আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


سَبَّحَ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۚ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ছাব্বাহা লিল্লা-হি মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া হুওয়াল ‘আযীযুল হাকীম।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর গৌরব ও মহিমা ঘোষণা করে, তিনি প্রবল পরাক্রান্ত, মহা প্রজ্ঞাবান।
Sahih International:
Whatever is in the heavens and earth exalts Allah, and He is the Exalted in Might, the Wise.



لَهٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۚ یُحْیٖ وَ یُمِیْتُ ۚ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইউহঈ ওয়া ইউমীতু ওয়া হুওয়া ‘আলাকুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব তাঁরই। তিনিই জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান ও যমীনের রাজত্ব তাঁরই, তিনিই জীবন দেন, আর তিনিই মৃত্যু দেন, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
Sahih International:
His is the dominion of the heavens and earth. He gives life and causes death, and He is over all things competent.



هُوَ الْاَوَّلُ وَ الْاٰخِرُ وَ الظَّاهِرُ وَ الْبَاطِنُ ۚ وَ هُوَ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল আওওয়ালুওয়াল আ-খিরু ওয়াজ্জা-হিরুওয়াল বা-তিনু ওয়া হুওয়া বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
আল বায়ান:
তিনিই প্রথম ও শেষ এবং প্রকাশ্য ও গোপন; আর তিনি সকল বিষয়ে সম্যক অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনি প্রকাশিত আবার গুপ্ত, তিনি সকল বিষয় পূর্ণরূপে জ্ঞাত।
Sahih International:
He is the First and the Last, the Ascendant and the Intimate, and He is, of all things, Knowing.



هُوَ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ فِیْ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ ؕ یَعْلَمُ مَا یَلِجُ فِی الْاَرْضِ وَ مَا یَخْرُجُ مِنْهَا وَ مَا یَنْزِلُ مِنَ السَّمَآءِ وَ مَا یَعْرُجُ فِیْهَا ؕ وَ هُوَ مَعَکُمْ اَیْنَ مَا کُنْتُمْ ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযীখালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদাফী ছিত্তাতি আইয়া-মিন ছু ম্মাছতাওয়া‘আলাল ‘আরশি ইয়া‘লামুমা-ইয়ালিজূফিল আরদিওয়ামা-ইয়াখরুজূমিনহা-ওয়ামাইয়ানযিলুমিনাছ ছামাই ওয়ামা-ওয়া‘রুজূফীহা- ওয়া হুওয়া মা‘আকুম আইনামাকুনতুম ওয়াল্লা-হু বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।
আল বায়ান:
তিনিই আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি আরশে উঠেছেন। তিনি জানেন যমীনে যা কিছু প্রবেশ করে এবং তা থেকে যা কিছু বের হয়; আর আসমান থেকে যা কিছু অবতীর্ণ হয় এবং তাতে যা কিছু উত্থিত হয়। আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। তিনি জানেন যা যমীনে প্রবেশ করে, আর যা তাত্থেকে বের হয়, আর যা আকাশ থেকে অবতীর্ণ হয়, আর যা তাতে উঠে যায়, তোমরা যেখানেই থাক তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন, তোমরা যে কাজই কর না কেন, আল্লাহ তা দেখেন।
Sahih International:
It is He who created the heavens and earth in six days and then established Himself above the Throne. He knows what penetrates into the earth and what emerges from it and what descends from the heaven and what ascends therein; and He is with you wherever you are. And Allah, of what you do, is Seeing.



لَهٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ اِلَی اللّٰهِ تُرْجَعُ الْاُمُوْرُ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া ইলাল্লা-হি তুর জা‘উল উমূর।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব তাঁরই এবং আল্লাহরই দিকে সকল বিষয় প্রত্যাবর্তিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান ও যমীনের রাজত্ব তাঁরই, যাবতীয় বিষয় তাঁরই দিকে ফিরে যায় (চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য)।
Sahih International:
His is the dominion of the heavens and earth. And to Allah are returned [all] matters.



یُوْلِجُ الَّیْلَ فِی النَّهَارِ وَ یُوْلِجُ النَّهَارَ فِی الَّیْلِ ؕ وَ هُوَ عَلِیْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইঊলিজূল লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়া ইঊলিজূন্নাহা-রা ফিল্লাইলি ওয়া হুওয়া ‘আলীমুম বিযাতিসসুদূ র।
আল বায়ান:
তিনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আর তিনি অন্তরসমূহের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই রাতকে প্রবেশ করান দিনের ভিতর, আর দিনকে ঢুকিয়ে দেন রাতের ভিতর, অন্তরের গোপনতত্ত্ব সম্পর্কে তিনি পূর্ণরূপে অবগত।
Sahih International:
He causes the night to enter the day and causes the day to enter the night, and he is Knowing of that within the breasts.



اٰمِنُوْا بِاللّٰهِ وَ رَسُوْلِهٖ وَ اَنْفِقُوْا مِمَّا جَعَلَکُمْ مُّسْتَخْلَفِیْنَ فِیْهِ ؕ فَالَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مِنْکُمْ وَ اَنْفَقُوْا لَهُمْ اَجْرٌ کَبِیْرٌ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
আ-মিনূবিল্লা-হি ওয়া রাছূলিহী ওয়া আনফিকূমিম্মা-জা‘আলাকুম মুছতাখলাফীনা ফীহি ফাল্লাযীনা আ-মানূমিনকুম ওয়া আনফাকূলাহুম আজরুন কাবীর।
আল বায়ান:
তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং তিনি তোমাদেরকে যা কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন, তা থেকে ব্যয় কর। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে তাদের জন্য রয়েছে বিরাট প্রতিফল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনো, আর তিনি তোমাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করেছেন তাত্থেকে (আল্লাহর পথে) ব্যয় কর । কারণ তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে আর ব্যয় করে, তাদের জন্য আছে বিরাট প্রতিফল।
Sahih International:
Believe in Allah and His Messenger and spend out of that in which He has made you successors. For those who have believed among you and spent, there will be a great reward.



وَ مَا لَکُمْ لَا تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ ۚ وَ الرَّسُوْلُ یَدْعُوْکُمْ لِتُؤْمِنُوْا بِرَبِّکُمْ وَ قَدْ اَخَذَ مِیْثَاقَکُمْ اِنْ کُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-লাকুম লা-তু’মিনূনা বিল্লা-হি ওয়াররাছূলুইয়াদ‘ঊকুম লিতু’মিনূবিরাব্বিকুম ওয়া কাদ আখাযা মীছা-কাকুম ইন কুনতুম মু’মিনীন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনছ না? অথচ রাসূল তোমাদেরকে তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আনতে আহবান করছে। আর তিনি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন, যদি তোমরা মুমিন হও।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে না যখন রসূল তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান আনার জন্য ডাকছে আর তিনি তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছেন, যদি তোমরা বিশ্বাসী হয়েই থাক।
Sahih International:
And why do you not believe in Allah while the Messenger invites you to believe in your Lord and He has taken your covenant, if you should [truly] be believers?



هُوَ الَّذِیْ یُنَزِّلُ عَلٰی عَبْدِهٖۤ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ لِّیُخْرِجَکُمْ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوْرِ ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ بِکُمْ لَرَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
হুওয়াল্লাযী ইউনাযযিলু‘আলা-‘আবদিহীআ-য়া-তিম বাইয়িনা-তিল লিইউখরিজাকুম মিনাজ্জুলুমা-তি ইলান নূরি ওয়া ইন্নাল্লা-হা বিকুম লারাঊফুর রাহীম।
আল বায়ান:
তিনিই তাঁর বান্দার প্রতি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনতে পারেন। আর নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি অতিশয় দয়ালু, পরম করুণাময়।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই তাঁর বান্দাহর উপর সুস্পষ্ট আয়াত অবতীর্ণ করেন তোমাদেরকে ঘোর অন্ধকার থেকে আলোতে আনার জন্য, আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের প্রতি বড়ই করুণাশীল, অতি দয়ালু।
Sahih International:
It is He who sends down upon His Servant [Muhammad] verses of clear evidence that He may bring you out from darknesses into the light. And indeed, Allah is to you Kind and Merciful.



وَ مَا لَکُمْ اَلَّا تُنْفِقُوْا فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ لِلّٰهِ مِیْرَاثُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ لَا یَسْتَوِیْ مِنْکُمْ مَّنْ اَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَ قٰتَلَ ؕ اُولٰٓئِکَ اَعْظَمُ دَرَجَۃً مِّنَ الَّذِیْنَ اَنْفَقُوْا مِنْۢ بَعْدُ وَ قٰتَلُوْا ؕ وَ کُلًّا وَّعَدَ اللّٰهُ الْحُسْنٰی ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِیْرٌ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-লাকুম আল্লা-তুনফিকূফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়া লিল্লা-হি মীরা-ছু ছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি লা-ইয়াছতাবী মিনকুম মান আনফাকা মিন কাবলিল ফাতহিওয়া কাতালা উলাইকা আ‘জামুদারাজাতাম মিনাল্লাযীনা আনফাকূমিম বা‘দুওয়া কা-তালূ ওয়া কুল্লাওঁ ওয়া‘আদাল্লা-হুল হুছনা- ওয়াল্লা-হু বিমা-তা‘মালূনা খাবীর।
আল বায়ান:
তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করছ না ? অথচ আসমানসমূহ ও যমীনের উত্তরাধিকারতো আল্লাহরই? তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে তারা সমান নয়। তারা মর্যাদায় তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যারা পরে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ করেছে। তবে আল্লাহ প্রত্যেকের জন্যই কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আর তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের হল কী যে তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করবে না! আকাশ ও পৃথিবীর উত্তরাধিকার তো আল্লাহরই জন্য (কাজেই তাঁর পথে ব্যয় করলে তোমরা গরীব হয়ে যাবে এ আশঙ্কার কোন কারণ নেই)। তোমাদের মধ্যে যারা (মক্কা) বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে আর যুদ্ধ করেছে তারা সমান নয় (তাদের, যারা তা বিজয়ের পরে করেছে); তাদের মর্যাদা অনেক বড় তাদের তুলনায় যারা পরে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ করেছে। উভয়ের জন্যই আল্লাহ কল্যাণের ও‘য়াদা দিয়েছেন। তোমরা যা কিছু কর সে সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ণভাবে অবগত।
Sahih International:
And why do you not spend in the cause of Allah while to Allah belongs the heritage of the heavens and the earth? Not equal among you are those who spent before the conquest [of Makkah] and fought [and those who did so after it]. Those are greater in degree than they who spent afterwards and fought. But to all Allah has promised the best [reward]. And Allah, with what you do, is Acquainted.



مَنْ ذَا الَّذِیْ یُقْرِضُ اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا فَیُضٰعِفَهٗ لَهٗ وَ لَهٗۤ اَجْرٌ کَرِیْمٌ ﴿ۚ۱۱﴾
উচ্চারণ:
মান যাল্লাযী ইউকরিদু ল্লা-হা কারদান হাছানান ফাইউদা-‘ইফাহূলাহূওয়া লাহূ আজরুন কারীম।
আল বায়ান:
এমন কে আছে যে, আল্লাহকে উত্তম করয দিবে ? তাহলে তিনি তার জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তার জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান।
তাইসিরুল কুরআন:
এমন কে আছে যে, আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিবে? তাহলে তিনি তা তার জন্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবেন আর তার জন্য আছে সম্মানজনক প্রতিফল।
Sahih International:
Who is it that would loan Allah a goodly loan so He will multiply it for him and he will have a noble reward?



یَوْمَ تَرَی الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ یَسْعٰی نُوْرُهُمْ بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ بِاَیْمَانِهِمْ بُشْرٰىکُمُ الْیَوْمَ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ؕ ذٰلِکَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ ﴿ۚ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তারাল মু’মিনীনা ওয়াল মুমিনা-তি ইয়াছ‘আ-নূরুহুম বাইনা আইদীহিম ওয়া বিআইমানিহিম বুশরা-কুমুল ইয়াওমা জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা- যা-লিকা হুওয়াল ফাওযুল ‘আজীম।
আল বায়ান:
সেদিন তুমি মুমিন পুরুষদের ও মুমিন নারীদের দেখতে পাবে যে, তাদের সামনে ও তাদের ডান পার্শ্বে তাদের নূর ছুটতে থাকবে। (বলা হবে) ‘আজ তোমাদের সুসংবাদ হল জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত, তথায় তোমরা স্থায়ী হবে। এটাই হল মহাসাফল্য।
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন তুমি মু’মিন ও মু’মিনাদের দেখবে, তাদের সামনে আর তাদের ডানে তাদের জ্যোতি ছুটতে থাকবে। (তাদেরকে বলা হবে) ‘আজ তোমাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ যার নীচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে (তোমরা) চিরকাল থাকবে। এটাই হল বিরাট সফলতা।
Sahih International:
On the Day you see the believing men and believing women, their light proceeding before them and on their right, [it will be said], "Your good tidings today are [of] gardens beneath which rivers flow, wherein you will abide eternally." That is what is the great attainment.



یَوْمَ یَقُوْلُ الْمُنٰفِقُوْنَ وَ الْمُنٰفِقٰتُ لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوا انْظُرُوْنَا نَقْتَبِسْ مِنْ نُّوْرِکُمْ ۚ قِیْلَ ارْجِعُوْا وَرَآءَکُمْ فَالْتَمِسُوْا نُوْرًا ؕ فَضُرِبَ بَیْنَهُمْ بِسُوْرٍ لَّهٗ بَابٌ ؕ بَاطِنُهٗ فِیْهِ الرَّحْمَۃُ وَ ظَاهِرُهٗ مِنْ قِبَلِهِ الْعَذَابُ ﴿ؕ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়াকূলুল মুনা-ফিকূনা ওয়াল মুনা-ফিকা-তুলিল্লাযীনা আ-মানুনজুরূনানাকতাবিছ মিন নূরিকুম কীলারজি‘ঊ ওয়া রাআকুম ফালতামিছূনূরান ফাদুরিবা বাইনাহুম বিছূরিল লাহূবা-ব বা-তিনুহূফীহির রাহমাতুওয়া জা-হিরুহূমিন কিবালিহিল ‘আযা-ব।
আল বায়ান:
সেদিন মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীগণ ঈমানদারদের বলবে, ‘তোমরা আমাদের জন্য অপেক্ষা কর, তোমাদের নূর থেকে আমরা একটু নিয়ে নেই’, বলা হবে, ‘তোমরা তোমাদের পিছনে ফিরে যাও এবং নূরের সন্ধান কর,’ তারপর তাদের মাঝখানে একটি প্রাচীর স্থাপন করে দেয়া হবে, যাতে একটি দরজা থাকবে। তার ভিতরভাগে থাকবে রহমত এবং তার বহির্ভাগে থাকবে আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীরা মু’মিনদেরকে বলবে- ‘তোমরা আমাদের জন্য অপেক্ষা কর, তোমাদের জ্যোতি থেকে আমরা কিছুটা নিয়ে নেই।’ তাদেরকে বলা হবে- ‘তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যাও, ‘আর আলোর খোঁজ কর।’ তখন তাদের মাঝে একটি আড়াল খাড়া করে দেয়া হবে যার থাকবে একটি দরজা। তার ভিতর ভাগে থাকবে রহমত আর বহির্ভাগের সর্বত্র থাকবে ‘আযাব।
Sahih International:
On the [same] Day the hypocrite men and hypocrite women will say to those who believed, "Wait for us that we may acquire some of your light." It will be said, "Go back behind you and seek light." And a wall will be placed between them with a door, its interior containing mercy, but on the outside of it is torment.



یُنَادُوْنَهُمْ اَلَمْ نَکُنْ مَّعَکُمْ ؕ قَالُوْا بَلٰی وَ لٰکِنَّکُمْ فَتَنْتُمْ اَنْفُسَکُمْ وَ تَرَبَّصْتُمْ وَ ارْتَبْتُمْ وَ غَرَّتْکُمُ الْاَمَانِیُّ حَتّٰی جَآءَ اَمْرُ اللّٰهِ وَ غَرَّکُمْ بِاللّٰهِ الْغَرُوْرُ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ইউনা-দূ নাহুম আলাম নাকুম মা‘আকুম কা-লূবালা-ওয়ালা-কিন্নাকুম ফাতানতুম আনফুছাকুম ওয়া তারাব্বাসতুম ওয়ারতাবতুম ওয়া গাররাতকুমুল আমা-নিইয়ুহাত্তা-জাআ আমরুল্লা-হি ওয়া গাররাকুম বিল্লা-হিল গারূর।
আল বায়ান:
মুনাফিকরা মুমিনদেরকে ডেকে বলবে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? তারা বলবে ‘হ্যাঁ, কিন্তু তোমরা নিজেরাই নিজদেরকে বিপদগ্রস্ত করেছ। আর তোমরা অপেক্ষা করেছিলে* এবং সন্দেহ পোষণ করেছিলে এবং আকাঙ্ক্ষা তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল, অবশেষে আল্লাহর নির্দেশ এসে গেল। আর মহা প্রতারক** তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা মু’মিনদেরকে ডেকে বলবে- ‘আমরা কি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম না?’ তারা উত্তর দিবে, ‘হাঁ, কিন্তু তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদে ফেলে দিয়েছ, তোমরা অপেক্ষা করেছিলে (আমাদের ধ্বংসের জন্য), তোমরা সন্দেহে পতিত ছিলে, আর মিথ্যে আশা আকাঙ্ক্ষা তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর হুকুম এসে গেল, আর বড় প্রতারক (শাইত্বন) তোমাদেরকে আল্লাহর ব্যাপারে প্রতারিত করল।
Sahih International:
The hypocrites will call to the believers, "Were we not with you?" They will say, "Yes, but you afflicted yourselves and awaited [misfortune for us] and doubted, and wishful thinking deluded you until there came the command of Allah. And the Deceiver deceived you concerning Allah.



فَالْیَوْمَ لَا یُؤْخَذُ مِنْکُمْ فِدْیَۃٌ وَّ لَا مِنَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا ؕ مَاْوٰىکُمُ النَّارُ ؕ هِیَ مَوْلٰىکُمْ ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیْرُ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফাল ইয়াওমা লা-ইউ’খাযুমিনকুম ফিদ ইয়াতুওঁ ওয়ালা-মিনাল্লাযীনা কাফারূ মা’ওয়াকুমুন্না-রু হিয়া মাওলা-কুম ওয়াবি’ছাল মাসীর।
আল বায়ান:
সুতরাং আজ তোমাদের কাছ থেকে কোন মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে না এবং যারা কুফরী করেছিল তাদের কাছ থেকেও না। জাহান্নামই তোমাদের আবাসস্থল। সেটাই তোমাদের উপযুক্ত স্থান। আর কতই না নিকৃষ্ট সেই গন্তব্যস্থল!
তাইসিরুল কুরআন:
আজ তোমাদের কাছ থেকে কোন মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে না, আর যারা কুফুরী করেছিল তাদের কাছ থেকেও না। তোমাদের বসবাসের জায়গা জাহান্নাম, সেটাই তোমাদের যথাযোগ্য স্থান। কতই না নিকৃষ্ট সেই আশ্রয়স্থল!
Sahih International:
So today no ransom will be taken from you or from those who disbelieved. Your refuge is the Fire. It is most worthy of you, and wretched is the destination.



اَلَمْ یَاْنِ لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْ تَخْشَعَ قُلُوْبُهُمْ لِذِکْرِ اللّٰهِ وَ مَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ ۙ وَ لَا یَکُوْنُوْا کَالَّذِیْنَ اُوْتُوا الْکِتٰبَ مِنْ قَبْلُ فَطَالَ عَلَیْهِمُ الْاَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوْبُهُمْ ؕ وَ کَثِیْرٌ مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
আলাম ইয়া’নি লিল্লাযীনা আ-মানূআন তাখশা‘আ কুলূবুহুম লিযিকরিল্লা-হি ওয়ামানাযালা মিনাল হাক্কি ওয়ালা-ইয়াকূনূকাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা মিন কাবলুফাতালা ‘আলাইহিমুল আমাদুফাকাছাত কুলূবুহুম ওয়া কাছীরুম মিনহুম ফা-ছিকূন।
আল বায়ান:
যারা ঈমান এনেছে তাদের হৃদয় কি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য নাযিল হয়েছে তার কারণে বিগলিত হওয়ার সময় হয়নি ? আর তারা যেন তাদের মত না হয়, যাদেরকে ইতঃপূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল, তারপর তাদের উপর দিয়ে দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হল, অতঃপর তাদের অন্তরসমূহ কঠিন হয়ে গেল। আর তাদের অধিকাংশই ফাসিক।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য সে সময় কি এখনও আসেনি যে আল্লাহর স্মরণে আর যে প্রকৃত সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হয়ে যাবে? আর তারা যেন সেই লোকদের মত না হয়ে যায় যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তাদের উপর অতিবাহিত হয়ে গেল বহু বহু যুগ আর তাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়ল। তাদের অধিকাংশই পাপাচারী।
Sahih International:
Has the time not come for those who have believed that their hearts should become humbly submissive at the remembrance of Allah and what has come down of the truth? And let them not be like those who were given the Scripture before, and a long period passed over them, so their hearts hardened; and many of them are defiantly disobedient.



اِعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ یُحْیِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ؕ قَدْ بَیَّنَّا لَکُمُ الْاٰیٰتِ لَعَلَّکُمْ تَعْقِلُوْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ই‘লামূআন্নাল্লা-হা ইউহয়িল আরদা বা‘দা মাওতিহা- কাদ বাইয়ান্না-লাকুমুল আ-য়াতি লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
আল বায়ান:
তোমরা জেনে রাখ যে, আল্লাহ্ যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। আমি নিদর্শনসমূহ তোমাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি, আশা করা যায় তোমরা বুঝতে পারবে।
তাইসিরুল কুরআন:
জেনে রেখ, আল্লাহই যমীনকে তার মৃত্যুর পর আবার জীবিত করেন। আমি তোমাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে নিদর্শন বর্ণনা করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।
Sahih International:
Know that Allah gives life to the earth after its lifelessness. We have made clear to you the signs; perhaps you will understand.



اِنَّ الْمُصَّدِّقِیْنَ وَ الْمُصَّدِّقٰتِ وَ اَقْرَضُوا اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا یُّضٰعَفُ لَهُمْ وَ لَهُمْ اَجْرٌ کَرِیْمٌ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুসসাদ্দিকীনা ওয়াল মুসসাদ্দিকা-তি ওয়া আকরাদুল্লা-হা কারদান হাছানাইঁ ইউদা-‘আফুলাহুম ওয়া লাহুম আজরুন কারীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী এবং যারা আল্লাহকে উত্তম করয দেয়, তাদের জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান।
তাইসিরুল কুরআন:
দানশীল পুরুষরা আর দানশীলা নারীরা আর যারা আল্লাহকে ঋণ দেয়- উত্তম ঋণ, তাদের জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে, আর তাদের জন্য আছে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিদান।
Sahih International:
Indeed, the men who practice charity and the women who practice charity and [they who] have loaned Allah a goodly loan - it will be multiplied for them, and they will have a noble reward.



وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا بِاللّٰهِ وَ رُسُلِهٖۤ اُولٰٓئِکَ هُمُ الصِّدِّیْقُوْنَ ٭ۖ وَ الشُّهَدَآءُ عِنْدَ رَبِّهِمْ ؕ لَهُمْ اَجْرُهُمْ وَ نُوْرُهُمْ ؕ وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَ کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূবিল্লা-হি ওয়া রুছুলিহীউলাইকা হুমুসসিদ্দীকূনা ওয়াশশুহাদাউ ‘ইনদা রাব্বিহিম লাহুম আজরুহুম ওয়া নূরুহুম ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়াকাযযাবূবিআ-য়া-তিনাউলাইকা আসহা-বুল জাহীম।
আল বায়ান:
আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের প্রতি ঈমান আনে, তারাই তাদের রবের নিকট সিদ্দীক ও শহীদ। তাদের জন্য রয়েছে তাদের প্রতিফল এবং তাদের নূর। আর যারা কুফরী করে এবং আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনে তারাই তাদের প্রতিপালকের নিকট সিদ্দীক ও শহীদ। তাদের জন্য আছে তাদের প্রতিদান ও তাদের নূর। আর যারা কুফুরী করে আর আমার নিদর্শনকে অস্বীকার করে, তারাই জাহান্নামের বাসিন্দা।
Sahih International:
And those who have believed in Allah and His messengers - those are [in the ranks of] the supporters of truth and the martyrs, with their Lord. For them is their reward and their light. But those who have disbelieved and denied Our verses - those are the companions of Hellfire.



اِعْلَمُوْۤا اَنَّمَا الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَا لَعِبٌ وَّ لَهْوٌ وَّ زِیْنَۃٌ وَّ تَفَاخُرٌۢ بَیْنَکُمْ وَ تَکَاثُرٌ فِی الْاَمْوَالِ وَ الْاَوْلَادِ ؕ کَمَثَلِ غَیْثٍ اَعْجَبَ الْکُفَّارَ نَبَاتُهٗ ثُمَّ یَهِیْجُ فَتَرٰىهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ یَکُوْنُ حُطَامًا ؕ وَ فِی الْاٰخِرَۃِ عَذَابٌ شَدِیْدٌ ۙ وَّ مَغْفِرَۃٌ مِّنَ اللّٰهِ وَ رِضْوَانٌ ؕ وَ مَا الْحَیٰوۃُ الدُّنْیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ই‘লামূআন্নামাল হায়া-তুদ্দুনইয়া-লা‘ইবুওঁ ওয়ালাহউওঁ ওয়া যীনাতুওঁ ওয়া তাফা-খুরুম বাইনাকুম ওয়া তাকা-ছু রুন ফিল আমওয়া-লি ওয়ালআওলা-দা কামাছালি গাইছিন আ‘জাবাল কুফফা-রা নাবাতুহূছু ম্মা ইয়াহীজুফাতারা-হু মুসফাররান ছুম্মা ইয়াকূনুহুতামাও ওয়া ফিল আ-খিরাতি ‘আযা-বুন শাদীদুওঁ ওয়া মাগফিরাতুম মিনাল্লা-হি ওয়া রিদওয়ানুওঁ ওয়ামাল হায়া-তুদ্দুনইয়াইল্লা মাতা-‘উল গুরূর।
আল বায়ান:
তোমরা জেনে রাখ যে, দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। এর উপমা হল বৃষ্টির মত, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে আনন্দ দেয়, তারপর তা শুকিয়ে যায়, তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও, তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়। আর আখিরাতে আছে কঠিন আযাব এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা জেনে রেখ, দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার আর ধন-মাল ও সন্তানাদিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। তার উদাহরণ হল বৃষ্টি, আর তা হতে উৎপন্ন শষ্যাদি কৃষকের মনকে আনন্দে ভরে দেয়, তারপর তা পেকে যায়, তখন তুমি তাকে হলুদ বর্ণ দেখতে পাও, পরে তা খড় ভুষি হয়ে যায়। (আর আখেরাতের চিত্র অন্যরকম, পাপাচারীদের জন্য), আখেরাতে আছে কঠিন শাস্তি, (আর নেককারদের জন্য আছে) আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোঁকার বস্তু ছাড়া আর কিছুই না।
Sahih International:
Know that the life of this world is but amusement and diversion and adornment and boasting to one another and competition in increase of wealth and children - like the example of a rain whose [resulting] plant growth pleases the tillers; then it dries and you see it turned yellow; then it becomes [scattered] debris. And in the Hereafter is severe punishment and forgiveness from Allah and approval. And what is the worldly life except the enjoyment of delusion.



سَابِقُوْۤا اِلٰی مَغْفِرَۃٍ مِّنْ رَّبِّکُمْ وَ جَنَّۃٍ عَرْضُهَا کَعَرْضِ السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ ۙ اُعِدَّتْ لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا بِاللّٰهِ وَ رُسُلِهٖ ؕ ذٰلِکَ فَضْلُ اللّٰهِ یُؤْتِیْهِ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِیْمِ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ছা-বিকূইলা-মাগফিরাতিম মির রাব্বিকুম ওয়া জান্নাতিন ‘আরদুহা-কা‘আরদিছ ছামাই ওয়াল আরদি উ‘ইদ্দাত লিল্লাযীনা আ-মানূবিল্লা-হি ওয়া রুছুলিহী যা-লিকা ফাদলুল্লা-হি ইউ’তীহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু যুল ফাদলিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
তোমরা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হও, যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত। তা প্রস্তত করা হয়েছে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের প্রতি ঈমান আনে তাদের জন্য। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ। তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা এগিয়ে যাও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা ও জান্নাত লাভের জন্য, যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত। তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলদের প্রতি ঈমান এনেছে। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি তা দেন যাকে ইচ্ছে করেন, আল্লাহ বড়ই অনুগ্রহশীল।
Sahih International:
Race toward forgiveness from your Lord and a Garden whose width is like the width of the heavens and earth, prepared for those who believed in Allah and His messengers. That is the bounty of Allah which He gives to whom He wills, and Allah is the possessor of great bounty.



مَاۤ اَصَابَ مِنْ مُّصِیْبَۃٍ فِی الْاَرْضِ وَ لَا فِیْۤ اَنْفُسِکُمْ اِلَّا فِیْ کِتٰبٍ مِّنْ قَبْلِ اَنْ نَّبْرَاَهَا ؕ اِنَّ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰهِ یَسِیْرٌ ﴿ۚۖ۲۲﴾
উচ্চারণ:
মাআসা-বা মিমমুসীবাতিন ফিল আরদিওয়ালা-ফীআনফুছিকুম ইল্লা-ফী কিতা-বিম মিন কাবলি আন্নাবরাআহা- ইন্না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়াছীর।
আল বায়ান:
যমীনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোন মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ।
তাইসিরুল কুরআন:
পৃথিবীতে অথবা তোমাদের নিজেদের উপর এমন কোন মুসীবত আসে না যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। এটা (করা) আল্লাহর জন্য খুবই সহজ।
Sahih International:
No disaster strikes upon the earth or among yourselves except that it is in a register before We bring it into being - indeed that, for Allah, is easy -



لِّکَیْلَا تَاْسَوْا عَلٰی مَا فَاتَکُمْ وَ لَا تَفْرَحُوْا بِمَاۤ اٰتٰىکُمْ ؕ وَ اللّٰهُ لَا یُحِبُّ کُلَّ مُخْتَالٍ فَخُوْرِۣ ﴿ۙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
লিকাইলা-তা’ছাও ‘আলা-মা-ফা-তাকুম ওয়ালা-তাফরাহূবিমাআ-তা-কুম ওয়াল্লা-হু লা-ইউহিব্বুকুল্লা মুখতা-লিন ফাখূর।
আল বায়ান:
যাতে তোমরা আফসোস না কর তার উপর যা তোমাদের থেকে হারিয়ে গেছে এবং তোমরা উৎফুল্ল না হও তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে। আর আল্লাহ কোন উদ্ধত ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা এজন্য যে, তোমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য তোমরা যেন হতাশাগ্রস্ত না হও, আর তোমাদেরকে যা দান করা হয়েছে তার জন্য তোমরা যেন উৎফুল্ল না হও, কেননা আল্লাহ অহংকারী ও অধিক গর্বকারীকে পছন্দ করেন না-
Sahih International:
In order that you not despair over what has eluded you and not exult [in pride] over what He has given you. And Allah does not like everyone self-deluded and boastful -



الَّذِیْنَ یَبْخَلُوْنَ وَ یَاْمُرُوْنَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ ؕ وَ مَنْ یَّتَوَلَّ فَاِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْغَنِیُّ الْحَمِیْدُ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইয়াবখালূনা ওয়া ইয়া’মুরূনান্না-ছা বিলবুখলি ওয়া মাইঁ ইয়াতাওয়াল্লা ফাইন্নাল্লাহা হুওয়াল গানিইয়ূল হামীদ।
আল বায়ান:
যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয়, আর যে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আল্লাহ নিশ্চয় অভাবমুক্ত, সপ্রশংসিত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কৃপণতা করে আর মানুষকে কৃপণতা করার আদেশ দেয় এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর পথ হতে) মুখ ফিরিয়ে নেয় (সে জেনে রাখুক) আল্লাহ অভাব মুক্ত, প্রশংসিত।
Sahih International:
[Those] who are stingy and enjoin upon people stinginess. And whoever turns away - then indeed, Allah is the Free of need, the Praiseworthy.



لَقَدْ اَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَیِّنٰتِ وَ اَنْزَلْنَا مَعَهُمُ الْکِتٰبَ وَ الْمِیْزَانَ لِیَقُوْمَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ ۚ وَ اَنْزَلْنَا الْحَدِیْدَ فِیْهِ بَاْسٌ شَدِیْدٌ وَّ مَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَ لِیَعْلَمَ اللّٰهُ مَنْ یَّنْصُرُهٗ وَ رُسُلَهٗ بِالْغَیْبِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ قَوِیٌّ عَزِیْزٌ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ আরছালনা-রুছুলানা-বিলবাইয়িনা-তি ওয়া আনযালনা-মা‘আহুমুল কিতা-বা ওয়াল মীযা-না লিইয়াকূমান্না-ছুবিলকিছতি ওয়া আনযালনাল হাদীদা ফীহি বা’ছুন শাদীদুওঁ ওয়া মানা-ফি‘উ লিন্না-ছি ওয়া লিইয়া‘লামাল্লা-হু মাইঁ ইয়ানসুরুহূওয়া রুছুলাহূবিলগাইবি ইন্নাল্লা-হা কাবিইয়ুন ‘আযীয।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আমি আরো নাযিল করেছি লোহা, তাতে প্রচন্ড শক্তি ও মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে। আর যাতে আল্লাহ জেনে নিতে পারেন, কে না দেখেও তাঁকে ও তাঁর রাসূলদেরকে সাহায্য করে। অবশ্যই আল্লাহ মহাশক্তিধর, মহাপরাক্রমশালী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আমার রসূলদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ পাঠিয়েছি আর তাদের সঙ্গে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও (সত্য মিথ্যার) মানদন্ড যাতে মানুষ ইনসাফ ও সুবিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আমি অবতীর্ণ করেছি লোহা যাতে আছে প্রচন্ড শক্তি আর মানুষের জন্য নানাবিধ উপকার যাতে আল্লাহ পরীক্ষা করতে পারেন আল্লাহকে না দেখেই তাঁকে আর তাঁর রসূলদেরকে কারা (এই লোহার শক্তি দিয়ে ও যাবতীয় উপায়ে) সাহায্য করে। আল্লাহ বড়ই শক্তিমান, মহাপরিক্রমশালী।
Sahih International:
We have already sent Our messengers with clear evidences and sent down with them the Scripture and the balance that the people may maintain [their affairs] in justice. And We sent down iron, wherein is great military might and benefits for the people, and so that Allah may make evident those who support Him and His messengers unseen. Indeed, Allah is Powerful and Exalted in Might.



وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا وَّ اِبْرٰهِیْمَ وَ جَعَلْنَا فِیْ ذُرِّیَّتِهِمَا النُّبُوَّۃَ وَ الْکِتٰبَ فَمِنْهُمْ مُّهْتَدٍ ۚ وَ کَثِیْرٌ مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আরছালনা-নূহাও ওয়া ইবরা-হীমা ওয়া জা‘আলনা-ফী যুররিইইয়াতিহিমান নুবুওয়াতা ওয়াল কিতা-বা ফামিনহুম মুহতাদিও ওয়া কাছীরুম মিনহুম ফা-ছিকূন।
আল বায়ান:
আর আমি তো নূহ ও ইবরাহীমকে রাসূলরূপে পাঠিয়েছিলাম এবং তাদের বংশধরদের মধ্যে নবুওয়াত ও কিতাব দিয়েছিলাম। তারপর তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঠিক পথ অবলম্বনকারী ছিল, আর তাদের অধিকাংশই ছিল ফাসিক।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি নূহ (আলাইহিস সালাম) আর ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে পাঠিয়েছিলাম আর তাদের বংশধরদের মধ্যে নুবুওয়াত ও কিতাবের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঠিক পথ অবলম্বন করেছিল আর তাদের অধিকাংশই ছিল পাপাচারী।
Sahih International:
And We have already sent Noah and Abraham and placed in their descendants prophethood and scripture; and among them is he who is guided, but many of them are defiantly disobedient.



ثُمَّ قَفَّیْنَا عَلٰۤی اٰثَارِهِمْ بِرُسُلِنَا وَ قَفَّیْنَا بِعِیْسَی ابْنِ مَرْیَمَ وَ اٰتَیْنٰهُ الْاِنْجِیْلَ ۬ۙ وَ جَعَلْنَا فِیْ قُلُوْبِ الَّذِیْنَ اتَّبَعُوْهُ رَاْفَۃً وَّ رَحْمَۃً ؕ وَ رَهْبَانِیَّۃَۨ ابْتَدَعُوْهَا مَا کَتَبْنٰهَا عَلَیْهِمْ اِلَّا ابْتِغَآءَ رِضْوَانِ اللّٰهِ فَمَا رَعَوْهَا حَقَّ رِعَایَتِهَا ۚ فَاٰتَیْنَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مِنْهُمْ اَجْرَهُمْ ۚ وَ کَثِیْرٌ مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা কাফফাইনা-‘আলাআ-ছা-রিহিম বিরুছুলিনা-ওয়া কাফফাইনা-বি‘ঈছাবনি মারইয়ামা ওয়া আ-তাইনা-হুল ইনজীলা ওয়া জা‘আলনা-ফী কুলূবিল্লাযীনাত্তাবা‘ঊহু রা’ফাতাওঁ ওয়া রাহমাতাও ওয়া রাহবা-নিইয়াতানিব তাদা‘ঊহা-মা-কাতাবনা-হা‘আলাইহিম ইল্লাবতিগাআ রিদওয়া-নিল্লা-হি ফামা-রা‘আওহা-হাক্কা রি‘আ-ইয়াতিহা- ফাআ-তাইনাল্লাযীনা আ-মানূমিনহুম আজরাহুম ওয়া কাছীরুম মিনহুম ফাছিকূন।
আল বায়ান:
তারপর তাদের পিছনে আমি আমার রাসূলদেরকে অনুগামী করেছিলাম এবং মারইয়াম পুত্র ঈসাকেও অনুগামী করেছিলাম। আর তাকে ইনজীল কিতাব দিয়েছিলাম এবং যারা তার অনুসরণ করেছিল তাদের অন্তরসমূহে করুণা ও দয়ামায়া দিয়েছিলাম। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তারাই বৈরাগ্যবাদের প্রবর্তন করেছিল। এটা আমি তাদের ওপর লিপিবদ্ধ করে দেইনি। তারপর তাও তারা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। আর তাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমি তাদের প্রতিদান দিয়েছিলাম এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল ফাসিক।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাদের পথ ধরে আমি আমার রসূলদেরকে পাঠিয়েছিলাম, অতঃপর তাদের পেছনে আমি মারইয়াম-পুত্র ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম)-কে পাঠিয়েছিলাম আর তাকে দিয়েছিলাম ইঞ্জীল। আর যারা তাকে অনুসরণ করেছিল তাদের অন্তরে দিয়েছিলাম করুণা ও দয়ামায়া। আর বৈরাগ্যবাদ- তা তারা নিজেরাই নতুনভাবে চালু করেছে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। আমি তাদের উপর এ বিধান অপরিহার্য করিনি। আর সেটাও তারা লালন করতে পারেনি যেভাবে তা লালন করা প্রয়োজন ছিল। তাদের মধ্যে যারা ঈমান গ্রহণ করেছিল তাদেরকে আমি তাদের প্রাপ্য পুরস্কার দিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের অধিকাংশই ছিল পাপাচারী।
Sahih International:
Then We sent following their footsteps Our messengers and followed [them] with Jesus, the son of Mary, and gave him the Gospel. And We placed in the hearts of those who followed him compassion and mercy and monasticism, which they innovated; We did not prescribe it for them except [that they did so] seeking the approval of Allah. But they did not observe it with due observance. So We gave the ones who believed among them their reward, but many of them are defiantly disobedient.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ اٰمِنُوْا بِرَسُوْلِهٖ یُؤْتِکُمْ کِفْلَیْنِ مِنْ رَّحْمَتِهٖ وَ یَجْعَلْ لَّکُمْ نُوْرًا تَمْشُوْنَ بِهٖ وَ یَغْفِرْ لَکُمْ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿ۚۙ۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুত্তাকুল্লা-হা ওয়া আ-মিনূবিরাছুলিহী ইউ’তিকুম কিফলাইনি মির রাহমাতিহী ওয়া ইয়াজ‘আল্লাকুম নূরান তামশূনা বিহী ওয়া ইয়াগফির লাকুম ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন, তিনি স্বীয় রহমতে তোমাদেরকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন, আর তোমাদেরকে নূর দেবেন যার সাহায্যে তোমরা চলতে পারবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আর তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আন, তিনি তাঁর অনুগ্রহে তোমাদেরকে দ্বিগুণ পুরস্কার দিবেন আর তিনি তোমাদের জন্য আলোর ব্যবস্থা করবেন যা দিয়ে তোমরা পথ চলবে, আর তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
Sahih International:
O you who have believed, fear Allah and believe in His Messenger; He will [then] give you a double portion of His mercy and make for you a light by which you will walk and forgive you; and Allah is Forgiving and Merciful.



لِّئَلَّا یَعْلَمَ اَهْلُ الْکِتٰبِ اَلَّا یَقْدِرُوْنَ عَلٰی شَیْءٍ مِّنْ فَضْلِ اللّٰهِ وَ اَنَّ الْفَضْلَ بِیَدِ اللّٰهِ یُؤْتِیْهِ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِیْمِ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
লিয়াল্লা-ইয়া‘লামা আহলুল কিতা-বি আল্লা-ইয়াকদিরূনা ‘আলা-শাইয়িম মিন ফাদলিল্লা-হি ওয়া আন্নাল ফাদলা বিয়াদিল্লা-হি ইউ’তীহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু যুল ফাদলিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
(তা এজন্য যে,) আহলে কিতাবগণ যেন জেনে নিতে পারে, আল্লাহর অনুগ্রহের কোন বস্তুতেই তারা ক্ষমতা রাখে না। আর নিশ্চয় অনুগ্রহ আল্লাহর হাতেই, যাকে ইচ্ছা তিনি তা দেন। আর আল্লাহ মহাঅনুগ্রহের অধিকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
(আমি আহলে কিতাব ছাড়া অন্যত্র নুবুওয়াত দিলাম) এ জন্য যে, আহলে কিতাবগণ যেন জেনে নিতে পারে যে, আল্লাহর অনুগ্রহের কোন কিছুকেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কোন ক্ষমতা নেই, আর (তারা যেন আরো জেনে নিতে পারে যে) অনুগ্রহ একমাত্র আল্লাহর হাতেই, যাকে ইচ্ছে তিনিই তা দেন। আল্লাহ বিশাল অনুগ্রহের অধিকারী।
Sahih International:
[This is] so that the People of the Scripture may know that they are not able [to obtain] anything from the bounty of Allah and that [all] bounty is in the hand of Allah; He gives it to whom He wills. And Allah is the possessor of great bounty.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।