আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আলিফ লাম মীম।
আল বায়ান:
আলিফ- লাম -মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
আলিফ-লাম-মীম।
Sahih International:
Alif, Lam, Meem.



تِلْکَ اٰیٰتُ الْکِتٰبِ الْحَکِیْمِ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
তিলকা আ-ইয়া-তুল কিতা-বিল হাকীম।
আল বায়ান:
এগুলো প্রজ্ঞাপূর্ণ কিতাবের আয়াত,
তাইসিরুল কুরআন:
এগুলো হিকমাতে ভরপুর কিতাবের আয়াত।
Sahih International:
These are verses of the wise Book,



هُدًی وَّ رَحْمَۃً لِّلْمُحْسِنِیْنَ ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
হুদাওঁ ওয়া রাহমাতাল লিলমুহছিনীন।
আল বায়ান:
সৎকর্মশীলদের জন্য হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ,
তাইসিরুল কুরআন:
সৎকর্মশীলদের জন্য পথ নির্দেশ ও রহমত।
Sahih International:
As guidance and mercy for the doers of good



الَّذِیْنَ یُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤْتُوْنَ الزَّکٰوۃَ وَ هُمْ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ ؕ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া ইউ’তূনাযযাকা-তা ওয়া হুম বিলআ-খিরাতি হুম ইঊকিনূন।
আল বায়ান:
যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, আর তারাই আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে;
তাইসিরুল কুরআন:
যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় আর তারা আখেরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।
Sahih International:
Who establish prayer and give zakah, and they, of the Hereafter, are certain [in faith].



اُولٰٓئِکَ عَلٰی هُدًی مِّنْ رَّبِّهِمْ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা ‘আলা-হুদাম মিররাব্বিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।
আল বায়ান:
তারাই তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াতের ওপর এবং তারাই সফলকাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারাই তাদের পালনকর্তার সঠিক পথে আছে আর তারাই সফলকাম। (দুনিয়া ও আখেরাতে)
Sahih International:
Those are on [right] guidance from their Lord, and it is those who are the successful.



وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یَّشْتَرِیْ لَهْوَ الْحَدِیْثِ لِیُضِلَّ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ بِغَیْرِ عِلْمٍ ٭ۖ وَّ یَتَّخِذَهَا هُزُوًا ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِیْنٌ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনান্না-ছি মাইঁ ইয়াশতারী লাহওয়াল হাদীছিলিইউদিল্লা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি বিগাইরি ‘ইলমিওঁ ওয়া ইয়াত্তাখিযাহা-হুযুওয়ান উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুম মুহীন।
আল বায়ান:
আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
কতক মানুষ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশে অজ্ঞতাবশতঃ অবান্তর কথাবার্তা (গান-বাজনা) ক্রয় করে আর আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদের জন্যই আছে অবমাননাকর শাস্তি।
Sahih International:
And of the people is he who buys the amusement of speech to mislead [others] from the way of Allah without knowledge and who takes it in ridicule. Those will have a humiliating punishment.



وَ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِ اٰیٰتُنَا وَلّٰی مُسْتَکْبِرًا کَاَنْ لَّمْ یَسْمَعْهَا کَاَنَّ فِیْۤ اُذُنَیْهِ وَقْرًا ۚ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-তুতলা-‘আলাইহি আ-য়া-তুনা-ওয়াল্লা-মুছতাকবিরান কাআল্লাম ইয়াছমা‘হাকাআন্না ফী উযু নাইহি ওয়াকরান ফাবাশশিরহু বি‘আযা-বিন আলীম।
আল বায়ান:
আর তার কাছে যখন আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন সে শুনতে পায়নি, তার দু’কানে যেন বধিরতা; সুতরাং তাকে যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তার কাছে আমার আয়াত আবৃত্তি করা হয়, তখন সে অহংকারবশতঃ এমনভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয় যেন সে তা শুনতেই পায়নি, যেন তার দুই কানে বধিরতা আছে, কজেই তাকে ভয়াবহ শাস্তির সুসংবাদ দাও।
Sahih International:
And when our verses are recited to him, he turns away arrogantly as if he had not heard them, as if there was in his ears deafness. So give him tidings of a painful punishment.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ جَنّٰتُ النَّعِیْمِ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লাহুম জান্না-তুন না‘ঈম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে নিআমতপূর্ণ জান্নাত;
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের জন্য আছে নি‘য়ামাতে ভরা জান্নাত।
Sahih International:
Indeed, those who believe and do righteous deeds - for them are the Gardens of Pleasure.



خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ؕ وَعْدَ اللّٰهِ حَقًّا ؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
খা-লিদীনা ফীহা- ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কাওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
সেখানে তারা স্থায়ী হবে, আল্লাহর ওয়াদা যথার্থ। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাতে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।
Sahih International:
Wherein they abide eternally; [it is] the promise of Allah [which is] truth. And He is the Exalted in Might, the Wise.



خَلَقَ السَّمٰوٰتِ بِغَیْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا وَ اَلْقٰی فِی الْاَرْضِ رَوَاسِیَ اَنْ تَمِیْدَ بِکُمْ وَ بَثَّ فِیْهَا مِنْ کُلِّ دَآبَّۃٍ ؕ وَ اَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَنْۢبَتْنَا فِیْهَا مِنْ کُلِّ زَوْجٍ کَرِیْمٍ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
খালাকাছছামা-ওয়া-তি বিগাইরি ‘আমাদিন তারাওনাহা-ওয়া আলাকা-ফিল আরদিরাওয়াছিয়া আন তামীদা বিকুম ওয়া বাছছা ফীহা-মিন কুল্লি দাব্বাতিওঁ ওয়া আনযালনামিনাছছামাই মাআন ফাআমবাতনা-ফীহা-মিন কুল্লি যাওজিন কারীম।
আল বায়ান:
তিনি খুঁটি ছাড়া আসমানসমূহ সৃষ্টি করেছেন, যা তোমরা দেখছ, আর যমীনে স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পাহাড়, যাতে তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে না পড়ে, আর তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রত্যেক প্রকারের প্রাণী; আর আসমান থেকে আমি পানি পাঠাই। অতঃপর তাতে আমি জোড়ায় জোড়ায় কল্যাণকর উদ্ভিদ জন্মাই।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আকাশমন্ডলী নির্মাণ করেছেন স্তম্ভ ছাড়া যা তোমরা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন দৃঢ়ভাবে দন্ডায়মান পর্বতমালা যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে নড়াচড়া না করে আর তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সকল প্রকার জীবজন্তু, আর আমিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, অতঃপর তাতে উদ্গত করি যাবতীয় কল্যাণকর উদ্ভিদ।
Sahih International:
He created the heavens without pillars that you see and has cast into the earth firmly set mountains, lest it should shift with you, and dispersed therein from every creature. And We sent down rain from the sky and made grow therein [plants] of every noble kind.



هٰذَا خَلْقُ اللّٰهِ فَاَرُوْنِیْ مَاذَا خَلَقَ الَّذِیْنَ مِنْ دُوْنِهٖ ؕ بَلِ الظّٰلِمُوْنَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-খালকুল্লা-হি ফাআরূনী মা-যা-খালকাল্লাযীনা মিন দূ নিহী বালিজ্জা-লিমূনা ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
এ আল্লাহর সৃষ্টি; অতএব আমাকে দেখাও, তিনি ছাড়া আর যারা আছে তারা কী সৃষ্টি করেছে! বরং যালিমরা সুস্পষ্ট গোমরাহীতে রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
এগুলো আল্লাহর সৃষ্টি। কাজেই আমাকে দেখাও তিনি ছাড়া অন্যেরা কী সৃষ্টি করেছে। বরং যালিমরা সুস্পষ্ট গুমরাহীতে ডুবে আছে।
Sahih International:
This is the creation of Allah. So show Me what those other than Him have created. Rather, the wrongdoers are in clear error.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا لُقْمٰنَ الْحِکْمَۃَ اَنِ اشْکُرْ لِلّٰهِ ؕ وَ مَنْ یَّشْکُرْ فَاِنَّمَا یَشْکُرُ لِنَفْسِهٖ ۚ وَ مَنْ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِیٌّ حَمِیْدٌ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-লুকমা-নাল হিকমাতা আনিশকুর লিল্লা-হি ওয়া মাইঁ ইয়াশকুর ফাইন্নামা-ইয়াশকুরু লিনাফছিহী ওয়ামান কাফারা ফাইন্নাল্লা-হা গানিইয়ুন হামীদ।
আল বায়ান:
আর আমি তো লুকমানকে হিকমাত* দিয়েছিলাম (এবং বলেছিলাম) যে, ‘আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর। আর যে শুকরিয়া আদায় করে সে তো নিজের জন্যই শুকরিয়া আদায় করে এবং যে অকৃতজ্ঞ হয় (তার জেনে রাখা উচিত) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসিত’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি লুকমানকে প্রজ্ঞা দান করেছিলাম। (তাকে বলেছিলাম) যে, তুমি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে তা নিজের কল্যাণেই করে। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে (সে জেনে রাখুক যে) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসিত।
Sahih International:
And We had certainly given Luqman wisdom [and said], "Be grateful to Allah." And whoever is grateful is grateful for [the benefit of] himself. And whoever denies [His favor] - then indeed, Allah is Free of need and Praiseworthy.



وَ اِذْ قَالَ لُقْمٰنُ لِابْنِهٖ وَ هُوَ یَعِظُهٗ یٰبُنَیَّ لَا تُشْرِکْ بِاللّٰهِ ؕؔ اِنَّ الشِّرْکَ لَظُلْمٌ عَظِیْمٌ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকা-লা লুকমা-নুলিবনিহী ওয়া হুওয়া ইয়া‘ইজুহূইয়া-বুনাইইয়া লা-তুশরিক বিল্লা-হি ইন্নাশশিরকা লাজুলমুন ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন লুকমান তার পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিল, ‘প্রিয় বৎস, আল্লাহর সাথে শিরক করো না; নিশ্চয় শিরক হল বড় যুলম'।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন লুকমান তার ছেলেকে নসীহত ক’রে বলেছিল- হে বৎস! আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শিরক কর না, শিরক হচ্ছে অবশ্যই বিরাট যুলম।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], when Luqman said to his son while he was instructing him, "O my son, do not associate [anything] with Allah. Indeed, association [with him] is great injustice."



وَ وَصَّیْنَا الْاِنْسَانَ بِوَالِدَیْهِ ۚ حَمَلَتْهُ اُمُّهٗ وَهْنًا عَلٰی وَهْنٍ وَّ فِصٰلُهٗ فِیْ عَامَیْنِ اَنِ اشْکُرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیْکَ ؕ اِلَیَّ الْمَصِیْرُ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াসসাইনাল ইনছা-না বিওয়া-লিদাইহি হামালাতহু উম্মুহূওয়াহনান ‘আলাওয়াহনিওঁ ওয়া ফিসা-লুহূফী ‘আ-মাইনি আনিশকুর লী ওয়ালি ওয়া-লিদাইকা ইলাইইয়াল মাসীর।
আল বায়ান:
আর আমি মানুষকে তার মাতাপিতার ব্যাপারে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে; সুতরাং আমার ও তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় কর। প্রত্যাবর্তন তো আমার কাছেই।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে গর্ভে ধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে, (নির্দেশ দিচ্ছি) যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। (তোমাদের সকলের) প্রত্যাবর্তন তো আমারই কাছে।
Sahih International:
And We have enjoined upon man [care] for his parents. His mother carried him, [increasing her] in weakness upon weakness, and his weaning is in two years. Be grateful to Me and to your parents; to Me is the [final] destination.



وَ اِنْ جَاهَدٰکَ عَلٰۤی اَنْ تُشْرِکَ بِیْ مَا لَیْسَ لَکَ بِهٖ عِلْمٌ ۙ فَلَا تُطِعْهُمَا وَ صَاحِبْهُمَا فِی الدُّنْیَا مَعْرُوْفًا ۫ وَّ اتَّبِعْ سَبِیْلَ مَنْ اَنَابَ اِلَیَّ ۚ ثُمَّ اِلَیَّ مَرْجِعُکُمْ فَاُنَبِّئُکُمْ بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন জা-হাদা-কা ‘আলাআন তুশরিকা বী মা-লাইছা লাকা বিহী ‘ইলমুন ফালাতুতি‘হুমা-ওয়াসা-হিবহুমা-ফিদদুনইয়া-মা‘রূফাওঁ ওয়াত্তাবি‘ ছাবীলা মান আনা-বা ইলাইইয়া ছু ম্মা ইলাইইয়া মারজি‘উকুম ফাউনাব্বিউকুম বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর যদি তারা তোমাকে আমার সাথে শিরক করতে জোর চেষ্টা করে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তখন তাদের আনুগত্য করবে না এবং দুনিয়ায় তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে। আর অনুসরণ কর তার পথ, যে আমার অভিমুখী হয়। তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব, যা তোমরা করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পিতামাতা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার অংশীদার স্থির করার জন্য যার জ্ঞান তোমার নেই, তবে তুমি তাদের কথা মানবে না। কিন্তু পৃথিবীতে তাদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস করবে। যে আমার অভিমুখী হয় তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর আমারই নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব তোমরা যা করছিলে।
Sahih International:
But if they endeavor to make you associate with Me that of which you have no knowledge, do not obey them but accompany them in [this] world with appropriate kindness and follow the way of those who turn back to Me [in repentance]. Then to Me will be your return, and I will inform you about what you used to do.



یٰبُنَیَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَکُ مِثْقَالَ حَبَّۃٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَکُنْ فِیْ صَخْرَۃٍ اَوْ فِی السَّمٰوٰتِ اَوْ فِی الْاَرْضِ یَاْتِ بِهَا اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-বুনাইয়া ইন্নাহাইন তাকুমিছকা-লা হাব্বাতিম্মিন খারদালিন ফাতাকুন ফী সাখরাতিন আও ফিছছামা-ওয়া-তি আও ফিল আরদিইয়া’তি বিহাল্লা-হু ইন্নাল্লা-হা লাতীফুন খাবীর।
আল বায়ান:
‘হে আমার প্রিয় বৎস, নিশ্চয় তা (পাপ-পুণ্য) যদি সরিষা দানার পরিমাণ হয়, অতঃপর তা থাকে পাথরের মধ্যে কিংবা আসমানসমূহে বা যমীনের মধ্যে, আল্লাহ তাও নিয়ে আসবেন; নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সর্বজ্ঞ’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে বৎস! কোন বস্তু যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় আর তা থাকে পাথরের ভিতরে অথবা আকাশে অথবা যমীনের নীচে, আল্লাহ তাকে এনে হাজির করবেন। আল্লাহ সূক্ষ্ণদর্শী, সব কিছুর খবর রাখেন।
Sahih International:
[And Luqman said], "O my son, indeed if wrong should be the weight of a mustard seed and should be within a rock or [anywhere] in the heavens or in the earth, Allah will bring it forth. Indeed, Allah is Subtle and Acquainted.



یٰبُنَیَّ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ وَ اْمُرْ بِالْمَعْرُوْفِ وَ انْهَ عَنِ الْمُنْکَرِ وَ اصْبِرْ عَلٰی مَاۤ اَصَابَکَ ؕ اِنَّ ذٰلِکَ مِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ ﴿ۚ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-বুনাইইয়া আকিমিসসালা-তা ওয়া’মুর বিলমা‘রূফি ওয়ানহা ‘আনিল মুনকারি ওয়াসবির ‘আলা-মাআসা-বাকা ইন্না যা-লিকা মিন ‘আযমিল উমূর।
আল বায়ান:
‘হে আমার প্রিয় বৎস, সালাত কায়েম কর, সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্য ধর। নিশ্চয় এগুলো অন্যতম দৃঢ় সংকল্পের কাজ’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে বৎস! তুমি নামায কায়িম কর, সৎ কাজের নির্দেশ দাও আর মন্দ কাজ হতে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয় এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ।
Sahih International:
O my son, establish prayer, enjoin what is right, forbid what is wrong, and be patient over what befalls you. Indeed, [all] that is of the matters [requiring] determination.



وَ لَا تُصَعِّرْ خَدَّکَ لِلنَّاسِ وَ لَا تَمْشِ فِی الْاَرْضِ مَرَحًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ کُلَّ مُخْتَالٍ فَخُوْرٍ ﴿ۚ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তুসা‘‘ইর খাদ্দাকা লিন্না-ছি ওয়ালা-তামশি ফিল আরদিমারাহান ইন্নাল্লা-হা লাইউহিব্বুকুল্লা মুখতা-লিন ফাখূর।
আল বায়ান:
‘আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। আর যমীনে দম্ভভরে চলাফেরা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না’।
তাইসিরুল কুরআন:
অহংকারের বশবর্তী হয়ে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কর না, আর পৃথিবীতে গর্বভরে চলাফেরা কর না, নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।
Sahih International:
And do not turn your cheek [in contempt] toward people and do not walk through the earth exultantly. Indeed, Allah does not like everyone self-deluded and boastful.



وَ اقْصِدْ فِیْ مَشْیِکَ وَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِکَ ؕ اِنَّ اَنْکَرَ الْاَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِیْرِ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকসিদ ফী মাশইকা ওয়াগদুদমিন সাওতিকা ইন্না আনকারাল আসওয়া-তি লাসাওতুল হামীর।
আল বায়ান:
‘আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নীচু কর; নিশ্চয় সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল গাধার আওয়াজ’।
তাইসিরুল কুরআন:
চলাফেরায় সংযত ভাব অবলম্বন কর এবং কণ্ঠস্বর নীচু কর। স্বরের মধ্যে নিশ্চয়ই গাধার স্বর সর্বাপেক্ষা শ্রুতিকটু।
Sahih International:
And be moderate in your pace and lower your voice; indeed, the most disagreeable of sounds is the voice of donkeys."



اَلَمْ تَرَوْا اَنَّ اللّٰهَ سَخَّرَ لَکُمْ مَّا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ وَ اَسْبَغَ عَلَیْکُمْ نِعَمَهٗ ظَاهِرَۃً وَّ بَاطِنَۃً ؕ وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یُّجَادِلُ فِی اللّٰهِ بِغَیْرِ عِلْمٍ وَّ لَا هُدًی وَّ لَا کِتٰبٍ مُّنِیْرٍ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারাও আন্নাল্লা-হা ছাখখরা লাকুম মা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়া আছবাগা ‘আলাইকুম নি‘মাহূজা-হিরাতাওঁ ওয়া বা-তিনাতাওঁ ওয়া মিনান্না-ছি মাইঁ ইউজা-দিলুফিল্লা-হি বিগাইরি ‘ইলমিওঁ ওয়ালা-হুদাওঁ ওয়ালা-কিতা-বিম মুনীর।
আল বায়ান:
তোমরা কি দেখ না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে। আর তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নিআমত ব্যাপক করে দিয়েছেন; মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করে জ্ঞান, হিদায়াত ও আলো দানকারী কিতাব ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, যা কিছু আসমানসমূহে আর যমীনে আছে, আল্লাহ সমস্তই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নি‘য়ামাতসমূহ পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন? কতক মানুষ জ্ঞান ছাড়াই আল্লাহ সম্বন্ধে বাক-বিতন্ডা করে, তাদের না আছে সঠিক পথের দিশা, আর না আছে কোন আলোপ্রদ কিতাব।
Sahih International:
Do you not see that Allah has made subject to you whatever is in the heavens and whatever is in the earth and amply bestowed upon you His favors, [both] apparent and unapparent? But of the people is he who disputes about Allah without knowledge or guidance or an enlightening Book [from Him].



وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمُ اتَّبِعُوْا مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ قَالُوْا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَیْهِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَ لَوْ کَانَ الشَّیْطٰنُ یَدْعُوْهُمْ اِلٰی عَذَابِ السَّعِیْرِ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুত তাবি‘উ মাআনযালাল্লা-হু কা-লূবাল নাত্তাবি‘উ মা-ওয়াজাদনা‘আলাইহি আ-বাআনা- আওয়া লাও কা-নাশশাইতা-নুইয়াদ‘উহুম ইলা-‘আযাবিছছা‘ঈর।
আল বায়ান:
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তোমরা তার অনুসরণ কর’ তখন তারা বলে, ‘বরং আমরা তার অনুসরণ করব যার ওপর আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি।’ শয়তান তাদেরকে প্রজ্বলিত আযাবের দিকে আহবান করলেও কি (তারা পিতৃপুরুষদেরকে অনুসরণ করবে)?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন বলা হয়- আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা অনুসরণ কর, তখন তারা বলে- বরং আমরা তারই অনুসরণ করব আমাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে যে পথ অনুসরণ করতে দেখেছি। শয়ত্বান যদি তাদেরকে জ্বলন্ত আগুনের শাস্তির দিকে ডাকে, তবুও কি (তারা তারই অনুসরণ করবে)?
Sahih International:
And when it is said to them, "Follow what Allah has revealed," they say, "Rather, we will follow that upon which we found our fathers." Even if Satan was inviting them to the punishment of the Blaze?



وَ مَنْ یُّسْلِمْ وَجْهَهٗۤ اِلَی اللّٰهِ وَ هُوَ مُحْسِنٌ فَقَدِ اسْتَمْسَکَ بِالْعُرْوَۃِ الْوُثْقٰی ؕ وَ اِلَی اللّٰهِ عَاقِبَۃُ الْاُمُوْرِ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইউছলিম ওয়াজহাহূ ইলাল্লা-হি ওয়া হুওয়া মুহছিনুন ফাকাদিছতামছাকা বিল ‘উরওয়াতিল উছকা- ওয়া ইলাল্লা-হি ‘আ-কিবাতুল উমূর।
আল বায়ান:
আর যে ব্যক্তি একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধচিত্তে আল্লাহর কাছে নিজকে সমর্পণ করে, সে তো শক্ত রশি আঁকড়ে ধরে। আর সকল বিষয়ের পরিণাম আল্লাহরই কাছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে কেউ আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ করে আর সে সৎকর্মশীল, সে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এক মজবুত হাতল। যাবতীয় কর্ম পরিণাম ফলের জন্য আল্লাহর দিকে ফিরে যায়।
Sahih International:
And whoever submits his face to Allah while he is a doer of good - then he has grasped the most trustworthy handhold. And to Allah will be the outcome of [all] matters.



وَ مَنْ کَفَرَ فَلَا یَحْزُنْکَ کُفْرُهٗ ؕ اِلَیْنَا مَرْجِعُهُمْ فَنُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْا ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান কাফারা ফালা-ইয়াহযুনকা কুফরুহূ ইলাইনা-মারজি‘উহুম ফানুনাব্বিউহুম বিমা‘আমিলূ ইন্নাল্লা-হা ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।
আল বায়ান:
আর যে কুফরী করে, তার কুফরী যেন তোমাকে ব্যথিত না করে; আমার কাছেই তাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তারা যে আমল করত আমি তা তাদেরকে জানিয়ে দেব। নিশ্চয় আল্লাহ অন্তরসমূহে যা আছে তা সম্পর্কে সম্যক অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
কেউ কুফরী করলে তার কুফরী তোমাকে যেন মনোকষ্ট না দেয়, তাদের প্রত্যাবর্তন আমার কাছেই; অতঃপর আমি তাদেরকে জানিয়ে দেব তারা কী করত। (মানুষের) অন্তরসমূহে কী আছে সে সম্পর্কে আল্লাহই সবচেয়ে বেশি জানেন।
Sahih International:
And whoever has disbelieved - let not his disbelief grieve you. To Us is their return, and We will inform them of what they did. Indeed, Allah is Knowing of that within the breasts.



نُمَتِّعُهُمْ قَلِیْلًا ثُمَّ نَضْطَرُّهُمْ اِلٰی عَذَابٍ غَلِیْظٍ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
নুমাত্তি‘উহুম কালীলান ছুম্মা নাদতাররুহুম ইলা-‘আযা-বিন গালীজ।
আল বায়ান:
আমি তাদেরকে অল্প ভোগ করতে দেই, তারপর তাদেরকে কঠোর আযাব ভোগ করতে বাধ্য করব।
তাইসিরুল কুরআন:
অল্প সময়ের জন্য তাদেরকে ভোগ করতে দেব, অবশেষে তাদেরকে গুরুতর শাস্তিতে (প্রবেশ করতে) বাধ্য করব।
Sahih International:
We grant them enjoyment for a little; then We will force them to a massive punishment.



وَ لَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ لَیَقُوْلُنَّ اللّٰهُ ؕ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ ؕ بَلْ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা লাইয়াকূলুন্নাল্লা-হু কুল্লি হামদুলিল্লা-হি; বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন?’ তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর; কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- আকাশমন্ডলী ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে, তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে- আল্লাহ। বল, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
Sahih International:
And if you asked them, "Who created the heavens and earth?" they would surely say, "Allah." Say, "[All] praise is [due] to Allah "; but most of them do not know.



لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْغَنِیُّ الْحَمِیْدُ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
লিল্লা-হি মা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইন্নাল্লা-হা হুওয়াল গানিইয়ুল হামীদ।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনে যা আছে তা আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসিত।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশমন্ডলী আর যমীনে যা আছে সব আল্লাহরই, নিশ্চয়ই আল্লাহ, তিনি সকল অভাব-মুক্ত, সকল প্রশংসার অধিকারী।
Sahih International:
To Allah belongs whatever is in the heavens and earth. Indeed, Allah is the Free of need, the Praiseworthy.



وَ لَوْ اَنَّ مَا فِی الْاَرْضِ مِنْ شَجَرَۃٍ اَقْلَامٌ وَّ الْبَحْرُ یَمُدُّهٗ مِنْۢ بَعْدِهٖ سَبْعَۃُ اَبْحُرٍ مَّا نَفِدَتْ کَلِمٰتُ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِیْزٌ حَکِیْمٌ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও আন্না মা-ফিল আরদিমিন শাজারাতিন আকলা-মুওঁ ওয়াল বাহরু ইয়ামুদ্দুহূমিম বা‘দিহী ছাব‘আতুআবহুরিম মা-নাফিদাত কালিমা-তুল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা ‘আযীযুন হাকীম।
আল বায়ান:
আর যমীনে যত গাছ আছে তা যদি কলম হয়, আর সমুদ্র (হয় কালি), তার সাথে কালিতে পরিণত হয় আরো সাত সমুদ্র, তবুও আল্লাহর বাণীসমূহ শেষ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
দুনিয়ার সব গাছ যদি কলম হয় আর সমুদ্র (কালি হয়) আর তার সাথে আরো সাত সমুদ্র যুক্ত হয়, তবুও আল্লাহর (প্রশংসার) কথা (লেখা) শেষ হবে না। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী।
Sahih International:
And if whatever trees upon the earth were pens and the sea [was ink], replenished thereafter by seven [more] seas, the words of Allah would not be exhausted. Indeed, Allah is Exalted in Might and Wise.



مَا خَلْقُکُمْ وَ لَا بَعْثُکُمْ اِلَّا کَنَفْسٍ وَّاحِدَۃٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَمِیْعٌۢ بَصِیْرٌ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
মা-খালকুকুম ওয়ালা-বা‘ছুকুম ইল্লা-কানাফছিওঁ ওয়া-হিদাতিন ইন্নাল্লা-হা ছামী‘উম বাসীর।
আল বায়ান:
তোমাদের সৃষ্টি ও তোমাদের পুনরুত্থান কেবল একটি প্রাণের (সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের) মতই। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের সকলের সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একজন মানুষের (সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের) মতই। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
Sahih International:
Your creation and your resurrection will not be but as that of a single soul. Indeed, Allah is Hearing and Seeing.



اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یُوْلِجُ الَّیْلَ فِی النَّهَارِ وَ یُوْلِجُ النَّهَارَ فِی الَّیْلِ وَ سَخَّرَ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ ۫ کُلٌّ یَّجْرِیْۤ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی وَّ اَنَّ اللّٰهَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِیْرٌ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা আন্নাল্লা-হা ইঊলিজুল লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়া ইঊলিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি ওয়া ছাখখারাশশামছা ওয়ালা কামারা কুলুলইঁইয়াজরীইলাআজালিম মুছাম্মাওঁ ওয়া আন্নাল্লা-হা বিমা-তা‘মালূনা খাবীর।
আল বায়ান:
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান? আর তিনি সূর্য ও চাঁদকে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই চলছে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। আর নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনে এবং দিনকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রত্যেকেই বিচরণ করছে নির্দিষ্টকৃত সময় অনুযায়ী, তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত।
Sahih International:
Do you not see that Allah causes the night to enter the day and causes the day to enter the night and has subjected the sun and the moon, each running [its course] for a specified term, and that Allah, with whatever you do, is Acquainted?



ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْحَقُّ وَ اَنَّ مَا یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهِ الْبَاطِلُ ۙ وَ اَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْعَلِیُّ الْکَبِیْرُ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা হুওয়াল হাক্কুওয়া আন্নামা- ইয়াদ‘ঊনা মিন দূ নিহিল বা-তিলু ওয়া আন্নাল্লা-হা হুওয়াল ‘আলিইয়ুল কাবীর।
আল বায়ান:
এগুলো প্রমাণ করে যে, নিশ্চয় আল্লাহই সত্য এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাকে ডাকে, তা মিথ্যা। আর নিশ্চয় আল্লাহই হলেন সর্বোচ্চ, সুমহান।
তাইসিরুল কুরআন:
এসব প্রমাণ করে যে, আল্লাহ্ই সত্য এবং তাঁর পরিবর্তে তারা যাকে ডাকে তা মিথ্যে। আল্লাহ, তিনি তো হলেন সর্বোচ্চ, সুমহান।
Sahih International:
That is because Allah is the Truth, and that what they call upon other than Him is falsehood, and because Allah is the Most High, the Grand.



اَلَمْ تَرَ اَنَّ الْفُلْکَ تَجْرِیْ فِی الْبَحْرِ بِنِعْمَتِ اللّٰهِ لِیُرِیَکُمْ مِّنْ اٰیٰتِهٖ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّکُلِّ صَبَّارٍ شَکُوْرٍ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
আলাম তারা আন্নাল ফুলকা তাজরী ফিল বাহরি বিনি‘মাতিল্লা-হি লিইউরিয়াকুম মিন আ-য়াতিহী ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকুল্লি সাব্বা-রিন শাকূর।
আল বায়ান:
তুমি কি দেখনি যে, নৌযানগুলো আল্লাহর অনুগ্রহে সমুদ্রে চলাচল করে, যাতে তিনি তাঁর কিছু নিদর্শন তোমাদের দেখাতে পারেন। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, নৌযানগুলো আল্লাহর অনুগ্রহে সমুদ্রে চলাচল করে যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনের কিছু দেখাতে পারেন। এতে অবশ্যই প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
Do you not see that ships sail through the sea by the favor of Allah that He may show you of His signs? Indeed in that are signs for everyone patient and grateful.



وَ اِذَا غَشِیَهُمْ مَّوْجٌ کَالظُّلَلِ دَعَوُا اللّٰهَ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَ ۬ۚ فَلَمَّا نَجّٰهُمْ اِلَی الْبَرِّ فَمِنْهُمْ مُّقْتَصِدٌ ؕ وَ مَا یَجْحَدُ بِاٰیٰتِنَاۤ اِلَّا کُلُّ خَتَّارٍ کَفُوْرٍ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-গাশিয়াহুম মাওজুন কাজ্জুলালি দা‘আউল্লা-হা মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা ফালাম্মানাজ্জা-হুম ইলাল বাররি ফামিনহুম মুকতাসিদুওঁ ওয়ামা-ইয়াজহাদুবিআ-য়া-তিনা-ইল্লাকুল্লুখাত্তা-রিন কাফূর।
আল বায়ান:
আর যখন ঢেউ তাদেরকে ছায়ার মত আচ্ছন্ন করে নেয়, তখন তারা একনিষ্ঠ অবস্থায় আনুগত্যভরে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে উদ্ধার করে স্থলে পৌঁছে দেন, তখন তাদের কেউ কেউ (ঈমান ও কুফরীর) মধ্যপথে থাকে। আর বিশ্বাসঘাতক ও কাফির ব্যক্তি ছাড়া কেউ আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
ঢেউ যখন তাদেরকে (মেঘের) ছায়ার মত ঢেকে নেয়, তখন তারা আল্লাহকে ডাকতে থাকে তাঁর প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্যে। অতঃপর আমি যখন তাদেরকে উদ্ধার ক’রে স্থলে এনে দেই, তখন তাদের কতক ন্যায়পূর্ণ আচরণ করে। কেবল মিথ্যাচারী অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে।
Sahih International:
And when waves come over them like canopies, they supplicate Allah, sincere to Him in religion. But when He delivers them to the land, there are [some] of them who are moderate [in faith]. And none rejects Our signs except everyone treacherous and ungrateful.



یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّکُمْ وَ اخْشَوْا یَوْمًا لَّا یَجْزِیْ وَالِدٌ عَنْ وَّلَدِهٖ ۫ وَ لَا مَوْلُوْدٌ هُوَ جَازٍ عَنْ وَّالِدِهٖ شَیْئًا ؕ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّکُمُ الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَا ٝ وَ لَا یَغُرَّنَّکُمْ بِاللّٰهِ الْغَرُوْرُ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-আইয়ুহান্না-ছুত্তাকূরাব্বাকুম ওয়াখশাও ইয়াওমাল্লা-ইয়াজযী ওয়া-লিদুন আওঁ ওয়ালাদিহী ওয়ালা-মাওলূদুন হুওয়া জা-যিন ‘আওঁ ওয়া-লিদিহী শাইআন ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুন ফালা-তাগুররান্নাকুমুল হায়া-তুদ্দুনইয়া-ওয়ালা-ইয়াগুররান্নাকুম বিল্লা-হিল গারূর।
আল বায়ান:
হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর এবং সেই দিনকে ভয় কর যেদিন পিতা তার সন্তানের কোন উপকার করতে পারবে না এবং সন্তানও তার পিতার কোন উপকারে আসবে না। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং দুনিয়ার জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে ধোকা দিতে না পারে এবং মহাপ্রতারক (শয়তান) যেন তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে ধোকায় ফেলতে না পারে।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর আর ভয় কর সে দিনের, যেদিন পিতা তার সন্তানের কোন উপকার করতে পারবে না। সন্তানও পিতার কোনই উপকার করতে পারবে না। আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য, কাজেই পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে ধোঁকায় ফেলতে না পারে আর প্রধান প্রতারক (শয়ত্বান) যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রতারিত না করে।
Sahih International:
O mankind, fear your Lord and fear a Day when no father will avail his son, nor will a son avail his father at all. Indeed, the promise of Allah is truth, so let not the worldly life delude you and be not deceived about Allah by the Deceiver.



اِنَّ اللّٰهَ عِنْدَهٗ عِلْمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ یُنَزِّلُ الْغَیْثَ ۚ وَ یَعْلَمُ مَا فِی الْاَرْحَامِ ؕ وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌ مَّاذَا تَکْسِبُ غَدًا ؕ وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌۢ بِاَیِّ اَرْضٍ تَمُوْتُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌ خَبِیْرٌ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা ‘ইনদাহূ‘ইলমুছছা-‘আতি ওয়া ইউনাযযিলুল গাইছা ওয়া ইয়া‘লামুমাফিল আরহা-মি ওয়ামা-তাদরী নাফছুম মা-যা তাকছিবুগাদাওঁ ওয়ামা-তাদরী নাফছুম বিআইয়ি আরদিন তামূতু ইন্নাল্লা-হা ‘আলীমুন খাবীর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। আর তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং জরায়ূতে যা আছে, তা তিনি জানেন। আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ স্থানে সে মারা যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকটই আছে, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, জরায়ুতে কী আছে তা তিনিই জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে, কেউ জানে না কোন্ জায়গায় সে মরবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বাধিক অবহিত।
Sahih International:
Indeed, Allah [alone] has knowledge of the Hour and sends down the rain and knows what is in the wombs. And no soul perceives what it will earn tomorrow, and no soul perceives in what land it will die. Indeed, Allah is Knowing and Acquainted.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।