আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اِقْتَرَبَتِ السَّاعَۃُ وَ انْشَقَّ الْقَمَرُ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইকতারাবাতিছছা-‘আতুওয়ানশাক্কাল কামার।
আল বায়ান:
কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
ক্বিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চন্দ্র খন্ডিত হয়েছে,
Sahih International:
The Hour has come near, and the moon has split [in two].



وَ اِنْ یَّرَوْا اٰیَۃً یُّعْرِضُوْا وَ یَقُوْلُوْا سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়ঁইয়ারাও আ-য়াতাইঁ ইউ‘রিদূ ওয়া ইয়াকূলূছিহরুম মুছতামির।
আল বায়ান:
আর তারা কোন নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ‘চলমান যাদু’।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন মুখ ফিরিয়ে নেয় আর বলে- ‘এটা তো সেই আগের থেকে চলে আসা যাদু।’
Sahih International:
And if they see a miracle, they turn away and say, "Passing magic."



وَ کَذَّبُوْا وَ اتَّبَعُوْۤا اَهْوَآءَهُمْ وَ کُلُّ اَمْرٍ مُّسْتَقِرٌّ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকাযযাবূওয়াত্তাবা‘ঊআহওয়াআহুম ওয়াকুল্লুআমরিম মুছতাকির।
আল বায়ান:
আর তারা অস্বীকার করে এবং নিজ নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। অথচ প্রতিটি বিষয় (শেষ সীমায়) স্থির হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা সত্যকে অস্বীকার করে, আর নিজেদের কামনা বাসনার অনুসরণ করে। প্রতিটি বিষয়েরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে (সময় আসলেই বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে)।
Sahih International:
And they denied and followed their inclinations. But for every matter is a [time of] settlement.



وَ لَقَدْ جَآءَهُمْ مِّنَ الْاَنْۢبَآءِ مَا فِیْهِ مُزْدَجَرٌ ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ জাআহুম মিনাল আমবাই মা-ফীহি মুযদাজার।
আল বায়ান:
আর তাদের কাছে তো সংবাদসমূহ এসেছে, যাতে রয়েছে উপদেশবাণী,
তাইসিরুল কুরআন:
এই লোকেদের কাছে তো (অতীতের জাতিগুলোর) সংবাদ এসেছে যাতে আছে সাবধান বাণী।
Sahih International:
And there has already come to them of information that in which there is deterrence -



حِکْمَۃٌۢ بَالِغَۃٌ فَمَا تُغْنِ النُّذُرُ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
হিকমাতুম বা-লিগাতুন ফামা-তুগনিন নুযুর।
আল বায়ান:
পরিপূর্ণ হিকমাত। তবে সতর্কবাণী তাদের কোন উপকারে আসেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
তা (হল) সুদূর প্রসারী জ্ঞান, কিন্তু সেই সতর্কবাণী কোন কাজে আসেনি।
Sahih International:
Extensive wisdom - but warning does not avail [them].



فَتَوَلَّ عَنْهُمْ ۘ یَوْمَ یَدْعُ الدَّاعِ اِلٰی شَیْءٍ نُّکُرٍ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ফাতাওয়াল্লা ‘আনহুম । ইয়াওমা ইয়াদ‘উদ্দা-‘ই ইলা-শাইয়িন নুকুর।
আল বায়ান:
অতএব তুমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, সেদিন আহবানকারী আহবান করবে এক বিভীষিকাময় বিষয়ের দিকে,
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই (হে নবী) তুমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও (আর অপেক্ষা কর সে দিনের) যেদিন এক আহবানকারী (তাদেরকে) আহবান করবে এক ভয়াবহ বিষয়ের দিকে।
Sahih International:
So leave them, [O Muhammad]. The Day the Caller calls to something forbidding,



خُشَّعًا اَبْصَارُهُمْ یَخْرُجُوْنَ مِنَ الْاَجْدَاثِ کَاَنَّهُمْ جَرَادٌ مُّنْتَشِرٌ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
খুশশা‘আন আবসা-রুহুম ইয়াখরুজূনা মিনাল আজদা-ছিকাআন্নাহুম জারা-দুম মুনতাশির।
আল বায়ান:
তারা তাদের দৃষ্টি অবনত অবস্থায় কবর থেকে বের হয়ে আসবে। মনে হবে যেন তারা বিক্ষিপ্ত পঙ্গপাল।
তাইসিরুল কুরআন:
ভীত-শংকিত চোখে তারা তাদের কবর থেকে বের হয়ে আসবে- যেন তারা বিক্ষিপ্ত পঙ্গপাল।
Sahih International:
Their eyes humbled, they will emerge from the graves as if they were locusts spreading,



مُّهْطِعِیْنَ اِلَی الدَّاعِ ؕ یَقُوْلُ الْکٰفِرُوْنَ هٰذَا یَوْمٌ عَسِرٌ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
মুহতি‘ঈনা ইলাদ্দা-‘ই ইয়াকূলুল কা-ফিরূনা হা-যা-ইয়াওমুন ‘আছির।
আল বায়ান:
তারা আহবানকারীর দিকে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় ছুটে আসবে। কাফিররা বলবে, ‘এটি বড়ই কঠিন দিন’।
তাইসিরুল কুরআন:
ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে তারা আহবানকারীর দিকে ছুটে আসবে। কাফিররা বলবে- ‘‘কঠিন এ দিন’’।
Sahih International:
Racing ahead toward the Caller. The disbelievers will say, "This is a difficult Day."



کَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوْحٍ فَکَذَّبُوْا عَبْدَنَا وَ قَالُوْا مَجْنُوْنٌ وَّ ازْدُجِرَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমু নূহিন ফাকাযযাবূ ‘আবদানা-ওয়াকা-লূ মাজনূনুওঁ ওয়াযদুজির।
আল বায়ান:
তাদের পূর্বে নূহের কওমও অস্বীকার করেছিল। তারা আমার বান্দাকে অস্বীকার করেছিল এবং বলেছিল, ‘পাগল’। আর তাকে হুমকি দেয়া হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের আগে নূহের জাতিও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা আমার বান্দাহকে অস্বীকার করেছিল আর বলেছিল- ‘‘একটা পাগল’’; আর তাকে ভয় দেখানো হয়েছিল।
Sahih International:
The people of Noah denied before them, and they denied Our servant and said, "A madman," and he was repelled.



فَدَعَا رَبَّهٗۤ اَنِّیْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِرْ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ফাদা‘আ-রাব্বাহূআন্নী মাগলূবুন ফানতাসির ।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তার রবকে আহবান করল যে, ‘নিশ্চয় আমি পরাজিত, অতএব তুমিই প্রতিশোধ গ্রহণ কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সে তার প্রতিপালককে ডেকেছিল- ‘‘আমি পরাস্ত হয়েছি, কাজেই তুমি এর প্রতিবিধান কর।’’
Sahih International:
So he invoked his Lord, "Indeed, I am overpowered, so help."



فَفَتَحْنَاۤ اَبْوَابَ السَّمَآءِ بِمَآءٍ مُّنْهَمِرٍ ﴿۫ۖ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফাফাতাহনাআবওয়া-বাছ ছামাই বিমাইম মুনহামির।
আল বায়ান:
ফলে আমি বর্ষণশীল বারিধারার মাধ্যমে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি আকাশের দরজাগুলো খুলে দিয়ে মুষলধারায় বৃষ্টি বর্ষিয়েছিলাম।
Sahih International:
Then We opened the gates of the heaven with rain pouring down



وَّ فَجَّرْنَا الْاَرْضَ عُیُوْنًا فَالْتَقَی الْمَآءُ عَلٰۤی اَمْرٍ قَدْ قُدِرَ ﴿ۚ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফাজ্জারনাল আরদা ‘উইঊনান ফালতাকাল মাউ ‘আলাআমরিন কাদ কুদির।
আল বায়ান:
আর ভূমিতে আমি ঝর্না উৎসারিত করলাম। ফলে সকল পানি মিলিত হল নির্ধারিত নির্দেশনা অনুসারে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যমীন থেকে উৎসারিত করেছিলাম ঝর্ণাধারা, অতঃপর (সব) পানি মিলিত হল যে পরিমাণ (পূর্বেই) নির্ধারিত করা হয়েছিল।
Sahih International:
And caused the earth to burst with springs, and the waters met for a matter already predestined.



وَ حَمَلْنٰهُ عَلٰی ذَاتِ اَلْوَاحٍ وَّ دُسُرٍ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হামালনা-হু ‘আলা-যা-তি আলওয়া-হিওঁ ওয়াদুছুর।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে (নূহকে) কাঠ ও পেরেক নির্মিত নৌযানে আরোহণ করালাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি নূহকে বহন করলাম কাষ্ঠ আর কীলক যুক্ত (নৌযানে)।
Sahih International:
And We carried him on a [construction of] planks and nails,



تَجْرِیْ بِاَعْیُنِنَا ۚ جَزَآءً لِّمَنْ کَانَ کُفِرَ ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
তাজরী বিআ‘ইউনিনা- জাযাআল লিমান কা-না কুফির।
আল বায়ান:
যা আমার চাক্ষুস তত্ত্বাবধানে চলত, তার জন্য পুরস্কারস্বরূপ, যাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
যা আমার চোখের সামনে (ও আমার তত্ত্বাবধানে) ভেসে চলল সেই ব্যক্তির পক্ষে প্রতিশোধ হিসেবে যাকে অমান্য ও অস্বীকার করা হয়েছিল।
Sahih International:
Sailing under Our observation as reward for he who had been denied.



وَ لَقَدْ تَّرَکْنٰهَاۤ اٰیَۃً فَهَلْ مِنْ مُّدَّکِرٍ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ তারাকনা-হাআ-য়াতান ফাহাল মিম মুদ্দাকির।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে নিদর্শন হিসেবে রেখেছি। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?
তাইসিরুল কুরআন:
এ (ঘটনা) টিকে আমি (চিরকালের জন্য) নিদর্শন হিসেবে রেখে দিলাম, অতএব উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি?
Sahih International:
And We left it as a sign, so is there any who will remember?



فَکَیْفَ کَانَ عَذَابِیْ وَ نُذُرِ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফাকাইফা কা-না ‘আযা-বী ওয়া নুযুর।
আল বায়ান:
অতএব আমার আযাব ও ভয় প্রদর্শন কেমন ছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
কত ভয়ংকর ছিল আমার ‘আযাব ও ভীতি প্রদর্শন।
Sahih International:
And how [severe] were My punishment and warning.



وَ لَقَدْ یَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّکْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّکِرٍ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ ইয়াছছারনাল কুরআ-না লিযযি করি ফাহাল মিম মুদ্দাকির।
আল বায়ান:
আর আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি?
Sahih International:
And We have certainly made the Qur'an easy for remembrance, so is there any who will remember?



کَذَّبَتْ عَادٌ فَکَیْفَ کَانَ عَذَابِیْ وَ نُذُرِ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাত ‘আ-দুন ফাকাইফা কা-না ‘আযা-বী ওয়া নুযুর।
আল বায়ান:
‘আদ জাতি অস্বীকার করেছিল, অতএব আমার আযাব ও ভয় প্রদর্শন কিরূপ হয়েছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
‘আদ জাতি সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল, ফলে কত ভয়ংকর ছিল আমার ‘আযাব ও ভীতি প্রদর্শন।
Sahih International:
'Aad denied; and how [severe] were My punishment and warning.



اِنَّاۤ اَرْسَلْنَا عَلَیْهِمْ رِیْحًا صَرْصَرًا فِیْ یَوْمِ نَحْسٍ مُّسْتَمِرٍّ ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআরছালনা-‘আলাইহিম রীহান সারসারান ফী ইয়াওমি নাহছিম মুছতামির।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম প্রচন্ড শীতল ঝড়ো হাওয়া, অব্যাহত এক অমঙ্গল দিনে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এক অবিরাম অশুভ দিনে,
Sahih International:
Indeed, We sent upon them a screaming wind on a day of continuous misfortune,



تَنْزِعُ النَّاسَ ۙ کَاَنَّهُمْ اَعْجَازُ نَخْلٍ مُّنْقَعِرٍ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
তানযি‘উন্না-ছা কাআন্নাহুম আ‘জা-যুনাখলিম মুনকা‘ইর।
আল বায়ান:
তা মানুষকে উৎখাত করেছিল। যেন তারা উৎপাটিত খেজুরগাছের কান্ড।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষকে তা উৎপাটিত করেছিল যেন তারা উৎপাটিত খেজুর গাছের কান্ড।
Sahih International:
Extracting the people as if they were trunks of palm trees uprooted.



فَکَیْفَ کَانَ عَذَابِیْ وَ نُذُرِ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ফাকাইফা কা-না ‘আযা-বী ওয়া নুযুর।
আল বায়ান:
অতএব আমার আযাব ও ভয় প্রদর্শন কিরূপ হয়েছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
ফলে কত ভয়ংকর ছিল আমার ‘আযাব ও ভীতি প্রদর্শন।
Sahih International:
And how [severe] were My punishment and warning.



وَ لَقَدْ یَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّکْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّکِرٍ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ ইয়াছছারনাল কুরআ-না লিযযি করি ফাহাল মিম মুদ্দাকির।
আল বায়ান:
আর আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি?
Sahih International:
And We have certainly made the Qur'an easy for remembrance, so is there any who will remember?



کَذَّبَتْ ثَمُوْدُ بِالنُّذُرِ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাত ছামূদুবিন্নুযুর।
আল বায়ান:
সামূদ জাতিও সতর্ককারীদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
সামূদ জাতিও ভয়প্রদর্শনকারীদেরকে অস্বীকার করেছিল,
Sahih International:
Thamud denied the warning



فَقَالُوْۤا اَبَشَرًا مِّنَّا وَاحِدًا نَّتَّبِعُهٗۤ ۙ اِنَّاۤ اِذًا لَّفِیْ ضَلٰلٍ وَّ سُعُرٍ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-লূআবাশারাম মিন্না-ওয়া-হিদান নাত্তাবি‘উহূ ইন্নাইযাল্লাফী দালা-লিওঁ ওয়াছু‘উর।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা বলেছিল, ‘আমরা কি আমাদেরই মধ্য থেকে এক ব্যক্তির অনুসরণ করব? তাহলে নিশ্চয় আমরা পথভ্রষ্টতা ও উম্মত্ততার মধ্যে পড়ব’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলেছিল, ‘আমরা কি আমাদেরই মধ্যেকার মাত্র একটা লোকের অনুসরণ করব? তাহলে তো আমরা গুমরাহী আর পাগলামিতে পড়ে যাব।
Sahih International:
And said, "Is it one human being among us that we should follow? Indeed, we would then be in error and madness.



ءَاُلْقِیَ الذِّکْرُ عَلَیْهِ مِنْۢ بَیْنِنَا بَلْ هُوَ کَذَّابٌ اَشِرٌ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
আ উলকিয়াযযিকরু ‘আলাইহি মিম বাইনিনা-বাল হুওয়া কাযযা-বুন আশির।
আল বায়ান:
‘আমাদের মধ্য থেকে কি তার ওপরই উপদেশবাণী পাঠানো হয়েছে ? বরং সে চরম মিথ্যাবাদী অহঙ্কারী’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের (এত মানুষের) মধ্যে শুধু কি তার উপরই বাণী পাঠানো হয়েছে? না, বরং সে বড়ই মিথ্যুক, দাম্ভিক।
Sahih International:
Has the message been sent down upon him from among us? Rather, he is an insolent liar."



سَیَعْلَمُوْنَ غَدًا مَّنِ الْکَذَّابُ الْاَشِرُ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ছাইয়া‘লামূনা গাদাম মানিল কাযযা-বুল আশির।
আল বায়ান:
আগামী দিন তারা জানতে পারবে, কে চরম মিথ্যাবাদী, অহঙ্কারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আগামীকালই তারা জানতে পারবে কে বড়ই মিথ্যুক, দাম্ভিক
Sahih International:
They will know tomorrow who is the insolent liar.



اِنَّا مُرْسِلُوا النَّاقَۃِ فِتْنَۃً لَّهُمْ فَارْتَقِبْهُمْ وَ اصْطَبِرْ ﴿۫۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-মুরছিলুন্না-কাতি ফিতনাতাল্লাহুম ফারতাকিবহুম ওয়াসতাবির।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ উষ্ট্রী পাঠাচ্ছি। অতএব তুমি তাদের ব্যাপারে অপেক্ষা কর এবং ধৈর্যধারণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি একটা উষ্ট্রী পাঠাচ্ছি, তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য, কাজেই (হে সালিহ!) তুমি তাদের আচরণ লক্ষ্য কর আর ধৈর্য ধর।
Sahih International:
Indeed, We are sending the she-camel as trial for them, so watch them and be patient.



وَ نَبِّئْهُمْ اَنَّ الْمَآءَ قِسْمَۃٌۢ بَیْنَهُمْ ۚ کُلُّ شِرْبٍ مُّحْتَضَرٌ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাব্বি’হুম আন্নাল মাআ কিছমাতুম বাইনাহুম কুল্লুশিরবিম মুহতাদার।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের মধ্যে পানি বণ্টন সুনির্দিষ্ট। প্রত্যেকেই (পালাক্রমে) পানির অংশে উপস্থিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের মধ্যে (ও উষ্ট্রীর মধ্যে) পানি বণ্টিত হবে, প্রত্যেকের পানি পানের পালা আসবে।
Sahih International:
And inform them that the water is shared between them, each [day of] drink attended [by turn].



فَنَادَوْا صَاحِبَهُمْ فَتَعَاطٰی فَعَقَرَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফানা-দাও সা-হিবাহুম ফাত‘আ-তা-ফা‘আকার।
আল বায়ান:
অতঃপর তারা তাদের সাথীকে ডেকে আনল। তখন সে উষ্ট্রীকে ধরল, তারপর হত্যা করল।
তাইসিরুল কুরআন:
শেষে তারা তাদের এক সঙ্গীকে ডাকল আর সে তাকে (অর্থাৎ উষ্ট্রীটিকে) ধরে হত্যা করল।
Sahih International:
But they called their companion, and he dared and hamstrung [her].



فَکَیْفَ کَانَ عَذَابِیْ وَ نُذُرِ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ফাকাইফা কা-না ‘আযা-বী ওয়ানুযুর।
আল বায়ান:
অতএব আমার আযাব ও ভয় প্রদর্শন কিরূপ হয়েছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
ফলে কত ভয়ংকর হয়েছিল আমার ‘আযাব ও ভীতি প্রদর্শন।
Sahih International:
And how [severe] were My punishment and warning.



اِنَّاۤ اَرْسَلْنَا عَلَیْهِمْ صَیْحَۃً وَّاحِدَۃً فَکَانُوْا کَهَشِیْمِ الْمُحْتَظِرِ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআরছালনা-‘আলাইহিম সাইহাতাওঁ ওয়া হিদাতান ফাকা-নূকাহাশীমিল মুহতাজির।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম এক বিকট আওয়াজ, ফলে তারা খোয়াড় প্রস্তুতকারীর খন্ডিত শুষ্ক খড়ের মত হয়ে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম একটি মাত্র প্রচন্ড ধ্বনি। ফলে তারা খোঁয়াড়ওয়ালাদের (নির্মিত) ভেঙ্গে চুরে যাওয়া শুকনা ডালপালার মত গুঁড়িয়ে গেল।
Sahih International:
Indeed, We sent upon them one blast from the sky, and they became like the dry twig fragments of an [animal] pen.



وَ لَقَدْ یَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّکْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّکِرٍ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ ইয়াছছারনাল কুরআ-না লিযযি করি ফাহাল মিম মুদ্দাকির।
আল বায়ান:
আর আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি?
Sahih International:
And We have certainly made the Qur'an easy for remembrance, so is there any who will remember?



کَذَّبَتْ قَوْمُ لُوْطٍۭ بِالنُّذُرِ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাত কাওমুলূতিম বিননুযুর।
আল বায়ান:
লূতের কওম সতর্ককারীদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
লূতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল,
Sahih International:
The people of Lot denied the warning.



اِنَّاۤ اَرْسَلْنَا عَلَیْهِمْ حَاصِبًا اِلَّاۤ اٰلَ لُوْطٍ ؕ نَجَّیْنٰهُمْ بِسَحَرٍ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআরছালনা-‘আলাইহিম হা-সিবান ইল্লাআ-লা লূতিন নাজ্জাইনা-হুম বিছাহার।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তাদের উপর কংকর-ঝড় পাঠিয়েছিলাম, তবে লূত পরিবারের উপর নয়। আমি তাদেরকে শেষ রাতে নাজাত দিয়েছিলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম প্রস্তরবর্ষী প্রচন্ড বাতাস, (যা তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল) লূতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদেরকে রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম।
Sahih International:
Indeed, We sent upon them a storm of stones, except the family of Lot - We saved them before dawn



نِّعْمَۃً مِّنْ عِنْدِنَا ؕ کَذٰلِکَ نَجْزِیْ مَنْ شَکَرَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
নি‘মাতাম মিন ‘ইনদিনা- কাযা-লিকা নাজযী মান শাকার।
আল বায়ান:
আমার কাছ থেকে অনুগ্রহস্বরূপ। এভাবেই আমি তাকে প্রতিদান দেই, যে কৃতজ্ঞ হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দেই যে কৃতজ্ঞ হয়।
Sahih International:
As favor from us. Thus do We reward he who is grateful.



وَ لَقَدْ اَنْذَرَهُمْ بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-কাদ আনযারাহুম বাতশাতানা-ফাতামা-রাও বিননুযুর।
আল বায়ান:
আর লূত তো তাদেরকে আমার কঠিন পাকড়াও সম্পর্কে সাবধান করেছিল, তারপরও তারা সাবধান বাণী সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
লূত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাক বিতন্ডা করেছিল।
Sahih International:
And he had already warned them of Our assault, but they disputed the warning.



وَ لَقَدْ رَاوَدُوْهُ عَنْ ضَیْفِهٖ فَطَمَسْنَاۤ اَعْیُنَهُمْ فَذُوْقُوْا عَذَابِیْ وَ نُذُرِ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ রা-ওয়াদূহু‘আনদাইফিহী ফাতামাছনাআ‘ইউনাহুম ফাযূকূ‘আযা-বী ওয়া নুযুর।
আল বায়ান:
আর তারা তার কাছে তার মেহমানদেরকে (অসদুদ্দেশ্যে) দাবী করল। তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম। (আর বললাম) আমার আযাব ও সাবধানবাণীর পরিণাম আস্বাদন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা লূতকে তার মেহমানদের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম ‘আমার ‘আযাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ কর।’
Sahih International:
And they had demanded from him his guests, but We obliterated their eyes, [saying], "Taste My punishment and warning."



وَ لَقَدْ صَبَّحَهُمْ بُکْرَۃً عَذَابٌ مُّسْتَقِرٌّ ﴿ۚ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ সাব্বাহাহুম বুকরাতান ‘আযা-বুমমুছতাকির।
আল বায়ান:
আর সকাল বেলা তাদের উপর অবিরত আযাব নেমে আসল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করল।
Sahih International:
And there came upon them by morning an abiding punishment.



فَذُوْقُوْا عَذَابِیْ وَ نُذُرِ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাযূকূ‘আযা-বী ওয়ানুযুর।
আল বায়ান:
‘আর আমার আযাব ও সাবধানবাণীর পরিণাম আস্বাদন কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন আমি বললাম- ‘আমার শাস্তি ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ কর।
Sahih International:
So taste My punishment and warning.



وَ لَقَدْ یَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّکْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّکِرٍ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ ইয়াছছারনাল কুরআ-না লিযযি করি ফাহাল মিমমুদ্দাকির।
আল বায়ান:
আর আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি?
Sahih International:
And We have certainly made the Qur'an easy for remembrance, so is there any who will remember?



وَ لَقَدْ جَآءَ اٰلَ فِرْعَوْنَ النُّذُرُ ﴿ۚ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ জাআ আ-লা ফির‘আওনাননুযুর।
আল বায়ান:
ফির‘আউন গোষ্ঠীর কাছেও তো সাবধানবাণী এসেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন গোষ্ঠীর কাছেও (আমার) সতর্কবাণী এসেছিল।
Sahih International:
And there certainly came to the people of Pharaoh warning.



کَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا کُلِّهَا فَاَخَذْنٰهُمْ اَخْذَ عَزِیْزٍ مُّقْتَدِرٍ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা-কুল্লিহা-ফাআখযনা -হুম আখযা ‘আযীযিমমুকতাদির।
আল বায়ান:
তারা আমার সকল নিদর্শনকে অস্বীকার করল, অতএব আমি মহাপরাক্রমশালী, সর্বশক্তিমানের মতই তাদেরকে পাকড়াও করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা আমার সকল নিদর্শনকে অস্বীকার করেছিল, তখন আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম মহাপরাক্রমশালী ও ক্ষমতাবানের পাকড়াওয়ে।
Sahih International:
They denied Our signs, all of them, so We seized them with a seizure of one Exalted in Might and Perfect in Ability.



اَکُفَّارُکُمْ خَیْرٌ مِّنْ اُولٰٓئِکُمْ اَمْ لَکُمْ بَرَآءَۃٌ فِی الزُّبُرِ ﴿ۚ۴۳﴾
উচ্চারণ:
আকুফফা-রুকুম খাইরুম মিন উলাইকুম আম লাকুম বারাআতুন ফিযযুবুর।
আল বায়ান:
তোমাদের (মক্কার) কাফিররা কি তাদের চেয়ে ভাল? না কি তোমাদের জন্য মুক্তির কোন ঘোষণা রয়েছে (আসমানী) কিতাবসমূহের মধ্যে?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের (মক্কাবাসী) কাফিররা কি এ লোকেদের চেয়ে ভাল? নাকি (আসমানী) গ্রন্থাদিতে তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা লেখা আছে?
Sahih International:
Are your disbelievers better than those [former ones], or have you immunity in the scripture?



اَمْ یَقُوْلُوْنَ نَحْنُ جَمِیْعٌ مُّنْتَصِرٌ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
আম ইয়াকূলূনা নাহনুজামী‘উমমুনতাসির।
আল বায়ান:
না কি তারা বলে, ‘আমরা সংঘবদ্ধ বিজয়ী দল’?
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি তারা বলে- ‘আমরা সংঘবদ্ধ দল, নিজেদের প্রতিরক্ষায় সক্ষম।
Sahih International:
Or do they say, "We are an assembly supporting [each other]"?



سَیُهْزَمُ الْجَمْعُ وَ یُوَلُّوْنَ الدُّبُرَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ছাইউহযামুল জাম‘উ ওয়া ইউওয়াললূনাদ্দুবুর।
আল বায়ান:
সংঘবদ্ধ দলটি শীঘ্রই পরাজিত হবে এবং পিঠ দেখিয়ে পালাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
এ সংঘবদ্ধ দল শীঘ্রই পরাজিত হবে আর পিছন ফিরে পালাবে।
Sahih International:
[Their] assembly will be defeated, and they will turn their backs [in retreat].



بَلِ السَّاعَۃُ مَوْعِدُهُمْ وَ السَّاعَۃُ اَدْهٰی وَ اَمَرُّ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
বালিছ ছা-‘আতুমাও‘ইদুহুম ওয়াছছা-‘আতুআদহা-ওয়া আমার।
আল বায়ান:
বরং কিয়ামত তাদের প্রতিশ্রুত সময়। আর কিয়ামত অতি ভয়ঙ্কর ও তিক্ততর।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং ক্বিয়ামত হল (তাদের দুষ্কর্মের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য) তাদেরকে দেয়া নির্ধারিত সময়, ক্বিয়ামত অতি কঠিন, অতিশয় তিক্ত।
Sahih International:
But the Hour is their appointment [for due punishment], and the Hour is more disastrous and more bitter.



اِنَّ الْمُجْرِمِیْنَ فِیْ ضَلٰلٍ وَّ سُعُرٍ ﴿ۘ۴۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুজরিমীনা ফী দালা-লিওঁ ওয়াছু‘উর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় অপরাধীরা রয়েছে পথভ্রষ্টতা ও (পরকালে) প্রজ্জ্বলিত আগুনে।
তাইসিরুল কুরআন:
পাপীরা আছে গুমরাহী আর পাগলামির মধ্যে।
Sahih International:
Indeed, the criminals are in error and madness.



یَوْمَ یُسْحَبُوْنَ فِی النَّارِ عَلٰی وُجُوْهِهِمْ ؕ ذُوْقُوْا مَسَّ سَقَرَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইউছহাবূনা ফিন্না-রি ‘আলা-উজূহিহিম যূকূমাছছা ছাকার।
আল বায়ান:
সেদিন তাদেরকে উপুড় করে টেনে হিঁচড়ে জাহান্নামে নেয়া হবে। (বলা হবে) জাহান্নামের ছোঁয়া আস্বাদন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তাদেরকে মুখের ভরে আগুনের মধ্যে হিঁচড়ে টেনে আনা হবে (তখন বলা হবে) ‘জাহান্নামের স্পর্শ আস্বাদন কর।’
Sahih International:
The Day they are dragged into the Fire on their faces [it will be said], "Taste the touch of Saqar."



اِنَّا کُلَّ شَیْءٍ خَلَقْنٰهُ بِقَدَرٍ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-কুল্লা শাইয়িন খালাকনা-হু বিকাদার।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে।
Sahih International:
Indeed, all things We created with predestination.



وَ مَاۤ اَمْرُنَاۤ اِلَّا وَاحِدَۃٌ کَلَمْحٍۭ بِالْبَصَرِ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআমরুনাইল্লা-ওয়া-হিদাতুন কালাম হিম বিলবাসার।
আল বায়ান:
আর আমার আদেশ তো কেবল একটি কথা, চোখের পলকের মত।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার আদেশ তো মাত্র একটি কথা- চোখের পলকের মত।
Sahih International:
And Our command is but one, like a glance of the eye.



وَ لَقَدْ اَهْلَکْنَاۤ اَشْیَاعَکُمْ فَهَلْ مِنْ مُّدَّکِرٍ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ আহলাকনাআশইয়া-‘আকুম ফাহাল মিমমুদ্দাকির।
আল বায়ান:
আর আমি তো তোমাদের মত অনেককে ধ্বংস করে দিয়েছি, অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের মত দলগুলোকে ইতোপূর্বে ধ্বংস করেছি, কাজেই উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি?
Sahih International:
And We have already destroyed your kinds, so is there any who will remember?



وَ کُلُّ شَیْءٍ فَعَلُوْهُ فِی الزُّبُرِ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল্লুশাইয়িন ফা‘আলূহু ফিয যুবুর।
আল বায়ান:
আর তারা যা করেছে, সব কিছুই ‘আমলনামায়’ রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যা কিছু করেছে তা আছে ‘আমালনামায়,
Sahih International:
And everything they did is in written records.



وَ کُلُّ صَغِیْرٍ وَّ کَبِیْرٍ مُّسْتَطَرٌ ﴿۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুল্লুসাগীরিওঁ ওয়া কাবীরিমমুছতাতার।
আল বায়ান:
আর ছোট বড় সব কিছুই লিখিত আছে।
তাইসিরুল কুরআন:
ছোট আর বড় সবই আছে লিপিবদ্ধ।
Sahih International:
And every small and great [thing] is inscribed.



اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ نَهَرٍ ﴿ۙ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী জান্না-তিওঁ ওয়া নাহার।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে।
তাইসিরুল কুরআন:
মুত্তাক্বীরা থাকবে বাগান আর ঝর্ণাধারার মাঝে,
Sahih International:
Indeed, the righteous will be among gardens and rivers,



فِیْ مَقْعَدِ صِدْقٍ عِنْدَ مَلِیْکٍ مُّقْتَدِرٍ ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ফী মাক‘আদি সিদকিন ‘ইনদা মালীকিমমুকতাদির।
আল বায়ান:
যথাযোগ্য আসনে, সর্বশক্তিমান মহাঅধিপতির নিকটে।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদার স্থানে, সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী (আল্লাহ)’র নিকটে।
Sahih International:
In a seat of honor near a Sovereign, Perfect in Ability.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।