আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


تَبٰرَکَ الَّذِیْ بِیَدِهِ الْمُلْکُ ۫ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرُۨ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব। আর তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
তাইসিরুল কুরআন:
অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব ও রাজত্ব যাঁর হাতে; তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
Sahih International:
Blessed is He in whose hand is dominion, and He is over all things competent -



الَّذِیْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَ الْحَیٰوۃَ لِیَبْلُوَکُمْ اَیُّکُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا ؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْغَفُوْرُ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়া-তা লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহছানু‘আমালাওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আযীযুল গাফূর।
আল বায়ান:
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন- ‘আমালের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কোন্ ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি (একদিকে যেমন) মহা শক্তিধর, (আবার অন্যদিকে) অতি ক্ষমাশীল।
Sahih International:
[He] who created death and life to test you [as to] which of you is best in deed - and He is the Exalted in Might, the Forgiving -



الَّذِیْ خَلَقَ سَبْعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰی فِیْ خَلْقِ الرَّحْمٰنِ مِنْ تَفٰوُتٍ ؕ فَارْجِعِ الْبَصَرَ ۙ هَلْ تَرٰی مِنْ فُطُوْرٍ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী খালাকা ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফী খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা- মিন ফুতূর।
আল বায়ান:
যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি?
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান- একটির উপর আরেকটি। তোমরা মহা দয়াময়ের সৃষ্টিকার্যে কোনরূপ অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তোমরা আবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, কোন দোষ-ত্রুটি দেখতে পাও কি?
Sahih International:
[And] who created seven heavens in layers. You do not see in the creation of the Most Merciful any inconsistency. So return [your] vision [to the sky]; do you see any breaks?



ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ کَرَّتَیْنِ یَنْقَلِبْ اِلَیْکَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَّ هُوَ حَسِیْرٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মার জি‘ইলবাসারা কাররাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাছীর।
আল বায়ান:
অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তোমরা বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ; ক্লান্ত, শ্রান্ত ও ব্যর্থ হয়ে দৃষ্টি তোমার দিকে ফিরে আসবে।
Sahih International:
Then return [your] vision twice again. [Your] vision will return to you humbled while it is fatigued.



وَ لَقَدْ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِمَصَابِیْحَ وَ جَعَلْنٰهَا رُجُوْمًا لِّلشَّیٰطِیْنِ وَ اَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِیْرِ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ যাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বীহা ওয়াজা‘আলনা- হা- রুজূমাল লিশশায়া-তীনি ওয়া আ‘তাদনা- লাহুম ‘আযা- বাছছা‘ঈর।
আল বায়ান:
আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপুঞ্জ দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দিয়ে সুসজ্জিত করেছি আর শয়ত্বানকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য, এবং প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।
Sahih International:
And We have certainly beautified the nearest heaven with stars and have made [from] them what is thrown at the devils and have prepared for them the punishment of the Blaze.



وَ لِلَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیْرُ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিল্লাযীনা কাফারূবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুজাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসীর।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের রবকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব। আর কতইনা নিকৃষ্ট সেই প্রত্যাবর্তনস্থল!
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি; কতই না নিকৃষ্ট সে প্রত্যাবর্তনস্থল!
Sahih International:
And for those who disbelieved in their Lord is the punishment of Hell, and wretched is the destination.



اِذَاۤ اُلْقُوْا فِیْهَا سَمِعُوْا لَهَا شَهِیْقًا وَّ هِیَ تَفُوْرُ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইযাউলকূফীহা- ছামি‘উ লাহা- শাহীকাওঁ ওয়াহিয়া তাফূর।
আল বায়ান:
যখন তাদেরকে তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তারা তার বিকট শব্দ শুনতে পাবে। আর তা উথলিয়ে উঠবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন তাতে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা জাহান্নামের শ্বাস গ্রহণের (ভয়াবহ) গর্জন শুনতে পাবে আর তা হবে উদ্বেলিত।
Sahih International:
When they are thrown into it, they hear from it a [dreadful] inhaling while it boils up.



تَکَادُ تَمَیَّزُ مِنَ الْغَیْظِ ؕ کُلَّمَاۤ اُلْقِیَ فِیْهَا فَوْجٌ سَاَلَهُمْ خَزَنَتُهَاۤ اَلَمْ یَاْتِکُمْ نَذِیْرٌ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
তাকা- দুতামাইয়াযুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফীহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাযানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাযীর।
আল বায়ান:
ক্রোধে তা ছিন্ন-ভিন্ন হবার উপক্রম হবে। যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তার প্রহরীরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসেনি’?
তাইসিরুল কুরআন:
ক্রোধে আক্রোশে জাহান্নাম ফেটে পড়ার উপক্রম হবে। যখনই কোন দলকে তাতে ফেলা হবে তখন তার রক্ষীরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আসেনি?’
Sahih International:
It almost bursts with rage. Every time a company is thrown into it, its keepers ask them, "Did there not come to you a warner?"



قَالُوْا بَلٰی قَدْ جَآءَنَا نَذِیْرٌ ۬ۙ فَکَذَّبْنَا وَ قُلْنَا مَا نَزَّلَ اللّٰهُ مِنْ شَیْءٍ ۚۖ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ کَبِیْرٍ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
কা- লূবালা- কাদ জাআনা- নাযীরুন ফাকাযযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাযযালাল্লা- হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা- ফী দালা- লিন কাবীর।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘হ্যাঁ, আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল। তখন আমরা (তাদেরকে) মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রয়েছ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা জবাব দিবে, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমাদের কাছে সতর্ককারী এসেছিল, কিন্তু আমরা তাদেরকে অস্বীকার করেছিলাম আর আমরা বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কোন কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা তো ঘোর বিভ্রান্তিতে পড়ে আছ।’
Sahih International:
They will say," Yes, a warner had come to us, but we denied and said, 'Allah has not sent down anything. You are not but in great error.'"



وَ قَالُوْا لَوْ کُنَّا نَسْمَعُ اَوْ نَعْقِلُ مَا کُنَّا فِیْۤ اَصْحٰبِ السَّعِیْرِ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-লূলাও কুন্না- নাছমা‘উ আও না‘কিলুমা- কুন্না-ফীআসহা-বিছছা‘ঈর।
আল বায়ান:
আর তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বুঝতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের মধ্যে থাকতাম না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আরো বলবে, ‘আমরা যদি শুনতাম অথবা বুঝতাম তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের বাসিন্দাদের মধ্যে শামিল হতাম না।
Sahih International:
And they will say, "If only we had been listening or reasoning, we would not be among the companions of the Blaze."



فَاعْتَرَفُوْا بِذَنْۢبِهِمْ ۚ فَسُحْقًا لِّاَصْحٰبِ السَّعِیْرِ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফা‘তারাফূবিযামবিহিম ফাছুহক্বললিআসহা-বিছ ছা‘ঈর।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। অতএব ধ্বংস জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে, অতএব দূর হোক জাহান্নামের অধিবাসীরা!
Sahih International:
And they will admit their sin, so [it is] alienation for the companions of the Blaze.



اِنَّ الَّذِیْنَ یَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَیْبِ لَهُمْ مَّغْفِرَۃٌ وَّ اَجْرٌ کَبِیْرٌ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবীর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা তাদের রবকে না দেখেই ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় প্রতিদান।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের প্রতিপালকে না দেখেই ভয় করে তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহা পুরস্কার।
Sahih International:
Indeed, those who fear their Lord unseen will have forgiveness and great reward.



وَ اَسِرُّوْا قَوْلَکُمْ اَوِ اجْهَرُوْا بِهٖ ؕ اِنَّهٗ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আছিররূকাওলাকুম আবিজহারূবিহী ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযা- তিসসুদূ র।
আল বায়ান:
আর তোমরা তোমাদের কথা গোপন কর অথবা তা প্রকাশ কর, নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহে যা আছে সে বিষয়ে সম্যক অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তোমাদের কথা চুপেচাপেই বল আর উচ্চৈঃস্বরেই বল, তিনি (মানুষের) অন্তরের গোপন কথা সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত।
Sahih International:
And conceal your speech or publicize it; indeed, He is Knowing of that within the breasts.



اَلَا یَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ ؕ وَ هُوَ اللَّطِیْفُ الْخَبِیْرُ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
আলা- ইয়া‘লামুমান খালাকা ওয়া হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর।
আল বায়ান:
যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? অথচ তিনি অতি সূক্ষ্মদর্শী, পূর্ণ অবহিত।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই কি জানেন না? তিনি অতি সূক্ষ্মদর্শী, ওয়াকিফহাল।
Sahih International:
Does He who created not know, while He is the Subtle, the Acquainted?



هُوَ الَّذِیْ جَعَلَ لَکُمُ الْاَرْضَ ذَلُوْلًا فَامْشُوْا فِیْ مَنَاکِبِهَا وَ کُلُوْا مِنْ رِّزْقِهٖ ؕ وَ اِلَیْهِ النُّشُوْرُ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা যালূলান ফামশূফী মানা-কিবিহা- ওয়া কুলূমির রিযকিহী ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
আল বায়ান:
তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে-প্রান্তরে বিচরণ কর এবং তাঁর রিয্ক থেকে তোমরা আহার কর। আর তাঁর নিকটই পুনরুত্থান।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তোমাদের জন্য যমীনকে (তোমাদের ইচ্ছার) অধীন করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা তার বুকের উপর দিয়ে চলাচল কর, আর আল্লাহর দেয়া রিযক হতে আহার কর, পুনরায় জীবিত হয়ে তাঁর কাছেই যেতে হবে।
Sahih International:
It is He who made the earth tame for you - so walk among its slopes and eat of His provision - and to Him is the resurrection.



ءَاَمِنْتُمْ مَّنْ فِی السَّمَآءِ اَنْ یَّخْسِفَ بِکُمُ الْاَرْضَ فَاِذَا هِیَ تَمُوْرُ ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
আ আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামূর।
আল বায়ান:
যিনি আসমানে আছেন,* তিনি তোমাদের সহ যমীন ধসিয়ে দেয়া থেকে কি তোমরা নিরাপদ হয়ে গেছ, অতঃপর আকস্মিকভাবে তা থর থর করে কাঁপতে থাকবে?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি তোমাদেরকে নিরাপদ মনে করে নিয়েছ যে, যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদেরকে যমীনে বিধ্বস্ত করে দিবেন না যখন তা হঠাৎ থর থর করে কাঁপতে থাকবে?
Sahih International:
Do you feel secure that He who [holds authority] in the heaven would not cause the earth to swallow you and suddenly it would sway?



اَمْ اَمِنْتُمْ مَّنْ فِی السَّمَآءِ اَنْ یُّرْسِلَ عَلَیْکُمْ حَاصِبًا ؕ فَسَتَعْلَمُوْنَ کَیْفَ نَذِیْرِ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
আম আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা‘লামূনা কাইফা নাযীর।
আল বায়ান:
যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের উপর পাথর নিক্ষেপকারী ঝড়ো হাওয়া পাঠানো থেকে তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ, তখন তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী?
তাইসিরুল কুরআন:
কিংবা তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদের উপর পাথর বর্ষণকারী ঝড়ো হাওয়া পাঠাবেন না? যাতে তোমরা জানতে পারবে যে, কেমন (ভয়ানক) ছিল আমার সতর্কবাণী।
Sahih International:
Or do you feel secure that He who [holds authority] in the heaven would not send against you a storm of stones? Then you would know how [severe] was My warning.



وَ لَقَدْ کَذَّبَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَکَیْفَ کَانَ نَکِیْرِ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা- না নাকীর।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করেছিল। ফলে কেমন ছিল আমার প্রত্যাখ্যান (এর শাস্তি)?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের আগের লোকেরাও (আমার সতর্কবাণী) প্রত্যাখ্যান করেছিল, ফলে কেমন (কঠোর) হয়েছিল আমার শাস্তি!
Sahih International:
And already had those before them denied, and how [terrible] was My reproach.



اَوَ لَمْ یَرَوْا اِلَی الطَّیْرِ فَوْقَهُمْ صٰٓفّٰتٍ وَّ یَقْبِضْنَ ؔۘؕ مَا یُمْسِکُهُنَّ اِلَّا الرَّحْمٰنُ ؕ اِنَّهٗ بِکُلِّ شَیْءٍۭ بَصِیْرٌ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম সাফফা-তিওঁ ওয়াইয়াকবিদন । মাইউমছিকুহুন্না ইল্লাররাহমা-নু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িম বাসীর।
আল বায়ান:
তারা কি লক্ষ্য করেনি তাদের উপরস্থ পাখিদের প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও গুটিয়ে নেয়? পরম করুণাময় ছাড়া অন্য কেউ এদেরকে স্থির রাখে না। নিশ্চয় তিনি সব কিছুর সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কি তাদের উপর দিকে পাখীগুলোর প্রতি লক্ষ্য করে না যারা ডানা মেলে দেয় আবার গুটিয়ে নেয়? দয়াময় ছাড়া অন্য কেউই তাদেরকে (উপরে) ধরে রাখে না। তিনি সবকিছুর সম্যক দ্রষ্টা।
Sahih International:
Do they not see the birds above them with wings outspread and [sometimes] folded in? None holds them [aloft] except the Most Merciful. Indeed He is, of all things, Seeing.



اَمَّنْ هٰذَا الَّذِیْ هُوَ جُنْدٌ لَّکُمْ یَنْصُرُکُمْ مِّنْ دُوْنِ الرَّحْمٰنِ ؕ اِنِ الْکٰفِرُوْنَ اِلَّا فِیْ غُرُوْرٍ ﴿ۚ۲۰﴾
উচ্চারণ:
আম্মান হা-যাল্লাযী হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দূ নিররাহমা-নি ইনিল কাফিরূনা ইল্লা- ফী গুরূর।
আল বায়ান:
পরম করুণাময় ছাড়া তোমাদের কি আর কোন সৈন্য আছে, যারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে ? কাফিররা শুধু তো ধোঁকায় নিপতিত।
তাইসিরুল কুরআন:
দয়াময় ছাড়া কে তোমাদেরকে সাহায্য করবে তোমাদের সেনাবাহিনী হয়ে? কাফিররা তো কেবল ধোঁকার মধ্যে পড়ে আছে।
Sahih International:
Or who is it that could be an army for you to aid you other than the Most Merciful? The disbelievers are not but in delusion.



اَمَّنْ هٰذَا الَّذِیْ یَرْزُقُکُمْ اِنْ اَمْسَکَ رِزْقَهٗ ۚ بَلْ لَّجُّوْا فِیْ عُتُوٍّ وَّ نُفُوْرٍ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আম্মান হা- যাল্লাযী ইয়ারযকুকুম ইন আমছাকা রিযকাহূ বাল্লাজ্জূফী ‘উতুওবিওয়া নুফূর।
আল বায়ান:
অথবা এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে রিয্ক দান করবে যদি আল্লাহ তাঁর রিয্ক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অহমিকা ও অনীহায় নিমজ্জিত হয়ে আছে।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা এমন কে আছে যে তোমাদেরকে রিযক দিবে যদি তিনি তাঁর রিযক বন্ধ করে দেন? আসলে তারা অহমিকা ও অনীহায় ডুবে আছে।
Sahih International:
Or who is it that could provide for you if He withheld His provision? But they have persisted in insolence and aversion.



اَفَمَنْ یَّمْشِیْ مُکِبًّا عَلٰی وَجْهِهٖۤ اَهْدٰۤی اَمَّنْ یَّمْشِیْ سَوِیًّا عَلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
আফামাইঁ ইয়ামশী মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহী আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশী ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিমমুছতাকীম।
আল বায়ান:
যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখের উপর ভর দিয়ে চলে সে কি অধিক হিদায়াতপ্রাপ্ত নাকি সেই ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে ?
তাইসিরুল কুরআন:
যে লোক উপুড় হয়ে মুখের ভরে চলে সেই কি অধিক সৎপথপ্রাপ্ত, না সেই লোক যে সোজা হয়ে সরল সঠিক পথে চলে?
Sahih International:
Then is one who walks fallen on his face better guided or one who walks erect on a straight path?



قُلْ هُوَ الَّذِیْۤ اَنْشَاَکُمْ وَ جَعَلَ لَکُمُ السَّمْعَ وَ الْاَبْصَارَ وَ الْاَفْـِٕدَۃَ ؕ قَلِیْلًا مَّا تَشْکُرُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
কুল হুওয়াল্লাযীআনশাআকুম ওয়া জা‘আলা লাকুমুছছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালীলাম মা-তাশকুরূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং অন্তকরণসমূহ দিয়েছেন। তোমরা খুব অল্পই শোকর কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
বলে দাও, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন আর তোমাদেরকে দিয়েছেন শোনার ও দেখার শক্তি আর অন্তঃকরণ; তোমরা শোকর আদায় খুব অল্পই করে থাক।’
Sahih International:
Say, "It is He who has produced you and made for you hearing and vision and hearts; little are you grateful."



قُلْ هُوَ الَّذِیْ ذَرَاَکُمْ فِی الْاَرْضِ وَ اِلَیْهِ تُحْشَرُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
কুল হুওয়াল্লাযী যারাআকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারূন।
আল বায়ান:
বল, ‘তিনিই তোমাদেরকে যমীনে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে সমবেত করা হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
বলে দাও, ‘তিনিই তোমাদেরকে যমীনে ছড়িয়ে দিয়েছেন আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।
Sahih International:
Say, "It is He who has multiplied you throughout the earth, and to Him you will be gathered."



وَ یَقُوْلُوْنَ مَتٰی هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
আর তারা বলে, ‘সে ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হয়েই থাক তাহলে বল (ক্বিয়ামত সংঘটিত হওয়ার) ও‘য়াদা কখন (বাস্তবায়িত হবে)?
Sahih International:
And they say, "When is this promise, if you should be truthful?"



قُلْ اِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللّٰهِ ۪ وَ اِنَّمَاۤ اَنَا نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নামাল ‘ইলমু‘ইনদাল্লা- হি ওয়া ইন্নামাআনা নাযীরুম মুবীন।
আল বায়ান:
বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই নিকট। আর আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘সে জ্ঞান তো কেবল আল্লাহর কাছেই আছে, আমি শুধু একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।
Sahih International:
Say, "The knowledge is only with Allah, and I am only a clear warner."



فَلَمَّا رَاَوْهُ زُلْفَۃً سِیْٓـَٔتْ وُجُوْهُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ قِیْلَ هٰذَا الَّذِیْ کُنْتُمْ بِهٖ تَدَّعُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা-রাআওহু যুলফাতান ছীআত ঊজূহুল্লাযীনা কাফারূওয়া কীলা হা-যাল্লাযী কুনতুম বিহী তাদ্দা‘ঊন।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা যখন তা* আসন্ন দেখতে পাবে, তখন কাফিরদের চেহারা মলিন হয়ে যাবে এবং বলা হবে, ‘এটাই হল তা, যা তোমরা দাবী করছিলে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন তারা তাকে (অর্থাৎ ক্বিয়ামতকে) নিকটে উপস্থিত দেখতে পাবে, তখন কাফিরদের মুখ মলিন হয়ে যাবে, আর (তাদেরকে) বলা হবে, ‘এই তো (ও‘য়াদা বাস্তবায়িত হয়েছে) যা তোমরা চাচ্ছিলে।’
Sahih International:
But when they see it approaching, the faces of those who disbelieve will be distressed, and it will be said, "This is that for which you used to call."



قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ اَهْلَکَنِیَ اللّٰهُ وَ مَنْ مَّعِیَ اَوْ رَحِمَنَا ۙ فَمَنْ یُّجِیْرُ الْکٰفِرِیْنَ مِنْ عَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতুম ইন আহলাকানিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ ইউজীরুল কা-ফিরীনা মিন ‘আযা-বিন আলীম।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি’? যদি আল্লাহ আমাকে এবং আমার সাথে যারা আছে, তাদেরকে ধ্বংস করে দেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া করেন, তাহলে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে কে রক্ষা করবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি আল্লাহ যদি আমাকে আর আমার সঙ্গী সাথীদেরকে ধ্বংস করে দেন অথবা আমাদের উপর দয়া করেন (তাতে তোমাদের লাভটা কী?) মর্মান্তিক শাস্তি থেকে কাফিদেরকে বাঁচাবে কে?
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Have you considered: whether Allah should cause my death and those with me or have mercy upon us, who can protect the disbelievers from a painful punishment?"



قُلْ هُوَ الرَّحْمٰنُ اٰمَنَّا بِهٖ وَ عَلَیْهِ تَوَکَّلْنَا ۚ فَسَتَعْلَمُوْنَ مَنْ هُوَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
কুল হুওয়াররাহমা-নুআ-মান্না-বিহী ওয়া‘আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা‘লামূনা মান হুওয়া ফী দালা-লিম মুবীন।
আল বায়ান:
বল, ‘তিনিই পরম করুণাময়। আমরা তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর উপর তাওয়াক্কুল করেছি। কাজেই তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে’?
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘তিনিই দয়াময়, আমরা তাঁর উপরেই ঈমান রাখি, আর তাঁর উপরেই নির্ভর করি। তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কে সুস্পষ্ট গুমরাহীতে আছে (আমরা না তোমরা)।’
Sahih International:
Say, "He is the Most Merciful; we have believed in Him, and upon Him we have relied. And you will [come to] know who it is that is in clear error."



قُلْ اَرَءَیْتُمْ اِنْ اَصْبَحَ مَآؤُکُمْ غَوْرًا فَمَنْ یَّاْتِیْکُمْ بِمَآءٍ مَّعِیْنٍ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তীকুম বিমাইম মা‘ঈন।
আল বায়ান:
বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভে চলে যায়, তাহলে কে তোমাদেরকে বহমান পানি এনে দিবে’ ?
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের তলদেশে চলে যায়, তাহলে তোমাদেরকে কে এনে দেবে প্রবহমান পানি?’’
Sahih International:
Say, "Have you considered: if your water was to become sunken [into the earth], then who could bring you flowing water?"






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।