করতে তাদেরকে আহবান কর। তারা আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে অণু পরিমাণ কোন কিছুর মালিক নয়। আর এ দু’য়ের মধ্যে তাদের কোন অংশীদারিত্ব নেই এবং তাদের মধ্য থেকে কেউ তাঁর সাহায্যকারীও নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে (ইলাহ) মনে করতে তাদেরকে ডাক। তারা আসমান ও যমীনে অণু পরিমাণও কোন কিছুর মালিক নয়। এ দু’য়ে তাদের এতটুকু অংশ নেই, আর তাদের কেউ আল্লাহর সাহায্যকারীও নয়।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Invoke those you claim [as deities] besides Allah." They do not possess an atom's weight [of ability] in the heavens or on the earth, and they do not have therein any partnership [with Him], nor is there for Him from among them any assistant.



وَ لَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَۃُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا لِمَنْ اَذِنَ لَهٗ ؕ حَتّٰۤی اِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوْبِهِمْ قَالُوْا مَاذَا ۙ قَالَ رَبُّکُمْ ؕ قَالُوا الْحَقَّ ۚ وَ هُوَ الْعَلِیُّ الْکَبِیْرُ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তানফা‘উশশাফা-‘আতু‘ইনদাহূইল্লা-লিমান আযিনা লাহূ হাত্তাইযাফুযযি‘আ ‘আন কুলূবিহিম কা-লূমা-যা- কা-লা রাব্বুকুম কা-লুল হাক্কা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ুল কাবীর।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন সে ছাড়া তাঁর কাছে কোন সুপারিশ কারো উপকার করবে না। অবশেষে যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরিত হবে তখন তারা বলবে, ‘তোমাদের রব কী বলেছেন’? তারা বলবে, ‘সত্যই বলেছেন’ এবং তিনি সুমহান ও সবচেয়ে বড়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁর কাছে সুপারিশ কোন কাজে আসবে না, তবে তাদের ব্যতীত যাদেরকে তিনি অনুমতি দেবেন। অতঃপর তাদের (অর্থাৎ আল্লাহর নৈকট্যলাভকারী ফেরেশতার কিংবা অন্যের জন্য সুপারিশ করার অনুমতিপ্রাপ্তদের) অন্তর থেকে যখন ভয় দূর হবে তখন তারা পরস্পর জিজ্ঞেস করবে- তোমাদের পালনকর্তা কী নির্দেশ দিলেন? তারা বলবে- যা সত্য ও ন্যায় (তার নির্দেশই তিনি দিয়েছেন), তিনি সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ।
Sahih International:
And intercession does not benefit with Him except for one whom He permits. [And those wait] until, when terror is removed from their hearts, they will say [to one another], "What has your Lord said?" They will say, "The truth." And He is the Most High, the Grand.



قُلْ مَنْ یَّرْزُقُکُمْ مِّنَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ قُلِ اللّٰهُ ۙ وَ اِنَّاۤ اَوْ اِیَّاکُمْ لَعَلٰی هُدًی اَوْ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
কুল মাইঁ ইয়ার যুকুকুম মিনাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল্লিলা-হু ওয়া ইন্নাআও ইয়্যা-কুম লা‘আলা-হুদান আও ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
বল, ‘আসমানসমূহ ও যমীন থেকে কে তোমাদেরকে রিয্ক দেন? বল, ‘আল্লাহ’, আর নিশ্চয় আমরা অথবা তোমরা সৎপথে প্রতিষ্ঠিত অথবা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আসমান ও যমীন হতে কে তোমাদেরকে রিযক দান করেন? বল- আল্লাহ। হয় আমরা, না হয় তোমরা অবশ্যই সৎপথে পরিচালিত অথবা স্পষ্ট গুমরাহিতে পতিত।
Sahih International:
Say, "Who provides for you from the heavens and the earth?" Say, "Allah. And indeed, we or you are either upon guidance or in clear error."



قُلْ لَّا تُسْـَٔلُوْنَ عَمَّاۤ اَجْرَمْنَا وَ لَا نُسْـَٔلُ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
কুল লা-তুছআলূনা ‘আম্মাআজরামনা-ওয়ালা-নুছআলু‘আম্মা-তা‘মালূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমরা যে অপরাধ করছি সে ব্যাপারে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না, আর তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমাদেরকেও জিজ্ঞাসা করা হবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমাদের অপরাধের জন্য তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না, আর তোমরা যা কর তার জন্য আমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে না।
Sahih International:
Say, "You will not be asked about what we committed, and we will not be asked about what you do."



قُلْ یَجْمَعُ بَیْنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ یَفْتَحُ بَیْنَنَا بِالْحَقِّ ؕ وَ هُوَ الْفَتَّاحُ الْعَلِیْمُ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কুল ইয়াজমা‘উ বাইনানা-রাব্বুনা-ছু ম্মা ইয়াফতাহূবাইনানা-বিল হাক্কি ওয়া হুওয়াল ফাত্তা-হুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
বল, ‘আমাদের রব আমাদেরকে একত্র করবেন। তারপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। আর তিনিই শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী ও সম্যক পরিজ্ঞাত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে একত্রিত করবেন অবশেষে তিনি আমাদের মাঝে সত্য ও ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করবেন। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী, সর্বজ্ঞাতা।
Sahih International:
Say, "Our Lord will bring us together; then He will judge between us in truth. And He is the Knowing Judge."



قُلْ اَرُوْنِیَ الَّذِیْنَ اَلْحَقْتُمْ بِهٖ شُرَکَآءَ کَلَّا ؕ بَلْ هُوَ اللّٰهُ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
কুল আরূনিয়াল্লাযীনা আলহাকতুম বিহী শুরাকাআ কাল্লা- বাল হুওয়াল্লা-হুল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা আমাকে দেখাও তো, তোমরা যাদেরকে তাঁর সাথে শরীক হিসেবে যুক্ত করেছ (তারা কোন সত্তা?) কখনো নয়, বরং তিনিই আল্লাহ, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- তোমরা আমাকে (তাদেরকে) দেখাও যাদেরকে তোমরা তাঁর অংশীদার জুড়ে দিয়েছ। কক্ষনো (দেখাতে পারবে) না, বরং তিনি আল্লাহ, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।
Sahih International:
Say, "Show me those whom you have attached to Him as partners. No! Rather, He [alone] is Allah, the Exalted in Might, the Wise."



وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰکَ اِلَّا کَآفَّۃً لِّلنَّاسِ بَشِیْرًا وَّ نَذِیْرًا وَّ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআরছালনা-কা ইল্লা-কাফফাতাল লিন্না-ছি বাশীরাওঁ ওয়ানাযীরাওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর আমি তো কেবল তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাকে সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।
Sahih International:
And We have not sent you except comprehensively to mankind as a bringer of good tidings and a warner. But most of the people do not know.



وَ یَقُوْلُوْنَ مَتٰی هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- তুমি যদি সত্যবাদী হও তাহলে বল, (তোমার শুনানো) ও‘য়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে?
Sahih International:
And they say, "When is this promise, if you should be truthful?"



قُلْ لَّکُمْ مِّیْعَادُ یَوْمٍ لَّا تَسْتَاْخِرُوْنَ عَنْهُ سَاعَۃً وَّ لَا تَسْتَقْدِمُوْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
কুল্লাকুম মী‘আ-দু ইয়াওমিল লা-তাছতা’খিরূনা ‘আনহু ছা-‘আতাওঁ ওয়ালাতাছতাকদিমূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমাদের জন্য রয়েছে একটি দিনের ওয়াদা যা থেকে তোমরা মুহূর্তকাল বিলম্বিত করতে পারবে না আর তরান্বিতও করতে পারবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- তোমাদের জন্য আছে এক নির্ধারিত দিন যা তোমরা এক মুহূর্তকালের জন্য বিলম্বিত করতে পারবে না, আর ত্বরান্বিত করতেও পারবে না।
Sahih International:
Say, "For you is the appointment of a Day [when] you will not remain thereafter an hour, nor will you precede [it]."



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ بِهٰذَا الْقُرْاٰنِ وَ لَا بِالَّذِیْ بَیْنَ یَدَیْهِ ؕ وَ لَوْ تَرٰۤی اِذِ الظّٰلِمُوْنَ مَوْقُوْفُوْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ ۚۖ یَرْجِعُ بَعْضُهُمْ اِلٰی بَعْضِۣ الْقَوْلَ ۚ یَقُوْلُ الَّذِیْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِیْنَ اسْتَکْبَرُوْا لَوْ لَاۤ اَنْتُمْ لَکُنَّا مُؤْمِنِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকা-লাল্লাযীনা কাফারূ লান নু’মিনা বিহা-যাল কুরআ-নি ওয়ালা-বিল্লাযীবাইনা ইয়াদাইহি ওয়ালাও তারাইযিজ্জা-লিমূনা মাওকূফূনা ‘ইনদা রাব্বিহিম ইয়ারজি‘উ বা‘দুহুম ইলা-বা‘দিনিল কাওলা ইয়াকূলুল্লাযীনাছতুদ‘ইফূলিল্লাযীনাছতাকবারূ লাওলাআনতুম লাকুন্না-মু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর কাফিরগণ বলে, ‘আমরা কখনো এ কুরআনের প্রতি ঈমান আনব না এবং এর পূববর্তী কোন কিতাবের প্রতিও না’। আর তুমি যদি দেখতে যালিমদেরকে, যখন তাদের রবের কাছে দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে তখন তারা পরস্পর বাদানুবাদ করতে থাকবে। যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তারা অহঙ্কারীদেরকে বলবে, ‘তোমরা না থাকলে অবশ্যই আমরা মুমিন হতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরগণ বলে- আমরা এ কুরআনে কক্ষনো বিশ্বাস করব না, আর তার আগের কিতাবগুলোতেও না। তুমি যদি দেখতে! যখন যালিমদেরকে তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে, তখন তারা পরস্পর বাদানুবাদ করবে। যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল তারা দাম্ভিকদেরকে বলবে- তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই মু’মিন হতাম।
Sahih International:
And those who disbelieve say, "We will never believe in this Qur'an nor in that before it." But if you could see when the wrongdoers are made to stand before their Lord, refuting each other's words... Those who were oppressed will say to those who were arrogant, "If not for you, we would have been believers."



قَالَ الَّذِیْنَ اسْتَکْبَرُوْا لِلَّذِیْنَ اسْتُضْعِفُوْۤا اَنَحْنُ صَدَدْنٰکُمْ عَنِ الْهُدٰی بَعْدَ اِذْ جَآءَکُمْ بَلْ کُنْتُمْ مُّجْرِمِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লাল্লাযীনাছতাকবারূলিল্লাযীনাছতুদ‘ইফূ আনাহনুসাদাদ না-কুম ‘আনিল হুদা-বা‘দা ইযজাআকুম বাল কুনতুম মুজরিমীন।
আল বায়ান:
যারা অহঙ্কারী ছিল তারা, তাদেরকে বলবে, যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, ‘তোমাদের কাছে হিদায়াত আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে তা থেকে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরাই ছিলে অপরাধী’।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল দাম্ভিকরা তাদেরকে বলবে- তোমাদের কাছে সত্য পথের দিশা আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে তাত্থেকে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরা নিজেরাই ছিলে অপরাধী।
Sahih International:
Those who were arrogant will say to those who were oppressed, "Did we avert you from guidance after it had come to you? Rather, you were criminals."



وَ قَالَ الَّذِیْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِیْنَ اسْتَکْبَرُوْا بَلْ مَکْرُ الَّیْلِ وَ النَّهَارِ اِذْ تَاْمُرُوْنَنَاۤ اَنْ نَّکْفُرَ بِاللّٰهِ وَ نَجْعَلَ لَهٗۤ اَنْدَادًا ؕ وَ اَسَرُّوا النَّدَامَۃَ لَمَّا رَاَوُا الْعَذَابَ ؕ وَ جَعَلْنَا الْاَغْلٰلَ فِیْۤ اَعْنَاقِ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا ؕ هَلْ یُجْزَوْنَ اِلَّا مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকা-লাল্লাযীনাছতুদ‘ইফূলিল্লাযীনাছতাকবারূবাল মাকরুল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ইয তা’মুরূনানাআন নাকফুরা বিল্লা-হি ওয়ানাজ‘আলা লাহূআনদা-দাওঁ ওয়া আছাররুন্নাদামাতা লাম্মা-রাআউল ‘আযা-বা ওয়াজা‘আলনাল আগলা-লা ফীআ‘নাকিল্লাযীনা কাফারূ হাল ইউজযাওনা ইল্লা-মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
আর যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তারা, যারা অহঙ্কারী ছিল তাদেরকে বলবে, ‘বরং এ ছিল তোমাদের দিন-রাতের চক্রান্ত, যখন তোমরা আমাদেরকে আদেশ দিয়েছিলে যেন আমরা আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং তাঁর সমকক্ষ স্থির করি’। আর তারা যখন আযাব দেখবে তখন তারা অনুতাপ গোপন করবে। আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা করত কেবল তারই প্রতিফল তাদেরকে দেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল তারা দাম্ভিকদের বলবে- তোমরাই তো বরং দিন-রাত চক্রান্ত করতে। তোমরা আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যাতে আমরা আল্লাহকে অস্বীকার করি আর তাঁর সমকক্ষ স্থির করি। যখন তারা শাস্তি দেখবে তখন মনের অনুতাপ মনেই লুকিয়ে রাখবে, আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা (দুনিয়াতে) করত তার প্রতিফলই তাদেরকে দেয়া হবে।
Sahih International:
Those who were oppressed will say to those who were arrogant, "Rather, [it was your] conspiracy of night and day when you were ordering us to disbelieve in Allah and attribute to Him equals." But they will [all] confide regret when they see the punishment; and We will put shackles on the necks of those who disbelieved. Will they be recompensed except for what they used to do?



وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا فِیْ قَرْیَۃٍ مِّنْ نَّذِیْرٍ اِلَّا قَالَ مُتْرَفُوْهَاۤ ۙ اِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ کٰفِرُوْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা আরছালনা-ফী কারইয়াতিম মিন নাযীরিন ইল্লা-কা-লা মুতরাফূহা ইন্না বিমাউরছিলতুম বিহী কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
আর আমি কোন জনপদে সতর্ককারী প্রেরণ করলেই সেখানকার বিত্তবান অধিবাসীরা বলেছে, ‘তোমরা যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছ অবশ্যই আমরা তা প্রত্যাখ্যানকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
যখনই কোন জনপদে আমি সতর্ককারী পাঠিয়েছি, সেখানকার বিত্তবানরা বলেছে তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা অস্বীকার করছি।
Sahih International:
And We did not send into a city any warner except that its affluent said, "Indeed we, in that with which you were sent, are disbelievers."



وَ قَالُوْا نَحْنُ اَکْثَرُ اَمْوَالًا وَّ اَوْلَادًا ۙ وَّ مَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِیْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূনাহনুআকছারু আমওয়া-লাওঁ ওয়াআওলা-দাওঁ ওয়ামা-নাহনু বিমু‘আযযাবীন।
আল বায়ান:
তারা আরো বলেছে, ‘আমরা ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে অধিক সমৃদ্ধশালী। আর তাই আমরা আযাবপ্রাপ্ত হব না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলত- ধন-মাল আর বাল-বাচ্চায় আমরা বেশি, আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হতে পারি না।
Sahih International:
And they said, "We are more [than the believers] in wealth and children, and we are not to be punished."



قُلْ اِنَّ رَبِّیْ یَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ یَقْدِرُ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্না রাববী ইয়াবছুতু ররিযকালিমাইঁ ইয়াশাউওয়াইয়াকদিরু ওয়া লা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমার রব যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন অথবা সঙ্কুচিত করেন। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমার প্রতিপালক যার জন্য চান রিযক প্রশস্ত করেন বা সীমিত করেন, কিন্তু (এর তাৎপর্য) অধিকাংশ লোকই জানে না।
Sahih International:
Say, "Indeed, my Lord extends provision for whom He wills and restricts [it], but most of the people do not know."



وَ مَاۤ اَمْوَالُکُمْ وَ لَاۤ اَوْلَادُکُمْ بِالَّتِیْ تُقَرِّبُکُمْ عِنْدَنَا زُلْفٰۤی اِلَّا مَنْ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا ۫ فَاُولٰٓئِکَ لَهُمْ جَزَآءُ الضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوْا وَ هُمْ فِی الْغُرُفٰتِ اٰمِنُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআমওয়া-লুকুম ওয়ালাআওলা-দুকুম বিল্লাতী তুকাররিবুকুম ‘ইনদানা-যুলফা ইল্লামান আ-মানা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ফাউলাইকা লাহুম জাযাউদ দি‘ফি বিমা‘আমিলূওয়াহুম ফিল গুরূফা-তি আ-মিনূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন বস্তু নয় যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে, তারাই তাদের আমলের বিনিময়ে পাবে বহুগুণ প্রতিদান। আর তারা (জান্নাতের) সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ওটা না তোমাদের মাল-ধন, আর না তোমাদের সন্তান-সন্ততি যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে। তবে যে কেউ ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদেরই জন্য আছে বহুগুণ প্রতিদান তাদের কাজের জন্য। তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।
Sahih International:
And it is not your wealth or your children that bring you nearer to Us in position, but it is [by being] one who has believed and done righteousness. For them there will be the double reward for what they did, and they will be in the upper chambers [of Paradise], safe [and secure].



وَ الَّذِیْنَ یَسْعَوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِنَا مُعٰجِزِیْنَ اُولٰٓئِکَ فِی الْعَذَابِ مُحْضَرُوْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইয়াছ‘আওনা ফীআ-য়া-তিনা-মু‘আ-জিযীনা উলাইকা ফিল ‘আযা-বি মুহদারূন।
আল বায়ান:
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করে দিতে প্রচেষ্টা চালায় তাদেরকে আযাবের মধ্যে উপস্থিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার জন্য চেষ্টা চালায়, তাদেরকে ‘আযাবে উপস্থিত করা হবে।
Sahih International:
And the ones who strive against Our verses to cause [them] failure - those will be brought into the punishment [to remain].



قُلْ اِنَّ رَبِّیْ یَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَ یَقْدِرُ لَهٗ ؕ وَ مَاۤ اَنْفَقْتُمْ مِّنْ شَیْءٍ فَهُوَ یُخْلِفُهٗ ۚ وَ هُوَ خَیْرُ الرّٰزِقِیْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্না রাববী ইয়াবছুতু র রিযকালিমাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবা-দিহী ওয়া ইয়াকদিরু লাহূ ওয়ামাআনফাকতুম মিন শাইয়িন ফাহুওয়া ইউখলিফুহূ ওয়াহুওয়া খাইরুর রা-যিকীন।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিয্কদাতা।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমার প্রতিপালকই তাঁর বান্দাহদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে রিযক প্রশস্ত করেন, আর যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু (সৎ কাজে) ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযকদাতা।
Sahih International:
Say, "Indeed, my Lord extends provision for whom He wills of His servants and restricts [it] for him. But whatever thing you spend [in His cause] - He will compensate it; and He is the best of providers."



وَ یَوْمَ یَحْشُرُهُمْ جَمِیْعًا ثُمَّ یَقُوْلُ لِلْمَلٰٓئِکَۃِ اَهٰۤؤُلَآءِ اِیَّاکُمْ کَانُوْا یَعْبُدُوْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইয়াহশুরুহুম জামী‘আন ছু ম্মা ইয়াকূ লুলিলমালাইকাতি আহাউলাই ইয়্যাকুম কা-নূইয়া‘বুদূন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যেদিন তিনি তাদের সকলকে সমবেত করবেন তারপর ফেরেশতাদেরকে বলবেন, ‘এরা কি তোমাদেরই পূজা করত?’
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তিনি তাদের সববাইকে একত্রিত করবেন, অতঃপর ফেরেশতাদেরকে বলবে-ওরা কি একমাত্র তোমাদেরই পূজা করত?
Sahih International:
And [mention] the Day when He will gather them all and then say to the angels, "Did these [people] used to worship you?"



قَالُوْا سُبْحٰنَکَ اَنْتَ وَلِیُّنَا مِنْ دُوْنِهِمْ ۚ بَلْ کَانُوْا یَعْبُدُوْنَ الْجِنَّ ۚ اَکْثَرُهُمْ بِهِمْ مُّؤْمِنُوْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূছুবহা-নাকা আনতা ওয়ালিইয়ুনা-মিন দূ নিহিম বাল কা-নূইয়া‘বুদূ নাল জিন্না আকছারুহুম বিহিম মু’মিনূন।
আল বায়ান:
তারা (ফেরেশতারা) বলবে, ‘আপনি পবিত্র মহান, আপনিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়। বরং তারা জিনদের পূজা করত। এদের অধিকাংশই তাদের প্রতি ঈমান রাখত’।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরেশতারা বলবে- পবিত্র মহান তুমি, তুমিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়। বরং তারা জ্বিনদের পূজা করত; ওদের অধিকাংশই ওদের প্রতি বিশ্বাসী ছিল।
Sahih International:
They will say, "Exalted are You! You, [O Allah], are our benefactor not them. Rather, they used to worship the jinn; most of them were believers in them."



فَالْیَوْمَ لَا یَمْلِکُ بَعْضُکُمْ لِبَعْضٍ نَّفْعًا وَّ لَا ضَرًّا ؕ وَ نَقُوْلُ لِلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ذُوْقُوْا عَذَابَ النَّارِ الَّتِیْ کُنْتُمْ بِهَا تُکَذِّبُوْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ফালইয়াওমা লা-ইয়ামলিকুবা‘দুকুম লিবা‘দিন নাফ‘আওঁ ওয়ালা-দাররাওঁ ওয়ানাকূলু লিল্লাযীনা জালামূযূকূ‘আযা-বান্না-রিল্লাতী কুনতুম বিহা-তুকাযযিবূন।
আল বায়ান:
ফলে আজ তোমাদের একে অপরের কোন উপকার কিংবা অপকার করার ক্ষমতা কেউ রাখবে না। আর আমি যালিমদের উদ্দেশ্যে বলব, ‘তোমরা আগুনের আযাব আস্বাদন কর যা তোমরা অস্বীকার করতে।’
তাইসিরুল কুরআন:
আজ তোমাদের একে অন্যের কোন লাভ বা ক্ষতি করতে পারবে না। যারা যুলম করেছিল তাদেরকে আমি বলব- তোমরা জাহান্নামের শাস্তি আস্বাদন কর যা তোমরা মিথ্যে বলে অস্বীকার করতে।
Sahih International:
But today you do not hold for one another [the power of] benefit or harm, and We will say to those who wronged, "Taste the punishment of the Fire, which you used to deny."



وَ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِمْ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ قَالُوْا مَا هٰذَاۤ اِلَّا رَجُلٌ یُّرِیْدُ اَنْ یَّصُدَّکُمْ عَمَّا کَانَ یَعْبُدُ اٰبَآؤُکُمْ ۚ وَ قَالُوْا مَا هٰذَاۤ اِلَّاۤ اِفْکٌ مُّفْتَرًی ؕ وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لِلْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ ۙ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-তুতলা-‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিন কা-লূ মা-হা-যাইল্লা-রাজূলুইঁ ইউরীদুআইঁ ইয়াসুদ্দাকুম ‘আম্মা-কা-না ইয়া‘বুদুআ-বাউকুম ওয়াকা-লূমা-হাযাইল্লাইফকুম মুফতারাওঁ- ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূলিল হাক্কিলাম্মাজাআহুম ইন হা-যাইল্লা-ছিহরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হত তখন তারা বলত, ‘এতো এমন এক ব্যক্তি যে তোমাদের বাধা দিতে চায় তা থেকে যার ইবাদাত তোমাদের পিতৃপুরুষগণ করত’। তারা আরও বলে, ‘এটি বানোয়াট মিথ্যা বৈ কিছু নয়।’ আর কাফিরদের নিকট যখনই সত্য আসে তখন তারা বলে, ‘এতো কেবল এক সুস্পষ্ট যাদু।’
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের সম্মুখে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা বলে- এটা তো এমন একজন মানুষ, যে তোমাদেরকে তোমাদের পূর্বপুরুষ যার ‘ইবাদাত করত তাত্থেকে বাধা দিতে চায়। তারা আরো বলে যে, এটা মনগড়া মিথ্যে ছাড়া আর কিছুই নয়। সত্য যখন কাফিরদের নিকট আসে তখন তারা বলে- এটা তো সুস্পষ্ট যাদু।
Sahih International:
And when our verses are recited to them as clear evidences, they say, "This is not but a man who wishes to avert you from that which your fathers were worshipping." And they say, "This is not except a lie invented." And those who disbelieve say of the truth when it has come to them, "This is not but obvious magic."



وَ مَاۤ اٰتَیْنٰهُمْ مِّنْ کُتُبٍ یَّدْرُسُوْنَهَا وَ مَاۤ اَرْسَلْنَاۤ اِلَیْهِمْ قَبْلَکَ مِنْ نَّذِیْرٍ ﴿ؕ۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআ-তাইনা-হুম মিন কুতুবিইঁ ইয়াদরুছূনাহা-ওয়ামাআরছালনাইলাইহিম কাবলাকা মিন নাযীর।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে কোন কিতাব দেইনি যা তারা অধ্যয়ন করত, এবং তোমার পূর্বে তাদের প্রতি আর কোন সতর্ককারীও প্রেরণ করিনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে (অর্থাৎ মক্কার কুরায়শদের) কোন কিতাব দেইনি যা তারা পাঠ করত আর আমি তোমার পূর্বে তাদের কাছে কোন সতর্ককারীও পাঠাইনি।
Sahih International:
And We had not given them any scriptures which they could study, and We had not sent to them before you, [O Muhammad], any warner.



وَ کَذَّبَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ۙ وَ مَا بَلَغُوْا مِعْشَارَ مَاۤ اٰتَیْنٰهُمْ فَکَذَّبُوْا رُسُلِیْ ۟ فَکَیْفَ کَانَ نَکِیْرِ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ওয়ামা-বালাগূমি‘শা-রা মাআ-তাইনা-হুম ফাকাযযাবূরুছুলী ফাকাইফা কা-না নাকীর।
আল বায়ান:
আর তাদের পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করেছে। অথচ আমি তাদের [পূর্ববর্তীদের] যা দিয়েছিলাম এরা তার এক দশমাংশও পায়নি, তবুও তারা আমার রাসূলদের অস্বীকার করেছিল। ফলে আমার প্রত্যাখ্যান (শাস্তি) কেমন হয়েছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্ববর্তীরাও (সত্যকে) মিথ্যে বলে অস্বীকার করেছিল। আমি তাদেরকে যা দিয়েছিলাম, এরা তার এক দশমাংশও পায়নি। তবুও ওরা যখন আমার রসূলগণকে অস্বীকার করেছিল তখন কত ভয়ংকর হয়েছিল আমার শাস্তি।
Sahih International:
And those before them denied, and the people of Makkah have not attained a tenth of what We had given them. But the former peoples denied My messengers, so how [terrible] was My reproach.



قُلْ اِنَّمَاۤ اَعِظُکُمْ بِوَاحِدَۃٍ ۚ اَنْ تَقُوْمُوْا لِلّٰهِ مَثْنٰی وَ فُرَادٰی ثُمَّ تَتَفَکَّرُوْا ۟ مَا بِصَاحِبِکُمْ مِّنْ جِنَّۃٍ ؕ اِنْ هُوَ اِلَّا نَذِیْرٌ لَّکُمْ بَیْنَ یَدَیْ عَذَابٍ شَدِیْدٍ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নামাআ‘ইজুকুম বিওয়া-হিদাতিন আন তাকূমূলিল্লা-হি মাছনা-ওয়া ফুরা-দা-ছু ম্মা তাতাফাক্কারূ মা-বিসা-হিবিকুম মিন জিন্নাতিন ইন হুওয়া ইল্লা-নাযীরুল লাকুম বাইনা ইয়াদাই ‘আযা-বিন শাদীদ।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি তো তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন অথবা এক একজন করে দাঁড়িয়ে যাও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সাথীর মধ্যে কোন পাগলামী নেই। সে তো আসন্ন কঠোর আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী বৈ কিছু নয়।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমি তোমাদেরকে একটি বিষয়ে নসীহত করছিঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে দু’ দু’জন বা এক একজন করে দাঁড়াও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সঙ্গী উন্মাদ নয়। সে তো সামনের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে একজন সতর্ককারী মাত্র।
Sahih International:
Say, "I only advise you of one [thing] - that you stand for Allah, [seeking truth] in pairs and individually, and then give thought." There is not in your companion any madness. He is only a warner to you before a severe punishment.



قُلْ مَا سَاَلْتُکُمْ مِّنْ اَجْرٍ فَهُوَ لَکُمْ ؕ اِنْ اَجْرِیَ اِلَّا عَلَی اللّٰهِ ۚ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ شَهِیْدٌ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
কুল মা-ছাআলতুকুম মিন আজরিন ফাহুওয়া লাকুম ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলাল্লা-হি ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন শাহীদ।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাইনি, বরং তা তোমাদেরই। আমার প্রতিদান তো কেবল আল্লাহর নিকট এবং তিনি সব কিছুর উপরই সাক্ষী।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমি তোমাদের নিকট হতে কোন পারিশ্রমিক চাই না, বরং তা তোমাদেরই জন্য। আমার পুরস্কার আছে কেবল আল্লাহর কাছে। তিনি সকল বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী।
Sahih International:
Say, "Whatever payment I might have asked of you - it is yours. My payment is only from Allah, and He is, over all things, Witness."



قُلْ اِنَّ رَبِّیْ یَقْذِفُ بِالْحَقِّ ۚ عَلَّامُ الْغُیُوْبِ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্না রাববী ইয়াকযিফুবিলহাক্কি‘আল্লা-মুল গুয়ুব।
আল বায়ান:
বল, ‘আমার রব সত্য পাঠিয়েছেন। তিনি যাবতীয় গায়েব সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমার প্রতিপালক সত্য ছুঁড়ে দেন (অসত্যকে আঘাত করার জন্যে)। (যাবতীয়) অদৃশ্য সম্পর্কে তিনি পূর্ণরূপে অবগত।
Sahih International:
Say, "Indeed, my Lord projects the truth. Knower of the unseen."



قُلْ جَآءَ الْحَقُّ وَ مَا یُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَ مَا یُعِیْدُ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
কুল জাআল হাক্কুওয়ামা-ইউবদিউল বা-তিলুওয়ামা-ইউ‘ঈদ।
আল বায়ান:
বল, ‘সত্য এসেছে এবং বাতিল কিছু সৃষ্টি করতে পারে না, আর কিছু পুনরাবৃত্তিও করতে পারে না।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল- সত্য এসে গেছে, আর মিথ্যের নতুন করে আবির্ভাবও ঘটবে না, আর তার পুনরাবৃত্তিও হবে না।
Sahih International:
Say, "The truth has come, and falsehood can neither begin [anything] nor repeat [it]."



قُلْ اِنْ ضَلَلْتُ فَاِنَّمَاۤ اَضِلُّ عَلٰی نَفْسِیْ ۚ وَ اِنِ اهْتَدَیْتُ فَبِمَا یُوْحِیْۤ اِلَیَّ رَبِّیْ ؕ اِنَّهٗ سَمِیْعٌ قَرِیْبٌ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন দালালতুফাইন্নামাআদিল্লু‘আলা-নাফছী ওয়াইনিহতাদাইতুফাবিমা-ইউহী ইলাইয়া রাববী ইন্নাহূছামী‘উন কারীব।
আল বায়ান:
বল, ‘যদি আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাই তবে আমার অকল্যাণেই আমি পথভ্রষ্ট হব। আর যদি আমি হিদায়াত প্রাপ্ত হই তবে তা এজন্য যে, আমার রব আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও অতি নিকটবর্তী’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমি যদি গুমরাহ হই, তবে নিজের ক্ষতি করতেই গুমরাহ হব। আর আমি যদি সৎ পথে চলি, তবে আমার প্রতিপালক যে আমার প্রতি ওয়াহী করেন তার বদৌলতেই। তিনি সর্বশ্রোতা, (সদা) সন্নিকটবর্তী। (আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেন।)
Sahih International:
Say, "If I should err, I would only err against myself. But if I am guided, it is by what my Lord reveals to me. Indeed, He is Hearing and near."



وَ لَوْ تَرٰۤی اِذْ فَزِعُوْا فَلَا فَوْتَ وَ اُخِذُوْا مِنْ مَّکَانٍ قَرِیْبٍ ﴿ۙ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও তারাইয ফাযি‘ঊ ফালা -ফাওতা ওয়া উখিযূমিম মাকা-নিন কারীব।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি দেখতে যখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে তখন পালানোর কোন পথ পাবে না এবং নিকটস্থ স্থান থেকে তাদেরকে পাকড়াও করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি দেখতে! যখন তারা ভয়ে কম্পমান হয়ে পড়বে, কিন্তু তারা কোন অব্যাহতি পাবে না। এক্কেবারে কাছের জায়গা থেকেই তাদেরকে ধরে ফেলা হবে।
Sahih International:
And if you could see when they are terrified but there is no escape, and they will be seized from a place nearby.



وَّ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِهٖ ۚ وَ اَنّٰی لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِنْ مَّکَانٍۭ بَعِیْدٍ ﴿ۚۖ۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূআ-মান্না-বিহী ওয়া আন্না-লাহুমুততানা-উশু মিম মাকা-নিম বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
আর তারা বলবে, ‘আমরা তাতে ঈমান আনলাম’। কিন্তু দূরবর্তী স্থান থেকে তারা কিভাবে ঈমানের নাগাল পাবে?
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলবে- (এখন) আমরা ঈমান আনলাম। কিন্তু (ঈমান যেখানে আনতে হত সে স্থান থেকে তারা তো বহু দূরে এসে পড়েছে) এত দূরের জায়গা থেকে তারা ঈমানের নাগাল পাবে কীভাবে?
Sahih International:
And they will [then] say, "We believe in it!" But how for them will be the taking [of faith] from a place far away?



وَّ قَدْ کَفَرُوْا بِهٖ مِنْ قَبْلُ ۚ وَ یَقْذِفُوْنَ بِالْغَیْبِ مِنْ مَّکَانٍۭ بَعِیْدٍ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাদ কাফারূবিহী মিন কাবলু ওয়া ইয়াকযিফূনা বিলগাইবি মিম মাকা-নিম বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
অথচ তারা ইতঃপূর্বে তা অস্বীকার করত এবং তারা দূরবর্তী স্থান থেকে গায়েব সম্পর্কে কুটমন্তব্য ছুঁড়ে মারত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তো আগেই তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে বহু দূর থেকে (আন্দাজ অনুমানে) কথা ছুঁড়ে দিত।
Sahih International:
And they had already disbelieved in it before and would assault the unseen from a place far away.



وَ حِیْلَ بَیْنَهُمْ وَ بَیْنَ مَا یَشْتَهُوْنَ کَمَا فُعِلَ بِاَشْیَاعِهِمْ مِّنْ قَبْلُ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا فِیْ شَکٍّ مُّرِیْبٍ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হীলা বাইনাহুম ওয়া বাইনা মা-ইয়াশতাহূনা কামা-ফু‘ইলা বিআশইয়া-‘ইহিম মিন কাবলু ইন্নাহুম কা-নূফী শাক্কিম মুরীব।
আল বায়ান:
আর তাদের ও তারা যা কামনা করত তার মধ্যে অন্তরাল করে দেয়া হবে, যেমন ইতঃপূর্বে তাদের সমগোত্রীয়দের ক্ষেত্রে করা হয়েছিল। নিশ্চয় তারা ছিল বিভ্রান্তিকর সন্দেহে পতিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের এবং তাদের কামনা-বাসনার মাঝে রেখে দেয়া হয়েছে এক প্রাচীর। তাদের মতের ও পথের লোকেদের ক্ষেত্রে পূর্বেও এমনটিই করা হয়েছিল। তারা ছিল সংশয়পূর্ণ সন্দেহে পতিত।
Sahih International:
And prevention will be placed between them and what they desire, as was done with their kind before. Indeed, they were in disquieting denial.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।