দেখুন/লুকান:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
حٰمٓ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
হা-মীম।
হা-মীম।
আল বায়ান:
হা-মীম।
হা-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
হা-মীম।
হা-মীম।
Sahih International:
Ha, Meem.
Ha, Meem.
تَنْزِیْلُ الْکِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الْعَزِیْزِ الْحَکِیْمِ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আযীযিল হাকীম।
তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আযীযিল হাকীম।
আল বায়ান:
এই কিতাব মহা পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট থেকে নাযিলকৃত।
এই কিতাব মহা পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট থেকে নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে মহা পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট হতে।
কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে মহা পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট হতে।
Sahih International:
The revelation of the Book is from Allah, the Exalted in Might, the Wise.
The revelation of the Book is from Allah, the Exalted in Might, the Wise.
مَا خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَاۤ اِلَّا بِالْحَقِّ وَ اَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا عَمَّاۤ اُنْذِرُوْا مُعْرِضُوْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
মা-খালাকনাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমাইল্লা-বিলহাক্কি ওয়াআজালিম মুছাম্মাওঁ ওয়াল্লাযীনা কাফারূ‘আম্মাউনযিরূমু‘রিদূন।
মা-খালাকনাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমাইল্লা-বিলহাক্কি ওয়াআজালিম মুছাম্মাওঁ ওয়াল্লাযীনা কাফারূ‘আম্মাউনযিরূমু‘রিদূন।
আল বায়ান:
আমি আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে, তা যথাযথভাবে ও একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছি। আর যারা কুফরী করে, তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে তা থেকে তারা বিমুখ।
আমি আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে, তা যথাযথভাবে ও একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছি। আর যারা কুফরী করে, তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে তা থেকে তারা বিমুখ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আকাশ, যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তা প্রকৃত উদ্দেশে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছি। কিন্তু কাফিরগণ, যে বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয় তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
আমি আকাশ, যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তা প্রকৃত উদ্দেশে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছি। কিন্তু কাফিরগণ, যে বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয় তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Sahih International:
We did not create the heavens and earth and what is between them except in truth and [for] a specified term. But those who disbelieve, from that of which they are warned, are turning away.
We did not create the heavens and earth and what is between them except in truth and [for] a specified term. But those who disbelieve, from that of which they are warned, are turning away.
قُلْ اَرَءَیْتُمْ مَّا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَرُوْنِیْ مَاذَا خَلَقُوْا مِنَ الْاَرْضِ اَمْ لَهُمْ شِرْکٌ فِی السَّمٰوٰتِ ؕ اِیْتُوْنِیْ بِکِتٰبٍ مِّنْ قَبْلِ هٰذَاۤ اَوْ اَثٰرَۃٍ مِّنْ عِلْمٍ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতুম মা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি আরূনী মা-যা-খালাকূমিনাল আরদিআম লাহুম শিরকুন ফিছ ছামা-ওয়া-তি ঈতূনী বিকিতা-বিম মিন কাবলি হা-যাআও আছারাতিম মিন ‘ইলমিন ইন কুনতুম সা-দিকীন।
কুল আরাআইতুম মা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি আরূনী মা-যা-খালাকূমিনাল আরদিআম লাহুম শিরকুন ফিছ ছামা-ওয়া-তি ঈতূনী বিকিতা-বিম মিন কাবলি হা-যাআও আছারাতিম মিন ‘ইলমিন ইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা আমাকে সংবাদ দাও তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক আমাকে দেখাও তো তারা যমীনে কী সৃষ্টি করেছে? অথবা আসমানসমূহে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি? এর পূর্ববর্তী কোন কিতাব অথবা পরম্পরাগত কোন জ্ঞান তোমরা আমার কাছে নিয়ে এসো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
বল, ‘তোমরা আমাকে সংবাদ দাও তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক আমাকে দেখাও তো তারা যমীনে কী সৃষ্টি করেছে? অথবা আসমানসমূহে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি? এর পূর্ববর্তী কোন কিতাব অথবা পরম্পরাগত কোন জ্ঞান তোমরা আমার কাছে নিয়ে এসো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক, তাদের বিষয়ে চিন্তা করে দেখেছ কি? দেখাও আমাকে তারা যমীনে কী সৃষ্টি করেছে অথবা আকাশমন্ডলে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি? এর আগের কোন কিতাব অথবা পরম্পরাগত কোন জ্ঞান আমার কাছে উপস্থিত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
বল- তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক, তাদের বিষয়ে চিন্তা করে দেখেছ কি? দেখাও আমাকে তারা যমীনে কী সৃষ্টি করেছে অথবা আকাশমন্ডলে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি? এর আগের কোন কিতাব অথবা পরম্পরাগত কোন জ্ঞান আমার কাছে উপস্থিত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Have you considered that which you invoke besides Allah? Show me what they have created of the earth; or did they have partnership in [creation of] the heavens? Bring me a scripture [revealed] before this or a [remaining] trace of knowledge, if you should be truthful."
Say, [O Muhammad], "Have you considered that which you invoke besides Allah? Show me what they have created of the earth; or did they have partnership in [creation of] the heavens? Bring me a scripture [revealed] before this or a [remaining] trace of knowledge, if you should be truthful."
وَ مَنْ اَضَلُّ مِمَّنْ یَّدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَنْ لَّا یَسْتَجِیْبُ لَهٗۤ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ وَ هُمْ عَنْ دُعَآئِهِمْ غٰفِلُوْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামান আদাল্লুমিম্মাইঁ ইয়াদ‘ঊ মিন দূনিল্লা-হি মাল্লা-ইয়াছতাজীবুলাহূইলা-ইয়াওমিল কিয়া-মাতি ওয়াহুম ‘আন দু‘আইহিম গা-ফিলূন।
ওয়ামান আদাল্লুমিম্মাইঁ ইয়াদ‘ঊ মিন দূনিল্লা-হি মাল্লা-ইয়াছতাজীবুলাহূইলা-ইয়াওমিল কিয়া-মাতি ওয়াহুম ‘আন দু‘আইহিম গা-ফিলূন।
আল বায়ান:
তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না? আর তারা তাদের আহবান সম্পর্কে উদাসীন।
তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না? আর তারা তাদের আহবান সম্পর্কে উদাসীন।
তাইসিরুল কুরআন:
তার চেয়ে অধিক গুমরাহ কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাকে সাড়া দেবে না, আর তাদের ডাকাডাকি সম্পর্কেও তারা (একদম) বেখবর?
তার চেয়ে অধিক গুমরাহ কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাকে সাড়া দেবে না, আর তাদের ডাকাডাকি সম্পর্কেও তারা (একদম) বেখবর?
Sahih International:
And who is more astray than he who invokes besides Allah those who will not respond to him until the Day of Resurrection, and they, of their invocation, are unaware.
And who is more astray than he who invokes besides Allah those who will not respond to him until the Day of Resurrection, and they, of their invocation, are unaware.
وَ اِذَا حُشِرَ النَّاسُ کَانُوْا لَهُمْ اَعْدَآءً وَّ کَانُوْا بِعِبَادَتِهِمْ کٰفِرِیْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-হুশিরান্না-ছুকা-নূলাহুম আ‘দাআওঁ ওয়া কা-নূবি‘ইবা-দাতিহিম কা-ফিরীন।
ওয়া ইযা-হুশিরান্না-ছুকা-নূলাহুম আ‘দাআওঁ ওয়া কা-নূবি‘ইবা-দাতিহিম কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
আর যখন মানুষকে একত্র করা হবে, তখন এ উপাস্যগুলো তাদের শত্রু হবে এবং তারা তাদের ইবাদাত অস্বীকার করবে।
আর যখন মানুষকে একত্র করা হবে, তখন এ উপাস্যগুলো তাদের শত্রু হবে এবং তারা তাদের ইবাদাত অস্বীকার করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে যখন একত্রিত করা হবে, তখন ঐগুলো (অর্থাৎ উপাস্যরা) হবে মানুষের শত্রু আর মানুষ যে তাদের ‘ইবাদাত করেছিল তা তারা অস্বীকার করবে।
ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে যখন একত্রিত করা হবে, তখন ঐগুলো (অর্থাৎ উপাস্যরা) হবে মানুষের শত্রু আর মানুষ যে তাদের ‘ইবাদাত করেছিল তা তারা অস্বীকার করবে।
Sahih International:
And when the people are gathered [that Day], they [who were invoked] will be enemies to them, and they will be deniers of their worship.
And when the people are gathered [that Day], they [who were invoked] will be enemies to them, and they will be deniers of their worship.
وَ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِمْ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لِلْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ ۙ هٰذَا سِحْرٌ مُّبِیْنٌ ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-তুতলা ‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিন কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিলহাক্কিলাম্মা-জাআহুম হা-যা-ছিহরুম মুবীন।
ওয়া ইযা-তুতলা ‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিন কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিলহাক্কিলাম্মা-জাআহুম হা-যা-ছিহরুম মুবীন।
আল বায়ান:
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়। তখন যারা কুফরী করে তাদের নিকট সত্য আসার পর বলে, ‘এটাতো প্রকাশ্য যাদু’।
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়। তখন যারা কুফরী করে তাদের নিকট সত্য আসার পর বলে, ‘এটাতো প্রকাশ্য যাদু’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত আবৃত্তি করা হয় আর সত্য যখন তাদের কাছে উপস্থিত হয়, তখন কাফিররা বলে- এটাতো প্রকাশ্য যাদু।
তাদের কাছে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত আবৃত্তি করা হয় আর সত্য যখন তাদের কাছে উপস্থিত হয়, তখন কাফিররা বলে- এটাতো প্রকাশ্য যাদু।
Sahih International:
And when Our verses are recited to them as clear evidences, those who disbelieve say of the truth when it has come to them, "This is obvious magic."
And when Our verses are recited to them as clear evidences, those who disbelieve say of the truth when it has come to them, "This is obvious magic."
اَمْ یَقُوْلُوْنَ افْتَرٰىهُ ؕ قُلْ اِنِ افْتَرَیْتُهٗ فَلَا تَمْلِکُوْنَ لِیْ مِنَ اللّٰهِ شَیْئًا ؕ هُوَ اَعْلَمُ بِمَا تُفِیْضُوْنَ فِیْهِ ؕ کَفٰی بِهٖ شَهِیْدًۢا بَیْنِیْ وَ بَیْنَکُمْ ؕ وَ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
আম ইয়াকূলূনাফতারা-হূ কুল ইনিফতারাইতুহূফালা-তামলিকূনা লী মিনাল্লা-হি শাইআন হুওয়া আ‘লামুবিমা-তুফীদূ না ফীহি কাফা-বিহী শাহীদাম বাইনী ওয়া বাইনাকুম ওয়া হুওয়াল গাফূরুর রাহীম।
আম ইয়াকূলূনাফতারা-হূ কুল ইনিফতারাইতুহূফালা-তামলিকূনা লী মিনাল্লা-হি শাইআন হুওয়া আ‘লামুবিমা-তুফীদূ না ফীহি কাফা-বিহী শাহীদাম বাইনী ওয়া বাইনাকুম ওয়া হুওয়াল গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
তবে কি তারা বলে যে, ‘সে এটা নিজে উদ্ভাবন করেছে’? বল, ‘যদি আমি এটা উদ্ভাবন করে থাকি, তবে তোমরা আমাকে আল্লাহর (আযাব) থেকে বাঁচাতে সামান্য কিছুরও মালিক নও। তোমরা যে বিষয়ে আলোচনায় মত্ত আছ, তিনি সে বিষয়ে সম্যক অবগত। আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট। আর তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
তবে কি তারা বলে যে, ‘সে এটা নিজে উদ্ভাবন করেছে’? বল, ‘যদি আমি এটা উদ্ভাবন করে থাকি, তবে তোমরা আমাকে আল্লাহর (আযাব) থেকে বাঁচাতে সামান্য কিছুরও মালিক নও। তোমরা যে বিষয়ে আলোচনায় মত্ত আছ, তিনি সে বিষয়ে সম্যক অবগত। আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট। আর তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি বলতে চায় যে, রসূল নিজেই তা রচনা করেছে? বল, তা যদি আমি রচনা করে থাকি তাহলে তোমরা আল্লাহর শাস্তি হতে আমাকে কিছুতেই বাঁচাতে পারবে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন যে বিষয়ে তোমরা মত্ত আছ। আমার আর তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট, আর তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
তারা কি বলতে চায় যে, রসূল নিজেই তা রচনা করেছে? বল, তা যদি আমি রচনা করে থাকি তাহলে তোমরা আল্লাহর শাস্তি হতে আমাকে কিছুতেই বাঁচাতে পারবে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন যে বিষয়ে তোমরা মত্ত আছ। আমার আর তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট, আর তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
Or do they say, "He has invented it?" Say, "If I have invented it, you will not possess for me [the power of protection] from Allah at all. He is most knowing of that in which you are involved. Sufficient is He as Witness between me and you, and He is the Forgiving the Merciful."
Or do they say, "He has invented it?" Say, "If I have invented it, you will not possess for me [the power of protection] from Allah at all. He is most knowing of that in which you are involved. Sufficient is He as Witness between me and you, and He is the Forgiving the Merciful."
قُلْ مَا کُنْتُ بِدْعًا مِّنَ الرُّسُلِ وَ مَاۤ اَدْرِیْ مَا یُفْعَلُ بِیْ وَ لَا بِکُمْ ؕ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا یُوْحٰۤی اِلَیَّ وَ مَاۤ اَنَا اِلَّا نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
কুল মা-কুনতুবিদ‘আম মিনার রুছুলি ওয়ামাআদরী মা-ইউফ‘আলুবী ওয়ালা-বিকুম ইন আত্তাবি‘উ ইল্লা-মা-ইউহাইলাইইয়া ওয়ামাআনা ইল্লা-নাযীরুম মুবীন।
কুল মা-কুনতুবিদ‘আম মিনার রুছুলি ওয়ামাআদরী মা-ইউফ‘আলুবী ওয়ালা-বিকুম ইন আত্তাবি‘উ ইল্লা-মা-ইউহাইলাইইয়া ওয়ামাআনা ইল্লা-নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি রাসূলদের মধ্যে নতুন নই। আর আমি জানি না আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে। আমার প্রতি যা ওহী করা হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আর আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’।
বল, ‘আমি রাসূলদের মধ্যে নতুন নই। আর আমি জানি না আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে। আমার প্রতি যা ওহী করা হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আর আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, আমি রসূলদের মধ্যে নতুন নই, আর আমি এও জানি না যে, আমার সঙ্গে কী ব্যবহার করা হবে আর তোমাদের সঙ্গেইবা কেমন (ব্যবহার করা হবে), আমি কেবল তাই মেনে চলি যা আমার প্রতি ওয়াহী করা হয়। আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
বল, আমি রসূলদের মধ্যে নতুন নই, আর আমি এও জানি না যে, আমার সঙ্গে কী ব্যবহার করা হবে আর তোমাদের সঙ্গেইবা কেমন (ব্যবহার করা হবে), আমি কেবল তাই মেনে চলি যা আমার প্রতি ওয়াহী করা হয়। আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
Sahih International:
Say, "I am not something original among the messengers, nor do I know what will be done with me or with you. I only follow that which is revealed to me, and I am not but a clear warner."
Say, "I am not something original among the messengers, nor do I know what will be done with me or with you. I only follow that which is revealed to me, and I am not but a clear warner."
قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ کَانَ مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ وَ کَفَرْتُمْ بِهٖ وَ شَهِدَ شَاهِدٌ مِّنْۢ بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ عَلٰی مِثْلِهٖ فَاٰمَنَ وَ اسْتَکْبَرْتُمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতুম ইন কা-না মিন ‘ইনদিল্লা-হি ওয়া কাফারতুম বিহী ওয়া শাহিদা শা-হিদুম মিম বানীইছরাঈলা ‘আলা-মিছলিহী ফাআ-মানা ওয়াছতাকবারতুম ইন্নাল্লা-হা লাইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।
কুল আরাআইতুম ইন কা-না মিন ‘ইনদিল্লা-হি ওয়া কাফারতুম বিহী ওয়া শাহিদা শা-হিদুম মিম বানীইছরাঈলা ‘আলা-মিছলিহী ফাআ-মানা ওয়াছতাকবারতুম ইন্নাল্লা-হা লাইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
বল, তোমরা আমাকে জানাও, যদি এ কুরআন আল্লাহর কাছ থেকে এসে থাকে, আর তোমরা এটাকে অস্বীকার করলে, অথচ বনী ইসরাঈলের একজন সাক্ষী এ ব্যাপারে অনুরূপ সাক্ষ্য দিল। অতঃপর সে ঈমান আনল আর তোমরা অহঙ্কার করলে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হেদায়াত করেন না।
বল, তোমরা আমাকে জানাও, যদি এ কুরআন আল্লাহর কাছ থেকে এসে থাকে, আর তোমরা এটাকে অস্বীকার করলে, অথচ বনী ইসরাঈলের একজন সাক্ষী এ ব্যাপারে অনুরূপ সাক্ষ্য দিল। অতঃপর সে ঈমান আনল আর তোমরা অহঙ্কার করলে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হেদায়াত করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- তোমরা কি ভেবে দেখেছ যদি এ (কুরআন) আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে আর তা তোমরা প্রত্যাখ্যান কর অথচ এ ধরনের কালাম সম্পর্কে বানী ইসরাঈলের একজন [‘আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাযি.)] সাক্ষ্যও দিয়েছে। সে ঈমান আনল আর তোমরা অহঙ্কার করলে? আল্লাহ যালিম লোকদেরকে সঠিক পথ দেখান না।
বল- তোমরা কি ভেবে দেখেছ যদি এ (কুরআন) আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে আর তা তোমরা প্রত্যাখ্যান কর অথচ এ ধরনের কালাম সম্পর্কে বানী ইসরাঈলের একজন [‘আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাযি.)] সাক্ষ্যও দিয়েছে। সে ঈমান আনল আর তোমরা অহঙ্কার করলে? আল্লাহ যালিম লোকদেরকে সঠিক পথ দেখান না।
Sahih International:
Say, "Have you considered: if the Qur'an was from Allah, and you disbelieved in it while a witness from the Children of Israel has testified to something similar and believed while you were arrogant...?" Indeed, Allah does not guide the wrongdoing people.
Say, "Have you considered: if the Qur'an was from Allah, and you disbelieved in it while a witness from the Children of Israel has testified to something similar and believed while you were arrogant...?" Indeed, Allah does not guide the wrongdoing people.
وَ قَالَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَوْ کَانَ خَیْرًا مَّا سَبَقُوْنَاۤ اِلَیْهِ ؕ وَ اِذْ لَمْ یَهْتَدُوْا بِهٖ فَسَیَقُوْلُوْنَ هٰذَاۤ اِفْکٌ قَدِیْمٌ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূলিল্লাযীনা আ-মানূলাও কা-না খাইরাম মা-ছাবাকূনা ইলাইহি ওয়া ইযলাম ইয়াহতাদূবিহী ফাছাইয়াকূলূনা হা-যাইফকুন কাদীম।
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূলিল্লাযীনা আ-মানূলাও কা-না খাইরাম মা-ছাবাকূনা ইলাইহি ওয়া ইযলাম ইয়াহতাদূবিহী ফাছাইয়াকূলূনা হা-যাইফকুন কাদীম।
আল বায়ান:
আর যারা কুফরী করেছে তারা যারা ঈমান এনেছে তাদের সম্পর্কে বলে, ‘যদি এটা ভাল হত তবে তারা আমাদের থেকে অগ্রণী হতে পারত না’। আর যখন তারা এর দ্বারা হেদায়াত প্রাপ্ত হয়নি, তখন তারা অচিরেই বলবে, ‘এটা তো এক পুরাতন মিথ্যা’।
আর যারা কুফরী করেছে তারা যারা ঈমান এনেছে তাদের সম্পর্কে বলে, ‘যদি এটা ভাল হত তবে তারা আমাদের থেকে অগ্রণী হতে পারত না’। আর যখন তারা এর দ্বারা হেদায়াত প্রাপ্ত হয়নি, তখন তারা অচিরেই বলবে, ‘এটা তো এক পুরাতন মিথ্যা’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা মু’মিনদের সম্পর্কে বলে, তা (অর্থাৎ কুরআন) যদি ভাল হত তাহলে তারা আমাদেরকে পেছনে ফেলে ওটার দিকে এগিয়ে যেতে পারত না (আমরাই কুরআনকে আগে গ্রহণ করে নিতাম) আর যেহেতু তারা এর দ্বারা (অর্থাৎ কাফিররা এ কুরআন দ্বারা) সঠিক পথ পায়নি, সে কারণে তারা অবশ্যই বলবে- এটা এক পুরনো মিথ্যে।
কাফিররা মু’মিনদের সম্পর্কে বলে, তা (অর্থাৎ কুরআন) যদি ভাল হত তাহলে তারা আমাদেরকে পেছনে ফেলে ওটার দিকে এগিয়ে যেতে পারত না (আমরাই কুরআনকে আগে গ্রহণ করে নিতাম) আর যেহেতু তারা এর দ্বারা (অর্থাৎ কাফিররা এ কুরআন দ্বারা) সঠিক পথ পায়নি, সে কারণে তারা অবশ্যই বলবে- এটা এক পুরনো মিথ্যে।
Sahih International:
And those who disbelieve say of those who believe, "If it had [truly] been good, they would not have preceded us to it." And when they are not guided by it, they will say, "This is an ancient falsehood."
And those who disbelieve say of those who believe, "If it had [truly] been good, they would not have preceded us to it." And when they are not guided by it, they will say, "This is an ancient falsehood."
وَ مِنْ قَبْلِهٖ کِتٰبُ مُوْسٰۤی اِمَامًا وَّ رَحْمَۃً ؕ وَ هٰذَا کِتٰبٌ مُّصَدِّقٌ لِّسَانًا عَرَبِیًّا لِّیُنْذِرَ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ٭ۖ وَ بُشْرٰی لِلْمُحْسِنِیْنَ ﴿ۚ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন কাবলিহী কিতা-বুমূছাইমা-মাওঁ ওয়া রাহমাতাওঁ ওয়া হা-যা-কিতাবুম মুসাদ্দিকুল্লিছা-নান ‘আরাবিইইয়াল লিইউনযিরাল্লাযীনা জালামূ ওয়াবুশরালিলমুহছিনীন।
ওয়া মিন কাবলিহী কিতা-বুমূছাইমা-মাওঁ ওয়া রাহমাতাওঁ ওয়া হা-যা-কিতাবুম মুসাদ্দিকুল্লিছা-নান ‘আরাবিইইয়াল লিইউনযিরাল্লাযীনা জালামূ ওয়াবুশরালিলমুহছিনীন।
আল বায়ান:
আর এর পূর্বে এসেছিল মূসার কিতাব পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। আর এটি তার সত্যায়নকারী কিতাব, আরবী ভাষায়; যাতে এটা যালিমদেরকে সতর্ক করতে পারে এবং তা ইনসাফকারীদের জন্য এক সুসংবাদ।
আর এর পূর্বে এসেছিল মূসার কিতাব পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। আর এটি তার সত্যায়নকারী কিতাব, আরবী ভাষায়; যাতে এটা যালিমদেরকে সতর্ক করতে পারে এবং তা ইনসাফকারীদের জন্য এক সুসংবাদ।
তাইসিরুল কুরআন:
অথচ ইতোপূর্বে মূসার কিতাব এসেছিল পথপ্রদর্শক ও রহমত স্বরূপ। আর (এখন অবতীর্ণ) এ কিতাব তার সমর্থক, আরবী ভাষায়, যালিমদেরকে সতর্ক করার জন্য আর সৎকর্মশীলদেরকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য।
অথচ ইতোপূর্বে মূসার কিতাব এসেছিল পথপ্রদর্শক ও রহমত স্বরূপ। আর (এখন অবতীর্ণ) এ কিতাব তার সমর্থক, আরবী ভাষায়, যালিমদেরকে সতর্ক করার জন্য আর সৎকর্মশীলদেরকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য।
Sahih International:
And before it was the scripture of Moses to lead and as a mercy. And this is a confirming Book in an Arabic tongue to warn those who have wronged and as good tidings to the doers of good.
And before it was the scripture of Moses to lead and as a mercy. And this is a confirming Book in an Arabic tongue to warn those who have wronged and as good tidings to the doers of good.
اِنَّ الَّذِیْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللّٰهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوْا فَلَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ ﴿ۚ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা কা-লূরাব্বুনাল্লা-হুছু ম্মাছতাকা-মূফালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহযানূন।
ইন্নাল্লাযীনা কা-লূরাব্বুনাল্লা-হুছু ম্মাছতাকা-মূফালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহযানূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা বলে, ‘আমাদের রব আল্লাহ’ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।
নিশ্চয় যারা বলে, ‘আমাদের রব আল্লাহ’ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ’, অতঃপর (তাদের কথার উপর) সুদৃঢ় থাকে, তাহলে তাদের কোন ভয় নেই, আর তারা দুঃখিত হবে না।
যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ’, অতঃপর (তাদের কথার উপর) সুদৃঢ় থাকে, তাহলে তাদের কোন ভয় নেই, আর তারা দুঃখিত হবে না।
Sahih International:
Indeed, those who have said, "Our Lord is Allah," and then remained on a right course - there will be no fear concerning them, nor will they grieve.
Indeed, those who have said, "Our Lord is Allah," and then remained on a right course - there will be no fear concerning them, nor will they grieve.
اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ الْجَنَّۃِ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ۚ جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা আসহা-বুল জান্নাতি খা-লিদীনা ফীহা- জাযাআম বিমা-কা-নূ ইয়া‘মালূন।
উলাইকা আসহা-বুল জান্নাতি খা-লিদীনা ফীহা- জাযাআম বিমা-কা-নূ ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
তারাই জান্নাতের অধিবাসী, তাতে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে, তারা যা আমল করত তার পুরস্কারস্বরূপ।
তারাই জান্নাতের অধিবাসী, তাতে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে, তারা যা আমল করত তার পুরস্কারস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
তারাই জান্নাতের অধিবাসী, তাতে তারা চিরকাল থাকবে, তারা যে কাজ করত তার পুরস্কার স্বরূপ।
তারাই জান্নাতের অধিবাসী, তাতে তারা চিরকাল থাকবে, তারা যে কাজ করত তার পুরস্কার স্বরূপ।
Sahih International:
Those are the companions of Paradise, abiding eternally therein as reward for what they used to do.
Those are the companions of Paradise, abiding eternally therein as reward for what they used to do.
وَ وَصَّیْنَا الْاِنْسَانَ بِوَالِدَیْهِ اِحْسٰنًا ؕ حَمَلَتْهُ اُمُّهٗ کُرْهًا وَّ وَضَعَتْهُ کُرْهًا ؕ وَ حَمْلُهٗ وَ فِصٰلُهٗ ثَلٰثُوْنَ شَهْرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ اَشُدَّهٗ وَ بَلَغَ اَرْبَعِیْنَ سَنَۃً ۙ قَالَ رَبِّ اَوْزِعْنِیْۤ اَنْ اَشْکُرَ نِعْمَتَکَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰهُ وَ اَصْلِحْ لِیْ فِیْ ذُرِّیَّتِیْ ۚؕ اِنِّیْ تُبْتُ اِلَیْکَ وَ اِنِّیْ مِنَ الْمُسْلِمِیْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়াসসাইনালইনছা-না বিওয়া-লিদাইহি ইহছা-নান হামালাতহু উম্মুহূ কুরহাওঁ ওয়া ওয়াদা‘আতহু কুরহাওঁ ওয়া হামলুহূওয়া ফিসা-লুহূছালা-ছূনা শাহরান হাত্তা ইযা-বালাগা আশুদ্দাহূওয়া বালাগা আরবা‘ঈনা ছানাতান কা-লা রাব্বি আওযি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়া আন আ‘মালা সা-লিহান তারদা-হু ওয়া আসলিহলী ফী যুররিইইয়াতী ইন্নী তুবতুইলাইকা ওয়া ইন্নী মিনাল মুছলিমীন।
ওয়া ওয়াসসাইনালইনছা-না বিওয়া-লিদাইহি ইহছা-নান হামালাতহু উম্মুহূ কুরহাওঁ ওয়া ওয়াদা‘আতহু কুরহাওঁ ওয়া হামলুহূওয়া ফিসা-লুহূছালা-ছূনা শাহরান হাত্তা ইযা-বালাগা আশুদ্দাহূওয়া বালাগা আরবা‘ঈনা ছানাতান কা-লা রাব্বি আওযি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়া আন আ‘মালা সা-লিহান তারদা-হু ওয়া আসলিহলী ফী যুররিইইয়াতী ইন্নী তুবতুইলাইকা ওয়া ইন্নী মিনাল মুছলিমীন।
আল বায়ান:
আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভে ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছে। তার গর্ভধারণ ও দুধপান ছাড়ানোর সময় লাগে ত্রিশ মাস। অবশেষে যখন সে তার শক্তির পূর্ণতায় পৌঁছে এবং চল্লিশ বছরে উপনীত হয়, তখন সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে সামর্থ্য দাও, তুমি আমার উপর ও আমার মাতা-পিতার উপর যে নিআমত দান করেছ, তোমার সে নিআমতের যেন আমি শোকর আদায় করতে পারি এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’।
আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভে ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছে। তার গর্ভধারণ ও দুধপান ছাড়ানোর সময় লাগে ত্রিশ মাস। অবশেষে যখন সে তার শক্তির পূর্ণতায় পৌঁছে এবং চল্লিশ বছরে উপনীত হয়, তখন সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে সামর্থ্য দাও, তুমি আমার উপর ও আমার মাতা-পিতার উপর যে নিআমত দান করেছ, তোমার সে নিআমতের যেন আমি শোকর আদায় করতে পারি এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতামাতার প্রতি সদয় আচরণের। তার মা তাকে বহন করেছে কষ্টের সাথে, আর তাকে প্রসব করেছে কষ্টের সাথে। তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধপান ছাড়ানোয় সময় লাগে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন পূর্ণ শক্তি লাভ করে এবং চল্লিশ বছরে পৌঁছে যায়, তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে আর আমার পিতা-মাতাকে যে নি‘মাত দান করেছ তজ্জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি আমাকে দান কর, আর আমাকে এমন সৎকর্ম করার সামর্থ দাও যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ ক’রে আমার প্রতি অনুগ্রহ কর, আমি অনুশোচনাভরে তোমার দিকে ফিরে আসছি, আর আমি অনুগত বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত।
আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতামাতার প্রতি সদয় আচরণের। তার মা তাকে বহন করেছে কষ্টের সাথে, আর তাকে প্রসব করেছে কষ্টের সাথে। তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধপান ছাড়ানোয় সময় লাগে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন পূর্ণ শক্তি লাভ করে এবং চল্লিশ বছরে পৌঁছে যায়, তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে আর আমার পিতা-মাতাকে যে নি‘মাত দান করেছ তজ্জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি আমাকে দান কর, আর আমাকে এমন সৎকর্ম করার সামর্থ দাও যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ ক’রে আমার প্রতি অনুগ্রহ কর, আমি অনুশোচনাভরে তোমার দিকে ফিরে আসছি, আর আমি অনুগত বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And We have enjoined upon man, to his parents, good treatment. His mother carried him with hardship and gave birth to him with hardship, and his gestation and weaning [period] is thirty months. [He grows] until, when he reaches maturity and reaches [the age of] forty years, he says, "My Lord, enable me to be grateful for Your favor which You have bestowed upon me and upon my parents and to work righteousness of which You will approve and make righteous for me my offspring. Indeed, I have repented to You, and indeed, I am of the Muslims."
And We have enjoined upon man, to his parents, good treatment. His mother carried him with hardship and gave birth to him with hardship, and his gestation and weaning [period] is thirty months. [He grows] until, when he reaches maturity and reaches [the age of] forty years, he says, "My Lord, enable me to be grateful for Your favor which You have bestowed upon me and upon my parents and to work righteousness of which You will approve and make righteous for me my offspring. Indeed, I have repented to You, and indeed, I am of the Muslims."
اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ نَتَقَبَّلُ عَنْهُمْ اَحْسَنَ مَا عَمِلُوْا وَ نَتَجَاوَزُ عَنْ سَیِّاٰتِهِمْ فِیْۤ اَصْحٰبِ الْجَنَّۃِ ؕ وَعْدَ الصِّدْقِ الَّذِیْ کَانُوْا یُوْعَدُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা নাতাকাব্বালু‘আনহুম আহছানা মা-‘আমিলূওয়া নাতাজা-ওয়াযু‘আন ছাইয়িআ-তিহিম ফীআছহা-বিল জান্নাতি ওয়া‘দাসসিদকিল্লাযী কা-নূইঊ‘আদূ ন।
উলাইকাল্লাযীনা নাতাকাব্বালু‘আনহুম আহছানা মা-‘আমিলূওয়া নাতাজা-ওয়াযু‘আন ছাইয়িআ-তিহিম ফীআছহা-বিল জান্নাতি ওয়া‘দাসসিদকিল্লাযী কা-নূইঊ‘আদূ ন।
আল বায়ান:
এরাই, যাদের উৎকৃষ্ট আমলগুলো আমি কবূল করি এবং তাদের মন্দ কাজগুলো ক্ষমা করে দেই। তারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। তাদেরকে যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা সত্য ওয়াদা।
এরাই, যাদের উৎকৃষ্ট আমলগুলো আমি কবূল করি এবং তাদের মন্দ কাজগুলো ক্ষমা করে দেই। তারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। তাদেরকে যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা সত্য ওয়াদা।
তাইসিরুল কুরআন:
এই লোকদের হতে আমি তাদের সর্বোত্তম ‘আমালগুলো গ্রহণ করি আর তাদের মন্দ কাজগুলো ক্ষমা করে দেই, তারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। তাদেরকে যে ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা সত্য ও‘য়াদা।
এই লোকদের হতে আমি তাদের সর্বোত্তম ‘আমালগুলো গ্রহণ করি আর তাদের মন্দ কাজগুলো ক্ষমা করে দেই, তারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। তাদেরকে যে ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা সত্য ও‘য়াদা।
Sahih International:
Those are the ones from whom We will accept the best of what they did and overlook their misdeeds, [their being] among the companions of Paradise. [That is] the promise of truth which they had been promised.
Those are the ones from whom We will accept the best of what they did and overlook their misdeeds, [their being] among the companions of Paradise. [That is] the promise of truth which they had been promised.
وَ الَّذِیْ قَالَ لِوَالِدَیْهِ اُفٍّ لَّکُمَاۤ اَتَعِدٰنِنِیْۤ اَنْ اُخْرَجَ وَ قَدْ خَلَتِ الْقُرُوْنُ مِنْ قَبْلِیْ ۚ وَ هُمَا یَسْتَغِیْثٰنِ اللّٰهَ وَیْلَکَ اٰمِنْ ٭ۖ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ ۚۖ فَیَقُوْلُ مَا هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযী কা-লা লিওয়া-লিদাইহি উফফিল্লাকুমাআতা‘ইদা-নিনীআন উখরাজা ওয়াকাদ খালাতিল কুরূনুমিন কাবলী ওয়া হুমা-ইয়াছতাগীছা-নিল্লা-হা ওয়াইলাকা আ-মিন ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুন ফাইয়াকূলুমা-হা-যাইল্লাআছা-তীরুল আওওয়ালীন।
ওয়াল্লাযী কা-লা লিওয়া-লিদাইহি উফফিল্লাকুমাআতা‘ইদা-নিনীআন উখরাজা ওয়াকাদ খালাতিল কুরূনুমিন কাবলী ওয়া হুমা-ইয়াছতাগীছা-নিল্লা-হা ওয়াইলাকা আ-মিন ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুন ফাইয়াকূলুমা-হা-যাইল্লাআছা-তীরুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আর যে ব্যক্তি তার মাতা-পিতাকে বলে, ‘তোমাদের জন্য আফসোস’! তোমরা কি আমাকে এই প্রতিশ্রুতি দাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব’ অথচ আমার পূর্বে অনেক প্রজন্ম গত হয়ে গেছে’? আর তারা দু’জন আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলে, ‘দুর্ভোগ তোমার জন্য! তুমি ঈমান আন। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য’। তখন সে বলে, ‘এটা কেবল অতীতকালের কল্পকাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়’।
আর যে ব্যক্তি তার মাতা-পিতাকে বলে, ‘তোমাদের জন্য আফসোস’! তোমরা কি আমাকে এই প্রতিশ্রুতি দাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব’ অথচ আমার পূর্বে অনেক প্রজন্ম গত হয়ে গেছে’? আর তারা দু’জন আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলে, ‘দুর্ভোগ তোমার জন্য! তুমি ঈমান আন। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য’। তখন সে বলে, ‘এটা কেবল অতীতকালের কল্পকাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে নিজ পিতামাতাকে বলে, ‘তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি আমাকে ভয় দেখাও যে, (মৃতুর পর) আমাকে উঠানো হবে অথচ আমার পূর্বে বহু মানব গোষ্ঠী অতীত হয়ে গেছে (কই, কেউ তো উঠে আসল না)। বাপ-মা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়ে (সন্তানকে তিরস্কার করে) বলে- দুর্ভোগ তোমার জন্য, তুমি ঈমান আন, আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য।’ তখন সে বলে- ‘এ সব পুরান কালের কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না।’
আর যে নিজ পিতামাতাকে বলে, ‘তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি আমাকে ভয় দেখাও যে, (মৃতুর পর) আমাকে উঠানো হবে অথচ আমার পূর্বে বহু মানব গোষ্ঠী অতীত হয়ে গেছে (কই, কেউ তো উঠে আসল না)। বাপ-মা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়ে (সন্তানকে তিরস্কার করে) বলে- দুর্ভোগ তোমার জন্য, তুমি ঈমান আন, আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য।’ তখন সে বলে- ‘এ সব পুরান কালের কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না।’
Sahih International:
But one who says to his parents, "Uff to you; do you promise me that I will be brought forth [from the earth] when generations before me have already passed on [into oblivion]?" while they call to Allah for help [and to their son], "Woe to you! Believe! Indeed, the promise of Allah is truth." But he says, "This is not but legends of the former people" -
But one who says to his parents, "Uff to you; do you promise me that I will be brought forth [from the earth] when generations before me have already passed on [into oblivion]?" while they call to Allah for help [and to their son], "Woe to you! Believe! Indeed, the promise of Allah is truth." But he says, "This is not but legends of the former people" -
اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ حَقَّ عَلَیْهِمُ الْقَوْلُ فِیْۤ اُمَمٍ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا خٰسِرِیْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল্লাযীনা হাক্কা ‘আলাইহিমুল কাওলুফীউমামিন কাদ খালাত মিন কাবলিহিম মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইন্নাহুম কা-নূখা-ছিরীন।
উলাইকাল্লাযীনা হাক্কা ‘আলাইহিমুল কাওলুফীউমামিন কাদ খালাত মিন কাবলিহিম মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইন্নাহুম কা-নূখা-ছিরীন।
আল বায়ান:
তাদের পূর্বে যে জিন ও মানবজাতি গত হয়ে গেছে, তাদের মত এদের প্রতিও আল্লাহর বাণী সত্য হয়েছে। নিশ্চয় এরা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত।
তাদের পূর্বে যে জিন ও মানবজাতি গত হয়ে গেছে, তাদের মত এদের প্রতিও আল্লাহর বাণী সত্য হয়েছে। নিশ্চয় এরা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
এরা হল তারাই যাদের প্রতি আল্লাহর ‘আযাবের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, তাদের মত জ্বিন ও মানুষের মধ্যে হতে যারা তাদের পূর্বে গত হয়ে গেছে। এরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
এরা হল তারাই যাদের প্রতি আল্লাহর ‘আযাবের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, তাদের মত জ্বিন ও মানুষের মধ্যে হতে যারা তাদের পূর্বে গত হয়ে গেছে। এরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
Sahih International:
Those are the ones upon whom the word has come into effect, [who will be] among nations which had passed on before them of jinn and men. Indeed, they [all] were losers.
Those are the ones upon whom the word has come into effect, [who will be] among nations which had passed on before them of jinn and men. Indeed, they [all] were losers.
وَ لِکُلٍّ دَرَجٰتٌ مِّمَّا عَمِلُوْا ۚ وَ لِیُوَفِّیَهُمْ اَعْمَالَهُمْ وَ هُمْ لَا یُظْلَمُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিকুল্লিন দারাজা-তুমমিম্মা-‘আমিলূ ওয়া লিইউওয়াফফিয়াহুম আ‘মা-লাহুম ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।
ওয়া লিকুল্লিন দারাজা-তুমমিম্মা-‘আমিলূ ওয়া লিইউওয়াফফিয়াহুম আ‘মা-লাহুম ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।
আল বায়ান:
আর সকলের জন্যই তাদের আমল অনুসারে মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ যেন তাদেরকে তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিতে পারেন। আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।
আর সকলের জন্যই তাদের আমল অনুসারে মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ যেন তাদেরকে তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিতে পারেন। আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেকের জন্য মর্যাদা আছে তার কৃতকর্ম অনুসারে, যেন আল্লাহ তাদের কর্মের পুরোপুরি প্রতিফল দেন। তাদের উপর কক্ষনো যুলম করা হবে না।
প্রত্যেকের জন্য মর্যাদা আছে তার কৃতকর্ম অনুসারে, যেন আল্লাহ তাদের কর্মের পুরোপুরি প্রতিফল দেন। তাদের উপর কক্ষনো যুলম করা হবে না।
Sahih International:
And for all there are degrees [of reward and punishment] for what they have done, and [it is] so that He may fully compensate them for their deeds, and they will not be wronged.
And for all there are degrees [of reward and punishment] for what they have done, and [it is] so that He may fully compensate them for their deeds, and they will not be wronged.
وَ یَوْمَ یُعْرَضُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا عَلَی النَّارِ ؕ اَذْهَبْتُمْ طَیِّبٰتِکُمْ فِیْ حَیَاتِکُمُ الدُّنْیَا وَ اسْتَمْتَعْتُمْ بِهَا ۚ فَالْیَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُوْنِ بِمَا کُنْتُمْ تَسْتَکْبِرُوْنَ فِی الْاَرْضِ بِغَیْرِ الْحَقِّ وَ بِمَا کُنْتُمْ تَفْسُقُوْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইউ‘রাদুল্লায ীনা কাফারূ‘আলান্না-রি আযহাবতুম তাইয়িবা-তিকুম ফী হায়া-তিকুমুদ্দুনইয়া-ওয়াছতামতা‘তুম বিহা- ফালইয়াওমা তুজযাওনা ‘আযা-বাল হূনি বিমা-কুনতুম তাছতাকবিরূনা ফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কিওয়া বিমা-কুনতুম তাফ ছুকূন।
ওয়া ইয়াওমা ইউ‘রাদুল্লায ীনা কাফারূ‘আলান্না-রি আযহাবতুম তাইয়িবা-তিকুম ফী হায়া-তিকুমুদ্দুনইয়া-ওয়াছতামতা‘তুম বিহা- ফালইয়াওমা তুজযাওনা ‘আযা-বাল হূনি বিমা-কুনতুম তাছতাকবিরূনা ফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কিওয়া বিমা-কুনতুম তাফ ছুকূন।
আল বায়ান:
আর যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের সামনে পেশ করা হবে (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা তোমাদের দুনিয়ার জীবনে তোমাদের সুখ সামগ্রীগুলো নিঃশেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ। তোমরা যেহেতু অন্যায়ভাবে যমীনে অহঙ্কার করতে এবং তোমরা যেহেতু নাফরমানী করতে, সেহেতু তার প্রতিফলস্বরূপ আজ তোমাদেরকে অপমানজনক আযাব প্রদান করা হবে’।
আর যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের সামনে পেশ করা হবে (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা তোমাদের দুনিয়ার জীবনে তোমাদের সুখ সামগ্রীগুলো নিঃশেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ। তোমরা যেহেতু অন্যায়ভাবে যমীনে অহঙ্কার করতে এবং তোমরা যেহেতু নাফরমানী করতে, সেহেতু তার প্রতিফলস্বরূপ আজ তোমাদেরকে অপমানজনক আযাব প্রদান করা হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের সামনে হাজির করা হবে, (তাদেরকে বলা হবে)- ‘তোমরা তোমাদের পার্থিব জীবনেই তোমাদের অংশের নি‘মাতগুলো নিঃশেষ করেছ আর তা ভোগ করেছ। কাজেই আজ তোমাদেরকে অপমানজনক শাস্তি দ্বারা প্রতিফল দেয়া হবে, কেননা তোমরা দুনিয়াতে অন্যায়ভাবে অহঙ্কার করেছিলে আর না-ফরমানী করেছিলে।
যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের সামনে হাজির করা হবে, (তাদেরকে বলা হবে)- ‘তোমরা তোমাদের পার্থিব জীবনেই তোমাদের অংশের নি‘মাতগুলো নিঃশেষ করেছ আর তা ভোগ করেছ। কাজেই আজ তোমাদেরকে অপমানজনক শাস্তি দ্বারা প্রতিফল দেয়া হবে, কেননা তোমরা দুনিয়াতে অন্যায়ভাবে অহঙ্কার করেছিলে আর না-ফরমানী করেছিলে।
Sahih International:
And the Day those who disbelieved are exposed to the Fire [it will be said], "You exhausted your pleasures during your worldly life and enjoyed them, so this Day you will be awarded the punishment of [extreme] humiliation because you were arrogant upon the earth without right and because you were defiantly disobedient."
And the Day those who disbelieved are exposed to the Fire [it will be said], "You exhausted your pleasures during your worldly life and enjoyed them, so this Day you will be awarded the punishment of [extreme] humiliation because you were arrogant upon the earth without right and because you were defiantly disobedient."
وَ اذْکُرْ اَخَا عَادٍ ؕ اِذْ اَنْذَرَ قَوْمَهٗ بِالْاَحْقَافِ وَ قَدْ خَلَتِ النُّذُرُ مِنْۢ بَیْنِ یَدَیْهِ وَ مِنْ خَلْفِهٖۤ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّا اللّٰهَ ؕ اِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْکُمْ عَذَابَ یَوْمٍ عَظِیْمٍ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুর আখা-‘আ-দিন ইয আনযারা কাওমাহূবিলআহকা-ফি ওয়াকাদ খালাতিন্নুযূরু মিম বাইনি ইয়াদাইহি ওয়া মিন খালফিহীআল্লা-তা‘বুদূ ইল্লাল্লা-হা ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
ওয়াযকুর আখা-‘আ-দিন ইয আনযারা কাওমাহূবিলআহকা-ফি ওয়াকাদ খালাতিন্নুযূরু মিম বাইনি ইয়াদাইহি ওয়া মিন খালফিহীআল্লা-তা‘বুদূ ইল্লাল্লা-হা ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর ‘আ’দ সম্প্রদায়ের ভাইয়ের কথা, যখন সে আহকাফের স্বীয় সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিল। আর এমন সতর্ককারীরা তার পূর্বে এবং তার পরেও গত হয়েছে যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করো না। নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর এক ভয়াবহ দিনের আযাবের আশঙ্কা করছি’।
আর স্মরণ কর ‘আ’দ সম্প্রদায়ের ভাইয়ের কথা, যখন সে আহকাফের স্বীয় সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিল। আর এমন সতর্ককারীরা তার পূর্বে এবং তার পরেও গত হয়েছে যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করো না। নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর এক ভয়াবহ দিনের আযাবের আশঙ্কা করছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর ‘আদ জাতির ভ্রাতার (হূদ) কথা। সে তার আহকাফবাসী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিল। (এ ধরনের) সতর্ককারীরা তার পূর্বেও এসেছিল আর তার পরেও এসেছিল (যারা বলেছিল) যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না। আমি তোমাদের উপর এক ভয়াবহ দিনের ‘আযাবের আশঙ্কা করছি।’
স্মরণ কর ‘আদ জাতির ভ্রাতার (হূদ) কথা। সে তার আহকাফবাসী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিল। (এ ধরনের) সতর্ককারীরা তার পূর্বেও এসেছিল আর তার পরেও এসেছিল (যারা বলেছিল) যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না। আমি তোমাদের উপর এক ভয়াবহ দিনের ‘আযাবের আশঙ্কা করছি।’
Sahih International:
And mention, [O Muhammad], the brother of 'Aad, when he warned his people in the [region of] al-Ahqaf - and warners had already passed on before him and after him - [saying], "Do not worship except Allah. Indeed, I fear for you the punishment of a terrible day."
And mention, [O Muhammad], the brother of 'Aad, when he warned his people in the [region of] al-Ahqaf - and warners had already passed on before him and after him - [saying], "Do not worship except Allah. Indeed, I fear for you the punishment of a terrible day."
قَالُوْۤا اَجِئْتَنَا لِتَاْفِکَنَا عَنْ اٰلِهَتِنَا ۚ فَاْتِنَا بِمَا تَعِدُنَاۤ اِنْ کُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِیْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূআজি’তানা-লিতা’ফিকানা-‘আন আ-লিহাতিনা- ফা’তিনা-বিমা-তা‘ইদুনা ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
কা-লূআজি’তানা-লিতা’ফিকানা-‘আন আ-লিহাতিনা- ফা’তিনা-বিমা-তা‘ইদুনা ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্যদের থেকে নিবৃত্ত করতে আমাদের নিকট এসেছ? তুমি যদি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও, তাহলে আমাদেরকে যার ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো’।
তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্যদের থেকে নিবৃত্ত করতে আমাদের নিকট এসেছ? তুমি যদি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও, তাহলে আমাদেরকে যার ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো’।
তাইসিরুল কুরআন:
লোকেরা বলেছিল- ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্যগুলো হতে সরিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের কাছে এসেছ। কাজেই তুমি আমাদেরকে যে শাস্তির ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো আমাদের কাছে যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
লোকেরা বলেছিল- ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্যগুলো হতে সরিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের কাছে এসেছ। কাজেই তুমি আমাদেরকে যে শাস্তির ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো আমাদের কাছে যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
Sahih International:
They said, "Have you come to delude us away from our gods? Then bring us what you promise us, if you should be of the truthful."
They said, "Have you come to delude us away from our gods? Then bring us what you promise us, if you should be of the truthful."
قَالَ اِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللّٰهِ ۫ۖ وَ اُبَلِّغُکُمْ مَّاۤ اُرْسِلْتُ بِهٖ وَ لٰکِنِّیْۤ اَرٰىکُمْ قَوْمًا تَجْهَلُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ইন্নামাল ‘ইলমু‘ইনদাল্লা-হি ওয়া উবালিলগুকুম মাউরছিলতুবিহী ওয়ালা-কিন্নী আরা-কুম কাওমান তাজহালূন।
কা-লা ইন্নামাল ‘ইলমু‘ইনদাল্লা-হি ওয়া উবালিলগুকুম মাউরছিলতুবিহী ওয়ালা-কিন্নী আরা-কুম কাওমান তাজহালূন।
আল বায়ান:
সে বলল, ‘এ জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছে। আর যা দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে, আমি তোমাদের কাছে তা-ই প্রচার করি, কিন্তু আমি দেখছি, তোমরা এক মূর্খ সম্প্রদায়’।
সে বলল, ‘এ জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছে। আর যা দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে, আমি তোমাদের কাছে তা-ই প্রচার করি, কিন্তু আমি দেখছি, তোমরা এক মূর্খ সম্প্রদায়’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল (‘আযাব কখন আসবে না আসবে) ‘সে বিষয়ের জ্ঞান তো আল্লাহর নিকট আছে। আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তাই শুধু তোমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। কিন্তু আমি দেখছি তোমরা এমন এক জাতি যারা মূর্খের আচরণ করছে।
সে বলল (‘আযাব কখন আসবে না আসবে) ‘সে বিষয়ের জ্ঞান তো আল্লাহর নিকট আছে। আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তাই শুধু তোমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। কিন্তু আমি দেখছি তোমরা এমন এক জাতি যারা মূর্খের আচরণ করছে।
Sahih International:
He said, "Knowledge [of its time] is only with Allah, and I convey to you that with which I was sent; but I see you [to be] a people behaving ignorantly."
He said, "Knowledge [of its time] is only with Allah, and I convey to you that with which I was sent; but I see you [to be] a people behaving ignorantly."
فَلَمَّا رَاَوْهُ عَارِضًا مُّسْتَقْبِلَ اَوْدِیَتِهِمْ ۙ قَالُوْا هٰذَا عَارِضٌ مُّمْطِرُنَا ؕ بَلْ هُوَ مَا اسْتَعْجَلْتُمْ بِهٖ ؕ رِیْحٌ فِیْهَا عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-রাআওহু ‘আ-রিদামমুছতাকবিলা আও দিয়াতিহিম কা-লূহা-যা-‘আরিদুমমুম তিরুনা- বাল হুওয়া মাছ তা‘জালতুম বিহী রীহুন ফীহা-‘আযা-বুন আলীম।
ফালাম্মা-রাআওহু ‘আ-রিদামমুছতাকবিলা আও দিয়াতিহিম কা-লূহা-যা-‘আরিদুমমুম তিরুনা- বাল হুওয়া মাছ তা‘জালতুম বিহী রীহুন ফীহা-‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন তারা তাদের উপত্যকার দিকে মেঘমালা দেখল তখন তারা বলল, ‘এ মেঘমালা আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে’। (হূদ বলল,) বরং এটি তা-ই যা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে। এ এক ঝড়, যাতে যন্ত্রণাদায়ক আযাব রয়েছে’।
অতঃপর যখন তারা তাদের উপত্যকার দিকে মেঘমালা দেখল তখন তারা বলল, ‘এ মেঘমালা আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে’। (হূদ বলল,) বরং এটি তা-ই যা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে। এ এক ঝড়, যাতে যন্ত্রণাদায়ক আযাব রয়েছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা যখন তাদের উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল তখন তারা বলল- ‘এ তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে।’ না, তা হল সেই জিনিস তোমরা যা তাড়াতাড়ি নিয়ে আসতে চেয়েছিলে। এ হল ঝড়, যাতে আছে ভয়াবহ ‘আযাব।
অতঃপর তারা যখন তাদের উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল তখন তারা বলল- ‘এ তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে।’ না, তা হল সেই জিনিস তোমরা যা তাড়াতাড়ি নিয়ে আসতে চেয়েছিলে। এ হল ঝড়, যাতে আছে ভয়াবহ ‘আযাব।
Sahih International:
And when they saw it as a cloud approaching their valleys, they said, "This is a cloud bringing us rain!" Rather, it is that for which you were impatient: a wind, within it a painful punishment,
And when they saw it as a cloud approaching their valleys, they said, "This is a cloud bringing us rain!" Rather, it is that for which you were impatient: a wind, within it a painful punishment,
تُدَمِّرُ کُلَّ شَیْءٍۭ بِاَمْرِ رَبِّهَا فَاَصْبَحُوْا لَا یُرٰۤی اِلَّا مَسٰکِنُهُمْ ؕ کَذٰلِکَ نَجْزِی الْقَوْمَ الْمُجْرِمِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
তুদাম্মিরু কুল্লা শাইয়িম বিআমরি রাব্বিহা-ফাআসবাহূলা-ইউরাইল্লা-মাছা-কিনুহুম কাযা-লিকা নাজযিল কাওমাল মুজরিমীন।
তুদাম্মিরু কুল্লা শাইয়িম বিআমরি রাব্বিহা-ফাআসবাহূলা-ইউরাইল্লা-মাছা-কিনুহুম কাযা-লিকা নাজযিল কাওমাল মুজরিমীন।
আল বায়ান:
এটা তার রবের নির্দেশে সব কিছু ধ্বংস করে দেবে’। ফলে তারা এমন (ধ্বংস) হয়ে গেল যে, তাদের আবাসস্থল ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এভাবেই আমি অপরাধী কওমকে প্রতিফল দিয়ে থাকি।
এটা তার রবের নির্দেশে সব কিছু ধ্বংস করে দেবে’। ফলে তারা এমন (ধ্বংস) হয়ে গেল যে, তাদের আবাসস্থল ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এভাবেই আমি অপরাধী কওমকে প্রতিফল দিয়ে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
ওটা তার প্রতিপালকের নির্দেশে সবকিছু ধ্বংস করে দেবে। অবস্থা এই দাঁড়াল যে, তাদের (ধ্বংসপ্রাপ্ত) বসতিগুলো ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না। অপরাধী জাতিকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।
ওটা তার প্রতিপালকের নির্দেশে সবকিছু ধ্বংস করে দেবে। অবস্থা এই দাঁড়াল যে, তাদের (ধ্বংসপ্রাপ্ত) বসতিগুলো ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না। অপরাধী জাতিকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।
Sahih International:
Destroying everything by command of its Lord. And they became so that nothing was seen [of them] except their dwellings. Thus do We recompense the criminal people.
Destroying everything by command of its Lord. And they became so that nothing was seen [of them] except their dwellings. Thus do We recompense the criminal people.
وَ لَقَدْ مَکَّنّٰهُمْ فِیْمَاۤ اِنْ مَّکَّنّٰکُمْ فِیْهِ وَ جَعَلْنَا لَهُمْ سَمْعًا وَّ اَبْصَارًا وَّ اَفْـِٕدَۃً ۫ۖ فَمَاۤ اَغْنٰی عَنْهُمْ سَمْعُهُمْ وَ لَاۤ اَبْصَارُهُمْ وَ لَاۤ اَفْـِٕدَتُهُمْ مِّنْ شَیْءٍ اِذْ کَانُوْا یَجْحَدُوْنَ ۙ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ وَ حَاقَ بِهِمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ মাক্কান্না-হুমফীমাইম্মাক্কান্না-কুমফীহি ওয়া জা‘আলনা-লাহুমছাম‘আওঁ ওয়া আবসা-রাওঁ ওয়া আফইদাতান ফামাআগনা-‘আনহুম ছাম‘উহুম ওয়ালাআবসা-রুহুম ওয়ালাআফইদাতুহুম মিন শাইয়িন ইযকা-নূইয়াজহাদূ না বিআ-য়া-তিল্লা-হি ওয়া হাকা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিউন।
ওয়া লাকাদ মাক্কান্না-হুমফীমাইম্মাক্কান্না-কুমফীহি ওয়া জা‘আলনা-লাহুমছাম‘আওঁ ওয়া আবসা-রাওঁ ওয়া আফইদাতান ফামাআগনা-‘আনহুম ছাম‘উহুম ওয়ালাআবসা-রুহুম ওয়ালাআফইদাতুহুম মিন শাইয়িন ইযকা-নূইয়াজহাদূ না বিআ-য়া-তিল্লা-হি ওয়া হাকা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযিউন।
আল বায়ান:
আর আমি অবশ্যই তাদেরকে যাতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, তোমাদেরকে তাতে প্রতিষ্ঠিত করিনি। আর আমি তাদেরকে কান, চোখ ও হৃদয় দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা যখন আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত, তখন তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের হৃদয়সমূহ তাদের কোন উপকারে আসেনি। আর তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে পরিবেষ্টন করল।
আর আমি অবশ্যই তাদেরকে যাতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, তোমাদেরকে তাতে প্রতিষ্ঠিত করিনি। আর আমি তাদেরকে কান, চোখ ও হৃদয় দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা যখন আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত, তখন তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের হৃদয়সমূহ তাদের কোন উপকারে আসেনি। আর তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে পরিবেষ্টন করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে আমি যতটা সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, তোমাদেরকে (হে কুরায়শ!) তেমন সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিনি আর তাদেরকে দিয়েছিলাম কান, চোখ ও হৃদয়। কিন্তু তাদের কান, তাদের চোখ আর তাদের হৃদয় তাদের কোন উপকারে আসেনি যেহেতু তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত। তারা যা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে ঘিরে ফেলল।
তাদেরকে আমি যতটা সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, তোমাদেরকে (হে কুরায়শ!) তেমন সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিনি আর তাদেরকে দিয়েছিলাম কান, চোখ ও হৃদয়। কিন্তু তাদের কান, তাদের চোখ আর তাদের হৃদয় তাদের কোন উপকারে আসেনি যেহেতু তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত। তারা যা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে ঘিরে ফেলল।
Sahih International:
And We had certainly established them in such as We have not established you, and We made for them hearing and vision and hearts. But their hearing and vision and hearts availed them not from anything [of the punishment] when they were [continually] rejecting the signs of Allah; and they were enveloped by what they used to ridicule.
And We had certainly established them in such as We have not established you, and We made for them hearing and vision and hearts. But their hearing and vision and hearts availed them not from anything [of the punishment] when they were [continually] rejecting the signs of Allah; and they were enveloped by what they used to ridicule.
وَ لَقَدْ اَهْلَکْنَا مَا حَوْلَکُمْ مِّنَ الْقُرٰی وَ صَرَّفْنَا الْاٰیٰتِ لَعَلَّهُمْ یَرْجِعُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আহলাকনা- মা-হাওলাকুমমিনাল কুরা- ওয়াসাররাফনাল আ-য়া-তি লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
ওয়া লাকাদ আহলাকনা- মা-হাওলাকুমমিনাল কুরা- ওয়াসাররাফনাল আ-য়া-তি লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি তোমাদের পার্শ্ববর্তী জনপদসমূহ ধ্বংস করেছিলাম। আর আমি বিভিন্নভাবে আয়াতসমূহকে বর্ণনা করেছিলাম যাতে তারা ফিরে আসে।
আর অবশ্যই আমি তোমাদের পার্শ্ববর্তী জনপদসমূহ ধ্বংস করেছিলাম। আর আমি বিভিন্নভাবে আয়াতসমূহকে বর্ণনা করেছিলাম যাতে তারা ফিরে আসে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ধ্বংস করেছিলাম তোমাদের চারপাশের জনপদ। আমি নানাভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম যাতে তারা (সঠিক পথে) ফিরে আসে।
আমি ধ্বংস করেছিলাম তোমাদের চারপাশের জনপদ। আমি নানাভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম যাতে তারা (সঠিক পথে) ফিরে আসে।
Sahih International:
And We have already destroyed what surrounds you of [those] cities, and We have diversified the signs [or verses] that perhaps they might return [from disbelief].
And We have already destroyed what surrounds you of [those] cities, and We have diversified the signs [or verses] that perhaps they might return [from disbelief].
فَلَوْ لَا نَصَرَهُمُ الَّذِیْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ قُرْبَانًا اٰلِـهَۃً ؕ بَلْ ضَلُّوْا عَنْهُمْ ۚ وَ ذٰلِکَ اِفْکُهُمْ وَ مَا کَانُوْا یَفْتَرُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ফালাওলা-নাসারাহুমুল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি কুরবা-নান আ-লিহাতান বাল দাললূ ‘আনহুম ওয়া যা-লিকা ইফকুহুম ওয়ামা-কা-নূইয়াফতারূন।
ফালাওলা-নাসারাহুমুল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি কুরবা-নান আ-লিহাতান বাল দাললূ ‘আনহুম ওয়া যা-লিকা ইফকুহুম ওয়ামা-কা-নূইয়াফতারূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিল, তারা কেন তাদেরকে সাহায্য করল না? বরং তারা তাদের থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল, আর এটা তাদের মিথ্যাচার এবং তাদের মনগড়া উদ্ভাবন।
অতঃপর তারা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিল, তারা কেন তাদেরকে সাহায্য করল না? বরং তারা তাদের থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল, আর এটা তাদের মিথ্যাচার এবং তাদের মনগড়া উদ্ভাবন।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশে আল্লাহ ব্যতিরেকে যাদেরকে তারা ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে তারা তাদেরকে সাহায্য করল না কেন? বরং তারা (অর্থাৎ কল্পিত ইলাহ) তাদের থেকে হারিয়ে গেল। আসলে তা ছিল তাদের মিথ্যাচার আর মনগড়া উদ্ভাবণ।
আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশে আল্লাহ ব্যতিরেকে যাদেরকে তারা ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে তারা তাদেরকে সাহায্য করল না কেন? বরং তারা (অর্থাৎ কল্পিত ইলাহ) তাদের থেকে হারিয়ে গেল। আসলে তা ছিল তাদের মিথ্যাচার আর মনগড়া উদ্ভাবণ।
Sahih International:
Then why did those they took besides Allah as deities by which to approach [Him] not aid them? But they had strayed from them. And that was their falsehood and what they were inventing.
Then why did those they took besides Allah as deities by which to approach [Him] not aid them? But they had strayed from them. And that was their falsehood and what they were inventing.
وَ اِذْ صَرَفْنَاۤ اِلَیْکَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ یَسْتَمِعُوْنَ الْقُرْاٰنَ ۚ فَلَمَّا حَضَرُوْهُ قَالُوْۤا اَنْصِتُوْا ۚ فَلَمَّا قُضِیَ وَلَّوْا اِلٰی قَوْمِهِمْ مُّنْذِرِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযসারাফনাইলাকা নাফারাম মিনাল জিন্নি ইয়াছতামি‘ঊনাল কুরআ-না ফালাম্মাহাদারূহু কা-লূআনছিতূ ফালাম্মা-কুদিয়া ওয়াল্লাও ইলা-কাওমিহিম মুনযিরীন।
ওয়া ইযসারাফনাইলাকা নাফারাম মিনাল জিন্নি ইয়াছতামি‘ঊনাল কুরআ-না ফালাম্মাহাদারূহু কা-লূআনছিতূ ফালাম্মা-কুদিয়া ওয়াল্লাও ইলা-কাওমিহিম মুনযিরীন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন আমি জিনদের একটি দলকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তারা কুরআন পাঠ শুনছিল। যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হল, তখন তারা বলল, ‘চুপ করে শোন। তারপর যখন পাঠ শেষ হল তখন তারা তাদের কওমের কাছে সতর্ককারী হিসেবে ফিরে গেল।
আর স্মরণ কর, যখন আমি জিনদের একটি দলকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তারা কুরআন পাঠ শুনছিল। যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হল, তখন তারা বলল, ‘চুপ করে শোন। তারপর যখন পাঠ শেষ হল তখন তারা তাদের কওমের কাছে সতর্ককারী হিসেবে ফিরে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, যখন জ্বিনদের একটি দলকে তোমার প্রতি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম যারা কুরআন শুনছিল। তারা যখন সে স্থানে উপস্থিত হল, তখন তারা পরস্পরে বলল- চুপ করে শুন। পড়া যখন শেষ হল তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে।
স্মরণ কর, যখন জ্বিনদের একটি দলকে তোমার প্রতি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম যারা কুরআন শুনছিল। তারা যখন সে স্থানে উপস্থিত হল, তখন তারা পরস্পরে বলল- চুপ করে শুন। পড়া যখন শেষ হল তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], when We directed to you a few of the jinn, listening to the Qur'an. And when they attended it, they said, "Listen quietly." And when it was concluded, they went back to their people as warners.
And [mention, O Muhammad], when We directed to you a few of the jinn, listening to the Qur'an. And when they attended it, they said, "Listen quietly." And when it was concluded, they went back to their people as warners.
قَالُوْا یٰقَوْمَنَاۤ اِنَّا سَمِعْنَا کِتٰبًا اُنْزِلَ مِنْۢ بَعْدِ مُوْسٰی مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْهِ یَهْدِیْۤ اِلَی الْحَقِّ وَ اِلٰی طَرِیْقٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া-কাওমানাইন্না-ছামি‘না-কিতা-বান উনযিলা মিম বা‘দি মূছা-মুসাদ্দিকালিলমাবাইনা ইয়াদাইহি ইয়াহদীইলাল হাক্কিওয়া ইলা-তারীকিম মুছতাকীম।
কা-লূইয়া-কাওমানাইন্না-ছামি‘না-কিতা-বান উনযিলা মিম বা‘দি মূছা-মুসাদ্দিকালিলমাবাইনা ইয়াদাইহি ইয়াহদীইলাল হাক্কিওয়া ইলা-তারীকিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হে আমাদের কওম, আমরা তো এক কিতাবের বাণী শুনেছি, যা মূসার পরে নাযিল করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী কিতাবকে সত্যায়ন করে আর সত্য ও সরল পথের প্রতি হিদায়াত করে’।
তারা বলল, ‘হে আমাদের কওম, আমরা তো এক কিতাবের বাণী শুনেছি, যা মূসার পরে নাযিল করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী কিতাবকে সত্যায়ন করে আর সত্য ও সরল পথের প্রতি হিদায়াত করে’।
তাইসিরুল কুরআন:
(ফিরে গিয়ে) তারা বলল- হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা একটি কিতাব (এর পাঠ) শুনেছি যা মূসার পরে অবতীর্ণ হয়েছে, তা পূর্বেকার কিতাবগুলোর সত্যতা প্রতিপন্ন করে, সত্যের দিকে আর সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে।
(ফিরে গিয়ে) তারা বলল- হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা একটি কিতাব (এর পাঠ) শুনেছি যা মূসার পরে অবতীর্ণ হয়েছে, তা পূর্বেকার কিতাবগুলোর সত্যতা প্রতিপন্ন করে, সত্যের দিকে আর সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে।
Sahih International:
They said, "O our people, indeed we have heard a [recited] Book revealed after Moses confirming what was before it which guides to the truth and to a straight path.
They said, "O our people, indeed we have heard a [recited] Book revealed after Moses confirming what was before it which guides to the truth and to a straight path.
یٰقَوْمَنَاۤ اَجِیْبُوْا دَاعِیَ اللّٰهِ وَ اٰمِنُوْا بِهٖ یَغْفِرْ لَکُمْ مِّنْ ذُنُوْبِکُمْ وَ یُجِرْکُمْ مِّنْ عَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-কাওমানাআজীবূদা-‘ইয়াল্লা-হি ওয়াআ-মিনূবিহী ইয়াগফিরলাকুম মিন যুনূবিকুম ওয়া ইউজিরকুম মিন ‘আযা-বিন আলীম।
ইয়া-কাওমানাআজীবূদা-‘ইয়াল্লা-হি ওয়াআ-মিনূবিহী ইয়াগফিরলাকুম মিন যুনূবিকুম ওয়া ইউজিরকুম মিন ‘আযা-বিন আলীম।
আল বায়ান:
‘হে আমাদের কওম, আল্লাহর দিকে আহবানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি ঈমান আন, আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। আর তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবেন’।
‘হে আমাদের কওম, আল্লাহর দিকে আহবানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি ঈমান আন, আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। আর তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
হে আমাদের সম্প্রদায়! আল্লাহর দিকে আহবানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি ঈমান আন, আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন আর তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক ‘আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
হে আমাদের সম্প্রদায়! আল্লাহর দিকে আহবানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি ঈমান আন, আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন আর তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক ‘আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
Sahih International:
O our people, respond to the Messenger of Allah and believe in him; Allah will forgive for you your sins and protect you from a painful punishment.
O our people, respond to the Messenger of Allah and believe in him; Allah will forgive for you your sins and protect you from a painful punishment.
وَ مَنْ لَّا یُجِبْ دَاعِیَ اللّٰهِ فَلَیْسَ بِمُعْجِزٍ فِی الْاَرْضِ وَ لَیْسَ لَهٗ مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِیَآءُ ؕ اُولٰٓئِکَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাল লা-ইউজিব দা-‘ইয়াল্লা-হি ফালাইছা বিমু‘জিযিন ফিল আরদিওয়া লাইছা লাহূমিন দূ নিহীআওলিূআউ উলাইকা ফী দালা-লিমমুবীন।
ওয়া মাল লা-ইউজিব দা-‘ইয়াল্লা-হি ফালাইছা বিমু‘জিযিন ফিল আরদিওয়া লাইছা লাহূমিন দূ নিহীআওলিূআউ উলাইকা ফী দালা-লিমমুবীন।
আল বায়ান:
আর যে আল্লাহর দিকে আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেবে না সে যমীনে তাকে অপারগকারী নয়। আর আল্লাহ ছাড়া তার কোন অভিভাবক নেই। এরাই স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
আর যে আল্লাহর দিকে আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেবে না সে যমীনে তাকে অপারগকারী নয়। আর আল্লাহ ছাড়া তার কোন অভিভাবক নেই। এরাই স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে আল্লাহর দিকে আহবানকারীর প্রতি সাড়া দিবে না, দুনিয়াতে সে আল্লাহকে ব্যর্থ করতে পারবে না, আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে নেই তার কোন সাহায্যকারী, পৃষ্ঠপোষক। তারা আছে সুস্পষ্ট গুমরাহীতে।
আর যে আল্লাহর দিকে আহবানকারীর প্রতি সাড়া দিবে না, দুনিয়াতে সে আল্লাহকে ব্যর্থ করতে পারবে না, আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে নেই তার কোন সাহায্যকারী, পৃষ্ঠপোষক। তারা আছে সুস্পষ্ট গুমরাহীতে।
Sahih International:
But he who does not respond to the Caller of Allah will not cause failure [to Him] upon earth, and he will not have besides Him any protectors. Those are in manifest error."
But he who does not respond to the Caller of Allah will not cause failure [to Him] upon earth, and he will not have besides Him any protectors. Those are in manifest error."
اَوَ لَمْ یَرَوْا اَنَّ اللّٰهَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ لَمْ یَعْیَ بِخَلْقِهِنَّ بِقٰدِرٍ عَلٰۤی اَنْ یُّحْیِۦَ الْمَوْتٰی ؕ بَلٰۤی اِنَّهٗ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়ারাও আন্নাল্লা-হাল্লাযী খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালাম ইয়া‘ইয়া বিখালকিহিন্না বিকা-দিরিন ‘আলাআইঁ ইউহইয়াল মাওতা- বালাইন্নাহূ ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আওয়ালাম ইয়ারাও আন্নাল্লা-হাল্লাযী খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালাম ইয়া‘ইয়া বিখালকিহিন্না বিকা-দিরিন ‘আলাআইঁ ইউহইয়াল মাওতা- বালাইন্নাহূ ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
তারা কি দেখে না যে, নিশ্চয় আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আর এগুলোর সৃষ্টিতে তিনি ক্লান্ত হননি, তিনি মৃতদেরকে জীবন দিতে সক্ষম? অবশ্যই হ্যাঁ, নিশ্চয় তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
তারা কি দেখে না যে, নিশ্চয় আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আর এগুলোর সৃষ্টিতে তিনি ক্লান্ত হননি, তিনি মৃতদেরকে জীবন দিতে সক্ষম? অবশ্যই হ্যাঁ, নিশ্চয় তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ, যিনি আকাশ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আর ওগুলোর সৃষ্টিতে তিনি ক্লান্ত হননি, তিনি মৃতদেরকে জীবন দিতে সক্ষম? নিঃসন্দেহে তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।
তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ, যিনি আকাশ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আর ওগুলোর সৃষ্টিতে তিনি ক্লান্ত হননি, তিনি মৃতদেরকে জীবন দিতে সক্ষম? নিঃসন্দেহে তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।
Sahih International:
Do they not see that Allah, who created the heavens and earth and did not fail in their creation, is able to give life to the dead? Yes. Indeed, He is over all things competent.
Do they not see that Allah, who created the heavens and earth and did not fail in their creation, is able to give life to the dead? Yes. Indeed, He is over all things competent.
وَ یَوْمَ یُعْرَضُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا عَلَی النَّارِ ؕ اَلَیْسَ هٰذَا بِالْحَقِّ ؕ قَالُوْا بَلٰی وَ رَبِّنَا ؕ قَالَ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا کُنْتُمْ تَکْفُرُوْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াওমা ইউ‘রাদুল্লাযীনা কাফারূ‘আলান্না-রি আলাইছা হা-যা-বিলহাক্কি কা-লূবালা-ওয়া রাব্বিনা- কা-লা ফাযূকুল ‘আযা-বা বিমা-কুনতুম তাক ফুরূন।
ওয়া ইয়াওমা ইউ‘রাদুল্লাযীনা কাফারূ‘আলান্না-রি আলাইছা হা-যা-বিলহাক্কি কা-লূবালা-ওয়া রাব্বিনা- কা-লা ফাযূকুল ‘আযা-বা বিমা-কুনতুম তাক ফুরূন।
আল বায়ান:
আর যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের কাছে পেশ করা হবে (বলা হবে), ‘এটা কি সত্য নয়’? তারা বলবে, ‘অবশ্যই হ্যাঁ, আমাদের রবের কসম তিনি বলবেন, ‘তাহলে আযাব আস্বাদন কর, যেহেতু তোমরা কুফরী করছিলে’।
আর যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের কাছে পেশ করা হবে (বলা হবে), ‘এটা কি সত্য নয়’? তারা বলবে, ‘অবশ্যই হ্যাঁ, আমাদের রবের কসম তিনি বলবেন, ‘তাহলে আযাব আস্বাদন কর, যেহেতু তোমরা কুফরী করছিলে’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরদেরকে যেদিন জাহান্নামের সামনে হাজির করা হবে (তখন তাদেরকে বলা হবে) এটা কি সত্য নয়? তারা বলবে, ‘কসম আমাদের প্রতিপালকের! এটা সত্য।’ তাদেরকে বলা হবে, ‘তাহলে ‘আযাব আস্বাদন কর, যেহেতু তোমরা সত্যকে অমান্য করেছিলে।
কাফিরদেরকে যেদিন জাহান্নামের সামনে হাজির করা হবে (তখন তাদেরকে বলা হবে) এটা কি সত্য নয়? তারা বলবে, ‘কসম আমাদের প্রতিপালকের! এটা সত্য।’ তাদেরকে বলা হবে, ‘তাহলে ‘আযাব আস্বাদন কর, যেহেতু তোমরা সত্যকে অমান্য করেছিলে।
Sahih International:
And the Day those who disbelieved are exposed to the Fire [it will be said], "Is this not the truth?" They will say, "Yes, by our Lord." He will say, "Then taste the punishment because you used to disbelieve."
And the Day those who disbelieved are exposed to the Fire [it will be said], "Is this not the truth?" They will say, "Yes, by our Lord." He will say, "Then taste the punishment because you used to disbelieve."
فَاصْبِرْ کَمَا صَبَرَ اُولُوا الْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ وَ لَا تَسْتَعْجِلْ لَّهُمْ ؕ کَاَنَّهُمْ یَوْمَ یَرَوْنَ مَا یُوْعَدُوْنَ ۙ لَمْ یَلْبَثُوْۤا اِلَّا سَاعَۃً مِّنْ نَّهَارٍ ؕ بَلٰغٌ ۚ فَهَلْ یُهْلَکُ اِلَّا الْقَوْمُ الْفٰسِقُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ফাসবির কামা-সাবারা ঊলুল ‘আযমি মিনাররুছুলি ওয়ালা-তাছতা‘জিল লাহুম কাআন্নাহুম ইয়াওমা ইয়ারাওনা মা-ইঊ‘আদূ না লাম ইয়ালবাছূদ্ম ইল্লা-ছা-‘আতাম মিন নাহা-রিন বালা-গুন ফাহাল ইউহলাকুইল্লাল কাওমুল ফা-ছিকূন।
ফাসবির কামা-সাবারা ঊলুল ‘আযমি মিনাররুছুলি ওয়ালা-তাছতা‘জিল লাহুম কাআন্নাহুম ইয়াওমা ইয়ারাওনা মা-ইঊ‘আদূ না লাম ইয়ালবাছূদ্ম ইল্লা-ছা-‘আতাম মিন নাহা-রিন বালা-গুন ফাহাল ইউহলাকুইল্লাল কাওমুল ফা-ছিকূন।
আল বায়ান:
অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর, যেমন ধৈর্যধারণ করেছিল সুদৃঢ় সংকল্পের অধিকারী রাসূলগণ। আর তাদের জন্য তাড়াহুড়া করো না। তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল, যেদিন তারা তা প্রত্যক্ষ করবে, মনে হবে তারা পৃথিবীতে এক দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছে। সুতরাং এটা এক ঘোষণা, তাই পাপাচারী কওমকেই ধ্বংস করা হবে।
অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর, যেমন ধৈর্যধারণ করেছিল সুদৃঢ় সংকল্পের অধিকারী রাসূলগণ। আর তাদের জন্য তাড়াহুড়া করো না। তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল, যেদিন তারা তা প্রত্যক্ষ করবে, মনে হবে তারা পৃথিবীতে এক দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছে। সুতরাং এটা এক ঘোষণা, তাই পাপাচারী কওমকেই ধ্বংস করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি ধৈর্য ধর যেমনভাবে ধৈর্য ধারণ করেছিল দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী রসূলগণ। আর এই লোকেদের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করো না। কারণ যে বিষয়ে তাদেরকে সাবধান করা হয়েছে যেদিন তারা তা দেখবে, সেদিন তারা মনে করবে যে, একদিনের কিছু অংশের অধিক তারা দুনিয়াতে অবস্থান করেনি। (তোমার দায়িত্ব) পৌঁছানো, অতঃপর পাপাচারী সম্প্রদায় ছাড়া আর কে ধ্বংস হবে?
কাজেই তুমি ধৈর্য ধর যেমনভাবে ধৈর্য ধারণ করেছিল দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী রসূলগণ। আর এই লোকেদের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করো না। কারণ যে বিষয়ে তাদেরকে সাবধান করা হয়েছে যেদিন তারা তা দেখবে, সেদিন তারা মনে করবে যে, একদিনের কিছু অংশের অধিক তারা দুনিয়াতে অবস্থান করেনি। (তোমার দায়িত্ব) পৌঁছানো, অতঃপর পাপাচারী সম্প্রদায় ছাড়া আর কে ধ্বংস হবে?
Sahih International:
So be patient, [O Muhammad], as were those of determination among the messengers and do not be impatient for them. It will be - on the Day they see that which they are promised - as though they had not remained [in the world] except an hour of a day. [This is] notification. And will [any] be destroyed except the defiantly disobedient people?
So be patient, [O Muhammad], as were those of determination among the messengers and do not be impatient for them. It will be - on the Day they see that which they are promised - as though they had not remained [in the world] except an hour of a day. [This is] notification. And will [any] be destroyed except the defiantly disobedient people?