আল কুরআন


সূরা আল-হাক্কাহ (আয়াত: 40)

সূরা আল-হাক্কাহ (আয়াত: 40)



হরকত ছাড়া:

إنه لقول رسول كريم ﴿٤٠﴾




হরকত সহ:

اِنَّهٗ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ کَرِیْمٍ ﴿ۚۙ۴۰﴾




উচ্চারণ: ইন্নাহূলাকাওলুরাছূলিন কারীম।




আল বায়ান: নিশ্চয়ই এটি এক সম্মানিত রাসূলের বাণী।




আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া: ৪০. নিশ্চয় এ কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের (বাহিত) বাণী(১)।




তাইসীরুল ক্বুরআন: যে, অবশ্যই এ কুরআন এক মহা সম্মানিত রসূল [জিবরীল (আঃ)]-এর (বহন করে আনা) বাণী।




আহসানুল বায়ান: (৪০) নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রসূলের বার্তা। [1]



মুজিবুর রহমান: নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বাহিত বার্তা।



ফযলুর রহমান: নিশ্চয়ই এই কোরআন এক সম্মানিত দূতের (জিব্‌রাঈলের অথবা মুহাম্মাদের) কথা (যা সে আল্লাহর কাছ থেকে নিয়ে এসেছে)।



মুহিউদ্দিন খান: নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের আনীত।



জহুরুল হক: যে এটি এক সম্মানিত রসূলের বাণী,



Sahih International: [That] indeed, the Qur'an is the word of a noble Messenger.



তাফসীরে যাকারিয়া

অনুবাদ: ৪০. নিশ্চয় এ কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের (বাহিত) বাণী(১)।


তাফসীর:

(১) এখানে সম্মানিত রাসূল মানে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। [কুরতুবী]


তাফসীরে আহসানুল বায়ান

অনুবাদ: (৪০) নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রসূলের বার্তা। [1]


তাফসীর:

[1] সম্মানিত রসূল বলতে মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। আর قول ‘বার্তা’র অর্থ তেলাঅত (পাঠ করা)। অর্থাৎ, রাসূলে করীম (সাঃ)-এর তেলাঅত। অথবা قول ‘বার্তা’ বলতে এমন কথা যা এই সম্মানিত রসূল, আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট পৌঁছান। কারণ, কুরআন না রসূল (সাঃ)-এর বাণী, আর না জিবরীল (আঃ)-এর বাণী, বরং তা হল আল্লাহর বাণী, যা তিনি জিবরীল ফিরিশতার মাধ্যমে পয়গম্বরের উপর অবতীর্ণ করেছেন। অতঃপর তিনি মানুষের কাছে তা পাঠ করে শুনিয়ে ও পৌঁছে দিয়েছেন।


তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ


তাফসীর: ৩৮-৪৩ নম্বর আয়াতের তাফসীর :



আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় সৃষ্ট বস্তুর মধ্য হতে ঐ সব নিদর্শনের শপথ করছেন যেগুলো মানুষ দেখতে পায় আর যেগুলো দেখতে পায় না উভয়ের। তিনি শপথ করে বলছেন : এ কুরআন তাঁর বাণী যা স্বীয় বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর অবতীর্ণ করেছেন, যাকে তিনি আমানত আদায় ও রিসালাত প্রচারের জন্য পছন্দ ও মনোনীত করেছেন।



رسول كريم



দ্বারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝোনো হয়েছে। কারণ তিনি এর প্রচারক ও উপস্থাপক। এজন্য رسول বা দূত শব্দটি আনা হয়েছে। কেননা রাসূল কেবল তাঁর কথা প্রচার করেন যিনি তাঁকে প্রেরণ করেছেন। এজন্য জিবরীলের দিকেও এ

কুরআনের সম্বন্ধ লাগানো হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন :



(إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ ذِي قُوَّةٍ عِنْدَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ مُطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ)



“নিশ্চয়ই এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবাহকের আনীত বাণী, সে শক্তিশালী আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন, সেখানে তাঁকে মান্য করা হয় এবং সে বিশ্বাস ভাজন। ” (সূরা তাকভীর ৮১ : ১৯-২১)



তাই আল্লাহ তা‘আলা কুরআনকে কখনো ফেরেশতা রাসূল জিবরীলের দিকে সম্পৃক্ত করেছেন আবার কখনো মানুষ রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন। কারণ উভয়েই আল্লাহ তা‘আলার কথার প্রচারক। জিবরীল প্রচার করেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে, আর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রচার করেন মানুষের কাছে। তাই এ কুরআন কোন গণক, জ্যোতিষী বা মানুষের তৈরি কথা নয় বরং তা নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত কিতাব।



কুরআন ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে কাফিররা যেসব অপবাদ দিত তার মধ্যে এও ছিল যে, তারা তাকে কবি ও জ্যোতিষী বলতো। কারণ কুরআনের ভাষা সাধারণ মানবীয় ভাষার তুলনায় অনেক উঁচু মানের হওয়ার কারণে তারা এরূপ সন্দেহ করত। তাদের মাঝে এরূপ কুসংস্কার প্রচলিত ছিল যে, কবি ও জ্যোতিষীর অধীন একটা জিন থাকে, সে তাকে উঁচু মানের ভাষা শেখায় এবং অজ্ঞাত অজ্ঞাত তথ্য সরবরাহ করে। অথচ কুরআন ও নবুওয়াতের প্রকৃতি এবং কবি ও জ্যোতিষীর প্রকৃতির মাঝে আকাশ-জমিন পার্থক্য বিদ্যমান। কবিতার সুরেলা ছন্দ, অভিনব চিন্তা এবং তাতে চমকপ্রদ দৃশ্য ও ছবির সমাবেশ ঘটতে পারে। কিন্তু সে জন্য তা কুরআনের মত হতে পারে না। কেননা কুরআন হল জীবনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা, চিরন্তন সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং কথার কোন বৈপরিত্য নেই। পক্ষান্তরে কবিতা হল ধারাবাহিকভাবে উদ্ভুত প্রতিক্রিয়া এবং উদ্বেলিত ও উচ্ছ্বসিত ভাবাবেগের নাম। এতে স্থীতিশীলতা ও দৃঢ়তা অত্যন্ত কম। আনন্দ-বেদনা, ঘৃণা বিদ্বেষ ও প্রীতি ভালবাসা, সন্তোষ ও ক্রোধ এবং সুখ ও দুঃখ প্রভৃতি পরিবর্তনশীল অবস্থায় কবিতা কখনো একই মত ও দৃষ্টিভংগীর ওপর স্থির থাকে না। অনুরূপ জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে একই কথা। ইতিহাসের প্রাচীন কিংবা আধুনিক কোন যুগেই এমন কোন জ্যোতিষীর সাক্ষাত মেলেনি যে, কুরআনের বিধানের মত একটি পরিপূর্ণ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সমগ্র জীবনের উপযোগী বিধান রচনা করবে। পক্ষান্তরে কুরআন যে আদর্শ ও মতবাদ দিয়েছে তা আগাগোড়া খুঁটিনাটি সব ভিত্তিমূল থেকে গড়ে তুলেছে কুরআন নিজেই। তার উৎস আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং নিজে সে কথাও তিনি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন।



রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের সময় বহিরাগত হাজীদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত দিতেন। কিন্তু মক্কার মুশরিকরা এ দাওয়াতী কার্যক্রম থেকে বাধা দেওয়ার ফন্দি করল। অলীদ বিন মুগীরাহ তার গৃহে সলাপরামর্শের জন্য একটি বৈঠক ডাকল। অলীদ বলল : হাজীদেরকে মুহাম্মাদ দাওয়াত দিতে গেলে আমরা কী বলে তাকে হাজীদের থেকে সরাতে পারব? আমাদেরকে একটি কথার ওপর একমত হওয়া দরকার যাতে পরে মতবিরোধ না হয়। সবাই বলল আপনি একটি কথা ঠিক করে দেন। অলীদ বলল : তোমরাই বল, আমি শুনব। কেউ বলল : আমরা বলব, সে একজন গণক; আপনারা তার কথা শুনবেন না। অলীদ বলল : আল্লাহ তা‘আলার কসম! না। আমি গণকের কথা শুনেছি তার কথা গণকের কথার সাথে কোন মিল নেই। কেউ বলল : তাহলে বলব, সে পাগল। অলীদ বলল : সে পাগল নয়, আমি পাগল দেখেছি। কেউ বলল : তাহলে বলব, সে কবি। অলীদ বলল : না, সে কবিও না, আমি সব ধরনের কবিতা দেখেছি। মুহ্ম্মাাদ যা বলে কবিতার সাথে তার কোন মিল নেই। তারপর বলল : তাহলে বলব : সে জাদুকর। অলীদ বলল : না সে জাদুকরও না, আমি অনেক জাদুকর দেখেছি। অবশেষে অলীদ বলল : আল্লাহ তা‘আলার শপথ! তার কথা বড়ই মিষ্টি মধুর, তাঁর ভিত ও শিকড় বড়ই শক্ত এবং শাখা-প্রশাখা বড়ই মনোমুগ্ধকর। তোমরা তাঁর সম্পর্কে যাই বল তাঁর সংস্পর্শে যারা কিছুক্ষণ থাকবে তোমাদের কথা-বার্তাকে অবশ্যই মিথ্যা মনে করবে। (আর রাহীকূল মাখতুম)



আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :



১. আল্লাহ তা‘আলা যে কারো নামে শপথ করতে পারেন, কিন্তু বান্দা আল্লাহ তা‘আলার নাম বা গুণাবলী ছাড়া অন্য কোন নামে শপথ করতে পারবে না।

২. কুরআনকে রাসূলের বাণী বলে সম্পৃক্ত করার হিকমত জানলাম।

৩. কুরআন কোন গণক, জ্যোতিষী বা মানুষের তৈরি কিতাব নয়; বরং তা নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা‘আলার বাণী।


তাফসীরে ইবনে কাসীর (তাহক্বীক ছাড়া)


তাফসীর: ৩৮-৪৩ নং আয়াতের তাফসীর

আল্লাহ তা'আলা স্বীয় সৃষ্টবস্তুর মধ্য হতে তার ঐ সব নিদর্শনের শপথ করছেন যেগুলো মানুষ দেখতে পাচ্ছে এবং ঐগুলোরও কসম খাচ্ছেন যেগুলো মানুষের দৃষ্টির অন্তরালে রয়েছে। তিনি এর উপর শপথ করছেন যে, কুরআন কারীম তাঁর বাণী ও তাঁর ওহী, যা তিনি স্বীয় বান্দা ও রাসূল (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ করেছেন, যাকে তিনি আমানত আদায় ও রিসালাতের প্রচারের জন্যে পছন্দ ও মনোনীত করেছেন। (আরবি) দ্বারা হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। এর সম্বন্ধ তার সাথে লাগানোর কারণ এই যে, এর প্রচারক ও উপস্থাপক তো তিনিই। এ জন্যে (আরবি) শব্দ আনয়ন করা হয়েছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তো তাঁর পয়গাম পৌঁছিয়ে থাকেন যিনি তাঁকে প্রেরণ করেছেন। ভাষা তাঁর হলেও উক্তি হলো তাঁকে যিনি প্রেরণ করেছেন তাঁর। এ কারণেই সূরা তাকভীরে এর সম্বন্ধ লাগানো হয়েছে ফেরেশতা-দূতের সাথে (অর্থাৎ হযরত জিবরাঈলের আঃ) সাথে। ঘোষিত হয়েছেঃ (আরবি)

অর্থাৎ “নিশ্চয়ই এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবহের আনীত বাণী। যে সামর্থশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদা সম্পন্ন, যাকে সেখানে মান্য করা হয় এবং যে বিশ্বাসভাজন।”(৮১:১৯-২১) আর ইনি হলেন হযরত জিবরাঈল (আঃ)। এ জন্যেই এর পরেই বলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “তোমাদের সাথী (হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)) পাগল নয়।”(৮১:২২) তারপর বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “অবশ্যই মুহাম্মাদ (সঃ) তাকে জিবরাঈলকে (আঃ) তার প্রকৃত আকৃতিতে স্পষ্ট প্রান্তে দেখেছে।”(৮১:২৩) এরপর বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “সে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে কৃপণ নয়।”(৮১:২৪) (আরবি) অর্থাৎ “এটা অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়।”(৮১:২৫)

অনুরূপভাবে এখানেও বলেনঃ “এটা কোন কবির রচনা নয়, তোমরা অল্পই বিশ্বাস করে থাকে। এটা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন করে থাকো।” সুতরাং মহান আল্লাহ কোন কোন সময় নিজের বাণীর সম্বন্ধ লাগিয়েছেন মানব দূতের দিকে, আবার কখনো কখনো সম্বন্ধ লাগিয়েছেন ফেরেশতা দূতের দিকে। কেননা, তারা উভয়েই আল্লাহর বাণীর প্রচারক এবং তারা বিশ্বাস ভাজন। হ্যাঁ, তবে প্রকৃতপক্ষে বাণী কার? এটাও সাথে সাথে বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “এটা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ।”

মুসনাদে আহমাদে হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ “আমি ইসলাম গ্রহণের পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উদ্দেশ্যে বের হই। দেখি যে, তিনি আমার পূর্বেই মসজিদে হারামে হাযির হয়ে গেছেন। আমি তার পিছনে দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি সূরা হাককাহ পাঠ করতে শুরু করেন। কুরআনের অলংকারপূর্ণ ভাষা শুনে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। আমি মনে মনে বলি যে, কুরায়েশরা যে এঁকে কবি বলেছে তা সঠিকই বটে। আমার মনে এ খেয়াল জেগেই আছে, ইতিমধ্যে তিনি পাঠ করলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বাহিত বার্তা। এটা কোন কবির রচনা নয়, তোমরা অল্পই বিশ্বাস করে থাকো।” তখন আমার মনে খেয়াল জাগলো যে, ইনি কবি না হলে অবশ্যই যাদুকর। তখন তিনি পাঠ করলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “এটা কোন যাদুকর বা গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন করে থাকো। এটা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ। সে যদি আমার নামে কিছু রচনা করে চালাতে চেষ্টা করতো, তবে অবশ্যই আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম এবং কেটে দিতাম তার জীবন-ধমনী। অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউই নেই, যে তাকে রক্ষা করতে পারে (শেষ আয়াত পর্যন্ত)।” এটা ছিল প্রথম ঘটনা, যার ফলে ইসলাম আমার অন্তরে পূর্ণভাবে ঘর করে বসে এবং প্রতিটি লোমকূপে ওর সত্যতা প্রবেশ করে। সুতরাং যেসব কারণ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে সুপথ প্রদর্শনে ক্রিয়াশীল হয়েছিল তন্মধ্যে এটাও ছিল একটি বিশেষ কারণ। আমরা তাঁর ইসলাম গ্রহণের পূর্ণ ঘটনাটি ‘সীরাতে উমারফূ’ নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছি। আল্লাহরই জন্যে সমস্ত প্রশংসা এবং আমরা তাঁর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।





সতর্কবার্তা
কুরআনের কো্নো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।