সূরা আল-আহকাফ (আয়াত: 14)
হরকত ছাড়া:
أولئك أصحاب الجنة خالدين فيها جزاء بما كانوا يعملون ﴿١٤﴾
হরকত সহ:
اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ الْجَنَّۃِ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ۚ جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ: উলাইকা আসহা-বুল জান্নাতি খা-লিদীনা ফীহা- জাযাআম বিমা-কা-নূ ইয়া‘মালূন।
আল বায়ান: তারাই জান্নাতের অধিবাসী, তাতে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে, তারা যা আমল করত তার পুরস্কারস্বরূপ।
আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ১৪. তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, তারা যা আমল করত তার পুরস্কার স্বরূপ।
তাইসীরুল ক্বুরআন: তারাই জান্নাতের অধিবাসী, তাতে তারা চিরকাল থাকবে, তারা যে কাজ করত তার পুরস্কার স্বরূপ।
আহসানুল বায়ান: (১৪) তারাই জান্নাতের অধিবাসী; সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। --এটাই তাদের কর্মফল।
মুজিবুর রহমান: এরাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে এরা স্থায়ী হবে, এটাই তাদের কর্মফল।
ফযলুর রহমান: তারাই জান্নাতের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (দুনিয়ায়) তারা যেসব ভাল কাজ করত, এটা তারই পুরস্কার।
মুহিউদ্দিন খান: তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল।
জহুরুল হক: এরাই হচ্ছে বেহেশতের বাসিন্দা, তাতেই তারা স্থায়ীভাবে থাকবে, -- তারা যা করে চলত সেজন্য এক প্রতিদান।
Sahih International: Those are the companions of Paradise, abiding eternally therein as reward for what they used to do.
তাফসীরে যাকারিয়া
অনুবাদ: ১৪. তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, তারা যা আমল করত তার পুরস্কার স্বরূপ।
তাফসীর:
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান
অনুবাদ: (১৪) তারাই জান্নাতের অধিবাসী; সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। --এটাই তাদের কর্মফল।
তাফসীর:
-
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ
তাফসীর: ১০-১৪ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
এ আয়াতের এবং
(أَوَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ اٰيَةً أَنْ يَّعْلَمَه۫ عُلَمٰٓؤُا بَنِيْ۬ إِسْرَا۬ئِيْلَ)
“বানী ইস্রাঈলের পণ্ডিতগণ এটা অবগত আছে- এটা কি তাদের জন্য নিদর্শন নয়?” সূরা শুআরার অত্র আয়াতের অর্থ একই রকম। সারমর্ম এই যে, যেসব ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রেসালাত ও কুরআনকে অমান্য করে তারা স্বয়ং তাদের কিতাব সম্পর্কেও অজ্ঞ। কেননা, বানী ইসরাঈলের অনেক আলেম তাদের কিতাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াত ও রিসালাতের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সে আলেমদের সাক্ষ্যও কি এ মুর্খদের জন্য যথেষ্ট নয়? কিন্তু তোমরা যদি না মান তবে এ সম্ভাবনার প্রতিও লক্ষ্য কর যে, আমার দাবী যদি সত্য হয় এবং কুরআন আল্লাহ তা‘আলার কিতাব হয় আর তোমরা একে অমান্য করে যাও তবে তোমাদের পরিণতি কী হবে। এ জ্ঞান লাভের পরও যদি তোমরা জেদ ও অহংকারে অটল থাক তবে তোমরা গুরুতর শাস্তির যোগ্য হয়ে যাবে।
(وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِّنْۭ بَنِيْٓ إِسْرَا۬ئِيْلَ)
‘বানী ইসরাঈলের একজন সাক্ষী সাক্ষ্যও দিয়েছে’ বানী ইসরাঈলের এই সাক্ষী থেকে কাকে বুঝানো হয়েছে- তা নিয়ে অনেক মতভেদ পাওয়া যায় : কেউ বলেছেন যে, এ শব্দটি জাতি বা সম্প্রদায় অর্থে প্রয়োগ হয়েছে। বানী ইসরাঈলের সকল ঈমান আনয়নকারী এর অন্তর্ভুক্ত। কারো মতে, সূরাটি মাক্কী হওয়ার ফলে মক্কায় অবস্থানকারী কোন এক বানী ইসরাঈল উদ্দেশ্য হবে অথবা আয়াতটি ভবিষ্যতবাণী হিসেবে গণ্য করা হবে। (ইবনু কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর) আবার যারা আয়াতকে মাদানী বলে গণ্য করেছেন তারা আব্দুল্লাহ বিন সালামকে বুঝিয়েছেন। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের বর্ননা থেকেও এ উক্তির সমর্থন পাওয়া যায়। (সহীহ বুখারী হা. ৩৮১২, সহীহ মুসলিম হা. ২৪৮৩) ইমাম শাওকানী (রহঃ) এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
عَلَي مِثْلِهِ এর অর্থ হল : তাওরাতের সাক্ষ্য দেয়া যা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার কথা একান্তভাবে প্রমাণ করে। কেননা, কুরআনেও তাওহীদ ও পরকালের ওপর বিশ্বাসের ব্যাপার তাওরাতের মতই।
(وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَوْ كَانَ خَيْرًا مَّا سَبَقُوْنَآ إِلَيْهِ)
“কাফিররা ঈমানদারদের সম্পর্কে বলে যে, যদি এটা (কিতাবকে মেনে নেওয়া সত্যিই) কোনো ভাল কাজ হতো তাহলে তারা এ বিষয়ে আমাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারত না।” আল্লাহ তা‘আলার হিকমত হল : আল্লাহ তা‘আলা কতক মানুষ দ্বারা কতক মানুষকে পরীক্ষা করবেন। যারা বিত্তশালী ও মর্যাদার অধিকারী তারা বলে : যদি ইসলামে কল্যাণ থাকত তাহলে আমাদের আগে এ দুর্বলেরা ইসলাম গ্রহণ করতে পারত না। আমরাই অধিক হকদার কল্যাণ গ্রহণ করার। তাদের এ মিথ্যা দাবীর প্রতিবাদ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(أَلَيْسَ اللّٰهُ بِأَعْلَمَ بِالشّٰكِرِيْنَ)
“আল্লাহ কি কৃতজ্ঞ লোকেদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত নন?” (সূরা আন্‘আম ৬ : ৫৩)
جهالة অজ্ঞতাবশত যদি কেউ খারাপ কাজ করে অতঃপর তাওবাহ করে। এ সম্পর্কে সূরা নিসার ১৭ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
(إِنَّ الَّذِيْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللّٰهُ)
‘‘নিশ্চয়ই যারা বলেছে”, আল্লাহ তা‘আলাই আমাদের প্রতিপালক’ অর্থাৎ যারা ঈমান আনার পর তার ওপর অটল থাকে পরকালে তাদের কোন দুশ্চিন্তা ও ভয় থাকবে না। এ আয়াতের তাফসীর সূরা হা-মীম সিজদার ২০ নং আয়াতেও করা হয়েছে।
তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)
তাফসীর: ১০-১৪ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে বলেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! তুমি এই মুশরিক ও কাফিরদেরকে বল- সত্যিই যদি এই কুরআন আল্লাহর নিকট হতে এসে থাকে এবং এর পরও যদি তোমরা এটাকে অস্বীকার করতেই থাকে। তবে তোমাদের অবস্থা কি হতে পারে তা চিন্তা করেছো কি? যে আল্লাহ তাবারাকা, ওয়া তা'আলা আমাকে সত্যসহ তোমাদের নিকট এই পবিত্র কিতাব দিয়ে পাঠিয়েছেন, তিনি তোমাদেরকে কি শাস্তি প্রদান করবেন তা কি ভেবে দেখেছো? তোমরা এই কিতাবকে অস্বীকার করছে এবং মিথ্যা জানছো, অথচ এর সত্যতার সাক্ষ্য প্রদান করছে ঐ সব কিতাব যেগুলো ইতিপূর্বে সময়ে সময়ে পূর্ববর্তী নবীদের উপর নাযিল হতে থেকেছে এবং বানী ইসরাঈলের একজন এর সত্যতার সাক্ষ্য দিয়েছে এবং এর হাকীকতকে চিনেছে ও মেনেছে এবং এর উপর ঈমান এনেছে। কিন্তু তোমরা এর অনুসরণ হতে গর্বভরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
ভাবার্থ এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, ঐ সাক্ষী তার নবীর উপর এবং তার কিতাবের উপর বিশ্বাস করেছে, কিন্তু তোমরা তোমাদের নবীর সাথে ও তোমাদের কিতাবের সাথে কুফরী করেছো।
আল্লাহ তা'আলা যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
(আরবী) শব্দটি (আরবী) এবং এটা স্বীয় সাধারণ অর্থের দিক দিয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ) প্রমুখ সকলকেই অন্তর্ভুক্ত করে। এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, এ আয়াতটি মাক্কী এবং এটা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের পূর্বে অবতীর্ণ হয়। নিম্নের আয়াতটিও এ আয়াতের অনুরূপঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন তাদের কাছে পাঠ করা হয় তখন তারা বলে- আমরা এর উপর ঈমান আনলাম, নিশ্চয়ই এটা আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সত্য, আমরা তো এর পূর্বেই মুসলমান ছিলাম।”(২৮:৫৩) অন্য জায়গায় আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই যাদেরকে এর পূর্বে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের নিকট যখন এটা পাঠ করা হয় তখনই তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং বলেঃ আমাদের প্রতিপালক পবিত্র, মহান। আমাদের প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি কার্যকরী হয়েই থাকে।”(১৭:১০৭-১০৮)
হযরত মাসরূক (রঃ) এবং হযরত শা'বী (রঃ) বলেন যে, এখানে এই আয়াত দ্বারা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ)-কে বুঝানো হয়নি। কেননা, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় মক্কায়, আর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর মদীনায় হিজরতের পর।” (এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এবং ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত সা'দ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) হতে শুনিনি যে, ভূ-পৃষ্ঠে চলাফেরাকারী কোন মানুষকে তিনি জান্নাতবাসী বলেছেন, একমাত্র হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ) ছাড়া। তাঁর ব্যাপারেই (আরবী)-এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।” (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ), ইমাম মুসলিম (রঃ) এবং ইমাম নাসাঈ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), হযরত মুজাহিদ (রঃ), হযরত যহহাক (রঃ), হযরত কাতাদা (রঃ), হযরত ইকরামা (রঃ), হযরত ইউসুফ ইবনে আবদিল্লাহ ইবনে সালাম (রঃ), হযরত হিলাল ইবনে ইয়াসাফ (রঃ), হযরত সাওরী (রঃ) হযরত মালিক ইবনে আনাস (রঃ) এবং হযরত ইবনে যায়েদ (রঃ) বলেন যে, এ আয়াত দ্বারা হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে সালামকেই (রাঃ) বুঝানো হয়েছে।
ইরশাদ হচ্ছেঃ এই কাফিররা বলে- “এই কুরআন যদি ভাল জিনিসই হতো তবে আমাদের ন্যায় সম্ভ্রান্ত বংশীয় এবং আল্লাহর গৃহীত বান্দাদের উপর বিলাল (রাঃ), আম্মার (রাঃ), সুহায়েব (রাঃ), খাব্বাব (রাঃ) প্রমুখ নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা অগ্রগামী হতো না। বরং সর্বপ্রথম আমরাই এটা কবুল করতাম। কিন্তু এটা তাদের সম্পূর্ণ বাজে ও ভিত্তিহীন কথা। মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “এভাবেই আমি তাদের কাউকেও কারো উপর ফিত্নায় ফেলে থাকি, যেন তারা বলেঃ এরাই কি তারা, আমাদের মধ্য হতে যাদের উপর আল্লাহ তা'আলা অনুগ্রহ করেছেন?”(৬:৫৩) অর্থাৎ তারা বিস্মিত হয়েছে যে, কি করে এ লোকগুলো হিদায়াত প্রাপ্ত হয়েছে! যদি এটাই হতো তবে তো তারাই অগ্রগামী হতো। কিন্তু ওটা ছিল তাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটা নিশ্চিত কথা যে, যাদের সুবুদ্ধি রয়েছে এবং যারা শান্তিকামী লোক তারা সদা কল্যাণের পথে অগ্রগামীই হয়। এ জন্যেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশ্বাস এই যে, যে কথা ও কাজ আল্লাহর রাসূল (সঃ)-এর সাহাবীগণ (রাঃ) হতে প্রমাণিত না হয় ওটা বিদআত। কেননা, যদি তাতে কল্যাণ নিহিত থাকতো তবে ঐ পবিত্র দলটি, যারা কোন কাজেই পিছনে থাকতেন না, তাঁরা ওটাকে কখনো ছেড়ে দিতেন না।
মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেন যে, এই কাফিররা কুরআন দ্বারা পরিচালিত নয় বলে তারা বলেঃ ‘এটা তো এক পুরাতন মিথ্যা।' একথা বলে তারা কুরআন এবং কুরআনের ধারক ও বাহকদেরকে ভর্ৎসনা করে থাকে। এটাই ঐ অহংকার যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “অহংকার হলো সত্যকে সরিয়ে ফেলা এবং লোকদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করা।”
এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এর পূর্বে ছিল মূসা (আঃ)-এর কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহ স্বরূপ। ওটা হলো তাওরাত। এই কিতাব অর্থাৎ কুরআন পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর সমর্থক। এই কুরআন আরবী ভাষায় অবতারিত। এর ভাষা অলংকার ও বাকচাতুর্যপূর্ণ এবং ভাবার্থ অতি স্পষ্ট ও প্রকাশমান। এটা যালিম ও কাফিরদেরকে সতর্ক করে এবং মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয়। এর
পরবর্তী আয়াতের তাফসীর সূরায়ে হা-মীম আসসাজদাহর মধ্যে গত হয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই অর্থাৎ আগামীতে তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই এবং তারা চিন্তিত ও দুঃখিত হবে না, অর্থাৎ তারা তাদের ছেড়ে যাওয়া জিনিসগুলোর জন্যে মোটেই দুঃখিত হবে না।
তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে। এটাই তাদের ভাল কর্মের ফল।
সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।