আল কুরআন


সূরা আশ-শূরা (আয়াত: 30)

সূরা আশ-শূরা (আয়াত: 30)



হরকত ছাড়া:

وما أصابكم من مصيبة فبما كسبت أيديكم ويعفو عن كثير ﴿٣٠﴾




হরকত সহ:

وَ مَاۤ اَصَابَکُمْ مِّنْ مُّصِیْبَۃٍ فَبِمَا کَسَبَتْ اَیْدِیْکُمْ وَ یَعْفُوْا عَنْ کَثِیْرٍ ﴿ؕ۳۰﴾




উচ্চারণ: ওয়ামাআসা-বাকুম মিম মুসীবাতিন ফাবিমা-কাছাবাত আইদীকুম ওয়া ইয়া‘ফূ‘আন কাছীর।




আল বায়ান: আর তোমাদের প্রতি যে মুসীবত আপতিত হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। আর অনেক কিছুই তিনি ক্ষমা করে দেন।




আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ৩০. আর তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তোমাদের হাত যা অর্জন করেছে তার কারণে এবং অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন।




তাইসীরুল ক্বুরআন: তোমাদের উপর যে বিপদই উপনীত হয় তা তোমাদের হাতের উপার্জনের কারণেই, তিনি অনেক অপরাধই ক্ষমা করে দেন।




আহসানুল বায়ান: (৩০) তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন। [1]



মুজিবুর রহমান: তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তাতো তোমাদেরই কৃতকর্মের ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন।



ফযলুর রহমান: তোমাদের যে বিপদ আসে তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। তিনি তোমাদের অনেক অপরাধ ক্ষমাও করে দেন।



মুহিউদ্দিন খান: তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।



জহুরুল হক: আর বিপদ-আপদের যা তোমাদের আঘাত করে তা তো তোমার হাত যা অর্জন করেছে সে-জন্য, আর তিনি অনেকটা ক্ষমা করে দেন।



Sahih International: And whatever strikes you of disaster - it is for what your hands have earned; but He pardons much.



তাফসীরে যাকারিয়া

অনুবাদ: ৩০. আর তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তোমাদের হাত যা অর্জন করেছে তার কারণে এবং অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন।


তাফসীর:

-


তাফসীরে আহসানুল বায়ান

অনুবাদ: (৩০) তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন। [1]


তাফসীর:

[1] এ থেকে উদ্দেশ্য যদি ঈমানদাররা হয়, তবে অর্থ হবে, তোমাদের কোন কোন পাপের কাফফারা সেই বিপদাপদ হয়, যা তোমাদের গুনাহের কারণে তোমাদের উপর আপতিত হয় এবং কিছু গুনাহ মহান আল্লাহ তো এমনিই ক্ষমা করে দেন। আল্লাহর সত্তা বড়ই দয়ালু। ক্ষমা করে দেওয়ার পর আখেরাতে এর জন্য আর পাকড়াও করবেন না, হাদীসে এসেছে যে, ‘‘মু’মিন যে কোন কষ্ট এবং দুশ্চিন্তা ও দুঃখের শিকার হয়; এমনকি তার পায়ে কাঁটাও যদি ঢুকে যায়, তাহলে তার ফলে মহান আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন।’’ (বুখারীঃ কিতাবুল মারয্বা, মুসলিমঃ কিতাবুল বির্র) পক্ষান্তরে উদ্দেশ্য ও সম্বোধন যদি ব্যাপক ও সাধারণ হয়, তাহলে অর্থ হবে, দুনিয়াতে যে বিপদাপদের তোমরা সম্মুখীন হও, এ সবই তোমাদের পাপের ফল। অথচ মহান আল্লাহ অনেক পাপ তো এমনিই মাফ করে দেন। অর্থাৎ, হয় চিরদিনকার জন্য মাফ করে দেন। অথবা পাপের শাস্তি সত্বর দেন না। (আর শাস্তি দানে বিলম্ব করাও এক প্রকার ক্ষমাশীলতা) যেমন, অন্যত্র বলেছেন, {وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوْا مَا تَرَكَ عَلَى ظَهْرِهَا مِنْ دَآبَّةٍ} অর্থাৎ, আল্লাহ যদি মানুষকে তাদের কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভূপৃষ্ঠে চলমান কাউকে ছেড়ে দিতেন না।’’ (সূরা ফাত্বির ৪৫ আয়াত, সূরা নাহলের ৬১নং আয়াতও এই অর্থেরই।)


তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ


তাফসীর: ২৯-৩১ নম্বর আয়াতের তাফসীর :



যে-সকল নিদর্শন আল্লাহ তা‘আলার মহত্ত্ব ও বড়ত্ত্বের প্রমাণ বহণ করে তার মধ্যে অন্যতম হলো আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি। তিনি আকাশ ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই এতে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, খাল-বিল, ঝর্ণা, পশু-পাখিসহ সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং যিনি এসব কিছুর সৃষ্টিকর্তা তিনিই সকল ইবাদত পাওয়ার যোগ্য, হাতে তৈরী কোন প্রতিমা, মূর্তি ও কোন নিদর্শন ইবাদত পাওয়ার যোগ্য হতে পারে না।



(وَهُوَ عَلٰي جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَا۬ءُ قَدِيْرٌ)



‘তিনি যখন ইচ্ছা তখনই তাদেরকে সমবেত করতে সক্ষম’ অর্থাৎ এসব সৃষ্টির মৃত্যুর পর আল্লাহ তা‘আলা যখন ইচ্ছা সবাইকে একত্রিত করতে পারবেন। এমন নয় যে, তারা মারা যাবে, আর তাদের কোন হিসাব নিকাশ হবে না এবং তাদেরকে পাকড়াও করা হবে না। বরং আকাশ-জমিনে যা আছে সব কিছুকে তিনি যখন ইচ্ছা একত্রিত করতে পারবেন।



এরপর আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেন যে, পৃথিবীতে যত বালা-মসিবত ও আপদ-বিপদ আসে তার সকল কিছুই হয় মানুষের নিজ কৃতকর্মের জন্য, আর অধিকাংশ অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন, সেগুলোর জন্য বিপদ-আপদ দেন না।



আল্লাহ তা‘আলা বলেন :



(وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللّٰهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوْا مَا تَرَكَ عَلٰي ظَهْرِهَا مِنْ دَا۬بَّةٍ وَّلٰكِنْ يُّؤَخِّرُهُمْ إِلٰٓي أَجَلٍ مُّسَمًّي ج فَإِذَا جَا۬ءَ أَجَلُهُمْ فَإِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِعِبَادِه۪ بَصِيْرًا ‏)‏



“আর যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের কাজ-কর্মের দরুণ পাকড়াও করতেন তবে দুনিয়ার বুকে একটি প্রাণীকেও রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি তাদেরকে এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন। অতঃপর যখন এসে পড়বে তাদের সেই নির্র্দিষ্ট সময়, (তখন তিনি তাদের কর্মের প্রতিফল দেবেন) আল্লাহ তো তাঁর বান্দাদের (বিষয়ে) সর্বদ্রষ্টা।” (সূরা ফা-ত্বির ৩৫ : ৪৫)



হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : ঐ সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ, মু’মিনের ওপর যে কষ্ট, বিপদ-আপদ, দুশ্চিন্তা আপতিত হয় সে কারণে তার অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হয় এমনকি একটি কাঁটা ফুটলেও। (সহীহ বুখারী হা. ৫৬৪১, সহীহ মুসলিম হা. ২৫৭৩)



রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : দুনিয়াতে তোমাদের ওপর যত অসুস্থতা, শাস্তি ও আপদ-বিপদ এসে থাকে তা তোমাদের হাতের অর্জন। আখিরাতে দ্বিতীয়বার সে অপরাধের শাস্তি দিতে আল্লাহ তা‘আলা লজ্জাবোধ করেন। দুনিয়াতে যা ক্ষমা করে দেন তাতে পুনরায় ফিরে আসা থেকে আল্লাহ তা‘আলা অধিক সম্মানিত। (মুসনাদ আহমাদ হা. ৬৪৯, সহীহ)



সুতরাং মানব জাতির পাপ কার্যের কারণেই জমিনে ভূমিকম্প, ভূমিধস ইত্যাদি বিপদ-আপদ ঘটে থাকে। অতএব আমাদের সকল পাপকাজ বর্জন করে আল্লাহ তা‘আলামুখী হওয়া উচিত।



আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :



১. সকল কিছুর স্রষ্টা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা আর ‘ইবাদত পাবারও যোগ্য একমাত্র তিনিই।

২. মানুষের বিপদ-আপদ, দুঃখ-কষ্ট, অসুস্থতা ইত্যাদির কারণে তার গুনাহ মোচন করে দেয়া হয়। তবে শর্ত হলো তাকে মু’মিন হতে হবে।


তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)


তাফসীর: ২৯-৩১ নং আয়াতের তাফসীর:

আল্লাহ তা'আলা স্বীয় শ্রেষ্ঠত্ব, ক্ষমতা ও আধিপত্যের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনিই এবং এতোদুভয়ের মধ্যে যত কিছু ছড়িয়ে রয়েছে সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। ফেরেশতা, মানব, দানব এবং বিভিন্ন প্রকারের প্রাণী, যেগুলো প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে, কিয়ামতের দিন তিনি এসবকে একই ময়দানে একত্রিত করবেন, সেদিন তিনি তাদের মধ্যে ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করবেন।

মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। অর্থাৎ হে লোক সকল! তোমাদের উপর যে বিপদ-আপদ আপতিত হয় তা প্রকৃতপক্ষে তোমাদের কৃত পাপকার্যের প্রতিফল। তবে আল্লাহ এমন ক্ষমাশীল ও দয়ালু যে, তিনি তোমাদের বহু অপরাধ ক্ষমা করে দেন। যদি তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করতেন তবে ভূ-পৃষ্ঠে তোমাদের কেউ চলাফেরা করতে পারতো না।

সহীহ হাদীসে এসেছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ! মুমিনের উপর যে কষ্ট ও বিপদ-আপদ আপতিত হয় ওর কারণে তার অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হয়, এমনকি একটি কাঁটা ফুটলেও (এর বিনিময়ে গুনাহ মাফ করা হয়)।”

হযরত আবু কালাবাহ (রঃ) বলেন যে, যখন (আরবী) (অর্থাৎ কেউ অণু পরিমাণ সৎ কর্ম করলে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎ কর্ম করলে তাও দেখবে) (৯৯:৭-৮) এই আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) আহার করছিলেন। এ আয়াত শুনে তিনি খাদ্য হতে হাত উঠিয়ে নেন এবং বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! প্রত্যেক ভাল ও মন্দের প্রতিফল দেয়া হবে?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “জেনে রেখো যে, স্বভাব বিরুদ্ধ যা কিছু হয় তাই হলো মন্দ কর্মের প্রতিফল এবং সমস্ত পুণ্য আল্লাহর নিকট জমা থাকে।” (এটা ইমাম ইবনে জারীর (রাঃ) বর্ণনা করেছেন)

হযরত আবু ইদরীস (রঃ) বলেন যে, এই আয়াতে এই বিষয়টিই বর্ণিত হয়েছে।

হযরত আলী (রাঃ) বলেন, এসো, আমি তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠতম আয়াত এবং হাদীসও শুনাচ্ছি। আয়াতটি হলোঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি মার্জনা করে দেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমার সামনে এ আয়াতটি তিলাওয়াত করে আমাকে বলেনঃ “হে আলী (রাঃ)! আমি তোমাকে এর তাফসীর বলছি। মানুষের কৃতকর্মের ফলে তাদের উপর যে বিপদ-আপদ আপতিত হয়, আল্লাহ তা'আলার ধৈর্য ও সহনশীলতা এর বহু ঊর্ধে যে, পরকালে আবার তিনি এর কারণে শাস্তি দান করবেন। বহু অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন। বান্দার উপর যার এতো বড় দয়া তার দ্বারা এটা কখনো সম্ভব নয় যে, যে অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন ওটার জন্যে আবার পরকালে পাকড়াও করবেন।” (ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে (রঃ) এটা বর্ণনা করেছেন)

মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমেও এই রিওয়াইয়াতটিই হযরত আলী (রাঃ) হতেই বর্ণিত আছে। তাতে এও রয়েছে যে, আবু জাহফা (রঃ) যখন হযরত আলী (রাঃ)-এর নিকট গমন করেন তখন তিনি তাঁকে বলেনঃ “তোমাকে আমি এমন একটি হাদীস শুনাচ্ছি যা মনে রাখা প্রত্যেক মুমিনের অবশ্য কর্তব্য।” তারপর তিনি এ আয়াতের তাফসীর শুনিয়ে দেন।

হযরত মুআবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে, তিনি বলতে শুনেছেন:“মুমিনের দেহে যে কষ্ট পৌছে, ঐ কারণে আল্লাহ তাআলা তার গুনাহ মাফ করে দেন।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)

হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “(মুমিন) বান্দার গুনাহ্ যখন বেশী হয়ে যায় এবং ঐ গুনাহকে মিটিয়ে দেয়ার মত কোন জিনিস তার কাছে থাকে না তখন আল্লাহ তা'আলা তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলে দেন এবং ওটাই তার গুনাহ্ মাফের কারণ হয়ে যায়।” (ইমাম আহমাদই (রঃ) এ হাদীসটিও বর্ণনা করেছেন)

হযরত হাসান বসরী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, ... (আরবী)-এই আয়াতটি যখন অবতীর্ণ হয় তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “যার হাতে মুহাম্মাদ (সঃ)-এর প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ! লাঠির সামান্য খোঁচা, হাড়ের সামান্য আঘাত, এমন কি পা পিছলিয়ে যাওয়া ইত্যাদিও কোন পাপের কারণে ঘটে থাকে। আর এমনিতেই আল্লাহ তা'আলা বহু গুনাহ মাফ করে দেন।” (এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

হযরত হাসান (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ)-এর দেহে রোগ দেখা দেয়। খবর পেয়ে জনগণ তাঁকে দেখতে যান। হযরত হাসান (রঃ) তাঁকে এ অবস্থায় বলেনঃ “আপনার এ অবস্থা দেখে আমরা বড়ই মর্মাহত হয়েছি। তার একথা শুনে হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) তাকে বলেনঃ “এরূপ কথা বলো না। তোমরা যা দেখছো এসব হচ্ছে পাপ মোচনের মাধ্যম। আর এমনিতেই আল্লাহ বহু গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন।” অতঃপর তিনি ...(আরবী)-এ আয়াতটিই পাঠ করেন। (এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

আবুল বিলাদ (রঃ) আ’লা ইবনে বদর (রঃ)-কে বলেনঃ “কুরআন কারীমে তো ... (আরবী)-এ আয়াতটি রয়েছে, আর আমি এই অপ্রাপ্ত বয়সেই অন্ধ হয়ে গেছি (এর কারণ কি?)” উত্তরে হযরত আ’লা ইবনে বদর (রঃ) বলেনঃ “এটা তোমার পিতা-মাতার পাপের বিনিময়।”

হযরত যহহাক (রঃ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি কুরআন মুখস্থ করে ভুলে যায়, নিশ্চয়ই এটা তার পাপের কারণে হয়। এছাড়া আর কোনই কারণ নেই।” অতঃপর তিনি ... (আরবী)-এ আয়াতটি পাঠ করে বলেনঃ “বল তো, এর চেয়ে বড় বিপদ আর কি হতে পারে যে, মানুষ আল্লাহর কালাম মুখস্থ করে ভুলে যাবে?”





সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।