আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


تَبٰرَکَ الَّذِیْ نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلٰی عَبْدِهٖ لِیَکُوْنَ لِلْعٰلَمِیْنَ نَذِیْرَا ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
তাবা-রাকাল্লাযী নাযযালাল ফুরকা-না ‘আলা-‘আবদিহী লিইয়াকূনা লিল‘আ-লামীনা নাযীরা-।
আল বায়ান:
তিনি বরকতময় যিনি তাঁর বান্দার উপর ফুরকান নাযিল করেছেন যেন সে জগতবাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে।
তাইসিরুল কুরআন:
মহা কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাহর উপর সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী (কিতাব) নাযিল করেছেন যাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারে।
Sahih International:
Blessed is He who sent down the Criterion upon His Servant that he may be to the worlds a warner -



ۣالَّذِیْ لَهٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ لَمْ یَتَّخِذْ وَلَدًا وَّ لَمْ یَکُنْ لَّهٗ شَرِیْکٌ فِی الْمُلْکِ وَ خَلَقَ کُلَّ شَیْءٍ فَقَدَّرَهٗ تَقْدِیْرًا ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীলাহুমুলকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ালাম ইয়াত্তাখিয ওয়ালাদাওঁ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহূশারীকুন ফিল মুলকি ওয়া খালাকা কুল্লা শাইয়িন ফাকাদ্দারাহূতাকদীরা-।
আল বায়ান:
যার অধিকারে রয়েছে আসমান ও যমীনের মালিকানা; আর তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং সার্বভৌমত্বে তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তা নিপুণভাবে নিরূপণ করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি যমীন ও আসমানের রাজত্বের মালিক, তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই, তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, আর সেগুলোকে যথাযথ করেছেন পরিমিত অনুপাতে।
Sahih International:
He to whom belongs the dominion of the heavens and the earth and who has not taken a son and has not had a partner in dominion and has created each thing and determined it with [precise] determination.



وَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَۃً لَّا یَخْلُقُوْنَ شَیْئًا وَّ هُمْ یُخْلَقُوْنَ وَ لَا یَمْلِکُوْنَ لِاَنْفُسِهِمْ ضَرًّا وَّ لَا نَفْعًا وَّ لَا یَمْلِکُوْنَ مَوْتًا وَّ لَا حَیٰوۃً وَّ لَا نُشُوْرًا ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিহীআ-লিহাতাল লা-ইয়াখলুকূ না শাইআওঁ ওয়াহুম ইউখলাকূ না ওয়ালা-ইয়ামলিকূনা লিআনফুছিহিম দাররাওঁ ওয়ালা-নাফ‘আওঁ ওয়ালা-ইয়ামলিকূনা মাওতাওঁ ওয়ালা-হায়া-তাওঁ ওয়ালা-নুশূরা-।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহ ছাড়া অনেক ইলাহ গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে; তারা নিজদের কোন কল্যাণ ও অকল্যাণ করার ক্ষমতা রাখে না এবং মৃত্যু, জীবন ও পুনরুত্থান করতেও সক্ষম হয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা তাঁকে বাদ দিয়ে ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে অন্য কিছুকে যারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং তারা নিজেরাই সৃষ্টি হয়েছে। তারা ক্ষমতা রাখে না নিজেদের ক্ষতি বা উপকার করার আর ক্ষমতা রাখে না মৃত্যু, জীবন ও পুনরুত্থানের উপর।
Sahih International:
But they have taken besides Him gods which create nothing, while they are created, and possess not for themselves any harm or benefit and possess not [power to cause] death or life or resurrection.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِنْ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اِفْکُۨ افْتَرٰىهُ وَ اَعَانَهٗ عَلَیْهِ قَوْمٌ اٰخَرُوْنَ ۚۛ فَقَدْ جَآءُوْ ظُلْمًا وَّ زُوْرًا ۚ﴿ۛ۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূইন হা-যাইল্লাইফকুনিফতারা-হু ওয়াআ‘আ-নাহূ ‘আলাইহি কাওমুন আ-খারূনা ফাকাদ জাঊ জুলমাওঁ ওয়াযূরা-।
আল বায়ান:
কাফিররা বলে ‘এটি তো জঘন্য মিথ্যা যা সে রটনা করেছে আর অন্য এক দল তাকে সাহায্য করেছে।’ এভাবে তারা যুলম ও মিথ্যা নিয়ে এসেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা বলে- ‘এটা মিথ্যে ছাড়া আর কিছুই নয়, সে তা (অর্থাৎ কুরআন) উদ্ভাবণ করেছে এবং ভিন্ন জাতির লোক এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করেছে।’ আসলে তারা অন্যায় ও মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছে।
Sahih International:
And those who disbelieve say, "This [Qur'an] is not except a falsehood he invented, and another people assisted him in it." But they have committed an injustice and a lie.



وَ قَالُوْۤا اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ اکْتَتَبَهَا فَهِیَ تُمْلٰی عَلَیْهِ بُکْرَۃً وَّ اَصِیْلًا ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূআছা-তীরুল আওওয়ালীনাক তাতাবাহা-ফাহিয়া তুমলা-আলাইহি বুকরাতাওঁ ওয়াআসীলা-।
আল বায়ান:
তারা বলে, ‘এটি প্রাচীনকালের উপকথা যা সে লিখিয়ে নিয়েছে; এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় তার কাছে পাঠ করা হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- ‘এগুলো পূর্ব যুগের কাহিনী যা সে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)] লিখিয়ে নিয়েছে আর এগুলোই তার কাছে সকাল-সন্ধ্যা শোনানো হয়।’
Sahih International:
And they say, "Legends of the former peoples which he has written down, and they are dictated to him morning and afternoon."



قُلْ اَنْزَلَهُ الَّذِیْ یَعْلَمُ السِّرَّ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ اِنَّهٗ کَانَ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
কুল আনযা-লাহুল্লাযী ইয়া‘লামুছছিররা ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইন্নাহূকা-না গাফূরার রাহীমা-।
আল বায়ান:
বল, ‘যিনি আসমান ও যমীনের রহস্য জানেন তিনি এটি নাযিল করেছেন; নিশ্চয় তিনি অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল : ‘তা তিনিই নাযিল করেছেন যিনি আসমান-যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় অবগত আছেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "It has been revealed by He who knows [every] secret within the heavens and the earth. Indeed, He is ever Forgiving and Merciful."



وَ قَالُوْا مَالِ هٰذَا الرَّسُوْلِ یَاْکُلُ الطَّعَامَ وَ یَمْشِیْ فِی الْاَسْوَاقِ ؕ لَوْ لَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مَلَکٌ فَیَکُوْنَ مَعَهٗ نَذِیْرًا ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূমা-লি হা-যার রাছূলি ইয়া’কুলুততা‘আমা ওয়া ইয়ামশী ফিল আছওয়া-কি লাওলাউনযিলা ইলাইহি মালাকুন ফাইয়াকূনা মা‘আহূনাযীরা-।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘এ রাসূলের কী হল, সে আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে; তার কাছে একজন ফেরেশতা পাঠানো হল না কেন, যে তাঁর সাথে সতর্ককারী হত’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- ‘এ কেমন রসূল যে খাবার খায়, আর হাট-বাজারে চলাফেরা করে? তার কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় না কেন যে তার সঙ্গে থাকত সতর্ককারী হয়ে?
Sahih International:
And they say, "What is this messenger that eats food and walks in the markets? Why was there not sent down to him an angel so he would be with him a warner?



اَوْ یُلْقٰۤی اِلَیْهِ کَنْزٌ اَوْ تَکُوْنُ لَهٗ جَنَّۃٌ یَّاْکُلُ مِنْهَا ؕ وَ قَالَ الظّٰلِمُوْنَ اِنْ تَتَّبِعُوْنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسْحُوْرًا ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
আও ইউলকাইলাইহি কানযুন আও তাকূনুলাহূজান্নাতুইঁ ইয়া’কুলুমিনহা- ওয়া কালাজ্জা-লিমূনা ইন তাত্তাবি‘ঊনা ইল্লা-রাজুলাম মাছহূরা-।
আল বায়ান:
অথবা তাকে ধনভান্ডার ঢেলে দেয়া হয় না কেন অথবা তার জন্য একটি বাগান হয় না কেন যা থেকে সে খেতে পারে?’ যালিমরা বলে, ‘তোমরা শুধু এক যাদুগ্রস্ত লোকের অনুসরণ করছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা তাকে ধন-ভান্ডার দেয়া হয় না কেন, অথবা তার জন্য একটা বাগান হয় না কেন যাত্থেকে সে আহার করত?’ যালিমরা বলে- ‘তোমরা তো এক যাদুগ্রস্ত লোকেরই অনুসরণ করছ।’
Sahih International:
Or [why is not] a treasure presented to him [from heaven], or does he [not] have a garden from which he eats?" And the wrongdoers say, "You follow not but a man affected by magic."



اُنْظُرْ کَیْفَ ضَرَبُوْا لَکَ الْاَمْثَالَ فَضَلُّوْا فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَ سَبِیْلًا ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
উনজু র কাইফা দারাবূলাকাল আমছা-লা ফাদাললূফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা ছাবীলা-।
আল বায়ান:
দেখ, তোমার জন্য তারা কেমন উপমা পেশ করে; ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, সুতরাং তারা কোন পথ পেতে সক্ষম হয় না।
তাইসিরুল কুরআন:
দেখ, তারা তোমার ব্যাপারে কেমন সব উপমা পেশ করছে! যার ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অতএব তারা কোন ক্রমেই পথ পাবে না।
Sahih International:
Look how they strike for you comparisons; but they have strayed, so they cannot [find] a way.



تَبٰرَکَ الَّذِیْۤ اِنْ شَآءَ جَعَلَ لَکَ خَیْرًا مِّنْ ذٰلِکَ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۙ وَ یَجْعَلْ لَّکَ قُصُوْرًا ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
তাবা-রাকাল্লাযীইন শাআ জা‘আলা লাকা খাইরাম মিন যা-লিকা জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ওয়া ইয়াজ‘আল লাকা কুসূরা-।
আল বায়ান:
তিনি বরকতময়, যিনি ইচ্ছা করলে তোমার জন্য করে দিতে পারেন তার চেয়ে উত্তম বস্ত্ত অনেক বাগান, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত হয় এবং তিনি তোমাকে প্রাসাদসমূহ দিতে পারেন।
তাইসিরুল কুরআন:
মহা কল্যাণময় তিনি যিনি ইচ্ছে করলে তোমাকে ওগুলোর চেয়েও উৎকৃষ্ট জিনিস দিতে পারেন- বাগ-বাগিচা, যার নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে নির্ঝরিণী, দিতে পারেন তিনি তোমাকে প্রাসাদরাজি।
Sahih International:
Blessed is He who, if He willed, could have made for you [something] better than that - gardens beneath which rivers flow - and could make for you palaces.



بَلْ کَذَّبُوْا بِالسَّاعَۃِ ۟ وَ اَعْتَدْنَا لِمَنْ کَذَّبَ بِالسَّاعَۃِ سَعِیْرًا ﴿ۚ۱۱﴾
উচ্চারণ:
বাল কাযযাবূবিছছা-‘আতি ওয়া আ‘তাদনা-লিমান কাযযাবা বিছছা-‘আতি ছা‘ঈরা-।
আল বায়ান:
বরং তারা কিয়ামতকে অস্বীকার করেছে আর কিয়ামতকে যে অস্বীকার করে তার জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুন।
তাইসিরুল কুরআন:
আসলে তারা কিয়ামাতকে অস্বীকার করে, আর যারা কিয়ামাতকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুন।
Sahih International:
But they have denied the Hour, and We have prepared for those who deny the Hour a Blaze.



اِذَا رَاَتْهُمْ مِّنْ مَّکَانٍۭ بَعِیْدٍ سَمِعُوْا لَهَا تَغَیُّظًا وَّ زَفِیْرًا ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইযা-রাআতহুম মিম মাকা-নিম বা‘ঈদিন ছামি‘ঊ লাহা-তাগাইয়ুজাওঁ ওয়া যাফীরা-।
আল বায়ান:
দূর হতে আগুন যখন তাদেরকে দেখবে তখন তারা তার ক্রুদ্ধ গর্জন ও প্রচন্ড চিৎকার শুনতে পাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আগুন যখন তাদেরকে বহু দূরবর্তী স্থান থেকে দেখবে, তখন তারা শুনতে পারে তার ক্রুদ্ধ গর্জন ও হুঙ্কার।
Sahih International:
When the Hellfire sees them from a distant place, they will hear its fury and roaring.



وَ اِذَاۤ اُلْقُوْا مِنْهَا مَکَانًا ضَیِّقًا مُّقَرَّنِیْنَ دَعَوْا هُنَالِکَ ثُبُوْرًا ﴿ؕ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাউলকূ মিনহা-মাকা-নান দাইয়িকাম মুকাররানীনা দা‘আও হুনা-লিকা ছুবূরা-।
আল বায়ান:
আর যখন তাদেরকে গলায় হাত পেঁচিয়ে জাহান্নামের সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে, সেখানে তারা নিজদের ধ্বংস আহবান করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তাদেরকে এক সঙ্গে বেঁধে জাহান্নামের কোন সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে, তখন সেখানে তারা মৃত্যুকে ডাকবে।
Sahih International:
And when they are thrown into a narrow place therein bound in chains, they will cry out thereupon for destruction.



لَا تَدْعُوا الْیَوْمَ ثُبُوْرًا وَّاحِدًا وَّ ادْعُوْا ثُبُوْرًا کَثِیْرًا ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
লা-তাদ‘ঊল ইয়াওমা ছুবূরাওঁ ওয়া-হিদাওঁ ওয়াদ‘ঊ ছুবূরান কাছীরা-।
আল বায়ান:
‘একবার ধ্বংসকে ডেকো না; বরং অনেকবার ধ্বংসকে ডাকো।’
তাইসিরুল কুরআন:
(বলা হবে) ‘তোমরা আজ এক মৃত্যুকে ডেক না, অনেক মৃত্যুকে ডাক।’
Sahih International:
[They will be told], "Do not cry this Day for one destruction but cry for much destruction."



قُلْ اَذٰلِکَ خَیْرٌ اَمْ جَنَّۃُ الْخُلْدِ الَّتِیْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَ ؕ کَانَتْ لَهُمْ جَزَآءً وَّ مَصِیْرًا ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
কুল আযা-লিকা খাইরুন আম জান্নাতুল খুলদিল্লাতী উ‘ইদাল মুত্তাকূনা কা-নাত লাহুম জাযাআওঁ ওয়া মাসীরা-।
আল বায়ান:
বল, ‘সেটা উত্তম না স্থায়ী জান্নাত, মুত্তাকীদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা হবে তাদের পুরস্কার ও প্রতাবর্তনস্থল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- এটাই উত্তম না চিরস্থায়ী জান্নাত, মুত্তাকীদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছে? তাদের জন্য এটা হবে প্রতিদান ও শেষ আবাসস্থল।
Sahih International:
Say, "Is that better or the Garden of Eternity which is promised to the righteous? It will be for them a reward and destination.



لَهُمْ فِیْهَا مَا یَشَآءُوْنَ خٰلِدِیْنَ ؕ کَانَ عَلٰی رَبِّکَ وَعْدًا مَّسْـُٔوْلًا ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
লাহুম ফীহা-মা-ইয়াশাঊনা খা-লিদীনা কা-না ‘আলা-রাব্বিকা ওয়া‘দাম মাছঊলা-।
আল বায়ান:
সেখানে তারা যা চাইবে তা-ই তাদের জন্য থাকবে স্থায়ীভাবে; এটি তোমার রবের ওয়াদা,
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তাদের জন্য তা-ই থাকবে যা তারা ইচ্ছে করবে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটা একটা ওয়াদা যা পূরণ করা তোমার প্রতিপালকের দায়িত্ব।
Sahih International:
For them therein is whatever they wish, [while] abiding eternally. It is ever upon your Lord a promise [worthy to be] requested.



وَ یَوْمَ یَحْشُرُهُمْ وَ مَا یَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَیَقُوْلُ ءَاَنْتُمْ اَضْلَلْتُمْ عِبَادِیْ هٰۤؤُلَآءِ اَمْ هُمْ ضَلُّوا السَّبِیْلَ ﴿ؕ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইয়াহশুরুহুম ওয়ামা- ইয়া‘বুদূনা মিন দূনিল্লা-হি ফাইয়াকূলুআআনতুম আদলালতুম ‘ইবা-দী হাউলাই আম হুম দাল্লুছছাবীল।
আল বায়ান:
আর সেদিন তাদেরকে এবং আল্লাহ ছাড়া যা কিছুর উপাসনা তারা করত সবাইকে তিনি একত্র করবেন, তারপর বলবেন, ‘তোমরা কি আমার এই বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছ’ না তারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়েছে?’
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তিনি তাদেরকে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যেগুলোর ‘ইবাদাত করত সেগুলোকে একত্র করবেন, সেদিন তিনি জিজ্ঞেস করবেন- ‘তোমরাই কি আমার এ সব বান্দাহদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলে? না তারা নিজেরাই পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছিল?’
Sahih International:
And [mention] the Day He will gather them and that which they worship besides Allah and will say, "Did you mislead these, My servants, or did they [themselves] stray from the way?"



قَالُوْا سُبْحٰنَکَ مَا کَانَ یَنْۢبَغِیْ لَنَاۤ اَنْ نَّتَّخِذَ مِنْ دُوْنِکَ مِنْ اَوْلِیَآءَ وَ لٰکِنْ مَّتَّعْتَهُمْ وَ اٰبَآءَهُمْ حَتّٰی نَسُوا الذِّکْرَ ۚ وَ کَانُوْا قَوْمًۢا بُوْرًا ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লূছুবহা-নাকা মা-কা-না ইয়ামবাগী লানাআন নাত্তাখিযা মিন দূ নিকা মিন আওলিয়াআ ওয়ালা-কিম মাত্তা‘তাহুম ওয়া আ-বাআহুম হাত্তা-নাছুযযিকরা- ওয়া কা-নূকাওমাম বূরা-।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘আপনি পবিত্র মহান! আপনি ছাড়া অন্য কাউকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করা আমাদের উচিত নয়, বরং আপনি তাদেরকে ও তাদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগসম্ভার দিয়েছেন, অবশেষে আপনার স্মরণকে তারা ভুলে গিয়েছিল এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত কওমে পরিণত হয়েছিল।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে : ‘পবিত্র ও মহান তুমি। আমাদের জন্য শোভনীয় ছিল না যে তোমাকে বাদ দিয়ে অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করব, বরং তুমি ওদেরকে আর ওদের পিতৃপুরুষদেরকে দিয়েছিলে পার্থিব ভোগ সম্ভার, পরিণামে তারা ভুলে গিয়েছিল (তোমার প্রেরিত) বাণী, যার ফলে তারা পরিণত হল এক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে।
Sahih International:
They will say, "Exalted are You! It was not for us to take besides You any allies. But You provided comforts for them and their fathers until they forgot the message and became a people ruined."



فَقَدْ کَذَّبُوْکُمْ بِمَا تَقُوْلُوْنَ ۙ فَمَا تَسْتَطِیْعُوْنَ صَرْفًا وَّ لَا نَصْرًا ۚ وَ مَنْ یَّظْلِمْ مِّنْکُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا کَبِیْرًا ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফাকাদ কাযযাবূকুম বিমা-তাকূলূনা ফামা-তাছতী‘ঊনা সারফাওঁ ওয়ালা-নাসরাওঁ ওয়া মাইঁ ইয়াজলিম মিনকুম নুযিকহু ‘আযা-বান কাবীরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর তোমরা যা বল তারা তা মিথ্যা বলেছে। অতএব তোমরা আযাব ফেরাতে পারবে না এবং কোন সাহায্যও করতে পারবে না। আর তোমাদের মধ্যে যে যুলম করবে তাকে আমি মহাআযাব আস্বাদন করাব।’
তাইসিরুল কুরআন:
(আল্লাহ মুশরিকদেরকে বলবেন) ‘তোমরা যা বলতে সে ব্যাপারে তারা তোমাদেরকে মিথ্যে প্রমাণিত করেছে। কাজেই তোমরা না পারবে (তোমাদের শাস্তি) প্রতিরোধ করতে আর না পাবে সাহায্য। তোমাদের মধ্যে যে অন্যায়কারী আমি তাকে গুরুতর শাস্তি আস্বাদন করাব।
Sahih International:
So they will deny you, [disbelievers], in what you say, and you cannot avert [punishment] or [find] help. And whoever commits injustice among you - We will make him taste a great punishment.



وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا قَبْلَکَ مِنَ الْمُرْسَلِیْنَ اِلَّاۤ اِنَّهُمْ لَیَاْکُلُوْنَ الطَّعَامَ وَ یَمْشُوْنَ فِی الْاَسْوَاقِ ؕ وَ جَعَلْنَا بَعْضَکُمْ لِبَعْضٍ فِتْنَۃً ؕ اَتَصْبِرُوْنَ ۚ وَ کَانَ رَبُّکَ بَصِیْرًا ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআরছালনা-কাবলাকা মিনাল মুরছালীনা ইল্লাইন্নাহুম লাইয়া’কুলূনাততা‘আ-মা ওয়া ইয়ামশূনা ফিল আছওয়া-কি ওয়াজা‘আলনা-বা‘দাকুম লিবা‘দিন ফিতনাতান আতাসবিরূনা ওয়া কা-না রাব্বুকা বাসীরা।
আল বায়ান:
আর তোমার পূর্বে যত নবী আমি পাঠিয়েছি, তারা সবাই আহার করত এবং হাট-বাজারে চলাফেরা করত। আমি তোমাদের একজনকে অপরজনের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। তোমরা কি ধৈর্যধারণ করবে? আর তোমার রব সর্বদ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার পূর্বে যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তারা সবাই খাদ্য গ্রহণ করত, আর হাট-বাজারে চলাফেরা করত। আমি তোমাদের এককে অপরের জন্য করেছি পরীক্ষাস্বরূপ (কাউকে করেছি ধনী, কাউকে গরীব, কাউকে সবল, কাউকে দুর্বল, কাউকে রুগ্ন, কাউকে সুস্থ), দেখি, তোমরা (নিজ নিজ অবস্থার উপর) ধৈর্য ধারণ কর কিনা। তোমার প্রতিপালক সব কিছু দেখেন।
Sahih International:
And We did not send before you, [O Muhammad], any of the messengers except that they ate food and walked in the markets. And We have made some of you [people] as trial for others - will you have patience? And ever is your Lord, Seeing.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ لَا یَرْجُوْنَ لِقَآءَنَا لَوْ لَاۤ اُنْزِلَ عَلَیْنَا الْمَلٰٓئِکَۃُ اَوْ نَرٰی رَبَّنَا ؕ لَقَدِ اسْتَکْبَرُوْا فِیْۤ اَنْفُسِهِمْ وَ عَتَوْ عُتُوًّا کَبِیْرًا ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কালাল্লাযীনা লা-ইয়ারজূনা লিকাআনা-লাওলাউনযিলা ‘আলাইনাল মালাইকাতু আও নারা-রাব্বানা- লাকাদিছতাকবারূফীআনফুছিহিম ওয়া‘আতাওঁ‘উতুওয়ান কাবীরা-।
আল বায়ান:
আর যারা আমার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করে না, তারা বলে, ‘আমাদের নিকট ফেরেশতা নাযিল হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের রবকে দেখতে পাই না কেন’? অবশ্যই তারা তো তাদের অন্তরে অহঙ্কার পোষণ করেছে এবং তারা গুরুতর সীমালংঘন করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আমার সাক্ষাৎ আশা করে না তারা বলে, আমাদের কাছে ফেরেশতা নাযিল করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাই না কেন? তারা নিজেদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে আর তারা মেতে উঠেছে গুরুতর অবাধ্যতায়।
Sahih International:
And those who do not expect the meeting with Us say, "Why were not angels sent down to us, or [why] do we [not] see our Lord?" They have certainly become arrogant within themselves and [become] insolent with great insolence.



یَوْمَ یَرَوْنَ الْمَلٰٓئِکَۃَ لَا بُشْرٰی یَوْمَئِذٍ لِّلْمُجْرِمِیْنَ وَ یَقُوْلُوْنَ حِجْرًا مَّحْجُوْرًا ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়ারাওনাল মালাইকাতা লা-বুশরা-ইয়াওমাইযিল লিলমুজরিমীনা ওয়া ইয়াকূ লূনা হিজরাম মাহজূরা-।
আল বায়ান:
যেদিন তারা ফেরেশতাদের দেখবে, সেদিন অপরাধীদের জন্য কোন সুসংবাদ থাকবে না। আর তারা বলবে, ‘হায় কোন বাধা যদি তা আটকে রাখত’।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে দেখতে পাবে, অপরাধীদের জন্য সেদিন কোন সুখবর থাকবে না, আর (ফেরেশতাগণ বলবে তোমাদের সুখ-শান্তির পথে আছে) দুর্লঙ্ঘ বাধা।
Sahih International:
The day they see the angels - no good tidings will there be that day for the criminals, and [the angels] will say, "Prevented and inaccessible."



وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰی مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাদিমনাইলা-মা-‘আমিলূমিন ‘আমালিন ফাজা‘আলনা-হু হাবাআম মানছূরা-।
আল বায়ান:
আর তারা যে কাজ করেছে আমি সেদিকে অগ্রসর হব। অতঃপর তাকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (দুনিয়ায়) যে ‘আমাল করেছিল আমি সেদিকে অগ্রসর হব, অতঃপর তাকে বানিয়ে দেব ছড়ানো ছিটানো ধূলিকণা (সদৃশ)।
Sahih International:
And We will regard what they have done of deeds and make them as dust dispersed.



اَصْحٰبُ الْجَنَّۃِ یَوْمَئِذٍ خَیْرٌ مُّسْتَقَرًّا وَّ اَحْسَنُ مَقِیْلًا ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
আসহা-বুল জান্নাতি ইয়াওমাইযিন খাইরুম মুছতাকাররাওঁ ওয়া আহছানুমাকীলা-।
আল বায়ান:
সেদিন জান্নাতবাসীরা বাসস্থান হিসেবে উত্তম এবং বিশ্রামস্থল হিসেবে উৎকৃষ্ট অবস্থায় থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন জান্নাতবাসীরা স্থায়ী বাসস্থান হিসেবে উত্তম আর বিশ্রামস্থল হিসেবে উৎকৃষ্ট অবস্থায় থাকবে।
Sahih International:
The companions of Paradise, that Day, are [in] a better settlement and better resting place.



وَ یَوْمَ تَشَقَّقُ السَّمَآءُ بِالْغَمَامِ وَ نُزِّلَ الْمَلٰٓئِکَۃُ تَنْزِیْلًا ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা তাশাক্কাকুছছামাউ বিলগামা-মি ওয়ানুযযিলাল মালাইকাতুতানযীলা-।
আল বায়ান:
আর সেদিন মেঘমালা দ্বারা আকাশ বিদীর্ণ হবে এবং ফেরেশতাদেরকে দলে দলে অবতরণ করানো হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন মেঘমালা সহ আকাশ বিদীর্ণ হবে আর ফেরেশতাদেরকে ধীরে ধীরে নীচে নামিয়ে দেয়া হবে।
Sahih International:
And [mention] the Day when the heaven will split open with [emerging] clouds, and the angels will be sent down in successive descent.



اَلْمُلْکُ یَوْمَئِذِۣ الْحَقُّ لِلرَّحْمٰنِ ؕ وَ کَانَ یَوْمًا عَلَی الْکٰفِرِیْنَ عَسِیْرًا ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
আলমুলকুইয়াওমাইযিনিল হাক্কুলিররাহমা-নি ওয়া কা-না ইয়াওমান ‘আলাল কাফিরীনা ‘আছীরা-।
আল বায়ান:
সেদিন প্রকৃত সার্বভৌমত্ব হবে পরম করুণাময়ের। আর সে দিনটি কাফিরদের জন্য বড়ই কঠিন।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন সত্যিকারের কর্তৃত্ব হবে দয়াময় (আল্লাহ)’র এবং কাফিরদের জন্য দিনটি হবে কঠিন।
Sahih International:
True sovereignty, that Day, is for the Most Merciful. And it will be upon the disbelievers a difficult Day.



وَ یَوْمَ یَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰی یَدَیْهِ یَقُوْلُ یٰلَیْتَنِی اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُوْلِ سَبِیْلًا ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইয়া‘আদ্দুজ্জা-লিমু‘আলা-ইয়াদাইহি ইয়াকূ লুইয়া-লাইতানিততাখাযতু মা‘আর রাছূলি ছাবীলা-।
আল বায়ান:
আর সেদিন যালিম নিজের হাত দু’টো কামড়িয়ে বলবে, ‘হায়, আমি যদি রাসূলের সাথে কোন পথ অবলম্বন করতাম’!
তাইসিরুল কুরআন:
অপরাধী সেদিন স্বীয় হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, ‘হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম।
Sahih International:
And the Day the wrongdoer will bite on his hands [in regret] he will say, "Oh, I wish I had taken with the Messenger a way.



یٰوَیْلَتٰی لَیْتَنِیْ لَمْ اَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِیْلًا ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-ওয়াইলাতা-লাইতানী লাম আত্তাখিযফুলা-নান খালীলা-।
আল বায়ান:
'হায় আমার দুর্ভোগ, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম'।
তাইসিরুল কুরআন:
হায় আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!
Sahih International:
Oh, woe to me! I wish I had not taken that one as a friend.



لَقَدْ اَضَلَّنِیْ عَنِ الذِّکْرِ بَعْدَ اِذْ جَآءَنِیْ ؕ وَ کَانَ الشَّیْطٰنُ لِلْاِنْسَانِ خَذُوْلًا ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ আদাল্লানী ‘আনিযযিকরি বা‘দা ইযজাআনী ওয়া কা-নাশশাইতা-নু লিলইনছা-নি খাযূলা-।
আল বায়ান:
‘অবশ্যই সে তো আমাকে উপদেশবাণী থেকে বিভ্রান্ত করেছিল, আমার কাছে তা আসার পর। আর শয়তান তো মানুষের জন্য চরম প্রতারক’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে তো আমাকে উপদেশ বাণী থেকে বিভ্রান্ত করেছিল আমার কাছে তা আসার পর, শয়ত্বান মানুষের প্রতি বিশ্বাসঘাতক।
Sahih International:
He led me away from the remembrance after it had come to me. And ever is Satan, to man, a deserter."



وَ قَالَ الرَّسُوْلُ یٰرَبِّ اِنَّ قَوْمِی اتَّخَذُوْا هٰذَا الْقُرْاٰنَ مَهْجُوْرًا ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাররাছূলুইয়া-রাব্বি ইন্না কাওমিততাখাযূহা-যাল কুরআ-না মাহজূরা-।
আল বায়ান:
আর রাসূল বলবে, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
রসূল বলবে- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জাতির লোকেরা এ কুরআনকে পরিত্যক্ত গণ্য করেছিল।’
Sahih International:
And the Messenger has said, "O my Lord, indeed my people have taken this Qur'an as [a thing] abandoned."



وَ کَذٰلِکَ جَعَلْنَا لِکُلِّ نَبِیٍّ عَدُوًّا مِّنَ الْمُجْرِمِیْنَ ؕ وَ کَفٰی بِرَبِّکَ هَادِیًا وَّ نَصِیْرًا ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা জা‘আলনা-লিকুল্লি নাবিইয়িন ‘আদুওওয়াম মিনাল মুজরিমীনা ওয়া কাফা-বিরাব্বিকা হা-দিয়াওঁ ওয়া নাসীরা-।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর জন্য অপরাধীদের মধ্য থেকে শত্রু বানিয়েছি। আর পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে তোমার রবই যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর জন্য অপরাধীদের মধ্য হতে শত্রু বানিয়ে দিয়েছি, পথ প্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট।
Sahih International:
And thus have We made for every prophet an enemy from among the criminals. But sufficient is your Lord as a guide and a helper.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَوْ لَا نُزِّلَ عَلَیْهِ الْقُرْاٰنُ جُمْلَۃً وَّاحِدَۃً ۚۛ کَذٰلِکَ ۚۛ لِنُثَبِّتَ بِهٖ فُؤَادَکَ وَ رَتَّلْنٰهُ تَرْتِیْلًا ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূলাওলা-নুযযিলা ‘আলাইহিল কুরআ-নুজুম লাতাওঁ ওয়াহিদাতান কাযা-লিকা লিনুছাব্বিতা বিহী ফুআ-দাকা ওয়া রাত্তালনা-হু তারতীলা-।
আল বায়ান:
আর কাফিররা বলে, ‘তার উপর পুরো কুরআন একসাথে কেন নাযিল করা হল না? এটা এজন্য যে, আমি এর মাধ্যমে তোমার হৃদয়কে সুদৃঢ় করব। আর আমি তা আবৃত্তি করেছি ধীরে ধীরে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা বলে- তার কাছে পুরো কুরআন এক সাথে অবতীর্ণ করা হল না কেন? আমি এভাবেই অবতীর্ণ করেছি। তোমার হৃদয়কে তা দ্বারা সুদৃঢ় করার জন্য আমি তোমার কাছে তা ধীরে ধীরে পরিকল্পিত স্তরে ক্রমশঃ আবৃত্তি করিয়েছি।
Sahih International:
And those who disbelieve say, "Why was the Qur'an not revealed to him all at once?" Thus [it is] that We may strengthen thereby your heart. And We have spaced it distinctly.



وَ لَا یَاْتُوْنَکَ بِمَثَلٍ اِلَّا جِئْنٰکَ بِالْحَقِّ وَ اَحْسَنَ تَفْسِیْرًا ﴿ؕ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা ইয়া’তূনাকা বিমাছালিন ইল্লা-জি’না-কা বিল হাক্কিওয়া আহছানা তাফছীরা-।
আল বায়ান:
আর তারা তোমার কাছে যে কোন বিষয়ই নিয়ে আসুক না কেন, আমি এর সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা তোমার কাছে নিয়ে এসেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার কাছে তারা এমন কোন সমস্যাই নিয়ে আসে না যার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করিনি।
Sahih International:
And they do not come to you with an argument except that We bring you the truth and the best explanation.



اَلَّذِیْنَ یُحْشَرُوْنَ عَلٰی وُجُوْهِهِمْ اِلٰی جَهَنَّمَ ۙ اُولٰٓئِکَ شَرٌّ مَّکَانًا وَّ اَضَلُّ سَبِیْلًا ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইউহশারূনা ‘আলা-উজূহিহিম ইলা-জাহান্নামা উলাইকা শাররুম মাকানাওঁ ওয়া আদাল্লুছাবীলা-।
আল বায়ান:
যাদেরকে মুখের উপর ভর দেয়া অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্র করা হবে। এরা মর্যাদায় অধিক নিকৃষ্ট এবং পথের দিক থেকে সবচেয়ে বেশী পথভ্রষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
যাদেরকে মুখের ভরে জাহান্নামের পানে একত্রিত করা হবে, তারা মর্যাদার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আর পথের দিক থেকে সবচেয়ে গুমরাহ্।
Sahih International:
The ones who are gathered on their faces to Hell - those are the worst in position and farthest astray in [their] way.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْکِتٰبَ وَ جَعَلْنَا مَعَهٗۤ اَخَاهُ هٰرُوْنَ وَزِیْرًا ﴿ۚۖ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ আ-তাইনা- মূছাল কিতা-বা ওয়া জা‘আলনা- মা‘আহূআখা-হুহা-রূনা ওয়াযীরা-।
আল বায়ান:
আর আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম এবং তার সাথে তার ভাই হারূনকে সাহায্যকারী বানিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম আর তার সাথে তার ভাই হারূনকে আমি সাহায্যকারী বানিয়েছিলাম।
Sahih International:
And We had certainly given Moses the Scripture and appointed with him his brother Aaron as an assistant.



فَقُلْنَا اذْهَبَاۤ اِلَی الْقَوْمِ الَّذِیْنَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا ؕ فَدَمَّرْنٰهُمْ تَدْمِیْرًا ﴿ؕ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফাকুলনাযহাবাইলাল কাওমিল্লাযীনা কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা- ফাদাম্মারনা-হুম তাদমীরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি বলেছিলাম, তোমরা দু’জন সেই কওমের নিকট যাও, যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে। অতঃপর আমি তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদেরকে বলেছিলাম, ‘তোমরা সেই জাতির নিকট যাও যারা আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’ অতঃপর আমি তাদেরকে পূর্ণ বিধ্বস্তিতে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিলাম।
Sahih International:
And We said, "Go both of you to the people who have denied Our signs." Then We destroyed them with [complete] destruction.



وَ قَوْمَ نُوْحٍ لَّمَّا کَذَّبُوا الرُّسُلَ اَغْرَقْنٰهُمْ وَ جَعَلْنٰهُمْ لِلنَّاسِ اٰیَۃً ؕ وَ اَعْتَدْنَا لِلظّٰلِمِیْنَ عَذَابًا اَلِیْمًا ﴿ۚۖ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাওমা নূহিল লাম্মা-কাযযাবুর রুছুলা আগরাকনা-হুম ওয়া জা‘আলনা-হুম লিন্না-ছি আ-য়াতাওঁ ওয়া আ‘তাদনা-লিজ্জা-লিমীনা ‘আযা-বান আলীমা-
আল বায়ান:
আর নূহের কওমকে, যখন তারা রাসূলদেরকে অস্বীকার করল, আমি তাদেরকে ডুবিয়ে দিলাম এবং তাদেরকে মানুষের জন্য নিদর্শন বানিয়ে দিলাম। আর আমি যালিমদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আর নূহের জাতি যখন রসূলদেরকে মিথ্যারোপ করল, আমি তাদেরকে ডুবিয়ে দিলাম, আর মানুষের জন্য তাদেরকে নিদর্শন বানিয়ে দিলাম। আমি যালিমদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
Sahih International:
And the people of Noah - when they denied the messengers, We drowned them, and We made them for mankind a sign. And We have prepared for the wrongdoers a painful punishment.



وَّ عَادًا وَّ ثَمُوْدَا۠ وَ اَصْحٰبَ الرَّسِّ وَ قُرُوْنًۢا بَیْنَ ذٰلِکَ کَثِیْرًا ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া-‘আদাওঁ ওয়া ছামূদা ওয়া আসহা-বার রাছছি ওয়া কুরূনাম বাইনা যা-লিকা কাছীরা-।
আল বায়ান:
আর ধ্বংস ‘আদ, সামূদ, ‘রাস’ এর অধিবাসী এবং তাদের মধ্যবর্তী কালের বহু প্রজন্মের উপরও।
তাইসিরুল কুরআন:
সে রকমই আমি ধ্বংস করেছি ‘আদ, সামূদ, কূপবাসী আর তাদের মধ্যবর্তী বহু বহু বংশধরকে।
Sahih International:
And [We destroyed] 'Aad and Thamud and the companions of the well and many generations between them.



وَ کُلًّا ضَرَبْنَا لَهُ الْاَمْثَالَ ۫ وَ کُلًّا تَبَّرْنَا تَتْبِیْرًا ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল্লান দারাবনা-লাহুল আমছা-লা ওয়া কুল্লান তাব্বারনা-তাতবীরা-।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের প্রত্যেকের জন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছি এবং তাদের প্রত্যেককেই আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের প্রত্যেকের জন্য দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছিলাম (যাতে তারা সঠিক পথের সন্ধান পেতে পারে) আর তাদের প্রত্যেককেই সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম (তাদের পাপের কারণে)।
Sahih International:
And for each We presented examples [as warnings], and each We destroyed with [total] destruction.



وَ لَقَدْ اَتَوْا عَلَی الْقَرْیَۃِ الَّتِیْۤ اُمْطِرَتْ مَطَرَ السَّوْءِ ؕ اَفَلَمْ یَکُوْنُوْا یَرَوْنَهَا ۚ بَلْ کَانُوْا لَا یَرْجُوْنَ نُشُوْرًا ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আতাও ‘আলাল কারয়াতিল্লাতীউমতিরাত মাতারাছছাওই আফালাম ইয়াকূনূইয়ারাওনাহা- বাল কা-নূলা-ইয়ারজূনা নুশূরা-।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তারা সে জনপদ দিয়ে অতিক্রম করেছে, যাতে অকল্যাণের বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিল। তবে কি তারা তা দেখেনি? বরং তারা পুনরুত্থানের প্রত্যাশা করত না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (অর্থাৎ কাফিররা) তো সে জনপদ দিয়েই অতিক্রম করে যার উপর বর্ষিত হয়েছিল অকল্যাণের বৃষ্টি, তারা কি তা দেখে না? আসলে তারা পুনরুত্থানের কথা চিন্তা করে না।
Sahih International:
And they have already come upon the town which was showered with a rain of evil. So have they not seen it? But they are not expecting resurrection.



وَ اِذَا رَاَوْکَ اِنْ یَّتَّخِذُوْنَکَ اِلَّا هُزُوًا ؕ اَهٰذَا الَّذِیْ بَعَثَ اللّٰهُ رَسُوْلًا ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-রাআওকা ইয়ঁইয়াত্তাখিযূনাকা ইল্লা-হুযুওয়ান আহা-যাল্লাযী বা‘আছাল্লাহু রাছূলা-।
আল বায়ান:
আর তারা যখন তোমাকে দেখে, তখন তারা তোমাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্র হিসেবেই গ্রহণ করে, ‘এ-ই কি সেই লোক, যাকে আল্লাহ রাসূল করে পাঠিয়েছেন’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন তোমাকে দেখে, তারা তোমাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্র ছাড়া অন্য কিছু গণ্য করে না, আর বলে : এটা কি সেই লোক আল্লাহ যাকে রসূল করে পাঠিয়েছেন?
Sahih International:
And when they see you, [O Muhammad], they take you not except in ridicule, [saying], "Is this the one whom Allah has sent as a messenger?



اِنْ کَادَ لَیُضِلُّنَا عَنْ اٰلِهَتِنَا لَوْ لَاۤ اَنْ صَبَرْنَا عَلَیْهَا ؕ وَ سَوْفَ یَعْلَمُوْنَ حِیْنَ یَرَوْنَ الْعَذَابَ مَنْ اَضَلُّ سَبِیْلًا ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইন কা-দা লাইউদিল্লুনা-‘আন আ-লিহাতিনা- লাওলাআন সাবারনা-‘আলাইহা- ওয়া ছাওফা ইয়া‘লামূনা হীনা ইয়ারাওনাল ‘আযা-বা মান আদাল্লুছাবীলা-।
আল বায়ান:
‘সে তো আমাদেরকে আমাদের দেবতাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিত, যদি আমরা তাদের প্রতি অবিচল না থাকতাম’। আর যখন তারা আযাব দেখবে, তখন অবশ্যই জানতে পারবে কে অধিক পথভ্রষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
সে তো আমাদেরকে আমাদের ইলাহদের থেকে অবশ্যই সরিয়ে দিত যদি আমরা তাদের প্রতি দৃঢ়চিত্ত না থাকতাম। যখন তারা শাস্তি দেখবে তখন জানবে যে পথের ক্ষেত্রে কারা অধিক ভ্রষ্ট ছিল।
Sahih International:
He almost would have misled us from our gods had we not been steadfast in [worship of] them." But they are going to know, when they see the punishment, who is farthest astray in [his] way.



اَرَءَیْتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـهَهٗ هَوٰىهُ ؕ اَفَاَنْتَ تَکُوْنُ عَلَیْهِ وَکِیْلًا ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
আরাআইতা মানিততাখাযা ইলা-হাহূহাওয়া-হু আফাআনতা তাকূনু‘আলাইহি ওয়াকীলা-।
আল বায়ান:
তুমি কি তাকে দেখনি, যে তার প্রবৃত্তিকে নিজের ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে? তবুও কি তুমি তার যিম্মাদার হবে?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি তাকে দেখ না যে তার খেয়াল খুশিকে ইলাহরুপে গ্রহণ করেছে? এর পরেও কি তুমি তার কাজের জিম্মাদার হতে চাও?
Sahih International:
Have you seen the one who takes as his god his own desire? Then would you be responsible for him?



اَمْ تَحْسَبُ اَنَّ اَکْثَرَهُمْ یَسْمَعُوْنَ اَوْ یَعْقِلُوْنَ ؕ اِنْ هُمْ اِلَّا کَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ سَبِیْلًا ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
আম তাহছাবুআন্না আকছারাহুম ইয়াছমা‘ঊনা আও ইয়া‘কিলূনা ইন হুম ইল্লা-কাল আন‘আ-মি বাল হুম আদাল্লুছাবীলা-।
আল বায়ান:
তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ লোক শোনে অথবা বুঝে? তারা কেবল পশুদের মতো; বরং তারা আরো অধিক পথভ্রষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি এটা মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ লোক শুনে বা বুঝে? তারা পশু বৈ তো নয়, বরং তারা সঠিক পথ থেকে আরো বেশি ভ্রষ্ট।
Sahih International:
Or do you think that most of them hear or reason? They are not except like livestock. Rather, they are [even] more astray in [their] way.



اَلَمْ تَرَ اِلٰی رَبِّکَ کَیْفَ مَدَّ الظِّلَّ ۚ وَ لَوْ شَآءَ لَجَعَلَهٗ سَاکِنًا ۚ ثُمَّ جَعَلْنَا الشَّمْسَ عَلَیْهِ دَلِیْلًا ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা ইলা-রাব্বিকা কাইফা মাদ্দাজজিল্লা ওয়ালাও শাআ লাজা‘আলাহূছাকিনান ছু ম্মা জা‘আলনাশশামছা ‘আলাইহি দালীলা-।
আল বায়ান:
তুমি কি তোমার রবকে দেখনি, কীভাবে তিনি ছায়াকে দীর্ঘ করেছেন, আর তিনি যদি চাইতেন, তাহলে তাকে অবশ্যই স্থির করে দিতে পারতেন। অতঃপর আমি সূর্যকে তার উপর নির্দেশক বানিয়ে দিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি তোমার প্রতিপালককে দেখ না কীভাবে তিনি ছায়াকে দীর্ঘ করেন (সূর্য উদয়ের সময়ে, অতঃপর তা ক্রমেই ছোট হতে হতে দুপুর বেলা ছায়া ক্ষুদ্র আকৃতি ধারণ করে, দুপুরের পর আবার ছায়া দীর্ঘ হতে থাকে), তিনি চাইলে ছায়াকে অবশ্যই স্থির রাখতে পারতেন। সূর্যকেই আমি করেছি তার (অর্থাৎ ছায়ার) নির্ণায়ক (সূর্যের অবস্থানের কারণেই ছায়া ছোট ও দীর্ঘ হয়)।
Sahih International:
Have you not considered your Lord - how He extends the shadow, and if He willed, He could have made it stationary? Then We made the sun for it an indication.



ثُمَّ قَبَضْنٰهُ اِلَیْنَا قَبْضًا یَّسِیْرًا ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা কাবাদনা-হু ইলাইনা-কাবদাইঁ ইয়াছীরা-।
আল বায়ান:
তারপর আমি এটাকে ধীরে ধীরে আমার দিকে গুটিয়ে আনি।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে নিজের দিকে গুটিয়ে নেই, ধীরে ধীরে ক্রমাগতভাবে (কারো মৃত্যু হলে, কিছু বিনাশ হলে, কিছু গুটানো হলে- সব কিছুই আল্লাহর দিকে চলে যায়)।
Sahih International:
Then We hold it in hand for a brief grasp.



وَ هُوَ الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الَّیْلَ لِبَاسًا وَّ النَّوْمَ سُبَاتًا وَّ جَعَلَ النَّهَارَ نُشُوْرًا ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল্লাইলা লিবা-ছাওঁ ওয়ান নাওমা ছুবা-তাওঁ ওয়া জা‘আলান্নাহা-রা নুশূরা-।
আল বায়ান:
আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময়।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণ, নিদ্রাকে করেছেন আরামপ্রদ আর দিনকে করেছেন (নিদ্রারূপী সাময়িক মৃত্যুর পর) আবার জীবন্ত হয়ে উঠার সময়।
Sahih International:
And it is He who has made the night for you as clothing and sleep [a means for] rest and has made the day a resurrection.



وَ هُوَ الَّذِیْۤ اَرْسَلَ الرِّیٰحَ بُشْرًۢا بَیْنَ یَدَیْ رَحْمَتِهٖ ۚ وَ اَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً طَهُوْرًا ﴿ۙ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযীআরছালাররিয়া-হা বুশরাম বাইনা ইয়াদাই রাহমাতিহী ওয়া আনযালনা-মিনাছছামাই মাআন তাহূরা-।
আল বায়ান:
আর তিনিই তাঁর রহমতের প্রাক্কালে সুসংবাদস্বরূপ বায়ু পাঠিয়েছেন এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্র পানি বর্ষণ করেছি,
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই তার (বৃষ্টিরূপী) অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদ হিসেবে বায়ু পাঠিয়ে দেন আর আমি আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি।
Sahih International:
And it is He who sends the winds as good tidings before His mercy, and We send down from the sky pure water



لِّنُحْیِۦَ بِهٖ بَلْدَۃً مَّیْتًا وَّ نُسْقِیَهٗ مِمَّا خَلَقْنَاۤ اَنْعَامًا وَّ اَنَاسِیَّ کَثِیْرًا ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
লিনুহইইয়া বিহী বালদাতাম মাইতাওঁ ওয়া নুছকিয়াহূমিম্মা- খালাকনাআন‘আ-মাওঁ ওয়াআনা-ছিইইয়া কাছীরা-।
আল বায়ান:
যাতে তা দ্বারা মৃত ভূ-খন্ডকে জীবিত করি এবং আমি যে সকল জীবজন্তু ও মানুষ সৃষ্টি করেছি, তার মধ্য থেকে অনেককে তা পান করাই।
তাইসিরুল কুরআন:
যা দিয়ে আমি মৃত যমীনকে জীবিত করে তুলি এবং তৃষ্ণা নিবারণ করি আমার সৃষ্টির অন্তর্গত অনেক জীবজন্তুর ও মানুষের।
Sahih International:
That We may bring to life thereby a dead land and give it as drink to those We created of numerous livestock and men.



وَ لَقَدْ صَرَّفْنٰهُ بَیْنَهُمْ لِیَذَّکَّرُوْا ۫ۖ فَاَبٰۤی اَکْثَرُ النَّاسِ اِلَّا کُفُوْرًا ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ সাররাফনা-হু বাইনাহুম লিয়াযযাক্কারূ ফাআবা আকছারুন্না-ছি ইল্লাকুফূরা-।
আল বায়ান:
আর আমি তা তাদের মধ্যে বণ্টন করি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে; তারপর অধিকাংশ লোক শুধু অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি পানিকে (সকলের প্রয়োজন মেটানোর জন্য) তাদের মাঝে বণ্টন করি যাতে তারা (আল্লাহর অনুগ্রহের কথা) স্মরণ করে, কিন্তু মানুষদের অধিকাংশই ঈমান গ্রহণ করতে অস্বীকার ক’রে কেবল কুফরিই করল।
Sahih International:
And We have certainly distributed it among them that they might be reminded, but most of the people refuse except disbelief.



وَ لَوْ شِئْنَا لَبَعَثْنَا فِیْ کُلِّ قَرْیَۃٍ نَّذِیْرًا ﴿۫ۖ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও শি’না-লাবা‘আছনা-ফী কুল্লি কারইয়াতিন নাযীরা-।
আল বায়ান:
আর আমি ইচ্ছা করলে প্রতিটি জনপদে একজন সতর্ককারী পাঠাতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইচ্ছে করলে প্রত্যেক জনবসতিতে সতর্ককারী পাঠাতাম। (কিন্তু সারা বিশ্বের জন্য একজন নবী পাঠিয়ে সকলকে একই উম্মাত হওয়ার অনুগ্রহ লাভে ধন্য করেছি)।
Sahih International:
And if We had willed, We could have sent into every city a warner.



فَلَا تُطِعِ الْکٰفِرِیْنَ وَ جَاهِدْهُمْ بِهٖ جِهَادًا کَبِیْرًا ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ফালা-তুতি‘ইল কা-ফিরীনা ওয়া জা-হিদহুম বিহী জিহা-দান কাবীরা-।
আল বায়ান:
সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করো না এবং তুমি কুরআনের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম কর।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি কাফিরদের আনুগত্য করো না: আর কুরআনের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কর- কঠোর সংগ্রাম।
Sahih International:
So do not obey the disbelievers, and strive against them with the Qur'an a great striving.



وَ هُوَ الَّذِیْ مَرَجَ الْبَحْرَیْنِ هٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَّ هٰذَا مِلْحٌ اُجَاجٌ ۚ وَ جَعَلَ بَیْنَهُمَا بَرْزَخًا وَّ حِجْرًا مَّحْجُوْرًا ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী মারাজাল বাহরাইনি হা-যা-‘আযবুন ফুরা-তুওঁ ওয়া হা-যা-মিলহুন উজা-জুওঁ ওয়া জা‘আলা বাইনাহুমা-বারযাখাওঁ ওয়া হিজরাম মাহজূরা-।
আল বায়ান:
আর তিনিই দু’টো সাগরকে একসাথে প্রবাহিত করেছেন। একটি সুপেয় সুস্বাদু, অপরটি লবণাক্ত ক্ষারবিশিষ্ট এবং তিনি এতদোভয়ের মাঝখানে একটি অন্তরায় ও একটি অনতিক্রম্য সীমানা স্থাপন করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই সমুদ্রকে দু’ ধারায় প্রবাহিত করেছেন- একটি সুপেয় সুস্বাদু আরেকটি লবণাক্ত কটু, উভয়ের মাঝে টেনে দিয়েছেন এক আবরণ- এক অনতিক্রম্য বিভক্তি-প্রাচীর।
Sahih International:
And it is He who has released [simultaneously] the two seas, one fresh and sweet and one salty and bitter, and He placed between them a barrier and prohibiting partition.



وَ هُوَ الَّذِیْ خَلَقَ مِنَ الْمَآءِ بَشَرًا فَجَعَلَهٗ نَسَبًا وَّ صِهْرًا ؕ وَ کَانَ رَبُّکَ قَدِیْرًا ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী খালাকা মিনাল মাই বাশরান ফাজা‘আলাহূনাছাবাওঁ ওয়া সিহরাও ওয়া কা-না রাব্বুকা কাদীরা-।
আল বায়ান:
আর তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি তাকে বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্কযুক্ত করেছেন। আর তোমার রব হল প্রভূত ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানুষ, অতঃপর মানুষকে করেছেন বংশ সম্পর্কীয় ও বিবাহ সম্পর্কীয়, তোমার প্রতিপালক সব কিছু করতে সক্ষম।
Sahih International:
And it is He who has created from water a human being and made him [a relative by] lineage and marriage. And ever is your Lord competent [concerning creation].



وَ یَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَنْفَعُهُمْ وَ لَا یَضُرُّهُمْ ؕ وَ کَانَ الْکَافِرُ عَلٰی رَبِّهٖ ظَهِیْرًا ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি মা-লা-ইয়ানফা‘উহুম ওয়ালা-ইয়াদুররুহুম ওয়া কা-নাল কা-ফিরু ‘আলা-রাব্বিহী জাহীরা-।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদাত করে, যা তাদের কোন উপকারও করতে পারে না এবং তাদের কোন ক্ষতিও করতে পারে না। আর কাফির তো তার রবের বিরুদ্ধে সাহায্যকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর ‘ইবাদাত করে যা না পারে তাদের কোন উপকার করতে, আর না পারে কোন ক্ষতি করতে, আর কাফির হচ্ছে তার প্রতিপালকের বিরুদ্ধে সাহায্যকারী।
Sahih International:
But they worship rather than Allah that which does not benefit them or harm them, and the disbeliever is ever, against his Lord, an assistant [to Satan].



وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰکَ اِلَّا مُبَشِّرًا وَّ نَذِیْرًا ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআরছালনা-কা ইল্লা-মুবাশশিরাওঁ ওয়া নাযীরা-।
আল বায়ান:
আর আমি তো তোমাকে শুধুমাত্র সুংসবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপেই প্রেরণ করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাকে পাঠিয়েছি কেবল সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে।
Sahih International:
And We have not sent you, [O Muhammad], except as a bringer of good tidings and a warner.



قُلْ مَاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ مِنْ اَجْرٍ اِلَّا مَنْ شَآءَ اَنْ یَّتَّخِذَ اِلٰی رَبِّهٖ سَبِیْلًا ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
কুলমাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইল্লা-মান শাআ আইঁ ইয়াত্তাখিযাইলারাব্বিহী ছাবীলা-।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। তবে যার ইচ্ছা তার রবের দিকে পথ অবলম্বন করুক।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- এজন্য আমি তোমাদের কাছে এছাড়া কোন প্রতিদান চাই না যে, যার ইচ্ছে সে তার প্রতিপালকের দিকে পথ অবলম্বন করুক।
Sahih International:
Say, "I do not ask of you for it any payment - only that whoever wills might take to his Lord a way."



وَ تَوَکَّلْ عَلَی الْحَیِّ الَّذِیْ لَا یَمُوْتُ وَ سَبِّحْ بِحَمْدِهٖ ؕ وَ کَفٰی بِهٖ بِذُنُوْبِ عِبَادِهٖ خَبِیْرَا ﴿ۚۛۙ۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল হাইয়িল্লাযী লা-ইয়ামূতুওয়া ছাব্বিহবিহামদিহী ওয়া কাফাবিহী বিযুনূবি ‘ইবা-দিহী খাবীরা ।
আল বায়ান:
আর তুমি ভরসা কর এমন চিরঞ্জীব সত্তার উপর যিনি মরবেন না। তাঁর প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ কর। তাঁর বান্দাদের পাপ সম্পর্কে খবর রাখার ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি নির্ভর কর সেই চিরঞ্জীবের উপর যিনি মরবেন না। আর তাঁর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা কর। তিনি তাঁর বান্দাহদের গুনাহর খবর রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট।
Sahih International:
And rely upon the Ever-Living who does not die, and exalt [Allah] with His praise. And sufficient is He to be, with the sins of His servants, Acquainted -



ۣالَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَا فِیْ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ ۚۛ اَلرَّحْمٰنُ فَسْـَٔلْ بِهٖ خَبِیْرًا ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়ালা আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-ফী ছিত্তাতি আইয়া-মিন ছু ম্মাছতাওয়া-‘আলাল ‘আরশি আররাহমা-নূফাছআল বিহী খাবীরা-
আল বায়ান:
যিনি আসমান, যমীন ও উভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি আরশে উঠেছেন। পরম করুণাময়। সুতরাং তাঁর সম্পর্কে যিনি সম্যক অবহিত, তুমি তাকেই জিজ্ঞাসা কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আসমান, যমীন আর এ দু’য়ের ভিতরে যা আছে তা ছ’দিনে (ছ’টি সময় স্তরে) সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। তিনিই রাহমান, কাজেই তাঁর সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস কর যে এ সম্পর্কিত জ্ঞান রাখে।
Sahih International:
He who created the heavens and the earth and what is between them in six days and then established Himself above the Throne - the Most Merciful, so ask about Him one well informed.



وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمُ اسْجُدُوْا لِلرَّحْمٰنِ قَالُوْا وَ مَا الرَّحْمٰنُ ٭ اَنَسْجُدُ لِمَا تَاْمُرُنَا وَ زَادَهُمْ نُفُوْرًا ﴿ٛ۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুছজু দূ লিররাহমা-নি কা-লূ ওয়ামার রাহমা-নু আনাছজুদু লিমা-তা’মুরুনা-ওয়া যা-দাহুম নুফূরা (ছিজদাহ-৭) ।
আল বায়ান:
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা ‘রহমান’ কে সিজদা কর, তখন তারা বলে, রহমান কী আবার? তুমি আমাদেরকে আদেশ করলেই কি আমরা সিজদা করব? আর এটা তাদের পলায়নপরতাই বৃদ্ধি করে।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন বলা হয় ‘রহমান’-এর উদ্দেশে সাজদায় অবনত হও, তারা বলে- ‘রহমান আবার কী? আমাদেরকে তুমি যাকেই সেজদা করতে বলবে আমরা তাকেই সেজদা করব নাকি?’ এতে তাদের অবাধ্যতাই বেড়ে যায়। [সাজদাহ]
Sahih International:
And when it is said to them, "Prostrate to the Most Merciful," they say, "And what is the Most Merciful? Should we prostrate to that which you order us?" And it increases them in aversion.



تَبٰرَکَ الَّذِیْ جَعَلَ فِی السَّمَآءِ بُرُوْجًا وَّ جَعَلَ فِیْهَا سِرٰجًا وَّ قَمَرًا مُّنِیْرًا ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
তাবা-রাকাল্লাযী জা‘আলা ফিছছামাইবুরূজাওঁ ওয়া জা‘আলা ফীহা- ছিরা-জাওঁ ওয়া কামারাম মুনীরা-।
আল বায়ান:
বরকতময় সে সত্তা যিনি আসমানে সৃষ্টি করেছেন বিশালকায় গ্রহসমূহ। আর তাতে প্রদীপ ও আলো বিকিরণকারী চাঁদ সৃষ্টি করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
কতই না কল্যাণময় তিনি যিনি আসমানে নক্ষত্ররাজির সমাবেশ ঘটিয়েছেন আর তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ আর আলো বিকিরণকারী চন্দ্র।
Sahih International:
Blessed is He who has placed in the sky great stars and placed therein a [burning] lamp and luminous moon.



وَ هُوَ الَّذِیْ جَعَلَ الَّیْلَ وَ النَّهَارَ خِلْفَۃً لِّمَنْ اَرَادَ اَنْ یَّذَّکَّرَ اَوْ اَرَادَ شُکُوْرًا ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী জা‘আলাল লাইলা ওয়ান্নাহা-রা খিলফাতাল লিমান আরা-দা আইঁ ইয়াযযাক্কারা আও আরা-দা শুকূরা-।
আল বায়ান:
আর তিনি দিবা-রাত্রিকে পরস্পরের অনুগামী করেছেন। যে উপদেশ গ্রহণ করতে চায় অথবা কৃতজ্ঞ হতে চায় তার জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তিনিই রাত আর দিনকে করেছেন পরস্পরের অনুগামী তাদের জন্য যারা উপদেশ গ্রহণ করতে চায়, অথবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায়।
Sahih International:
And it is He who has made the night and the day in succession for whoever desires to remember or desires gratitude.



وَ عِبَادُ الرَّحْمٰنِ الَّذِیْنَ یَمْشُوْنَ عَلَی الْاَرْضِ هَوْنًا وَّ اِذَا خَاطَبَهُمُ الْجٰهِلُوْنَ قَالُوْا سَلٰمًا ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘ইবা-দুররাহমা-নিল্লাযীনা ইয়ামশূনা ‘আলাল আরদি হাওনাওঁ ওয়া ইযা তাবাহুমুল জা-হিলূনা কা-লূছালা-মা-।
আল বায়ান:
আর রহমানের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে ‘সালাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর রহমানের বান্দা তারাই যারা যমীনে নম্রভাবে চলাফেরা করে আর অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে সম্বোধন করলে তারা বলে- ‘শান্তি’, (আমরা বিতর্কে লিপ্ত হতে চায় না)।
Sahih International:
And the servants of the Most Merciful are those who walk upon the earth easily, and when the ignorant address them [harshly], they say [words of] peace,



وَ الَّذِیْنَ یَبِیْتُوْنَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَّ قِیَامًا ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইয়াবীতূনা লিরাব্বিহিম ছুজ্জাদাওঁ ওয়া কিয়া-মা-।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের রবের জন্য সিজদারত ও দন্ডায়মান হয়ে রাত্রি যাপন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা রাত কাটায় তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশে সাজদায় অবনত ও দন্ডায়মান অবস্থায়।
Sahih International:
And those who spend [part of] the night to their Lord prostrating and standing [in prayer]



وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ٭ۖ اِنَّ عَذَابَهَا کَانَ غَرَامًا ﴿٭ۖ۶۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইয়াকূলূনা রাব্বানাসরিফ ‘আন্না-‘আযা-বা জাহান্নামা ইন্না ‘আযা-বাহাকা-না গারা-মা-।
আল বায়ান:
আর যারা বলে, ‘হে আমাদের রব, তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব ফিরিয়ে নাও। নিশ্চয় এর আযাব হল অবিচ্ছিন্ন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলে : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি দূর কর, তার শাস্তি তো ভয়াবহ বিপদ।’
Sahih International:
And those who say, "Our Lord, avert from us the punishment of Hell. Indeed, its punishment is ever adhering;



اِنَّهَا سَآءَتْ مُسْتَقَرًّا وَّ مُقَامًا ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহা-ছাআত মুছতাকাররাওঁ ওয়া মুকা-মা-।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় তা অবস্থানস্থল ও আবাসস্থল হিসেবে অত্যন্ত নিকৃষ্ট’।
তাইসিরুল কুরআন:
তা আবাসস্থল আর অবস্থান নেয়ার জায়গা হিসেবে কতই না নিকৃষ্ট!
Sahih International:
Indeed, it is evil as a settlement and residence."



وَ الَّذِیْنَ اِذَاۤ اَنْفَقُوْا لَمْ یُسْرِفُوْا وَ لَمْ یَقْتُرُوْا وَ کَانَ بَیْنَ ذٰلِکَ قَوَامًا ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইযা-আনফাকূলাম ইউছরিফূওয়া লাম ইয়াকতুরূওয়া কা-না বাইনা যা-লিকা কাওয়া-মা-।
আল বায়ান:
আর তারা যখন ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না। বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, আর কৃপণতাও করে না; এ দু’য়ের মধ্যবর্তী পন্থা গ্রহণ করে।
Sahih International:
And [they are] those who, when they spend, do so not excessively or sparingly but are ever, between that, [justly] moderate



وَ الَّذِیْنَ لَا یَدْعُوْنَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ وَ لَا یَقْتُلُوْنَ النَّفْسَ الَّتِیْ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالْحَقِّ وَ لَا یَزْنُوْنَ ۚ وَ مَنْ یَّفْعَلْ ذٰلِکَ یَلْقَ اَثَامًا ﴿ۙ۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা লা-ইয়াদ‘ঊনা মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ওয়ালা-ইয়াকতুলূনান নাফছাল্লাতী হাররামাল্লা-হু ইল্লা-বিলহাক্কিওয়ালা-ইয়াযনূনা ওয়া মাইঁ ইয়াফ‘আল যা-লিকা ইয়ালকা আছা-মা-।
আল বায়ান:
আর যারা আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে না এবং যারা আল্লাহ যে নাফসকে হত্যা করা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না। আর যারা ব্যভিচার করে না। আর যে তা করবে সে আযাবপ্রাপ্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডাকে না। আর যথার্থতা ব্যতীত কোন প্রাণ হত্যা করে না যা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন আর তারা ব্যভিচার করে না। আর যে এগুলো করে সে শাস্তির সাক্ষাৎ লাভ করবে।
Sahih International:
And those who do not invoke with Allah another deity or kill the soul which Allah has forbidden [to be killed], except by right, and do not commit unlawful sexual intercourse. And whoever should do that will meet a penalty.



یُّضٰعَفْ لَهُ الْعَذَابُ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ وَ یَخْلُدْ فِیْهٖ مُهَانًا ﴿٭ۖ۶۹﴾
উচ্চারণ:
ইউদা-‘আফ লাহুল ‘আযা-বুইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া ইয়াখলুদ ফীহি মুহা-না-।
আল বায়ান:
কিয়ামতের দিন তার আযাব বর্ধিত করা হবে এবং সেখানে সে অপমানিত অবস্থায় স্থায়ী হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ক্বিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে আর সে সেখানে লাঞ্ছিত হয়ে চিরবাস করবে।
Sahih International:
Multiplied for him is the punishment on the Day of Resurrection, and he will abide therein humiliated -



اِلَّا مَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَاُولٰٓئِکَ یُبَدِّلُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِهِمْ حَسَنٰتٍ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মান তা-বা ওয়া আ-মানা ওয়া ‘আমিলা ‘আমালান সা-লিহান ফাউলাইকা ইউবাদ্দিলুল্লা-হু ছাইয়িআ-তিহিম হাছানা-তিও ওয়া কা-নাল্লা-হু গাফূরাররাহীমা-।
আল বায়ান:
তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে তারা নয় যারা তাওবাহ করবে, ঈমান আনবে, আর সৎ কাজ করবে। আল্লাহ এদের পাপগুলোকে পুণ্যে পরিবর্তিত করে দেবেন; আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
Except for those who repent, believe and do righteous work. For them Allah will replace their evil deeds with good. And ever is Allah Forgiving and Merciful.



وَ مَنْ تَابَ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَاِنَّهٗ یَتُوْبُ اِلَی اللّٰهِ مَتَابًا ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান তা-বা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ফাইন্নাহূইয়াতূবুইলাল্লা-হি মাতা-বা-।
আল বায়ান:
আর যে তাওবা করে এবং সৎকাজ করে তবে নিশ্চয় সে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে ব্যক্তি তাওবাহ করে আর সৎকাজ করে, সে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে- পূর্ণ প্রত্যাবর্তন।
Sahih International:
And he who repents and does righteousness does indeed turn to Allah with [accepted] repentance.



وَ الَّذِیْنَ لَا یَشْهَدُوْنَ الزُّوْرَ ۙ وَ اِذَا مَرُّوْا بِاللَّغْوِ مَرُّوْا کِرَامًا ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা লা-ইয়াশহাদূ নাযযূরা ওয়া ইযা-মাররূবিল্লাগবিমাররূকিরা-মা-।
আল বায়ান:
আর যারা মিথ্যার সাক্ষ্য হয় না এবং যখন তারা অনর্থক কথা-কর্মের পাশ দিয়ে চলে তখন সসম্মানে চলে যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা মিথ্যে সাক্ষ্য দেয় না, আর বেহুদা কর্মকান্ডের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলে সসম্মানে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
Sahih International:
And [they are] those who do not testify to falsehood, and when they pass near ill speech, they pass by with dignity.



وَ الَّذِیْنَ اِذَا ذُکِّرُوْا بِاٰیٰتِ رَبِّهِمْ لَمْ یَخِرُّوْا عَلَیْهَا صُمًّا وَّ عُمْیَانًا ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইযা-যুক্কিরূবিআ-য়া-তি রাব্বিহিম লাম ইয়াখিররূ‘আলাইহা-সুম্মাওঁ ওয়া ‘উমইয়া-না-।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দিলে অন্ধ ও বধিরদের মত পড়ে থাকে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে যারা তার প্রতি বধির ও অন্ধের ন্যায় আচরণ করে না (শুনেও শুনে না, দেখেও দেখে না- এমন করে না)।
Sahih International:
And those who, when reminded of the verses of their Lord, do not fall upon them deaf and blind.



وَ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعْیُنٍ وَّ اجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِیْنَ اِمَامًا ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইয়াকূ লূনা রাব্বানা-হাবলানা-মিন আযওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-।
আল বায়ান:
আর যারা বলে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা প্রার্থনা করে : হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান কর যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও।
Sahih International:
And those who say, "Our Lord, grant us from among our wives and offspring comfort to our eyes and make us an example for the righteous."



اُولٰٓئِکَ یُجْزَوْنَ الْغُرْفَۃَ بِمَا صَبَرُوْا وَ یُلَقَّوْنَ فِیْهَا تَحِیَّۃً وَّ سَلٰمًا ﴿ۙ۷۵﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা ইউজযাওনাল গুরফাতা বিমা-সাবারূওয়া ইউলাক্কাওনা ফীহা-তাহিইইয়াতাওঁ ওয়া ছালা-মা-।
আল বায়ান:
তারাই, যাদেরকে [জান্নাতে] সুউচ্চ কক্ষ প্রতিদান হিসাবে দেয়া হবে যেহেতু তারা সবর করেছিল সেজন্য। আর তাদের সেখানে অভ্যর্থনা করা হবে অভিবাদন ও সালাম দ্বারা।
তাইসিরুল কুরআন:
এদেরকেই তাদের ধৈর্যধারণের কারণে জান্নাতের সুউচ্চ স্থান দান ক’রে পুরস্কৃত করা হবে। সেখানে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানানো হবে সংবর্ধনা ও সালাম জানিয়ে।
Sahih International:
Those will be awarded the Chamber for what they patiently endured, and they will be received therein with greetings and [words of] peace.



خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ؕ حَسُنَتْ مُسْتَقَرًّا وَّ مُقَامًا ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
খা-লিদীনা ফীহা-; হাছুনাত মুছতাকাররাওঁ ওয়া মুকা-মা-।
আল বায়ান:
সেখানে তারা স্থায়ী হবে। অবস্থানস্থল ও আবাসস্থল হিসেবে তা কতইনা উৎকৃষ্ট!
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, আবাসস্থল ও অবস্থানস্থল হিসেবে তা কতই না উৎকৃষ্ট!
Sahih International:
Abiding eternally therein. Good is the settlement and residence.



قُلْ مَا یَعْبَؤُا بِکُمْ رَبِّیْ لَوْ لَا دُعَآؤُکُمْ ۚ فَقَدْ کَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ یَکُوْنُ لِزَامًا ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
কুল মা-ইয়া‘বাউ বিকুম রাববী লাওলা-দু‘আউকুম ফাকাদ কাযযাবতুম ফাছাওফা ইয়াকূনুলিযা-মা-।
আল বায়ান:
বল, ‘যদি তোমরা না-ই ডাক তাহলে আমার রব তোমাদের কোন পরওয়া করেন না। তারপর তোমরা অস্বীকার করেছ। তাই অচিরেই অপরিহার্য হবে আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
(কাফিরদেরকে) বল : ‘তোমাদের ব্যাপারে আমার প্রতিপালকের কী প্রয়োজন পড়েছে তোমরা যদি তাঁকে না ডাকো? তোমরা তো তাঁকে অস্বীকার করেছ, কাজেই শীঘ্রই তোমাদের উপর এসে পড়বে অপ্রতিরোধ্য (শাস্তি)।
Sahih International:
Say, "What would my Lord care for you if not for your supplication?" For you [disbelievers] have denied, so your denial is going to be adherent.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।