আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


وَالذّٰرِیٰتِ ذَرْوًا ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযযা-রিয়া-তি যারওয়া-।
আল বায়ান:
কসম ধূলিঝড়ের,
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ সেই বাতাসের যা ধূলাবালি উড়ায়,
Sahih International:
By those [winds] scattering [dust] dispersing



فَالْحٰمِلٰتِ وِقْرًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ফাল হা-মিলা-তি বিকরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর, পানির বোঝা বহনকারী মেঘমালার,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যা উঠিয়ে নেয় আর বহন করে ভারী বোঝা,
Sahih International:
And those [clouds] carrying a load [of water]



فَالْجٰرِیٰتِ یُسْرًا ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ফালজা-রিয়া-তি ইউছরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর মৃদুগতিতে চলমান নৌযানসমূহের,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যা ধীর ও শান্ত গতিতে বয়ে চলে
Sahih International:
And those [ships] sailing with ease



فَالْمُقَسِّمٰتِ اَمْرًا ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ফাল মুকাছছিমা-তি আমরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর [আল্লাহর] নির্দেশ বণ্টনকারী ফেরেশতাগণের।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা কর্ম বণ্টন করে,
Sahih International:
And those [angels] apportioning [each] matter,



اِنَّمَا تُوْعَدُوْنَ لَصَادِقٌ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা-তূ‘আদূনা লাসা-দিক।
আল বায়ান:
তোমরা যে ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছ তা অবশ্যই সত্য।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সত্য।
Sahih International:
Indeed, what you are promised is true.



وَّ اِنَّ الدِّیْنَ لَوَاقِعٌ ؕ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাদ দীনা লাওয়া-কি‘উ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় প্রতিদান অবশ্যম্ভাবী।
তাইসিরুল কুরআন:
কর্মফল দিবস অবশ্যই আসবে।
Sahih International:
And indeed, the recompense is to occur.



وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الْحُبُکِ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছছামাই যা-তিল হুবুক।
আল বায়ান:
কসম সৌন্দর্যমন্ডিত আকাশের
তাইসিরুল কুরআন:
বহু পথ বিশিষ্ট আকাশের শপথ।
Sahih International:
By the heaven containing pathways,



اِنَّکُمْ لَفِیْ قَوْلٍ مُّخْتَلِفٍ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাকুম লাফী কাওলিম মুখতালিফ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমরা মতবিরোধপূর্ণ কথায় লিপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
(পরকাল সম্পর্কে) তোমরা অবশ্যই রয়েছ মতভেদের মধ্যে।
Sahih International:
Indeed, you are in differing speech.



یُّؤْفَکُ عَنْهُ مَنْ اُفِکَ ﴿ؕ۹﴾
উচ্চারণ:
ইউ’ফাকু‘আনহু মান উফিক।
আল বায়ান:
যে পথভ্রষ্ট হয়েছে তাকেই তা থেকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা সেই (সত্য) মানতে ভুল করে তারাই গুমরাহ।
Sahih International:
Deluded away from the Qur'an is he who is deluded.



قُتِلَ الْخَرّٰصُوْنَ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
কুতিলাল খাররা-ছূন।
আল বায়ান:
মিথ্যাচারীরা ধ্বংস হোক!
তাইসিরুল কুরআন:
অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক,
Sahih International:
Destroyed are the falsifiers



الَّذِیْنَ هُمْ فِیْ غَمْرَۃٍ سَاهُوْنَ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা হুম ফী গামরাতিন ছা-হূন।
আল বায়ান:
যারা সন্দেহ-সংশয়ে নিপতিত, উদাসীন।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা অজ্ঞতা ও উদাসীনতার মধ্যে রয়েছে।
Sahih International:
Who are within a flood [of confusion] and heedless.



یَسْـَٔلُوْنَ اَیَّانَ یَوْمُ الدِّیْنِ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছআলূনা আইয়া-না ইয়াওমুদ্দীন।
আল বায়ান:
তারা জিজ্ঞাসা করে, ‘প্রতিদান দিবস’ কবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা জিজ্ঞেস করে- ‘প্রতিফল দিবস কবে হবে?’
Sahih International:
They ask, "When is the Day of Recompense?"



یَوْمَ هُمْ عَلَی النَّارِ یُفْتَنُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা হুম ‘আলান্না-রি ইউফতানূন।
আল বায়ান:
‘যে দিন তারা অগ্নিতে সাজাপ্রাপ্ত হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
(তা হবে সেদিন) যেদিন তাদেরকে আগুনে শাস্তি দেয়া হবে।
Sahih International:
[It is] the Day they will be tormented over the Fire



ذُوْقُوْا فِتْنَتَکُمْ ؕ هٰذَا الَّذِیْ کُنْتُمْ بِهٖ تَسْتَعْجِلُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
যূকূফিতনাতাকুম হা-যাল্লাযী কনতুম বিহী তাছতা‘জিলূন।
আল বায়ান:
বলা হবে, ‘তোমাদের আযাব আস্বাদন কর, এটিতো ‘তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে।’
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে বলা হবে) তোমরা তোমাদের (কৃতকর্মের) শাস্তি ভোগ কর, এটা হচ্ছে তাই যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করছিলে।
Sahih International:
[And will be told], "Taste your torment. This is that for which you were impatient."



اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী জান্না-তিওঁ ওয়া উ‘ইয়ূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতসমূহে ও ঝর্ণাধারায়,
তাইসিরুল কুরআন:
মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাত আর ঝর্ণাধারার মাঝে।
Sahih International:
Indeed, the righteous will be among gardens and springs,



اٰخِذِیْنَ مَاۤ اٰتٰهُمْ رَبُّهُمْ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَبْلَ ذٰلِکَ مُحْسِنِیْنَ ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
আ-খিযীনা মাআ-তা-হুম রাব্বুহুম ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুহছিনীন।
আল বায়ান:
তাদের রব তাদের যা দিবেন তা তারা খুশীতে গ্রহণকারী হবে। ইতঃপূর্বে এরাই ছিল সৎকর্মশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের প্রতিপালক যা তাদেরকে দিবেন তা তারা ভোগ করবে, কারণ তারা পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) ছিল সৎকর্মশীল,
Sahih International:
Accepting what their Lord has given them. Indeed, they were before that doers of good.



کَانُوْا قَلِیْلًا مِّنَ الَّیْلِ مَا یَهْجَعُوْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
কা-নূকালীলাম মিনাল্লাইলি মা-ইয়াহজা‘ঊন।
আল বায়ান:
রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাতো।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা রাত্রিকালে খুব কমই শয়ন করত।
Sahih International:
They used to sleep but little of the night,



وَ بِالْاَسْحَارِ هُمْ یَسْتَغْفِرُوْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বিলআছহা-রিহুম ইয়াছতাগফিরূন।
আল বায়ান:
আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।
Sahih International:
And in the hours before dawn they would ask forgiveness,



وَ فِیْۤ اَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّآئِلِ وَ الْمَحْرُوْمِ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফীআমওয়া-লিহিম হাক্কুল লিছছাইলি ওয়াল মাহরূম।
আল বায়ান:
আর তাদের ধনসম্পদে রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং তাদের ধন-মালে আছে যাঞ্ঝাকারী ও বঞ্চিতদের অধিকার (যা তারা আদায় করত)।
Sahih International:
And from their properties was [given] the right of the [needy] petitioner and the deprived.



وَ فِی الْاَرْضِ اٰیٰتٌ لِّلْمُوْقِنِیْنَ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফিল আরদিআ-য়া-তুলিলল মূ’কিনীন।
আল বায়ান:
সুনিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য যমীনে অনেক নিদর্শন রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে আছে নিদর্শন,
Sahih International:
And on the earth are signs for the certain [in faith]



وَ فِیْۤ اَنْفُسِکُمْ ؕ اَفَلَا تُبْصِرُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফীআনফুছিকুম আফালা-তুবসিরূন।
আল বায়ান:
তোমাদের নিজদের মধ্যেও। তোমরা কি চক্ষুষ্মান হবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
আর (নিদর্শন আছে) তোমাদের মাঝেও, তোমরা কি দেখ না?
Sahih International:
And in yourselves. Then will you not see?



وَ فِی السَّمَآءِ رِزْقُکُمْ وَ مَا تُوْعَدُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফিছছামাই রিযকুকুম ওয়ামা-তূ‘আদূন।
আল বায়ান:
আকাশে রয়েছে তোমাদের রিয্ক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং আকাশে আছে তোমাদের রিযক আর আছে যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে।
Sahih International:
And in the heaven is your provision and whatever you are promised.



فَوَ رَبِّ السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ اِنَّهٗ لَحَقٌّ مِّثْلَ مَاۤ اَنَّکُمْ تَنْطِقُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়ারাব্বিছ ছামাই ওয়াল আরদিইন্নাহূলাহাক্কুম মিছলা মাআন্নাকুম তানতিকূন।
আল বায়ান:
অতএব আসমান ও যমীনের রবের কসম, তোমরা যে কথা বলে থাক তার মতই এটি সত্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ ও যমীনের প্রতিপালকের শপথ! এ সব অবশ্যই সত্য, এমনই দৃঢ় সত্য যেমন তোমরা (যে কথাবার্তা) বলে থাক (সেই কথাবার্তা বলার ব্যাপারটা যেমন নিঃসন্দেহে সত্য)।
Sahih International:
Then by the Lord of the heaven and earth, indeed, it is truth - just as [sure as] it is that you are speaking.



هَلْ اَتٰىکَ حَدِیْثُ ضَیْفِ اِبْرٰهِیْمَ الْمُکْرَمِیْنَ ﴿ۘ۲۴﴾
উচ্চারণ:
হাল আতা-কা হাদীছুদাইফি ইবরা-হীমাল মুকরামীন।
আল বায়ান:
তোমার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার কাছে ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের খবর পৌঁছেছে কি?
Sahih International:
Has there reached you the story of the honored guests of Abraham? -



اِذْ دَخَلُوْا عَلَیْهِ فَقَالُوْا سَلٰمًا ؕ قَالَ سَلٰمٌ ۚ قَوْمٌ مُّنْکَرُوْنَ ﴿ۚ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ইয দাখালূ‘আলাইহি ফাকা-লূছালা-মান কা-লা ছালা-মুন কাওমুম মুনকারূন।
আল বায়ান:
যখন তারা তার কাছে আসল এবং বলল, ‘সালাম’, উত্তরে সেও বলল, ‘সালাম’। এরা তো অপরিচিত লোক।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা তার সামনে উপস্থিত হল তখন বলল, ‘সালাম’। সে উত্তর দিল- ‘সালাম’। (ইবরাহীম মনে মনে ভাবল এদেরকে তো দেখছি) অপরিচিত লোক।
Sahih International:
When they entered upon him and said, "[We greet you with] peace." He answered, "[And upon you] peace, [you are] a people unknown.



فَرَاغَ اِلٰۤی اَهْلِهٖ فَجَآءَ بِعِجْلٍ سَمِیْنٍ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ফারা-গা ইলাআহলিহী ফাজাআ বি‘ইজলিন ছামীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে দ্রুত চুপিসারে নিজ পরিবারবর্গের কাছে গেল এবং একটি মোটা-তাজা গো-বাছুর (ভাজা) নিয়ে আসল।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সে তাড়াতাড়ি তার ঘরের লোকেদের নিকট চলে গেল এবং একটি মোটাতাজা (ভাজা) বাছুর নিয়ে আসল।
Sahih International:
Then he went to his family and came with a fat [roasted] calf



فَقَرَّبَهٗۤ اِلَیْهِمْ قَالَ اَلَا تَاْکُلُوْنَ ﴿۫۲۷﴾
উচ্চারণ:
ফাকাররাবাহূইলাইহিম কা-লা আলা-তা’কুলূন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তা তাদের সামনে পেশ করল এবং বলল, ‘তোমরা কি খাবে না?’
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সেটিকে তাদের সামনে রেখে দিল এবং বলল- ‘তোমরা খাচ্ছ না কেন?’
Sahih International:
And placed it near them; he said, "Will you not eat?"



فَاَوْجَسَ مِنْهُمْ خِیْفَۃً ؕ قَالُوْا لَا تَخَفْ ؕ وَ بَشَّرُوْهُ بِغُلٰمٍ عَلِیْمٍ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআওজাছা মিন হুম খীফাতান কা-লূলা-তাখাফ ওয়াবাশশারূহু বিগুলা-মিন ‘আলীম।
আল বায়ান:
এতে তাদের সম্পর্কে সে মনে মনে ভীত হল। তারা বলল, ‘ভয় পেয়োনা, তারা তাকে এক বিদ্বান পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল’।
তাইসিরুল কুরআন:
(যখন তারা খেল না) তখন সে তাদের ব্যাপারে মনে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ‘তুমি ভয় পেও না’, অতঃপর তারা তাকে এক জ্ঞানবান পুত্রের সুসংবাদ দিল।
Sahih International:
And he felt from them apprehension. They said, "Fear not," and gave him good tidings of a learned boy.



فَاَقْبَلَتِ امْرَاَتُهٗ فِیْ صَرَّۃٍ فَصَکَّتْ وَجْهَهَا وَ قَالَتْ عَجُوْزٌ عَقِیْمٌ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফাআকবালাতিম রাআতুহূফী সাররাতিন ফাসাক্কাত ওয়াজহাহা- ওয়াকা-লাত ‘আজূযুন ‘আকীম।
আল বায়ান:
তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল এবং নিজ মুখ চাপড়িয়ে বলল, ‘বৃদ্ধা-বন্ধ্যা’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল। সে নিজের কপালে আঘাত করে বলল ‘(আমি) এক বৃদ্ধা, বন্ধ্যা’ (আমার কীভাবে সন্তান হবে?)
Sahih International:
And his wife approached with a cry [of alarm] and struck her face and said, "[I am] a barren old woman!"



قَالُوْا کَذٰلِکِ ۙ قَالَ رَبُّکِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْحَکِیْمُ الْعَلِیْمُ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
কা-লূকাযা-লিকি কা-লা রাব্বুকি ইন্নাহূহুওয়াল হাকীমুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘তোমার রব এরূপই বলেছেন। নিশ্চয়ই তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘‘তোমার প্রতিপালক এ রকমই বলেছেন, তিনি মহা প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
They said, "Thus has said your Lord; indeed, He is the Wise, the Knowing."



قَالَ فَمَا خَطْبُکُمْ اَیُّهَا الْمُرْسَلُوْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লা ফামা-খাতবুকুম আইয়ুহাল মুরছালূন।
আল বায়ান:
ইবরাহীম বলল, ‘হে প্রেরিত ফেরেশতাগণ, তোমাদের উদ্দেশ্য কী?
তাইসিরুল কুরআন:
ইবরাহীম বলল- ‘ওহে আল্লাহর দূতগণ (ফেরেশতারা)! তোমাদের কাজ কী (এখন)?’
Sahih International:
[Abraham] said, "Then what is your business [here], O messengers?"



قَالُوْۤا اِنَّاۤ اُرْسِلْنَاۤ اِلٰی قَوْمٍ مُّجْرِمِیْنَ ﴿ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইন্নাউরছিলনাইলা-কাওমিম মুজরিমীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা এক অপরাধী কওমের প্রতি প্রেরিত হয়েছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- ‘আমাদেরকে এক অপরাধী জাতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
Sahih International:
They said, "Indeed, we have been sent to a people of criminals



لِنُرْسِلَ عَلَیْهِمْ حِجَارَۃً مِّنْ طِیْنٍ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
লিনুরছিলা ‘আলাইহিম হিজা-রাতাম মিন তীন।
আল বায়ান:
‘যাতে তাদের উপর মাটির শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি’।
তাইসিরুল কুরআন:
যেন তাদের উপর মাটির পাথর বর্ষণ করি
Sahih International:
To send down upon them stones of clay,



مُّسَوَّمَۃً عِنْدَ رَبِّکَ لِلْمُسْرِفِیْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
মুছাওয়ামাতান ‘ইন্দা রাব্বিকা লিলমুছরিফীন।
আল বায়ান:
‘যা তোমার রবের পক্ষ থেকে চি‎‎‎হ্নিত সীমালংঘনকারীদের জন্য’।
তাইসিরুল কুরআন:
যা তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত হয়ে আছে সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য।
Sahih International:
Marked in the presence of your Lord for the transgressors."



فَاَخْرَجْنَا مَنْ کَانَ فِیْهَا مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿ۚ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআখরাজনা-মান কা-না ফীহা-মিনাল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সেখানে যেসব মুমিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে যারা মু’মিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে এনেছিলাম,
Sahih International:
So We brought out whoever was in the cities of the believers.



فَمَا وَجَدْنَا فِیْهَا غَیْرَ بَیْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِیْنَ ﴿ۚ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফামা-ওয়াজাদনা-ফীহা-গাইরা বাইতিম মিনাল মুছলিমীন।
আল বায়ান:
তবে আমি সেখানে একটি বাড়ী ছাড়া কোন মুসলমান পাইনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সেখানে মুসলিমদের একটি পরিবার ছাড়া আর পাইনি।
Sahih International:
And We found not within them other than a [single] house of Muslims.



وَ تَرَکْنَا فِیْهَاۤ اٰیَۃً لِّلَّذِیْنَ یَخَافُوْنَ الْعَذَابَ الْاَلِیْمَ ﴿ؕ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াতারাকনা-ফীহাআ-য়াতালিলল্লাযীনা ইয়াখা-ফূনাল ‘আযা-বাল আলীম।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের জন্য সেখানে একটি নিদর্শন রেখেছি যারা যন্ত্রণাদায়ক আযাবকে ভয় করে ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের জন্য সেখানে একটা নিদর্শন রেখে দিলাম যারা অত্যন্ত পীড়াদায়ক ‘আযাবের ভয় করে।
Sahih International:
And We left therein a sign for those who fear the painful punishment.



وَ فِیْ مُوْسٰۤی اِذْ اَرْسَلْنٰهُ اِلٰی فِرْعَوْنَ بِسُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফী মূছাইয আরছালনা -হু ইলা-ফির‘আওনা বিছুলতা-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
আর মূসার কাহিনীতেও নিদর্শন রয়েছে, যখন আমি তাকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ ফির‘আউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর মূসার ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন আমি তাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম,
Sahih International:
And in Moses [was a sign], when We sent him to Pharaoh with clear authority.



فَتَوَلّٰی بِرُکْنِهٖ وَ قَالَ سٰحِرٌ اَوْ مَجْنُوْنٌ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাতাওয়াল্লা-বিরুকনিহী ওয়াকা-লা ছা-হিরুন আও মাজনূন।
আল বায়ান:
কিন্তু সে তার দলবলসহ মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বলল, ‘এ ব্যক্তি যাদুকর অথবা উম্মাদ।’
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সে তার ক্ষমতার দাপটে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল- ‘এ লোক একটা যাদুকর না হয় পাগল।’
Sahih International:
But he turned away with his supporters and said," A magician or a madman."



فَاَخَذْنٰهُ وَ جُنُوْدَهٗ فَنَبَذْنٰهُمْ فِی الْیَمِّ وَ هُوَ مُلِیْمٌ ﴿ؕ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআখাযনা-হু ওয়া জুনূদাহূফানাবাযনা-হুম ফিল ইয়াম্মি ওয়া হুওয়া মুলীম।
আল বায়ান:
ফলে আমি তাকে ও তার সৈন্য-সামন্তকে পাকড়াও করলাম। অতঃপর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে তো ছিল তিরস্কৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
শেষে আমি তাকে আর তার সৈন্য সামন্তকে পাকড়াও করলাম আর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে ছিল ধিকৃত নিন্দিত।
Sahih International:
So We took him and his soldiers and cast them into the sea, and he was blameworthy.



وَ فِیْ عَادٍ اِذْ اَرْسَلْنَا عَلَیْهِمُ الرِّیْحَ الْعَقِیْمَ ﴿ۚ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফী ‘আ-দিন ইযআরছালনা-‘আলাইহিমুররী হাল ‘আকীম।
আল বায়ান:
আর ‘আদ জাতির ঘটনায়ও (নিদর্শন রয়েছে), যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অমঙ্গলজনক বায়ু।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ‘আদ-এর ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে)। আমি তাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম অকল্যাণের বাতাস।
Sahih International:
And in 'Aad [was a sign], when We sent against them the barren wind.



مَا تَذَرُ مِنْ شَیْءٍ اَتَتْ عَلَیْهِ اِلَّا جَعَلَتْهُ کَالرَّمِیْمِ ﴿ؕ۴۲﴾
উচ্চারণ:
মা-তাযারু মিন শাইয়িন আতাত ‘আলাইহি ইল্লা-জা‘আলাতহু কার রামীম।
আল বায়ান:
ঐ বায়ু যার উপরে এসেছিল তাকে রেখে যায়নি, বরং সবকিছুকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তা যা কিছুর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত না করে ছাড়েনি।
Sahih International:
It left nothing of what it came upon but that it made it like disintegrated ruins.



وَ فِیْ ثَمُوْدَ اِذْ قِیْلَ لَهُمْ تَمَتَّعُوْا حَتّٰی حِیْنٍ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফী ছামূদা ইযকীলা লাহুম তামাত্তা‘ঊ হাত্তা-হীন।
আল বায়ান:
আর সামূদ জাতির ঘটনায়ও (নিদর্শন রয়েছে)। যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত ভোগ করে নাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সামূদের ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভোগ করে লও।’
Sahih International:
And in Thamud, when it was said to them, "Enjoy yourselves for a time."



فَعَتَوْا عَنْ اَمْرِ رَبِّهِمْ فَاَخَذَتْهُمُ الصّٰعِقَۃُ وَ هُمْ یَنْظُرُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ফা‘আতাও ‘আন আমরি রাব্বিহিম ফাআখাযাতহুমুসসা-‘ইকাতুওয়া হুম ইয়ানজুরূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাদের রবের আদেশ সম্পর্কে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল, আর তারা তা দেখছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা ধৃষ্টতার সঙ্গে তাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল যা তারা চেয়ে চেয়ে দেখছিল।
Sahih International:
But they were insolent toward the command of their Lord, so the thunderbolt seized them while they were looking on.



فَمَا اسْتَطَاعُوْا مِنْ قِیَامٍ وَّ مَا کَانُوْا مُنْتَصِرِیْنَ ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ফামাছতাতা-‘ঊ মিন কিয়া-মিওঁ ওয়ামা-কা-নূমুনতাসিরীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা উঠে দাঁড়াতে পারল না এবং প্রতিরোধও করতে পারল না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (পায়ের ভরে) উঠে দাঁড়াতেও পারল না আর আত্মরক্ষা করতেও পারল না।
Sahih International:
And they were unable to arise, nor could they defend themselves.



وَ قَوْمَ نُوْحٍ مِّنْ قَبْلُ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِیْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাওমা নূহিম মিন কাবলু ইন্নাহুম কা-নূকাওমান ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
আর ইতঃপূর্বে নূহের কওমকেও (আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম)। নিশ্চয় তারা ছিল ফাসিক কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
ইতোপূর্বে আমি নূহের জাতিকে ধ্বংস করেছিলাম, তারা ছিল এক পাপাচারী জাতি।
Sahih International:
And [We destroyed] the people of Noah before; indeed, they were a people defiantly disobedient.



وَ السَّمَآءَ بَنَیْنٰهَا بِاَیْىدٍ وَّ اِنَّا لَمُوْسِعُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছ ছামাআ বানাইনা-হা-বিআইদিওঁ ওয়া ইন্না-লামূছি‘ঊন।
আল বায়ান:
আর আমি হাতসমূহ দ্বারা আকাশ নির্মাণ করেছি এবং নিশ্চয় আমি শক্তিশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নিজ হাত দ্বারা আসমান সৃষ্টি করেছি আর আমি অবশ্যই মহা প্রশস্তকারী।
Sahih International:
And the heaven We constructed with strength, and indeed, We are [its] expander.



وَ الْاَرْضَ فَرَشْنٰهَا فَنِعْمَ الْمٰهِدُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল আর দা ফারাশ-হা-ফানি‘মাল মা-হিদূন।
আল বায়ান:
আর আমি যমীনকে বিছিয়ে দিয়েছি। আমি কতইনা সুন্দর বিছানা প্রস্তুতকারী!
তাইসিরুল কুরআন:
আর যমীন- তাকে আমিই বিছিয়েছি, আমি কতই না সুন্দর (সমতল) প্রসারণকারী!
Sahih International:
And the earth We have spread out, and excellent is the preparer.



وَ مِنْ کُلِّ شَیْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَیْنِ لَعَلَّکُمْ تَذَکَّرُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিন কুল্লি শাইয়িন খালাকনা-যাওজাইনি লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর প্রত্যেক বস্তু থেকে আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। আশা করা যায়, তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
Sahih International:
And of all things We created two mates; perhaps you will remember.



فَفِرُّوْۤا اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنِّیْ لَکُمْ مِّنْهُ نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۚ۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফাফিররূইলাল্লা-হি ইন্নী লাকুম মিনহু নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
অতএব তোমরা আল্লাহর দিকে ধাবিত হও। আমি তো তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব দৌড়াও আল্লাহর দিকে, আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ হতে স্পষ্ট সতর্ককারী।
Sahih International:
So flee to Allah. Indeed, I am to you from Him a clear warner.



وَ لَا تَجْعَلُوْا مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ ؕ اِنِّیْ لَکُمْ مِّنْهُ نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۚ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তাজ‘আলূমা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ইন্নী লাকুম মিনহু নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর তোমরা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহ নির্ধারণ করো না; আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহ স্থির করো না, আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী।
Sahih International:
And do not make [as equal] with Allah another deity. Indeed, I am to you from Him a clear warner.



کَذٰلِکَ مَاۤ اَتَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا قَالُوْا سَاحِرٌ اَوْ مَجْنُوْنٌ ﴿ۚ۵۲﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা মাআতাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-লূছা-হিরুন আও মাজনূন।
আল বায়ান:
এভাবে তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে যে রাসূলই এসেছে, তারা বলেছে, ‘এ তো একজন যাদুকর অথবা উন্মাদ।’
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে যখনই তাদের আগের লোকেদের মধ্যে কোন রসূল এসেছে, তখনই তারা বলেছে- ‘সে যাদুকর না হয় উন্মাদ।’
Sahih International:
Similarly, there came not to those before them any messenger except that they said, "A magician or a madman."



اَتَوَاصَوْا بِهٖ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُوْنَ ﴿ۚ۵۳﴾
উচ্চারণ:
আতাওয়া-সাও বিহী বাল হুম কাওমুন তা-গূন।
আল বায়ান:
তারা কি একে অন্যকে এ বিষয়ে ওসিয়াত করেছে? বরং তারা সীমালংঘনকারী কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি বংশ পরম্পরায় এরই অসিয়ত (অর্থাৎ অন্তিম সবক) দিয়ে আসছে, বরং তারা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি।
Sahih International:
Did they suggest it to them? Rather, they [themselves] are a transgressing people.



فَتَوَلَّ عَنْهُمْ فَمَاۤ اَنْتَ بِمَلُوْمٍ ﴿٭۫۵۴﴾
উচ্চারণ:
ফাতাওয়াল্লা ‘আনহুম ফামাআনতা বিমালূম।
আল বায়ান:
অতএব, তুমি ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, এতে তুমি তিরস্কৃত হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে লও, তার জন্য তুমি তিরস্কৃত হবে না।
Sahih International:
So leave them, [O Muhammad], for you are not to be blamed.



وَّ ذَکِّرْ فَاِنَّ الذِّکْرٰی تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِیْنَ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যাক্কির ফাইন্নাযযিকরা-তানফা‘উল মু’মিনীন।
আল বায়ান:
এবং উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি উপদেশ দিতে থাক, কেননা উপদেশ মু’মিনদের উপকার করবে।
Sahih International:
And remind, for indeed, the reminder benefits the believers.



وَ مَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَ الْاِنْسَ اِلَّا لِیَعْبُدُوْنِ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা-লিইয়া‘বুদূন।
আল বায়ান:
আর জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি জ্বিন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র এ কারণে যে, তারা আমারই ‘ইবাদাত করবে।।
Sahih International:
And I did not create the jinn and mankind except to worship Me.



مَاۤ اُرِیْدُ مِنْهُمْ مِّنْ رِّزْقٍ وَّ مَاۤ اُرِیْدُ اَنْ یُّطْعِمُوْنِ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
মাউরীদুমিনহুম মির রিযকিওঁ ওয়ামাউরীদুআইঁ ইয়ুত‘ইমূন।
আল বায়ান:
আমি তাদের কাছে কোন রিয্ক চাই না; আর আমি চাই না যে, তারা আমাকে খাবার দিবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের থেকে রিযক চাই না, আর আমি এও চাই না যে, তারা আমাকে খাওয়াবে।
Sahih International:
I do not want from them any provision, nor do I want them to feed Me.



اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّۃِ الْمَتِیْنُ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা হুওয়াররাযযা-কুযুল কুওওয়াতিল মাতীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আল্লাহই রিয্কদাতা, তিনি শক্তিধর, পরাক্রমশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহই তো রিযকদাতা, মহা শক্তিধর, প্রবল পরাক্রান্ত।
Sahih International:
Indeed, it is Allah who is the [continual] Provider, the firm possessor of strength.



فَاِنَّ لِلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ذَنُوْبًا مِّثْلَ ذَنُوْبِ اَصْحٰبِهِمْ فَلَا یَسْتَعْجِلُوْنِ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্না লিল্লাযীনা জালামূযানূবাম মিছলা যানূবি আসহা-বিহিম ফালা-ইয়াছতা‘জিলূন।
আল বায়ান:
যারা যুলম করেছে তাদের জন্য রয়েছে তাদের সমমনাদের অনুরূপ আযাব; সুতরাং তারা যেন আমার কাছে (আযাবের) তাড়াহুড়া না করে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই যারা যুলম করেছে তাদের প্রাপ্য তাই যে প্রাপ্য পূর্বে ছিল তাদের মত লোকেদের; কাজেই (নিজেদের প্রাপ্য পাওয়ার জন্য) তারা যেন তাড়াহুড়া না করে।
Sahih International:
And indeed, for those who have wronged is a portion [of punishment] like the portion of their predecessors, so let them not impatiently urge Me.



فَوَیْلٌ لِّلَّذِیْنَ کَفَرُوْا مِنْ یَّوْمِهِمُ الَّذِیْ یُوْعَدُوْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়াইলুলিলল্লাযীনা কাফারূমিইঁ ইয়াওমিহিমুল্লাযী ইঊ‘আদুন।
আল বায়ান:
অতএব, যারা কুফরী করে তাদের জন্য ধ্বংস সেদিনের যেদিনের ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরদের জন্য ধ্বংস (নেবে আসবে) তাদের সেদিনের যেদিনের ভয় তাদেরকে দেখানো হয়েছে।
Sahih International:
And woe to those who have disbelieved from their Day which they are promised.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।