আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


حٰمٓ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
হা-মীম।
আল বায়ান:
হা-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
হা-মীম।
Sahih International:
Ha, Meem.



تَنْزِیْلٌ مِّنَ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۚ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
তানযীলুম মিনার রাহমা-নির রাহীম।
আল বায়ান:
(এ গ্রন্থ) পরম করুণাময় অসীম দয়ালুর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
পরম দয়াময়, পরম দয়ালুর নিকট হতে অবতীর্ণ।
Sahih International:
[This is] a revelation from the Entirely Merciful, the Especially Merciful -



کِتٰبٌ فُصِّلَتْ اٰیٰتُهٗ قُرْاٰنًا عَرَبِیًّا لِّقَوْمٍ یَّعْلَمُوْنَ ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
কিতা-বুন ফুসসিলাত আ-য়া-তুহূকুরআ-নান ‘আরাবিইয়াল লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
এমন এক কিতাব, যার আয়াতগুলো জ্ঞানী কওমের জন্য বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, কুরআনরূপে আরবী ভাষায়।
তাইসিরুল কুরআন:
এক কিতাব, যার আয়াতগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যাকৃত, আরবী ভাষার কুরআন, জ্ঞানসম্পন্ন মানুষদের জন্য।
Sahih International:
A Book whose verses have been detailed, an Arabic Qur'an for a people who know,



بَشِیْرًا وَّ نَذِیْرًا ۚ فَاَعْرَضَ اَکْثَرُهُمْ فَهُمْ لَا یَسْمَعُوْنَ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
বাশীরাওঁ ওয়া নাযীরান ফাআ‘রাদা আকছারুহুম ফাহুম লা-ইয়াছমা‘ঊন।
আল বায়ান:
সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী। অতঃপর তাদের অধিকাংশই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, অতএব তারা শুনবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সুসংবাদবাহী ও সাবধানকারী। কিন্তু ওদের অধিকাংশই (এ কুরআন থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, কাজেই ওরা শুনবে না।
Sahih International:
As a giver of good tidings and a warner; but most of them turn away, so they do not hear.



وَ قَالُوْا قُلُوْبُنَا فِیْۤ اَکِنَّۃٍ مِّمَّا تَدْعُوْنَاۤ اِلَیْهِ وَ فِیْۤ اٰذَانِنَا وَقْرٌ وَّ مِنْۢ بَیْنِنَا وَ بَیْنِکَ حِجَابٌ فَاعْمَلْ اِنَّنَا عٰمِلُوْنَ ؓ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকা-লূকুলূবুনা-ফীআকিন্নাতিম মিম্মা-তাদ‘ঊনাইলাইহি ওয়া ফীআ-যা-নিনাওয়াকরুওঁ ওয়া মিম বাইনিনা-ওয়া বাইনিকা হিজা-বুন ফা‘মাল ইন্নানা-‘আ-মিলূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘তুমি আমাদেরকে যার প্রতি আহবান করছ সে বিষয়ে আমাদের অন্তরসমূহ আচ্ছাদিত, আমাদের কানের মধ্যে রয়েছে বধিরতা আর তোমার ও আমাদের মধ্যে রয়েছে অন্তরায়। অতএব তুমি (তোমার) কাজ কর, নিশ্চয় আমরা (আমাদের) কাজ করব।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, তুমি আমাদেরকে যার দিকে ডাক দিচ্ছ তাত্থেকে আমাদের দিল আবরণে ঢাকা আছে, আর আমাদের কানে আছে বধিরতা, আমাদের আর তোমাদের মাঝে আছে এক পর্দা (অর্থাৎ তোমার দীন প্রচারের কারণে আমাদের ও তোমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে গেছে), কাজেই তুমি তোমার কাজ কর, আমরা আমাদের কাজ করি।
Sahih International:
And they say, "Our hearts are within coverings from that to which you invite us, and in our ears is deafness, and between us and you is a partition, so work; indeed, we are working."



قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثْلُکُمْ یُوْحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَاسْتَقِیْمُوْۤا اِلَیْهِ وَ اسْتَغْفِرُوْهُ ؕ وَ وَیْلٌ لِّلْمُشْرِکِیْنَ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নামাআনা বাশারুম মিছলুকুম ইঊহাইলাইয়া আন্নামাইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়াহিদুন ফাছতাকীমূইলাইহি ওয়াছতাগফিরূহু ওয়া ওয়াইলুলিলল মুশরিকীন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি কেবল তোমাদের মত একজন মানুষ। আমার কাছে ওহী পাঠানো হয় যে, তোমাদের ইলাহ কেবলমাত্র এক ইলাহ। অতএব তোমরা তাঁর পথে দৃঢ়ভাবে অটল থাক এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও’। আর মুশরিকদের জন্য ধ্বংস,
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। (পার্থক্য শুধু এই যে) আমার কাছে ওয়াহী করা হয় যে, তোমাদের ইলাহ কেবল এক ইলাহ; কাজেই তোমরা তাঁরই সরল সঠিক পথে চল, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। ধ্বংস তাদের জন্য যারা আল্লাহর সাথে অন্যদেরকে শরীক গণ্য করে।
Sahih International:
Say, O [Muhammad], "I am only a man like you to whom it has been revealed that your god is but one God; so take a straight course to Him and seek His forgiveness." And woe to those who associate others with Allah -



الَّذِیْنَ لَا یُؤْتُوْنَ الزَّکٰوۃَ وَ هُمْ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ کٰفِرُوْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা লা-ইউ’তূনাযযাকা-তা ওয়া হুম বিলআ-খিরাতি হুম কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
যারা যাকাত দেয় না। আর তারাই আখিরাতের অস্বীকারকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা যাকাত দেয় না, আর তারা আখিরাত অমান্য করে।
Sahih International:
Those who do not give zakah, and in the Hereafter they are disbelievers.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ اَجْرٌ غَیْرُ مَمْنُوْنٍ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লাহুম আজরুন গাইরু মামনূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন প্রতিদান।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর নেক কাজ করে, তাদের জন্য আছে এমন পুরস্কার যা কোন দিনও বন্ধ হবে না।
Sahih International:
Indeed, those who believe and do righteous deeds - for them is a reward uninterrupted.



قُلْ اَئِنَّکُمْ لَتَکْفُرُوْنَ بِالَّذِیْ خَلَقَ الْاَرْضَ فِیْ یَوْمَیْنِ وَ تَجْعَلُوْنَ لَهٗۤ اَنْدَادًا ؕ ذٰلِکَ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ۚ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
কুল আইন্নাকুম লাতাকফুরূনা বিল্লাযী খালাকাল আরদা ফী ইয়াওমাইনি ওয়া তাজ‘আলূনা লাহূআনদা-দান যা-লিকা রাব্বুল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবে যিনি দু’দিনে যমীন সৃষ্টি করেছেন? আর তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ বানাতে চাচ্ছ? তিনিই সৃষ্টিকুলের রব’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- তোমরা কি তাঁকে অস্বীকারই করছ যিনি যমীনকে সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে আর তাঁর সমকক্ষ বানাচ্ছ? তিনিই তো বিশ্বজগতের রব্ব।
Sahih International:
Say, "Do you indeed disbelieve in He who created the earth in two days and attribute to Him equals? That is the Lord of the worlds."



وَ جَعَلَ فِیْهَا رَوَاسِیَ مِنْ فَوْقِهَا وَ بٰرَکَ فِیْهَا وَ قَدَّرَ فِیْهَاۤ اَقْوَاتَهَا فِیْۤ اَرْبَعَۃِ اَیَّامٍ ؕ سَوَآءً لِّلسَّآئِلِیْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলা ফীহা-রাওয়া-ছিআ মিন ফাওকিহা- ওয়া বা-রাকাফীহা-ওয়াকাদ্দারাফীহা আকওয়া-তাহা- ফীআরবা‘আতি আইয়া-মিন ছাওয়াআললিছছাইলীন।
আল বায়ান:
আর তার উপরিভাগে তিনি দৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে বরকত দিয়েছেন, আর তাতে চারদিনে প্রার্থীদের জন্য সমভাবে খাদ্য নিরূপণ করে দিয়েছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
(যমীন সৃষ্টির পর) তার বুকে তিনি সৃদৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, যমীনকে বরকতমন্ডিত করেছেন আর তাতে প্রার্থীদের প্রয়োজন মুতাবেক নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য সঞ্চিত করেছেন চার দিনে।
Sahih International:
And He placed on the earth firmly set mountains over its surface, and He blessed it and determined therein its [creatures'] sustenance in four days without distinction - for [the information] of those who ask.



ثُمَّ اسْتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ وَ هِیَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَ لِلْاَرْضِ ائْتِیَا طَوْعًا اَوْ کَرْهًا ؕ قَالَتَاۤ اَتَیْنَا طَآئِعِیْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মাছ তাওয়াইলাছ ছামাই ওয়াহিয়া দুখা-নুন ফাকা-লা লাহা-ওয়ালিল আরদি’তিয়া তাও‘আন আও কার হান কা-লাতাআতাইনা-তাই‘ঈন।
আল বায়ান:
তারপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেন। তা ছিল ধোঁয়া। তারপর তিনি আসমান ও যমীনকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় আস’। তারা উভয়ে বলল, ‘আমরা অনুগত হয়ে আসলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর নজর দিয়েছেন আকাশের দিকে যখন তা ছিল ধোঁয়া (’র মত)। তখন তিনি আকাশ আর পৃথিবীকে বললেন- আমার অনুগত হও, ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। উভয়ে বলল- আমরা স্বেচ্ছায় অনুগত হলাম।
Sahih International:
Then He directed Himself to the heaven while it was smoke and said to it and to the earth, "Come [into being], willingly or by compulsion." They said, "We have come willingly."



فَقَضٰهُنَّ سَبْعَ سَمٰوَاتٍ فِیْ یَوْمَیْنِ وَ اَوْحٰی فِیْ کُلِّ سَمَآءٍ اَمْرَهَا ؕ وَ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِمَصَابِیْحَ ٭ۖ وَ حِفْظًا ؕ ذٰلِکَ تَقْدِیْرُ الْعَزِیْزِ الْعَلِیْمِ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ফাকাদা-হুন্না ছাব ‘আ ছামা-ওয়া-তিন ফী ইয়াওমাইনি ওয়া আওহা-ফী কুল্লি ছামাইন আমরাহা- ওয়া যাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া-বিমাসা-বীহা ওয়া হিফজান যালিকা তাকদীরুল ‘আযীযিল ‘আলীম।
আল বায়ান:
তারপর তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে সাত আকাশে বিন্যস্ত করলেন দু’দিনে আর প্রত্যেক আকাশকে তার বিধি-ব্যবস্থা ওয়াহীর মাধ্যমে প্রদান করলেন। আমি আলোকমালার সাহায্যে দুনিয়ার আকাশের শোভাবর্ধন করলাম আর সুরক্ষার (ও ব্যবস্থা করলাম)। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর সুনির্ধারিত (ব্যবস্থাপনা)।
Sahih International:
And He completed them as seven heavens within two days and inspired in each heaven its command. And We adorned the nearest heaven with lamps and as protection. That is the determination of the Exalted in Might, the Knowing.



فَاِنْ اَعْرَضُوْا فَقُلْ اَنْذَرْتُکُمْ صٰعِقَۃً مِّثْلَ صٰعِقَۃِ عَادٍ وَّ ثَمُوْدَ ﴿ؕ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ফাইন আ‘রাদূ ফাকুলআনযারতুকুম সা-‘ইকাতাম মিছলা সা-‘ইকাতি ‘আ-দিওঁ ওয়া ছামূদ।
আল বায়ান:
তবুও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তুমি বলে দাও, ‘আদ ও সামূদের ধ্বংসের মতই এক মহাধ্বংস সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে সতর্ক করছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
এরপরও তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বল- আমি তোমাদেরকে অকস্মাৎ শাস্তির ভয় দেখাচ্ছি- ‘আদ ও সামূদের (উপর নেমে আসা) অকস্মাৎ-শাস্তির মত।
Sahih International:
But if they turn away, then say, "I have warned you of a thunderbolt like the thunderbolt [that struck] 'Aad and Thamud.



اِذْ جَآءَتْهُمُ الرُّسُلُ مِنْۢ بَیْنِ اَیْدِیْهِمْ وَ مِنْ خَلْفِهِمْ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّا اللّٰهَ ؕ قَالُوْا لَوْ شَآءَ رَبُّنَا لَاَنْزَلَ مَلٰٓئِکَۃً فَاِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ کٰفِرُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ইযজাআতহুমুর রুছুলুমিম বাইনি আইদীহিম ওয়া মিন খালফিহিম আল্লা-তা‘বুদূ ইল্লাল্লাহা কা-লূলাও শাআ রাব্বুনা-লাআনযালা মালাইকাতান ফাইন্না-বিমাউরছিলতুম বিহী কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
যখন তাদের অগ্র ও পশ্চাৎ থেকে রাসূলগণ তাদের কাছে এসে বলেছিল যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করো না’। তারা বলেছিল, ‘যদি আমাদের রব ইচ্ছা করতেন তাহলে অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। অতএব, তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে নিশ্চয় আমরা তা প্রত্যাখ্যান করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে যখন তাদের অগ্রে ও পশ্চাতে (একের পর এক) রসূলগণ এসেছিল (আর বলেছিল)- তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না। (জবাবে) তারা বলেছিল- আমাদের প্রতিপালক ইচ্ছে করলে তো অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। কাজেই তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা অমান্য করছি।
Sahih International:
[That occurred] when the messengers had come to them before them and after them, [saying], "Worship not except Allah." They said, "If our Lord had willed, He would have sent down the angels, so indeed we, in that with which you have been sent, are disbelievers."



فَاَمَّا عَادٌ فَاسْتَکْبَرُوْا فِی الْاَرْضِ بِغَیْرِ الْحَقِّ وَ قَالُوْا مَنْ اَشَدُّ مِنَّا قُوَّۃً ؕ اَوَ لَمْ یَرَوْا اَنَّ اللّٰهَ الَّذِیْ خَلَقَهُمْ هُوَ اَشَدُّ مِنْهُمْ قُوَّۃً ؕ وَ کَانُوْا بِاٰیٰتِنَا یَجْحَدُوْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআম্মা-‘আ-দুন ফাছতাকবারূফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কিওয়া কা-লূমান আশাদ্দা মিন্না-কুওওয়াতান আওয়ালাম ইয়ারাও আন্নাল্লা-হাল্লাযী খালাকাহুম হুওয়া আশাদ্দু মিনহুম কুওওয়াতাওঁ ওয়া কা-নূবিআ-য়া-তিনা-ইয়াজহাদূ ন।
আল বায়ান:
আর ‘আদ সম্প্রদায়, তারা যমীনে অযথা অহঙ্কার করত এবং বলত, ‘আমাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী কে আছে’? তবে কি তারা লক্ষ্য করেনি যে, নিশ্চয় আল্লাহ যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী? আর তারা আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ‘আদ-এর অবস্থা ছিল এই যে, দুনিয়াতে তারা না-হক অহংকার করেছিল, আর বলেছিল- আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী আর কে আছে? তারা কি চিন্তা করে দেখেনি যে, আল্লাহ- যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন- শক্তিতে তাদের চেয়ে প্রবল? কিন্তু তারা আমার আয়াতগুলো অস্বীকার করতেই থাকল।
Sahih International:
As for 'Aad, they were arrogant upon the earth without right and said, "Who is greater than us in strength?" Did they not consider that Allah who created them was greater than them in strength? But they were rejecting Our signs.



فَاَرْسَلْنَا عَلَیْهِمْ رِیْحًا صَرْصَرًا فِیْۤ اَیَّامٍ نَّحِسَاتٍ لِّنُذِیْقَهُمْ عَذَابَ الْخِزْیِ فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ؕ وَ لَعَذَابُ الْاٰخِرَۃِ اَخْزٰی وَ هُمْ لَا یُنْصَرُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফাআরছালনা-‘আলাইহিম রীহান সারসারান ফীআইয়া-মিন নাহিছা-তিল লিনুযীকাহুম ‘আযা-বাল খিযই ফিল হায়া-তিদ্দুইয়া- ওয়ালা‘আযা-বুল আ-খিরাতি আখযাওয়াহুম লা-ইউনসারূন।
আল বায়ান:
তারপর আমি তাদের উপর অশুভ দিনগুলোতে ঝঞ্ঝাবায়ু পাঠালাম যাতে তাদেরকে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনাদায়ক আযাব আস্বাদন করাতে পারি। আর আখিরাতের আযাব তো অধিকতর লাঞ্ছনাদায়ক এবং তাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি অশুভ দিনগুলোতে তাদের বিরুদ্ধে ঝাঞ্ঝা বায়ু পাঠালাম যাতে তারা দুনিয়ার জীবনে অপমানজনক শাস্তি আস্বাদন করে। আখিরাতের শাস্তি অবশ্যই অধিক লাঞ্ছনাদায়ক আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
Sahih International:
So We sent upon them a screaming wind during days of misfortune to make them taste the punishment of disgrace in the worldly life; but the punishment of the Hereafter is more disgracing, and they will not be helped.



وَ اَمَّا ثَمُوْدُ فَهَدَیْنٰهُمْ فَاسْتَحَبُّوا الْعَمٰی عَلَی الْهُدٰی فَاَخَذَتْهُمْ صٰعِقَۃُ الْعَذَابِ الْهُوْنِ بِمَا کَانُوْا یَکْسِبُوْنَ ﴿ۚ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মা-ছামূদুফাহাদাইনা-হুম ফাছতাহাব্বুল ‘আমা-‘আলাল হুদা-ফাআখাযাতহুম সা-‘ইকাতুল ‘আযা-বিল হূনি বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।
আল বায়ান:
আর সামূদ সম্প্রদায়, আমি তাদেরকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়েছিলাম; কিন্তু তারা সঠিক পথে চলার পরিবর্তে অন্ধ পথে চলাই পছন্দ করেছিল। ফলে তাদের অর্জনের কারণেই লাঞ্ছনাদায়ক আযাবের বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সামূদের অবস্থা এই যে, আমি তাদেরকে সঠিক পথে চলার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সঠিক পথে চলার পরিবর্তে অন্ধ হয়ে থাকাকেই পছন্দ করে ছিল। তখন তাদের কৃতকর্মের কারণে অপমানজনক শাস্তির বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল।
Sahih International:
And as for Thamud, We guided them, but they preferred blindness over guidance, so the thunderbolt of humiliating punishment seized them for what they used to earn.



وَ نَجَّیْنَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ کَانُوْا یَتَّقُوْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাজ্জাইনাল্লাযীনা আ-মানূওয়াকা-নূইয়াত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে রক্ষা করলাম যারা ঈমান এনেছিল এবং তাকওয়া অবলম্বন করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাদেরকে বাঁচিয়ে দিলাম যারা ঈমান এনেছিল আর (আল্লাহকে) ভয় করে চলত।
Sahih International:
And We saved those who believed and used to fear Allah.



وَ یَوْمَ یُحْشَرُ اَعْدَآءُ اللّٰهِ اِلَی النَّارِ فَهُمْ یُوْزَعُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইউহশারু আ‘দাউল্লা-হি ইলান্না-রি ফাহুম ইউযা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর যেদিন আল্লাহর দুশমনদেরকে আগুনের দিকে সমবেত করা হবে তখন তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিন্যস্ত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে দিন আল্লাহর দুশমনদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে, তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিন্যস্ত করা হবে।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], the Day when the enemies of Allah will be gathered to the Fire while they are [driven] assembled in rows,



حَتّٰۤی اِذَا مَا جَآءُوْهَا شَهِدَ عَلَیْهِمْ سَمْعُهُمْ وَ اَبْصَارُهُمْ وَ جُلُوْدُهُمْ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা-মা-জাউহা-শাহিদা ‘আলাইহিম ছাম‘উহুম ওয়া আবসা-রুহম ওয়া জুলূদুহুম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের কাছে পৌঁছবে, তখন তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের চামড়া তাদের বিরুদ্ধে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে।
তাইসিরুল কুরআন:
শেষ পর্যন্ত যখন তারা জাহান্নামের নিকটে পৌঁছবে, তখন তারা যা করত সে সম্পর্কে তাদের কান, তাদের চোখ আর তাদের চামড়া তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।
Sahih International:
Until, when they reach it, their hearing and their eyes and their skins will testify against them of what they used to do.



وَ قَالُوْا لِجُلُوْدِهِمْ لِمَ شَهِدْتُّمْ عَلَیْنَا ؕ قَالُوْۤا اَنْطَقَنَا اللّٰهُ الَّذِیْۤ اَنْطَقَ کُلَّ شَیْءٍ وَّ هُوَ خَلَقَکُمْ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকা-লূলিজুলূদিহিম লিমা শাহিত্তুম ‘আলাইনা- কা-লূআনতাকানাল্লা-হুল্লাযী আনতাকা কুল্লা শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া খালাকাকুম আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর তারা তাদের চামড়াগুলোকে বলবে, ‘কেন তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে’? তারা বলবে, ‘আল্লাহ আমাদের বাকশক্তি দিয়েছেন যিনি সবকিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁরই প্রতি তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের চামড়াকে বলবে- আমাদের বিরুদ্ধে কেন সাক্ষ্য দিচ্ছ? তারা উত্তর দিবে- আল্লাহ আমাদেরকে কথা বলার শক্তি দিয়েছেন, যিনি সব কিছুকেই (আজ) কথা বলার শক্তি দিয়েছেন। তিনিই প্রথমবার তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
Sahih International:
And they will say to their skins, "Why have you testified against us?" They will say, "We were made to speak by Allah, who has made everything speak; and He created you the first time, and to Him you are returned.



وَ مَا کُنْتُمْ تَسْتَتِرُوْنَ اَنْ یَّشْهَدَ عَلَیْکُمْ سَمْعُکُمْ وَ لَاۤ اَبْصَارُکُمْ وَ لَا جُلُوْدُکُمْ وَ لٰکِنْ ظَنَنْتُمْ اَنَّ اللّٰهَ لَا یَعْلَمُ کَثِیْرًا مِّمَّا تَعْمَلُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কুনতুম তাছতাতিরূনা আইঁ ইয়াশহাদা ‘আলাইকুম ছাম‘উকুম ওয়ালাআবসা-রুকুম ওয়ালা- জুলূদুকুম ওয়ালা- কিন জানানতুম আন্নাল্লা-হা লা- ইয়া‘লামুকাছীরাম মিম্মাতা‘মালূন।
আল বায়ান:
তোমরা কিছুই গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কান, চোখসমূহ ও চামড়াসমূহ তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে না, বরং তোমরা মনে করেছিলে যে, তোমরা যা কিছু করতে আল্লাহ তার অনেক কিছুই জানেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
(দুনিয়ায় নিজেদের শরীরের অংশগুলোকে তোমরা) এই ভেবে গোপন করতে না যে, না তোমাদের কান, না তোমাদের চোখ আর না তোমাদের চামড়া তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। বরং তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা কর তার অধিকাংশই আল্লাহ জানেন না।
Sahih International:
And you were not covering yourselves, lest your hearing testify against you or your sight or your skins, but you assumed that Allah does not know much of what you do.



وَ ذٰلِکُمْ ظَنُّکُمُ الَّذِیْ ظَنَنْتُمْ بِرَبِّکُمْ اَرْدٰىکُمْ فَاَصْبَحْتُمْ مِّنَ الْخٰسِرِیْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যা-লিকুম জান্নুকুমুল্লাযীজানানতুম বিরাব্বিকুম আর দা-কুম ফাআসবাহতুম মিনাল খা-ছিরীন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের এ ধারণা যা তোমরা তোমাদের রব সম্পর্কে পোষণ করতে, তাই তোমাদের ধ্বংস করেছে। ফলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের এই (ভুল) ধারণাই- যা তোমরা তোমাদের প্রতিপালক সম্পর্কে পোষণ করতে- তোমাদেরকে ধ্বংস করেছে, ফলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের দলে শামিল হয়ে গেছ।
Sahih International:
And that was your assumption which you assumed about your Lord. It has brought you to ruin, and you have become among the losers."



فَاِنْ یَّصْبِرُوْا فَالنَّارُ مَثْوًی لَّهُمْ ۚ وَ اِنْ یَّسْتَعْتِبُوْا فَمَا هُمْ مِّنَ الْمُعْتَبِیْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফাইয়ঁইয়াসবিরূফান্না-রু মাছওয়াল লাহুম ওয়া ইয়ঁইয়াছতা‘তিবূফামা-হুম মিনাল মু‘তাবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যদি তারা ধৈর্যধারণ করে তবে আগুনই হবে তাদের আবাস এবং যদি তারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চায়, তবুও তারা আল্লাহর সন্তোষপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
এখন যদি তারা ধৈর্য ধারণ করে তবুও জাহান্নামই হবে তাদের আবাস, আর যদি তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে তবুও তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে না।
Sahih International:
So [even] if they are patient, the Fire is a residence for them; and if they ask to appease [Allah], they will not be of those who are allowed to appease.



وَ قَیَّضْنَا لَهُمْ قُرَنَآءَ فَزَیَّنُوْا لَهُمْ مَّا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ وَ حَقَّ عَلَیْهِمُ الْقَوْلُ فِیْۤ اُمَمٍ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ ۚ اِنَّهُمْ کَانُوْا خٰسِرِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাইয়াদনা-লাহুম কুরানাআ ফাযাইয়ানূলাহুম মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামাখালফাহুম ওয়াহাক্কা ‘আলাইহিমুল কাওলুফীউমামিন কাদ খালাত মিন কাবলিহিম মিনাল জিন্নি ওয়ালইনছি ইন্নাহুম কা-নূখা-ছিরীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের জন্য মন্দ সহচরবৃন্দ নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম, যারা তাদের সামনে ও পিছনে যা আছে তা তাদের দৃষ্টিতে চাকচিক্যময় করে দিয়েছিল। আর তাদের উপরে আযাবের বাণী সত্যে পরিণত হল, তাদের পূর্বে গত হওয়া জিন ও মানুষের বিভিন্ন জাতির ন্যায়, নিশ্চয় এরা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে প্রাণের বন্ধু জুটিয়ে দিয়েছিলাম, যারা তাদেরকে তাদের সামনের আর পিছনের প্রত্যেকটি জিনিসকে চাকচিক্যময় করে দেখাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের উপরও তেমনি ‘আযাবের ফয়সালা কার্যকর হল, যা তাদের পূর্ববর্তী জ্বিন ও মানব দলের উপর কার্যকর হয়েছিল। বাস্তবিকই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল।
Sahih International:
And We appointed for them companions who made attractive to them what was before them and what was behind them [of sin], and the word has come into effect upon them among nations which had passed on before them of jinn and men. Indeed, they [all] were losers.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَا تَسْمَعُوْا لِهٰذَا الْقُرْاٰنِ وَ الْغَوْا فِیْهِ لَعَلَّکُمْ تَغْلِبُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লা-তাছমা‘ঊ লিহা-যাল কুরআ-নি ওয়ালগাও ফীহি লা‘আল্লাকুম তাগলিবূন।
আল বায়ান:
আর কাফিররা বলে, ‘তোমরা এ কুরআনের নির্দেশ শুন না এবং এর আবৃত্তি কালে শোরগোল সৃষ্টি কর, যেন তোমরা জয়ী হতে পার।’
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা বলে- এ কুরআন শুনো না, আর তা পড়ার কালে শোরগোল কর যাতে তোমরা বিজয়ী হতে পার।
Sahih International:
And those who disbelieve say, "Do not listen to this Qur'an and speak noisily during [the recitation of] it that perhaps you will overcome."



فَلَنُذِیْقَنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا عَذَابًا شَدِیْدًا ۙ وَّ لَنَجْزِیَنَّهُمْ اَسْوَاَ الَّذِیْ کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ফালানুযী কান্নাল্লাযীনা কাফারূ‘আযা-বান শাদীদাওঁ ওয়ালা নাজযিয়ান্নাহুম আছওয়াল্লাযী কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
সুতরাং আমি অবশ্যই কাফিরদেরকে কঠিন আযাব আস্বাদন করাব এবং আমি অবশ্যই তাদের কাজের নিকৃষ্টতম প্রতিদান দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
ফলতঃ আমি কাফিরদেরকে অবশ্য অবশ্যই কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাব, আর আমি অবশ্য অবশ্যই তাদেরকে তাদের নিকৃষ্টতম কাজের অনুসারে প্রতিফল দিব।
Sahih International:
But We will surely cause those who disbelieve to taste a severe punishment, and We will surely recompense them for the worst of what they had been doing.



ذٰلِکَ جَزَآءُ اَعْدَآءِ اللّٰهِ النَّارُ ۚ لَهُمْ فِیْهَا دَارُ الْخُلْدِ ؕ جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوْا بِاٰیٰتِنَا یَجْحَدُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা জাযাউ আ‘দাইল্লা-হিন্না-রু লাহুম ফীহা-দা-রুল খুলদি জাযাআম বিমা-কা-নূবিআ-য়া-তিনা-ইয়াজহাদূ ন।
আল বায়ান:
এই আগুন, আল্লাহর দুশমনদের প্রতিদান। সেখানে থাকবে তাদের জন্য স্থায়ী নিবাস তারা যে আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করত তারই প্রতিফলস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর দুশমনদের জন্য প্রতিফল হল এ জাহান্নাম। তাতে আছে তাদের জন্য চিরস্থায়ী আবাস। (এ হল তাদের) প্রতিফল, কারণ তারা আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করত।
Sahih International:
That is the recompense of the enemies of Allah - the Fire. For them therein is the home of eternity as recompense for what they, of Our verses, were rejecting.



وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا رَبَّنَاۤ اَرِنَا الَّذَیْنِ اَضَلّٰنَا مِنَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ نَجْعَلْهُمَا تَحْتَ اَقْدَامِنَا لِیَکُوْنَا مِنَ الْاَسْفَلِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূরাব্বানাআরিনাল্লাযাইনি আদাল্লা-না-মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনছি নাজ‘আলহুমা-তাহতা আকদা-মিনা-লিইয়াকূনা মিনাল আছফালীন।
আল বায়ান:
আর কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, জিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পায়ের নীচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা বলবে- হে আমাদের প্রতিপালক! জ্বিন ও মানুষদের মধ্যেকার যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল তাদের উভয়কে দেখিয়ে দিন, তাদের উভয়কে পায়ের তলায় পিষ্ট করব, যাতে তারা নিকৃষ্ট অধমদের মধ্যে গণ্য হয়।
Sahih International:
And those who disbelieved will [then] say, "Our Lord, show us those who misled us of the jinn and men [so] we may put them under our feet that they will be among the lowest."



اِنَّ الَّذِیْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللّٰهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوْا تَتَنَزَّلُ عَلَیْهِمُ الْمَلٰٓئِکَۃُ اَلَّا تَخَافُوْا وَ لَا تَحْزَنُوْا وَ اَبْشِرُوْا بِالْجَنَّۃِ الَّتِیْ کُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা কা-লূরাব্বুনাল্লা-হুছু ম্মাছতাকা-মূতাতানাযযালু‘আলাইহিমুল মালাইকাতু আল্লা-তাখা-ফূওয়ালা-তাহযানূওয়াআবশিরূবিলজান্নাতিল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা বলে, ‘আল্লাহই আমাদের রব’ অতঃপর অবিচল থাকে, ফেরেশতারা তাদের কাছে নাযিল হয় (এবং বলে,) ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা বলে- আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর (সে কথার উপর) সুদৃঢ় থাকে, ফেরেশতারা তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় আর বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না, আর জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর যার ওয়া‘দা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে।
Sahih International:
Indeed, those who have said, "Our Lord is Allah " and then remained on a right course - the angels will descend upon them, [saying], "Do not fear and do not grieve but receive good tidings of Paradise, which you were promised.



نَحْنُ اَوْلِیٰٓؤُکُمْ فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا وَ فِی الْاٰخِرَۃِ ۚ وَ لَکُمْ فِیْهَا مَا تَشْتَهِیْۤ اَنْفُسُکُمْ وَ لَکُمْ فِیْهَا مَا تَدَّعُوْنَ ﴿ؕ۳۱﴾
উচ্চারণ:
নাহনুআওলিয়াউকুম ফিল হায়া-তিদ্দুইয়া-ওয়া ফিল আ-খিরাতি ওয়ালাকুম ফীহামা-তাশতাহীআনফুছুকুম ওয়ালাকুম ফীহা-মা-তাদ্দা‘ঊন।
আল বায়ান:
‘আমরা দুনিয়ার জীবনে তোমাদের বন্ধু এবং আখিরাতেও। সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য আরো থাকবে যা তোমরা দাবী করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
পার্থিব জীবনে আর আখিরাতে আমরাই তোমাদের সঙ্গী-সাথী। আর সেখানে (অর্থাৎ জান্নাতে) তোমাদের জন্য তোমাদের মন যা চায় তা-ই আছে; তোমরা যে জিনিসের আকাঙ্ক্ষা কর, তোমাদের জন্য সেখানে তা-ই আছে
Sahih International:
We [angels] were your allies in worldly life and [are so] in the Hereafter. And you will have therein whatever your souls desire, and you will have therein whatever you request [or wish]



نُزُلًا مِّنْ غَفُوْرٍ رَّحِیْمٍ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
নুযুলাম মিন গাফূরির রাহীম।
আল বায়ান:
পরম ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে আপ্যায়নস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (আল্লাহ)’র পক্ষ থেকে আপ্যায়ন হিসেবে।
Sahih International:
As accommodation from a [Lord who is] Forgiving and Merciful."



وَ مَنْ اَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ دَعَاۤ اِلَی اللّٰهِ وَ عَمِلَ صَالِحًا وَّ قَالَ اِنَّنِیْ مِنَ الْمُسْلِمِیْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান আহছানুকাওলাম মিম্মান দা‘আইলাল্লা-হি ওয়া‘আমিলা সা-লিহাওঁ ওয়াকা-লা ইন্নানী মিনাল মুছলিমীন।
আল বায়ান:
আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’?
তাইসিরুল কুরআন:
কথায় ঐ ব্যক্তি থেকে কে বেশি উত্তম যে (মানুষকে) আল্লাহর দিকে আহবান করে, আর সৎ কাজ করে এবং বলে, ‘আমি (আল্লাহর প্রতি) অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত’।
Sahih International:
And who is better in speech than one who invites to Allah and does righteousness and says, "Indeed, I am of the Muslims."



وَ لَا تَسْتَوِی الْحَسَنَۃُ وَ لَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدْفَعْ بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ فَاِذَا الَّذِیْ بَیْنَکَ وَ بَیْنَهٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّهٗ وَلِیٌّ حَمِیْمٌ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাছতাবিল হাছানাতুওয়ালাছ ছাইয়িআতু ইদফা‘ বিল্লাতী হিয়া আহছানু ফাইযাল্লাযী বাইনাকা ওয়া বাইনাহূ‘আদা-ওয়াতুন কাআন্নাহূওয়ালিইউন হামীম।
আল বায়ান:
আর ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দকে প্রতিহত কর তা দ্বারা যা উৎকৃষ্টতর, ফলে তোমার ও যার মধ্যে শত্রুতা রয়েছে সে যেন হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু।
তাইসিরুল কুরআন:
ভাল আর মন্দ সমান নয়। উৎকৃষ্ট দিয়ে মন্দকে দূর কর। তখন দেখবে, তোমার আর যার মধ্যে শত্রুতা আছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।
Sahih International:
And not equal are the good deed and the bad. Repel [evil] by that [deed] which is better; and thereupon the one whom between you and him is enmity [will become] as though he was a devoted friend.



وَ مَا یُلَقّٰهَاۤ اِلَّا الَّذِیْنَ صَبَرُوْا ۚ وَ مَا یُلَقّٰهَاۤ اِلَّا ذُوْحَظٍّ عَظِیْمٍ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইউলাক্কা-হাইল্লাল্লাযীনা সাবারূ ওয়ামা-ইউলাক্কা-হাইল্লা-যূহাজ্জিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর এটি তারাই প্রাপ্ত হবে যারা ধৈর্যধারণ করবে, আর এর অধিকারী কেবল তারাই হয় যারা মহাভাগ্যবান।
তাইসিরুল কুরআন:
এ গুণ কেবল তারাই লাভ করে যারা ধৈর্যশীল, এ গুণ কেবল তারাই লাভ করে যারা মহা ভাগ্যবান।
Sahih International:
But none is granted it except those who are patient, and none is granted it except one having a great portion [of good].



وَ اِمَّا یَنْزَغَنَّکَ مِنَ الشَّیْطٰنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইম্মা-ইয়ানযাগান্নাকা মিনাশশাইতা-নি নাযগুন ফাছতা‘ইযবিল্লা -হি ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা কখনো তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
তাইসিরুল কুরআন:
শয়ত্বানের পক্ষ থেকে যদি তুমি কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And if there comes to you from Satan an evil suggestion, then seek refuge in Allah. Indeed, He is the Hearing, the Knowing.



وَ مِنْ اٰیٰتِهِ الَّیْلُ وَ النَّهَارُ وَ الشَّمْسُ وَ الْقَمَرُ ؕ لَا تَسْجُدُوْا لِلشَّمْسِ وَ لَا لِلْقَمَرِ وَ اسْجُدُوْا لِلّٰهِ الَّذِیْ خَلَقَهُنَّ اِنْ کُنْتُمْ اِیَّاهُ تَعْبُدُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন আ-য়া-তিহিল্লাইলুওয়ান্নাহা-রু ওয়াশশামছুওয়াল কামারু লা-তাছজু দূ লিশশামছি ওয়ালা-লিলকামারি ওয়াছজু দূ লিল্লা-হিল্লাযী খালাকাহুন্না ইন কুনতুম ইয়্যা-হু তা‘বুদূ ন।
আল বায়ান:
আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চাঁদ । তোমরা না সূর্যকে সিজদা করবে, না চাঁদকে। আর তোমরা আল্লাহকে সিজদা কর যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদাত কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হল রাত, দিন, সূর্য আর চন্দ্র। সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না। সেজদা কর আল্লাহকে যিনি ওগুলোকে সৃষ্টি করেছেন যদি সত্যিকারভাবে একমাত্র তাঁরই তোমরা ইবাদাত করতে চাও।
Sahih International:
And of His signs are the night and day and the sun and moon. Do not prostrate to the sun or to the moon, but prostate to Allah, who created them, if it should be Him that you worship.



فَاِنِ اسْتَکْبَرُوْا فَالَّذِیْنَ عِنْدَ رَبِّکَ یُسَبِّحُوْنَ لَهٗ بِالَّیْلِ وَ النَّهَارِ وَ هُمْ لَا یَسْـَٔمُوْنَ ﴿ٛ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ফাইনিছতাকবারূফাল্লাযীনা ‘ইনদা রাব্বিকাইউছাব্বিহূনালাহূবিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ওয়াহুম লা-ইয়াছআমূন (ছিজদাহ-১১)।
আল বায়ান:
অতঃপর যদি এরা অহঙ্কার করেও তবে যারা তোমার রবের নিকটে রয়েছে তারা দিন-রাত তাঁরই তাসবীহ পাঠ করছে এবং তারা ক্লান্তি বোধ করে না।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা যদি অহংকার করে তবে (তারা জেনে নিক যে), তোমার প্রতিপালকের নিকটে যারা রয়েছে তারা দিন-রাত তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনায় লিপ্ত আছে, আর তারা কখনও ক্লান্তিবোধ করে না।[সাজদাহ]
Sahih International:
But if they are arrogant - then those who are near your Lord exalt Him by night and by day, and they do not become weary.



وَ مِنْ اٰیٰتِهٖۤ اَنَّکَ تَرَی الْاَرْضَ خَاشِعَۃً فَاِذَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَیْهَا الْمَآءَ اهْتَزَّتْ وَ رَبَتْ ؕ اِنَّ الَّذِیْۤ اَحْیَاهَا لَمُحْیِ الْمَوْتٰی ؕ اِنَّهٗ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন আ-য়া-তিহীআন্নাকা তারাল আরদা খা-শি‘আতান ফাইযাআনযালনা‘আলাইহাল মাআহতাযযাত ওয়া রাবাত ইন্নাল্লাযীআহইয়া-হা-লামুহইল মাওতা ইন্নাহূ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
তাঁর আরেকটি নিদর্শন হল এই যে, তুমি যমীনকে দেখতে পাও শুষ্ক-অনুর্বর, অতঃপর যখন আমি তার উপর পানি বর্ষণ করি তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়। নিশ্চয়ই যিনি যমীনকে জীবিত করেন তিনি মৃতদেরও জীবিতকারী। নিশ্চয় তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হল এই যে, তুমি যমীনকে দেখ শুষ্ক অনুর্বর পড়ে আছে। অতঃপর আমি যখন তার উপর বৃষ্টি বর্ষণ করি তখন তা সতেজ হয় ও বেড়ে যায়। যিনি এ মৃত যমীনকে জীবিত করেন, তিনি অবশ্যই মৃতদেরকে জীবিত করবেন। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।
Sahih International:
And of His signs is that you see the earth stilled, but when We send down upon it rain, it quivers and grows. Indeed, He who has given it life is the Giver of Life to the dead. Indeed, He is over all things competent.



اِنَّ الَّذِیْنَ یُلْحِدُوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِنَا لَا یَخْفَوْنَ عَلَیْنَا ؕ اَفَمَنْ یُّلْقٰی فِی النَّارِ خَیْرٌ اَمْ مَّنْ یَّاْتِیْۤ اٰمِنًا یَّوْمَ الْقِیٰمَۃِ ؕ اِعْمَلُوْا مَا شِئْتُمْ ۙ اِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা ইউলহিদূ না ফীআ-য়া-তিনা-লা-ইয়াখফাওনা ‘আলাইনা- আফামাইঁ ইউলকা-ফিন্না-রি খাইরুন আমমাইঁ ইয়া’তী আ-মিনাইঁ ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ই‘মালূ মা-শি’তুম ইন্নাহূবিমা-তা‘মালূনা বাসীর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহ বিকৃত করে তারা আমার অগোচরে নয়। যে অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হবে সে কি উত্তম, না যে কিয়ামত দিবসে নিরাপদভাবে উপস্থিত হবে? তোমাদের যা ইচ্ছা আমল কর। নিশ্চয় তোমরা যা আমল কর তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আমার আয়াতসমূহের অর্থকে ভিন্নপথে পরিচালিত করে, তারা আমার থেকে লুক্কায়িত নয়। যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে সেই উত্তম না ঐ ব্যক্তি যে ক্বিয়ামতের দিন সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে হাজির হবে? তোমাদের যা ইচ্ছে হয় করতে থাক। তোমরা যা কর তা তিনি (খুব ভালভাবেই) দেখেন।
Sahih International:
Indeed, those who inject deviation into Our verses are not concealed from Us. So, is he who is cast into the Fire better or he who comes secure on the Day of Resurrection? Do whatever you will; indeed, He is Seeing of what you do.



اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِالذِّکْرِ لَمَّا جَآءَهُمْ ۚ وَ اِنَّهٗ لَکِتٰبٌ عَزِیْزٌ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা কাফারূবিযযি করি লাম্মা-জাআহুম ওয়া ইন্নাহূলাকিতা-বুন ‘আযীয।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা উপদেশ [কুরআন] আসার পরও তা অস্বীকার করে [ তাদেরকে অবশ্যই এর পরিণাম ভোগ করতে হবে]। আর এটি নিশ্চয় এক সম্মানিত গ্রন্থ।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের কাছে উপদেশ বাণী আসার পর তা প্রত্যাখ্যান করে (তারা আমার থেকে লুক্কায়িত নয়)। এটা হল অবশ্যই এক মহা শক্তিশালী গ্রন্থ।
Sahih International:
Indeed, those who disbelieve in the message after it has come to them... And indeed, it is a mighty Book.



لَّا یَاْتِیْهِ الْبَاطِلُ مِنْۢ بَیْنِ یَدَیْهِ وَ لَا مِنْ خَلْفِهٖ ؕ تَنْزِیْلٌ مِّنْ حَکِیْمٍ حَمِیْدٍ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়া’তীহিল বা-তিলুমিম বাইনি ইয়াদাইহি ওয়ালা-মিন খালফীহি তানযীলুম মিন হাকীমিন হামীদ।
আল বায়ান:
বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না, না সামনে থেকে, না পিছন থেকে। এটি প্রজ্ঞাময়, সপ্রশংসিতের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
মিথ্যা এর কাছে না এর সামনে দিয়ে আসতে পারে, না এর পিছন দিয়ে। এটা অবতীর্ণ হয়েছে মহাজ্ঞানী, সকল প্রশংসার যোগ্য (আল্লাহ)’র পক্ষ হতে।
Sahih International:
Falsehood cannot approach it from before it or from behind it; [it is] a revelation from a [Lord who is] Wise and Praiseworthy.



مَا یُقَالُ لَکَ اِلَّا مَا قَدْ قِیْلَ لِلرُّسُلِ مِنْ قَبْلِکَ ؕ اِنَّ رَبَّکَ لَذُوْ مَغْفِرَۃٍ وَّ ذُوْ عِقَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
মা-ইউকা-লুলাকা ইল্লা-মা-কাদ কীলা লিররুছুলি মিন কাবলিকা ইন্না রাব্বাকা লাযূ মাগফীরাতিওঁ ওয়া যূ‘ইকা-বিন আলীম।
আল বায়ান:
তোমাকে যা বলা হচ্ছে, তোমার পূর্ববর্তী রাসূলদেরকেও তাই বলা হয়েছিল। নিশ্চয় তোমার রব একান্তই ক্ষমাশীল এবং যন্ত্রণাদায়ক আযাব দাতা।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাকে তা-ই বলা হচ্ছে যা বলা হত তোমার পূর্ববর্তী রসূলদেরকে। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই ক্ষমার অধিকারী, আর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিদাতা।
Sahih International:
Nothing is said to you, [O Muhammad], except what was already said to the messengers before you. Indeed, your Lord is a possessor of forgiveness and a possessor of painful penalty.



وَ لَوْ جَعَلْنٰهُ قُرْاٰنًا اَعْجَمِیًّا لَّقَالُوْا لَوْ لَا فُصِّلَتْ اٰیٰتُهٗ ؕ ءَؔاَعْجَمِیٌّ وَّ عَرَبِیٌّ ؕ قُلْ هُوَ لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا هُدًی وَّ شِفَآءٌ ؕ وَ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ فِیْۤ اٰذَانِهِمْ وَقْرٌ وَّ هُوَ عَلَیْهِمْ عَمًی ؕ اُولٰٓئِکَ یُنَادَوْنَ مِنْ مَّکَانٍۭ بَعِیْدٍ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও জা‘আলনা-হু কুরআ-নান আ‘জামিয়াল লাকা-লূলাওলা-ফুসসিলাত আ-য়া-তুহূ আ আ‘জামিইয়ুওঁ ওয়া ‘আরাবীইয়ুন কুল হুওয়া লিল্লাযীনা আ-মানূহুদাওঁ ওয়া শিফাউরঁ ওয়াল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা ফীআ-যা-নিহিম ওয়াকরুওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলাইহিম ‘আমা- উলাইকা ইউনা-দাওনা মিম মাকা-নিম বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
আর আমি যদি এটাকে অনারবী ভাষার কুরআন বানাতাম তবে তারা নিশ্চিতভাবেই বলত, ‘এর আয়াতসমূহ বিশদভাষায় বর্ণিত হয়নি কেন’? এটি অনারবী ভাষায় আর রাসূল আরবী ভাষী! বল, ‘এটি মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও প্রতিষেধক। আর যারা ঈমান আনে না তাদের কানে রয়েছে বধিরতা আর কুরআন তাদের জন্য হবে অন্ধত্ব। তাদেরকেই ডাকা হবে দূরবর্তী স্থান থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যদি একে অনারব ভাষায় (অবতীর্ণ) কুরআন করতাম তাহলে তারা অবশ্যই বলত- এর আয়াতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল না কেন? আশ্চর্য ব্যাপার! কিতাব হল অনারব দেশীয় আর শ্রোতারা হল আরবীভাষী। বল- যারা ঈমান আনে তাদের জন্য এ কুরআন সঠিক পথের দিশারী ও আরোগ্য (লাভের উপায়)। যারা ঈমান আনে না তাদের কানে আছে বধিরতা, আর এ কুরআন তাদের জন্য অন্ধত্ব। (যেন) বহু দূর থেকে তাদেরকে ডাকা হচ্ছে।
Sahih International:
And if We had made it a non-Arabic Qur'an, they would have said, "Why are its verses not explained in detail [in our language]? Is it a foreign [recitation] and an Arab [messenger]?" Say, "It is, for those who believe, a guidance and cure." And those who do not believe - in their ears is deafness, and it is upon them blindness. Those are being called from a distant place.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَی الْکِتٰبَ فَاخْتُلِفَ فِیْهِ ؕ وَ لَوْ لَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّکَ لَقُضِیَ بَیْنَهُمْ ؕ وَ اِنَّهُمْ لَفِیْ شَکٍّ مِّنْهُ مُرِیْبٍ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছাল কিতা-বা ফাখতুলিফা ফীহি ওয়া লাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মিররাব্বিকা লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাহুম লাফী শাক্কিম মিনহু মুরীব।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম। অতঃপর তাতে মতভেদ করা হয়। আর যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে একটি বাণী পূর্বেই না হত, তবে এদের মধ্যে ফয়সালা হয়ে যেত। আর এরা নিশ্চয় সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সংশয়েই লিপ্ত রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
(ইতোপূর্বে) মূসাকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম, কিন্তু তাতে মতভেদ করা হয়েছিল। তোমার প্রতিপালক যদি পূর্বেই একটি কথা ঘোষণা করে না দিতেন, তাহলে তাদের মধ্যে (মতভেদের ব্যাপারে) ফয়সালা করেই দিতেন। তারা এ ব্যাপারে এক অস্থিরতাপূর্ণ সন্দেহে লিপ্ত।
Sahih International:
And We had already given Moses the Scripture, but it came under disagreement. And if not for a word that preceded from your Lord, it would have been concluded between them. And indeed they are, concerning the Qur'an, in disquieting doubt.



مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهٖ وَ مَنْ اَسَآءَ فَعَلَیْهَا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِیْدِ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
মান ‘আমিলা সা-লিহান ফালিনাফছিহী ওয়ামান আছাআ ফা‘আলাইহা- ওয়ামারাব্বুকা বিজাল্লা-মিল লিল‘আবীদ।
আল বায়ান:
যে সৎকর্ম করে সে তার নিজের জন্যই তা করে। আর যে অসৎকর্ম করে তা তার উপরই বর্তাবে। তোমার রব তাঁর বান্দাদের প্রতি মোটেই যালিম নন।
তাইসিরুল কুরআন:
যে সৎকাজ করবে নিজের কল্যাণেই করবে. যে অসৎ কাজ করবে তার পরিণতি তাকেই ভোগ করতে হবে। তোমার প্রতিপালক বান্দাদের প্রতি যালিম নন।
Sahih International:
Whoever does righteousness - it is for his [own] soul; and whoever does evil [does so] against it. And your Lord is not ever unjust to [His] servants.



اِلَیْهِ یُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَۃِ ؕ وَ مَا تَخْرُجُ مِنْ ثَمَرٰتٍ مِّنْ اَکْمَامِهَا وَ مَا تَحْمِلُ مِنْ اُنْثٰی وَ لَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلْمِهٖ ؕ وَ یَوْمَ یُنَادِیْهِمْ اَیْنَ شُرَکَآءِیْ ۙ قَالُوْۤا اٰذَنّٰکَ ۙ مَا مِنَّا مِنْ شَهِیْدٍ ﴿ۚ۴۷﴾
উচ্চারণ:
ইলাইহি ইউরাদ্দু‘ইলমুছ ছা-‘আতি ওয়া মা-তাখরুজুমিন ছামারা-তিম মিন আকমামিহা-ওয়ামা-তাহমিলুমিন উনছা-ওয়ালা তাদা‘উ ইল্লা-বি‘ইলমিহী ওয়া ইয়াওমা ইউনা-দীহিম আইনা শুরাকাঈ কা-লূ আ-যান্না-কা মা-মিন্না-মিন শাহীদ।
আল বায়ান:
কিয়ামতের জ্ঞান তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়। তাঁর অজ্ঞাতসারে আবরণ হতে ফলসমূহ বের হয় না, কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং সন্তান প্রসবও করে না এবং সেদিন যখন তিনি তাদেরকে আহবান করে বলবেন, ‘আমার শরীকরা কোথায়?’ তারা বলবে, ‘আমরা আপনাকে জানাচ্ছি যে, এ ব্যাপারে আমাদের থেকে কোন সাক্ষী নেই।’
তাইসিরুল কুরআন:
ক্বিয়ামত কখন সংঘটিত হবে সে সম্পর্কিত জ্ঞান একমাত্র তাঁর কাছেই আছে। কোন ফলই তার আবরণ থেকে বেরিয়ে আসে না, এবং কোন নারী গর্ভধারণ করে না আর সন্তান প্রসব করে না তাঁর অজ্ঞাতে। যে দিন তিনি তাদেরকে ডেকে বলবেন- আমার শরীকরা কোথায় (তোমরা যেগুলো বানিয়ে নিয়েছিলে)? তারা বলবে- আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, (আজ) আমাদের কেউ (আপনার শরীক থাকার ব্যাপারে) সাক্ষ্য দাতা হবে না।
Sahih International:
To him [alone] is attributed knowledge of the Hour. And fruits emerge not from their coverings nor does a female conceive or give birth except with His knowledge. And the Day He will call to them, "Where are My 'partners'?" they will say, "We announce to You that there is [no longer] among us any witness [to that]."



وَ ضَلَّ عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَدْعُوْنَ مِنْ قَبْلُ وَ ظَنُّوْا مَا لَهُمْ مِّنْ مَّحِیْصٍ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দাল্লা ‘আনহুম মা-কা-নূইয়াদ‘ঊনা মিন কাবলুওয়া জান্নূমা-লাহুম মিম মাহীছ।
আল বায়ান:
আর পূর্বে যাদেরকে তারা ডাকত তারা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে যাবে এবং তারা বিশ্বাস করবে, তাদের পলায়নের কোন জায়গা নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
পূর্বে তারা যাদেরকে ডাকত তারা তাদের থেকে উধাও হয়ে যাবে, আর তারা বুঝতে পারবে যে, তাদের পালানোর কোন জায়গা নেই।
Sahih International:
And lost from them will be those they were invoking before, and they will be certain that they have no place of escape.



لَا یَسْـَٔمُ الْاِنْسَانُ مِنْ دُعَآءِ الْخَیْرِ ۫ وَ اِنْ مَّسَّهُ الشَّرُّ فَیَـُٔوْسٌ قَنُوْطٌ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াছআমুল ইনছা-নুমিন দু‘আইল খাইরি ওয়াইম মাছছাহুশ শাররু ফাইয়াঊছুন কানূত।
আল বায়ান:
কল্যাণ প্রার্থনায় মানুষ বিরক্ত হয় না; আর যদি অকল্যাণ তাকে স্পর্শ করে তাহলে সে নিরাশ ও হতাশ হয়ে পড়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ নিজের কল্যাণ কামনায় দু‘আ প্রার্থনা করতে ক্লান্ত হয় না, আর মন্দ যখন তাকে স্পর্শ করে, তখন সে নৈরাশ্যে ডুবে যায়।
Sahih International:
Man is not weary of supplication for good [things], but if evil touches him, he is hopeless and despairing.



وَ لَئِنْ اَذَقْنٰهُ رَحْمَۃً مِّنَّا مِنْۢ بَعْدِ ضَرَّآءَ مَسَّتْهُ لَیَقُوْلَنَّ هٰذَا لِیْ ۙ وَ مَاۤ اَظُنُّ السَّاعَۃَ قَآئِمَۃً ۙ وَّ لَئِنْ رُّجِعْتُ اِلٰی رَبِّیْۤ اِنَّ لِیْ عِنْدَهٗ لَلْحُسْنٰی ۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِمَا عَمِلُوْا ۫ وَ لَنُذِیْقَنَّهُمْ مِّنْ عَذَابٍ غَلِیْظٍ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাইন আযাকনা-হু রাহমাতাম মিন্না-মিম বা‘দি দাররাআ মাছছাতহু লাইয়াকূলান্না হা-যা-লী ওয়ামাআজুন্নুছ ছা‘আতা কাইমাতাওঁ ওয়ালাইর রুজি‘তুইলারাববীইন্না লী ‘ইনদাহূলালহুছনা- ফালানুনাব্বিআন্নাল্লাযীনা কাফারূবিমা-‘আমিলূ ওয়া লানুযীকান্নাহুম মিন ‘আযা-বিন গালীজ।
আল বায়ান:
আবার আমি যদি তাকে আপতিত অকল্যাণের পর রহমতের স্বাদ আস্বাদন করাই তখন সে অবশ্যই বলে থাকে, ‘এটি আমার প্রাপ্য, আমার মনে হয় না কিয়ামত হবে, আমাকে যদি আমার রবের কাছে ফিরিয়েও নেয়া হয় তবুও তার কাছে আমার জন্য কল্যাণই থাকবে।’ (আল্লাহ বলেন) ‘আমি অবশ্যই কাফিরদেরকে তাদের আমল সম্পর্কে অবহিত করব এবং অবশ্যই তাদেরকে কঠিন আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাব।
তাইসিরুল কুরআন:
দুঃখ-বিপদ মানুষকে স্পর্শ করার পর আমি যখন তাকে আমার অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে অবশ্য অবশ্যই বলে- এটা আমার ন্যায্য পাওনা। ক্বিয়ামত যে সংঘটিত হবে আমি মোটেই তা মনে করি না। আর যদি আমাকে আমার প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হয়ই, তবে তাঁর কাছে আমার জন্য অবশ্যই কল্যাণ আছে। অতঃপর আমি কাফিরদেরকে অবশ্য অবশ্যই জানিয়ে দেব তারা (দুনিয়াতে) কী কাজ করেছিল। আর অবশ্য অবশ্যই তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাব।
Sahih International:
And if We let him taste mercy from Us after an adversity which has touched him, he will surely say, "This is [due] to me, and I do not think the Hour will occur; and [even] if I should be returned to my Lord, indeed, for me there will be with Him the best." But We will surely inform those who disbelieved about what they did, and We will surely make them taste a massive punishment.



وَ اِذَاۤ اَنْعَمْنَا عَلَی الْاِنْسَانِ اَعْرَضَ وَ نَاٰ بِجَانِبِهٖ ۚ وَ اِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُوْ دُعَآءٍ عَرِیْضٍ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা আন‘আমনা-‘আলাল ইনছা-নি আ‘রাদা ওয়া নাআ-বিজা-নিবিহী ওয়া ইযা-মাছছাহুশ শাররু ফাযূদুআইন ‘আরীদ।
আল বায়ান:
আর যখন আমি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি তখন সে বিমুখ হয় এবং দূরে সরে যায়; আর যখন অকল্যাণ তাকে স্পর্শ করে তখন সে দীর্ঘ দোআকারী হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যখন মানুষকে নি‘মাত দেই তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আর পাশ কেটে (আমার থেকে দূরে) সরে যায়। আর যখন মন্দ তাকে স্পর্শ করে, তখন সে লম্বা-চওড়া দু‘আ করতে থাকে।
Sahih International:
And when We bestow favor upon man, he turns away and distances himself; but when evil touches him, then he is full of extensive supplication.



قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ کَانَ مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ ثُمَّ کَفَرْتُمْ بِهٖ مَنْ اَضَلُّ مِمَّنْ هُوَ فِیْ شِقَاقٍۭ بَعِیْدٍ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতুম ইন কা-না মিন ‘ইনদিল্লা-হি ছু ম্মা কাফারতুম বিহী মান আদাল্লুমিম্মান হুওয়া ফী শিকা-কিম বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা কি লক্ষ্য করেছ, তা যদি (কুরআন) আল্লাহর কাছ থেকে এসে থাকে আর তোমরা তা অস্বীকার কর, তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরোধিতায় লিপ্ত তার চেয়ে অধিক ভ্রষ্ট আর কে’?
তাইসিরুল কুরআন:
বল- তোমরা কি ভেবে দেখেছ এ (কুরআন) যদি আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসে থাকে, আর তোমরা সেটাকে অস্বীকার করতেই থাক, তাহলে সে ব্যক্তি ছাড়া অধিক পথভ্রষ্ট আর কে আছে, যে বিরোধিতায় বহু দূরে চলে গেছে?
Sahih International:
Say, "Have you considered: if the Qur'an is from Allah and you disbelieved in it, who would be more astray than one who is in extreme dissension?"



سَنُرِیْهِمْ اٰیٰتِنَا فِی الْاٰفَاقِ وَ فِیْۤ اَنْفُسِهِمْ حَتّٰی یَتَبَیَّنَ لَهُمْ اَنَّهُ الْحَقُّ ؕ اَوَ لَمْ یَکْفِ بِرَبِّکَ اَنَّهٗ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ شَهِیْدٌ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ছানুরীহিম আ-য়া-তিনা-ফিল আ-ফা-কিওয়া ফীআনফুছিহিম হাত্তা-ইয়াতাবাইইয়ানা লাহুম আন্নাহুল হাক্কু আওয়ালাম ইয়াকফি বিরাব্বিকা আন্নাহূ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন শাহীদ।
আল বায়ান:
বিশ্বজগতে ও তাদের নিজদের মধ্যে আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয় যে, এটি (কুরআন) সত্য; তোমার রবের জন্য এটাই যথেষ্ট নয় কি যে, তিনি সকল বিষয়ে সাক্ষী?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব দূর দিগন্তে (অর্থাৎ দূর পর্যন্ত ইসলামের আলো বিচ্ছুরিত হবে) আর তাদের নিজেদের মধ্যেও (অর্থাৎ কাফিররা নতজানু হয়ে ইসলাম কবূল করবে) যখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এ কুরআন সত্য। এটা কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার প্রতিপালক সব কিছুরই সাক্ষী।
Sahih International:
We will show them Our signs in the horizons and within themselves until it becomes clear to them that it is the truth. But is it not sufficient concerning your Lord that He is, over all things, a Witness?



اَلَاۤ اِنَّهُمْ فِیْ مِرْیَۃٍ مِّنْ لِّقَآءِ رَبِّهِمْ ؕ اَلَاۤ اِنَّهٗ بِکُلِّ شَیْءٍ مُّحِیْطٌ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
আলাইন্নাহুম ফী মিরইয়াতিম মিলিলকাই, রাব্বিহিম আলাইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িম মুহীত।
আল বায়ান:
জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা তাদের রবের সাক্ষাতের বিষয়ে সন্দেহে রয়েছে; জেনে রাখ, নিশ্চয় তিনি সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
শুনে রাখ, এরা তাদের প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে সন্দেহে পড়ে আছে। শুনে রাখ, তিনি সব কিছুকেই বেষ্টন করে আছেন।
Sahih International:
Unquestionably, they are in doubt about the meeting with their Lord. Unquestionably He is, of all things, encompassing.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।