আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اَلْحَآقَّۃُ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
আলহাক্কাহ।
আল বায়ান:
অবশ্যম্ভাবী ঘটনা (কিয়ামত)।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চিত সংঘটিতব্য বিষয়,
Sahih International:
The Inevitable Reality -



مَا الْحَآقَّۃُ ۚ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
মাল হাক্কাহ ।
আল বায়ান:
অবশ্যম্ভাবী ঘটনা কী?
তাইসিরুল কুরআন:
কী সেই নিশ্চিত সংঘটিতব্য বিষয়?
Sahih International:
What is the Inevitable Reality?



وَ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا الْحَآقَّۃُ ؕ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআদরা-কা মাল হাক্কাহ ।
আল বায়ান:
আর কিসে তোমাকে জানাবে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা কী?
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি কি জান কী সেই নিশ্চিত সংঘটিতব্য বিষয়?
Sahih International:
And what can make you know what is the Inevitable Reality?



کَذَّبَتْ ثَمُوْدُ وَ عَادٌۢ بِالْقَارِعَۃِ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
কাযযাবাত ছামূদুওয়া ‘আ-দুম বিল কা-রি‘আহ।
আল বায়ান:
সামূদ ও ‘আদ সম্প্রদায় সজোরে আঘাতকারী (কিয়ামত)কে অস্বীকার করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আদ ও সামূদ জাতি সেই আকস্মিকভাবে সংঘটিতব্য মহাবিপদকে মিথ্যে বলেছিল।
Sahih International:
Thamud and 'Aad denied the Striking Calamity.



فَاَمَّا ثَمُوْدُ فَاُهْلِکُوْا بِالطَّاغِیَۃِ ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআম্মা- ছামূদুফাউহলিকূবিত্তা-গিয়াহ।
আল বায়ান:
আর সামূদ সম্প্রদায়, তাদেরকে বিকট শব্দ দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সামূদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রলয়ংকর বিপর্যয় দিয়ে।
Sahih International:
So as for Thamud, they were destroyed by the overpowering [blast].



وَ اَمَّا عَادٌ فَاُهْلِکُوْا بِرِیْحٍ صَرْصَرٍ عَاتِیَۃٍ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মা- ‘আ-দুন ফাউহলিকূবিরীহিন সারসারিন ‘আ-তিয়াহ।
আল বায়ান:
আর ‘আদ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল প্রচন্ড ঠান্ডা ঝঞ্ঝাবায়ু দ্বারা।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ‘আদকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া দিয়ে।
Sahih International:
And as for 'Aad, they were destroyed by a screaming, violent wind



سَخَّرَهَا عَلَیْهِمْ سَبْعَ لَیَالٍ وَّ ثَمٰنِیَۃَ اَیَّامٍ ۙ حُسُوْمًا ۙ فَتَرَی الْقَوْمَ فِیْهَا صَرْعٰی ۙ کَاَنَّهُمْ اَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِیَۃٍ ۚ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ছাখখারাহা-‘আলাইহিম ছাব‘আ লাইয়া-লিওঁ ওয়া ছামা-নিয়াতা আইইয়া-মিন হুছূমান ফাতারাল কাওমা ফীহা-সার‘আ- কাআন্নাহুম আ‘জা-যুনাখলিন খা-বিয়াহ।
আল বায়ান:
তিনি তাদের উপর তা সাত রাত ও আট দিন বিরামহীনভাবে চাপিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে তুমি উক্ত সম্প্রদায়কে সেখানে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় দেখতে পেতে যেন তারা সারশূন্য খেজুর গাছের মত।
তাইসিরুল কুরআন:
যা তাদের উপর প্রবাহিত হয়েছিল সাত রাত আট দিন বিরামহীনভাবে, তুমি দেখতে তারা পড়ে আছে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত, যেন তারা পুরাতন শুকনো খেজুর গাছের কান্ড।
Sahih International:
Which Allah imposed upon them for seven nights and eight days in succession, so you would see the people therein fallen as if they were hollow trunks of palm trees.



فَهَلْ تَرٰی لَهُمْ مِّنْۢ بَاقِیَۃٍ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফাহাল তারা-লাহুম মিম বা-কিয়াহ।
আল বায়ান:
তারপর তুমি কি তাদের জন্য কোন অবশিষ্ট কিছু দেখতে পাও?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তাদের কাউকে রক্ষা পেয়ে বেঁচে থাকতে দেখছ কি?
Sahih International:
Then do you see of them any remains?



وَ جَآءَ فِرْعَوْنُ وَ مَنْ قَبْلَهٗ وَ الْمُؤْتَفِکٰتُ بِالْخَاطِئَۃِ ۚ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জাআ ফির‘আওনুওয়া মান কালাহূওয়াল মু’তাফিকা-তুবিল খা- তিআহ।
আল বায়ান:
আর ফির‘আউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং উল্টে দেয়া জনপদবাসীরা পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন আর তার পূর্ববর্তীরা আর উল্টে দেয়া জনপদবাসীরা গুরুতর পাপে লিপ্ত ছিল।
Sahih International:
And there came Pharaoh and those before him and the overturned cities with sin.



فَعَصَوْا رَسُوْلَ رَبِّهِمْ فَاَخَذَهُمْ اَخْذَۃً رَّابِیَۃً ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ফা‘আসাও রাছূলা রাব্বিহিম ফাআখাযাহুম আখযাতাররা-বিয়াহ।
আল বায়ান:
আর তারা তাদের রবের রাসূলকে অমান্য করেছিল। সুতরাং তিনি তাদেরকে অত্যন্ত কঠোরভাবে পাকড়াও করলেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের প্রতিপালকের রসূলকে অমান্য করেছিল, তখন তিনি তাদেরকে পাকড়াও করলেন- অত্যন্ত কঠিন পাকড়াও।
Sahih International:
And they disobeyed the messenger of their Lord, so He seized them with a seizure exceeding [in severity].



اِنَّا لَمَّا طَغَا الْمَآءُ حَمَلْنٰکُمْ فِی الْجَارِیَۃِ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্না- লাম্মা-তাগালমাউ হামালনা-কুম ফিল জা-রিয়াহ।
আল বায়ান:
যখন জলোচ্ছ্বাস হল, অবশ্যই তখন আমি তোমাদেরকে নৌযানে আরোহণ করিয়েছি।
তাইসিরুল কুরআন:
(নূহের বানের) পানি যখন কূল ছাপিয়ে সীমা ছাড়িয়ে গেল, তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহণ করালাম।
Sahih International:
Indeed, when the water overflowed, We carried your ancestors in the sailing ship



لِنَجْعَلَهَا لَکُمْ تَذْکِرَۃً وَّ تَعِیَهَاۤ اُذُنٌ وَّاعِیَۃٌ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
লিনাজ‘আলাহা-লাকুম তাযকিরাতাওঁ ওয়া তা‘ইয়াহাউযু নুওঁ ওয়া-‘ইয়াহ।
আল বায়ান:
একে তোমাদের নিমিত্তে উপদেশ বানানোর জন্য এবং সংরক্ষণকারী কান তা সংরক্ষণ করার জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
যেন এ ঘটনাটিকে আমি তোমাদের জন্য শিক্ষাপ্রদ-স্মারক করে রাখি আর সংরক্ষণকারী কান তা সংরক্ষণ করে।
Sahih International:
That We might make it for you a reminder and [that] a conscious ear would be conscious of it.



فَاِذَا نُفِخَ فِی الصُّوْرِ نَفْخَۃٌ وَّاحِدَۃٌ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা- নুফিখা ফিসসুরি নাফখাতুওঁ ওয়া- হিদাহ।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে- একটি মাত্র ফুঁক।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন সিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে- মাত্র একটি ফুঁৎকার।
Sahih International:
Then when the Horn is blown with one blast



وَّ حُمِلَتِ الْاَرْضُ وَ الْجِبَالُ فَدُکَّتَا دَکَّۃً وَّاحِدَۃً ﴿ۙ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুমিলাতিল আরদুওয়াল জিবা-লুফাদুক্কাতা- দাক্কাতাওঁ ওয়া-হিদাহ।
আল বায়ান:
আর যমীন ও পর্বতমালাকে সরিয়ে নেয়া হবে এবং মাত্র একটি আঘাতে এগুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
পৃথিবী আর পর্বতমালা উৎক্ষিপ্ত হবে আর একই আঘাতে তাদেরকে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে।
Sahih International:
And the earth and the mountains are lifted and leveled with one blow -



فَیَوْمَئِذٍ وَّقَعَتِ الْوَاقِعَۃُ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফাইয়াওমাইযিওঁ ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ।
আল বায়ান:
ফলে সে দিন মহাঘটনা সংঘটিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন ঘটবে সেই সংঘটিতব্য (মহা) ঘটনা।
Sahih International:
Then on that Day, the Resurrection will occur,



وَ انْشَقَّتِ السَّمَآءُ فَهِیَ یَوْمَئِذٍ وَّاهِیَۃٌ ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ানশাক্কাতিছছামাউ ফাহিয়া ইয়াওমাইযিওঁ ওয়া-হিয়াহ।
আল বায়ান:
আর আসমান বিদীর্ণ হয়ে যাবে। ফলে সেদিন তা হয়ে যাবে দুর্বল বিক্ষিপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ হয়ে যাবে দীর্ণ বিদীর্ণ আর সেদিন তা হবে বাঁধন-হারা-বিক্ষিপ্ত।
Sahih International:
And the heaven will split [open], for that Day it is infirm.



وَّ الْمَلَکُ عَلٰۤی اَرْجَآئِهَا ؕ وَ یَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّکَ فَوْقَهُمْ یَوْمَئِذٍ ثَمٰنِیَۃٌ ﴿ؕ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল মালাকু‘আলাআরজাইহা- ওয়া ইয়াহমিলু‘আরশা রাব্বিকা ফাওকাহুম ইয়াওমাইযিন ছামা-নিয়াহ।
আল বায়ান:
ফেরেশতাগণ আসমানের বিভিন্ন প্রান্তে থাকবে। সেদিন তোমার রবের আরশকে আটজন ফেরেশতা তাদের উর্ধ্বে বহন করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরেশতারা থাকবে আকাশের আশে পাশে। আটজন ফেরেশতা সেদিন তোমার প্রতিপালকের ‘আরশ নিজেদের ঊর্ধ্বে বহন করবে।
Sahih International:
And the angels are at its edges. And there will bear the Throne of your Lord above them, that Day, eight [of them].



یَوْمَئِذٍ تُعْرَضُوْنَ لَا تَخْفٰی مِنْکُمْ خَافِیَۃٌ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমাইযিন তু‘রাদূনা লা- তাখফা- মিনকুম খা-ফিয়াহ।
আল বায়ান:
সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন গোপনীয়তাই গোপন থাকবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন তোমাদেরকে (বিচারের জন্য) হাজির করা হবে আর তোমাদের কোন কাজই- যা তোমরা গোপন কর- গোপন থাকবে না।
Sahih International:
That Day, you will be exhibited [for judgement]; not hidden among you is anything concealed.



فَاَمَّا مَنْ اُوْتِیَ کِتٰبَهٗ بِیَمِیْنِهٖ ۙ فَیَقُوْلُ هَآؤُمُ اقْرَءُوْا کِتٰبِیَهْ ﴿ۚ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফাআম্মা-মান ঊতিয়া কিতা-বাহূবিইয়ামীনিহী ফাইয়াকূলুহাউমুকরাঊ কিতা-বিয়াহ।
আল বায়ান:
তখন যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখ’।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন যাকে তার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘এই যে আমার ‘আমালানামা পড়ে দেখ,
Sahih International:
So as for he who is given his record in his right hand, he will say, "Here, read my record!



اِنِّیْ ظَنَنْتُ اَنِّیْ مُلٰقٍ حِسَابِیَهْ ﴿ۚ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নী জানানতুআন্নী মুলা-কিন হিছা-বিয়াহ।
আল বায়ান:
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, আমি আমার হিসাবের সম্মুখীন হব’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি জানতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।’
Sahih International:
Indeed, I was certain that I would be meeting my account."



فَهُوَ فِیْ عِیْشَۃٍ رَّاضِیَۃٍ ﴿ۙ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ফাহুওয়া ফী ‘ঈশাতিররা-দিয়াহ।
আল বায়ান:
সুতরাং সে সন্তোষজনক জীবনে থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে আনন্দময় জীবন যাপন করবে,
Sahih International:
So he will be in a pleasant life -



فِیْ جَنَّۃٍ عَالِیَۃٍ ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ফী জান্নাতিন ‘আ-লিয়াহ।
আল বায়ান:
সুউচ্চ জান্নাতে,
তাইসিরুল কুরআন:
উচ্চতম মর্যাদার জান্নাতে,
Sahih International:
In an elevated garden,



قُطُوْفُهَا دَانِیَۃٌ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
কুতূফুহা- দা-নিয়াহ।
আল বায়ান:
তার ফলসমূহ নিকটবর্তী থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তার ফলসমূহ (ঝুলে থাকবে) নীচে-নাগালের মধ্যে।
Sahih International:
Its [fruit] to be picked hanging near.



کُلُوْا وَ اشْرَبُوْا هَنِیْٓـئًۢا بِمَاۤ اَسْلَفْتُمْ فِی الْاَیَّامِ الْخَالِیَۃِ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
কুলূওয়াশরাবূহানীআম বিমাআছলাফতুম ফিল আইয়া-মিল খা-লিয়াহ।
আল বায়ান:
(বলা হবে,) ‘বিগত দিনসমূহে তোমরা যা অগ্রে প্রেরণ করেছ তার বিনিময়ে তোমরা তৃপ্তি সহকারে খাও ও পান কর’।
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে বলা হবে) পরিপূর্ণ তৃপ্তির সঙ্গে খাও এবং পান কর বিগত দিনে তোমরা যা (নেক ‘আমাল) করেছিলে তার প্রতিদান স্বরূপ।
Sahih International:
[They will be told], "Eat and drink in satisfaction for what you put forth in the days past."



وَ اَمَّا مَنْ اُوْتِیَ کِتٰبَهٗ بِشِمَالِهٖ ۬ۙ فَیَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُوْتَ کِتٰبِیَهْ ﴿ۚ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মা-মান ঊতিয়া কিতা-বাহূবিশিমা-লিহী ফাইয়াকূলুইয়া- লাইতানী লাম ঊতা কিতা-বিয়াহ।
আল বায়ান:
কিন্তু যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘হায়, আমাকে যদি আমার আমলনামা দেয়া না হত’!
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু যার ‘আমালনামা বাম হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘হায়! আমাকে যদি আমার ‘আমালনামা না দেয়া হত,
Sahih International:
But as for he who is given his record in his left hand, he will say, "Oh, I wish I had not been given my record



وَ لَمْ اَدْرِ مَا حِسَابِیَهْ ﴿ۚ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম আদরি মা-হিছা-বিয়াহ।
আল বায়ান:
‘আর যদি আমি না জানতাম আমার হিসাব’!
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমার হিসাব কী তা যদি আমি না-ই জানতাম,
Sahih International:
And had not known what is my account.



یٰلَیْتَهَا کَانَتِ الْقَاضِیَۃَ ﴿ۚ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়া-লাইতাহা- কা-নাতিল কা-দিয়াহ।
আল বায়ান:
‘হায়, মৃত্যুই যদি আমার চূড়ান্ত ফয়সালা হত’!
তাইসিরুল কুরআন:
‘হায়! (দুনিয়ার) মৃত্যুই যদি আমার শেষ (অবস্থা) হত!
Sahih International:
I wish my death had been the decisive one.



مَاۤ اَغْنٰی عَنِّیْ مَالِیَهْ ﴿ۚ۲۸﴾
উচ্চারণ:
মা আগনা- ‘আন্নী মা- লিয়াহ।
আল বায়ান:
‘আমার সম্পদ আমার কোন কাজেই আসল না!’
তাইসিরুল কুরআন:
আমার ধন-সম্পদ আমার কোন কাজে আসল না,
Sahih International:
My wealth has not availed me.



هَلَکَ عَنِّیْ سُلْطٰنِیَهْ ﴿ۚ۲۹﴾
উচ্চারণ:
হালাকা ‘আন্নী ছুলতা-নিয়াহ।
আল বায়ান:
‘আমার ক্ষমতাও আমার থেকে চলে গেল!
তাইসিরুল কুরআন:
আমার (সব) ক্ষমতা আধিপত্য নিঃশেষ হয়ে গেছে,
Sahih International:
Gone from me is my authority."



خُذُوْهُ فَغُلُّوْهُ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
খুযূহু ফাগুললূহ।
আল বায়ান:
(বলা হবে,) ‘তাকে ধর অতঃপর তাকে বেড়ি পরিয়ে দাও।’
তাইসিরুল কুরআন:
(তখন নির্দেশ আসবে) ধর ওকে, ওর গলায় ফাঁস লাগিয়ে দাও,
Sahih International:
[Allah will say], "Seize him and shackle him.



ثُمَّ الْجَحِیْمَ صَلُّوْهُ ﴿ۙ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মাল জাহীমা সাললূহ।
আল বায়ান:
‘তারপর তাকে তোমরা নিক্ষেপ কর জাহান্নামে’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর ছুড়ে ফেল ওকে জাহান্নামে,
Sahih International:
Then into Hellfire drive him.



ثُمَّ فِیْ سِلْسِلَۃٍ ذَرْعُهَا سَبْعُوْنَ ذِرَاعًا فَاسْلُکُوْهُ ﴿ؕ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ফী ছিলছিলাতিন যার‘উহা- ছাব‘ঊনা যিরা-‘আন ফাছলুকূহ।
আল বায়ান:
‘তারপর তাকে বাঁধ এমন এক শেকলে যার দৈর্ঘ্য হবে সত্তর হাত।’
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর ওকে শিকল দিয়ে বাঁধ- সত্তর হাত দীর্ঘ এক শিকলে,
Sahih International:
Then into a chain whose length is seventy cubits insert him."



اِنَّهٗ کَانَ لَا یُؤْمِنُ بِاللّٰهِ الْعَظِیْمِ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূকা-না লা-ইউ’মিনুবিল্লা-হিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
সে তো মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করত না,
তাইসিরুল কুরআন:
সে মহান আল্লাহর উপর ঈমান আনেনি,
Sahih International:
Indeed, he did not used to believe in Allah, the Most Great,



وَ لَا یَحُضُّ عَلٰی طَعَامِ الْمِسْکِیْنِ ﴿ؕ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-ইয়াহদ্দু ‘আলা- তা‘আ-মিল মিছকীন।
আল বায়ান:
আর মিসকীনকে খাদ্যদানে উৎসাহিত করত না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর না সে মিসকীনকে খাবার খাওয়াতে উৎসাহ দিত,
Sahih International:
Nor did he encourage the feeding of the poor.



فَلَیْسَ لَهُ الْیَوْمَ هٰهُنَا حَمِیْمٌ ﴿ۙ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ফালাইছা লাহুল ইয়াওমা হা-হুনা- হামীম।
আল বায়ান:
অতএব আজ এখানে তার কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই আজ এখানে তার কোন বন্ধু নেই,
Sahih International:
So there is not for him here this Day any devoted friend



وَّ لَا طَعَامٌ اِلَّا مِنْ غِسْلِیْنٍ ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা- তা‘আ-মুন ইল্লা-মিন গিছলীন।
আল বায়ান:
আর ক্ষত-নিংসৃত পূঁজ ছাড়া কোন খাদ্য থাকবে না,
তাইসিরুল কুরআন:
ক্ষত হতে পড়া পুঁজ ছাড়া কোন খাদ্য নেই,
Sahih International:
Nor any food except from the discharge of wounds;



لَّا یَاْکُلُهٗۤ اِلَّا الْخَاطِـُٔوْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়া’কুলুহূইল্লাল খা-তিঊন।
আল বায়ান:
অপরাধীরাই শুধু তা খাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যা অপরাধীরা ছাড়া অন্য কেউ খায় না।
Sahih International:
None will eat it except the sinners.



فَلَاۤ اُقْسِمُ بِمَا تُبْصِرُوْنَ ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ফালাউকছিমুবিমা-তুবসিরূন।
আল বায়ান:
অতএব তোমরা যা দেখছ, আমি তার কসম করছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কসম করছি সে সব জিনিসের যা তোমরা দেখতে পাও,
Sahih International:
So I swear by what you see



وَ مَا لَا تُبْصِرُوْنَ ﴿ۙ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-লা-তুবসিরূন।
আল বায়ান:
আর যা তোমরা দেখছ না তারও,
তাইসিরুল কুরআন:
আর (সে সব জিনিসেরও) যা তোমরা দেখতে পাও না
Sahih International:
And what you do not see



اِنَّهٗ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ کَرِیْمٍ ﴿ۚۙ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূলাকাওলুরাছূলিন কারীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয়ই এটি এক সম্মানিত রাসূলের বাণী।
তাইসিরুল কুরআন:
যে, অবশ্যই এ কুরআন এক মহা সম্মানিত রসূল [জিবরীল (আঃ)]-এর (বহন করে আনা) বাণী।
Sahih International:
[That] indeed, the Qur'an is the word of a noble Messenger.



وَّ مَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ ؕ قَلِیْلًا مَّا تُؤْمِنُوْنَ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-হুওয়া বিকাওলি শা-‘ইরিন কালীলাম মা-তু’মিনূন।
আল বায়ান:
আর এটি কোন কবির কথা নয়। তোমরা কমই বিশ্বাস কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তা কোন কবির কথা নয়, (কবির কথা তো) তোমরা বিশ্বাস করো না,
Sahih International:
And it is not the word of a poet; little do you believe.



وَ لَا بِقَوْلِ کَاهِنٍ ؕ قَلِیْلًا مَّا تَذَکَّرُوْنَ ﴿ؕ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-বিকাওলি কা- হিনিন কালীলাম মা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর কোন গণকের কথাও নয়। তোমরা কমই উপদেশ গ্রহণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা কোন গণকের কথাও নয়, (গণকের কথায় তো) তোমরা নসীহত লাভ করো না।
Sahih International:
Nor the word of a soothsayer; little do you remember.



تَنْزِیْلٌ مِّنْ رَّبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
তানযীলুম মিররাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
এটি সৃষ্টিকুলের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের নিকট থেকে অবতীর্ণ,
Sahih International:
[It is] a revelation from the Lord of the worlds.



وَ لَوْ تَقَوَّلَ عَلَیْنَا بَعْضَ الْاَقَاوِیْلِ ﴿ۙ۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাও তাকাওওয়ালা ‘আলাইনা-বা‘দাল আকা-বীল।
আল বায়ান:
যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত,
তাইসিরুল কুরআন:
নবী যদি কোন কথা নিজে রচনা করে আমার নামে চালিয়ে দিত,
Sahih International:
And if Muhammad had made up about Us some [false] sayings,



لَاَخَذْنَا مِنْهُ بِالْیَمِیْنِ ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
লাআখাযনা-মিনহু বিলইয়ামীন।
আল বায়ান:
তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি অবশ্যই তার ডান হাত ধরে তাকে পাকড়াও করতাম,
Sahih International:
We would have seized him by the right hand;



ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِیْنَ ﴿۫ۖ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা লাকাতা‘না-মিনহুল ওয়াতীন।
আল বায়ান:
তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর অবশ্যই কেটে দিতাম তার হৃৎপিন্ডের শিরা,
Sahih International:
Then We would have cut from him the aorta.



فَمَا مِنْکُمْ مِّنْ اَحَدٍ عَنْهُ حٰجِزِیْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ফামা-মিনকুম মিন আহাদিন ‘আনহু হা-জিযীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউই তাকে রক্ষা করার থাকত না।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, (আমার গোস্বা থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য) বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
Sahih International:
And there is no one of you who could prevent [Us] from him.



وَ اِنَّهٗ لَتَذْکِرَۃٌ لِّلْمُتَّقِیْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলাতাযকিরাতুল লিলমুত্তাকীন।
আল বায়ান:
আর এটিতো মুত্তাকীদের জন্য এক নিশ্চিত উপদেশ।
তাইসিরুল কুরআন:
মুত্তাক্বীদের জন্য এ কুরআন অবশ্যই এক উপদেশ,
Sahih International:
And indeed, the Qur'an is a reminder for the righteous.



وَ اِنَّا لَنَعْلَمُ اَنَّ مِنْکُمْ مُّکَذِّبِیْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না-লানা‘লামুআন্না মিনকুম মুকাযযিবীন।
আল বায়ান:
আর আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে কতক রয়েছে মিথ্যারোপকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে কতক লোক (কুরআনকে) অস্বীকার করবে।
Sahih International:
And indeed, We know that among you are deniers.



وَ اِنَّهٗ لَحَسْرَۃٌ عَلَی الْکٰفِرِیْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলাহাছরাতুন ‘আলাল কা-ফিরীন।
আল বায়ান:
আর এটি নিশ্চয় কাফিরদের জন্য এক নিশ্চিত অনুশোচনার কারণ।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এ কুরআন কাফিরদের জন্য অবশ্যই দুঃখ ও হতাশার কারণ হবে (যখন কুরআনে বর্ণিত শাস্তি তাদেরকে ঘিরে ধরবে)।
Sahih International:
And indeed, it will be [a cause of] regret upon the disbelievers.



وَ اِنَّهٗ لَحَقُّ الْیَقِیْنِ ﴿۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলাহাক্কুল ইয়াকীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় এটি সুনিশ্চিত সত্য।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা একেবারে নিশ্চিত সত্য।
Sahih International:
And indeed, it is the truth of certainty.



فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّکَ الْعَظِیْمِ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ফাছাব্বিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।
আল বায়ান:
অতএব তুমি তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব তুমি তোমার মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা কর।
Sahih International:
So exalt the name of your Lord, the Most Great.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।