আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


حٰمٓ ۚ﴿ۛ۱﴾
উচ্চারণ:
হা-মীম।
আল বায়ান:
হা-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
হা-মীম।
Sahih International:
Ha, Meem.



وَ الْکِتٰبِ الْمُبِیْنِ ۙ﴿ۛ۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল কিতা-বিল মুবীন।
আল বায়ান:
সুস্পষ্ট কিতাবের কসম!
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
Sahih International:
By the clear Book,



اِنَّا جَعَلْنٰهُ قُرْءٰنًا عَرَبِیًّا لَّعَلَّکُمْ تَعْقِلُوْنَ ۚ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-জা‘আলনা-হু কুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াল লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তো একে আরবী কুরআন বানিয়েছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ওটাকে করেছি আরবী ভাষার কুরআন যাতে তোমরা বুঝতে পারে।
Sahih International:
Indeed, We have made it an Arabic Qur'an that you might understand.



وَ اِنَّهٗ فِیْۤ اُمِّ الْکِتٰبِ لَدَیْنَا لَعَلِیٌّ حَکِیْمٌ ؕ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূফীউম্মিল কিতা-বি লাদাইনা-লা‘আলিইয়ুন হাকীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তা আমার কাছে উম্মুল কিতাবে সুউচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, প্রজ্ঞাপূর্ণ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার কাছে তা উম্মুল কিতাবে (লাওহে মাহফুজে) সংরক্ষিত আছে, আর তা হল অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন জ্ঞান-বিজ্ঞানে পূর্ণ।
Sahih International:
And indeed it is, in the Mother of the Book with Us, exalted and full of wisdom.



اَفَنَضْرِبُ عَنْکُمُ الذِّکْرَ صَفْحًا اَنْ کُنْتُمْ قَوْمًا مُّسْرِفِیْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
আফানাদরিবু‘আনকুমুযযিকরা সাফহান আন কুনতুম কাওমাম মুছরিফীন।
আল বায়ান:
তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি, এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে এ উপদেশবাণী সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে নেব?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী জাতি- এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে কুরআন প্রত্যাহার করে নেব?
Sahih International:
Then should We turn the message away, disregarding you, because you are a transgressing people?



وَ کَمْ اَرْسَلْنَا مِنْ نَّبِیٍّ فِی الْاَوَّلِیْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাম আরছালনা-মিন নাবিইয়িন ফিল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আর পূর্ববর্তীদের মধ্যে আমি বহু নবী পাঠিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
পূর্বেকার জাতিগুলোর মধ্যে আমি বহু রসূল পাঠিয়েছিলাম।
Sahih International:
And how many a prophet We sent among the former peoples,



وَ مَا یَاْتِیْهِمْ مِّنْ نَّبِیٍّ اِلَّا کَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়া’তীহিম মিন নাবিইয়িন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহযি’ঊন।
আল বায়ান:
আর যখনই তাদের কাছে কোন নবী এসেছে তারা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে এমন কোন নবী আসেনি যাকে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেনি।
Sahih International:
But there would not come to them a prophet except that they used to ridicule him.



فَاَهْلَکْنَاۤ اَشَدَّ مِنْهُمْ بَطْشًا وَّ مَضٰی مَثَلُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআহলাকনাআশাদ্দা মিনহুম বাতশাওঁ ওয়া মাদা-মাছালুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
ফলে তাদের চেয়েও শক্তিতে প্রবলদেরকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। আর পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত অতীত হয়ে গেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি- যারা ছিল এদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। পূর্বের জাতিগুলোর উদাহরণ অতীত হয়ে গেছে।
Sahih International:
And We destroyed greater than them in [striking] power, and the example of the former peoples has preceded.



وَ لَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ لَیَقُوْلُنَّ خَلَقَهُنَّ الْعَزِیْزُ الْعَلِیْمُ ﴿ۙ۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদালাইয়াকূলুন্না খালাকাহুন্নাল ‘আযীযুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর তুমি যদি জিজ্ঞাসা কর, আসমানসমূহ ও যমীন কে সৃষ্টি করেছেন? তারা অবশ্যই বলবে, মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞই কেবল এগুলো সৃষ্টি করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- আকাশ ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে- ওগুলো প্রবল পরাক্রমশালী মহাজ্ঞানী আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন,
Sahih International:
And if you should ask them, "Who has created the heavens and the earth?" they would surely say, "They were created by the Exalted in Might, the Knowing."



الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الْاَرْضَ مَهْدًا وَّ جَعَلَ لَکُمْ فِیْهَا سُبُلًا لَّعَلَّکُمْ تَهْتَدُوْنَ ﴿ۚ۱۰﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা মাহদাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম ফীহা-ছুবুলাল লা‘আল্লাকুম তাহতাদূন।
আল বায়ান:
যিনি যমীনকে তোমাদের জন্য শয্যা বানিয়েছেন এবং তাতে তোমাদের জন্য বানিয়েছেন চলার পথ, যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পার।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিস্তৃত, আর তাতে তোমাদের জন্য বানিয়েছেন চলার পথ- যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পার।
Sahih International:
[The one] who has made for you the earth a bed and made for you upon it roads that you might be guided



وَ الَّذِیْ نَزَّلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ ۚ فَاَنْشَرْنَا بِهٖ بَلْدَۃً مَّیْتًا ۚ کَذٰلِکَ تُخْرَجُوْنَ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযী নাযযালা মিনাছ ছামাই মাআম বিকাদারিন ফাআনশারনা-বিহী বালদাতাম মাইতান কাযা-লিকা তুখরাজুন।
আল বায়ান:
আর যিনি আসমান থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর আমি তা দ্বারা মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এভাবেই তোমাদেরকে বের করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি আকাশ থেকে পরিমিত পানি বর্ষণ করেন যা দিয়ে তিনি মৃত ভূ-ভাগকে সঞ্জীবিত করেন। এভাবেই তোমাদেরকে বের করা হবে।
Sahih International:
And who sends down rain from the sky in measured amounts, and We revive thereby a dead land - thus will you be brought forth -



وَ الَّذِیْ خَلَقَ الْاَزْوَاجَ کُلَّهَا وَ جَعَلَ لَکُمْ مِّنَ الْفُلْکِ وَ الْاَنْعَامِ مَا تَرْکَبُوْنَ ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযী খালাকাল আযওয়া-জা কুল্লাহা- ওয়াজা‘আলা লাকুম মিনালফুলকি ওলআন‘আমি মাতারকাবূন।
আল বায়ান:
আর যিনি সব কিছুই জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্য নৌযান ও গৃহপালিত জন্তু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা আরোহণ কর,
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি সব কিছুকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, আর তোমাদের জন্য নৌযান ও গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা আরোহণ কর,
Sahih International:
And who created the species, all of them, and has made for you of ships and animals those which you mount.



لِتَسْتَوٗا عَلٰی ظُهُوْرِهٖ ثُمَّ تَذْکُرُوْا نِعْمَۃَ رَبِّکُمْ اِذَا اسْتَوَیْتُمْ عَلَیْهِ وَ تَقُوْلُوْا سُبْحٰنَ الَّذِیْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَ مَا کُنَّا لَهٗ مُقْرِنِیْنَ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
লিতাছতায়ূ‘আলা-জু হূরিহী ছু ম্মা তাযকুরূনি‘মাতা রাব্বিকুম ইযাছতাওয়াইতুম ‘আলাইহি ওয়া তাকূলূছুবহা-নাল্লাযী ছাখখারা লানা-হাযা-ওয়ামা-কুন্না-লাহূমুকরিনীন।
আল বায়ান:
যাতে তোমরা এর পিঠে স্থির থাকতে পার তারপর তোমাদের রবের অনুগ্রহ স্মরণ করবে, যখন তোমরা এর উপর স্থির হয়ে বসবে আর বলবে, ‘পবিত্র-মহান সেই সত্তা যিনি এগুলোকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। আর আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলাম না’।
তাইসিরুল কুরআন:
যাতে তোমরা যখন তাদের পিঠে স্থির হয়ে বস, তখন যেন তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর আর বল- মহান ও পবিত্র তিনি যিনি, এগুলোকে আমাদের (ব্যবহারের জন্য) বশীভূত করে দিয়েছেন, আমরা এগুলোকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না।
Sahih International:
That you may settle yourselves upon their backs and then remember the favor of your Lord when you have settled upon them and say. "Exalted is He who has subjected this to us, and we could not have [otherwise] subdued it.



وَ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাইলা-রাব্বিনা লামুনকালিবূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের দিকে ফিরে যেতে হবে।
Sahih International:
And indeed we, to our Lord, will [surely] return."



وَ جَعَلُوْا لَهٗ مِنْ عِبَادِهٖ جُزْءًا ؕ اِنَّ الْاِنْسَانَ لَکَفُوْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿ؕ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলূলাহূমিন ‘ইবা-দিহী জুযআন ইন্নাল ইনছা-না লাকাফূরুম মুবীন।
আল বায়ান:
আর তারা তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে তাঁর অংশ সাব্যস্ত করেছে। নিশ্চয়ই মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য হতে কতককে আল্লাহর অংশ মনে করে নিয়েছে (যেমন ‘ঈসা (আঃ)-কে তারা আল্লাহর পুত্র মনে করে)। মানুষ অবশ্যই স্পষ্টতঃ অকৃতজ্ঞ।
Sahih International:
But they have attributed to Him from His servants a portion. Indeed, man is clearly ungrateful.



اَمِ اتَّخَذَ مِمَّا یَخْلُقُ بَنٰتٍ وَّ اَصْفٰکُمْ بِالْبَنِیْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
আমিত্তাখাযা মিম্মা-ইয়াখলুকুবানাতিওঁ ওয়া আসফা-কুম বিলবানীন।
আল বায়ান:
তিনি কি যা সৃষ্টি করেছেন তা থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন, আর তোমাদেরকে বিশিষ্ট করেছেন পুত্র সন্তান দ্বারা?
তাইসিরুল কুরআন:
কি! তিনি তাঁরই সৃষ্টি হতে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন আর তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?
Sahih International:
Or has He taken, out of what He has created, daughters and chosen you for [having] sons?



وَ اِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمْ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهٗ مُسْوَدًّا وَّ هُوَ کَظِیْمٌ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-বুশশিরা আহাদুহুম বিমা-দারাবা লিররাহমা-নি মাছালান জাল্লা ওয়াজহুহূ মুছওয়াদ্দাওঁ ওয়া হুওয়া কাজীম।
আল বায়ান:
আর যখন তাদের কাউকে সুসংবাদ দেয়া হয়, যা রহমানের প্রতি তারা দৃষ্টান্ত পেশ করে, তখন তার মুখমন্ডল মলিন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় যে, সে দুঃসহ যাতনাপিষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাউকে যখন সংবাদ দেয়া হয় সেই সন্তানের যা তারা দয়াময় আল্লাহর প্রতি আরোপ করে, তখন তার মুখ মন্ডলে কালিমা ছেয়ে যায়, আর মন দুঃখ বেদনায় ভরে যায়।
Sahih International:
And when one of them is given good tidings of that which he attributes to the Most Merciful in comparison, his face becomes dark, and he suppresses grief.



اَوَ مَنْ یُّنَشَّؤُا فِی الْحِلْیَۃِ وَ هُوَ فِی الْخِصَامِ غَیْرُ مُبِیْنٍ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
আওয়া মাইঁ ইউনাশশাউ ফিল হিলয়াতি ওয়া হুওয়া ফিল খিসা-মি গাইরু মুবীন।
আল বায়ান:
আর যে অলংকারে লালিত পালিত হয়; এবং বিতর্ককালে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদানে অক্ষম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে এমন সন্তান যে অলংকারে লালিত পালিত হয়, আর বিতর্ককালে বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে অসমর্থ?
Sahih International:
So is one brought up in ornaments while being during conflict unevident [attributed to Allah]?



وَ جَعَلُوا الْمَلٰٓئِکَۃَ الَّذِیْنَ هُمْ عِبٰدُ الرَّحْمٰنِ اِنَاثًا ؕ اَشَهِدُوْا خَلْقَهُمْ ؕ سَتُکْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَ یُسْـَٔلُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াজা‘আলুল মালাইকাতাল্লাযীনা হুম ‘ইবা-দুররাহমা-নি ইনা-ছান আশাহিদূ খালকাহুম ছাতুকতাবুশাহা-দাতুহুম ওয়া ইউছআলূন।
আল বায়ান:
আর তারা গণ্য করেছে রহমানের বান্দা ফেরেশতাদেরকে নারী। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে? তাদের সাক্ষ্য অবশ্যই লিখে রাখা হবে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা দয়াময়ের বান্দাহ্ ফেরেশতাদেরকে নারী গণ্য করে। তারা কি ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি সরাসরি দেখেছে? তাদের সাক্ষ্য লিখে রাখা হবে এবং তারা জিজ্ঞাসিত হবে।
Sahih International:
And they have made the angels, who are servants of the Most Merciful, females. Did they witness their creation? Their testimony will be recorded, and they will be questioned.



وَ قَالُوْا لَوْ شَآءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنٰهُمْ ؕ مَا لَهُمْ بِذٰلِکَ مِنْ عِلْمٍ ٭ اِنْ هُمْ اِلَّا یَخْرُصُوْنَ ﴿ؕ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূলাও শাআররাহমা-নুমা-‘আবাদনা-হুম মা-লাহুম বিযা-লিকা মিন ‘ইলমিন ইন হুম ইল্লা-ইয়াখরুসূন।
আল বায়ান:
তারা আর বলে, ‘পরম করুণাময় আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমরা এদের ইবাদাত করতাম না’, এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা শুধু মনগড়া কথা বলছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আরো বলে- দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছে করলে আমরা ওদের পূঁজা করতাম না। এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা শুধু আন্দাজ অনুমানে কথা বলে।
Sahih International:
And they said, "If the Most Merciful had willed, we would not have worshipped them." They have of that no knowledge. They are not but falsifying.



اَمْ اٰتَیْنٰهُمْ کِتٰبًا مِّنْ قَبْلِهٖ فَهُمْ بِهٖ مُسْتَمْسِکُوْنَ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আম আ-তাইনা-হুম কিতা-বাম মিন কাবলিহী ফাহুম বিহী মুছতামছিকূন।
আল বায়ান:
আমি কি তাদেরকে কুরআনের পূর্বে কোন কিতাব দিয়েছি, অতঃপর তারা তা দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আছে?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি তাদেরকে এর (অর্থাৎ কুরআনের) আগে কোন কিতাব দিয়েছি অতঃপর তারা তা অাঁকড়ে ধরে আছে?
Sahih International:
Or have We given them a book before the Qur'an to which they are adhering?



بَلْ قَالُوْۤا اِنَّا وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤی اُمَّۃٍ وَّ اِنَّا عَلٰۤی اٰثٰرِهِمْ مُّهْتَدُوْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
বাল কা-লূইন্না-ওয়াজাদনাআ-বাআনা ‘আলাউম্মাতিওঁ ওয়া ইন্না-‘আলাআছা-রিহিম মুহতাদূন।
আল বায়ান:
বরং তারা বলে, ‘আমরা নিশ্চয় আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এক মতাদর্শের উপর পেয়েছি, আর নিশ্চয় আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণে হিদায়াতপ্রাপ্ত হব’।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং তারা বলে- আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকে এক ধর্মমত পালনরত পেয়েছি আর আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত হয়েছি।
Sahih International:
Rather, they say, "Indeed, we found our fathers upon a religion, and we are in their footsteps [rightly] guided."



وَ کَذٰلِکَ مَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِکَ فِیْ قَرْیَۃٍ مِّنْ نَّذِیْرٍ اِلَّا قَالَ مُتْرَفُوْهَاۤ ۙ اِنَّا وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤی اُمَّۃٍ وَّ اِنَّا عَلٰۤی اٰثٰرِهِمْ مُّقْتَدُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযা-লিকা মাআরছালনা-মিন কাবলিকা ফী কারইয়াতিম মিন নাযীরিন ইল্লা-কালা মুতরাফূহা ইন্না-ওয়াজাদনাআ-বাআনা ‘আলাউম্মাতিওঁ ওয়া ইন্না-‘আলা আ-ছা-রিহিম মুকতাদূ ন।
আল বায়ান:
আর এভাবেই তোমাদের পূর্বে যখনই আমি কোন জনপদে সতর্ককারী পাঠিয়েছি, তখনই সেখানকার বিলাসপ্রিয়রা বলেছে, ‘নিশ্চয় আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এক মতাদর্শের উপর পেয়েছি এবং নিশ্চয় আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করব’।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে তোমার পূর্বে যখনই আমি কোন জনপদে সতর্ককারী (নবী-রসূল) পাঠিয়েছি, তখনই তাদের সম্পদশালী লোকেরা বলেছে- আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এক ধর্মমত পালনরত পেয়েছি আর আমরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করছি।
Sahih International:
And similarly, We did not send before you any warner into a city except that its affluent said, "Indeed, we found our fathers upon a religion, and we are, in their footsteps, following."



قٰلَ اَوَ لَوْ جِئْتُکُمْ بِاَهْدٰی مِمَّا وَجَدْتُّمْ عَلَیْهِ اٰبَآءَکُمْ ؕ قَالُوْۤا اِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ کٰفِرُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আওয়ালাও জি’তুকুম বিআহ দা-মিম্মা-ওয়াজাত্তুম ‘আলাইহি আ-বাআকুম কালূইন্না-বিমাউরছিলতুম বিহী কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
তখন সে (সতর্ককারী) বলেছে, ‘তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যে মতাদর্শে পেয়েছ, আমি যদি তোমাদের কাছে তার চেয়ে উৎকৃষ্ট পথে নিয়ে আসি তবুও কি’? (তোমরা তাদের অনুসরণ করবে?) তারা বলেছে, ‘নিশ্চয় তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তার অস্বীকারকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সেই সতর্ককারী বলত- তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষকে যে ধর্মমতের উপর পেয়েছ, আমি যদি তোমাদের কাছে তার চেয়ে উৎকৃষ্ট ধর্মমত নিয়ে আসি (তবুও কি তোমরা তাদেরই অনুসরণ করবে)? তারা বলতঃ তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি।
Sahih International:
[Each warner] said, "Even if I brought you better guidance than that [religion] upon which you found your fathers?" They said, "Indeed we, in that with which you were sent, are disbelievers."



فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَانْظُرْ کَیْفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ফানতাকামনা-মিনহুম ফানজুর কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুকাযযিবীন।
আল বায়ান:
ফলে আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলাম। অতএব দেখ, মিথ্যারোপকারীদের পরিণতি কেমন হয়েছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করলাম, এখন দেখ, মিথ্যুকদের পরিণতি কী হয়েছিল।
Sahih International:
So we took retribution from them; then see how was the end of the deniers.



وَ اِذْ قَالَ اِبْرٰهِیْمُ لِاَبِیْهِ وَ قَوْمِهٖۤ اِنَّنِیْ بَرَآءٌ مِّمَّا تَعْبُدُوْنَ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযকা-লা ইবরাহীমুলিআবীহি ওয়া কাওমিহীইন্নানী বারাউম মিম্মা-তা‘বুদূন।
আল বায়ান:
আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম স্বীয় পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা যেগুলোর ইবাদাত কর, নিশ্চয় আমি তাদের থেকে সম্পর্কমুক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর, ইবরাহীম (আ.) যখন তার পিতাকে ও তার জাতিকে বলেছিল- তোমরা যেগুলোর পূজা কর, সেগুলো থেকে আমি সম্পর্কহীন।
Sahih International:
And [mention, O Muhammad], when Abraham said to his father and his people, "Indeed, I am disassociated from that which you worship



اِلَّا الَّذِیْ فَطَرَنِیْ فَاِنَّهٗ سَیَهْدِیْنِ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাল্লাযী ফাতারানী ফাইন্নাহূছাইয়াহদীন।
আল বায়ান:
‘তবে (তিনি ছাড়া) যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর নিশ্চয় তিনি আমাকে শীঘ্রই হিদায়াত দিবেন।’
তাইসিরুল কুরআন:
আমার সম্পর্ক আছে শুধু তাঁর সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই আমাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
Sahih International:
Except for He who created me; and indeed, He will guide me."



وَ جَعَلَهَا کَلِمَۃًۢ بَاقِیَۃً فِیْ عَقِبِهٖ لَعَلَّهُمْ یَرْجِعُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলাহা-কালিমাতাম বা-কিয়াতান ফী ‘আকিবিহী লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
আল বায়ান:
আর এটিকে সে তার উত্তরসূরীদের মধ্যে এক চিরন্তন বাণী বানিয়ে রেখে গেল, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করতে পারে।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কথাটিকে সে স্থায়ী বাণীরূপে তার পরবর্তীদের মধ্যে রেখে গেছে, যাতে তারা (আল্লাহর পথে) ফিরে আসে।
Sahih International:
And he made it a word remaining among his descendants that they might return [to it].



بَلْ مَتَّعْتُ هٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَهُمْ حَتّٰی جَآءَهُمُ الْحَقُّ وَ رَسُوْلٌ مُّبِیْنٌ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
বাল মাত্তা‘তুহাউলাইওয়াআ-বাআহুম হাত্তা-জাআহুমুল হাক্কু ওয়া রাছুলুম মুবীন।
আল বায়ান:
বরং তাদের কাছে সত্য ও স্পষ্ট বর্ণনাকারী রাসূল আগমন না করা পর্যন্ত আমি তাদের এবং তাদের পিতৃপুরুষদের ভোগ করার সুযোগ দিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
হ্যাঁ, আমিই তাদেরকে আর তাদের পূর্বপুরুষকে ভোগের সামগ্রী দিয়েছিলাম। অবশেষে তাদের কাছে আসলো সত্য এবং সবকিছু স্পষ্টকারী রসূল।
Sahih International:
However, I gave enjoyment to these [people of Makkah] and their fathers until there came to them the truth and a clear Messenger.



وَ لَمَّا جَآءَهُمُ الْحَقُّ قَالُوْا هٰذَا سِحْرٌ وَّ اِنَّا بِهٖ کٰفِرُوْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-জাআহুমুল হাক্কুকা-লূহা-যা-ছিহরুওঁ ওয়া ইন্না-বিহী কা-ফিরূন।
আল বায়ান:
অথচ যখন সত্য তাদের কাছে আসল তখন তারা বলল, ‘এতো যাদু এবং নিশ্চয় আমরা তা অস্বীকার করছি।’
তাইসিরুল কুরআন:
সত্য যখন তাদের কাছে আসল তখন তারা বলল- এটা যাদু, আমরা এটা মানি না।
Sahih International:
But when the truth came to them, they said, "This is magic, and indeed we are, concerning it, disbelievers."



وَ قَالُوْا لَوْ لَا نُزِّلَ هٰذَا الْقُرْاٰنُ عَلٰی رَجُلٍ مِّنَ الْقَرْیَتَیْنِ عَظِیْمٍ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূলাওলা-নুযযিলা হা-যাল কুরআন-নু‘আলা-রাজুলিম মিনাল কারইয়াতাইনি ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর তারা বলল, ‘এ কুরআন কেন দুই জনপদের মধ্যকার কোন মহান ব্যক্তির উপর নাযিল করা হল না’?।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল- এ কুরআন (মক্কা ও তায়েফ এ) দু’ জনপদের কোন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপর কেন অবতীর্ণ হল না?
Sahih International:
And they said, "Why was this Qur'an not sent down upon a great man from [one of] the two cities?"



اَهُمْ یَقْسِمُوْنَ رَحْمَتَ رَبِّکَ ؕ نَحْنُ قَسَمْنَا بَیْنَهُمْ مَّعِیْشَتَهُمْ فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا وَ رَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجٰتٍ لِّیَتَّخِذَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا سُخْرِیًّا ؕ وَ رَحْمَتُ رَبِّکَ خَیْرٌ مِّمَّا یَجْمَعُوْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
আহুম ইয়াকছিমূনা রাহমাতা রাব্বিকা নাহনুকাছামনা-বাইনাহুম মা‘ঈশাতাহুম ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া-ওয়া রাফা‘না-বা‘দাহুম ফাওকা বা‘দিন দারাজা-তিল লিইয়াত্তাখিযা বা‘দুহুম বা‘দান ছুখরিইইয়াওঁ ওয়া রাহমাতুরাব্বিকা খাইরুম মিম্মা-ইয়াজমা‘ঊন।
আল বায়ান:
তারা কি তোমার রবের রহমত ভাগ-বণ্টন করে? আমিই দুনিয়ার জীবনে তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করে দেই এবং তাদের একজনকে অপর জনের উপর মর্যাদায় উন্নীত করি যাতে একে অপরকে অধিনস্থ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। আর তারা যা সঞ্চয় করে তোমার রবের রহমত তা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের রহমত কি তারা বণ্টন করে (যে তাদের মর্জিমত কুরআন নাযিল করতে হবে)? তাদের মাঝে তাদের জীবিকা আমিই বণ্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং মর্যাদায় এককে অন্যের উপর উন্নত করি যাতে একে অপরের সহায়তায় গ্রহণ করতে পারে। তারা যা সঞ্চয় করে, তোমার প্রতিপালকের রহমত তাত্থেকে উত্তম
Sahih International:
Do they distribute the mercy of your Lord? It is We who have apportioned among them their livelihood in the life of this world and have raised some of them above others in degrees [of rank] that they may make use of one another for service. But the mercy of your Lord is better than whatever they accumulate.



وَ لَوْ لَاۤ اَنْ یَّکُوْنَ النَّاسُ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً لَّجَعَلْنَا لِمَنْ یَّکْفُرُ بِالرَّحْمٰنِ لِبُیُوْتِهِمْ سُقُفًا مِّنْ فِضَّۃٍ وَّ مَعَارِجَ عَلَیْهَا یَظْهَرُوْنَ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাওলাআইঁ ইয়াকূনান্না-ছুউম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাল লাজা‘আলনা-লিমাইঁ ইয়াকফুরু বিররাহমা-নি লিবুইঊতিহিম ছুকু ফাম মিন ফিদ্দাতিওঁ ওয়া মা‘আ-রিজা ‘আলাইহাইয়াজহারূন।
আল বায়ান:
যদি সব মানুষ একই জাতিতে পরিণত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকত, তবে যারা পরম করুণাময়ের প্রতি কুফরী করে আমি তাদের গৃহসমূহের জন্য রৌপ্যনির্মিত ছাদ ও ঊর্ধ্বে আরোহণের সিঁড়ি তৈরী করে দিতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
(সত্যকে অস্বীকার ক’রে) সব এক জাতিতে পরিণত হবে এ আশঙ্কা না থাকলে যারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে তাদেরকে অবশ্যই দিতাম তাদের গৃহের জন্য রৌপ্য নির্মিত ছাদ আর সিঁড়ি যাতে তারা আরোহণ করত।
Sahih International:
And if it were not that the people would become one community [of disbelievers], We would have made for those who disbelieve in the Most Merciful - for their houses - ceilings and stairways of silver upon which to mount



وَ لِبُیُوْتِهِمْ اَبْوَابًا وَّ سُرُرًا عَلَیْهَا یَتَّکِـُٔوْنَ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিবুইউতিহিম আবওয়া-বাওঁ ওয়া ছুরুরান ‘আলাইহা-ইয়াত্তাকিঊন।
আল বায়ান:
আর তাদের গৃহসমূহের জন্য দরজা ও পালঙ্ক, যাতে তারা হেলান দেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের গৃহের জন্য দিতাম দরজা ও পালঙ্ক যাতে তারা হেলান দিয়ে বসত।
Sahih International:
And for their houses - doors and couches [of silver] upon which to recline



وَ زُخْرُفًا ؕ وَ اِنْ کُلُّ ذٰلِکَ لَمَّا مَتَاعُ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا ؕ وَ الْاٰخِرَۃُ عِنْدَ رَبِّکَ لِلْمُتَّقِیْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যুখরুফাওঁ ওয়া ইন কুল্লুযা-লিকা লাম্মা-মাতা‘উল হায়াতিদ্দুনইয়া- ওয়াল আ-খিরাতু‘ইনদা রাব্বিকা লিলমুত্তাকীন।
আল বায়ান:
আর তাদের জন্য স্বর্ণনির্মিত এর সব কয়টিই দুনিয়ার জীবনের ভোগ-সামগ্রী। আর আখিরাত তো তোমার রবের কাছে মুত্তাকীদের জন্য ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর স্বর্ণ নির্মিতও দিতাম। এগুলো সবই তো পার্থিব জীবনের ভোগ্য সামগ্রী মাত্র। আর আখিরাত তোমার প্রতিপালকের কাছে তাদেরই জন্য যারা (আল্লাহকে) ভয় করে।
Sahih International:
And gold ornament. But all that is not but the enjoyment of worldly life. And the Hereafter with your Lord is for the righteous.



وَ مَنْ یَّعْشُ عَنْ ذِکْرِ الرَّحْمٰنِ نُقَیِّضْ لَهٗ شَیْطٰنًا فَهُوَ لَهٗ قَرِیْنٌ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইঁ ইয়া‘শু ‘আন যিকরির রাহমা-নি নুকাইয়িদ লাহূশাইতা-নান ফাহুওয়া লাহূ কারীন।
আল বায়ান:
আর যে পরম করুণাময়ের যিকির থেকে বিমুখ থাকে আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী।
তাইসিরুল কুরআন:
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য শয়ত্বানকে নিয়োজিত করি, অতঃপর সে হয় তার ঘনিষ্ঠ সহচর।
Sahih International:
And whoever is blinded from remembrance of the Most Merciful - We appoint for him a devil, and he is to him a companion.



وَ اِنَّهُمْ لَیَصُدُّوْنَهُمْ عَنِ السَّبِیْلِ وَ یَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহুম লাইয়াসুদ্দূনাহুম ‘আনিছছাবীলি ওয়া ইয়াহছাবূনা আন্নাহুম মুহতাদূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তারাই (শয়তান) মানুষদেরকে আল্লাহর পথ থেকে বাধা দেয়। অথচ মানুষ মনে করে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারাই মানুষকে সৎপথে চলতে অবশ্যই বাধা দেয়, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সঠিক পথে রয়েছে।
Sahih International:
And indeed, the devils avert them from the way [of guidance] while they think that they are [rightly] guided



حَتّٰۤی اِذَا جَآءَنَا قَالَ یٰلَیْتَ بَیْنِیْ وَ بَیْنَکَ بُعْدَ الْمَشْرِقَیْنِ فَبِئْسَ الْقَرِیْنُ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাইযা-জাআনা কা-লা ইয়া-লাইতা বাইনী ওয়া বাইনাকা বু‘দাল মাশরিকাইনি ফাবি‘ছাল কারীন।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন সে আমার নিকট আসবে তখন সে [তার শয়তান সংগীকে উদ্দেশ্য করে] বলবে, ‘হায়, আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব-পশ্চিমের ব্যবধান থাকত’ সুতরাং কতইনা নিকৃষ্ট সে সঙ্গী!
তাইসিরুল কুরআন:
অবশেষে সে যখন আমার কাছে আসবে, তখন শয়ত্বানকে বলবে, হায়! আমার ও তোমার মাঝে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত! কতই না নিকৃষ্ট সহচর সে!
Sahih International:
Until, when he comes to Us [at Judgement], he says [to his companion], "Oh, I wish there was between me and you the distance between the east and west - how wretched a companion."



وَ لَنْ یَّنْفَعَکُمُ الْیَوْمَ اِذْ ظَّلَمْتُمْ اَنَّکُمْ فِی الْعَذَابِ مُشْتَرِکُوْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাইঁ ইয়ানফা‘আকুমুল ইয়াওমা ইযজালামতুম আন্নাকুম ফিল ‘আযা-বি মুশতারিকূন।
আল বায়ান:
আর আজ তা [তোমাদের এই অনুতাপ] তোমাদের কোন উপকারেই আসবে না। যেহেতু তোমরা যুলম করেছিলে। নিশ্চয় তোমরা আযাবে পরস্পর অংশীদার হয়ে থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের হা-হুতাশ আজ তোমাদের কোন কাজে আসবে না যেহেতু তোমরা সীমালঙ্ঘন করেছিলে। তোমরা হবে শাস্তির অংশীদার।
Sahih International:
And never will it benefit you that Day, when you have wronged, that you are [all] sharing in the punishment.



اَفَاَنْتَ تُسْمِعُ الصُّمَّ اَوْ تَهْدِی الْعُمْیَ وَ مَنْ کَانَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
আফাআনতা তুছমি‘উস সুম্মা আও তাহ দিল ‘উমইয়া ওয়া মান কা-না ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
তুমি কি বধিরকে শুনাতে পারবে অথবা হিদায়াত করতে পারবে অন্ধকে এবং তাকে যে স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছে?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি বধিরকে শুনাতে পারবে অথবা যে অন্ধ আর যে আছে সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টের মধ্যে তাকে সৎপথ দেখাতে পারবে?
Sahih International:
Then will you make the deaf hear, [O Muhammad], or guide the blind or he who is in clear error?



فَاِمَّا نَذْهَبَنَّ بِکَ فَاِنَّا مِنْهُمْ مُّنْتَقِمُوْنَ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ফাইম্মা-নাযহাবান্না বিকা ফাইন্না-মিনহুম মুনতাকিমূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যদি আমি তোমাকে নিয়ে যাই, তবে নিশ্চয় আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি যদি তোমাকে (দুনিয়া থেকে) নিয়েও যাই, তবু আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব।
Sahih International:
And whether [or not] We take you away [in death], indeed, We will take retribution upon them.



اَوْ نُرِیَنَّکَ الَّذِیْ وَعَدْنٰهُمْ فَاِنَّا عَلَیْهِمْ مُّقْتَدِرُوْنَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
আও নুরিইয়ান্নাকাল্লাযী ওয়া ‘আদনা-হুম ফাইন্না ‘আলাইহিম মুকতাদিরূন।
আল বায়ান:
অথবা আমি তাদের যে শাস্তির ওয়াদা দিয়েছি তা যদি তোমাকে প্রত্যক্ষ করাই, তবে নিশ্চয় আমি তাদের উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান থাকব।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা আমি তাদেরকে যে ‘আযাবের ও‘য়াদা দিয়েছি তা যদি তোমাকে দেখিয়ে দেই (আমার পক্ষে সবই সম্ভব), কারণ তাদের উপর আমার পূর্ণ ক্ষমতা আছে।
Sahih International:
Or whether [or not] We show you that which We have promised them, indeed, We are Perfect in Ability.



فَاسْتَمْسِکْ بِالَّذِیْۤ اُوْحِیَ اِلَیْکَ ۚ اِنَّکَ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
ফাছতামছিক বিল্লাযীঊহিয়া ইলাইকা ইন্নাকা ‘আলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
অতএব তোমার প্রতি যা ওহী করা হয়েছে তাকে তুমি সুদৃঢ়ভাবে ধারণ কর। নিশ্চয় তুমি সরল পথের উপর রয়েছ।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমার প্রতি যা ওয়াহী করা হয় তুমি তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর, কেননা তুমি তো আছ সরল সঠিক পথে।
Sahih International:
So adhere to that which is revealed to you. Indeed, you are on a straight path.



وَ اِنَّهٗ لَذِکْرٌ لَّکَ وَ لِقَوْمِکَ ۚ وَ سَوْفَ تُسْـَٔلُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলাযিকরুল্লাকা ওয়া লিকাওমিকা ওয়া ছাওফা তুছআলূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্য এবং তোমার কওমের জন্য উপদেশ। আর অচিরেই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কুরআন হল অবশ্যই তোমার জন্য আর তোমার জাতির জন্য উপদেশ বাণী। আর এ সম্পর্কে অচিরেই তোমাদেরকে জওয়াবদিহি করতে হবে।
Sahih International:
And indeed, it is a remembrance for you and your people, and you [all] are going to be questioned.



وَ سْـَٔلْ مَنْ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِکَ مِنْ رُّسُلِنَاۤ اَجَعَلْنَا مِنْ دُوْنِ الرَّحْمٰنِ اٰلِـهَۃً یُّعْبَدُوْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছআল মান আরছালনা-মিন কাবলিকা মিররুছুলিনাআজা‘আলনা-মিন দূনিররাহমা-নি আ-লিহাতাইঁ ইউ‘বাদূন।
আল বায়ান:
আর তোমার পূর্বে আমি রাসূলগণ থেকে যাদের প্রেরণ করেছিলাম তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখ, আমি কি রহমানের পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম, যাদের ইবাদাত করা যাবে?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার পূর্বে যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তাদেরকে জিজ্ঞেস কর (অর্থাৎ তাদের কিতাব দেখ ও তাদের সত্যিকার অনুসারীদের নিকট যাচাই কর) আমি কি দয়াময় আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ স্থির করেছিলাম যাদের ‘ইবাদাত করতে হবে?
Sahih International:
And ask those We sent before you of Our messengers; have We made besides the Most Merciful deities to be worshipped?



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا مُوْسٰی بِاٰیٰتِنَاۤ اِلٰی فِرْعَوْنَ وَ مَلَا۠ئِهٖ فَقَالَ اِنِّیْ رَسُوْلُ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-মূছা-বিআ-য়া-তিনাইলা-ফিরআ‘ওনা ওয়া মালাইহী ফাকা-লা ইন্নী রাছূলুরাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী দিয়ে ফির‘আউন ও তার নেতৃবর্গের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে বলেছিল, ‘নিশ্চয় আমি সৃষ্টিকুলের রবের একজন রাসূল’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মূসাকে আমার নিদর্শনসহ ফেরাউন ও তার প্রধানদের নিকট পাঠিয়েছিলাম। মূসা (আ.) বলেছিল- আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালকের রসূল।
Sahih International:
And certainly did We send Moses with Our signs to Pharaoh and his establishment, and he said, "Indeed, I am the messenger of the Lord of the worlds."



فَلَمَّا جَآءَهُمْ بِاٰیٰتِنَاۤ اِذَا هُمْ مِّنْهَا یَضْحَکُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-জাআহুম বিআ-য়া-তিনাইযা হুম মিনহা-ইয়াদহাকূন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন সে আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে তাদের কাছে আসল, তখন তারা তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগল।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে আমার আয়াতসমূহ নিয়ে তাদের কাছে আসলো, তখন তারা তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগল।
Sahih International:
But when he brought them Our signs, at once they laughed at them.



وَ مَا نُرِیْهِمْ مِّنْ اٰیَۃٍ اِلَّا هِیَ اَکْبَرُ مِنْ اُخْتِهَا ۫ وَ اَخَذْنٰهُمْ بِالْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ یَرْجِعُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-নূরীহিম মিন আ-য়া-তিন ইল্লা-হিয়া আকবারু মিন উখতিহা- ওয়া আখাযনা-হুম বিল ‘আযা-বি লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
আল বায়ান:
আমি তাদের যে নিদর্শনই দেখাইনা কেন তা ছিল তার অনুরূপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। আর আমি তাদেরকে আযাবের মাধ্যমে পাকড়াও করলাম, যাতে তারা ফিরে আসে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে যে নিদর্শনই দেখাতাম তা হত পূর্ববর্তী নিদর্শন থেকে বড়। আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম যাতে তারা (আমার পথে) ফিরে আসে।
Sahih International:
And We showed them not a sign except that it was greater than its sister, and We seized them with affliction that perhaps they might return [to faith].



وَ قَالُوْا یٰۤاَیُّهَ السّٰحِرُ ادْعُ لَنَا رَبَّکَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَکَ ۚ اِنَّنَا لَمُهْتَدُوْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকা-লূইয়াআইয়ুহাছছা-হিরুদ‘উলানা-রাব্বাকা বিমা-‘আহিদা ‘ইনদাকা ইন্নানালামুহতাদূ ন।
আল বায়ান:
আর তারা বলল, ‘হে যাদুকর, তোমার রবের কাছে তুমি আমাদের জন্য তাই প্রার্থনা কর, যার ওয়াদা তিনি তোমার সাথে করেছেন। নিশ্চয় আমরা হিদায়াতের পথে আসব।’
তাইসিরুল কুরআন:
(শাস্তিতে আক্রান্ত হয়ে) তারা বলেছিল- ওহে যাদুকর! তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালকের কাছে তা চাও যার ও‘য়াদা তিনি তোমার কাছে করেছেন। আমরা অবশ্যই সৎপথে চলব।
Sahih International:
And they said [to Moses], "O magician, invoke for us your Lord by what He has promised you. Indeed, we will be guided."



فَلَمَّا کَشَفْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ اِذَا هُمْ یَنْکُثُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-কাশাফনা-‘আনহুমুল ‘আযা-বা ইযা-হুম ইয়ানকুছূ ন।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন আমি তাদের থেকে আযাব সরিয়ে নিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বসল।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু যখনই আমি তাদের থেকে শাস্তি সরিয়ে দিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বসল।
Sahih International:
But when We removed from them the affliction, at once they broke their word.



وَ نَادٰی فِرْعَوْنُ فِیْ قَوْمِهٖ قَالَ یٰقَوْمِ اَلَیْسَ لِیْ مُلْکُ مِصْرَ وَ هٰذِهِ الْاَنْهٰرُ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِیْ ۚ اَفَلَا تُبْصِرُوْنَ ﴿ؕ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ানা-দা-ফির‘আওনুফী কাওমিহী কা-লা ইয়া-কাওমি আলাইছা লী মুলকুমিসরা ওয়া হাযিহিল আনহা-রু তাজরী মিন তাহতী আফালা-তুবসিরূন।
আল বায়ান:
আর ফির‘আউন তার কওমের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে বলল, ‘হে আমার কওম, মিসরের রাজত্ব কি আমার নয়? আর এ সব নদ-নদী কি আমার পাদদেশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না, তোমরা কি দেখছ না’?
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন তার সম্প্রদায়ের মাঝে ঘোষণা দিল। বলল- হে আমার সম্প্রদায়! মিসরের রাজত্ব কি আমার নয়? আর এ সব নদনদী আমার নীচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, তোমরা কি তা দেখ না?
Sahih International:
And Pharaoh called out among his people; he said, "O my people, does not the kingdom of Egypt belong to me, and these rivers flowing beneath me; then do you not see?



اَمْ اَنَا خَیْرٌ مِّنْ هٰذَا الَّذِیْ هُوَ مَهِیْنٌ ۬ۙ وَّ لَا یَکَادُ یُبِیْنُ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
আম আনা খাইরুম মিন হা-যাল্লাযী হুওয়া মাহীনুওঁ ওয়ালা-ইয়াকা-দুইউবীন।
আল বায়ান:
‘আমি কি এই ব্যক্তি থেকে শ্রেষ্ঠ নই, যে হীন এবং স্পষ্ট বর্ণনা করতে প্রায় অক্ষম’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি এ লোক থেকে শ্রেষ্ঠ নই যে নীচ, যে নিজের কথাটিও স্পষ্ট করে বলতে অক্ষম!
Sahih International:
Or am I [not] better than this one who is insignificant and hardly makes himself clear?



فَلَوْ لَاۤ اُلْقِیَ عَلَیْهِ اَسْوِرَۃٌ مِّنْ ذَهَبٍ اَوْ جَآءَ مَعَهُ الْمَلٰٓئِکَۃُ مُقْتَرِنِیْنَ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ফালাওলাউলকিয়া ‘আলাইহি আছবিরাতুমমিনযাহাবিন আও জাআ মা‘আহুল মালাইকাতুমুকতারিনীন।
আল বায়ান:
‘তবে তাকে কেন স্বর্ণবলয় প্রদান করা হল না অথবা দলবদ্ধভাবে ফেরেশতাগণ তার সাথে কেন আসল না?’
তাইসিরুল কুরআন:
(সে যদি আল্লাহর রসূলই হয়ে থাকে) তাহলে তাঁকে কেন স্বর্ণ কঙ্কন দেয়া হল না? অথবা সারিবদ্ধভাবে ফেরেশতারা কেন তার সাথে আসল না?
Sahih International:
Then why have there not been placed upon him bracelets of gold or come with him the angels in conjunction?"



فَاسْتَخَفَّ قَوْمَهٗ فَاَطَاعُوْهُ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِیْنَ ﴿۵۴﴾
উচ্চারণ:
ফাছতাখাফফা কাওমাহূফাআতা-‘ঊহু ইন্নাহুম কা-নূকাওমান ফা-ছিকীন।
আল বায়ান:
এভাবেই সে তার কওমকে বোকা বানালো, ফলে তারা তার আনুগত্য করল। নিশ্চয় তারা ছিল এক ফাসিক কওম।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে সে তার জাতির লোকেদের বোকা বানিয়ে দিল। ফলে তারা তার কথা মেনে নিল। তারা ছিল এক পাপাচারী সম্প্রদায়।
Sahih International:
So he bluffed his people, and they obeyed him. Indeed, they were [themselves] a people defiantly disobedient [of Allah].



فَلَمَّاۤ اٰسَفُوْنَا انْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَاَغْرَقْنٰهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿ۙ۵۵﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মাআ-ছাফূনানতাকামনা-মিনহুম ফাআগরাকনা-হুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
তারপর যখন তারা আমাকে ক্রোধান্বিত করল, তখন আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করলাম এবং তাদের সকলকে নিমজ্জিত করে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যখন আমাকে রাগান্বিত করল, তখন আমি তাদের উপর প্রতিশোধ নিলাম, অতঃপর সব্বাইকে ডুবিয়ে মারলাম।
Sahih International:
And when they angered Us, We took retribution from them and drowned them all.



فَجَعَلْنٰهُمْ سَلَفًا وَّ مَثَلًا لِّلْاٰخِرِیْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ফাজা‘আলনা-হুম ছালাফাওঁ ওয়া মাছালালিলল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
ফলে আমি তাদেরকে পরবর্তীদের জন্য অতীত ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত বানালাম।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে আমি তাদেরকে করলাম অতীতের মানুষ আর পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত।
Sahih International:
And We made them a precedent and an example for the later peoples.



وَ لَمَّا ضُرِبَ ابْنُ مَرْیَمَ مَثَلًا اِذَا قَوْمُکَ مِنْهُ یَصِدُّوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাম্মা-দুরিবাবনুমারইয়ামা মাছালান ইযা-কাওমুকা মিনহু ইয়াসিদ্দূন।
আল বায়ান:
আর যখনই মারইয়াম পুত্রকে দৃষ্টান্তস্বরূপ পেশ করা হয়, তখন তোমার কওম শোরগোল শুরু করে দেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন মারইয়াম-পুত্র ‘ঈসার দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়, তখন তোমার জাতির লোকেরা হট্টগোল শুরু করে দেয়,
Sahih International:
And when the son of Mary was presented as an example, immediately your people laughed aloud.



وَ قَالُوْۤاءَ اٰلِهَتُنَا خَیْرٌ اَمْ هُوَ ؕ مَا ضَرَبُوْهُ لَکَ اِلَّا جَدَلًا ؕ بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُوْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূআ আ-লিহাতুনা-খাইরুন আম হুওয়া মা-দারাবূহু লাকা ইল্লা-জাদালান বাল হুম কাওমুন খাসিমূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ নাকি ঈসা’? তারা কেবল কূটতর্কের খাতিরেই তাকে তোমার সামনে পেশ করে। বরং এরাই এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং বলে আমাদের উপাস্যরা উত্তম না ‘ঈসা? (কারণ খৃস্টানরা ‘ঈসাকে উপাস্য বানিয়েছে আর আমরা মক্কাবাসীরা উপাস্য বানিয়েছি অন্যদেরকে)। তারা শুধু বিতর্ক সৃষ্টির উদ্দেশেই তোমার সামনে এ দৃষ্টান্ত পেশ করে। আসলে তারা হল এক ঝগড়াটে জাতি।
Sahih International:
And they said, "Are your gods better, or is he?" They did not present the comparison except for [mere] argument. But, [in fact], they are a people prone to dispute.



اِنْ هُوَ اِلَّا عَبْدٌ اَنْعَمْنَا عَلَیْهِ وَ جَعَلْنٰهُ مَثَلًا لِّبَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ ﴿ؕ۵۹﴾
উচ্চারণ:
ইন হুওয়া ইল্লা- ‘আবদুন আন‘আমনা- ‘আলাইহি ওয়া জা‘আলনা-হুমাছালাল লিবানীইছরাঈল।
আল বায়ান:
সে কেবল আমার এক বান্দা। আমি তার উপর অনুগ্রহ করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলের জন্য তাকে দৃষ্টান্ত বানিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
মারইয়াম-পুত্র তো শুধু একজন বান্দাহ যার প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলাম আর বানী ইসরাঈলের জন্য আমি তাকে করেছিলাম (আমার কুদরাতের বিশেষ এক) নমুনা।
Sahih International:
Jesus was not but a servant upon whom We bestowed favor, and We made him an example for the Children of Israel.



وَ لَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنَا مِنْکُمْ مَّلٰٓئِکَۃً فِی الْاَرْضِ یَخْلُفُوْنَ ﴿۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও নাশাউ লাজা‘আলনা-মিনকুম মালাইকাতান ফিল আরদিইয়াখলুফূন।
আল বায়ান:
আর যদি আমি চাইতাম, তবে আমি তোমাদের পরিবর্তে ফেরেশতা সৃষ্টি করে পাঠাতাম যারা যমীনে তোমাদের উত্তরাধিকার হত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইচ্ছে করলে তোমাদের মধ্য হতে ফেরেশতা পয়দা করতে পারি যারা পর পর উত্তরাধিকারী হবে।
Sahih International:
And if We willed, We could have made [instead] of you angels succeeding [one another] on the earth.



وَ اِنَّهٗ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَۃِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَ اتَّبِعُوْنِ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলা‘ইলমুল লিছছা-‘আতি ফালা-তামতারুন্না বিহা-ওয়াত্তাবি‘ঊনি হা-যাসিরাতুম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় সে (ঈসা) হবে কিয়ামতের এক সুনিশ্চিত আলামত। সুতরাং তোমরা কিয়ামত সম্পর্কে সংশয় পোষণ করো না। তোমরা আমারই অনুসরণ কর। এটিই সরল পথ।
তাইসিরুল কুরআন:
‘ঈসা (’র দুনিয়াতে পুনরায় আগমন) ক্বিয়ামতের একটি নিশ্চিত নিদর্শন। অতএব তোমরা ক্বিয়ামতে সন্দেহ পোষণ করো না আর আমার অনুসরণ কর, এটাই সরল সঠিক পথ।
Sahih International:
And indeed, Jesus will be [a sign for] knowledge of the Hour, so be not in doubt of it, and follow Me. This is a straight path.



وَ لَا یَصُدَّنَّکُمُ الشَّیْطٰنُ ۚ اِنَّهٗ لَکُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-ইয়াসুদ্দান্নাকুমুশ শাইতা-নু ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।
আল বায়ান:
শয়তান যেন তোমাদের কিছুতেই বাধা দিতে না পারে। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
তাইসিরুল কুরআন:
শয়ত্বান তোমাদেরকে (সৎ পথে চলতে) কিছুতেই যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে তোমাদের খোলাখুলি দুশমন।
Sahih International:
And never let Satan avert you. Indeed, he is to you a clear enemy.



وَ لَمَّا جَآءَ عِیْسٰی بِالْبَیِّنٰتِ قَالَ قَدْ جِئْتُکُمْ بِالْحِکْمَۃِ وَ لِاُبَیِّنَ لَکُمْ بَعْضَ الَّذِیْ تَخْتَلِفُوْنَ فِیْهِ ۚ فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ ﴿۶۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম্মা-জাআ ‘ঈছা-বিলবাইয়িনা-তি কা-লা কাদ জি’তুকুম বিলহিকমাতি ওয়া লিউবাইয়িনা লাকুম বা‘দাল্লাযী তাখতালিফূনা ফীহি ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়াআতী‘ঊন।
আল বায়ান:
আর যখন ঈসা সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসল, তখন সে বলল, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের কাছে হিকমত নিয়ে এসেছি এবং এসেছি তোমরা যে কতক বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত তা স্পষ্ট করে দিতে। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
‘ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল তখন সে বলেছিল- আমি তোমাদের কাছে হিকমত নিয়ে এসেছি আর এসেছি কতকগুলো বিষয় স্পষ্ট করার জন্য যাতে তোমরা মতভেদ করছ। কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর আমার কথা মান্য কর।
Sahih International:
And when Jesus brought clear proofs, he said, "I have come to you with wisdom and to make clear to you some of that over which you differ, so fear Allah and obey me.



اِنَّ اللّٰهَ هُوَ رَبِّیْ وَ رَبُّکُمْ فَاعْبُدُوْهُ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লা-হা হুওয়া রাববী ওয়া রাব্বুকুম ফা‘বুদূ হু হা-যা-সিরাতুম মুছতাকীম।
আল বায়ান:
‘নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই আমার রব ও তোমাদের রব। অতএব তাঁর ইবাদাত কর; এটিই সরল পথ’।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তিনি তো আমারও রবব আর তোমাদেরও রবব, কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল সঠিক পথ।
Sahih International:
Indeed, Allah is my Lord and your Lord, so worship Him. This is a straight path."



فَاخْتَلَفَ الْاَحْزَابُ مِنْۢ بَیْنِهِمْ ۚ فَوَیْلٌ لِّلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مِنْ عَذَابِ یَوْمٍ اَلِیْمٍ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
ফাখতালাফাল আহযা-বুমিম বাইনিহিম ফাওয়াইলুলিলল্লাযীনা জালামূমিন ‘আযা-বি ইয়াওমিন আলীম।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদের মধ্যকার কতগুলি দল মতভেদ করেছিল। সুতরাং যালিমদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক দিনের আযাবের দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদের বিভিন্ন দল নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য করল। কাজেই যালিমদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক দিনের ‘আযাবের দুর্ভোগ।
Sahih International:
But the denominations from among them differed [and separated], so woe to those who have wronged from the punishment of a painful Day.



هَلْ یَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَۃَ اَنْ تَاْتِیَهُمْ بَغْتَۃً وَّ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ ﴿۶۶﴾
উচ্চারণ:
হাল ইয়ানজুরূনা ইল্লাছছা-‘আতা আন তা’তিয়াহুম বাগতাতাওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
আল বায়ান:
তারা তো তাদের অজ্ঞাতসারে অকস্মাৎ কিয়ামত আসার অপেক্ষা করছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি তাদের উপর ক্বিয়ামত অকস্মাৎ এসে পড়ার অপেক্ষা করছে যা তারা টেরও পাবে না।
Sahih International:
Are they waiting except for the Hour to come upon them suddenly while they perceive not?



اَلْاَخِلَّآءُ یَوْمَئِذٍۭ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ اِلَّا الْمُتَّقِیْنَ ﴿ؕ۶۷﴾
উচ্চারণ:
আলআখিল্লাউ ইয়াওমাইযিম বা‘দুহুম লিবা‘দিন ‘আদুওউন ইল্লাল মুত্তাকীন।
আল বায়ান:
সেদিন বন্ধুরা একে অন্যের শত্রু হবে, মুত্তাকীরা ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
বন্ধুরা সেদিন হয়ে যাবে একজন আরেকজনের দুশমন, তবে মুত্তাকীরা ছাড়া।
Sahih International:
Close friends, that Day, will be enemies to each other, except for the righteous



یٰعِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَیْکُمُ الْیَوْمَ وَ لَاۤ اَنْتُمْ تَحْزَنُوْنَ ﴿ۚ۶۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-‘ইবাদি লা-খাওফুন ‘আলাইকুমুল ইয়াওমা ওয়ালাআনতুম তাহযানূন।
আল বায়ান:
হে আমার বান্দাগণ, আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা চিন্তিতও হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
(মুত্তাকীদেরকে বলা হবে) হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নেই আর তোমরা দুঃখিতও হবে না-
Sahih International:
[To whom Allah will say], "O My servants, no fear will there be concerning you this Day, nor will you grieve,



اَلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا بِاٰیٰتِنَا وَ کَانُوْا مُسْلِمِیْنَ ﴿ۚ۶۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা আ-মানূবিআ-য়া-তিনা-ওয়া কা-নূমুছলিমীন।
আল বায়ান:
যারা আমার আয়াতে ঈমান এনেছিল এবং যারা ছিল মুসলিম।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করেছিলে এবং অনুগত ছিলে।
Sahih International:
[You] who believed in Our verses and were Muslims.



اُدْخُلُوا الْجَنَّۃَ اَنْتُمْ وَ اَزْوَاجُکُمْ تُحْبَرُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
উদখুলুল জান্নাতা আনতুম ওয়া আযওয়া-জুকুম তুহবারূন।
আল বায়ান:
তোমরা সস্ত্রীক সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর তোমরা আর তোমাদের স্ত্রীরা।
Sahih International:
Enter Paradise, you and your kinds, delighted."



یُطَافُ عَلَیْهِمْ بِصِحَافٍ مِّنْ ذَهَبٍ وَّ اَکْوَابٍ ۚ وَ فِیْهَا مَا تَشْتَهِیْهِ الْاَنْفُسُ وَ تَلَذُّ الْاَعْیُنُ ۚ وَ اَنْتُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ ﴿ۚ۷۱﴾
উচ্চারণ:
ইউতা-ফু‘আলাইহিম বিসিহা-ফিম মিন যাহাবিওঁ ওয়া আকওয়া-বিওঁ ওয়া ফীহা-মাতাশতাহীহিল আনফুছুওয়া তালাযযুল আ‘ইউনু ওয়া আনতুম ফীহা-খা-লিদূ ন।
আল বায়ান:
স্বর্ণখচিত থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে, সেখানে মন যা চায় আর যাতে চোখ তৃপ্ত হয় তা-ই থাকবে এবং সেখানে তোমরা হবে স্থায়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কাছে চক্রাকারে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পান পাত্র। সেখানে তা-ই আছে মন যা চাইবে, আর চোখ যাতে তৃপ্ত হবে। তোমরা তাতে চিরকাল থাকবে।
Sahih International:
Circulated among them will be plates and vessels of gold. And therein is whatever the souls desire and [what] delights the eyes, and you will abide therein eternally.



وَ تِلْکَ الْجَنَّۃُ الَّتِیْۤ اُوْرِثْتُمُوْهَا بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তিলকাল জান্নাতুল্লাতীঊরিছতুমূহা-বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
আর এটিই জান্নাত, নিজদের আমলের ফলস্বরূপ তোমাদেরকে এর অধিকারী করা হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
এই হল জান্নাত তোমাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করা হয়েছে, কারণ তোমরা (সৎ) ‘আমাল করেছিলে।
Sahih International:
And that is Paradise which you are made to inherit for what you used to do.



لَکُمْ فِیْهَا فَاکِهَۃٌ کَثِیْرَۃٌ مِّنْهَا تَاْکُلُوْنَ ﴿۷۳﴾
উচ্চারণ:
লাকুম ফীহা-ফা-কিহাতুন কাছীরাতুম মিনহা-তা’কুলূন।
আল বায়ান:
সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক ফলমূল, যা থেকে তোমরা খাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের জন্য সেখানে আছে প্রচুর ফল যাত্থেকে তোমরা খাবে।
Sahih International:
For you therein is much fruit from which you will eat.



اِنَّ الْمُجْرِمِیْنَ فِیْ عَذَابِ جَهَنَّمَ خٰلِدُوْنَ ﴿ۚۖ۷۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুজরিমীনা ফী ‘আযা-বি জাহান্নামা খা-লিদূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় অপরাধীরা জাহান্নামের আযাবে স্থায়ী হবে;
তাইসিরুল কুরআন:
(আর অন্যদিকে) অপরাধীরা জাহান্নামের ‘আযাবে চিরকাল থাকবে।
Sahih International:
Indeed, the criminals will be in the punishment of Hell, abiding eternally.



لَا یُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَ هُمْ فِیْهِ مُبْلِسُوْنَ ﴿ۚ۷۵﴾
উচ্চারণ:
লা-ইউফাত্তারু ‘আনহুম ওয়া হুম ফীহি মুবলিছূন।
আল বায়ান:
তাদের থেকে আযাব কমানো হবে না এবং তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের শাস্তি কমানো হবে না, আর তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।
Sahih International:
It will not be allowed to subside for them, and they, therein, are in despair.



وَ مَا ظَلَمْنٰهُمْ وَ لٰکِنْ کَانُوْا هُمُ الظّٰلِمِیْنَ ﴿۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-জালামনা-হুম ওয়ালা-কিন কা-নূহুমুজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদের উপর যুলম করিনি; কিন্তু তারাই ছিল যালিম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের উপর যুলম করিনি, বরং তারা নিজেরাই যালিম ছিল।
Sahih International:
And We did not wrong them, but it was they who were the wrongdoers.



وَ نَادَوْا یٰمٰلِکُ لِیَقْضِ عَلَیْنَا رَبُّکَ ؕ قَالَ اِنَّکُمْ مّٰکِثُوْنَ ﴿۷۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ানা-দাও ইয়া-মা-লিকুলিইয়াকদি ‘আলাইনা-রাব্বুকা কা-লা ইন্নাকুম মা-কিছূন।
আল বায়ান:
তারা চিৎকার করে বলবে, ‘হে মালিক, তোমার রব যেন আমাদেরকে শেষ করে দেন’। সে বলবে, ‘নিশ্চয় তোমরা অবস্থানকারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা চীৎকার ক’রে বলবে- হে ‘মালেক (জাহান্নামের দাড়োয়ান)! তোমার প্রতিপালক যেন আমাদের দফারফা ক’রে দেন। সে জওয়াব দিবে- ‘তোমরা (এ অবস্থাতেই পড়ে) থাকবে’।
Sahih International:
And they will call, "O Malik, let your Lord put an end to us!" He will say, "Indeed, you will remain."



لَقَدْ جِئْنٰکُمْ بِالْحَقِّ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَکُمْ لِلْحَقِّ کٰرِهُوْنَ ﴿۷۸﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ জি’না-কুম বিল হাক্কিওয়ালা-কিন্না আকছারাকুম লিলহাক্কিকা-রিহূন।
আল বায়ান:
‘অবশ্যই তোমাদের কাছে আমি সত্য নিয়ে এসেছিলাম; কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্য অপছন্দকারী*।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্যকে অপছন্দকারী।
Sahih International:
We had certainly brought you the truth, but most of you, to the truth, were averse.



اَمْ اَبْرَمُوْۤا اَمْرًا فَاِنَّا مُبْرِمُوْنَ ﴿ۚ۷۹﴾
উচ্চারণ:
আম আবরামূআমরান ফাইন্না মুবরিমুন।
আল বায়ান:
না কি তারা কোন ব্যাপারে পাকা সিদ্ধান্ত নিয়েছে? নিশ্চয় আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি (নিজেদের মধ্যে সলা-পরামর্শ করে কোন) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো আমিই নিয়ে থাকি (যাবতীয় ব্যাপারে আল্লাহ যা চান তাই শেষে ঘটে)।
Sahih International:
Or have they devised [some] affair? But indeed, We are devising [a plan].



اَمْ یَحْسَبُوْنَ اَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَ نَجْوٰىهُمْ ؕ بَلٰی وَ رُسُلُنَا لَدَیْهِمْ یَکْتُبُوْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
আম ইয়াহছাবূনা আন্না-লা-নাছমা‘উ ছির রাহুম ওয়া নাজওয়া-হুম বালা-ওয়া রুছুলুনালাদাইহিম ইয়াকতুবূন।
আল বায়ান:
না কি তারা মনে করে, আমি তাদের গোপনীয় বিষয় ও নিভৃত সলাপরামর্শ শুনতে পাই না? অবশ্যই হ্যাঁ, আর আমার ফেরেশতাগণ তাদের কাছে থেকে লিখছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন কথা, গোপন পরামর্শ শুনি না? নিশ্চয়ই শুনি, আর আমার ফেরেশতারাহ তাদের কাছে থেকে লিখে নেয়।
Sahih International:
Or do they think that We hear not their secrets and their private conversations? Yes, [We do], and Our messengers are with them recording.



قُلْ اِنْ کَانَ لِلرَّحْمٰنِ وَلَدٌ ٭ۖ فَاَنَا اَوَّلُ الْعٰبِدِیْنَ ﴿۸۱﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন কা-না লিররাহমা-নি ওয়ালাদুন ফাআনা-আওওয়ালুল ‘আ-বিদীন।
আল বায়ান:
বল, ‘রহমানের যদি সন্তান থাকত তবে আমি প্রথম তাঁর ইবাদাতকারী হতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- দয়াময়ের কোন সন্তান থাকলে আমিই তার সর্বপ্রথম ‘ইবাদাতকারী হতাম।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "If the Most Merciful had a son, then I would be the first of [his] worshippers."



سُبْحٰنَ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا یَصِفُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ছুবহা-না রাব্বিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিরাব্বিল ‘আরশি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
আল বায়ান:
তারা যা আরোপ করে, আসমানসমূহ ও যমীনের রব এবং আরশের রব তা থেকে পবিত্র-মহান।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যা (তাঁর প্রতি) আরোপ করে তা হতে আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক ‘আরশের পালনকর্তা মহান, পবিত্র।
Sahih International:
Exalted is the Lord of the heavens and the earth, Lord of the Throne, above what they describe.



فَذَرْهُمْ یَخُوْضُوْا وَ یَلْعَبُوْا حَتّٰی یُلٰقُوْا یَوْمَهُمُ الَّذِیْ یُوْعَدُوْنَ ﴿۸۳﴾
উচ্চারণ:
ফাযারহুম ইয়াখূদূওয়া ইয়াল‘আবূহাত্তা-ইউলা-কূইয়াওমা হুমুল্লাযী ইঊ‘আদূন।
আল বায়ান:
অতএব তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা মগ্ন থাকুক বেহুদা কথায় আর খেল-তামাশায় মত্ত থাকুক যতক্ষণ না সেদিনের সাথে তারা সাক্ষাৎ করে যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তাদেরকে বাক-চতুরতা ও ক্রীড়া-কৌতুক করতে দাও সে দিনের সাক্ষাৎ পর্যন্ত যে দিনের ও‘য়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
Sahih International:
So leave them to converse vainly and amuse themselves until they meet their Day which they are promised.



وَ هُوَ الَّذِیْ فِی السَّمَآءِ اِلٰهٌ وَّ فِی الْاَرْضِ اِلٰهٌ ؕ وَ هُوَ الْحَکِیْمُ الْعَلِیْمُ ﴿۸۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী ফিছ ছামাই ইলা-হুওঁ ওয়া ফিল আরদিইলা-হুওঁ ওয়া হুওয়াল হাকীমুল ‘আলীম।
আল বায়ান:
আর তিনিই আসমানে ইলাহ এবং তিনিই যমীনে ইলাহ; আর তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশমন্ডলে তিনিই ইলাহ, যমীনে তিনিই ইলাহ, তিনি মহাবিজ্ঞ, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
And it is Allah who is [the only] deity in the heaven, and on the earth [the only] deity. And He is the Wise, the Knowing.



وَ تَبٰرَکَ الَّذِیْ لَهٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا ۚ وَ عِنْدَهٗ عِلْمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাবা-রাকাল্লাযী লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা- ওয়া ‘ইনদাহূ‘ইল মুছ ছা-‘আতি ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
আল বায়ান:
আর তিনি বরকতময়, যার কর্তৃত্বে রয়েছে আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সবকিছু; আর কিয়ামতের জ্ঞান কেবল তাঁরই আছে এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতি মহান ও পবিত্র তিনি, আকাশ, পৃথিবী ও এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তার একচ্ছত্র কর্তৃত্ব যাঁর হাতে, ক্বিয়ামতের জ্ঞান তাঁর কাছেই আছে (যে তা কখন ঘটবে), আর তোমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।
Sahih International:
And blessed is He to whom belongs the dominion of the heavens and the earth and whatever is between them and with whom is knowledge of the Hour and to whom you will be returned.



وَ لَا یَمْلِکُ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهِ الشَّفَاعَۃَ اِلَّا مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَ هُمْ یَعْلَمُوْنَ ﴿۸۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-ইয়ামলিকুল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূনিহিশশাফা-‘আতা ইল্লা-মান শাহিদা বিলহাক্কি ওয়া হুম ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আর তিনি ছাড়া যাদেরকে তারা আহবান করে তারা সুপারিশের মালিক হবে না; তবে তারা ছাড়া যারা জেনে-শুনে সত্য সাক্ষ্য দেয় ।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে তারা ডাকে তারা সুপারিশের অধিকারী নয়, তবে যে জ্ঞানের ভিত্তিতে সত্যের সাক্ষ্য দেয় সে ছাড়া।
Sahih International:
And those they invoke besides Him do not possess [power of] intercession; but only those who testify to the truth [can benefit], and they know.



وَ لَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَهُمْ لَیَقُوْلُنَّ اللّٰهُ فَاَنّٰی یُؤْفَکُوْنَ ﴿ۙ۸۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লায়িন ছাআলতাহুম মান খালাকাহুম লা ইয়াকূলুন্নাল্লা-হু ফাআন্না-ইউ’ফাকূন।
আল বায়ান:
আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ।’ তবু তারা কীভাবে বিমুখ হয়?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে, তাহলে তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। অত:পর তারা কোথায় ফিরে যাচ্ছে?
Sahih International:
And if you asked them who created them, they would surely say, "Allah." So how are they deluded?



وَ قِیْلِهٖ یٰرَبِّ اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ قَوْمٌ لَّا یُؤْمِنُوْنَ ﴿ۘ۸۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কীলিহী ইয়া-রাব্বি ইন্না হাউলাই কাওমুল লা-ইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
আর তার (রাসূলের) বাণী ‘হে আমার রব, নিশ্চয় এরা এমন কওম যারা ঈমান আনবে না।’
তাইসিরুল কুরআন:
রসূলের এ উক্তির শপথঃ ‘হে আমার প্রতিপালক! এ জাতির লোকেরা ঈমান আনবে না।’
Sahih International:
And [Allah acknowledges] his saying, "O my Lord, indeed these are a people who do not believe."



فَاصْفَحْ عَنْهُمْ وَ قُلْ سَلٰمٌ ؕ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
ফাসফাহ‘আনহুম ওয়া কুল ছালা-মুন ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
অতএব তুমি তাদেরকে এড়িয়ে চল এবং বল, ‘সালাম’; তবে তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও আর বল- (তোমাদের প্রতি) সালাম। শীঘ্রই তারা জানতে পারবে (তাদের আচরণের পরিণতি কী)।
Sahih International:
So turn aside from them and say, "Peace." But they are going to know.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।