দেখুন/লুকান:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
حٰمٓ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
হা-মীম।
হা-মীম।
আল বায়ান:
হা-মীম।
হা-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
হা-মীম।
হা-মীম।
Sahih International:
Ha, Meem.
Ha, Meem.
عٓسٓقٓ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
‘আইূন ছীন কাফ।
‘আইূন ছীন কাফ।
আল বায়ান:
‘আইন-সীন-কাফ।
‘আইন-সীন-কাফ।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আইন-সীন-ক্বাফ।
‘আইন-সীন-ক্বাফ।
Sahih International:
'Ayn, Seen, Qaf.
'Ayn, Seen, Qaf.
کَذٰلِکَ یُوْحِیْۤ اِلَیْکَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِکَ ۙ اللّٰهُ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা ইউহীইলাইকা ওয়া ইলাল্লাযীনা মিন কাবলিকাল্লা-হুল ‘আযীযুল হাকীম।
কাযা-লিকা ইউহীইলাইকা ওয়া ইলাল্লাযীনা মিন কাবলিকাল্লা-হুল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
এমনিভাবে মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তোমার কাছে ওহী প্রেরণ করেন এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছেও।
এমনিভাবে মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তোমার কাছে ওহী প্রেরণ করেন এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছেও।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবেই মহাপরাক্রমশালী মহাজ্ঞানী আল্লাহ তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্বে যারা ছিল তাদের প্রতি ওয়াহী নাযিল করেন।
এভাবেই মহাপরাক্রমশালী মহাজ্ঞানী আল্লাহ তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্বে যারা ছিল তাদের প্রতি ওয়াহী নাযিল করেন।
Sahih International:
Thus has He revealed to you, [O Muhammad], and to those before you - Allah, the Exalted in Might, the Wise.
Thus has He revealed to you, [O Muhammad], and to those before you - Allah, the Exalted in Might, the Wise.
لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ ؕ وَ هُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদি ওয়াহুয়াল ‘আলিইয়ুল ‘আজীম।
লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদি ওয়াহুয়াল ‘আলিইয়ুল ‘আজীম।
আল বায়ান:
আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং যমীনে যা কিছু আছে সব তাঁরই। তিনিই সমুন্নত, সুমহান।
আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং যমীনে যা কিছু আছে সব তাঁরই। তিনিই সমুন্নত, সুমহান।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ ও যমীনে যা কিছু আছে সবই তাঁর, তিনি সর্বোচ্চ, মহান।
আকাশ ও যমীনে যা কিছু আছে সবই তাঁর, তিনি সর্বোচ্চ, মহান।
Sahih International:
To Him belongs whatever is in the heavens and whatever is in the earth, and He is the Most High, the Most Great.
To Him belongs whatever is in the heavens and whatever is in the earth, and He is the Most High, the Most Great.
تَکَادُ السَّمٰوٰتُ یَتَفَطَّرْنَ مِنْ فَوْقِهِنَّ وَ الْمَلٰٓئِکَۃُ یُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَ یَسْتَغْفِرُوْنَ لِمَنْ فِی الْاَرْضِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
তাকা-দুছছামা-ওয়া-তুইয়াতাফাত্তারনা মিন ফাওকিহিন্না ওয়াল মালাইকাতুইউছাব্বিহূনা বিহামদি রাব্বিহিম ওয়া ইয়াছতাগফিরূনা লিমান ফিল আরদি আলাইন্নাল্লা-হা হুওয়াল গাফূরুর রাহীম।
তাকা-দুছছামা-ওয়া-তুইয়াতাফাত্তারনা মিন ফাওকিহিন্না ওয়াল মালাইকাতুইউছাব্বিহূনা বিহামদি রাব্বিহিম ওয়া ইয়াছতাগফিরূনা লিমান ফিল আরদি আলাইন্নাল্লা-হা হুওয়াল গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
উপর থেকে আসমান ফেটে পড়ার উপক্রম হয়; আর ফেরেশতারা তাদের রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করে এবং পৃথিবীতে যারা আছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে; জেনে রেখ, আল্লাহ, তিনি তো অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
উপর থেকে আসমান ফেটে পড়ার উপক্রম হয়; আর ফেরেশতারা তাদের রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করে এবং পৃথিবীতে যারা আছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে; জেনে রেখ, আল্লাহ, তিনি তো অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ উপর থেকে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় (সুমহান আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয়ভীতিতে) আর ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং যারা পৃথিবীতে আছে তাদের জন্য (আল্লাহর নিকট) ক্ষমা প্রার্থনা করে। জেনে রেখ, আল্লাহ, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
আকাশ উপর থেকে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় (সুমহান আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয়ভীতিতে) আর ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং যারা পৃথিবীতে আছে তাদের জন্য (আল্লাহর নিকট) ক্ষমা প্রার্থনা করে। জেনে রেখ, আল্লাহ, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
Sahih International:
The heavens almost break from above them, and the angels exalt [Allah] with praise of their Lord and ask forgiveness for those on earth. Unquestionably, it is Allah who is the Forgiving, the Merciful.
The heavens almost break from above them, and the angels exalt [Allah] with praise of their Lord and ask forgiveness for those on earth. Unquestionably, it is Allah who is the Forgiving, the Merciful.
وَ الَّذِیْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِیَآءَ اللّٰهُ حَفِیْظٌ عَلَیْهِمْ ۫ۖ وَ مَاۤ اَنْتَ عَلَیْهِمْ بِوَکِیْلٍ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআল্লা-হু হাফীজুন ‘আলাইহিম ওয়ামা আনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।
ওয়াল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআল্লা-হু হাফীজুন ‘আলাইহিম ওয়ামা আনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।
আল বায়ান:
আর যারা তাঁর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সম্যক দৃষ্টিদাতা এবং তুমি তাদের কর্মবিধায়ক নও।
আর যারা তাঁর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সম্যক দৃষ্টিদাতা এবং তুমি তাদের কর্মবিধায়ক নও।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি নযর রাখছেন, তাদের (কাজের) দায়-দায়িত্ব তোমার উপর নেই।
যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি নযর রাখছেন, তাদের (কাজের) দায়-দায়িত্ব তোমার উপর নেই।
Sahih International:
And those who take as allies other than Him - Allah is [yet] Guardian over them; and you, [O Muhammad], are not over them a manager.
And those who take as allies other than Him - Allah is [yet] Guardian over them; and you, [O Muhammad], are not over them a manager.
وَ کَذٰلِکَ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْکَ قُرْاٰنًا عَرَبِیًّا لِّتُنْذِرَ اُمَّ الْقُرٰی وَ مَنْ حَوْلَهَا وَ تُنْذِرَ یَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَیْبَ فِیْهِ ؕ فَرِیْقٌ فِی الْجَنَّۃِ وَ فَرِیْقٌ فِی السَّعِیْرِ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা কুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াল লিতুনযিরা উম্মাল কুরা-ওয়া মান হাওলাহা-ওয়া তুনযিরা ইয়াওমাল জাম‘ই লা-রাইবা ফীহি ফারীকুন ফিল জান্নাতি ওয়া ফারীকুন ফিছ ছা‘ঈর।
ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা কুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াল লিতুনযিরা উম্মাল কুরা-ওয়া মান হাওলাহা-ওয়া তুনযিরা ইয়াওমাল জাম‘ই লা-রাইবা ফীহি ফারীকুন ফিল জান্নাতি ওয়া ফারীকুন ফিছ ছা‘ঈর।
আল বায়ান:
আর এভাবেই আমি তোমার ওপর আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি যাতে তুমি মূল জনপদ ও তার আশপাশের বাসিন্দাদেরকে সতর্ক করতে পার, আর যাতে ‘একত্রিত হওয়ার দিন’ এর ব্যাপারে সতর্ক করতে পার, যাতে কোন সন্দেহ নেই, একদল থাকবে জান্নাতে আরেক দল জ্বলন্ত আগুনে।
আর এভাবেই আমি তোমার ওপর আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি যাতে তুমি মূল জনপদ ও তার আশপাশের বাসিন্দাদেরকে সতর্ক করতে পার, আর যাতে ‘একত্রিত হওয়ার দিন’ এর ব্যাপারে সতর্ক করতে পার, যাতে কোন সন্দেহ নেই, একদল থাকবে জান্নাতে আরেক দল জ্বলন্ত আগুনে।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি তোমার প্রতি কুরআন আরবী ভাষায় নাযিল করেছি যাতে তুমি উম্মুল কুরা (মক্কা শহর) ও তার চার পাশে যারা আছে তাদেরকে সতর্ক করতে পার, আর সতর্ক কর একত্রিত হওয়ার দিন সম্পর্কে যে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। (একত্রিত হওয়ার পর) এক দল যাবে জান্নাতে, আরেক দল যাবে জাহান্নামে।
এভাবে আমি তোমার প্রতি কুরআন আরবী ভাষায় নাযিল করেছি যাতে তুমি উম্মুল কুরা (মক্কা শহর) ও তার চার পাশে যারা আছে তাদেরকে সতর্ক করতে পার, আর সতর্ক কর একত্রিত হওয়ার দিন সম্পর্কে যে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। (একত্রিত হওয়ার পর) এক দল যাবে জান্নাতে, আরেক দল যাবে জাহান্নামে।
Sahih International:
And thus We have revealed to you an Arabic Qur'an that you may warn the Mother of Cities [Makkah] and those around it and warn of the Day of Assembly, about which there is no doubt. A party will be in Paradise and a party in the Blaze.
And thus We have revealed to you an Arabic Qur'an that you may warn the Mother of Cities [Makkah] and those around it and warn of the Day of Assembly, about which there is no doubt. A party will be in Paradise and a party in the Blaze.
وَ لَوْ شَآءَ اللّٰهُ لَجَعَلَهُمْ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ لٰکِنْ یُّدْخِلُ مَنْ یَّشَآءُ فِیْ رَحْمَتِهٖ ؕ وَ الظّٰلِمُوْنَ مَا لَهُمْ مِّنْ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیْرٍ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও শাআল্লা-হু লাজা‘আলাহুম উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাওঁ ওয়ালা-কিইঁ ইউদ খিলুমাইঁ ইয়াশাউ ফী রাহমাতিহী ওয়াজ্জা-লিমূনা মা-লাহুম মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।
ওয়ালাও শাআল্লা-হু লাজা‘আলাহুম উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাওঁ ওয়ালা-কিইঁ ইউদ খিলুমাইঁ ইয়াশাউ ফী রাহমাতিহী ওয়াজ্জা-লিমূনা মা-লাহুম মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।
আল বায়ান:
আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে এক জাতিভুক্ত করতে পারতেন; কিন্তু তিনি যাকে চান তাঁর রহমতে প্রবেশ করান আর যালিমদের জন্য কোন অভিভাবক নেই, সাহায্যকারীও নেই।
আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে এক জাতিভুক্ত করতে পারতেন; কিন্তু তিনি যাকে চান তাঁর রহমতে প্রবেশ করান আর যালিমদের জন্য কোন অভিভাবক নেই, সাহায্যকারীও নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদেরকে একই উম্মত করতেন, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছে তাঁর রহমাতের মধ্যে দাখিল করেন, আর যালিমদের জন্য নেই কোন অভিভাবক, নেই কোন সাহায্যকারী।
আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদেরকে একই উম্মত করতেন, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছে তাঁর রহমাতের মধ্যে দাখিল করেন, আর যালিমদের জন্য নেই কোন অভিভাবক, নেই কোন সাহায্যকারী।
Sahih International:
And if Allah willed, He could have made them [of] one religion, but He admits whom He wills into His mercy. And the wrongdoers have not any protector or helper.
And if Allah willed, He could have made them [of] one religion, but He admits whom He wills into His mercy. And the wrongdoers have not any protector or helper.
اَمِ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِیَآءَ ۚ فَاللّٰهُ هُوَ الْوَلِیُّ وَ هُوَ یُحْیِ الْمَوْتٰی ۫ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
আমিত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআ ফাল্লা-হু হুওয়াল ওয়ালিইয়ুওয়া হুওয়া ইউহয়িল মাওতা- ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আমিত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআ ফাল্লা-হু হুওয়াল ওয়ালিইয়ুওয়া হুওয়া ইউহয়িল মাওতা- ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
তারা কি তাঁকে বাদ দিয়ে বহু অভিভাবক গ্রহণ করেছে? কিন্তু আল্লাহ, তিনিই হলেন প্রকৃত অভিভাবক; তিনিই মৃতকে জীবিত করেন আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।
তারা কি তাঁকে বাদ দিয়ে বহু অভিভাবক গ্রহণ করেছে? কিন্তু আল্লাহ, তিনিই হলেন প্রকৃত অভিভাবক; তিনিই মৃতকে জীবিত করেন আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
কী! তারা কি আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবক গ্রহণ করে নিয়েছে? আল্লাহই তো একমাত্র অভিভাবক, তিনিই মৃতকে জীবিত করেন আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
কী! তারা কি আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবক গ্রহণ করে নিয়েছে? আল্লাহই তো একমাত্র অভিভাবক, তিনিই মৃতকে জীবিত করেন আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
Sahih International:
Or have they taken protectors [or allies] besides him? But Allah - He is the Protector, and He gives life to the dead, and He is over all things competent.
Or have they taken protectors [or allies] besides him? But Allah - He is the Protector, and He gives life to the dead, and He is over all things competent.
وَ مَا اخْتَلَفْتُمْ فِیْهِ مِنْ شَیْءٍ فَحُکْمُهٗۤ اِلَی اللّٰهِ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبِّیْ عَلَیْهِ تَوَکَّلْتُ ٭ۖ وَ اِلَیْهِ اُنِیْبُ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাখ তালাফতুম ফীহি মিন শাইয়িন ফাহুকমুহূইলাল্লা-হি যা-লিকুমুল্লা-হু রাববী ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইহি উনীব।
ওয়ামাখ তালাফতুম ফীহি মিন শাইয়িন ফাহুকমুহূইলাল্লা-হি যা-লিকুমুল্লা-হু রাববী ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইহি উনীব।
আল বায়ান:
আর যে কোন বিষয়েই তোমরা মতবিরোধ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে; তিনিই আল্লাহ, আমার রব; তাঁরই উপর আমি তাওয়াক্কুল করেছি এবং আমি তাঁরই অভিমুখী হই।
আর যে কোন বিষয়েই তোমরা মতবিরোধ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে; তিনিই আল্লাহ, আমার রব; তাঁরই উপর আমি তাওয়াক্কুল করেছি এবং আমি তাঁরই অভিমুখী হই।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যে সব বিষয়ে মতভেদ কর তার মীমাংসা আল্লাহর উপর সোপর্দ. সেই আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি তাঁর উপরই নির্ভর করি, আর তাঁরই অভিমুখী হই।
তোমরা যে সব বিষয়ে মতভেদ কর তার মীমাংসা আল্লাহর উপর সোপর্দ. সেই আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি তাঁর উপরই নির্ভর করি, আর তাঁরই অভিমুখী হই।
Sahih International:
And in anything over which you disagree - its ruling is [to be referred] to Allah. [Say], "That is Allah, my Lord; upon Him I have relied, and to Him I turn back."
And in anything over which you disagree - its ruling is [to be referred] to Allah. [Say], "That is Allah, my Lord; upon Him I have relied, and to Him I turn back."
فَاطِرُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ جَعَلَ لَکُمْ مِّنْ اَنْفُسِکُمْ اَزْوَاجًا وَّ مِنَ الْاَنْعَامِ اَزْوَاجًا ۚ یَذْرَؤُکُمْ فِیْهِ ؕ لَیْسَ کَمِثْلِهٖ شَیْءٌ ۚ وَ هُوَ السَّمِیْعُ الْبَصِیْرُ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফা-তিরুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি জা‘আলা লাকুম মিন আনফুছিকুম আযওয়া-জাওঁ ওয়া মিনাল আন‘আ-মি আযওয়া-জাইঁ ইয়াযরাঊকুম ফীহি লাইছা কামিছলিহী শাইউওঁ ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।
ফা-তিরুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি জা‘আলা লাকুম মিন আনফুছিকুম আযওয়া-জাওঁ ওয়া মিনাল আন‘আ-মি আযওয়া-জাইঁ ইয়াযরাঊকুম ফীহি লাইছা কামিছলিহী শাইউওঁ ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।
আল বায়ান:
তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা; তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে জোড়া বানিয়েছেন এবং চতুষ্পদ জন্তু থেকেও জোড়া বানিয়েছেন, (এভাবেই) তিনি তোমাদেরকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মত কিছু নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।
তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা; তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে জোড়া বানিয়েছেন এবং চতুষ্পদ জন্তু থেকেও জোড়া বানিয়েছেন, (এভাবেই) তিনি তোমাদেরকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মত কিছু নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে যুগল সৃষ্টি করেছেন, চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছেন জোড়া, এভাবেই তিনি তোমাদের বংশধারা বিস্তৃত করেন, কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সব শোনেন, সব দেখেন।
আকাশসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে যুগল সৃষ্টি করেছেন, চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছেন জোড়া, এভাবেই তিনি তোমাদের বংশধারা বিস্তৃত করেন, কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সব শোনেন, সব দেখেন।
Sahih International:
[He is] Creator of the heavens and the earth. He has made for you from yourselves, mates, and among the cattle, mates; He multiplies you thereby. There is nothing like unto Him, and He is the Hearing, the Seeing.
[He is] Creator of the heavens and the earth. He has made for you from yourselves, mates, and among the cattle, mates; He multiplies you thereby. There is nothing like unto Him, and He is the Hearing, the Seeing.
لَهٗ مَقَالِیْدُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۚ یَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ یَقْدِرُ ؕ اِنَّهٗ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
লাহূমাকা-লীদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াবছুতু র রিযকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াকদিরু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
লাহূমাকা-লীদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াবছুতু র রিযকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াকদিরু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনের চাবি তাঁর কাছে; যার জন্য ইচ্ছা তিনি রিয্ক প্রশস্ত করেন এবং নিয়ন্ত্রিত করেন; নিশ্চয় তিনি সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞাত।
আসমানসমূহ ও যমীনের চাবি তাঁর কাছে; যার জন্য ইচ্ছা তিনি রিয্ক প্রশস্ত করেন এবং নিয়ন্ত্রিত করেন; নিশ্চয় তিনি সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান ও যমীনের চাবিকাঠি তাঁরই হাতে নিবদ্ধ। যার জন্য ইচ্ছে তিনি রিযক প্রশস্ত করেন ও (যার জন্য ইচ্ছে) সীমিত করেন। সব বিষয়েই তিনি সবচেয়ে জ্ঞানী।
আসমান ও যমীনের চাবিকাঠি তাঁরই হাতে নিবদ্ধ। যার জন্য ইচ্ছে তিনি রিযক প্রশস্ত করেন ও (যার জন্য ইচ্ছে) সীমিত করেন। সব বিষয়েই তিনি সবচেয়ে জ্ঞানী।
Sahih International:
To Him belong the keys of the heavens and the earth. He extends provision for whom He wills and restricts [it]. Indeed He is, of all things, Knowing.
To Him belong the keys of the heavens and the earth. He extends provision for whom He wills and restricts [it]. Indeed He is, of all things, Knowing.
شَرَعَ لَکُمْ مِّنَ الدِّیْنِ مَا وَصّٰی بِهٖ نُوْحًا وَّ الَّذِیْۤ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْکَ وَ مَا وَصَّیْنَا بِهٖۤ اِبْرٰهِیْمَ وَ مُوْسٰی وَ عِیْسٰۤی اَنْ اَقِیْمُوا الدِّیْنَ وَ لَا تَتَفَرَّقُوْا فِیْهِ ؕ کَبُرَ عَلَی الْمُشْرِکِیْنَ مَا تَدْعُوْهُمْ اِلَیْهِ ؕ اَللّٰهُ یَجْتَبِیْۤ اِلَیْهِ مَنْ یَّشَآءُ وَ یَهْدِیْۤ اِلَیْهِ مَنْ یُّنِیْبُ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
শারা‘আ লাকুম মিনাদ্দীনি মা-ওয়াসসা-বিহী নূহাওঁ ওয়াল্লাযীআওহাইনাইলাইকা ওয়ামা-ওয়াসসাইনা-বিহীইবরা-হীমা ওয়া মূছা-ওয়া ‘ঈছাআন আকীমুদ্দীনা ওয়া লাতাতাফাররাকূফীহি কাবুরা ‘আলাল মুশরিকীনা মা-তাদ‘ঊহুম ইলাইহি আল্লা-হু ইয়াজতাবীইলাইহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াহদীইলাইহি মাইঁ ইউনীব।
শারা‘আ লাকুম মিনাদ্দীনি মা-ওয়াসসা-বিহী নূহাওঁ ওয়াল্লাযীআওহাইনাইলাইকা ওয়ামা-ওয়াসসাইনা-বিহীইবরা-হীমা ওয়া মূছা-ওয়া ‘ঈছাআন আকীমুদ্দীনা ওয়া লাতাতাফাররাকূফীহি কাবুরা ‘আলাল মুশরিকীনা মা-তাদ‘ঊহুম ইলাইহি আল্লা-হু ইয়াজতাবীইলাইহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াহদীইলাইহি মাইঁ ইউনীব।
আল বায়ান:
তিনি তোমাদের জন্য দীন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; যে বিষয়ে তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর আমি তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তোমরা দীন কায়েম করবে এবং এতে বিচ্ছিন্ন হবে না। তুমি মুশরিকদেরকে যেদিকে আহবান করছ তা তাদের কাছে কঠিন মনে হয়; আল্লাহ যাকে চান তার দিকে নিয়ে আসেন। আর যে তাঁর অভিমুখী হয় তাকে তিনি হিদায়াত দান করেন।
তিনি তোমাদের জন্য দীন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; যে বিষয়ে তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর আমি তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তোমরা দীন কায়েম করবে এবং এতে বিচ্ছিন্ন হবে না। তুমি মুশরিকদেরকে যেদিকে আহবান করছ তা তাদের কাছে কঠিন মনে হয়; আল্লাহ যাকে চান তার দিকে নিয়ে আসেন। আর যে তাঁর অভিমুখী হয় তাকে তিনি হিদায়াত দান করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সেই বিধি-ব্যবস্থাই দিয়েছেন যার হুকুম তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর সেই (বিধি ব্যবস্থাই) তোমাকে ওয়াহীর মাধ্যমে দিলাম যার হুকুম দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ‘ঈসাকে- তা এই যে, তোমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠিত কর, আর তাতে বিভক্তি সৃষ্টি করো না, ব্যাপারটি মুশরিকদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে যার দিকে তুমি তাদেরকে আহবান জানাচ্ছ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন তাঁর পথে বেছে নেন, আর তিনি তাঁর পথে পরিচালিত করেন তাকে, যে তাঁর অভিমুখী হয়।
তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সেই বিধি-ব্যবস্থাই দিয়েছেন যার হুকুম তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর সেই (বিধি ব্যবস্থাই) তোমাকে ওয়াহীর মাধ্যমে দিলাম যার হুকুম দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ‘ঈসাকে- তা এই যে, তোমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠিত কর, আর তাতে বিভক্তি সৃষ্টি করো না, ব্যাপারটি মুশরিকদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে যার দিকে তুমি তাদেরকে আহবান জানাচ্ছ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন তাঁর পথে বেছে নেন, আর তিনি তাঁর পথে পরিচালিত করেন তাকে, যে তাঁর অভিমুখী হয়।
Sahih International:
He has ordained for you of religion what He enjoined upon Noah and that which We have revealed to you, [O Muhammad], and what We enjoined upon Abraham and Moses and Jesus - to establish the religion and not be divided therein. Difficult for those who associate others with Allah is that to which you invite them. Allah chooses for Himself whom He wills and guides to Himself whoever turns back [to Him].
He has ordained for you of religion what He enjoined upon Noah and that which We have revealed to you, [O Muhammad], and what We enjoined upon Abraham and Moses and Jesus - to establish the religion and not be divided therein. Difficult for those who associate others with Allah is that to which you invite them. Allah chooses for Himself whom He wills and guides to Himself whoever turns back [to Him].
وَ مَا تَفَرَّقُوْۤا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ ؕ وَ لَوْ لَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّکَ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی لَّقُضِیَ بَیْنَهُمْ ؕ وَ اِنَّ الَّذِیْنَ اُوْرِثُوا الْکِتٰبَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ لَفِیْ شَکٍّ مِّنْهُ مُرِیْبٍ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-তাফাররাকূইল্লা-মিম বা‘দি মা-জাআহুমুল ‘ইলমুবাগইয়াম বাইনাহুম ওয়া লাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মির রাব্বিকা ইলাআজালিম মুছাম্মাল লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাল্লাযীনা ঊরিছুল কিতা-বা মিম বা‘দিহিম লাফী শাক্কিম মিনহু মুরীব।
ওয়ামা-তাফাররাকূইল্লা-মিম বা‘দি মা-জাআহুমুল ‘ইলমুবাগইয়াম বাইনাহুম ওয়া লাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মির রাব্বিকা ইলাআজালিম মুছাম্মাল লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাল্লাযীনা ঊরিছুল কিতা-বা মিম বা‘দিহিম লাফী শাক্কিম মিনহু মুরীব।
আল বায়ান:
আর তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও তারা কেবল নিজদের মধ্যকার বিদ্বেষের কারণে মতভেদ করেছে; একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পর্কে তোমার রবের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে তাদের বিষয়ে ফয়সালা হয়ে যেত। আর তাদের পরে যারা কিতাবের উত্তরাধিকারী হয়েছিল, তারা সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছে।
আর তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও তারা কেবল নিজদের মধ্যকার বিদ্বেষের কারণে মতভেদ করেছে; একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পর্কে তোমার রবের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে তাদের বিষয়ে ফয়সালা হয়ে যেত। আর তাদের পরে যারা কিতাবের উত্তরাধিকারী হয়েছিল, তারা সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষের কাছে ইলম আসার পর (বিভিন্ন অংশে) বিভক্ত হয়ে গেল নিজেদের মধ্যে বাড়াবাড়ি করার কারণে। পূর্বেই যদি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফয়সালা মূলতবী রাখার কথা ঘোষিত না হত, তাহলে তাদের মধ্যে (পূর্বেই) ফয়সালা করে দেয়া হত। আগেকার লোকেদের পরে যারা (তাওরাত ও ইঞ্জিল এ দু’) কিতাব উত্তরাধিকার সূত্রে পাপ্ত হয়েছে, তারা অস্বস্তিকর সন্দেহে পতিত হয়েছে।
মানুষের কাছে ইলম আসার পর (বিভিন্ন অংশে) বিভক্ত হয়ে গেল নিজেদের মধ্যে বাড়াবাড়ি করার কারণে। পূর্বেই যদি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফয়সালা মূলতবী রাখার কথা ঘোষিত না হত, তাহলে তাদের মধ্যে (পূর্বেই) ফয়সালা করে দেয়া হত। আগেকার লোকেদের পরে যারা (তাওরাত ও ইঞ্জিল এ দু’) কিতাব উত্তরাধিকার সূত্রে পাপ্ত হয়েছে, তারা অস্বস্তিকর সন্দেহে পতিত হয়েছে।
Sahih International:
And they did not become divided until after knowledge had come to them - out of jealous animosity between themselves. And if not for a word that preceded from your Lord [postponing the penalty] until a specified time, it would have been concluded between them. And indeed, those who were granted inheritance of the Scripture after them are, concerning it, in disquieting doubt.
And they did not become divided until after knowledge had come to them - out of jealous animosity between themselves. And if not for a word that preceded from your Lord [postponing the penalty] until a specified time, it would have been concluded between them. And indeed, those who were granted inheritance of the Scripture after them are, concerning it, in disquieting doubt.
فَلِذٰلِکَ فَادْعُ ۚ وَ اسْتَقِمْ کَمَاۤ اُمِرْتَ ۚ وَ لَا تَتَّبِعْ اَهْوَآءَهُمْ ۚ وَ قُلْ اٰمَنْتُ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنْ کِتٰبٍ ۚ وَ اُمِرْتُ لِاَعْدِلَ بَیْنَکُمْ ؕ اَللّٰهُ رَبُّنَا وَ رَبُّکُمْ ؕ لَنَاۤ اَعْمَالُنَا وَ لَکُمْ اَعْمَالُکُمْ ؕ لَا حُجَّۃَ بَیْنَنَا وَ بَیْنَکُمْ ؕ اَللّٰهُ یَجْمَعُ بَیْنَنَا ۚ وَ اِلَیْهِ الْمَصِیْرُ ﴿ؕ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফালিযা-লিকা ফাদ‘উ ওয়াছতাকিম কামাউমিরতা ওয়ালা-তাত্তাবি‘ আহওয়াআহুম ওয়া কুল আ-মানতুবিমাআনযালাল্লা-হু মিন কিতা-বিওঁ ওয়া উমিরতুলিআ‘দিলা বাইনাকুম আল্লা-হু রাব্বুনা-ওয়া রাব্বাকুম লানাআ‘মা-লুনাওয়ালাকুম আ‘মা-লুকুম লা-হুজ্জাতা বাইনানা-ওয়া বাইনাকুম আল্লা-হু ইয়াজমা‘উ বাইনানা- ওয়া ইলাইহিল মাসীর।
ফালিযা-লিকা ফাদ‘উ ওয়াছতাকিম কামাউমিরতা ওয়ালা-তাত্তাবি‘ আহওয়াআহুম ওয়া কুল আ-মানতুবিমাআনযালাল্লা-হু মিন কিতা-বিওঁ ওয়া উমিরতুলিআ‘দিলা বাইনাকুম আল্লা-হু রাব্বুনা-ওয়া রাব্বাকুম লানাআ‘মা-লুনাওয়ালাকুম আ‘মা-লুকুম লা-হুজ্জাতা বাইনানা-ওয়া বাইনাকুম আল্লা-হু ইয়াজমা‘উ বাইনানা- ওয়া ইলাইহিল মাসীর।
আল বায়ান:
এ কারণে তুমি আহবান কর এবং দৃঢ় থাক যেমন তুমি আদিষ্ট হয়েছ। আর তুমি তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না এবং বল, ‘আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন আমি তাতে ঈমান এনেছি এবং তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের রব এবং তোমাদের রব। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোন বিবাদ-বিসম্বাদ নেই; আল্লাহ আমাদেরকে একত্র করবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁরই কাছে’।
এ কারণে তুমি আহবান কর এবং দৃঢ় থাক যেমন তুমি আদিষ্ট হয়েছ। আর তুমি তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না এবং বল, ‘আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন আমি তাতে ঈমান এনেছি এবং তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের রব এবং তোমাদের রব। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোন বিবাদ-বিসম্বাদ নেই; আল্লাহ আমাদেরকে একত্র করবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁরই কাছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অবস্থার এই প্রেক্ষাপটে (হে নবী!) তাদেরকে আহবান কর (দ্বীনের প্রতি), আর তোমাকে যে হুকুম দেয়া হয়েছে তুমি তার প্রতি সুদৃঢ় থাক, আর তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আর বল, আল্লাহ যে কিতাবই অবতীর্ণ করেছেন আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। তোমাদের মাঝে ইনসাফ করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরও প্রতিপালক, তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কাজের প্রতিফল আমরা ভোগ করব। আর তোমাদের কাজের প্রতিফল তোমরা ভোগ করবে। আমাদের আর তোমাদের মাঝে কোন ঝগড়া নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে (একদিন) একত্রিত করবেন, আর তাঁর কাছেই (সকলকে) ফিরে যেতে হবে।
অবস্থার এই প্রেক্ষাপটে (হে নবী!) তাদেরকে আহবান কর (দ্বীনের প্রতি), আর তোমাকে যে হুকুম দেয়া হয়েছে তুমি তার প্রতি সুদৃঢ় থাক, আর তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আর বল, আল্লাহ যে কিতাবই অবতীর্ণ করেছেন আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। তোমাদের মাঝে ইনসাফ করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরও প্রতিপালক, তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কাজের প্রতিফল আমরা ভোগ করব। আর তোমাদের কাজের প্রতিফল তোমরা ভোগ করবে। আমাদের আর তোমাদের মাঝে কোন ঝগড়া নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে (একদিন) একত্রিত করবেন, আর তাঁর কাছেই (সকলকে) ফিরে যেতে হবে।
Sahih International:
So to that [religion of Allah] invite, [O Muhammad], and remain on a right course as you are commanded and do not follow their inclinations but say, "I have believed in what Allah has revealed of the Qur'an, and I have been commanded to do justice among you. Allah is our Lord and your Lord. For us are our deeds, and for you your deeds. There is no [need for] argument between us and you. Allah will bring us together, and to Him is the [final] destination."
So to that [religion of Allah] invite, [O Muhammad], and remain on a right course as you are commanded and do not follow their inclinations but say, "I have believed in what Allah has revealed of the Qur'an, and I have been commanded to do justice among you. Allah is our Lord and your Lord. For us are our deeds, and for you your deeds. There is no [need for] argument between us and you. Allah will bring us together, and to Him is the [final] destination."
وَ الَّذِیْنَ یُحَآجُّوْنَ فِی اللّٰهِ مِنْۢ بَعْدِ مَا اسْتُجِیْبَ لَهٗ حُجَّتُهُمْ دَاحِضَۃٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَ عَلَیْهِمْ غَضَبٌ وَّ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِیْدٌ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইঊহাজ্জূনা ফিল্লা-হি মিম বা‘দি মাছতুজীবা লাহূহুজ্জাতুহুম দা-হিদাতুন ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়া ‘আলাইহিম গাদাবুওঁ ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদ।
ওয়াল্লাযীনা ইঊহাজ্জূনা ফিল্লা-হি মিম বা‘দি মাছতুজীবা লাহূহুজ্জাতুহুম দা-হিদাতুন ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়া ‘আলাইহিম গাদাবুওঁ ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদ।
আল বায়ান:
আর আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর আল্লাহ সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে, তাদের দলীল-প্রমাণ তাদের রবের নিকট অসার। তাদের উপর (আল্লাহর) গযব এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
আর আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর আল্লাহ সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে, তাদের দলীল-প্রমাণ তাদের রবের নিকট অসার। তাদের উপর (আল্লাহর) গযব এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর সে সম্পর্কে যারা বিতর্কে লিপ্ত হয়, তাদের দলীল প্রমাণ তাদের রব্ব-এর কাছে বাতিল। তাদের প্রতি (আল্লাহর) গযব আর তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।
আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর সে সম্পর্কে যারা বিতর্কে লিপ্ত হয়, তাদের দলীল প্রমাণ তাদের রব্ব-এর কাছে বাতিল। তাদের প্রতি (আল্লাহর) গযব আর তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।
Sahih International:
And those who argue concerning Allah after He has been responded to - their argument is invalid with their Lord, and upon them is [His] wrath, and for them is a severe punishment.
And those who argue concerning Allah after He has been responded to - their argument is invalid with their Lord, and upon them is [His] wrath, and for them is a severe punishment.
اَللّٰهُ الَّذِیْۤ اَنْزَلَ الْکِتٰبَ بِالْحَقِّ وَ الْمِیْزَانَ ؕ وَ مَا یُدْرِیْکَ لَعَلَّ السَّاعَۃَ قَرِیْبٌ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হুল্লাযীআনযালাল কিতা-বা বিলহাক্কিওয়াল মীযা-না ওয়ামা ইউদরীকা লা‘আল্লাছছা-‘আতা কারীব।
আল্লা-হুল্লাযীআনযালাল কিতা-বা বিলহাক্কিওয়াল মীযা-না ওয়ামা ইউদরীকা লা‘আল্লাছছা-‘আতা কারীব।
আল বায়ান:
আল্লাহ, যিনি সত্যসহ কিতাব ও মীযান* নাযিল করেছেন। আর কিসে তোমাকে জানাবে, হয়ত কিয়ামত খুবই নিকটবর্তী?
আল্লাহ, যিনি সত্যসহ কিতাব ও মীযান* নাযিল করেছেন। আর কিসে তোমাকে জানাবে, হয়ত কিয়ামত খুবই নিকটবর্তী?
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই আল্লাহ যিনি সত্য ও ইনসাফের মানদন্ড সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তুমি কি জান, সম্ভবতঃ চূড়ান্ত ফয়সালার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে।
তিনিই আল্লাহ যিনি সত্য ও ইনসাফের মানদন্ড সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তুমি কি জান, সম্ভবতঃ চূড়ান্ত ফয়সালার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে।
Sahih International:
It is Allah who has sent down the Book in truth and [also] the balance. And what will make you perceive? Perhaps the Hour is near.
It is Allah who has sent down the Book in truth and [also] the balance. And what will make you perceive? Perhaps the Hour is near.
یَسْتَعْجِلُ بِهَا الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِهَا ۚ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مُشْفِقُوْنَ مِنْهَا ۙ وَ یَعْلَمُوْنَ اَنَّهَا الْحَقُّ ؕ اَلَاۤ اِنَّ الَّذِیْنَ یُمَارُوْنَ فِی السَّاعَۃِ لَفِیْ ضَلٰلٍۭ بَعِیْدٍ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছতা‘জিলূবিহাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিহা- ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমুশফিকূনা মিনহা- ওয়া ইয়া‘লামূনা আন্নাহাল হাক্কু আলাইন্নাল্লাযীনা ইউমা-রূনা ফিছছা‘আতি লাফী দালা-লিম বা‘ঈদ।
ইয়াছতা‘জিলূবিহাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিহা- ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমুশফিকূনা মিনহা- ওয়া ইয়া‘লামূনা আন্নাহাল হাক্কু আলাইন্নাল্লাযীনা ইউমা-রূনা ফিছছা‘আতি লাফী দালা-লিম বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
যারা এতে ঈমান আনে না, তারাই তা ত্বরান্বিত করতে চায়। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা একে ভয় করে এবং তারা জানে যে, এটা অবশ্যই সত্য। জেনে রেখ, নিশ্চয় যারা কিয়ামত সম্পর্কে বাক-বিতন্ডা করে তারা সুদূর পথভ্রষ্টতায় নিপতিত।
যারা এতে ঈমান আনে না, তারাই তা ত্বরান্বিত করতে চায়। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা একে ভয় করে এবং তারা জানে যে, এটা অবশ্যই সত্য। জেনে রেখ, নিশ্চয় যারা কিয়ামত সম্পর্কে বাক-বিতন্ডা করে তারা সুদূর পথভ্রষ্টতায় নিপতিত।
তাইসিরুল কুরআন:
যে সব লোক তাতে বিশ্বাস করে না, তারাই তার (অর্থাৎ ক্বিয়ামতের) আগমনকে তরান্বিত করতে চায়। কিন্তু যারা বিশ্বাসী তারা তাকে ভয় করে আর তারা জানে যে, তা সত্য। জেনে রেখ, যারা ক্বিয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা স্পষ্টতই সত্য পথ হতে বহু দূরে চলে গেছে।
যে সব লোক তাতে বিশ্বাস করে না, তারাই তার (অর্থাৎ ক্বিয়ামতের) আগমনকে তরান্বিত করতে চায়। কিন্তু যারা বিশ্বাসী তারা তাকে ভয় করে আর তারা জানে যে, তা সত্য। জেনে রেখ, যারা ক্বিয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা স্পষ্টতই সত্য পথ হতে বহু দূরে চলে গেছে।
Sahih International:
Those who do not believe in it are impatient for it, but those who believe are fearful of it and know that it is the truth. Unquestionably, those who dispute concerning the Hour are in extreme error.
Those who do not believe in it are impatient for it, but those who believe are fearful of it and know that it is the truth. Unquestionably, those who dispute concerning the Hour are in extreme error.
اَللّٰهُ لَطِیْفٌۢ بِعِبَادِهٖ یَرْزُقُ مَنْ یَّشَآءُ ۚ وَ هُوَ الْقَوِیُّ الْعَزِیْزُ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হু লাতীফুম বি‘ইবা-দিহী ইয়ারযুকুমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া হুওয়াল কাবিইয়ুল ‘আযীয।
আল্লা-হু লাতীফুম বি‘ইবা-দিহী ইয়ারযুকুমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া হুওয়াল কাবিইয়ুল ‘আযীয।
আল বায়ান:
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিয্ক দান করেন। আর তিনি মহাশক্তিধর, মহাপরাক্রমশালী।
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিয্ক দান করেন। আর তিনি মহাশক্তিধর, মহাপরাক্রমশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের প্রতি মেহেরবান, তিনি যাকে যা ইচ্ছে রিযক দেন। তিনি প্রবল, মহাপরাক্রমশালী।
আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের প্রতি মেহেরবান, তিনি যাকে যা ইচ্ছে রিযক দেন। তিনি প্রবল, মহাপরাক্রমশালী।
Sahih International:
Allah is Subtle with His servants; He gives provisions to whom He wills. And He is the Powerful, the Exalted in Might.
Allah is Subtle with His servants; He gives provisions to whom He wills. And He is the Powerful, the Exalted in Might.
مَنْ کَانَ یُرِیْدُ حَرْثَ الْاٰخِرَۃِ نَزِدْ لَهٗ فِیْ حَرْثِهٖ ۚ وَ مَنْ کَانَ یُرِیْدُ حَرْثَ الدُّنْیَا نُؤْتِهٖ مِنْهَا وَ مَا لَهٗ فِی الْاٰخِرَۃِ مِنْ نَّصِیْبٍ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
মান কা-না ইউরীদুহারছাল আ-খিরাতি নাযিদ লাহূফী হারছিহী ওয়ামান কা-না ইউরীদুহারছাদ্দুনইয়া-নু’তিহী মিনহা-ওয়ামা-লাহূফিল আ-খিরাতি মিন নাসীব।
মান কা-না ইউরীদুহারছাল আ-খিরাতি নাযিদ লাহূফী হারছিহী ওয়ামান কা-না ইউরীদুহারছাদ্দুনইয়া-নু’তিহী মিনহা-ওয়ামা-লাহূফিল আ-খিরাতি মিন নাসীব।
আল বায়ান:
যে আখিরাতের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য তার ফসলে প্রবৃদ্ধি দান করি, আর যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাকে তা থেকে কিছু দেই এবং আখিরাতে তার জন্য কোন অংশই থাকবে না।
যে আখিরাতের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য তার ফসলে প্রবৃদ্ধি দান করি, আর যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাকে তা থেকে কিছু দেই এবং আখিরাতে তার জন্য কোন অংশই থাকবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যে লোক পরকালের ক্ষেত করতে চায়, আমি তার জন্য তার ক্ষেতে বৃদ্ধি দান করি। আর যে লোক দুনিয়ার ক্ষেত চায়, আমি তাকে তাত্থেকে দেই, কিন্তু পরকালে তার অংশে (বা ভাগ্যে) কিছুই নেই।
যে লোক পরকালের ক্ষেত করতে চায়, আমি তার জন্য তার ক্ষেতে বৃদ্ধি দান করি। আর যে লোক দুনিয়ার ক্ষেত চায়, আমি তাকে তাত্থেকে দেই, কিন্তু পরকালে তার অংশে (বা ভাগ্যে) কিছুই নেই।
Sahih International:
Whoever desires the harvest of the Hereafter - We increase for him in his harvest. And whoever desires the harvest of this world - We give him thereof, but there is not for him in the Hereafter any share.
Whoever desires the harvest of the Hereafter - We increase for him in his harvest. And whoever desires the harvest of this world - We give him thereof, but there is not for him in the Hereafter any share.
اَمْ لَهُمْ شُرَکٰٓؤُا شَرَعُوْا لَهُمْ مِّنَ الدِّیْنِ مَا لَمْ یَاْذَنْۢ بِهِ اللّٰهُ ؕ وَ لَوْ لَا کَلِمَۃُ الْفَصْلِ لَقُضِیَ بَیْنَهُمْ ؕ وَ اِنَّ الظّٰلِمِیْنَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আম লাহুম শুরাকাউ শারা‘ঊ লাহুম মিনাদ্দীনি মা -লাম ইয়া’যাম বিহিল্লা-হু ওয়া লাওলা-কালিমাতুল ফাসলি লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাজ্জা-লিমীনা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
আম লাহুম শুরাকাউ শারা‘ঊ লাহুম মিনাদ্দীনি মা -লাম ইয়া’যাম বিহিল্লা-হু ওয়া লাওলা-কালিমাতুল ফাসলি লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাজ্জা-লিমীনা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
তাদের জন্য কি এমন কিছু শরীক আছে, যারা তাদের জন্য দীনের বিধান দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? আর ফয়সালার ঘোষণা না থাকলে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েই যেত। আর নিশ্চয় যালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাদের জন্য কি এমন কিছু শরীক আছে, যারা তাদের জন্য দীনের বিধান দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? আর ফয়সালার ঘোষণা না থাকলে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েই যেত। আর নিশ্চয় যালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
কী! তাদের কি এমন শরীক আছে যারা তাদের জন্য দ্বীনের বিধি-বিধান দিয়েছে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? ফয়সালা সম্পর্কিত (পূর্ব) ঘোষণা দেয়া না হলে তাদের মধ্যে (তৎক্ষণাৎ) ফয়সালা করে দেয়া হত। যালিমদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
কী! তাদের কি এমন শরীক আছে যারা তাদের জন্য দ্বীনের বিধি-বিধান দিয়েছে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? ফয়সালা সম্পর্কিত (পূর্ব) ঘোষণা দেয়া না হলে তাদের মধ্যে (তৎক্ষণাৎ) ফয়সালা করে দেয়া হত। যালিমদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
Sahih International:
Or have they other deities who have ordained for them a religion to which Allah has not consented? But if not for the decisive word, it would have been concluded between them. And indeed, the wrongdoers will have a painful punishment.
Or have they other deities who have ordained for them a religion to which Allah has not consented? But if not for the decisive word, it would have been concluded between them. And indeed, the wrongdoers will have a painful punishment.
تَرَی الظّٰلِمِیْنَ مُشْفِقِیْنَ مِمَّا کَسَبُوْا وَ هُوَ وَاقِعٌۢ بِهِمْ ؕ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فِیْ رَوْضٰتِ الْجَنّٰتِ ۚ لَهُمْ مَّا یَشَآءُوْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ ؕ ذٰلِکَ هُوَ الْفَضْلُ الْکَبِیْرُ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
তারাজ্জা-লিমীনা মুশফিকীনা মিম্মা-কাছাবূওয়া হুওয়া ওয়া-কি‘উম বিহিম ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ফী রাওদা-তিল জান্না-তি লাহুম মাইয়াশাঊনা ‘ইনদা রাব্বিহিম যা-লিকা হুওয়াল ফাদলুল কাবীর।
তারাজ্জা-লিমীনা মুশফিকীনা মিম্মা-কাছাবূওয়া হুওয়া ওয়া-কি‘উম বিহিম ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ফী রাওদা-তিল জান্না-তি লাহুম মাইয়াশাঊনা ‘ইনদা রাব্বিহিম যা-লিকা হুওয়াল ফাদলুল কাবীর।
আল বায়ান:
তুমি যালিমদেরকে তাদের কৃত কর্মের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পাবে। অথচ তা (তাদের কর্মের শাস্তি) তাদের উপর পতিত হবেই। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা জান্নাতের উদ্যানসমূহে থাকবে। তারা যা চাইবে, তাদের রবের নিকট তাদের জন্য তাই থাকবে। এটাই তো মহাঅনুগ্রহ।
তুমি যালিমদেরকে তাদের কৃত কর্মের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পাবে। অথচ তা (তাদের কর্মের শাস্তি) তাদের উপর পতিত হবেই। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা জান্নাতের উদ্যানসমূহে থাকবে। তারা যা চাইবে, তাদের রবের নিকট তাদের জন্য তাই থাকবে। এটাই তো মহাঅনুগ্রহ।
তাইসিরুল কুরআন:
যালিমদেরকে তুমি তাদের কৃতকর্মের কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পাবে। তাদের কর্মের শাস্তি অবশ্যই তাদের উপর পতিত হবে। আর যারা ঈমান এনেছে আর সৎকর্ম করেছে তারা জান্নাতের বাগিচায় অবস্থান করবে। তারা যা ইচ্ছে করবে, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট তা-ই আছে। ওটাই অতি বড় অনুগ্রহ।
যালিমদেরকে তুমি তাদের কৃতকর্মের কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পাবে। তাদের কর্মের শাস্তি অবশ্যই তাদের উপর পতিত হবে। আর যারা ঈমান এনেছে আর সৎকর্ম করেছে তারা জান্নাতের বাগিচায় অবস্থান করবে। তারা যা ইচ্ছে করবে, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট তা-ই আছে। ওটাই অতি বড় অনুগ্রহ।
Sahih International:
You will see the wrongdoers fearful of what they have earned, and it will [certainly] befall them. And those who have believed and done righteous deeds will be in lush regions of the gardens [in Paradise] having whatever they will in the presence of their Lord. That is what is the great bounty.
You will see the wrongdoers fearful of what they have earned, and it will [certainly] befall them. And those who have believed and done righteous deeds will be in lush regions of the gardens [in Paradise] having whatever they will in the presence of their Lord. That is what is the great bounty.
ذٰلِکَ الَّذِیْ یُبَشِّرُ اللّٰهُ عِبَادَهُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ قُلْ لَّاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّۃَ فِی الْقُرْبٰی ؕ وَ مَنْ یَّقْتَرِفْ حَسَنَۃً نَّزِدْ لَهٗ فِیْهَا حُسْنًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ شَکُوْرٌ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকাল্লাযী ইয়ুবাশশিরুল্লা-হু ‘ইবা-দাহুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি কুল লাআছআলুকুম ‘আলাইহি আজরান ইল্লাল মাওয়াদ্দাতা ফিল কুরবা- ওয়া মাইঁ ইয়াকতারিফ হাছানাতান নাযিদ লাহূফীহা-হুছনান ইন্নাল্লা-হা গাফূরুন শাকূর।
যা-লিকাল্লাযী ইয়ুবাশশিরুল্লা-হু ‘ইবা-দাহুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি কুল লাআছআলুকুম ‘আলাইহি আজরান ইল্লাল মাওয়াদ্দাতা ফিল কুরবা- ওয়া মাইঁ ইয়াকতারিফ হাছানাতান নাযিদ লাহূফীহা-হুছনান ইন্নাল্লা-হা গাফূরুন শাকূর।
আল বায়ান:
এটা তাই, যার সুসংবাদ আল্লাহ তার বান্দাদেরকে দেন- যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। বল, ‘আমি এর জন্য তোমাদের কাছে আত্মীয়তার সৌহার্দ ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান চাই না’। যে উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্য তাতে কল্যাণ বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই গুণগ্রাহী।
এটা তাই, যার সুসংবাদ আল্লাহ তার বান্দাদেরকে দেন- যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। বল, ‘আমি এর জন্য তোমাদের কাছে আত্মীয়তার সৌহার্দ ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান চাই না’। যে উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্য তাতে কল্যাণ বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই গুণগ্রাহী।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা হল তাই আল্লাহ যার সুসংবাদ দিয়েছেন তাঁর সে সব বান্দাহদের জন্য যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে। বল, এ কাজের জন্য আত্মীয়তার ভালবাসা ছাড়া তোমাদের কাছে কিছুই চাই না। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্য তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, ভাল কাজের বড়ই মর্যাদাদানকারী।
এটা হল তাই আল্লাহ যার সুসংবাদ দিয়েছেন তাঁর সে সব বান্দাহদের জন্য যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে। বল, এ কাজের জন্য আত্মীয়তার ভালবাসা ছাড়া তোমাদের কাছে কিছুই চাই না। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্য তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, ভাল কাজের বড়ই মর্যাদাদানকারী।
Sahih International:
It is that of which Allah gives good tidings to His servants who believe and do righteous deeds. Say, [O Muhammad], "I do not ask you for this message any payment [but] only good will through kinship." And whoever commits a good deed - We will increase for him good therein. Indeed, Allah is Forgiving and Appreciative.
It is that of which Allah gives good tidings to His servants who believe and do righteous deeds. Say, [O Muhammad], "I do not ask you for this message any payment [but] only good will through kinship." And whoever commits a good deed - We will increase for him good therein. Indeed, Allah is Forgiving and Appreciative.
اَمْ یَقُوْلُوْنَ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ۚ فَاِنْ یَّشَاِ اللّٰهُ یَخْتِمْ عَلٰی قَلْبِکَ ؕ وَ یَمْحُ اللّٰهُ الْبَاطِلَ وَ یُحِقُّ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِهٖ ؕ اِنَّهٗ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
আম ইয়াকূলূনাফ তারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান ফাইয়ঁইয়াশাইল্লা-হু ইয়াখতিম ‘আলাকালবিকা ওয়া ইয়ামহুল্লা-হুল বা-তিলা ওয়া ইউহিক্কুল হাক্কা বিকালিমা-তিহী ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।
আম ইয়াকূলূনাফ তারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান ফাইয়ঁইয়াশাইল্লা-হু ইয়াখতিম ‘আলাকালবিকা ওয়া ইয়ামহুল্লা-হুল বা-তিলা ওয়া ইউহিক্কুল হাক্কা বিকালিমা-তিহী ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।
আল বায়ান:
তারা কি একথা বলে যে, সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে? অথচ যদি আল্লাহ চাইতেন তোমার হৃদয়ে মোহর মেরে দিতেন। আর আল্লাহ মিথ্যাকে মুছে দেন এবং নিজ বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহে যা আছে, সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।
তারা কি একথা বলে যে, সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে? অথচ যদি আল্লাহ চাইতেন তোমার হৃদয়ে মোহর মেরে দিতেন। আর আল্লাহ মিথ্যাকে মুছে দেন এবং নিজ বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহে যা আছে, সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি বলে যে, এ লোক আল্লাহর নামে মিথ্যা রচনা করেছে? আল্লাহ চাইলে তোমার হৃদয়ে মোহর মেরে দিতেন। বস্তুতঃ তিনি মিথ্যাকে মিটিয়ে দেন এবং নিজ বাক্য দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি (সকলের) অন্তরে নিহিত বিষয় সম্পর্কে খুবই অবগত।
তারা কি বলে যে, এ লোক আল্লাহর নামে মিথ্যা রচনা করেছে? আল্লাহ চাইলে তোমার হৃদয়ে মোহর মেরে দিতেন। বস্তুতঃ তিনি মিথ্যাকে মিটিয়ে দেন এবং নিজ বাক্য দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি (সকলের) অন্তরে নিহিত বিষয় সম্পর্কে খুবই অবগত।
Sahih International:
Or do they say, "He has invented about Allah a lie"? But if Allah willed, He could seal over your heart. And Allah eliminates falsehood and establishes the truth by His words. Indeed, He is Knowing of that within the breasts.
Or do they say, "He has invented about Allah a lie"? But if Allah willed, He could seal over your heart. And Allah eliminates falsehood and establishes the truth by His words. Indeed, He is Knowing of that within the breasts.
وَ هُوَ الَّذِیْ یَقْبَلُ التَّوْبَۃَ عَنْ عِبَادِهٖ وَ یَعْفُوْا عَنِ السَّیِّاٰتِ وَ یَعْلَمُ مَا تَفْعَلُوْنَ ﴿ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযীইয়াকবালুত্তাওবাতা ‘আন ‘ইবা-দিহী ওয়া ইয়া‘ফূ‘আনিছ ছাইয়িআ-তি ওয়া ইয়া‘লামুমা-তাফ‘আলূন।
ওয়া হুওয়াল্লাযীইয়াকবালুত্তাওবাতা ‘আন ‘ইবা-দিহী ওয়া ইয়া‘ফূ‘আনিছ ছাইয়িআ-তি ওয়া ইয়া‘লামুমা-তাফ‘আলূন।
আল বায়ান:
আর তিনিই তাঁর বান্দাদের তাওবা কবূল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন। আর তোমরা যা কর, তা তিনি জানেন।
আর তিনিই তাঁর বান্দাদের তাওবা কবূল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন। আর তোমরা যা কর, তা তিনি জানেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তাঁর বান্দাহদের তাওবাহ ক্ববূল করেন, পাপ ক্ষমা করেন আর তিনি জানেন তোমরা যা কর।
তিনি তাঁর বান্দাহদের তাওবাহ ক্ববূল করেন, পাপ ক্ষমা করেন আর তিনি জানেন তোমরা যা কর।
Sahih International:
And it is He who accepts repentance from his servants and pardons misdeeds, and He knows what you do.
And it is He who accepts repentance from his servants and pardons misdeeds, and He knows what you do.
وَ یَسْتَجِیْبُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ یَزِیْدُهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖ ؕ وَ الْکٰفِرُوْنَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِیْدٌ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াছতাজীবুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া ইয়াযীদুহুম মিন ফাদলিহী ওয়াল কা-ফিরূনা লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদ।
ওয়া ইয়াছতাজীবুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া ইয়াযীদুহুম মিন ফাদলিহী ওয়াল কা-ফিরূনা লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদ।
আল বায়ান:
আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আহবানে তিনি সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বৃদ্ধি করেন। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব।
আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আহবানে তিনি সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বৃদ্ধি করেন। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎকার্ম করে তিনি তাদের আহবান শুনেন, আর তিনি তাদের প্রতি নিজ অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন আর কাফিরদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।
যারা ঈমান আনে আর সৎকার্ম করে তিনি তাদের আহবান শুনেন, আর তিনি তাদের প্রতি নিজ অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন আর কাফিরদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।
Sahih International:
And He answers [the supplication of] those who have believed and done righteous deeds and increases [for] them from His bounty. But the disbelievers will have a severe punishment.
And He answers [the supplication of] those who have believed and done righteous deeds and increases [for] them from His bounty. But the disbelievers will have a severe punishment.
وَ لَوْ بَسَطَ اللّٰهُ الرِّزْقَ لِعِبَادِهٖ لَبَغَوْا فِی الْاَرْضِ وَ لٰکِنْ یُّنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا یَشَآءُ ؕ اِنَّهٗ بِعِبَادِهٖ خَبِیْرٌۢ بَصِیْرٌ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও বাছাতাল্লা-হুর রিযকালি‘ইবা-দিহী লাবাগাও ফিল আরদিওয়ালা-কিইঁ ইউনাযযিলুবিকাদারিম মা-ইয়াশাউ ইন্নাহূবি‘ইবা-দিহী খাবীরুম বাসীর।
ওয়ালাও বাছাতাল্লা-হুর রিযকালি‘ইবা-দিহী লাবাগাও ফিল আরদিওয়ালা-কিইঁ ইউনাযযিলুবিকাদারিম মা-ইয়াশাউ ইন্নাহূবি‘ইবা-দিহী খাবীরুম বাসীর।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যদি তার বান্দাদের জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে তারা যমীনে অবশ্যই বিদ্রোহ করত। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে যা ইচ্ছা নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণ অবগত, সম্যক দ্রষ্টা।
আর আল্লাহ যদি তার বান্দাদের জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে তারা যমীনে অবশ্যই বিদ্রোহ করত। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে যা ইচ্ছা নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণ অবগত, সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ যদি তাঁর সকল বান্দাহদের জন্য রিযক পর্যাপ্ত করে দিতেন, তাহলে তারা অবশ্যই যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করত; কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে যতটুকু ইচ্ছে নাযিল করেন। তিনি তাঁর বান্দাহ্দের সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল, তিনি তাদের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রাখেন।
আল্লাহ যদি তাঁর সকল বান্দাহদের জন্য রিযক পর্যাপ্ত করে দিতেন, তাহলে তারা অবশ্যই যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করত; কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে যতটুকু ইচ্ছে নাযিল করেন। তিনি তাঁর বান্দাহ্দের সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল, তিনি তাদের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রাখেন।
Sahih International:
And if Allah had extended [excessively] provision for His servants, they would have committed tyranny throughout the earth. But He sends [it] down in an amount which He wills. Indeed He is, of His servants, Acquainted and Seeing.
And if Allah had extended [excessively] provision for His servants, they would have committed tyranny throughout the earth. But He sends [it] down in an amount which He wills. Indeed He is, of His servants, Acquainted and Seeing.
وَ هُوَ الَّذِیْ یُنَزِّلُ الْغَیْثَ مِنْۢ بَعْدِ مَا قَنَطُوْا وَ یَنْشُرُ رَحْمَتَهٗ ؕ وَ هُوَ الْوَلِیُّ الْحَمِیْدُ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী ইউনাযযিলুল গাইছা মিম বা‘দি মা-কানাতূওয়া ইয়ানশুরু রাহমাতাহূ ওয়া হুওয়াল ওয়ালিইয়ুল হামীদ।
ওয়া হুওয়াল্লাযী ইউনাযযিলুল গাইছা মিম বা‘দি মা-কানাতূওয়া ইয়ানশুরু রাহমাতাহূ ওয়া হুওয়াল ওয়ালিইয়ুল হামীদ।
আল বায়ান:
আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।
আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক।
মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক।
Sahih International:
And it is He who sends down the rain after they had despaired and spreads His mercy. And He is the Protector, the Praiseworthy.
And it is He who sends down the rain after they had despaired and spreads His mercy. And He is the Protector, the Praiseworthy.
وَ مِنْ اٰیٰتِهٖ خَلْقُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَثَّ فِیْهِمَا مِنْ دَآبَّۃٍ ؕ وَ هُوَ عَلٰی جَمْعِهِمْ اِذَا یَشَآءُ قَدِیْرٌ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন আ-য়া-তিহী খালকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদিওয়ামা-বাছছা ফীহিমা-মিন দাব্বাতিওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলা-জাম‘ইহিম ইযা-ইয়াশাউ কাদীর।
ওয়া মিন আ-য়া-তিহী খালকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদিওয়ামা-বাছছা ফীহিমা-মিন দাব্বাতিওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলা-জাম‘ইহিম ইযা-ইয়াশাউ কাদীর।
আল বায়ান:
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং এতদোভয়ের মধ্যে তিনি যে সব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো। তিনি যখন ইচ্ছা তখনই এগুলোকে একত্র করতে সক্ষম।
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং এতদোভয়ের মধ্যে তিনি যে সব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো। তিনি যখন ইচ্ছা তখনই এগুলোকে একত্র করতে সক্ষম।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁর নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত হল আসমান ও যমীনের সৃষ্টি, আর এ দু’য়ের ভিতর যে প্রাণীকুল ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আর যখন ইচ্ছে তিনি তাদেরকে একত্রিত করতে সক্ষম।
তাঁর নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত হল আসমান ও যমীনের সৃষ্টি, আর এ দু’য়ের ভিতর যে প্রাণীকুল ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আর যখন ইচ্ছে তিনি তাদেরকে একত্রিত করতে সক্ষম।
Sahih International:
And of his signs is the creation of the heavens and earth and what He has dispersed throughout them of creatures. And He, for gathering them when He wills, is competent.
And of his signs is the creation of the heavens and earth and what He has dispersed throughout them of creatures. And He, for gathering them when He wills, is competent.
وَ مَاۤ اَصَابَکُمْ مِّنْ مُّصِیْبَۃٍ فَبِمَا کَسَبَتْ اَیْدِیْکُمْ وَ یَعْفُوْا عَنْ کَثِیْرٍ ﴿ؕ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআসা-বাকুম মিম মুসীবাতিন ফাবিমা-কাছাবাত আইদীকুম ওয়া ইয়া‘ফূ‘আন কাছীর।
ওয়ামাআসা-বাকুম মিম মুসীবাতিন ফাবিমা-কাছাবাত আইদীকুম ওয়া ইয়া‘ফূ‘আন কাছীর।
আল বায়ান:
আর তোমাদের প্রতি যে মুসীবত আপতিত হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। আর অনেক কিছুই তিনি ক্ষমা করে দেন।
আর তোমাদের প্রতি যে মুসীবত আপতিত হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। আর অনেক কিছুই তিনি ক্ষমা করে দেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের উপর যে বিপদই উপনীত হয় তা তোমাদের হাতের উপার্জনের কারণেই, তিনি অনেক অপরাধই ক্ষমা করে দেন।
তোমাদের উপর যে বিপদই উপনীত হয় তা তোমাদের হাতের উপার্জনের কারণেই, তিনি অনেক অপরাধই ক্ষমা করে দেন।
Sahih International:
And whatever strikes you of disaster - it is for what your hands have earned; but He pardons much.
And whatever strikes you of disaster - it is for what your hands have earned; but He pardons much.
وَ مَاۤ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِیْنَ فِی الْاَرْضِ ۚۖ وَ مَا لَکُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیْرٍ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআনতুম বিমু‘জিযীনা ফিল আরদি ওয়ামা-লাকুম মিন দূ নিল্লা-হি মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।
ওয়ামাআনতুম বিমু‘জিযীনা ফিল আরদি ওয়ামা-লাকুম মিন দূ নিল্লা-হি মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।
আল বায়ান:
তোমরা যমীনে (আল্লাহর কর্ম পরিকল্পনাকে) ব্যর্থ করতে পারবে না। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই এবং কোন সাহায্যকারীও নেই।
তোমরা যমীনে (আল্লাহর কর্ম পরিকল্পনাকে) ব্যর্থ করতে পারবে না। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই এবং কোন সাহায্যকারীও নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যমীনে (আল্লাহর কর্ম ও পরিকল্পনাকে) ভন্ডুল (অক্ষম) করতে পারবে না। আল্লাহ ছাড়া তোমাদের না আছে কোন অভিভাবক, আর না আছে সাহায্যকারী।
তোমরা যমীনে (আল্লাহর কর্ম ও পরিকল্পনাকে) ভন্ডুল (অক্ষম) করতে পারবে না। আল্লাহ ছাড়া তোমাদের না আছে কোন অভিভাবক, আর না আছে সাহায্যকারী।
Sahih International:
And you will not cause failure [to Allah] upon the earth. And you have not besides Allah any protector or helper.
And you will not cause failure [to Allah] upon the earth. And you have not besides Allah any protector or helper.
وَ مِنْ اٰیٰتِهِ الْجَوَارِ فِی الْبَحْرِ کَالْاَعْلَامِ ﴿ؕ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন আ-য়া-তিহিল জাওয়া-রি ফিল বাহরি কালআ‘লা-ম।
ওয়া মিন আ-য়া-তিহিল জাওয়া-রি ফিল বাহরি কালআ‘লা-ম।
আল বায়ান:
তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আরো রয়েছে সমুদ্রে চলাচলকারী পর্বতমালার মত জাহাজসমূহ।
তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আরো রয়েছে সমুদ্রে চলাচলকারী পর্বতমালার মত জাহাজসমূহ।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে হল সমুদ্রে নির্বিঘ্নে চলমান জাহাজ- পাহাড়ের মত।
তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে হল সমুদ্রে নির্বিঘ্নে চলমান জাহাজ- পাহাড়ের মত।
Sahih International:
And of His signs are the ships in the sea, like mountains.
And of His signs are the ships in the sea, like mountains.
اِنْ یَّشَاْ یُسْکِنِ الرِّیْحَ فَیَظْلَلْنَ رَوَاکِدَ عَلٰی ظَهْرِهٖ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّکُلِّ صَبَّارٍ شَکُوْرٍ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়ঁইয়াশা’ ইউছকিনিররীহা ফাইয়াজলালনা রাওয়া-কিদা ‘আলা-জাহরিহী ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকুল্লি সাব্বা-রিন শাকূর।
ইয়ঁইয়াশা’ ইউছকিনিররীহা ফাইয়াজলালনা রাওয়া-কিদা ‘আলা-জাহরিহী ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকুল্লি সাব্বা-রিন শাকূর।
আল বায়ান:
তিনি যদি চান বাতাসকে থামিয়ে দিতে পারেন। ফলে জাহাজগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠে গতিহীন হয়ে পড়বে। নিশ্চয় এতে পরম ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
তিনি যদি চান বাতাসকে থামিয়ে দিতে পারেন। ফলে জাহাজগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠে গতিহীন হয়ে পড়বে। নিশ্চয় এতে পরম ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি যদি ইচ্ছে করেন বাতাসকে থামিয়ে দিতে পারেন, তখন জাহাজগুলো সমুদ্র পৃষ্ঠে গতিহীন হয়ে পড়বে। এতে প্রত্যেক অতি ধৈর্যশীল শুকর আদায়কারীর জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
তিনি যদি ইচ্ছে করেন বাতাসকে থামিয়ে দিতে পারেন, তখন জাহাজগুলো সমুদ্র পৃষ্ঠে গতিহীন হয়ে পড়বে। এতে প্রত্যেক অতি ধৈর্যশীল শুকর আদায়কারীর জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
If He willed, He could still the wind, and they would remain motionless on its surface. Indeed in that are signs for everyone patient and grateful.
If He willed, He could still the wind, and they would remain motionless on its surface. Indeed in that are signs for everyone patient and grateful.
اَوْ یُوْبِقْهُنَّ بِمَا کَسَبُوْا وَ یَعْفُ عَنْ کَثِیْرٍ ﴿۫۳۴﴾
উচ্চারণ:
আও ইঊবিকহুন্না বিমা-কাছাবূওয়া ইয়া‘ফু‘আন কাছীর।
আও ইঊবিকহুন্না বিমা-কাছাবূওয়া ইয়া‘ফু‘আন কাছীর।
আল বায়ান:
অথবা তাদের কৃতকর্মের জন্য সেগুলোকে তিনি ধ্বংস করে দিতে পারেন, আবার অনেককে তিনি ক্ষমাও করেন।
অথবা তাদের কৃতকর্মের জন্য সেগুলোকে তিনি ধ্বংস করে দিতে পারেন, আবার অনেককে তিনি ক্ষমাও করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা তিনি ওগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারেন তাদের উপার্জিত পাপের কারণে, আর প্রকৃতপক্ষে তিনি তো (তাদের) অনেক দোষ-ত্রুটিই ক্ষমা করে দেন।
কিংবা তিনি ওগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারেন তাদের উপার্জিত পাপের কারণে, আর প্রকৃতপক্ষে তিনি তো (তাদের) অনেক দোষ-ত্রুটিই ক্ষমা করে দেন।
Sahih International:
Or He could destroy them for what they earned; but He pardons much.
Or He could destroy them for what they earned; but He pardons much.
وَّ یَعْلَمَ الَّذِیْنَ یُجَادِلُوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِنَا ؕ مَا لَهُمْ مِّنْ مَّحِیْصٍ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া‘লামাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিনা- মা-লাহুম মিম মাহীস।
ওয়া ইয়া‘লামাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিনা- মা-লাহুম মিম মাহীস।
আল বায়ান:
আর যারা আমার নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বাক বিতন্ডা করে তারা যেন জানতে পারে যে, তাদের কোন আশ্রয়স্থল নেই।
আর যারা আমার নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বাক বিতন্ডা করে তারা যেন জানতে পারে যে, তাদের কোন আশ্রয়স্থল নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
(আর ওগুলোকে ধ্বংস করা হয়) এজন্যও যে, আমার আয়াত নিয়ে যারা বিতর্ক করে তারা যেন জেনে নেয় যে, তাদের (আল্লাহর কাছ থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার জন্য) কোন আশ্রয়স্থল নেই।
(আর ওগুলোকে ধ্বংস করা হয়) এজন্যও যে, আমার আয়াত নিয়ে যারা বিতর্ক করে তারা যেন জেনে নেয় যে, তাদের (আল্লাহর কাছ থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার জন্য) কোন আশ্রয়স্থল নেই।
Sahih International:
And [that is so] those who dispute concerning Our signs may know that for them there is no place of escape.
And [that is so] those who dispute concerning Our signs may know that for them there is no place of escape.
فَمَاۤ اُوْتِیْتُمْ مِّنْ شَیْءٍ فَمَتَاعُ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ۚ وَ مَا عِنْدَ اللّٰهِ خَیْرٌ وَّ اَبْقٰی لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَلٰی رَبِّهِمْ یَتَوَکَّلُوْنَ ﴿ۚ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফামাঊতীতুম মিন শাইয়িন ফমাতা-‘উল হায়া-তিদ্দুনইয়া- ওয়ামা-‘ইনদাল্লা-হি খাইরুওঁ ওয়া আব কা-লিল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আলা-রাব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।
ফামাঊতীতুম মিন শাইয়িন ফমাতা-‘উল হায়া-তিদ্দুনইয়া- ওয়ামা-‘ইনদাল্লা-হি খাইরুওঁ ওয়া আব কা-লিল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আলা-রাব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা দুনিয়ার জীবনের ভোগ্য সামগ্রী মাত্র। আর আল্লাহর নিকট যা আছে তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্য যারা ঈমান আনে এবং তাদের রবের উপর তাওয়াক্কুল করে।
আর তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা দুনিয়ার জীবনের ভোগ্য সামগ্রী মাত্র। আর আল্লাহর নিকট যা আছে তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্য যারা ঈমান আনে এবং তাদের রবের উপর তাওয়াক্কুল করে।
তাইসিরুল কুরআন:
(এখানে) তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা অস্থায়ী দুনিয়ার জীবনের (সামান্য) ভোগ্যবস্তু মাত্র। আল্লাহর নিকট যা আছে তা উৎকৃষ্ট এবং স্থায়ী (আর তা হল) তাদের জন্য যারা ঈমান আনে এবং তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।
(এখানে) তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা অস্থায়ী দুনিয়ার জীবনের (সামান্য) ভোগ্যবস্তু মাত্র। আল্লাহর নিকট যা আছে তা উৎকৃষ্ট এবং স্থায়ী (আর তা হল) তাদের জন্য যারা ঈমান আনে এবং তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।
Sahih International:
So whatever thing you have been given - it is but [for] enjoyment of the worldly life. But what is with Allah is better and more lasting for those who have believed and upon their Lord rely
So whatever thing you have been given - it is but [for] enjoyment of the worldly life. But what is with Allah is better and more lasting for those who have believed and upon their Lord rely
وَ الَّذِیْنَ یَجْتَنِبُوْنَ کَبٰٓئِرَ الْاِثْمِ وَ الْفَوَاحِشَ وَ اِذَا مَا غَضِبُوْا هُمْ یَغْفِرُوْنَ ﴿ۚ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইয়াজতানিবূনা কাবাইরাল ইছমি ওয়াল ফাওয়া-হিশা ওয়া ইযা- মাগাদিবূহুম ইয়াগফিরূন।
ওয়াল্লাযীনা ইয়াজতানিবূনা কাবাইরাল ইছমি ওয়াল ফাওয়া-হিশা ওয়া ইযা- মাগাদিবূহুম ইয়াগফিরূন।
আল বায়ান:
আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রাগান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।
আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রাগান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা বড় বড় পাপ এবং অশ্লীল কার্যকলাপ হতে বেঁচে চলে এবং রাগান্বিত হয়েও ক্ষমা করে।
যারা বড় বড় পাপ এবং অশ্লীল কার্যকলাপ হতে বেঁচে চলে এবং রাগান্বিত হয়েও ক্ষমা করে।
Sahih International:
And those who avoid the major sins and immoralities, and when they are angry, they forgive,
And those who avoid the major sins and immoralities, and when they are angry, they forgive,
وَ الَّذِیْنَ اسْتَجَابُوْا لِرَبِّهِمْ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ ۪ وَ اَمْرُهُمْ شُوْرٰی بَیْنَهُمْ ۪ وَ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ﴿ۚ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনাছ তাজা-বূলিরাব্বিহিম ওয়া আকা-মুসসালা-তা ওয়া আমরুহুম শূরাবাইনাহুম ওয়া মিম্মা-রাযাকনা-হুম ইউনফিকূন।
ওয়াল্লাযীনাছ তাজা-বূলিরাব্বিহিম ওয়া আকা-মুসসালা-তা ওয়া আমরুহুম শূরাবাইনাহুম ওয়া মিম্মা-রাযাকনা-হুম ইউনফিকূন।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের রবের আহবানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, তাদের কার্যাবলী তাদের পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পন্ন করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে।
আর যারা তাদের রবের আহবানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, তাদের কার্যাবলী তাদের পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পন্ন করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের প্রতিপালকের (নির্দেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর) প্রতি সাড়া দেয়, নিয়মিত নামায প্রতিষ্ঠা করে, পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে নিজেদের কার্যাদি পরিচালনা করে। আর আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাত্থেকে ব্যয় করে।
যারা তাদের প্রতিপালকের (নির্দেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর) প্রতি সাড়া দেয়, নিয়মিত নামায প্রতিষ্ঠা করে, পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে নিজেদের কার্যাদি পরিচালনা করে। আর আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাত্থেকে ব্যয় করে।
Sahih International:
And those who have responded to their lord and established prayer and whose affair is [determined by] consultation among themselves, and from what We have provided them, they spend.
And those who have responded to their lord and established prayer and whose affair is [determined by] consultation among themselves, and from what We have provided them, they spend.
وَ الَّذِیْنَ اِذَاۤ اَصَابَهُمُ الْبَغْیُ هُمْ یَنْتَصِرُوْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইযাআসা-বাহুমুল বাগইউহুম ইয়ানতাসিরূন।
ওয়াল্লাযীনা ইযাআসা-বাহুমুল বাগইউহুম ইয়ানতাসিরূন।
আল বায়ান:
আর তাদের উপর অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হলে তারা তার প্রতিবিধান করে।
আর তাদের উপর অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হলে তারা তার প্রতিবিধান করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের উপর অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হলে নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে।
আর তাদের উপর অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হলে নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে।
Sahih International:
And those who, when tyranny strikes them, they defend themselves,
And those who, when tyranny strikes them, they defend themselves,
وَ جَزٰٓؤُا سَیِّئَۃٍ سَیِّئَۃٌ مِّثْلُهَا ۚ فَمَنْ عَفَا وَ اَصْلَحَ فَاَجْرُهٗ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাযাউ ছাইয়িআতিন ছাইয়িআতুম মিছলুহা- ফামান ‘আফা-ওয়া আসলাহা ফাআজরুহূ‘আলাল্লা-হি ইন্নাহূলা-ইউহিবজ জা-লিমীন।
ওয়া জাযাউ ছাইয়িআতিন ছাইয়িআতুম মিছলুহা- ফামান ‘আফা-ওয়া আসলাহা ফাআজরুহূ‘আলাল্লা-হি ইন্নাহূলা-ইউহিবজ জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ। অতঃপর যে ক্ষমা করে দেয় এবং আপোস নিস্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর নিকট রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিমদের পছন্দ করেন না।
আর মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ। অতঃপর যে ক্ষমা করে দেয় এবং আপোস নিস্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর নিকট রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিমদের পছন্দ করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
অন্যায়ের প্রতিবিধান হল অনুরূপ অন্যায়। অতঃপর যে ক্ষমা করে এবং সমঝোতা করে, তার প্রতিদান দেয়া আল্লাহর যিম্মায়। সীমাঙ্ঘনকারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
অন্যায়ের প্রতিবিধান হল অনুরূপ অন্যায়। অতঃপর যে ক্ষমা করে এবং সমঝোতা করে, তার প্রতিদান দেয়া আল্লাহর যিম্মায়। সীমাঙ্ঘনকারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
Sahih International:
And the retribution for an evil act is an evil one like it, but whoever pardons and makes reconciliation - his reward is [due] from Allah. Indeed, He does not like wrongdoers.
And the retribution for an evil act is an evil one like it, but whoever pardons and makes reconciliation - his reward is [due] from Allah. Indeed, He does not like wrongdoers.
وَ لَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهٖ فَاُولٰٓئِکَ مَا عَلَیْهِمْ مِّنْ سَبِیْلٍ ﴿ؕ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লামানিন তাসারা বা‘দা জুলমিহী ফাউলাইকা মা-‘আলাইহিম মিন ছাবীল।
ওয়া লামানিন তাসারা বা‘দা জুলমিহী ফাউলাইকা মা-‘আলাইহিম মিন ছাবীল।
আল বায়ান:
তবে অত্যাচারিত হবার পর যারা প্রতিবিধান করে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
তবে অত্যাচারিত হবার পর যারা প্রতিবিধান করে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
কেউ অত্যাচারিত হয়ে নিজের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নিলে, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।
কেউ অত্যাচারিত হয়ে নিজের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নিলে, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।
Sahih International:
And whoever avenges himself after having been wronged - those have not upon them any cause [for blame].
And whoever avenges himself after having been wronged - those have not upon them any cause [for blame].
اِنَّمَا السَّبِیْلُ عَلَی الَّذِیْنَ یَظْلِمُوْنَ النَّاسَ وَ یَبْغُوْنَ فِی الْاَرْضِ بِغَیْرِ الْحَقِّ ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামাছ ছাবীলু‘আলাল্লাযীনা ইয়াজলিমূনান্না-ছা ওয়া ইয়াবগূনা ফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কি উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
ইন্নামাছ ছাবীলু‘আলাল্লাযীনা ইয়াজলিমূনান্না-ছা ওয়া ইয়াবগূনা ফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কি উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
কেবল তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের উপর যুলম করে এবং যমীনে অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
কেবল তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের উপর যুলম করে এবং যমীনে অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
অভিযোগ তো তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষের প্রতি অত্যাচার করে, আর অন্যায়ভাবে যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে; তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
অভিযোগ তো তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষের প্রতি অত্যাচার করে, আর অন্যায়ভাবে যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে; তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
Sahih International:
The cause is only against the ones who wrong the people and tyrannize upon the earth without right. Those will have a painful punishment.
The cause is only against the ones who wrong the people and tyrannize upon the earth without right. Those will have a painful punishment.
وَ لَمَنْ صَبَرَ وَ غَفَرَ اِنَّ ذٰلِکَ لَمِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালামান সাবারা ওয়া গাফারা ইন্না যা-লিকা লামিন ‘আযমিল উমূর।
ওয়ালামান সাবারা ওয়া গাফারা ইন্না যা-লিকা লামিন ‘আযমিল উমূর।
আল বায়ান:
আর যে ধৈর্যধারণ করে এবং ক্ষমা করে, তা নিশ্চয় দৃঢ়সংকল্পেরই কাজ।
আর যে ধৈর্যধারণ করে এবং ক্ষমা করে, তা নিশ্চয় দৃঢ়সংকল্পেরই কাজ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে ব্যক্তি (অত্যাচারিত হওয়ার পরও) ধৈর্য ধারণ করে, আর (অত্যাচারীকে) ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তা অবশ্যই দৃঢ় চিত্ততার কাজ।
আর যে ব্যক্তি (অত্যাচারিত হওয়ার পরও) ধৈর্য ধারণ করে, আর (অত্যাচারীকে) ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তা অবশ্যই দৃঢ় চিত্ততার কাজ।
Sahih International:
And whoever is patient and forgives - indeed, that is of the matters [requiring] determination.
And whoever is patient and forgives - indeed, that is of the matters [requiring] determination.
وَ مَنْ یُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ وَّلِیٍّ مِّنْۢ بَعْدِهٖ ؕ وَ تَرَی الظّٰلِمِیْنَ لَمَّا رَاَوُا الْعَذَابَ یَقُوْلُوْنَ هَلْ اِلٰی مَرَدٍّ مِّنْ سَبِیْلٍ ﴿ۚ۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিওঁ ওয়ালিইয়িম মিম বা‘দিহী ওয়াতারাজ্জালিমীনা লাম্মা-রায়াউল ‘আযা-বা ইয়াকূলূনা হাল ইলা-মারাদ্দিম মিন ছাবীল।
ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিওঁ ওয়ালিইয়িম মিম বা‘দিহী ওয়াতারাজ্জালিমীনা লাম্মা-রায়াউল ‘আযা-বা ইয়াকূলূনা হাল ইলা-মারাদ্দিম মিন ছাবীল।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তারপর তার জন্য কোন অভিভাবক নেই। আর তুমি যালিমদেরকে দেখবে, যখন তারা আযাব প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে, ‘ফিরে যাওয়ার কোন পথ আছে কি’?
আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তারপর তার জন্য কোন অভিভাবক নেই। আর তুমি যালিমদেরকে দেখবে, যখন তারা আযাব প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে, ‘ফিরে যাওয়ার কোন পথ আছে কি’?
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহই যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য তিনি ছাড়া কোন অভিভাবক নেই। তুমি দেখবে, যখন যালিমরা ‘আযাব প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে- ফিরে যাওয়ার কোন পথ আছে কি?
আল্লাহই যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য তিনি ছাড়া কোন অভিভাবক নেই। তুমি দেখবে, যখন যালিমরা ‘আযাব প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে- ফিরে যাওয়ার কোন পথ আছে কি?
Sahih International:
And he whom Allah sends astray - for him there is no protector beyond Him. And you will see the wrongdoers, when they see the punishment, saying, "Is there for return [to the former world] any way?"
And he whom Allah sends astray - for him there is no protector beyond Him. And you will see the wrongdoers, when they see the punishment, saying, "Is there for return [to the former world] any way?"
وَ تَرٰىهُمْ یُعْرَضُوْنَ عَلَیْهَا خٰشِعِیْنَ مِنَ الذُّلِّ یَنْظُرُوْنَ مِنْ طَرْفٍ خَفِیٍّ ؕ وَ قَالَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ الْخٰسِرِیْنَ الَّذِیْنَ خَسِرُوْۤا اَنْفُسَهُمْ وَ اَهْلِیْهِمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ الظّٰلِمِیْنَ فِیْ عَذَابٍ مُّقِیْمٍ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তারা-হুম ইউ‘রাদূনা ‘আলাইহা-খা-শি‘ঈনা মিনাযযুলিল ইয়ানজু রূনা মিন তারফিন খাফীইয়িওঁ ওয়াকা-লাল্লাযীনা আমানূইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি আলাইন্নাজ্জা-লিমীনা ফী ‘আযা-বিম মুকীম।
ওয়া তারা-হুম ইউ‘রাদূনা ‘আলাইহা-খা-শি‘ঈনা মিনাযযুলিল ইয়ানজু রূনা মিন তারফিন খাফীইয়িওঁ ওয়াকা-লাল্লাযীনা আমানূইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি আলাইন্নাজ্জা-লিমীনা ফী ‘আযা-বিম মুকীম।
আল বায়ান:
তুমি তাদেরকে আরো দেখবে যে, তাদেরকে অপমানে অবনত অবস্থায় জাহান্নামে উপস্থিত করা হচ্ছে, তারা আড় চোখে তাকাচ্ছে। আর কিয়ামতের দিন মুমিনগণ বলবে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত যারা নিজদের ও পরিবার-পরিজনের ক্ষতি সাধন করেছে। সাবধান! যালিমরাই থাকবে স্থায়ী আযাবে।
তুমি তাদেরকে আরো দেখবে যে, তাদেরকে অপমানে অবনত অবস্থায় জাহান্নামে উপস্থিত করা হচ্ছে, তারা আড় চোখে তাকাচ্ছে। আর কিয়ামতের দিন মুমিনগণ বলবে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত যারা নিজদের ও পরিবার-পরিজনের ক্ষতি সাধন করেছে। সাবধান! যালিমরাই থাকবে স্থায়ী আযাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি (আরো) দেখবে, তাদেরকে জাহান্নামের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে, তারা থাকবে অপমানে অবনত, তারা লুকিয়ে তাকাবে। আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলবে, সত্যিকার ক্ষতিগ্রস্ত তো তারাই যারা ক্বিয়ামতের দিনে নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাবধান! যালিমরা থাকবে স্থায়ী ‘আযাবে।
তুমি (আরো) দেখবে, তাদেরকে জাহান্নামের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে, তারা থাকবে অপমানে অবনত, তারা লুকিয়ে তাকাবে। আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলবে, সত্যিকার ক্ষতিগ্রস্ত তো তারাই যারা ক্বিয়ামতের দিনে নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাবধান! যালিমরা থাকবে স্থায়ী ‘আযাবে।
Sahih International:
And you will see them being exposed to the Fire, humbled from humiliation, looking from [behind] a covert glance. And those who had believed will say, "Indeed, the [true] losers are the ones who lost themselves and their families on the Day of Resurrection. Unquestionably, the wrongdoers are in an enduring punishment."
And you will see them being exposed to the Fire, humbled from humiliation, looking from [behind] a covert glance. And those who had believed will say, "Indeed, the [true] losers are the ones who lost themselves and their families on the Day of Resurrection. Unquestionably, the wrongdoers are in an enduring punishment."
وَ مَا کَانَ لَهُمْ مِّنْ اَوْلِیَآءَ یَنْصُرُوْنَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ وَ مَنْ یُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ سَبِیْلٍ ﴿ؕ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কা-না লাহুম মিন আওলিয়াআ ইয়ানসুরূনাহুম মিন দূ নিল্লা-হি ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু; ফামা-লাহূমিন ছাবীল।
ওয়ামা-কা-না লাহুম মিন আওলিয়াআ ইয়ানসুরূনাহুম মিন দূ নিল্লা-হি ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু; ফামা-লাহূমিন ছাবীল।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ ছাড়া তাদেরকে সাহায্য করার জন্য তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথ নেই।
আর আল্লাহ ছাড়া তাদেরকে সাহায্য করার জন্য তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথ নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না আল্লাহ্ ব্যতীত যারা তাদেরকে সাহায্য করতে পারে। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার (শাস্তি থেকে বাঁচার) কোন রাস্তা নেই।
তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না আল্লাহ্ ব্যতীত যারা তাদেরকে সাহায্য করতে পারে। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার (শাস্তি থেকে বাঁচার) কোন রাস্তা নেই।
Sahih International:
And there will not be for them any allies to aid them other than Allah. And whoever Allah sends astray - for him there is no way.
And there will not be for them any allies to aid them other than Allah. And whoever Allah sends astray - for him there is no way.
اِسْتَجِیْبُوْا لِرَبِّکُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ یَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهٗ مِنَ اللّٰهِ ؕ مَا لَکُمْ مِّنْ مَّلْجَاٍ یَّوْمَئِذٍ وَّ مَا لَکُمْ مِّنْ نَّکِیْرٍ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ইছতাজীবূলিরাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়া ইয়াওমুল্লা-মারাদ্দা লাহূমিনাল্লা-হি মালাকুম মিম মালজায়িইঁ ইয়াওমায়িযিওঁ ওয়ামা-লাকুম মিন নাকীর।
ইছতাজীবূলিরাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়া ইয়াওমুল্লা-মারাদ্দা লাহূমিনাল্লা-হি মালাকুম মিম মালজায়িইঁ ইয়াওমায়িযিওঁ ওয়ামা-লাকুম মিন নাকীর।
আল বায়ান:
তোমরা তোমাদের রবের ডাকে সাড়া দাও, আল্লাহর পক্ষ থেকে সেদিন আসার পূর্বের্ই, যাকে ফিরিয়ে দেয়ার কোনো উপায় নেই। সেদিন তোমাদের জন্য কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তোমাদের জন্য প্রতিরোধকারীও থাকবে না।
তোমরা তোমাদের রবের ডাকে সাড়া দাও, আল্লাহর পক্ষ থেকে সেদিন আসার পূর্বের্ই, যাকে ফিরিয়ে দেয়ার কোনো উপায় নেই। সেদিন তোমাদের জন্য কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তোমাদের জন্য প্রতিরোধকারীও থাকবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কথায় সাড়া দাও সেই দিন আসার পূর্বে আল্লাহ (’র হুকুমে যা সংঘটিত হওয়া) থেকে ফিরিয়ে রাখার কেউ নেই। সেদিন তোমাদের জন্য আশ্রয়স্থল থাকবে না, থাকবে না তোমাদের জন্য কোন প্রতিরোধকারী।
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কথায় সাড়া দাও সেই দিন আসার পূর্বে আল্লাহ (’র হুকুমে যা সংঘটিত হওয়া) থেকে ফিরিয়ে রাখার কেউ নেই। সেদিন তোমাদের জন্য আশ্রয়স্থল থাকবে না, থাকবে না তোমাদের জন্য কোন প্রতিরোধকারী।
Sahih International:
Respond to your Lord before a Day comes from Allah of which there is no repelling. No refuge will you have that day, nor for you will there be any denial.
Respond to your Lord before a Day comes from Allah of which there is no repelling. No refuge will you have that day, nor for you will there be any denial.
فَاِنْ اَعْرَضُوْا فَمَاۤ اَرْسَلْنٰکَ عَلَیْهِمْ حَفِیْظًا ؕ اِنْ عَلَیْکَ اِلَّا الْبَلٰغُ ؕ وَ اِنَّاۤ اِذَاۤ اَذَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنَّا رَحْمَۃً فَرِحَ بِهَا ۚ وَ اِنْ تُصِبْهُمْ سَیِّئَۃٌۢ بِمَا قَدَّمَتْ اَیْدِیْهِمْ فَاِنَّ الْاِنْسَانَ کَفُوْرٌ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ফাইন আ‘রাদূফামাআরছালনা-কা ‘আলাইহিম হাফীজান ইন ‘আলাইকা ইল্লাল বালা-গু ওয়া ইন্নাইযাআযাকনাল ইনছা-না মিন্না-রাহমাতান ফারিহা বিহা- ওয়া ইন তুসিবহুম ছাইয়িআতুম বিমা-কাদ্দামাত আইদীহিম ফাইন্নাল ইনছা-না কাফূর।
ফাইন আ‘রাদূফামাআরছালনা-কা ‘আলাইহিম হাফীজান ইন ‘আলাইকা ইল্লাল বালা-গু ওয়া ইন্নাইযাআযাকনাল ইনছা-না মিন্না-রাহমাতান ফারিহা বিহা- ওয়া ইন তুসিবহুম ছাইয়িআতুম বিমা-কাদ্দামাত আইদীহিম ফাইন্নাল ইনছা-না কাফূর।
আল বায়ান:
আর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে আমি তো তোমাকে তাদের রক্ষক হিসেবে পাঠাইনি। বাণী পৌঁছে দেয়াই তোমার দায়িত্ব। আর আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই তখন সে খুশি হয়। আর যখন তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদের উপর কোন বিপদ আসে তখন মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ হয়।
আর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে আমি তো তোমাকে তাদের রক্ষক হিসেবে পাঠাইনি। বাণী পৌঁছে দেয়াই তোমার দায়িত্ব। আর আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই তখন সে খুশি হয়। আর যখন তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদের উপর কোন বিপদ আসে তখন মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এতদসত্ত্বেও তারা যদি মুখ ফিরিয়েই নেয় (তাহলে ফিরিয়ে নিক, কারণ) আমি তোমাকে তাদের হিফাযাতকারী বানিয়ে পাঠাইনি। কথা পৌঁছে দেয়াই তোমার দায়িত্ব। আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই, তখন সে উৎফুল্ল হয়। আর যখন তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের কোন অনিষ্ট হয়, তখন মানুষ অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়।
এতদসত্ত্বেও তারা যদি মুখ ফিরিয়েই নেয় (তাহলে ফিরিয়ে নিক, কারণ) আমি তোমাকে তাদের হিফাযাতকারী বানিয়ে পাঠাইনি। কথা পৌঁছে দেয়াই তোমার দায়িত্ব। আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই, তখন সে উৎফুল্ল হয়। আর যখন তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের কোন অনিষ্ট হয়, তখন মানুষ অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়।
Sahih International:
But if they turn away - then We have not sent you, [O Muhammad], over them as a guardian; upon you is only [the duty of] notification. And indeed, when We let man taste mercy from us, he rejoices in it; but if evil afflicts him for what his hands have put forth, then indeed, man is ungrateful.
But if they turn away - then We have not sent you, [O Muhammad], over them as a guardian; upon you is only [the duty of] notification. And indeed, when We let man taste mercy from us, he rejoices in it; but if evil afflicts him for what his hands have put forth, then indeed, man is ungrateful.
لِلّٰهِ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ یَخْلُقُ مَا یَشَآءُ ؕیَهَبُ لِمَنْ یَّشَآءُ اِنَاثًا وَّ یَهَبُ لِمَنْ یَّشَآءُ الذُّکُوْرَ ﴿ۙ۴۹﴾
উচ্চারণ:
লিল্লা-হি মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ইয়াহাবু লিমাইঁ ইয়াশাউ ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াহাবুলিমাইঁ ইয়াশাউযযুকূর।
লিল্লা-হি মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ইয়াহাবু লিমাইঁ ইয়াশাউ ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াহাবুলিমাইঁ ইয়াশাউযযুকূর।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই, যা চান তিনি সৃষ্টি করেন। যাকে চান কন্যা-সন্তান দেন, যাকে চান পুত্র সন্তান দেন।
আসমান ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই, যা চান তিনি সৃষ্টি করেন। যাকে চান কন্যা-সন্তান দেন, যাকে চান পুত্র সন্তান দেন।
Sahih International:
To Allah belongs the dominion of the heavens and the earth; He creates what he wills. He gives to whom He wills female [children], and He gives to whom He wills males.
To Allah belongs the dominion of the heavens and the earth; He creates what he wills. He gives to whom He wills female [children], and He gives to whom He wills males.
اَوْ یُزَوِّجُهُمْ ذُکْرَانًا وَّ اِنَاثًا ۚ وَ یَجْعَلُ مَنْ یَّشَآءُ عَقِیْمًا ؕ اِنَّهٗ عَلِیْمٌ قَدِیْرٌ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
আও ইউযাওবিজুহুম যুকরা-নাওঁ ওয়া ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াজ‘আলুমাইঁ ইয়াশাউ ‘আকীমান ইন্নাহূ‘আলীমুন কাদীর।
আও ইউযাওবিজুহুম যুকরা-নাওঁ ওয়া ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াজ‘আলুমাইঁ ইয়াশাউ ‘আকীমান ইন্নাহূ‘আলীমুন কাদীর।
আল বায়ান:
অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা তাদেরকে দেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই। আর যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবহিত ও ক্ষমতাবান।
অথবা তাদেরকে দেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই। আর যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবহিত ও ক্ষমতাবান।
Sahih International:
Or He makes them [both] males and females, and He renders whom He wills barren. Indeed, He is Knowing and Competent.
Or He makes them [both] males and females, and He renders whom He wills barren. Indeed, He is Knowing and Competent.
وَ مَا کَانَ لِبَشَرٍ اَنْ یُّکَلِّمَهُ اللّٰهُ اِلَّا وَحْیًا اَوْ مِنْ وَّرَآیِٔ حِجَابٍ اَوْ یُرْسِلَ رَسُوْلًا فَیُوْحِیَ بِاِذْنِهٖ مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّهٗ عَلِیٌّ حَکِیْمٌ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কা-না লিবাশারিন আইঁ ইউকালিলমাহুল্লা-হু ইল্লা-ওয়াহইয়ান আও মিওঁ ওয়ারাই হিজা-বিন আও ইউরছিলা রাছূলান ফাইঊহিয়া বিইযনিহী মা ইয়াশাউ ইন্নাহূ ‘আলিইয়ুন হাকীম।
ওয়ামা-কা-না লিবাশারিন আইঁ ইউকালিলমাহুল্লা-হু ইল্লা-ওয়াহইয়ান আও মিওঁ ওয়ারাই হিজা-বিন আও ইউরছিলা রাছূলান ফাইঊহিয়া বিইযনিহী মা ইয়াশাউ ইন্নাহূ ‘আলিইয়ুন হাকীম।
আল বায়ান:
কোন মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন, ওহীর মাধ্যম, পর্দার আড়াল অথবা কোন দূত পাঠানো ছাড়া। তারপর আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি যা চান তাই ওহী প্রেরণ করেন। তিনি তো মহীয়ান, প্রজ্ঞাময়।
কোন মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন, ওহীর মাধ্যম, পর্দার আড়াল অথবা কোন দূত পাঠানো ছাড়া। তারপর আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি যা চান তাই ওহী প্রেরণ করেন। তিনি তো মহীয়ান, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে (সরাসরি) কথা বলবেন ওয়াহীর মাধ্যম বা পর্দার আড়াল বা কোন দূত প্রেরণ ছাড়া। অতঃপর আল্লাহর অনুমতিক্রমে সে (মনোনীত মানুষের কাছে) ওয়াহী করে যা তিনি (আল্লাহ) চান। তিনি সুমহান ও মহাবিজ্ঞানী।
কোন মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে (সরাসরি) কথা বলবেন ওয়াহীর মাধ্যম বা পর্দার আড়াল বা কোন দূত প্রেরণ ছাড়া। অতঃপর আল্লাহর অনুমতিক্রমে সে (মনোনীত মানুষের কাছে) ওয়াহী করে যা তিনি (আল্লাহ) চান। তিনি সুমহান ও মহাবিজ্ঞানী।
Sahih International:
And it is not for any human being that Allah should speak to him except by revelation or from behind a partition or that He sends a messenger to reveal, by His permission, what He wills. Indeed, He is Most High and Wise.
And it is not for any human being that Allah should speak to him except by revelation or from behind a partition or that He sends a messenger to reveal, by His permission, what He wills. Indeed, He is Most High and Wise.
وَ کَذٰلِکَ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْکَ رُوْحًا مِّنْ اَمْرِنَا ؕ مَا کُنْتَ تَدْرِیْ مَا الْکِتٰبُ وَ لَا الْاِیْمَانُ وَ لٰکِنْ جَعَلْنٰهُ نُوْرًا نَّهْدِیْ بِهٖ مَنْ نَّشَآءُ مِنْ عِبَادِنَا ؕ وَ اِنَّکَ لَتَهْدِیْۤ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿ۙ۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা রূহাম মিন আমরিনা- মা-কুনতা তাদরী মাল কিতা-বুওয়ালাল ঈমা-নুওয়ালা-কিন জা‘আলনা-হু নূরান নাহদী বিহী মান নাশাউ মিন ‘ইবা-দিনা- ওয়া ইন্নাকা লা তাহদীইলা সিরা-তিম মুছতাকীম।
ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা রূহাম মিন আমরিনা- মা-কুনতা তাদরী মাল কিতা-বুওয়ালাল ঈমা-নুওয়ালা-কিন জা‘আলনা-হু নূরান নাহদী বিহী মান নাশাউ মিন ‘ইবা-দিনা- ওয়া ইন্নাকা লা তাহদীইলা সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
অনুরূপভাবে (উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতিতে) আমি তোমার কাছে আমার নির্দেশ থেকে ‘রূহ’কে ওহী যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী এবং ঈমান কী? কিন্তু আমি একে আলো বানিয়েছি, যার মাধ্যমে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করি। আর নিশ্চয় তুমি সরল পথের দিক নির্দেশনা দাও।
অনুরূপভাবে (উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতিতে) আমি তোমার কাছে আমার নির্দেশ থেকে ‘রূহ’কে ওহী যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী এবং ঈমান কী? কিন্তু আমি একে আলো বানিয়েছি, যার মাধ্যমে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করি। আর নিশ্চয় তুমি সরল পথের দিক নির্দেশনা দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে (উপরোক্ত ৩টি উপায়েই) আমার নির্দেশের মূল শিক্ষাকে তোমার কাছে আমি ওয়াহী যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী, ঈমান কী, কিন্তু আমি একে (অর্থাৎ ওয়াহী যোগে প্রেরিত কুরআনকে) করেছি আলো, যার সাহায্যে আমার বান্দাহদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছে আমি সঠিক পথে পরিচালিত করি। তুমি নিশ্চিতই (মানুষদেরকে) সঠিক পথের দিকে নির্দেশ করছ।
এভাবে (উপরোক্ত ৩টি উপায়েই) আমার নির্দেশের মূল শিক্ষাকে তোমার কাছে আমি ওয়াহী যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী, ঈমান কী, কিন্তু আমি একে (অর্থাৎ ওয়াহী যোগে প্রেরিত কুরআনকে) করেছি আলো, যার সাহায্যে আমার বান্দাহদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছে আমি সঠিক পথে পরিচালিত করি। তুমি নিশ্চিতই (মানুষদেরকে) সঠিক পথের দিকে নির্দেশ করছ।
Sahih International:
And thus We have revealed to you an inspiration of Our command. You did not know what is the Book or [what is] faith, but We have made it a light by which We guide whom We will of Our servants. And indeed, [O Muhammad], you guide to a straight path -
And thus We have revealed to you an inspiration of Our command. You did not know what is the Book or [what is] faith, but We have made it a light by which We guide whom We will of Our servants. And indeed, [O Muhammad], you guide to a straight path -
صِرَاطِ اللّٰهِ الَّذِیْ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ ؕ اَلَاۤ اِلَی اللّٰهِ تَصِیْرُ الْاُمُوْرُ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
সিরাতিল্লা-হিল্লাযী লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি আলাইলাল্লা-হি তাসীরুল উমূর।
সিরাতিল্লা-হিল্লাযী লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি আলাইলাল্লা-হি তাসীরুল উমূর।
আল বায়ান:
সেই আল্লাহর পথ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তার মালিক। সাবধান! সব বিষয়ই আল্লাহর কাছে ফিরে যাবে।
সেই আল্লাহর পথ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তার মালিক। সাবধান! সব বিষয়ই আল্লাহর কাছে ফিরে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যা কিছু আকাশে আছে আর যমীনে আছে এসবের মালিক যিনি সেই আল্লাহর পথে। শুনে রাখ! আল্লাহর কাছেই সব বিষয় ফিরে যায়।
যা কিছু আকাশে আছে আর যমীনে আছে এসবের মালিক যিনি সেই আল্লাহর পথে। শুনে রাখ! আল্লাহর কাছেই সব বিষয় ফিরে যায়।
Sahih International:
The path of Allah, to whom belongs whatever is in the heavens and whatever is on the earth. Unquestionably, to Allah do [all] matters evolve.
The path of Allah, to whom belongs whatever is in the heavens and whatever is on the earth. Unquestionably, to Allah do [all] matters evolve.