আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


الٓرٰ ۟ تِلْکَ اٰیٰتُ الْکِتٰبِ وَ قُرْاٰنٍ مُّبِیْنٍ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আলিফ লাম রা- তিলকা আ-য়া-তুল কিতা-বি ওয়া কুরআ-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
আলিফ-লাম-রা; এ হল কিতাব ও সুস্পষ্ট কুরআনের আয়াতসমূহ।
তাইসিরুল কুরআন:
আলিফ-লাম-র, এগুলো কিতাবের এবং সুস্পষ্ট কুরআনে আয়াতসমূহ।
Sahih International:
Alif, Lam, Ra. These are the verses of the Book and a clear Qur'an.



رُبَمَا یَوَدُّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَوْ کَانُوْا مُسْلِمِیْنَ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
রুবামা-ইয়াওয়াদ্দুল্লাযীনা কাফারূলাও কা-নূমুছলিমীন।
আল বায়ান:
কোন কোন সময় কাফিরেরা আকাংখা করবে যে, তারা যদি মুসলিম হত!
তাইসিরুল কুরআন:
এমন একটা সময় আসবে যখন কাফিরগণ আক্ষেপ করে বলবে, ‘হায়, আমরা যদি মুসলিম হয়ে যেতাম!’
Sahih International:
Perhaps those who disbelieve will wish that they had been Muslims.



ذَرْهُمْ یَاْکُلُوْا وَ یَتَمَتَّعُوْا وَ یُلْهِهِمُ الْاَمَلُ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
যারহুম ইয়া’কুলূওয়া ইয়াতামাত্তা‘ঊ ওয়া ইউলহিহিমুল আমালুফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
তাদেরকে ছেড়ে দাও, আহারে ও ভোগে তারা মত্ত থাকুক এবং আশা তাদেরকে গাফেল করে রাখুক, আর অচিরেই তারা জানতে পারবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ছেড়ে দাও ওদেরকে, ওরা খেতে থাক আর ভোগ করতে থাক, আর (মিথ্যে) আশা ওদেরকে উদাসীনতায় ডুবিয়ে রাখুক, শীঘ্রই ওরা (ওদের ‘আমালের পরিণতি) জানতে পারবে।
Sahih International:
Let them eat and enjoy themselves and be diverted by [false] hope, for they are going to know.



وَ مَاۤ اَهْلَکْنَا مِنْ قَرْیَۃٍ اِلَّا وَ لَهَا کِتَابٌ مَّعْلُوْمٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআহলাকনা-মিন কারয়াতিন ইল্লা ওয়ালাহা-কিতা-বুম মা‘লূম।
আল বায়ান:
আর আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করিনি তার জন্য নির্ধারিত সময় ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যে জনপদকেই ধ্বংস করেছি তাদের জন্য ছিল লিখিত একটা নির্দিষ্ট সময়।
Sahih International:
And We did not destroy any city but that for it was a known decree.



مَا تَسْبِقُ مِنْ اُمَّۃٍ اَجَلَهَا وَ مَا یَسْتَاْخِرُوْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
মা-তাছবিকুমিন উম্মাতিন আজালাহা-ওয়ামা-ইয়াছতা’খিরূন।
আল বায়ান:
কোন জাতিই তাদের সুনির্ধারিত সময় থেকে আগে বাড়তে পারে না আর পিছাতেও পারে না।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন জাতিই তাদের নির্দিষ্ট কালকে অগ্র-পশ্চাৎ করতে পারে না।
Sahih International:
No nation will precede its term, nor will they remain thereafter.



وَ قَالُوْا یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْ نُزِّلَ عَلَیْهِ الذِّکْرُ اِنَّکَ لَمَجْنُوْنٌ ؕ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূইয়াআইয়ুহাল্লাযী নুযযিলা ‘আলাইহিযযিকরু ইন্নাকা লামাজনূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলল, ‘হে ঐ ব্যক্তি, যার উপর কুরআন নাযিল করা হয়েছে, তুমি তো নিশ্চিত পাগল’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘ওহে ঐ ব্যক্তি যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে! তুমি তো অবশ্যই পাগল।
Sahih International:
And they say, "O you upon whom the message has been sent down, indeed you are mad.



لَوْ مَا تَاْتِیْنَا بِالْمَلٰٓئِکَۃِ اِنْ کُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
লাও মা-তা’তীনা-বিলমালাইকাতি ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
‘কেন আমাদের কাছে ফেরেশতা নিয়ে আসছ না, যদি তুমি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাক’?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের নিকট ফেরেশতাদের হাজির করছ না কেন?’
Sahih International:
Why do you not bring us the angels, if you should be among the truthful?"



مَا نُنَزِّلُ الْمَلٰٓئِکَۃَ اِلَّا بِالْحَقِّ وَ مَا کَانُوْۤا اِذًا مُّنْظَرِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
মা-নুনাযযিলুল মালাইকাতা ইল্লা-বিলহাক্কিওয়ামা-কা-নূ ইযাম মুনজারীন।
আল বায়ান:
আমি যথাযথ কারণ ছাড়া ফেরেশতাদের নাযিল করি না, আর (নাযিল করলে) তখন তারা অবকাশও পেত না।
তাইসিরুল কুরআন:
যথাযথ কারণ ছাড়া আমি ফেরেশতা পাঠাই না, পাঠালে কাফিরদেরকে আর কোন অবকাশ দেয়া হবে না।
Sahih International:
We do not send down the angels except with truth; and the disbelievers would not then be reprieved.



اِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّکْرَ وَ اِنَّا لَهٗ لَحٰفِظُوْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-নাহনুনাযযালনাযযি করা ওয়া ইন্না-লাহূলাহা-ফিজূ ন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি কুরআন* নাযিল করেছি, আর আমিই তার হেফাযতকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয় আমিই কুরআন নাযিল করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক।
Sahih International:
Indeed, it is We who sent down the Qur'an and indeed, We will be its guardian.



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِکَ فِیْ شِیَعِ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-মিন কাবলিকা ফী শিয়া‘ইল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আর আমি তোমার পূর্বে অতীত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে রাসূল প্রেরণ করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পূর্ববর্তী জাতিগুলোর কাছেও আমি রসূল পাঠিয়েছিলাম।
Sahih International:
And We had certainly sent [messengers] before you, [O Muhammad], among the sects of the former peoples.



وَ مَا یَاْتِیْهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিঊন।
আল বায়ান:
আর যখনই তাদের নিকট কোন রাসূল আসত তারা তাকে নিয়ে উপহাস করত।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে এমন কোন রসূল আসেনি যাকে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেনি।
Sahih International:
And no messenger would come to them except that they ridiculed him.



کَذٰلِکَ نَسْلُکُهٗ فِیْ قُلُوْبِ الْمُجْرِمِیْنَ ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা নাছলুকুহূফী কুলূবিল মুজরিমীন।
আল বায়ান:
এমনিভাবে আমি তা অপরাধীদের অন্তরে সঞ্চার করি।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি এ রকম আচরণ পাপীদের অন্তরে বদ্ধমূল করে দেই।
Sahih International:
Thus do We insert denial into the hearts of the criminals.



لَا یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ وَ قَدْ خَلَتْ سُنَّۃُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
লা-ইউ’মিনূনা বিহী ওয়া কাদ খালাত ছুন্নাতুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
তারা এতে ঈমান আনবে না, আর পূর্ববর্তীদের (ব্যাপারে আল্লাহর) রীতি তো বিগত হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা এর প্রতি ঈমান আনবে না, পূর্ববর্তী লোকেদেরও এ নিয়ম-নীতি চলে এসেছে।
Sahih International:
They will not believe in it, while there has already occurred the precedent of the former peoples.



وَ لَوْ فَتَحْنَا عَلَیْهِمْ بَابًا مِّنَ السَّمَآءِ فَظَلُّوْا فِیْهِ یَعْرُجُوْنَ ﴿ۙ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও ফাতাহনা-‘আলাইহিম বা-বাম মিনাছছামাই ফাজাললূফীহি ইয়া‘রুজুন।
আল বায়ান:
আর যদি আমি তাদের জন্য আসমানের কোন দরজা খুলে দিতাম, অতঃপর তারা তাতে আরোহণ করতে থাকত ।
তাইসিরুল কুরআন:
যদি তাদের জন্য আকাশের দরজা খুলে দেয়া হত, আর তারা তাতে উঠতে থাকত,
Sahih International:
And [even] if We opened to them a gate from the heaven and they continued therein to ascend,



لَقَالُوْۤا اِنَّمَا سُکِّرَتْ اَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَّسْحُوْرُوْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
লাকা-লূ ইন্নমা-ছুক্কিরাত আবসা-রুনা-বালনাহনুকাওমুম মাছহূরূন।
আল বায়ান:
তবুও তারা বলত, নিশ্চয় আমাদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়া হয়েছে, বরং আমরা তো যাদুগ্রস্ত সম্প্রদায়।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা অবশ্যই বলত, ‘আমাদের চোখকে বাঁধিয়ে দেয়া হয়েছে, বরং আমাদের উপর যাদু করা হয়েছে।’
Sahih International:
They would say, "Our eyes have only been dazzled. Rather, we are a people affected by magic."



وَ لَقَدْ جَعَلْنَا فِی السَّمَآءِ بُرُوْجًا وَّ زَیَّنّٰهَا لِلنّٰظِرِیْنَ ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ জা‘আলনা-ফিছ ছামাই বুরূজাওঁ ওয়া যাইয়ান্না-হা-লিন্না-জিরীন।
আল বায়ান:
আর আমি আসমানে স্থাপন করেছি কক্ষপথসমূহ এবং তাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছি দর্শকদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আকাশে গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টি করেছি আর দর্শকদের জন্য তা সুসজ্জিত করে দিয়েছি।
Sahih International:
And We have placed within the heaven great stars and have beautified it for the observers.



وَ حَفِظْنٰهَا مِنْ کُلِّ شَیْطٰنٍ رَّجِیْمٍ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হাফিজনা-হা-মিন কুল্লি শাইতা-নির রাজীম।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে সুরক্ষিত করেছি প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর প্রত্যেক অভিশপ্ত শয়ত্বান থেকে সেগুলোকে সুরক্ষিত করে দিয়েছি।
Sahih International:
And We have protected it from every devil expelled [from the mercy of Allah]



اِلَّا مَنِ اسْتَرَقَ السَّمْعَ فَاَتْبَعَهٗ شِهَابٌ مُّبِیْنٌ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মানিছ তারাকাছ ছাম‘আ ফাআতবা‘আহূশিহা-বুম মুবীন।
আল বায়ান:
তবে যে গোপনে শোনে, তৎক্ষণাৎ সুস্পষ্ট জ্বলন্ত অগ্নিশিখা তার পিছু নেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু কেউ চুরি করে (খবর) শুনতে চাইলে উজ্জ্বল অগ্নিশিখা তার পশ্চাদ্ধাবণ করে।
Sahih International:
Except one who steals a hearing and is pursued by a clear burning flame.



وَ الْاَرْضَ مَدَدْنٰهَا وَ اَلْقَیْنَا فِیْهَا رَوَاسِیَ وَ اَنْۢبَتْنَا فِیْهَا مِنْ کُلِّ شَیْءٍ مَّوْزُوْنٍ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল আরদা মাদাদনা-হা-ওয়া আলকাইনা-ফীহা-রাওয়া-ছিয়া ওয়া আমবাতনা-ফীহামিন কুল্লি শাইয়িম মাওযূন।
আল বায়ান:
আর যমীনকে আমি বিস্তৃত করেছি এবং তাতে সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন করেছি। আর তাতে উৎপন্ন করেছি সকল প্রকার বস্তু সুনির্দিষ্ট পরিমাণে ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পৃথিবী, আমি সেটাকে বিছিয়ে দিয়েছি আর তাতে পর্বতরাজি সংস্থাপিত করেছি আর তাতে সকল বস্তু উদগত করেছি যথাযথ পরিমাণে।
Sahih International:
And the earth - We have spread it and cast therein firmly set mountains and caused to grow therein [something] of every well-balanced thing.



وَ جَعَلْنَا لَکُمْ فِیْهَا مَعَایِشَ وَ مَنْ لَّسْتُمْ لَهٗ بِرٰزِقِیْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনা-লাকুম ফীহা-মা‘আ-ইশা ওয়ামাল লাছতুম লাহূবিরা-যিকীন।
আল বায়ান:
আর তাতে তোমাদের জন্য এবং তোমরা যার রিয্ক দাতা নও তাদের জন্য রেখেছি জীবনোপকরণ ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাতে তোমাদের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করেছি আর তাদেরও যাদের রিযকদাতা তোমরা নও।
Sahih International:
And We have made for you therein means of living and [for] those for whom you are not providers.



وَ اِنْ مِّنْ شَیْءٍ اِلَّا عِنْدَنَا خَزَآئِنُهٗ ۫ وَ مَا نُنَزِّلُهٗۤ اِلَّا بِقَدَرٍ مَّعْلُوْمٍ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইম মিন শাইয়িন ইল্লা-‘ইনদানা-খাযাইনুহূ ওয়ামা-নুনাযযিলুহূ ইল্লাবিকাদারিম মা‘লূম।
আল বায়ান:
আর প্রতিটি বস্তুরই ভান্ডারসমূহ রয়েছে আমার কাছে এবং আমি তা অবতীর্ণ করি কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণে।
তাইসিরুল কুরআন:
এমন কোন জিনিসই নেই যার ভান্ডার আমার কাছে নেই, কিন্তু আমি সেগুলো আমার জ্ঞান মোতাবেক নির্দিষ্ট পরিমাণে সরবরাহ করে থাকি।
Sahih International:
And there is not a thing but that with Us are its depositories, and We do not send it down except according to a known measure.



وَ اَرْسَلْنَا الرِّیٰحَ لَوَاقِحَ فَاَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَسْقَیْنٰکُمُوْهُ ۚ وَ مَاۤ اَنْتُمْ لَهٗ بِخٰزِنِیْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আরছালনার রিয়া-হা লাওয়া-কিহা ফাআনযালনা-মিনাছ ছামাই মাআন ফাআছকাইনা-কুমূহু ওয়ামা আনতুম লাহূবিখা-যিনীন।
আল বায়ান:
আর আমি বায়ুকে ঊর্বরকারীরূপে প্রেরণ করি অতঃপর আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদের পান করাই। তবে তোমরা তার সংরক্ষণকারী নও।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি বৃষ্টি-সঞ্চারী বাতাস প্রেরণ করি, অতঃপর আসমান থেকে পানি বর্ষণ করি আর তা তোমাদের পান করাই, তোমরা তার স্টোর কীপার নও।
Sahih International:
And We have sent the fertilizing winds and sent down water from the sky and given you drink from it. And you are not its retainers.



وَ اِنَّا لَنَحْنُ نُحْیٖ وَ نُمِیْتُ وَ نَحْنُ الْوٰرِثُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না-লানাহনুনুহয়ী ওয়া নুমীতুওয়া নাহনুল ওয়া-রিছূ ন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় আমি জীবিত করি ও মৃত্যু দেই এবং আমিই ওয়ারিস।
তাইসিরুল কুরআন:
আমিই জীবন দেই আর মৃত্যু ঘটাই আর আমিই চূড়ান্ত উত্তরাধিকারী।
Sahih International:
And indeed, it is We who give life and cause death, and We are the Inheritor.



وَ لَقَدْ عَلِمْنَا الْمُسْتَقْدِمِیْنَ مِنْکُمْ وَ لَقَدْ عَلِمْنَا الْمُسْتَاْخِرِیْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ ‘আলিমনাল মুছতাকদিমীনা মিনকুম ওয়ালাকাদ ‘আলিমনাল মুছতা’খিরীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি জানি তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং অবশ্যই জানি পরবর্তীদেরকে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের মধ্যেকার যারা পূর্বে গত হয়ে গেছে আমি তাদেরকে জানি আর পরে যারা আসবে তাদেরকেও জানি।
Sahih International:
And We have already known the preceding [generations] among you, and We have already known the later [ones to come].



وَ اِنَّ رَبَّکَ هُوَ یَحْشُرُهُمْ ؕ اِنَّهٗ حَکِیْمٌ عَلِیْمٌ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না রাব্বাকা হুওয়া ইয়াহশুরুহুম ইন্নাহূহাকীমুন ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রব তাদেরকে একত্র করবেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাময় ও সর্বজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই তোমার প্রতিপালক তিনি সববাইকে একত্রিত করবেন, তিনি মহাবিজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And indeed, your Lord will gather them; indeed, He is Wise and Knowing.



وَ لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنْ صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَاٍ مَّسْنُوْنٍ ﴿ۚ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ খালাকনাল ইনছা-না মিন সালসা-লিম মিন হামাইম মাছনূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠনঠনে, কালচে কাদামাটি থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কাল শুষ্ক ঠনঠনে মাটির গাড়া থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছি।
Sahih International:
And We did certainly create man out of clay from an altered black mud.



وَ الْجَآنَّ خَلَقْنٰهُ مِنْ قَبْلُ مِنْ نَّارِ السَّمُوْمِ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালজান্না খালাকনা-হু মিন কাবলুমিন না-রিছছামূম।
আল বায়ান:
আর ইতঃপূর্বে জিনকে সৃষ্টি করেছি উত্তপ্ত অগ্নিশিখা থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
এর পূর্বে আমি জ্বীনকে আগুনের লেলিহান আগুন থেকে সৃষ্টি করেছি।
Sahih International:
And the jinn We created before from scorching fire.



وَ اِذْ قَالَ رَبُّکَ لِلْمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیْ خَالِقٌۢ بَشَرًا مِّنْ صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَاٍ مَّسْنُوْنٍ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকা-লা রাব্বুকা লিলমালাইকাতি ইন্নী খা-লিকুম বাশারাম মিন সালসা-লিম মিন হামাইম মাছনূন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের বললেন, ‘আমি একজন মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি শুকনো ঠনঠনে কালচে মাটি থেকে’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বলেছিলেন, ‘আমি কাল শুষ্ক ঠনঠনে মাটির কাদা থেকে মানুষ সৃষ্টি করছি।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], when your Lord said to the angels, "I will create a human being out of clay from an altered black mud.



فَاِذَا سَوَّیْتُهٗ وَ نَفَخْتُ فِیْهِ مِنْ رُّوْحِیْ فَقَعُوْا لَهٗ سٰجِدِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-ছাওয়াইতুহূওয়ানাফাখতুফীহি মিররূহী ফাকা‘ঊ লাহূছা-জিদীন।
আল বায়ান:
‘অতএব যখন আমি তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেব এবং তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার জন্য সিজদাবনত হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যখন তাকে পূর্ণ মাত্রায় বানিয়ে দেব আর তাতে আমার পক্ষ হতে রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার প্রতি সাজদায় পড়ে যেও।
Sahih International:
And when I have proportioned him and breathed into him of My [created] soul, then fall down to him in prostration."



فَسَجَدَ الْمَلٰٓئِکَۃُ کُلُّهُمْ اَجْمَعُوْنَ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ফাছাজাদাল মালাইকাতুকুল্লুহুম আজমা‘ঊন।
আল বায়ান:
অতঃপর, ফেরেশতারা সকলেই সিজদা করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন ফেরেশতারা সবাই সাজদাহ করল।
Sahih International:
So the angels prostrated - all of them entirely,



اِلَّاۤ اِبْلِیْسَ ؕ اَبٰۤی اَنْ یَّکُوْنَ مَعَ السّٰجِدِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাইবলীছা আবাআইঁ ইয়াকূনা মা‘আছছা-জিদীন।
আল বায়ান:
ইবলীস ছাড়া। সে সিজদাকারীদের সঙ্গী হতে অস্বীকার করল।
তাইসিরুল কুরআন:
ইবলীস বাদে, সে সাজদাহ্কারীদের দলভুক্ত হতে অস্বীকৃতি জানাল।
Sahih International:
Except Iblees, he refused to be with those who prostrated.



قَالَ یٰۤـاِبْلِیْسُ مَا لَکَ اَلَّا تَکُوْنَ مَعَ السّٰجِدِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইয়াইবলীছুমা-লাকা আল্লা-তাকূনা মা‘আছ ছা-জিদীন।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘হে ইবলীস, তোমার কী হল যে, তুমি সিজদাকারীদের সঙ্গী হলে না’?
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বলবেন, ‘হে ইবলীস! তোমার কী হল যে তুমি সাজদাহকারীদের দলভুক্ত হলে না?’
Sahih International:
[Allah] said, O Iblees, what is [the matter] with you that you are not with those who prostrate?"



قَالَ لَمْ اَکُنْ لِّاَسْجُدَ لِبَشَرٍ خَلَقْتَهٗ مِنْ صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَاٍ مَّسْنُوْنٍ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লাম আকুল লিআছজুদা লিবাশারিন খালাকতাহূমিন সালসা-লিম মিন হামাইম মাছনূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘আমি তো এমন নই যে, একজন মানুষকে আমি সিজদা করব, যাকে আপনি সৃষ্টি করেছেন শুকনো ঠনঠনে কালচে মাটি থেকে’।
তাইসিরুল কুরআন:
ইবলীস বলল, ‘আমার কাজ নয় মানুষকে সাজদাহ্ করা যাকে তুমি পচা কর্দমের ঠনঠনে গাড়া থেকে সৃষ্টি করেছ।’
Sahih International:
He said, "Never would I prostrate to a human whom You created out of clay from an altered black mud."



قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَاِنَّکَ رَجِیْمٌ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাখরুজ মিনহা-ফাইন্নাকা রাজীম।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি এখান থেকে বেরিয়ে যাও, তুমি বিতাড়িত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন, ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে, কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।
Sahih International:
[Allah] said, "Then get out of it, for indeed, you are expelled.



وَّ اِنَّ عَلَیْکَ اللَّعْنَۃَ اِلٰی یَوْمِ الدِّیْنِ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইন্না ‘আলাইকাল লা‘নাতা ইলা-ইয়াওমিদ্দীন।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তোমার উপর লা‘নত’।
তাইসিরুল কুরআন:
বিচার দিবস পর্যন্ত তোমার উপর থাকল লা‘নত।’
Sahih International:
And indeed, upon you is the curse until the Day of Recompense."



قَالَ رَبِّ فَاَنْظِرْنِیْۤ اِلٰی یَوْمِ یُبْعَثُوْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাববী ফাআনজিরনীইলা-ইয়াওমি ইউব‘আছূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, তাহলে আমাকে অবকাশ দিন সে দিন পর্যন্ত, যেদিন তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত আমাকে সময় দিন।’
Sahih International:
He said, "My Lord, then reprieve me until the Day they are resurrected."



قَالَ فَاِنَّکَ مِنَ الْمُنْظَرِیْنَ ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফাইন্নাকা মিনাল মুনজারীন।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘তুমি নিশ্চয় অবকাশপ্রাপ্তদের একজন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন, ‘তোমাকে সময় দেয়া হল
Sahih International:
[Allah] said, "So indeed, you are of those reprieved



اِلٰی یَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُوْمِ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ইলা-ইয়াওমিল ওয়াকতিল মা‘লূম।
আল বায়ান:
‘নির্ধারিত সময়ের দিন পর্যন্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন পর্যন্ত যার নির্দিষ্ট ক্ষণ আমার জানা আছে।’
Sahih International:
Until the Day of the time well-known."



قَالَ رَبِّ بِمَاۤ اَغْوَیْتَنِیْ لَاُزَیِّنَنَّ لَهُمْ فِی الْاَرْضِ وَ لَاُغْوِیَنَّهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿ۙ۳۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লা রাব্বি বিমাআগওয়াইতানী লাউযাইয়িনান্না লাহুম ফিল আরদিওয়ালাউগবিইয়ান্নাহুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই যমীনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয় তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! যেহেতু আপনি আমাকে ভ্রান্তপথে ঠেলে দিলেন, কাজেই আমিও পৃথিবীতে মানুষের কাছে পাপকাজকে অবশ্য অবশ্যই সুশোভিত করে দেখাব আর তাদের সবাইকে অবশ্য অবশ্যই বিভ্রান্ত করব।
Sahih International:
[Iblees] said, "My Lord, because You have put me in error, I will surely make [disobedience] attractive to them on earth, and I will mislead them all



اِلَّا عِبَادَکَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِیْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘ইবা-দাকা মিনহুমুল মুখলাসীন।
আল বায়ান:
তাদের মধ্য থেকে আপনার একান্ত বান্দাগণ ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তাদের মধ্যে আপনার বাছাই করা বান্দাহদের ছাড়া।’
Sahih International:
Except, among them, Your chosen servants."



قَالَ هٰذَا صِرَاطٌ عَلَیَّ مُسْتَقِیْمٌ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হা-যা সিরা-তুন ‘আলাইইয়া মুছতাকীম।
আল বায়ান:
তিনি বললেন, ‘এটা আমার দিকে আনয়নকারী সরল পথ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি বললেন- (আমার বাছাই করা বান্দারা যে পথে চলছে) এটাই আমার কাছে পৌঁছার সরল সোজা পথ।
Sahih International:
[Allah] said, "This is a path [of return] to Me [that is] straight.



اِنَّ عِبَادِیْ لَیْسَ لَکَ عَلَیْهِمْ سُلْطٰنٌ اِلَّا مَنِ اتَّبَعَکَ مِنَ الْغٰوِیْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ‘ইবা-দী লাইছা লাকা ‘আলাইহিম ছুলতা-নুন ইল্লা-মানিত্তাবা‘আকা মিনাল গা-বীন।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই, তবে পথভ্রষ্টরা ছাড়া যারা তোমাকে অনুসরণ করেছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার প্রকৃত বান্দাহ্দের উপর তোমার কোন আধিপত্য চলবে না, তোমাকে যারা অনুসরণ করে সেই বিভ্রান্তরা ছাড়া।
Sahih International:
Indeed, My servants - no authority will you have over them, except those who follow you of the deviators.



وَ اِنَّ جَهَنَّمَ لَمَوْعِدُهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿۟ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না জাহান্নামা লামাও‘ইদুহুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় জাহান্নাম তাদের সকলের প্রতিশ্রুত স্থান’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের সবার জন্য অবশ্যই ওয়া‘দাকৃত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম।
Sahih International:
And indeed, Hell is the promised place for them all.



لَهَا سَبْعَۃُ اَبْوَابٍ ؕ لِکُلِّ بَابٍ مِّنْهُمْ جُزْءٌ مَّقْسُوْمٌ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
লাহা-ছাব ‘আতুআবওয়া-বিল লিকুল্লি বা-বিম মিনহুম জুযউম মাকছূম ।
আল বায়ান:
‘তার সাতটি দরজা রয়েছে। প্রতিটি দরজার জন্য রয়েছে তাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তার সাতটা দরজা আছে। প্রত্যেক দরজার জন্য তাদের মধ্যে শ্রেণী নির্দিষ্ট আছে।’
Sahih International:
It has seven gates; for every gate is of them a portion designated."



اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿ؕ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী জান্না-তিওঁ ওয়া উ‘ইয়ূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মুত্তাকীগণ থাকবে জান্নাত ও ঝর্ণাধারাসমূহে।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতে আর নির্ঝরিণীগুলোর মধ্যে।
Sahih International:
Indeed, the righteous will be within gardens and springs.



اُدْخُلُوْهَا بِسَلٰمٍ اٰمِنِیْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
উদখুলূহা-বিছালা-মিন আ-মিনীন।
আল বায়ান:
‘তোমরা তাতে প্রবেশ কর শান্তিতে, নিরাপদ হয়ে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে বলা হবে, ‘পূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে তোমরা এতে প্রবেশ কর।’
Sahih International:
[Having been told], "Enter it in peace, safe [and secure]."



وَ نَزَعْنَا مَا فِیْ صُدُوْرِهِمْ مِّنْ غِلٍّ اِخْوَانًا عَلٰی سُرُرٍ مُّتَقٰبِلِیْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাযা‘না-মা-ফী সুদূরিহিম মিন গিলিলন ইখওয়া-নান ‘আলা-ছুরুরিম মুতাকা-বিলীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের অন্তর থেকে হিংসা বিদ্বেষ বের করে ফেলব, তারা সেখানে ভাই ভাই হয়ে আসনে মুখোমুখি বসবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের অন্তর থেকে আমি বিদ্বেষ দূরীভূত করব, তারা ভ্রাতৃবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আসনে মুখোমুখী সমাসীন হবে।
Sahih International:
And We will remove whatever is in their breasts of resentment, [so they will be] brothers, on thrones facing each other.



لَا یَمَسُّهُمْ فِیْهَا نَصَبٌ وَّ مَا هُمْ مِّنْهَا بِمُخْرَجِیْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়ামছছুহুম ফীহা-নাসাবুওঁ ওয়ামা-হুম মিনহা-বিমুখরাজীন।
আল বায়ান:
সেখানে তাদেরকে ক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন ক্লান্তি তাদেরকে স্পর্শ করবে না, আর সেখান থেকে তারা কখনও বহিষ্কৃতও হবে না।
Sahih International:
No fatigue will touch them therein, nor from it will they [ever] be removed.



نَبِّیٴْ عِبَادِیْۤ اَنِّیْۤ اَنَا الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ ﴿ۙ۴۹﴾
উচ্চারণ:
নাব্বি’ ‘ইবা-দীআন্নীআনাল গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
আমার বান্দাদের জানিয়ে দাও যে, আমি নিশ্চয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার বান্দাহদেরকে সংবাদ দাও যে, আমি বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
[O Muhammad], inform My servants that it is I who am the Forgiving, the Merciful.



وَ اَنَّ عَذَابِیْ هُوَ الْعَذَابُ الْاَلِیْمُ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না ‘আযা-বী হুওয়াল ‘আযা-বুল আলীম।
আল বায়ান:
আর আমার আযাবই যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমার শাস্তি- তা বড়ই ভয়াবহ শাস্তি।
Sahih International:
And that it is My punishment which is the painful punishment.



وَ نَبِّئْهُمْ عَنْ ضَیْفِ اِبْرٰهِیْمَ ﴿ۘ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাব্বি’হুম ‘আন দাইফি ইবরা-হীম।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে বলঃ ইবরাহীমের অতিথিদের কথা।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে ইবরাহীমের মেহমানের কাহিনী জানিয়ে দাও।
Sahih International:
And inform them about the guests of Abraham,



اِذْ دَخَلُوْا عَلَیْهِ فَقَالُوْا سَلٰمًا ؕ قَالَ اِنَّا مِنْکُمْ وَجِلُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ইয দাখালূ‘আলাইহি ফাকা-লূছালা-মান কা-লা ইন্না-মিনকুম ওয়াজিলূন।
আল বায়ান:
যখন তারা তার নিকট প্রবেশ করল, অতঃপর বলল, ‘সালাম’। সে বলল, ‘আমরা নিশ্চয় তোমাদের ব্যাপারে শঙ্কিত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন তার কাছে উপস্থিত হল তখন তারা বলল, ‘তোমার প্রতি সালাম।’ তখন সে বলল, ‘তোমাদের দেখে আমরা শংকিত।’
Sahih International:
When they entered upon him and said, "Peace." [Abraham] said, "Indeed, we are fearful of you."



قَالُوْا لَا تَوْجَلْ اِنَّا نُبَشِّرُکَ بِغُلٰمٍ عَلِیْمٍ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলা-তাওজাল ইন্না-নুবাশশিরুকা বিগুলা-মিন ‘আলীম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তুমি ভীত হয়ো না, নিশ্চয় আমরা তোমাকে এক জ্ঞানী শিশুর সুসংবাদ দিচ্ছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘শংকা করো না, আমরা তোমাকে এক জ্ঞানী পুত্রের সুখবর দিচ্ছি।’
Sahih International:
[The angels] said, "Fear not. Indeed, we give you good tidings of a learned boy."



قَالَ اَبَشَّرْتُمُوْنِیْ عَلٰۤی اَنْ مَّسَّنِیَ الْکِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُوْنَ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আবাশশারতুমূনী ‘আলাআম মাছছানিয়াল কিবারু ফাবিমা তুবাশশিরূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমরা কি আমাকে সুসংবাদ দিচ্ছ, যখন বার্ধক্য আমাকে স্পর্শ করেছে ? সুতরাং তোমরা কিসের সুসংবাদ দিচ্ছ’ ?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘বার্ধক্য যখন আমাকে স্পর্শ করেছে তখন তোমরা আমাকে সুখবর দিচ্ছ। আচ্ছা, তোমাদের সুখবরটা কী?’
Sahih International:
He said, "Have you given me good tidings although old age has come upon me? Then of what [wonder] do you inform?"



قَالُوْا بَشَّرْنٰکَ بِالْحَقِّ فَلَا تَکُنْ مِّنَ الْقٰنِطِیْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
কা-লূবাশশারনা-কা বিলহাক্কিফালা-তাকুম মিনাল কা-নিতীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা তোমাকে যথার্থ সুসংবাদ দিচ্ছি। সুতরাং তুমি নিরাশদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘তোমাকে আমরা প্রকৃতই সুসংবাদ দিচ্ছি। কাজেই তুমি নিরাশদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।’
Sahih International:
They said, "We have given you good tidings in truth, so do not be of the despairing."



قَالَ وَ مَنْ یَّقْنَطُ مِنْ رَّحْمَۃِ رَبِّهٖۤ اِلَّا الضَّآلُّوْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ওয়া মাইঁ ইয়াকনাতুমির রাহমাতি রাব্বিহীইল্লাদ্দাললূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘পথভ্রষ্টরা ছাড়া, কে তার রবের রহমত থেকে নিরাশ হয়’ ?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘পথভ্রষ্টরা ছাড়া আর কে তার প্রতিপালকের রহমাত থেকে নিরাশ হয়?’
Sahih International:
He said, "And who despairs of the mercy of his Lord except for those astray?"



قَالَ فَمَا خَطْبُکُمْ اَیُّهَا الْمُرْسَلُوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফামা-খাতবুকুম আইয়ুহাল মুরছালূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তবে তোমাদের কী কাজ হে প্রেরিতগণ’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘হে আল্লাহর প্রেরিতরা! তোমরা কোন্ কাজে আগমন করেছ?’
Sahih International:
[Abraham] said, "Then what is your business [here], O messengers?"



قَالُوْۤا اِنَّاۤ اُرْسِلْنَاۤ اِلٰی قَوْمٍ مُّجْرِمِیْنَ ﴿ۙ۵۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইন্নাউরছিলনাইলা কাওমিম মুজরিমীন ।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘নিশ্চয় আমরা প্রেরিত হয়েছি অপরাধী কওমের নিকট’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমরা এক অপরাধী জাতির বিরুদ্ধে প্রেরিত হয়েছি।
Sahih International:
They said, "Indeed, we have been sent to a people of criminals,



اِلَّاۤ اٰلَ لُوْطٍ ؕ اِنَّا لَمُنَجُّوْهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿ۙ۵۹﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাআ-লা লূতিন ইন্না-লামুনাজজূহুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
‘লূতের পরিবার ছাড়া, আমরা নিশ্চয় তাদের সবাইকে রক্ষা করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে লূতের পরিবার বাদে, তাদের সবাইকে আমরা অবশ্যই রক্ষা করব।
Sahih International:
Except the family of Lot; indeed, we will save them all



اِلَّا امْرَاَتَهٗ قَدَّرْنَاۤ ۙ اِنَّهَا لَمِنَ الْغٰبِرِیْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাম রাআতাহূকাদ্দারনা ইন্নাহা-লামিনাল গা-বিরীন ।
আল বায়ান:
‘তবে তার স্ত্রী ছাড়া, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, নিশ্চয় সে শাস্তিপ্রাপ্তদের দলভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে তার স্ত্রীকে নয়, আমরা (আল্লাহর নির্দেশক্রমে) তার জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছি যে, সে পেছনে থেকে যাওয়া লোকেদের মধ্যে শামিল থাকবে।’
Sahih International:
Except his wife." Allah decreed that she is of those who remain behind.



فَلَمَّا جَآءَ اٰلَ لُوْطِۣ الْمُرْسَلُوْنَ ﴿ۙ۶۱﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআ আ-লা লূতিনিল মুরছালূন।
আল বায়ান:
এরপর যখন ফেরেশতাগণ লূতের পরিবারের কাছে আসল,
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর প্রেরিতরা যখন লূত পরিবারের নিকট আসল,
Sahih International:
And when the messengers came to the family of Lot,



قَالَ اِنَّکُمْ قَوْمٌ مُّنْکَرُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নাকুম কাওমুম মুনকারূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘তোমরা তো অপরিচিত লোক’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আপনাদেরকে তো অপরিচিত লোক মনে হচ্ছে।’
Sahih International:
He said, "Indeed, you are people unknown."



قَالُوْا بَلْ جِئْنٰکَ بِمَا کَانُوْا فِیْهِ یَمْتَرُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূবাল জি’না-কা বিমা-কা-নূফীহি ইয়ামতারূন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘বরং আমরা তোমার কাছে এমন বিষয় নিয়ে এসেছি, যাতে তারা সন্দেহ করত’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমরা তা-ই নিয়ে এসেছি যে ব্যাপারে এ লোকেরা সন্দেহে পতিত ছিল।
Sahih International:
They said, "But we have come to you with that about which they were disputing,



وَ اَتَیْنٰکَ بِالْحَقِّ وَ اِنَّا لَصٰدِقُوْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আতাইনা-কা বিলহাক্কিওয়া ইন্না-লাসা-দিকূ ন।
আল বায়ান:
‘আর আমরা তোমার নিকট সত্য নিয়ে এসেছি এবং আমরা অবশ্যই সত্যবাদী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার কাছে আমরা সত্য নিয়েই এসেছি, আর আমরা অবশ্যই সত্যবাদী।
Sahih International:
And we have come to you with truth, and indeed, we are truthful.



فَاَسْرِ بِاَهْلِکَ بِقِطْعٍ مِّنَ الَّیْلِ وَ اتَّبِعْ اَدْبَارَهُمْ وَ لَا یَلْتَفِتْ مِنْکُمْ اَحَدٌ وَّ امْضُوْا حَیْثُ تُؤْمَرُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআছরি বিআহলিকা বিকিত‘ইম মিনাল লাইলি ওয়াত্তাবি‘ আদবা-রা হুম ওয়ালা ইয়ালতাফিত মিনকুম আহদুওঁ ওয়ামদু হাইছুতু’মারূন।
আল বায়ান:
‘সুতরাং তুমি তোমার পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড় রাতের একাংশে, আর তুমি তাদের পেছনে চল, আর তোমাদের কেউ পেছনে ফিরে তাকাবে না এবং যেভাবে তোমাদের নির্দেশ করা হয়েছে সেভাবেই চলতে থাকবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই কিছুটা রাত থাকতে তুমি তোমার পরিবারবর্গকে নিয়ে বেরিয়ে পড় আর তুমি তাদের পেছনে পেছনে চলতে থাক। তোমাদের কেউ যেন পেছনে ফিরে না তাকায় বরং যেখানে যেতে বলা হচ্ছে চলে যাও।’
Sahih International:
So set out with your family during a portion of the night and follow behind them and let not anyone among you look back and continue on to where you are commanded."



وَ قَضَیْنَاۤ اِلَیْهِ ذٰلِکَ الْاَمْرَ اَنَّ دَابِرَ هٰۤؤُلَآءِ مَقْطُوْعٌ مُّصْبِحِیْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাদাইনা ইলাইহি যা-লিকাল আমরাআন্না দা-বিরা হাউলাইমাকতূ‘উম মুসবিহীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, নিশ্চয় সকালে এদের শিকড় কেটে ফেলা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি লূতকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলাম যে, সকাল হতে না হতেই সমূলে ধ্বংস করা হবে।
Sahih International:
And We conveyed to him [the decree] of that matter: that those [sinners] would be eliminated by early morning.



وَ جَآءَ اَهْلُ الْمَدِیْنَۃِ یَسْتَبْشِرُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাআ আহলূল মাদীনাতি ইয়াছতাবশিরূন।
আল বায়ান:
আর শহরের অধিবাসীরা উৎফুল্ল হয়ে হাযির হল।
তাইসিরুল কুরআন:
শহরের লোকেরা আনন্দ সহকারে (লূতের ঘরে) উপস্থিত হল।
Sahih International:
And the people of the city came rejoicing.



قَالَ اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ ضَیْفِیْ فَلَا تَفْضَحُوْنِ ﴿ۙ۶۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্না হাউলাই দাইফী ফালা-তাফদাহূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘নিশ্চয় এরা আমার মেহমান, সুতরাং আমাকে অপমানিত করো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
লূত বলল, ‘এরা আমার মেহমান, কাজেই তোমরা আমাকে লাঞ্ছিত করো না।
Sahih International:
[Lot] said, "Indeed, these are my guests, so do not shame me.



وَ اتَّقُوا اللّٰهَ وَ لَا تُخْزُوْنِ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়ালা তুখযূন।
আল বায়ান:
‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে লাঞ্ছিত করো না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আমাকে লজ্জিত করো না।’
Sahih International:
And fear Allah and do not disgrace me."



قَالُوْۤا اَوَ لَمْ نَنْهَکَ عَنِ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূ আওয়ালাম নানহাকা ‘আনিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা কি জগদ্বাসীর কারো মেহমানদারী করতে তোমাকে নিষেধ করিনি’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, দুনিয়াব্যাপী বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমরা কি তোমাকে নিষেধ করিনি?’
Sahih International:
They said, "Have we not forbidden you from [protecting] people?"



قَالَ هٰۤؤُلَآءِ بَنٰتِیْۤ اِنْ کُنْتُمْ فٰعِلِیْنَ ﴿ؕ۷۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা হাউলাই বানা-তীইন কুনতুম ফা-‘ইলীন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘ওরা আমার মেয়ে* , যদি তোমরা করতেই চাও (তবে বিবাহের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে কর)।
তাইসিরুল কুরআন:
(লূত (আ.)) বলল, ‘তোমরা যদি কিছু করতেই চাও তাহলে এই আমার (জাতির) কন্যারা আছে।’
Sahih International:
[Lot] said, "These are my daughters - if you would be doers [of lawful marriage]."



لَعَمْرُکَ اِنَّهُمْ لَفِیْ سَکْرَتِهِمْ یَعْمَهُوْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
লা‘আমরুকা ইন্নাহুম লাফী ছাকরাতিহিম ইয়া‘মাহূন।
আল বায়ান:
তোমার জীবনের কসম, নিশ্চয় তারা তাদেরকে নেশায় ঘুরপাক খাচ্ছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার জীবনের শপথ হে নাবী! তারা উন্মত্ত নেশায় আত্মহারা হয়ে পড়েছিল।
Sahih International:
By your life, [O Muhammad], indeed they were, in their intoxication, wandering blindly.



فَاَخَذَتْهُمُ الصَّیْحَۃُ مُشْرِقِیْنَ ﴿ۙ۷۳﴾
উচ্চারণ:
ফাআখাযাতহুমসসাইহাতুমুশরিকীন।
আল বায়ান:
অতএব সূর্যোদয়কালে বিকট আওয়াজ তাদের পেয়ে বসল।
তাইসিরুল কুরআন:
সূর্যোদয়ের সময়ে এক প্রচন্ড ধ্বনি তাদের উপর আঘাত হানল।
Sahih International:
So the shriek seized them at sunrise.



فَجَعَلْنَا عَالِیَهَا سَافِلَهَا وَ اَمْطَرْنَا عَلَیْهِمْ حِجَارَۃً مِّنْ سِجِّیْلٍ ﴿ؕ۷۴﴾
উচ্চারণ:
ফাজা‘আলনা-‘আ-লিয়াহা-ছা-ফিলাহা-ওয়া আমতারনা-‘আলাইহিম হিজা-রাতাম মিন ছিজজীল।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তার (নগরীর) উপরকে নিচে উলটে দিলাম এবং তাদের উপর বর্ষণ করলাম পোড়া মাটির পাথর।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি সে জনপদকে উল্টে (উপর-নীচ) করে দিলাম আর তাদের উপর পাকানো মাটির প্রস্তর বর্ষণ করলাম।
Sahih International:
And We made the highest part [of the city] its lowest and rained upon them stones of hard clay.



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّلْمُتَوَسِّمِیْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিল মুতাওয়াছছিমীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে পর্যবেক্ষণকারীদের জন্য রয়েছে নিদর্শনমালা।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে অবশ্যই অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন লোকেদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
Indeed in that are signs for those who discern.



وَ اِنَّهَا لَبِسَبِیْلٍ مُّقِیْمٍ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহা-লাবিছাবীলিম মুকীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয়ই তা পথের পাশেই বিদ্যমান ।
তাইসিরুল কুরআন:
এটি মানুষের চলাচল পথের পাশেই বিদ্যমান।
Sahih International:
And indeed, those cities are [situated] on an established road.



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّلْمُؤْمِنِیْنَ ﴿ؕ۷۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে মুমিনদের জন্য রয়েছে নিদর্শন।
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিনদের জন্য এতে বড়ই নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
Indeed in that is a sign for the believers.



وَ اِنْ کَانَ اَصْحٰبُ الْاَیْکَۃِ لَظٰلِمِیْنَ ﴿ۙ۷۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন কা-না আছহা-বুল আইকাতি লাজা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় আইকার* অধিবাসীরা ছিল যালিম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আয়কাহবাসীরাও অবশ্যই যালিম ছিল।
Sahih International:
And the companions of the thicket were [also] wrongdoers.



فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ ۘ وَ اِنَّهُمَا لَبِاِمَامٍ مُّبِیْنٍ ﴿ؕ۷۹﴾
উচ্চারণ:
ফানতাকামনা-মিনহুম । ওয়া ইন্নাহুমা-লাবিইমা-মিম মুবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলাম। আর এ (জনপদ) দু’টি উন্মুক্ত রাস্তার পাশেই বিদ্যমান।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তাদের উপর প্রতিশোধ নিয়েছিলাম, এ দু’টো জনপদই প্রকাশ্য পথের উপর অবস্থিত।
Sahih International:
So We took retribution from them, and indeed, both [cities] are on a clear highway.



وَ لَقَدْ کَذَّبَ اَصْحٰبُ الْحِجْرِ الْمُرْسَلِیْنَ ﴿ۙ۸۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ কাযযাবা আসহা-বুল হিজরিল মুরছালীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই হিজরের অধিবাসীরা [সালেহের (আঃ) কওম] রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
হিজর-এর লোকেরাও রসূলদেরকে অমান্য করেছিল।
Sahih International:
And certainly did the companions of Thamud deny the messengers.



وَ اٰتَیْنٰهُمْ اٰیٰتِنَا فَکَانُوْا عَنْهَا مُعْرِضِیْنَ ﴿ۙ۸۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-তাইনা-হুম আ-য়া-তিনা-ফাকা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে আমার আয়াতসমূহ দিয়েছিলাম, তবে তারা তা থেকে বিমুখ হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম কিন্তু তাত্থেকে তারা মুখ ফিরিয়েই রেখেছিল।
Sahih International:
And We gave them Our signs, but from them they were turning away.



وَ کَانُوْا یَنْحِتُوْنَ مِنَ الْجِبَالِ بُیُوْتًا اٰمِنِیْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-নূইয়ানহিতূনা মিনাল জিবা-লি বুউয়ূতান আ-মিনীন।
আল বায়ান:
আর তারা পাহাড় কেটে বাড়ি বানাত নিরাপদে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা পাহাড় খোদাই করতঃ ঘর তৈরি করে নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবত।
Sahih International:
And they used to carve from the mountains, houses, feeling secure.



فَاَخَذَتْهُمُ الصَّیْحَۃُ مُصْبِحِیْنَ ﴿ۙ۸۳﴾
উচ্চারণ:
ফাআখাযাতহুমুসসাইহাতুমুসবিহীন।
আল বায়ান:
কিন্তু ভোরে বিকট আওয়াজ তাদেরকে পাকড়াও করল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর এক সকালে প্রচন্ড ধ্বনি তাদের উপর আঘাত হানল।
Sahih International:
But the shriek seized them at early morning.



فَمَاۤ اَغْنٰی عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَکْسِبُوْنَ ﴿ؕ۸۴﴾
উচ্চারণ:
ফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।
আল বায়ান:
আর তারা যা উপার্জন করত, তা তাদের কাজে আসল না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের উপার্জন তাদের কোন কাজে আসল না।
Sahih International:
So nothing availed them [from] what they used to earn.



وَ مَا خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَاۤ اِلَّا بِالْحَقِّ ؕ وَ اِنَّ السَّاعَۃَ لَاٰتِیَۃٌ فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِیْلَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-খালাকনাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমাইল্লা-বিলহাক্কি ওয়া ইন্নাছছা-‘আতা লাআ-তিয়াতুন ফাছফাহিসসাফহাল জামীল।
আল বায়ান:
আর আমি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দুয়ের মধ্যে যা আছে, তা যথার্থতা ছাড়া সৃষ্টি করিনি এবং নিশ্চয় কিয়ামত আসবে। সুতরাং তুমি সুন্দরভাবে তাদেরকে এড়িয়ে যাও।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আসমানসমূহ, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে প্রকৃত উদ্দেশ্য ছাড়া সৃষ্টি করিনি। ক্বিয়ামাত অবশ্যই আসবে, কাজেই উত্তম পন্থায় (তাদেরকে) এড়িয়ে যাও।
Sahih International:
And We have not created the heavens and earth and that between them except in truth. And indeed, the Hour is coming; so forgive with gracious forgiveness.



اِنَّ رَبَّکَ هُوَ الْخَلّٰقُ الْعَلِیْمُ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্না রাব্বাকা হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার রবই সৃষ্টিকর্তা, মহাজ্ঞানী।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক তিনি সর্বস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
Indeed, your Lord - He is the Knowing Creator.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنٰکَ سَبْعًا مِّنَ الْمَثَانِیْ وَ الْقُرْاٰنَ الْعَظِیْمَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ আ-তাইনা-কা ছাব‘আম মিনাল মাছা-নী ওয়াল কুরআ-নাল ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর আমি তো তোমাকে দিয়েছি পুনঃপুনঃ পঠিত সাতটি আয়াত ও মহান কুরআন।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাকে দিয়েছি পুনঃ পুনঃ আবৃত্ত সপ্ত আয়াত আর মহা কুরআন।
Sahih International:
And We have certainly given you, [O Muhammad], seven of the often repeated [verses] and the great Qur'an.



لَا تَمُدَّنَّ عَیْنَیْکَ اِلٰی مَا مَتَّعْنَا بِهٖۤ اَزْوَاجًا مِّنْهُمْ وَ لَا تَحْزَنْ عَلَیْهِمْ وَ اخْفِضْ جَنَاحَکَ لِلْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۸۸﴾
উচ্চারণ:
লা তামুদ্দান্না ‘আইনাইকা ইলা-মা-মাত্তা‘না-বিহীআযওয়া-জাম মিনহুম ওয়ালা তাহযান ‘আলাইহিম ওয়াখফিদ জানা -হাকা লিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
আমি তাদের কিছু শ্রেণীকে যে ভোগ-উপকরণ দিয়েছি, তার প্রতি তুমি দু’চোখ প্রসারিত করো না। আর তাদের জন্য দুঃখিত হয়ো না এবং মুমিনদের জন্য তোমার বাহু অবনত কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি দুনিয়ার দ্রব্য সামগ্রীর প্রতি চোখ তুলে তাকিও না যা আমি তাদের বিভিন্ন লোকেদের দিয়েছি। (তারা ভুল চিন্তা ও ভুল কর্মের মাধ্যমে নিজেদের ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনছে, এমতাবস্থায়) তাদের জন্য তুমি দুঃখ করো না, আর মু’মিনদের জন্য তোমার (অনুকম্পার) ডানা মেলে দাও।
Sahih International:
Do not extend your eyes toward that by which We have given enjoyment to [certain] categories of the disbelievers, and do not grieve over them. And lower your wing to the believers



وَ قُلْ اِنِّیْۤ اَنَا النَّذِیْرُ الْمُبِیْنُ ﴿ۚ۸۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকুল ইন্নীআনান নাযীরুল মুবীন।
আল বায়ান:
আর বল, ‘নিশ্চয় আমিই সুস্পষ্ট সতর্ককারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর বলে দাও, ‘আমি তো স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী মাত্র।’
Sahih International:
And say, "Indeed, I am the clear warner" -



کَمَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَی الْمُقْتَسِمِیْنَ ﴿ۙ۹۰﴾
উচ্চারণ:
কামাআনযালনা-‘আলাল মুকতাছিমীন।
আল বায়ান:
যেভাবে আমি নাযিল করেছিলাম বিভক্তকারীদের (ইয়াহূদী ও নাসারা) উপর,
তাইসিরুল কুরআন:
যে ধরনের সতর্কীকরণ পাঠানো হয়েছিল (আল্লাহর কিতাবকে) বিভক্তকারী (ইয়াহূদী ও খ্রীস্টান)দের উপর।
Sahih International:
Just as We had revealed [scriptures] to the separators



الَّذِیْنَ جَعَلُوا الْقُرْاٰنَ عِضِیْنَ ﴿۹۱﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা জা‘আলুল কুরআ-না ‘ইদীন।
আল বায়ান:
যারা কুরআনকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছিল।*
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুরআনকে (নিজেদের খেয়াল খুশিমত) ভাগ ভাগ করে ফেলেছে (যেটা ইচ্ছে মানছে, যেটা ইচ্ছে অমান্য করছে)।
Sahih International:
Who have made the Qur'an into portions.



فَوَ رَبِّکَ لَنَسْـَٔلَنَّهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿ۙ۹۲﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়ারাব্বিকা লানাছআলান্নাহুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
অতএব তোমার রবের কসম, আমি তাদের সকলকে অবশ্যই জেরা করব,
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব শপথ তোমার রব্বের! তাদের সববাইকে অবশ্য অবশ্যই আমি জিজ্ঞেস করব ।
Sahih International:
So by your Lord, We will surely question them all



عَمَّا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿ٙ۹۳﴾
উচ্চারণ:
‘আম্মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
তারা যা করত, সে সম্পর্কে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যা করছে সে সম্পর্কে।
Sahih International:
About what they used to do.



فَاصْدَعْ بِمَا تُؤْمَرُ وَ اَعْرِضْ عَنِ الْمُشْرِکِیْنَ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ফাসদা‘ বিমা-তু’মারূওয়া আ‘রিদ ‘আনিল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তোমাকে যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তা ব্যাপকভাবে প্রচার কর এবং মুশরিকদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমাকে যে বিষয়ের হুকুম দেয়া হয়েছে তা জোরে শোরে প্রকাশ্যে প্রচার কর, আর মুশরিকদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।
Sahih International:
Then declare what you are commanded and turn away from the polytheists.



اِنَّا کَفَیْنٰکَ الْمُسْتَهْزِءِیْنَ ﴿ۙ۹۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-কাফাইনা-কাল মুছতাহযিঈন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তোমার জন্য উপহাসকারীদের বিপক্ষে যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
(সেই) ঠাট্টা-বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য আমিই যথেষ্ট
Sahih International:
Indeed, We are sufficient for you against the mockers



الَّذِیْنَ یَجْعَلُوْنَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَ ۚ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইয়াজ‘আলূনা মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
যারা আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ নির্ধারণ করে। অতএব তারা অচিরেই জানতে পারবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহর সাথে অন্যকেও ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে, (কাজেই শিরকের পরিণতি কী) শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।
Sahih International:
Who make [equal] with Allah another deity. But they are going to know.



وَ لَقَدْ نَعْلَمُ اَنَّکَ یَضِیْقُ صَدْرُکَ بِمَا یَقُوْلُوْنَ ﴿ۙ۹۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ না‘লামুআন্নাকা ইয়াদীকুসাদরুকা বিমা-ইয়াকূলূন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি জানি যে, তারা যা বলে তাতে তোমার অন্তর সঙ্কুচিত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি জানি, তারা যে সব কথা-বার্তা বলে তাতে তোমার মন সংকুচিত হয়।
Sahih International:
And We already know that your breast is constrained by what they say.



فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّکَ وَ کُنْ مِّنَ السّٰجِدِیْنَ ﴿ۙ۹۸﴾
উচ্চারণ:
ফাছাব্বিহবিহামদি রাব্বিকা ওয়া কুম মিনাছছা-জিদীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তুমি তোমার রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ কর এবং সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই প্রশংসা সহকারে তুমি তোমার প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা কর, আর সাজদাহকারীদের দলভুক্ত হও।
Sahih International:
So exalt [Allah] with praise of your Lord and be of those who prostrate [to Him].



وَ اعْبُدْ رَبَّکَ حَتّٰی یَاْتِیَکَ الْیَقِیْنُ ﴿۹۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া‘বুদ রাব্বাকা হাত্তা- ইয়া’তিইয়াকাল ইয়াকীন।
আল বায়ান:
আর ইয়াকীন (মৃত্যু) আসা পর্যন্ত তুমি তোমার রবের ইবাদাত কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমার রব্বের ‘ইবাদাত করতে থাক তোমার সুনিশ্চিত ক্ষণের (অর্থাৎ মৃত্যুর) আগমন পর্যন্ত।
Sahih International:
And worship your Lord until there comes to you the certainty (death).






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।