আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


نٓ وَ الْقَلَمِ وَ مَا یَسْطُرُوْنَ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
নূন ওয়াল কালামি ওয়ামা- ইয়াছতুরূন।
আল বায়ান:
নূন; কলমের কসম এবং তারা যা লিখে তার কসম!
তাইসিরুল কুরআন:
নূন, কলমের শপথ আর লেখকেরা যা লেখে তার শপথ।
Sahih International:
Nun. By the pen and what they inscribe,



مَاۤ اَنْتَ بِنِعْمَۃِ رَبِّکَ بِمَجْنُوْنٍ ۚ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
মাআনতা বিনি‘মাতি রাব্বিকা বিমাজনূন।
আল বায়ান:
তোমার রবের অনুগ্রহে তুমি পাগল নও।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি পাগল নও।
Sahih International:
You are not, [O Muhammad], by the favor of your Lord, a madman.



وَ اِنَّ لَکَ لَاَجْرًا غَیْرَ مَمْنُوْنٍ ۚ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না লাকা লাআজরান গাইরা মামনূন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার জন্য অবশ্যই আছে অফুরন্ত পুরস্কার,
Sahih International:
And indeed, for you is a reward uninterrupted.



وَ اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیْمٍ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাকা লা‘আলা-খুলুকিন ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত।
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের উচ্চমার্গে উন্নীত।
Sahih International:
And indeed, you are of a great moral character.



فَسَتُبْصِرُ وَ یُبْصِرُوْنَ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ফাছাতুবসিরু ওয়া ইউবসিরূন।
আল বায়ান:
অতঃপর শীঘ্রই তুমি দেখতে পাবে এবং তারাও দেখতে পাবে-
তাইসিরুল কুরআন:
শীঘ্রই তুমি দেখতে পাবে আর তারাও দেখবে,
Sahih International:
So you will see and they will see



بِاَىیِّکُمُ الْمَفْتُوْنُ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
বিআইয়িকুমুল মাফতূন।
আল বায়ান:
তোমাদের মধ্যে কে বিকারগ্রস্ত?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের মধ্যে কে পাগলামিতে আক্রান্ত।
Sahih International:
Which of you is the afflicted [by a devil].



اِنَّ رَبَّکَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِیْلِهٖ ۪ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِیْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না রাব্বাকা হুওয়া আ‘লামুবিমান দাল্লা ‘আন ছাবীলিহী ওয়াহুওয়া আ‘লামু বিলমুহতাদীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার রবই সম্যক পরিজ্ঞাত তাদের ব্যাপারে যারা তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, আর তিনি হিদায়াতপ্রাপ্তদের সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক বেশি জানেন কে তাঁর পথ থেকে গুমরাহ হয়ে গেছে, আর সঠিক পথপ্রাপ্তদেরকেও তিনি ভাল করে জানেন।
Sahih International:
Indeed, your Lord is most knowing of who has gone astray from His way, and He is most knowing of the [rightly] guided.



فَلَا تُطِعِ الْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফালা-তুতি‘ইল মুকাযযি বীন।
আল বায়ান:
অতএব তুমি মিথ্যারোপকারীদের আনুগত্য করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি মিথ্যাবাদীদের কথা মান্য কর না।
Sahih International:
Then do not obey the deniers.



وَدُّوْا لَوْ تُدْهِنُ فَیُدْهِنُوْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াদ্দূলাও তুদহিনুফাইউদহিনূন।
আল বায়ান:
তারা কামনা করে, যদি তুমি আপোষকামী হও, তবে তারাও আপোষকারী হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা চায় যে, তুমি যদি নমনীয় হও, তবে তারাও নমনীয় হবে,
Sahih International:
They wish that you would soften [in your position], so they would soften [toward you].



وَ لَا تُطِعْ کُلَّ حَلَّافٍ مَّهِیْنٍ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তুতি‘ কুল্লা হাল্লাফিম মাহীন।
আল বায়ান:
আর তুমি আনুগত্য করো না প্রত্যেক এমন ব্যক্তির যে অধিক কসমকারী, লাঞ্ছিত।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তার অনুসরণ কর না, যে বেশি বেশি কসম খায় আর যে (বার বার মিথ্যা কসম খাওয়ার কারণে মানুষের কাছে) লাঞ্ছিত।
Sahih International:
And do not obey every worthless habitual swearer



هَمَّازٍ مَّشَّآءٍۭ بِنَمِیْمٍ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
হাম্মা-যিম মাশশাইম বিনামীম।
আল বায়ান:
পিছনে নিন্দাকারী ও যে চোগলখুরী করে বেড়ায়,
তাইসিরুল কুরআন:
যে পশ্চাতে নিন্দা করে একের কথা অপরের কাছে লাগিয়ে ফিরে,
Sahih International:
[And] scorner, going about with malicious gossip -



مَّنَّاعٍ لِّلْخَیْرِ مُعْتَدٍ اَثِیْمٍ ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
মান্না-‘ইলিলল খাইরি মু‘তাদিন আছীম।
আল বায়ান:
ভাল কাজে বাধাদানকারী, সীমালঙ্ঘনকারী অপরাধী,
তাইসিরুল কুরআন:
যে ভাল কাজে বাধা দেয়, সীমালঙ্ঘনকারী, পাপিষ্ঠ,
Sahih International:
A preventer of good, transgressing and sinful,



عُتُلٍّۭ بَعْدَ ذٰلِکَ زَنِیْمٍ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
‘উতুলিলম বা‘দা যা- লিকা যানীম।
আল বায়ান:
দুষ্ট প্রকৃতির, তারপর জারজ।
তাইসিরুল কুরআন:
কঠোর স্বভাব, তার উপরে আবার কুখ্যাত।
Sahih International:
Cruel, moreover, and an illegitimate pretender.



اَنْ کَانَ ذَا مَالٍ وَّ بَنِیْنَ ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
আন কা-না যা- মা-লিওঁ ওয়া বানীন।
আল বায়ান:
এ কারণে যে, সে ছিল ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততির অধিকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
কারণ সে সম্পদ আর (অনেক) সন্তানাদির অধিকারী।
Sahih International:
Because he is a possessor of wealth and children,



اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِ اٰیٰتُنَا قَالَ اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইযা-তুতলা- ‘আলাইহি আ-য়া-তুনা- কা- লা আছা-তীরুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
যখন তার কাছে আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয় তখন সে বলে, এগুলো পূর্ববর্তীদের কল্পকাহিনীমাত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
তার কাছে যখন আমার আয়াত পাঠ করা হয় তখন সে বলে, ‘‘এতো আগে কালের লোকেদের কিসসা কাহিনী মাত্র।
Sahih International:
When Our verses are recited to him, he says, "Legends of the former peoples."



سَنَسِمُهٗ عَلَی الْخُرْطُوْمِ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ছানাছিমুহূ‘আলাল খুরতূম।
আল বায়ান:
অচিরেই আমি তার শুঁড়ের* উপর দাগ দিয়ে দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তার শুঁড়ের উপর দাগ দিয়ে দিব (অর্থাৎ তাকে লাঞ্ছিত করব)।
Sahih International:
We will brand him upon the snout.



اِنَّا بَلَوْنٰهُمْ کَمَا بَلَوْنَاۤ اَصْحٰبَ الْجَنَّۃِ ۚ اِذْ اَقْسَمُوْا لَیَصْرِمُنَّهَا مُصْبِحِیْنَ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না- বালাওনা- হুম কামা-বালাওনাআসাহা-বাল জান্নাতি ইযআকছামূ লাইয়াসরিমুন্নাহা- মুসবিহীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি এদেরকে পরীক্ষা করেছি, যেভাবে পরীক্ষা করেছিলাম বাগানের মালিকদেরকে। যখন তারা কসম করেছিল যে, অবশ্যই তারা সকাল বেলা বাগানের ফল আহরণ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি এদেরকে (অর্থাৎ মক্কাবাসীদেরকে) পরীক্ষা করেছি যেমন আমি বাগানের মালিকদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম। যখন তারা কসম করে বলেছিল যে, তারা সকাল বেলায় অবশ্যই বাগানের ফল সংগ্রহ করে নেবে।
Sahih International:
Indeed, We have tried them as We tried the companions of the garden, when they swore to cut its fruit in the [early] morning



وَ لَا یَسْتَثْنُوْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-ইয়াছতাছনূন।
আল বায়ান:
আর তারা ‘ইনশাআল্লাহ’ বলেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা ‘ইনশাআল্লাহ’ বলেনি।
Sahih International:
Without making exception.



فَطَافَ عَلَیْهَا طَآئِفٌ مِّنْ رَّبِّکَ وَ هُمْ نَآئِمُوْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফাতা-ফা ‘আলাইহা- তাইফুম মিররাব্বিকা ওয়া হুম নাইমূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তোমার রবের পক্ষ থেকে এক প্রদক্ষিণকারী (আগুন) বাগানের ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে গেল, আর তারা ছিল ঘুমন্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে বাগানে এক বিপদ এসে পড়ল যখন তারা ছিল নিদ্রিত।
Sahih International:
So there came upon the garden an affliction from your Lord while they were asleep.



فَاَصْبَحَتْ کَالصَّرِیْمِ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআসবাহাত কাসসারীম।
আল বায়ান:
ফলে তা (পুড়ে) কালো বর্ণের হয়ে গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
যার ফলে তা হয়ে গেল বিবর্ণ কাটা ফসলের মত।
Sahih International:
And it became as though reaped.



فَتَنَادَوْا مُصْبِحِیْنَ ﴿ۙ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ফাতানা-দাও মুসবিহীন।
আল বায়ান:
তারপর সকাল বেলা তারা একে অপরকে ডেকে বলল,
তাইসিরুল কুরআন:
সকালে একে অপরকে ডেকে বলল,
Sahih International:
And they called one another at morning,



اَنِ اغْدُوْا عَلٰی حَرْثِکُمْ اِنْ کُنْتُمْ صٰرِمِیْنَ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
আনিগদূ‘আলা-হারছিকুম ইন কুনতুম সা-রিমীন।
আল বায়ান:
‘তোমরা যদি ফল আহরণ করতে চাও তাহলে সকাল সকাল তোমাদের বাগানে যাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
‘তোমরা যদি ফল সংগ্রহ করতে চাও তবে সকাল সকাল ক্ষেতে চল।
Sahih International:
[Saying], "Go early to your crop if you would cut the fruit."



فَانْطَلَقُوْا وَ هُمْ یَتَخَافَتُوْنَ ﴿ۙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ফানতালাকূওয়া হুম ইয়াতাখা-ফাতূন।
আল বায়ান:
তারপর তারা চলল, নিম্নস্বরে একথা বলতে বলতে-
তাইসিরুল কুরআন:
তারা চুপি চুপি কথা বলতে বলতে চলল।
Sahih International:
So they set out, while lowering their voices,



اَنْ لَّا یَدْخُلَنَّهَا الْیَوْمَ عَلَیْکُمْ مِّسْکِیْنٌ ﴿ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-ইয়াদখুলান্নাহাল ইয়াওমা ‘আলাইকুম মিছকীন।
আল বায়ান:
যে, ‘আজ সেখানে তোমাদের কাছে কোন অভাবী যেন প্রবেশ করতে না পারে’।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আজ যেন সেখানে তোমাদের কাছে মিসকীনরা অবশ্যই ঢুকতে না পারে।’
Sahih International:
[Saying], "There will surely not enter it today upon you [any] poor person."



وَّ غَدَوْا عَلٰی حَرْدٍ قٰدِرِیْنَ ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া গাদাও ‘আলা- হার দিন কা- দিরীন।
আল বায়ান:
আর তারা ভোর বেলা দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি নিয়ে সক্ষম অবস্থায় (বাগানে) গেল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা এক (অন্যায়) সিদ্ধান্তে সংকল্পবদ্ধ হয়ে সকাল করল।
Sahih International:
And they went early in determination, [assuming themselves] able.



فَلَمَّا رَاَوْهَا قَالُوْۤا اِنَّا لَضَآلُّوْنَ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ফালাম্মা- রআওহা-কা- লূইন্না-লাদাললূন।
আল বায়ান:
তারপর তারা যখন বাগানটি দেখল, তখন তারা বলল, ‘অবশ্যই আমরা পথভ্রষ্ট’।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা যখন বাগানটি দেখল তখন তারা বলল, ‘‘আমরা অবশ্যই পথ হারিয়ে ফেলেছি,
Sahih International:
But when they saw it, they said, "Indeed, we are lost;



بَلْ نَحْنُ مَحْرُوْمُوْنَ ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
বাল নাহনূমাহরূমূন।
আল বায়ান:
‘বরং আমরা বঞ্চিত’।
তাইসিরুল কুরআন:
(অতঃপর ব্যাপারটি বুঝতে পারার পর তারা বলে উঠল) বরং আমরা তো কপাল পোড়া।’’
Sahih International:
Rather, we have been deprived."



قَالَ اَوْسَطُهُمْ اَلَمْ اَقُلْ لَّکُمْ لَوْ لَا تُسَبِّحُوْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কা-লা আওছাতুহুম আলাম আকুল্লাকুম লাওলা-তুছাব্বিহূন
আল বায়ান:
তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ব্যক্তিটি বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, তোমরা কেন (আল্লাহর) তাসবীহ পাঠ করছ না’?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে ভাল লোকটি বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছ না কেন?’
Sahih International:
The most moderate of them said, "Did I not say to you, 'Why do you not exalt [Allah]?' "



قَالُوْا سُبْحٰنَ رَبِّنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
কা-লূছুবহা- না রাব্বিনাইন্না-কুন্না- জা- লিমীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘আমরা আমাদের রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমরা যালিম ছিলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আমরা সীমালঙ্ঘনকারীই ছিলাম।’
Sahih International:
They said, "Exalted is our Lord! Indeed, we were wrongdoers."



فَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ یَّتَلَاوَمُوْنَ ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআকবালা বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিইঁ ইয়াতালা-ওয়ামূন।
আল বায়ান:
তারপর তারা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করতে লাগল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তারা একে অপরের দিকে এগিয়ে গিয়ে পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করতে লাগল।
Sahih International:
Then they approached one another, blaming each other.



قَالُوْا یٰوَیْلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا طٰغِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
কা-লূইয়া- ওয়াইলানা ইন্না-কুন্না-তা-গীন।
আল বায়ান:
তারা বলল, ‘হায়, আমাদের ধ্বংস! নিশ্চয় আমরা সীমালঙ্ঘনকারী ছিলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলল, ‘দুর্ভোগ আমাদের, আমরা ছিলাম সীমালঙ্ঘনকারী,
Sahih International:
They said, "O woe to us; indeed we were transgressors.



عَسٰی رَبُّنَاۤ اَنْ یُّبْدِلَنَا خَیْرًا مِّنْهَاۤ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا رٰغِبُوْنَ ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
‘আছা-রাব্বুনাআইঁ ইউবদিলানা-খাইরাম মিনহাইন্নাইলা-রাব্বিনা-রা-গিবূন।
আল বায়ান:
সম্ভবতঃ আমাদের রব আমাদেরকে এর চেয়েও উৎকৃষ্টতর বিনিময় দেবেন। অবশ্যই আমরা আমাদের রবের প্রতি আগ্রহী।
তাইসিরুল কুরআন:
সম্ভবতঃ আমাদের প্রতিপালক এর পরিবর্তে আমাদেরকে উত্তম (বাগান) দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম।’
Sahih International:
Perhaps our Lord will substitute for us [one] better than it. Indeed, we are toward our Lord desirous."



کَذٰلِکَ الْعَذَابُ ؕ وَ لَعَذَابُ الْاٰخِرَۃِ اَکْبَرُ ۘ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকাল ‘আযা-বু ওয়ালা‘আযা-বুল আ-খিরাতি আকবারু । লাও কা-নূ ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
এভাবেই হয় আযাব। আর পরকালের আযাব অবশ্যই আরো বড়, যদি তারা জানত।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আযাব এ রকমই হয়ে থাকে। আর আখিরাতের ‘আযাব তো সবচেয়ে কঠিন। যদি তারা জানত!
Sahih International:
Such is the punishment [of this world]. And the punishment of the Hereafter is greater, if they only knew.



اِنَّ لِلْمُتَّقِیْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنّٰتِ النَّعِیْمِ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না লিলমুত্তাকীনা ‘ইনদা রাব্বিহিম জান্না-তিন না‘ঈম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে নিআমতপূর্ণ জান্নাত।
তাইসিরুল কুরআন:
মুত্তাক্বীদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে নি‘মাতে পরিপূর্ণ জান্নাত।
Sahih International:
Indeed, for the righteous with their Lord are the Gardens of Pleasure.



اَفَنَجْعَلُ الْمُسْلِمِیْنَ کَالْمُجْرِمِیْنَ ﴿ؕ۳۵﴾
উচ্চারণ:
আফানাজ‘আলুল মুছলিমীনা কালমুজরিমীন।
আল বায়ান:
তবে কি আমি মুসলিমদেরকে (অনুগতদেরকে) অবাধ্যদের মতই গণ্য করব?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি আত্মসমর্পণকারীদেরকে অপরাধীদের মত গণ্য করব?
Sahih International:
Then will We treat the Muslims like the criminals?



مَا لَکُمْ ٝ کَیْفَ تَحْکُمُوْنَ ﴿ۚ۳۶﴾
উচ্চারণ:
মা-লাকুম কাইফা তাহকুমূন।
আল বায়ান:
তোমাদের কী হল, তোমরা কিভাবে ফয়সালা করছ?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের কী হয়েছে, তোমরা কেমনভাবে বিচার করে সিদ্ধান্ত দিচ্ছ?
Sahih International:
What is [the matter] with you? How do you judge?



اَمْ لَکُمْ کِتٰبٌ فِیْهِ تَدْرُسُوْنَ ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
আম লাকুম কিতা-বুন ফীহি তাদরুছূন।
আল বায়ান:
তোমাদের কাছে কি কোন কিতাব আছে যাতে তোমরা পাঠ করছ?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের কাছে কি (আল্লাহর নাযিলকৃত) কোন কিতাব আছে যা পড়ে তোমরা জানতে পার যে,
Sahih International:
Or do you have a scripture in which you learn



اِنَّ لَکُمْ فِیْهِ لَمَا تَخَیَّرُوْنَ ﴿ۚ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্না লাকুম ফীহি লামা- তাখাইইয়ারূন।
আল বায়ান:
যে, নিশ্চয় তোমাদের জন্য সেখানে রয়েছে যা তোমরা পছন্দ কর?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের জন্য সেখানে তাই আছে যা তোমরা পছন্দ কর?
Sahih International:
That indeed for you is whatever you choose?



اَمْ لَکُمْ اَیْمَانٌ عَلَیْنَا بَالِغَۃٌ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ ۙ اِنَّ لَکُمْ لَمَا تَحْکُمُوْنَ ﴿ۚ۳۹﴾
উচ্চারণ:
আম লাকুম আইমা-নুন ‘আলাইনা- বা-লিগাতুন ইলা-ইয়াওমিল কিয়া-মাতি ইন্না লাকুম লামা-তাহকুমূন।
আল বায়ান:
অথবা তোমাদের জন্য কি আমার উপর কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ কোন অঙ্গীকার রয়েছে যে, অবশ্যই তোমাদের জন্য থাকবে তোমরা যা ফয়সালা করবে?
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা তোমাদের জন্য আমার উপর কি ক্বিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ কোন দায়বদ্ধতা আছে যে, তোমরা যা দাবী করবে তাই পাবে?
Sahih International:
Or do you have oaths [binding] upon Us, extending until the Day of Resurrection, that indeed for you is whatever you judge?



سَلْهُمْ اَیُّهُمْ بِذٰلِکَ زَعِیْمٌ ﴿ۚۛ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ছালহুম আইয়ুহুম বিযা-লিকা যা‘ঈম।
আল বায়ান:
তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে এ ব্যাপারে যিম্মাদার?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর (আল্লাহ যে তাদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিতে দায়বদ্ধ) এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোন্ ব্যক্তি জামিনদার (গ্যারান্টর)?
Sahih International:
Ask them which of them, for that [claim], is responsible.



اَمْ لَهُمْ شُرَکَآءُ ۚۛ فَلْیَاْتُوْا بِشُرَکَآئِهِمْ اِنْ کَانُوْا صٰدِقِیْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
আম লাহুম শুরাকা-উ ফালইয়া’তূবিশুরাকাইহিম ইন কা-নূসা-দিকীন।
আল বায়ান:
অথবা তাদের জন্য কি অনেক শরীক আছে? তাহলে তারা তাদের শরীকদেরকে উপস্থিত করুক যদি তারা সত্যবাদী হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা তাদের কি শরীক উপাস্য আছে, থাকলে তাদের শরীক উপাস্যদেরকে হাজির করুক- তারা যদি সত্যবাদী হয়ে থাকে।
Sahih International:
Or do they have partners? Then let them bring their partners, if they should be truthful.



یَوْمَ یُکْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّ یُدْعَوْنَ اِلَی السُّجُوْدِ فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَ ﴿ۙ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইউকশাফূ‘আন ছা-কিওঁ ওয়াইউদ‘আওনা ইলাছছুজূদি ফালা-ইয়াছতাতী‘ঊন।
আল বায়ান:
সে দিন পায়ের গোছা* উন্মোচন করা হবে। আর তাদেরকে সিজদা করার জন্য আহবান জানানো হবে, কিন্তু তারা সক্ষম হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন (ক্বিয়ামতে) পায়ের গোছা (হাঁটুর নিম্নভাগ) উন্মোচিত হবে আর তাদেরকে ডাকা হবে সেজদা করার জন্য, কিন্তু তারা সেজদা করতে সক্ষম হবে না।
Sahih International:
The Day the shin will be uncovered and they are invited to prostration but the disbelievers will not be able,



خَاشِعَۃً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّۃٌ ؕ وَ قَدْ کَانُوْا یُدْعَوْنَ اِلَی السُّجُوْدِ وَ هُمْ سٰلِمُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
খা-শি‘আতান আবসা-রুহুম তারহাকুহুম যিল্লাতুওঁ ওয়াকাদ কা-নূইউদ‘আওনা ইলাছছুজূদি ওয়াহুম ছা-লিমূন।
আল বায়ান:
তাদের দৃষ্টিসমূহ অবনত অবস্থায় থাকবে, অপমান তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। অথচ তাদেরকে তো নিরাপদ অবস্থায় সিজদা করার জন্য আহবান করা হত (তখন তো তারা সিজদা করেনি)।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের দৃষ্টি হবে অবনত, অপমান লাঞ্ছনা তাদের উপর চেপে বসবে। (দুনিয়াতে) তারা যখন সুস্থ ও নিরাপদ ছিল তখনও তাদেরকে সেজদা করার জন্য ডাকা হত (কিন্তু তারা সেজদা করত না)
Sahih International:
Their eyes humbled, humiliation will cover them. And they used to be invited to prostration while they were sound.



فَذَرْنِیْ وَ مَنْ یُّکَذِّبُ بِهٰذَا الْحَدِیْثِ ؕ سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِّنْ حَیْثُ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿ۙ۴۴﴾
উচ্চারণ:
ফাযারনী ওয়া মাইঁ ইউকাযযি বুবিহা-যাল হাদীছি ছানাছতাদরিজুহুম মিন হাইছুলাইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
অতএব ছেড়ে দাও আমাকে এবং যারা এ বাণী প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে। আমি তাদেরকে ধীরে ধীরে এমনভাবে পাকড়াও করব যে, তারা জানতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই ছেড়ে দাও আমাকে আর তাদেরকে যারা এ বাণীকে অস্বীকার করেছে। আমি তাদেরকে ক্রমে ক্রমে আস্তে আস্তে এমনভাবে ধরে টান দিব যে, তারা একটু টেরও পাবে না।
Sahih International:
So leave Me, [O Muhammad], with [the matter of] whoever denies the Qur'an. We will progressively lead them [to punishment] from where they do not know.



وَ اُمْلِیْ لَهُمْ ؕ اِنَّ کَیْدِیْ مَتِیْنٌ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উমলী লাহুম ইন্না কাইদী মাতীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে অবকাশ দেব। অবশ্যই আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাদেরকে (লম্বা) সময় দেই, আমার কৌশল বড়ই মজবুত।
Sahih International:
And I will give them time. Indeed, My plan is firm.



اَمْ تَسْـَٔلُهُمْ اَجْرًا فَهُمْ مِّنْ مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُوْنَ ﴿ۚ۴۶﴾
উচ্চারণ:
আম তাছআলুহুম আজরান ফাহুম মিম মাগরামিম মুছকালূন।
আল বায়ান:
তুমি কি তাদের কাছে পারিশ্রমিক চাচ্ছ? ফলে তারা ঋণের কারণে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছ যে, দেনার দায়ভার বহন করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে?
Sahih International:
Or do you ask of them a payment, so they are by debt burdened down?



اَمْ عِنْدَهُمُ الْغَیْبُ فَهُمْ یَکْتُبُوْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
আম ‘ইনদাহুমুল গাইবুফাহুম ইয়াকতুবূন।
আল বায়ান:
অথবা তাদের কাছে কি ‘গায়েব’ (লওহে মাহফুয) আছে যে, তারা লিখে রাখছে।
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি তাদের কাছে গায়বের খবর আছে যা তা তারা লিখে রাখে।
Sahih International:
Or have they [knowledge of] the unseen, so they write [it] down?



فَاصْبِرْ لِحُکْمِ رَبِّکَ وَ لَا تَکُنْ کَصَاحِبِ الْحُوْتِ ۘ اِذْ نَادٰی وَ هُوَ مَکْظُوْمٌ ﴿ؕ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ফাসবির লিহুকমি রাব্বিকা ওয়ালা-তাকুন কাসা-হিবিল হূত । ইয না -দা- ওযা হুওয়া মাকজূম।
আল বায়ান:
অতএব তুমি তোমার রবের হুকুমের জন্য ধৈর্যধারণ কর। আর তুমি মাছওয়ালার মত হয়ো না, যখন সে দুঃখে কাতর হয়ে ডেকেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি তোমার প্রতিপালকের হুকুমের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা কর, আর মাছওয়ালা [ইউনুস (আঃ)] এর মত (অধৈর্য) হয়ো না। স্মরণ কর যখন সে (তার প্রতিপালককে ডাক দিয়েছিল চিন্তায় দুঃখে আচ্ছন্ন হয়ে।
Sahih International:
Then be patient for the decision of your Lord, [O Muhammad], and be not like the companion of the fish when he called out while he was distressed.



لَوْ لَاۤ اَنْ تَدٰرَکَهٗ نِعْمَۃٌ مِّنْ رَّبِّهٖ لَنُبِذَ بِالْعَرَآءِ وَ هُوَ مَذْمُوْمٌ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
লাওলা আন তাদা-রাকাহূনি‘মাতুম মিররাব্বিহী লানুবিযা বিল‘আরাইওযাহুওয়া মাযমূম।
আল বায়ান:
যদি তার রবের অনুগ্রহ তার কাছে না পৌঁছত, তাহলে সে নিন্দিত অবস্থায় উন্মুক্ত প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত হত।
তাইসিরুল কুরআন:
তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ যদি তার কাছে না পৌঁছত, তাহলে সে লাঞ্ছিত অবস্থায় ধুঁধুঁ বালুকাময় তীরে নিক্ষিপ্ত হত।
Sahih International:
If not that a favor from his Lord overtook him, he would have been thrown onto the naked shore while he was censured.



فَاجْتَبٰهُ رَبُّهٗ فَجَعَلَهٗ مِنَ الصّٰلِحِیْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফাজতাবা- হু রাব্বুহূফাজা‘আলাহূমিনাসসা-লিহীন।
আল বায়ান:
তারপর তার রব তাকে মনোনীত করলেন এবং তাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করলেন।
তাইসিরুল কুরআন:
এভাবে তার প্রতিপালক তাকে বেছে নিলেন আর তাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করলেন।
Sahih International:
And his Lord chose him and made him of the righteous.



وَ اِنْ یَّکَادُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَیُزْلِقُوْنَکَ بِاَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّکْرَ وَ یَقُوْلُوْنَ اِنَّهٗ لَمَجْنُوْنٌ ﴿ۘ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়ঁ ইয়াকা- দুল্লাযীনা কাফারূ লাইউযলিকূনাকা বিআবসা-রিহিম লাম্মাছামি‘উযযিকরা ওয়া ইয়াকূলূনা ইন্নাহূলামাজনূন।
আল বায়ান:
আর কাফিররা যখন উপদেশবাণী শুনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়ে ফেলবে, আর তারা বলে, ‘এ তো এক পাগল’।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিররা যখন কুরআন শুনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়ে ফেলবে। আর তারা বলে, ‘‘সে তো অবশ্যই পাগল।’’
Sahih International:
And indeed, those who disbelieve would almost make you slip with their eyes when they hear the message, and they say, "Indeed, he is mad."



وَ مَا هُوَ اِلَّا ذِکْرٌ لِّلْعٰلَمِیْنَ ﴿۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-হুওয়া ইল্লা- যিকরুলিলল‘আ- লামীন।
আল বায়ান:
আর এ কুরআন তো সৃষ্টিকুলের জন্য শুধুই উপদেশবাণী।
তাইসিরুল কুরআন:
অথচ এ কুরআন বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
Sahih International:
But it is not except a reminder to the worlds.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।