আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


حٰمٓ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
হা-মীম।
আল বায়ান:
হা-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
হা-মীম।
Sahih International:
Ha, Meem.



تَنْزِیْلُ الْکِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الْعَزِیْزِ الْحَکِیْمِ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আযীযিল হাকীম।
আল বায়ান:
মহাপরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে এ কিতাব নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে মহা পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট হতে।
Sahih International:
The revelation of the Book is from Allah, the Exalted in Might, the Wise.



اِنَّ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ لَاٰیٰتٍ لِّلْمُؤْمِنِیْنَ ؕ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিলাআ-য়া-তিল লিলমু’মিনীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনে মুমিনদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশে এবং যমীনে মু’মিনদের (শিক্ষার) জন্য অবশ্যই নিদর্শন আছে।
Sahih International:
Indeed, within the heavens and earth are signs for the believers.



وَ فِیْ خَلْقِکُمْ وَ مَا یَبُثُّ مِنْ دَآبَّۃٍ اٰیٰتٌ لِّقَوْمٍ یُّوْقِنُوْنَ ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াফী খালকিকুম ওয়ামা-ইয়াবুছছু মিন দাব্বাতিন আ-য়া-তুল লিকাওমিইঁ ইউকিনূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের সৃষ্টিতে এবং যে জীব জন্তু ছড়িয়ে রয়েছে তাতে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য যারা নিশ্চিত বিশ্বাস স্থাপন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের সৃষ্টিতে, আর প্রাণীকুল ছড়িয়ে দেয়ার মাঝে নিদর্শন আছে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য।
Sahih International:
And in the creation of yourselves and what He disperses of moving creatures are signs for people who are certain [in faith].



وَ اخْتِلَافِ الَّیْلِ وَ النَّهَارِ وَ مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنْ رِّزْقٍ فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَ تَصْرِیْفِ الرِّیٰحِ اٰیٰتٌ لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াখতিলা-ফিল্লাইলি ওয়া ন্নাহা-রি ওয়ামাআনযালাল্লা-হু মিনাছ ছামাই মির রিযকিন ফাআহইয়া- বিহিল আরদা বা‘দা মাওতিহা- ওয়া তাসরীফির রিয়া-হি আ-য়া-তুল লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।
আল বায়ান:
আর রাত ও দিনের পরিবর্তনে, আল্লাহ আসমান থেকে যে পানি বর্ষণ করেন তারপর তা দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন তাতে এবং বাতাসের পরিবর্তনে সে কওমের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে যারা বোঝে।
তাইসিরুল কুরআন:
রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আল্লাহ আকাশ থেকে যে বৃষ্টি বর্ষণ করেন তা দিয়ে যমীনকে তার মৃত্যুর পর আবার জীবিত করেন আর বায়ুর পরিবর্তনে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।
Sahih International:
And [in] the alternation of night and day and [in] what Allah sends down from the sky of provision and gives life thereby to the earth after its lifelessness and [in His] directing of the winds are signs for a people who reason.



تِلْکَ اٰیٰتُ اللّٰهِ نَتْلُوْهَا عَلَیْکَ بِالْحَقِّ ۚ فَبِاَیِّ حَدِیْثٍۭ بَعْدَ اللّٰهِ وَ اٰیٰتِهٖ یُؤْمِنُوْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
তিলকা আ-য়া-তুল্লা-হি নাতলূহা-‘আলাইকা বিলহাক্কিফাবিআইয়ি হাদীছিম বা‘দাল্লা-হি ওয়া আ-য়া-তিহী ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
এগুলো আল্লাহর আয়াত, আমি তা যথাযথভাবেই তোমার কাছে তিলাওয়াত করছি। অতএব তারা আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর আর কোন্ কথায় বিশ্বাস করবে?
তাইসিরুল কুরআন:
এগুলো হল আল্লাহর আয়াত যা সত্যতা সহকারে তোমার কাছে তিলাওয়াত করা হচ্ছে। কাজেই তারা আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতের (উপর বিশ্বাস না করলে এর) পর আর কোন্ কথায় বিশ্বাস করবে?
Sahih International:
These are the verses of Allah which We recite to you in truth. Then in what statement after Allah and His verses will they believe?



وَیْلٌ لِّکُلِّ اَفَّاکٍ اَثِیْمٍ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুলিল কুল্লি আফফা-কিন আছীম।
আল বায়ান:
দুর্ভোগ প্রত্যেক চরম মিথ্যুক পাপাচারীর জন্য!
তাইসিরুল কুরআন:
ধ্বংস প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর জন্য
Sahih International:
Woe to every sinful liar



یَّسْمَعُ اٰیٰتِ اللّٰهِ تُتْلٰی عَلَیْهِ ثُمَّ یُصِرُّ مُسْتَکْبِرًا کَاَنْ لَّمْ یَسْمَعْهَا ۚ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছমা‘উ আ-য়া-তিল্লা-হি তুতলা-‘আলাইহি ছুম্মা ইউসিররু মুছতাকবিরান কাআল্লাম ইয়াছমা‘হা- ফাবাশশিরহু বি‘আযা-বিন আলীম।
আল বায়ান:
সে শোনে আল্লাহর আয়াতসমূহ যা তার সামনে তিলাওয়াত করা হচ্ছে, তারপর সে ঔদ্ধত্যের সাথে অবিচল থাকে, যেন সে তা শুনতে পায়নি। অতএব তুমি তাকে এক যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
যে আল্লাহর আয়াত শোনে যা তার সামনে পাঠ করা হয়, অতঃপর অহমিকার সাথে (কুফুরীর উপর) থাকে যেন সে তা শোনেইনি; কাজেই তাকে ভয়াবহ শাস্তির সংবাদ দাও।
Sahih International:
Who hears the verses of Allah recited to him, then persists arrogantly as if he had not heard them. So give him tidings of a painful punishment.



وَ اِذَا عَلِمَ مِنْ اٰیٰتِنَا شَیْئَۨا اتَّخَذَهَا هُزُوًا ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِیْنٌ ؕ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-‘আলিমা মিন আ-য়া-তিনা-শাইআনিত্তাখাযাহা-হুযুওয়া- উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুম মুহীন।
আল বায়ান:
আর যখন সে আমার আয়াতসমূহের কিছু জানতে পারে, তখন সে এটাকে পরিহাসের পাত্ররূপে গ্রহণ করে। এদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার আয়াতগুলোর কোন কথা যখন সে অবগত হয় তখন তাকে ঠাট্টা বিদ্রূপের বিষয় বানিয়ে নেয়, তাদের জন্য আছে অপমানজনক শাস্তি।
Sahih International:
And when he knows anything of Our verses, he takes them in ridicule. Those will have a humiliating punishment.



مِنْ وَّرَآئِهِمْ جَهَنَّمُ ۚ وَ لَا یُغْنِیْ عَنْهُمْ مَّا کَسَبُوْا شَیْئًا وَّ لَا مَا اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْلِیَآءَ ۚ وَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِیْمٌ ﴿ؕ۱۰﴾
উচ্চারণ:
মিওঁ ওয়ারাইহিম জাহান্নামু ওয়ালা-ইউগনী ‘আনহুম মা-কাছাবূশাইআওঁ ওয়ালামাত্তাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি আওলিয়াআ ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম।
আল বায়ান:
তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম। তারা যা উপার্জন করেছে অথবা আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদের অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছে, এসব তাদের কোন কাজে আসবে না। তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের আড়ালে আছে জাহান্নাম, তাদের কৃতকর্ম তাদের কোন কাজে আসবে না। আর আল্লাহর পরিবর্তে তারা যেগুলোকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছে সেগুলোও (কাজে আসবে) না। তাদের জন্য আছে মহা শাস্তি।
Sahih International:
Before them is Hell, and what they had earned will not avail them at all nor what they had taken besides Allah as allies. And they will have a great punishment.



هٰذَا هُدًی ۚ وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِاٰیٰتِ رَبِّهِمْ لَهُمْ عَذَابٌ مِّنْ رِّجْزٍ اَلِیْمٌ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-হুদাওঁ ওয়াল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তি রাব্বিহিম লাহুম ‘আযা-বুম মির রিজযিন আলীম।
আল বায়ান:
এই (কুরআন) হিদায়াত দানকারী। আর যারা তাদের রবের আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে তাদের জন্য রয়েছে অতিশয় যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
এ (কুরআন) সঠিক পথের দিশারী। যারা তাদের পালনকর্তার নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে, তাদের জন্য আছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
Sahih International:
This [Qur'an] is guidance. And those who have disbelieved in the verses of their Lord will have a painful punishment of foul nature.



اَللّٰهُ الَّذِیْ سَخَّرَ لَکُمُ الْبَحْرَ لِتَجْرِیَ الْفُلْکُ فِیْهِ بِاَمْرِهٖ وَ لِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ وَ لَعَلَّکُمْ تَشْکُرُوْنَ ﴿ۚ۱۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-হুল্লাযী ছাখখারা লাকুমুল বাহরা লিতাজরিয়াল ফুলকুফীহি বিআমরিহী ওয়ালিতাবতাগূ মিন ফাদলিহী ওয়া লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
আল বায়ান:
আল্লাহ, যিনি সমুদ্রকে তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন যাতে তাঁরই আদেশক্রমে তাতে নৌযানসমূহ চলাচল করতে পারে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করে বেড়াতে পার এবং যাতে তোমরা শোকর আদায় করতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ- যিনি সমুদ্রকে তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন যাতে তাঁর হুকুমে তোমাদের নৌযানসমূহ তাতে চলাচল করতে পারে, আর যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ কর এবং তোমরা (তাঁর) শোকর আদায় কর।
Sahih International:
It is Allah who subjected to you the sea so that ships may sail upon it by His command and that you may seek of His bounty; and perhaps you will be grateful.



وَ سَخَّرَ لَکُمْ مَّا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا مِّنْهُ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّتَفَکَّرُوْنَ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছাখখারা লাকুম মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিজামী‘আম মিনহু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিলিলকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা কিছু রয়েছে যমীনে, তার সবই তিনি তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। চিন্তাশীল কওমের জন্য নিশ্চয় এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত রেখেছেন যা আছে আকাশে আর যা আছে যমীনে সেগুলোর সব কিছুকে। এতে চিন্তাশীল মানুষদের জন্য অবশ্যই অনেক নিদর্শন আছে।
Sahih International:
And He has subjected to you whatever is in the heavens and whatever is on the earth - all from Him. Indeed in that are signs for a people who give thought.



قُلْ لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا یَغْفِرُوْا لِلَّذِیْنَ لَا یَرْجُوْنَ اَیَّامَ اللّٰهِ لِیَجْزِیَ قَوْمًۢا بِمَا کَانُوْا یَکْسِبُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
কুল লিল্লাযীনা আ-মানূইয়াগফিরূলিল্লাযীনা লা-ইয়ারজূনা আইয়া-মাল্লা-হি লিইয়াজযিয়া কাওমাম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।
আল বায়ান:
যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে বল, ‘যারা আল্লাহর দিবসসমূহ প্রত্যাশা করে না, এরা যেন তাদের ক্ষমা করে দেয়, যাতে আল্লাহ প্রত্যেক কওমকে তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রতিদান দিতে পারেন।
তাইসিরুল কুরআন:
মু’মিনদেরকে বল ঐ লোকদেরকে ক্ষমা করতে যারা আল্লাহর ‘আযাবের দিন আসার ব্যাপারে কোন আশংকাবোধ করে না। কেননা আল্লাহই (ভাল বা মন্দ) প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের কৃতকর্ম অনুসারে প্রতিফল দিবেন।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], to those who have believed that they [should] forgive those who expect not the days of Allah so that He may recompense a people for what they used to earn.



مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهٖ ۚ وَ مَنْ اَسَآءَ فَعَلَیْهَا ۫ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمْ تُرْجَعُوْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
মান ‘আমিলা সা-লিহান ফালিনাফছিহী ওয়ামান আছাআ ফা‘আলাইহা- ছু ম্মা ইলা-রাব্বিকুম তুর জা‘ঊন।
আল বায়ান:
যে সৎকর্ম করে, সে তার নিজের জন্যই তা করে এবং যে মন্দকর্ম করে তা তার উপর বর্তাবে। তারপর তোমরা তোমাদের রবের প্রতি প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে লোক ভাল কাজ করবে, সে তার নিজের কল্যাণেই তা করবে আর যে মন্দ কাজ করবে তার কুফল সে-ই ভোগ করবে। অতঃপর তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে।
Sahih International:
Whoever does a good deed - it is for himself; and whoever does evil - it is against the self. Then to your Lord you will be returned.



وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ الْکِتٰبَ وَ الْحُکْمَ وَ النُّبُوَّۃَ وَ رَزَقْنٰهُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلْنٰهُمْ عَلَی الْعٰلَمِیْنَ ﴿ۚ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-বানীইছরাঈলাল কিতা-বা ওয়াল হুকমা ওয়ান নুবুওওয়াতা ওয়া রাযাকনা-হুম মিনাত্তাইয়িবা-তি ওয়া ফাদ্দালনা-হুম ‘আলাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাব, প্রজ্ঞা ও নবুওয়াত দান করেছিলাম এবং তাদের রিয্ক প্রদান করেছিলাম উত্তম বস্তু থেকে এবং দিয়েছিলাম তাদেরকে সকল সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠত্ব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি বানী ইসরাঈলকে কিতাব, রাজত্ব ও নুবুওয়াত দিয়েছিলাম আর তাদেরকে দিয়েছিলাম উত্তম রিযক, আর তাদেরকে বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।
Sahih International:
And We did certainly give the Children of Israel the Scripture and judgement and prophethood, and We provided them with good things and preferred them over the worlds.



وَ اٰتَیْنٰهُمْ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الْاَمْرِ ۚ فَمَا اخْتَلَفُوْۤا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ ۙ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ ؕ اِنَّ رَبَّکَ یَقْضِیْ بَیْنَهُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ فِیْمَا کَانُوْا فِیْهِ یَخْتَلِفُوْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-তাইনা-হুম বাইয়িনা-তিম মিনাল আমরি ফামাখ তালাফূইল্লা-মিম বা‘দি মাজাআহুমুল ‘ইলমু বাগইয়াম বাইনাহুম ইন্না রাব্বাকা ইয়াকদী বাইনাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ফীমা-কা-নূফীহি ইয়াখতালিফূন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে দীনের যাবতীয় বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণাদি দিয়েছিলাম। তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও কেবল পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষবশত তারা মতবিরোধ করেছিল। তারা যে সব বিষয়ে মতবিরোধ করত তোমার রব কিয়ামতের দিনে সে সব বিষয়ে মীমাংসা করে দেবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর দ্বীনের ব্যাপারে তাদেরকে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট নিদর্শন। কিন্তু তাদের কাছে (সত্য মিথ্যা সম্পর্কিত নির্ভুল) জ্ঞান আসার পরও শুধু নিজেদের মধ্যে বাড়াবাড়ির কারণে তারা মতভেদ করেছিল। তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, তোমার প্রতিপালক কিয়ামাতের দিন সে বিষয়ে তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন।
Sahih International:
And We gave them clear proofs of the matter [of religion]. And they did not differ except after knowledge had come to them - out of jealous animosity between themselves. Indeed, your Lord will judge between them on the Day of Resurrection concerning that over which they used to differ.



ثُمَّ جَعَلْنٰکَ عَلٰی شَرِیْعَۃٍ مِّنَ الْاَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَ لَا تَتَّبِعْ اَهْوَآءَ الَّذِیْنَ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা জা‘আল না-কা ‘আলা- শারী‘আতিম মিনাল আমরি ফাত্তাবি‘হা- ওয়ালা-তাত্তাবি‘ আহওয়াআল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
তারপর আমি তোমাকে দীনের এক বিশেষ বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। সুতরাং তুমি তার অনুসরণ কর এবং যারা জানে না তাদের খেয়াল- খুশীর অনুসরণ করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর (হে নবী সা.!) আমি তোমাকে দ্বীনের (সঠিক) পথের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি, কাজেই তুমি তারই অনুসরণ কর, আর যারা (দ্বীনের বিধি-বিধান) জানেনা তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করো না।
Sahih International:
Then We put you, [O Muhammad], on an ordained way concerning the matter [of religion]; so follow it and do not follow the inclinations of those who do not know.



اِنَّهُمْ لَنْ یُّغْنُوْا عَنْکَ مِنَ اللّٰهِ شَیْئًا ؕ وَ اِنَّ الظّٰلِمِیْنَ بَعْضُهُمْ اَوْلِیَآءُ بَعْضٍ ۚ وَ اللّٰهُ وَلِیُّ الْمُتَّقِیْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহুম লাইঁ ইউগনূ‘আনকা মিনাল্লা-হি শাইআওঁ ওয়া ইন্নাজ্জা-লিমীনা বা‘দুহুম আওলিয়াউ বা‘দিওঁ ওয়াল্লা-হু ওয়ালিইয়ুল মুত্তাকীন।
আল বায়ান:
তারা আল্লাহর মুকাবিলায় তোমার কোন কাজে আসবে না। আর নিশ্চয় যালিমরা মূলত একে অপরের বন্ধু এবং আল্লাহ মুত্তাকীদের বন্ধু।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ হতে তারা তোমার কোনই উপকার করতে পারবে না। যালিমরা একে অপরের বন্ধু, আর আল্লাহ মুত্তাকীদের বন্ধু।
Sahih International:
Indeed, they will never avail you against Allah at all. And indeed, the wrongdoers are allies of one another; but Allah is the protector of the righteous.



هٰذَا بَصَآئِرُ لِلنَّاسِ وَ هُدًی وَّ رَحْمَۃٌ لِّقَوْمٍ یُّوْقِنُوْنَ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-বাসাইরু লিন্না-ছি ওয়া হুদাওঁ ওয়া রাহমাতুল লিকাওমিইঁ ইউকিনূন।
আল বায়ান:
এ কুরআন মানবজাতির জন্য আলোকবর্তিকা এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য হিদায়াত ও রহমত।
তাইসিরুল কুরআন:
এ (কুরআন) মানুষের জন্য জ্ঞানের আলো, আর নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য পথের দিশারী এবং রহমত স্বরূপ।
Sahih International:
This [Qur'an] is enlightenment for mankind and guidance and mercy for a people who are certain [in faith].



اَمْ حَسِبَ الَّذِیْنَ اجْتَرَحُوا السَّیِّاٰتِ اَنْ نَّجْعَلَهُمْ کَالَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ سَوَآءً مَّحْیَاهُمْ وَ مَمَاتُهُمْ ؕ سَآءَ مَا یَحْکُمُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আম হাছিবাল্লাযীনাজ তারাহুছ ছাইয়িআ-তি আন নাজ‘আলাহুম কাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ছাওয়াআম মাহইয়া-হুম ওয়া মামা-তুহুম ছাআমাইয়াহকুমূন।
আল বায়ান:
যারা দুষ্কর্ম করেছে তারা কি মনে করে যে, জীবন ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে আমি তাদেরকে এ সব লোকের সমান গণ্য করব, যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে? তাদের বিচার কতইনা মন্দ!
তাইসিরুল কুরআন:
যারা অন্যায় কাজ করে তারা কি এ কথা ভেবে নিয়েছে যে, আমি তাদেরকে আর ঈমান গ্রহণকারী সৎকর্মশীলদেরকে সমান গণ্য করব যার ফলে তাদের উভয় দলের জীবন ও মৃত্যু সমান হয়ে যাবে? কতই না মন্দ তাদের ফয়সালা!
Sahih International:
Or do those who commit evils think We will make them like those who have believed and done righteous deeds - [make them] equal in their life and their death? Evil is that which they judge.



وَ خَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ بِالْحَقِّ وَ لِتُجْزٰی کُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا کَسَبَتْ وَ هُمْ لَا یُظْلَمُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া খালাকাল্লা-হুছ ছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদাবিলহাক্কি ওয়া লিতুজযা-কুল্লুনাফছিম বিমা-কাছাবাত ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীনকে যথার্থভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি সে যা উপার্জন করেছে তদনুযায়ী প্রতিদানপ্রাপ্ত হয়, আর তারা সামান্যতমও যুলমের শিকার না হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ আকাশ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এক সত্যিকার লক্ষ্যে যাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কৃতকর্ম অনুযায়ী প্রতিফল দেয়া যেতে পারে, আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।
Sahih International:
And Allah created the heavens and earth in truth and so that every soul may be recompensed for what it has earned, and they will not be wronged.



اَفَرَءَیْتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـهَهٗ هَوٰىهُ وَ اَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰی عِلْمٍ وَّ خَتَمَ عَلٰی سَمْعِهٖ وَ قَلْبِهٖ وَ جَعَلَ عَلٰی بَصَرِهٖ غِشٰوَۃً ؕ فَمَنْ یَّهْدِیْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
আফারাআইতা মানিত্তাখাযা ইলা-হাহূহাওয়া-হু ওয়া আদাল্লাহুল্লা-হু ‘আলা-‘ইলমিওঁ ওয়াখাতামা ‘আলা-ছাম‘ইহী ওয়া কালবিহী ওয়া জা‘আলা ‘আলা-বাসারিহী গিশা-ওয়াতান ফামাইঁ ইয়াহদীহি মিম বা‘দিল্লা-হি আফালা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
তবে তুমি কি তাকে লক্ষ্য করেছ, যে তার প্রবৃত্তিকে আপন ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? তার কাছে জ্ঞান আসার পর আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন এবং তিনি তার কান ও অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। আর তার চোখের উপর স্থাপন করেছেন আবরণ। অতএব আল্লাহর পর কে তাকে হিদায়াত করবে? তারপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি লক্ষ্য করেছ তার প্রতি যে তার খেয়াল-খুশিকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন আর তার কানে ও দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন আর তার চোখের উপর টেনে দিয়েছেন পর্দা। অতঃপর আল্লাহর পর আর কে (আছে যে) তাকে সঠিক পথ দেখাবে? এরপরও কি তোমরা শিক্ষাগ্রহণ করবে না?
Sahih International:
Have you seen he who has taken as his god his [own] desire, and Allah has sent him astray due to knowledge and has set a seal upon his hearing and his heart and put over his vision a veil? So who will guide him after Allah? Then will you not be reminded?



وَ قَالُوْا مَا هِیَ اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنْیَا نَمُوْتُ وَ نَحْیَا وَ مَا یُهْلِکُنَاۤ اِلَّا الدَّهْرُ ۚ وَ مَا لَهُمْ بِذٰلِکَ مِنْ عِلْمٍ ۚ اِنْ هُمْ اِلَّا یَظُنُّوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূমা-হিয়া ইল্লা-হায়া-তুনাদ্দুনইয়া-নামূতুওয়া নাহইয়া-ওয়ামা-ইউহলিকুনা ইল্লাদ্দাহরু ওয়ামা-লাহুম বিযা-লিকা মিন ‘ইলমিন ইনহুম ইল্লা-ইয়াজু ন্নূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘দুনিয়ার জীবনই আমাদের একমাত্র জীবন। আমরা মরি ও বাঁচি এখানেই। আর কাল-ই কেবল আমাদেরকে ধ্বংস করে।’ বস্তুত এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা শুধু ধারণাই করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- জীবন বলতে তো শুধু আমাদের এ দুনিয়ারই জীবন, আমরা মরি আর বেঁচে থাকি (এখানেই)। কালের প্রবাহ ছাড়া অন্য কিছুই আমাদেরকে ধ্বংস করে না। আসলে এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা শুধু ধারণা করে।
Sahih International:
And they say, "There is not but our worldly life; we die and live, and nothing destroys us except time." And they have of that no knowledge; they are only assuming.



وَ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِمْ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ مَّا کَانَ حُجَّتَهُمْ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوا ائْتُوْا بِاٰبَآئِنَاۤ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-তুতলা ‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিম মা-কা-না হুজ্জাতাহুম ইল্লা আন কা-লু’তূবিআ-বাইনাইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
আর তাদের কাছে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের এ কথা বলা ছাড়া আর কোন যুক্তি থাকে না যে, ‘তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকলে আমাদের পিতৃপুরুষদের জীবিত করে নিয়ে এসো’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের সামনে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতগুলো পাঠ করা হয়, তখন তাদের কাছে এ কথা বলা ছাড়া আর কোন যুক্তি থাকে না যে, তোমরা যদি সত্যবাদীই হয়ে থাক, তাহলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে হাজির কর।
Sahih International:
And when Our verses are recited to them as clear evidences, their argument is only that they say, "Bring [back] our forefathers, if you should be truthful."



قُلِ اللّٰهُ یُحْیِیْکُمْ ثُمَّ یُمِیْتُکُمْ ثُمَّ یَجْمَعُکُمْ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ لَا رَیْبَ فِیْهِ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কুল্লিলা-হু ইউহঈকুম ছু ম্মা ইয়াজমা‘উকুম ইলা-ইয়াওমিল কিয়া-মাতি লা-রাইবা ফীহি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
বল, ‘আল্লাহই তোমাদের জীবন দেন তারপর তোমাদের মৃত্যু ঘটান। তারপর তিনি তোমাদেরকে কিয়ামতের দিনে একত্র করবেন, যাতে কোন সন্দেহ নেই; কিন্তু অধিকাংশ লোকই জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আল্লাহই তোমাদেরকে জীবন দান করেন অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটান। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন একত্রিত করবেন যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
Sahih International:
Say, "Allah causes you to live, then causes you to die; then He will assemble you for the Day of Resurrection, about which there is no doubt, but most of the people do not know."



وَ لِلّٰهِ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ یَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَۃُ یَوْمَئِذٍ یَّخْسَرُ الْمُبْطِلُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিল্লা-হি মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া ইয়াওমা তাকূমুছছা-‘আতু ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াখছারুল মুবতিলূন।
আল বায়ান:
আর আসমানসমূহ ও যমীনের মালিকানা আল্লাহরই এবং যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন বাতিলপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই, যে দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মিথ্যার অনুসারীরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
Sahih International:
And to Allah belongs the dominion of the heavens and the earth. And the Day the Hour appears - that Day the falsifiers will lose.



وَ تَرٰی کُلَّ اُمَّۃٍ جَاثِیَۃً ۟ کُلُّ اُمَّۃٍ تُدْعٰۤی اِلٰی کِتٰبِهَا ؕ اَلْیَوْمَ تُجْزَوْنَ مَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তারা-কুল্লা উম্মাতিন জা-ছিয়াতান কুল্লুউম্মাতিন তুদ ‘আইলা-কিতা-বিহা- আলইয়াওমা তুজযাওনা মা-কুন তুম তা‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তুমি প্রতিটি জাতিকে দেখবে ভয়ে নতজানু; প্রত্যেক জাতিকে স্বীয় আমলনামার দিকে আহবান করা হবে। (এবং বলা হবে) ‘তোমরা যে আমল করতে আজ তার প্রতিদান দেয়া হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর প্রত্যেক সম্প্রদায়কে দেখবে নতজানু হয়ে আছে। প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তার ‘আমালনামার পানে আহবান করা হবে। (আর বলা হবে) তোমরা যা করতে আজ তার প্রতিফল দেয়া হবে।
Sahih International:
And you will see every nation kneeling [from fear]. Every nation will be called to its record [and told], "Today you will be recompensed for what you used to do.



هٰذَا کِتٰبُنَا یَنْطِقُ عَلَیْکُمْ بِالْحَقِّ ؕ اِنَّا کُنَّا نَسْتَنْسِخُ مَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-কিতা-বুনা-ইয়ানতিকু‘আলাইকুম বিলহাক্কি ইন্না-কুন্না-নাছতানছিখুমাকুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
‘এটি আমার লেখনী, যা তোমাদের ব্যাপারে সত্য সহকারে কথা বলবে; নিশ্চয় তোমরা যা করতে আমি তা লিখে রাখতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার এ কিতাব তোমাদের ব্যাপারে সত্য কথাই বলবে, তোমরা যা করতে আমি তাই-ই লিখে রাখতাম।
Sahih International:
This, Our record, speaks about you in truth. Indeed, We were having transcribed whatever you used to do."



فَاَمَّا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَیُدْخِلُهُمْ رَبُّهُمْ فِیْ رَحْمَتِهٖ ؕ ذٰلِکَ هُوَ الْفَوْزُ الْمُبِیْنُ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআম্মাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ফাইউদখিলুহুম রাব্বুহুম ফী রাহমাতিহী যা-লিকা হুওয়াল ফাওযুল মুবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের রব পরিণামে তাদেরকে স্বীয় রহমতে প্রবেশ করাবেন। এটিই সুস্পষ্ট সাফল্য।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তাদের প্রতিপালক তাদেরকে তাঁর রহমাতের মধ্যে দাখিল করবেন। ওটাই সুস্পষ্ট সাফল্য।
Sahih International:
So as for those who believed and did righteous deeds, their Lord will admit them into His mercy. That is what is the clear attainment.



وَ اَمَّا الَّذِیْنَ کَفَرُوْا ۟ اَفَلَمْ تَکُنْ اٰیٰتِیْ تُتْلٰی عَلَیْکُمْ فَاسْتَکْبَرْتُمْ وَ کُنْتُمْ قَوْمًا مُّجْرِمِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মাল্লাযীনা কাফারূ আফালাম তাকুন আ-য়া-তী তুতলা-‘আলাইকুম ফাছতাকবারতুম ওয়া কুনতুম কাওমাম মুজরিমীন।
আল বায়ান:
আর যারা কুফরী করেছে (তাদেরকে বলা হবে), ‘তোমাদের কাছে কি আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়নি? অতঃপর তোমরা অহঙ্কার করেছিলে। আর তোমরা ছিলে এক অপরাধী কওম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা কুফরী করেছিল তাদেরকে বলা হবে- আমার আয়াতগুলো কি তোমাদের কাছে পাঠ করা হয়নি? তখন তোমরা অহঙ্কার করেছিলে আর তোমরা ছিলে এক অপরাধী জাতি।
Sahih International:
But as for those who disbelieved, [it will be said], "Were not Our verses recited to you, but you were arrogant and became a people of criminals?



وَ اِذَا قِیْلَ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ السَّاعَۃُ لَا رَیْبَ فِیْهَا قُلْتُمْ مَّا نَدْرِیْ مَا السَّاعَۃُ ۙ اِنْ نَّظُنُّ اِلَّا ظَنًّا وَّ مَا نَحْنُ بِمُسْتَیْقِنِیْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-কীলা ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়াছছা-‘আতুলা-রাইবা ফীহা-কুলতুম মানাদরী মাছ ছা-‘আতু ইন নাজুন্নুইল্লা-জান্নাওঁ ওয়ামা-নাহনুবিমুছতাইকিনীন।
আল বায়ান:
আর যখন বলা হয়, ‘আল্লাহর ওয়াদা সত্য, আর কিয়ামতে কোন সন্দেহ নেই’। তখন তোমরা বলে থাক, ‘আমরা জানি না কিয়ামত কী? আমরা কেবল অনুমান করি এবং আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী নই।’
তাইসিরুল কুরআন:
যখন বলা হয়- আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য আর ক্বিয়ামতের আগমনে কোনই সন্দেহ নেই, তখন তোমরা বলতে- ‘আমরা জানি না ক্বিয়ামত কী? আমরা মনে করি তা শুধু ধারণা মাত্র, আর (তাতে) আমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী নই’।
Sahih International:
And when it was said, 'Indeed, the promise of Allah is truth and the Hour [is coming] - no doubt about it,' you said, 'We know not what is the Hour. We assume only assumption, and we are not convinced.' "



وَ بَدَا لَهُمْ سَیِّاٰتُ مَا عَمِلُوْا وَ حَاقَ بِهِمْ مَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বাদা- লাহুম ছাইয়িআ-তু মা-‘আমিলূ ওয়া হা-কাবিহিমমা-কা-নূ বিহী ইয়াছতাহযিঊন।
আল বায়ান:
আর তাদের কৃতকর্মের কুফল তাদের জন্য প্রকাশিত হবে, আর তারা যা নিয়ে বিদ্রূপ করত তা তাদেরকে ঘিরে রাখবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যে সব মন্দ কাজ করত সেগুলো তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বে আর তারা যা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করত তা তাদেরকে ঘিরে ফেলবে।
Sahih International:
And the evil consequences of what they did will appear to them, and they will be enveloped by what they used to ridicule.



وَ قِیْلَ الْیَوْمَ نَنْسٰکُمْ کَمَا نَسِیْتُمْ لِقَآءَ یَوْمِکُمْ هٰذَا وَ مَاْوٰىکُمُ النَّارُ وَ مَا لَکُمْ مِّنْ نّٰصِرِیْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কীলাল ইয়াওমা নানছা-কুম কামা-নাছীতুম লিকাআ ইয়াওমিকুম হা-যা-ওয়ামা’ ওয়া-কুমুন্না-রু ওয়া মা-লাকুম মিন না-সিরীন।
আল বায়ান:
আর বলা হবে, ‘আজ আমি তোমাদেরকে ছেড়ে যাব যেমন তোমরা তোমাদের এ দিনের সাক্ষাতের বিষয়টি ছেড়ে গিয়েছিলে। আর তোমাদের নিবাস হবে জাহান্নাম এবং তোমাদের কোন সাহায্যকারীও থাকবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর বলা হবে- ‘আজ আমি তোমাদেরকে ভুলে যাব যেমন করে তোমরা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিলে। তোমাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম আর তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না।
Sahih International:
And it will be said, "Today We will forget you as you forgot the meeting of this Day of yours, and your refuge is the Fire, and for you there are no helpers.



ذٰلِکُمْ بِاَنَّکُمُ اتَّخَذْتُمْ اٰیٰتِ اللّٰهِ هُزُوًا وَّ غَرَّتْکُمُ الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَا ۚ فَالْیَوْمَ لَا یُخْرَجُوْنَ مِنْهَا وَ لَا هُمْ یُسْتَعْتَبُوْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকুম বিআন্নাকুমুত্তাখাযতুম আ-য়া-তিল্লা-হি হুযুওয়াওঁ ওয়াগাররাতকুমুল হা-য়াতুদ্দুনইয়া- ফালইয়াওমা লা-ইউখরাজূনা মিনহা-ওয়ালা-হুম ইউছতা‘তাবূন।
আল বায়ান:
এটা এজন্যই যে, তোমরা আল্লাহর আয়াতকে ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্র বানিয়েছিলে এবং দুনিয়ার জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল’। সুতরাং আজ তাদেরকে তা (জাহান্নাম) থেকে বের করা হবে না এবং তাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ দেয়া হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা এজন্য যে, তোমরা আল্লাহর আয়াতগুলোকে ঠাট্টা বিদ্রূপের বিষয় বানিয়ে নিয়েছিলে, আর দুনিয়ার জীবন তোমাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছিল। কাজেই আজ তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে না আর তাওবাহ করার সুযোগ দেয়া হবে না।
Sahih International:
That is because you took the verses of Allah in ridicule, and worldly life deluded you." So that Day they will not be removed from it, nor will they be asked to appease [Allah].



فَلِلّٰهِ الْحَمْدُ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ رَبِّ الْاَرْضِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফালিল্লা-হিল হামদুরাব্বিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়া রাব্বিল আরদিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
অতএব আল্লাহরই জন্য সকল প্রশংসা, যিনি আসমানসমূহের রব, যমীনের রব ও সকল সৃষ্টির রব।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি আসমানের প্রতিপালনকারী, যমীনের প্রতিপালনকারী, বিশ্বজগতের প্রতিপালনকারী ।
Sahih International:
Then, to Allah belongs [all] praise - Lord of the heavens and Lord of the earth, Lord of the worlds.



وَ لَهُ الْکِبْرِیَآءُ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۪ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাহুল কিবরিয়াউ ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া হুওয়াল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
আর আসমানসমূহ ও যমীনের সকল অহঙ্কার তাঁর; তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ ও যমীনে তাঁরই শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য, আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
Sahih International:
And to Him belongs [all] grandeur within the heavens and the earth, and He is the Exalted in Might, the Wise.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।