আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


هَلْ اَتٰی عَلَی الْاِنْسَانِ حِیْنٌ مِّنَ الدَّهْرِ لَمْ یَکُنْ شَیْئًا مَّذْکُوْرًا ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
হাল আতা- ‘আলাল ইনছা-নি হীনুম মিনাদ্দাহরি লাম ইয়াকুন শাইআম মাযকূরা- ।
আল বায়ান:
মানুষের উপর কি কালের এমন কোন ক্ষণ আসেনি যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না?
তাইসিরুল কুরআন:
মহাকালের মধ্য হতে মানুষের উপর কি এমন একটা সময় অতিবাহিত হয়নি যখন সে উল্লেখ করার যোগ্য কোন বস্তুই ছিল না?
Sahih International:
Has there [not] come upon man a period of time when he was not a thing [even] mentioned?



اِنَّا خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنْ نُّطْفَۃٍ اَمْشَاجٍ ٭ۖ نَّبْتَلِیْهِ فَجَعَلْنٰهُ سَمِیْعًۢا بَصِیْرًا ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-খালাকানাল ইনছা-না মিন নুতফাতিন আমশা-জিন নাবতালীহি ফাজা‘আলনা-হু ছামী‘আম বাসীরা- ।
আল বায়ান:
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, আমি তাকে পরীক্ষা করব, ফলে আমি তাকে বানিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সংমিশ্রিত শুক্রবিন্দু থেকে তাকে পরীক্ষা করার জন্য, এজন্য তাকে করেছি শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী।
Sahih International:
Indeed, We created man from a sperm-drop mixture that We may try him; and We made him hearing and seeing.



اِنَّا هَدَیْنٰهُ السَّبِیْلَ اِمَّا شَاکِرًا وَّ اِمَّا کَفُوْرًا ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-হাদাইনা- হুছছাবীলা ইম্মা- শা- কিরাওঁ ওয়া ইম্মা- কাফূরা- ।
আল বায়ান:
অবশ্যই আমি তাকে পথ প্রদর্শন করেছি, হয় সে শোকরকারী অথবা অকৃতজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।
Sahih International:
Indeed, We guided him to the way, be he grateful or be he ungrateful.



اِنَّاۤ اَعْتَدْنَا لِلْکٰفِرِیْنَ سَلٰسِلَا۠ وَ اَغْلٰلًا وَّ سَعِیْرًا ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআ‘তাদনা- লিলকা-ফিরীনা ছালা-ছিলা ওয়া আগলা-লাওঁ ওয়া ছা‘ঈরা- ।
আল বায়ান:
আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি শেকল, বেড়ি ও প্রজ্বলিত অগ্নি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি (অকৃতজ্ঞ) কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি শেকল, বেড়ি আর জ্বলন্ত আগুন।
Sahih International:
Indeed, We have prepared for the disbelievers chains and shackles and a blaze.



اِنَّ الْاَبْرَارَ یَشْرَبُوْنَ مِنْ کَاْسٍ کَانَ مِزَاجُهَا کَافُوْرًا ۚ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল আবরা-রা ইয়াশরাবূনা মিন কা’ছিন কা-না মিযা-জুহা- কা-ফূরা-
আল বায়ান:
নিশ্চয় সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন পানপাত্র থেকে যার মিশ্রণ হবে কাফূর।
তাইসিরুল কুরআন:
(অপরদিকে) নেককার লোকেরা এমন পানপাত্র থেকে পান করবে যাতে কর্পুরের সংমিশ্রণ থাকবে।
Sahih International:
Indeed, the righteous will drink from a cup [of wine] whose mixture is of Kafur,



عَیْنًا یَّشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللّٰهِ یُفَجِّرُوْنَهَا تَفْجِیْرًا ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
আইনাইঁ ইয়াশরাবুবিহা- ‘ইবা-দুল্লা-হি ইউফাজ্জিরূনাহা- তাফজীরা- ।
আল বায়ান:
এমন এক ঝর্ণা যা থেকে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে, তারা এটিকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর বান্দারা একটি ঝর্ণা থেকে পান করবে। তারা এই ঝর্ণাকে (তাদের) ইচ্ছেমত প্রবাহিত করবে।
Sahih International:
A spring of which the [righteous] servants of Allah will drink; they will make it gush forth in force [and abundance].



یُوْفُوْنَ بِالنَّذْرِ وَ یَخَافُوْنَ یَوْمًا کَانَ شَرُّهٗ مُسْتَطِیْرًا ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইঊফূনা বিন্নাযরি ওয়া ইয়াখা-ফূনা ইয়াওমান কা-না শাররুহূমুছতাতীরা- ।
আল বায়ান:
তারা মানত পূর্ণ করে এবং সেদিনকে ভয় করে যার অকল্যাণ হবে সুবিস্তৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা মানত পূরণ করে আর সেই দিনকে ভয় করে যার অনিষ্ট হবে সুদূরপ্রসারী।
Sahih International:
They [are those who] fulfill [their] vows and fear a Day whose evil will be widespread.



وَ یُطْعِمُوْنَ الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّهٖ مِسْکِیْنًا وَّ یَتِیْمًا وَّ اَسِیْرًا ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইউত‘ইমূনাত্তা‘আ-মা ‘আলা- হুব্বিহী মিছকীনাওঁ ওয়া ইয়াতীমাওঁ ওয়া আছীরা-।
আল বায়ান:
তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা আল্লাহর প্রতি তাদের ভালবাসার কারণে মিসকীন, ইয়াতীম ও কয়েদীকে খাবার খাওয়ায়।
Sahih International:
And they give food in spite of love for it to the needy, the orphan, and the captive,



اِنَّمَا نُطْعِمُکُمْ لِوَجْهِ اللّٰهِ لَا نُرِیْدُ مِنْکُمْ جَزَآءً وَّ لَا شُکُوْرًا ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা- নুত‘ইমুকুম লিওয়াজহিল্লা-হি লা-নুরীদুমিনকুম জাযাআওঁ ওয়ালা- শুকূরা- ।
আল বায়ান:
তারা বলে,‘আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদেরকে খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান চাই না এবং কোন শোকরও না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে- ‘আমরা তোমাদেরকে খাবার খাওয়াচ্ছি কেবল আল্লাহর চেহারা (সন্তুষ্টি) লাভের জন্য, আমরা তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান চাই না, চাই না কোন কৃতজ্ঞতা (জ্ঞাপন ও ধন্যবাদ)।
Sahih International:
[Saying], "We feed you only for the countenance of Allah. We wish not from you reward or gratitude.



اِنَّا نَخَافُ مِنْ رَّبِّنَا یَوْمًا عَبُوْسًا قَمْطَرِیْرًا ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না- নাখা-ফুমির রাব্বিনা- ইয়াওমান ‘আবূছান কামতারীরা- ।
আল বায়ান:
আমরা আমাদের রবের পক্ষ থেকে এক ভয়ংকর ভীতিপ্রদ দিবসের ভয় করি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা কেবল ভয় করি আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে এক ভীতিপ্রদ ভয়ানক দিনের।
Sahih International:
Indeed, We fear from our Lord a Day austere and distressful."



فَوَقٰهُمُ اللّٰهُ شَرَّ ذٰلِکَ الْیَوْمِ وَ لَقّٰهُمْ نَضْرَۃً وَّ سُرُوْرًا ﴿ۚ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফাওয়াকা- হুমুল্লা-হু শাররা যা-লিকাল ইয়াওমি ওয়া লাক্কা-হুম নাদরাতাওঁ ওয়া ছুরূরা- ।
আল বায়ান:
সুতরাং সেই দিবসের অকল্যাণ থেকে আল্লাহ তাদের রক্ষা করলেন এবং তাদের প্রদান করলেন উজ্জ্বলতা ও উৎফুল্লতা।
তাইসিরুল কুরআন:
যার ফলে আল্লাহ তাদেরকে সে দিনের অনিষ্ট হতে রক্ষা করবেন আর তাদেরকে দিবেন সজীবতা ও আনন্দ।
Sahih International:
So Allah will protect them from the evil of that Day and give them radiance and happiness



وَ جَزٰىهُمْ بِمَا صَبَرُوْا جَنَّۃً وَّ حَرِیْرًا ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাযা-হুম বিমা-সাবারূ জান্নাতাওঁ ওয়া হারীরা- ।
আল বায়ান:
আর তারা যে ধৈর্যধারণ করেছিল তার পরিণামে তিনি তাদেরকে জান্নাত ও রেশমী বস্ত্রের পুরস্কার প্রদান করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের ধৈর্য সহিষ্ণুতার বিনিময়ে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক।
Sahih International:
And will reward them for what they patiently endured [with] a garden [in Paradise] and silk [garments].



مُّتَّکِـِٕیْنَ فِیْهَا عَلَی الْاَرَآئِکِ ۚ لَا یَرَوْنَ فِیْهَا شَمْسًا وَّ لَا زَمْهَرِیْرًا ﴿ۚ۱۳﴾
উচ্চারণ:
মুত্তাকিঈনা ফীহা- ‘আলাল আরাইকি লা- ইয়ারাওনা ফীহা- শামছাওঁ ওয়ালাযামহারীরা- ।
আল বায়ান:
তারা সেখানে সুউচ্চ আসনে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে। তারা সেখানে না দেখবে অতিশয় গরম, আর না অত্যধিক শীত।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা উচ্চ আসনগুলোতে হেলান দিয়ে বসবে, সেখানে তারা দেখবে না অতি গরম, আর অতি শীত।
Sahih International:
[They will be] reclining therein on adorned couches. They will not see therein any [burning] sun or [freezing] cold.



وَ دَانِیَۃً عَلَیْهِمْ ظِلٰلُهَا وَ ذُلِّلَتْ قُطُوْفُهَا تَذْلِیْلًا ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দা- নিয়াতান ‘আলাইহিম জিলা- লুহা- ওয়া যুলিল্লাত কুতূফুহা- তাযলীলা- ।
আল বায়ান:
তাদের উপর সন্নিহিত থাকবে উদ্যানের ছায়া এবং তার ফলমূলের থোকাসমূহ তাদের সম্পূর্ণ আয়ত্তাধীন করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
জান্নাতের বৃক্ষরাজির ছায়া তাদের উপর থাকবে, আর ফলের গুচ্ছ একেবারে তাদের নাগালের মধ্যে রাখা হবে।
Sahih International:
And near above them are its shades, and its [fruit] to be picked will be lowered in compliance.



وَ یُطَافُ عَلَیْهِمْ بِاٰنِیَۃٍ مِّنْ فِضَّۃٍ وَّ اَکْوَابٍ کَانَتْ قَؔوَارِیْرَا۠ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইউতা-ফু‘আলাইহিম বিআ-নিয়াতিম মিন ফিদ্দাতিওঁ ওয়া আকওয়া-বিন কা-নাত কাওয়া-রীরা-।
আল বায়ান:
তাদের চারপাশে আবর্তিত হবে রৌপ্যপাত্র ও স্ফটিক স্বচ্ছ পানপাত্র-
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের সামনে ঘুরে ঘুরে রুপার পাত্র পরিবেশন করা হবে আর সাদা পাথরের পানপাত্র।
Sahih International:
And there will be circulated among them vessels of silver and cups having been [created] clear [as glass],



قَؔ‍وَارِیْرَا۠ مِنْ فِضَّۃٍ قَدَّرُوْهَا تَقْدِیْرًا ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
কাওয়া-রীরা মিন ফিদ্দাতিন কাদ্দারূহা-তাকদীরা- ।
আল বায়ান:
রূপার ন্যায় শুভ্র স্ফটিক পাত্র; যার পরিমাপ তারা নির্ধারণ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেই সাদা পাথরও হবে রুপার তৈরী। তারা এগুলোকে যথাযথ পরিমাণে ভর্তি করবে।
Sahih International:
Clear glasses [made] from silver of which they have determined the measure.



وَ یُسْقَوْنَ فِیْهَا کَاْسًا کَانَ مِزَاجُهَا زَنْجَبِیْلًا ﴿ۚ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইউছকাওনা ফীহা- কা’ছান কা-না মিযা-জুহা- যানজাবীলা- ।
আল বায়ান:
সেখানে তাদেরকে পান করানো হবে পাত্রভরা আদা-মিশ্রিত সুরা,
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে পান করানোর জন্য এমন পাত্র পরিবেশন করা হবে যাতে আদার মিশ্রণ থাকবে।
Sahih International:
And they will be given to drink a cup [of wine] whose mixture is of ginger



عَیْنًا فِیْهَا تُسَمّٰی سَلْسَبِیْلًا ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
‘আইনান ফীহা- তুছাম্মা- ছালছাবীলা- ।
আল বায়ান:
সেখানকার এক ঝর্ণা যার নাম হবে সালসাবীল।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে আছে একটা ঝর্ণা, যার নাম সালসাবীল।
Sahih International:
[From] a fountain within Paradise named Salsabeel.



وَ یَطُوْفُ عَلَیْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُوْنَ ۚ اِذَا رَاَیْتَهُمْ حَسِبْتَهُمْ لُؤْلُؤًا مَّنْثُوْرًا ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াতূফু‘আলাইহিম বিলদা-নুম মুখাল্লাদূ না ইযা-রাআইতাহুম হাছিবতাহুম ল’লুআম মানছূরা- ।
আল বায়ান:
আর তাদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে চিরকিশোরেরা; তুমি তাদেরকে দেখলে বিক্ষিপ্ত মুক্তা মনে করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ঘুরে ঘুরে তাদের সেবাদান কার্যে নিয়োজিত থাকবে চিরকিশোরগণ। তুমি যখন তাদেরকে দেখবে, তুমি মনে করবে, তারা যেন ছড়ানো মুক্তা।
Sahih International:
There will circulate among them young boys made eternal. When you see them, you would think them [as beautiful as] scattered pearls.



وَ اِذَا رَاَیْتَ ثَمَّ رَاَیْتَ نَعِیْمًا وَّ مُلْکًا کَبِیْرًا ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়া- রাআইতা ছাম্মা রআইতা না‘ঈমাওঁ ওয়া মুলকান কাবীরা- ।
আল বায়ান:
আর তুমি যখন দেখবে তুমি সেখানে দেখতে পাবে স্বাচ্ছন্দ্য ও বিরাট সাম্রাজ্য।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি যখন দেখবে তখন দেখতে পাবে ভোগ বিলাসের নানান সামগ্রী আর এক বিশাল রাজ্য।
Sahih International:
And when you look there [in Paradise], you will see pleasure and great dominion.



عٰلِیَهُمْ ثِیَابُ سُنْدُسٍ خُضْرٌ وَّ اِسْتَبْرَقٌ ۫ وَّ حُلُّوْۤا اَسَاوِرَ مِنْ فِضَّۃٍ ۚ وَ سَقٰهُمْ رَبُّهُمْ شَرَابًا طَهُوْرًا ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
‘আ-লিয়াহুম ছিয়া-বুছুনদুছিন খুদরুওঁ ওয়া ইছতাবরাকু ওঁ ওয়া হুললূআছা-বিরা মিন ফিদ্দাতিওঁ ওয়া ছাকা-হুম রাব্বুহুম শারা-বান তাহূরা- ।
আল বায়ান:
তাদের উপর থাকবে সবুজ ও মিহি রেশমের পোশাক এবং মোটা রেশমের পোশাক, আর তাদেরকে পরিধান করানো হবে রূপার চুড়ি এবং তাদের রব তাদেরকে পান করাবেন পবিত্র পানীয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের আবরণ হবে চিকন সবুজ রেশম ও মোটা রেশম, আর তাদেরকে অলংকারে সজ্জিত করা হবে রুপার কঙ্কণ দ্বারা, আর তাদের রবব তাদেরকে পান করাবেন পবিত্র পরিচ্ছন্ন পানীয়।
Sahih International:
Upon the inhabitants will be green garments of fine silk and brocade. And they will be adorned with bracelets of silver, and their Lord will give them a purifying drink.



اِنَّ هٰذَا کَانَ لَکُمْ جَزَآءً وَّ کَانَ سَعْیُکُمْ مَّشْکُوْرًا ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যা- কা-না লাকুম জাযাআওঁ ওয়া কা-না ছা‘ইউকুম মাশকূরা- ।
আল বায়ান:
(তাদেরকে বলা হবে) ‘এটিই তোমাদের পুরস্কার; আর তোমাদের প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসাযোগ্য।’
তাইসিরুল কুরআন:
‘এটাই তোমাদের প্রতিদান, তোমাদের চেষ্টা-সাধনা সাদরে গৃহীত হয়েছে।’
Sahih International:
[And it will be said], "Indeed, this is for you a reward, and your effort has been appreciated."



اِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا عَلَیْکَ الْقُرْاٰنَ تَنْزِیْلًا ﴿ۚ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-নাহনুনাযযালনা- ‘আলাইকাল কুরআ-না তানযীলা- ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি পর্যায়ক্রমে আল-কুরআন নাযিল করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
(হে নবী!) আমি তোমার কাছে কুরআন অবতীর্ণ করেছি ক্রমে ক্রমে (অল্প অল্প করে)।
Sahih International:
Indeed, it is We who have sent down to you, [O Muhammad], the Qur'an progressively.



فَاصْبِرْ لِحُکْمِ رَبِّکَ وَ لَا تُطِعْ مِنْهُمْ اٰثِمًا اَوْ کَفُوْرًا ﴿ۚ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফাসবির লিহুকমি রাব্বিকা ওয়ালা- তুতি‘ মিনহুম আ-ছিমান আও কাফূরা- ।
আল বায়ান:
অতএব তোমার রবের হুকুমের জন্য ধৈর্য ধারণ কর এবং তাদের মধ্য থেকে কোন পাপিষ্ঠ বা অস্বীকারকারীর আনুগত্য করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি ধৈর্য ধ’রে, তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষা কর আর তাদের মধ্যেকার পাপাচারী অথবা কাফিরের আনুগত্য কর না।
Sahih International:
So be patient for the decision of your Lord and do not obey from among them a sinner or ungrateful [disbeliever].



وَ اذْکُرِ اسْمَ رَبِّکَ بُکْرَۃً وَّ اَصِیْلًا ﴿ۖۚ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুরিছ মা রাব্বিকা বুকরাতাওঁ ওয়া আসীলা- ।
আল বায়ান:
আর সকাল-সন্ধ্যায় তোমার রবের নাম স্মরণ কর,
তাইসিরুল কুরআন:
আর সকাল-সন্ধ্যায় তোমার রব্ব এর নাম স্মরণ কর।
Sahih International:
And mention the name of your Lord [in prayer] morning and evening



وَ مِنَ الَّیْلِ فَاسْجُدْ لَهٗ وَ سَبِّحْهُ لَیْلًا طَوِیْلًا ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মিনাল্লাইলি ফাছজুদ লাহূওয়া ছাব্বিহহু লাইলান তাবিলা- ।
আল বায়ান:
আর রাতের একাংশে তার উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হও এবং দীর্ঘ রাত ধরে তাঁর তাসবীহ পাঠ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আর রাতের কিছু অংশে তাঁর জন্য সেজদা্য় অবনত হও আর রাতের দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর মহিমা বর্ণনা কর।
Sahih International:
And during the night prostrate to Him and exalt Him a long [part of the] night.



اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ یُحِبُّوْنَ الْعَاجِلَۃَ وَ یَذَرُوْنَ وَرَآءَهُمْ یَوْمًا ثَقِیْلًا ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হাউলাই ইউহিববূনাল ‘আ-জিলাতা ওয়া ইয়াযারূনা ওয়ারাআহুম ইয়াওমান ছাকীলা- ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এরা দুনিয়ার জীবনকে ভালবাসে আর তাদের সামনে রেখে দেয় এক কঠিন দিন।
তাইসিরুল কুরআন:
এ লোকেরা তো পার্থিব জীবনকে ভালবাসে আর তাদের আড়ালে যে (কিয়ামাতের) কঠিন দিন (আসছে) তাকে উপেক্ষা করে।
Sahih International:
Indeed, these [disbelievers] love the immediate and leave behind them a grave Day.



نَحْنُ خَلَقْنٰهُمْ وَ شَدَدْنَاۤ اَسْرَهُمْ ۚ وَ اِذَا شِئْنَا بَدَّلْنَاۤ اَمْثَالَهُمْ تَبْدِیْلًا ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
নাহনুখালাকনা-হুম ওয়াশাদাদনাআছরাহুম ওয়া ইযা- শি’না- বাদ্দালনাআমছালাহুম তাবদীলা-।
আল বায়ান:
আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এবং তাদের গ্রন্থি শক্ত করে দিয়েছি আর আমি চাইলে তাদের স্থানে তাদের মত (মানুষ) দিয়ে পরিবর্তন করে দিতে পারি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি আর তাদের গঠন মজবুত করেছি। আমি যখন চাইব তখন তাদের স্থলে তাদের মত অন্য লোক আনব।
Sahih International:
We have created them and strengthened their forms, and when We will, We can change their likenesses with [complete] alteration.



اِنَّ هٰذِهٖ تَذْکِرَۃٌ ۚ فَمَنْ شَآءَ اتَّخَذَ اِلٰی رَبِّهٖ سَبِیْلًا ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যিহী তাযকিরাতুন ফামান শাআত্তাখাযা ইলা- রাব্বিহী ছাবীলা- ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এটি উপদেশ; অতএব যে চায় সে যেন তার রবের দিকে একটি পথ গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা এক উপদেশ, কাজেই যার ইচ্ছে সে (এ উপদেশ মান্য ক’রে) তার প্রতিপালকের পথ ধরুক।
Sahih International:
Indeed, this is a reminder, so he who wills may take to his Lord a way.



وَ مَا تَشَآءُوْنَ اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَلِیْمًا حَکِیْمًا ﴿٭ۖ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-তাশাঊনা ইল্লাআইঁ ইয়াশাআল্লা-হ; ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান হাকীমা- ।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ ইচ্ছা না করলে তোমরা ইচ্ছা করবে না; নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রাজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা ইচ্ছে কর না আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতীত। (অর্থাৎ আল্লাহ কোন কিছু কার্যকর করতে চাইলে তোমাদের মাঝে ইচ্ছে ও শক্তি সঞ্চার করতঃ তোমাদের মাধ্যমে তা কার্যকর করেন)। আল্লাহ সর্বজ্ঞাতা মহাবিজ্ঞানী।
Sahih International:
And you do not will except that Allah wills. Indeed, Allah is ever Knowing and Wise.



یُّدْخِلُ مَنْ یَّشَآءُ فِیْ رَحْمَتِهٖ ؕ وَ الظّٰلِمِیْنَ اَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا اَلِیْمًا ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ইউদখিলুমাইঁ ইয়াশাউ ফী রাহমাতিহী ওয়াজ্জা-লিমীনা আ‘আদ্দা লাহুম ‘আযাবান আলীমা- ।
আল বায়ান:
যাকে ইচ্ছা তিনি স্বীয় রহমতে প্রবেশ করাবেন এবং যালিমদের জন্য তিনি প্রস্তুত রেখেছেন যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি যাকে ইচ্ছে তাঁর রাহমাতে দাখিল করেন। আর যালিমরা- তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন বড়ই পীড়াদায়ক শাস্তি।
Sahih International:
He admits whom He wills into His mercy; but the wrongdoers - He has prepared for them a painful punishment.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।