আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ اتَّقِ اللّٰهَ وَ لَا تُطِعِ الْکٰفِرِیْنَ وَ الْمُنٰفِقِیْنَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَلِیْمًا حَکِیْمًا ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুত্তাকিল্লা-হা ওয়ালা তুতি‘ইল কা-ফিরীনা ওয়াল মুনা-ফিকীনা ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান হাকীমা।
আল বায়ান:
হে নবী, আল্লাহকে ভয় কর এবং কাফির ও মুনাফিকদের আনুগত্য করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সম্যক জ্ঞানী, মহাপ্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী (সা)! আল্লাহকে ভয় কর, আর কাফির ও মুনাফিকদের আনুগত্য কর না, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞাতা, মহাপ্রজ্ঞাময়।
Sahih International:
O Prophet, fear Allah and do not obey the disbelievers and the hypocrites. Indeed, Allah is ever Knowing and Wise.



وَّ اتَّبِعْ مَا یُوْحٰۤی اِلَیْکَ مِنْ رَّبِّکَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِیْرًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াত্তাবি‘ মা-ইঊহাইলাইকা মির রাব্বিকা ইন্নাল্লা-হা কা-না বিমা-তা‘মালূনা খাবীরা-।
আল বায়ান:
আর তোমার রবের কাছ থেকে তোমার প্রতি যা ওহী করা হয় তুমি তার অনুসরণ কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতি তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে যা ওয়াহী করা হয় তুমি তার অনুসরণ কর। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ণরূপে অবহিত।
Sahih International:
And follow that which is revealed to you from your Lord. Indeed Allah is ever, with what you do, Acquainted.



وَّ تَوَکَّلْ عَلَی اللّٰهِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰهِ وَکِیْلًا ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ওয়া কাফা-বিল্লা-হি ওয়াকীলা-।
আল বায়ান:
আর তুমি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর এবং কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি নির্ভর কর আল্লাহর উপর, কর্ম সম্পাদনে আল্লাহই যথেষ্ট।
Sahih International:
And rely upon Allah; and sufficient is Allah as Disposer of affairs.



مَا جَعَلَ اللّٰهُ لِرَجُلٍ مِّنْ قَلْبَیْنِ فِیْ جَوْفِهٖ ۚ وَ مَا جَعَلَ اَزْوَاجَکُمُ الّٰٓیِٴْ تُظٰهِرُوْنَ مِنْهُنَّ اُمَّهٰتِکُمْ ۚ وَ مَا جَعَلَ اَدْعِیَآءَکُمْ اَبْنَآءَکُمْ ؕ ذٰلِکُمْ قَوْلُکُمْ بِاَفْوَاهِکُمْ ؕ وَ اللّٰهُ یَقُوْلُ الْحَقَّ وَ هُوَ یَهْدِی السَّبِیْلَ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
মা-জা‘আলাল্লা-হু লিরাজুলিম মিন কালবাইনি ফী জাওফিহী ওয়ামা-জা‘আলা আযওয়াজাকুমুল লাঈ তুজা-হিরূনা মিনহুন্না উম্মাহা-তিকুম ওয়ামা-জা‘আলা আদ‘ইয়াআকুম আবনাআকুম যা-লিকুম কাওলুকুম বিআফওয়া-হিকুম ওয়াল্লাহু ইয়াকূলুল হাক্কা ওয়াহুওয়া ইয়াহদিছছাবীল।
আল বায়ান:
আল্লাহ কোন মানুষের অভ্যন্তরে দু’টি হৃদয় সৃষ্টি করেননি। তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের সাথে তোমরা যিহার* কর, তিনি তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি। আর তিনি তোমাদের পোষ্যদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা। আর আল্লাহই সত্য কথা বলেন। আর তিনিই সঠিক পথ দেখান।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ কোন মানুষের বুকে দু’টি অন্তর সৃষ্টি করেননি। তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের সঙ্গে তোমরা জিহার কর, তিনি তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি, আর তিনি তোমাদের পোষ্য পুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি, এগুলো তোমাদের মুখের বুলি, আল্লাহই বলেন সত্য কথা, আর তিনিই দেখান (সঠিক) পথ।
Sahih International:
Allah has not made for a man two hearts in his interior. And He has not made your wives whom you declare unlawful your mothers. And he has not made your adopted sons your [true] sons. That is [merely] your saying by your mouths, but Allah says the truth, and He guides to the [right] way.



اُدْعُوْهُمْ لِاٰبَآئِهِمْ هُوَ اَقْسَطُ عِنْدَ اللّٰهِ ۚ فَاِنْ لَّمْ تَعْلَمُوْۤا اٰبَآءَهُمْ فَاِخْوَانُکُمْ فِی الدِّیْنِ وَ مَوَالِیْکُمْ ؕ وَ لَیْسَ عَلَیْکُمْ جُنَاحٌ فِیْمَاۤ اَخْطَاْتُمْ بِهٖ ۙ وَ لٰکِنْ مَّا تَعَمَّدَتْ قُلُوْبُکُمْ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
উদ‘ঊহুম লিআ-বাইহিম হুওয়া আকছাতু‘ইনদাল্লা-হি ফাইল্লাম তা‘লামূআবাআহুম ফাইখওয়া-নুকুম ফিদ্দীনি ওয়া মাওয়া-লীকুম ওয়া লাইছা ‘আলাইকুম জুনাহুন ফীমাআখতাতুম বিহী ওয়ালা-কিম মা-তা‘আম্মাদাত কুলূবুকুম ওয়া কানাল্লা-হু গাফূরার রাহীমা-।
আল বায়ান:
তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাক; আল্লাহর কাছে এটাই অধিক ইনসাফপূর্ণ। অতঃপর যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তাহলে তারা তোমাদের দীনি ভাই এবং তোমাদের বন্ধু। আর এ বিষয়ে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন পাপ নেই; কিন্তু তোমাদের অন্তরে সংকল্প থাকলে (পাপ হবে)। আর আল্লাহ অধিক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাক, আল্লাহর কাছে এটাই অধিক ইনসাফপূর্ণ। আর যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই এবং তোমাদের বন্ধু। এ ব্যাপারে তোমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে তোমাদের কোন গুনাহ্ নেই, কিন্তু (ধর্তব্য হল) তোমাদের অন্তরের সংকল্প। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
Call them by [the names of] their fathers; it is more just in the sight of Allah. But if you do not know their fathers - then they are [still] your brothers in religion and those entrusted to you. And there is no blame upon you for that in which you have erred but [only for] what your hearts intended. And ever is Allah Forgiving and Merciful.



اَلنَّبِیُّ اَوْلٰی بِالْمُؤْمِنِیْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَ اَزْوَاجُهٗۤ اُمَّهٰتُهُمْ ؕ وَ اُولُوا الْاَرْحَامِ بَعْضُهُمْ اَوْلٰی بِبَعْضٍ فِیْ کِتٰبِ اللّٰهِ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُهٰجِرِیْنَ اِلَّاۤ اَنْ تَفْعَلُوْۤا اِلٰۤی اَوْلِیٰٓئِکُمْ مَّعْرُوْفًا ؕ کَانَ ذٰلِکَ فِی الْکِتٰبِ مَسْطُوْرًا ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
আন্নাবিইয়ুআওলা-বিলমু’মিনীনা মিন আনফুছিহিম ওয়া আযওয়া-জুহূ উম্মাহা-তুহুম ওয়া উলুল আরহা-মি বাদুহুম আওলা-ব্বিা‘দিন ফী কিতা-বিল্লা-হি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুহা-জিরীনা ইল্লাআন তাফ‘আলূ ইলাআওলিয়াইকুম মা‘রূফান কা-না যা-লিকা ফিল কিতা-বি মাছতূরা-।
আল বায়ান:
নবী মুমিনদের কাছে তাদের নিজদের চেয়ে ঘনিষ্ঠতর। আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতাস্বরূপ। আর আল্লাহর বিধান অনুসারে মুমিন ও মুহাজিরদের তুলনায় আত্নীয় স্বজনরা একে অপরের নিকটতর। তবে তোমরা যদি বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ভাল কিছু করতে চাও (তা করতে পার)। এটা কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে।
তাইসিরুল কুরআন:
নবী (সাঃ) মু’মিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ, আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধানে মু’মিন ও মুহাজিরদের (দ্বীনী সম্পর্ক) অপেক্ষা আত্মীয়-স্বজনগণ পরস্পর পরস্পরের নিকট ঘনিষ্ঠতর। তবে তোমরা তোমাদের বন্ধু বান্ধবদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য প্রদর্শন করতে চাইলে, করতে পার। (আল্লাহর) কিতাবে এটাই লিখিত।
Sahih International:
The Prophet is more worthy of the believers than themselves, and his wives are [in the position of] their mothers. And those of [blood] relationship are more entitled [to inheritance] in the decree of Allah than the [other] believers and the emigrants, except that you may do to your close associates a kindness [through bequest]. That was in the Book inscribed.



وَ اِذْ اَخَذْنَا مِنَ النَّبِیّٖنَ مِیْثَاقَهُمْ وَ مِنْکَ وَ مِنْ نُّوْحٍ وَّ اِبْرٰهِیْمَ وَ مُوْسٰی وَ عِیْسَی ابْنِ مَرْیَمَ ۪ وَ اَخَذْنَا مِنْهُمْ مِّیْثَاقًا غَلِیْظًا ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযআখাযনা-মিনান্নাবিইয়ীনা মীছা-কাহুম ওয়া মিনকা ওয়া মিন নূহিওঁ ওয়া ইবরাহীমা ওয়া মূছা-ওয়া ‘ঈছাব নি মারইয়ামা ওয়া আখাযনা-মিনহুম মীছা-কান গালীজা-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন আমি অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম নবীদের থেকে এবং তোমার থেকে, নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও মারইয়াম পুত্র ঈসা থেকে। আর আমি তাদের কাছ থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, আমি যখন নবীদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম আর তোমার কাছ থেকেও; আর নূহ্, ইব্রাহীম, মূসা আর মারইয়াম পুত্র ‘ঈসা থেকেও। আমি তাদের কাছ থেকে নিয়েছিলাম দৃঢ় অঙ্গীকার
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], when We took from the prophets their covenant and from you and from Noah and Abraham and Moses and Jesus, the son of Mary; and We took from them a solemn covenant.



لِّیَسْـَٔلَ الصّٰدِقِیْنَ عَنْ صِدْقِهِمْ ۚ وَ اَعَدَّ لِلْکٰفِرِیْنَ عَذَابًا اَلِیْمًا ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
লিয়াছআলাসসা-দিকীনা ‘আন সিদকিহিম ওয়া আ‘আদ্দা লিলকা-ফিরীনা ‘আযা-বান আলীমা-।
আল বায়ান:
সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য। আর তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন কাফিরদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
সত্যবাদীদেরকে (অর্থাৎ নবীদেরকে) তাদের সত্যবাদিতা (অর্থাৎ আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়ার কাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য। তিনি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন ভয়াবহ শাস্তি।
Sahih International:
That He may question the truthful about their truth. And He has prepared for the disbelievers a painful punishment.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اذْکُرُوْا نِعْمَۃَ اللّٰهِ عَلَیْکُمْ اِذْ جَآءَتْکُمْ جُنُوْدٌ فَاَرْسَلْنَا عَلَیْهِمْ رِیْحًا وَّ جُنُوْدًا لَّمْ تَرَوْهَا ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرًا ۚ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুযকুরূনি‘মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম ইযজাআতকুম জুনূদুন ফাআরছালনা-‘আলাইহিম রীহাওঁ ওয়া জুনূদাল্লাম তারাওহা- ওয়া কা-নাল্লা-হু বিমাতা‘মালূনা বাসীরা-।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নিআমতকে স্মরণ কর, যখন সেনাবাহিনী তোমাদের কাছে এসে গিয়েছিল, তখন আমি তাদের উপর প্রবল বায়ু ও সেনাদল প্রেরণ করলাম যা তোমরা দেখনি। আর তোমরা যা কর আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর যখন সৈন্যবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে নিকটবর্তী হয়েছিল, অতঃপর আমি তাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলাম ঝড়ো হাওয়া এবং এক (ফেরেশতারূপী) সৈন্যবাহিনী যা তোমরা দেখনি। তোমরা যা কর আল্লাহ তা প্রত্যক্ষকারী।
Sahih International:
O you who have believed, remember the favor of Allah upon you when armies came to [attack] you and We sent upon them a wind and armies [of angels] you did not see. And ever is Allah, of what you do, Seeing.



اِذْ جَآءُوْکُمْ مِّنْ فَوْقِکُمْ وَ مِنْ اَسْفَلَ مِنْکُمْ وَ اِذْ زَاغَتِ الْاَبْصَارُ وَ بَلَغَتِ الْقُلُوْبُ الْحَنَاجِرَ وَ تَظُنُّوْنَ بِاللّٰهِ الظُّنُوْنَا ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইযজাঊকুমমিনফাওকিকুম ওয়া মিন আছফালা মিনকুমওয়াইযযা-গাতিল আবসা-রু ওয়া বালাগাতিল কুলূবুল হানা-জিরা ওয়া তাজুন্নূনা বিল্লা-হিজ জু নূনা।
আল বায়ান:
যখন তারা তোমাদের কাছে এসেছিল তোমাদের উপরের দিক থেকে এবং তোমাদের নিচের দিক থেকে আর যখন চোখগুলো বাঁকা হয়ে পড়েছিল এবং প্রাণ কন্ঠ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আর তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা রকম ধারণা পোষণ করছিলে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন তোমাদের কাছে এসেছিল তোমাদের উপর থেকে আর তোমাদের নীচের দিক থেকে, তখন তোমাদের চক্ষু হয়েছিল বিস্ফোরিত আর প্রাণ হয়েছিল কণ্ঠাগত; আর তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা রকম (খারাপ) ধারণা পোষণ করতে শুরু করেছিলে।
Sahih International:
[Remember] when they came at you from above you and from below you, and when eyes shifted [in fear], and hearts reached the throats and you assumed about Allah [various] assumptions.



هُنَالِکَ ابْتُلِیَ الْمُؤْمِنُوْنَ وَ زُلْزِلُوْا زِلْزَالًا شَدِیْدًا ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
হুনা-লিকাব তুলিয়াল মু’মিনূনা ওয়া যুলযিলূযিলযা-লান শাদীদা-।
আল বায়ান:
তখন মুমিনদেরকে পরীক্ষা করা হয়েছিল। আর তারা ভীষণভাবে প্রকম্পিত হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
সে সময় মু’মিনগণকে পরীক্ষা করা হয়েছিল আর তাদেরকে ভীষণ কম্পনে প্রকম্পিত করা হয়েছিল।
Sahih International:
There the believers were tested and shaken with a severe shaking.



وَ اِذْ یَقُوْلُ الْمُنٰفِقُوْنَ وَ الَّذِیْنَ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ مَّا وَعَدَنَا اللّٰهُ وَ رَسُوْلُهٗۤ اِلَّا غُرُوْرًا ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযইয়াকূ লুলমুনা-ফিকূনা ওয়াল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুম মা-ওয়া‘আদানাল্লাহুয়া রাছূলুহূইল্লা-গুরূরা-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন মুনাফিকরা ও যাদের অন্তরে ব্যাধি ছিল তারা বলছিল, ‘আল্লাহ ও তার রাসূল আমাদেরকে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর স্মরণ কর, যখন মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা বলছিল- আল্লাহ ও তাঁর রসূল আমাদেরকে যে ওয়া‘দা দিয়েছেন তা ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়।
Sahih International:
And [remember] when the hypocrites and those in whose hearts is disease said, "Allah and His Messenger did not promise us except delusion,"



وَ اِذْ قَالَتْ طَّآئِفَۃٌ مِّنْهُمْ یٰۤاَهْلَ یَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَکُمْ فَارْجِعُوْا ۚ وَ یَسْتَاْذِنُ فَرِیْقٌ مِّنْهُمُ النَّبِیَّ یَقُوْلُوْنَ اِنَّ بُیُوْتَنَا عَوْرَۃٌ ؕۛ وَ مَا هِیَ بِعَوْرَۃٍ ۚۛ اِنْ یُّرِیْدُوْنَ اِلَّا فِرَارًا ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকা-লাততাইফাতুম মিনহুম ইয়াআহলা ইয়াছরিবা লা-মুকা-মা লাকুম ফারজি‘ঊ ওয়া ইয়াছতা’যিনুফারীকুম মিনহুমুন নাবিইইয়া ইয়াকূলূনা ইন্না বুইঊতানা‘আওরাতুওঁ ওয়ামা-হিয়া বি‘আওরাতিইঁ ইয়ঁইউদূ না ইল্লা-ফিরা-রা-।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের একদল বলেছিল, ‘হে ইয়াসরিববাসী, এখানে তোমাদের কোন স্থান নেই, তাই তোমরা ফিরে যাও’। আর তাদের একদল নবীর কাছে অনুমতি চেয়ে বলছিল, আমাদের বাড়ি-ঘর অরক্ষিত, অথচ সেগুলো অরক্ষিত ছিল না। আসলে পালিয়ে যাওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন তাদের একদল বলেছিল- হে ইয়াসরিববাসী! তোমরা (শত্রুর আক্রমণের বিরুদ্ধে) দাঁড়াতে পারবে না, কাজেই তোমরা ফিরে যাও। আর তাদের একদল এই বলে নবী (সা)র কাছে অব্যাহতি চাচ্ছিল যে, আমাদের বাড়ীঘর অরক্ষিত অথচ ওগুলো অরক্ষিত ছিল না, আসলে পালিয়ে যাওয়াই তাদের ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য।
Sahih International:
And when a faction of them said, "O people of Yathrib, there is no stability for you [here], so return [home]." And a party of them asked permission of the Prophet, saying, "Indeed, our houses are unprotected," while they were not exposed. They did not intend except to flee.



وَ لَوْ دُخِلَتْ عَلَیْهِمْ مِّنْ اَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا الْفِتْنَۃَ لَاٰتَوْهَا وَ مَا تَلَبَّثُوْا بِهَاۤ اِلَّا یَسِیْرًا ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও দুখিলাত ‘আলাইহিম মিন আকতা-রিহা-ছু ম্মা ছুইলুল ফিতনাতা লাআ-তাওহাওয়ামা-তালাব্বাছূবিহাইল্লা ইয়াছীরা।
আল বায়ান:
আর যদি তার বিভিন্ন দিক থেকে তাদের উপর শত্রুর প্রবেশ ঘটত, তারপর তাদেরকে ফিতনা সৃষ্টির আহবান জানানো হত, তবে তারা তাই করত। এতে তারা কাল বিলম্ব করত না।
তাইসিরুল কুরআন:
যদি শত্রুপক্ষ (মদীনা নগরীর) চারদিক থেকে তাদের উপর আক্রমণ করতো, অতঃপর তাদেরকে কুফুরীর আহবান করা হত, তবে তারা তাই করে বসত। তাতে তারা মোটেও বিলম্ব করত না।
Sahih International:
And if they had been entered upon from all its [surrounding] regions and fitnah had been demanded of them, they would have done it and not hesitated over it except briefly.



وَ لَقَدْ کَانُوْا عَاهَدُوا اللّٰهَ مِنْ قَبْلُ لَا یُوَلُّوْنَ الْاَدْبَارَ ؕ وَ کَانَ عَهْدُ اللّٰهِ مَسْـُٔوْلًا ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ কা-নূ‘আ-হাদুল্লা-হা মিন কাবলুলা-ইউওয়ালূলনাল আদবা -রা ওয়া কা-না ‘আহদুল্লা-হি মাছঊলা।
আল বায়ান:
আর এরা পূর্বেই আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছিল যে, তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে না। আর আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অথচ তারা ইতোপূর্বে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছিল যে, তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না। আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়া‘দা সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে।
Sahih International:
And they had already promised Allah before not to turn their backs and flee. And ever is the promise to Allah [that about which one will be] questioned.



قُلْ لَّنْ یَّنْفَعَکُمُ الْفِرَارُ اِنْ فَرَرْتُمْ مِّنَ الْمَوْتِ اَوِ الْقَتْلِ وَ اِذًا لَّا تُمَتَّعُوْنَ اِلَّا قَلِیْلًا ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
কুল্লাই ইয়ানফা‘আকুমুল ফিরা-রু ইন ফারারতুম মিনাল মাওতি আবিলকাতলি ওয়া ইযাল লা-তুমাত্তা‘ঊনা ইল্লা-কালীলা-।
আল বায়ান:
বল, ‘যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পালাতে চাও তবে পালানো তোমাদের কোন উপকারে আসবে না। আর সে ক্ষেত্রে তোমাদের সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, পলায়নে তোমাদের কোনই লাভ হবে না, যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যা থেকে পলায়ন কর তাহলে তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Never will fleeing benefit you if you should flee from death or killing; and then [if you did], you would not be given enjoyment [of life] except for a little."



قُلْ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَعْصِمُکُمْ مِّنَ اللّٰهِ اِنْ اَرَادَ بِکُمْ سُوْٓءًا اَوْ اَرَادَ بِکُمْ رَحْمَۃً ؕ وَ لَا یَجِدُوْنَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلِیًّا وَّ لَا نَصِیْرًا ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
কুল মান যাল্লাযী ইয়া‘সিমুকুম মিনাল্লা-হি ইন আরা-দা বিকুম ছুূআন আও আরা-দা বিকুম রাহমাতাওঁ ওয়ালা-ইয়াজিদূ না লাহুম মিন দূ নিল্লা-হি ওয়ালিইয়াওঁ ওয়ালা-নাসীরা-।
আল বায়ান:
বল, ‘আল্লাহ থেকে কে তোমাদেরকে রক্ষা করবে যদি তিনি তোমাদের কোন ক্ষতি করতে চান? অথবা তিনি তোমাদের রহমত দান করতে ইচ্ছা করেন (কে তোমাদের ক্ষতি করবে)’। আর তারা আল্লাহ ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, তোমাদেরকে আল্লাহ (’র শাস্তি) হতে কে রক্ষে করবে তিনি যদি তোমাদের অকল্যাণ করতে চান অথবা তোমাদেরকে অনুগ্রহ করতে চান? তারা আল্লাহকে ছাড়া তাদের জন্য না পাবে কোন অভিভাবক, আর না কোন সাহায্যকারী।
Sahih International:
Say, "Who is it that can protect you from Allah if He intends for you an ill or intends for you a mercy?" And they will not find for themselves besides Allah any protector or any helper.



قَدْ یَعْلَمُ اللّٰهُ الْمُعَوِّقِیْنَ مِنْکُمْ وَ الْقَآئِلِیْنَ لِاِخْوَانِهِمْ هَلُمَّ اِلَیْنَا ۚ وَ لَا یَاْتُوْنَ الْبَاْسَ اِلَّا قَلِیْلًا ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
কাদ ইয়া‘লামুল্লা-হুল মু‘আওবিকীনা মিনকুম ওয়াল কাইলীনা লিইখওয়া নিহিম হালুম্মা ইলাইনা- ওয়ালা-ইয়া’তূনাল বা’ছা ইল্লা-কালীলা-।
আল বায়ান:
আল্লাহ অবশ্যই জানেন তোমাদের মধ্যে কারা বাধাদানকারী এবং কারা তাদের ভাইদেরকে বলে, ‘আমাদের কাছে আস’ তারা খুব কমই যুদ্ধে আসে-
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমাদের মধ্যে তাদেরকে নিশ্চিতই জানেন কারা (যুদ্ধে অংশগ্রহণে) বাধা সৃষ্টিকারী আর কারা নিজেদের ভাইদেরকে বলে- আমাদের কাছে এসো। যুদ্ধ তারা সামান্যই করে
Sahih International:
Already Allah knows the hinderers among you and those [hypocrites] who say to their brothers, "Come to us," and do not go to battle, except for a few,



اَشِحَّۃً عَلَیْکُمْ ۚۖ فَاِذَا جَآءَ الْخَوْفُ رَاَیْتَهُمْ یَنْظُرُوْنَ اِلَیْکَ تَدُوْرُ اَعْیُنُهُمْ کَالَّذِیْ یُغْشٰی عَلَیْهِ مِنَ الْمَوْتِ ۚ فَاِذَا ذَهَبَ الْخَوْفُ سَلَقُوْکُمْ بِاَلْسِنَۃٍ حِدَادٍ اَشِحَّۃً عَلَی الْخَیْرِ ؕ اُولٰٓئِکَ لَمْ یُؤْمِنُوْا فَاَحْبَطَ اللّٰهُ اَعْمَالَهُمْ ؕ وَ کَانَ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰهِ یَسِیْرًا ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
আশিহহাতান ‘আলাইকুম, ফাইযা-জাআল খাওফুরাআইতাহুম ইয়ানজুরূনা ইলাইকা তাদূ রু আ‘ইউনুহুম কাল্লাযী ইউগশা-‘আলাইহি মিনাল মাওতি ফাইযা-যাহাবাল খাওফুছালাকূকুম বিআলছিনাতিন হিদা-দিন আশিহহাতান ‘আলাল খাইরি উলাইকা লাম ইউ’মিনূফাআহবাতাল্লা-হু আ‘মা-লাহুম ওয়া কা-না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়াছীরা-।
আল বায়ান:
তোমাদের ব্যাপারে [সাহায্য প্রদান ও বিজয় কামনায়] কৃপণতার কারণে। অতঃপর যখন ভীতি আসে তখন তুমি তাদের দেখবে মৃত্যুভয়ে তারা মূর্ছিত ব্যক্তির ন্যায় চক্ষু উল্টিয়ে তোমার দিকে তাকায়। অতঃপর যখন ভীতি চলে যায় তখন তারা সম্পদের লোভে কৃপণ হয়ে শাণিত ভাষায় তোমাদের বিদ্ধ করে। এরা ঈমান আনেনি। ফলে আল্লাহ তাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করে দিয়েছেন। আর এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের প্রতি কৃপণতার বশবর্তী হয়ে। যখন বিপদ আসে তখন তুমি তাদেরকে দেখবে মৃত্যু ভয়ে অচেতন ব্যক্তির ন্যায় চোখ উল্টিয়ে তারা তোমার দিকে তাকাচ্ছে। অতঃপর বিপদ যখন কেটে যায় তখন ধনের লালসায় তারা তোমাদেরকে তীক্ষ্ম বাক্য-বাণে বিদ্ধ করে। এরা ঈমান আনেনি। এজন্য আল্লাহ তাদের কার্যাবলী নিস্ফল করে দিয়েছেন, আর তা আল্লাহর জন্য সহজ।
Sahih International:
Indisposed toward you. And when fear comes, you see them looking at you, their eyes revolving like one being overcome by death. But when fear departs, they lash you with sharp tongues, indisposed toward [any] good. Those have not believed, so Allah has rendered their deeds worthless, and ever is that, for Allah, easy.



یَحْسَبُوْنَ الْاَحْزَابَ لَمْ یَذْهَبُوْا ۚ وَ اِنْ یَّاْتِ الْاَحْزَابُ یَوَدُّوْا لَوْ اَنَّهُمْ بَادُوْنَ فِی الْاَعْرَابِ یَسْاَلُوْنَ عَنْ اَنْۢبَآئِکُمْ ؕ وَ لَوْ کَانُوْا فِیْکُمْ مَّا قٰتَلُوْۤا اِلَّا قَلِیْلًا ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াহছাবূনাল আহযা-বা লাম ইয়াযহাবূ ওয়া ইঁ ইয়া’তিল আহযা-বুইয়াওয়াদ্দূলাও আন্নাহুম বা-দূ না ফিল আ‘রা-বি ইয়াছআলূনা ‘আন আমবাইকুম ওয়া লাও কা-নূ ফীকুম মা-কা-তালূইল্লা- কালীলা-।
আল বায়ান:
তারা মনে করে, সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়নি। তবে সম্মিলিত বাহিনী* যদি এসে পড়ে তখন তারা কামনা করবে যে, নিশ্চয় যদি তারা মরুবাসী বেদুঈনদের মধ্যে অবস্থান করে তোমাদের খবর জিজ্ঞাসা করতে পারত [তবে ভালই হত]! আর যদি এরা তোমাদের মধ্যে থাকত তাহলে তারা অল্পই যুদ্ধ করত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা মনে করে সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়নি। সম্মিলিত বাহিনী যদি আবার এসে যায়, তাহলে তারা কামনা করবে যে, যদি মরুচারীদের মধ্যে থেকে তারা তোমাদের সংবাদ নিতে পারত! তারা তোমাদের মধ্যে অবস্থান করলেও তারা যুদ্ধ সামান্যই করত।
Sahih International:
They think the companies have not [yet] withdrawn. And if the companies should come [again], they would wish they were in the desert among the bedouins, inquiring [from afar] about your news. And if they should be among you, they would not fight except for a little.



لَقَدْ کَانَ لَکُمْ فِیْ رَسُوْلِ اللّٰهِ اُسْوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنْ کَانَ یَرْجُوا اللّٰهَ وَ الْیَوْمَ الْاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰهَ کَثِیْرًا ﴿ؕ۲۱﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ কা-না লাকুমফীরাছূলিল্লা-হি উছওয়াতুনহাছানাতুল লিমান কা-না ইয়ারজুল্লা-হা ওয়াল ইয়াওমাল আখিরা ওয়া যাকারাল্লা-হা কাছীরা-।
আল বায়ান:
অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।
Sahih International:
There has certainly been for you in the Messenger of Allah an excellent pattern for anyone whose hope is in Allah and the Last Day and [who] remembers Allah often.



وَ لَمَّا رَاَ الْمُؤْمِنُوْنَ الْاَحْزَابَ ۙ قَالُوْا هٰذَا مَا وَعَدَنَا اللّٰهُ وَ رَسُوْلُهٗ وَ صَدَقَ اللّٰهُ وَ رَسُوْلُهٗ ۫ وَ مَا زَادَهُمْ اِلَّاۤ اِیْمَانًا وَّ تَسْلِیْمًا ﴿ؕ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-রাআল মু’মিনূনাল আহযা-বা কা-লূহা-যা-মা-ওয়া‘আদানাল্লা-হু ওয়া রাছূলুহূওয়া সাদাকাল্লা-হু ওয়া রাছূলুহূ ওয়ামা-যা-দাহুম ইল্লাঈমা-নাওঁ ওয়া তাছলীমা-।
আল বায়ান:
আর মুমিনগণ যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল তখন তারা বলল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদের যে ওয়াদা দিয়েছেন এটি তো তাই। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্যই বলেছেন’। এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণই বৃদ্ধি পেল।
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিনরা যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল তখন তারা বলে উঠল- আল্লাহ ও তাঁর রসূল এরই ওয়া‘দা আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল সত্য বলেছেন। এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্যের আগ্রহই বৃদ্ধি পেল।
Sahih International:
And when the believers saw the companies, they said, "This is what Allah and His Messenger had promised us, and Allah and His Messenger spoke the truth." And it increased them only in faith and acceptance.



مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ رِجَالٌ صَدَقُوْا مَا عَاهَدُوا اللّٰهَ عَلَیْهِ ۚ فَمِنْهُمْ مَّنْ قَضٰی نَحْبَهٗ وَ مِنْهُمْ مَّنْ یَّنْتَظِرُ ۫ۖ وَ مَا بَدَّلُوْا تَبْدِیْلًا ﴿ۙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
মিনাল মু’মিনীনা রিজা-লুন সাদাকূমা-‘আ-হাদুল্লা-হ ‘আলাইহি ফামিনহুম মান কাদানাহবাহূওয়া মিনহুম মাইঁ ইয়ানতাজিরু ওয়ামা-বাদ্দালূতাবদীলা-।
আল বায়ান:
মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে কৃত তাদের প্রতিশ্রুতি সত্যে বাস্তবায়ন করেছে। তাদের কেউ কেউ [যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করে] তার দায়িত্ব পূর্ণ করেছে, আবার কেউ কেউ [শাহাদাত বরণের] প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা (প্রতিশ্রুতিতে) কোন পরিবর্তনই করেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিনদের মধ্যে কতক লোক আল্লাহর সঙ্গে কৃত তাদের অঙ্গীকার সত্যে পরিণত করেছে। তাদের কতক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে (শাহাদাত বরণ) করেছে আর তাদের কতক অপেক্ষায় আছে। তারা (তাদের সংকল্প) কখনো তিল পরিমাণ পরিবর্তন করেনি।
Sahih International:
Among the believers are men true to what they promised Allah. Among them is he who has fulfilled his vow [to the death], and among them is he who awaits [his chance]. And they did not alter [the terms of their commitment] by any alteration -



لِّیَجْزِیَ اللّٰهُ الصّٰدِقِیْنَ بِصِدْقِهِمْ وَ یُعَذِّبَ الْمُنٰفِقِیْنَ اِنْ شَآءَ اَوْ یَتُوْبَ عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا ﴿ۚ۲۴﴾
উচ্চারণ:
লিয়াজযিয়াল্লা-হুসসা-দিকীনা বিসিদকিহিম ওয়া ইউ‘আযযি বাল মুনা-ফিকীনা ইন শাআ আওঁইয়াতূবা ‘আলাইহিম ইন্নাল্লা-হা কা-না গাফূরার রাহীমা।
আল বায়ান:
যাতে আল্লাহ সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতার জন্য পুরস্কৃত করতে পারেন এবং তিনি চাইলে মুনাফিকদের আযাব দিতে পারেন অথবা তাদের ক্ষমা করে দিতে পারেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে আল্লাহ (ওয়া‘দার প্রতি) সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতার পুরস্কার দেন আর মুনাফিকদেরকে ইচ্ছে করলে শাস্তি দেন অথবা তাদেরকে ক্ষমা করেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
That Allah may reward the truthful for their truth and punish the hypocrites if He wills or accept their repentance. Indeed, Allah is ever Forgiving and Merciful.



وَ رَدَّ اللّٰهُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِغَیْظِهِمْ لَمْ یَنَالُوْا خَیْرًا ؕ وَ کَفَی اللّٰهُ الْمُؤْمِنِیْنَ الْقِتَالَ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ قَوِیًّا عَزِیْزًا ﴿ۚ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাদ্দাল্লা-হুল্লাযীনা কাফারূবিগাইজিহিম লাম ইয়ানা-লূখাইরাওঁ ওয়া কাফাল্লা-হুল মু’মিনীনাল কিতা-লা ওয়া কা-নাল্লা-হু কাবিইইয়ান ‘আযীযা-।
আল বায়ান:
আল্লাহ কাফিরদেরকে তাদের আক্রোশসহ ফিরিয়ে দিলেন, তারা কোন কল্যাণ লাভ করেনি। যুদ্ধে মুমিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ প্রবল শক্তিমান, পরাক্রমশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহ কাফিরদেরকে তাদের রাগের অবস্থাতেই ফিরিয়ে দিলেন, তারা কোন কল্যাণ লাভ করতে পারেনি। যুদ্ধে মু’মিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী।
Sahih International:
And Allah repelled those who disbelieved, in their rage, not having obtained any good. And sufficient was Allah for the believers in battle, and ever is Allah Powerful and Exalted in Might.



وَ اَنْزَلَ الَّذِیْنَ ظَاهَرُوْهُمْ مِّنْ اَهْلِ الْکِتٰبِ مِنْ صَیَاصِیْهِمْ وَ قَذَفَ فِیْ قُلُوْبِهِمُ الرُّعْبَ فَرِیْقًا تَقْتُلُوْنَ وَ تَاْسِرُوْنَ فَرِیْقًا ﴿ۚ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনযালাল্লাযীনা জা-হারূহুম মিন আহলিল কিতা-বি মিন সায়া-সীহিম ওয়া কাযাফা ফী কুলূবিহিমুর রু‘বা ফারীকান তাকতুলূনা ওয়া তা’ছিরূনা ফারীকা-।
আল বায়ান:
আর আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা তাদের সহযোগিতা করেছিল, আল্লাহ তাদেরকে অবতরণ করালেন তাদের দুর্গসমূহ থেকে এবং তাদের অন্তরসমূহে ভীতির সঞ্চার করলেন। ফলে তোমরা হত্যা করছ একদলকে, আর বন্দী করছ অন্য দলকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর গ্রন্থধারীদের মধ্য হতে যারা তাদেরকে (অর্থাৎ সম্মিলিত কাফির বাহিনীকে) সাহায্য করেছিল তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ হতে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। তাদের কতককে তোমরা হত্যা করলে, আর কতককে করলে বন্দী।
Sahih International:
And He brought down those who supported them among the People of the Scripture from their fortresses and cast terror into their hearts [so that] a party you killed, and you took captive a party.



وَ اَوْرَثَکُمْ اَرْضَهُمْ وَ دِیَارَهُمْ وَ اَمْوَالَهُمْ وَ اَرْضًا لَّمْ تَطَـُٔوْهَا ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرًا ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আওরাছাকুম আরদাহুম ওয়া দিয়া-রাহুম ওয়া আমওলা-লাহুম ওয়া আরদাল লাম তাতাঊহা- ওয়া কা-নাল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীরা-।
আল বায়ান:
আর তিনি তোমাদেরকে উত্তরাধিকারী করলেন তাদের ভূমি, তাদের ঘর-বাড়ী ও তাদের ধন-সম্পদের এবং এমন ভূমির যাতে তোমরা পদার্পণও করনি। আল্লাহ সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তিনি তোমাদেরকে উত্তরাধিকারী করে দিলেন তাদের ভূমির, তাদের ঘরবাড়ির আর তাদের ধন-সম্পদের; আর এমন এক ভূখন্ডের যেখানে তোমরা (এখনও) অভিযানই পরিচালনা করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।
Sahih International:
And He caused you to inherit their land and their homes and their properties and a land which you have not trodden. And ever is Allah, over all things, competent.



یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ قُلْ لِّاَزْوَاجِکَ اِنْ کُنْـتُنَّ تُرِدْنَ الْحَیٰوۃَ الدُّنْیَا وَ زِیْنَتَهَا فَتَعَالَیْنَ اُمَتِّعْکُنَّ وَ اُسَرِّحْکُنَّ سَرَاحًا جَمِیْلًا ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুকুললিআযওয়া-জিকা ইন কুনতুন্না তুরিদনাল হায়া-তাদ্দুনইয়া-ওয়া যীনাতাহা-ফাতা‘আ-লাইনা উমাতিত‘কুন্না ওয়া উছাররিহকুন্না ছারা-হান জামীলা-।
আল বায়ান:
হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে বল, ‘যদি তোমরা দুনিয়ার জীবন ও তার চাকচিক্য কামনা কর তবে আস, আমি তোমাদের ভোগ-বিলাসের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় করে দেই’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী (সা.)! তুমি তোমার স্ত্রীদের বলে দাও- তোমরা যদি পার্থিব জীবন আর তার শোভাসৌন্দর্য কামনা কর, তাহলে এসো, তোমাদেরকে ভোগসামগ্রী দিয়ে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদেরকে বিদায় দেই।
Sahih International:
O Prophet, say to your wives, "If you should desire the worldly life and its adornment, then come, I will provide for you and give you a gracious release.



وَ اِنْ کُنْـتُنَّ تُرِدْنَ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ وَ الدَّارَ الْاٰخِرَۃَ فَاِنَّ اللّٰهَ اَعَدَّ لِلْمُحْسِنٰتِ مِنْکُنَّ اَجْرًا عَظِیْمًا ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন কনতুন্না তুরিদনাল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়াদ্দা-রাল আ-খিরাতা ফাইন্নাল্লা-হা আ‘আদ্দা লিলমুহছিনা-তি মিনকুন্না আজরান ‘আজীমা-।
আল বায়ান:
‘আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও পরকালীন নিবাস কামনা কর, তবে তোমাদের মধ্য থেকে সৎকর্মশীলদের জন্য আল্লাহ অবশ্যই মহান প্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমরা যদি আল্লাহ, তাঁর রসূল ও পরকালের গৃহ কামনা কর, তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল তাদের জন্য আল্লাহ মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।
Sahih International:
But if you should desire Allah and His Messenger and the home of the Hereafter - then indeed, Allah has prepared for the doers of good among you a great reward."



یٰنِسَآءَ النَّبِیِّ مَنْ یَّاْتِ مِنْکُنَّ بِفَاحِشَۃٍ مُّبَیِّنَۃٍ یُّضٰعَفْ لَهَا الْعَذَابُ ضِعْفَیْنِ ؕ وَ کَانَ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰهِ یَسِیْرًا ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-নিছাআন নাবিইয়ি মাই ইয়া’তি মিনকুন্না বিফা-হিশাতিম মুবাইয়িনাতিইঁ ইউদা‘আফ লাহাল ‘আযা-বুদি‘ফাইনি ওয়া কা-না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়াছীরা-।
আল বায়ান:
হে নবী-পত্নীগণ, তোমাদের মধ্যে যে কেউ প্রকাশ্য অশ্লীল কাজ করবে, তার জন্য আযাব দ্বিগুণ করা হবে। আর এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী পত্নীগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্যে অশ্লীল কাজ করলে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে। আল্লাহর জন্য এটা সহজ।
Sahih International:
O wives of the Prophet, whoever of you should commit a clear immorality - for her the punishment would be doubled two fold, and ever is that, for Allah, easy.



وَ مَنْ یَّقْنُتْ مِنْکُنَّ لِلّٰهِ وَ رَسُوْلِهٖ وَ تَعْمَلْ صَالِحًا نُّؤْتِهَاۤ اَجْرَهَا مَرَّتَیْنِ ۙ وَ اَعْتَدْنَا لَهَا رِزْقًا کَرِیْمًا ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইয়াকনুত মিনকুন্না লিল্লা-হি ওয়া রাছূলিহী ওয়া তা‘মাল সা-লিহান নু’তিহাআজরাহা-মাররাতাইনি ওয়া আ‘তাদনা-লাহা-রিযকান কারীমা-।
আল বায়ান:
আর তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে এবং নেক আমল করবে আমি তাকে দু’বার তার প্রতিদান দেব এবং আমি তার জন্য প্রস্তুত রেখেছি সম্মানজনক রিয্ক।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত হবে আর সৎ কাজ করবে, আমি তাকে দু’বার পুরস্কার দেব আর তার জন্য আমি সম্মানজনক রিযক প্রস্তুত রেখেছি।
Sahih International:
And whoever of you devoutly obeys Allah and His Messenger and does righteousness - We will give her her reward twice; and We have prepared for her a noble provision.



یٰنِسَآءَ النَّبِیِّ لَسْتُنَّ کَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ اِنِ اتَّقَیْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَیَطْمَعَ الَّذِیْ فِیْ قَلْبِهٖ مَرَضٌ وَّ قُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوْفًا ﴿ۚ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-নিছাআন্নাবিইয়ি লাছতুন্না কাআহাদিম মিনান নিছাই ইনিত্তাকাইতুন্না ফালাতাখদা‘না বিলকাওলি ফাইয়াতমা‘আল্লাযীফীকালবিহী মারাদুওঁ ওয়া কুলনা কাওলাম মা‘রূফা-।
আল বায়ান:
হে নবী-পত্নিগণ, তোমরা অন্য কোন নারীর মত নও। যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে পর পুরুষের সঙ্গে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুদ্ধ হয়। তোমরা সঙ্গত কথা বলবে।
Sahih International:
O wives of the Prophet, you are not like anyone among women. If you fear Allah, then do not be soft in speech [to men], lest he in whose heart is disease should covet, but speak with appropriate speech.



وَ قَرْنَ فِیْ بُیُوْتِکُنَّ وَ لَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِیَّۃِ الْاُوْلٰی وَ اَقِمْنَ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتِیْنَ الزَّکٰوۃَ وَ اَطِعْنَ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ ؕ اِنَّمَا یُرِیْدُ اللّٰهُ لِیُذْهِبَ عَنْکُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَیْتِ وَ یُطَهِّرَکُمْ تَطْهِیْرًا ﴿ۚ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কারনা ফী বুয়ূতিকুন্না ওয়ালা-তাবাররাজনা তাবাররুজাল জা-হিলিইয়াতিল ঊলা-ওয়া আকিমনাসসালা-তা ওয়া আতীনাযযাকা-তা ওয়া আতি‘নাল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূ ইন্নামাইউরীদুল্লা-হু লিইউযহিবা ‘আনকুমুর রিজছা আহলাল বাইতি ওয়া ইউতাহহিরাকুম তাতহীরা-।
আল বায়ান:
আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাক-জাহেলী যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমরা নিজেদের গৃহে অবস্থান কর, প্রাচীন অজ্ঞতার যুগের মত চোখ ঝলসানো প্রদর্শনী করে বেড়িও না। আর তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর। হে নবীর পরিবার! আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পবিত্র ও নিষ্কলংক করতে।
Sahih International:
And abide in your houses and do not display yourselves as [was] the display of the former times of ignorance. And establish prayer and give zakah and obey Allah and His Messenger. Allah intends only to remove from you the impurity [of sin], O people of the [Prophet's] household, and to purify you with [extensive] purification.



وَ اذْکُرْنَ مَا یُتْلٰی فِیْ بُیُوْتِکُنَّ مِنْ اٰیٰتِ اللّٰهِ وَ الْحِکْمَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ لَطِیْفًا خَبِیْرًا ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুরনা মা-ইউতলা-ফী বুয়ূতিকুন্না মিন আ-য়া-তিল্লা-হি ওয়াল হিকমাতি ইন্নাল্লাহা কা-না লাতীফান খাবীরা-।
আল বায়ান:
আর তোমাদের ঘরে আল্লাহর যে, আয়াতসমূহ ও হিকমত পঠিত হয়- তা তোমরা স্মরণ রেখো। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের গৃহে আল্লাহর আয়াত ও হিকমত থেকে যা পাঠ করা হয় তার চর্চা কর। আল্লাহ অতি সূক্ষ্ণদর্শী, সর্ববিষয়ে খবর রাখেন।
Sahih International:
And remember what is recited in your houses of the verses of Allah and wisdom. Indeed, Allah is ever Subtle and Acquainted [with all things].



اِنَّ الْمُسْلِمِیْنَ وَ الْمُسْلِمٰتِ وَ الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ وَ الْقٰنِتِیْنَ وَ الْقٰنِتٰتِ وَ الصّٰدِقِیْنَ وَ الصّٰدِقٰتِ وَ الصّٰبِرِیْنَ وَ الصّٰبِرٰتِ وَ الْخٰشِعِیْنَ وَ الْخٰشِعٰتِ وَ الْمُتَصَدِّقِیْنَ وَ الْمُتَصَدِّقٰتِ وَ الصَّآئِمِیْنَ وَ الصّٰٓئِمٰتِ وَ الْحٰفِظِیْنَ فُرُوْجَهُمْ وَ الْحٰفِظٰتِ وَ الذّٰکِرِیْنَ اللّٰهَ کَثِیْرًا وَّ الذّٰکِرٰتِ ۙ اَعَدَّ اللّٰهُ لَهُمْ مَّغْفِرَۃً وَّ اَجْرًا عَظِیْمًا ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুছলিমীনা ওয়াল মুছলিমা-তি ওয়াল মু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনা-তি ওয়াল কা-নিতীনা ওয়াল কা-নিতা-তি ওয়াসসা-দিকীনা ওয়াসসা-দিকা-তি ওয়াসসা-বিরীনা ওয়াসসা-বিরাতি ওয়াল খা-শি‘ঈনা ওয়াল খা-শি‘আ-তি ওয়াল মুতাসাদ্দিকীনা ওয়াল মুতাসাদ্দিকা-তি ওয়াসসাইমীনা ওয়াসসাইমা-তি ওয়াল হা-ফিজীনা ফুরূজাহুম ওয়াল হা-ফিজা-তি ওয়াযযা-কিরীনাল্লা-হা কাছীরাওঁ ওয়াযযা-কিরা-তি আ‘আদ্দাল্লা-হু লাহুম মাগফিরাতাওঁ ওয়া আজরান ‘আজীমা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও নারী, মুমিন পুরুষ ও নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, বিনয়াবনত পুরুষ ও নারী, দানশীল পুরুষ ও নারী, সিয়ামপালনকারী পুরুষ ও নারী, নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারী, তাদের জন্য আল্লাহ মাগফিরাত ও মহান প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যনিষ্ঠ পুরুষ ও সত্যনিষ্ঠ নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনয়ী পুরুষ ও বিনয়ী নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোযাপালনকারী পুরুষ ও রোযাপালনারী নারী, যৌনাঙ্গের সুরক্ষাকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গের সুরক্ষাকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী নারী- আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান।
Sahih International:
Indeed, the Muslim men and Muslim women, the believing men and believing women, the obedient men and obedient women, the truthful men and truthful women, the patient men and patient women, the humble men and humble women, the charitable men and charitable women, the fasting men and fasting women, the men who guard their private parts and the women who do so, and the men who remember Allah often and the women who do so - for them Allah has prepared forgiveness and a great reward.



وَ مَا کَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّ لَا مُؤْمِنَۃٍ اِذَا قَضَی اللّٰهُ وَ رَسُوْلُهٗۤ اَمْرًا اَنْ یَّکُوْنَ لَهُمُ الْخِیَرَۃُ مِنْ اَمْرِهِمْ ؕ وَ مَنْ یَّعْصِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیْنًا ﴿ؕ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-কা-না লিমু’মিনিওঁ ওয়ালা-মু’মিনাতিন ইযা-কাদাল্লা-হু ওয়া রাছূলুহূআমরান আইঁ ইয়াকূনা লাহুমুল খিয়ারাতুমিন আমরিহিম ওয়া মাইঁ ইয়া‘সিল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূফাকাদ দাল্লা দালা-লাম মুবীনা-।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন নির্দেশ দিলে কোন মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারী উক্ত নির্দেশের ভিন্নতা করার কোন অধিকার রাখে না। যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে সে স্পষ্টতই সত্য পথ হতে দুরে সরে পড়ল।
Sahih International:
It is not for a believing man or a believing woman, when Allah and His Messenger have decided a matter, that they should [thereafter] have any choice about their affair. And whoever disobeys Allah and His Messenger has certainly strayed into clear error.



وَ اِذْ تَقُوْلُ لِلَّذِیْۤ اَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَیْهِ وَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِ اَمْسِکْ عَلَیْکَ زَوْجَکَ وَ اتَّقِ اللّٰهَ وَ تُخْفِیْ فِیْ نَفْسِکَ مَا اللّٰهُ مُبْدِیْهِ وَ تَخْشَی النَّاسَ ۚ وَ اللّٰهُ اَحَقُّ اَنْ تَخْشٰهُ ؕ فَلَمَّا قَضٰی زَیْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنٰکَهَا لِکَیْ لَا یَکُوْنَ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ حَرَجٌ فِیْۤ اَزْوَاجِ اَدْعِیَآئِهِمْ اِذَا قَضَوْا مِنْهُنَّ وَطَرًا ؕ وَ کَانَ اَمْرُ اللّٰهِ مَفْعُوْلًا ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযতাকূলু লিল্লাযী আন‘আমাল্লা-হু আলাইহি ওয়াআন‘আমতা ‘আলাইহি আমছিক ‘আলাইকা যাওজাকা ওয়াত্তাকিল্লা-হা ওয়া তুখফী ফী নাফছিকা মাল্লা-হু মুবদীহি ওয়া তাখশান্না-ছা ওয়াল্লা-হু আহাক্কুআন তাখশা-হু ফালাম্মা-কাদা-যাইদুম মিন হাওয়াতারান যাওয়াজনা-কাহা-লিকাই লা-ইয়াকূনা ‘আলাল মু’মিনীনা হারাজুন ফীআযওয়াজি আদ‘ইয়াইহিম ইযা-কাদাও মিনহুন্না ওয়াতারা- ওয়া কা-না আমরুল্লা-হি মাফ ‘ঊলা-।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, আল্লাহ যার উপর নিআমত দিয়েছিলেন এবং তুমিও যার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলে, তুমি যখন তাকে বলেছিলে ‘তোমার স্ত্রীকে নিজের কাছে রেখে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর’। আর তুমি অন্তরে যা গোপন রাখছ আল্লাহ তা প্রকাশকারী এবং তুমি মানুষকে ভয় করছ অথচ আল্লাহই অধিকতর হকদার যে, তুমি তাকে ভয় করবে; অতঃপর যায়েদ যখন তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে তোমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম, যাতে পালক পুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে; যখন তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে বিবাহসম্পর্ক ছিন্ন করে।* আর আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়ে থাকে।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন আর তুমিও যাকে অনুগ্রহ করেছ তাকে তুমি যখন বলছিলে- তুমি তোমার স্ত্রীকে (বিবাহবন্ধনে) রেখে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। তুমি তোমার অন্তরে লুকিয়ে রাখছিলে যা আল্লাহ প্রকাশ করতে চান, তুমি লোকদেরকে ভয় করছিলে, অথচ আল্লাহই সবচেয়ে বেশি এ অধিকার রাখেন যে, তুমি তাঁকে ভয় করবে। অতঃপর যায়্দ যখন তার (যায়নাবের) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে তোমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দিলাম যাতে মু’মিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব নারীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মু’মিনদের কোন বিঘ্ন না হয়। আল্লাহর আদেশ কার্যকরী হবেই।
Sahih International:
And [remember, O Muhammad], when you said to the one on whom Allah bestowed favor and you bestowed favor, "Keep your wife and fear Allah," while you concealed within yourself that which Allah is to disclose. And you feared the people, while Allah has more right that you fear Him. So when Zayd had no longer any need for her, We married her to you in order that there not be upon the believers any discomfort concerning the wives of their adopted sons when they no longer have need of them. And ever is the command of Allah accomplished.



مَا کَانَ عَلَی النَّبِیِّ مِنْ حَرَجٍ فِیْمَا فَرَضَ اللّٰهُ لَهٗ ؕ سُنَّۃَ اللّٰهِ فِی الَّذِیْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ ؕ وَ کَانَ اَمْرُ اللّٰهِ قَدَرًا مَّقْدُوْرَۨا ﴿۫ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
মা-কা-না ‘আলান্নাবিইয়ি মিন হারাজিন ফীমা-ফারাদাল্লাহু লাহূ ছুন্নাতাল্লা-হি ফিল্লাযীনা খালাও মিন কাবলু ওয়া কা-না আমরুল্লা-হি কাদারাম মাকদূ রা-।
আল বায়ান:
নবীর কোন পাপ হবে না আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ* করেছেন তা করলে; পূর্বে যে সব নবী অতিবাহিত হয়েছে তাদের ব্যাপারে এটিই ছিল আল্লাহর নিয়ম। আর আল্লাহর বিধান সুনির্ধারিত, অবশ্যম্ভাবী।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ নবীর জন্য যা বিধিবদ্ধ করেছেন তার জন্য তা করতে কোন বাধা নেই। পূর্বে যারা অতীত হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর বিধান। আল্লাহর বিধান সুনির্ধারণে নির্ধারিত।
Sahih International:
There is not to be upon the Prophet any discomfort concerning that which Allah has imposed upon him. [This is] the established way of Allah with those [prophets] who have passed on before. And ever is the command of Allah a destiny decreed.



الَّذِیْنَ یُبَلِّغُوْنَ رِسٰلٰتِ اللّٰهِ وَ یَخْشَوْنَهٗ وَ لَا یَخْشَوْنَ اَحَدًا اِلَّا اللّٰهَ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰهِ حَسِیْبًا ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইউবালিলাগূনা রিছা-লা-তিল্লা-হি ওয়া ইয়াখশাওনাহূওয়ালা-ইয়াখশাওনা আহাদান ইল্লাল্লা-হা ওয়া কাফা-বিল্লা-হি হাছীবা-।
আল বায়ান:
যারা আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়ে দেয় ও তাঁকে ভয় করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না*, আর হিসাব গ্রহণকারীরূপে আল্লাহই যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (নবীগণ) আল্লাহর বাণী প্রচার করত আর তাঁকে ভয় করত। আল্লাহ ছাড়া কাউকে তারা ভয় করত না। (মানুষদের) হিসাব গ্রহণে আল্লাহই যথেষ্ট।
Sahih International:
[Allah praises] those who convey the messages of Allah and fear Him and do not fear anyone but Allah. And sufficient is Allah as Accountant.



مَا کَانَ مُحَمَّدٌ اَبَاۤ اَحَدٍ مِّنْ رِّجَالِکُمْ وَ لٰکِنْ رَّسُوْلَ اللّٰهِ وَ خَاتَمَ النَّبِیّٖنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمًا ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
মা-কা-না মুহাম্মাদুন আবা আহাদিম মিররিজা-লিকুম ওয়ালা-কির রাছূলাল্লা-হি ওয়া খাতামান নাবিইয়ীনা ওয়াকা-নাল্লা-হু বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীমা-।
আল বায়ান:
মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী।* আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
মুহাম্মাদ (সাঃ) তোমাদের মধ্যেকার কোন পুরুষের পিতা নয়, কিন্তু (সে) আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞাতা।
Sahih International:
Muhammad is not the father of [any] one of your men, but [he is] the Messenger of Allah and last of the prophets. And ever is Allah, of all things, Knowing.



یٰۤاَیُّهَاالَّذِیْنَ اٰمَنُوا اذْکُرُوا اللّٰهَ ذِکْرًا کَثِیْرًا﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুযকুরুল্লা-হা যিকরান কাছীরা-।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর।
Sahih International:
O you who have believed, remember Allah with much remembrance



وَّ سَبِّحُوْهُ بُکْرَۃً وَّ اَصِیْلًا ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছাব্বিহূহু বুকরাতাওঁ ওয়া আসীলা-।
আল বায়ান:
আর সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা কর কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।
Sahih International:
And exalt Him morning and afternoon.



هُوَ الَّذِیْ یُصَلِّیْ عَلَیْکُمْ وَ مَلٰٓئِکَتُهٗ لِیُخْرِجَکُمْ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوْرِ ؕ وَ کَانَ بِالْمُؤْمِنِیْنَ رَحِیْمًا ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযী ইউসাললী ‘আলাইকুম ওয়া মালাইকাতুহূলিইউখরিজাকুম মিনাজ্জুলুমা-তি ইলাননূরি ওয়া কা-না বিলমু’মিনীনা রাহীমা-।
আল বায়ান:
তিনিই তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তোমাদের জন্য দো‘আ করে, তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনার জন্য; আর তিনি মুমিনদের প্রতি অতীব দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বর্ষণ করেন, আর তাঁর ফেরেশতারাও (তোমাদের জন্য) তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে আনার জন্যে। মু’মিনদের প্রতি তিনি পরম দয়ালু।
Sahih International:
It is He who confers blessing upon you, and His angels [ask Him to do so] that He may bring you out from darknesses into the light. And ever is He, to the believers, Merciful.



تَحِیَّتُهُمْ یَوْمَ یَلْقَوْنَهٗ سَلٰمٌ ۖۚ وَ اَعَدَّ لَهُمْ اَجْرًا کَرِیْمًا ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
তাহিইয়াতুহুম ইয়াওমা ইয়ালকাওনাহূছালা-মুন ওয়া আ‘আদ্দা লাহুম আজরান কারীমা-।
আল বায়ান:
যেদিন তারা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে সেদিন তাদের অভিবাদন হবে: ‘সালাম’। আর তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে সেদিন তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান।
Sahih International:
Their greeting the Day they meet Him will be, "Peace." And He has prepared for them a noble reward.



یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ اِنَّاۤ اَرْسَلْنٰکَ شَاهِدًا وَّ مُبَشِّرًا وَّ نَذِیْرًا ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুইন্নাআরছালনা-কা শাহিদাওঁ ওয়া মুবাশশিরাওঁ ওয়া নাযীরা-।
আল বায়ান:
হে নবী, আমি তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী (সা.)! আমি তোমাকে পাঠিয়েছি (যুগে যুগে প্রেরিত নবী রসূলগণ যে তাঁদের উম্মাতের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন- এ কথার) সাক্ষীস্বরূপ এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে,
Sahih International:
O Prophet, indeed We have sent you as a witness and a bringer of good tidings and a warner.



وَّ دَاعِیًا اِلَی اللّٰهِ بِاِذْنِهٖ وَ سِرَاجًا مُّنِیْرًا ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দা-‘ইয়ান ইলাল্লা-হি বিইযনিহী ওয়া ছিরা-জাম মুনীরা-।
আল বায়ান:
আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহবানকারী ও আলোকদীপ্ত প্রদীপ হিসেবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর পথে আহবানকারী ও আলোকপ্রদ প্রদীপরূপে।
Sahih International:
And one who invites to Allah, by His permission, and an illuminating lamp.



وَ بَشِّرِ الْمُؤْمِنِیْنَ بِاَنَّ لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ فَضْلًا کَبِیْرًا ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বাশশিরিল মু’মিনীনা বিআন্না লাহুম মিনাল্লা-হি ফাদলান কাবীরা-।
আল বায়ান:
আর তুমি মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে বিরাট অনুগ্রহ।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য আল্লাহর নিকট আছে বিশাল অনুগ্রহ।
Sahih International:
And give good tidings to the believers that they will have from Allah great bounty.



وَ لَا تُطِعِ الْکٰفِرِیْنَ وَ الْمُنٰفِقِیْنَ وَ دَعْ اَذٰىهُمْ وَ تَوَکَّلْ عَلَی اللّٰهِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰهِ وَکِیْلًا ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তুতি‘ইল কা-ফিরীনা ওয়াল মুনা-ফিকীনা ওয়াদা‘ আযা-হুম ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ওয়া কাফা-বিল্লা-হি ওয়াকীলা-।
আল বায়ান:
আর তুমি কাফির ও মুনাফিকদের আনুগত্য করো না এবং তাদের নির্যাতন উপেক্ষা কর আর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর; তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কাফির ও মুনাফিকদের কথা মান্য করো না। তাদের যন্ত্রণাকে মনে স্থান দিও না, আর নির্ভর কর আল্লাহর উপর, কার্যনির্বাহীরূপে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
Sahih International:
And do not obey the disbelievers and the hypocrites but do not harm them, and rely upon Allah. And sufficient is Allah as Disposer of affairs.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا نَکَحْتُمُ الْمُؤْمِنٰتِ ثُمَّ طَلَّقْتُمُوْهُنَّ مِنْ قَبْلِ اَنْ تَمَسُّوْهُنَّ فَمَا لَکُمْ عَلَیْهِنَّ مِنْ عِدَّۃٍ تَعْتَدُّوْنَهَا ۚ فَمَتِّعُوْهُنَّ وَ سَرِّحُوْهُنَّ سَرَاحًا جَمِیْلًا ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ ইযা-নাকাহতুমুল মু’মিনা-তি ছুম্মা তাল্লাকতুমূহুন্না মিন কাবলি আন তামাছছূহুন্না ফামা-লাকুম ‘আলাইহিন্না মিন ‘ইদ্দাতিন তা‘তাদ্দূনাহা- ফামাত্তি‘ঊ হুন্না ওয়া ছাররিহূহুন্না ছারা-হান জামীলা-।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা মুমিন নারীদেরকে বিবাহ করবে অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই* তালাক দিয়ে দেবে তবে তোমাদের জন্য তাদের কোন ইদ্দত নেই যা তোমরা গণনা করবে। সুতরাং তাদেরকে কিছু উপহার সামগ্রী প্রদান কর এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে বিদায় দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন কোন মু’মিন নারীকে বিবাহ কর, অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তাদেরকে তালাক দাও, তখন তাদের জন্য তোমাদেরকে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না যা তোমরা (অন্যক্ষেত্রের তালাকে) গণনা করে থাক। কাজেই কিছু সামগ্রী তাদেরকে দাও আর তাদেরকে বিদায় দাও উত্তম বিদায়ে।
Sahih International:
O You who have believed, when you marry believing women and then divorce them before you have touched them, then there is not for you any waiting period to count concerning them. So provide for them and give them a gracious release.



یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ اِنَّاۤ اَحْلَلْنَا لَکَ اَزْوَاجَکَ الّٰتِیْۤ اٰتَیْتَ اُجُوْرَهُنَّ وَ مَا مَلَکَتْ یَمِیْنُکَ مِمَّاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلَیْکَ وَ بَنٰتِ عَمِّکَ وَ بَنٰتِ عَمّٰتِکَ وَ بَنٰتِ خَالِکَ وَ بَنٰتِ خٰلٰتِکَ الّٰتِیْ هَاجَرْنَ مَعَکَ ۫ وَ امْرَاَۃً مُّؤْمِنَۃً اِنْ وَّهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِیِّ اِنْ اَرَادَ النَّبِیُّ اَنْ یَّسْتَنْکِحَهَا ٭ خَالِصَۃً لَّکَ مِنْ دُوْنِ الْمُؤْمِنِیْنَ ؕ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَیْهِمْ فِیْۤ اَزْوَاجِهِمْ وَ مَا مَلَکَتْ اَیْمَانُهُمْ لِکَیْلَا یَکُوْنَ عَلَیْکَ حَرَجٌ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ূহান্নাবিইয়ুইন্না আহলালনা-লাকা আযওয়া-জাকাল্লা-তীআ-তাইতা উজূরাহুন্না ওয়ামা-মালাকাত ইয়ামীনুকা মিম্মাআফা-আল্লা-হু ‘আলাইকা ওয়া বানা-তি ‘আম্মিকা ওয়া বানা-তি ‘আম্মা-তিকা ওয়া বানা-তি খা-লিকা ওয়া বানা-তি খা-লা-তিকাল্লা-তী হা-জার না মা‘আকা ওয়ামরাআতাম মু’মিনাতান ইওঁ ওয়াহাবাত নাফছাহা-লিন্নাবিইয়ি ইন আরা-দান নাবিইয়ুআইঁ ইয়াছতানকিহাহা- খালিসাতাল্লাকা মিন দূ নিল মু’মিনীনা কাদ ‘আলিমনা-মা-ফারাদনা-‘আলাইহিম ফীআযওয়া-জিহিম ওয়ামা-মালাকাত আইমা-নুহুম লিকাইলা-ইয়াকূনা ‘আলাইকা হারাজুওঁ ওয়া কা-নাল্লা-হু গাফূরার রাহীমা-।
আল বায়ান:
হে নবী, আমি তোমার জন্য তোমার স্ত্রীদেরকে হালাল করেছি যাদেরকে তুমি মোহরানা দিয়েছ, আর আল্লাহ তোমাকে ফায়* হিসেবে যা দিয়েছেন তন্মধ্যে যারা তোমার মালিকানাধীন তাদেরকেও তোমার জন্য হালাল করেছি এবং (বিয়ের জন্য বৈধ করেছি) তোমার চাচার কন্যা, ফুফুর কন্যা, মামার কন্যা, খালার কন্যাকে, যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে, আর কোন মুমিন নারী যদি নবীর জন্য নিজকে হেবা করে, নবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও তার জন্য বৈধ। এটা বিশেষভাবে তোমার জন্য, অন্য মুমিনদের জন্য নয়; আমি তাদের ওপর তাদের স্ত্রীদের ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তাদের ব্যাপারে যা ধার্য করেছি তা আমি নিশ্চয় জানি; যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী (সা.)! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীগণকে যাদের মোহরানা তুমি প্রদান করেছ; আর বৈধ করেছি আল্লাহ ফায় (বিনা যুদ্ধে লব্ধ) হিসেবে তোমাকে যা দান করেছেন তার মধ্য হতে যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে, আর তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, তোমার মামার কন্যা ও তোমার খালার কন্যাকে যারা তোমার সঙ্গে হিজরাত করেছে। আর কোন মু’মিন নারী যদি নবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করে আর নবী যদি তাকে বিয়ে করতে চায় সেও বৈধ, এটা মু’মিনদের বাদ দিয়ে বিশেষভাবে তোমার জন্য যাতে তোমার কোন অসুবিধে না হয়। মু’মিনগণের জন্য তাদের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার তা জানা আছে। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
O Prophet, indeed We have made lawful to you your wives to whom you have given their due compensation and those your right hand possesses from what Allah has returned to you [of captives] and the daughters of your paternal uncles and the daughters of your paternal aunts and the daughters of your maternal uncles and the daughters of your maternal aunts who emigrated with you and a believing woman if she gives herself to the Prophet [and] if the Prophet wishes to marry her, [this is] only for you, excluding the [other] believers. We certainly know what We have made obligatory upon them concerning their wives and those their right hands possess, [but this is for you] in order that there will be upon you no discomfort. And ever is Allah Forgiving and Merciful.



تُرْجِیْ مَنْ تَشَآءُ مِنْهُنَّ وَ تُــْٔوِیْۤ اِلَیْکَ مَنْ تَشَآءُ ؕ وَ مَنِ ابْتَغَیْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَیْکَ ؕ ذٰلِکَ اَدْنٰۤی اَنْ تَقَرَّ اَعْیُنُهُنَّ وَ لَا یَحْزَنَّ وَ یَرْضَیْنَ بِمَاۤ اٰتَیْتَهُنَّ کُلُّهُنَّ ؕ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مَا فِیْ قُلُوْبِکُمْ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ عَلِیْمًا حَلِیْمًا ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
তুরজী মান তাশাউ মিনহুন্না ওয়া তু’বী ইলাইকা মান তাশাউ ওয়া মানিবতাগাইতা মিম্মান ‘আযালতা ফালা-জুনা-হা ‘আলাইকা যা-লিকা আদনা আন তাকাররা আ‘ইউনুহুন্না ওয়ালা-ইয়াহযান্না ওয়া ইয়ারদাইনা বিমাআ-তাইতাহুন্না কুল্লুহুন্না ওয়াল্লাহু ইয়া‘লামুমা-ফী কূলূবিকুম ওয়া কা-নাল্লা-হু ‘আলীমান হালীমা-।
আল বায়ান:
স্ত্রীদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তার পালা তুমি পিছিয়ে দিতে পার, যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পার; যাকে তুমি সরিয়ে রেখেছ তাকে যদি কামনা কর তাতে তোমার কোন অপরাধ নেই; এটা নিকটতর যে, তাদের চক্ষু শীতল হবে, তারা কষ্ট পাবে না এবং তুমি তাদের যা দিয়েছ তাতে তারা সবাই সন্তুষ্ট হবে। আর তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, পরম সহনশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তাদের যাকে ইচ্ছে সরিয়ে রাখতে পার, আর যাকে ইচ্ছে তোমার কাছে আশ্রয় দিতে পার। আর তুমি যাকে আলাদা ক’রে রেখেছ তাকে কামনা করলে তোমার কোন অপরাধ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে, তারা দুঃখ পাবে না, আর তুমি তাদের সকলকে যা দাও তাতে তারা সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
Sahih International:
You, [O Muhammad], may put aside whom you will of them or take to yourself whom you will. And any that you desire of those [wives] from whom you had [temporarily] separated - there is no blame upon you [in returning her]. That is more suitable that they should be content and not grieve and that they should be satisfied with what you have given them - all of them. And Allah knows what is in your hearts. And ever is Allah Knowing and Forbearing.



لَا یَحِلُّ لَکَ النِّسَآءُ مِنْۢ بَعْدُ وَ لَاۤ اَنْ تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ اَزْوَاجٍ وَّ لَوْ اَعْجَبَکَ حُسْنُهُنَّ اِلَّا مَا مَلَکَتْ یَمِیْنُکَ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ رَّقِیْبًا ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াহিল্লুলাকান্নিছাউ মিম বা‘দুওয়ালা আন তাবাদ্দালা বিহিন্না মিন আযওয়া-জিওঁ ওয়ালাও আ‘জাবাকা হুছনুহুন্না ইল্লা-মা-মালাকাত ইয়ামীনুকা ওয়াকা-নাল্লা-হু ‘আলাকুল্লি শাইয়ির রাকীবা-।
আল বায়ান:
এরপর তোমার জন্য (এদের অতিরিক্ত) অন্য স্ত্রী গ্রহণ হালাল নয় এবং তোমার স্ত্রীদের (তালাক দিয়ে) পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয়, যদিও অন্যদের সৌন্দর্য তোমাকে বিমোহিত করে; তবে তোমার মালিকানাধীন দাসী ছাড়া। আর আল্লাহ সকল কিছুর উপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আর কোন নারী তোমার জন্য বৈধ নয়। আর তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে চমৎকৃত করে। তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ সব বিষয়ের উপর দৃষ্টি রাখেন।
Sahih International:
Not lawful to you, [O Muhammad], are [any additional] women after [this], nor [is it] for you to exchange them for [other] wives, even if their beauty were to please you, except what your right hand possesses. And ever is Allah, over all things, an Observer.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَدْخُلُوْا بُیُوْتَ النَّبِیِّ اِلَّاۤ اَنْ یُّؤْذَنَ لَکُمْ اِلٰی طَعَامٍ غَیْرَ نٰظِرِیْنَ اِنٰىهُ ۙ وَ لٰکِنْ اِذَا دُعِیْتُمْ فَادْخُلُوْا فَاِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوْا وَ لَا مُسْتَاْنِسِیْنَ لِحَدِیْثٍ ؕ اِنَّ ذٰلِکُمْ کَانَ یُؤْذِی النَّبِیَّ فَیَسْتَحْیٖ مِنْکُمْ ۫ وَ اللّٰهُ لَا یَسْتَحْیٖ مِنَ الْحَقِّ ؕ وَ اِذَا سَاَلْتُمُوْهُنَّ مَتَاعًا فَسْـَٔلُوْهُنَّ مِنْ وَّرَآءِ حِجَابٍ ؕ ذٰلِکُمْ اَطْهَرُ لِقُلُوْبِکُمْ وَ قُلُوْبِهِنَّ ؕ وَ مَا کَانَ لَکُمْ اَنْ تُؤْذُوْا رَسُوْلَ اللّٰهِ وَ لَاۤ اَنْ تَنْکِحُوْۤا اَزْوَاجَهٗ مِنْۢ بَعْدِهٖۤ اَبَدًا ؕ اِنَّ ذٰلِکُمْ کَانَ عِنْدَ اللّٰهِ عَظِیْمًا ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাদখুলূবুয়ূতান নাবিইয়ি ইল্লাআইঁ ইউ’যানা লাকুম ইলাতা‘আ-মিন গাইরা না-জিরীনা ইনা-হু ওয়ালা-কিন ইযা-দু‘ঈতুম ফাদখুলূফাইযাতা‘ইমতুম ফানতাশিরূ ওয়ালা-মুছতা’নিছীনা লিহাদীছিন ইন্না যা-লিকুম কা-না ইউ’যিন্নাবিইয়া ফাইয়াছতাহয়ী মিনকুম ওয়াল্লা-হু লা-ইয়াছতাহয়ী মিনাল হাক্কি ওয়া ইযা-ছাআলতুমূহুন্না মাতা-‘আন ফাছআলূহুন্না মিওঁ ওয়ারাই হিজা-বিন যালিকুম আতহারু লিকুলূবিকুম ওয়া কুলূবিহিন্না; ওয়ামা-কা-না লাকুম আন তু’যূরাছূলাল্লা-হি ওয়ালাআন তানকিহূআযওয়াজাহু মিম বা‘দিহীআবাদান ইন্না যালিকুম কানা ‘ইনদালিল হি ‘আজীমা-।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর ঘরসমূহে প্রবেশ করো না; অবশ্য যদি তোমাদেরকে খাবারের অনুমতি দেয়া হয় তাহলে (প্রবেশ কর) খাবারের প্রস্ত্ততির জন্য অপেক্ষা না করে। আর যখন তোমাদেরকে ডাকা হবে তখন তোমরা প্রবেশ কর এবং খাবার শেষ হলে চলে যাও আর কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ো না; কারণ তা নবীকে কষ্ট দেয়, সে তোমাদের বিষয়ে সঙ্কোচ বোধ করে; কিন্তু আল্লাহ সত্য প্রকাশে সঙ্কোচ বোধ করেন না। আর যখন নবীপত্নীদের কাছে তোমরা কোন সামগ্রী চাইবে তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে; এটি তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। আর আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তার (মৃত্যুর) পর তার স্ত্রীদেরকে বিয়ে করা কখনো তোমাদের জন্য সঙ্গত নয়। নিশ্চয় এটি আল্লাহর কাছে গুরুতর পাপ।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যারা ঈমান এনেছ শোন! নবীগৃহে প্রবেশ কর না যতক্ষণ না তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয় খাদ্য গ্রহণের জন্য, (আগেভাগেই এসে পড় না) খাদ্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করে যেন বসে থাকতে না হয়। তবে তোমাদেরকে ডাকা হলে তোমরা প্রবেশ কর। অতঃপর তোমাদের খাওয়া হলে তোমরা চলে যাও। কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। তোমাদের এ কাজ নবীকে কষ্ট দেয়। সে তোমাদেরকে (উঠে যাওয়ার জন্য বলতে) লজ্জাবোধ করে, আল্লাহ সত্য কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না। তোমরা যখন তার স্ত্রীগণের নিকট কোন কিছু চাও, তখন পর্দার আড়াল হতে তাদের কাছে চাও। এটাই তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য পবিত্রতর। তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলকে কষ্ট দেয়া সঙ্গত নয়। আর তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীগণকে বিয়ে করাও তোমাদের জন্য কক্ষনো বৈধ নয়। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা মহা অপরাধ।
Sahih International:
O you who have believed, do not enter the houses of the Prophet except when you are permitted for a meal, without awaiting its readiness. But when you are invited, then enter; and when you have eaten, disperse without seeking to remain for conversation. Indeed, that [behavior] was troubling the Prophet, and he is shy of [dismissing] you. But Allah is not shy of the truth. And when you ask [his wives] for something, ask them from behind a partition. That is purer for your hearts and their hearts. And it is not [conceivable or lawful] for you to harm the Messenger of Allah or to marry his wives after him, ever. Indeed, that would be in the sight of Allah an enormity.



اِنْ تُبْدُوْا شَیْئًا اَوْ تُخْفُوْهُ فَاِنَّ اللّٰهَ کَانَ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمًا ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ইন তুবদূশাইআন আও তুখফূহু ফাইন্নাল্লা-হা কা-না বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীমা-।
আল বায়ান:
যদি তোমরা কোন কিছু প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কোন বিষয় প্রকাশ কর অথবা তা গোপন কর- আল্লাহ তো সব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
Whether you reveal a thing or conceal it, indeed Allah is ever, of all things, Knowing.



لَا جُنَاحَ عَلَیْهِنَّ فِیْۤ اٰبَآئِهِنَّ وَ لَاۤ اَبْنَآئِهِنَّ وَ لَاۤ اِخْوَانِهِنَّ وَ لَاۤ اَبْنَآءِ اِخْوَانِهِنَّ وَ لَاۤ اَبْنَآءِ اَخَوٰتِهِنَّ وَ لَا نِسَآئِهِنَّ وَ لَا مَا مَلَکَتْ اَیْمَانُهُنَّ ۚ وَ اتَّقِیْنَ اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ شَهِیْدًا ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
লা-জুনা-হা‘আলাইহিন্না ফীআ-বাইহিন্না ওয়ালাআবনাইহিন্না ওয়ালা ইখওয়ানিহিন্না ওয়ালাআবনাই ইখওয়া-নিহিন্না ওয়ালাআবনাই আখাওয়া-তিহিন্না ওয়ালানিছাইহিন্না ওয়ালা-মা-মালাকাত আইমা-নুহুন্না, ওয়াত্তাকীনাল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন শাহীদা-।
আল বায়ান:
নবীর স্ত্রীদের জন্য তাদের পিতাদের, তাদের পুত্রদের, তাদের ভাইদের, তাদের ভাইয়ের ছেলেদের, তাদের বোনের ছেলেদের, তাদের নারীদের ও তাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের বেলায় (হিজাব না করায়) কোন অপরাধ নেই। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সকল কিছুর প্রত্যক্ষদর্শী।
তাইসিরুল কুরআন:
কোন অপরাধ নেই (যদি নবীর স্ত্রীগণ সামনে যায়) তাদের পিতৃদের, তাদের পুত্রদের, তাদের ভ্রাতৃদের, তাদের ভ্রাতুষ্পুত্রদের, তাদের ভগ্নীপুত্রদের, তাদের নারীদের ও তাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের। আর (হে নবীর স্ত্রীগণ!) তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ সকল জিনিসেরই প্রত্যক্ষদর্শী।
Sahih International:
There is no blame upon women concerning their fathers or their sons or their brothers or their brothers' sons or their sisters' sons or their women or those their right hands possess. And fear Allah. Indeed Allah is ever, over all things, Witness.



اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوْنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَیْهِ وَ سَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা ওয়া-মালাইকাতাহূইউসাললূনা ‘আলান নাবিইয়ি ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আমানূসাললূ‘আলাইহি ওয়া ছালিলমূতাছলীমা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহ (ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতাদের মধ্যে) নবীর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দো‘আ করে*। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর উপর দরূদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন, তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে মু’মিনগণ! তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা কর এবং যথাযথ শ্রদ্ধাভরে সালাম জানাও।
Sahih International:
Indeed, Allah confers blessing upon the Prophet, and His angels [ask Him to do so]. O you who have believed, ask [Allah to confer] blessing upon him and ask [Allah to grant him] peace.



اِنَّ الَّذِیْنَ یُؤْذُوْنَ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فِی الدُّنْیَا وَ الْاٰخِرَۃِ وَ اَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُّهِیْنًا ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা ইউ’যূ নাল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূলা‘আনাহুমল্লা-হুফিদ্দুনইয়া-ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া আ‘আদ্দা লাহুম ‘আযা-বাম মুহীনা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে লানত করেন এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অপমানজনক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত করেছেন আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অপমানজনক শাস্তি।
Sahih International:
Indeed, those who abuse Allah and His Messenger - Allah has cursed them in this world and the Hereafter and prepared for them a humiliating punishment.



وَ الَّذِیْنَ یُؤْذُوْنَ الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ بِغَیْرِ مَا اکْتَسَبُوْا فَقَدِ احْتَمَلُوْا بُهْتَانًا وَّ اِثْمًا مُّبِیْنًا ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ইউ’যূ নাল মু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনা-তি বিগাইরি মাকতাছাবূফাকাদিহতামালূ বুহতানাওঁ ওয়া ইছমাম মুবীনা-।
আল বায়ান:
আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয় তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে কষ্ট দেয় তাদের কোন অপরাধ ছাড়াই, তারা অপবাদের ও সুস্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করে।
Sahih International:
And those who harm believing men and believing women for [something] other than what they have earned have certainly born upon themselves a slander and manifest sin.



یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ قُلْ لِّاَزْوَاجِکَ وَ بَنٰتِکَ وَ نِسَآءِ الْمُؤْمِنِیْنَ یُدْنِیْنَ عَلَیْهِنَّ مِنْ جَلَابِیْبِهِنَّ ؕ ذٰلِکَ اَدْنٰۤی اَنْ یُّعْرَفْنَ فَلَا یُؤْذَیْنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুকুল লিআযওয়া-জিকা ওয়া বানা-তিকা ওয়ানিছাইল মু’মিনীনা ইউদনীনা ‘আলাইহিন্না মিন জালাবীবিহিন্না যা-লিকা আদনাআইঁ ইউ‘রাফনা ফালাইউ’যাইনা ওয়া কা-নাল্লা-হু গাফূরার রাহীমা-।
আল বায়ান:
হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবে*র কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, তোমার কন্যাদেরকে আর মু’মিনদের নারীদেরকে বলে দাও- তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয় (যখন তারা বাড়ীর বাইরে যায়), এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে এবং তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
O Prophet, tell your wives and your daughters and the women of the believers to bring down over themselves [part] of their outer garments. That is more suitable that they will be known and not be abused. And ever is Allah Forgiving and Merciful.



لَئِنْ لَّمْ یَنْتَهِ الْمُنٰفِقُوْنَ وَ الَّذِیْنَ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ وَّ الْمُرْجِفُوْنَ فِی الْمَدِیْنَۃِ لَنُغْرِیَنَّکَ بِهِمْ ثُمَّ لَا یُجَاوِرُوْنَکَ فِیْهَاۤ اِلَّا قَلِیْلًا ﴿ۖۛۚ۶۰﴾
উচ্চারণ:
লাইল্লাম ইয়ানতাহিল মুনা-ফিকূনা ওয়াল্লাযীনা ফী কুলূবিহমি মারাদুওঁ ওয়াল মুরজিফূনা ফিল মাদীনাতি লানুগরিয়ান্নাকা বিহিম ছুম্মা লা-ইউজা-বিরূনাকা ফীহাইল্লা-কালীলা-।
আল বায়ান:
যদি মুনাফিকগণ এবং যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তারা ও শহরে মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারীরা বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে তোমাকে ক্ষমতাবান করে দেব। অতঃপর তারা সেখানে তোমার প্রতিবেশী হয়ে অল্প সময়ই থাকবে,
তাইসিরুল কুরআন:
মুনাফিকরা আর যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা আর শহরে গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্য অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে তোমাকে তেজোদীপ্ত করব, অতঃপর তারা তোমার প্রতিবেশী হিসেবে এ শহরে থাকতে পারবে না। তবে অল্পদিনের জন্য থাকবে
Sahih International:
If the hypocrites and those in whose hearts is disease and those who spread rumors in al-Madinah do not cease, We will surely incite you against them; then they will not remain your neighbors therein except for a little.



مَّلْعُوْنِیْنَ ۚۛ اَیْنَمَا ثُقِفُوْۤا اُخِذُوْا وَ قُتِّلُوْا تَقْتِیْلًا ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
মাল‘ঊনীনা আইনামা-ছূকিফূ উখিযূওয়াকুত্তিলূতাকতীলা-।
আল বায়ান:
অভিশপ্ত অবস্থায়। তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, পাকড়াও করা হবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অভিশপ্ত অবস্থায়; তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে ধরা হবে এবং হত্যা করার মতই হত্যা করা হবে।
Sahih International:
Accursed wherever they are found, [being] seized and massacred completely.



سُنَّۃَ اللّٰهِ فِی الَّذِیْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ ۚ وَ لَنْ تَجِدَ لِسُنَّۃِ اللّٰهِ تَبْدِیْلًا ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ছুন্নাতাল্লা-হি ফিল্লাযীনা খালাও মিন কাবলু ওয়ালান তাজিদা লিছুন্নাতিল্লা-হি তাবদীলা-।
আল বায়ান:
ইতঃপূর্বে যারা অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটাই ছিল আল্লাহর রীতি, আর তুমি আল্লাহর রীতিতে কখনই কোন পরিবর্তন পাবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা অতীত হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে এটাই ছিল আল্লাহর বিধান, তুমি আল্লাহর বিধানে কক্ষনো হেরফের পাবে না।
Sahih International:
[This is] the established way of Allah with those who passed on before; and you will not find in the way of Allah any change.



یَسْـَٔلُکَ النَّاسُ عَنِ السَّاعَۃِ ؕ قُلْ اِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللّٰهِ ؕ وَ مَا یُدْرِیْکَ لَعَلَّ السَّاعَۃَ تَکُوْنُ قَرِیْبًا ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছআলুকান্না-ছু‘আনিছছা-‘আতি কুল ইন্নামা- ‘ইলমুহা-‘ইনদাল্লা-হি ওয়ামাইউদরীকা লা‘আল্লাছছা-‘আতা তাকূনুকারীবা-।
আল বায়ান:
লোকেরা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকটই আছে, আর তোমার কি জানা আছে, কিয়ামত হয়ত খুব নিকটে!
তাইসিরুল কুরআন:
লোকে তোমাকে ক্বিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তার জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকটই আছে। কিসে তোমাকে জানাবে- সম্ভবতঃ ক্বিয়ামত নিকটেই।
Sahih International:
People ask you concerning the Hour. Say," Knowledge of it is only with Allah. And what may make you perceive? Perhaps the Hour is near."



اِنَّ اللّٰهَ لَعَنَ الْکٰفِرِیْنَ وَ اَعَدَّ لَهُمْ سَعِیْرًا ﴿ۙ۶۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা লা‘আনাল কা-ফিরীনা ওয়া আ‘আদ্দা লাহুম ছা‘ঈরা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদেরকে লা‘নত করেছেন এবং তাদের জন্য জ্বলন্ত আগুন প্রস্তুত রেখেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ কাফিরদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন আর তাদের জন্য জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছেন।
Sahih International:
Indeed, Allah has cursed the disbelievers and prepared for them a Blaze.



خٰلِدِیْنَ فِیْهَاۤ اَبَدًا ۚ لَا یَجِدُوْنَ وَلِیًّا وَّ لَا نَصِیْرًا ﴿ۚ۶۵﴾
উচ্চারণ:
খা-লিদীনা ফীহাআবাদাল লা-ইয়াজিদূ না ওয়ালিইয়াওঁ ওয়া নাসীরা-।
আল বায়ান:
সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। তারা না পাবে কোন অভিভাবক এবং না কোন সাহায্যকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তাতে তারা চিরকাল থাকবে, তারা না পাবে কোন অভিভাবক, আর না পাবে কোন সাহায্যকারী।
Sahih International:
Abiding therein forever, they will not find a protector or a helper.



یَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوْهُهُمْ فِی النَّارِ یَقُوْلُوْنَ یٰلَیْتَنَاۤ اَطَعْنَا اللّٰهَ وَ اَطَعْنَا الرَّسُوْلَا ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তুকাল্লাবু উজূহুহুম ফিন্না-রি ইয়াকূ লূনা ইয়া-লাইতানা-আতা‘নাল্লাহা ওয়াআতা‘নাররাছূলা-।
আল বায়ান:
যেদিন তাদের চেহারাগুলো আগুনে উপুড় করে দেয়া হবে, তারা বলবে, ‘হায়, আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম এবং রাসূলের আনুগত্য করতাম’!
তাইসিরুল কুরআন:
আগুনে যেদিন তাদের মুখ উপুড় করে দেয়া হবে সেদিন তারা বলবে- হায়! আমরা যদি আল্লাহকে মানতাম ও রসূলকে মানতাম।
Sahih International:
The Day their faces will be turned about in the Fire, they will say, "How we wish we had obeyed Allah and obeyed the Messenger."



وَ قَالُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّاۤ اَطَعْنَا سَادَتَنَا وَ کُبَرَآءَنَا فَاَضَلُّوْنَا السَّبِیْلَا ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূ রাব্বানা ইন্না আতা‘না-ছা-দাতানা- ওয়াকুবারাআনা-ফাআদাললূনাছ ছাবীলা-।
আল বায়ান:
তারা আরো বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমরা আমাদের নেতৃবর্গ ও বিশিষ্ট লোকদের আনুগত্য করেছিলাম, তখন তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলবে- হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আমাদের নেতাদেরকে ও আমাদের প্রধানদেরকে মান্য করতাম। তারাই আমাদেরকে গুমরাহ করেছিল।
Sahih International:
And they will say, "Our Lord, indeed we obeyed our masters and our dignitaries, and they led us astray from the [right] way.



رَبَّنَاۤ اٰتِهِمْ ضِعْفَیْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَ الْعَنْهُمْ لَعْنًا کَبِیْرًا ﴿۶۸﴾
উচ্চারণ:
রাব্বানাআ-তিহিম দি‘ফাইনি মিনাল ‘আযা-বি ওয়াল ‘আনহুম লা‘নান কাবীরা-।
আল বায়ান:
‘হে আমাদের রব, আপনি তাদেরকে দ্বিগুণ আযাব দিন এবং তাদেরকে বেশী করে লা‘নত করুন’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমাদের পালনকর্তা! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দাও আর তাদেরকে মহা অভিশাপে অভিশাপ দাও।
Sahih International:
Our Lord, give them double the punishment and curse them with a great curse."



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَکُوْنُوْا کَالَّذِیْنَ اٰذَوْا مُوْسٰی فَبَرَّاَهُ اللّٰهُ مِمَّا قَالُوْا ؕ وَ کَانَ عِنْدَ اللّٰهِ وَجِیْهًا ﴿ؕ۶۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাকূনূকাল্লাযীনা আ-যাও মূছা-ফাবাররাআহুল্লা-হু মিম্মা-কা-লূ ওয়া কা-না ‘ইনদাল্লা-হি ওয়াজীহা-।
আল বায়ান:
হে ঈমানদারগণ, তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা মূসাকে কষ্ট দিয়েছিল। অতঃপর তারা যা বলেছিল, তা থেকে আল্লাহ তাকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছেন। আর সে ছিল আল্লাহর নিকট মর্যাদাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা মূসাকে কষ্ট দিয়েছিল। অতঃপর তারা যা বলেছিল আল্লাহ তাত্থেকে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করেন। সে ছিল আল্লাহর নিকট সম্মানিত।
Sahih International:
O you who have believed, be not like those who abused Moses; then Allah cleared him of what they said. And he, in the sight of Allah, was distinguished.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ قُوْلُوْا قَوْلًا سَدِیْدًا ﴿ۙ۷۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুত্তাকুল্লা-হা ওয়াকূলূকাওলান ছাদীদা-।
আল বায়ান:
হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সরল সঠিক কথা বল।
Sahih International:
O you who have believed, fear Allah and speak words of appropriate justice.



یُّصْلِحْ لَکُمْ اَعْمَالَکُمْ وَ یَغْفِرْ لَکُمْ ذُنُوْبَکُمْ ؕ وَ مَنْ یُّطِعِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِیْمًا ﴿۷۱﴾
উচ্চারণ:
ইউসলিহলাকুম আ‘মা-লাকুম ওয়া ইয়াগফিরলাকুম যুনূবাকুম ওয়া মাইঁ ইউতি‘ইল্লা-হা ওয়া রাছুলাহূফাকাদ ফা-যা ফাওযান ‘আজীমা-।
আল বায়ান:
তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজগুলোকে শুদ্ধ করে দেবেন এবং তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই এক মহা সাফল্য অর্জন করল।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের আমলগুলোকে ত্রুটিমুক্ত করবেন আর তোমাদের পাপগুলোকে ক্ষমা করে দিবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে সে সাফল্য লাভ করে- মহাসাফল্য।
Sahih International:
He will [then] amend for you your deeds and forgive you your sins. And whoever obeys Allah and His Messenger has certainly attained a great attainment.



اِنَّا عَرَضْنَا الْاَمَانَۃَ عَلَی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ الْجِبَالِ فَاَبَیْنَ اَنْ یَّحْمِلْنَهَا وَ اَشْفَقْنَ مِنْهَا وَ حَمَلَهَا الْاِنْسَانُ ؕ اِنَّهٗ کَانَ ظَلُوْمًا جَهُوْلًا ﴿ۙ۷۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-‘আরাদনাল আমা-নাতা ‘আলাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়াল জিবা-লি ফাআবাইনা আইঁ ইয়াহমিলনাহা-ওয়া আশফাকনা মিনহা-ওয়া হামালাহাল ইনছা-নু ইন্নাহূকা-না জালূমান জাহূলা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি আসমানসমূহ, যমীন ও পর্বতমালার প্রতি এ আমানত পেশ করেছি, অতঃপর তারা তা বহন করতে অস্বীকার করেছে এবং এতে ভীত হয়েছে। আর মানুষ তা বহন করেছে। নিশ্চয় সে ছিল অতিশয় যালিম, একান্তই অজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি (ইসলামের বোঝা বহন করার) আমানাত পেশ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা বহন করতে অস্বীকৃতি জানাল, তারা তাতে আশংকিত হল, কিন্তু মানুষ সে দায়িত্ব নিল। সে বড়ই অন্যায়কারী, বড়ই অজ্ঞ।
Sahih International:
Indeed, we offered the Trust to the heavens and the earth and the mountains, and they declined to bear it and feared it; but man [undertook to] bear it. Indeed, he was unjust and ignorant.



لِّیُعَذِّبَ اللّٰهُ الْمُنٰفِقِیْنَ وَ الْمُنٰفِقٰتِ وَ الْمُشْرِکِیْنَ وَ الْمُشْرِکٰتِ وَ یَتُوْبَ اللّٰهُ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
লিইউ‘আযযি বাল্লা-হুল মুনা-ফিকীনা ওয়াল মুনাফিকা-তি ওয়াল মুশরিকীনা ওয়াল মুশরিকা-তি ওয়া ইয়াতূবাল্লা-হু ‘আলাল মু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনা-তি ওয়াকা-নাল্লা-হু গাফূরার রাহীমা-।
আল বায়ান:
যাতে আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারীদের আযাব দেন। আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
পরিণামে আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারীকে শাস্তি দিবেন এবং মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীকে ক্ষমা প্রদর্শন করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Sahih International:
[It was] so that Allah may punish the hypocrite men and hypocrite women and the men and women who associate others with Him and that Allah may accept repentance from the believing men and believing women. And ever is Allah Forgiving and Merciful.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।