আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


قٓ ۟ۚ وَ الْقُرْاٰنِ الْمَجِیْدِ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
কাফ ; ওয়াল কুরআ-নিল মাজীদ।
আল বায়ান:
কাফ; মর্যাদাপূর্ণ কুরআনের কসম।
তাইসিরুল কুরআন:
ক্বাফ, শপথ মাহাত্ম্যপূর্ণ কুরআনের (যে তুমি আল্লাহর রসূল।)
Sahih International:
Qaf. By the honored Qur'an...



بَلْ عَجِبُوْۤا اَنْ جَآءَهُمْ مُّنْذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْکٰفِرُوْنَ هٰذَا شَیْءٌ عَجِیْبٌ ۚ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
বাল ‘আজিবূআন জাআহুম মুনযিরুম্মিনহুম ফাকা-লাল কা-ফিরূনা হা-যা- শাইউন ‘আজীব।
আল বায়ান:
বরং তারা বিস্মিত হয়েছে যে, তাদের মধ্য থেকে একজন সতর্ককারী তাদের কাছে এসেছে। অতঃপর কাফিররা বলল, ‘এতো এক বিস্ময়কর বস্তু’!
তাইসিরুল কুরআন:
বরং এ লোকেরা বিস্মিত হচ্ছে যে, তাদের কাছে তাদেরই মধ্য হতে একজন সর্তককারী এসেছে। যার কারণে কাফিররা বলে- ‘এতো বড়ই আশ্চর্যজনক ব্যাপার!
Sahih International:
But they wonder that there has come to them a warner from among themselves, and the disbelievers say, "This is an amazing thing.



ءَاِذَا مِتْنَا وَ کُنَّا تُرَابًا ۚ ذٰلِکَ رَجْعٌۢ بَعِیْدٌ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
আ ইযা-মিতনা-ওয়াকুন্না-তুরা-বান যা-লিকা রাজ‘উম বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
‘আমরা যখন মারা যাব এবং মাটিতে পরিণত হব তখনো কি (আমরা পুনরুত্থিত হব)? এ ফিরে যাওয়া সুদূরপরাহত’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা যখন মরে যাব আর মাটি হয়ে যাব (তখন আমাদেরকে আবার আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে)? এ ফিরে যাওয়াটা তো বহু দূরের ব্যাপার।
Sahih International:
When we have died and have become dust, [we will return to life]? That is a distant return."



قَدْ عَلِمْنَا مَا تَنْقُصُ الْاَرْضُ مِنْهُمْ ۚ وَ عِنْدَنَا کِتٰبٌ حَفِیْظٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
কাদ ‘আলিমনা-মা-তানকুসুল আরদুমিনহুম ওয়া ‘ইনদানা-কিতা-বুন হাফীজ।
আল বায়ান:
অবশ্যই আমি জানি মাটি তাদের থেকে যতটুকু ক্ষয় করে। আর আমার কাছে আছে অধিক সংরক্ষণকারী কিতাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি জানি মাটি তাদের কতটুকু ক্ষয় করে আর আমার কাছে আছে এক কিতাব যা (সব কিছুর পূর্ণ বিবরণ) সংরক্ষণ করে।
Sahih International:
We know what the earth diminishes of them, and with Us is a retaining record.



بَلْ کَذَّبُوْا بِالْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ فَهُمْ فِیْۤ اَمْرٍ مَّرِیْجٍ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
বাল কাযযাবূবিলহাকিলাম্মা-জাআহুম ফাহুম ফীআমরীম মারীজ।
আল বায়ান:
বরং তারা সত্যকে অস্বীকার করেছে, যখনই তাদের কাছে সত্য এসেছে। অতএব তারা সংশয়যুক্ত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে সত্য আসার পর তারা তা অস্বীকার করেছে, কাজেই এখন তারা সংশয়ের মধ্যে পড়ে আছে।
Sahih International:
But they denied the truth when it came to them, so they are in a confused condition.



اَفَلَمْ یَنْظُرُوْۤا اِلَی السَّمَآءِ فَوْقَهُمْ کَیْفَ بَنَیْنٰهَا وَ زَیَّنّٰهَا وَ مَا لَهَا مِنْ فُرُوْجٍ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
আফালাম ইয়ানজু রূইলাছ ছামাইফাওকাহুম কাইফা বানাইনা-হা-ওয়া যাইয়ান্না-হাওয়ামা-লাহা-মিন ফুরূজ।
আল বায়ান:
তারা কি তাদের উপরে আসমানের দিকে তাকায় না, কিভাবে আমি তা বানিয়েছি এবং তা সুশোভিত করেছি? আর তাতে কোন ফাটল নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি তাদের উপরে অবস্থিত আকাশের দিকে তাকায় না, কীভাবে আমি তাকে বানিয়েছি, তাকে সুশোভিত করেছি আর তাতে নেই কোন ফাটল?
Sahih International:
Have they not looked at the heaven above them - how We structured it and adorned it and [how] it has no rifts?



وَ الْاَرْضَ مَدَدْنٰهَا وَ اَلْقَیْنَا فِیْهَا رَوَاسِیَ وَ اَنْۢبَتْنَا فِیْهَا مِنْ کُلِّ زَوْجٍۭ بَهِیْجٍ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল আরদা মাদাদনা-হা-ওয়া আলকাইনা-ফীহা-রাওয়া-ছিয়া ওয়া আমবাতনা-ফীহামিন কুল্লি যাওজিম বাহীজ।
আল বায়ান:
আর আমি যমীনকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক প্রকারের সুদৃশ্য উদ্ভিদ উদগত করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পৃথিবী- তাকে করেছি বিস্তৃত আর তাতে সংস্থাপিত করেছি পর্বতরাজি আর তাতে উদ্গত করেছি যাবতীয় সুদৃশ্য উদ্ভিদরাজি।
Sahih International:
And the earth - We spread it out and cast therein firmly set mountains and made grow therein [something] of every beautiful kind,



تَبْصِرَۃً وَّ ذِکْرٰی لِکُلِّ عَبْدٍ مُّنِیْبٍ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
তাবসিরাতাওঁ ওয়াযিকরা-লিকুল্লি ‘আবদিম মুনীব।
আল বায়ান:
আল্লাহ অভিমুখী প্রতিটি বান্দার জন্য জ্ঞান ও উপদেশ হিসেবে।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রতিটি (আল্লাহ) অভিমুখী বান্দাহর জন্য চক্ষু উন্মোচনকারী ও উপদেশ হিসেবে।
Sahih International:
Giving insight and a reminder for every servant who turns [to Allah].



وَ نَزَّلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً مُّبٰرَکًا فَاَنْۢبَتْنَا بِهٖ جَنّٰتٍ وَّ حَبَّ الْحَصِیْدِ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাযযালনা-মিনাছ ছামাইমাআম মুবা-রাকান ফাআমবাতনা-বিহী জান্না-তিওঁ ওয়া হাব্বাল হাসীদ।
আল বায়ান:
আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি নাযিল করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উৎপন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আকাশ থেকে বর্ষণ করি কল্যাণকর বৃষ্টি আর তা দিয়ে সৃষ্টি করি বাগান আর মাড়াইযোগ্য শস্যদানা,
Sahih International:
And We have sent down blessed rain from the sky and made grow thereby gardens and grain from the harvest



وَ النَّخْلَ بٰسِقٰتٍ لَّهَا طَلْعٌ نَّضِیْدٌ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ান্নাখলা বা-ছিকা-তিল্লাহা-তাল‘উন্নাদীদ।
আল বায়ান:
আর সমুন্নত খেজুরগাছ, যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ খেজুর ছড়া,
তাইসিরুল কুরআন:
আর উঁচু খেজুর গাছ যাতে আছে খেজুর গুচ্ছ স্তরে স্তরে সাজানো।
Sahih International:
And lofty palm trees having fruit arranged in layers -



رِّزْقًا لِّلْعِبَادِ ۙ وَ اَحْیَیْنَا بِهٖ بَلْدَۃً مَّیْتًا ؕ کَذٰلِکَ الْخُرُوْجُ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
রিযকালিলল‘ইবা-দি ওয়া আহইয়াইনা-বিহী বালদাতাম্মাইতান কাযা-লিকাল খুরূজ।
আল বায়ান:
আমার বান্দাদের জন্য রিয্কস্বরূপ। আর আমি পানি দ্বারা মৃত শহর সঞ্জীবিত করি। এভাবেই উত্থান ঘটবে।
তাইসিরুল কুরআন:
বান্দাহদের রিযক হিসেবে। আর আমি পানি দিয়ে জীবন্ত করে তুলি মৃত যমীনকে। এভাবেই বের করা হবে (ক্ববর থেকে মানুষদের)।
Sahih International:
As provision for the servants, and We have given life thereby to a dead land. Thus is the resurrection.



کَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوْحٍ وَّ اَصْحٰبُ الرَّسِّ وَ ثَمُوْدُ ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমুনুহিওঁ ওয়া আসহা-বুর রাছছি ওয়া ছামূদ।
আল বায়ান:
তাদের পূর্বে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল নূহের সম্প্রদায়, রাস্ এর অধিবাসী ও সামূদ সম্প্রদায়।
তাইসিরুল কুরআন:
এদের আগে সত্যকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল নূহের জাতি, রাস্‌স ও সামুদ জাতি,
Sahih International:
The people of Noah denied before them, and the companions of the well and Thamud



وَ عَادٌ وَّ فِرْعَوْنُ وَ اِخْوَانُ لُوْطٍ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ‘আ-দুওঁ ওয়া ফির ‘আউনুওয়া ইখওয়া-নুলূত।
আল বায়ান:
‘আদ, ফির‘আউন ও লূত সম্প্রদায়।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আদ, ফেরাউন ও লূত জাতি,
Sahih International:
And 'Aad and Pharaoh and the brothers of Lot



وَّ اَصْحٰبُ الْاَیْکَۃِ وَ قَوْمُ تُبَّعٍ ؕ کُلٌّ کَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَّ وَعِیْدِ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আসহা-বুল আইকাতি ওয়া কাওমুতুব্বা‘ইন কুল্লুন কাযযাবার রুছুলা ফাহাক্কা ওয়া‘ঈদ।
আল বায়ান:
আইকার অধিবাসী ও তুব্বা‘ সম্প্রদায়। সকলেই রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
আইকাবাসী ও তুব্বার জাতি। তারা সকলেই রসূলদেরকে মিথ্যা বলে অস্বীকার করেছিল, ফলে তাদের উপর আমার শাস্তি অবধারিত হয়েছিল।
Sahih International:
And the companions of the thicket and the people of Tubba'. All denied the messengers, so My threat was justly fulfilled.



اَفَعَیِیْنَا بِالْخَلْقِ الْاَوَّلِ ؕ بَلْ هُمْ فِیْ لَبْسٍ مِّنْ خَلْقٍ جَدِیْدٍ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
আফা‘আঈনা-বিলখালকিল আওওয়ালি বাল হুম ফী লাবছিম মিন খালকিন জাদীদ।
আল বায়ান:
আমি কি প্রথমবার সৃষ্টি করেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি? বরং তারা নতুন সৃষ্টির বিষয়ে সন্দেহে নিপতিত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা কি প্রথমবার সৃষ্টি করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি? বস্তুতঃ তারা নতুন সৃষ্টি বিষয়ে সন্দেহে পড়ে আছে।
Sahih International:
Did We fail in the first creation? But they are in confusion over a new creation.



وَ لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ وَ نَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهٖ نَفْسُهٗ ۚۖ وَ نَحْنُ اَقْرَبُ اِلَیْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِیْدِ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ওয়ানা‘লামুমা-তুওয়াছবিছুবিহী নাফছুহূ ওয়া নাহনু আকরাবুইলাইহি মিন হাবলিল ওয়ারীদ।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমি জানি। আর আমি* তার গলার ধমনী হতেও অধিক কাছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি, আর তার প্রবৃত্তি তাকে (নিত্য নতুন) কী কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমি জানি। আমি তার গলার শিরা থেকেও নিকটবর্তী।
Sahih International:
And We have already created man and know what his soul whispers to him, and We are closer to him than [his] jugular vein



اِذْ یَتَلَقَّی الْمُتَلَقِّیٰنِ عَنِ الْیَمِیْنِ وَ عَنِ الشِّمَالِ قَعِیْدٌ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইযইয়াতালাক্কাল মুতালাক্কিইয়া-নি ‘আনিল ইয়ামীনি ওয়া ‘আনিশশিমা-লি কা‘ঈদ।
আল বায়ান:
যখন ডানে ও বামে বসা দু’জন লিপিবদ্ধকারী পরস্পর গ্রহণ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
(তদুপরি) দু’জন লেখক ডানে ও বামে বসে (মানুষের ‘আমাল) লিখছে।
Sahih International:
When the two receivers receive, seated on the right and on the left.



مَا یَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ اِلَّا لَدَیْهِ رَقِیْبٌ عَتِیْدٌ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
মা-ইয়ালফিজুমিন কাওলিন ইল্লা-লাদাইহি রাকীবুন ‘আতীদ।
আল বায়ান:
সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে কথাই মানুষ উচ্চারণ করে (তা সংরক্ষণের জন্য) তার নিকটে একজন সদা তৎপর প্রহরী আছে।
Sahih International:
Man does not utter any word except that with him is an observer prepared [to record].



وَ جَآءَتْ سَکْرَۃُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ؕ ذٰلِکَ مَا کُنْتَ مِنْهُ تَحِیْدُ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাআত ছাকরাতুল মাওতি বিলহাক্কি যা-লিকা মা-কুনতা মিনহু তাহীদ।
আল বায়ান:
আর মৃত্যুর যন্ত্রণা যথাযথই আসবে। যা থেকে তুমি পলায়ন করতে চাইতে।
তাইসিরুল কুরআন:
মৃত্যুর যন্ত্রণা প্রকৃতই আসবে যাত্থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য তুমি চেষ্টা করতে।
Sahih International:
And the intoxication of death will bring the truth; that is what you were trying to avoid.



وَ نُفِخَ فِی الصُّوْرِ ؕ ذٰلِکَ یَوْمُ الْوَعِیْدِ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নুফিখা ফিসসূরি যা-লিকা ইয়াওমুল ওয়া‘ঈদ।
আল বায়ান:
আর শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে। এটাই হল প্রতিশ্রুত দিন।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। সেটাই হল শাস্তির দিন (যে সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছিল)।
Sahih International:
And the Horn will be blown. That is the Day of [carrying out] the threat.



وَ جَآءَتْ کُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَآئِقٌ وَّ شَهِیْدٌ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাআত কুল্লুনাফছিম্মা‘আহা-ছাইকূ ওঁ ওয়া শাহীদ।
আল বায়ান:
আর প্রত্যেক ব্যক্তি উপস্থিত হবে, তার সাথে থাকবে একজন চালক ও একজন সাক্ষী।
তাইসিরুল কুরআন:
(সেদিন) প্রত্যেক ব্যক্তি আসবে এমন অবস্থায় যে একজন (ফেরেশতা) তাকে হাঁকিয়ে নিয়ে আসবে আর একজন (ফেরেশতা) থাকবে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে।
Sahih International:
And every soul will come, with it a driver and a witness.



لَقَدْ کُنْتَ فِیْ غَفْلَۃٍ مِّنْ هٰذَا فَکَشَفْنَا عَنْکَ غِطَآءَکَ فَبَصَرُکَ الْیَوْمَ حَدِیْدٌ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ কুনতা ফী গাফলাতিম মিন হা-যা- ফাকাশাফনা- ‘আনকা গিতাআকা ফাবাসারুকাল ইয়াওমা হাদীদ।
আল বায়ান:
অবশ্যই তুমি এ দিবস সম্পর্কে উদাসীন ছিলে, অতএব আমি তোমার পর্দা তোমার থেকে উন্মোচন করে দিলাম। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি খুব প্রখর।
তাইসিরুল কুরআন:
(বলা হবে) ‘এ দিন সম্পর্কে তুমি ছিলে উদাসীন। তোমার সামনে যে পর্দা ছিল তা আমি সরিয়ে দিয়েছি। (সে কারণে) তোমার দৃষ্টি আজ খুব তীক্ষ্ম।
Sahih International:
[It will be said], "You were certainly in unmindfulness of this, and We have removed from you your cover, so your sight, this Day, is sharp."



وَ قَالَ قَرِیْنُهٗ هٰذَا مَا لَدَیَّ عَتِیْدٌ ﴿ؕ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লা কারীনুহূহা-যা-মা-লাদাইইয়া ‘আতীদ।
আল বায়ান:
আর তার সাথী (ফেরেশতা) বলবে, এই তো আমার কাছে (আমল নামা) প্রস্তুত।
তাইসিরুল কুরআন:
তার সঙ্গী (ফেরেশতা) বলবে ‘এই যে আমার কাছে (‘আমালনামা) প্রস্তুত।’
Sahih International:
And his companion, [the angel], will say, "This [record] is what is with me, prepared."



اَلْقِیَا فِیْ جَهَنَّمَ کُلَّ کَفَّارٍ عَنِیْدٍ ﴿ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
আলকিয়া-ফী জাহান্নামা কুল্লা কাফফা-রিন ‘আনীদ।
আল বায়ান:
তোমরা জাহান্নামে নিক্ষেপ কর প্রত্যেক উদ্ধত কাফিরকে,
তাইসিরুল কুরআন:
(নির্দেশ দেয়া হবে) তোমরা উভয়ে প্রত্যেক অবাধ্য কাফিরকে নিক্ষেপ কর জাহান্নামে।
Sahih International:
[Allah will say], "Throw into Hell every obstinate disbeliever,



مَّنَّاعٍ لِّلْخَیْرِ مُعْتَدٍ مُّرِیْبِۣ ﴿ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
মান্না-‘ইলিলল খাইরি মু‘তাদিমমুরীব।
আল বায়ান:
কল্যাণকর কাজে প্রবল বাধাদানকারী সীমালঙ্ঘনকারী, সন্দেহ পোষণকারীকে।
তাইসিরুল কুরআন:
(যারা ছিল) কল্যাণের প্রতিবন্ধক, সীমালঙ্ঘনকারী ও সন্দিগ্ধ চিত্ত।
Sahih International:
Preventer of good, aggressor, and doubter,



الَّذِیْ جَعَلَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَاَلْقِیٰهُ فِی الْعَذَابِ الشَّدِیْدِ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী জা‘আলা মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাআলকিয়া-হু ফিল ‘আযা-বিশশাদীদ।
আল বায়ান:
যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ গ্রহণ করেছিল, তোমরা তাকে কঠিন আযাবে নিক্ষেপ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
যে আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছিল। কাজেই তোমরা উভয়ে তাকে কঠিন ‘আযাবে নিক্ষেপ কর।
Sahih International:
Who made [as equal] with Allah another deity; then throw him into the severe punishment."



قَالَ قَرِیْنُهٗ رَبَّنَا مَاۤ اَطْغَیْتُهٗ وَ لٰکِنْ کَانَ فِیْ ضَلٰلٍۭ بَعِیْدٍ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
কা-লা কারীনুহূরাব্বানা-মাআতগাইতুহূওয়ালা-কিন কা-না ফী দালা-লিম বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
তার সঙ্গী (শয়তান) বলবে, ‘হে আমাদের ‘রব’, আমি তাকে বিদ্রোহী করে তুলিনি, বরং সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রষ্টতার মধ্যে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তার সঙ্গী বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাকে বিদ্রোহী বানাইনি বরং সে নিজেই ছিল সুদূর গুমরাহীর মধ্যে।’
Sahih International:
His [devil] companion will say, "Our Lord, I did not make him transgress, but he [himself] was in extreme error."



قَالَ لَا تَخْتَصِمُوْا لَدَیَّ وَ قَدْ قَدَّمْتُ اِلَیْکُمْ بِالْوَعِیْدِ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা লা-তাখতাছিমূলাদাইয়া ওয়া কাদ কাদ্দামতুইলাইকুম বিলওয়া‘ঈদ।
আল বায়ান:
আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা আমার কাছে বাক-বিতন্ডা করো না। অবশ্যই আমি পূর্বেই তোমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ বলবেন, ‘আমার সামনে বাদানুবাদ করো না, আমি আগেই তোমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
Sahih International:
[Allah] will say, "Do not dispute before Me, while I had already presented to you the warning.



مَا یُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَیَّ وَ مَاۤ اَنَا بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِیْدِ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
মা-ইউবাদ্দালুল কাওলুলাদাইয়া ওয়ামাআনা-বিজাল্লা-মিলিলল‘আবীদ।
আল বায়ান:
‘আমার কাছে কথা রদবদল হয় না, আর আমি বান্দার প্রতি যুলমকারীও নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার কথা কক্ষনো বদলে না, আর আমি আমার বান্দাহদের প্রতি যুলমকারীও নই।
Sahih International:
The word will not be changed with Me, and never will I be unjust to the servants."



یَوْمَ نَقُوْلُ لِجَهَنَّمَ هَلِ امْتَلَاْتِ وَ تَقُوْلُ هَلْ مِنْ مَّزِیْدٍ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা নাকূলুলিজাহান্নামা হালিম তালা’তি ওয়া তাকূলুহাল মিম্মাযীদ।
আল বায়ান:
সেদিন আমি জাহান্নামকে বলব, ‘তুমি কি পরিপূর্ণ হয়েছ’? আর সে বলবে, ‘আরো বেশি আছে কি’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করব, ‘তুমি কি পরিপূর্ণ হয়েছ’? সে বলবে, ‘আরো বেশি আছে কি?’
Sahih International:
On the Day We will say to Hell, "Have you been filled?" and it will say, "Are there some more,"



وَ اُزْلِفَتِ الْجَنَّۃُ لِلْمُتَّقِیْنَ غَیْرَ بَعِیْدٍ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উযলিফাতিল জান্নাতুলিলমুত্তাকীনা গাইরা বা‘ঈদ।
আল বায়ান:
আর জান্নাতকে মুত্তাকীদের অদূরে, কাছেই আনা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
মুত্তাক্বীদের জন্য জান্নাতকে নিকটে আনা হবে- তা মোটেই দূরে থাকবে না।
Sahih International:
And Paradise will be brought near to the righteous, not far,



هٰذَا مَا تُوْعَدُوْنَ لِکُلِّ اَوَّابٍ حَفِیْظٍ ﴿ۚ۳۲﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-মা-তূ‘আদূনা লিকুল্লি আওওয়া-বিন হাফীজ।
আল বায়ান:
এটাই, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল। প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী অধিক সংরক্ষণশীলদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
(বলা হবে) ‘এ হল তাই যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল- প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী ও (গুনাহ থেকে) খুব বেশি হিফাযাতকারীর জন্য।
Sahih International:
[It will be said], "This is what you were promised - for every returner [to Allah] and keeper [of His covenant]



مَنْ خَشِیَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَیْبِ وَ جَآءَ بِقَلْبٍ مُّنِیْبِۣ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
মান খাশিয়ার রাহমা-না বিলগাইবি ওয়া জাআ বিকালবিম মুনীব।
আল বায়ান:
যে না দেখেই রহমানকে ভয় করত এবং বিনীত হৃদয়ে উপস্থিত হত।
তাইসিরুল কুরআন:
যে না দেখেই দয়াময় (আল্লাহকে) ভয় করত, আর আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য বিনয়ে অবনত অন্তর নিয়ে উপস্থিত হত।
Sahih International:
Who feared the Most Merciful unseen and came with a heart returning [in repentance].



ادْخُلُوْهَا بِسَلٰمٍ ؕ ذٰلِکَ یَوْمُ الْخُلُوْدِ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
উদখুলূহা-বিছালা-মিন যা-লিকা ইয়াওমুল খুলূদ ।
আল বায়ান:
তোমরা তাতে শান্তির সাথে প্রবেশ কর। এটাই স্থায়িত্বের দিন।
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে বলা হবে) ‘শান্তির সঙ্গে এতে প্রবেশ কর, এটা চিরস্থায়ী জীবনের দিন।’
Sahih International:
Enter it in peace. This is the Day of Eternity."



لَهُمْ مَّا یَشَآءُوْنَ فِیْهَا وَلَدَیْنَا مَزِیْدٌ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
লাহুম মা-ইয়াশাঊনা ফীহা-ওয়ালাদাইনা-মাযীদ।
আল বায়ান:
তারা যা চাইবে, সেখানে তাদের জন্য তাই থাকবে এবং আমার কাছে রয়েছে আরও অধিক।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তাদের জন্য তা-ই আছে যা তারা ইচ্ছে করবে, আর আমার কাছে (তাছাড়াও) আরো বেশি আছে।
Sahih International:
They will have whatever they wish therein, and with Us is more.



وَ کَمْ اَهْلَکْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ هُمْ اَشَدُّ مِنْهُمْ بَطْشًا فَنَقَّبُوْا فِی الْبِلَادِ ؕ هَلْ مِنْ مَّحِیْصٍ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিন কারনিন হুম আশাদ্দুমিনহুম বাতশান ফানাক্কাবূফিল বিলা-দি হাল মিম্মাহীস।
আল বায়ান:
আমি তাদের পূর্বে বহু প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছি যারা পাকড়াও করার ক্ষেত্রে এদের তুলনায় ছিল প্রবলতর, তারা দেশ-বিদেশ চষে বেড়াত। তাদের কি কোন পলায়নস্থল ছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্বে আমি কত জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি যারা শক্তিতে ছিল তাদের চেয়ে প্রবল, যার ফলে তারা দুনিয়া চষে বেড়াত; তারা পালানোর কোন জায়গা পেয়েছিল কি?
Sahih International:
And how many a generation before them did We destroy who were greater than them in [striking] power and had explored throughout the lands. Is there any place of escape?



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَذِکْرٰی لِمَنْ کَانَ لَهٗ قَلْبٌ اَوْ اَلْقَی السَّمْعَ وَ هُوَ شَهِیْدٌ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লাযিকরা-লিমান কা-না লাহূকালবুন আও আলকাছ ছাম‘আ ওয়া হুওয়া শাহীদ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য, যার রয়েছে অন্তর অথবা যে নিবিষ্টচিত্তে শ্রবণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে তার জন্য যার আছে (বোধশক্তিসম্পন্ন) অন্তর কিংবা যে খুব মন দিয়ে কথা শুনে।
Sahih International:
Indeed in that is a reminder for whoever has a heart or who listens while he is present [in mind].



وَ لَقَدْ خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَا فِیْ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ٭ۖ وَّ مَا مَسَّنَا مِنْ لُّغُوْبٍ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ খালাকনাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-ফী ছিত্তাতি আইয়ামিওঁ ওয়ামা-মাছছানা-মিল্লুগূব।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি আসমানসমূহ ও যমীন এবং এতদোভয়ের মধ্যস্থিত সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছি। আর আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তা আমি ছ’ দিনে সৃষ্টি করেছি; ক্লান্তি আমাকে স্পর্শ করেনি। (আমি সকল মানুষকে বিচারের জন্য হাজির করবই)।
Sahih International:
And We did certainly create the heavens and earth and what is between them in six days, and there touched Us no weariness.



فَاصْبِرْ عَلٰی مَا یَقُوْلُوْنَ وَ سَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّکَ قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَ قَبْلَ الْغُرُوْبِ ﴿ۚ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূ লূনা ওয়া ছাববিহ বিহামদি রাব্বিকা কাবলা তুলূ‘ইশশামছি ওয়া কাবলাল গুরূব।
আল বায়ান:
অতএব এরা যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং সূর্য উদয়ের পূর্বে ও অস্তমিত হওয়ার পূর্বে তুমি তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তারা (মিথ্যা, উপহাসপূর্ণ ও অপমানজনক কথা) যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর আর সূর্যোদয়ের পূর্বে আর সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের মহিমা ও প্রশংসা ঘোষণা কর।
Sahih International:
So be patient, [O Muhammad], over what they say and exalt [Allah] with praise of your Lord before the rising of the sun and before its setting,



وَ مِنَ الَّیْلِ فَسَبِّحْهُ وَ اَدْبَارَ السُّجُوْدِ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনাল্লাইলি ফাছাববিহহু ওয়া আদবা-রাছছুজূদ।
আল বায়ান:
এবং রাতের একাংশেও তুমি তাঁর তাসবীহ পাঠ কর এবং সালাতের পশ্চাতেও।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাঁর প্রশংসা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে আর নামাযের পরে।
Sahih International:
And [in part] of the night exalt Him and after prostration.



وَ اسْتَمِعْ یَوْمَ یُنَادِ الْمُنَادِ مِنْ مَّکَانٍ قَرِیْبٍ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছতামি‘ ইয়াওমা ইউনা-দিল মুনা-দি মিম মাকা-নিন কারীব।
আল বায়ান:
মনোনিবেশ কর, যেদিন একজন ঘোষক নিকটবর্তী কোন স্থান থেকে ডাকতে থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর শোন, যেদিন এক ঘোষণাকারী (প্রত্যেক ব্যক্তির) নিকটবর্তী স্থান থেকে ডাক দিবে,
Sahih International:
And listen on the Day when the Caller will call out from a place that is near -



یَّوْمَ یَسْمَعُوْنَ الصَّیْحَۃَ بِالْحَقِّ ؕ ذٰلِکَ یَوْمُ الْخُرُوْجِ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়াছমা‘ঊনাসসাইহাতা বিলহাক্কি যা-লিকা ইয়াওমুল খুরূজ।
আল বায়ান:
সেদিন তারা সত্যিসত্যিই মহাচিৎকার শুনবে। সেটিই উত্থিত হবার দিন।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন সমস্ত মানুষ প্রকৃতই শুনতে পাবে এক (ভয়ংকর) ধ্বনি। সেদিনটি হবে (ভূগর্ভ থেকে সকল আত্মার) বের হওয়ার দিন।
Sahih International:
The Day they will hear the blast [of the Horn] in truth. That is the Day of Emergence [from the graves].



اِنَّا نَحْنُ نُحْیٖ وَ نُمِیْتُ وَ اِلَیْنَا الْمَصِیْرُ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না নাহনুনুহয়ী ওয়ানুমীতুওয়া ইলাইনাল মাসীর।
আল বায়ান:
আমিই জীবন দেই এবং আমিই মৃত্যু ঘটাই, আর আমার দিকেই চূড়ান্ত প্রত্যাবর্তন।
তাইসিরুল কুরআন:
আমিই জীবন দেই, আমিই মুত্যু দেই, আর আমার কাছেই (সব্বাইকে) ফিরে আসতে হবে।
Sahih International:
Indeed, it is We who give life and cause death, and to Us is the destination



یَوْمَ تَشَقَّقُ الْاَرْضُ عَنْهُمْ سِرَاعًا ؕ ذٰلِکَ حَشْرٌ عَلَیْنَا یَسِیْرٌ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তাশাক্কাকুল আরদু‘আনহুম ছিরা-‘আন যা-লিকা হাশরুন ‘আলাইনাইয়াছীর।
আল বায়ান:
সেদিন তাদের থেকে যমীন বিদীর্ণ হবে এবং লোকেরা দিগ্বিদিক্ ছুটাছুটি করতে থাকবে। এটি এমন এক সমাবেশ যা আমার পক্ষে অতীব সহজ।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন পৃথিবী দীর্ণ বিদীর্ণ হবে, আর মানুষ ছুটে যাবে (হাশরের পানে)। এই একত্রীকরণ আমার জন্য খুবই সহজ।
Sahih International:
On the Day the earth breaks away from them [and they emerge] rapidly; that is a gathering easy for Us.



نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَا یَقُوْلُوْنَ وَ مَاۤ اَنْتَ عَلَیْهِمْ بِجَبَّارٍ ۟ فَذَکِّرْ بِالْقُرْاٰنِ مَنْ یَّخَافُ وَعِیْدِ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
নাহনুআ‘আলামুবিমা-ইয়াকূলূনা ওয়ামাআনতা ‘আলাইহিম বিজাব্বা-রিন ফাযাক্কির বিলকুরআ-নি মাইঁ ইয়াখা-ফুওয়া‘ঈদ।
আল বায়ান:
এরা যা বলে আমি তা সবচেয়ে ভাল জানি। আর তুমি তাদের উপর কোন জোর- জবরদস্তিকারী নও। সুতরাং যে আমার ধমককে ভয় করে তাকে কুরআনের সাহায্যে উপদেশ দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা (তোমার বিরুদ্ধে) যা বলে তা আমি ভাল করেই জানি, তুমি তাদের উপর জবরদস্তিকারী নও। কাজেই যে আমার শাস্তির ভয়প্রদর্শনকে ভয় করে, তাকে তুমি কুরআনের সাহায্যে উপদেশ দাও।
Sahih International:
We are most knowing of what they say, and you are not over them a tyrant. But remind by the Qur'an whoever fears My threat.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।