আল কুরআন


সূরা সাবা (আয়াত: 7)

সূরা সাবা (আয়াত: 7)



হরকত ছাড়া:

وقال الذين كفروا هل ندلكم على رجل ينبئكم إذا مزقتم كل ممزق إنكم لفي خلق جديد ﴿٧﴾




হরকত সহ:

وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا هَلْ نَدُلُّکُمْ عَلٰی رَجُلٍ یُّنَبِّئُکُمْ اِذَا مُزِّقْتُمْ کُلَّ مُمَزَّقٍ ۙ اِنَّکُمْ لَفِیْ خَلْقٍ جَدِیْدٍ ۚ﴿۷﴾




উচ্চারণ: ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূহাল নাদুল্লুকুম ‘আলা-রাজুলিইঁ ইউনাব্বিউকুম ইযা-মুযযিকতুম কুল্লা মুমাযযাকিন ইন্নাকুম লাফী খালকিন জাদীদ।




আল বায়ান: আর কাফিররা বলে, ‘আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে সংবাদ দেয় যে, তোমরা যখন পুরোপুরি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে তখন নিশ্চয় তোমরা নতুনভাবে সৃজিত হবে’?




আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ৭. আর কাফিররা বলে, আমরা কি তোমাদেরকে এমন ব্যক্তির সন্ধান দেব যে তোমাদেরকে জানায় যে, তোমাদের দেহ সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়লেও অবশ্যই তোমরা হবে নতুনভাবে সৃষ্ট!(১)




তাইসীরুল ক্বুরআন: কাফিরগণ বলে- তোমাদেরকে কি আমরা এমন একজন লোকের সন্ধান দেব যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে, তোমরা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেলেও তোমাদেরকে নতুনভাবে সৃষ্টি করা হবে?




আহসানুল বায়ান: (৭) অবিশ্বাসীরা বলে,[1] ‘আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেব[2] যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে,[3] তোমাদের দেহ সম্পূর্ণ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও তোমরা নতুন সৃষ্টিরূপে উত্থিত হবে? [4]



মুজিবুর রহমান: কাফিরেরা বলেঃ আমরা কি তোমাদেরকে এমন ব্যক্তির সন্ধান দিব যে তোমাদেরকে বলে তোমাদের দেহ সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়লেও তোমরা সৃষ্টি রূপে উত্থিত হবে?



ফযলুর রহমান: অবিশ্বাসীরা বলে, “আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির (মুহাম্মদ) সন্ধান দেব যে তোমাদেরকে বলবে: তোমাদের দেহ (কবরের মাটিতে) সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে মিশে গেলেও আবার তোমাদেরকে নতুনভাবে সৃষ্টি করা হবে?”



মুহিউদ্দিন খান: কাফেররা বলে, আমরা কি তোমাদেরকে এমন ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে; তোমরা সম্পুর্ণ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও তোমরা নতুন সৃজিত হবে।



জহুরুল হক: আর যারা অবিশ্বাস করে তারা বলে -- "আমরা কি তোমাদের সন্ধান দেব এমন এক ব্যক্তির যে তোমাদের জানায় যে যখন তোমরা চুরমার হয়ে গেছো পুরোপুরি চূর্ণবিচূর্ণ অবস্থায়, তখনও তোমরা কিন্তু নতুন সৃষ্টি লাভ করবে?



Sahih International: But those who disbelieve say, "Shall we direct you to a man who will inform you [that] when you have disintegrated in complete disintegration, you will [then] be [recreated] in a new creation?



তাফসীরে যাকারিয়া

অনুবাদ: ৭. আর কাফিররা বলে, আমরা কি তোমাদেরকে এমন ব্যক্তির সন্ধান দেব যে তোমাদেরকে জানায় যে, তোমাদের দেহ সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়লেও অবশ্যই তোমরা হবে নতুনভাবে সৃষ্ট!(১)


তাফসীর:

(১) এর দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তারা তাদের আখেরাত অস্বীকৃতির চরম সীমানায় গিয়ে এসব কথা বলত। [মুয়াস্‌সার]


তাফসীরে আহসানুল বায়ান

অনুবাদ: (৭) অবিশ্বাসীরা বলে,[1] ‘আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেব[2] যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে,[3] তোমাদের দেহ সম্পূর্ণ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও তোমরা নতুন সৃষ্টিরূপে উত্থিত হবে? [4]


তাফসীর:

[1] এটা মু’মিনদের মোকাবেলায় আখেরাত অস্বীকারকারীদের কথা, যা তারা নিজেদের মাঝে বলাবলি করত।

[2] উদ্দেশ্য মুহাম্মাদ (সাঃ), যিনি তাদের নিকট আল্লাহর নবী হয়ে প্রেরিত হয়েছিলেন।

[3] অর্থাৎ, অবিশ্বাস্য, আশ্চর্য ও অদ্ভুত খবর, বুঝে আসে না এমন খবর!

[4] অর্থাৎ, মৃত্যুর পর যখন তোমরা মাটিতে মিশে ধূলিকণায় পরিণত হয়ে যাবে, তোমাদের দেহের কোন চিহ্নই থাকবে না, অথচ তোমাদেরকে কবর থেকে পুনরায় জীবিত করা হবে এবং পুনরায় পূর্বের আকার-আকৃতি তোমাদেরকে প্রদান করা হবে? এ সকল কথোপকথন তারা আপোসে ঠাট্টা-মজাক হিসাবে করত।


তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ


তাফসীর: ৭-৯ নং আয়াতের তাফসীর:



মক্কার কাফির-মুশরিকরা যারা কিয়ামতকে অস্বীকার করত, পুনরুত্থানকে অস্বীকার করত এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উন্মাদ, কবি ইত্যাদি কথা বলে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ ও উপহাস করত এখানে তাদেরই কথা বর্ণনা করা হচ্ছে যে, তারা পরস্পর বলাবলি করত: আমাদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি রয়েছে যে কিনা বলে যে, আমরা যখন মরে, পঁচে, গলে শেষ হয়ে যাব তখন পুনরায় আমাদেরকে জীবিত করা হবে। এসকল কথা-বার্তা বলে তারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তুচ্ছ করত এবং উপহাস করত। مُزِّقْتُمْ শব্দটি مزق থেকে উদ্ভূত, এর অর্থ খন্ড-বিখন্ড করা। كُلَّ مُمَزَّقٍ এর অর্থ মানবদেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা হয়ে যাবে।



(أَفْتَرٰي عَلَي اللّٰهِ كَذِبًا أَمْ بِه۪ جِنَّةٌ)



‘সে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে, নাকি সে পাগল’ অর্থাৎ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাওয়ার পর সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একত্রিত করা হবে এবং জীবিত করা হবে এরূপ কথা বলা আল্লাহ তা‘আলার নামে মিথ্যা কথা বলা ছাড়া কিছুই না, অথবা সে পাগল যার কথার কোন সঠিক ভিত্তি নেই।



তাদের এ সকল ভ্রান্ত ধারণার যথাযথ উত্তর দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন যে, তোমরা যতই উপহাস করো না কেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে ব্যাপারে তোমাদেরকে খবর দিয়েছেন তা-ই সত্য। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তাদের এ সন্দেহ দূর করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ের উপমা দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,



(أَفَلَمْ يَنْظُرُوْآ إِلَي السَّمَا۬ءِ فَوْقَهُمْ كَيْفَ بَنَيْنٰهَا وَزَيَّنَّاهَا وَمَا لَهَا مِنْ فُرُوْجٍ -‏ وَالْأَرْضَ مَدَدْنٰهَا وَأَلْقَيْنَا فِيْهَا رَوَاسِيَ وَأَنْۭبَتْنَا فِيْهَا مِنْ كُلِّ زَوْجٍۭ بَهِيْجٍ لا تَبْصِرَةً وَّذِكْرٰي لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيْبٍ)



“তারা কি কখনও তাদের ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে না, কিভাবে আমি তা তৈরি করেছি ও তাকে সুশোভিত করেছি? আর তাতে কোন (সূক্ষ্মতম) ফাটলও নেই। আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি আর তাতে উদ্গত করেছি চোখ জুড়ানো সর্বপ্রকার উদ্ভিদ। প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী ব্যক্তির জন্য জ্ঞান আহরণ ও উপদেশ স্বরূপ।” (সূরা কফ ৫০:৬-৮)



আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,



(وَالسَّمَا۬ءَ بَنَيْنٰهَا بِأَيْدٍ وَّإِنَّا لَمُوْسِعُوْنَ - وَالْأَرْضَ فَرَشْنٰهَا فَنِعْمَ الْمٰهِدُوْنَ)



“আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার (নিজ) হাতে এবং আমি অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী। এবং আমি পৃথিবীকে বিছিয়ে দিয়েছি, সুতরাং আমি কত সুন্দরভাবে বিছিয়েছি।” (সূরা যারিয়াত ৫১:৪৭-৪৮)



সুতরাং তোমাদের অবাক হওয়ার কিছুই নেই। আমি আল্লাহ তা‘আলা আকাশমণ্ডলী ও জমিনসহ এত বড় বড় জিনিস যেহেতু সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি, তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি; অতএব তোমাদেরকে পুনরায় সৃষ্টি করতেও সক্ষম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,



(اَوَ لَیْسَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ بِقٰدِرٍ عَلٰٓی اَنْ یَّخْلُقَ مِثْلَھُمْﺛ بَلٰیﺠ وَھُوَ الْخَلّٰقُ الْعَلِیْمُ)‏



“আর যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি সক্ষম নন এদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে?” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৮১)



অতএব আল্লাহ তা‘আলা পুনরায় সৃষ্টি করতেও সক্ষম। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রত্যেক মু’মিনের এটা অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে।



আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:



১. মানুষের পুনরুত্থান অবশ্যই হবে, এটা অস্বীকার করা যাবে না।

২. ধর্মের ব্যাপারে হাসি-তামাশা করা যাবে না।

৩. দুনিয়ার বিভিন্ন সৃষ্টি বস্তুতে মানুষের জন্য উপদেশ রয়েছে, তা সঠিকভাবে গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে।


তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)


তাফসীর: ৭-৯ নং আয়াতের তাফসীর:

কাফির ও বিপথগামী, যারা কিয়ামত সংঘটিত হওয়াকে অস্বীকার করে এবং এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে উপহাস করে, এখানে তাদেরই খবর আল্লাহ তা'আলা দিচ্ছেন। তারা পরস্পর বলাবলি করতোঃ দেখো, আমাদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি রয়েছে যে বলে যে, যখন আমরা মরে মাটির সাথে মিশে যাবো ও চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবো, তার পরেও নাকি আমরা আবার জীবিত হয়ে উঠবো! এ লোকটা সম্পর্কে দুটো কথা বলা যায়। হয়তো সে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ। করছে, না হয় সে উন্মাদ।

আল্লাহ তাআলা তাদের এ কথার জবাবে বলেনঃ না, এ কথা নয়। বরং মুহাম্মাদ (সঃ) সত্যবাদী, সৎ, সুপথ প্রাপ্ত ও জ্ঞানী। সে যাহেরী ও বাতেনী জ্ঞানে পরিপক্ক। সে বড়ই দূরদর্শী। কিন্তু এর কি ওষুধ আছে যে কাফিররা মূর্খতা এবং অজ্ঞতামূলক কাজ-কাম করতে রয়েছে? তারা চিন্তা-ভাবনা করে কোন কাজের গভীরতায় পৌঁছবার কোন চেষ্টাই করে না। তারা শুধু অস্বীকার করতেই জানে। তারা যে কোন কথায় যেখানে সেখানে শুধু অস্বীকার করেই থাকে। কেননা, সত্য কথা ও সঠিক পথ তারা ভুলে যায়। সেখান থেকে তারা বহু দূরে ছিটকে পড়ে।

এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তারা কি তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে, আসমানে ও যমীনে যা আছে তার প্রতি লক্ষ্য করে না? তিনি এতে ক্ষমতাবান যে, এতে আকাশ ও এমন বিস্তৃত যমীন সৃষ্টি করেছেন! না আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে, না যমীন ধ্বসে যাচ্ছে। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি আকাশকে স্বহস্তে সৃষ্টি করেছি এবং আমি প্রশস্ততার অধিকারী। আর আমি যমীনকে বিছিয়ে দিয়েছি এবং আমি বিছিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কতই না উত্তম!”(৫১:৪৭-৪৮) তাদের উচিত সামনে ও পিছনে এবং আকাশ ও পৃথিবীর প্রতি লক্ষ্য করা। এগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলেই তারা অনুধাবন করতে পারবে যে, যিনি এত বড় সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা এবং ব্যাপক ও অসীম শক্তির অধিকারী, তিনি কি মানুষের ন্যায় ক্ষুদ্র সৃষ্টিকে দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখেন না? তিনি তো ইচ্ছা করলে তাদেরকেসহ ভূমি ধ্বসিয়ে দিতে পারেন অথবা তাদের উপর আকাশ খণ্ডের পতন ঘটিয়ে দিতে পারেন! এরূপ অবাধ্য বান্দা কিন্তু এরূপ শাস্তিরই যোগ্য। কিন্তু ক্ষমা করে দেয়া আল্লাহর অভ্যাস। তিনি মানুষকে অবকাশ দিচ্ছেন মাত্র। যার জ্ঞান-বুদ্ধি আছে, দূরদর্শিতা আছে, আছে চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা, যার মধ্যে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার যোগ্যতা আছে, যার অন্তর আছে এবং অন্তরে জ্যোতি আছে, সে এসব বিরাট বিরাট নিদর্শন দেখার পর মহাশক্তির অধিকারী ও সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর এ সৃষ্টিতে সন্দেহ পোষণ করতেই পারে না যে, মৃত্যুর পর মানুষ পুনরুজ্জীবিত হবে। আকাশের ন্যায় সামিয়ানা এবং পৃথিবীর ন্যায় বিছানা যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর জন্যে মানুষকে দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করা তো মোটেই কঠিন কাজ নয়! যিনি প্রথমবার হাড়-গোশত সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন, সেগুলো সড়ে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যাবার পর আবার ঐগুলোকে পুনর্বার সৃষ্টি করতে কেন তিনি সক্ষম হবেন না? যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সমর্থ নন? হ্যা, নিশ্চয়ই (তিনি সক্ষম)।”(৩৬:৮১) আর একটি আয়াতে আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি তো মানব সৃষ্টি অপেক্ষা বেশী কঠিন। কিন্তু অধিকাংশ লোকই জানে না।” (৪০:৫৭)





সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।