দেখুন/লুকান:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
وَالذّٰرِیٰتِ ذَرْوًا ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযযা-রিয়া-তি যারওয়া-।
ওয়াযযা-রিয়া-তি যারওয়া-।
আল বায়ান:
কসম ধূলিঝড়ের,
কসম ধূলিঝড়ের,
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ সেই বাতাসের যা ধূলাবালি উড়ায়,
শপথ সেই বাতাসের যা ধূলাবালি উড়ায়,
Sahih International:
By those [winds] scattering [dust] dispersing
By those [winds] scattering [dust] dispersing
فَالْحٰمِلٰتِ وِقْرًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ফাল হা-মিলা-তি বিকরা-।
ফাল হা-মিলা-তি বিকরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর, পানির বোঝা বহনকারী মেঘমালার,
অতঃপর, পানির বোঝা বহনকারী মেঘমালার,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যা উঠিয়ে নেয় আর বহন করে ভারী বোঝা,
আর যা উঠিয়ে নেয় আর বহন করে ভারী বোঝা,
Sahih International:
And those [clouds] carrying a load [of water]
And those [clouds] carrying a load [of water]
فَالْجٰرِیٰتِ یُسْرًا ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ফালজা-রিয়া-তি ইউছরা-।
ফালজা-রিয়া-তি ইউছরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর মৃদুগতিতে চলমান নৌযানসমূহের,
অতঃপর মৃদুগতিতে চলমান নৌযানসমূহের,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যা ধীর ও শান্ত গতিতে বয়ে চলে
আর যা ধীর ও শান্ত গতিতে বয়ে চলে
Sahih International:
And those [ships] sailing with ease
And those [ships] sailing with ease
فَالْمُقَسِّمٰتِ اَمْرًا ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ফাল মুকাছছিমা-তি আমরা-।
ফাল মুকাছছিমা-তি আমরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর [আল্লাহর] নির্দেশ বণ্টনকারী ফেরেশতাগণের।
অতঃপর [আল্লাহর] নির্দেশ বণ্টনকারী ফেরেশতাগণের।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা কর্ম বণ্টন করে,
আর যারা কর্ম বণ্টন করে,
Sahih International:
And those [angels] apportioning [each] matter,
And those [angels] apportioning [each] matter,
اِنَّمَا تُوْعَدُوْنَ لَصَادِقٌ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-তূ‘আদূনা লাসা-দিক।
ইন্নামা-তূ‘আদূনা লাসা-দিক।
আল বায়ান:
তোমরা যে ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছ তা অবশ্যই সত্য।
তোমরা যে ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছ তা অবশ্যই সত্য।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সত্য।
তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সত্য।
Sahih International:
Indeed, what you are promised is true.
Indeed, what you are promised is true.
وَّ اِنَّ الدِّیْنَ لَوَاقِعٌ ؕ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাদ দীনা লাওয়া-কি‘উ।
ওয়া ইন্নাদ দীনা লাওয়া-কি‘উ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় প্রতিদান অবশ্যম্ভাবী।
নিশ্চয় প্রতিদান অবশ্যম্ভাবী।
তাইসিরুল কুরআন:
কর্মফল দিবস অবশ্যই আসবে।
কর্মফল দিবস অবশ্যই আসবে।
Sahih International:
And indeed, the recompense is to occur.
And indeed, the recompense is to occur.
وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الْحُبُکِ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছছামাই যা-তিল হুবুক।
ওয়াছছামাই যা-তিল হুবুক।
আল বায়ান:
কসম সৌন্দর্যমন্ডিত আকাশের
কসম সৌন্দর্যমন্ডিত আকাশের
তাইসিরুল কুরআন:
বহু পথ বিশিষ্ট আকাশের শপথ।
বহু পথ বিশিষ্ট আকাশের শপথ।
Sahih International:
By the heaven containing pathways,
By the heaven containing pathways,
اِنَّکُمْ لَفِیْ قَوْلٍ مُّخْتَلِفٍ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকুম লাফী কাওলিম মুখতালিফ।
ইন্নাকুম লাফী কাওলিম মুখতালিফ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমরা মতবিরোধপূর্ণ কথায় লিপ্ত।
নিশ্চয় তোমরা মতবিরোধপূর্ণ কথায় লিপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
(পরকাল সম্পর্কে) তোমরা অবশ্যই রয়েছ মতভেদের মধ্যে।
(পরকাল সম্পর্কে) তোমরা অবশ্যই রয়েছ মতভেদের মধ্যে।
Sahih International:
Indeed, you are in differing speech.
Indeed, you are in differing speech.
یُّؤْفَکُ عَنْهُ مَنْ اُفِکَ ﴿ؕ۹﴾
উচ্চারণ:
ইউ’ফাকু‘আনহু মান উফিক।
ইউ’ফাকু‘আনহু মান উফিক।
আল বায়ান:
যে পথভ্রষ্ট হয়েছে তাকেই তা থেকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
যে পথভ্রষ্ট হয়েছে তাকেই তা থেকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা সেই (সত্য) মানতে ভুল করে তারাই গুমরাহ।
যারা সেই (সত্য) মানতে ভুল করে তারাই গুমরাহ।
Sahih International:
Deluded away from the Qur'an is he who is deluded.
Deluded away from the Qur'an is he who is deluded.
قُتِلَ الْخَرّٰصُوْنَ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
কুতিলাল খাররা-ছূন।
কুতিলাল খাররা-ছূন।
আল বায়ান:
মিথ্যাচারীরা ধ্বংস হোক!
মিথ্যাচারীরা ধ্বংস হোক!
তাইসিরুল কুরআন:
অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক,
অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক,
Sahih International:
Destroyed are the falsifiers
Destroyed are the falsifiers
الَّذِیْنَ هُمْ فِیْ غَمْرَۃٍ سَاهُوْنَ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা হুম ফী গামরাতিন ছা-হূন।
আল্লাযীনা হুম ফী গামরাতিন ছা-হূন।
আল বায়ান:
যারা সন্দেহ-সংশয়ে নিপতিত, উদাসীন।
যারা সন্দেহ-সংশয়ে নিপতিত, উদাসীন।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা অজ্ঞতা ও উদাসীনতার মধ্যে রয়েছে।
যারা অজ্ঞতা ও উদাসীনতার মধ্যে রয়েছে।
Sahih International:
Who are within a flood [of confusion] and heedless.
Who are within a flood [of confusion] and heedless.
یَسْـَٔلُوْنَ اَیَّانَ یَوْمُ الدِّیْنِ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছআলূনা আইয়া-না ইয়াওমুদ্দীন।
ইয়াছআলূনা আইয়া-না ইয়াওমুদ্দীন।
আল বায়ান:
তারা জিজ্ঞাসা করে, ‘প্রতিদান দিবস’ কবে’?
তারা জিজ্ঞাসা করে, ‘প্রতিদান দিবস’ কবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা জিজ্ঞেস করে- ‘প্রতিফল দিবস কবে হবে?’
তারা জিজ্ঞেস করে- ‘প্রতিফল দিবস কবে হবে?’
Sahih International:
They ask, "When is the Day of Recompense?"
They ask, "When is the Day of Recompense?"
یَوْمَ هُمْ عَلَی النَّارِ یُفْتَنُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা হুম ‘আলান্না-রি ইউফতানূন।
ইয়াওমা হুম ‘আলান্না-রি ইউফতানূন।
আল বায়ান:
‘যে দিন তারা অগ্নিতে সাজাপ্রাপ্ত হবে’।
‘যে দিন তারা অগ্নিতে সাজাপ্রাপ্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
(তা হবে সেদিন) যেদিন তাদেরকে আগুনে শাস্তি দেয়া হবে।
(তা হবে সেদিন) যেদিন তাদেরকে আগুনে শাস্তি দেয়া হবে।
Sahih International:
[It is] the Day they will be tormented over the Fire
[It is] the Day they will be tormented over the Fire
ذُوْقُوْا فِتْنَتَکُمْ ؕ هٰذَا الَّذِیْ کُنْتُمْ بِهٖ تَسْتَعْجِلُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
যূকূফিতনাতাকুম হা-যাল্লাযী কনতুম বিহী তাছতা‘জিলূন।
যূকূফিতনাতাকুম হা-যাল্লাযী কনতুম বিহী তাছতা‘জিলূন।
আল বায়ান:
বলা হবে, ‘তোমাদের আযাব আস্বাদন কর, এটিতো ‘তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে।’
বলা হবে, ‘তোমাদের আযাব আস্বাদন কর, এটিতো ‘তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে।’
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে বলা হবে) তোমরা তোমাদের (কৃতকর্মের) শাস্তি ভোগ কর, এটা হচ্ছে তাই যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করছিলে।
(তাদেরকে বলা হবে) তোমরা তোমাদের (কৃতকর্মের) শাস্তি ভোগ কর, এটা হচ্ছে তাই যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করছিলে।
Sahih International:
[And will be told], "Taste your torment. This is that for which you were impatient."
[And will be told], "Taste your torment. This is that for which you were impatient."
اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী জান্না-তিওঁ ওয়া উ‘ইয়ূন।
ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী জান্না-তিওঁ ওয়া উ‘ইয়ূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতসমূহে ও ঝর্ণাধারায়,
নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতসমূহে ও ঝর্ণাধারায়,
তাইসিরুল কুরআন:
মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাত আর ঝর্ণাধারার মাঝে।
মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাত আর ঝর্ণাধারার মাঝে।
Sahih International:
Indeed, the righteous will be among gardens and springs,
Indeed, the righteous will be among gardens and springs,
اٰخِذِیْنَ مَاۤ اٰتٰهُمْ رَبُّهُمْ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَبْلَ ذٰلِکَ مُحْسِنِیْنَ ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
আ-খিযীনা মাআ-তা-হুম রাব্বুহুম ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুহছিনীন।
আ-খিযীনা মাআ-তা-হুম রাব্বুহুম ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুহছিনীন।
আল বায়ান:
তাদের রব তাদের যা দিবেন তা তারা খুশীতে গ্রহণকারী হবে। ইতঃপূর্বে এরাই ছিল সৎকর্মশীল।
তাদের রব তাদের যা দিবেন তা তারা খুশীতে গ্রহণকারী হবে। ইতঃপূর্বে এরাই ছিল সৎকর্মশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের প্রতিপালক যা তাদেরকে দিবেন তা তারা ভোগ করবে, কারণ তারা পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) ছিল সৎকর্মশীল,
তাদের প্রতিপালক যা তাদেরকে দিবেন তা তারা ভোগ করবে, কারণ তারা পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) ছিল সৎকর্মশীল,
Sahih International:
Accepting what their Lord has given them. Indeed, they were before that doers of good.
Accepting what their Lord has given them. Indeed, they were before that doers of good.
کَانُوْا قَلِیْلًا مِّنَ الَّیْلِ مَا یَهْجَعُوْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
কা-নূকালীলাম মিনাল্লাইলি মা-ইয়াহজা‘ঊন।
কা-নূকালীলাম মিনাল্লাইলি মা-ইয়াহজা‘ঊন।
আল বায়ান:
রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাতো।
রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাতো।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা রাত্রিকালে খুব কমই শয়ন করত।
তারা রাত্রিকালে খুব কমই শয়ন করত।
Sahih International:
They used to sleep but little of the night,
They used to sleep but little of the night,
وَ بِالْاَسْحَارِ هُمْ یَسْتَغْفِرُوْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বিলআছহা-রিহুম ইয়াছতাগফিরূন।
ওয়া বিলআছহা-রিহুম ইয়াছতাগফিরূন।
আল বায়ান:
আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত।
আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।
আর তারা রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।
Sahih International:
And in the hours before dawn they would ask forgiveness,
And in the hours before dawn they would ask forgiveness,
وَ فِیْۤ اَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّآئِلِ وَ الْمَحْرُوْمِ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফীআমওয়া-লিহিম হাক্কুল লিছছাইলি ওয়াল মাহরূম।
ওয়া ফীআমওয়া-লিহিম হাক্কুল লিছছাইলি ওয়াল মাহরূম।
আল বায়ান:
আর তাদের ধনসম্পদে রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক।
আর তাদের ধনসম্পদে রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং তাদের ধন-মালে আছে যাঞ্ঝাকারী ও বঞ্চিতদের অধিকার (যা তারা আদায় করত)।
এবং তাদের ধন-মালে আছে যাঞ্ঝাকারী ও বঞ্চিতদের অধিকার (যা তারা আদায় করত)।
Sahih International:
And from their properties was [given] the right of the [needy] petitioner and the deprived.
And from their properties was [given] the right of the [needy] petitioner and the deprived.
وَ فِی الْاَرْضِ اٰیٰتٌ لِّلْمُوْقِنِیْنَ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফিল আরদিআ-য়া-তুলিলল মূ’কিনীন।
ওয়া ফিল আরদিআ-য়া-তুলিলল মূ’কিনীন।
আল বায়ান:
সুনিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য যমীনে অনেক নিদর্শন রয়েছে।
সুনিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য যমীনে অনেক নিদর্শন রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে আছে নিদর্শন,
নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে আছে নিদর্শন,
Sahih International:
And on the earth are signs for the certain [in faith]
And on the earth are signs for the certain [in faith]
وَ فِیْۤ اَنْفُسِکُمْ ؕ اَفَلَا تُبْصِرُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফীআনফুছিকুম আফালা-তুবসিরূন।
ওয়া ফীআনফুছিকুম আফালা-তুবসিরূন।
আল বায়ান:
তোমাদের নিজদের মধ্যেও। তোমরা কি চক্ষুষ্মান হবে না?
তোমাদের নিজদের মধ্যেও। তোমরা কি চক্ষুষ্মান হবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
আর (নিদর্শন আছে) তোমাদের মাঝেও, তোমরা কি দেখ না?
আর (নিদর্শন আছে) তোমাদের মাঝেও, তোমরা কি দেখ না?
Sahih International:
And in yourselves. Then will you not see?
And in yourselves. Then will you not see?
وَ فِی السَّمَآءِ رِزْقُکُمْ وَ مَا تُوْعَدُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফিছছামাই রিযকুকুম ওয়ামা-তূ‘আদূন।
ওয়া ফিছছামাই রিযকুকুম ওয়ামা-তূ‘আদূন।
আল বায়ান:
আকাশে রয়েছে তোমাদের রিয্ক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।
আকাশে রয়েছে তোমাদের রিয্ক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং আকাশে আছে তোমাদের রিযক আর আছে যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে।
এবং আকাশে আছে তোমাদের রিযক আর আছে যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে।
Sahih International:
And in the heaven is your provision and whatever you are promised.
And in the heaven is your provision and whatever you are promised.
فَوَ رَبِّ السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ اِنَّهٗ لَحَقٌّ مِّثْلَ مَاۤ اَنَّکُمْ تَنْطِقُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়ারাব্বিছ ছামাই ওয়াল আরদিইন্নাহূলাহাক্কুম মিছলা মাআন্নাকুম তানতিকূন।
ফাওয়ারাব্বিছ ছামাই ওয়াল আরদিইন্নাহূলাহাক্কুম মিছলা মাআন্নাকুম তানতিকূন।
আল বায়ান:
অতএব আসমান ও যমীনের রবের কসম, তোমরা যে কথা বলে থাক তার মতই এটি সত্য।
অতএব আসমান ও যমীনের রবের কসম, তোমরা যে কথা বলে থাক তার মতই এটি সত্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ ও যমীনের প্রতিপালকের শপথ! এ সব অবশ্যই সত্য, এমনই দৃঢ় সত্য যেমন তোমরা (যে কথাবার্তা) বলে থাক (সেই কথাবার্তা বলার ব্যাপারটা যেমন নিঃসন্দেহে সত্য)।
আকাশ ও যমীনের প্রতিপালকের শপথ! এ সব অবশ্যই সত্য, এমনই দৃঢ় সত্য যেমন তোমরা (যে কথাবার্তা) বলে থাক (সেই কথাবার্তা বলার ব্যাপারটা যেমন নিঃসন্দেহে সত্য)।
Sahih International:
Then by the Lord of the heaven and earth, indeed, it is truth - just as [sure as] it is that you are speaking.
Then by the Lord of the heaven and earth, indeed, it is truth - just as [sure as] it is that you are speaking.
هَلْ اَتٰىکَ حَدِیْثُ ضَیْفِ اِبْرٰهِیْمَ الْمُکْرَمِیْنَ ﴿ۘ۲۴﴾
উচ্চারণ:
হাল আতা-কা হাদীছুদাইফি ইবরা-হীমাল মুকরামীন।
হাল আতা-কা হাদীছুদাইফি ইবরা-হীমাল মুকরামীন।
আল বায়ান:
তোমার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে?
তোমার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার কাছে ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের খবর পৌঁছেছে কি?
তোমার কাছে ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের খবর পৌঁছেছে কি?
Sahih International:
Has there reached you the story of the honored guests of Abraham? -
Has there reached you the story of the honored guests of Abraham? -
اِذْ دَخَلُوْا عَلَیْهِ فَقَالُوْا سَلٰمًا ؕ قَالَ سَلٰمٌ ۚ قَوْمٌ مُّنْکَرُوْنَ ﴿ۚ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ইয দাখালূ‘আলাইহি ফাকা-লূছালা-মান কা-লা ছালা-মুন কাওমুম মুনকারূন।
ইয দাখালূ‘আলাইহি ফাকা-লূছালা-মান কা-লা ছালা-মুন কাওমুম মুনকারূন।
আল বায়ান:
যখন তারা তার কাছে আসল এবং বলল, ‘সালাম’, উত্তরে সেও বলল, ‘সালাম’। এরা তো অপরিচিত লোক।
যখন তারা তার কাছে আসল এবং বলল, ‘সালাম’, উত্তরে সেও বলল, ‘সালাম’। এরা তো অপরিচিত লোক।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা তার সামনে উপস্থিত হল তখন বলল, ‘সালাম’। সে উত্তর দিল- ‘সালাম’। (ইবরাহীম মনে মনে ভাবল এদেরকে তো দেখছি) অপরিচিত লোক।
যখন তারা তার সামনে উপস্থিত হল তখন বলল, ‘সালাম’। সে উত্তর দিল- ‘সালাম’। (ইবরাহীম মনে মনে ভাবল এদেরকে তো দেখছি) অপরিচিত লোক।
Sahih International:
When they entered upon him and said, "[We greet you with] peace." He answered, "[And upon you] peace, [you are] a people unknown.
When they entered upon him and said, "[We greet you with] peace." He answered, "[And upon you] peace, [you are] a people unknown.
فَرَاغَ اِلٰۤی اَهْلِهٖ فَجَآءَ بِعِجْلٍ سَمِیْنٍ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ফারা-গা ইলাআহলিহী ফাজাআ বি‘ইজলিন ছামীন।
ফারা-গা ইলাআহলিহী ফাজাআ বি‘ইজলিন ছামীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে দ্রুত চুপিসারে নিজ পরিবারবর্গের কাছে গেল এবং একটি মোটা-তাজা গো-বাছুর (ভাজা) নিয়ে আসল।
অতঃপর সে দ্রুত চুপিসারে নিজ পরিবারবর্গের কাছে গেল এবং একটি মোটা-তাজা গো-বাছুর (ভাজা) নিয়ে আসল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সে তাড়াতাড়ি তার ঘরের লোকেদের নিকট চলে গেল এবং একটি মোটাতাজা (ভাজা) বাছুর নিয়ে আসল।
তখন সে তাড়াতাড়ি তার ঘরের লোকেদের নিকট চলে গেল এবং একটি মোটাতাজা (ভাজা) বাছুর নিয়ে আসল।
Sahih International:
Then he went to his family and came with a fat [roasted] calf
Then he went to his family and came with a fat [roasted] calf
فَقَرَّبَهٗۤ اِلَیْهِمْ قَالَ اَلَا تَاْکُلُوْنَ ﴿۫۲۷﴾
উচ্চারণ:
ফাকাররাবাহূইলাইহিম কা-লা আলা-তা’কুলূন।
ফাকাররাবাহূইলাইহিম কা-লা আলা-তা’কুলূন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তা তাদের সামনে পেশ করল এবং বলল, ‘তোমরা কি খাবে না?’
অতঃপর সে তা তাদের সামনে পেশ করল এবং বলল, ‘তোমরা কি খাবে না?’
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সেটিকে তাদের সামনে রেখে দিল এবং বলল- ‘তোমরা খাচ্ছ না কেন?’
অতঃপর সেটিকে তাদের সামনে রেখে দিল এবং বলল- ‘তোমরা খাচ্ছ না কেন?’
Sahih International:
And placed it near them; he said, "Will you not eat?"
And placed it near them; he said, "Will you not eat?"
فَاَوْجَسَ مِنْهُمْ خِیْفَۃً ؕ قَالُوْا لَا تَخَفْ ؕ وَ بَشَّرُوْهُ بِغُلٰمٍ عَلِیْمٍ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআওজাছা মিন হুম খীফাতান কা-লূলা-তাখাফ ওয়াবাশশারূহু বিগুলা-মিন ‘আলীম।
ফাআওজাছা মিন হুম খীফাতান কা-লূলা-তাখাফ ওয়াবাশশারূহু বিগুলা-মিন ‘আলীম।
আল বায়ান:
এতে তাদের সম্পর্কে সে মনে মনে ভীত হল। তারা বলল, ‘ভয় পেয়োনা, তারা তাকে এক বিদ্বান পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল’।
এতে তাদের সম্পর্কে সে মনে মনে ভীত হল। তারা বলল, ‘ভয় পেয়োনা, তারা তাকে এক বিদ্বান পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
(যখন তারা খেল না) তখন সে তাদের ব্যাপারে মনে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ‘তুমি ভয় পেও না’, অতঃপর তারা তাকে এক জ্ঞানবান পুত্রের সুসংবাদ দিল।
(যখন তারা খেল না) তখন সে তাদের ব্যাপারে মনে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ‘তুমি ভয় পেও না’, অতঃপর তারা তাকে এক জ্ঞানবান পুত্রের সুসংবাদ দিল।
Sahih International:
And he felt from them apprehension. They said, "Fear not," and gave him good tidings of a learned boy.
And he felt from them apprehension. They said, "Fear not," and gave him good tidings of a learned boy.
فَاَقْبَلَتِ امْرَاَتُهٗ فِیْ صَرَّۃٍ فَصَکَّتْ وَجْهَهَا وَ قَالَتْ عَجُوْزٌ عَقِیْمٌ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফাআকবালাতিম রাআতুহূফী সাররাতিন ফাসাক্কাত ওয়াজহাহা- ওয়াকা-লাত ‘আজূযুন ‘আকীম।
ফাআকবালাতিম রাআতুহূফী সাররাতিন ফাসাক্কাত ওয়াজহাহা- ওয়াকা-লাত ‘আজূযুন ‘আকীম।
আল বায়ান:
তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল এবং নিজ মুখ চাপড়িয়ে বলল, ‘বৃদ্ধা-বন্ধ্যা’।
তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল এবং নিজ মুখ চাপড়িয়ে বলল, ‘বৃদ্ধা-বন্ধ্যা’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল। সে নিজের কপালে আঘাত করে বলল ‘(আমি) এক বৃদ্ধা, বন্ধ্যা’ (আমার কীভাবে সন্তান হবে?)
তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল। সে নিজের কপালে আঘাত করে বলল ‘(আমি) এক বৃদ্ধা, বন্ধ্যা’ (আমার কীভাবে সন্তান হবে?)
Sahih International:
And his wife approached with a cry [of alarm] and struck her face and said, "[I am] a barren old woman!"
And his wife approached with a cry [of alarm] and struck her face and said, "[I am] a barren old woman!"
قَالُوْا کَذٰلِکِ ۙ قَالَ رَبُّکِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْحَکِیْمُ الْعَلِیْمُ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূকাযা-লিকি কা-লা রাব্বুকি ইন্নাহূহুওয়াল হাকীমুল ‘আলীম।
কা-লূকাযা-লিকি কা-লা রাব্বুকি ইন্নাহূহুওয়াল হাকীমুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তোমার রব এরূপই বলেছেন। নিশ্চয়ই তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ’।
তারা বলল, ‘তোমার রব এরূপই বলেছেন। নিশ্চয়ই তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘‘তোমার প্রতিপালক এ রকমই বলেছেন, তিনি মহা প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
তারা বলল- ‘‘তোমার প্রতিপালক এ রকমই বলেছেন, তিনি মহা প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
They said, "Thus has said your Lord; indeed, He is the Wise, the Knowing."
They said, "Thus has said your Lord; indeed, He is the Wise, the Knowing."
قَالَ فَمَا خَطْبُکُمْ اَیُّهَا الْمُرْسَلُوْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফামা-খাতবুকুম আইয়ুহাল মুরছালূন।
কা-লা ফামা-খাতবুকুম আইয়ুহাল মুরছালূন।
আল বায়ান:
ইবরাহীম বলল, ‘হে প্রেরিত ফেরেশতাগণ, তোমাদের উদ্দেশ্য কী?
ইবরাহীম বলল, ‘হে প্রেরিত ফেরেশতাগণ, তোমাদের উদ্দেশ্য কী?
তাইসিরুল কুরআন:
ইবরাহীম বলল- ‘ওহে আল্লাহর দূতগণ (ফেরেশতারা)! তোমাদের কাজ কী (এখন)?’
ইবরাহীম বলল- ‘ওহে আল্লাহর দূতগণ (ফেরেশতারা)! তোমাদের কাজ কী (এখন)?’
Sahih International:
[Abraham] said, "Then what is your business [here], O messengers?"
[Abraham] said, "Then what is your business [here], O messengers?"
قَالُوْۤا اِنَّاۤ اُرْسِلْنَاۤ اِلٰی قَوْمٍ مُّجْرِمِیْنَ ﴿ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইন্নাউরছিলনাইলা-কাওমিম মুজরিমীন।
কা-লূইন্নাউরছিলনাইলা-কাওমিম মুজরিমীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা এক অপরাধী কওমের প্রতি প্রেরিত হয়েছি’।
তারা বলল, ‘আমরা এক অপরাধী কওমের প্রতি প্রেরিত হয়েছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘আমাদেরকে এক অপরাধী জাতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
তারা বলল- ‘আমাদেরকে এক অপরাধী জাতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
Sahih International:
They said, "Indeed, we have been sent to a people of criminals
They said, "Indeed, we have been sent to a people of criminals
لِنُرْسِلَ عَلَیْهِمْ حِجَارَۃً مِّنْ طِیْنٍ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
লিনুরছিলা ‘আলাইহিম হিজা-রাতাম মিন তীন।
লিনুরছিলা ‘আলাইহিম হিজা-রাতাম মিন তীন।
আল বায়ান:
‘যাতে তাদের উপর মাটির শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি’।
‘যাতে তাদের উপর মাটির শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি’।
তাইসিরুল কুরআন:
যেন তাদের উপর মাটির পাথর বর্ষণ করি
যেন তাদের উপর মাটির পাথর বর্ষণ করি
Sahih International:
To send down upon them stones of clay,
To send down upon them stones of clay,
مُّسَوَّمَۃً عِنْدَ رَبِّکَ لِلْمُسْرِفِیْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
মুছাওয়ামাতান ‘ইন্দা রাব্বিকা লিলমুছরিফীন।
মুছাওয়ামাতান ‘ইন্দা রাব্বিকা লিলমুছরিফীন।
আল বায়ান:
‘যা তোমার রবের পক্ষ থেকে চিহ্নিত সীমালংঘনকারীদের জন্য’।
‘যা তোমার রবের পক্ষ থেকে চিহ্নিত সীমালংঘনকারীদের জন্য’।
তাইসিরুল কুরআন:
যা তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত হয়ে আছে সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য।
যা তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত হয়ে আছে সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য।
Sahih International:
Marked in the presence of your Lord for the transgressors."
Marked in the presence of your Lord for the transgressors."
فَاَخْرَجْنَا مَنْ کَانَ فِیْهَا مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿ۚ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআখরাজনা-মান কা-না ফীহা-মিনাল মু’মিনীন।
ফাআখরাজনা-মান কা-না ফীহা-মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সেখানে যেসব মুমিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম।
অতঃপর সেখানে যেসব মুমিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে যারা মু’মিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে এনেছিলাম,
সেখানে যারা মু’মিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে এনেছিলাম,
Sahih International:
So We brought out whoever was in the cities of the believers.
So We brought out whoever was in the cities of the believers.
فَمَا وَجَدْنَا فِیْهَا غَیْرَ بَیْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِیْنَ ﴿ۚ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফামা-ওয়াজাদনা-ফীহা-গাইরা বাইতিম মিনাল মুছলিমীন।
ফামা-ওয়াজাদনা-ফীহা-গাইরা বাইতিম মিনাল মুছলিমীন।
আল বায়ান:
তবে আমি সেখানে একটি বাড়ী ছাড়া কোন মুসলমান পাইনি।
তবে আমি সেখানে একটি বাড়ী ছাড়া কোন মুসলমান পাইনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সেখানে মুসলিমদের একটি পরিবার ছাড়া আর পাইনি।
আমি সেখানে মুসলিমদের একটি পরিবার ছাড়া আর পাইনি।
Sahih International:
And We found not within them other than a [single] house of Muslims.
And We found not within them other than a [single] house of Muslims.
وَ تَرَکْنَا فِیْهَاۤ اٰیَۃً لِّلَّذِیْنَ یَخَافُوْنَ الْعَذَابَ الْاَلِیْمَ ﴿ؕ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াতারাকনা-ফীহাআ-য়াতালিলল্লাযীনা ইয়াখা-ফূনাল ‘আযা-বাল আলীম।
ওয়াতারাকনা-ফীহাআ-য়াতালিলল্লাযীনা ইয়াখা-ফূনাল ‘আযা-বাল আলীম।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের জন্য সেখানে একটি নিদর্শন রেখেছি যারা যন্ত্রণাদায়ক আযাবকে ভয় করে ।
আর আমি তাদের জন্য সেখানে একটি নিদর্শন রেখেছি যারা যন্ত্রণাদায়ক আযাবকে ভয় করে ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের জন্য সেখানে একটা নিদর্শন রেখে দিলাম যারা অত্যন্ত পীড়াদায়ক ‘আযাবের ভয় করে।
আর তাদের জন্য সেখানে একটা নিদর্শন রেখে দিলাম যারা অত্যন্ত পীড়াদায়ক ‘আযাবের ভয় করে।
Sahih International:
And We left therein a sign for those who fear the painful punishment.
And We left therein a sign for those who fear the painful punishment.
وَ فِیْ مُوْسٰۤی اِذْ اَرْسَلْنٰهُ اِلٰی فِرْعَوْنَ بِسُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফী মূছাইয আরছালনা -হু ইলা-ফির‘আওনা বিছুলতা-নিম মুবীন।
ওয়া ফী মূছাইয আরছালনা -হু ইলা-ফির‘আওনা বিছুলতা-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর মূসার কাহিনীতেও নিদর্শন রয়েছে, যখন আমি তাকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ ফির‘আউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম।
আর মূসার কাহিনীতেও নিদর্শন রয়েছে, যখন আমি তাকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ ফির‘আউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর মূসার ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন আমি তাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম,
আর মূসার ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন আমি তাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম,
Sahih International:
And in Moses [was a sign], when We sent him to Pharaoh with clear authority.
And in Moses [was a sign], when We sent him to Pharaoh with clear authority.
فَتَوَلّٰی بِرُکْنِهٖ وَ قَالَ سٰحِرٌ اَوْ مَجْنُوْنٌ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাতাওয়াল্লা-বিরুকনিহী ওয়াকা-লা ছা-হিরুন আও মাজনূন।
ফাতাওয়াল্লা-বিরুকনিহী ওয়াকা-লা ছা-হিরুন আও মাজনূন।
আল বায়ান:
কিন্তু সে তার দলবলসহ মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বলল, ‘এ ব্যক্তি যাদুকর অথবা উম্মাদ।’
কিন্তু সে তার দলবলসহ মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বলল, ‘এ ব্যক্তি যাদুকর অথবা উম্মাদ।’
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সে তার ক্ষমতার দাপটে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল- ‘এ লোক একটা যাদুকর না হয় পাগল।’
তখন সে তার ক্ষমতার দাপটে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল- ‘এ লোক একটা যাদুকর না হয় পাগল।’
Sahih International:
But he turned away with his supporters and said," A magician or a madman."
But he turned away with his supporters and said," A magician or a madman."
فَاَخَذْنٰهُ وَ جُنُوْدَهٗ فَنَبَذْنٰهُمْ فِی الْیَمِّ وَ هُوَ مُلِیْمٌ ﴿ؕ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআখাযনা-হু ওয়া জুনূদাহূফানাবাযনা-হুম ফিল ইয়াম্মি ওয়া হুওয়া মুলীম।
ফাআখাযনা-হু ওয়া জুনূদাহূফানাবাযনা-হুম ফিল ইয়াম্মি ওয়া হুওয়া মুলীম।
আল বায়ান:
ফলে আমি তাকে ও তার সৈন্য-সামন্তকে পাকড়াও করলাম। অতঃপর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে তো ছিল তিরস্কৃত।
ফলে আমি তাকে ও তার সৈন্য-সামন্তকে পাকড়াও করলাম। অতঃপর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে তো ছিল তিরস্কৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
শেষে আমি তাকে আর তার সৈন্য সামন্তকে পাকড়াও করলাম আর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে ছিল ধিকৃত নিন্দিত।
শেষে আমি তাকে আর তার সৈন্য সামন্তকে পাকড়াও করলাম আর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে ছিল ধিকৃত নিন্দিত।
Sahih International:
So We took him and his soldiers and cast them into the sea, and he was blameworthy.
So We took him and his soldiers and cast them into the sea, and he was blameworthy.
وَ فِیْ عَادٍ اِذْ اَرْسَلْنَا عَلَیْهِمُ الرِّیْحَ الْعَقِیْمَ ﴿ۚ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফী ‘আ-দিন ইযআরছালনা-‘আলাইহিমুররী হাল ‘আকীম।
ওয়া ফী ‘আ-দিন ইযআরছালনা-‘আলাইহিমুররী হাল ‘আকীম।
আল বায়ান:
আর ‘আদ জাতির ঘটনায়ও (নিদর্শন রয়েছে), যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অমঙ্গলজনক বায়ু।
আর ‘আদ জাতির ঘটনায়ও (নিদর্শন রয়েছে), যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অমঙ্গলজনক বায়ু।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ‘আদ-এর ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে)। আমি তাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম অকল্যাণের বাতাস।
আর ‘আদ-এর ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে)। আমি তাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম অকল্যাণের বাতাস।
Sahih International:
And in 'Aad [was a sign], when We sent against them the barren wind.
And in 'Aad [was a sign], when We sent against them the barren wind.
مَا تَذَرُ مِنْ شَیْءٍ اَتَتْ عَلَیْهِ اِلَّا جَعَلَتْهُ کَالرَّمِیْمِ ﴿ؕ۴۲﴾
উচ্চারণ:
মা-তাযারু মিন শাইয়িন আতাত ‘আলাইহি ইল্লা-জা‘আলাতহু কার রামীম।
মা-তাযারু মিন শাইয়িন আতাত ‘আলাইহি ইল্লা-জা‘আলাতহু কার রামীম।
আল বায়ান:
ঐ বায়ু যার উপরে এসেছিল তাকে রেখে যায়নি, বরং সবকিছুকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল।
ঐ বায়ু যার উপরে এসেছিল তাকে রেখে যায়নি, বরং সবকিছুকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তা যা কিছুর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত না করে ছাড়েনি।
তা যা কিছুর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত না করে ছাড়েনি।
Sahih International:
It left nothing of what it came upon but that it made it like disintegrated ruins.
It left nothing of what it came upon but that it made it like disintegrated ruins.
وَ فِیْ ثَمُوْدَ اِذْ قِیْلَ لَهُمْ تَمَتَّعُوْا حَتّٰی حِیْنٍ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফী ছামূদা ইযকীলা লাহুম তামাত্তা‘ঊ হাত্তা-হীন।
ওয়া ফী ছামূদা ইযকীলা লাহুম তামাত্তা‘ঊ হাত্তা-হীন।
আল বায়ান:
আর সামূদ জাতির ঘটনায়ও (নিদর্শন রয়েছে)। যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত ভোগ করে নাও’।
আর সামূদ জাতির ঘটনায়ও (নিদর্শন রয়েছে)। যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত ভোগ করে নাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সামূদের ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভোগ করে লও।’
আর সামূদের ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভোগ করে লও।’
Sahih International:
And in Thamud, when it was said to them, "Enjoy yourselves for a time."
And in Thamud, when it was said to them, "Enjoy yourselves for a time."
فَعَتَوْا عَنْ اَمْرِ رَبِّهِمْ فَاَخَذَتْهُمُ الصّٰعِقَۃُ وَ هُمْ یَنْظُرُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ফা‘আতাও ‘আন আমরি রাব্বিহিম ফাআখাযাতহুমুসসা-‘ইকাতুওয়া হুম ইয়ানজুরূন।
ফা‘আতাও ‘আন আমরি রাব্বিহিম ফাআখাযাতহুমুসসা-‘ইকাতুওয়া হুম ইয়ানজুরূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাদের রবের আদেশ সম্পর্কে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল, আর তারা তা দেখছিল।
অতঃপর তারা তাদের রবের আদেশ সম্পর্কে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল, আর তারা তা দেখছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা ধৃষ্টতার সঙ্গে তাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল যা তারা চেয়ে চেয়ে দেখছিল।
কিন্তু তারা ধৃষ্টতার সঙ্গে তাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল যা তারা চেয়ে চেয়ে দেখছিল।
Sahih International:
But they were insolent toward the command of their Lord, so the thunderbolt seized them while they were looking on.
But they were insolent toward the command of their Lord, so the thunderbolt seized them while they were looking on.
فَمَا اسْتَطَاعُوْا مِنْ قِیَامٍ وَّ مَا کَانُوْا مُنْتَصِرِیْنَ ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ফামাছতাতা-‘ঊ মিন কিয়া-মিওঁ ওয়ামা-কা-নূমুনতাসিরীন।
ফামাছতাতা-‘ঊ মিন কিয়া-মিওঁ ওয়ামা-কা-নূমুনতাসিরীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা উঠে দাঁড়াতে পারল না এবং প্রতিরোধও করতে পারল না।
অতঃপর তারা উঠে দাঁড়াতে পারল না এবং প্রতিরোধও করতে পারল না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (পায়ের ভরে) উঠে দাঁড়াতেও পারল না আর আত্মরক্ষা করতেও পারল না।
তারা (পায়ের ভরে) উঠে দাঁড়াতেও পারল না আর আত্মরক্ষা করতেও পারল না।
Sahih International:
And they were unable to arise, nor could they defend themselves.
And they were unable to arise, nor could they defend themselves.
وَ قَوْمَ نُوْحٍ مِّنْ قَبْلُ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِیْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাওমা নূহিম মিন কাবলু ইন্নাহুম কা-নূকাওমান ফা-ছিকীন।
ওয়া কাওমা নূহিম মিন কাবলু ইন্নাহুম কা-নূকাওমান ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
আর ইতঃপূর্বে নূহের কওমকেও (আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম)। নিশ্চয় তারা ছিল ফাসিক কওম।
আর ইতঃপূর্বে নূহের কওমকেও (আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম)। নিশ্চয় তারা ছিল ফাসিক কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
ইতোপূর্বে আমি নূহের জাতিকে ধ্বংস করেছিলাম, তারা ছিল এক পাপাচারী জাতি।
ইতোপূর্বে আমি নূহের জাতিকে ধ্বংস করেছিলাম, তারা ছিল এক পাপাচারী জাতি।
Sahih International:
And [We destroyed] the people of Noah before; indeed, they were a people defiantly disobedient.
And [We destroyed] the people of Noah before; indeed, they were a people defiantly disobedient.
وَ السَّمَآءَ بَنَیْنٰهَا بِاَیْىدٍ وَّ اِنَّا لَمُوْسِعُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছ ছামাআ বানাইনা-হা-বিআইদিওঁ ওয়া ইন্না-লামূছি‘ঊন।
ওয়াছ ছামাআ বানাইনা-হা-বিআইদিওঁ ওয়া ইন্না-লামূছি‘ঊন।
আল বায়ান:
আর আমি হাতসমূহ দ্বারা আকাশ নির্মাণ করেছি এবং নিশ্চয় আমি শক্তিশালী।
আর আমি হাতসমূহ দ্বারা আকাশ নির্মাণ করেছি এবং নিশ্চয় আমি শক্তিশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নিজ হাত দ্বারা আসমান সৃষ্টি করেছি আর আমি অবশ্যই মহা প্রশস্তকারী।
আমি নিজ হাত দ্বারা আসমান সৃষ্টি করেছি আর আমি অবশ্যই মহা প্রশস্তকারী।
Sahih International:
And the heaven We constructed with strength, and indeed, We are [its] expander.
And the heaven We constructed with strength, and indeed, We are [its] expander.
وَ الْاَرْضَ فَرَشْنٰهَا فَنِعْمَ الْمٰهِدُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল আর দা ফারাশ-হা-ফানি‘মাল মা-হিদূন।
ওয়াল আর দা ফারাশ-হা-ফানি‘মাল মা-হিদূন।
আল বায়ান:
আর আমি যমীনকে বিছিয়ে দিয়েছি। আমি কতইনা সুন্দর বিছানা প্রস্তুতকারী!
আর আমি যমীনকে বিছিয়ে দিয়েছি। আমি কতইনা সুন্দর বিছানা প্রস্তুতকারী!
তাইসিরুল কুরআন:
আর যমীন- তাকে আমিই বিছিয়েছি, আমি কতই না সুন্দর (সমতল) প্রসারণকারী!
আর যমীন- তাকে আমিই বিছিয়েছি, আমি কতই না সুন্দর (সমতল) প্রসারণকারী!
Sahih International:
And the earth We have spread out, and excellent is the preparer.
And the earth We have spread out, and excellent is the preparer.
وَ مِنْ کُلِّ شَیْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَیْنِ لَعَلَّکُمْ تَذَکَّرُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন কুল্লি শাইয়িন খালাকনা-যাওজাইনি লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।
ওয়া মিন কুল্লি শাইয়িন খালাকনা-যাওজাইনি লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর প্রত্যেক বস্তু থেকে আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। আশা করা যায়, তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে।
আর প্রত্যেক বস্তু থেকে আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। আশা করা যায়, তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
আমি প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
Sahih International:
And of all things We created two mates; perhaps you will remember.
And of all things We created two mates; perhaps you will remember.
فَفِرُّوْۤا اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنِّیْ لَکُمْ مِّنْهُ نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۚ۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফাফিররূইলাল্লা-হি ইন্নী লাকুম মিনহু নাযীরুম মুবীন।
ফাফিররূইলাল্লা-হি ইন্নী লাকুম মিনহু নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
অতএব তোমরা আল্লাহর দিকে ধাবিত হও। আমি তো তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী।
অতএব তোমরা আল্লাহর দিকে ধাবিত হও। আমি তো তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব দৌড়াও আল্লাহর দিকে, আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ হতে স্পষ্ট সতর্ককারী।
অতএব দৌড়াও আল্লাহর দিকে, আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ হতে স্পষ্ট সতর্ককারী।
Sahih International:
So flee to Allah. Indeed, I am to you from Him a clear warner.
So flee to Allah. Indeed, I am to you from Him a clear warner.
وَ لَا تَجْعَلُوْا مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ ؕ اِنِّیْ لَکُمْ مِّنْهُ نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۚ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাজ‘আলূমা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ইন্নী লাকুম মিনহু নাযীরুম মুবীন।
ওয়ালা-তাজ‘আলূমা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ইন্নী লাকুম মিনহু নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর তোমরা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহ নির্ধারণ করো না; আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী।
আর তোমরা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহ নির্ধারণ করো না; আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহ স্থির করো না, আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী।
তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহ স্থির করো না, আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী।
Sahih International:
And do not make [as equal] with Allah another deity. Indeed, I am to you from Him a clear warner.
And do not make [as equal] with Allah another deity. Indeed, I am to you from Him a clear warner.
کَذٰلِکَ مَاۤ اَتَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا قَالُوْا سَاحِرٌ اَوْ مَجْنُوْنٌ ﴿ۚ۵۲﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা মাআতাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-লূছা-হিরুন আও মাজনূন।
কাযা-লিকা মাআতাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-লূছা-হিরুন আও মাজনূন।
আল বায়ান:
এভাবে তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে যে রাসূলই এসেছে, তারা বলেছে, ‘এ তো একজন যাদুকর অথবা উন্মাদ।’
এভাবে তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে যে রাসূলই এসেছে, তারা বলেছে, ‘এ তো একজন যাদুকর অথবা উন্মাদ।’
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে যখনই তাদের আগের লোকেদের মধ্যে কোন রসূল এসেছে, তখনই তারা বলেছে- ‘সে যাদুকর না হয় উন্মাদ।’
এভাবে যখনই তাদের আগের লোকেদের মধ্যে কোন রসূল এসেছে, তখনই তারা বলেছে- ‘সে যাদুকর না হয় উন্মাদ।’
Sahih International:
Similarly, there came not to those before them any messenger except that they said, "A magician or a madman."
Similarly, there came not to those before them any messenger except that they said, "A magician or a madman."
اَتَوَاصَوْا بِهٖ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُوْنَ ﴿ۚ۵۳﴾
উচ্চারণ:
আতাওয়া-সাও বিহী বাল হুম কাওমুন তা-গূন।
আতাওয়া-সাও বিহী বাল হুম কাওমুন তা-গূন।
আল বায়ান:
তারা কি একে অন্যকে এ বিষয়ে ওসিয়াত করেছে? বরং তারা সীমালংঘনকারী কওম।
তারা কি একে অন্যকে এ বিষয়ে ওসিয়াত করেছে? বরং তারা সীমালংঘনকারী কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি বংশ পরম্পরায় এরই অসিয়ত (অর্থাৎ অন্তিম সবক) দিয়ে আসছে, বরং তারা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি।
তারা কি বংশ পরম্পরায় এরই অসিয়ত (অর্থাৎ অন্তিম সবক) দিয়ে আসছে, বরং তারা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি।
Sahih International:
Did they suggest it to them? Rather, they [themselves] are a transgressing people.
Did they suggest it to them? Rather, they [themselves] are a transgressing people.
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ فَمَاۤ اَنْتَ بِمَلُوْمٍ ﴿٭۫۵۴﴾
উচ্চারণ:
ফাতাওয়াল্লা ‘আনহুম ফামাআনতা বিমালূম।
ফাতাওয়াল্লা ‘আনহুম ফামাআনতা বিমালূম।
আল বায়ান:
অতএব, তুমি ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, এতে তুমি তিরস্কৃত হবে না।
অতএব, তুমি ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, এতে তুমি তিরস্কৃত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে লও, তার জন্য তুমি তিরস্কৃত হবে না।
কাজেই তুমি তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে লও, তার জন্য তুমি তিরস্কৃত হবে না।
Sahih International:
So leave them, [O Muhammad], for you are not to be blamed.
So leave them, [O Muhammad], for you are not to be blamed.
وَّ ذَکِّرْ فَاِنَّ الذِّکْرٰی تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যাক্কির ফাইন্নাযযিকরা-তানফা‘উল মু’মিনীন।
ওয়া যাক্কির ফাইন্নাযযিকরা-তানফা‘উল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
এবং উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে।
এবং উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি উপদেশ দিতে থাক, কেননা উপদেশ মু’মিনদের উপকার করবে।
আর তুমি উপদেশ দিতে থাক, কেননা উপদেশ মু’মিনদের উপকার করবে।
Sahih International:
And remind, for indeed, the reminder benefits the believers.
And remind, for indeed, the reminder benefits the believers.
وَ مَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَ الْاِنْسَ اِلَّا لِیَعْبُدُوْنِ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা-লিইয়া‘বুদূন।
ওয়ামা-খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা-লিইয়া‘বুদূন।
আল বায়ান:
আর জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে।
আর জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি জ্বিন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র এ কারণে যে, তারা আমারই ‘ইবাদাত করবে।।
আমি জ্বিন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র এ কারণে যে, তারা আমারই ‘ইবাদাত করবে।।
Sahih International:
And I did not create the jinn and mankind except to worship Me.
And I did not create the jinn and mankind except to worship Me.
مَاۤ اُرِیْدُ مِنْهُمْ مِّنْ رِّزْقٍ وَّ مَاۤ اُرِیْدُ اَنْ یُّطْعِمُوْنِ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
মাউরীদুমিনহুম মির রিযকিওঁ ওয়ামাউরীদুআইঁ ইয়ুত‘ইমূন।
মাউরীদুমিনহুম মির রিযকিওঁ ওয়ামাউরীদুআইঁ ইয়ুত‘ইমূন।
আল বায়ান:
আমি তাদের কাছে কোন রিয্ক চাই না; আর আমি চাই না যে, তারা আমাকে খাবার দিবে।
আমি তাদের কাছে কোন রিয্ক চাই না; আর আমি চাই না যে, তারা আমাকে খাবার দিবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের থেকে রিযক চাই না, আর আমি এও চাই না যে, তারা আমাকে খাওয়াবে।
আমি তাদের থেকে রিযক চাই না, আর আমি এও চাই না যে, তারা আমাকে খাওয়াবে।
Sahih International:
I do not want from them any provision, nor do I want them to feed Me.
I do not want from them any provision, nor do I want them to feed Me.
اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّۃِ الْمَتِیْنُ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা হুওয়াররাযযা-কুযুল কুওওয়াতিল মাতীন।
ইন্নাল্লা-হা হুওয়াররাযযা-কুযুল কুওওয়াতিল মাতীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহই রিয্কদাতা, তিনি শক্তিধর, পরাক্রমশালী।
নিশ্চয় আল্লাহই রিয্কদাতা, তিনি শক্তিধর, পরাক্রমশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহই তো রিযকদাতা, মহা শক্তিধর, প্রবল পরাক্রান্ত।
আল্লাহই তো রিযকদাতা, মহা শক্তিধর, প্রবল পরাক্রান্ত।
Sahih International:
Indeed, it is Allah who is the [continual] Provider, the firm possessor of strength.
Indeed, it is Allah who is the [continual] Provider, the firm possessor of strength.
فَاِنَّ لِلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ذَنُوْبًا مِّثْلَ ذَنُوْبِ اَصْحٰبِهِمْ فَلَا یَسْتَعْجِلُوْنِ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্না লিল্লাযীনা জালামূযানূবাম মিছলা যানূবি আসহা-বিহিম ফালা-ইয়াছতা‘জিলূন।
ফাইন্না লিল্লাযীনা জালামূযানূবাম মিছলা যানূবি আসহা-বিহিম ফালা-ইয়াছতা‘জিলূন।
আল বায়ান:
যারা যুলম করেছে তাদের জন্য রয়েছে তাদের সমমনাদের অনুরূপ আযাব; সুতরাং তারা যেন আমার কাছে (আযাবের) তাড়াহুড়া না করে।
যারা যুলম করেছে তাদের জন্য রয়েছে তাদের সমমনাদের অনুরূপ আযাব; সুতরাং তারা যেন আমার কাছে (আযাবের) তাড়াহুড়া না করে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই যারা যুলম করেছে তাদের প্রাপ্য তাই যে প্রাপ্য পূর্বে ছিল তাদের মত লোকেদের; কাজেই (নিজেদের প্রাপ্য পাওয়ার জন্য) তারা যেন তাড়াহুড়া না করে।
কাজেই যারা যুলম করেছে তাদের প্রাপ্য তাই যে প্রাপ্য পূর্বে ছিল তাদের মত লোকেদের; কাজেই (নিজেদের প্রাপ্য পাওয়ার জন্য) তারা যেন তাড়াহুড়া না করে।
Sahih International:
And indeed, for those who have wronged is a portion [of punishment] like the portion of their predecessors, so let them not impatiently urge Me.
And indeed, for those who have wronged is a portion [of punishment] like the portion of their predecessors, so let them not impatiently urge Me.
فَوَیْلٌ لِّلَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْ یَّوْمِهِمُ الَّذِیْ یُوْعَدُوْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়াইলুলিলল্লাযীনা কাফারূমিইঁ ইয়াওমিহিমুল্লাযী ইঊ‘আদুন।
ফাওয়াইলুলিলল্লাযীনা কাফারূমিইঁ ইয়াওমিহিমুল্লাযী ইঊ‘আদুন।
আল বায়ান:
অতএব, যারা কুফরী করে তাদের জন্য ধ্বংস সেদিনের যেদিনের ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
অতএব, যারা কুফরী করে তাদের জন্য ধ্বংস সেদিনের যেদিনের ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরদের জন্য ধ্বংস (নেবে আসবে) তাদের সেদিনের যেদিনের ভয় তাদেরকে দেখানো হয়েছে।
কাফিরদের জন্য ধ্বংস (নেবে আসবে) তাদের সেদিনের যেদিনের ভয় তাদেরকে দেখানো হয়েছে।
Sahih International:
And woe to those who have disbelieved from their Day which they are promised.
And woe to those who have disbelieved from their Day which they are promised.