দেখুন/লুকান:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
تَنْزِیْلُ الْکِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الْعَزِیْزِ الْحَکِیْمِ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আযীযিল হাকীম।
তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আযীযিল হাকীম।
আল বায়ান:
এই কিতাব অবতীর্ণ আল্লাহর পক্ষ থেকে যিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
এই কিতাব অবতীর্ণ আল্লাহর পক্ষ থেকে যিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কিতাব নাযিল হয়েছে মহাপরাক্রমশালী মহাবিজ্ঞানী আল্লাহর নিকট হতে।
এ কিতাব নাযিল হয়েছে মহাপরাক্রমশালী মহাবিজ্ঞানী আল্লাহর নিকট হতে।
Sahih International:
The revelation of the Qur'an is from Allah, the Exalted in Might, the Wise.
The revelation of the Qur'an is from Allah, the Exalted in Might, the Wise.
اِنَّاۤ اَنْزَلْنَاۤ اِلَیْکَ الْکِتٰبَ بِالْحَقِّ فَاعْبُدِ اللّٰهَ مُخْلِصًا لَّهُ الدِّیْنَ ؕ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআনযালনাইলাইকাল কিতা-বা বিলহাক্কিফা‘বুদিল্লা-হা মুখলিসাল্লাহুদ্দীন।
ইন্নাআনযালনাইলাইকাল কিতা-বা বিলহাক্কিফা‘বুদিল্লা-হা মুখলিসাল্লাহুদ্দীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তোমার কাছে যথাযথভাবে এই কিতাব নাযিল করেছি; অতএব আল্লাহর ‘ইবাদাত কর তাঁরই আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।
নিশ্চয় আমি তোমার কাছে যথাযথভাবে এই কিতাব নাযিল করেছি; অতএব আল্লাহর ‘ইবাদাত কর তাঁরই আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছি সত্যতা সহকারে, (এতে নেই কোন প্রকার মিথ্যে) কাজেই আল্লাহর ‘ইবাদাত কর দ্বীনকে (অর্থাৎ আনুগত্য, হুকুম পালন, দাসত্ব ও গোলামীকে) একমাত্র তাঁরই জন্য নির্দিষ্ট করে।
আমি তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছি সত্যতা সহকারে, (এতে নেই কোন প্রকার মিথ্যে) কাজেই আল্লাহর ‘ইবাদাত কর দ্বীনকে (অর্থাৎ আনুগত্য, হুকুম পালন, দাসত্ব ও গোলামীকে) একমাত্র তাঁরই জন্য নির্দিষ্ট করে।
Sahih International:
Indeed, We have sent down to you the Book, [O Muhammad], in truth. So worship Allah, [being] sincere to Him in religion.
Indeed, We have sent down to you the Book, [O Muhammad], in truth. So worship Allah, [being] sincere to Him in religion.
اَلَا لِلّٰهِ الدِّیْنُ الْخَالِصُ ؕ وَ الَّذِیْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِیَآءَ ۘ مَا نَعْبُدُهُمْ اِلَّا لِیُقَرِّبُوْنَاۤ اِلَی اللّٰهِ زُلْفٰی ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَحْکُمُ بَیْنَهُمْ فِیْ مَا هُمْ فِیْهِ یَخْتَلِفُوْنَ ۬ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ مَنْ هُوَ کٰذِبٌ کَفَّارٌ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
আলা-লিল্লা-হিদ্দীনুল খা-লিসু ওয়াল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআ । মানা‘বুদুহুম ইল্লা-লিইউকাররিবূনাইলাল্লা-হি যুলফা- ইন্নাল্লাহা ইয়াহকুমুবাইনাহুম ফী মা-হুম ফীহি ইয়াখতালিফূন ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী মান হুওয়া কা-যিবুন কাফ ফা-র।
আলা-লিল্লা-হিদ্দীনুল খা-লিসু ওয়াল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআ । মানা‘বুদুহুম ইল্লা-লিইউকাররিবূনাইলাল্লা-হি যুলফা- ইন্নাল্লাহা ইয়াহকুমুবাইনাহুম ফী মা-হুম ফীহি ইয়াখতালিফূন ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী মান হুওয়া কা-যিবুন কাফ ফা-র।
আল বায়ান:
জেনে রেখ, আল্লাহর জন্যই বিশুদ্ধ ইবাদাত-আনুগত্য। আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা কেবল এজন্যই তাদের ‘ইবাদাত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।’ যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয় সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী কাফির, নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না।
জেনে রেখ, আল্লাহর জন্যই বিশুদ্ধ ইবাদাত-আনুগত্য। আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা কেবল এজন্যই তাদের ‘ইবাদাত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।’ যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয় সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী কাফির, নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
জেনে রেখ, খালেস দ্বীন কেবল আল্লাহরই জন্য। যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে তারা বলে- আমরা তাদের ‘ইবাদাত একমাত্র এ উদ্দেশেই করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দেবে। (সত্য পথ থেকে সরে গিয়ে মিথ্যে পথ ও মতের জন্ম দিয়ে) তারা যে মতভেদ করছে, আল্লাহ তার চূড়ান্ত ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যেবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান না।
জেনে রেখ, খালেস দ্বীন কেবল আল্লাহরই জন্য। যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে তারা বলে- আমরা তাদের ‘ইবাদাত একমাত্র এ উদ্দেশেই করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দেবে। (সত্য পথ থেকে সরে গিয়ে মিথ্যে পথ ও মতের জন্ম দিয়ে) তারা যে মতভেদ করছে, আল্লাহ তার চূড়ান্ত ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যেবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান না।
Sahih International:
Unquestionably, for Allah is the pure religion. And those who take protectors besides Him [say], "We only worship them that they may bring us nearer to Allah in position." Indeed, Allah will judge between them concerning that over which they differ. Indeed, Allah does not guide he who is a liar and [confirmed] disbeliever.
Unquestionably, for Allah is the pure religion. And those who take protectors besides Him [say], "We only worship them that they may bring us nearer to Allah in position." Indeed, Allah will judge between them concerning that over which they differ. Indeed, Allah does not guide he who is a liar and [confirmed] disbeliever.
لَوْ اَرَادَ اللّٰهُ اَنْ یَّتَّخِذَ وَلَدًا لَّاصْطَفٰی مِمَّا یَخْلُقُ مَا یَشَآءُ ۙ سُبْحٰنَهٗ ؕ هُوَ اللّٰهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
লাও আরাদাল্লা-হু আইঁ ইয়াত্তাখিযা ওয়ালাদাল্লাসতাফা-মিম্মা-ইয়াখলুকূমা ইয়াশাউ ছুবহা-নাহূ হুওয়াল্লা-হুল ওয়া-হিদুল কাহহা-র।
লাও আরাদাল্লা-হু আইঁ ইয়াত্তাখিযা ওয়ালাদাল্লাসতাফা-মিম্মা-ইয়াখলুকূমা ইয়াশাউ ছুবহা-নাহূ হুওয়াল্লা-হুল ওয়া-হিদুল কাহহা-র।
আল বায়ান:
আল্লাহ যদি সন্তান গ্রহণ করতে চাইতেন, তাহলে তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তা থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতেন; কিন্তু তিনি পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, তিনি এক, প্রবল পরাক্রান্ত।
আল্লাহ যদি সন্তান গ্রহণ করতে চাইতেন, তাহলে তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তা থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতেন; কিন্তু তিনি পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, তিনি এক, প্রবল পরাক্রান্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করার ইচ্ছে করলে তিনি তার সৃষ্টিকুল থেকে নিজ পছন্দ মত বেছে নিতেন। এসব থেকে তিনি পবিত্র। অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার অধিকারী তিনি এক ও একক আল্লাহ।
আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করার ইচ্ছে করলে তিনি তার সৃষ্টিকুল থেকে নিজ পছন্দ মত বেছে নিতেন। এসব থেকে তিনি পবিত্র। অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার অধিকারী তিনি এক ও একক আল্লাহ।
Sahih International:
If Allah had intended to take a son, He could have chosen from what He creates whatever He willed. Exalted is He; He is Allah, the One, the Prevailing.
If Allah had intended to take a son, He could have chosen from what He creates whatever He willed. Exalted is He; He is Allah, the One, the Prevailing.
خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ بِالْحَقِّ ۚ یُکَوِّرُ الَّیْلَ عَلَی النَّهَارِ وَ یُکَوِّرُ النَّهَارَ عَلَی الَّیْلِ وَ سَخَّرَ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ ؕ کُلٌّ یَّجْرِیْ لِاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اَلَا هُوَ الْعَزِیْزُ الْغَفَّارُ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিল হাক্কি ইউকাওবিরুল্লাইলা ‘আলান্নাহা-রি ওয়া ইউকাওবিরুন্নাহা-রা ‘আলাল্লাইলি ওয়া ছাখ খারাশশামছা ওয়াল কামারা কুল্লুইঁ ইয়াজরী লিআজালিম মুছাম্মান আলা-হুওয়াল ‘আযীযুল গাফফা-র।
খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিল হাক্কি ইউকাওবিরুল্লাইলা ‘আলান্নাহা-রি ওয়া ইউকাওবিরুন্নাহা-রা ‘আলাল্লাইলি ওয়া ছাখ খারাশশামছা ওয়াল কামারা কুল্লুইঁ ইয়াজরী লিআজালিম মুছাম্মান আলা-হুওয়াল ‘আযীযুল গাফফা-র।
আল বায়ান:
তিনি যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাতকে দিনের উপর এবং দিনকে রাতের উপর জড়িয়ে দিয়েছেন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন সূর্য ও চাঁদকে। প্রত্যেকে এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলছে। জেনে রাখ, তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।
তিনি যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাতকে দিনের উপর এবং দিনকে রাতের উপর জড়িয়ে দিয়েছেন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন সূর্য ও চাঁদকে। প্রত্যেকে এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলছে। জেনে রাখ, তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। রাত দিনকে ঢেকে নেয়, আর দিন ঢেকে নেয় রাতকে। তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন সুরুজ আর চাঁদকে, প্রত্যেকেই চলছে নির্দিষ্ট সময় অনুসারে। জেনে রেখ, তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল (মহাশক্তিধর হওয়া সত্ত্বেও বার বার ক্ষমা করেন)।
তিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। রাত দিনকে ঢেকে নেয়, আর দিন ঢেকে নেয় রাতকে। তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন সুরুজ আর চাঁদকে, প্রত্যেকেই চলছে নির্দিষ্ট সময় অনুসারে। জেনে রেখ, তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল (মহাশক্তিধর হওয়া সত্ত্বেও বার বার ক্ষমা করেন)।
Sahih International:
He created the heavens and earth in truth. He wraps the night over the day and wraps the day over the night and has subjected the sun and the moon, each running [its course] for a specified term. Unquestionably, He is the Exalted in Might, the Perpetual Forgiver.
He created the heavens and earth in truth. He wraps the night over the day and wraps the day over the night and has subjected the sun and the moon, each running [its course] for a specified term. Unquestionably, He is the Exalted in Might, the Perpetual Forgiver.
خَلَقَکُمْ مِّنْ نَّفْسٍ وَّاحِدَۃٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَ اَنْزَلَ لَکُمْ مِّنَ الْاَنْعَامِ ثَمٰنِیَۃَ اَزْوَاجٍ ؕ یَخْلُقُکُمْ فِیْ بُطُوْنِ اُمَّهٰتِکُمْ خَلْقًا مِّنْۢ بَعْدِ خَلْقٍ فِیْ ظُلُمٰتٍ ثَلٰثٍ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمْ لَهُ الْمُلْکُ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ فَاَنّٰی تُصْرَفُوْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
খালাকাকুম মিন নাফছিওঁ ওয়া-হিদাতিন ছুম্মা জা‘আলা মিনহা-যাওজাহা-ওয়া আনযালা লাকুম মিনাল আন‘আ-মি ছামা-নিয়াতা আযওয়া-জিন ইয়াখলুকুকুম ফী বুতূনি উম্মাহা-তিকুম খাল কাম মিম বা‘দি খালকিন ফী জুলুমা-তিন ছালা-ছিন যালিকুমুল্লা-হু রাব্বুকুম লাহুল মুলকু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাআন্না-তুসরাফূন।
খালাকাকুম মিন নাফছিওঁ ওয়া-হিদাতিন ছুম্মা জা‘আলা মিনহা-যাওজাহা-ওয়া আনযালা লাকুম মিনাল আন‘আ-মি ছামা-নিয়াতা আযওয়া-জিন ইয়াখলুকুকুম ফী বুতূনি উম্মাহা-তিকুম খাল কাম মিম বা‘দি খালকিন ফী জুলুমা-তিন ছালা-ছিন যালিকুমুল্লা-হু রাব্বুকুম লাহুল মুলকু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাআন্না-তুসরাফূন।
আল বায়ান:
তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নাফ্স থেকে, তারপর তা থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তু থেকে তোমাদের জন্য দিয়েছেন আট জোড়া*; তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন তোমাদের মাতৃগর্ভে; এক সৃষ্টির পর আরেক সৃষ্টি, ত্রিবিধ অন্ধকারে; তিনিই আল্লাহ; তোমাদের রব; রাজত্ব তাঁরই; তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তারপরও তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?
তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নাফ্স থেকে, তারপর তা থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তু থেকে তোমাদের জন্য দিয়েছেন আট জোড়া*; তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন তোমাদের মাতৃগর্ভে; এক সৃষ্টির পর আরেক সৃষ্টি, ত্রিবিধ অন্ধকারে; তিনিই আল্লাহ; তোমাদের রব; রাজত্ব তাঁরই; তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তারপরও তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তার থেকে তিনি তার জুড়ি সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাদের জন্য বানিয়েছেন আট গৃহপালিত পশু (চার) জোড়ায় জোড়ায়। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মায়েদের গর্ভে, এক এক পর্যায়ে এক এক আকৃতি দিয়ে, তিন তিনটি অন্ধকার আবরণের মধ্যে। এই হল তোমাদের প্রতিপালক, সর্বময় কর্তৃত্ব তাঁরই, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই (ভুয়ো ক্ষমতার অধিকারী, দাম্ভিক ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক) তোমাদেরকে কোন্ দিকে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?
তিনি তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তার থেকে তিনি তার জুড়ি সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাদের জন্য বানিয়েছেন আট গৃহপালিত পশু (চার) জোড়ায় জোড়ায়। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মায়েদের গর্ভে, এক এক পর্যায়ে এক এক আকৃতি দিয়ে, তিন তিনটি অন্ধকার আবরণের মধ্যে। এই হল তোমাদের প্রতিপালক, সর্বময় কর্তৃত্ব তাঁরই, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই (ভুয়ো ক্ষমতার অধিকারী, দাম্ভিক ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক) তোমাদেরকে কোন্ দিকে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?
Sahih International:
He created you from one soul. Then He made from it its mate, and He produced for you from the grazing livestock eight mates. He creates you in the wombs of your mothers, creation after creation, within three darknesses. That is Allah, your Lord; to Him belongs dominion. There is no deity except Him, so how are you averted?
He created you from one soul. Then He made from it its mate, and He produced for you from the grazing livestock eight mates. He creates you in the wombs of your mothers, creation after creation, within three darknesses. That is Allah, your Lord; to Him belongs dominion. There is no deity except Him, so how are you averted?
اِنْ تَکْفُرُوْا فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِیٌّ عَنْکُمْ ۟ وَ لَا یَرْضٰی لِعِبَادِهِ الْکُفْرَ ۚ وَ اِنْ تَشْکُرُوْا یَرْضَهُ لَکُمْ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزْرَ اُخْرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمْ مَّرْجِعُکُمْ فَیُنَبِّئُکُمْ بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ؕ اِنَّهٗ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইন তাকফুরূফাইন্নাল্লা-হা গানিইয়ুন‘আনকুম ওয়ালা-ইয়ারদা-লি‘ইবা-দিহিল কুফরা, ওয়া ইনতাশকুরূইয়ারদাহু লাকুম ওয়ালা-তাযিরু ওয়া-যিরাতুওঁবিযরা উখরা- ছু ম্মা ইলা-রাব্বিকুম মার জি‘উকুম ফাইউনাব্বিউকুম বিমা-কনতুম তা‘মালূনা ইন্নাহূ ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।
ইন তাকফুরূফাইন্নাল্লা-হা গানিইয়ুন‘আনকুম ওয়ালা-ইয়ারদা-লি‘ইবা-দিহিল কুফরা, ওয়া ইনতাশকুরূইয়ারদাহু লাকুম ওয়ালা-তাযিরু ওয়া-যিরাতুওঁবিযরা উখরা- ছু ম্মা ইলা-রাব্বিকুম মার জি‘উকুম ফাইউনাব্বিউকুম বিমা-কনতুম তা‘মালূনা ইন্নাহূ ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।
আল বায়ান:
তোমরা যদি কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী; আর তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না এবং তোমরা যদি শোকর কর তবে তোমাদের জন্য তিনি তা পছন্দ করেন; আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করে না। তারপর তোমাদের রবের দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। তখন তোমরা যে আমল করতে তিনি তা তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তা তিনি সম্যক অবগত।
তোমরা যদি কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী; আর তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না এবং তোমরা যদি শোকর কর তবে তোমাদের জন্য তিনি তা পছন্দ করেন; আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করে না। তারপর তোমাদের রবের দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। তখন তোমরা যে আমল করতে তিনি তা তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তা তিনি সম্যক অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যদি কুফুরী কর তবে (জেনে রেখ), আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। তিনি তাঁর বান্দাহদের জন্য কুফুরী আচরণ পছন্দ করেন না, তোমরা যদি কৃতজ্ঞ হও, তবে তোমাদের জন্য তা তিনি পছন্দ করেন। একের (পাপের) বোঝা অন্যে বহন করবে না। শেষমেষ তোমাদেরকে তোমাদের পালনকর্তার কাছেই ফিরে যেতে হবে, তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন তোমরা যা করছিলে। তিনি তো অন্তরের খবর পর্যন্ত জানেন।
তোমরা যদি কুফুরী কর তবে (জেনে রেখ), আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। তিনি তাঁর বান্দাহদের জন্য কুফুরী আচরণ পছন্দ করেন না, তোমরা যদি কৃতজ্ঞ হও, তবে তোমাদের জন্য তা তিনি পছন্দ করেন। একের (পাপের) বোঝা অন্যে বহন করবে না। শেষমেষ তোমাদেরকে তোমাদের পালনকর্তার কাছেই ফিরে যেতে হবে, তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন তোমরা যা করছিলে। তিনি তো অন্তরের খবর পর্যন্ত জানেন।
Sahih International:
If you disbelieve - indeed, Allah is Free from need of you. And He does not approve for His servants disbelief. And if you are grateful, He approves it for you; and no bearer of burdens will bear the burden of another. Then to your Lord is your return, and He will inform you about what you used to do. Indeed, He is Knowing of that within the breasts.
If you disbelieve - indeed, Allah is Free from need of you. And He does not approve for His servants disbelief. And if you are grateful, He approves it for you; and no bearer of burdens will bear the burden of another. Then to your Lord is your return, and He will inform you about what you used to do. Indeed, He is Knowing of that within the breasts.
وَ اِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ ضُرٌّ دَعَا رَبَّهٗ مُنِیْبًا اِلَیْهِ ثُمَّ اِذَا خَوَّلَهٗ نِعْمَۃً مِّنْهُ نَسِیَ مَا کَانَ یَدْعُوْۤا اِلَیْهِ مِنْ قَبْلُ وَ جَعَلَ لِلّٰهِ اَنْدَادًا لِّیُضِلَّ عَنْ سَبِیْلِهٖ ؕ قُلْ تَمَتَّعْ بِکُفْرِکَ قَلِیْلًا ٭ۖ اِنَّکَ مِنْ اَصْحٰبِ النَّارِ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-মাছছালইনছা-না দুররুন দা‘আ-রাব্বাহূ মুনীবানইলাইহি ছুম্মা ইযাখাওওয়ালাহূনি‘মাতাম্মিনহু নাছিয়া মা-কা-না ইয়াদ‘ঊইলাইহি মিন কাবলুওয়া জা‘আলা লিল্লা-হি আনদাদালিলইউদিল্লা ‘আন ছাবীলিহী কুল তামাত্তা‘ বিকুফরিকা কালীলান ইন্নাকা মিন আসহা-বিন্না-র।
ওয়া ইযা-মাছছালইনছা-না দুররুন দা‘আ-রাব্বাহূ মুনীবানইলাইহি ছুম্মা ইযাখাওওয়ালাহূনি‘মাতাম্মিনহু নাছিয়া মা-কা-না ইয়াদ‘ঊইলাইহি মিন কাবলুওয়া জা‘আলা লিল্লা-হি আনদাদালিলইউদিল্লা ‘আন ছাবীলিহী কুল তামাত্তা‘ বিকুফরিকা কালীলান ইন্নাকা মিন আসহা-বিন্না-র।
আল বায়ান:
আর যখন মানুষকে স্পর্শ করে দুঃখ-দুর্দশা, তখন সে একাগ্রচিত্তে তার রবকে ডাকে, তারপর তিনি যখন তাকে নিজের পক্ষ থেকে নিআমত দান করেন তখন সে ভুলে যায় ইতঃপূর্বে কি কারণে তাঁর কাছে দোয়া করেছিল, আর আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করে, তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য। বল, ‘তোমার কুফরী উপভোগ কর ক্ষণকাল; নিশ্চয় তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত।’
আর যখন মানুষকে স্পর্শ করে দুঃখ-দুর্দশা, তখন সে একাগ্রচিত্তে তার রবকে ডাকে, তারপর তিনি যখন তাকে নিজের পক্ষ থেকে নিআমত দান করেন তখন সে ভুলে যায় ইতঃপূর্বে কি কারণে তাঁর কাছে দোয়া করেছিল, আর আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করে, তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য। বল, ‘তোমার কুফরী উপভোগ কর ক্ষণকাল; নিশ্চয় তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত।’
তাইসিরুল কুরআন:
দুঃখ-মুসিবত যখন মানুষকে স্পর্শ করে তখন সে তার প্রতিপালককে ডাকতে থাকে তাঁর প্রতি বড়ই একনিষ্ঠ হয়ে। অতঃপর তিনি যখন নিজ পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দিয়ে তাকে ধন্য করেন, তখন পূর্বে সে যেজন্য তাঁকে ডেকেছিল তা ভুলে যায় এবং অন্যদেরকে আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করায় তাঁর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার জন্য। বলে দাও, কুফুরীর জীবন কিছুকাল ভোগ করে নাও, (অতঃপর) তুমি তো হবে জাহান্নামের অধিবাসী। (এ ব্যক্তি ভাল, না ঐ ব্যক্তি)
দুঃখ-মুসিবত যখন মানুষকে স্পর্শ করে তখন সে তার প্রতিপালককে ডাকতে থাকে তাঁর প্রতি বড়ই একনিষ্ঠ হয়ে। অতঃপর তিনি যখন নিজ পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দিয়ে তাকে ধন্য করেন, তখন পূর্বে সে যেজন্য তাঁকে ডেকেছিল তা ভুলে যায় এবং অন্যদেরকে আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করায় তাঁর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার জন্য। বলে দাও, কুফুরীর জীবন কিছুকাল ভোগ করে নাও, (অতঃপর) তুমি তো হবে জাহান্নামের অধিবাসী। (এ ব্যক্তি ভাল, না ঐ ব্যক্তি)
Sahih International:
And when adversity touches man, he calls upon his Lord, turning to Him [alone]; then when He bestows on him a favor from Himself, he forgets Him whom he called upon before, and he attributes to Allah equals to mislead [people] from His way. Say, "Enjoy your disbelief for a little; indeed, you are of the companions of the Fire."
And when adversity touches man, he calls upon his Lord, turning to Him [alone]; then when He bestows on him a favor from Himself, he forgets Him whom he called upon before, and he attributes to Allah equals to mislead [people] from His way. Say, "Enjoy your disbelief for a little; indeed, you are of the companions of the Fire."
اَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ اٰنَآءَ الَّیْلِ سَاجِدًا وَّ قَآئِمًا یَّحْذَرُ الْاٰخِرَۃَ وَ یَرْجُوْا رَحْمَۃَ رَبِّهٖ ؕ قُلْ هَلْ یَسْتَوِی الَّذِیْنَ یَعْلَمُوْنَ وَ الَّذِیْنَ لَا یَعْلَمُوْنَ ؕ اِنَّمَا یَتَذَکَّرُ اُولُوا الْاَلْبَابِ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
আম্মান হুওয়া কা-নিতুন আ-নাআল্লাইলি ছা-জিদাওঁ ওয়া কাইমাইঁ ইয়াহযারুল আখিরাতা ওয়া ইয়ারজূরাহমাতা রাব্বিহী কুল হাল ইয়াছতাবিল্লাযীনা ইয়া‘লামূনা ওয়াল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূনা ইন্নামা-ইয়াতাযাক্কারূ উলুল আলবা-ব।
আম্মান হুওয়া কা-নিতুন আ-নাআল্লাইলি ছা-জিদাওঁ ওয়া কাইমাইঁ ইয়াহযারুল আখিরাতা ওয়া ইয়ারজূরাহমাতা রাব্বিহী কুল হাল ইয়াছতাবিল্লাযীনা ইয়া‘লামূনা ওয়াল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূনা ইন্নামা-ইয়াতাযাক্কারূ উলুল আলবা-ব।
আল বায়ান:
যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিদজাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রব-এর রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না) বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।
যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিদজাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রব-এর রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না) বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে রাত্রির বিভিন্ন প্রহরে সেজদা ও দন্ডায়মান অবস্থায় বিনয় ও শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে, আর তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে? বল- যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান? বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।
যে রাত্রির বিভিন্ন প্রহরে সেজদা ও দন্ডায়মান অবস্থায় বিনয় ও শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে, আর তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে? বল- যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান? বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।
Sahih International:
Is one who is devoutly obedient during periods of the night, prostrating and standing [in prayer], fearing the Hereafter and hoping for the mercy of his Lord, [like one who does not]? Say, "Are those who know equal to those who do not know?" Only they will remember [who are] people of understanding.
Is one who is devoutly obedient during periods of the night, prostrating and standing [in prayer], fearing the Hereafter and hoping for the mercy of his Lord, [like one who does not]? Say, "Are those who know equal to those who do not know?" Only they will remember [who are] people of understanding.
قُلْ یٰعِبَادِ الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوْا رَبَّکُمْ ؕ لِلَّذِیْنَ اَحْسَنُوْا فِیْ هٰذِهِ الدُّنْیَا حَسَنَۃٌ ؕ وَ اَرْضُ اللّٰهِ وَاسِعَۃٌ ؕ اِنَّمَا یُوَفَّی الصّٰبِرُوْنَ اَجْرَهُمْ بِغَیْرِ حِسَابٍ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
কুল ইয়া-‘ইবা-দিল্লাযীনা আ-মানুত্তাকূরাব্বাকুম লিল্লাযীনা আহছানূফী হাযিহিদ্দুনইয়া-হাছানাতুওঁ ওয়াআরদুল্লা-হি ওয়া-ছি‘আতুন ইন্নামাইউওয়াফফাসসা-বিরূনা আজরাহুম বিগাইরি হিছা-ব।
কুল ইয়া-‘ইবা-দিল্লাযীনা আ-মানুত্তাকূরাব্বাকুম লিল্লাযীনা আহছানূফী হাযিহিদ্দুনইয়া-হাছানাতুওঁ ওয়াআরদুল্লা-হি ওয়া-ছি‘আতুন ইন্নামাইউওয়াফফাসসা-বিরূনা আজরাহুম বিগাইরি হিছা-ব।
আল বায়ান:
বল, ‘হে আমার মুমিন বান্দারা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়ায় ভাল কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ। আর আল্লাহর যমীন প্রশস্ত, কেবল ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই।’
বল, ‘হে আমার মুমিন বান্দারা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়ায় ভাল কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ। আর আল্লাহর যমীন প্রশস্ত, কেবল ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল, হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। এ দুনিয়ায় যারা ভাল কাজ করবে, তাদের জন্য আছে কল্যাণ। আল্লাহর যমীন প্রশস্ত (এক এলাকায় ‘ইবাদাত-বন্দেগী করা কঠিন হলে অন্যত্র চলে যাও)। আমি ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অপরিমিতভাবে দিয়ে থাকি।
বল, হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। এ দুনিয়ায় যারা ভাল কাজ করবে, তাদের জন্য আছে কল্যাণ। আল্লাহর যমীন প্রশস্ত (এক এলাকায় ‘ইবাদাত-বন্দেগী করা কঠিন হলে অন্যত্র চলে যাও)। আমি ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অপরিমিতভাবে দিয়ে থাকি।
Sahih International:
Say, "O My servants who have believed, fear your Lord. For those who do good in this world is good, and the earth of Allah is spacious. Indeed, the patient will be given their reward without account."
Say, "O My servants who have believed, fear your Lord. For those who do good in this world is good, and the earth of Allah is spacious. Indeed, the patient will be given their reward without account."
قُلْ اِنِّیْۤ اُمِرْتُ اَنْ اَعْبُدَ اللّٰهَ مُخْلِصًا لَّهُ الدِّیْنَ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নীউমিরতুআন আ‘বুদাল্লা-হা মুখলিসাল্লাহুদ্দীন।
কুল ইন্নীউমিরতুআন আ‘বুদাল্লা-হা মুখলিসাল্লাহুদ্দীন।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমি যেন আল্লাহর ইবাদাত করি তাঁর-ই জন্য আনুগত্যকে একনিষ্ঠ করে’।
বল, ‘নিশ্চয় আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমি যেন আল্লাহর ইবাদাত করি তাঁর-ই জন্য আনুগত্যকে একনিষ্ঠ করে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে আল্লাহর ‘ইবাদাত করতে তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।
বল- আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে আল্লাহর ‘ইবাদাত করতে তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Indeed, I have been commanded to worship Allah, [being] sincere to Him in religion.
Say, [O Muhammad], "Indeed, I have been commanded to worship Allah, [being] sincere to Him in religion.
وَ اُمِرْتُ لِاَنْ اَکُوْنَ اَوَّلَ الْمُسْلِمِیْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উমিরতুলিআন আকূনা আওওয়ালাল মুছলিমীন।
ওয়া উমিরতুলিআন আকূনা আওওয়ালাল মুছলিমীন।
আল বায়ান:
‘আমাকে আরো নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন আমি প্রথম মুসলিম হই।’
‘আমাকে আরো নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন আমি প্রথম মুসলিম হই।’
তাইসিরুল কুরআন:
আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে আমি যেন সর্বাগ্রে মুসলিম হই।
আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে আমি যেন সর্বাগ্রে মুসলিম হই।
Sahih International:
And I have been commanded to be the first [among you] of the Muslims."
And I have been commanded to be the first [among you] of the Muslims."
قُلْ اِنِّیْۤ اَخَافُ اِنْ عَصَیْتُ رَبِّیْ عَذَابَ یَوْمٍ عَظِیْمٍ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নীআখা-ফুইন ‘আসাইতুরাববী ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
কুল ইন্নীআখা-ফুইন ‘আসাইতুরাববী ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি যদি আমার রবের অবাধ্য হই তবে আমি এক মহাদিবসের আযাবের আশঙ্কা করি।’
বল, ‘আমি যদি আমার রবের অবাধ্য হই তবে আমি এক মহাদিবসের আযাবের আশঙ্কা করি।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হই, তবে আমি ভয়ঙ্কর দিনের শাস্তির ভয় করি।
বল- আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হই, তবে আমি ভয়ঙ্কর দিনের শাস্তির ভয় করি।
Sahih International:
Say, "Indeed I fear, if I should disobey my Lord, the punishment of a tremendous Day."
Say, "Indeed I fear, if I should disobey my Lord, the punishment of a tremendous Day."
قُلِ اللّٰهَ اَعْبُدُ مُخْلِصًا لَّهٗ دِیْنِیْ ﴿ۙ۱۴﴾
উচ্চারণ:
কুল্লিলা-হা আ‘বুদুমুখলিসাল্লাহূদীনী।
কুল্লিলা-হা আ‘বুদুমুখলিসাল্লাহূদীনী।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি আল্লাহর-ই ইবাদাত করি, তাঁরই জন্য আমার আনুগত্য একনিষ্ঠ করে।’
বল, ‘আমি আল্লাহর-ই ইবাদাত করি, তাঁরই জন্য আমার আনুগত্য একনিষ্ঠ করে।’
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আমি ‘ইবাদাত করি আল্লাহর বিশুদ্ধভাবে তাঁর প্রতি আমার আনুগত্যের মাধ্যমে।
বল- আমি ‘ইবাদাত করি আল্লাহর বিশুদ্ধভাবে তাঁর প্রতি আমার আনুগত্যের মাধ্যমে।
Sahih International:
Say, "Allah [alone] do I worship, sincere to Him in my religion,
Say, "Allah [alone] do I worship, sincere to Him in my religion,
فَاعْبُدُوْا مَا شِئْتُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ ؕ قُلْ اِنَّ الْخٰسِرِیْنَ الَّذِیْنَ خَسِرُوْۤا اَنْفُسَهُمْ وَ اَهْلِیْهِمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ ؕ اَلَا ذٰلِکَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِیْنُ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফা‘বুদূমা-শি’তুম মিন দূ নিহী কুল ইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘আলা-যা-লিকা হুওয়াল খুছরা-নুল মুবীন।
ফা‘বুদূমা-শি’তুম মিন দূ নিহী কুল ইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘আলা-যা-লিকা হুওয়াল খুছরা-নুল মুবীন।
আল বায়ান:
‘অতএব তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য যা কিছুর ইচ্ছা তোমরা ‘ইবাদাত কর’। বল, ‘নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত যারা কিয়ামত দিবসে নিজদেরকে ও তাদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিগ্রস্ত পাবে। জেনে রেখ, এটাই স্পষ্ট ক্ষতি’।
‘অতএব তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য যা কিছুর ইচ্ছা তোমরা ‘ইবাদাত কর’। বল, ‘নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত যারা কিয়ামত দিবসে নিজদেরকে ও তাদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিগ্রস্ত পাবে। জেনে রেখ, এটাই স্পষ্ট ক্ষতি’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব, তাঁকে বাদ দিয়ে তোমরা যার ইচ্ছে ‘ইবাদাত কর (এতে আল্লাহর কোন ক্ষতি হবে না, ক্ষতি তোমাদেরই হবে)। বল- যারা নিজেদেরকে আর নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্বিয়ামতের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। জেনে রেখ, এটাই হল স্পষ্ট ক্ষতি।
অতএব, তাঁকে বাদ দিয়ে তোমরা যার ইচ্ছে ‘ইবাদাত কর (এতে আল্লাহর কোন ক্ষতি হবে না, ক্ষতি তোমাদেরই হবে)। বল- যারা নিজেদেরকে আর নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্বিয়ামতের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। জেনে রেখ, এটাই হল স্পষ্ট ক্ষতি।
Sahih International:
So worship what you will besides Him." Say, "Indeed, the losers are the ones who will lose themselves and their families on the Day of Resurrection. Unquestionably, that is the manifest loss."
So worship what you will besides Him." Say, "Indeed, the losers are the ones who will lose themselves and their families on the Day of Resurrection. Unquestionably, that is the manifest loss."
لَهُمْ مِّنْ فَوْقِهِمْ ظُلَلٌ مِّنَ النَّارِ وَ مِنْ تَحْتِهِمْ ظُلَلٌ ؕ ذٰلِکَ یُخَوِّفُ اللّٰهُ بِهٖ عِبَادَهٗ ؕ یٰعِبَادِ فَاتَّقُوْنِ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
লাহুম মিন ফাওকিহিম জু লালুম মিনান্না-রি ওয়া মিন তাহতিহিম জু লালুন যা-লিকা ইউখাওবিফুল্লা-হু বিহী ‘ইবা-দাহূ ইয়া-‘ইবাদি ফাত্তাকূন।
লাহুম মিন ফাওকিহিম জু লালুম মিনান্না-রি ওয়া মিন তাহতিহিম জু লালুন যা-লিকা ইউখাওবিফুল্লা-হু বিহী ‘ইবা-দাহূ ইয়া-‘ইবাদি ফাত্তাকূন।
আল বায়ান:
তাদের জন্য তাদের উপরের দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এদ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখান। ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমাকেই ভয় কর’।
তাদের জন্য তাদের উপরের দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এদ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখান। ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমাকেই ভয় কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের উপরেও থাকবে আগুনের স্তর, আর নীচেও থাকবে (আগুনের) স্তর। এ রকম পরিণতির ব্যাপারে আল্লাহ তাঁর বান্দাহদেরকে সাবধান করছেন। কাজেই হে আমার বান্দাহরা! আমাকে ভয় কর।
তাদের উপরেও থাকবে আগুনের স্তর, আর নীচেও থাকবে (আগুনের) স্তর। এ রকম পরিণতির ব্যাপারে আল্লাহ তাঁর বান্দাহদেরকে সাবধান করছেন। কাজেই হে আমার বান্দাহরা! আমাকে ভয় কর।
Sahih International:
They will have canopies of fire above them and below them, canopies. By that Allah threatens His servants. O My servants, then fear Me.
They will have canopies of fire above them and below them, canopies. By that Allah threatens His servants. O My servants, then fear Me.
وَ الَّذِیْنَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوْتَ اَنْ یَّعْبُدُوْهَا وَ اَنَابُوْۤا اِلَی اللّٰهِ لَهُمُ الْبُشْرٰی ۚ فَبَشِّرْ عِبَادِ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনাজ তানাবুত্তা-গূতা আইঁ ইয়া‘বুদূ হা-ওয়া আনাবূইল্লাল্লা-হি লাহুমুল বুশরা- ফাবাশশির ‘ইবা-দ।
ওয়াল্লাযীনাজ তানাবুত্তা-গূতা আইঁ ইয়া‘বুদূ হা-ওয়া আনাবূইল্লাল্লা-হি লাহুমুল বুশরা- ফাবাশশির ‘ইবা-দ।
আল বায়ান:
আর যারা তাগূতের উপাসনা পরিহার করে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয় তাদের জন্য আছে সুসংবাদ; অতএব আমার বান্দাদেরকে সুসংবাদ দাও।
আর যারা তাগূতের উপাসনা পরিহার করে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয় তাদের জন্য আছে সুসংবাদ; অতএব আমার বান্দাদেরকে সুসংবাদ দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাগূতের দাসত্ব থেকে দূরে থাকে, আর আল্লাহর অভিমুখী হয়, সুসংবাদ তাদেরই জন্য। কাজেই সুসংবাদ দাও আমার বান্দাদেরকে
যারা তাগূতের দাসত্ব থেকে দূরে থাকে, আর আল্লাহর অভিমুখী হয়, সুসংবাদ তাদেরই জন্য। কাজেই সুসংবাদ দাও আমার বান্দাদেরকে
Sahih International:
But those who have avoided Taghut, lest they worship it, and turned back to Allah - for them are good tidings. So give good tidings to My servants
But those who have avoided Taghut, lest they worship it, and turned back to Allah - for them are good tidings. So give good tidings to My servants
الَّذِیْنَ یَسْتَمِعُوْنَ الْقَوْلَ فَیَتَّبِعُوْنَ اَحْسَنَهٗ ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ هَدٰىهُمُ اللّٰهُ وَ اُولٰٓئِکَ هُمْ اُولُوا الْاَلْبَابِ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইয়াছতামি‘ঊনাল কাওলা ফাইয়াত্তাবি‘ঊনা আহছানাহূ উলাইকাল্লাযীনা হাদা-হুমুল্লা-হু ওয়া উলাইকা হুম ঊলুল আলবা-ব।
আল্লাযীনা ইয়াছতামি‘ঊনাল কাওলা ফাইয়াত্তাবি‘ঊনা আহছানাহূ উলাইকাল্লাযীনা হাদা-হুমুল্লা-হু ওয়া উলাইকা হুম ঊলুল আলবা-ব।
আল বায়ান:
যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে অতঃপর তার মধ্যে যা উত্তম তা অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ হিদায়াত দান করেন আর তারাই বুদ্ধিমান।
যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে অতঃপর তার মধ্যে যা উত্তম তা অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ হিদায়াত দান করেন আর তারাই বুদ্ধিমান।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা মনোযোগ দিয়ে কথা শুনে আর এর উত্তমগুলো মেনে চলে। ওরাই হল তারা আল্লাহ যাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন আর ওরাই হল জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন।
যারা মনোযোগ দিয়ে কথা শুনে আর এর উত্তমগুলো মেনে চলে। ওরাই হল তারা আল্লাহ যাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন আর ওরাই হল জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন।
Sahih International:
Who listen to speech and follow the best of it. Those are the ones Allah has guided, and those are people of understanding.
Who listen to speech and follow the best of it. Those are the ones Allah has guided, and those are people of understanding.
اَفَمَنْ حَقَّ عَلَیْهِ کَلِمَۃُ الْعَذَابِ ؕ اَفَاَنْتَ تُنْقِذُ مَنْ فِی النَّارِ ﴿ۚ۱۹﴾
উচ্চারণ:
আফামান হাক্কা ‘আলাইহি কালিমাতুল ‘আযা-ব আফাআনতা তুনকিযুমান ফিন্না-র।
আফামান হাক্কা ‘আলাইহি কালিমাতুল ‘আযা-ব আফাআনতা তুনকিযুমান ফিন্না-র।
আল বায়ান:
যার ব্যাপারে আযাবের হুকুম সাব্যস্ত হয়েছে, তুমি কি তাকে উদ্ধার করতে পারবে, যে আছে জাহান্নামে?
যার ব্যাপারে আযাবের হুকুম সাব্যস্ত হয়েছে, তুমি কি তাকে উদ্ধার করতে পারবে, যে আছে জাহান্নামে?
তাইসিরুল কুরআন:
শাস্তির ফয়সালা যার উপর অবধারিত হয়ে গেছে, যে আছে জাহান্নামের আগুনে তুমি কি তাকে রক্ষা করতে পার?
শাস্তির ফয়সালা যার উপর অবধারিত হয়ে গেছে, যে আছে জাহান্নামের আগুনে তুমি কি তাকে রক্ষা করতে পার?
Sahih International:
Then, is one who has deserved the decree of punishment [to be guided]? Then, can you save one who is in the Fire?
Then, is one who has deserved the decree of punishment [to be guided]? Then, can you save one who is in the Fire?
لٰکِنِ الَّذِیْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ غُرَفٌ مِّنْ فَوْقِهَا غُرَفٌ مَّبْنِیَّۃٌ ۙ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۬ؕ وَعْدَ اللّٰهِ ؕ لَا یُخْلِفُ اللّٰهُ الْمِیْعَادَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রাব্বাহুম লাহুম গুরাফুম মিন ফাওকিহা-গুরাফুম মাবনিইয়াতুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ওয়া‘দাল্লা-হি লা-ইউখলিফুল্লা-হুল মী‘আদ।
লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রাব্বাহুম লাহুম গুরাফুম মিন ফাওকিহা-গুরাফুম মাবনিইয়াতুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ওয়া‘দাল্লা-হি লা-ইউখলিফুল্লা-হুল মী‘আদ।
আল বায়ান:
কিন্তু যারা নিজদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে কক্ষসমূহ যার উপর নির্মিত আছে আরো কক্ষ। তার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত। এটি আল্লাহর ওয়াদা; আল্লাহ ওয়াদা খেলাফ করেন না।
কিন্তু যারা নিজদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে কক্ষসমূহ যার উপর নির্মিত আছে আরো কক্ষ। তার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত। এটি আল্লাহর ওয়াদা; আল্লাহ ওয়াদা খেলাফ করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে প্রাসাদের পর প্রাসাদ, যেগুলোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রাসাদ আর প্রাসাদ, যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। এটা আল্লাহর ও‘য়াদা, আল্লাহ ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।
কিন্তু যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে প্রাসাদের পর প্রাসাদ, যেগুলোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রাসাদ আর প্রাসাদ, যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। এটা আল্লাহর ও‘য়াদা, আল্লাহ ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।
Sahih International:
But those who have feared their Lord - for them are chambers, above them chambers built high, beneath which rivers flow. [This is] the promise of Allah. Allah does not fail in [His] promise.
But those who have feared their Lord - for them are chambers, above them chambers built high, beneath which rivers flow. [This is] the promise of Allah. Allah does not fail in [His] promise.
اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَسَلَکَهٗ یَنَابِیْعَ فِی الْاَرْضِ ثُمَّ یُخْرِجُ بِهٖ زَرْعًا مُّخْتَلِفًا اَلْوَانُهٗ ثُمَّ یَهِیْجُ فَتَرٰىهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ یَجْعَلُهٗ حُطَامًا ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَذِکْرٰی لِاُولِی الْاَلْبَابِ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা আন্নাল্লা-হা আনযালা মিনাছছামাই মাআন ফাছালাকাহূইয়ানা-বী‘আ ফিল আরদিছুম্মা ইউখরিজূবিহী যার‘আম মুখতালিফান আলওয়া-নুহূছু ম্মা ইয়াহীজুফাতারাঁ-হু মুসফাররান ছুম্মা ইয়াজ‘আলুহূহুতা-মা- ইন্না ফী যা-লিকা লাযিকরা-লিঊলিল আলবা-ব।
আলাম তারা আন্নাল্লা-হা আনযালা মিনাছছামাই মাআন ফাছালাকাহূইয়ানা-বী‘আ ফিল আরদিছুম্মা ইউখরিজূবিহী যার‘আম মুখতালিফান আলওয়া-নুহূছু ম্মা ইয়াহীজুফাতারাঁ-হু মুসফাররান ছুম্মা ইয়াজ‘আলুহূহুতা-মা- ইন্না ফী যা-লিকা লাযিকরা-লিঊলিল আলবা-ব।
আল বায়ান:
তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর যমীনে তা প্রস্রবন হিসেবে প্রবাহিত করেন তারপর তা দিয়ে নানা বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, তারপর তা শুকিয়ে যায়। ফলে তোমরা তা দেখতে পাও হলুদ বর্ণের তারপর তিনি তা খড়-খুটায় পরিণত করেন। এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য।
তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর যমীনে তা প্রস্রবন হিসেবে প্রবাহিত করেন তারপর তা দিয়ে নানা বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, তারপর তা শুকিয়ে যায়। ফলে তোমরা তা দেখতে পাও হলুদ বর্ণের তারপর তিনি তা খড়-খুটায় পরিণত করেন। এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি দেখ না আল্লাহ আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করেন আর তা ঝর্ণা ধারায় যমীনে প্রবাহিত করেন, অতঃপর তা দিয়ে বিচিত্র রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, তখন তোমরা তা হলুদ বর্ণ দেখ, শেষ পর্যন্ত তিনি ওগুলোকে খড়-ভুষিতে পরিণত করেন। এতে জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য অবশ্যই নসীহত আছে।
তুমি কি দেখ না আল্লাহ আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করেন আর তা ঝর্ণা ধারায় যমীনে প্রবাহিত করেন, অতঃপর তা দিয়ে বিচিত্র রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, তখন তোমরা তা হলুদ বর্ণ দেখ, শেষ পর্যন্ত তিনি ওগুলোকে খড়-ভুষিতে পরিণত করেন। এতে জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য অবশ্যই নসীহত আছে।
Sahih International:
Do you not see that Allah sends down rain from the sky and makes it flow as springs [and rivers] in the earth; then He produces thereby crops of varying colors; then they dry and you see them turned yellow; then He makes them [scattered] debris. Indeed in that is a reminder for those of understanding.
Do you not see that Allah sends down rain from the sky and makes it flow as springs [and rivers] in the earth; then He produces thereby crops of varying colors; then they dry and you see them turned yellow; then He makes them [scattered] debris. Indeed in that is a reminder for those of understanding.
اَفَمَنْ شَرَحَ اللّٰهُ صَدْرَهٗ لِلْاِسْلَامِ فَهُوَ عَلٰی نُوْرٍ مِّنْ رَّبِّهٖ ؕ فَوَیْلٌ لِّلْقٰسِیَۃِ قُلُوْبُهُمْ مِّنْ ذِکْرِ اللّٰهِ ؕ اُولٰٓئِکَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
আফামান শারাহাল্লা-হু সাদরাহূলিলইছলা-মি ফাহুওয়া ‘আলা-নূরিম মিররাব্বিহী ফাওয়াইলুলিললকা-ছিয়াতি কু লূবুহুম মিন যিকরিল্লা-হি উলাইকা ফী দালা-লিম মুবীন।
আফামান শারাহাল্লা-হু সাদরাহূলিলইছলা-মি ফাহুওয়া ‘আলা-নূরিম মিররাব্বিহী ফাওয়াইলুলিললকা-ছিয়াতি কু লূবুহুম মিন যিকরিল্লা-হি উলাইকা ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
আল্লাহ ইসলামের জন্য যার বক্ষ খুলে দিয়েছেন ফলে সে তার রবের পক্ষ থেকে নূরের উপর রয়েছে, (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়?) অতএব ধ্বংস সে লোকদের জন্য যাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেছে আল্লাহর স্মরণ থেকে। তারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিপতিত।
আল্লাহ ইসলামের জন্য যার বক্ষ খুলে দিয়েছেন ফলে সে তার রবের পক্ষ থেকে নূরের উপর রয়েছে, (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়?) অতএব ধ্বংস সে লোকদের জন্য যাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেছে আল্লাহর স্মরণ থেকে। তারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিপতিত।
তাইসিরুল কুরআন:
ইসলামের জন্য আল্লাহ যার বক্ষ উন্মোচিত করে দিয়েছেন, যার ফলে সে তার প্রতিপালকের দেয়া আলোর উপর রয়েছে (সে কি তার সমান যে কঠোর হৃদয়ের)? ধ্বংস তাদের জন্য যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে আরো শক্ত হয়ে গেছে। তারা আছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।
ইসলামের জন্য আল্লাহ যার বক্ষ উন্মোচিত করে দিয়েছেন, যার ফলে সে তার প্রতিপালকের দেয়া আলোর উপর রয়েছে (সে কি তার সমান যে কঠোর হৃদয়ের)? ধ্বংস তাদের জন্য যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে আরো শক্ত হয়ে গেছে। তারা আছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।
Sahih International:
So is one whose breast Allah has expanded to [accept] Islam and he is upon a light from his Lord [like one whose heart rejects it]? Then woe to those whose hearts are hardened against the remembrance of Allah. Those are in manifest error.
So is one whose breast Allah has expanded to [accept] Islam and he is upon a light from his Lord [like one whose heart rejects it]? Then woe to those whose hearts are hardened against the remembrance of Allah. Those are in manifest error.
اَللّٰهُ نَزَّلَ اَحْسَنَ الْحَدِیْثِ کِتٰبًا مُّتَشَابِهًا مَّثَانِیَ ٭ۖ تَقْشَعِرُّ مِنْهُ جُلُوْدُ الَّذِیْنَ یَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ ۚ ثُمَّ تَلِیْنُ جُلُوْدُهُمْ وَ قُلُوْبُهُمْ اِلٰی ذِکْرِ اللّٰهِ ؕ ذٰلِکَ هُدَی اللّٰهِ یَهْدِیْ بِهٖ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ مَنْ یُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ هَادٍ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হু নাযযালা আহছানাল হাদীছিকিতা-বাম মুতাশা-বিহাম মাছা-নিয়া তাকশা‘ইররু মিনহু জূলূদুল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম ছু ম্মা তালীনুজুলূদুহুম ওয়াকু লূবুহুম ইলা-যিকরিল্লা-হি যা-লিকা হুদাল্লা-হি ইয়াহদী বিহী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।
আল্লা-হু নাযযালা আহছানাল হাদীছিকিতা-বাম মুতাশা-বিহাম মাছা-নিয়া তাকশা‘ইররু মিনহু জূলূদুল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম ছু ম্মা তালীনুজুলূদুহুম ওয়াকু লূবুহুম ইলা-যিকরিল্লা-হি যা-লিকা হুদাল্লা-হি ইয়াহদী বিহী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।
আল বায়ান:
আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম বাণী, সাদৃশ্যপূর্ণ একটি কিতাব (আল কুরআন), যা বারবার আবৃত্তি করা হয়। যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গা এতে শিহরিত হয়, তারপর তাদের দেহ ও মন আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়ে যায়। এটা আল্লাহর হিদায়াত, তিনি যাকে চান তাকে এর দ্বারা হিদায়াত করেন। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই।
আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম বাণী, সাদৃশ্যপূর্ণ একটি কিতাব (আল কুরআন), যা বারবার আবৃত্তি করা হয়। যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গা এতে শিহরিত হয়, তারপর তাদের দেহ ও মন আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়ে যায়। এটা আল্লাহর হিদায়াত, তিনি যাকে চান তাকে এর দ্বারা হিদায়াত করেন। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ সর্বোত্তম বাণী অবতীর্ণ করেছেন- এমন কিতাব যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার বিষয়াবলী পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের গা এতে শিউরে উঠে। তখন তাদের দেহ-মন আল্লাহর স্মরণের প্রতি বিনম্র হয়ে যায়। এ হল আল্লাহর হিদায়াত, যাকে ইচ্ছে তদ্দবারা হিদায়াত করেন। আর আল্লাহ যাকে পথহারা করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
আল্লাহ সর্বোত্তম বাণী অবতীর্ণ করেছেন- এমন কিতাব যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার বিষয়াবলী পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের গা এতে শিউরে উঠে। তখন তাদের দেহ-মন আল্লাহর স্মরণের প্রতি বিনম্র হয়ে যায়। এ হল আল্লাহর হিদায়াত, যাকে ইচ্ছে তদ্দবারা হিদায়াত করেন। আর আল্লাহ যাকে পথহারা করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
Sahih International:
Allah has sent down the best statement: a consistent Book wherein is reiteration. The skins shiver therefrom of those who fear their Lord; then their skins and their hearts relax at the remembrance of Allah. That is the guidance of Allah by which He guides whom He wills. And one whom Allah leaves astray - for him there is no guide.
Allah has sent down the best statement: a consistent Book wherein is reiteration. The skins shiver therefrom of those who fear their Lord; then their skins and their hearts relax at the remembrance of Allah. That is the guidance of Allah by which He guides whom He wills. And one whom Allah leaves astray - for him there is no guide.
اَفَمَنْ یَّتَّقِیْ بِوَجْهِهٖ سُوْٓءَ الْعَذَابِ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ ؕ وَ قِیْلَ لِلظّٰلِمِیْنَ ذُوْقُوْا مَا کُنْتُمْ تَکْسِبُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
আফামাইঁ ইয়াত্তাকী বিওয়াজহিহী ছূআল ‘আযা-ব ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া কীলা লিজ্জা-লিমীনা যূকূমা-কুনতুম তাকছিবূন।
আফামাইঁ ইয়াত্তাকী বিওয়াজহিহী ছূআল ‘আযা-ব ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া কীলা লিজ্জা-লিমীনা যূকূমা-কুনতুম তাকছিবূন।
আল বায়ান:
যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার মুখমন্ডল দ্বারা কঠিন আযাব ঠেকাতে চাইবে (সে কি তার মত যে শাস্তি থেকে নিরাপদ?) আর যালিমদেরকে বলা হবে, ‘তোমরা যা অর্জন করতে, তার স্বাদ আস্বাদন কর।
যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার মুখমন্ডল দ্বারা কঠিন আযাব ঠেকাতে চাইবে (সে কি তার মত যে শাস্তি থেকে নিরাপদ?) আর যালিমদেরকে বলা হবে, ‘তোমরা যা অর্জন করতে, তার স্বাদ আস্বাদন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
ক্বিয়ামতের দিন যে ব্যক্তি তার (হাত পা বাঁধা থাকার কারণে) মুখমন্ডলের সাহায্যে ভয়ানক ‘আযাবের আঘাত ঠেকাতে চাইবে (সে কি তার মত যে এসব থেকে নিরাপদ)? যালিমদেরকে বলা হবে- তোমরা যা অর্জন করেছ তার স্বাদ গ্রহণ কর।
ক্বিয়ামতের দিন যে ব্যক্তি তার (হাত পা বাঁধা থাকার কারণে) মুখমন্ডলের সাহায্যে ভয়ানক ‘আযাবের আঘাত ঠেকাতে চাইবে (সে কি তার মত যে এসব থেকে নিরাপদ)? যালিমদেরকে বলা হবে- তোমরা যা অর্জন করেছ তার স্বাদ গ্রহণ কর।
Sahih International:
Then is he who will shield with his face the worst of the punishment on the Day of Resurrection [like one secure from it]? And it will be said to the wrongdoers, "Taste what you used to earn."
Then is he who will shield with his face the worst of the punishment on the Day of Resurrection [like one secure from it]? And it will be said to the wrongdoers, "Taste what you used to earn."
کَذَّبَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَاَتٰىهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَیْثُ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাআতা-হুমুল ‘আযা-বুমিন হাইছুলা-ইয়াশ‘ঊরূন।
কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাআতা-হুমুল ‘আযা-বুমিন হাইছুলা-ইয়াশ‘ঊরূন।
আল বায়ান:
তাদের পূর্বে যারা ছিল, তারাও অস্বীকার করেছিল, ফলে তাদের প্রতি এমন ভাবে আযাব এসেছিল যে, তারা অনুভব করতে পারেনি।
তাদের পূর্বে যারা ছিল, তারাও অস্বীকার করেছিল, ফলে তাদের প্রতি এমন ভাবে আযাব এসেছিল যে, তারা অনুভব করতে পারেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্ববর্তীরাও (নুবুওয়াতকে) অস্বীকার করেছিল। অতঃপর তাদের কাছে এমন দিক থেকে ‘আযাব এসেছিল যা তারা একটু টেরও পায়নি।
তাদের পূর্ববর্তীরাও (নুবুওয়াতকে) অস্বীকার করেছিল। অতঃপর তাদের কাছে এমন দিক থেকে ‘আযাব এসেছিল যা তারা একটু টেরও পায়নি।
Sahih International:
Those before them denied, and punishment came upon them from where they did not perceive.
Those before them denied, and punishment came upon them from where they did not perceive.
فَاَذَاقَهُمُ اللّٰهُ الْخِزْیَ فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ۚ وَ لَعَذَابُ الْاٰخِرَۃِ اَکْبَرُ ۘ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ফাআযা-কাহুমুল্লা-হুল খিযইয়া ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া- ওয়ালা ‘আযা-বুল আখিরাতি আকবারু । লাও কা-নূইয়া‘লামূন।
ফাআযা-কাহুমুল্লা-হুল খিযইয়া ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া- ওয়ালা ‘আযা-বুল আখিরাতি আকবারু । লাও কা-নূইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
ফলে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা আস্বাদন করালেন, আর আখিরাতের আযাব নিশ্চয় আরো বড়, যদি তারা জানত।
ফলে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা আস্বাদন করালেন, আর আখিরাতের আযাব নিশ্চয় আরো বড়, যদি তারা জানত।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার জিন্দেগিতেই লাঞ্ছনার স্বাদ ভোগ করালেন। আর অবশ্যই আখিরাতের শাস্তি সবচেয়ে কঠিন। তারা যদি জানত!
কাজেই আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার জিন্দেগিতেই লাঞ্ছনার স্বাদ ভোগ করালেন। আর অবশ্যই আখিরাতের শাস্তি সবচেয়ে কঠিন। তারা যদি জানত!
Sahih International:
So Allah made them taste disgrace in worldly life. But the punishment of the Hereafter is greater, if they only knew.
So Allah made them taste disgrace in worldly life. But the punishment of the Hereafter is greater, if they only knew.
وَ لَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِیْ هٰذَا الْقُرْاٰنِ مِنْ کُلِّ مَثَلٍ لَّعَلَّهُمْ یَتَذَکَّرُوْنَ ﴿ۚ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ্দারাবনা-লিন্না-ছি ফীহা-যাল কুরআ-নি মিন কুল্লি মাছালিল লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।
ওয়ালাকাদ্দারাবনা-লিন্না-ছি ফীহা-যাল কুরআ-নি মিন কুল্লি মাছালিল লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য প্রত্যেক প্রকার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে।
আর নিশ্চয় আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য প্রত্যেক প্রকার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য সব রকমের দৃষ্টান্ত ও উপমা উপস্থিত করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য সব রকমের দৃষ্টান্ত ও উপমা উপস্থিত করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
Sahih International:
And We have certainly presented for the people in this Qur'an from every [kind of] example - that they might remember.
And We have certainly presented for the people in this Qur'an from every [kind of] example - that they might remember.
قُرْاٰنًا عَرَبِیًّا غَیْرَ ذِیْ عِوَجٍ لَّعَلَّهُمْ یَتَّقُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কুরআ-নান ‘আরাবিইয়ান গাইরা যী ‘ইওয়াজিল লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূন।
কুরআ-নান ‘আরাবিইয়ান গাইরা যী ‘ইওয়াজিল লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূন।
আল বায়ান:
বক্রতামুক্ত আরবী কুরআন। যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারে।
বক্রতামুক্ত আরবী কুরআন। যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারে।
তাইসিরুল কুরআন:
আরবী ভাষায় (অবতীর্ণ) কুরআন, এতে নেই কোন বক্রতা (পেচানো কথা), যাতে তারা (অন্যায় অপকর্ম হতে) বেঁচে চলতে পারে।
আরবী ভাষায় (অবতীর্ণ) কুরআন, এতে নেই কোন বক্রতা (পেচানো কথা), যাতে তারা (অন্যায় অপকর্ম হতে) বেঁচে চলতে পারে।
Sahih International:
[It is] an Arabic Qur'an, without any deviance that they might become righteous.
[It is] an Arabic Qur'an, without any deviance that they might become righteous.
ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا رَّجُلًا فِیْهِ شُرَکَآءُ مُتَشٰکِسُوْنَ وَ رَجُلًا سَلَمًا لِّرَجُلٍ ؕ هَلْ یَسْتَوِیٰنِ مَثَلًا ؕ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ۚ بَلْ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
দারাবাল্লা-হু মাছালার রাজূলান ফীহি শুরাকাউ মুতাশা-কিছূনা ওয়া রাজূলান ছালামাল লিরাজুলিন হাল ইয়াছতাবিইয়া-নি মাছালান আলহামদুলিল্লা-হি বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূন।
দারাবাল্লা-হু মাছালার রাজূলান ফীহি শুরাকাউ মুতাশা-কিছূনা ওয়া রাজূলান ছালামাল লিরাজুলিন হাল ইয়াছতাবিইয়া-নি মাছালান আলহামদুলিল্লা-হি বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন : এক ব্যক্তি যার মনিব অনেক, যারা পরস্পর বিরোধী; এবং আরেক ব্যক্তি, যে এক মনিবের অনুগত, এ দু’জনের অবস্থা কি সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর; কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন : এক ব্যক্তি যার মনিব অনেক, যারা পরস্পর বিরোধী; এবং আরেক ব্যক্তি, যে এক মনিবের অনুগত, এ দু’জনের অবস্থা কি সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর; কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ একটা দৃষ্টান্ত দিচ্ছেনঃ এক ব্যক্তি যার মুনিব অনেক- যারা পরস্পরের বিরোধী। আরেক ব্যক্তি যার সম্পূর্ণ মালিকানা একজনের (উপর ন্যস্ত), তুলনায় এ দু’জন কি সমান? যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই (যে তিনি আমাদেরকে নানান দেবদেবীর কবল থেকে রক্ষা ক’রে একমাত্র তাঁরই সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন), কিন্তু মানুষদের অধিকাংশ (এ আসল সত্যটা) জানে না।
আল্লাহ একটা দৃষ্টান্ত দিচ্ছেনঃ এক ব্যক্তি যার মুনিব অনেক- যারা পরস্পরের বিরোধী। আরেক ব্যক্তি যার সম্পূর্ণ মালিকানা একজনের (উপর ন্যস্ত), তুলনায় এ দু’জন কি সমান? যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই (যে তিনি আমাদেরকে নানান দেবদেবীর কবল থেকে রক্ষা ক’রে একমাত্র তাঁরই সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন), কিন্তু মানুষদের অধিকাংশ (এ আসল সত্যটা) জানে না।
Sahih International:
Allah presents an example: a slave owned by quarreling partners and another belonging exclusively to one man - are they equal in comparison? Praise be to Allah! But most of them do not know.
Allah presents an example: a slave owned by quarreling partners and another belonging exclusively to one man - are they equal in comparison? Praise be to Allah! But most of them do not know.
اِنَّکَ مَیِّتٌ وَّ اِنَّهُمْ مَّیِّتُوْنَ ﴿۫۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকা মাইয়িতুওঁ ওয়া ইন্নাহুম মাইয়িতূন।
ইন্নাকা মাইয়িতুওঁ ওয়া ইন্নাহুম মাইয়িতূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তুমি মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।
নিশ্চয় তুমি মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমিও মরবে আর তারাও মরবে।
তুমিও মরবে আর তারাও মরবে।
Sahih International:
Indeed, you are to die, and indeed, they are to die.
Indeed, you are to die, and indeed, they are to die.
ثُمَّ اِنَّکُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ عِنْدَ رَبِّکُمْ تَخْتَصِمُوْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্নাকুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘ইনদা রাব্বিকুম তাখতাসিমূন।
ছু ম্মা ইন্নাকুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘ইনদা রাব্বিকুম তাখতাসিমূন।
আল বায়ান:
তারপর কিয়ামতের দিন নিশ্চয় তোমরা তোমাদের রবের সামনে ঝগড়া করবে।
তারপর কিয়ামতের দিন নিশ্চয় তোমরা তোমাদের রবের সামনে ঝগড়া করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর ক্বিয়ামত দিবসে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাদানুবাদ করবে।
অতঃপর ক্বিয়ামত দিবসে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাদানুবাদ করবে।
Sahih International:
Then indeed you, on the Day of Resurrection, before your Lord, will dispute.
Then indeed you, on the Day of Resurrection, before your Lord, will dispute.
فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ کَذَبَ عَلَی اللّٰهِ وَ کَذَّبَ بِالصِّدْقِ اِذْ جَآءَهٗ ؕ اَلَیْسَ فِیْ جَهَنَّمَ مَثْوًی لِّلْکٰفِرِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ফামান আজলামুমিম্মান কাযাবা ‘আলাল্লা-হি ওয়া কাযযাবা বিসসিদকিইযজাআহূ আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়ালিললকা-ফিরীন।
ফামান আজলামুমিম্মান কাযাবা ‘আলাল্লা-হি ওয়া কাযযাবা বিসসিদকিইযজাআহূ আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়ালিললকা-ফিরীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে, যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে এবং তার কাছে সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে? জাহান্নামেই কি কাফিরদের আবাসস্থল নয়?
সুতরাং তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে, যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে এবং তার কাছে সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে? জাহান্নামেই কি কাফিরদের আবাসস্থল নয়?
তাইসিরুল কুরআন:
যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে আর সত্য সমাগত হওয়ার পর তা অস্বীকার করে তার চেয়ে বড় যালিম আর কে আছে? (এমন) কাফিরদের আবাসস্থল কি জাহান্নামে নয়?
যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে আর সত্য সমাগত হওয়ার পর তা অস্বীকার করে তার চেয়ে বড় যালিম আর কে আছে? (এমন) কাফিরদের আবাসস্থল কি জাহান্নামে নয়?
Sahih International:
So who is more unjust than one who lies about Allah and denies the truth when it has come to him? Is there not in Hell a residence for the disbelievers?
So who is more unjust than one who lies about Allah and denies the truth when it has come to him? Is there not in Hell a residence for the disbelievers?
وَ الَّذِیْ جَآءَ بِالصِّدْقِ وَ صَدَّقَ بِهٖۤ اُولٰٓئِکَ هُمُ الْمُتَّقُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযী জাআ বিসসিদকিওয়া সাদ্দাকা বিহীউলাইকা হুমুল মুত্তাকূন।
ওয়াল্লাযী জাআ বিসসিদকিওয়া সাদ্দাকা বিহীউলাইকা হুমুল মুত্তাকূন।
আল বায়ান:
আর যে সত্য নিয়ে এসেছে এবং যে তা সত্য বলে মেনে নিয়েছে, তারাই হল মুত্তাকী।
আর যে সত্য নিয়ে এসেছে এবং যে তা সত্য বলে মেনে নিয়েছে, তারাই হল মুত্তাকী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা সত্য নিয়ে আগমণ করেছে এবং সত্যকে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছে, তারাই তো মুত্তাকী।
যারা সত্য নিয়ে আগমণ করেছে এবং সত্যকে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছে, তারাই তো মুত্তাকী।
Sahih International:
And the one who has brought the truth and [they who] believed in it - those are the righteous.
And the one who has brought the truth and [they who] believed in it - those are the righteous.
لَهُمْ مَّا یَشَآءُوْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ ؕ ذٰلِکَ جَزٰٓوٴُا الْمُحْسِنِیْنَ ﴿ۚۖ۳۴﴾
উচ্চারণ:
লাহুম মা-ইয়াশাঊনা ‘ইনদা রাব্বিহিম যা-লিকা জাযাউল মুহছিনীন।
লাহুম মা-ইয়াশাঊনা ‘ইনদা রাব্বিহিম যা-লিকা জাযাউল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
তাদের জন্য তাদের রবের কাছে তা-ই রয়েছে যা তারা চাইবে। এটাই মুমিনদের পুরস্কার।
তাদের জন্য তাদের রবের কাছে তা-ই রয়েছে যা তারা চাইবে। এটাই মুমিনদের পুরস্কার।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে যা তারা ইচ্ছে করবে। তা-ই হল সৎকর্মশীলদের প্রতিদান।
তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে যা তারা ইচ্ছে করবে। তা-ই হল সৎকর্মশীলদের প্রতিদান।
Sahih International:
They will have whatever they desire with their Lord. That is the reward of the doers of good -
They will have whatever they desire with their Lord. That is the reward of the doers of good -
لِیُکَفِّرَ اللّٰهُ عَنْهُمْ اَسْوَاَ الَّذِیْ عَمِلُوْا وَ یَجْزِیَهُمْ اَجْرَهُمْ بِاَحْسَنِ الَّذِیْ کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
লিইউকাফফিরাল্লা-হু ‘আনহুম আছওয়া আল্লাযী ‘আমিলূওয়া ইয়াজযিয়াহুম আজরাহুম বিআহছানিল্লাযী কা-নূইয়া‘মালূন।
লিইউকাফফিরাল্লা-হু ‘আনহুম আছওয়া আল্লাযী ‘আমিলূওয়া ইয়াজযিয়াহুম আজরাহুম বিআহছানিল্লাযী কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
যাতে তারা যেসব মন্দ কাজ করেছিল, আল্লাহ তা ঢেকে দেন এবং তারা যে সর্বোত্তম আমল করত তার প্রতিদানে তাদেরকে পুরস্কৃত করেন।
যাতে তারা যেসব মন্দ কাজ করেছিল, আল্লাহ তা ঢেকে দেন এবং তারা যে সর্বোত্তম আমল করত তার প্রতিদানে তাদেরকে পুরস্কৃত করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তারা যে সব মন্দ কাজ করেছে আল্লাহ্ তা মুছে দিতে পারেন, আর তারা যে সব সৎ কাজ করেছে তজ্জন্য তাদেরকে পুরস্কৃত করেন।
যাতে তারা যে সব মন্দ কাজ করেছে আল্লাহ্ তা মুছে দিতে পারেন, আর তারা যে সব সৎ কাজ করেছে তজ্জন্য তাদেরকে পুরস্কৃত করেন।
Sahih International:
That Allah may remove from them the worst of what they did and reward them their due for the best of what they used to do.
That Allah may remove from them the worst of what they did and reward them their due for the best of what they used to do.
اَلَیْسَ اللّٰهُ بِکَافٍ عَبْدَهٗ ؕ وَ یُخَوِّفُوْنَکَ بِالَّذِیْنَ مِنْ دُوْنِهٖ ؕ وَ مَنْ یُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ هَادٍ ﴿ۚ۳۶﴾
উচ্চারণ:
আলাইছাল্লা-হু বিকা-ফিন ‘আবদাহূ; ওয়া ইউখাওবিফূনাকা বিল্লাযীনা মিন দূ নিহী ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।
আলাইছাল্লা-হু বিকা-ফিন ‘আবদাহূ; ওয়া ইউখাওবিফূনাকা বিল্লাযীনা মিন দূ নিহী ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।
আল বায়ান:
আল্লাহ কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? অথচ তারা তোমাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদের ভয় দেখায়। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই।
আল্লাহ কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? অথচ তারা তোমাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদের ভয় দেখায়। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ কি তাঁর বান্দাহর জন্য যথেষ্ট নন? অথচ তোমাকে তারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদের ভয় দেখায়। আল্লাহ যাকে পথহারা করেন তার জন্য কেউ পথ দেখাবার নেই।
আল্লাহ কি তাঁর বান্দাহর জন্য যথেষ্ট নন? অথচ তোমাকে তারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদের ভয় দেখায়। আল্লাহ যাকে পথহারা করেন তার জন্য কেউ পথ দেখাবার নেই।
Sahih International:
Is not Allah sufficient for His Servant [Prophet Muhammad]? And [yet], they threaten you with those [they worship] other than Him. And whoever Allah leaves astray - for him there is no guide.
Is not Allah sufficient for His Servant [Prophet Muhammad]? And [yet], they threaten you with those [they worship] other than Him. And whoever Allah leaves astray - for him there is no guide.
وَ مَنْ یَّهْدِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ مُّضِلٍّ ؕ اَلَیْسَ اللّٰهُ بِعَزِیْزٍ ذِی انْتِقَامٍ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইয়াহদিল্লা-হু ফামা-লাহূমিম মুদিলিলন আলাইছাল্লা-হু বি‘আযীযিন যিন তিকাম।
ওয়া মাইঁ ইয়াহদিল্লা-হু ফামা-লাহূমিম মুদিলিলন আলাইছাল্লা-হু বি‘আযীযিন যিন তিকাম।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন, তার জন্য কোন পথভ্রষ্টকারী নেই। আল্লাহ কি মহাপরাক্রমশালী প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?
আর আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন, তার জন্য কোন পথভ্রষ্টকারী নেই। আল্লাহ কি মহাপরাক্রমশালী প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহ যাকে পথ দেখান, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই। আল্লাহ কি মহাশক্তিধর প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?
আর আল্লাহ যাকে পথ দেখান, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই। আল্লাহ কি মহাশক্তিধর প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?
Sahih International:
And whoever Allah guides - for him there is no misleader. Is not Allah Exalted in Might and Owner of Retribution?
And whoever Allah guides - for him there is no misleader. Is not Allah Exalted in Might and Owner of Retribution?
وَ لَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ لَیَقُوْلُنَّ اللّٰهُ ؕ قُلْ اَفَرَءَیْتُمْ مَّا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اِنْ اَرَادَنِیَ اللّٰهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ کٰشِفٰتُ ضُرِّهٖۤ اَوْ اَرَادَنِیْ بِرَحْمَۃٍ هَلْ هُنَّ مُمْسِکٰتُ رَحْمَتِهٖ ؕ قُلْ حَسْبِیَ اللّٰهُ ؕ عَلَیْهِ یَتَوَکَّلُ الْمُتَوَکِّلُوْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা লাইয়াকূলুন্নাল্লা-হু কুল আফারাআইতুম মা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি ইন আরা-দানিয়াল্লা-হু বিদুররিন হাল হুন্না কা-শিফা-তুদুররিহীআও আরা-দানী বিরাহমাতিন হাল হুন্না মুমছিকা-তুরাহমাতিহী কুল হাছবিয়াল্লা-হু ‘আলাইহি ইয়াতাওয়াক্কালুল মুতাওয়াক্কিলূন।
ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা লাইয়াকূলুন্নাল্লা-হু কুল আফারাআইতুম মা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি ইন আরা-দানিয়াল্লা-হু বিদুররিন হাল হুন্না কা-শিফা-তুদুররিহীআও আরা-দানী বিরাহমাতিন হাল হুন্না মুমছিকা-তুরাহমাতিহী কুল হাছবিয়াল্লা-হু ‘আলাইহি ইয়াতাওয়াক্কালুল মুতাওয়াক্কিলূন।
আল বায়ান:
আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে ‘আল্লাহ’। বল, ‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ- আল্লাহ আমার কোন ক্ষতি চাইলে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ডাক তারা কি সেই ক্ষতি দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমাকে রহমত করতে চাইলে তারা সেই রহমত প্রতিরোধ করতে পারবে’? বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। তাওয়াক্কুলকারীগণ তাঁর উপরই তাওয়াক্কুল করে।
আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে ‘আল্লাহ’। বল, ‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ- আল্লাহ আমার কোন ক্ষতি চাইলে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ডাক তারা কি সেই ক্ষতি দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমাকে রহমত করতে চাইলে তারা সেই রহমত প্রতিরোধ করতে পারবে’? বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। তাওয়াক্কুলকারীগণ তাঁর উপরই তাওয়াক্কুল করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে কে? তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। তোমরা কি চিন্তা করে দেখেছ যে, আল্লাহ আমার ক্ষতি করতে চাইলে আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা কি সে ক্ষতি দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চাইলে, তারা কি তাঁর অনুগ্রহ ঠেকাতে পারবে? বল, আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট, নির্ভরকারীরা তাঁর উপরই নির্ভর করে।
তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে কে? তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। তোমরা কি চিন্তা করে দেখেছ যে, আল্লাহ আমার ক্ষতি করতে চাইলে আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা কি সে ক্ষতি দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চাইলে, তারা কি তাঁর অনুগ্রহ ঠেকাতে পারবে? বল, আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট, নির্ভরকারীরা তাঁর উপরই নির্ভর করে।
Sahih International:
And if you asked them, "Who created the heavens and the earth?" they would surely say, "Allah." Say, "Then have you considered what you invoke besides Allah? If Allah intended me harm, are they removers of His harm; or if He intended me mercy, are they withholders of His mercy?" Say, "Sufficient for me is Allah; upon Him [alone] rely the [wise] reliers."
And if you asked them, "Who created the heavens and the earth?" they would surely say, "Allah." Say, "Then have you considered what you invoke besides Allah? If Allah intended me harm, are they removers of His harm; or if He intended me mercy, are they withholders of His mercy?" Say, "Sufficient for me is Allah; upon Him [alone] rely the [wise] reliers."
قُلْ یٰقَوْمِ اعْمَلُوْا عَلٰی مَکَانَتِکُمْ اِنِّیْ عَامِلٌ ۚ فَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ﴿ۙ۳۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ইয়া-কাওমি‘মালূ‘আলা-মাকা-নাতিকুম ইন্নী ‘আ-মিলুন ফাছাওফা তা‘লামূন।
কুল ইয়া-কাওমি‘মালূ‘আলা-মাকা-নাতিকুম ইন্নী ‘আ-মিলুন ফাছাওফা তা‘লামূন।
আল বায়ান:
বল, ‘হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের স্থলে কাজ করে যাও, নিশ্চয় আমিও আমার কাজ করব। অতঃপর শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে’।
বল, ‘হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের স্থলে কাজ করে যাও, নিশ্চয় আমিও আমার কাজ করব। অতঃপর শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের পথ ও মত অনুযায়ী কাজ করে যাও, আমিও কাজ করে যাচ্ছি, অচিরেই তোমরা জানতে পারবে
বল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের পথ ও মত অনুযায়ী কাজ করে যাও, আমিও কাজ করে যাচ্ছি, অচিরেই তোমরা জানতে পারবে
Sahih International:
Say, "O my people, work according to your position, [for] indeed, I am working; and you are going to know
Say, "O my people, work according to your position, [for] indeed, I am working; and you are going to know
مَنْ یَّاْتِیْهِ عَذَابٌ یُّخْزِیْهِ وَ یَحِلُّ عَلَیْهِ عَذَابٌ مُّقِیْمٌ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
মাইঁ ইয়া’তীহি ‘আযা-বুইঁ ইউখযীহি ওয়া ইয়াহিল্লু‘আলাইহি ‘আযা-বুম মুকীম।
মাইঁ ইয়া’তীহি ‘আযা-বুইঁ ইউখযীহি ওয়া ইয়াহিল্লু‘আলাইহি ‘আযা-বুম মুকীম।
আল বায়ান:
কার উপর লাঞ্ছনাদায়ক আযাব আসবে এবং কার উপর স্থায়ী আযাব আপতিত হবে?
কার উপর লাঞ্ছনাদায়ক আযাব আসবে এবং কার উপর স্থায়ী আযাব আপতিত হবে?
তাইসিরুল কুরআন:
কার উপর আসে অপমানজনক শাস্তি, আর কার উপর পতিত হয় স্থায়ী ‘আযাব।
কার উপর আসে অপমানজনক শাস্তি, আর কার উপর পতিত হয় স্থায়ী ‘আযাব।
Sahih International:
To whom will come a torment disgracing him and on whom will descend an enduring punishment."
To whom will come a torment disgracing him and on whom will descend an enduring punishment."
اِنَّاۤ اَنْزَلْنَا عَلَیْکَ الْکِتٰبَ لِلنَّاسِ بِالْحَقِّ ۚ فَمَنِ اهْتَدٰی فَلِنَفْسِهٖ ۚ وَ مَنْ ضَلَّ فَاِنَّمَا یَضِلُّ عَلَیْهَا ۚ وَ مَاۤ اَنْتَ عَلَیْهِمْ بِوَکِیْلٍ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআনযালনা-‘আলাইকাল কিতা-বা লিন্না-ছি বিলহাক্কি ফামানিহতাদাফালিনাফছিহী ওয়া মান দাল্লা ফাইন্নামা-ইয়াদিল্লু‘আলাইহা- ওয়ামাআনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।
ইন্নাআনযালনা-‘আলাইকাল কিতা-বা লিন্না-ছি বিলহাক্কি ফামানিহতাদাফালিনাফছিহী ওয়া মান দাল্লা ফাইন্নামা-ইয়াদিল্লু‘আলাইহা- ওয়ামাআনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব নাযিল করেছি মানুষের জন্য; তাই যে সৎপথ অবলম্বন করে, সে তা নিজের জন্যই করে এবং যে পথভ্রষ্ট হয় সে নিজের ক্ষতির জন্যই পথভ্রষ্ট হয়। আর তুমি তাদের তত্ত্বাবধায়ক নও।
নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব নাযিল করেছি মানুষের জন্য; তাই যে সৎপথ অবলম্বন করে, সে তা নিজের জন্যই করে এবং যে পথভ্রষ্ট হয় সে নিজের ক্ষতির জন্যই পথভ্রষ্ট হয়। আর তুমি তাদের তত্ত্বাবধায়ক নও।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি মানুষের (শিক্ষা গ্রহণের) জন্য সত্য (দ্বীন) সহকারে। অতঃপর যে সঠিক পথে চলবে, নিজের কল্যাণের জন্যই চলবে। আর যে বিভ্রান্ত হবে, বিভ্রান্ত হবে কেবল নিজের ক্ষতি করার জন্য; তুমি তাদের (কাজের) জন্য যিম্মাদার নও।
আমি তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি মানুষের (শিক্ষা গ্রহণের) জন্য সত্য (দ্বীন) সহকারে। অতঃপর যে সঠিক পথে চলবে, নিজের কল্যাণের জন্যই চলবে। আর যে বিভ্রান্ত হবে, বিভ্রান্ত হবে কেবল নিজের ক্ষতি করার জন্য; তুমি তাদের (কাজের) জন্য যিম্মাদার নও।
Sahih International:
Indeed, We sent down to you the Book for the people in truth. So whoever is guided - it is for [the benefit of] his soul; and whoever goes astray only goes astray to its detriment. And you are not a manager over them.
Indeed, We sent down to you the Book for the people in truth. So whoever is guided - it is for [the benefit of] his soul; and whoever goes astray only goes astray to its detriment. And you are not a manager over them.
اَللّٰهُ یَتَوَفَّی الْاَنْفُسَ حِیْنَ مَوْتِهَا وَ الَّتِیْ لَمْ تَمُتْ فِیْ مَنَامِهَا ۚ فَیُمْسِکُ الَّتِیْ قَضٰی عَلَیْهَا الْمَوْتَ وَ یُرْسِلُ الْاُخْرٰۤی اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّتَفَکَّرُوْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হু ইয়াতাওয়াফফাল আনফুছা হীনা মাওতিহা-ওয়াল্লাতী লাম তামুত ফী মানা-মিহা- ফাইউমছিকুল্লাতী কাদা-‘আলাইহাল মাওতা ওয়া ইউরছিলুল উখরাইলাআজালিম মুছাম্মান ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।
আল্লা-হু ইয়াতাওয়াফফাল আনফুছা হীনা মাওতিহা-ওয়াল্লাতী লাম তামুত ফী মানা-মিহা- ফাইউমছিকুল্লাতী কাদা-‘আলাইহাল মাওতা ওয়া ইউরছিলুল উখরাইলাআজালিম মুছাম্মান ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফয়সালা করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল কওমের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফয়সালা করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল কওমের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ প্রাণ গ্রহণ করেন সেগুলোর মৃত্যুর সময়, আর যারা মরেনি তাদের নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যুর সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তার (প্রাণ) রেখে দেন, আর অন্যগুলো একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফিরিয়ে দেন। যারা চিন্তা গবেষণা করে তাদের জন্য এতে বহু নিদর্শন আছে।
আল্লাহ প্রাণ গ্রহণ করেন সেগুলোর মৃত্যুর সময়, আর যারা মরেনি তাদের নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যুর সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তার (প্রাণ) রেখে দেন, আর অন্যগুলো একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফিরিয়ে দেন। যারা চিন্তা গবেষণা করে তাদের জন্য এতে বহু নিদর্শন আছে।
Sahih International:
Allah takes the souls at the time of their death, and those that do not die [He takes] during their sleep. Then He keeps those for which He has decreed death and releases the others for a specified term. Indeed in that are signs for a people who give thought.
Allah takes the souls at the time of their death, and those that do not die [He takes] during their sleep. Then He keeps those for which He has decreed death and releases the others for a specified term. Indeed in that are signs for a people who give thought.
اَمِ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ شُفَعَآءَ ؕ قُلْ اَوَ لَوْ کَانُوْا لَا یَمْلِکُوْنَ شَیْئًا وَّ لَا یَعْقِلُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
আমিত্তাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি শুফা‘আআ কুল আওয়ালাও কা-নূলা-ইয়ামলিকূনা শাইআওঁ ওয়ালা-ইয়া‘কিলূন।
আমিত্তাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি শুফা‘আআ কুল আওয়ালাও কা-নূলা-ইয়ামলিকূনা শাইআওঁ ওয়ালা-ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
তবে কি তারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে সুপারিশকারী বানিয়েছে? বল, ‘তারা কোন কিছুর মালিক না হলেও এবং তারা না বুঝলেও’?
তবে কি তারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে সুপারিশকারী বানিয়েছে? বল, ‘তারা কোন কিছুর মালিক না হলেও এবং তারা না বুঝলেও’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি আল্লাহকে ছাড়া (অন্যদেরকে নিজেদের মুক্তির জন্য) সুপারিশকারী বানিয়ে নিয়েছে? বল- তারা কোন কিছুর মালিক না হওয়া সত্ত্বেও, আর তারা না বুঝলেও?
তারা কি আল্লাহকে ছাড়া (অন্যদেরকে নিজেদের মুক্তির জন্য) সুপারিশকারী বানিয়ে নিয়েছে? বল- তারা কোন কিছুর মালিক না হওয়া সত্ত্বেও, আর তারা না বুঝলেও?
Sahih International:
Or have they taken other than Allah as intercessors? Say, "Even though they do not possess [power over] anything, nor do they reason?"
Or have they taken other than Allah as intercessors? Say, "Even though they do not possess [power over] anything, nor do they reason?"
قُلْ لِّلّٰهِ الشَّفَاعَۃُ جَمِیْعًا ؕ لَهٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ ثُمَّ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
কুল লিল্লা-হিশশাফা-‘আতুজামী‘আন লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ছু ম্মা ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
কুল লিল্লা-হিশশাফা-‘আতুজামী‘আন লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ছু ম্মা ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
আল বায়ান:
বল, ‘সকল সুপারিশ আল্লাহর মালিকানাধীন। আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব একমাত্র তাঁরই। তারপর তোমরা তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে’।
বল, ‘সকল সুপারিশ আল্লাহর মালিকানাধীন। আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব একমাত্র তাঁরই। তারপর তোমরা তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- শাফা‘আত সম্পূর্ণ আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব তাঁরই, অতঃপর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।
বল- শাফা‘আত সম্পূর্ণ আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব তাঁরই, অতঃপর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।
Sahih International:
Say, "To Allah belongs [the right to allow] intercession entirely. To Him belongs the dominion of the heavens and the earth. Then to Him you will be returned."
Say, "To Allah belongs [the right to allow] intercession entirely. To Him belongs the dominion of the heavens and the earth. Then to Him you will be returned."
وَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰهُ وَحْدَهُ اشْمَاَزَّتْ قُلُوْبُ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ ۚ وَ اِذَا ذُکِرَ الَّذِیْنَ مِنْ دُوْنِهٖۤ اِذَا هُمْ یَسْتَبْشِرُوْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-যুকিরাল্লা-হু ওয়াহদাহুশমাআযযাত কুলূবুল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআখিরাতি ওয়া ইযা-যুকিরাল্লাযীনা মিন দূ নিহী ইযা-হুম ইয়াছতাবশিরূন।
ওয়া ইযা-যুকিরাল্লা-হু ওয়াহদাহুশমাআযযাত কুলূবুল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআখিরাতি ওয়া ইযা-যুকিরাল্লাযীনা মিন দূ নিহী ইযা-হুম ইয়াছতাবশিরূন।
আল বায়ান:
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, এক আল্লাহর কথা বলা হলে তাদের অন্তর সঙ্কুচিত হয়ে যায়। আর আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্যগুলোর কথা বলা হলে তখনই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়।
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, এক আল্লাহর কথা বলা হলে তাদের অন্তর সঙ্কুচিত হয়ে যায়। আর আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্যগুলোর কথা বলা হলে তখনই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এক আল্লাহর উল্লেখ করা হলেই যারা ক্বিয়ামতে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় ভরে যায়। আর আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য উপাস্যের উল্লেখ করা হলেই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়।
এক আল্লাহর উল্লেখ করা হলেই যারা ক্বিয়ামতে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় ভরে যায়। আর আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য উপাস্যের উল্লেখ করা হলেই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়।
Sahih International:
And when Allah is mentioned alone, the hearts of those who do not believe in the Hereafter shrink with aversion, but when those [worshipped] other than Him are mentioned, immediately they rejoice.
And when Allah is mentioned alone, the hearts of those who do not believe in the Hereafter shrink with aversion, but when those [worshipped] other than Him are mentioned, immediately they rejoice.
قُلِ اللّٰهُمَّ فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ عٰلِمَ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَۃِ اَنْتَ تَحْکُمُ بَیْنَ عِبَادِکَ فِیْ مَا کَانُوْا فِیْهِ یَخْتَلِفُوْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কুল্লিলা-হুম্মা ফা-তিরাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি আনতা তাহকুমুবাইনা ‘ইবা-দিকা ফী মা-কা-নূফীহি ইয়াখতালিফূন।
কুল্লিলা-হুম্মা ফা-তিরাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি আনতা তাহকুমুবাইনা ‘ইবা-দিকা ফী মা-কা-নূফীহি ইয়াখতালিফূন।
আল বায়ান:
বল, ‘হে আল্লাহ, আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, গায়েব ও উপস্থিত বিষয়াদির জ্ঞানী; তুমি তোমার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবে যাতে তারা মতবিরোধ করছে’।
বল, ‘হে আল্লাহ, আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, গায়েব ও উপস্থিত বিষয়াদির জ্ঞানী; তুমি তোমার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবে যাতে তারা মতবিরোধ করছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- হে আল্লাহ! আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তুমি তোমার বান্দাহদের মাঝে মীমাংসা করে দেবে যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে.
বল- হে আল্লাহ! আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তুমি তোমার বান্দাহদের মাঝে মীমাংসা করে দেবে যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে.
Sahih International:
Say, "O Allah, Creator of the heavens and the earth, Knower of the unseen and the witnessed, You will judge between your servants concerning that over which they used to differ."
Say, "O Allah, Creator of the heavens and the earth, Knower of the unseen and the witnessed, You will judge between your servants concerning that over which they used to differ."
وَ لَوْ اَنَّ لِلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مَا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا وَّ مِثْلَهٗ مَعَهٗ لَافْتَدَوْا بِهٖ مِنْ سُوْٓءِ الْعَذَابِ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ ؕ وَ بَدَا لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مَا لَمْ یَکُوْنُوْا یَحْتَسِبُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও আন্না লিল্লাযীনা জালামূমা-ফিল আরদিজামী‘আওঁ ওয়া মিছলাহূমা‘আহূ লাফতাদাও বিহী মিন ছূইল ‘আযা-বি ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া বাদা-লাহুম মিনাল্লা-হি মা-লাম ইয়াকূনূইয়াহতাছিবূন।
ওয়ালাও আন্না লিল্লাযীনা জালামূমা-ফিল আরদিজামী‘আওঁ ওয়া মিছলাহূমা‘আহূ লাফতাদাও বিহী মিন ছূইল ‘আযা-বি ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া বাদা-লাহুম মিনাল্লা-হি মা-লাম ইয়াকূনূইয়াহতাছিবূন।
আল বায়ান:
আর যারা যুলম করেছে, যদি যমীনে যা আছে তা সব এবং এর সমপরিমাণও তাদের জন্য হয়; তবে কিয়ামতের দিন কঠিন আযাব থেকে বাঁচার জন্য মুক্তিপণস্বরূপ তারা তা দিয়ে দেবে। সেখানে আল্লাহর কাছে থেকে তাদের জন্য এমন কিছু প্রকাশিত হবে, যা তারা কখনো কল্পনাও করত না।
আর যারা যুলম করেছে, যদি যমীনে যা আছে তা সব এবং এর সমপরিমাণও তাদের জন্য হয়; তবে কিয়ামতের দিন কঠিন আযাব থেকে বাঁচার জন্য মুক্তিপণস্বরূপ তারা তা দিয়ে দেবে। সেখানে আল্লাহর কাছে থেকে তাদের জন্য এমন কিছু প্রকাশিত হবে, যা তারা কখনো কল্পনাও করত না।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা অন্যায়কারী দুনিয়াতে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু যদি তাদেরই হয়, আর তার সাথে আরো অত পরিমাণ হয়, তারা ক্বিয়ামতের কঠিন ‘আযাব থেকে বাঁচার জন্য মুক্তিপণ স্বরূপ দিতে চাইবে। সেখানে আল্লাহর নিকট থেকে তারা এমন কিছুর সম্মুখীন হবে যা তারা কক্ষনো অনুমানও করেনি।
যারা অন্যায়কারী দুনিয়াতে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু যদি তাদেরই হয়, আর তার সাথে আরো অত পরিমাণ হয়, তারা ক্বিয়ামতের কঠিন ‘আযাব থেকে বাঁচার জন্য মুক্তিপণ স্বরূপ দিতে চাইবে। সেখানে আল্লাহর নিকট থেকে তারা এমন কিছুর সম্মুখীন হবে যা তারা কক্ষনো অনুমানও করেনি।
Sahih International:
And if those who did wrong had all that is in the earth entirely and the like of it with it, they would [attempt to] ransom themselves thereby from the worst of the punishment on the Day of Resurrection. And there will appear to them from Allah that which they had not taken into account.
And if those who did wrong had all that is in the earth entirely and the like of it with it, they would [attempt to] ransom themselves thereby from the worst of the punishment on the Day of Resurrection. And there will appear to them from Allah that which they had not taken into account.
وَ بَدَا لَهُمْ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوْا وَ حَاقَ بِهِمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বাদা-লাহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূওয়াহা-কা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিঊন।
ওয়া বাদা-লাহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূওয়াহা-কা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিঊন।
আল বায়ান:
আর তারা যা অর্জন করেছিল তার মন্দ ফল তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে পরিবেষ্টন করবে।
আর তারা যা অর্জন করেছিল তার মন্দ ফল তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে পরিবেষ্টন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কৃতকর্মের মন্দ রূপ সেদিন প্রকাশ হয়ে পড়বে, আর তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তাই তাদেরকে ঘিরে ফেলবে।
তাদের কৃতকর্মের মন্দ রূপ সেদিন প্রকাশ হয়ে পড়বে, আর তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তাই তাদেরকে ঘিরে ফেলবে।
Sahih International:
And there will appear to them the evils they had earned, and they will be enveloped by what they used to ridicule.
And there will appear to them the evils they had earned, and they will be enveloped by what they used to ridicule.
فَاِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ ضُرٌّ دَعَانَا ۫ ثُمَّ اِذَا خَوَّلْنٰهُ نِعْمَۃً مِّنَّا ۙ قَالَ اِنَّمَاۤ اُوْتِیْتُهٗ عَلٰی عِلْمٍ ؕ بَلْ هِیَ فِتْنَۃٌ وَّ لٰکِنَّ اَکْثَرَهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-মাছছাল ইনছা-না দুররুন দা‘আ-না- ছু ম্মা ইযা-খাওওয়ালনা-হু নি‘মাতাম মিন্না- কা-লা ইন্নামাঊতীতুহূ‘আলা-‘ইলমিম বাল হিয়া ফিতনাতুওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
ফাইযা-মাছছাল ইনছা-না দুররুন দা‘আ-না- ছু ম্মা ইযা-খাওওয়ালনা-হু নি‘মাতাম মিন্না- কা-লা ইন্নামাঊতীতুহূ‘আলা-‘ইলমিম বাল হিয়া ফিতনাতুওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
অতঃপর কোন বিপদাপদ মানুষকে স্পর্শ করলে সে আমাকে ডাকে। তারপর যখন আমি আমার পক্ষ থেকে নি‘আমত দিয়ে তাকে অনুগ্রহ করি তখন সে বলে, ‘জ্ঞানের কারণেই কেবল আমাকে তা দেয়া হয়েছে’। বরং এটা এক পরীক্ষা। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
অতঃপর কোন বিপদাপদ মানুষকে স্পর্শ করলে সে আমাকে ডাকে। তারপর যখন আমি আমার পক্ষ থেকে নি‘আমত দিয়ে তাকে অনুগ্রহ করি তখন সে বলে, ‘জ্ঞানের কারণেই কেবল আমাকে তা দেয়া হয়েছে’। বরং এটা এক পরীক্ষা। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষকে বিপদাপদ স্পর্শ করলে আমাকে ডাকে। অতঃপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নি‘মাত দিয়ে ধন্য করি তখন সে বলে- আমার জ্ঞান গরিমার বদৌলতেই আমাকে তা দেয়া হয়েছে। না, তা নয়। এটা একটা পরীক্ষা (অনুগ্রহ লাভ করে কে আল্লাহর কৃতজ্ঞ হয় আর কে নিজের বড়াই প্রকাশ করে তা দেখার জন্য)। কিন্তু (এর গুঢ়তত্ত্ব) তাদের অধিকাংশই বুঝে না।
মানুষকে বিপদাপদ স্পর্শ করলে আমাকে ডাকে। অতঃপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নি‘মাত দিয়ে ধন্য করি তখন সে বলে- আমার জ্ঞান গরিমার বদৌলতেই আমাকে তা দেয়া হয়েছে। না, তা নয়। এটা একটা পরীক্ষা (অনুগ্রহ লাভ করে কে আল্লাহর কৃতজ্ঞ হয় আর কে নিজের বড়াই প্রকাশ করে তা দেখার জন্য)। কিন্তু (এর গুঢ়তত্ত্ব) তাদের অধিকাংশই বুঝে না।
Sahih International:
And when adversity touches man, he calls upon Us; then when We bestow on him a favor from Us, he says, "I have only been given it because of [my] knowledge." Rather, it is a trial, but most of them do not know.
And when adversity touches man, he calls upon Us; then when We bestow on him a favor from Us, he says, "I have only been given it because of [my] knowledge." Rather, it is a trial, but most of them do not know.
قَدْ قَالَهَا الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَمَاۤ اَغْنٰی عَنْهُمْ مَّا کَانُوْا یَکْسِبُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
কাদ কা-লাহাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।
কাদ কা-লাহাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।
আল বায়ান:
অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীরা এটা বলেছিল। কিন্তু তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের কোন কাজে আসেনি।
অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীরা এটা বলেছিল। কিন্তু তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের কোন কাজে আসেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের আগে যারা ছিল তারাও এ কথাই বলত। কিন্তু তারা যা করত তা তাদের কোনই কাজে আসেনি।
তাদের আগে যারা ছিল তারাও এ কথাই বলত। কিন্তু তারা যা করত তা তাদের কোনই কাজে আসেনি।
Sahih International:
Those before them had already said it, but they were not availed by what they used to earn.
Those before them had already said it, but they were not availed by what they used to earn.
فَاَصَابَهُمْ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوْا ؕ وَ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مِنْ هٰۤؤُلَآءِ سَیُصِیْبُهُمْ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوْا ۙ وَ مَا هُمْ بِمُعْجِزِیْنَ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ফাআসা-বাহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূ ওয়াল্লাযীনা জালামূমিন হাউলাই ছাইউসীবুহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূ ওয়া মা-হুম বিমু‘জিযীন।
ফাআসা-বাহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূ ওয়াল্লাযীনা জালামূমিন হাউলাই ছাইউসীবুহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূ ওয়া মা-হুম বিমু‘জিযীন।
আল বায়ান:
সুতরাং তাদের কৃতকর্মের মন্দ ফল তাদের উপর আপতিত হয়েছিল। এদের মধ্যেও যারা যুলম করে তাদের উপরেও তাদের অর্জনের সব মন্দফল শীঘ্রই আপতিত হবে। আর তারা অক্ষম করতে পারবে না।
সুতরাং তাদের কৃতকর্মের মন্দ ফল তাদের উপর আপতিত হয়েছিল। এদের মধ্যেও যারা যুলম করে তাদের উপরেও তাদের অর্জনের সব মন্দফল শীঘ্রই আপতিত হবে। আর তারা অক্ষম করতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কর্মের খারাপ পরিণাম তাদের উপর পতিত হয়েছিল। আর এদের মধ্যেও যারা যুলম করেছে তাদের কর্মের মন্দ পরিণাম এদেরই উপর পতিত হবে। এরা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।
তাদের কর্মের খারাপ পরিণাম তাদের উপর পতিত হয়েছিল। আর এদের মধ্যেও যারা যুলম করেছে তাদের কর্মের মন্দ পরিণাম এদেরই উপর পতিত হবে। এরা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।
Sahih International:
And the evil consequences of what they earned struck them. And those who have wronged of these [people] will be afflicted by the evil consequences of what they earned; and they will not cause failure.
And the evil consequences of what they earned struck them. And those who have wronged of these [people] will be afflicted by the evil consequences of what they earned; and they will not cause failure.
اَوَ لَمْ یَعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ یَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ یَقْدِرُ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یُّؤْمِنُوْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়াবছুতু র রিযকালিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়াইয়াকদিরু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আওয়ালাম ইয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়াবছুতু র রিযকালিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়াইয়াকদিরু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
তারা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন রিয্ক প্রশস্ত করে দেন আর সঙ্কুচিত করে দেন? নিশ্চয় এতে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।
তারা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন রিয্ক প্রশস্ত করে দেন আর সঙ্কুচিত করে দেন? নিশ্চয় এতে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা কি জানে না যে, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে রিযক প্রশস্ত করেন আর (যার জন্য ইচ্ছে) সংকুচিত করেন? মু’মিন লোকদের জন্য অবশ্যই এতে বহু নিদর্শন আছে।
এরা কি জানে না যে, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে রিযক প্রশস্ত করেন আর (যার জন্য ইচ্ছে) সংকুচিত করেন? মু’মিন লোকদের জন্য অবশ্যই এতে বহু নিদর্শন আছে।
Sahih International:
Do they not know that Allah extends provision for whom He wills and restricts [it]? Indeed in that are signs for a people who believe.
Do they not know that Allah extends provision for whom He wills and restricts [it]? Indeed in that are signs for a people who believe.
قُلْ یٰعِبَادِیَ الَّذِیْنَ اَسْرَفُوْا عَلٰۤی اَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوْا مِنْ رَّحْمَۃِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِیْعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
কুল ইয়া-‘ইবা-দিয়াল্লাযীনা আছরাফূ‘আলাআনফুছিহিম লা-তাকনাতূমির রাহমাতিল্লাহি ইন্নাল্লা-হা ইয়াগফিরুয যুনূবা জামী‘আন ইন্নাহূহুওয়াল গাফূরুর রাহীম।
কুল ইয়া-‘ইবা-দিয়াল্লাযীনা আছরাফূ‘আলাআনফুছিহিম লা-তাকনাতূমির রাহমাতিল্লাহি ইন্নাল্লা-হা ইয়াগফিরুয যুনূবা জামী‘আন ইন্নাহূহুওয়াল গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
বল- হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
Sahih International:
Say, "O My servants who have transgressed against themselves [by sinning], do not despair of the mercy of Allah. Indeed, Allah forgives all sins. Indeed, it is He who is the Forgiving, the Merciful."
Say, "O My servants who have transgressed against themselves [by sinning], do not despair of the mercy of Allah. Indeed, Allah forgives all sins. Indeed, it is He who is the Forgiving, the Merciful."
وَ اَنِیْبُوْۤا اِلٰی رَبِّکُمْ وَ اَسْلِمُوْا لَهٗ مِنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَکُمُ الْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنْصَرُوْنَ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনীবূইলা-রাব্বিকুম ওয়া আছলিমূলাহূমিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়াকুমুল ‘আযা-বু ছু ম্মা লা-তুনসারূন।
ওয়া আনীবূইলা-রাব্বিকুম ওয়া আছলিমূলাহূমিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়াকুমুল ‘আযা-বু ছু ম্মা লা-তুনসারূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের উপর আযাব আসার পূর্বেই তার কাছে আত্মসমর্পণ কর। তার (আযাব আসার) পরে তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের উপর আযাব আসার পূর্বেই তার কাছে আত্মসমর্পণ কর। তার (আযাব আসার) পরে তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও আর তাঁর অনুগত হও তোমাদের কাছে ‘আযাব আসার পূর্বে। (‘আযাব এসে গেলে) তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও আর তাঁর অনুগত হও তোমাদের কাছে ‘আযাব আসার পূর্বে। (‘আযাব এসে গেলে) তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
Sahih International:
And return [in repentance] to your Lord and submit to Him before the punishment comes upon you; then you will not be helped.
And return [in repentance] to your Lord and submit to Him before the punishment comes upon you; then you will not be helped.
وَ اتَّبِعُوْۤا اَحْسَنَ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْکُمْ مِّنْ رَّبِّکُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَکُمُ الْعَذَابُ بَغْتَۃً وَّ اَنْتُمْ لَا تَشْعُرُوْنَ ﴿ۙ۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাবি‘ঊআহছানা মাউনযিলা ইলাকুম মির রাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়াকুমুল ‘আযা-বুবাগতাতাওঁ ওয়া আনতুম লা-তাশ‘ঊরূন।
ওয়াত্তাবি‘ঊআহছানা মাউনযিলা ইলাকুম মির রাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়াকুমুল ‘আযা-বুবাগতাতাওঁ ওয়া আনতুম লা-তাশ‘ঊরূন।
আল বায়ান:
আর অনুসরণ কর উত্তম যা নাযিল করা হয়েছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে, তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে আযাব আসার পূর্বে। অথচ তোমরা উপলব্ধি করতে পারবে না।
আর অনুসরণ কর উত্তম যা নাযিল করা হয়েছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে, তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে আযাব আসার পূর্বে। অথচ তোমরা উপলব্ধি করতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে যাকে উত্তম আখ্যায়িত করা হয়েছে তোমরা সেগুলোর অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অকস্মাৎ ‘আযাব এসে যাওয়ার পূর্বে যে বিষয়ে তোমরা টেরও পাবে না।
তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে যাকে উত্তম আখ্যায়িত করা হয়েছে তোমরা সেগুলোর অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অকস্মাৎ ‘আযাব এসে যাওয়ার পূর্বে যে বিষয়ে তোমরা টেরও পাবে না।
Sahih International:
And follow the best of what was revealed to you from your Lord before the punishment comes upon you suddenly while you do not perceive,
And follow the best of what was revealed to you from your Lord before the punishment comes upon you suddenly while you do not perceive,
اَنْ تَقُوْلَ نَفْسٌ یّٰحَسْرَتٰی عَلٰی مَا فَرَّطْتُّ فِیْ جَنْۢبِ اللّٰهِ وَ اِنْ کُنْتُ لَمِنَ السّٰخِرِیْنَ ﴿ۙ۵۶﴾
উচ্চারণ:
আন তাকূলা নাফছুইঁ ইয়া-হাছরাতা-‘আলা-মা-ফাররাত্তুফী জামবিল্লা-হি ওয়া ইন কুনতু লামিনাছ ছা-খিরীন।
আন তাকূলা নাফছুইঁ ইয়া-হাছরাতা-‘আলা-মা-ফাররাত্তুফী জামবিল্লা-হি ওয়া ইন কুনতু লামিনাছ ছা-খিরীন।
আল বায়ান:
যাতে কাউকেও বলতে না হয়, ‘হায় আফসোস! আল্লাহর হক আদায়ে আমি যে শৈথিল্য করেছিলাম তার জন্য। আর আমি কেবল ঠাট্টা-বিদ্রূপকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম’।
যাতে কাউকেও বলতে না হয়, ‘হায় আফসোস! আল্লাহর হক আদায়ে আমি যে শৈথিল্য করেছিলাম তার জন্য। আর আমি কেবল ঠাট্টা-বিদ্রূপকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে কাউকে বলতে না হয়- হায় আফসোস! আমি আল্লাহর প্রতি (আমার কর্তব্যে) অবহেলা করেছিলাম, আর আমি তো ঠাট্টা বিদ্রূপকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।
যাতে কাউকে বলতে না হয়- হায় আফসোস! আমি আল্লাহর প্রতি (আমার কর্তব্যে) অবহেলা করেছিলাম, আর আমি তো ঠাট্টা বিদ্রূপকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।
Sahih International:
Lest a soul should say, "Oh [how great is] my regret over what I neglected in regard to Allah and that I was among the mockers."
Lest a soul should say, "Oh [how great is] my regret over what I neglected in regard to Allah and that I was among the mockers."
اَوْ تَقُوْلَ لَوْ اَنَّ اللّٰهَ هَدٰىنِیْ لَکُنْتُ مِنَ الْمُتَّقِیْنَ ﴿ۙ۵۷﴾
উচ্চারণ:
আও তাকূলা লাও আন্নাল্লা-হা হাদা-নী লাকুনতুমিনাল মুত্তাকীন।
আও তাকূলা লাও আন্নাল্লা-হা হাদা-নী লাকুনতুমিনাল মুত্তাকীন।
আল বায়ান:
অথবা যাতে কাউকে একথাও বলতে না হয়, ‘আল্লাহ যদি আমাকে হিদায়াত দিতেন তাহলে অবশ্যই আমি মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।
অথবা যাতে কাউকে একথাও বলতে না হয়, ‘আল্লাহ যদি আমাকে হিদায়াত দিতেন তাহলে অবশ্যই আমি মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা এ কথা যেন বলতে না হয় যে, আল্লাহ যদি আমাকে সঠিক পথ দেখাতেন, তাহলে আমি অবশ্যই মুত্তাক্বীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
অথবা এ কথা যেন বলতে না হয় যে, আল্লাহ যদি আমাকে সঠিক পথ দেখাতেন, তাহলে আমি অবশ্যই মুত্তাক্বীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
Sahih International:
Or [lest] it say, "If only Allah had guided me, I would have been among the righteous."
Or [lest] it say, "If only Allah had guided me, I would have been among the righteous."
اَوْ تَقُوْلَ حِیْنَ تَرَی الْعَذَابَ لَوْ اَنَّ لِیْ کَرَّۃً فَاَکُوْنَ مِنَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
আও তাকূলা হীনা তারাল ‘আযা-বা লাও আন্না লী কাররাতান ফাআকূনা মিনাল মুহছিনীন।
আও তাকূলা হীনা তারাল ‘আযা-বা লাও আন্না লী কাররাতান ফাআকূনা মিনাল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
অথবা আযাব প্রত্যক্ষ করার সময় যাতে কাউকে একথাও বলতে না হয়, ‘যদি একবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ আমার হত, তাহলে আমি মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।
অথবা আযাব প্রত্যক্ষ করার সময় যাতে কাউকে একথাও বলতে না হয়, ‘যদি একবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ আমার হত, তাহলে আমি মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা শাস্তি দেখার পর কাউকে যেন বলতে না হয়, আমাকে যদি একবার (পৃথিবীতে) ফিরে যাবার সুযোগ দেয়া হত, তাহলে আমি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
অথবা শাস্তি দেখার পর কাউকে যেন বলতে না হয়, আমাকে যদি একবার (পৃথিবীতে) ফিরে যাবার সুযোগ দেয়া হত, তাহলে আমি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
Sahih International:
Or [lest] it say when it sees the punishment, "If only I had another turn so I could be among the doers of good."
Or [lest] it say when it sees the punishment, "If only I had another turn so I could be among the doers of good."
بَلٰی قَدْ جَآءَتْکَ اٰیٰتِیْ فَکَذَّبْتَ بِهَا وَ اسْتَکْبَرْتَ وَ کُنْتَ مِنَ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
বালা-কাদ জাআতকা আ-য়া-তী ফাকাযযাবতা বিহা-ওয়াছতাকবারতা ওয়াকুনতা মিনাল কা-ফিরীন।
বালা-কাদ জাআতকা আ-য়া-তী ফাকাযযাবতা বিহা-ওয়াছতাকবারতা ওয়াকুনতা মিনাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
হ্যাঁ, অবশ্যই তোমার কাছে আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, অতঃপর তুমি সেগুলোকে অস্বীকার করেছিলে এবং তুমি অহঙ্কার করেছিলে। আর তুমি কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
হ্যাঁ, অবশ্যই তোমার কাছে আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, অতঃপর তুমি সেগুলোকে অস্বীকার করেছিলে এবং তুমি অহঙ্কার করেছিলে। আর তুমি কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
তাইসিরুল কুরআন:
(তাকে উত্তর দেয়া হবে) না, বরং তোমার কাছে আমার নিদর্শন এসেছিল, তখন তুমি সেগুলোকে মিথ্যে বলে অস্বীকার করেছিলে, অহংকার করেছিলে আর কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
(তাকে উত্তর দেয়া হবে) না, বরং তোমার কাছে আমার নিদর্শন এসেছিল, তখন তুমি সেগুলোকে মিথ্যে বলে অস্বীকার করেছিলে, অহংকার করেছিলে আর কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
Sahih International:
But yes, there had come to you My verses, but you denied them and were arrogant, and you were among the disbelievers.
But yes, there had come to you My verses, but you denied them and were arrogant, and you were among the disbelievers.
وَ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ تَرَی الَّذِیْنَ کَذَبُوْا عَلَی اللّٰهِ وُجُوْهُهُمْ مُّسْوَدَّۃٌ ؕ اَلَیْسَ فِیْ جَهَنَّمَ مَثْوًی لِّلْمُتَکَبِّرِیْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি তারাল্লাযীনা কাযাবূ‘আলাল্লা-হি ঊজূহুহুম মুছওয়াদ্দাতুন আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়াল লিলমুতাকাব্বিরীন।
ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি তারাল্লাযীনা কাযাবূ‘আলাল্লা-হি ঊজূহুহুম মুছওয়াদ্দাতুন আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়াল লিলমুতাকাব্বিরীন।
আল বায়ান:
আর যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে কিয়ামতের দিন তুমি তাদের চেহারাগুলো কালো দেখতে পাবে। অহঙ্কারীদের বাসস্থান জাহান্নামের মধ্যে নয় কি?
আর যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে কিয়ামতের দিন তুমি তাদের চেহারাগুলো কালো দেখতে পাবে। অহঙ্কারীদের বাসস্থান জাহান্নামের মধ্যে নয় কি?
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে ক্বিয়ামতের দিনে তুমি তাদের মুখগুলো কালো দেখতে পাবে. অহংকারীদের আবাসস্থল কি জাহান্নামে নয়?
যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে ক্বিয়ামতের দিনে তুমি তাদের মুখগুলো কালো দেখতে পাবে. অহংকারীদের আবাসস্থল কি জাহান্নামে নয়?
Sahih International:
And on the Day of Resurrection you will see those who lied about Allah [with] their faces blackened. Is there not in Hell a residence for the arrogant?
And on the Day of Resurrection you will see those who lied about Allah [with] their faces blackened. Is there not in Hell a residence for the arrogant?
وَ یُنَجِّی اللّٰهُ الَّذِیْنَ اتَّقَوْا بِمَفَازَتِهِمْ ۫ لَا یَمَسُّهُمُ السُّوْٓءُ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইউনাজ্জিল্লা-হুল্লাযীনাত্তাকাও বিমাফা-যাতিহিম লা-ইয়ামাছছুহুমুছ ছূউ ওয়ালাহুম ইয়াহযানূন।
ওয়া ইউনাজ্জিল্লা-হুল্লাযীনাত্তাকাও বিমাফা-যাতিহিম লা-ইয়ামাছছুহুমুছ ছূউ ওয়ালাহুম ইয়াহযানূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে তাদের সাফল্যসহ নাজাত দেবেন। কোন অমঙ্গল তাদেরকে স্পর্শ করবে না। আর তারা চিন্তিতও হবে না।
আর আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে তাদের সাফল্যসহ নাজাত দেবেন। কোন অমঙ্গল তাদেরকে স্পর্শ করবে না। আর তারা চিন্তিতও হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহ মুত্তাক্বীদেরকে রক্ষা করবেন তাদের সফলতার কারণে। কোন খারাবী তাদেরকে স্পর্শ করবে না, আর তারা দুঃখিতও হবে না।
আর আল্লাহ মুত্তাক্বীদেরকে রক্ষা করবেন তাদের সফলতার কারণে। কোন খারাবী তাদেরকে স্পর্শ করবে না, আর তারা দুঃখিতও হবে না।
Sahih International:
And Allah will save those who feared Him by their attainment; no evil will touch them, nor will they grieve.
And Allah will save those who feared Him by their attainment; no evil will touch them, nor will they grieve.
اَللّٰهُ خَالِقُ کُلِّ شَیْءٍ ۫ وَّ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ وَّکِیْلٌ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হু খা-লিকুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়াকীল।
আল্লা-হু খা-লিকুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়াকীল।
আল বায়ান:
আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক।
আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা আর তিনি সব কিছুর অভিভাবক এবং কর্ম সম্পাদনকারী।
আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা আর তিনি সব কিছুর অভিভাবক এবং কর্ম সম্পাদনকারী।
Sahih International:
Allah is the Creator of all things, and He is, over all things, Disposer of affairs.
Allah is the Creator of all things, and He is, over all things, Disposer of affairs.
لَهٗ مَقَالِیْدُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ اُولٰٓئِکَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
লাহূমাকা-লিদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তিল্লা-হি উলাইকা হুমুল খা-ছিরূন।
লাহূমাকা-লিদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তিল্লা-হি উলাইকা হুমুল খা-ছিরূন।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনের চাবিসমূহ তাঁরই কাছে। আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
আসমানসমূহ ও যমীনের চাবিসমূহ তাঁরই কাছে। আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান আর যমীনের কুঞ্জি তাঁরই হাতে, আর যারা আল্লাহর নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।
আসমান আর যমীনের কুঞ্জি তাঁরই হাতে, আর যারা আল্লাহর নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।
Sahih International:
To Him belong the keys of the heavens and the earth. And they who disbelieve in the verses of Allah - it is those who are the losers.
To Him belong the keys of the heavens and the earth. And they who disbelieve in the verses of Allah - it is those who are the losers.
قُلْ اَفَغَیْرَ اللّٰهِ تَاْمُرُوْٓنِّیْۤ اَعْبُدُ اَیُّهَا الْجٰهِلُوْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
কুল আফাগাইরাল্লা-হি তা’মুরূন্নীআ‘বুদুআইয়ুহাল জা-হিলূন।
কুল আফাগাইরাল্লা-হি তা’মুরূন্নীআ‘বুদুআইয়ুহাল জা-হিলূন।
আল বায়ান:
বল, ‘হে অজ্ঞরা, তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদাত করার আদেশ করছ’?
বল, ‘হে অজ্ঞরা, তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদাত করার আদেশ করছ’?
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ওহে অজ্ঞরা! তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ‘ইবাদাত করার আদেশ করছ?
বল, ওহে অজ্ঞরা! তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ‘ইবাদাত করার আদেশ করছ?
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Is it other than Allah that you order me to worship, O ignorant ones?"
Say, [O Muhammad], "Is it other than Allah that you order me to worship, O ignorant ones?"
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْکَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِکَ ۚ لَئِنْ اَشْرَکْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُکَ وَ لَتَکُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা কাদ ঊহিয়া ইলাইকা ওয়া ইলাল্লাযীনা মিন কাবলিকা লাইন আশরাকতা লাইয়াহবাতান্না ‘আমালুকা ওয়া লাতাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।
ওয়ালা কাদ ঊহিয়া ইলাইকা ওয়া ইলাল্লাযীনা মিন কাবলিকা লাইন আশরাকতা লাইয়াহবাতান্না ‘আমালুকা ওয়া লাতাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শির্ক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শির্ক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তোমার কাছে আর তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে, তুমি যদি (আল্লাহর) শরীক স্থির কর, তাহলে তোমার কর্ম অবশ্য অবশ্যই নিস্ফল হয়ে যাবে, আর তুমি অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
কিন্তু তোমার কাছে আর তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে, তুমি যদি (আল্লাহর) শরীক স্থির কর, তাহলে তোমার কর্ম অবশ্য অবশ্যই নিস্ফল হয়ে যাবে, আর তুমি অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
Sahih International:
And it was already revealed to you and to those before you that if you should associate [anything] with Allah, your work would surely become worthless, and you would surely be among the losers."
And it was already revealed to you and to those before you that if you should associate [anything] with Allah, your work would surely become worthless, and you would surely be among the losers."
بَلِ اللّٰهَ فَاعْبُدْ وَ کُنْ مِّنَ الشّٰکِرِیْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
বালিল্লা-হা ফা‘বুদ ওয়াকুম মিনাশশা-কিরীন।
বালিল্লা-হা ফা‘বুদ ওয়াকুম মিনাশশা-কিরীন।
আল বায়ান:
বরং তুমি আল্লাহরই ইবাদাত কর এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও।
বরং তুমি আল্লাহরই ইবাদাত কর এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও।
তাইসিরুল কুরআন:
না, বরং আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, আর শুকরগুজারদের অন্তর্ভুক্ত হও।
না, বরং আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, আর শুকরগুজারদের অন্তর্ভুক্ত হও।
Sahih International:
Rather, worship [only] Allah and be among the grateful.
Rather, worship [only] Allah and be among the grateful.
وَ مَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدْرِهٖ ٭ۖ وَ الْاَرْضُ جَمِیْعًا قَبْضَتُهٗ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ وَ السَّمٰوٰتُ مَطْوِیّٰتٌۢ بِیَمِیْنِهٖ ؕ سُبْحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشْرِکُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-কাদারুল্লা-হা হাক্কা কাদরিহী ওয়াল আরদুজামী‘আন কাবদাতুহূ ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়াছ ছামা-ওয়া-তুমাতবিইয়া-তুম বিয়ামীনিহী ছুবহা-নাহূ ওয়া তা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।
ওয়ামা-কাদারুল্লা-হা হাক্কা কাদরিহী ওয়াল আরদুজামী‘আন কাবদাতুহূ ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়াছ ছামা-ওয়া-তুমাতবিইয়া-তুম বিয়ামীনিহী ছুবহা-নাহূ ওয়া তা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।
আল বায়ান:
আর তারা আল্লাহকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। অথচ কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীই থাকবে তাঁর মুষ্টিতে এবং আকাশসমূহ তাঁর ডান হাতে ভাঁজ করা থাকবে। তিনি পবিত্র, তারা যাদেরকে শরীক করে তিনি তাদের ঊর্ধ্বে।
আর তারা আল্লাহকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। অথচ কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীই থাকবে তাঁর মুষ্টিতে এবং আকাশসমূহ তাঁর ডান হাতে ভাঁজ করা থাকবে। তিনি পবিত্র, তারা যাদেরকে শরীক করে তিনি তাদের ঊর্ধ্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় না। ক্বিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্ঠিতে থাকবে, আর আকাশমন্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। মাহাত্ম্য তাঁরই, তারা যাদেরকে তাঁর শরীক করে তিনি তাদের বহু ঊর্ধ্বে।
তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় না। ক্বিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্ঠিতে থাকবে, আর আকাশমন্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। মাহাত্ম্য তাঁরই, তারা যাদেরকে তাঁর শরীক করে তিনি তাদের বহু ঊর্ধ্বে।
Sahih International:
They have not appraised Allah with true appraisal, while the earth entirely will be [within] His grip on the Day of Resurrection, and the heavens will be folded in His right hand. Exalted is He and high above what they associate with Him.
They have not appraised Allah with true appraisal, while the earth entirely will be [within] His grip on the Day of Resurrection, and the heavens will be folded in His right hand. Exalted is He and high above what they associate with Him.
وَ نُفِخَ فِی الصُّوْرِ فَصَعِقَ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَنْ فِی الْاَرْضِ اِلَّا مَنْ شَآءَ اللّٰهُ ؕ ثُمَّ نُفِخَ فِیْهِ اُخْرٰی فَاِذَا هُمْ قِیَامٌ یَّنْظُرُوْنَ ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নুফিখা ফিসসূরি ফাসা‘ইকা মান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়া মান ফিল আরদিইল্লা-মান শাআল্লা-হু ছু ম্মা নুফিখা ফীহি উখরা-ফাইযা-হুম কিয়া-মুইঁ ইয়ানজু রূন।
ওয়া নুফিখা ফিসসূরি ফাসা‘ইকা মান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়া মান ফিল আরদিইল্লা-মান শাআল্লা-হু ছু ম্মা নুফিখা ফীহি উখরা-ফাইযা-হুম কিয়া-মুইঁ ইয়ানজু রূন।
আল বায়ান:
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। ফলে আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করেন তারা ছাড়া আসমানসমূহে যারা আছে এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই বেহুঁশ হয়ে পড়বে। তারপর আবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে।
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। ফলে আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করেন তারা ছাড়া আসমানসমূহে যারা আছে এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই বেহুঁশ হয়ে পড়বে। তারপর আবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যখন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে তখন মুর্ছিত হয়ে পড়বে যারা আছে আকাশে আর যারা আছে যমীনে, তবে আল্লাহর ইচ্ছেয় এত্থেকে যে রেহাই পাবে তার কথা ভিন্ন। অতঃপর শিঙ্গায় আবার ফুঁ দেয়া হবে, তখন তারা উঠে দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে।
আর যখন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে তখন মুর্ছিত হয়ে পড়বে যারা আছে আকাশে আর যারা আছে যমীনে, তবে আল্লাহর ইচ্ছেয় এত্থেকে যে রেহাই পাবে তার কথা ভিন্ন। অতঃপর শিঙ্গায় আবার ফুঁ দেয়া হবে, তখন তারা উঠে দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে।
Sahih International:
And the Horn will be blown, and whoever is in the heavens and whoever is on the earth will fall dead except whom Allah wills. Then it will be blown again, and at once they will be standing, looking on.
And the Horn will be blown, and whoever is in the heavens and whoever is on the earth will fall dead except whom Allah wills. Then it will be blown again, and at once they will be standing, looking on.
وَ اَشْرَقَتِ الْاَرْضُ بِنُوْرِ رَبِّهَا وَ وُضِعَ الْکِتٰبُ وَ جِایْٓءَ بِالنَّبِیّٖنَ وَ الشُّهَدَآءِ وَ قُضِیَ بَیْنَهُمْ بِالْحَقِّ وَ هُمْ لَا یُظْلَمُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আশরাকাতিল আরদু বিনূরি রাব্বিহা- ওয়াউদি‘আল কিতা-বু ওয়াজীআ বিন্নাবিইয়ীনা ওয়াশশুহাদাই ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিল হাক্কিওয়াহুম লা-ইউজলামূন।
ওয়া আশরাকাতিল আরদু বিনূরি রাব্বিহা- ওয়াউদি‘আল কিতা-বু ওয়াজীআ বিন্নাবিইয়ীনা ওয়াশশুহাদাই ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিল হাক্কিওয়াহুম লা-ইউজলামূন।
আল বায়ান:
আর যমীন তার রবের নূরে আলোকিত হবে, আমলনামা উপস্থিত করা হবে এবং নবী ও সাক্ষীগণকে আনা হবে, তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে। এমতাবস্থায় যে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।
আর যমীন তার রবের নূরে আলোকিত হবে, আমলনামা উপস্থিত করা হবে এবং নবী ও সাক্ষীগণকে আনা হবে, তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে। এমতাবস্থায় যে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
পৃথিবী তার প্রতিপালকের জ্যোতিতে ঝলমল করে উঠবে, আর ‘আমালনামা সামনে আনা হবে। নবীগণ ও সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা হবে। সকলের মাঝে ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করা হবে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।
পৃথিবী তার প্রতিপালকের জ্যোতিতে ঝলমল করে উঠবে, আর ‘আমালনামা সামনে আনা হবে। নবীগণ ও সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা হবে। সকলের মাঝে ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করা হবে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।
Sahih International:
And the earth will shine with the light of its Lord, and the record [of deeds] will be placed, and the prophets and the witnesses will be brought, and it will be judged between them in truth, and they will not be wronged.
And the earth will shine with the light of its Lord, and the record [of deeds] will be placed, and the prophets and the witnesses will be brought, and it will be judged between them in truth, and they will not be wronged.
وَ وُفِّیَتْ کُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَا یَفْعَلُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উফফিয়াত কুল্লুনাফছিম মা-‘আমিলাত ওয়া হুওয়া আ‘লামুবিমা-ইয়াফ‘আলূন।
ওয়া উফফিয়াত কুল্লুনাফছিম মা-‘আমিলাত ওয়া হুওয়া আ‘লামুবিমা-ইয়াফ‘আলূন।
আল বায়ান:
আর প্রত্যেককে তার আমলের পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে এবং তারা যা করে সে সম্পর্কে তিনিই সর্বাধিক পরিজ্ঞাত।
আর প্রত্যেককে তার আমলের পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে এবং তারা যা করে সে সম্পর্কে তিনিই সর্বাধিক পরিজ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেকের কাজের পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে। লোকেরা যা করে তা তিনি খুব ভালভাবেই জানেন।
প্রত্যেকের কাজের পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে। লোকেরা যা করে তা তিনি খুব ভালভাবেই জানেন।
Sahih International:
And every soul will be fully compensated [for] what it did; and He is most knowing of what they do.
And every soul will be fully compensated [for] what it did; and He is most knowing of what they do.
وَ سِیْقَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِلٰی جَهَنَّمَ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوْهَا فُتِحَتْ اَبْوَابُهَا وَ قَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَاۤ اَلَمْ یَاْتِکُمْ رُسُلٌ مِّنْکُمْ یَتْلُوْنَ عَلَیْکُمْ اٰیٰتِ رَبِّکُمْ وَ یُنْذِرُوْنَکُمْ لِقَآءَ یَوْمِکُمْ هٰذَا ؕ قَالُوْا بَلٰی وَ لٰکِنْ حَقَّتْ کَلِمَۃُ الْعَذَابِ عَلَی الْکٰفِرِیْنَ ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছীকাল্লাযীনা কাফারূইলা-জাহান্নামা যুমারা- হাত্তাইযা-জাঊহাফুতিহাত আবওয়া-বুহা-ওয়া কা-লা লাহুম খাযানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম রুছুলুম মিনকুম ইয়াতলূনা ‘আলাইকুম আ-য়া-তি রাব্বিকুম ওয়া ইউনযিরূনাকুম লিকাআ ইয়াওমিকুম হাযা- কা-লূবালা-ওয়ালা-কিন হাক্কাত কালিমাতুল ‘আযা-বি ‘আলাল কা-ফিরীন।
ওয়া ছীকাল্লাযীনা কাফারূইলা-জাহান্নামা যুমারা- হাত্তাইযা-জাঊহাফুতিহাত আবওয়া-বুহা-ওয়া কা-লা লাহুম খাযানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম রুছুলুম মিনকুম ইয়াতলূনা ‘আলাইকুম আ-য়া-তি রাব্বিকুম ওয়া ইউনযিরূনাকুম লিকাআ ইয়াওমিকুম হাযা- কা-লূবালা-ওয়ালা-কিন হাক্কাত কালিমাতুল ‘আযা-বি ‘আলাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
আর কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের কাছে এসে পৌঁছবে তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে কি রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদের কাছে তোমাদের রবের আয়াতগুলো তিলাওয়াত করত এবং এ দিনের সাক্ষাৎ সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করত’? তারা বলবে, ‘অবশ্যই এসেছিল’; কিন্তু কাফিরদের উপর আযাবের বাণী সত্যে পরিণত হল।
আর কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের কাছে এসে পৌঁছবে তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে কি রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদের কাছে তোমাদের রবের আয়াতগুলো তিলাওয়াত করত এবং এ দিনের সাক্ষাৎ সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করত’? তারা বলবে, ‘অবশ্যই এসেছিল’; কিন্তু কাফিরদের উপর আযাবের বাণী সত্যে পরিণত হল।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। শেষে যখন তারা সেখানে পোঁছবে, তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে। তখন জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে- তোমাদের কাছে তোমাদেরই ভিতর থেকে কি রসূলগণ আসেননি যারা তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত পড়ে শোনাতেন আর তোমাদেরকে যে এ দিনের সাক্ষাৎ করতে হবে এ সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করতেন? তারা বলবে- হাঁ, এসেছিল। কিন্তু (এ স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও) কাফিরদের প্রতি শাস্তির ফয়সালা অবধারিত হয়ে গেছে।
কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। শেষে যখন তারা সেখানে পোঁছবে, তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে। তখন জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে- তোমাদের কাছে তোমাদেরই ভিতর থেকে কি রসূলগণ আসেননি যারা তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত পড়ে শোনাতেন আর তোমাদেরকে যে এ দিনের সাক্ষাৎ করতে হবে এ সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করতেন? তারা বলবে- হাঁ, এসেছিল। কিন্তু (এ স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও) কাফিরদের প্রতি শাস্তির ফয়সালা অবধারিত হয়ে গেছে।
Sahih International:
And those who disbelieved will be driven to Hell in groups until, when they reach it, its gates are opened and its keepers will say, "Did there not come to you messengers from yourselves, reciting to you the verses of your Lord and warning you of the meeting of this Day of yours?" They will say, "Yes, but the word of punishment has come into effect upon the disbelievers.
And those who disbelieved will be driven to Hell in groups until, when they reach it, its gates are opened and its keepers will say, "Did there not come to you messengers from yourselves, reciting to you the verses of your Lord and warning you of the meeting of this Day of yours?" They will say, "Yes, but the word of punishment has come into effect upon the disbelievers.
قِیْلَ ادْخُلُوْۤا اَبْوَابَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ۚ فَبِئْسَ مَثْوَی الْمُتَکَبِّرِیْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
কীলাদখুলূআবওয়া-বা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- ফাবি’ছা মাছওয়াল মুতাকাব্বিরীন।
কীলাদখুলূআবওয়া-বা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- ফাবি’ছা মাছওয়াল মুতাকাব্বিরীন।
আল বায়ান:
বলা হবে, ‘তোমরা জাহান্নামের দরজাসমূহে প্রবেশ কর, তাতেই স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। অতএব অহঙ্কারীদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট’!
বলা হবে, ‘তোমরা জাহান্নামের দরজাসমূহে প্রবেশ কর, তাতেই স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। অতএব অহঙ্কারীদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট’!
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে বলা হবে- জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, তোমাদেরকে চিরকাল এখানে থাকতে হবে। অহংকারীদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট!
তাদেরকে বলা হবে- জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, তোমাদেরকে চিরকাল এখানে থাকতে হবে। অহংকারীদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট!
Sahih International:
[To them] it will be said, "Enter the gates of Hell to abide eternally therein, and wretched is the residence of the arrogant."
[To them] it will be said, "Enter the gates of Hell to abide eternally therein, and wretched is the residence of the arrogant."
وَ سِیْقَ الَّذِیْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ اِلَی الْجَنَّۃِ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوْهَا وَ فُتِحَتْ اَبْوَابُهَا وَ قَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا سَلٰمٌ عَلَیْکُمْ طِبْتُمْ فَادْخُلُوْهَا خٰلِدِیْنَ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছীকাল্লাযীনাত্তাকাও রাব্বাহুম ইলাল জান্নাতি যুমারা- হাত্তাইযা-জাঊহাওয়া ফুতিহাত আবওয়া-বুহা-ওয়াকালা-লাহুম খাযানাতুহা-ছালা-মুন ‘আলাইকুম তিবতুম ফাদখুলূহা-খা-লিদীন।
ওয়াছীকাল্লাযীনাত্তাকাও রাব্বাহুম ইলাল জান্নাতি যুমারা- হাত্তাইযা-জাঊহাওয়া ফুতিহাত আবওয়া-বুহা-ওয়াকালা-লাহুম খাযানাতুহা-ছালা-মুন ‘আলাইকুম তিবতুম ফাদখুলূহা-খা-লিদীন।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের রবকে ভয় করেছে তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন সেখানে এসে পৌঁছবে এবং এর দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে তখন জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা ভাল ছিলে। অতএব স্থায়ীভাবে থাকার জন্য এখানে প্রবেশ কর’।
আর যারা তাদের রবকে ভয় করেছে তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন সেখানে এসে পৌঁছবে এবং এর দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে তখন জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা ভাল ছিলে। অতএব স্থায়ীভাবে থাকার জন্য এখানে প্রবেশ কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা সেখানে এসে পৌঁছবে, জান্নাতের দরজাগুলো (পূর্ব থেকেই) উন্মুক্ত (দেখতে পাবে)। জান্নাতের দ্বার রক্ষীরা বলবে- তোমাদের উপর শান্তি (বর্ষিত হোক), চমৎকার কাজ করেছ তোমরা, কাজেই চিরকালের জন্য এতে প্রবেশ কর।
যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা সেখানে এসে পৌঁছবে, জান্নাতের দরজাগুলো (পূর্ব থেকেই) উন্মুক্ত (দেখতে পাবে)। জান্নাতের দ্বার রক্ষীরা বলবে- তোমাদের উপর শান্তি (বর্ষিত হোক), চমৎকার কাজ করেছ তোমরা, কাজেই চিরকালের জন্য এতে প্রবেশ কর।
Sahih International:
But those who feared their Lord will be driven to Paradise in groups until, when they reach it while its gates have been opened and its keepers say, "Peace be upon you; you have become pure; so enter it to abide eternally therein," [they will enter].
But those who feared their Lord will be driven to Paradise in groups until, when they reach it while its gates have been opened and its keepers say, "Peace be upon you; you have become pure; so enter it to abide eternally therein," [they will enter].
وَ قَالُوا الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ صَدَقَنَا وَعْدَهٗ وَ اَوْرَثَنَا الْاَرْضَ نَتَبَوَّاُ مِنَ الْجَنَّۃِ حَیْثُ نَشَآءُ ۚ فَنِعْمَ اَجْرُ الْعٰمِلِیْنَ ﴿۷۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লুল হামদুলিল্লা-হিল্লাযী সাদাকানা-ওয়া‘দাহূওয়া আওরাছানাল আরদা নাতাবাওওয়াউ মিনাল জান্নাতি হাইছুনাশাউ ফানি‘মা আজরুল ‘আ-মিলীন।
ওয়া কা-লুল হামদুলিল্লা-হিল্লাযী সাদাকানা-ওয়া‘দাহূওয়া আওরাছানাল আরদা নাতাবাওওয়াউ মিনাল জান্নাতি হাইছুনাশাউ ফানি‘মা আজরুল ‘আ-মিলীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের প্রতি তার ওয়াদাকে সত্য করেছেন। আর আমাদেরকে যমীনের অধিকারী করেছেন। আমরা জান্নাতে যেখানে ইচ্ছা বসবাসের জায়গা করে নেব। অতএব (নেক) আমলকারীদের প্রতিফল কতইনা উত্তম’!
আর তারা বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের প্রতি তার ওয়াদাকে সত্য করেছেন। আর আমাদেরকে যমীনের অধিকারী করেছেন। আমরা জান্নাতে যেখানে ইচ্ছা বসবাসের জায়গা করে নেব। অতএব (নেক) আমলকারীদের প্রতিফল কতইনা উত্তম’!
তাইসিরুল কুরআন:
(জান্নাতে প্রবেশ করে) তারা বলবে- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি তাঁর ও‘য়াদাকে সত্যিকারভাবে পূর্ণ করেছেন, আর আমাদেরকে (জান্নাতের) যমীনের অধিকারী বানিয়ে দিয়েছেন। আমরা জান্নাতের যেথায় ইচ্ছে বসবাসের জায়গা ক’রে নিতে পারি। সৎকর্মশীলদের প্রতিফল কতই না উত্তম!
(জান্নাতে প্রবেশ করে) তারা বলবে- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি তাঁর ও‘য়াদাকে সত্যিকারভাবে পূর্ণ করেছেন, আর আমাদেরকে (জান্নাতের) যমীনের অধিকারী বানিয়ে দিয়েছেন। আমরা জান্নাতের যেথায় ইচ্ছে বসবাসের জায়গা ক’রে নিতে পারি। সৎকর্মশীলদের প্রতিফল কতই না উত্তম!
Sahih International:
And they will say, "Praise to Allah, who has fulfilled for us His promise and made us inherit the earth [so] we may settle in Paradise wherever we will. And excellent is the reward of [righteous] workers."
And they will say, "Praise to Allah, who has fulfilled for us His promise and made us inherit the earth [so] we may settle in Paradise wherever we will. And excellent is the reward of [righteous] workers."
وَ تَرَی الْمَلٰٓئِکَۃَ حَآفِّیْنَ مِنْ حَوْلِ الْعَرْشِ یُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ ۚ وَ قُضِیَ بَیْنَهُمْ بِالْحَقِّ وَ قِیْلَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۷۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তারাল মালাইকাতা হাফফীনা মিন হাওলিল ‘আরশি ইউছাববিহূ না বিহামদি রাব্বিহিম, ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিলহাক্কি ওয়াকীলাল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আলামীন।
ওয়া তারাল মালাইকাতা হাফফীনা মিন হাওলিল ‘আরশি ইউছাববিহূ না বিহামদি রাব্বিহিম, ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিলহাক্কি ওয়াকীলাল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আলামীন।
আল বায়ান:
আর তুমি ফেরেশতাদেরকে আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করতে দেখতে পাবে। আর তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার করে দেয়া হবে এবং বলা হবে ‘সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য’।
আর তুমি ফেরেশতাদেরকে আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করতে দেখতে পাবে। আর তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার করে দেয়া হবে এবং বলা হবে ‘সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য’।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি ফেরেশতাদেরকে ‘আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের প্রতিপালকের মাহাত্ম্য ঘোষণা ও প্রশংসা করতে দেখতে পাবে। মানুষের মাঝে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে বিচার-ফয়সালা করা হবে। আর ঘোষণা দেয়া হবে যে, যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য।
তুমি ফেরেশতাদেরকে ‘আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের প্রতিপালকের মাহাত্ম্য ঘোষণা ও প্রশংসা করতে দেখতে পাবে। মানুষের মাঝে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে বিচার-ফয়সালা করা হবে। আর ঘোষণা দেয়া হবে যে, যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য।
Sahih International:
And you will see the angels surrounding the Throne, exalting [Allah] with praise of their Lord. And it will be judged between them in truth, and it will be said, "[All] praise to Allah, Lord of the worlds."
And you will see the angels surrounding the Throne, exalting [Allah] with praise of their Lord. And it will be judged between them in truth, and it will be said, "[All] praise to Allah, Lord of the worlds."